diff --git "a/bengali-assamese/train.csv" "b/bengali-assamese/train.csv" new file mode 100644--- /dev/null +++ "b/bengali-assamese/train.csv" @@ -0,0 +1,922 @@ +source_url,target_url,text,summary +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF/,"ভারত মাতার জয় ! ভারত মাতার জয় ! ত্রিপুরার রাজ্যপাল শ্রী সত্যদেব আর্যজি, ত্রিপুরার তরুণ ও পরিশ্রমী মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব দেবজি, ত্রিপুরার উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী জিষ্ণু দেববর্মাজি, আমার মন্ত্রীসভার সহকর্মী বোন প্রতিমা ভৌমিকজি ও শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াজি, রাজ্য সরকারের মন্ত্রী শ্রী এন সি দেববর্মাজি, শ্রী রতনলাল নাথজি, শ্রী প্রাণজিত সিংহ রায়জি এবং শ্রী মনোজ কান্তি দেবজি, অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা ও এখানে উপস্থিত বিপুল সংখ্যক আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা ! আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা, নতুন বছর ২০২২ উপলক্ষ্যে আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন ! বছরের শুরুতে মা ত্রিপুরা সুন্দরীর আর্শিবাদে ত্রিপুরা আজ তিনটি উপহার পেতে চলেছে। প্রথম উপহার হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, দ্বিতীয় উপহার হল ‘মিশন ১০০, বিদ্যাজ্যোতি স্কুল’ আর তৃতীয় উপহার হলো ‘ত্রিপুরা গ্রাম সমৃদ্ধি যোজনা’। আজ এখানে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে। এই তিনটি উপহারের জন্য আপনাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই ! বন্ধুগণ, একবিংশ শতকের ভারত সকলকে একসঙ্গে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে, সকলের উন্নয়ন নিশ্চিত হবে এবং এক্ষেত্রে প্রত্যেকের উদ্যোগ থাকবে। কিছু রাজ্য যদি পিছিয়ে থাকে, কিছু রাজ্যের মানুষ যদি ন্যূনতম পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন তাহলে দেশের উন্নয়নে এ ধরণের অসাম্য কখনোই ভালো হতে পারেনা। এর আগে ত্রিপুরার মানুষ সেটিই দেখে এসেছেন। তাদের এই অভিজ্ঞতা কয়েক দশকের। আগে এখানে দুর্নীতির চাকা ঘোরা বন্ধ হতোনা আর উন্নয়নের গাড়ির ব্রেক সবসময় দেওয়া থাকতো। এর আগের সরকারের ত্রিপুরার উন্নয়নের বিষয়ে কোনো পরিকল্পনাও ছিলনা, ইচ্ছেও ছিলনা। ত্রিপুরা দারিদ্র ও অনুন্নয়নের সঙ্গে বসবাস করতো। এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য আমি ত্রিপুরার মানুষকে হীরা মডেলের কথা বলেছিলাম। এইচ অর্থাৎ হাইওয়ে (মহাসড়ক), আই অর্থাৎ ইন্টারনেট সংযোগ, আর অর্থাৎ রেলওয়ে এবং এ অর্থাৎ এয়ারওয়েজ (বিমান যোগাযোগ)। আজ হীরা মডেলের ওপর ভিত্তি করে ত্রিপুরার উন্নয়ন হচ্ছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসার ঘটছে। এখানে আসার আগে আম�� মহারাজা বীর বিক্রম বিমান বন্দরের নব নির্মিত টার্মিনাল ভবন সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেখছিলাম। ত্রিপুরার সংস্কৃতি, রাজ্যের ঐতিহ্য, স্থাপত্য এ সবকিছুর স্বাদ প্রতিটি পর্যটক এই বিমান বন্দরে পাবেন। ত্রিপুরার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, উনোকোটি পাহাড়ে আদিবাসীদের শিল্পকলা অথবা পাথরের ভাষ্কর্য সবকিছুর আনন্দই এই বিমান বন্দরে আপনি পাবেন। মহারাজা বীর বিক্রম বিমান বন্দরে নতুন সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলার ফলে এর ক্ষমতা তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন এখানে প্রায় ১ ডজন বিমান থাকতে পারবে। এর ফলে শুধুমাত্র ত্রিপুরা নয়, সমগ্র উত্তরপূর্ব ভারতে বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। যখন অন্তর্দেশীয় কার্গো টার্মিনাল এবং হিমঘরের কাজ শেষ হবে তখন সমস্ত উত্তর পূর্বাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য ও উন্নয়ন নতুন গতি পাবে। আমাদের মহারাজা বীর বিক্রমজি শিক্ষা ও স্থাপত্যে ত্রিপুরাকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। আজ তিনি ত্রিপুরার উন্নয়ন এবং এর জন্য সকলের উদ্যোগ দেখে অত্যন্ত আনন্দিত হবেন। বন্ধুগণ, আজ ত্রিপুরার যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি উত্তরপূর্বের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। সড়ক, রেল, বিমান অথবা জলপথ পরিবহণ- প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে আমাদের সরকার প্রচুর বিনিয়োগ করেছে, যা আগে কখনও হয়নি। এখন ত্রিপুরা এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন হাব হয়ে উঠছে। একটি ফ্রেড করিডর গড়ে তোলা হয়েছে। প্রচুর রাস্তা ও রেল প্রকল্প এবং আন্তর্জাতিক জলপথ বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছে। এর ফলে এই অঞ্চলের সংস্কার ত্বরান্বিত হচ্ছে। আমাদের সরকার আগরতলা-আখাউড়া রেল প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে উদ্যোগী হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, যখন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয় তখন কাজের অগ্রগতি দ্বিগুণ গতিতে হয়। আর এ কারণে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কোনো বিকল্প নেই। ডাবল ইঞ্জিন সরকারের অর্থ হলো সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, ডাবল ইঞ্জিন সরকারের অর্থ হলো সম্পূর্ণ সংবেদনশীলতা, ডাবল ইঞ্জিন সরকারের অর্থ হলো মানুষের দক্ষতার বিকাশ ঘটানো, ডাবল ইঞ্জিন সরকারের অর্থ হলো পরিষেবা দেওয়া ও একনিষ্ঠভাবে কাজ করা। ডাবল ইঞ্জিন সরকারের অর্থ হলো বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন। একটি ডাবল ইঞ্জিন সরকার সমৃদ্ধির দিকে যথাযথভাবে এগিয়ে চলে। আজ এখানে যে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা গ্রাম সমৃদ্ধি যোজনার সূচনা হতে চলেছে সেটি আসলে এগুলিরই উদাহরণ। এই প্রকল্পে প্রত্যেক বাড়িতে নলবাহিত জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে, প্রত্যেক দরিদ্র মানুষ তার মাথার ওপর পাকা ছাদ পাবেন। কিছু আগে আমি কয়েকজন সুবিধাভোগীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। এই প্রকল্পগুলির বিষয়ে তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আমি জানার চেষ্টা করছিলাম। আমি একটি মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি যে একটি বাড়ি পাবে। এ পর্যন্ত শুধু তার বাড়ির মেঝের কাজ শেষ হয়েছে, দেওয়াল এখনও গাঁথা হয়নি। কিন্তু এতেই সে এতো খুশি যে তার চোখ দিয়ে অবিরত জল গড়াচ্ছে। এই সরকার সাধারণ মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য একনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে। প্রতিটি যোগ্য পরিবার আজ আযুষ্মান যোজনা কার্ড পেয়েছে। আমি এমন একটি পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি যেখানে মা ও তার ছোট ছেলেটি ক্যান্সারে আক্রান্ত। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের জন্য এই মা ও ছেলেটির জীবন স্থিতিশীল তহবিলের সাহায্যে রক্ষা পাবে। যখন প্রত্যেক দরিদ্র মানুষ বিমার আওতায় আসেন, যখন প্রতিটি শিশু লেখাপড়া করার সুযোগ পায়, যখন প্রতিটি কৃষক কিষাণ ক্রেডিট কার্ড পান, প্রত্যেক গ্রামে ভালো রাস্তা তৈরি করা হয় তখন দরিদ্র মানুষের আস্থা বেড়ে যায়। দরিদ্র মানুষের জীবন আরও সহজ হয়। আমার দেশের প্রতিটি নাগরিকের ক্ষমতায়ণ হয়। আমার দরিদ্র নাগরিকরা ক্ষমতাশালী হয়ে উঠে। এই আস্থা সমৃদ্ধির ভিত রচনা করে। আর তাই আমি লালকেল্লার প্রকার থেকে বলেছিলাম আমাদের প্রত্যেক সুবিধাভোগীর কাছে প্রকল্পগুলি নিয়ে পৌঁছাতে হবে যাতে প্রত্যেক প্রকল্পের সর্বোচ্চ সুবিধা সবাই পেতে পারেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে ত্রিপুরা এই লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এ বছর ত্রিপুরার রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ার ৫০ বছর পূর্তি। এটি ত্রিপুরার জন্য বিশাল একটি বিষয়। ত্রিপুরা ইতিমধ্যেই গ্রামাঞ্চলে এবং দরিদ্র মানুষদের জন্য নানা কল্যাণমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশের প্রথম সারিতে রয়েছে। গ্রাম সমৃদ্ধি যোজনা ত্রিপুরার এই রেকর্ডকে আরও সমৃদ্ধ করবে। প্রত্যেক গ্রামের প্রতিটি দরিদ্র পরিবার যাতে ২০টির বেশি সুযোগ-সুবিধা পান সেটি নিশ্চিত করা হবে। কোনো গ্রাম নির্ধারিত সময়ের আগে যদি তার ১০০ শতাংশ লক্ষমাত্রা পূরণ করে সেক্ষেত্রে সেই গ্রামকে উৎসাহভাতা হিসেবে কয়েক লক্ষ টাকা দেওয়া হব���। এই ধারণাটি আমার খুব ভালো লেগেছে। কারণ এর মাধ্যমে উন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা হবে। বন্ধুগণ, ত্রিপুরা সরকার আজ দরিদ্র মানুষদের দুঃখ-দুর্দশা বুঝতে পারছে। তারা দরিদ্র মানুষদের জন্য সংবেদনশীল। আমাদের সংবাদ মাধ্যমের বন্ধুরাতো এই বিষয়গুলি নিয়ে খুব একটা আলোচনা করেন না। তাই আজ আমি আপনাদের কাছে একটি ঘটনা তুলে ধরবো। ত্রিপুরায় যখন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)-এর কাজ শুরু হয়েছিল সেই সময় কাঁচা বাড়ির সংজ্ঞা নিয়ে একটি সরকারি নিয়ম সমস্যার সৃষ্টি করেছিল। আগের সরকারের নিয়ম ছিল কোনো বাড়ির ছাদে যদি লোহার শিট থাকে তাহলে সেই বাড়িটি কাঁচা বাড়ি বলে বিবেচিত হবেনা। তাই বাড়িটির ভগ্নদশা হলেও বা তার দেওয়াল মাটি দিয়ে বানালেও বাড়িটিকে কাঁচা বাড়ি বলে বিবেচনা করা হবেনা। তার কারণ ওই বাড়ির ছাদে লোহার শিট রয়েছে। এরফলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা থেকে ত্রিপুরার গ্রামাঞ্চলের হাজার হাজার পরিবার বঞ্চিত হচ্ছিল। আমার সহকর্মী বিপ্লব দেবজির উদ্যোগকে আমি প্রশংসা করি। তিনি প্রথম এই বিষয়টি আমার সামনে উপস্থাপিত করেন। প্রমাণ সহ তিনি কেন্দ্রের কাছে যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেন। এটি জানার পর কেন্দ্র নিয়মের পরিবর্তন ঘটায় এবং কাঁচা বাড়ির সংজ্ঞা বদলে ফেলে। এরফলে ত্রিপুরার ১ লক্ষ ৮০ হাজারের বেশি দরিদ্র পরিবার পাকা বাড়ি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। এ পর্যন্ত ত্রিপুরায় ৫০ হাজারের বেশি বন্ধু পাকা বাড়ি পেয়েছেন। সম্প্রতি দেড় লক্ষ পরিবার যাতে তাদের পাকা বাড়ি বানাতে পারেন তারজন্য প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন। এবারে আপনারা ভেবে দেখুন কিভাবে আগে সরকার চলতো আর এখন আমাদের ডাবল ইঞ্জিন সরকার কেমন করে কাজ করছে। ভাই ও বোনেরা, যেকোন অঞ্চলের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সম্পদের পাশাপাশি সেখানকার নাগরিকদের দক্ষতা ও ক্ষমতার বিষয়গুলিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। বলাই বাহুল্য নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি যা সারা দেশে কার্যকর হতে চলেছে সেই নীতি একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক ভারত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যুব সম্প্রদায়কে সাহায্য করবে। এখানে স্থানীয় ভাষায় লেখাপড়ার ওপর সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এখন ত্রিপুরার ছাত্রছাত্রীরা ‘মিশন ১০০ বিদ্যাজ্যোতি’ অভিযানের সুবিধা পাবেন। স্কুলগু���িতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা হবে। এরফলে শিক্ষা আরও ব্যয়সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য হয়ে উঠবে। অটল টিঙ্কারিং ল্যাব, আইসিটি ল্যাব এবং কারিগরী পরীক্ষাগার স্কুলগুলিতে গড়ে তোলা হবে। এরফলে ত্রিপুরার যুব সম্প্রদায় উদ্ভাবন, স্টার্টআপ ও ইউনিকর্নের সাহায্যে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে সামিল হবেন। বন্ধুগণ, করোনার কঠিন সময়েও আমাদের যুবক-যুবতীরা যাতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হন সেটি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকে দেশজুড়ে ১৫-১৮ বছর বয়সী সকলের জন্য বিনামূল্যে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, কোনো উদ্বেগ ছাড়াই যাতে পরীক্ষায় বসতে পারে তারজন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ত্রিপুরায় টিকাকরণ অভিযান দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। রাজ্যের ৮০ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ এবং ৬৫ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়ে গেছেন। আমি নিশ্চিত ১৫-১৮ বছর বয়সী সকলে দ্রুত টিকা নেবে। বন্ধুগণ, আজ ডাবল ইঞ্জিন সরকার গ্রাম ও শহরাঞ্চলের জন্য সম্পূর্ণ স্থিতিশীল উন্নয়ন নিশ্চিত করছে। কৃষি থেকে বনজ সম্পদ প্রতিটি ক্ষেত্রে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি আমাদের অঙ্গীকার পূরণে সাহায্য করছে। বনজ সম্পদের জন্য ক্ষুদ্র চাষি, মহিলা ও আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনেরা নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা সংগঠিতভাবে বৃহৎ কর্মশক্তিতে পরিণত হয়েছেন। ত্রিপুরায় ‘মূলী ব্যাম্বু কুকিজ’ প্যাকেট করে বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথমবারের মতো ত্রিপুরায় এই গৃহীত উদ্যোগের কৃতিত্ব আমাদের মা ও বোনেদের। তাঁরা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বিকল্পের সন্ধান দিতে ত্রিপুরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এখানে তৈরি বাঁশের ঝাঁটা, বাঁশের বোতলের দেশজুড়ে বিপুল বাজার গড়ে উঠেছে। এরফলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। বাঁশজাত পদার্থ উৎপাদনের মধ্য দিয়ে অনেকে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন। বাঁশ সংক্রান্ত আইনের সংস্কার ঘটানোর ফলে ত্রিপুরা তার সুফল পাচ্ছে। বন্ধুগণ, জৈব চাষের ক্ষেত্রেও ত্রিপুরা প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। আনারস, সুগন্ধী চাল, আদা, হলুদ, লঙ্কা- সব কিছুরই দেশে এবং বিদেশে বিশাল বাজার রয়েছে। আজ ত্রিপুরার ক্ষুদ্র চাষিরা তাঁদের উৎপাদ���ত পণ্য আগরতলা থেকে কিষাণ রেলের মাধ্যমে দিল্লী সহ দেশের বিভিন্ন শহরে কম খরচে, কম সময়ে পাঠাতে পারছেন। মহারাজা বীর বিক্রম বিমান বন্দরে যে কার্গো সেন্টারটি গড়ে তোলা হবে তার সাহায্যে জৈব চাষে উৎপাদিত ফসল খুব সহজেই বিদেশের বাজারে পৌঁছে যাবে। বন্ধুগণ, ত্রিপুরা যাতে উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানের ভূমিকা পালন করতে পারে আমাদের সেটি নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সাধারণ মানুষ, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যিনি বসবাস করেন তারা সকলে যাতে দেশের আর্থিক উন্নয়নের অংশীদার হয়ে উঠেন সেটি নিশ্চিত করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এইভাবে প্রত্যেকের ক্ষমতায়ণ হবে এবং সকলে আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে। এই সিদ্ধান্তগুলি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা দ্বিগুণ প্রত্যয়ে আমাদের কাজ চালিয়ে যাবো। আপনাদের ভালোবাসা, আপনাদের স্নেহ এবং আপনাদের আস্থা আমাদের সবথেকে বড় সম্পদ। আজ বিমান বন্দরে আসার সময় আমি প্রত্যেকের গলায় উৎসাহের আওয়াজ শুনতে পেয়েছি। আমি আপনাদের এই ভালোবাসা নিয়ে ফিরো যাবো আর আমি নিশ্চিত ডাবল ইঞ্জিনের শক্তি উন্নয়নের কাজকে দ্বিগুণ গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ত্রিপুরার মানুষের ভালোবাসা ও স্নেহ ভবিষ্যতেও আমাদের ওপর বর্ষিত হবে বলে আমি আশাবাদী। আরও একবার আপনাদের সকলকে এই উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির জন্য অভিনন্দন জানাই। আপনাদের পরিবারের সমৃদ্ধি ও আপনাদের রাজ্যের সার্বিক বিকাশের জন্য আমি মা ত্রিপুরা সুন্দরীর কাছে প্রার্থনা জানাই। সকলকে ধন্যবাদ! জোতাউনো হামবাই। ভারত মাতার জয়! (প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছেন)",ত্ৰিপুৰাত মহাৰাজা বীৰ বিক্ৰম বিমানবন্দৰ আৰু অন্যান্য প্ৰকল্পৰ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লি, ১৭ আগস্ট ২০২২ ইমার্জেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিম (ইসিএলজিএস)-এর সীমা ৪ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা থেকে ৫ লক্ষ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ ইসিএলজিএস-এর সীমা আরও ৫০ হাজার টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে শুধুমাত্র আতিথ��য়তা ও সংশ্লিষ্ট শিল্পক্ষেত্রেই এই অতিরিক্ত অর্থ কাজে লাগানো যাবে। আতিথেয়তা সহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলির কাজ কোভিড-১৯ অতিমারীজনিত পরিস্থিতিতে বিশেষভাবে ব্যহত হচ্ছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইসিএলজিএস হল সরকারের একটি নিরবচ্ছিন্ন প্রকল্প। এটির মেয়াদ আগামী ৩১ মার্চ, ২০২৩ পর্যন্ত। গত ৫ আগস্ট, ২০২২ পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার কোটি টাকা।",কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰীসভাই স্বীকাৰ্য গেৰাণ্টীসমূহৰ সীমা বঢ়াবলৈ জৰুৰীকালীন ক্ৰেডিট লাইন গেৰাণ্টী আঁচনিৰ কোষ বৃদ্ধিত অনুমোদন দিয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%A4/,"নয়াদিল্লি, ১০ জুলাই, ২০২২ স্বাধীনতার ৭৫তম বছরটিতে বিভিন্ন লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণের কাজে সরকার উদ্যোগী হয়েছে। কর্মসূচিগুলির বাস্তবায়নের সুবাদে ভবিষ্যতে এক বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে চলেছে আমাদের দেশে। ‘অমৃতকাল’-এ দেশে অগ্রগতির যে ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়েছে তা আমাদের উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে নানাভাবে সাহায্য করবে। দেশের দরিদ্র ও কৃষক সাধারণের জন্য যে কর্মসূচির কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সমস্ত দেশবাসী এবং গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে। গুজরাটে প্রাকৃতিক কৃষি সম্মেলনে ভাষণদানকালে রবিবার একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের ৫৫০টি পঞ্চায়েত থেকে ৪০ হাজারেরও বেশি কৃষক সম্মেলনে সমবেত হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে যে কর্মসূচির সূচনা হতে চলেছে তা প্রত্যেক কৃষকের মধ্যে এক গভীর আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের জন্ম দেবে বলে তিনি মনে করেন। সুরাটের এই প্রাকৃতিক কৃষিকর্ম সম্পর্কিত কর্মসূচির মডেল সারা দেশের কাছেই এক আদর্শ হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসী যখন কোনও একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের কাজে সঙ্কল্পবদ্ধ হন তখন তাতে কোনও কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে যখন কোনও বড় ধরনের কাজ শুরু করা হয় তখন তার সাফল্য নিশ্চিত ও সন্দেহাতীত। ‘স্বচ্ছ ভারত’ কর্মসূচির মতো এক ব্যাপক ও বিশাল কর্মকাণ্ড সমগ্র বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এর কৃতিত্ব অবশ্যই প্রাপ্য আমাদের দেশের গ্রামবাসীদের। একইভাবে, ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশন’ও একথা প্রমাণ করে দিয়েছে যে গ্রাম-জীবনে পরিবর্তন আনা কোনও দুঃসাধ্য কাজ নয়। এইভাবেই এক জন-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রাকৃতিক কৃষিকর্ম সম্পর্কিত কর্মসূচি বিশেষভাবে সফল হয়ে উঠবে বলেই তিনি মনে করেন। শ্রী মোদী বলেন, দেশের কৃষি ব্যবস্থা হল আমাদের জীবন, স্বাস্থ্য ও সমাজের এক মেরুদণ্ড বিশেষ। প্রাকৃতিক এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে ভারত বরাবরই একটি কৃষি নির্ভর দেশ বলে সুপরিচিত। সুতরাং, দেশের কৃষি ও কৃষক সাধারণের অগ্রগতির মধ্যেই নিহিত রয়েছে দেশের সার্বিক অগ্রগতির বিষয়টিও। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকর্ম শুধুমাত্র একটি অর্থনৈতিক সাফল্যই নয়, বরং মাতা বসুন্ধরার প্রতি আমাদের সেবা প্রদর্শনের এক বিশেষ মাধ্যম। মাতা বসুন্ধরাকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন আমাদের মূল্যবোধেরই অন্তর্ভুক্ত। আমরা যখন প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকর্মের উদ্যোগ গ্রহণ করি তখন কৃষিকর্মের মধ্য দিয়েই প্রয়োজনীয় সহায় উপকরণ আমরা সংগ্রহ করি। এর ফলে একদিকে যেমন কৃষিকর্ম ব্যয়সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে, অন্যদিকে তেমনই দেশের গবাদি পশুপালনও আয় ও উপার্জনের একটি অতিরিক্ত উৎস হয়ে ওঠে। প্রাকৃতিক কৃষিকর্মের মধ্য দিয়ে আমরা মাটি, জমি এবং তার উৎপাদনশীলতার মান আরও উন্নত করে তোলার চেষ্টা করি ও কৃষির প্রয়োজনেই গো-মাতাকে সেবা করার সুযোগও আমাদের সামনে উপস্থিত হয়। শুধুমাত্র সুরাটেই ৪০-৪৫টি গোশালাকে ব্যবহার করা হবে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকর্মের প্রয়োজনে। বিষাক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক সারমুক্ত শস্য ফলনের মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি মানুষের স্বাস্থ্যকেও যে সুরক্ষিত রাখা যাবে, একথারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য পুরোপুরি নির্ভর করে উন্নতমানের খাদ্য গ্রহণের ওপর। প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত শস্য সেই প্রয়োজন মেটাতে পারে। আর এইভাবেই একজন সুস্থ মানুষই পারে দেশকে আরও ভালোভাবে সেবা করতে। শ্রী মোদী বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার ওপর সমগ্র বিশ্বই এখন বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করছে এবং এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে ভারতের রয়েছে হাজার হাজার বছরের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা। একথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে বহু শতক ধরেই ভারত এই বিষয়টিতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে। গত আট বছরে কেন্দ্রীয় সরকার প্রাকৃতিক কৃষ�� পদ্ধতির ওপর গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করে এই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনার মাধ্যমে এবং ভারতীয় প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতির মধ্য দিয়ে দেশের কৃষকদের সহায়সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৩০ হাজার গুচ্ছ সমিতি গড়ে তোলা হয়েছে যার মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন দেশের লক্ষ লক্ষ কৃষক বন্ধু। ‘পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা’র আওতায় নিয়ে আসা হবে দেশের ১০ লক্ষ হেক্টর জমিকে। প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পটিকেও এর সঙ্গে আমরা যুক্ত করেছি। প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতির বিষয়টিকে একটি পৃথক অভিযান হিসেবে চিহ্নিত করতে গঙ্গার তটবর্তী অঞ্চলগুলিতে আমরা কাজে নেমে পড়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষকদের সুস্থ ও সুখী জীবনই শুধু নিশ্চিত হবে না, অভ্যুদয় ঘটবে এক নতুন ভারতের। সুরাটের এই উদ্যোগ প্রাকৃতিক কৃষিকর্মের ক্ষেত্রে সারা দেশের কাছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন তিনি।",প্ৰাকৃতিক কৃষি সন্মিলনত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া ৰূপান্ত +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%9F%E0%A7%8D/,"অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পেট্রোলিয়ামঅ্যান্ড এনার্জি (আইআইপিই) স্থাপিত হতে চলেছে। বুধবার এই মর্মে একটি সিদ্ধান্তগ্রহণ করা হয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সংসদে একটি আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এটিকে এক জাতীয় গুরুত্বপূর্ণসংস্থা হিসেবে গড়ে তোলা হবে যেখানে একটি পরিচালন কাঠামোর পাশাপাশি আইআইটি-র মতোডিগ্রি প্রদানের আইনি সংস্থানও রাখা হবে। পেট্রোলিয়াম সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জ্বালানিক্ষেত্রের একটি উৎকর্ষ কেন্দ্র রূপে এই প্রতিষ্ঠানটিকে গড়ে তুলতে রূপায়িত হবেআরেকটি পৃথক আইন। আইআইপিই গড়ে তোলার জন্য মূলধনী ব্যয় হিসেবে ৬৫৫ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা মঞ্জুরকরেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এছাড়াও, একটি জমা তহবিল গড়ে তুলতে সরকারের পক্ষ থেকেদেওয়া হবে ২০০ কোটি টাকা। এই তহবিলে অবশ্য তেল সংস্থাগুলির পক্ষ থেকেও ২০০ কোটিটাকার যোগান দেওয়া হবে। অন্ধ্রপ্রদে�� সরকার ইতিমধ্যেই বিনা খরচে ২০০ একর জমি বরাদ্দ করেছেআইআইপিই স্থাপনের উদ্দেশ্যে। বিশাখাপত্তনম জেলার সাব্বাভরম মণ্ডলে এই প্রতিষ্ঠানটিগড়ে তোলা হবে। অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য আইআইপিই-রএকটি অস্থায়ী জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে। /",অন্ধ্ৰপ্ৰদেশৰ বিশাখাপট্টনমত ইণ্ডিয়ান ইনষ্টিটিউট অৱ পেট্র’লিয়াম এণ্ড এনার্জি(আইআইপিই) স্থাপনৰ সিদ্ধান্তত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80/,"নতুন দিল্লি, ৪ মে, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় ভারত-নর্ডিক সম্মেলনের পাশাপাশি কোপেনহেগেনে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিস ক্যাটরিন জ্যাকবসডত্তিরে'র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন । ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে স্টকহোমে প্রথম ভারত-নর্ডিক সম্মেলনের সময় উভয়ের মধ্যে আলোচনার কথা তাঁরা স্মরণ করেন । উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে, এবছর ভারত-আইসল্যান্ড কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০-তম বার্ষিকী উদযাপন করছে । উভয় দেশের নেতা জিও থার্মাল শক্তি, সমুদ্র ভিত্তিক অর্থনীতি, উত্তর মেরু সংক্রান্ত, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, মৎস্য চাষ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় সহ শিক্ষা ও সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন । জিও থার্মাল শক্তি ক্ষেত্রে আইসল্যান্ডের বিশেষ দক্ষতা রয়েছে । উভয় পক্ষই এই ক্ষেত্রে দুই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে । প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী লিঙ্গ সমতা বিষয়ে প্রচারে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং এবিষয়ে ভারতের অগ্রগতি সম্পর্কে তাঁকে জানান। এই বৈঠকে ভারত-ইএফটিএ বাণিজ্য আলোচনা ত্বরান্বিত করার বিষয়ও পর্যালোচনা করা হয়েছে । আঞ্চলিক ও বিশ্বের উন্নয়ন নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয় ।",আইচলেণ্ডৰ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সৈতে প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদীৰ বৈঠক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%89%E0%A6%AA/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%B1%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%AA/,"নয়াদিল্ল���, ২১ অক্টোবর, ২০২২ দীপাবলি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৩ অক্টোবর উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা সফর করবেন। ঐদিন বিকেল ৫টায় শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র পরিদর্শনের পর তিনি ভগবান শ্রীরামলালা বিরাজমান’কে দর্শন ও আরাধনা করবেন। এরপর, ৫টা ৪৫ মিনিটে তিনি ভগবান শ্রীরামের প্রতীকী রাজ্যাভিষেক করবেন। শ্রী মোদী দীপোৎসব উদযাপনের সূচনার পাশাপাশি, সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে সরয়ূ নদীর নতুন ঘাটের আরতী প্রত্যক্ষ করবেন। এই নিয়ে পরপর ছ’বার দীপোৎসব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এবারই প্রথম প্রধানমন্ত্রী সশরীরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এই উপলক্ষে ১৫ লক্ষেরও বেশি প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত হবে। দীপোৎসব উপলক্ষে ৫টি অ্যানিমেটেড ট্যাবলো এবং বিভিন্ন রাজ্যের নৃত্য সম্বলিত ১১টি রামলীলা ট্যাবলো প্রদর্শিত হবে। প্রধানমন্ত্রী সরয়ূ নদীর তীরে রামকি পৈড়ি’তে সঙ্গীতের মাধ্যমে প্রদর্শিত লেজার শো এবং ত্রিমাতৃক হলোগ্রাফিক প্রোজেকশন ম্যাপিং শো-ও প্রত্যক্ষ করবেন।","দীপাৱলীৰ পূৰ্ব সন্ধ্যা, প্ৰধানমন্ত্ৰী ২৩ অক্টোবৰত অযোধ্যালৈ যা" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AA-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%9F/,"বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, এত সকাল সকাল, এত বড় জনসমুদ্র! আমি ভাবতেও পারিনি! চারপাশে শুধু মানুষ আরমানুষ দেখতে পাচ্ছি! আমি সবার আগে আপনাদের সবার কাছে ক্ষমা চাইছি, কারণ আমরা যেআয়োজন করেছিলাম, তাতে ত্রুটি থেকে গেছে, অনেকে রোদে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁদের কষ্টহচ্ছে, তা সত্ত্বেও তাঁরা আশীর্বাদ জানাতে এসেছেন! আমি তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি,তাঁদের কাছে ক্ষমতা চাইছি। কিন্তু যাঁরা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁদেরকেআশ্বস্ত করছি যে, তাপে আপনারা উত্তপ্ত হচ্ছেন, আপনাদের এই তপস্যা কখনও বেকার হতেদেব না। ভাই ও বোনেরা, আমি উত্তর প্রদেশ সরকারকে, বিশেষ করে উত্তর প্রদেশেরমুখ্যমন্ত্রীকে হৃদয় থেকে অনেক অভিনন্দন জানাই। কারণ, আজ তাঁরা একটি পশুধন আরোগ্যমেলার আয়োজন করেছেন। আর এই পশুধন আরোগ্য মেলায় গিয়ে দেখি বিভিন্ন স্থান থেকে ১৭০০গবাদি পশুকে এখানে আনা হয়েছে। আর সেই পশুগুলির চিকিৎসার জন্য অনেক বিশেষজ্ঞচিকিৎসক এসেছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, উত্তর প্রদেশ সরকার যেভাবে চেষ্টা করেছে,এবার তারা গোটা রাজ্যে এই মেলার আয়োজন করবে। রাজ্য সরকার গরিব কৃষকদের কথাভেবেছেন, যাঁরা পশুর লালন-পালনেও দ্বিধার শিকার ছিলেন, অনেকে আর্থিক দুরবস্থারকারণে চিকিৎসা করাতে পারেন না, এ ধরনের কৃষকরা এই পশুধন আরোগ্য সেবার ফলে অনেকউপকৃত হবেন। আর আমরা জানি যে, কৃষির ক্ষেত্রে আমাদের কৃষকদের আয়ে সর্বাধিক সাহায্য করেপশুপালন আর দুগ্ধ উৎপাদন। আর সেজন্য পশুপালন এবং দুগ্ধ উৎপাদনের মাধ্যমে আমাদেরপশুধন আরোগ্য মেলার মাধ্যমে আগামীদিনে গ্রাম, গরিব, কৃষক, আমাদের পশুপালক; তাঁদেরজন্য উত্তম পরিষেবার আয়োজন করা হবে। এ কাজের জন্য আমি উত্তর প্রদেশ সরকারকে হৃদয়থেকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই। ভাই ও বোনেরা, রাজনীতির স্বভাব হ’ল যে, এক্ষেত্রে সেই কাজকেই পছন্দ করা হয়,যাতে বেশি ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ভাই ও বোনেরা, আমরা ভিন্ন সংস্কারেলালিত-পালিত। আমাদের চরিত্র আলাদা। আমাদের জন্য দল থেকে দেশ বড়। সেজন্য আমাদেরঅগ্রাধিকার ভোটের হিসাবে নির্ধারিত হয় না। আজ এই পশুধন মেলা – সেইসব পশুদের সেবা করছে, যারা কখনও ভোট দেবে না। এরাকারও ভোটার নয়। আর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত বিগত ৭০ বছরে পশুধনেরহিতে এ ধরনের অভিযান কখনও চালানো হয়নি। আরোগ্য সেবার ফলে পশুপালনে একটি সুবিধাহবে, একটি নতুন ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। আজ আমাদের দেশ দুগ্ধ উৎপাদনে অনেক এগিয়ে। কিন্তু বিশ্বে পশু প্রতি যতটা দুধপাওয়া যায়, সেই তুলনায় আমাদের এখানে অনেক কম দুধ পাওয়া যায়। আর সেজন্য পশুপালনব্যয়সাপেক্ষ হয়ে পড়ে। আমরা যদি পশুপ্রতি দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারি, তা হলে আমারবিশ্বাস, আমাদের কৃষকদের পশুপালনে রুচি বৃদ্ধি পাবে আর দুগ্ধ উৎপাদনের মাধ্যমেদেশে একটি নতুন আর্থিক বিপ্লবও জন্ম নেবে। ভাই ও বোনেরা, আমার জন্ম গুজরাটে, আমার কর্মক্ষেত্রও ছিল গুজরাট, আর আমি দেখেছিযে, সেখানে সহকারি আন্দোলনের মাধ্যমে দুগ্ধ উৎপাদনে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা সেরাজ্যের কৃষকদের জীবনে একটি নতুন শক্তির যোগান দিয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে,লক্ষ্ণৌ-কানপুর এলাকায় গুজরাট থেকে আসা বনাস ডেয়ারি কৃষকদের কাছ থেকে দুধ কেনাশুরু করেছে। আর সেজন্য আগে কৃষকরা যে দরে দুধ বেচতেন এখন তার দ্বিগুণ দরে দুধবিক্রি করতে পারছেন। আমাকে বলা হয়েছে যে, আগামীদিনে কাশী এলাকার কৃষকদের কাছ থেকেওএই বনাস ডেয়ারি দুধ কেনা শুরু করবে। আমার বি��্বাস, এই অঞ্চলে বনাস ডেয়ারি তাদের কাজ শুরু করলে, কার দুধে কতটা‘ফ্যাট’ আছে, সেই ভিত্তিতে কেনা শুরু করলে কাশী অঞ্চলের কৃষকরা এখন থেকে অনেক বেশিদামে বিক্রি করতে পারবেন। এতে তাঁদের আয় বাড়বে। কৃষক-পশুপালক ও দুগ্ধ উৎপাদকদেরস্বার্থে গুজরাট সরকারের সাহায্যে বনাস ডেয়ারির সাহায্যে উত্তর প্রদেশ সরকার এই যেঅভিযান শুরু করেছে, সেজন্য আমি উত্তর প্রদেশ সরকার এবং এ রাজ্যের কৃষকদের শুভেচ্ছাজানাই। ভাই ও বোনেরা, ২০২২ সালে ভারতে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হবে। দেশেরস্বাধীনতা সংগ্রামীরা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেগুলিকে সম্পূর্ণ রূপে বাস্তবায়িতকরতে আমাদের সকলকে শপথ নিতে হবে। পাঁচ বছরের জন্য সেই শপথ বাস্তবায়িত করতে,নিজেদের শক্তি ও সময়ের সদ্ব্যবহার করতে হবে। ভারতে ১২৫ কোটি জনসাধারণ যদি সংকল্পবাস্তবায়নে এক পা করে এগিয়ে যান, তা হলে দেশ ১২৫ কোটি পা এগিয়ে যাবে। ভাই ও বোনেরা, আমাদের সংকল্প হ’ল ২০২২ সালের মধ্যে আমরা কৃষকদের আয় দ্বিগুণকরব। আর সেজন্য পশুপালন একটি উপায়, আধুনিক কৃষিপদ্ধতি আরেকটি উপায়। মৃত্তিকাস্বাস্থ্য কার্ডের মাধ্যমে নিয়মিত চাষের জমির গুণবত্তা খতিয়ে দেখলে কৃষকরা লাভবানহবেন। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। উত্তর প্রদেশে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর কৃষকরা যেভাবে দ্রুতগতিতেমৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ড পাচ্ছেন, তা থেকে আগামীদিনে তাঁরা অত্যন্ত উপকৃত হবেন! একই রকমভাবে আমাদের মধ্যে কেউই নোংরা থাকা পছন্দ করি না। এমন কোনও মানুষনেই যিনি নোংরাকে ঘৃণা করেন না। কিন্তু পরিচ্ছন্নতা যে আমাদের দায়িত্ব, এই স্বভাবআমাদের দেশে গড়ে ওঠেনি। আমরা নোংরা করব, অন্য কেউ পরিষ্কার করবেন; আমাদের এইমানসিকতার পরিণাম হ’ল, আমাদের ভারত’কে যতটা পরিচ্ছন্ন করে রাখা উচিৎ, আমাদেরগ্রামগুলিকে যতটা পরিচ্ছন্ন করে রাখা উচিৎ, আমাদের শহরগুলিকে যতটা পরিচ্ছন্ন করেরাখা উচিৎ; আমরা রাখতে পারছি না! আপনাদের মধ্যে কেউ একথা অস্বীকার করতে পারবেন নাযে পরিচ্ছন্নতা, প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব, প্রত্যেক পরিবারের দায়িত্ব। পরিছন্নথাকলে শুধু গ্রাম কিংবা পাড়াকে দেখতে ভালো লাগবে তাই নয়, পরিচ্ছন্নতা আমাদের সুস্থথাকার জন্যও অত্যন্ত জরুরি। এমন অনেক রোগের প্রকোপ ক্রমবর্ধমান – যেগুলিঅপরিচ্ছন্নতা থেকে জন্মে নেয়। সম্প্রতি ইউনিসেফ ভারতের ১০ হাজার পরিবারের মধ্যে সমীক্ষা চালায়। শৌচ��গারনির্মাণ নিয়ে সমীক্ষা চালায়। গতকাল আমি একটি খবরের কাগজে পড়েছি যে, ইউনিসেফ-এরপ্রতিনিধি বলেছেন, বাড়িতে শৌচাগার থাকলে বছরে গড়ে ৫০ হাজার টাকা চিকিৎসার খরচবাঁচে। আজ এখনও পাশের গ্রামে আমার একটি শৌচাগার নির্মাণের কাজে হাত লাগানোড়সৌভাগ্য হয়েছে। সেই গ্রামের মানুষ ঠিক করেছেন যে, আগামী ২ অক্টোবরের মধ্যে তাঁদেরগ্রামকে ‘খোলা মাঠে প্রাতকৃত্য মুক্ত’ গ্রাম করে গড়ে তুলবেন। তাঁরা সংকল্প নিয়েছেন যে, ২ অক্টোবরের পর গ্রামের কেউ আর খোলা মাঠেপ্রাকৃতিক কর্ম করতে যাবে না। আমি খুশি যে, নবরাত্রির এই পবিত্র উৎসবে আমার শৌচালয়নির্মাণে ইঁট গাঁথার সৌভাগ্য হয়েছে; আমার জন্য এটাও একটা পুজো। পরিচ্ছন্নতা আমারজন্য পুজো, পরিচ্ছন্নতা আমাদের দেশের গরিবদের রোগমুক্ত রাখবে। পরিচ্ছন্নতা দরিদ্রপরিবারের নিরাময়ের খরচ সাশ্রয় করবে। গরিবদের ভালোর জন্য আমাদের শুরু করা অভিযানেযাঁরাই সঙ্গ দিচ্ছেন, আমি তাঁদের শুভেচ্ছা জানাই। যে গ্রামে আমি শৌচালয় নির্মাণে হাত লাগাতে গিয়েছিলাম, সেই গ্রামের মানুষশৌচালয়ের নাম দিয়েছেন ‘ইজ্জত ঘর’। শুনে খুবই আনন্দ পেয়েছি। শৌচালয় তো সত্যি সত্যিইএকটি ইজ্জত ঘর, বিশেষ করে মা-বোন-কন্যাদের জন্য ইজ্জত ঘর। আর যাঁর বাড়িতে ইজ্জত ঘরআছে, সেই বাড়িরও ইজ্জত আছে। যে গ্রামের প্রতি বাড়িতে ইজ্জত ঘর আছে, সেই গ্রামেরওইজ্জত আছে। এই নামকরণের জন্য আমি আপনাদের ও উত্তর প্রদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।আপনারা শৌচালয়ের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন। এই ইজ্জত ঘর নাম আগামীদিনেও ইজ্জত রক্ষারজন্য জাগ্রত থাকবে। আমার বিশ্বাস, যাঁর ইজ্জত রক্ষার চিন্তা আছে, সে ইজ্জত ঘরনির্মাণ করবে এবং সেটা ব্যবহার করবে। ভাই ও বোনেরা, আমাদের দেশে আজও এমন কোটি কোটি পরিবার আছে, যাঁদের থাকারজন্য নিজস্ব বাড়ি নেই, নিজস্ব ছাদ নেই। তাঁরা এমন শোচনীয়ভাবে দিন কাটান, যা কোনওমানুষের পক্ষে বেমানান। ভাই ও বোনেরা, সেই গরিব ভাই ও বোনেদের যাতে দ্রুত মাথারওপর নিজস্ব ছাদ হয়, তা সুনিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। আর সেজন্য ভাই ও বোনেরা, আমরা একটি প্রকল্প শুরু করেছি। আমি জানি যে, সেটাঅনেক কঠিন কাজ। কিন্তু মুশকিল কাজ, মোদী না করলে কে করবেন? আমরা ঠিক করেছি যে, ২০২২ সালে দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগেই ভারতেরপ্রত্যেক গরিবের মাথার ওপর ছাদ সুনিশ্চিত করব। সেই গরিব শহরবাসী হন কিংবা গ্রামের –যাঁর ঘর নেই তিনি ঘর পাবেন। আর যখন ইউরোপের অনেক দেশের মোট জনসংখ্যারও বেশিমানুষের জন্য বাড়ি তৈরি হবে, সেজন্য ইঁট, সিমেন্ট, লোহা, কাঠ লাগবে। নতুন নতুনমানুষের কর্মসংস্থান হবে। মিস্ত্রীরা কাজ পাবেন। আজ আমি খুশি। আগে উত্তর প্রদেশে যে সরকার ছিল, তাদের আমরা দিল্লি থেকেচিঠির পর চিঠি পাঠিয়েছি, আপনাদের রাজ্যে কতজন মানুষের মাথার ওপর ছাদ নেই – তারতালিকা দিন। কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্প গড়ে তুলতে চাইছে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতেহচ্ছে যে, বিগত সরকার গৃহহীনদের ঘর নির্মাণের জন্য কোনও ইচ্ছা প্রকাশ করেনি। আমরাঅনেক চাপ দেওয়ার পর, অনেক দেরী ১০ হাজার মানুষের একটি তালিকা তাঁরা পাঠিয়েছিলেন।কিন্তু যোগীজি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর দ্রুত কাজ শুরু হয়, আর তিনি কেন্দ্রীয়সরকারের কাছে লক্ষ লক্ষ গৃহহীন মানুষের তালিকা পাঠান। শুধু তাই নয়, যাঁদের বাড়িতৈরি হবে, তাঁদের জন্য অর্থ প্রদানের সৌভাগ্য আজ আমার হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, পরিচ্ছন্নতা থেকে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছনো, বিদ্যালয়গুলিতেশৌচাগার নির্মাণ, গ্রামগুলিকে খোলা মাঠে প্রাতঃকৃত্য মুক্ত করা, প্রত্যেক বাড়িতেবিদ্যুৎ ও পানীয় জল সরবরাহ – ইত্যাদি কাজের প্রতি আমাদের দেশ উদাসীন ছিল। আমার গ্রাম ও গরিব কৃষকের জীবনে পরিবর্তন আসবে, মধ্যবিত্তের জীবনে পরিবর্তনআসবে, আমরা যেমন দেশ গড়তে চাই – তেমনই হবে! কিন্তু তার প্রথম শর্ত হ’ল – মধ্যবিত্তপরিবারগুলির সাহায্য চাই। তাঁদের জীবনে পরিবর্তন আসুক। ভাই ও বোনেরা, গতকাল বারাণসীতে পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক বেশ কিছু প্রকল্পউদ্বোধনের সৌভাগ্য হয়েছে। প্রায় ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে এত বড় ‘স্যুয়েজট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ গড়ে উঠেছে যে কুড়ি বছর পর বেনারসের যত বিকাশ ও বিস্তার হোকনা কেন, এই ব্যবস্থা অপ্রতুল হবে না। এত বড় কাজ আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিয়েছি। বর্জ্য থেকে সম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে কাজকরছি। আমরা হিসাব করে দেখেছি যে, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেই এই অঞ্চলের ৪০হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। আমরা এলইডি বাল্বের অভিযান শুরুকরেছি। আধিকারিকরা হিসেব করে জানিয়েছেন, শুধু কাশীতেই এই অভিযানে অংশগ্রহণ করে যতমানুষ বাড়িতে এলইডি বাল্ব লাগিয়েছেন, তাতে এক বছরে মানুষের বিদ্যুতের বিলে সাশ্রয়হবে ১২৫ কোটি টাকা। সাধারণ মানুষের সাশ্রয় হবে। কারও ৫০০ টাকা, কারও ১,০০০ টাকাআব���র কারও ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় হবে, আর গোটা শহরের সাশ্রয় হবে প্রায় ১২৫কোটি টাকা। এভাবে আমরা দারিদ্র্য ও মধ্যবিত্ত মানুষকে অধিক পরিষেবা প্রদানেরপাশাপাশি সাশ্রয়ের ব্যবস্থা করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। শুধু তাই নয়, কাশীর স্ট্রিট লাইটগুলি বদলে এলইডি করায় ইতিমধ্যেই আমরাবিদ্যুতের বিল থেকে ১৩ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পেরেছি। কাশী নগর নিগমের ১৩ কোটিটাকা সাশ্রয় হয়েছে। এই টাকা তাঁরা শহরের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারবেন। সহজ উপায়,শুধু পুরনো বাল্ব খুলে নতুন বাল্ব লাগিয়ে দিয়েছেন, আর নাগরিকদের ১৩ কোটি টাকাসাশ্রয় – ভাবতে পারছেন? ভাই ও বোনেরা, কালো টাকা, দুর্নীতি ও বেইমানির বিরুদ্ধে আমি বড় লড়াই শুরুকরেছি। এই বেইমানদের লুটতরাজ বন্ধ করতে পারলে তবেই সাধারণ সৎ মানুষের জীবন সহজহবে। আমাদের এই লড়াইয়ের এ যাবৎ সাফল্য ইতিমধ্যেই উৎসবের রূপ ধারণ করছে। যেভাবেজিএসটি’র সঙ্গে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যুক্ত হচ্ছেন, যেভাবে আধার-এর সঙ্গে যুক্তহচ্ছেন; ফলস্বরূপ জনগণের এক এক টাকার হিসাব হচ্ছে, মাঝখান থেকে দালালরা যে টাকাখেয়ে যেত – তা বন্ধ হচ্ছে। এই সংস্কার কর্ম দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আর সেজন্য আমারভাই ও বোনেরা, এখানকার গ্রাম, গরিব আর কৃষকদের উন্নয়নে, আমাদের শহরগুলির উন্নয়নেএকটি মাত্র মন্ত্র নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। আপনারা এত বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত হয়ে আমাকেআশীর্বাদ জানিয়েছেন, আমি হৃদয় থেকে আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। এই সংসদীয় ক্ষেত্র থেকে আপনারা মহেন্দ্র পান্ডেজি’কে নির্বাচিত করে যেউৎসাহ ও উদ্দীপনা প্রদর্শন করেছেন, তার জন্য আমি হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমিআরেকবার যোগী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলির সাফল্য কামনা করি, ছ’মাসের মধ্যেতিনি উত্তর প্রদেশের জনজীবনে পরিবর্তন আনতে পেরেছেন। সাফল্যের সঙ্গে এগিয়েযাচ্ছেন। তাকে আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা, অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আমার সঙ্গে জোরে বলুন – ভারতমাতা কী – জয় সমস্ত শক্তি দিয়ে বলুন – ভারতমাতা কী – জয় ভারতমাতা কী – জয় ভারতমাতা কী – জয় ভারতমাতা কী – জয় ভারতমাতা কী – জয় অনেক অনেক ধন্যবাদ।",বাৰানসীৰ সাহাঞ্চাপুৰত আয়োজিত পশুধন আৰোগ্য মেলাত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে দিয়া ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%8E%E0%A6%AE%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%8E%E0%A6%AE%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A6/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ (১৬ই ফেব্রুয়ারি) মহারাষ্ট্রের যাবাৎমল সফর করেন। রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের তিনি সূচনা করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শ্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (পিএমএওয়াই) আওতায় ঘর পেয়েছেন এমন কয়েকজন নির্বাচিত সুফলভোগীর হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন। তিনি বলেন, পিএমএওয়াই প্রকল্পে যাবাৎমলে প্রায় ১৪,৫০০টি নতুন বাড়ি বানানো হয়েছে। আগামী ২০২২ সালের মধ্যে ‘সকলের জন্য গৃহ’ – সরকারের এই লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ঐসব ঘরে বসবাসকারীদের পাকা ঘর, তাঁদের জোরালো স্বপ্ন দেখার পথ সুগম করবে। তিনি, মহারাষ্ট্র গ্রামীণ জীবন-জীবিকা মিশনের আওতাভুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মহিলাদের হাতে চেক এবং সার্টিফিকেট তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাবাৎমলের অনুষ্ঠান উন্নয়নের পঞ্চধারারই এক সম্প্রসারিত অংশ, যার মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষা, যুবক-যুবতীদের জীবন-জীবিকা, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ঔষধ, কৃষকদের সেচ এবং জন-অভিযোগের নিষ্পত্তির মতো বিষয়গুলি কার্যকর করা হয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী বোতাম টিপে ৫০০ কোটি টাকার বিভিন্ন সড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। তিনি ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে হামসফর আজনি (নাগপুর)-পুণের মধ্যে পতাকা দেখিয়ে ট্রেন যাত্রার সূচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক ও রেল প্রকল্পের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানোর মাধ্যমেই উন্নয়ন সম্ভব এবং বর্তমান এই প্রকল্পগুলির দ্বারা যাবাৎমল এবং নিকটবর্তী এলাকার সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হবে। এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলওয়ামার হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা এক গভীর শোকের মধ্যে রয়েছি। মহারাষ্ট্রের দুই সাহসী ছেলেও দেশের জন্য তাঁদের জীবন বলিদান দিয়েছেন। আমরা শোকাহত পরিবারগুলির পাশেই রয়েছি। শহীদদের অবদান কখনই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সময়, স্থান এবং পদ্ধতি গ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। আমরা যদি আমাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন এবং দেশের উন্নয়ন করে থাকি, তবে তা আমাদের সাহসী সেনাদের ত্যাগের জন্যই সম্ভব হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, সিক্‌ল সেল রোগের ব্যাপারে গবেষণার জন্য চন্দ্রপুরে একটি গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সহস্ত্রকুণ্ড একলব্য মডেল আবাসিক স্কুলের উদ্বোধন করেন। ১৫ একর জমিতে গড়ে ওঠা এই বিদ্যালয়ে সমস্ত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। স্কুলটি গড়ে ওঠায় স্থানীয় আবাসিক ছেলে-মেয়েদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। আদিবাসী এলাকায় এক হাজার একলব্য মডেল আবাসিক স্কুল গড়ে তোলার প্রকল্পের আওতায় এই বিদ্যালয়টি গড়ে তোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আদিবাসীদের ‘জনধন থেকে বনধন’ পর্যায়ে উন্নীত করতে সরকার বিশেষভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জনধন প্রকল্পে দরিদ্র মানুষদের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, বনধন প্রকল্পে অরণ্য অঞ্চলের বিভিন্ন সামগ্রীর মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের আয় বাড়বে। আদিবাসীরা যাতে তাঁদের বিভিন্ন সামগ্রীর উপযুক্ত দাম পায়, সেজন্যই সরকার বনধন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে।” স্বাধীনতা সংগ্রামে আদিবাসী বীরেরা যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ জুড়ে বিভিন্ন সংগ্রহালয় ও স্মারকের মাধ্যমে আমরা তাঁদের স্মৃতি সুরক্ষিত রাখছি। /","মহাৰাষ্ট্রৰ যাবাৎমল পৰিদর্শন প্রধানমন্ত্রীৰ, ২০২২ চনৰ ভিতৰত দেশৰ সকলোৱে পাব ঘৰ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F/,"নতুন দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৃহস্পতিবারের (৮ই নভেম্বর) বৈঠকে অন্ধ্রপ্রদেশে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইন, ২০১৪-র ত্রয়োদশ তপশিলের আওতায় ভিজিয়ানা জেলার রেল্লি গ্রামে এই কেন্দ্রীয় উপজাতি বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হবে। এই উপজাতি বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৪২০ কোটি টাকার তহবিল সংস্থানেও মন্ত্রিসভার অনুমোদন মিলেছে। /…","অন্ধ্ৰপ্ৰদেশত কেন্দ্রীয় জনজাতি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনৰ বাবে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৯ৰ সংশোধনৰ প্ৰস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%A1%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A6%A3/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার (১৯শে অক্টোবর) মহারাষ্ট্রের শিরডি সফর করেন। এক জনসভায় তিনি শ্রী সাইবাবা সংস্থান ট্রাস্টের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস উপলক্ষে ফলকের আবরণ উন্মোচন করেন। শ্রী সাইবাবা সমাধির শতবার্ষিকী উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে তিনি একটি রুপোর মুদ্রা আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন। শ্রী মোদী মহারাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার সুফলভোগীদের গৃহপ্রবেশ উপলক্ষে বাড়ির চাবি তাঁদের হাতে তুলে দেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জেলা যেমন – সাতারা, লাতুর, নান্দুবার, আমরাবতি, থানে, সোলাপুর ও নাগপুর জেলার সুফলভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। নতুন ধরণের উৎকৃষ্ট মানের বাড়ি, সহজে ঋণের লভ্যতা এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রক্রিয়ার জন্য এই যোজনার সুফলভোগী যাঁদের অধিকাংশই মহিলা, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী দশেরা উপলক্ষে সমস্ত ভারতীয়কে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, পবিত্র দশেরা উৎসবের সময় সাধারণ মানুষের মধ্য থেকে তিনি দেশের আরও উন্নতির জন্য কাজ করতে শক্তি ও নতুন করে সাহস পাচ্ছেন। সমাজের প্রতি শ্রী সাইবাবার অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ এক মজবুত অখণ্ড সমাজ গঠনের এবং ভালোবাসা দিয়ে মানবজাতির সেবা করার প্রেরণা যোগায়। শিরডিকে সর্বদাই জনসেবার প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। সাইবাবার দেখানো পথ শ্রী সাইবাবা সংস্থান ট্রাস্ট অনুসরণ করে চলেছে বলে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়ন এবং আধ্যাত্মিক মতবাদের সাহায্যে চিন্তাভাবনার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এই ট্রাস্ট্রের অবদানেরও তিনি প্রশংসা করেন। দশেরা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (গ্রামীণ) আওতায় ২ লক্ষেরও বেশি সুফলভোগীর হাতে নতুন বাড়ি তুলে দিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি একটি বড় পদক্ষেপ। ২০২২ নাগাদ ‘সকলের নিজস্ব বাড়ি’ সুনিশ্চিত করার যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে, সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করে শ্রী মোদী বলেন, বিগত চার বছরে সরকার ১ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি বাড়ি তৈরি করেছে। তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য কেবল উৎকৃষ্ট মানের বাড়ি তৈরি করাই নয়, সেইসঙ্গে প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ সুনিশ্চিত করা। জনসভায় তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্য স্থানে শৌচকর্ম বর্জিত রাজ্যে পরিণত করার জন্য মহারাষ্ট্রের মানুষকে অভিনন্দন জানান। স্বচ্ছ ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে মহারাষ্ট্র সরকার যে সমস্ত উদ্যোগ নিয়েছে তিনি সেগুলিরও প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এমনকি, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক চিকিৎসা পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে খরাজনিত পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত উদ্যোগগুলির কথাও শ্রী মোদী উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি কৃষি সিঞ্চাই যোজনা ও ফসল বিমা যোজনার কথা উল্লেখ করে মহারাষ্ট্র সরকারের জলযুক্ত শিবির অভিযান প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন। বি.আর.আম্বেদকর, জ্যোতিরাও ফুলে এবং ছত্রপতি শিবাজির শিক্ষা ও আদর্শের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে মহান এই ব্যক্তিত্বদের মহৎ আদর্শ অনুসরণ করে এক মজবুত অখণ্ড সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করার পরামর্শ দেন। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ এবং ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর উদ্দেশ্যগুলি অর্জনের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার জন্য তিনি সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানান। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শ্রী সাইবাবা সমাধি মন্দির প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন এবং সেখানে প্রার্থনা সভায় অংশ নেন। শ্রী সাইবাবার শতবার্ষিকী উদযাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানেও তিনি যোগ দেন।",মহাৰাষ্ট্ৰৰ ছিৰ্দি ভ্ৰমণ কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে; শ্ৰী ছাইবাবাৰ শতবৰ্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানৰ সামৰণী অনুষ্ঠানত অংশগ্ৰহণ; সমবেত ৰাইজক উদ্দেশ্যি ভাষণ প্ৰদান +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%87%E0%A6%93%E0%A6%8F%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%B2%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%87%E0%A6%85%E0%A6%8F%E0%A6%9B/,"নয়াদিল্লি, ২ ডিসেম্বর ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি উৎক্ষেপিত ইওএস-০৬ কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত দুর্দান্ত কিছু ছবি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মহাকাশ প্রযুক্তির এই অগ্রগতির ফলে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে আরও ভালো পূর্বাভাস পাওয়া যাবে এবং উপকূলীয় অর্থনীতির এর ফলে সুবিধা হবে। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন – “সম্প্রতি উৎক্ষেপিত ইওএস-০৬ কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত দুর্দান্ত কিছু ছবি কি আপনারা দেখেছেন? গুজরাটের কিছু দারুণ ছবি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি। মহাকাশ প্রযুক্তির এই অগ্রগতির ফলে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে আরও ভালো পূর্বাভাস পাওয়া যাবে এবং উপকূলীয় অর্থনীতির এর ফলে সুবিধা হবে।”",অলপতে উৎক্ষেপণ কৰা ইঅ’এছ-০৬ উপগ্ৰহে লোৱা ছবি শ্বেয়াৰ প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%B9%E0%A6%B2-%E0%A6%8F-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A7%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7/,"প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ সংসদের সেন্ট্রাল হল-এ আইন প্রণয়নকারীদেরজাতীয় সম্মেলনেভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রত্যেক রাজ্যে এমন কিছু জেলা আছে যেগুলি উন্নয়নমাপকাঠিতে রীতিমতো বলিষ্ঠ। আমরা ওদের থেকে শিক্ষা নিতে পারি এবং অনুন্নতজেলাগুলিতে তা কাজে লাগাতে পারি। প্রতিযোগিতামূলকএবং সমবায়-ভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রীয়তা দেশের পক্ষে অত্যন্ত মঙ্গল। জনসাধারণেরঅংশগ্রহণ সব সময়ই সাহায্য করে থাকে। যেখানেই আধিকারিকরা মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজকরেছেন এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাঁদের সামিল করেছেন, সেখানেই ফলাফল হয়েছেরূপান্তরমুখী। যে সব জেলায়উন্নয়ন প্রয়োজন, সেখানে সেইসব অঞ্চলগুলিকে চিহ্নিত করা আবশ্যক এবং তারপর অভাবেরমোকাবিলা করা প্রয়োজন। একবার আমরা জেলারঅন্তত একটি দিকেরও পরিবর্তন ঘটানোর সিদ্ধান্ত যদি নিতে পারি, তাহলে আমরা অন্যান্যঅভাবগুলি পূরণের জন্য কাজ করার বেগ সঞ্চার করতে পারব। আমাদের জনবলরয়েছে, রয়েছে দক্ষতা এবং সম্পদ। আমাদের ব্রতের সঙ্কল্প নিয়ে কাজ করতে হবে আরইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের লক্ষ্যই হল সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা। আকাঙ্ক্ষামূলকজেলাগুলিতে কাজ করলে মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকে ভারতের মান বাড়বে। আইনপ্রণয়নকারীদের এই সম্মেলন লোকসভার অধ্যক্ষ শ্রীমতী সুমিত্রা মহাজনের এক প্রশংসনীয়প্রয়াস । বিভিন্ন রাজ্য থেকে আইন প্রণেতাদের এক জায়গায় নিয়ে এসে গুরুত্বপূর্ণবিষয়গুলি আলোচনা করা ভালো।” /",সংসদৰ চেণ্ট্ৰেল হলত অনুষ্ঠিত ৰাষ্ট্ৰীয় বিধায়িনী সন্মিলনত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0-3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A7%A8%E0%A7%AC-%E0%A7%A7%E0%A7%A7-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AD%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের সবাইকে নমস্কার! আকাশবাণীর মাধ্যমে ‘মন কি বাত’ করতে করতে তিন বছর পূর্ণ হয়েগেল। আজ এটি ৩৬-তম পর্ব। ‘মন কি বাত’ হল একরকম ভারতের যে সদর্থক শক্তি আছে, দেশেরকোণে কোণে যে ভাবনাচিন্তা পূর্ণ হয়ে রয়েছে, ইচ্ছা রয়েছে, প্রত্যাশা আছে, কোথাওকোথাও নালিশও আছে – জনগণের মনে যে যে ভাবনার উদয় হতে থাকে, ‘মন কি বাত’ সেই সবভাবনার সঙ্গে আমার নিজেকে যুক্ত করার এক সুযোগ দিয়েছে, আর আমি কখনও এটা বলি না যে,এটা আমার ‘মন কি বাত’। এই ‘মন কি বাত’ দেশবাসীর মনের সঙ্গে যুক্ত, তাদের আবেগেরসঙ্গে যুক্ত, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে। আর যখন ‘মন কি বাত’-এরকথা বলি, তখন দেশের প্রতিটি কোণে যেসমস্ত মানুষ তাঁদের কথা আমাকে পাঠান, আপনাদেরতো হয়ত আমি খুব কম কথা বলতে পারি, কিন্তু আমার প্রচুর বিষয় মিলে যায়। ই-মেইল হোক,দূরভাষ হোক, ‘মাই গভ’ পোর্টাল হোক, নরেন্দ্র মোদী অ্যাপের মাধ্যমে হোক, এত কথাআমার কাছে পৌঁছে যায়। বেশীরভাগই আমাকে উৎসাহ দেয়। অনেক কিছু সরকারের সংশোধনের জন্যথাকে, কখনও ব্যক্তিগত নালিশও থাকে তো আবার কখনও সামগ্রিক সমস্যার প্রতি মনোযোগআকর্ষণ করা হয়। আর আমি তো মাসে একবার আপনাদের আধঘণ্টা সময় নিই, কিন্তু মানুষেরাতিরিশ দিন ‘মন কি বাত’-এর জন্য নিজের কথা পৌঁছতে থাকেন। আর তার ফলে যা হয়েছে তাহল, সরকারেরও সংবেদনশীলতা, সমাজের দূর-সুদূরে কত না শক্তি রয়েছে, তার প্রতি তাদেরমনোযোগ দেওয়ার এক সহজ ভাবনা তৈরি হচ্ছে। আর এজন্য ‘মন কি বাত’-এর তিন বছরের এইযাত্রা দেশবাসীর – তাদের ভাবনাচিন্তার, তাদের অনুভূতির এক যাত্রা। আর হয়ত এত কমসময়ে দেশের সাধারণ মানুষের আবেগ জানা-বোঝার জন্য যে সুযোগ আমার হয়েছে তার জন্য আমিদেশবাসীর কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। ‘মন কি বাত’-এ আমি প্রায়ই আচার্য বিনোবা ভাবের সেইকথাটি মনে রাখি। আচার্য বিনোবা ভাবে প্রায়ই বলতেন, অ-সরকারি, কার্যকর। আমিও ‘মন কিবাত’-এ এই দেশের জনগণকে কেন্দ্রে রাখার চেষ্টা করেছি। রাজনীতির রঙ থেকে অনেক দূরেরেখেছি। তৎকালিন উত্তেজনা, আক্রোশ হতে থাকে তার মধ্যে না গিয়ে স্থির মন নিয়েআপনাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার চেষ্টা করেছি। আমি অবশ্যই মানি, এখন তিন বছর পরে সমাজবিজ্ঞানী,বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষক, গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা অ���শ্যই এর বিশ্লেষণ করবেন। প্রতিটিজিনিসের প্লাস-মাইনাস তুলে ধরবেন, আর আমার বিশ্বাস যে, এই বিচার-বিশ্লেষণ ভবিষ্যতে‘মন কি বাত’-এর জন্য অনেক উপযোগী হবে, তাতে এক নতুন চেতনা, নতুন উদ্যম মিলবে। আরআমি যখন একবার ‘মন কি বাত’-এ বলেছিলাম, আমাদের খাওয়ার সময়ে চিন্তা করা উচিত যে,যতটা প্রয়োজন, ততটাই নেব, আমরা তা নষ্ট করব না। কিন্তু তারপর আমি দেখেছি যে, দেশেরপ্রতিটি কোণ থেকে এত চিঠি এসেছে, অনেক সামাজিক সংগঠন, অনেক নব্যযুবক অনেক আগেথেকেই এই কাজ করছেন। খাওয়ার থালায় যা ফেলে যাওয়া হয়েছে, তা একসঙ্গে করে তার ঠিকঠাকব্যবহার কীভাবে হবে, এই কাজে যুক্ত এত মানুষ আমার মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন, আমারঅত্যন্ত ভালো লেগেছে, আনন্দ হয়েছে। একবার আমি ‘মনকি বাত’-এ মহারাষ্ট্রের এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রীযুক্ত চন্দ্রকান্ত কুলকার্ণিরকথা বলেছিলাম, যিনি নিজের পেনশনে যে ষোল হাজার টাকা পেতেন, তার থেকে পাঁচ হাজারটাকা করে তিনি ৫১টি পোস্ট-ডেটেড চেকের মাধ্যমে স্বচ্ছতার জন্য দান করেছিলেন। আরতারপর তো আমি দেখেছি যে স্বচ্ছতার জন্য এই ধরনের কাজ করতে কত মানুষ এগিয়ে এসেছেন। একবার আমিহরিয়ানাতে এক পঞ্চায়েত প্রধানের ‘সেলফি উইথ ডটার’ দেখি আর আমি ‘মন কি বাত’-এ তাসবার সামনে রাখি। দেখতে না দেখতে শুধু ভারত থেকেই নয়, সারা বিশ্ব জুড়ে ‘সেলফি উইথডটার’ এক বড় অভিযান শুরু হয়ে যায়। এটা শুধু সোস্যাল মিডিয়ারই একটি বিষয় নয়,প্রতিটি কন্যাকে এক নতুন আত্মবিশ্বাস, নতুন গর্ব করার মত ঘটনা হয়ে উঠেছে। প্রতিমা-বাবার মনে হতে থাকে যে নিজের কন্যার সঙ্গে সেলফি তুলি। প্রতিটি মেয়ের মনে হতেথাকে যে আমারও কোন মহিমা আছে, কোনো মহত্ত্ব আছে। কিছুদিন আগেভারত সরকারের পর্যটন দপ্তরের সঙ্গে বসেছিলাম। আমি যখন পর্যটকদের বলি যে আপনারা Incredible India –তে যেখানেগেছেন সেখানকার ফোটো পাঠান। ভারতের প্রতি কোণ থেকে লাখখানেক ছবি একরকম পর্যটন ক্ষেত্রে যাঁরাকাজ করেন তাঁদের এক মস্ত বড় সম্পদ হয়ে উঠেছে। ছোটো ছোটো ঘটনা কত বড় আন্দোলন তৈরিকরে দেয়, তা ‘মন কি বাত’-এ আমি অনুভব করেছি। আজ ইচ্ছে করছে, কারণ যখন ভাবছি যে তিনবছর হয়ে গেছে, তো গত তিন বছরের কত ঘটনা আমার মনে ভিড় করে আসছে। দেশ সঠিক রাস্তায়যাওয়ার জন্য প্রতি মুহূর্তে এগিয়ে চলেছে। দেশের প্রতিটি নাগরিক অন্যের ভালোর জন্য,সমাজের ভালোর জন্য, দেশের উন্নতির জন্য কিছু না কিছু করতে চাইছেন। আমার তিন বছরের‘মন কি বাত’-এর যাত্রায়, আমি এটা দেশবাসীর কাছ থেকে জেনেছি, বুঝেছি, শিখেছি। যেকোনো দেশের জন্যই এ এক মস্ত বড় সম্পদ, এক মস্ত বড় শক্তি। আমি অন্তর থেকে দেশবাসীকেপ্রণাম জানাচ্ছি। আমি একবার ‘মনকি বাত’-এ খাদি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আর খাদি শুধু এক বস্ত্র নয়, এক ঐতিহ্য। আর আমিদেখেছি ইদানিং খাদির প্রতি প্রচুর আকর্ষণ বেড়ে গেছে আর আমি স্বাভাবিক ভাবেই বলেছিযে কাউকে শুধুই খাদি পড়তে হবে না। কিন্তু নানারকম fabric তো আছে, তা খাদি নয় কেন? ঘরের চাদরহতে পারে, রুমাল হতে পারে, পর্দা হতে পারে। আর এটা মনে হচ্ছে যে যুবপ্রজন্মেরমধ্যে খাদির প্রতি আকর্ষণ বেড়ে গেছে। খাদির বিক্রি বেড়ে গেছে আর তার জন্য গরীবদেররোজগারের সঙ্গে এক সরাসরি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ২-রা অক্টোবর খাদিতে ছাড় দেওয়া হয়,অনেকটাই ছাড় পাওয়া যায়। আমি আরও একবার বলব যে, খাদির জন্য যে অভিযান চলছে, তাকেআমরা আরও এগিয়ে নিয়ে যাই, আরও বাড়াই। খাদি কিনে গরীবদের ঘরে দীপাবলির প্রদীপজ্বালাব, এই ভাবনা নিয়ে আমরা কাজ করি। আমাদের দেশের দরিদ্রদের এই কাজের থেকে একশক্তি মিলবে, আর আমাদের তা করা উচিত। আর এই খাদির প্রতি রুচি বাড়ার জন্য খাদিক্ষেত্রের কর্মীদের, ভারত সরকারের খাদির সঙ্গে যুক্ত মানুষদের এক নতুন ভাবেভাবনাচিন্তা করার উৎসাহ বেড়েছে। নতুন প্রযুক্তি কীভাবে আনবে, উৎপাদনক্ষমতা কীভাবেবাড়াবে, সৌরশক্তি ও হস্তচালিত তাঁত কীভাবে নিয়ে আসবে? পুরনো যে ঐতিহ্য ছিল, যাপ্রায় ২০, ২৫, ৩০ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়েছিল, তাকে পুনর্জীবিত কীভাবে করা যায়। উত্তর প্রদেশেবারাণসীর সেবাপুরে – সেবাপুরীর এক খাদি আশ্রম ২৬ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়েছিল, কিন্তুআজ তা পুনর্জীবিত হয়েছে। অনেক রকম পদ্ধতি যুক্ত হয়েছে। অনেক লোকের রোজগারের নতুনসুযোগ তৈরি হয়েছে। কাশ্মীরের পম্পোরে বন্ধ হয়ে থাকা খাদি ও গ্রামোদ্যোগ প্রশিক্ষণকেন্দ্র আবার চালু হয়েছে আর কাশ্মীরের কাছে তো এই ক্ষেত্রে দেওয়ার অনেক কিছু আছে।এখন এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আবার শুরু হওয়ার জন্য নতুন প্রজন্ম আধুনিকভাবে নির্মাণকাজ করতে, বয়ন করতে, নতুন জিনিস তৈরি করতে এক সাহায্য মিলছে আর আমার ভালো লাগছে যেবড় বড় করপোরেট হাউস দীপাবলির সময় যে উপহার দেয়, তারা ইদানিং খাদির জিনিস দিতে শুরুকরেছে। লোকেরাও একজন আরেকজনকে উপহার হিসেবে খাদির জিনিস দিচ্ছে। সহজভাবে কোন জিনিসকীভাবে এগিয়ে চলে তা আমরা সবাই অনুভব করছি। আমার প��রিয়দেশবাসী, গতমাসে ‘মন কি বাত’-এ আমরা সবাই মিলে এক সংকল্প করেছিলাম এবং আমরা ঠিক করেছিলামযে গান্ধী জয়ন্তীর আগের ১৫ দিন সারা দেশ জুড়ে স্বচ্ছতা উৎসব পালন করব। স্বচ্ছতারসঙ্গে জনমনকে যুক্ত করব। আমাদের শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রপতি এই কাজ শুরু করেছেন এবং দেশতাতে যুক্ত হয়েছে। আবালবৃদ্ধ, পুরুষ-মহিলা, শহর-গ্রাম – প্রত্যেকেই আজ স্বচ্ছতাঅভিযানের এক অংশ হয়ে উঠেছে। আমি যখনসংকল্প সাধনের কথা বলি, তখন আমাদের এই স্বচ্ছতা অভিযান সংকল্প সাধনের পথে কীভাবেএগিয়ে চলেছে তা আমরা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। সবাই এটাকে স্বীকার করে, সহায়তাকরে এবং এর সাফল্যের জন্য কোনো না কোনো ভাবে সাহায্য করেন। আমি মাননীয় রাষ্ট্রপতিরপ্রতি কৃতজ্ঞ, কিন্তু একই সঙ্গে দেশের সব শ্রেণির মানুষ এই স্বচ্ছতা অভিযানকেনিজেদের কাজ বলে স্বীকার করেছেন। এর সঙ্গে সকলে নিজেকে যুক্ত করেছেন। খেলাধূলারজগতের মানুষ-ই হোন বা সিনেমা জগতের মানুষ, শিক্ষার জগতের মানুষ, স্কুল, কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষক, মজদুর, অফিসার, কেরানি, পুলিশ, সৈনিক সকলে এর সঙ্গে যুক্তহয়ে গেছেন। জনসাধারণ ব্যবহার করেন এই রকম জায়গা নোংরা থাকলে আজকাল মানুষ বিরক্তিপ্রকাশ করেন, ফলে যাঁরা এই সব জায়গা দেখাশোনার কাজ করেন তাঁরা একধরনের তাগিদ অনুভবকরেন। আমি এটাকে একটা ভালো সংকেত বলে মনে করি। আমি খুশি যে ‘স্বচ্ছতাই সেবা’অভিযানের প্রথম চার দিনে প্রায় ৭৫ লক্ষের বেশি মানুষ ৪০ হাজারের বেশি উদ্যোগ নিয়েএই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছেন। আমি লক্ষ করেছি কিছু মানুষতো লাগাতার কাজকরে চলেছেন। তাঁরা উপযুক্ত ফল না পাওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়া মনস্থির করেছেন।এই বার আরও একটা জিনিস দেখলাম – প্রথমতঃ একটা জিনিস হতে পারে আমরা কোনো একটা জায়গাপরিষ্কার করবো, দ্বিতীয়তঃ এটা হতে পারে যে আমরা সচেতন ভাবে কোনও জায়গা অপরিষ্কারকরবো না কিন্তু পরিচ্ছন্নতাকে যদি অভ্যাস বানাতে হয়, তাহলে আমাদের বিচারধারারমধ্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন প্রয়োজন। এবার ‘স্বচ্ছতাই সেবা’ অভিযানে বেশ কিছুপ্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। আড়াই কোটিরও বেশি শিশু স্বচ্ছতা বিষয়ে রচনাপ্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেছিল। হাজার হাজার শিশু পেইণ্টিং করেছে। স্বচ্ছতা বিষয়েতাদের নিজের নিজের কল্পনা প্রকাশ করতে ছবি এঁকেছে। অনেকে কবিতা লিখেছেন, আমার ছোটোছোটো বন্ধুরা, ছোটো ছোটো বালক-বালিকারা যে সব ছবি পাঠিয়েছে আমি আজকাল সেগুলিকেসোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিচ্ছি। তাদের গৌরবগাথা লিখছি। যখনই স্বচ্ছতার কথা হয়,তখন আমি কিন্তু প্রচার মাধ্যমের মানুষদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে কখনোভুলি না। এই আন্দোলনকে তাঁরা পবিত্ররূপে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। নিজের নিজের মত তাঁরাএর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং একটা সদর্থক পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তাকরেছেন। এখনও পর্যন্ত তাঁরা নিজের মত করে স্বচ্ছতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।আমাদের দেশের ইলেক্‌ট্রনিক মিডিয়া, প্রিণ্ট মিডিয়া দেশের কতবড়ো সেবার কাজ করতেপারে, সেটা আমরা ‘স্বচ্ছতাই সেবা’ আন্দোলনে দেখছি। সম্প্রতি কয়েকদিন আগে কেউশ্রীনগরের ১৮ বছরের তরুণ বিলাল ডার-এর সম্পর্কে আমার মনোযোগ আকর্ষণ করে। আপনারাশুনে খুশি হবেন যে শ্রীনগর ম্যুনিসিপ্যাল কর্পোরেশান বিলাল ডারকে স্বচ্ছতার জন্যতাঁদের ব্র্যাণ্ড অ্যামবাসেডর বানিয়েছেন। যখনই ব্র্যাণ্ড অ্যাম্বাসেডর-এর কথা ওঠে,তখন আপনারা ভাবেন, উনি হয়ত সিনেমা আর্টিস্ট বা খেলাধুলার জগতের কোনও হিরো, কিন্তুসেটা সত্যি নয়। ১২-১৩ বছর বয়স থেকে অর্থাৎ গত ৫-৬ বছর যাবৎ বিলাল স্বচ্ছতা নিয়েকাজ করে চলেছে। শ্রীনগরের পাশে এশিয়ার সব থেকে বড় যে লেক আছে, সেখানেও প্লাসটিক,পলিথিন, ব্যবহৃত বোতল, ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে। এর থেকে কিছু উপার্জনও করে নেয়।ওর খুব ছোটো বয়সে ওর বাবার ক্যান্সারে মৃত্যু হয়। জীবিকা উপার্জনের সঙ্গে ওস্বচ্ছতাকে যুক্ত করে নিয়েছে। এক আনুমানিক হিসাব অনুসারে বিলাল প্রতি বছর ১২ হাজারকিলোগ্রামেরও বেশি আবর্জনা পরিষ্কার করেছে। স্বচ্ছতার প্রতি তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিএবং ব্র্যাণ্ড অ্যাম্বাসেডর নির্বাচনে তাঁদের পদক্ষেপ-এর জন্য শ্রীনগর পৌর নিগমকেআমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শ্রীনগর একটি পর্যটন কেন্দ্র এবং ভারতবর্ষের সব নাগরিকেরইশ্রীনগরে যাওয়ার ইচ্ছা থাকে, সেখানে পরিচ্ছন্নতার প্রতি এই রকম গুরুত্ব আরোপ করাসত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ। আমি আনন্দিত যে পৌরনিগম বিলালকে কেবল মাত্র ব্র্যাণ্ডঅ্যাম্বাসেডর-ই বানায়নি, তারা বিলালকে এবার গাড়ি দিয়েছে, ইউনিফর্ম দিয়েছে। বিলালওঅন্য এলাকায় গিয়ে সেখানকার লোকজনদের স্বচ্ছতা বিষয়ে শিক্ষিত করে তুলছে, তাঁদেরঅনুপ্রাণিত করছে এবং প্রত্যাশিত ফল না পাওয়া পর্যন্ত হাল ছাড়ে না। বিলাল ডার বয়সেছোট কিন্তু স্বচ্ছতার প্রতি যাঁদের আগ্রহ আছে, তাঁদের কাছে প্রেরণাদায়ক। আমি বিলালডারকে অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমার প্রিয়দেশবাসী, আমাদের এটা স্বীকার করতেই হবে যে ইতিহাসের গর্ভেই ভবিষ্যতের ইতিহাস জন্মনেয়। আর আমরা যখন ইতিহাসের কথা বলবো, তখন মহাপুরুষদের কথা স্মরণে আসা স্বাভাবিক।অক্টোবর মাস আমাদের অনেক মহাপুরুষকে স্মরণ করার মাস। মহাত্মা গান্ধী থেকে সরদারপ্যাটেল এই অক্টোবর মাসে অনেক মহাপুরুষ জন্ম নিয়েছেন, যাঁরা বিংশ শতাব্দী এবংএকবিংশ শতাব্দীতে আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন, আমাদের চলার পথ দেখিয়েছেন আর দেশের জন্যযাঁরা নিজেরা অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। দোসরা অক্টোবর মহাত্মা গান্ধী এবং লালবাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মদিন, ১১-ই অক্টোবর জয়প্রকাশ নারায়ণ আর নানাজি দেশমুখেরজন্মদিন। আবার ২৫-শে সেপ্টেম্বর পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিন। এবছর তো আবারনানাজীর এবং দীনদয়ালজীর জন্মের শতবর্ষ। এই সকল মহাপুরুষদের একটা কেন্দ্রবিন্দু ছিল– সেটা কি? তাঁদের সকলের জন্য একটা বিষয় স্বাভাবিক ছিল, সেটা হল দেশের জন্য বাঁচা,দেশের জন্য কিছু করা আর শুধুমাত্র উপদেশ দেওয়া নয়, জীবন যাপনে সেই উপদেশ পালন করা।গান্ধীজী, জয়প্রকাশজী, দীনদয়ালজীরা এমন মহাপুরুষ ছিলেন যাঁরা ক্ষমতার অলিন্দ থেকেঅনেক দূরে থাকতেন কিন্তু প্রতিটি মুহূর্ত সাধারণ মানুষের সঙ্গে জীবন যাপন করতেন,সংগ্রাম করতেন, সর্বজনের হিতার্থে, সর্বজনের সুখার্থে কিছু না কিছু করতেন। নানাজিদেশমুখ রাজনীতি ছেড়ে গ্রাম উন্নয়নের কাজে মন দেন। আজকে আমরা যখন তাঁর শতবর্ষ পালনকরছি, তখন তাঁর গ্রাম উন্নয়নের কাজকে শ্রদ্ধা জানানো খুবই স্বাভাবিক। ভারতেরপ্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শ্রীমান আব্দুল কালামজী যখন তরুণদের সঙ্গে কথা বলতেন, তখনতিনি প্রায়ই নানাজী দেশমুখের গ্রামীণ বিকাশের কথা আলোচনা করতেন। গভীর আন্তরিকতায়তিনি সেই কর্মসূচির উল্লেখ করতেন এবং তিনি নিজেও নানাজীর এই কাজ প্রত্যক্ষ করারজন্য গ্রামে গিয়েছিলেন। দীনদয়ালউপাধ্যায়ের মতো মহাত্মা গান্ধীও সমাজের নিম্নবর্গের মানুষজনের কথা বলতেন।দীনদয়ালজী সমাজের নীচের স্তরের গরীব, পীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত জনসাধারণের জীবনেপরিবর্তন আনার কথা বলতেন; শিক্ষা এবং উপার্জনের মাধ্যমে কীভাবে সে বদল আনা যেতেপারে, সে বিষয়ে আলাপ আলোচনা করতেন। এইসব মহাপুরুষকে স্মরণ করলে তাঁদের কোনও উপকারকরা হয় না, আমরা এঁদের স্মরণ করি, যাতে ���ামনে এগিয়ে চলার রাস্তা খুঁজে পাই, যাতেভবিষ্যতের জন্য সঠিক দিগ্‌নির্দেশ মেলে। এর পরের ‘মনকি বাত’-এ আমি অবশ্যই সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের বিষয়ে বলব। আপাতত ৩১-শে অক্টোবরসারা দেশে Run for Unity ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। দেশেরপ্রতিটি শহরে-নগরে খুব বড় করে ‘ Run for Unity ’ কার্যসূচি রূপায়িত হওয়া দরকার। এখন আবহাওয়াটি এমন যেদৌড়তে ভালোও লাগে – সর্দার সাহেবের মতো লৌহ-শক্তি পাওয়ার জন্য সেটা জরুরিও বটে।সর্দার সাহেব দেশকে এক করেছিলেন, আমাদেরও একতার জন্য দৌড়ে সামিল হয়ে একতারমন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে চলা প্রয়োজন। আমরা খুব সহজেবলে থাকি – বিবিধের মাঝে ঐক্যই ভারতের বিশেষত্ব। বিবিধতার জন্য আমরা গর্বিত, অথচযে বৈচিত্র্যের জন্য আমরা গর্বিত, নিজেদের সেই বিবিধ বৈশিষ্ট্যকে অনুভব করারচেষ্টা কখনও করি কি? আমি হিন্দুস্থানে আমার সমস্ত দেশবাসীকে বারবার বলতে চাই,বিশেষ করে আমার যুবপ্রজন্মকে বলতে চাই যে, আমরা এক জাগ্রত অবস্থার মধ্যে আছি। এইভারতের বিচ্ছিন্নতাকে অনুভব করুন, তাকে স্পর্শ করুন, তার গৌরবকে উপলব্ধি করুন।আপনাদের অন্তরস্থিত ব্যক্তিত্বের বিকাশের জন্য আমাদের দেশের এই বৈচিত্র্য যেনবিরাট এক পাঠশালার ভূমিকা পালন করে। ছুটি পরলে বা দীপাবলির পরব এলে আমাদের দেশেকোথাও না কোথাও বেড়াতে বেরিয়ে পড়ার একটা প্রবণতা আছে। ট্যুরিস্ট হিসেবে সবাইবেড়িয়ে পড়েন। কিন্তু মাঝে মাঝে চিন্তা হয়, নিজের দেশকে তো আমরা সেভাবে দেখি না,তার বিভিন্নতাকে জানতে বা বুঝতে চেষ্টা করিনা, কিন্তু বিদেশের চাকচিক্যের টানেআমরা ইদানিং পর্যটনের জন্য বিদেশকেই বেশি পছন্দ করতে শুরু করেছি। আপনারা বিদেশেযান, আমার কোন আপত্তি নেই, কিন্তু কখনও কখনও নিজের ঘরটাকেও তো দেখবেন! উত্তরভারতের মানুষ জানবেন না দক্ষিণ ভারতে কী আছে? পশ্চিম ভারতের মানুষটি জানবেন না যেপূর্বভারতে কী আছে? আমাদের এই দেশ কতরকম বৈচিত্র্যে ভরা। মহাত্মাগান্ধী, লোকমান্য তিলক, স্বামী বিবেকানন্দ, আমাদের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুলকালামজী – এঁরা প্রত্যেকেই যখন ভারত ভ্রমণ করেছেন, তখন তাঁদের মধ্যে দেশকে দেখার,বোঝার, দেশের জন্য বাঁচা-মরার এক নতুন প্রেরণা জেগে উঠেছিল। এইসব মহাপুরুষেরাএদেশকে ব্যাপকভাবে ঘুরে দেখেছেন। নিজেদের কাজের শুরুতে তাঁরা ভারতকে জানার এবংবোঝার চেষ্টা করেছেন। ভারতকে নিজের মধ্যে আত্মস্থ করে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আমরাওকি পারিনা আমাদের দেশের ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের, ভিন্ন ভিন্ন সমাজের বা গোষ্ঠীরনিয়মকানুন, পরম্পরা, তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ, খাওয়াদাওয়াকে একজন শিক্ষার্থীর মতো করেশিখে নিতে, বুঝে নিতে, সে জীবনচর্যা আয়ত্ত করতে? পর্যটনে value addition তখনই হবে যখন আমরা শুধু দর্শক হিসেবে নয়, একজন ছাত্রের মতোসেই সব জায়গার বৈশিষ্ট্যকে গ্রহণ করতে, বুঝতে এবং আত্মীকরণ করতে সচেষ্ট হব। আমারনিজের হিন্দুস্থানের পাঁচশোর বেশি জেলায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। সাড়ে চারশোর বেশিজেলায় রাত্রিবাস করারও অভিজ্ঞতা হয়েছে। আজ যখন আমি দেশের এই গুরত্বপূর্ণ দায়িত্বসামলাচ্ছি, তখন সেই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমার খুবই কাজে লাগে। তার জন্যেই বহু জিনিসবুঝতে আমার বিশেষ সুবিধা হয়। আপনাদের কাছেও আমার অনুরোধ, বিশাল এই ভারতে ‘বিবিধেরমধ্যে একতা’ – এটাকে শুধু স্লোগান হিসেবে না দেখে, আমাদের অপার শক্তির এইভাণ্ডারকে উপলব্ধি করুন। ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর স্বপ্ন এরই মধ্যে নিহিত আছে। খাদ্য-পানীয়ই কত রকমের আছে! সারা জীবন ধরেপ্রত্যেক দিন যদি এক একরকমের নতুন খাবার খাওয়া যায়, তা-ও পুনরাবৃত্তি হবে না। এটাইআমাদের পর্যটনের এক বড় শক্তি। আমি চাইবো, এই ছুটিতে আপনারা শুধু একটু ঘরের বাইরেযাওয়ার জন্য, একটু পরিবর্তনের জন্য বেরিয়ে পড়লেন – এমন যেন না হয়। কিছু জানতে হবে,বুঝতে হবে, আত্মস্থ করতে হবে – এরকম প্রতিজ্ঞা নিয়ে ঘুরতে যান। ভারতকে নিজের মধ্যেগ্রহণ করুন। কোটি কোটি দেশবাসীর বিভিন্নতাকে আপন করে নিন। এই উপলব্ধি আপনার জীবনকেসমৃদ্ধ করে তুলবে। আপনার চিন্তার ব্যাপ্তি বিশাল হয়ে যাবে। উপলব্ধির চেয়ে বড়শিক্ষক আর কী হতে পারে! সাধারণভাবে অক্টোবর থেকে বড়জোর মার্চ পর্যন্ত সময়টিপর্যটনের জন্য প্রশস্ত। এই সময়েই সকলে বেড়াতে যান। আমার বিশ্বাস, এবার যদি আপনারাবেড়াতে যান, তবে আমার অভিযানকেই আপনারা আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আপনারা যেখানেই যান,নিজেদের অভিজ্ঞতা আর ছবি শেয়ার করুন, ‘হ্যাশ ট্যাগ incredible India ’-তে অবশ্যই আপনাদের ছবি পাঠান।সেখানকার মানুষদের সঙ্গে পরিচয় হলে তাঁদেরও ছবি পাঠান। শুধু সেখানকার সৌধ বাস্থাপত্যের নয়, শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেরই নয়, সেখানকার জনজীবনের সম্পর্কেওদু-চার কথা লিখুন। আপনাদের বেড়ানো নিয়ে চমৎকার সব প্রবন্ধ লিখে ‘মাইগভ’-এ পাঠিয়েদিন, ‘নরেন্দ্রমোদী অ্যাপ’-এ পাঠিয়ে দিন। আমি একটা ব্যাপার ভেবে দ���খেছি, ভারতেরপর্যটন শিল্পের উন্নতির জন্য আপনারা যদি নিজের নিজের রাজ্যের সাতটি সেরা ট্যুরিস্টডেস্টিনেশন কী হতে পারে, প্রত্যেক ভারতবাসীকে নিজের রাজ্যের এইসাতটি জিনিসের বিষয়ে জানা দরকার। যদি সম্ভব হয় ওই সাতটি জায়গায় যেতে হবে। আপনি এইবিষয়ে কোন তথ্য দিতে পারবেন কি? Narendramodiapp এ এগুলো রাখতে পারবেন কি? ‘হ্যাশ ট্যাগ Incredible India ’-তে রাখতে পারবেন কি? আপনি দেখুন, একই রাজ্যের সবাই যদিএইসব তথ্য পাঠান, তাহলে আমি সরকারকে বলবো ওগুলোর scrutiny করুক, আর কোন সাতটি commonবিষয় প্রত্যেক রাজ্য থেকে এসেছে, সেইগুলোকে নিয়ে প্রচার বিষয় বানাক । অর্থাৎ, এক প্রকার মানুষেরঅভিপ্রায় থেকে tourist destination-এর উন্নতি কিভাবে করা যায়। একই ভাবে আপনিসমগ্র দেশে যেসব দেখেছেন, এর মধ্যে যে সাতটি জিনিষ আপনার সবথেকে ভালো লেগেছে, আপনিচান কারোর না কারোর তো এটা দেখা দরকার, ওখানে যাওয়া দরকার, এর বিষয়ে জানা দরকার, তাহলেআপনার পছন্দের এইরকম সাতটি জায়গার নাম MyGov এ, NarendraModiApp এ অবশ্যই পাঠান। ভারত সরকার এটানিয়ে কাজ করবে। এরকম ভালো দেখার জায়গা যেগুলো হবে, সেগুলো নিয়ে film তৈরি, ভিডিওতৈরি, প্রচার সাহিত্য তৈরি করা, বাহবা দেওয়া – আপনার দ্বারা নির্ণয় করা বিষয় সরকারমেনে নেবে। আসুন, আমার সঙ্গে যোগদান করুন। এই অক্টোবর মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্তসময়ে পর্যটনের উন্নতিতে আপনিও এক বড়োঅনুঘটক হতে পারেন। আমি আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমার প্রিয় দেশবাসী, একজন মানুষ হওয়ার খাতিরে, অনেক কিছু জিনিষআমার মনকেও স্পর্শ করে, আমার মন কে নাড়াদেয়। আমার মনে গভীর প্রভাব ফেলে। কারণ আমিও তো আপনাদের মতো মানুষ। কিছুদিন আগেরঘটনা, হয়ত আপনারও দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে – নারীশক্তি আর দেশপ্রেমের এক আশ্চর্যউদাহরণ দেশবাসী দেখলো। ভারতীয় সেনা লেফটেন্যান্ট স্বাতি এবং নিধি নামে দুইবীরাঙ্গনাকে পেয়েছে, ওঁরা অসাধারণ বীরাঙ্গনা। অসাধারণ এইজন্য যে, স্বাতি আর নিধিরস্বামী মা-ভারতীর সেবা করতে করতে শহীদ হয়ে গিয়েছিলেন। আমরা চিন্তা করতে পারি এই কমবয়সে সংসার বিনষ্ট হলে মনের অবস্থা কিরকম হবে? কিন্তু শহীদ কর্নেল সন্তোষ মহাদিকের স্ত্রী স্বাতি মহাদিক এই কঠিনপরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আর ভারতীয় সেনাতে যোগদানকরেছেন। ১১ মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করে প্রশিক্ষণ নিলেন এবং নিজের স্বামীর স্বপ্নকেসাকার করতে নিজের জীবন সমর্পণ করেছেন। একইরকম ভাবে, নিধ��� দুবে, ওঁর স্বামী মুকেশদুবে সেনাতে নায়ক পদে কাজ করতেন এবং মাতৃভূমির জন্য যখন শহীদ হয়ে গেলেন, তাঁরপত্নী নিধি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন এবং তিনিও সেনাতে ভর্তি হয়ে গেলেন। প্রত্যেকদেশবাসীকে আমাদের এই নারীশক্তির উপর, আমাদের এই বীরাঙ্গানাদের প্রতি সম্মান দেখানোখুবই স্বাভাবিক । আমি এই দুই বোনকে মন থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। ওঁরা দেশের কোটি কোটিলোকের কাছে এক নতুন প্রেরণা, এক নতুন চেতনা জাগ্রত করেছেন। ওই দুই বোনকে অনেক অনেকঅভিনন্দন। আমার প্রিয়দেশবাসী, নবরাত্রির উৎসব আর দীপাবলির মাঝখানের এই সময় আমাদের দেশের যুব প্রজন্মেরজন্য এক অনেক বড়ো সুযোগও। …",আকাশবাণীত ২৬.১১.২০১৭ত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ৩৮সংখ্যক ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানত আগবঢ়োৱা ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%9C%E0%A6%B2-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%B0/,"“বিশ্ব জল দিবস হ’ল জলশক্তির গুরুত্বকে তুলে ধরার একটি বিশেষ উপলক্ষ। একইসঙ্গে এর মধ্য দিয়ে জল সংরক্ষণের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারই পুনরুচ্চারিত হয়” – বিশ্বজল দিবস এবং জল সংরক্ষণের গুরুত্ব প্রসঙ্গে এক বার্তায় একথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ঐ বার্তায় আরও বলেছেন যে, “জল সংরক্ষণের মাধ্যমে দেশেরশহর, গ্রাম এবং কঠোর পরিশ্রমী কৃষক সাধারণের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হয়”।",পানী সংৰক্ষণৰ প্ৰতি পুনৰ অংগীকাৰবদ্ধ প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B-29/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%9A-%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A6%95/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বার্মিংহাম কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় রেস ওয়াকিং-এ রৌপ্য পদক জয়ী প্রিয়াঙ্কা গোস্বামীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “রেস ওয়াকিং-এ আমাদের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী কমনওয়েলথ গেমস্‌-এ রৌপ্য জয়লাভ করায় তাঁকে অভিনন্দন। তাঁর পদক প্রাপ্তি ভারতের বহু তরুণ-তরুণীকে এই খেলার প্রতি আকৃষ্ট করবে। আগামী দিনে তিনি সাফল্যের নতুন উচ্চতায় পৌঁছান – এই কামনাই করি। #Cheer4India”।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ৰেচ ৱাকিং চেম্পিয়ন প্ৰিয়ংকা গোস্বামীক ৰূপৰ পদক জয় কৰাৰ বাবে অভিনন্দন জনাইছ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4/,ভারত ও পেরুর মধ্যে গত মে মাসে লিমাতে সাক্ষরিত চুক্তিটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা অনুমোদন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে বুধবার (১৩ জুন) কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। পারস্পরিক স্বার্থে নতুন ও পুনর্নবীকরনযোগ্য ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় উৎসাহদান ও তার প্রসারে লক্ষ্যে সহযোগিতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক গড়ে তোলাই এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য। চুক্তির বিষয়গুলি রূপায়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে একটি যৌথ কমিটি গঠনের কথাও এতে রয়েছে। /,ভাৰত আৰু পেৰুৰ মাজৰ চুক্তি কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE/,হিমাচল প্রদেশের রাজ্য প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেনপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “হিমাচল প্রদেশের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে রাজ্যবাসীকে জানাই অনেক অনেক শুভকামনা! আমি এই রাজ্যের সার্বিক বিকাশ ও অগ্রগতি কামনা করি”।,হিমাচল প্ৰদেশৰ প্ৰতিষ্ঠা দিৱসত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8/,"জাতীয় শিশুকন্যা দিবসে কন্যা সন্তানদের শক্তি, দক্ষতা এবং সাহস ও দৃঢ়তাকেসম্মান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “কন্যা সন্তানদের শক্তি, দক্ষতা এবং সাহস ও দৃঢ়তাকে আমরা সম্মান জানাই।বিভিন্ন ক্ষেত্রে কন্যা সন্তানদের সাফল্যে আমরা গর্বিত”।","ৰাষ্ট্ৰীয় কন্যাশিশু দিৱস উপলক্ষে কন্যাশিশুৰ শক্তি, দক্ষতা আৰু সাহসক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ অভিবাদন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%93%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A7%B1%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পবিত্র ওনাম উৎসব উপলক্ষে কেরলের মানুষের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “বিগত কয়েকদিন ধরে কেরলের মানুষ যে প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন, তা থেকে বেরিয়ে আসতে এবারের ওনাম উৎসব তাঁদেরকে শক্তি যোগাক। সমগ্র দেশ কেরলের পাশে রয়েছে এবং তাঁদের সমৃদ্ধি ও আনন্দের জন্য প্রার্থনা করছে”।",অ’নাম উৎসৱত কেৰালাবাসীৰ সৈতে একত্ব হৈছে প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B-%E0%A6%B0-%E0%A6%89/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A7%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A4/,"নয়াদিল্লি, ২৮ আগস্ট, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভূমিকম্প পরবর্তী গুজরাটের কচ্ছ-এর উন্নয়নের একটি ভিডিও ভাগ করে নিয়েছেন। এই এলাকাটি এখন শিল্প, কৃষি, পর্যটন সহ বহু ক্ষেত্রেই উন্নয়নের হাব হয়ে উঠেছে। এই ভিডিওটি মোদী স্টোরি ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ট্যুইট করা হয়েছে। এতে বহু মানুষ গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর উল্লেখযোগ্য কাজের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। জনগণ ভূমিকম্পের পর কচ্ছ-এর পুনর্নিমাণে গুটরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন তার প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট বার্তায় বলেন : “২০০১ সালে ভূমিকম্পের পর কিছু মানুষ ভেবেছিলেন কচ্ছ ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা মনে করেছিলেন কচ্ছ আর কখনই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু তারা কচ্ছবাসীর উদ্যমকে সঠিকভাবে বুঝতে পারেননি। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই কচ্ছ ফের ঘুরে দাঁড়ায় এবং দ্রুত উন্নয়শীল জেলাগুলির অন্যতম হয়ে ওঠে ।”",ভূমিকম্পৰ পিছত কুচ্চৰ উত্থানৰ ভিডিঅ’ শ্বেয়াৰ কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%95-%E0%A6%9A/,"নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদি চিনের জিয়ামেনে আগামী ৩-৫ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নবম ব্রিকস শিখরসম্মেলনে যোগ দেবেন| এর পর প্রধানমন্ত্রী ৫-৭ সেপ্টেম্বর মায়ানমার সফরেও যাবেন| এ উপলক্ষে বেশকিছু ফেসবুকপোস্টে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন: “ ন���ম ব্রিকস শিখর সম্মেলনেযোগ দিতে আমি ৩-৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ চিনের জিয়ামেন সফর করব| ভারতের সৌভাগ্য হয়েছিল গতবছরের অক্টোবর মাসে গোয়ায় এর আগের শিখর সম্মেলন আয়োজন করার| আমি গোয়া শিখরসম্মেলনের সিদ্ধান্ত ও ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে আরও এগিয়ে যাওয়ায় আশাবাদী| আমিএবারও চিনের চেয়ারম্যানশিপে শক্তিশালী ব্রিকসের লক্ষ্য পূরণে সহায়তাকারী ফলপ্রসূআলোচনা এবং ইতিবাচক ফলাফলের জন্য আশাবাদী| পাঁচটি দেশের শিল্পপতিদেরপ্রতিনিধিত্বে গঠিত ব্রিকস বাণিজ্য পরিষদের সঙ্গেও আমরা আলোচনা করব| তাছাড়া, আমি ৫ সেপ্টেম্বররাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর আহ্বানে আয়োজিত “উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল দেশ” নিয়ে একআলোচনায় ব্রিকসের সহযোগী দেশ সহ নয়টি অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে ফলপ্রসূআলোচনায়ও আশাবাদী| শিখর সম্মেলনের ফাঁকেবিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করার সুযোগও আমার হবে| উন্নয়ন ও শান্তিরজন্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক দশক পার করে দ্বিতীয় দশক শুরু করা ‘ব্রিকসে’র ভূমিকাকেভারত বিশেষ মাত্রায় গুরুত্ব দিয়ে থাকে| বিশ্বের নানান প্রতিকুলতার মোকাবিলা করা এবংপৃথিবীর শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ব্রিকসের বিশেষ অবদান রয়েছে| আমি ৫-৭ সেপ্টেম্বররিপাবলিক অফ ইউনিয়ন অফ মায়ানমারের রাষ্ট্রপতি মহামান্য ইউ. হুতিন জ’-এর আমন্ত্রণেমায়ানমার সফরে যাবো| আমি আগেও ২০১৪ সালে আসিয়ান-ভারত শিখর সম্মেলনের সময় এই সুন্দরদেশটি সফর করেছি, কিন্তু মায়ানমারে এটা হবে প্রথমবারের মত আমার দ্বিপাক্ষিক সফর| আমি রাষ্ট্রপতি ইউ. হুতিনজ’-এর সঙ্গে এবং স্টেট কাউন্সিলর, বিদেশমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির দফতরের মন্ত্রী মহামান্য ড্য আন সাং স্যু কি’র সঙ্গেও আলোচনারজন্য আশাবাদী| ২০১৬ সালে এই দুই বিশিষ্টজনের ভারত সফরের সময় তাঁদের সঙ্গে আমারআলোচনার সুযোগ হয়েছিল| এই সফরে আমাদেরদ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে মায়ানমারে ভারত যে উন্নয়ন সহযোগিতার ব্যাপককর্মসূচি ও আর্থ-সামাজিক সহায়তার কাজ করছে, সেগুলো নিয়ে এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করতেপারি এমন আরও ক্ষেত্র উদ্ভাবনার বিষয়ে আমরা আলোচনা করব| তাছাড়া নিরাপত্তা,সন্ত্রাস-প্রতিরোধ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিকাঠামো ও বিদ্যুত এবংসংস্কৃতি নিয়ে আমাদের বর্তমান সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে আমরাআলোচনা করব| আমি প্রখ্যাত ঐতিহ্যের শহর‘বাগা���’-এর সফরেও আশাবাদী, যেখানে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্থা ‘আর্কেওলোজিক্যলসার্ভে অফ ইন্ডিয়া’ আনন্দ মন্দির সংস্কারে অসাধারণ ভূমিকা নিয়েছে| তাছাড়া গত বছরেরভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত প্রচুর সংখ্যক বুদ্ধ-মন্দির ও ম্যুরালের পুনরুদ্ধারেও‘আর্কেওলোজিক্যল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া’ কাজ করতে যাচ্ছে| আমি ইয়াঙ্গনে আমার সফরশেষ করব, যেখানে আমি ভারত ও মায়ানমারের মধ্যেকার সংযুক্ত ঐতিহ্যের প্রতীক বিভিন্নঐতিহাসিক ক্ষেত্র পরিদর্শন করব| আমি মায়ানমারে বসবাসকারীভারতীয় বংশোদ্ভুত মানুষদের সঙ্গেও সাক্ষাত ও আলোচনায় বিশেষভাবে আগ্রহী| শতাব্দীরথেকেও বেশি সময় ধরে এই মানুষরা সেখানে বসবাস করছেন| আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এইসফর ভারত ও মায়ানমারের মধ্যেকার সম্পর্কের এক নতুন উজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা করবেএবং আমাদের দুই দেশের সরকারের মধ্যে, আমাদের ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে এবং দুই দেশেরসাধারণ মানুষের মধ্যে আরও ঘনিষ্ট সহযোগিতার রূপরেখা তৈরিতে সহায়তা করবে|”",প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ আগন্তুক চীন আৰু ম্যানমাৰ ভ্ৰমণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%A4%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%86/,"নয়াদিল্লি, ২৯ জুলাই, ২০২২ নমস্কার! গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র ভাই, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলাজি, এবং আমার মন্ত্রিসভার অন্য সহকর্মীরা, বাণিজ্য জগতের বিভিন্ন প্রতিনিধি ও এখানে উপস্থিত অন্যান্য অতিথি-অভ্যাগতরা, ভদ্রমহোদয় ও ভদ্রমহোদয়াগণ! আজকের দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের উন্নয়নশীল অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত ক্ষমতা এবং ভারতের ওপর গোটা বিশ্বের ক্রমশ আস্থা বাড়তে থাকায় এর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ভারত যখন ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উদযাপন করছে তখন এ ধরনের নতুন প্রতিষ্ঠান ও নতুন ব্যবস্থাপনা আধুনিক ভারতকে গর্বিত করে। আজ গিফট সিটি-তে আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিষেবা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ – আইএফএসসিএ-এর সদর দপ্তরের ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হল। আমি বিশ্বাস করি, এই ভবনটি তার নির্মাণশৈলীর দিকে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠবে। পাশাপাশি, ভারতের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে নানান সুযোগও সৃষ্টি করবে। আইএফএসসিএ শুধুমাত্র উদ্ভাবনের ক্ষেত্রের সহায়ক হবে তাই নয়, এটি উন্নয়নের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। বন্ধুগণ, আজ ভারতের আন্তর্জাতিক বুলিয়ন এক্সচেঞ্জ-এরও সূচনা হয়েছে। নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক-এর ভারতীয় আঞ্চলিক কার্যালয়, তিনটি বিদেশি ব্যাঙ্ক, চারটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিষেবা কেন্দ্র এখানে থাকবে। আমরা আজ বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অতিক্রম করেছি। এগুলি ১৩০ কোটি দেশবাসীর আধুনিক অর্থনীতির চাহিদা পূরণে বিশেষ সহায়ক হবে। ভারত বর্তমানে আমেরিকা, বৃটেন, সিঙ্গাপুরের মতো অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশগুলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই উপলক্ষে আমি আপনাদের সকলকে ও দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাই বিশেষ করে, আমি আমার সিঙ্গাপুরের বন্ধুদের অভিনন্দন জানাতে চাই কারণ, তাঁদের সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। বন্ধুগণ, গুজরাটে বসবাসের সময় আমি এই গিফট সিটি-র স্বপ্ন দেখেছিলাম যেখানে শুধুমাত্র বাণিজ্য বা অর্থনৈতিক কাজকর্মের মধ্যেই এর পরিধি সীমাবদ্ধ থাকবে না বলেই ভাবা হয়েছিল। দেশের সাধারণ মানুষের চাহিদাও এই গিফট সিটি-র ভাবনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ভারতের সোনালী অতীত দিনের স্বপ্নও যুক্ত ছিল এর সঙ্গে। আমার এখনও মনে আছে, ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে আমি এখানে এসেছিলাম ‘গিফট ওয়ান’-এর উদ্বোধন করার জন্য। এটি ছিল গুজরাটের সবচেয়ে উঁচু ভবন। কয়েকজন শুধুমাত্র এভাবেই এর পরিচয় দিলেও, গিফট সিটি-র ভাবনা তখন সময়ের থেকে এগিয়ে ছিল। মনে করার চেষ্টা করি ২০০৮। বিশ্ব অর্থনীতিতে এক অন্যতম সঙ্কটের সময়। চাকরিতে এসেছিল মন্দা। দুর্ভাগ্যক্রমে ভারতেও এর প্রভাব পড়েছিল। আপনারা ভাবুন সেই সময় বিশ্বের পরিস্থিতির কথা! কিন্তু তখন গুজরাট ফিনটেক ক্ষেত্রের বেশ কিছু নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিল। আমি আনন্দিত, সেইসব ধারণা এখন আরও অনেক উন্নত হয়েছে। গিফট সিটি, বাণিজ্য ও প্রযুক্তি হাব-এর ক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য ছাপ রাখছে। আমি আনন্দিত যে গিফট সিটি-র মাধ্যমে ভারত পরিষেবা ক্ষেত্রে বিশ্ব বাজারে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। বন্ধুগণ, গিফট সিটি-র অন্য আরও একটি বিশেষ দিক হল যে এটির ট্রাই সিটি ধারণার মূল স্তম্ভ। আমেদাবাদ, গান্ধীনগর এবং গিফট সিটি – এই তিনটি শহর একে অপরের থেকে মাত্র ৩০ মিনিট দূরে। তিনটিরই নিজস্ব বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। আমেদাবাদের রয়েছে উজ্জ্বল ইতিহাস। গান্ধীনগর প্রশাসনের মূল কেন্দ্র এবং নীতি নির্ধারণের প্রধান স্��ান। গিফট সিটি হল অর্থনীতির মূল কেন্দ্র। তাই, আপনি যদি এই তিনটি শহরের যে কোনও একটায় যান, তাহলে আপনি অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ থেকে মাত্র ৩০ মিনিট দূরে। বন্ধুগণ, গিফট সিটি উদ্যোগের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য সরলীকরণের চিন্তাভাবনা ও জীবনযাত্রার মান সহজ করার ধারণাও যুক্ত। আমাদের মনে রাখতে হবে, ফিনটেক ক্ষেত্র কেবলমাত্র সহজে বাণিজ্যের পরিবেশ, সংস্কার ও নীতি নির্ধারণকেই বোঝায় না, এটি উন্নত জীবনযাত্রা, নতুন সম্ভাবনা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের পেশাদার কাজের সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমও বটে। গিফট সিটি বর্তমানে এমন একটি স্থানে পরিণত হচ্ছে যেখান থেকে উঠে আসছে নতুন নতুন ধারণা। সম্পদ সৃষ্টির চিন্তাভাবনা এবং বিশ্বের সেরা মেধারা এখানে আসছেন শিখতে ও বিকশিত হতে। এভাবেই গিফট সিটি ভারতের প্রাচীন অর্থনৈতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠছে। ভারতবর্ষের শিল্পক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরা তাঁদের বাণিজ্যের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ান। বিশ্বে এমন স্থান খুব কম আছে যেখানে কোনও ভারতীয় পৌঁছননি। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা অর্থনীতির নতুন দিকও খুঁজে বের করেছেন। আমি যেখান থেকে এসেছি, অর্থাৎ আমার জন্মস্থান ওয়াডনগর, তারও বিশেষ ইতিহাস রয়েছে। এখানে পাওয়া গেছে প্রাচীন মুদ্রা। এটি প্রমাণ করে আমাদের বাণিজ্য ব্যবস্থা ও সম্পর্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু স্বাধীনতার পর আমরা ক্রমশ আমাদের ঐতিহ্য ও শক্তি হারাতে শুরু করেছিলাম। এর কারণ সম্ভবত আমাদের আত্মবিশ্বাসের অভাব, পেশাদারিত্বের সীমাবদ্ধতা, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য সম্পর্ক। কিন্তু এখন নতুন ভারত তার পুরনো মানসিকতার পরিবর্তন করেছে। বিশ্ব বাজারের পাল্লা দিয়ে আমরাও আমাদের আন্তর্জাতিক সরবরাহ ব্যবস্থাকে ক্রমশ উন্নত করছি আর এক্ষেত্রে গিফট সিটি হল ভারত ও বিশ্ব বাণিজ্যের সম্ভাবনাকে মিলিয়ে দেওয়ার এক অন্যতম মাধ্যম। আপনি যখন গিফট সিটি-র সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন তখন আপনি সারা বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছেন। বন্ধুগণ, বর্তমানে ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ভবিষ্যতে আজকের থেকেও আমাদের অর্থনীতি যখন আরও উন্নত হবে, আমাদের সেই পরিস্থিতির জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে। আমাদের এমন প্রতিষ্ঠান দরকার যা বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যতকেও সামঞ্জস্যপূর্ণ করে রাখতে সাহায্য করবে। ইন্ডিয়ান ইন্টারন্���াশনাল বুলিয়ন এক্সচেঞ্জ – আইআইবিএস এই লক্ষ্যে এক পদক্ষেপ। ভারতবাসীর স্বর্ণপ্রীতি কারোরই অজানা নয়। ভারতীয় মহিলাদের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হল সোনা। মহিলাদের বিশেষ করে সোনার প্রতি ভালোবাসার জন্য এই ধাতুটি আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যবস্থাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারত সোনা ও রুপোর অন্যতম বড় বাজার। এর পেছনে এও এক গুরুত্বপূর্ণ কারণ। কিন্তু এটাই কি একমাত্র ভারতের পরিচয়? ভারতের পরিচয় বাজার তৈরি করার ক্ষেত্রে থাকা উচিৎ। আইআইবিএক্স এই লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এটি সোনা শিল্পের, বিশেষ করে গহনার ক্ষেত্রে বাণিজ্যের পথ প্রশস্ত করবে ও নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করবে। অনেক স্বচ্ছভাবে সরাসরি সোনা কেনা সম্ভব হবে। এছাড়াও, আইআইবিএক্স সরাসরি সোনার ব্যবসার সম্ভাবনা খুলে দেবে। স্বর্ণ বাণিজ্য বাজার যদি সুসংগঠিত হয়, তবে ভারতের সোনার চাহিদা ক্রমশ বাড়বে এবং তা সোনার মূল্য নির্ধারণেও সহায়ক হবে। বন্ধুগণ, আগামীদিনে ভারতে যা হবে গোটা বিশ্বে তার প্রভাব পড়বে। গোটা বিশ্বকে তা পথ দেখাবে। আমরা স্থানীয় চাহিদাকেও মূল্য দিই, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতারও গুরুত্ব বুঝি। একদিকে আমরা স্থানীয় উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্পদ আনছি, অন্যদিকে স্থানীয় উৎপাদনকে পৌঁছে দিচ্ছি বিশ্বের বাজারে। রেকর্ড সংখ্যক বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আজ ভারতে দেখা দিয়েছে। এই বিনিয়োগ দেশের জন্য নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করছে ও যুব সম্প্রদায়ের চাহিদা পূরণ করছে। আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াচ্ছে ও শিল্পক্ষেত্রকে উজ্জীবিত করছে এবং এই উৎপাদন ক্ষমতা শুধুমাত্র আমাদের ভারতেরই সহায়ক হচ্ছে না, তা গোটা বিশ্বকে উপকৃত করছে। এটা সত্যি যে ভারতে এখন যে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করছেন তাঁরা বিনিময়ে ভালো ফলাফল পাচ্ছেন। আমাদের রপ্তানিও বর্তমানে প্রায় রেকর্ড সংখ্যায় পৌঁছে গেছে। আমাদের উৎপাদিত পণ্য এখন অনেক নতুন নতুন দেশের নতুন বাজারে পৌঁছচ্ছে। যখন আন্তর্জাতিক সরবরাহ ব্যবস্থাপনা অনিশ্চয়তায় ভুগত, তখন ভারত গোটা বিশ্বকে গুণগত মানসম্পন্ন পরিষেবা দেওয়ার আশ্বাস দেয়। তার জন্যই আমি বলি, এটি হল স্থানীয় উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্পদ ও বিশ্বের উন্নয়নের জন্য স্থানীয় উৎপাদনের এক দুর্দান্ত মেলবন্ধন। গিফট সিটি-র সঙ্গে যুক্ত সব প্রতিষ্ঠান আরও মজবুত হবে। এখানে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান র��েছে যাদের বিশ্ব বাজারে উল্লেখযোগ্য জায়গা রয়েছে। পাশাপাশি, তাদের স্থানীয় যোগাযোগও যথেষ্ট ভালো। বন্ধুগণ, নতুন ভারতের নতুন ব্যবস্থাপনা থেকে আমার অনেক আশা রয়েছে এবং আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে আপনাদের ওপর। একুশ শতকের অর্থনীতি ও প্রযুক্তি একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রয়েছে। বিষয়টি যখন প্রযুক্তি-বিজ্ঞান ও সফটওয়্যারের সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন ভারতে এর বিশেষ প্রভাব দেখা যায়। বর্তমানে বিশ্বের ডিজিটাল লেনদেনের ৪০ শতাংশই হয় শুধুমাত্র ভারতে। আমরা এখন বিশ্বে এক্ষেত্রে অন্যতম নেতা। ফিনটেক ক্ষেত্রে ভারতের ক্ষমতা সমগ্র বিশ্বকে আকর্ষিত করছে। তাই, আমি আশা করব যে আপনারা ফিনটেক উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে নতুন নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে এগিয়ে আসবেন। গিফট আইএফএসসি ফিনটেক বাণিজ্য ল্যাবরেটরির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বন্ধুগণ, আমি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। ভারতের জন্য সাফল্য ও পরিষেবা একে অপরের পরিপূরক। জন-উন্নয়ন থেকে বিশ্বের উন্নয়ন হল আমাদের লক্ষ্য। তাই, বর্তমানে ভারত সুসংহত উন্নয়ন ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা আমাদের নিজেদের জন্য ‘নেট জিরো’ কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছি। জাতীয় স্তরে এজন্য আমরা চালু করেছি ‘গতি শক্তি মাস্টার প্ল্যান’ এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছি। এছাড়াও, ই-মোবিলিটির ক্ষেত্রেও নতুন রেকর্ড হয়েছে। গোটা বিশ্বে ভারত আন্তর্জাতিক সৌর জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমি চাই, গিফট আইএফএসসি সুসংহত জলবায়ু প্রকল্পের এক অন্যতম পথ হয়ে উঠুক। ভারতে বিমান পরিবহণ, জাহাজ, কার্বন, ডিজিটাল কারেন্সি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখনও অনেক বিনিয়োগ প্রয়োজন। আইএফএসসিএ-এর এই লক্ষ্যে কাজ করা উচিৎ। এই সংস্থার দুবাই এবং সিঙ্গাপুরের মতো স্থানগুলির সঙ্গে সহযোগিতা স্থাপন করা উচিৎ। বন্ধুগণ, গত আট বছরে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের সহায়তায় দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক নতুন জোয়ার এসেছে। এমনকি, দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম মানুষও বর্তমানে চিরাচরিত অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। দেশের জনসংখ্যার এক বড় অংশ অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি সংস্থাগুলি একযোগে কাজ করছে। বর্তমানে দেশে নতুন চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে। তাই, ভারত এখন উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ করতে চায়। একটা উদাহরণ দিই, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। এই সংস্থার অ্যাসোসিয়েশনের ধারণা অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ভারতে মিউচ্যুয়াল ফান্ড শিল্পের তহবিল ছিল ১০ লক্ষ কোটি টাকা। আট বছর পর ২০২২ সালের জুন মাসে তা ২৫০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৫ লক্ষ কোটি টাকা। এথেকে প্রমাণিত হয়, মানুষ বিনিয়োগ করতে চায়। তাঁরা এর জন্য প্রস্তুত। আমাদের এজন্য সঠিক জ্ঞান ও তথ্য দিতে হবে। আমি পরামর্শ দেব, দেশের তরুণ প্রজন্মকে এই বিষয় শিক্ষাদানের জন্য কারণ, তাঁরাই হবেন আগামীদিনের বিনিয়োগকারী ও রোজগার করা ব্যক্তি। জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য প্রাথমিকভাবে অ-লাভজনক মানসিকতা নিয়ে এই পাঠক্রমগুলি চালাতে হবে। গিফট সিটিও এ ধরনের পথদিশা তৈরি করতে পারে। গিফট সিটি-তে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নিয়ে এবারের বাজেটে যে ঘোষণা করা হয়েছে, তা থেকেও উপকার পাওয়া যাবে। বন্ধুগণ, আমি নিশ্চিত, আপনারা দেশের সম্ভাবনার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করবেন এবং এই অমৃতকালে দেশবাসীর চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন। আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি গুজরাট সরকারকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই কারণ, গুজরাট সরকারের তৈরি করা বিভিন্ন নীতি এই গিফট সিটি-র বিশাল লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। আমি গুজরাট সরকার ও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানাই। আমি গোটা বিশ্বের রত্ন ও অলঙ্কার বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত বিপুল সংখ্যাক মানুষকে এখানে দেখতে পাচ্ছি। আমি নিশ্চিত, তাঁরা এখানকার কাজের সুযোগের বিষয়ে অবগত হবেন এবং তাঁদের সামনে যে বিশাল সুযোগ রয়েছে তার সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করবেন। এই বিশ্বাসের সঙ্গে আমি আবারও আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই ও শুভেচ্ছা জানাই। ধন্যবাদ! /",গান্ধীনগৰত গিফ্ট চিটীত আইএফএছচিএ মুখ্য কাৰ্যালয়ৰ শিলান্যাস সমাৰোহত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সম্বোধনৰ পাঠ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%AA/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%A8%E0%A7%80/,"পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, শক্তি মন্ত্রী শ্রী আর কেসিং, শক্তি মন্ত্রকের সচিব শ্রী অজয় কে ভাল্লা, পেট্রোলিয়াম সচিব শ্রী কপিলদেবত্রিপাঠী, ওএনজিসি’র সিএমডি শ্রী ডিকে সরাফ এবং এখানে উপস্থিত অন্য মাননীয়ব্যক্তিবর্গ, আজ এক সঙ্গে তিনটি পবিত্র অনুষ্ঠানে ত্রিবেণী ���ঙ্গম হয়েছে। আজ নবরাত্রেরপঞ্চম দিন, আজকের দিনে স্কন্দমাতার পুজো হয়, স্কন্দমাতা সৌর মন্ডলের অধিষ্ঠাত্রীদেবী, তাঁর আশীর্বাদে নবরাত্রির এই বিশেষ দিনে দেশের মহিলাদের সুরক্ষা ও তাঁদেরজীবনের সঙ্গে যুক্ত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প আজ শুরু হতে যাচ্ছে। আজ শ্রদ্ধেয় পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিন। আজকের দিনেই দেশকে‘দীনদয়াল শক্তি ভবন’ উৎসর্গ করা হচ্ছে। পরিবেশ-বান্ধব এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়কারী এই‘গ্রিন বিল্ডিং’ উদ্বোধন করে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমাকে বলা হয়েছে যে, এই সময়ওএনজিসি’র হাজার হাজার কর্মচারী ভিডিও লিঙ্কের বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে এইঅনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। আমি আপনাদের সকলকে এই সুরম্য ভবন উদ্বোধন উপলক্ষেশুভেচ্ছা জানাই। আজ এখানে দেখতে গেলে অধ্যাত্ম, আস্থা এবং আধুনিক প্রযুক্তির শক্তির ত্রহ্যস্পর্শেএই অঞ্চল উজ্জ্বল। ভাই ও বোনেরা, গত বছর আজকের দিনেই গরিব কল্যাণ বর্ষ সূচনা হয়েছিল। সরকারঠিক করেছিল যে, এক বছর ধরে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মশতবর্ষকে গরিব কল্যাণবর্ষ রূপে উদযাপন করবে। সেই হিসাবে গরিব কল্যাণ বর্ষ আজ সম্পূর্ণ হলেও গরিবকল্যাণের সঙ্গে এই সরকারের পরিচয় জুড়ে আছে। জন ধন যোজনা থেকে শুরু করে স্বচ্ছ ভারত অভিযান পর্যন্ত, উজ্জ্বলা যোজনাথেকে করে মুদ্রা যোজনা, স্টার্ট আপ থেকে স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া, উজালা যোজনা থেকেউড়ান যোজনা পর্যন্ত আপনারা কেবল গরিবের কল্যাণই দেখতে পাবেন। কে ভেবেছিলেন যে, কখনও এরকম সরকারও ক্ষমতায় আসবে, যারা ৩০ কোটি গরিবমানুষের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলাবে। মাসে এক টাকা আর নব্বই পয়সা হিসাবেপ্রিমিয়াম দিয়ে প্রায় ১৫ কোটি গরিবের বিমা প্রকল্প শুরু করাবে। কে ভেবেছিলেন যে,এত দ্রুত বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে, বিদ্যুৎহীন ঐ বাড়িগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছতেইতাঁদের সৌভাগ্যের পথ প্রশস্ত হয়েছে। ‘প্রধানমন্ত্রী সহজ বিজলী হর ঘর যোজনা’র মাধ্যমেসরকার দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও শহরে দূরদূরান্তে প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতেচায়। যে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আগে গরিবদের গ্রাম প্রধানের বাড়িতে, সরকারিঅফিসগুলিতে ধর্না দিতে হ’ত। সেই বিদ্যুৎ সংযোগ বর্তমান সরকার নিজে থেকে বাড়ি বাড়িপৌঁছে দিচ্ছে। এর জন্য এক টাকাও খরচ করতে হচ্ছে না। এই সরকার গরিবের এই সৌভাগ্য প্রশস্তকরার সংকল্প নিয়েছে, এই সংকল্প আমরা সিদ্ধ করে ছাড়ব। বন্ধুগণ, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়জি বলেছিলেন, ‘আর্থিক প্রকল্পসমূহ এবংআর্থিক প্রগতির পরিমাপ সমাজের উপরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের দিয়ে করলেহবে না, সমাজের সবচেয়ে নীচের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির নিরিখে করতে হবে’।অর্থাৎ, সরকারের প্রকল্পগুলি সঠিক কি না, তা যাচাই করে দেখার মাপকাঠি হচ্ছেসেগুলির মাধ্যমে গরিবের কতটা উপকার হচ্ছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, পণ্ডিতদীনদয়ালজির জন্মদিনে দেশের কোটি কোটি গরিব পরিবারের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করারলক্ষ্যে এত বড় প্রকল্পের সূচনা হচ্ছে। বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় গরিব পরিবারে, বিশেষ করে, মহিলা ও শিশুদেরযে ধরনের সমস্যা হয়, তা উপলব্ধি করে সরকার এ ধরনের ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছেদেওয়ার সংকল্প নিয়েছিল যে, গ্রামগুলিতে স্বাধীনতার এত বছর পরও বিদ্যুতের খুঁটিপৌঁছয়নি। আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকে ১ হাজার দিনের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করারপ্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আজ ঐ ১৮ হাজার গ্রামের মধ্যে কেবলমাত্র ৩ হাজার গ্রাম এরকম বাকি রয়েছে,যেগুলিতে আজও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। আমার বিশ্বাস যে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এইগ্রামগুলিতেও বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। ভাই ও বোনেরা, নতুন ভারত-এ দেশের প্রত্যেক গ্রামে শুধু বিদ্যুৎ পৌঁছবে না,প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে। প্রধানমন্ত্রী সহজ বিজলী হর ঘর যোজনা অর্থাৎ এই সৌভাগ্যের সূত্রপাত সরকারেরইচ্ছাশক্তি আর দেশে শক্তি বিপ্লবের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রতীক। শক্তির সমস্যা দূর নাকরে, চালু ব্যবস্থার সংস্কার না করে, পুরনো ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ না করে – এ ধরনেরপ্রকল্পের সূত্রপাত অসম্ভব। এই প্রকল্প তাই বিগত তিন বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকারেরসকল প্রচেষ্টার প্রতীক স্বরূপ। দেশের মানুষ সেদিন ভুলতে পারবেন না, যখন টিভি চ্যানেলগুলিতে বড় বড় ব্রেকিংনিউজ আসত যে, কয়লার গুদামে এক বা দু’দিনের কয়লা বাকি রয়েছে! বিদ্যুৎ সংকটের সেই কালোদিনগুলিতে যখন গ্রিড বসে যেত, তখন একের পর এক রাজ্য অন্ধকারে ডুবে যেত। আর এসব আমিঅনেক দশক আগেকার কথা বলছি না, বর্তমান দশকেরই গোড়ার দিকে বিগত সরকারের সময় এই কষ্টআপনাদের ভুগতে হয়েছে। বিগত তিন বছরে কি আপনারা এরকম ব্রেকিং নিউজ দেখেছেন? বন্ধুগণ, দেশ বিদ্যুৎসংকটকে পেছনে ফেলে এসেছে, এখন দেশে বিদ্যুৎ প্রয়োজনের অতিরিক্ত উৎপাদিত হয়। এইসাফল্য এসেছে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে, নতুন রণনীতি প্রণয়নের মাধ্যমে, বহুমুখীপদক্ষেপের মাধ্যমে। এই সংস্কারের ক্ষেত্রে যে ভিন্ন ভিন্ন ধাপে একসঙ্গে কাজ করা হয়েছিল, সেগুলিহ’ল – উৎপাদন, সরবরাহ, বন্টন এবং বিদ্যুতের সংযোগ। উৎপাদন সঠিক না হলে সরবরাহ ওবন্টন ব্যবস্থাও মজবুত হ’ত না। আর মুখে যত কথাই বলি, বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ পৌঁছেদেওয়ার স্বপ্ন অধরা থেকে যেত। সেজন্য আমরা সরকারের দায়িত্ব নিয়ে সবার আগে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোরদিয়েছি। সৌরশক্তি, জলশক্তি, কয়লা থেকে তাপবিদ্যুৎ এবং নিউক্লিয়ার শক্তি সকলসম্ভাব্য পদ্ধতিতে উৎপাদন বৃদ্ধি চতুর্মুখী কাজ শুরু হয়। ১) বন্ধুগণ, ২০১৫ সালে আমরা কয়লাখনিগুলির জন্য আমরা নতুন অর্ডিন্যান্স চালুকরে প্রথমবার কয়লাখনিগুলির রিভার্স রি-অক্‌শন শুরু করি। ২০০৯-১৪ সাল পর্যন্ত ৫বছরে দেশে ৩৪ মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছিল। আমরা নতুন পদ্ধতিতে বছরে গড়ে৯৩ মিলিয়ন টন বৃদ্ধি করে বার্ষিক ৬৫৯ মিলিয়ন টন উৎপাদনে পৌঁছে দিয়েছি। একথা বলেআমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, সরকার বিগত তিন বছরেই পিএসইউ’গুলির মাধ্যমে যে উৎপাদনবৃদ্ধি করেছে, তা বিগত সরকারের ৫ বছর কার্যকালের মোট বৃদ্ধির তুলনায় দেড় গুণ বেশি। যেসব রাজ্যে কোনও কয়লাখনি নেই, সেই রাজ্যগুলির কয়লার চাহিদা মেটাতে সরকারচার মাস আগে ‘শক্তি’ নামক একটি নতুন কয়লা বন্টন নীতি চালু করেছে। এর মাধ্যমেবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে স্বচ্ছ পদ্ধতিতে নিলামের মাধ্যমেকয়লা বন্টন করা হবে। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সরকার ‘কোল লিঙ্কেজ’-এর মাধ্যমেবন্টনের জন্য স্বচ্ছ নিলাম নীতি জারি করেছে। ২) বন্ধুগণ, যে কয়লার নিলামি’তে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে, সেইনিলামই আমাদের এই সরকার একটি স্বচ্ছ ও আধুনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশকে উপহারদিয়েছে। বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সুলভ, সস্তা, স্বচ্ছ, সুনিয়োজিত এবংসুরক্ষিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৬টি মৌলিক সিদ্ধান্ত-ভিত্তিক কাজ করছে। ৩) বিগত তিন বছরে সরকারের প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রথমবার ‘ইনস্টলড্‌ পাওয়ার ক্যাপাসিটি’তে৬০ হাজার মেগাওয়াট বৃদ্ধি হয়েছে, যা লক্ষ্যের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। ৪) বন্ধুগণ, ভারতের শক্তি সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে আমরা এই সংকল্পওনিয়েছিলাম যে, এই কাজে পরিবেশ-বান্ধব শক্তিকে অগ্রাধিকার দেব। সেজন্য সরকার ২০২২সালের মধ্যে ১৭৫ গিগ���ওয়াট পরিবেশ-বান্ধব শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির করেছিল।অর্থাৎ, এতটা বিদ্যুৎ সৌর, বায়ু ও জল থেকে উৎপাদন করা হবে। ৫) এই লক্ষ্য নিয়ে বিগত তিন বছরে ভারত পুনর্নবীকৃত শক্তি উৎপাদন ক্ষমতাকেপ্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করতে পেরেছে। প্রায় ২৭ হাজার মেগাওয়াটেরও অধিক শক্তি উৎপাদিতহয়েছে। ইতিমধ্যেই সৌরশক্তির উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬) পুনর্নবীকৃত শক্তি ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার পরিবেশ গড়ে তুলে সরকার এটাওসুনিশ্চিত করেছে যে, দেশের সাধারণ মানুষ আগের তুলনায় সস্তায় বিদ্যুৎ পাবে।পুনর্নবীকৃত শক্তি উৎপাদনে সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার ফলে ২০১৬-১৭ সালে আমরাইউনিট প্রতি সৌরশক্তি ২ টাকা ৪৪ পয়সা আর বায়ুশক্তি ৩ টাকা ৪২ পয়সা দরে পৌঁছে দিতেপারছি। আমাদেরকে এত কম দামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে দেখে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতএকটি নতুন আকর্ষণের বিষয় হয়ে উঠেছে। ৭) বন্ধুগণ, সরকার বিদ্যুৎ পরিবহণ ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ অনেক বাড়িয়েছে, যারফলে দেশে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক অনেক দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত তিন বছরে এইপ্রকল্পে দেড় লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। বিগত সরকারের শেষ তিনবছরের তুলনায় এক্ষেত্রে ৮৩ শতাংশ অধিক বিনিয়োগ হয়েছে। বর্তমান সরকার ইতিমধ্যেইলক্ষ্যমাত্রা থেকে ১২ শতাংশ বেশি ট্রান্সমিশন লাইন লাগিয়েছে। এর ফলে, দেশে শুধু সুরক্ষিত ও ভারসাম্য যুক্ত গ্রিড চালু হয়নি, আমরাঅতিদ্রুত ‘এক দেশ, এক গ্রিড, এক দাম’-এর লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি। ৮) ভাই ও বোনেরা, অনেক বছর ধরে দেশের শক্তি ক্ষেত্র উপেক্ষিত থাকায় এইক্ষেত্রটি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিল। শক্তি বন্টনে দৌর্বল্য থাকায় দেশে যতটাবিদ্যুৎ উৎপাদিত হ’ত, পুরোটা মানুষের কাছে পৌঁছতো না। আর বিদ্যুৎ সরবরাহকারীকোম্পানিগুলিও অতিরিক্ত প্রতি ইউনিটে আর্থিক লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছিল। এই দুর্বলতা দূর করতে, শক্তি সরবরাহ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে ২০১৫ সালেসরকার ‘উজ্জ্বল ডিসকম অ্যাসিওরেন্স যোজনা’ সংক্ষেপে ‘উদয়’-এর সূত্রপাত করেছিল। ‘উদয়’-এরউদ্দেশ্য বিদ্যুৎ সরবরাহে নিয়োজিত কোম্পানিগুলিতে উন্নতমানের অপারেশনাল এবংফাইনানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট স্থাপন করা। এই কোম্পানিগুলির স্থায়িত্ব এবং ব্যবসাবৃদ্ধি পেলে তাঁরা বিদ্যুৎ বিতরণে অধিক মনোযোগ দিতে পারবে। আজ তিন বছরের নিয়মিত প্রচেষ্টায় বিদ্যুৎ সরবরা�� কোম্পানিগুলির স্বাস্থ্যউন্নত হতে দেখা যাচ্ছে। ফলস্বরূপ, সরবরাহ কোম্পানিগুলি গত আগস্ট মাস পর্যন্ত প্রায়২৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পেরেছে, যা তাদের সুদ হিসাবে দিতে হ’ত। ‘উদয়’ চালু হওয়ার প্রথম এক বছরের মধ্যেই ২০১৬’র তুলনায় ২০১৭’য় বিদ্যুৎ সরবরাহকোম্পানিগুলির বার্ষিক লোকসান প্রায় ৪২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ‘উদয়’ যোজনা উন্নয়নেরক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক-সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ৯) বন্ধুগণ, এই সরকার গ্রাম ও শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরে তুলতে দুটি বড় প্রকল্প চালু করেছে। গ্রামগুলিতে দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রাম জ্যোতি যোজনা চালু করা হয়েছে আরশহরগুলিতে ইন্টিগ্রেটেড পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট স্কিম বা আইপিডিএস চালু করেছে। এই দুইপ্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ৬৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি পরিকল্পনাসমূহ মঞ্জুর করা হয়েছে।এই প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। বিদ্যুৎ বিতরণ প্রকল্প বাবদ কেন্দ্রীয়সরকার রাজ্য সরকারগুলিকে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। এই টাকা বিগত সরকারেরশেষ তিন বছরে প্রদত্ত অর্থ রাশির তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। ১০) ভাই ও বোনেরা, সারা দেশে শক্তি বিতরণ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার যেসবসিদ্ধান্ত নিয়েছে ও নীতি প্রণয়ন করেছে, তার সরাসরি প্রভাব ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’কেউৎসাহিত করেছে। শক্তি ক্ষেত্রে ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’-এ ২০১৫ সালে ভারত বিশ্বে ৯৯তমস্থানে ছিল। বর্তমানে ভারত বিশ্বে ২৬তম স্থানে রয়েছে। র‍্যাঙ্কের ক্ষেত্রে এত বড়উল্লম্ফন এক্ষেত্রে সংস্কারসাধনে কর্মরত সকলের পক্ষে গর্বের কথা। ১১) শক্তি ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্য নিয়ে আরেকটি আন্তর্জাতিক এজেন্সি বলেছেযে, আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা গত বছর রাতে মহাকাশ থেকে পৃথিবীর যেচিত্র নিয়েছিল, তাতে ভারত ঝিক্‌মিক্‌ করছিল। ২০১২’তে ঐ সংস্থার নেওয়া আরেকটি ছবিরতুলনায় এই চিত্র অনেক বেশি উজ্জ্বল। ১২) বন্ধুগণ, এই সরকার শক্তি ক্ষেত্রকে মজবুত করার পাশাপাশি শক্তির চাহিদাহ্রাস করার জন্য আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের কথাও ভেবেছে। আর এই আধুনিক পদ্ধতিতেবিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের বিদ্যুতের খরচ কমেছে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি এলইডি বাল্বের দাম ছিল ৩১০ টাকা। সরকারি প্রচেষ্টায় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসেএলইডি বাল্ব ৪০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। ‘উজালা’ যোজনার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই দেশে ২৬কোটিরও বেশি এলইডি বাল্ব বিতরণ হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের বছরে আনুমানিক ১৩ হাজার৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। বেসরকারি ক্ষেত্রেও ৪১ কোটিরও বেশি এলইডি বাল্ব বিতরণকরা হয়েছে। এছাড়া, সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়কারী নতুন প্রযুক্তির ১৩ লক্ষ পাখা এবং ৩৩লক্ষেরও বেশি টিউব লাইট বিতরণ করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি রূপে ৩৩ লক্ষ ৬০হাজারেরও বেশি এলইডি রাস্তার আলো লাগানো হয়েছে। ১৩) বন্ধুগণ, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা এই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারদেশের সাধারণ নাগরিক, গরিব, দেশের প্রত্যেক উপভোক্তা আমাদের জন্য সর্বোপরি। তাঁদেরথেকে প্রতিটি স্তরে পরামর্শ গ্রহণ এবং কতটা কাজ করতে পারা গেল, সে সম্পর্কেতাঁদেরকে জানানো – এই উভয় ক্ষেত্রেই সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। মোবাইল অ্যাপ,ওয়েবপোর্টাল এবং ড্যাসবোর্ড-এর মাধ্যমে চালু প্রকল্পগুলির অগ্রগতি সম্পর্কে সকলতথ্য জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি পদক্ষেপে তাঁদের পরামর্শ গ্রহণকরা হয়েছে। বন্ধুগণ, আমাদের অর্থ ব্যবস্থার বিস্তার দেখে বুঝতে পারা যাবে যে, আগামীবছরগুলিতে আমাদের শক্তির চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে আমাদের ভারসাম্য রক্ষাকরে চলতে হবে। দেশের শক্তির প্রয়োজন মেটাতে হাইড্রো কার্বনের বড় ভূমিকা রয়েছে।বর্তমানে দেশের শক্তির চাহিদা মূলত কয়লার মাধ্যমে পূরণ করা হয়। আগামীদিনে আমরাপ্রাকৃতিক গ্যাস ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমেও এই ভারসাম্যআনতে হবে। কার্বনযুক্ত নিঃসরণ হ্রাস করার ক্ষেত্রে আমরা ‘সিওপি-২১ চুক্তি’র দ্বারাঅঙ্গীকারবদ্ধ। নতুন ভারত-এ আমাদের এমন একটি এনার্জি ফ্রেম ওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে, যা সমতা,দক্ষতা এবং সুদূরপ্রসারী স্থায়ীত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে চলে। আমরা অভ্যন্তরীণসরবরাহ যত বৃদ্ধি করতে পারব, ততই আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করতে পারব। ২০২২ সালের মধ্যে আমরা যদি তেল আমদানিতে ১০ শতাংশ হ্রাস করতে পারি, তা কেবলদেশের শিল্প ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে না, অর্থ ব্যবস্থাকেও মজবুত করবে। বিগত ১০বছরে অপরিশোধিত তেল আমদানিতে দেশকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিদেশি মুদ্রা খরচ করতেহয়েছে। এই অর্থ আমাদের দেশের বিগত ১০ বছরে সাধারণ বাজেটের থেকে প্রায় ৩ গুণ বেশি।আপনারা কল্পনা করতে পারেন, তেল আমদানি হ্রা��� করতে পারলে যে অর্থ সাশ্রয় হবে, তাদেশের গ্রামীণ এলাকাগুলির উন্নয়নে খরচ করলে দেশে কত বেশি সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়নহবে! বিগত তিন বছরে তেল ও গ্যাসের ক্ষেত্রে সংস্কারের মাধ্যমে বেশ কিছু বড়গ্রাহক-কেন্দ্রীক উদ্যোগ শুরু করা হয়েছে। যেমন – প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা,এলপিজি ভর্তুকিকে প্রত্যক্ষ নগদ হস্তান্তর প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা, পাইপ লাইনেরমাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ এবং সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের বিস্তারএবং এলপিজি কভারেজ বৃদ্ধি করা। এছাড়া, পলিসি পর্যায়ে বেশ কিছু বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন – তরল জ্বালানিরদাম বিনিয়ন্ত্রণ করা, গ্যাসের মূল্য নির্ধারণে নতুন নীতি প্রণয়ন, অভ্যন্তরীণউৎপাদন বৃদ্ধির নতুন নতুন উপায়, এইচইএলপি অর্থাৎ হাইড্রোকার্বন এক্সপ্লোরেশন এবংলাইসেন্সিং পলিসি প্রণয়ন, ডিএসএফ অর্থাৎ ডিস্কভারড স্মল ফিল্ড এর নিলামির জন্যনীতি প্রণয়ন, সার ক্ষেত্রে গ্যাস পুলিংগ করা। ভাই ও বোনেরা, সরকার পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সংবেদনশীল। এদিকেলক্ষ্য রেখে ব্যাপকভাবে পেট্রলে ইথানল মেশানো, বায়ো ডিজেল উৎপাদন প্রকল্পসমূহ, এলএন জি টার্মিনালগুলির উন্নয়নের কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। ভবিষ্যতে দেশের শক্তি চাহিদা সুরক্ষিত করার জন্য তেল উৎপাদনকারী বড়দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভারত-রুশ ‘এনার্জি ব্রিজ’ গঠনকরা হয়েছে। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিদেশিসংস্থার সঙ্গে বেশ কিছু চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, যা ভবিষ্যতে আমাদের চাহিদা পূরণেগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সরকারের কর্মসংস্কৃতি পরিবর্তনের ফলে শক্তি ক্ষেত্র আরও শক্তিশালী হয়েউঠছে। আর শক্তি ক্ষেত্র মজবুত হওয়ায় দেশ একটি নতুন কর্মসংস্কৃতি পাচ্ছে। দেশেরপ্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে বসবাসকারী মানুষের জীবনে যখন বিদ্যুৎ ও গ্যাস পৌঁছবে, তখনতাঁদের জীবনমান ও কর্মপদ্ধতিতেও পরিবর্তন আসবে। আশা করি, ‘উজ্জ্বলা যোজনা’র মতোই‘সৌভাগ্য যোজনা’, বিশেষ করে নারীশক্তির জীবনে সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনকরবে। এতে আমাদের সমাজে একটি বড় ভারসাম্যহীনতার অবসান ঘটবে। গরিব মানুষের জীবনে পরিবর্তনের জন্য, তাঁদের জীবন থেকে অন্ধকার দূর করারজন্য, নতুন ভারত-এর কথা ভেবে প্রতিটি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমি দেশকে আরেকবার অ��েকঅনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদেরও অনেক অনেক ধন্যবাদ!!! জয়হিন্দ!!!",সৌভাগ্য যোজনাৰ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%B9%E0%A7%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A7%B0/,"আমি বলব মহাত্মা গান্ধী, আপনারা সবাই বলবেন – অমর রহে, অমর রহে মহাত্মা গান্ধী অমর রহে, অমর রহে মহাত্মা গান্ধী অমর রহে, অমর রহে মহাত্মা গান্ধী অমর রহে, অমর রহে চম্পারণের পবিত্র ভূমিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে সমাগত স্বচ্ছাগ্রহী ভাই ওবোনেরা, আপনারা আমার ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। বড়দের প্রণাম জানাই। আমরাসবাই জানি যে, চম্পারণের এই পবিত্র ভূমি থেকেই বাপুজি সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরুকরেছিলেন। ব্রিটিশের দাসত্ব থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য দেশবাসীর স্বাধীনতাআন্দোলনে সত্যাগ্রহ ক্রমে একটি শক্তিশালী অহিংসাশ্রয়ী হাতিয়ার হয়ে ওঠে। সেইসত্যাগ্রহ আন্দোলনের পর ১০০ বছর পেরিয়ে গেছে। তার প্রভাব আজও রয়েছে। এই সত্যাগ্রহথেকে এখন সময়ের চাহিদা হয়ে উঠেছে স্বচ্ছাগ্রহ। চম্পারণ সত্যাগ্রহের সময় চম্পারণেরসুসন্তান লক্ষ্মণ সেন মহাত্মা গান্ধীর স্বচ্ছতা অভিযানের সূত্রপাত করেছিলেন। আজ আমরা ‘সত্যাগ্রহ থেকে স্বচ্ছাগ্রহ’ আন্দোলনের মাধ্যমে বাপুজি স্বচ্ছতাঅভিযানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। মঞ্চে উপস্থিত বিহারের মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী সতপাল মালিকজি, রাজ্যেরজনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতিশ কুমারজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য শ্রীরবিশঙ্কর প্রসাদজি, শ্রী রামবিলাস পাসওয়ানজি, শ্রীমতী উমা ভারতীজি, শ্রী রাধামোহনসিংজি, শ্রী গিরিরাজ সিংজি, শ্রী শ্রীরাম কৃপাল যাদবজি, শ্রী এস এস আলুওয়ালিয়াজি,শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবেজি, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সুশীল কুমার মোদীজি,রাজ্যের মন্ত্রী শ্রী শ্রবণ কুমারজি, শ্রী বিনোদ নারায়ণজি, শ্রী প্রমোদ কুমারজিএবং এখানে উপস্থিত হাজার হাজার সত্যাগ্রহী এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এইঅনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত সকল বন্ধুগণ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ, যাঁরা বলেন যে, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয় না, তাঁরা এখানে এসে দেখতে পারেনযে কিভাবে শতবর্ষ পূর্বের ইতিহাস আজ আবার আমাদের সামনে প্রত্যক্ষ হয়ে উঠেছে! আমারসামনে যে স্বচ্ছাগ্রহীরা বসে আছেন, তাঁদের মনে গান্ধীজির ভাবধারা, গান্ধীজিরআদর্শের অংশ জীবিত রয়েছে। আমি এমন সকল স্বচ্ছাগ্রহীদের মনে বিরাজমান মহাত্মা গান্ধীর অংশকে শত শতপ্রণাম জানাই। চম্পারণের এই পবিত্র ভূমিতে জনআন্দোলনের এমনই চিত্র ১০০ বছর আগেবিশ্ব দেখেছিল আর আজ আরেকবার বিশ্ববাসী এই দৃশ্য দেখে পূজনীয় বাপুজিকে স্মরণ করছে। ১০০ বছর আগে চম্পারণে দেশের সকল প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এসেছিলেন।গান্ধীজির নেতৃত্বে তাঁরা অলিগলিতে গিয়ে কাজ করেছিলেন। ১০০ বছর পর আজ একই ভাবনানিয়ে দেশের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চল থেকে অসংখ্য মানুষ এসে স্থানীয়দের সঙ্গে কাঁধে কাঁধমিলিয়ে দিন-রাত এক করে কাজ করছেন। আজ এই বিশাল সমাগমে কেউ কস্তুরবা, কেউ রামচন্দ্রশুক্লা, কেউ গোরখ প্রসাদ, কেউ শেখ গুলাব, কেউ লোমরাজ সিং, কেউ হরিবংশ রায়, কেউশীতল রায়, কেউ বিন মহম্মদ, কেউ ডঃ রাজেন্দ্র বাবু, কেউ ধরতী ধর বাবু, কেউ রামনবমীবাবু আবার কেউ জে পি কৃপালনীজি রয়েছেন। ১০০ বছর আগে যেভাবে সত্যাগ্রহ আন্দোলন এই আপনাদের মতো দেশের লক্ষ-কোটিমানুষের জীবনকে নতুন পথ দেখাচ্ছে। চম্পারণ চল – এই শ্লোগানে আকাশ-বাতাস মুখরিত করেদেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা হাজার হাজার স্বচ্ছাগ্রহী আজ এখানে এসে পৌঁছেছেন।আমাদের এই উৎসাহ, এই উদ্দীপনা, এই প্রাণশক্তি, এই রাষ্ট্র নির্মাণের আকুতিকে,বিশেষ করে বিহারের জনগণের এই অভিলাষাকে আমি প্রণাম জানাই। মঞ্চে ওঠার আগে আমি স্বচ্ছতা বিষয়ক একটি নতুন প্রদর্শনীও দেখেছি। এইপ্রদর্শনীতে নতুন প্রযুক্তি, নতুন শিল্পোদ্যোমগুলি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বোঝানোহয়েছে। চম্পারণ সত্যাগ্রহের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন সমারোহের বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানেরসমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানও আমি দেখেছি। কিন্তু এই সমাপন উৎসবের থেকেও বেশিগুরুত্বপূর্ণ পরিচ্ছন্নতার প্রতি আমাদের আগ্রহ বৃদ্ধিকারী স্বচ্ছতা অভিযানেরসূত্রপাত। ভাই ও বোনেরা, বিগত ১০০ বছরে তিনটি বড় বিপত্তির সময় এই বিহার, দেশকে পথদেখিয়েছে। যখন দেশ পরাধীনতার শৃঙ্খলে জর্জরিত ছিল, তখন বিহার মোহনদাস করমচাঁদগান্ধীকে মহাত্মা বানিয়ে দিয়েছে, বাপু বানিয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতার পর যখন কোটি কোটি কৃষকদের সামনে ভূমিহীনতার সঙ্কট এসেছে, তখন বিনোবাজিভূদান আন্দোলন শুরু করেছিলেন। আর তৃতীয়বার দেশের গণতন্ত্র সংকটগ্রস্থ হওয়ার এইমাটিরই নায়ক বাবু জয়প্রকাশজি উঠে দাঁড়িয়ে আ��্দোলন গড়ে তুলে দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষাকরবেন। আমি গর্বিত যে, এবার সেই বিহারের জনগণই ‘সত্যাগ্রহ থেকে স্বচ্ছাগ্রহ’আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এই আন্দোলনকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন। আমি জানি, অনেকেইহয়তো প্রশ্ন তুলবেন, বিহার পরিচ্ছন্নতার পরিস্থিতি দেখিয়ে বলবেন, তারপরও মোদীজিএমন কথা কিভাবে বলছেন? এর পেছনে একটি কারণ আছে। নীতিশজি এবং সুশীলজির নেতৃত্বেবিহার যে কাজ করে দেখিয়েছে, তা সকলের সাহস বাড়িয়েছে। বন্ধুগণ, দেশের মধ্যে বিহারই একমাত্র রাজ্য ছিল, যেখানে পরিচ্ছন্নতার মান৫০ শতাংশের নীচে ছিল। কিন্তু আজ আমাদের সচিব শ্রী পরমেশ্বরজি বলেছেন যে, একসপ্তাহের স্বচ্ছাগ্রহ অভিযানের মাধ্যমে বিহার সেই ব্যবধানের দেওয়াল ভেঙে দিয়েছে।গত এক সপ্তাহে বিহারে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার শৌচালয় নির্মিত হয়েছে। এই গতি এবং প্রগতি কমকথা নয়। এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে যে বিহার অত্যন্ত দ্রুত পরিচ্ছন্নতার মান বৃদ্ধিকরে জাতীয় মানের সমকক্ষ হওয়ার সাফল্য অর্জন করবে! সেজন্য আমি রাজ্যের সমস্তস্বচ্ছাগ্রহী বন্ধু এবং রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে, বর্তমান নেতৃত্বকে হৃদয় থেকে অনেকঅনেক শুভেচ্ছা জানাই। কিছুক্ষণ আগে কয়েকজন স্বচ্ছাগ্রহীকে পুরস্কৃত করার সৌভাগ্য হয়েছে। আমিতাঁদের প্রয়াসগুলির প্রশংসা করি, তাঁদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। এটাই দেখেছিযে, যাঁরা নিজস্ব ক্ষমতার বাইরে গিয়ে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন, তাসদেরঅধিকাংশই মহিলা। পরিচ্ছন্নতার মাহাত্ম্য কী হয় তা আমাদের মা-বোনেরা ভালোভাবেইজানেন। আজ একজনকে সম্মানিত করার সৌভাগ্য আমার হয়নি, কিন্তু আমার ইচ্ছে প্রশাসনিকমর্যাদা লঙ্ঘন করে তাঁর নাম উচ্চারণ করি। সরকারি কাজে অনেক সফল মানুষও অনামী থেকে যান। তাঁরা কখনও পর্দার সামনে আসেননা, কিন্তু আমি বলতে চাই। আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব শ্রী পরমেশ্বর আয়ার, তিনিনীচে কোথাও বসে আছে, তদারকি করছেন। এই আইএএস অফিসার, আইএএস-এর চাকরি ছেড়ে আমেরিকাচলে গিয়েছিলেন। সেখানে অনেক উপার্জন করতেন -সুখে জীবনযাপন করতেন। আমরা সরকার গঠনেরপর আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি সেই সুখের জীবন ছেড়ে ভারতে ফিরে এসেছেন। একটু আগেইআপনারা তাঁকে টিভির পর্দায় দেখছিলেন। আমি টিভির বন্ধুদের বলব তাঁকে আরেকবারদেখানোর জন্য। এই ভদ্রলোক নিজে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে শৌচালয় পরিষ্কার করেন। তাঁরমতো একজন সঙ্গী পেয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমাগত হাজার হাজার স্বচ্ছাগ্রহীদেরপাশে পেয়ে আমার বিশ্বাস দৃঢ়তর হয়েছে যে, বাপুর সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উদযাপনের আগেইআমরা বাপুর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে তুলতে পারব। আগেকার দিনের মানুষরা বলতেন যে, ভগবানের হাজার হাত! কিন্তু কোনওপ্রধানমন্ত্রীর হাজার হাত আছে – এরকম আমরা কখনও শুনিনি। আমি অত্যন্ত নম্রতার সঙ্গেবলতে পারি যে, হাজার হাজার স্বচ্ছাগ্রহী আমার সামনে বসে আছেন তাঁদের উপস্থিতিতেদেশের প্রধানমন্ত্রীর এখন সহস্র সহস্র হাত! আপনাদের ঐকান্তিকতা, পৌরুষ, আপনাদের সমর্থন; আপনারা গ্রাম ছেড়ে বিহারের অলিগলিতেঘুরে ঘুরে পরিচ্ছন্নতার অভিযান চালাচ্ছেন। তার আগে নিজেদের অঞ্চলও একইভাবেপরিচ্ছন্ন করে এসেছেন। এই পরিচ্ছন্নতায় সমর্পিত মানুষেরা স্বচ্ছাগ্রহী পূজ্য বাপুরস্মরণে সত্যাগ্রহ থেকে স্বচ্ছাগ্রহ আন্দোলনকে একটি নতুন গতি দিয়েছেন, নতুনপ্রাণশক্তিতে ভরপুর করে তুলেছেন। সেজন্য আমি আরেকবার আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছাজানাই। বন্ধুগণ, স্বচ্ছতা মিশন হোক কিংবা কালো টাকা অথবা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইহোক, কিংবা সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন পরিষেবার উন্নয়ন হোক; কেন্দ্রীয় সরকারনীতিশজি ও তাঁর টিমের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিহারের উন্নয়নেরজন্য রাজ্যের মানুষের সামাজিক ও আর্থিক ক্ষমতায়নের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারেরনীতি ও রণনীতিগুলি পরস্পরের পরিপূরক। এখানে এই মঞ্চ থেকে আজ বিহারের উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত ৬ হাজার ৬০০ কোটিটাকারও বেশি বিনিয়োগে নির্মিত বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস করারসৌভাগ্য আমার হয়েছে। জল, রেল, সড়কপথ, পেট্রোলিয়াম; এমনই অনেক প্রকল্প চম্পারণ তথাবিহারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এই সমস্ত প্রকল্প কোনও না কোনওভাবেপরিচ্ছন্নতা এবং পরিবেশ রক্ষার সঙ্গে যুক্ত। ভাই ও বোনেরা, আজ যে প্রকল্পগুলির শিলান্যাস হয়েছে, তার মধ্যে একটি হ’লমোতিহারি ঝিল সংস্কার। আমাদের মোতিহারি শহর এই ঝিলের নামেই পরিচিত, যা চম্পারণআন্দোলনের ইতিহাসের অঙ্গ তার পুনরুদ্ধারের কাজ আজ থেকে শুরু হ’ল। গান্ধীজি যখনসত্যাগ্রহের জন্য চম্পারণে ছিলেন, তখন তিনি এই ঝিল সম্পর্কে বলেছিলেন যে, বিকেলেমোতিঝিলের দিকে তাকিয়ে থেকে তিনি খুব আনন্দ পেতেন। এই ঝিলের কারণেই এই শহর সুন্দর।কিন্তু গান্ধীজির দেখা সেই ঝিলটির সৌন্দর্য স���য়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে হারিয়ে গিয়েছিল। আমি শুনেছি যে, এখানকার সুধী নাগরিকরা এই ঝিলকে রক্ষা করার জন্য নিজেদেরপক্ষ থেকে যথাসম্ভব চেষ্টা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে পায়ে হেঁটেশোভাযাত্রা বের করেও তাঁরা সচেতনতার অভিযান চালিয়েছেন। আপনাদের এই প্রচেষ্টার সঙ্গেযুক্ত হয়ে এবার সরকার এই ঝিলের সংস্কার করবে, যাতে ঝিলটি স্থানীয় জনগণের পাশাপাশিভবিষ্যৎ পর্যটকদের জন্য একটি বিনোদনের স্থান হয়ে উঠতে পারে। ভাই ও বোনেরা, পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে জলের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। বেতিয়ার জলেরঅভাব দূর করার জন্য পরিচ্ছন্ন পানীয় জলের কষ্ট দূর করার জন্য অমৃত যোজনার মাধ্যমেপ্রায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে জল সরবরাহ প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছে। এরদ্বারা দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষ পানীয় জলপাবেন। পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে যুক্ত আমাদের আরেকটি প্রচেষ্টা হ’ল জীবনদায়িনী মাগঙ্গাকে নির্মল করে তোলা। গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত গঙ্গা নদীকে নির্মলকরে তোলার সঙ্কল্প নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বিহার এই মিশনেরগুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ঘর কিংবা কারখানার নোংরা জল যাতে গঙ্গায় গিয়ে না পড়ে, তাদেখার জন্য বিহার সরকার ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে ১১টি প্রকল্প মঞ্জুরকরেছে। এই টাকা দিয়ে ১ হাজার ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ সিভিল লাইন বিছানোরপরিকল্পনা রয়েছে। এগুলির মধ্যে ৪টি প্রকল্পের শিলান্যাস আজ হয়েছে। গত বছর যখন আমি মোকামা এসেছিলাম, তখন যে ৪টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেগিয়েছিলাম, খোঁজ নিয়ে দেখেছি সেগুলিতেও দ্রুত কাজ এগিয়ে চলেছে। কিছুদিনের মধ্যেইবাকি প্রকল্পগুলিরও কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। গঙ্গার তীরের গ্রামগুলিকেঅগ্রাধিকার-ভিত্তিক খোলা মাঠে প্রাকৃতিক কর্ম মুক্ত করা হচ্ছে। উত্তরাখন্ড, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ – মা গঙ্গা যে৫টি রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হন, সমস্ত রাজ্যে গঙ্গা তটবর্তী গ্রামগুলিতে এইআন্দোলন সফল হয়েছে। গঙ্গা তটবর্তী গ্রামগুলির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন প্রকল্পচালু করা হচ্ছে, যাতে তারা গ্রামের আবর্জনা ও বর্জ্য পদার্থ নদীতে না ফেলেন। সেসম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আমি আশা করি যে, নিকট ভবিষ্যতেই গঙ্গাতটসম্পূর্ণ রূপেই প্রাকৃতিক কর্মমুক্ত হয়ে উঠবে। বিগত দিনে বেনারসে ‘কাচড়া মহোৎসব’ পালন করা হয়েছে। আম��� এই গঙ্গা তটবর্তীসমস্ত শহরের মানুষদের অনুরোধ করব যে, আপনারাও জঞ্জাল মহোৎসব পালন করুন এবং জঞ্জালকিভাবে কাঞ্চন হয়ে উঠতে পারে, বর্জ্য থেকে সম্পদ কিভাবে উৎপাদিত হতে পারে – সেবিষয়ে মানুষকে শিক্ষিত করুন তারপর আপনারা দেখতে পাবেন এই আবর্জনা থেকেও কত বড়সম্পদ তৈরি হতে পারে। ভাই ও বোনেরা, নির্মল জ্বালানিও পরিচ্ছন্নতা আন্দোলনের একটি অংশ। সরকারউজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে প্রত্যেক গরিব মা-বোনকে বিষাক্ত ধোঁয়া থেকে মুক্তি দিতেউঠে পড়ে লেগেছে। ইতিমধ্যে দেশে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি পরিবারকে বিনামূল্যে রান্নারগ্যাস সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। বিহারের প্রায় ৫০ লক্ষ মহিলার মাধ্যমে ৫০ লক্ষপরিবার এর দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। কিন্তু বন্ধুগণ, নির্মল জ্বালানিকে অগ্রাধিকারদেওয়ায় এবং উজ্জ্বলা যোজনার সাফল্যের কারণে সিলিন্ডারের চাহিদাও অনেক বেড়ে গেছে।চম্পারণ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জনগণের যাতে এই গ্যাস সিলিন্ডারের অভাব না হয়, তাসুনিশ্চিত করার জন্য মোতিহারি এবং সগোলিতে এলপিজি প্ল্যান্ট বসানোর প্রকল্পেরও আজশিলান্যাস করা হয়েছে। এটি চালু হলে দিনে প্রায় ৯০ হাজার সিলিন্ডার ভরা যাবে। তাছাড়া, মোতিহারিতে আজ ‘পেট্রোলিয়াম-অয়েল লিউব টার্মিনাল’-এরও শিলান্যাসহয়েছে। এটি চালু হলে চম্পারণ এবং তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি ছাড়াও প্রতিবেশী দেশনেপালে পেট্রোলিয়াম সরবরাহ সুচারু রূপে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। ভাই ও বোনেরা, আজকের এই প্রকল্পগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের সেই ভাবনার ফল,যেখানে পূর্ব ভারতকে দেশের উন্নয়নের ‘গ্রোথ ইঞ্জিন’ বলে মনে করা হয়। পূর্ব উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের ৮টি রাজ্যে পরিকাঠামোউন্নয়নের জন্য আমাদের সরকার যেভাবে কাজ করছে, তা আগে কখনও হয়নি। নীতিশজিও এর সাক্ষী, কিভাবে বিহার সহ গোটা পূর্ব ভারতের প্রয়োজনীয়তা মাথায়রেখে নতুন নতুন প্রকল্পগুলি গড়ে তোলা হচ্ছে। বিশেষ করে, আমাদের সরকার গোটা পূর্বভারতে যোগাযোগ ব্যবস্থার সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। একবিংশ শতাব্দীর প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখে পূর্ব ভারতে হাইওয়ে, রেলওয়ে,ওয়াটারওয়ে এবং আইওয়ে – এই সবকটির উন্নয়ন তীব্র গতিতে এগিয়ে চলেছে। আজ এখানে প্রায়৯০০ কোটি টাকার জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছে। ঔরঙ্গাবাদ থেকেচৌরদাহ পর্যন্ত যে মহাসড়ক এখন চারলেনের রয়েছে, সেটিকে ���খন ছয় লেন করার কাজ আজ থেকেশুরু হ’ল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিহার ও ঝাড়খন্ড উভয় রাজ্যই উপকৃত হবে। এভাবেই চম্পারণের জন্য দুটি রেল প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছে। মুজাফফরপুরথেকে সগোলি আর সগোলি থেকে বাল্মীকীনগর সেকশনে ডবল লাইন করা হবে। এতে শুধুচম্পারণের মানুষই উপকৃত হবেন না, উত্তর প্রদেশ থেকে শুরু করে নেপাল পর্যন্তযাতায়াত ও ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজ হয়ে উঠবে। বন্ধুগণ, চম্পারণ সত্যাগ্রহের শতবর্ষ উপলক্ষে আমার আজ একটি নতুন রেলযাত্রাউদ্বোধনের সৌভাগ্য হয়েছে! এই ট্রেনটি কাটিহার থেকে দিল্লি পর্যন্ত যাবে। সরকার এইট্রেনটির নাম রেখেছে ‘চম্পারণ হামসফর এক্সপ্রেস’। আধুনিক পরিষেবা সমৃদ্ধ এইরেলযাত্রা কাটিহার ও দিল্লির মধ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সুবিধাজনক হয়েউঠবে। ভাই ও বোনেরা, আজ মাধেপুরায় ইলেক্ট্রিক লোকোমোটিভ ফ্যাক্টরির ফেজ-১-এরওউদ্বোধন করা হয়েছে। এই কারখানাটি দুটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, এটি মেক ইনইন্ডিয়ার উত্তম উদাহরণ। দ্বিতীয়ত, এর মাধ্যমে এই অঞ্চলে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগসৃষ্টি হবে। ভারতীয় রেল ফ্রান্সের একটি কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রকল্পের কাজএগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই কারখানায় শক্তিশালী ইঞ্জিন নির্মাণ করা হবে। এই আধুনিককারখানায় নির্মিত ১২ হাজার অশ্বশক্তিসম্পন্ন প্রথম ইঞ্জিনটিকে সবুজ পতাকা দেখানোরসৌভাগ্য আজ আমার হয়েছে। বন্ধুগণ, বিশ্বে খুব কম দেশই রয়েছে, যেখানে পণ্য পরিবহণের জন্য এতশক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। এই ইঞ্জিনগুলির মাধ্যমে ভারতে মালগাড়ির গড় গতিদ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পাবে। আরেকটি কারণে এই প্রকল্পের ওপর বিস্তারিতভাবে বলতে চাই। ভাই ও বোনেরা, এইপ্রকল্পটি আসলে ২০০৭ সালেই মঞ্জুর হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারপর থেকে ৮ বছরধরে প্রকল্পটি লালফিতের ফাঁসে আটকে ছিল। তিন বছর আগে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় এসেপ্রকল্পটির কাজ শুরু করিয়েছে আর ইতিমধ্যেই প্রথম ফেজের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। আমাদের দেশে দরিদ্র মানুষের জীবনে পরিচ্ছন্নতা সুনিশ্চিত করার পাশাপাশিসরকার তাঁদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। দেশের দরিদ্র থেকেদরিদ্রতম পরিবারে কেউ অসুস্থ হলে তাঁদের বছরে ৫ লক্ষ টাকা চিকিৎসার খরচ সরকার বিমাকোম্পানিগুলির মাধ্যমে বহন করবে। এখন আর পয়সার অভাবে কারও চিকিৎসা বন্ধ থাকবে নয়া।কে��্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পটির নাম আমরা দিয়েছি – আয়ুষ্মান ভারত। এটি আমরা যতশীঘ্র সম্ভব চালু করতে যাচ্ছি। আমার সরকারের কাজ করার একটি নিজস্ব পদ্ধতি আছে। এখন আটকে দিলে, ঝুলিয়েরাখলে আর বিভ্রান্ত করলে চলবে নয়া। ফাইল চাপা দেওয়ার সংস্কৃতিকে আমরা তামাদি করেদিয়েছি। সরকার নিজের প্রত্যেকটি মিশন, প্রতিটি সংকল্প জনগণের সাহায্যে বাস্তবায়িতকরছে। যাঁরা এই পরিবর্তনকে স্বীকার করতে পারছেন না, তাঁদের খুব কষ্ট হচ্ছে। তাঁরাগরিবের ক্ষমতায়ন সহ্য করতে পারছেন না। তাঁরা ভাবেন, গরিব মানুষ শিক্ষিত ওশক্তিশালী হয়ে উঠলে তাঁদের কাছে আর মিথ্যা কথা বলা যাবে না, তাঁদেরকে আর বিভ্রান্তকরা যাবে না। সেজন্য সড়ক থেকে শুরু করে সংসদ পর্যন্ত সরকারের কাজে নানারকমপ্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। বন্ধুগণ, এমনিতে আপনারা এমন সরকার নির্বাচিত করেছেন, যা প্রকৃত অর্থেইজনমনের সঙ্গে যুক্ত থেকে জনগণের স্বার্থে কাজ করে চলেছে। সেজন্য কিছু বিরোধীবিভাজনের প্রচেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন। বন্ধুগণ, আজ এই উপলক্ষে আমি নীতিশজির ধৈর্য্য এবং তাঁর দক্ষ প্রশাসনেরবিশেষ প্রশংসা করতে চাই। তিনি যেভাবে ভ্রষ্ট ও অসামাজিক শক্তিগুলির বিরুদ্ধে লড়াইজারি রেখেছেন, তা সহজ কাজ নয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর পরিচ্ছন্নতা অভিযান,সামাজিক পরিবর্তনের জন্য তাঁর বহুমুখী প্রচেষ্টাকে কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণ রূপেসমর্থন করে। ‘সকলের সঙ্গে সকলের উন্নয়ন’ – এই মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলা এনডিএ সরকারসংকল্পবদ্ধ হয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের কাজ করে চলেছে। পূর্ববর্তীসরকারগুলি সময়ের গুরুত্বকে না বুঝলেও গান্ধীজি সর্বদাই সত্যাগ্রহ এবংস্বচ্ছাগ্রহের পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ করায় জোর দিতেন। গান্ধীজির কাছেসবসময় একটি পকেট ঘড়ি থাকতো! তিনি বলতেনও, ‘আপনারা যেমন একদানা ভাত কিম্বা এক টুকরোকাগজ নষ্ট করতে পারেন না, তেমনই সময়ের একটি মিনিটও নষ্ট করতে পারেন না’। এই সময়আমাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এই সময় রাষ্ট্রের সম্পত্তি এবং তা রাষ্ট্রেরই কাজেলাগানো উচিৎ। গান্ধীজির এই ভাবনায় উজ্জীবিত ১২৫ কোটি দেশবাসী আজ ব্রতের সংকল্প নিয়ে কাজকরছেন। ২০১৪ সালে দেশে পরিচ্ছন্নতার পরিমাপ ৪০ শতাংশের কম ছিল, আপনাদেরস্বচ্ছাগ্রহ আন্দোলনের পরিণাম স্বরূপ তা ইতিমধ্যেই বৃদ্ধি পেয়ে ৮০ শতাংশেরও বেশিহয়েছে। অ���্থাৎ স্বাধীনতার পর ৬৭ বছর ধরে দেশে পরিচ্ছন্নতার মাপকাঠি যা ছিল, তারদ্বিগুণেরও বেশি বর্তমান সরকারের আমলে কাজ করা সম্ভব হয়েছে। বন্ধুগণ, বিগত সাড়ে তিন বছর ধরে দেশে ৩৫০টিরও বেশি জেলায় এবং সাড়ের তিনলক্ষেরও বেশি গ্রামকে উন্মুক্ত স্থানে প্রাকৃতিক কর্ম মুক্ত ঘোষণা করা সম্ভবহয়েছে। বিগত তিন বছরে দেশে প্রায় ৭ কোটি শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে। এটি সাধারণমানুষের ইচ্ছাশক্তিরই পরিণাম যে বিগত ৪ এপ্রিল থেকে আজ পর্যন্ত এক সপ্তাহ থেকে‘সত্যাগ্রহ থেকে স্বচ্ছাগ্রহ’ আন্দোলনের সপ্তাহ পালনের মাধ্যমে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে প্রায় ২৬ লক্ষ শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে। এইচারটি রাজ্য স্থির করেছে যে, তারা নিজেরাও পরিচ্ছন্নতার পরিধি আরও দ্রুতগতিতেবৃদ্ধি করবে। বন্ধুগণ, স্বচ্ছ ভারত অভিযান দেশের কোটি কোটি মহিলাদের জীবন কিভাবে বদলেদিয়েছে, সে সম্পর্কে আপনারা ভালোভাবেই জানেন। একটি শৌচালয় নির্মাণের মাধ্যমে এক বাএকাধিক মহিলার সম্মান সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য তিনটিই সুনিশ্চিত হয়েছে। আমাকে বলাহয়েছে যে, এখন বিহারেও সাধারণ মানুষ শৌচালয়কে ‘ইজ্জত ঘর’ বলা অভ্যাস করে নিয়েছে।এই শৌচালয় নির্মাণের মাধ্যমে দেশে একটি বড় সামাজিক ভারসাম্যহীনতার বিরুদ্ধে লড়াইয়েজয়লাভ সম্ভব হচ্ছে। এটি আর্থিক এবং সামাজিক ক্ষমতায়নেরও কারক হয়ে উঠছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের একটি সমীক্ষায় জানা গেছে যে, যে বাড়িতে শৌচালয় থাকেসেই বাড়িতে বছরে গড়ে ৫০ হাজার টাকা বাঁচে। না হলে নানা রোগের চিকিৎসা ও হাসপাতালেআসা-যাওয়া এবং কর্ম ক্ষেত্র থেকে ছুটি নেওয়া বাবদ এই টাকা খরচ হয়ে যায়। আরেকটি আন্তর্জাতিক এজেন্সির সমীক্ষা থেকে জানা গেছে যে, যে গ্রামগুলি খোলামাঠে প্রাকৃতিক কর্ম মুক্ত ঘোষিত হয়েছে, সেই গ্রামগুলির বাচ্চাদের ডায়েরিয়া কম হয়এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশও সঠিকভাবে হয়। সার্বিকভাবেই বাচ্চারা কম অসুস্থহওয়ায় স্কুলে অনুপস্থিত থাকে না। ফলে, তাদের পড়াশুনায় ফলাফলও ভালো হচ্ছে। বন্ধুগণ, স্বচ্ছ ভারত অভিযান যেভাবে জনআন্দোলন হয়ে দেশের কোণায় কোণায় পৌঁছেগেছে, তা দেখে বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এটিকে কেস স্টাডির বিষয় হিসাবেবেছে নিচ্ছে। আমার মনে হয়, একবিংশ শতাব্দীতে মানুষের স্বভাব পরিবর্তনের জন্য এরকমগণআন্দোলন এখনও পর্যন্ত বিশ্বের আর কোনও দেশে হয়নি। নিশ্চিতভাবেই ভা���ত পরিবর্তিতহচ্ছে। কিন্তু এখানে গান্ধী ময়দানে উপস্থিত প্রত্যেক স্বচ্ছাগ্রহীকে, দেশের ছোটছোট শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক পর্যন্ত সকলকে এখন আসল চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতেহবে। এই চ্যালেঞ্জটি হ’ল সড়ক থেকে শুরু করে রেল স্টেশন, বাড়ি-দোকানের সামনে থেকেশুরু করে স্কুল-কলেজ, বাস স্ট্যান্ড-বাজার-গলিতে গলিতে, পাড়ায়-পাড়ায় পরিচ্ছন্নতারপ্রতি এই আগ্রহ বজায় রাখা। যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের প্রত্যেক নাগরিক নিজস্ব স্তরেপরিচ্ছন্নতার জন্য প্রচেষ্টা না চালাবে ততক্ষণ স্বচ্ছ ভারত মিশন বাস্তবায়িত হবেনা। যতক্ষণ পর্যন্ত পরিচ্ছন্নতা দেশের প্রত্যেক মানুষের জীবনের অংশ হয়ে না উঠবে,ততক্ষণ পর্যন্ত স্বচ্ছ ভারত মিশন সম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারবে না। সেজন্য আমাদেরস্বচ্ছাগ্রহ যতটা শক্তিশালী হবে, ততটাই ২০১৯ সালে আমরা স্বচ্ছ ভারত মিশনকেবাস্তবায়িত করতে পারব। তবেই আমরা আগামী বছর ২ অক্টোবর পূজ্য বাপুকে সত্যিকরেরশ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করতে পারব। বন্ধুগণ, গান্ধীজি এই চম্পারণে কৃষক, শ্রমিক, ডাক্তার, উকিল, ইঞ্জিনিয়ারসবাইকে এনে এক পঙক্তিতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। তবেই সত্যাগ্রহ সফল হয়েছিল।স্বচ্ছাগ্রহীদের জন্য আমাদের ভূমিকাও তেমনই হওয়া উচিৎ। পরিচ্ছন্নতার এই বার্তাসমাজের প্রত্যেক ব্যক্তি, প্রত্যেক গোষ্ঠীর কাছে যাতে পৌঁছয় – সে চেষ্টা আমাদেরলাগাতার করে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে দেশে গরিবদের মাথার ওপর নিজস্ব ছাদ তুলেদেওয়ার দায়িত্ব দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বিহার যে গতিতে শৌচালয়নির্মাণের কাজ শুরু করেছে, গৃহহীন দরিদ্রদের গৃহ নির্মাণের কাজও তেমনই দ্রুতগতিতেএগিয়ে যাবে। আমরা সবাই আরও একটি প্রচেষ্টা চালাতে পারি আজ থেকে নিয়ে আগামী বছর ২অক্টোবর পর্যন্ত দেশে যে কোনও উপলক্ষে, যে কারও জন্মজয়ন্তীতে, যে কারও মৃত্যুদিবসে, যে কোনও উৎসব অনুষ্ঠানে মানুষের মনে স্বচ্ছ ভারতের বার্তা পৌঁছে দিয়েসচেতনতা বৃদ্ধির কাজও করতে পারি। যেমন আগামীকাল ১১ এপ্রিল মহান সমাজ সংস্কারকজ্যোতিবা ফুলের জন্মদিন, আগামী ১৪ এপ্রিল বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মদিন – এই বিশেষদিনগুলিতে মানুষকে এই মহাপুরুষদের সম্পর্কে বলার পাশাপাশি তাঁদের পরিচ্ছন্নতারপ্রতি আগ্রহ বৃধির কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। আপনাদের জানার জন্য বলতে পারি যে, কেন্দ্রীয় সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে গ্রামস্বরাজ অভিযানও শুরু করতে যাচ্ছে। এই অভিযানের মাধ্যমে আগামী ১৮ এপ্রিল আমাদের সকলনির্বাচিত সাংসদ, বিধায়ক এবং পঞ্চায়েত, পৌরসভা ও পৌর নিগমগুলিকে নির্বাচিতজনপ্রতিনিধিরা নিজের নিজের এলাকায় স্বচ্ছ ভারত মিশনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কোনও নাকোনও কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন, ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে বোঝাবেন। তাঁদের পরিবেশ ওপ্রতিবেশ পরিচ্ছন্ন এবং নির্মল রাখার প্রচেষ্টা চালাবেন। ভাই ও বোনেরা, রাষ্ট্র নির্মাণে আপনাদের এই অবদান দেশের আগামী প্রজন্মেরমানুষেরা মনে রাখবেন। প্রত্যেক সত্যাগ্রহী সুস্থ, পরিচ্ছন্ন ও সমৃদ্ধ সমাজনির্মাণের জন্য কাজ করছেন। যখন চম্পারণ সত্যাগ্রহ শুরু হয়েছিল, তখন সেই আন্দোলনেঅংশগ্রহণের জন্য আমরা ছিলাম না। আমাদের মধ্যে কারোই তখন জন্ম হয়নি। কিন্তু চম্পারণস্বচ্ছাগ্রহকে সফল করে তুলতে আমরা দিন-রাত এক করে কাজ করতে পারি। আমি জানি যে, এই কাজে অসীম ধৈর্য্যের প্রয়োজন হয়। আমি এটাই জানি যে,আপনাদের মতো স্বচ্ছাগ্রহীদের মনে দেশে পরিবর্তন আনার জন্য এতটাই আগ্রহ রয়েছে যে,আপনারা নিরন্তর নিজেদের প্রচেষ্টায় নিজের মতো করে কাজ করে যাচ্ছেন। চম্পারণস্বচ্ছাগ্রহ আজকের যুবসম্প্রদায়ের স্বপ্নের একটি রাষ্ট্রগীত হয়ে উঠেছে, যা এই কাজেসমস্ত প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মাধ্যমে জয়যুক্ত না হওয়াপর্যন্ত অবিরাম কাজ করে যাওয়ার শক্তি যোগায়। এই গণআন্দোলন ভারতের ভবিষ্যৎপ্রজন্মের জন্য আলোকবর্তিকাও বটে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, পরিচ্ছন্নতার প্রতি আমাদের আগ্রহ একটি পরিচ্ছন্ন,সুন্দর ও সমৃদ্ধ ভারতের নতুন অধ্যায় লিখবে। এখানে এই সমারোহে আগত সকলস্বচ্ছাগ্রহীদের আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। পাশাপাশি আবেদন রাখি যে, ২০১৮-র ২অক্টোবর থেকে ২০১৯-এর ২ অক্টোবর আমরা জাতির জনকের সার্ধশতজন্মবার্ষিকী পালন করব।এই সময়কালের মধ্যে আপনাদের দেশের মধ্যে একটি নতুন ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যআমাদের সমাজে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ত্রুটি, কুসংস্কার যা দেশকে প্রতিনিয়ত উত্যক্তকরে তুলছে, দুর্বল করে তুলছে – সেগুলিকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে। আবর্জনামুক্ত,দুর্নীতিমুক্ত, জাতপাত, উঁচু-নীচু ও অস্পৃশ্যতা ভাবনামুক্ত জনগণই দেশকেসাম্প্রদায়িক উত্তেজনা থেকে সাম্প্রদায়িকতাবাদ থেকে মুক্ত রাখতে সক্ষম হবে। ১২৫কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে ���বে। এই সংকল্প নিয়ে এগোলেই আমরা ২০২২ সালের মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামীদেরস্বপ্নের ভারত গড়ে তুলতে পারব। এটাই ২০১৮-১৯ – এ গান্ধীজিকে তাঁর সার্ধশতজন্মবর্ষে প্রকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হবে। এই কাজ সরকারি কাজ নয়, এই কর্মসূচিপ্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর নয়, কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের নয় – এইকর্মসূচি ১২৫ কোটি ভারতবাসীর কর্মসূচি। এই কর্মসূচি দারিদ্র্য মুক্তির কর্মসূচি,দেশের সামাজিক ন্যায় প্রতিস্থাপনের কর্মসূচি, মা-বোনদের সম্মান পুনরুদ্ধারেরকর্মসূচি। সেজন্য সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে আমাদের এই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এইভাবনা নিয়ে আরেকবার সমস্ত স্বচ্ছাগ্রহীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। ধন্যবাদ জানাই।আরেকবার আমার সঙ্গে বলুন – আমি বলব মহাত্মা গান্ধী, আপনারা সবাই বলবেন – অমর রহে, অমর রহে মহাত্মা গান্ধী অমর রহে, অমর রহে মহাত্মা গান্ধী অমর রহে, অমর রহে মহাত্মা গান্ধী অমর রহে, অমর রহে","চাম্পাৰণ সত্যাগ্ৰহৰ শতবৰ্ষ সমাৰোহত প্ৰধানমন্ত্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোডীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণমতিহাৰী, বিহাৰ, ১০ এপ্ৰিল,২০১৮" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%8B-3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A6%BE/,"প্রত্যক্ষ বিদেশিবিনিয়োগ নীতির একগুচ্ছ সংশোধন প্রস্তাব আজ অনুমোদিত হল প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। প্রত্যক্ষ বিদেশিবিনিয়োগকে আরও সরল ও উদার করে তুলতেই সংশোধন প্রস্তাবে সম্মতি জানায় মন্ত্রিসভা।সংশোধনগুলি কার্যকর হলে দেশে বাণিজ্যিক কাজকর্মও তুলনামূলকভাবে সহজতর হয়ে উঠবে। এরফলে, সার্বিকভাবে বৃদ্ধি পাবে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের মাত্রাও যা বিনিয়োগ,কর্মসংস্থান এবং আয় ও উপার্জনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ হল দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ প্রচেষ্টায় একটি বড় ধরণের চালিকাশক্তি।দেশের অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রে ঋণের মুখাপেক্ষী না থেকে বিনিয়োগের ভরসা করেদেশকে যে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, এই নীতিটি হল সেই লক্ষ্যেই এক বিশেষ পদক্ষেপ। সরকারইতিমধ্যেই প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতিকে আরও বিনিয়োগ-বান্ধব করে তুলেছে। অধিকাংশক্ষেত্রগ���লিতেই প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগকে পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিচালিত করেতোলা হয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে প্রতিরক্ষা, নির্মাণ, বিমা, পেনশন, সম্প্রচারব্যবস্থা, বিভিন্ন আর্থিক পরিষেবা, সম্পদের পুনর্গঠন, অসামরিক বিমান পরিবহণ, ওষুধউৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে আরও বেশি মাত্রায় বিদেশি বিনিয়োগআকর্ষণের জন্য সংস্কার প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকার গৃহীতবিভিন্ন পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আসতেও শুরু করেছেউৎসাহব্যঞ্জকভাবে। যেমন, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরেদেশে মোট প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগেরপরিমাণ ছিল ৪৫.১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তুলনায়, তার আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এই মাত্রা ছিল ৩৬.০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আবার, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৫৫.৪৬বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বিদেশি বিনিয়োগ এসে পৌঁছেছে ভারতে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরেবিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ ছিল ৬০.০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সরকার মনে করে যেআরও বেশি মাত্রায় বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের পর্যাপ্ত সম্ভাবনা রয়েছে এ দেশে। প্রত্যক্ষবিদেশি বিনিয়োগকে আরও সরল ও উদার করে তোলার মাধ্যমেই এই সম্ভাবনার বাস্তবায়ন ঘটতেপারে। এই কারণেই প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতিতে বেশ কয়েকটি সংশোধন বাস্তবায়নেরপ্রস্তাবটিতে সম্মতি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। যে যে ক্ষেত্রে এইসংশোধন কার্যকর হবে তার মধ্যে রয়েছে – খুচরো ব্যবসা-বাণিজ্য, অসামরিক বিমানপরিবহণ, নির্মাণ প্রচেষ্টা, ওষুধ উৎপাদন ইত্যাদি। একটি মাত্র ব্র্যান্ডের খুচরোব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগকে ১০০ শতাংশ স্বয়ংক্রিয়পদ্ধতিচালিত করে তোলা হবে। নির্মাণ প্রচেষ্টাকে উৎসাহ দিতে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিচালিতকরা হবে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগকে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান পরিবহণেররুটগুলিতে ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে বিদেশি বিমান পরিবহণসংস্থাগুলিকে। প্রাথমিক বাজারগুলির মাধ্যমে বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে এফআইআই এবংএফপিআই-গুলিকে। অন্যদিকে, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে চিকিৎসা সংক্রান্ত পদ্ধতি ওযন্ত্রপাতির প্রচলিত সংজ্ঞাটির পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। /",মুখ্য খণ্ডসমূহত অধিক উদাৰ হ’ল এফডিআই নীতি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A7%80/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE/,"আন্তর্জাতিক নারী দিবসে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বারাণসীর দীনদয়াল হস্তকলা সঙ্কুলে জাতীয় মহিলা জীবিকা সম্মেলন-২০১৯এ অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশ গ্রামীণ জীবিকা মিশনের সহযোগিতায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির উৎপাদিত পণ্য নিয়ে আয়োজিত প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখেন। তিনি মহিলা সুবিধাভোগীদের হাতে বৈদ্যুতিক চক, সৌরচক্র, মধু মোড়ক তুলে দেন। ৫টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে প্রশস্তিপত্র তুলে দেন। দীনদয়াল অন্তদ্বয় যোজনায় এনআরএলএম উত্তরপ্রদেশে সহযোগিতায় গঠিত মহিলাদের বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রীকে ‘ভারত কে বীর’ তহবিলে ২১ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে উপলক্ষ্যে শ্রী নরেন্দ্র মোদী সমস্ত মহিলাকে শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, নতুন ভারত গঠনে মহিলাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৭৫ হাজার স্হান থেকে ৬৫ লক্ষ মহিলা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। মহিলাদের ক্ষমতায়নে বারাণসী উজ্জ্বল উদাহরণ বলে তিনি মন্তব্য করেন। মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকার সম্পূর্ণ দায়বদ্ধ বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। মহিলা এবং কন্যা শিশুদের কল্যাণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এরমধ্যে রয়েছে- স্বাস্হ্য, পুষ্টি, পয়ঃনিকাশী, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, স্বনির্ভর কর্মসংস্হান, নতুন গ্যাসের সংযোগ, নারীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, সরকার ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি চালু করেছে। এটি বিশ্বের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট। প্রধানমন্ত্রী জানান, সব কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে মহিলাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। মুদ্রা যোজনার আওতায় ১৫ কোটি সংখ্যক ঋণ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১১ কোটি ঋণ মহিলারা পেয়েছেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তাঁদের কাজে শুধু পরিবারেরই উন্নতিসাধন হয় না, তা দেশের উন্নয়নেও সাহায্য করে। শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, সরকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ব্যাঙ্ক ঋণ সহ নানা সুবিধা দেওয়ায় সেগুলির উৎসাহ বেড়েছে। তিনি জানান, দেশে এখন ৫০ লক্ষ স্বনি���্ভর গোষ্ঠীতে ৬ কোটি মহিলা যুক্ত। তাঁর সরকারের লক্ষ্য হল প্রতিটি পরিবারের একজন করে মহিলা সদস্য যেন একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যুক্ত থাকেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে আরও উদ্ভাবক এবং তাঁদের বাজার বোঝার ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারকে তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের ‘জেম পোর্টাল’এর মাধ্যমে বিক্রির তিনি পরামর্শ দেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব জায়গায় সুযোগ রয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সেইসব ক্ষেত্রে প্রসারিত হওয়া উচিত। সম্প্রতি চালু হওয়া প্রধানমন্ত্রী শ্রম মান-ধন যোজনার সুযোগ মহিলাদের নেওয়ার জন্য শ্রী নরেন্দ্র মোদী প্রস্তাব দেন। এরফলে বৃদ্ধ বয়সে তাঁরা আর্থিক নিরাপত্তা পাবেন। তিনি কিষান সম্মান নিধি এবং আয়ুষ্মান ভারত যোজনার কথা উল্লেখ করেন। বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন। /",বাৰাণসীত ৰাষ্ট্ৰীয় মহিলা জীৱিকা সমাৰোহ-২০১৯ত অংশ ল’লে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%A6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A7%B0%E0%A6%BE/,"নতুন দিল্লি, ৩০ মার্চ, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী রাজস্থান দিবসে রাজস্থানের মানুষজনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন; “বীরত্ব, আত্মসম্মান এবং ত্যাগের ঐতিহাসিক ভূমি রাজস্থানের সমস্ত বাসিন্দাকে শুভেচ্ছা। রাজ্যটি উন্নতির পথে এগিয়ে যাক, এই কামনা করি।” /",ৰাজস্থান দিৱস উপলক্ষে ৰাজস্থানৰ জনসাধাৰণক শুভেচ্ছা প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%A8%E0%A7%AF-%E0%A6%93-%E0%A7%A9%E0%A7%A6-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AA/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AF-%E0%A7%A9%E0%A7%A6-%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F/,"প্রধানমন্ত্রী সুরাট, ভাবনগর, আমেদাবাদ এবং অম্বাজিতে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন এই প্রকল্পগুলি আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামো গড়ে তুলবে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাবে এবং তাৎপর্যপূর্ণভাবে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করবে প্রধানমন্ত্রী আমেদাবাদ মেট্রো প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন এবং গান্ধীনগর ও মুম্বাই সেন্ট্রালের মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এবং আমেদাবাদ মেট্রো রেলে সফরও করবেন প্রধানমন্ত্রী ভাবনগরে বিশ্বের প্রথম সিএনজি টার্মিনাল প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী ৩৬তম জাতীয় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন; গুজরাটে এই প্রথম প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী সুরাটে হীরে ব্যবসার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে গৃহীত গ্রীন সিটি প্রকল্পের প্রথম পর্বের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নতুন একটি ব্রডগেজ লাইনের শিলান্যাস করবেন, এরফলে অম্বাজি যেতে তীর্থযাত্রীদের সুবিধা হবে প্রধানমন্ত্রী অম্বাজি মন্দির দর্শন করবেন এবং সেখানে পুজো দেবেন; তিনি গব্বরতীর্থে মহা আরতি অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী আমেদাবাদে নবরাত্রি উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর গুজরাট সফর করবেন। ২৯ তারিখ সকাল ১১টার সময় তিনি সুরাটে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। এরপর তিনি ভাবনগর যাবেন। সেখানে প্রায় ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। সন্ধ্যে ৭টার সময় শ্রী মোদী আমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ৩৬তম জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন। এরপর আমেদাবাদে রাত ৯টার সময় জিএমডিসি ময়দানে তিনি নবরাত্রি উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় গান্ধীনগর স্টেশন থেকে মুম্বাইগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করবেন। ওই ট্রেনে করে তিনি কালুপুর পর্যন্ত যাবেন। বেলা ১১.৩০ মিনিটে শ্রী মোদী আমেদাবাদ মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। তিনি কালুপুর স্টেশন থেকে দূরদর্শন কেন্দ্র মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো রেলে সফর করবেন। আমেদাবাদ এডুকেশন সোস্যাইটিতে তিনি এই মেট্রো রেলের প্রথম পর্বের উদ্বোধন করবেন। বিকেল ৫.৪৫ মিনিটে অম্বাজিতে প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। এরপর সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ তিনি অম্বাজি মন্দির দর্শন করবেন এবং পুজো দেবেন। ৭.৪৫ মিনিটে গব্বর তীর্থে শ্রী মোদী মহা আরতীতে অংশ নেবেন। বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামো গড়ে তোলা, শহরাঞ্চলে যোগাযোগ ���্যবস্থার উন্নতি এবং বহুস্তরীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ঘটাতে প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পূরণ করবেন। এর মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটাতে তাঁর সরকারের নিরলস উদ্যোগের প্রমান পাওয়া যায়। সুরাটে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী সুরাটে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে জল সরবরাহ, পয়ঃনিকাশী ব্যবস্থাপনা, গ্রীন সিটি নির্মাণ, জীব বৈচিত্র্য উদ্যান গড়ে তোলা । এছাড়াও শহরে পুরনো স্থাপত্যগুলির রক্ষণাবেক্ষণ, সিটিবাস/বিআরটিএস পরিকাঠামো, বৈদ্যুতিক গাড়ি চলাচল করার উপযুক্ত পরিকাঠামো সহ কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী ডায়মন্ড রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেনটাইল (ড্রিম) সিটি প্রকল্পের প্রথম পর্বের সড়ক পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। সুরাটে হীরে ব্যবসার উন্নয়নে এই প্রকল্প সহায়ক হবে। শ্রী মোদী ড্রিম সিটি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্বের শিলান্যাসও করবেন। তিনি জীব বৈচিত্র্য উদ্যানের শিলান্যাস করবেন। ৮৭ হেক্টর জমির ওপর এই পার্ক গড়ে তোলা হবে। শ্রী মোদী সুরাটে সায়েন্স সেন্টারে খোঁজ সংগ্রহশালাটির উদ্বোধন করবেন। শিশুদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এখানে মতবিনিময়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে। ভাবনগরে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ভাবনগরে ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। তিনি বিশ্বের প্রথম সিএনজি টার্মিনালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এই বন্দর নির্মাণে ব্যয় হবে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। সিএনজি টার্মিনাল ছাড়াও সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বিভিন্ন চাহিদার কথা বিবেচনা করে নানা প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই বন্দরটিতে কন্টেনার টার্মিনাল, বহুমুখী টার্মিনাল এবং তরল পদার্থ জাহাজ থেকে নামানোর পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। সিএনজি টার্মিনালটি পরিবেশ বান্ধব জ্বালানীর জন্য সহায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী ভাবনগরে ২০ একর জমির ওপর নির্মিত একটি আঞ্চলিক বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন। এরজন্য ব্যয় হবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এই কেন্দ্রে সামুদ্রিক নানা উপাদানের ওপর তথ্য সম্বলিত একটি প্রদর্শনী কক্ষ গড়ে তোলা হয়েছে। এখান থেকে শিশুরা তাদে�� সৃজনশীল ভাবনাকে বিকশিত করতে পারবেন। শ্রী মোদী সাওনি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্বের , পালিটানা সৌর প্রকল্পের, এবং চোরভদলা অঞ্চলে জল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। আমেদাবাদে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী আমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ৩৬তম জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রীড়াবিদরা এতে অংশ নেবেন। তিনি ডেসারে স্বর্ণিম গুজরাট ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করবেন। গুজরাটে এই প্রথম জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ১৫ হাজার খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক এবং আধিকারিক এতে অংশ নেবেন। আমেদাবাদ, গান্ধীনগর, সুরাট, ভাদোদারা, রাজকোট এবং ভাবনগরে এই প্রতিযোগিতার ৩৬টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় এবং বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনে সময় শ্রী মোদী খেলাধুলার মানোন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। আমেদাবাদে শ্রী মোদী মেট্রো প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন। ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ ইস্ট-ওয়েস্ট প্রকল্পটি অ্যাপারেল পার্ক থেকে থালতেজ পর্যন্ত এবং নর্থ-সাউথ করিডরে মোতেরা থেকে গ্যাসপুর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে। এই প্রকল্প নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। প্রকল্প নির্মাণে পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমেদাবাদ মেট্রো রেলে যে ট্রেনগুলি চলাচল করবে সেগুলি চলাচলের সময় জ্বালানী সংরক্ষণের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী গান্ধীনগর ও মুম্বাইয়ের মধ্যে নতুন উন্নতমানের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করবেন। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাযুক্ত এই ট্রেনে দুর্ঘটনা এড়াতে ‘কবচ’ সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকছে। ট্রেনটিতে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অম্বাজিতে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী অম্বাজিতে ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। তিনি পিএম আবাস যোজনা ৪৫ হাজার গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এছাড়াও তরঙ্গহিল-অম্বাজি-আবু রোড এর মধ্যে নতুন ব্রডগেজ লাইনের শিলান্যাস করবেন ও প্রসাদ প্রকল্পে অম্বাজি মন্দিরে তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। ৫১��ি শক্তিপীঠের মধ্যে অম্বাজি অন্যতম। নতুন পরিকাঠামোগত প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হলে তীর্থযাত্রীরা উপকৃত হবেন। এছাড়াও শ্রী মোদী দীসা, অম্বাজি বাইপাস রোড সহ বিভিন্ন বায়ুসেনার বিমান ঘাঁটিতে পরিকাঠামো নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। তিনি ওয়েস্টার্ন ফ্রেট ডেডিকেটেড করিডরের ৬২ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ এবং পালানপুর বাইপাস লাইনের ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এরফলে পিপাভাও, কান্দলার দীনদয়াল বন্দর এবং মুন্দ্রা বন্দর সহ গুজরাটের বিভিন্ন বন্দরের পণ্য পরিবহনে সুবিধা হবে। ৬২ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধনের পর পশ্চিমাঞ্চলীয় ফ্রেট করিডরের ৭৩৪ কিলোমিটার পথে রেল চলাচল করবে। প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি সড়ক প্রকল্পও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মিঠা-থারাড-দিশা সড়ক প্রকল্পর সম্প্রসারণ ।",২৯-৩০ ছেপ্টেম্বৰত গুজৰাট ভ্ৰমণ কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%AE%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A6%BF/,"মঞ্চে উপস্থিত সম্মানীয় অতিথিবৃন্দ, ভারত ও বিদেশ থেকে আগত প্রতিনিধিবৃন্দ, ভদ্র মহোদয়া ও মহোদয়গণ, নমস্কার, ২০১৮-র পার্টনার্স ফোরামে সারা বিশ্ব থেকে আগত প্রতিনিধিদের সাদর আমন্ত্রণ জানাই। অংশীদারিত্বই একমাত্র আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে। নাগরিকদের মধ্যে অংশীদারিত্ব, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে অংশীদারিত্ব এবং নানা দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব। এর প্রতিফলনই হচ্ছে ধারাবাহিক উন্নয়ন। বিভিন্ন দেশ এককভাবে তাঁদের প্রচেষ্টা চালানোর সময় পেরিয়ে এসেছে। বর্তমানে তাঁরা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার কাজে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মায়েদের স্বাস্থ্যের ওপর শিশুদের স্বাস্থ্য নির্ভর করে। শিশুর স্বাস্থ্য স্থির করবে আমাদের ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য। আমরা এখানে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যের মানোন্নয়ন নিয়ে আলোচনার জন্য সমবেত হয়েছি। আমাদের আজকের আলোচনার ফলাফল ভবিষ্যতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে। এই পার্টনার্স ফোরামের লক্ষ্য ভারতের সুপ্রাচীন ঐতিহ্য ‘বসুধৈব কুটুম্বকম্‌’ – এর সঙ্গে এক সূত্রে গাঁথা। এই বিশ্ব একটি পরিবার। এর সঙ্গেই জড়িয়ে আছে আমার সরকারের দর্শন ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। যার অর্থ সর্বজনীন উন্নয়নের জন্য সমন্বিত প্রয়াস ও অংশীদারিত্ব। মা নবজাতক ও শিশুদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে অংশীদারিত্ব নিয়ে এটি একটি কার্যকর মঞ্চ। আমরা কেবলমাত্র উন্নত স্বাস্থ্যের লক্ষ্যে আলোচনা করছি না। আমরা দ্রুত উন্নয়নের জন্যও মতবিনিময় করছি। বিশ্বে দ্রুত উন্নয়নের জন্য সর্বদা নতুন নতুন পন্থা-পদ্ধতির খোঁজ চলছে। মহিলাদের সুস্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করা এই লক্ষ্য পূরণের অন্যতম প্রধান পন্থা হয়ে উঠতে পারে। গত কয়েক বছরে আমরা বিপুল পরিমাণ সাফল্য অর্জন করেছি। তবে, এখনও আমাদের অনেক কিছু করা বাকি। বড় বাজেট তৈরি থেকে শুরু করে উন্নত ফলাফল এবং সর্বোপরি মানসিক চিন্তাভাবনা পরিবর্তন থেকে শুরু করে এই প্রেক্ষিতে নজরদারি ব্যবস্থার উন্নতি, সব ক্ষেত্রেই আমাদের অনেক কিছু করতে হবে। ভারতের কাহিনী অন্যতম আশার আলো। আশার বিষয় হ’ল এই যে, যে কোনও প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করা যায়। ব্যবহারিক পরিবর্তন সুনিশ্চিত করার আশা। আশা এই যে, দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। গত কয়েক বছরে ভারতে মহিলা ও শিশু মৃত্যুর হার দ্রুত হারে কমেছে। নবজাতক, শিশু ও মায়েদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে এসডিজি-র ধার্য করা লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য ভারত সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। কিশোরদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নে ভারত যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে। মহিলা, শিশু ও কিশোররা যাতে তাঁদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে ২০১৫ সালে গৃহীত মহিলা, শিশু ও কিশোর বিষয়ক আন্তর্জাতিক কৌশল অনুযায়ী কাজ চলছে। বন্ধুগুণ, আমাদের ইতিহাস বলে, যেখানে মহিলাদের সম্মান করা হয়, সেখানেই ঈশ্বর বসবাস করেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, কোনও দেশের মহিলা ও শিশু যখন শিক্ষিত হন, স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পারেন, তাঁদের সঠিকভাবে ক্ষমতায়ন করা যায় এবং যথাযথভাবে জীবনযাপন করতে পারেন, সেই দেশই তখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলে। আমি আনন্দিত যে, আমার পছন্দের ভারতের টিকাকরণ কর্মসূচির সাফল্যের কাহিনী হিসাবে এই মঞ্চে তুলে ধরা হবে। মিশন ইন্দ্রধনুষের আওতায় আমরা গত তিন বছরে ৩২ লক্ষ ৮ হাজার শিশু ও ৮০ লক্ষ ৪০ হাজার গর্ভবতী মহিলার টিকাকরণ সম্পূর্ণ করতে পেরেছি। আমাদের এই টিকা বর্তমানে নিউমোনিয়া ও ডা��েরিয়ার মতো মারণ রোগের প্রতিষেধক হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। বন্ধুগণ, ২০১৪ সালে আমার সরকার যখন দায়িত্বভার গ্রহণ করে, তখন আমরা প্রতি বছর শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে ৪৪ হাজার মা’কে হারাতাম। গর্ভাবস্থায় মায়েদের যথাসম্ভব সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষিত মাতৃত্ব অভিযান চালু করি। আমরা চিকিৎসকদের প্রতি মাসে একদিন এই অভিযানে অংশ নিয়ে চিকিৎসার আহ্বান জানাই। এই প্রচারাভিযানের অঙ্গ হিসাবে ১ কোটি ৬০ লক্ষ গর্ভবতী মহিলাকে চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। দেশে ২ কোটি ৫০ লক্ষ নবজাতক রয়েছে। নবজাতকদের উন্নত পরিষেবা প্রদানের জন্য ৭৯৪টি ওত্যাধুনিক নবজাতক পরিষেবা কেন্দ্র ১০ লক্ষেরও বেশি নবজাতক শিশুকে বিশেষ চিকিৎসা ও পরিষেবার সুবিধা দিতে পেরেছে। আমাদের এই প্রয়াসের ফলে, গত চার বছরের তুলনায় বর্তমানে প্রতিদিন ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৮৪০ জনকে অতিরিক্ত জীবনদান করা সম্ভব হচ্ছে। পোষণ অভিযানের মাধ্যমে শিশুর পুষ্টির বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, ভারতকে অপুষ্টির সমস্যা মুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। শিশুদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আমরা চালু করেছি জাতীয় শিশু স্বাস্থ্য কর্মসূচি। এর মাধ্যমে গত চার বছরে ২ কোটিরও বেশি শিশুর বিনামূল্যে চিকিৎসা করানো হয়েছে। যে বিষয়টি আমাদের অনবরত ভাবিয়ে তোলে, সেটি হ’ল স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য ব্যয়বহুল ব্যবস্থা। এই সমস্যা সমাধানে আমরা চালু করেছি আয়ুষ্মান ভারত যোজনা। এর দুটি ভাগ রয়েছে। প্রথমটিতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির সাহায্যে যোগাভ্যাস ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের ওপর দিশা-নির্দেশ দেখানো হচ্ছে। ‘ফিট ইন্ডিয়া’ এবং ‘ইট রাইট’ অর্থাৎ সুস্থ ভারত এবং সঠিক খাবার গ্রহণ করুন – এই দুটি কর্মসূচি সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে আমাদের গৃহীত বিভিন্ন কৌশলের মধ্যে অন্যতম। মধুমেহ, উচ্চ রক্তচাপের মতো সাধারণ সমস্যা মোকাবিলায় বিনামূল্যে পরিষেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া, তিনটি সাধারণ ক্যান্সার মোকাবিলাতেও সরকারের তরফে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। রোগীরা তাঁদের নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে ওষুধ ও রোগ নির্ণায়ক পরীক্ষার সুবিধা পাবেন। আমরা ২০২২ সালের মধ্যে এ ধরণের ১ কোটি ৫০ লক্ষ স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছি। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অন্য একটি ভাগ হ’ল – প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা। এর মাধ্যমে প্রতি বছর প্রত্যেক পরিবার ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাবেন। দরিদ্র শ্রেণীর ৫০ কোটি জনগণকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এই জনসংখ্যা প্রায় কানাডা, মেক্সিকো ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার সমতুল। আমরা এই প্রকল্প চালুর ১০ সপ্তাহের মধ্যেই ৫ লক্ষ পরিবারকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েছি, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। বিশ্বের সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নে আমরা কাজ করে যাব বলে আমি আবারও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। ১০ লক্ষ সামাজিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মী বা আশা কর্মী এবং ২ লক্ষ ৩২ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী আমাদের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। মহিলাদের একটি শক্তিশালী বাহিনী স্বাস্থ্য কর্মী হিসাবে অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে কাজ করে চলেছেন। তাঁরা আমাদের এই কর্মসূচির অন্যতম স্তম্ভ। ভারত একটি বিশাল দেশ। কয়েকটি রাজ্য ও জেলা উন্নত দেশগুলির মতো ভূমিকা পালন করছে। কয়েকটি রাজ্য বা জেলা হয়তো পিছিয়েও রয়েছে। আমি আমার আধিকারিকদের এমন ১১৭টি সম্ভাবনাময় জেলা চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছি। এই প্রতিটি জেলায় শিক্ষা, জল, স্বচ্ছতা, গ্রামোন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির মানোন্নয়নে একটি দল কাজ করবে। অন্যান্য বিভাগেও মহিলা-কেন্দ্রিক প্রকল্প চালুর জন্য আমরা কাজ করছি। ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভারতের মহিলাদের অর্ধেকই রান্নার জন্য স্বচ্ছ জ্বালানি পেতেন না। উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে আমরা এই ব্যবস্থার পরিবর্তন করেছি। ৫৮ কোটি মহিলা বর্তমানে স্বচ্ছ জ্বালানি ব্যবহার করে রান্না করেন। ২০১৯ সালের মধ্যে ভারত’কে খোলা জায়গায় শৌচ মুক্ত করতে আমরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছি। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য চালু করা হয়েছে স্বচ্ছ ভারত মিশন। গত চার বছরে গ্রামীণ এলাকায় স্বচ্ছতার হার ৩৯ শতাংশ থেকে বেরে দাঁড়িয়েছে ৯৫ শতাংশে। আমরা সকলেই জানি যে, আপনি যদি একজন পুরুষ মানুষকে শিক্ষা দেন, তা হলে একজন ব্যক্তিকেই শুধু শিক্ষিত করা হয়। কিন্তু, একজন মহিলাকে শিক্ষিত করে তুলতে গোটা পরিবারকে শিক্ষিত করে তোলা সম্ভব হয়। আমরা এই বিষয়টিকে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ কর্মসূচিতে রূপান্তরিত করেছি। এর আওতায় বালিকাদের শিক্ষাদানের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা বালিকাদের জন্য একটি ক্ষ��দ্র সঞ্চয় প্রকল্পও চালু করেছি, যার নাম ‘সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা’। এই প্রকল্পের আওতায় বালিকাদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনাও চালু করেছি। এর ফলে, ৫০ কোটি গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মহিলা উপকৃত হবেন। এই প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাককাউন্টে সরাসরি নগর হস্তান্তরের ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা মাতৃত্বকালীন ছুটির পরিমাণ ১২ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৬ সপ্তাহ করেছি। আমরা ভারতের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জিডিপি-র হার ২০২৫ সালের মধ্যে বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ চালিয়ে যাব। মহিলা, শিশু ও তরুণদের কথা ভেবেই প্রতিটি নীতি, কর্মসূচি ও উদ্যোগ নেওয়া হবে। বন্ধুগণ, আগামী দু’দিনে এই মঞ্চে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সারা বিশ্বের সাফল্যের ১২টি কাহিনী নিয়ে আলোচনা হবে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে আলোচনার প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে, আমরা একে অপরের থেকে শিখতে পারব। ভারত দক্ষতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে এবং স্বল্প মূল্যে ওষুধ ও টিকার ব্যবস্থা করে দিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় ফলাফল জানতে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করব। এই মঞ্চ সঠিক সময়ে আমাদের যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালনে সাহায্য করবে। আমরা সকলের জন্য সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারত সর্বদাই তাঁর সহযোগী দেশগুলির পাশে সহমর্মিতার সঙ্গে দাঁড়ায়। সমগ্র মানবজাতির সহায়তায় ভারত সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়। চলুন, এই বিশেষ লক্ষ্য পূরণের জন্য আমরা একযোগে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই। সকলকে ধন্যবাদ। ……",নতুন দিল্লীত অনুষ্ঠিত পিএমএনচিএইচ পাৰ্টনাৰ ফ’ৰামত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A7%8B%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রাক্তন সেনাকর্মীদের জন্য অবদান-ভিত্তিক স্বাস্থ্য প্রকল্প (ইসিএইচএস) – এর চিকিৎসা সংক্রান্ত সুবিধা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক��তন সেনাকর্মী, জরুরি পরিষেবার জন্য কমিশনড্‌ আধিকারিক, স্বল্প মেয়াদী কমিশনড্‌ সেনা আধিকারিক এবং নির্ধারিত সময়ের আগে অবসরপ্রাপ্তদের জন্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে, ইসিএইচএস – এর আওতার বাইরে থাকা ৪৩,০০০-এরও বেশি সেনাকর্মী চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। সারা দেশের ৪২৫টি ইসিএইচএস পলিক্লিনিক নেটওয়ার্ক ও ২,৫০০টি এমপ্যানেলড্‌ বেসরকারি হাসপাতালে এবং সমস্ত সরকারি হাসপাতালে এই সেনাকর্মীরা, নগদ বিহীন চিকিৎসার সুযোগ পাবেন। বিশেষ এক সুবিধা হিসাবে যুদ্ধে মৃত সেনাকর্মীদের বিধবা স্ত্রীদের ইসিএইচএস প্রকল্পে যোগ দিতে এককালীন প্রদেয় অর্থ মকুব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন সেনাকর্মীদের জন্য ‘এক পদ, এক পেনশন’ – এর মতো সিদ্ধান্ত রূপায়ণের পর নতুন এই পদক্ষেপের ফলে প্রাক্তন সেনাকর্মীদের সুবিধা হবে।","অৱসৰপ্ৰাপ্ত জোৱানসকলৰ বৰঙণিমূলক স্বাস্থ্য আঁচনি(ইচিএইচএছ)ৰ অধীনত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সৈনিক, জৰুৰীকালীন আয়োগৰ বিষয়া(ইচিঅ’), হস্ৰকালীন সো আয়োগৰ বিষয়া(এছএছচিঅ’) আৰু নিৰ্ধাৰিত সময়ৰ পূৰ্বে অৱসৰ গ্ৰহণ কৰ্মচাৰীসকলৰ চিকিৎসা সুবিধা প্ৰদানত কেবিনেটৰ অনুমোদন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গুরু পূর্ণিমা উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের সমাজে শিক্ষকদের উচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়। শিক্ষকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরা সবসময় আমাদের প্রেরণা যোগান এবং আমাদের ভেতর থেকে সেরাটাকে বের করে আনেন।",গুৰু পূৰ্ণিমা উপলক্ষে দেশবাসীক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শুভেচ্ছা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE-3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4/,"নয়াদিল্লি, ০৭ মার্চ, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ টেলিফোনে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। উভয় নেতাই ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। রাষ্ট্রপতি পুটিন ইউক্রেনীয় ও রুশ প্রতিনিধিদলের মধ্যে আলোচনার সর্বশেষ পরিস্থিতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানান। শ্রী মোদী রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি আশা করেন, এই আলোচনার মধ্য দিয়ে সংঘাতের অবসান হবে। প্রধানমন্ত্রী, রুশ রাষ্ট্রপতি এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি কথা বলার প্রস্তাব দেন। তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই শান্তির পথ প্রশস্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী সুমিতে আটকে পড়া ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা জানান। রাষ্ট্রপতি পুটিন, ভারতীয় ছাত্রছাত্রী সহ সাধারণ নাগরিকদের মানবিক কারণে নিরাপদে অন্যত্র চলে যাওয়ার সুযোগের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে বিস্তারিত জানিয়েছেন।",ৰাছিয়ান ফেডাৰেচনৰ সভাপতি মহামান্য ভ্লাদিমিৰ পুটিনৰ সৈতে বাৰ্তালাপ প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%8F%E0%A6%AB-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9A/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%8F%E0%A6%9A-%E0%A6%8F%E0%A6%AB-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%9A/,"সদ্য সমাপ্ত বিশ্ব স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপে অষ্টাদশ বিশ্বখেতাব অর্জনের জন্য শ্রী পঙ্কজ আদবানি’কে অভিনন্দিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি তাঁর অভিনন্দন বার্তায় বলেছেন : “পঙ্কজ আদবানি, সদ্য সমাপ্ত বিশ্ব স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপে অষ্টাদশ বিশ্বখেতাব অর্জনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন। আপনার এই সাফল্যে আমরা বিশেষভাবে গর্বিত”। ovember_2017………",আই বি এচ এফ বিশ্ব স্নুকাৰ চেম্পিয়নশ্বিপত জয়লাভ কৰা পঙ্কজ আদৱানিলৈ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ অভিনন্দন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%B1%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87/,"নয়াদিল্লি, ২৪ অক্টোবর, ২০২২ দীপাবলি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন এই আলোর উৎসব আনন্দ নিয়ে আসুক এবং তিনি সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী এক ট্যুইটে বলেছেন; “শুভ দীপাবলি উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা। উজ্জ্বলতা এবং দীপ্তিময়তার সঙ্গে যুক্ত দীপাবলি। এই শুভ উৎসব আরো বেশি আনন্দবর্ধক হোক এবং সকলের ভালো হোক। আশা করবো আপনারা পরিবার এবং বন্ধুর সঙ্গে সুন্দর দীপাবলি কাটান।”",দীপাৱলীৰ শুভেচ্ছা জনালে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%81%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%8F%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ৬ আগস্ট, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নাগরিকরা তাঁকে খেল রত্ন পুরস্কার মেজর ধ্যানচাঁদের নামে করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। প্রত্যেকের ইচ্ছাকে সম্মান দিয়ে খেল রত্ন পুরস্কার এখন থেকে মেজর ধ্যানচাঁদ খেল রত্ন পুরস্কার হিসেবে পরিচিত হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, মেজর ধ্যানচাঁদ ভারতের প্রথম সারির একজন ক্রীড়াবিদ যিনি দেশকে সম্মান এনে দিয়েছেন এবং ভারত তাঁর জন্য গর্বিত। তাই, আমাদের দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মানটি তাঁর নামে হওয়া যথাযথ। একগুচ্ছ ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; “অলিম্পিকে পুরুষ এবং মহিলা হকি দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে গোটা দেশ অভিভূত। ভারত জুড়ে হকির প্রতি আগ্রহ আবার নতুন করে দেখা দিচ্ছে , আগামীদিনের জন্য যা অত্যন্ত ইতিবাচক। দেশের নানা প্রান্ত থেকে নাগরিকরা আমাকে অনুরোধ জানিয়েছেন মেজর ধ্যানচাঁদের নামে খেল রত্ন পুরস্কার দেওয়া হোক। আমি তাঁদের ভাবনাকে ধন্যবাদ জানাই। তাঁদের ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে খেল রত্ন পুরস্কার এখন থেকে মেজর ধ্যানচাঁদ খেল রত্ন পুরস্কার হিসেবে পরিচিত হবে! জয় হিন্দ! মেজর ধ্যানচাঁদ ভারতের প্রথম সারির একজন ক্রীড়াবিদ যিনি দেশকে সম্মান এনে দিয়েছেন এবং ভারত তাঁর জন্য গর্বিত। তাই, আমাদের দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মানটি তাঁর নামে হওয়া যথাযথ।”",খেল ৰত্ন বঁটাক এতিয়াৰে পৰা মেজৰ ধ্যান চাঁদ খেল ৰত্ন বঁটা হিচাপে জনা যাবঃ প্ৰধানমন্ত্ৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE-13/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97/,"কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী শ্রীমতী হরসিমরত কৌর বাদলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন শিরোমনি গুরদ্বারা প্রবন্ধক কমিটির সদস্যরা। কেন্দ্রীয় সরকার ‘সেবা ভোজ যোজনা’ প্রকল্পটি আনায় প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানায়। কেন্দ্রীয় সরকার লঙ্��র এবং প্রসাদে সিজিএসটি বা কেন্দ্রীয় পণ্য ও পরিষেবা কর এবং আইজিএসটি বা সুসংহত পণ্য ও পরিষেবা কর উপরোদ্ধৃত যোজনার মাধ্যমে পরিশোধ করার সংস্থান করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানায় প্রতিনিধিদল। পাশাপাশি, আখ চাষীদের বোঝা কমানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কিছু সদর্থক ব্যবস্থা নেওয়ায় শ্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে প্রতিনিধিদল।",খাদ্য প্ৰস্তুতকৰণ উদ্যোগ মন্ত্ৰী নেতৃত্বত এছজিপিচিৰ প্ৰতিনিধি দলে সাক্ষাৎ কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A7%88%E0%A6%AC-%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%93-%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%9C%E0%A7%88%E0%A7%B1-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95/,"জৈব জ্বালানি একুশ শতকে ভারতকে একটি নতুন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে উন্নীত করতে চলেছে। শস্য থেকে উৎপাদিত এই জ্বালানি দেশের গ্রাম ও শহরে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাই আমূল বদলে দেবে। বিশ্ব জৈব জ্বালানি দিবস উপলক্ষে আজ নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষক, ছাত্রছাত্রী, সরকারি কর্মী ও আধিকারিক, সাংসদ, বিজ্ঞানী ও শিল্পোদ্যোগীদের এক সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, শ্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন প্রথম ইথানল থেকে জৈব জ্বালানি উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হয়। পরে, ২০১৪ সালে ইথানল মিশ্রণের কর্মসূচির একটি দিশা স্থির করা হয়। এই কর্মসূচি শুধু যে কৃষকদেরই কল্যাণসাধন করেছে তাই নয়, একইসঙ্গে গত বছর ৪ হাজার কোটি টাকার মতো বিদেশি মুদ্রার সাশ্রয়ও সম্ভব হয়েছে। ব্যয়সাশ্রয়ের পরিমাণ আগামী চার বছরে ১২ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বায়োমাস থেকে জৈব জ্বালানি উৎপাদন প্রচেষ্টায় কেন্দ্রীয় সরকার বেশ বড় ধরণের বিনিয়োগ করেছে বলেও জানান তিনি। শ্রী মোদী বলেন, দেশে ১২টি আধুনিক শোধনাগার স্থাপনের একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশে প্রভূত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জন ধন’, ‘বন ধন’ এবং ‘গোবর্ধন’-এর মতো কর্মসূচিগুলি আদিবাসী, কৃষক এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় বিশেষ পরিবর্তন নিয়ে আসবে। ছাত্র, শিক্ষক, বিজ্ঞানী, শিল্পোদ্যোগী এবং জনসাধারণের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই যে রূপান্তরের সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করা সম্ভব, একথা বিশেষ জোরের সঙ্গে ঘোষণা করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। জৈব জ্বালানির সুফলগুলিকে গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী এদিন ‘জাতীয় জৈব জ্বালানি নীতি, ২০১৮’ শীর্ষক একটি পুস্তিকাও প্রকাশ করেন। ‘পরিবেশ’ নামে পরিবেশ-বান্ধব একটি ‘এক জানালা’ কর্মসূচিরও সূচনা করেন তিনি। /",বিশ্ব জৈৱ ইন্ধন দিৱস উপলক্ষে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%80-%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A6%BE/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ (৭ মার্চ) নতুন দিল্লির ৭ লোককল্যাণ মার্গে এক অনুষ্ঠানে দৃষ্টিহীনদের উপযোগী মুদ্রার নতুন সিরিজ প্রকাশ করেছেন। নতুন সিরিজের অঙ্গ হিসেবে যে মুদ্রাগুলি আজ প্রকাশ করা হয়েছে, সেগুলি হল – ১ টাকা, ২ টাকা, ৫ টাকা, ১০ টাকা ও ২০ টাকার মুদ্রা। এই অনুষ্ঠানে দৃষ্টিহীন শিশুদের বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। দৃষ্টিহীন শিশুদের আপ্যায়ন করে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ পাওয়ায় তাদের ধন্যবাদ দেন। নতুন সিরিজের এই মুদ্রাগুলি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার লাইনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের কাছে পৌঁছনোর লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এবং দৃষ্টিহীনদের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে আজ নতুন সিরিজের এই মুদ্রাগুলি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বিভিন্ন অর্থ মূল্যের নতুন এই মুদ্রাগুলি দৃষ্টিহীনদের বিশেষভাবে উপকারে আসবে। দৃষ্টিহীন মানুষেরা এই মুদ্রাগুলির ফলে উপকৃত হবেন এবং তাঁদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। দিব্যাঙ্গদের কল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন যে, গৃহীত প্রতিটি প্রয়াসকে দিব্যাঙ্গ-বান্ধব করে তুলতে সরকার যথেষ্ট সংবেদনশীল। শ্রী মোদী এই মুদ্রাগুলির নকশা রচনার জন্য জাতীয় নকশা প্রণয়ন প্রতিষ্ঠান, সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং অর্থ মন্ত্রককে ধন্যবাদ দেন। দৃষ্টিহীন শিশুদের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, বিশেষভাবে সক্ষম মানুষের স্বার্থের কথা ভেবেই নতুন সিরিজের এই মুদ্রাগুলি চালু করা হচ্ছে। নতুন এই মুদ্রাগুলি বাজারে আসার ফলে তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন আরও সহজ হবে। দৃষ্টিহীন মানুষরা যাতে সহজেই নতুন সিরিজের এই মুদ্রাগুলি ব্যবহার করতে পারে, তার জন্য একাধিক বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দিক এতে সামিল করা হয়েছে। নতুন এই মুদ্রাগুলির আকার ও ওজন বাড়ানো হয়েছে। ২০ টাকার মুদ্রাটিতে কোন খাঁজ ছাড়াই ১২টি পল থাকবে। বাকি মুদ্রাগুলি গোলাকার আকৃতির। এই উপলক্ষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রী অরুণ জেটলি, বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী পন রাধাকৃষ্ণন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। /",দৃষ্টিহীনসকলৰ উপযোগী এলানি নতুন মুদ্রা মুকলি কৰিলে প্ৰধানমন্ত্রীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%98%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%98%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A6%BE/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্রী এম এম জেকব-এর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্রী এম এম জেকব-এর প্রয়ানে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। একজন সাংসদ, মন্ত্রী ও রাজ্যপাল হিসাবে তিনি দেশের সেবায় উল্লেখযোগ্য আবদান রেখেছেন। কেরলের সার্বিক উন্নয়নে তিনি নিরন্তর কাজ করে গেছেন। দুঃখের এই মুহূর্তে তাঁর পরিবার ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি আমার সমবেদনা”।",মেঘালয়ৰ প্ৰাক্তন ৰাজ্যপাল শ্ৰীযুত এম.এম. জেকবৰ বিয়োগত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শোক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A7%A8%E0%A7%AB%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AF%E0%A7%81/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A7%A8%E0%A7%AB-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লি, ১২ জানুয়ারি, ২০২২ পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর শ্রী তামিল-সাইজি, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী এন রঙ্গাস্বামীজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী শ্রী নারায়ণ রাণেজি, শ্রী অনুরাগ ঠাকুরজি, শ্রী নিশীথ প্রামাণিকজি, শ্রী ভানুপ্রতাপ সিং ভার্মাজি, পুদুচেরি সরকারের বরিষ্ঠ মন্ত্রীগণ, সাংসদগণ, বিধায়কগণ, দেশের অন্যান্য রাজ্যের মন্ত্রীগণ আর আমার যুব বন্ধুরা! ভনক্কম! আপনাদের সবাইকে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। ভারতমাতার মহান সন্তান স্বামী বিবেকানন্দজিকে তাঁর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে তাঁর জন্মজয়ন্তী আরও বেশি প্রেরণাদায়ী হয়ে উঠেছে। এই বছর যে আরও দু’টি কারণে বিশেষ হয়ে উঠেছে তা হল, আমরা এ বছরই মহর্ষি শ্রী অরবিন্দের সার্ধশত জন্মজয়ন্তী পালন করছি আর এ বছরেই মহাকবি সুব্রহ্মণ্য ভারতীজির ১০০তম প্রয়াণ দিবস পালিত হবে। এই দুই মনীষীর সঙ্গে পুদুচেরির বিশেষ সম্পর্ক ছিল। তাঁরা দু’জনেই পরস্পরের সাহিত্যিক এবং আধ্যাত্মিক যাত্রার সঙ্গী ছিলেন। সুতরাং, পুদুচেরিতে যে জাতীয় যুব উৎসব পালিত হচ্ছে, সেটিকে আমরা ভারতমাতার এই সকল মহান সন্তানদের স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করছি। আজকে পুদুচেরিতে ‘এমএসএমই টেকনলজি সেন্টার’ বা অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ প্রযুক্তি কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণে এই অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের অত্যন্ত বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আজ যখন বিশ্ব দ্রুতগতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে, তখন আমাদের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলিরও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। সেজন্য দেশে আজ ‘টেকনলজি সেন্টার সিস্টেমস প্রোগ্রাম’-এর অনেক বড় অভিযান চালানো হচ্ছে। পুদুচেরিতে গড়ে ওঠা অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পোদ্যোগ প্রযুক্তি কেন্দ্র এই লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বন্ধুগণ, আজ পুদুচেরির যুব সমাজের জন্য শ্রদ্ধেয় কামরাজজির নামে ‘মণিমণ্ডপ্পম’ বা প্রাচীন শৈলীতে নির্মিত এক ধরনের বহু উদ্দেশ্যসাধক সভাগৃহের উদ্বোধন হয়েছে। এই উপহার কামরাজজির অবদানকে যেমন স্মরণ করাবে, তেমনই আমাদের নবীন প্রজন্মের প্রতিভাধর যুবক-যুবতীদের নিজস্ব শিল্প-কলায় উৎকর্ষ প্রদর্শনের উপযোগী একটা ঐতিহ্যমণ্ডিত মঞ্চ প্রদান করবে। বন্ধুগণ, আজ গোটা বিশ্ব ভারতের দিকে একটি আশার দৃষ্টি নিয়ে, একটি বিশ্বাসের দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে রয়েছে কারণ, ভারতের অধিকাংশ মানুষ যেমন নবীন, তেমনই ভারতের মনও নবীন। ভারত তার সামর্থ্যের ক্ষেত্রেও যেমন নবীন, তেমনই স্বপ্নের ক্ষেত্রেও নবীন। ভারত তার চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রে যেমন নবীন, তেমনই বিশ্ব চেতনার ক্ষেত্রেও নবীন। ভারত নবীন কারণ ভারতের দৃষ্টি সর্বদাই আধুনিকতাকে স্বীকার করেছে, ভারতের দর্শন সর্বদাই পরিবর্তনকে আপন করে নিয়েছে। ভারত তো সেই দেশ যেখানে প্রাচীনতার মধ্���েও নবীনতা রয়েছে। আমাদের হাজার হাজার বছর পুরনো বেদ-এ বলা হয়েছে – “অপি য়থা, য়ুবানো মৎসথা, নো বিশ্বং জগত, অভিপিত্বে মনীষা।।” অর্থাৎ, এই যুবশক্তিই বিশ্বে সুখ থেকে শুরু করে সুরক্ষা পর্যন্ত সুনিশ্চিত করে। এই যুবরাই আমাদের ভারতের জন্য, আমাদের রাষ্ট্রের জন্য অবশ্যই সুখ এবং সুরক্ষার পথ খুঁজে বের করবে। সেজন্য ভারতের প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে জগতের প্রত্যেক মানুষের যোগসাধনের যে যাত্রা, তা সে রেভোলিউশন বা বিপ্লব হোক অথবা ইভোলিউশন বা বিবর্তন হোক – প্রতিটি পথ, তা সে সেবার পথ হোক কিংবা সমর্পণের, পরিবর্তনের হোক কিংবা পরাক্রমের, সহযোগিতার হোক কিংবা সংস্কারের, শেকড়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়া হোক কিংবা জগতে বিস্তারিত হওয়া – এমন কোনও পথ নেই যেখানে আমার দেশের যুব সম্প্রদায় প্রবলভাবে অংশগ্রহণ করেনি। যদি কোথাও ভারতের চেতনা বিভাজিত হয়, তখন শঙ্করের মতো কোনও যুবক তপস্যার মাধ্যমে আদি শঙ্করাচার্য হয়ে উঠে দেশকে একতার সূত্রে গ্রথিত করে। যখন ভারতে অন্যায় এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রয়োজন হয়েছে, তখন গুরু গোবিন্দ সিংহ-জির পুত্রদের মতো যুবকদের সিংহ বিক্রম এবং আত্মবলিদান আজও আমাদের পথ দেখায়। যখন ভারতের স্বাধীনতার জন্য বিপ্লবের প্রয়োজন হয়েছিল, তখন সর্দার ভগৎ সিং থেকে শুরু করে চন্দ্রশেখর আজাদ এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু পর্যন্ত কতো না যুবক দেশের জন্য তাঁদের সবকিছু সমর্পণ করে গিয়েছিলেন। যখন ভারতের আধ্যাত্মের, সৃজনের শক্তির প্রয়োজন হয়েছে, তখন শ্রী অরবিন্দ থেকে শুরু করে সুব্রহ্মণ্য ভারতীয় পর্যন্ত মনীষীরা এগিয়ে এসেছেন। আর যখন ভারতকে তার আত্মাভিমান, হৃত গৌরব ফিরিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন হয়েছে, বিশ্বে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার প্রয়োজন হয়েছে, তখন স্বামী বিবেকানন্দের মতো এক যুবক ভারতের জ্ঞানকে সনাতন আবাহনের মাধ্যমে বিশ্বমানসকে জাগ্রত করে তুলেছেন। বন্ধুগণ, বিশ্ব এই বিষয়টি মেনে নিয়েছে যে আজ ভারতের কাছে দুটি অসীম শক্তি রয়েছে। একটি হল ডেমোগ্রাফি বা জনসংখ্যার শক্তি আর দ্বিতীয়টি হল ডেমোক্র্যাসি বা গণতন্ত্র। যে দেশের জনসংখ্যায় নবীনদের অনুপাত যত বেশি, তাদের সামর্থ্যও তত বেশি বলে মনে করা হয়। সেই দেশের সম্ভাবনাও ততটাই ব্যাপক হয়। কিন্তু ভারতের নবীনদের কাছে এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধও রয়েছে। সেই মূল্যবোধের ডেমোক্র্যাটিক ডিভিডেন্ডও অ���ুলনীয়। ভারত তার যুব সম্প্রদায়কে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের পাশাপাশি ডেভেলপমেন্ট ড্রাইভার বা উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি বলেও মনে করে। আজ ভারতের যুব সম্প্রদায় আমাদের উন্নয়নের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আপনারা দেখুন, আজ ভারতের যুব সম্প্রদায়ের যেমন প্রযুক্তিগত দক্ষতা রয়েছে, জ্ঞান রয়েছে, তেমনই গণতান্ত্রিক চেতনাও রয়েছে। আজ ভারতের যুব সম্প্রদায়ের যেমন শ্রমের সামর্থ্য রয়েছে, তেমনই ভবিষ্যতের স্পষ্টতাও রয়েছে। সেজন্য ভারত আজ যা বলে বিশ্ব তাকে আগামীদিনের বার্তা বলে মনে করে। আজ ভারত যে স্বপ্ন দেখে, যে সঙ্কল্প নেয়, তাতে ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের ভবিষ্যতও পরিলক্ষিত হয় আর ভারতের এই ভবিষ্যৎ বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্মাণে প্রাণশক্তি সঞ্চার করে। এই দায়িত্ব, এই সৌভাগ্য আপনাদের মতো দেশের কোটি কোটি তরুণদের হয়েছে। ২০২২ সাল আপনাদের জন্য, ভারতের যুব প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ আমরা ২৫তম জাতীয় যুব উৎসব পালন করছি। এটি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তীর বছর। আর ২৫ বছর পর দেশ স্বাধীনতার শতবর্ষও পালন করবে। অর্থাৎ, ২৫ বছরের এই সংযোগ নিশ্চিতভাবেই ভারতের ভবিষ্যতের উজ্জ্বল চিত্র গড়ে তোলার সংযোগ। দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় যে যুব প্রজন্ম ছিল তাঁরা দেশের তাঁদের সবকিছু উৎসর্গ করতে পিছপা হননি। কিন্তু আজকের যুব সম্প্রদায়কে দেশের জন্য বাঁচতে হবে এবং আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়িত করতে হবে। মহর্ষি শ্রী অরবিন্দ বলেছিলেন, “একজন সাহসী, উদারচিত্ত, মুক্তমনা, উদ্যমী এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী যুবকই হল একমাত্র ভিত্তি যার ওপর ভবিষ্যতের জাতিকে গড়ে তোলা যায়।” তাঁর এই বাণী আজ একবিংশ শতাব্দীর ভারতের নবীনদের জীবনের মন্ত্রস্বরূপ। আজ আমরা একটি রাষ্ট্র রূপে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ নবীন দেশ রূপে এমন একটি পর্যায়ে রয়েছি যা ভারতের জন্য নতুন নতুন স্বপ্ন, নতুন নতুন সঙ্কল্পের পর্যায়। এমন ভারতের নবীন প্রজন্মের সামর্থ্য ভারতকে অবশ্যই দ্রুত নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। বন্ধুগণ, ঋষি শ্রীঅরবিন্দ যুবকদের জন্য বলতেন, “যুবকদেরকেই নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে।” রেগুলেশন আর ইভোলিউশন ঘিরেই তিনি নিজের যে দর্শনকে তুলে ধরেছিলেন, সেটাই যুব সম্প্রদায়েরও আসল পরিচিতি। এই দুটি গুণই একটি ভাইব্র্যান্ট নেশন বা স্পন্দিত জ���তির বড় শক্তি। যুবকদের মধ্যে এমন ক্ষমতা থাকে, এমন সামর্থ্য থাকে যে তারা পুরনো কুসংস্কারের বোঝা নিয়ে চলতে চায় না, তারা সেগুলিকে ঝেড়ে ফেলে দিতে জানে। এই যুবকরাই নিজেদেরকে, সমাজকে নতুন নতুন প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে, নতুন নতুন চাহিদার হিসেবে বিবর্তিত করতে পারে, নতুন নতুন সৃষ্টি করতে পারে আর আজ আমরা আমাদের দেশে এটাই হতে দেখছি। আজ ভারতের যুব সম্প্রদায় ইভোলিউশনকেই সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আজও নানারকম ডিসরাপশন বা বিপত্তি আসছে, কিন্তু এই ডিসরাপশনগুলি ডেভেলপমেন্ট বা উন্নয়নের জন্য হচ্ছে। আজ ভারতের যুব সম্প্রদায় ইনোভেশন বা উদ্ভাবনের পথে হাঁটছে; সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য তাঁরা ঐক্যবদ্ধ। বন্ধুগণ, আজকের নবীন প্রজন্ম ‘ক্যান ডু’ বা ‘করতে পারব!’ – এই দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে চলেছে যা যে কোনও প্রজন্মের প্রেরণার মূল উৎস হয়। এটাই ভারতের নবীন প্রজন্মের শক্তি যে আজ ভারত ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্বে অনেক এগিয়ে গেছে। আজ ভারতের তরুণরা গ্লোবাল প্রসপারিটি বা আন্তর্জাতিক সমৃদ্ধির ‘কোড’ লিখছে। গোটা বিশ্বের ইউনিকর্ন ইকো-সিস্টেমে ভারতের তরুণদের কর্তৃত্ব স্থাপিত হয়েছে। ভারতের কাছে আজ ৫০ হাজারেরও বেশি স্টার্ট-আপ-এর শক্তিশালী ইকো-সিস্টেম রয়েছে। এগুলির মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি স্টার্ট-আপ এই বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর প্রতিকূলতার মধ্যে বিগত ৬-৭ মাসে গড়ে উঠেছে। এটাই ভারতের নবীন প্রজন্মের শক্তি যার ভিত্তিতে আমাদের দেশ স্টার্ট-আপ-এর স্বর্ণ যুগে প্রবেশ করছে। বন্ধুগণ, নতুন ভারতের এটাই মন্ত্র – ‘কমপিট অ্যান্ড কংকার’। অর্থাৎ, প্রতিযোগিতায় অংশ নাও এবং জেতো, লড়াই করো এবং যুদ্ধ জেতো। প্যারালিম্পিক্সে এবার ভারত যত পদক জিতেছে তা এযাবৎকাল পর্যন্ত জেতা পদকের মোট সংখ্যার থেকেও বেশি। অলিম্পিকের ক্ষেত্রেও আমাদের এবারের প্রদর্শন ছিল সর্বশ্রেষ্ঠ, কারণ আমাদের যুব সম্প্রদায়ের মনে এখন জয়ের বিশ্বাস জেগে উঠেছে। আমাদের কোভিড টিকাকরণ অভিযানের সাফল্যের ক্ষেত্রেও যুব সম্প্রদায়ের ভূমিকা একটি ভিন্ন স্তরে পরিলক্ষিত হয়েছে। আমরা দেখছি যে কিভাবে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী নবীনরা দ্রুত নিজেদের টিকাকরণ করাচ্ছে। এত কম সময়ে ২ কোটিরও বেশি কিশোর-কিশোরীর টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। আমি আজকের কিশোর-কিশোরীদের কর্তব্যনিষ্ঠাকে যখন দেখি, তখন দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আমার প্রত্যয় আরও দৃঢ় হয়। এটা আমাদের ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরী বন্ধুদের দায়িত্ববোধ, আর এটা সমগ্র করোনার সঙ্কটকালে ভারতের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়েছে। বন্ধুগণ, সরকার চায় যে ভারতের নবীন প্রজন্মের এই শক্তি প্রস্ফুটনের যথাযোগ্য পরিসর পাক। সেখানে যেন সরকারের ন্যূনতম হস্তক্ষেপ থাকে। সরকার চেষ্টা করছে তাদেরকে যথাযথ পরিবেশ দেওয়ার, সম্পদ যোগান দেওয়ার, যাতে তাদের সামর্থ্য বাড়ে, সেই ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা ও আবহ গড়ে তোলার। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মাধ্যমে সরকারি প্রক্রিয়াগুলিকে সরল করে তোলা, হাজার হাজার কমপ্লায়েন্সের বোঝা থেকে মুক্তি এই ভাবনাগুলিকে আরও জোরদার করে। ‘মুদ্রা’ যোজনা, ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’, ‘স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া’ – এরকম সমস্ত অভিযানের মাধ্যমে দেশের যুব সম্প্রদায় অনেক উপকৃত হচ্ছে। ‘স্কিল ইন্ডিয়া’, ‘অটল ইনোভেশন মিশন’ এবং নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি দেশের যুব সম্প্রদায়ের সামর্থ্য বৃদ্ধিরই প্রচেষ্টা মাত্র। বন্ধুগণ, আমরা জানি যে ছেলে এবং মেয়ে এক সমান। এই ভাবনা নিয়েই সরকার মেয়েদের উন্নতির জন্য বিয়ের বয়স ২১ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মেয়েরাও যেন তাদের পেশার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার যথেষ্ট সময় পায়, এই লক্ষ্যে এটা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার এই অমৃতকালে আমাদের জাতীয় সঙ্কল্পগুলির সিদ্ধি আমাদের আজকের কাজের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে। এই কাজ প্রত্যেক স্তরে, প্রত্যেক ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কি ‘লোকালের জন্য ভোকাল’ আন্দোলনকে একটি অভিযান হিসেবে গড়ে তুলতে পারি? জিনিসপত্র কেনার সময় আপনাদের পছন্দ যেন কোনও ভারতবাসীর শ্রমে উৎপাদিত পণ্যের দিকে যায়, আপনার কেনা পণ্যে যেন ভারতের মাটির গন্ধ থাকে – একথা কখনও ভুলবেন না। প্রত্যেকবার সমস্ত পণ্যকে এই দাড়িপাল্লায় মাপবেন আর যে কোনও কিছু কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই দাড়িপাল্লায় মেপে দেখবেন যে, এতে আমাদের দেশের শ্রমিকদের ঘামের গন্ধ রয়েছে কিনা ! ঋষি অরবিন্দ এবং স্বামী বিবেকানন্দের মতো মহাপুরুষেরা যে মাটিকে মাতৃসম মনে করতেন, সেই ভারতমাতার মাটির গন্ধ আপনার কেনা পণ্যের মধ্যে রয়েছে কিনা ! আত্মনির্ভরতা, ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মধ্যে আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান নিহিত রয়েছে। আমাদের দেশে নির্মিত জিনিস কেনার মধ্যে নিহিত রয়েছে। তাহলেই দেশের মানুষের যথাযথ কর্মসংস্থান হবে, অর্থনীতিও তাহলে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে। দেশের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম মানুষের সম্মানও এর মাধ্যমে বৃদ্ধি পাবে। আর সেজন্যই ‘ভোকাল ফর লোকাল’কে আমাদের দেশের নবীন প্রজন্ম যেন জীবনের মন্ত্র করে নেয়। আপনারা কল্পনা করতে পারেন যে স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তির সময় দেশ কতটা সমৃদ্ধ হবে? কতটা সামর্থ্যসম্পন্ন হবে? সঙ্কল্পগুলি বাস্তবায়নের পথে ভারত কতটা সফল হবে? বন্ধুগণ, প্রত্যেকবারই আপনাদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমি একটি কথা অবশ্যই বলি, আবারও বলতে চাইব, আর আপনাদের সামনে তো বলবোই কারণ আপনারাই এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, আর সেটি হল পরিচ্ছন্নতার অভিযান। পরিচ্ছন্নতাকে জীবনশৈলী হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আপনাদের মতো দেশের সমস্ত নব যুবক-যুবতীদের অনেক বড় অবদান রয়েছে। স্বাধীনতার যুদ্ধে আমাদের এমন অনেক সংগ্রামী ছিলেন যাঁদের অবদান সেরকম স্বীকৃতি পায়নি যতটা পাওয়া উচিৎ ছিল। তাঁদের ত্যাগ, তপস্যা, আত্মবলিদানে কোনও খামতি ছিল না, কিন্তু তাঁরা নিজেদের অধিকার, নিজেদের যোগ্য মর্যাদা পাননি। এহেন ব্যক্তিদের সম্পর্কে আমাদের যুব সম্প্রদায় যত বেশি করে লিখবেন, গবেষণা করবেন, ইতিহাসের সেই পাতাগুলিকে খুঁজে বের করবেন, ততটাই দেশের পরবর্তী প্রজন্মের মনে সচেতনতা বাড়বে। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তত বেশি যথাযথ হবে, শক্তিশালী হবে, প্রেরণাদায়ী হবে। বন্ধুগণ, পুদুচেরি ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর অনিন্দ্যসুন্দর উদাহরণ। ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রের আলাদা আলাদা ধারা এসে এই স্থানটির একটি ঐক্যবদ্ধ পরিচয় গড়ে তুলেছে। এখানে যে বার্তালাপ হবে তা ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর ভাবনাকে আরও সুদৃঢ় করবে। আপনাদের ভাবনা-চিন্তা থেকে কিছু নতুন ভাবনা বেরিয়ে আসবে আর এখান থেকে আপনারা নতুন যা কিছু শিখে যাবেন তা অনেক বছর ধরে রাষ্ট্রসেবার প্রেরণা হয়ে উঠবে। জাতীয় যুব উৎসবের সাফল্যের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমি জানি, এই উৎসব আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলি পূরণের ক্ষেত্রে নতুন নতুন পথ দেখাবে। বন্ধুগণ, এটা তো অনেক উৎসবের সময়, অসংখ্য উৎসব! ভারতের প্রত্যেক প্রান্তে নানা নামে উৎসব। কোথাও মকর সংক্রান্তি, কোথাও লোহরি, কোথাও পোঙ্গল, কোথাও উত্তরায়ণ, কোথাও বা বিহু – এরকম নানা নামের উৎসবের জন্য আপনাদের সবাইকে অগ্রিম শুভকামনা জানাই। করোনার প্রতিরোধে সম্পূর্ণ সাবধানতা এবং সতর্কতা বজায় রেখে আমাদের উৎসব-অনুষ্ঠান পালন করতে হবে। আপনারা সবাই আনন্দে থাকুন, সুস্থ থাকুন। অনেক অনেক শুভকামনা। ধন্যবাদ। /",পুডুচেৰীত ২৫ সংখ্যক ৰাষ্ট্ৰীয় যুৱ মহোৎসৱৰ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সম্বোধনৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A6%A1/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF/,"প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে দক্ষতা বিষয়ক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান তৈরিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরিকাঠামো এবং চাহিদা অনুযায়ী এই কেন্দ্রগুলি স্থাপন করা হবে। এই কেন্দ্রগুলি তৈরি হলে ভারতীয় অর্থনীতির মূল ক্ষেত্রগুলিকে আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উচ্চ মানের দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ পাওয়া যাবে। সরকারি জমিতে বেসরকারি সহযোগিতায় এই প্রতিষ্ঠানগুলি নির্মিত হবে, যা থেকে প্রতিযোগিতার উপযোগী ও বিশেষজ্ঞ দক্ষ ব্যক্তি পাওয়া যাবে।",দেশৰ বিভিন্ন স্থানত পিপিপি আৰ্হিত ভাৰতীয় দক্ষতা প্ৰতিষ্ঠান স্থাপনৰ বাবে আঁচনি গ্ৰহণত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%AA/,"ই-নাম যোজনা কৃষকদের প্রভূতকল্যাণসাধন করেছে। এক উন্নততর বিপণন ব্যবস্হার সুযোগ পৌঁছে গেছে তাঁদের কাছে। রবিবারআমরেলি-র এক সহকার সম্মেলনে ভাষণদানকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদী। সমবায় প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে দেশের তরুণ-তরুণীরা যেভাবে নেতৃত্বদানের জন্যএগিয়ে আসছেন, তাতে বিশেষ আনন্দ প্রকাশ করেন তিনি। গুজরাটে তিনি মুখ্যমন্ত্রীথাকাকালীন সৌরাষ্ট্রের দুগ্ধোৎপাদন প্রকল্পগুলির কিভাবে বিকাশ ঘটে তারও প্রসঙ্গতঃস্মৃতিচারণ করেন প্রধানমন্ত্রী। মিষ্টি (মধু) বিপ্লব সৌরাষ্ট্রের জনসাধারণের জীবনযাত্রারক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। শ্রীমোদী বলেন, দেশের কৃষক সাধারণের চাহিদা ও উদ্বেগের বিষয়গুলি সম্পর্কে কেন্দ্রীয়সরকার পূর্ণ মাত্রায় সচেতন। প্রধানমন্ত্রীএদিন আমরেলিতে এপিএমসি-র এ��টি নবনির্মিত বাজার চত্বরের-ও উদ্বোধন করেন। অমরডেয়ারী-র একটি নতুন প্রকল্প উদ্বোধনের পাশাপাশি একটি মধু উৎপাদন প্রকল্পেরওআনুষ্ঠানিক শিলান্যাস করেন তিনি। /…",আমৰেলিত সহকাৰ সন্মিলনত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%8C%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80-%E0%A6%9C%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%A6/,"নয়াদিল্লি, ১৭ মে, ২০২২ নমস্কার! আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবজি, শ্রী দেবু সিং চৌহানজি, ডঃ এল মুরুগানজি, টেলিকম এবং ব্রডকাস্টিং সেক্টর থেকে আজকের অনুষ্ঠানে যুক্ত হওয়া সমস্ত লিডার, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ! টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ট্রাই-এর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বন্ধুদেরকে তাঁদের রৌপ্য জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এটা অত্যন্ত সুখকর সংযোগ যে আজ আপনাদের প্রতিষ্ঠান যখন ২৫ বছর পূর্ণ করল তখন দেশ স্বাধীনতার অমৃতকালে আগামী ২৫ বছরের রোডম্যাপ রচনার কাজ করছে, নতুন নতুন লক্ষ্য স্থির করছে। কিছুক্ষণ আগে আমাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত ৫জি টেস্ট-বেড জাতির উদ্দেশে সমর্পণ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এটি টেলিকম ক্ষেত্রে ক্রিটিক্যাল এবং আধুনিক প্রযুক্তির অগ্রগতিতে আত্মনির্ভরতার দিশায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমি এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বন্ধুদেরকে, আমাদের আইআইটি-র বিশেষজ্ঞ বন্ধুদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। পাশাপাশি আমি দেশের যুব সম্প্রদায়ের বন্ধুদের, রিসার্চার্স বা গবেষকদের এবং কোম্পানিগুলিকে আমন্ত্রণ জানাই যে তাঁরা যেন ৫জি প্রযুক্তি নির্মাণের সময় এই টেস্টিং ফেসিলিটি ব্যবহার করেন। বিশেষ করে, আমাদের স্টার্ট-আপগুলির জন্য আমাদের প্রোডাক্ট টেস্ট করার এটা একটা অনেক বড় সুযোগ। শুধু তাই নয়, ‘৫জি-আই’ রূপে যেভাবে দেশের নিজস্ব ৫জি স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করা হয়েছে, তা দেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এই সাফল্য দেশের গ্রামগুলিতে ৫জি প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে। বন্ধুগণ, একবিংশ শতাব্দীর ভারতে কানেক্টিভিটি বা যোগাযোগ ব্যবস্থা দেশের উন্নয়নের গতিকে নির্ধারিত করবে। সেজন্য প্রত্যেক স্তরে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক করে তুলতেই হবে, আর আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রেও আধুনিক প্রযুক্তির বেশি করে ব্যবহার তার বুনিয়াদ পোক্ত করার কাজ করবে। ৫জি প্রযুক্তিও দেশের গভর্ন্যান্সে, ‘ইজ অফ লিভিং’, ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ – এই রকম প্রত্যেক ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। এর ফলে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিকাঠামো নির্মাণ এবং লজিস্টিক্স বা সরবরাহ শৃঙ্খল – সবক্ষেত্রে গ্রোথ বা উন্নয়ন সুনিশ্চিত হবে। এর ফলে পরিষেবাও বাড়বে, আর কর্মসংস্থানের নতুন নতুন সুযোগ গড়ে উঠবে। অনুমান করা হচ্ছে, আগামী দেড় দশকে ভারতের অর্থনীতিতে ৫জি-র অবদান থাকবে ৪৫০ বিলিয়ন ডলার । অর্থাৎ, এটি শুধুই ইন্টারনেটের গতি বাড়াবে না, বরং উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির গতিকেও বাড়াবে। সেজন্য ৫জি দ্রুতগতিতে যাতে রোল-আউট হয় তা সুনিশ্চিত করতে সরকার এবং ইন্ডাস্ট্রি উভয়েরই কালেক্টিভ এফর্টস বা সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকার প্রয়োজন রয়েছে। এই দশকেরই শেষের দিকে আমরা যাতে ৬জি পরিষেবাও চালু করতে পারি তা সুনিশ্চিত করতেও আমাদের টাস্ক ফোর্স কাজ শুরু করেছে। বন্ধুগণ, আমরা চেষ্টা করছি যাতে টেলিকম সেক্টর এবং ৫জি প্রযুক্তিতে আমাদের স্টার্ট-আপগুলি দ্রুতগতিতে প্রস্তুত হয়, সড়গড় হয়, গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন হয়ে ওঠে। আমরা অনেক ক্ষেত্রে বিশ্বের একটি বড় ডিজাইন পাওয়ার হাউজ হয়ে উঠেছি। টেলিকম ইক্যুইপমেন্ট মার্কেটেও ভারতের ডিজাইন যে এখন চ্যাম্পিয়ন, এই সামর্থ্য আমরা সবাই জানি। এখন এর জন্য প্রয়োজনীয় রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বা গবেষণা ও উন্নয়ন পরিকাঠামো এবং প্রক্রিয়াগুলিকে সহজ করে তুলতে আমরা বিশেষ জোর দিয়েছি, আর এক্ষেত্রে আপনাদের সকলের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। বন্ধুগণ, আত্মনির্ভরতা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবায় প্রতিযোগিতা কিভাবে সমাজে, অর্থনীতিতে মাল্টিপ্লায়ার এফেক্ট বা গুণীতক প্রভাব সৃষ্টি করে এর একটি খুব ভালো উদাহরণ আমাদের টেলিকম সেক্টর। সেজন্য আমরা সবাই গর্ব করতে পারি। আমরা যদি একটু পুরনো ভাবনাগুলির দিকে দৃষ্টিপাত করি, যেমন ২জি-র সময়টা এমনই ছিল যা নিরাশা, হতাশা, দুর্নীতি, পলিসি প্যারালিসিস বা নীতি অসাড়তা আমাদের ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছিল। আজ সেই সময়কাল থেকে বেরিয়ে দেশ ৩জি থেকে ৪জি আর এখন ৫জি ও ভবিষ্যতে ৬জি-র দিকে দ্রুতগতিতে পা বাড়িয়েছে। এই ট্রানজিশন বা রূপান্তর খুব মসৃণভাবে এবং অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে হচ্ছে। আর এই রূপান্তরণকে সুদক্ষভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদে��� ট্রাই-এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রেট্রোস্পেক্টিভ ট্যাক্সেশন থেকে শুরু করে এজিআর-এর মতো বিষয় যখনই ইন্ডাস্ট্রির সামনে নানা সমস্যা নিয়ে এসেছে, তখন আমরা ততটাই দ্রুত গতিতে রেসপন্ড করার চেষ্টা করেছি, আর যেখানে যেখানে প্রয়োজন পড়েছে আমরা রিফর্ম বা সংস্কারও করেছি। এরকমই অনেক চেষ্টা করতে করতে একটি নতুন বিশ্বাস জন্ম নিয়েছে, তারই পরিণাম হল ২০১৪ থেকে আগের এক দশকেরও বেশি সময়ে যত এফডিআই বা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগকারী টেলিকম সেক্টরে এসেছে, তার দেড়গুণ থেকেও বেশি এই আট বছরে এসেছে। ভারতের পোটেনশিয়াল বা সম্ভাবনা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের এই অহংকারকে শক্তিশালী করার দায়িত্ব আমাদের সকলের ওপরই বর্তায়। বন্ধুগণ, বিগত বছরগুলিতে সরকার যেভাবে নতুন ভাবনা এবং দৃষ্টিকোণ নিয়ে কাজ করছে তার সঙ্গে আপনারা সবাই খুব ভালোভাবে পরিচিত। সিলোসরূপী ভাবনা থেকে এগিয়ে গিয়ে এখন দেশ ‘হোল অফ দ্য গভর্নমেন্ট অ্যাপ্রোচ’ বা সরকারি প্রচেষ্টায় সর্বশক্তি দিয়ে এগিয়ে চলেছে। আজ আমরা দেশে টেলি-ডেনসিটি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে বিশ্বে সর্বাধিক দ্রুতগতিতে সম্প্রসারিত হচ্ছি আর এক্ষেত্রেও টেলিকম সহ অনেক ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। সবচাইতে বড় ভূমিকা রয়েছে ইন্টারনেটের। ২০১৪-তে যখন আমরা দেশের দায়িত্ব নিই, তখন আমরা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর মূল মন্ত্র নিয়ে কাজ করতে থাকি। এর জন্য প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারকে আমাদের অগ্রাধিকার করে তুলি। এর জন্য সবচাইতে প্রয়োজনীয় এটা ছিল যে দেশের কোটি কোটি মানুষ যেন পরস্পরের সঙ্গে হতে পারে, সরকারের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারে, সরকারের সমস্ত একক, তা সে কেন্দ্রীয় সরকার হোক, রাজ্য সরকার হোক, স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনাধীন সংস্থা হোক, স্থানীয় প্রশাসন হোক – তারাও এক প্রকার একটি অর্গ্যানিক একক হয়ে এগিয়ে আসে। অতি সহজেই ন্যূনতম খরচে কোনরকম সরকারি পরিষেবার দুর্নীতির আশ্রয় যেন না নিতে পারে। সেজন্য আমরা জন ধন, আধার ও মোবাইলের ট্রিনিটিকে ডায়রেক্ট গভর্ন্যান্সের মাধ্যম করে তোলার সিদ্ধান্ত নিই। মোবাইল পরিষেবাকে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে আমরা দেশের মধ্যেই সুলভে মোবাইল ফোন উৎপাদনের ওপর জোর দিই। পরিণামস্বরূপ, মোবাইল পরিকাঠামো সংস্থাগুলির সংখ্যা দুই থেকে বেড়ে এখন ২০০-রও বেশি হয়ে গেছে। আজ ভারত বিশ্বের সবচাইতে বড় মোবাইল ফো�� উৎপাদনকারী দেশ। আর যেখানে আমরা আমাদের প্রয়োজনের জন্য ফোন আমদানি করে থাকি, আজ এই মোবাইল ফোন রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন নতুন রেকর্ড স্থাপন করছি। বন্ধুগণ, মোবাইল কানেক্টিভিটি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ছিল কল এবং ডেটার দাম বাড়তে না দেওয়া। সেজন্য টেলিকম মার্কেটে হেলদি কমপিটিশন বা স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতাকে কে আমরা উৎসাহ যোগাই। এর পরিণামস্বরূপ আজ আমরা বিশ্বের সবচাইতে সুলভে ডেটা প্রোভাইডার্সদের বা ডেটা প্রদানকারীদের মধ্যে অন্যতম। আজ ভারত দেশের প্রত্যেক গ্রামকে পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে যুক্ত করার কাজ করে চলেছে। আপনারাও জানেন যে ২০১৪-র আগে ভারতে ১০০টি গ্রাম পঞ্চায়েতও অপটিক্যাল ফাইবার কানেক্টিভিটির মাধ্যমে যুক্ত ছিল না। আজ আমরা প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি বা যোগাযোগ ব্যবস্থা পৌঁছে দিতে পেরেছি। কিছুদিন আগেই সরকার দেশের নকশাল অধ্যুষিত অনেক জনজাতি প্রধান জেলাতেও ৪জি কানেক্টিভিটি পৌঁছনোর অনেক বড় প্রকল্পকে মঞ্জুর করেছে আর ৫জি এবং ৬জি প্রযুক্তির জন্যও এই মোবাইল এবং ইন্টারনেটের পরিধি বৃদ্ধির মাধ্যমে এর বিস্তার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধুগণ, ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহার অধিকাংশ ভারতবাসীর পছন্দ। এটি ভারতে একটি অনেক বড় সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। এই বিবর্তন দেশে একটি শক্তিশালী ডিজিটাল পরিকাঠামোর ভিত্তি স্থাপন করেছে। এটি দেশে টেলিকম পরিষেবার একটি অনেক বড় চাহিদা সৃষ্টি করেছে। এর একটি উদাহরণ দেশের প্রত্যেক প্রান্তে নির্মীয়মান ৪ লক্ষ কমন সার্ভিস সেন্টার। এই কমন সার্ভিস সেন্টারগুলি থেকে আজ সরকারের শত শত পরিষেবা গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে। এই কমন সার্ভিস সেন্টারগুলি লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানেরও মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আমি বিগত দিনে গুজরাটে একটি কর্মসূচিতে গিয়েছিলাম। সেখানে দাহোড় জেলা, যেটি জনজাতি অধ্যুষিত এলাকা সেখানকার এক দিব্যাঙ্গ দম্পতি আমার সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা সেখানে একটি কমন সার্ভিস সেন্টার চালান। তাঁরা বলেন যে আমরা দিব্যাঙ্গ ছিলাম, সামান্য সাহায্য পাওয়ার ফলেই আমরা কাজ শুরু করেছি! আর তাঁরা একটি প্রান্তিক জনজাতি গ্রামে বসে কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে মাসে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা রোজগার করেন। এর অর্থ হল, জনজাতি এলাকার নাগরিকরাও পরিষেবা কী, এই পরিষেবা কিভাবে গ্রহণ করতে হয়, এই পরিষেবা কতটা সার্থক তা ভালোভাবেই জানেন আর এক দিব্যাঙ্গ দম্পতি সেখানে ছোট্ট একটি গ্রামের মানুষকে পরিষেবাও দেন আর সেই অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে তাঁদের সংসারও চলে। এই ডিজিটাল প্রযুক্তি কিভাবে পরিবর্তন আনছে এটা তার উজ্জ্বল উদাহরণ। বন্ধুগণ, আমাদের সরকার প্রযুক্তিকে নিরন্তর আপগ্রেড করার পাশাপাশি দেশের ডেলিভারি সিস্টেমকেও ক্রমাগত সংশোধন করে চলেছে। এটি দেশে পরিষেবা এবং পরিকাঠামো উভয়ের সঙ্গে যুক্ত স্টার্ট-আপ ইকো-সিস্টেমের ওপর জোর দিয়েছে। এটা ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট-আপ ইকো-সিস্টেম করে গড়ে তোলার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। বন্ধুগণ, ‘দ্য হোল অফ দ্য গভর্নমেন্ট অ্যাপ্রোচ’ বা সরকারের সার্বিক দৃষ্টিকোণ আমাদের ট্রাই-এর মতো সমস্ত রেগুলেটরদের জন্যও বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সমস্যাগুলির বিরুদ্ধে মোকাবিলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আজ রেগুলেশন নিছকই একটি ক্ষেত্রের সীমায় সীমাবদ্ধ নয়। প্রযুক্তি ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রকে ইন্টার-কানেক্ট করছে। এজন্য আজ কোলাবোরেটিভ রেগুলেশন-এর প্রয়োজন প্রত্যেকেই স্বাভাবিক রূপে অনুভব করছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় হল সমস্ত রেগুলেটররা যেন ঐক্যবদ্ধ হয়, কমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে আর উন্নতভাবে ভারসাম্য রক্ষা করে সমাধান বের করে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই কনফারেন্স থেকে প্রত্যেক দিশায় গুরুত্বপূর্ণ সমাধান বেরিয়ে আসবে। আপনাদের দেশের টেলিকম কনজিউমার্সদের ইন্টারেস্টকেও নিরাপত্তা দিচ্ছে আর বিশ্বের সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় টেলিকম মার্কেটের উন্নয়নকেও উৎসাহিত করছে। ট্রাই-এর রৌপ্য জয়ন্তী কনফারেন্স আমাদের স্বাধীনতার অমৃতকালের উন্নয়নকেও গতি প্রদান করবে, প্রাণশক্তি জোগাবে, নতুন বিশ্বাস সৃষ্টি করবে আর ভারতকে একটি নতুন উল্লম্ফনের স্বপ্ন দেখাবে আর সেগুলিকে বাস্তবায়িত করার সঙ্কল্পসম্পন্ন হবে এই কামনা নিয়ে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা, অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",ট্ৰাইৰ ৰূপালী জয়ন্তী উদযাপনত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A6%AE/,"ভারতমাতার জয়, ভারতমাতার জয়, ভারতমাতার জয়… মঞ্চে উপস্থিত মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রদ্ধেয় বিদ্যাসাগর রাও, এই রাজ্যের জনপ্রিয় ও প্রাণশক্তিতে ভরপুর যশস্বী মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী শ্রদ্ধেয় নীতিন গড়করি, উপস্থিত সমস্ত সাংসদ,মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী এবং বিধায়কগণ ও বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা। কয়েক বছরের মধ্যেই আমার তৃতীয়বার সোলাপুর আসার সৌভাগ্য হয়েছে। যখনই আমি আপনাদের আশীর্বাদ চাইতে আসি, আপনারা আমাকে প্রাণভরা ভালোবাসা দিয়েছেন। আমার মনে আছে, গতবার যখন এসেছিলাম তখন বলেছিলাম যে এই অঞ্চলের বিদ্যুৎ, পানীয় জল এবং সড়ক সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আমরা সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা হোক কিংবা জাতীয় মহাসড়ক যোজনা কিংবা সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছনোর কাজ – এসব কিছু দ্রুতগতিতে হচ্ছে। এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ সহযোগিতার জন্য আমি শ্রদ্ধেয় শ্রী ফড়নবিশের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকে অভিনন্দন জানাই। এই প্রক্রিয়াকেই আরও বিস্তারিত করার জন্য আমি এবার আপনাদের মাঝে এসেছি। একটু আগেই স্মার্ট সিটি, দরিদ্রদের জন্য বাড়ি, সড়কপথ এবং পানীয় জল সরবরাহের জন্য কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস করা হয়েছে। আমি আপনাদের এই তথ্যও জানাতে চাই যে সরকার প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মীয়মান সোলাপুর-ওসমানাবাদ ভায়া তুলজাপুর রেললাইন মঞ্জুর করেছে। মা তুলজাপুর ভবানীর আশীর্বাদে অতি দ্রুত এই লাইন রেল যাতায়াতের জন্য প্রস্তুত হবে। ফলে, স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি দেশের নানা প্রান্ত থেকে যাঁরা মায়ের দর্শন করতে আসবেন, তাঁদের অনেক সুবিধা হবে। এই সকল প্রকল্পের জন্য আমি আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। এই প্রকল্পগুলি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলার আগে আমি এই সোলাপুরের মাটি থেকে ভারতবাসীকে অভিনন্দন জানাতে চাই। গতকাল গভীর রাতে লোকসভায় একটি ঐতিহাসিক বিল পাস হয়েছে। আপনাদের করতালির আওয়াজে বুঝতে পারছি যে আপনারাও কাল টিভি দেখেছেন। সাধারণ শ্রেণীর গরিব পরিবারের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ মঞ্জুর হওয়ায় দেশে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর মন্ত্র আরও শক্তিশালী হয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার এত বছর পরে দেশের গরিবদের মধ্যে অসাম্যকে স্বীকার করে নিয়ে সমাধান খোঁজার একটি প্রচেষ্টা করা হয়েছে। সাধারণ শ্রেণীর গরিব পরিবারের ছেলেমেয়েরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি পরিষেবায় যাতে সংরক্ষণ পায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মজার বিষয় হ’ল – আগেও এ নিয়ে আমরা অনেক শ্লোগান শুনেছি, নির্বাচনের আগে অনেক প্রতিশ্রুতি শুনেছি। কিন্তু আমি গোড়া থেকেই বলে আসছি যে, ৫০ শতাংশের বাইরে গিয়ে সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া বেইমানি ছাড়া আর কিছু না। কারণ, ৫০ শতাংশের উপরে যেতে হলে সংবিধান সংশোধন না করে যাওয়া সম্ভব নয়। সংবিধান সংশোধন না করে কেউ যদি অন্য কাউকে সংরক্ষণ দিতে চায়, তা হলে সেটা গরিব, আদিবাসী, দলিত এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষদের সংরক্ষণের অধিকার থেকে চুরি করা হবে। আমি আজ অত্যন্ত আনন্দিত যে, একদিন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যে কথা বলতাম, আজ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আমি সেই ধারণাকেই কাজে লাগিয়েছি। লোকসভা সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয় এবং অন্য কারও সংরক্ষণের অধিকারকে খন্ডিত না করেই অতিরিক্ত সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে দেশের উচ্চ বর্ণের গরিব শিশুদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। ভাই ও বোনেরা, এছাড়াও গতকাল লোকসভায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হয়েছে। সেটি হ’ল নাগরিকত্ব সম্পর্কিত সংবিধান সংশোধন। দেশ বিভাগের আগে এই উপ-মহাদেশের যে অঞ্চলগুলি ভারতের অংশ ছিল, যেমন পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে নানা পরিস্থিতির শিকার হয়ে যাঁরা ধর্মীয় কারণে সেইসব অঞ্চল থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন, এই সংশোধনের মাধ্যমে আমরা তাঁদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছি। বিরোধী পক্ষের যে বন্ধুরা এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করছেন, আশা করি তাঁরা আমাদের ভাবনার সংবেদনশীলতাকে বুঝবেন। ইতিহাসের যাবতীয় উত্থান-পতন দেখার পর, অনেক অত্যাচার সহ্য করার পর, আমাদের এই ভাই-বোনেরা ভারতমায়ের আঁচলে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের সংরক্ষণ প্রদান করা প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের দায়িত্ব এবং এই দায়িত্ব সম্পন্ন করার কাজ ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার করেছে। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার পর থেকে দশকের পর দশক ধরে বিভিন্ন সরকার নিজেদের মতো করে কাজ করেছে। কিন্তু যখন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার কাজ করে, তখন মাটি এবং সাধারণ মানুষ পর্যন্ত তার প্রভাব পৌঁছয়। ভাই ও বোনেরা, সংসদে লোকসভ�� তার দায়িত্ব পালন করেছে। আশা করি রাজ্যসভাও দেশপ্রেমী এই লক্ষ লক্ষ পরিবারের জীবন বাঁচানোর দায়িত্ব পালন করবে। ভাই ও বোনেরা, আমি বিশেষ করে আসামের ভাই-বোনেদের, উত্তর-পূর্ব ভারতের ভাই-বোনেদের আশ্বস্ত করতে চাই যে গতকালের এই সিদ্ধান্ত আসাম তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের যুবসম্প্রদায়ের অধিকার বিন্দুমাত্র খর্ব হতে দেব না। ভাই ও বোনেরা, আগের তুলনায় বর্তমানের পার্থক্য হল দৃষ্টিভঙ্গির। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি যথাযথ নীতি নির্ণয় করতে পারে। টুকরো টুকরো করে ভাবার বদলে সমগ্রতা এবং সম্পূর্ণতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তবেই রাষ্ট্রহিত এবং জনহিতে কড়া এবং বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। আমাদের সরকারের সংস্কৃতি হল ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। আমাদের সংস্কার, আমাদের ঐতিহ্য, গ্রামের গরিব মানুষ থেকে শুরু করে শহরের সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সকলের জন্য আধুনিক ব্যবস্থা নির্মাণের চেষ্টা ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার করছে। যে স্তরে এবং যে গতিতে কাজ হচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষের জীবনকে সহজ করে তোলার গতি বেড়েছে। বন্ধুগণ, পরিকাঠামো নিয়ে যদি ভাবেন, প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সোলাপুর থেকে ওসমানাবাদ পর্যন্ত চার লেনের জাতীয় মহাসড়ক আজ দেশকে সমর্পণ করা হল। স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ পর্যন্ত দেশে প্রায় ৯০ হাজার কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক ছিল। পরবর্তী চার বছরে দ্রুত কাজ করার ফলে এখন জাতীয় মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। তার মানে সাড়ে চার বছরে ৪০ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি শুধু জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণ হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগে আরও প্রায় ৫২ হাজার কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। ভাই ও বোনেরা, জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণের এই প্রকল্পগুলিতে অসংখ্য স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান হয়। দেশে জাতীয় মহাসড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে আমরা যে ‘ভারতমালা’ প্রকল্প গড়ে তুলেছি, সেখানে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমরা একটি নতুন কর্মসংস্কৃতি গড়ে তুলেছি। সেটি হল যে প্রকল্পের শিলান্যাস আমরা করি, তার উদ্বোধনও আমরাই করি। আমরা লোক দেখানো কাজ করি না। পাথর পুঁতে দিয়ে নির্বাচন বৈতরণি পাড় হওয়ার চেষ্টা করি না। সময়-নির্দিষ্ট প্রকল্প হল আমাদের সংস্কৃতি। এই যে আজ সোলাপুরে যতগুলি প্রকল্পে শিলান্যাস করলাম, যে ৩০ হাজার গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের শিলান্যাস করেছি, সেগুলির চাবি সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দিতেও আমরাই আসব। দেশের দীর্ঘতম সেতু, দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ কিংবা এক্সপ্রেসওয়ে – এই সব কিছু বর্তমান সরকারের আমলেই হয়েছে কিংবা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ভাই ও বোনেরা, দীর্ঘতম কিংবা উচ্চতম হলেই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি দাবি করছি না। কিন্তু এটা দেখতে হবে যে কত কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা এই কাজগুলি করতে পেরেছি। ৪০-৫০ বছর আগে থেকেই তো এই প্রকল্পগুলি নিয়ে কথা চলছিল। কিন্তু কেন হয়নি? কারণটা হল, সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে বিরল জনসংখ্যার কারণে সংসদে আসন সংখ্যা কম। সেজন্য ঐ এলাকাগুলির উন্নয়নও হয়নি। পূর্ব ভারতের তুলনায় পশ্চিম ভারতের আসন সংখ্যা বেশি বলে উন্নয়নও বেশি হয়েছে। ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি একেই বলে। রেল এবং বিমানপথ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেও এই নেতিবাচক মনোভাব কাজ করেছে। বন্ধুগণ, আজ রেল এবং বিমানপথ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব কাজ হচ্ছে। আগের তুলনায় দ্বিগুণ গতিতে রেলপথ নির্মাণ ও প্রশস্তিকরণের কাজ চলছে। দ্রুতগতিতে বৈদ্যুতিকীকরণ হচ্ছে। আজ বিমানযাত্রা শুধু সম্পন্ন মানুষদের জন্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বিমান পরিষেবাকে সাধারণ মানুষের জন্য সুলভ করার প্রচেষ্টা চলছে। হাওয়াই চপ্পল পরিহিত মানুষেরাও যাতে বিমানে যাতায়াত করতে পারেন সেদিকে লক্ষ্য রেখে ‘উড়ান’ এর মতো উচ্চাকাংখী প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। দেশের টিয়ার-২, টিয়ার-৩ শহরগুলিতে বিমানবন্দর এবং হেলিপ্যাড নির্মাণের কাজ চলছে। সোলাপুর সহ মহারাষ্ট্রের চারটি শহরেও ‘উড়ান’ যোজনার মাধ্যমে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ চলছে। বন্ধুগণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে গ্রাম ও শহর উভয়ের সামাজিক এবং আর্থিক গতিবিধি উন্নত হয়। আমাদের দেশে দশকের পর দশক ধরে শহরগুলি আর্থিক গতিবিধির কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। অবশ্য, এই উন্নয়নও যদি সুপরিকল্পিতভাবে হত, তাহলে দেশ আজ কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে যেত। কিন্তু তা হয়নি। দেশে এমন কম শহরই রয়েছে যেখানে সুপরিকল্পিতভাবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পরিণামস্বরূপ, জনসংখ্যার বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শহরগুলির পরিকাঠামো বিকশিত হয়নি। সড়ক এবং গলিগুলিতে ভিড় বেড়েছে। নিকাশি ব্যবস্থার ওপর চাপ বেড়েছে। যেখানে যেখানে এসব নিয়ে প্রতিবাদ করা হয়েছে, সেখানে কোনরকমে জোড়াতালি দিয়ে কাজ করে বিষয়টা চাপা দেওয়া হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, আমাদের সর���ার এই জোড়াতালি পছন্দ করে না। আমরা স্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজেছি। এই ভাবনা থেকেই দেশের ১০০টি শহরকে স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার আন্দোলন চালু করেছি। সেগুলির মধ্যে আমাদের সোলাপুরও অন্যতম। এই শহরগুলিতে বসবাসকারী নাগরিকদের ইচ্ছানুসারে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণ-অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আধুনিক পরিষেবা প্রদানের কাজ শুরু করেছি। আমাদের এই প্রচেষ্টা এখন গোটা বিশ্বে প্রশংসিত। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক এজেন্সির রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দশকে বিশ্বের সর্বাধিক দ্রুতগতিতে বিকাশমান ১০টি শহরের মধ্যে ১০টিই ভারতের হবে। সেজন্য যে কোন ভারতবাসী গর্ব করতে পারেন। ভাই ও বোনেরা, বিশ্ববাসী দেখতে পাচ্ছেন, কিন্তু দেশের কিছু মানুষ রাজনীতি ছাড়া কিছু বোঝেননা। অথচ, তাঁদের দলের শাসনের সময়েই আমাদের শহরগুলির পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। আর আজ তারাই স্মার্ট সিটি মিশন নিয়ে ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ করে। বন্ধুগণ, এই মিশন দেশের ইতিহাসে নগরিকরণের ক্ষেত্রে উন্নয়নকে একটি নতুন মাত্রা প্রদান করেছে। শহরের প্রতিটি পরিষেবা সংহত করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। এটি শহরের সাধারণ মানুষের জীবনের সমস্যাগুলি দূর করার একটি সৎ প্রচেষ্টা। বিগত তিন বছরে এই মিশনের মাধ্যমে দেশে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের কাঠামো গড়ে উঠেছে। তাছাড়াও, প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই আজ সোলাপুরে স্মার্ট সিটি সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাসের কাজ করা হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, স্মার্ট সিটি ছাড়াও গোটা দেশে একটি অমৃত মিশন চলছে। এর মাধ্যমে সোলাপুরেপানীয় জল ও পয়ঃপ্রণালী নেটওয়ার্কসংক্রান্ত বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস আজ হ’ল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাস করা হবে ও পানীয় জলের পাইপ পাতা হবে, তার জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এই প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ হলে শহরের নিকাশি ব্যবস্থাও উন্নত হবে। উজনী বাঁধের জল এলে সোলাপুরে পানীয় জলের সমস্যাও দূর হবে। বন্ধুগণ, পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শহরের গরিব ও গৃহহীনদের জন্য আমরা নতুন ভাবনা নিয়ে কাজ করছি। দেশের প্রত্যেক মানুষ সাক্ষী কিভাবে একদিকে ঝকঝকে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা গড়ে উঠছিল, আর অন্যদিকে বস্তির বিস্তার হচ্ছিল। আমাদের দেশে এমন অবস্থা হয়ে গেছে, যাঁরা গৃহ নির্মাণ করেন, কারখানায় কাজ করেন, শিল্পোদ্যোগগুলিতে প্রাণশক্তি সঞ্চার করেন, তাঁরাই বস্তিতে থাকতে বাধ্য হন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধেয় অটলজি এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের কাজ শুরু করেছিলেন। এই সোলাপুরেই তিনি ২০০০ সালে অসংখ্য শ্রমিককে বস্তির নোংরা পরিবেশ থেকে মুক্তি প্রদানের চেষ্টা করেছেন। তাঁদের জন্য গৃহ নির্মাণের অভিযান চালিয়েছেন। প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক পরিবার একটি সমবায় সমিতি গড়ে অটলজির সরকারকে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। আর, বছর পাঁচেকের মধ্যেই তাঁরা ভালো ও পাকা বাড়ির চাবি হাতে পেয়েছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে ১৮ বছর আগে অটলজি যে কাজ শুরু করেছিলেন, সে কাজ নতুনভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সৌভাগ্য আমাদের সরকারের হয়েছে। আজ এখানে ৩০ হাজার দরিদ্র গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছে। অসংখ্য রিক্সা-অটোরিক্সা চালক, ভ্যান রিক্সা ও ঠেলাচালকদের পরিবার উপকৃত হবেন। আমি আপনাদের সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই প্রকল্পের কাজ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হবে এবং অদূর ভবিষ্যতেই আপনাদের হাতে নিজের বাড়ির চাবি হবে। ভাই ও বোনেরা, আমি বিগত সাড়ে চার বছরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (শহরাঞ্চল) গতি দেখে আপনাদের এই আশ্বাস দিতে পারছি। পূর্ববর্তী কেমন গতিতে কাজ করত, আর এখন কেমন কাজ হচ্ছে তার একটা উদাহরণ দিতে চাই। ২০০৪-১৪ সাল – এই দশ বছরে দিল্লিতে রিমোট কন্ট্রোলের সরকার চলত। সেই সময়ে শহরে বসবাসকারী গৃহহীনদের জন্য দেশে ১৩ লক্ষ গৃহ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কাগজেই থেকে যায়। এতবড় দেশে দশ বছরে বাস্তবে মাত্র ৮ লক্ষ গৃহ নির্মিত হয়। অর্থাৎ, বছরে ৮০ হাজার। আর আমাদের দেখুন! শুধু সোলাপুরেই ৩০ হাজার গৃহ নির্মাণ করছি। আমরা বিগত সাড়ে চার বছরে ইতিমধ্যেই ৭০ লক্ষ শহুরে গৃহহীন গরিবদের জন্য গৃহ নির্মাণের প্রকল্প মঞ্জুর করেছি। আর তারা দশ বছরে যেটা করতে পারেনি, আমরা এই সাড়ে চার বছরের মধ্যেই তার থেকে অনেক বেশি, ১৪ লক্ষ বাড়ি বানিয়ে সুবিধাভোগীদের হাতে চাবি তুলে দিয়েছি। অদূর ভবিষ্যতেই আরও ৩৮ লক্ষ বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ হবে। তাদের দশ বছরের রেকর্ড, আর আমাদের সাড়ে চার বছরের রেকর্ড তুলনা করলেই বুঝতে পারবেন কতটা আকাশ-পাতাল পার্থক্য। তাদের গতিতে চললে আপনারা তো দূর, আপনাদের নাতি-নাতনিরাও মাথার ওপর ছাদ পেত কিনা সন্দেহ। এই পার্���ক্য থেকেই বোঝা যায় তারা গরিবদের নিয়ে কত ভাবতেন। ভাই ও বোনেরা, নিম্নবিত্তদের পাশাপাশি যাঁরা বছরে ১৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগার করেন, তেমন মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য সুলভে গৃহ নির্মাণের প্রকল্পও আমরা নিয়ে এসেছি। এর মাধ্যমে ২০ বছর পর্যন্ত প্রদত্ত সুদের কিস্তিতে তাদের প্রায় ৬ লক্ষ টাকা সাশ্রয় সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এই টাকা তাঁরা ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা ও লালন-পালনে ব্যয় করতে পারবেন। তাঁদের জীবন সহজ হবে। এছাড়া, মধ্যবিত্তদের গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে জিএসটি-তে যেন শুধু ৫ শতাংশ কর ধার্য হয়এই প্রস্তাব আমরা রেখেছি। আগেও আমি এই প্রস্তাব রেখেছিলাম। কিন্তু কয়েকটি রাজ্যের বিরোধিতায় কাউন্সিল সহমত হতে পারেনি। আমি আশা করি যে, এবার জিএসটি কাউন্সিল দেশের সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আমার এই অনুরোধ রক্ষার চেষ্টা করবে। ভাই ও বোনেরা, এখানে উপস্থিত শ্রমিক ভাই-বোনেদের আমি বলতে চাই, আপনাদের জন্য গৃহ নির্মাণ ছাড়াও সরকার বিমা ও পেনশনের ব্যবস্থা চালু করেছে। অটল পেনশন যোজনার মাধ্যমে অত্যন্ত কম টাকার কিস্তি দিয়ে আপনাদের সবাইকে ১ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পেনশনের অধিকার প্রদান করেছি। ইতিমধ্যেই দেশের প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ শ্রমিক এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ১১ লক্ষ শ্রমিক আমাদের মহারাষ্ট্রের মানুষ। তাছাড়া, প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি যোজনায় প্রতিদিন মাত্র ৯০ পয়সা, আর প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনায় মাসে মাত্র ১ টাকা অর্থাৎ, দিনে ৩-৪ পয়সা কিস্তি দিয়ে ২ লক্ষ টাকার বিমা সুরক্ষা পাবেন। এই প্রকল্পের সঙ্গে ইতিমধ্যেই দেশের ২১ কোটি মানুষ যুক্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ১ কোটি ৭৫ লক্ষ আমাদের মহারাষ্ট্রের গরিব মানুষ যুক্ত হয়েছেন। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই গরিব মানুষেরা সঙ্কটের সময় ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিমার টাকা পেয়েছেন। আমি যদি ৩ হাজার কোটি টাকার কোন বড় প্রকল্প ঘোষণা করতাম তাহলে দেশের সমস্ত খবরের কাগজে শিরোনাম হত। কিন্তু কোনরকম শিরোনামের পরোয়া না করে আমরা নিঃশব্দে কাজ করে গিয়েছি, আর অসহায় গরিবদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩ হাজার কোটি টাকা পৌঁছে দিয়েছি। সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি পরিচ্ছন্ন হলে তবেই ভারসাম্যযুক্ত উন্নয়ন হয়। বন্ধুগণ, আমরা কিভাবে এত সব কাজ করতে পারছি? এত টাকা কোথা থেকে পাচ্ছি? বলতে পারবেন? না না মোদী নয়, আগে যে টাকা দালালরা খ���ত, তাদের দালালি বন্ধ হওয়ায় দরিদ্র মানুষের অধিকার সুরক্ষিত হচ্ছে। সৎ করদাতাদের প্রতিটি পয়সা সদ্ব্যবহার হচ্ছে। দালাল এবং কমিশনখোরদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা শুধু গ্রাম ও শহরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাইনি, সরকারি ব্যবস্থাতেও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছি। দিল্লির ক্ষমতার গলি থেকে শুরু করে কৃষকদের বাজার, রেশন দোকান পর্যন্ত দালালদের সরানোর এই অভিযান আপনাদের এই চৌকিদার শুরু করেছে। এর ফলে, যারা শাসন ক্ষমতাকে নিজেদের জন্মগত অধিকার মনে করতেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্ষমতার আসন তাদের জন্যই বরাদ্দ – এমনটি যারা ভাবেন, সেই বড় বড় মহারথীদের আজ আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে। ঘুষখোরদের আজ জবাব দিতে হচ্ছে। ঘাম ছুটে যাচ্ছে। কষ্ট তো তাদের হবেই! ভাই ও বোনেরা, পূর্ববর্তী সরকারগুলি যেভাবে দেশের দালালদের শাসন ব্যবস্থার অংশ করে তুলেছিলেন, গরিবদের অধিকার হরণ করেছিলেন, তারা দেশের নিরাপত্তা নিয়েও ছেলে-খেলা করেছে। গতকালই আমি খবরের কাগজে দেখেছি হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারির দালালদের খোঁজে প্রশাসন বিদেশ থেকে দালালদের উঠিয়ে এনে জেলে পাঠিয়েছে। সেই বন্দীদের জেরা করে এমন সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী তারা শুধু হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারিতেই সামিল ছিলেন না, পূর্ববর্তী সরকারের সময় যুদ্ধবিমান কেনার প্রক্রিয়াতেও তাদের ভূমিকা ছিল। সংবাদমাধ্যম লিখছে যে এই মিশেল মামা অন্য এক কোম্পানির বিমান কেনা-বেচার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিল। এখন এই প্রশ্নের জবাব জানা জরুরি যে কংগ্রেস নেতারা এখন শোরগোল তুলেছেন, তাদের সঙ্গে মিশেল মামার কি সম্পর্ক। আপনারাই বলুন, কংগ্রেসকে জবাব দিতে হবে কি হবে না? দেশে এই লুন্ঠন প্রক্রিয়া কি চলতে দেওয়া যায়? তাদের কাছ থেকে প্রতিটি পয়সার হিসেব কি পাওয়া উচিৎ নয়? চৌকিদারকে তাঁর দায়িত্ব পালন করতে হবে না? তাঁকে জেগে থাকতে হবে না? আপনাদের আশীর্বাদের জোরেই চৌকিদার এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় মহারথীদের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। মিশেল মামার সঙ্গে দর কষাকষিতেই কি সেই সওদা থেমে গিয়েছিল? বন্ধুগণ, এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব সরকারি তদন্ত এজেন্সিগুলি খুঁজছে। দেশের জনগণ জবাব চাইছে। দালালদের প্রতি যারা সহমর্মী, তাদের দেশের নিরাপত্তা নিয়ে ছেলে-খেলা করার জবাব দিতেই হবে। সমস্ত বেইমানরা একত্রিত হয়ে চৌকিদারকে ভয় দেখানোর স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু মোদী অন্য ধাতুতে গড়া। না কিনতে পারবেন, না ভয় দেখাতে পারবেন, দেশের স্বার্থে জনগণের প্রতিটি পয়সার হিসেব নিয়ে ছাড়বে। আমি জানি তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। আর এই চৌকিদার যে ঘুমায় না, ঘুমোতেও দেয় না। যত অন্ধকারই হোক না কেন, চোরদের ধরার ক্ষমতা রাখে। ভাই ও বোনেরা, চৌকিদারের এত শক্তি ও সামর্থ্যের পেছনে কী রয়েছে? ভাই ও বোনেরা, আপনাদের আশীর্বাদই এই চৌকিদারের আসল শক্তি। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, তারা আমাকে যতই গালি দিক, যত মিথ্যা কথাই বলুক, যত চিৎকার করেই মিথ্যা বলুক না কেন, চৌকিদার এই সাফাই অভিযান বন্ধ করবে না। নতুন ভারতের জন্য দালাল-মুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তুলবেই। এই বিশ্বাস নিয়ে আরেকবার সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ। /…",ছোলাপুৰত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্ৰকল্পৰ আধাৰশিলা স্থাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%AC%E0%A7%AC-%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0-%E0%A6%9C/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%98%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AA%E0%A6%A5%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE/,"কেরালার ভাই ও বোনেরা, ঈশ্বরের আপন দেশ সফর করতে পেরে আমি আশীর্বাদধন্য। আস্থামুদিলেকের তীরে অবস্থিত কোল্লামে এসে আমি গত বছরের বিধ্বংসী বন্যা পরবর্তী জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসার বিষয়টি উপলব্ধি করছি। তবে, কেরালার পুনর্গঠনে আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে। ৬৬ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের এই বাইপাস নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ায় আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাই। এই বাইপাসটি মানুষের যাতায়াতকে আরও সহজ করে তুলবে। সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের মানোন্নয়নে আমার সরকারের সরকারের অঙ্গীকার। আমরা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ – এই মন্ত্রে বিশ্বাস করি। অঙ্গীকারের বাস্তবায়নে আমার সরকার বাইপাস নির্মাণের এই প্রকল্পটি ২০১৫-র জানুয়ারিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। আমি আনন্দিত যে, রাজ্য সরকারের অবদান ও সহযোগিতায় আমরা এই প্রকল্পটি কার্যকর উপায়ে সম্পন্ন করেছি। ২০১৪-র মে মাসে আমার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমরা কেরালার পরিকাঠামো উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। ভারতমালা কর্মসূচির আওতায় মুম্বাই – কন্যাকুমারী করিডর নির্মাণের জন্য বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরির কাজ চলছে। এ���াড়াও, একাধিক প্রকল্পের রূপায়ণের কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। দেশে আমরা প্রায়শই দেখি যে, ঘোষণা হওয়ার পর একাধিক পরিকাঠামো প্রকল্পের রূপায়ণ বিভিন্ন কারণে থমকে রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্বের দরুণ খরচ যেমন বাড়ে, তেমনই জনগণের অর্থেরও অপচয় হয়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, জনগণের অর্থ অপচয়ের এ ধরণের সংস্কৃতি আর চলতে দেওয়া হবে না। প্রগতির মাধ্যমে আমরা থমকে থাকা প্রকল্পগুলির রূপায়ণ ত্বরান্বিত করে বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি দূরীকরণের চেষ্টা চালাচ্ছি। প্রতি মাসের শেষ বুধবার বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে বিলম্বের কারণ খতিয়ে দেখতে আমি কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত সচিবদের পাশাপাশি, রাজ্য সরকারগুলির মুখ্য সচিবদের সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হই। আমি জেনে আশ্চর্য হয়েছি যে, কিছু কিছু প্রকল্প ২০ – ৩০ বছরেরও বেশি পুরনো। কেবল তাই নয়, এই প্রকল্পগুলির রূপায়ণেও যথেষ্ট বিলম্ব হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল ও সুযোগ-সুবিধা থেকে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করা অপরাধের সামিল। এখনও পর্যন্ত আমি প্রগতি বৈঠকের মাধ্যমে ১২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ২৫০টিরও বেশি প্রকল্প রূপায়ণের বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। বন্ধুগণ, অটলজী যোগাযোগের গুরুত্বের ওপর বিশ্বাস করতেন। আমরা তাঁর এই পরিকল্পনাকেই এগিয়ে নিয়ে চলেছি। জাতীয় মহাসড়ক থেকে গ্রামীণ সড়ক, প্রায় সব ক্ষেত্রেই সড়ক নির্মাণের গতি বিগত সরকারের তুলনায় এখন দ্বিগুণ হয়েছে। আমরা যখন সরকার গঠন করেছিলাম, তখন কেবল ৫৬ শতাংশ গ্রামীণ জনপদের সঙ্গে একটি মাত্র সড়ক যোগাযোগ ছিল। আজ ৯০ শতাংশেরও বেশি গ্রাম সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, খুব শীঘ্রই আমরা গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করব। সড়ক ক্ষেত্রের মতো আমার সরকার রেল, জলপথ ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতেও অগ্রাধিকার দিয়েছে। বারানসী থেকে হলদিয়া জাতীয় জলপথের পরিবহণ ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। এ ধরণের পরিবহণ ব্যবস্থা দূষণ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণেও কার্যকর ভূমিকা নেবে। বিগত চার বছরে আঞ্চলিক বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও প্রভূত উন্নতি ঘটেছে। রেল লাইনের বিদ্যুতায়ন এবং নতুন রেল লাইন স্থাপনের গতি দ্বিগুণ হয়েছে। এর ফলে, কর্মসংস্থানের সুযোগ-সুবিধাও বাড়ছে। যখন আমরা সড়ক ও সেতু নির্মাণ করি, ত���ন আমাদের লক্ষ্য কেবল শহর ও গ্রামগুলিকে যুক্ত করাই নয়, সেই সঙ্গে, মানুষের প্রত্যাশা ও আনন্দকেও আমরা সামিল করার চেষ্টা করি। প্রত্যেক দেশবাসীর মানোন্নয়নই আমার অঙ্গীকার। লাইনের শেষে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিকেও আমি সমান অগ্রাধিকার দিই। আমার সরকার মৎস্যচাষ ক্ষেত্রের উন্নয়নে ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার তহবিল মঞ্জুর করেছে। আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির আওতায় গরিব মানুষের জন্য নগদ বিহীন স্বাস্থ্য বিমার সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার সংস্থান করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৮ লক্ষেরও বেশি রোগী নগদ বিহীন স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পেয়েছেন। সরকার এখনও পর্যন্ত এই খাতে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করেছে। স্বাস্থ্য বিমা সংক্রান্ত এই প্রকল্পের রূপায়ণ রাজ্যে আরও ত্বরান্বিত করতে আমি কেরালা সরকারকে অনুরোধ জানাই। রাজ্যবাসীরা যাতে এই প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা নিতে পারেন, তার জন্যই এই অনুরোধ। পর্যটন শিল্প কেরালার আর্থিক অগ্রগতির হলমার্ক। শুধু তাই নয়, রাজ্যের অর্থনীতিতে এই শিল্পের বড় অবদান রয়েছে। আমার সরকার পর্যটন ক্ষেত্রের বিকাশে ব্যাপক কাজ করেছে, যার সুফল মিলতে শুরু করেছে। ভ্রমণ ও পর্যটন সংক্রান্ত বিশ্ব সংস্থার ২০১৮-র প্রতিবেদনে ভারতকে পর্যটন বিকাশের ক্ষেত্রে তৃতীয় স্থান দেওয়া হয়েছে। পর্যটন ক্ষেত্রের কাছে এ এক বড় সাফল্য, যা দেশের সমগ্র পর্যটন ক্ষেত্রকে আরও উৎসাহিত করবে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ভ্রমণ ও পর্যটন সংক্রান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা সূচকে ভারত ৬৫তম স্থান থেকে ৪০তম স্থানে উঠে এসেছে। ভারতে আগত বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ২০১৩-র প্রায় ৭০ লক্ষ থেকে ৪২ শতাংশ বেড়ে ২০১৭-তে প্রায় ১ কোটি হয়েছে। পর্যটন থেকে বিদেশি মুদ্রা আয়ের পরিমাণ ২০১৩-র ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে ২০১৭-তে ২৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। প্রকৃত সত্য হ’ল – ভারত ২০১৭-তে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বিকাশশীল পর্যটন গন্তব্য হয়ে উঠেছে। পর্যটন ক্ষেত্রে ২০১৬-তে ভারতের অগ্রগতির হার ছিল ১৪ শতাংশ। একই সময়ে বিশ্ব পর্যটন ক্ষেত্রের গড় হার ছিল ৭ শতাংশ। ভারতীয় পর্যটন ক্ষেত্রে ই-ভিসার প্রবর্তন এক আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। বিশ্বের ১৬৬টি দেশের নাগরিকরা এখন ভারতে আসার ক্ষেত্রে ই-ভিসার সুবিধা পাচ্ছেন। আমার সরকার পর্যটনস্থল, ঐতিহ্যবাহী সৌধ বা জায়গা এবং ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে মৌলিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে দুটি ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এগুলি হল – স্বদেশ দর্শন ও প্রসাদ। পর্যটন ক্ষেত্রে কেরালার বিপুল সম্ভাবনার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে আমরা স্বদেশ দর্শন ও প্রসাদ প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের জন্য প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭টি প্রকল্প অনুমোদন করেছি। তিরুবনন্তপুরমে অন্য এক অনুষ্ঠানে আজ আমি শ্রী পদ্মনাভস্বামী মন্দিরে এ ধরণেরই একটি প্রকল্পের সূচনা করব। ঈশ্বর পদ্মনাভস্বামীর কাছে আমি কেরালা সহ দেশের অন্যান্য অংশের মানুষের কল্যাণে প্রার্থনা জানাবো। আমি একটি বিশেষ শব্দবন্ধ ‘কোল্লাম কান্ডাল্লিমভেন্ডা’ শুনেছি, এর অর্থ হ’ল – কোল্লামে কেউ একবার এলে তাঁর বাড়ির কথা মনেই পড়ে না। এখানে এসে আমারও একই অনুভূতি হচ্ছে। কোলাম ও কেরালাবাসীকে তাঁদের ভালোবাসা ও আন্তরিকতার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। এক উন্নত ও সুসংহত কেরালার জন্য আমি প্রার্থনা করি। নান্নি, নমস্কারম।",ৰাষ্ট্ৰীয় ঘাইপথক কোল্লাম বাইপাছ উদ্বোধন কৰি প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%AB-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A7%AB-%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%9F/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪ঃ৩০ মিনিটে, ৭ লোকমান্য মার্গে জাতীয় শিক্ষক দিবস পুরস্কার প্রাপকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নেবেন। জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার প্রদানের লক্ষ্য হলো, ভালো শিক্ষকদের অবদানকে স্বীকৃতি ও সম্মান জানানো। যারা নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা, কঠোর পরিশ্রম দিয়ে কেবলমাত্র বিদ্যালয় শিক্ষার মান উন্নয়ন করেছেন তা নয় , পাশাপাশি তাদের ছাত্রছাত্রীদের জীবনকে সমৃদ্ধ করেছেন। জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষকদের অবদানকে স্বীকৃতি জানিয়ে প্রদান করা হয়। এবছর সারাদেশের ৪৫ জন শিক্ষককে জাতীয় শিক্ষক পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।","প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ৫ ছেপ্টেম্বৰত ৰাষ্ট্ৰীয় শিক্ষক বঁটা, ২০২২ প্ৰাপকসকলৰে মত-বিনিময় কৰি" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9D%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%96%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A6%98%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A6%98%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%8B/,"নয়াদিল্লি, ১২ জুলাই, ২০২২ ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল শ্রী রমেশ বৈসজি, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী হেমন্ত সোরেনজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সদস্য শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াজি, ঝাড়খন্ড রাজ্য সরকারের মাননীয় মন্ত্রীগণ, সাংসদ নিশিকান্তজি, অন্যান্য সাংসদ এবং বিধায়কগণ, ভদ্রমহিলা এবং ভদ্রমহোদয়গণ, বাবা ধামে এসে প্রত্যেকের মন পুলকে ভরে ওঠে। দেওঘর থেকে আজ আমাদের সকলের ঝাড়খন্ডের উন্নয়নকে গতিপ্রদানের সৌভাগ্য হয়েছে। বাবা বৈদ্যনাথের আর্শীবাদে আজ এখান থেকে ১৬ হাজার কোটি টাকারও অধিক অর্থ বিনিয়োগে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস হয়েছে। এগুলির মাধ্যমে ঝাড়খন্ডের আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, জ্বালানী, স্বাস্থ্য, আধ্যাত্মিকতা এবং পর্যটন শিল্প অনেক সমৃদ্ধ হতে চলেছে। আমরা সবাই দীর্ঘকাল ধরে দেওঘর বিমানবন্দর এবং দেওঘর এইমস-এর স্বপ্ন দেখেছি। এই স্বপ্নগুলিও এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে। বন্ধুগণ, এই প্রকল্পগুলি থেকে ঝাড়খন্ডের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনযাত্রার মান যেমন সহজ হবে, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য, পর্যটনের জন্য, কর্মসংস্থান- স্বনির্ভরতা ক্ষেত্রেও অনেক নতুন নতুন সুযোগ গড়ে উঠবে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আমি সমস্ত ঝাড়খন্ডবাসীদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই, অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। এই সমস্ত প্রকল্পগুলি, এই ঝাড়খন্ডে শুরু হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু এগুলির মাধ্যমে ঝাড়খন্ড ছাড়া বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের অনেক এলাকার মানুষও প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হবেন। অর্থাৎ এই প্রকল্পগুলি পূর্বভারতের উন্নয়নকেও গতিপ্রদান করবে। বন্ধুগণ, রাজ্যগুলির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন, এই ভাবনা নিয়েই বিগত ৮ বছর ধরে আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করছে। বিগত ৮ বছরে মহাসড়ক পথ, রেলপথ, বিমানপথ, জলপথ- সমস্ত রকম ভাবে ঝাড়খন্ডকে যুক্ত করার এই প্রচেষ্টাতেও এই ভাবনা, এই লক্ষ্যপূরণই সবার উপরে ছিল। আজ যে ১৩টি মহাসড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন বা শিলান্যাস হয়েছে, এগুলির মাধ্যমে ঝাড়খন্ডের সঙ্গে বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। মির্জা চৌকি থেকে ফারাক্কা পর্যন্ত যে চার লেনের মহাসড়ক তৈরি হচ্ছে, এর মাধ্যমে গোটা সাঁওতাল পরগনা দ্রুত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পেতে চলেছে। রাঁচী-জামশেদপুর মহাসড়ক দিয়ে এখন রাজ্যের রাজধানী ও শিল্প নগরীর মধ্যে যাত্রাপথের সময় এবং যানবাহনের খরচ, দুটোরই অনেক সাশ্রয় হবে। পালমা-গুমলা সেকশন থেকে ছত্তীশগড় পর্যন্ত যাত্রাপথ উন্নত হবে। ওড়িশার পারাদ্বীপ সমুদ্র বন্দর এবং পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া থেকে পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থগুলি আরও সহজে এবং সুলভে ঝাড়খন্ডে আনা যাবে। রেল নেটওয়ার্কের আজ যে সম্প্রসারণ হয়েছে, এর মাধ্যমে গোটা অঞ্চলে নতুন নতুন ট্রেন আসার পথ খুলেছে, রেল পরিবহণ ব্যবস্থা আরও দ্রুতগামী হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়েছে। এইসব পরিষেবার ইতিবাচক প্রভাব ঝাড়খন্ডের শিল্প-উন্নয়নকে প্রভাবিত করবে। বন্ধুগণ, চার বছর আগে এই দেওঘর বিমানবন্দরের শিলান্যাস করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতির দরুন নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও অত্যন্ত দ্রুত এই প্রকল্পের কাজ হয়েছে আর তাই আজ ঝাড়খন্ড তার দ্বিতীয় বিমানবন্দর পাচ্ছে। প্রতি বছর এই দেওঘর বিমানবন্দর দিয়ে ৫ লক্ষ যাত্রীর আসা-যাওয়া সম্ভব হবে। এরফলে অনেক মানুষ সহজেই বাবার দর্শন করতে পারবেন। বন্ধুগণ, একটু আগেই জ্যোতিরাদিত্যজি বলছিলেন যে হাওয়াই চপ্পল পরিহিত সাধারণ মানুষও যাতে বিমান যাত্রার আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, এই ভাবনা নিয়েই আমাদের সরকার এই ‘উড়ান যোজনা’র সূত্রপাত করেছিল। আজ সরকারের প্রচেষ্টাগুলির সুফল সারা দেশে দেখা যাচ্ছে। উড়ান যোজনার মাধ্যমে বিগত ৫-৬ বছরে ৭০টির বেশি নতুন স্থানকে বিমানবন্দর, হেলিপোর্ট এবং ওয়ার্টার এরোড্রামের মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে। চারশোর বেশি নতুন রুটে এখন সাধারণ নাগরিকরা বিমান যাত্রার পরিষেবা পাচ্ছেন। উড়ান যোজনার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১ কোটি যাত্রী অনেক সুলভে বিমান যাতায়াত করেছেন। এদের মধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ এমন রয়েছেন যাঁরা প্রথমবার সামনে থেকে উড়ো জাহাজ দেখেছেন, প্রথমবার উড়ো জাহাজে চড়েছেন। কোথাও আসা-যাওয়ার জন্য শুধু বাস এবং রেলের উপর নির্ভর করা আমার গরীব ও মধ্যবিত্ত ভাই-বোনেরা, এখন প্লেনের সিট বেল্ট বাঁধাও যাওয়া-আসার ফ্লাইটে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। রাঁচী, পাটনা এবং দিল্লির জন্যও দ্রুত ফ্লাইট চালু করার চেষ্টা চলছে। দেওঘরের পর, বোকারো এবং দুমকায় ও বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ চলছে। অর্থাৎ, আগামীদিনে ঝাড়খন্ডে যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্রমাগত উন্নত হতে চলেছে। বন্ধুগণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি দেশের আস্থা এবং আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা গড়ে তোলাকে কেন্দ্রীয় সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। বাবা বৈদ্যনাথ ধামেও ‘প্রসাদ যোজনা’র মাধ্যমে অনেক আধুনিক পরিষেবা চালু করার কাজ চলছে। এভাবে যখন সম্পূর্ণতার ভাবনা নিয়ে কাজ হয় তখন পর্যটন রূপে সমাজের প্রত্যেক শ্রেণী, প্রত্যেক ক্ষেত্র আয়ের নতুন উপায় খুঁজে পায়। জনজাতি অধ্যুষিত ক্ষেত্রগুলিতে এ ধরনের সমস্ত আধুনিক পরিষেবা এই এলাকার ভাগ্য বদলে দেবে। বন্ধুগণ, বিগত ৮ বছরে দেশের গ্যাস ভিত্তিক অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ঝাড়খন্ডকে সবচাইতে বেশি লাভবান করেছে। পূর্ব ভারতে যে ধরণের পরিকাঠামো ছিল তার মাধ্যমে গ্যাস ভিত্তিক জীবন এবং শিল্পোদ্যোগ এখানে অসম্ভব বলে মনে করা হত। কিন্তু ‘প্রধানমন্ত্রী ঊর্জা গঙ্গা যোজনা’ এই পুরনো চিত্রকে বদলে দিচ্ছে। আমরা সমস্ত অভাবকে সুযোগে পরিবর্তিত করার জন্য অনেক নতুন নতুন ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আজ বোকারো-আঙ্গুল সেকশনের উদ্বোধনের মাধ্যমে ঝাড়খন্ড এবং ওড়িশার ১১টি জেলায় সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হবে। এর ফলে বাড়িতে বাড়িতে পাইপের মাধ্যমে সুলভে রান্নার গ্যাস তো পাওয়া যাবেই সিএনজি ভিত্তিক যানবাহন, বিদ্যুৎ, সার, ইস্পাত, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, হিমঘর এ রকম অনেক শিল্পোদ্যোগও গতি পেতে চলেছে। বন্ধুগণ, আমরা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস আওর সবকা প্রয়াস’-এর মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছি। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে উন্নয়নের কর্মসংস্থান ও স্বনির্ভরতার নতুন নতুন পথ অন্বেষণ করা হচ্ছে। আমরা উন্নয়নের আকাঙ্খাকে জোরদার করেছি, উচ্চাকাঙ্খী জেলাগুলির উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। এক্ষেত্রেও আজ ঝাড়খন্ডের অনেক জেলা লাভবান হয়েছে কঠিন মনে করা এলাকাগুলিতে অরণ্য ও পাহাড় বেষ্টিত জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলির উন্নয়নে আমাদের সরকার বিশেষ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। স্বাধীনতার এতো দশক পরে যে ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে সেগুলির মধ্যে অধিকাংশই দুর্গম এলাকায় ছিল। সেই এলাকাগুলি ভালো সড়কপথ থেকে বঞ্চিত ছিল। দেশের যে এলাকাগুলি ভালো সড়কপথ থেকে বঞ্চিত ছিল, সেগুলির মধ্যে গ্রামীন জনজাতি অধ্যুষিত ও দুর্গম এলাকাগুলি সব থেকে বেশি ছিল। আমরা দায়িত্ব নিয়ে দুর্গম এলাকাগুলিতে রান্নার গ্যাস সংযোগ, পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার জন্যও বিগত ৮ বছরে মিশন মোডে কাজ শুরু করেছি। আমরা সবাই দেখেছি যে আগে কিভাবে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবাও শুধু বড় বড় শহরগুলিতেই সীমাবদ্ধ ছিল। এখন দেখুন, আজ ঝাড়খন্ডের পাশাপাশি বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গে একটি বড় জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় এইমস-এর আধুনিক পরিষেবাগুলি পাওয়া যাচ্ছে। এই সমস্ত প্রকল্প একথা প্রমান করে যে আমরা যখন জনগণের সুবিধার জন্য পা বাড়াই, তখন দেশের সম্পদ তো সৃষ্টি হয়ই এর পাশাপাশি উন্নয়নের নতুন সুযোগও গড়ে ওঠে। এটাই প্রকৃত উন্নয়ন। আমাদের সবাইকে মিলেমিশে এ রকম উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করতে হবে। আর একবার ঝাড়খন্ডের জনগণকে আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক শুভ কামনা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ!",দেওঘৰ বিমান বন্দৰৰ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে দিয়া ভাষণৰ পূৰ্ণ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%AB%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A5-%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%80-%E0%A6%85%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5/,"নয়াদিল্লি, ৮ মার্চ, ২০২২ নমস্কারজি! আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সকল সঙ্গী, ফিনান্স এবং ইকনমির সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ! সবার আগে আপনাদের সবাইকে আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস উপলক্ষে অনেক অনেক শুভকামনা। এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে আমরা যখন আজ দেশের বাজেটের প্রেক্ষিতে আলোচনা করছি, তখন ভারতের মতো বিশাল দেশের অর্থমন্ত্রীও একজন মহিলা, যিনি এবার দেশকে অত্যন্ত প্রগতিশীল বাজেট উপহার দিয়েছেন। বন্ধুগণ, গত ১০০ বছরের সবচাইতে বড় মহামারীর মধ্যেও ভারতের অর্থনীতি আরও একবার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলেছে। এটা আমাদের সরকারের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তগুলি এবং আমাদের দেশের অর্থনীতির শক্তিশালী ভিত্তির প্রতিবিম্ব। এবারের বাজেটে সরকার দ্রুত অর্থনৈতিক বৃদ্ধির এই মোমেন্টাম বা দ্রুত গতি বজায় রাখার জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ‘ফরেন ক্যাপিটাল ফ্লো’ বা এক কথায় বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট’ বা পরিকাঠামোগত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে করের হার কম করে, এনআইআইএফ, গিফট সিটি এবং নতুন নতুন ডিএফআই–এর মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে আমরা দেশের ‘ফিনান্সিয়াল ইকনমি গ্রোথ’কে দ্রুত গতি প্রদানের চেষ্টা করেছি। ফাইনান্সের ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার ক্ষেত��রে দেশের দায়বদ্ধতা এখন পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। ৭৫টি জেলায় ৭৫টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট চালু করা থেকে শুরু করে ‘সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি’ প্রবর্তন – এগুলি আমাদের দূরদৃষ্টিকে প্রতিবিম্বিত করে। বন্ধুগণ, একবিংশ শতাব্দীর ভারতের উন্নয়নকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের নিজেদের সমস্ত অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে ‘ফিনান্সিয়াল ভায়াবেল মডেল’গুলিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আজ দেশের যত প্রত্যাশা, দেশ যে উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলি নিয়ে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত, যে দিশায় এগিয়ে যেতে চায়, দেশের যত অগ্রাধিকার রয়েছে – এইসব ক্ষেত্রে আমাদের জন্য ‘ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন’বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ দেশে আমরা ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’ শুরু করেছি। আমাদের দেশের নির্ভরতা যেন অন্য দেশের ওপর না থাকে, এই বিষয়টি লক্ষ্য রেখে প্রকল্পগুলির ফাইন্যান্সিংকে কিভাবে নানা ধরনের মডেলে তৈরি করা যেতে পারে, এ সম্পর্কে আলাপ–আলোচনা ও মন্থন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এর একটি উদাহরণ – ‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান’। এর সঙ্গে প্রকল্পগুলির সাফল্যে আপনাদের মুখ্য ভূমিকা রয়েছে। দেশের ভারসাম্যপূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে ভারত সরকারের যত প্রকল্প যেমন – ‘অ্যাসপিরেশনাল ডিস্ট্রিক্টস প্রোগ্রাম’বা উন্নয়নে আগ্রহী জেলাগুলির উন্নয়ন প্রকল্প – যাতে দেশের ১০০টিরও বেশি জেলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে, যেগুলি তাদের রাজ্যের গড় উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে রয়েছে …। তো আমি যা বলছিলাম! আমাদের এই ‘ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন’ বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি; এগুলির সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট যে কোনও প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা আমাদের এই ‘অ্যাসপিরেশনাল ডিস্ট্রিক্ট’গুলি, যে জেলাগুলি পিছিয়ে আছে, সেগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলতে পারি। তেমনই আমাদের দেশের, যদি অর্থনৈতিক দৃষ্টি থেকে দেখি, তাহলে দেখব যে আমাদের পশ্চিম ভারতে অনেক অর্থনৈতিক গতিবিধি দেখা যায়। কিন্তু তুলনামূলকভাবে পূর্ব ভারতে সমস্ত রকম প্রাকৃতিক উৎস থাকা সত্ত্বেও আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিকাঠামো অনেক উন্নত করা যেতে পারে। আমাদের পূর্ব ভারতের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। একইরকমভাবে আমি গোটা উত্তর–পূর্ব ভারতের কথা বলব, সেখানকার উন্নয়নের কথা বলব। ওই এলাকার ভৌগোলিক পরিস্থিতির দিকে যদি আমরা তাকাই, আমাদের এই রাজ্যগুলিকে অগ্রাধিকার দিতেই হবে। এই রাজ্যগুলিতে আপনাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে চিন্তাভাবনা করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আজ ভারতের যত প্রত্যাশা আমাদের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলির শক্তিশালী হয়ে ওঠার সঙ্গে জড়িত। সেজন্য দেশের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলিকে শক্তিশালী করে তুলতে আমরা অনেক ‘ফান্ডামেন্টাল রিফর্মস’ বা মৌলিক সংস্কার এনেছি আর নতুন নতুন সঙ্কল্প রচনা করেছি। এই সংস্কারগুলির সাফল্য এগুলিকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার ওপর নির্ভরশীল। বন্ধুগণ, ‘ইন্ডাস্ট্রি ৪.০’! আমরা যেমন চাই, তেমন ফল পেতে অনেকটা সময় লাগতে পারে। এই সময় বাঁচানোর জন্য আমাদের কী করতে হবে? বিশ্ব এখন যে ‘ইন্ডাস্ট্রি ৪.০’র কথা বলছে, আমরা যদি সেটা চাই তাহলে এদের যে মূল স্তম্ভগুলি, সেগুলি হল ‘ফিনটেক’ বা অর্থনৈতিক প্রযুক্তি, ‘এগ্রি–টেক’ বা কৃষি প্রযুক্তি, ‘মেডি–টেক’ বা চিকিৎসা প্রযুক্তি আর এই সমস্ত ক্ষেত্রের উপযোগী দক্ষতা উন্নয়ন। অর্থাৎ, ‘৪.০ স্কিল ডেভেলপমেন্ট’-এর প্রয়োজন রয়েছে। এই যে মূল স্তম্ভগুলি, এই স্তম্ভগুলিকেও ‘ইন্ডাস্ট্রি ৪.০’-র আলোকে উন্নীত করার জন্য আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি কিভাবে অগ্রাধিকার দিতে পারে! এরকম ক্ষেত্রগুলিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির সাহায্যে ‘ইন্ডাস্ট্রি ৪.০’-র আবহে ভারতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। বন্ধুগণ, আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, যখন কোনও খেলোয়াড় অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক জিতে আনেন, তখন বিশ্বমঞ্চে দেশের নাম কত উজ্জ্বল হয়। তখন দেশবাসীর মনে কত প্রত্যয় জেগে ওঠে! একজন ব্যক্তি তাঁর ব্যক্তিগত ক্রীড়া নৈপূণ্যের মাধ্যমে পদক জিতে আনেন, কিন্তু তাঁর সাফল্য গোটা আবহকে বদলে দেয়। আমরা কি এই অভিজ্ঞতা থেকে দেশের উন্নয়নের কথা ভাবতে পারি? আমরা কি আটটি বা দশটি এমন ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করতে পারি, যেগুলিতে আমরা যদি জোর দিই তাহলে ভারত দ্রুত সেসব ক্ষেত্রে বিশ্বে প্রথম তিনটি স্থানের মধ্যেই নিজেকে নিয়ে যেতে পারবে। এই অগ্রগতি দেশের বেসরকারি ক্ষেত্রের অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই করতে হবে। যেমন, এখন ভারতে যত কনস্ট্রাকশন কোম্পানি রয়েছে, সেগুলির মধ্যে এমন কোনও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি কি হতে পারে না যার নাম বিশ্বের শ্রেষ্ঠ তিনটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির মধ্যে নেওয়া হবে? এভাবেই আমাদের স্টার্ট–আপগুলিও এগোতে পারে। স্টার্ট–আপ–এর সংখ্যার দিক থেকে তো আমরা এগিয়েছি, কিন্তু তাদের উৎপাদিত যত পণ্য ও পরিষেবা, সেগুলির উৎকর্ষ, সেগুলির ‘ইউনিকনেস’ বা স্বাতন্ত্র, সেগুলির যে ‘টেকনলজিক্যাল বেস’ বা প্রযুক্তিগত ভিত্তি তা কি আমাদের কয়েকটি ‘ইন্ডিভিজ্যুয়াল স্টার্ট–আপ’কে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ তিনটি স্টার্ট–আপ–এর মধ্যে স্থান করে নিতে সাহায্য করবে? সম্প্রতি আমরা ড্রোন সেক্টরকে বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত করেছি, স্পেস সেক্টরকেও উন্মুক্ত করেছি, জিও–স্পেশিয়াল সেক্টরকেও উন্মুক্ত করেছি। এগুলি অত্যন্ত বড় মাপের নীতিগত সিদ্ধান্ত, যা এক প্রকার গেম চেঞ্জার বা আমূল পরিবর্তনের দ্যোতক হয়ে উঠতে পারে। এর ফলে কি ভারতের নতুন প্রজন্মের যুবক–যুবতীরা মহাকাশ ক্ষেত্রের দিকে বেশি আকর্ষিত হচ্ছেন? ড্রোন ক্ষেত্রের দিকে বেশি মনোযোগী হচ্ছেন? তাহলে কি আমরা এই ক্ষেত্রগুলিতে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ তিনটি দেশের মধ্যে স্থান করে নেওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারি? সেজন্য কি আমাদের সমস্ত প্রতিষ্ঠান সাহায্যকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে? কিন্তু এসব কিছু হওয়ার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হল, যে কোম্পানিগুলি, যে শিল্পোদ্যোগগুলি এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে, তাদেরকে আমাদের ‘ফাইনান্সিয়াল সেক্টর’-এর সহযোগী হতে হবে আর সেক্ষেত্রে তাদের পক্ষ থেকেও প্রো–অ্যাক্টিভ বা সক্রিয় সহযোগিতা পেতে হবে। আমাদের কাছে দক্ষতা ও বিশেষজ্ঞতা যেমন চাই, তেমনই এ ধরনের প্রয়োজন পূরণের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষমতাকে কিভাবে আমরা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারি সেটাও দেখতে হবে, না হলে ভবিষ্যতে দেখা যাবে তারা হয়তো কিছু নিয়ে এল, কিন্তু নানা কারণে আমরা আগে যা করতাম, সেই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষিত হল না। আমাদের কোম্পানিগুলি, আমাদের স্টার্ট–আপগুলির সম্প্রসারণ তখনই সম্ভব যখন সেই ‘আন্ত্রেপ্রেনিওরশিপ ইনিশিয়েটিভস’ বা নতুন শিল্পোদ্যোগগুলির উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যাব, আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের ওপর জোর দেব, নতুন নতুন প্রযুক্তি, নতুন নতুন বাজার খুঁজব, নতুন নতুন ব্যবসায়িক ভাবনার ওপর কাজ করব। এত কিছু করার জন্য যাঁরা এগুলির পেছনে বিনিয়োগ করবেন, তাঁদেরও এই ভবিষ্যৎমুখী ভাবনাগুলির প্রতি একটি গভীর উপলব্ধি থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমাদের আর্থিক ক্ষেত্রকেও নতুন নতুন ভবিষ্যৎমুখী ভাবনা আর উদ্যোগের জন্�� ‘ইনোভেটিভ ফিনান্সিং’ এবং ‘সাসটেনেবল রিস্ক ম্যানেজমেন্ট’ নিয়ে আমাদের ভাবনাচিন্তা করতে হবে। বন্ধুগণ, এটা আপনারা সবাই খুব ভালোভাবেই জানেন যে আজ দেশের অগ্রাধিকার – ভারতের সমস্ত প্রয়োজনীয়তা পূরণে আত্মনির্ভরতা এবং এর পাশাপাশি রপ্তানির দিকে কিভাবে আমরা বেশি করে এগোব, তার ওপর নির্ভর করছে। রপ্তানিকারকদের আর্থিক প্রয়োজন বিভিন্ন রকম হয়। এই প্রয়োজন অনুসারে আপনারা কি নিজেদের পণ্য এবং পরিষেবাগুলিকে উন্নীত করতে পারেন যাতে রপ্তানিকারকদের চাহিদা পূরণ করা যায়। আপনারা এই বিষয়গুলিকে যদি অগ্রাধিকার দেন, তাহলে এগুলির শক্তি বৃদ্ধি পাবে। যখন এগুলির শক্তি বৃদ্ধি পাবে, তখন দেশ রপ্তানি ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে যাবে। এখন যেমন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ভারতের গমের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধির খবর আসছে। তাহলে গমের রপ্তানি যাতে বৃদ্ধি পায় সেদিকে কি আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি আরও গুরুত্ব দেবে? আমাদের আমদানি–রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত বিভাগগুলি কি সেদিকে নজর দেবে? আমাদের যে ‘শিপিং ইন্ডাস্ট্রি’ বা জাহাজ পরিবহণ শিল্প রয়েছে, সেগুলি কি এই বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা ভাবছে? মানে আমি বলতে চাইছি এক প্রকার ‘কমপ্রেহেন্সিভ’ প্রচেষ্টার কথা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আমাদের গমের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন যে নতুন সুযোগ এসেছে, আমরা কি সেইসব দেশে গম রপ্তানির আগে আমাদের গমের উৎকর্ষ সুনিশ্চিত করা এবং সেই গম রপ্তানি প্রক্রিয়ায় উন্নত পরিষেবা প্রদান করা সুনিশ্চিতকরতে পারি? করতে পারলে ধীরে ধীরে এই চাহিদা ও রপ্তানির প্রক্রিয়া স্থায়ী হয়ে উঠবে। বন্ধুগণ, ভারতের অর্থনীতির বড় ভিত্তি হল গ্রামীণ অর্থনীতি। সেজন্য বলব, গ্রামীণ অর্থনীতিকে আমরা অস্বীকার করতে পারি না, নস্যাৎ করতে পারি না, আর গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত্তি এত ব্যাপক যে অল্প অল্প করে যখন ‘কমপাইল’ বা একে অপরের সঙ্গে সঙ্কলিত হতে থাকে, তখন অনেক বড় হয়ে ওঠে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য ছোট মাত্রায় চেষ্টা করলেই হয়, কিন্তু পরিণাম অনেক বড় হয়। সেজন্য দেশের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহ যোগাব? আমরা কি প্রো–অ্যাক্টিভ হয়ে বা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি, ফিনান্স, টেকনলজি, মার্কেটিং–এ উন্নতির মাধ্যমে একটি বড় ‘কমপ্রিহেন্সিভ হেল্প’বা ব্যাপক সাহায্য করতে পারি? এখন যেমন দেশে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বিতরণের কাজ চলছে। আমরা কি মিশন মোডে কৃষকদের হাতে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড পৌঁছে দিতে পারি? আমরা কি দেশের সমস্ত মৎস্যজীবীদের হাতে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দ্রুত পৌঁছে দিতে পারি? আমরা দেশের পশুপালকদের হাতে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড পৌঁছে দিতে পারি? আমার অনুরোধ, আমরা যেন এই কাজটি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে করি। দেশে আজ হাজার হাজার এফপিও বা কৃষক উৎপাদক সংস্থা গড়ে উঠছে, আর তারা বড় বড় উদ্যোগও নিচ্ছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে খুব ভালো পরিণাম পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা সবাই কি সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে পারি? এখন যেমন কৃষিক্ষেত্রে, আগে আমাদের দেশে কৃষিক্ষেত্র মধুর উৎপাদনের দিকে বেশি লক্ষ্য দেওয়া হত না। এখন আমাদের দেশে মৌ–চাষ ও মধু উৎপাদনের ক্ষেত্রে কাজ চলছে, কিন্তু তার আন্তর্জাতিক বাজার পাওয়ার জন্য তার ব্র্যান্ডিং, মার্কেটিং এবং রপ্তানিযোগ্য করে তোলার জন্য আর্থিক সহায়তা – এই সকল ক্ষেত্রে আমরা কিভাবে কাজ করব? তেমনই আজ দেশের লক্ষ লক্ষ গ্রামে যে কমন সার্ভিস সেন্টারগুলি তৈরি করা হচ্ছে, এগুলিকেও আমরা আমাদের নীতিতে অগ্রাধিকার দিয়েছি যাতে এগুলির মাধ্যমে দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। একভাবে দেখতে গেলে এই কমন সার্ভিস সেন্টারগুলির মাধ্যমে সবচাইতে বেশি লাভবান হচ্ছেন আজকের গ্রামের মানুষেরা। তাঁদের মোবিলিটি বাড়ছে। যেমন রেলওয়ে রিজার্ভেশন করতে হলে কৃষককে আর রেল স্টেশনে যেতে হচ্ছে না, গ্রামের কমন সার্ভিস সেন্টারে গেলেই চলে। সেখানেই রিজার্ভেশনের কাজ হয়ে যাচ্ছে। আপনারা জানেন যে আজ আমরা দেশের গ্রামে গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক বিছিয়ে দ্রুতগতিতে ব্রডব্যান্ড যোগাযোগ ব্যবস্থা পৌঁছে দিচ্ছি। সরকার একভাবে ডিজিটাল হাইওয়েকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। আমি সরল ভাষায় এটিকে বলি ডিজিটাল সড়ক। এই ডিজিটাল সড়ক বলার কারণ হল, এগুলির মাধ্যমে আমাদের ডিজিটাল প্রযুক্তিকে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দিতে হবে। সেজন্যই আমরা এখন ডিজিটাল সড়কপথ নির্মাণ করছি। আমরা বড় বড় ডিজিটাল হাইওয়ের কথা তো বলেই থাকি, কিন্তু আমাদের গ্রামের দিকে যেতে হবে, সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে আর সেজন্য এই ডিজিটাল সড়ক সম্প্রসারণের এই অভিযানকে আমরা জোর দিচ্ছি। আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের বিভিন্ন প্রোডাক্টকে কি আমরা গ্রামে গ্রামে নিয়ে যেতে পারি? এভাবে কৃষিক্ষেত্র থেকে শুরু করে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, ��য়্যারহাউজিং, এগ্রি–লজিস্টিক্স–এর সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ ভারতের প্রত্যাশাগুলি প্রাকৃতিক চাষ ও জৈব–চাষের সঙ্গে যুক্ত। যদি কেউ এক্ষেত্রে নতুন নতুন কাজ করতে এগিয়ে আসতে চান, তাহলে আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি তাঁদেরকে কিভাবে সাহায্য করবে তা নিয়ে চিন্তা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। বন্ধুগণ, আজকাল হেলথ সেক্টরেও অনেক কাজ হচ্ছে। হেলথ ইনফ্রাস্ট্রাকচার বা স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সরকার প্রভূত বিনিয়োগ করছে। আমাদের দেশে ‘মেডিকেল এডুকেশন’ বা চিকিৎসা–শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত বাধাগুলি দূর করার জন্য আরও বেশি মেডিকেল ইনস্টিটিউশন্স বা চিকিৎসা–শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমাদের দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি কি, আমাদের ব্যাঙ্কগুলি কি তাদের বিজনেস প্ল্যানিং–এ এই ক্ষেত্রগুলিকে অগ্রাধিকার দিতে পারে? বন্ধুগণ, আজকের তারিখে বিশ্ব উষ্ণায়ন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে। এই বিশ্ব উষ্ণায়নকে প্রতিহত করতে ভারত ২০৭০ সালের মধ্যে ‘নেট জিরো কার্বন প্রতিসরণ’-এর লক্ষ্য রেখেছে। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য দেশে কাজ শুরু হয়ে গেছে। এই কাজগুলিকে গতি প্রদান করতে পরিবেশ–বান্ধব প্রকল্পগুলি চালু করা এবং সেগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। ‘গ্রিন ফিনান্সিং’ বা পরিবেশ–বান্ধব বিনিয়োগের নতুন নতুন উপায় নিয়ে গবেষণা করা আর সেগুলির বাস্তবায়ন আজ সময়ের চাহিদা। সৌরশক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারত যেমন অনেক কিছু করছে, এর পাশাপাশি আমাদের দেশে ‘ডিজাস্টার রেসিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ বা বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। আমাদের দেশে ‘হাউজিং সেক্টর’-এ ছয়টি লাইটহাউজ প্রোজেক্টের কাজ চলছে। এক্ষেত্রেও আমরা বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামোকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এক্ষেত্রে যত কাজ হচ্ছে সেগুলিতে আপনাদের সহযোগিতা কাম্য। এক্ষেত্রে এখন একটি লাইটহাউজ প্রোজেক্ট মডেল প্রকল্প রূপে গড়ে উঠছে, কিন্তু এ ধরনের কাজে যাঁরা এগিয়ে আসবেন, তাঁরা যদি আপনাদের কাছ থেকে যথাযথ আর্থিক সহযোগিতা পান, তাহলে তাঁরা এই মডেলের এমন রেপ্লিকা তৈরি করবেন আর সেগুলিকে ছোট ছোট শহরগুলিতে নির্মাণের চেষ্টা করবেন। দেশে আধুনিক গৃহ নির্মাণ প্রযুক্তি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সম্প্রসারিত হওয়া শুরু হবে। কাজের গতি বাড়বে, আর আমি মনে করি এ ধরনের আর্থিক সহযোগিতার অনেক তাৎপর্য রয়েছে। বন্ধুগণ, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনারা সবাই এই বিষয়গুলি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা, আলাপ–আলোচনা ও মন্থন করবেন আর এই ওয়েবিনারের মাধ্যমে ‘অ্যাকশনেবল সলিউশন্স’বা কর্মযোগ্য সমাধান খুঁজবেন। শুধু ‘আইডিয়াজ’ নয়, শুধু বড় বড় ভিশন নয়, ২০২৩–এর বাজেট নির্ধারণের কাজও আপনাদেরকে করতে হবে না। আজ আমাদের ২০২২–২৩–এর মার্চ মাসে যে বাজেট এসেছে, তাকে কিভাবে বাস্তবায়িত করব, তার দ্রুত বাস্তবায়ন কিভাবে সম্ভব, তার ফল কিভাবে দ্রুত পাব, আর সরকারের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে আপনাদের যে দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা তা থেকে কিভাবে উপকৃত হব – এই বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। আমাদের ফাইলগুলিতে ‘ফুলস্টপ, কমা’ এদিক–ওদিক হওয়ার ফলে আগে যেভাবে ৬–৭ মাস ধরে সিদ্ধান্ত ঝুলে থাকত তা যেন আমাদের ক্ষেত্রেও না হয়। এই প্রক্রিয়াকে আমরা কিভাবে দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করব, তা নিয়ে আমরা আগে থেকে আলোচনা করলে প্রত্যেকেরই সুবিধা হবে। এই দ্রুততার কথা ভেবেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমি যে ‘সবকা প্রয়াস’-এর প্রয়োজনীয়তার কথা বলি, সেই ‘সবকা প্রয়াস’-এরই একটি উদাহরণ হল ভারতের সাম্প্রতিক বাজেট প্রক্রিয়া। আমরা বাজেট আনার আগে একবার আপনাদের সবার সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করি। তেমনই বাজেট পেশ করার পরও আপনাদের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করি। দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আলাপ–আলোচনা করি। এভাবে সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের কথা ভাবা গণতন্ত্রের একটি উদ্ভূত প্রয়োগ। আর্থিক বিশ্বে এ ধরনের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চেষ্টা করা, সংশ্লিষ্ট সকলকে সঙ্গে নিয়ে মিলেমিশে কাজ করা, এটাই আমাদের বাজেটের সবচাইতে বড় বৈশিষ্ট্য। এটাই আমাদের শক্তি। সবাই এই শক্তিরই প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু এই প্রশংসা শুনে আমাদের থেমে থাকলে চলবে না। এবারের বাজেট নিয়ে সর্বস্তরে প্রশংসা হয়েছে, কিন্তু তা শুনে আমাদের থেমে থাকলে চলবে না। প্রতিটি পদক্ষেপে আমার আপনাদের সাহায্য চাই। আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ চাই। আমি তো রাজ্য সরকারগুলিকেও অনুরোধ করব, এই প্রক্রিয়াকে দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে তাঁদের যত নীতিগত প্রক্রিয়া রয়েছে, যেভাবে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, যেভাবে তাঁরা নীতি–নির্ধারণ করেন, সেই প্রক্রিয়াও কি ১ এপ্রিলের আগে সম্পন্ন হতে পারে? আপনারা যত দ্রুত বাজারে পণ্য ও পরিষেবা নিয়ে আসবেন, তত বেশি মানুষ আপনাদে��� রাজ্যে বিনিয়োগ নিয়ে আসবে। তাহলে আপনার রাজ্যের লাভ হবে। রাজ্যগুলির মধ্যেও পারস্পরিক একটি প্রতিযোগিতা থাকতে হবে। এবারের বাজেট থেকে সবচাইতে বেশি লাভবান কোন রাজ্য হতে পারে? কোন রাজ্য এমন ‘প্রোগ্রেসিভ পলিসি’বা প্রগতিশীল নীতি আনতে পারে, যাতে সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বসে থাকা ব্যক্তিরা সেই রাজ্যগুলির প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগ করার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এভাবে আমাদের একটি বড় প্রগতিশীল ইকো–সিস্টেম গড়ে তুলতে হবে। সর্বস্তরে নতুন কিছু করার মেজাজ আমাদের গড়ে তুলতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনারা সবাই অভিজ্ঞ মানুষ, দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলি সম্পর্কে আপনারা অবহিত, দৈনন্দিন প্রতিকূলতাগুলির সম্ভাব্য সমাধান সম্পর্কেও আপনারা জানেন, আজও আপনারা এই ধরণের সমস্যাগুলি সমাধানের জন্যই একসঙ্গে বসেছেন। সেজন্য আমি চাই যে এবারের বাজেট নিয়ে বাজেট পরবর্তী আলোচনায় বাস্তবায়নের বিষয়ে চিন্তাভাবনাকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হোক। এই ওয়েবিনারে আমি আপনাদের কাছ থেকে বাস্তবায়ন নিয়ে পরামর্শ চাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনাদের অবদান দেশকে অনেক উপকৃত করবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ! অনেক অনেক শুভকামনা! /",‘বিকাশ আৰু আকাংক্ষী অৰ্থনীতিৰ বাবে বিত্তীয়কৰণ’ সন্দৰ্ভত অনুষ্ঠিত বাজেট-উত্তৰ ৱে’বিনাৰ সম্বোধন কৰি দিয়া প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%86/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%9A%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%97%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0-%E0%A6%B8/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেশের সাতটি জায়গায় নতুন আইআইএম স্থাপন ও স্থায়ী ক্যাম্পাস চালুর সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। এগুলি অমৃতসর, বুদ্ধগয়া, নাগপুর, সম্বলপুর, সিরমৌর, বিশাখাপত্তনম ও জম্মুতে গড়ে তোলা হবে। এর জন্য মোট ৩৭৭৫.৪২ কোটি টাকা পৌণপৌণিক ব্যয় করা হবে। এই আইআইএম-গুলি ২০১৫-১৬/২০১৬-১৭-তে চালু করা হয়েছে এবং বর্তমানে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে রয়েছে। প্রত্যেকটি আইআইএম ক্যাম্পাস হবে ৬০৩৮৪ বর্গমিটার আয়তনের এবং ৬০০ ছাত্রছাত্রীর জন্য পরিকাঠামো এখানে গড়ে তোলা হবে। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর জন্য ৫ বছর পর্যন্ত বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। তারপর থেকে এই সংস্থাগুলি তাদের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থে নিজেদের পরিচালনার ব্যবস্থা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে এই আইআইএম-গুলির ক্যাম্পাস ভবন নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হবে। এরফলে, দেশের ২০টি আইআইএম-এর সবগুলির জন্যই স্থায়ী ক্যাম্পাসের ব্যবস্থা হবে। আইআইএম-গুলি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে থেকে পেশাদার ম্যানেজার তৈরি করবে এবং দেশের অর্থনৈতিক ও শিল্পোন্নয়নের জন্য সহায়ক ভূমিকা নেবে।","অমৃতচৰ, বৃদ্ধগয়া, নাগপুৰ, সম্বলপুৰ, ছিৰমুৰ, বিশাখাপট্টনম আৰু জম্মুসহ ৭খন নতুন আইআইএমৰ স্থায়ী চৌহদৰ স্থাপন আৰু কাৰ্যকৰীকৰণত কেবিনেটৰ অনুমোদন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B7%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%83-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%AC%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%83/,"নতুন দিল্লি, ২ মে, ২০২২ ভারত – জার্মানি আন্তঃসরকারি আলাপ-আলোচনার (আইজিসি) পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে সেদেশের চ্যান্সেলর ওলফ স্কোলজের সঙ্গে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রারম্ভিক বক্তব্যে দুই নেতাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দিক সহ একাধিক অভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলির কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, জটিল এই বিশ্ব পরিস্থিতিতে ভারত – জার্মানি অংশীদারিত্ব সাফল্যের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে। ভারতের 'আত্মনির্ভর ভারত' অভিযানে অংশগ্রহণের জন্য তিনি জার্মানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আন্তঃসরকারি আলাপ-আলোচনার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে নিজেদের বৈঠকে দুই দেশের মন্ত্রী ও আধিকারিকরা সংক্ষিপ্ত বিবরণী পেশ করেন। এরমধ্যে রয়েছে – পররাষ্ট্র বিষয়ক ও নিরাপত্তা; অর্থনৈতিক, আর্থিক নীতি, বৈজ্ঞানিক ও সামাজিক আদান-প্রদান; জলবায়ু, পরিবেশ, দীর্ঘস্থায়ী উন্নয় এবং শক্তি। ভারতের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন, বিদেশমন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ডাঃ জিতেন্দ্র সিং এবং শিল্প প্রসার ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দপ্তরের সচিব শ্রী অনুরাগ জৈন বিবরণী পেশ করেন। পরিবেশ-বান্ধব ও নিরন্ত্রণ অগ্রগতির লক্ষ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং সেদেশের চ্যান্সেলরের মধ্যে যৌথ ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এই পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের সমাপ্তি হয়। দীর্ঘ মেয়াদী ভিত্তিতে উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে ভারত ও জার্ম���নির মধ্যে সরকারি পর্যায়ে সহযোগিতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এই অংশীদারিত্বে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার অঙ্গ হিসেবে জার্মানি ২০৩০ পর্যন্ত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ক্ষেত্রে ১০ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের বিষয়ে অঙ্গীকার প্রকাশ করেছে। এমনকি, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত যৌথ ঘোষণাপত্রে উচ্চ পর্যায়ে সহযোগিতা ও রাজনৈতিক দিশা স্থির করতে আন্তঃসরকারি আলাপ-আলোচনার কাঠামোর মধ্যে একটি মন্ত্রী পর্যায়ের ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথাও বলা হয়েছে। আন্তঃসরকারি আলাপ-আলোচনার পর একটি যৌথ ঘোষণাপত্র গ্রহণ করা হয়। মন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। /",৬ষ্ঠ ভাৰত-জাৰ্মানী আন্তঃচৰকাৰী পৰামৰ্শৰ পূৰ্ণাংগ অধিৱেশনত সহ-অধ্যক্ষতা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%9C-%E0%A6%85%E0%A6%AB-%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B8-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%9F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%9C-%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A7%8D-%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,"অর্থমন্ত্রী শ্রী অরুণ জেটলিজি, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শ্রী সুরেশ প্রভুজি, বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহ-সভাপতি মিঃ শেফর, আনন্দ মহিন্দ্রাজি, রাশেশ শাহজি, সৌমিত্র ভট্টাচার্যজি, বি কে গোয়েঙ্কাজি, রমেশ ভারতী মিত্তলজি, শিল্প জগতের অন্যান্য প্রতিনিধি এবং এখানে উপস্থিত অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ। জনকল্যাণের পথে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক স্বাগত জানাই। এর একটা কারণ হ’ল – আপনাদের সঙ্গে দেখা করে দীপাবলীর শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানানো, কারণ আপনারা দেশকে একটি প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে তুলে এনে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ – এর দৃষ্টিতে একটি সম্মানজনক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। আপনাদের মধ্যে যাঁরা এখানে উপস্থিত নেই, তাঁরাও সমান ধন্যবাদের পাত্র। এরকম অসংখ্য সরকারি আধিকারিক, কর্মচারী, আমাদের পৌরসভা ও পৌর সংস্থানগুলি ভিন্ন ভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত কর্মচারী ও আধিকারিক, বন্দর ও বিমানবন্দরে ‘ক্লিয়ারেন্স’ – এর দায়িত্বে থাকা আধিকারিক ও কর্মচারীদের পাশাপাশি, বাণিজ্য জগতের সকলে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আমার মনে আছে, সাড়ে চার বছর আগে আমি বলেছিলাম যে, আগামীদিনে আমরা এক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ ৫০টি দেশের মধ্যে পৌঁছে যাব। তখন অনেকের কাছে এই লক্ষ্য কল্পনাতীত বলে মনে হয়েছিল। কারণ ২০১৪ সালের আগে তাঁরা যে ধরণের নীতি ও সিদ্ধান��তের ক্ষেত্রে অস্থিরতা দেখেছেন, নীতি পঙ্গুত্ব দেখেছেন, তাঁদের পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন ছিল যে ভারত এক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ ১০০টি দেশের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারবে কিনা! তাঁদের কোনও দোষ নেই! যখন প্রতিদিন দুর্নীতি, কেলেঙ্কারির খবর শোনা যাচ্ছিল, অর্থ ব্যবস্থার ডামাডোল, লাগামহীন ফিস্কাল ডেফিসিট, তখন বিশ্বের অনেক দেশেই বলাবলি হচ্ছিল যে, ভারত এবার ডুববে এবং অন্য অনেক অর্থ ব্যবস্থাকে নিয়ে ডুববে। আর এ ধরণের অবিশ্বাসকেও তখন স্বাভাবিক বলে মনে হ’ত। মাত্র চার বছরে দেশে যে ১৮০ ডিগ্রি পরিবর্তন এসেছে, সেটা আপনারা দেখছেন। ‘ইস অফ ডুয়িং বিজনেস’ – এর ক্ষেত্রে আমরা ১৪২তম স্থান থেকে ইতিমধ্যেই ৭৭তম স্থানে পৌঁছে গিয়েছি। মাত্র চার বছরে ৬৫ ধাপ এগিয়েছি। এটি যে কোনও দেশের জন্য একটি অভূতপূর্ব রেকর্ড উন্নতি। আজ ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ – এর ক্ষেত্রে ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে। চার বছর আগে আমরা ছয় নম্বরে ছিলাম। লাগাতার দু’বছর ভারত এভাবে উন্নয়নের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ ১০টি দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে। বিগত ৭ – ৮ বছরে আর কোনও দেশ এতটা উন্নতি করতে পারেনি, যতটা গত দু’বছরে ভারত করেছে। বন্ধুগণ, বিশ্ববাসী যা কল্পনাও করতে পারেননি, তা আমরা করে দেখিয়েছি। টপ – ৫০ – এর লক্ষ্য পূরণ করতে আমরা আর মাত্র কয়েক ধাপ দূরে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক তাদের রিপোর্টে স্বীকার করেছে যে, ভারত ১০টির মধ্যে ৮টির ক্ষেত্রে নিজেদের স্থান আরও পোক্ত করেছে। আর দুটি ক্ষেত্রে আমরা তো ১০০ ধাপেরও বেশি এগিয়ে গেছি। বন্ধুগণ, দেশে পরিবর্তনের আবহ সৃষ্টি করতে আমরা নিয়মিত রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে চলেছি। সহযোগিতামূলক, প্রতিযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে আমাদের রাজ্য সরকারগুলি সম্পূর্ণ উৎসাহ নিয়ে আমাদের সঙ্গ দিচ্ছে। আমরা এখন জেলাস্তরে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ সংশ্লিষ্ট সংস্কারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে চলেছি। এই পথ কিভাবে আরও প্রশস্ত হবে, গতিশীল হবে – সে সম্পর্কে সমস্ত রাজ্য সরকার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে নিয়মিত বার্তালাপ জারি রয়েছে। রাজ্যগুলিতে জেলাস্তরে একটি র‍্যাঙ্কিং সিস্টেম গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলছে। যাতে জেলাগুলি পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যাওওয়ার চেষ্টা করে। বন্ধুগণ, ব্যবসা কিংবা শিল্প আমাদের দেশের একেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। কারণ আমাদের পরিকাঠামোর উন্নয়ন চাই, কর্মসংস্থান চাই এবং মাথাপিছু রোজগারও বৃদ্ধি করতে হবে। এই সব কিছু তখনই সম্ভব, যখন দেশে বিনিয়োগ আসবে। শিল্প এবং ব্যবসা সঠিক লক্ষ্যে যথাযথ গতিতে এগিয়ে চলবে এবং সাধারণ মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হবেন। সেজন্য আমাদের নীতি-নির্ভর সুশাসন এবং ‘প্রেডিক্টেবল ট্রান্সপারেন্ট পলিসি’ প্রণয়নে জোর দিতে হবে। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, বিশ্ব ব্যাঙ্কের এই র‍্যাঙ্কিং যেসব বিষয় মাথায় রেখে নির্ধারণ করা হয়, সেই সকল ক্ষেত্রেই আমাদের রিফর্ম, পারফর্ম এবং ট্রান্সফর্মের রণনীতি অত্যন্ত সহায়ক প্রমাণিত হয়েছে। আমরা যে গতিতে সংস্কারের কাজ করছি, তা বিশ্ব ব্যাঙ্কে র‍্যাঙ্কিং মাণকের তুলনায় অনেক বেশি গতিশীল। দেশের সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও ছোট ছোট শিল্পের সরলতা আনতে, জীবনযাত্রাকে সরল করতে আমরা কাজ করে চলেছি। আর আমাদের সাফল্যের ফল হিসাবে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ – এর র‍্যাঙ্কিং – এ আমরা এই সাফল্য পাচ্ছি। এখন দেশের ছোট ছোট শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করা অনেক সহজ হয়েছে, পণ্য পরিবহণ সহজ ও দ্রুতগামী হয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগের প্রক্রিয়া সরল হয়েছে, সরকারি মঞ্জুরি দ্রুত পাওয়া যাচ্ছে, পারমিট দ্রুত পাওয়া যাচ্ছে, জনগণের আকাঙ্খা ও প্রত্যাশা থেকে প্রেরণা গ্রহণ করেই এই সব প্রচেষ্টা ত্বরাণ্বিত হয়েছে। বন্ধুগণ, দেশের ব্যবসার পরিবেশকে স্বচ্ছ করে তুলতে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জিএসটি, বিমুদ্রাকরণ, বেনামী সম্পত্তি আইন, ইনসলভেন্সি কোড, পলাতক আর্থিক অপরাধী সংশ্লিষ্ট আইন প্রণয়ন – এই দায়বদ্ধতার উদাহরণ। সরকারের এই প্রচেষ্টাগুলির ফলে দেশের দুর্নীতিবাজরা অত্যন্ত রুষ্ঠ কিন্তু সততার প্রতিষ্ঠা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ কর প্রদান করছেন। কারণ, তাঁরা বিশ্বাস করেন যে, তাঁদের করের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে। বন্ধুগণ, আপনারা জানেন যে, এই সংস্কার, এই সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া সহজ ছিল না। পদ্ধতি পরিবর্তন আইন থেকে শুরু করে সফটওয়্যার পরিবর্তন এত সহজ কাজ নয়। কখনও সফটওয়্যার পরিবর্তন সহজ হলেও মানুষের স্বভাব পরিবর্তন করা অত্যন্ত কঠিন। সেজন্য সংস্কারকে একটি জনপ্রিয় আন্দোলনে পরিণত করার প্রয়োজন হয়ে উঠেছিল। এই আন্দোলন আমাদেরকে এত কম সময়ে সাফল্যের মুখ দেখিয়েছে। অনেক স্তরে বিভাজিত ব্যবস্থাকে আজ আমরা ব্যবসা ও জন-বান��ধব করে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি। বিগত চার বছরে দেশে ১,৪০০-রও বেশি পুরনো অকেজো আইন বাতিল করা হয়েছে। আগে দেশে যে কোনও বাণিজ্যিক বিবাদ মেটাতে গড়ে ১,৫০০ দিন লাগতো। আমরা সেই গড়কে ৪০০ দিনে নামিয়ে আনতে পেরেছি। আমদানি ক্ষেত্রে পণ্যের ক্লিয়ারেন্স পেতে ২০১৪ সালের আগে যেখানে গড়ে ২৮০ ঘন্টা সময় লাগতো আমরা সেই সময় কমিয়ে ১৪৪ ঘন্টায় নামিয়ে আনতে পেরেছি। পরিবেশের ক্লিয়ারেন্স পেতে আগে কয়েক মাস থেকে শুরু করে কয়েক বছর লেগে যেত। এখন কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা সম্ভব হচ্ছে। সম্প্রতি নির্মাণ ও অন্যান্য সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে পরিবেশ মঞ্জুরির বিষয়টিকে সম্পূর্ণ বিকেন্দ্রিকরণ করে স্থানীয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। জিএসটি দেশের লজিস্টিক ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করেছে। আগের তুলনায় টার্ন – অ্যারাউন্ড টাইম প্রায় ১৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এতে সময় ও অর্থ দুয়েরই সাশ্রয় হচ্ছে। শ্রম আইন পালনের জন্য আগে শিল্পপতিদের প্রায় ৫০-৬০টি রেজিস্টারে লিখতে হ’ত। আমরা সেগুলির সংখ্যা কমিয়ে ৫টি রেজিস্টারে নিয়ে এসেছি। তেমনই পাসপোর্ট পেতে আগে ৩ – ৪ সপ্তাহ লাগতো, এখন মাত্র এক সপ্তাহ কিংবা তারও কম সময় লাগছে। আগে আয়কর রিফান্ড পেতে ৮ – ১০ মাস অপেক্ষা করতে হ’ত। এখন কয়েক সপ্তাহে রিফান্ড পাওয়া যাচ্ছে। ৪ – ৫ বছর আগে প্রায়ই শোনা যেত যে অধিক ট্রাফিকের ফলে রেল আরক্ষণ ওয়েবসাইট হ্যাঙ্গ হয়ে গেছে। আমরা সেই প্ল্যাটফর্মকে অনেক বেশি ট্রাফিকের জনয আপডেট ও আপগ্রেড করেছি। ফলে, লক্ষ – কোটি রেল যাত্রী উপকৃত হয়েছেন। দেশের প্রত্যেক গলি থেকে শুরু করে রেলের প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত সাফাই অভিযানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নে কাজ করা হয়েছে। মহিলাদের রাতের শিফটে কাজ করতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আইন পরিবর্তন করা হয়েছে। ছোট ছোট দোকানদার ও শিল্পপতিরা যেন তাঁদের ইচ্ছে মতো দোকান ও কারখানা খোলা রাখতে পারেন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আইন পরিবর্তন করা হয়েছে। বন্ধুগণ, সম্প্রতি ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রে যাঁরা জিএসটি-র সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের ঋণ প্রদানের সময়সীমা কমিয়ে ৫৯ মিনিট করা হয়েছে। তাছাড়া, উৎপাদন বৃদ্ধি, বাজারের পরিধি বৃদ্ধি ও লাইসেন্স সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূরীকরণের জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে শিল্প ও কোম্পানিগুলি কর্মসংস্থা�� সৃষ্টি করছে, তাঁদেরকে প্রধানমন্ত্রী রোজগার প্রোৎসাহন যোজনার মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে তিন বছর পর্যন্ত ৮.৩ শতাংশ ইপিএফ – এর টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। অ্যাপ্রেন্টিস অ্যাক্ট পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন অ্যাপ্রেন্টিসশিপ প্রোৎসাহন যোজনা চালু করা হয়েছে। এই যোজনার মাধ্যমে কোনও শিল্পে অ্যাপ্রেন্টিস নিয়োগ হলে তাঁদের প্রদত্ত স্টাইপেন্ডে এক-চতুর্থাংশ সরকার দেবে। বন্ধুগণ, আমি বাস্তবে ন্যূনতম সরকার অধিকতম প্রশাসন নীতিতে বিশ্বাসী। সাধারণ মানুষের জীবন সহজ করে তুলতে যে সমস্ত সংস্কার আনা হচ্ছে, সবই এই দৃষ্টিকোণ থেকে করা হচ্ছে। ফলে আইএমএফ, মুডিস, ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম কিংবা ইউএনসিটিএডি-র মতো সংস্থাগুলির মূল্যায়নে ভারতের স্থান উর্ধ্বমুখী। এরা সকলেই ভারতের সংস্কার প্রক্রিয়া ও গতি দেখে আজ এদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্পূর্ণ আস্থাবান। বন্ধুগণ, দেশে এই নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলে ভারত দ্রুত ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ক্লাবে যোগদানের পথে এগিয়ে চলেছে। এই লক্ষ্য প্রাপ্তির জন্য আমদের অর্থ ব্যবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্রে সংস্কার আনতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমাদের সকল ক্ষেত্রে পরিভাষাও বদলাচ্ছে। এখন নির্মাণ ও পরিষেবাকে পরস্পরের পরিপূরক হয়ে উঠতে হবে। উভয় ক্ষেত্রেই মূল্য সংযোজনের প্রয়োজন রয়েছে। নতুন প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিম্মত্তা ও তথ্য প্রযুক্তি এখন উৎপাদন ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। আমাদের এই পরিবর্তনকে মনে রাখতে হবে। বন্ধুগণ, বুনিয়াদী পরিবর্তনগুলিকে আরও ভালোভাবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে সরকার নতুন শিল্প নীতি গড়ে তোলার কাজ করছে। এটি এমন নীতি হবে, যা আধুনিক দৃষ্টিকোণ থেকে শিল্পকে বুঝতে পারে এবং শিল্প জগতকে নতুন মাত্রা প্রদান করতে পারে। এই শিল্প নীতি নতুন ভারতের শিল্পে নতুন দৃষ্টিকোণ নিয়ে আসবে এবং ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ – এর ক্ষেত্রে আরও সহাইয়ক হবে। বন্ধুগণ, এখন আমাদের ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ – এর র‍্যাঙ্কিং – এ টপ ৫০ – এ পৌঁছনোর জন্য সমবেতভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আগামীদিনে আমি নিজে এর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে পর্যালোচনা ও তদারকি করব। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আমরা যেসব সিদ্ধান্ত নিতে পারব, সেগুলির প্রভাব আগামী বছরের র‍্যাঙ্কিং – এ প্রতিফলিত হবে। নির্মল শক্তি ক্ষেত��র, ডিজিটাল বিশ্ব, স্বাস্থ্য ক্ষেত্র, মোবিলিটি – প্রত্যেক ক্ষেত্রে আপনাদের প্রচেষ্টা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, আত্মনির্ভর করবে। আজকের ব্যবস্থায় সকল প্রক্রিয়ায় ‘হিউম্যান ইন্টারভেনশন’কে ন্যূনতম করে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্য আমাদের আধুনিক প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে বাড়াতে হবে। একটি এমন কর্মসংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে, যেখানে ফর্ম জমা করতে নথি সেখাতে কিংবা ফিজ জমা করতে আর কোনও সরকারি কিংবা এজেন্সির অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন না হয়। এ ধরণের কর্মসংস্কৃতি নীতি-নির্ধারিত সুশাসনকে আরও মজবুত করবে। ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ – এর পাশাপাশি, ‘ইজ অফ লিভিং’ – এর দ্বারাও দেশের প্রত্যেক নাগরিককে উপকৃত করে তুলতে আপনাদের প্রত্যেকের পরামর্শ চাই। বন্ধুগণ, এই সময়ে আপনাদের মনে যে আত্মবিশ্বাস, যে ভরসা রয়েছে – সেটাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আপনাদের প্রতিটি পরামর্শকে আমি স্বাগত জানাই। একটি আগেই মহেন্দ্রজি বলছিলেন যে, আমরা কর্পোরেট সেক্টরেও যেরকম লক্ষ্য স্থির করতে পারি না, মোদীজি তারচেয়ে ভালো লক্ষ্য স্থির করছেন। আমাদের গুজরাটে প্রতিটি শিশুকে শেখানো হয় যে, লক্ষ্যচ্যুত হওয়াকে ক্ষমা করা যায়, কিন্তু লক্ষ্যকে নীচু করা ক্ষমা করা যায় না। আর আমার জীবনে যে মন্ত্র আমি মেনে চলি, তা হল – এমন লক্ষ্য স্থির করুন, যেখানে পৌঁছনো যায়, একটু লাফালেই ধরা যায়। এই মনস্তত্ত্ব ব্যবহার করেই আমি লক্ষ্য স্থির করার অভ্যাস তৈরি করেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, ভারতবাসীও এখন এভাবেই লক্ষ্য স্থির করে এগিয়ে চলেছেন। আমরা সকলে এর পরিণাম দেখতে পাচ্ছি। আরেকবার আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ। …",‘ইজ অব্ ডুয়িং বিজনেছ’ত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%9D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A6%BE-2/,"নয়াদিল্লি, ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ অরুণাচল প্রদেশের পরশুরাম কুণ্ড উৎসবের এক ঝলক নেট মাধ্যমে তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পেমা খাণ্ডুর এক ট্যুইট বার্তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন : “এ হল এক আশীর্বাদধন্য অভিজ্ঞত��। অরুণাচল প্রদেশকে নতুন করে ফিরে দেখার এ এক অপূর্ব সুযোগ।”",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে অৰুণাচল প্ৰদেশৰ পৰশুৰাম কুণ্ড উৎসৱৰ আভাস ভাগ বতৰা কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%B6%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%AB%E0%A7%A6%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%9C%E0%A6%A8/,"মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবার্ষিকীটি স্মরণীয় করে তুলতে কয়েকটি বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে দণ্ডপ্রাপ্ত জেল বন্দীদের কারামুক্তির একটি প্রস্তাবে আজ (১৮ই জুলাই, ২০১৮) সম্মতি জানাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থির হয়েছে যে তিনটি পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট জেল বন্দীদের প্রতি এই উদারতা দেখানো হবে। প্রথম পর্যায়ে বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে মহাত্মা গান্ধীর এ বছরের জন্মবার্ষিকীর দিনটিতে। দ্বিতীয় পর্যায়ে মুক্তির দিন স্থির হয়েছে চম্পারণ সত্যাগ্রহ দিনটির স্মরণে আগামী বছরের ১০ই এপ্রিল। তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ে বন্দী মুক্তির তারিখ মহাত্মা গান্ধীর আগামী বছরের জন্মবার্ষিকী অর্থাৎ, ২০১৯-এর ২ অক্টোবর। যে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বন্দীদের ক্ষমা ও কারামুক্তির বিষয়গুলি বিবেচনা করা হবে তার মধ্যে রয়েছে – ৫৫ বছর ও তার ঊর্ধ্ব বয়সী মহিলা বন্দী যারা তাদের কারাবাসের মেয়াদের অর্ধেক সম্পূর্ণ করেছে; প্রকৃত কারাবাসের অর্ধেক উত্তীর্ণ করা ৫৫ ও তার ঊর্ধ্ব বয়সী রূপান্তরকামী জেলবন্দী; প্রকৃত কারাবাসের অর্ধেক সময় জেলে কাটিয়েছে, এ ধরণের ৬০ ও তার ঊর্ধ্ব বয়সী পুরুষ বন্দী; দৈহিক দিক থেকে ৭০ শতাংশ বা তার বেশি পঙ্গুত্বের শিকার এবং প্রকৃত কারাবাসের অর্ধেক উত্তীর্ণ করা শারীরিক প্রতিবন্ধী; অসুস্থতার কারণে মরণাপন্ন জেল অপরাধী এবং যে সমস্ত অপরাধী তাদের প্রকৃত কারাবাসের দুই-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ, ৬৬ শতাংশ সময়কাল উত্তীর্ণ করে এসেছে। তবে যে সমস্ত বন্দীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাদের কোনভাবেই এই ক্ষমা প্রদর্শন করা হবে না। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যে সমস্ত অপরাধীকে পরবর্তীকালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও কোনরকম অনুগ্রহ করা হবে না। পণের দাবিতে হত্যা, ধর্ষণ, মানবপাচার এবং পোটা, ইউএপিএ, টিএডিএ, এফআইসিএন, পক্সো আইন, আর্থিক তছরূপ, ফেমা, এনডিপিএস, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ইত্য��দির আওতায় যারা অপরাধী বলে সাব্যস্ত হয়েছে ও কারাদণ্ড ভোগ করছে তাদের ক্ষেত্রেও কোনরকম ক্ষমা বা উদারতা দেখানো হবে না। যোগ্য কারাবন্দীদের মুক্তির বিষয়ে নির্দেশ পাঠানো হবে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসনের কাছে। বন্দীমুক্তির বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখার জন্য তাদের একটি করে কমিটি গঠন করারও পরামর্শ দেওয়া হবে। কমিটির সুপারিশগুলি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তা রাজ্য সরকারগুলির পক্ষ থেকে পেশ করা হবে রাজ্যপালদের কাছে।",মহাত্মা গান্ধীৰ ১৫০তম জন্ম বাৰ্ষিকী উপলক্ষে কয়দীসকললৈ বিশেষ ৰেহাইত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%AE%E0%A6%8F%E0%A6%AE%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BF-%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%A1%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A4%E0%A7%87/,"এমএমটিসি লিমিটেডের মাধ্যমে জাপানিজ স্টিল মিল্‌স (জেএসএম) এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পস্কো-কে +৬৪ গ্রেডের আকরিক লোহা সরবরাহের লক্ষ্যে সম্পাদিত দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বৃদ্ধি করার এক প্রস্তাবে সবুজ সঙ্কেত দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে আজ স্থির হয়েছে যে চুক্তির মেয়াদ ১ এপ্রিল, ২০১৮ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২৩ পর্যন্ত বাড়ানো হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঐ দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল এ বছরের ৩১ মার্চ তারিখে। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিটির পুনর্নবীকরণের ফলে এনএমডিসি এবং অন্যান্য উৎস থেকে আকরিক লোহা রপ্তানির মাত্রা দাঁড়াবে বছরে সর্বোচ্চ ৫.৫০ মিলিয়ন টন। রপ্তানির ন্যূনতম পরিমাণ হবে বছরে ৩.৮০ মিলিয়ন টন। এমএমটিসি-র মাধ্যমে জেএসএম এবং পস্কো-কে +৬৪ গ্রেডের যে লৌহ আকরিকের যোগান দেওয়া হবে, তার মাত্রা জাপানিজ স্টিল মিল্‌স-এর ক্ষেত্রে দাঁড়াবে বছরে ৩ থেকে ৪.৩০ মিলিয়ন টন। অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার পস্কো-র ক্ষেত্রে এর মাত্রা দাঁড়াবে ০.৮০ থেকে ১.২০ মিলিয়ন টন। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় আকরিক লোহার রপ্তানি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো সহযোগী দেশগুলির সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও, এর মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বিদেশি মুদ্রা অর্জনের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।",এমএমটিচি লিমিটেডৰ জৰিয়তে জাপান আৰু দক্ষিণ কোৰিয়ালৈ লো আকৰ যোগানৰ দীৰ্ঘম্যাদী চুক্তিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%B8-%E0%A6%8F-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%B0-%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%9B-%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9B/,"নয়াদিল্লি, ৭ আগস্ট ২০২২ কমনওয়েলথ গেমস, ২০২২-এ পুরুষদের ডাবল টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক জয়ী শরথ কমল এবং সাথিয়াঁ জ্ঞানশেখরনকে অভিনন্দিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেছেন : “খেলায় দলগত শক্তি আরও বৃদ্ধি পাক, এই কামনা জানাই। পুরুষদের ডাবলস খেলায় শরথ কমল ও সাথিয়াঁর সদাতৎপর টিমের রৌপ্য পদক লাভের ঘটনায় আমি আনন্দিত। প্রতিভাবান অ্যাথলিটদের জন্য আমার শুভকামনা রইল। #Cheer4India” /",পুৰুষৰ ডাবলছ টেবুল টেনিছত ৰূপৰ পদক জয়ৰ বাবে শৰথ কমল আৰু সাথিয়ান জ্ঞানচেকৰণক অভিনন্দন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,"নতুন দিল্লিতে গতকাল সহকারি সচিবদের এক অনুষ্ঠানের সমাপ্তি অধিবেশনে ২০১৬ ব্যাচের আইএএস আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে তাঁদের ব্যক্তব্য পেশ করেন। আটটি ভিন্ন বিষয়ে সহকারি সচিবরা তাঁদের প্রেজেন্টেশন তথা তথ্য সম্বলিত বিবরণী প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন। এই বিষয়গুলির মধ্যে ছিল – কৃষি থেকে আয় বৃদ্ধি; মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ড; অভিযোগ নিষ্পত্তি; নাগরিক-কেন্দ্রিক পরিষেবা; বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের সংস্কার; পর্যটক সহায়তা; ই-নিলাম এবং স্মার্ট শহরাঞ্চলীয় বিকাশ। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সহকারি সচিবদের এ ধরণের অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি একেবারে নবীন ও প্রবীণ আধিকারিকদের পারস্পরিক মতবিনিময় এবং আলাপ-আলোচনার সুযোগ করে দেয়। আগামী দিনগুলিতে বিভিন্ন মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত থাকার সময়ে নবীন এই আধিকারিকরা যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবেন, তা আত্মস্থ করে পরবর্তী সময়ে তার সদ্ব্যবহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী তাঁদের উৎসাহিত করেন। সরকারের কাছ থেকে সাধারণ মানুষের যে প্রত্যাশা রয়েছে, তরুণ এই আধিকারিকদের তা বিবেচনায় রেখে সেগুলি পূরণ করার জন্য কর্মজীবনে নিজেদের সেরাটা দিতেও প্রধানমন্ত্রী তাঁদের পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী তরুণ এই আধিকারিকদেরকে নিজেদের কর্তব্য পালনের সময়ে আশেপাশে থাকা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার মধ্যেই তাঁদের কর্তব্য ও উদ্দেশ্যগুলির সাফল্যপ্রাপ্তি নিহিত রয়েছে। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি-পর্বে নবীন এই আধিকারিকদের পেশ করা প্রেজেন্টেশনের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। …",সহকাৰী সচিবসকলৰ অনুষ্ঠানৰ সামৰণী অধিৱেশনঃ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সন্মুখত উপস্থাপন আগবঢ়ালে ২০১৬ত উত্তীৰ্ণ আইএএছ বিষয়াই +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A7%9F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%AA/,"মস্কোয় এক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংবাদে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেনপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “আজ মস্কোয় এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংবাদে আমি গভীর শোকও সমবেদনা জানাই। দুর্ঘটনার যাঁরা বলি হয়েছেন, তাঁদের পরিবার-পরিজনদের মতো আমিওসমান উদ্বিগ্ন”। …",মস্কোত বিমান দুৰ্ঘটনাত প্ৰাণ হেৰুওৱাসকলৰ বাবে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শোক প্ৰকাশ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%B0%E0%A6%A4/,"আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, উদীয়মান সূর্য প্রাণশক্তি, আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। অরুণাচল প্রদেশের নাম তো সূর্যের নামেই। কারণ এটি উদীয়মান সূর্যের ভূমি। সেজন্য এই ভূমি গোটা দেশের জন্য বিশ্বাসের প্রতীক। অরুনাচল প্রদেশ আমাদের বিশ্বাসকে শক্তি যোগায়, আমাদের সঙ্কল্পকে আরও দৃঢ় করে তোলে। বিগত ৫৫ মাসে আমি অনেকবার আপনাদের মাঝে এসেছি। আপনাদের আশীর্বাদ আমাকে নিরন্তর নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে প্রেরণা যোগায়। এই রাজ্যে যে কোন নাগরিক পরস্পরের সঙ্গে দেখা হলে ‘জয় হিন্দ’ বলে সম্বোধন করে। শুনে এত ভালো লাগে, এত প্রাণশক্তি সঞ্চার হয় যে আমি মনে মনে ‘জয় হিন্দ’ উচ্চারণ করা নাগরিকদের ভূমি এই রাজ্যকে প্রণাম জানাই। বন্ধুগণ, বিগত ৫৫ মাসে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার এবং আমার বন্ধু খান্ডুজির ���েতৃত্বে এ রাজ্যের বিজেপি সরকার অরুণাচল প্রদেশের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য, আপনাদের জীবনকে সহজ করে তোলার জন্য সম্পূর্ণ নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। আজও এখানে অরুনাচল প্রদেশের উন্নয়নে ৪,০০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে নির্মিত কিংবা নির্মীয়মান প্রকল্পের উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস করার সৌভাগ্য হয়েছে। এই প্রকল্পগুলি ছাড়াও আপনাদের রাজ্যে প্রায় ১৩,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এই প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ হলে এ রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত হবে এবং রাজ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে অনেক এগিয়ে যাবে। তাছাড়া, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত হবে, সংস্কৃতি ক্ষেত্রেও নতুন প্রাণশক্তি সঞ্চার হবে। সেজন্য আপনাদের সকলকে অনেক শুভেচ্ছা। ভাই ও বোনেরা, স্বাধীনতার পর থেকে ৫৫ বছর ধরে একটিই দল শাসন করে এসেছে। আর বিগত ৫৫ মাস ধরে বিজেপি সরকার শাসন করছে। আপনারা পাশাপাশি রেখে তুলনা করলেই বুঝতে পারবেন অরুণাচল প্রদেশ তথা সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতে কারা বেশি কাজ করেছেন। এরাজ্যে সমৃদ্ধ জলসম্পদ রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের অভূতপূর্ব সম্ভাবনা রয়েছে। যে গতিতে এ রাজ্যের উন্নয়ন হওয়া উচিৎ ছিল, তা হয়নি। দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এতদ্‌সত্ত্বেও এখানে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নির্মাণ হয়নি। এ রাজ্যের নবীন প্রজন্মের কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে সীমান্তে মোতায়েন সৈনিকদের সামর্থ্য বৃদ্ধির উপযোগী যোগাযোগ ব্যবস্থা – কোন কিছুর দিকেই নজর দেওয়া হয়নি। কিন্তু আমাদের সরকার এই করুণ পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি বারবার বলেছি যে নতুন ভারত তখনই পূর্ণ শক্তি নিয়ে বিকশিত হতে পারবে যখন পূর্ব ভারত তথা উত্তর-পূর্ব ভারত দ্রুতগতিতে বিকশিত হবে। এই বিকাশ সম্পদ এবং সংস্কৃতির গৌরব – উভয়ের নিরিখেই হওয়া প্রয়োজন। এই বিকাশের ভিত্তি হওয়া উচিৎ ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলকে যুক্ত করার পাশাপাশি জাতি, ভাষা, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের সঙ্গে মানুষকে একসূত্রে বাঁধা। ভাই ও বোনেরা, আমরা বিগত ৫৫ মাস ধরে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ মন্ত্র নিয়ে অরুণাচল প্রদেশ তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নে দ্রুতগতিতে কাজ করে চলেছি। এজন্য কখনও অর্থ কিংবা ইচ্ছাশক্তির অভাব অনুভূত হতে দিইনি। এই সামান্�� সময়ের মধ্যেই উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে ৪৪,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে, যা কিনা বিগত সরকারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এই উন্নয়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আজ অরুণাচল প্রদেশে একটি বিমানবন্দরের উদ্বোধন এবং আরেকটির শিলান্যাস করা হয়েছে। অথচ স্বাধীনতার পর থেকে এতবছর ধরে এ রাজ্যে একটিও এমন বিমানবন্দর ছিল না যেখানে নিয়মিত বড় যাত্রীবাহী বিমান নামতে পারে! আকাশপথে এলে গুয়াহাটি থেকে হেলিকপ্টারে আসা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকত না! গুয়াহাটি থেকে সড়কপথে সারাদিন লেগে যায়। বন্ধুগণ, আজ থেকে তেজু বিমানবন্দর সাধারণ যাত্রী পরিষেবার জন্যে উন্মুক্ত। অথচ তেজু বিমানবন্দর প্রায় ৫০ বছর আগেই বিমান পরিষেবার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু অব্যবহৃত অবস্থায় পড়েছিল। আমাদের সরকার এই অব্যবহৃত বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং আধুনিক পরিষেবা গড়ে তুলতে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা খরচ করে এটিকে চালু করেছে। আজ থেকে তেজুর সঙ্গে গুয়াহাটি, জোরহাট এবং বালোং-এর নিয়মিত বিমান যোগাযোগ চালু হবে। অরুণাচল প্রদেশ প্রাকৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। দিল্লি এবং দেশের বড় বড় শহরে যদি এখান থেকে নিয়মিত তাজা ফুল যায়, তাহলে মানুষ তাকিয়েই থাকবে। বিমানবন্দর চালু হওয়ার ফলে এখন কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এ রাজ্যের ফল-ফুল ভারতের বড় বড় বাজারগুলিতে পৌঁছে যাবে। আমাদের কৃষকদের রোজগার বৃদ্ধি পাবে। বন্ধুগণ, কয়েক মাস আগেই অরুণাচল প্রদেশের জন্য বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা শুরু হয়েছে। এখন এই বিমানবন্দরের বিস্তারের ফলে আপনাদের দ্বিগুণ লাভ হবে। পাশাপাশি, আজই প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মীয়মান হোলোঙ্গি গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরের শিলান্যাস হয়েছে। কয়েক মাস আগেই দেশের ১০০তম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর পাকিয়ং-এ উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি যে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই দ্বিতীয় গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরটির উদ্বোধনও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই করার চেষ্টা করা হবে। আর আপনারা জানেন, আমি যে প্রকল্পের শিলান্যাস করি, তার উদ্বোধনও আমিই করি। বন্ধুগণ, আকাশপথের পাশাপাশি সড়ক ও রেলপথে অরুণাচল প্রদেশের সঙ্গে ভারতের অন্যান্য প্রান্তের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করে তোলা হচ্ছে। প্রায় ৭ কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মীয়মান সুড়ঙ্গপথটিও দ��রুত নির্মাণের প্রচেষ্টা করা হবে। এই সুড়ঙ্গপথ তৈরি হলে বালিপাড়া থেকে তাওয়াং পর্যন্ত পৌঁছনো খুব সহজ হবে। যে কোন ঋতুতে সারা বছর ধরে যাতায়াতের সমস্যার সমাধান হবে। সম্প্রতি, ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর রাজ্যের সর্ববৃহৎ রেল-রোড ব্রিজ বোগিবিল সেতুর উদ্বোধনের সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এর ফলে, অরুণাচল প্রদেশের অভ্যন্তরীণ যাতায়াত ব্যবস্থা এখন অনেক বেশি সুগম হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, অরুণাচল প্রদেশের গ্রামে গ্রামে এবং শহরে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চালু করেছে। প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মীয়মান নতুন জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণের পাশাপাশি বিগত দু’বছরে প্রায় এক হাজার গ্রামকেও সড়কপথে যুক্ত করা হয়েছে। প্রায় ৪,০০০ কোটি বিনিয়োগে নির্মীয়মান ট্রান্স-অরুণাচল হাইওয়ে নির্মাণের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। বন্ধুগণ, অরুণাচল প্রদেশে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার কাজও আমরা করছি। উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীকে রেলপথে যুক্ত করার প্রক্রিয়ায় ইটানগরকেও রেল মানচিত্রে যুক্ত করা হয়েছে। নাহরলাঙ্গুন থেকে দিল্লি পর্যন্ত অরুণাচল এসি এক্সপ্রেস এখন সপ্তাহে দু’বার আসা-যাওয়া করে। তাছাড়া, সমগ্র অরুণাচল প্রদেশে রেল নেটওয়ার্ক বিস্তারের জন্য সাত জায়গায় সার্ভের কাজ চলছে। এর মধ্যে তিন জায়গায় সার্ভের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। তাওয়াং-কেও রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত করার জন্য একটি বড় প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ভাই ও বোনেরা, মহাসড়ক, রেল ও আকাশপথের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আজ আমি ‘সৌভাগ্য যোজনা’র মাধ্যমে অরুনাচল প্রদেশের প্রায় প্রত্যেক পরিবারে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পারার জন্য শ্রদ্ধেয় মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর গোটা টিমকে ধন্যবাদ জানাই। আজ অরুণাচল প্রদেশে যে কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে, অতি দ্রুত তা গোটা দেশে সম্পূর্ণ হবে। বিগত এক-দেড় বছরে ‘সৌভাগ্য যোজনা’র মাধ্যমে দেশের প্রায় আড়াই কোটি পরিবারে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বন্ধুগণ, প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের পাশাপাশি, তাঁরা যাতে যথাযথ বিদ্যুৎ পান তা সুনিশ্চিত করতে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দিয়েছে। আজই আমার ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধনের সৌভাগ্য হয়েছে। এর মাধ্য���ে অরুণাচল প্রদেশ ছাড়াও উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্য কয়েকটি রাজ্যও উপকৃত হবে। তাছাড়া, এ রাজ্যে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ সংবহন ব্যবস্থা সংস্কারের কাজ। এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হলে রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তিক অঞ্চলে উন্নত পর্যায়ের বিদ্যুৎ সংবহন সম্ভব হবে। পাশাপাশি, আরেকটি বড় কাজ হবে এখানকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত করা। বন্ধুগণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং বিদ্যুতের মতো প্রাথমিক পরিষেবা যখন কোন রাজ্যে গড়ে ওঠে, তখন সাধারণ মানুষের জীবন যেমন সুগম হয়, পর্যটনের প্রসারও ঘটে। পর্যটন এমন একটা ক্ষেত্র যেখানে প্রত্যেকে রোজগার করতে পারে। গাইড থেকে শুরু করে হোটেল মালিক, কর্মচারী, ট্যাক্সি চালক, দোকানদার, খেলনা বিক্রেতা, ফুল-ফল বিক্রেতা এমনকি, চাওয়ালারও রোজগার বাড়ে। গতকাল আমি উত্তর-পূর্ব ভারতের সৌন্দর্য্য এবং পর্যটনের সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে একটি ট্যুইট করেছিলাম। আর সবাইকে অনুরোধ করেছিলাম যে তাঁরা যদি উত্তর-পূর্ব ভারতে বেড়াতে গিয়ে থাকেন, তাহলে নিজেদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা সহ একটি ফটো শেয়ার করুন। আমি অবাক হয়ে দেখি যে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ উত্তর-পূর্ব ভারতে তাঁদের অতুলনীয় অভিজ্ঞতার কথা ট্যুইট করে জানায় এবং ফটো ট্যুইট করে। শুধু দেশের মানুষ নয়, অনেক বিদেশি পর্যটকও ট্যুইট করেছেন। এভাবেই আমরা পর্যটনকে জনপ্রিয় করে তুলতে চেষ্টা করছি। আপনারাও যদি সেই ‘হ্যাশট্যাগ’-এ গিয়ে দেখেন, অবাক হয়ে যাবেন যে কিভাবে দেশ ও বিশ্বের মানুষ সেখানে তাঁদের উত্তর-পূর্ব ভারতের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে গর্ব অনুভব করছেন। অরুণাচল প্রদেশের জন্য প্রকৃতি যেমন উদারহস্ত, আধ্যাত্ম এবং আস্থার সঙ্গে যুক্ত স্থানেরও এখানে কোন অভাব নেই। নতুন বিমানবন্দর চালু হওয়ার ফলে, নতুন রেল লাইন বিস্তারের ফলে এ রাজ্যে এখন দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থানের নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হবে। অরুণাচল প্রদেশের অর্থ ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে। ভাই ও বোনেরা, কেন্দ্রীয় সরকার দেশের প্রত্যেক অঞ্চলের সংস্কৃতি, ভাষা, খাদ্যাভ্যাস ও যাবতীয় বিশেষত্বকে সুরক্ষিত এবং সংরক্ষিত করার জন্য আরও সক্রিয় হতে দায়বদ্ধ। এই বৈচিত্র্যই ভারতের অমূল্য সম্পদ। আমাদের গর্ব। আর ভারতীয় জনতা পার্টির ভাবধারায় ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি নিবিড় টান রয়েছে। অরুণাচল প্রদেশের সংস্কৃতিকে সুরক্ষিত এবং সংরক্ষিত রাখার জন্য আমাদের সরকার এখানকার নিজস্ব ২৪ ঘন্টা টিভি চ্যানেল ‘অরুণপ্রভা’ চালু করেছে। এই টিভি চ্যানেলের জন্য যাবতীয় আধুনিক পরিষেবা চালু করা হয়েছে। এই চ্যানেলের মাধ্যমে এখন রাজ্যের দূর-দুরান্তের খবর আপনারা দ্রুত পাবেন। আশা করি, এই চ্যানেল স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরম্পরার একটি উন্নত বাহক হয়ে উঠবে। গোটা দেশের সঙ্গে অরুণাচল প্রদেশের সৌন্দর্য্যের পরিচয় ঘটাবে। এভাবেই জোটে-তে নির্মীয়মান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে স্থানীয় যুবক-যুবতীরা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ফিল্ম ও টেলিভিশন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। ফলে, স্থানীয় সংস্কৃতির উন্নত অভিব্যক্তি তুলে ধরা সম্ভব হবে। ভাই ও বোনেরা, আমাদের সরকার উন্নয়নের পঞ্চধারা অর্থাৎ, ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা, যুবকদের কর্মসংস্থান, বয়স্কদের ঔষধ, কৃষকদের সেচ এবং প্রত্যেক মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। বিশেষ করে, ক্রীড়াক্ষেত্রে উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি, দেশের প্রত্যেক ছেলে-মেয়েকে সুলভ এবং উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ঐতিহাসিক কাজ করছে। ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’র মাধ্যমে স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। আর গরিবদের কঠিন রোগের চিকিৎসার জন্য বিনামূল্যে বড় হাসপাতালে চিকিৎসা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। বন্ধুগণ, আজ এখানে যে ৫০টি স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে, সেগুলির মাধ্যমে দূর-দুরান্তের এলাকায় উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছনোর পাশাপাশি, কঠিন রোগ চিহ্নিতকরণ সম্ভব হবে, বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলা এবং আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এই স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্রগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বন্ধুগণ, অরুনাচল প্রদেশের গরিব পরিবারগুলিও দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো ‘আয়ুষ্মান ভারত’ বা ‘মোদী কেয়ার’ দ্বারা উপকৃত হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কঠিন রোগের ক্ষেত্রে গরিব পরিবারগুলি বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে উন্নত চিকিৎসা পেতে পারে। এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর এখনও ১৫০ দিন পেরোয়নি, কিন্তু ইতিমধ্যেই প্রায় ১১ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পের মাধ্যমে চিকিৎসার সুবিধা পেয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে পেমা খান্ডুজির নেতৃত্বাধীন সরকার এই প্রকল্পকে অরুণা���লের সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। বন্ধুগণ, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি, দেশের কৃষকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য এ বছর বাজেটে কৃষকদের জন্য অনেক বড় প্রকল্প আনা হয়েছে – ‘পিএম-কিষাণ সম্মান নিধি’। এর মাধ্যমে ৫ একর বা তার থেকে কম পরিমাণ জমির অধিকারী কৃষক পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি ৬ হাজার টাকা জমা করবে। প্রত্যেক বছর করবে। বছরে তিন কিস্তিতে ২ হাজার টাকা করে জমা করা হবে যাতে তাঁরা কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিশ্চিন্তভাবে করতে পারেন। অরুণাচল প্রদেশের কৃষকরাও এর মাধ্যমে অনেক উপকৃত হবেন। ভাই ও বোনেরা, কৃষিকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টার পাশাপাশি, আমরা জৈব চাষকেও উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাকে বলা হয়েছে যে এখানকার সরকার এই লক্ষ্যে অনেক দ্রুতগতিতে কাজ করে চলেছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে এক্ষেত্রে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যা সাহায্য দরকার সবই করা হবে। ভাই ও বোনেরা, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অহঙ্কার। ভারতের উন্নয়ন ও নিরাপত্তার সিংহদ্বারও বটে। বিজেপি সরকার এই সিংহদ্বারকে মজবুত করার কাজ চালিয়ে যাবে। আপনাদের সকলের আশীর্বাদে, আপনাদের এই প্রধান সেবক, অরুণাচল সহ সমগ্র পূর্ব ভারতকে উন্নয়ন ক্ষেত্র গড়ে তোলার কাজ করে চলেছে। আরেকবার আজ শুভারম্ভ হওয়া প্রকল্পগুলির জন্য আমার প্রিয় সমস্ত অরুণাচলবাসী ভাই-বোনেদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আপনাদের মুখে সব সময় জয় হিন্দ উচ্চারণ আমাকে প্রভাবিত করে। আমার সঙ্গে বলুন – জয় হিন্দ… জয় হিন্দ… জয় হিন্দ… জয় হিন্দ… জয় হিন্দ… জয় হিন্দ… অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",অৰুণাচল প্ৰদেশৰ ইটানগৰত কেইবাটাও উন্নয়নমূলক প্ৰকল্প উদ্বোধন কৰি প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আগবঢ়োৱা ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A7%B0/,"আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার নয়াদিল্লির পুসায় আইএআরআই’তে নানাজি দেশমুখ-এরজন্মশতবর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদী। ‘গ্রাম জীবনে প্রযুক্তি’ বিষয়টিকে অবলম্বন করে আয়োজিত একটি প্রদর্শনীওপরিদর্শন করবেন তিনি। ১০০’রও বেশি দক্ষ কাজকর্মের নিদর্শন এবং অ্যাপ্লিকেশন স্থানপেয়েছে ঐ প্রদর্শনীটিতে। গ্রামীণ উদ্ভাবন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত পেশাদারব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি। নানাজি দেশমুখ এবং লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণের উদ্দেশে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনকরবেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী নানাজি দেশমুখ-এর ওপর একটি স্মারক ডাকটিকিটও এদিন আনুষ্ঠানিকভাবেপ্রকাশ করবেন। জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্মের মধ্যে সমন্বয়সাধন এবংসেগুলির দেখভালের জন্য একটি বিশেষ পোর্টালেরও সূচনা করবেন তিনি। গ্রাম পঞ্চায়েতপর্যায়ে পল্লী উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রয়োজনীয়তথ্য তুলে ধরার জন্য গ্রাম সংবাদ অ্যাপ্লিকেশনটিও চালু করবেন প্রধানমন্ত্রী।‘সূচনা সে স্বশক্তিকরণ’ অর্থাৎ ‘তথ্যের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন’ বিষয়টিকে অবলম্বন করে এইপোর্টালটি গড়ে তোলা হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী, পঞ্চায়েত, জল সংরক্ষণের লক্ষ্যে উদ্ভাবন প্রচেষ্টারসঙ্গে যুক্ত পেশাদার ব্যক্তি এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুফল গ্রহীতাদের একসমাবেশে এদিন ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এই সমাবেশে প্রায় ১০ হাজারের মতো জনসমাগমহবে বলে আশা করা হচ্ছে।",নানাজী দেশমুখৰ জন্ম শতবৰ্ষৰ শুভাৰম্ভনী অনুষ্ঠানত উপস্থিত থাকিব প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%8F%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%8F/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ জাতীয় মেডিকেলকমিশন (এনএমসি) বিল-এর কয়েকটি সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদিত হল। এ বছর ২ জানুয়ারিতারিখে লোকসভায় এনএমসি বিলের সংশোধন সম্পর্কে আলোচনা এবং পরবর্তীকালে সংশ্লিষ্টদপ্তর সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে এটি পাঠানোর পরই এই অনুমোদনের প্রস্তাবপেশ করা হয়। চূড়ান্ত এমবিবিএসপরীক্ষাকে সারা দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য একটি সাধারণ পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসা,আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি অনুসরণের জন্য আয়ুষ চিকিৎসকদের সংক্ষিপ্ত কোর্সের ব্যবস্থাটিতুলে দিয়ে তা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির বিবেচনার আওতায় নিয়ে আসা, বেসরকারিমেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে৫০ শতাং�� আসনের ক্ষেত্রে কোর্স ফি নিয়ন্ত্রণ, এনএমসি-তে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিতঅঞ্চলগুলি থেকে মনোনয়নের সংখ্যা ৩ থেকে বাড়িয়ে ৬ করা, নিয়মনীতি অনুসরণের পথ থেকেবিচ্যুত মেডিকেল কলেজগুলির ক্ষেত্রে আর্থিক পেনাল্টি ধার্য করা, হাতুড়ে এবংউপযুক্ত শিক্ষা ছাড়াই চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থাইত্যাদি রয়েছে সংশোধন প্রস্তাবগুলির আওতায়। /",ৰাষ্ট্ৰীয় চিকিৎসা আয়োগ (এনএমচি) বিলৰ সংশোধনৰ প্রস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%A7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%A8%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%B0/,"ধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে আজ ভারত ও ডেনমার্কের মধ্যে ধারাবাহিক এবং নগরোন্নয়ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তিমূলক সহযোগিতা সম্পর্কিত সমঝোতাপত্রের বিষয়ে জানানো হয়। মউটি স্বাক্ষরিত হয় গত এপ্রিল মাসে। এই চুক্তিটি সম্পাদিত হবার ফলে ধারাবাহিক এবং আধুনিক নগরোন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারত্ত ও ডেনমার্কের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে। সমঝোতাপত্রটি সম্পাদিত হবার প্রেক্ষিতে একটি যৌথ একটি যৌথ কর্মীগোষ্ঠী গঠিত হবে, যেটি সহযোগিতার ভিত্তিতে কর্মসূচিগুলি রূপায়ণ করবে বা এ সংক্রান্ত কৌশল ঠিক করে দেবে।",বহনযোগ্য আৰু স্মাৰ্ট নগৰ উন্নয়নৰ ক্ষেত্ৰত ভাৰত আৰু ডেনমাৰ্কৰ মাজত কাৰিকৰী সহযোগিতা সন্দৰ্ভত স্বাক্ষৰিত বুজাবুজি চুক্তিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%9F%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%B0/,"সিকিমের মাননীয় রাজ্যপাল গঙ্গাপ্রসাদজি, রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহকর্মী সুরেশ প্রভুজি, ডঃ জিতেন্দ্র সিংজি, এস এস আলুওয়ালিয়াজি, রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ কে এন রায়জি, রাজ্য সরকারের মন্ত্রী দর্জি শেরিং লেপচাজি এবং এখানে উপস্থিত অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ ও আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা। বন্ধুগণ, আমি বিগত তিন দিন ধরে ভারতের পূর্বাঞ্চলে সফর করছি। এই পূর্ব ভারত সফরে সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং মানবতার সেবার সঙ্গে যুক্ত অনেক বড় বড় ���্রকল্প দেশকে সমর্পণ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। গতকাল ঝাড়খন্ডে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার অন্তর্গত আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সূচনা করার পর বিকেলেই আমি সিকিমে চলে এসেছিলাম। আজ সকালে সিকিমের উদীয়মান সূর্য, শীতল বাতাস, পাহাড়ের অপরূপ প্রাকৃতিক শোভা দেশে অজান্তেই ক্যামেরায় হাত চলে গিয়েছিল। অনেক ছবি তুলেছি, এখানকার সৌন্দর্য অতুলনীয়। আমরা সকলেই সৌন্দর্যের কাঙাল। প্রকৃতি আপনাদের এত কিছু দিয়েছে, যা পাওয়ার জন্য অন্যরা এখানে ছুটে আসেন। ভাই ও বোনেরা, পূর্ব ভারতে আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের গুরুত্ব আপনারা ভালোভাবে জানেন, দেশও জানে। পূর্ব ভারতে উত্তর-পূর্বের ভিন্ন গুরুত্ব রয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই সুন্দর রাজ্যে বসবাসকারী সবাইকে আমি প্রণাম জানাই। অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে সিকিমের জনগণকে রাজ্যের প্রথম পাকিয়াং বিমানবন্দর উপহার দিতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি। আজকের এই দিনটি সিকিমের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিকিমের পাশাপাশি সমগ্র দেশবাসী আজ এই পাকিয়াং বিমানবন্দর উদ্বোধনের জন্য গর্ববোধ করবেন। ক্রিকেট মাঠে খেলোয়াড়রা যেমন সেঞ্চুরি করেন, আজ ভারতও বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে সেঞ্চুরি হাকালো। আমাদের সিকিম ফুটবলের জন্য বিখ্যাত, কিন্তু দেশে এমন পরিবর্তন এসেছে যে, এই ফুটবল প্রেমী রাজ্যের ছেলেমেয়েরা আজ ক্রিকেটও খেলতে শুরু করেছে। আমি গতকালই খবরের কাগজে পড়েছি যে, এখানকার ক্যাপ্টেন নীলেশ লামিছা সেঞ্চুরি করেছেন। আর আজ এই সিকিমের মাটিতে ভারত বিমানবন্দরের সংখ্যার ক্ষেত্রে সেঞ্চুরি করল। ভাই ও বোনেরা, এই বিমানবন্দর আপনাদের জীবনকে আরও সহজ করে তুলতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এতদিন পর্যন্ত সিকিমে আসতে হলে আমাদের দেশের অন্য রাজ্য হয়ে আসতে হ’ত। নিজের রাজ্যে বিমানবন্দর না থাকার দুঃখ কেমন তা সিকিমের মানুষ খুব ভালোভাবেই জানেন। পশ্চিমবঙ্গের বাগডোগরায় বিমান থেকে অবতরণের পর প্রায় ১২৫ কিলোমিটার উঁচু-নীচু, আকা-বাকা পথ পেরিয়ে গ্যাংটক পৌঁছতে ৫-৬ ঘন্টা লেগে যেত। কিন্তু এখন পাকিয়াং বিমানবন্দরে পৌঁছতে নিকটবর্তী কোনও বিমানবন্দর থেকে এক ঘন্টাও লাগবে না। ভাই ও বোনেরা, এই বিমানবন্দর উদ্বোধনের ফলে সফরের সময় যেমন কমেছে। সরকারের চেষ্টা ছিল যাতে এখানে বিমানে আসার ভাড়াও সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকে। সেজন্য এই বিমানবন্দরকে উড়ান য��জনার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে ২,৫০০ – ২,৬০০ টাকা ভাড়া দিয়ে এখানে পৌঁছনো যাবে। সরকারের এই লক্ষ্য এবং প্রচেষ্টার ফলে আজ বিমানযাত্রা রেলের এয়ার কন্ডিশন ক্লাসে যাতায়াতের সমান ব্যয়ে সম্ভব হচ্ছে। আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি যে, ‘টাইম ইজ মানি’। বিমানে গেলে যে সময় বাঁচে, তার আর্থিক মূল্য চিন্তা করুন। সেজন্য আজ দেশের লক্ষ লক্ষ মধ্যবিত্ত পরিবারও আজ বিমান যাত্রায় সক্ষম হয়ে উঠেছেন। বন্ধুগণ, সবে তো বিমানবন্দর শুরু হ’ল। আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে এখান থেক গুয়াহাটি এবং কলকাতায় যাতায়াতের জন্য নিয়মিত উড়ান শুরু হবে। আগামীদিনে দেশের রাজধানী ও অন্যান্য অংশের সঙ্গেও যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেও নিয়মিত বিমান পরিষেবা চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে। বন্ধুগণ, পাকিয়াং বিমানবন্দরটিও খুব সুন্দরভাবে গড়ে উঠেছে। এটি আমাদের কারিগরি ও দক্ষতার প্রতীক। যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁরা বিগত তিন দিন ধরে এই বিমানবন্দরের ছবি দেখছেন। প্রকৃতির কোলে কিভাবে বিমান অবতরণ হচ্ছে – এই ভিডিওটি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। উদ্বোধন আজ হলেও দেশ-বিদেশের মানুষ কিছুদিন আগে থেকেই এর জয়জয়কার শুরু করেছেন। ৫৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মিত এই বিমানবন্দর আমাদের ইঞ্জিনিয়র ও কর্মীদের কর্মকুশলতার গৌরবময় অধ্যায়। কিভাবে পাহাড় কাটা হয়েছে, সেই মাটি ও পাথর দিয়ে কিভাবে খাদ ভরা হয়েছে, ভারী বৃষ্টির চ্যালেঞ্জ কিভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে। এখন এমন ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে যে, পাহাড় থেকে নেমে আসা জলের ধারা বিমানবন্দরের নীচ দিয়ে অবলীলায় বেরিয়ে যাবে। সত্যিই এটি অদ্ভূত স্থাপত্যবিদ্যার নিদর্শন হয়ে উঠেছে। আজ এই উপলক্ষে আমি এই বিমানবন্দরের পরিকল্পনা গ্রহণকারীদের থেকে শুরু করে নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত প্রকৌশলবিদ, কারিগর এবং শ্রমিকদের এই অসাধারণ সাফল্যের জন্য অনেক অনেক আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারা সবাই সত্যিই উৎকৃষ্ট কাজ করে দেখিয়েছেন। ভাই ও বোনেরা, সিকিম সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে পরিকাঠামো এবং আবেগপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিস্তারিত করার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। বিগত চার বছরে আমি নিজে অনেকবার উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে আপনাদের সকলের আশীর্বাদ গ্রহণের জন্য এবং এখানকার উন্নয়ন যাত্রা সরেজমিনে দেখতে ও জানতে পৌঁছে গিয়েছি। শুধু তাই নয়, প্���ত্যেক সপ্তাহে কিংবা সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই কোনও না কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোনও না কোনও রাজ্যে সফর করেছেন এবং সরেজমিনে দেখে উন্নয়ন যজ্ঞের হিসাব-নিকাশ করেছেন। এর পরিণাম কী হয়েছে, তা আপনারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন। সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম – এই সবকটি রাজ্যে স্বাধীনতার পর এই প্রথম অনেক কাজ শুরু হয়েছে। অনেক জায়গায় প্রথমবার বিমান কিংবা রেল পৌঁছেছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুতের তারও এই প্রথম পৌঁছেছে। এখন গোটা উত্ত্র-পূর্বাঞ্চলে জাতীয় সড়ক উন্নয়নের কাজ চলছে। গ্রামে গ্রামে পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। নদীগুলির ওপরে বড় বড় সেতু তৈরি হচ্ছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচি সম্প্রসারিত হয়েছে। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ – এর মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে যাওয়া আমাদের সরকার দেশের আঞ্চলিক ভারসাম্যহীনতা দূর করতে উত্তর-পূর্ব সহ সমগ্র পূর্ব ভারতকে দেশের উন্নয়ন যাত্রায় অগ্রাধিকার দিয়ে পূর্ণ উদ্যমে কাজ করে চলেছে; আমরা এর জন্য দায়বদ্ধ। এই লক্ষ্য নিয়েই সিকিমকে নিজস্ব বিমানবন্দর উপহার দেওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হয়েছিল। আপনারা সবাই জানেন যে, প্রায় ছয় দশক আগে একটি ছোট্ট বিমান এখান থেকে উড়েছিল কিন্তু তার পর থেকে এই বিমানবন্দরের জন্য এতদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। বন্ধুগণ, শুধু সিকিম নয়, অরুণাচল প্রদেশ সহ দেশের অনেক রাজ্যে গত চার বছরে নতুন নতুন বিমানবন্দর গড়ে উঠেছে। এই যে আমরা সেঞ্চুরি করলাম, আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, এর মধ্যে ৩৫টি বিমানবন্দর গত চার বছরে নির্মিত ও তার উদ্বোধন করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ পর্যন্ত দেশে দ্রুতগতিতে কাজ করার কথা বললে কী বোঝা যেত? চতুর্মুখী কাজ কিংবা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা বলতে কী বোঝাতো? এই একটি উদাহরণ দিয়ে আমি বোঝাতে চাইছি যে, স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৬৭ বছরে দেশে বিমানবন্দরের সংখ্যা ছিল ৬৫টি। অর্থাৎ বছরে প্রায় ১টি, আর গত চার বছরে, বছরে প্রায় ৯টি। অর্থাৎ আমরা আগের তুলনায় নয় গুণ গতিতে কাজ করছি। ভাই ও বোনেরা, আজ ভারত অন্তর্দেশীয় উড়ানের ক্ষেত্রে বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম বাজার হয়ে উঠেছে। ভারতে বিমান পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলি নতুন উৎসাহে নতুন নতুন বিমান কেনার জন্য বরাত দিচ্ছে। স্বাধীনতার পর বিগত ৭০ বছরে দেশে প্রায় ৪০০টি বিমান যাত্রী পরিবহণে রত ছিল। আর এখন বিমান পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলি বিগত এক বছরে ১ হাজারটি নতুন বিমান কেনার বরাত দিয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, আমার হাওয়াই চপ্পল পরিহিত সাধারণ মানুষকে বিমান যাত্রা করানোর স্বপ্ন আজ দ্রুতগতিতে বাস্তবায়িত হতে চলেছে। ভাই ও বোনেরা, আপনাদের নিজস্ব বিমানবন্দর গড়ে ওঠার পর এখন এই রাজ্য থেকে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে যাতায়াতের সুবিধা বৃদ্ধির ফলে রাজ্যের আয়ও দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাবে। সিকিম এমনিতেই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য। প্রতি বছর এখানে রাজ্যের জনসংখ্যার চেয়ে বেশি পর্যটক আসেন। আমাকে বলা হয়েছে যে, বিমানবন্দর উদ্বোধনের আগেই প্রতি বছর এ রাজ্যের জনসংখ্যার দেড় গুণ মানুষ এই রাজ্যে ঘুরতে আসেন। এখন এই বিমানবন্দর তৈরি হওয়ার পর নিশ্চিতভাবেই পর্যটকের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাবে। এবারের দুর্গা পূজা বা দীপাবলীতেই দেখবেন, সিকিমে কেমন পর্যটকের ঢল নামে। এই বিমানবন্দর সিকিমের নবীন প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। ফলে এখানকার হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস, ক্যাম্পিং সাইটস্‌, হোম স্টে, ট্যুরিস্ট গাইড এবং রেস্টুরেন্ট – সবাই অনেক লাভের মুখ দেখবে। আর পর্যটন এমনই ব্যবসা যা দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তিকেও কর্মসংস্থান দেয়, মুগ-চানা বিক্রেতা, ফুল ও ফুলের চারা বিক্রেতা, অটোরিক্সা চালক, অতিথিশালার কর্মচারি ও চা বিক্রেতাদের রোজগার বৃদ্ধি পায়। এখানে ভক্তদের জন্য পরিষেবা নির্মাণ খাতে ৪০কোটি টাকারও বেশি অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছে। সিকিমের প্রকৃতিকে সুরক্ষিত ও সুজলা-সুফলা করে রাখার জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বেশ কিছু প্রকল্প চালু করা হয়েছে। ‘কেন্দ্রীয় সরকার ন্যাশনাল রিভার কনজারভেশন প্ল্যান’ অনুযায়ী সিকিম-কে ৩৫০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ মঞ্জুর করেছে। এর মাধ্যমে যে ৯টি প্রকল্প মঞ্জুর হয়েছে, তার মধ্যে ৮টি গ্যাংটক ও সিমটমের জন্য। প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প রানীচু নদীকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করবে। তাছাড়া গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য প্রায় ১২৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ কোটি টাকারও বেশি ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারগুলিকে পাঠানো হয়েছে। বন্ধুগণ, পরিবেশ, পরিবহণ এবং পর্যটন – এই তিনের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য সিকিমের জন্য শুধুই বিমান যোগাযোগের ক্ষেত্রে অ��্রাধিকার দেওয়া হয়নি, অন্যান্য পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজেও জোর দেওয়া হয়েছে। জাতীয় মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে সড়ক প্রশস্তিকরণের কাজ চলছে। এছাড়া, ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগে অনেক ছোট ছোট সড়কপথ নির্মাণ করা হচ্ছে কিংবা প্রশস্ত করা হচ্ছে। সড়কপথের পাশাপাশি সিকিমে রেল যোগাযোগ আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। গ্যাংটক শহরকে ব্রডগেজ লাইন যুক্ত করার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। সিকিমের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য এবং ট্রান্সমিশন লাইন নবীকরণের জন্য রাজ্য সরকারকে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ প্রদান করা হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, এ বছর ডিসেম্বর মাসের আগেই এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সিকিম দেশের মধ্যে অগ্রণী রাজ্য হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যে ৬টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ভাই ও বোনেরা, সিকিম রাজ্য সরকার এবং বিশেষ করে সিকিমের কৃষকদের আমি অভিনন্দন জানাই যে, আপনারা রাজ্যকে ১০০ শতাংশ জৈব চাষের রাজ্য হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে দেশের মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে বাজারের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। আর আজ যে বিমানবন্দর চালু হ’ল, আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে, অদূর ভবিষ্যতেই এখানকার ফুল ও ফল এক ঘন্টার মধ্যেই দিল্লি ও কলকাতার বাজারে পৌঁছে যাবে। সিকিমের কৃষকরা যে ফুল উৎপাদন করেন, তা এখন ভারতের অসংখ্য ঈশ্বরের চরণে পৌঁছে যাবে। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে সরকার মিশন অর্গানিক ভ্যালু ডেভেলপমেন্ট ফর নর্থ ইস্টার্ন রিজিয়ন নামক একটি বিশেষ প্রকল্প শুরু করেছে। এই খাতে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। বন্ধুগণ, জৈব ফসল শুধু আমাদের পরিবেশ নয়, আমাদের ধরিত্রী মা-কেও সুরক্ষিত করবে। অনেক রোগ থেকে মানবজাতিকে মুক্তি দেবে। আমাদের সরকারের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হ’ল জনগণের স্বাস্থ্য। গতকাল আমাকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছিলেন যে, বিগত ১০ বছরে জৈব চাষের সাফল্যের সরাসরি পরিণাম এখন অনুভূত হচ্ছে। রাজ্যের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। আর আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, সিকিমে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের গড় আয়ু গত ১০ বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সিকিমের এই উদাহরণ ভারতবাসীকে রা��ায়নিক সার থেকে মুক্তির পথ দেখাবে। আমি জানি যে, সিকিমবাসী ‘স্বচ্ছতাই সেবা’ মন্ত্রকে জীবনের মূল মন্ত্র করে তুলেছেন। আপনাদের সকলের প্রচেষ্টায় জনমানসে যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, তার ফলস্বরূপ ২০১৬ সালেই সিকিম দেশের মধ্যে সবার আগে খোলা মাঠে প্রাকৃতিক কর্ম মুক্ত রাজ্য হিসাবে নিজেদের ঘোষণা করেছে। শুধু তাই নয়, প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত রাজ্য হিসাবেও সিকিম দেশের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ভাই ও বোনেরা, আমি আগেই বলেছি, গতকাল থেকে ভারতে বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রকল্প ‘আয়ুষ্মান ভারত’ কার্যকরী হয়েছে। ফলে গোটা দেশের সঙ্গে সিকিমের গরিব পরিবারগুলিও যে কোনও সদস্যের কঠিন রোগের ক্ষেত্রে বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুবিধা পাবেন। আর এখানকার নাগরিক ভারতের যে কোনও প্রান্তে যে কোনও বড় হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার সুবিধা পাবেন। অসুস্থ মানুষ যেখানেই চিকিৎসার জন্য যাবেন, তাঁর সঙ্গে সঙ্গে এই ‘আয়ুষ্মান ভারত’ সুরক্ষা কবচের মতো চলতে থাকবে। বন্ধুগণ, বিগত চার বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ মানুষের জীবন ধারণের মান উন্নত করার জন্যে অনেক প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে, সিকিমের মানুষও এগুলির দ্বারা উপকৃত হচ্ছেন। জন-ধন যোজনার মাধ্যমে এরাজ্যের প্রায় এক লক্ষ গরিব মানুষ প্রথমবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। এ রাজ্যের প্রায় ৮০ হাজার ভাই-বোন মাসে ১ টাকা আর দৈনিক ৯০ পয়সা কিস্তিতে দুটি সুরক্ষা বিমা যোজনার গ্রাহক হয়েছেন। উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে সিকিমের প্রায় ৩৮ হাজার গরিব পরিবারের রান্নাঘরে বিনামূল্যে গ্যাস সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বন্ধুগণ, এই বিমানবন্দর চালু হওয়ার ফলে এখানে অনেক নতুন নতুন পরিষেবা গড়ে উঠবে, যা সিকিমের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। আপনাদের সবাইকে রাজ্যের প্রথম বিমানবন্দরের জন্য আরেকবার অন্তর থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে অনেক বিষয় উল্লেখ করেছেন। এই সমস্ত বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আমার নিয়মিত ব্যক্তিগত আলোচনা হয়। সেজন্য তাঁকে সর্বসমক্ষে আলাদাভাবে আমাকে বলার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে, এই দেশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে হলে সিকিমকেও উন্নত করতে হবে। সিকিমের জনসমাজে প্রত্যেক বর্গের প্রত্যেক ব্যক্তি, যুবক-যুবতীর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্য সমস্ত রকম ��েষ্টা করা হবে। এই বিশ্বাস নিয়ে আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা, অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। ধন্যবাদ।",ছিকিমত পাকয়ং বিমানবন্দৰ মুকলি অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A6%A4%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F%E0%A6%A4-%E0%A6%B8/,প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিল্লীর এক বিদ্যালয়ে “স্বচ্ছতাই সেবা” আন্দোলনে অংশ নিয়ে সেখানে শ্রমদান করেন। দেশের ১৭টি জায়গা থেকে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময়কালে ‘স্বচ্ছতাই প্রকৃত সেবা’ আন্দোলনের সূচনার অব্যবহিত পরেই প্রধানমন্ত্রী মধ্য দিল্লীর রানী ঝাঁসি রোডে অবস্হিত বাবাসাহেব আম্বেদকর উচ্চবিদ্যালয়ে যান। সেখানে তিনি বাবাসাহেব আম্বেদকরের মূর্তিতে পুস্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন। বিদ্যালয় পড়ুয়াদের সঙ্গে তিনি মতবিনিময় করেন এবং তাদেরকে স্বচ্ছতা অভিযানের ব্যাপারে উৎসাহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী প্রথাগত প্রোটোকল ছাড়াই স্বাভাবিক যানজটের মধ্যেই ঐ বিদ্যালয়ে পৌঁছান এবং সেখান থেকে ফিরে আসেন। ঐ বিদ্যালয়ে তাঁর সফরের জন্য বিশেষ কোনও যাতায়াতের বন্দোবস্ত করা হয়নি। তপশিলী উপজাতিভুক্তদের শিক্ষা ও আর্থ-সামাজিক কল্যাণকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ডঃ আম্বেদকর ১৯৪৬ সালে ঐ বিদ্যালয়ের জমি ক্রয় করেছিলেন। /,দিল্লীৰ এখন বিদ্যালয়ত “স্বচ্ছতাই প্ৰকৃত সেৱা” অভিযানত শ্ৰমদান কাৰ্যসূচীত অংশ ল’লে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,"ভদ্র মহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ, ভগবান শিবের প্রিয় শ্রাবণমাস শুরু হয়েছে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে শিভ ভক্তরা বাঁক কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে। বলা যেতে পারে, এখন থেকে দীপাবলী পর্যন্ত উৎসবের মরশুম। আগামী উৎসবের দিনগুলির জন্য আপনাদের সকলকে এবং দেশবাসীকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বন্ধুগণ, উৎসবের পাশাপাশি দেশের বড় অংশে এখন ভালো বৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষার আশীর্বাদে চাষবাস, অর্থ ব্যবস্থা আশায় ভরপুর। কিন্তু ভারী বর্ষার ফলে অনেক জায়গায় মানুষের সমস্যাও হচ্ছে। সরকার সমস্ত পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলে সঙ্কটাপন্ন দেশবাসীকে সাহায্য সুনিশ্চিত করা হয়েছে। বন্ধুগণ, একটি সংবেদনশীল সরকার হিসাবে সাধারণ মানুষের জীবনকে সঙ্কটমুক্ত, সরল ও সুগম করে তোলা রাজ্য সরকারগুলির প্রাথমিক দায়িত্ব এবং আমাদেরও একমাত্র উদ্দেশ্য। বিগত চার বছরে এই ভাবনা নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি এবং আজ এখানে লক্ষ্ণৌর এই সভাগৃহে একত্রিত হওয়াও এই প্রক্রিয়ার একটি অংশ। গতকালও এখানে লক্ষ্ণৌ নগরীকে স্মার্ট এবং উন্নত পরিষেবাসম্পন্ন গড়ে তোলার জন্য আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের শহর এবং শহর সংক্রান্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের শিলান্যাস আর গরিব গৃহহীন ভাই-বোনদের হাতে তাঁদের নিজস্ব বাড়ির চাবি তুলে দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। আর আজ অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে উত্তর প্রদেশের প্রতিটি প্রান্তকে উন্নত করতে, পরিবর্তন আনার জন্য এখানে আজ আমরা সবাই মিলে সংকল্প গ্রহণ করে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। বন্ধুগণ, পাঁচ মাসের মধ্যে এই দ্বিতীয়বার শিল্প জগতের সঙ্গে যুক্ত বন্ধুদের সঙ্গে লক্ষ্ণৌতে দেখা হচ্ছে। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ইউপি বিনিয়োগকারী শিখর সম্মেলনের জন্যও আমি এসেছিলাম। আর আমাকে বলা হয়েছে যে, ঐ শিখর সম্মেলনের সময় ইউপি-তে ৪ লক্ষ ২৫ হাজার কোটিরও বেশি বিনিয়োগের ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়েছে। আর আমি আনন্দিত যে, সেই সংকল্পের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আমাদের সতীশবাবু না জানি কেন আজ সংকোচ নিয়ে কথা বলছিলেন। অত্যন্ত নম্রতা এবং আবেগ নিয়ে বলছিলেন, ৬০ হাজার, মাত্র ৬০ হাজার কোটি! আপনার কাজ করার খিদে বেশি, আমার তা ভালো লাগছে, কিন্তু আমি দীর্ঘকাল মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রাজ্যের শিল্পোন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। ৬০ হাজার কোটি কম নয়। ৬০ হাজার কোটি – অনেক টাকা। আপনি বুঝতে পারছেন না যে কতটা সাফল্য এসেছে। আমি এখানকার অফিসারদেরকেও কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারা অসাধারণ কাজ করেছেন। আমি জানি যে, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কেমন ধরণের প্রতিবন্ধকতা আসে। যে কোনও একটি বিষয় আদালতে চলে গেলে বছর দুয়েক কাজ আটকে যায়, পরিবেশ বিভাগের অনুমোদন পেতে সময় লাগে, আর কোনও বিষয় নিয়ে যদি খবরের কাগজ লিখতে শুরু করে, তা হলে তো সরকারও ভয় পেয়��� যায়। দ্বিধায় পড়ে যায়, কোনও সংস্থাকে কাজ করতে দেওয়া হবে কি হবেনা, কারণ প্রতিযোগী সংস্থার লোকেরা নানারকম খেলা খেলতে থাকে। এই সমস্ত সঙ্কট নিরসন করে পাঁচমাসের মধ্যে এই অগ্রগতি, ৬০ হাজার কোটি টাকা পুঁজি নিবেশের কাজ শুরু হওয়া – একটি অদ্ভুত সফলতা মশাই। আমি অনুভব করতে পারি বলেই বলছি। আপনাদের পুরো টিমকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আমি সেই কৃষকদেরও ধন্যবাদ জানাই, যাঁরা প্রয়োজনীয় জমি দিয়েছেন। আমি সমস্ত সাধারণ কর্মচারি, সেখানকার পাটোয়ারি যিনি অনাবশ্যক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেননি – সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। দেশ পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী থেকে পাটোয়ারি প্রত্যেকের ভূমিকা রয়েছে। সেজন্য এত কম সময়ে সাফল্য পেতে মুখ্যমন্ত্রী থেকে পাটোয়ারি পর্যন্ত, গোটা টিম একই লক্ষ্য স্থির করে কাজ করে চলেছেন। আমি খুশি যে, আপনারা এইসব কিছু কোনও ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি। আপনারা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য নীতি প্রণয়ন করেছেন। সাদা-কালো অক্ষরে সবকিছু অনলাইনে দেখা যায়, আর তা দেখে বুঝে কারও যদি মনে হয় যে তিনি পারবেন, তাহলেই তিনি যুক্ত হবেন। সেজন্য নীতি মেনে চলা রাজ্য উত্তরপ্রদেশের এই সফলতা, ৬০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ একটি অদ্ভুত সাফল্য। আমি দীর্ঘকাল ধরে এই ধরণের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমি জানি এতে কতটা উদ্যোগ নিয়ে কেমন পরিশ্রম করতে হয়, কতজনের অনুমোদন নিতে হয়, বকা খেতে হয়। কিন্তু রাজ্যের উন্নয়নের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলে পথও বেরিয়ে আসে। আমি ভারসাম্য দেখেও খুশি, দেখুন সাইকেলের টিউবে হাওয়া ভরার সময় মেশিনের মিটারে অমুক পর্যন্ত ভরলে সাইকেল ভালো চলে, কখনও টায়ারের কোনও অংশ হাল্কা হয়ে গেলে হাওয়া সেখানে গিয়ে বেশি ফুলে উঁচু হয়ে যায়, সাইকেলের চাকা ঘোরে না। আমি আনন্দিত যে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য রেখেছেন। উত্তর প্রদেশের প্রত্যেক ভূ-ভাগকে সুযোগ দিয়ে, উন্নয়নে ভারসাম্যের প্রয়োজন। শুধু নয়ডা, গাজিয়াবাদের উন্নয়ন করলে চলবে না, এই দুই শহর বিশ্বমানের উন্নয়নে এগিয়ে। এখানে যেভাবে গোটা রাজ্যের উন্নয়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জনগণের সামনে সূক্ষাতিসূক্ষভাবে বলা হয়েছে, যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য। কেউ কেউ এই অনুষ্ঠানকে ‘গ্রাউন্ড ব্রেকিং সেরিমোনি’ বলছেন। কিন্তু এই সব উদ্যোগ দেখে আমি একে ‘রেকর্ড ব্��েকিং সেরিমোনি’ বলতে পারি। পুরনো পদ্ধতি বদলে এত কম সময়ে যেভাবে উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, আগে কখনও উত্তরপ্রদেশে এমন কাজ হয়েছে বলে আমার মনে হয় না, কেউ উঠে দাঁড়িয়ে বলতে পারবেন, আজ যে আস্থার আবহ গড়ে উঠেছে তা এ রাজ্যের জন্য অভিনব ব্যাপার। আমি খুশি যে আদিত্যনাথ যোগীর নেতৃত্বে সরকার বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে নিয়মিত সম্পর্ক বজায় রেখেছে আর তাঁদের আগ্রহকে বিনিয়োগে পরিণত করার আবহ তৈরি করেছে। অনলাইন মউ, ট্র্যাকার হোক কিংবা অনুমোদনের জন্য ‘নিবেশ মিত্র’ নামক সিঙ্গল উইন্ডো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং পরিবর্তিত কর্মসংস্কৃতি ইউপি-তে ব্যবসার অনুকূল পরিবেশের পরিচায়ক। কর্মসংস্থানের সুযোগ, ব্যবসার পরিবেশ, ভালো সড়ক ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুৎ – উন্নততর বর্তমান ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতীক। আজকের এই আয়োজন ইউপি-তে ভরসার প্রতীক, উত্থানের প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক। আশা করি, যে গতিতে কাজ এগোচ্ছে, তাতে উত্তরপ্রদেশকে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির রাজ্যে পরিণত করে তুলতে বেশি সময় লাগবে না। উত্তরপ্রদেশের শিল্প জগতের সমস্ত অংশগ্রহণকারীদের দায়বদ্ধতার জন্য আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আমরা তেমন মানুষ নই, যাঁরা শিল্পপতিদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে ভয় পান, অথচ আপনারা এমন নেতাদের দেখেছেন, যারা শিল্পপতিদের সঙ্গে ফটো তুলতে রাজি হতেন না, অথচ এমন কোনও শিল্পপতি নেই যাদের বাড়িতে গিয়ে তাঁরা সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করেন নি! এখানেই শ্রদ্ধেয় অমর সিংহ বসে আছেন, তাঁর কাছে সমস্ত হাঁড়ির খবর আছে। কিন্তু নিয়ত সাফ থাকলে, সৎ উদ্দেশ্য হলে কারও পাশে দাঁড়ালে দুর্নীতির দাগ লাগে না। মহাত্মা গান্ধীর জীবন এত পবিত্র ছিল যে, তাঁর বিরলার বাড়িতে গিয়ে থাকতেও সঙ্কোচ হয়নি। কিন্তু যাঁরা জনসমক্ষে দেখা না করে, পর্দার পেছনে সবকিছু করেন, তাঁদের ভয় পাবার কারণ থাকে। দেশ গঠনে একজন কৃষক, কারিগর, ব্যাঙ্কার, বিনিয়োগকারী, সরকারি কর্মচারী, মজুরদের পরিশ্রম যতটা কাজে লাগে, তেমনই রাষ্ট্র নির্মাণে একজন শিল্পপতির ভূমিকাও কম নয়। আমরা যদি তাঁদের অপমানিত করি, চোর-ডাকাত বলিন – এটা অন্যায়। হ্যাঁ, অন্যায় করলে তাঁকে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে অথবা জেলে ভরতে হবে। কিন্তু আমাদের পূর্ববর্তীরা এসব করতেন না, পর্দার পেছনে অনেক কিছু হ’ত, কে কাঁর বিমানে ঘুরতেন – তা কি আমরা জানি না! সেজন্য দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রত্যে���ের অবদান ও সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। আর দেশের ১২৫ কোটি নাগরিককে সম্মান দেওয়া আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। আজ এখানে যে প্রকল্পগুলির সূত্রপাত হ’ল এগুলিতে ভবিষ্যতে ২ লক্ষেরও বেশি নবীন প্রজন্মের মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া, যেখানে এই কারখানা স্থাপন হবে, সেখানকার স্থানীয় মানুষদের রোজগার অপ্রত্যক্ষভাবে বৃদ্ধি পাবে। ফলে, এই প্রকল্পগুলি থেকে কৃষক, শ্রমিক, যুবক-যুবতী প্রত্যেকেই উপকৃত হবেন। বন্ধুগণ, আমি ইউপি-র ২২ কোটি জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, তাঁদের ভালোবাসাকে সুদ সমেত ফিরিয়ে দেব। আজ এখানে যে প্রকল্পগুলির শুভ সূচনা হ’ল, সেগুলি সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই প্রকল্পগুলি উত্তর প্রদেশের আর্থিক এবং শিল্প ক্ষেত্রে ভারসাম্যহীনতা দূর করতে সহায়ক হবে। কারণ, এই প্রকল্পগুলি রাজ্যের কিছু বিশেষ ক্ষেত্রেই সীমিত নেই, এগুলির বিস্তার নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা, মীরাট, মুজাফফরনগর থেকে শুরু করে ঝাঁসি, হরদোই, আমেথি, রায়বেরিলি, জৌনপুর, মির্জাপুর, গোরখপুর পর্যন্ত বিস্তারিত। এই প্রকল্পগুলি ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং মেক ইন ইন্ডিয়া অভিযানকে নতুন মাত্রা প্রদানের লক্ষ্যে অনেক বড় পদক্ষেপ বলে পরিগণিত হবে। গোটা উত্তর প্রদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে অপটিক্যাল ফাইবার পাতা কিংবা তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন করার কাজ, এই ডিজিটাল পরিকাঠামো উত্তর প্রদেশের উন্নয়নকে নতুন লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি নবীন প্রজন্মের সামনে নতুন নতুন সুযোগ তুলে ধরবে। এগুলি আমাদের সরকারের সেই ব্যাপক পরিকল্পনার অংশ, যার মাধ্যমে আমরা ডিজিটালাইজেশনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জীবনকেও সহজ করে তুলতে চাই। একটি এমন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই, যেখানে কোনও প্রকার বৈষম্য থাকবে না। কর্মপ্রক্রিয়ায় গতি থাকবে, সংবেদনশীলতাও থাকবে। আপন-পর, ছোট-বড় বাছবিচার না করে সবার সঙ্গে সমান ব্যবহার; অর্থাৎ সব মিলিয়ে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। বন্ধুগণ, পরিষেবাকে দ্রুত এবং স্বচ্ছ করে তুলতে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া অভিযান’ এখন ব্যাপকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গ্রামে গ্রামে প্রসারিত ৩ লক্ষেরও বেশি কমন সার্ভিস সেন্টারগুলি আজ আমাদের গ্রামীণ জীবনকে বদলে দিচ্ছে। টিকিট বুকিং, বিদ্যুৎ, টেলিফোনের বিল, টেলি মেডিসিন, জনঔষধি, আধার পরিষেবার মতো অসংখ্য পরিষেবার জন্য এখন গ্রামের ম��নুষকে আর জেলা বা মহকুমা সদরে সরকারি অফিসে ঘুরে ঘুরে জুতোর শুকতলা ক্ষয় করতে হয় না। গ্রামের কমন সার্ভিস সেন্টারের মতো শহরগুলিতে চালু হওয়া ফ্রি ওয়াইফাই হটস্পট, সস্তা মোবাইল ইন্টারনেট, গরিব ও মধ্যবিত্তদের জীবনকে সহজ করে তুলতে সাহায্য করছে। বন্ধুগণ, তথ্য প্রযুক্তি শিল্প অনেক বছর ধরেই আমাদের বিশেষ শক্তি হয়ে উঠেছে। আজ তথ্য প্রযুক্তি রপ্তানির মাধ্যমে দেশ রেকর্ড পরিমাণ অর্থ লাভ করছে। ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু দেশের এই শক্তি এখনও পর্যন্ত মেট্রো শহরগুলি ও অন্যান্য বড় শহরগুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আমাদের সরকার এই শক্তিকে দেশের ছোট ছোট শহর ও গ্রামগুলিতে পৌঁছে দেওয়ার সংকল্প নিয়ে কাজ করছে। বন্ধুগণ, বিচ্ছিন্নভাবে ভাবার সরকারি পরম্পরা এখন তামাদি হয়ে গেছে। এখন ঢিমেতেতালের দিন শেষ করে সমাধানগুলিকে আরও সুসংহত করার উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের একটি প্রকল্পের সঙ্গে অন্যটির সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করা হচ্ছে। উদাহরণ হিসাবে আমি ডিজিটাল ইন্ডিয়া অভিযান এবং মেক ইন ইন্ডিয়া অভিযানের সম্পর্কের কথা বলতে পারি। আজ দেশে ডিজিটাল ইন্ডিয়া অভিযানের ফলস্বরূপ ডিজিটাল লেনদেন প্রসারের পেছনে সস্তা দরে মোবাইল ফোন কিনতে পারা একটি বড় কারণ। ভারতে মোবাইল ফোন উৎপাদন শুরু হওয়ায় মোবাইল ফোনের দাম হ্রাস পেয়েছে। এখন ভারত মোবাইল ফোন নির্মাণের হাব হয়ে উঠেছে। বিশ্বে মোবাইল ফোন উৎপাদনে আমরা ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে গেছি। আর এই নির্মাণ বিপ্লবের নেতৃত্ব দিচ্ছে উত্তর প্রদেশ। আজ এই রাজ্যে ৫০টিরও বেশি মোবাইল ফোন নির্মাণকারী কারখানা চালু হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বের সর্ববৃহৎ মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী কারখানাও উত্তর প্রদেশে চালু হয়েছে। আজও এখানে যে তিনটি নতুন কারখানার শিলান্যাস হ’ল, তার মধ্যে মোবাইল ফোন নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কারখানা রয়েছে। বন্ধুগণ, বিগত চার বছরে সরকারের অনেক সিদ্ধান্তের ফলেই আজকের এই আবহ গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত দেশে নির্মাণ শিল্প গড়ে তোলার জন্য অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত কিংবা সকল প্রক্রিয়াকে সহজ করার সিদ্ধান্ত এই সবকটি শিল্প স্থাপনের জন্য অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে সহায়ক হয়ে উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জিএসটি সংসদে ঝুলে ছিল। আমরা সেটিকে বাস্তবায়িত করে দেশকে করের জাল থেকে ম��ক্তি দিতে পেরেছি, আর এর দ্বারাও শিল্প জগৎ উপকৃত হয়েছে। গত বছর দেশে নির্মাণ শিল্পকে উৎসাহ প্রদানের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকারি অফিসে ক্রয়ের ক্ষেত্রে মেক ইন ইন্ডিয়া পণ্যকে অগ্রাধিকার প্রদানের আদেশ দিয়ে সরকারের সমস্ত বিভাগ ও সংস্থানগুলির প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনার ক্ষেত্রে অন্তর্দেশীয় উৎস থেকে কিনতে বলা হয়েছে। মেক ইন ইন্ডিয়াকে গুরুত্ব দেওয়ার ফলে এই আদেশ দ্বারা দেশের ক্ষুদ্র শিল্পগুলি লাভবান হচ্ছে। গত এক বছরে আদিত্যনাথ যোগীর নেতৃত্বে যে পরিবর্তন এসেছে, নতুন নতুন নীতি প্রণয়ন হয়েছে, অপরাধ নিয়ন্ত্রিত হয়েছে, তার ফলে, উত্তর প্রদেশ দ্বিগুণ লাভবান হয়েছে। বন্ধুগণ, বিজেপি সরকার ‘হলিস্টিক ভিশন, ইনক্লুসিভ অ্যাকশন – হলিস্টিক ভিশন, ইনক্লুসিভ অ্যাকশন’ – এই দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে কাজ করছে। এই মঞ্চ থেকে এখানে উপস্থিত শিল্প জগতের সমস্ত বন্ধুদের এবং সকল বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমাদের এই উন্নয়নের যাত্রা আমার জন্য সূত্রপাত মাত্র। এখনও অনেক সফর বাকি, দ্রুতগতিতে ছুটতে হবে। আপনারাও রাষ্ট্র নির্মানে এক একজন গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। আপনাদের সংকল্প দেশের কোটি কোটি যুবক-যুবতী স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবে। এই স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়িত করতে যে সিদ্ধান্তই নিতে হোক না কেন, ভবিষ্যতেও আমরা তেমনই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইচ্ছা রাখি। পরিকাঠামো সংশ্লিষ্ট আমাদের বড় প্রকল্পগুলি যেভাবে যেভাবে তৈরি হতে থাকবে, দেশে বিনিয়োগের প্রক্রিয়াও আরও সহজ হতে থাকবে। বিশেষ করে, পরিবহণ খরচ আরও অনেক কমে যাবে, পরবর্তী প্রজন্মের পরিকাঠামোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শিল্প জগৎ-ও অনেক লাভবান হবে। বন্ধুগণ, তথ্য প্রযুক্তি, কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, ইলেক্ট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং এর জন্যে উত্তরপ্রদেশে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এখানকার ক্ষুদ্র-অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রও আগামীদিনে এই নতুন পরিকাঠামো দ্বারা উপকৃত হবে। এখানকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ছোট এবং মাঝারি শিল্পপতিদের আমার অনুরোধ এখনও যারা নগদ লেনদেন করছেন, তাঁরা ডিজিটাল লেনদেনে এগিয়ে আসুন। বন্ধুগণ, স্থায়ী উন্নয়ন এবং নিরন্তর প্রচেষ্টাই ১২৫কোটি দেশবাসীর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করবে। স্থায়ী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শস্তা ও নিরন্তর বিদ্যুৎ জীবনের মৌ��িক প্রয়োজন, কৃষি ও শিল্পের জন্য বিদ্যুৎ ততটাই অনিবার্য। তাই সরকার বিদ্যুতকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। এখন দেশ পারম্পরিক বিদ্যুৎ থেকে পরিবেশ-বান্ধব বিদ্যুতের দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। বিশেষ করে, সৌরশক্তিকে সরকার বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে। আমাদের দেশের উদ্যোগে গড়ে ওঠা আন্তর্জাতিক সৌর সংঘ এখন সারা পৃথিবীর সমর্থন পাচ্ছে। এই সৌরশক্তির ক্ষেত্রেও উত্তর প্রদেশ একটি বড় হাব হয়ে উঠবে। এই তো কয়েক মাস আগে আমি মির্জাপুরে একটি বড় সৌরশক্তি প্রকল্প উদ্বোধন করেছিলাম, আজ এখানে আরেকটি প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, আজ শুধু ভারত নয়, আফ্রিকা সহ বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশও সৌর প্রযুক্তি ও সৌর পাম্পের মতো যন্ত্রেরও প্রয়োজন রয়েছে। আপনাদের অনুরোধ জানাই যে, পরিবেশ-বান্ধব শক্তি ক্ষেত্রে ভারতে গড়ে ওঠা অভূতপূর্ব পরিবেশ আর বিশ্ব পরিস্থিতির সুযোগ নিতে শিল্পপতি বন্ধুরা এগিয়ে আসুন। বন্ধুগণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ আজ অভূতপূর্ব গতিতে এগিয়ে চলেছে। ২০১৩-১৪ সালে দেশে শক্তি ঘাটতি ছিল ৪.২ শতাংশ। বিগত চার বছরে এখন আমাদের জাতীয় শক্তি ঘাটতি ১ শতাংশেরও কম। যে কয়লা এক সময়ে দেশে অনেকের সাদা জামায় কালি ছেটানোর কারণ হয়ে উঠেছিল, তাও আজ রেকর্ড পরিমাণ খনন হচ্ছে। আজ কয়লার অভাবে কোথাও পাওয়ার গ্রিড ফেল করে না। শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে যে সংস্কার করা হয়েছে, তার দ্বারা দেশ এবং দেশের সাধারণ মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। ‘উদয় যোজনা’ বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলিতে নতুন প্রাণ সঞ্চারিত করেছে। ‘উজালা’র মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে এলইডি বাল্ব লাগানো হয়েছে। তার মাধ্যমে আমরা যখন সরকারের দায়িত্ব নিয়েছি, তখন ৩০০-৪৫০ টাকা দিয়ে একেকটি এলইডি বাল্ব কিনতে হ’ত। আজ এর দাম ৪০-৪৫ টাকা এবং ইতিমধ্যে সারা দেশে ১০০ কোটি এলইডি বাল্ব বিক্রি হয়েছে। শুধু তাই নয়, ৫০০-রও বেশি নগর প্রশাসন ৬২ লক্ষেরও বেশি এলইডি রাস্তার আলো লাগিয়েছে। তাঁদের বার্ষিক খরচে অনেক সাশ্রয় হয়েছে। ফলে, বিগত তিন বছরে দেশে ৫০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। বন্ধুগণ, আজ দেশে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া অনেক সহজ হয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কে ‘সহজে বিদ্যুৎ প্রাপ্তি’ র‍্যাঙ্কিং-এ ভারত বিগত চার বছরে প্রায় ৮২ ধাপ এগিয়েছে, এতটাই উন্নতি হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশে প্রতিটি গ্রামে বিদ���যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, আগামী বছর মার্চ মাসের আগেই দেশের প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা দ্রুতগতিতে কাজ করছি। আমি অবাক হই, যখন কিছু মানুষ বলেন, এখানে বিদ্যুৎ যায়নি ওখানে বিদ্যুৎ যায়নি – এসব। আরে মশাই, ৭০ বছর ধরে যে কাজ বাকি রয়েছে, মাত্র চার বছরে, সে কাজ আমরা প্রায় শেষ করেছি, কিছু তো বাকি থাকবেই। এবার প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার আগেই সেসব শূন্যস্থান পূরণ করা হবে। শুধু বিদ্যুৎ পৌঁছলেই হবে না, আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ২৪ ঘন্টা অবাধ বিদ্যুৎ সরবরাহ। সেজন্য আমরা ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করা হচ্ছে। আজ যে ঘাটমপুর – হাপুড় ট্রান্সমিশন লাইনের শিলান্যাস করা হ’ল, তাও এই প্রকল্পেরই অংশ। উত্তর প্রদেশে পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন ব্যবস্থা কতটা দুর্বল ছিল, তা আপনারা জানেন। আদিত্যনাথ যোগীর নেতৃত্বাধীন সরকার সেই ট্রান্সমিশন ব্যবস্থা নবীকরণ করেছে। বন্ধুগণ, উত্তর প্রদেশ থেকে দীর্ঘকাল সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা আমাদের শ্রদ্ধেয় দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী বলতেন যে, তিনি এমন ভারত দেখতে চান, যা হবে সমৃদ্ধ, সক্ষম ও সংবেদনশীল। যেখানে শহর ও গ্রামের মধ্যে পার্থক্য থাকবে না। যেখানে কেন্দ্র ও রাজ্যে শ্রম ও পুঁজির মধ্যে এবং প্রশাসন ও নাগরিকের মধ্যে দূরত্ব থাকবে না! শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ী শুধু স্বপ্ন দেখেই ক্ষান্ত থাকেন নি, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের ‘রোড ম্যাপ’-ও স্পষ্ট ছিল। তিনি কখনও বলেছিলেন, সড়ক ব্যবস্থা হাতের রেখার মতো। এই ভাবনার পরিণামস্বরূপ তিনি পরিকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর সেই ভাবনাকে আমরা একবিংশ শতাব্দীর প্রয়োজন অনুসারে পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্যে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। উত্তর প্রদেশে পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের মতো দেশের সর্ববৃহৎ এক্সপ্রেসওয়ে, বুন্দেলখন্ডে ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর স্থাপন, এরকম অনেক প্রকল্প নির্মাণের কাজ আমরা দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। বন্ধুগণ, বিশ্বের যে কোনও স্থানে যত ভালো পরিষেবা রয়েছে, তা আমাদের নবীন প্রজন্ম তথা ১২৫ কোটি ভারতবাসীকে পৌঁছে দিতে চাই। কোটি কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্খা গণঅংশীদারিত্বের মাধ্যমে সম্পন্ন করাই আমাদের পথ, নতুন ভারতের রোড ম্যাপ। উত্তর প্রদ��শ তথা দেশের জন্য আপনারা সকলে যা করছেন, সেজন্য আপনাদেরকে হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানাই। কয়েক মাস আগে আমি মুম্বাই গিয়েছিলাম, সেখানে মুম্বাই শিল্প জগতের নেতাদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। অনেকেই এরকম শিল্প জগতের মানুষদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেন কিন্তু প্রকাশ্যে বলার হিম্মত নেই। আমার আছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমি বলি, আপনারা এতো সম্পদশালী, এতো বড় শিল্প পরিচালনা করেন, ব্যবসা করেন, কিন্তু আমাদের দেশের কৃষিতে কর্পোরেট জগতের বিনিয়োগ মাত্র ১ শতাংশ; বিশ্বের কোনও দেশে এরকম নেই। আমি প্রায় অর্ধেক দিন তাঁদের সঙ্গে বসে আমাদের দেশের কৃষিতে বড় কর্পোরেট হাউসগুলি কিভাবে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। যেমন – ট্রাক্টর নির্মাণ, ইউরিয়া উৎপাদন – এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি হলে কৃষকরা প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হবেন। তাছাড়া আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলে কিভাবে কৃষিতে প্রযুক্তির প্রয়োগ বৃদ্ধি করা যায়, যেমন – গুদামঘর, হিমঘর, প্যাকেজিং ইত্যাদি মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন ক্ষেত্র লাভবান হবে আর কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ানো যেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করি। আমি তাঁদের অনুরোধ জানাই, যাতে এই বিষয়ে ব্রেন স্টর্মিং টিম গড়ে তুলে ভাবনাচিন্তা করেন – তা হলে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল তাড়াতাড়ি নষ্ট হবে না, তাঁরা যথাসময়ে অধিক মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন এবং কর্পোরেট সেক্টরও এই সাহায্যের বিনিময়ে তাঁদের রোজগার বৃদ্ধি করতে পারবে। একটু আগেই সূরীবাবু বলছিলেন যে, এখন আমরা দেশে যে ফল উৎপন্ন হয়, তা থেকে জুস তৈরি করে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে কৃষক যেমন লাভবান হবেন, তেমনই যাঁরা জুস পান করবেন, তাঁরাও লাভবান হবেন। একথা বলার তাৎপর্য হ’ল আমাদের গ্রামীণ জীবনে আমরা এই শিল্পের সুফল কিভাবে নিয়ে আসব? আপনাদের ব্যবসার উন্নতির স্বার্থেই নিজেদের উৎপাদনকে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে দেওয়া লাভজনক হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আজ যেমন ৬০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে চলেছে, তেমনই আরও সাফল্য আসবে। একটু আগেই আমাকে আদিত্যনাথ যোগী বলছিলেন, এর মধ্যে ৫০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পথে। আমি মনে করি যে, আপনারা সত্যিই খুব ভালো কাজ করছেন, সেজন্য আমি আপনাদের টিমকে আরেকবার অভিনন্দন জানাই। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি এই উত্তর প্রদেশের একজন নির্বাচিত সাংসদ হিসাবে উত্তর প্রদেশের উন্নয়নের খবরে অত্যন্ত আনন্দিত হই। উত্তর প্রদেশের উন্নয়ন সুনিশ্চিত করা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই এক-দু’বার আসি কি ১৫ বার আসি, আমি আপনাদেরই মানুষ। আমি আসি না, আমি আপনাদেরই আছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",উত্তৰ প্ৰদেশৰ বিভিন্ন প্ৰকল্পৰ ভূমি পূজন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%97-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87/,"মহানদীর জল নিয়েবিবাদ-বিতর্কের অবসান ঘটাতে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিলকেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিতমন্ত্রিসভার এক বৈঠকে আজ সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মধ্যে জলের ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়েবিবাদ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে এই ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জলবন্টনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির অবদান, মোট জলের পরিমাণ এবং প্রত্যেকটিরাজ্যের জলসম্পদ ব্যবহারেরবর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে প্রস্তাবিত এইট্রাইব্যুনালটি। এছাড়াও, জলসম্পদের বিকাশ কিভাবে বাস্তবায়িত করা যায়, সে সম্পর্কেওচিন্তাভাবনা করবে এই ট্রাইব্যুনাল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে মহানদীর জলকেঘিরে ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের মধ্যে দীর্ঘ সময়ধরে যে বিবাদ-বিতর্ক চলছিল তার গ্রহণযোগ্যসমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।",মহানদীৰ পানী বিবাদৰ বাবে উৰিষ্যা চৰকাৰৰ অনুৰোধ মৰ্মে ১৯৫৬ চনৰ আন্তঃৰাজ্যিক নদীৰ পানী বিবাদ আইনৰ অধীনত এখন প্ৰাধিকৰণ গঠনৰ প্ৰস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%B6-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%B0-%E0%A6%87%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%95/,"নয়াদিল্লি, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী রোশ হাসানা উপলক্ষে ইজ্রায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিড, সে দেশের বন্ধুভাবাপন্ন জনসাধারণ এবং সারা বিশ্বের ইহুদী ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; “রোশ হাসানা উপলক্ষে আমার বন্ধু @yairlapid, ইজ্রায়েলে��� বন্ধুভাবাপন্ন জনসাধারণ এবং সারা বিশ্বের ইহুদী ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। নতুন বছর সকলের জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসুক এবং সকলে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হন, এই কামনাই করি। শানাহ টোভা!”",সমগ্ৰ বিশ্বৰ ইহুদী লোকসকলক ৰোচে হাছানাহৰ শুভেচ্ছা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%88%E0%A6%A6-%E0%A6%89%E0%A6%B2-%E0%A6%86%E0%A6%AF%E0%A6%B9%E0%A6%BE-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%88%E0%A6%A6-%E0%A6%89%E0%A6%B2-%E0%A6%86%E0%A6%9C%E0%A6%B9%E0%A6%BE-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8/,"নয়াদিল্লি, ১০ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ঈদ মুবারক! ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা জানাই। এই উৎসব মানবজাতির মঙ্গলের জন্য সামগ্রিক কল্যাণ ও সমৃদ্ধির ভাবনাকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের অনুপ্রাণিত করে।”",ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে দেশবাসীক শুভেচ্ছা প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E2%80%8C-%E0%A6%8F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে আজ ভারত ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে পরিসর সংক্রান্ত পরিকল্পনা, জল পরিচালন প্রভৃতি ক্ষেত্রের সমঝোতাপত্রের বিষয়ে জানানো হয়। এটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল গত এপ্রিল মাসে। প্রসঙ্গত, সুলভ আবাসন, স্মার্টসিটি গড়ে তোলা বা জল সরবরাহ ও নিকাশী ব্যবস্থা সম্পর্কে ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা (জিআইএস) গড়ে তোলা এবং বর্জ্য জলের পুনর্বযবহারের ক্ষেত্রে পরিসর-ভিত্তিক পরিকল্পনা গড়ে তোলার ব্যাপারে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। এই মউ-এর প্রেক্ষিতে একটি যৌথ কর্মীগোষ্ঠী গড়ে তোলা হবে, সেটি সমঝোতাপত্রে প্রস্তাবিত বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত করবে।","স্থানিক পৰিকল্পনা, জল ব্যৱস্থাপনা আৰু চলমান ব্যৱস্থাপনাৰ ক্ষেত্ৰত ভাৰত আৰু নেদাৰলেণ্ডছৰ মাজত স্বাক্ষৰিত কাৰিকৰী সহযোগিতা সম্পৰ্কীয় বুজাবুজি চুক্তিৰ ম্যাদ সম্প্ৰসাৰণত কেবিনেটৰ অনুমোদন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A0%E0%A6%BF-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%81/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A0%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%B1%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%97%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লি, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ বিশিষ্ট মারাঠি লাবনী গায়িকা সুলোচনা তাই চবনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেছেন : “মহারাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি, বিশেষত লাবনীর প্রসার ও বিকাশে তাঁর অসামান্য ভূমিকার জন্য সুলোচনা তাই চবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন আগামী প্রজন্মগুলির কাছে। সঙ্গীত ও নাটকের চর্চার সঙ্গে তাঁর আবেগ ও অনুভূতির যোগ ছিল নিবিড়। তাঁর প্রয়াণে আমি ব্যথাহত। তাঁর পরিবার-পরিজন এবং অনুরাগীদের আমি সমবেদনা জানাই। ওঁ শান্তি!” /",প্ৰখ্যাত মাৰাঠী লাৱনী গায়ক সুলোচনা টাই চাৱনৰ বিয়োগত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শো +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87/,"নতুন দিল্লি, ২ এপ্রিল, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পবিত্র রমজান মাসের শুরুতেই জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,""পবিত্র রমজান মাসের শুরুতেই শুভেচ্ছা। পবিত্র এই রমজান মাস দরিদ্র মানুষের সেবায় সকলকে অনুপ্রাণিত করুক। পবিত্র এই মাসটি সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও করুণার ভাবনার প্রসার ঘটাক।"" /",পবিত্ৰ ৰমজান মাহ উপলক্ষে দেশবাসীক শুভেচ্ছা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%AE/,"নমস্কার সিঙ্গাপুর! শুভ সন্ধ্যা! নী হাও সালামত …… বনক্কম মন্ত্রী ঈশ্বরণ শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীগণ, সিঙ্গাপুরে আমার বন্ধুগণ, সিঙ্গাপুরে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয় সদস্যগণ, আপনাদের প্রত্যেককে নমস্কার! আজ, এখানে এই সুন্দর মুহূর্তে আমরা ভারত ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে সুদৃঢ় সম্পর্ক দেখতে পাচ্ছি। এটাই আপনাদের ঐতিহ্য; আমাদের জনগণ এবং আমাদের সময়ের এক মহান অংশীদারিত্ব। এটাই হ’ল – দুই সিংহের প্রভাব, মহিমা এবং গর্জন। সিঙ্গাপুরে আসা সর্দদাই আনন্দের। এটি এমন এক শহর যে, কখনও প্রেরণাদায়ক হিসাবে ব্যর্থ হয় না। সিঙ্গাপুর একটি ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র হতে পারে কিন্তু এর দিগন্ত ব্যাপক। ছোট্ট এই দেশটি আমাদের দেখিয়েছে যে, স���ফল্য ও জনগণের শক্তির দিক থেকে আকার কোনও বাধাই নয়। এসব সত্ত্বেও সিঙ্গাপুরের সাফল্য নিহিত রয়েছে তার বহু সাংস্কৃতিক সমাজ, বৈচিত্র্যের বিবিধতার মধ্যে। আর এই বৈশিষ্ট্যগুলিই সিঙ্গাপুরবাসীদের স্বতন্ত্র ও অনন্য পরিচিতি গড়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে, সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন রঙিন আস্তরণের মধ্যে এমন কিছু প্রাচীন বর্ণময় যোগসূত্র রয়েছে, যা দুই দেশকে এক সুতোয় বেঁধেছে। বন্ধুগণ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারতের কয়েক শতাব্দী প্রাচীন যাত্রাপথ সিঙ্গাপুরকে জুড়েছে। মানবিক সম্পর্ক গভীর ও অক্ষুণ্ন। সিঙ্গাপুরে বসবাসকারী ভারতীয়দের মধ্যে এই সম্পর্ক এখনও জীবন্ত। আজকের এই সন্ধ্যা আপনাদের উপস্থিতি, আপনাদের প্রাণশক্তি, আপনাদের মেধা ও সাফল্যের উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। ঐতিহাসিক কারণ বা বিশ্বায়নের সুযোগ-সুবিধা ; অথবা পূর্বসূরীদের কয়েক প্রজন্ম আগে আগমন বা এই শতকে আপনাদের এখানে আসা – কারণ যাই হোক না কেন, আপনারা প্রত্যেকেই সিঙ্গাপুরের অনন্য অংশ এবং এখানকার অগ্রগতির অংশীদার। প্রতিদানে সিঙ্গাপুরও আপনাদের স্বেচ্ছায় গ্রহণ করেছে। আপনাদের মেধা ও কঠোর পরিশ্রমকে স্বাগত জানিয়েছে। এই সিঙ্গাপুরে আপনারা ভারতের বৈচিত্র্যের প্রতিনিধি। আপনারা যদি একটি শহরেই ভারতের সমস্ত উৎসব, সপ্তাহ ধরে তার উদযাপন দেখতে চান, তা হলে সিঙ্গাপুর হ’ল আদর্শ স্থান। ভারতীয় খাবারের ক্ষেত্রেও এই আপ্তবাক্য সত্য হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী লি-র সঙ্গে আমার নৈশভোজের কথা এখনও মনে পড়ছে। তামিল এখানকার সরকারি ভাষা। সিঙ্গাপুরের উদার মনোভাবের এটি একটি দৃষ্টান্ত যে, বিদ্যালয়ের শিশুরা আরও পাঁচটি ভারতীয় ভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে। এই শহরে ভারতীয় সংস্কৃতির স্পন্দন দেখা যায়। এটা সম্ভব হয়েছে ভারতীয় সম্প্রদায়ের মানুষের মেধা ও সিঙ্গাপুর সরকারের সমর্থনের কারণে। আপনারা এই সিঙ্গাপুরে পরম্পরাগত ভারতীয় খেলাধূলা নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন। এই প্রতিযোগিতা আপনাদের কিশোর বয়সের স্মৃতি ফিরিয়ে আনে। সেই সঙ্গে, আপনাদের শিশুদেরও খো-খো ও কাবাডি খেলার সঙ্গে পরিচয় ঘটে। ২০১৭-তে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস এই শহরের ৭০টি কেন্দ্রে আয়োজিত হয়েছিল। অর্থাৎ প্রতি ১০ বর্গ কিলোমিটারে একটি করে যোগ কেন্দ্রের আয়োজন করা হয়েছিল। বিশ্বের আর কোনও শহরে এত নিবিড়ভাবে যোগ চর্চা কেন্দ্রের আয়োজন করা হয়নি। শ্রীরামকৃষ্ণ মিশন �� শ্রীনারয়ান মিশনের মতো প্রতিষ্ঠান এখানে কয়েক দশক ধরে কাজ করে চলেছে। সমাজের প্রতি এদের সেবা, সেই মূল্যবোধগুলিকে প্রতিফলিত করে, যা ভারত ও সিঙ্গাপুরকে এক সুতোয় বেঁধেছে। সিঙ্গাপুরের মাটি থেকে ভারতের স্বাধীনতার জন্য নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ডাক ‘দিল্লি চল’ – প্রতিটি ভারতীয়র মনে এখনও এক উজ্জ্বল শিক্ষা হয়ে রয়েছে। এমনকি, ১৯৪৮-এ মহাত্মা গান্ধীর চিতাভস্মের একাংশ ক্লিফোর্ড পিয়ের-এ বিসর্জন দেওয়া হয়েছিল। আগামী পরশু (২ জুন) আমাদের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের স্মরণ উপলক্ষে ক্লিফোর্ড পিয়ের-এ আমি এক ফলকের আবরণ উন্মোচন করব। এমনকি আজও ইতিহাসের ঐ অধ্যায়টি মহাত্মা গান্ধীএ চিরন্তন ও সর্বজনীন মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। বন্ধুগণ, ভারতের দরজা যখন বিশ্বের কাছে খুলে গিয়েছিল এবং ভারত পূবের দেশগুলির দিকে নজর দিয়েছিল, তখন সিঙ্গাপুরই সেতু হয়ে উঠেছিল ভারত ও আশিয়ান দেশগুলির মধ্যে। ভারত ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ ও নিবিড়। এই সম্পর্কের মধ্যে কোনও দাবি-দাওয়া বা সন্দেহ নেই। অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে এই সম্পর্ক এক স্বাভাবিক অংশীদারিত্ব। আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্কও যথেষ্ট মজবুত। সিঙ্গাপুরের সঙ্গেই ভারতের ধারাবাহিকভাবে সবচেয়ে দীর্ঘতম নৌ-মহড়া কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। দুই দেশের সেনাবাহিনী এখন তাঁদের সম্পর্কের রজত জয়ন্তী উদযাপ্ন করছে। ভারতে সেদেশের সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত হওয়ায় আমরা গর্বিত। আমাদের নৌ-জাহাজগুলি নিয়মিতভাবে একে অপরের দেশের যাওয়া-আসা করে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আমাদের নৌ-জাহাজগুলিতে চড়েছেন। আগামী পরশু চাঙ্গি নৌ-সেনা ঘাঁটিত্যে সিঙ্গাপুর নৌ-বাহিনীর জাহাজ ও ভারতীয় নৌ-বাহিনীর জাহাজগুলি পরিদর্শনের ব্যাপারে আমি অত্যন্ত আশাবাদী। আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমরা দুই দেশই আইনের শাসন, সমস্ত রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব-সমতা, বাণিজ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে অবাধ ও মুক্ত রাস্তাপথের স্বার্থে এক সুরে কথা বলি। অর্থনীতিই হ’ল এই সম্পর্কের হৃদ-স্পন্দন। বিশ্বের সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে তোলার অগ্রভাগে রয়েছে আমাদের দুই দেশের এই অংশীদারিত্ব। ভারতের কাছে সিঙ্গাপুর বিনিয়োগের অগ্রণী উৎস ও গন্তব্য উভয়ই। সিঙ্গাপুরই প্রথম রাষ্ট্র যাদের সঙ্গে আমাদের প্রথম সুসংহত অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ভারতের ১৬টি শহরের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২৫০টি বিমানের যোগাযোগ রয়েছে। এই যোগাযোগ আরও বাড়ছে। সিঙ্গাপুরের বিদেশি পর্যটক আগমনের দিক থেকে ভারতের স্থান তৃতীয়। এই সংখ্যাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলি সিঙ্গাপুরকে স্মার্ট ও সর্বাধুনিক রাখতে সাহায্য করছে। ভারতের উন্নয়নমূলক অগ্রাধিকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এর মধ্যে রয়েছে – স্মার্টসিটি, নগরাঞ্চলের সমস্যা সমাধান, আর্থিক ব্যবস্থা, দক্ষতা উন্নয়ন, বন্দর, লজিস্টিক, বিমান চলাচল ও শিল্প পার্ক। এইভাবে ভারত ও সিঙ্গাপুর পরস্পরের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। এখন আমরা এক নতুন ডিজিটাল বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে অংশীদার হচ্ছি। ভারতের বহু মেধাবী যুবক-যুবতী সিঙ্গাপুরকে তাঁদের বাড়ি হিসাবে গ্রহণ করেছে। এই মেধাবী যুবকরা ভারত, সিঙ্গাপুর ও আশিয়ান দেশগুলির মধ্যে উদ্ভাবন ও শিল্প স্থাপনের সেতু হয়ে উঠতে পারেন। কয়েক মূহুর্ত আগেই আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায় রূপে ভীম এবং ইউপিআই-এর উদ্বোধন প্রত্যক্ষ করেছি। সিঙ্গাপুর যেমন এক নতুন ভবিষ্যতের লক্ষ্যে গড়ে উঠেছে, ভারতও তেমনই বিশ্ব সুযোগ-সুবিধার অগ্রণী দেশ হিসাবে উঠে আসছে। অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা কর চালু করার মতো ব্যাপক কাঠামোগত সংস্কারের বছরটিতেও আমরা বিশ্বের দ্রুত বিকাশশীল অর্থনীতি হয়ে থেকেছি। আমরা এটাই চেয়েছিলাম। আমাদের অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল হয়েছে। রাজস্ব ঘাটতি কমছে। মুদ্রাস্ফীতি নিম্নগামী। চলতি খাতে ঘাটতি যথেষ্ট সন্তোষজনক। মুদ্রা ব্যবস্থাও স্থিতিশীল। বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। ভারতের ‘বর্তমান’ দ্রুত পাল্টাচ্ছে। এক ‘নতুন ভারত’ ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে। অবশ্য, এর নেপথ্যে বহু কারণ রয়েছে। আমাদের আর্থিক সংস্কার অত্যন্ত দ্রুতগতিতে অগ্রসর হচ্ছে, যা আগে কখনও হয়নি। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির গৃহীত ১০ হাজারের বেশি বিভিন্ন কর্মসূচির ফলে সহজে ব্যবসা-বাণিজ্য করার ক্রমতালিকায় ভারত ৪২ ধাপ উঠে এসেছে। প্রায় ১ হাজার ৪০০ অপ্রাসঙ্গিক আইন বাতিল করা হয়েছে। ভারত এখন বিশ্বের অন্যতম উদার অর্তনীতিগুলির মধ্যে একটি। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখন প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। এমনকি, ভারতে ৯০ শতাংশ বিনিয়োগ সরাসরি এসেছে। কর কাঠামো ব্যবস্থায় পরিবর্তন ���রা হয়েছে। কর হার কম হওয়ায় স্থিতিশীলতা বেড়েছে। কর সংক্রান্ত বিবাদগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হয়েছে। ই-রিটার্ন দাখিল ব্যবস্থা দ্রুত হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা কর সবচেয়ে বড় কর সংস্কার। এর ফলে, সমগ্র দেশ এক বাজার ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে এবং কর-ভিত্তি বেড়েছে। এই কাজ৯ সহজ ছিল না। কিন্তু সাফল্যের সঙ্গে এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরফলে, অর্থনীতিতে নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধা তৈরি হয়েছে। আমাদের ব্যক্তিগত আয়কর ভিত্তি প্রায় ২ কোটি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের পরিকাঠামো ক্ষেত্রের দ্রুত সম্প্রসারণ হচ্ছে। গত বছর, আমরা প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণ করেছি। অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ২৭ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নির্মিত হয়েছে, যা কয়েক বছর আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। নতুন রেল লাইন পাতার কাজ দ্বিগুণ হয়েছে। বিভিন্ন শহরে মেট্রোরেল পরিষেবা শুরু হয়েছে। সাতটি উচ্চগতিসম্পন্ন রেল প্রকল্প, ডেটিকেটেড পণ্য করিডর ও ৪০০টি স্টেশনের আধুনিকীকরণের ফলে রেল পরিষেবা ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে চলেছে। অন্যান্য প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে – ১০টি গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর, ৫টি নতুন প্রধান বন্দর, ১১১টি নদীপথ থেকে জাতীয় জলপথ হিসাবে ঘোষণা, ৩০টিরও বেশি লজিস্টিক পার্ক প্রভৃতি। বিগত তিন বছরে আমরা ৮- হাজারেরও বেশি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় যুক্ত করেছি। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশ হয়ে উঠেছি। দূষণমুক্ত ও সুস্থায়ী ভবিষ্যতের লক্ষ্যে এটি আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের পরিকাঠামো ক্ষেত্রে আবার গতি সঞ্চার হচ্ছে। বিগত তিন বছরে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ লক্ষ্যণীয় পরিমাণে বেড়েছে। ২০১৩-১৪’র ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০১৬-১৭’তে বেড়ে হয়েছে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সঙ্গে অতিক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। আমরা ক্ষেত্র-বিশেষে আধুনিকীকরণ ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। কর্পোরেট করের হার কমিয়েছি। কর প্রদান ব্যবস্থাকে আরও আকর্ষণীয় ও সরল করে তুলেছি। ভারতীয় স্টার্ট আপ ক্ষেত্র ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। আমার পছন্দের প্রকল্প হ’ল ‘মুদ্রা’ প্রকল্প। গরিব ও দুর্বল শ্রেণীর মানুষজনকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ���ণ সহায়তা দেওয়া হয়। বিগত তিন বছরে ১২ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষকে ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ঋণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭৪ শতাংশ ঋণ সহায়তা পেয়েছেন মহিলারা। আমরা এখন আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। বিগত তিন বছরে ৩১ কোটি ৬০ লক্ষ নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এখন ৯৯ শতাংশ ভারতীয় পরিবারের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে। প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে এটি আত্মমর্যাদা ও পরিচিতির নতুন উৎস। আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এটি এক অসাধারণ কাহিনী। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ জমা পড়েছে। উপভোক্তাদের কাছে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সরকারি অর্থ সরাসরি স্থানান্তরিত হয়েছে। এখন তাঁরা পেনশন ও বিমার সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। বিশ্বের কোথাও ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার এত দ্রুত সম্প্রসারণ হয়নি। সারা ভারত জুড়ে ডিজিটাল উদ্যোগ পুরোদমে চলছে। প্রত্যেকের বায়োমেট্রিক পরিচিতি হিসাবে এখন পকেটে অন্তত একটি মোবাইল ফোন রয়েছে। এমনকি, প্রায় প্রত্যেকের একটি করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। প্রতিটি ভারতবাসীর জীবন ধীরে ধীরে পাল্টাচ্ছে। এরফলে, ডিজিটাল লেনদেন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৭-তে ইউপিআই-ভিত্তিক লেনদেন ৭ হাজার শতাংশ বেড়েছে। জানুয়ারিতে সবধরণের ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। আড়াই লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে কমন সার্ভিস সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। এই সমস্ত পদক্ষেপের ফলে ডিজিটাল পরিষেবা বৃদ্ধি পাবে এবং গ্রামীণ কর্মসংস্থান বাড়বে। অটল উদ্ভাবন মিশনের আওতায় আমরা১০০টি ইনক্যুবেশন কেন্দ্র চালু করেছি। শিশুদের মধ্যে উদ্ভাবনকে উৎসাহ দিতে ২ হাজার ৪০০টি টিঙ্কারিং ল্যাব চালু করা হয়েছে। ভারতে আগামী দুই দশকে নগরায়নের ঢেউ আসতে চলেছে। এটা একদিকে যেমন চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে তেমনই আমাদের কাছে বিরাট দায়িত্বের। একই সঙ্গে থাকছে অসংখ্য সুযোগ-সুবিধাও। আমরা ১০০টি শহরকে স্মার্টসিটিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছি। ১১৫টি উন্নয়নকামী জেলাকে অগ্রগতির পথে নিয়ে আসার কাজও চলছে। আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে – দ্রুত গণপরিবহণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, সুস্থায়ী বাসস্থান ও সুলভ আবাসন। দেশের ৮০ কোটি যুবসম্প্রদায়ের সুযোগ-সুবিধা বৃদ��ধি ও মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপনের জন্য আমরা দক্ষতা উন্নয়ন ও উচ্চ শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা দক্ষতা উন্নয়নের মতো আধুনিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করছি। চলতি অর্থবর্ষে আমাদের উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের একটি কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। কয়েক দশক আগে সবুজ বিপ্লবের পরে এখন পুনরায় কৃষিক্ষেত্রকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ২০২২ সালের মধ্যে আমরা কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়েছি। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা প্রযুক্তি, রিমোর্ট সেন্সিং, ইন্টারনেট, ডিজিটাল অর্থ ব্যবস্থা, সহজশর্তে ঋণ সহায়তা, বিমা, মৃত্তিকার মানোন্নয়ন, সেচ ও যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা চাই, প্রত্যেক নাগরিক ২০২২ সালের মধ্যে স্বচ্ছল জীবন যাপন করুক। এর অর্থ, ঐ সময়সীমার মধ্যে প্রত্যেকের মাথার ওপর ছাদ বা ৫ কোটি বাড়ির ব্যবস্থা করা। গত মাসে আমরা এক মাইলফলক স্পর্শ করেছি। ৬ লক্ষ গ্রামের প্রতিটির সঙ্গেই বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। জাতীয় স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প ‘আয়ুষ্মান ভারত’ এ বছরই শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির ফলে ১০ কোটি পরিবার বা ৫০ কোটি ভারতীয় ব্যাঙ্ক ৮ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের স্বাস্থ্য বিমা পাবেন। প্রকৃতপক্ষেই এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য পরিচর্যা প্রকল্প। প্রকৃত ও সুস্থায়ী উন্নয়নের সঙ্গে জীবনযাপনের মানকেও যুক্ত করা হয়েছে। এটি আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য। আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে এর সম্পর্ক। স্বচ্ছ ভারত, নদী উন্নয়ন, দূষণমুক্ত বায়ু ও পরিচ্ছন্ন শহরের মতো কর্মসূচিগুলিকেও এই উন্নয়নে সামিল করা হয়েছে। দেশের মানুষের স্বার্থেই এই উন্নয়নযজ্ঞ রূপায়িত হচ্ছে। দেশের ১২৫ কোটি মানুষ, যার ৬৫ শতাংশেরও বয়স ৩৫ বছরের মধ্যে তাঁরা সকলে একত্রে পরিবর্তনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। তাঁরা নতুন ভারত গড়ে তোলার ব্যাপারেও যথেষ্ট আশাবাদী। সঙ্গত কারণেই প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও নীতিতে পরিবর্তন করতে হচ্ছে। বন্ধুগণ, ভারতে আর্থিক সংস্কারের গতি ও দিশার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা রয়েছে। ভারতে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অর্থ ব্যবস্থাকে আরও সহজ-সরল করে তুলব। আমরা এক উদার, স্থিতিশীল ও অবাধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কা��� করছি। পূবের দেশগুলির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ও যোগাযোগ আরও মজবুত হবে। আর্থিক দিকটিও আমাদের ‘পূবে তাকাও নীতি’র অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা সুষ্ঠু ও সামঞ্জস্যপূর্ণ চুক্তির পক্ষে, যা সমস্ত রাষ্ট্রের স্বার্থ পূরণ করবে। আমরা সদ্য সদ্য ভারত-সিঙ্গাপুর সুসংহত অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি পর্যালোচনা সম্পূর্ণ করেছি। এখন আমরা এই সহযোগিতাকে আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছি। এক সুসংহত আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে দূত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে আমরা সমস্ত আশিয়ান দেশের সঙ্গে কাজ করব। এই অঞ্চলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ও যোগাযোগ যেহেতু বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই সিঙ্গাপুর আশিয়ান দেশগুলিতে ভারতের প্রবেশদ্বার হিসাবেই থাকবে। বন্ধুগণ, পরিশেষে বলতে চাই, সিঙ্গাপুরের কাছে ভারতের তুলনায় বেশি সুযোগ-সুবিধা আর কোথাও নেই। ভারত ও সিঙ্গাপুরের মতো কয়েকটি দেশের কাছে এ ধরণের অভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও সম্ভাবনা রয়েছে। ভবিষ্যতে যে অসংখ্য সুযোগ-সুবিধা আমাদের কাছে আসছে তা কাজে লাগাতে হবে। উচ্চাকাঙ্খী হইয়ে সাহসিকতার সঙ্গে এগুলিকে কাজে লাগানোর দায়িত্ব আমাদের ওপর নিহিত। আমরা সঠিক দিশাতেই এগিয়ে চলেছে, তা এই সন্ধ্যা জানান দিচ্ছে। দুই সিংহ একসঙ্গে ভবিষ্যতের দিশায় পা বাড়াবে। ধন্যবাদ। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",ছিংগাপুৰত ব্যৱসায় তথা সম্প্ৰদায়ৰ অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ (৩১ মে’ ২০১৮) +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%8C%E0%A6%A4%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%8C%E0%A6%A4/,"দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমি উত্তর প্রদেশের নির্বাচিত সাংসদ, সেজন্য সবার আগে উত্তর প্রদেশের জনপ্রতিনিধি হিসাবে আপনাদের সকলকে হৃদয় থেকে স্বাগত জানাই। আপনারা দেশের নানা প্রান্ত থেকে এসেছেন। আমি নিশ্চিত যে, আপনারা এই ঐতিহাসিক নগরী লক্ষ্ণৌর সসম্মান আতিথেয়তার আনন্দ উপভোগ করছেন। বন্ধুগণ, আপনারা সবাই এই পরিবর্তনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ, উন্নয়নের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়ণকারী মানুষ। কেউ মেয়র, কেউ কমিশনার আবার কেউ সিইও; আপনারা দেশের সেই শহরগুলির প্রতিনিধি, যেগুলি নতুন শতাব্দী, নতুন ভারত ও নতুন প্রজন্মের আশা–আকাঙ্খার প্���তীক। বিগত তিন বছর ধরে আপনারা আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে তুলছেন। কিছুক্ষণ আগে এখানে আয়োজিত প্রদর্শনীটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। এখানে সারা দেশে চালু প্রকল্পগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হচ্ছে। স্মার্টসিটি মিশনে উন্নতমানের কাজে সফল কয়েকটি শহরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এছাড়া, কিছু ভাই-বোন ও কন্যার হাতে তাঁদের নিজস্ব বাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই চাবি হাতে নিয়ে তাঁদের মুখে যে আনন্দ আমরা দেখেছি, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আত্মবিশ্বাস তাঁদের চোখে দেখতে পেয়েছি, তা আমাদের সকলের জন্য প্রেরণার বিষয়। এই মঞ্চে এসে এরকম অনেক সুবিধাভোগীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। দেশের গরিব, গৃহহীন ভাই-বোনদের জীবনকে বদলানোর এই সুযোগ এবং পরিবর্তনকে প্রত্যক্ষ করা, প্রকৃত অর্থে আমার জীবনে অত্যন্ত সন্তোষ প্রদানকারী অনুভব। যে শহরগুলি পেয়েছে, সেই শহরগুলির প্রত্যেক নাগরিক আর যাঁরা নিজের বাড়ি পেয়েছেন, তাঁদের সবাইকে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। কিন্তু আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, যখন আমি পুরস্কার দিচ্ছিলাম, একে একে সবাই আসছিলেন, তাঁদের মধ্যে শুধু দু’জন মেয়রই ছিলেন পুরুষ আর বাকিরা মহিলা। আমাদের বোনেরা যে আন্তরিকতা নিয়ে এই কাজ সম্পন্ন করেছেন, তাঁদের জন্য সবাই হাততালি দিন। বন্ধুগণ, শহরের গরীব, গৃহহীনদের পাকা বাড়ি করে দেওয়া অভিযান থেকে শুরু করে ১০০টি স্মার্টসিটি নির্মাণের কাজ, ৫০০টি অম্রুত নগরী; কোটি কোটি দেশবাসীর জীবনকে সরল, সুগম ও নিরাপদ করে তোলার আমাদের সম্পর্ক প্রত্যেক তিন বছরে আরও শক্তিশালী হয়েছে। আজও এখানে উত্তর প্রদেশের শহরগুলিকে স্মার্টসিটি করে তোলার অনেক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, স্মার্টসিটি অভিযানের মাধ্যমে সারা দেশে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে প্রকল্পের কাজ এখানে সম্পূর্ণ হয়েছে। আর ৫২ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রকল্পের কাজ এখন তীব্রগতিতে এগিয়ে চলেছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হ’ল শহরে বসবাসকারী গরিব, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত মানুষদের জীবনকে সহজ করে তোলা, তাঁদের উন্নততর নাগরিক পরিষেবা প্রদান। স্মার্টসিটিগুলিতে এই ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ হয়েছে। আর ৫২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুতগতি��ে এগিয়ে চলেছে। এই অভিযানের লক্ষ্য হ’ল শহরে বসবাসকারী গরিব, নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত মানুষদের জীবনকে সহজ করা, তাঁদের উন্নত নাগরিক পরিষেবা প্রদান। স্মার্টসিটিতে এই পরিষেবাগুলি প্রদানের জন্য ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে, যা আত্মার মতো গোটা শহরের ব্যবস্থাসমূহ সঞ্চালিত করবে, শহরের গতিবিধির ওপর নজর রাখবে। বন্ধুগণ, এই মিশনের মাধ্যমে নির্বাচিত ১০০টি শহরের মধ্যে ১১টিতে ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারগুলি কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে। আর আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আরও ৫০টি শহরে এই কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে। এই প্রচেষ্টার পরিণাম স্বরূপ গুজরাটের রাজকোটে কিছুটা পরিস্থিতি বদলেছে। বিগত ছ’মাসে অপরাধের হার অনেকাংশে কমেছে। সিসিটিভি ক্যামেরার তদারকিতে নোংরা ছড়ানো ও সার্বজনিক স্থানে আবর্জনা ফেলার মতো কিছু প্রবৃত্তি কমেছে। ভোপালে সম্পত্তি কর সংগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে, আমেদাবাদে বিআরডিএস করিডরে ফ্রি ওয়াইফাই বাস চালু হওয়ার ফলে অবলীলাক্রমে বাসের যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশাখাপত্তনমে সিসিটিভি ও জিপিএস – এর মাধ্যমে বাসগুলিকে অনলাইন ট্র্যাক করা হচ্ছে। পুণে-তে প্রায় ১২৫টি স্থানে এমার্জেন্সি কল বেল লাগানো হয়েছে, যেখানে একটি বোতাম টিপলেই নিকটবর্তী পুলিশ স্টেশন জানতে পারবে। এরকম নানা শহরে নতুন নতুন ব্যবস্থা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছে। কিছুদিনের মধ্যেই উত্তর প্রদেশের আগ্রা, কানপুর, এলাহবাদ, আলিগড়, বারানসী, ঝাঁসি, বরেলি, সাহরানপুর, মুরারাবাদ এবং আমাদের এই লক্ষ্মৌতেও এই ধরণের অনেক পরিষেবা চালু হবে এবং আপনারা উপকৃত হবেন। ভাই ও বোনেরা, আমাদের এই ‘ট্রান্সফরমিং দ্য ল্যান্সস্কেপ অফ আরবান ইন্ডিয়া মিশন’ – এর সঙ্গে লক্ষ্ণৌর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। লক্ষ্ণৌ দেশের নাগরিক জীবনকে নতুন দিশা দেখানো মহাপুরুষ শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ীর কর্মভূমি ছিল। এটি দীর্ঘ সময় যাবৎ তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র ছিল। এখন অটলজির স্বাস্থ্য ভালো যাচ্ছে না, গোটা দেশ তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে। কিন্তু তিনি যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তাকে একটি নতুন উচ্চতা প্রদানের জন্য আমাদের সরকার এবং কোটি কোটি ভারতবাসী তীব্রগতিতে তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়ে সামনে এগিয়ে চলেছে। বন্ধুগণ, শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ী লক্ষ্ণৌকে দেশের নগরোন্নয়নের প্রয়োগশালা হ��সাবে গড়ে তুলেছিলেন। আজ আপনারা এখানে লক্ষ্ণৌতে যে উড়ালপুল, বায়ো টেকনোলজি পার্ক এবং সায়েন্টিফিক কনভেনশন সেন্টার দেখতে পাচ্ছেন, লক্ষ্ণৌর চারপাশে প্রায় ১ হাজারটি গ্রামকে লক্ষ্ণৌর সঙ্গে যুক্ত করা সড়কপথ দেখছেন। এই সমস্ত কাজ লক্ষ্ণৌর সাংসদ হিসাবে তাঁর দূরদৃষ্টির পরিণাম। আজ দেশের ১২টি শহরে মেট্রোরেল চলছে অথবা শুরু হতে চলেছে, লক্ষ্ণৌতেও মেট্রোরেল সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। নাগরিক পরিবহণ ব্যবস্থাকে আমূল বদলে ফেলা এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন তিনি দিল্লি থেকে শুরু করেছিলেন। সেই দিল্লি মেট্রোর সাফল্য আজ গোটা দেশে নাগরিক পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত করার ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শকের কাজ করছে। বন্ধুগণ, শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ী বলতেন, পুরনোকে সংস্কার না করলে নতুনের সংস্কার সম্ভব নয়। একথা তিনি পুরনো ও নতুন লক্ষ্ণৌর প্রেক্ষিতে বলেছিলেন। সেজন্য আমরা অম্রুত যোজনা তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের কথা মাথায় রেখেই চালু করেছি। অম্রুত মানে ‘অটল মিশন ফর রিজুবিনেশন অ্যান্ড আরবান ট্রান্সফরমেশন’ – স্মার্টসিটি মিশনের জন্য এটিই আমাদের প্রেরণা। এই ভাবনা নিয়েই অনেক শহরে কয়েক দশক পুরনো ব্যবস্থাকে সংস্কার করা হচ্ছে। পয়ঃপ্রণালী, পানীয় জল, রাস্তার আলো, পুকুর, দীঘি ও পার্কগুলির সৌন্দর্যায়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বন্ধুগণ, শহরের বস্তিগুলিতে বসবাসকারী গরিব, গৃহহীন ভাই বোনদের নিজস্ব বাড়ি প্রদানের এই প্রকল্পও শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ী সূচনা করেছিলেন। শুধু লক্ষ্ণৌতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে তখন প্রায় ১০ হাজার ভাই-বোন নিজেদের পাকা মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছিলেন। আজকের প্রকল্পগুলির মূল ভাবনা একই কিন্তু আমরা এগুলি নির্মাণের গতি, পরিমাণ এবং জীবনযাত্রার মানকে অন্য স্তরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। সরকার ২০২২ সালের মধ্যে প্রত্যেক গৃহহীনকে গৃহ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির সময়ে ভারতে গৃহহীন কোনও পরিবার না থাকে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিগত তিন বছরে শহরাঞ্চলে ৫৪ লক্ষ গৃহনির্মাণের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। শুধু শহরেই নয়, গ্রামগুলিতেও ইতিমধ্যে ১ কোটিরও বেশি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে জনগণের হাতে চাবি তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই বাড়িগুলিতে শৌচালয়, সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ, উজালা যোজনার মাধ্যমে এলইডি বাল্ব প্রদান করছে এবং এগুলির জন্য সরকার গৃহ ���ণের সুদের হার হ্রাস করেছে। আগের তুলনায় এখন নির্মীয়মান গৃহের ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি করা হয়েছে। বন্ধুগণ, এই যে বাড়িগুলির চাবি তুলে দেওয়া হ’ল, তা শুধুই গৃহহীনকে গৃহ প্রদান নয়, মহিলাদের ক্ষমতায়নেরও জলজ্যান্ত উদাহরণ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে যে গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলি মা ও বোনেদের নামেই হস্তান্তর করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের নামে বা তাঁদের অংশীদারিত্বে প্রায় ৮৭ লক্ষ বাড়ি নিবন্ধীকৃত হয়েছে। অন্যথা আমাদের সামাজিক ব্যবস্থা কেমন ছিল, যে কোনও পরিবারে যান, জায়গা, জমি ও বাড়ি পিতা, স্বামী কিংবা ছেলের নামে থাকে কিন্তু মেয়েদের নামে কিছু থাকে না। আমরা পরিস্থিতি বদলে দিয়েছি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যাঁরা বাড়ি পাচ্ছেন, সেখানে এসে কেউ আর জিজ্ঞেস করবেন না যে, অমুক বাড়ির মালিক কে? জিজ্ঞেস করতে হবে মালকিন কে? সমাজের ভাবনাচিন্তায় আমরা এই পরিবর্তন আনতে পেরেছি। আমি শ্রী আদিত্যনাথ যোগী ও তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাই যে তাঁরা গরিবের জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করার জন্য এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ তীব্রগতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। পূর্ববর্তী রাজ্য সরকারের সঙ্গেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার আছে। ২০১৪ সালের পর থেকে শ্রী আদিত্যনাথ যোগী দায়িত্ব নেওয়ার আগে পর্যন্ত যে কোনও প্রকল্প রূপায়ণের জন্য আমাকে খুব ভুগতে হয়েছে। রাজ্য সরকারকে বারবার চিঠি লিখতাম, দেখা হলে অনুরোধ জানাতাম – কিছু করুন, আমরা পয়সা দিতে রাজি। কিন্তু তারা কোনও ভাবেই নিজেদের ঢিমেতেতাল কর্মপদ্ধতি ছেড়ে বেরিয়ে আসেননি। তাদের শুধু ওয়ান পয়েন্ট প্রোগ্রাম ছিল, নিজেদের বাংলো সাজানো। সেখান থেকে সময় বের করতে পারেননি বলে গরিবের বাড়ি হয়নি। আমার উত্তর প্রদেশের ভাই ও বোনেরা, আপনারা হয়তো শুনেছেন, সম্প্রতি আমার ওপর আরোপ লাগানো হয়েছে যে, আমি চৌকিদার নই, অংশীদার। আমি এই আরোপকে পুরস্কার বলে মনে করি আর গর্ব করি যে আমি দেশের গরিবদের অংশীদার, দুঃখের অংশীদার, শ্রমজীবী মজুরদের অংশীদার, প্রত্যেক দুঃখী মায়ের যন্ত্রণার অংশীদার। যাঁরা কাঠ-কয়লা কুড়িয়ে কিংবা গোবর শুকিয়ে উনুনে আগুন জ্বালিয়ে ধোঁয়ায় নিজেদের চোখ লাল করে রান্না করতেন। আমি সেই মায়েদের উনুন বদলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি খরা কিংবা বন্যায় কৃষকের ফসল নষ্ট হলে তাঁর যন্ত্রণা কিংবা হতাশার অংশীদার। আমি সেই কৃষককে নিরাপত্তা প্র���ানের অংশীদার। যে বাহাদুর সৈনিকরা সিয়াচেন কিংবা কার্গিল সীমান্তে হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় অতন্দ্র প্রহরায় থাকেন অথবা জয়সালমীর কিংবা কচ্ছ-এর তীব্র গরমে আমাদের মরু প্রদেশের সীমান্ত পাহারা দেন, প্রবল প্রতিকূল অবস্থায় তাঁরা যে কোনও মুহূর্তে শত্রুর মোকাবিলা করতে এবং আত্মবলিদানে পিছ পা হন না – আমি তাঁদের অংশীদার। দেশের প্রত্যেক গরিব পরিবারে কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য জমি-জায়গা বিক্রি করে দিতে হয়, আমি তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে কষ্ট লাঘব করতে চাই – আমি তাঁদের অংশীদার। আমি গৃহহীনদের জন্যে গৃহ, বাড়ির মধ্যে শৌচালয়, স্বচ্ছ পানীয় জল, বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে। অসুস্থ হলে সস্তায় ওষুধ এবং চিকিৎসা হবে, শিশুদের শিক্ষা প্রদানের অংশীদার। আমি অংশীদার সেই প্রচেষ্টার, যার মাধ্যমে দেশের যুবসম্প্রদায়ের দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান হবে, স্বনির্ভরতার মাধ্যমে তাঁরাও অন্যদের কর্মসংস্থান করতে পারবেন। আমাদের হাওয়াই চপ্পল পড়া সাধারণ নাগরিক হাওয়াই সফর করতে পারবেন। আমি গর্বিত যে, আমি এক গরিব মায়ের সন্তান, দারিদ্র্য আমাকে সততা ও সাহস যুগিয়েছে। দারিদ্র্যের কষাঘাত আমাকে বাঁচতে শিখিয়েছে। দারিদ্র্যের কষাঘাত সহ্য করেছি বলেই গরিবদের দুঃখ-যন্ত্রণা বুঝতে পারি। একটি প্রবাদ আছে ‘জিসকে পাও না ফটি বিওয়াই, সো কেয়া জানে পীর পরাই’ অর্থাৎ যাঁর পা ফাটেনি, সে অন্যের যন্ত্রণা কি করে বুঝবেন। ভুক্তভোগীই যন্ত্রণাকে অনুভব করতে পারেন আর তাঁর মাটির সঙ্গে জুড়ে থাকা সমাধান খুঁজে বের করতে পারেন। এর আগে আরোপ লাগানো হয়েছিল যে, আমি চা ওয়ালা হয়ে দেশের প্রধান সেবক কিভাবে হতে পারি! কিন্তু এই সিদ্ধান্ত তো দেশের ১২৫ব কোটি জনগণ নিয়েছেন। অংশীদারিত্বকে যাঁরা অপমান করতে চান, আমাদের আজকের সমস্যাগুলির শেকড়ে সেই ভাবনার প্রতিফলন, সেই ভাবনার দুর্গন্ধ উঠে আসে। স্মার্টসিটির জন্য আমাদের ভাবনায় প্রেরণা ছিল আর বাস্তবায়নের জন্য সমর্থ মানুষরাও ছিলেন। প্রত্নতাত্ত্বিক খনন থেকে উঠে আসা পুরনো শহরগুলি প্রমাণ করে যে, কিভাবে আমাদের পূর্বজরা শহর নির্মাণ করতেন। হাজার হাজার বছর আগে তখনকার মতো স্মার্টসিটির রূপকার ছিলেন তাঁরা। আজ রাজনীতির ইচ্ছেশক্তির অভাব আর অদূরদর্শিতা দেশের অনেক ক্ষতি করে দিয়েছে। স্বাধীনতার পর নতুনভাবে রাষ্ট্র গঠনের দায়িত্ব দেশের জনগণ যাঁদের ওপর ন্যস্ত করেছিলেন, আজকের মতো জনসংখ্যা��� চাপ না থাকায়, ভবিষ্যতের প্রয়োজন অনুসারে শহরের নক্‌শা তৈরি করার সু্যোগ তাঁদের ছিল। তাঁরা যদি পরিকল্পনামাফিক কাজ করতেন, তা হলে আজ নগর সম্প্রসারণে এতো সমস্যা হ’ত না। যেমন খুশি, যেভাবে খুশি পরিকল্পনাহীন শহর গড়ে ওঠার ফলে সারা দেশে কংক্রিটের জঙ্গল গড়ে উঠেছে। আজ ভারতের প্রতিটি শহর তার ফল ভুগছে। বন্ধুগণ, একটি গোটা প্রজন্ম এই অব্যবস্থাগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। কোথাও তো ২-৩ প্রজন্ম এই তিক্ত অভিজ্ঞতার বোঝা কাঁধে নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আজ যখন দেশ ৭.৫ শতাংশ গড় উন্নয়নের হার নিয়ে এগিয়ে চলেছে, তখন দেশের অভ্যন্তরীণ গড় উৎপাদনের ৬৫ শতাংশেরও বেশি অংশীদার, যাকে গ্রোথ ইঞ্জিন বলা চলে। সেই অংশটি অব্যবস্থিত থাকলে উন্নয়নের গতি হ্রাস পেতে বাধ্য। শহরের পথগুলিতে ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তারের জঞ্জাল, পুঁতি গন্ধময় পয়ঃপ্রণালী, দীর্ঘ যানজট – এই সকল অব্যবস্থা একবিংশ শতাব্দীর ভারতকে পরিভাষিত করতে পারে না। এই ভাবনা নিয়েই তিন বছর আগে এই মিশনের সূচনা করা হয়েছিল। দেশের ১০০টি শহরকে বেছে নিয়ে ঠিক করা হয়েছিল যে, ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে এগুলির সার্বিক উন্নয়নের কাজ করা হবে। শরীর নতুন হবে কিন্তু আত্মা একই থাকবে। সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে – কিন্তু জীবনযাত্রা স্মার্ট হবে। আমরা এমনই জীবন্ত শহর উন্নয়নের পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছি। বন্ধুগণ, আমাদের সরকারের জন্য স্মার্টসিটি নিছকই একটি প্রকল্প নয়, এটি আমাদের জন্য একটি মিশন। দেশকে রূপান্তরণের মিশন।এই মিশন আমাদের শহরগুলিকে নতুন ভারতের নতুন নতুন সমস্যার সমাধান করতে প্রস্তুত রাখবে। একবিংশ শতাব্দীর ভারতে বিশ্বমানের মেধাবী নগরোন্নয়ন কেন্দ্রগুলি গড়ে তুলবে। এই দেশ নবীন প্রজন্মের আকাঙ্খা পূরণের দায়িত্ব পালন করবে, ভবিষ্যতের ব্যবস্থাগুলি গড়ে তুলবে। যেখানে জীবন ৫টি ‘E’ ভিত্তিক হবে। সেগুলি হ’ল – ইজ অফ লিভিং, এডুকেশন, এমপ্লয়মেন্ট, ইকনোমি এবং এন্টারটেইনমেন্ট। যখনই আমি আপনাদের মতো কর্মবীর মানুষদের সঙ্গে মিলিত হই, আপনাদের মতো মেয়র, মিউনিসিপ্যাল কমিশনার কিংবা সিইও-র সঙ্গে কথা বলি, তখন একটি নতুন আশার কিরণ দেখতে পাই। স্মার্টসিটি মিশনের এই প্রক্রিয়ার কাঠামো গণঅংশীদারিত্ব, গণআকাঙ্খা এবং গণদায়িত্ব – এই তিনটি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। নিজেদের শহরে এই ধরণের প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত ঐ শহরের নাগরিকরাই নিয়েছেন। ত��ঁদেরই ভাবনার রূপায়ণে শহরগুলিকে স্মার্টসিটি করে তোলার ভিত্তি নির্মিত হয়েছে। আর আজ দ্রুতগতিতে সেই কাজ এগিয়ে চলেছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, শুধু নতুন ব্যবস্থা গড়ে তোলা নয়, বিকল্প অর্থ সংস্থানের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। পুণে, হায়দরাবাদ ও ইন্দোর মিউনিসিপ্যাল বন্ড-এর বিক্রির মাধ্যমে প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা তুলেছে। এখন লক্ষ্ণৌ এবং গাজিয়াবাদেও এই প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। এই মিউনিসিপ্যাল বন্ড উন্নয়নকার্যে সরকারের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করবে। আমি অন্যান্য শহরগুলিকেও অনুরোধ জানাব এই ধরণের উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসুন। বন্ধুগণ, শহরগুলিকে স্মার্ট করা, ব্যবস্থাকে প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করা, জীবনযাত্রার মান সহজ করা হচ্ছে। আজ আপনারা অনুভব করতে পারছেন যে, কিভাবে সমস্ত পরিষেবা অনলাইন হওয়ার ফলে সাধারণ মানুষকে আর দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয় না। এই দীর্ঘ লাইনেই দুর্নীতির শেকড় ছিল। আজ আপনারা যে কোনও বিলের টাকা জমা করতে কোনও পরিষেবা যেমন – শংসাপত্র, ছাত্রবৃত্তি, পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড ইত্যাদির জন্য আবেদন অনলাইনেই করতে পারছেন। শাসন ব্যবস্থা, স্মার্ট হওয়ার ফলে স্বচ্ছতাও সুনিশ্চিত হচ্ছে। ফলে দুর্নীতি হ্রাস পেয়েছে। বন্ধুগণ, স্মার্ট, নিরাপদ, সুদূরপ্রসারী এবং স্বচ্ছ ব্যবস্থাগুলিই দেশের কোটি কোটি মানুষের পরিবর্তন আনছে, এতে উঁচু-নীচু, ধর্ম-সম্প্রদায়, ছোট-বড় কোনও সীমা নেই। এর ভিত্তি হ’ল উন্নয়ন, উন্নয়ন আর উন্নয়ন। কোনও বিভেদ নেই, ভেদভাবও নেই। গণঅংশীদারিত্ব, রাজ্যগুলির অংশীদারিত্ব, স্থানীয় প্রশাসনের অংশীদারিত্ব এই সব কিছু সম্ভব হয়। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ এবং ‘টিম ইন্ডিয়া’র ভাবনা নতুন ভারতের সংকল্পকে সিদ্ধ করবে। আমি আজ যখন আদিত্যনাথ যোগীর সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখন তিনি আমাকে একটি ভালো খবর শুনিয়েছেন। দেখুন, দেশের মানুষকে ভরসা করলে, কত অদ্ভুত কাজ হতে পারে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আগে ভোট নেওয়ার আগে নেতাদের মনে পড়তো। আমরা যদি সত্যি সত্যি নাগরিকদের শক্তি এবং সদ্ভাবনা দেখি, তাহলে কেমন পরিণাম পাওয়া যায় – আদিত্যনাথ যোগীজী-র বক্তব্য তার প্রমাণ। আপনারা জানেন যে আমি একবার ১৫ আগস্টে লালকেল্লার প্রাকার থেকে সম্পন্ন মানুষদের রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি ত্যাগের অনুরোধ জানিয়েছিলাম। এদেশে ভর্তুকি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলে, আগে কেউ এরকম আবেদন জানানোর সাহস পাননি। কিন্তু আম��� আবেদন রাখতেই দেশের প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ পরিবার স্বেচ্ছায় রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি ত্যাগ করেছিলেন। লালকেল্লার প্রাকার থেকে আবেদন জানিয়ে এই পরিণাম দেখেছি। কিন্তু এবার এরকম কিছু হয়নি। রেল বিভাগ কয়েক মাস আগে তাদের রিজার্ভেশন ফর্মে দেশের বয়স্ক নাগরিকদের মধ্যে যাঁরা সম্পন্ন, তাঁদের কাছে রেল যাত্রার ভর্তুকি ত্যাগের আবেদন রেখেছিল কিন্তু এর জন্য তারা বিশেষ কোনও বিজ্ঞাপন দেয়নি, আমি শুনে অবাক হয়েছি যে, দেশের ৪০ লক্ষেরও বেশি বয়স্ক নাগরিক তাঁদের রেলযাত্রায় ভর্তুকি ত্যাগ করেছেন। এই বয়স্ক নাগরিকদের জন্য দেশের গর্ব হওয়া উচিৎ। আজ আদিত্যনাথ যোগী আমাকে বলেছেন, উত্তর প্রদেশের গ্রামে যাঁরা সরকারি আবাসন পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে যাঁদের আর্থিক উন্নতি হয়েছে, ছেলেমেয়েরা শহরে গিয়ে রোজগার করায় স্বচ্ছল হয়েছেন, তেমন মানুষদের উত্তর প্রদেশ সরকার আবেদন জানিয়েছিল যে, আপনারা পুরনো বাড়ি সরকারকে ফিরিয়ে দিন, তা হলে আমরা কোনও গরিবকে থাকতে দেব। আপনারা শুনলে খুশি হবেন যে, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, ছেলেমেয়ের স্বচ্ছলতার কারণে শহরে চলে আসা এরকম ৪৬ হাজার মানুষ স্বেচ্ছায় তাঁদের আবাসন ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমাদের দেশে এমনই মানসিকতা পরিবর্তন হচ্ছে, সবাই চোর নন, দেশের জনগণের ওপর ভরসা রাখুন, দেশ পরিচালনার জন্য আমাদের থেকে বেশি শক্তি জনগণের আছে। পরিবর্তনের অনুকূলে এখন একটি সততার আবহ তৈরি হয়েছে। আগের তুলনায় অনেক বেশি মানুষ কর প্রদানের জন্য এগিয়ে এসেছেন। ভালো পরিষেবা পেলে মানুষ কর দেন না কেন? যখন মনে ভরসা জাগে যে, আমাদের দেওয়া করের প্রতিটি পয়সা সঠিক পথে খরচ হয়, তখনই মানুষ নির্দ্বিধায় কর প্রদানের জন্য এগিয়ে আসেন। আপনাদের সবাইকে আরেকবার এই অভিযানের জন্য অভিনন্দন জানাই। আমাদের বিশ্বাস আগামীদিনে আরও অনেক শহর এগিয়ে আসবে। যাঁরা এগিয়ে গেছেন, তাঁরা পথ দেখাবেন। নতুন শহরগুলিতেও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। সঠিক নেতৃত্ব প্রদান করুন, সেখানকার কমিশনার, মেয়র, সিইও-রা আপ্রাণ চেষ্টা করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর চেষ্টা করুন। আমি আপনাদেরকেও এভাবে সম্মানিত করার জন্য অপেক্ষায় আছি, আমাকে সুযোগ দিন আমি ভারতের সমস্ত শহরকে আমন্ত্রণ জানাই, আপনারা আমাকে সুযোগ দিন, আমি আপনাদের সম্মানিত করতে চাই। ভালো কাজ করে এগিয়ে আসুন। আমি আরেকবার সফল নেতৃত্ব প্রদানকারী মাননীয় মেয়র, কমিশনার এবং সিইও-দের শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",উত্তৰ প্ৰদেশৰ লক্ষ্ণৌত “পৰিৱৰ্তনশীল নগৰৰ দৃশ্যপট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানত প্রধানমন্ত্রীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AC/,"নয়াদিল্লি, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আচার্য বিনোবা ভাবের জন্ম জয়ন্তীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আচার্য বিনোবা ভাবেকে তাঁর জন্মজয়ন্তীতে স্মরণ করছি। গান্ধীবাদী ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। সামাজিক ক্ষমতায়নের জন্য তিনি কাজ করেছেন। ‘জয় জগৎ’ শ্লোগান দেন তিনি। আমরা তাঁর নীতিতে উদ্বুদ্ধ এবং দেশ গঠনের জন্য তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আচাৰ্য বিনোৱা ভাৱেক তেওঁৰ জয়ন্তীত স্মৰণ কৰে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%A7%E0%A7%A7-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%A7-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১১ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্র ও গোয়া সফর করবেন। সকাল ৯:৩০ মিনিটে তিনি নাগপুর স্টেশন থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করবেন। বেলা ১০টায় শ্রী মোদী নাগপুর মেট্রো রেলের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন এবং ফ্রিডম পার্ক থেকে খাপরি স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো রেলে সফর করবেন। এই কর্মসূচিতে নাগপুর মেট্রো রেলের দ্বিতীয় পর্যায়ের শিলান্যাস করা হবে। ১০:৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী নাগপুর ও শিরডির মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী সমৃদ্ধি মহামার্গের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন এবং ওই মহাসড়ক দিয়ে যাত্রা করবেন। এরপর ১১:১৫ মিনিটে তিনি জাতির উদ্দেশে নাগপুর এইমস উৎসর্গ করবেন। ১১:৩০ মিনিটে নাগপুরে এক অনুষ্ঠানে শ্রী মোদী ১৫০০ কোটি টাকার বেশি একগুচ্ছ রেল প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ ও শিলান্যাস করবেন। ওই অনুষ্ঠানে তিনি নাগপুরে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ওয়ান হেল্থ এবং নাগ নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এছাড়াও চন্দ্রপুরে সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ পেট্রোকেমিক্যালস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্��ান্ড টেকনোলজি (সিপেট) এবং সেন্টার ফর রিসার্চ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কন্ট্রোল অফ হিমোগ্লোবিনোপ্যাথিস জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন তিনি। গোয়ায় বিকেল ৩:১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী নবম বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেসের সমাপ্তি অধিবেশনে ভাষণ দেবেন এবং তিনটি জাতীয় আয়ুষ প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। বিকেল ৫:১৫ মিনিটে গোয়ার মোপা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর উদ্বোধন করবেন তিনি। নাগপুরে প্রধানমন্ত্রী সমৃদ্ধি মহামার্গ প্রধানমন্ত্রী ৫২০ কিলোমিটার দীর্ঘ নাগপুর ও শিরডির মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী সমৃদ্ধি মহামার্গের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন। দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে নাগপুর-মুম্বাই সমৃদ্ধি মহামার্গ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ৫৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৭০১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে দেশের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে উঠতে চলেছে। অমরাবতী, ঔরঙ্গাবাদ এবং নাসিকের মতো বিখ্যাত শহরাঞ্চলের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের ১০টি জেলার মধ্য দিয়ে এই মহাসড়ক যাবে। এর ফলে পার্শ্ববর্তী ১৪টি জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নতি হবে। ফলস্বরূপ বিদর্ভ, মারাঠাওয়াড়া এবং উত্তর মহারাষ্ট্রের ২৪টি জেলার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। পিএম গতিশক্তি প্রকল্পের মাধ্যমে একটি সুসংহত পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন তারই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ সমৃদ্ধি মহামার্গ। এই মহামার্গ দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে, জওহরলাল নেহরু পোর্ট ট্রাস্ট এবং অজন্তা-ইলোরা গুহা, শিরডি, ভেরুল, লোনারের মতো পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে। মহারাষ্ট্রের আর্থিক বিকাশে এই মহাসড়ক আগামীদিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। নাগপুর মেট্রো নাগপুর শহরে যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটানোর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী নাগপুর মেট্রো রেলের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন। তিনি অরেঞ্জ লাইনের খাপরি থেকে অটোমোটিভ স্কোয়্যার পর্যন্ত এবং অ্যাকুয়া লাইনে প্রজাপতি নগর থেকে লোকমান্য নগর পর্যন্ত মেট্রো রেল চলাচলের সূচনা করবেন। ৮ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নাগপুর মেট্রোর প্রথম পর্যায়টি নির্মিত হয়েছে। শ্রী মোদী নাগপুর মেট্রো রেলের দ্বিতীয় পর্যায়েরও শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। নাগপুর এইমস দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর মানোন্নয়নের যে অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রী করেছেন তারই অঙ্গ হিসেবে তিনি জাতির উদ্দেশে নাগপুর এইমস উৎসর্গ করবেন। এই হাসপাতালটি প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনার আওতায় নির্মিত হয়েছে। ২০১৭র জুলাই মাসে তিনি এই প্রকল্পটির শিলান্যাস করেছিলেন। ১ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নাগপুর এইমস-এ বর্হিবিভাগ, অন্তর্বিভাগ, ডায়গোনেস্টিক শাখা, অপারেশন থিয়েটার এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের ৩৮টি বিভাগ থেকে রোগীরা স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন। বিদর্ভ অঞ্চলের মানুষ নাগপুর এইমস থেকে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। এছাড়াও গড়চিরোলি, গোন্ডিয়া এবং মেলঘাটে আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলের জনগণও উপকৃত হবেন। রেল প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী নাগপুর স্টেশন থেকে নাগপুর-বিলাসপুরের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করবেন। এছাড়াও ৫৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে নাগপুর এবং ৩৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে আজনি রেল স্টেশনের মানোন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাসও করবেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে আজনিতে গভর্নমেন্ট মেন্টেনেন্স ডিপো এবং নাগপুর-ইটারসি তৃতীয় রেললাইন প্রকল্পের কোহলি-নারখের শাখার উদ্বোধন করা হবে। নাগপুরে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ওয়ান হেল্থ, ওয়ান হেল্থ কর্মসূচির আওতায় নাগপুরে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ওয়ান হেল্থের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। মানুষের স্বাস্থ্যের সঙ্গে পশুপাখিদের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের যোগসূত্রের বিষয়টিকে স্বীকৃতি দিতে ওয়ান হেল্থ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাণীদের থেকে অনেক ব্যাধি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় গবেষণার জন্য ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হবে। অন্যান্য প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী নাগপুরে নাগ নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। জাতীয় নদী সংরক্ষণ পরিকল্পনার আওতায় ১৯২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। বিদর্ভ অঞ্চলে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সিকল সেল অসুখ একটি বড় সমস্যা। এছাড়াও থ্যালাসেমিয়া এবং এইচবিই-র মতো হিমোগ্লোবিনোপ্যাথির অন্তর্ভুক্ত অসুখগুলির কারনে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় গবেষণার জন্য ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রপুরে সেন্টার ফর রিসার্চ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কন্ট্রোল অফ হিমোগ্লোবিন���প্যাথিস-এর শিলান্যাস করেছিলেন। ১১ ডিসেম্বর এই প্রকল্পটি তিনি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। আগামীদিনে এই সংস্থা হিমোগ্লোবিনোপ্যাথিস-এর গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং মানব সম্পদ সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি উৎকর্ষ কেন্দ্র হয়ে উঠবে। প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রপুরে সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ পেট্রোকেমিক্যালস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (সিপেট) জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। পলিমার এবং অনুসারি শিল্পের জন্য এই প্রতিষ্ঠান থেকে মানব সম্পদের চাহিদা পূরণ হবে। গোয়ায় প্রধানমন্ত্রী গোয়া মোপা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর প্রধানমন্ত্রী ২ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গোয়ার মোপা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর উদ্বোধন করবেন। দেশজুড়ে আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ২০১৬র নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী এই বিমান বন্দরের শিলান্যাস করেছিলেন। বিমান বন্দরটিতে সুস্থায়ী পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প, পরিবেশ বান্ধব ভবন, রানওয়েতে এলইডি আলোর ব্যবহার, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, পয়ঃনিকাশী ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও বিমান বন্দরে বাড়ি তৈরির সময় ত্রিমাত্রিক মোনোলিথিক প্রযুক্তি, ফাইভ-জি প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির পরিকাঠামোর সুবিধার বিষয়গুলি নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৪টি পার্কিং বে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রথম পর্বে এই বিমান বন্দর থেকে প্রতি বছর ৪৪ লক্ষ যাত্রী আসা-যাওয়া করতে পারবেন। পরবর্তীতে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩ কোটি ৩০ লক্ষ যাত্রী পরিবহণ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই বিমান বন্দর সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পর্যটনের প্রসার ঘটাতে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ণ নিশ্চিত করবে। বিশ্বমানের এই বিমান বন্দরে পর্যটকরা গোয়ার বিভিন্ন বৈচিত্র্যের স্বাদ পাবেন। বিমানবন্দরের ভবন নির্মাণের সময় স্থানীয় আজুলেজোস টাইল্স ব্যবহার করা হয়েছে। এখানকার ফুড কোর্টটিতে গোয়ার বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী রাখা থাকবে। নবম বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেস এবং জাতীয় আয়ুষ প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রী নবম বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেসের সমাপ্তি অধিবেশনে ভাষণ দেবেন এবং তিনটি জাতীয় আয়ুষ প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। এই তিনটি প্রতিষ্ঠান হল, গোয়ার অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ আয়ুর্বেদ, গাজিয়াবাদের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ইউনানি মেডিসিন এবং দিল্লির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হোমিওপ্যাথি। এই প্র���িষ্ঠানগুলিতে যেসব গবেষণাধর্মী কাজ করা হবে তার সুফল সাধারণ মানুষ পাবেন। ভবিষ্যতে আয়ুষ ব্যবস্থাপনায় স্বল্প মূল্যে রোগীরা চিকিৎসা করাতে পারবেন। এই প্রতিষ্ঠান নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯৭০ কোটি টাকা। আরো ৪০০ জন ছাত্রছাত্রী এখানে লেখাপড়ার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও এই তিনটি হাসপাতাল থেকে অতিরিক্ত ৫০০ জন চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। নবম বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেস এবং আরোগ্য এক্সপো-তে ৫০টিরও বেশি দেশের ৪০০ জন প্রতিনিধি এসেছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আয়ুর্বেদ নিয়ে পড়াশোনা করছেন এ রকম ছাত্রছাত্রীরা এই কংগ্রেসে অংশগ্রহণ করেছেন। নবম বিশ্ব আয়ুর্বেদ কংগ্রেসের মূল ভাবনা ছিল ‘আয়ুর্বেদ ফর ওয়ান হেল্থ’।",১১ ডিচেম্বৰত মহাৰাষ্ট্ৰ আৰু গোৱা ভ্ৰমণ কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F/,"প্যাসিফিকপেনশন অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট (পিপিআই) সংস্থার প্রেসিডেন্ট মিঃ লিওনেল সি জনসন-এরনেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল সোমবার এখানে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদীর সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীরসঙ্গে আলোচনাকালে ভারতে অর্থনৈতিক সংস্কারের অগ্রগতির বিশেষ প্রশংসা করেনপিপিআই-এর প্রতিনিধিরা। সেইসঙ্গে, এ দেশে বিকাশের সম্ভাবনা যে যথেষ্ট উজ্জ্বলসেকথাও তাঁরা বিশেষ জোরের সঙ্গে ব্যক্ত করেন। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এবং পণ্য ওপরিষেবা কর সহ ভারতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে তাঁরা এদিন আলোচনা করেন শ্রীনরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীভারতের বিনিয়োগ সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলি সম্পর্কে তাঁদের অবহিত করেন। বাণিজ্যিককাজকর্ম সহজতর করে তোলার লক্ষ্যে সাম্প্রতিককালে গৃহীত সংস্কার উদ্যোগ এবং বিভিন্নপদক্ষেপের বিষয়গুলিও তিনি আলোচনাকালে তুলে ধরেন প্রতিনিধিদের কাছে। শ্রী মোদীবলেন, ভারতীয় জনসাধারণের ক্রমবর্ধমান আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং দেশের বলিষ্ঠ অর্থনৈতিকভিত্তি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এক বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে,পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি এবং জৈব কৃষি পদ্ধতি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনা যেপ্রচুর একথাও তিনি উল্লেখ করেন তাঁদের কাছে। একটি ট্রাস্ট হিসেবে বিনিয়োগের জন্যপিপিআই-এর অর্থভাণ্ডার যে যথেষ্ট মজবুত ও শক্তিশালী – এই প্রসঙ্গের অবতারণা করেপিপিআই-এর ভূমিকার বিশেষ প্রশংসা করেন তিনি। এইভাবে ট্রাস্ট গঠন করার মাধ্যমেআর্থিক সহযোগিতা প্রসারের ধারণা ভারত যে ভালোভাবেই উপলব্ধি করেছে একথাও তিনি বলেনতাঁদের। প্রধানমন্ত্রীর মতে, এ বিষয়ে যথেষ্ট চিন্তাভাবনা করেছিলেন মহাত্মাগান্ধীও।",পেচিফিক পেন্সন আৰু বিনিয়োগ প্ৰতিষ্ঠানৰ প্ৰতিনিধিবৰ্গৰ সৈতে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সাক্ষাৎ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4/,"ভারত মাতা কি জয়! ভারত মাতা কি জয়! ভারত মাতা কি জয়! উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রদ্ধেয় শ্রী রাম নায়েক, জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মাননীয় রেলমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েলজি, সংসদ সদস্য শ্রী মহেন্দ্র পাণ্ডেজি, উত্তরপ্রদেশ মন্ত্রী পরিষদের মাননীয় মন্ত্রীগণ, এখানে উপস্থিত বিধায়কগণ, বিধানসভার অধ্যক্ষ মহোদয় এবং বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত আমার রায়বেরিলির প্রিয় ভাই ও বোনেরা। আজ আমি সেই মাটিতে এসেছি যেখানে আধ্যাত্ম থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম, সাহিত্য থেকে রাজনীতি – সকল ক্ষেত্রে দেশকে দিক নির্দেশকারী মহাপুরুষরা জন্মগ্রহণ করেছেন। মহাঋষি জমদগ্নি সহ অনেক মুনি-ঋষির তপোভূমি, ভীরা পাসি, রাণা বেণীমাধব বক্স সিং-এর বলীদানভূমি, জায়সি আর মহাবীর প্রসাদ দ্বিবেদির মন কাড়া কবিতার সৃষ্টিভূমি। এই মাটি থেকেই পণ্ডিত আমোল শর্মা কৃষক আন্দোলন শুরু করেছিলেন। শ্রদ্ধেয় রাজনারায়ণের রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাতও এই ভূমি থেকেই। আমি রায়বেরিলির এই মহান পূণ্যভূমিকে সাদর প্রণাম জানাই। বন্ধুগণ, এই গৌরবময় ইতিহাস, এই অঞ্চলের উন্নয়নের প্রতি উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার সমর্পিতপ্রাণ। এই ভাবনা থেকেই একটু আগেই এখানে সড়কপথ, গৃহনির্মাণ, মেডিকেল কলেজ ইত্যাদি প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পসমূহের উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস করা হয়েছে। এই সকল পরিষেবার জন্য আমি আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বন্ধুগণ, এখানে আসার আগে কাছেই একটি আধুনিক রেল কোচ ফ্যাক্টরিতে এ বছরে নির্মিত ৯০০টি কামরাকে সবুজ পতাকা দেখানোর সৌভাগ্য হয়েছে। যে গতিতে তারা এই কাজ সম্পন্ন করেছে, পূর্ববর্তী সরকারের ঢিমেতেতাল কর্মসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে এই সাফল্য সত্যিই প্রশংসনীয়। একবার ভাবুন, ২০০৭ সালে এই কোচ কারখানা মঞ্জুর হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, বছরে ১ হাজারটা কোচ নির্মাণ। ২০১০ সালে এই কারখানা চালু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপর চার বছর কাপুরথালা থেকে কোচ এনে সেগুলিতে প্যাচ লাগানো এবং রং করার কাজ করা হয়েছে। নতুন কোচ তৈরি হয়নি। মেশিনগুলি অকেজো পড়ে থাকায় ২০১৪-য় আমরা যখন সরকারের দায়িত্ব নিলাম তখন মাত্র ৩ শতাংশ মেশিন উৎপাদনক্ষম ছিল। আমরা এই পরিস্থিতি বদলে পরবর্তী তিন মাসে রায়বেরিলির এই কারখানা থেকেই কোচ উৎপাদন শুরু করালাম। এখন সমস্ত মেশিন তার পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে। নতুন এবং আধুনিক মেশিন লাগানোর কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আমাদের কর্মসংস্কৃতির ফলস্বরূপ এই ৯০০টি কোচ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে বিগত ১ বছরে এই ৭১১টি। আমরা আগামী ১ বছরে ১,৪০০-রও বেশি কোচ নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছি। বন্ধুগণ, যেভাবে এই কারখানায় আধুনিকীকরণের কাজ হচ্ছে, আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে এখান থেকে বছরে ৩ হাজারেরও বেশি কোচ নির্মিত হবে। আর আমাদের চেষ্টা থাকবে বছরে ৫ হাজার কোচ নির্মাণের উপযোগী পরিকাঠামো গড়ে তোলা। ততদিনে রায়বেরিলির এই কোচ নির্মাণ কারখানা বিশ্বের সর্ববৃহৎ রেল কোচ নির্মাণ কারখানা হয়ে উঠবে। ভাই ও বোনেরা, আমি ছোট করে ভাবার কথা ভাবতেই পারি না। অদূর ভবিষ্যতে এই কারখানা থেকে সারা দেশের জন্য প্রয়োজনীয় মেট্রো রেল এবং সেমি হাইস্পিড ট্রেনগুলির উপযোগী কোচ তৈরি হবে। অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে আধুনিক এবং হালকা ওজনের মজবুত কোচ নির্মিত হবে। ভাই ও বোনেরা, এই বিস্তারের মাধ্যমে শুধু কোচ ফ্যাক্টরিই নয়, এখানকার সাধারণ মানুষের জীবনেও অনেক পরিবর্তন আসবে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। ২০১৪-র আগে এই কোচ কারখানার জন্য রায়বেরিলির স্থানীয় বাজার থেকে বছরে ১ কোটি টাকারও কম জিনিস কেনা হত। আর আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে গত ১ বছরে আমাদের সরকার স্থানীয় বাজার থেকে এখন পর্যন্ত ১২৫ কোটি টাকার সরঞ্জাম কিনেছে। এই প্রকল্প বিস্তারিত হলে এই সরঞ্জাম কেনার পরিসংখ্যানও আকাশ ছোঁবে। আমাকে বলা হয়েছে যে আগামীদিনে রেল মন্ত্রক এবং উত্তরপ্রদেশ সরকার যৌথভাবে এখানে একটি রেল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তুলবে। এর মাধ্যমে রেল কারখানার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ প্রক্রিয়া সরল হবে আর এখানকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ উপকৃত হবে। বন্ধুগণ, আজ আরেকটি তথ্য আপনাদের জানাতে চাই, এই কারখানা নির্মাণের সময় পূর্ববর্তী সরকার ঘোষণা করেছিল যে, এখানে পাঁচ হাজার কর্মচারী নিয়োগ করা হবে। কিন্তু ২০১৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার আগে একজনকেও নিয়োগ করেনি। কপুরথলা থেকে আসা কর্মচারীরাই এখানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ইতিমধ্যে দুই হাজার নতুন কর্মচারী নিয়োগ করেছি। ২০১৪-র আগে অস্থায়ী কর্মচারী ছিল মাত্র ২০০, আর এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০০। আজ আমি গর্বের সঙ্গে ব্লতে পারি যে রেল কোচ নির্মাণের ক্ষেত্রে রায়বেরিলি গ্লোবাল হাব হয়ে উঠতে চলেছে। বন্ধুগণ, দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুদৃঢ় করার জন্য রেল ছাড়াও মহাসড়ক পথ, আকাশপথ, জলপথ এবং আই-ওয়ে সকল ক্ষেত্রে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। একটু আগেই সাড়ে পাঁচশো কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মিত জাতীয় মহাসড়ক উদ্বোধন হল। এর ফলে, রায়বেরিলি, লালগঞ্জ থেকে ফতেপুর হয়ে সোজা বান্দা পৌঁছনো যাবে। প্রায় ১২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কপথ চিত্রকূট ধামে যাতায়াতের পথও সহজ করে তুলবে। বন্ধুগণ, পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি সরকার জনগণের স্বাস্থ্য উন্নয়নের ক্ষেত্রেও দায়বদ্ধ। আজ এখানে ৪২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগে মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল এবং হস্টেলের উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস করা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জে নির্মীয়মান এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এইম্‌স-এর অংশ হিসেবে গড়ে উঠবে। রায়বেরিলি সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হবেন। ২০২২ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের প্রত্যেক দরিদ্র পরিবারকে পাকা বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেই বাড়িগুলিতে পানীয় জল, বিদ্যুৎ এবং রান্নার গ্যাসের সংযোগ থাকবে, আর অবশ্যই ‘ইজ্জত ঘর’ শৌচালয় থাকবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই সারা দেশে ১ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি গৃহ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, আর ইতিমধ্যেই ২৩ হাজারেরও বেশি সুবিধাভোগী গরিব মানুষের হাতে সেই বাড়িগুলির চাবিও তুলে দেওয়া হয়েছে। একটু আগেই আরও ৫০০টি নতুন ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করা হল। ভাই ও বোনেরা, ১৯৭১ সালে আজকের দিনে ভারতের বীর সৈনিকরা আতঙ্ক, অত্যাচার এবং অরাজগতার প্রতীক বিদেশি শক্তিকে পরাজিত করেছিলেন। সেই যুদ্ধে যত সৈনিক অংশগ্রহণ করেছেন, শহীদ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই উত্তরপ্রদেশের বীর সন্তান। আমি তাঁদের ১৩০ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাই। সেনাবাহিনীর শৌর্য এবং সমর্পণের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসুন আমরা সবাই একবার হাত উঁচু করে বলি ভারত মাতা কি জয়! ভারত মাতা কি জয়! ভারত মাতা কি জয়! ভাই ও বোনেরা, ভারত মায়ের জয়গান গেয়ে আপনারা যেমন গর্ববোধ করেন, অনেকে তেমনই লজ্জা অনুভব করে। তারা আমাকে যতই গালি দিতে চান, গালি দিন। কিন্তু আমি জানতে চাই, দেশের নিরাপত্তা নিয়ে ছেলেখেলা করার অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে? ভাই ও বোনেরা, আজকে দেশের সামনে দুটি পক্ষ। একটি সত্যের ও নিরাপত্তার। এই সরকার পক্ষ চায় যে আমাদের সেনার শক্তি বৃদ্ধি হোক। আর অন্য পক্ষ দেশকে দুর্বল করে তুলতে চায়। আপনারাই বলুন ভাইরা, আমাদের দেশের সেনাবাহিনী শক্তিশালী হওয়া উচিৎ কি উচিৎ নয়। তাদের হাতে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র থাকা উচিৎ কি উচিৎ নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজ দেশবাসী দেখছে কংগ্রেস ও আমাদের অন্যান্য বিরোধী দলগুলি আমাদের সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী হতে দিতে চায় না। তাদের এই প্রচেষ্টাকে কোন কোন সমর্থন করছে, সেটাও দেশবাসী দেখছে। আমাদের দেশের নেতারা এমন কিছু বলছেন যার সমর্থনে পাকিস্তান হাততালি দিচ্ছে। এরকম কেন হচ্ছে? বন্ধুগণ, রামচরিতমানসে একটি চৌপাই আছে। গোস্বামী তুলসীদাসজি লিখেছেন, রামচন্দ্র কারোর ব্যক্তিত্ব বোঝাতে বলতেন, “ঝুঠই লেনা, ঝুঠই দেনা, ঝুঠই ভোজন, ঝুঠ চবেনা”। অর্থাৎ, অনেকে মিথ্যা স্বীকার করে, অন্যকে দেয়, মিথ্যা ভোজন করে এবং মিছি মিছি চিবোতে থাকে। অনেকে এই চৌপাইকে নিজেদের জীবনের মূলমন্ত্র করে তুলেছেন। সেজন্য তাদের কাছে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও মিথ্যা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মিথ্যা, বিমানবাহিনীর আধিকারিকরা মিথ্যা, ফ্রান্সের সরকার মিথ্যা, আর এখন তো দেশের সর্বোচ্চ আদালতকেও তাদের মিথ্যা বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু বন্ধুগণ, সত্যের কোন শৃঙ্গারের প্রয়োজন হয় না। মিথ্যার কোন প্রাণ থাকে না। আমাদের শাস্ত্রে বলা হয়েছে, “জয়েৎ সত্যেন চানৃতম্‌” অর্থাৎ, সত্যবাদীতার মাধ্যমেই মিথ্যা বলার প্রবৃত্তি থেকে জয়লাভ করে। আমি দেশবাসীকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, কংগ্রেস সরকারের ইতিহাস সেনার প্রতি কি ছিল? এই মনোবৃত্তিকে দেশ কখনও ক্ষমা করবে না। কার্গিল যুদ্ধের পর আমাদের বিমানবাহিনী আধুনিক যুদ্ধবিমানের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু কার্গিল যুদ্ধের পর, অটলজির নেতৃত্বাধীন সরকারকে হ���রিয়ে কংগ্রেস ১০ বছর ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু বিমানবাহিনীকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। কেন? কার চাপে? ভাই ও বোনেরা, সেনাবাহিনীর জন্য যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের ইতিহাস বফর্স কেলেঙ্কারি খ্যাত কোয়াত্রাকি মামা আর হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারি খ্যাত আঙ্কেল ক্রিশ্চিয়ান মিশেলের দ্বারা কলঙ্কিত। আমরা দেখেছি যে এই অভিযুক্তদের বাঁচাতে কংগ্রেস কত তৎপরতার সঙ্গে আদালতে নিজেদের উকিলকে পাঠিয়ে দিয়েছিল। আমি কংগ্রেসের কাছে জানতে চাই যে আপনাদের এই অভিজ্ঞতা থেকেই কি আপনারা আদালতের প্রতি অবিশ্বাস সৃষ্টির আবহ গড়ে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ভাই ও বোনেরা, আমাদের জন্য সর্বদাই দল থেকে দেশ বড়। আর আমরা যতদিন বেঁচে থাকব, আমাদের আগামী প্রজন্মেরও এটাই মন্ত্র হবে। আজ আমি দেশবাসীকে বলতে চাই, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন, সৈনিকদের সম্মান – এই সকল ক্ষেত্রেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের একটিই অগ্রাধিকার, সেটি হল রাষ্ট্রহিত এবং জনহিত। এভাবেই আমরা লালিত-পালিত হয়েছি। এটাই আমাদের সরকারের সংস্কার। আমরা সর্বদাই সৈনিকদের সুখ-সুবিধার কথা ভাবি। যাঁরা আমাদের জন্য জীবন বাজি রেখে সীমান্তে যান, তাঁদের মায়েদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। যে বোন তাঁর দাদাকে সীমান্তে পাঠিয়েছে, যে স্ত্রী তাঁর স্বামীকে পাঠিয়েছে, যে সন্তান তার পিতাকে পাঠিয়েছে, সেই সমস্ত পরিবারবর্গের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেজন্য যত কড়া সিদ্ধান্তই নিতে হোক না কেন, আমরা কখনও এক পা-ও পিছোব না। ভাই ও বোনেরা, সৈনিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কংগ্রেসের মনোভাব কেমন ছিল তা বোঝাতে আমি একটি উদাহরণ দেব। ২০০৯ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী ১ লক্ষ ৮৬ হাজার বুলেট প্রুফ জ্যাকেট চেয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সাল পর্যন্ত তাদের জন্য সেই বুলেট প্রুফ জ্যাকেট কেনা হয়নি। আমরা সরকারে আসার পর ২০১৬ সালে ৫০ হাজার বুলেট প্রুফ জ্যাকেট কিনে সেনাবাহিনীকে দিয়েছি, আর এ বছর এপ্রিলে তাঁদের প্রয়োজন অনুসারে বাকি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট কেনার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই ১ লক্ষ ৮৬ হাজার বুলেট প্রুফ জ্যাকেট একটি ভারতীয় কোম্পানি নির্মাণ করছে। ভাই ও বোনেরা, কংগ্রেসের পাপগুলি নিয়ে যদি বলতে শুরু করি তাহলে সপ্তাহের পর সপ্তাহ লেগে যাবে। ২০১৪ সালের পরও দেশে ক্ষমতায় থাকলে তেজস যুদ্ধবিমান নির্মাণ সম্ভব হত না। এর ন��র্মাণের সঙ্গে যুক্ত প্রতি পদক্ষেপে তারা বাধা সৃষ্টি করে গেছে। অবশেষে, আমরা ক্ষমতায় এলে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে তেজসকে ৪৫ স্কোয়াড্রনে যুক্ত করা হবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৮৩টি নতুন তেজস বিমান কেনার প্রস্তাব মঞ্জুর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই বিমান নির্মাণের ক্ষেত্রে এইচএএল-এর ক্ষমতা দ্বিগুণ করার জন্য গত বছর ১,৪০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, স্বাধীনতার পর থেকেই কংগ্রেস সরকার যত যুদ্ধ সরঞ্জাম কিনেছে, সমস্ত ক্ষেত্রেই কোন বিদেশি মামা, কাকা, ভাগ্নে কিংবা ভাইপো জড়িত ছিল। সেজন্যই যখন স্বচ্ছতা এবং সততার মাধ্যমে কোন লেনদেন হয়, তখন কংগ্রেস ক্ষেপে যায়। একটি সুপরিকল্পিত রণনীতির মাধ্যমে তারা আক্রমণ হেনে সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালায়। বন্ধুগণ, কংগ্রেসের চোখে সেনাবাহিনীর মর্যাদা কতটা তা বোঝা যায় যখন তাদের নেতা সেনা প্রধানকে গুন্ডা বলতে পারেন। যারা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন, নিজেদের সেনাবাহিনীর থেকেও শত্রুদের তথ্যকে বেশি ভরসা করেন, তাদের থেকে এর চেয়ে বেশি কি আশা করা যেতে পারে? অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের ‘এক পদ এক পেনশন’ প্রদানের ক্ষেত্রেও চার দশক ধরে টালবাহানা করে অবশেষে মাত্র ৫০০ কোটি টাকার তহবিল তারা রেখে গিয়েছিল। আমাদের সরকার এই কাজ করতে গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের ইতিমধ্যেই বকেয়া সহ কয়েক কিস্তিতে ১১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। বন্ধুগণ, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকারগুলি সৈনিকদের যেমন অবহেলা করত, কৃষকদের তেমনই অবহেলা করত। স্বাধীনতার ৭০ বছর পর এই প্রথমবার এনডিএ সরকার কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার কথা ভেবেছে। কৃষকদের প্রত্যেকটি সমস্যা এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজন বুঝে বীজ থেকে শুরু করে বাজার পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের সরকার নতুন নীতি প্রণয়ন করেছে এবং সেই নীতি বাস্তবায়িত করেছে। আমরা অত্যন্ত সততার সঙ্গে, অনেক পরিশ্রমের মাধ্যমে কৃষকদের কৃষি সংক্রান্ত সমস্ত সঙ্কট থেকে বের করে আনার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দেশের কৃষকদের কংগ্রেসের ইতিহাস, তাদের প্রতারণার কথা কখনও ভোলা উচিৎ নয়। দশ বছর লাগাতার ক্ষমতায় থেকেও তারা কেন স্বামীনাথন কমিটির রিপোর্ট বাস্তবায়িত করেনি? কার চাপে করেনি? ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তারা কেন পাথর চাপা দিয়ে রেখেছিল? আমি জানি এসব প্রশ্ন��র জবাব কংগ্রেস কখনও দিতে পারবে না। ভাই ও বোনেরা, আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সংক্রান্ত স্বামীনাথন কমিটির রিপোর্ট বাস্তবায়িত করেছি। ইতিমধ্যেই খরিফ এবং রবির ২২টি ফসলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সুনিশ্চিত করা হয়েছে। শুধু এই একটি সিদ্ধান্তে দেশের কৃষকদের ৬০ হাজার কোটি টাকারও বেশি লাভ হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, আমি কংগ্রেসের কাছ থেকে জানতে চাই যে কাদের চাপে তারা ১০০ শতাংশ ইউরিয়াকে নিম কোটিং করায়নি। ইউরিয়ার অভাবে প্রতি বছর অসংখ্য কৃষক মিছি মিছি পুলিশের লাঠি খেত, আর কংগ্রেস সরকার তামাসা দেখত। বন্ধুগণ, কংগ্রেস সরকারের সময় কৃষকদের ফসল বিমার জন্য ১৫ শতাংশেরও বেশি কিস্তি নেওয়া হত। বিমার টাকা প্রদানের ক্ষেত্রেও তছরূপ হত। ৩০ শতাংশ ফসলের লোকসান হলে কিংবা ৪০ শতাংশ হলে তাঁদেরকে যেভাবে প্রতারিত করা হত, সেই কেলেঙ্কারিগুলি এখন ইতিহাস। আজ ভিন্ন ভিন্ন ফসলের ক্ষেত্রে মাত্র ১.৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ কিস্তির বিনিময়ে কৃষকদের ফসল বিমা প্রদান করা হয়। এই বাবদ দেশের কৃষকদের থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা বিমার অর্থ সংগৃহীত হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে ফলন প্রভাবিত হওয়ায় ইতিমধ্যেই দেশের কৃষকদের ৩৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিমার টাকা প্রদান করা হয়েছে। বন্ধুগণ, বিগত অনেক বছর ধরেই কংগ্রেস ঋণ মকুব করা নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলছে। কিন্তু এটাও একটা প্রতারণা, একটা মিথ্যা। কর্ণাটকে কংগ্রেস কৃষকদের ঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, মাত্র ১০ দিনের মধ্যে তাঁদের ঋণ মকুব করা হবে। কিন্তু তারপর ছ’মাস কেটে গেছে তাদের প্রতিশ্রুতি তারা পূরণ করতে পারেনি। এই ছ’মাসে তারা ১ হাজার কৃষকেরও ঋণ মকুব করেনি। অনেক কৃষকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে, আর অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই সত্যিকে লুকানোর অনেক চেষ্টা করেও তারা লুকাতে পারেনি। তাদের এই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার প্রত্যেক কৃষকের স্বার্থে কাজ করে যাবে। বন্ধুগণ, ২০০৮ সালেও কংগ্রেস সারা দেশে কৃষকদের ঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তখন দেশের কৃষকদের ৬ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ঋণ ছিল। কিন্তু সরকার মাত্র ৬০ হাজার কোটি টাকার ঋণ মকুব করেছিল। কত বড় ধোকা! শুধু তাই নয়, এর মধ্যে এমন ৩৫ লক্ষ কৃষকের ঋণ মকুব করা হয়েছিল যাঁরা ঋণ মকুব���র আওতায় আসেন না। পেছনের দরজা দিয়ে কাজ করা হয়েছিল। ভাই ও বোনেরা, কৃষি সংক্রান্ত অন্যান্য ক্ষেত্রেও কংগ্রেসের অবহেলা অবিদিত। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, বীজের উৎকর্ষ সংস্কার, কৃষি গবেষণা, কৃষকদের আয় বৃদ্ধির বিকল্প ব্যবস্থা এবং সেচ – এই সকল ক্ষেত্রেই কংগ্রেস সরকার যথেষ্ট সক্রিয় ছিল না। আজ সরকার কয়েকশ’ নতুন বিজ্ঞান কেন্দ্র খুলে ১৭ কোটিরও বেশি নতুন মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ করে, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ মঞ্জুর করে, সারা দেশে কয়েকশ’ নতুন গুদামঘর খুলে সমগ্র সরবরাহ প্রণালীকে শক্তিশালী করে কৃষকদের খরচ হ্রাস করা এবং ফসলের উচ্চ মূল্য প্রদানের প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। বন্ধুগণ, কেন্দ্রীয় সরকার হোক, কিংবা যোগীজির নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকার – আমাদের একটাই মন্ত্র – ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই সারা দেশের সঙ্গে রায়বেরিলির ৮ লক্ষ দরিদ্র মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করেছি। এখানকার ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মহিলাদের বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সংযোগ প্রদান করেছি। প্রায় ৫৫ হাজার বাড়িতে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করেছি। আপনাদের সবার অভূতপূর্ব সহযোগিতায় সরকারের প্রচেষ্টাগুলি বলীয়ান হয়ে উঠছে। আপনাদের সহযোগিতায় শক্তিতে সাধারণ মানুষের জীবনে আমরা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারছি। আগামীদিনে সমবায় এবং সহযোগিতার ভাবনা নিয়ে আমরা আরও মিলেমিশে শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে পারব। রায়বেরিলি সহ সমগ্র উত্তরপ্রদেশে দ্রুত উন্নয়নের জন্য আমাদের প্রত্যেক স্তরে মিলেমিশে এগিয়ে যেতে হবে এই বিশ্বাস নিয়ে আরেকবার এইসব উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আপনারা সবাই এখানে আমাকে আশীর্বাদ প্রদানের জন্য বিপুল সংখ্যায় এসে উপস্থিত হয়েছেন সেজন্য সবাইকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই। আমার সঙ্গে উচ্চকন্ঠে বলুন, ভারত মাতা কি জয়! ভারত মাতা কি জয়! ভারত মাতা কি জয়! অনেক অনেক ধন্যবাদ।",উত্তৰ প্ৰদেশৰ ৰায়বাৰেলীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্ৰকল্পৰ মুকলি অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%95/,"দেশের প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী মাননীয় লালকৃষ্ণ আডবানী মহোদয়, দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মাননীয় রাজনাথ সিং মহোদয়, আমার মন্ত্রিসভার অন্যান্য সহযোগীবৃন্দ, আমার সংসদের সহকর্মীগণ ও পুলিশ বাহিনীর সম্মানিত আধিকারিকবৃন্দ, ‘হট স্প্রিং ইন্সিডেন্ট’ – এর সাক্ষী বীরেরা, উপস্থিত শহীদ পরিবারের সদস্যগণ, অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা। আমাদের সকলের জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে, যখন শৌর্যকে প্রণাম জানাতেই হয়। গর্বে আমাদের বুক ভরে ওঠে। কিন্তু পাশাপাশি, মনের ভেতর সমবেদনার জোয়ারও অনুভব করি। আমার জন্য বর্তমান মুহূর্তটিও তেমনই। দেশের নিরাপত্তায় সমর্পিত প্রত্যেক ব্যক্তিকে, এখানে উপস্থিত শহীদ পরিবারের সদস্যদের আমি পুলিশ স্মৃতি দিবস উপলক্ষে সাদর প্রণাম জানাই। আজকের দিনে আমরা সেই সাহসী পুলিশ বীরদের স্মরণ করব, যাঁরা লাদাখের তুষারাচ্ছাদিত অঞ্চলে দেশের প্রথম প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর নিরাপত্তা রক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত নিজেদের কর্তব্য সম্পন্ন করতে গিয়ে যাঁরাই নিজের জীবন, যৌবন সর্বস্ব উৎসর্গ করেছেন, দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও আধা সামরিক বাহিনীর সেই পুলিশ বীর-বীরাঙ্গনাদের প্রত্যেককে আমি শত শত প্রণাম জানাই। যেসব শহীদদের পরিবারের সদস্যরা এখানে আছেন, আর যাঁরা আসতে পারেননি, তাঁদের সকলকেও আমি নত মস্তকে প্রণাম জানাই। কারণ, আপনারাও দেশের জন্য এত বড় ত্যাগ করেছেন। বন্ধুগণ, এটা আমার সৌভাগ্য যে, সেবা ও সমর্পনের অমরগাঁথা সৃষ্টিকারী এই বীর-বীরাঙ্গনাদের স্মৃতিতে গড়ে তোলা রাষ্ট্রীয় পুলিশ স্মারক জাতির প্রতি উৎসর্গ করার সৌভাগ্য হয়েছে। এই স্মারকের ‘সেন্ট্রাল স্ট্রাকচার’ প্রত্যেক পুলিশের সামর্থ্য, শৌর্য এবং সেবা ভাবের প্রতীক। আধারশিলার নীচ দিয়ে প্রবাহিত জলপ্রবাহ আমাদের সমাজে নিরন্তর প্রবাহিত সদ্ভাবনার প্রতীক। এর ‘দ্য ওয়াল অফ ভেলৌর’ – এ সেই ৩৪ হাজার ৮৪৪ জন পুলিশ কর্মীর নাম খোদিত হয়েছে, যাঁরা দেশের নানা প্রান্তে ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে নানা সমস্যার মোকাবিলা করতে গিয়ে আত্মোৎসর্গ করেছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই স্মারকের নব-নির্মিত প্রদর্শনশালায় সজ্জিত প্রতিটি বস্তু আগামীদিনে প্রত্যেক দেশবাসীকে বিশেষ করে আমাদের যুবসম্প্রদায়কে, আমাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিজেদের পুলিশ এবং আ��া সামরিক বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে তথ্য পরিবেশন করে প্রেরণা যুগিয়ে যাবে। আপনারা সবাই শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা-তুষারপাত- যে কোনও উৎসব অনুষ্ঠানের সময় দিন রাত অবিরাম অতন্দ্র প্রহরা কিংবা নিজের কাজে অটল থাকেন। এই স্মারক দেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মনে আপনাদের কর্তব্য-নিষ্ঠার গাথা যেন এভাবেই সঞ্চারিত হয়। বন্ধুগণ, দেশে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার আবহ সৃষ্টিকারী অনেক ষড়যন্ত্রকে আপনারা নস্যাৎ করে দিয়েছেন। অনেক ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সাধারণ মানুষ জানতেই পারেন না। কিন্তু আপনারা নিজেদের প্রাণ হাতে নিয়ে সেগুলির মোকাবিলা করেন, সেসব বীরত্বের জন্য সার্বজনিকভাবে আপনারা কখনও প্রশংসিত হন না। দেশে আপনাদের এই কর্তব্য-নিষ্ঠা ও সেবাভাবের জন্যই শান্তিতে অতিবাহিত দেশের মানুষের প্রতিটি মুহূর্ত শান্তিপূর্ণভাবে কাটানো সম্ভব হচ্ছে । বন্ধুগণ, আজ আমাদের জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত প্রত্যেক আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান ও পুলিশদের কথা মনে রাখতে হবে। দেশের নকশাল প্রভাবিত জেলাগুলিতে যে জওয়ানরা অতন্দ্র প্রহরায় রয়েছেন, তাঁরাও অসাধারণ কাজ করছেন। আপনাদের প্রচেষ্টায় আজ দেশে নকশাল প্রভাবিত জেলার সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। সেসব অঞ্চলের অধিকাংশ যুবক-যুবতী এখন দেশের মূল ধারার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বিরুদ্ধেও আপনাদের লড়াই শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক হয়ে উঠেছে। উত্তর-পূর্ব ভারত তথা দেশের উন্নয়নে আপনাদের এই অবদান অনস্বীকার্য। বুন্ধুগণ, আজ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় ত্রাণ ও অনুসন্ধান কার্যে যুক্ত বীর জওয়ানদের কথাও মনে রাখতে হবে। যেমন – গত বছর আপনারা বিভিন্ন বিপর্যয় এনডিআরএফ কিংবা এসডিআরএফ ব্যাচ পরা পোশাকে জওয়ানদের বিপর্যয়গ্রস্ত মানুষকে রক্ষার জন্য আপ্রাণ লড়াই করতে দেখেছি। তাঁদের সাহস, সমর্পন এবং সেবাকে কখনও ভুলবেন না। অনেকে তো জানেনই না যে, বড় কোনও বাড়ি ধ্বসে গেলে, নৌকাডুবি হলে, আগুন লাগলে, রেল দুর্ঘটনা হলে – ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে কারা সবার আগে ঝাঁপিয়ে পড়েন? দেশের প্রত্যেক রাজ্যের প্রত্যেক পুলিশ স্টেশনে মোতায়েন, দেশের প্রতিটি সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব যাঁরা প্রতিনিয়ত পালন করে যাচ্ছেন, পাশাপাশি বিপর্যয়ের সময়ে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যে য��ঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েন, তাঁদের সকলকে আজ অভিনন্দন জানাই। বন্ধুগণ, এই রাষ্ট্রীয় পুলিশ স্মারক নিয়ে আমি গর্বিত। কিন্তু আমার প্রশ্ন – এই স্মারক গড়ে তুলতে স্বাধীনতার পর ৭০ বছর কেন লেগে গেল? যে ‘হট স্প্রিং ইন্সিডেন্ট’ – এর দিনটিকে পুলিশ স্মৃতি দিবস উপলক্ষে পালন করা হয়, সেটিও তো ৬০ বছর আগের ঘটনা। তা হলে এত বছরের অপেক্ষা কেন? বন্ধুগণ, দেশের জন্য শহীদ বীর পুলিশদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই স্মারক গড়ে তোলার ভাবনাকে ২৫-২৬ বছর আগেই সরকার মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু একে বাস্তবায়িত করার প্রথম চেষ্টা করেছিল অটল বিহারী বাজপেয়ী নেতৃত্বাধীন সরকার। ২০০২ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মাননীয় আডবানীজি এর শিলান্যাসও করেছিলেন। আজ আডবানীজি এখানে স্বয়ং উপস্থিত। নিজের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে দেখে যেমন গর্ববোধ করছেন, তেমনই এটাও ভালোভাবেই জানেন যে, তাঁর দ্বারা শিলান্যাসের পরও কিভাবে এই স্মারক নির্মাণের কাজ আর এগোয়নি। আমি স্বীকার করি যে, আইনি প্রতিবন্ধকতার কারণে কয়েক বছর কাজ থেমে ছিল। কিন্তু পূর্ববর্তী সরকার যদি চাইতো, তা হলে এই স্মারক অনেক বছর আগেই তৈরি হয়ে যেত। ২০১৪ সালে আমরা আবার ক্ষমতায় এসে এর জন্য বাজেট বরাদ্দ করেছি এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আজ এই স্মারক দেশবাসীর উদ্দেশে সমর্পন করতে পারছি। হয়তো ভালো কাজের জন্যই ঈশ্বর আমাকে বেছে নিয়েছেন, আমাকে তাঁর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্যসম্পাদন করার সংস্কৃতি আজ বিকশিত হয়েছে, আর এটাই আমাদের কাজ করার পদ্ধতি। আপনাদের হয়তো মনে আছে যে, গত বছর দিল্লিতে আম্বেদকর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার উৎসর্গ করেছিলাম। সেটির উদ্যোগও প্রথম ১৯৯২ সালে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পর দুই দশক সেটিকে ফাইল চাপা রাখা হয়। আমরা ক্ষমতায় এসে সেই ফাইল খুঁজে বের করি, শিলান্যাস করি আর গত বছর জাতির উদ্দেশে উৎসর্গও করে দিই। তেমনই ২৬ আলিপুর রোডে বাবাসাহেব আম্বেদকরের স্মৃতিতে গড়ে তোলা ন্যাশনাল মেমোরিয়ালের কাজ অটলজির সময়েই শুরু হয়েছিল। তারপর থেমে গিয়েছিল। আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর শিলান্যাস করেছি এবং এ বছর এপ্রিলে সেটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আজকের এই সুদৃশ্য স্মারক উদ্বোধনেরও সৌভাগ্য আমার হ’ল। বন্ধুগণ, কখনও আমার মনে কিছু প্রশ্ন জাগে, দেশের জন্য যাঁরা সর্বস্ব ত্যাগ করেন, সেই বীরদের প্রতি, তাঁদের আত্মোৎসর্গের প্রতি পূর্ববর্তী ��রকারগুলির এত ঔদাসিন্যের কারণ কী? এই ঔদাসিন্য তো আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অনুরূপ নয়। আমাদের ঐতিহ্য তো খালি পেটেও দেশের সম্মান রক্ষায় সবকিছু উৎসর্গ করে দেওয়া। আমি গর্বিত যে, বিগত চার বছরে আমরা সেই ঐতিহ্যকে পুনঃস্থাপিত করার ক্ষেত্রে সফল হয়েছি। আজ রাষ্ট্রীয় পুলিশ মেমোরিয়ালের উদ্বোধন সেই ঐতিহ্যেরই অংশ। আজ থেকে ঠিক ১০ দিন পর ৩১ অক্টোবর আমার গুজরাটের কেউড়িয়া-তে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের একটি গগণচুম্বী মূর্তির আবরণ উন্মোচনের সৌভাগ্য হবে। বিশ্বের সর্বোচ্চ ঐ মূর্তিটি দেশের প্রতি সর্দার সাহেবের অবদানের প্রতীক হয়ে উঠবে। বন্ধুগণ, আমার মতে, এই স্মারক যেন নিছকই একটি পর্যটন স্থল না হয়ে ওঠে – সেটা দেখতে হবে। এমন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে এটি আগামীদিনে প্রত্যেক দেশবাসীকে বিশেষ করে আমাদের যুবসম্প্রদায়কে, আমাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিজেদের পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে তথ্য পরিবেশন করে প্রেরণা যুগিয়ে যায়। আমি মনে করি, এই বীরদের কথা দেশের প্রত্যেক গ্রামের প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রদর্শন করা উচিৎ। সেজন্য আজকের এই অনুষ্ঠানকে আমি আপনাদের মাঝে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক বলে ঘোষণা করতে চাই। বন্ধুগণ, দেশের যে কোনও বিপদে আজ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় ত্রাণ ও অনুসন্ধান কার্যে সবার আগে আধা সামরিক বাহিনীর পুলিশরাই পৌঁছয়। তাঁদের ছাড়া এনডিআরএফ – এর কথা ভাবাই যায় না। বড় কোনও বাড়ি ধ্বসে গেলে, নৌকাডুবি হলে, আগুন লাগলে, রেল দুর্ঘটনা কিংবা অন্য যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাঁরা নিজের নিজের ব্যাটেলিয়নে ফিরে যান। এই বিপর্যয় মোকাবিলায় অন্যের জীবন রক্ষাকারী এহেন পরাক্রমী সেবা পরায়ণ বীরদের জন্য আজ আমি একটি সম্মান ঘোষণা করছি। প্রতি বছর ভারতমাতার এহেন বীর সন্তানদের নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিবস ২৩ জানুয়ারিতে তাঁরই নামাঙ্কিত এই সম্মান প্রদান করা হবে। অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলা, ইংরেজদের ভারত ছাড়তে বাধ্য করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালনকারী নেতাজীর নামে এই সম্মান দেশের গৌরব বৃদ্ধি করবে। আজই নেতাজী স্থাপিত আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্ণ হ’ল। ভাই ও বোনেরা, শৌর্য, পরাক্রম এবং আত্মবলিদানে বৈভবশালী আমাদের পরাক্রমী অতীতের পাশাপাশি বর্তমান ও ভবিষ্যতের স���স্যাগুলির দিকেও আপনাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাই। আজ প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে সম্পূর্ণ রূপে বদলে দিয়েছে। এর ফলে, অপরাধের প্রকৃতিও বদলে গেছে। গুজব এবং সাইবার ক্রাইম এখন দেশ ও সরকারের সামনে একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে অন্যান্য এজেন্সির সাহায্য না নিয়ে পুলিশকে প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের মেল-বন্ধনে নিজেদের মতো করে কাজ গুছিয়ে নিতে হচ্ছে। বন্ধুগণ, এই লক্ষ্যে সারা দেশে অনেক সার্থক প্রচেষ্টার কথা আমরা জানি। অনেক রাজ্যে পুলিশ এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা অনলাইনে এফআইআর-পরিষেবা প্রদান করছে। ট্রাফিক সম্পর্কিত নানা অভিযোগও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মোকাবিলা করছে। এগুলি অত্যন্ত প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। এগুলিকে আমাদের সেই স্তরে নিয়ে যেতে হবে যাতে সামান্য অভিযোগে ছোটখাট বিষয় যাচাই করার জন্যে কাউকে থানায় না নিয়ে যেতে হয়! বন্ধুগণ, আপনারা সবাই জানেন যে গতবছরই সরকার পুলিশ-ব্যবস্থায় সংস্কারের জন্য বড় উদ্যোগ নিয়েছে। ‘পুলিশ বল আধুনিকীকরণ প্রকল্প’’ বা এমপিএফ-এর মাধ্যমে সরকার ২০১৯-২০ সালের মধ্যে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা দেশে পুলিশ পরিকাঠামো প্রযুক্তি উন্নয়ন কিম্বা প্রশিক্ষণ খাতে ব্যয় করবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পুলিশের গতি ও ক্ষিপ্রতা বৃদ্ধির জন্যে আধুনিক অস্ত্র, বিভিন্ন নিরাপত্তা সরঞ্জাম, যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এছাড়া পুলিশ স্টেশনগুলিকে একটি সুসংহত ব্যবস্থায় এনে ন্যাশনাল ডেটাবেস অফ ক্রাইম এবং ক্রিমিনাল রেকর্ড সংরক্ষণের প্রকল্প নিয়েও কাজ হচ্ছে। এই ডেটাবেসকে বিচার ব্যবস্থার অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেমন, ফরেনসিক ল্যাবরেটরি ও আদালতের সঙ্গেও যুক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে। আমাদের আইন ব্যবস্থা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাকে উন্নত করার লক্ষ্যে সরকার প্রত্যেক রাজ্যের প্রতিটি শহরে স্মার্ট প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে চায়। কিন্তু প্রযুক্তি সবসময় মানবিক সংবেদনশীলতার অভাবকে পূরণ করতে পারে না। সেজন্য পুলিশের প্রত্যেক সদস্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন, আপনারা দেশের সবচেয়ে দুর্বল দলিত, পীড়িত, শোষিত মানুষের প্রথম রক্ষাকর্তা। প্রথম বন্ধু, যাঁদেরকে কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষ সবার আগে মনে করেন। কাজেই আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি আপনাদের দায়িত্ব সংবেদনশীলতার সঙ্গে সাধারণ মানুষের দুঃখ বোঝা এবং তাঁদের চোখের জল মোছাও। থানায় পৌঁছনো প্রত্যেক পীড়িত ও শোষিত ব্যক্তিকে এক গ্লাস ঠান্ডা জল খাওয়ালে, মনোযোগ দিয়ে তাঁদের কথা শুনলে পুলিশের সঙ্গে সমাজের বন্ধন আরও শক্তিশালী হবে। এই বন্ধন যখন শক্তিশালী হবে, তখন সহযোগিতা ও গণঅংশীদারিত্বের ব্যবস্থাও আরও শক্তিশালী হবে। এতে আপনারা অপরাধ নিরাময়ের ক্ষেত্রে জনগণের পক্ষ থেকে অনেক বেশি সাহায্য পাবেন – এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। অবশেষে, আমি আরেকবার পুলিশ স্মৃতি দিবস উপলক্ষে এই আধুনিক রাষ্ট্রীয় পুলিশ স্মারক জাতির উদ্দেশে সমর্পন করে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আমি দেশের প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের অনুরোধ জানাবো যে, তাঁরাও যেন বিশেষ কর্মসূচি গড়ে তুলে এখানে আসেন এবং এই শহীদ পুলিশ কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। এই দীর্ঘ তালিকায় আপনাদের রাজ্যের যে বীরদের নাম রয়েছে, তাঁদেরকে বিশেষভাবে সম্মান জানান। রাজ্যের উচ্চ আধিকারিকদের নিয়ে এখানে আসুন। দেশের সমস্ত পুলিশ কর্মীদের সেবা ও সমর্পনকে প্রণাম জানিয়ে আর আমার এই পুলিশ পরিবারের প্রত্যেক সদস্যদের আগামী উৎসবের দিনগুলির জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।",ৰাষ্ট্ৰীয় আৰক্ষী স্মাৰক ৰাষ্ট্ৰৰ প্ৰতি উচৰ্গা কৰি দিয়া প্ৰধান মন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B-20/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%9B-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8%E0%A6%A4-%E0%A7%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA%E0%A7%B0-%E0%A6%AA/,"নয়াদিল্লি, ০৮ অগাস্ট, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মহিলাদের ক্রিকেটে রৌপ্য পদক জেতায় দলের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ক্রিকেট ও ভারত অবিচ্ছেদ্য। কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা জুড়ে আমাদের মহিলা ক্রিকেট দল দুর্দান্ত খেলেছেন। তাঁরা রৌপ্য পদক জয় করেছেন। ক্রিকেটে এই প্রথম পদক জয় সকলের জন্য একটি বিশেষ গৌরবের মুহূর্ত। দলের সব সদস্যদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি”।",কমনৱেলথ গেমছ ২০২২ত ৰূপৰ পদক জয় কৰাৰ বাবে মহিলা ক্ৰিকেট দলৰ সদস্যসকলক অভিনন্দন জনাইছে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%A2%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A4-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BF/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ (১৬ই ফেব্রুয়ারি) মহারাষ্ট্রের ধুলে সফর করেন। রাজ্যে একাধিক প্রকল্পের সূচনা করেন তিনি। অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাও, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডঃ সুভাষ ভামরে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পুলওয়ামায় আত্মোৎসর্গকারী বীর জওয়ানদের স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শোকের এই মুহূর্তে দেশ তাঁদের পাশেই রয়েছে। সন্ত্রাসবাদী হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের কড়া বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত কখনই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে না। তবে, ভারতের ব্যাপারে অনাবশ্যক হস্তক্ষেপকে কখনই মেনে নেওয়া হবে না। “আমি শুধু দেশের বীর সন্তানদেরই নয়, তাঁদের মায়েদেরকেও, যাঁরা এমন সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন, তাঁদের স্যালুট করি।” “পুলওয়ামার হামলার ঘটনার ষড়যন্ত্রকারীদের অবশ্যই বিচারের আঙিনায় আনা হবে। সারা বিশ্ব নতুন দৃষ্টিভঙ্গির এক নতুন ভারতকে দেখবে, যেখানে চোখের একফোঁটা জলও ব্যর্থ যাবে না।” শ্রী মোদী, প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিচাঁই যোজনার (পিএমকেএসওয়াই) আওতায় লোয়ার পানাজারা মধ্যম সেচ প্রকল্পের সূচনা করেন। এর মাধ্যমে, ধুলে ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ২১টি গ্রামের ৭,৫৮৫ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে। জলের অভাব রয়েছে এমন অঞ্চলের পক্ষে এটি হবে জীবনরেখার সামিল। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিচাঁই যোজনার মাধ্যমে ধুলে সহ মহারাষ্ট্র এবং দেশের অন্যান্য অংশে সেচ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো সম্ভব হচ্ছে। গত চার বছরে এ ধরণের ৯৯টি সেচ প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করা হয়। এর মধ্যে ২৬টিই রয়েছে মহারাষ্ট্রে। পানাজারা প্রকল্পটি এরকমই একটি সেচ প্রকল্প বলে তিনি উল্লেখ করেন। ২৫ বছর আগে মাত্র ২১ কোটি টাকায় এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছিল। বর্তমানে এই প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। মহারাষ্ট্রের শুষ্ক এলাকায় জল সরবরাহ করতে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছিল, এটি তারই সুফল বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী, জলগাঁও-উধানা রেল প্রকল্পের ডবল লাইন এবং বিদ্যুতিকরণ প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। সাধারণ নাগরিক এবং পণ্য চলাচলের সুবিধার্থে গ��� চার বছর ধরে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ২,৪০০ কোটি টাকার এই প্রকল্প সম্পন্ন করা হয়। উত্তর এবং দক্ষিণের মধ্যে এই রেললাইন স্থানীয় এলাকার বিকাশে সহায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে পতাকা দেখিয়ে ভুসাওয়াল-বান্দ্রা খান্দেশ এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রার সূচনা করেন। এই ট্রেনটির মাধ্যমে মুম্বাই এবং ভুসাওয়ালের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী, নান্দুরবার-উধানা এমইএমইউ ট্রেন এবং উধানা-পালাডি এমইএমইউ ট্রেন যাত্রারও সূচনা করেন। তিনি বোতাম টিপে ৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ ধুলে-নার্দানা রেললাইন এবং ১০৭ কিলোমিটার দীর্ঘ জলগাঁও-মানমাড় তৃতীয় রেললাইনের শিলান্যাস করেন। এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হলে, সময় এবং যান চলাচল পরিচালন ব্যবস্থা আরও ভালো হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এইসব প্রকল্পের ফলে ধুলে ও সংলগ্ন এলাকার যোগাযোগ এবং উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং উন্নয়নের মাপকাঠিতে শীঘ্রই ধুলে, সুরাটের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় থাকতে পারবে। নরেন্দ্র মোদী সুলওয়াড়ে জামফল কানোলি সেচ প্রকল্পেরও সূচনা করেন। এই প্রকল্পে তাপি নদী থেকে জল এনে তা স্থানীয় এলাকার বিভিন্ন বাঁধ, পুকুর এবং খালে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এর ফলে, ১০০টি গ্রামের প্রায় ১ লক্ষ কৃষক উপকৃত হবেন। প্রধানমন্ত্রী, ধুলে শহরে অম্রুত প্রকল্পের আওতায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন জল সরবরাহ প্রকল্প এবং ভূগর্ভস্থ নিকাশি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ধুলের খরাপ্রবণ এলাকায় নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ করা সম্ভব হবে। শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, তাঁর সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনযাপন সহজ এবং উন্নত করতে সবরকম প্রয়াস চালাচ্ছে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে অত্যন্ত অল্প সময়ে ১২ লক্ষেরও বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এর মধ্যে, ধুলে থেকে প্রায় ১,৮০০ মানুষ এবং মহারাষ্ট্রের মোট ৭০ হাজার রোগী এই প্রকল্পে উপকৃত হয়েছেন। দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের জন্য এই প্রকল্প আশার আলো দেখাচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। /","মহাৰাষ্ট্ৰৰ ঢুলেত উপস্থিত প্ৰধানমন্ত্ৰী, মুকলি কৰিলে ভালেমান উন্নয়নমূলক প্ৰকল্প" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি শ্রী জোকো উইডোডো’র আমন্ত্রণে জি-২০ সপ্তদশ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ১৪ – ১৬ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার বালি সফর করবেন। এবারের শীর্ষ সম্মেলনের মূল ভাবনা ‘একত্রিত হয়ে পুনরুদ্ধার, শক্তিশালী এক পুনরুদ্ধার’। বালি শীর্ষ সম্মেলনে জি-২০ নেতৃবৃন্দ এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। খাদ্য ও জ্বালানী ক্ষেত্রে নিরাপত্তা; স্বাস্থ্য এবং ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার রূপান্তর – এই তিনটি বিষয়ের উপর সম্মেলনে কার্যকরি অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী পয়লা ডিসেম্বর থেকে ভারত জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবে। বালি শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি উইডোডো প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতির দায়িত্ব অর্পণ করবেন। সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়াও, বালিতে বসবাসরত ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এবং বক্তব্য রাখবেন।",জি-২০ সন্মিলনৰ বাবে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ইণ্ডোনেছিয়া ভ্ৰমণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A7%B1%E0%A6%BE/,"ভারতীয় রেলের চিকিৎসা সেবার আওতায় যে সমস্ত চিকিৎসক বর্তমানে কর্মরতরয়েছেন, তাঁদের অবসর গ্রহণের বয়ঃসীমা ৬৫ বছর করার এক প্রস্তাবে আজ কর্মপরবর্তীঅনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেঅনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে একই সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবংস্বশাসিত আইআইটি’গুলিতে কর্মরত চিকিৎসকদের অবসর গ্রহণের বয়ঃসীমা ৬৫ বছর করারপ্রস্তাবে কর্মপরবর্তী অনুমোদন দেওয়া হয়। দেশের প্রধান প্রধান বন্দরকর্তৃপক্ষগুলির (স্বশাসিত সংস্থা) চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও এই অনুমোদন কার্যকর হবে। মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে দেশের মেডিকেল কলেজগুলিতে চিকিৎসাসংক্রান্ত পঠন-পাঠনের মান আরও উন্নত হয়ে ওঠার পাশাপাশি রোগীদের স্বাস্থ্যপরিচর্যারও প্রসার ঘটবে বলে সরকারের আশা। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও দপ্তরের১,৪৪৫ জন কর্মরত চিকিৎসক এর ফলে উপকৃত হবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩১ মে, ২০১৬ তারিখে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসেবার (সিএইচএস) চিকিৎস��দের অবসর গ্রহণের বয়স ৬০ থেকে ৬৫ বছরে বৃদ্ধি করা হয়।",কেন্দ্ৰীয় স্বাস্থ্য সেৱাত কৰ্মৰত চিকিৎসকৰ বাদেও আন চিকিৎসকসকলৰ কাৰ্যকাল ৬৫ বছৰলৈ বৃদ্ধিৰ প্ৰস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A7%82/,"আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আজ আরেকবার প্রধান সেবকরূপে আপনাদের মাঝখানে এসেছি। কিন্তু আগেও আমি দমন, দিউ কিংবা এখানকার গ্রামগুলিতে আমার অনেকবার আসার সৌভাগ্য হয়েছে। দাদরা নগর হাভেলি এবং দমন-দিউ-তে আমার স্কুটার চালি ঘোরার সুযোগ হয়েছে। এখানকার খাওয়া-দাওয়া, রীতি-রেওয়াজ, এখানকার নাগলি – যখনই আসি, পুরনো সব স্মৃতি তাজা হয়ে ওঠে। আপনাদের ভালোবাসা আমাকে অভিভূত করেছে। বন্ধুগণ, ২০১৭-র এপ্রিলে আপনাদের মাঝে এসে অনেকগুলি প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলাম। আমি আনন্দিত যে এত কম সময়ে সেগুলির মধ্যে অধিকাংশের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং বেশ কয়েকটির আজ উদ্বোধন হচ্ছে। আজ আমি এখানে প্রায় ১,৪০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে নির্মিত বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস করেছি। এই প্রকল্পগুলি এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, পরিকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পর্যটন, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংশ্লিষ্ট। এখানকার শিল্পোদ্যোগগুলিকে উৎসাহ যোগাতে আজ এখানে নতুন শিল্পনীতি এবং নতুন তথ্যপ্রযুক্তি নীতিও চালু করা হল। নতুন বছরে এই সমস্ত উপহারের জন্য আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন। ভাই ও বোনেরা, ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ মন্ত্র নিয়ে চলতে থাকা কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়নের পঞ্চধারার প্রতি সমর্পিত। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, যুবসম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান, বয়স্কদের ওষুধ, কৃষকদের সেচ আর প্রত্যেক মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনা – এগুলিই আমাদের উন্নয়নের রাজপথ। আমি এটা দেখে খুব খুশি হয়েছি যে বিগত পাঁচ বছরে দমন, দিউ এবং দাদরা নগর হাভেলির উন্নয়ন নতুন উচ্চতা স্পর্শ করেছে। এই দুই অঞ্চলের একটি নতুন পরিচয় গড়ে উঠেছে। অনেক বিষয়ে এই দুই অঞ্চল সমগ্র দেশ থেকে এগিয়ে। ইতিমধ্যেই এই দুই অঞ্চল নিজেদের উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম মুক্ত ঘোষণা করেছে। উভয় অঞ্চলে প্রত্যেক নাগরিকের রান্নাঘরে এলপিজি সংযোগ আছে। ফলে উভয় অঞ্চল নিজেদের কেরোসিন মুক্ত ঘোষণা করেছে। প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে, পানীয় জলের সংযোগও আছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে এই দুই অঞ্চলে যত গৃহহীন গরিব পরিবার ছিল, সকলের জন্য গৃহনির্মাণ মঞ্জুর করা হয়েছে। আজ উভয় অঞ্চলের যাঁরা আয়ুষ্মান ভারত যোজনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্য, প্রত্যেককে ‘গোল্ড কার্ড’ প্রদান করা হয়েছে। বন্ধুগণ, বিগত তিন বছরে এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উন্নয়নে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই টাকা দিয়ে অনেক প্রকল্প শুরু হয়েছে, অনেক অসম্পূর্ণ প্রকল্প সম্পূর্ণ করা হয়েছে। সেই শৃঙ্খলার অন্তর্গত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করা হয়েছে। আজ আপনাদের একটি পুরনো দাবি মেনে দেশ স্বাধীন হওয়ার সাত দশক পর আজ দাদরা, নগর হাভেলি, দমন ও দিউ প্রথম মেডিকেল কলেজ পেয়েছে। এতদিন পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যের মেডিকেল কলেজে এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য বরাদ্দ ছিল বছরে মাত্র পনেরটি আসন। আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এখন যে নতুন মেডিকেল কলেজ গড়ে তুলেছি, সেখানে শুরুতে প্রতি বছর ১৫০ জন পড়বেন। পরে এই আসন সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। ভাই ও বোনেরা, চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে কোনরকম সময় নষ্ট না করে একটি বিকল্প ভবনে এ বছর থেকেই মেডিকেল কলেজ চালু করা যায়। আমাকে বলা হয়েছে যে সিলভাসায় ২৫০টি প্যারা-মেডিকেল আর ৫০টি নার্সিং আসনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই অঞ্চলের নবীন প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নততর হয়ে উঠবে। বন্ধুগণ, ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মীয়মান এই কলেজ ছাড়াও এই অঞ্চলে ‘স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্রে’র যে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে, সেগুলির মাধ্যমে সাধারণ অসুখ-বিসুখের উন্নত চিকিৎসা বাড়ির পাশেই পাওয়া যাবে। ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’র মাধ্যমে আজ এখানে এমনই ১৮০টি ‘স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র‘ উদ্বোধন করা হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, একটু আগে এখানে আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার উপকৃতদের ‘গোল্ড কার্ড’ প্রদান করা হয়েছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম ‘হেল্‌থ কেয়ার’ প্রকল্প। গোটা বিশ্বে উচ্চ প্রশংসিত এই প্রকল্পকে অনেকে ‘মোদী কেয়ার’ নাম দিয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে দেশে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার গরিব মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা সুনিশ্চিত হয়েছে। ইতিমধ্যে মাত্র ১০০ দিন থেকে কিছুদিন বেশি সময়ের মধ্যেই এ�� মাধ্যমে প্রায় ৭ লক্ষ গরিব মানুষের হাসপাতালে চিকিৎসা সম্ভব হয়েছে। বন্ধুগণ, শিক্ষার বিস্তারে দিউতে ‘এডুকেশন হাব’ গড়ে তুলে স্থানীয় যুবক-যুবতীদের উচ্চশিক্ষা ও বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করার চেষ্টা হচ্ছে। ভাই ও বোনেরা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার পাশাপাশি সরকার সচেষ্ট যাতে কোন গরিব মানুষ গৃহহীন না থাকেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে গ্রাম ও শহরের গরিবদের বিনামূল্যে পাকাবাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য সারা দেশে একটি ব্যাপক অভিযান চালানো হয়েছে। এই প্রকল্পের দরুণ দাদরা, নগর হাভেলি এবং দমন-দিউ-তে অনেক গৃহহীনের হাতে তাঁদের জন্য নির্মিত পাকাবাড়ির চাবি আজ তুলে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, এমনই আরও অসংখ্য মানুষের জন্য গৃহনির্মাণের কাজ চলছে। একটু আগে এমনই নতুন গৃহনির্মাণ প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছে। এর মধ্যে দমনের শিল্পাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য নির্মীয়মান ‘হাউজিং প্রোজেক্ট’ও রয়েছে। আজ যাঁদের বাড়ির স্বপ্ন সফল হয়েছে, আর যাঁদের গৃহনির্মাণ শুরু হয়েছে তাঁদের সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন। বন্ধুগণ, বিগত সাড়ে চার বছরে দাদরা-নগর হাভেলির মতো ছোট অঞ্চলে এক হাজারেরও বেশি শহুরে আবাস গড়ে তোলা হয়েছে। পূর্ববর্তী সরকার তার পাঁচ বছরে দেশে গৃহহীনদের জন্য মাত্র ২৫ লক্ষ গৃহনির্মাণ করাতে পেরেছিল। আর আমরা সাড়ে চার বছরে ১ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি গৃহনির্মাণ করিয়েছি। অর্থাৎ পাঁচগুণেরও বেশি। ভাই ও বোনেরা, আমাদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে যাঁরা বাড়ি পেয়েছেন, তাঁরা সঙ্গে পেয়েছেন শৌচালয়, পানীয় জলের সংযোগ এবং উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে এলপিজি সংযোগও। এরকম অনেক পরিষেবা গরিবের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছে। বন্ধুগণ, সাধারণ মানুষের জীবনকে সরল এবং তাদের যাতায়াত ব্যবস্থাকে সুগম করতে সারা দেশে নানা স্মার্ট ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। সিলভাসা ও দিউ শহরকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে অনেক প্রকল্পের কাজ চলছে। সড়কপথ, গলিপথ, নিকাশি ব্যবস্থা, পানীয় জলের ব্যবস্থা এবং সাফাই পরিষেবা – প্রতিটি স্তরে কাজ চলছে। কিছুক্ষণ আগে ‘স্মার্ট সিটি’ সম্পর্কিত অনেক প্রকল্প উদ্বোধন করা হল। বন্ধুগণ, সিলভাসা এই পুরো অঞ্চলের আর্থিক গতিবিধির প্রাণকেন্দ্র। এখানে অনেক শিল্পোদ্যোগ রয়েছে, ভবিষ্যতেও এখানে অনেক শিল্পোদ্যোগ গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। সিলভা���া নগর নিগমের কার্যালয় ভবন, নিকাশি ব্যবস্থা এবং ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মতো পরিষেবাগুলি দমনবাসীর জীবন অনেক উন্নত করবে। তেমনই মোটি দমনে নির্মিত সমুদ্র প্রাচীর এখন আপনাদের সাগরের ঢেউ থেকে নিরাপদ রাখবে। বন্ধুগণ, গতবার যখন এখানে এসেছিলাম তখন অনেক আদিবাসী পরিবারকে জমির পাট্টা বিতরণ করেছি, আজও কয়েকজন আদিবাসী বন্ধুকে জমির অধিকার অর্পণের সৌভাগ্য আমার হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, জমি হোক, অরণ্য-সম্পদ হোক, লেখাপড়া হোক, ক্রীড়া প্রতিভা হোক, প্রতিটি স্তরে আদিবাসীদের কল্যাণে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ‘বন্ধন যোজনা’র মাধ্যমে অরণ্যজাত সবকিছুতে মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে সেগুলির যথাসম্ভব প্রচার ও প্রসারের জন্য সারা দেশে কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। জঙ্গল থেকে আদিবাসী ভাই-বোনেরা যা যা কুড়িয়ে এনে একত্রিত করে, তাঁরা যেন সেগুলির সঠিক মূল্য পান তা সুনিশ্চিত করতে ন্যূনতম সমর্থন মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। বন্ধুগণ, আদিবাসীদের রোজগার বৃদ্ধির পাশাপাশি সংস্কৃতির সংরক্ষণের জন্যও সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আজও এখানে ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যযুক্ত অনেক প্রকল্প শুরু হয়েছে। সংস্কৃতিকেন্দ্র সমূহ, পুরনো দুর্গগুলির সংরক্ষণ, দিউতে আইএনএস খুখরী সম্পর্কিত স্মারক স্থল সংরক্ষণ – এগুলি নিশ্চিতভাবেই স্থানীয় সংস্কৃতির সংরক্ষণ এবং সেগুলির প্রচার ও প্রসারে সফলকাম হবে। বন্ধুগণ, সংস্কৃতি এবং গৌরব, ইতিহাসের এই স্মারক আমাদের ভাবনার প্রহরী হওয়ার পাশাপাশি নবীনদের কর্মসংস্থানের অনেক সুযোগ গড়ে তোলে, পর্যটনকে শক্তি যোগায়। দাদরা ও নগর হাভেলিতে পর্যটন উন্নয়নের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার এই অঞ্চলকে পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরার জন্য সমস্তরকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সিলভাসায় নির্মিত দমন গঙ্গা ‘রিভার ফ্রন্ট’-এর পেছনেও এই ভাবনা কাজ করেছে। এটি এখন নতুন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পর্যটকদের আকর্ষণ করবে। তাছাড়া, এখানে ২০০ বর্গ কিলোমিটার সংরক্ষিত অরণ্য এলাকা রয়েছে। এই অরণ্য এলাকা এখানে পর্যটন শিল্পের জন্য বরদান। যেসব খাত থেকে বৃষ্টির জল এসে মধুবন বাঁধের জলাধার পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে সেসব খাতে ‘ওয়াটার স্পোর্টস’-এর আয়োজন বৃদ্ধি করা যেতে পারে। দাদরা ও নগর হাভেলির ইন্টারনেট পরিষেবা উন্নত করতে এখানকার প্রধান পর্যটন কেন্দ্র সমূহ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ওয়াই-ফাই পরিষেবা প্রদানের প্রচেষ্টা চলছে। বন্ধুগন, পর্যটনের সঙ্গে পারস্পরিক কর্মসংস্থানের উপায় এবং সম্পদ যোগানোকেও শক্তিশালী করা হচ্ছে। নীল বিপ্লব প্রকল্পের মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের আয় বৃদ্ধির জন্য সরকার কাজ করছে। মৎস্যজীবী ভাই-বোনেদের মাছ ধরা এবং তা মৎস্য বাজারজাত করা সহজ করতে নানারকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। জেলেদের পারিবারিক নৌকো পালটে আধুনিক মোটরবোটের ব্যবস্থা করার কাজ চলছে। মৎস্য উৎপাদন থেকে বাণিজ্য পর্যন্ত ব্যবস্থাসমূহকে উন্নত করার জন্য জেলেদের সহজ ও সস্তা ঋণের জন্য একটি বিশেষ তহবিল গড়ে তোলা হয়েছে। এই তহবিলের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, আজ গরিবদের জন্য, আদিবাসীদের জন্য, মধ্যবিত্তদের জন্য যত প্রকল্প চলছে, সেগুলির মূলে ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’-ই আমাদের প্রেরণা। অথচ যে দল অনেক দশক ধরে দেশে সরকার পরিচালনা করেছে, তাঁরা প্রত্যেক কাজে নিজের অথবা পরিবারের স্বার্থ দেখত। সেজন্য সেখানে কাজের থেকে বেশি নামের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বন্ধুগণ, এই পুরনো সরকারি অভ্যাসে আমরা পরিবর্তন এনেছি। আমরা নামের বদলে কাজকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আজ সরকারি প্রকল্পগুলির নাম কেমন হয়? আয়ুষ্মান ভারত যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনা। কিন্তু কোথাও মোদীর নাম নেই। এটা থেকেই বোঝা যায় যে আমাদের উদ্দেশ্য জনগণের উন্নয়ন। আর আমার জন্য তো ১২৫ কোটি ভারতবাসীই আমার পরিবার, আর এই ১২৫ কোটি দেশবাসীর কল্যাণই আমার জন্য সত্যিকারের কল্যাণের পথ। বন্ধুগণ, এই পরিচ্ছন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং স্পষ্ট নীতি তাঁরা সহ্য করতে পারেনা। তাদের সমস্যা হল দুর্নীতির বিরুদ্ধে এত কড়া পদক্ষেপ কেন? ক্ষমতার অলিগলিতে ঘুরে বেড়ানো দালালদের মোদী কেন বাইরে বের করে দিয়েছে? গরিবদের অধিকার হরণকারী, তাঁদের রেশন, তাঁদের পেনশন, তাঁদের ন্যায্য অধিকার হরণকারী দালালদের মোদী কেন বের করে দিয়েছে? এই রাগে এখন অনেক চিরশত্রু একসঙ্গে হাত মিলিয়ে মহাজোট গঠন করছে। আগে যাঁরা কংগ্রেসকে দু’চোখে দেখতে পারত না, তাঁরাও একমঞ্চে চলে এসেছে। বন্ধুগণ, এই মহাজোট শুধু মোদীর বিরোধী নয়, এরা আসলে দেশের জনগণেরও বিরোধী। এখনও এরা সবাই ঠিকভাবে জোটে আসেনি, কিন্তু দরকষাকষি চলছে, লেনদেন চলছে – এটাও দেশের নবীন প্রজন্ম, কৃষক, মহিলারা, প্রথমবার যাঁরা ভোট দেবেন সেই নবীনরা ভালোভাবে দেখছে, আর কেউ এদের চোখে ধুলো দিতে পারবে না। বন্ধুগণ, এদের দিন আজকাল মোদীর প্রতি ঘৃণা দিয়ে শুরু হয় আর মোদীকে গালি দিয়ে শেষ হয়। আমার বিশ্ব, আমার সকাল, ১২৫ কোটি জনগণের কল্যাণের সঙ্কল্প নিয়ে শুরু হয় আর সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যখন ঘুমোতে যাই তখন কতটা ভালো কাজ করতে পেরেছি সেগুলি ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ি। ওরা নিজেদের পরিবার, ভাই-ভাইপোকে এগিয়ে দেওয়ার চিন্তায় মশগুল থাকে আর বেশ গর্বের সঙ্গে নিজেদের ইচ্ছার কথা ঘোষণাও করেন, দেশের উন্নয়ন নিয়ে কোনও ভাবনা নেই। ভাই ও বোনেরা, আমার চিন্তা ১২৫ কোটি ভারতবাসীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভাবনায় সমাহিত, আমি ভারতকে একবিংশ শতাব্দীতে শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ভাই ও বোনেরা, নিজেদের পরিবার ও বিপুল ঐশ্বর্য রক্ষা করতে ওরা যতই মহাজোট গড়ে তুলুক না কেন, নিজেদের কৃতকর্ম থেকে কু-কর্ম থেকে পালাতে পারবে না! মোদী বিরোধী সংবাদমাধ্যম, ওদের সঙ্গে স্বার্থ জড়িত সংবাদমাধ্যমে তাদের মহিমা কীর্তন চলছে। কিন্তু যুগ যুগ ধরে যারা দেশের ক্ষতি করে আসছেন তাদের জন্য জনগণের মনে কোন স্থান নেই। যারা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে, জনগণ তাদের ক্ষমা করে না, ক্ষমতালোভীদের পায়ের তলার মাটি সরে যেতে থাকে। সম্প্রতি কলকাতায় তাদের সভা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিজেপি-র একজন মাত্র বিধায়ক। কিন্তু সেখানেও বিজেপি-র ভয়ে সারা ভারতের বিরোধী নেতারা একত্রিত হয়েছেন। এক বিধায়কের দল তাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। সেজন্য আমি পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে অভিনন্দন জানাই। ভাই ও বোনেরা, এরা শুধু তানাশাহী নয়, পশ্চিমবঙ্গে, কেরলে এদের শাসনাধীন সর্বত্র অন্যায় ও অত্যাচার চলছে। যে পশ্চিমবঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে সভা-সমিতি করতে বাধা দেওয়া হয়, গণতন্ত্রের টুটি টিপে ধরা হয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থী হলে খুন করে দেওয়া হয়, সেই রাজ্যে সমস্ত দুর্নীতিবাজ বিরোধীরা একত্রিত হয়ে গণতন্ত্র বাঁচানোর জন্য ভাষণ দিচ্ছেন। এটা সত্যিই দেখার মতো দৃশ্য! বন্ধুগণ, এই লড়াই ইতিবাচক আর নেতিবাচক ভাবনার লড়াই। এই লড়াই উন্নয়নের সঙ্গে দুর্নীতির লড়াই, জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে মহাজোটের লড়াই। ভাই ও বোনেরা, ইতিবাচক ভাবনার সঙ্গে সঠিক প্রচেষ্টাই ‘নতুন ভারত’ নির্মাণের উপ���য়। এই পথে আমাদের প্রত্যেককে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে হবে। এই ইতিবাচকতা নতুন বছরে দেশের কোণায় কোণায় প্রত্যেকের মন ও মস্তিষ্কে উৎসাহ ও উদ্দীপনা যোগাচ্ছে। দেশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার সঙ্কল্প নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। ভারতীয় সেনা যেন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র মাধ্যমে উপকৃত হয়, দেশে নির্মিত শক্তিশালী ট্যাঙ্ক পায় তা সুনিশ্চিত করার কথা ভাবি, দিউ-দমনে এসে এখানকার জন-সুরক্ষার চিন্তা করি, এখানকার নবীন প্রজন্ম যাতে মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পায় সেই লক্ষ্যে কাজ করি। ভাই ও বোনেরা, ওদিকে কলকাতায় বিরোধীরা একত্রিত হয়ে দলকে বাঁচানোর জন্য দেশের শাসন ক্ষমতা দখলের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। আর আমি আপনাদের মাঝে এসে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এটাই পার্থক্য বন্ধুগণ! আজ এই ছোট্ট দিউ-দমনের লক্ষ লক্ষ মানুষ এসে আমাকে যেভাবে আশীর্বাদ দিয়েছেন, ভালোবাসা দিয়েছেন – এটাই ভারতের মেজাজ। এই দিউ-দমনকে সবাই ‘মিনি ভারত’ বলে। ভারতের প্রত্যেক প্রান্তের মানুষ এখানে কর্মসূত্রে এসে বসবাস করছেন। এখানে আসার পথে দু’পাশে ভারতের প্রত্যেক প্রান্তের পোশাক পরিহিত মানুষকে দলে দলে আসতে দেখেছি, তাঁদেরকে প্রণাম প্রণাম জানাতে জানাতে এখানে এসে পৌঁছেছি। ভাই ও বোনেরা, দলের জন্য আত্মবলিদানকারী অনেকেই আছেন, কিন্তু আমরা দেশের জন্য উৎসর্গীকৃত, আপনাদের স্বপ্ন সফল করতে সমর্পিত। এভাবে বিপুল সংখ্যায় এসে আমাকে আশীর্বাদ প্রদানের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার সঙ্গে পূর্ণশক্তি দিয়ে বলুন – ভারত মাতার জয়। ভারত মাতার জয়। ভারত মাতার জয়। ভারত মাতার জয়। /",ছিলভাছাত একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পৰ আধাৰশিলা স্থাপন অনুষ্ঠানত প্রধানমন্ত্রীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%AE-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC/,"নয়াদিল্লি, ১০ অক্টোবর ২০২২ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শ্রী মুলায়ম সিং যাদবের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এক বার্তায় বলেছেন যে শ্রী মুলায়ম সিং যাদব শ্রমসাধ্য প্রচেষ্টার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সেবা করে গেছেন। লোকনায়ক জয়প্রকাশ এবং ডঃ লোহিয়ার মতাদর্শকে জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করার কাজে ���িজের জীবনকেও তিনি উৎসর্গ করেছিলেন। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থাকাকালীন ভারতকে আরও শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করেছিলেন তিনি। প্রয়াত শ্রী যাদবের সঙ্গে তাঁর নিবিড় সান্নিধ্যের কথা স্মরণ করে শ্রী মোদী বলেন, তাঁর মতামত জানার জন্য শ্রী যাদব উন্মুখ হয়ে থাকতেন এবং তাঁদের সাক্ষাৎকারের ছবিও সকলের কাছে মেলে ধরতেন। একগুচ্ছ ট্যুইট বার্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন : “শ্রী মুলায়ম সিং যাদব ছিলেন এক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। সাধারণ মানুষের সমস্যার প্রতি তিনি ছিলেন সংবেদনশীল। এই কারণে একজন বিনয়ী নেতৃত্ব অথচ এক মাটির মানুষ হিসেবেই সকলের প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। তিনি শ্রমসাধ্য প্রচেষ্টার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সেবা করে গেছেন। লোকনায়ক জয়প্রকাশ এবং ডঃ লোহিয়ার মতাদর্শকে জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করার কাজে নিজের জীবনকেও তিনি উৎসর্গ করেছিলেন।” “মুলায়ম সিং যাদবজি উত্তরপ্রদেশ তথা জাতীয় রাজনীতিতে এক স্বতন্ত্র ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় গণতন্ত্রের দাবিতে তিনি ছিলেন সোচ্চার। অন্যদিকে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে ভারতকে আরও শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যে তিনি কাজ করে গেছেন। সংসদে তাঁর বক্তব্য ছিল হৃদয়স্পর্শী। জাতীয় স্বার্থকে আরও বড় করে দেখার ওপর তিনি গুরুত্ব দিতেন।” “মুলায়ম সিং যাদবজি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে আমার বহুবার আলোচনা ও মতবিনিময় হয়েছে। আমাদের এই নিবিড় সম্পর্ক বরাবরই অটুট ছিল। তাঁর মতামত জানার জন্য আমিও অপেক্ষা করে থাকতাম। তাঁর মৃত্যুতে আমি বেদনাহত। তাঁর পরিবার-পরিজন ও লক্ষ লক্ষ অনুগামীকে আমি সমবেদনা জানাই। ওম শান্তি!”",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে মোলায়ম সিং যাদৱৰ মৃত্যুত শ্ৰদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%95-%E0%A6%9C/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%9A%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%97%E0%A6%A0%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A7%AD%E0%A7%AB%E0%A6%B8/,"নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর গঠিত আজাদ হিন্দ সরকার গঠনের ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে দিল্লীর লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। আজাদ হিন্দ সরকারের হীরক জয়ন্তীর অত্যন্ত গর্বের এই অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আজাদ হিন্দ ফৌজ সরকার গঠনে��� ক্ষেত্রে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর এক শক্তিশালী অবিভক্ত ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছিল। আজাদ হিন্দ সরকার দেশ গঠনের প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত তৎপর ছিল এবং নিজস্ব ব্যাঙ্ক, মুদ্রা ও স্ট্যাম্প প্রকাশের ব্যাপারেও উদ্যোগ নিয়েছিল বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। নেতাজীর অবদানের উল্লেখ করে মোদী বলেন, সুভাষ চন্দ্র বসু দূরদর্শী ছিলেন, অত্যন্ত শক্তিশালী ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভারতীয়দের তিনি ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। অত্যন্ত অল্প বয়স থেকেই নেতাজী স্বাধীনতা সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁর মা’কে লেখা চিঠিতেই এর উল্লেখ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেতাজী যে শুধুমাত্র ভারতীয়দের কাছেই এক অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন তাই নয়, বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতাকামীদের জন্যও তিনি ছিলেন অন্যতম অনুপ্রেরণা। দক্ষিণ আফ্রিকার নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাও নেতাজীর দ্বারাই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে সুভাষ চন্দ্র বসুর দেখানো পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেন, নেতাজীর কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে আরও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বহু ত্যাগ স্বীকারের পর ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছে এবং সেই স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব দেশবাসীরই। জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, রানি ঝাঁসি রেজিমেন্ট গঠনের মাধ্যমে মহিলা এবং সশস্ত্র বাহিনীর সমান সুযোগ-সুবিধার ভিত্তিপ্রস্তর নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুই স্থাপন করেছিলেন। সরকার প্রকৃত অর্থেই এই ঐতিহ্য বহন করে চলেছে এবং সশস্ত্র বাহিনীতে স্থায়ী কমিশনের ক্ষেত্রে মহিলাদের সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী পুনরুল্লেখ করেন। /…",আজাদ হিন্দ চৰকাৰ গঠনৰ ৭৫সংখ্যক বৰ্ষপূৰ্তিৰ স্মৃতিচাৰণ অনুষ্ঠানত অংশগ্ৰহণ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A7%87/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্যেকেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বুধবার ভারতও ব্রাজিলের মধ্যে জেবু ক্যাটল জেনোমিক্স এবং সহযোগিতামূলক প্রজনন প্রযুক্তি’রক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্��� স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (মউ) নিয়ে অবহিত হলো| ২০১৬সালের অক্টোবর মাসে এই মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে| এই মউ ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যেকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়েযাবে এবং পারস্পরিক সম্মতিমূলক পদ্ধতির যৌথ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গবাদি পশুরক্ষেত্রে জেনোমিক্স ও সহযোগিতামূলক প্রজনন প্রযুক্তির (এ.আর.টি.) উন্নয়নে উত্সাহপ্রদান করবে| নিয়মিতভাবে কাজকর্ম নির্ধারণ ও উন্নয়নমূলক কর্মপরিকল্পনা এবং পাশাপাশি এরমূল্যায়নের প্রয়োজনে দুই পক্ষ থেকে সমান সংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে একটি রূপায়ণ কমিটিগঠন করা হবে| একে দুগ্ধক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন তথা প্রাতিষ্ঠানিকশক্তিবৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে বর্তমান জ্ঞানকে বিস্তীর্ণ করার উদ্দেশ্যে গবাদি পশুও মোষ-এর বংশবৃদ্ধির উন্নয়নের ক্ষেত্রে যৌথ পরিকল্পনার মাধ্যমে রূপায়িত করা হবে| এই মউ বৈজ্ঞানিক সহযোগিতাকে উত্সাহিত করবে এবং এগিয়ে নিয়ে যাবে| তাছাড়াকিছু বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে জেবু ক্যাটল-এর ক্ষেত্রে জেনমিক সিলেকশন কর্মসূচি গঠনকরবে| যার মধ্যে রয়েছে—(ক)জেবু ক্যাটল ও তাদের মিশ্রণ এবং মোষের মধ্যে জেনমিকেরব্যবহার, (খ)গবাদি পশু ও মোষের মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রজনন প্রযুক্তির (এ.আর.টি.)ব্যবহার, (গ)জেনমিক এবং সহযোগিতামূলক প্রজনন প্রযুক্তিতে দক্ষতার উন্নয়ন (ঘ)দুইদেশের আইন ও বিধির সঙ্গে মিলিয়ে জেনমিক এবং এ.আর.টি.’র সংশ্লিষ্ট গবেষণা ও উন্নয়ন| ভারতে এর জন্য যে আইন রয়েছে তা হচ্ছে,ভারত সরকারের ট্রানসাকশান অফ বিজনেস রুল, ১৯৬১ এর রুল ৭ (ডি.)(I)| ………",ভাৰত আৰু ব্রাজিলৰ মাজত জেবু গো-ধন জেনোমিক্স আৰু সহযোগিতামূলক প্রজনন প্রযুক্তিৰ ক্ষেত্রত সহযোগিতাৰ বাবে স্বাক্ষৰিত বুজাবুজি চুক্তিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A7%B1-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%97/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দেশ জুড়ে বিভিন্ন উৎসবের জন্য দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একাধিক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমরা বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য উদযাপন করছি। সম্প্রীতি এবং ভ্রাতৃত্ববোধের উদযাপন করছি। আগামী দিনগুলিতে সারা দেশের মানুষ নানা ধরনের উৎসব পালন করবেন। এই উপলক্ষে প্রত্যেককে শুভেচ্ছা। প্রত্যেকের জীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক।” বৈশাখীর শুভেচ্ছা সকলকে! “পবিত্র বৈশাখী পালন করুন। এই পবিত্র দিনটি যেন আপনাদের সুস্বাস্থ্য এবং প্রত্যেকের সাফল্য বয়ে আনে। আমরা আমাদের সেই কঠোর পরিশ্রমী কৃষকদের অভিবাদন জানাই যাঁরা আমাদের দেশকে খাদ্য যোগান।” প্রাণবন্ত ওড়িয়া সমাজকে জানাই শুভ নববর্ষ! “এক নতুন বছর এবং নতুন প্রত্যাশা ও নতুন আশা! এই মহা বিষুব সংক্রান্তি যেন আপনাদের সকল ইচ্ছা পূরণ করে। সকলের সুখ ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করি।” প্রিয় তামিল বোন ও ভাইয়েরা, আসন্ন এক সুন্দর বছরের জন্য প্রার্থনা করছি। “আমার বোন ও ভাইয়েদের পুথান্ডুর শুভেচ্ছা। আগামী বছরটি যেন আপনাদের সকল প্রত্যাশা পূরণ করে। প্রত্যেকে সুখী ও স্বাস্থ্যবান হন।” /",বিভিন্ন উৎসৱ উপলক্ষে সমগ্ৰ দেশৰ জনতাক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%9A%E0%A6%A4%E0%A7%81/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%9A%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B6-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি: নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত চতুর্দশভারত-ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন শিখর সম্মেলনে শুক্রবার স্বাক্ষরিত চুক্তির তালিকা: ক্রমিক নং চুক্তির নাম ভারতের স্বাক্ষরকারী ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের স্বাক্ষরকারী ১. ইউরোপিয়ান রিসার্চ কাউন্সিলের অধীনে ইউরোপে আমন্ত্রিত ভারতীয় গবেষকদের জন্য ইউরোপিয়ান কমিশন এবং সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ বোর্ড (এস.ই.আর.বি.)-এর মধ্যে ব্যবস্থাপনার রূপায়ণ| ডক্টর আর. শর্মা (এস.ই.আর.বি. সচিব) শ্রী টমাস কোজলাওস্কি (ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন রাষ্ট্রদূত) ২. ব্যাঙ্গালোর মেট্রো রেল প্রজেক্টের দ্বিতীয় পর্যায়ের লাইন আর.-সিক্স এর জন্য সম্পূর্ণ ঋণ ৫০ কোটি ইউরোর মধ্যে ৩০ কোটি ইউরোর অর্থনৈতিক চুক্তি| শ্রী সুভাষ চন্দ্র গর্গ (সচিব, ডি.ই.এ.) শ্রী অ্যান্ড্রু ম্যাকডাওয়েল (ই.আই.বি.-এর সহ সভাপতি) ৩. আন্তর্জাতিক সৌর জোট এবং ইউরোপিয়ান বিনিয়োগ ব্যাঙ্ক-এর অন্তর্বর্তীকালীন সচিব-কার্যালয়ের মধ্যে যৌথ ঘোষণা| শ্রী উপেন্দ্র ত্রিপাঠি (মহাসচিব, আই.এস.এ. সচিব-কার্যালয়) শ্রী অ্যান্ড্রু ম্যাকডাওয়েল (ই.আই.বি.-এর সহ সভাপতি)",নতুন দিল্লীত চতুৰ্দশ ভাৰত-ইউৰোপিয়ান সংঘৰ সন্মিলনত স্বাক্ষৰিত চুক্তিসমূহৰ তালিকা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF/,"মাননীয় রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গ্যুতারেস, পরিচ্ছন্নতার সংকল্প নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে সমাগত মাননীয় মন্ত্রিগণ, আমার মন্ত্রী পরিষদের সহযোগী মাননীয় সুষমা স্বরাজ, ঊমা ভারতী, হরদীপ পুরী, রমেশজি, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সমাগত বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ, ভাই ও বোনেরা। ভারতে পূজনীয় বাপুর এই মাটিতে আপনাদের সকলকে হৃদয় থেকে অনেক অনেক স্বাগত জানাই। ১২৫ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে নমস্কার। পরিচ্ছন্নতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রত্যেকের দায়বদ্ধতাকে সামগ্রিকভাবে মানবজাতির সামনে তুলে ধরা, প্রেরণা যোগানোর জন্য আপনাদের মতো বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এবং পরিচ্ছন্নতা ও ধারাবাহিক উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত থাকতে পারা, আমার কাছে অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়। মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক স্যানিটেশন কনভেনশনে অংশগ্রহণ করে প্রত্যেকে নিজের দেশের অভিজ্ঞতাকে বিশ্ব নেতৃত্বের সামনে তুলে ধরা এক প্রকার এই শীর্ষ সম্মেলনে নিজেদের বক্তব্য এবং দূরদৃষ্টিতে সমৃদ্ধ করার জন্য আপনাদের প্রত্যেককে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। আজ যখন বিশ্ব অনেক সমস্যার সম্মুখীন, তখন মানবতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্কটের মোকাবিলায় এতগুলি দেশের প্রতিনিধির একত্রিত হওয়া এবং এই বিষয়ে পারস্পরিক দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আজকের এই আয়োজন, গ্লোবাল স্যানিটেশনের লক্ষ্যে আপনারা সবাই যে মূল্যবান সময় দিয়েছেন, তা আগামীদিনে মানবকল্যাণের সঙ্গে যুক্ত একটি মাইলফলক হিসাবে পরিগণিত হবে। বন্ধুগণ, আজই আমরা মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবর্ষে গোটা বিশ্বে তাঁর জন্মদিন পালনের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের সকলের পক্ষ থেকে পূজনীয় বাপুকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। পূজ্য বাপুর স্বপ্ন ছিল – পরিচ্ছন্ন ভারত। আজ সেই পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে যুক্ত সারা পৃথিবীর মহান ব্যক্তিদের স্বাগত জানানোর সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আর এভাবেই শ্রদ্ধাঞ্জলির পাশাপাশি তাঁকে কার্যাঞ্জলি প্রদানেরও সৌভাগ্য হয়েছে। আপনারা সবাই একদিন বাপুজির আশ্রমে কাটিয়েছেন। সাবরমতীর তটে অবস্থিত ঐ আশ্রম থেকেই তিনি দেশকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জ��্য তৈরি করেছিলেন। আপনারা সেখানে থেকে সেখানকার সহজ-সরল জীবনকে দেখেছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই অভিজ্ঞতা পরিচ্ছন্নতার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সকলকে নতুন প্রাণশক্তি, নতুন চেতনা, নতুন প্রেরণা দিয়েছে। একটু আগেই এখানে কয়েকজন স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী ব্যক্তিকে সম্মান ও পুরস্কার প্রদানের সৌভাগ্য আমার হয়েছে। সমস্ত পুরস্কার বিজেতাদের আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বিশেষ করে, পূজনীয় আম্মাকে প্রণাম জানি। কারণ, যখন থেকে আমরা এই কাজ শুরু করেছি, পূজনীয়া আম্মা সক্রিয়ভাবে এই অভিযানটিকে একরকম নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এমনই অনেক অগণিত মানুষ এই মণীষীদের জীবন থেকে প্রেরণা পেয়ে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানকে জনআন্দোলনে পরিণত করেছেন। একটি বড় শক্তি হিসাবে গড়ে তুলেছেন। আমি এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁদের সকলকে প্রণাম জানাই। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার আন্দোলনের সময়ে গান্ধীজি একবার বলেছিলেন যে, আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করেন, স্বচ্ছতা এবং স্বাধীনতার মধ্যে কোনটা আগে বেছে নিতে চাই, তা হলে আমি স্বচ্ছতাকেই অগ্রাধিকার দেব। গান্ধীজি স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু পরিচ্ছন্নতাকে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের চেয়েও অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। তিনি ১৯৪৫ সালে নিজের ভাবনা-চিন্তাকে ভাষায় প্রকাশ করেছিলেন, আর তাঁর প্রকাশিত সংস্করণকে গঠনমূলক সংকল্প রূপে প্রস্তুত করেছিলেন। মহাত্মা গান্ধীর সেই সংকল্পে পরিচ্ছন্নতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। প্রশ্ন উঠতে পারে যে, গান্ধীজি বারবার পরিচ্ছন্নতার ওপর এত কেন জোর দিচ্ছিলেন? শুধু কী এজন্য যে, অপরিচ্ছন্নতা অসুস্থতাকে ডেকে আনে! আমার মনে বলে, না। তাঁর উদ্দেশ্য এত সীমিত ছিল না। বন্ধুগণ, আপনারা যদি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তাঁর বক্তব্যকে পাঠ করেন, তা হলে পাবেন যে আমরা যখন অপরিচ্ছন্নতাকে দূর করতে পারি না, তখন তা আমাদের মধ্যে সকল পরিস্থিতিকে মেনে নেওয়ার প্রবৃত্তি গড়ে তোলার কারণ হয়ে ওঠে। কোনও স্থান বা বস্তু যদি নোংরা দ্বারা বেষ্টিত থাকে, সেখানে উপস্থিত মানুষেরা যদি তা না বদলান, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন না করেন, তাঁরা হলে তা ধীরে ধীরে সেই পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে শুরু করেন। আর মানিয়ে নিতে শুরু করলে সেই নোংরাকে নোংরা বলেই মনে হয় না। তাঁর মননেই অপরিচ্ছন্নতার শিকড় গজিয়ে যায়। কিন্তু যখন কেউ অপরিচ্ছন্নতাকে না মেনে নিয়ে, তা পরিস্কার করার চে���্টা করেন, তখনই তাঁর চেতনাও উজ্জীবিত হয়। পূজনীয় বাপু যখন পরিচ্ছন্নতাকে জনআন্দোলনে পরিণত করেছিলেন, তার পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল জনগণের মানসিকতার পরিবর্তন। গড্ডালিকা প্রবাহে চলতে থাকা চেতনার জড়তাকে সমাপ্ত করতে তিনি সচেষ্ট ছিলেন। ভারতীয়দের মনে যখন এই চেতনা জাগে, তখন স্বাধীনতা সংগ্রামও এর দ্বারা প্রবাহিত হয় এবং দেশ স্বাধীন হয়। আজ আমি আপনাদের সামনে, বিশ্ববাসীর সামনে এটা স্বীকার করি যে, আমরা যদি পূজনীয় বাপুর এই ভাবনাচিন্তার সঙ্গে পরিচিত হতাম, আপনারা যদি শিক্ষার্থী রূপে তাঁর দর্শন জানতে ও বুঝতে চেষ্টা না করতেন, তাঁর বক্তব্যকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে না ধরতেন, তা হলে হয়তো কোনও দেশের সরকার পরিচ্ছন্নতাকে প্রাধান্য দিত না। আজ এই অগ্রাধিকার এজন্য গড়ে উঠেছে, আমি ১৫ আগস্টে লালকেল্লার প্রাকার থেকে এই মনোভাবের কথা ঘোষণা করেছিলাম, কারণ আমি মহাত্মা গান্ধীর ভাবনা ও আদর্শ দ্বারা অনেকটাই প্রভাবিত। সেজন্য আজ এই অভিযানে কোটি কোটি মানুষ যুক্ত হয়েছেন। আমি এজন্য অত্যন্ত গর্বিত যে, আমার আবেদনে সাড়া দিয়ে ১২৫ কোটি ভারতবাসী এই স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে বিশ্বে সর্ববৃহৎ গণআন্দোলনে পরিণত করেছে। ফলস্বরূপ, ২০১৪ সালের আগে দেশে গ্রামীণ পরিচ্ছন্নতার অনুপাত ছিল ৩৮ শতাংশ, যা আজ ৯৪ শতাংশে পৌঁছেছে, যা জনসাধারণের মধ্যে দায়িত্ববোধ সংযোজনের একটি বড় উদাহরণ। ভারতে উন্মুক্ত স্থানে প্রাকৃতিক কর্ম মুক্ত গ্রামের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে। দেশের ২৫টি রাজ্য ইতিমধ্যেই উন্মুক্ত স্থানে প্রাকৃতিক কর্ম মুক্ত রাজ্য হিসাবে নিজেদের ঘোষণা করেছে। বন্ধুগণ, চার বছর আগে বিশ্বে উন্মুক্ত স্থানে প্রাকৃতিক কর্মে অভ্যস্থ মানুষের ৬০ শতাংশ ভারতে বসবাস করতেন। আজ তা দাঁড়িয়েছে ২০ শতাংশে। অর্থাৎ আমাদের এই পরিশ্রম বিশ্ব মানচিত্রে দেশকে একটি নতুন উৎসাহ ও উদ্দীপনাময় দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। সরকারের কার্যকরি বিনিয়োগ ও নিয়মিত তদারকি গ্রাম-শহর নির্বিশেষে সর্বত্র একটি চরিত্রগত পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। বন্ধুগণ, আমি যখন অভিযান শুরু করেছিলাম, তখন প্রশ্ন উঠেছিল যে, অনেক টাকা খরচ হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এক্ষেত্রে অর্থ বিনিয়োগ থেকেও সামাজিক পরিবর্তনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। মন বদলালে পরিস্থিতি বদলাতে সরকারের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয় না। মানুষ নিজে নিজেই কাজ কর��ে শুরু করেন। আপনারাই চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন যে, স্বচ্ছ ভারত অভিযান ভারতের জনগণের মেজাজটাই বদলে দিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠন সমীক্ষা চালিয়ে জানিয়েছে যে, ভারতের গ্রামে গ্রামে রোগের প্রকোপ কমে গেছে। এই খবর প্রত্যেকের মনে কতটা আনন্দ এনে দিতে পারে। ফলে, আমি নিশ্চিত যে, ভবিষ্যতে এই অভিযানের ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা বিশ্ববাসীর সামনে গবেষণার নতুন নতুন বাতায়ন খুলে দেবে। ভাই ও বোনেরা, ১২৫ কোটি ভারতবাসী এই স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে আশা ও পরিবর্তনের প্রতীক করে তুলেছে। ফলে, এই অভিযান আজ বিস্বের সর্ববৃহৎ ‘ডোমিনো এফেক্ট’ রূপে প্রতিষ্ঠা পেতে চলেছে। বন্ধুগণ, আমি অত্যন্ত গর্বিত যে, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের ফলে ভারতে পরিচ্ছন্নতার প্রতি প্রাচীন আগ্রহের পুনর্জাগরণ হয়েছে। পরিচ্ছন্নতার এই সংস্কার আমাদের প্রাচীন পরম্পরা, সংস্কৃতি এবং ভাবনায় নিহিত ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে অনেক বিকৃতি এসে আমাদের সমাজ জীবনকে গ্রাস করেছে। মানুষের জীবন ধারণের সঠিক পদ্ধতি বর্ণন করতে গিয়ে অষ্টাঙ্গ যোগ সম্পর্কে মহর্ষি পতঞ্জলি বলেছিলেন – শৌচ সন্তোষ তপঃ স্বাধ্যায় ঈশ্বর প্রণিধান নি নিয়মঃ। অর্থাৎ, সমৃদ্ধ জীবনযাপনের জন্য যে ৫টি নিয়ম রয়েছে, সেগুলি হল – ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, সন্তুষ্টি, তপস্যা, আত্ম অধ্যয়ন এবং ঈশ্বর চেতনা। আপনারা লক্ষ্য করুন, পতঞ্জলি এই ৫টির মধ্যে পরিচ্ছন্নতাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আজ যখন আমি এই প্রেক্ষাগৃহে আসছিলাম, মহামান্য অ্যান্টনিও গ্যুতারেসের সঙ্গে একটি প্রদর্শনী দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। সেখানে প্রদর্শিত হয়েছে, সিন্ধু সভ্যতায় কিরকম শৌচাগার এবং পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা ছিল। বন্ধুগণ, মহামান্য অ্যান্টরিও গ্যুতারেসের নেতৃত্বে রাষ্ট্রসংঘ এক্ষেত্রে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন স্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। এই প্রক্রিয়ায় ২০৩০ সালের মধ্যে সমগ্র বিশ্বে পরিচ্ছন্নতা, শৌচকর্মমুক্ত উন্মুক্ত স্থান, নির্মল জ্বালানির মতো ১৭টি লক্ষ্য স্থির করে, লক্ষ্যসাধনের সংকল্প নিয়ে রাষ্ট্রসংঘ এগিয়ে চলেছে। মহাসচিব মহোদয়, আমি আজ আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে, ভারত এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। আপনাদের নির্ধারিত সময়ের আগেই আমরা সাফল্য পাবো। সমৃদ্ধ দর্শন, প্রাচীন ঐতিহ্যজাত প্রেরণা, আধুনিক প্রযুক্তি এবং কার্যকরি কর্মসূচির সাহায্যে সকলের অংশীদারিত্বের ম���ধ্যমে আজ ভারত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন স্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আমাদের সরকার বর্জ্য নিষ্কাশন ও ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি, পুষ্টিকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছে। দেশে ইতিমধ্যেই অপুষ্টির বিরুদ্ধে গণআন্দোলন শুরু হয়েছে। বসুধৈব কুটুম্বকম্‌ – অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বকে একটি পরিবার কল্পনা করে আমরা যে কাজ করি, পুরোটাই বিশ্ব ও মানবজাতির কল্যাণে সমর্পণ করি। বন্ধুগণ, গত চারদিনের এই সম্মেলনের পর আমরা সবাই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, বিশ্বকে পরিচ্ছন্ন করে তুলতে চারটি ‘পি’র প্রয়োজন – পলিটিক্যাল লিডারশিপ, পাবলিক ফান্ডিং, পার্টানারশিপ এবং পিউপলস্‌ পার্টিসিপেশন। দিল্লি ঘোষণার মাধ্যমে আপনারা সবাই সর্বব্যাপী পরিচ্ছন্নতার এই চারটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। সেজন্য আমি আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এই স্বচ্ছ ভারত মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেশের কোটি কোটি স্বচ্ছতা কর্মী, সংবাদ মাধ্যমের বন্ধুগণ, যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে, আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রায় সমস্ত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এই আন্দোলনকে সচেতনতা বৃদ্ধির পর্যায়ে ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে একটি প্রেরণার আবহ গড়ে তুলেছে। আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারাই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। কিন্তু আমাদের কাজ এখনও অনেক বাকি। আমরা এখানে শুধুই আত্মতৃপ্তি উদযাপনের জন্যে একত্রিত হইনি। আমরা বাকি থাকা কাজ সম্পূর্ণ করার জন্যে প্রেরণা পেতেই একত্রিত হয়েছি। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মদিবসে পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ ভারত গড়ে তোলার প্রক্রিয়ায় সাফল্য ও সংকল্পকে একসঙ্গে কার্যাঞ্জলি অর্পণ করতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আমরা ভারতবাসী তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করেই ছাড়বে। সেজন্য আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে, দায়িত্ব নিতে হবে, কিন্তু ভারতবাসী পিছিয়ে থাকবে না। আজ এখানে ভারত সরকারের ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে জাতির জনকের নামে একটি ডাকটিকিট উদ্বোধনের সৌভাগ্য আমার হয়েছে। ডাক বিভাগের সক্রিয়তা এবং ডাকটিকিট একটি প্রতীক, তা বর্তমানকে ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত করে, সমাজকে পরিবর্তমান প্রভাবগুলির সঙ্গে যুক্ত করে। আজ এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে আমরা শুনছিলাম, বৈষ্ণব জন তো তেনে কহিয়ে – শ্রদ্ধেয় বাপুজি বিশ্ব মানব ছিলেন�� তাঁর সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল পর সম্পূর্ণ মানুষ হিসাবে যখন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কল্পনা করবে, তখন তাঁরা এই মহাপুরুষকে পাবেন। আর তাঁর প্রেরণা ছিল বৈষ্ণব জন তো তেনে কহিয়ে। আমার মনে একটা ইচ্ছা জেগেছিল যে, মহাত্মা গান্ধীর জন্ম সার্ধশতবর্ষে বিশ্বের ১৫০টি দেশে, প্রত্যেক দেশের শ্রেষ্ঠ গায়ক ও বাদকরা একত্রে ‘বৈষ্ণব জন তো তেনে কহিয়ে’ ভজনটি গাইবেন। আমার এই ইচ্ছার কথা আমি শ্রদ্ধেয়া সুষমাজিকে বলেছিলাম। কিন্তু সুষমাজি ও তাঁর গোটা টিম যে ঐকান্তিকতা নিয়ে আমার ইচ্ছে বাস্তবায়নে লেগে পড়েছিলেন, আর বিদেশি গায়কদের গাওয়া গানের উচ্চারণে ও সুরে হুবহু একই রকম রাখতে যে পরিশ্রম করেছেন, তা অভাবনীয়। তাঁদের এই পরিশ্রমে একটি বৈষ্ণব ভজন এই প্রথম সমগ্র বিশ্বে এভাবে পরিবেশিত হ’ল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনাদের এই প্রচেষ্টায় মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশতবর্ষ নিমিত্ত মাত্র। এটি আপনাদেরই মনের ইচ্ছা, যা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ গায়কদের এক স্বর ও ধুনে ঐক্যবদ্ধ করেছে। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব মহোদয়ও বলছিলেন যে, তাঁর মাতৃভূমির বাঁশরিবাদকও আজ একই সুরে বাঁশি বাজিয়েছেন। এই ঘটনা সমগ্র বিশ্বের সঙ্গীত জগত-কে বৈষ্ণব ভজনের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে। এই ভজন কোন্‌ ভাষায় গাওয়া হয়েছে, আর কোন্‌ কোন্‌ ভাষায় গাওয়া হয় – এসব কিছু না জেনেই বিশ্বের ১৫০টি দেশে বসবাসকারী অসংখ্য গায়ক এই গানটিকে হুবহু গেয়ে দিয়েছেন। তাঁদের অস্তিত্বে এই ধুন জায়গা না করে নিলে, এভাবে সাফল্যের সঙ্গে তাঁরা গাইতে পারতেন না। সেজন্য আমি আরেকবার সুষমাজি ও তাঁর টিমকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আজ পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে আমরা যে সুফল পেয়েছি, তা আরও অধিক করার প্রেরণা যোগায়। আমরা কখনই দাবি করিনি যে, সবকিছু করে ফেলেছি। কিন্তু আমাদের মনে একটি বিশ্বাস গড়ে উঠেছে, যেসব কাজ করতে আমরা ভয় পেতাম, হাত লাগাতাম না, সেই আবর্জনায় হাত লাগিয়ে আমরা পরিচ্ছন্নতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছি। এই সাফল্যের জন্য ঊমা ভারতীজি ও রমেশজি, তাঁদের বিভাগ, তাঁদের টিম, ভিন্ন ভিন্ন সংগঠন এবং দেশের আপামর জনগণ অবশ্যই অভিনন্দনযোগ্য। সরকারি দপ্তরের বাবুদের যে ছবি আমাদের মনে আঁকা ছিল, আজকের সাফল্য তাঁদের সেই বাবুগিরিকে গান্ধীগিরিতে রূপান্তরিত হওয়ার সাফল্যও বটে। একটি টিম হিসাবে কাজ না করলে এত বড় সাফল্য আসতো না। ছোট-বড় অনেক আধিকারিকই এই কর্মসূচিকে ব্যক্তিগত কর্মসূচিতে পরিণত করেছিল। নিজেদের আবেগের সঙ্গে পরিশ্রমকে মিশিয়ে দিতে পেরেছেন বলেই দেশে এই পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই সফল কর্মকান্ডের জন্য আমি আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব মহোদয়ের নিজের মূল্যবান সময় দিয়ে পূজনীয় বাপুর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আমাদের মধ্যে এসেছেন। আর রাষ্ট্রসংঘের নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে ভারত কিভাবে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে এবং বিশ্ববাসীকে প্রেরণা যোগাচ্ছে, তা সরেজমিনে দেখে গেলেন। তাঁর এই উপস্থিতি আজকের এই কর্মসূচির শোভাবর্ধন করেছে। সেজন্য আমি তাঁকে অন্তর থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। …",নতুন দিল্লীৰ ৰাষ্ট্ৰপতি ভৱনত মহাত্মা গান্ধী ইণ্টাৰনেচনেল ছেনিটেচন কনভেনচনৰ সমাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%A8-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A8-%E0%A7%A8-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%A8-%E0%A6%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8/,"নতুন দিল্লি, ২৯ এপ্রিল, ২০২২ নমস্কার! নমস্কার বেঙ্গালুরু! নমস্কার সেমিকন ইন্ডিয়া! মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মীরা, ইলেকট্রনিক্স ও সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের নেতারা, বিনিয়োগকারীরা, শিক্ষাবিদরা, কূটনৈতিক মহলের সদস্যরা এবং বন্ধুরা, সেমিকন ইন্ডিয়ার সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাতে পেরে আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ভারতে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে বলে আমার ভালো লাগছে। সেমিকন্ডাক্টর আজকের বিশ্বে যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা। আমাদের সম্মিলিত লক্ষ্য হল বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহশৃঙ্খলে ভারতকে অন্যতম প্রধান অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, উচ্চগুণমান ও নির্ভরযোগ্যতার উপর ভিত্তি করে আমরা এই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চাই। বন্ধুরা সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তিতে ভারতের একটি আদর্শ বিনিয়োগ গন্তব্য হয়ে ওঠার ছ’টি কারণ আমি দেখতে পাই। প্রথমত, আমরা ১৩০ কোটিরও বেশি দেশবাসীকে সংযুক্ত করতে একটি ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরি করছি। আপনারা সকলেই ভারতের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণ, ব্যাঙ্কিং এবং ডিজিটাল অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে বিপ্লবের কথা শুনেছেন। বর্তমানে ইউপি���ই বিশ্বের সব থেকে দক্ষ অর্থপ্রদান পরিকাঠামো হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য থেকে জনকল্যাণ, অন্তর্ভুক্তিকরণ থেকে ক্ষমতায়ন – প্রশাসনের সব ক্ষেত্রেই জীবনে রূপান্তর আনতে আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। মাথাপিছু ডেটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা এখন বৃহত্তম উপভোক্তাদের একজন এবং এই ক্ষেত্রে আমাদের বৃদ্ধি অব্যাহত। দ্বিতীয়ত, আমরা পরবর্তী প্রযুক্তি বিপ্লবে ভারতের নেতৃত্বে দেওয়ার পথ তৈরি করছি। আমরা দেশের ৬ লক্ষ গ্রামকে ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে সংযুক্ত করার কাজ হাতে নিয়েছি। এজন্য আমরা ৫জি, ইন্টারনেট (আইওটি) এবং দূষণমুক্ত জ্বালানির প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছি। ডেটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য প্রযুক্তিতে উদ্ভাবনের পরবর্তী ঢেউ আনতে আমরা সচেষ্ট। তৃতীয়ত, ভারত সুস্থিত অর্থনৈতিক বিকাশের পথে এগিয়ে চলেছে। আমাদের কাছে রয়েছে বিশ্বের দ্রুততম বিকাশশীল স্টার্ট-আপ ব্যবস্থা। প্রতি কয়েক সপ্তাহ অন্তর নতুন নতুন ইউনিকর্ন আসছে। ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতে সেমিকন্ডাক্টর ব্যবহারের মূল্য ৮ হাজার কোটি ডলার ছাড়াবে, ২০৩০ সালের মধ্যে তা ১১ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। চতুর্থত, ভারতে ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। গত বছরে আমরা ২৫ হাজারেরও বেশি পুরনো বিধিনিয়মের বিলোপসাধন করেছি এবং লাইসেন্সের স্বয়ংক্রিয় নবীকরণ ব্যবস্থা চালু করেছি। একইসঙ্গে, ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ পরিকাঠামোয় গতি ও স্বচ্ছতা আনা হচ্ছে। বর্তমানে ভারতীয় কর ব্যবস্থা বিশ্বের সব থেকে অনুকূল কর ব্যবস্থাগুলির একটি। পঞ্চমত, দেশের যুব শক্তিকে একবিংশ শতাব্দীর চাহিদার উপযোগী করে গড়ে তুলতে আমরা তাদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করছি। সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইনের ক্ষেত্রে আমাদের অসামান্য প্রতিভা রয়েছে, বিশ্বের সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারদের ২০ শতাংশই ভারতীয়। বিশ্বের প্রথম ২৫টি সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন কোম্পানির প্রায় প্রত্যেকেই তাদের ডিজাইন অথবা গবেষণা কেন্দ্র ভারতে স্থাপন করেছে। ষষ্ঠত, ভারতীয় উৎপাদন ক্ষেত্রে রূপান্তরের জন্য আমরা বহুবিধ পদক্ষেপ নিয়েছি। সারা বিশ্বের মানব সভ্যতা যখন শতাব্দীর ভয়ঙ্করতম অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়েছে, তখন ভারত কেবল তার নাগরিকদেরই নয়, তার অর্থনীতির স্বাস্থ্যেরও উ���্নতিসাধন করেছে। বন্ধুরা, আমাদের উৎপাদন ভিত্তিক উৎসাহদান প্রকল্পের আওতায় ১৪টি প্রধান ক্ষেত্রে ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারেরও বেশি দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ বছরে বৈদ্যুতিন উৎপাদন ক্ষেত্রে নজিরবিহীন বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা যায়। অতি সম্প্রতি ঘোষিত সেমিকন ইন্ডিয়া কর্মসূচিতে আমরা ১ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি বরাদ্দ করেছি। যেসব কোম্পানী সেমিকন্ডাক্টর এবং ডিসপ্লের উৎপাদন ও ডিজাইন করবে, সেগুলিকে অর্থ যোগানোই এই কর্মসূচির লক্ষ্য। আমরা জানি, সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের বিকাশের জন্য সরকারের কাছ থেকে যথাযথ সহায়তা প্রয়োজন। এব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমি সেমিকন্ডাক্টরের ভাষাতেই বলছি। আগেকার সময়ে শিল্পগুলি তাদের কাজ করতে প্রস্তুত ছিল, কিন্তু সরকার ছিল “নট গেট” -এর মতো। যেকোনো উপাদান তাই “নট গেট” –এ এসে বাতিল হয়ে যেতো। কত যে অর্থহীন বিধিনিয়ম ছিলো! ব্যবসা করার মতো পরিবেশ ছিল না। কিন্তু আমরা মনে করি, সরকারকে ‘অ্যান্ড গেট’ –এর মতো হতে হবে। শিল্পমহল যদি কঠোর পরিশ্রম করে, সরকারকে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আমি আপনাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, আমাদের এই সহযোগিতা ভবিষ্যতেও জারি থাকবে। সেমিকন ইন্ডিয়া কর্মসূচি যাতে সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব, ডিসপ্লে ফ্যাব, ডিজাইন, অ্যাসেম্বলি, টেস্ট, মার্কিং এবং প্যাকেজিং-এর মতো সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের প্রতিটি ক্ষেত্রকে নিজের আওতার মধ্যে আনে, সেবিষয়ে আমরা খেয়াল রেখেছি। বন্ধুরা, এক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে উঠছে এবং আমাদের অবশ্যই এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। বিকাশ সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য গত কয়েক বছর ধরে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। ভারত নতুন প্রযুক্তি এবং ঝুঁকি গ্রহণের জন্য মুখিয়ে রয়েছে। নানা সহায়ক নীতির মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে যতদূর সম্ভব আপনাদের পক্ষে আনার চেষ্টা করেছি। আমরা দেখিয়েছি ভারত কেবল কথার কথা বলে না, তা কাজে করে দেখায়। এবার, আপনাদের পালা। বন্ধুরা, আগামী দিনে ভারত কীভাবে বিশ্বের সেমিকন্ডাক্টর হাব হয়ে উঠতে পারে সেবিষয়ে আমি আপনাদের সকলের কাছ থেকে বাস্তব সম্মত পরামর্শের অপেক্ষায় রইলাম। এই সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলতে চাই। একটি প্রাণবন্ত সেমিকন্ডাক্টর শিল্প ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আরও কী কী দরকার তা জানতে আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গেই কথা বলবো। আমি নিশ্চিত এই সম্মেলন�� এমন সমৃদ্ধ আলোচনা হবে, যা ভারতকে এক নতুন ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ। আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। নমস্কার /",ছেমিকন ইণ্ডিয়া সন্মিলন ২০২২ৰ উদ্বোধনী অধিৱেশনত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-125/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-49/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, কাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামডেক আক্কা মহা সেনা পড়েই টেকো হুন সেন-এর সঙ্গে আজ ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। উভয় নেতা ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানব-সম্পদ উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা, পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ, কোভিড পরবর্তী সময়ে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার এবং দু-দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ সহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন। দুটি দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার অগ্রগতির বিষয়ে তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। মিঃ হুন সেন কাম্বোডিয়ার সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেন। শ্রী মোদীও তাঁর এই ভাবনার সঙ্গে সহমত পোষণ করেন এবং জানান, ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতিতে কাম্বোডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মেকং-গঙ্গা সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণের প্রকল্পের পর্যালোচনা এই বৈঠকে করা হয়। দুটি দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাম্বোডিয়ায় আঙ্করভাট এবং প্রেহ বিহার মন্দিরের সংস্কারের কাজে ভারত যুক্ত হওয়ায় তিনি খুশি। এর মাধ্যমে দুটি দেশের সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত যোগাযোগ প্রতিফলিত। ভারতের তৈরি ৩ লক্ষ ২৫ হাজার কোভিশিল্ড টিকার ডোজ কোয়াড টিকা উদ্যোগের আওতায় কাম্বোডিয়াতে পাঠানোয় মিঃ হুন সেন ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ভারত ও কাম্বোডিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ৭০তম বার্ষিকীতে উভয় নেতৃবৃন্দ একে অন্যকে অভিনন্দন জানান। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কাম্বোডিয়ার রাজা ও রানীমাতাকে তাঁদের সুবিধামত সময়ে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান। উভয় নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন। আশিয়ানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী কাম��বোডিয়াকে অভিনন্দন জানান। কাম্বোডিয়ার নেতৃত্বে এই সংস্থার বিভিন্ন উদ্যোগকে ভারত সব ধরণের সহযোগিতা করবে তিনি বলে আশ্বাস দেন। /",প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদী আৰু কম্বোডিয়াৰ প্ৰধানমন্ত্ৰী চামদেচ আক্কা মোহা সেনা পাদেই টেচো হুন সেনৰ মাজত ভাৰ্চুৱেল বৈঠ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF-13/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%85-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AE-4/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার অব্যবহিত পরেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সফলভাবে রূপায়িত মিশন শক্তি কর্মসূচিতে যুক্ত বিজ্ঞানীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। কৃত্রিম উপগ্রহরোধী ক্ষেপনাস্ত্রের দ্বারা উপগ্রহকে নিশানার মাধ্যমে সফলভাবে মিশন শক্তি বাস্তবায়নের ফলে বিশ্বে চতুর্থ দেশ হিসেবে ভারত স্বীকৃতি পেল। প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, গোটা দেশ তাঁদের জন্য গর্বিত। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে আমাদের বিজ্ঞানীরা গোটা বিশ্বের কাছে বার্তা দিলেন তাঁরাও ক্ষমতাশালী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত বসুধৈব কুটুম্বকম দর্শনের বিশ্বাসী- সারা বিশ্ব একই পরিবার। শান্তির লক্ষ্যে যাঁরা কাজ করে চলেছেন, তাঁদের আরও ক্ষমতাশালী হওয়ার ওপর তিনি জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বশান্তি এবং আঞ্চলিক শান্তির জন্য ভারতকে সর্বদা শক্তিশালী থাকতে হবে। বিজ্ঞানীরা এই লক্ষ্যে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। তিনি বিজ্ঞানীদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফ থেকেও অভিনন্দিত করেন। বিজ্ঞানীরা তাঁদের দক্ষতা প্রমাণে সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।",ভিডিঅ’ কনফাৰেন্সৰ মাধ্যমেৰে মিছন শক্তিৰ সৈতে জড়িত বিজ্ঞানীসকলৰ সৈতে মত বিনিময় প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%A4%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%A4%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC/,"নয়াদিল্লি, ১৩ জুন, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, বিশ্ব জুড়ে যোগ অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। নেতা, মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এবং অভিনেতা-অভিনেত্রী সহ সমাজের বিভিন্ন স্ত��ের মানুষ যোগাভ্যাস করছেন। প্রধানমন্ত্রী যোগ সম্পর্কিত একটি ভিডিও সকলের মধ্যে ভাগ করে নেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “গত কয়েক বছর ধরে যোগ সারা বিশ্বে অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। নেতা, মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এবং অভিনেতা-অভিনেত্রী সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ যোগাভ্যাস করছেন। যোগাভ্যাসের কি কি সুফল তাঁরা পাচ্ছেন এবং যোগের মাধ্যমে কিভাবে তাঁরা উপকৃত হচ্ছেন – এ বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করছেন”।",বিশ্বজুৰি যোগে অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা অর্জন কৰিছে : প্রধানমন্ত্র +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%9C-3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF/,"বাণিজ্যিককাজকর্মকে সহজতর করে তোলার লক্ষ্যে সরকার গৃহীত উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গতি ও সামঞ্জস্যরেখে, হাইড্রোকার্বনঅনুসন্ধান ও লাইসেন্স নীতির আওতায় সফল ঠিকাদারদের মধ্যেনির্দিষ্ট ব্লকবন্টনের ক্ষমতা দেওয়া হল কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে। দুটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তমন্ত্রীদের হাতে এই ক্ষমতাদানের ফলে ব্লক বন্টনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণেরকাজটি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হবে বলে সরকার মনে করে। এর সুবাদে, বাণিজ্যিককাজকর্ম আরও সহজ করে তোলার উদ্যোগকে বিশেষভাবে উৎসাহ যোগানো হবে। নতুন হাইড্রোকার্বনআহরণ ও লাইসেন্স নীতির আওতায় বরাতদানের প্রক্রিয়াটিকে নিরন্তর করে তোলার পাশাপাশি বছরেদু’বার করে ব্লক বন্টনের সুবিধা সম্প্রসারিত হবে।",পেট্ৰ’লিয়াম আৰু প্ৰাকৃতিক গেছ খণ্ডত সহজ ব্যৱসায়ত সঁহাৰি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%AA-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A7%B0/,"রাষ্ট্রপতিশ্রী রামনাথ কোবিন্দ, উপ-রাষ্ট্রপতি শ্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদী আজ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে, নতুন দিল্লিরপ্যাটেল চক-এ সর্দার প্যাটেলের মর্মর মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে শ্রদ্ধাজানান। প্রধানমন্ত্রীপরে, মেজর ধ্যানচাঁদ ন্যাশনাল স্টেডিয়াম থেকে ‘���কতা দৌড়’-এর সূচনা করেন। এই উপলক্ষেতাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের অবদানের কথা স্মরণ করেন,বিশেষ করে জাতির ঐক্যের জন্য তাঁর কাজের কথা তিনি তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীবলেন, ভারতের যুব সমাজ আমাদের জাতি গঠনের ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য সর্দারপ্যাটেলকে বিশেষ শ্রদ্ধা করেন। প্রধানমন্ত্রীবলেন, ভারত তার বৈচিত্র্যের জন্য গর্ববোধ করে এবং ‘একতা দৌড়’-এর মতো অনুষ্ঠানআমাদের সেই গর্ব এবং একতার মানসিকতাকে আরও জোরদার করার সুযোগ এনে দেয়। শ্রীনরেন্দ্র মোদী, ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর কথাও স্মরণকরেন। আজ দেশ জুড়ে তাঁর প্রয়াণ বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীঅংশগ্রহণকারীদের একটি শপথবাক্য পাঠ করান।","জন্ম বাৰ্ষিকী উপলক্ষে চৰ্দাৰ পেটেললৈ ৰাষ্ট্ৰপতি, উপ-ৰাষ্ট্ৰপতি, প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শ্ৰদ্ধাঞ্জলি; প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে শুভাৰম্ভ কৰিলে ‘একতাৰ বাবে দৌৰ’ কাৰ্যসূচীৰ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%A6-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE%E0%A7%B0-%E0%A7%A7-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95/,"কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের অতিরিক্ত ২ শতাংশ মহার্ঘ্যভাতা দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে। চলতি বছরের পয়লা জুলাই থেকে এই প্রস্তাব কার্যকর হবে। এটি হবে বর্তমান ৭ শতাংশ মহার্ঘ্যভাতার অতিরিক্ত। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ (২৯ আগস্ট, ২০১৮) এই প্রস্তাব মঞ্জুর হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে চলতি আর্থিক বছরে এই খাতে সরকারের অতিরিক্ত ৬১১২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের জুলাই ২০১৮ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ অবধি সময়কালের জন্য এই খাতে ৪০৭০ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের ফলে ৪৮ লক্ষ ৪১ হাজার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও ৬২ লক্ষ ৩ হাজার পেনশনভোগী উপকৃত হবেন। মহার্ঘ্যভাতার বৃদ্ধি সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে স্থির করা হয়েছে। বাজার মূল্য বৃদ্ধির জন্য মহার্ঘ্যভাতা দেওয়া হয়।",২০১৮ৰ ১ জুলাইৰ পৰা কাৰ্যকৰী হোৱাকৈ কেন্দ্ৰীয় চৰকাৰৰ কৰ্মচাৰীৰ মৰগীয়া বানচ আৰু পেন্সনাৰসকলৰ মগৰীয়া সাহায্যৰ অতিৰিক্ত ২ শতাংশকৈ বৃদ্ধিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E2%80%8C-%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE%E0%A7%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%9B%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%AF/,"২০১৮-র এশিয়ান গেমস্‌-এ ৬৫ কেজির ‘ফ্রিস্টাইল’ কুস্তিতে সোনা জেতায় বজরং পুনিয়া-কে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। শ্রী পুনিয়া’কে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই জয় অসাধারণ। কারণ, এটি ২০১৮-র এশিয়ান গেমস্‌-এ ভারতের পক্ষে প্রথম সোনা প্রাপ্তি। আগামী দিনের জন্য শ্রী পুনিয়া’কে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।",২০১৮ৰ এছিয়ান গেমছত মল্লযুঁজৰ ৬৫ কেজি ফ্ৰীষ্টাইল শাখাত স্বৰ্ণ পদক জয় কৰা বজৰং পুনিয়াক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ অভিনন্দন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF-12/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%85-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AE-3/,"উত্তর-পূর্বে স্মার্ট প্রশাসনের এই নতুন অধ্যায়ের অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত। গ্যাংটক, নামচি, পাসিঘাট, ইটানগর ও আগরতলায় ইন্টিগ্রেটেড কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের সূচনা একটি অভিনন্দনযোগ্য পদক্ষেপ। উত্তর-পূর্বের শহরগুলি, তাদের দক্ষ মানবসম্পদ নিয়ে, সমগ্র অঞ্চলের উন্নয়নের কেন্দ্র হিসেবে উঠে আসার ক্ষমতা রাখে। স্মার্ট সিটি অভিযান শহরগুলিকে নিজ ক্ষমতা ও সমস্যাগুলি চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। এই অভিযান অনুঘটকের মতো জনমত গ্রহণের মাধ্যমে সমস্যাগুলির স্মার্ট সমাধানসূত্র পেতে সাহায্য করে। স্মার্ট সিটি কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের পরিষেবার নেটওয়ার্ককে একত্রিত করে। পুলিশ, পরিবহণ, বিদ্যুৎ, জল, স্বাস্থ্যবিধান এবং জন-নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত দপ্তরগুলির মধ্যে ‘রিয়েল টাইমে’ যোগাযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে এই কেন্দ্রগুলি। আমি বিশ্বাস রাখি যে, সঠিক ব্যবস্থা স্থাপন করা গেলে, প্রশাসকরা আরও ভালোভাবে শহরের ওপর নজরদারি চালাতে এবং সঠিক সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। সারা ভারতে ইন্টিগ্রেডেট কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার স্থাপনের কাজে গতি আসছে। ১ মার্চ, ২০১৯-এর প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, দেশ জুড়ে ১৫টি স্মার্ট সিটিতে এই কেন্দ্রগুলি ইতিমধ্যেই কাজ করতে শুরু করেছে। আরও ৫০টি কেন্দ্রের কাজ এগোচ্ছে। আমাকে জানানো হয়েছে যে, অক্টোবর, ২০১৯-এর মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রথম স্মার্ট কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারটি সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে যাবে। এই ব্যবস্থার একটি মূল উপাদান হল নাগরিকদের সুরক্ষায় ব্যবহৃত সিসিটিভ নজরদারি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাটি অপরাধ দমনে সাহায্য করবে। ইন্টেলিজেন্ট ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সাহায্যে যান চলাচল সহজতর হবে। কঠিন বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাটি শহরগুলির পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি করবে। স্মার্ট স্ট্রিট লাইটিং ব্যবস্থা রাস্তাঘাটগুলিকে আরও নিরাপদ ও নাগরিক-বান্ধব করে তুলবে। এলইডি ব্যবস্থায় রূপান্তরের মাধ্যমে বিদ্যুতও সাশ্রয় হবে। স্মার্ট শহরগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক তথ্য জানানোর সুবিধা থাকবে। ডিজিটাল ভারত অভিযানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল সকলের কাছে ডিজিটাল মাধ্যমের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবস্থা নাগরিকদের কাছে বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবার সুবিধা পৌঁছে দেবে। উত্তর-পূর্ব ভারত হল পরিবেশের দিক থেকে সংবেদনশীল। সেজন্য পরিবেশের ওপর নজরদারি ব্যবস্থা এবং বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাগুলি নাগরিক এবং সরকারকে সঠিক সময়ের মধ্যে তথ্য পৌঁছে দেবে। এটি নাগরিক জীবনের সার্বিক মানোন্নয়ন ঘটাতে সাহায্য করবে। ইন্টিগ্রেটেড কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের বিভিন্ন সুবিধার রূপায়ণ ও ব্যবহার বৃদ্ধি হলে, শহরগুলিতে নাগরিকদের জীবনযাপন আরও সহজ হবে। আমাকে জানানো হয়েছে যে, উত্তর-পূর্বে ১০টি স্মার্ট শহরে মোট ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০০টিরও বেশি প্রকল্প রূপায়িত হতে চলেছে। ৫৯টি এই ধরণের প্রকল্পের কাজের বরাত ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। সিকিমের নামচিতে শহরে সুসংহত জল সরবরাহ প্রকল্প, রাস্তায় এলইডি লাইট ও ফুটপাথের কাজ শুরু হয়ে গেছে বলে আমি আনন্দ বোধ করছি। আমাদের পাহাড়ি শহরগুলিতে জল একটি বিশাল সমস্যার আকার ধারণ করছে। গ্যাংটক, বৃষ্টির জল সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছে। এখানে মাল্টি-লেভেল গাড়ি পার্কিং-এর ব্যবস্থা রূপায়ণের কাজও শুরু হয়েছে। এতে যানজট কমানোর জন্য স্মার্ট পার্কিং-এর সুবিধা রয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আগরতলা একটি বন্যাপ্রবণ এলাকা। তার জন্য স্মার্ট সিটি অভিযানের আওতায় আগরতলার প্রশাসন এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। স্মার্ট রাস্তা এবং ইন���টেলিজেন্ট যান চলাচল ও পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রূপায়ণের মাধ্যমে ইটানগর শহরের মধ্যে সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পাসিঘাট শহরটি নিজের আবাসন, শক্তি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উন্নতিসাধনের জন্য স্মার্ট সিটির বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সেজন্য প্রত্যেকটি শহর নিজ নিজ সমস্যা চিহ্নিত করেছে এবং এই সমস্যার সমাধানসূত্র পাওয়ার দিকে এগিয়েছে। আমি আনন্দের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে উত্তর-পূর্ব ভারতের আরও পাঁচটি শহর – গুয়াহাটি, আইজল, কোহিমা, ইম্ফল ও শিলং এই একই দিশায় এগিয়ে চলেছে। স্মার্ট সিটি অভিযানের আওতায় প্রকল্প রূপায়ণের কাজ গতি পেয়েছে। আমরা দৃঢ় বিশ্বাস রাখি যে, আমরা উত্তর-পূর্বের শহরগুলির নাগরিক স্বাচ্ছ্বন্দ্য প্রদানের দিকে দ্রুত এগিয়ে চলেছি। এর ফলে, এই অঞ্চলের জীবনযাপনের মানোন্নয়ন ও অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটবে।","ভিডিঅ’ কনফাৰেন্সৰ মাধ্যমেৰে ছিকিম, অৰুণাচল প্ৰদেশ আৰু ত্ৰিপুৰাতইন্টিগ্ৰেটেডকামাণ্ড এণ্ড কন্ট্ৰ’ল চেন্টাৰৰ আধাৰশিলা মুকলি অনুষ্ঠানতপ্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-31/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AE-%E0%A7%A8%E0%A7%AF-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A4-%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%8C-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৮ ও ২৯ জুলাই লক্ষ্ণৌ সফরে যাবেন। ২৮ জুলাই তিনি ‘পুর এলাকার রূপান্তর’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। পুর উন্নয়ন সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের তৃতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এগুলি হ’ল – প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (পুর), পুর অঞ্চলের রূপান্তর ও পুনরুজ্জীবনের জন্য অটল মিশন (অম্রুত) এবং স্মার্ট সিটি মিশন। প্রধানমন্ত্রী পুর উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের ফ্ল্যাগশিপ মিশনগুলি বিষয়ে একটি প্রদর্শনীও পরিদর্শন করবেন। তিনি ৩৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে একজন করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা প্রাপকের সঙ্গে আলোচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন শহরের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা প্রাপকদের কাছ থেকে তাঁদের বক্তব্য জানবেন। উত্তর প্রদেশে ফ্ল্যাগশিপ মিশনগুলির আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে তিনি এক ��মাবেশে ভাষণ দেবেন। বিনিয়োগ আকর্ষণ ও শিল্পায়ন প্রক্রিয়াকে তুলে ধরার লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর প্রদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের এক সমাবেশের আয়োজন করেছিল। এরফলে, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, পরিকাঠামো, বিদ্যুৎ, তথ্য প্রযুক্তি এবং ইলেক্ট্রনিক দ্রব্য উৎপাদন ও পর্যটন ক্ষেত্রে ৪.২৮ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি লগ্নির প্রস্তাব এসেছে। কয়েক মাসের মধ্যেই ৮১টি প্রকল্পের প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ বাস্তবায়নের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে। ২৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্ণৌতে এইসব প্রকল্পগুলির সূচনা করবেন।",২৮-২৯ জুলাইত লক্ষ্ণৌ ভ্ৰমণ কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%B6%E0%A6%A4-%E0%A6%9C/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%85%E0%A7%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%AB%E0%A7%A6%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE/,"নয়াদিল্লি, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ নমস্কার! শ্রী অরবিন্দের ১৫০তম জন্মজয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে আপনাদের সবাইকে আমি হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানাই। এই পুণ্য তিথি উপলক্ষে আমি সমস্ত দেশবাসীকেও অনেক অনেক শুভ কামনা জানাই। শ্রী অরবিন্দের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী গোটা দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। তাঁর প্রেরণাগুলিকে, তাঁর দর্শন ও ভাবনা-চিন্তাকে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দেশ এই গোটা বছরটিকে বিশেষভাবে পালনের সংকল্প নিয়েছে। সেজন্য একটি বিশেষ উচ্চস্তরীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রকের নেতৃত্বে অনেক ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কর্মসূচিও আয়োজিত হচ্ছে। এই অনুষ্ঠান ক্রমানুসারে পুদুচেরীর পুণ্যভূমিতে আয়োজিত হয়েছে যে পুণ্যভূমি ঋষি অরবিন্দের নিজস্ব তপোভূমি ছিল, সেখানে দেশ একদিকে তাঁকে কৃতজ্ঞ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছে, অন্যদিকে আজ শ্রী অরবিন্দের পুণ্য স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি স্মারক মুদ্রা এবং ডাকটিকিও প্রকাশ করা হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস শ্রী অরবিন্দের জীবন এবং তাঁর দর্শন থেকে শিক্ষা নিয়ে, প্রেরণা নিয়ে দেশের এই প্রচেষ্টা আমাদের সংকল্পগুলিকে একটি নতুন প্রাণশক্তি যোগাবে, নতুন শক্তি দেবে। বন্ধুগণ, ইতিহাসে অনেকবার এ রকম হয়েছে যে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে একের পর এক অদ্ভুত ঘটনা প্রায় একসঙ্গে হয়। কিন্তু সাধারণত সেগুলিকে নিছকই একটি কাকতালীয় সংযোগ বলে মনে করা হয়। আমি মনে করি যখন এই ধরনের সংযোগ হয় তখন এর পিছনে কোনো না কোনো যোগশক্তির ভূমিকা থাকে। যোগশক্তি, অর্থাৎ একটি সামূহিক শক্তি, যে শক্তি সবাইকে একসঙ্গে জোড়ে। আপনারা দেখবেন ভারতের ইতিহাসে এ রকম অনেক মহাপুরুষ ছিলেন যাঁরা স্বাধীনতার আকাঙ্খাকে শক্তিশালী করেছেন আর ভারতাত্মাকেও পুনরুজ্জীবিত করেছেন। এঁদের মধ্যে তিন জন- শ্রী অরবিন্দ, স্বামী বিবেকানন্দ এবং মহাত্মা গান্ধী এমন মহাপুরুষ ছিলেন, যাঁদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলি একই সময়ে ঘটেছে। এই ঘটনাগুলির মাধ্যমে এই মহাপুরুষদের জীবনেও পরিবর্তন এসেছে আর রাষ্ট্র জীবনেও অনেক বড় পরিবর্তন এসেছে। ১৮৯৩ সালে ১৪ বছর প্রবাসে থাকার পর শ্রী অরবিন্দ ইংল্যান্ড থেকে ভারতে ফিরে আসেন। সেই ১৮৯৩ সালেই স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ব ধর্ম সংসদে তাঁর বিখ্যাত ভাষণ দেওয়ার জন্য আমেরিকা গিয়েছিলেন। আর সেই বছরই মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিলেন, যেখান থেকে তাঁর মহাত্মা গান্ধী হয়ে ওঠার সফর শুরু হয়েছিল। আর পরবর্তীকালে সেই সফরই তাঁকে দেশের স্বাধীনতার মহানায়কে পরিণত করেছে। ভাই ও বোনেরা, আজ আর একবার আমাদের ভারত একসঙ্গে এমনই অনেক সংযোগের সাক্ষী হয়ে উঠছে। আজ যখন দেশ তার স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ সম্পূর্ণ করেছে, যখন আমাদের অমৃতকালের যাত্রা শুরু হচ্ছে, সেই সময়ই আমরা শ্রী অরবিন্দের সার্ধশত জন্মজয়ন্তী পালন করছি। স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তি উৎসবের মধ্যেই আমরা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫-তম জন্মজয়ন্তী পালন উৎসবেরও সাক্ষী ছিলাম। যখন প্রেরণা এবং কর্তব্য, আমাদের ‘মোটিভেশন’ এবং ‘অ্যাকশন’এর সঙ্গে মিলে-মিশে যায় তখন অনেক অসম্ভব লক্ষ্য পূরণও অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। স্বাধীনতার অমৃতকালে আজ দেশের সমস্ত সাফল্যের উপলব্ধিগুলি এবং ‘সবকা প্রয়াস’এর সংকল্প এর প্রমাণ। বন্ধুগণ, শ্রী অরবিন্দের জীবন ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’এর প্রতিবিম্ব। তাঁর জন্ম বাংলায় হয়েছিল, কিন্তু তিনি বাংলা ছাড়াও গুজরাটি, মারাঠি, হিন্দি এবং সংস্কৃত সহ অনেক ভাষা জানতেন। তাঁর জন্ম বাংলায় হলেও তিনি তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় গুজরাট এবং পুদুচেরীতে কাটিয়েছেন। তিনি যেখানেই গেছেন সেখানে তাঁর ব্যক্তিত্বের গভীর ছাপ রেখে গেছেন। আজ আপনারা দেশের যে কোন প্রান্তেই যান না কেন, সর্বত্রই ঋষি অরবিন্দ আশ্রম পাবেন এবং তাঁর অনুগামী, তাঁর ভক্তদের সঙ্গে দেখা হবে। তিনি আমাদের ���েখিয়েছেন যে আমরা যখন আমাদের সংস্কৃতিকে ভালোভাবে বুঝতে পারি, নিজেদের সংস্কৃতি পালন করে বাঁচতে থাকি, তখন আমাদের বৈচিত্র্য আমাদের জীবনে সহজ উৎসবে পরিণত হয়। বন্ধুগণ, এই বৈচিত্র স্বাধীনতার অমৃতকালের জন্য অনেক বড় প্রেরণা। ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’এর ক্ষেত্রে এর থেকে ভালো উৎসাহব্যঞ্জক আর কী হতে পারে? কিছুদিন আগে আমি কাশী গিয়েছিলাম। সেখানে কাশী-তামিল-সঙ্গমম কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য হয়েছিল। এটা অত্যন্ত অদ্ভুত একটি অনুষ্ঠান ছিল। ভারত কিভাবে নিজের পরম্পরা এবং সংস্কৃতির মাধ্যমে অটুট, অটল এটা আমরা সেই উৎসবে খুব ভালোভাবে উপভোগ করেছি। আজকের যুব সম্প্রদায় কী ভাবে, এটা আমরা সেই কাশী-তামিল-সঙ্গমম-এ দেখতে পেয়েছি। আজ গোটা দেশের যুব সম্প্রদায় পোশাক-পরিচ্ছদের ভিত্তিতে ভেদাভেদ সৃষ্টিকারী রাজনীতিকে পিছনে ফেলে আমাদের ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’এর রাষ্ট্রনীতি থেকে প্রেরণা পাচ্ছে। আজ যখন আমরা শ্রী অরবিন্দকে স্মরণ করছি, যখন আমরা স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছি, এই সময় আমাদের কাশী-তামিল-সঙ্গমম-এর ভাবনা-চিন্তা দর্শনকে দেশের সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। বন্ধুগণ, ঋষি অরবিন্দের জীবনকে যদি আমরা কাছ থেকে দেখি তাহলে সেখানে আমরা ভারতের আত্মা এবং ভারতের উন্নয়ন যাত্রার মৌলিক দর্শন অনুভব করবো। অরবিন্দ এমন ব্যক্তিত্ব ছিলেন যাঁর জীবনে নানা রকম আধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাও ছিল, রাজনৈতিক প্রতিরোধও ছিল, আর ব্রহ্ম বোধও ছিল। তাঁর পড়াশোনা ইংল্যান্ডের বেশ কিছু ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হয়েছিল। সেই সময় তিনি তৎকালীন যে অত্যাধুনিক আবহে বড় হয়ে উঠেছিলেন, যে আন্তর্জাতিক ‘এক্সপোজার’ তিনি পেয়েছিলেন তা থেকে তিনি নিজেও আধুনিকতাকে খোলা মনে গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু সেই অরবিন্দই দেশে ফিরে আসার পর ব্রিটিশ শাসনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অন্যতম নায়ক হয়ে ওঠেন। তিনি দেশকে স্বাধীন করার জন্য স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের গোড়ার দিকেই উন্মুক্ত কন্ঠে পূর্ণ স্বরাজের দাবি তুলেছিলেন। কংগ্রেসের ব্রিটিশ অনুকূল নীতিগুলিকে তিনি সর্বসমক্ষে সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের দেশকে পুনর্নিমাণ করতে চাই তাহলে আমাদের ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে বাচ্চাদের মতো কান্নাকাটি করে আবেদন-নিবেদন বন্ধ ক��তে হবে।’ বঙ্গভঙ্গের সময় শ্রী অরবিন্দ অনেক যুবকদের স্বাধীনতা সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করে নিজের অনুগামী করে তোলেন আর আহ্বান রাখেন ‘নো কম্প্রোমাইজ’- অর্থাৎ কোনো আপোষ নয়। তিনি ‘ভবানী মন্দির’ নামে একটি ‘পুস্তিকা’ ছাপান, তাঁর ‘সাংস্কৃতিক রাষ্ট্র’ ভাবনার সঙ্গে হতাশাগ্রস্ত মানুষদের পরিচয় করান। এমনই ছিল তাঁর ব্যক্তিগত দর্শনের স্পষ্টতা, এমনই ছিল তাঁর সাংস্কৃতিক দৃঢ়তা আর দেশভক্তি। সেজন্য সেই সময়কার সমস্ত মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীরা শ্রী অরবিন্দকে তাঁদের প্রেরণার উৎস হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর মতো বিপ্লবীও শ্রী অরবিন্দের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে স্বাধীন করার সংকল্প গ্রহণ করেছিলেন। তেমনি অন্যদিকে যখন আপনারা তাঁর জীবনের বৌদ্ধিক এবং আধ্যাত্মিক গভীরতার দিকে তাকাবেন, তখন আপনারা ততটাই গম্ভীর এবং মনস্বী এক ব্যক্তিত্বকে দেখতে পাবেন, যিনি আত্মা এবং পরমাত্মার মতো সুগভীর বিষয়গুলি নিয়ে বক্তব্য রাখতেন, ব্রহ্ম তত্ত্ব এবং উপনিষদের বিভিন্ন স্তোত্রকে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করে বোঝাতেন। তিনি ‘জীব’ এবং ‘ঈশ’এর দর্শনে সমাজ সেবার সূত্রকে যুক্ত করেছেন। নর থেকে শুরু করে নারায়ণ পর্যন্ত যাত্রা কী ভাবে পরিকল্পনা করা যায়- এটা আপনারা শ্রী অরবিন্দের শব্দেই অত্যন্ত সহজভাবে শিখতে পারবেন। এটাই তো ভারতের সম্পূর্ণ চরিত্র, যাতে অর্থ এবং কাম-এর ভৌতিক সামর্থ যেমন আছে, তেমনি ধর্ম অর্থাৎ কর্তব্যের অদ্ভুত সমর্পণও রয়েছে, আর মোক্ষ অর্থাৎ আধ্যাত্ম্যের ব্রহ্ম বোধও রয়েছে। সেজন্য, আজ স্বাধীনতার অমৃতকালে যখন দেশ আর একবার নিজের পুনর্নির্মাণের জন্য এগিয়ে যাচ্ছে, তখন এই সমগ্রতা আমাদের ‘পঞ্চপ্রাণ’এর মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। আজ আমরা একটি বিকশিত বা উন্নত ভারত গড়ে তোলার জন্য সব ধরণের আধুনিক দর্শনকে, ‘বেস্ট প্র্যাকটিসেস’ বা সর্বাধিক সুফলদায়ক পদক্ষেগুলিকে স্বীকার করছি, আর সেগুলি আমাদের জীবনে অভ্যাসের অঙ্গীকার করছি। আমরা কোনো রকম আপোষ না মেনে, কোনো রকম দৈন্য ভাব না দেখিয়ে ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ বা ‘সর্বাগ্রে ভারত’ মন্ত্রটিকে সামনে রেখে কাজ করে চলেছি। এর পাশাপাশি আজ আমরা আমাদের ঐতিহ্যকে আমাদের পরিচয়কেও ততটাই গর্বের সঙ্গে বিশ্ববাসীর সঙ্গে তুলে ধরছি। ভাই ও বোনেরা, ঋষি অরবিন্দের জীবন আমাদের ভারতের আর একটি শক্তির সম্পর্কে সচেতন করা। দেশের এই শক্তি স���বাধীনতার এই প্রাণ আর সেটাই হল দাসত্বের মানসিকতা থেকে মুক্তি। ঋষি অরবিন্দের পিতা গোড়ার দিকে ব্রিটিশ সংস্কৃতি ও শাসনের দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। আর সেই প্রভাবের ফলেই তিনি অরবিন্দকে ভারত এবং ভারতীয় সংস্কৃতি থেকে সম্পূর্ণ রূপে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন। সেজন্য ভারত থেকে তিনি হাজার হাজার মাইল দূরে দেশ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে ইংল্যান্ডে ব্রিটিশ আবহে বড় হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু যখন তিনি ভারতে ফিরে আসেন, যখন তিনি প্রথম কারাগারবাসের সময় গীতা পাঠের সময় পান তখন সেই অরবিন্দই ভারতীয় সংস্কৃতির সবচাইতে শক্তিশালী আওয়াজ হয়ে ওঠেন। তিনি ভারতীয় শাস্ত্রগুলিকে গভীরভাবে অধ্যয়ন করেন। রামায়ণ, মহাভারত এবং উপনিষদ থেকে শুরু করে কালিদাস, ভবভূতি এবং ভর্তহরির লেখা গ্রন্থগুলিকে সংস্কৃত থেকে অনুবাদ করেন। যে অরবিন্দকে কৈশোর ও যৌবনে ভারত ও ভারতীয়ত্ব থেকে দূরে রাখা হয়েছিল; মানুষ এখন তাঁর দর্শন, তাঁর ভাবনা-চিন্তার মাধ্যমে ভারতকে চিনতে শুরু করে। এটাই ভারত এবং ভারতীয়ত্বের প্রকৃত শক্তি। একে যতই মেটানোর চেষ্টা করা হোক না কেন, একে যতই ভিতর থেকে উপড়ে ফেলার চেষ্টা করা হোক না কেন, ভারত ও ভারতীয়ত্ব সেই অমর বীজ যা সম্পূর্ণ বিপরীত বা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সামান্য চেপে থাকতে পারে, সামান্য শুকিয়ে যেতে পারে, কিন্তু তা কখনও মরতে পারে না। এই বীজ অজয় এবং অমর। কারণ, ভারত মানব সভ্যতার সবচাইতে পরিষ্কৃত ভাবনা-চিন্তাকে ধারণ করে, মানবতার সবচাইতে স্বাভাবিক স্বরকে ধারণ করে। এই দর্শন ঋষি অরবিন্দের সময়ও অমর ছিল আর তা আজ স্বাধীনতার অমৃতকালেও অমর রয়েছে। আজ ভারতের যুব সম্প্রদায় নিজেদের সাংস্কৃতিক আত্মাভিমান নিয়ে ভারতের জয়জয়কার করছে। সারা পৃথিবীতে আজ অনেক কঠিন সমস্যা ও প্রতিকূলতা রয়েছে। সেই সমস্যাগুলির সমাধানে ভারতের ভূমিকা আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য ঋষি অরবিন্দের দর্শন থেকে প্রেরণা নিয়ে আমাদের নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। সকলের প্রচেষ্টায় উন্নত ভারত গড়ে তুলতে হবে। আর একবার ঋষি অরবিন্দকে প্রণাম জানিয়ে আপনাদের সবাইকে হৃদয় থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।",শ্ৰী অৰবিন্দৰ ১৫০তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত কাৰ্যক্ৰমত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%9B-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"মাননীয়প্রেসিডেন্ট মহোদয়া এবং বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ, সংবাদমাধ্যমেরসদস্যবৃন্দ, প্রেসিডেন্টমহোদয়া এবং তাঁর প্রতিনিধিদলকে ভারতে স্বাগত জানাতে পেরে আমি আনন্দিত। মাননীয়প্রেসিডেন্ট মহোদয়া, ভারত আপনারকাছে কোনভাবেই অপরিচিত একটি দেশ নয়। অতীতে আপনিবেশ কয়েকবার এ দেশ সফরে এসেছেন।কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনার এই ভারত সফর এমন একটি সময়ে আয়োজিত হয়েছে যখনভারতে স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি উৎসব পালিত হচ্ছে। ভারত ও স্যুইজারল্যান্ডের মধ্যেমৈত্রী সম্পর্কের সাত-সাতটি দশকও পূর্ণ হতে চলেছেএই বছরটিতে। ২০১৬-তেস্যুইজারল্যান্ড সফরের সময় যে আপ্যায়ন ও আন্তরিকতাআমরা লাভ করেছিলাম, সেই একইধরনের অভিজ্ঞতা যে আপনিও সঞ্চয় করে নিয়ে যাবেন, এ বিষয়ে আমরা নিঃসংশয়। দুটি দেশইযে সকল পর্যায়ে এই গভীর সম্পর্ককে অটুট ও অক্ষুণ্ণ রাখতে আগ্রহী তাতে আমিবিশেষভাবে আনন্দিত। বন্ধুগণ, আজ আমরাবিস্তারিতভাবে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক তথা আন্তর্জাতিক বিষয়গুলি নিয়ে এক সফলআলোচনা-বৈঠকে মিলিত হয়েছিলাম। এই সফরের মধ্য দিয়ে আমাদের বলিষ্ঠ দ্বিপাক্ষিকসম্পর্ক সুদূরপ্রসারী হয়ে উঠবে বলেও আমরা মনে করি। নিরস্ত্রীকরণএবং ভৌগোলিক প্রসার ভারত ও স্যুইজারল্যান্ড উভয়ের পক্ষেই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।এই ক্ষেত্রটিতে আমরা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ এমটিসিআর-এ ভারতের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবটিতেস্যুইজারল্যান্ডের সমর্থনের জন্য। ভারত এবংইউরোপের মুক্ত বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বচুক্তির বিষয়টি নিয়েও আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় যে সংস্থানগুলিরয়েছে সে সম্পর্কেও আলোচনা ও মতবিনিময়ের সূচনা হয়েছে এবং এই পদক্ষেপকে আমরা স্বাগতজানিয়েছি। চুক্তির কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে আমরা উভয় পক্ষই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয়টি বর্তমান বিশ্বে খুবইগুরুত্বপূর্ণ। কালো টাকা কিংবা অসৎ পথে অর্জিত অর্থ, অর্থের বেআইনি লেনদেন কিংবাঅস্ত্র ও মাদক চালানের কাজে অর্থের ব্যবহার – যাই হোক না কেন, বিষয়টি নিঃসন্দেহেগুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বিশ্বের এই অভিশপ্ত দিকটির মোকাবিলায় স্যুইজারল্যান্ডেরসঙ্গে আমাদের সহযোগিতা অটুট ও অক্ষুণ্ণ থাকবে। করসংক্রান্ত বিষয়গুলিতে ���্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় তথ্যের লেনদেনের জন্য গত বছর এক যৌথবিবৃতিতে আমরা স্বাক্ষর করেছিলাম। এই চুক্তির আওতায় স্যুইজারল্যান্ডে অভ্যন্তরীণপ্রক্রিয়াকরণের কাজ সম্পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় তথ্যের আদান-প্রদান ঘটবেআমাদের মধ্যে। অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ হল একটিগুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং স্যুইস বিনিয়োগকারীদের আমরা বিশেষভাবে স্বাগত জানাতেআগ্রহী। এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে এক নতুন দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তির প্রয়োজনীয়তারবিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা চালিয়ে যেতে আমরা সম্মতি প্রকাশ করেছি। স্যুইস সংস্থাগুলিরজন্য বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধার প্রস্তাব রয়েছে যাতে তারা ভারতের বিকাশ ও সমৃদ্ধিপ্রচেষ্টায় অংশীদার হয়ে উঠতে পারে। আজ দু’দেশেরবাণিজ্য প্রতিনিধিদলের মধ্যে আলোচনাকালে আমরা অনুভব করেছি যে পারস্পরিক কল্যাণেউভয় পক্ষই বাণিজ্যিক প্রচেষ্টাকে নিরন্তরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেখুবইআগ্রহী ও আশাবাদী। ভারতেরচিরাচরিত চিকিৎসা পদ্ধতি, বিশেষত আয়ুর্বেদ চিকিৎসা মানুষের সুস্বাস্থ্যও ভালোথাকার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমি বিশেষভাবে খুশি যেস্যুইজারল্যান্ড ইতিমধ্যেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতিকে স্বীকৃতি জানিয়েছে এবং এইবিশেষ ক্ষেত্রটিতে আরও বেশি করে সহযোগিতা লাভের তারা প্রত্যাশী। বৃত্তি ওপেশাগত শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে স্যুইজারল্যান্ড থেকে সহায়তা যোগানেরলক্ষ্যে দুটি দেশই স্কিলসোনিক্স-এর আওতায় এক যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ৫ হাজারেরওবেশি ভারতীয় এই কর্মসূচির সুযোগ লাভ করেছে। এই ধরনের আদর্শ কর্মসূচিকে আরওসম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে আমাদের সহযোগিতার মাত্রাকে আমরা আরও বাড়িয়ে তুলতেওআগ্রহী। বন্ধুগণ, জলবায়ুপরিবর্তন আজ প্রত্যেকটি দেশের কাছেই এক বিশেষ চ্যালেঞ্জ এনে দিয়েছে। এক সাধারণ অথচপৃথক পৃথক দায়িত্বশীলতার নীতিকে অনুসরণ করে প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়নে আমরা সম্মতহয়েছি। বাস্তবায়নের পন্থাপদ্ধতিকে আরও উন্নত করে তুলতে সমষ্টিগতভাবে প্রচেষ্টাচালিয়ে যাওয়ার কাজেও আমরা সহমত পোষণ করি। পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীর সদস্য পদেভারতের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে আমাদের বিশুদ্ধ জ্বালানি সংক্রান্ত চাহিদার একটিসুরাহা হতে পারে। এই পরিপ্রেক্ষিতে এনএসজি-র সদস্যপদে আন্তর্ভুক্তি�� জন্য ভারতেরআগ্রহকে নিরন্তরভাবে সমর্থন জানিয়ে যাওয়ায় স্যুইজারল্যান্ডের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আন্তর্জাতিকসৌর সমঝোতা এবং আগামী ২০২২ সালের মধ্যে ১৭৫ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানিউৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে যে পদক্ষেপ ভারত গ্রহণ করেছে, তার মাধ্যমে বিশুদ্ধ জ্বালানি এবং দূষণমুক্ত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে ভারতেরঅঙ্গীকারেরই প্রতিফলন ঘটেছে। মাননীয়প্রেসিডেন্ট মহোদয়া, আপনাদের এইসফর যে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এক নতুন মাত্রায় উন্নীত করার কাজে যথেষ্টসাহায্য করবে এ বিষয়ে আমি দৃঢ় বিশ্বাসী। অত্যন্ত সফল ও অর্থবহ আলোচনা চালিয়েযাওয়ার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই প্রেসিডেন্ট মহোদয়াকে। আগামী মাসগুলিতে আপনার সঙ্গেযুক্তভাবে কাজ করে যেতে আমি বিশেষভাবে আগ্রহী। আমি আরওএকবার আপনাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই ভারতে। আপনার এই ভারত সফর সফল ও অর্থবহ হয়েউঠুক এই প্রার্থনা জানাই। আপনাদেরঅসংখ্য ধন্যবাদ। /","ছুইছ কনফেডাৰেচনৰ ৰাষ্ট্ৰপতিৰ ভাৰত ভ্ৰমণকালত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ প্ৰেছ বিবৃত্তিৰ অসমীয়া অনুবাদ (৩১ আগষ্ট, ২০১৭)" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A7%9C-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%85-%E0%A6%95/,"এক ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে বাহাদুরগড়-মুন্দকা মেট্রো লাইনটির রবিবার সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লি মেট্রোর এই নতুন সেকশনটি চালু হওয়ার জন্য হরিয়ানা ও দিল্লিবাসীদের অভিনন্দিত করেন তিনি। গুরগাঁও ও ফরিদাবাদের পর এটিই হ’ল হরিয়ানার তৃতীয় স্থান, যা যুক্ত হ’ল মেট্রো রেল প্রকল্পের সঙ্গে। দিল্লি মেট্রো কিভাবে নাগরিকদের জীবনে ইতিবাচক স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিয়েছে, তা এদিন প্রধানমন্ত্রী বিবৃত করেন তাঁর ভাষণে। বাহাদুরগড়ে অর্জিত বিশেষ অর্থনৈতিক সাফল্য ও অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যে, সেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে দিল্লি থেকে যাতায়াত করে ছাত্রছাত্রীরা পঠন-পাঠনে সুযোগ গ্রহণ করে থাকে। মেট্রোর নতুন লাইনটি চালু হওয়ার ফলে তাঁদের বিশেষ সুবিধা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী বলেন যে, উন্নয়ন ও যোগাযোগের মধ্যে এক প্রত্যক্ষ যোগ বা সম্পর্ক রয়েছে। মেট্রো প্রকল্প যে স্থানীয় অধিবাসীদের কাছে আরও বেশি মাত্রায় কর্মসংস্থানের সুযোগ-সুবিধা এনে দেবে এ ব্যাপারে বিশেষ আশাবাদী তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রো প্রকল্পের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এক বিশেষ নীতি অনুসরণ করে চলেছে, যার আওতায় দেশের মেট্রো রেল নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে এক উন্নত মানের যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। কারণ, সরকার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হ’ল দেশের শহরগুলিতে এক সুবিধাজনক ও আরামদায়ক অথচ সকলের নাগালসাধ্য এক নগর পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিটিকে বিশেষ উৎসাহদান। মেট্রো রেলের কোচগুলি ভারতেই তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, মেট্রো ব্যবস্থা ও তার প্রক্রিয়াকরণের কাজটি সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয়তার সঙ্গে যুক্ত। দেশের যে শহরেই মেট্রো প্রকল্প রূপায়িত হোক না কেন, কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিতভাবে কাজ করে চলেছে সেখানে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, নতুন ভারত গঠনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন নতুন নতুন পরিকাঠামো। এই কারণে রেল, সড়ক, আকাশপথ, জলপথ এবং বৈদ্যুতিন যোগাযোগ আরও উন্নত করে তুলতে কাজ করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংযোগ ও যোগাযোগ গড়ে তোলা এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলির কাজ সময়ে সম্পূর্ণ করার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। …",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ভিডিঅ’ কনফাৰেন্সযোগে শুভাৰম্ভ কৰিলে বাহাদুৰগড়-মুণ্ডকা মেট্ৰো লাইন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%B1%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95-%E0%A7%A7%E0%A7%AE%E0%A7%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BF/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ রাইজিং ইন্ডিয়া শীর্ষ বৈঠকে ভাষণ দেন।নেটওয়ার্ক ১৮ সংস্থা এর আয়োজন করেছিল। তিনি বলেন, যখন আমরা উত্থানের কথা বলি, একটিজাতির ক্ষেত্রে, তার এক ব্যাপকমাত্রা থাকে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র অর্থনীতির উত্থানই নয়, তিনি মনে করেন, উত্থিতভারত শব্দটির মধ্যে ভারতের মানুষের আত্মমর্যাদা উত্থানের ধারণাটি নিহিত আছে। তিনিবলেন যে, দেশবাসীর সম্মিলিত মানসিক শক্তিতে, অসম্ভবকেও সম্ভব করে তোলা যায়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের সমষ্টিগত ইচ্ছাশক্তি নতুন ভারতের উত্থানেরলক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন জাতির ক্ষেত্রে সাধারণ ধারণারবিপরীতে সরকার উন্নয়ন ও পরিবর্তনের নেতৃত্ব দেয়, যেখানে নাগরিকরা সরকারকে অনুসরণকরেন। ভার��ে গত চার বছরে এই প্রবণতা সম্পূর্ণ বদলে গেছে। বর্তমানে নাগরিকরানেতৃত্ব দেন এবং সরকার তাঁদের অনুসরণ করে চলে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে স্বচ্ছ ভারত অভিযান একগণআন্দোলনে পরিণত হয়েছে। দেশের নাগরিকরা দুর্নীতি ও কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াইয়েডিজিটাল লেনদেনকে এক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছেন। দেশের নাগরিকরা সরকারকে বড়সিদ্ধান্ত নিতে ও রূপায়ণ করতে অনুপ্রাণিত করছেন। তিনি বলেন, মানুষের মনের জোরেরফলেই ভারতের এই রূপান্তরমুখী অগ্রগতি সম্ভব হচ্ছে। শ্রী মোদী বলেন, জাতীয় পর্যায়েসরকারের দৃষ্টিভঙ্গী হচ্ছে অসাম্যের অনুভূতি হ্রাস করা। ভিডিও’র সহায়তায় তিনিদেখান, কিভাবে উজ্জ্বলা যোজনা যে কেবলমাত্র রান্নাঘরে রূপান্তর এনেছে তাই নয়,সমগ্র পরিবারেই রূপান্তর ঘটিয়ে ফেলেছে। এই কাজ আমাদের সামাজিক গঠনের মধ্যে নিহিতএক বড় অসমতার সমস্যাকে মোকাবিলা করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি একটি দিন মণিপুরে কাটিয়ে ফিরে এসেছেন। সেখানেতিনি বিজ্ঞান কংগ্রেসের উদ্বোধন করেছেন, ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরস্থাপন করেছেন এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণপ্রকল্পেরও সূচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র ভারতের সঙ্গে মানসিকযোগাযোগের বিষয়টি এবং পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির জনসংখ্যার মধ্যে বয়সজনিত সুবিধারবিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলের জন্যপূর্বাঞ্চলেই কাজ কর এবং দ্রুত কাজ কর’ – এই মন্ত্রে কাজ করে চলেছে। তিনি বলেন যে,এটা শুধুমাত্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্যই নয়, উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চল, বিহার,পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তিনি আসামে গ্যাস ক্র্যাকার প্রকল্পের উদাহরণ দিয়ে বলেন, গোরখপুর বারাউনি ওসিন্ধ্রিতে সার কারখানাগুলির পুনরুজ্জীবন হচ্ছে। জগদীশপুর-হলদিয়া গ্যাস পাইপলাইনএবং ধোলা সাদিয়া সেতুর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই অঞ্চলের উন্নয়নের লক্ষ্যে এইপ্রকল্পগুলি গুরুত্ব দিয়ে রূপায়িত হয়েছে। তিনি বলেন, পূর্ব ভারতে ১২টি নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বিদ্যুৎ সংযোগবিহীন ১৮ হাজার গ্রামের মধ্যে ১৩হাজারই রয়েছে এবং ৫ হাজার রয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। খুব শীর্ঘ্রই এইসব গ্রামগুলিতেবিদ্যুৎ সংযোগের কাজ সম্পন্ন ��বে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমেপ্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। বিচ্ছিন্নতা থেকে অখন্ডতার দিকে পূর্বভারতের এই অগ্রযাত্রা উত্থিত ভারতকে শক্তি যোগাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, সরকার এক্ষেত্রেচারটি স্তম্ভের ওপর নজর দিচ্ছে। এগুলি হ’ল – প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য সুলভ স্বাস্থ্য পরিষেবা সরবরাহ ক্ষেত্রের উদ্যোগ মিশন ধাঁচে উদ্যোগ রূপায়ণ প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, বর্তমানেদেশের ১৩ কোটি বাড়িতে শৌচাগার নির্মিত হয়েছে। ২০১৪ সালে এই সংখ্যা ছিল সাড়ে ছয়কোটি। পরিচ্ছন্নতার সুবিধা ৩৮ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮০ শতাংশে পৌঁছে গেছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, যোগ এক গণআন্দোলনে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক কেন্দ্রীয় বাজেটেযে স্বাস্থ্য কল্যাণ কেন্দ্রগুলির কথা বলা হয়েছে, তিনি তার উল্লেখ করেন।প্রধানমন্ত্রী সর্বজনীন টিকাকরণের কথাও বলেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, সারা দেশে ৩হাজারেরও বেশি জনঔষধি কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এখান থেকে কম দামে ৮০০-রও বেশিওষুধপত্র পাওয়া যাচ্ছে। হৃদরোগ চিকিৎসার স্টেন্ট এবং হাঁটু প্রতিস্থাপনের মেডিকেলসরঞ্জামেরও দাম নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে প্রায় ১০ কোটি পরিবারকেস্বাস্থ্য বিমার সুবিধা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, চিকিৎসক ঘাটতির সমস্যা মেটাতেমেডিকেল কলেজগুলিতে আসন সংখ্যা বহুলাংশে বাড়ানো হয়েছে। তিনি আন্তর্জাতিক নারীদিবসে জাতীয় পুষ্টি মিশনের সূচনার কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যেকটি ক্ষেত্রের জন্য পৃথক পৃথকমডেলে উন্নয়নের কাজ করে চলেছে। শক্তি ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী স্থবিরতা ভেঙ্গে সমস্যার সমাধানের ওপরগুরুত্ব দেন। তিনি বলেন শক্তি মন্ত্রক, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রক ও কয়লামন্ত্রক এক অখন্ড একক হিসাবে কাজ করে চলেছে। ভারত বিদ্যুৎ ঘাটতি থেকে অতিরিক্তবিদ্যুতের দিকে এগিয়ে চলেছে এবং নেটওয়ার্কের ব্যর্থতা থেকে নেট এক্সপোর্টার হিসাবেপরিচিতি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, মানুষ আজ বিশ্বাস করেন যে, ভারত তার দুর্বলতাগুলিকেপেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারবে। এই বিশ্বাসটাই উত্থিত ভারতের ভিত্তিস্বরূপ।প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র বিশ্ব ভারতের এই উত্থানকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। ভারত যেকেবলমাত্র নিজের উন্নয়নের ক্ষেত্রেই দিশা দেখাচ্ছে তাই নয়, সমগ্র বিশ্বের উন্নয়নেরক্ষেত্রেও এই কাজ করে চলেছে। ভারত আজ সৌরবিদ্যুতের বিপ্লবের নেতৃত্ব দিচ্ছে।যেমনটা দেখা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক সৌর জোটের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, এইআন্তর্জাতিক মঞ্চগুলিতে যেমন জি-২০ বা রাষ্ট্রসংঘে ভারত সন্ত্রাসবাদ, কালো টাকাএবং দুর্নীতির মতো এমনসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেছে, যা সমগ্র বিশ্বকেক্ষতিগ্রস্ত করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গত তিন-চার বছরে ভারত বিশ্বঅর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে শক্তি যুগিয়েছে। অর্থনীটি ব্যাপকতর সবকটি ক্ষেত্রে ভারত উল্লেখযোগ্যঅগ্রগতি করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী জানান যে, রেটিং সংস্থাগুলি ভারতে রেটিং সংশোধনকরে ঊর্ধ্বমুখী করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, সরকার দরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তসম্পদায়ের মানুষের আশা-আকাঙ্খার কথা মাথায় রেখে উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক সার্বিকদৃষ্টিভঙ্গীতে কাজ করে চলেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা দেশের যুবক ওমহিলাদের এক ক্ষমতায়নের এক সুদক্ষ ব্যবস্থা হয়ে উঠেছে। …",নেটৱৰ্ক ১৮ৰ দ্বাৰা আয়োজিত ৰাইজিং ইণ্ডিয়া সন্মিলন সম্বোধন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A7%B0-%E0%A6%A6/,"‘বীর বাল দিবস’ উদযাপনের মধ্য দিয়ে চার সাহিবজাদেকে শ্রদ্ধা জানানোর যে সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন, তার জন্য শিখ নেতৃবৃন্দ তাঁকে ধন্যবাদ জানান ‘বীর বাল দিবস’ হিসাবে উদযাপনের মধ্য দিয়ে দেশের প্রতিটি প্রান্তের শিশুরা চার সাহিবজাদের সম্পর্কে জানতে পারবে: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শিখ সম্প্রদায়ের সেবা করার মানসিকতার প্রশংসা করেন, সারা বিশ্বের মানুষের শিখদের এই মানসিকতার কথা আরও বেশি করে জানা প্রয়োজন বলে তাঁর মন্তব্য শিখ সম্প্রদায়ের কল্যাণে আমার সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ : প্রধানমন্ত্রী শিখ সম্প্রদায়ের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন; অন্তর থেকে তিনি আসলে শিখ বলে তাঁরা অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ৭, লোক কল্যাণ মার্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিখ সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। শিখ সম্প্রদায়ের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বিশেষত, ২৬শে জানুয়ারি দিনটি ‘বীর বাল দিবস’ উদযাপনের মধ্য দিয়ে চার সাহিবজাদেকে শ্রদ্ধা জানানোর যে সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন, তার জন্য তাঁরা তাঁকে ধন্যবাদ জানান। প্রতিনিধি দলের প্রত্যেক সদস্য প্রধানমন্ত্রীকে ‘শিরোপাও’ এবং ‘সিরিসাহিব’ সম্মান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বহু অঞ্চলের মানুষ চার সাহিবজাদের অবদান ও আত্মবলিদানের কথা জানেন না। যখনই তিনি স্কুলে শিশুদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন, তখনই চার সাহিবজাদের সম্পর্কে তাদের জানিয়েছেন। ২৬শে ডিসেম্বরকে ‘বীর বাল দিবস’ হিসাবে উদযাপনের মধ্য দিয়ে দেশের প্রতিটি প্রান্তের শিশুরা চার সাহিবজাদের সম্পর্কে জানতে পারবে। শিখ নেতৃবৃন্দ তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করায় প্রধানমন্ত্রী তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তাঁদের জন্য তাঁর দরজা সবসময় খোলা থাকবে। তাঁর পাঞ্জাবে বসবাসের সময় শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের কথা শ্রী মোদী উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শিখ সম্প্রদায়ের সেবা করার মানসিকতার প্রশংসা করেন, সারা বিশ্বের মানুষের শিখদের এই মানসিকতার কথা আরও বেশি করে জানা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, শিখ সম্প্রদায়ের কল্যাণে তাঁর সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তিনি উল্লেখ করেন। আফগানিস্তান থেকে গুরু গ্রন্থ সাহিবকে যথাযথ মর্যাদায় নিয়ে আসার জন্য বিশেষ যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী মোদী জানান, কূটনৈতিক আলোচনার মধ্য দিয়ে শিখ তীর্থযাত্রীদের জন্য তাঁর সরকার কর্তারপুর সাহিব করিডর খোলার ব্যবস্থা করেছে। চার সাহিবজাদের আত্মবলিদানের কথা দেশের প্রতিটি শিশুকে জানানোর জন্য ‘বীর বাল দিবস’ উদযাপনের সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ শ্রী মঞ্জিন্দর সিং সিরসা আলোচনার সময় উল্লেখ করেন। শ্রী পাটনা সাহিবের জাঠেদার তক্ত সিং সাহিব জ্ঞানী রঞ্জিত সিং কর্তারপুর সাহিব করিডর খোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং লঙ্গরের উপর থেকে পণ্য পরিষেবা কর প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান। ত��নি আরও বলেন, শিখ সম্প্রদায়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ থেকে এটা স্পষ্ট যে, অন্তর থেকে তিনি আসলে শিখ। জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্রী তারলোচন সিং বলেন, স্বাধীনতার পর এই প্রথম শিখ সম্প্রদায়ের অবদানের কথা তুলে ধরা হচ্ছে। দেশ বিভাজনের সময় বিপুল সংখ্যায় শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন। এই সম্প্রদায়ের অবদানের কথা আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে ধরার জন্য তিনি শ্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে সমগ্ৰ দেশৰ বিশিষ্ট শিখ নেতাসকলক সাক্ষাৎ কৰে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9C-%E0%A6%8B%E0%A6%B7%E0%A6%AD-%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A5/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%8B%E0%A6%B7%E0%A6%AD-%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লি, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিশিষ্ট ক্রিকেট খেলোয়াড় শ্রী ঋষভ পন্থের দুর্ঘটনার খবরে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন – “বিশিষ্ট ক্রিকেট খেলোয়াড় ঋষভ পন্থের দুর্ঘটনার খবরে আমি মর্মাহত। আমি তাঁর সুস্বাস্থ্য এবং দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। @RishabhPant17” /",ক্ৰিকেটাৰ ঋষভ পন্তৰ দুৰ্ঘটনাক লৈ ব্যথিত প্ৰধানমন্ত্ৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%95-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A7%8E-%E0%A6%AA/,"প্রসূতিমা, নবজাতক এবং শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সহযোগিতা মঞ্চের (পিএমএনসিএইচ) একপ্রতিনিধিদল আজ এখানে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে।প্রতিনিধিদলে ছিলেন চিলির ভূতপূর্ব প্রেসিডেন্ট তথা পিএমএনসিএইচ পর্ষদের ভবিষ্যৎসভাপতি ডঃ মিশেল ব্যাকলেট এবং ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত তথা বিশিষ্ট অভিনেত্রী শ্রীমতীপ্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এছাড়াও, প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ওপরিবারকল্যাণ মন্ত্রী শ্রী জে পি নাড্ডা এবং পিএমএনসিএইচ মঞ্চের তিন বিশিষ্টকর্মকর্তা শ্রী এ কে চৌবে, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য ওপরিবারকল্যাণ সচিব শ্রীমতী প্রীতি সুদান। আগামী ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ তারিখেনয়াদিল্লিতে মঞ্চের এ বছরের যে বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাতে যোগদানের জন্যপ্রধান���ন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর উদ্দেশ্যেই তাঁদের আজকের এই সাক্ষাৎকার। বিভিন্নদেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন এই সম্মেলনে। এছাড়াওতাতে অংশগ্রহণ করবেন দেশ-বিদেশের ১,২০০ জন প্রতিনিধি। বিশ্বের ৯২টি দেশ এবং ১হাজারেরও বেশি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে গড়ে উঠেছে পিএমএনসিএইচ নামের এই বিশ্বমঞ্চটি। শ্রী মোদী এই মঞ্চের পৃষ্ঠপোষকতার আমন্ত্রণ সানন্দে গ্রহণ করেন। মঞ্চেরএকটি লোগোও প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে উপহার দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। ডঃমিশেল ব্যাকলেট এই বিশ্ব মঞ্চের উদ্দেশ্য ও কর্মপ্রচেষ্টা ব্যাখ্যা করে তারকাজকর্ম কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে সম্পর্কে প্রস্তাব ও পরামর্শ পেশ করারজন্য আবেদন জানান শ্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে। তিনি বলেন, নারী ক্ষমতায়ন এবং শিশু ওকিশোরদের সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে মঞ্চের কাজকর্মকে আগামীদিনে আরও প্রসারিত করারচিন্তাভাবনা রয়েছে তাঁদের। তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বেসরকারিক্ষেত্রের সঙ্গে সহযোগিতাক্রমে মহিলাদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব সম্পর্কিত কর্মসূচির রূপায়ণসম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামের দরিদ্র ও গর্ভবতীমহিলাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি বিধানের জন্য সমস্তরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। সমষ্টিগতভাবেবিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনও ঐ সময় এগিয়ে এসেছিল তাদের এই কর্মপ্রচেষ্টায় সহযোগিতাপ্রসারের লক্ষ্যে। শ্রীমোদী প্রতিনিধিদলকে বলেন যে অংশগ্রহণের মাধ্যমেই অংশীদারিত্বের প্রসার ঘটে। তাইপুষ্টি, বিয়ের সঠিক বয়স, প্রাক্‌-প্রসব এবং প্রসব-পরবর্তীকালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ সম্পর্কিত কর্মপ্রচেষ্টায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে জোটবদ্ধভাবেকাজ করে যেতে হবে। বিশেষত, তরুণ ও যুবকরা উৎসাহের সঙ্গেই এই কাজে এগিয়ে আসতেপারেন। আর এইভাবেই নারী, শিশু এবং বয়ঃসন্ধিকালে উপনীত কিশোরীদের কাছে কর্মসূচিরখুঁটিনাটি বিষয়গুলি ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। এই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিঅবলম্বনে একটি অনলাইন ক্যুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজনেরও প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী। সফলপ্রতিযোগীদের আগামী ডিসেম্বরের সম্মেলনে পুরস্কৃত করারও প্রস্তাব দেন তিনি। /","প্রধানমন্ত্রীক সাক্ষাৎ পিএমএনচিএইচৰ প্ৰতিনিধি দলৰ, মঞ্চৰ ল’গ’ উপহাৰ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AB-4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%85-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার (২৬শে অক্টোবর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লক্ষ্ণৌতে আয়োজিত কৃষি কুম্ভ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। কৃষকদের এই সমাবেশ নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা নেবে এবং কৃষিক্ষেত্রে আরও সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আস্থা প্রকাশ করেন। খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থার সুবিধা ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি করার জন্য শ্রী মোদী উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, কৃষকরাই সেইসব ব্যক্তি যাঁরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। ২০২২ সাল নাগাদ কৃষকদের উপার্জন দ্বিগুণ করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গীকারের কথাও তিনি পুনরায় উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে, তিনি কৃষকদের কল্যাণে উৎপাদন খরচ কমিয়ে লাভ বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারের একাধিক পদক্ষেপের উল্লেখ করেন। অদূর ভবিষ্যতে দেশ জুড়ে কৃষিক্ষেত্রে বিরাট সংখ্যায় সৌরবিদ্যুৎচালিত পাম্প বসানো হবে বলেও তিনি জানান। বিজ্ঞানের সুফল কৃষিক্ষেত্রে পৌঁছে দিতে সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে। বারাণসীতে ধান গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন এই লক্ষ্যে এক পদক্ষেপ বলে শ্রী মোদী উল্লেখ করেন। কৃষিতে মূল্য সংযুক্তিকরণের প্রয়োজনীয়তার কথাও প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সবুজ বিপ্লবের পর এখন দুগ্ধ উৎপাদন, মধু উৎপাদনের পাশাপাশি পোল্ট্রি ও মৎস্যচাষের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কৃষি কুম্ভ অনুষ্ঠান চলাকালীন জলসম্পদের যুক্তিসম্পন্ন ব্যবহার, খাদ্যশস্য মজুত রাখার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি আরও ভালো প্রয়োগ এবং কৃষিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আলাপ-আলোচনার আহ্বান জানান। ফসল কাটার পর গাছের গোড়া পুড়িয়ে ফেলার ক্ষেত্রে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য তিনি নতুন প্রযুক্তি ও পন্থাপদ্ধতি উদ্ভাবনের ওপরও গুরুত্ব দেন।",ভিডিঅ’ কনফাৰেন্সযোগে কৃষি কুম্ভ অনুষ্ঠানত ভাষণ আগবঢ়ালে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A7%A9%E0%A7%AC%E0%A6%A4%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BF/,"নয়াদিল্লি, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভারত মাতা কি জয়, ভারত মাতা কি জয়, এই সুন্দর আয়োজনে আমাদের সঙ্গে উপস্থিত গুজরাটের মাননীয় রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতজী, গুজরাটের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল, সংসদে আমার সহকর্মী এবং গুজরাট ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি শ্রী সি আর পাটিলজী, কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী শ্রী অনুরাগজী, রাজ্যের মন্ত্রী হর্ষ সংভিজী, মেয়র কিরিটভাই, বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধিগণ এবং সারা দেশ থেকে আগত আমার প্রিয় নবীন খেলোয়াড়রা। আপনাদের সকলকে স্বাগত ও অনেক অনেক অভিনন্দন। এই দৃশ্য, এই আবহ, এর বর্ণনা শব্দ দিয়ে করা যাবে না। বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্টেডিয়াম আর দেশের সর্ববৃহৎ ক্রীড়া উৎসব! যখন আয়োজন এত অদ্ভুত ও অদ্বিতীয়, তখন এর প্রাণশক্তিও তেমনই যে অসাধারণ হবে, তা বোঝানোর প্রয়োজন নেই। দেশের ৩৬টি রাজ্য থেকে ৭ হাজারেরও বেশি খেলোয়াড়, ১৫ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারী, ৩৫ হাজারেরও বেশি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্কুলগুলির অংশগ্রহণ, ৫০ লক্ষেরও বেশি ছাত্রছাত্রী এই জাতীয় ক্রীড়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ – সত্যিই অদ্ভুত ও অভূতপূর্ব। এই জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার স্তোত্র হ’ল – জুড়ে গা ইন্ডিয়া, জিতেগা ইন্ডিয়া। আমি বলবো, জুড়ে গা ইন্ডিয়া – আপনারা বলবেন, জিতেগা ইন্ডিয়া। জুড়ে গা ইন্ডিয়া, জিতেগা ইন্ডিয়া, জুড়ে গা ইন্ডিয়া, জিতেগা ইন্ডিয়া, জুড়ে গা ইন্ডিয়া, জিতেগা ইন্ডিয়া – এই শব্দ, এই মনোভাব আজ আকাশে গুঞ্জরিত হচ্ছে। আপনাদের উৎসাহ আজ আপনাদের মুখে প্রতিফলিত হচ্ছে। এই চমক উদ্দীপনার, ক্রীড়া বিশ্বে আপনাদের সোনালী ভবিষ্যতের জন্য। জাতীয় ক্রীড়ার এই প্ল্যাটফর্ম আপনাদের সকলের জন্য একটি নতুন লঞ্চিং প্যাডের কাজ করবে। আমি এই ক্রীড়ায় সামিল হওয়া প্রত্যেক খেলোয়াড়কে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভ কামনা জানাই। বন্ধুগণ, আজ আমি গুজরাটের জনগণের প্রশংসা করবো, যাঁরা অত্যন্ত কম সময়ে এই অসাধারণ আয়োজন করেছেন। এটা গুজরাটের সামর্থ। এখানকার জনগণের শক্তি। কিন্তু বন্ধুগণ, আপনাদের যদি কোনও অসুবিধা হয়, একজন গুজরাটি হিসাবে আমি আপনাদের সকলের কাছে অগ্রিম ক্ষমা চাইছি। গতকাল আমেদাবাদে যেভাবে অনিন্দ্য সুন্দর ড্রোন শো হয়েছে, তা দেখে প্রত্যেকেই অবাক হয়েছেন। গর্বে বুক ভরে উঠেছে। প্রযুক্তির এত অতুলনীয় ব্যবহার ড্রোনের মতোই গুজরাট তথা ভারতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এখানে আগে যে ন্যাশনাল স্পোর্টস কনক্লেভের আয়োজন করা হয়েছিল, তার সাফল্য নিয়ে অনেকেই প্রশংসা করেছিলেন, আমি এই সকল প্রচেষ্টার জন্য রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর গোটা টিমের অনেক প্রশংসা করছি। কিছুদিন আগেই এই জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অফিশিয়াল ম্যাসকট সাওয়জ উদ্বোধন করা হয়েছিল। গিরের সিংহদের প্রতীক করে তৈরি এই সাওয়জ ভারতের নবীন প্রজন্মের মেজাজেক তুলে ধরে নির্ভীকভাবে খেলার মাঠে প্রতিযোগিতার উদ্দীপনাকে তুলে ধরে। এটা আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুতগতিতে উঠে আসা ভারতের সামর্থেরও প্রতীক। বন্ধুগণ, আজ আপনারা যে স্টেডিয়াম ও স্পোর্টস কমপ্লেক্স এ উপস্থিত হয়েছেন, তার বিশালতা এবং আধুনিকতাও একটি ভিন্ন প্রেরণার উৎস। এই স্টেডিয়াম বিশ্বের বৃহত্তম। পাশাপাশি, এই সর্দার প্যাটেল স্পোর্টস এনক্লেভ এবং এই কমপ্লেক্সটিও অনেক দৃষ্টিকোণ থেকে অতুলনীয়। সাধারণত, এ ধরনের স্পোর্টস কমপ্লেক্স ১, ২ কিংবা ৩টি ক্রীড়া-নির্ভর হয়। কিন্তু এই স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ফুটবল, হকি, বাস্কেট বল, কবাডি, বক্সিং এবং লন টেনিসের মতো অনেক খেলার পরিষেবা একসঙ্গে প্রস্তুত করা হয়েছে। এটা একদিক থেকে সারা দেশের জন্য একটি মডেল। কারণ, যখন পরিকাঠামো এই মানের হয়, তখন খেলোয়াড়দের মনোবলও একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যায়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আমাদের সমস্ত খেলোয়াড়রা এখানে তাঁদের অভিজ্ঞতাকে উপভোগ করবে। আমার নবীন বন্ধুরা, সৌভাগ্যবশত এই সময় নবরাত্রির পবিত্র উৎসব চলছে। গুজরাটে মা দুর্গার উপাসনা থেকে শুরু করে গর্বা পর্যন্ত এখানকার স্বতন্ত্র পরিচয় রয়েছে। যে খেলোয়াড়রা অন্যান্য রাজ্য থেকে এখানে এসেছেন, তাঁরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি, এখানকার নবরাত্রি উৎসবও উপভোগ করুন। গুজরাটের সাধারণ মানুষের আতিথেয়তা উপভোগ করুন। আমি দেখেছি, কিভাবে আমাদের নীরজ চোপরা গতকাল গর্বা উৎসবে মেতে উঠেছিলেন। উৎসবের এই আনন্দ আমাদের ভারতীয়দের পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করে। এই উপলক্ষে আপনাদের সকলকে সমস্ত গুজরাটবাসী এবং দেশবাসীকে আরেকবার নবরাত্রির শুভেচ্ছা জানাই। আমার নবীন বন্ধুরা, যে কোনও দেশের উন্নতি আর বিশ্বে তা সম্মানের সঙ্গে ক্রীড়া ক্ষেত্রে তাঁদের সাফল্যের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দেশের নেতৃত্ব দেয় আসলে দেশের যুবসম্প্রদায়। আর এই ক্রীড়া সেই যুবসম্প���রদায়ের প্রাণশক্তি, তাঁদের জীবন গঠনের প্রধান উৎস। আজও আপ্নারা দেখবেন যে, বিশ্বের যে দেশগুলি উন্নতি ও অর্থনীতির শীর্ষে রয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ক্ষেত্রে অধিকাংশ পদক তালিকায় তারাই শীর্ষে থাকে। সেজন্য ক্রীড়া ময়দানে খেলোয়াড়দের জয় অন্যান্য ক্ষেত্রে দেশের জয়ের পথ প্রশস্ত করে। ক্রীড়ার সফট্‌ পাওয়ার দেশের পরিচয় ও দেশের সার্বিক চিত্রকে অনেক গুণ উজ্জ্বল করে তোলে। বন্ধুগণ, আমি খেলোয়াড়দের প্রায়ই বলি যে, সাফল্য উদ্যোগের মাধ্যমে শুরু হয়। অর্থাৎ, আপনারা যখন শুরু করে দেন, তখনই সাফল্যের সূত্রপাতও শুরু হয়ে যায়। আপনাদের লড়তে হয়, যুঝতে হয়। আপনাদের যদি ছোটার উদ্দীপনা না ছাড়েন, চলতে থাকেন, তা হলে দেখবেন জয় নিজেই আপনাদের চরণ স্পর্শ করার জন্য এগিয়ে আসে। স্বাধীনতার অমৃতকালে দেশ এই উদ্দীপনা নিয়ে নতুন ভারত নির্মাণের সূত্রপাত করেছে। একটা সময় ছিল যখন বিশ্ববাসী অলিম্পিকের মতো আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মহাকুম্ভে অংশগ্রহণের জন্য পাগল হ’ত। কিন্তু আমাদের দেশে অনেক বছর ধরে অলিম্পিক ছিল শুধুই সাধারণ জ্ঞানের বিষয়, এখন মেজাজ বদলেছে, আবহ বদলেছে। ২০১৪ সাল থেকে দেশে ফাস্ট অ্যান্ড বেস্ট – এর ক্রম শুরু হয়েছে। আমাদের যুবসম্প্রদায় ক্রীড়া ক্ষেত্রে নৈপুণ্য দেখিয়ে যাচ্ছেন। আপনারা দেখুন ৮ বছর আগে যখন ভারতের খেলোয়াড়রা ১০০ জনেরও কম আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নিতেন আর এখন ৩০০ জনেরও বেশি খেলায় অংশগ্রহণ করছেন। আগে ভারতের খেলোয়াড়রা ২০-২৫টি খেলায় অংশগ্রহণের জন্য যেতেন, এখন ভারতের খেলোয়াড়রা ৪০টিরও বেশি ভিন্ন ভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করছে্ন। আজ ভারতে প্রতি বছর আগের সমস্ত পদকের রেকর্ড ছাপিয়ে যাচ্ছে। করোনার কঠিন সময়ে দেশ তার খেলোয়াড়দের মনোবল হ্রাস পেতে দেয় নি। আমরা আমাদের যুবসম্প্রদায়কে সবধরনের প্রয়োজনীয় সম্পদের যোগান দিয়েছি। প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে পাঠিয়েছি। আমরা ক্রীড়ার সঙ্গে প্রাণশক্তিতে মিশিয়ে দিয়েছি। ‘টপস্‌’ – এর মতো প্রকল্পের মাধ্যমে মিশন মোডে আমরা কয়েক বছর ধরে খেলোয়াড়দের তৈরি করেছি। আজ এই প্রকল্প আমাদের বড় বড় খেলোয়াড়দের সাফল্য থেকে প্রেরণা নিয়ে নতুন খেলোয়াড়দের ভবিষ্যত গড়ে তুলছে। আজ আমাদের নবীন প্রজন্মের খেলোয়াড়রা নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করছেন আর পরবর্তী প্রতিযোগিতায় নিজেদেরই রেকর্ডকে ভাঙছেন। টোকিও অলিম্পিক্সে এবার ভারতের খেলোয়াড়রা সবচেয়ে ���েশি সাফল্য এনেছেন। এরপর, টমাস কাপে আমাদের ব্যাডমিন্টন টিম দেশকে গর্বিত করেছে। উগান্ডায় প্যারা ব্যাডমিন্টন টিমও ৪৭টি পদক জিতে দেশের মান বৃদ্ধি করেছে। এই সাফল্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হ’ল এতে আমাদের মেয়েদের সাফল্য ছেলেদের তুলনায় বেশি। আজ মেয়েরাই সবার আগে এগিয়ে আমাদের ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকার সম্মান বৃদ্ধি করছেন। বন্ধুগণ, ক্রীড়া ক্ষেত্রে এই সামর্থ দেখানোর ক্ষমতা আমাদের দেশে আগেও ছিল। এই বিজয় অভিযান আগেও শুরু করা যেত। কিন্তু যে পেশাদারিত্ব নিয়ে এক্ষেত্রে এগোনো উচিৎ ছিল, তার জায়গায় পরিবারতন্ত্র এবং দুর্নীতি আমাদের ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। আমাদের নবীন প্রজন্মের স্বপ্নকে নষ্ট করেছিল। দেশ আজ সেই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসেছে। আমরা ব্যবস্থাকে পরিচ্ছন্নও করেছি। আর নবীন প্রজন্মের মনে তাঁদের স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়নের জন্য ভরসাও জাগিয়েছি। আমাদের দেশ এখন কেবল বাদ্যযন্ত্র তৈরি করে না, সেই বাজনার তালে তালে পায়ে পা মিলিয়ে আমাদের যুবক-যুবতীরা এগিয়ে যায়। সেজন্য আজ ফিট ইন্ডিয়া এবং খেলো ইন্ডিয়ার মতো অভিযানগুলি জনআন্দোলনে পরিণত হয়েছে। সেজনয আজ খেলয়াড়দের যত বেশি সম্ভব সরঞ্জাম ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। বিগত ৮ বছরে দেশে ক্রীড়া ক্ষেত্রে প্রায় ৭০ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে। আজ দেশে অনেক ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে। নানা প্রান্তে আধুনিক ক্রীড়া পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, খেলোয়াড়দের অবসরের পর তাঁরা যেন কোনও রকম সমস্যার সম্মুখীন না হন, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা থেকে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা যাতে লাভবান হন, তা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। বন্ধুগণ, ক্রীড়া অনেক হাজার বছর ধরে ভারতের সভ্যতা ও সংস্কৃতির অংশ ছিল। ক্রীড়া আমাদের ঐতিহ্য এবং উন্নয়ন যাত্রার একটি দিক ছিল। স্বাধীনতার অমৃতকালে দেশ তার ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করার পাশাপাশি, এই পরম্পরাকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলছে। এখন দেশের এই প্রচেষ্টা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনা শুধু জনপ্রিয় খেলাগুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং কলারিপয়ট্টু এবং যোগাসনের মতো পরম্পরাগত ভারতীয় ক্রীড়াকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এখন এই জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মতো বড় আয়োজনে এই পরম্পরাগত খেলাগুলিকে সামিল করা হয়েছে। যে খেলোয়াড়রা এই খেলাগুলিতে প্রতিনিধিত্ব করছেন, তাঁদের আমি বিশেষভাবে একটি কথা বলতে চাই, আপনারা একদিকে হাজার হাজারত বছর পুরনো পরম্পরাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে, ক্রীড়া জগতের ভবিষ্যৎ-কে নেতৃত্বও দিচ্ছেন। আগামী দিনগুলিতে যখন এই খেলাগুলি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে, তখন এক্ষেত্রে আপনাদের নাম কিংবদন্তী রূপে স্মরণ করা হবে। বন্ধুগণ, অবশেষে, এখানে উপস্থিত সমস্ত খেলোয়াড়দের আমি আরেকটি উপদেশ দিতে চাই। যদি আপনারা প্রতিযোগিতায় জিততে চান, তা হলে আপনাদের দায়বদ্ধতা ও ক্রমাগত লেগে থাকার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং তা নিয়ে বেঁচে থাকা শিখতে হবে। ক্রীড়া ক্ষেত্রে হার-জিতকে কখনও আমাদের শেষ পরিণতি হিসাবে মনে করা উচিৎ নয়,। এই খেলোয়াড় সুলভ মনোভাবকে আপনাদের জীবনের অঙ্গ করে তুলুন। তবেই আপনারা ভারতের মতো নবীন প্রজন্মের মানুষের সংখ্যাধিক্যের দেশকে, তার স্বপ্নগুলিকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। তার অপরিসীম সম্ভাবনাগুলিকে বাস্তবায়িত করবেন। আর আপনাদের মনে রাখতে হবে যে, যেখানে গতি থাকে, সেখানেই প্রগতি সম্ভব হয়। সেজন্য এই গতিকে আপনাদের এই ময়দানের বাইরেও বজায় রাখতে হবে। এই গতি যেন আপনাদের সকলের জীবনের মিশন হয়ে ওঠে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আপনাদের জয় দেশকে উদযাপনের সুযোগ দেবে। আর ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন বিশ্বাসও জাগিয়ে তুলবে। এই আস্থা রেখে এই ৩৬তম জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধনকে আহ্বান জানাচ্ছি।",গুজৰাটৰ আহমেদাবাদত আয়োজিত ৩৬সংখ্যক ৰাষ্ট্ৰীয় ক্ৰীড়াৰ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আগবঢ়োৱা ভাষণৰ লিখিত ৰূ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E2%80%8C%E0%A6%B8-%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A7%81/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%83%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%82%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BF/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেঅনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ আন্তঃব্যাঙ্ক আঞ্চলিক অর্থ ঋণ সম্পর্কিতএক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। একই সঙ্গে, ব্রিক্‌সআন্তঃব্যাঙ্ক সহযোগিতা কর্মসূচির আওতায় অংশগ্রহণকারী সদস্য ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গেএক্সিম ব্যাঙ্কের ক্রেডিট রেটিং-এর ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্পর্কিত একটি মউ সম্পাদনেরবিষয়েও সম্মতি দেওয়া হয়। মউ ও চুক্তি দুটি বিষয়ই এক্ষেত্রে এক বিশেষ ছত্রকর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এক্সিম ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়াহয়েছে তাদের নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে চুক্তি ও অঙ্গীকারের বিষয়গুলি সম্পর্কেআলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য। এই চুক্তি ও মউ স্বাক্ষরিত হলে ব্রিক্‌স সদস্যরাষ্ট্রগুলির মধ্যে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে রাজনৈতিক তথা অর্থনৈতিক সম্পর্কনিবিড়তর হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চিনের জিয়ামেনে ব্রিক্‌সনেতৃবৃন্দের ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ তারিখের জিয়ামেন ঘোষণার মধ্যে এই চুক্তি ও মউ-এরখুঁটিনাটি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।",ব্ৰিক্স আন্তঃবেংক সহযোগিতা ব্যৱস্থাৰ অধীনত এক্সিম বেংকৰদ্বাৰা ক) আন্তঃবেংক স্থানীয় মূদ্ৰা ঋণ সীমাৰ চূক্তি আৰু খ) ঋণ মূল্যায়ন সহযোগিতা চূক্তি স্বাক্ষৰৰ প্ৰস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A6%AB-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AB-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2/,"নয়াদিল্লি, ০৭ অগাস্ট, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী অলিম্পিকে অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন ও মানসিক দৃঢ়তার জন্য গলফ্ খেলোয়াড় অদিতি অশোকের প্রশংসা করেছেন। এক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “দারুণ খেলা দেখিয়েছেন @aditigolf ! আপনি #tokyo2020’তে অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্য ও দৃঢ়তা দেখিয়েছেন। খুব অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হলেও আপনি যে ক্রীড়া নৈপুণ্য দেখিয়েছেন, তা কোনও ভারতীয় থেকে কম নয়। এমনকি, আপনি অন্যদের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন। আপনার ভবিষ্যৎ প্রচেষ্টায় শুভ কামনা জানাই”।",প্রধানমন্ত্রীয়ে গল্ফ খেলুৱৈ অদিতি অশোকৰ ক্রীড়া নৈপুণ্য আৰু দৃঢ়তাৰ প্রশংসা কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-27/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A6%B9%E0%A6%AE-%E0%A6%AD/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর স্টকহোম সফরকালে (১৬-১৭ এপ্রিল, ২০১৮) ভারতের সঙ্গে সুইডেন, ডেনমার্ক এবং আইসল্যান্ডের যে সমস্ত বিষয়ে মউ ও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তার একটি তালিকা এখানে দেওয়া হ’ল : সুইডেনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত মউ/চুক্তি এক নিরন্তর ভবিষ্যতের লক্ষ্যে ভারত-সুইডেন অংশীদারিত্ব প্রসঙ্গে যৌথ ঘোষণা। এটি স্বাক্ষরিত হয় ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্��ি মন্ত্রক এবং সুইডেনের শিল্প ও উদ্ভাবন বিষয়ক মন্ত্রকের মধ্যে। ভারত ও ডেনমার্কের মধ্যে স্বাক্ষরিত মউ/চুক্তি ভারতের আবাসন এবং নগরায়ন মন্ত্রকের সঙ্গে ডেনমার্কের শিল্প-বাণিজ্য ও অর্থ বিষয়ক মন্ত্রকের স্মার্ট ও নিরন্তর নগরোন্নয়ন সম্পর্কিত এক সহযোগিতা চুক্তি। ভারতের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের পশুপালন, দুগ্ধোৎপাদন ও মৎস্যচাষ বিষয়ক দপ্তরের সঙ্গে ডেনমার্কের খাদ্য ও পরিবেশ মন্ত্রকের পশু চিকিৎসা ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত দপ্তরের সহযোগিতা চুক্তি। ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা ও গুণগত মান নির্ণায়ক কর্তৃপক্ষ এবং ডেনমার্কের পশু চিকিৎসা ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তরের মধ্যে স্বাক্ষরিত খাদ্য নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রসার সম্পর্কিত মউ। ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদ ও ডেনমার্কের কোপেন হেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান সংক্রান্ত পঠন-পাঠন দপ্তরের মধ্যে কৃষি শিক্ষা ও গবেষণা সম্পর্কিত সহযোগিতা চুক্তি। ভারত ও আইসল্যান্ডের মধ্যে স্বাক্ষরিত মউ/চুক্তি ভারতীয় সাংস্কৃতিক সম্পর্ক পরিষদ এবং আইসল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে হিন্দি ভাষার জন্য আইসিসিআর অধ্যাপকের পদ সৃষ্টি সম্পর্কিত মউ। …","প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ষ্ট’কহম ভ্ৰমণৰ উপলক্ষে স্বাক্ষৰিত তথা বিনিময় কৰা বুজাবুজি চুক্তি আৰু চুক্তিৰ তালিকা ( ১৬-১৭ এপ্ৰিল, ২০১৮)" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%8C%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%95/,"নয়াদিল্লি, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি সেপার্স-এর ক্যাপ্টেন শিবা চৌহানের প্রশংসা করেছেন। তিনি কঠোর প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচিনের কুমার চৌকিতে সক্রিয়ভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রথম মহিলা আধিকারিক। প্রধানমন্ত্রী ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি সেপার্স-এর একটি পোস্টের জবাবে ট্যুইট করে বলেছেন; “ভারতীয় নারী শক্তির উদ্যমের পরিচায়ক এই ঘটনা সকল ভারতীয়কে গর্বিত করছে।”",ছিয়াচেনৰ কুমাৰ পোষ্টত সক্ৰিয়ভাৱে নিয়োজিত প্ৰথমগৰাকী মহিলা বিষয়া কেপ্তেইন শিৱা চৌহানক প্ৰশংসা প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A7%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%8F%E0%A6%9A-%E0%A6%8F-%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%AF-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জি-স্যাট ২৯ উপগ্রহবাহী ভূ সমালয় উপগ্রহ উৎক্ষেপন যান মার্ক থ্রি ডি-২’র সফল সফল উৎক্ষেপনে জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই সাফল্যের ফলে ভারতীয় উপগ্রহ উৎক্ষেপন যানের মাধ্যমেই সবচেয়ে ভারি উপগ্রহ মহাকাশে উৎক্ষেপনের একটি রেকর্ড তৈরি হল। এই উপগ্রহটি দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যোগাযোগ এবং ইন্টারনেট পরিষেবা দেবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। /",জি এচ এ টি-২৯ কৃত্ৰিম উপগ্ৰহক কঢ়িয়াই নিয়া জি এচ এল ভি এম কে ৩-ডি২ ৰ সফল প্ৰক্ষেপণৰ বাবে ইছৰোৰ বিজ্ঞানীসকললৈ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ অভিনন্দন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%9A/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠানে ভারতীয় চলচ্চিত্রের জাতীয় সংগ্রহালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী সি বিদ্যাসাগর রাও, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী রামদাস আথাওয়ালে ও কর্ণেল রাজ্যবর্ধন রাঠোর সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, ভারতীয় চলচ্চিত্রের জাতীয় সংগ্রহালয়টি তরুণ প্রজন্মকে ভারতীয় সিনেমা সম্বন্ধে জানতে ও বুঝতে খুব সাহায্য করবে। এই সংগ্রহালয়ে ভারতীয় বিনোদন শিল্পের ইতিহাস সম্বন্ধে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের সুনাম অর্জনের আগে তাঁদের জীবন সংগ্রামের কাহিনীও সংগ্রহালয়ে রয়েছে। চলচ্চিত্র ও সমাজকে একে অপরের প্রতিফলন বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজে যা ঘটছে সিনেমার মাধ্যমে তা প্রতিফলিত হয়। একই ভাবে, চলচ্চিত্রের চরিত্রগুলি সমাজের প্রতিবিম্ব। চলচ্চিত্রের বর্তমান ধারা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন অনেক চলচ্চিত্র রয়েছে, যেখানে সমস্যার পাশাপাশি, সমাধানের কথাও দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। নিঃসন্দেহে এ এক ইতিবাচক দিক। আগে, চলচ্চিত্রে কেবল আনন্দ ও সুখের কথা তুলে ধরা হ’ত। শ্রী মোদী বলেন, ভারত আজ যেসব সমস্যার সম্মু���ীন, তার সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতেও নিজের প্রতি যথেষ্ট আস্থাশীল। বিশ্ব জুড়ে ভারতীয় সিনেমার প্রভাব ও বিস্তার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বহু শিল্পীর সঙ্গে তাঁর মতবিনিময়ের কথা উল্লেখ করেন, যাঁরা ভারতীয় ভাষাতেও গান গাইতে পারেন। চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, তাঁদের ছবিতে যে সমস্ত চরিত্র ফুটে উঠেছে, তা তরুণ প্রজন্মের কল্পনার সঙ্গে মিশে গেছে। সিনেমায় এ ধরণের চরিত্রগুলির বিশ্ব জুড়ে গ্রহণযোগ্যতার দরুণ তরুণ প্রজন্মের ভারতীয়রা কেবল ব্যাটমান – এরই অনুরাগী নয়, বাহুবলীরও অনুগামী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফট্‌ পাওয়ার হিসাবে ভারতের গ্রহণযোগ্যতা, ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া নামের প্রতি সুবিচার ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে ভারতীয় চলচ্চিত্রের বড় ভূমিকা রয়েছে। এখন সিনেমার মাধ্যমে অনাময়, মহিলা ক্ষমতায়ন, ক্রীড়া প্রভৃতির মতো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয়গুলির বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। দেশ গঠনের পাশাপাশি, ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর উপলব্ধিকে আরও মজবুত করতে সিনেমা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশে পর্যটনের বিকাশেও অবদান যোগানোর বিপুল সম্ভাবনা চলচ্চিত্রে রয়েছে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। দেশের বিভিন্ন অংশে চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়নের জন্য একক অনুমোদন জানালা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রযোজনা আরও সহজ হয়ে ওঠে। ফিল্ম পাইরেসির সমস্যা দূরীকরণে ১৯৫২-র সিনেমাটোগ্রাফ আইন সংশোধনের কাজ চলছে বলেও শ্রী মোদী জানান। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অ্যানিমেশন, ভিজ্যুয়াল এফেক্টস্‌, গামিং ও কমিক্স ক্ষেত্রের জন্য জাতীয় স্তরের এক উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। জনসংযোগ ও বিনোদন ক্ষেত্রের জন্য একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শ্রী মোদী এই ধরণের প্রতিষ্ঠান স্থাপনে চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ও মতামত আহ্বান করেন। ভারতীয় চলচ্চিত্রের বাজার বাড়াতে দাভোস শীর্ষ সম্মেলনের মতো বিশ্ব চলচ্চিত্র শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব দেন শ্রী মোদী।",ভাৰতীয় চলচ্চিত্রৰ ৰাষ্ট্ৰীয় সংগ্ৰহালয় উদ্বোধন কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%8B-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AB%E0%A7%8D/,"নতুন দিল্লি, ২৩শে মে, ২০২২ রাষ্ট্রপতি বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী কিশিদা, ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত আমাদের সকল নেতৃবৃন্দ, সুধীবৃন্দ, আজ এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে আপনাদের সকলের মধ্যে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। ইন্দো – প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক হল সেই ব্যবস্থাপনা, যার মধ্য দিয়ে এই অঞ্চল পৃথিবীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে। এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগটি বাস্তবায়নের জন্য আমি রাষ্ট্রপতি বাইডেনকে ধন্যবাদ জানাই। উৎপাদন, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড, আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্রে রয়েছে ভারত – ইতিহাস তার সাক্ষী। এই প্রসঙ্গে একটি কথা উল্লেখ করলে অত্যুক্তি হবে না, সেটি হল বিশ্বের প্রাচীনতম বাণিজ্যিক বন্দরটি ভারতে আমার নিজের রাজ্য গুজরাটের লোথালে ছিল। এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে আমরা যাতে অভিন্ন ও সৃজনশীল কিছু উদ্যোগ নিতে পারি, সেটি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুধীবৃন্দ, সমন্বিত ও সুবিধাজনক ইন্দো – প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক গড়ে তুলতে আপনাদের সকলের সঙ্গে ভারত একযোগে কাজ করবে। আমি বিশ্বাস করি, একটি বিশ্বস্ত সরবরাহ শৃঙ্খলের তিনটি প্রধান স্তম্ভ থাকা প্রয়োজন – আস্থা, স্বচ্ছতা ও সময় মেনে কাজ করা, অর্থাৎ ট্রাস্ট, ট্রান্সপারেন্সি ও টাইমলিনেস। আমি আশাবাদী যে এই ফ্রেমওয়ার্ক সংশ্লিষ্ট তিনটি স্তম্ভকে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",ইণ্ডো – পেচিফিক ইকনমিক ফ্রেমৱৰ্কৰ সূচনাত প্রধানমন্ত্রী শ্রী নৰেন্দ্র মোদীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%A7-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%A7-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8/,"আমার সৌভাগ্যযে আরেকবার আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হল। ২০১৭ সালেহিজ হাইনেস ক্রাউন প্রিন্স অফ আবু ধাবি ভারত সফরে এসেছিলেন। ২০১৭ সালে আমাদেরপ্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন সমারোহে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। হয়তো কয়েক দশক পরউপসাগরীয় দেশ���ুলির সঙ্গে ভারতের এত গভীর, ব্যাপক এবং স্পন্দিত সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আজ এইউপসাগরীয় দেশগুলির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শুধুই ক্রেতা ও বিক্রেতার নয়,অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ভারত এজন্য গর্ববোধ করে যে ৩০ লক্ষেরও বেশিপ্রবাসী ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা এই উপসাগরীয় দেশগুলির উন্নয়ন যাত্রায়অংশগ্রহণ করেছেন। আমি উপসাগরীয় দেশগুলিকে হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই, তাঁরা দেশেরবাইরে এই ৩০ লক্ষ মানুষকে এমন কাজের পরিবেশ দিয়েছেন যে এই মানুষেরা এই অঞ্চলগুলিকেতাঁদের দ্বিতীয় ঘর বলে মনে করেন। ভারতীয়রাওএই দেশগুলিকে নিজের দেশ মনে করে ততটাই দায়বদ্ধতা নিয়ে পরিশ্রম করে এসব দেশেরউন্নয়নের স্বপ্নকে নিজেদের মনে অঙ্কুরিত করে নিয়েছেন। আর এক প্রকার মানব গোষ্ঠীরঅংশীদারিত্বের উত্তম উদাহরণ আমরা উপসাগরীয় দেশগুলিতে অনুভব করছি, সংযুক্ত আরবআমিরশাহীতে অনুভব করছি। অনেকেই অবাক হয়েছে যে, আমি যখন গতবার এসেছিলাম হিজ হাইনেসক্রাউন প্রিন্স তখন আবু ধাবিতে মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নেন। আমি দেশের ১২৫ কোটিভারতবাসীর পক্ষ থেকে এই হিজ হাইনেস ক্রাউন প্রিন্সকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।মন্দির নির্মাণের মাধ্যমে তিনি সদ্ভাবনার নতুন সেতু গড়ে তুলছেন। আমরা সেইপরম্পরায় পালিত পোষিত হয়ে বড় হয়েছি যেখানে মন্দির মানবতার একটি মাধ্যম; পবিত্রস্থল, মানবতার, ঐক্যের একটি অনুঘটক। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, স্থাপত্যের নিরিখে, আধুনিকপ্রযুক্তির নিরিখে, বার্তা প্রদানের নিরিখে এই মন্দির অভিনব হবে এবং আমরা যেবসুধৈব কুটুম্বকম মন্ত্রে বিশ্বাস করি, সেই মন্ত্র বিশ্ববাসীকে অনুভব করানোরক্ষেত্রে সহায়ক হয়ে উঠবে। আমি এইমন্দির নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত সকলকে অনুরোধ করব যে আপনারা সতর্ক থাকবেন, এখানকারশাসকরা ভারতের প্রতি এতটা সম্মান প্রদর্শন করেছেন, আপনাদের দিক থেকে যেন কোনত্রুটি না থেকে যায়! মানবতার উদার আদর্শ এবং ভাবনার গায়ে যেন কোন আঁচড় না লাগে এটাদেখার দায়িত্ব মন্দির নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত আর ভবিষ্যতে মন্দিরে যে ভক্তরা আসবেনপ্রত্যেকেরই। আপনাদের কাছে আমি ভারতের সাংস্কৃতিক পরম্পরা রক্ষার প্রত্যাশা রাখব। আজ দেশউন্নয়নের নানা নতুন উচ্চতা অতিক্রম করছে। এটা ভারতের জন্য সম্মানের বিষয় যে আজএকটি আন্তর্জাতিক স্তরের শীর্ষ সম্মেলনে ভারতকে বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে।আমাকে এখানে বক্তব্য রাখার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আপনাদের পক্ষে এখানে ভারতের খবরপাওয়া কঠিন নয়। আপনারা এতটাই দেশের খবর রাখেন যে আমি দুটি কথা বললে, আপনারা দশটিকথা বলে দেবেন। ভারতের প্রতিটি প্রান্তের মানুষ এখানে রয়েছেন। আপনারা জানেন, ভারতকত দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। ১২৫ কোটি ভারতবাসী নিজেদের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে কেমনআত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে চলেছেন, তা আপনারা খুব ভালোভাবেই অনুভব করছেন! আমরা সেইদিনও দেখেছি যখন, আরে ছাড়ুন ভাই, কিছুই হবে না! চলুন বিছানা গোটাই, অন্য কোথাওযাই! – এ ধরনের নিরাশা, আশঙ্কা আর দ্বিধার কালখণ্ড আমরা পেরিয়ে এসেছি। একটা সময়ছিল যখন দেশের সাধারণ মানুষ জিজ্ঞাসা করতেন যে, এটা হওয়া সম্ভব? এটা হবে? কিংবাআমাদের দেশে এসব হতে পারে কী? সেই পরিস্থিতি থেকে যাত্রা শুরু করে বিগত চার বছরেদেশ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, মানুষ জিজ্ঞাসা করতে শুরু করেছেন, মোদীজি বলুন, কবেহবে? এই প্রশ্নে কোন নিরাশা নেই, বিশ্বাস আছে যে, হলে এখনই হবে। ২০১৪-তেআমরা আন্তর্জাতিক স্তরে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’-এ ১৪২ নম্বরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। অর্থাৎ,তালিকার পেছন থেকে শুনলে নাম নেওয়া শুরু করলে তাড়াতাড়ি পৌঁছনো যেত, সামনে থেকেএগুলে অনেক সময় লাগতো। কিন্তু তার পরের তিন বছরে আমরা ৪২টি স্থান অতিক্রম করে ১০০নম্বর স্থানে পৌঁছে গিয়েছি। বিশ্বের কোনও দেশ এত দ্রুত এত বিরাট উল্লম্ফনে ৪২স্থান অতিক্রম করতে পারেনি। কিন্তু কেউ ভাববেন না যে আমরা ঐ স্থানে থেমে থাকবো।আমরা আরও ওপরে যেতে চাই আর সেজন্য যেখানে নীতিগত পরিবর্তন করতে হবে, রণনীতিপরিবর্তন করতে হবে, সব ধরনের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আমরা আনতে চলেছি যাতে আমরা দ্রুতবিশ্বমানের সমতুল হয়ে উঠতে পারি। বিশ্বায়নএমন জিনিস নয় যে আমরা যেখানে আছি সেখানেই বসে থাকবো, আর অন্যান্য দেশ লভ্যাংশ নিয়েবেরিয়ে যাবে। বিশ্বায়ন এমন জিনিস যাতে বিশ্বের সকল নাগরিকই নিজের দায়িত্ব পালনকরে, পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থেকে, অন্যের থেকে শিখে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সে সবউচ্চতা অতিক্রম করতে পারে। বিশ্বের অন্তিম প্রান্তের কোনও দেশ কিংবা জনগণেরকল্যাণে লাগবে, আর তবেই তো সত্যিকারের অর্থে আমরা ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ মন্ত্রকেসাফল্যমণ্ডিত করে দেখাতে পারব। ভারত নিজেরআন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ বিশ্ব বলছে যে একবিংশ শতাব্দীএশিয়ার শতাব্দী। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, এমনই এমন�� হয়ে যাবে। একবিংশ শতাব্দীকেএশিয়ার শতাব্দী করে তুলতে আমাদের পরিশ্রম করতে হবে। এতে তাৎক্ষণিক লাভ হয়তো আমাদেরহবে না। তবুও দীর্ঘস্থায়ী ভালোর জন্য আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। মহাত্মা গান্ধীহামেশাই ‘শ্রেয়’ এবং ‘প্রিয়’ নিয়ে আলোচনা করতেন। ‘প্রিয়’ কাজটি করা উচিৎ নাকি‘শ্রেয়’ কাজটি করা উচিৎ? আমরা ‘শ্রেয়’ কাজগুলি করার চেষ্টা করছি, সেগুলি সমসাময়িক‘প্রিয়’ না হলেও একদিন সেটাকে প্রিয় বলে মনে হবে। কিছু সামর্থ্যবানমানুষ থাকেন, যাঁদের যে কোন পদক্ষেপ তখনই ‘প্রিয়’ বলে মনে হয়। কারও পদক্ষেপ আবারতখনই কঠিন বলে মনে হয়, সুফল পেতে সময় লাগে। যেমন বিমুদ্রাকরণ দেশের গরিব মানুষতখনই বুঝেছিলেন যে, সঠিক লক্ষ্যে শক্তিশালী পদক্ষেপ। কিন্তু যাঁদের রাতের ঘুম চলেগেছে তাঁরা দু’বছর হতে চললো – কেঁদেই চলেছেন! জিএসটি চালুহবে কি হবে না এই দ্বন্দ্ব সাত বছর ধরে চলছিল। আমরা তিন বছরের মধ্যে চালু করেদিলাম। এখন এটা ঠিক যে, আমরাও বছরের পর বছর একটা বাড়িতে থেকে অন্য বাড়িতে গেলেরাতে নতুন বাড়ির জন্য যত খুশি আনন্দ উপভোগ করি না কেন, ভোরবেলা ঘুম চোখে বিছানাথেকে নেমে অভ্যাস মতো বাঁদিকে বাথরুমে যেতে গিয়ে দেওয়ালে ধাক্কা খেতে পারি। তারপরঘুম ভাঙ্গলে বুঝতে পারি যে, নতুন বাড়িতে আছি, এখানে বাথরুম ডানদিকে। এরকম অভিজ্ঞতাপ্রত্যেকেরই আছে, তাই না? একজন মানুষের জিবনে সামান্য পরিবর্তনে এরকম অভিজ্ঞতারসম্মুখীন হতে হয় আর যখন ৭০ বছর পুরনো ব্যবস্থায় ১২৫ কোটি জনগণ অভ্যস্ত, দু’তিনপ্রজন্মের অভ্যাসে প্রিবর্তন এলে সমস্যা তো হবেই। কিন্তু এই পরিবর্তন একটি শ্রেয়পদক্ষেপ। মহাত্মাগান্ধী আমাদের এই পথ দেখিয়ে গেছেন। আজ এত কম সময়ে জিএসটি-র বেশ কিছু সমস্যাদূরীকরণের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই জনমনে এক ব্যবস্থার স্বীকৃতি পেয়ে এগিয়ে চলেছে, দেশবদলাচ্ছে। গতকাল আমিআবু ধাবিতে অনেকক’টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। ‘লোয়ার জকুম কনসেশান এগ্রিমেন্ট মিড্‌লইস্ট আপস্ট্রিম’-এর অন্তর্গত ভারতীয় কোম্পানিগুলির প্রথমবার বিনিয়োগের মাধ্যমে এইঅংশীদারিত্বের একটি উজ্জ্বল সূত্রপাত হল। আমার বলার তাৎপর্য এটাই যে, আজ আমাকেপরবর্তী অনুষ্ঠানে পৌঁছতে হবে তাই আপনাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলতে পারব না।কিন্তু আপনারা এত বিপুল সংখ্যায় এসেছেন, এত ভালোবাসা দিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত আমারদৃষ্টিই পৌঁছচ্ছে না। আমি আপনাদের হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জা��াই। এখন আমাকে অনেকদূরত্ব অতিক্রম করতে হবে। আগামী ৭০-৮০ ঘন্টার মধ্যে পাঁচটি দেশের সফর সেরে ভারতেফিরবো। জর্ডন, প্যালেস্তাইন, আবু ধাবি, এখন দুবাইয়ের কর্মসূচি সেরে আমাকে ওমানযেতে হবে। সেখানেও আজ সন্ধ্যায় আমার বিপুল সংখ্যায় ভারতীয়দের সাক্ষাৎলাভের সৌভাগ্যহবে। আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানাই, আপনাদের আশ্বস্ত করি, যে স্বপ্ন আপনারা দেখছেন, যেস্বপ্ন ভারতে আপনাদের প্রিয়জনেরা দেখছেন, আমরা সবাই মিলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেইসেসব স্বপ্ন বাস্তবায়িত করব। আপনাদের এই ভরসা দিচ্ছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",১১ ফেব্ৰুৱাৰীত ডুবাইত অনুষ্ঠিত প্ৰবাসী ভাৰতীয়ৰ আদৰণি অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আগবঢ়োৱা ভাষণৰ ইংৰাজী সংস্কৰণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%AD%E0%A7%AB%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A7%AD%E0%A7%AB%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%9C/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%AD%E0%A7%AB-%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A7%AD%E0%A7%AB-%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%AC/,"““দূরদুরান্তের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে সাধারণ মানুষের দুয়ারে ব্যাঙ্ক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টিকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি”” “আর্থিক এবং ডিজিটাল অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয়েছে অর্থনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টার এক নতুন দিগন্ত” “দেশের প্রতি ১ লক্ষ বয়স্ক নাগরিকদের জন্য ব্যাঙ্কের যতগুলি শাখা এখানে কাজ করছে, ততগুলি শাখা বোধহয় চিন, জার্মানি ও দক্ষিণ আফ্রিকাতেও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর” “আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার কর্তৃপক্ষ ভারতের ডিজিটাল ব্যাঙ্ক পরিকাঠামোর প্রশংসায় পঞ্চমুখ” “ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তোলার লক্ষ্যে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছে, ভারতই হল তার পথিকৃৎ” “ব্যাঙ্ক আজ আর শুধুমাত্র আর্থিক লেনদেনের একটি মাধ্যমমাত্র নয়, একইসঙ্গে তা হয়ে উঠেছে সুপ্রশাসন এবং উন্নততর পরিষেবারও মাধ্যম’” “জন ধন যোজনার মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সূচনা যেমন হয়েছে, ঠিক তেমনভাবেই ফিনটেক-এর সাহায্যে আমরা সম্ভব করে তুলব অর্থনৈতিক বিপ্লবকে” “জন ধন অ্যাকাউন্ট দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পথ প্রশস্ত করেছে” “যে কোনো দেশের অর্থনীতি তখনই দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারে যখন তার ব্যাঙ্ক ব্যবস্থাও হয়ে ওঠে যথেষ্ট শক্তিশালী” এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ৭৫টি জেলায় ৭৫টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন প��রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে এর ফলে একদিকে যেমন আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আরও জোরদার হয়ে উঠবে, অন্যদিকে তেমনই নাগরিকরাও এক নতুন ধরনের ব্যাঙ্ক পরিষেবার সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। তিনি বলেন, ন্যূনতম পরিকাঠামোর মাধ্যমে সর্বাধিক মাত্রায় ব্যাঙ্ক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই হল সরকারের লক্ষ্য। কাগজ-কলম ছাড়া শুধুমাত্র ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যেই পৌঁছে দেওয়া হবে এই বিশেষ সুযোগ। দেশের গ্রাম বা ছোট শহরে যাঁরা বসবাস করছেন, তাঁরা এখন থেকে খুব সহজেই টাকা পাঠানোর সাথে সাথে ঋণ গ্রহণের জন্য আবেদনও জানাতে পারবেন ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটের মাধ্যমে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করে তুলতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটের সূচনা সেই লক্ষ্যেই এক বড় ধরনের পদক্ষেপ বলে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী বলেন, দেশের সাধারণ নাগরিকদের ক্ষমতায়নই তাঁর সরকারের একটি অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। আপামর জনসাধারণের সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করেই রচিত হয়েছে বিভিন্ন সরকারি নীতি। একদিকে ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার সংস্কার এবং অন্যদিকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি – এই দুটি বিষয়কে সামনে রেখে দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ তাঁর সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাঙ্ক পরিষেবার সুযোগ গ্রহণের জন্য সাধারণ মানুষকে এখন আর ব্যাঙ্কের কাছে যাওয়ার আর প্রয়োজন নেই, বরং ব্যাঙ্কই তার সমস্ত পরিষেবা নিয়ে হাজির দরিদ্র মানুষের দ্বারপ্রান্তে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে ব্যাঙ্কের ব্যবধান কমিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু আক্ষরিক অর্থেই নয়, মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকেও এই দূরত্ব বা ব্যবধান কমিয়ে আনা হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে ব্যাঙ্ক পরিষেবার সুযোগ পৌঁছে দিতে তাঁর সরকার যে কৃতসঙ্কল্প, একথাও আজ দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ডাকঘরগুলির বিশাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ইন্ডিয়া পোস্ট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে সাধারণ নাগরিকদের কাছে। দেশের প্রতি ১ লক্ষ বয়স্ক নাগরিকদের জন্য ব্যাঙ্কের যতগুলি শাখা এখানে কাজ করছে, ততগুলি শাখা বোধহয় চিন, জার্মানি ও দক্ষিণ আফ্রিকাতেও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। জন ধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কর্মসূচির সূচনাকালের সমস্ত নেতিবাচক মানসিকতা ও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাটিয়ে উঠে প্রকল্পটি যেভাবে সফল হয়ে উঠেছে তারও দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই ন্যূনতম প্রিমিয়ামে বিমার সুযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে অ্যাকাউন্ট গ্রহীতাদের কাছে। প্রত্যক্ষ সুফল হস্তান্তরের সুযোগ ছাড়াও কোনরকম গ্যারান্টি ছাড়া ঋণের আবেদন জানানোর পথও এখন তাঁদের জন্য উন্মুক্ত। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার কর্তৃপক্ষ ভারতের ডিজিটাল ব্যাঙ্ক পরিকাঠামোর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের দরিদ্র, কৃষক-শ্রমিক এবং সাধারণ মানুষ নির্দ্বিধায় নতুন নতুন প্রযুক্তিকে যেভাবে সাদরে গ্রহণ করেছেন, এই সাফল্যের জন্য কৃতিত্বের তাঁরাও সমান অংশীদার। শ্রী মোদী বলেন, ইউপিআই হল লেনদেন সংক্রান্ত এমন একটি প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা যা ভারতে অর্থনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টার ক্ষেত্রে নতুন নতুন সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছে। আর্থিক এবং ডিজিটাল অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয়েছে অর্থনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টার এক নতুন দিগন্ত। ৭০ কোটি ‘রুপে কার্ড’ এখন পৌঁছে গেছে ব্যাঙ্ক গ্রহীতাদের কাছে। এই কার্ডটি সম্পূর্ণভাবে ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে চালু করা হয়েছে। ক্রমে এটি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে বিশ্বের প্রায় সবক’টি দেশেরই লেনদেন ব্যবস্থায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিবিটি-র মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করার কাজে সচেষ্ট তাঁর সরকার। এক সময় দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ তাঁদের হাতে পৌঁছে যাওয়ার আগেই অনেক ক্ষেত্রেই অদৃশ্য হয়ে যেত মাঝপথ থেকে। কিন্তু ডিবিটি চালু হওয়ার পর থেকে সুফলভোগীদের জন্য চিহ্নিত আর্থিক সহায়তা পৌঁছে যাচ্ছে যোগ্য ব্যক্তিটির কাছেই। ভারতের এই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে বিশ্বব্যাঙ্ক মন্তব্য করেছে যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তোলার লক্ষ্যে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছে, ভারতই হল তার পথিকৃৎ। শ্রী মোদী বলেন, ভারতের সমস্ত নীতি ও অর্থনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টার মূলে রয়েছে ‘ফিনটেক’-এর সঠিক প্রয়োগ। দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎকে আরও শক্তিশালী করে তোলার পেছনে অনুঘটকের কাজ করে যাবে এই ব্যবস্থাটি। জন ধন যোজনার মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সূচনা যেমন হয়েছে, ঠিক তেমনভাবেই ফিনটেক-এর সাহায্যে আমরা সম্ভব করে তুলব অর্থনৈতিক বিপ��লবকে। প্রসঙ্গত, ডিজিটাল কারেন্সি চালু করার কথাও ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই ব্যবস্থা অনেক ব্যয়সাশ্রয়ী কারণ, কাগজ ও কালির এখানে কোনো প্রয়োজন পড়ে না। এইভাবে ডিজিটাল অর্থনীতির সাহায্যে আমরা এগিয়ে চলেছি এক আত্মনির্ভর ভারত গঠনের পথে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাঙ্ক আজ আর শুধুমাত্র আর্থিক লেনদেনের একটি মাধ্যমমাত্র নয়, একইসঙ্গে তা হয়ে উঠেছে সুপ্রশাসন এবং উন্নততর পরিষেবারও মাধ্যম। দেশের বেসরকারি ক্ষেত্র এবং ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থাগুলির কাছে সম্ভাবনার নতুন নতুন দ্বার আজ উন্মোচিত হচ্ছে প্রযুক্তির সহায়তায়। ডিজিটাল প্রযুক্তির বলে ভারতীয় অর্থনীতি এখন আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এর ফলে একইসঙ্গে লাভবান হচ্ছে স্টার্ট-আপ সংস্থা এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ও ‘স্বনির্ভর ভারত’ গঠন কর্মসূচি। তিনি বলেন, যে কোনো দেশের অর্থনীতি তখনই দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারে যখন তার ব্যাঙ্ক ব্যবস্থাও হয়ে ওঠে যথেষ্ট শক্তিশালী। গত আট বছরে ফোন ব্যাঙ্কিং-এর যুগকে পেছনে ফেলে দেশ আজ প্রবেশ করেছে ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং-এর যুগে। ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটের সূচনার মধ্য দিয়েই ব্যাঙ্ক ব্যবস্থায় আরও একটি নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।",৭৫ খন জিলাৰ ৭৫ টা ডিজিটেল বেংকিং ইউনিট ৰাষ্ট্ৰৰ নামত উচৰ্গা কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%82%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BF/,"অনূর্দ্ধ ২০ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে অসমের হিমা দাস সোনা জেতায় অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন, অনূর্দ্ধ ২০ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৪০০ মিটারে ঐতিহাসিক সোনা জেতায় ভারত অ্যাথলিট হিমা দাসকে নিয়ে গর্বিত এবং আনন্দিত। তাঁকে অভিনন্দন। এই জয় আগামী বছরগুলিতে নবীন অ্যাথলিটদের যথার্থই উদ্বুদ্ধ করবে। /",২০ অনূৰ্ধ্ব বিশ্ব চেম্পিয়নশ্বিপৰ ছোৱালীৰ ৪০০মিটাৰ দৌৰত স্বৰ্ণ জয় কৰাৰ বাবে হিমা দাসক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ অভিনন্দন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE-2/,"নয়াদিল্লী, ৮ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আবে শিনজো-র প্রয়ানে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী আবের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও বন্ধুত্বের ওপর জোর দেন। ভারত-জাপান সম্পর্ককে বিশেষ কৌশলগত ও বিশেষ রাজনৈতিক অংশীদারিত্বে পৌঁছে দিতে আবে-র ভূমিকার কথা স্মরণ করেন তিনি। শ্রী মোদী আবে শিনজোর স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারতে ৯ই জুলাই জাতীয় শোক ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী টোকিওতে আবে শিনজো-র সঙ্গে তাঁর শেষ সাক্ষাতের ছবিও ভাগ করে নিয়েছেন। একগুচ্ছ ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু শিনজো আবে-র মর্মান্তিক প্রয়ানে আমি শোকাহত। বিশ্বস্তরে এক মহান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অন্যতম যোগ্য নেতা ও দক্ষ প্রশাসক ছিলেন তিনি। শ্রী আবে, জাপান ও গোটা বিশ্বকে আরো উন্নত করার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।” “শ্রী আবে-র সঙ্গে আমার বহু বছরের যোগাযোগ। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকে আমি তাঁকে চিনি এবং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেও আমাদের বন্ধুত্ব ছিল অটুট। অর্থনীতি এবং বিশ্বের নানান বিষয়ে তাঁর দূরদৃষ্টি সর্বদাই আমার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।” “সম্প্রতি আমার জাপান সফরের সময় শ্রী আবে-র সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছিল এবং আমরা নানান বিষয়ে আলোচনা করেছি। তিনি সর্বদাই মজার ছলে কথা বলতেন। আমি কখনোই ভাবিনি যে এটাই হবে আমাদের শেষ সাক্ষাৎ। শিনজো আবে-র পরিবার-পরিজন ও জাপানবাসীর জন্য আমি সমবেদনা জানাই।” “ভারত-জাপান সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে নিয়ে যেতে এবং বিশেষ কৌশলগত ও বিশ্বস্তরে অংশীদারিত্ব বাড়াতে শ্রী আবে-র বিশেষ ভূমিকা ছিল। আজ ভারত শোকাহত এবং জাপানের সঙ্গে রয়েছে। আমরা কঠিন এই সময়ে জাপানের ভাই-বোনেদের পাশে সমবেদনার সঙ্গে রয়েছি।” “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আবে শিনজো-র স্মরণে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা ৯ই জুলাই একদিনের জাতীয় শোক পালন করবো।” “টোকিও-তে আমার প্রিয় বন্ধু শিনজো আবে-র সঙ্গে অতি সম্প্রতি আমার সাক্ষাতের কিছু ছবি ভাগ করে নিচ্ছি। ভারত-জাপান সম্পর্ককে মজবুত করতে সর্বদাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আবে কয়েকদিন আগেই জাপান-ভারত অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।”",জাপানৰ প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী আবে শ্বিনজোৰ কৰুণ মৃত্যুত প্ৰধ���নমন্ত্ৰীয়ে শোক আৰু দুখ প্ৰকাশ কৰিছ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%A7%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%A6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F/,"‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ উদ্যোগের সূচনায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, “সর্দার প্যাটেল আমাদের এক ভারত দিয়েছিলেন। এখন ১২৫ কোটি ভারতীয়র আন্তরিক দায়িত্ব হ’ল সমবেতভাবে শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ে তোলা”। এই ধারণাই নরেন্দ্র মোদীকে সঠিক দিশা-নির্দেশ করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেও তিনি এই ধারণাই অনুসরণ করেছেন। দেশের বীর ও সাহসী ব্যক্তিদের যাঁরা দেশের একতা, নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং আমাদের প্রিয় রাষ্ট্রের উন্নয়নে নিজেদের উৎসর্গ করেছেন, নরেন্দ্র মোদী তাঁদের যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা নিবেদনই বিশ্বাস করেন। তিনি চান, আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য দেশের প্রতি গর্ব ও জাগ্রতবোধের অঙ্গ হয়ে উঠুক। ডান্ডিতে গড়ে ওঠা জাতীয় লবণ সত্যাগ্রহ স্মারক অন্যতম একটি দৃষ্টান্ত। এই স্মারক মহাত্মা গান্ধী ও তাঁর ৮০ জন সত্যাগ্রহীর ১৯৩০ সালের ডান্ডি অভিযানের উদ্যমতা ও শারীরিক সক্ষমতাকে যথাযথ সম্মান জানায়। সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল নামাঙ্কিত ১৮২ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট স্ট্যাচু অফ ইউনিটি বা একতার মূর্তি এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বিশ্বের সর্বাধিক উচ্চতাবিশিষ্ট এই মূর্তিটি নির্মাণের প্রথম পরিকল্পনা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী, যখন তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এই মূর্তি ভারতের লৌহমানবের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে, যিনি এক অখন্ড ভারত গড়ে তুলেছিলেন। শুধু তাই নয়, সুউচ্চ এই সৌধ সমস্ত ভারতবাসীর কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। কয়েক দশক ধরেই নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর পরিবার তাঁর জীবনের নানা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ফাইলগুলি জনসমক্ষে আনার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। একের পর এক সরকার এই ফাইল প্রকাশের ব্যাপারে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ২০১৫-র অক্টোবরে নরেন্দ্র মোদী, যখন তাঁর বাসভবনে নেতাজীর পারিবারিক সদস্যদের আপ্পায়ন করেছিলেন, তখন বলেছিলেন, ইতিহাসকে দমন করার কোনও কারণ আমি অন্তত দেখছি না। তাঁর অভিমত ছিল, যাঁরা ইতিহাসকে ভুলে যান, তাঁরা ইতিহাস রচনার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন। অত্যন্ত সুচারু রূপে নেতাজী সম্পর্কিত ফাইলগুলি প্রকাশ করা হয়েছে এবং সেগুল��� ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জনসমক্ষে আনা হয়েছে। গত শতাব্দীর চারের দশকের মাঝামাঝি সময়ে লালকেল্লায় আইএনএ-র বিরুদ্ধে আদালতের বিচার সমগ্র জাতিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। অবশ্য, কয়েক দশক ধরে লালকেল্লার যে কক্ষে বিচারপর্ব চলেছিল, সেই কক্ষটির স্মৃতির অতলে সলিল সমাধি ঘটেছিল। এ বছর সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লার ঐ কক্ষে একটি সংগ্রহালয়ের উদ্বোধন করেন, যেটি নেতাজী ও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে। চারটি সংগ্রহালয়ের অন্যতম একটি অংশ নেতাজী নামাঙ্কিত এই সংগ্রহালয়টি। এই সংগ্রহালয়গুলিকে ‘ক্রান্তি মন্দির’ হিসাবে নামাঙ্কিত করা হয়েছে। ১৮৫৭-র স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত নানা ঘটনাও সামগ্রী এই সংগ্রহালয়গুলিতে প্রদর্শিত হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ কর্মীদের যথাযথ সম্মান জানাতে নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু নামাঙ্কিত পুরস্কার প্রদানের কথা ঘোষণা করেছেন। বিগত চার বছরে আমাদের ইতিহাসের বহু বিখ্যাত ও গুণী ব্যক্তির অসামান্য অবদানকে স্মরণে রেখে একাধিক স্মারক ও সৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর প্রতি ৫টি সৌধ ‘পঞ্চতীর্থ’ উৎসর্গ করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর এটি একটি অন্যতম উদ্যোগ। এই সৌধগুলি বাবাসাহেবের জন্মস্থান লন্ডনের মো-তে, নাগপুরে, দিল্লিতে ও মুম্বাইয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন শ্রী মোদী কচ্ছে শ্যামজী কৃষ্ণ ভার্মার স্মৃতিতে একটি স্মারক উদ্বোধন করেছিলেন। মহান সমাজ সংস্কারক শ্রী ছোটুরামের স্মৃতিতে শ্রী মোদী হরিয়ানায় একটি মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন। আরব সাগরে মুম্বাই উপকূলে শিবাজীর স্মৃতিতে শ্রী মোদী সম্প্রতি একটি স্মারক গড়ে তোলার শিলান্যাস করেন। দিল্লিতে জাতীয় বিজ্ঞান কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী সর্দার প্যাটেল গ্যালারির উদ্বোধন করেছেন। দেশের সেবায় সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী ৩৩ হাজার পুলিশ কর্মীর সাহসিকতা ও আত্মবলিদানকে সম্মান জানাতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পুলিশ স্মারকের উদ্বোধন করেছেন। এর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই জাতীয় যুদ্ধ স্মারক তিনি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। স্বাধীনতার পর যে সমস্ত জওয়ান যুদ্ধ ক্ষেত্রে ও অভিযানে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের স্মরণে এই স্মারক গড়ে তোলা হয়েছে। সমস্ত স্মৃতিসৌধ বা স্মারক সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের সেই সমস্ত ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়, যাঁরা আমাদের জন্য আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে মহান অবদানের সাক্ষী হয়ে রয়েছেন। এরা সকলেই বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে প্রেরণার উৎস। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এই স্মৃতিসৌধ বা স্মারকগুলি জাতীয়তাবাদের স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে গর্ববোধ ও একতার অনুভূতিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে, যার জন্য আমাদের আনন্দিত ও উৎফুল্ল হওয়া প্রয়োজন।",স্মাৰকৰ জৰিয়তে ৰাষ্ট্ৰীয় গৌৰৱৰ স্থাপন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%93-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%8B-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লি, ১৬ জুন, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, আসন ছাড়াও যোগাভ্যাসে বিভিন্ন ধরনের প্রাণায়াম রয়েছে, যেগুলির নানাবিধ স্বাস্থ্যকর সুফল আছে। তিনি একটি ভিডিও সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন, যেখানে যোগাভ্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আসন ছাড়াও যোগে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রাণায়াম, যেগুলির বহু ধরনের স্বাস্থ্যকর সুফল আছে। এই ভিডিওটিতে ঐসব যোগাভ্যাস সম্পর্কে বিশদ বিবরণ রয়েছে”।",যোগত বহুতো শ্বাস-প্ৰশ্বাসৰ ব্যায়াম অন্তৰ্ভুক্ত থাকে যিবোৰ বিভিন্ন ধৰণে স্বাস্থ্যৰ বাবে উপকাৰী: প্ৰধানমন্ত্ৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87/,"নয়াদিল্লি, ০৮ নভেম্বর, ২০২২ নমস্কার, আমার প্রিয় দেশবাসী এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমস্ত পরিবারের সদস্য, কয়েকদিন পরে, পয়লা ডিসেম্বর থেকে, ভারত জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করবে। ভারতের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক সুযোগ। আজ এই প্রেক্ষাপটে এই শীর্ষ সম্মেলনের ওয়েবসাইট, থিম এবং লোগো চালু করা হল। এই উপলক্ষে আমি সমস্ত দেশবাসীকে অনেক অভিনন্দন জানাই। বন্ধুগণ, জি-২০ হল বিশ্বের এমন দেশগুলির একটি গোষ্ঠী যাদের অর্থনৈতিক সামর্থ বিশ্বের জিডিপির ৮৫ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে। জি-২০ হল বিশ্বের এমন কুড়িটি দেশের একটি গোষ্ঠী, যারা বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে। জি-২��� হল বিশ্বের এমন কুড়িটি দেশের একটি গোষ্ঠী যেগুলিতে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা বসবাস করেন এবং ভারত, এখন এই জি-২০ গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছে, এটির সভাপতিত্ব করতে চলেছে। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার অমৃতকালে দেশের সামনে কত বড় সুযোগ এসেছে তা আপনারা কল্পনা করতে পারেন। এটা প্রত্যেক ভারতীয়র জন্য গর্বের বিষয়, এটা প্রত্যেকের মনে গর্ব বাড়ানোর বিষয়। আমি খুশি যে, এবার জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে ভারতে যে অনুষ্ঠানগুলি হতে চলেছে, তা নিয়ে কৌতূহল এবং সক্রিয়তা ক্রমাগত বাড়ছে। আজ চালু হওয়া এই লোগো তৈরিতে দেশবাসীর বড় ভূমিকা রয়েছে। লোগোটির জন্য আমরা দেশবাসীর কাছে তাদের মূল্যবান পরামর্শ চেয়েছিলাম এবং হাজার হাজার মানুষ তাঁদের সৃজনশীল ধারণা সরকারের কাছে পাঠিয়েছে জেনে আমি খুবই আনন্দিত। আজ সেই ভাবনা, সেই পরামর্শগুলিই হয়ে উঠছে এত বড় আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের মুখ। আমি এই প্রচেষ্টার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই। বন্ধুগণ, জি-২০ গোষ্ঠীর এই লোগোটিও নিছকই একটি লোগো নয়। এটি একটি বার্তা। এটি একটি অনুভূতি যা আমাদের শিরায় রয়েছে। এটি একটি সংকল্প, যা আমাদের চিন্তাধারায় আগে থেকেই অন্তর্ভুক্ত ছিল। 'বসুধৈব কুটুম্বকম' মন্ত্রের মাধ্যমে, বিশ্বজনীন ভ্রাতৃত্বের যে চেতনা আমরা পারম্পরিকভাবে ধারণ করে এসেছি, সেই ভাবনা এই লোগো এবং মূল্ভাবনায় প্রতিবিম্বিত হচ্ছে। এই লোগোতে পদ্ম ফুল ভারতের পৌরাণিক ঐতিহ্য, আমাদের বিশ্বাস, আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিকে চিত্রিত করছে। বন্ধুগণ, আমাদের দেশে অদ্বৈত দর্শন জীবের একত্বের দর্শনরূপে পরিচিত। আজকের বিশ্বে নানা সংঘাত ও দ্বিধা নিরসনের মাধ্যম হয়ে উঠুক এই দর্শন, এই লোগো ও মূলভাবনার মাধ্যমে আমরা এই বার্তা দিয়েছি। যুদ্ধ থেকে মুক্তির জন্য বুদ্ধের বার্তা, হিংস্রতার প্রতিরোধে মহাত্মা গান্ধীর সমাধান, ভারত এভাবে জি-২০গোষ্ঠির মাধ্যমে তার আন্তর্জাতিক খ্যাতিতে নতুন শক্তি সঞ্চার করছে। বন্ধুগণ, ভারত এমন একটা সময়ে জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্বের দায়িত্ব পাচ্ছে, যখন বিশ্ব নানা সঙ্কট ও বিশৃঙ্খলার মোকাবেলা করছে। বিশ্ব এক শতাব্দীর সবচাইতে ভয়ানক মহামারীর কুপ্রভাব, যুদ্ধ, নানা দ্বন্দ্ব, বিবাদ এবং অনেক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জি-২০ লোগোতে পদ্মের প্রতীক এই সময়ে আশা সঞ্চারের প্রতিফলন তুলে ধরে�� পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক না কেন পদ্ম যেন ফোটে। বিশ্ব যত গভীর সঙ্কটের মধ্যেই থাকুক না কেন, তবু যেন আমরা উন্নতি করতে পারি এবং বিশ্বকে একটি উন্নত স্থানে পরিণত করতে পারি! ভারতীয় সংস্কৃতিতে, জ্ঞান এবং সমৃদ্ধির দেবী – দুজনেই পদ্মের উপর উপবিষ্টা। এদেরকেই আজ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন : পরস্পরের অর্জিত জ্ঞানকে ভাগ করে নিতে পারলে তা আমাদের প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে এবং পরস্পরের সমৃদ্ধি ভাগ করে নিতে পারলে তা বিশ্বের সমস্ত প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছাবে। সেজন্যেই, জি-২০ লোগোতে, পৃথিবীকে একটি পদ্মের উপরেও রাখা হয়েছে। লোগোতে পদ্মের সাতটি পাপড়িও তাৎপর্যপূর্ণ। তারা সাতটি মহাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। সঙ্গীতের সার্বজনীন ভাষায় সরগমের স্বরের সংখ্যাও সাত। সঙ্গীতে, যখন সাতটি স্বর একত্রিত হয়, তারা নিখুঁত সরগম তৈরি করে। তবে প্রতিটি স্বরের নিজস্ব স্বাতন্ত্র রয়েছে। একইভাবে, জি-২০ গোষ্ঠীর লক্ষ্য বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিশ্বকে একত্রিত করা। বন্ধুগণ, এটা সত্যি যে বিশ্বে যখনই জি-২০ গোষ্ঠীর মতো বড় মঞ্চের কোনও সম্মেলন হয়, তখন তা নিজস্ব কূটনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক অর্থ থাকেই। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, ভারতের জন্য এই শীর্ষ সম্মেলন নিছকই একটি কূটনৈতিক সম্মেলন নয়, ভারত এই শীর্ষ সম্মেলনকে নিজের জন্য একটি নতুন দায়িত্ব রূপে দেখছে। ভারত এতে তার প্রতি বিশ্বের ভারসা রূপে দেখছে। আজ বিশ্বে ভারতকে জানার, বোঝার একটি অভূতপূর্ব কৌতুহল জেগে উঠেছে। আজ ভারতকে নতুন আলোয় অধ্যয়ন করা হচ্ছে। আমাদের বর্তমানের সাফল্যগুলিকে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা অভূতপূর্ব আশা জেগে উঠছে। এই প্রেক্ষিতে এটা আমাদের দেশবাসীর দায়িত্ব যে আমরা এই আশা ও প্রত্যাশার তুলনায় অধিক মাত্রায় উন্নত কাজ করে দেখাই। এটা আমাদের দায়িত্ব যে, আমরা ভারতের দর্শন ও সামর্থ দিয়ে ভারতের সংস্কৃতি এবং সমাজের শক্তির সঙ্গে বিশ্বকে পরিচিত করাই। এটা আমাদের দায়িত্ব যে, আমরা নিজেদের কয়েক হাজার বছর পুরনো সংস্কৃতির বৌদ্ধিক স্তর এবং এতে সমাহিত আধুনিকতা দিয়ে বিশ্বের জ্ঞান বাড়াই। যেভাবে আমরা অনেক শতাব্দী এবং সহস্রাব্দী ধরে ‘জয় জগৎ’ – এর দর্শনকে পালন করে এসেছি, আজ আমাদের আবার তাকে প্রাণবন্ত করে তুলে আধুনিক বিশ্বের সামনে প্রস্তুত করতে হবে। আমাদের সকলকে একসূত্রে বাঁধতে হবে। সকলকে আন্তর্জাতিক কর্তব্যগুলি সম্পর্কে অবহিত করে তুলতে হবে। বিশ্বের ভবিষ্যৎ গড়তে তাদেরকে নিজেদের অংশীদারিত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে হবে ও প্রেরণা যোগাতে হবে। বন্ধুগণ, আজ যখন ভারত জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করতে যাচ্ছে, তখন এই আয়োজন আমাদের জন্য ১৩০ কোটি ভারতবাসীর শক্তি এবং সামর্থের প্রতিনিধিত্ব করবে। আজ ভারত এই গন্তব্যে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু, এর পেছনে আমাদের কয়েক হাজার বছরের অনেক বড় যাত্রাপথ জুড়ে আছে, অনন্ত অভিজ্ঞতা জুড়ে আছে। আমরা কয়েক হাজার বছরের উৎকর্ষ এবং বৈভবকেও দেখেছি। আমরা বিশ্বের সবচেয়ে অন্ধকারময় সময়কালকেও দেখেছি। আমরা কয়েক শতাব্দীর দাসত্ব এবং অন্ধকারে বেঁচে থাকার জন্য বাধ্যতাময় দিনগুলিও দেখেছি। কত না হানাদার এবং অত্যাচারীদের মোকাবিলা করে ভারত এক জীবন্ত ইতিহাসকে সঙ্গে নিয়ে আজ এখান পর্যন্ত পৌঁছেছে। সেই অভিজ্ঞতা আজ ভারতের উন্নয়ন যাত্রায় তার সবচেয়ে বড় শক্তি। স্বাধীনতার পর আমরা শূন্য থেকে শুরু করে শীর্ষকে লক্ষ্য নির্ধারিত করে একটি দীর্ঘ যাত্রাপথের সূচনা করেছিলাম। এক্ষেত্রে বিগত ৭৫ বছর ধরে যত সরকার এসেছে, তাদের সকলের প্রচেষ্টা যুক্ত রয়েছে। সমস্ত সরকার এবং নাগরিকরা সেই সময়ের প্রেক্ষিতে তাঁদের নিজস্ব পদ্ধতিতে মিলেমিশে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। আমাদের এই উদ্যোগকে আজ একটি নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে গোটা দুনিয়াকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বন্ধুগণ, ভারতের কয়েক হাজার বছরের পুরনো সংস্কৃতি আমাদের আরেকটি জিনিস শিখিয়েছে। যখন আমরা নিজেদের উন্নতির জন্য চেষ্টা করি, তখন আমরা বিশ্বের উন্নতির পরিকল্পনাও করি। আজ ভারত বিশ্বের একটি সমৃদ্ধ এবং সজীব গণতান্ত্রিক দেশ। আমাদের কাছে গণতন্ত্রের শিষ্টাচারও আছে আর গণতন্ত্রের জননী রূপে একটি গৌরবময় পরম্পরাও রয়েছে। ভারতের যত বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তত বৈচিত্র্যও রয়েছে। এই গণতন্ত্র, এই বৈচিত্র্য, এই একান্ত নিজস্ব কর্মপদ্ধতি দর্শন এই অন্তর্ভুক্তিমূলক ভাবনাচিন্তা, এই স্থানীয় জীবনশৈলী, এই আন্তর্জাতিক ভাবনার সম্ভার আজ বিশ্ব এইসব ভাবনাকে তাদের সকল প্রতিকূলতার সমাধান রূপে দেখছে। সেজন্য জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। আমরা বিশ্বকে এটা দেখিয়ে দিতে পারি যে, কিভাবে গণতন্ত্র একটি স্বয়মসম্পূর্ণ ব্যবস্থার পাশাপাশি একটি শিষ্টাচার এ���ং সংস্কৃতিও হয়ে উঠতে পারে, যা সমস্ত দ্বন্দ্ব ও বিবাদের কারণগুলিকে সমাপ্ত করে দিতে পারে। আমরা বিশ্বের প্রত্যেক মানুষকে আশ্বস্ত করতে পারি যে, প্রগতি ও প্রকৃতি উভয়ই পাশাপাশি চলতে পারে। আমরা সুদূরপ্রসারী ও স্থায়ী উন্নয়নকে নিছকই সরকারি ব্যবস্থার জায়গায় ব্যক্তিগত জীবনের অঙ্গ করে তুলতে চাই। একে বিস্তারিত করতে চাই। পরিবেশ সুরক্ষা আমাদের জন্য আন্তর্জাতিক প্রয়োজনের পাশাপাশি যাতে ব্যক্তিগত দায়িত্বে পর্যবসিত হয়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। বন্ধুগণ, আজ বিশ্ব চিকিৎসার জায়গায় আরোগ্যের অন্বেষণ করছে। আমাদের আয়ুর্বেদ, আমাদের যোগ – এগুলি নিয়ে বিশ্বে একটি নতুন বিশ্বাস এবং উৎসাহ জেগে উঠেছে। আমরা এগুলি সম্প্রসারণের জন্য একটি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি। আগামী বছর বিশ্বে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অফ মিলেটস্‌’ বা মোটাদানা শস্যের জন্য আন্তর্জাতিক বর্ষ হিসাবে পালন করা হবে। কিন্তু, আমরা তো কয়েক শতাব্দী ধরে অনেক মোটা দানার শস্যকে আমাদের রান্নাঘরে স্থান দিয়েছি। বন্ধুগণ, অনেক ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্য এতই উৎসাহজনক যে তা বিশ্বের অন্যান্য দেশেরও কাজে লাগতে পারে। উদাহরণ-স্বরূপ, ভারত উন্নয়নের ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার যেভাবে করেছে, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের জন্য যেভাবে করেছে, দুর্নীতি রোধের জন্য আমাদের দেশে যেভাবে কাজ চলছে ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস এবং ইজ অফ লিভিং-কে উৎসাহ যোগানোর জন্য যা যা করেছে, তার সবকিছুই উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য একেকটি মডেল আর অসংখ্য টেমপ্লেট তৈরি করা হয়েছে। এভাবেই আজ ভারত নারী ক্ষমতায়ন থেকে এগিয়ে গিয়ে মহিলাদের নেতৃত্বে উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রগতি আনছে। আমাদের জন ধন অ্যাকাউন্ট এবং মুদ্রা যোজনার মতো বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণকে এরকম বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা বিশ্বকে অনেক সাহায্য করতে পারে। আর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন ভারতের সভাপতিত্বে এইসব সফল অভিযানকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যেতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। বন্ধুগণ, আজকের বিশ্ব ভারতের এই সামগ্রিক নেতৃত্বের দিকে অনেক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। তা সে জি-৭ গোষ্ঠী হোক, জি-৭৭ গোষ্ঠী হোক কিংবা ইউএনজিএ হোক প্রতিটি ক্ষেত্রে এই আশা ভারতকে আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের উৎসাহ যোগাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে জি-২০ গোষ���ঠীর সভাপতি হিসাবে ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। ভারত একদিকে উন্নত দেশগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখে। আর অন্যদিকে, উন্নয়নশীল দেশগুলির দৃষ্টিকোণকেও খুব ভালোভাবে বোঝে, তাদের অভিব্যক্তির প্রকাশ মাধ্যম হয়ে ওঠে। এই ভিত্তিতে আমরা নিজেদের জি-২০ সভাপতিত্বের রূপরেখা ‘গ্লোবাল সাউথ’ – এর সেইসব বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে মিলেমিশে পালন করবো, যারা উন্নয়নের পথে অনেক দশক ধরে ভারতের সহযাত্রী হয়ে উঠেছে। আমরা চেষ্টা করব, যাতে বিশ্বে কোনও প্রথম বিশ্ব বা তৃতীয় বিশ্ব বলে কিছু না থাকে। যেখানে শুধুই একটি বিশ্ব থাকবে। ভারত গোটা বিশ্বকে একটি সাধারণ উদ্দেশ্যে, একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য সঙ্গে নিয়ে চলার দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে কাজ করছে। ভারত ‘এক সূর্য, এক পৃথিবী, এক গ্রিড’ মন্ত্র নিয়ে বিশ্বে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির বিপ্লবকে আহ্বান জানিয়েছে। ভারত ‘এক বিশ্ব, এক স্বাস্থ্য’ – এর মন্ত্র নিয়ে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করে তোলার অভিযান শুরু করেছে। আর এখন এই জি-২০ গোষ্ঠীতে আমাদের মন্ত্র হ’ল – ‘এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ ভারতের এই ভাবনা, এই শিষ্টাচার বিশ্ব কল্যাণের পথকে প্রশস্ত করছে। বন্ধুগণ, আজ আমার দেশের সমস্ত রাজ্য সরকার, সমস্ত রাজনৈতিক দল – প্রত্যেকের কাছে আমার একটি অনুরোধ, আজকের এই আয়োজন শুধুই কেন্দ্রীয় সরকারের নয়, এই আয়োজন আমাদের মতো সমস্ত ভারতবাসীর আয়োজন। জি-২০ গোষ্ঠী আমাদের জন্য, আমাদের ‘অতিথি দেবো ভবঃ’র নিজস্ব পরম্পরাকে তুলে ধরার এটা অনেক বড় সুযোগ। এই জি-২০ গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত আয়োজন শুধুই দিল্লি কিংবা কিছু স্থানে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকবে না, এর মাধ্যমে দেশের নানা প্রান্তে অসংখ্য কর্মসূচি পালিত হবে। আমাদের প্রত্যেক রাজ্যের নিজস্ব অনেক বৈশিষ্ট্য ও ঐতিহ্য রয়েছে। প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব সংস্কৃতি, নিজস্ব সৌন্দর্য্য স্বতন্ত্র আভা এবং নিজস্ব আতিথেয়তা রয়েছে। রাজস্থানের আতিথেয়তাপূর্ণ আমন্ত্রণ উচ্চারিত হয় ‘পধারো ম্‌হারে দেশ’! তেমনই গুজরাটের ভালোবাসাপূর্ণ অভিনন্দন উচ্চারিত হয় ‘তমারু স্বাগত ছে’! এভাবেই কেরলের ভালোবাসা দিয়ে মালায়লম ভাষায় বলা হয়, ‘এল্লাওয়ার্ক্কুম স্বাগতম্‌’! মধ্যপ্রদেশ স্বাগত জানায় ‘অতুল্য ভারত কা দিলমে আপ কা স্বাগত’! পশ্চিমবঙ্গের মিষ্টি বাংলায় আপনাকে স্বাগত জানানো হয় ‘আপনাকে স্বাগত জানাই একথ�� বলে’! তামিলনাডু’তে বলে ‘পদএগল মুডি – ওয়দিলএ’ তাঁরা আরও বলেন ‘ফংগল ওয়রওয় নল – ওয়র – বাহুহয়’! উত্তর প্রদেশে উচ্চারিত হয় ‘ইউপি নেহি দেখা তো ভারত নেহি দেখা’! হিমাচল প্রদেশ বলে ‘এ ডেস্টিনেশন ফর অল সিজনস্‌ অ্যান্ড অল রিজনস্‌’ অর্থাৎ, প্রত্যেক ঋতু ও প্রত্যেক কারণে আমরা গন্তব্য হয়ে উঠতে পারি! উত্তরাখন্ড বলে, ‘সিম্পলি হেভেন’ বা ‘প্রকৃত স্বর্গ’ – এটাই আতিথেয়তা। এই বৈচিত্র্য বিশ্বকে বিস্মিত করে। জি-২০ গোষ্ঠীর মাধ্যমে আমাদের এই ভালোবাসাকে বিশ্বের সর্বোত্র পৌঁছে দিতে হবে। বন্ধুগণ, আগামী সপ্তাহে আমাকে ইন্দোনেশিয়া যেতে হবে। সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব প্রদানের ঘোষণা করা হবে। আমি দেশের সমস্ত রাজ্য ও রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই, তারা যেন নিজেদের রাজ্যের ভূমিকাকে যথাসম্ভব সম্প্রসারিত করেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের রাজ্যকে লাভবান করে তুলুন। দেশের সমস্ত নাগরিক ও বুদ্ধিজীবীরা এই আয়োজনের অংশ হয়ে ওঠার জন্য এগিয়ে আসুন। এখন যে ওয়েবসাইট-টির উদ্বোধন হ’ল, সেখানে আপনারা নিজেদের পরামর্শ পাঠাতে পারেন। নিজেদের ভাবনাচিন্তাকে তুলে ধরতে পারেন। বিশ্ব কল্যাণের জন্য ভারত কিভাবে নিজের ভূমিকাকে সম্প্রসারিত করবে, সেই লক্ষ্যে আপনাদের পরামর্শ এবং অংশীদারিত্ব জি-২০ গোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলনের মতো আয়োজনকে সাফল্যের নতুন উচ্চতা প্রদান করবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই আয়োজন শুধু ভারতের জন্য স্মরণীয় হয়ে উঠবে না, ভবিষ্যতে বিশ্ব ইতিহাসে এই সম্মেলনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন হিসাবে মনে রাখবে। এই প্রত্যাশা নিয়ে আপনাদের সকলকে আরেকবার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ!","ভাৰতৰ জি-২০ নেতৃত্বৰ বাবে লোগো, থীম আৰু ৱেবছাইট উন্মোচন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অনুবা" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%87%E0%A6%9A-%E0%A6%8F%E0%A6%87%E0%A6%9A-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%96-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%9F/,"প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী মাননীয় প্রমুখ স্বামী মহারাজের জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনকরেছেন। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “পৃথিবী জুড়েলক্ষ লক্ষ ভক্তের সঙ্গে যোগ দিয়ে আমিও মহামান্য প্রমুখ স্বামী মহারাজ’কে তাঁরজন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানাই। তিনি ছিলেন এক অস���মান্য আত্মা, যার দৃষ্টান্তমূলকপরিষেবা আর মানবিক প্রয়াস অসংখ্য জীবনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। মহামান্যপ্রমুখ স্বামী মহারাজের বিচক্ষণ চিন্তাধারা আজও সব বাধা অতিক্রম করে মানুষকে পথদেখায়। আমরা অভাবী, দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষদের জীবনে রূপান্তর ঘটাতে তাঁর স্বপ্নদ্বারা আজও প্রভাবিত হই। মহামান্যপ্রমুখ স্বামী মহারাজের সঙ্গে আমার ছিল এক বিশেষ সম্পর্ক। তাঁর সঙ্গে আমি যে সময়কাটিয়েছি, তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ওঁর আশীর্বাদ পেয়ে আমি ধন্য। আমি ওঁর সম্পর্কে গতবছর সারংপুরে যা বলেছিলাম, তা এই লিঙ্কে দেওয়া আছে – https://www.youtube.com/watch?v=aza…",এইচ এইচ প্ৰমূখ মহাৰাজৰ জয়ন্তী উপলক্ষে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শ্ৰদ্ধাঞ্জলি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D-5/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%88-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7/,"নতুন দিল্লি, ১৪ই অক্টোবর, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিজয়া দশমীর পুণ্যলগ্নে ১৫ই অক্টোবর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বেলা ১২টা ১০ মিনিটে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখবেন। এই অনুষ্ঠানে ৭টি নতুন প্রতিরক্ষা সংস্থা জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হবে। অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। ৭টি নতুন প্রতিরক্ষা সংস্থা – সরকার অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডকে সরকারী দপ্তর থেকে পরিবর্তন করে ৭টি ১০০ শতাংশ সরকারী নিয়ন্ত্রিত নিগম হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আত্মনির্ভরতার জন্য দেশকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে উপযুক্ত করে তুলতে এই সিদ্ধান্ত। এর ফলে কার্যক্ষেত্রে স্বায়ত্ত্ব শাসন ও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে উন্নয়নের সম্ভাবনা এবং উদ্ভাবন আরো বাড়বে। যে ৭টি নতুন প্রতিরক্ষা সংস্থা হবে, সেগুলি হল : মিউনিশন ইন্ডিয়া লিমিটেড (এমআইএল); আরমার্ড ভেহিক্যালস নিগম লিমিটেড (অবনি); অ্যাডভান্সড উইপনস অ্যান্ড ইক্যুইপমেন্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড (এডব্লুই ইন্ডিয়া); ট্রুপ কমফোর্টস লিমিটেড (টিসিএল); যন্ত্র ইন্ডিয়া লিমিটেড (ওয়াইআইএল); ইন্ডিয়া অপটেল লিমিটেড (আইওএল) এবং গ্লিডার্স ইন্ডিয়া লিমিটেড (জিআইএল)।",নতুনকৈ স্থাপিত প্ৰতিৰক্ষা বাহিনীৰ ৭টা প্ৰতিষ্ঠানক ৰাষ্ট্���ৰ নামত উচৰ্গা কৰি এক অনুষ্ঠানত ভিডিঅ যোগে ভাষণ প্ৰদান কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%A4-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A4%E0%A6%BF/,"চিরাচরিতচিকিৎসাপদ্ধতি ক্ষেত্রে ভারত ও ইরানের মধ্যে মউ স্বাক্ষরের একটি প্রস্তাবে আজঅনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেঅনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার এই বৈঠক। মউটি স্বাক্ষরিতহলে দু’দেশের মধ্যে চিরাচরিত এবং ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাপদ্ধতি ক্ষেত্রে সহযোগিতারবিষয়টি বিশেষ গভীরতা লাভ করবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ভেষজ গাছপালাসম্পর্কে তথ্য, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার বিনিময়ও এর ফলে বিশেষভাবে উৎসাহিত হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের দিক থেকে অনেক ক্ষেত্রেই ভারত ও ইরান পরস্পরেরঅংশীদার। দুটি দেশেই রয়েছে এক বিশাল জীববৈচিত্র্যের সম্ভার। এছাড়াও, বিরল ভেষজগাছপালারও প্রচুর সমাবেশ ঘটেছে এই দুটি দেশে। চিরাচরিত চিকিৎসাপদ্ধতিক্ষেত্রেভারতের ভূমিকা ও নেতৃত্বদানের বিষয়টিও বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছে ইরানে। এইসমস্ত বিষয় বিবেচনা করেই ভারত ও ইরানের মধ্যে এই সহযোগিতা প্রসারের উদ্যোগ গ্রহণকরা হয়। /",পৰম্পৰাগত চিকিৎসা পদ্ধতিৰ ক্ষেত্ৰত সহযোগিতা আগবঢ়োৱাৰ অৰ্থে ভাৰত আৰু ইৰাণৰ মাজত বুজাবুজি চুক্তি স্বাক্ষৰত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%AE%E0%A7%88%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B1%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80-%E0%A6%A8/,"নয়াদিল্লি, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ১৫৩ কিউসেক করে কুশিয়ারা নদীর জল বন্টন সম্পর্কিত যে মউটি এ মাসের ৬ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত হয়েছিল, সে সম্পর্কে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে অবহিত করা হয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এই মউ স্বাক্ষরের ফলে শুখা মরশুমে অর্থাৎ, ১ নভেম্বর থেকে ৩১ মে এই সময়কালে আসাম ওই নদী থেকে ১৫৩ কিউসেক জল ব্যবহার করতে পারবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশও তার অভ্যন্তরীণ প্রয়োজন মেটাতে সমপরিমাণ জল কুশিয়ারা নদী থেকে সংগ্রহ করতে পারবে। শুখা মরশুমে দুটি দেশের মধ্যে এই জল বন্টনের বি���য়টির ওপর নজর রাখতে এক যৌথ নজরদারি টিমও গঠন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ কর্মপরবর্তী অনুমোদন দেওয়া হল স্বাক্ষরিত মউটিকে। /",উমৈহতীয়া সীমান্তৱৰ্তী নদী কুশিয়াৰাৰপৰা ভাৰত আৰু বাংলাদেশে ১৫৩ কিউছেকলৈকে পানী প্ৰত্যাহাৰৰ ক্ষেত্ৰত ভাৰত আৰু বাংলাদেশৰ মাজৰ বুজাবুজিৰ চুক্তিত কেবিনেটৰ অনুমোদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%97%E0%A7%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%97%E0%A7%9C%E0%A7%B0-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছত্তিশগড়ের তপশিলি উপজাতির তালিকায় সংশোধনের জন্য সংবিধান (তপশিলি জাতি ও উপজাতি) আদেশ (সংশোধন) বিল, ২০১৬-তে সরকারি সংশোধনের বিষয়টি অনুমোদিত হয়েছে। এই সংশোধনের ফলে উপজাতির তালিকায় আরও কয়েকটি গোষ্ঠীর নাম যুক্ত করা হবে। এই গোষ্ঠীগুলির মধ্যে রয়েছে – ভুঁঞয়া, ধানোয়ার, নাগাশিয়া, ওঁরাও, সাওয়ার প্রভৃতি। ২০১৬-র এই বিলটি সংবিধান আদেশ (সংশোধনী) বিল, ২০১৯ হিসাবেও গণ্য করা যেতে পারে। বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পর ছত্তিশগড়ের তপশিলি উপজাতির সংশোধিত তালিকায় নতুনভাবে নথিভুক্ত গোষ্ঠীগুলি সরকারের বর্তমান প্রকল্পগুলির আওতায় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়াও, সরকারের নীতি অনুযায়ী চাকরিতে সংরক্ষণের পাশাপাশি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়াশুনার জন্য যে সুবিধা রয়েছে, সেগুলিও তাঁরা গ্রহণ করতে পারবেন।",ছত্তিশগড়ৰ অনুসূচীত জাতিৰ তালিকাখন সংশোধনৰ প্রস্তাৱলৈ কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0-18/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D/,"আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার! আজ ‘রামনবমী’ পার্বণ। রামনবমী-র এই পবিত্র দিনে দেশবাসীকে জানাই আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা! পূজনীয় বাপুজীর জীবনে রামনামের মাহাত্ম্য কতটা ছিল, তা আমরা ওঁর জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেই দেখেছি। গত ২৬-শে জানুয়ারি, ‘আসিয়ান গোষ্ঠী’ভুক্ত দেশগুলির প্রতিনিধিরা এখানে এসেছিলেন এবং সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দল। অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে, ত��দের মধ্যে অধিকাংশ দেশ আমাদের সামনে ‘রামায়ণ’ উপস্থাপিত করেছিল। অর্থাৎ, শুধু ভারতেই নয়, পৃথিবীর এই ভূখণ্ডে ‘আসিয়ান গোষ্ঠী’ভুক্ত দেশগুলিতেও রাম ও রামায়ণের প্রেরণা ও প্রভাব আজও ততটাই। আমি আরও একবার আপনাদের সবাইকে ‘রামনবমী’র শুভকামনা জানাচ্ছি! আমার প্রিয় দেশবাসী, প্রতিবারের মত এবারেও আমি আপনাদের কাছ থেকে প্রচুর চিঠি, ই-মেইল, ফোন কল ও মতামত পেয়েছি। কোমল ঠাক্কর সংস্কৃতের ‘অনলাইন কোর্স’ শুরু করার বিষয়ে mygov–এ যা লিখেছেন, সেটা আমি পড়েছি। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী হওয়ার পাশাপাশি সংস্কৃতের প্রতি আপনার এই অনুরাগ দেখে আমার খুব ভাল লাগল। আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এই বিষয়ে আপনাকে যাবতীয় তথ্য জানানোর জন্য বলেছি। ‘মন কি বাত’-এর যে সমস্ত শ্রোতা সংস্কৃত নিয়ে কাজ করছেন, আমি তাঁদেরকেও অনুরোধ করছি, কোমল ঠাক্কর-এর এই প্রস্তাবকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে। ‘নরেন্দ্রমোদী অ্যাপ’-এ বিহারের নালন্দা জেলার বরাকর গ্রামের শ্রী ঘণশ্যাম কুমার-এর মতামত পড়েছি। ভূগর্ভস্থ জলস্তর কমে যাওয়া প্রসঙ্গে আপনি যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। কর্ণাটকের শ্রী শকল শাস্ত্রী খুব সুন্দর ভাষায় লিখেছেন, ‘আয়ুষ্মাণ ভারত’ তখনই সম্ভব, যখন ‘আয়ুষ্মাণ ভূমি’ হবে। আর ‘আয়ুষ্মাণ ভূমি’ তখনই হতে পারে, যখন আমরা এই ভূমিতে বসবাসকারী প্রতিটি প্রাণির খেয়াল রাখব। আপনি গ্রীষ্মকালে পশু-পাখিদের জন্য জলের ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। শকল-জী, আপনার ভাবনা আমি সব শ্রোতা বন্ধুর কাছে পৌঁছে দিয়েছি। শ্রী যোগেশ ভদ্রেশা-র বক্তব্য, আমি যেন এবার যুবাদের স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে কিছু বলি। ওঁর মতে, অন্যান্য এশিয় দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশের যুবারা শারীরিকভাবে দুর্বল। যোগেশ-জী, আমি ভেবেছি, এবার স্বাস্থ্য বিষয়ে সবার সঙ্গে বিশদে কথা বলব, ‘Fit India’-র কথা বলব, আর আপনাদের মত নব্যযুবকরাই ‘Fit India’ কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। কিছুদিন আগে ফ্রান্সের মাননীয় রাষ্ট্রপতি কাশী গিয়েছিলেন। বারাণসীর শ্রী প্রশান্ত কুমার লিখেছেন, সেই যাত্রার সব দৃশ্য তাঁর মন ছুঁয়ে গেছে, তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি আগ্রহ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, সেই সব ছবি, ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা উচিৎ। প্রশান্ত-জী, ভারত সরকার ঐদিনই সব ছবি সোস্যাল মিডিয়া এবং ‘নরেন্দ্রমোদী অ্যাপ’-এ শেয়ার করেছে। আপনার�� সেগুলি ‘লাইক’ করে, ‘রি-ট্যুইট’ করে আপনাদের পরিচিত মহলে ছড়িয়ে দিন। চেন্নাই থেকে অঙ্ঘা ও জায়েশ আর অনেক শিশুই ‘একজাম ওয়ারিয়ার’ বইয়ের শেষে যে Gratitude Cards দেওয়া আছে, সেখানে ওরা নিজেদের মনে যে যে ভাবনা এসেছে, সেগুলিই লিখে আমার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। অঙ্ঘা, জায়েশের মত সব শিশুকেই বলতে চাই যে, তাদের পাঠানো এই সব চিঠি পড়লে আমার সারা দিনের ধকল, পরিশ্রম একদম ছু-মন্তর হয়ে উড়ে যায়। এত সব চিঠি, এত এত ফোন কল, মতামত, তার মধ্যে যেগুলো আমি পড়ে উঠতে পেরেছি, যেগুলি শুনতে পেরেছি এবং এই সবের মধ্যে অনেক বিষয়ই রয়েছে যা আমার মন-হৃদয়কে স্পর্শ করেছে। আমি যদি শুধু তাদের বিষয়েই কথা বলতে থাকি, মনে হয়, সারা মাস ব্যপী টানা কথা বললেও বোধহয় আমাকে এই সব কথাই চালিয়ে যেতে হবে। এবারের বেশিরভাগ চিঠিই পেয়েছি শিশুদের কাছ থেকে। তারা তাদের পরীক্ষার কথা লিখেছে, ছুটির পরিকল্পনা ভাগ করেছে, এই গরমে পশু-পাখিদের জলকষ্টের কথাও চিন্তা করেছে। ‘কিষাণ মেলা’ ও চাষবাস নিয়ে সারা দেশে যে কর্মকাণ্ড চলছে, সেই বিষয়েও কৃষক ভাই-বোনেরা আমায় চিঠি পাঠিয়েছেন। জলসংরক্ষণ বিষয়ে কিছু সচেতন নাগরিক আমাকে পরামর্শ পাঠিয়েছেন। যখন থেকে আকাশবাণীর মাধ্যমে আমরা এই জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’ প্রচার করছি, তখন থেকেই আমি লক্ষ্য করছি, এই গ্রীষ্মকাল ও গরমের সংকট নিয়ে বেশি বেশি চিঠি আসছে। পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থী বন্ধুদের কাছ থেকেও তাদের পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তার চিঠিও আমি পাচ্ছি। উৎসবের মরশুমে আমাদের নানান উৎসব, আমাদের সংস্কৃতি ও পরম্পরা নিয়েও অনেক চিঠি আসছে। অর্থাৎ, এই ‘মন কি বাত’ মরশুম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে, যা কিনা এই ‘মন কি বাত’ কারও কারও জীবনের মরশুমও বদলে দিচ্ছে। তাছাড়া, বদলাবে নাই বা কেন, আপনাদের পাঠানো এই সব চিঠির ছত্রে ছত্রে আপনাদের অনুভবের কথা, আপনাদের প্রেরণা, আপনজনের ভাষা এবং সেই সঙ্গে নিজের মাতৃভূমির প্রতি দায়বদ্ধতার কথাও বারে বারে উঠে এসেছে। আর এই সব ভাবনাই দেশের আমূল পরিবর্তনের শক্তি ধরে। যখন আপনাদের পাঠানো চিঠি পড়ে আমি জানতে পারি যে, আসামের করিমগঞ্জের এক রিক্সাচালক আহমদ আলি, নিজের ইচ্ছাশক্তিতে ভর করে গরীব শিশুদের জন্য নয়টি স্কুল বানিয়ে দিয়েছেন, তখনই এই দেশের অদম্য ইচ্ছাশক্তির পরিচয় পাই। যখন আমি কানপুরের ডাক্তার অজিত মোহন চৌধুরীর কাহিনি শুনতে পাই, যিনি, ফুটপাথে ফুটপাথে ঘুরে এই ডাক্���ার ফুটপাথবাসী ভাই-বোনেদের চিকিৎসা করেন এবং বিনামূল্য ওষুধও দেন—তখনই এদেশের সহমর্মিতা এবং মনুষ্যত্বের জন্য গর্ব হয়। তের বছর আগে সময় মত চিকিৎসার অভাবে কলকাতার ট্যাক্সিচালক সইদুল লস্করের বোনের মৃত্যু হয়। সইদুল তখনই হাসপাতাল তৈরি শপথ নেন, যাতে চিকিৎসার অভাবে কোনও গরীব মানুষ মারা না যান। এই প্রতিজ্ঞার জন্য সইদুল নিজের ঘরের গয়না বেচেন, মানুষের কাছ থেকে জনে জনে দান সংগ্রহ করেন, এবং ট্যাক্সি আরোহীরাও তাঁকে আর্থিক সাহায্য করেন। এক ইঞ্জিনিয়ার তরুণী তো তাঁর প্রথম মাইনে সইদুলকে দিয়ে দেন। এইভাবে তিল তিল করে অর্থ সংগ্রহ করে বারো বছর বাদে অসম্ভবকে সম্ভব করে সইদুল কলকাতার উপকণ্ঠে পুনরি গ্রামে তিরিশ শয্যাবিশিষ্ট এক হাসপাতাল নির্মাণ করেন। এটাই হল ‘New India’-র সক্তি। যখন উত্তর প্রদেশের এক মহিলা নিজের লড়াই লড়েও একশো পঁচিশটি শৌচালয় নির্মাণ করেন নিজের অদম্য চেষ্টায়, তখন আশপাশের অন্যান্য মহিলারাও দারুণ উৎসাহিত হন। এটাই নতুন মাতৃশক্তির প্রকাশ। এরকমই অনেক অনেক প্রেরণা যোগানো ঘটনা আমার দেশের পরিচয় বহন করে। আজ সারা বিশ্বই ভারতবর্ষকে অন্য চোখে দেখে। আজ যখন ভারতবর্ষের নাম অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে উচ্চারিত হয়, তখন এর পেছনে এই দেশের সন্তান-সন্ততিদের উদ্যম লুকিয়ে থাকে। আজ, সারা দেশের যুব সম্প্রদায়, মহিলা, পিছিয়ে পড়া মানুষ, গরীব, মধ্যবিত্ত — সব সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেই এই বিশ্বাসটা জন্মেছে যে, হ্যাঁ, আমরা উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারি। আমার দেশও প্রগতির পথে এগিয়ে যেতে পারে। আজ, আশা-আকাঙ্ক্ষায় ভরা আত্মবিশ্বাসের এক ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই আত্মবিশ্বাস, এই ইতিবাচক মানসিকতা ‘New India’-র সঙ্কল্পকে বাস্তবায়িত করবে, স্বপ্ন সার্থক হবে। আমার প্রিয় দেশবাসী, আগামী কয়েক মাস কৃষক ভাই-বোনেদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। কারণ চাষবাস সম্পর্কিত প্রচুর চিঠি এসেছে। এই বার আমি দূরদর্শনের ‘ডি ডি কিষাণ’ চ্যানেলে কৃষক বন্ধুদের সঙ্গে যে আলোচনা করেছি, সেই অনুষ্ঠানের ভিডিও আমি দেখেছি, এবং আমার মনে হয়েছে দূরদর্শনের এই ‘ডি ডি কিষাণ’ চ্যানেল সমস্ত কৃষকবন্ধুদেরই দেখা উচিৎ। সেই সঙ্গে কৃষি পরামর্শগুলি নিজের নিজের ক্ষেতে প্রয়োগ করা উচিৎ। মহাত্মা গান্ধীর কথাই যদি ধরি, বা শাস্ত্রীজী কি লোহিয়াজী বা চৌধুরী চরণ সিং বা চৌধুরী দেবীলাল জী — এঁরা প্রত্যেকেই কৃষি ও কৃষকভাইদের এই দেশের অর্থব্যবস্থা ও জনজীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করতেন। মাটি, ক্ষেত-খামার এবং কৃষক ভাইদের প্রতি মহাত্মা গান্ধীর কতটা অনুরাগ ছিল, তা তাঁর বক্তব্যে ভীষণ উজ্জ্বল ভাবে ধরা দেয়। তিনি বলেছিলেন, “To forget how to dig the Earth and to tend the soil, is to forget ourselves” তার মানে, পৃথিবীকে কর্ষণ করা আর মৃত্তিকার যত্ন রাখা যদি আমরা ভুলে যাই, তাহলে, এটা স্বয়ং নিজেকে ভুলে যাওয়ার মত হবে। শ্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী বৃক্ষ, উদ্ভিদ, অরণ্য ইত্যাদির সংরক্ষণ এবং উন্নততর কৃষি-প্রক্রিয়ার আবশ্যকতার উপর সর্বদা গুরুত্ব দিতেন। ডঃ রামমনোহর লোহিয়া আমাদের কৃষকদের জন্য উন্নততর উপার্জন, উন্নততর সেচ-ব্যবস্থা আর এই সব বিষয়কে সুনিশ্চিত করার জন্য এবং খাদ্য ও দুগ্ধ উৎপাদনকে বাড়ানোর জন্য সার্বিক জনজাগরণের কথা বলেছিলেন। ১৯৭৯ সালে চৌধুরী চরণ সিং তাঁর ভাষণে কৃষকদের নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ ও নতুন আবিষ্কার করার জন্য আবেদন করেছিলেন, এর আবশ্যকতার উপর জোর দিয়েছিলেন। আমি কিছুদিন আগে দিল্লিতে আয়োজিত কৃষি-উন্নতি মেলায় গিয়েছিলাম। ওখানে কৃষক ভাই-বোন এবং বৈজ্ঞানিকদের সঙ্গে আমার আলোচনা। কৃষি সংক্রান্ত অনেক অভিজ্ঞতাকে জানা, বোঝা, কৃষি সংক্রান্ত নতুন আবিষ্কারের বিষয়ে জানা — এ সবই আমার জন্য এক আনন্দদায়ক অনুভূতি তো ছিলই, কিন্তু যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছিল তা হল মেঘালয়ের কৃষকদের পরিশ্রমের কাহিনি। স্বল্প ভূমির এই রাজ্য এক বিশাল কাজ করে দেখিয়েছে। আমাদের মেঘালয়ের কৃষকরা ২০১৫-১৬ বর্ষে বিগত পাঁচ বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন করেছে। ওঁরা দেখিয়েছেন, যদি লক্ষ্য স্থির থাকে, পূর্ণ আত্মবিশ্বাস থাকে, মনে প্রতিজ্ঞা থাকে তাহলে সব সম্ভব করে তোলা যায়। আজ, কৃষকদের পরিশ্রমের সঙ্গে প্রযুক্তির মিলন হয়েছে। যার ফলে কৃষি-উৎপাদকদের যথেষ্ট শক্তি লাভ হচ্ছে। আমার কাছে যে চিঠি এসেছে, তাতে আমি দেখলাম, অনেক কৃষক বন্ধুরা ndia’র ছবিটি একেবারেই আলাদা : এ এমন এক ভারতবর্ষ যা আম্বেদকরের, যা গরিবের, যা সব পিছিয়ে পড়া মানুষের। ডক্টর আম্বেডকরের জন্মজয়ন্তীকে ঘিরে ১৪ই এপ্রিল থেকে ৫ই মে সারা দেশে ‘গ্রাম স্বরাজ অভিযান’-এর আয়োজন করা হচ্ছে। দেশব্যাপী এই অভিযানে থাকবে গ্রামোন্নয়ন, দরিদ্রকল্যাণ আর সামাজিক ন্যায়ের নানান কার্যক্রম। আপনাদের প্রতি আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ যে, এই জাতীয় অভিযানে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিন। আমার প্রিয় দেশবাসী, কিছুদিনের মধ্যেই পরপর অনেকগুলি উৎসব, পার্বন আসছে : মহাবীর জয়ন্তী, হনুমান জয়ন্তী, ইস্টার আর বৈশাখী। মহাবীর জয়ন্তী ভগবান মহাবীরের ত্যাগ আর তপস্যাকে স্মরণ করার দিন। অহিংসার প্রচারক ভগবান মহাবীরের জীবন আর দর্শন আমাদের কাছে প্রেরণা। সকল দেশবাসীকে আমি জানাই মহাবীর জয়ন্তীর শুভেচ্ছা। ইস্টার এলেই আমাদের মনে করি য়ে দেয় যীশু খ্রীষ্টের কথা, যিনি চেয়েছিলেন মানবতার শান্তি, শুনিয়েছিলেন সদ্ভাব, ন্যায়, দয়া আর করুণারবাণী। এপ্রিল মাসে পঞ্জাব আর পশ্চিম ভারতে বৈশাখীর উৎসব পালিত হবে, ওই সময় বিহারে জুড়শিতল এবং সতুবাইন, আসামে বিহু এবং পশ্চিমবঙ্গে পয়লা বৈশাখের আনন্দ-উল্লাসে ছেয়ে থাকবে। এই সমস্ত পার্বণ কোনও না কোনও ভাবে আমাদের কৃষিকাজ ও অন্নদাতাদের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে। এই সব উৎসবের মাধ্যমে আমরা ফসল হিসেবে পাওয়া অমূল্য উপহারের জন্য প্রকৃতিকে ধন্যবাদ দিই। আবার একবার আপনাদের সবাইকে আসন্ন সকল উৎসবের অনেক শুভকামনা জানাই! অনেক অনেক ধন্যবাদ!","আকাশবাণীত মন কী বাত অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ লিখিত ৰূপ (২৫ মাৰ্চ, ২০১৮)" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%A7%E0%A7%A6%E0%A7%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%9F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ২ নভেম্বর ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১০৬ বছর বয়সী শ্যাম শরণ নেগি-র প্রশংসা করলেন ৩৪ বার ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করেছেন : “এটা অভিনন্দনযোগ্য এবং তরুণ ভোটদাতাদের কাছে অনুপ্রেরণাস্বরূপ যাতে তাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেন।”",ভোটাধিকাৰ সাব্যস্ত কৰাৰ বাবে ১০৬ বছৰীয়া শ্যাম চৰণ নেগীক প্ৰশংসা প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B6-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E2%80%8C-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%B6-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%9B-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8-%E0%A7%A8%E0%A7%A6/,"নয়াদিল্লি, ২৩ জুন, ২০২২ মাননীয় রাষ্ট্রপতি শি, মাননীয় রাষ্ট্রপতি রামাফোসা, মাননীয় রাষ্ট্রপতি বোলসোনারো, মাননীয় রাষ্ট্রপতি পুতিন, প্রথমেই আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে ব্রিকস্‌ রাষ্ট্রগুলিতে যে সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, তার জন্য আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাই। আপনাদের কাছ থেকে যে সহযোগিতা পেয়েছি, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। সুধীবৃন্দ, আজ পরপর তিন বছর ধরে কোভিড অতিমারীর কারণে আমরা ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করছি। যদিও আগের থেকে এই অতিমারীর প্রভাব বিশ্বে কমেছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব এখনও অনুভূত হচ্ছে। আমরা, ব্রিকস্‌ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি আন্তর্জাতিক অর্থনীতির প্রশাসনের বিষয়ে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করি। আর তাই, আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার ফলে কোভিড পরবর্তী সময়ে বিশ্ব জুড়ে অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে আমরা প্রয়োজনীয় ভূমিকা নিতে পেরেছি। বিগত বছরগুলিতে ব্রিকস্‌ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি বেশ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের কাজ করেছে। এর ফলে, এই প্রতিষ্ঠানের কার্যকরিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি খুবই আনন্দের বিষয়। আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সদস্য রাষ্ট্রগুলির নাগরিকরা সরাসরি উপকৃত হচ্ছেন। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, টিকার উন্নয়ন ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা, শুল্ক সংক্রান্ত দপ্তরগুলির মধ্যে সহযোগিতা, কৃত্রিম উপগ্রহের বিষয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়া, চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জামের ক্ষেত্রে স্বীকৃতি সহ নানা বিষয়ে এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে। ব্রিকস্‌ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে এ ধরনের বাস্তবোচিত পদক্ষেপ এই প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অনন্য পরিচিতি দিয়েছে, এই সংস্থার সদস্যরা এখন আর শুধু নিজেদের আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেনি। ব্রিকস্‌ যুব সম্মেলন, ব্রিকস্‌ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আমাদের সুশীল সমাজের মধ্যে আদান-প্রদান বৃদ্ধি এবং নীতি-নির্ধারকদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ফলে এই গোষ্ঠীর দেশগুলির নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগ বেড়েছে। আজকের আলোচনা থেকে যে সিদ্ধান্তগুলি পাওয়া যাবে, তা ব্রিকস্‌ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে বলে আমি নিশ্চিত। ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দিতে ছিল",দ্বাদশ ব্ৰিকছ সন্মিলন ২০২২ত প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদীৰ উদ্বোধনী মন্তব্যৰ অসমীয়া অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%A3%E0%A6%B0%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A3%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%93-%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE/,"প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লিতে শ্রী লক্ষ্মণরাও ইনামদারের জন্ম শতবর্ষউপলক্ষে আয়োজিত সহকার সম্মেলনে যোগ দেন। অনুষ্ঠানেভাষণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ হচ্ছে ‘বহুরত্ন বসুন্ধরা’, যেখানে দেশেরবিভিন্ন অঞ্চলে ও বিভিন্ন সময়ে বহু মানুষ দেশের জন্য বিরাট অবদান রেখে গেছেন। তিনিবলেন, এঁদের মধ্যে কিছু মানুষ হয়তো বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন এবং গণমাধ্যমে তাঁদেরকথা বলা হয়। তবে, এমন বেশ কিছু মানুষ আছেন যাঁরা প্রায় অপরিচিত থেকে গেলেও দেশেরজন্য মূল্যবান অবদান রেখে গেছেন। শ্রী মোদী বলেন, উকিল সাহেব – লক্ষ্মণরাও ইনামদার–ছিলেন এরকমই এক মানুষ। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে সমবায় আন্দোলনের প্রথম নীতিপ্রসঙ্গে সবাইকে একত্রিত করার ওপর জোর দেন। যদিও, ব্যক্তিগতভাবে অজ্ঞাত থাকার কথাওতিনি বলেন। শ্রী ইনামদার জীবনে এই নীতিতে বিশ্বাস করতেন এবং তাঁর জীবন মানুষেরকাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। ২০২২ সালেরমধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যের কথা প্রধানমন্ত্রী বলেন। এছাড়া, গ্রাম ওশহরের মধ্যে উন্নয়নের সমতা রাখার কথাও তিনি তুলে ধরেন। এই লক্ষ্য অর্জনে সমবায়আন্দোলন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। সমবায়আন্দোলনের মূল সুরটিকে ধরে রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, এইআন্দোলন এখনও গ্রামাঞ্চলে কার্যকর রয়েছে। তিনি শ্রী ইনামদারের মন্ত্র ‘বিনাসংস্কার, নেহি সহকার’-এর কথা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীবলেন যে, বর্তমানে কৃষকরা খুচরো বাজার থেকে জিনিসপত্র কেনেন এবং পাইকারি বাজারেতাঁদের উৎপাদিত পণ্যদ্রব্য বিক্রি করেন। এই প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করেমধ্যস্বত্ত্বভোগীদের সরিয়ে কৃষকদের আয় বাড়ানোর কথা প্রধানমন্ত্রী বলেন। দুগ্ধসমবায়গুলির উদাহরণ তুলে ধরে শ্রী মোদী বলেন যে, সমবায় আন্দোলনের মধ্যে মানুষেরসমস্যার সমাধানের ক্ষমতা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভারতীয় সমাজের সঙ্গে সমবায়আন্দোলনের এক স্বাভাবিক যোগাযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে নিমেরপ্রলেপযুক্ত ইউরিয়া, মৌমাছি পালন এবং সামুদ্রিক লতার চাষের কথা তুলে ধরে, এইসবক্ষেত্রে সমবায় আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রীদুটি পুস্তকও প্রকাশ করেন। একটি হল শ্রী লক্ষ্মণরাও ইনামদারের ওপর এবং ��ন্যটিরশিরোনাম ‘নাইন জেম্‌স অফ ইন্ডিয়ান কো-অপারেটিভ মুভমেন্ট’। তিনি এই উপলক্ষে সমবায়ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পুরস্কারও প্রদান করেন। / .",লক্ষ্মণৰাও ইমানদাৰৰ জন্ম শতবাৰ্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সহকাৰ সন্মিলনত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ উপস্থিতি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D/,"প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার, ১৯শে মে, জম্মুতে শের-ই-কাশ্মীর কৃষি-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অন্য এক অনুষ্ঠানে তিনি পাকালদুল বিদ্যুৎ প্রকল্প ও জম্মু রিং রোডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। শ্রীমাতা বৈষ্ণোদেবী মন্দির পরিষদের টেরাকোটে মার্গ ও মেটিরিয়াল রোপওয়েরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। শের-ই-কাশ্মীর কৃষি-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি পরিবর্তন নিয়ে আসছে। দেশের যুবসম্প্রদায়, প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। কৃষকদের স্বার্থে প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ ঘটিয়ে কৃষিক্ষেত্রে এক নতুন ‘সংস্কৃতি’ গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি ও সিদ্ধান্তগুলির উদ্দেশ্যই হল কৃষকদের আয় বাড়ানো। বৈজ্ঞানিক প্রয়াস, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রকে লাভজনক পেশায় পরিণত করতে স্নাতক স্তরের পড়ুয়ারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে প্রধানমন্ত্রী আস্থা ব্যক্ত করেন। পাকালদুল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিকে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন, অন্যদিকে আর একটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ায় ঐ দিনটি নিঃসন্দেহে অনন্য। দেশে উন্ন্যনের দিক থেকে পিছিয়ে পড়া অংশগুলির সার্বিক অগ্রগতির জন্য ‘বিচ্চিন্ন না রেখে সেগুলিকেও বিকাশের পথে সামিল করার’ লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। শ্রী মোদী আরও বলেন, টেরাকোটে মার্গ মাতা বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে তীর্থযাত্রীদের একটি বিকল্প রাস্তা প্রদান করবে। পর্যটন বিশেষ করে, আধ্যাত্মিক পর্যটন জম্মু ও কাশ্���ীরে আয়ের একটি অন্যতম উৎস বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। /….","জম্মুত প্ৰধানমন্ত্ৰী; শ্বেৰ-ই-কাশ্মীৰ কৃষি বিজ্ঞান আৰু প্ৰযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ৰ দীক্ষান্ত সমাৰোহত অংশগ্ৰহণ, আন্তঃগাথনিমূলক প্ৰকল্পৰ আধাৰশিলা স্থাপন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A7%B1%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BF/,"নয়াদিল্লি, ২৪ আগস্ট ২০২২ পাঞ্জাবের রাজ্যপাল শ্রী বানোয়ারি লাল পুরোহিতজি, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভগবন্ত মানজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী ডা. জিতেন্দ্র সিং-জি, সংসদে আমার সহকর্মী শ্রী মণীষ তিওয়ারিজি, সমস্ত চিকিৎসক, গবেষক, প্যারা-মেডিক কর্মী, অন্যান্য কর্মী এবং আমার বোন ও ভাইয়েরা যাঁরা পাঞ্জাবের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে এসেছেন। স্বাধীনতার অমৃতকালে দেশ এক নতুন সঙ্কল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে। দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নতির প্রতিফলন আজকের এই অনুষ্ঠান। পাঞ্জাব, হরিয়ানা এমনকি জম্মু-কাশ্মীরের জনসাধারণও হোমি ভাবা ক্যান্সার হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার-এর সুবিধা পাবেন। আজ আমি এই অঞ্চলের প্রতি অন্য একটি কারণে আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পাঞ্জাব হল স্বাধীনতা সংগ্রামী, বিপ্লবী এবং দেশভক্ত মানুষের পবিত্র ভূমি। পাঞ্জাব তার এই ঐতিহ্য ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযানের সময়েও বজায় রেখেছে। আজ ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযানকে সফল করে তোলার জন্য আমি পাঞ্জাবের জনসাধারণ বিশেষ করে, যুব সম্প্রদায়কে আমার ধন্যবাদ জানাই। বন্ধুগণ, দিন কয়েক আগে আমরা লালকেল্লা থেকে শপথ নিয়েছিলাম যে আমাদের দেশকে উন্নত ভারত হিসেবে গড়ে তুলব। ভারতকে উন্নত করতে হলে এ দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়ন ঘটানোও সমান গুরুত্বপূর্ণ। যখন ভারতের মানুষ আধুনিক হাসপাতাল পাবেন এবং চিকিৎসা করানোর ভালো সুবিধা পাবেন তখন তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন আর সঠিক কাজে তাঁদের ক্ষমতা ব্যবহার করবেন। এর মধ্য দিয়ে তাঁদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। আজ দেশ হোমি ভাবা ক্যান্সার হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার-এর মতো একটি আধুনিক হাসপাতাল পেয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের টাটা মেমোরিয়াল সেন্টার এই অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশ ও বিদেশের ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষ এই কেন্দ্রের পরিষেবা পাবেন। ভারত সরকার দেশজুড়ে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য অত্যাধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। আমি শুনলাম, টাটা মেমোরিয়াল সেন্টার এখন প্রতি বছর দেড় লক্ষ নতুন ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা করতে পারে, ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য যা অত্যন্ত স্বস্তির বিষয়। আমার মনে আছে, হিমাচল প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরা ক্যান্সার সহ বিভিন্ন জটিল চিকিৎসার জন্য আগে চণ্ডীগড়ে পিজিআই-তে আসতেন। পিজিআই-তে খুব ভিড় হত। সেখানে রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হতেন। কিন্তু এখন হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরে এইমস তৈরি হয়েছে। সেখানে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বিশাল পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। যাঁরা বিলাসপুরের কাছে থাকেন তাঁরা সেখানে যাবেন আর যাঁরা মোহালির কাছে থাকেন তাঁরা এখানে আসবেন। বন্ধুগণ, দীর্ঘদিন ধরে দেশে এমন একটি চিকিৎসা পরিকাঠামোর প্রয়োজন ছিল যেখানে দরিদ্রতম মানুষের চিকিৎসা করতে কোনো সমস্যা হবে না। দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যের যত্ন, তাঁদের বিভিন্ন অসুখ থেকে রক্ষা করা এবং যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে সবথেকে ভালো চিকিৎসা যাতে তাঁরা পান সেরকম একটি স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রয়োজন। ভালো স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অর্থ এই নয় শুধু চারটি দেওয়াল গড়ে তোলা। যে কোনো দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা তখনই উন্নত হয় যখন প্রত্যেক ধাপে ভালো চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যায়। আর তাই গত আট বছর ধরে দেশজুড়ে সর্বাঙ্গীণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত ৭-৮ বছর ধরে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য যে কাজ হয়েছে তা তার আগের ৭০ বছরেও হয়নি। আজ স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর জন্য শুধুমাত্র একটি বা দুটি বিষয়ে একসাথে কাজ করা হচ্ছে না, বরং বলা ভালো, দরিদ্রতম মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য ছয়টি বিষয় নিয়ে কাজ চলছে। প্রথম যে বিষয়টি নিয়ে কাজ হচ্ছে তা হল প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা। দ্বিতীয় পর্যায়ে গ্রামাঞ্চলে ছোট এবং আধুনিক হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। তৃতীয় পর্বে শহরগুলিতে মেডিকেল কলেজ এবং স্বাস্থ্য গবেষণার জন্য বড় বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। চতুর্থ পর্বে চিকিৎসক এবং প্যারা-মেডিক কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। পঞ্চম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল রোগীরা যাতে কম পয়সায় ওষুধ এবং বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামের সুযোগ পান ���া নিশ্চিত করতে হবে। আর ষষ্ঠ বিষয়টি হল প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা। আজ এই ছয়টি ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারি কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। বন্ধুগণ, আমরা সবসময়ই বলে আসি, রোগ প্রতিরোধই সবথেকে ভালো উপায়। এই ভাবনা নিয়ে দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দিনকয়েক আগে একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে ‘জল জীবন মিশন’-এর কারণে দেশজুড়ে জলবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। অর্থাৎ, আমরা যখন রোগ প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করব, তখন রোগের সংখ্যাও হ্রাস পাবে। আগেকার সরকারগুলি এই ভাবনা নিয়ে কাজ করেনি। কিন্তু আজ আমাদের সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করে তুলছে যাতে রোগ-ব্যাধি থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। দেশে যোগ এবং আয়ুষ চিকিৎসার বিষয়ে অভূতপূর্ব সচেতনতা গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। বিশ্বজুড়ে যোগ-এর বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ‘ফিট ইন্ডিয়া কর্মসূচি’ ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। বিভিন্ন অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ সহায়ক হয়েছে। ‘পোষণ অভিযান’ এবং ‘জল জীবন মিশন’ অপুষ্টির মতো সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করছে। আমাদের মা ও বোনেদের কাছে রান্নার গ্যাসের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার ফলে আমরা তাঁদের ধোঁয়ার জন্য বিভিন্ন অসুখ এবং ক্যান্সারের থেকে রক্ষা করতে পারছি। বন্ধুগণ, যদি আমাদের গ্রামগুলিতে ভালো হাসপাতাল এবং রোগ পরীক্ষা কেন্দ্রের ব্যবস্থা যদি থাকে, তাহলে কি অসুখ হয়েছে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়। আমাদের সরকার এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। গ্রামাঞ্চলে অত্যাধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দেড় লক্ষের বেশি স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র গড়ে তুলছে। এর মধ্যে ১ লক্ষ ২৫ হাজারের মতো স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র পরিষেবা শুরু করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। পাঞ্জাবে ইতিমধ্যেই তিন হাজার স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র কাজ করছে। দেশজুড়ে এইসব কেন্দ্র থেকে প্রায় ২২ কোটি মানুষের ক্যান্সার আছে কিনা, সে সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ লক্ষ পরীক্ষানিরীক্ষা তো পাঞ্জাবেই হয়েছে। যদি প্রাথমিক স্তরে কেউ ক্যান্সার আক্রান্ত কিনা তা শনাক্ত করা যায়, তাহলে অনেক প্রাণ বাঁচে। বন্ধুগণ, একবার অসুখ শনাক্ত হলে সেই অসুখের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের প্রয়োজন, যেখানে জটিল অসুখের যথাযথ চিকিৎসা হয়। এই ভাবনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের প্রত্যেকটি জেলায় অন্তত একটি মেডিকেল কলেজ খোলার উদ্যোগ নিয়েছে। ‘আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশন’-এর আওতায় জেলাস্তরে আধুনিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ৬৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। একটা সময় ছিল যখন দেশে মাত্র সাতটি এইমস ছিল। আজ এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২১ হয়েছে। পাঞ্জাবের ভাতিন্ডায় এইমস থেকে মানুষ ভালো পরিষেবা পাচ্ছেন। যদি শুধুমাত্র ক্যান্সার হাসপাতালের কথাই বলি তাহলে বলতে হয়, দেশের প্রত্যেক প্রান্তে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। পাঞ্জাবে এটি একটি বড় কেন্দ্র তৈরি হল। হরিয়ানার ঝর্ঝর-এ ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে। যদি পূর্ব ভারতের দিকে তাকাই তাহলে দেখব, বারাণসী এখন ক্যান্সার চিকিৎসার একটি বড় কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। কলকাতায় ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট-এর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসটি থেকেও পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। দিনকয়েক আগে আসামের ডিব্রুগড় থেকে সাতটি নতুন ক্যান্সার হাসপাতাল উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। দেশজুড়ে ৪০টি ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য আমাদের সরকার অনুমোদন দিয়েছিল, তার মধ্যে অনেকগুলি হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা পরিষেবা শুরু হয়েছে। বন্ধুগণ, একটি হাসপাতাল নির্মাণ যতটা গুরুত্বপূর্ণ, সমান গুরুত্বপূর্ণ হল সেই হাসপাতালে ভালো চিকিৎসক এবং প্যারা-মেডিক কর্মী থাকা। এই বিষয়টিকে এখন বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ২০১৪ সালের আগে দেশে ৪০০টিরও কম মেডিকেল কলেজ ছিল। অর্থাৎ, ৭০ বছর সময়কালে দেশে ৪০০-র কম মেডিকেল কলেজ! অথচ গত আট বছরে ২০০টির বেশি নতুন মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলা হয়েছে। মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি মানে ডাক্তারি পড়ার আসন বৃদ্ধি। অর্থাৎ, ডাক্তারি পড়ুয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যাও বাড়ছে এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। আমাদের সরকার ৫ লক্ষ আয়ুষ চিকিৎসককে অ্যালোপ্যাথ চিকিৎসা করার সুযোগ দিয়েছে। এর ফলে দেশে চিকিৎসক এবং রোগীর সংখ্যার অনুপাতে উন্নতি হয়েছে। বন্ধুগণ, আজ এখানে যাঁরা উপস্থিত তাঁরা প্রত্যেকেই অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের মানুষ। আমরা জানি জটিল অসুখের চিকি��সা করানোর সময় গরীব মানুষদের তাঁদের ভিটে-মাটি পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়। তাই, আমাদের সরকার কম পয়সায় চিকিৎসা এবং ওষুধ পাওয়ার ওপর সমান গুরুত্ব দিয়েছে। ‘আয়ুষ্মমান ভারত’ প্রকল্পে দরিদ্র মানুষেরা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনা পয়সায় চিকিৎসা করাতে পারেন। এ পর্যন্ত সাড়ে তিন কোটি রোগী এই প্রকল্পের মাধ্যমে চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছেন যার জন্য তাঁদের একটি পয়সাও খরচ করতে হয়নি। এর মধ্যে বহু ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীও আছেন। আজ যদি ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প না থাকত তাহলে দরিদ্র মানুষদের নিজের পকেট থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হত। আপনাদের মতো পরিবারের এই প্রকল্পের কারণে ৪০ হাজার কোটি টাকা বেঁচে গেছে। শুধু তাই নয়, পাঞ্জাব সহ দেশজুড়ে জন ঔষধি কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এখান থেকে ক্যান্সারের ওষুধও সস্তায় পাওয়া যায়। বর্তমানে ৫০০-র বেশি ক্যান্সারের ওষুধের দাম কমানো হয়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ। অর্থাৎ, যে ওষুধের দাম ছিল ১০০ টাকা এখন তা জন ঔষধি কেন্দ্র থেকে ১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। গড়পরতা হিসেবে রোগীদের প্রতি বছর প্রায় হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার জন ঔষধি কেন্দ্র থেকে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষরা স্বল্প মূল্যে ওষুধ পাওয়ায় তাঁরা বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন। ভাই ও বোনেরা, সরকারের সর্বাঙ্গীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার অভিযানে আধুনিক প্রযুক্তি নতুন মাত্রা এনেছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এই প্রথম আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে সহজেই যাতে উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে ‘আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশন’-এর সূচনা হয়েছে। আজ টেলি-মেডিসিন এবং টেলি-যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও শহরের চিকিৎসকদের কাছ থেকে সহজেই বিভিন্ন পরামর্শ পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ‘সঞ্জীবনী’ অ্যাপ ব্যবহার করে কোটি কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছেন। আজ দেশে ফাইভ-জি পরিষেবার সূচনা হয়েছে। এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবায় যুগান্তকারী পরিবর্তন হবে। গ্রামের দরিদ্র পরিবারের অসুস্থ মানুষদের বারবার বড় বড় হাসপাতালে যেতে হবে না, তাঁদের সময়ও বাঁচবে। বন্ধুগণ, এই প্রসঙ্গে আমি ক্যান্সার আক্রান্ত প্রত্যেককে এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের একটি কথা বলতে চাই। আপনাদের ���দ্বেগের বিষয়টি আমি বুঝতে পারছি কিন্তু, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে তো লড়তে হবে। তার জন্য ভয় পেলে চলবে না। ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্ভব। বহু মানুষ আছেন যাঁরা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই জিতে আনন্দের সঙ্গে বেঁচে আছেন। এই লড়াইয়ে আপনাদের যা যা প্রয়োজন কেন্দ্রীয় সরকার তা দেবে। এই হাসপাতালে যুক্ত সকলের কাছে আমার একটি বিশেষ অনুরোধ আছে। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এই রোগের কারণে বিমর্ষ হয়ে থাকেন। আমাদের তাঁদের সাহায্য করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে আমাদের খোলা মনে চিন্তা করতে হবে কারণ, প্রগতিশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভাবনাচিন্তায় পরিবর্তন আনা। তাহলেই এই সমস্যার যথাযথ সমাধান হবে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যুক্ত আমার সহকর্মীদের কাছে আরও একটি অনুরোধ রাখব যে আপনারা গ্রামাঞ্চলে এইসব সমস্যার সমাধানের জন্য শিবিরের আয়োজন করুন। দেশজুড়ে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইকে শক্তিশালী করতে হলে আমাদের ‘সবকা প্রয়াস’ ভাবনায় এগোতে হবে। পাঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশের মানুষের এই উদ্দেশে এই বিশাল উপহারটি উৎসর্গ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ! প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছেন",পঞ্জাৱৰ মোহলিস্থিত হোমি ভাবা কেন্সাৰ হাস্পতাল আৰু গৱেষণা কেন্দ্ৰত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ লিখিত ৰূ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A7%B1%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B9/,প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মহারাষ্ট্রের পালনগড় জেলায় এক বাস দুর্ঘটনায় বহু জীবনহানিতে শোক প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শোক বার্তায় বলেছেন – “মহারাষ্ট্রের পালনগড়ে বাস দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। শোক সন্তপ্ত পরিবারগুলিকে আমার সমবেদনা জানাই। আহতদের জন্য প্রার্থনা করি। মহারাষ্ট্র সরকার এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সবরকম সহায়তা দেবে”। ……,মহাৰাষ্ট্ৰত হোৱা শোকাবহ বাছ দুৰ্ঘটনাত প্ৰাণ হেৰুওৱা লোকৰ প্ৰতি প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সমবেদনা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A7%8B-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF/,"স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভারত ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে গত ১৩ মার্চ নতুন দিল্লিতে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বুধবারের বৈঠকে ঐ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। এই চুক্তির ফলে ভারতে জনস্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হবে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাজকর্ম পরিচালনার জন্য হু-র একটি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে। ভারতেও সংস্থার একটি কার্যালয় রয়েছে। …",ভাৰত আৰু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাৰ মাজত ইয়াৰ দক্ষিণ-পূব এছিয়াৰ আঞ্চলিক কাৰ্যালয়টো ভাৰতত দেশীয় কাৰ্যালয় হিচাপে কাম কৰাৰ দিশত বুজাবুজি চুক্তি সন্দৰ্ভত অৱগত কৰিলে কেবিনেটক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0-2/,"ভারত-রাশিয়া : পরিবর্তনশীল বিশ্বে এক স্থায়ী অংশীদারিত্ব 1. চৌঠা এবং ৫ই অক্টোবর নতুন দিল্লীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রুশ ফেডারেশনের রাষ্ট্রপতি শ্রী ভ্লাদিমির পুতিন দু’দেশের মধ্যে ১৯তম বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হন। ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা ১৯৭১ সালের শান্তি, মৈত্রী এবং সহযোগিতা চুক্তির দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়া, ১৯৯৩ সালেও দু’দেশের মধ্যে মৈত্রী ও সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি চুক্তি এবং ২০০০ সালে দু’দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব বিষয়ে ঘোষণাপত্র ও ২০১০ সালে দু’দেশের মধ্যে অংশীদারিত্বকে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত অংশীদারিত্বের স্তরে উন্নীত করার বিষয়ে যৌথ বিবৃতি দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে। ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতার বিষয়টি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হয়েছে এবং রাজনৈতিক এবং কৌশলগত সহযোগিতা, সামরিক এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, অর্থনীতি, শক্তি, শিল্প, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি এবং মানবিক সহযোগিতার বিষয়টিও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। 2. ২০১৮-র ২১শে মে রাশিয়ার সোচিতে দু’দেশের মধ্যে যে ঘরোয়া শীর্ষ বৈঠক হয়েছিল, তার সমসাময়িক প্রাসঙ্গিকতা এবং তাৎপর্য বিষয়ে দুই দেশই উচ্চস্তরীয় মূ���্যায়ন করে থাকে। এই শীর্ষ বৈঠক ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাষ্ট্রপতি পুতিনের মধ্যে গভীর আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে এক অনন্য আলাপচারিতা। এই বৈঠকে উভয় দেশের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা এবং পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে ঘন ঘন আলোচনা ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের বিভিন্ন প্রধান ইস্যুতে সহমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে উভয় দেশের ইচ্ছাপ্রসূত উদ্যোগ। সোচি শীর্ষ বৈঠক ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা এবং আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে একটি বহু মেরুসম্পন্ন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। উভয় দেশ নিয়মিত ভিত্তিতে এই ধরণের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক এবং সর্বস্তরে কৌশলগত যোগাযোগ রক্ষা করে চলার বিষয়ে একমত হয়। 3. ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একটি বিশেষ এবং সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাদের অঙ্গীকারের প্রতি পুনরায় দৃঢ় আস্থা ব্যক্ত করে। তারা ঘোষণা করে যে তাদের সম্পর্ক বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং বিশ্বের মধ্যে অন্যতম প্রধান শক্তি হিসাবে বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে যৌথ দায়িত্ব পালনে উভয় দেশের ভূমিকা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। 4. উভয় দেশই গভীর আস্থার ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে থাকা সম্পর্ক এবং পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা এবং একে অপরের অবস্থান বিষয়ে গভীর সমঝোতা বিষয়ে তারা ঐকমত্য প্রকাশ করে। ভারত ও রাশিয়া বহু সাংস্কৃতিক, বহু ভাষিক এবং বহু ধর্মভিত্তিক সমাজ হিসেবে আধুনিক সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দু’দেশের সভ্যতাকেন্দ্রিক জ্ঞানকে কাজে লাগানোর বিষয়ে দৃঢ় আস্থা ব্যক্ত করে। উভয় দেশ আরও বেশি যোগাযোগ সম্পন্ন ও বৈচিত্র্যপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে অবদান রাখার বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। 5. আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে কাজ করার জন্য বিশ্বের সমস্ত রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উভয় দেশ সহিষ্ণুতা, সহযোগিতা, স্বচ্ছতা এবং আন্তঃরাষ্ট্রিক সম্পর্কে খোলামেলা দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করার বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করেছে। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দ্রুত পরিবেশ-বান্ধব সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, রাষ্ট্রগুলির মধ্যে অসমতা কমান��� এবং সব রাষ্ট্রের সমস্ত নাগরিকের জন্য ন্যূনতম স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থাকে উভয় দেশই চিহ্নিত করেছে। এইসব লক্ষ্য অর্জনে ভারত এবং রাশিয়া একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতার শপথ গ্রহণ করেছে। 6. উভয় পক্ষই দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সন্তোষ ব্যক্ত করেছে। উভয় দেশের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ের ৫০টিরও বেশি সফর দু’দেশের সম্পর্কের মধ্যে এক নতুন গতি সঞ্চার করেছে। ২০১৭-১৮ বর্ষের মধ্যে উভয় দেশের বৈদেশিক বিষয় সংক্রান্ত আলোচনা প্রোটোকলের সফর রূপায়ণের প্রেক্ষিতে উভয় দেশ আরও পাঁচ বছরের জন্য (২০১৯ থেকে ২০২৩) এই আলোচনার সময়সীমা বাড়ানোর ব্যাপারে এবং একটি প্রোটোকল স্বাক্ষর করার বিষয়ে একমত হয়েছে। রাশিয়া সে দেশের একাটারিনবার্গ এবং আস্ত্রাখান’-এ ভারতের অবৈতনিক বাণিজ্য দূত নিয়োগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত উভয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং মানুষের মধ্যে আরও ভালো যোগাযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। 7. উভয় দেশ ২০১৭-র নভেম্বর মাসে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, মাদক চালান প্রতিরোধ, বিপর্যয় মোকাবিলা, উভয় দেশের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থার মধ্যে যৌথ কর্মপরিকল্পনা এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও রুশ ফেডারেশনের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তিটিকে স্বাগত জানিয়েছে। ২০১৮-২০২০ পর্যন্ত এই চুক্তিটি কার্যকর থাকবে। ভারতের পক্ষ থেকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রযুক্তিগত কৃৎকৌশলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। উভয় দেশই প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে কর্মী প্রশিক্ষণ এবং জরুরিকালীন সহায়তার ব্যবস্থা গড়ে তোলার সম্ভাবনা বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে একমত হয়েছে। 8. ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭০তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের সফল সমাপনের মধ্য দিয়ে উভয় দেশের মানুষের মধ্যে উৎসাহ এবং মানুষে মানুষে সম্পর্ক আরও সংহত হয়ে ওঠার বিষয়টি উভয় দেশ লক্ষ্য করেছে। ২০১৭-য় স্বাক্ষরিত চুক্তির ভিত্তিতে ২০১৭-২০১৯ সালের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি রূপায়ণ বিষয়ে উভয় দেশই সন্তোষ ব্যক্ত করেছে। তারা ভারতে বার্ষিক রাশিয়া উৎসব এবং রাশিয়ায় বার্ষিক ভারত উৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। বর্তমানে চালু যুব সফর বিনিময় কর্মসূচি, লেখকদের মধ্যে সফর বিনিময় কর্মসূচি এবং উভয় দেশের জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে পারস্পরিক সহায়তাকেও উভয় দেশ স্বাগত জানিয়েছে। গত দু’বছরে উভয় দেশের মধ্যে পর্যটক যাতায়াতের হার বৃদ্ধিকেও উভয় পক্ষ স্বাগত জানিয়ে এই সদর্থক প্রবণতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে একমত হয়েছে। ভারত ২০১৮-র ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ সফলভাবে আয়োজনের জন্য রাশিয়ার প্রশংসা করেছে। উভয় দেশ বেশ কয়েক দশক ধরে ভারত-রুশ সম্পর্কের উন্নয়নে ইনস্টিটিউট অফ ওরিয়েন্টাল স্টাডিজ ও রাশিয়া অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের অবদানকে স্বীকৃতি জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন যে এই ইনস্টিটিউট স্থাপনের ২০০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানকে সফল করে তুলতে ভারত বিশেষ অবদান রাখবে। অর্থনীতি 9. বাণিজ্য, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বিষয়ক ভারত-রাশিয়া আন্তঃসরকারি কমিশনের যে বৈঠক ২০১৮-র ১৪ই সেপ্টেম্বর মস্কোয় অনুষ্ঠিত হয়েছে, উভয় দেশই তাকে স্বাগত জানিয়েছে। কমিশনের ২৩তম এই বৈঠকে যৌথ সভাপতিত্ব করেন রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউরি আই বরিশভ এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। 10. উভয় দেশ ২০২৫ সালের মধ্যে তিন হাজার কোটি মার্কিন ডলার পারস্পরিক বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছে এবং এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাজ যথাযথভাবে এগিয়ে চলায় উভয় দেশ সন্তোষ ব্যক্ত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, ২০১৭ সালে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২০ শতাংশেরও বেশি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই বাণিজ্যিক লেনদেনকে আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কাজ করার জন্য একমত পোষণ করেছে। উভয় দেশ নিজ নিজ দেশের জাতীয় মুদ্রায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে। 11. ভারতের নীতি আয়োগ এবং রাশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রকের মধ্যে কৌশলগত অর্থনৈতিক আলোচনার প্রথম বৈঠক ২০১৮-র শেষ দিকে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে বলে উভয় দেশ স্থির করেছে। 12. উভয় দেশ ইউরেশিয়ান ইকনমিক ইউনিয়ন ও তার সদস্য রাষ্ট্রগুলি এবং ভারতের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা এই আলোচনাকে ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়েও একমত হয়েছে। 13. দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি যৌথ কৌশল স্থির করতে যৌথ সমীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভ���রতের পক্ষ থেকে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ফরেন ট্রেড এবং রাশিয়ার পক্ষ থেকে অল রাশিয়ান অ্যাকাডেমি অফ ফরেন ট্রেডকে মনোনীত করা হয়েছে। 14. রুশ বিনিয়োগকারীরা যাতে ভারতে বিনিয়োগ করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে ‘ইনভেস্ট ইন্ডিয়া’ নামে সম্মেলনের কাজে সন্তোষ ব্যক্ত করেছে এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি যাতে রাশিয়ায় বিনিয়োগ করতে পারে সেই লক্ষ্যে রাশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রক কর্তৃক ‘সিঙ্গল উইন্ডো সার্ভিস’ চালু করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে। 15. ২০১৮-র ৪-৫ অক্টোবরে ১৯তম বার্ষিক শীর্ষ বৈঠকের পাশাপাশি নতুন দিল্লীতে ভারত-রুশ বাণিজ্যিক শীর্ষ বৈঠক সংগঠনের সিদ্ধান্তকে উভয় পক্ষই স্বাগত জানিয়েছে। এই বৈঠকে উভয় দেশের বড় বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছে এবং এর মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে উভয় দেশের আগ্রহ প্রতিফলিত হয়েছে। উভয় দেশই বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে একমত হয়েছে। 16. উভয় দেশই খনি, ধাতব উৎপাদন, বিদ্যুৎ, তেল ও গ্যাস, রেল, ওষুধপত্র, তথ্যপ্রযুক্তি, রাসায়নিক দ্রব্য, পরিকাঠামো, অটোমোবাইল, অসামরিক পরিবহণ, মহাকাশ, জাহাজ নির্মাণ এবং বিভিন্ন ধরণের যন্ত্রাংশ উৎপাদনের মতো অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিনিয়োগ প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছে। উভয় দেশই রাশিয়ায় অ্যাডভান্সড ফার্মা কোম্পানি কর্তৃক ওষুধ কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে রাশিয়া থেকে সার আমদানি বৃদ্ধির করার আগ্রহ বিষয়ে ঐ দেশকে জানানো হয়েছে। উভয় দেশই অ্যালুমিনিয়াম ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। 17. ক্ষুদ্র শিল্পক্ষেত্রে ভারত ও রাশিয়া জাতীয় সংস্থার মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষরকে উভয় দেশ স্বাগত জানিয়েছে। 18. পরিকাঠামো উন্নয়নকে উভয় দেশের জাতীয় অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করে উভয় দেশই এই ক্ষেত্রটিতে সহযোগিতার বিপুল সুযোগ বিষয়ে একমত হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে শিল্প করিডর উন্নয়নে রুশ কোম্পানিগুলিকে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া, সড়ক এবং রেল পরিকাঠামো, ছোট শহর উন্নয়ন, ওয়াগন নির্মাণ এবং যৌথ উদ্যোগে একটি পরিবহণ কোম্পানি গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও ভারতের পক্ষ থেকে রুশ সংস্থাগুলিকে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাশি��ার পক্ষ থেকে শিল্প করিডর পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে ভারতকে উপগ্রহ-ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কর সংগ্রহের প্রযুক্তি প্রদানের কথা বলা হয়েছে। ভারতের রেল মন্ত্রক ট্রেনগুলির গতি বৃদ্ধির যে প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক বিডিং-এর ক্ষেত্রে রাশিয়া অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। উভয় পক্ষই পরিবহণ, কর্মী প্রশিক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক পরিবহণ করিডর প্রকল্প রূপায়ণে প্রযুক্তিগত সহায়তার মতো ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। এইসব ক্ষেত্রে কাজের জন্য উভয় দেশই ভারতের ভদোদরার ন্যাশনাল রেল অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন ইনস্টিটিউট এবং রাশিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ ট্রান্সপোর্টের মধ্যে সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে। 19. উভয় দেশই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উত্তর-দক্ষিণ পরিবহণ করিডর উন্নয়নের মাধ্যমে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। তবে এই ক্ষেত্রে কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির সীমাশুল্ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে বকেয়া বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, রেল এবং সড়ক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে, দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের উপযুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে এবং অন্যান্য সহযোগী দেশগুলির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে সমগ্র বিষয়টিকে চূড়ান্ত করতে হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মস্কোয় ‘পরিবহণ সপ্তাহ-২০১৮’ অনুষ্ঠানের ফাঁকে ভারত, রাশিয়া এবং ইরানের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠককে উভয় দেশই স্বাগত জানিয়েছে। এই বৈঠকে ইরানের ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে ভারতীয় পণ্যদ্রব্য রাশিয়ায় পরিবহণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহণ সংক্রান্ত সীমাশুল্ক চুক্তিতে ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। উভয় দেশ এ বিষয়ে একটি মন্ত্রী পর্যায়ের সমন্বয় বৈঠক আয়োজনের ব্যাপারে একমত হয়েছে। 20. দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেনকে উৎসাহিত করতে উভয় দেশ, বাধ্যতামূলক পরিদর্শন / নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত যে সব বিষয় কোন পণ্যদ্রব্যের আমদানি বা রপ্তানির সময় চালাতে হয়, তাতে বিলম্ব এড়াতে উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে একমত হয়েছে। 21. উভয় দেশ তাদের বাণিজ্য প্রদর্শনী এবং বাণিজ্য মেলার তালিকা বিনিময় ও রপ্তানি উন্নয়ন পরিষদ বা রপ্তানি সংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্থার তালিকা বিনিময় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উভয় দেশের আমদানি বা রপ্তানিকারকরা যাতে সংশ্লিষ্ট পণ্যের বাণিজ্যিক লেনদেন বিষয়ে সব ধরণের বিস্তারিত খোঁজখবর এইসব মেলা, প্রদর্শনী বা আমদানি-রপ্তানি সংস্থার কাছ থেকে পেতে পারে, সেই লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। 22. ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে পণ্যদ্রব্য পরিবহণের সুবিধার্থে সীমাশুল্ক সংক্রান্ত নিয়মকানুনের সরলীকরণের লক্ষ্যে ‘গ্রিন করিডর’ প্রকল্প চালু করার বিষয়ে উভয় দেশই একমত হয়েছে। পারস্পরিক বাণিজ্যি লেনদেন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এটি এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উভয় দেশ একমত হয়েছে। এই প্রকল্পটির সূচনা হওয়ার পর, উভয় দেশের সীমাশুল্ক প্রশাসন এক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আরও প্রসারিত করার উদ্যোগ নেবে বলে স্থির হয়েছে। 23. উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য শিল্পোদ্যোগ এবং সরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে উভয় দেশ উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে একমত হয়েছে। এছাড়া, দুই দেশের বিভিন্ন প্রদেশের মধ্যে পৃথক পৃথক চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টিকেও উভয় দেশ স্বাগত জানিয়েছে। যেমন, অসম ও সাখালিন, হরিয়ানা এবং বাস্কোরতোস্তান, গোয়া এবং কালিনিনগ্রাদ, ওড়িশা এবং ইরকুট্‌স্ক, ভিশাখাপত্তনম এবং ব্লাদিভোস্তক-এর মধ্যে এই ধরণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেন্ট পিটার্সবার্গে আয়োজিত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরাম, পূর্বাঞ্চলীয় অর্থনৈতিক ফোরাম এবং অংশীদারিত্ব শীর্ষ বৈঠকের মতো অনুষ্ঠানে আঞ্চলিক পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণকে উভয় দেশই স্বাগত জানিয়েছে। এছাড়া, উভয় দেশ ভারত-রাশিয়া আন্তঃআঞ্চলিক ফোরামের বৈঠক আয়োজনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। 24. উভয় দেশের মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদের সুদক্ষ এবং যথাযথ ব্যবহারের লক্ষ্যে যৌথ প্রকল্প গড়ে তোলা যায় কিনা, সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য উভয় দেশ একমত হয়েছে। উপযুক্ত প্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে অথচ একইসঙ্গে পরিবেশ-বান্ধব পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক সম্পদকে ব্যবহারের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণে উভয় দেশ রাজি হয়েছে। উভয় দেশই কৃষিক্ষেত্রকে সহযোগিতার এক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতাগুলি দূর করা, উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং কৃষি পণ্যের বাণিজ্যিক লেনদেন বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে। 25. দুই দেশ হীরক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া�� সন্তোষ ব্যক্ত করেছে। বিশেষ করে, রাশিয়ার পিজেএসসি আলরোসা কোম্পানি কর্তৃক ভারতীয় সংস্থাগুলিকে অপরিশোধিত হীরক খণ্ড সরবরাহ বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর, মুম্বাইয়ে আলরোসা কোম্পানির একটি অফিস খোলা, ভারতীয় বাজারে দু’দেশের হীরক ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির সহযোগিতায় উৎপাদিত হীরকের বিপণন প্রভৃতির ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আরও বৃদ্ধি করার বিষয়ে একমত হয়েছে। রাশিয়ার দূরপ্রাচ্য অঞ্চলে ভারতীয় কোম্পানিগুলি কর্তৃক হীরক উৎপাদনের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বিনিয়োগকেও উভয় দেশের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে। মূলবান ধাতু, খনিজ দ্রব্য এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ, অরণ্য সম্পদের মতো ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ গড়ে তোলার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে উভয় দেশ একমত হয়েছে। 26. রাশিয়ার পক্ষ থেকে ভারতের বিভিন্ন কোম্পানির কাছে সে দেশের দূরপ্রাচ্য হিসেবে চিহ্নিত প্রদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে। রাশিয়ার দূরপ্রাচ্য সংস্থার একটি অফিস মুম্বাইতে খোলায় ভারতীয় কোম্পানিগুলির পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে। ২০১৮-র সেপ্টেম্বরে ব্লাদিভোস্টকে পূর্বাঞ্চলীয় অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকে ভারতের শিল্পবাণিজ্য মন্ত্রী শ্রী সুরেশ প্রভুর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছে। অনুরূপভাবে, একটি উচ্চপর্যায়ের রাশিয়ার প্রতিনিধিদল সে দেশের দূরপ্রাচ্যে আরও বেশি করে ভারতীয় কোম্পানিগুলির বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে ভারতে রোড শো আয়োজন করবে বলে স্থির হয়েছে। 27. উভয় দেশই রেল, শক্তি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কোন তৃতীয় দেশে প্রযুক্তি ও সহায়সম্পদ-ভিত্তিক যৌথ প্রকল্প গড়ে তোলার বিষয়ে সক্রিয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করার লক্ষ্যে কাজ করার জন্য একমত হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 28. উভয় পক্ষই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে একমত হয়েছে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে দশম ভারত-রুশ কর্মীগোষ্ঠীর সফল বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে। ২০১৮-র ফেব্রুয়ারি মাসে দু’দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। 29. মৌল এবং প্রায়োগিক ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যৌথ গবেষণার দশম বর্ষপূর্তি উদযাপনের সাফল্যে দু’দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় উভয় পক্ষই সন্তোষ ব্যক্ত করেছে। দু’দেশের মধ্যে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষে���্রে দীর্ঘমেয়াদি সুসংহত কর্মসূচিতে সহযোগিতাকে জোরদার করার বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচিতে দু’দেশের গবেষণাগার, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি সংগঠনগুলির মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি রূপরেখা প্রণয়নের বিষয়ে উভয় দেশ একমত হয়েছে। 30. দুই দেশই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বিশেষ করে বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা নির্মাণ ও উৎপাদন, সফ্‌টওয়্যার উৎপাদন, সুপার কম্পিউটিং, ই-গভর্নেন্স, জনপরিষেবা ব্যবস্থা, নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা, তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের নিরাপত্তা, আর্থিক প্রযুক্তি, ইন্টারনেট অফ থিঙ্গস, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রামের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রভৃতির মতো ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধির বিষয়ে একমত হয়েছে। ব্রিক্‌স এবং আইটিইউ-এর মতো মঞ্চে দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়সাধনের বিষয়ে কাজ করার জন্য একমত হয়েছে। 31. ২০১৮-র মার্চ মাসে নতুন দিল্লীতে আয়োজিত ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রক এবং রাশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রকের উদ্যোগে আয়োজিত অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত যৌথ ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরকে স্বাগত জানিয়েছে। ২০১৮-র ডিসেম্বরে ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে স্টার্ট-আপের শীর্ষ বৈঠক আয়োজনের সিদ্ধান্তকেও উভয় দেশ স্বাগত জানিয়েছে। ভারতের কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রাশিয়ার স্কলকোভো ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এই শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন করা হবে। এই লক্ষ্যে উভয় দেশের স্টার্ট-আপ বিনিয়োগকারীর উদ্ভাবন সংস্থা এবং উদীয়মান উদ্যোগপতিদের নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করার সিদ্ধান্তকেও উভয় দেশ স্বাগত জানিয়েছে। 32. বহির্মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি এবং পারস্পরিক সুবিধার সহযোগিতার গুরুত্ব বিষয়ে উভয় দেশই জোর দিয়েছে এবং ভারতের আঞ্চলিক নেভিগেশন স্যাটেলাইট ব্যবস্থার গ্রাউন্ড স্টেশন মারফৎ তথ্য সংগ্রহের কাজকে স্বাগত জানানো হয়েছে। শান্তিপূর্ণ কাজে বহির্মহাকাশের ব্যবহার এবং মনুষ্যবাহিত মহাকাশ উড়ান কর্মসূচি সহ বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞান-ভিত্তিক প্রকল্পে সহযোগিতা জোরদার করার ব্যাপারে একমত হয়েছে। উভয় দেশই ব্রিক্‌স-এর দূরসংবেদী উপগ্রহ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহযোগিতার ক্ষেত্রেও একমত হয়েছে। 33. মেরু অঞ্চলে উভয় দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে সহযোগিতার ক্ষেত্রে উভয় দেশই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কুমেরু অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার কাজের অগ্রগতিতে ভারত এবং রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা যে কাজ করেছেন, তাতে উভয় দেশই সন্তোষ ব্যক্ত করেছে। 34. দু’দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি এবং ভারত ও রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নিয়ে গড়ে ওঠা নেটওয়ার্কের কাজকর্মের অগ্রগতিতে সন্তোষ ব্যক্ত করা হয়েছে। ২০১৫ সালে এই নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার পর ৪২ সদস্যবিশিষ্ট এই সংস্থার তিনবার বৈঠক আয়োজিত হয়েছে। ছাত্র, গবেষক এবং শিক্ষকদের জন্য সফর বিনিময় এবং যৌথ উদ্যোগে বিজ্ঞান-ভিত্তিক এবং শিক্ষা সংক্রান্ত প্রকল্প রূপায়ণে যে বিপুল আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে দুই দেশই সন্তোষ ব্যক্ত করেছে। শক্তি 35. ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে শক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রসারের গুরুত্ব বিষয়ে উভয় পক্ষই একমত হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে রাশিয়ার শক্তিসম্পদ ক্ষেত্রে বিশেষ করে, প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রে বিশেষ আগ্রহ দেখানো হয়েছে। এছাড়া, উভয় দেশ যৌথ উদ্যোগে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে প্রকল্প রূপায়ণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে রাজি হয়েছে। 36. শক্তিক্ষেত্রে উভয় দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনা বিষয়ে উভয় দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং নিজ নিজ দেশের কোম্পানিগুলিকে শক্তিক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি, যৌথ উদ্যোগ এবং শক্তিসম্পদের পারস্পরিক অধিগ্রহণ ও তৃতীয় কোন দেশের সঙ্গে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয় খতিয়ে দেখতে আহ্বান জানিয়েছে। 37. উভয় দেশ রাশিয়া এবং ভারতের শক্তি কোম্পানিগুলির মধ্যে বিভিন্ন চালু প্রকল্পে সহযোগিতাকে স্বাগত জানিয়েছে। বিশেষ করে, রাশিয়ার ভ্যাঙ্কোরনেফ্‌ট এবং তাসইউরিয়াখ নেফ্‌টেগাজোডোবাইকা-তে ভারতীয় সংস্থাগুলির বিনিয়োগ এবং ভারতের এসার অয়েল ক্যাপিটালের সঙ্গে রাশিয়ার পিজিএসসি রসনেম অয়েল কোম্পানির যৌথ উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। ভ্যাঙ্কোর শক্তি প্লাস্টারে দু’দেশের কোম্পানিগুলির মধ্যে সার্বিক সহযোগিতার জন্য আলোচনা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে উদ্যোগকে উভয় দেশের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে। 38. তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রে ভারত ও রুশ কোম্পানিগুলির সহযোগিতা বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। ভারতের গেইল ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং রাশিয়ার গ্যাজপম গ্রুপের মধ্যে এলএনজি সরবরাহ বিষয়ক দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি রূপায়ণের কাজ শুরু হওয়ায় উভয় দেশই তাকে স্বাগত জানিয়েছে। 39. উভয় দেশ, পিজেএসসি নোভাটেক এবং ভারতের শক্তি কোম্পানিগুলির মধ্যে সহযোগিতা প্রসারের লক্ষ্যে আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং এলএনজি ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগে প্রকল্প রূপায়ণের প্রয়াসকে স্বাগত জানানো হয়েছে। 40. রাশিয়ার মেরু অঞ্চলে বিশেষ করে, পেচোরা এবং ওখটস্ক সাগরে যৌথ উদ্যোগে খনিজ তেল উত্তোলনের প্রকল্প বিষয়ে সহযোগিতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে দু’দেশের বিভিন্ন কোম্পানিগুলির মধ্যে আলোচনাকে উভয় দেশ স্বাগত জানিয়েছে। 41. ২০১৭ সালে রাশিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকে ভারতের মধ্যে গ্যাস সরবরাহের জন্য পাইপলাইন স্থাপন বিষয়ে যে যৌথ সমীক্ষা চালানো হয়েছে, উভয় দেশ তাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে ভারত ও রাশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মধ্যে আলোচনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে উভয় দেশের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। দু’দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মধ্যে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাব্যতাকে উভয় দেশই স্বাগত জানিয়েছে। 42. ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে অসামরিক ক্ষেত্রে পারমানবিক সহযোগিতা দু’দেশের কৌশলগত সম্পর্কের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি ভারতের শক্তি নিরাপত্তার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তিতে উভয় দেশের প্রদত্ত প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণেও এক্ষেত্রে সহযোগিতার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। উভয় দেশ তামিলনাড়ুর কুড়ামকুলামে পারমানবিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রের বাকি ছ’টি ইউনিট নির্মাণের কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ ব্যক্ত করেছে। এছাড়া, স্থানীয় পর্যায়ে এই ধরণের পরমাণু শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রের যন্ত্রাংশ নির্মাণের উদ্যোগকেও স্বাগত জানিয়েছে। উভয় পক্ষই ভারতে রাশিয়া পরিকল্পিত নতুন পারমানবিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন বিষয়ে আলাপ-আলোচনা, পারমানবিক যন্ত্রাংশের যৌথ উৎপাদন এবং তৃতীয় কোন দেশে এ বিষয়ে সহযোগিতাকে স্বাগত জানিয়েছে। বাংলাদেশের রূপপুর পারমানবিক শক্তি প্রকল্প রূপায়ণে ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতা সংক্রান্ত যে স্মারক সমঝোতা হয়েছে, তা পূরণে কাজের অগ্রগতি বিষয়ে দুই দেশ পর্যালোচনা করেছে। উভয় দেশ পারমানবিক ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগে চিহ্নিত বিষয়ে সহযোগিতার বিষয়টিতে অগ্রাধিকার-ভিত্তিক রূপায়ণের জন্য কর্মপরিকল্পনা স্বাক্ষরকে স্বাগত জানিয়েছে এবং সন���তোষ ব্যক্ত করেছে। 43. জলবিদ্যুৎ এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ শক্তির উৎস বিষয়ে সহযোগিতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে উভয় দেশই একমত হয়েছে। এছাড়া, শক্তি সাশ্রয় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস করার বিষয়ে উদ্যোগকেও উভয় দেশ স্বাগত জানিয়েছে। সামরিক প্রযুক্তিগত সহযোগিতা 44. দুই দেশ মনে করে যে দু’দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে সামরিক প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভস্বরূপ উভয় দেশ ২০১৮-র ডিসেম্বর মাসে ভারত-রাশিয়া আন্তঃসরকারি কমিশনের বৈঠকে সামরিক প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছে। উভয় দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণ এবং বরিষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের সফর বিনিময়, কর্মীদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা এবং যৌথ মহড়া প্রভৃতির ক্ষেত্রে সামরিক সহযোগিতার রূপরেখা এই ক্ষেত্রে সহযোগিতার পথকে আরও প্রশস্ত করেছে বলে উভয় দেশ মনে করে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে ২০১৮-র আর্মি গেম্‌স, আর্মি, ২০১৮ এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত মস্কো সম্মেলনে ভারতের অংশগ্রহণকে সদর্থকভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে। উভয় দেশই বাহিনীত্রয়ের যৌথ মহড়া ‘ইন্দ্র, ২০১৭’কে স্বাগত জানিয়েছে এবং ২০১৮-য় নৌ-সেনা, স্থলবাহিনী এবং বায়ুসেনার ‘ইন্দ্র’ পর্যায়ের যৌথ মহড়া চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। 45. উভয় দেশই ‘এস-৪০০’ শ্রেণীর দূরপাল্লার ভূপৃষ্ঠ থেকে আকাশে ক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ভারতকে সরবরাহ করার জন্য চুক্তি সম্পাদনকে স্বাগত জানিয়েছে। উভয় দেশই সামরিক প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও বাড়ানোর ব্যাপারে তাদের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। দু’দেশের মধ্যে এক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা ও আস্থার এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সামরিক প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে উভয় দেশ সন্তোষ ব্যক্ত করেছে এবং দু’দেশের মধ্যে সামরিক যন্ত্রাংশ উৎপাদন ও এ বিষয়ে গবেষণাকে স্বীকৃতি জানিয়েছে। ভারত সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতিকে উৎসাহ দিতে সামরিক শিল্পক্ষেত্রে এই উদ্যোগ বিশেষ ভূমিকা নেবে বলে উভয় দেশ একমত হয়েছে। ২০১৭-র নভেম্বর মাসে উচ্চপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত যে উচ্চপর্যায়ের কমিটি হয়েছে, তার বৈঠককে উভয় দেশ স্বাগত জানিয়েছে। এই বৈঠক থেকেই পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক��ষেত্রে যৌথ উদ্যোগে গবেষণা ও উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয়কে চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলি 46. উভয় দেশ রাষ্ট্রসঙ্ঘের সনদ অনুসারে আন্তর্জাতিক আইনের সার্বজনীনভাবে স্বীকৃত সমতা, পারস্পরিক আস্থা এবং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতির প্রতি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এছাড়া, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সনদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে মৈত্রী সম্পর্ক ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে ১৯৭০ সালে আন্তর্জাতিক আইনের নীতিগুলির প্রতি তাদের আস্থা ব্যক্ত করেছে। 47. ২০১৮-র জুলাই মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিক্‌স শীর্ষ বৈঠকের দশম বর্ষপূর্তির ফলাফলের উল্লেখ করে এই সংগঠনের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারত ও রাশিয়ার আগ্রহ পুনরায় ব্যক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক আইন এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের সনদের ভিত্তিতে একটি নীতিনিষ্ঠ বহু মেরুর বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজকে অগ্রাধিকার প্রদান করার বিষয়েও উভয় দেশ একমত প্রকাশ করেছে। 48. উভয় দেশ আফগানিস্তানে সে দেশের নেতৃত্বে জাতীয় শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। আফগানিস্তানে ক্রমবর্ধমান হিংসাত্মক ঘটনার ফলে সে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে এই অঞ্চলের ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব নিয়েও নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করেছে। দুই দেশ মস্কো ফরম্যাট এবং আফগানিস্তান সংক্রান্ত এসসিও যোগাযোগ গোষ্ঠীর মাধ্যমে সে দেশের সমস্যার সমাধানে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আফগানিস্তানের দীর্ঘদিনের বিরোধের দ্রুত নিষ্পত্তিকল্পে সমস্ত স্বীকৃত পদ্ধতিতে কাজ চালিয়ে যাওয়া, সন্ত্রাসবাদী তৎপরতাকে নির্মূল করা, সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয়দানের ঘটনা বন্ধ করা এবং ক্রমবর্ধমান মাদক চোরাচালানের সমস্যা নিরসনের উদ্যোগের ওপর জোর দিয়েছে। উভয় দেশ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর কাছে আফগানিস্তানে কোন বহিরাগত হস্তক্ষেপ বন্ধ করার লক্ষ্যে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া, আফগান অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন, সে দেশের শান্তি এবং নিরাপত্তায় অবদান যোগানো এবং একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও স্বাধীন আফগানিস্তান গড়ে তোলার লক্ষ্যে আর্থ-রাজনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করার বিষয়ে উভয় দেশই একমত হয়েছে। 49. উভয় দেশ সিরিয়ার সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে সিরিয়ার নেতৃত্বে রাষ্ট্রিক সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ সহ এবং সিরিয়ার অখণ্ডতা ও স্বাধীনতা বজায় রেখে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুসারে এবং জেনেভা ও আস্তানা আলোচনায় গৃহীত পদক্ষেপ অনুসারে, কাজ চালানোর জন্য আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর কাছে আহ্বান জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের কাছে একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং সার্বভৌম সিরিয়া গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবং সিরিয়ার গোষ্ঠীগুলির মধ্যে কোনরকম শর্ত ছাড়াই এবং বহিরাগত হস্তক্ষেপ ছাড়াই আলোচনা প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করা হয়েছে। সিরিয়ার মানুষের দীর্ঘমেয়াদি ভোগান্তি দূর করতে মানবিক সহায়তার কথা এবং জরুরি ভিত্তিতে সে দেশের পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তা, গৃহযুদ্ধের ফলে উৎখাত হওয়া শরণার্থীদের দেশে ফেরানো এবং দেশের অভ্যন্তরে গৃহচ্যুত মানুষের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে উদ্যোগ জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে। 50. উভয় দেশই ইরানের পারমানবিক কর্মসূচি বিষয়ে যৌথ সার্বিক কর্মপরিকল্পনা রূপায়ণের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে। আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তার স্বার্থে ও পরমাণু শক্তি প্রসার রোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগ গ্রহণের ওপর উভয় দেশ জোর দিয়েছে। এছাড়া, ইরানের সঙ্গে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা গড়ে তোলার কথাও উভয় দেশ বলেছে। ইরানের পারমানবিক কর্মসূচি বিষয়ে সমস্ত ইস্যু শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলার আহ্বানও উভয় দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। 51. উভয় দেশ কোরীয় উপদ্বীপে সদর্থক ঘটনাগুলিকে স্বাগত জানিয়েছে এবং এই অঞ্চলে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনার উদ্যোগের প্রতি দুই দেশ তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে। কিন্তু কোরীয় উপদ্বীপের সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি এই সমস্যার সঙ্গে যুক্ত পরমাণু শক্তির প্রসারের বিষয়টিকেও যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ বলে উভয় দেশ অভিমত প্রকাশ করেছে। 52. উভয় দেশই বহির্মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বহির্মহাকাশকে সামরিক সংঘাতের মঞ্চে পরিণত না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আহ্বান জানিয়েছে। দুটি দেশই বলেছে বহির্মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা বন্ধ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক বড় বিপদ এড়িয়ে চলা সম্ভব। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সরকারি বিশেষজ্ঞদের গোষ্ঠীর প্রথম ���ধিবেশনে বহির্মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে একটি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক চুক্তি বা ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে যে আলোচনা হয়েছে, উভয় দেশ তাকে স্বাগত জানিয়েছে। এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের কাজের মধ্যে স্বচ্ছতা এবং আস্থা বর্ধক উদ্যোগ বিশেষ কার্যকর হতে পারে বলে উভয় দেশ অভিমত ব্যক্ত করেছে। 53. উভয় দেশ রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন, জমা করা এবং ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তির কার্যকরতা বজায় রাখার জন্য উদ্যোগের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে। এছাড়া, রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংগঠনের কাজের রাজনীতিকরণ বন্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের কথা উভয় দেশ বলেছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে সে দেশের রাসায়নিক অস্ত্র ভাণ্ডার ধ্বংস করার কাজ দ্রুত শেষ করায় ভারত তাকে স্বাগত জানিয়েছে। রাসায়নিক অস্ত্রমুক্ত এক বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে এই কাজ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে উভয় দেশ জানিয়েছে। 54. উভয় দেশ যে কোন ধরণের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করেছে এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে কোনরকম দ্বিমুখী নীতি ছাড়াই সম্মিলিতভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। উভয় দেশই সন্ত্রাসবাদীদের নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা, তাদের আয়ের পথ বন্ধ করা, অস্ত্র এবং অন্যান্য সরবরাহ চ্যানেল বন্ধ করা, তাদের আদর্শ, প্রচার ও নিয়োগ বন্ধ করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার কথা বলেছে। উভয় দেশ সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ সহ যে কোন ধরণের সন্ত্রাসবাদের প্রতি রাষ্ট্রিক সমর্থনের নিন্দা করেছে এবং দ্রুত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে একটি সার্বিক চুক্তি স্বাক্ষরের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রসঙ্ঘে ঝুলে থাকা এই চুক্তিটি যাতে আন্তর্জাতিক আইনে পরিণত হয়, উভয় দেশই তার জন্য আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর কাছে আহ্বান জানিয়েছে। রাসায়নিক এবং জৈব সন্ত্রাসের সমস্যা মোকাবিলায় ভারত ও রাশিয়া নিরস্ত্রীকরণ সংক্রান্ত সম্মেলনে বহুপাক্ষিক আলোচনা শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে। কোনভাবেই যাতে গোপনে রাসায়নিক এবং জৈব সন্ত্রাসবাদের কাজ করা না যায়, তার জন্য একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদনের কথাও উভয় দেশ বলেছে। 55. উভয় দেশ আন্তর্জাতিক আইনের নীতির প্রতি তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসঙ্ঘের কেন্দ্রীয় ভূমিকার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে। উভয় দেশই আন��তর্জাতিক আইনকানুনের ক্ষেত্রে আস্থার বিষয়টিকে সাধারণ নীতি হিসেবে গ্রহণ করে দ্বিচারিতা এড়িয়ে এক রাষ্ট্রের ওপর অন্য রাষ্ট্রের দায় চাপিয়ে এবং একতরফাভাবে আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী শক্তি প্রয়োগ করে যে কোন ধরণের কাজের বিরোধীতা করেছে। উভয় দেশই সংশ্লিষ্ট সকলের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ-ভিত্তিক এক বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। 56. উভয় দেশ রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর সংস্কারে জোর দিয়েছে এবং বর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলায় অতি দ্রুত এই কাজ সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে। রাশিয়া রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের প্রতি তাদের সমর্থন পুনরায় ব্যক্ত করেছে। উভয় দেশই আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তি, নিরাপত্তা এবং সমতার ভিত্তিতে উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে এবং বিশ্ব ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা আনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের কাজে সমন্বয়সাধনের কথা বলেছে। 57. উভয় দেশই ২০৩০-এর সুষম উন্নয়ন লক্ষ্য সংক্রান্ত কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য তাদের অঙ্গীকার পুনরায় ব্যক্ত করেছে সমতার ভিত্তিতে সার্বিক এবং উদ্ভাবনকেন্দ্রিক অন্তর্ভুক্ত উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে ও অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত সুষম উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে কাজ করার কথা বলেছে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রসঙ্ঘের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, বিশেষ করে সুষম উন্নয়ন সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক মঞ্চ, ২০৩০-এর সুষম উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ে কাজের সমন্বয় এবং পর্যালোচনায় বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে বলে উভয় দেশ অভিমত ব্যক্ত করেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের উন্নয়ন ব্যবস্থার সংস্কার এবং যথা সময়ে প্রতিশ্রুতিমতো প্রদেয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করে উন্নয়নশীল দেশগুলির উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়সম্পদের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছে। 58. উভয় দেশ পরিবেশ-বান্ধব উন্নয়ন এবং কম কার্বন নির্গমনের অর্থনীতিকে তুলে ধরতে তাদের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। সুষম উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রেক্ষিতে তারা প্যারিস চুক্তির সম্পূর্ণ রূপায়ণের ওপর জোর দিয়েছে। এক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত রাষ্ট্রসঙ্ঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনে যে অভিন্ন কিন্তু স্বতন্ত্র দায়িত্ব রয়েছে, তা ���ালনের কথা বলেছে এবং উন্নত দেশগুলিকে আর্থিক, প্রযুক্তিগত এবং অন্যান্য সহায়তা দিয়ে এই কাজে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছে। 59. উভয় পক্ষই বিশ্বব্যাপী পরমাণু শক্তির প্রসার রোধ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার ব্যাপারে তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। রাশিয়া, ‘পারমানবিক সরঞ্জাম সরবরাহ গোষ্ঠী’তে ভারতের সদস্যপদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে। 60. উভয় পক্ষই তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতাসম্পন্ন কাজ বিষয়ে একটি নিয়মকানুন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে। এছাড়া, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এক্ষেত্রে একটি আন্তর্জাতিক আইন ব্যবস্থা তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছে উভয় দেশই। এর প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণের ওপর উভয় দেশ জোর দিয়েছে। দুই দেশ এক্ষেত্রে সহযোগিতার কাঠামো গড়ে তুলতে ব্রিক্‌স দেশগুলির নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার কথা বলেছে এবং এ বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত ব্রিক্‌সভুক্ত আন্তঃসরকারি চুক্তি সম্পাদনের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে অভিমত প্রকাশ করেছে। 61. উভয় দেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য একটি অভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করা এবং দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে দুই দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি আন্তঃসরকারি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার লক্ষ্যে দুই দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও ঐকমত্য হয়েছে। 62. উভয় দেশ এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলির মধ্যে সমতার ভিত্তিতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামো প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবের প্রতি সহমত পোষণ করেছে। পূর্ব এশিয়া শিখর বৈঠক এবং অন্যান্য আঞ্চলিক মঞ্চের মধ্যে এই লক্ষ্যে বহুপাক্ষিক আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ওপর উভয় দেশই গুরুত্ব আরোপ করেছে। দুটি দেশই মনে করে যে আঞ্চলিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার যে কোন ধরণের উদ্যোগকে বহুপাক্ষিকতা, স্বচ্ছতা, অন্তর্ভুক্ততা, পারস্পরিক আস্থা এবং সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির লক্ষ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টার ভিত্তিতে চালিয়ে যাওয়া দরকার। তবে এই কাজ যেন কোন দেশের বিরুদ্ধে পরিচালিত না হয়, এই প্রসঙ্গে উভয় দেশ ২০১৮-র ২৪শে আগস্ট মস্কোয় রাশিয়ার উপ-বিদেশমন্ত্রী ইগর মরগুলভ এবং ভারতের বিদেশ সচিব বিজয় গোখেলের মধ্যে যে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছে। 63. উভয় দেশ ব্রিক্‌স, জি-২০, এসসিও, আরআইসি, ইস্ট এশিয়া সামিটের মতো বহুপাক্ষিক আঞ্চলিক মঞ্চে তাদের অবস্থান ও কাজের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমন্বয় বজায় রাখার প্রতি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে ইউরেশিয়ান ইকনমিক ইউনিয়নের সঙ্গে সহযোগিতা আরও ব্যাপকতর করার আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। 64. উভয় দেশই ২০১৮-র জুন মাসে ক্যুইনডাওতে সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনের রাষ্ট্রপ্রধানদের বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অংশগ্রহণকে ঐ সংগঠনের পূর্ণ সদস্য হিসেবে ভারতের সফল অন্তর্ভুক্তি হিসেবে দেখতে চায়। সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনের সনদ, নিয়মনীতি এবং আন্তর্জাতিক আইনের নীতির প্রতি দু’দেশ তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এই সংগঠনের কাজের সম্ভাবনাকে সবদিক থেকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে উভয় দেশ সমন্বিত উদ্যোগ নেবে বলে স্থির হয়েছে। নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, বেআইনি মাদক চালান এবং সংগঠিত অপরাধ মোকাবিলা সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হবে বলে উভয় দেশ স্থির করেছে। এর ফলে, সংগঠনের আঞ্চলিক পর্যায়ে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কাঠামোয় সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে উভয়েই অভিমত প্রকাশ করেছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সামরিক মহড়া ‘পিস মিশন, ২০১৮’-এ অংশগ্রহণকে স্বাগত জানানো হয়েছে। উভয় পক্ষই সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনের অর্থনৈতিক বিষয়টিকে তুলে ধরা এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করে। এর মধ্যে সংগঠনভুক্ত দেশগুলির নিজেদের মধ্যে পরিবহণের পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রকল্প রূপায়ণও রয়েছে। উভয় দেশ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনের ক্রমবর্ধমান ভূমিকার প্রতি সহমত পোষণ করে রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনেও সহযোগিতার কথা বলেছে। এছাড়া, এই সংগঠনের মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং মানবিক সংযোগকে গভীরতর করার বিষয়ে উভয় দেশ একমত হয়েছে। 65. উভয় দেশ একটি উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ, বৈষম্যহীন ও আইন-ভিত্তিক বহুপাক্ষিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কের বিচ্ছিন্নতা প্রতিরোধ করা এবং বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রে যে কোন ধরণের রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছে। 66. একটি বৃহত্তর ইউরেশিয়ান অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে রাশিয়া যে উদ্যোগ নিয়েছে, ভারত তাকে স্বাগত জানিয়েছে। এই উদ্যোগের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ের উন্নয়ন সংক্রান্ত কর্মসূচি এবং আন্তর্জাতিক আইন, সমতার নীতি, পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে গঠনমূলক সহযোগিতার মঞ্চ হিসাবে বিভিন্ন প্রকল্পের রূপায়ণের কথা ভাবা হয়েছে। 67. উভয় দেশই ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক, অভিন্ন স্বার্থ এবং বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে অভিন্ন অবস্থান গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সমন্বয় এবং বিশেষ ও সুবিধাপ্রাপ্ত অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে গিয়ে উভয় দেশের স্বার্থকে সংহত করায় একমত হয়েছে। 68. রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং ২০১৯-এ দু’দেশের মধ্যে ২০তম বার্ষিক শীর্ষ বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আনন্দের সঙ্গে এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।","ৰাছিয়াৰ ৰাষ্ট্ৰপতিৰ ভাৰত ভ্ৰমণ কালত ভাৰত-ৰাছিয়াৰ যুটীয়া বিবৃতি (৫ অক্টোবৰ, ২০১৮)" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%B0%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F-%E0%A7%B0%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%8D/,প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সিরপ্রয়াণে শোক ব্যক্ত করেছেন। এক বার্তায়প্রধানমন্ত্রী বলেছেন : “শ্রীপ্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি একজন জনপ্রিয় নেতা ছিলেন এবং তাঁর সমৃদ্ধ রাজনৈতিক এবংপ্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ছিল। ভারতে ফুটবলকে জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে তিনিউল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তাঁর পত্নী দীপাদাসমুন্সিজি এবং পরিবার ও তাঁর সমর্থকদের জন্য আমার সমবেদনা জানাই।”,শ্ৰী প্ৰিয় ৰঞ্জন দাসমুন্সিৰ মৃত্যুত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শোক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF-10/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%8C%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A7%B1%E0%A6%BE/,"নমস্কার! আমার মন্ত্রীপরিষদের সদস্য রাধামোহন সিংহ মহোদয়, উত্তরপ্রদেশের জনপ্রিয় ও যশস্বী প্রাণশক্তিতে ভরপুর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, জাপান সরকারের অ্যাসিস্টেন্ট ডেপুটি মিনিস্টার তকামি নাকাডা মহোদয়, ইজরায়েলের রাজদূত মায়া কাডোশজি, কৃষি বিজ্ঞানীগণ, অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং উত্তর প্রত্যেক প্রান্ত থেকে আসা আমার প্রিয় কৃষক বোন ও ভাইয়েরা! প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিতব্য অর্ধকুম্ভের জন্য এখন কয়েকমাস বাকি আছে। কিন্তু ইউপি-র মাটিতে আজ থেকে আরেকটি কুম্ভ শুরু হয়ে গেল। ইউপি-র অসংখ্য গ্রামের প্রায় ৫০হাজার কৃষক, দেশ-বিদেশের বৈজ্ঞানিক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী লখনৌ-এর এই কৃষি-কুম্ভে অংশগ্রহণ করেছেন। আমি আপনাদের সবাইকে অভিবাদন জানাই, স্বাগত জানাই। আর ইউপি-র সাংসদ হিসেবেও আমার কর্তব্য হল আপনাদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে আপনাদের উন্নয়ন যাত্রার জন্যে কোনও না কোনও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। কয়েক মাস আগে কৃষি উন্নতি মেলার সময় আমি বৃহৎ কৃষি উন্নয়ন মেলা শুরু করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। আজ আমরা কৃষি-কুম্ভ রূপে তারই বাস্তবায়ণ দেখতে পাচ্ছি। এই উত্তম প্রচেষ্টার জন্য আমি যোগীজি এবং তাঁর পুরো টিমকে অভিনন্দন জানাই। আমি ইজরায়েল এবং জাপান সরকারের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই যারা এই আয়োজনে আমাদের অংশীদার। তেমনি রাজ্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী হরিয়াণারও এই আয়োজনে অনেক লাভ হতে চলেছে। বন্ধুগণ, কুম্ভ শব্দটি যখনই কোনও আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন তার গুরুত্ব আরও ব্যাপক হয়ে পড়ে। কুম্ভ এক প্রকার মানবতার, ভাবনা-চিন্তার এক অনন্ত অন্তরপ্রবাহ। আমার বিশ্বাস যে এই পরম্পরা, এই ভাবনাকে এই কৃষি কুম্ভ সাকার রূপ দেবে এবং আগামী তিনদিনে কৃষিক্ষেত্রকে উন্নত করার জন্যে উন্নত পদ্ধতি এবং অন্যান্য সুযোগের নতুন পথ খুলবে। বন্ধুগণ, আমাকে বলা হয়েছে যে এই মেলায় প্রায় ২২টি স্টলে কৃষকদের নতুন পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে অবহিত করা হচ্ছে, সেখানে কৃষির সঙ্গে যুক্ত নতুন মেশিঙ্গুলি রাখা হয়েছে। আমার বিশ্বাস, যে কৃষকই এখানে আসবেন, তিনি এর দ্বারা উপকৃত হবেন আর উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎকর্ষ সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও কৃষকদের সুবিধা হবে। বন্ধুগণ, সারা দেশে খরিফের মরসুম প্রায় সম্পূর্ণ হতে চলেছে। সমস্ত কৃষক ভাইবোন আজকাল অত্যন্ত ব্যস্ত। এবারও রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়��ছে। ইউপি-র অবস্থান এমনই যে এখানে পরিশ্রমী কৃষকদের দ্বারা দেশের প্রায় ২০ শতাংশ খাদ্য উৎপন্ন হয়। সেজন্যে আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই। এখন সারা দেশের বড় বাজারগুলিতে ধান এবং ডাল সহ সমস্ত ফসলের বিকিকিনি চলছে। আমাকে বলা হয়েছে যে উত্তরপ্রদেশের অনেক এলাকায় এর জন্যে ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবার কৃষকরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য অনুসারে ফসলের দাম পাচ্ছেন। আপনারা সবাই জানেন যে সরকার রবি ও খরিফের ২১টি ফসলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করেছে। এই ফসলগুলির ক্ষেত্রে এখন কৃষকরা বিনিয়োগ মূল্যের তুলনায় ন্যূনতম ৫০ শতাংশ সরাসরি লাভ পাচ্ছেন। বন্ধুগণ, ইউপি-র কৃষকরা যেখানে উৎপাদনের রেকর্ড তৈরি করছে, সেখানে যোগীজির নেতৃত্বাধীন সরকার ফসল কেনার ক্ষেত্রেও সমস্ত রেকর্ড ভাঙছে। এজন্য আমি যোজীজির সরকারকে অভিনন্দন জানাই। গমের ক্ষেত্রে এবার প্রায় ৫০-৫৫ লক্ষ মেট্রিক টন গম কেনা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রায় সাত-আটগুণ বেশি কেনার পাশাপাশি কৃষকদের সঠিক মূল্য প্রদানের চিন্তা যোগীজির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি করেছে। শুধু তাই নয়, এই ক্রয়ের ক্ষেত্রে ই-উপার্জন পদ্ধতি ব্যবহার করে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কেনার ফলে দালালদের হাত থেকে কৃষকরা নিষ্কৃতি পেয়েছে। বন্ধুগণ, এই পরিবর্তন শুধু ধান আর গম কেনার ক্ষেত্রেই নয়, আখের ক্ষেত্রেও এই পরিবর্তন স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। এই ঋতুতে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকার আখ কৃষকদের কাছ থেকে কেনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পূর্ববর্তী বকেয়া থেকেও প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা কৃষকদের প্রদান করা হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে চিনি কারখানাগুলির যে বকেয়া ছিল তাও দ্রুত পুরণের প্রচেষ্টা যোগী সরকার করছে। আমি এটা জেনে খুব খুশি হয়েছি যে ইউপি রাজ্য সরকার প্রথমবার আলু কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতি বছরই আলুর উচিৎ মূল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে কৃষকরা সমস্যার সম্মুখীন হন। সেজন্য রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে নিশ্চিতভাবেই কৃষকরা উপকৃত হবেন। বন্ধুগণ, উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকারের এই প্রচেষ্টা কেন্দ্রীয় সরকারের সেই দায়বদ্ধতার অংশ বিশেষ যার মাধ্যমে গ্রাম এবং কৃষক আমাদের আর্থিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা স্পষ্টভাবে মনে করি যে কৃষকদের কেউ এগিয়ে দেয় না, কৃষকরাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সেজন্য সরকার কৃষি এবং কৃষ���দের সমস্ত সমস্যা নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে কাজ করার পুরনো ধারণার পরিবর্তে এখন সামগ্রিকতা নিয়ে কাজ করছে। আমরা কৃষকদের ছোটখাট সমস্যাগুলিরও সমাধান করতে চাই। বন্ধুগণ, ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগে দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য সরকার সঙ্কল্পবদ্ধ। কৃষকদের আয় বৃদ্ধির জন্য কম বিনিয়োগ, অধিক লাভের নীতি নিয়ে কৃষিক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির অভূতপূর্ব সমাবেশ ঘটানো হচ্ছে। বীজ থেকে শুরু করে বাজার পর্যন্ত একটি মজবুত ব্যবস্থা দেশে গড়ে তোলা হচ্ছে। মাটির স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে বাজারের পদ্ধতিগত সংস্কার পর্যন্ত অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সারা দেশে প্রায় ১৬ কোটিরও বেশি মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ড কৃষকদের প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৩ কোটি উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা পেয়েছেন। ফলে, কৃষকরা কখন কোন ফসল ফলাবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সুবিধা হচ্ছে। কোন সার কত মাত্রায় দিলে পরে তাঁদের ফলন ভালো হবে সে ব্যাপারেও তাঁরা জানতে পারছেন। বন্ধুগণ, মাটির উৎকর্ষের পাশাপাশি এর ঊর্বরতা বৃদ্ধির জন্য জৈব চাষকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বর্জ্য থেকে যে খাদ তৈরি হয় তার আরও বেশি ব্যবহারের জন্য কৃষকদের প্রেরণা যোগানো হচ্ছে। কিন্তু দেশের প্রয়োজন অনুসারে উৎপাদনও বজায় রাখার জন্য ইউরিয়ার মতো সারের পর্যাপ্ত যোগান সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সেচ ব্যবস্থাকেও শক্তিশালী করা হচ্ছে। বড় সেচ প্রকল্পগুলি ছাড়াও সেচের নতুন নতুন পদ্ধতিকে উৎসাহিত যোগানো হচ্ছে। প্রতি বিন্দুতে অধিক শস্য ফলানোর জন্য কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ‘ড্রিপ সেচ’, ‘স্প্রিঙ্কলার সেচে’র মতো আধুনিক পদ্ধতি আমাদের সেচ ব্যবস্থার অংশ হয়ে উঠেছে। ইজরায়েল সেচের এই নতুন পদ্ধতিগুলির ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। তেমনই জাপানও কৃষি সংক্রান্ত নানা পদ্ধতির ক্ষেত্রে ব্যাপক মাত্রায় কাজ করছে। এই কৃষি কুম্ভের অংশীদার হিসেবে আপনাদের সবাইকে একসঙ্গে পেয়ে গোটা দেশ এই দুই দেশের বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা দ্বারা উপকৃত হবে। বন্ধুগণ, এর পাশাপাশি আমরা বিদ্যুৎ এবং ডিজেলচালিত পাম্পের জায়গায় সৌর পাম্পের প্রচলন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছি। এই ব্যবস্থাসমূহের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সেচের অনেক বড় উপায় আমাদের এই পাম্পগুলি যত বেশি সৌরশক্তি চালিত হবে, ততই দেশের লাভ হবে। সেজন্য আগামী চার বছরে সারা দেশে ���্রায় ২৮ লক্ষ কৃষকদের চাষের ক্ষেতে সেচের জন্য সৌর পাম্প ব্যবহার করা হবে। ফলে, কৃষকরা একদিকে যেমন বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পাবেন, অন্যদিকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত যে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে তা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলিকে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বন্ধুগণ, একটা সময়ে যাঁরা আমাদের অন্যদাতা ছিল সেই কৃষকরা আজ শক্তিদাতা হয়ে ওঠারও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেই অন্নদাতারা অন্ন তো দেবেনই, পাশাপাশি শক্তিও দেবেন। বন্ধুগণ, এই অভিযানের মাধ্যমে কৃষকদের জীবনে কতটা পরিবর্তন আসছে তার সাক্ষী আমি। কিছুদিন আগে গুজরাটে গিয়ে দেখেছি সেখানকার এক গ্রামে কয়েকটি কৃষক পরিবার মিলে তাঁদের ক্ষেতে সৌর প্যানেল এবং সৌরপাম্প দিয়ে কাজ শুরু করেছে। সূর্যের কিরণ থেকে তাঁদের সৌর প্যানেল যতটা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে, তা দিয়ে ঐ পাম্প চালানোর প্রয়োজন সম্পন্ন হওয়ার পর প্রতি বছর বিদ্যুৎ বিক্রি করে তারা প্রায় ৫০ হাজার টাকা রোজগার করছেন। বন্ধুগণ, আমাদের সরকার ঐকান্তিকভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যাতে বিজ্ঞানের সুফল দ্বারা কৃষকরা সরাসরি লাভবান হয়। সেজন্য কৃষকদের সঙ্গে বৈজ্ঞানিকদের এবং অনুসন্ধান কেন্দ্রগুলিকে সরাসরি যুক্ত করার কাজ করা হচ্ছে যাতে কৃষিক্ষেত্র, বীজের ক্ষেত্রে যত নতুন আবিষ্কার হচ্ছে, সেগুলি সম্পর্কে কৃষকরা সরাসরি জানতে পারবেন। এক্ষেত্রে সারা দেশে চালু হওয়া ৭০০টি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কৃষি নিয়ে গবেষণার জন্য বেশ কিছু আধুনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। বারাণসীতে নির্মীয়মান ধান গবেষণা কেন্দ্রও এই লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা। কৃষকের উৎপাদিত ফসল অধিক দামে বিক্রির জন্য সরকার মূল্য সংযোজনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের সিদ্ধান্তও সরকার নিয়েছে। আমরাও জানি যে টোমাটো বিক্রি করলে সস্তায় বিক্রি করতে হয়, কিন্তু টোমাটোর স্যুপ বোতলীকরণ করে বিক্রি করলে অনেক বেশি লাভ হয়। কাঁচা আম বিক্রি করলে অনেক কম লাভ হয়, কিন্তু সেই আমের আচার বানিয়ে বিক্রি করলে অনেক বেশি লাভ হয়। কাঁচা লঙ্কা থেকে যা লাভ হয়, লঙ্কার গুড়ো করে বিক্রি করলে তার থেকে অনেক বেশি লাভ হয়। এটাকেই মূল্য সংযোজন। তাছাড়া, এ বছরের বাজেটে টোমাটো, পেঁয়াজ এবং আলু উৎপাদনের পর মূল্য সংযোজনের জন্য ৫০০ কোটি টাকার ‘টপ’ প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাধ্যমেও উত্তরপ্রদেশের আলু চাষীরা অনেক লাভবান হবেন। এভাবে কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগের পথ খুলেছে। উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা অনেক লাভবান হচ্ছেন। আমাকে বলা হয়েছে যে উত্তরপ্রদেশ বিনিয়োগকারীদের শীর্ষ সম্মেলনে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে মূল্য সংযোজনের ক্ষেত্রে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। এর মধ্যে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে ১৪টি প্রকল্পের ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। বন্ধুগণ, চাষকে লাভজনক করে তুলতে নেওয়া এই পদক্ষেপগুলির পাশাপাশি অন্যান্য মাধ্যমেও কৃষকদের আয়বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। সবুজ বিপ্লবের সফল প্রয়োগের পর এবার আমরা শ্বেত বিপ্লব, মিষ্টি বিপ্লব, নীল বিপ্লবের মতো নতুন নতুন পথে চলতে শুরু করেছি। দুধ উৎপাদন, মধু উৎপাদন, ডিম ও মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশ নতুন নতুন রেকর্ড গড়ে তুলছে। দু’দিন আগে ভারত সরকার মৎস্য উৎপাদনের সঙ্গে কৃষক পরিবারগুলিকে মৎস্যজীবী ভাই-বোনেদের জন্য একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার একটি নতুন অর্থভাণ্ডার মঞ্জুর করেছে। বন্ধুগণ, এই কৃষিকুম্ভে উপস্থিত সমস্ত কৃষক, কৃষি বিশেষজ্ঞ ও বৈজ্ঞানিকেরা ভারতীয় অর্থ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনারা যাই করুন না কেন তা আগামীদিনে আমাদের দ্রুত ক্রমবর্ধমান সামর্থ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেক বড় প্রভাব ফেলবে। আমি চাই যে আপনারা এই কৃষিকুম্ভে কৃষকদের সঙ্গে বসে কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে নিবিড় আলোচনা করুন। কিভাবে সারের ব্যবহার কমানো যায়, কিভাবে সেচের জল সাশ্রয় করা যায়, ফসল মজুত করার পদ্ধতি উন্নত করা এবং রোবট ও ড্রোনের মতো প্রযুক্তি কৃষির ক্ষেত্রে কতটা প্রভাবশালী হয়ে উঠতে পারে। এ ধরণের অনেক বিষয় নিয়ে অনেক বেশি চিন্তাভাবনা করার প্রয়োজন রয়েছে। তাছাড়া, ফসলের অবশিষ্টাংশকে আগে যেমন বর্জ্য হিসেবে দেখা হত, নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে তাকে কিভাবে সম্পদে পরিণত করা যায়, আবর্জনা থেকে কিভাবে সোনা ফলানো যায় … চাষের ক্ষেতে কোন জিনিস অনুৎপাদক নয়। ফলনের আগে কিংবা পরে ক্ষেতের প্রতিটি জিনিসই সোনা ফলাতে পারে। কৃষক যদি সেগুলিকে জহুরির মতো ব্যবহার করতে জানে তাহলে ক্ষেতের একটি জিনিসও ফেলা যায় না। আবর্জনাও সোনা হতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যাপক কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। সরকার এখন শস্যের অবশি���্টাংশ জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া থামাতে সেগুলির পুনর্ব্যবহারের যন্ত্র খাতে কৃষকদের ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের প্রযুক্তি-নির্ভর কিছু এমন সুনির্দিষ্ট উপায়ে বেছে নিতে হবে যাতে আমাদের কৃষকদের ভাইদের সামনে ফসলের অবশিষ্টাংশ জ্বালিয়ে দেওয়ার বাধ্যবাধকতা না থাকে, আর তা থেকে পরিবেশও সুরক্ষিত থাকে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আগামী তিনদিনে কৃষিকে লাভজনক করে তোলার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলি নিয়ে এবং নানা রকম মূল্য সংযোজন নিয়ে আপনারা চিন্তাভাবনা করবেন। উত্তরপ্রদেশের ভিন্ন ভিন্ন জেলায় সেখানকার প্রয়োজন অনুসারে কিভাবে নতুন নতুন পদ্ধতির প্রয়োগ করা যায়, সে বিষয়েও আপনারা আলোচনা করবেন। এই কৃষিকুম্ভ উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি গোটা দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে নতুন দিশা প্রদান করবে এই কামনা নিয়ে আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",লক্ষ্ণৌত অনুষ্ঠিত হোৱা ‘কৃষি কুম্ভ ২০১৮’ৰ মুকলি অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ভিডিঅ’ কনফাৰেন্সৰ জৰিয়তে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%AE-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A6%AE%E0%A7%87/,"নয়াদিল্লি, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লিতে ভুটানের রাজা জিগমে খেসর নামগিয়েল ওয়াংচুক-এর সঙ্গে দেখা করেছেন। ভারত-ভুটান নিকট ও অদ্বিতীয় বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করার বিভিন্ন ভাবনা নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করেছেন। শ্রী মোদী ভারত এবং ভুটানের সম্পর্ককে রূপ দেওয়ার কাজে ড্রুক গিয়ালপো পরম্পরার পথনির্দেশকারী দূরদর্শিতার প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী একটি ট্যুইট বার্তায় বলেছেন – “ভুটানের নৃপতির সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক হল। ভারত ও ভুটানের ঘনিষ্ঠতা এবং অদ্বিতীয় সখ্যকে আরও জোরদার করার বিভিন্ন ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের সম্পর্ককে রূপ দেওয়ার কাজে ড্রুক গিয়ালপো পরম্পরার পথনির্দেশকারী দূরদর্শিতার জন্য প্রশংসা জানাই।”",ভূটানৰ ৰজা মহামহিম জিগমে খেছাৰ নামগ্যেল ৱাংচুকক সাক্ষাৎ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%97%E0%A6%A4-%E0%A7%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A6%A4-%E0%A7%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A7%B1%E0%A6%95-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A7%B1%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%B2/,"নতুনদিল্লি, ১২ই জুন, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গত আট বছর ধরে যুব সম্প্রদায়ের জন্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। তাঁর ওয়েবসাইট, নমো অ্যাপ ও মাই গভ-এ এই উদ্যোগগুলির বিষয়ে বিভিন্ন নিবন্ধ এবং ট্যুইট তিনি সকলের মধ্যে ভাগ করে নেন। কয়েকটি ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ভারতের যুবশক্তি আমাদের সবথেকে বড় শক্তি। দেশের উন্নয়নে আমাদের যুবক যুবতীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে থাকেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। যুব সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ এই নিবন্ধগুলিতে তুলে ধরা হয়েছে।#8SaalYuvaShaktiKeNaam” “যুব সম্প্রদায়ের স্বপ্নপূরণে এবং তাঁদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য আমাদের সরকার ৮ বছর ধরে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। সেগুলির বিষয়ে জানতে………… #8SaalYuvaShaktiKeNaam” “ নিউ ইন্ডিয়ার ভিত হলেন, দেশের যুব সম্প্রদায়। গত আট বছর ধরে আমরা তাঁদের ক্ষমতায়নে সবধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। নতুন শিক্ষা নীতি, /",বিগত ৮ বছৰত যুৱক-যুৱতীসকলৰ বিকাশ সাধনৰ বাবে লোৱা পদক্ষেপৰ সবিশেষ শ্বেয়াৰ কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%97%E0%A7%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%97%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A7%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6/,"নয়াদিল্লি, ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর নতুন দিল্লির বাড়িতে ছত্তিশগড়ের শিল্পী শ্রী শ্রাবণ কুমার শর্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। শিল্পী তাঁর আঁকা প্রধানমন্ত্রীর একটি ছবি শ্রী মোদীর হাতে তুলে দেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন – “ছত্তিশগড়ের প্রতিভাবান শিল্পী শ্রী শ্রাবণ কুমার শর্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ছবি এঁকে চলেছেন। আদিবাসীদের শিল্পকর্ম নিয়ে তিনি চর্চা করে চলেছেন।”",ছত্তিশগড়ৰ শিল্পী শ্ৰী শ্ৰৱণ কুমাৰ শৰ্মাৰ সৈতে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সাক্ষা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%B0-%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%9B-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7/,"তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রের সিইও এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সোমবার একআলোচনা বৈঠকে মিলিত হন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। রসনেফট্‌, বিপি,রিলায়েন্স, সৌদি অ্যারামকো, এক্সন মোবিল, রয়্যাল ডাচ শেল, বেদান্ত, উড ম্যাকেনজি,আইএইচএস মার্কিট, স্কালমবার্গার, হ্যালিবাটন্‌, এক্সকোল, ওএনজিসি, ইন্ডিয়ান অয়েল,গেইল, পেট্রোনেট এলএনজি, অয়েল ইন্ডিয়া, এইচপিসিএল, ডেলোনেক্স এনার্জি, এনআইপিএফপি,ইন্টারন্যাশনাল গ্যাস ইউনিয়ন, বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সিরসিইও এবং আধিকারিকরা যোগ দেন এই বৈঠকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও শ্রী আরকে সিং ছাড়াও আলোচনাবৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নীতি আয়োগ, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক এবংঅর্থ মন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিকরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রের সিইও-দের এই আলোচনা বৈঠকেসমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করে নীতি আয়োগ। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসদপ্তরের মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও শ্রী রাজীব কুমার সিং এবং নীতি আয়োগেরভাইস চেয়ারম্যান তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রের কাজকর্ম ও সাফল্যের একটি সংক্ষিপ্ত চিত্রতুলে ধরেন বৈঠকের সূচনায়। ভারতের শক্তি ও জ্বালানি ক্ষেত্রের সম্ভাব্য চাহিদারবিষয়টিও তাঁরা ব্যাখ্যা করেন আলোচনাকালে। বৈদ্যুতিকরণ এবং এলপিজি’র প্রসারেরক্ষেত্রে যে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে, তাও এদিন স্থান পায় তাঁদেরবক্তব্যে। একটি সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনার মাধ্যমে সাম্প্রতিককালে ভারতের তেল ও গ্যাসক্ষেত্রে যে উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জ লক্ষ্য করা গেছে, তা এদিন সকলের কাছে তুলে ধরেননীতি আয়োগের সিইও শ্রী অমিতাভ কান্ত। গত তিন বছরে ভারতে সংস্কার ও অগ্রগতি প্রচেষ্টার ভুয়সী প্রশংসা করেন বৈঠকেউপস্থিত সিইও এবং আধিকারিকরা। জ্বালানি ক্ষেত্রের সংস্কার প্রচেষ্টায় যে গতি ওচালিকাশক্তি এনে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তারও উচ্চকিত প্রশংসাকরেন তাঁরা। এক অভিন্ন জ্বালানি নীতি, ঠিকা সম্পর্কিত কাঠামোগত ব্যবস্থা, ভূ-কম্পনসম্পর্কিত তথ্য ও পরিসংখ্যান, জৈব জ্বালানি ব্যবহারে উৎসাহদান, গ্যাসের যোগানবৃদ্ধি, একটি গ্যাস হাব গড়ে তোলা এবং নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়েরওপর তাঁরা আলোকপাত করেন। জিএসটি’র কাঠামোর মধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের অন্তর্ভুক্তিরসমর্থনে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই জোরালো সুপারিশ করেন। কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব শ্রীহাসমুখ আধিয়া তাঁর বক্তব্যে তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র সম্পর্কে জিএসটি পরিষদেরসাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলি ব্যাখ্যা করেন এদিনের আলোচনা বৈঠকে। বৈঠকে উপস্থিত অন্যান্যদের আলোচনা ও মতামতের জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানানপ্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত বছর অর্থাৎ ২০১৬’তে অনুষ্ঠিত শেষ বৈঠকটিতে এমন অনেকপ্রস্তাব ও সুপারিশ পাওয়া গেছে, যা নীতি রচনার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সাহায্য করেছে।বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখনও যথেষ্ট মাত্রায় সংস্কারের সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনিউল্লেখ করেন। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত সিইও আধিকারিকরা যেভাবে মূল্যবান প্রস্তাব ওপরামর্শ পেশ করেছেন, সেজন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান শ্রী মোদী। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সিইও এবং আধিকারিকরা শুধুমাত্র তাঁদের নিজের নিজেরসংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সমস্যা ও সম্ভাবনাকে তুলে না ধরে সার্বিকভাবে তেল ও গ্যাসক্ষেত্রের সার্বিক উন্নয়নে যেভাবে মতামত পেশ করেছেন, সেজন্য তাঁদের বিশেষ প্রশংসাওকরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যে সমস্ত প্রস্তাব ও পরামর্শ এদিনের বৈঠকে উঠেএসেছে তা নীতি, প্রশাসন এবং নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যথেষ্ট মূল্যবান। ভারতের শক্তি ও জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রসারে দৃঢ় অঙ্গীকারের জন্যরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট মিঃ ভ্লাদিমির পুতিন এবং রসনেফ্‌ট কর্তৃপক্ষকে অশেষ ধন্যবাদজানান শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০৩০ সালের লক্ষ্যে সৌদি আরবের গৃহীত দৃষ্টিভঙ্গিরওবিশেষ প্রশংসা করেন তিনি। তাঁর সৌদি আরব সফরের কথা বিশেষভাবে স্মৃতিচারণ করেপ্রধানমন্ত্রী বলেন যে, ঐ দেশে জ্বালানি ক্ষেত্রের প্রসার ও উন্নয়নে বেশ কিছুপ্রগতিশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যেসহযোগিতার নতুন নতুন সুযোগ দেখা দেবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, ভারতের জ্বালানি ক্ষেত্রটি বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে, তারউন্নতি ঘটানো প্রয়োজন। একটি সুসংবদ্ধ জ্বালানি নীতি অনুসরণের জন্য বিভিন্নপ্রস্তাব ও পরামর্শকে স্বাগত জানান তিনি। পূর্ব ভারতে জ্বালানি পরিকাঠামোর প্রসার এবংজ্বালানি শক্তিকে সুলভ করে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। বায়োমাসজ্বালানির সম্ভাবনার বিষয়টিকেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। কয়লা থেকেগ্যাস উৎপাদনের লক্ষ্যে যৌথ উদ্যোগের ওপর জোর দিয়ে তেল ও গ্যাস ক্��েত্রের উদ্ভাবনও গবেষণা প্রচেষ্টার সম্ভাবনার বিষয়গুলিকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান তিনি। শ্রী মোদী বলেন, ভারত বর্তমানে আরও স্বচ্ছতার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। তাই,বিশুদ্ধ জ্বালানির উদ্ভাবন এবং জ্বালানির দিক থেকে দক্ষ এক অর্থনীতির বিকাশ ঘটানোপ্রয়োজন। এর সুফল যাতে সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে, বিশেষত দরিদ্রদের কাছেপৌঁছে দেওয়া যায়, সেই লক্ষ্যে সমবেত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। …",বিশ্বৰ তেল আৰু গেছ প্ৰতিষ্ঠাসমূহৰ মুখ্য কাৰ্যবাহী বিষয়া আৰু আন্তঃৰাষ্ট্ৰীয় পৰ্যায়ৰ বিশেষজ্ঞৰে বাৰ্তালাপ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AD/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4/,"হাইড্রোকার্বন ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতা সম্পর্কিত চুক্তির কাঠামো(এফওইউ) স্বাক্ষরের প্রস্তাবে আজ সম্মতি দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনার পর প্রস্তাবেসম্মতিদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সহযোগিতা চুক্তি কাঠামো স্বাক্ষরের মূল উদ্দেশ্য হল হাইড্রোকার্বনক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা প্রসারে একটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাগড়ে তোলা। সমতা এবং পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে এক উন্নততর সহযোগিতার বাতাবরণ গড়েতোলাও হল এর অন্যতম উদ্দেশ্য। চুক্তি কাঠামো স্বাক্ষরের প্রস্তাবে স্থানীয় তথা আঞ্চলিক পর্যায়েদ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা প্রসারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, একদিকেযেমন উন্নয়নমূলক কাজকর্মে বিশেষ গতি সঞ্চার ঘটবে, অন্যদিকে তেমনই বিকাশের লক্ষ্যেদুটি দেশেরই স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এক সমৃদ্ধ ওশান্তিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েরই একটি সাধারণদৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তার বাস্তব রূপায়ণে চুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা কাঠামোস্বাক্ষরের ঘটনা বিশেষভাবে তাৎপর্যময়। কাঠামোটি কার্যকর থাকবে আগামী পাঁচ বছরেরজন্য। /",হাইড্র’কার্বন খণ্ডত ভাৰত-বাংলাদেশৰ মাজত সহযোগিতামুলক পৰিকাঠামো চুক্তিৰ স্বাক্ষৰৰ বাবে কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AC/,"নয়াদিল্লি, ১৪ জুন, ২০২২ মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী ভগৎ সিং কোশিয়ারিজি, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী উদ্ধব ঠাকরেজি, মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশজি, মুম্বাই সমাচারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শ্রী এইচ এন কামাজি এবং মেহরবান কামাজি, সম্পাদক নীলেশ দাভেজি, এই সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত সকল কর্মী, ভদ্রমহোদয়া ও ভদ্রমহোদয়গণ! প্রথমেই আমি নীলেশ ভাইয়ের বক্তব্যের বিরোধিতা করছি। তিনি আমাকে ভারতের সৌভাগ্যের সৃষ্টিকর্তা বলে উল্লেখ করেছেন। ভারতের সৌভাগ্যের সৃষ্টিকর্তা হলেন এ দেশের ১৩০ কোটি জনগণ আর আমি একজন সেবক মাত্র। আজ যদি আমি এখানে না আসতাম তাহলে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হতাম। এখানে এসে আমি অনেক পরিচিত মুখ দেখতে পাচ্ছি। এর থেকে আনন্দের আর কিছু হয় না যখন এতগুলি চেনা মুখ এক জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়। এই ঐতিহাসিক সংবাদপত্রের ২০০তম বার্ষিকী উপলক্ষে মুম্বাই সমাচার-এর সমস্ত পাঠক-পাঠিকা, সাংবাদিক ও সমস্ত কর্মীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। মুম্বাই সমাচার দুই শতাব্দী ধরে বহু প্রজন্মের কন্ঠ হয়ে উঠেছে। মুম্বাই সমাচার স্বাধীনতা আন্দোলনে ভাষা যুগিয়েছে। পরবর্তীতে স্বাধীন ভারতের ৭৫ বছরে সব বয়সী পাঠকের চাহিদা পূরণ করেছে। ভাষা কিন্তু একই থেকেছে – গুজরাটি, কিন্তু জাতীয় স্তরের সংবাদ এই পত্রিকায় স্থান পেয়েছে। বিদেশিদের প্রভাবে এই শহর যখন বম্বে হয়ে উঠেছিল, তখনও এই সংবাদপত্র তার আঞ্চলিক যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়নি, শিকড় ছেড়ে বেরিয়ে আসেনি। সেদিনের মতো আজও এই সংবাদপত্র মুম্বাইবাসীদের খবরের কাগজ – মুম্বাই সমাচার! মুম্বাই সমাচার-এর প্রথম সম্পাদক মেহেরজি ভাইয়ের নিবন্ধগুলি সেই সময় প্রবল আগ্রহে পাঠকরা পড়তেন। এই সংবাদপত্রের বিষয়বস্তুর সত্যতা নিয়ে কখনও কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। মহাত্মা গান্ধী ও সর্দার প্যাটেল নিয়মিত এই পত্রিকা পড়তেন। আপনাদের সংবাদপত্রের এই পথ চলাকে স্মরণীয় করে রাখতে আজ একটি স্মারক ডাকটিকিট এবং তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হল। বন্ধুগণ, আজকের দিনে আমরা যখন শুনি একটা খবরের কাগজ ২০০ বছর ধরে চলছে, তখন আশ্চর্য হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। যখন এই পত্রিকা পথ চলা শুরু করেছিল তখন রেডিও আবিষ্কার হয়নি আর টিভি-র তো প্রশ্নই নেই। গত দু’বছর ধরে আমরা ১০০ বছর আগের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারী নিয়ে আলোচনা করছি। কিন্তু এই খবরের কাগজ ওই আন্তর্জাতিক মহামারীরও ১০০ বছর আগে তার যাত্রা শুরু করেছিল। দ্রুত পরিবর্তনশীল এই জগতে মুম্বাই সমাচার-এর ২০০ বছরের যাত্রা এই খবরের কাগজের গুরুত্বের কথা সবাইকে উপলব্ধি করায়। মুম্বাই সমাচার-এর ২০০ বছর এবং ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর একই সময়ে হওয়া এক অদ্ভুত সমাপতন আর তাই আজ আমরা শুধুমাত্র ভারতের উন্নতমানের সাংবাদিকতার বিষয় নিয়েই আলোচনা করছি না, সেই সাংবাদিকতায় দেশপ্রেমের ছোঁয়ার কথাও উল্লেখ করছি যা স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদযাপনের সঙ্গে এক হয়ে গেছে। আমি নিশ্চিত, যে মূল্যবোধ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে আপনারা এতদিন চলেছেন, আগামীদিনেও তা বজায় থাকবে। বন্ধুগণ, মুম্বাই সমাচার শুধুমাত্র সংবাদ প্রকাশের একটি মাধ্যমই নয়, এটি একটি ঐতিহ্য। ভারতের দর্শন এবং অভিব্যক্তি মুম্বাই সমাচার-এর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। নানা ঝড়-ঝাপটার মধ্য দিয়েও কিভাবে ভারত দৃঢ়ভাবে তার অবস্থান বজায় রেখেছে তা আমরা মুম্বাই সমাচার-এর মাধ্যমে জানতে পারি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি অনুযায়ী ভারত নিজের পরিবর্তন ঘটিয়েছে কিন্তু তার মূল নীতিকে আরও শক্তিশালী করেছে। মুম্বাই সমাচার-এরও নানা নতুন নতুন পরিবর্তন হয়েছে। প্রথমে সাপ্তাহিক, তারপর সপ্তাহে দু’বার, পরবর্তীকালে দৈনিক সংবাদপত্র আর এখন ডিজিটাল সংস্করণ – এই সংবাদপত্রটি বিভিন্ন সময়ের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জগুলি গ্রহণ করেছে। নিজের মূল ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে কিভাবে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনকে গ্রহণ করা যায়, মুম্বাই সমাচার তার আদর্শ উদাহরণ। বন্ধুগণ, যখন মুম্বাই সমাচার শুরু হয়েছিল তখন এই সংবাদপত্র কতদিন চলবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। সেই সময়ে গুজরাটির মতো একটি ভারতীয় ভাষায় একটি সংবাদপত্র প্রকাশ করা খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। মুম্বাই সমাচার আঞ্চলিক ভাষায় সাংবাদিকতার প্রসার ঘটিয়েছে। ‘কেশরী’ পত্রিকা এবং সাপ্তাহিক মারাঠি পত্রিকার মধ্য দিয়ে লোকমান্য তিলকজি স্বাধীনতা আন্দোলনে নতুন উন্মাদনা নিয়ে এসেছিলেন। সুব্রহ্মণ্য ভারতীর কবিতা ও লেখা বিদেশি শক্তির ওপর আঘাত হেনেছে। বন্ধুগণ, স্বাধীনতা আন্দোলনে গুজরাটি সাংবাদিকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছিল। গুজরাটি সাংবাদিকতার দৃঢ় ভিত গড়েছিলেন ফার্দুনজি। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গান্ধীজি তাঁর প্রথম সংবাদপত্র প্রকাশ করা শুরু করেছিলেন – ‘ইন্ডিয়ান ওপিনিয়ন’। জুনাগড়ের বিখ্যাত মনসুখ লাল নজর এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে ‘বাপু’ গুজরাটি সংবাদপত্র ‘নবজীবন’-এর সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ইন্দুলাল যাজ্ঞিকজি এই পত্রিকার দায়িত্ব তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। একটি পর্যায়ে এ ডি গোরওয়ালার ‘ওপিনিয়ন’ পত্রিকাটি দিল্লির ক্ষমতার অলিন্দে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। জরুরি অবস্থার সময়কালে সেন্সরশিপের জন্য যখন এই পত্রিকা নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হয় তখন তা সাইক্লোস্টাইলে প্রকাশিত হত। স্বাধীনতা সংগ্রাম অথবা গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা – সাংবাদিকতা সব সময়ই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। গুজরাটি সাংবাদিকতা এক্ষেত্রে তার মান বজায় রেখেছে। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার অমৃতকালেও ভারতীয় ভাষাগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যে ভাষায় আমরা কথা বলি, ভাবনা-চিন্তা করি, সেই ভাষার সাহায্যে আমরা আমাদের সৃজনশীলতার প্রসার ঘটাতে চাই। এই বিষয়টি বিবেচনা করে ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজ্ঞানের বিষয়গুলি যাতে স্থানীয় ভাষায় করানো যায়, তার জন্য নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় ভাষাগুলিতে বিশ্বের বিখ্যাত রচনাগুলি অনুবাদের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বন্ধুগণ, আঞ্চলিক ভাষায় সাংবাদিকতা এবং বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় সাহিত্যচর্চা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য ‘বাপু’ও সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করেছেন। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু বেতারের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছেছেন। বন্ধুগণ, এই প্রসঙ্গে আমি আপনাদের কাছে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই। আপনারা জানেন, ফার্দুনজি মার্জাবান যখন এই সংবাদপত্র শুরু করেছিলেন তখন নানা সঙ্কট দেখা দেয়। কামা পরিবার এই পত্রিকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পত্রিকাটিকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান। বন্ধুগণ, ভারতের হাজার বছরের ইতিহাস আমাদের নানা বিষয়ে বহু শিক্ষা দিয়েছে। ছোট-বড়, দুর্বল-শক্তিশালী যিনিই এখানে এসেছেন, মা ভারতী তাঁকে বিকশিত হওয়ার প্রচুর সুযোগ দিয়েছে। পার্সি সম্প্রদায় এর আদর্শ উদাহরণ। তাঁরা এ দেশে এসেছিলেন আর আজ আমাদের দেশকে প্রতিটি ক্ষেত্রে শক্তিশালী করে তুলেছেন। স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে ভারতের পুনর্গঠন – প্রত্যেকটি পর্যায়ে পার্সি ভাই-বো��েদের অবদান অনস্বীকার্য। সংখ্যার নিরিখে এই সম্প্রদায়ের মানুষ সবথেকে কম কিন্তু সম্ভাবনা বা পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এঁদের অবদান সবচাইতে বেশি। আজ প্রতিটি ক্ষেত্রের পার্সি সম্প্রদায়ের ভূমিকা আমরা উপলব্ধি করতে পারি – ভারতীয় শিল্প, রাজনীতি, সমাজসেবা, বিচার ব্যবস্থা, খেলাধূলা, সাংবাদিকতা এমনকি সেনাবাহিনীতেও তাঁদের অবদান অনুভূত হয়। বন্ধুরা, ভারতের এই ঐতিহ্য ও মূল্যবোধই আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ করে তুলেছে। বন্ধুগণ, গণতন্ত্রে জনসাধারণ, রাজনৈতিক দল, সংসদ অথবা বিচার ব্যবস্থার প্রতিনিধিরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাঁদের ভূমিকা পালন করেন। গুজরাটি ভাষায় বলা হয় – ‘জেনু কাম তেনু থায়, বিনজা করে তো গোতা খায়।’ অর্থাৎ, যিনি যে বিষয়ে শ্রেষ্ঠ তিনি সেই কাজটাই করেন। এই প্রবাদ প্রত্যেকের জন্য প্রাসঙ্গিক – রাজনীতি, সংবাদমাধ্যম অথবা যে কোনও ক্ষেত্রে। সংবাদপত্র এবং সংবাদমাধ্যমের দায়িত্ব হল মানুষের মধ্যে সংবাদ প্রচার করা। যদি সমাজ বা সরকারের কাজের কোনও ঘাটতি থাকে, সেটিকে প্রথমে প্রচার করতে হবে। সংবাদমাধ্যমের যেমন সমালোচনা করার অধিকার আছে, একইসঙ্গে ইতিবাচক খবরকেও তুলে ধরার দায়িত্ব রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যম জাতীয় ও সামাজিক স্বার্থ রক্ষাকারী বিভিন্ন উদ্যোগের কথা প্রচার করছে যার ইতিবাচক প্রভাব দেশ অনুভব করছে। ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এর মধ্য দিয়ে যদি দেশের গ্রামাঞ্চলে এবং দরিদ্র মানুষদের জীবনের মানোন্নয়ন ঘটে, তখন সেখানে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও কিছু প্রশংসনীয় উদ্যোগ থাকে। আজ ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রচার করার জন্যই এটি সম্ভব হয়েছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে সারা পৃথিবীতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যত লেনদেন হয় তার ৪০ শতাংশই এ দেশে হয়ে থাকে। আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা করোনার সময়কালে দেশের স্বার্থ বজায় রাখার জন্য গত দু’বছর ধরে ‘কর্মযোগী’র ভূমিকা পালন করেছেন। ১০০ বছরের ইতিহাসে সবথেকে বড় এই সঙ্কটের মোকাবিলা করতে সংবাদমাধ্যম দেশকে সহায়তা করেছে। আমি নিশ্চিত, স্বাধীনতার অমৃতকালেও সংবাদমাধ্যম তার ইতিবাচক ভূমিকাকে আরও প্রসারিত করবে। আলাপ-আলোচনা ও বিতর্কের এক সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এ দেশের রয়েছে। বন্ধুগণ, আজ আমি মুম্বাই সমাচার-এর পরিচালন গোষ্ঠীর সদস্যদের এবং সাংবাদিকদের কাছে একটি বিশেষ অনুরোধ করছি। আপনাদের গত ২০০ বছরের আর্কাইভে যেসব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে সেগুলিকে আপনারা প্রকাশ করুন। এখানে দেশের এবং বিশ্বের নানা গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিল রয়েছে। বিভিন্ন ভাষায় পুস্তক আকারে এগুলিকে প্রকাশ করার জন্য আমি মুম্বাই সমাচার-কে পরামর্শ দিচ্ছি। মহাত্মা গান্ধী ও স্বামী বিবেকানন্দের ওপর আপনারা যা যা লিখেছেন, ভারতীয় অর্থনীতির উত্থান-পতন সম্পর্কে যেসব ব্যাখ্যা দিয়েছেন, সেগুলি আজ শুধুমাত্র প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচ্য হতে পারে না। দেশের ভবিষ্যতে পরিবর্তনের জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্য আপনাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। কামাজির উদ্যোগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং দেশ এগুলি জানার জন্য অপেক্ষা করে আছে। ভবিষ্যতের সাংবাদিকদের জন্য আপনাদের আর্কাইভটি একটি মূল্যবান ভাণ্ডার হয়ে উঠতে পারে। একটু আগেই আমি যেমন বললাম, গত ২০০ বছরে নানা উত্থান-পতনের সাক্ষী এই পত্রিকা। এই সময়কালে পত্রিকার যাত্রাপথের প্রয়োজনীয় শক্তির রসদ আপনারা সংগ্রহ করেছেন। কামা সাহেব যা বলেছেন তা শুধুমাত্র কয়েকটি শব্দ নয়, তা আসলে একটি বৃহৎ শক্তির উৎস। গত ২০০ বছর ধরে বহু মানুষ এই সংবাদপত্র পড়ে আসছেন এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্কে অংশ নিয়েছেন। আর আপনারা এই বিতর্কে অংশ নেওয়ার শক্তি যুগিয়েছেন। গুজরাটি ভাষার এই সম্ভাবনাকে আমি অভিনন্দন জানাই। আমি নাম উল্লেখ করছি না কিন্তু একথা বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আজ দেশে যে পত্রিকার পাঠক সংখ্যা বেশি সেটি গুজরাটি ভাষায় প্রকাশিত হয়। এই সুন্দর সন্ধ্যার আয়োজন করার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ। (প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছেন) /",মুম্বাই সমাচাৰৰ দ্বিশতাব্দী মহোৎসৱত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে দিয়া ভাষণৰ পাঠ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7/,"নয়াদিল্লি, ১৬ নভেম্বর, ২০২২ মাননীয়, আমাদের এই শতকে ডিজিটাল পরিবর্তন সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এক পরিবর্তন। ডিজিটাল প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলা সমগ্র বিশ্বের লড়াইকে সহজ করে দিতে পারে। ডিজিটাল সমাধান জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সহায়ক হয়ে উঠতে পারে- আমরা কোভিডের সময় ইতিমধ্যেই দেখতে পেয়েছি দূর নিয়ন্ত্রিত কাজ বা কাগজহীন সবুজ অফিসে কাজের উদাহরণ। কিন্তু এই উপকারগুলি তখনই অনুভূত হবে যখন ডিজিটাল প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়বে ব্যাপকভাবে এবং সকলের কাছেই ডিজিটাল সুবিধা থাকবে। দুর্ভাগ্যবশত আমরা এখনও পর্যন্ত এই শক্তিশালী ব্যবহার কেবলমাত্র বাণিজ্য সরলীকরণের ক্ষেত্রেই দেখেছি। প্রতিটি দেশের প্রতি কোণায় ডিজিটাল পরিবর্তনের সুবিধা যেন পৌঁছে যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করা আমাদের জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির দায়িত্ব। ভারত বিগত কয়েক বছর ধরে নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছে আমরা ডিজিটাল স্থাপত্য কীভাবে সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনতে পারে। ডিজিটাল ব্যবহার কাজে গতি আনে, শাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতাও আনা সম্ভব। ভারতে বর্তমানে ডিজিটাল বিপ্লব চলছে। উদাহরণ হিসেবে আমাদের ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস বা ইউপিআই ব্যবস্থার কথা বলা যায়। বিগত বছরে বিশ্বের ৪০ শতাংশ আর্থিক লেনদেন ইউপিআই-এর মাধ্যমে হয়েছে। পাশাপাশি আমরা ৪৬ কোটি নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছি কেবলমাত্র ডিজিটাল পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণে ভারতকে অগ্রণী নেতা হিসেবে গড়ে তুলছি আমরা। আমাদের কো-উইন প্ল্যাটফর্ম মানব জাতির ইতিহাসে বৃহত্তম টিকাকরণ অভিযানকে সফলভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করেছে। অতিমারীর পরিস্থিতির মধ্যেও এই সাফল্য পেয়েছি আমরা। মাননীয়গণ, ভারতে আমার জনগণের কাছে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা পৌঁছে দিচ্ছি। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরে ডিজিটাল ক্ষেত্রে এখনও বিশাল পার্থক্য রয়েছে। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির অনেক নাগরিকদের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের ডিজিটাল পরিচয় নেই। মাত্র ৫০টি দেশে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থাপনা রয়েছে। “বিশ্বের কোনো নাগরিক যেন ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন সে জন্য আগামী ১০ বছরে প্রত্যেক মানব জাতির জীবনে আমরা ডিজিটাল পরিবর্তন আনবো। এই অঙ্গীকার কী আমরা একসঙ্গে নিতে পারি?” জি২০ সভাপতিত্বকালে আগামী বছরে ভারত এই লক্ষ্যে জি২০ সহযোগী দেশগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করবে। আমাদের মূল লক্ষ্য হবে ‘উন্নয়নের জন্য তথ্য’ যা আমাদের পৌরহিত্যকালের যে সামগ্রিক মূল ভাবনা ‘এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’-রয়েছে, তারই অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠবে। আপনাদের ধন্যবাদ। এটি প্��ধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আনুমানিক বঙ্গানুবাদ। মূল বক্তব্য ছিল হিন্দিতে।","বালিত জি-২০ সন্মিলনত প্ৰধানমন্ত্ৰী মোডীৰ ভাষণ, তৃতীয় অধিৱেশনঃ ডিজিটেল ৰূপান্তৰ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%93-%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A7%B0-2/,"নয়াদিল্লি, ০৪ অক্টোবর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ টেলিফোনে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভ্লোদিমির জেলেনিস্কি সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। উভয় নেতা ইউক্রেনে চলতে থাকা সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী এই সংঘর্ষ দ্রুত সমাপ্ত করে আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন যে, এই সংঘর্ষের কোনও সমাধান হওয়া সম্ভব নয়। যে কোনোরকম শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে ভারত প্রস্তুত বলেও তিনি মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘ চার্টার, আন্তর্জাতিক আইন এবং সব দেশের ভৌগোলিক অখন্ডতা সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়ার উপরও জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই সংঘর্ষের মাধ্যমে কোনও সামরিক সমাধান হওয়া সম্ভব নয়। ইউক্রেন সহ সব দেশের পরমাণু কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেয় ভারত। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যবস্থাগুলি বিপন্ন হলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর সুদূরপ্রসারী ও বিধ্বংসী পরিণাম দেখা দিতে পারে। উভয় নেতা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়েও কথা বলেন। এছাড়াও, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে গ্লাসগোতে তাঁদের শেষ বৈঠকের সময় যে আলোচনা হয়েছিল, সেই সম্পর্কেও মতবিনিময়।",প্ৰধানমন্ত্ৰী আৰু ইউক্ৰেইনৰ ৰাষ্ট্ৰপতিৰ মাজত টেলিফোনিক বাৰ্তালাপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%9C%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার সঙ্গে যুক্ত ষড়যন্ত্রকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। এই হামলার পিছনে যারা জঙ্গিদের মদত ও সহায়তা দিয়েছেন, তাদের সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এজন্য তাদের বড় মূল্য দিতে হবে। নিরাপত্তা বাহিনীগুলিকে জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রেউপযুক্ত ব���যবস্হা গ্রহণে অবাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভারতে অস্হিরতা তৈরি করার ভ্রম থেকে পাকিস্তানকে দুরে থাকার ব্যাপারেও হুঁশিয়ারী দেন। শ্রী মোদী আজ নতুন দিল্লী রেল স্টেশন থেক নতুন দিল্লী ও বারাণসীর মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা সূচনার পূর্বে এক জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পুলওয়ামার জঙ্গি হামলায় শহীদ সেনানীদের শ্রদ্ধা জানাই। বীর ও সাহসী এই সেনানীরা দেশের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। নিকট আত্মীয়-পরিজনকে হারানো পরিবারগুলিকে দুঃখের এই মুহূর্তে আমার আন্তরিক সমবেদনা। আমি জানি সর্বত্রই গভীর ক্ষোভ ও রাগের সঞ্চার হয়েছে। পুলওয়ামায় যা ঘটেছে তা দেখে আপনাদের রক্ত ফুটছে। এই পরিস্হিতিতে যোগ্য জবাব দেওয়ার প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, যা অত্যন্ত স্বাভাবিক। আমরা নিরাপত্তা বাহিনীগুলিকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীগুলির সাহসিকতা ও বীরত্বে আমাদের পূর্ণ আস্হা রয়েছে। আমি আশাবাদী যে, দেশাত্ববোধের মানসিকতা সাধারণ মানুষকে আমাদের গোয়েন্দা সংস্হাগুলিকে সঠিক তথ্য প্রদানে প্রেরণা জোগাবে, যাতে আমরা সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করার লক্ষ্যে যাবতীয় প্রয়াসকে আরও সুসংবদ্ধ করতে পারি। জঙ্গি সংগঠন এবং তাদের মদতদাতা ও সমর্থনকারীদের আমি বলতে চাই যে, পুলওয়ামার ঘটনায় তারা বড় ভুল করেছে। এই ভুলের জন্য তাদের উপযুক্ত মাশুল দিতে হবে। আমি দেশবাসীক আশ্বস্ত করে বলতে চাই, যারা এই হামলার পিছনে রয়েছে এবং যারা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। এই পরিস্হিতিতে যারা আমাদের সমালোচনা করছেন আমি তাদের মানসিক অবস্হা বুঝি। সমালোচনা করার পূর্ণ অধিকার তাঁদের রয়েছে। অবশ্য, সকল বন্ধুর কাছে আমার অনুরোধ এই যে, অত্যন্ত সংবেদনশীল ও আবেগঘন এই পরিস্হিতিতে সমগ্র দেশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাশে রয়েছে। এরকম পরিস্হিতির কথা বিবেচনায় রেখে আমাদের রাজনীতির উর্ধে উঠে সমবেত কন্ঠে সওয়াল করা উচিত। সমগ্র বিশ্বের কাছে এই বার্তাটি পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন যে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা এক জাতি এবং আমাদের মতামতও এক। এই যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতেই হবে। আমাদের এক প্রতিবেশী বিশ্ব সমুদায়ের কাছ থেকে ইতিমধ্যেই পৃথক হয়ে গেছে। জঙ্গি হামলা ঘটিয়ে ভারতের মনোবল ভেঙে দেওয়া যাবে, প্রতিবেশী দেশটি এমনই এক বি��্রান্তিতে রয়েছে। আমি স্পষ্ট বলতে চাই যে, ভারতে অস্হিরতা তৈরির লক্ষে দিবা স্বপ্ন দেখা তাদের বন্ধ করতে হবে। আমাদের এই প্রতিবেশী দেশটি আর্থিক দিক থেকেও হতাশাজনক অবস্হায় রয়েছে। তাদের এটা অবশ্যই জানা উচিত, যেকোন ধরনের পূর্ব পরিকল্পিত জঙ্গি হানার প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হতে বাধ্য। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা বার বার প্রমাণিত হয়েছে যে, যারাই সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার পথ অনুসরণ করেছে, তারা নিজেরাই ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা যে পন্হা অবলম্বন করেছি তা অগ্রগতি ও উন্নয়নের। ১৩০ কোটি ভারতীয় যেকোন ধরনের জঙ্গি হামলার সমুচিত জবাব দেবে। বিশ্বের বহু বড় দেশ এই জঙ্গি হামলার কড়া নিন্দা করেছে, ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং আমাদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে। এই দেশগুলির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লড়াই তাদের সকলকে হাতে হাত রেখে কাজ করার আবেদন জানাই। সন্ত্রাসবাদের ভীতি তখনই দুর করা যাবে যখন এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশগুলি একত্রিত হবে। বন্ধুগন, পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পর আমরা অত্যন্ত শোকাহত এবং আমাদের মধ্যে গভীর ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ সত্ত্বেও আমি আপনাদের বলতে চাই, সমগ্র জাতির এ ধরনের হামলা কড়া হাতে দমন করবে। ভারতকে ভয় দেখিয়ে বসে আনা যাবে না। আমাদের সাহসী সেনানীরা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। শহীদ সেনানীরা দুটি স্বপ্ন নিয়ে বাঁচেন এবং তা হল দেশের সুরক্ষা তথা জাতির সমৃদ্ধি। আমি আমাদের শহীদ সেনানীদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই, তাদের আর্শিবাদ প্রার্থনা করি এবং আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, দেশের স্বার্থে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের স্বপ্ন পূরণে আমরা কোনও রকম আপস করবো না। শহীদদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার প্রতীক হিসাবে উন্নয়নের পথে আরো গতি সঞ্চার করতে আমাদের কঠোর পরিশ্রম অব্যাহত থাকবে। বন্দে মা তরম এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু করার পিছনে প্রত্যেক ইঞ্জিনিয়ার, কর্মী ও নকশা প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সকলকে আমার অভিন্দন। চেন্নাই-এ তৈরি এই ট্রেনটি নতুন দিল্লী থেকে বারাণসীর মধ্যে আজ তার যাত্রা সূচনা করছে। এটাই “এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত” তথা বন্দে ভারতের মূল শক্তি’। /",ফুলৱামাত সংঘটিত সন্ত্ৰাসবাদীৰ আক্ৰমণ সন্দৰ্ভত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ বিবৃতি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%9A%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%AE/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্রী ভাগুভাই প্যাটেলের প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, জনসেবামূলক উদ্যোগে শ্রী প্যাটেলের ভূমিকা স্মরনীয় হয়ে থাকবে। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “গুজরাট সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্রী ভাগুভাই প্যাটেলের প্রয়াণে আমি শোকাহত। জনসেবামূলক উদ্যোগে শ্রী প্যাটেলের ভূমিকা স্মরনীয় হয়ে থাকবে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাই। … ওঁ শান্তি।।“ /",গুজৰাট চৰকাৰৰ প্ৰাক্তন মন্ত্ৰী ভাগুভাই পেটেলৰ মৃত্যুত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শো +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA-%E0%A6%9B%E0%A7%8B/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ (১৯শে অক্টোবর, ২০১৮) ড্রুক নামরুপ শোগপা দলের সভাপতি ডঃ লোতে শেরিং-এর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। ভুটানের তৃতীয় সাধারণ নির্বাচনে ডঃ শেরিং-এর দল বিজয়ী হওয়ায় এবং ডঃ শেরিং নিজে জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁকে অভিনন্দন জানান। ভুটানে সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে যা সে দেশের গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করে তোলার পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী এই বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান যে, ভুটানের সঙ্গে ভারতের বিশেষ মৈত্রী ও সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও মজবুত করার বিষয়টিকে ভারত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে। পারস্পরিক স্বার্থ ও মূল্যবোধ এবং আস্থার ভিত্তিতে দু’দেশের এই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের স্বর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের চলতি পর্বের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আবারও জানান যে ভারত ভুটানের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করে সে দেশের আর্থ-সামাজিক বিকাশ ত্বরান্বিত করতে দায়বদ্ধ। এই কাজের মূলে থাকবে ভুটানের জনসাধারণ ও সরকারের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়। প্রধানমন্ত্রী মোদী ডঃ লোতে শেরিং-কে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান। ডঃ লোতে শেরিং প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তাঁর শুভেচ্ছা ও শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং যথাশীঘ্র সম্ভব ভারতে আসার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। দুই নেতাই ভুটানের ও ভারতের মানুষের কল্যাণে এই বিশেষ ও বহুমুখী দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত হন। /…",ভূটানৰ ড্ৰুক ন্যামৰূপ ছোগপাৰ অধ্যক্ষ ড০ লোটে ছেৰিঙৰ সৈতে ফোনযোগে বাৰ্তালাপ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ; ভূটানৰ সাধাৰণ নিৰ্বাচনত তেওঁৰ দলৰ বিজয়ৰ বাবে অভিনন্দন জ্ঞাপন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2-2/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব যৌথভাবে আজ (সোমবার) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশে তিনটি প্রকল্পের সূচনা করেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রীমতী সুষমা স্বরাজ এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পগুলির সূচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে – বাংলাদেশের ভিরামারা ও ভারতের বহরমপুরের মধ্যে বর্তমানে সংযুক্ত বিদ্যুৎ লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ। আখাউরা-আগরতলা রেল সংযোগ এবং বাংলাদেশ রেলের কুলাউরা-শাহবাজপুর শাখার পুনঃপ্রতিষ্ঠা। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী সাম্প্রতিককালে কাঠমান্ডুতে বিমস্টেক শীর্ষ বৈঠকে, শান্তিনিকেতনে এবং লন্ডনে আয়োজিত কমনওয়েল্‌থ শিখর সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন। প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের কথা পুনরায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রচলিত প্রোটোকলের বাইরে গিয়ে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পারস্পরিক দেশে সফর অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তাঁর এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে আলাপ-আলোচনা তথা সাক্ষাতেরই প্রতিফলন ঘটায়। দুই দেশের মধ্যে ১৯৬৫-র আগে যে ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল, তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনার কথাও প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী উল্লেখ করেন। এই লক্ষ্যে ���িগত কয়েক বছরের অগ্রগতিতে শ্রী মোদী সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, আজ আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি তথা রেল যোগাযোগ বাড়াতে দুটি প্রকল্পও শুরু হয়েছে। ২০১৫-তে তাঁর বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, তখন সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে সরবরাহের কাজ করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকারও প্রশংসা করেন। তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার ফলে ভারত থেকে বাংলাদেশে ১.১৬ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ মেগাওয়াট থেকে গিগাওয়াটে নিয়ে যাওয়ার এই যাত্রাপথ এক সোনালী যুগের প্রতীকস্বরূপ। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আখাউরা-আগরতলা রেল যোগাযোগ দুই দেশের মধ্যে সীমান্তপারের যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরও একটি যোগসূত্র স্থাপন করবে। সুষ্ঠুভাবে এই কাজ সম্পন্ন করতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেবের ভূমিকারও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে মধ্যবিত্ত আয়ের দেশ হিসেবে এবং ২০৪১-এর মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার যে লক্ষ্য নিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী তার প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী বলেন, দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও মানুষে-মানুষে যোগাযোগ দু’দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। /","প্রধানমন্ত্রী মোদী, বাংলাদেশৰ প্রধানমন্ত্রী শ্বেইখ হাছিনা আৰু পশ্চিমবংগ আৰু ত্রিপুৰাৰ মুখ্যমন্ত্রীয়ে যুটীয়াভাৱে বাংলাদেশত শুভাৰম্ভ কৰিলে তিনিটা প্রকল্পৰ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%87%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7-%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A7%B0-2/,"নতুন দিল্লি, ২১ জানুয়ারি, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন যে ইন্ডিয়া গেটে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর একটি বিশালাকার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে । নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর এই বিশালাকার মূর্তির কাজ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে হলোগ্রাম মূর্তি থাকবে।২৩-শে জানুয়ারি নেতাজীর জন্মবার্ষিকীতে এই হলোগ্রাম মূর্তির উন্মোচন করা হবে । একাধিক ট্যুইটবার্তায় প্রধানমন্ত্রী জানান; “এমন এক সময় যখন সমগ্র দেশ নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫-তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছে, তখন আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, গ্রানাইড দিয়ে তৈরি তাঁর বিশাল মূর্তিটি ইন্ডিয়া গেটে প্রতিষ্ঠা করা হবে । ভারতবাসী তাঁর প্রতি যে ঋণী এই মূর্তি তারই প্রতীক। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর বিশাল মূর্তি নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার একটি হলোগ্রাম মূর্তি ওই একই জায়গায় থাকবে । ২৩-শে জানুয়ারি নেতাজীর জন্মবার্ষিকীতে আমি এই হলোগ্রাম মূর্তির উন্মোচন করব ।”",নেতাজী সুভাষ চন্দ্ৰ বসুৰ বিশাল মূৰ্তি ইণ্ডিয়া গেটত স্থাপন কৰা হ’ব বুলি প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে কয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0/,"আমার বন্ধু, ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রঁ, প্রতিনিধিদল ও গণমাধ্যমের মাননীয় সদস্যবৃন্দ, নমস্কার, আমি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ এবং তাঁর সফরসঙ্গী প্রতিনিধিদলকে উষ্ণ স্বাগতজানাই। মাননীয় রাষ্ট্রপতি, কয়েক মাস আগে আপনি গত বছর প্যারিসে আমাকেও স্বাগতজানিয়েছিলেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ ভারতের মাটিতে আমি আপনাকে স্বাগত জানানোরসুযোগ পেয়েছি। মাননীয় রাষ্ট্রপতি, আমরা উভয়েই এই মঞ্চে উপস্থিত হয়েছি। আমরা যে কেবলমাত্র দুই শক্তিশালীস্বাধীন এবং বৈচিত্র্যময় গণতান্ত্রিক দেশের নেতা তাই নই, দুই সমৃদ্ধ ও সক্ষমঐতিহ্যের উত্তরসূরী। যদিও আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব ২০ বছরের পুরনো, কিন্তুআমাদের সভ্যতার ভাবগত অংশীদারিত্ব শত শত বছরের প্রাচীন। উনবিংশ শতাব্দীর সময় থেকে ফরাসী চিন্তাবিদরা পঞ্চতন্ত্রের কাহিনীর মধ্যদিয়ে শ্রীরামকৃষ্ণ এবং শ্রী অরবিন্দের মতো মহান ব্যক্তিত্বদের কাহিনীর মধ্য দিয়ে,বেদ, উপনিষদ এবং মহাকাব্যের মধ্য দিয়ে ভারত আত্মার অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছেন।ভলতেয়ার, ভিক্টর হুগো, রোমা রোলাঁ, রেনে দাওমল এবং আন্দ্রে ম্যালরক্স-এর মতো মহানব্যক্তিত্বদের বেশ কিছু ধ্যানধারণা ভারতের মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। মাননীয় রাষ্ট্রপতি, আমাদের আজকেরবৈঠক কেবলমাত্র দুই দেশের দুই নেতার বৈঠক নয়, অভিন্ন ধারণা এবং তাঁদের স��ষ্টিগতঐতিহ্য সম্বলিত দুই সভ্যতার মিলন। তাই, আশ্চর্য হই না যে, সাম্য, মৈত্রী ওস্বাধীনতার আওয়াজ শুধুমাত্র ফ্রান্সেই নয়, ভারতের সংবিধানেও প্রতিফলিত হয়েছে। দুইদেশের সমাজ এই মূল্যবোধের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের বীর সৈনিকরা এই মূল্যবোধেরজন্যই দু-দুটি বিশ্বযুদ্ধে তাঁদের প্রাণ বলিদান দিয়েছেন। বন্ধুগণ, একই মঞ্চেফ্রান্স ও ভারতের উপস্থিতি এক মুক্ত, সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ বিশ্বের সুবর্ণ সংকেতবহন করে। দুই দেশের স্বাধীন ও স্বশাসিত বৈদেশিক নীতি শুধুমাত্র যে তাঁদের নিজেদেরদেশবাসীর স্বার্থে রচিত হয়েছে তাই নয়, সর্বজনীন মানবিক মূল্যবোধকেও তুলে ধরেছে। আজভারত ও ফ্রান্স এই দুই দেশ একে অপরের হাতে হাত মিলিয়ে যে কোনও আন্তর্জাতিকচ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হতে পারে। মাননীয় রাষ্ট্রপতি, আপনার নেতৃত্ব এই কাজকে সহজতরকরেছে। ২০১৫ সালে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে যৌথভাবে প্যারিসে আন্তর্জাতিক সৌরজোটের সূচনা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক সৌর জোটের যে প্রতিষ্ঠা সম্মেলন আগামীকালঅনুষ্ঠিত হতে চলেছে, তা আমাদের অভিন্ন দায়বদ্ধতা বিষয়ে সচেতনতার এক সুস্পষ্টউদাহরণ। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এই শুভ কাজ ফ্রান্সের মাননীয় রাষ্ট্রপতির সঙ্গেযৌথভাবে সম্পন্ন হতে চলেছে। বন্ধুগণ, প্রতিরক্ষা,নিরাপত্তা, মহাকাশ এবং উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যেদ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ইতিহাস বহু পুরনো। দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কবিষয়ে একটি চুক্তিও রয়েছে। দু’দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যে সরকারই আসুক না কেন,আমাদের সম্পর্কের গতিরেখা সর্বদাই ঊর্ধ্বমুখী থেকেছে। আজকের চুক্তিতে বিভিন্নধরণের সিদ্ধান্ত ও আলাপ-আলোচনার বিষয়ে আপনারা বিস্তারিত জেনেছেন। তাই আমি এইসবআলোচনার মধ্যে তিনটি বিশেষ বিষয়ে আমার ধারণার কথা তুলে ধরব। প্রথমত, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেআমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর এবং আমরা ফ্রান্সকে সবচেয়ে আস্থাভাজন প্রতিরক্ষাঅংশীদারদের মধ্যে অন্যতম হিসাবে বিবেচনা করে থাকি। আমাদের সেনাবাহিনীর মধ্যেনিয়মিত আলাপ-আলোচনা এবং যৌথ সামরিক মহড়া হয়ে থাকে। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও উৎপাদনেরক্ষেত্রেও আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী। আমরা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ‘মেক ইনইন্ডিয়া’ কর্মসূচিতে ফ্রান্সের কাজের প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানাই। আজ আমি আমাদেরপ্রতিরক্ষা সহযোগিতা��� ইতিহাসে দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক পরিবহণ সহায়তাসংক্রান্ত চুক্তিটিকে একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে মনে করি।দ্বিতীয়ত, আমরা উভয়েই বিশ্বাস করি যে, বিশ্বের সুখ, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির ক্ষেত্রেভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে। আমরা পরিবেশ,সামুদ্রিক পরিবহণের নিরাপত্তা, সামুদ্রিক সম্পদ, জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা এবংউড়ানের ক্ষেত্রেও আমাদের সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার দৃঢ় অঙ্গীকার গ্রহণ করেছি।তাই, আজ আমরা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের সহযোগিতার বিষয়ে একটি যৌথ কৌশলগতদৃষ্টিভঙ্গী সংক্রান্ত নথি প্রকাশ করছি। তৃতীয়ত, আমাদেরদুই দেশের উজ্জ্বল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা যোগকরেছে, আমাদের মানুষে-মানুষে যোগাযোগ, বিশেষ করে যুবকদের মধ্যে যোগাযোগ। আমরা চাইযে, দুই দেশের যুবসম্প্রদায় একে অপরের দেশকে জানুক ও বুঝুক, একে অপরের দেশে থাকুকএবং হাজার হাজার দূত হিসাবে কাজ করে সম্পর্কের পরিধিকে আরও বাড়িয়ে নিয়ে যাক। তাই,আজ আমরা দুটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছি। এর মধ্যে একটি হ’ল একে অপরেরশিক্ষাগত যোগ্যতাকে স্বীকৃতি প্রদান এবং দ্বিতীয়টি হ’ল অভিবাসন এবং চলাচলসংক্রান্ত অংশীদারিত্ব বিষয়ক। এই দুটি চুক্তি আমাদের দুই দেশের মানুষ ওযুবসম্প্রদায়ের মধ্যে সুসংবদ্ধ সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করবে। বন্ধুগণ, আমাদেরসম্পর্কের আরও অনেক মাত্রা রয়েছে। আমি সেগুলি যদি সব বলতে শুরু করি, তা হলে তা শেষহতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। আমাদের সহযোগিতা রেল থেকে শুরু করে, নগরোন্নয়ন, পরিবেশ,নিরাপত্তা, মহাকাশ, অর্থাৎ পৃথিবী থেকে মহাকাশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এমন কোনও ক্ষেত্রনেই, যে জায়গাটিকে আমরা ছুঁতে পারিনি। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও আমরা নিজেদের মধ্যেসমন্বয়সাধন করে চলেছি। আফ্রিকার দেশগুলির মধ্যেও ভারত ও ফ্রান্স শক্তিশালী সম্পর্কবজায় রেখে চলেছে। এই সম্পর্ক আমাদের সহযোগিতার ক্ষেত্রে আরও এক নতুন মাত্রা যোগকরেছে। আগামীকাল আন্তর্জাতিক সৌর জোটের প্রতিষ্ঠা সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রঁএবং আমি যৌথভাবে পৌরহিত্য করব। আমাদের সঙ্গে থাকবেন আরও অনেকগুলি দেশের ও সরকারেররাষ্ট্রপ্রধান ও মন্ত্রীরা। এই বসুন্ধরা গ্রহের ভবিষ্যতের স্বার্থে আমরাআন্তর্জাতিক সৌর জোটের সফলতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্���। মাননীয়রাষ্ট্রপতি, আমি আশা করি, আগামী পরশু বারানসীতে আপনি প্রাচীন এবং চিরসবুজ একভারতের আত্মার সন্ধান পাবেন, যা ভারতীয় সভ্যতার মূল সুর এবং যা ফ্রান্সের বহুচিন্তাবিদ, লেখক এবং শিল্পীকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। আগামী দু’দিনে রাষ্ট্রপতিম্যাক্রঁ এবং আমি বিভিন্ন ক্ষেত্রে মতবিনিময় করব। আমি আরও একবার মাননীয় রাষ্ট্রপতিএবং তাঁর প্রতিনিধিদলকে ভারতে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাই। অজস্র ধন্যবাদ। …","ফ্রান্সৰ ৰাষ্ট্রপতিৰ ভাৰত ভ্ৰমণকালত প্রধানমন্ত্রীৰ প্রেছ বিবৃতি (১০ মার্চ, ২০১৮)" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%BE-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC/,"নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতীয় বিমান বাহিনীর মার্শাল অর্জন সিং-এরপ্রয়াণে গভীর শোক জ্ঞাপন করেছেন| ধারাবাহিক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন যে,ভারতীয় বায়ুসেনার (আই.এ.এফ.) সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আই.এ.এফ. মার্শাল অর্জন সিং-এরদৃঢ় সংকল্পপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের প্রতিরক্ষার সামর্থ্যে অসামান্য শক্তি প্রদানকরেছে| তাঁকে মহান বায়ু যোদ্ধা এবং এক অসাধারণ মানুষ হিসেবেউল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর পরিবার-পরিজন এবং তাঁর দুর্ভাগ্যপূর্ণ মৃত্যুতেশোকগ্রস্তদের সমবেদনা জানান| প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতীয় বায়ুসেনার মার্শাল অর্জনসিং-এর দুর্ভাগ্যজনক প্রয়াণে দেশ শোকগ্রস্ত| দেশের প্রতি তাঁর অসাধারণ সেবাকে আমরাস্মরণ করি| ভারতীয় বায়ুসেনার (আই.এ.এফ.) সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যআই.এ.এফ. মার্শাল অর্জন সিং-এর দৃঢ় সংকল্পপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের প্রতিরক্ষারসামর্থ্যে অসামান্য শক্তি প্রদান করেছে| ১৯৬৫ সালে ভারতীয় বায়ুসেনার মার্শাল অর্জন সিং-এরঅসামান্য নেতৃত্ব দেশ কখনও ভুলবে না| ভারতীয় বায়ুসেনা তখন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপদেখিয়েছিল| কিছুদিন আগে আমি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলাম| যিনিতাঁর দুর্বল স্বাস্থ্য নিয়ে আমার ‘না’ বলা সত্বেও অভিবাদন জানানোর জন্য উঠেদাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন| এমনই ছিল তাঁর সৈনিক শৃঙ্খলা| এই মহান বায়ু যোদ্ধা ও অসাধারণ মানুষ আই.এ.এফ.-এরমার্শাল অর্জন সিং-এর দুর্ভাগ্যপূর্ণ মৃত্যুতে তাঁর পরিবার-পরিজন এবং শোকগ্রস্তদেরআমি সমবেদনা জানাই| তাঁর চির শান্তি কামনা করি (আর.আই.পি.—রেস্ট ইন পিস)|”",ভাৰতীয় বায়ুসেনাৰ মাৰ্শ্বাল অৰ্জুন সিঙৰ মৃত্যুত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শোক প্ৰকাশ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE/,"মাননীয়প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, সম্মানিতপ্রতিনিধিবৃন্দ, সংবাদমাধ্যমেরসদস্যবৃন্দ, কোন্নিচিভা(শুভ অপরাহ্ন/নমস্কার) আমার বিশেষবন্ধু প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-কে ভারতে, বিশেষ করে গুজরাটে স্বাগত জানানোর সুযোগ পেয়েআমি আনন্দিত। আন্তর্জাতিক বৈঠক ও সম্মেলনকালে প্রধানমন্ত্রী আবে-র সঙ্গে আমি বেশকয়েকবারই একান্ত আলোচনায় মিলিত হয়েছিলাম। কিন্তু এইভাবে তাঁকে ভারতে স্বাগতজানানোর সুযোগ পাওয়া নিঃসন্দেহে আমার কাছে এক খুশির কারণ। গতকাল আমি তাঁকে সঙ্গেনিয়ে সাবরমতী আশ্রম পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। আজ আমরা দু’জনেই পরিদর্শন করেছি ডান্ডিকুটীর। আজ সকালেই আমরা একত্রে মুম্বাই-আমেদাবাদ উচ্চগতির রেল প্রকল্পটির শিলান্যাসকরেছি যা জাপানি সহযোগিতায় রূপায়িত হচ্ছে। নিঃসন্দেহে এ হল এক বড় ধরনের পদক্ষেপ।এই ঘটনা উচ্চগতির রেলের একটি সূচনামাত্র নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা চিন্তাকরলে নতুন রেলপথটিকে দার্শনিক দিক থেকে ‘নতুন ভারত’-এরজীবনরেখা বলেই আমি মনে করি।ভারতের নিরন্তর অগ্রগতির সঙ্গে এখন যুক্ত হল এক বিশেষ গতি। বন্ধুগণ, ভারত-জাপানসম্পর্কের অতুলনীয় বৈশিষ্ট্যটি হল পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস, পরস্পরের উদ্বেগ ওস্বার্থের বিষয়গুলির উপলব্ধি এবং উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা ও মতবিনিময় প্রক্রিয়াকেঅব্যাহত রাখার প্রচেষ্টা। আমাদের মধ্যে যে কৌশলগত আন্তর্জাতিক এক অংশীদারিত্বেরসম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা শুধুমাত্র দ্বিপাক্ষিক বা আঞ্চলিক পর্যায়েই সীমাবদ্ধ নেই,আন্তর্জাতিক বিষয়গুলিতেও আমাদের মধ্যে রয়েছে এক নিবিড় সহযোগিতার সম্পর্ক। গত বছরআমার জাপান সফরকালে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে এক ঐতিহাসিকচুক্তির মাধ্যমে যুক্ত হয়েছি আমরা। এই বিষয়টিকে সর্বতোভাবে সমর্থন জানানোর জন্যআমি কৃতজ্ঞতা জানাই জাপানের অধিবাসী, সেখানকার সংসদ এবং বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীআবে-কে। বিশুদ্ধ জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলিতে আমাদের পারস্পরিকসহযোগিতার ক্ষেত্রে এই চু��্তিটি এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। বন্ধুগণ, পূর্ববর্তীবছরের তুলনায় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ভারতে জাপানি বিনিয়োগের মাত্রা ৮০ শতাংশ বৃদ্ধিপেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। জাপান বর্তমানে ভারতে তৃতীয় বৃহত্তমবিনিয়োগকারী একটি দেশ। ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশ এবং সোনালী ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জাপানযে কতটা আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী, এই ঘটনাই তার সুস্পষ্ট প্রমাণ। বর্তমানে এইবিনিয়োগের পথ ধরে আগামীদিনগুলিতে ভারত ও জাপানের জনসাধারণের মধ্যে পারস্পরিকসম্পর্ক যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক সম্পর্কের মতোই উত্তরোত্তর প্রসার লাভ করবে, সেবিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। জাপানের নাগরিকদের জন্য ‘ভিসা অন অ্যারাইভ্যাল’ নীতি আমরাঅনুসরণ করেছি। বর্তমানে ভারত ও জাপানের ডাকবিভাগের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি রূপায়ণেরফলে আমরা চলু করতে চলেছি এক ‘কুল বক্স’ পরিষেবা। এর উদ্দেশ্য হল, ভারতে বসবাসকারীজাপানের অধিবাসীদের কাছে জাপান থেকে পাঠানো তাঁদের প্রিয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া।একইসঙ্গে, জাপানের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের কাছে আমি অনুরোধ জানাব ভারতে আরও বেশি করেজাপানি রেস্তোরাঁ খোলার জন্য। ভারত বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এক বিরাট পরিবর্তনেরমধ্য দিয়ে চলেছে। বাণিজ্যিক কাজকর্ম সহজতর করে তোলা, দক্ষ ভারত গঠন করা, করসংস্কার কর্মসূচি কিংবা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ – সর্বক্ষেত্রেই এক পূর্ণরূপান্তরের পথে এগিয়ে চলেছে ভারত। এই ঘটনা জাপানের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের কাছে একবিরাট সুযোগ এনে দিয়েছে। আমি বিশেষভাবে আনন্দিত যে বহু জাপানি শিল্প সংস্থা আমাদেরপ্রধান প্রধান কর্মসূচিগুলির সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত রয়েছে। দু’দেশের বাণিজ্যিকনেতৃবৃন্দের সঙ্গে আজ সন্ধ্যায় আমাদের যে কর্মসূচি রয়েছে তাতে আলোচনা ওমতবিনিময়কালেএর প্রত্যক্ষ সুফলগুলিও আমরা লক্ষ্য করতে পারব বলে আশা করি।সরকারিভাবে জাপানের উন্নয়ন সহযোগিতা কর্মসূচিতে আমরা হলামএক বৃহত্তম অংশীদার।বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রকল্প রূপায়ণ সম্পর্কিত যে চুক্তিগুলি আজ স্বাক্ষরিত হয়েছেসেগুলিকে আমি আন্তরিকভাবেই স্বাগত জানিয়েছি। বন্ধুগণ, আমাদেরমধ্যে আজ যে সমস্ত আলাপ-আলোচনা এবং চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তা সবক’টি ক্ষেত্রেইভারত-জাপান সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এটুকুবক্তব্য রেখেই আমি আরও একবার আন্ত��িকভাবে স্বাগত জানাই প্রধানমন্ত্রী আবে এবং তাঁরউচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি তথা সফরসঙ্গীদের। জিও দে গোজাইমাস(আজ এই পর্যন্তই) আরিগাতোগোজাইমাস (ধন্যবাদ) আপনাদেরসকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",জাপানৰ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাৰত ভ্ৰমণৰ সময়ত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰকাশ কৰা প্ৰেছ বিজ্ঞপ্তি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE/,"রাষ্ট্রপতিশ্রী রামনাথ কোবিন্দের আমন্ত্রণে সমাজতন্ত্রী ভিয়েতনাম সাধারণতন্ত্রের প্রেসিডেন্টমিঃ ত্রাণ দাই কোয়াং সরকারিভাবে ভারত সফর করেন এ মাসের দু’ থেকে চার তারিখপর্যন্ত। ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশ মন্ত্রী মিঃ ফাম বিন মিন সহ একউচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলও প্রেসিডেন্ট কোয়াং-এর সঙ্গে ভারত সফরে এসেছিলেন। ভিয়েতনামেরপ্রেসিডেন্টের ভারত সফরকালে তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি শ্রী কোবিন্দ।রাষ্ট্রপতি ভবনে এক বিশেষ গার্ড অফ অনার-এরও আয়োজন করা হয় ভিয়েতনামেররাষ্ট্রপ্রধানের জন্য। মিঃ ত্রাণের সরকারি সফরসূচির মধ্যে ছিল রাজঘাটে মহাত্মাগান্ধীর স্মারক স্তম্ভে পুষ্পমাল্য নিবেদন, ভারতের রাষ্ট্রপতি আয়োজিত সরকারিভোজসভায় যোগদান, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়েরআলোচনা বৈঠকে অংশগ্রহণ ইত্যাদি। এছাড়াও, প্রেসিডেন্ট কোয়াং লোকসভার অধ্যক্ষশ্রীমতী সুমিত্রা মহাজন এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রী শ্রীমতী সুষমা স্বরাজের সঙ্গেওসাক্ষাৎকারে মিলিত হন। ভিয়েতনাম-ভারত বাণিজ্য ফোরামের বৈঠকেও ভাষণ দেন ভিয়েতনামেররাষ্ট্রপ্রধান। সেখানে ভারতীয় শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রের দিকপালদের সঙ্গে আলোচনায়মিলিত হন তিনি। পরিদর্শন করেন বুদ্ধগয়াও। ভারত ওভিয়েতনামের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের আলাপ-আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এক হৃদ্য ও আন্তরিকপরিবেশে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অগ্রগতি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশেরসহযোগিতা প্রচেষ্টা এবং ২০১৬-তে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফল ভিয়েতনাম সফরের পরবর্তীসময়ে দু’দেশের কর্মপ্রচেষ্টা আরও নিবিড় হয়ে ওঠার বিষয়গুলি স্থান পায় এই আলোচনাবৈঠকে। বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট কোয়াং এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী দু’দেশের মধ্যে পরমাণুশক্তি, ব���ণিজ্য, কৃষি ও মৎস্যচাষ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চুক্তি বিনিময় অনুষ্ঠানটিপ্রত্যক্ষ করেন। আর্থ-সামাজিকউন্নয়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, জনসাধারণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রেভারতের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট কোয়াং। আঞ্চলিক তথা আন্তর্জাতিকমঞ্চগুলিতে ভারতের ভূমিকা ও অবস্থানকে আরও উন্নত করে তুলতে সর্বতোরকম সমর্থনেরওপ্রতিশ্রুতি দেন তিনি। অন্যদিকে, বিদেশ নীতি এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেভিয়েতনামের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ও সাফল্যের জন্য প্রেসিডেন্ট কোয়াংকে অভিনন্দিতকরেন ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। ভিয়েতনাম যে অচিরেই এক শিল্পোন্নত দেশেরমর্যাদা অর্জন করতে চলেছে, এ বিষয়ে দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাসের কথাও ব্যক্ত করেন তাঁরা। জাতির জনকমহাত্মা গান্ধী এবং ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট হো চি মিন-এর হাত ধরে ভারত ওভিয়েতনামের মধ্যে যে মৈত্রী সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গের অবতারণা করেদুটি দেশই স্বীকার করে যে পরবর্তী প্রজন্মের নেতৃবৃন্দ এবং জনসাধারণ এইদ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও প্রসারিত করে তুলেছে। ভারত ও ভিয়েতনামের মধ্যে কৌশলগতঅংশীদারিত্বের মাত্রা এখন যে পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে, সে সম্পর্কে বিশেষ সন্তোষপ্রকাশ করে দুটি দেশই। ভারত ও ভিয়েতনামের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৪৫তমবার্ষিকী এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের দশম বার্ষিকীর উদযাপনে ২০১৭ বছরটি মৈত্রী বর্ষরূপে পালন করা হয়। এই উপলক্ষে ভারতে ভিয়েতনাম দিবস পালনের যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট। দ্বিপাক্ষিকসম্পর্কের এই ক্রমপ্রসারকে নিরন্তর রাখতে নিয়মিতভাবে দ্বিপাক্ষিকসফরসূচি বিনিময়েরওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয় আলোচনাকালে। সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলি সম্পর্কে পর্যালোচনাএবং ২০১৭-২০ পর্যন্ত কৌশলগত অংশীদারিত্বের কর্মপরিকল্পনা রূপায়ণের বিষয়গুলি খতিয়েদেখতে ২০১৮-তে দু’দেশের বিদেশ মন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত যৌথ কমিটির পরবর্তী বৈঠকআয়োজনের প্রস্তাবেও সম্মতিজ্ঞাপন করে ভারত ও ভিয়েতনাম। প্রতিরক্ষাও নিরাপত্তা দ্বিপাক্ষিককৌশলগত অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা যে একগুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করে, এই বিষয়টি স্বীকার করে নেয় দু’পক্ষই। এক্ষেত্রেঅর্জিত সাফল্য ও অগ্রগতি���ে বিশেষ সন্তোষও প্রকাশ করা হয়। দু’দেশের সেনাবাহিনীরমধ্যে বলিষ্ঠতর সহযোগিতা এবং সাইবার নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন এবং উগ্রপন্থীকার্যকলাপ রোধে দু’দেশের ঘনিষ্ঠতর সহযোগিতা প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানানো হয়। এছাড়াও,মানব ও মাদক পাচার রোধ, নৌ-নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং খাদ্য নিরাপত্তাক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও জোরদার করে তোলার ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়াহয়। সাইবারনিরাপত্তা ক্ষেত্রে ভারত ও ভিয়েতনামের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলির কার্যকররূপায়ণের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করে দুটি দেশ। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সচিবালয়এবং ভিয়েতনামের সরকারি নিরাপত্তা মন্ত্রকের মধ্যে স্বাক্ষরিত সহযোগিতা চুক্তিটিকেদ্রুত বাস্তবায়িত করতেও সহমত প্রকাশ করে দু’পক্ষ। ভিয়েতনামেরসঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ছাড়াও ঐ দেশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে অংশীদারিত্বের আগ্রহপ্রকাশ করে ভারত। ভিয়েতনামের উপকূলরক্ষীবাহিনীর উচ্চগতির প্রহরা যান নির্মাণেরলক্ষ্যে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তার বাস্তবায়নের বিষয়টি দ্রুততর করেতোলার ওপর জোর দেওয়া হয় দু’দেশের আলোচনা বৈঠকে। এছাড়াও, প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে আরওজোরদার করে তোলার সপক্ষে মত প্রকাশ করেন দু’দেশের নেতৃবৃন্দ। নৌ-ক্ষেত্রেবিশেষত, জলদস্যুতা রোধ, সমুদ্রপথের নিরাপত্তা, জাহাজ চলাচল সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়ইত্যাদি বিষয়ে সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করে তোলা যে একান্ত জরুরি সে বিষয়ে সহমতপ্রকাশ করে দুটি দেশই। ২০১৮-র জানুয়ারি মাসে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত আসিয়ান-ভারতনৌ-সহযোগিতা সম্পর্কিত স্মারক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের সূত্রে সামুদ্রিক বিষয়গুলিতেভারত-ভিয়েতনাম দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ ও আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ওপর বিশেষ জোরদেওয়া হয়। আন্তঃসীমান্তসন্ত্রাস সহ যে কোন ধরনের সন্ত্রাসমূলক তৎপরতার কঠোর নিন্দা করে দুটি দেশই। বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার পক্ষে সন্ত্রাসের হুমকি যে ভয়ঙ্কর আকার গ্রহণকরতে পারে, সে সম্পর্কে ভারতের উদ্বেগে সায় জানায় ভিয়েতনামও। সন্ত্রাসের পিছনে যেকোনরকম যুক্তি বা কারণ থাকতে পারে না, এ সম্পর্কে সহমত প্রকাশ করে তারা। এছাড়াও,সন্ত্রাসমূলক কর্মতৎপরতার সঙ্গে জাতি, ধর্ম, সভ্যতা এবং জনজাতি গোষ্ঠীগুলিকে যে কোনভাবেইযুক্ত করা উচিৎ নয়, এ সম্পর্কে দৃঢ় মত পোষণ করে ভারত ও ভিয়েতনাম। এই ��রিস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদএবং তার মদতদাতাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানানো হয় বিশ্বের সবক’টি দেশেরকাছে। সন্ত্রাস দমনে যে যুক্তভাবে সবক’টি দেশেরই এগিয়ে আসা উচিৎ একথাও বিশেষ জোরেরসঙ্গে উচ্চারিত হয় দ্বিপাক্ষিক আলোচনা বৈঠকে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস সম্পর্কে একটিসুসংবদ্ধ আলোচনা বৈঠক ও প্রস্তাব গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেভারত ও ভিয়েতনাম। অর্থনৈতিকসম্পর্ক দু’পক্ষইস্বীকার করে যে এক বলিষ্ঠতর বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা গড়ে তোলা দু’দেশেরই একটিকৌশলগত উদ্দেশ্য। শুধু তাই নয়, দু’দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বের তা একটি বিশেষস্তম্ভও। গত দু’বছরে ভারত ও ভিয়েতনামের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেনের মাত্রা যেভাবেবৃদ্ধি পেয়ে চলেছে, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট এবং ভারতেরপ্রধানমন্ত্রী। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মাত্রাকে আরও প্রসার ও বৈচিত্র্যমুখী করেতোলার উদ্দেশ্যে সম্ভাব্য সমস্তরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অনুকূলে মত প্রকাশকরেন তাঁরা। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্যলক্ষ্যমাত্রা পূরণে উদ্যোগী হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকেই তাঁরা পরামর্শ দেন।এ বছর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হ্যানয়ে বাণিজ্য সম্পর্কিত যৌথ সাব-কমিশনের পরবর্তী বৈঠকআয়োজনের প্রস্তাবে সায় দেন দুই নেতাই। হাইড্রোকার্বন,বিদ্যুৎ উৎপাদন, পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি, শক্তিক্ষেত্র, পরিবেশ ও জ্বালানি সংরক্ষণ,পরিকাঠামো, বস্ত্রশিল্প, পাদুকা শিল্প, ওষুধ উৎপাদন, মেশিন টুল্‌স, কৃষি ও কৃষিজাতপণ্য, পর্যটন, রাসায়নিক, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি এবং অন্যান্য পরিষেবাসম্পর্কিত শিল্পক্ষেত্রগুলিতে নতুন নতুন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার প্রসারে দু’দেশেরবাণিজ্য কর্তাদের উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান ভারত ও ভিয়েতনামের নেতৃদ্বয়। এছাড়াও,কৃষিপণ্যের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োগকেআরও নিবিড়তর করে তোলার ওপরও জোর দেন তাঁরা। ‘মেক ইনইন্ডিয়া’ কর্মসূচির আওতায় ভারতে বিনিয়োগ-বান্ধব যে পরিবেশ ও পরিস্থিতির সৃষ্টিহয়েছে, তার সুযোগ গ্রহণ করার জন্য ভিয়েতনামের শিল্প সংস্থাগুলিকে আহ্বান জানানশ্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ওয়াং, ভিয়েতনামে বিনিয়োগের প্রসারে আমন্ত্রণজানান ভারতের শিল্পপতিদ���র। বাণিজ্যিক কাজকর্ম সহজতর করে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীমোদীর কর্মপ্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি। উন্নয়নসহযোগিতা ভিয়েতনামকেদীর্ঘদিন ধরে ভারত যেভাবে অনুদান ও ঋণ সহায়তার প্রসার ঘটিয়ে আসছে, সেজন্য এই দেশেরভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। ভিয়েতনামের ছাত্রছাত্রী, গবেষক এবং শিক্ষাক্ষেত্রেরপেশাদার কর্মী ও সরকারি আধিকারিকদের বৃত্তিদানের মাত্রা ভারত যেভাবে আরও উন্নীতকরেছে, তাতে ভারতের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি। বিশেষত, ভারতেরপ্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা কর্মসূচি, মেকং-গঙ্গা সহযোগিতা কাঠামো এবংঅন্যান্য প্রকল্পগুলির মাধ্যমে যেভাবে এই সহযোগিতার প্রসার ঘটেছে, তার সপ্রশংসউল্লেখ করেন ভিয়েতনামের রাষ্ট্রনেতা। এ বছর আসিয়ান-ভারত স্মারক শীর্ষ সম্মেলনেবিভিন্ন দেশকে গ্রামীণ সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসারে সহযোগিতাবদ্ধ হওয়ার যেআহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, তার বিশেষ প্রশংসাও করেন তিনি। জ্বালানিক্ষেত্রে সহযোগিতা তেল ও গ্যাসঅনুসন্ধান, তাপবিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং শক্তি ও পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানিক্ষেত্রে দু’দেশের সহযোগিতা যে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসার লাভ করেছে একথা স্বীকারকরেন দুই রাষ্ট্র নেতাই। ভিয়েতনামে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান প্রচেষ্টাকে আরও জোরদারকরে তুলতে ভারতের বাণিজ্য কর্তাদের উদ্দেশ্যে সাদর আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট ত্রাণদাই কোয়াং। তৃতীয় দেশগুলিতে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান প্রকল্পের ক্ষেত্রে সহযোগিতাপ্রসারের জন্য স্বাক্ষরিত চুক্তিটি যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য আহ্বান জানান দুইনেতাই। ভিয়েতনামে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধার প্রসারঘটানো হয়েছে তা সদ্ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট ভারতীয় শিল্পপতিদের কাছে আহ্বান জানানভিয়েতনামের রাষ্ট্রপ্রধান। তাঁর দেশের শক্তি ও পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি সংরক্ষণপ্রকল্পগুলিতে ভারতীয় সংস্থাগুলির বিনিয়োগকে স্বাগত জানান তিনি। এছাড়াও,আন্তর্জাতিক সৌর সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষরদানের বিষয়টি বিবেচনার জন্য ভারতের পক্ষথেকে যে আবেদন জানানো হয়েছে, তার কথাও উল্লেখ করা হয় এদিনের আলোচনা বৈঠকে। দু’দেশেরশিক্ষা, সংস্কৃতি এবং জনসাধারণের মধ্যে সফর বিনিময় কর্মসূচি সংস্কৃতি ও পর্যটনেরপ্রসার এবং দু’দেশের জনসাধার���ের পারস্পরিক সফরসূচিতে অংশগ্রহণের ওপর বিশেষ জোরদেওয়া হয় দু’দেশের প্রতিনিধিদলের এই আলোচনা বৈঠকে। এজন্য সহযোগিতার বাতাবরণকে আরওনিবিড় করে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। এছাড়াও, দু’দেশের মধ্যেপুরাতত্ত্ব, সংরক্ষণ ও সংগ্রহশালা সম্পর্কিত যে ঐতিহাসিক সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে,তাকে আরও গভীরে নিয়ে যাওয়ার অনুকূলেও মত পোষণ করেন তাঁরা। ভারতে ভিয়েতনামের একটিসাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলার যে প্রস্তাব করা হয়েছে ঐ দেশের পক্ষ থেকে, তাকেআন্তরিকভাবে স্বাগত জানায় ভারত। ভিয়েতনামে ইউনেস্কোবিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কেন্দ্রটির সংরক্ষণ এবং সেটিকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য যেপ্রকল্পটি রয়েছে, তার সফল রূপায়ণ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন দুই নেতাই।ভিয়েতনামেবিভিন্ন ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পুনরুদ্ধার ও সংস্করণ প্রচেষ্টায় ভারতেরআর্থিক সহযোগিতা প্রস্তাবকে স্বাগত জানায় ভিয়েতনাম। ঐ দেশেরফু তো, বিন ফুক এবংঅন্যান্য প্রদেশে ৫০০ জন ভিয়েতনাম নাগরিকের কাছেজয়পুর ফুট-এর মতো কৃত্রিম অঙ্গপৌঁছে দেওয়ার জন্য ভারত সরকার এবং ভগবান মহাবীর বিকলাঙ্গ সহায়তা সমিতি যেপুনর্বাসন কর্মসূচি রূপায়িত করছে, সেজন্য ভিয়েতনামের পক্ষ থেকে ভারতকে আন্তরিকধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। সংযোগ ওযোগাযোগ ভারতেরসঙ্গে ভিয়েতনাম এবং আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বলিষ্ঠতর সংযোগ ও যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে দুই পক্ষই। ভারত, মায়ানমার,থাইল্যান্ড ত্রিপাক্ষিক মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে আঞ্চলিক পর্যায়ে যেসংযোগ ও যোগাযোগ প্রসারের চেষ্টা করা হয়েছে, সে কথারও উল্লেখ করা হয় প্রতিনিধিপর্যায়ের আলোচনা বৈঠকে। আকাশপথে নয়াদিল্লির সঙ্গে হো চি মিন সিটির সরাসরি যোগাযোগস্থাপনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তারও ভূয়সী প্রশংসা করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। আঞ্চলিকসহযোগিতা এশিয়ারআঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি সহ দ্বিপাক্ষিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলিতে সহমতপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্ট ত্রাণ দাই কোয়াং। এক শান্তিপূর্ণও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেনতাঁরা। দুই রাষ্ট্রনেতার মতে, সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি, আকাশ ওসমুদ্রপথে যান চলাচলের স্বাধীনতা, নিরন্তর উন্নয়ন প্রচেষ্���া এবং ন্যায়সঙ্গতভাবেউদার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতাকে সমর্থন জানানো হবে এই শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধঅঞ্চলে। দুই নেতাইস্বীকার করেন যে ধরনের এক মুক্ত, স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নিয়ম-নীতি পরিচালিতআঞ্চলিক কাঠামো গড়ে তোলা এবং আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা সম্পর্ককেনিবিড়তর করে তোলার ক্ষেত্রে ভারত ও ভিয়েতনাম এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেপারে। ২০১৮-র জানুয়ারিতে আসিয়ান-ভারত স্মারক শীর্ষ সম্মেলনের সফল সমাপ্তিতে সন্তোষপ্রকাশ করেন তাঁরা। ২০১৫-১৮ – এই সময়কালে একটি সমন্বয় রক্ষাকারী দেশ হিসেবেভিয়েতনামের বিশেষ অবদানের কথাও স্বীকার করে নেওয়া হয় দ্বিপাক্ষিক আলোচনা বৈঠকে। আসিয়ান-ভারতকৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কের প্রসারে দিল্লি ঘোষণার মধ্যে যে প্রস্তাবগুলির কথাউল্লেখ রয়েছে, তার বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুকূলেও মত প্রকাশ করেদুটি দেশ। অন্যান্যক্ষেত্রে সহযোগিতা আঞ্চলিক তথাআন্তর্জাতিক মঞ্চগুলিতে ভারত ও ভিয়েতনামের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের অবস্থানেরসপ্রশংস উল্লেখ করা হয় দ্বিপাক্ষিক এই আলোচনা বৈঠকে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তাপরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদে দু’দেশের আবেদনকে পারস্পরিকভাবে সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্তেরকথাও পুনরুচ্চারিত হয় এই বৈঠকে। অন্যদিকে, নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার ও পুনর্গঠনপ্রক্রিয়ায় ভারতের স্থায়ী সদস্য পদের আবেদনকে ভিয়েতনাম নিরন্তরভাবে সমর্থন জানিয়েযাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। ভারত-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চল তথা বৃহত্তর বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের স্বার্থে ভারতও ভিয়েতনাম পরস্পরের সঙ্কল্প ও উন্নয়ন সহযোগিতার অঙ্গীকারের বিষয়টি পুনর্ব্যক্তকরে। দক্ষিণ চিন সমুদ্রে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা এবং আকাশপথে বিমান পরিবহণেরবিষয়গুলিও আলোচিত হয় এই বৈঠকে। নিরন্তরউন্নয়নের লক্ষ্যে আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত এক সুসংবদ্ধ কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়টিকেস্বাগত জানান দুই বিশ্ব নেতাই। এর লক্ষ্য পূরণে দুটি দেশই যে অঙ্গীকারবদ্ধ, সেকথাওবিশেষ জোরের সঙ্গে ঘোষণা করা হয়। তাঁর ভারতসফরকালে যেভাবে আন্তরিক অভ্যর্থনা এবং আতিথ্য তিনি লাভ করেছেন, সেজন্য রাষ্ট্রপতিকোবিন্দ এবং ভারতের মৈত্রী প্রিয় জনসাধারণকে ধন্যবাদ জানান প্রেসিডেন্ট ত্রাণ দাইকোয়াং। রাষ্ট্রপতি কোবিন্দকে তিনি সুবিধাজনক কোন এক স���য়ে ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণজানালে তা সানন্দে গ্রহণ করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।","ভিয়েটনামৰ ৰাষ্ট্ৰপতিৰ ভাৰত ভ্ৰমণকালত ভাৰত-ভিয়েটনামৰ যুটীয়া প্ৰেছ বিবৃতি(৩ মাৰ্চ, ২০১৮)" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%B9-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A3-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লি, ৩০ অক্টোবর ২০২২ গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতজি, রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেলজি, মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং-জি, শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াজি, টাটা সন্স-এর চেয়ারম্যান, এয়ারবাস ইন্টারন্যাশনালের চিফ কর্মাশিয়াল অফিসার, প্রতিরক্ষা ও বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকগণ এবং ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ! নমস্কার! গুজরাটে দীপাবলি উৎসব উদযাপিত হয় দেব দীপাবলি পর্যন্ত। দীপাবলির এই উৎসবকালে গুজরাটের ভদোদরা তথা সমগ্র দেশই পেয়েছে এক মূল্যবান উপহার, তা হল – গুজরাটি নববর্ষ। নতুন বছরে এই প্রথম আমার গুজরাটে আসা। তাই, আপনাদের সকলকেই জানাই শুভ নববর্ষ! বিশ্বের এক বৃহৎ উৎপাদন কেন্দ্র রূপে ভারতকে গড়ে তোলার পথে আজ আমরা এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছি। ভারত বর্তমানে নিজস্ব যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণ করছে। নিজস্ব ট্যাঙ্ক ও সাবমেরিনও এখন তৈরি হচ্ছে ভারতেই। শুধু তাই নয়, ভারতেই উৎপাদিত ওষুধ ও ভ্যাক্সিন আজ বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণরক্ষা করেছে। বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি, মোবাইল ফোন এবং গাড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রেও ভারত আজ বিশ্বের বহু দেশকে অতিক্রম করে গেছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘মেক ফর দ্য গ্লোব’ – এই দুটি মন্ত্রকে সম্বল করে ভারত এখন অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে। এইভাবেই দ্রুত প্রসার ঘটছে নির্মাণ ও উৎপাদন ক্ষেত্রে ভারতের নতুন নতুন সম্ভাবনার। কিন্তু এ হল যাত্রার সূচনামাত্র। আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি এমন একটি দিনের ছবি যখন বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রীবাহী বিমান নির্মিত হবে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ব্র্যান্ডে আমাদের এই ভারতেই। বন্ধুগণ, যে সুযোগ-সুবিধার প্রসারে ভদোদরায় আজ শিলান্যাস অনুষ্ঠিত হল তা দেশের প্রতিরক্ষা ও বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে এক আমূল পরিবর্তন এনে দিতে পারে। এই প্রথম দেশের প্রতিরক্ষা বিমান উৎপাদনের ক্ষেত্রে এত বড় ধরনের এক বিন��য়োগ প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এখানে যে বিমানগুলি নির্মিত হচ্ছে তা শুধু সেনাবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধিই করবে না, সেইসঙ্গে বিমান উৎপাদনের ক্ষেত্রে এক নতুন অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলার কাজে সহায়ক হয়ে উঠবে। শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্র রূপে বিখ্যাত ভদোদরা এখন থেকে বিমান পরিবহণ তথা উৎপাদন ক্ষেত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রূপে গড়ে উঠতে চলেছে। এক নতুন পরিচিতির মাধ্যমে ভারত আজ নিজেকে তুলে ধরছে সমগ্র বিশ্বের কাছে। ভারত যদিও বর্তমানে বিমানের ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ বিশ্বের অনেক দেশেই রপ্তানি করতে শুরু করেছে, সেনাবাহিনীর জন্য বিমান তৈরির ক্ষেত্রে এটিই হল দেশের প্রথম পদক্ষেপ। এজন্য আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল টাটা গোষ্ঠী এবং এয়ারবাস ডিফেন্স কোম্পানির জন্য। দেশে ১০০টিরও বেশি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হবে বলে আমি জানি। ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যান্য দেশে রপ্তানির জন্য এখানে বরাত নেওয়ার কাজ চালু হবে। আর এইভাবেই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘মেক ফর দ্য গ্লোব’-এর সঙ্কল্পকে আরও তাৎপর্যময় করে তোলার কাজ শুরু হচ্ছে এই স্থানটি থেকেই। বন্ধুগণ, ভারতে বর্তমানে রয়েছে দ্রুততম গতিতে বেড়ে ওঠা এক বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা। বিমান চলাচলের দিক থেকে আমরা অচিরেই স্থান পেতে চলেছি বিশ্বের শীর্ষ স্থানের অধিকারী তিনটি দেশের সঙ্গে একসারিতেই। আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে কোটি কোটি নতুন যাত্রী বিমানপথে যাত্রা করবেন বলে আমরা মনে করি। এই লক্ষ্যে বিশেষভাবে সাহায্য করেছে আমাদের ‘উড়ান’ কর্মসূচিটি। আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে ভারতে আরও প্রায় ২ হাজারটির মতো যাত্রী ও পণ্যবাহী বিমানের প্রয়োজন হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। চিন্তা করুন! শুধুমাত্র ভারতেই প্রয়োজন আরও ২ হাজারটি বিমানের। তাহলে কোন গতিতে ভারতের উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে তা সহজেই অনুমেয়। এই বিরাট চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ভারত এখন নিজেকে প্রস্তুত করে তুলছে এবং সেই লক্ষ্য পূরণের পথে আজকের এই অনুষ্ঠানটি হল এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বন্ধুগণ, আজকের এই অনুষ্ঠান স্থল থেকে এক বিশেষ বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে সমগ্র বিশ্বের কাছে। অন্যান্য দেশগুলির জন্য এক সোনালী সুযোগ নিয়ে ভারত এখন উপস্থিত। যোগান শৃঙ্খলে ব্যাঘাত সত্ত্বেও এবং করোনা ও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়া সত্ত্বেও ভারতের উৎপাদন ক্ষেত্র এখন আবার নতুনভাবে এগিয়ে চলেছে। প্রতিনিয়তই কাজের পরিবেশের এখানে উন্নতি ঘটছে। এমনকি, পণ্যের গুণমান ও প্রতিযোগিতামুখী হয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও ভারত এখন নিজেকে অনেকটাই উন্নত করেছে। কম খরচে বেশি মাত্রায় উৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি করে চলেছে আমাদের দেশ। দক্ষ ও মেধাসম্পন্ন শ্রমশক্তির কোনো অভাব নেই বর্তমান ভারতে। গত আট বছরে সরকার গৃহীত বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচির পথ ধরে নির্মাণ তথা উৎপাদন ক্ষেত্রে ভারতে এক নজিরবিহীন পরিবেশও গড়ে উঠেছে। বাণিজ্যিক কাজকর্মকে সহজতর করে তোলার ওপর এর আগে এ ধরনের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি আমাদের দেশে। কর্পোরেট ক্ষেত্রের কর কাঠামোকে সরল করে তোলার মতো অনেক নতুন নতুন অর্থনৈতিক সংস্কারসূচি ভারতে এক নতুন পরিবেশ গড়ে তুলছে। ফলে, ১০০ শতাংশ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগকেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা সম্ভব করে তুলতে পেরেছি। খনি, প্রতিরক্ষা, বেসরকারি সংস্থা, শ্রম সংস্কার, ২৯টি কেন্দ্রীয় শ্রম আইনকে শুধুমাত্র চারটি আইনের মধ্যে সীমিত রাখা, কর সংক্রান্ত ক্ষেত্রে ৩৩ হাজারেরও বেশি বাধ্যবাধকতাকে পরিহার করে এবং ডজন ডজন কর-এর বোঝা কমিয়ে এনে একটিমাত্র পণ্য ও পরিষেবা কর-এর মধ্যে তা সীমিত রাখার সাফল্য আমরা দেখিয়েছি। আমাদের এই সংস্কার প্রচেষ্টার সুফল আজ পৌঁছে গেছে দেশের নির্মাণ তথা উৎপাদন ক্ষেত্রে। বন্ধুগণ, আমাদের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে আরও এক বিশেষ কারণ। এটিকে বরং সবচেয়ে বড় কারণ বললেও অত্যুক্তি হয় না এবং তা হল মানসিকতার পরিবর্তন। সুদীর্ঘকাল ধরে অতীতের সরকারগুলি দেশ শাসন করে এসেছে এই মানসিকতা নিয়ে যে তারাই প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বেসর্বা। ফলে, দেশের বেসরকারি ক্ষেত্র তেমনভাবে বেড়ে ওঠার কোনো সুযোগই তখন পায়নি। কিন্তু, ‘সবকা প্রয়াস’কে অবলম্বন করে এক নতুন শক্তিতে উজ্জীবিত ভারত সরকারি ও বেসরকারি – দুটি ক্ষেত্রকেই সমান গুরুত্ব দেওয়ার কাজে এগিয়ে চলেছে। বন্ধুগণ, পূর্ববর্তী সরকারগুলি যে কোনো ধরনের সমস্যাকে এড়িয়ে চলার মানসিকতা নিয়ে চলত। নির্মাণ তথা উৎপাদন ক্ষেত্রে কিছু ভর্তুকি সহায়তা প্রসারের মধ্য দিয়েই তারা তাদের কর্তব্য সম্পাদন করত। ফলে, সরকারের এই ধরনের মানসিকতায় ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের নির্মাণ তথা উৎপাদন ক্ষেত্রটি। এরই অবশ্যম্ভাবী ফলস্বরূপ সেই সময় কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিই গড়ে তোলা যায়নি। অবহেলিত থেকে গিয়েছিল পরিবহণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও জলের যোগানের মতো কর্মসূচিগুলি। এ দেশের তরুণ প্রজন্ম এই ধরনের মানসিকতার কি ফল হতে পারে, তা বেশ ভালোভাবেই উপলব্ধি করেছে। অস্থায়ীভাবে কাজ করে যাওয়ার পদ্ধতিকে আমরা সম্পূর্ণ রূপে পরিহার করেছি বরং, উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি অনেকগুলি সুযোগ-সুবিধা। আমরা চালু করেছি উৎপাদন-ভিত্তিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধামূলক কর্মসূচি। আর এ সমস্ত কিছুর সুফল এখন আমরা প্রত্যক্ষ করতে পারছি। আমাদের নীতি বর্তমানে দৃঢ়, সহজেই অনুমেয় এবং ভবিষ্যৎকে লক্ষ্য রেখে গড়ে তোলা। ‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি জাতীয় মাস্টার প্ল্যান’ এবং ‘জাতীয় লজিস্টিক্স নীতি’গুলির সাহায্যে দেশের সার্বিক পণ্য ও যাত্রী পরিবহণ ব্যবস্থাকে আমরা ক্রমশ উন্নত করে তোলার পথে এগিয়ে গিয়েছি। বন্ধুগণ, অতীতে আরও এক ধরনের মানসিকতাও চালু ছিল, তা হল – “ভারত তো কোনদিনই উৎপাদন ক্ষেত্রে তেমন কিছু করে দেখাতে পারবে না, তাই তার উচিৎ শুধুমাত্র পরিষেবা ক্ষেত্রের দিকেই নজর দেওয়া।” কিন্তু আজ আমরা পরিষেবা ক্ষেত্রের পাশাপাশি উৎপাদন ক্ষেত্রকেও আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করে তুলেছি। আমরা জানি যে বর্তমান বিশ্বে কোনো দেশই শুধুমাত্র পরিষেবা ক্ষেত্র অথবা উৎপাদন ক্ষেত্রের মধ্যে তাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে সীমাবদ্ধ রেখে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে পারে না। তাই, উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের রয়েছে এক সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি। আজকের নতুন ভারত সেই পথেই গভীর আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে চলেছে। অতীতে আরও একটি ভ্রান্ত ধারণা কাজ করত, তা হল – “দেশে নাকি শ্রমশক্তির খুবই অভাব”, আর এই মানসিকতার ফলে বিশেষভাবে ব্যাহত হত সাধারণ মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা। ফলে, দক্ষতার ঘাটতি এবং মেধার অভাব দুইয়ে মিলে এক অদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। এরই অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হিসেবে ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে দেশের নির্মাণ তথা উৎপাদন ক্ষেত্রকে। সেদিকে দৃষ্টি প্রায় দেওয়া হয়নি বললেই চলে। কিন্তু আজকের ভারত নির্মাণ বা উৎপাদন ক্ষেত্রের একদম সামনের সারিতে দাঁড়ানোর জন্য তৈরি। সেমি-কন্ডাক্টর থেকে বিমান – প্রতিটি ক্ষেত্রেই সামনের সারিতে দাঁড়ানোর জন্য আমরা এখন লড়াই করে চলেছি। গত আট বছর ধরে দক্ষতা বিকাশের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার ফলে কাজের এক অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা আজ সম্ভব হয়েছে। এইভাবে সমস্ত কিছু পরিবর্তনকে সঙ্গে নিয়ে ভারত এগিয়ে চলেছে তার উন্নয়নের যাত্রাপথে। আর এইভাবেই দেশের নির্মাণ তথা উৎপাদন ক্ষেত্রটি আজ এসে পৌঁছেছে এক নতুন পর্যায়ে। বন্ধুগণ, আমাদের সরকারের বিনিয়োগ-বান্ধব নীতিগুলির সুফল আজ আমরা লক্ষ্য করছি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও। গত আট বছরে ১৬০টিরও বেশি দেশের বিভিন্ন সংস্থার বিনিয়োগ বাস্তবায়িত হয়েছে আমাদের দেশে। গুটিকয়েক শিল্পক্ষেত্রের মধ্যেই এই বিদেশি বিনিয়োগ সীমাবদ্ধ থাকেনি, বিদেশি বিনিয়োগ প্রসারিত হয়েছে অর্থনীতির ৬০টিরও বেশি ক্ষেত্রে। দেশের ৩১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগের একটি বাস্তব চিত্র আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি। শুধুমাত্র বিমান উৎপাদন ক্ষেত্রেই বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। ২০০০-২০১৪ – এই ১৪ বছরে এই ক্ষেত্রটিতে বিদেশি বিনিয়োগের তুলনায় গত আট বছরে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে পাঁচগুণ মাত্রায়। আগামী বছরগুলিতে ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’-এর দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হয়ে উঠতে চলেছে দেশের প্রতিরক্ষা ও বিমান উৎপাদনের মতো ক্ষেত্রগুলি। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদনকে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মাত্রায় উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে আমাদের। শুধু তাই নয়, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের রপ্তানির মাত্রাও অতিক্রম করে যাবে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে গড়ে তোলা হচ্ছে প্রতিরক্ষা করিডর। এজন্য আমি দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং গুজরাট সরকারের বিশেষ প্রশংসা করি। মাত্র কয়েকদিন আগেই গান্ধীনগরে আয়োজিত হয় প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর। আনন্দের ঘটনা যে আজ পর্যন্ত এটিই ছিল বিশ্বের বৃহত্তম একটি প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী। এজন্য অভিনন্দন রাজনাথজিকে। ঐ প্রদর্শনীতে যে সমস্ত জিনিস সকলের সামনে প্রদর্শিত হয় তা সবই ছিল ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ব্র্যান্ডের। ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রদর্শনীগুলিতে ‘প্রোজেক্ট সি-২৯৫’-এর প্রতিফলন ঘটবে বলেই আমরা মনে করি। টাটা গোষ্ঠী এবং এয়ারবাস সংস্থাকে এজন্য আমি আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানাই। বন্ধুগণ, আজ এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত আমার বন্ধুদের কাছে আমি আমার একটি আবেদনের পুনরাবৃত্তি করতে আগ্রহী। এই মুহূর্তে দেশের বিনিয়োগ ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব আস্থা ও আত্মবিশ্বাস��র পরিবেশ গড়ে উঠেছে, আপনারা সকলে তার পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করুন। এই সুযোগকে কোনভাবেই আপনারা নষ্ট হতে দেবেন না বরং, যতটা সম্ভব এই সুযোগের আপনারা সদ্ব্যবহার করুন। শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সকলের কাছে আমি আহ্বান জানাই যে দেশের স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলিকে সহায়তা করার পথ আপনারা খুঁজে বের করুন। দেশের তরুণ প্রজন্মগুলি যে সমস্ত স্টার্ট-আপ সংস্থা গড়ে তুলেছে সেগুলির জন্য একটি স্টার্ট-আপ সেল আপনারা গড়ে তুলুন। এর মধ্য দিয়ে আপনারা নিজেদের অগ্রগতিকে দ্রুততম করে তোলার পাশাপাশি আমাদের তরুণ প্রজন্মও বিশ্বের স্টার্ট-আপ ক্ষেত্রে ভারতের গৌরবকে আরও ভালোভাবে তুলে ধরতে পারবে। একইসঙ্গে, তাদের শক্তিও বৃদ্ধি পাবে বহুগুণ। গবেষণা ক্ষেত্রে বেসরকারি ক্ষেত্রের অংশগ্রহণ আজও সীমিত ও সীমাবদ্ধ। কিন্তু আমরা যদি তার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত করে তুলতে পারি তাহলে উদ্ভাবন ও উৎপাদনের এক উন্নত পরিবেশ আমরা গড়ে তুলতে পারব। ‘সবকা প্রয়াস’ – এই মন্ত্রটি আমাদের সকলকেই তখন পথ দেখিয়ে চলবে। একই পথ ধরে এগিয়ে যাব আমরা সকলেই। আজ এই আধুনিক বিমান উৎপাদন কেন্দ্রের সুযোগ-সুবিধা প্রসারের অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে আমি আরও একবার অভিনন্দন জানাই। দেশের তরুণদের সামনে নতুন নতুন সুযোগ এখন অপেক্ষা করে রয়েছে। দেশের তরুণদের জন্য রইল আমার বিশেষ অভিনন্দন বার্তা। অনেক অনেক ধন্যবাদ! প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের অংশবিশেষ ছিল গুজরাটি ভাষায়। এখানে তার একটি অনুবাদ দেওয়া হল। /",বদোদৰাত বিমান নিৰ্মাণ প্লাণ্টৰ আধাৰশিলা স্থাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A7%A7%E0%A7%AC-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%AC-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A4-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%AD%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লি, ১৩ জুলাই, ২০২২ আগামী ১৬ জুলাই উত্তরপ্রদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ঐদিন বেলা ১১-৩০ মিনিট নাগাদ জালাউন জেলার কৈথেরি গ্রামে বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন তিনি। এই এক্সপ্রেসওয়ের শিলান্যাসও করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ২০২০-র ২৯ ফেব্রুয়ারি তারিখে। মাত্র ২৮ মাসের মধ্যেই এক্সপ্রেসওয়েটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। চারলেনের ২৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ১৪,৮৫০ কোটি টাকা। দেশের সড়ক পর��কাঠামোর প্রসার ও উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গীকার ও পদক্ষেপের একটি অঙ্গ হিসেবেই উত্তরপ্রদেশে এই সড়কপথ নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া হয়। চারলেনের এই সড়কটিকে পরে ছয় লেনে রূপান্তরের একটি প্রস্তাবও রয়েছে। এই সড়কপথটি চিত্রকূট, বাঁদা, মাহোবা, হামিরপুর, জালাউন, আউরাইয়া এবং এটোয়া – এই সাতটি জেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়েটি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।",১৬ জুলাইত উত্তৰপ্ৰদেশ ভ্ৰমণ কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আৰু উদ্বোধন কৰিব বুণ্ডেলখণ্ড এক্সপ্ৰেছৱ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%9A%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%B0/,এশিয়ান কনফেডারেশনের মহিলাদের বক্সিংচ্যাম্পিয়নশিপ-এর খেলায় স্বর্ণপদক জয়ী ভারতীয় মুষ্টিযোদ্ধা মেরি কম’কে অভিনন্দিতকরেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “এএসবিসি এশিয়ান কনফেডারেশনের মহিলাদের বক্সিংচ্যাম্পিয়নশিপ-এর খেলায় স্বর্ণপদক লাভ করার জন্য অভিনন্দন জানাই মেরি কম’কে। আপনারএই সাফল্যে ভারত নিজেকে সম্মানিত বোধ করছে”।,এছিয়ান কনফেডাৰেচন মহিলাৰ বক্সিং চেম্পিয়নশ্বিপত স্বৰ্ণ পদক জয়ৰ বাবে মেৰী কমক অভিনন্দন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%A6%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8/,"নয়াদিল্লি, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ বাহে গুরু দা খালসা, বাহে গুরু দি ফতে! (সর্বশক্তিমান গুরুর সৈন্যদল, সর্বশক্তিমান গুরুর জয়) আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগীগণ, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীগণ, বিভিন্ন সম্মানিত সংস্থার চেয়ারম্যান এবং প্রেসিডেন্ট, মাননীয় কূটনীতিবিদগণ, প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত বালক-বালিকারা, অন্যান্য সকল সম্মানিত ব্যক্তিগণ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ। আজ দেশ প্রথম ‘বীর বাল দিবস’ পালন করছে। যে দিনটিকে, যে আত্মবলিদানকে আমরা অনেক প্রজন্ম ধরে স্মরণ করে এসেছি, আজ একটি দেশ রূপে সবাই সম্মিলিতভাবে তাঁদেরকে প্রণাম জানানোর একটি নতুন সূত্রপাত হল। ‘শহ���দি সপ্তাহ’ আর এই ‘বীর বাল দিবস’, আমাদের শিখ পরম্পরার জন্য অবশ্যই একটি শোকের বিষয়। কিন্তু এগুলি উদযাপনের সঙ্গে আকাশের মতো অনন্ত প্রেরণাও যুক্ত রয়েছে। ‘বীর বাল দিবস’ আমাদের মনে করাবে যে শৌর্য প্রদর্শনের জন্য সময় কিংবা কম বয়সের নিরিখে কাউকে ছোট করে দেখা যায় না। ‘বীর বাল দিবস’ আমাদের স্মরণ করাবে যে আমাদের সমাজে ১০ জন শিখ গুরুর কী অবদান রয়েছে। দেশের আত্মাভিমান রক্ষার ক্ষেত্রে শিখ পরম্পরার আত্মবলিদান কতটা! ‘বীর বাল দিবস’ আমাদের জানাবে যে- ভারত কী, ভারতের পরিচয় কী! প্রত্যেক বছর ‘বীর বাল দিবস’-এর এই পুন্য তিথিতে আমরা নিজেদের অতীতকে চিনবো এবং আগামী ভবিষ্যৎ নির্মাণে প্রেরণা পাবো। ভারতের যুব সম্প্রদায়ের সামর্থ কতটা, ভারতের যুব সম্প্রদায় কীভাবে অতীতে দেশকে রক্ষা করেছে! মানবতার কতো গহন অন্ধকার থেকে আমাদের যুব সম্প্রদায় ভারতকে বার বার বের করে এনেছে, ‘বীর বাল দিবস’ আগামী দশকগুলিতে এবং আগামী শতাব্দীগুলিতে এই বার্তাই দিয়ে যাবে। আমি আজ এই উপলক্ষে বীর সাহিবজাদাদের চরণে প্রণাম জানিয়ে তাঁদের কৃতজ্ঞ শ্রদ্ধাজ্ঞলি অর্পণ করছি। এটা আমাদের সরকারের সৌভাগ্য যে আমরা আজকের এই ২৬ ডিসেম্বর দিনটিকে ‘বীর বাল দিবস’ রূপে ঘোষণা করার সুযোগ পেয়েছি। আমি পিতা দশম গুরু গোবিন্দ সিংজি, এবং অন্য সমস্ত গুরুর চরণেও ভক্তি সহকারে প্রণাম জানাই। আমি মাতৃশক্তির প্রতীক মাতা গুজরীর চরণেও মাথা নত করে প্রণাম জানাই। বন্ধুগণ, বিশ্বের হাজার হাজার বছরের ইতিহাস ক্রুরতা ও একের পর এক ভয়াবহ অধ্যায়ে কালিমালিপ্ত। ইতিহাস থেকে শুরু করে কিংবদন্তী পর্যন্ত প্রত্যেক ক্ষেত্রে এই ক্রুর চেহারাগুলির সামনে একাধিক মহানায়ক এবং মহানায়িকাদেরও মহান চরিত্র প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। কিন্তু এটাও সত্য যে চমকৌর এবং সরহিন্দের যুদ্ধে যা কিছু হয়েছে তা ‘ভূতো না ভবিষ্যতি’ হয়েছিল। অর্থাৎ এমনটি কখনও দেখা যায়নি। এই অতীত হাজার হাজার বছর পুরনো অতীত নয় যে সময়ের রথের চাকা তার রেখাগুলিকে মলিন করে দেবে। এই সবকিছু এ দেশের মাটিতেই মাত্র তিন শতাব্দী আগে হয়েছিল। একদিকে ধার্মিক কট্টরতা, আর সেই কট্টরতায় অন্ধ এতো বড় মুঘল সাম্রাজ্য। অন্যদিকে জ্ঞান ও তপস্যায় সমৃদ্ধ আমাদের গুরুরা, ভারতের প্রাচীন মানবিক মূল্যবোধগুলিকে ধারণ করে বেঁচে থাকা পরম্পরা! একদিকে আতঙ্কের প্রতিমূর্তি, আর অন্যদিকে আধ্যাত্মের চরম শি���র! একদিকে ধর্মীয় উন্মাদনা আর অন্যদিকে সকল জীবের মধ্যে ঈশ্বরকে দেখার মতো উদারতা! আর এই সব কিছুর মধ্যে, একদিকে লক্ষ লক্ষ সৈনিকে সমৃদ্ধ সেনাবাহিনী আর অন্যদিকে একা হয়েও ভয়হীন দাঁড়িয়ে থাকা গুরুর বীর দুই সাহিবজাদা। এই দুই সাহিবজাদা কারও ধমকে ভয় পায়নি, কারও সামনে মাথা নত করেনি। জোরাওয়র সিং সাহিব এবং ফতেসিং সাহিব- উভয়কেই দেওয়ালের মধ্যে জীবন্ত গেঁথে দেওয়া হয়েছিল। একদিকে নৃশংসতা তার চরম সীমা লঙ্ঘন করেছে আর অন্যদিকে ধৈর্য্য, শৌর্য আর পরাক্রমও সমস্ত নিদর্শনকে অতিক্রম করেছে। সাহিবজাদা অজিত সিং এবং সাহিবজাদা জুঝার সিং-ও অত্যন্ত পরাক্রমের উদাহরণ স্থাপন করেন যা অনেক শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরে আমাদের প্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে। ভাই ও বোনেরা, যে দেশের ঐতিহ্য এমন মহান, যে দেশের ইতিহাস এমন মহান, স্বাভাবিক রূপেই সে দেশের প্রত্যেক মানুষের মধ্যে আত্মাভিমান এবং আত্মবিশ্বাস থাকা উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ, আমাদের ইতিহাসের নামে মনগড়া কিছু কাহিনি বলা হয়েছে এবং পড়ানো হয়েছে যাতে আমাদের মনে হীন ভাবনা জন্ম নেয়! তা সত্ত্বেও আমাদের সমাজ ও আমাদের বিভিন্ন পরম্পরায় এই গৌরবগাথাগুলি জীবিত রয়েছে। বন্ধুগণ, আমরা যদি ভারতকে ভবিষ্যতে সাফল্যের শিখরে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে আমাদের অতীতের সঙ্কুচিত দৃষ্টিকোন থেকেও মুক্ত হতে হবে। সেজন্য ‘স্বাধীনতার অমৃতকাল’-এ আমাদের দেশ ‘দাসত্বের মানসিকতা থেকে মুক্তি’র সংকল্প নিয়েছে। ‘বীর বাল দিবস’ দেশের সেই ‘পঞ্চ-প্রাণ’এর জন্যও প্রাণবায়ুর মতো। বন্ধুগণ, এতো কম বয়সী সাহিবজাদাদের এই আত্মবলিদানে আমাদের জন্য আর একটি বড় উপদেশ লুকিয়ে রয়েছে। আপনারা সেই সময়টার কথা কল্পনা করুন! ঔরঙ্গজেবের আতঙ্কের বিরুদ্ধে, তার ভারতকে বদলে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যের বিরুদ্ধে দশম গুরু গোবিন্দ সিংজি পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু জোরাওয়ার সিং সাহিব এবং ফতেসিং সাহিবের মতো কম বয়সী বালকদের সঙ্গে ঔরঙ্গজেব এবং তার বিশাল সাম্রাজ্যের কী শত্রুতা থাকতে পারে? দুই নির্দোষ বালককে দেওয়ালের মধ্যে জীবন্ত গেঁথে দেওয়ার মতো পৈশাচিক প্রয়োজন কেন হয়েছিল? এর কারণ হল, ঔরঙ্গজেব এবং তার দলবল গুরু গোবিন্দ সিংহের সন্তানদের ধর্ম তলোয়াড়ের জোরে বদলাতে চেয়েছিল। যে সমাজে, যে দেশের নতুন প্রজন্ম অত্যাচার, অনাচারের সামনে মাথা নত করে তার আত্মবিশ্বাস এবং ভবিষ্যতের তখনই অপমৃত্যু হয়। কিন্তু ভারতের সেই সন্তানরা, সেই বীর বালকরা মৃত্যুকেও ভয় পায়নি, তাদেরকে জীবন্ত দেওয়ালের মধ্যে গেঁথে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা সেই আততায়ীদের অসৎ উদ্দেশ্যকে চিরদিনের জন্য কবর দিয়ে দেয়। এটাই, যে কোন দেশের সমর্থ যুব সম্প্রদায়ের সবচাইতে বড় সামর্থ। নবীন প্রজন্ম নিজেদের সাহস দিয়ে সময়ের ধারাকে চিরকালের জন্য ঘুরিয়ে দিতে পারে। এই সংকল্প শক্তি নিয়ে আজ ভারতের যুব প্রজন্ম দেশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য এগিয়ে চলেছে। আর সেজন্য আজ ২৬ ডিসেম্বর তারিখে ‘বীর বাল দিবস’ এর ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বন্ধুগণ, শিখ গুরু পরম্পরা শুধুই আস্থা এবং আধ্যাত্মের পরম্পরা নয়, এই পরম্পরা ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এই দর্শনেরও প্রেরণাপুঞ্জ। এক্ষেত্রে আমাদের পবিত্র গুরুগ্রন্থ সাহিব থেকে আর বড় উদাহরণ কী হতে পারে? এতে শিখ গুরুদের পাশাপাশি ভারতের ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তের ১৫ জন সন্ন্যাসী এবং ১৪ জন কবির বাণী সংকলিত রয়েছে। এরকম ভাবেই আপনারা গুরু গোবিন্দ সিংহের জীবনযাত্রার দিকে যদি তাকান, দেখবেন, যে তাঁর জন্ম হয়েছিল পূর্ব ভারতের পাটনায়। তাঁর কর্মক্ষেত্র ছিল উত্তর-পশ্চিম ভারতের পাহাড়ী এলাকায়, আর তাঁর জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ হয়েছে মহারাষ্ট্রের মাটিতে। গুরু নানকের ‘পঞ্চ পেয়ারে’রাও দেশের ভিন্ন ভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছিলেন। আর আমি অত্যন্ত গর্বিত যে এই পাঁচ পেয়ারের প্রথম জন এসেছিলেন সেই ভূমি থেকে, গুজরাটের দ্বারকা থেকে যে দ্বারকায় আমার জন্মগ্রহণের সৌভাগ্য হয়েছে। গুরু গোবিন্দ সিংহজির অটল সংকল্প ছিল ‘ব্যক্তি থেকে বড় দর্শন, আর দর্শন থেকে বড় রাষ্ট্র’, ‘দেশ সবার আগে’- এই মন্ত্র। যখন তিনি বালক ছিলেন, তাঁর মনে প্রশ্ন উঠেছিল যে রাষ্ট্রধর্ম রক্ষার জন্য বড় আত্মবলিদানের প্রয়োজন রয়েছে কি না! তিনি তাঁর বাবাকে বলেছিলেন, আপনার থেকে মহান আজ আর কে রয়েছেন? এই আত্মবলিদান আপনি দিন। যখন তিনি নিজে পিতা হন তখন একই তৎপরতায় তিনি নিজের সন্তানদেরও রাষ্ট্রধর্ম রক্ষার জন্য আত্মবলিদানে উদ্বুদ্ধ করতে পিছপা হননি। যখন তাঁর সন্তানদের হত্যা করা হল তখন তিনি নিজের ‘সঙ্গত’ বা শিষ্যদের দেখে বলেন, ‘চার মুয়ে তো ক্যায়া হুয়া, জীওয়ত কঈ হজার’! অর্থাৎ আমার চার জন সন্তান মরেছে তো কি হয়েছে, আমার সঙ্গতে রয়েছে কয়েক হাজার সঙ্গী, হাজার হাজার দেশবাসী আমার সন্তান। দেশ সবার আগে, ‘নেশন ফার্��্ট’ এই ভাবনাকে সবার ওপরে রাখার এই পরম্পরা আমাদের জন্য অনেক বড় প্রেরণার বিষয়। এই পরম্পরাকে শক্তিশালী করার দায়িত্ব আজ আমাদের কাঁধে ন্যস্ত হয়েছে। বন্ধুগণ, ভারতের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কেমন হবে তা একথার ওপর নির্ভর করে যে আমাদের নবীনরা কাদের থেকে প্রেরণা গ্রহণ করবে। ভারতের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রেরণার প্রতিটি উৎস এই ভূমিতেই রয়েছে। কথিত আছে, আমাদের দেশ ‘ভারত’-এর নাম যে বালক ‘ভারত’-এর নামে রাখা হয়েছিল, সে সিংহ এবং দানবদের সংহার করেও ক্লান্ত হতো না। আমরা আজও যখন ধর্ম এবং ভক্তির কথা বলি, তখন ভক্তরাজ প্রহ্লাদের কথা স্মরণ করি। আমরা ধৈর্য এবং বিবেক নিয়ে কথা বলার সময় ‘বালক ধ্রুব’র উদাহরণ দিই। আমরা যে নিজের তপস্যা দিয়ে মৃত্যুর দেবতা যমরাজকেও প্রভাবিত করেছিল, সেই বালক নচিকেতাকেও প্রণাম জানাই। যে নচিকেতা শৈশবেই যমরাজকে জিগ্যেস করেছিল, হোয়াট ইজ দিস? এটা কী? মৃত্যু কাকে বলে? আমরা বালক রামের জ্ঞান থেকে শুরু করে তাঁর শৌর্য পর্যন্ত, ঋষি বশিষ্ঠের আশ্রম থেকে শুরু করে ঋষি বিশ্বামিত্রের আশ্রম পর্যন্ত তাঁর জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা আদর্শ অনুসরণ করে চলতে দেখি। প্রভু রামের দুই ছেলে লব ও কুশ-এর কাহিনিও প্রত্যেক মা তাদের সন্তানদের শোনান। আমরা যখন শ্রীকৃষ্ণের কথা ভাবি, তখন সবার আগে বালক কানহার কথা মনে পড়ে, যাঁর বাঁশিতে প্রেমের ধুন ছিল। আবার তিনি বড় বড় রাক্ষসদের সংহারও করেছিলেন। সেই পৌরানিক যুগ থেকে শুরু করে আধুনিক কাল পর্যন্ত অসংখ্য বীর বালক-বালিকা ভারতের পরম্পরার প্রতিবিম্ব হয়ে রয়েছে। কিন্তু বন্ধুগণ, আজ আর একটি সত্যও আমি দেশের সামনে পুনরুচ্চারণ করতে চাই। সাহিবজাদারা এতো বড় আত্মবলিদান এবং ত্যাগের নির্দশন রেখেছেন, নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, কিন্তু আজকের প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের যদি জিজ্ঞেস করেন তাহলে তাঁদের সম্পর্কে অধিকাংশই জানে না। বিশ্বে আর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে এত বড় শৌর্যগাথাকে এভাবে বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যেতে দেওয়া হয়। আমি আজকের এই পবিত্র দিনে এ বিষয়ে বেশি আলোচনা করতে চাই না যে, আমাদের দেশে এই ‘বীর বাল দিবস’ পালনের ব্যাপারে কেউ চিন্তাও কেন আগে করেনি। কিন্তু আমি এটা অবশ্যই বলব যে এখন থেকে নতুন ভারত অনেক দশক ধরে চলতে থাকা একটি পুরনো ভুলকে শুধরে নিচ্ছে। কোনো রাষ্ট্রের পরিচয় তার সিদ্ধান্তগুলি, মূল্যবোধগুলি এবং আদর্শগুলির মাধ��যমেই গড়ে ওঠে। আমরা ইতিহাসে দেখেছি যখন কোনো রাষ্ট্রের মূল্যবোধ বদলে যায় তখন কিছু দিনের মধ্যেই তার ভবিষ্যৎও বদলে যায়। আর এই মূল্যবোধ তখনই সুরক্ষিত থাকে যখন বর্তমান প্রজন্মের সামনে নিজেদের অতীতের আদর্শগুলি স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান থাকে। নবীন প্রজন্মকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে সব সময় কিছু ‘রোল মডেল’এর প্রয়োজন হয়। নবীন প্রজন্মকে শিক্ষিত করে তুলতে এবং প্রেরণা জোগাতে মহান ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নায়ক-নায়িকাদের উদাহরণ তুলে ধরতে হয়। আর সেজন্যই আমরা শ্রীরামের আদর্শগুলিতেও আস্থা রাখি, আমরা ভগবান বুদ্ধ এবং ভগবান মহাবীরের থেকেও প্রেরণা পাই, আমরা গুরু নানক দেবজির বাণীগুলি অনুসরণ করে বাঁচার চেষ্টা করি। আমরা মহারাণা প্রতাপ এবং ছত্রপতি বীর শিবাজী মহারাজের মতো মহান বীরদের সম্পর্কেও পড়ি। সেজন্যই আমরা বিভিন্ন জয়ন্তী পালন করি, শত শত, হাজার হাজার বছর পুরনো ঘটনাগুলি স্মরণ করেও বিভিন্ন পরবের আয়োজন করি। আমাদের পূর্বজরা সমাজের এই প্রয়োজনকে অনুভব করেছিলেন, আর ভারতকে একটি এমন দেশ রূপে গড়েছিলেন যার সংস্কৃতি পরব এবং বিভিন্ন রীতি-রেওয়াজ এর সঙ্গে যুক্ত। আগামী প্রজন্মগুলিকে এগুলি সম্পর্কে অবহিত করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। সেই ভাবনা-চিন্তা আদর্শ ও দর্শনকে, চিন্তা ও চেতনাকে তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। আমাদের নিজস্ব দর্শন ও ভাবনা-চিন্তার প্রবাহকে অক্ষুন্ন রাখতে হবে। সেজন্য স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে দেশ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য নানা রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের, বীরাঙ্গনাদের এবং অনেক জনজাতি সমাজের অবদানকে আজকের প্রজন্মের প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা সবাই কাজ করছি। ‘বীর বাল দিবস’-এর মতো পুণ্য দিবস পালন এই লক্ষ্যে কার্যকর আলোকস্তম্ভ রূপে তার নিজস্ব ভূমিকা পালন করবে। বন্ধুগণ, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে ‘বীর বাল দিবস’ পালনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে এই উৎসবের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য যে কুইজ কম্পিটিশন আয়োজন করা হয়েছে, যে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা হয়েছে, এতে আমাদের হাজার হাজার যুবক-যুবতী অংশগ্রহণ করেছেন। উত্তরে জম্মু-কাশ্মীর থেকে শুরু করে দক্ষিণে পুদুচেরী পর্যন্ত, পূর্বে নাগাল্যান্ড থেকে শুরু করে পশ্চিমে রাজস্থান পর্যন্ত দেশের কোনো কোনা এমন নেই যেখানকার শিশুরা এই প্রত��যোগিতায় অংশগ্রহণ করে সাহিবজাদাদের জীবন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেনি, প্রবন্ধ লেখেনি। দেশের সর্বত্র বিভিন্ন স্কুলেও সাহিবজাদাদের কেন্দ্র করে অনেক প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়েছে। সেই দিন দূরে নেই যখন কেরালার বাচ্চারাও বীর সাহিবজাদাদের সম্পর্কে জানবে, উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির ছেলেমেয়েরাও বীর সাহিবজাদাদের সম্পর্কে ভালোভাবে জানবে। বন্ধুগণ, আমাদের সবাইকে মিলেমিশে এই ‘বীর বাল দিবস’-এর বার্তাকে দেশের কোনায় কোনায় পৌঁছে দিতে হবে। আমাদের সাহিবজাদাদের জীবন ও তাঁদের আত্মবলিদানের বার্তা যাতে দেশের প্রতিটি শিশুর কাছে পৌঁছায়, তারা যেন সাহিবজাদাদের থেকে প্রেরণা নিয়ে দেশের জন্য সমর্পিত নাগরিক হয়ে ওঠে তার জন্য আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা, আমাদের সমর্থ আর উন্নত ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যকে নতুন প্রাণশক্তি যোগাবে। এই সংকল্প নিয়ে আমি আর একবার বীর সাহিবজাদাদের চরণে প্রণাম জানিয়ে, আপনাদের সবাইকে হৃদয় থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।",নতুন দিল্লীত বীৰ বাল দিৱস অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পাঠ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95/,"বিগত কিছুদিন ধরে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প দ্বারা লাভবান দেশের নানা প্রান্তের মানুষদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। আমিবলতে পারিযে, এটা আমার জীবনে একটা অদ্ভূত অভিজ্ঞতা। আমি বরাবরই চেষ্টা করি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সাধারণ মানুষের জীবনে কেমন পরিবর্তন এনেছে সেই বিষয়ে তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে সরকারি ফাইলের বাইরে জীবনকে জানতে। মানুষের সঙ্গে সরাসরিক থাবলে সমস্ত বিষয়ে তাঁদের কাছ থেকে জেনে খুব আনন্দ পাই। আরও কাজ করার প্রাণশক্তি অর্জন করি। আজ ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কয়েকটি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। আমাকে বলা হয়েছে যে, আজকের এই কর্মসূচিতে আমি সারা দেশের কমন সার্ভিস সেন্টারগুলির মাধ্যমে ৩ লক্ষ দরিদ্র মানুষের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। এই কমন সার্ভিস সেন্টারগুলির সঞ্চালনকারী ভিএলইএস-রাও তাঁদের থেকে পরিষেবা গ্রহণকারী মানুষেরা এবং সারা দেশের এনআইসি সেন্টারগুলির মাধ্যমে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সুবিধাভোগীরা আজ একত্রিত হয়েছেন। ১৬০০রও বেশি সংস্থা আজ এনকেএন বা ন্যাশনাল নলেজনেট ওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছেন। তাঁদের ছাত্র, গবেষক, বিজ্ঞানী ও অধ্যাপকরা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। সারা দেশে সরকারি প্রকল্পের সাহায্যে যে বিপিও-গুলি স্থাপিত হয়েছে, সেই বিপিও-গুলিতে কর্মরত নবীন প্রজন্মের মানুষেরাও আজ এই কর্মসূচিতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। শুধু তাই নয়, মোবাইল ফোন নির্মাণ কারখানাগুলিতে কর্মরত মানুষেরাও আজ প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদেরকে তাঁদের কারখানা দেখাবেন। তাঁরা আমার সঙ্গে কিছু কথাও বলবেন। সারা দেশের লক্ষাধিক Mygov স্বেচ্ছাসেবকরাও যুক্ত হয়েছেন। আমি মনে করি এটি একটি অভূতপূর্ব ঘটনা, আজ আমরা কমপক্ষে ৫০লক্ষেরও বেশি মানুষ একসঙ্গে কথা বলবো! প্রত্যেকের অভিজ্ঞতা শোনা, তাঁদের সঙ্গে কথাবলার এটি একটি অসাধারণ সুযোগ। ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্প উদ্বোধনের সময় একটি সংকল্প ছিল যে দেশের সাধারণ যুবসম্প্রদায়, গরিব, কৃষকদের ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের সঙ্গে যুক্তকরতে হবে, তাঁদের ক্ষমতায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে গ্রামগুলিকেও জুড়তে হবে এই প্রকল্পেএই সংকল্প নিয়ে বিগত চার বছর ধরে ডিজিটাল ক্ষমতায়ণের প্রতিটি বিষয় নিয়ে কাজ হয়েছে। গ্রামগুলিকে ফাইবার অপটিক্সের মাধ্যমে যুক্ত করা, কোটি কোটি মানুষকে ডিজিটালি সাক্ষর করা, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সরকারি পরিষেবাকে সকলের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়া, দেশে বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নির্মানের পরিবেশ তৈরি করা, স্টার্টআপ ও উদ্ভাবনকে উৎসাহ প্রদান, দূরদূরান্তে বিপিও চালু করার অভিযান চালানো; এমনি অনেক প্রকল্প আজ সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।এখন আর পেনশনপ্রাপক বয়স্কদের কয়েক ক্রোশ পথ পেরিয়ে নিজের জীবন প্রমাণ শংসাপত্র জমা দিতে হয় না।তাঁরা এখন নিজের গ্রামেই কমন সার্ভিস সেন্টারে পৌঁছে অত্যন্ত সহজে কাজ সারতে পারেন।দেশের কৃষকরা আবহাওয়ার খবর, ফসল ও মাটি সম্পর্কে নানা তথ্য অত্যন্ত সহজে পেতে পারেন।পাশাপাশি, নিজের মোবাইল মাধ্যমে কিম্বা কমন সার্ভিস সেন্টারে পৌঁছে অত্যন্ত সহজে ডিজিটাল বাজার ‘ই-নাম’- এর মাধ্যমে নিজের উৎপাদিত শস্য, সব্জি ও ফলমূল সারাদেশের যেকোনও বাজারে বেচতে পারেন। আজ গ্রামের লেখাপড়া জানা ছাত্রছাত্রীরা শুধুই স্কুল কলেজের নির্দ্ধারিত পাঠ্যবইয়ের জ্ঞানেই সীমাবদ্ধ থাকছেন না! তাঁরা ইন্টারনেটব্যবহার করে ড��জিটাল গ্রন্থাগারে লক্ষ লক্ষ বই পড়তে পারেন।এখন তাঁরা আর ছাত্রবৃত্তির টাকার জন্যে স্কুল-কলেজের প্ল্যানিং সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল নয়।তাঁদের ছাত্রবৃত্তির টাকা এখন সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যায়।প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য সঞ্চার বিপ্লবের হাত ধরে এইসব কিছু সহজ করা সম্ভব হয়েছে। আজ থেকে কয়েক বছর আগে পর্যন্ত মহানগরগুলি থেকে দূরে ছোট ছোট শহর, মফস্বল শহর ও গ্রামগুলিতে মানুষ ভাবতেও পারতেন না যে রেলস্টেশনে না গিয়ে, লাইনে না দাঁড়িয়ে, শুধুমাত্র ফোনের মাধ্যমে রেলের টিকিট কাটা ও আসন সংরক্ষণকরা সম্ভব! কিম্বা কয়েক ঘণ্টা লাইনে না দাঁড়িয়ে রান্নার গ্যাস সরাসরি বাড়িতে পৌঁছে যেতে পারে! করপ্রদান, বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের বিলের টাকা কোনও সরকারি দফতরে চক্কর না লাগিয়ে ঘরে বসেই জমা করা যেতে পারে! কিন্তু আজ সবই অত্যন্ত সহজে সম্ভব হচ্ছে।আপনার জীবনের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কাজ এখন শুধু কয়েক আঙুল দূরে, আর তা মুষ্ঠিমেয় কয়েকজনের জন্যে নয়, সকলের জন্যে, দেশের যেকোনও নাগরিক ঘরে বসেই একই সুবিধা পেতে পারেন! এর জন্যে সারা দেশে কমন সার্ভিস সেন্টারের নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩ লক্ষ কমন সার্ভিস সেন্টার খোলা হয়েছে। আজ ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টারের এই বিশাল নেটওয়ার্ক ভারতের ১ লক্ষ ৮৩ হাজার গ্রামপঞ্চায়েতে বিস্তারিত হয়েছে। আর অত্যন্ত আনন্দের কথা যে আজ লক্ষ লক্ষ যুবকের পাশাপাশি ৫২ হাজার মহিলা আজ ভিলেজ লেভেল অন্ত্রেপ্রেনিউর (ভিএলই) হিসাবে রূপে কর্মরত। এই কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। সামগ্রিকভাবে বিচার করলে এই কেন্দ্রগুলি শুধুই ক্ষমতায়ন নয়, এগুলির মাধ্যমে শিক্ষা, শিল্পোদ্যোগএবং কর্মসংস্থানও সুনিশ্চিত হয়েছে। ভারতে যত পরিবর্তন আসছে সেগুলি আপনারাই আনছেন, আর নিজেদের আঙুলের শক্তিতে আনছেন, এই প্রগতি, এই আস্থা, এই উন্নয়ন, সংস্কার, দক্ষতাও রূপান্তরের মাধ্যমে এইসব কিছু বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমি আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। নমস্কার।",ডিজিটেল ইণ্ডিয়াৰ হিতাধিকাৰীকলৰ সৈতে বাৰ্তালাপৰ সময়ত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%83%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AB/,"সৌদি আরবের মাননীয় শক্তি মন্ত্রী, ভারতের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী, আন্তর্জাতিক শক্তি ফোরামের মহাসচিব, বিশিষ্ট প্রতিনিধিবৃন্দ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, আমি আপনাদের ভারতে স্বাগত জানাই। ষোড়শ আন্তর্জাতিক শক্তি ফোরামের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে স্বাগত জানাই। আমি এখানে এত বিরাট সংখ্যায় তেল উৎপাদক ও গ্রাহক দেশগুলির শক্তি মন্ত্রীদেরও আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন সংস্থার সিইও-দের দেখে খুব খুশি হয়েছি। আপনারা আজ এখানে বিশ্বব্যাপী শক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য সমবেতহয়েছেন। সমগ্র বিশ্ব বর্তমানে শক্তি সরবরাহ ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে এক বিরাট পরিবর্তনেরমুখোমুখি হয়েছে। শক্তির ব্যয়ের হার ওইসিডি নয় এই ধরনের দেশগুলিতে বৃদ্ধি পেয়েছে : মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং উন্নয়নশীল এশিয়া। অন্যান্য সমস্ত শক্তির উৎসের তুলনায় সৌরশক্তি অনেকটাই অর্থনৈতিক দিক থেকেসুবিধাজনক হয়ে উঠেছে। এরফলে, সরবরাহের ব্যবস্থা পরিবর্তন হচ্ছে। বিশ্বের সর্বত্র প্রাকৃতিক গ্যাসের পর্যাপ্ত প্রাপ্তিযোগ্যতা এবং এলএনজি ওপ্রাকৃতিক গ্যাসের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার প্রাথমিক শক্তি ভাণ্ডারে অবদান যোগাচ্ছে। খুব শীঘ্রই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদক দেশ হয়ে উঠতেচলেছে। আগামী কয়েক দশকের জন্য অতিরিক্ত তেলের চাহিদার এক বিরাট অংশ তারাই মেটাতেপারবে বলে ভবিষ্যৎ বাণী করা হয়েছে। বিশ্বের ওইসিডি-ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে প্রাথমিক শক্তি ক্ষেত্রে সর্বপ্রধানঅবদান হিসাবে ক্রমশ কয়লা আকর্ষণ হারাচ্ছে। পরে, উন্নয়নশীল দেশগুলিতেও একই প্রবণতাদেখা দিতে পারে। বৈদ্যুতিক যানবাহনের প্রচলন ব্যাপকভাবে শুরু হলে আগামী কয়েক দশকে পরিবহণক্ষেত্রেও এক বিরাট পরিবর্তন আসবে। বিশ্ব সিওপি-২১ চুক্তি অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণেপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরিবেশ-বান্ধব শক্তি এবং শক্তি ব্যবহারে দক্ষতার ওপর জোরআগামীদিনে অর্থনীতিগুলি শক্তি ব্যবহারে নিবিড়তা পরিবর্তন করবে। গতমাসে আমি একটি এজেন্সির প্রস্তুত করা শক্তি সংক্রান্ত পূর্বভাষ হাতেপেয়েছিলাম। এই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে, আগামী ২৫ বছরে ভারত বিশ্বের শক্তি চাহিদাপ্রধান চালক হয়ে উঠবে। আগামী ২৫ বছরে ভারতের শক্তি ব্যবহার বার্ষিক ৪.২ শতাং��� হারেবৃদ্ধি পাবে। বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলির মধ্যে ভারত হচ্ছে সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল। এই রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে যে, ২০৪০ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসেরচাহিদা ৩ গুণ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া, বর্তমানের ৩০ লক্ষ থেকে বৈদ্যুতিক যানবাহনেরসংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়ে ৩২ কোটিতে পৌঁছে যাবে। আমরা শক্তি প্রাচুর্যের এক যুগে প্রবেশ করতে চলেছি। কিন্তু বিশ্বের প্রায়১২০ কোটি মানুষের নাগালের মধ্যে এখনও বিদ্যুৎ নেই। আরও অনেক মানুষই পরিচ্ছন্নরান্নার জ্বালানি নেই। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে এই পরিস্থিতিকে যেন বঞ্চিতমানুষদের ক্ষতি করার জন্য ব্যবহার করা না হয়। সমস্ত মানুষের পরিচ্ছন্ন, সুলভ, সুষমএবং সমতার ভিত্তিতে শক্তির সরবরাহ নিশ্চিত করা দরকার। হাইড্রো কার্বন ক্ষেত্রে আমি আমার চিন্তাভাবনা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতেচাই এবং আমাদের শক্তি নিরাপত্তা অর্জনে আমাদের উদ্যোগের কথাও আমি জানাতে চাই। তেলও প্রাকৃতিক গ্যাস কেবলমাত্র বাণিজ্যিক পণ্য নয়, এগুলি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বস্তু।সে কোনও সাধারণ মানুষের রান্নাঘরের জন্যই হোক অথবা বিমানের জ্বালানি-ই হোক, শক্তিসর্বত্রই প্রয়োজন। বিশ্ব বহুদিন ধরে শক্তির মূল্যে অনেক ওঠা-পড়া দেখেছে। আমাদের দায়িত্বশীলশক্তিমূল্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে, যাতে উৎপাদক ও গ্রাহক উভয়েরই স্বার্থ রক্ষা হয়।আমাদের তেল ও গ্যাস – এই উভয় ক্ষেত্রেই স্বচ্ছ ও স্থিতিস্থাপক বাজার ব্যবস্থারদিকেও এগিয়ে যাওয়া দরকার। একমাত্র তখনই আমরা যথাযথভাবে মানবসভ্যতার শক্তির প্রয়োজনমেটাতে সক্ষম হব। সমগ্র বিশ্বকেই যদি অর্থনৈতিক বৃদ্ধি অর্জন করতে হয়, তা হলে উৎপাদক ওগ্রাহকদের মধ্যে পারস্পরিক সমর্থন-ভিত্তিক এক সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন। উৎপাদকদেরস্বার্থেই অন্যান্য অর্থনীতিগুলিরও দ্রুত বৃদ্ধির প্রয়োজন। এরফলে, শক্তি বাজারেচাহিদার বৃদ্ধিও নিশ্চিত হবে। ইতিহাস আমাদের দেখিয়েছে, কৃত্রিমভাবে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করা উৎপাদকদেরস্বার্থ হানিকর। তাছাড়া, উন্নয়নশীল এবং সবচেয়ে কম উন্নত দেশগুলির একেবারে নীচুতলায় এর ফলে অনর্থক সমস্যা তৈরি হয়। আসুন আমরা এই মঞ্চ ব্যবহার করে দায়িত্বশীল মূল্য নির্ধারণ বিষয়েবিশ্বব্যাপী ঐকমত্য গড়ে তুলি। এর ফলে, উৎপাদক ও গ্রাহক উভয়েরই স্বার্থ সুরক্ষিতহবে। বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার মধ্যে ভারতেরও শক্তি ন���রাপত্তার প্রয়োজন রয়েছে।ভারতের শক্তির ভবিষ্যৎ বিষয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গী ৪টি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।এগুলি হ’ল – শক্তির যোগান, শক্তির দক্ষতা, শক্তির সুষমতা এবং শক্তির নিরাপত্তা। সাধারণভাবে শক্তি এবং বিশেষভাবে হাইড্রো কার্বন ভারতের ভবিষ্যতের জন্য আমারদৃষ্টিভঙ্গীতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের দরিদ্রদের জন্য নাগালের মধ্যে সুলভশক্তির প্রয়োজন। ভারতের শক্তি ব্যবহার দক্ষতারও বিশেষ প্রয়োজন। বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে এক দায়িত্বশীল সদস্য হিসাবে ভারত আবহাওয়া পরিবর্তনমোকাবিলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়া, কার্বন গ্যাস নির্গমন মোকাবিলা করে সুষমভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার বিষয়েও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আন্তর্জাতিক সৌর জোটের সূচনাএই লক্ষ্য পূরণে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বন্ধুগণ, বর্তমানে ভারত বিশ্বের মধ্যে দ্রুততম বৃদ্ধির এক বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণতহয়েছে। আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে অদূর ভবিষ্যতেভারতের বৃদ্ধি হার ৭-৮ শতাংশে পৌঁছে যাবে বলে অনুমান করা হয়েছে। আমাদের সরকার উচ্চহারে জাতীয় আয় বৃদ্ধি, কম মুদ্রাস্ফীতির হার, সুনিয়ন্ত্রিত রাজকোষ ঘাটতি এবংস্থিতিশীল মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বৃহত্তর অর্থনৈতিকক্ষেত্রে এই স্থিতিশীলতা দেশের অর্থনীতিতে ব্যয় এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে। ভারতের জনসংখ্যায় যুবশক্তি সুবিধার আশীর্বাদ রয়েছে। মোট জনসংখ্যার মধ্যেকর্মক্ষম জনসংখ্যার অনুপাত বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সেরা। আমাদের সরকার মেক ইনইন্ডিয়ার মতো কর্মসূচির মাধ্যমে উৎপাদন এবং বস্ত্র বয়ন, পেট্রোকেমিকেল,ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি শিল্প ক্ষেত্রে যুবকদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে।এর ফলে, আবার একই সঙ্গে আমাদের শক্তির ব্যবহার অনেকটাই বেড়েছে। আমরা হাইড্রো কার্বন অনুসন্ধান এবং লাইসেন্স নীতির সূচনার মধ্য দিয়ে এইক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং প্রতিযোগিতা আনার চেষ্টা করেছে। এজন্য আমাদের নীতি এবংনিয়ম-কানুন পরিবর্তন করা হয়েছে। নিলামে অংশগ্রহণের বৈশিষ্ট্য রাজস্ব ভাগাভাগিরধাঁচে বদলে দেওয়ার ফলে সরকারের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন কমিয়েছে। বর্তমানে ২ মেপর্যন্ত বিভিন্ন তৈল ক্ষেত্রে নিলামের জন্য একটি রাউন্ড চলছে। আমাদের উৎপাদনবৃদ্ধির লক্ষ্যে এই উদ্যোগে আপনাদের অংশগ্রহণে অনুরোধ জানাই। ওপেন একারে��� এবংজাতীয় তথ্য ভাণ্ডার বিভিন্ন কোম্পানিকে তাদের আগ্রহের ক্ষেত্রে অংশগ্রহণে সহায়তাকরবে এবং ভারতীয় তৈল ক্ষেত্রে তৈল অনুসন্ধানের আগ্রহ আরও বৃদ্ধি করবে। তেল উদ্ধার সংক্রান্ত বর্ধিত নীতি আপস্ট্রিম ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিব্যবহারকে উৎসাহিত করবে। আমাদের ডাউন স্ট্রিম ক্ষেত্রটিকে বাজারের প্রবণতা অনুযায়ীপেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য নির্ধারণ এবং অপরিশোধিত খনিজ তেলের মূল্য পরিবর্তনের ওপরভিত্তি করে সম্পূর্ণভাবে উদার করে তোলা হয়েছে। জ্বালানির খুচরো এবং আর্থিকলেনদেনের ক্ষেত্রে আমরা ডিজিটাল মঞ্চের দিকে অগ্রসর হয়েছি। আমাদের সরকার আপস্ট্রিম তেল উৎপাদন থেকে ডাউন স্ট্রিম খুচরো ব্যবসায় তেল ওগ্যাসের মূল্য শৃঙ্খলে বেসরকারি অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। আমাদের সরকার শক্তি পরিকল্পনার ক্ষেত্রে একটি সুসংহত দৃষ্টিভঙ্গীতে বিশ্বাসকরে এবং ভারতের শক্তি কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত, বাজার-ভিত্তিক এবং জলবায়ুর প্রতিস্পর্শকাতর করে তোলা হয়েছে। এর ফলে, আমাদের বিশ্বাস, রাষ্ট্রসংঘের সুষম উন্নয়নকর্মসূচি শক্তি সংক্রান্ত তিনটি প্রধান লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে। এগুলি হ’লনিম্নরূপ – ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য আধুনিক শক্তির যোগান; প্যারিস চুক্তি অনুসারে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি উদ্যোগ; বাতাসের গুণমান উন্নয়নে ব্যবস্থা। বন্ধুগণ, আমরা বিশ্বাস করি, মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নজ্বালানির যোগান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মহিলারাই এ থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পান।পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহৃত হলে গৃহের অভ্যন্তরে দূষণ কমে এবং জৈব জ্বালানি ওজ্বালানি কাঠ সংগ্রেহের কষ্টও লাঘব হয়। এর ফলে, মহিলারা তাঁদের আত্মোন্নয়নের জন্যবর্ধিত সময় পান এবং অতিরিক্ত অর্থনৈতিক কাজকর্মে যুক্ত হতে পারেন। ভারতে উজালা যোজনার মাধ্যমে আমরা দরিদ্র পরিবারের মহিলাদের নিঃশুল্করান্নার গ্যাসের সংযোগ দিচ্ছি। দেশের ৮ কোটি দরিদ্র পরিবারে পরিচ্ছন্ন রান্নারগ্যাসের সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্য হাতে নেওয়া হয়েছে। মাত্র দু’বছরেরও কম সময়ে ইতিমধ্যেইসাড়ে তিন কোটি গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে ইউরো-৬ মানের সমতুল বিএস-৬ শ্রেণীরজ্বালানি ব্যবহারের দিকে যাওয়ার প্রস্তাব করেছি। আমাদের তৈল শোধনাগারগুলিকেবিপুলভাবে উন্নয়নে��� উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিচ্ছন্ন জ্বালানি সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রাপূরণের লক্ষ্যে তাঁরা এগিয়ে চলেছে। প্রকৃতপক্ষে এখানে নতুন দিল্লিতে আমরা এই মাসথেকেই বিএস-৬ মানের জ্বালানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেছি। আমরা এছাড়াও, ইতিমধ্যেইপুরনো গাড়ি বাতিলের নীতি গ্রহণ করেছি। এর ফলে, পরিচ্ছন্ন এবং জ্বালানি ব্যবহারেরক্ষেত্রে দক্ষ যানবাহনের প্রচলন হবে। আমাদের তেল সংস্থাগুলি শক্তি ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনার কৌশল মাথায় রেখেতাঁদের বিনিয়োগের পুনর্মূল্যায়ন করছে। আজ আমাদের তেল কোম্পানিগুলি বায়ু এবংসৌরশক্তি ক্ষেত্রে এবং গ্যাস পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছে। এছাড়া, তারাবৈদ্যুতিক যানবাহন এবং বিদ্যুৎ সঞ্চয়ের ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ করার চিন্তাভাবনা করছে। বন্ধুগণ, যেমনটা আমরা সকলেই জানি, আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে চলেছি।নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভবিষ্যতের শিল্প পরিচালিত হবে। ইন্টারনেট অফ থিংস,কৃত্রিম মেধা, রোবোটিক্স প্রসেস অটোমেশন, মেশিন লার্নিং, প্রেডিকটিভ অ্যানালিটিক্সএবং থ্রিডি প্রিন্টিং-এর মতো অত্যাধুনিক পদ্ধতি আগামীদিনে শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহৃতহবে। আমাদের কোম্পানিগুলিও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগাচ্ছে। এর ফলে, দক্ষতাও নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে এবং শুধুমাত্র ডাউন স্ট্রিম খুচরো ব্যবসার ক্ষেত্রেই নয়,আপ স্ট্রিম তেল উৎপাদন, সম্পদ পরিচালন এবং দূর নিয়ন্ত্রিত নজরদারির মতো কাজের জন্যব্যয় হ্রাস করবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এই ধরনের অনুষ্ঠানের সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা, যেখানেভবিষ্যতের শক্তি ক্ষেত্র নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে কিভাবেবিশ্বব্যাপী পরিবর্তন, নীতি এবং নতুন প্রযুক্তি, বাজারের স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যৎবিনিয়োগকে প্রভাবিত করতে পারে, তা নিয়ে এই ধরনের মঞ্চে আলোচনা হওয়া উচিৎ। বন্ধুগণ, আন্তর্জাতিক শক্তি ফোরামের ষোড়শ সম্মেলনের মূল সুর হচ্ছে ‘বিশ্বব্যাপীশক্তি নিরাপত্তার ভবিষ্যৎ’। আমাকে জানানো হয়েছে যে, সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতেউৎপাদক-গ্রাহক সম্পর্ক, সর্বজনীন শক্তির যোগান, সুলভতা, শক্তি ও গ্যাস ক্ষেত্রেবিনিয়োগে উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে শক্তির ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণের বিষয়গুলি রয়েছে।শক্তি নিরাপত্তা বজায় রাখা এবংব নতুন ও পুরনো প্রযুক্তির সহাবস্থান নিয়েও এখানেআলোচনা হবে। আমাদের সমষ্টিগত শক্তি নিরাপত্তার ভবিষ্যতের জন্য এগুলি বিশেষভাবেপ্রাসঙ্গিক। আমার বিশ্বাস, এই মঞ্চে এসব বিষয়ে আলোচনা বিশ্বের নাগরিকদের পরিচ্ছন্ন সুলভএবং সুষম শক্তি ব্যবহারের সুবিধা দিতে আমাদের দূর এগিয়ে দেবে। আমি এই মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে সফলতা কামনা করি। ধন্যবাদ।","আন্তঃৰা্ষ্ট্ৰীয় শক্তি ফ’ৰামৰ মন্ত্রীপর্যায়ৰ বৈঠকত প্রধানমন্ত্রীৰ ভাষণ (১১ এপ্রিল, ২০১৮)" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%A1-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%A1%E0%A6%AE-%E0%A7%B0-%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লি, ২৭ জুলাই, ২০২২ এ বছর মার্চ মাসে জাতীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ সংস্থা (এনআইআরডিপিআর)-এর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ রিডিং (ইউওআর)-এর এক মউ স্বাক্ষরের বিষয়ে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে অবহিত করা হল প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। এই মউ স্বাক্ষরের ফলে এনআইআরডিপিআর-এর কর্মীরা পুষ্টি, কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন সম্পর্কে এক আন্তর্জাতিক পেশাদারী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার সুযোগ পাবেন। শুধু তাই নয়, মউ স্বাক্ষরের সুবাদে দুটি সংস্থাই কৃষি অর্থনীতি, পল্লী উন্নয়ন, জীবিকার্জন ও পুষ্টিক্ষেত্রে সমীক্ষা ও গবেষণার যথেষ্ট সুযোগ পাবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পল্লী উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণার কাজে এনআইআরডিপিআর ইউনিভার্সিটি অফ রিডিং-এর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে চলেছে। নারী ও শিশুবিকাশ সম্পর্কেও এই সংস্থা দুটি পরস্পরের সঙ্গে মত ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে থাকে।",ইউনাইটেড কিংডম-ৰ ‘ইউনিভাৰ্ছিটী অব ৰিডিং’(ইউঅআৰ) আৰু ‘ৰাষ্ট্ৰীয় গ্ৰামোন্নয়ণ আৰু পঞ্চায়তীৰাজ প্ৰতিষ্ঠান’(এনআইআৰডিএণ্ডপিআৰ)ৰ মাজত স্বাক্ষৰিত বুজাবুজিৰ চুক্তিলৈ কেন্দ্ৰীয় কেবিনেটৰ অনুমোদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5-%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%9F/,"এখানে উপস্থিত সমস্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাংস্কৃতিক সদ্ভাবনা পুরস্কারপ্রাপকদের আমি অন্তর থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। এর মাধ্যমে শ্রী রাজকুমার সিংহজিৎ সিংহ, শ্রী রাম সুতার এবং বাংলাদেশের প্রখ্যাত ছায়ানট সংস্থা সম্মানি��� হল। এই সম্মান কলা ও সংস্কৃতির সম্মান। এই সম্মান জ্ঞানের সম্মান। সংস্কৃতি যে কোন দেশেরই প্রাণশক্তি। এর মাধ্যমেই রাষ্ট্রের পরিচয় এবং অস্তিত্ব শক্তিশালী হয়ে ওঠে। যে কোন রাষ্ট্রের সম্মান এবং তার আয়ু সংস্কৃতির পরিপক্কতা এবং সাংস্কৃতিক শিকড়ের শক্তি থেকেই নির্ধারিত হয়। ভারতের রয়েছে হাজার হাজার বছরের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ঐতিহ্য যা, পরাধীনতার দীর্ঘ কালখণ্ড এবং বিদেশি শত্রুর আক্রমণকে প্রতিহত করেও প্রভাবিত হয়নি। এটা সম্ভব হয়েছে, স্বামী বিবেকানন্দ এবং গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো অনেক মণীষীর অবদানের ফলে। ভারতের সাংস্কৃতিক সামর্থ্য একটি রঙিন মালার মতো যার প্রতিটি পুঁতি ভিন্ন ভিন্ন রঙের শক্তি প্রদান করে। এদেশের প্রতি ক্রোশে জল বদলায়, আর চার ক্রোশে বদলায় বাণী। এটাই ভারতকে রঙের বৈচিত্র্যে এবং নানা মাত্রায় সমৃদ্ধ করে। ভারতের এই শক্তিকে গুরুদেব বুঝেছিলেন এবং রবীন্দ্র সঙ্গীতে এই বিবিধতাকে ধারণ করেছিলেন। রবীন্দ্র সঙ্গীত সমগ্র ভারতের রং-এ রঙিন যা ভাষার সীমা অতিক্রম করে শ্বাশত হয়ে উঠেছে। গুরুদেব, লোক-কলা এবং ঐতিহ্যশালী নৃত্যসমূহকে এ দেশের বহুমাত্রিক সংস্কৃতির পরিচায়ক বলে মনে করতেন। শান্তিনিকেতনে গেলে বোঝা যায় তিনি মণিপুরী নৃত্য শিক্ষক নবকুমার সিংহের দ্বারা কতটা প্রভাবিত হয়েছিলেন। আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সদ্ভাবনা পুরস্কারে সম্মানিত শ্রী রাজকুমার সিংহজিৎ সিংহ এই সমৃদ্ধ সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করছেন। রাজকুমারজি মণিপুরী নৃত্যের প্রচার ও প্রসারে সমর্পিত প্রাণ। তিনি মণিপুরী নৃত্য পরম্পরার মাধ্যমে দেশের সাংস্কৃতিক সদ্ভাবকে সমৃদ্ধ করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আশা করি, ভবিষ্যতেও তিনি এক্ষেত্রে আরও অবদান রাখবেন। এই পুরস্কারের জন্য আমার পক্ষ থেকে তাঁকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। বন্ধুগণ, গুরুদেব সমস্ত সীমার ঊর্ধ্বে উঠতে পেরেছিলেন। প্রকৃতি এবং মানবতার প্রতি সমর্পিত গুরুদেব সমগ্র বিশ্বকে নিজের বলে ভাবতেন। বিশ্বও তেমনই তাঁকে আপন করে নিয়েছিল। আজও আফগান জনগণের মুখে মুখে ‘কাবুলিওয়ালা’র গল্প শোনা যায়। আজও বিশ্বের অনেক শহরে তাঁর নাম জড়িত অনেক স্মারক রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর নামে বিশেষ চেয়ার রয়েছে। সাড়ে তিন বছর আগে আমি যখন তাজিকিস্তান গিয়েছিলাম, তখন সেখানে গুরুদেবের মূর্তি উদ্বোধনের সৌভাগ্য হয়ে���িল। বন্ধুগণ, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকা একটি বিরল ঘটনা। কিন্তু গুরুদেবের প্রতি শ্রদ্ধাই বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে আমার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহোদয়ার উপস্থিতিকে সুনিশ্চিত করেছিল। গুরুদেবের সৃষ্টি করা গান ‘আমার সোনার বাংলা’ বাংলাদেশের পরিচয়, সে দেশের জাতীয় সঙ্গীত। ভারত এবং বাংলাদেশের এই যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে আজকের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাংস্কৃতিক সদ্ভাবনা পুরস্কারপ্রাপক ছায়ানট সংস্থা। ছায়ানট-এর মানবতাবাদী এবং সাংস্কৃতিক মূল্য গুরুদেবের ভাবনাগুলিকে অভিব্যক্ত করে। আমি তাদের আজকের এই সম্মানের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বন্ধুগণ, গুরুদেব সম্পর্কে বলতে গিয়ে আমি প্রায়ই তাঁর গুজরাটে কাটানো দিনগুলির কথা উল্লেখ করি। তাঁর দাদা আমেদাবাদের কমিশনার ছিলেন এবং তাঁর বাড়িতে থাকার সময় গুরুদেব অনেক কবিতা লিখেছিলেন। গুরুদেবের সৃষ্টি ‘জন-গণ-মন’ গানটির ভাবনা সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ রচনার ক্ষেত্রে প্রভাবিত করেছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত, আজ একটি জায়গায় গিয়ে এই দুই মহাপুরুষকে আমরা মেলাতে পেরেছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাংস্কৃতিক সদ্ভাবনা পুরস্কারপ্রাপক শ্রী রাম সুতার মহোদয় আজ গুরুদেব এবং সর্দার প্যাটেলের মধ্যে একটি সেতু হয়ে উঠেছেন। সুতার মহোদয়ের মহান সৃষ্টি ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ আমাদের দেশকে গর্বিত করেছে। জাতীয় ঐক্যের ভাবনাকে মজবুত করা এবং প্রত্যেক ভারতীয়ের গর্ব বৃদ্ধিকারী শ্রী সুতারকে আমি এই মহতী পুরস্কার পাওয়ার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। একটু আগেই আমি তাঁর ভাষণ শুনছিলাম। বয়স ৯৩ পেরিয়ে গেছে কিন্তু, তাঁর ভাষণের মূলমন্ত্র ছিল ‘আমার আরও অনেক কিছু করার বাকি’। এই বক্তব্য দেশের প্রত্যেক যুবককে প্রেরণা যোগাবে। বন্ধুগণ গুরুদেবের কৃতিত্ব এবং তাঁর বার্তা স্থান, কাল এবং পরিস্থিতির ঊর্ধ্বে। মানবতাকে রক্ষা করার জন্য তাঁর আগ্রহকে আজ আরও শক্তিশালী করে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আজ বিশ্ব যে ধরণের সমস্যার সম্মুখীন, সেগুলি থেকে উত্তরণের জন্য গুরুদেবকে বেশি বেশি করে পড়া এবং তার থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আজ তিনি আরও অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছেন। আমি গুরুদেবের গুরুদেবের কাব্যাংশ উচ্চারণ করেই আ��কের বক্তব্য শেষ করব। তিনি লিখেছিলেন – “আমি শুয়ে স্বপ্ন দেখেছি জীবনানন্দ। আমি জেগে দেখেছি জীবনের সেবা। আমি সেবায় পেয়েছি – সেবাতেই আনন্দ।” আমরা সবাই এই সেবাভাবকে সম্বল করেই দেশের সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করার কাজ করে যাব, এই আশা নিয়ে আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আমি মাননীয় রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি সময় বের করে আজকের এই অনুষ্ঠানের শোভাবর্ধন করেছেন। ভাই মহেশ শর্মাকে অভিনন্দন জানাই যে তাঁর বিভাগ অত্যন্ত সুচারুভাবে একটি পুরস্কারের মাধ্যমে সেই ভাবনাগুলিকে একত্রিত করার প্রচেষ্টায় সফল হয়েছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",ঠাকুৰ সাংস্কৃতিক সমন্বয় বঁটা প্ৰদান অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে দিয়া ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%A3-%E0%A6%AE%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87/,"প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে দিল্লির আলিপুরে অবস্থিত দিল্লি দুগ্ধ প্রকল্পের মালিকানাধীন ১.৬১ একর জমি ক্ষুদ্র চাষী কৃষিবাণিজ্য সংগঠনকে কিষাণ মান্ডি স্থাপনের জন্য লিজ দেওয়ার প্রস্তাবে অনুমোদিত হয়েছে। লিজের মেয়াদকাল হবে ৩০ বছর, যা ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ থেকে শুরু হয়ে ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০৪৪-এ শেষ হবে। জমির ভাড়া-বাবদ মাসিক ১০০ টাকা এবং লিজ শুরুর দিন থেকে বার্ষিক ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। প্রতি বছর ৩১শে জানুয়ারির মধ্যে সারা বছরের ভাড়া অগ্রিম দিতে হবে। ক্ষুদ্র চাষী কৃষিবাণিজ্য সংগঠন দ্বারা কিষাণ মান্ডি স্থাপিত হলে কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী সংস্থা এবং উৎপাদকদের সংগঠনগুলি দিল্লি ও জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে সরাসরি ফল ও সবজি পাইকারী ও খুচরো বাজারে বিক্রি করার একটি অতিরিক্ত বিপণন মঞ্চ পাবে। এর ফলে, কৃষক ও ক্রেতারা উপকৃত হবে। কিষাণ মান্ডিতে নথিভুক্ত কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী সংস্থা ও উৎপাদকদের সংগঠনগুলিই কেবলমাত্র তাজা সবজি বিক্রি করতে পারবে। খুচরো ও পাইকারী বিক্রেতা, সংস্থা, হোটেল ও কেটারিং সংস্থা, আবাসিক কল্যাণ প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ ক্রেতারা এখান থেকে কোন দালাল বা এজেন্ট ছাড়াই সরাসরি কিনতে পারবেন। কিষাণ মান্ডিতে ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর কোনরকম কমিশন ধার্য করা হবে না। মজুতভাণ্ডার বা হিমঘর ব্যবহারের জন্��� কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে একটি সামান্য পরিষেবা মূল্য দিতে হবে। প্রথমদিকে দিল্লি দুগ্ধ প্রকল্পের নির্বাচিত কিয়স্কগুলি থেকে কেবল আলু ও পেঁয়াজের মতো সবজি বিক্রি শুরু হবে। প্রসঙ্গত, ক্ষুদ্র চাষী কৃষিবাণিজ্য সংগঠন, কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি ও কৃষককল্যাণ মন্ত্রকাধীন কৃষি সমবায় ও কৃষককল্যাণ দপ্তরের নিয়ন্ত্রাধীন একটি নথিভুক্ত সংগঠন যেটির দায়িত্ব হল কৃষকদের বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ও বাজারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা। কৃষি মন্ত্রক এই সংগঠনকে কৃষকদের গোষ্ঠী তৈরি করে কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী সংস্থা হিসেবে সরাসরি বাজারের সঙ্গে যুক্ত করার দায়িত্ব দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সারা দেশে এরকম ৬৫০টি কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী সংস্থা স্থাপন করা হয়েছে যেখানে ডিসেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত ৬ লক্ষ৬০ হাজার কৃষক যোগ দিয়েছেন।","কিষাণ মণ্ডী স্থাপনৰ বাবে স্মল ফাৰ্মাৰ্ছ এগ্ৰিবিজনেছ কনছ’ৰ্টিয়ামলৈ দিল্লী দুগ্ধ আঁচনিয়ে দিল্লী, আলিপুৰত থকা ১.৬১ একৰ ভূমি লীজত প্ৰদান কৰাৰ প্ৰস্তাৱলৈ কেবিনেটৰ অনুমোদন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%93%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7-%E0%A6%89/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%93%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%89/,"ভারত মাতার জয়! ওড়িশার রাজ্যপাল মাননীয় অধ্যাপক গণেশলাল, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য শ্রী জুয়েল ওরাঁও, শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, শ্রীমতী স্নেহাঙ্গিনী ছুরিয়া, সংসদ সদস্য শ্রী কিলীকেশ নারায়ণ সিংহদেব এবং এখানে উপস্থিত প্রিয় ভাই ও বোনেরা, নববর্ষে আরেকবার আমার ওড়িশা আসার সৌভাগ্য হল। মকর সংক্রান্তির দিনে এখানে আসা এবং উন্নয়নের নতুন আলোকে সমৃদ্ধ হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পবিত্র উৎসব উপলক্ষে ওড়িশাবাসী তথা সমগ্র দেশবাসীকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। বন্ধুগণ, পূর্ব ভারতের উন্নয়নের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার নিরন্তর ওড়িশার উন্নয়নের অভিযান জারি রেখেছে। বিগত এক মাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। একটু আগেই এখানে সাড়ে ১৫ কোটিরও বেশি টাকা বিনিয়োগে নির্মিত বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাসের সৌভাগ্য হয়েছে। ওড়িশায় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান। এই চাহিদা দেখে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে ২০১৪-র পর এই রাজ্যে বেশ কয়েকটি নতুন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে, আরও বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। বন্ধুগণ, শিক্ষা মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটায়। এই সম্পদকে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমেই সুযোগে পরিণত করা সম্ভব। একথা মাথায় রেখে ওড়িশার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা হচ্ছে। আজ রেলের ছয়টি প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছে। এতে ওড়িশার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য রাজ্যে যাতায়াতও সহজ হবে। কৃষক ভাই-বোনেদের নিজেদের ফসল বড় হাট, বড় শহরের বড় বাজারে নিয়ে যেতে সুবিধা হবে। যাতায়াত ও পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত হলে এখানে শিল্পের উপযোগী পরিবেশ গড়ে উঠবে। আর এখানে শিল্পোদ্যোগ আসতে শুরু করলে যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মসংস্থানের অনেক সুযোগ তৈরি হবে। বন্ধুগণ কিছুক্ষণ আগেই বলাঙ্গীর থেকে বিচ্ছুপল্লী পর্যন্ত নতুন রেলপথের উদ্বোধন হল। এ পথে নতুন চালু হওয়া রেলগাড়িকে সবুজ পতাকা দেখানো হল। সেজন্য আমি আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। তাছাড়া ঝারসুগুড়ার ‘মাল্টি-মডেল লজিস্টিক পার্ট’ ঝারসুগুড়া-ভিজিনগরম এবং সম্বলপুর-আঙ্গুল রেলপথের বৈদ্যুতিকীকরণ, বারপল্লী-ডুগরীপল্লী এবং বলাঙ্গীর-দেবগাঁও রেলপথ সম্প্রসারণ, আর নাগাবলী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর জন্যও আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। বন্ধুগণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই এর ইতিবাচক প্রভাব পরে। বিশেষ করে পর্যটনের সম্ভাবনা সর্বাধিক বৃদ্ধি পায়। ওড়িশায় তো এমনিতেই সব ধরণের পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র রয়েছে। এখানে অরণ্য আছে, সমুদ্র সৈকতও আছে। প্রকৃতির ঐশ্বর্য এ রাজ্যে অঢেল। তেমনই ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় পর্যটনকেন্দ্রও রয়েছে। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার ওড়িশার অনেক মন্দির, পুরনো দুর্গ ইত্যাদির সংস্কারের এবং সৌন্দর্যায়নের প্রকল্প শুরু করেছে। এই প্রক্রিয়ায় নীল মাধব এবং সিদ্ধেশ্বর মন্দিরের সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজ আজ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিম সোমনাথ মন্দির, ভুবনেশ্বর মন্দির এবং কপিলেশ্বর মন্দিরের সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় আজ সেগুলির উদ্বোধন করা হয়েছে। যে পারম্পরিক বাণিজ্যপথ ওড়িশাকে মধ্য ভারতের সঙ্গে যুক্ত করে, সেই পথে অনেক ঐতিহাসিক স্মারক রয়েছে। এই স্মারকগুলির সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজেও সরকার এগিয়ে এসেছে। সেই প্রক্রিয়ায় বলাঙ্গীর অঞ্চলে রানিপুর ও ঝরয়ালের স্মারকগুলিরও সংস্কার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, চৌষট্টি যোগিনী মন্দির, লহরাগুণী সোমেশ্বর, রানিগুণী কিংবা ইন্দ্রালী মন্দিরের মতো আমাদের আস্থাস্থল ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্যবাদী সমস্ত স্থাপত্যকর্ম ও ভাস্কর্য্যের সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বন্ধুগণ, আজ আরেকটি স্মারকের নবীকরণের কাজ শুরু হয়েছে। কালাহান্ডির অসুরাগঢ় দুর্গ আমাদের শৌর্যের প্রতীক। পাশাপাশি এটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্রও ছিল। এটি ছিল কলিঙ্গের সঙ্গে মহাকান্তারার সংযোগস্থল। দেশের ইতিহাসের এই সোনালি অধ্যায়গুলিকে আবার জুড়তে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এখানকার মূল পরিষেবাগুলি উন্নয়নের ফলে পর্যটনে গতি বাড়বে, আর কর্মসংস্থানের সুযোগ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। বন্ধুগণ, আজ এখানে ছয়টি নতুন ডাকঘর পাসপোর্ট পরিষেবা কেন্দ্রের সূচনা হল। বলাঙ্গীর ছাড়াও জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রপাড়া, পুরী, ফুলবনী, বারগঢ়ে এই নতুন কেন্দ্রগুলি খোলার পর এখানকার নাগরিকদের আর পাসপোর্টের জন্য অনেক দূরে যেতে হবে না। বন্ধুগণ, আজ আপনাদের সবাইকে, ওড়িশাবাসীদের সবার জীবনকে সহজ করার জন্য নির্মিত ও নির্মীয়মান এই সকল প্রকল্পের জন্য আপনাদের অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আপনাদের আরেকবার নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",ওড়িশাৰ বলাংগীৰত একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পৰ উদ্বোধন আৰু আধাৰশিলা স্থাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্রীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ভারতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত কাঠামো গড়ে তোলার ব্যাপারে ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এই সমঝোতাপত্র বা মউ স্বাক্ষরের ফলে ভারতের পরিকাঠামো ক্ষেত্রে উপযুক্ত বিনিয়োগের জন্য সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে সংযোগ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এরফলে দেশে পরিকাঠামো সংক্রান্ত বিকাশে গতি আসবে, কর্মসংস্হানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, গড়ে উঠবে অনুসারী শিল্প যা দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে বৃদ্ধি ঘটাবে। /",ভাৰতত বিনিয়োগ সংক্রান্তীয় পৰিকাঠামো গঢ়ি তুলিবৰ বাবে ভাৰত আৰু ছৌদি আৰৱৰ মাজত বুজাবুজি চুক্তি স্বাক্ষৰলৈ কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%85/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%85/,প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকেআজ ভারত ও ভিয়েতনামের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার প্রশ্নে সমঝোতাপত্রস্বাক্ষরের বিষয়টিকে অনুমোদন দিয়েছে। এই সমঝোতাপত্র ভারত ও ভিয়েতনামের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক স্তরে আরও বেশি হারেবাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করবে।,ভাৰত আৰু ভিয়েটনামৰ মাজত অৰ্থনৈতিক আৰু বাণিজ্য ক্ষেত্ৰত বুজাবুজিৰ চুক্তিৰ প্ৰস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%85%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%85%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B/,"নয়াদিল্লি, ১৭ অক্টোবর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৮ অক্টোবর নতুন দিল্লির প্রগতি ময়দানে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে মিনিটে ৯০তম ইন্টারপোল সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ১৮ থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত ইন্টারপোল – এর ৯০তম সাধারণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে ইন্টারপোল – এর ১৯৫টি সদস্য দেশের মন্ত্রী, পুলিশ প্রধান, জাতীয় তদন্ত ব্যুরো’র প্রধান এবং বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিকদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এই সাধারণ অধিবেশনটি হ’ল ইন্টারপোল – এর সর্বোচ্চ পরিচালন গোষ্ঠী, যারা বছরে একবার মিলিত হয়ে এর কার্যপ্রণালী নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। প্রায় ২৫ বছর পর ভারতে ইন্টারপোল সাধারণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি শেষবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন উপলক্ষে ২০২২ সালে নতুন দিল্লিতে ইন্টারপোল সাধারণ অধিবেশন আয়োজন করার জন্য ভারতের প্রস্তাব বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সাধারণ অধিবেশনে গৃহীত হয়। এই অনুষ্ঠানটি সমগ্র বিশ্বের কাছে ভারতের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার সেরা অনুশীলনগুলি প্রদর্শন করার একটি সুযোগ করে দেবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ইন্টারপোলের সভাপতি আহমেদ নাসের আল রাইসি এবং মহাসচিব শ্রী জুরগেন স্টক, সিবিআই অধিকর্তা��� অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ১৮ অক্টোবৰত ইন্টাৰপোলৰ ৯০ সংখ্যক সাধাৰণ সভা সম্বোধন কৰি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BF/,"২০০১-এ গুজরাটের ভুজ-এ ভয়বহ ভূমিকম্পে নিহতদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জনসাধারণ যে ‘স্মৃতি বন’ পরিদর্শনে ছুটে আসছেন তা লক্ষ্য করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেছেন – “বিষয়টি লক্ষ্য করে আমি খুশি। ২০০১-এর দুঃখজনক ভূমিকম্পের ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে ‘স্মৃতি বন’। গুজরাটের সহনশীলতা মূর্ত হয়ে উঠেছে এই স্থানটিতে। আগামী মাসগুলি কচ্ছ ভ্রমণের পক্ষে বেশ মনোরম। রান উৎসব-এর আকর্ষণ ছাড়াও ‘স্মৃতি বন’ হল আরও একটি বিশেষ দর্শনীয় স্থান।”",স্মৃতি বনে গুজৰাটৰ মানসিক সামৰ্থ প্ৰতিফলিত কৰেঃ প্ৰধানমন্ত্ৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8-%E0%A6%8F-%E0%A6%87%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B8/,ইঞ্জিনিয়ার্সদিবস-এ দেশের ইঞ্জিনিয়ারদের সম্মান ও অভিবাদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদী। তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ভারতরত্ন শ্রী এম বিশ্বেশ্বরাইয়াকে আজতাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে। এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন : “ইঞ্জিনিয়ার্সদিবস-এ আমি অভিবাদন জানাই সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারদের। জাতির বিকাশে তাঁদের অনবদ্যভূমিকার আমি বিশেষ প্রশংসা করি। ভারতরত্নএম বিশ্বেশ্বরাইয়ার জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই। এক পথিকৃৎ ইঞ্জিনিয়ারহিসেবে তিনি ছিলেন এক অফুরন্ত প্রেরণার উৎস।” /,অভিযন্তা দিবসত অভিযন্তাসকলক অভিবাদন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ; জন্ম বাৰ্ষিকী উপলক্ষে ভাৰত ৰত্ন এম. বিশ্বেশ্বৰায়ালৈ শ্ৰদ্ধাঞ্জলি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%85%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8-%E0%A6%85%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7/,"গান্ধী জয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে স্বচ্ছতা এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সংক্রান্ত বিষয়গুলি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। শ্রী মোদী দোশরা অক্টোবর রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীকে পুস্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশতবাষিকী উদযাপনের সূচনা এ দিন থেকেই শুরু হচ্ছে। এরপর, তিনি বিজয়ঘাটে গিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মবাষির্কীতে তাঁকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। রাষ্ট্রপতি ভবনের সংস্কৃতি কেন্দ্রে আয়োজিত মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক পরিচ্ছন্নতা সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে শ্রী মোদী উপস্হিত থাকবেন। চারদিনের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক মন্ত্রী এবং অন্যান্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দ অংশ নেবেন। এই সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি ডিজিটাল প্রদর্শনী তিনি ঘুরে দেখবেন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব শ্রী অ্যান্টোনিও গুটারেস। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে একটি স্মারক ডাকটিকিট এবং গান্ধীর সবচেয়ে প্রিয় ভজন সংকীর্তন- ‘বৈষ্ণব জন তো’ ভিত্তিক একটি সিডি’র আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করবেন। এই উপলক্ষ্যে স্বচ্ছ ভারত পুরস্কার প্রদান করা হবে। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ভাষন দেবেন। পরে, প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞান ভবনে আন্তর্জাতিক সৌর জোটের প্রথম সভার উদ্ভাবন করবেন। একইসঙ্গে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রীদের দ্বিতীয় আইওআরএ বৈঠক এবং দ্বিতীয় বিশ্ব রি-ইনভেস্ট বা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রের বিনিয়োগকারিদের সম্মেলন ও প্রদর্শনীরও সূচনা হবে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব শ্রী অ্যান্টোনিও গুটারেস এই অনুষ্ঠানে উপস্হিত থাকবেন। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী ভাষনও দেবেন।","২ অক্টোবৰত মহাত্মা গান্ধীক শ্ৰদ্ধাঞ্জলি জনাব প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে, অনাময় আৰু নবীকৰণযোগ্য শক্তি সম্পৰ্কীয় কাৰ্যসূচীতো অংশগ্ৰহণ কৰিব" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%83-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%AD%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%95-%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A7%A6-%E0%A6%B8%E0%A7%81/,"নয়াদিল্লি, ২৬ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পদ্মশ্রী ডাঃ সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণে গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ডাক্তার সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বশ্রেষ্ঠ মানবাত্মার প্রতীক। অসংখ্য মানুষের রোগ উপশমকারী একজন দয়ালু ও উদারহৃদয় চিকিৎসক হিসেবেই তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। পদ্ম পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের সময় তাঁর সঙ্গে মতবিনিময়ের কথা আমার আজও মনে আছে। তাঁর প্রয়াণে আমি ব্যথিত। ওঁর পরিবার এবং অনুরাগীবৃন্দের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানাই। ওঁ শান্তি।”",‘পদ্মশ্ৰী’ প্ৰাপক ডা০ সুশোভন বন্দোপাধ্যায়ৰ দেহাৱসানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শো +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7-2/,"লোকসভায় রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ জবাবী ভাষণ দেন। একাধিক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন : “একটি সরকারকে ভারতের মানুষের স্বার্থে কাজ করতে হবে, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলির প্রতি সরকারকে সংবেদনশীল হতে হবে। এখানে দুর্নীতির কোন স্থান নেই। সংসদে তর্ক-বিতর্কে বহু সদস্য অংশ নিয়েছেন। আমি তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। ২০১৯-এর সংসদীয় নির্বাচনে প্রথমবার যাঁরা ভোট দিতে চলেছেন, আমি তাঁদের সকলকে অভিনন্দন জানাই। একবিংশ শতাব্দীতে যাঁরা জন্মগ্রহণ করেছেন তাঁরা এবার ভোটদাতা হতে চলেছেন। ভারতের অগ্রগতিতে সঠিক রূপদানের ক্ষেত্রে এঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। আস্থা ও প্রত্যাশার ওপর নির্ভর করে আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। চ্যালেঞ্জ থেকে যারা দূরে পালায়, আমরা তাদের মতো নই। আমরা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হই এবং মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করার চেষ্টা করি। কংগ্রেসে আমার বন্ধুরা দুটি সময় লক্ষ্য করেছেন তা হল,",লোকসভাত ৰাষ্ট্ৰপতিৰ ভাষণৰ প্ৰত্যুত্তৰত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ধন্যবাদসূচক ভাষণৰ গুৰুত্বপূৰ্ণ বিষয়সমূহৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%B1%E0%A6%B2%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8/,"পবিত্র দীপাবলী উৎসব উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেছেন, সকলকে দীপাবলীর শুভেচ্ছা। এই উৎসব প্রত্যেকের জীবনে আনন্দ, সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসুক। মঙ্গল ও উজ্জ্বলতার শক্তি সর্বদাই বিরাজ করুক।",দিপাৱলী উপলক্ষে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ৰাষ্ট্ৰবাসীক জনালে শুভেচ্ছা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A7%A9%E0%A7%AB%E0%A7%A6%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A9%E0%A7%AB%E0%A7%A6%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%89%E0%A6%AA/,দশম শিখগুরু গুরু গোবিন্দ সিংজির ৩৫০তম প্রকাশ পর্বে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনকরেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “পরম শ্রদ্ধেয় শ্রী গুরু গোবিন্দ সিংজির ৩৫০তম প্রকাশ পর্বে আমি তাঁকেপ্রণাম জানাই। এক ব্যতিক্রমী সাহসিকতা এবং গভীর প্রজ্ঞার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল তাঁরমধ্যে। তাঁর মহান চিন্তাভাবনা এবং দুঃসাহসিক কর্মপ্রচেষ্টা বহু প্রজন্ম ধরেইজনসাধারণকে অনুপ্রাণিত করে যাবে। সমতাই শক্তি – এই নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন শ্রী গুরু গোবিন্দ সিংজি। যে কোনওধরণের সামাজিক বৈষম্যের তিনি ছিলেন বিরোধী। সততা ও ন্যায়বিচারের মতো গুণগুলির জন্যতিনি সর্বদাই শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন”।,৩৫০সংখ্যক প্ৰকাশ পৰ্ব উপলক্ষে গুৰু গোৱিন্দ সিং জীক স্মৰণ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%9C%E0%A6%A8/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮-তে ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার উদ্বোধন করবেন। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি বছর ১০ কোটিরও বেশি পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণের সুযোগ দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা বিষয়ক এক প্রদর্শনীও ঘুরে দেখবেন। সুবিধাভোগী চিহ্নিতকরণ ও ই-কার্ড তৈরির মতো কর্মসূচি ও তিনি প্রত্যক্ষ করবেন। একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী চাইবাসা ও কোডারমায় মেডিকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। তিনি দশটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেরও উদ্বোধন করবেন। সিকিমের গ্যাংটকে রওনা দেওয়ার পূর্বে তিনি সাধারণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। ২৪শে সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী পাকিয়ং বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন। এর ফলে সিকিম রাজ্যটি দেশের বিমান পরিবহণের মানচিত্রে স্থান পাবে। এই বিমানবন্দর হিমা��য়ের কোলের এই রাজ্যটির যোগাযোগ ব্যবস্থাকে জোরদার করবে এবং সেখানকার পর্যটনেরও বিকাশ ঘটাবে। প্রধানমন্ত্রী পাকিয়ং বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পরে বিমানবন্দর ও টার্মিনাল বিল্ডিং-এর বিষয়ে তাঁকে জানানো হবে। তিনি পাকিয়ং বিমানবন্দরের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। তারপর প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। /","ৰাঁচীত প্ৰধানমন্ত্ৰী জন আৰোগ্য যোজনা শুভাৰম্ভ, ছিকিমত পাকয়ং বিমানবন্দৰ উদ্বোধন কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4/,"ক্রমিক সংখ্যা সমঝোতা/নথিপত্র ভারতের পক্ষে সাক্ষরকারি দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে সাক্ষরকারি উদ্দেশ্য ১ উন্নত সার্বিক অর্থনৈতিক অংশিদারিত্ব চুক্তির দ্রুত সাফল্য নিয়ে যৌথ বিবৃতি কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী সুরেশ প্রভু সেদেশের বাণিজ্য, শিল্প ও শক্তি বিষয়ক মন্ত্রী কিম হিউন-চোঙ ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সুসংহত অর্থনৈতিক অংশিদারিত্ব চুক্তি সম্পর্কে চলতি আলোচনার পথ প্রশস্ত করতে চিংড়ি, শামুক ও প্রক্রিয়াজাত মাছ সহ অবাধ বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলির চিহ্নিতকরণ। ২ শিল্প বাণিজ্য সহায়ক ব্যবস্হাপনা কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী সুরেশ প্রভু সেদেশের বাণিজ্য, শিল্প ও শক্তি বিষয়ক মন্ত্রী কিম হিউন-চোঙ শিল্প বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহায়ক ব্যবস্হাপনায় সহযোগিতার জন্য সরকারি আধিকারির ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত সহযোগিতা কমিটির মাধ্যমে আলাপ-আলাচনা ও তথ্য বিনিময় করে পণ্য ব্যবস্হাপনা, ভর্তুকিপ্রদান ও সুরক্ষামূলক ব্যবস্হা গড়ে তোলা ৩ ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারক গোষ্ঠী সংক্রান্ত্র সমঝোতাপত্র কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী সুরেশ প্রভু এবং কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্দ্রী ডঃ হর্ষবর্ধন সেদেশের বাণিজ্য, শিল্প ও শক্তি বিষয়ক মন্ত্রী হিউন-চোঙ এবং বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্দ্রী ইউ ইয়ং মিন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ-সুবিধাগুলিকে কাজে লাগিয়ে বাণিজ্যিকিকরণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির মনোন্নয়নে সহযোগিতা গড়ে তোলা। এইজন্য ইন্টারনেট অফ থিংক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডেটা, স্মার্ট ফ্যাক্টরি, থ্রি-ডি মুদ্রণ, বৈদ্যুতিন যানবাহন প্রভৃতি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৪ ২০১৮-২২ পর্যন্ত সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি সচিব রাঘবেন্দ্র সিং ভারতে নিযুক্ত সেদেশের রাষ্ট্রদূত শিন বঙ কিল সাংস্কৃতিক পর্যায়ে এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ আরও নিবিড় করতে সঙ্গীত ও নৃত্য, রঙ্গমঞ্চ, শিল্প প্রদর্শনী, মহাফেজখানা, নৃ-তত্ব, সংগ্রহালয় প্রদর্শনী ও গণমাধ্যম কর্মসূচির ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতার প্রসার ঘটানো। ৫ বিজ্ঞান ও শিল্পগবেষণা পর্ষদ (সিএসআইআর) এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা পর্ষদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সমঝোতাপত্র সিএসআইআর-এর মহানির্দেশক ডঃ গিরিশ সাহনি সেদেশের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা পর্ষদের চেয়ারম্যান ডঃ উন ওয়াং ইউন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পাশাপাশি সুলভে জল শোধন প্রযুক্তি, দ্রুত পরিবহন ব্যবস্হা, নতুন বা বিকল্প সামগ্রী, পরম্পরাগত ওষুধপত্র প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতা গড়ে তোলা। ৬ রিসার্চ ডিজাইন ও স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন (আরডিএসও) এবং কোরিয়া রেলরোড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মধ্যে সহযোগিতার লক্ষে সমঝোতাপত্র আরডিএস-ও মহানির্দেশক এম হুসেন সেদেশের প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি না হি সিউং রেল সংক্রান্ত গবেষণা, রেল সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা বিনিময় ও রেল শিল্প সংস্হাগুলির মানোন্নয়নের জন্য সহযোগিতা গড়ে তোলা। একই সঙ্গে ঐ দুই সংস্হা ভারতে রেল গবেষণা ও মানোন্নয়ন সংক্রান্ত একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি যৌথ গবেষণা প্রকল্পগুলির পরিকল্পনা রচনা ও রূপায়ণের সম্ভাবনা খুঁজে বের করবে। ৭ জৈব প্রযুক্তি ও জৈব অর্থনীতির ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষে সমঝোতাপত্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধন সেদেশের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ইউ ইয়ং মিন স্বাস্হ্য, ওষুধপত্র, কৃষি-মৎস্য সামগ্রী, ডিজিটাল স্বাস্হ্য পরিচর্যা, মস্তিষ্ক গবেষণা ও পরবর্তী প্রজন্মের চিকিৎসা সাজ-সরঞ্জাম ক্ষেত্রে জৈব প্রযুক্তি ও জৈবিক তথ্যের আদান-প্রদানের জন্য সহযোগিতা গড়ে তোলা ৮ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সহ টেলি যোগাযোগ ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সমঝোতাপত্র টেলি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী মনোজ সিনহা সেদেশের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ইউ ইয়ং মিন অত্যাধুনিক টেলি যোগাযোগ তথা তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি পরিষেবার মানোন্নয়ন, আধুনিকিকরণ ও সম্প্রসারণের পাশাপাশি বির্পযয় ব্যবস্হাপনা, আপৎকালীন পরিস্হিতি ও সাইবার নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রে ৫ জি, ক্লাউড কম্পিউটিং, বিগ ডেটা প্রভৃতি পরবর্তী প্রজন্মের যোগাযোগ নেটওয়ার্কগুলিকে কাজে লাগানোর লক্ষে সহযোগিতা গড়ে তোলা। ৯ ভারতের জাতীয় ক্ষুদ্র শিল্প নিগম ও সেদেশের ক্ষুদ্র তথা মাঝারি বাণিজ্য নিগমের মধ্যে অতিক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষে সমঝোতাপত্র জাতীয় ক্ষুদ্র শিল্প নিগমের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডাইরেক্টর শ্রী রবীন্দ্রনাথ সেদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি বাণিজ্য নিগমের সভাপতি লি স্যাং জিক উভয় দেশের অতি ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ ক্ষেত্রের উন্নয়ন এবং বিশ্ব বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলার লক্ষ্যে সহযোগিতা স্হাপন। সেইসঙ্গে প্রযুক্তির বিনিময়কেন্দ্র স্হাপনের সম্ভাবনা খুঁজে বের করা। ১০ গুজরাট সরকার ও কোরিয়া বাণিজ্য প্রসার এজেন্সির মধ্যে সমঝোতাপত্র গুজরাট সরকারের শিল্প ও খনি বিষয়ক মুখ্য সচিব শ্রী এম. কে দাস সেদেশের হয়ে সাক্ষর করেন কোরিয়া বাণিজ্য বিনিয়োগ প্রসার এজেন্সির সভাপতি তথা সিইও ওন পিয়ং-ওহ্ শহরাঞ্চলীয় পরিকাঠামো, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, কৃষি সম্পর্কিত শিল্প, স্টার্টআপ শিল্প, দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন এবং পুর্ননবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্প সংস্হা ও গুজরাট সরকারের মধ্যে শিল্প তথা বিনিয়োগ সম্পর্ক বৃদ্ধি করা। দক্ষিণ কোরিয়ার ঐ সস্হাটি আমেদাবাদে একটি সংস্হা চালু করবে এবং প্রগতিশীল গুজরাট বিশ্ব শীর্ষ সম্মেলন ২০১৯-এর অন্যতম প্রধান অংশীদার সংগঠন হবে। ১১ রানী সুরিরত্ন স্মৃতি প্রকল্প সম্পর্কিত সমঝোতাপত্র এই সমঝোতাপত্রে সাক্ষর করেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের পর্যটন বিষয়ক অতিরিক্ত মুখ্যসচিব ও নির্দেশক অবনীশ কুমার অবস্হি সে দেশের হয়ে সাক্ষর করেন ভারতে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত শিম বঙ্গ কিল দক্ষিণ কোরিয়ায় রানী সুরিরত্ন (রানী হুর হওয়াং-ওক)এর যে স্মৃতিসৌধ রয়েছে তার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সহযোগিতা করা। উল্লেখ করা যেতে পারে খ্রীষ্টপূর্ব ৪৮-এ অযোধ্যার প্রবাদপ্রতীম রানী সুরিরত্ন কোরিয়ায় গিয়েছিলেন এবং রাজা কিম সুরো-কে বিবাহ করেছিলেন। এখনও বহু সংখ্যক কোরিয়ার মানুষ এই রানীর পূর্বসুরীদের সঙ্গে তাঁ���ের সম্পর্ক খুঁজে পান। এই স্মৃতিসৌধটি ভারত ও কোরিয়ার মধ্যে অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সুদীর্ঘ মৈত্রির সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মানের নির্দশন হয়ে উঠবে।",দক্ষিণ কোৰিয়াৰ ৰাষ্ট্ৰপতিৰ ভাৰত ভ্ৰমণ কালত ভাৰত আৰু দক্ষিণ কোৰিয়াৰ মাজত স্বাক্ষৰিত বুজাবুজি চুক্তি/নথিসমূহৰ তালিকা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%9C-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%A1%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%9C-%E0%A6%86%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%BF-2/,"আগামীকাল গুয়াহাটিতে ‘অ্যাডভান্টেজ আসাম – বিশ্ব বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন২০১৮’র সূচনাপর্বে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। অসম সরকারের উদ্যোগে এটিই হ’ল বিনিয়োগ এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধাপ্রসারের ক্ষেত্রে এক বৃহত্তম শীর্ষ সম্মেলন। এর লক্ষ্য হ’ল – বিনিয়োগকারীদের কাছেঅসমের ভৌগোলিক তথা প্রকৌশলগত সুযোগ-সুবিধার দিকগুলি তুলে ধরা। দক্ষিণ ওদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিকাশশীল অর্থনীতির দেশগুলিতে রপ্তানি-কেন্দ্রিক এবং পরিষেবা-ভিত্তিকউৎপাদন প্রচেষ্টা এবং এ সম্পর্কিত নানা ধরণের সুযোগ-সুবিধাগুলি ব্যাখ্যা করা হবেবিশ্ব বিনিয়োগকর্তাদের কাছে। এই শীর্ষ সম্মেলনে বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্র হিসাবে বিদ্যুৎ, কৃষি ও খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ, তথ্য প্রযুক্তি ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত পরিষেবা, নদী পরিবহণ ওবন্দর উপনগরী, প্লাস্টিক ও পেট্রো রসায়ন, ওষুধ ও চিকিৎসার সাজ-সরঞ্জাম, হস্তচালিততাঁত, বস্ত্র ও হস্তশিল্প, পর্যটন, আতিথেয়তা ও সুস্বাস্থ্য, অসমারিক বিমান পরিবহণএবং পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধারয়েছে, সে সম্পর্কে সম্মেলনে অবহিত করা হবে অংশগ্রহণকারী বিনিয়োগকর্তাদের।",এডভান্টেজ আছাম – বিশ্ব বিনিয়োগকাৰী সন্মিলন ২০১৮ ৰ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%AB%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A4-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%A3%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2/,"নয়াদিল্লি, ১৯ নভেম্বর, ২০২২ জয় হিন্দ। জয় হিন্দ। ভারত মাতার জয়। ভারত মাতার জয়। অরুণাচল প্রদেশের মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী বি ডি মিশ্রাজি, এই রাজ্যের জনপ্রিয় যুব মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পেমা খান্ডুজি, কেন্দ্র���য় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী কিরন রিজিজুজি, অরুণাচল প্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী চৌনা মীনজি, মাননীয় সাংসদগণ, বিধায়কগণ, সম্মানিত মেয়র মহোদয়, অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ আর আমার প্রিয় অরুণাচল প্রদেশের ভাই ও বোনেরা! আমি অনেকবার অরুণাচল প্রদেশ এসেছি। যখনই এসেছি একটি নতুন প্রাণশক্তি, নতুন উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে ফিরে গেছি। কিন্তু আমি বলতে বাধ্য যে, অরুণাচল প্রদেশে এতবার এসেছি যে গুনলে ভুল হয়ে যেতে পারে কতবার এসেছি। কিন্তু এবারের অনুষ্ঠান সবচেয়ে বড়। আর সকাল সাড়ে ৯টায় প্রথমবার এত জনসমাগম দেখতে পাচ্ছি। অরুণাচল প্রদেশের বন্ধুর পার্বত্য এলাকাগুলি থেকে এতজন মানুষের এসে পৌঁছানো, তার মানে আপনাদের জীবনে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মের গুরুত্ব কতটা তা বোঝা যাচ্ছে। আর সেজন্যই আপনারা এত বড় সংখ্যায় আমাদেরকে আশীর্বাদ দিতে এসেছেন। ভাই ও বোনেরা, অরুণাচল প্রদেশের জনগণের আত্মীয়তা ও আতিথেয়তা কখনও ভোলা যায় না। যাকেই দেখুন তিনি সব সময় হাসছেন। কখনও তাঁদের চেহারায় উদাসীনতা এবং নিরাশার ছাপ পরিলক্ষিত হয় না। আর রয়েছে তাঁদের অনুশাসনপ্রিয়তা। আমার মনে হয় কোন সীমান্ত প্রদেশের জনগণের কতটা অনুশাসনপ্রিয় হওয়া উচিত তা আমার অরুণাচল প্রদেশের প্রত্যেক বাড়িতে, প্রত্যেক পরিবারে, প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে পরিলক্ষিত হয়। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুজির নেতৃত্বে এই ডবল ইঞ্জিন সরকারের পরিশ্রম, উন্নয়নের জন্য দায়বদ্ধতা আজ অরুণাচল প্রদেশকে এই নতুন উচ্চতায় উচ্চতায় পৌঁছে দিচ্ছে। আমি পেমা খান্ডুজি আর তাঁর টিমের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের হয়তো মনে আছে, আর একটু আগেই পেমা খান্ডুজি নিজেও তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন যে ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে এই বিমান বন্দরের শিলান্যাস করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। আর আপনারা সবাই জানেন যে, আমরা এমন একটি কর্মসংস্কৃতি এনেছি; যে উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস আমরা করি তার উদ্বোধনও আমরাই করি। কোনো কাজকে আটকে রাখা, ঝুলিয়ে রাখা, বিভ্রান্ত করার সময় চলে গেছে। কিন্তু আমি একটি অন্য বিষয়ে কথা বলতে চাই। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমি এই বিমান বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম। তারপর ২০১৯এর মে মাসে এখানে নির্বাচন ছিল। তখন যত রাজনৈতিক ভাষ্যকার ছিলেন, তাঁদের চোখে পুরনো আমলের চশমা ঝোলানো ছিল। তাঁরা চিৎকার করতে শুরু করেন কিংবা ���িখতে ও বলতে শুরু করেন যে এখানে বিমান বন্দর-টন্দর কিছুই হবে না। সামনে নির্বাচন তাই মোদী এখানে পাথর পুঁততে এসেছেন। আর শুধু এখানেই নয়, সারা দেশেই প্রত্যেকটি জিনিসকে, প্রত্যেক জিনিসের মধ্যে তাঁরা নির্বাচনী প্রচার দেখতে পান। প্রত্যেক জিনিসের পিছনে, যে কোনও ভালো কাজের পিছনে নির্বাচন আর নির্বাচনের রঙে রাঙিয়ে দেওয়ার ফ্যাশান হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেসব মানুষের বক্তব্যের প্রতি আজকের এই বিমান বন্দর উদ্বোধন একটি কড়া জবাব। এই রাজনৈতিক ভাষ্যকারদের প্রতি আমার অনুরোধ তাঁদেরকে আমি হাতজোড় করে প্রার্থনা করছি, যে ভাই এখন পুরনো চশমা খুলে নিন। এই দেশ নতুন উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। সব কিছুকে রাজনীতির দাঁড়িপাল্লায় মাপা বন্ধ করুন। যে ভাষ্যকারেরা এই উন্নয়ন কর্মকে নির্বাচনী চাল বলতেন, আজ ৩ বছরের মধ্যেই তাঁরা আধুনিক রূপে আমাদের এই বিমান বন্দরটি গড়ে উঠতে দেখলেন। আর আমার সৌভাগ্য যে আপনাদের উপস্থিতিতে লক্ষ লক্ষ মানুষকে সাক্ষী রেখে এই বিমান বন্দর উদ্বোধন করলাম। এই অনুষ্ঠান দেখার জন্য সমগ্র অরুণাচল প্রদেশ আজ অনলাইনে যুক্ত হয়েছে, এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আজ আমাদের এখানে কোনও নির্বাচন নেই। সামনে এখানে কোনও নির্বাচন আসছে না। তা সত্ত্বেও এখানে এই বিমান বন্দর ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন হচ্ছে। কারণ আজ দেশে যে সরকার রয়েছে তার অগ্রাধিকার হল দেশের উন্নয়ন, দেশের জনগণের উন্নয়ন। বছরে ৩৬৫ দিন ২৪ ঘণ্টা আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে থাকি। আর আপনারা দেখছেন, এখন আমি ভারতে যে রাজ্যে প্রথম সূর্যোদয় হয় সেই অরুণাচল প্রদেশের ভূমিতে দাঁড়িয়ে আছি। আর এখান থেকে গিয়ে সন্ধ্যায় যেখানে সূর্য অস্ত যায়, ভারতের পশ্চিম প্রান্ত সেই দমনের ভূমিতে অবতরণ করবো। মাঝে অবশ্য কাশী হয়ে যাব। এই অক্লান্ত পরিশ্রম একটাই স্বপ্ন নিয়ে করে চলেছি, আপ্রাণ চেষ্টা করছি যাতে আমার দেশ এগিয়ে যায়। আমরা নির্বাচনের লাভ-লোকসানকে সামনে রেখে কাজ করি না। যাঁরা নির্বাচনে লাভবান হওয়ার জন্য কাজ করেন, তাঁরা ছোট ছোট ইচ্ছাপূরণের জন্য কাজ করেন। আমাদের স্বপ্ন হল শুধু এবং শুধু ভারতমাতার উন্নয়ন, ভারতের উন্নয়ন, ১৩০ কোটি নাগরিকের উন্নয়ন। আজ এই বিমান বন্দর উদ্বোধনের পাশাপাশি এই মঞ্চ থেকে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কামেঙ্গ হাইড্রো প্রজেক্ট-এরও উদ্বোধন হল। এটাও একটি অনেক বড় সা��ল্য। উন্নয়নের উড়ান এবং উন্নয়নের জন্য প্রাণশক্তি এই মেলবন্ধন অরুণাচল প্রদেশকে একটি নতুন গতিতে, নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আমি এই সাফল্যের জন্য আমার অরুণাচল প্রদেশের ভাই ও বোনেদের, সমগ্র উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে বসবাসকারী ভাই ও বোনেদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই, অনেক অনেক শুভ কামনা জানাই। স্বাধীনতার পর উত্তরপূর্ব ভারত সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের অনাদরে অভ্যস্ত হয়েছে। ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে, দশকের পর দশক ধরে এই বিশাল এলাকা উপেক্ষা এবং উদাসীনতার শিকার ছিল। তখন দিল্লিতে বসে নীতি প্রণয়নকারীদের একটাই চিন্তা ছিল যে কোনও ভাবে পরবর্তী নির্বাচনে জিতে আসা। আপনারা জানেন যে এই পরিস্থিতি অনেক দশক ধরে বজায় ছিল। যখন অটলজির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার গড়ে ওঠে তারপরই প্রথমবার এই ধীমেতেতালকে বদলানোর চেষ্টা হয়েছে। আগের সরকারগুলি ভাবতো যে, অরুণাচল প্রদেশ এত দূরে অবস্থিত, উত্তরপূর্ব ভারত এত দূরে রয়েছে! দেশের প্রান্তিক ও সীমাবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের আগে শেষ গ্রামের মানুষ বলে মনে করা হত। কিন্তু আমাদের সরকার তাঁদেরকে শেষ গ্রামের মানুষ বলে ভাবে না। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকে আমরা প্রান্তিক গ্রাম বলে মনে করি না। এগুলিকে আমরা দেশের প্রথম গ্রাম বলে মনে করি। আর সেগুলিকে সবচেয়ে উন্নত গ্রামে পরিণত করার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছি। ফলস্বরূপ, উত্তরপূর্ব ভারতের উন্নয়ন আজ দেশের অগ্রাধিকারে পরিণত হয়েছে। এখন ‘কালচার’ থেকে শুরু করে ‘এগ্রিকালচার’, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থা সব ক্ষেত্রেই উত্তরপূর্ব ভারতকে অন্তিম নয়, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। ব্যাবসা-বণিজ্য থেকে শুরু করে পর্যটন, টেলি-কমিউনিকেশন থেকে শুরু করে বস্ত্রশিল্প- সমস্ত ক্ষেত্রেই উত্তর পূর্ব ভারতকে প্রান্তিক না ভেবে, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ড্রোন প্রযুক্তি থেকে শুরু করে ‘কৃষি উড়ান’ পর্যন্ত, বিমান বন্দর থেকে শুরু করে নদী বন্দর এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দেশ এখন উত্তরপূর্ব ভারতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ভারতের দীর্ঘতম সেতু নির্মাণ থেকে শুরু করে দীর্ঘতম রেল রোড ব্রিজ নির্মাণ, রেললাইন পাতা থেকে শুরু করে রেকর্ড পরিমাণ দ্রুত গতিতে মহাসড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে দেশ উত্তর পূর্ব ভারতকে সবার আগে স্থান দিয়েছে। এর পরিণামে আজ উত্তরপূর্ব ভা���তে সুযোগের নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, নতুন যুগ শুরু হয়েছে। আজকের এই আয়োজন নতুন ভারতের এই দৃষ্টিকোনের অনেক উজ্জ্বল উদাহরণ। দোন্যি পোলো বিমান বন্দর অরুণাচল প্রদেশে চতুর্থ ‘অপারেশনাল’ বিমান বন্দর। স্বাধীনতার পর থেকে বিগত ৭ দশকে গোটা উত্তরপূর্ব ভারতে মাত্র ৯টি বিমান বন্দর ছিল। আর আমাদের সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মাত্র ৮ বছরে আরও ৭টি নতুন বিমান বন্দর গড়ে তুলেছে। এখানে এ রকম অনেক এলাকা রয়েছে যেগুলি স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর বিমান যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এর ফলে এখন উত্তরপূর্ব ভারতে যাতায়াতের সুবিধা বাড়ানোর জন্য উড়ানের সংখ্যাও দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। বন্ধুগণ, ইটানগরের এই দোন্যি পোলো বিমান বন্দর অরুণাচল প্রদেশের অতীত এবং সংস্কৃতিরও সাক্ষী হয়ে উঠছে। আর আমাকে বলা হয়েছে, একটু আগে পেমাজিও বলছিলেন, যে ‘ডন্যি’ শব্দটির মানে হল সূর্য। আর চাঁদকে বলা হয় ‘পোলো’। আমি অরুণাচল প্রদেশের দোন্যি পোলোকে সংস্কৃতি উন্নয়ের ক্ষেত্রে একটি শিক্ষা রূপে দেখছি। আলোর উৎস একটাই, কিন্তু সূর্যের আলোর তেজ আর চাঁদের আলোর শীতলতা আমাদের জীবনে এই দুয়েরই ভিন্ন ভিন্ন গুরুত্ব রয়েছে, ভিন্ন ভিন্ন সামর্থও রয়েছে। ঠিক তেমনভাবেই যখন আমরা উন্নয়নের কথা বলি তখন বড় বড় প্রকল্প থেকে শুরু করে গরিব মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া জনকল্যাণ প্রকল্পগুলি পর্যন্ত উভয়ই উন্নয়নের প্রয়োজনীয় মাত্রা যুক্ত করে। আজ বিমান বন্দর গড়ে তোলার মতো বড় বড় পরিকাঠামো উন্নয়নের গুরুত্ব যতটা রয়েছে, ততটাই গুরুত্ব রয়েছে গরিব মানুষের সেবার, আর তাঁদের স্বপ্নগুলি বাস্তবায়নের। আজ যখন বিমান বন্দর গড়ে উঠেছে এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ কীভাবে লাভবান হবেন এই দিকটা দেখার জন্য ‘উড়ান যোজনা’-র কর্মযজ্ঞ এগিয়ে চলেছে। বিমান পরিষেবা শুরু হওয়ার পর এই এলাকায় পর্যটকদের সংখ্যা কীভাবে বাড়ানো যায়, কীভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন, ছোট ছোট দোকানদার, ট্যাক্সি ড্রাইভাররা কীভাবে উপকৃত হবেন এই দিকটা দেখার দায়িত্ব নিয়ে কাজ এগিয়ে চলেছে। বন্ধুগণ, অরুণাচল প্রদেশে আজ দুর্গম থেকে দুর্গমতর উচ্চতায় আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নতুন নতুন সড়ক পথ এবং মহাসড়ক গড়ে উঠছে। কেন্দ্রীয় সরকার সড়কগুলি নির্মাণের জন্য আরও প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে। যখন পরিকাঠামো এতো উন্নত হবে, তখন বড় সংখ্যায় পর্যটকও আস���ে। অরুণাচল প্রদেশের প্রত্যেক এলাকাকে প্রকৃতি এতো অসাধারণ সৌন্দর্য্য দিয়ে সাজিয়েছে যে এই রাজ্যের প্রত্যেক গ্রামে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ‘হোম-স্টে’ ব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয় পণ্য বিক্রির মাধ্যমে প্রত্যেক পরিবারের আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এর জন্য প্রয়োজন হল প্রত্যেক গ্রামে পৌঁছানোর ব্যবস্থাকে সুগম করা। সেজন্য আজ অরুণাচল প্রদেশে ৮৫ শতাংশেরও বেশি গ্রামে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মাধ্যমে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। বন্ধুগণ, বিমান বন্দর এবং উন্নত পরিকাঠামো গড়ে ওঠার পর অরুণাচল প্রদেশে ‘কার্গো’ পরিষেবা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর মাধ্যমে এখানকার কৃষকদের উৎপাদিত ফসল তাঁরা অরুণাচল প্রদেশের বাইরে বড় বাজারগুলিতে সহজেই বিক্রি করতে পারবেন। তাহলে তাঁরা আজকের তুলনায় অনেক গুণ বেশি টাকা রোজগার করবেন। অরুণাচল প্রদেশের কৃষকরা পিএম কিষাণ সম্মান নিধির মাধ্যমেও অনেক উপকৃত হচ্ছেন। বন্ধুগণ, উত্তরপূর্ব ভারতের হিতে আমাদের সরকার কীভাবে কাজ করছে তার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল বাঁশ-চাষকে নতুন দৃষ্টিতে দেখা। বাঁশ এখানকার জীবনশৈলীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আজ সমগ্র দেশ তথা বিশ্বে বাঁশ থেকে উৎপাদিত নানা পণ্য জনপ্রিয় হচ্ছে। কিন্তু ইংরেজদের সময় থেকে বাঁশ কাটার ওপর এমনসব আইনী বাধা-নিষেধ ছিল যে আমাদের উত্তরপূর্ব ভারতের বিভিন্ন জনজাতি গোষ্ঠীর ভাই বোনেরা নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতেন। সেজন্য আমরা উদ্যোগ নিয়ে সেই আইনে পরিবর্তন এনেছি। এখন আপনারা যেমন বাঁশ চাষ করতে পারেন তেমনি বাঁশ কাটতে পারেন এবং বিক্রি করতে পারেন। নানা রকম মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে নানা বাঁশজাত পণ্য খোলা বাজারে বাণিজ্য করতে পারেন। যেমন অন্যান্য ফসল ফলান তেমনি বাঁশও ফলাতে পারেন। ভাই ও বোনেরা, গরিবরা যত জীবনের বুনিয়াদি চিন্তাগুলি থেকে মুক্ত হন ততই তাঁরা নিজেদের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও নতুন মাত্রা যোগ করতে থাকেন। সেজন্য আজ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর ব্যক্তিকে উপেক্ষা ও দূরবস্থা থেকে বের করে আনা তাঁদের গরিমাময় জীবনযাত্রার মান সুনিশ্চিত করায় দেশের সরকারের অগ্রাধিকার। আগে বলা হত যে পার্বত্য অঞ্চলে সর্বদাই শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সংকট থাকে। কিন্তু এখন ভালো স্বাস্থ্য পরিষেবার পাশাপাশি আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। প্রত্যেক গরিব পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে জনজাতি এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকার ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে একলব্য মডেল স্কুল খুলছে, যাতে কোনো জনজাতি সম্প্রদায়ের শিশু পড়াশোনায় পিছিয়ে না পড়ে। যে যুবক-যুবতীরা কোনো কারণে হিংসার পথ বেছে নিয়েছিল, তাদেরকে একটি ভিন্ন নীতির মাধ্যমে মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের জন্য স্বতন্ত্র তহবিল গঠন করা হয়েছে। স্টার্টআপ ইন্ডিয়ার শক্তির সঙ্গে যুক্ত করার জন্য ‘অরুণাচল স্টার্টআপ পলিসি’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে অরুণাচল প্রদেশকেও দেশের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুলে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ উন্নয়নের যত কর্মকান্ড ওপর থেকে শুরু হয় তা আজ দেশের গ্রামে গ্রামে গরিব যুবক-যুবতীদের কাছে পৌঁছে দিয়ে তাঁদের সামর্থ বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। বন্ধুগণ, ২০১৫ সালের পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের প্রত্যেক গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ পৌঁছে দেওয়ার অভিযান শুরু করেছে। অরুণাচল প্রদেশের প্রত্যেকটি গ্রাম এই অভিযানের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে। এই রাজ্যের এমন অনেক গ্রামে স্বাধীনতার পর এই প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। এরপর কেন্দ্রীয় সরকার ‘সৌভাগ্য যোজনা’র মাধ্যমে প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানের মাধ্যমে আমার অরুণাচল প্রদেশের কয়েক হাজার বাড়িতেও বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। আর যখন এ রাজ্যের বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে তখন শুধু বাড়িগুলি আলোর রোশনাইয়ে উজ্জ্বল হয়নি, এখানকার সাধারণ মানুষের জীবনেও ঔজ্জ্বল্য এসেছে। ভাই ও বোনেরা, অরুণাচল প্রদেশে এখন যে গতিতে উন্নয়ন হচ্ছে, তা আমাদের প্রতিটি গ্রামে প্রত্যেক বাড়িতে মিশন মোডে কাজ করার সুযোগ তৈরি করেছে। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে সীমাবর্তী গ্রামগুলিকে ‘ভাইব্রেন্ট বর্ডার ভিলেজ’-এর মর্যাদা দিয়ে সেগুলিকে আরও শক্তিশালী করা যায়। যখন সীমাবর্তী প্রত্যেক গ্রামে সম্ভাবনার নতুন নতুন দরজা খুলবে, সেখান থেকেই সমৃদ্ধির সূত্রপাত হবে। এবার ‘ভাইব্রেন্ট বর্ডার ভিলেজ’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি থেকে সাধারণ মানুষের পলায়ন প্রতিহত করতে সেই গ্রামগুলিতে পর্যটন পরিকাঠা���ো উন্নয়নের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। আমাদের সরকার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে বসবাসকারী ছাত্রছাত্রীদের এনসিসি-র সঙ্গে যুক্ত করার একটি বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। এর মাধ্যমে সীমান্তবর্তী প্রত্যেক গ্রামের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীকে এনসিসি-র সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে। এনসিসি-র সঙ্গে যুক্ত হওয়া এই ছাত্রছাত্রীদের সেনা আধিকারিকরা প্রশিক্ষণ দেবেন। এর ফলে এই ছাত্রছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ যেমন গড়ে উঠবে পাশাপাশি তাঁদের মনে দেশ সেবার একটা আকাঙ্খাও বৃদ্ধি পাবে। বন্ধুগণ, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলা আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার অরুণাচল প্রদেশের উন্নয়নের জন্য জনগণের ‘ইজ অফ লিভিং’ বৃদ্ধিতে দায়বদ্ধ। কামনা করি, উন্নয়নের এই সূর্য এভাবেই এই রাজ্যে তার কিরণ ছড়িয়ে দিতে থাকবে। আমি আর একবার পেমা খান্ডুজি এবং তাঁর সরকারের সম্পূর্ণ টিমকে কেন্দ্রীয় সরকারের এইসব প্রকল্পগুলিকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্রিয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের উত্তরপূর্ব ভারতের সমস্ত বন্ধুদেরকে, এই রাজ্যগুলির সমস্ত মা ও বোনদেরকে আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভ কামনা, অনেক অনেক ধন্যবাদ!",অৰুণাচল প্ৰদেশত গ্ৰীণফিল্ড বিমানবন্দৰ ‘ডনি পোলো’ আৰু অন্যান্য উন্নয়নমূলক প্ৰকল্পৰ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%A8%E0%A7%88%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3-%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AB%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8/,"মহামহিম রাষ্ট্রপতি পুতিন, সম্মানীয় অতিথিরা নমস্কার! আমি আনন্দিত যে ভ্লাদিভস্তকে আয়োজিত এই সপ্তম পূর্বাঞ্চলীয় অর্থনৈতিক মঞ্চে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আমি আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ পেয়েছি। এই মাসে ভ্লাদিভস্তকে ভারতীয় বাণিজ্য দূতাবাস স্থাপনের ৩০-তম বর্ষপূর্তি। এই শহরে বাণিজ্য দূতাবাস চালু করা প্রথম দেশ ভারত। তখন থেকেই এই শহর আমাদের সম্পর্কের অনেক ঐতিহাসিক মাইল ফলকের সাক্ষী থেকেছে। বন্ধুগণ, ২০১৫ সালে এই মঞ্চ স্থাপিত হয় এবং রাশিয়ার ফার ইস্ট বা সুদূরের পূর্ব নীতির উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ আন্তজার্তিক মঞ্চ হয়ে উঠেছে। এই জন্য আমি রা��্ট্রপতি পুতিনের দূরদর্শিতার প্রশংসা করি ও তাঁকে অভিনন্দন জানাই। ২০১৯ সালে আমার এই মঞ্চে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়েছিল। সেই সময় আমরা ভারতের “অ্যাক্ট ফার ইস্ট” বা পুবের সুদূরের জন্য কাজ করার নীতির কথা ঘোষণা করি। ফলস্বরূপ রাশিয়ার ফার ইস্টের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা বেড়েছে। বর্তমানে ভারত ও রাশিয়ার “বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্ব”এর ক্ষেত্রে যা অন্যতম মূল স্তম্ভ হয়ে উঠেছে। বন্ধুগণ, আমরা যেদিন আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ করিডর, চেন্নাই ভ্লাদিভস্তক সমুদ্র করিডর বা উত্তরের সমুদ্র পথের কথা বলি তবে দেখতে পাই ভবিষ্যতে আমাদের সম্পর্কের অগ্রগতিতে যোগাযোগ এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। ভারত দক্ষিণ মেরু ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও মজবুত করতে বিশেষভাবে আগ্রহী। শক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিরও বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। শক্তি ক্ষেত্র ছাড়াও ভারত রাশিয়ার ফার ইস্ট নীতিতে ওষুধ ও হীরের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে। রাশিয়া ভারতের ইস্পাত শিল্পের জন্য কয়লা সরবরাহের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠতে পারে। আমাদের মধ্যে মেধা আদান-প্রদানের এক বিপুল সুযোগ রয়েছে। ভারতীয় মেধা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। আমি বিশ্বাস করি ভারতীয়দের মেধা ও পেশাদারিত্ব রাশিয়ার ফার ইস্ট নীতির দ্রুত উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম। বন্ধুগণ, ভারতের প্রাচীন প্রবাদ “বসুধৈব কুটুম্বকম” আমাদের শিখিয়েছে সমগ্র বিশ্বকে একটি পরিবার হিসেবে দেখতে। বর্তমানে বিশ্বায়নের যুগে বিশ্বের যে কোন একটি ছোট অংশ সারা বিশ্বে প্রভাব ফেলতে পারে। ইউক্রেনের সংঘর্ষ এবং কোভিড অতিমারী পরিস্থিতি বিশ্বের সরবরাহ শৃঙ্খলে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। খাদ্যশস্যের ও সারের অভাব দেখা দিয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য জ্বালানী হয়ে উঠেছে বিশেষ উদ্বেগের বিষয়। ইউক্রেন সংঘর্ষ শুরুর সময় থেকে আমরা আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দিয়ে এসেছি। এই সংঘর্ষের অবসান ঘটাতে সব রকম শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টাকে আমরা সমর্থন জানাই। সম্প্রতি নিরাপদে সার ও সিরিয়াল রপ্তানীর জন্য যে চুক্তি হয়েছে তাকেও স্বাগত জানাই। আমি আরও একবার এই মঞ্চে আমাকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি পুতিনকে ধন্যবাদ জানাই এবং এই মঞ্চে উপস্থিত সকল অংশগ্��হণকারীকে জানাই আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা। অসংখ্য ধন্যবাদ! এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রেস বিবৃতির অনুবাদ। মূল বিবৃতি ছিল হিন্দিতে।",ইষ্টাৰ্ণ ইকনমিক ফ’ৰাম ২০২২ৰ পূৰ্ণাংগ অধিৱেশনত প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B6/,"নতুন দিল্লি, ২৮ মে, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী রাজকোটের আটকোটে নবনির্মিত মাতুশ্রী কে ডি পি মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। শ্রী প্যাটেল সেবা সমাজ এই হাসপাতাল পরিচালনার দয়িত্বে রয়েছে। এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য অত্যাধুনিক সাজসরঞ্জাম রয়েছে, যার মাধ্যমে এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের কাছে বিশ্বমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী পুরুষোত্তম রূপালা, ডাঃ মনসুখ মান্ডভিয়া, ডঃ মহেন্দ্র মুঞ্জাপারা, একাধিক সংসদ সদস্য, গুজরাট সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং সন্ত সমাজের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই উপলক্ষে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালটি চালু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে এই হাসপাতালটি স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়ন ঘটাবে। সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে মানোন্নয়নের প্রচেষ্টায় এই হাসপাতাল সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের মধ্যে সুসমন্বয়ের এক দৃষ্টান্ত বলেও প্রধানমন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন। এনডিএ সরকারের সফল অষ্টম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী দেশের সেবা করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মাতৃভূমির প্রতি সেবায় সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে গুজরাটের মাটিতে উপস্থিত হতে পারা তাঁর কাছে সৌভাগ্যের। দেশের প্রতি সেবার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তিনি গুজরাটের মানুষকে ধন্যবাদ দেন। শ্রী মোদী বলেন, সাধারণ মানুষ বিব্রত হতে পারেন এমন কোন অন্যায় গত আট বছরে করা হয়নি। এই আট বছরে দরিদ্র মানুষের সেবা, সুশাসন ও গরীব কল্যাণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস ও সবকা প্রয়াসের মন্ত্র দেশে�� অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূজনীয় বাপু ও সর্দার প্যাটেল দরিদ্র, দলিত, বঞ্চিত, আদিবাসী ও মহিলাদের ক্ষমতায়নের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁরা এমন এক ভারত গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, যেখানে স্বচ্ছতা ও সুস্বাস্থ্য জাতীয় চেতনার অঙ্গ হয়ে উঠবে। শ্রী মোদী আরও বলেন, বাপু এমন এক ভারত গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, যেখানে অর্থ ব্যবস্থা স্বদেশী পন্থায় মজবুত হয়ে উঠবে। প্রধানমন্ত্রী জানান, তিন কোটির বেশি মানুষ পাকা বাড়ি পেয়েছেন ও ১০ কোটির বেশি পরিবারে শৌচাগার গড়ে উঠেছে, যা প্রকাশ্য স্থানে মলমূত্র বর্জনে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তিনি আরও জানান, ৯ কোটির বেশি মা-বোন রান্নার ঘরের ধোঁয়া থেকে মুক্তি পয়েছেন এবং আড়াই কোটির বেশি পরিবার বিদ্যুতের সংযোগ পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, সারা দেশে ছয় কোটির বেশি পরিবার পানীয় জলের সংযোগ পেয়েছেন। এমনকি, ৫০ কোটির বেশি সুফলভোগী সম্পূর্ণ নিখরচায় বার্ষিক পাঁচ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাচ্ছেন। শ্রী মোদী বলেন, এগুলি কেবল পরিসংখ্যান নয়, বরং দরিদ্র মানুষের মর্যাদা রক্ষা ও দেশের প্রতি সেবার দৃঢ় সংকল্প। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শতাব্দীতে একবার ঘটে থাকে এমন মহামারীর সময় সাধারণ মানুষ যাতে কোন রকম সমস্যার সম্মুখীন না হন, কোভিড-১৯ সঙ্কট কালে সরকার তা সুনিশ্চিত করার চেষ্টা করেছে। তিনি জানান, জন ধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে অর্থ জমা করা হয়েছে, দরিদ্রদের বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে। এমনকি, প্রত্যেকের জন্য নিখরচায় নমুনা পরীক্ষা ও টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংঘর্ষ চলার সময়েও সাধারণ মানুষের জীবনযাপন সহজ করে তোলার সর্বাত্মক প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে সর্বাঙ্গীন সাফল্য অর্জনে বিশেষ অভিযান গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষ যখন তাদের প্রাপ্য অধিকার পান, তখন বৈষম্য ও দুর্নীতির কোন অবকাশ থাকে না। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের জীবনযাপনের মানোন্নয়েই সরকারের এই প্রয়াস। গুজরাটি ভাষায় প্রধানমন্ত্রী মহৎ জনসেবার জন্য প্যাটেল সমাজকে ধন্যবাদ জানান। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মেয়াদের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১-এ যখন এই রাজ্যের মানুষ তাঁকে সেবার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, তখন রাজ্যে কেবল ৯টি মেডিকেল কলেজ ছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩০। তিনি বলেন, ""আমি রাজ্যের প্রতিটি জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ দেখতে চাই। আমরা নিয়নীতিতে পরিবর্তন করেছি। এখন চিকিৎসা ও ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীরা মাতৃভাষাতেই পঠন-পাঠন চালিয়ে যেতে পারবেন""। শিল্প সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে ভাদোদরা থেকে ভাপির মধ্যে শিল্প সীমাবদ্ধ ছিল। এখন তা সারা গুজরাটে সম্প্রসারিত হচ্ছে। মহাসড়কগুলি সম্প্রসারিত করা হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলি গুজরাটের মূল ভিত্তি হয়ে উঠেছে। রাজ্যে ওষুধ শিল্প বিকশিত হচ্ছে। সৌরাষ্ট্রের পরিচিতি এখন এই অঞ্চলের মানুষের সাহসিকতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। ব্যক্তিগত প্রসঙ্গের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র কি, তা তিনি উপলব্ধি করেন। মহিলারা অসুস্থ হওয়া সত্বেও এবং চিকিৎসা সুবিধা না নিয়েও পরিবারের কল্যাণে কাজ করে চলেন। আজ আপনাদেরই একজন ভূমিপুত্র দিল্লিতে শাসন ক্ষমতায় রয়েছেন, যিনি এটা সুনিশ্চিত করেছেন যাতে কোন মা চিকিৎসার সুবিধা থেকে বঞ্চিত না থাকেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের কাছে চিকিৎসা পৌঁছে দিতেই প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা শুরু করা হয়েছে। একই ভাবে সুলভে ওষুধপত্রের জন্য জনঔষধি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সকলের সুস্বস্থ্যের জন্য আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপিত হচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। /",ৰাজকোটৰ আটকোটস্থিত মাতুশ্ৰী কে.ডি.পি. মাল্টিস্পেচিয়েলিটি হাস্পতাল পৰিদৰ্শন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E2%80%8C%E0%A6%B8-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%8B/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%9B-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B2/,"শ্রী বিনীত জৈন, ভারত ও বিদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ – আপনাদের সবাইকে সুপ্রভাত জানাই। গ্লোবাল বিজনেস সামিটে আবার উপস্থিত থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। প্রথমেই একটি ব্যবসায়িক শীর্ষ বৈঠকের মূল সুর হিসাবে ‘সামাজিক’ শব্দটি ব্যবহারের জন্য আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এছাড়া, আপনাদের এই বৈঠকের মূল সুরের দ্বিতীয় শব্দ হিসেবে ‘ধারাবাহিক উন্নয়ন’কে বেছে নেওয়া এবং কিভাবে উন্নয়নকে ধারাবাহিক করে তোলার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে আপনাদের আলোচনার জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত। অন্যদিকে, বৈঠকের মূল সুরের তৃতীয় শব্দ হিসেবে যখন আপনারা ‘কর্���ক্ষমতার পরিধি বৃদ্ধি’র কথা বলেন, তখন আমার দৃঢ় প্রতীতি হয় যে, আপনারা প্রকৃতই ভারতের জন্য সমস্যা সমাধানের বিষয়ে কথা বলছেন। বন্ধুগণ, ২০১৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ২০১৪ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত দেশকে কোন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়াতে হয়েছিল তা আপনাদের থেকে আর ভালো কে জানে! ব্যাপক হারে মুদ্রাস্ফীতি দেশের প্রতিটি পরিবারকে আঘাত করছিল। চলতি খাতে ক্রমবর্ধমান ঘাটতি এবং উচ্চহারে রাজকোষ ঘাটতির ফলে দেশের ব্যাপক স্তরে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা আঘাত করতে উদ্যত হয়েছিল। এই সব সূচকগুলি এক অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবিষ্যতের ইঙ্গিত করছিল। সমগ্র দেশ সম্পূর্ণ নীতি-পঙ্গুতার মুখে দাঁড়িয়েছিল। এর ফলে, আমাদের অর্থনীতি যেখানে পৌঁছনো দরকার, সেখানে পৌঁছতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ভঙ্গুর পাঁচটি দেশ গোষ্ঠীর এই সদস্যরা অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছিল। সর্বত্র এক ধরণের আত্মসমর্পণের ধারণা যেন পেয়ে বসেছিল। বন্ধুগণ, এরকম এক পটভূমিকায় আমাদের সরকার দেশের মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল এবং আজ দেশের পরিস্থিতিতে সুস্পষ্ট পরিবর্তন নজরে পড়ছে। ২০১৪ সালের পর হতাশার জায়গা নিয়েছে এক নতুন আশা। প্রতিবন্ধকতার জায়গা নিয়েছে আশাবাদ। এবং বিভিন্ন ইস্যুর পরিবর্তে এসেছে সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ। ২০১৪ সাল থেকে ভারত প্রায় সমস্ত আন্তর্জাতিক সূচকের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি ঘটিয়েছে। এথেকে পরিষ্কার বোঝা যায় যে, ভারতে পরিবর্তন সূচিত হচ্ছে এবং ভারত সম্বন্ধে বিশ্বের ধারণাতেও পরিবর্তন এসেছে। আমি জানি, কিছু মানুষ আছেন যাঁরা এই দ্রুত উন্নয়ন পছন্দ করছেন না। তাঁদের বক্তব্য হচ্ছে, বিভিন্ন সূচকে ভারতের অবস্থানের উন্নতি আসলে কাগজে-কলমে উন্নতির কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে কোন কিছুই পরিবর্তন হয়নি। আমার মনে হয়, এটা সত্যের অপলাপ। বিভিন্ন সূচকে ভারতের অবস্থানকে সাধারণত উন্নতির বিলম্বিত সংকেত হিসাবে ধরা হয়। পরিবর্তনটা প্রথম হয় বাস্তবে এবং কিছু সময় পর সূচকের অবস্থানে তার প্রতিফলন ঘটে। এই ‘সহজে ব্যবসার সুবিধা’র সূচকের কথাই ধরা যাক। আমাদের অবস্থান গত চার বছরে বিশ্ব সূচকে ১৪২ থেকে উঠে ৭৭ হয়েছে, যা এক ঐতিহাসিক ঘটনা। কিন্তু সূচকে এই পরিবর্তনের আগেই, বাস্তবে পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে। বর্তমানে ব্যবসা শুরু করার জন্য নির্মাণ কার্যের অনুমতি দেওয়া হয় দ্রুততার সঙ্গে��� এছাড়া, বিদ্যুতের সংযোগ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে অনুমোদনও আসে দ্রুততার সঙ্গে। এমনকি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য আইন মেনে চলার সুবিধা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। বর্তমানে ৪০ লক্ষ টাকার লেনদেন পর্যন্ত কোন ব্যবসার জন্য জিএসটি-তে নথিভুক্ত করার প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে ৪০ লক্ষ টাকা লেনদেন পর্যন্ত কোন ব্যবসার জন্য আয়কর দিতে হয় না। বর্তমানে ১.৫ কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেনযুক্ত যে কোন ব্যবসায় ‘কম্পোজিট স্কিম’-এর জন্য যোগ্যতা অর্জন করে এবং অতি সামান্য কর দিতে হয়। একইভাবে, বিশ্বব্যাপী পর্যটনে প্রতিযোগিতার সূচকের ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান ২০১৩ সালের ৬৫ থেকে ২০১৭-য় ৪০ হয়েছে। ভারতে বিদেশি পর্যটক আগমনের সংখ্যা প্রায় ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। অনুমোদিত হোটেলের সংখ্যাও প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটন ক্ষেত্র থেকে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের পরিমাণও ২০১৩-১৭-র মধ্যে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুরূপভাবে, বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবন সূচকেও ভারতের অবস্থান ২০১৪ সালের ৭৬ থেকে ২০১৮ সালে ৫৭ হয়েছে। উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অগ্রগতি, এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হচ্ছে। সংস্কৃতি ক্ষেত্রেও উন্নয়ন চোখে পড়ছে। দেশে পেটেন্ট এবং ট্রেডমার্কের জন্য আবেদনের সংখ্যাও বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্ধুগণ, এইসব পরিবর্তন আসলে এক নতুন শৈলীর প্রশাসনের জন্যই সম্ভব হচ্ছে এবং এগুলি নানাভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে পরিবর্তনের এক আকর্ষণীয় নমুনা আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। আমরা বিভিন্ন ধরণের প্রতিযোগিতা দেখতে পাচ্ছি। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের মধ্যে প্রতিযোগিতা। রাজ্যগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা। উন্নয়নের জন্য প্রতিযোগিতা। লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিযোগিতা। আজ ভারত প্রথমে ১০০ শতাংশ পরিচ্ছন্নতার লক্ষ্য অর্জন করবে, নাকি ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণের লক্ষ্য অর্জন করবে, তাই নিয়ে প্রতিযোগিতা। প্রথমে সমস্ত গ্রাম ও জনপদে সড়ক সংযোগ স্থাপিত হবে, নাকি সমস্ত পরিবারে গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হবে, সে বিষয়ে প্রতিযোগিতা। কোন রাজ্য কত বেশি লগ্নি আকর্ষণ করবে তাই নিয়ে প্রতিযোগিতা। কোন রাজ্য দরিদ্র মানুষের জন্য দ্রুতগতিতে কত বেশি সংখ্যক গৃহ নির্মাণ করবে তাই নিয়ে প্রতিযোগিতা। কোন উন্নয়নকামী জেলা দ্রুতগতিতে উন্নতির লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে তাই নিয়ে প্রতিযোগিতা। ২০১৪ সালের আগে আমরা এক ধরণের প্রতিযোগিতার কথা শুনতাম। তবে, সেই প্রতিযোগিতা ছিল অন্যরকম। মন্ত্রকগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা। ব্যক্তির মধ্যে প্রতিযোগিতা। দুর্নীতি নিয়ে প্রতিযোগিতা। কাজে বিলম্ব নিয়ে প্রতিযোগিতা। কে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করতে পারবে, তাই নিয়ে প্রতিযোগিতা। কে দ্রুততম গতিতে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে, তাই নিয়ে প্রতিযোগিতা। কে সবচেয়ে অভিনব কায়দায় দুর্নীতি করতে পারবে, তাই নিয়ে প্রতিযোগিতা। কে কয়লা কিংবা স্পেকট্রামের নিলাম থেকে টাকা কামাতে পারবে, তাই নিয়ে প্রতিযোগিতা। কমনওয়েল্‌থ গেম্‌স থেকে বেশি টাকা পাওয়া যাবে, নাকি প্রতিরক্ষা চুক্তি থেকে বেশি টাকা কামানো যাবে, তাই নিয়ে প্রতিযোগিতা। আমরা এসব দেখেছি এবং এটাও জেনেছি, এই ধরণের প্রতিযোগিতায় কারা যুক্ত ছিল। আমি কোন ধরণের প্রতিযোগিতা আপনারা পছন্দ করবেন, তা স্থির করার ভার আপনাদের হাতেই ছেড়ে দিতে চাই। বন্ধুগণ, দশকের পর দশক ধরে এমন কথা বলা হত যে কিছু বিষয় ভারতে করা একেবারেই অসম্ভব। ২০১৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের দেশ যে উন্নতি অর্জন করেছে, তা থেকে আমার দৃঢ় প্রতীতি হয় যে, ১৩০ কোটি ভারতবাসীর এই দেশে কোন কিছুই অসম্ভব নয়। অসম্ভব হল সম্ভব। এটা বলা হত যে ভারতকে পরিচ্ছন্ন করে তোলা অসম্ভব, কিন্তু ভারতের মানুষ এই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলছেন। এটা বলা হত, ভারতে দুর্নীতিমুক্ত সরকার চালানো অসম্ভব। কিন্তু ভারতের মানুষ এই অসম্ভবকেও সম্ভব করে তুলছেন। এটাও বলা হত যে, মানুষকে তাঁদের ন্যায্য পাওনা দেওয়ার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্র থেকে দুর্নীতি দূর করাও অসম্ভব। কিন্তু ভারতের মানুষ তাও সম্ভব করে তুলেছে। দরিদ্র মানুষের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার অসম্ভব বলে একসময়ে মনে করা হত। কিন্তু ভারতের মানুষ সেই অসম্ভবকেও সম্ভব করেছে। এক সময়ে এটা বলা হত যে নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিজস্ব ক্ষমতা প্রয়োগ এবং খামখেয়ালিপনা দূর করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু ভারতের মানুষ এই অসম্ভবকেও সম্ভব করেছে। এটা বলা হত, ভারতে অর্থনৈতিক সংস্কার অসম্ভব। কিন্তু মানুষ তাও সম্ভব করেছে। এটা বলা হত, সরকার একইসঙ্গে আর্থিক বৃদ্ধি এবং দরিদ্র মানুষদের পক্ষে থাকতে পারে না। কিন্তু মানুষ এই অসম্ভবকেও সম্ভব করেছে। আমাকে এটাও বলা হয়েছে যে, এরকম এক ধারণা আছে, উন্নয়নশীল অর্থনীতি মুদ্রাস্ফীতির সমস্যা এড়িয়ে কোনদিন দীর্ঘ সময়ের জন্য উচ্চতর হারে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারে না। ১৯৯১ সালের পর, অর্থাৎ, উদারীকরণ-পরবর্তী সময়ে আমাদের দেশে প্রায় সব সরকারকেই এই সমস্যার মুখোমুখী দাঁড়াতে হয়েছে – যাকে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, স্বল্প সময়ের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির দরুণ অর্থনীতির ‘তেতে ওঠা’। এর ফলেই, আমরা কখনই সুষম ও উচ্চহারে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারিনি। আপনাদের হয়তো মনে থাকতে পারে যে, ১৯৯১-৯৬ পর্যন্ত আমাদের সরকার চলাকালীন অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গড় হার ছিল ৫ শতাংশ। কিন্তু একইসঙ্গে, মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১০ শতাংশেরও বেশি। ২০০৯-১৪, অর্থাৎ, আমাদের সরকার গঠনের অব্যবহিত আগেই দেশে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গড় হার ছিল ৬.৫ শতাংশ। কিন্তু গড় মুদ্রাস্ফীতির হার দুই অঙ্ক ছাড়িয়ে যেত। বন্ধুগণ, ২০১৪-১৯ পর্যন্ত দেশে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গড় হার দাঁড়িয়েছে ৭.৪ শতাংশ এবং মুদ্রাস্ফীতির গড় হার দাঁড়িয়েছে ৪.৫ শতাংশেরও কম। ভারতীয় অর্থনীতির উদারীকরণ পর্বের পর, এটাই হবে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গড় হারের সর্বোচ্চ মান এবং যে কোন সরকারের আমলে মুদ্রাস্ফীতির সর্বনিম্ন হার। এইসব পরিবর্তন এবং সংস্কারের ফলে আমাদের অর্থনীতি এক নতুন রূপান্তরের পথে এগিয়ে চলেছে। ভারতীয় অর্থনীতি তার আর্থিক সম্পদ প্রসারিত করতে সক্ষম হয়েছে। এখন আর ভারতের অর্থনীতি লগ্নির প্রয়োজনে ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণের ওপর নির্ভরশীল নয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, পুঁজি বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের কথা। ২০১১-১২ থেকে ২০১৩-১৪ – এই সময়কালে, অর্থাৎ, বর্তমান সরকারের তিন বছর আগে, ইক্যুইটির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ ছিল বছরে প্রায় ১৪,০০০ কোটি টাকা। গত চার বছরে এই ক্ষেত্রে সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে বছরে ৪৩,০০০ কোটি টাকা। এই পরিমাণ আগের থেকে তিনগুণেরও বেশি। ২০১১-১৪ পর্যন্ত ‘বিকল্প লগ্নি তহবিল’–এর মাধ্যমে যে অর্থ বাজার থেকে সংগৃহীত হয়েছে, তার পরিমাণ ছিল ৪,০০০ কোটি টাকারও কম। আমাদের সরকার অর্থনীতিতে পুঁজি সংগ্রহের নতুন এই উৎসকে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন আপনারা তার সুফল দেখতে পাচ্ছেন। ২০১৪-১৮ পর্যন্ত চার বছরে ‘বিকল্প লগ্নি তহবিল’–এর মাধ্যমে আমাদের দেশে মোট সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮১,০০০ কোটি টাকা। যা প্রায় আগের থেকে ২০ গুণের সমতুল। অনুরূপভাবে, আমরা যদি কর্পোরেট বন্ডের প্রাইভেট প্লেসমেন্টের কথা ভাবি, তাহলে দেখা যাবে, ২০১১-১৪ সালের মধ্যে এই খাতে সংগৃহীত অর্থের গড় ��রিমাণ ছিল প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা, অর্থাৎ, প্রায় ৪,০০০ কোটি ডলারের সমতুল। বর্তমানে এই ক্ষেত্রে গত চার বছরে সংগৃহীত অর্থের গড় পরিমাণ ৫ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে, যা প্রায় ৭,৫০০ কোটি ডলারের সমতুল। এক্ষেত্রে আগের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে। এসব কিছু থেকেই ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে আস্থার পরিবেশের বিষয়টি বোঝা যায়। বর্তমানে শুধু এই আস্থার পরিবেশ যে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে তাই নয়, বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রেও এই আস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভারতের ওপর আস্থার এই পরিবেশ অব্যাহত আছে। আগেকার দিনে শুধুমাত্র নির্বাচন-পূর্ববর্তী সময়ে এই প্রবণতা দেখা যেত। গত চার বছরে আমাদের দেশে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২০১৪ সালের আগের সাত বছরের সমান। এইসব কিছু অর্জন করতে ভারতকে রূপান্তরের জন্য সংস্কারের প্রয়োজন। দেউলিয়া বিধি, জিএসটি, রিয়েল এস্টেট আইন-এর মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ফলে আমাদের দেশে উচ্চতর হারে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির এক জোরদার ভিত গড়ে উঠেছে। চার বছর আগে কে বিশ্বাস করত যে ঋণ খেলাপি ব্যক্তি বা সংস্থা প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা (প্রায় ৪,০০০ কোটি ডলার) আর্থিক ঋণদাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেবে। দেউলিয়া বিধির প্রত্যক্ষ প্রভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে, আরও সুদক্ষভাবে আর্থিক সহায়সম্পদ বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ করার সুবিধা হবে। আমরা যখন অর্থনীতির পাইপলাইনের কাজের দিকে নজর দিয়েছি, তখন মনে রাখতে হবে, বহু বছরের পর বছর ধরে এই কাজটি উপেক্ষিত থেকেছে। তাই, আমরা ‘ধীরে চলো, কাজ চলছে’র মতো সাবধানতা সূচক বোর্ড না লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দেশের সমাজের বৃহত্তর অংশের কল্যাণের লক্ষ্যে আমরা এইসব সংস্কারের কাজ একটুও না থেমে চালিয়েছি। বন্ধুগণ, ভারত ১৩০ কোটি মানুষের আশার দেশ এবং এ দেশের উন্নয়নের জন্য কেবলমাত্র একটি দৃষ্টিভঙ্গি কখনই সম্ভব নয়। নতুন ভারতের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের জন্য, সে জাতি, ধর্ম, ভাষা এবং শ্রেণী নিরপেক্ষভাবে স্থির হয়েছে। আমরা এক নতুন ভারত সৃষ্টির জন্য কঠোর পরিশ্রম করে চলেছি, যা ১৩০ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন পূরণ করবে। নতুন ভারতের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে একদিকে যেমন ভবিষ্যতের কথা আছে, অন্যদিকে অতীতের সমস্যা সমাধানের কথাও আছে। তাই আজ ভারত যখন তা�� দ্রুততম ট্রেন নির্মাণ করেছে, একইসঙ্গে ভারতের সমস্ত প্রহরীবিহীন লেভেল ক্রসিংও তুলে দেওয়া হয়েছে। আজ ভারত যখন দ্রুতগতিতে আইআইটি এবং এইম্‌স নির্মাণ করে চলেছে, একইসঙ্গে দেশের সমস্ত বিদ্যালয়ে শৌচাগার নির্মাণের ব্যবস্থাও করেছে। আজ ভারত যখন দেশে ১০০টি স্মার্ট শহর গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে, একইসঙ্গে দেশের ১০০টি উন্নয়নকামী জেলার দ্রুত উন্নয়ন করার উদ্যোগও নিশ্চিত করেছে। আজ ভারত যেমন বিদ্যুতের রপ্তানিকারক হয়ে উঠেছে, একইসঙ্গে স্বাধীনতার পর থেকে অন্ধকারে থাকা কোটি কোটি পরিবারের প্রত্যেকটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। আজ যখন ভারত মঙ্গল গ্রহে মহাকাশ যান পাঠানোর কথা ভাবছে, একইসঙ্গে, প্রত্যেক নাগরিকের মাথার ওপর যাতে ছাদ থাকে সে ব্যবস্থাও করেছে। আজ ভারত যখন বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধিশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে, একইসঙ্গে, সবচেয়ে দ্রুতগতিতে দারিদ্র্য দূরীকরণেরও উদ্যোগ নিয়েছে। বন্ধুগণ, আমরা বর্তমানে ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ মানসিকতা থেকে সরে এসেছি। ‘এ’ হল এড়িয়ে চলা, ‘বি’ হচ্ছে কবর দেওয়া, এবং ‘সি’ হচ্ছে বিভ্রান্ত করা। কোন ইস্যুকে এড়িয়ে না গিয়ে আমরা সেই ইস্যুর মোকাবিলা করেছি। কোন বিষয়কে কবর না দিয়ে, আমরা তাকে খুঁড়ে বের করেছি এবং মানুষকে জানিয়েছি। এবং সমগ্র ব্যবস্থাকে বিভ্রান্তির মুখে না ফেলে আমরা দেখিয়েছি যে সব কিছুরই সমাধান সম্ভব। এই কাজ আমাদের বুকে আস্থা যুগিয়েছে। সামাজিক ক্ষেত্রে আরও সদর্থক ব্যবস্থা গ্রহণে অনুপ্রাণিত করেছে। আমরা প্রতি বছর ৬,০০০ কোটি টাকা নগদ সুবিধা প্রদান করে ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক শ্রেণীর ১২ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছনোর উদ্যোগ নিয়েছি। এর ফলে, আগামী ১০ বছরে আমাদের কৃষকদের ৭.৫ লক্ষ কোটি টাকা (বা ১০,০০০ কোটি ডলার) প্রদান করা হবে। আমাদের অসংগঠিত ক্ষেত্রে কোটি কোটি শ্রমিকের জন্য আমরা একটি পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে চলেছি। আমাদের এই সরকারের বৃদ্ধির ইঞ্জিনটি দুটি সমান্তরাল লাইনে এগিয়ে চলেছে। এর মধ্যে একটি সমস্ত বঞ্চিত মানুষের জন্য সামাজিক পরিকাঠামো দেওয়ার কাজ করছে। এবং অন্যটি সবার জন্য বিশেষ করে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণের জন্য বস্তুগত পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ করছে। অতীতে যা ঘটেছে তাতে আমাদের কোন হাত ছিল না, কিন্তু ভবিষ্যতে যা ঘটবে তা পুরোটাই আমাদের হাতে। আমাদের প্রায়ই খেদোক্তি করতে হয় যে অতীত দি��ে আমরা শিল্প বিপ্লব করতে পারিনি। কিন্তু এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে ভারত চতুর্থ প্রজন্মের শিল্প বিপ্লবের ক্ষেত্রে এক সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে আমাদের অবদানের মাত্রা বিশ্বকে অবাক করবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, প্রথম তিনটি পর্যায়ের শিল্প বিপ্লবে ভারত তেমন কিছু করতে পা পারলেও এই সময়ে ভারত যে শুধুমাত্র চতুর্থ পর্যায়ের শিল্প বিপ্লবের বাসে চড়েছে তাই নয়, তার চালকের ভূমিকা নিয়েছে। উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি এই অগ্রবর্তী উদ্যোগের ভিত হিসাবে কাজ করবে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া, স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়া এবং ইনোভেট ইন্ডিয়া-র মতো আমাদের উদ্যোগের ফলে সুফল পাওয়া যাচ্ছে। আপনারা কি জানেন যে, ২০১৩-১৪-র মধ্যে যেখানে আমাদের দেশে প্রায় ৪,০০০ পেটেন্ট দেওয়া হয়েছিল, ২০১৭-১৮-র মধ্যে এই পেটেন্টের সংখ্যা বেড়ে ১৩,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। এক্ষেত্রে বৃদ্ধি হয়েছে তিনগুণ। অনুরূপভাবে, আপনারা কি জানেন যে আমাদের দেশে ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা ২০১৩-১৪-র ৬৮,০০০ থেকে ২০১৬-১৭-য় বেড়ে হয়েছে ২.৫ লক্ষ। এক্ষেত্রে বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় চারগুণ। আপনারা হয়তো শুনে সুখী হবেন যে, ভারতে আজ যে সংখ্যায় স্টার্ট-আপ নথিভুক্ত হয়েছে, তার ৪৪ শতাংশ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্তরের শহর থেকে এসেছে। সারা দেশে শত শত ‘অটল টিঙ্কারিং ল্যাব’ কাজ শুরু করেছে এবং উদ্ভাবনের এক পরিবেশকে লালনপালন করা হচ্ছে। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা যাতে ভবিষ্যতের উদ্ভাবক হয়ে উঠতে পারেন, এই কর্মসূচি তার ভিত্তি স্থাপন করবে। আমি এটা জেনে অত্যন্ত চমৎকৃত হয়েছি যে, সাপুড়ে জনগোষ্ঠীর এক কিশোরী কম্পিউটারের মাউস নিয়ে খেলা করছেন এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচিতে দারুণভাবে যুক্ত হয়েছেন। একইসঙ্গে, এটা দেখা আমার খুব ভালো লাগে যে আমাদের গ্রামের যুবকরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য ওয়াইফাই এবং ডিজিটাল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছেন। আমাদের দেশের ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে প্রভেদ ঘুচিয়ে চলেছে প্রযুক্তি। এইসব কাহিনী ভারতের ইতিহাসের নতুন অধ্যয় রচনা করছে। বন্ধুগণ, জনসাধারণের সহায়তা এবং অংশীদারিত্বে ২০১৪ সালের পর থেকে ভারত দ্রুত অগ্রগতি ঘটিয়ে চলেছে। জন-ভাগিদারী ছাড়া এই কাজ কোনভাবেই সম্ভব হত না। এইসব অভিজ্ঞতায় আমাদের বুকে এই আস্থা যোগায় যে আমদের দেশ তার সব নাগরিকের জন্য এগিয়ে চলার, সমৃদ্ধ হওয়ার পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে পারবে। আমর�� ভারতকে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা ভারতকে অগণিত স্টার্ট-আপের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আগ্রহী। আমরা সারা বিশ্বে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎসের দিকে অগ্রগতির ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা আমাদের জনসাধারণকে শক্তি নিরাপত্তা দিতে চাই। আমরা আমাদের আমদানি-নির্ভরতা কমাতে চাই। আমরা বিদ্যুৎচালিত যানবাহন এবং বিদ্যুৎ সংরক্ষণ যন্ত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রথম স্থান দখল করতে চাই। মনে এই সমস্ত ইচ্ছা নিয়ে আমরা নতুন ভারতের স্বপ্নের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করি। ধন্যবাদ। আপনাদের অজস্র ধন্যবাদ। /",দ্য ইকন’মিক টাইম্ছ – গ্ল’বেল বিজিনেছ ছামিটত প্ৰধানমন্ত্রীয়ে আগবঢ়োৱা ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A7%B0/,"রাষ্ট্রপতিভবনে আয়োজিত রাজ্যপাল সম্মেলনের সূচনা পর্বে আজ ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদী। শ্রী মোদীতাঁর ভাষণে বলেন যে সমাজে পরিবর্তন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রাজ্যপালরা এক অনুঘটকেরভূমিকা পালন করতে পারেন কারণ, সংবিধানের মর্যাদা ও পবিত্রতাকে রক্ষা করার কাজেতাঁরা সঙ্কল্পবদ্ধ। আগামী ২০২২ সালের মধ্যে এক ‘নতুন ভারত’ গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রাপ্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লক্ষ্যমাত্রা পূরণের কাজটি যদি এক জন-আন্দোলন রূপেগড়ে তোলা যায় তাহলে নতুন ভারতের অভ্যুদয় অবশ্যম্ভাবী। ‘নতুন ভারত’গঠনের লক্ষ্যে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বিশদভাবে আলোচনা করার তিনি পরামর্শদেন বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপালদের। কেন্দ্রীয় সরকার আয়োজিত সাম্প্রতিককালেরহ্যাকাথনের দৃষ্টান্ত উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উচিৎ একএকটি উদ্ভাবন কেন্দ্র রূপে নিজেদের গড়ে তোলা। হ্যাকাথনে ছাত্রছাত্রীরা যে বেশকয়েকটি সমস্যার মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত সমাধানের প্রস্তাব পেশ করেছিলেন, সেপ্রসঙ্গও প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন তাঁর ভাষণকালে। তাঁর মতে, প্রত্যেকটি রাজ্যেরতরুণ ও যুবকদের উচিৎ এক একটি বিশেষ খেলাধূলার ক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষ করে তো���া। স্বচ্ছতা,অর্থাৎ পরিচ্ছন্নতা রক্ষার অভিযানেনেতৃত্বদানের জন্য তিনি উৎসাহিত করেনরাজ্যপালদের। প্রধানমন্ত্রীবলেন, মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হবে আগামী ২০১৯ সালে। তিনিছিলেন আমাদের অনুপ্রেরণার এক উৎস। তাঁর স্বপ্নকে সফল করে তুলতে উন্মুক্ত স্থানেপ্রাকৃতিক কাজকর্মমুক্ত এক ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি আমরা। শ্রী মোদীবলেন, বিভিন্ন উৎসব ও বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান পালন পরিবর্তনের লক্ষ্যে আমাদের শক্তিও সাহস যোগায়। ‘মুদ্রা’ যোজনার আওতায় দলিত, আদিবাসী এবং মহিলাদের ঋণ সহায়তামঞ্জুরের কাজে ব্যাঙ্কগুলি যাতে উৎসাহিত হয়, সেজন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের তিনিপরামর্শ দেন রাজ্যপালদের। আগামী ২৬ নভেম্বরের সংবিধান দিবস এবং ৬ ডিসেম্বরেরআম্বেদকর মহাপরিনির্বাণ দিবস – এই সময়কালের মধ্যে ঐ বিশেষ বিশেষ শ্রেণীর মানুষযাতে ঋণ সহায়তার সুযোগ পেতে পারেন তা নিশ্চিত করার আর্জি জানান তিনি। সৌরজ্বালানি, প্রত্যক্ষ সুফল হস্তান্তর এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কেরোসিন-মুক্তকরার কর্মসূচি সফল করে তুলতে বিভিন্ন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপ-রাজ্যপালদেরঅনুপ্রাণিত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি যাতে দ্রুততারসঙ্গে এই কাজে সাফল্য দেখাতে পারে, তা নিশ্চিত করা সকলেরই কর্তব্য। /",ৰাজ্যপালসকলৰ সন্মিলনৰ আৰম্ভণি অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ বক্তব্য +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%A8/,"নয়াদিল্লি, ১৮ নভেম্বর, ২০২২ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী অমিত শাহ, সম্মেলনে উপস্থিত বিশিষ্ট জনেরা, বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রতিনিধিরা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনুসন্ধানকারী সংস্থা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলির সদস্য, আমার প্রিয় বন্ধুগণ! সন্ত্রাসবাদে অর্থ যোগান বন্ধের তৃতীয় মন্ত্রী পর্যায়ের এই সম্মেলনে আমি আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাই। বন্ধুগণ, ভারতে এই সম্মেলন আয়োজনের বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সারা বিশ্ব যখন জঙ্গীবাদ সমস্যা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে, তার অনেক আগে থেকেই আমাদের দেশ জঙ্গীবাদের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করে আসছে। বিভিন্ন নামে জঙ্গীবাদ দশকের পর দশক ধরে ভারতে আঘাত হেনেছে। আ���রা হাজার হাজার মূল্যবান জীবনকে হারিয়েছি। কিন্তু, একই সঙ্গে আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। এই সম্মেলনের আগত প্রতিনিধিরা এমন এক দেশ ও সেদেশের মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করার সুযোগ পাচ্ছেন, যাঁরা কঠোরভাবে জঙ্গীবাদের মোকাবিলা করছেন। আমরা মনে করি, একটি জঙ্গী হামলাই অনেক জঙ্গী হামলার সমান। জঙ্গী হানায় যদি একজনও প্রাণ হারান – সেটিই অনেক। তাই, যতক্ষণ না সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবো না। বন্ধুগণ, এই সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মন্ত্রীদের সম্মেলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। কারণ, এখানকার আলোচ্য বিষয়সূচী সমগ্র মানবজাতির উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। সন্ত্রাসবাদের দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাবের ফল দরিদ্র মানুষ এবং স্থানীয় অর্থনীতির উপর সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়। পর্যটন, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্র প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসবাদের সমস্যায় জর্জরিত। এই সমস্যা মানুষের জীবিকাকে কেড়ে নেয়। তাই, সন্ত্রাসবাদের অর্থ যোগানের উৎসে আমাদের আঘাত হানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধুগণ, আজকের পৃথিবীতে সন্ত্রাসবাদের বিপদ থেকে কেউই মুক্ত নন। তা সত্ত্বেও কোনও কোনও মহল ইচ্ছে করে জঙ্গীবাদ সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ায়। যেখানে জঙ্গী হানা হচ্ছে, তার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন মহল তাদের মতো প্রতিক্রিয়া জানায়। যে কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলার বিরুদ্ধে সমানভাবে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। কখনও কখনও জঙ্গীবাদের মোকাবিলা করতে গিয়ে দেখা যায় অনেকেই একে পরোক্ষভাবে সমর্থন করছে। আন্তর্জাতিক এই বিপদের মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা পদক্ষেপ নেওয়ার কোনও অবকাশ নেই। জঙ্গীবাদ মানবজাতি, স্বাধীনতা ও সভ্যতার উপর আঘাত হানছে। এর কোনও সীমা নেই। জঙ্গীবাদের মোকাবিলা করতে তাই একটি অভিন্ন, আপোষহীন নীতি গ্রহণ করতে হবে। বন্ধুগণ, একজন জঙ্গীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই — দুটি আলাদা বিষয়। একজন জঙ্গীকে শেষ করে দিতে অস্ত্রই যথেষ্ট। জঙ্গী মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া একটি পরিচালনগত বিষয়। কিন্তু, জঙ্গীদের আর্থিক সাহায্য যারা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কৌশলগত উদ্যোগ না গ্রহণ করলে সাময়িক সাফল্যও ব্যর্থতায় পরিণত হয়। জঙ্গীবাদ হ’ল ব্যক্তি-বিশেষ এবং বিভিন্ন সংস্থার একটি নেটওয়ার্ক। জঙ্গীবাদকে নির্মূল করার জন্য তাই সক্রিয় উদ্যোগের প্রয়োজন। আমরা যদি চাই, আমাদের নাগরিকরা নিরাপদ জীবনযাপন করুন, তা হলে যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি নিজে না জঙ্গীবাদের শিকার হচ্ছি, ততক্ষণ কোনও ব্যবস্থা নেব না – এই ভাবনাটি ভুল। আমাদের জঙ্গী মোকাবিলা করার জন্য তারা যেখান থেকে সাহায্য পাচ্ছে, যে উৎস থেকে তাদের কাছে টাকা আসছে – সেগুলির উপর আঘত হানতে হবে। বন্ধুগণ, জঙ্গী সংগঠনগুলি যে বিভিন্ন সূত্র থেকে টাকা পায়, তা আমরা সকলেই জানি। কোনও কোনও দেশ তাদের বিদেশ নীতি অনুসারে জঙ্গীবাদকে সমর্থন যোগায়। এরা জঙ্গীদের রাজনৈতিক, আদর্শগত ও আর্থিক নানা সহায়তা দিয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি যদি মনে করে, যেহেতু যুদ্ধ হচ্ছে না, তাই শান্তি বিরাজ করছে – তা হলে তাদের এই ভাবনাটি ভুল। চোরা পথে হামলা চালানো অত্যন্ত বিপজ্জনক ও আতঙ্কের। যেসব দেশ জঙ্গীবাদকে সাহায্য করবে, সেইসব দেশকে আর্থিক জরিমানা করা উচিৎ। যেসব সংস্থা ও ব্যক্তি-বিশেষের জঙ্গীবাদের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে, আমি বলব, তাদের একঘরে করা প্রয়োজন। এই সিদ্ধান্তের জন্য কোনও দোলাচলে ভোগা উচিৎ নয়। এই পদক্ষেপে কোনও কিন্তু থাকতে পারে না। যে কোনও ধরনের জঙ্গী সহায়তাকে প্রতিরোধ করতে সারা বিশ্বকে একজোট হতে হবে। এই সময় অর্থ পাচার ও আর্থিক অপরাধকেও জঙ্গীবাদে অর্থ যোগানো বলে বিবেচনা করা উচিৎ। এর মোকাবিলা করতে হলে সারা বিশ্বকে একজোট হতে হবে। বন্ধুগণ, এই জটিল আবহে রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স, ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এবং ‘এগমন্ট’ গোষ্ঠী বেআইনি তহবিল শনাক্ত করা এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে একজোট হয়েছে। এর ফলে, গত দু’দশক ধরে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা অনেকটাই সহজ হয়েছে। শুধু তাই নয়, জঙ্গী সংগঠনগুলিকে অর্থ সাহায্য করলে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তাও অনেকে বুঝতে পারছে। বন্ধুগণ, সন্ত্রাসের ধরন বদলাচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তি একদিকে যেমন বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করছে, আবার নতুন নতুন চ্যালেঞ্জও তৈরি করছে। জঙ্গীবাদে অর্থ যোগান এবং জঙ্গী সংগঠনগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই এই সমস্যা মোকাবিলায় বেসরকারি সংগঠনগুলিকেও যুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি। বিভিন্ন সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এমন একটি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা প্র��োজন, যেখানে প্রতিটি জিনিসকে যাচাই করা যাবে এবং নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা যাবে। এক্ষেত্রে একটি বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমরা প্রযুক্তিকে বিপদ বলে ভাববো না, বরং প্রযুক্তির সাহায্যে সন্ত্রাসবাদকে চিহ্নিত করে তার মোকাবিলা করব। বন্ধুগণ, আজ শুধুমাত্র বাস্তব জগতেই সহযোগিতার প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে না, ভার্চ্যুয়াল জগতেও এই প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি সকলে উপলব্ধি করতে পারছেন। সাইবার সন্ত্রাস ও অনলাইনে মৌলবাদের বিস্তারের জন্য যে পরিকাঠামো ব্যবহৃত হচ্ছে, তার ব্যাপ্তি বিশাল। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসে যে কেউ অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দিতে পারে। বিভিন্ন দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পণ্য পরিবহণকে কাজে লাগিয়ে একটি শৃঙ্খল গড়ে তোলা যায়। এই শৃঙ্খলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি দেশকে সক্রিয় হতে হবে। বন্ধুগণ, বিভিন্ন দেশের নিজস্ব আইনি নীতি ও পদ্ধতি রয়েছে। যে কোনও সার্বভৌম রাষ্ট্রের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার অধিকার রয়েছে। কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যে, আলাদা আলাদা ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে জঙ্গীরা যেন এর অপব্যবহার করতে না পারে। একে প্রতিহত করার জন্য বিভিন্ন সরকারের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়াকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যৌথ পরিচালন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো এবং প্রত্যার্পণ নীতিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। কোনও দেশে জঙ্গীবাদের মদত দাতাদের ঠাঁই যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। বন্ধুগণ, গত কয়েক মাস ধরে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে ভারতে বেশ কয়েকটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারত নতুন দিল্লিতে ইন্টারপোলের সাধারণ সভার আয়োজন করেছে। মুম্বাইয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা কমিটির বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর আজ সন্ত্রাসবাদের অর্থ যোগান বন্ধের জন্য ‘জঙ্গীবাদকে কোনও অর্থ নয়’ শীর্ষক এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে জঙ্গীদের অর্থ যোগানোর বিরুদ্ধে একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সারা বিশ্বকে একজোট করাই আমাদের লক্ষ্য। বন্ধুগণ, আশা করি, আগামী কয়েকদিন এখানে যে আলোচনাগুলি হবে, তাতে অংশগ্রহণকারীরা ফলপ্রসূ আলোচনা করবেন। জঙ্গীদের অর্থ সাহায্য যোগান���র বিরুদ্ধে সবদিক থেকে ব্যবস্থা নিতে আপনারা যে সহায়তা করবেন – সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত। ধন্যবাদ। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",নতুন দিল্লীত অনুষ্ঠিত ‘ন’ মানী ফৰ টেৰ’ৰ’ শীৰ্ষক সন্ত্ৰাসবাদৰ বিত্তীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্ৰতিৰোধ সম্পৰ্কীয় তৃতীয় মন্ত্ৰী পৰ্যায়ৰ সন্মিলনত প্ৰদান কৰা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লি, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ফিজি-র প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় সিতিভেনি রাবুকা-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে বলেছেন; “ফিজি-র প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনি নির্বাচিত হওয়ায় @slrabuka অভিনন্দন। ফিজি এবং ভারতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ এবং দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে একযোগে কাজ করার লক্ষ্যে আমি তাকিয়ে আছি।”",ফিজিৰ প্ৰধানমন্ত্ৰী হিচাপে নিৰ্বাচিত হোৱা ছিটিভেনি ৰাবুকাক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ অভিনন্দ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%97%E0%A7%8C%E0%A6%B0%E0%A6%AC-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%97%E0%A7%8C%E0%A7%B0%E0%A7%B1-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE/,"আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের সবাইকে জনজাতীয় গৌরব দিবসের আন্তরিক শুভকামনা জানাই। আজ সারা দেশ শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে ভগবান বীরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তী পালন করছে। আমি দেশের মহান সুপুত্র, মহান বিপ্লবী ভগবান বীরসা মুন্ডাকে প্রণাম জানাই। এই ১৫ নভেম্বর তারিখটি ভারতের জনজাতি পরম্পরার গৌরব গান করার দিন। আমি একে আমাদের সরকারের সৌভাগ্য বলে মনে করি যে, আমরা এই ১৫ নভেম্বর তারিখটিকে জনজাতীয় গৌরব দিবস উপলক্ষে ঘোষণা করার সুযোগ পেয়েছি। বন্ধুগণ, ভগবান বীরসা মুন্ডা শুধুই আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতার মহানায়ক ছিলেন না, তিনি আমাদের আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক প্রাণশক্তিরও সংবাহক ছিলেন। আজ স্বাধীনতার ‘পঞ্চপ্রাণ’ শক্তি নিয়ে দেশ ভগবান বীরসা মুন্ডা সহ কোটি কোটি জনজাতীয় বীরদের স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। জনজাতীয় গৌরব দিবস পালনের মাধ্যমে দেশের জনজাতীয় ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব আর জনজাতি সমাজের উন্নয়নের সংকল্প এই প্রাণশক্তির অঙ্গ। বন্ধুগণ, ভা���তের জনজাতি সমাজ ইংরেজ ও বিদেশি শাসকদের দেখিয়ে দিয়েছে যে, তাঁদের সামর্থ্য কতটা। সাঁওতাল পরগনায় তিলকা মাঝির নেতৃত্বে অসম সাহসী ‘দামিন ই কো’ – এর জন্য আমরা গর্বিত। বুধু ভগতের নেতৃত্বে ‘লরকা’ আন্দোলনের জন্য আমরা গর্বিত। সিধু ও কানহু-র নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের জন্য আমরা গর্বিত। তানা ভগত ও বেগড়া ভীলের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের জন্য আমরা গর্বিত। আমরা গর্বিত নায়করা আন্দোলনের জন্য। আমরা গর্বিত সন্ত জরিয়া পরমেশ্বর এবং রূপ সিংহ নায়কের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনগুলির জন্য। আমরা গর্বিত লিমডি, দাহোদ – এ ইংরেজ সৈন্যকে নাস্তানাবুদ করে দেওয়া জনজাতি বীরদের জন্য। আমরা গর্বিত মানগড়ের মান বৃদ্ধি করা বীর গোবিন্দ গুরুজীর নেতৃত্বাধীন সংগ্রামের জন্যও। আমরা গর্বিত আল্লুরি সীতা রাম রাজুজীর নেতৃত্বে রম্পা আন্দোলনের জন্যও। এরকম কত না সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতের এই ভূমি আরও পবিত্র হয়েছে, এরকম কত না জনজাতি শূর বীররা আত্মবলিদানের মাধ্যমে ভারতমাতাকে রক্ষা করেছেন। এটা আমার সৌভাগ্য যে, গত বছর আজকের দিনেই রাঁচিতে বীরসা মুন্ডা সংগ্রহালয়টি দেশবাসীর উদ্দেশে সমর্পণের সুযোগ পেয়েছিলাম। আজ ভারত দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন জনজাতি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতির উদ্দেশে তাঁদের সংগ্রামের কাহিনী তুলে ধরা এরকম অনেক সংগ্রহালয় গড়ে তুলছে। বন্ধুগণ, বিগত ৮ বছর ধরে আমাদের জনজাতীয় ভাই-বোনেরা দেশের প্রত্যেক প্রকল্পের, প্রত্যেক প্রচেষ্টার শুভ সূচনায় অংশগ্রহণ করেছেন। জন ধন যোজনা থেকে শুরু করে গোবর ধন যোজনা পর্যন্ত, বন ধন বিকাশ থেকে শুরু করে বন ধন স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে তোলা, স্বচ্ছ ভারত মিশন থেকে শুরু করে জল জীবন মিশন পর্যন্ত, পিএম আবাস যোজনা থেকে শুরু করে উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে গরীবদের বাড়িতে বাড়িতে রান্নার গ্যাস সংযোগ অভিযানে, মাতৃত্ব বন্দনা থেকে শুরু করে পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য জাতীয় অভিযান, গ্রামীণ সড়ক যোজনা থেকে শুরু করে মোবাইল সংযোগ বৃদ্ধি, একলব্য বিদ্যালয়গুলি থেকে শুরু করে জনজাতীয়দের জন্য গড়ে তোলা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত, বাঁশ সংক্রান্ত কয়েক দশক পুরনো আইনে পরিবর্তন আনা থেকে শুরু করে প্রায় ৯০টি বনজ সামগ্রীর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পর্যন্ত, সিকল সেল অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ অভিযান থেকে শুরু করে ট্রাইবাল রিসার্চ ইন্সটিটিউট গড়ে তোলা পর্যন্ত বিনামূল��যে করোনা প্রতিরোধী টিকা থেকে শুরু করে অনেক জীবননাশক রোগ থেকে রক্ষাকারী প্রতিরোধক টিকাকরণ অভিযান মিশন ইন্দ্রধনুষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সাফল্য দেশের কোটি কোটি জনজাতি পরিবারগুলির জীবনকে সহজ করে তুলেছে। তাঁরা দেশের উন্নয়নযজ্ঞ থেকে লাভবান হয়েছেন। বন্ধুগণ, জনজাতি সমাজে শৌর্যের কদর যেমন রয়েছে, প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে পরস্পরের পরিপূরক হয়ে বেঁচে থাকা – এই পরিবেশ-বান্ধব ঐতিহ্য থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের ভারতের ভবিষ্যতকে নতুন আকার দিতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই জনজাতীয় গৌরব দিবস আমাদের এই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে অনেক নতুন সুযোগ এনে দেবে, একটি মাধ্যম হয়ে উঠবে। এই সংকল্প নিয়ে আমি আরেকবার ভগবান বীরসা মুন্ডা এবং কোটি কোটি জনজাতি বীর ও বীরঙ্গনাদের চরণে প্রণাম জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",জনজাতীয় গৌৰৱ দিৱসত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ বাৰ্তাৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A7%81-%E0%A6%85%E0%A6%82%E0%A6%B6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4/,"কর্ণাটকের বেশ কিছু অংশ বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ঐ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি কর্ণাটকের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ঐ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কুমারস্বামীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি, শ্রী মোদী ঐ রাজ্যকে সমস্ত ধরণের ত্রাণ সাহায্যেরও আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বন্যা কবলিত সকল মানুষজনের নিরাপত্তা এবং সুস্থিতির জন্য প্রার্থনা করেছেন।",কৰ্ণাটকৰ বিভিন্ন প্ৰান্তত সৃষ্টি হোৱা বান পৰিস্থিতিৰ সন্দৰ্ভত ৰাজ্যখনৰ মুখ্যমন্ত্ৰীৰ সৈতে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ বাৰ্তালাপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%B6-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9A/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83/,"নয়াদিল্লী, ১২ মে, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বাগীশ শাস্ত্রী নামে পরিচিত সংস্কৃত ব্যাকারণবিদ অধ্যাপক ভগীরথ প্রসাদ ত্রিপাঠীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “অধ্য���পক ভগীরথ প্রসাদ ত্রিপাঠী ‘বাগীশ শাস্ত্রী’ আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে তরুণদের মধ্যে সংস্কৃতকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে অমূল্য অবদান রেখেছিলেন। তিনি অত্যন্ত জ্ঞানী এবং সুপণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে ব্যথিত। তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা। ওম শান্তি।”","প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে সংস্কৃত ব্যাকৰণবিদ, অধ্যাপক ভগীৰথ প্ৰসাদ ত্ৰিপাঠীৰ মৃত্যুত শোক প্ৰকাশ কৰে" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E2%80%8C%E0%A6%B8-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%82-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A6%9B%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%B0-%E0%A6%89/,"আমার মন্ত্রী পরিষদের সঙ্গী শ্রী জে পি নাড্ডা, শ্রী অশ্বিনী চৌবে, শ্রীমতী অনুপ্রিয়া প্যাটেল এবং এই মঞ্চে উপস্থিত শ্রী রণদীপ গুলেরিয়া, শ্রী আই এস ঝা, ডঃ রাজেশ শর্মা এবং সকল সম্মানিত ব্যক্তিগণ। দিল্লির বাসিন্দাদের চিকিৎসা, চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে আসা দেশের সকল প্রান্তের মানুষের জন্য আজ একটি বিশেষ দিন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজ দেশের গরিব, নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষের জীবনের সমস্যাসঙ্কুল পরিস্থিতির মোকাবিলায় বিভিন্ন কঠিন রোগের বিরুদ্ধে রোগী ও তাঁর আত্মীয়স্বজনদের সহায়তার জন্য কয়েকটি নতুন পরিকাঠামো গড়ে উঠছে। একটু আগেই এখানে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করা হয়েছে। ফলে, দিল্লিতে দেশের দুটি বড় হাসপাতাল এইম্‌স এবং সফদরজং হাসপাতালে প্রায় ১ হাজার ৮০০-রও বেশি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্ধুগণ, এইম্‌স-এর চাপ কমাতে দিল্লিতে এর সবকটি ক্যাম্পাসে ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আজ ৩০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে নির্মীয়মান ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর এইজিং’-এরও শিলান্যাস হয়েছে। এটি ২০০ শয্যাবিশিষ্ট হবে। আগামী দেড়-দু’বছরে এটির নির্মাণ সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখানে প্রবীণ নাগরিকদের সমস্ত আধুনিক পরিষেবা প্রদান করা হবে। এখানে বৃদ্ধাবস্থা বিষয়ক বিজ্ঞান অনুসন্ধান কেন্দ্রও থাকবে, যেখানে বৃদ্ধাবস্থার নানা সমস্যা নিয়ে গবেষণার ব্যবস্থাও থাকবে। তাছাড়া, সফদরজং হাসপাতালেও ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে হাসপাতালের বিভিন্ন পরিষেবাকে অত্যাধুনিক করে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে এখানে এমার্জেন্সি ব্লকে একটি সুপার স্পেশালিটি ব্লক গড়ে তুলে রাষ্ট্রকে সমর্পিত করা হবে। কেবলমাত্র মেডিকেল এমার্জেন্সির জন্য ৫০০ শয্যার নতুন ব্যবস্থা সফদরজং হাসপাতালকে দেশের সর্ববৃহৎ এমার্জেন্সি কেয়ার হাসপাতালে পরিণত করবে। বন্ধুগণ, আজ যে ৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করা হ’ল, তার মধ্যে একটি হ’ল পাওয়ার গ্রিড বিশ্রাম সদন। সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালনের এটি একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। সেখানে শুধু রোগী নয়, তাঁদের সঙ্গে আসা নিকটাত্মীয়রাও নানারকম পরিষেবা পাবেন। বন্ধুগণ, সঠিক সময়ে চিকিৎসা জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু দিল্লির ট্রাফিক জ্যাম অনেক সময়ে এর প্রতিবন্ধক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে, এইম্‌স-এর বিভিন্ন কেন্দ্র ও ক্যাম্পাসের মধ্যে রোগী ও চিকিৎসকদের যাতায়াত নিয়ে আগে অনেক সমস্যা ছিল। এইম্‌স-এর মুখ্য ভবন এবং জয়প্রকাশ নারায়ণ ট্রমা সেন্টারের মধ্যে এই সমস্যা এখন সমাধান করা গেছে। কিছুক্ষণ আগেই আমি প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্ডার গ্রাউন্ড সুড়ঙ্গের উদ্বোধন করলাম। বন্ধুগণ, ভারতের মতো বিশাল উন্নয়নশীল দেশের জন্য সুলভ, সুরক্ষিত এবং আধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব কত বড়, তা আপনারা ভালোভাবেই জানেন। বিগত চার বছরে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবাকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে গরীব ও মধ্যবিত্তদের যাতে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য অসহায়ভাবে যাতে ঘুরে না বেড়াতে হয়, অনাবশ্যক খরচ না করতে হয় – তা সুনিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলেমিশে সারা দেশে আধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিকাঠামো গড়ে তুলছে। ফলে, দেশে সরকারি হাসপাতালে শিশু জন্মের হার বেড়েছে। গর্ভবতী মহিলা এবং নবজাত শিশুদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকাকরণের জন্য ৫টি নতুন ভ্যাক্সিন যুক্ত করে মা ও শিশুদের মৃত্যুর হার অভূতপূর্ব হ্রাস করতে পেরেছে। এই প্রচেষ্টাগুলি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এজেন্সি দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে। বন্ধুগণ, বড় শহরগুলিতে যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো রয়েছে, সেগুলি সুদৃঢ় করার পাশাপাশি সমমানের পরিষেবা টিয়ার-২ এবং টিয়ার-৩ শহরগুলিতে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেজন্য সরকার দুই ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রথমত, চালু হাসপাতালগুলিকে অধিক পরিষেবা যুক্ত করা। দ্বিতীয়ত, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। বন্ধুগণ, স্বাধ���নতার পর ৭০ বছরে দেশে যতগুলি এইম্‌স স্বীকৃত বা নির্মিত হয়েছিল, বিগত চার বছরে তারচেয়ে অধিক সমমানের হাসপাতাল মঞ্জুর করা হয়েছে। দেশে ১৩টি নতুন এইম্‌স তৈরির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টির নির্মাণকার্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এছাড়া, সারা দেশে ১৫টি মেডিকেল কলেজকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রূপান্তরিত করার কাজ এগিয়ে চলেছে। বন্ধুগণ, নতুন ভারতের জন্য এমন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে, যেখানে উন্নতমানের পর্যাপ্ত হাসপাতাল ও যথেষ্ট শয্যা, ভালো পরিষেবা আর শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক দল থাকবে। এই লক্ষ্য মাথায় রেখে চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন সুযোগ গড়ে তোলা হচ্ছে। আমাদের সরকার ৫৮টি জেলা হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজ রূপে উন্নীত করছে। এবারের বাজেটেই ২৪টি নতুন মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলার ঘোষণা করেছে। সরকারের প্রচেষ্টা হ’ল প্রতি তিনটি সংসদীয় ক্ষেত্রে নিদেনপক্ষে একটি মেডিক্যাল কলেজ যেন থাকে! বিগত চার বছরে দেশে প্রায় ২৫ হাজার নতুন আন্ডার গ্র্যাজুয়েট বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসক পঠন-পাঠনের জন্য আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার ছাত্র ভর্তি প্রক্রিয়াকেও আর স্বচ্ছ করার কাজ করেছে। বন্ধুগণ, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টা শুধু হাসপাতাল নির্মাণ, রোগের চিকিৎসা এবং আধুনিক পরিষেবার মধ্যেই সীমিত নয়, কম খরচে প্রত্যেক নাগরিকের চিকিৎসা সুনিশ্চিত করা, অসুস্থ হওয়ার কারণগুলি বিনাশের প্রচেষ্টা; স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আওতার বাইরে বেরিয়েও কাজ করার চেষ্টা হয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য পরিকল্পনার সঙ্গে এখন গ্রামীণ বিকাশ মন্ত্রক, স্বচ্ছতা ও পানীয় জল মন্ত্রক, মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক এবং আয়ুষ মন্ত্রকও যুক্ত হয়েছে। এগুলি সবই আমাদের পারম্পরিক স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলির ক্ষমতায়ন করছে। সরকারি পরিকল্পনার নক্‌শা তৈরির সময়ে অসুস্থতা ও দারিদ্র্যের মধ্যে সম্পর্ককে মাথায় রাখা হয়েছে। দারিদ্র্যের একটি বড় কারণ অসুস্থতাও। সেজন্য রোগ প্রতিরোধ করলে অনেক ক্ষেত্রে দারিদ্র্য প্রতিরোধ করা যায়। এই লক্ষ্যে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে শৌচালয় নির্মাণ, মিশন ইন্দ্রধনুষের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক অঞ্চলগুলিতে টিকাকরণ, রাষ্ট্রীয় পোষণ অভিযান ও আয়ুষ্মান ভারতের মতো অনেক উচ্চাভিলাষী প্রকল্প দরিদ্র পরিবারগুলির চিকিৎসার খরচ হ্রাস করার কাজ করছে। রোগ প��রতিরোধক কিংবা সুলভ স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে দেশে এখন যে হারে কাজ হচ্ছে, তা সম্ভবত আগে কখনও হয়নি। জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প বা আয়ুষ্মান ভারতও এই লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে প্রায় দেড় লক্ষ পঞ্চায়েত বা সমস্ত বড় পঞ্চায়েতে একটি করে ‘হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’ স্থাপনের কাজ চলছে। ভবিষ্যতে এই কেন্দ্রগুলিতে রোগ চিহ্নিৎকরণের জন্য গবেষণাগার এবং উপাচারের জন্য আধুনিক পরিষেবা প্রদান করা হবে। এর দ্বারা গ্রাম ও আধা-শহরের মানুষেরা অনেক উপকৃত হবেন। পাশাপাশি, গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের ভালো হাসপাতালে বিনামূল্যে কঠিন রোগের চিকিৎসার সুবিধা দিতে বছরে পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করার কাজ চলছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রায় সকলের সঙ্গে সহমত গড়ে উঠেছে, অতি শীঘ্রই আমরা বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প বাস্তব রূপ দিতে যাচ্ছি। বন্ধুগণ, এই প্রকল্প শুধু গরিবদের জীবনদান করবে এমনটা নয়, চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টিকারী নতুন বিপ্লব আনবে। এই প্রকল্পের ফলে আগামীদিনগুলিতে সুনিশ্চিতভাবেই দেশের অসংখ্য গ্রাম ও ছোট শহরগুলিতে নতুন নতুন উন্নত পরিষেবা যুক্ত হাসপাতাল নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে। কারণ, খরচের ভয়ে যাঁরা বাধ্য না হলে হাসপাতালে যেতে চান না, বিমা কোম্পানির টাকায় চিকিৎসা হলে তাঁরা যে কোনও রোগের ক্ষেত্রেই হাসপাতালে যাবেন। আর রোগী হাসপাতালে এলে, তাঁর চিকিৎসার খরচ পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকলে হাসপতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকরা তৎপরতার সঙ্গে কাজ করবেন। ফলে দেশে এমন ব্যবস্থা গড়ে উঠতে চলেছে যেখানে মানবসম্পদ উন্নয়ন, দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য সচেতন সমাজ রূপে আমরা এক নতুন যুগে প্রবেশ করতে চলেছি। আর এক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ তো বাড়বেই। আমরা জানি যে, প্রত্যেক চিকিৎসকের সঙ্গে কত জন স্বাস্থ্য কর্মী সহায়কের কাজ করেন, তবেই একজন চিকিৎসক সঠিকভাবে তাঁর পারদর্শিতা দেখাতে পারেন। এ থেকেই ভারতে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনার কথা আন্দাজ করা যায়। হ্যাঁ, আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবার জন্য তখন মানুষকে আর আজকের মতো বড় শহরে ছুটতে হবে না। বন্ধুগণ, বিগত চার বছরে সুলভ স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে সরকার যেসব প্রকল্পে কাজ করেছে, সেগুলি কতটা কার্যকর হয়েছে, তা জানার জন্য আমি এ মাসের গোড়ার দিকে সারা দেশের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে প্রযুক্তির মাধ্যমে সরাসরি বার্তালাপের আয়োজন করেছিলাম। প্রায় ৩ লক্ষ কেন্দ্রে বসে থাকা কমপক্ষে ৩০-৪০ লক্ষ মানুষ আমার সঙ্গে এই বার্তালাপে অংশগ্রহণ করেছেন। সেই বার্তালাপ থেকে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়েছে যে, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও গরিবদের চিকিৎসার খরচ গত চার বছরে কমেছে। কারণটা আপনারা জানেন যে, সরকার প্রায় ১ হাজার ১০০টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করেছে। ফলে, সারা দেশের সুবিধাভোগীদের ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় হয়েছে। একটি প্রকল্পের ফলস্বরূপ এক বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়! সারা দেশে ৩ হাজার ৬০০টিরও বেশি জনঔষধি কেন্দ্র চালু হয়েছে। সেই কেন্দ্রগুলিতে ৭০০-টিরও বেশি ওষুধ এবং ১৫০টিরও বেশি শল্য চিকিৎসার সরঞ্জাম কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া প্রায় ৭৫-৮০ লক্ষ রোগী অমৃত স্টোর্সগুলি থেকে ৫০ শতাংশ কম দামে ওষুধ পেয়েছেন। আজ স্টেন্ট এবং হাঁটু প্রতিস্থাপনের খরচ কমানোর ফলে দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। জিএসটি চালু হওয়ার ফলেও অনেক ওষুধের দাম কমেছে। দেশের প্রায় প্রত্যেক জেলায় ডায়ালিসিস কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে গরিবদের বিনামূল্যে ডায়ালিসিসের পরিষেবা দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইতিমধ্যে আড়াই লক্ষ রোগী লাভবান হয়েছেন। আগে গরিবদের বিনামূল্যে ডায়ালিসিসের জন্য ১০০-২০০ কিলোমিটার দূরে যেতে হ’ত। এখন আর এত দূর যেতে হয় না। ফলে, ডায়ালিসিসের প্রত্যেক সেশনে তাঁদের প্রায় ১,৫০০-২,০০০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিনামূল্যে ২৫ লক্ষ ডায়ালিসিস সেশন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, প্রতিরোধক স্বাস্থ্য পরিষেবায় যোগ এক নতুন পরিচয় নিয়ে জনমনে ভাস্বর হয়ে উঠেছে। আগে যোগীদের নিয়ে বিদ্রুপ করা হ’ত। কিন্তু আজ গোটা বিশ্বে যোগের সম্মান বৃদ্ধি হয়েছে। আমি একথা বলব না যে, যোগ কোনও ভোগীকে যোগী বানিয়ে দেবে। কিন্তু এটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, যোগ ভোগীকেও রোগী হতে দেবে না। আজ যোগ গোটা পৃথিবীতে গণআন্দোলনে পরিণত হয়েছে। কিছুদিন আগেই আমরা দেখেছি, কিভাবে গোটা বিশ্ব ২১ জুন তারিখে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করেছে। আর আমাকে বলা হয়েছে যে, এই এইম্‌স হাসপাতালগুলিতেও যোগ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সমস্ত চিকিৎসক বন্ধুরাও এখন যোগাসন করেছেন। আমি খুশি হয়েছি। বন্ধুগণ, এই সরকারের লক্ষ্য হ’ল দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু আপনাদের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব নয়। আজ যখন দেশ নতুন ভারতের সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তখন স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষদেরও নতুন সংকল্প স্থির করতে হবে। ২০২২ সালে যখন স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হবে, আমি একজন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে সংকল্প গ্রহণ করছি যে, ২০২২ সালের আগে নিজের দায়িত্বের বাইরে গিয়ে এমন কিছু করব, যাতে দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিবেশ বদলে যায়। সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে যক্ষ্মা মুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যক্ষ্মা রোগীদের পুষ্টির প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে প্রতি মাসে তাঁদেরকে ৫০০ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে। বন্ধুগণ, ২০৩০ সালকে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলি যক্ষ্মা মুক্তির জন্য কাজ করছে। আমরা এই কাজ ২০২৫ সালের মধ্যেই সম্পন্ন করার কথা ঘোষণা করেছি। সারা পৃথিবী আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে যে আমরা কেমন করে এটা করব! আমার দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওপর আস্থা আছে। তাঁদের সামর্থ্যকে আমি বিশ্বাস করি। সেজন্য এত সহজেই আমি এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। তেমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হ’ল মা ও শিশুর মৃত্যু হার রোধ করা। আমি আগেই বলেছি যে, ভারত বিগত চার বছরে এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। কিন্তু মা ও শিশুর মৃত্যুর হারকে আরও কমিয়ে আনতে আমাদের প্রত্যেককে আরও সচেষ্ট হতে হবে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষিত মাতৃত্ব অভিযান, প্রধানমন্ত্রী মাতৃত্ব বন্দনা যোজনা এবং রাষ্ট্রীয় পোষণ অভিযান প্রকল্পগুলি মিশন মোড-এ কাজ করছে। একে আমরা গণআন্দোলনে পরিণত করতে চাই। বন্ধুগণ, আজ দেশে এমন একটি দুর্নীতি বিরোধী আবহ গড়ে উঠেছে যে, অধিকাংশ মানুষ সৎভাবে রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য নিজেদের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসছেন। প্রত্যেকের এমন মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে যে, কর আমরা দিই তার প্রতিটি পয়সা যেন দেশের কল্যাণে খরচ হয়। এই বিশ্বাসের পরিণাম আমরা সমাজের প্রতিটি স্তরে দেখতে পাচ্ছি। আপনাদের হয়তো মনে আছে যে, আমরা সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই প্রথম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার প্রাকার থেকে আমি সম্পন্ন মানুষদের রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমার সেই সামান্য আহ্বানে দেশের ২৫ কোটি পরিবার রান্��ার গ্যাসে ভর্তুকি ত্যাগ করেছে। অবিশ্বাস্য ব্যাপার! এদেশে কেউ কিছু ছাড়তে পারেন – এটাই অনেকে ভাবতে পারেন না। এটাই দেশের শক্তি। একই রকমভাবে আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে, বিগত ৮-৯ মাসে ৪২ লক্ষ প্রবীণ নাগরিক রেলযাত্রায় তাঁদের জন্য যে ভর্তুকি দেওয়া হয়, সেই সুবিধা গ্রহণ করেননি। সেজন্য তাঁরা কোনও ঢাকঢোল পেটাননি, কোথাও আবেদনও করেননি। আমিও এ ব্যাপারে আগে কখনও বলিনি। শুধু একটি ফর্মে লেখা ছিল – আমার দেশের প্রবীণ নাগরিকরা নীরবে সেই ফর্ম ভরে রেলযাত্রায় ভর্তুকি ত্যাগ করেছেন। এটা কম কথা নয়। এ থেকেই প্রমাণ হয় যে দেশে কেমন আবহ গড়ে উঠেছে! তেমনই আমি একবার দেশের চিকিৎসকদের অনুরোধ করেছিলাম যে, প্রত্যেক মাসের ৯ তারিখে কোনও গর্ভবতী মা যদি আপনার কাছে আসেন, তা হলে তাঁকে বিনা পয়সায় চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিন। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলছি যে, দেশের হাজার হাজার চিকিৎসক আমার এই আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁদের চেম্বারের সামনে বোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছেন, সেখানে বড় বড় করে লিখে দিয়েছেন – প্রত্যেক মাসের ৯ তারিখ এখানে বিনামূল্যে গর্ভবতী মহিলাদের চিকিৎসা করা হয়। ইতিমধ্যেই অসংখ্য বোন এর দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। আমি চাই, যাঁরা এরকম পরিষেবা শুরু করেননি, সেই চিকিৎসক বন্ধুরাও এগিয়ে আসুন। প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষিত মাতৃত্ব অভিযানের মাধ্যমে ইতিমধ্যে দেশে ১ কোটি ২৫ লক্ষ গর্ভবতী মহিলাদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এই অভিযানে অংশগ্রহণের জন্য আমি চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি চাই যে, এই অভিযানকে আপনাদের সেবার মনোভাব একটি নতুন রাষ্ট্রীয় স্বরাজ অভিযান গড়ে তুলুক। আমরাও একটা কর্মসূচি চালু করেছি। এগুলির কথা ইলেকট্রনিক মিডিয়া দেখায় না, খবরের কাগজও ছাপে না। আমরা ১৭ হাজার গ্রামকে বেছে নিয়ে গ্রাম স্বরাজ অভিযান শুরু করেছি। এর মধ্যে ৭টি বিষয়ে আমরা ১০০ ভাগ করতে চেয়েছি। এর একটি হ’ল টিকাকরণ। আপনারা শুনলে খুশি হবেন যে, আমরা ইতিমধ্যেই ঐ ১৭ হাজার গ্রামে সাফল্যের সঙ্গে ১০০ শতাংশ টিকাকরণ সম্পন্ন করেছি। এখন আমরা ঠিক করেছি যে, গত বছর ১৫ আগস্ট পর্যন্ত যে ১১৫টি জেলাকে উচ্চাভিলাষী জেলা ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলি যেহেতু রাজ্যের গড় উন্নয়নের মাপকাঠি থেকে পিছিয়ে, আমরা সেগুলির উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। সেই ১১৫টি জেলার ৪৫ হাজার গ্রামেই দেশের ৪০ শতাংশ গ্রামীণ মানুষ থাকেন। এখন সেই জেলাগুলিতে এমনই ৭টি বিষয় বেছে নিয়েছি, যা ১০০ শতাংশ পূর্ণ করতে হবে। তার মধ্যেও একটি হ’ল টিকাকরণ। অর্থাৎ স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা সারা দেশে যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ করছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আপনাদের এই উদ্যোগের ফলেই দেশে টিকাকরণ বৃদ্ধির গতি ৬ শতাংশে পৌঁছে গেছে। ৬ শতাংশ শুনলে খুব একটা কিছু মনে হয় না। কিন্তু দেশে ২০১৪ সালের আগে এই বৃদ্ধির হার ১ শতাংশ-ও ছিল না। আপনাদের দৃঢ় সংকল্প ও ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ করার তাগিদ দেশকে সম্পূর্ণ টিকাকরণের লক্ষ্য পূরণের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই সাফল্য দেশে ১০০ শতাংশ সুস্থ পরিবার গড়ে তুলতে বড় ভূমিকা পালন করবে। বন্ধুগণ, সুস্থ পরিবারই সুস্থ সমাজ গড়ে তোলে আর একটি সুস্থ সমাজই সুস্থ দেশ গড়ে তুলতে পারে। আমাদের সকলের কাঁধে, বিশেষ করে, আপনাদের ওপর দেশের স্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে। সেজন্য রাষ্ট্রপতি মহোদয়ও আপনাদের রাষ্ট্র নির্মাণের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বলে আখ্যা দিয়েছেন। আসুন, সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ‘সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ সর্বে সন্তু নিরাময়াঃ সর্বে ভদ্রানি পশ্যন্তু। মা কশ্চিত দুঃখ ভাগ্‌ভবেৎ’।। এমন নিরাময় দেশ গড়ে তোলার সংকল্প নতুন ভারতে সিদ্ধ করতে আপনারা এগিয়ে আসুন। আজ এখানে দিল্লি তথা দেশবাসীর জন্য যে সমস্ত পরিষেবা চালু হ’ল কিম্বা যে প্রকল্পগুলির শিলান্যাস হ’ল, তার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই কাজগুলি সম্পূর্ণ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। কারণ, আমাদের সরকারের মূল নীতি হ’ল যে কাজে আমরা হাত দেব – তা যেন সম্পূর্ণ করতে পারি। আমাদের দেশে সংসদে রেল বাজেট এবং অন্যান্য বাজেটে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হ’ত, সেগুলি যথাসময়ে পালন না করে সংসদের পবিত্রতাকে সঙ্কটের মধ্যে ফেলে দেওয়া হচ্ছিল। এ রকম প্রায় ১,৫০০ প্রতিশ্রুতি পালন অসম্পূর্ণ ছিল। এর সিংহভাগই রেলের ৩০-৫০ বছরের প্রতিশ্রুতি ছিল। আমরা সেই পথে হাঁটতে চাই না। আমরা পরিবর্তনের সংকল্প নিয়ে এসেছি। সকলের সাহায্য প্রার্থনা করতে এসেছি। আপনাদের সহযোগিতায় আমরা দেশের আশা-আকাঙ্খা পূর্ণ করার সংকল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমার প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা এই সহযোগিতা অক্ষুণ্ণ রাখবেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ। …",এইমছত বিভিন্ন প্ৰকল্পৰ উ���্বোধনী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A3-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%85%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A6%A3-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%B2%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%95-2/,"নয়াদিল্লি, ০৮ জুলাই, ২০২২ নমস্কার, আজ আমার অত্যন্ত বেদনাদায়ক দিন। আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু শিনজো আবে আর নেই। তিনি শুধু আমারই বন্ধু নন, ভারতেরও বিশ্বস্ত বন্ধু। ভারতের উন্নয়নে আজকে যে গতি, তা সম্পন্ন হচ্ছে জাপানের সহায়তায়, তার জন্য শিনজো আবে আগামী দিনে ভারতের হৃদয়ে থাকবেন। আমি আরও একবার আমার বন্ধুর প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। বন্ধুগণ, আজকের অনুষ্ঠানটি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু অরুণ জেটলিজীর প্রতি নিবেদিত। আমি যখন অতীত চারণা করি, তাঁর অনেক কথা অনেক ঘটনা মনে পড়ে। তাঁর বাগ্মীতায় আমরা গভীরভাবে অভিভূত হতাম। তাঁর এক লাইনের মন্তব্যগুলি অনেকক্ষণ ধরে কানে বাজতো। তিনি বৈচিত্র্যে পূর্ণ ছিলেন। স্বভাবও ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ তাঁর বন্ধু ছিলেন। এটা অরুণের বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের বৈশিষ্ট্য ছিল। আমি অরুণ জেটলীজীর প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি। বন্ধুগণ, অরুণজীর স্মরণে বক্তৃতার বিষয় হ’ল – ‘গ্রোথ থ্রু ইনক্লুসিভিটি, ইনক্লুসিভিটি থ্রু গ্রোথ’, যা সরকারের উন্নয়ন নীতির মূল মন্ত্র। আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ থার্মান (সন্মুখরত্নম)জীর প্রতি আমাদের আমন্ত্রণ গ্রহণ করার জন্য। আমি তাঁর কথা অনেকবার শুনেছি। আমি সবসময় তাঁকে অনুসরণ করি। শুধু ভারতেই নয়, তিনি যখন বিশ্বের অন্য দেশেও যান, তিনি প্রচুর গবেষণা করেন এবং তাঁর শিক্ষা বিষয়ক ভাবনা-চিন্তায় একটা স্থানীয় স্পর্শ থাকে। তিনি যেভাবে আজ বিশ্বের পরিস্থিতি এবং তার সঙ্গে আমাদের দেশের শিশুদের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করলেন, তাতে তাঁর দর্শনের সাক্ষী থাকলাম আমরা। বন্ধুগণ, আজকের আলোচ্য বিষয়টি নিয়ে যদি সহজ ভাষায় বলতে হয়, তা হলে বলব এটা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। তবে, এর সঙ্গে আজকের নীতি-প্রণেতাদের সামনে যে সমস্যা ও দ্বিধা আছে, সেটিও এই বিষয়ের সঙ্গে সংযুক্ত। আমি আপনাদের একটা প্রশ্ন করতে চাই। সবাইকে না সঙ্গে নিয়ে উন্নয়ন কি সম্ভব? আপনি নিজেকে একবার জিজ্ঞেস করুন তো! আমরা কি উন্নয়ন ছাড়া সবাইকে সঙ্গে নেওয়ার কথাও ভাবতে পারি? সরকারের প্রধান হিসাবে ২০ বছরেরও বেশি কাজ করার আমার সু��োগ হয়েছে। আমার অভিজ্ঞতা যদি ছোট করে বলতে হয়, তা হ’ল – সবাইকে সামিল না করলে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয় এবং সবাইকে সামিল করার লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়, উন্নয়ন ছাড়া। সেজন্য আমরা অন্তর্ভুক্তিকরণের মাধ্যমে উন্নয়নের পথ নিয়েছি, প্রত্যেককে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছি। গত ৮ বছরে যে গতিতে ভারত কাজ করছে, তা আপনি সারা বিশ্বে দ্বিতীয় উদাহরণ খুঁজে পাবেন না। গত ৮ বছরের ৯ কোটিরও বেশি মহিলাকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সংযোগ দিয়েছে ভারত। এই সংখ্যা দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর ও নিউজিল্যান্ডের মিলিত জনসংখ্যারও বেশি। থার্মানজী খুব আন্তরিকভাবে এই সাফল্যের কথা ত্যুলে ধরেছেন। ভারত গত ৮ বছরে ৪৫ কোটিরও বেশি জন ধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছে। তাও জাপান, জার্মানী, ব্রিটেন, ইতালি এবং মেক্সিকোর মিলিত জনসংখ্যার প্রায় সমান। গত ৮ বছরে ভারত গরীব মানুষকে ৩ কোটি পাকা বাড়ি দিয়েছে। আমি একবার সিঙ্গাপুরের মন্ত্রী এস ঈশ্বরণকে একথা জানাতে তিনি বলেছিলেন, এটা প্রতি মাসে একটা করে নতুন সিঙ্গাপুর গড়ার সমান। আমি ‘গ্রোথ থ্রু ইনক্লুসিভিটি, ইনক্লুসিভিটি থ্রু গ্রোথ’-এর আরেকটি উদাহরণ দিতে চাই। থার্মানজী যখন বলছিলেন, কয়েক বছর আগে আমরা ভারতে আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচি শুরু করি। তিনি বললেন, অদূর ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্র অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়াবে। এই কর্মসূচির আওতায় ৫০ কোটিরও বেশি দরিদ্র মানুষ ভারতের যে কোনও জায়গায় সেরা হাসপাতালে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পেতে পারেন। গত চার বছরে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়েছেন। এই কর্মসূচিতে আমরা অন্তর্ভুক্তিকরণের উপর নজর দিয়েছি। সমাজের শেষ প্রান্তে থাকা দরিদ্রতম মানুষটিকেও সেরা চিকিৎসার সুবিধা দিতে হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেখেছি, অন্তর্ভুক্তিকরণের মাধ্যমেও উন্নয়ন ঘটে। যাঁরা আগে ছিলেন মূলস্রোতের বাইরে, তাঁরাও এখন সামিল হয়েছেন। এর ফলে, চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি, উন্নয়নের সুযোগও বেড়েছে। ভালো স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে এ যাবৎ বঞ্চিত দেশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ, যখন চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন, তখন তার সরাসরি প্রভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থাও শক্তিশালী হচ্ছে। ২০১৪ সালের আগে ১০ বছরে গড়ে প্রায় ৫০টি মেডিকেল কলেজ তৈরি হ’ত। গত ৭-৮ বছরে প্রায় চার গুণ ২০৯টি নতুন মেডিকেল কলেজ তৈরি হয়েছে ভারতে। আর আমি যদি আগামী ১০ বছরের কথা বলি, তা হলে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৪০০। গত ৭-৮ বছরে ভারতে স্নাতক স্তরে মেডিকেল আসন সংখ্যা বেড়েছে ৭৫ শতাংশ। বছরে বর্তমানে আসন সংখ্যা বাড়ছে দ্বিগুণ হারে। ভারতের ডিজিটাল ইন্ডিয়া অভিযান ইন্টারনেটকে গ্রামের দরিদ্রতম মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে। ভীম, ইউপিআই অ্যাপ গরীব মানুষকে ডিজিটাল পেমেন্টের সুযোগ এনে দিয়েছে। শহরের হকাররা স্বনিধি কর্মসূচির মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রত্যাশী জেলা কর্মসূচিও আরও একটি উদ্যোগ, যেখানে ১০০টিরও বেশি জেলার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নীত হচ্ছে। বন্ধুগণ, এই কর্মসূচির ইতিবাচক প্রভাব এতই যে, ১০০টি জেলায় উন্নয়নের বিশ্বে সামিল করা হয়েছে। ভারতের জাতীয় শিক্ষা নীতিও আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এতদিন ইংরাজী না জানার ফলে যাঁকে পিছিয়ে পড়তে হ’ত, তিনিও এখন মাতৃ ভাষায় পড়াশোনা করে এগোবার সুযোগ পাবেন। উড়ান কর্মসূচি দেশের অনেকগুলি এয়ারস্ট্রিপকে পুনরুদ্ধার করেছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর শহরেও নতুন বিমানবন্দর হচ্ছে। আকাশপথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলকে সংযুক্ত করা হয়েছে। এমনকি, দরিদ্র মানুষও বিমান চড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এর ফলে, অন্তর্ভুক্তিকরণ ও বৃদ্ধি দুটিই ঘটছে। বিমান পরিষেবা এতই বেড়েছে যে, ১ হাজারটিরও বেশি নতুন বিমানের বরাত দেওয়া হয়েছে। জল জীবন মিশনে প্রতিটি বাড়িতে নলবাহিত জল সরবরাহ করা হচ্ছে। আমি এটা নিয়ে কাজ করেছি গুজরাটে। এতে শুধু কল থেকে জল পাওয়া যাচ্ছে তাই নয়, সময় বাঁচছে, মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হয়েছে। এতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও সুপ্রভাব পড়েছে। মাত্র ৩ বছরে ৬ কোটিরও বেশি বাড়িতে জল সংযোগ দেওয়া হয়েছে। মোটামুটি ভারতে ২৫-২৭ কোটি বাড়ি আছে। এর মধ্যে জল দেওয়া হচ্ছে ৬ কোটি বাড়িতে। এতে দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাপন সহজ হয়েছে এবং তাঁরা এগিয়ে যেতে উৎসাহিত হচ্ছেন। আমি আরেকটি উদাহরণ দেবো। আপনারাও জানেন, রাষ্ট্রসংঘেও আমি অনেকবার আলোচনা হতে দেখেছি। সেটি হ’ল – সম্পত্তির অধিকার। দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন গরীব মানুষ। তাঁদের কোনও নথি থাকে না। আমার বিশ্বাস যে, বিশ্বের শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদরা ভারতের স্বামিত্ব যোজনা নিয়ে গবেষণা করবেন। এখনও পর্যন্ত ড্রোনের সাহা��্যে দেশের দেড় লক্ষ গ্রামের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ৩৭ হাজার বর্গকিলোমিটার জমির মানচিত্র তৈরি করে প্রপার্টি কার্ড তৈরি করা হয়েছে ৮০ লক্ষেরও বেশি মানুষের জন্য। এর ফলে, গ্রামের মানুষের ব্যাঙ্ক ঋণ পাওয়া সহজ হবে। জমি সংক্রান্ত আইনি বিবাদ কমে যাবে। বন্ধুগণ, বর্তমানে ভারত আগামী ২৫ বছরে পথ-নির্দেশ তৈরি করছে। স্বাধীনতার ১০০ বছর যখন পূর্ণ হবে, সেই সময়ের দেশকে লক্ষ্য রেখে এই পথ-নির্দেশিকা তৈরি হচ্ছে। আগে সংস্কার ছিল বাধ্যতামূলক। এখন সেটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। অরুণজী আজ যেখানেই থাকুন না কেন, তিনি খুশি হবেন যে, তিনি এক সময় যে কাজের অংশ ছিলেন, সেই কাজ থেকে দেশ আজ উপকৃত হচ্ছে। জিএসটি অথবা আইবিসি নিয়ে বছরের পর বছর আলোচনা হয়েছে। এখন তার সুফল আমাদের সামনে। বন্ধুগণ, আমাদের নীতির ভিত্তি মানুষের নারীস্পন্দন। মানুষের চাহিদা ও প্রত্যাশার কথা আমরা শুনি। জনপ্রিয়তার স্বার্থে আমাদের নীতি তৈরী হয় না। কোভিডের সময় ভারত সারা বিশ্বকে দেখিয়েছে, মানুষের কথা ভেবে নেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং জনপ্রিয় হওয়ার স্বার্থে নেওয়া সিদ্ধান্তের মধ্যে কি তফাৎ। অতিমারীর সময় চাহিদা-নির্ভর অর্থনীতির জন্য বেল আউট প্যাকেজ ছিল একমাত্রা উপায় সারা বিশ্বে। আমরাও চাপে ছিলাম। সমালোচনাও হচ্ছিল, করছিলাম না বলে। কিন্তু আমরা চাপের কাছে নতিস্বীকার করিনি। আমরা গরীব মানুষকে নিরাপত্তা দিয়েছি। মহিলা, কৃষক এবং এমএসএমই-র উপর নজর দিয়েছি। ধৈর্য্যের সঙ্গে শান্তভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি। বন্ধুগণ, আমি প্রায়শই বলে থাকি, ‘ন্যূনতম সরকার এবং অধিকতম প্রশাসন’ সম্পর্কে। আমাদের সরকার এমন ১ হাজার ৫০০ আইন বাতিল করেছে, যেগুলি মানুষের জীবনে অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ করতো। আমার মনে আছে, ২০১৪’র নির্বাচনের জন্য যখন ২০১৩’য় আমাকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হয়, তখন দিল্লিতে একটি বাণিজ্য সংগঠন একটি অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তারা অনেক প্রশ্ন করেছিল, একটি বিশেষ আইন আমি করবো কি করবো না! আমি তাদের বলেছিলাম, আপনারা আইন চাইছেন কিন্তু আমি নতুন আইনের নিশ্চয়তা দিতে পারবো না। তবে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, আমি প্রতিদিনে একটি করে আইন বাতিল করবো। প্রথম ৫ বছরে আমি ১ হাজার ৫০০টি আইন বাতিল করেছি, যেগুলি জনসাধারণের মাথার উপর বোঝার মতো চেপেছিল। বন্ধুগণ, আপনারা জানলে খুশি হবেন যে, সরকার ৩০ হাজারেরও বেশি বিধি বাতিল করেছে। এগুলি থেকে ব্যবসা করার সুবিধা এবং ভালোভাবে জীবনযাপন করার সুবিধা ব্যাহত হত। এই বিধিগুলি বাতিল করার অর্থ মানুষের মধ্যে অভূতপূর্ব আস্থার পরিবেশ তৈরি করা। আমি লালকেল্লার ভাষণেও বলেছিলাম যে, আমি চাই যে, মানুষের জীবন থেকে যতটা সম্ভব সরকারকে দূরে রাখা। আজ আমি আপনাদের জানাতে পেরে খুশি যে, ন্যূনতম সরকারের পদক্ষেপে অধিকতম ফললাভ হচ্ছে। আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুত। এর ফল আজ আপনাদেরই সামনে। কোভিড টিকার কথাই ধরুন। আমাদের দেশে বেসরকারি সংস্থাগুলি দারুন কাজ করেছে। তবে, সরকারও তাদের সঙ্গে ছিল সর্বশক্তি দিয়ে। ভাইরাস চিহ্নিত করা থেকে দ্রুত ট্রায়াল, অর্থের যোগান থেকে টিকা প্রস্তুত – এই সব ক্ষেত্রেই টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি সরকারের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছে। আমাদের মকাকাশ পরিবেশ আরেকটি উদাহরণ। আজ ভারত সারা বিশ্বে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য, অত্যাধুনিক মহাকাশ পরিষেবা প্রদানকারী। এই ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলিও ভালো কাজ করছে। এক্ষেত্রেও সরকার পুরো শক্তি নিয়ে তাদের পেছনে দাঁড়িয়েছে। যখন আমরা ভারতের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার উদাহরণ দিই, আমাদের অত্যাধুনিক অতিসূক্ষ্ম প্রযুক্তির পাশাপাশি, বড় বড় সংস্থা আছে, যারা ডিজিটাল পেমেন্টের সঙ্গে যুক্ত। এখানেও তাঁদের পেছনে আছে জেএএম ট্রিনিটি রূপে ইউপিআই এবং সরকারের সহায়ক নীতির সমর্থন। এখন সময় এসেছে, বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিকে আরও উৎসাহ দেওয়া, যাতে তারা এই অগ্রগতিতে অংশীদার হয় এবং আমরা এই লক্ষ্যে এগিয়ে চলি। বন্ধুগণ, সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলায়, দেশের বেসরকারি ও সরকারি দুটির উপরই আস্থা রাখায় আজ অগ্রগতির ক্ষেত্রে ভারত চমকপ্রদ ফল প্রদর্শন করছে। এখন আমাদের রপ্তানী নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। পরিষেবা ক্ষেত্রে দ্রুত বৃদ্ধি হচ্ছে। উৎপাদন ক্ষেত্রে পিএলআই কর্মসূচির সুফল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। মোবাইল ফোন সহ সমগ্র ইলেক্ট্রনিক উৎপাদন ক্ষেত্রে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, করোনার সময় আমি যখন খেলনা নিয়ে শিখর সম্মেলন করি, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী কখনও ঝাঁটা নিয়ে, কখনও স্বচ্ছতা নিয়ে, কখনও শৌচাগার নিয়ে কথা বলেন, আর এখন তিনি খেলনা নিয়ে কথা বলছেন। আমার কথা তাঁরা ভালোভাবে নিতে পারেননি। আমি মন দিয়েছিলাম – খেলনা, নির্মাতা, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং আর্থিক দিকগুলি নিয়ে। দু’বছরও কাটেনি দেশবাসী গর্বিত হবেন যে, খেলনার আমদানী অনেক কমেছে। আপনারা পর্যটন নিয়ে বলেন। ভারতের পর্যটন সম্ভাবনা এতটাই বেশি, কিন্তু আমরা এক জায়গাতেই আটকে রয়েছি। আমরা বিশ্বের সামনে সম্পূর্ণ ভারতকে তুলে ধরার মানসিকতাই হারিয়ে ফেলেছি। আমি আমার বিদেশি অতিথিদের সবসময় বলি, ভারতের কিছু কিছু জায়গায় ঘুরে আসার জন্য। এ বছর আমরা ৭৫টি বিশেষ জায়গায় যোগার আয়োজন করেছিলাম, যাতে মানুষ আমাদের পর্যটন-স্থানগুলিকে জানতে পারেন। বন্ধুগণ, আমাদের ডিজিটাল অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজিটাল পরিকাঠামো ও অন্য পরিকাঠামোয় রেকর্ড পরিমাণ লগ্নী হচ্ছে। উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি ক্ষেত্রই আজ পুরো দমে দৌড়চ্ছে। বন্ধুগণ, ‘স্বাধীনতার অমৃতকাল’ ভারতের সামনে নতুন নতুন অগণিত সুযোগ নিয়ে আসছে। আমাদের সিদ্ধান্ত দৃঢ় এবং আমাদের উদ্দেশ্য লক্ষ্যচ্যুত হওয়ার নয়। আমি নিশ্চিত, আমরা আমাদের সংকল্প পূরণ করবো এবং একবিংশ শতাব্দীতে ভারতকে পৌঁছে দেব তার উদ্দীষ্ট উচ্চতায়। থার্মানজী যেমন কিছু সমস্যা নিয়ে বলছিলেন। আমি তাঁর সঙ্গে সহমত যে কিছু সমস্যা তো আছেই। কিন্তু, যেখানে সমস্যা আছে, সেখানে ১৩০ কোটি সমাধানও আছে। এটা আমার বিশ্বাস যে, চ্যালেঞ্জকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েই আমাদের এগোনোর সংকল্প নিতে হবে। সেজন্য আমরা অন্তর্ভুক্তিকরণের পথ নিয়েছি এবং আমাদের উদ্দেশ্য সেই পথ দিয়ে আমাদের উন্নয়নকে চালনা করা। অরুণজীকে আরও একবার স্মরণ করে আমি আমার ভাষণ শেষ করছি। বিশেষ ধন্যবাদ জানাই থার্মানজীকে। আপনাদের সকলকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ। ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দিতে ছিল",প্ৰথম ‘অৰুণ জেটলী স্মাৰক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ পাঠ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A4-%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%95-%E0%A6%AA/,"নয়াদিল্লি, ০২ নভেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী শ্রীমতী এলাবেন ভাট-এর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন। মহিলাদের ক্ষমতায়ন সমাজসেবা এবং যুবকদের শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন; “ઇલાબેન ભટ્ટના અવસાનથી દુઃખ થયું. મહિલા સશક્તિકરણ, સમાજ સેવા અને યુ��ાનોમાં શિક્ષણને આગળ વધારવા માટેના પ્રયાસો માટે તેઓને દીર્ઘકાળ સુધી યાદ રાખવામાં આવશે. તેમના પરિવારજનો તથા પ્રશંસકો પ્રત્યે સંવેદના. ૐ શાંતિ…॥“",ইলাবেন ভাটৰ মৃত্যুত শোক প্ৰকাশ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%A8-%E0%A7%A8/,"এখনরাত ৮টা, দেশের উন্নতির জন্য আয়োজিত এত বড় কর্মযজ্ঞে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল সংখ্যায়সমাগত নবীন প্রজন্মের ভাই ও বোনেরা। আপনাদের এই উপস্থিতি প্রমাণ করে যে দেশেপরিবর্তন আসছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমিদেশের ভিন্ন ভিন্ন কেন্দ্র থেকে আগত নবীন বন্ধুদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। ‘স্মার্টইন্ডিয়া হ্যাকাথন’ আয়োজনের জন্য মানবসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভড়েকরজিএবং তাঁর পুরো টিমকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাই। ‘স্মার্টইন্ডিয়া’র ‘স্মার্ট ইনোভেটর্স’দের মধ্যে এসে আমি খুব আনন্দ অনুভব করছি। প্রযুক্তিরমাধ্যমে যাঁরা ভিন্ন ভিন্ন সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করছেন, আপনারা সবাই যেপ্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিগতকয়েক ঘন্টা ধরে আপনারা সবাই একটি যে ঐকান্তিকতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, আমার সামনেরস্ক্রিনে দেখেতে পাচ্ছি আপনাদের উৎসাহ, উদ্দীপনা, মনে হচ্ছে যে আপনাদের কোনপরিশ্রমই হচ্ছে না, আপনারা বিন্দুমাত্র বিরক্তও হচ্ছেন না, আপনাদের দেখে আমারক্লান্তি দূর হয়ে যাচ্ছে। আজকের প্রজন্ম যখন রাষ্ট্র গঠনের জন্য এভাবে ঝাঁপিয়েপড়ে, তখন ‘নতুন ভারতে’র ইচ্ছা ও সঙ্কল্প আরও শক্তিশালী হয়ে পড়ে। বন্ধুগণ,আমি গতবারও ‘স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন’-এ এসেছিলাম। যখন আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যেআপনি আবার যাবেন? তখন আমি বললাম – কেন না? আমি অবশ্যই এই নবীন আবিষ্কারকদের সঙ্গেদেখা করতে চাই। তাঁদের কথা শুনতে চাই, তাঁদের থেকে কিছু শেখার চেষ্টা করতে চাই। কেউযদি ভাবেন যে তিনি সর্বজ্ঞানী, তিনি সবকিছু জানেন, তাহলে আমি মনে করি জীবনে তারথেকে বড় ভুল আর কিছু হতে পারে না। কোন সরকার যদি এরকম ভাবে আর নিজের অহং নিয়ে বসেথাকে যে সব কাজ সরকারই করবে, তাহলে আমি মনে করি এটা সবচাইতে বড় ভুল হবে। সেজন্য,আমি সবচাইতে বেশি জোর দিই অংশগ্রহণে এবং অংশগ্রহণমূলক প্রশাসনে। বিশ্বেরযে কোন প্রতিস্পর্ধা এ দেশে�� ১২৫ কোটি মানুষের ইচ্ছাশক্তি এবং শ্রমশক্তির সামনে বড়কিছু নয়। যেখানে জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের নিচে, কর্মক্ষম জনসংখ্যার এইপ্রাচুর্য যে দেশের রয়েছে, সে দেশ যদি সঙ্কল্প গ্রহণ করে, তাহলে কোন লক্ষ্যসাধনইঅসম্ভব নয়। আমিবিশেষভাবে নবীন প্রজন্মের কথা বলব যাঁদের উৎসাহ, উদ্দীপনা এবং আকাঙ্ক্ষায় নতুনভারতকে দেখতে পাই, তাঁরা ভরসাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেন। হ্যাঁ, আমরা একবিংশ শতাব্দীতেভারতকে সেই যোগ্য স্থানে অবশ্যই পৌঁছে দেব। সেজন্যইআমি নবীন পেশাদার বন্ধুদের, নবীন সিইও-দের, নবীন বিজ্ঞানী এবং প্রশাসকদের সঙ্গেসাক্ষাতের কোন সুযোগ হারাতে চাই না। আপনাদের এই উৎসাহ, এই প্রাণশক্তিই ‘নতুন ভারত’কেসাকার করে তুলতে সবচাইতে বড় নিয়ন্ত্রক শক্তি। কিন্তুপ্রশ্ন উঠতে পারে, এই নতুন ভারতে রূপান্তরণ কি সীমিত প্রয়াসের দ্বারা সম্ভব হতেপারে?এর উত্তর হল, না! এর জন্যে প্রয়োজন হল, সমস্যাগুলির শিকড় পর্যন্ত গিয়ে সমাধানেরজন্যে প্রথাগত উপায়ের বাইরে নতুন নতুন পদ্ধতি, নতুন নতুন পথ খোঁজা। আমাদেরসরকারের এই প্রচেষ্টাই আমাদের ‘স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন ইনিশিয়েটিভ’ পর্যন্তপৌঁছে দিয়েছে। আমাকেবলা হয়েছে যে গতবারের হ্যাকাথনে যে প্রায় ৬০টি কর্মসূচী চূড়ান্ত হয়েছে, তার মধ্যেঅর্ধেক সমাপ্ত হওয়ার পথে, আর বাকিগুলি আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে। আমিঅত্যন্ত আনন্দিত যে গত বছর এখানে ৪০ হাজারেরও বেশি যুবক-যুবতী অংশগ্রহণ করেছিলেন।এ বছর সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১ লক্ষ ছাপিয়ে গেছে। এ বছর কেন্দ্রীয় সরকারের ২৭টিমন্ত্রকের সঙ্গে রাজ্য সরকারগুলিও এই হ্যাকাথনে অংশগ্রহণ করছে। আমাকে বলা হয়েছে যেহ্যাকাথনে সফ্‌টওয়্যার এডিশনের পাশাপাশি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে হার্ডওয়্যারএডিশনও যুক্ত করা হবে। এইপ্রচেষ্টার জন্য আমি সমস্ত নবীন বন্ধু এবং বিভিন্ন মন্ত্রক ও রাজ্য সরকারগুলিকেঅনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আমাকে বলা হয়েছে যে এবার আপনারা বন্যা ব্যবস্থাপনা এবংদাবানলের মতো কয়েকটি বড় সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করবেন। আমার বিশ্বাস যে প্রযুক্তিরমাধ্যমে রূপান্তরণের যে পথে আমরা এগিয়ে চলেছি তা আমাদের অবশ্যই এই লক্ষ্যসাধনেপৌঁছে দেবে। বন্ধুগণ,এখন আমর এমন যুগে রয়েছি যখন জ্ঞানই শক্তি, আবিষ্কারই উন্নয়নের নিয়ন্ত্রক। সেইজ্ঞানকে ছড়িয়ে দিতে আমাদের যতটা উদ্ভাবনী ক্ষমতা দেখাব, দেশের উন্নত��ও ততটাই দ্রুতহবে। আমরাযখন উদ্ভাবনের কথা বলি তখন এটা নিছকই একটি শব্দ নয়। উদ্ভাবন একটি অনুষ্ঠানও যেকিছু প্রতিযোগিতার আয়োজন হল, তার ফল বেরোল, পুরস্কার দেওয়া হল আর উদযাপনের পর সবাইখুশি হয়ে নিজের নিজের ঘরে চলে গেল। উদ্ভাবন এমন একটি প্রক্রিয়া যা নিরন্তর চলতেথাকে। আপনারা যখন কোন সমস্যাকে বুঝতে পারবেন, কিছু প্রশ্ন করবেন, নতুন নতুন ভাবনারমাধ্যমে তার সমাধান করার চেষ্টা করবেন, আর সেই ভাবনাগুলিকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টাকরবেন, তখনই আপনারা কিছু আবিষ্কার করতে পারবেন। সেজন্যইআমি বলি, ‘আই ট্রিপ্‌ল পি’ ( /…",স্মাৰ্ট ইণ্ডিয়া হেকাথন-২০১৮ৰ গ্ৰেণ্ড ফাইনেলত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে দিয়া ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A7%81/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF-%E0%A6%98%E0%A6%9F/,"নয়াদিল্লী, ৬ জুন, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তামিলনাডু়র কুড্ডালোরে জলে ডুবে যুবাদের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে এক ট্যুইট বার্তায় বলা হয়েছে ; “তামিলনাডু়র কুড্ডালোরে জলে ডুবে যুবাদের মৃত্যুর ঘটনায় আমি শোকাহত। এই দুঃখের সময় শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা : প্রধানমন্ত্রী।”",তামিল নাডুত সলিল সমাধি ঘটা যুৱকৰ মৃত্যুত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শো +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4/,"ভারত ও তিউনিশিয়ার মধ্যে বিচারক্ষেত্রে সহযোগিতারলক্ষ্যে সমঝোতাপত্র স্বা ক্ষরের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বুধবার অনুমোদন হয়েছে। সাম্প্রতিককালে ভারত ও তিউনিশিয়ার মধ্যেসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ইতিবাচক লক্ষ্যে এগোচ্ছে। বিচারক্ষেত্রেসহযোগিতার জন্য চুক্তিস্বাক্ষর দু-দেশের সুসম্পর্ক বাড়িয়ে তুলবে এবংবিচারসংক্রান্ত সংস্কারের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে।",ভাৰত আৰু টিউনিছিয়াৰ মাজত ন্যায়িক ক্ষেত্ৰত সহযোগিতাৰ লক্ষ্যৰে বুজাবুজি চুক্তি স্বাক্ষৰত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9C/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A7%B0-2/,"নতুন দিল্লি, ১৮ আগস্ট, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা উত্তর পূর্বাঞ্চল এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ওপর বিশেষ নজর দিয়ে কেন্দ্রীয় আর্থিক সাহায্যের প্রকল্প হিসেবে ভোজ্য তেল – পাম তেলের ওপর জাতীয় মিশন (এনএমইও-ওপি) হিসেবে পরিচিত একটি নতুন মিশন চালু করার অনুমোদন দিয়েছে। ভোজ্য তেলের জন্য আমদানির ওপর অধিক নির্ভরতা হ্রাসে, ভোজ্য তেলের দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও পাম তেলের উৎপাদনের পরিধি বিস্তারে এই মিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই প্রকল্পের জন্য ১১ হাজার ৪০ কোটি টাকার আর্থিক বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দেবে। ২ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা রাজ্য দেবে। এই প্রকল্পের আওতায় ২০২৫ – ২৬ সাল পর্যন্ত পাম তেল উৎপাদনের জন্য অতিরিক্ত ৬.৫ লক্ষ হেক্টর জমিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ১০ লক্ষ হেক্টর জমি পাম তেলের উৎপাদনের আওতায় আসবে। আশা করা যাচ্ছে, ২০২৫ – ২৬ সালের মধ্যে ১১.২০ লক্ষ টন অপরিশোধিত পাম তেল উৎপাদন সম্ভব হবে এবং ২০২৯ – ৩০ সালের মধ্যে তা ২৮ লক্ষ টনে পৌঁছবে। এই প্রকল্পে পাম তেল চাষীরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। পাশাপাশি এই চাষে মূলধন বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, কর্ম সংস্থান সৃষ্টি হবে, আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করবে। ১৯৯১ – ৯২ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকার তৈল বীজ এবং পাম তেল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য একাধিক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৪ – ১৫ সালে যেখানে ২৭৫ লক্ষ টন তৈল বীজ উৎপাদন হতো, ২০২০ – ২১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৬৫.৬৫ লক্ষ টন হয়েছে। পাম তেল উৎপাদনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য গত বছর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অয়েল পাম্প রিসার্চ (আইআইওপিআর) প্রায় ২৮ লক্ষ হেক্টর জমিতে পাম তেল চাষের বিষয়ে একটি মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চালায়। তাই পাম তেলের উদ্যান ও পরবর্তীতে অপরিশোধিত পাম তেল উৎপাদনে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে মাত্র ৩.৭০ লক্ষ হেক্টর জমিতে পাম তেল চাষ করা হয়। অন্যান্য তৈল বীজ ফসলের তুলনায় প্রতি হেক্টরে ১০ থেকে ৪৬ গুণ বেশি পাম তেলের বীজ উৎপাদিত হয়। সুতরাং এই চাষের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। উপরোক্ত ���িষয়গুলিকে সামনে রেখে এবং বাস্তবে আজকের দিনে প্রায় ৯৮ শতাংশ অপরিশোধিত পাম তেল আমদানি করার প্রেক্ষিতে, দেশে এখন অপরিশোধিত পাম তেল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এই প্রকল্প চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত এই প্রকল্প বর্তমানে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা মিশন – পাম তেল কর্মসূচির আওতাভুক্ত থাকবে। এই প্রকল্পে দুটি প্রধান বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। পাম তেল চাষীরা তাজা বীজ গুচ্ছ (এফএফবি) উৎপাদন করবে, শিল্প সংস্থাগুলি সেখান থেকে তেল নিষ্কাশন করবে। বর্তমানে এই তাজা এফএফবি’র দাম আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত পাম তেলের দামের ওঠানামার সঙ্গে যুক্ত। এই প্রথমবার কেন্দ্রীয় সরকার এফএফবি’র জন্য পাম তেল চাষীদের ফসলের দামে সুনিশ্চয়তা প্রদান করবে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত পাম তেলের মূল্য ওঠানামা থেকে কৃষকদের রক্ষা করবে এবং তাদের ন্যায্য মূল্য প্রদানে সাহায্য করবে। পয়লা নভেম্বর থেকে পরের বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পাম তেল বর্ষ হিসেবে নির্ধারিত করা হবে। এই আশ্বাস ভারতীয় পাম তেল চাষীদের আরও বর্ধিত জমিতে পাম তেল চাষের ক্ষেত্রে আস্থা বাড়িয়ে তুলবে এবং অধিক পাম তেল উৎপাদন সম্ভব হবে। কৃষকরা যাতে ফসলের সমান ন্যায্য মূল্য পান তার জন্যও কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো পাম তেল চাষের জন্য আনুষাঙ্গিক সহায়তা বৃদ্ধি। পাম তেল চাষে বীজ বপণের সহায়তায় হেক্টর প্রতি ১২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৯ হাজার টাকা করা হয়েছে। এমনকি এই চাষে রক্ষাণাবেক্ষণের ক্ষেত্রেও সহয়তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুরনো পাম তেলের উদ্যান গুলিকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশে পাম তেল চাষের কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামের ঘাটতি দূর করতে সহায়তা দেওয়া হবে। দেশের অন্যান্য স্থানে ১৫ হেক্টর জমির জন্য ৮০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। তবে, উত্তরপূর্ব ও আন্দামান অঞ্চলে ১৫ হেক্টর জমির জন্য ১ কোটি টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এর ফলে পাম তেল চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং এই অঞ্চলে একাধিক শিল্প সংস্থাকে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করে তুলবে।",কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰীসভাই ৰাষ্ট্ৰীয় খাদ্য তেল মিছন-পাম অইলৰ ৰূপায়ণক মঞ্জুৰী দিয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%A7%E0%A7%A9-%E0%A6%85%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%A9-%E0%A6%85%E0%A6%95%E0%A7%8D-2/,"নয়াদিল্লি, ১২ অক্টোবর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৩ অক্টোবর হিমাচল প্রদেশের উনা সফর করবেন। প্রধানমন্ত্রী উনা হিমাচল রেল স্টেশন থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করবেন। এরপর এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী আইআইটি উনা জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন এবং উনা ওষুধ পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এরপর চম্বাতে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী দুটি জল বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন ও হিমাচল প্রদেশে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার সূচনা করবেন। আত্মনির্ভর ভারত গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী যে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন সেই লক্ষ্য পূরণে এগোচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্র ক্রমশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফার্মাসিউটিক্যাল ক্ষেত্র। এখানে আত্মনির্ভরতা আনতে প্রধানমন্ত্রী উনা জেলার হারোলিতে ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বৃহৎ ওষুধ পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এই পার্কটি ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে, পাশাপাশি এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ২০ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কাজকর্ম ত্বরান্বিত হবে। প্রধানমন্ত্রী উনাতে আইআইটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। ২০১৭ সালে তিনিই এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আম্ব আন্দৌরা থেকে নতুন দিল্লি পর্যন্ত নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রার সূচনা করবেন। এই ট্রেন চালু হলে এই অঞ্চলে পর্যটন বাড়বে এবং যাতায়াত সুবিধাজনক হবে। সাম্বাতে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর মধ্যে একটি ৪৮ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন চাঞ্জু-থ্রি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। অন্যটি হল ৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দেওথাল চাঞ্জু জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। শ্রী মোদী হিমাচল প্রদেশে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার তৃতীয় পর্বের সূচনা করবেন। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যে ৩ হাজার ১২৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ ও এর মানোন্নয়ন করা হবে।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ১৩ অক্টোবৰত হিমাচল প্ৰদেশৰ উনা আৰু চম্বা ভ্ৰমণ কৰিব +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%B9%E0%A6%B0-%E0%A6%98%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%B2-%E0%A6%B6%E0%A6%82%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A7%B0-%E0%A6%98/,"নয়াদিল্লি, ২২ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের মধ্যে প্রথম ‘হর ঘর জল’ জেলার শংসাপত্র প্রাপ্ত মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরের নাগরিকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখওয়াতের ট্যুইটের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্মরণীয় এই মাইলফলক অর্জনের জন্য আমার বুরহানপুরের ভাই ও বোনেদের অভিনন্দন। জনগণের যৌথ স্বতঃস্ফূর্ত অংশীদারিত্ব এবং জেজেএম দল ও মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহানজীর নেতৃত্বাধীন সরকারের সমন্বিত প্রয়াস ছাড়া এই লক্ষ্য পূরণ কখনই সম্ভব হ’ত না”।",দেশৰ ভিতৰতে প্ৰথমখন ‘হৰ ঘৰ জল’ প্ৰমাণিত জিলা হোৱাৰ বাবে মধ্যপ্ৰদেশৰ বুৰহানপুৰৰ নাগৰিক সকলক অভিনন্দন জ্ঞাপন কৰিছে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A6%A1%E0%A6%BC-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A7%A9/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%95/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে চন্ডীগড় আবাসন পর্ষদকে ৩৯৩০ জন প্রাপকের জন্য আবাসন নির্মাণে জমি বরাদ্দের প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সায় মিলেছে। তবে এই আবাসনগুলি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কর্মীদের জন্য নিজ অর্থে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হবে। উল্লেখ করা যেতে পারে চন্ডীগড় প্রশাসনের কর্মীদের জন্য নিজ অর্থে গৃহ নির্মাণ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প স্হানীয় প্রশাসন অনুমোদন করে। সেই অনুসারে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কর্মীদের জন্য ৩৯৩০টি আবাসন নির্মাণে ৭৩.৩ একর জমি সুনির্দিষ্ট করা হয়। এই ৭৩.৩ একর জমির মধ্যে ১১.৮ একর জমি ইতিমধ্যেই চন্ডীগড় আবাসন পর্ষদের আওতায় এসেছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, বাকি ৬১.৫ একর সরকারি জমি চন্ডীগড় আবাসন পর্ষদকে দেওয়া হবে। এই আবাসন নির্মাণ প্রকল্প রূপায়ণের জন্য নোডাল এজেন্সি হিসেবে চন্ডীগড় আবাসন পর্ষদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চন্ডীগড় প্রশাসনের কর্মীদের আবাসন নির্মাণের জন্য ৯৯ বছরের লিজের ভিত্তিতে ঐ জমি দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। এই প্রকল্প রূপায়িত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ব্যাপক কর্মসংস্হানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।",কেন্দ্ৰীয় শাসিত অঞ্চলৰ কৰ্মচাৰীৰ ���কলৰ বাবে স্ব-বিত্তায়ন গৃহ আঁচনিৰ অধীনত ৩৯৩০টা আবণ্টিত গৃহৰ বাবে এপাৰ্টমেণ্ট নিৰ্মাণ কৰিবলৈ চণ্ডীগড় গৃহ নিৰ্মাণ পৰিষদক ভূমি আবণ্টনত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভিন্নভাবে সক্ষমদের নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ভারত ও চিলির মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্রটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের ভিন্নভাবে সক্ষমদের ক্ষমতায়ন দপ্তর এবং চিলি সরকার সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সমঝোতাপত্রটিতে স্বাক্ষর করেছে। এর ফলে, দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। ভিন্নভাবে সক্ষমদের সহযোগিতার জন্য দুটি দেশ যেসব ক্ষেত্রে কাজ করবে, সেগুলি হ’ল : ১) ভিন্নভাবে সক্ষমদের জন্য গৃহীত নীতি ও পরিষেবা সংক্রান্ত তথ্যের আদান-প্রদান, ২) অন্যান্য তথ্যের আদান-প্রদান, ৩) ভিন্নভাবে সক্ষমদের সাহায্যের জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জামে যে প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়, সে সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা, ৪) ভিন্নভাবে সক্ষমদের ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন, ৫) দ্রুত শনাক্তকরণের মধ্য দিয়ে প্রতিবন্ধকতাকে প্রতিহত করা, ৬) সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ ও প্রশাসনিক কর্মীদের আদান-প্রদান। এই সমঝোতাপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পে কিভাবে ব্যয় করা হবে, সে বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। প্রয়োজনীয় আর্থিক সম্পদের ব্যবস্থা করে উভয় সরকার আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ব্যয়ের দিকটি নিশ্চিত করবে। যে দেশ থেকে প্রতিনিধিরা আসবেন, তাঁদের যাতায়াতের খরচ সংশ্লিষ্ট দেশ বহন করবে। অন্যদিকে, যে দেশে আলোচনাচক্র বা বৈঠক হবে, সেই বৈঠক বা আলোচনাচক্রের ব্যয়ভার সংশ্লিষ্ট দেশ বহন করবে। ভারত ও চিলির মধ্যে উষ্ণ সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৯-২০ সময়কালে উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্ণ হ’ল। ২০০৫ ও ২০০৯ সালে চিলির রাষ্ট্রপতির ভারত সফর সহ উচ্চ পর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদের সফর দু’দেশের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে।",কেন্দ্ৰীয় কেবিনেটে দিব্যাংগতাৰ ক্ষেত্ৰত সহযোগিতাৰ বাবে ভাৰত আৰু চিলিৰ মাজত বুজাবুজি চুক্তি স্বাক্ষৰকৰিবলৈ অনুমোদন জনাইছ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%B8%E0%A6%A8/,"নেটওয়ার্ক-১৮ গ্রুপের এডিটর-ইন-চিফ রাহুল যোশী মহোদয়, নেটওয়ার্ক-১৮-র সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সাংবাদিক বন্ধু, ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত বন্ধুগণ, এবং এখানে উপস্থিত অন্য সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গ, নেটওয়ার্ক-১৮-র দর্শকবৃন্দ এবং আমার প্রিয় বন্ধুগণ, কিছুক্ষণ আগেই আমার রাষ্ট্রীয় যুদ্ধ স্মারক দেশকে সমর্পণ করার সৌভাগ্য হয়েছে। সংযোগবশতঃ এর ঠিক পরেই ‘রাইজিং ইন্ডিয়া’ শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছি যা আমার হৃদয়ের খুব কাছের বিষয়। আমি নেটওয়ার্ক-১৮ টিমকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে রাষ্ট্রীয় অগ্রাধিকার সংগায়নের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রে রাষ্ট্র নির্মাণের লক্ষ্য নির্ধারণ একটি দেশ হিসেবে আমাদের অগ্রাধিকার কি হবে তা নিয়ে নিরন্তর আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। সংবাদমাধ্যমের বন্ধুদের মাঝে দাঁড়িয়ে আমি আপনাদের পছন্দমতো পদ্ধতিতেই আলোচনা শুরু করতে চাইব। অর্থাৎ, আগে কি ছিল আর এখন কি হয়েছে। এর মাধ্যমে এটাও স্পষ্ট হয়ে যাবে যে আগে কোন বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হত, আর এখন আমরা কি করছি। এটাও স্পষ্ট হবে যে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে রাষ্ট্রনীতিকে অগ্রাধিকার দিলে কি ধরণের পরিণাম পাওয়া যেতে পারে। বন্ধুগণ, ২০১৪ সালের আগে দেশের অবস্থা এমন ছিল যে, যেসব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল, সেসব ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে পড়ছিলাম। আর, যা হ্রাস পাওয়া উচিৎ ছিল তা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। যেমন, মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিৎ ছিল, কিন্তু বাস্তবে কী ছিল? বিগত সরকারের সময়ে সমস্ত প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছিল। যাঁরা নিউজ রুমে বসেন, তাঁদের নিশ্চয়ই মনে আছে, কতবার তাঁদের মূল্যবৃদ্ধির প্রকোপ নিয়ে কলম চালাতে হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ পেরিয়ে গিয়েছিল। আর আমাদের সরকার মূল্যবৃদ্ধির হারকে ২-৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে রাষ্ট্রনীতিকে অগ্রাধিকার দিলে এই ধরণের পরিণাম পাওয়া যেতে পারে! বন্ধুগণ, আয়কর নিয়েও একই অবস্থা ছিল। মধ্যবিত্তর��� প্রতিনিয়ত আয়কর ছাড়ের জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলেন। আমরা সরকারের দায়িত্ব নিয়ে শুরুতেই আয়কর ছাড়ের সীমা আড়াই লক্ষ করে দিয়েছিলাম, তারপর, আমরা ৫ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করে দিয়েছিলাম। আর এখন ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণ আয়কর মুক্ত করে দিয়েছি। বন্ধুগণ, জিডিপি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী সরকারের অগ্রাধিকারের সঙ্গে আমাদের অগ্রাধিকার পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আপনারা জানেন, শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৪-এ ইউপিএ সরকারের হাতে ৮ শতাংশ জিডিপিসম্পন্ন অর্থ ব্যবস্থা সমর্পণ করেছিল। কিন্তু ২০১৩-১৪ সালে ইউপিএ সরকার আমাদের যখন ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে তখন তা হ্রাস পেয়ে ৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। ২০১৪-য় আমরা আবার এক্ষেত্রে বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে জিডিপি-কে ৭-৮ শতাংশে পৌঁছে দিয়েছি। বন্ধুগণ, ইউপিএ সরকার ২০১৩-র মধ্যেই ভারতকে বিশ্বের ‘ফ্র্যাজাইল ফাইভ’ বা পাঁচটি ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশের তালিকাভুক্ত করেছিল। আমরা দৃঢ় নিশ্চয় এবং ১২৫ কোটি ভারতবাসীর পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে ভারতকে ইতিমধ্যেই বিশ্বের সর্বাধিক দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়া বড় অর্থনীতির দেশে পরিণত করেছি। অনেক বছর ধরেই আমরা পড়ছিলাম যে একবিংশ শতাব্দী ভারতের শতাব্দী হতে চলেছে। কিন্তু এই লক্ষ্যে ইতিবাচক পদক্ষেপ গত সাড়ে চার বছর ধরেই নেওয়া সম্ভব হয়েছে। বন্ধুগণ, সহজে ব্যবসা-বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে র‍্যাঙ্কিং-এ বিগত সরকারের বিদায়কালে দেশ ১৩২তম স্থান থেকে ১৪২তম স্থানে পৌঁছে গিয়েছিল। দেশে ব্যবসার আবহকে তারা ধ্বংস করে দিয়ে গিয়েছিল। স্পেকট্রাম থেকে শুরু করে ডুবোজাহাজ, কয়লা থেকে শুরু করে ক্যাগ – এই সমস্ত কেলেঙ্কারির ফলেই দেশে দুর্নীতি চরমে পৌঁছেছিল। সুপ্রিম কোর্ট, ক্যাগ এবং সংবাদমাধ্যমে সরকারি দুর্নীতির একাধিক ফাইল খুলতে হয়েছিল। সেখান থেকে আমরা কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে ৬৫ ধাপ উন্নত করে ৭৭তম স্থানে পৌঁছে দিয়েছি। আজ রাজনৈতিক বিরোধীতা চরিতার্থ করতে আমাদের বন্ধুরা ভুল পদ্ধতিতে আদালতের শরণাপন্ন হন আর আদালত কর্তৃক তিরষ্কৃত হন। আদালত সরকারকে প্রশংসা করে। সরকারি ব্যবস্থায় নানা সংস্কারের মাধ্যমে আমাদের সরকার এই পরিবর্তন আনতে পেরেছে। ভাই ও বোনেরা, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের সরকারের অগ্রাধিকার কিভাবে একটি প্রকল্পের সঙ্গে অন্য প্রকল্পকে জুড়ে ব্যবস্থাকে মসৃণ ও স্বচ্ছ করে তুলেছে তার আরেকটি উদাহরণ আমি আপনাদের সামনে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরতে চাই। আপনাদের হয়তো মনে আছে যে যখন আমরা চার বছর আগে জন ধন যোজনা শুরু করেছিলাম, তখন আমাদের নিয়ে কত ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করা হয়েছিল। অনেকে এমনও বলেছিলেন যে যাঁদের খাবার পয়সা নেই, তাঁরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে কী করবে? বন্ধুগণ, এই মানসিকতার ফলেই স্বাধীনতার পর এত বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষের কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না। কিন্তু আমরা এই অল্প সময়ে ৩৪ কোটিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছি। জন ধন অ্যাকাউন্টকে আধার নম্বরের সঙ্গে যুক্ত করে এবং যথাসম্ভব মোবাইল নম্বরের সঙ্গে যুক্ত করে সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি সরকারি প্রকল্পগুলির অনুদানের টাকা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আগে কিভাবে মানুষ টাকা পেতেন, আর মাঝে কারা খেয়ে যেতেন, সে সম্পর্কে আপনারা ভালোই জানেন। একজন পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, সরকার ১ টাকা পাঠালে জনগণের কাছে মাত্র ১৫ পয়সা পৌঁছয়। কিন্তু আমরা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের ৬ লক্ষ কোটি টাকা সরাসরি সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দিয়েছি। এভাবে প্রায় ৮ কোটি ভুতুড়ে সুবিধাভোগীর হাত থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা গেছে। বন্ধুগণ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, তথ্য ও প্রযুক্তির এই শক্তি আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির ভিত্তি হয়ে উঠেছে। আজ আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে দেশের প্রায় ৫০ কোটি গরিব মানুষ বছরে পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অর্থ সরাসরি হাসপাতালের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। ২০১৫ সালে প্রকাশিত আর্থ-সামাজিক সমীক্ষার ভিত্তিতে উপকৃতদের নির্বাচন করে তাঁদের আধার নম্বরের সঙ্গে হাসপাতালের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর যুক্ত করে স্বচ্ছতার সঙ্গে এই পরিষেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। আপনারা জানেন যে গতকালই আমাদের সরকার প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা চালু করেছে। দেশের প্রায় ১২ কোটি কৃষক পরিবারের সাম্বাৎসরিক প্রয়োজন মেটাতে বীজ, সার, পশুখাদ্য ও কীটনাশক কেনার জন্য সরকার বছরের প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করছে। এখন আর ‘পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি’ হওয়া সম্ভব নয়। কারণ এখন টাকা ব্যাঙ্কে জমা হলে সরাসরি কৃষকের মোবাইল ফোনে মেসেজ আসে। সেজন্যই তো তারা হাত ধুয়ে এখন আমাকে গালি দিচ্ছে। ভাই ও বোনেরা, যাঁদের কথা ভেবে আমরা এই লুঠের পথ বন্ধ করেছি, তাঁরা পারস্পরিক বিরোধিতা ভুলে সবাই এক মঞ্চে একত্রিত হয়ে আমাকে এত গালি দিচ্ছেন যে অতীতে কোন প্রধানমন্ত্রীকে তা শুনতে হয়নি। এখন তাঁদের অগ্রাধিকার হল মোদীকে গালি দেওয়া, আর আমার অগ্রাধিকার হল দেশের করদাতাদের পরিশ্রমের অর্থের এক-এক পয়সার সঠিক ব্যবহার। আমাদের দেশে জনগণের পয়সাকে জনগণের স্বার্থে খরচ না করার যে পরম্পরা চলছিল, সে সম্পর্কে আপনারা ভালোভাবেই অবহিত, না হলে দশকের পর দশক ধরে এত হাজার হাজার প্রকল্প অসম্পূর্ণ থেকে যেত না। সেজন্য আমাদের সরকার প্রকল্পের কাজ দেরিতে শুরু এবং দেরিতে শেষ করাকে অপরাধ বলে মনে করে। বন্ধুগণ, প্রায় চার দশক আগে উত্তরপ্রদেশে বাণসাগর নামক একটি সেচ প্রকল্প শুরু হয়েছিল। অনুমান করা হয়েছিল যে এটি শেষ হতে ৩০০ কোটি টাকা খরচ হবে। কিন্তু চার দশক ধরে এই প্রকল্পের কাজ ঝুলে থাকায় ২০১৪ সালে আমরা এসে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করলে সম্পূর্ণ করতে ৩ হাজার কোটি টাকা লেগেছে। এমন তো নয় যে পূর্ববর্তী সরকারগুলিকে কেউ কাজ করতে বাধা দিচ্ছিল। ৩০০ কোটি টাকার অভাব ছিল, এটাও আমি মানি না! নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করার ইচ্ছেশক্তি ছিল না বলেই তাঁরা করে উঠতে পারেন নি বলে আমি মনে করি। ঝাড়খণ্ডের মণ্ডল বাঁধের ক্ষেত্রেও তেমনি ৩০ কোটি টাকার প্রকল্পকে আমরা এসে ৮০গুণ, প্রায় ২৪০০ কোটি টাকা খরচ করে সম্পূর্ণ করেছি। ভাই ও বোনেরা, আপনারা কেলেঙ্কারির খবর শুনে সতর্ক হয়ে যেতেন। কিন্তু এ ধরণের হাজার হাজার প্রকল্পে দেরির কারণে দেশের যে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা, আপনাদের মতো সৎ করদাতাদের পরিশ্রমের টাকা নষ্ট হয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং প্রত্যেক মন্ত্রকের সচিবদের নিয়ে একসঙ্গে বসে এই সমস্ত প্রকল্প কেন দেরি হয়েছে সে সম্পর্কে অবহিত হয়ে, সেসব সমস্যা দূর করে দ্রুত কাজ শুরু করি যাতে জনগণের টাকা আর বেশি অপচয় না হয়। ১২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি পুরনো প্রকল্পের সমীক্ষা আমি নিজে করেছি। এর মধ্যে অধিকাংশই ছিল পূর্ব ভারত ও উত্তর-পূর্ব ভারতের। আমরা পূর্ব ভারত তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্ন���নকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশে উন্নয়নের ভারসাম্য আনতে কাজ শুরু করেছি। ফলস্বরূপ, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের অনেক স্থানে স্বাধীনতার পর প্রথমবার আমাদের সময়ে রেল পৌঁছেছে, বিমানবন্দর তৈরি হয়েছে, বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। আমরা এরকম আরও অনেক পুরনো দাবি যেমন, উচ্চবর্ণের দরিদ্র মানুষদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত, অসংগঠিত শ্রমিকদের পেনশন চালু করার সিদ্ধান্ত, যাযাবরদের উন্নয়নের জন্য ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত, দেশের কোটি কোটি মৎস্যজীবীদের জন্য আলাদা দপ্তর – এই সমস্ত কিছু আমরা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ মন্ত্রকে মাথায় রেখে সম্পাদন করেছি। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় নতুন ভারতের নতুন আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠেছে। এই আত্মবিশ্বাসের প্রেক্ষিতেই আমি আপনাদের অত্যন্ত প্রিয় বিষয়টি তুলে ধরতে চাইব সেটি হল কর্মসংস্থান। আমাকে বলা হয়েছে যে, নেটওয়ার্ক-১৮-তে রাহুলজি বলেছেন, ২০১৪-র পর একজন মানুষেরও কর্মসংস্থান হয়নি। এই তথ্য সঠিক কিনা, সেটা আপনারাই বিচার করবেন। একটু ভাবুন, ভারত যখন বিশ্বের সর্বাধিক দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা অর্থ ব্যবস্থা হয়ে উঠেছে, তা কি কোন কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করে সম্ভব হয়েছে? দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ যখন সর্বোচ্চ, তা কি কোন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেনি? যখন বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক রিপোর্ট বলছে যে ভারত সবথেকে দ্রুতগতিতে দারিদ্র্য দূরীকরণে সফল হয়েছে, তখন কোন কর্মসংস্থান ছাড়াই কি দরিদ্রদের দারিদ্রসীমার ঊর্ধ্বে ওঠা সম্ভব হয়েছে? আগের তুলনায় দেশে কয়েকগুণ বেশি গতিতে সড়ক ও রেলপথ বেড়েছে, এসব ক্ষেত্রেও কি কোন কর্মসংস্থান হয়নি? গরিবদের জন্য লক্ষ লক্ষ নতুন গৃহ, নতুন সেতু, নেতুন বাঁধ, নতুন নতুন বিমানবন্দর গড়ে তোলার মতো পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ কি কোন কর্মসংস্থান ছাড়াই সম্ভব হয়েছে? পর্যটন ক্ষেত্রে যখন রেকর্ড বিনিয়োগ হচ্ছে, সেটা কি কোন কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করে সম্ভব হচ্ছে? আপনারা চারপাশের পরিবেশে অনেক ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের ব্যবসা বৃদ্ধি হতে দেখেছেন। আয়কর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুসারে, বিগত চার বছরে ৬ লক্ষেরও বেশি নতুন পেশাদার যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রত্যেক পেশাদারের সহায়ক কর্মীরও নিশয়ই প্রয়োজন হয়েছে। তাহলে এই পেশাদারদের মাধ্যমেই বিগত চার বছরে কত লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে? আপনাদের ফিল্ম সিটি নয়ডাতে আগে অর্ধেক জায়গা খালি ছিল, আর এখন সেখানে গাড়ি পার্কিং-এর জায়গা পাওয়া যায় না। এই যে এত নতুন গাড়ি এসেছে, বিগত পাঁচ বছরে পরিবহণ ক্ষেত্রে যে বৃদ্ধি হয়েছে সেখানে কি কর্মসংস্থান হয়নি? বাণিজ্যিক বাহনের ক্ষেত্রে শুধু গত বছরেই ভারতে ৭ লক্ষ গাড়ি বিক্রি হয়েছে। কোনরকম কর্মসংস্থান ছাড়াই কি এই গাড়িগুলি পথে চলছে? প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ৭ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ঋণ নিয়ে দেশে যে ১৫ কোটিরও বেশি নতুন শিল্পোদ্যোগী নিজেদের কোম্পানি শুরু করেছে, আর এর মধ্যে ৪ কোটি নবীন শিল্পোদ্যোগী প্রথমবার ব্যবসার জন্য ঋণ নিয়েছেন তাঁরা কি কাউকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে তাঁদের সংস্থা চালাতে পারছেন? বন্ধুগণ, কর্মসংস্থান সম্পর্কে সরকার কর্মচারী ভবিষ্যনিধি থেকেও অনেক তথ্য জানতে পারে। কর্মচারী ভবিষ্যনিধির মাধ্যমে কোটি কোটি কর্মচারীর বেতন থেকে টাকা কাটা হয় আর নিয়োগকারীও তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করে। কর্মচারী ভবিষ্যনিধির পরিসংখ্যান আর ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে তৈরি করা পরিসংখ্যান এক নয়। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রত্যেক মাসে প্রায় ৫ লক্ষ কর্মচারী ভবিষ্যনিধির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এভাবে এমপ্লয়িজ স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশনের সঙ্গেও ঐ সময়ে প্রত্যেক মাসে প্রায় ১০ থেকে ১১ লক্ষ কর্মচারী যুক্ত হয়েছেন। আমি এই দুই সংস্থার পরিসংখ্যানের ৫০ শতাংশকে যদি ওভারল্যাপ বলে মেনে নিই, তাহলেও সংগঠিত ক্ষেত্রে প্রত্যেক মাসে প্রায় ১০ লক্ষ করে নতুন কর্মচারী যুক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ, বছরে ১ কোটি ২০ লক্ষ চাকরি সৃষ্টি হয়েছে। বন্ধুগণ, বিগত চার বছরে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা প্রায় ৭৫ শতাংশ ঐতিহাসিক বৃদ্ধি হয়েছে। পর্যটন থেকে বিদেশি মুদ্রার রোজগারও বিগত চার বছরে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতের বিমান পরিষেবা ক্ষেত্রেও ঐতিহাসিক বৃদ্ধি হয়েছে। গত বছর ১০ কোটিরও বেশি মানুষ বিমানে সফর করেছেন। এইসব কিছু থেকেও কি কোন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়নি? হতে পারে, অনেকেই মোদীর বক্তব্য মানবেন না বলে ঠিক করে নিয়েছেন। কিন্তু আপনারা মনে রাখবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারই শুধু দাবি করছে যে গত বছর তারা ৯ লক্ষ মানুষকে কর্মসংস্থান দিয়েছে। আর, ২০১২ থেকে ২০১৬-র মধ্যে ৬৮ লক্ষ চাকরি দিয়েছ��। কর্ণাটক সরকারও দাবি করে যে বিগত পাঁচ বছরে তারা ৫৩ লক্ষ চাকরি দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং কর্ণাটকে যদি কর্মসংস্থান হয়ে থাকে, তাহলে ভারতে হয়নি সেটা কি করে সম্ভব? বন্ধুগণ, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে আমি মনে করি এখনও দেশে অনেক কিছু করা বাকি। কিন্তু আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছি, আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে অদূর ভবিষ্যতেই বিশ্বের সামনে ভারতের কর্মসংস্থান একটি উদাহরণ হয়ে উঠবে। বন্ধুগণ, এই নতুন ভারত নির্মাণে ও ক্ষমতায়নে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার ও ব্যবস্থার ত্রুটিগুলি তুলে ধরার অধিকার আপনাদের রয়েছে। কিন্তু পাশাপাশি দেশের ইতিবাচক আবহকেও ক্ষমতায়িত করার দায়িত্ব আপনাদের রয়েছে। আমি আপনাদের সাধুবাদ জানাই যে আপনারা এই ইতিবাচক ভূমিকাকে অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে পালন করছেন। সমাজ ও ব্যবস্থায় সংস্কার সম্পর্কে আপনারা সততার সঙ্গে জনজাগৃতির কাজ করেছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, নতুন ভারতের উত্থানে আপনাদের এই ভূমিকা আরও দৃঢ় হবে। অবশেষে, আপনাদের সবাইকে এই শীর্ষ সম্মেলন কর্মসূচিতে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ।",‘ৰাইজিং ইণ্ডিয়া শীৰ্ষ সন্মিলন’ত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4/,"বিপর্যয় মোকাবিলা ক্ষেত্রে ভারত ও আর্মেনিয়ার মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রসার ঘটবে। এইমর্মে এই দুটি দেশের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাবে আজ অনুমোদন দিলকেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়মন্ত্রিসভার এই বৈঠকটি। মউস্বাক্ষরের ফলে ভারত ও আর্মেনিয়ার মধ্যে বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে যেমনসহযোগিতার প্রসার ঘটবে, অন্যদিকে তেমনই বিপর্যয়ের মুহূর্তে দুটি দেশের জনসাধারণেরইকল্যাণ, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। বিপর্যয় মোকাবিলা ক্ষেত্রেপারস্পরিক স্বার্থে প্রাসঙ্গিক তথ্যেরও আদানপ্রদান ঘটবে এই দুটি দেশের মধ্যে। মউস্বাক্ষরের অন্যতম উদ্দেশ্য হল, বিপর্যয় মোকাবিলা সংক্রান্ত এমন এক ব্যবস্থা গড়েতোলা যার আওতায় উপকৃত হবে ভারত ও আর্মেনিয়া –দুটি দেশই। অন্যান্য দেশের বিপর্যয়মোকাবিলা সং��্রান্ত ব্যবস্থা সম্পর্কেও তারা সচেতন ও ওয়াকিবহাল হওয়ার সুযোগ লাভকরবে এই মউ স্বাক্ষরের পথ ধরে। /",ভাৰত আৰু আৰ্মেনিয়াৰ মাজত দুৰ্যোগ ব্যৱস্থাপনাৰ ক্ষেত্ৰত বুজাবুজিৰ চুক্তি স্বাক্ষৰিত কৰাৰ প্ৰস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2-10/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B6-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%80-%E0%A6%86/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীআগামীকাল (১৮ই জানুয়ারি) নবম ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। এবারের সম্মেলনে কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা ছাড়াও বিশিষ্ট শিল্পপতি ও চিন্তাবিদরা যোগ দেবেন। নবম ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ শীর্ষ সম্মেলন আন্তর্জাতিক, জাতীয় ও রাজ্যস্তরীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে এক উপযুক্ত মঞ্চ হয়ে উঠবে। এক ‘নতুন ভারত’ গড়ে তোলার জন্য সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর এবারের সম্মেলনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ শীর্ষ সম্মেলনের অঙ্গ হিসেবে একাধিক ফ্ল্যাগশিপ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। এই সম্মেলনে জ্ঞান আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে আরও বৈচিত্র্য আনা, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যোগাযোগ আরও নিবিড় করে তোলার মতো নতুন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন শ্রী নরেন্দ্র মোদী ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ শুরু করেছিলেন। ২০০৩ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে এই শীর্ষ সম্মেলন ভারতের সমস্ত রাজ্যের অংশগ্রহণের পাশাপাশি, রাজ্যগুলিতে বিনিয়োগের প্রসারে বিশ্বব্যাপী যোগসূত্র স্থাপনের এক উপযুক্ত মঞ্চে পরিণত হয়েছে। সম্মেলনে বিশ্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি, জ্ঞানের আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে আরও বৈচিত্র্য আনা এবং কার্যকর অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। অষ্টম ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ গ্লোবাল শীর্ষ সম্মেলন ২০১৭-র জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেবার ১০০টিরও বেশি দেশের ২৫ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন, চারজন রাষ্ট্র প্রধান, নোবেল বিজেতা, বিশ্বের অগ্রণী শিল্পপতি ও চিন্তাবিদ। ভাইব্র্যান্ট গুজরাট শীর্ষ সম্মেলন ২০১৯-এর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বৈশিষ্ট্য · ভারতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত নিয়ে শিক্ষা তথা গবেষণার সুযোগ-���ুবিধার জন্য গোলটেবিল বৈঠক। বৈঠকে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নীতি-প্রণেতারা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করবেন। · ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি তথা মহাকাশ অনুসন্ধানের বিষয় নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। · বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরের আলোচনাসভার আয়োজন করা হচ্ছে। · ভাইব্র্যান্ট গুজরাট গ্লোবাল ট্রেড শো। এই ফ্ল্যাগশিপ অনুষ্ঠানে ২ লক্ষ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে। ২৫টি শিল্পক্ষেত্র প্রদর্শনীতে তাদের সামগ্রী তুলে ধরছে। · বন্দর-কেন্দ্রিক উন্নয়ন ও রণকৌশল নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে ভারতকে এশিয়ায় পণ্য পরিবহণ হাব হিসেবে গড়ে তোলার নানা দিক নিয়ে আলোচনাসভা। · ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির সাফল্যগুলিকে তুলে ধরতে সেমিনারের আয়োজন করা হচ্ছে। এই কর্মসূচির সাফল্য সুনিশ্চিত করতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলি নিয়েও আলোচনা হবে। · প্রতিরক্ষা ও বিমান সংক্রান্ত ক্ষেত্রে যুক্ত শিল্প সংস্থাগুলির সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য, গুজরাট তথা ভারতে প্রতিরক্ষা ও বিমানচালনা ক্ষেত্রে যে সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সে বিষয়ে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের সচেতন করা। · গতিশীলতা-নির্ভর শহরাঞ্চলীয় উন্নয়ন। আধুনিক প্রযুক্তি, গাড়ি পার্কিং-এর সুবন্দোবস্ত, বিদ্যুৎচালিত যানবাহন ও বিগ ডেটার সমন্বয়ে শহরাঞ্চলীয় পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন তথা দ্রুতগতির যানবাহন নিয়ে আলোচনা। · নতুন ভারত গড়ে তোলার স্বার্থে প্রযুক্তি-নির্ভর কৃষিকাজ। · বস্ত্র সম্মেলন – নতুন ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে বস্ত্রক্ষেত্রের সম্ভাবনাগুলি খুঁজে বের করা। /…",একাংশ ৰাষ্ট্ৰৰ মুৰব্বী আৰু বিশ্ব ব্যৱসায়িক নেতৃবৰ্গৰ উপস্থিতিত কাইলৈ ভাইব্ৰেণ্ট গুজৰাটৰ নৱম সংস্কৰণ উদ্বোধন কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE/,ভারতেরপ্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর আজ জন্মবার্ষিকী। এই দিনটিতে তাঁরস্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনিতাঁর বার্তায় বলেছেন : “পণ্ডিতজওহরলাল নেহরুর জন্মবার্ষিকীত�� তাঁর উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানাই। ”,জন্ম বাৰ্ষিকী উপলক্ষে ভাৰতৰ প্ৰথমগৰাকী প্ৰধানমন্ত্ৰী পণ্ডিত জৱাহৰলাল নেহৰুৰ প্ৰতি প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শ্ৰদ্ধাঞ্জলি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BF/,"নয়াদিল্লি, ২৬ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশ রক্ষায় কার্গিলে বীর যোদ্ধাদের সর্বোচ্চ আত্মবলিদান ও অসীম সাহসের জন্য শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কার্গিল বিজয় দিবস ভারত মাতার শৌর্য্য ও বীরত্বের প্রতীক। এই উপলক্ষে মাতৃভূমির রক্ষায় আত্মবলিদান দেওয়া দেশের সব সাহসী সেনানীদের আমার শত শত প্রনাম। জয় হিন্দ!”",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে কাৰ্গিল বিজয় দিৱসত সৈনিকসকলক শ্ৰদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A1%E0%A6%83-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A1%E0%A7%A6-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%A8/,দেশের ভূতপূর্ব রাষ্ট্রপতি ডঃ জাকির হোসেনের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদনকরেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “ডঃ জাকির হোসেনের জন্মবার্ষিকীতে ভারত তাঁকে স্মরণ করছে। ভারতের স্বাধীনতাআন্দোলনে তাঁর প্রভূত অবদান ছিল। তিনি বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন একজন বিদগ্ধশিক্ষাবিদ হিসাবেও”। …,ড০ জাকিৰ হুছেইনৰ জন্মজয়ন্তীত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শ্ৰদ্ধাঞ্জলি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%AC-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%A4-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%9A%E0%A7%8C%E0%A6%B9/,"আগামীকাল রাজধানীর মুনিরকায় কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের একটি নতুন ভবনেরদ্বারোদঘাটন করবেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এখন থেকে শুধুমাত্র এই নতুনকার্যালয়টি থেকেই কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাজকর্ম চালানো হবে। এতদিন পর্যন্ত দুটিভাড়া নেওয়া বাড়িতে কমিশনের কাজ চলছিল। জাতীয় ভবন নির্মাণ নিগম অর্থাৎ এনবিসিসি নির্মিত এই নতুন বাড়িটি অত্যাধুনিকপ্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। শুধুমাত্র তাই নয়, নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই এটির���াজও সম্পূর্ণ হয়েছে। ৫ তলা এই বাড়িটিতে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের শুনানি কক্ষগুলিসাজানো হয়েছে অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সমন্বয়ে। ভিডিও কনফারেন্সের যাবতীয়বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে এই কক্ষগুলিতে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তথ্যের অধিকার আইন ২০০৫-এর আওতায় কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনহ’ল তথ্যের অধিকার সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে একটি সর্বোচ্চপ্রতিষ্ঠান।",৬ মাৰ্চত চিআইচিৰ নতুন চৌহদ উদ্বোধন কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%96%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B6%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%96%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%B6%E0%A6%BF/,"উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দীবেন প্যাটেল, রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজী, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী ধর্মেন্দ্র প্রধানজী, নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতির ড্রাফটিং কমিটির চেয়ারম্যান কে কস্তুরিরঙ্গনজী, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীগণ, এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্দেশকগণ, উপস্থিত শিক্ষকগণ, শিক্ষাবিদ এবং ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, ‘অখিল ভারতীয় শিক্ষা সমাগম’ – এর এই আয়োজন সেই পবিত্র ভুমিতে সম্পন্ন হচ্ছে, যেখানে স্বাধীনতার আগে দেশের অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে। এই সমাগম আজ এমন একটি সময়ে হচ্ছে, যখন দেশ তার স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছে। অমৃতকালে দেশের অমৃত সংকল্পগুলি বাস্তবায়নের বড় দায়িত্ব আজ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও নবীন প্রজন্মের উপর ন্যস্ত হয়েছে। আমাদের উপনিষদেও বলা হয়েছে, ‘বিদ্যা অমৃতম অশনুতে’ অর্থাৎ বিদ্যাই অমৃত ও অমরত্বের পথে নিয়ে যায়। আমাদের দেশে জ্ঞানকেই মুক্তির একমাত্র পথ বলে মনে করা হয়। কাশীকেও মোক্ষলাভের নগরী বলে মনে করা হয়। শিক্ষা ও গবেষণার, বিদ্যা ও বোধের এত বড় মন্থন যখন এই কাশীনগরীতে আয়োজিত হচ্ছে, তখন এ থেকে উৎসারিত অমৃত অবশ্যই দেশকে নতুন পথ দেখাবে। আমি এই উপলক্ষে মহামতি মদন মোহন মালব্যজীর চরণে প্রণাম জানিয়ে এই আয়োজনের জন্য আপনাদের সকলকে শুভকামনা জানাই। আমি কাশীর সাংসদ। আমার কাশীতে আপনারা সকলে পদধূলি দিয়েছেন। আয়োজকদের পাশাপাশি, আপনারা আমারও অতিথি। আপনারা সবাই আমার আতিথেয়ত�� স্বীকার করুন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এখানকার ব্যবস্থাপনায় আপনাদের খুব একটা অসুবিধা হবে না। সবাই মিলে সুপরিকল্পিতভাবে আপনাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা হয়েছে। তবু যদি কোনও ত্রুটি থেকে যায়, তা হলে হোস্ট হিসাবে সমস্ত দোষ আমার, সেজন্য আগে থেকেই আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে রাখছি। বন্ধুগণ, আমি এই মাত্র অন্য একটি অনুষ্ঠান থেকে এখানে এসে পৌঁছেছি। এখানে আমার সবার সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজনের কথা ছিল। কিন্তু, ওখানে আমার কাশীর সরকারি বিদ্যালয়ে ১০-১২ বছর বয়সী শিশুদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। সেখান থেকে সরাসরি আপনাদের কাছে এসেছি। ওদের কাছ থেকে শুনে এসেছি আর আপনাদের শোনাতে এসেছি। মাত্র ১০-১৫ মিনিট ওদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম। এইটুকু সময়ের মধ্যেই ওরা আমার মনে এতটাই প্রভাব ফেলেছে যে, আমি তাদের শিক্ষকদের সঙ্গেও কিছুটা সময় কথা বলে এসেছি। তাদের মধ্যে যে প্রতিভা, আত্মবিশ্বাস, চিন্তাভাবনার বৈচিত্র্য দেখেছি – সরকারি স্কুলে আমাদের সাধারণ পরিবারের ছেলেমেয়েরা যে মানের প্রতিভা প্রদর্শন করেছে, তা দেখে আমি আশ্চর্য হয়েছি। আপনাদের বাড়িতেও যদি কোনও অতিথি আসেন, তখন আপনারা নাতি-নাতনিদের প্রতিভাকে অতিথির সামনে তুলে ধরতে চান। আমার এইসব বলার তাৎপর্য হ’ল – বর্তমান প্রজন্মের এই সামর্থ্য, তাদের ক্ষমতা, যখন তারা আপনাদের প্রতিষ্ঠানে পৌঁছবে, তখন হয়তো আপনারা থাকবেন না, ততদিনে হয়তো আপনারা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা আরও উঁচুতে তুলে অবসর নেবেন, তখন এই ছেলেমেয়েরাই এই প্রতিষ্ঠানগুলির কর্ণধার হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আগামী তিন দিনে এখানে যে আলাপ-আলোচনা হবে, এতে নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতির বাস্তবায়নকে কিভাবে নবীন প্রজন্মের সাধারণ পড়ুয়াদের বেশি উপকৃত করা যায়, সেই লক্ষ্যে কার্যকর দিশা-নির্দেশ করবে। বন্ধুগণ, আপনারা সবাই জানেন যে, নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতির মূল ভিত্তি শিক্ষাকে সঙ্কীর্ণ ভাবনার আওতা থেকে বের করে তাকে একবিংশ শতাব্দীর ভাবনাগুলির সঙ্গে যুক্ত করা। আমাদের দেশে কখনোই মেধার অভাব ছিল না। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশে এমন ব্যবস্থা তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে পড়াশুনার উদ্দেশ্য যেন শুধুই চাকরি পাওয়া। ইংরেজরা তাদের শাসনকালে তাদের প্রয়োজন মেটাতে শিক্ষা ব্যবস্থায় এ ধরনের বিকৃত মানসিকতা গড়ে তুলেছিল। স্বাধীনতার পর এই মানসিকতায় সামান্য পরিবর্তন হয়েছে ঠিকই কিন্ত��� অনেক কিছুই অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। ব্রিটিশ শাসকদের তৈরি ব্যবস্থা কখনও স্বাধীন ভারতে মূল স্বভাবের অংশ ছিল না। আর হওয়াও সম্ভব ছিল না। পুরনো দিনে আমাদের দেশে শিক্ষায় ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা ছিল। আমাদের কাশী এর জীবন্ত উদাহরণ। এই শহর শুধু জ্ঞান কেন্দ্র ছিল না, এখানে অনেক গুরুকুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। এখানে জ্ঞান ও শিক্ষা বহুমাত্রিক ছিল। শিক্ষা প্রদান ব্যবস্থার এই বৈচিত্র্য আমাদের আজকের শিক্ষা ব্যবস্থাকেও যেন প্রেরণার যোগায়। আমরা যেন শুধুই ডিগ্রিধারী যুবক-যুবতী তৈরি না করি। এর বদলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যত ধরনের মানবসম্পদ প্রয়োজন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা যেন দেশের জন্য তত ধরনের দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলে। আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই সঙ্কল্পের নেতৃত্ব দিতে হবে। আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা যত দ্রুত এই মানসিকতা গড়ে তুলতে পারবেন, আগামী দিনে তাঁরা পড়ুয়াদের ততটাই দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী ভবিষ্যতের জন্যও তৈরি করতে পারবেন। দেশও ততটাই উপকৃত হবে। বন্ধুগণ, নতুন ভারত গড়ে তুলতে নতুন নতুন ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং তাতে বিভিন্ন আধুনিক ব্যবস্থার সম্মিলন অত্যন্ত প্রয়োজন। যা আগে কখনও হয়নি, যে লক্ষ্য নির্ধারণের কথা দেশ কখনও কল্পনা করেনি, তেমন অনেক কিছুও আজকের ভারতে বাস্তবে আমাদের সামনে গড়ে উঠছে। যেমন – এত বড় বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে আমরা শুধু যে দ্রুতগতিতে লড়াই করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছি, তা নয়। আজ ভারত বিশ্বের সর্বাধিক দ্রুতগতিতে উন্নতি করতে থাকা বড় অর্থনীতির দেশগুলির অন্যতম। আজ আমরা বিশ্বের তৃতীয় সর্ববৃহৎ স্টার্টআপ ইকো সিস্টেম। মহাকাশ প্রযুক্তির মতো ক্ষেত্রে যেখানে আগে সরকারই সবকিছু করতো, সেখানে আজ বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমেও যুবক-যুবতীদের জন্য একটি নতুন বিশ্ব গড়ে উঠছে, সমগ্র অন্তরীক্ষ এখন তাদের আরও কাছে চলে আসছে। দেশের মহিলাদের জন্য আগে যে ক্ষেত্রটি উন্মুক্ত ছিল না, আজ সেখানেও মহিলারা তাঁদের প্রতিভার উন্মেষ দেখাতে পারছেন। বন্ধুগণ, যখন দেশের মেজাজ ও গতি এরকম হয়, তখন আমাদের নবীন প্রজন্মকেও খোলা আকাশে ডানা মেলার জন্য নতুন প্রাণশক্তিতে ভরপুর করে তুলতে হবে। এতদিন পর্যন্ত আমাদের ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে কী করবে, তা তাদের বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বই-পুঁথির মাধ্যমে নির্ধারিত হ’ত। কিন্তু, নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি বাস্তবায়নের পর, নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। পাশাপাশি, আমাদেরও দায়িত্ব বেড়েছে। আমরা যেন ক্রমাগত নবীন প্রজন্মের মানুষদের স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়নের জন্য উৎসাহিত করি, তাঁদের খোলা আকাশে ডানা মেলতে সাহায্য করি, তাঁদের মন ও আকাঙ্খাকে বুঝি; তবেই তো সেই অনুসারে গোড়ায় সার ও জল দিতে পারবো। না হলে সবকিছু তাঁদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। একথা মাথায় রেখে আমাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত পরিকাঠামো, উপযোগী মানবসম্পদ উন্নয়নের আবহ গড়ে তোলার জন্য নিজেদের সাজিয়ে তুলতে হবে। নতুন নীতিতে শিশুদের প্রতিভা এবং পছন্দ অনুসারে তাদের দক্ষ করে তোলার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের যুবসম্প্রদায় যেন দক্ষ, আত্মবিশ্বাসী, বাস্তবোচিত এবং হিসেবি হয়ে উঠতে পারে, তার উপযোগী আবহ আমাদের নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি গড়ে তুলছে। বন্ধুগণ, দেশে দ্রুতগতিতে প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থায় আপনাদের মতো সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তার উদাহরণ-স্বরূপ আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন একটি অভিজ্ঞতার কথা শোনাচ্ছি। আমি তখন সবে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি, সরকার ও প্রশাসন এর সঙ্গে আমার আগে কোনও সম্পর্ক ছিল না, হঠাৎ-ই দায়িত্ব পেয়েছি। আমি তখন প্রত্যেক বিভাগের সচিবদের ডেকে বলি যে, আপনারাই আপনাদের বিভাগের মুখ্যমন্ত্রী। আপনারা চিন্তাভাবনা করে বলুন, আগামী পাঁচ বছরে আপনাকে এই বিভাগকে কোথায় নিয়ে যেতে চান, কিভাবে নিয়ে যাবেন, কিভাবে আপনাদের স্বপ্নগুলি বাস্তবায়ন করবেন? এর মাধ্যমে গুজরাটের সাধারণ মানুষের জীবনে কী লাভ হবে? এ বিষয়ে আপনাদের বিস্তারিত চিন্তাভাবনা সহ রূপরেখা তৈরি করুন। এরপর থেকে প্রতিদিন বিকেল ৫টায় নিয়ম করে আমার মন্ত্রিসভার সমস্ত মন্ত্রী এবং সমস্ত সচিবদের নিয়ে আমি বসতাম। আর একেকজন সচিব এসে তাঁদের বিভাগের সম্পূর্ণ রূপরেখা তুলে ধরতেন। এরপর সেটা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হ’ত। আমার সঙ্গে তখন যিনি কৃষি বিভাগের সচিব ছিলেন, তিনিও আজ এখানে বসে আছেন। সবাই নিজ নিজ ভাবনার কথা তুলে ধরতেন। বিতর্ক হ’ত। মন্ত্রীদের সঙ্গে সচিবদের আলাপ-আলোচনা ও বিতর্ক শুনে আমি শেখার চেষ্টা করতাম। এই কর্মসূচি প্রায় কয়েক মাস ধরে চলেছিল। বিকেল ৫টায় শুরু হ’ত আর রাত ১০টা নাগাদ বাড়ি যেতাম। সম্ভবত ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার ��মনটা হয়েছে। সবার আগে শিল্প জগতের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। আগামী দিনগুলিতে তাঁরা শিল্প জগতে কী ধরনের উত্থান-পতনের সম্ভাবনা দেখছেন, আগামী দিনগুলিতে শিল্প ক্ষেত্রে উন্নয়ন কিভাবে হবে – এই সমস্ত বিষয় নিয়ে কথা চলছিল। যখন এই কর্মসূচি সম্পূর্ণ হয়, তখন শিক্ষা সচিব আমার কাছে আসেন, কারণ পরদিনই তাঁর কর্মসূচি ছিল। তিনি বলেন, সাহেব আমি আগামীকাল করতে পারবো না। আমি বলি, কি বলছেন! এক মাস আগে আপনাকে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, আর আপনি শেষ মুহূর্তে বলছেন যে, আসতে পারবো না। তিনি বলেন, প্রস্তুতি তো আছে। আমি করতেও পারবো। কিন্তু, আজ আমি শিল্প বিকাশের উদ্দেশ্যে যে রূপরেখা দেখেছি, তার সঙ্গে আমার প্রস্তুতির কোনও মিল নেই। আমি বাম দিকে গেলে তাঁরা ডান দিকে যাচ্ছেন। কাজেই এর আলোতে আমার রূপরেখাকে নতুনভাবে তৈরি করতে আমার আরও সময় চাই। তবেই আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষা ও শিল্প জগতকে এক সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। সেজন্য আমার গোটা বিশ্বে শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সম্পর্কে জানতে হবে। আমাদেরও আজ শিক্ষা ক্ষেত্রে পৃথিবী কিভাবে এগিয়ে চলেছে, কোন দিকে যাচ্ছে আর সেক্ষেত্রে আমাদের দেশ কোথায়, আমাদের যুবসম্প্রদায় কতটা সফল, আগামী ১৫-২০ বছরে যে ছেলেমেয়েদের হাতে দেশের দায়িত্ব আমাদের তুলে দিতে হবে, তাদেরকে কিভাবে আমরা প্রস্তুত করবো – এটা আমাদের অনেক বড় দায়িত্ব। এই প্রেক্ষিতে আমাদের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজেদেরকেই জিজ্ঞেস করতে হবে যে, আমরা ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত কিনা! আমরা আজ পড়াশুনা করাচ্ছি, পরীক্ষা নিচ্ছি, সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি; আমি যে পদে কর্মরত আমার কি শুধু এটাই কাজ, নাকি আমাদের কাজ হ’ল – এমন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে দিয়ে যাওয়া, যে আমাদের বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করবে, সেখান থেকে শিক্ষিত হয়ে তারা স্বাধীনতার অমৃতকালে বা যখন অমৃতকাল সমাপণে স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তি হবে, তখন যায়ে দেশকে আধুনিক বিশ্বের নিরিখে সুযোগ্য নেতৃত্ব দিতে পারে, তার উপযোগী করে তুলতে পারবো। আপনাদের সবাইকে বর্তমানকে সামলাতে হবে, আগে থেকে যা করে আসছেন, তা তো করে যেতেই হবে। এর পাশাপাশি, আজ যা করছেন, তা যেন ভবিষ্যতের উপযোগী নাগরিক গড়ে তুলে সেরকম সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কারণ, আজকের ছেলেমেয়েদ���র জিজ্ঞাসা ভিন্ন রকম হয়। কিছুক্ষণ আগেই যে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে এসেছি, আপনাদের বাড়িতেও ছোট ছোট নাতি-নাতনিরা আপনাদেরকে যেসব প্রশ্ন করে তার উত্তর দিতে আপনাদের দু’বার ভাবতে হয়। কেউ হয়তো ভাবেন, আরে উল্টো-পাল্টা প্রশ্ন করছে। ওরা ভুল প্রশ্ন করছে না মশাই। আপনারাই তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না। তারা গুগলে ১০টি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে উত্তর জানে। তারপর আপনি যদি ভুল উত্তর দেন, তখন বলবে যে, গুগল তো এই কথা বলছে, আপনি এই কথা বলছেন কেন। এই ছেলেমেয়েরাই যখন ১০ বছর পরে আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবে, তখন কী অবস্থা হবে আপনাদের? সেজন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। আমরা যদি তাদের যোগ্য না হয়ে উঠি, তা হলে তাদের সঙ্গে বড় অন্যায় হয়ে যাবে বন্ধুগণ। সেজন্য আমাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাদের উপযোগী পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। আমি কিছুদিন আগেই ডিজিটাল ইন্ডিয়া অভিযানের মাধ্যমে গান্ধীনগরে একটি প্রদর্শনী দেখতে গিয়েছিলাম, সেখানেও সরকারি স্কুলে দশম, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণী পড়ুয়ারা বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে এসেছিল। তাদের সেই প্রকল্পগুলি দেখে তাদের সঙ্গে কথা বলে আমি বোঝার চেষ্টা করছিলাম। আর খুবই প্রভাবিত হয়েছিলাম। আমি অনুভব করছিলাম যে, তাদের মধ্যে গবেষণার অনেক অঙ্কুর, অনেক সম্ভাবনা কম বয়সেই এ ধরনের উদ্ভাবনের কথা শুনে আমি অবাক হই। বেশ কিছু ছেলেমেয়ে সেখানে জৈব প্রযুক্তি এবং জেনেটিক্স নিয়ে তাদের আগ্রহের কথা বলেছে। তাদের ক্লাসে যখন বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলি পড়ানো হচ্ছে, তখন তারা জিন মানচিত্রায়ন, এফিনিটি ক্রোমাটোগ্র্যাফি এবং জেনেটিক লাইব্রেরী-ভিত্তিক নানা টুলস্‌ নিয়ে কথা বলছিল। এই দুটির মধ্যে কতটা ব্যবধান আপনারা কল্পনা করুন। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমি ভাবছিলাম যে, এরা যখন উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে পৌঁছবে, তখন কি আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের উপযোগী শিক্ষাদানে প্রস্তুত থাকবে। না হলে তো বিশ্বের উন্নত দেশের ছাত্রছাত্রীদের তাদের তুলনায় এগিয়ে যাবে। সেজন্য আমাদের এখনই ভাবতে হবে। যে বয়সে ছেলেমেয়েদের মনে উৎসাহ ও উদ্দীপনা রয়েছে, সেই বয়সে যাতে তারা যথাযথ গাইডেন্স ও সম্পদ পায় – সেই ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। আর আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলিতে তেমন ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ করতে হবে। বন্ধুগণ, এ মাসের শেষে ২৯ জুলাই তারিখে নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি দু’বছর পূর্তি হতে চলেছে। একটু আ��েই ধর্মেন্দ্রজী বলছিলেন, অনেক দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা প্রক্রিয়ার পরই এই নতুন শিক্ষা নীতি প্রবর্তিত হয়েছে। এক্ষেত্রে কস্তুরিরঙ্গনজী খুব ভালো নেতৃত্ব দিয়েছেন। এত বৈচিত্র্যময় দেশ, এদেশে নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতিকে যেভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে – এটাই একটা অনেক বড় সাফল্য। কিন্তু এর বৈশিষ্ট্য দেখুন, এটির রচনা করতে গিয়ে যত পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে, তা সত্যিই অভিনব। সাধারণতঃ, সরকারি কাজের একটা নিজস্ব প্রকৃতি রয়েছে, একটি নথি তৈরি হয়ে গেলে সেটাকে সময়ের ভরসায় ছেড়ে দেওয়া হয়, সেই নথি কিছুদিন আপনাদের টেবিলের শোভা বাড়ায়। তারপর একদিন নতুন কোনও নথি এসে পুরনো নথির স্থান নিয়ে দেয়।এই অভিজ্ঞতা এখানে বসে থাকা সবারই আছে। কিন্তু আমরা এমনটি হতে দিই নি। আমরা প্রতি মুহূর্তে এই নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিকে জীবিত রেখেছি। আমি নিজেই এত কম সময়ে কমপক্ষে ২৫টি সেমিনারে উপস্থিত থেকেছি। ২৫বারেরও বেশি এই বিষয়ে বক্তব্য রেখাছি। এই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরও স্বয়ং কস্তূরীরঙ্গনজী নিয়মিত এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলে যাচ্ছেন। কারও কোনও জিজ্ঞাস্য থাকলে তাঁদের বোঝাচ্ছেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রেক্ষিত কী, কোন দূরদৃষ্টি থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা বোঝাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত বিভাগ নিয়মিত চেষ্টা করে যাচ্ছে। কারণ, এই নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি ৩০ বছর পর এসেছে। কোনও তথ্য শুধু কিছু কাগজের গোছা হিসাবে আমাদের কাছে পৌঁছে গেলে চলবে না। এখানে আগামী তিন দিন আপনারা যখন আলাপ-আলোচনা করবেন, তার আগে নিশ্চয়ই এই নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতিকে সম্পূর্ণভাবে পড়ে নিয়েছেন, আর অনেক সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয় নিয়ে বা কিছু নতুন পদ্ধতি নিয়ে নিজেদের পরামর্শ দেবেন বা এগুলির প্রয়োগ নিয়ে বিতর্কে অংশগ্রহণ করবেন। সেজন্য নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ও এরকম ক্রমাগত চিন্তাভাবনার মন্থনের পরিকল্পনা রচনা করে এখান থেকে ফিরে যাবেন। এখানে এসে শুধু সকলের কথা শুনে ফিরে যাবেন না। আপনার সমস্ত সহকর্মীদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করবেন আর সেই আলাপ-আলোচনার মন্থন থেকে যে সিদ্ধান্ত বেরিয়ে আসবে, তা গোটা প্রক্রিয়াকে সমৃদ্ধ করবে। এটাই প্রয়োগের ক্ষেত্রে সমস্ত সমস্যা দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সেজন্য প্রতিটি বিষয়কে আমাদের অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে অনুধাবন করতে হবে। বন্ধুগণ, আজ যখন আমরা কোনও কা�� হাতে নিই, তখন সম্ভাব্য সমস্যাগুলির সমাধানের কথাও আমরা ভেবে রাখি। সমস্যাকে ভয় করলে সমাধান কখনও বেরোবে না। বন্ধুগণ, এই দু’বছরে নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি কার্যকর করার লক্ষ্যে দেশে অনেক দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই সময়ে অ্যাক্সেস কোয়ালিটি অ্যান্ড ফিউচার রেডিনেস – এর মতো প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি নিয়ে আয়োজিত কর্মশালাগুলি থেকে অনেক সাহায্য পাওয়া গেছে। দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রীদের এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে, তাও এর বাস্তবায়নকে আরও গতি দিয়েছে। কিছুদিন আগে আমাদের ধর্মেন্দ্রজী সারা দেশের শিক্ষা মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যেভাবে আপনাদের সঙ্গে কথা বলছেন, সেভাবেই তাঁদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। সকলে মিলে নিয়মিত চেষ্টা করে যাচ্ছেন, যাতে আমরা কিভাবে নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতিকে ১০০ শতাংশ বাস্তবায়িত করতে পারি। রাজ্য সরকারগুলিও নিজেদের স্তরে এই লক্ষ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। আজ সকলের প্রচেষ্টার ফলে দেশ ও বিশেষ করে, দেশের নবীন প্রজন্ম এই বড় পরিবর্তনের অংশীদার হয়ে উঠছে। বন্ধুগণ, নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতির জন্য দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি বড় পরিকাঠামোগত সংস্কারের কাজও হয়েছে। আজ দেশের সর্বোত্র অনেক নতুন নতুন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে। নতুন নতুন আইআইটি এবং আইআইএম স্থাপন করা হচ্ছে। ২০১৪ সালের পর থেকে দেশে মেডিকেল কলেজগুলির সংখ্যা ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। নবীন প্রজন্মকে বেশি সুযোগ দেওয়ার জন্য আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সমমান বজায় রাখার জন্য এ বছর থেকে কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট-ও চালু করা হয়েছে। এরকম আরও অনেক সংস্কার আনা হয়েছে। এই সমস্ত প্রচেষ্টার ফলেই ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং-এ ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এই পরিবর্তন একটি সূত্রপাত মাত্র। এখন এই লক্ষ্যে অনেক দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হবে। বন্ধুগণ, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এই নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি এখন মাতৃভাষায় উচ্চ শিক্ষার নতুন নতুন পথ খুলছে। এভাবে সংস্কৃতের মতো প্রাচীন ভারতীয় ভাষাগুলিকেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমি এখানে দেখতে পাচ্ছি, এই আয়োজনেও সংস্কৃত ভাষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। কাশীর মাটিতে আয়োজিত এই শুভ সূচনা নিশ্চিতভাবেই ভারতীয় ভাষাগুলি এবং ভারতীয় সংকল্পগুলিকে নতুন প্রাণশক্তি প্রদানের কাজ করবে। বন্ধুগণ, আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আগামী দিনে ভারত বিশ্বে আন্তর্জাতিক শিক্ষার একটি বড় কেন্দ্র হয়ে উঠে আসতে পারে! ভারত শুধু বিশ্বের যুবসম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষালাভের গন্তব্য হয়ে উঠবে না, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের যুবসম্প্রদায়ের জন্য নতুন নতুন সুযোগ গড়ে তুলতে পারে। এই লক্ষ্যে আমাদের নিজেদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানের করে প্রস্তুত করতে হবে। এই লক্ষ্যে দেশ নিয়মিত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উচ্চ শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানের করে তুলতে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশ জারি করা হয়েছে। প্রায় ১৮০টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক বিষয়গুলি নিয়ে বিশেষ কার্যালয় স্থাপনের কাজও করা হয়েছে। আমি চাই যে, আপনারা সকলে এই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আলাপ-আলোচনা করবেন। আর ভারতের বাইরের ব্যবস্থাগুলি সম্পর্কে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করবেন। এই নতুন ব্যবস্থা ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাগুলির সঙ্গেও যুক্ত করার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। বন্ধুগণ, এই তিন দিনে আপনারা বিভিন্ন অধিবেশনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। আমি চাইবো যে, সেই আলোচনাগুলি থেকে নতুন নতুন ক্ষেত্রে নতুন নতুন পথ খুলুক আর দেশের নবীন প্রজন্ম দিক-নির্দেশ পাক। বিশ্বের অনেক দেশ ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে যে গতিতে এগিয়ে চলেছে, তার পেছনে সেসব দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অবদান অনস্বীকার্য। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিয়মিত সামাজিক অর্থনৈতিক ও বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলি নিয়ে গবেষণা করায়, সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়। আমাদের দেশেই সেই সংস্কৃতি, এই কর্মপদ্ধতি বিকশিত করার প্রয়োজন রয়েছে। এভাবে নবীন প্রজন্ম দেশের নীতিগুলি ভালোভাবে বুঝতে পারবে। সেগুলির সম্ভাবনাগুলির সঙ্গেও পরিচিত হবে। আমি বরাবরই মনে করি, দেশের নবীন প্রজন্মের উদ্ভাবক ভাবনা এবং নতুন নতুন চিন্তা থেকে গড়ে ওঠা নতুন ব্যবস্থা রচনা করা উচিত। এতে তাজা প্রতিভাসম্পন্ন নবীন প্রজন্ম থেকে তাজা ভাবনার যোগান আসে। আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০-১০০ কিমি পরিধিতে স্থানীয় প্রয়োজন অনুসারেও ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তুত করতে হবে। গুজরাটের সর্দার প্যাটেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গ্রামোন্নয়ন নিয়ে অনেক গবেষণা করে বেশ কিছু বই লিখেছেন, সেগুলি আমাকে উপহার দিয়েছেন।সেগুলি পড়ে আ��ি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আমাদের কাজ আর ছাত্রছাত্রীদের ভাবনার মধ্যে ব্যবধান খুঁজে বের করা আর তা শুধরানোর কাজ দিই।এতে আমাদের কাজকে আরও বেশি জনস্বার্থের অনুকূল করে তুলতে পেরেছি। বাতানুকুল কামরায় বসে সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া আর তৃণমূল স্তরে সরেজমিনে খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গবেষকরা মাঠেময়দানে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন, শিক্ষকদের সাহায্যে সেগুলি বিশ্লেষণ করে যেসব পরামর্শ দেন, সেগুলি যে কোনও প্রকল্প বাস্তবায়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আমাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গবেষণাগারে কাজ করে গবেষকরা যেসব নিবন্ধ লেখেন, সেগুলি যেন আন্তর্জাতিক মানের হয়, আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে লেখা হয়, আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনগুলিতে ছাপা হয়, এই দিকটা তো আপনারা দেখবেনই। এর পাশাপাশি ডিগ্রিলাভের পর, এই নিবন্ধগুলি যাতে গবেষণাগারেই পড়ে না থাকে, দেশের উন্নয়নের পথচিত্র রচনায় কাজে লাগে, ‘ল্যাব টু ল্যান্ড’বা গবেষণাগার থেকে জমিতে – এই দিকটাও আপনাদের দেখতে হবে। আবার দেশের ঐতিহ্যগত অভিজ্ঞতাগুলিকেও আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে ছাত্রছাত্রীরা যাতে তাঁদের গবেষনাকে সমৃদ্ধ করতে পারে! যেমন, আমাদের ঐতিহ্যগত ঔষধি আয়ুর্বেদের জ্ঞানকে কেউ অস্বীকার করতে পারেন না। বিশ্বের বেশ কিছু দেশ ঐতিহ্যগত ঔষধি ক্ষেত্রে আমাদের থেকে এগিয়ে গেছে। সেজন্য শুধু মুখে বললে হবে না যে, আমাদের আয়ুর্বেদিক জরি-বুটি অনেক বেশি সুফলদায়ক! প্রমাণ দিতে হবে। পরিণামের পাশাপাশি, আমাদের কাছে সাফল্যের ডেটাবেস থাকতে হবে। এর সম্পূর্ণ বিস্তারিত রেকর্ডই বিশ্ববাসীর কাছে এই সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরতে পারবে। আমাদের আবেগ দিয়ে বিশ্বকে বদলাতে পারবো না। বিশ্বের সামনে একে মডেল হিসাবে তৈরি করতে হলে প্রমাণের প্রয়োজন রয়েছে। আর এই প্রমাণ সংগ্রহের কাজ করবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। এই প্রমাণের নথি তৈরি করার ব্যবস্থা তাদেরকেই বিকশিত করতে হবে। প্রমাণ-ভিত্তিক ঐতিহ্যগত ঔষধি নিয়ে গবেষণার কাজও এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি খুব ভালোভাবে করতে পারে। বন্ধুগণ, আমাদের দেশে জনসংখ্যাগত সুবিধা আমাদের অনেক বড় শক্তি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এই বিষয় নিয়ে চর্চা করতে পারে। কিভাবে আগামী ২০-৩০ বছরে এই জনসংখ্যাগত সুবিধাকে কাজে লাগাতে পারবো। এখন বিশ্বের সমৃদ্ধ দেশগুলি তাদের জনগণের ক���রমবর্ধমান আয়ুকে দেশের কাজে লাগানো নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। বয়স বৃদ্ধি একটা সমস্যা। পাশাপাশি, তাদের দেশে নবীন প্রজন্মের সংখ্যাল্পতা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। তুলনামূলকভাবে আমাদের দেশ নবীন প্রজন্মের সংখ্যায় অনেক সমৃদ্ধ। আমাদের দেশেও ভবিষ্যতে এমন দিন আসতে পারে, যখন নবীনদের তুলনায় বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশি হবে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য উন্নত দেশগুলি কোন পথ বেছে নিয়েছে, আমরা এখন থেকেই কী কী পদক্ষেপ নিলে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হব না, তা নিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গবেষকরা কাজ করতে পারেন। একইভাবে, আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়েও কাজ করার অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের দেশ সিডিআরআই প্রকল্প রচনা করেছে। আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত সমস্যাগুলি প্রতিরোধে আমরা পরিকাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। কিন্তু, বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় আর কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে, সে সম্পর্কেও আপনাদের গবেষণা অনেক কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। আজ সারা বিশ্ব সৌরশক্তির দিকে এগোচ্ছে। ভারত ভাগ্যবান যে, আমাদের দেশে নিয়মিত সূর্যের আলো আমরা পাই। এই সূর্যের আলোর যথাযোগ্য ব্যবহার যাতে আমরা করতে পারি, সেদিকে লক্ষ্য রেখে সরকারি নীতিতে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। কিন্তু, আপনারা গবেষণার মাধ্যমে নতুন যুগের প্রয়োজন অনুসারে এই সৌর জ্বালানীর ব্যবহার কিভাবে আরও বাড়ানো যেতে পারে এবং সৌরশক্তি উৎপাদনকে আরও কিভাবে সুলভ করা যেতে পারে, সে বিষয়ে নতুন নতুন অনুসন্ধান করুন। একইভাবে, বন্ধুগণ স্বচ্ছ ভারতের বিষয়গুলি নিয়ে কোনও সমঝোতা করা উচিৎ নয়। পাশাপাশি, আমরা বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরণের ক্ষেত্রে আরও কত নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করতে পারি, তা দেখতে হবে। নতুন নতুন প্রয়োগ, নতুন নতুন উদ্ভাবন এক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই সাফল্য আমাদের সার্কুলার ইকনোমিকে স্থানীয় স্তরে আরও শক্তিশালী করবে। এই সার্কুলার ইকনমিও আজকের ছত্রাছাত্রীদের জন্য একটি নতুন বিষয়। একইভাবে, ক্রীড়া ক্ষেত্রে আজ দেশ নতুন আত্মবিশ্বাস নিয়ে নতুন নতুন সাফল্য অর্জন করছে। দেশে নতুন নতুন ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে কিন্তু এর মানে এই নয় যে, বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পড়ুয়াদের সঙ্গে খেলাধূলার কোনও সম্পর্ক থাকবে না। আমাদের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠগুলি যেন বিকেলবেলায় ছাত্রছাত্রীদের খেলার সাক্ষী থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহ এমন হওয়া উচিৎ যাতে ছাত্রছাত্রীরা সেখান থেকে বাড়ি না ফিরতে চায়। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় তার পড়ুয়াদের জন্য কতগুলি ক্রীড়া ক্ষেত্রে স্বর্ণ পদক ও অন্যান্য পদক আনতে পারবে, তার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী, ছাত্রছাত্রীদের জন্য পরিকাঠামো ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। পড়ুয়ারা যত বেশি ক্রীড়া ক্ষেত্রে নিজেদের উন্নত মানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাবে, ততই তারা নিজেদেরকে ক্রীড়া সম্পদ হিসাবে গড়ে তুলতে পারবে। নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতির ফলে এরকম অনেক নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বন্ধুগণ, আমাদের সকলকে মনে রাখতে হবে যে, দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতির নেতৃত্ব এখন আপনাদের সকলের হাতে রয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই অখিল ভারতীয় শিক্ষা সমাগমে আপনাদের আলাপ-আলোচনার মন্থন থেকে যে অমৃত বেরিয়ে আসবে, সেসব পরামর্শ দেশকে একটি নতুন দিশায় এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। যে নবীন প্রজন্মকে নিয়ে আপনারা কাজ করছেন, তাদেরকে আপনারা আজকের জন্য নয়, ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করছেন। তারা ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হলে তবেই আপনার প্রতিষ্ঠান আগামী ১০০ বছরের জন্য নাগরিক তৈরির জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে। এই মনোভাব নিয়েই আজ আপনারা সকলে কাশীর এই পবিত্র ভূমিতে এসেছেন। এই মা গঙ্গার তীরে সম্পূর্ণ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নতুন চেতনা এবং প্রেরণাদায়ী ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ঐতিহ্য থেকে কিছু অমৃতবিন্দু আপনাদের ভাগ্যেও রয়েছে। এই অমৃতবিন্দুগুলি আপনারা সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন, নিজেদের সঙ্গে রাখবেন। তখন আপনাদের কাছে আসা আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও অমৃতকালে ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। আমি আরেকবার বিভাগের আয়োজনে এই সুন্দর কর্মসূচি রচনার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আপনারা সকলে যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন, তা যেন সফল হয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই তিন দিনে আপনারা ক্লান্ত হবেন না। আমি এখানে বসে এই কর্মসূচি দেখছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল, তিন দিন পর আপনাদের না জানি কী অবস্থা হবে! কিন্তু আপনারা শিক্ষা জগতের মানুষ, আপনারা নিশ্চয়ই এই তিন দিনকে প্রত্যেকের জন্য সফল করে তুলবেন। আপনাদের সকলকে আমার অনেক অনেক শুভকামনা। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",বাৰাণসীত অখিল ভাৰতীয় শিক্ষা সমাগমৰ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%A4-%E0%A6%94%E0%A6%B7%E0%A6%A7-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%85-2/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে চিরাচরিত ওষুধ ব্যবস্থা ও হোমিওপ্যাথি ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ভারত ও কিউবার মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকটি কার্যপরবর্তী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এবছরের ২২ জুন এই সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর ফলে, দু’দেশের মধ্যে চিরাচরিত ওষুধ ব্যবস্থা ও হোমিওপ্যাথির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় চিরাচরিত চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে আয়ুর্বেদ, যোগা ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা, সওয়া রিগপা এবং হোমিওপ্যাথিও রয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগের অঙ্গ হিসাবে এই সমঝোতাটি বিশেষ ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।",পৰম্পৰাগত ঔষধ আৰু হোমিঅ’পেথীৰ ক্ষেত্ৰত সহযোগিতা বৃদ্ধিৰ লক্ষ্যৰে ভাৰত আৰু কিউবা মাজত স্বাক্ষৰিত বুজাবুজি চুক্তিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%93/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%83%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A5%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BE/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল অর্থাৎ ১৫ জানুয়ারি ওডিশার বলাঙ্গির সফরে যাবেন। তিনি ঝাড়সুগুদায় একটি মাল্টি-মোডাল লজিস্টিক পার্ক জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রী বলাঙ্গির থেকে বিচুপালির মধ্যে একটি নতুন রেল লাইনেরও উদ্বোধন করবেন। এছাড়া, সোনপুরে তিনি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের একটি স্থায়ী ভবনের শিলান্যাস করবেন। ঝাড়সুগুদায় উন্নতমানের পরিবহণ কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মাল্টি-মোডাল লজিস্টিক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। এখান থেকে আমদান-রপ্তানি এবং অভ্যন্তরীণ পণ্য পরিবহণ ও বেসরকারি উদ্যোগে পণ্য লেনদেনের ব্যবস্থা হবে। এই পার্কটি হাওড়া – মুম্বাই রেলপথের ঝাড়সুগুদা রেল স্টেশন থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই পার্কের কাছাকাছি ইস্পাত, সিমেন্ট, কাগজ-সহ বিভিন্ন ধরণের শিল্প কারখানা রয়েছে এবং এগুলি এই পরিবহণ পরিকাঠামোর স���বিধা পাবে। এই লজিস্টিক পার্কটি ঝাড়সুগুদাকে সমগ্র ওডিশার মধ্যে একটি প্রধান পরিবহণ কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা দেবে এবং এই রাজ্যে সহজে ব্যবসার সুবিধা আরও বাড়বে। ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বলাঙ্গির থেকে বিচুপালির মধ্যে নতুন রেল লাইনটি উপকূলবর্তী ওড়িশার সঙ্গে পশ্চিম ওড়িশার যোগাযোগ স্থাপন করবে এবং সারা রাজ্যে উন্নয়নের ভারসাম্য আনবে। এছাড়া, নতুন দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের মতো প্রধান শহরগুলি থেকে ভুবনেশ্বর ও পুরী যাতায়াতের সময় কমবে। নতুন এই রেল লাইনটি এই অঞ্চলে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ওড়িশার কুটির শিল্পের পক্ষে সহায়ক ভূমিকা নেবে এবং এই রাজ্যের খনি ক্ষেত্রের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। ঐ দিন তাঁর সফরের সময়ে প্রধানমন্ত্রী নিম্নলিখিত প্রকল্পগুলির সূচনা করবেন – ঝাড়সুগুদা থেকে ভিজিনগরম্‌ এবং সম্বলপুর থেকে আঙ্গুলের মধ্যে রেলপথের বৈদ্যুতিকীকরণ প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। ১০৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ৮১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথটি বিদ্যুতায়িত হলে এই অঞ্চলে রেল যোগাযোগের আরও উন্নতি হবে। বড়পালি থেকে ডুঙ্গারিপালি এবং বলাঙ্গির থেকে দেওগাঁ-র মধ্যে র মধ্যে ১৩.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে লাইন ডবল করার কাজ উৎসর্গ করবেন। থেরুভ্যালি থেকে সিঙ্গাপুর রোড স্টেশনের মধ্যে রেলপথের ওপর নবনির্মিত ৫৮৮ নম্বর সেতুটির উদ্বোধন করবেন। এর ফলে, ২০১৭ সালের জুলাই মাসের বন্যায় নাগাভ্যালি নদীর ওপর ভেঙে পড়া এই সেতুটি পুনর্নির্মিত হওয়ায় এই রেলপথে যোগাযোগ পুনঃস্থাপিত হবে। প্রধানমন্ত্রী ওড়িশায় পাসপোর্ট সংক্রান্ত পরিষেবার উন্নয়ন এবং পর্যটন ক্ষেত্রের প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য ঐ দিন জগৎসিং, কেন্দ্রপাড়া, পুরী, কন্ধমাল, বরগড় এবং বলাঙ্গিরে নতুন পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন। এতদিন পর্যন্ত এই অঞ্চলের মানুষদের পাসপোর্ট পরিষেবার জন্য ভুবনেশ্বর যেতে হ’ত। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বৌধ – এর গান্ধাহা্রাডি-তে অবস্থিত সিদ্ধেশ্বর এবং নীলমাধব মন্দিরের সংস্কার এবং পুনর্নবীকরণের কাজের উদ্বোধন করবেন। এই মন্দিরগুলি ওড়িশার মন্দির স্থাপত্যের অন্যতম প্রাচীণ নিদর্শন এবং পশ্চিম ওড়িশার ‘হর-হরি’ সাংস্কৃতিক ঘরাণার নিদর্শন। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী বলাঙ্গিরের রানীপুর ঝরিয়াল প্রত্নসৌধগুলির সংস্কারের কাজের সূচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রী কালাহান্ডির অসুরগড়�� প্রাচীন অসুরগড় দুর্গের পুনর্নবীকরণ ও সংস্কারের কাজেরও উদ্বোধন করবেন। সোনপুরে প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের স্থায়ী ভবনের শিলান্যাস করবেন। ২০১৪-র এপ্রিল মাসের পর প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে দ্বিতীয়বার বলাঙ্গির সফরে যাচ্ছেন।","আন্তঃগাঁথনি উন্নয়ন, যোগাযোগ সহজে ব্যৱসায় কৰিব পৰা সুবিধাই উপকূলৱৰ্তী আৰু পশ্চিম ওড়িশাত উন্নয়ন সাধন কৰিব" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BF-%E0%A6%8F%E0%A6%B8-%E0%A6%A8%E0%A6%87%E0%A6%AA%E0%A6%B2-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BF-%E0%A6%8F%E0%A6%9B-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7/,"ভি.এস.নইপল-এর প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “স্যার ভি.এস.নইপল ইতিহাস, সংস্কৃতি, উপনিবেশবাদ, রাজনীতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর প্রয়াণ বিশ্ব সাহিত্যের এক বড় ক্ষতি। দুঃখের এই সময়ে তাঁর পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের আমি সমবেদনা জানাই।” /",ভি.এছ নাইপলৰ মুত্যুত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শোক প্ৰকাশ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1-%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A7%8B-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A1/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1-%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A7%8B-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A8/,"নতুনদিল্লি, ২১শে জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কোভিড-১৯ আক্রান্ত মার্কিন রাষ্ট্রপতি শ্রী জো বাইডেনের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “কোভিড-১৯ আক্রান্ত মার্কিন রাষ্ট্রপতি @",ক’ভিড আক্ৰান্ত জো বাইডেনৰ আশু আৰোগ্য কামনা কৰিছে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%AB%E0%A7%A6%E0%A7%A6%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%98%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B8/,"নমস্কার। সাহেব বন্দেগি। আজ আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান বলে মনে করছি, কারণ, মহান সুফিসন্ত কবীরদাসের স্মৃতিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরেছি। আমি এই পবিত্র মাটিকে এবং আপনাদের সকলকে প্রণাম জানাই। উত্তর প্রদেশের জনপ্রিয় ও যশস্বী মুখ্যমন্ত্রী শ্রী আদিত্যনাথ যোগী, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী শ্রী মহেশ শর্মা, শ্রী শিবপ্রসাদ শুল্কা, রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ডঃ রীতা বহুগুনা ও শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধুরী, সংসদ সদস্য এবং উত্তর প্রদেশ বিজেপি-র সভাপতি আমার বন্ধু ডঃ মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে, স্থানীয় সংসদ সদস্য শ্রী শরত ত্রিপাঠী, উত্তর প্রদেশের মুখ্যসচিব শ্রী রাজীব কুমার, এখানে উপস্থিত অন্যান্য মাননীয় ব্যক্তিবর্গ এবং দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা। আজ মগহরের এই পবিত্র ভূমিতে আসার সৌভাগ্য হয়েছে, আমার মনে একটি বিশেষ সুখানুভূতি সঞ্চারিত হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, প্রত্যেকের মনেই এমন তীর্থস্থানে যাওয়ার ইচ্ছে থাকে, আজ আমার সেই ইচ্ছে পূরণ হ’ল। কিছুক্ষণ আগে সন্ত কবীরদাসের সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান ও তাঁর মাজারে চাদর চড়ানোর সৌভাগ্য হ’ল। আজ আমার সেই গুহাটিও দেখার সৌভাগ্য হয়েছে, যেখানে কবীরদাস সাধনা করতেন। ভারতীয় সমাজকে শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরে মৈত্রী ও সাম্যের পথে যাঁর আলোকবর্তিকা সঠিক পথ দেখিয়েছে, সেই মহাত্মা কবীরের নির্বাণভূমিতে দাঁড়িয়ে আমি তাঁকে কোটি কোটি প্রণাম জানাই। কথিত আছে যে, এখানেই সন্ত কবীর, গুরু নানকদেব এবং বাবা গোরখনাথ মুখোমুখী বসে আধ্যাত্মিক আলোচনা করেছিলেন। সেই পবিত্র মগহরে এসে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। আজ জ্যৈষ্ঠ শুক্ল পূর্ণিমা। আজ থেকেই ভগবান ভোলানাথের যাত্রা শুরু হবে। আমি তীর্থযাত্রীদের সুখময় যাত্রার জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। কবীরদাসের ৫০০তম পুণ্য তিথি উপলক্ষে আজ থেকে এক বছরের জন্য এখানে কবীর মহোৎসবের সূচনা হ’ল। সমগ্র মানবতার জন্য সন্ত কবীরদাস যে উচ্চ ভাবনাসম্পন্ন সম্পত্তি রেখে গেছেন, তার দ্বারা আমরা সকলেই উপকৃত হব। কবীর নিজেই বলে গেছেন তীর্থ গয়ে তো এক ফল, সন্ত মিলে ফল চার। সদ্‌গুরু মিলে অনেক ফল, কহে কবীর বিচার।। অর্থাৎ, তীর্থে গেলে একবার পুণ্য হয়, কিন্তু একজন সন্ন্যাসীর সংস্পর্শে এলে চারবার পুণ্য হয়। সদ্‌গুরুর পেলে অনেক পুণ্য হয়। মগহরের মাটিতে এই কবীর মহোৎসবে আমরা এমনই পুণ্য অর্জন করতে পারব। ভাই ও বোনেরা, একটু আগেই এখানে সন্ত কবীর অ্যাকাডেমির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। প্রায় ২৪ কোটি টাকা খরচ করে এখানে মহাত্মা কবীরের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। তাঁর আদর্শকে সঞ্জীবিত করে রাখার জন্য বিভিন্ন সংস্থা গড়ে তোলা হবে। কবীর যে সামাজিক চেতনা জাগ্রত করার জন্য আজীবন কাজ করে গেছেন, সেগুলিকে সঞ্জীবিত রাখা জন্য কবীর গীতি প্রশিক্ষণ ভবন, কবীর নৃত্য প্রশিক্ষণ ভবন, গবেষণা কেন্দ্র, গ্রন্থাগার, প্রেক্ষাগৃহ, ছাত্রাবাস, শিল্প প্রদর্শনশালা ইত্যাদি গড়ে তোলার পরিকল্পনা এর মধ্যে সামিল রয়েছে। সন্ত কবীর অ্যাকাডেমি উত্তর প্রদেশের আঞ্চলিক ভাষাগুলি এবং লোক সংস্কৃতির বিকাশ ও সংরক্ষণের জন্যও কাজ করবে। ভাই ও বোনেরা, কবীরের সমগ্র জীবন সত্যের অণ্বেষণে এবং অসত্যের খন্ডনে ব্যতীত হয়েছে। কবীরের তাঁর সাধনা কোনও কিছু মেনে নিয়ে শুরু করেননি, তিনি জানার জন্য শুরু করেছিলেন। তিনি আনখশির মস্তমৌলা স্বভাবের ফকির, একরোখা, ভক্তদের সেবক, বাদশাহের জন্য অত্যন্ত সাহসী, পরিচ্ছন্ন মন, উন্নত মস্তিষ্ক, বাইরে থেকে কঠোর কিন্তু কোমল হৃদয়ের স্বশিক্ষিত সন্ত ছিলেন। মহাত্মা কবীরদাস মাটি থেকে নিজেকে এমনভাবে গড়ে তুললেন যে তাঁর দর্শনকে মানুষ কপালের চন্দন করে নিলেন। তিনি ব্যক্তি থেকে অভিব্যক্তিতে পরিণত হলেন। তারপর শব্দ থেকে শব্দব্রহ্ম হয়ে উঠলেন। তিনি ভাবনাকে ব্যবহারে রূপান্তরিত করে অমর হয়ে গেলেন। সন্ত কবীরদাস সমাজকে শুধুই পথপ্রদর্শন করেননি, সমাজের চেতনাকে জাগ্রত করার জন্য তিনি কাশী থেকে মগহর এসেছিলেন। মগহরকে তিনি প্রতীক রূপে বেছে নিয়েছিলেন। কবীর বলেছিলেন, ক্যায়া কাসী ক্যায়া উসর মগহর, রাম হৃদয় বসো মোরা। অর্থাৎ, কাশীতে থাকি কিম্বা মগহর, রাম বাস করে আমার হৃদয়ে। তিনি আরও বলেছিলেন, হম কাসী মেঁ প্রকট ভয়ে হ্যাঁয়, রামানন্দ চেতায়ে। অর্থাৎ, তিনি কারও শিষ্য নন, রামানন্দ দ্বারা আলোকপ্রাপ্ত চেলা। কাশী তাকে আধ্যাত্মিক চেতনা আর গুরুর সান্নিধ্য দিয়েছিল। ভাই ও বোনেরা, কবীরকে ভারতাত্মার সঙ্গীত, রস আর হৃদয় বলা যেতে পারে। তিনি সাধারণ গ্রামীণ মানুষের মনের কথা দিয়ে তাঁদেরই কথ্য ভাষায় মালা গেঁথেছিলেন। গুরু রামানন্দের শিষ্য ছিলেন, তিনি জাতপাত কিভাবে মানবেন! তিনি জাতিভেদের বিরুদ্ধে ঘোষণা করেন যে, ‘সব মানস কী এক জাতি’। অর্থাৎ, সমস্ত মানুষের জাত এক। নিজের অহঙ্কারকে চূর্ণ করে সেখানে বিরাজমান ঈশ্বর দর্শনের পথ দেখিয়েছেন কবীরদাস। তিনি সকলের ছিলেন, তাই সকলে তাঁর হয়ে গেছেন। তিনি লিখেছিলেন যে, কবীরা খড়া বাজার মেঁ মাঙ্গে সবকী খ্যার। ন কাহু সে দোস্তি, ন কাহু সে ব্যার।। তাঁর দোহাগুলি বোঝার জন্য কোনও অভিধানের প্রয়োজন নেই। সরল কথ্য ভাষায় সহজভাবে জীবনের গভীর রহস্যগুলিকে তিনি সাধারণ মানুষের বোধগম্য করে তুলেছিলেন। নিজের অন্তরের রামকে দেখো, হরি তোমার মনেই আছে, বাইরের আড়ম্বর দেখে বৃথাই সময় নষ্ট কর, নিজেকে সংশোধন কর – তা হলেই হরির দর্শন পাবে। জব ম্যাঁয় থা তব হরি নেহি, জব হরি হ্যাঁয় ম্যাঁয় নেহি। সব অন্ধিয়ারা মিট গয়া দীপক দেখা মাহী।। অর্থাৎ, যখন আমি নিজের অহঙ্কারে ডুবে ছিলাম, তখন প্রভুকে দেখতে পাইনি কিন্তু যখন গুরু আমার মনে জ্ঞানের আলোক জ্বালিয়ে আমার অন্তর প্রকাশিত করেন, তখন অজ্ঞানতার সমস্ত অন্ধকার মিটে গেছে। বন্ধুগণ, এটাই আমাদের দেশের মহান তপস্যা, এর শক্তি যে সময়ের সঙ্গে সমাজের অভ্যন্তরীণ সমস্ত খারাপ কিছুকে সংশোধন করার জন্য একের পর এক ঋষি, মুনি, আচার্য, সন্ত, সাধু-সন্ন্যাসীরা পথ দেখিয়েছেন। এই মহান তেজস্বী-তপস্বীদের শিক্ষার ফলেই কয়েকশো বছরের দাসত্বের সময়েও দেশের আত্মা সঞ্জীবিত থেকেছে, সাম্য ও সদ্ভাব অক্ষত থেকেছে। ভগবান বুদ্ধ, মহাবীর, সন্ত কবীর, সন্ত সুরদাস, সন্ত গুরুনানকের মতো অনেক মহাপুরুষ দেশের নানা প্রান্তে জন্ম গ্রহণ করে সমাজকে পথ দেখিয়েছেন, ভারতাত্মার সংরক্ষণ সুনিশ্চিত করেছেন। দক্ষিণ ভারতে মাধবাচার্য, নিম্বাগারাচার্য, বল্লভাচার্য, সন্ত বাসবেশ্বর, সন্ত তিরুগল, সন্ত তিরুবল্লার, রামানুচার্য; পশ্চিম ভারতে মীরাবাঈ, সন্ত একনাথ, সন্ত তুকারাম, সন্ত রামদাস, সন্ত জ্ঞানেশ্বর, মহর্ষি দয়ানন্দ, নরসী মেহতা; উত্তর ভারতে রামানন্দ, কবীরদাস, গোস্বামী তুলসীদাস, সুরদাস, গুরুনানকদের সন্ত রৈদাস; পূর্ব ভারতে চৈতন্য মহাপ্রভু, আচার্য শঙ্করদেব, রামকৃষ্ণ পরমহংস-এর মতো মহাপুরুষরা আলোকবর্তিকা প্রদর্শন করেছেন। এই ঋষি-মুনি মহাপুরুষদের প্রভাবেই ভারত সেই কঠিন সময়ে যাবতীয় বিসঙ্গতি সহ্য করে এগিয়ে গেছেন এবং নিজেকে সঙ্কটমুক্ত করতে পেরেছেন। পেশা ও বর্ণভেদকে জয় করতে রামানুচার্য যে ঈশ্বর ভক্তির পথ দেখিয়েছেন, সে পথেই এগিয়ে সন্ত রামানন্দ সকল জাতি ও সম্প্রদায়ের মানুষকে নিজের শিষ্য করে নিয়ে জাতপাতকে কঠিন প্রহার করেছিলেন। সন্ত রামানন্দই সন্ত কবীরকে রামনামের পথ দেখিয়েছিলেন। এই রামনামের মাধ্যমেই কবীর আজও প্রজন্মের পর প্রজন্মকাল ভারতবাসীকে সচেতন করে যাচ্ছেন। ভাই ও বোনেরা, সন্ত কবীরের পর এই বার্তা ছড়িয়ে দেন রৈদাস। কয়েকশো বছর পর মহাত্মা ফুলে, মহাত্মা গান্ধী এবং বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর একই ভাবধারা নিয়ে সমাজে অসাম্য দূর করার জন্য নিজের মতো করে সমাজকে পথ দেখিয়েছেন। বাবাসাহে�� আমাদের দেশকে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। দেশের নাগরিক হিসাবে প্রত্যেককে সমান অধিকার দিয়েছেন। দুর্ভাগ্যবশত, আজ এই মহাপুরুষদের নামে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সমাজকে বিভাজিত করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। কিছু রাজনৈতিক দল সমাজে শান্তি ও উন্নয়ন চায় না, তারা চায় কলহ ও অশান্তি। তারা মনে করে, যতটা অসন্তোষ ও অশান্তির পরিবেশ তাঁরা সৃষ্টি করতে পারবেন, ততই তাঁদের রাজনৈতিক লাভ হবে। কিন্তু বাস্তব হ’ল – মাটির সঙ্গে এদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। সন্ত কবীর, মহাত্মা গান্ধী এবং বাবাসাহেবের আদর্শ অনুসরণকারী এই দেশের মূল স্বভাব কী, সেটাই তাঁরা বুঝতে পারেন না। কবীর বলতেন, নিজের অন্তরের দিকে তাকাও, তাহলেই সত্যকে দেখতে পাবে। কিন্তু তাঁরা কখনও কবীরকে ভালোভাবে পড়েননি। কবীর বলতেন – পোথী পঢ়ী-পঢ়ী জগ মুয়া, পণ্ডিত ভয়া ন কোয়, ঢাই আখর প্রেম কা পঢ়ে সো পণ্ডিত হোয়ে।। জনগণ, দেশ ও সমাজের উন্নতির জন্য সচেষ্ট থাকলেই উন্নয়নের হরি দর্শন হবে। কিন্তু তাঁদের মন পড়ে আছে নিজেদের কারুকার্যমণ্ডিত বিশাল বাংলোতে। আমার মনে আছে, যখন গরীব ও মধ্যবিত্তদের গৃহ প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শুরু হয়েছিল, তখন বিগত সরকার কী ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছিল। আমরা দিল্লিতে সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর যখন সমস্ত রাজ্য সরকারের কাছে গৃহহীনদের সংখ্যা জানতে চাই, তৎকালীন উত্তর প্রদেশ সরকার তখনও নীরব থেকে যায়। তাদেরও মন পড়ে ছিল নিজস্ব কারুকার্যমণ্ডিত বিশাল বাংলোয়। তারপর, আপনারা যখন ভোট দিয়ে যোগীজির নেতৃত্বাধীন সরকারকে এই রাজ্যের ক্ষমতায় আনলেন, তারপরই রাজ্য সরকার গৃহহীন দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের সংখ্যা আমাদের জানায় এবং অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যেই এই রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে। বন্ধুগণ, কবীর তাঁর গোটয়া জীবন আদর্শ নিয়ে বেঁচে ছিলেন – নিজস্ব মানবিক আদর্শ। মগহর আসার পেছনেও ছিল সেই আদর্শ। মোক্ষলাভের প্রতি তাঁর কোনও আকর্ষণ ছিল না। দরিদ্র মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া আর সমাজবাদ ও বহুজনের নামে ক্ষমতার প্রতি লোভের রাজনীতি আমরা আজ ভালোভাবেই দেখছি। দু’দিন আগেই দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণার ৪৩ বর্ষ পূর্তি হ’ল ক্ষমতার লোভ এমনই যে, জরুরি অবস্থা ঘোষণাকারী আর সেই সময়ে জরুরি অবস্থার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি আজ ক্ষমতার লোভে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সরকারের বিরোধিতা করছে। ��াঁর দেশ কিংবা সমাজ নয়, শুধুই নিজের আর পরিবারের স্বার্থ নিয়ে চিন্তিত। তাঁরা কোটি কোটি গরিব, দলিত, শোষিত, বঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের ধোকা দিয়ে নিজেদের জন্য কোটি কোটি টাকা বাংলো নির্মাণ করেছেন। নিজেদের ভাই ও আত্মীয়দের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। এরকম মানুষদের থেকে উত্তর প্রদেশ তথা দেশের মানুষদের সতর্ক করতে হবে। বন্ধুগণ, আপনারা তিন তালাক নিয়ে এদের বিরোধিতা দেখেছেন। সারা দেশের মুসলমান বোনেরা আজ যাবতীয় বাধানিষেধের পরোয়া না করে এই কুসংস্কার থেকে তাঁদের সমাজকে মুক্তি দেওয়ার জন্য লড়াই করছেন। কিন্তু এই রাজনৈতিক দলগুলি ক্ষমতার লোভে ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে খেলা করতে তিন তালাকের বিলটিকে সংসদে মঞ্জুর হতে দিচ্ছে না। তাঁরা নিজেদের স্বার্থে সর্বদাই সমাজকে দুর্বল করে রাখতে চায়, কুসংস্কার মুক্ত হতে দিতে চায় না। বন্ধুগণ, সন্ত কবীরদাস সাধারণ মানুষের স্বার্থে বাদশা-কেও চ্যালেঞ্জ জানাতে ভয় পাননি। তিনি লিখেছিলেন, দর কী বাত কহ, দরবেসা বাদশাহ কৌন ভেসা। তিনি বলেছিলেন, আদর্শ শাসক তিনি হতে পারেন, যে জনগণের দুঃখ যন্ত্রণা বোঝেন আর তা দূর করার চেষ্টা করেন। তিনি আদর্শ শাসক রূপে রাজা রামের কল্পনা করতেন। তাঁর কল্পনার দেশ গণতান্ত্রিক ও ধর্ম নিরপেক্ষ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজ কয়েকটি হাতেগোণা পরিবার নিজেদের জনগণের ভাগ্য বিধাতা ভেবে সন্ত কবীরদাসের আদর্শকে নস্যাৎ করছেন। তাঁরা ভুলে গেছেন যে, আমাদের সংঘর্ষ আর আদর্শের বুনিয়াদ হলেন কবীরের মতো মহাপুরুষ। কবীর নিঃসঙ্কোচে কুসংস্কারকে তীব্র প্রহার করেছিলেন। মানুষের সঙ্গে মানুষের বিভেদ সৃষ্টিকারী প্রত্যেক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিস্পর্ধা গড়ে তুলেছিলেন। তিনি নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিতদের ক্ষমতায়ন চাইতেন, তাঁদের যেন কারও সামনে হাত না পাততে হয়! তিনি বলতেন – মাঙ্গন মরণ স্মান হ্যাঁয়, মত কোই মাঙ্গো ভিখ মাঙ্গন তে মরনা ভলা, ইয়হ সতগুরু কী সীখ ।। কবীর নিজে শ্রমজীবী ছিলেন। তিনি শ্রমের গুরুত্ব বুঝতেন। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরও আমাদের নীতি প্রণয়নকারীরা কবীরের এই দর্শনকে বুঝতে পারেননি। গরিবী ঘটানোর নামে তাঁরা ভোট ব্যাঙ্ককে ক্ষমতা দখলের উপায় হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। বন্ধুগণ, বিগত চার বছর ধরে আমরা সেই রীতিনীতি পরিবর্তনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সরকার গরিব, দলিত, পীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত, মহিলা ও বেকার যুবক-যুবতীদের ক্ষমতায়নের পথে এগিয়ে চলেছে। জন ধন যোজনার মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের প্রায় ৫ কোটি গরীব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, ৮০ লক্ষেরও বেশি মহিলাকে উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সংযোগ, ১ কোটি ৭০ লক্ষ দরিদ্রদের মাসে ১ টাকা এবং দৈনিক ৯০ পয়সা কিস্তিতে দুর্ঘটনা বিমা ও জীবন সুরক্ষা বিমা পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের গ্রামে ১ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি শৌচালয় নির্মাণের টাকা সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা করে তাঁদের ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করা হয়েছে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের গরিব পরিবারগুলিকে সস্তায় উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে, গরিব মানুষের আত্মসম্মান ও তাঁদের জীবনকে সহজ করে তোলাকে বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। বন্ধুগণ, কবীর শ্রমযোগী ছিলেন, কর্মযোগী ছিলেন। তিনি বলতেন – কাল করে সো আজ কর। কবীর কাজে বিশ্বাস করতেন, রামে আস্থা রাখতেন। আজ সমস্ত প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হচ্ছে। পূর্ববর্তী সরকারের তুলনায় দ্বিগুণ গতিতে সড়ক, মহাসড়ক, রেল লাইন, বৈদ্যুতিকীকরণ, দ্রুত নির্মীয়মান বিমানবন্দর, দ্বিগুণের বেশি গতিতে নির্মীয়মান গৃহহীনদের বাড়ি, প্রত্যেক পঞ্চায়েত অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তার – এই সকল কাজের গতি কবীরের প্রদর্শিত পথেরই প্রতিফলন। সেজন্য আমাদের সরকারের মূলমন্ত্র হ’ল – সকলের সাথে সকলের উন্নয়ন। বন্ধুগণ, কবীরের সময়কালে মগহরকে যেমন ঊষর এবং অভিশপ্ত বলে মনে করা হ’ত ঠিক তেমনই দেশ স্বাধীন হওয়ার এত বছর পরও দেশের সামান্য কিছু অংশেই উন্নয়নের আলো পৌঁছতে পেরেছে। ভারতের একটি বিস্তীর্ণ অংশ সকল উন্নয়নের আলো থেকে বঞ্চিত ছিল। পূর্ব উত্তর প্রদেশ থেকে শুরু করে গোটা পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারত এই বঞ্চনার শিকার। কবীর যেভাবে মগহরকে অভিশাপ মুক্ত করেছিলেন, আমাদের সরকারও তেমনই ভারতের প্রত্যেক ইঞ্চি মাটিকে উন্নয়নের মূলস্রোতে যুক্ত করার চেষ্টা করছে। ভাই ও বোনেরা, গোটা দুনিয়া মগহরকে সন্ত কবীরের নির্বাণ ভূমি রূপে জানে। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরও এই অঞ্চলের উন্নয়ন থমকে আছে। ১৪-১৫ বছর আগে যখন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এ পি জে আব্দুল কালাম এখানে এসেছিলেন, তখন তিনি এই স্থানটিকে নিয়ে একটি স্বপ্ন দেখেছিলেন। এত বছর পর তা���র স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে আমরা মগহরকে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে সমতা, সম্প্রীতি ও সদ্ভাবের কেন্দ্র হিসাবে বিকশিত করে তোলার কাজ দ্রুতগতিতে শুরু করতে চলেছি। সারা দেশে মগহরের মতো আস্থা ও আধ্যাত্মিক কেন্দ্রগুলিকে স্বদেশ দর্শন প্রকল্পের মাধ্যমে বিকশিত করার জন্যে আমরা বৌদ্ধ সার্কিট, সুফি সার্কিটের মতো অনেক সার্কিট বানিয়ে অগ্রাধিকার দিয়েছি। বন্ধুগণ, বিশ্ব মানবতা, সৌভ্রাতৃত্ব এবং পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কবীরের প্রেমের বাণী অত্যন্ত সরল মাধ্যম। সর্বধর্ম সমন্বয় ও সামাজিক সাম্য বজায় রাখতে তা আমাদের পথপ্রদর্শকের কাজ করে। এই বাণী প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে এবং তাঁর শিক্ষায় নিজের আচরণ বদলাতে হবে। আশা করি, কবীর অ্যাকাডেমি এক্ষত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমি আরেকবার বাইরে থেকে আসা ভক্তদের সন্ত কবীরের এই পবিত্র ভূমিতে পদার্পণের জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। সন্ত কবীরের অমৃত বাণীগুলিকে জীবনে অনুসরণ করে আমরা নতুন ভারতের সংকল্প সিদ্ধ করতে পারব। এই বিশ্বাস নিয়ে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। সাহিব বন্দগী, সাহিব বন্দগী, সাহিব বন্দগী।",উত্তৰ প্ৰদেশৰ মঘৰত মহান সন্ত তথা কবি কবীৰৰ ৫০০তম তিৰোভাৱ তিথি উপলক্ষে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF-8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ (২১শে অক্টোবর, ২০১৮) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বারাণসীর কার্পেট এক্সপো-তে ভাষণ দেন। দেশ-বিদেশের অতিথি-অভ্যাগতদের স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রথম বারাণসীর দীনদয়াল হস্তকলা সাঙ্কুলে ‘ইন্ডিয়া কার্পেট এক্সপো’র আয়োজন করা হয়েছে। কার্পেট শিল্পক্ষেত্রে বারাণসী, ভাদোই এবং মির্জাপুর – গুরুত্বপূর্ণ এই তিন কেন্দ্রের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, হস্তশিল্প এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলিকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে হস্তশিল্পের দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে, সেক্ষেত্রে বারাণসীর এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি মহান সন্ত কবি কবীরের কথা উ��্লেখ করেন যিনি ঐ অঞ্চলেরই বাসিন্দা ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে এবং নিজেদের ওপর আস্থা বাড়িয়ে তুলতে হস্তশিল্প বরাবরই উৎসাহের অন্যতম উৎস হয়ে উঠেছে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, মহাত্মা গান্ধী, সত্যাগ্রহ এবং চরকার কথাও উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত বর্তমানে কার্পেটের বৃহত্তম উৎপাদনকেন্দ্র হয়ে উঠেছে এবং কার্পেটের বিশ্ব বাণিজ্যের ৩৫ শতাংশই ভারতের দখলে রয়েছে। কার্পেটের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। উঠতি মধ্যবিত্ত শ্রেণী এবং এক্ষেত্রে সরকারি সুযোগ-সুবিধা – এই দুটি বিষয়ই কার্পেট শিল্পের বিকাশে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছে। কার্পেট প্রস্তুতকারকদের দক্ষতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘মেড ইন ইন্ডিয়া কার্পেট’ তথা ভারতে তৈরি কার্পেট আজ এক উল্লেখযোগ্য ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে। কার্পেট রপ্তানিকারকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে এবং বিশ্বমানের শ্রমিক থাকার দরুণই কার্পেট শিল্পের দ্রুত বিকাশ ঘটেছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। /",বাৰাণসীত অনুষ্ঠিত ইণ্ডিয়া কাৰ্পেট এক্সপ’ত ভিডিঅ’ কনফাৰেন্সযোগে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%A6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদী আজ আজমির শরিফে, খাজা মইনুদ্দীন চিস্তির দরগায় দেওয়ার জন্য একটি চাদর,সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী মুক্তার আব্বাস নাকভির হাতে তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী খাজামইনুদ্দীন চিস্তির বার্ষিক উরস্ উপলক্ষে, সারা বিশ্বে তাঁর অগনিত অনুগামীদেরঅভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।",খাৱাজা মইনুদ্দিন চিষ্টিৰ দৰগাহত দানৰ বাবে চাদৰ হস্তান্তৰ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A7%88%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%95/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নয়ডায় পেট্রোটেক ২০১৯ সম্মেলনে নিম্নলিখিত বক্তব্য পেশ করেছেন। নমস্তে, পরিবহনের সমস্যায় এখানে আসতে বিলম্ব হওয়ায় আমি মার্জনা চাইছি। আমি আপনাদের সবাইকে ভারতের ত্রয়োদশ হাইড্রোকার্বন সম্মেলন, পেট্রোটেক ২০১৯- এ স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। আমি মাননীয় ডঃ সুলতান আল জাবেরকে শক্তিক্ষেত্রে তাঁর অবদান এবং ভবিষ্যত বিষয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য অভিনন্দন জানাই। আমরা আমাদের দেশগুলিতে নাগরিকদের জন্য সুলভে পরিচ্ছন্ন এবং নিশ্চিত শক্তির সরবরাহ করতে চাই। এই ক্ষেত্রে আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য এবং অনুসন্ধিৎসার প্রতিফলন ঘটেছে এই সম্মেলনে ৬০টিরও দেশের ৭ হাজার প্রতিনিধির উপস্হিতির মধ্যে। জনজীবনে কয়েকটি দেশক অতিবাহিত করার মধ্য দিয়ে আমি বুঝতে পেরেছি, শক্তিই হচ্ছে আর্থ-সামাজিত বৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি। অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন হচ্ছে, যথাযথ মূল্যে স্হিতিশীল ও সুষম শক্তির সরবরাহ। এছাড়া সমাজের দরিদ্র এবং বঞ্চিত শ্রেণীর জন্য অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রেও শক্তির সহায়ক ভূমিকা রয়েছে। ব্যাপক অর্থে শক্তিক্ষেত্র হচ্ছে বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধান বিষয়। বন্ধুগণ, আজ যখন আমরা এখানে বিশ্বের শক্তিক্ষেত্রের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ পরিস্হিতি আলোচনার জন্য সমবেত হয়েছি, সেইসময় বিশ্বের শক্তিক্ষেত্রে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। শক্তির সরবরাহ, শক্তির উৎসগুলি এবং শক্তি ব্যবহারের ধরণ বদলে যাচ্ছে। হয়ত এক ঐতিহাসিক উত্তরণের অঙ্গ হিসাবেই এটা ঘটছে। শক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বর্তমান প্রবণতা পশ্চিত থেকে পূর্ব দিকে সরে যাচ্ছে। শেল বিপ্লবের পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম তেল এবং গ্যাস উৎপাদক দেশ হিসেবে উঠে এসেছে। সৌরশক্তি এবং অন্যান্য পুনঃর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎসগুলি বর্তমানে আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে।। তারা চিরাচরিত ধরণের শক্তির সুষম বিকল্প হয়ে উঠতে চলেছে। প্রাকৃতিক গ্যাসও বিশ্বের শক্তিক্ষেত্রে অন্যতম বৃহৎ জ্বালানী হয়ে উঠছে। স্বল্প মূল্যের পুনঃনর্বীকরণযোগ্য শক্তি, প্রযুক্তি এবং এগুলির ডিজিটাল প্রয়োগ যেন একত্রিত হতে চলেছে বলে ইঙ্গিত মিলছে। দ্রুত সুষম উন্নয়নের লক্ষ অর্জনে এই প্রবণতা বিশেষ সহায়ক হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশ একজোট হয়েছে। ভারত এবং ফ্রান্সের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সৌরজোটের মতো বিশ্বব্যাপি অংশিদারিত্বের মধ্যে এর প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা আরও বেশি শক্তি প্রাপ্তিযোগ্যতার এক যুগে প্রবেশ করেছি। কিন্তু এখনও সারা বিশ্বের ১০০ কোটিরও বেশি মানুষের নাগালে বিদ্যুৎকে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। বহু মানুষের জন্য এখনও পরিচ্ছন্ন রান্নার জ্বালানীর ব্যবস্হা করা যায়নি। ভারত সবার জন্য শক্তির ব্যবস্হা করার ক্ষেত্রে উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমাদের সাফল্যের মধ্যে আমি পৃথিবীর মানুষের শক্তির সমস্যার সমাধানের আশা দেখতে পাই। প্রত্যেক মানুষেরই পরিচ্ছন্ন সুলভ, সুষম এবং সমানভাবে শক্তি সরবরাহের সুযোগ পাওয়া দরকার। শক্তি সংক্রান্ত সুবিচার ভিত্তিক একটি যুগে ভারতের অবদান বিশেষভাবে তাৎপর্যপূণ বর্তমানে ভারত বিশ্বের মধ্যে দ্রুত বর্ধনশীল বৃহৎ এক অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাঙ্কের মতো আন্তর্জাতিক সংস্হাগুলি অনুমান করছে যে আগামী বছরগুলিতেও ভারতীর অযর্থনীতির বৃদ্ধির এই প্রবণতা বজায় থাকবে। অনিশ্চিত বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিবেশের মধ্য ভারত যেন বিশ্ব অর্থনীতির নোঙ্গর হিসাবে স্হিতিশীল এক ভূমিকা দেখিয়েছে। সম্প্রতি ভারত বিশ্বের মধ্যে ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসাবে মর্যাদা লাভ করেছে। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে জানা গেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠতে পারে। আমরা বর্তমানে শক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম স্হানে রয়েছি। এছাড়া আমাদের দেশে শক্তির চাহিদা প্রতি বছর ৫ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০৪০ সালের মধ্যে আমাদের দেশে শক্তির চাহিদা যেহেতু দ্বিগুনেরও বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবন রয়েছে, ভারত শক্তি কোম্পানীগুলির কাছে এক আকর্ষনীয় বাজার হয়ে উঠেছে। শক্তি পরিকল্পনার লক্ষে আমরা একটি সুসংহত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছি। ২০১৬-র ডিসেম্বর মাসে গত পেট্রোটেক সম্মেলনের সময় আমি ভারতের শক্তির ভবিষ্যতের জন্য চারটি স্তম্ভের কথা উল্লেখ করেছিলেন। এগুলি হল, সবার নাগালে শক্তির ব্যবস্হা করা, শক্তিক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি, শক্তির সুষমতা এবং শক্তির নিরাপত্তা। বন্ধুগণ, শক্তির ক্ষেত্রে সুবিচার আমার জন্য একটি প্রধান লক্ষ্য এবং ভারতের জন্য শীর্ষস্হানীয় অগ্রাধিকার। এই লক্ষ্যে আমরা বহু নীতি গ্রহণ করেছি এবং তা রূপায়ণ করেছি। এই নীতি রূপায়ণের সুফল এখন দেখা যাচ্ছে। আমাদের সমস্ত গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। এই বছরেই আমরা ভারতে পরিবারগুলিকে ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্য অর্জন করতে চলেছি।সৌভাগ্য নামে এক সুনির্দিষ্টি কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা এই লক্ষ্য ��র্জনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যখন আমরা আমাদের শক্তি উপাদন বাড়াচ্ছি, সেইসময়, তা পরিবহন এবং সরবরাহ ক্ষেত্রে যাতে নষ্ট না হয়, তা নিশ্চিত করারও লক্ষ্য নিয়েছি। উদয় নামে আমাদের এক কর্মসূচির অধীনে আমরা এই লক্ষ্য অর্জনের দিকে এগিয়ে চলেছি। সহজে বিদ্যুৎ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাঙ্কের ক্রমতালিকায় ভারতের স্হান ২০১৪ সালে ছিল ১১১, ২০১৮-য় এই স্হান ২৯-এ উঠে এসেছে। উজালা কর্মসূচির অধীনে সারা দেশ জুড়ে এলইডি বাল্ব বিতরণের ব্যবস্হা হয়েছে। এরফলে প্রতি বছর ১৭ হাজার কোটি টাকার সাশ্রয় হয়েছে, যা প্রায় ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল। মহিলা এবং শিশুদের ধোঁয়া জনিত দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে পরিচ্ছন্ন রান্নার জ্বালানী বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। উজ্জ্বলা কর্মসূচিতে মাত্র তিন বছরে দেশের ৬.৪ কোটি পরিবারে রান্নার গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ‘একটি নীল শিখার বিপ্লব চলেছে।’ ৫ বছর আগে যেখানে সারা দেশে ৫৫ শতাংশ পরিবারে রান্নার গ্যাসের সংযোগ ছিল, বর্তমানে তা বেড়ে ৯০ শতাংশেরও বেশি হয়েছে। পরিচ্ছন্ন পরিবহনের ব্যবস্হাও আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা ২০২০-এ এপ্রিলের মধ্যে যানবাহনে শক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের দেশ বিএস-৪ থেকে বিএস-৬ এর পর্যায়ে উন্নীত হবে। এটি আন্তর্জতিক ক্ষেত্রের ইউরো-৬-এর সমতুল। ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়ন এবং বর্ধিত হারে রান্নার গ্যাসের সংযোগের মতো লক্ষ্য অর্জনের কাজ সম্ভব হয়েছে। এরসঙ্গে মানুষের যুক্ত থাকার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমরা শক্তিক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং প্রতিযোগিতার পরিবেশে গড়ে তুলতে হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধান এবং লাইসেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। রাজস্ব ভাগাভাগির ক্ষেত্রেও নিলামে অংশগ্রহণের পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয়েছে। এরফলে এই ক্ষেত্রে সরকারের হস্তক্ষেপ কমানো সম্ভব হয়েছে। ওপেন একারেজ লাইসেন্সিং পলিসি এবং ন্যাশনাল ডেটা রিপোজিটরির মাধ্যমে ভারতে হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানে আগ্রহ বেড়েছে। এছাড়া প্রাকৃতিক গ্যাসের দামের ক্ষেত্রে সংস্কার প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। বর্ধিত তেল উদ্ধার নীতির মাধ্যমে সাম্প্রতিকতম প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের আপস্ট্রিম তৈলক্ষেত্রগুলিতে উপাদন বৃদ্ধির ব্যবস্হা নেওয়া হয়েছে। আমাদের ডাউনস্ট্রিম তৈল ক্ষেত্রকে সম্পূর্ণভাবে উদারীকরণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অপরিশোধিত খনিজ তেলের মূল্যে�� ওপর নির্ভর করে খোলা বাজারের চাহিদা অনুসারে পেট্রেল ও ডিজেলার দাম নির্ধরণ করা হয়েছে। সারা বিশ্বের মধ্যে অপরিশোধিত খনিজ তেল পরিশোধনের ক্ষেত্রে ভারত চতুর্থ স্হান দখল করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই পরিশোধন ক্ষমতা আরও ২০ কোটি মেট্রিক টন বাড়বে। গত বছর একটি জাতীয় জৈব জ্বালানী নীতি কার্যকর হয়েছে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রজন্মের জৈব জ্বালানী বিষয়ে গবেষনায় উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। দেশের ১১টি রাজ্যে ১২টি দ্বিতীয় প্রজন্মের জৈব শোধনাগার স্হাপন করা হচ্ছে। ইথানল মিশ্রন এবং জৈব ডিজেল কর্মসূচি ফলে কার্বন নির্গমন কমেছে এবং এরফলে কৃষকের আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের অসামরিক উড়ান ক্ষেত্রে জৈব বিমান জ্বালানীর ব্যবহার সাফল্যের সঙ্গে পরীক্ষা করা হয়েছে। আমাদের সরকার সমগ্র তেল এবং গ্যাসের মূল্য শৃঙ্খলে বেসরকারি অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করছে। ভারত এই ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের এক আকর্ষণীয় কেন্দ্র হয়ে উঠছে। সৌদি অ্যারামকো, অ্যাডনক, টোটাল, এক্সন-মোবিল, বিপি এবং শেল-এর মতো কোম্পানীগুলি আমাদের দেশের তৈলক্ষেত্রে তাদের লগ্নী বাড়িয়েছে। ভারত গ্যাস ভিত্তিক অর্থনীতিতে দ্রুত অগ্রগতি ঘটিয়েছে। ১৬ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে এবং ১১ হাজার কিলোমিটার পাইপলাইনের কাজ চলছে। পূর্ব ভারতে ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ গ্যাস পাইপলাইনের কাজ চলছে। এই কাজ সম্পূর্ণ হলে উত্তর-পূর্ব ভারত জাতীয় গ্যাস গ্রীডের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। আগামী ১ মাসের মধ্যে বিভিন্ন শহরে গ্যাস সরবরাহের জন্য দশম রাউন্ডের নিলাম সম্পূর্ণ হবে। এর মাধ্যমে আমাদের দেশের চারশোর-ও বেশি জেলা গ্যাস সংযোগের আওতায় আসবে। আমাদের দেশের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশই শহরের গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্হার আওতায় আসবে। আমরা চতুর্থ প্রজন্মের শিল্পের জন্য তৈরি হচ্ছি। নতুন প্রযুক্তি এবং কৃৎকৌশল ব্যবহারের ফলে, শিল্প পরিচালনের ধরনটাই বদলে যাবে। আমাদের কোম্পানীগুলি তাদের কর্মদক্ষতা, নিরাপত্তা বাড়াতে এবং উৎপাদন ব্যয় কমানোর জন্য আধুনিকতম প্রযুক্তি গ্রহণ করছে। খুচরো ব্যবসা, তেল এবং গ্যাস উৎপাদন, সম্পদ পরিচালন এবং দূরসংবেদী নজরদারির ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আমরা আন্তর্জাতিক শক্তিসংস্হা ও ওপেক-এর মতো সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি করেছি। ২০১৬ থেকে ২০���৮ পর্যন্ত আমরা আন্তর্জাতিক শক্তি মঞ্চের চেয়ারম্যান ছিলাম। দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে লগ্নির মাধ্যমে আমরা আমাদের ক্রেতা-বিক্রেতার পুরনো ধরনের যোগাযোগকে কৌশলগত অংশিদারিত্বে পরিবর্তন করেছি। নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান এবং মায়নমারের মতো দেশগুলির সঙ্গে শক্তিক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে আমরা আমাদের ‘প্রতিবেশি প্রথম’ নীতি রূপায়ণ করেছি। তেল এবং গ্যাস ক্ষেত্রে সিইওদের সঙ্গে আমি নিয়িমিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলি। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এবং সিইওদের সঙ্গে আমার আলোচনায় আমি বরাবরই বলেছি, তেল এবং গ্যাস কেবলমাত্র পণ্য বাণিজ্য নয়, এটি এক প্রয়োজনও বটে। সাধারণ মানুষের রান্নাঘরের জন্যই হোক অথবা বিমানের জন্য, সর্বক্ষেত্রেই শক্তি বিশেষভাবে প্রয়োজন। অনেকদিন ধরে অপরিশোধিত তেলের দাম নিয়ে বিশ্বকে অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকতে হয়। আমাদের দায়িত্বশীল মূল্য নির্ধারণ ব্যবস্হার দিকে এগোতে হবে। উৎপাদক এবং গ্রাহক উভয়ের স্বার্থের মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে। তেল এবং গ্যাসের বাজারের ক্ষেত্রে আমাদের আরও বেশি করে স্বচ্ছ এবং স্হিতিস্হাপক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে হবে। কেবলমাত্র তার মাধ্যমেই আমরা মানবজাতির শক্তির প্রয়োজন যথাযথভাবে মেটাতে পারবো। আরও একটি প্রধান বিষয় হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে পৃথিবীর সকলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া। সবাই মিলে একজোট হলেই আমরা প্যারিসে সিওপি-২১ সম্মেলনে গৃহিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো। ভারতে এই লক্ষ অর্জনের দিকে দ্রুত অগ্রসর হয়েছে এবং লক্ষ্য অর্জনে অনেকদুর এগিয়ে গেছে। শক্তি ক্ষেত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য পেট্রোটেক সম্মেলন একটি উপযুক্ত মঞ্চ। আগামীদিনে এই ক্ষেত্রের পরিবর্তন, নীতি, নতুন প্রযুক্তি কিভাবে বাজারের স্হিতিশীলতা এবং ভবিষ্যৎ লগ্নির সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করবে তা নিয়ে এখানে আলোচনা করা সম্ভব। আমি আপনাদের সকলের জন্য একটি সফল ও ফলপ্রসু সম্মেলনের কামনা জানাই। ধন্যবাদ",‘শক্তি হৈছে আর্থ-সামাজিক বিকাশৰ প্রধান চালিকাশক্তি’ : পেট্ৰ’টেক ২০১৯ সন্মিলনত প্রধানমন্ত্রী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%81/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A6%A4-%E0%A6%97%E0%A7%8B/,"নয়াদিল্লী, ৩০ মে, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গোয়ার প্রতিষ্ঠা দ��বসে গোয়াবাসীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “গোয়ার প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্যবাসীদের শুভেচ্ছা। সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং পরিশ্রমী মানুষের আশীর্বাদধন্য হল এই রাজ্য। এটি বিশ্বের সমস্ত প্রান্তের মানুষকে আকর্ষণ করে। আগামীদিনে গোয়া যাতে অগ্রগতির নতুন উচ্চতা অতিক্রম করতে পারে তার জন্য আমি প্রার্থনা জানাই।”",ৰাজ্য প্ৰতিস্থা দিৱসত গোৱাবাসীলৈ শুভকামনা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%93-%E0%A6%AA/,"অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী বিশ্বভূষণজি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী জগন মোহন রেড্ডিজি, মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী অশ্বিনী বৈষ্ণবজি, মঞ্চে উপস্থিত অন্যান্য বিশিষ্টজন এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ভাই বোনেরা! কয়েক মাস আগেই বিপ্লব ভিরুদু সীতারামরাজু জির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আপনাদের সকলের সঙ্গে মিলিত হওয়ার এক সুযোগ আমি পেয়েছিলাম। আজ আমি অন্ধ্রপ্রদেশে আরও একবার উপস্থিত থাকার সুযোগ লাভ করেছি এমন একটি উপলক্ষে যা অন্ধ্রপ্রদেশ এবং বিশাখাপত্তনমের পক্ষে একটি স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে। বিশাখাপত্তনম হল ভারতের একটি বিশেষ শহর। ব্যবসা-বাণিজ্যের এক সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে এই স্থানটিতে। প্রাচীন ভারতে বিশাখাপত্তনম ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। এই বন্দরের মাধ্যমে হাজার হাজার বছর আগে ব্যবসা-বাণিজ্য চলত পশ্চিম এশিয়া ও রোমের সঙ্গে। আজও ভারতীয় বাণিজ্যের একটি অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু রূপে অবস্থান বিশাখাপত্তনমের। ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস অন্ধ্রপ্রদেশ ও বিশাখাপত্তনমের অধিবাসীদের আশা-আকাঙ্খা পূরণে সহায়ক হয়ে উঠবে। পরিকাঠামোর মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পই শুধু এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গড়ে উঠবে না, সেইসঙ্গে জীবনযাত্রার মান সহজতর করে তোলা এবং আত্মনির্ভর ভারত গঠনের সংকল্প আমাদের উন্নয়নের পথে যাত্রাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এজন্য আমি সকল অন্ধ্রপ্রদেশবাসীকে জানাই আমার আন্তরিক অভিনন্দন। এই সুযোগে আমি ধন্যবাদ জানাই দেশের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি শ্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু এবং শ্রী হরিবাবুকেও। যখনই আমাদের সাক্ষাৎকারের সুয��গ ঘটে তখনই অন্ধ্রপ্রদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে আমাদের মধ্যে কথা-বার্তা হয়। অন্ধ্রপ্রদেশের প্রতি তাঁদের নিষ্ঠা ও ভালোবাসার কোনো তুলনা হয় না। বন্ধুগণ, অন্ধ্রপ্রদেশবাসীর একটি বিশেষ গুণ হল প্রকৃতিগত দিক থেকে তাঁরা খুবই স্নেহপ্রবণ ও কঠোর পরিশ্রমী। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষজনের মেধা ও প্রতিভার ছাপ রয়েছে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই। শিক্ষা বা ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিসা বা প্রযুক্তি প্রতিটি ক্ষেত্রেই অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষরা এক স্বতন্ত্র পরিচিতি বহন করেন। তাঁদের পেশাগত গুণ ও দক্ষতার কারণেই শুধু নয়, বন্ধুসুলভ প্রকৃতির জন্য তাঁদের এক বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষজনের সদা প্রফুল্ল এবং প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্বের কারণে প্রত্যেকের কাছেই তাঁরা প্রিয় হয়ে উঠেছেন। আজ এখানে যে সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন বা শিলান্যাস অনুষ্ঠিত হয়েছে তা অন্ধ্রপ্রদেশের অগ্রগতির ধারাকে উন্নততর করে তুলবে বলে আমি মনে করি। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার অমৃতকালে দেশ উন্নয়নের পথে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। আমাদের লক্ষ্য হল এক উন্নত ভারত গড়ে তোলা। উন্নয়নের এই যাত্রাপথের অনেকগুলি দিক রয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের জীবন যাপনের চাহিদা পূরণ, সর্বশ্রেষ্ঠ আধুনিক পরিকাঠামোর প্রসার ও উন্নয়ন এ সমস্ত কিছুই আমাদের এই কর্মপ্রচেষ্টার এক একটি অঙ্গ হয়ে উঠেছে। পরিকাঠামো সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী আজকের এই কর্মসূচিগুলির মধ্যে দিয়ে সুষ্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অগ্রগতি হল আমাদের চিন্তা-ভাবনার অন্যতম বিষয়। পরিকাঠামোর ব্যাপারে আমরা কখনই সময় নষ্ট করি না। দেশের কোথায় কোথায় রেল ব্যবস্থা বা সড়ক পরিবহণকে আরও উন্নত করে তুলতে হবে, আবার কোথায় কাথায় বন্দর ও মহাসড়কগুলির উন্নয়নের কাজে আমাদের ব্যস্ত থাকতে হবে- দিনের পর দিন এই সমস্ত চিন্তা-ভাবনা নিয়ে আমরা কালক্ষেপ করি না। কারণ এই ধরনের মানসিকতার জন্য দেশকে অনেক ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে। দেশের যোগান শৃঙ্খল যেমন নষ্ট হয়েছে তেমনই ব্যয়-বাহুল্য ঘটেছে পরিবহণের ক্ষেত্রেও। বন্ধুগণ, দেশের যোগান শৃঙ্খল এবং পরিবহণের মতো বিষয়গুলি বিভিন্ন ধরণের সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর মূলত নির্ভরশীল। এই কারণে পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণ করেছি। এক সার্বিক তথা সংহত উন্নয়ন প্রচেষ্টার ওপর আমরা জোর দিয়েছি। যে অর্থনৈতিক করিডর স্থাপনের প্রকল্পটির আজ এখানে শিলান্যাস হল তা রূপায়ণের মধ্য দিয়ে তৈরি হবে ৬ লেনের একটি সড়ক। বন্দরের সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী একটি পৃথক সড়কও তৈরি করা হবে। একদিকে যেমন বিশাখাপত্তনম রেল স্টেশনের আমরা সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে চলেছি অন্যদিকে তেমনি এক অত্যাধুনিক মৎস্য বন্দর গড়ে তোলার কাজেও আমরা সচেষ্ট হয়েছি। বন্ধুগণ, প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি মাস্টার প্ল্যানের কারণেই পরিকাঠামো উন্নয়ন সম্পর্কে এক সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়েছে। গতিশক্তি পরিকল্পনার সাহায্যে পরিকাঠামো প্রসারের কাজই শুধু ত্বরান্বিত হবে না, সেইসঙ্গে প্রকল্প রূপায়ণের ব্যয়ও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। বিভিন্ন ধরণের পরিবহণ ব্যবস্থা হল প্রত্যেকটি শহরেরই ভবিষ্য। অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যটি এদিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। এই প্রকল্পগুলির জন্য অন্ধ্রপ্রদেশবাসীরা দীর্ঘকাল ধরে অপেক্ষা করে রয়েছেন। তাঁদের সেই প্রতীক্ষার এখন অবসান ঘটতে চলেছে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলি উন্নয়নের এই যাত্রাপথে সামিল হবে এক নতুন শক্তি নিয়ে। বন্ধুগণ, বর্তমান বিশ্ব নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। কোনো কোনো দেশে যেমন অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের অভাব রয়েছে, অন্য কয়েকটি দেশে আবার রয়েছে জ্বালানির সংকট। অর্থনৈতিক অগ্রতির পথে বাধা বা অন্তরায়ের কথা অজানা নয় সংশ্লিষ্ট প্রায় প্রত্যেকটি দেশের কাছেই। এ সমস্ত কিছুর মধ্যেই ভারত কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নীত হচ্ছে নতুন নতুন উচ্চতায়। উন্নয়নের এক বিশেষ অধ্যায় রচিত হচ্ছে ভারতের ইতিহাসে। এ সম্পর্কে আপনারা যেমন অভিজ্ঞতা অর্জন করছেন, সমগ্র বিশ্ব তা নিশ্চিতভাবেই লক্ষ্য করে চলেছে। বিশ্বের বুদ্ধিজীবী ও বিশেষজ্ঞরা বর্তমানে ভারতের প্রশংসায় যে মুখর হয়ে উঠেছেন তা আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন। সমগ্র বিশ্বের কাছে ভারত এখন হয়ে উঠেছে লক্ষ্যের এক বিশেষ কেন্দ্রবিন্দু। এর কারণ হল, দেশবাসীর প্রত্যাশা ও চাহিদা পূরণের কাজ সাফল্যের সঙ্গেই করে চলেছে ভারত। আমাদের প্রত্যেকটি নীতি ও সিদ্ধান্তের মূল লক্ষ্যই হল সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন। পিএলআই, জিএসটি, আইবিসি, জাতীয় পরিকাঠামো পাইপ লাইন এবং গতিশক্তি সম্পর্কিত গৃহীত নীতির সুবাদে ভারতে বিনিয়োগের মাত্রাও দ���ন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। একইসঙ্গে দরিদ্র কল্যাণে যে কর্মসূচির কাজ আমরা শুরু করেছি তারও ক্রম প্রসার ঘটছে। আমাদের এই উন্নয়নের পথে এমন অনেক অঞ্চলকেই আমরা যুক্ত করেছি যেগুলি অতীতে অবহেলিত অবস্থায় পড়েছিল। দেশের সর্বাপেক্ষা অনগ্রসর জেলাগুলিতেও উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। দেশের কোটি কোটি দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বন্টনের কর্মসূচিও চালু রয়েছে বিগত আড়াই বছর ধরে। আবার প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার মাধ্যমে বিগত সাড়ে তিন বছর ধরে কৃষকদের প্রতিটি অ্যাকাউন্টে বছরে ৬ হাজার টাকা করে হস্তান্তর করা হচ্ছে। দেশের তরুণ ও যুবকদের জন্যও নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধার দ্বার উন্মুক্ত করা হচ্ছে। ড্রোন প্রযুক্তি, মহাকাশ, স্টার্টআপ প্রতিটি ক্ষেত্রই আরও এগিয়ে চলার সুযোগ পাচ্ছে আমাদের গৃহীত নীতিগুলির জন্য। বন্ধুগণ, আমাদের লক্ষ্য যেখানে স্থির তখন উচ্চতা যতই কঠিন হোক না কেন, যতই হোক না তা অতলস্পর্শী আমরা সকল বাধা তুচ্ছ করতে বদ্ধপরিকর। অন্ধ্রপ্রদেশে সমুদ্রের গভীর থেকে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে আহরণ করা জলের সাহায্যে আমরা সৃষ্টি করব জ্বালানি শক্তি। নীল অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলিও। তাই এই পথেও আমরা আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করে তুলেছি। দেশে এই প্রথম নীল অর্থনীতির বিষয়টিকে এক বিশেষ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সুযোগ এখন পৌঁছে গেছে মৎস্যজীবীদের কাছেও। বিশাখাপত্তনম মৎস্য বন্দরটির আধুনিকীকরণ প্রকল্পের আজ সূচনা হল। এর সাহায্যে আমাদের মৎস্যজীবীদের জীবনযাত্রা আরও সহজ হয়ে উঠবে। দরিদ্র মানুষের যতো বেশি করে ক্ষমতায়ন আমরা নিশ্চিত করে তুলব ততই তারা আধুনিক পরিকাঠামোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সুযোগ-সুবিধাগুলিতে আরও বেশি মাত্রায় কাজে লাগাতে পারবে। এক উন্নত ভারত গড়ে তোলার যে স্বপ্ন আমরা দেখেছি তা সফল হয়ে উঠবে আমাদের এই সমস্ত প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে। বন্ধুগণ, বহু শতাব্দী যাবৎ আমাদের সম্পদ ও সমৃদ্ধির একটি উৎস হল দেশের সমুদ্র অঞ্চল। আর সেই সমৃদ্ধির পথে প্রবেশদ্বার হল আমাদের উপকূল অঞ্চলগুলি। তাই বন্দর চালিত উন্নয়নের লক্ষ্যে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকার প্রকল্প দেশে রূপায়িত হচ্ছে। ২১ শতকের ভারত এক সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যকে স্থির করে কর্মসূচি রূপায়ণ��র পথে এগিয়ে চলেছে। দেশের এই অভিযানে অন্ধ্রপ্রদেশ যে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করবে এ বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। এই সংকল্প গ্রহণের মধ্য দিয়ে আমি আপনাদের সকলকে আরও একবার ধন্যবাদ জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি! আপনারা দু-হাত তুলে আমার সঙ্গে বলে উঠুন- ভারত মাতার জয়! ভারত মাতার জয়! ভারত মাতার জয়! অনেক অনেক ধন্যবাদ! প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে।",বিশাখাপট্টনমত কেইবাটাও প্ৰকল্পৰ আধাৰশিলা স্থাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%97-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%B8/,"নয়াদিল্লি, ০৫ নভেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ রাধা স্বামী সৎসঙ্গ ব্যাস-এর দর্শন করেন। তিনি বাবা গুরিন্দর সিং ধিলো-র সঙ্গে কথা বলেন ও সেখানকার কাজকর্ম ঘুরে দেখেন। ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন; “রাধা স্বামী সৎসঙ্গ ব্যাস-এর দর্শন করতে পেরে ও সেখানে চলতে থাকা নানান অসাধারণ কাজ দেখে আমি আনন্দিত। বাবা গুরিন্দর সিং ধিলো-র সঙ্গে বিশেষ আলোচনা হয়েছে। তাঁর সেবামূলক মানসিকতা প্রশংসার দাবি রাখে, পাশাপাশি অন্যদের উদ্বুদ্ধও করে।”",ৰাধা স্বামী সৎসংগ ব্যাস সাক্ষাৎ কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%95-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%9A/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%95-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A6%A4-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%95/,"নয়াদিল্লী, ০১ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী চিকিৎসক দিবস উপলক্ষ্যে চিকিৎসকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং জীবন রক্ষার কাজে ও পৃথিবীতে সকলের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তাঁদের ভূমিকার কথা স্বীকার করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “সকল কঠোর পরিশ্রমী চিকিৎসকদের চিকিৎসক দিবসের শুভেচ্ছা জানাই, তাঁরা মানুষের প্রাণ বাঁচাতে এবং পৃথিবীতে সকলের সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।”",‘চিকিৎসক দিৱস’ত চিকিৎসকসকললৈ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শুভেচ্ছা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B2%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A7%9F/,বিশ্বভারোত্তলন প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক জয়ী মীরাবাঈ চানু-কে অভিনন্দিত করেছেনপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি তাঁর অভিনন্দন বার্তায় বলেছেন : বিশ্বভারোত্তলন প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক জয়ী “মীরাবাঈ চানু-র জন্য ভারত গর্বিত। তাঁরভবিষ্যৎ প্রচেষ্টার জন্য আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল।” / …,বিশ্ব ভাৰোত্তোলন চেম্পিয়নশ্বিপত স্বৰ্ণ পদক জয় কৰা মীৰাবাই চানুক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ অভিনন্দন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%89%E0%A6%81%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A8/,"নয়াদিল্লি, ১৬ জুলাই, ২০২২ ভারত মাতা কি জয় ! ভারত মাতা কি জয় ! ভারত মাতা কি জয় ! জয় বুন্দেলখন্ড বেদব্যাসের জন্মভূমি এবং মহারানী লক্ষ্মীবাঈ-য়ের অঞ্চলে আবারও আমার আসার সৌভাগ্য হল। আমি এর জন্য অত্যন্ত আনন্দিত। নমস্কার ! উত্তরপ্রদেশের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, উপমুখ্যমন্ত্রীরা শ্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যজি এবং শ্রী বৃজেশ পাঠকজি, এই অঞ্চলের প্রতিনিধি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী ভানুপ্রতাপ সিংজি, উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রীরা, সাংসদ, বিধায়ক, অন্যান্য জনপ্রতিনিধি এবং আমার বুন্দেলখন্ডের ভাই ও বোনেরা, আধুনিক বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য বুন্দেলখন্ডের ভাই-বোন এবং উত্তরপ্রদেশের জনসাধারণকে অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ! এই এক্সপ্রেসওয়ে বুন্দেলখন্ডের গৌরবজ্জ্বল ঐতিহ্যকে উৎসর্গ করা হল। উত্তরপ্রদেশের একজন সাংসদ হিসেবে, জনপ্রতিনিধি হিসেবে বুন্দেলখন্ডকে এই এক্সপ্রেসওয়ে উপহার দেওয়ার জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বুন্দেলখন্ড অগণিত যোদ্ধা উপহার দিয়েছে যাঁদের রক্তে ভারতের জন্য কাজ করার অদম্য উৎসাহ রয়েছে, যাদের শৌর্য্য ও কঠোর পরিশ্রম দেশকে মহিমান্বিত করে তোলে। ভাই ও বোনেরা, অনেকদিন ধরেই আমি উত্তরপ্রদেশে আসা-যাওয়া করি। উত্তরপ্রদেশবাসীর আর্শীবাদে গত ৮ বছর ধরে আমি দেশের প্রধান সেবক হিসেবে কাজ করছি। আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে উত্তরপ্রদেশে যদি দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানকে যুক্ত করা যায়, যদি এই রাজ্যের পিছিয়ে পড়ার কারনগুলিকে ঠিক করা যায় তাহলে রাজ্য আরও শক্তিশালী হয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমস্যার সহজেই সমাধান করতে পারবে। প্রথম উপাদানটি ছিল রাজ্যের খারাপ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। আর দ্বিতীয় উপাদানটি ছিল রাজ্যের অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। আজ যোগী আদিত্যনাথজির নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশের জনসাধারণ পুরো চিত্রটি বদলে ফেলেছে। যোগীজির নেতৃত্বে সরকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটিয়েছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি এনেছে। স্বাধীনতার পর গত ৭ দশকে যখনই উত্তরপ্রদেশে নানা আধুনিক পরিকাঠামোর জন্য কাজ করা হয়েছে , তার বেশিরভাগ কাজই হয়েছে ইদানিংকালে। কি ঠিক বললাম তো? বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ে চিত্রকূট ও দিল্লির মধ্যে যোগাযোগের সময় ৩-৪ ঘণ্টা কমিয়ে দিয়েছে। এই মহাসড়ক শুধুমাত্র এই অঞ্চলের গাড়ির গতিবেগই বাড়াবে না, পাশাপাশি বুন্দেলখন্ডে শিল্পায়নের গতি আনবে। গুদামঘর এবং হিমঘর সহ বিভিন্ন শিল্প এক্সপ্রেসওয়ের দুদিক গড়ে উঠবে। কৃষি ভিত্তিক শিল্পের জন্য এই এক্সপ্রেসওয়ে সহায়ক হবে। কারন এখান থেকে কৃষিপণ্য নতুন নতুন বাজারে পরিবহণ করা যাবে। বুন্দেলখন্ডে প্রতিরক্ষা করিডরেও এক্সপ্রেসওয়ে সহায়তা করবে। এক কথায় এই এক্সপ্রেসও বুন্দেলখন্ডের প্রতিটি কোনায় উন্নয়নকে পৌঁছে দেবে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করবে এবং নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করবে। বন্ধুগণ, একটা সময় ছিল যখন মনে করা হতো পরিবহণের আধুনিক সুযোগ-সুবিধাগুলি শুধুমাত্র মুম্বাই, চেন্নাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ ও দিল্লির জন্য বরাদ্দ। কিন্তু এখন সরকারের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানসিকতাও বদলেছে। মোদী এবং যোগী একসঙ্গে পুরনো কাজের ধারাকে সরিয়ে নতুনভাবে এগিয়ে চলেছেন। দেশের বড় বড় শহরগুলির মতো ছোট শহরগুলিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের ছোট ছোট শহরে বড় শহরগুলির মতোই নানা প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ে চিত্রকূট, বান্দা, হামিরপুর, মাহোবা, জালাউুঁ, আউরিয়া এবং এটাওয়ার মধ্যে দিয়ে গেছে। পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে লক্ষ্ণৌ ছাড়াও বারাবাঁকি, আমেঠি, সুলতানপুর, অযোধ্যা, আম্বেদকরনগর, আজমগড়, মৌ ও গাজিপুরের মধ্যে দিয়ে গেছে। গোরক্ষপুর লিঙ্ক এক্সপ্রেসওয়ে আম্বেদকরনগর, সন্ত কবীর নগর এবং আজমগড়কে যুক্ত করেছে। গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে মিরাট, হাপুর, বুলন্দ শহর, আমরোহা, সম্বল, বাদাউুঁ, শাহজাহানপুর, হারদৈ, উন্নাও, রায়বেরিলী, প্রতাপগড় এবং প্রয়াগরাজকে সংযুক্ত করবে। আপনারা দেখতে পাচ্ছে�� বিপুল কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের প্রতিটি অঞ্চল নতুন স্বপ্ন ও সংকল্প নিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলার জন্য প্রস্তুত। সবকা সাথ সবকা বিকাশের এটি আদর্শ উদাহরণ। সকলকে নিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে চলতে হবে। ডাবল ইঞ্জিন সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছে। রাজ্যের ছোট ছোট শহরগুলির সঙ্গে বিমান যোগাযোগ গড়ে তোলা হচ্ছে। সম্প্রতি প্রয়াগরাজ এবং গাজিয়াবাদে বিমান বন্দরের নতুন টার্মিনাল তৈরি করা হয়েছে। কুশিনগরের বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামা চলছে। নয়ডার জেওয়ারে নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গড়ে তোলার কাজ চলছে। উত্তরপ্রদেশের আরও শহরে বিমান পরিষেবার ব্যবস্থা করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যটন শিল্প এরফলে উপকৃত হবে। এই অনুষ্ঠান মঞ্চে ওঠার আগে আমাকে বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ে সম্পর্কে জানানো হচ্ছিল। আমি একটি উপস্থাপনায় দেখলাম এই অঞ্চলে অনেকগুলি দূর্গ রয়েছে। যারা বিদেশে গেছেন তারা অনেকেই জানেন ইউরোপে অনেক দেশে দূর্গকে ঘিরে পর্যটন শিল্প আবর্তিত হয়। পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ পুরনো দূর্গ দেখতে জড়ো হন। বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের পর আমি যোগীজির সরকারকে অনুরোধ করবো দূর্গগুলিকে নিয়ে একটি পর্যটন সার্কিট গড়ে তোলার জন্য। আমি যোগীজিকে আরও অনুরোধ জানাবো রাজ্যের তরুণ-তরুণীদেরকে নিয়ে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করুন। কত দ্রুত এই সব দুর্গে পৌছানো যায়। এই রাস্তা প্রথাগত রাস্তা অনুযায়ী হবে না বরং বলা ভালো দূর্গগুলিতে পৌঁছানোর জন্য বেশ শক্ত রাস্তায় হবে। আপনারা দেখবেন উত্তরপ্রদেশের হাজার হাজার যুবক-যুবতী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন এবং যথেষ্ট কঠিন প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। যিনি সব থেকে দ্রুত দূর্গের চূড়ায় পৌঁছাতে পারবেন তিনি সরকারের সহায়তায় এই অঞ্চলের জীবিকার সুযোগও পাবেন। বন্ধু তাহলে বুঝতেই পারছেন এক্সপ্রেসওয়ে থেকে কতো রকমের সুযোগ তৈরি হতে পারে। বন্ধুগণ, উত্তরপ্রদেশে ডাবল ইঞ্জিন সরকার যেভাবে আধুনিক নানা উদ্যোগের অঙ্গ নিয়েছে তার অভূতপূর্ব ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। বন্ধুরা, আপনাদের মনে আছে আমি কি বলেছিলাম? উত্তরপ্রদেশের সরযূ নদীর খাল প্রকল্পে ৪০ বছর লেগে গেছে। গোরক্ষপুরে সার কারখানা ৩০ বছর বন্ধ ছিল। অর্জুন জলাধার প্রকল্প শেষ করতে ১২ বছর লেগেছে। আমেঠি রাইফেল ফ্যাক্টরির শুধুমাত্র একটি বোর্ড টাঙানো ছিল��� রায়বেরিলীতে কোনো কামরা তৈরি হতো না, সেখানে কামরাগুলিকে নতুন করে সাজানো হতো। আজ উত্তরপ্রদেশে যেভাবে পরিকাঠামোর উন্নয়নে কাজ হচ্ছে তার ফলে এই রাজ্যে অনেক উন্নত রাজ্যকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে। আপনারা কি এরজন্য গর্বিত নন? বন্ধুগণ, শুধুমাত্র মহাসড়ক বা বিমান পথই নয়, উত্তরপ্রদেশ শিক্ষা, উৎপাদনশিল্প ও কৃষিকাজে সমানভাবে এগিয়ে চলেছে। আগে এই রাজ্যে বছরে মাত্র ৫০ কিলোমিটার রেলপথের দ্বিতীয় লাইন বসানো হতো। আজ আমাদের সরকার আসার পর গড়ে প্রতি বছর ২০০ কিলোমিটার রেললাইন বসানোর কাজ হচ্ছে। ২০১৪ সালের আগে মাত্র ১১ হাজার কমন সার্ভিস সেন্টার ছিল। আজ এই সংখ্যা ১ লক্ষ ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আগে মাত্র ১২টি মেডিকেল কলেজ ছিল এই রাজ্যে। আজ ৩৫টির বেশি মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠেছে, আরো ১৪টি কলেজের কাজ চলছে। ভাই ও বোনেরা, দেশের উন্নয়ন আজ দুটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে চলেছে। একটি হল ইচ্ছাশক্তি আর একটি হল মর্যাদা। আমরা দেশে নতুন নতুন সুবিধা যেমন গড়ে তুলছি একইসঙ্গে দেশের ভবিষ্যৎকেও শক্তিশালী করা হচ্ছে। আমরা পিএম গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যানের সাহায্যে একবিংশ শতাব্দীর সময়োপযোগী পরিকাঠামো গড়ে তুলছি। আর বন্ধুরা, উন্নয়নে বিষয়ে আমাদের অঙ্গীকার হল আমরা নির্ধারিত সময়কে কখনই অতিক্রম করবো না। কাশীতে আমাদের সরকার সৌন্দ্যার্যায়নের কাজ শুরু করেছে। আমাদের সরকারই সেই কাজ শেষ করেছে। আমাদের সরকার গোরক্ষপুরে এইমস-এর শিলান্যাস করেছে এবং তার উদ্বোধনও করেছে। আমাদের সরকার দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়ের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন দুটিই করেছে। বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়েও আর একটি উদাহরণ তৈরি করেছে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্ত ৭-৮ মাস আগেই এটি ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হল। করোনার সময় কতটা সমস্যা ছিল সেটি প্রত্যেক পরিবার জানেন। অথচ এই সমস্যার মধ্যেও এই প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করেছি। এর ফলে প্রত্যেক দেশবাসী বুঝতে পারছেন যে ভোট তিনি দিয়েছেন তাকে সম্মান জানানো হচ্ছে। আমি যোগীজি এবং তাঁর দলের সদস্যদের এরজন্য অভিনন্দন জানাই। বন্ধুগণ, যখন আমি কোনো সড়ক, হাসপাতাল বা কারখানার উদ্বোধন করি তখন আমার মনে হয় আমি ভোটদাতাদের সম্মান জানাচ্ছি। কারন তাঁরা এই সরকার গঠন করেছেন আর আমি তাঁদের কিছু সুযোগ-সুবিধা করে দিচ্ছি��� আজ সারা বিশ্ব ভারতের দিকে বিপুল আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। আমরা স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উদযাপন করছি। আমরা আগামী ২৫ বছর কি করবো তার পরিকল্পনা করছি। আজ যখন আমি বুন্দেলখন্ডে এসেছি যা ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈয়ের অঞ্চল, আমি এই অঞ্চলের ৬ লক্ষের বেশি গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে একটি অনুরোধ রাখবো। আমরা আমাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি উৎসর্গ করবো কারন তাঁরা শত শত বছর নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানাচ্ছি। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদযাপন করার জন্য গ্রামগুলির পরিকল্পনা করা উচিত। আমরা প্রত্যেক গ্রামে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করবো এবং একটি নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। আজ এই বীরভূমি থেকে আমি সমস্ত দেশবাসীর উদ্দেশে এই আহ্বান জানাচ্ছি। বন্ধুগণ, আজ ভারতে এমন কিছু করা উচিত নয় যা বর্তমানে উচ্চাকাঙ্খার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে করা হচ্ছে না। আজ প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত ও নীতি এমনভাবে গ্রহণ করতে হবে যাতে দেশের উন্নয়নে গতি আসে। দেশের জন্য যা ক্ষতিকারক, যা দেশের উন্নয়নের পক্ষে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে আমাদের সেগুলির থেকে দূরে থাকা উচিত। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর ভারত উন্নয়নের জন্য বিপুল সুযোগ পেয়েছে। আজ নতুন ভারত গড়ার জন্য আমাদের আরও সক্রিয় হতে হবে। নতুন ভারতের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই বিষয়গুলিতে আমরা যদি এখনই সক্রিয় না হই তাহলে ভারতের তরুণ প্রজন্মের জন্য এবং বর্তমান পরিস্থিতির জন্য তা ক্ষতিকারক হতে পারে। আপনাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারময় হয়ে যেতে পারে। আর তাই আপনাদের সতর্ক হতে হবে। এখন আমাদের দেশে ভোট পাওয়ার জন্য উপহার দেওয়ার প্রবনতা দেখা দিয়েছে। দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই পাইয়ে দেওয়ার সংস্কৃতি অত্যন্ত বিপজ্জনক। আমার প্রিয় দেশবাসী এবং যুব বন্ধুরা আপনারা এই পাইয়ে দেওয়ার সংস্কৃতির বিষয়ে সতর্ক থাকুন। যারা এই সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী তারা কখনই আপনাদের জন্য নতুন এক্সপ্রেসওয়ে, বিমান বন্দর, প্রতিরক্ষা করিডর তৈরি করবেন না। তাঁরা মনে করবেন তাঁরা কিছু উপহার দিয়ে মানুষকে কিনে নেবেন। আজ দেশের এই পাইয়ে দেওয়ার সংস্কৃতিটিকে আমাদের সরিয়ে ফেলতে হবে। বন্ধুগণ, পাইয়ের দেওয়ার রাজনীতির বদলে আমাদের মানুষের আকাঙ্খা পূরণের জন্য রাস্তা তৈরি করতে হবে, নতুন রেললাইন বানাতে হবে। আমরা দরিদ্রদের জ��্য পাকা বাড়ি বানাচ্ছি। বহু দশক ধরে অসমাপ্ত থাকা সেচ প্রকল্পের কাজ শেষ করছি, অনেক ছোট ও বড় জলাধার নির্মাণ করছি, দরিদ্র মানুষদের এবং কৃষকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে নতুন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তুলছি যাতে দেশের যুব সম্প্রদায়কে অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে না হয়। বন্ধুগণ, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে একজন জনসাধারণের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করতে পারেন। আমাদের ডাবল ইঞ্জিন সরকার দেশের যেখানে যেখানে রয়েছে সেখানে তারা উন্নয়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। ডাবল ইঞ্জিন সরকারগুলি পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়, তারা উপহার বিলোনোর মতো শর্টকাট পদ্ধতি মেনে চলে না। রাজ্যের ভবিষ্যৎ উন্নত করতে এই সরকারগুলি কঠোর পরিশ্রম করে। বন্ধুগণ, আজ আমি আরও একটি জিনিস আপনাদের বলবো। দেশের সুষম উন্নয়ন এবং ছোট ছোট শহর ও গ্রামে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুললে প্রকৃত অর্থে সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা হয়। পূর্ব ভারত এবং বুন্দেলখন্ডের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। আজ যখন আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে এবং সামাজিক ন্যায় সুনিশ্চিত হচ্ছে, যখন উত্তরপ্রদেশের প্রত্যেকটি জেলায় উন্নয়ন হচ্ছে তখন সেটি এক ধরনের সামাজিক ন্যায়। গ্রামে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, প্রত্যেক বাড়িতে রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেওয়া, দরিদ্রদের জন্য পাকা বাড়ি ও শৌচাগার নির্মাণ সামাজিক ন্যায়কে শক্তিশালী করছে। আমাদের সরকারের বিভিন্ন সামাজিক ন্যায় প্রকল্প থেকে বুন্দেলখন্ডের মানুষরা উপকৃত হচ্ছেন। ভাই ও বোনেরা, আমাদের সরকার বুন্দেলখন্ডের একটি বড় সমস্যার সমাধান করছে। জল জীবন মিশনের আওতায় আমরা প্রত্যেকের বাড়িয়ে নল বাহিত জল পৌঁছে দিচ্ছি। বুন্দেলখন্ডের লক্ষ লক্ষ পরিবারে জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মা ও বোনেরা এর থেকে অনেক উপকৃত হয়েছেন কারন তাঁদের দূর্দশা লাঘব হয়েছে। আমরা বুন্দেলখন্ডের নদীগুলি থেকে জল নিয়ে এই প্রকল্প কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। এরই উদ্যোগের ফসল রাতোলি ও ভাবনি জলাধার প্রকল্প এবং মাঝগাঁও-চিল্লি সেচ প্রকল্প। কেন- বেতোয়া সংযোগ প্রকল্পের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর ফলে বুন্দেলখন্ডে মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন আসবে। বন্ধুগণ, বুন্দেলখন্ডের বন্ধুদের কাছে আমার একটি অনুরোধ, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশ অমৃত সরোবর খননের শপথ নিয়েছে। বুন্দেলখন্ডের প্রত্যেকটি জেলায় ৭৫টি অমৃত সরোবর খনন করতে হবে। এর ফলে ভবিষ্যৎ প্রকল্প জল সঙ্কট থেকে রেহাই পাবে। আজ আমি আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ রাখছি আপনারা এই মহতী কাজে বিপুল সংখ্যায় অংশগ্রহণ করুন। এর জন্য গ্রামে গ্রামে বার্তা ছড়িয়ে দিন। ভাই ও বোনেরা, বুন্দেলখন্ডে কুটির শিল্পের প্রসারের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের সরকারের আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে কুটির শিল্পকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভারতের কুটির শিল্পের সংস্কৃতিকে মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচি সাহায্য করবে। আজ এই প্রসঙ্গে আমি আপনাদের জানাবো একটি ছোট্ট উদ্যোগ কিভাবে বিপুল প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতি বছর নানা দেশ থেকে ভারতে কোটি কোটি টাকার খেলনা আমদানি হতো। ভারতে খেলনা বানানোর একটি পারিবারিক ও ঐতিহ্যশালী শিল্প রয়েছে। এই দিকটি বিবেচনা করে আমি খেলনা শিল্পকে শক্তিশালী করার জন্য দেশবাসীর কাছে আবেদন জানাই, তারা যাতে শুধুমাত্র ভারতে তৈরি খেলনাই কেনেন। খুব কম সময়ে যা যা করা সম্ভব সরকার সে কাজগুলি করেছে। আজ প্রত্যেক ভারতবাসী জেনে গর্বিত হবেন যে কিভাবে আমাদের দেশ একটি স্বপ্ন পূরণ করলো। আমাদের উদ্যোগের ফলে বিদেশ থেকে খেলনা আমদানি যথেষ্ট কমেছে। এখন ভারত থেকে বিদেশে খেলনা রপ্তানী হচ্ছে। এর সুফল কারা পাচ্ছেন? দরিদ্র, দলিত, পিছিয়ে পরা এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষরা যাঁরা এই খেলনা তৈরি করেন তাঁরা সবথেকে উপকৃত। ঝাঁসি, চিত্রকূট এবং বুন্দেলখন্ডের খেলনা তৈরির একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। ডাবল ইঞ্জিন সরকার সেটিকে গুরুত্ব দিয়েছে। বন্ধুগণ, বুন্দেলখন্ডের নায়করা খেলার মাঠে বিজয় পতাকা উত্তোলন করেছেন। আজ বুন্দেলখন্ডের সন্তান মেজর ধ্যানচাঁদের নামে দেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়া পুরস্কারটি দেওয়া হচ্ছে। ধ্যানচাঁদজি তাঁর জীবনের একটি বড় সময় মিরাটে কাটিয়েছিলেন। সেই দিকটি বিবেচনা করে একটি ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হচ্ছে। আমাদের বুন্দেলখন্ডের মেয়ে শাইলী সিং লং জাম্পে নতুন রেকর্ড করেছেন। গত বছর অনুর্দ্ধ ২০ ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পেয়ানশিপে সে রুপো জিতেছে। আমাদের সরকার দেশের যুব সম্প্রদায়ের জন্য নানা সুযোগ গড়ে তোলার কাজ করছে। এই অঞ্চলে উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে যাতে এখান থেকে কাউকে অন্য কোথাও জীবিকার জন্য যেতে না হয়। উত্তরপ্রদেশ সুপ্রশা���নের নতুন উদাহরণকে আরও শক্তিশালী করে তুলুক। আরো একবার বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাই। আপনাদের মনে করিয়ে দিই ১৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রত্যেক বাড়িতে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব আমরা উদযাপন করবো। সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ। আসুন আমরা সমস্বরে বলে উঠি ভারত মাতা কি জয়! ভারত মাতা কি জয়! ভারত মাতা কি জয়! অনেক অনেক ধন্যবাদ। (প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছেন)",উত্তৰপ্রদেশৰ জালাউনত বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্ৰেছৱে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত প্রধানমন্ত্রীৰ ভাষ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A6%A3%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%9F%E0%A6%A4/,"মহামান্য রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো বিশিষ্ট প্রতিনিধিবৃন্দ, সংবাদমাধ্যমের সদস্যগণ, সেলামত সিয়াং নমস্কার! এই মহান এবং সুন্দর দেশে আমার এটা প্রথম সফর। আমি সবার আগে এই সফরের সুন্দর ব্যবস্থাপনা এবং উষ্ণ অতিথিপরায়ণতার জন্য রাষ্ট্রপতি উইডোডোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। ইন্দোনেশিয়ার বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ জাতীয় পোশাকে সাধারণ মানুষ এবং ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা আমাকে যে স্বাগত জানিয়েছে তা বিশেষভাবে আমার মন ছুঁয়ে গেছে। রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের দূরদর্শিতার জন্য,তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য এবং আমাদের অংশীদারিত্ব আরও মজবুত করার লক্ষ্যে তাঁর ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার বিষয়টিতে আমার মনে গভীর শ্রদ্ধা-ভালবাসা আছে। বন্ধুগণ, সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ইন্দোনেশিয়ার নির্দোষ মানুষদের মৃত্যু আমাকে গভীর দুঃখ দিয়েছে। ভারত এ ধরনের হামলার কড়া ভাষায় নিন্দা জানায়। এমন কঠিন সময়ে ভারত ইন্দোনেশিয়ার পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। এরকম আতঙ্ক তৈরী করার মত ঘটনা এই বার্তাই দিচ্ছে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সমবেতভাবে লড়াইয়ের যে প্রয়াস চলছে একে আরও দ্রুত এবং শক্তিশালী করা জরুরি। বন্ধুগণ, ইন্দোনেশিয়ার যে পঞ্চশীল দর্শন,ইন্দোনেশিয়ার মানুষের বিবেক এবং দূরদর্শিতা সমৃদ্ধ জীবনই এর প্রমাণ। এতে ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও অবাধ মেলবন্ধন ঘটেছে। সামুদ্রিক পড়শী এবং সামরিক অংশীদার হিসেবে আমাদের চিন্তাভাবনা প্রায় একরকম। সমুদ্র পথের সুরক্ষা এবং সংরক্ষণ নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্��। তা আমাদের আর্থিক নিরাপত্তার স্বার্থেও জরুরি। আজকের পরিবর্তনশীল ভারত-প্রশান্তমহাসাগরীয় ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ ভৌগোলিক কৌশলগত অবস্থান রয়েছে। আমরা একইধরণের বিকাশ ও পরিবেশগত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষেত্রে সহযোগী হিসেবে একে অপরের প্রগতি এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা আমাদের পারস্পরিক স্বার্থের পক্ষেও জরুরি। আর এজন্যই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষেত্রের জন্য একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি এবং সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সম্মতি পাওয়া গেছে। বন্ধুগণ, ভারতের পূর্বে সক্রিয়তা নীতি-অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির সঙ্গে ‘সাগর’–এই অঞ্চলের সবার নিরাপত্তা এবং বিকাশপ্রসঙ্গে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি উইডোডোর ম্যারিটাইম ফুলক্রাম পলিসি-র অনেক মিল রয়েছে। ২০১৬-র ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রপতি উইডোডোর ভারত সফরের সময় আমরা একটা রোডম্যাপ তৈরী করেছিলাম। আজকে আমাদের আলোচনায় এর বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। আজ আমাদের মধ্যে হওয়া সমঝোতার মাধ্যমে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার সুবিধে হবে। আমি খুশি যে, আমাদের সহযোগিতার বিষয়কে সম্প্রসারিত কৌশলগত অংশিদারিত্ব(কম্প্রিহেনসিভ স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপ) হিসেবে মানোন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ২০২৫ এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যকে ৫০বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যেতে নিজেদের প্রয়াসকে দ্বিগুণ করব। আর এই প্রয়াসে (সিইও ফোরাম)মুখ্য কার্যনির্বাহীদের মঞ্চের ইতিবাচক ভূমিকার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। বন্ধুগণ, আমাদের দু’দেশের মধ্যে হাজারো বছরের শক্তিশালী সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। এরই এক ঝলক এবছরের সাধারণতন্ত্র দিবসে আয়োজিত কুচকাওয়াজের সময় আমরা দেখতে পেয়েছিলাম। এবছরের কুচকাওয়াজে আসিয়ান-ভারত সম্পর্কের চলমান প্রদর্শনীতে ভারতের ওড়িশা রাজ্যের উৎসবে ‘বালি-যাত্রা’ দেখানো হয়েছিল। প্রতিবছর উদযাপিত এই উৎসব আমাদের হাজারো বছরের পুরনো সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আজও প্রাণবন্ত থাকার উদাহরণ বলা যেতে পারে। আগামী বছর ২০১৯-এ আমরা আমাদের রাজনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনার ৭০তম বার্ষিকী উদযাপন করব। এই সময়ে দু’দেশেই অনেক ধরণের বর্ণময় অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। ব্যাপক সংখ্যায় ভারতীয় পর্যটক ইন্দোনেশিয়ায় আসেন, বিশেষ করে বালিতে। উত্তরাখন্ড ও বালিকে যমজ মর্যাদায় নিয়ে এলে উভয় দেশের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানে আরও বিস্তৃতি আসবে। উভয় দেশের জনসংখ্যাতেই যুব অংশের গরিষ্ঠতা রয়েছে। এই যুব অংশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং তাদের রোজগারের সুযোগ তৈরী করতে আমরা শিক্ষা তথা কুশলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারি। আমরা শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সম্মত হয়েছি। আমরা ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে সম্প্রসারিত করার ব্যাপারে ইন্দোনেশীয় শীর্ষ নেতৃত্বের ভাবনাচিন্তাকে স্বাগত জানাব। এই বিষয়টি দু’দেশের পক্ষে লাভজনক অংশীদারিত্বের বিষয় হয়ে উঠবে। বন্ধুগণ, ভারত-আসিয়ান অংশীদারিত্ব এমন এক শক্তি, যা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষেত্র তো বটেই, এর চেয়েও বিস্তৃত পরিসরে শান্তি ও সমবেত অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আসিয়ানে ইন্দোনেশিয়ার ইতিবাচক ভূমিকাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। একইসঙ্গে ব্যাপক আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং সংহতির জন্য এই সংস্থার প্রয়াসকে উদাহরণ এবং প্রেরণার বিষয় বলেও দেখি। আমি আসিয়ানে ভারতের কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাড়ানোর ব্যাপারে ইন্দোনেশিয়ার সার্বিক সমর্থনের জন্য রাষ্ট্রপতি উইডোডোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি আগস্টে ১৮তম এশীয় ক্রীড়ার আয়োজক দেশ হওয়ার জন্য আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমার বিশ্বাস সেটা নিঃসন্দেহে এক আকর্ষণীয়, সফল এবং ঐতিহাসিক আয়োজন হয়ে উঠবে। আর রমজানের এই পবিত্র মাসে ভারতের ১২৫ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে ইন্দোনেশিয়ার সমস্ত মানুষের সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য এবং সাফল্য কামনা করছি। একইসঙ্গে আগামী ঈদ-উল-ফিতর উৎসবের জন্যও সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ! তারিমা কাসি বন্যাক!",ইণ্ডোনেছিয়া ভ্ৰমণৰ সময়ত প্ৰধানমন্ত্ৰী প্ৰেছ বিবৃতি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF/,"আজকের কর্মসূচিতে উপস্থিত আমার মন্ত্রিসভার সদস্য মাননীয়া স্মৃতি ইরানিজি, ডঃ মহেন্দ্রভাইজি, সকল আধিকারিকগণ, সকল অভিভাবক এবং শিক্ষকগণ আর ভারতের ভবিষ্যৎ নাগরিক আমার সকল প্রিয় নবীন বন্ধুরা! আপনাদের সবার সঙ্গে কথা বলে খুব ভালো লেগেছে। আপনাদের মুখ থেকে আপনাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভব সম্পর্কে জানতে ���েরেছি। কলা-সংস্কৃতি থেকে শুরু করে বীরত্ব, শিক্ষা নিয়ে উদ্ভাবন, সমাজ সেবা এবং ক্রীড়ার মতো বহুবিধ ক্ষেত্রে আপনাদের অসাধারণ সাফল্যের জন্য আপনারা পুরস্কার পেয়েছেন,আর এই পুরস্কার অনেক কঠিন প্রতিযোগিতার পর আপনারা পেয়েছেন। দেশের প্রত্যেক কোণা থেকে শিশুরা এগিয়ে এসেছে। তাদের মধ্যে থেকে আপনারা যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে এই জায়গায় পৌঁছেছেন। অর্থাৎ, পুরস্কার প্রাপকদের সংখ্যা যত কমই হোক না কেন, এই ধরনের যোগ্য শিশুদের সংখ্যা আমাদের দেশে অসংখ্য। আপনাদের সবাইকে আরও একবার এই পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আজ ‘ন্যাশনাল গার্ল চাইল্ড ডে’ বা জাতীয় কন্যাশিশু দিবসও। আমি এই উপলক্ষে দেশের সমস্ত কন্যাসন্তানদেরও শুভেচ্ছা জানাই, শুভকামনা জানাই। বন্ধুগণ, আপনাদের পাশাপাশি আপনাদের বাবা-মা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। আজ আপনারা যে এখানে পৌঁছতে পেরেছেন তার পেছনে তাঁদেরও অনেক বড় অবদান রয়েছে। সেজন্য আপনাদের সমস্ত সাফল্য, আজ আপনাদের প্রিয়জনদেরও সাফল্য। আপনাদের সাফল্যে আপনাদের প্রিয়জনদের প্রচেষ্টা এবং ভাবনাও সামিল রয়েছে। আমার নবীন বন্ধুগণ, আপনারা আজ যে পুরস্কার পেয়েছেন, এটি আরও একটি কারণে অত্যন্ত বিশেষ। সেই কারণটি হল, এই পুরস্কার পাওয়ার সময় দেশ এই সময় তার স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উৎসব পালন করছে। আপনারা এই গুরুত্বপূর্ণ কালখণ্ডে এই পুরস্কার পেয়েছেন। আপনারা সারা জীবন ধরে গর্বের সঙ্গে বলতে পারবেন, যখন আমাদের দেশে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব চলছিল, তখন আমি এই পুরস্কার পেয়েছিলাম। এই পুরস্কারদানের মাধ্যমে দেশ আপনাদের ওপর একটি বড় দায়িত্বও অর্পণ করেছে। এখন বন্ধুদের, পরিবারের, সমাজের প্রত্যেকেরই আপনাদের থেকে প্রত্যাশা বেড়ে গেছে। এই প্রত্যাশা থেকে আপনারা চাপে পড়বেন না। এই প্রত্যাশা থেকে আপনারা প্রেরণা নেবেন। যুব বন্ধুগণ, আমাদের দেশের ছোট ছোট শিশুরা, ছেলে-মেয়েরা প্রত্যেক যুগেই ইতিহাস রচনা করেছে। আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে বীর কন্যা কনকলতা বড়ুয়া, বীর বালক ক্ষুদিরাম বসু, বীর কন্যা রানি গাইদিনিলিউ-এর মতো বীর-বীরাঙ্গণাদের এমন ইতিহাস রয়েছে যা আমাদের মনকে গর্বে ভরিয়ে দেয়। এই সেনানীরা ছোট বয়সেই দেশের স্বাধীনতাকে তাঁদের জীবনের মিশন করে নিয়েছিলেন। এর জন্য নিজেদের সমর্পণ করে দিয়েছিলেন। আপনারা হয়তো টিভিতে দেখেছেন, গত বছর দীপাবলির সময় আমি জম্মু-কাশ্মীরের নৌশেরা সেক্টরে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার দেখা হয় শ্রী বলদেব সিং এবং শ্রী বসন্ত সিং নামের দুই বীরের সঙ্গে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই কাশ্মীরের মাটিতে যে যুদ্ধ হয়েছিল, সেই সময় তাঁদের বয়স খুব কম ছিল। সেই বয়সে তাঁরা ওই যুদ্ধে শিশু-সৈনিকের ভূমিকা পালন করেছিলেন, আর আমাদের সেনা প্রথমবার শিশু-সৈনিক রূপে তাঁদের স্বীকৃতি দিয়েছিল। তাঁরা নিজেদের জীবনের পরোয়া না করে, অত্যন্ত কম বয়সে দেশের সেনাকে সাহায্য করেছিলেন। এভাবেই আমাদের দেশে আরও একটি উজ্জ্বল উদাহরণ আছে – গুরু গোবিন্দ সিংহ-জির পুত্রদের শৌর্য এবং আত্মবলিদান। তাঁদেরকে আমরা ‘সাহিবজাদা’ নামে জানি। ‘সাহিবজাদা’রা যখন অসীম বীরত্ব ও ধৈর্য্যের সঙ্গে, সাহসের সঙ্গে পূর্ণ সমর্পনভাব নিয়ে আত্মবলিদান করেছিলেন, তখন তাঁদের বয়স খুব কম ছিল। ভারতের সভ্যতা, সংস্কৃতি, আস্থা এবং ধর্ম সুরক্ষার ইতিহাসে তাঁদের বলিদান অতুলনীয়। সম্প্রতি এই ‘সাহিবজাদা’দের আত্মবলিদানের স্মৃতিতে দেশ ২৬ ডিসেম্বরকে ‘বীর বাল দিবস’ রূপে পালন করা শুরু করেছে। আমি চাই যে আপনারা সবাই আর দেশের সমস্ত নবীন প্রজন্মের মানুষ এই মহান বীর ‘সাহিবজাদা’দের সম্পর্কে অবশ্যই পড়ুন এবং জানুন। আপনারা নিশ্চয়ই এটা দেখেছেন, গতকাল দিল্লিতে ইন্ডিয়া গেটের কাছে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ডিজিটাল মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। নেতাজীর থেকে আমরা সবচাইতে বড় প্রেরণা পাই – কর্তব্যের, দেশ সর্বাগ্রে – এই মনোভাবের। নেতাজীর থেকে প্রেরণা নিয়ে আমাদের সবাইকে আর বিশেষ করে আমাদের নবীন প্রজন্মকে দেশের জন্য নিজেদের কর্তব্যপথে এগিয়ে যেতে হবে। বন্ধুগণ, আমাদের স্বাধীনতার ৭৫ বছর এজন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, আজ আমাদের সামনে নিজেদের অতীত নিয়ে গর্ব করার, তা থেকে প্রাণশক্তি অর্জন করার সময় এসেছে। এই সময় বর্তমানের সঙ্কল্পগুলি বাস্তবায়নের, এই সময় ভবিষ্যতের জন্য নতুন নতুন স্বপ্ন দেখার, নতুন নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করার, আর সেই লক্ষ্যপথে এগিয়ে যাওয়ার। এই লক্ষ্য আগামী ২৫ বছরের জন্য যখন দেশ তার স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণ করবে তখনকার ভারতের জন্য। এখন আপনারা কল্পনা করুন, আজ আপনাদের মধ্যে অধিকাংশেরই বয়স ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণ হবে, তখন আপনারা জীবনের সেই পর্যায়ে থাকবেন, তখন দেশ কত উন্নত, দিব্য, প্রগতিশীল, ���ত্যাধুনিক উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। আপনাদের জীবন কতটা সুখ-শান্তিতে পরিপূর্ণ থাকবে। অর্থাৎ, এই লক্ষ্য আমাদের নবীন প্রজন্মের জন্য, আপনাদের প্রজন্ম এবং আপনাদের জন্য। আগামী ২৫ বছরে দেশ যে উচ্চতায় পৌঁছবে, দেশের যে সামর্থ্য বৃদ্ধি পাবে তাতে আমাদের নবীন প্রজন্মের সবচাইতে বড় ভূমিকা থাকবে। বন্ধুগণ, আমাদের পূর্বজরা যে বীজ বপন করে গেছেন, তাঁরা যে তপস্যা করেছেন, ত্যাগ করেছেন, তার ফল আমরা সবাই ভোগ করছি। কিন্তু আপনারা এমন একটা প্রজন্মের মানুষ, আপনারা এমন একটা কালখণ্ডে পৌঁছেছেন, আমাদের দেশ এখন এমন একটা কালখণ্ডে পৌঁছেছে, যখন আপনারা আজ যা বপন করবেন তার ফলগুলি আপনারাই খেতে পারবেন। বিশ্বে এত দ্রুত পরিবর্তন হতে চলেছে। সেজন্য আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, আজ দেশে যে নীতি রচিত হচ্ছে, যত প্রচেষ্টা চলছে, তার সবকিছুর কেন্দ্রে রয়েছে আমাদের নবীন প্রজন্ম। সবকিছুই আপনাদের কথা ভেবে তৈরি করা হচ্ছে। আপনারা কোন ক্ষেত্রটিকে সামনে রাখবেন? আজ দেশের সামনে ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’র মতো মিশন রয়েছে, ‘স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া’র মতো কর্মসূচি চলছে, ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র এত বড় অভিযান আমাদের সামনে রয়েছে, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কে গতি প্রদান করা হচ্ছে। দেশ এখন আত্মনির্ভর ভারতের জন-আন্দোলন শুরু করেছে। দেশের প্রত্যেক প্রান্তে দ্রুতগতিতে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, বিস্তার লাভ করছে। হাইওয়েজ তৈরি হচ্ছে, হাইস্পিড এক্সপ্রেসওয়েজ তৈরি হচ্ছে। এই প্রগতি, এই গতি কাদের গতির সঙ্গে ম্যাচ করে? এই গতি আপনাদের গতির সঙ্গে ম্যাচ করে। আপনারাই এইসব পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করে দেখবেন। এই সবকিছুর জন্য এতটা উত্তেজিত থাকেন। আপনাদেরই প্রজন্ম শুধু ভারতেই নয়, ভারতের বাইরেও এই নতুন ক্ষেত্রগুলিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আজ আমাদের গর্ব হয় যখন দেখি যে বিশ্বের সমস্ত বড় বড় কোম্পানিগুলির সিইও-রা আমাদের দেশের সন্তান। সকলের কাছেই আজ এটা একটা আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। আমাদের দেশের নবীন প্রজন্ম এখন সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। আজ আমাদের গর্ব হয়, যখন দেখি, ভারতের যুবক-যুবতীরা স্টার্ট-আপ বিশ্বে নিজেদের বিজয় পতাকা ওড়াচ্ছেন। আজ আমাদের গর্ব হয় যখন দেখি যে ভারতের নবীন প্রজন্মের মানুষেরা নতুন নতুন উদ্ভাবন করছেন, নতুন নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। আজ থেকে কিছুদিন পর ভারত নিজের ক্ষমতায় প্রথমবার মহা��াশে ভারতীয়দের পাঠাতে চলেছে। এই ‘গগনযান মিশন’-এর সাফল্য আমাদের নবীন প্রজন্মের ওপরই নির্ভর করছে। যে নবীনরা এই মিশনের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা এই সময় কঠিন পরিশ্রম করছেন। বন্ধুগণ, আজ আপনারা যে পুরস্কার পেয়েছেন সেগুলিও আমাদের নবীন প্রজন্মের সাহস এবং বীরত্বেরই উদযাপন। এই সাহস এবং বীরত্বই আজ নতুন ভারতের পরিচয়। করোনার বিরুদ্ধে দেশের লড়াইয়ে আমরা দেখেছি আমাদের বৈজ্ঞানিকেরা, আমাদের টিকা উৎপাদকরা বিশ্বে নেতৃত্বের লাগাম নিজেদের হাতে নিয়ে দেশীয় টিকা সরবরাহ করেছে। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা অত্যন্ত কঠিন সময়ে একদম ভয় না পেয়ে, না থেমে, দেশবাসীর সেবা করেছেন। আমাদের নার্সরা গ্রামে গ্রামে কঠিন বন্ধুর স্থানে গিয়ে টিকাকরণ করেছেন। এটা একটি দেশ রূপে সাহস এবং হিম্মতের বড় উদাহরণ। এভাবে সীমান্তে মোতায়েন সৈনিকদের বীরত্বকে দেখুন। দেশ রক্ষার জন্য তাঁদের বীরত্ব আমাদের পরিচয় হয়ে উঠেছে। আমাদের খেলোয়াড়রাও আজ তাঁদের সাফল্য অর্জন করছেন, যা ভারতের জন্য কখনও সম্ভব বলে মনে করা হত না। এভাবে যেসব ক্ষেত্রে আগে মেয়েদেরকে অনুমতি দেওয়া হত না, সেসব ক্ষেত্রে অনুমতি পেয়ে মেয়েরা আজ অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করছে। এটাই তো সেই নতুন ভারত, যা নতুন কিছু করার ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকে না, হিম্মত এবং বীরত্ব আজ ভারতের পরিচয়। বন্ধুগণ, আজ ভারত তার বলিদান এবং আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যতকে মজবুত করার জন্য লাগাতার কাজ করে যাচ্ছে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে স্থানীয় ভাষায় পড়াশোনায় জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে, আপনাদের পড়াশোনা করা, শিক্ষিত হওয়া আরও সহজ হবে। আপনারা নিজেদের পছন্দমতো বিষয় যাতে পড়তে পারেন, সেজন্যও শিক্ষানীতিতে বিশেষ ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। সারা দেশের হাজার হাজার স্কুলে নির্মীয়মান অটল টিঙ্কারিং ল্যাবসগুলি পড়াশোনার প্রারম্ভিক দিনগুলিতেই শিশুদের উদ্ভাবনের সামর্থ্যকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। বন্ধুগণ, ভারতের শিশুরা, ভারতের যুব প্রজন্ম বারবার প্রমাণ করেছে যে তারা একবিংশ শতাব্দীতে ভারতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে কতটা সামর্থ্য রাখে। আমার মনে আছে, ‘চন্দ্রযান’-এর সময় আমি সারা দেশের শিশুদের দেখেছিলাম। তাদের এত উৎসাহ ও উদ্দীপনা যে আমি কখনও ভুলতে পারব না। ভারতের শিশুরা সম্প্রতি টিকাকরণ অভিযানেও নিজেদের আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক ভাবনার পরিচয় দিয়েছে। ৩ জানুয়ারির পর থেকে মাত্র ২০ দিনে ৪ কোটিরও বেশি কিশোর-কিশোরীরা করোনার ভ্যাক্সিন নিয়েছে। এটা দেখায় যে আমাদের দেশের শিশুরা কতটা সচেতন। তাদের নিজস্ব দায়িত্ব সম্পর্কে তারা কতটা সচেতন। বন্ধুগণ, ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এর সাফল্যের অনেকটা কৃতিত্বই আমি ভারতের শিশুদেরকে দেব। আপনারা বাড়িতে বাড়িতে শিশু-সৈনিক হয়ে, স্বেচ্ছাসেবক হয়ে নিজেদের পরিবারের পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে স্বচ্ছতা অভিযানে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকেও প্রেরণা যুগিয়েছেন। বাড়ির মানুষ যেন স্বচ্ছতা বজায় রাখে, বাড়ির ভেতর এবং বাইরে যেন নোংরা-আবর্জনা না ফেলা হয়, তার দায়িত্বও শিশুরাই পালন করেছে। আজ আমি দেশের শিশুদের কাছে আরও একটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার ভিক্ষা চাইছি। শিশুরা যদি আমার সঙ্গ দেয়, তাহলে প্রত্যেক পরিবারে পরিবর্তন আসবে, আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আমার ছোট ছোট বন্ধুরা, আমার এই শিশু-সৈনিকরা এক্ষেত্রে আমাকে অনেক সাহায্য করবে। আপনারা যেমন পরিচ্ছন্নতা অভিযান নিয়ে এগিয়ে গেছেন, তেমনই আপনারা ‘ভোকাল ফর লোকাল’ অভিযানের জন্যও এগিয়ে যান। আপনারা বাড়িতে বসে, সমস্ত ভাই-বোনেরা একত্রিত হয়ে বসে একটি তালিকা তৈরি করুন, গুনুন, কাগজ নিয়ে দেখুন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আপনারা যে জিনিসগুলি ব্যবহার করেন, আর বাড়িতে যত জিনিসপত্র আছে সেগুলির মধ্যে কতগুলি ভারতীয় আর কতগুলি বিদেশি। তারপর, বাড়ির বড়দের অনুরোধ করুন যাতে তাঁরা ভবিষ্যতে এমন পণ্য কেনেন, যেগুলি ভারতেই তৈরি হয়, যেগুলিতে ভারতের মাটির সুরভী থাকে, যেগুলিতে ভারতের যুব সম্প্রদায়ের ঘামের গন্ধ থাকে। যখন আপনারা ভারতে নির্মিত পণ্য কিনবেন, তখন কী হবে? হঠাৎ করেই আমাদের উৎপাদন বাড়তে শুরু করবে, প্রত্যেক জিনিসের উৎপাদন বাড়বে, আর যখন উৎপাদন বাড়বে তখন রোজগারের এই নতুন সুযোগ তৈরি হবে। যখন রোজগার বাড়বে, তখন আপনাদের জীবনও আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে। সেজন্য ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’ আমাদের নবীন প্রজন্ম – আপনাদের সকলের সঙ্গেই যুক্ত রয়েছে। বন্ধুগণ, আজ থেকে দু’দিন পর দেশ তার সাধারণতন্ত্র দিবসও পালন করবে। আমাদের সাধারণতন্ত্র দিবস দেশের জন্য কিছু নতুন সঙ্কল্প গ্রহণের দিবস। আমাদের এই সঙ্কল্প সমাজের জন্য, দেশের জন্য আর গোটা বিশ্বের ভবিষ্যতের জন্যও হতে পারে। যেমন, পরিবেশের উদাহরণ আমাদের সামনে রয়েছে। ভারত পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যে আজ এত কিছু করছে, আর এর সমস্ত লাভ গোটা বিশ্ব পাবে। আমি চাইব যে আপনারা সেই সঙ্কল্প��ুলি সম্পর্কে ভাবুন যেগুলি ভারতের পরিচয়ের সঙ্গে যুক্ত, যেগুলি ভারতকে আধুনিক এবং বিকশিত করে তুলতে সাহায্য করবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনারা স্বপ্ন দেখে দেশের সঙ্কল্পের সঙ্গে যুক্ত হোন, আর আপনারা আগামী সময়ে দেশের জন্য অগুনতি সাফল্য অর্জন করুন। এই বিশ্বাস নিয়ে আপনাদের সবাইকে আরও একবার অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আমার সমস্ত শিশু বন্ধুদের অনেক অনেক ভালোবাসা, অনেক অনেক শুভকামনা, অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",প্ৰধানমন্ত্ৰী ৰাষ্ট্ৰীয় বাল পুৰস্কাৰ বঁটা বিজয়ীসকলৰ সৈতে বাৰ্তালাপত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পাঠৰ অসমীয়া অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A7%80%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF/,"অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর প্রার্থীরাও যাতে উপযুক্ত কাজের সুযোগ লাভ করতে পারেন সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, বিমা সংস্থা ইত্যাদিতে সরকারিপদের সমতুল পদ সৃষ্টির জন্য নিয়মাদর্শ গড়ে তোলা সম্পর্কিত এক প্রস্তাবে আজ সম্মতিদিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়মন্ত্রিসভার এই বৈঠক। এর ফলে, বিগত প্রায় ২৪ বছরের ঝুলে থাকা একটি বিষয় আজ ছাড়পত্রলাভ করল। মন্ত্রিসভারএই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেঅপেক্ষাকৃত নিচের তলার কর্মীদের সন্তানরা অন্যান্য অনগ্রসরশ্রেণীর জন্য সংরক্ষিতপদের জন্য আবেদন করার সুযোগ লাভ করবে। শুধু তাই নয়, অপেক্ষাকৃত উঁচু তলার কর্মীদেরসন্তানদের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিতে সমতুল পদের অভাবে ‘নন-ক্রিমি লেয়ারে’রঅন্তর্ভুক্ত বলে চিহ্নিত করার প্রবণতাওতাতে রোধ করা যাবে। আয় ও উপার্জন সম্পর্কিতবিধি নিষেধ ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার জন্যই এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যেত। ক্রিমি লেয়ারসম্পর্কিত বিধি-নিষেধ আরোপের ক্ষেত্রে বছরে ৬ লক্ষ টাকার আয় ও উপার্জনের যে ঊর্ধ্বসীমাবর্তমানে চালু রয়েছে, তা বাড়িয়ে বছরে ৮ লক্ষ টাকা করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেকেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ভোগ্যপণ্য মূল্য সূচক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই আয়ের এইঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই ব্যবস্থায় সামাজিক দিক থেকে যে সমস্ত ব্যক্তি বাশ্রেণী (ক্রিমি লেয়ার) এখ��ও যথেষ্ট এগিয়ে রয়েছে, তাঁরা এর ফলে অন্যান্য অনগ্রসরশ্রেণীর সুযোগ-সুবিধা আর ভোগ করতে পারবে না। অন্যান্যঅনগ্রসর শ্রেণীভুক্ত মানুষদের জন্য সামাজিক ন্যায়ের পরিধি প্রসারের লক্ষ্যেসরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টার এক বিশেষ প্রক্রিয়া হিসেবেই মন্ত্রিসভার আজকের সিদ্ধান্ত।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অনগ্রসর শ্রেণীগুলির জন্য গঠিত জাতীয় কমিশনকে এক সাংবিধানিকমর্যাদাদানের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই সংসদে একটি বিল পেশ করা হয়েছে।","চাকৰিৰ ক্ষেত্ৰত অন্যান্য পিছপৰা শ্রেণীৰ প্রার্থীসকলৰ সংৰক্ষণৰ স্বার্থত কেন্দ্ৰীয় ৰাজহুৱা খণ্ডৰ প্ৰতিষ্ঠান, বেংক আৰু বীমা প্ৰতিষ্ঠানৰ দৰে ৰাজহুৱা খণ্ডৰ প্ৰতিষ্ঠান আৰু অন্যান্য সংস্থাত চৰকাৰী পদৰ সম মৰ্যাদাৰ পদ সৃষ্টিত কেবিনেটৰ অনুমোদন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%8B-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A7%AD%E0%A7%AB%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%97-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A7%AD%E0%A7%AB/,"মাননীয় অধ্যক্ষ মহোদয়া, আমি আপনাকে ও সংসদের সকল মাননীয় সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই আর আজ আমরাসবাই আগস্ট বিপ্লবের জন্য গর্ব অনুভব করছি, আমরা সৌভাগ্যবান যে আজ এই পবিত্র সংসদেউপস্থিত থেকে সেই বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করার সুযোগ পেয়েছি। আমাদেরমধ্যে আজও অনেকেই আছেন, যাঁদের স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে ৯ আগস্ট, আগস্ট বিপ্লব।অন্যদের ক্ষেত্রেও এই বিপ্লবকে স্মরণ করা, এরকম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে বারবার স্মরণকরার প্রয়োজন রয়েছে। ভালো ঘটনা বারবার স্মরণ করলে জীবনে একটি নতুন উদ্দীপনা জেগেওঠে, রাষ্ট্রজীবনকেও নতুন শক্তি যোগায়। তেমনই আমাদের নবীন প্রজন্মের কাছে এ ধরনেরউদ্দীপনা পৌঁছে দেওয়ার কর্তব্য আমাদেরই। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ইতিহাসের একটিসোনালী পৃষ্ঠাকে, তৎকালীন পরিবেশকে, আমাদের মহাপুরুষদের আত্মবলিদানকে, কর্তব্যকে,সামর্থ্যকে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব প্রত্যেকেরই রয়েছে। আগস্ট বিপ্লবের ২৫তম বর্ষপূর্তি, ৫০তম বর্ষপূর্তিতে সকল দেশবাসী ঐঘটনাগুলিকে স্মরণ করেছে। আজ ৭৫তম বর্ষপূর্তি হচ্ছে, আমি একে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণবলে মনে করি। আর সেজন্য আমি অধ্যক্ষ মহোদয়ার কাছে কৃতজ্ঞ যে আমরা এভাবে উদযাপনেরসুযোগ পেয়েছি। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ৯ আগস্ট শুরু হওয়া এই আন্দোলন এত তী��্র এবংব্যাপক রূপ ধারণ করেছিল যে ইংরেজরা এর কল্পনাও করেনি। মহাত্মা গান্ধী সহ সকল অগ্রজ নেতাকে ওরা জেলে পুরে দিলে অনেক নতুন যুবকনেতৃত্বের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে এগিয়ে আসেন, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, রাম মনোহর লোহিয়া,জয়প্রকাশ নারায়ণের মতো অনেক নতুন নেতা সেই শূন্যস্থান পূরণ করে আন্দোলনকে এগিয়েনিয়ে যান। ইতিহাসের ঐ ঘটনাগুলি থেকে আমরা কিভাবে জনমানসে একটি নতুন প্রেরণা, নতুনসামর্থ্য, নতুন সংকল্প, নতুন কর্তব্যবোধ জাগিয়ে তুলতে পারি – সেই প্রচেষ্টাপ্রতিনিয়ত চালিয়ে যেতে হবে। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছে। ১৮৫৭ থেকে ১৯৪৭ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনেরনানা পর্যায়ে আমরা অনেকের পরাক্রমের কথা জানি, অনেকে আত্মাহুতি দেন, অনেকউত্থান-পতনও আসে। কিন্তু সাতচল্লিশের স্বাধীনতার পেছনে বিয়াল্লিশের ঘটনাক্রমেরতীব্রতা ও ব্যাপকতার প্রভাব অপরিসীম। সেই ব্যাপক গণআন্দোলন, গণসংঘর্ষের পরস্বাধীনতার জন্য শুধু সময়ের অপেক্ষাই ছিল। ১৮৫৭-র স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ই প্রথমদেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ই প্রথম দেশের প্রতিটি প্রান্তথেকে স্বাধীনতার বিউগল বেজে উঠেছিল। আর তারপর মহাত্মা গান্ধীর বিদেশ থেকে ফিরেআসা, লোকমান্য তিলকের পূর্ণ স্বরাজের সেই বিখ্যাত ঘোষণা – ‘স্বাধীনতা আমার জন্মসিদ্ধঅধিকার’, ১৯৩০ সালে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে লবণ সত্যাগ্রহ ও ডান্ডী অভিযান,নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠা, ভগৎ সিং, সুখদেব,রাজগুরু, চন্দ্রশেখর আজাদ, চাপেকর ভাইয়ের মতো অসংখ্য নবীন বীরের আত্মবলিদান – এইসবকিছু মিলেই ভারতের স্বাধীনতার প্রেক্ষিত গড়ে তুলেছিল। ১৯৪২ সালের আন্দোলনেঅংশগ্রহণকারীদের মনে ছিল, ‘এখন না হলে আর কোনও দিনই নয়’ ধরণের মনোভাব। সেজন্যদেশের প্রায় প্রত্যেক মানুষই এই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। একটা সময় মনে হ’ত,স্বাধীনতা আন্দোলন বুঝি অভিজাত সম্প্রদায়ের দ্বারা পরিচালিত। কিন্তু বিয়াল্লিশেরবিপ্লবে দেশের এমন কোনও প্রান্ত বাকি ছিল না, এমন কোনও বর্গ বাকি ছিল না, এমন কোনওসামাজিক অবস্থা অবশিষ্ট ছিল না, যারা একে নিজস্ব করে নেয়নি। আর তাঁরা গান্ধীজীরআহ্বানে সাড়া দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেই আন্দোলন, যার অন্তিম স্বর ছিল ‘ভারত ছাড়ো’। সবচেয়ে বড় কথা, নিজের চরিত্র ওভাবধারার বিরুদ্ধে গিয়ে মহাত্মা গান্ধী হুঙ্কার দেন, ‘করেঙ্গে ��য়া মরেঙ্গে’! ঐআন্দোলনের সাফল্যই তাঁর মুখে উচ্চারিত হয়, ‘আজ থেকে আপনারা প্রত্যেকেই নিজেকেস্বাধীন মহিলা কিংবা পুরুষ ভাবেন, আর স্বাধীন মানুষের মতোই কাজ করা উচিৎ। আমিপূর্ণ স্বাধীনতা থেকে কম কিছু নিয়ে সন্তুষ্ট থাকব না। আমরা করব নয়ত মরব’! এইবক্তব্যের মাধ্যমে বাপুজী স্পষ্ট করে দেন যে তিনি অহিংসার পথ ত্যাগ করেন। কিন্তুতৎকালীন পরিস্থিতিতে জনসাধারণের প্রত্যাশার চাপ এতটাই ছিল যে বাপুজীকেও তাদেরপ্রত্যাশার অনুকূল শব্দ প্রয়োগ করতে হয়েছিল। সেই সময় গ্রামে গ্রামে কৃষক, মজুর, শিক্ষক ও ছাত্র সকলেই এই আন্দোলনেঝাঁপিয়ে পড়ে। বাপুজীও উদ্বুদ্ধ হয়ে বলেন, ইংরেজদের হিংসার শিকার হয়ে কোনও ভারতীয়শহীদ হলে তাঁর শরীরে একটি পোস্টার সেঁটে দিতে হবে, ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে – আর ইনিস্বাধীনতা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন’! এভাবেই বাপুজী সেই আন্দোলনকে নতুন উচ্চতা প্রদানকরেন। তারই পরিণামস্বরূপ ভারতমাতা পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত হয়। দেশ সেই মুক্তির জন্যছটফট করছিল। নেতা থেকে নাগরিক কারও ভাবনায় কোনও অন্তর ছিল না, আর আমি মনে করি, দেশযখন উঠে দাঁড়ায়, সমূহের সম্মিলিত শক্তি মহীয়ান হয়ে অঠে, লক্ষ্য নির্ধারিত হয় আরসেই লক্ষ্য পূরণের জন্য মানুষ কৃতসংকল্প হয়ে বীরদর্পে এগিয়ে যায়। ১৯৪২ থেকে ১৯৪৭সালের মধ্যে এই সম্মিলিত শক্তি সকল শৃঙ্খল ভেঙে ফেলে, আর ভারতমাতা মুক্ত হয়। সেইসময় রামবৃক্ষ বেণীপুরী একটি বই লিখেছিলেন, ‘জঞ্জিরেঁ অউর দীওয়ারেঁ’। এতে তিনিলিখেছেন, ‘সারা দেশে একটি অদ্ভুত আবহ গড়ে ওঠে। প্রত্যেক ব্যক্তি নেতা হয়ে ওঠেন আরদেশের প্রত্যেক গ্রাম ও শহরের প্রতিটি চৌ-মাথা ‘করব বা মরব’ আন্দোলনের দপ্তরেপরিণত হয়। গোটা দেশ বিপ্লবের যজ্ঞের আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিপ্লবের লাভাস্রোত সারা দেশেধিকি ধিকি থেকে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। বোম্বাই পথ দেখায়। আসা-যাওয়ার সকল পথ রুদ্ধহয়ে যায়। কোর্টকাছারি খা খা করে। ভারতীয়দের বীরত্ব আর ব্রিটিশ সরকারের নৃশংসতারখবর সর্বব্যাপী হচ্ছিল। সাধারণ মানুষ গান্ধীজির ‘করব অথবা মরব’ মন্ত্রকে হৃদয়েস্থান দিয়েছিল”। ঐ বইটি পড়লে সেই সময়কার যে চিত্র উঠে আসে, আর বোঝা যায় যে, ব্রিটিশ শাসকদেরসূত্রপাত ভারতে হয়েছিল তার সমাপ্তি ঘটেছিল ভারতেই। ভারতের স্বাধীনতা শুধু ভারতেরইস্বাধীনতা ছিল না। ১৯৪২-এর পর বিশ্বের যে সকল ভূ-ভাগে আফ্রিকা ও এশিয়ার নানা দেশেঔপনিবেশিক শাসন ছিল – সর্বত্র স্বাধীনতার আন্দোলনের প্রেরণা হয়ে ওঠে ভারতের আগস্টআন্দোলন। সেজন্য ভারতের স্বাধীনতার স্পৃহা সে সকল দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেস্বাধীন্তা সংগ্রামী করে তোলে। যে কোনও ভারতীয় সেজন্য গর্ব করতে পারেন। ভারতস্বাধীন হতেই তাদের স্বাধীনতার আন্দোলন এত তীব্র হয়ে ওঠে যে একের পর এক দেশ ছেড়েঔপনিবেশিক প্রভুরা নিজেদের দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হন। একের পর এক দেশ স্বাধীনতাঘোষণা করে। কয়েক বছরের মধ্যেই বিশ্বের প্রায় সকল দেশ স্বাধীন দেশে পরিণত হয়। এটাআমাদের জন্যও একটি শিক্ষার বিষয় হয়ে ওঠে, যখনই আমরা সবাই মিলে শপথ নিয়ে পূর্ণ সামর্থ্যনিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য প্রাপ্তির জন্য একজোট হই, এই দেশের শক্তি তখন এতটাই বৃদ্ধিপায় যে আমরা দেশকে যে কোনও সংকট থেকে মুক্ত করতে পারি, দেশকে নতুন লক্ষ্যপ্রাপ্তিরজন্য প্রস্তুত করতে পারি, ইতিহাস সাক্ষী আর সেজন্যই সেই সময় এই আন্দোলনের নেতৃত্বপ্রদানকারী বাপুজীর ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জাতীয় কবি মোহনলাল দ্বিবেদী একটি কবিতাবাপুজীকে উৎসর্গ করেছিলেন। এতে তিনি লিখেছিলেন : ‘চল পড়ে জিধর দো ডগ, মগ মেঁ চল পড়ে কোটি পগ উসী ওর গড় গই জিধর ভী এক দৃষ্টি গড় গয়ে কোটি দৃগ উসী ওর’ অর্থাৎ, যে পথে গান্ধীজীর পা দুটি এগিয়েছে, নিজে থেকেই কোটি পা সেই পথধরেছে। যেদিকে গান্ধীজী তাকিয়েছেন, কোটি কোটি মানুষ সেদিকে তাকিয়েছেন। আজ ২০১৭সালে আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে দেশে গান্ধীজীর মতো ব্যক্তিত্বসম্পন্ন কোনও নেতাআমাদের নেই, কিন্তু ১২৫ কোটি ভারতবাসী বিশ্বাস করেন যে, আমরা সবাই মিলে সেই স্বাধীনতাসংগ্রামীদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারব। ১৯৪২ সালের আন্তর্জাতিক পরিবেশওভারতের স্বাধীনতার অনুকূল ছিল। আর আজ আমরা যখন ২০১৭ সালে ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের৭৫তম বর্ষপালন করছি সেই সময়ও বিশ্বে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কল্পনার ভারতগড়ার, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার অনুকূল পরিবেশ গড়ে উঠেছে। আমাদের সকলকে রাজনীতিরঊর্ধ্বে উঠে এই অনুকূল আবহের সুযোগ নিয়ে সাফল্যের পথে এগোতে হবে। আমি মনে করি,দলের থেকে দেশের স্বার্থ বড়, রাজনীতি থেকে রাষ্ট্রনীতি বড়। আমাদের উপরে রয়েছেন ১২৫কোটি দেশবাসী, এই ভাবনা মাথায় নিয়ে আমরা সবাই মিলে এগিয়ে গেলে, মিলেমিশে কাজ করলে,এই সমস্যাগুলির সমাধানে সাফল্য পাবই। একথা আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারবো না যে,দুর্নীতি নামক ঘুণপোকা আমাদের দেশ���ে পেছনে ফেলে রেখেছে। রাজনৈতিক দুর্নীতি,সামাজিক দুর্নীতি কিংবা ব্যক্তিগত দুর্নীতি; গতকাল কী হয়েছে, কবে কে কি করেছেন, এইবিবাদের জন্য আমরা ভবিষ্যতে অনেক সময় পাব, কিন্তু আজ এই পবিত্র লগ্নে আসুন আমরাসকলে মিলিতভাবে শপথ গ্রহণ করি যে, সামনে যত সমস্যা রয়েছে, দারিদ্র্য, অপুষ্টি,অশিক্ষা এগুলি আমরা সমাধান করবোই। মহাত্মা গান্ধীর ‘গ্রাম স্বরাজ’-এর স্বপ্ন ভেঙেখান খান হয়ে গেছে, গ্রামের মানুষেরা কেন দলে দলে গ্রাম ছেড়ে এসে শহরে বসবাস করতেশুরু করেছেন? গান্ধীজির স্বপ্নের সেই গ্রামকে কি আমরা আবার নিজেদের মনে পুনর্জীবিতকরতে পারি? গ্রামের গরিব, কৃষক, দলিত প্রজন্ম, শোষিত ও বঞ্চিতদের জীবনমান উন্নয়নেরজন্য আমরা কি কিছু করতে পারি? এই প্রশ্নে আমরা কি পরস্পরের ওপর দোষারোপ ছেড়ে হাতেহাত ধরে মিলেমিশে কাজ করতে পারি? আমরা সকলেই তো ঐ ১২৫ কোটি মানুষের দ্বারানির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আমাদের পরস্পরের দিকে হাত বাড়িয়ে দেশবাসীর উন্নয়নেরস্বার্থে, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করার এটাই উপযুক্ত সময়। এদেশে আমাদের সকলেরঅজান্তেই কখন অধিকারবোধ প্রবল হয়ে উঠেছে আর কর্তব্যবোধ লুপ্ত হতে চলেছে।রাষ্ট্রজীবনে, সমাজ জীবনে অধিকারভাবের এই গুরুত্বকে অক্ষুণ্ন রেখেই আমরা কি নিজেরকাজে, জনমানসে কর্তব্যবোধকে জাগিয়ে তুলতে পারি? সমাজ জীবনে অনেক সমস্যার মূলেরয়েছে আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের স্বভাবে এমন কিছু আচরণঢুকে গেছে, যেগুলি ভুল কিন্তু আমরা সেসব ভুল সম্পর্কে অবহিত নই। আমরা সহজেইচৌ-মাথায় এসে ‘লাল সংকেত’ অবজ্ঞা করে গাড়ি চালিয়ে দিতে পারি। যেখানে সেখানে থুতুফেলে আমরা কোনও অপরাধবোধ করি না। অনেক সামান্য ঘটনা হিংসার শিকার হয়ে পড়ে।হাসপাতালে ডাক্তারবাবুর ওষুধে কেউ সুস্থ না হলে এর জন্য সবসময় ডাক্তারবাবু দায়ীথাকেন না, সব মৃত্যুই ডাক্তারের দোষ কিংবা হাসপাতালের গাফিলতিতে হয় না। কিন্তুআত্মীয়রা গিয়ে হাসপাতালে আগুন লাগিয়ে দেন, ডাক্তারকে মারধোর করেন। যে কোনও কারণেসড়ক দুর্ঘটনা হলে কয়েকজন মিলে ড্রাইভারকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন। আইন মেনে চলানাগরিকদের কখনই এমনটি করা উচিৎ নয়। অথচ আমাদের স্বভাবে এ ধরনের অনেক ‘কু’ ঢুকেপড়েছে, যাতে আমাদের মনেই হয় না যে আমরা এইভাবে আইন নিজেদের হাতে নিয়ে কোনও অন্যায়করছি! এখন জনপ্রতিনিধিদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় সমাজকে এইসব অন্যায় ��ম্পর্কে সচেতনকরে যথাযথ কর্তব্যের পথ দেখানো, সমাজকে কর্তব্য সচেতন করা! শৌচালয় এবং পরিচ্ছন্নতা মজার বিষয় নয়। মা-বোনেদের সমস্যা অনুভব করলেইবুঝবেন যখন বাড়িতে শৌচালয় ছিল না, তাঁদেরকে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে রাতের অন্ধকারেরজন্য অপেক্ষা করতে হ’ত! সেজন্য আমরা শৌচালয় নির্মাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। কিন্তুতারচেয়েও বড় কাজ হ’ল সমাজের মানসিকতা পরিবর্তন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি। এই কাজ আইনপ্রণয়ন করে হবে না! আইন নিয়ম রক্ষায় সাহায্য করতে পারে, কিন্তু মানুষের মনেকর্তব্যবোধ জাগ্রত করতে পারলে অনেক বেশি ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে। আমরা দেশের মা ওবোনেদের ঘরে বন্দী করে, লেখাপড়া শিখতে না দিয়ে সমাজের বোঝা বানিয়ে রেখেছি। মা ও বোনেদের শিক্ষিত করে তুলতে পারলে, তাঁদের সামর্থ্যের পূর্ণ বিকাশঘটাতে পারলে, তাদের সমান অংশীদারিত্ব দেশকে কত বেশি শক্তিশালী করে তুলতে পারবে!স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মহাত্মা গান্ধী মা-বোনেদের অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন,যেখানে যেখানে যতটা সম্ভব দায়িত্ব তিনি তাঁদের সঁপে দিয়েছিলেন। দেশের স্বাধীনতাআন্দোলনে দেশের মা ও বোনেদের অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আজও জাতীয়জীবনে তাঁদের অবদান কোনও অংশে কম নয়। সেই অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে আরও বেশি সংখ্যকমা ও বোনেদের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা সম্ভবহবে। এক্ষেত্রেও কর্তব্যবোধকে জাগ্রত করতে হবে। একথা সত্যি যে ১৮৫৭ থেকে ১৯৪২ – এর মধ্যে স্বাধীনতা আন্দোলন নানা পর্যায়েঅনেক উত্থান-পতন দেখেছে, অনেক মোড় ঘুরেছে, নতুন নতুন নেতৃত্ব এগিয়ে এসেছেন, কখনওবিদ্রোহ-বিপ্লবের পথ আবার কখনও অহিংসার পথ প্রাধান্য পেয়েছে। কখনও উভয় ধারা একেঅন্যের বিরুদ্ধে যুযুধান আবার কখনও পরস্পরের পরিপূরক। কিন্তু ১৮৫৭ থেকে ১৯৪২পর্যন্ত সময়কালকে একসঙ্গে দেখলে অনুভব করব যে সর্বদাই আমাদের দেশের আন্দোলনক্রমবর্ধমান গতিতে স্বাধীনতার স্পৃহাকে বাড়িয়ে গেছে। ধীরে ধীরে এগিয়েছে, ধীরে ধীরেবিস্তার লাভ করেছে, মানুষের যোগদানও ধীরগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু ১৯৪২ থেকে১৯৪৭ ক্রমবর্ধমান নয় একেবারে বিধ্বংসী-বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে, আর তা পূর্ববর্তীসকল সমীকরণকে ভাসিয়ে দিয়ে ইংরেজদের ভারত ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেছে। আমাদের সমাজ জীবনেও তেমনই গত ১০০-২০০ বছরের ইতিহাস ধীরগতিতে এগিয়ে যাওয়ারইত��হাস। প্রায় সারা পৃথিবীতেই এই অবস্থা ছিল। কিন্তু গত ৩০-৪০ বছরে সারা পৃথিবীতেইদ্রুত পরিবর্তন আসে, সমাজ জীবনে প্রযুক্তি ব্যবহার বৈপ্লবিক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়।প্রযুক্তির ব্যবহারে সারা পৃথিবীতে অকল্পনীয় গতিতে সমস্ত কিছু বদলাতে থাকে।ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটতে থাকে। যেভাবে ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনের হার এক লাফে হাইজাম্পের মতো উচ্চতা অতিক্রমকরেছে এই ২০১৭ থেকে ২০২০ হয়ে ২০২২-এর মধ্যে। ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের ৭৫ বছর থেকেস্বাধীনতা আন্দোলনের ৭৫ বছরের মধ্যের সফরকালেও তেমনই ১৯৪২ থেকে ১৯৪৭-এর মধ্যেরসফরকালের মতো উন্নয়নের হাইজাম্প পরিলক্ষিত হবে। এই সময়কাল আমাদের দায়িত্ব পালনেরসময়কাল হয়ে উঠবে। আমরা যদি ভারত’কে সেই উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারি, তা হলে বিশ্বেরঅনেক দেশকে আমরা সাহায্য করতে পারব, মানবতার উন্নয়নে নেতৃত্ব দিতে পারব,প্রযুক্তির ব্যবহারে নেতৃত্ব দিতে পারব। আর সেজন্য সম্মিলিত ইচ্ছাশক্তিকে জাগ্রতকরতে হবে, দেশকে সংকল্পবদ্ধ করে তুলতে হবে, দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, তাঁদেরকেসঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আর সেজন্য এই পাঁচ বছরে আমরা কিছু বিষয়ে মতৈক্যেরভিত্তিতে উন্নয়নের কাজ করতে পারলে আমার বিশ্বাস আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতেপারব। আমরা সম্প্রতি দেখেছি, জিএসটি’র ক্ষেত্রে; আমি বারবার বলছি যে, এটা আমার কোনও রাজনৈতিক বিবৃতি নয়।এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, জিএসটি কোনও নির্দিষ্ট সরকারের সাফল্য নয়। কোনও রাজনৈতিকদলের সাফল্য নয়। রাজনীতি নির্বিশেষে এই সংসদ ভবনে উপস্থিত সকল সাংসদের ইচ্ছাশক্তিরপরিণাম এই জিএসটি। দেশের সকল রাজ্যের শাসক ও বিরোধী পক্ষের সকল বিধায়কের ইচ্ছাশক্তিরপরিণাম এই জিএসটি। দেশের সাধারণ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে এই অভিন্ন করব্যবস্থা। যে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিজেদের রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে দেশের স্বার্থেএরকম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে, নিজেদের দায়িত্বপালন করতে পারে, সে দেশেরদিকে বিশ্ববাসী সমীহ নিয়ে তাকাতে বাধ্য। জিএসটি বিশ্ববাসীর কাছে একটি আশ্চর্য করব্যবস্থা, এদেশের জনসংখ্যা, আকার ও আয়তনের বিশালতা এবং বৈচিত্র্য থাকা সত্ত্বেওআমরা যখন এরকম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি, ১২৫ কোটি মানুষের জনপ্রতিনিধিরূপে আমরা একসঙ্গে বসে দেশের স্বার্থে এমনই অনেক সিদ্ধান্তই নিতে পারব। ১২৫ কোটিদেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ২০২২ সালের মধ্যে নতুন ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার শপথনিলে, আমার বিশ্বাস, আমরা পরিণাম অর্জন করতে পারবই। মহাত্মা গান্ধীর আহ্বান ছিল – ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’। ২০১৭ থেকে ২০২২-এরমধ্যে আমাদের শপথ নিতে হবে যে, আমরা দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করব আর অবশ্যই করেছাড়ব। আমরা সবাই মিলে দেশের নবীন প্রজন্মের স্বরোজগারের সুযোগ করে দেব এবং করেইছাড়ব। আমরা সবাই মিলে দেশ থেকে অপুষ্টির সমস্যা দূর করব এবং করেই থামব। আমরা সবাইমিলে মহিলাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে সকল শৃঙ্খলমুক্ত করব এবং করেই ছাড়ব। আমরা সবাইমিলে দেশ থেকে অশিক্ষা দূর করে তবেই থামব। আরও অনেক বিষয় রয়েছে; তাই সেই সময়েরমন্ত্র যেমন ছিল ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’ আর আজ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আমাদেরমূলমন্ত্র হওয়া উচিৎ ‘করেঙ্গে অউর করকে রহেঙ্গে’। এই সংকল্প নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।এই সংকল্প কোনও দলের নয়, কোনও সরকারের নয়; এই সংকল্পকে ১২৫ কোটি দেশবাসীর সংকল্পেপরিণত করতে, ১২৫ কোটি জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে আমাদের মিলিত সংকল্পের ভূমিকাঅপরিমেয়। আমার বিশ্বাস সংকল্প থেকে সিদ্ধির পাঁচ বছরে পরিণত হবে এই ২০১৭ থেকে ২০২২– পাঁচ বছর। আসুন, আজ আগস্ট বিপ্লবের সেই মহাপুরুষদের স্মরণ করে, তাঁদের ত্যাগ,তপস্যা, আত্মবলিদান’কে স্মরণ করে, তাঁদের পুণ্য স্মৃতি থেকে আশীর্বাদ গ্রহণ করেআমরা সবাই মিলে, কিছু বিষয়ে সহমত হয়ে দেশকে নেতৃত্ব দিই, দেশকে সমস্যামুক্ত করি।স্বপ্ন, সামর্থ্য, শক্তি আর লক্ষ্য পূরণের জন্য এগিয়ে যাই! এই প্রত্যাশা নিয়েআরেকবার অধ্যক্ষ মহোদয়াকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রণামজানাই।",‘ভাৰত ত্যাগ’ আন্দোলনৰ ৭৫তম বর্ষপূর্তি উদযাপনৰ প্রাকমুহূৰ্তত লোকসভাৰ বিশেষ আলোচনা সভাত প্রধানমন্ত্রীৰ ভাষণৰ ইংৰাজী সংস্কৰণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A7%B1-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6/,"উৎসবের মুহূর্তে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। কয়েকটি ট্যুইট বার্তার মাধ্যমে তিনি বলেছেন : “প্রত্যেককেই জানাই বৈশাখীর অভিনন্দন! সকলের জীবন এই উৎসবের মধ্য দিয়ে আনন্দময় হয়ে উঠুক, এই প্রার্থনা জানাই। দেশবাসীর মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার দায়ীত্ব বহন করে যাঁরা নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন, আমাদের মেহনতি কৃষক সাধারণকে আমি আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। ভারত বৈচিত্র্যের আশীর্বাদধন্য। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এখন উৎসব পালন করছেন। এই বিশেষ বিশেষ উপলক্ষগুলির মুহূর্তে প্রত্যেককেই জানাই আমার অভিনন্দন। পুথান্ডু উপলক্ষে তামিল জনসাধারণকে জানাই আমার শুভেচ্ছা। আগামী বছরটিতে আপনাদের সকল আশা-আকাঙ্খা চরিতার্থ হোক, এই প্রার্থনা জানাই। শুভ বিশু! নতুন বছরটি নতুন নতুন আশা, অধিকতর সমৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্যের বার্তাবহ হয়ে উঠুক, এই প্রার্থনা জানাই। প্রত্যেক বাঙালিকে জানাই পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা। এই নববর্ষ যেন প্রত্যেকের জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বহন করে আনে। শুভ নববর্ষ! আমার অসমীয়া ভাই-বোনদের জানাই বোহাগ বিহুর শুভেচ্ছা। এই উৎসবের মূলে রয়েছে অফুরন্ত শক্তি ও উৎসাহ-উদ্দীপনা। এই শুভ দিনটি আমাদের সমাজ জীবনে সুখ ও সুস্বাস্থ্য বহন করে নিয়ে আসুক, এই প্রার্থনা জানাই। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী আমার ওড়িয়া বন্ধুদের জানাই মহাবিষুব সংক্রান্তি! আগামী বছরটি আরও সুন্দর হয়ে উঠুক। সমৃদ্ধ ওড়িয়া সংস্কৃতির জন্য আমরা ভীষণভাবে গর্বিত।",বিভিন্ন উৎসৱ উপলক্ষে দেশবাসীলৈ শুভেচ্ছা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%B0-5/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AC-%E0%A7%A7%E0%A7%A8-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A7-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4/,"আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। এই সময় আপনারা ২০২১কে বিদায় জানানো এবং ২০২২কে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রয়েছেন। নতুন বছরে প্রত্যেক ব্যক্তি, প্রত্যেক সংস্থা আরও ভালো কিছু করার ও হওয়ার সঙ্কল্প নেয়। গত সাত বছর ধরে আমাদের এই ‘মন কি বাত’ও ব্যক্তি, সমাজ, দেশের ভালো দিককে তুলে ধরে আরও ভালো হওয়ার, ভালো করার প্রেরণা দিয়ে আসছে। এই সাত বছরে ‘মন কি বাত’ করার সময় আমি সরকারের নানা সাফল্য নিয়েও আলোচনা করতে পারতাম। আপনাদেরও ভালো লাগত, আপনারাও প্রশংসা করতেন, কিন্তু এ আমার কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা যে সংবাদমাধ্যমের চাকচিক্য থেকে দূরে, সংবাদপত্রের শিরোনাম থেকে দূরে, এমন কোটি-কোটি মানুষ আছেন যাঁরা অনেক কিছু ভালোভাবে করছেন। তাঁরা দেশের আগামী ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের বর্তমানকে সঁপে দিয়েছেন। তাঁরা দেশের আগামী প্রজন্মের জন্য আজ সর্বশক্তি দিয়ে নিজেদের প্রয়াসে লেগে থাকেন। এমন মানুষদের কাহিনী বড় শান্তি দেয়, অনেক প্রেরণা দেয়। আমার জন্য ‘মন কি বাত’ সর্বদাই এমন সব মানুষের প্রচেষ্টার কাহিনীতে পূর্ণ, বিকশিত, সুসজ্জিত উপবন হয়ে রয়েছে, আর ‘মন কি বাত’এ প্রত্যেক মাসে এই উপবনের কোন পাপড়ি আপনাদের মধ্যে নিয়ে আসব সেই প্রয়াসই আমার থাকে । আমি আনন্দিত যে আমাদের বহু রত্ন প্রসবিনী বসুন্ধরার পুণ্য কাজের স্রোত অবিরাম বয়ে চলেছে । আর আজ যখন দেশ ‘অমৃত মহোৎসব’ উদযাপন করছে তখন এই যে জনশক্তি, জনে-জনে যে শক্তি, তার উল্লেখ, তার প্রয়াস, তার পরিশ্রম, এক অর্থে ভারতের আর মানবতার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের গ্যারান্টি দেয়। বন্ধুরা, এটা জনশক্তিরই ক্ষমতা, যার ফলে ভারত একশো বছরের মধ্যে আসা সবথেকে বড় মহামারীর বিরুদ্ধে লড়তে পেরেছে। আমরা প্রত্যেকটি কঠিন সময়ে একে অন্যের সঙ্গে, একটি অভিন্ন পরিবারের মত থেকেছি। নিজের পাড়ায় বা শহরে কাউকে সাহায্য করতে হলে যার যতটুকু সামর্থ্য তার থেকে বেশি করার চেষ্টা করেছেন। আজ সারা বিশ্বে টিকাকরণের যে পরিসংখ্যান রয়েছে তার তুলনা ভারতের পরিসংখ্যানের সঙ্গে করলে বোঝা যাবে যে দেশ কী অভূতপূর্ব কাজ করেছে। কত বড় লক্ষ্য অর্জন করেছে। টিকার একশো চল্লিশ কোটি ডোজের সীমা পার করা, প্রত্যেক ভারতবাসীর নিজের সাফল্য। প্রত্যেক ভারতবাসীর প্রশাসনিক ব্যবস্থার উপর ভরসা এর মাধ্যমে তুলে ধরে, বিজ্ঞানের উপর ভরসা করে , বিজ্ঞানীদের উপর আস্থা রেখে আর সমাজের প্রতি নিজের দায়িত্ব পালন করা আমাদের প্রত্যেক ভারতবাসীর ইচ্ছাশক্তির প্রমাণও। কিন্তু বন্ধুরা, আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে করোনার এক নতুন ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্যেই দরজায় কড়া নেড়েছে । গত দু’ বছরে আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে যে বিশ্বব্যাপী এই মহামারীকে পরাজিত করতে হলে একজন নাগরিক হিসাবে আমাদের নিজেদের প্রয়াসও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই যে নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এসেছে তার অধ্যয়ন আমাদের বিজ্ঞানীরা অবিরাম করে চলেছেন। প্রতিদিন নতুন তথ্য পাচ্ছেন তাঁরা, তাঁদের পরামর্শে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এমন সময়ে নিজে সজাগ থাকা, নিজে অনুশাসন পালন করা করোনার এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে দেশের খুব বড় শক্তি। আমাদের সঙ্ঘবদ্ধ শক্তিই করোনাকে পরাজিত করবে, এই দায়িত্ববোধ নিয়ে আমাদের ২০২২ সালে প্রবেশ করতে হবে । আমার প্রিয় দেশবাসী, মহাভারতের যুদ্ধের সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছিলেন – ‘নভঃ স্পৃশং দীপ্তম’ অর্থাৎ গর্বের সঙ্গে আকাশকে স্পর্শ করা। এটা ভারতীয় বায়ুসেনার আদর্শ বাক্যও। ভারত মাতার সেবাতে সমর্পিত অনেক জীবন আকাশের এই শিখরকে প্রতিদিন স্পর্শ করে, আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা দেয়। এরকমই এক জীবন হলো গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং-এর। বরুণ সিং যে হেলিকপ্টারকে উড়াচ্ছিলেন সেটি এ মাসে তামিলনাড়ুতে দূর্ঘটনার শিকার হয়। এই দূর্ঘটনায় আমরা দেশের প্রথম সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং তাঁর পত্নী সহ কত বীরদের হারিয়েছি। বরুণ সিংও মৃত্যুর সঙ্গে অনেকদিন পাঞ্জা লড়েছিলেন, কিন্তু তিনিও আমাদের ছেড়ে চলে যান। বরুণ যখন হাসপাতালে ছিলেন ওই সময় আমি সামাজিক মাধ্যমে এরকম কিছু দেখেছিলাম যা আমার মনকে আলোড়িত করেছিল। এ বছর অগাস্ট মাসে ওঁকে শৌর্য চক্রে সম্মানিত করা হয়েছিল। এই সম্মান পাওয়ার পর তিনি নিজের স্কুলের প্রিন্সিপ্যালকে একটা চিঠি লিখেছিলেন। এই চিঠি পড়ে প্রথম আমার মনে হয়েছে সফলতার শীর্ষে পৌঁছেও নিজের শেকড়ে জল দিতে ভোলেন নি তিনি। দ্বিতীয়ত – ওঁর যখন উদযাপন করার সময় ছিল তখন তিনি ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভেবেছিলেন। তিনি চাইতেন যে স্কুলে তিনি পড়েছেন, সেখানের বিদ্যার্থীদের জীবনও যেন এক উৎসবের রুপ নেয়। নিজের চিঠিতে বরুণ জী নিজের পরাক্রমের কথা বাড়িয়ে বলেন নি, উল্টে তিনি অসফলতার কথা বলেছেন। কিভাবে নিজের দুর্বলতাকে শক্তিতে পরিবর্তিত করেছিলেন তার বর্ননা করেন। এই চিঠির এক জায়গায় তিনি লিখেছেন -“সাধারণ হওয়া কোনো দোষ নয়। সবাই স্কুলে খুব ভালো ফল করবে বা ৯০ এর ঘরে নম্বর পাবে এটা সম্ভব নয়। যদি তুমি তা করতে পারো সেই কীর্তি নিঃসন্দেহে প্রসংশনীয়। কিন্তু, যদি তা না হয়, এরকম ভাবার কোনো কারণ নেই যে তুমি সারা জীবন সাধারণই থেকে যাবে। স্কুলে তুমি মধ্য মেধার কেউ হতে পারো কিন্তু সেটা তোমার আগামী জীবনের একমাত্র মাপকাঠি নয়। নিজের প্রতিভাকে চেনো। সাহিত্য, সঙ্গীত, আর্ট, গ্রাফিক্স ডিসাইন প্রভৃতি যাই হোক না কেন, একনিষ্ঠ ভাবে সেটা করে যাও। পরিশ্রম কর, নিজের সেরাটা দাও। কখনো এমন না হয়, রাতে শুতে যাওয়ার সময়ে ভাবতে হবে আমি আরো ভাল করতে পারতাম। বন্ধুরা, সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে ওঠার জন্য উনি যে মন্ত্র দিয়েছেন তাও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। এই চিঠিতেই বরুণ সিং লিখেছিলেন, ”কখনো আশা ছেড়ো না। যা তুমি হতে চাও সেই লক্ষ্যের জন্য তুমি উপযুক্ত নও, এটা কখনোই ভেবোনা। এটা হয়তো ��বসময় সহজ নয়, এর জন্য সময় এবং বিলাসিতার সঙ্গে আপস করতে হয়। আমি একজন মধ্যমেধার মানুষ ছিলাম এবং এখনও তাই আছি। আমার কর্মজীবনে আমি অনেক বাধা অতিক্রম করেছি। কখনো ভেবো না দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ডের পরীক্ষার নম্বর এটা সিদ্ধান্ত নেয় যে তুমি কতটা উচ্চতা ছুঁতে পারো। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখ এবং তার জন্য কাজ করো।’’ বরুণ লিখেছিলেন যে যদি একজন ছাত্রকেও অনুপ্রেরণা দিতে পারেন, সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আজ আমি বলতে চাই যে, তিনি সমগ্র দেশকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। ওঁর চিঠি শুধুমাত্র ছাত্রদের উদ্দেশে হলেও, তা আমাদের সমগ্র সমাজকে বার্তা দিয়েছে। বন্ধুরা, প্রত্যেক বছর আমি এমনই বিষয়ের উপর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করি। এই বছরও পরীক্ষার আগে আমি ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করার পরিকল্পনা করছি। এই অনুষ্ঠানের জন্য দুদিন পরে অর্থাৎ ২৮শে ডিসেম্বর থেকে mygov.in এ রেজিস্ট্রেশন শুরু হতে চলেছে। এই রেজিস্ট্রেশন ২৮ শে ডিসেম্বর থেকে ২০ শে জানুয়ারী পর্যন্ত চলবে। এর জন্য নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বাবা-মায়েদের নিয়ে অনলাইন প্রতিযোগিতা আয়োজিত হবে। আমি চাইবো আপনারা সকলেই এতে অংশ নিন। আপনাদের সকলের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হবে। আমরা সকলে মিলে পরীক্ষা, কেরিয়ার, সাফল্য এবং ছাত্র-জীবনের সঙ্গে যুক্ত নানা বিষয়ে আলোচনা করব। আমার প্রিয় দেশবাসী, ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে আমি এখন আপনাদের কিছু শোনাতে চলেছি, যা দেশের সীমান্ত পেরিয়ে অনেক দূর থেকে এসেছে। এটা আপনাকে আনন্দ দেবে এবং অবাক করবে। (ভোকাল) বন্দে মাতরম। বন্দে মাতরম। সুজলাং সুফলাং মলয়জশীতলাম। শস্যশ্যামলাং মাতরম। বন্দে মাতরম। শুভ্রজোৎস্নাপুলকিতযামিনী। ফুল্লকুসুমিতদ্রুমদলশোভিনী। সুহাসিনী সুমধুরভাষিণী। সুখদাং, বরদাং মাতরম। বন্দেমাতরম। বন্দেমাতরম। আমার পূর্ণবিশ্বাস যে এটা শুনে আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আপনাদের গর্ব অনুভব হয়েছে। বন্দেমাতরম এর মধ্যে যে ভাবনা নিহিত রয়েছে, তা আমাদের গর্ব এবং উত্তেজনায় পরিপূর্ণ করে। বন্ধুরা আপনারা নিশ্চয়ই এটা ভাবছেন, এই সুন্দর ভিডিওটি কোন জায়গার? কোন দেশ থেকে এসেছে? এর উত্তর আপনাদের বিস্ময় আরো বাড়িয়ে দেবে। যে ছাত্ররা এই বন্দেমাতরম গানটি প্রস্তুত করেছে তারা গ্রিসের। ওখানে ইলিয়ার হাইস্কুলে পড়াশোনা করে এই ছাত্র ছাত্রীরা। ওঁরা যেমন অত্যন্ত সুন্দর এবং আবেগ ভরে বন্দেমাতরম গেয়েছেন, তা চমৎকার এবং প্রশংসনীয়। এমনই প্রচেষ্টা দুই দেশের মানুষদের আরো কাছাকাছি নিয়ে আসে। আমি এই গ্রীসের ছাত্র ছাত্রী ও তাদের শিক্ষকদের অভিনন্দন জানাই। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব চলাকালীন তাদের এই প্রচেষ্টাকে আমি সাধুবাদ জানাই। বন্ধুরা, আমি লখনউ নিবাসী নীলেশজির একটি পোস্টের বিষয়ে বলতে চাই। নীলেশজি লখনৌতে আয়োজিত এক অভিনব ড্রোন শোর এর খুব প্রশংসা করেছেন। এই ড্রোন শো লখনৌর রেসিডেন্সী অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আজও রেসিডেন্সীর দেওয়ালগুলি ১৮৫৭ এর প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামে সাক্ষী দেয়। রেসিডেন্সীতে আয়োজিত ড্রোন শো ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন ঘটনাবলীকে জীবন্ত করে তুলেছে౼ তা সে চৌরিচৌরা আন্দোলন হোক, কাকোরি ট্রেনের ঘটনা হোক বা নেতাজি সুভাষের অদম্য সাহস এবং পরাক্রমের কাহিনী, এই ড্রোন শো সবার মন জয় করেছে। আপনিও এই ভাবে আপনার শহরের, গ্রামের, স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত অভিনব প্রচেষ্টার বিভিন্ন দিক সবার সামনে তুলে ধরতে পারেন। এতে টেকনোলজির সাহায্য নিতে পারেন। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতি রোমন্থনের সুযোগ দেয়, তাকে অনুভব করার সুযোগ দেয়। এই মহোৎসব দেশের জন্য নতুন সংকল্প নেওয়ার, কিছু করার ইচ্ছাশক্তি জাগায়, এ এক প্রেরণাদায়ী উৎসব, এক প্রেরণাদায়ী সুযোগ। আসুন, স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান মনীষীদের কাছে আমরা প্রেরণা নিই এবং দেশের জন্য আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও মজবুত করে তুলি। আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদের ভারত অনেক অনন্য সাধারণ প্রতিভায় সমৃদ্ধ, যাদের কৃতিত্ব অন্যদেরও কিছু করার প্রেরণা যোগায়। এরকমই এক ব্যক্তিত্ব হলেন তেলেঙ্গানার ডাক্তার কুরেলা ভিটঠালাচার্য জি। তাঁর বয়স ৮৪ বছর। স্বপ্ন পূরণ করতে বয়স কোনো বাঁধা নয়, তার উদাহরণ ভিটঠালাচার্য জি। বন্ধুরা, ছোটবেলা থেকেই ভিটঠালাচার্য জির একটাই ইচ্ছে ছিল যে তিনি এক বড় লাইব্রেরী খুলবেন। দেশ তখন পরাধীন, পরিস্থিতি এমন ছিল যে ছোটবেলার সেই স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে গেলো। সময়ের সঙ্গে ভিটঠালাচার্য জি লেকচারার হলেন, তেলুগু ভাষার সুগভীর অধ্যয়ন করেছেন ও সেই ভাষায় তিনি অনেক সৃষ্টিশীল রচনাও লিখেছেন। ৬-৭ বছর আগে উনি ফের একবার নিজের স্বপ্নপূরণ করার উদ্যোগ নেন। উনি নিজের সংগ্���হের বই দিয়ে লাইব্রেরী শুরু করেন। সারা জীবনের উপার্জন এই কাজে উৎসর্গ করেন। ধীরে-ধীরে এই কাজে অংশগ্রহন করতে অন্য মানুষরা এগিয়ে আসতে থাকেন। যদাদ্রি-ভুবনাগিরি জেলার রমন্নাপেট ব্লকের এই লাইব্রেরীতে প্রায় ২ লক্ষ বই আছে। বিটঠল-আচার্যজি বলেন যে, তিনি চান না, পড়শোনা করতে তাঁকে যত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তা আর কাউকে কোনদিন হতে হয়। বহু ছাত্রছাত্রী ওঁর কাজের ফলে লাভবান হচ্ছে দেখে উনি খুব খুশি হন। ওঁর কাজ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এখন অন্য অনেক গ্রামের মানুষও তাঁদের এলাকায় গ্রন্থাগার বানানোর কাজ শুরু করেছেন। বন্ধুরা, বই থেকে কেবল জ্ঞান লাভ হয়না, ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে এবং জীবন গড়ে তোলে। বই পড়ার নেশা একটি অদ্ভুত শান্তি দেয়। আজকাল আমি দেখি মানুষ বেশ গর্বের সঙ্গে বলে থাকেন যে এই বছর আমি এতগুলি বই পড়েছি। ভবিষ্যতে আমি এই-এই বইগুলি পড়তে চাই। এটা একটা খুব ভাল প্রবণতা যেটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিৎ। আমিও ‘মন কী বাত’এর শ্রোতাদের বলব এই বছরে যে ৫টি বই তাঁদের সবচেয়ে পছন্দ হয়েছে তার কথা তাঁরা যেন জানান। এর ফলে আপনি ২০২২এ অন্য পাঠকদের ভাল বই নির্বাচন করতে সাহায্য করবেন। এমন এক সময় যখন আমাদের স্ক্রিন টাইম বাড়ছে, তখন বই পড়াও যাতে আরও জনপ্রিয় হয় তার জন্য আমাদের সবাইকে একত্রে চেষ্টা করতে হবে। আমার প্রিয় দেশবাসী, সম্প্রতি একটি খুব আকর্ষণীয় প্রচেষ্টার প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এই প্রচেষ্টার লক্ষ্য আমাদের প্রাচীন গ্রন্থ এবং সাংস্কৃতিক ভাবনাগুলিকে, কেবলমাত্র ভারতেই নয়, বরং সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় করা। পুনেতে ভান্ডারকার ওরিয়েন্টাল রিসার্চ ইন্সটিটিউট বলে একটি সেন্টার আছে। এই সেন্টারটি অন্য দেশের মানুষকে মহাভারতের মাহাত্ব্য বোঝানোর জন্য একটি অনলাইন কোর্স শুরু করেছে। আপনারা এটা শুনে আশ্চর্য হয়ে যাবেন যে, যদিও এই পাঠক্রমটি সবেমাত্র শুরু হয়েছে, কিন্তু এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়বস্তু তৈরি করার কাজটি ১০০ বছরেরও বেশি আগে শুরু হয়েছিল। যখন এই প্রতিষ্ঠান এই পাঠক্রমটি শুরু করে তখন তারা দারুণ সাড়া পায়। আমি এই অসাধারণ প্রচেষ্টার আলোচনা এই জন্য করছি যাতে মানুষ জানতে পারেন আমাদের ঐতিহ্যের বিভিন্ন আঙ্গিককে আধুনিকভাবে কীভাবে উপস্থাপনা করা হচ্ছে। সাত সমুদ্র পারে বসে থাকা মানুষের কাছে এর সুফল পৌছনোর জন্যও নতুন নতুন পন্থাপদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। বন্ধুরা, আজ সারা দুনিয়া জুড়ে ভারতীয় সংস্কৃতির বিষয়ে জানার আগ্রহ বাড়ছে। পৃথক পৃথক বিভিন্ন দেশের মানুষ শুধু আমাদের সংস্কৃতির ব্যাপারে জানার জন্য উৎসুকই নন, তার প্রসারে তাঁরা সাহায্যও করছেন। এমনই একজন মানুষ হলেন সার্বিয়ান স্কলার ডক্টর মোমির নিকিচ। ইনি সংস্কৃত-সার্বিয় দুটি ভাষায় একটি অভিধান তৈরি করেছেন। এই অভিধানে অন্তর্ভুক্ত ৭০ হাজারেরও বেশী সংস্কৃত শব্দের সার্বিয়ান ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। আপনাদের এটা জেনে আরো ভালো লাগবে যে ডক্টর নিকিচ ৭০ বছর বয়সে সংস্কৃত ভাষা শিখেছেন। উনি বলেন এর অনুপ্রেরণা উনি পেয়েছেন মহাত্মা গান্ধীর রচনা পড়ে। অনুরূপ আরেকটি উদাহরণ মঙ্গোলিয়ার ৯৩ বছর বয়সি প্রফেসর জে.গেন্দেধরম। উনি বিগত চার দশকে ভারতের প্রায় চল্লিশটি প্রাচীন গ্রন্থ, মহাকাব্য ও রচনা মঙ্গোলিয়ান ভাষায় অনুবাদ করেছেন। আমাদের দেশেও এই রকম আবেগের সঙ্গে বহু মানুষ কাজ করছেন। আমি গোয়ার সাগর মূলেজীর প্রয়াস সম্বন্ধেও জানতে পেরেছি, যিনি শয়ে শয়ে বছরের প্রাচীন “কাবী” চিত্রকলার অবলুপ্তি রক্ষার কাজে ব্যাপৃত রয়েছেন। “কাবী” চিত্রকলা ভারতের প্রাচীন ইতিহাসের ধারক। “কাব” শব্দের অর্থ লাল মাটি। প্রাচীনকালে এই চিত্রকলায় লাল মাটির প্রয়োগ করা হত। গোয়ায় পর্তুগিজ শাসনকালে সেখান থেকে পালানোর সময় গোয়ার মানুষ অন্যান্য রাজ্যের মানুষদেরও এই আশ্চর্য চিত্রকলার সঙ্গে পরিচিত করিয়ে ছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই চিত্রকলা বিলুপ্ত হয়ে পড়ছিল। কিন্তু সাগর মূলেজী এতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছেন। তার এই প্রয়াস অত্যন্ত প্রশংসাও অর্জন করছে। বন্ধুরা, একটা ছোট প্রচেষ্টা, একটা ছোট্ট পদক্ষেপও আমাদের সমৃদ্ধ শিল্পকলাগুলির সংরক্ষণে অনেক বড় ভূমিকা নিতে পারে। যদি আমাদের দেশের মানুষ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন তাহলে দেশজুড়ে আমাদের প্রাচীন শিল্পকলাগুলিকে সাজিয়ে তোলা ও সংরক্ষণের আবেগ এক জনআন্দোলনের রূপ নিতে পারে। আমি এখানে মাত্র কয়েকটি প্রয়াসের বিষয়েই বললাম। দেশজুড়ে এই ধরনের বহু প্রয়াস হচ্ছে। আপনারা তার খবর নমো অ্যাপ এর মাধ্যমে আমার কাছে অবশ্যই পৌঁছে দেবেন। আমার প্রিয় দেশবাসী, অরুণাচল প্রদেশের মানুষ বছর ভর একটি অনন্য অভিযান চালাচ্ছেন, আর তার নাম দিয়েছেন “অরুণাচলপ্রদেশ এয়ারগান সারেন্ডার অভিযান”। এই অভিযানে মানুষ স্বেচ্ছায় নিজের এয��ারগান সারেন্ডার করছেন। কেন জানেন? যাতে অরুণাচল প্রদেশের পাখিদের নির্বিচারে শিকার করা বন্ধ করা যায়। বন্ধুরা, অরুণাচল প্রদেশ পাঁচশোরও বেশি প্রজাতির পাখির বাসস্থান। এদের মধ্যে এমন কিছু দেশি প্রজাতি অন্তর্ভুক্ত যা পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। কিন্তু এখন জঙ্গলে পাখিদের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি বদলানোর জন্য এখন এয়ারগান সারেন্ডার অভিযান শুরু করা হয়েছে। বিগত কিছু মাসে পাহাড় থেকে সমতল এলাকা পর্যন্ত, এক সম্প্রদায় থেকে অন্য সম্প্রদায় পর্যন্ত, রাজ্যের সর্বত্রই মানুষ একে সাদরে গ্রহণ করেছে। অরুণাচলের লোক স্বেচ্ছায় এখনো পর্যন্ত ১৬০০-র ও বেশি এয়ারগান জমা দিয়ে ফেলেছেন। আমি অরুণাচলের মানুষদের এর জন্য প্রশংসা করছি, তাঁদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের সবার কাছ থেকেই ২০২২ এর সঙ্গে জড়িত অনেক বার্তা ও উপদেশ এসেছে। একটি বিষয় প্রতিবারের মত এবারেও অধিকাংশ বার্তায় লক্ষণীয়। সেটা হলো স্বচ্ছতা আর স্বচ্ছ ভারতের। স্বচ্ছতার এই সংকল্প শৃঙ্খলা, সচেতনতা আর সমর্পণের সাহায্যেই সম্পূর্ণ হবে। আমরা এনসিসি ক্যাডেট দের দিয়ে শুরু করা পুনিত সাগর অভিযানেও এর ঝলক দেখতে পাই। এই অভিযানে ৩০ হাজারেরও বেশি এনসিসি ক্যাডেট অংশগ্রহণ করে। এনসিসি ক্যাডেটসরা সমুদ্রতট পরিষ্কার করে। ওখানকার প্লাস্টিক আবর্জনা তুলে তা পুনর্ব্যবহারের জন্য জড়ো করে। আমাদের সমুদ্রতট, আমাদের পাহাড় তখনই ভ্রমণ যোগ্য হবে যখন তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে। অনেক মানুষ কোনো জায়গায় যাওয়ার স্বপ্ন আজীবন দেখে থাকেন, কিন্তু যখন ওখানে যান তখন জ্ঞানে বা অজ্ঞানে সেখানে নোংরা ফেলে আসেন। এটা প্রত্যেক দেশবাসীর দায়িত্ব যে, যে জায়গা আমাদের এত আনন্দ দেয়, আমরা যেন তাকে নোংরা না করি। বন্ধুরা আমি ‘সাফ ওয়াটার’ নামে একটি স্টার্টাপের কথা জানতে পেরেছি যেটা কয়েকজন যুবক মিলে শুরু করেছেন। এটি কৃত্রিম মেধা আর ইন্টার্নেট অফ থিংস এর সাহায্যে মানুষকে তাদের এলাকায় জলের শুদ্ধতা আর গুণমান সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করে।এটা স্বচ্ছতারই পরবর্তী ধাপ। মানুষের স্বচ্ছ আর স্বাস্থোজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য এই স্টার্টাপের গুরুত্বকে প্রাধান্য দিয়ে একে একটি গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ডও দেওয়া হয়েছে। বন্ধুরা, স্বচ্ছতার প্রতি এক ধাপ, এই প্রচেষ্টায়, কোনো প্রতিষ্ঠান হোক ব��� সরকার, প্রত্যেকেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আপনারা সবাই জানেন, আগে সরকারি অফিসে পুরনো ফাইল আর কাগজ কিভাবে স্তূপিকৃত হয়ে থাকত। যখন থেকে সরকার এই পুরানো পন্থা বদলাতে শুরু করেছে, এই ফাইল এবং কাগজের স্তূপ ডিজিটাইজ হয়ে কম্পিউটারে বিভিন্ন ফোল্ডারে ঢুকছে। যে কটা পুরানো এবং পড়ে থাকা ফাইল আছে তা সরানোর জন্য মন্ত্রক এবং বিভাগীয় স্তরে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। এই অভিযানে বেশ কিছু মজার ব্যাপার ঘটেছে | ডাক বিভাগে যখন এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হলো, তখন তাদের সমস্ত জাঙ্ক ইয়ার্ড সম্পূর্ণ খালি হয়ে গেলো। এখন এই জাঙ্ক ইয়ার্ডকে একটি কোর্টইয়ার্ড এবং একটি ক্যাফেটেরিয়াতে রূপান্তরিত করা হয়েছে। আরেকটি জাঙ্কিয়ার্ডকে টু হুইলার পার্কিংয়ের জায়গা করা হয়েছে। একইভাবে, পরিবেশ মন্ত্রক তার খালি জাঙ্কইয়ার্ডকে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রূপান্তরিত করেছে। এমনকি নগরোন্নয়ন মন্ত্রক একটি ‘স্বচ্ছ এটিএম’ স্থাপনও করেছে। এর উদ্দেশ্য হল মানুষ আবর্জনার বিনিময়ে নগদ নিয়ে যান। অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক, গাছ থেকে পড়া শুকনো পাতা ও জৈব বর্জ্য থেকে জৈব কম্পোস্ট তৈরি শুরু করেছে। এই বিভাগ বর্জ্য কাগজ থেকে স্টেশনারি তৈরির কাজও করছে। আমাদের সরকারি দপ্তরগুলোও স্বচ্ছতার মতো বিষয়ে এতটাই ইনোভেটিভ হতে পারে। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত, কেউ এমনটা বিশ্বাসই পারতো না, কিন্তু আজ এটি ব্যবস্থার অংশ হয়ে উঠছে। এটিই দেশের নতুন ভাবনা, যার নেতৃত্ব সকল দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে করছে। আমার প্রিয় দেশবাসী, ‘মন কি বাত’-এ এবারও আমরা অনেক বিষয়ে কথা বলেছি। প্রতিবারের মতো এবারও এক মাস পর আমরা আবার মিলিত হবো, কিন্তু, ২০২২এ। প্রতিটি নতুন সূচনা নিজের সামর্থ্যকে চেনার সুযোগও নিয়ে আসে। যে লক্ষ্যপূরণ সম্পর্কে আমরা আগে কল্পনাও করিনি, আজ তার জন্য দেশ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এখানে বলা হয়েছে- ‘ক্ষণশ: কণাশশ্চৈব, বিদ্যাম অর্থ চ সাধয়েৎ, ক্ষণে নষ্টে কুতো বিদ্যা, কণে নষ্টে কুতো ধনম’ অর্থাৎ, যখন আমাদের শিক্ষা অর্জন করতে হবে, নতুন কিছু শিখতে হবে, করতে হবে, তখন আমাদের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে হবে। এবং যখন আমাদের অর্থ উপার্জন করতে হবে, অর্থাৎ উন্নতি করতে হবে, তখন প্রতিটি কণা, অর্থাৎ প্রতিটি সম্পদকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা উচিত। কারণ, মুহূর্তকে হারানোর সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যা আর জ্ঞান চল�� যায়, এবং প্রতিটি কণার বিনাশের সঙ্গে সঙ্গে সম্পদ ও উন্নতির পথও বন্ধ হয়ে যায়। এইগুলো আমাদের সকল দেশবাসীর জন্য অনুপ্রেরণা। আমাদের কত কিছু শিখতে হবে, নতুন উদ্ভাবন করতে হবে, নতুন লক্ষ্য অর্জন করতে হবে, সুতরাং, আমাদের এক মুহূর্ত নষ্ট না করে লেগে পড়তে হবে। আমাদের দেশকে প্রগতির নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে হবে, তাই আমাদের প্রতিটি সম্পদকে সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করতে হবে। এটি একপ্রকার আত্মনির্ভর ভারতেরই মন্ত্র, কারণ আমরা যখন আমাদের সম্পদকে সঠিকভাবে ব্যবহার করবো তা নষ্ট হতে দেবো না, তখনই আমরা লোকাল-এর ক্ষমতা সম্পর্কে অবগত হবো, আর তখনই দেশ আত্মনির্ভর হবে। এই জন্য আসুন আমরা নতুন করে আমাদের সংকল্প করি যে, আমরা চিন্তার প্রসার ঘটাবো, আমরা বড় বড় স্বপ্ন দেখবো এবং সেই স্বপ্নপূরণ করতে নিজেদের সমস্ত শক্তি উজাড় করে দেব। এবং আমাদের স্বপ্ন শুধুমাত্র আমাদের মধ্যেই সীমিত থাকবে না। আমাদের স্বপ্ন এমন হবে যার সঙ্গে আমাদের দেশ ও সমাজের বিকাশ যুক্ত থাকবে, আমাদের প্রগতির মাধ্যমে দেশের উন্নতির পথ প্রশস্ত হবে এবং তার জন্য আমাদের আজ থেকেই লেগে পড়তে হবে, এক কণা সম্পদ বা একটা মুহূর্ত নষ্ট করা চলবে না। আমি সম্পুর্ণ বিশ্বাস করি যে, এই সংকল্পের সঙ্গেই আগামী বছরে দেশ এগিয়ে যাবে এবং ২০২২ সাল, এক নতুন ভারত নির্মাণের স্বর্ণালী অধ্যায়ের সূচনা করবে। এই আস্থার সঙ্গেই আপনাদের সকলকে আগামী ২০২২ সালের অনেক অনেক শুভকামনা। অনেক ধন্যবাদ।",২৬.১২.২০২১ তাৰিখে ‘মন কী বাত’ৰ ৮৪ তম খণ্ডত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C-%E0%A6%9C/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লি, ০১ ডিসেম্বর, ২০২২ শ্রদ্ধেয় স্বামী মহারাজ জি-র জন্মজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেছেন। বিএপিএস স্বামী নারায়ণ সংস্থার এক ট্যুইটের প্রত্যুত্তরে প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে জানিয়েছেন; “শ্রদ্ধেয় স্বামী মহারাজ জি-র জন্মজয়ন্তীতে আমি আমার শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করি কারন বহু অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে আমার আলোচনার সুযোগ হয়েছে এবং তাঁর কাছ থেকে আমি প্রভূত ভালোবাসা পেয়েছি। সমাজের প্রতি তাঁর অগ্রণী উদ্যোগের জ���্য তিনি বিশ্বজোড়া সম্মান পেয়েছেন।”",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে শ্ৰী প্ৰমুখ স্বামী মহাৰাজজীৰ জন্ম জয়ন্তীত শ্ৰদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%B9/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%80/,"নয়াদিল্লি, ০৬ অক্টোবর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন দিল্লির সুষমা স্বরাজ ভবনে ২০২২-এর সহ-সচিব কর্মসূচির আওতায় ২০২০ ব্যাচের আইএএস আধিকারিকদের প্রশিক্ষণের সমাপ্তি অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন। এই উপলক্ষে শ্রী মোদী বলেন, অমৃতকালে দেশকে সেবা করার সুযোগ আধিকারিকরা পেয়েছেন। স্বাধীনতা দিবসে তিনি যে ‘পঞ্চ প্রাণ’ – এর অঙ্গীকার করেছিলেন, তা বাস্তবায়নে আইএএস আধিকারিকরা সহায়তা করবেন। অমৃতকালে উন্নত ভারত গড়ার যে অঙ্গীকার করা হয়েছে, তা অর্জনে এদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চিরাচরিত পদ্ধতির বাইরে ভিন্নভাবে ভাবনাচিন্তা করার গুরুত্ব, সার্বিক উদ্যোগ এবং জনভাগিদারী মানসিকতার উপর জোর দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি পিএম গতিশক্তি মাস্টার প্ল্যানের কথা উল্লেখ করেন। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে সরকারের সার্বিক উদ্যোগগুলি প্রতিফলিত। দেশের কর্মসংস্কৃতিতে উদ্ভাবনের গুরুত্বের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর মধ্য দিয়ে সঙ্ঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। তিনি স্টার্টআপ ইন্ডিয়া প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, গত কয়েক বছরে দেশে নতুন উদ্যোগের সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রক একযোগে দলগতভাবে সরকারের সার্বিক প্রয়াস – এই ভাবনায় কাজ করার জন্যই এটি সম্ভব হয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, দিল্লির বাইরে প্রশাসনিক কাজকে সব অঞ্চলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যে অঞ্চলে কোনও প্রকল্পের কাজ হবে, সেখানকার স্থানীয় সংস্কৃতির বিষয়ে আধিকারিকদের মধ্যে ধারণা থাকা প্রয়োজন। এর ফলে, তৃণমূল স্তরে মানুষের সঙ্গে আধিকারিকের যোগসূত্র দৃঢ় হবে। তিনি আধিকারিকদের ‘এক জেলা, এক পণ্য’ কর্মসূচির উপর গুরুত্ব দিতে আহ্বান জানান। একই সঙ্গে, উচ্চাকাঙ্খী জেলা কর্মসূচিতেও তাঁদের সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন। এমজিএনআরইজিএ – এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্প এখন আরও ভালোভাবে কার্যকর হয়েছে। তিনি জনভাগিদারী মানসিকতার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। এর মধ্য দিয়ে অপুষ্টির মতো সমস্যা দূর করা সম্ভব। জন ধন যোজনার সাফল্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী গ্রামাঞ্চলের মানুষদের ডিজিটাল অর্থ এবং ইউপিআই – এর সঙ্গে যুক্ত করতে আধিকারিকদের উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। দেশ সেবার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাজপথ’ – এর মানসিকতা এখন ‘কর্তব্য পথ’ – এর ভাবনায় পরিবর্তিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে সহ-সচিবরা ৮টি বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপিত করেন। এর মধ্যে রয়েছে – পুষ্টি অভিযান কর্মসূচি আরও ভালোভাবে নজরদারির জন্য পোষণ ট্র্যাকার; ভাষিনীর মাধ্যমে একাধিক ভাষায় ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার ব্যবহার; কর্পোরেট ডেটা ব্যবস্থাপনা; প্রশাসনিক কাজের জন্য সুসংহত জাতীয় জিও পোর্টাল ‘মাতৃভূমি’; সীমান্ত সড়ক সংস্থার সাহায্যে পর্যটন বিকাশের সম্ভাবনা; ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ডাকঘরের চরিত্র বদল; কৃত্রিমভাবে খাঁড়ি তৈরি করে উপকূলবর্তী অঞ্চলে মৎস্য পালন এবং ভবিষ্যৎ জ্বালানীর জন্য উচ্চচাপে তৈরি জৈব গ্যাস। এ বছর ২০২০ ব্যাচের ১৭৫ জন আইপিএস আধিকারিক ১১ জুলাই থেকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে কেন্দ্রের ৬৩টি মন্ত্রক বা দপ্তরে সহ-সচিব হিসাবে যোগ দিয়েছেন।","প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে সহকাৰী সচিব কাৰ্যসূচী, ২০২২-ৰ সমাপ্তি অধিৱেশনত ২০২০ বৰ্ষৰ আইএএছ বিষয়াসকলক সম্বোধন কৰ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ২৫ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কুয়েতের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমেদ নওয়াফ, আল আহমেদ আল –সাবাহকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন : “কুয়েতের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ আহমেদ নওয়াফ, আল আহমেদ আল –সাবাহকে আমার অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আমাদের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আমি তার সঙ্গে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী।”",প্রধানমন্ত্রীয়ে কুৱেইটৰ প্ৰধানমন্ত্ৰী হিচাপে নিযুক্তি পোৱাত মহামহিম শ্বেখ আহমদ নৱাফ আল আহমেদ আল-শাবাহক অভিনন্দন জনা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%80-%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AA-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A7%B0/,"আজ যাদের সঙ্গে কথা বলছি, তাঁরা এমন মানুষ, যাঁরা সময় থাকতে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছেন আর নিজেদের জীবনের প্রত্যেক সমস্যা সমাধানের উপযোগী করে তুলেছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আজ তাঁরা যা বলবেন, তা দেশের কোটি কোটি মানুষকে প্রেরণা যোগাবে। আমরা সবাই একটি বিষয়ে নিশ্চিত, তা হ’ল জীবনের অনিশ্চয়তা। আমরা কেউ জানি না যে, আগামীকাল দিনটি আমাদের জীবনে কী নিয়ে আসছে! জন সুরক্ষা প্রকল্পসমূহ জীবনের অনিশ্চয়তা এবং প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই ও জেতার হিম্মত যোগায়। প্রধানমন্ত্রী জীবন বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা, অটল পেনশন যোজনা কিংবা প্রধানমন্ত্রী বয়ঃবন্দনা যোজনার মতো প্রকল্পগুলি এখন দেশের কোটি কোটি মানুষকে এই হিম্মত যুগিয়েছে। এই জন সুরক্ষা প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সঙ্কট মোকাবিলায় সাহায্য করছে। আমরা যখন সরকারের দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন সাহায্য তো দূর গরিবদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-ই ছিল না। আমরা তিনটি বিষয় জোর দিয়েছি – দলিত, শোষিত, বঞ্চিত, আদিবাসী ও মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা বঞ্চিত মানুষদের পরিষেবা প্রদান, ক্ষুদ্র শিল্প ও ছোট ব্যবসায়ীদের আর্থিক পরিষেবা প্রদান এবং আর্থিক নিরাপত্তাহীণ মানুষদের আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। আপনারা শুনলে খুশি হবেন যে, বিশ্ব ব্যাঙ্কের ফিনট্যাক্স রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা একটি সফল অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণ কর্মসূচি – যার মাধ্যমে ২০১৪-১৭ সালের মধ্যে ২৮ কোটি নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, যা ঐ সময়ে সারা বিশ্বে খোলা অ্যাকাউন্টের ৫৫ শতাংশ। আমাদের দেশে একটি প্রবাদ আছে যে – ‘এক বাজু রাম, এক বাজু গাঁও’। অর্থাৎ একদিকে ভারত আরেক দিকে বাকি বিশ্ব। ওই রিপোর্টে একথাও বলা হয়েছে যে, আমরা সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের আগে দেশের মোট জনসংখ্যার নিরিখে ৫০-৫২% মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল; ওই তিন বছরে তা ৮০ শতাংশ পেরিয়ে গেছে। বিশেষ করে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বেড়েছে। বছরের পর বছর, দশকের পর দশক ধরে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা বঞ্চিত ছিলেন। এটা সত্য যে, ভারতে পরম্পরাগতভাবে যৌথ পরিবার ব্যবস্থা ছিল। এক একটি পরিবারে ২০-৩০ জন সদস্য; এটাই ছিল নিরাপত্তার সামাজিক ব্যবস্থা। কিন্তু এখন পরিবার ছোট হয়ে যাচ্ছে, বৃদ্ধ পিতামাতা আলাদা থাকেন, ছেলেমেয়েরা আলাদা। সামাজিক ব্যবস্থা বদলে গেছে। এহেন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা জন ধন যোজনার মাধ্যমে লাইফ কভারের জন্য রুপে কার্ড, অ্যাক্সিডেন্ট কভারের মাধ্যমে বিমা পরিষেবা প্রদান করেছি। পাশাপাশি, জন সুরক্ষার জন্য দুটি বিমা এবং একটি পেনশন প্রকল্প চালু করেছি। পরিণাম স্বরূপ, ২০১৪ সালে যেখানে দেশে সরকারি বিমার গ্রাহক ছিলেন ৪ কোটি ৮০ লক্ষ বা ৫ কোটিরও কম, আজ তা ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৫০ কোটি হয়েছে। জন সুরক্ষার খাতিরে ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নামমাত্র কিস্তিতে এই প্রকল্পগুলি চালু করা হয়েছে, যাতে দেশের সমস্ত অঞ্চলে সকল পেশা ও বয়সের মানুষ এগুলির দ্বারা উপকৃত হন। আজ যাঁদের সঙ্গে কথা বলব…….. আমি জানি এই প্রকল্পগুলির সঙ্গে অনেক দুঃখ, ব্যাথা ও যন্ত্রণা জড়িয়ে রয়েছে। আমরা শুনব, প্রকল্পগুলি তাঁদের সঙ্কটের সময়ে কিভাবে সাহায্য করেছে। আমি নিশ্চিত যে, দেশের গরিব মানুষ তাঁদের কথা শুনে ভরসা পাবেন। আর নিজেরাও এই প্রকল্পগুলির সাহায্য নিতে এগিয়ে আসবেন। আমার প্রিয় দেশবাসী এসব ঘটনা শুনে আমাদের যত দুঃখই হোক না কেন, ঐ পরিবারগুলি যে ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা পূরণ করতে পারব না – স্বয়ং ঈশ্বরও পারবেন না। কিন্তু সঙ্কটের সময়ে আর্থিক সাহায্য পেলে ভয়ানক পরিস্থিতির আঘাত সামলে নেওয়ার পর মানুষ বাঁচার পথ খুঁজে নিতে পারে। সে উদ্দেশ্যেই প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা শুরু করেছে। প্রকল্পের মাধ্যমে বছরে মাত্র ৩৩০ টাকা বা দৈনিক ১ টাকারও কম কিস্তি জমা দিয়ে ২ লক্ষ টাকার বিমা সুরক্ষা পাওয়া যায়। ইতিমধ্যেই সাড়ে পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ এই প্রকল্প দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। আসুন, আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে এরকম কয়েকজনের কথা শুনি – আমরা সবাই দেখেছি, সঙ্কট কাউকে বলে আসে না, ধনী বা গরিব দেখেও আসে না। কিন্তু আমরা অনাগত বিপত্তির মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারি। নিজের ও পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারি। সেই উদ্দেশ্যেই প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে বছরে মাত্র ১২ টাকা অর্থাৎ মাসে মাত্র ১ টাকা কিস্তি জমা দিয়ে ২ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বিমা করা যায়। ইতিমধ্যেই প্রায় ১৩-১৪ কোটি মানুষ এই প্রকল্পের গ্রাহক হয়���ছেন। এভাবে মেক্সিকো কিংবা জাপানের মতো দেশে মোট জনসংখ্যারও বেশি মানুষ ভারতে এই সামাজিক নিরাপত্তা পেলেন। এটা প্রমাণ করে যে দেশে বিমা সম্পর্কে মানুষের মনে সচেতনতা বেড়েছে। কয়েক বছর আগেও ‘দিন আনি দিন খাই’ এই ধরনের মানুষেরা বিমা সম্পর্কে স্বপ্নও দেখতে পারতেন না। কারণ ছিল, বিমার কিস্তি। দৈনন্দিন রোজগারের টাকা দিয়ে খাবার ও অন্যান্য প্রাথমিক প্রয়োজন না মিটিয়ে ভবিষ্যতের কথা ভাবা তাঁদের কাছে অবাস্তব ছিল। ঠেলাওয়ালা, সব্জি ওয়ালা, অটো চালক কিংবা দিনমজুররা বিমা সম্পর্কে ভাবতেও পারতেন না। আমরা সরকারের দায়িত্ব নিয়ে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছি। দেশের দলিত, পীড়িত, শোষিত, দরিদ্র মা ও বোনেদের মাসে এক টাকা কিস্তি জমা দিয়ে দুর্ঘটনা বিমার সুযোগ তৈরি করেছি। এতদিন সমাজ যাঁদের ভবিষ্যৎ-কে ঈশ্বরের হাতে ছেড়ে দিয়েছিল, আমরা তাঁদের বিমা চালু করে আশ্বস্ত করেছি। আসুন, এরকম কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলি – দেখুন, বৃদ্ধাবস্থা জীবনের অন্তিম পর্যায়। সেই সময় আমাদের অনেক ক্ষেত্রে অন্যদের ওপর নির্ভর করতে হয়। তখন যাতে দেশের বৃদ্ধরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর থাকেন, তা সুনিশ্চিত করতেই আমরা বয়ঃবৃদ্ধ পেনশন যোজনা চালু করেছি। বর্তমান সরকার প্রবীণ নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধার প্রতি দায়বদ্ধ। সেজন্য তাঁদের স্বাস্থ্য এবং সমস্ত রকম আর্থিক পরিষেবাকে সরল করে তোলার জন্য গত চার বছরে অনেক নীতি প্রণয়ন ও প্রকল্প রচনা করেছি। এই প্রক্রিয়ায় গত বছর প্রধানমন্ত্রী বয়ঃবন্দনা প্রকল্প শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে ষাটোর্দ্ধ নাগরিকদের ১০ বছর পর্যন্ত ৮ শতাংশ সুনিশ্চিত সুদ প্রদান করা হচ্ছে। বাজারে সুদের উত্থান-পতন যাই হোক না কেন, প্রবীণ নাগরিকদের তার আওতায় রাখা হয়নি। প্রয়োজনে সরকার রাজকোষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রবীণ নাগরিকরা মাসিক, ত্রৈমাসিক, ছ’মাস ও বার্ষিক ভিত্তিতে রিটার্ন পাওয়ার বিকল্প বেছে নিতে পারেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রবীণ নাগরিকরা ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। ইতিমধ্যে দেশে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ লাভবান হয়েছেন। এছাড়া, সরকার প্রবীণ নাগরিকদের কর ছাড়ের সীমাকে আড়াই লক্ষ থেকে বাড়িয়ে তিন লক্ষ করে দিয়েছে। পাশাপাশি, সুদের ক্ষেত্রে ছাড়ের সীমা ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন তাঁদের জমা করা টাকা থেকে পাওয়া ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সুদ করমুক্ত ��োষণা করা হয়েছে। ২০১৩-১৪ সালে কোনও প্রবীণ নাগরিকের আয় বছরে ৫ লক্ষ টাকা হলে তাঁকে ১৩ হাজার ৩৯০ টাকা কর জমা করতে হ’ত। আমরা এসে সেই ফর্মুলা বদলে দেওয়ায় ২০১৮-১৯ সালে তাঁদেরকে একই আয়ের ক্ষেত্রে মাত্র ২ হাজার ৬০০ টাকা কর দিতে হবে। আগের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ। প্রবীণ নাগরিকদের কল্যাণে আরও অনেক ক্ষেত্রে সরকার পরিকল্পনামাফিক কাজ করছে। আমরা সবাই জানি যে, বয়স বাড়লে নানারকম শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। ওষুধ ও চিকিৎসার খরচও বৃদ্ধি পায়। সেদিকে লক্ষ্য রেখে জন ঔষধী যোজনা চালু করেছি। সুলভে ওষুধ ছাড়াও স্টেন্ট-এর মূল্য হ্রাস করা হয়েছে। হাঁটু প্রতিস্থাপন আগের তুলনায় অনেক সস্তা করা হয়েছে। আগে প্রবীণ নাগরিকদের নিজে গিয়ে জীবিত থাকার প্রমাণ হিসাবে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হ’ত। আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে এই ব্যবস্থাকে সরল করেছি, যাতে তাঁদের বেশি দৌড়ঝাঁপ করতে না হয়। আত্মসম্মান নিয়ে তাঁরা সুস্থভাবে বাঁচতে পারেন। প্রবীণ নাগরিকদের স্বনির্ভরতা সুনিশ্চিত করতে অটল পেনশন যোজনা শুরু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে এখন ১ কোটিরও বেশি গ্রাহক, যাঁদের মধ্যে ৪০ শতাংশ আমাদের অর্চনা বোনের মতো মহিলারা রয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি অর্থ তাঁদের ব্যাঙ্ক আকাউন্টে জমা করা হয়েছে। এভাবে মাত্র তিন বছরে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনা এবং অটল পেনশন যোজনা – এই তিন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ২০ কোটি মানুষকে বিমা নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫২ শতাংশ গ্রামীণ এলাকার দরিদ্র মানুষ। এতক্ষণ আমরা বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের কথা শুনেছি, কঠিন সময়ে কিভাবে তাঁরা আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন, জীবনে আবার বাঁচার প্রেরণা পেয়েছেন। আমি মনে করি যে, তাঁদের বলা এই ঘটনাগুলি আমাদের সকলকে প্রেরণা যোগাবে। তাঁদের কথা থেকে প্রমাণ হয় যে, আমাদের সকলের জীবনে বিমা নিরাপত্তা কতটা প্রয়োজনীয় তাই সবাইকে অনুরোধ জানাই আপনারাও এই বিমা প্রকল্পগুলির গ্রাহক হন। আর আপনার বাড়ির আশেপাশে এবং কর্মস্থলের সহকর্মীদের এ ব্যাপারে উৎসাহিত করুন। আজকের বার্তালাপে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকেই বিমা সুরক্ষার উপকারের জীবন্ত উদাহরণ। আমি আপনাদেরকে অনুরোধ জানাই, আপনারাও চারপাশের সবাইকে এভাবে প্রেরণা যোগান। এখন আপনারা যে কোনও ব্যাঙ্ক কিংবা ডাকঘরে গিয়ে নিজেদে��� প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনায় নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। অটল পেনশন যোজনার ক্ষেত্রে যে কোনও ব্যাঙ্কের শাখায় নিজে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। আর প্রধানমন্ত্রী বয়ঃবন্দনা যোজনার জন্য দেশের যে কোনও এলআইসি অফিসে গিয়ে আপনারা নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। আরেকটি কথা বলতে চাই, প্রবীণ নাগরিকদের আত্মসম্মান ও স্বনির্ভরতা সুনিশ্চিত করে তাঁদের পাশে আমরা দাঁড়িয়েছি ঠিকই কিন্তু আমার দেশে প্রবীণ নাগরিকদের আত্মসম্মানবোধ এতটাই তীব্র যে, তাঁরা আমার কাছে প্রেরণাস্বরূপ। আপনারা অনেকেই জানেন না যে, এ নিয়ে বাইরে কখনও চর্চাও হয়নি, আমি যখন লালকেল্লার প্রাকার থেকে সম্পন্ন মানুষদের রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি ত্যাগ করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম, তখন যেমন দেশের প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষ স্বেচ্ছায় রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি ত্যাগ করেছিলেন, তেমনই লক্ষাধিক প্রবীণ নাগরিক রেলযাত্রায় তাঁদের জন্য যে ভর্তুকি দেওয়া হয়, সেই সুবিধা গ্রহণ করেননি। সেজন্য তাঁরা কোনও ঢাকঢোল পেটাননি, কোথাও আবেদনও করেননি। আমিও এ ব্যাপারে আগে কখনও বলিনি। শুধু একটি ফর্মে লেখা ছিল – আমার দেশের প্রবীণ নাগরিকরা নীরবে সেই ফর্ম ভরে রেলযাত্রায় ভর্তুকি ত্যাগ করেছেন। এটা কম কথা নয়। আর যে দেশের মানুষ এত ত্যাগ জানেন, প্রবীণ নাগরিকরা দেশের স্বার্থে এভাবে আমাদের ত্যাগের শিক্ষা দিয়ে যান, সেদেশের জন্য আমার প্রতিদিন নতুন কিছু না কিছু করতে ইচ্ছা করে, ভালো কিছু। আসুন আমরা সবাই মিলে দেশের দরিদ্র মানুষের কল্যাণে, মা-বোনেদের কল্যাণে, বয়স্ক প্রবীণ সম্মানিতদের গৌরবপূর্ণ জীবনযাপনের সুযোগ করে দিই। আরেকবার আমি আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। ধন্যবাদ।",বিভিন্ন সামাজিক সুৰক্ষাৰ আঁচনিৰ হিতাধিকাৰীসকলৰ সৈতে নমো এপৰ জৰিয়তে হোৱা বাৰ্তালাপত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা শহর পরিকল্পনা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারত ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছিল সেটি অনুমোদল করল। এ বছর ৩১ মে সমঝ���তাপত্রটি স্বাক্ষরিত হয়। নগরোন্নয়ন ও পরিচালন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের সংস্হাগুলির অভিজ্ঞতা যাতে কেন্দ্র এবং বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি সংস্হাগুলি ব্যবহার করতে পারে সেজন্য সমঝোতাপত্রটি স্বাক্ষরিত হয়। এরফলে শহরগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হবে। উপকৃত হবে ভারতের রূপান্তরের প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় প্রতিষ্ঠান বা নীতি। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা নীতি তৈরির সময় প্রত্যক্ষ প্রমান সাপেক্ষে নীতি তৈরি করতে পারবেন। এই সমঝোতাপত্রের ফলে এছাড়াও, পরিকল্পনা- যেমন নগর পরিকল্পনা, জল ও বর্জ্য পরিচালন, কঠিন বর্জ্য পরিচালন প্রভৃতি ক্ষেত্রে ক্ষমতা সম্প্রসারণ করার কর্মসূচি গ্রহণ করা যাবে।",পৰিকল্পনা শিতানত ভাৰত আৰু ছিংগাপুৰৰ মাজত সহযোগিতাৰ বাবে স্বাক্ষৰিত বুজাবুজি চুক্তিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AD-%E0%A7%A6%E0%A7%A7-%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%9A%E0%A6%BE/,"আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার! এমাসের ২১ তারিখে সারা দেশ এক গভীর শোকের সংবাদ পায়, কর্ণাটকের টুমকুর জেলার শ্রী সিদ্ধ গঙ্গা মঠের চিকিৎসক শ্রী শ্রী শিবকুমার স্বামী আর আমাদের মধ্যে নেই। শিবকুমার স্বামী তাঁর গোটা জীবনটি সমাজ সেবার কাজে সমর্পণ করেছিলেন। ভগবান বসবেশ্বর আমাদের শিখিয়েছেন —’কায়কবেকৈলাশ’ — অর্থাৎ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের দায়িত্ব পালন করে যাওয়া, ভগবান শিবের নিবাস কৈলাশধামে পৌঁছোনরই সামিল। শিবকুমার স্বামী এই দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন এবং তিনি তাঁর ১১১বছরের জীবনকালে হাজার হাজার মানুষের সামাজিক, শিক্ষাগত এবং আর্থিক উন্নতির জন্যে কাজ করে গেছেন। তিনি এমনই একজন বিদ্বান মানুষ হিসেবে খ্যাত ছিলেন, একই সঙ্গে ইংরেজি, সংস্কৃত ও কন্নড় ভাষাতে যাঁর ছিল অদ্ভুত দখল। তিনি ছিলেন একজন সমাজ-সংস্কারক। মানুষের খাদ্য, আশ্রয়, শিক্ষা এবং আধ্যাত্মিকজ্ঞানের সংস্থানের জন্য তিনি তাঁর পুরো জীবনটাই উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন। তাঁর প্রথম চাহিদাই ছিল কৃষকদের সার্বিক কল্যাণ সাধন। সিদ্ধ গঙ্গামঠ নিয়মিত পশু এবং কৃষিমেলার আয়োজন করে। আমার সৌভাগ্য হয়েছে বেশকয়েকবার পরম পূজনীয় স্বামীজীর আশীর্বাদ লাভ করার। ২০০৭ সালে শিবকুমার স্বামীর শতবর্ষ উপলক্ষে পূর্ববর্তী রাষ্ট্রপতি ডঃ এ. পি. জে. আবদুল কালাম টুমকুর গিয়েছিলেন। শ্রদ্ধেয় স্বামীজীর উদ্দেশে কালাম সাহেব একটি কবিতাও শুনিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন — ” হে আমার সহ-নাগরিকবৃন্দ — দানের মধ্যেই আপনারা সুখের আস্বাদ পাবেন। দেহে এবং মনে আপনার কত কিছুই না দেবার আছে। যদি আপনার জ্ঞান থাকে, তা ভাগ করে নিন যদি সম্পদ থাকে, তার সদ্ব্যবহার করুন দরিদ্র, নিঃস্ব মানুষদের জন্যে যন্ত্রণার কষ্টটাকে লাঘব করতে ভারাক্রান্ত হৃদয়কে উজ্জ্বীবিত করতে আপনি নিজের মন ও হৃদয় দিয়ে সচেষ্ট হোন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আপনাকে এবং আপনার সমস্ত প্রচেষ্টাকে আশীর্বাদ করবেন।” ডঃ কালামের এই কবিতা শ্রী শ্রী শিবকুমার স্বামীর জীবন এবং সিদ্ধগঙ্গামঠের লক্ষ্যকে সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছে। এমন এক মহাপুরুষকে আমি আরও একবার আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই। আমার প্রিয় দেশবাসী, ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি আমাদের দেশের সংবিধান প্রবর্তিত হয়েছিল, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ওই দিনটিতেই। গতকালই আমরা উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে সাধারণতন্ত্র দিবসও পালন করেছি। কিন্তু আজ আমি এই বিষয়ে অন্য কিছু কথা বলতে চাই। আমাদের দেশে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা আছে, যা দেশের সাধারণতন্ত্রের অভিন্ন অঙ্গতো বটেই — এই গণতন্ত্রের চেয়েও তা প্রাচীন। আমি ভারতের নির্বাচন কমিশনের কথা বলছি। ২৫-শে জানুয়ারি ছিল নির্বাচন কমিশনের প্রতিষ্ঠা দিবস — ‘ন্যাশনাল ভোটারস ডে’ হিসেবে যেটি পালিত হয়ে থাকে। ভারতে যে ব্যাপ্তিতে নির্বাচনের আয়োজন হয় তা দেখে সারা দুনিয়া অবাক হয়ে যায়, যে দক্ষতার সঙ্গে আমাদের নির্বাচন কমিশন এই আয়োজন করে, তা দেখে প্রত্যেক দেশবাসীর এই সংস্থাটির জন্যে গর্ব হওয়াই স্বাভাবিক। ভারতের প্রতিটি নাগরিক, যিনি নথিভুক্ত অর্থাৎ রেজিস্টার্ড ভোটার, তিনি যাতে ভোট দিতে পারেন, তা সুনিশ্চিত করার জন্যে আমাদের দেশে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখা হয়না। হিমাচল প্রদেশে সমুদ্রতল থেকে ১৫ হাজার ফিট ওপরের এলাকাতেও যেমন নির্বাচন কেন্দ্র স্থাপিত হয়, তেমনই আন্দামান-নিকোবরের দূরবর্তী দ্বীপগুলিতেও ভোটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এছাড়া গুজরাতের সেই কেন্দ্রটির কথাতো আপনারা নিশ্চয়ই শুনেছেন যেখানে গিরঅরণ্যের মধ্যে মাত্র একজন ভোটদাতার জন্যে একটি পোলিং বুথ করা হয়। কল্পনা করুন, মাত্র একজন ভোটদাতার জন্যে। এসব কথা শুনলে নির্বাচন কমিশনের জন্যে গর্ব হওয়া খুবই স্বাভাবিক। ওই একজন মাত্র ভোটদাতার কথা খেয়াল রেখে, তিনি যাতে তাঁর মত প্রকাশের সুযোগ পান তার জন্যে, নির্বাচন কমিশনের কর্মচারীদের পুরো টিম ওই দূরবর্তী কেন্দ্রে গিয়ে ভোটদানের ব্যবস্থা করেন— আর এটাই হল আমাদের সাধারণতন্ত্রের সৌন্দর্য। আমাদের লোকতন্ত্রকে মজবুত করতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালানোর জন্যে আমি নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করি। প্রত্যেকটি রাজ্যে নির্বাচন কমিশন, যাবতীয় সুরক্ষা কর্মী এবং অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ যাঁরা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন এবং স্বাধীন ও পক্ষপাতহীন নির্বাচন সুনিশ্চিত করেন তাঁদের সকলকে আমি সাধুবাদ জানাই। এই বছর আমাদের দেশে লোকসভা নির্বাচন হবে। একবিংশ শতাব্দীতে জন্ম নেওয়া যুবক-যুবতীদের লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের ভোট দেওয়ার এটাই হবে প্রথম সুযোগ। তাঁদের কাছে দেশের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে নেওয়ার সময় এসে গেছে। দেশের বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে তাঁরা অংশগ্রহণ করতে চলেছেন। দেশের স্বপ্নের সঙ্গে নিজেদের স্বপ্নকে মিলিয়ে নেওয়ার সময় এসে গেছে। আমি যুবসম্প্রদায়কে অনুরোধ করব যে তাঁরা যদি ভোটদানের উপযুক্ত হন তাহলে ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম নথিভুক্ত করুন। আমাদের প্রত্যেকেরই এই উপলব্ধি হওয়া উচিত যে ভোটার হওয়া, ভোটদানের অধিকার পাওয়া জীবনের গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধিগুলির মধ্যে একটি বিশেষ উপলব্ধি। একই সঙ্গে ভোট দেওয়া আমার কর্তব্য —এই ভাবনাও যেন আমাদের মধ্যে জন্ম নেয়।যদি কোনও কারণবশতঃ ভোটদানে অসমর্থ হন, তাহলে খুবই মানসিক কষ্ট পাওয়া উচিত।যদি দেশে কোথাও অনৈতিক কিছু হতে দেখেন তাহলে দুঃখ পাওয়া উচিত।আমি ভোট দিইনি — আমি ওই দিন ভোট দিতে যাইনি — আজ আমাদের দেশ এই সিদ্ধান্তের কুফল ভোগ করছে। এই দায়িত্ব সম্পর্কে আমাদের সজাগ হওয়া প্রয়োজন। এটি আমাদের প্রবৃত্তি, আমাদের সংস্কারের অঙ্গ হওয়া উচিত। আমি দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধ করব যে আসুন, আমরা সবাই মিলে অভিযান চালিয়ে ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তকরণ এবং নির্বাচনের দিন ভোটদানের বিষয়ে জনসাধারণকে সজাগ করি। আমার বিশ্বাস, অধিক সংখ্যক যুবক-যুবতী ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম নথিভুক্ত করাবেন এবং নিজেদের অংশীদারিত্বে আমাদের গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করবেন। আমার প্রিয় দেশবাসী, ভারতের এই পবিত্রভূমি অনেক মহাপুরুষের জন্ম দিয়েছে।এই সব মহামানব মানবতার জন্য কিছু অদ্ভুত এবং অব��স্মরণীয় কাজ করেছেন। আমাদের দেশ বহুরত্ন-বসুন্ধরা। এই সমস্ত মহাপুরুষদের একজন ছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস। ২৩-শে জানুয়ারি সমগ্র দেশ বিভিন্নভাবে তাঁর জন্মদিন পালন করেছে। নেতাজীর জন্মদিনে ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধে যাঁরা অংশগ্রহণ করেছিলেন, সেইসব বীরসেনানীদের উদ্দেশে সমর্পিত এক সংগ্রহশালার উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আপনারা জানেন যে স্বাধীনতার পর থেকে এখনও পর্যন্ত লালকেল্লার ভিতর বেশকিছু ঘর-বাড়ি বন্ধপড়েছিল। লালকেল্লার সেই সমস্ত বন্ধঘরগুলিকে খুব সুন্দর একটি সংগ্রহশালার রূপ দেওয়া হয়েছে। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস এবং ইণ্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি-র উদ্দেশে সমর্পিত সংগ্রহশালা ‘ইয়াদ-এ-জলিয়াঁ’ এবং ১৮৫৭-র ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতি সমর্পিত সংগ্রহশালা—এই সম্পূর্ণ পরিসরকে ‘ক্রান্তি মন্দির’ রূপে দেশকে সমর্পণ করা হয়েছে। এই সংগ্রহশালার প্রতিটি ইঁটে আমাদের গৌরবশালী ইতিহাসের সৌরভ রয়েছে। এই সংগ্রহশালায় স্তরেস্তরে বর্ণিত আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সেনানীদের কাহিনি আমাদের ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাতে অনুপ্রাণিত করবে। এইখানে ইংরেজ শাসকরা ভারতমায়ের বীর সন্তান কর্ণেল প্রেমসেহগল, কর্ণেল গুরু বক্সসিংহধীলঁ এবং মেজর জেনারেল শাহনওয়াজ খানের বিচার করেছিল। আমি যখন লালকেল্লার ক্রান্তি মন্দিরে নেতাজীর সঙ্গে সম্পর্কিত জিনিষগুলি দেখছিলাম, তখন নেতাজীর পরিবারের সদস্যরা আমাকে একটি বিশেষ ধরনের টুপি উপহার দেন। এক সময় নেতাজী এই টুপি ব্যবহার করতেন। এই টুপিটি আমি সংগ্রহশালায় রাখার ব্যবস্থা করেছি, যাতে সংগ্রহশালা দেখতে আসা মানুষ এই টুপিটি দেখেন এবং দেশভক্তির অনুপ্রেরণা পান। আমাদের দেশনায়কদের শৌর্য, দেশভক্তির কথা আমাদের নবীন প্রজন্মের কাছে বিভিন্ন মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্নভাবে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন। এই মাসখানেক আগে — গত ৩০শে ডিসেম্বর আমি আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে গিয়েছিলাম। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস ৭৫বছর আগে যেখানে প্রথম ত্রিবর্ণ পতাকা উত্তোলন করেছিলেন ঠিক সেই একই জায়গায় এক অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। একইভাবে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে যখন লালকেল্লাতে ত্রিবর্ণ পতাকা উত্তোলন করা হয়, তখন সবাই আশ্চর্য হয়েছিল, কেননা ওখানেতো সাধারণভাবে ১৫-ই আগষ্ট দিনটিতেই পতাকা উত্তোলনের পরম্পরা আছে। কিন্তু সেটা ছিল আজাদ হিন্দ সরকার গঠনের ৭৫বছর পূর্ণ হওয়ার ঘটনা। একজন বীরসৈনিক এবং একজন কুশল সংগঠক রূপে সুভাষবাবুকে সর্বদা স্মরণ করা হবে। এমনই একজন বীরসৈনিক, যিনি স্বাধীনতার যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। “দিল্লি চলো”, “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব” —এই ধরনের তেজস্বী স্লোগান দিয়ে নেতাজী সমস্ত ভারতবাসীর অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন। বেশকিছু বছর যাবৎ একটা দাবী ছিল যে নেতাজী সম্পর্কিত সব ফাইল সার্বজনিক করতে হবে। আমি আনন্দিত যে আমরা এই কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি। সেইদিনটি আমার মনে আছে, যেদিন নেতাজীর পরিবারের সকলে প্রধানমন্ত্রীর বাসস্থানে এসেছিলেন। আমরা সকলে মিলে নেতাজী সম্পর্কিত অনেক কথা আলোচনা করেছিলাম এবং নেতাজী সুভাষ বসুকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছিলাম। আমি আনন্দিত যে ভারতের মহাননায়কদের স্মৃতি বিজড়িত বেশকিছু জায়গাকে দিল্লিতে প্রদর্শনের চেষ্টা করা হচ্ছে। সেটা বাবা সাহেব আম্বেদকরের সঙ্গে সম্পর্কিত ২৬, আলিপুর রোড হোক বা সর্দার প্যাটেল সংগ্রহশালা, অথবা ক্রান্তি মন্দির। আপনারা দিল্লি এলে এই জায়গাগুলি অবশ্যই দেখবেন। আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ আমরা যখন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসের সম্পর্কে আলোচনা করছি এবং সেটা ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে, তখন আমি নেতাজীর জীবনের একটি ঘটনা আপনাদের জানতে চাই। আমি সবসময়ই সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য রেডিওকে এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে মান্যতা দিই। সেরকমই রেডিওর সঙ্গে নেতাজীর খুব গভীর সম্পর্ক ছিল। দেশবাসীর সঙ্গে বার্তা আদান-প্রদানের জন্য উনিও রেডিওকেই বেছে নিয়েছিলেন।সন ১৯৪২-এ সুভাষচন্দ্র বোস আজাদ হিন্দ রেডিও-র শুভারম্ভ করেছিলেন এবং রেডিওর মাধ্যমে তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈনিকদের এবং দেশের মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতেন। সুভাষচন্দ্র বোসের রেডিওতে কথা শুরু করার এক বিশেষ ধরন ছিল। সবার আগে তিনি বলতেন – This is Subhash Chandra Bose speaking to you over the Azad Hind Radio, আর এইটুকু শুনেই শ্রোতাদের মনে এক নতুন উত্তেজনা, এক নতুন শক্তি সঞ্চারিত হত। আমাকে জানানো হয়েছে যে, রেডিও স্টেশন সাপ্তাহিক খবরও প্রচার করত ইংরেজী, হিন্দী, তামিল, বাংলা, মারাঠী, পাঞ্জাবী, পুস্তু, ঊর্দু ইত্যাদি ভাষাতে। এই রেডিও স্টেশন চালাতে গুজরাত নিবাসী এম. আর.ব্যাস মহাশয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। আজাদ হিন্দ রেডিওতে প্রচারিত অনুষ্ঠান সাধারণ মানুষের মধ্যে খুব জনপ্রিয় ছিল এবং এই অনুষ্ঠানগুলি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদেরও উৎসাহিত করেছিল। এই ক্রান্তি মন্দিরে একটি চিত্রসংগ্রহশালাও তৈরি হয়েছে। ভারতীয় কলা ও সংস্কৃতিকে আকর্ষণীয় করার এটা হলো আরো এক প্রচেষ্টা। মিউজিয়ামে চারটি ঐতিহাসিক exhibition আছে আর সেখানে তিন প্রজন্মের পুরানো ৪৫০এরও বেশি painting আর art work সংরক্ষিত আছে।এখানে আমৃতাশের গিল, রাজার বিবর্মা, অবনিন্দ্রনাথ ঠাকুর, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, নন্দলাল বোস, যামিনী রায়, শৈলজ মুখার্জীদের মতো মহান শিল্পীদের শ্রেষ্ঠ শিল্পকলা সুন্দরভাবে প্রদর্শিত হয়েছে। আমি আপনাদের প্রত্যেককে বিশেষভাবে অনুরোধ করবো এই মিউজিয়ামে আসুন এবং গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকে যেন অবশ্যই দেখুন। আপনারাহয়তভাবছেনযেযখনশিল্পকলানিয়েকথাহচ্ছে, আমিআপনাদেরগুরুদেবরবীন্দ্রনাথঠাকুরেরসৃষ্টিকেদেখারকথাকেনবলছি।আপনারাএখনওপর্যন্তগুরুদেবরবীন্দ্রনাথঠাকুরকেলেখকএবংসংগীতশ্রষ্টাহিসেবেইজানেন, কিন্তুআমিবলতেচাইগুরুদেবএকজনচিত্রশিল্পীওছিলেন।তিনিঅনেকবিষয়েpainting তৈরিকরেছেন। তিনিপশুপাখিদেরওছবিএকেঁছেন, এরমধ্যেঅনেকপ্রাকৃতিকসৌন্দর্যেরছবিওরয়েছে, এছাড়াওতিনিhuman character-কেশিল্পকলারমাধ্যমেcanvass-এফুটিয়েতুলেছেন।আরআশ্চর্যেরকথাহলোগুরুদেবরবীন্দ্রনাথঠাকুরএইশিল্পকলারবেশিরভাগেরইকোনওনামরাখেননি।উনিমানতেনযেওঁরpainting-কেদর্শকরানিজেরাইনিজেদেরমতকরেবুঝুন,তাঁরাইতাঁদেরদৃষ্টিদিয়েশিল্পীরসৃষ্টিকেজানুন।ওঁরpainting-গুলিইউরোপেরবিভিন্নদেশে, রাশিয়াএবংআমেরিকাতেওপ্রদর্শিতহয়েছে।আমিআশাকরিআপনারাক্রান্তিমন্দিরেতাঁরpaintingঅবশ্যইদেখতেযাবেন। আমারপ্রিয়দেশবাসী, ভারতসাধুসন্তদেরভূমি।আমাদেরসন্ত’রানিজেদেরমতামতএবংকাজেরমাধ্যমেসদ্ভাব, সাম্যএবংসামাজিকক্ষমতায়নেরবাণীদিয়েছেন।এরকমইএকসন্তছিলেন – সন্তরবিদাস।১৯শেফেব্রুয়ারীরবিদাসেরজন্মজয়ন্তী। সন্তরবিদাসেরদোঁহাখুবইবিখ্যাত।সন্তরবিদাসজীকয়েকলাইনেরমধ্যেইবড়বড়লোকশিক্ষাদিয়েগেছেন।তিনিবলেছিলেন— জাতি-জাতিমেজাতিহ্যায় জোকেতনকেপাত, রৈদাসমনুষনাজুড়সকে যবতকজাতিনাজাত যেভাবেকলাগাছকেছাড়ালেপাতারনীচেপাতাতারনীচেআবারপাতাথাকে, অবশেষেআরকিছুইথাকেনা,ঠিকসেইরকমইমানুষকেবিভিন্নজাতিতেভাগকরেদেওয়ারফলেমানুষআরমানুষনেই।তিনিবলতেনযদিবাস্তবেভগবানসবমানুষেরমধ্যে���াকেনতাহলেজাতি, ধর্মআরসামাজিককর্মেরভিত্তিতেভেদাভেদউচিৎনয়। গুরুরবিদাসবারাণসীরপবিত্রমাটিতেজন্মেছিলেন।সন্তরবিদাসজীজীবনভরশ্রমওশ্রমিকেরগুরুত্ববোঝানোরপ্রয়াসকরেগেছেন।এটাবলাভুলহবেনাযেতিনিগোটাপৃথিবীকেশ্রমেরগুরুত্বেরবাস্তবঅর্থবুঝিয়েছেন।তিনিবলতেন, মনযদিঠিকথাকেতবেস্বল্পতেইমানুষসন্তুষ্টথাকে।অর্থাৎযদিআপনারমনআরহৃদয়পবিত্রহয়,তাহলেস্বয়ংঈশ্বরআপনারহৃদয়েবসবাসকরবেন।সন্তরবিদাসেরবার্তাসববর্ণেরমানুষকেপ্রভাবিতকরেছিল।চিতোরেরমহারাজাবামহারানীথেকেমীরাবাঈপর্যন্তসবাইতাঁকেঅনুসরণকরতেন।আমিআরএকবারসন্তরবিদাসকেপ্রণামজানাচ্ছি। আমারপ্রিয়দেশবাসী, কিরণসিদর ‘মাইগভ’-এলিখেছেনযেআমিযেনভারতেরমহাকাশগবেষণাআরতারভবিষ্যতেরসঙ্গেসংশ্লিষ্টসবকিছুরওপরআলোকপাতকরি।তিনিআমারকাছেএইআবেদনওকরেনযাতেআমিশিক্ষার্থীদেরমহাকাশগবেষণায়আগ্রহীহওয়ারকথাবলি।কিরণজী, আমিআপনারএইচিন্তাভাবনা,বিশেষতআমাদেরনবীনদেরজন্যপ্রেরিতএইবার্তাকেসাধুবাদজানাই। কিছুদিনআগেআমিআমেদাবাদেছিলাম।সেখানেডঃবিক্রমসারাভাইয়েরমূর্তিরআবরণউন্মোচনকরারসুযোগপেয়েছিলাম।ডঃবিক্রমসারাভাইভারতেরমহাকাশগবেষণায়গুরুত্বপূর্ণঅবদানরেখেছেন।আমাদেরস্পেসপ্রোগ্রামেদেশেরঅসংখ্যযুব-বৈজ্ঞানিকজড়িত।আমিএইবিষয়েগর্ববোধকরিযেআজআমাদেরছাত্রদেরতৈরি ‘স্যাটেলাইট’ এবং ‘সাউণ্ডিংরকেট’ মহাকাশেপৌঁছেগেছে।গত২৪-শেজানুয়ারিআমাদেরছাত্রদেরতৈরি ‘কলাম-স্যাট’উৎক্ষেপণকরাহয়েছে।ওড়িশারবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরতৈরি ‘সাউণ্ডিংরকেট’-ওদৃষ্টান্তস্থাপনকরেছে।দেশস্বাধীনহওয়ারপরথেকে২০১৪পর্যন্তযতগুলিমহাকাশঅভিযানহয়েছে, প্রায়সমসংখ্যকঅভিযানগতচারবছরেহয়েছে।আমরাএকটিমহাকাশযানথেকেএকসঙ্গে১০৪-টিস্যাটেলাইটউৎক্ষেপণকরেবিশ্বরেকর্ডস্থাপনকরেছি।আমরাশীঘ্রইচন্দ্রায়ণ-২অভিযানেরমাধ্যমেচাঁদেভারতেরপারাখারব্যবস্থাকরছি। আমাদেরদেশখুবসুন্দরভাবেমহাকাশপ্রযুক্তিব্যবহারকরছেদেশেরমানুষআরসম্পত্তিরক্ষাকরবারজন্য।রাস্তাঘাটেরসুরক্ষা, রেলপথেরসুরক্ষাবাসাইক্লোনেরআগামসতর্কবার্তা— সবক্ষেত্রেইমহাকাশপ্রযুক্তিরসাহায্যনেওয়াহচ্ছে।আমাদেরমৎস্যজীবীদেরজন্যে/bb/kol",২৭.০১.০১৯ তাৰিখে সম্প্ৰচাৰিত হোৱা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ‘মন কী বাত’ৰ ৫২তম খণ্ডৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%AD/,"মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু’র প্রথম ভারত সফরউপলক্ষে তাঁকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি বিশেষভাবে আনন্দিত। (হে সুহৃদ, আপনাকে ভারতে স্বাগত!) প্রধানমন্ত্রী, আপনার এই সফর ভারত-ইজরায়েল মৈত্রীসম্পর্কের যাত্রাপথে এক বহু প্রতীক্ষিত মুহূর্ত। ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ২৫তম বর্ষেরএকটি স্মারক হিসাবে আপনার এই সফর সূচি যথার্থ বলেই আমরা মনে করি। ২০১৮’তে আমাদের প্রথম সম্মানিত অতিথি হিসাবে আপনার এইসফর আমাদের নতুন বছরের বর্ষপঞ্জিতে এক উপলক্ষ বিশেষ। এটি আয়োজিত হয়েছে এমন একশুভক্ষণে, যখন সকল ভারতবাসী বসন্তের আগমন, পুনরুজ্জীবন, আশা এবং ফসল তোলার উৎসবকেআনন্দের সঙ্গে বরণ করে নিয়েছে। লোহরি, বিহু, মকর সংক্রান্তি এবং পোঙ্গল উদযাপনভারতের ঐক্য ও বৈচিত্র্যের এক উজ্জ্বল বহিঃপ্রকাশ। বন্ধুগণ, গত বছর জুলাই মাসে আমি ১২৫ কোটি ভারতবাসীর মৈত্রী ওঅভিনন্দন বার্তা বহন করে নিয়ে গিয়েছিলাম আমার বিশেষ তাৎপর্যময় ইজরায়েল সফরকালে।বিনিময়ে আমার বন্ধু বিবির নেতৃত্বে ইজরায়েলের জনগণের কাছ থেকে যে উদার উষ্ণতা ওভালোবাসা আমি লাভ করেছিলাম, তাতে আমি অভিভূত। সেই সফরকালে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং আমি পরস্পরেরপ্রতি এবং দু’দেশের জনসাধারণের কাছেও এক কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিদিয়েছিলাম। এই প্রতিশ্রুতি ছিল আশা ও আস্থার, বহুধা প্রসারিত অগ্রগতি ও ঘনিষ্ঠসহযোগিতার এবং যৌথ উদ্যোগ ও মিলিত সাফল্যের। বহু শতাব্দী ধরেই যে স্বাভাবিকভালোবাসা ও বন্ধুত্বের বন্ধনে আমরা আবদ্ধ ছিলাম, তা থেকেই আমাদের এই প্রতিশ্রুতিবা অঙ্গীকার জন্ম নিয়েছিল। প্রায় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই পরস্পরের পাশে উপস্থিতথাকার বাধ্যবাধকতা থেকে বিভিন্ন প্রচেষ্টায় নিয়োজিত থেকেছি আমরা। সেই সফরকালের ছ’মাসের এক সংক্ষিপ্ত মুহূর্তের শেষেওআমাদের এই মিলিত উচ্চাশা ও অঙ্গীকার অমলিন থেকে গেছে। আপনার এই অনন্য সাধারণ ভারতসফর তারই পরিচয় বহন করে। আজ ও গতকাল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং আমি দু’দেশেরসম্পর্কের বিকাশ ও ��গ্রগতির বিষয়গুলি পর্যালোচনা করেছি। আমাদের সামনে যে সমস্তসুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে, তার সদ্ব্যবহারের লক্ষ্যে পুনরায় আলাপ-আলোচনার কাজও আমরাশুরু করে দিয়েছি। আমাদের আলোচনার বিষয় ছিল ব্যাপক ও বহুধা প্রসারিত, যারমধ্যে আরও নতুন কিছু করার ইচ্ছাই প্রতিফলিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, কাঙ্খিত ফললাভের জন্য আমি যে খুবই অধৈর্য্য, এই দুর্নাম বোধ হয় আমার রয়েছে। আমি যদি খোলাখুলিভাবেই একটি গোপন কথা আজ আপনার সামনেপ্রকাশ করি, তা হলে আমি জানি, আপনিও তাতে সায় দেবেন। গত বছর তেল আভিভে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘ সূত্রিতা কমিয়েআনার ইচ্ছা আপনি প্রকাশ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্র্‌ আমি আপনাকে একথা জানাতে পেরে খুবইআনন্দিত, যে ঠিক ঐ কাজটি আমরা ভারতে করতে চলেছি। পূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলিরবাস্তবায়নের জন্য আমরা দু’জনেই যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি – একথাও আমরা ব্যক্তকরেছি পরস্পরের কাছে। বাস্তবের জমিতে এর সুফলও আমরা লক্ষ্য করেছি। আজ আমাদেরআলোচনা ও মতবিনিময়ের উল্লেখযোগ্য দিকটি হ’ল, আমাদের যৌথ কর্মপ্রচেষ্টায় আরও গতিসঞ্চার এবং অংশীদারিত্বের সম্পর্কের উন্নয়ন প্রচেষ্টা। তিনটি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে এই পথ অনুসরণের সিদ্ধান্তনিয়েছি আমরা : প্রথমত, আমাদের দু’দেশের জনসাধরণের জীবনকে স্পর্শ করেযায়, এ ধরণের ক্ষেত্রগুলিতে আমাদের সহযোগিতার স্তম্ভগুলিকে আরও শক্তিশালী করেতুলব। এই ক্ষেত্রগুলি হ’ল – কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা। কৃষি সহযোগিতার মূল ভিত্তি হিসাবে চিহ্নিত উৎকর্ষকেন্দ্রগুলিকে আরও উন্নত করে তুলতে আমরা পরস্পরের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। এই লক্ষ্যপূরণে ইজরায়েলের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও পন্থাপদ্ধতিকে আমরা অনুসরণ করে যাব। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিকাশের লক্ষ্যে ইজরায়েলিসংস্থাগুলিকে আমি আমন্ত্রণ জানিয়েছি, আমাদের উদার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতিরসুযোগ গ্রহণ করে ভারতের সংস্থাগুলির সঙ্গে আরও বেশি করে সহযোগিতাবদ্ধ হওয়ার জন্য। দ্বিতীয়ত, তেল ও গ্যাস, সাইবার নিরাপত্তা, চলচ্চিত্র এবং স্টার্টআপ-এর মতো অপেক্ষাকৃত কম আবিষ্কৃত ক্ষেত্রগুলিতে আরও বেশি মাত্রায় যৌথ প্রচেষ্টাগড়ে তুলতে আমরা উদ্যোগী হয়েছি। যে চুক্তি বিনিময় পর্ব কিছুক্ষণ আগেই সম্পন্নহয়েছে, তার মধ্যেই আমাদের এই প্রচেষ্টার প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যাবে। বিভিন্নক্ষেত্রে বহুধা প্রসারিত কর্মপ্���চেষ্টা গড়ে তুলতে আমরা যে বিশেষভাবে আগ্রহী তারপরিচয় পাওয়া যাবে এর অনেকগুলি ক্ষেত্রেই। এবং তৃতীয়ত, আমাদের এই ভৌগোলিক অবস্থানের মধ্যে সাধারণ মানুষ এবংতাঁদের চিন্তাভাবনা বিনিময়ের লক্ষ্যেও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য প্রয়োজন নীতিগতসুযোগ-সুবিধা, পরিকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সরকারি সাহায্য ও সমর্থনের বাইরেওঅন্যান্য ক্ষেত্রগুলিকে উৎসাহদান। দু’দেশের জনসাধারণ যাতে একে অপরের দেশে কাজের সূত্রে সফরকরতে পারেন, তা আরও সহজ করে তুলতেও ইজরায়েলের সঙ্গে আমরা ব্যবস্থাগত এক প্রক্রিয়ারসঙ্গে যুক্ত রয়েছি। প্রয়োজনে দীর্ঘকালের জন্য কাজের সুবাদে সফর করা প্রয়োজন হতেপারে। দু’দেশের জনসাধারণকে পরস্পরের আরও কাছে নিয়ে আসার জন্য ভারতীয় সাংস্কৃতিককেন্দ্র খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করতে চলেছে ইজরায়েলে। বিজ্ঞান শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ১০০ জনেরও বেশিতরুণ-তরুণীদের দ্বিপাক্ষিক বিনিময় সফর শুরু করারও আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। বন্ধুগণ, এক বলিষ্ঠ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিকবাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রসার একটি অবশ্য পালনীয় শর্ত। এই লক্ষ্যে আরও বেশি করে কাজকরে যেতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং আমি সহমত প্রকাশ করেছি। গত বছর তেল আভিভবৈঠকের পর দ্বিপাক্ষিক মঞ্চের আওতায় দু’দেশের সিইও-দের সঙ্গে আমরা দ্বিতীয়বার এবিষয়ে কথা বলব। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু’র সঙ্গে যে এক বিরাটপ্রতিনিধিদল এদেশে এসেছেন আমি তাঁদেরও স্বাগত জানাই। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবংআমি আঞ্চলিক তথা বিশ্ব পরিস্থিতির বিভিন্ন প্রেক্ষাপট নিয়ে পরস্পরের মধ্যেমতবিনিময়ও করেছি। বন্ধুগণ, গতকাল ভারতের মাটি স্পর্শ করার পরপরই প্রধানমন্ত্রীনেতানিয়াহু আমার সঙ্গে গিয়েছিলেন নতুন নামাঙ্কিত তিন মূর্তি হাইফা চক-এ ভারতীয় বীরসেনানীদের স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। ইজরায়েলের শতাব্দী প্রাচীনহাইফা যুদ্ধে তাঁরা তাঁদের জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন। ইতিহাস তথা বীর সেনানীদের কথা কখনই বিস্মৃত হয়নি আমাদেরএই দুটি দেশ। এই ক্ষেত্রটিতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর এই বিশেষ মানসিকতা ওদৃষ্টিভঙ্গীর আমি বিশেষ অনুরাগী। ইজরায়েলের সঙ্গে আমাদের বর্তমান অংশীদারিত্বের ভবিষ্যতেরদিকে দৃষ্টিপাত করলে আশা ও আশাবাদ আমাকে উদ্বেলিত করে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুরমধ্যে আমি খুঁজে পেয়েছি এমনই এক ব্যক্তিত্বকে, যিনি ভারত-ইজরায়েল সম্পর্কেক্রমান্বয়ে নতুন নতুন মাত্রা এনে দিতে আমার মতোই অঙ্গীকারবদ্ধ। পরিশেষে, প্রধানমন্ত্রী, একদিন পরই আমার নিজের রাজ্যগুজরাটে আবার আপনার সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পাব – একথা চিন্তা করে আমি বিশেষভাবেআনন্দিত। সেখানে প্রতিশ্রুতি পূরণের আরও একটি সুযোগ অপেক্ষা করেরয়েছে আমাদের জন্য। কৃষি, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের মতো ক্ষেত্রগুলিতে আমাদেরপারস্পরিক সম্পর্কের সেখানে প্রসার ঘটতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, শ্রীমতী নেতানিয়াহু এবং আগতপ্রতিনিধিদলের ভারতে অবস্থানকাল স্মরণীয় হয়ে থাকুক – এই প্রার্থনা জানাই। আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। তোড়া রাবা!","ইজৰাইলৰ প্রধানমন্ত্রীৰ ভাৰত ভ্ৰমণকালত প্রধানমন্ত্রীৰ প্রেছ বিবৃতি (১৫ জানুৱাৰী, ২০১৮)" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%B0-6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AA-%E0%A7%A6%E0%A7%AA-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BE/,"নতুনদিল্লি, ২৪শে এপ্রিল, ২০২২ আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। নতুন বিষয় সঙ্গে নিয়ে, অনুপ্রেরণা জাগানো নতুন উদাহরণের সঙ্গে, নতুন-নতুন খবর সংগ্রহ করে, আরো এক বার আমি আপনাদের সঙ্গে ‘মন কি বাত’ করতে এসেছি। জানেন এবার আমি সবথেকে বেশি চিঠি আর বার্তা কোন বিষয়ে পেয়েছি? এই বিষয়টা এমন যা বর্তমান, অতীত আর ভবিষ্যৎ তিনটেরই সঙ্গে জুড়ে আছে। দেশ যে নতুন প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয় পেয়েছে আমি সেই ব্যাপারে কথা বলছি। গত ১৪ই এপ্রিল বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয় দেশবাসীর উদ্দেশে সমর্পিত হল। দেশের নাগরিকদের জন্য এর দ্বার উন্মুক্ত করা হয়েছে। এক জন শ্রোতা আছেন শ্রীমান সার্থক জী− সার্থক জী গুরুগ্রামে থাকেন আর প্রথম সুযোগেই তিনি প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয় দেখে এসেছেন। সার্থক জী নমো অ্যাপে যে বার্তা পাঠিয়েছেন আমাকে, তা বেশ ইন্টারেস্টিং। তিনি লিখেছেন যে বহু বছর ধরে উনি নিউজ চ্যানেল দেখছেন, খবরের কাগজ পড়ছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গেও যুক্ত উনি, তাই ওনার মনে হয়েছিল যে ওনার সাধারণ জ্ঞান খুব ভালো রয়েছে, কিন্তু যখন পি এম সংগ্রহালয়ে গেলেন তখন উনি বেশ অবাক হলেন, উনি বুঝলেন যে নিজের দেশ আর দেশের নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তিদের ব্যাপারে উনি অনেক কিছু জানেনই না। উনি পি এম সংগ্রহালয়ের এমন কিছু কিছু বিষয় নিয়ে লিখেছেন যা ওনার জিজ্ঞাসা আরও বাড়িয়ে তুলেছে, যেমন উনি লালবাহাদুর শাস্ত্রীর সেই চরকা দেখে খুব খুশী হয়েছেন যা তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন। উনি শাস্ত্রীজীর পাসবুকও দেখেছেন আর এটাও দেখেছেন যে তাঁর সঞ্চয় কত কম ছিল। সার্থকজী লিখেছেন যে ওনার এটাও জানা ছিল না, যে স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দেওয়ার আগে মোরারজী ভাই দেশাই গুজরাতে ডেপুটি কালেক্টর ছিলেন। প্রশাসনিক পরিষেবায় ওনার দীর্ঘ একটা কেরিয়ার ছিল। সার্থকজী চৌধুরী চরণ সিংয়ের ব্যাপারে সেই বিষয়টা নিয়ে লিখছেন যা তাঁর জানা ছিল না যে জমিদারি উচ্ছেদের ক্ষেত্রে চৌধুরী চরণ সিংয়ের অনেক বড় অবদান ছিল। এটুকুই নয়, এরপর তিনি লিখছেন যে ভূমি সংস্কারের ব্যাপারে ওখানে আমি দেখলাম যে শ্রী পি ভি নরসিম্হা রাওজি ভূমি সংস্কারের কাজে গভীর আগ্রহ দেখাতেন। সার্থকজীরও এই মিউজিয়ামে এসেই জানা হল যে চন্দ্রশেখরজি চার হাজার কিলোমিটারের বেশি পায়ে হেঁটে ঐতিহাসিক ভারত যাত্রা সম্পন্ন করেন। উনি যখন সংগ্রহালয়ে সেই সব জিনিস দেখেন যা অটলজী ব্যবহার করতেন, তাঁর ভাষণ শোনেন, তখন গর্বে তাঁর বুক ভরে উঠেছিল। সার্থকজী এও বলেছেন যে এই সংগ্রহালয়ে মহাত্মা গান্ধী, সর্দার প্যাটেল, ডক্টর আম্বেদকর, জয়প্রকাশ নারায়ণ আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জহরলাল নেহরু সম্পর্কেও অনেক আকর্ষণীয় তথ্য রয়েছে। বন্ধুগণ, দেশের প্রধানমন্ত্রীর অবদানকে স্মরণ করতে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের চেয়ে ভাল সময় কি-ই বা হতে পারে। দেশের জন্য এটা গর্বের বিষয় যে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব একটি গণআন্দোলনের রূপ নিচ্ছে। ইতিহাসের প্রতি মানুষের আগ্রহ অনেক বেড়েছে এবং পি.এম. সংগ্রহশালা তরুণদের আকর্ষণের উৎস হয়ে উঠেছে, যা তাদের দেশের অমূল্য ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত করছে। যাইহোক, যখন জাদুঘর সম্পর্কে এত কথাই হচ্ছে আপনাদের সঙ্গে, তখন আমার মনে হচ্ছে যে আমারও আপনাদের কিছু প্রশ্ন করা উচিত। দেখা যাক আপনাদের সাধারণ জ্ঞানের পরিধি কেমন – আপনাদের কতটুকু জ্ঞান আছে। আমার তরুণ বন্ধুরা আপনারা তৈরী তো? কাগজ কলম হাতে নিয়ে নিয়েছেন তো? এই মুহূর্তে আমি আপনাদের যা জিজ্ঞাসা করতে চলেছি, তার উত্তর আপনারা নমো অ্যাপ বা স্যোসাল মিডিয়াতে #MuseumQuiz লিখে শেয়ার করতে পারেন। অবশ্যই করবেন। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি যে আপনারা অবশ্যই এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেবেন। এর মাধ্যমে এই ���েশের মানুষ জাদুঘরের প্রতি আরও আগ্রহী হবেন। আপনারা কি জানেন দেশের কোন শহরে একটি বিখ্যাত রেল মিউজিয়াম আছে, যেখানে বিগত ৪৫ বছর ধরে, মানুষ ভারতীয় রেলের ঐতিহ্য উপলব্ধি করার সুযোগ পাচ্ছেন? আমি আপনাদের একটি ক্লু দিচ্ছি । আপনারা এখানে ফেয়ারি কুইন থেকে শুরু করে সেলুন অফ প্রিন্স অফ ওয়েলসের এবং ফায়ারলেস স্টিম লোকোমোটিভও দেখতে পাবেন। আপনারা কি জানেন মুম্বাইয়ে এমন কোন জাদুঘর আছে যেখানে খুবই আকর্ষণীয় উপায়ে মুদ্রার বিবর্তন দেখতে পাওয়া যায়? এখানে এক দিকে খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর মুদ্রা যেমন বিদ্যমান, তেমনি ই-মানিও রয়েছে। তৃতীয় প্রশ্ন 'বিরাসত -এ -খালসা' এই জাদুঘর-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। আপনারা বলতে পারবেন, এই জাদুঘরটি পাঞ্জাবের কোন শহরে অবস্থিত? ঘুড়ি ওড়ানো আপনারা সবাই নিশ্চয়ই বেশ উপভোগ করেন, পরের প্রশ্নটি এর সঙ্গেই সংযুক্ত। দেশের একমাত্র ঘুড়ি জাদুঘর কোথায় অবস্থিত? আসুন আমি আপনাদের একটা ক্লু দিচ্ছি, যে এখানে রাখা সবচেয়ে বড় ঘুড়িটির আকার ২২ বাই ১৬ ফুট। কিছু মনে এলো? না হলে এখানে- আর একটা কথা বলবো- এই শহরের সঙ্গে বাপুর বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। শৈশবে ডাকটিকিট সংগ্রহ করার শখ অনেকেরই থাকে? কিন্তু, আপনারা কি জানেন যে ভারতে ডাকটিকিটের সঙ্গে সংযুক্ত জাতীয় জাদুঘরটি কোথায় অবস্থিত? আমি আপনাদের জন্য আরো একটি প্রশ্ন রাখছি। গুলশান মহল নামের ভবনে কোন জাদুঘর রয়েছে? আপনাদের জন্য একটা ক্লু হলো, যে এই মিউজিয়ামে গিয়ে আপনারা একজন চিত্র পরিচালকও হতে পারেন, এছাড়াও এখানে আপনারা ক্যামেরা ও সম্পাদনার খুঁটিনাটিও শিখতে পারেন। আচ্ছা, আপনারা এমন কোনো জাদুঘর সম্পর্কে জানেন যা ভারতের বস্ত্রশিল্প সম্পর্কিত এবং যা বস্ত্রশিল্পর ঐতিহ্য তুলে করে। এই মিউজিয়ামে মিনিয়েচার পেইন্টিং, জৈন পাণ্ডুলিপি, ভাস্কর্য- অনেক কিছু আছে। এটি তার অনন্য প্রদর্শন শৈলীর জন্যও পরিচিত। বন্ধুরা, প্রযুক্তির এই সময়ে সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা খুবই সহজ। এই প্রশ্নগুলি আমি এই জন্য করলাম যাতে আমাদের নতুন প্রজন্মের মধ্যে কৌতুহল বাড়ে, তারা এই ব্যাপারগুলো নিয়ে আরও পড়াশোনা করে, চাক্ষুষ করতে যায়। আজকাল তা মিউজিয়ামের মাহাত্ম্য বুঝে অনেকে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এগিয়ে এসে মিউজিয়ামে অনেক দানও করেন। এরকম অনেকে আছেন যারা তাদের পুরনো সংগ্রহ, বহু ঐতিহাসিক জিনিস জাদুঘরকে দিয়ে দিচ্ছেন। আপনি য���ন এরকম করেন তখন আপনি এক সাংস্কৃতিক সম্ভারকে গোটা সমাজের সাথে ভাগ করে নেন। ভারতে এখন অনেক মানুষ এর জন্য এগিয়ে আসছেন। আমি এরকম সকল নিজস্ব উদ্যোগকে সাহায্য করি। আজ এই বদলে যাওয়া সময় ও কোভিড প্রোটোকলের কারণে সংগ্রহশালাগুলিতে নিত্যনতুন পদ্ধতি অবলম্বনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। মিউজিয়ামগুলোয় ডিজিটাইজেশনের উপর গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে। আপনারা জানেন ১৮ই মে গোটা বিশ্বে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস পালিত হবে। এই প্রসঙ্গে আমার যুবক-যুবতী বন্ধুদের জন্য আমার একটা প্রস্তাব আছে। সামনে যে ছুটির দিন আসছে, তাতে বন্ধু বান্ধবদের দল বল নিয়ে কোনো স্থানীয় মিউজিয়াম দেখতে যান। আপনারা নিজেদের অভিজ্ঞতা #museummemories-এ সকলের সাথে অবশ্যই ভাগ করে নিন। এর মাধ্যমে অন্যদের মনেও সংগ্রহশালা সম্পর্কে আগ্রহ জন্মাবে। আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনারা নিজেদের জীবনে অনেক সংকল্প নিয়ে থাকবেন এবং সেগুলি পূরণ করার জন্য অনেক পরিশ্রমও করে থাকবেন। কিন্তু বন্ধুরা, হালফিলএ আমি এক অভিনব সংকল্পর কথা জানতে পেরেছি। তাই ভাবলাম, এটা ‘মান কি বাত’ এর শ্রোতাদের সাথে নিশ্চয়ই ভাগ করি। বন্ধুরা, আপনারা ভাবতে পারেন কেউ নিজের ঘর থেকে এই সংকল্প নিয়ে বেরচ্ছেন যে সারাদিন শহরে ঘুরবেন কিন্তু কোনো কিছু নগদ টাকা দিয়ে করবেন না! একটিও লেনদেন নগদে হবেনা। সত্যি অভিনব সংকল্প বৈকি। দিল্লির দুই মেয়ে, সাগরিকা ও প্রেক্ষা, এরকমই একটি নগদবিহীন দিন কাটালেন। সাগরিকা ও প্রেক্ষা দিল্লিতে যেখানেই যান, তারা নগদবিহীন পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন করার সুবিধা পেয়েও যান। ইউপিআই কিউআর কোড থাকায় তাদের নগদ টাকা বের করার কোন প্রয়োজনই পড়েনি। এমনকি স্ট্রীট ফুড ও রাস্তার দোকানে কেনাকাটার সময়েও বেশীরভাগ জায়গায় তারা অনলাইনে আর্থিক লেনদেনের সুবিধা পান। বন্ধুরা, কেউ ভাববেন যেহেতু দিল্লি মেট্রো শহর, তাই এখানে এটা সহজেই সম্ভব। কিন্তু এখন এরকম নয় যে ইউপিআই এর পরিষেবা শুধু দিল্লির মত বড় শহরেই সীমাবদ্ধ। গাজিয়াবাদের আনন্দিতা ত্রিপাঠীর এক বার্তাও পেয়েছি। গত সপ্তাহে আনন্দিতা তার স্বামীর সঙ্গে উত্তরপূর্ব বেড়াতে গিয়েছিলেন। তিনি অসম থেকে মেঘালয়, এমনকি অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও আমাকে জানিয়েছেন। আপনারাও চমৎকৃত হবেন জেনে যে বেশ কয়েকদিন এই ভ্রমণ চলাকালীন তাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও কখনো নগদ টাকা ব্যবহার করার প্রয��োজন পড়েনি। কিছু বছর আগেও যেসব এলাকায় ভালো ইন্টারনেট এর পরিষেবা পাওয়া যেত না, সেখানেও এখন ইউপিআই এর মাধ্যমে লেনদেনের সুবিধা পাওয়া সম্ভব। সাগরিকা, প্রেক্ষা ও আনন্দিতার অভিজ্ঞতা জেনে আমিও আপনাদের অনুরোধ করব নগদবিহীন একটি লেনদেনের দিন কাটান, এ ধরণের একটি অভিজ্ঞতা ভেবে দেখুন। বন্ধুরা, বিগত কিছু বছরে ভিম ইউপিআই আমাদের অর্থনীতি এবং অভ্যাসের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এখন ছোট ছোট শহরে এমনকি বেশিরভাগ গ্রামেও মানুষ ইউপিআই দিয়ে লেন-দেনের কারবার করছেন। ডিজিট্যাল অর্থনীতির মাধ্যমে আমাদের দেশে এক সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। অলি গলির মধ্যে ছোটখাটো দোকানেও ডিজিট্যাল অর্থনীতির দরুন অনেক বেশি সংখ্যক গ্রাহককে সহজেই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এখন ওদের খুচরো পয়সা নিয়েও সমস্যা হয় না। আপনিও হয়তো দৈনন্দিন জীবনে ইউপিআই-এর সহজলভ্য পরিষেবা উপভোগ করছেন। যেখানেই যান, নগদ টাকা নিয়ে যাওয়ার, ব্যাংকে যাওয়ার, বা এটিএম খোঁজার ঝঞ্ঝাটই শেষ। মোবাইল দিয়েই সমস্ত আর্থিক লেনদেন হয়ে যায়, কিন্তু, আপনি কি কখনো ভেবেছেন আপনার এই ছোট ছোট অনলাইন লেনদেন দিয়ে দেশের কত বড় ডিজিট্যাল অর্থনীতি তৈরি হয়েছে। এখন আমাদের দেশে প্রায় কুড়ি হাজার কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন রোজ হয়ে থাকে। গত মার্চ মাসে ইউপিআই এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন প্রায় দশ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। এইভাবে দেশে সুবিধাও বেড়েছে, সঙ্গে সততার পরিবেশও সৃষ্টি হয়েছে। এবার দেশে ফিন-টেকের সঙ্গে যুক্ত অনেক নতুন স্টার্ট আপ্সের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি চাইবো যদি আপনার কাছেও ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন ও স্টার্ট আপ্সের ব্যবস্থাপনার শক্তি সম্পর্কিত কোন অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আমাদের তা জানান। আপনার অভিজ্ঞতা অন্যদের ও দেশবাসীকে অনুপ্রেরণা দিতে পারে। আমার প্রিয় দেশবাসী, প্রযুক্তি'র শক্তি কিভাবে সাধারণ মানুষের জীবন বদলে দিচ্ছে তা আমরা আমাদের চারপাশে ক্রমাগত দেখতে পাচ্ছি। প্রযুক্তি আরও একটা দুর্দান্ত কাজ করেছে, ভিন্নভাবে সক্ষম বন্ধুদের অসাধারণ ক্ষমতার পরিচয় দেশ ও দুনিয়ার সামনে তুলে ধরেছে। আমাদের দিব্যাঙ্গ ভাই-বোনেরা কি কি করতে পারেন তা আমরা টোকিও প্যারা-অলিম্পিকে দেখেছি! খেলাধুলোর মতই, আর্টস, একাডেমিকস এবং অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে তারা অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয় দিচ্ছেন। কিন্তু যখন এই বন্ধুরা প্রযুক্তির সাহায্য পায় তখন তারা আরো বড় লক্ষ্য অর্জন করে দেখায়। এইজন্য এখন আমাদের দেশ ভিন্নভাবে সক্ষম বন্ধুদের জন্য সরঞ্জাম ও পরিকাঠামো সহজলভ্য করে তোলার ক্রমাগত চেষ্টা করছে। আমাদের দেশে এমন বহু স্টার্ট-আপ এবং সংস্থা আছে যারা এই উদ্দেশ্যে উৎসাহব্যাঞ্জক কাজ করে চলেছে। এমনই একটি সংস্থা ভয়েস অফ স্পেশালি-এবলড পিওপ্ল; এই সংস্থাটি সহায়ক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করছে। বিশেষভাবে সক্ষম শিল্পী বন্ধুদের কাজকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য-ও একটা উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ভয়েস অফ স্পেশালি-এবলড পিওপলের এই শিল্পীদের আঁকা ছবি নিয়ে একটি ডিজিটাল আর্ট গ্যালারি'ও তৈরি করা হয়েছে। দিব্যাঙ্গ বন্ধুরা কতটা অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী হয় এবং তাদের কত অসাধারণ ক্ষমতা থাকে তার উদাহরণ এই আর্ট গ্যালারি। ভিন্নভাবে সক্ষম বন্ধুদের জীবনে কত প্রতিকূলতা থাকে, সেই প্রতিকূলতা কাটিয়ে তারা কতদূর অগ্রসর হতে পারে… এমন বহু বিষয় এই ছবিগুলির মাধ্যমে অনুভব করতে পারবেন। যদি এমনি কোন দিব্যাঙ্গ বন্ধুকে চেনেন, এবং তার প্রতিভার বিষয়ে জানেন, তাহলে আপনিও ডিজিট্যাল প্রযুক্তির সাহায্যে তাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারেন। যাদের ভিন্নভাবে সক্ষম বন্ধু আছেন, তারাও যেন এই ধরনের উদ্যোগের সঙ্গে নিজেদের অবশ্যই যুক্ত করেন। আমার প্রিয় দেশবাসী, দেশের অধিকাংশ জায়গায় গ্রীষ্মের দাবদাহ খুব দ্রুত বেড়ে চলেছে। বাড়তে চলা এই গরমে, জল বাঁচানোর প্রয়োজনটাকেও একইরকম প্রাধান্য দেয়। হতে পারে আপনি এখন যেখানে আছেন, সেখানে জল পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় । কিন্তু, আপনাকে সেই কোটি কোটি মানুষদেরও সবসময় মনে রাখতে হবে, যাঁরা জলসঙ্কট হয় সেইরকম জায়গায় থাকেন, যাঁদের কাছে জলের এক একটি বিন্দু অমৃত সমান হয়। বন্ধুগণ, এই সময় স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে, দেশ যে সংকল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে, তাতে জল সংরক্ষণও আছে। অমৃত মহোৎসব চলাকালীন দেশের প্রতিটি জেলায় ৭৫টি অমৃত সরোবর বানানো হবে। আপনি কল্পনা করতে পারেন যে এই অভিযানটি কতো বড়ো আকারের হতে চলেছে। সেই দিন আর দূরে নেই, যখন আপনার জেলায় ৭৫টি অমৃত সরোবর থাকবে। আমি, আপনাদের সবাইকে, এবং বিশেষকরে যুবাদের বলব যে তারা যেন এই অভিযানের বিষয়ে জানে এবং এর দায়িত্ব পালন করে। যদি আপনার অঞ্চলে স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত কোনো ইতিহাস থাকে, কোনো বিপ্লবীর স্মৃতি থাকে, তাহলে সেই ইতিহাসও অমৃত সরোবরের সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন। যদিও আমার এটা জেনে ভালো লেগেছে যে অমৃত সরোবরের সংকল্প নেওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় এই বিষয়ে কাজ দ্রুততার সঙ্গে শুরু হয়ে গেছে। আমি উত্তর প্রদেশের রামপুরের গ্রাম পঞ্চায়েত পটবইয়ের সম্বন্ধে জানতে পেরেছি। সেখানে গ্রাম সভার মাঠে একটি পুকুর ছিল; কিন্তু সেটি, ময়লা এবং আবর্জনার স্তুপে ভর্তি ছিল। গত কয়েক সপ্তাহে অনেক পরিশ্রম করে স্থানীয় লোকদের সাহায্যে, স্থানীয় স্কুলের বাচ্চাদের সহায়তায়, ঐ নোংরা পুকুরটি পুনরুদ্ধার হয়েছে। এখন, ঐ পুকুরটিতে পার বাধানো হয়েছে, সুন্দর প্রাচীর, ফুড কোর্ট, ফোয়ারা এবং আলোকসজ্জা− এরকম আরও কত ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি রামপুরের পটবাই গ্রাম পঞ্চায়েতকে, গ্রামের লোকেদের, সেখানের বাচ্চাদের এই প্রয়াসের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। বন্ধুরা, জলের অভাব এবং জলের উপস্থিতি প্রতিটি দেশের প্রগতি এবং গতি প্রভাবিত করে। আপনারাও নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন, ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে আমি পরিচ্ছন্নতার মত বিষয়ের পাশাপাশি জল সংরক্ষণের বিষয়েও বারবার কথা বলেছি নিশ্চিতরূপে । আমাদের প্রাচীন গ্রন্থে তো স্পষ্ট লেখা রয়েছেঃ পানিয়ম্ পরমম্ লোকে, জীবানাম্ জীবনম সম্রিতম্। অর্থাৎ, জগৎ সংসারে জলই প্রত্যেক জীবের জীবনের সহায় এবং সবচেয়ে বড় সম্পদ, সেই জন্যই আমাদের পূর্বপুরুষরা জল সংরক্ষণের উপর এত জোর দিয়েছিলেন। বেদ থেকে পুরাণ পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় জল বাঁচানো, পুকুর, ঝিল, ইত্যাদি বানানো মানুষের সামাজিক ও আধ্যাত্মিক কাজের অঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বাল্মীকি রামায়ণে জলের উৎসগুলিকে যুক্ত করা, জল সংরক্ষণ করার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। ঠিক একই ভাবে, ইতিহাসের ছাত্রছাত্রীরা জানবেন, সিন্ধু- সরস্বতী ও হারাপ্পা সভ্যতার সময়ে আমাদের দেশে কী রকম অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছিল। প্রাচীন কালে, বহু শহরে জলের উৎসগুলির মধ্যে আন্তঃ-সংযোগ ব্যবস্থাপনা তৈরি করা হয়েছিল, একে-অপরের সঙ্গে তাদের যুক্ত করা হয়েছিল। সে সময় জনসংখ্যা এত ছিল না, প্রাকৃতিক সম্পদের অপ্রতুলতা ছিল না, বরং প্রাচুর্য ছিল, তবুও জল সংরক্ষণের বিষয়ে জন সচেতনতা ছিল বিপুল মাত্রায়। কিন্তু আজ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিপরীত। আমি আপনাদের স���ার কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা আপনাদের এলাকার এই ধরণের সমস্ত প্রাচীন পুকুর, কুয়ো, ঝিলের ব্যাপারে জানুন। অমৃত সরোবর অভিযানের হেতু জল সংরক্ষণের পাশাপাশি আপনাদের নিজেদের এলাকার পরিচিতিও তৈরি হবে। এর ফলে শহরগুলিতে, অঞ্চলগুলিতে অবস্থিত স্থানীয় পর্যটনস্থলগুলিও বিকশিত হবে। সাধারণ মানুষের ঘোরাঘুরির জন্যও নতুন জায়গা মিলবে। বন্ধুরা, জলের সঙ্গে জড়িত সমস্ত প্রচেষ্টাই আমাদের ভবিষ্যতের সঙ্গে যুক্ত। এতে পুরো সমাজেরই দায়িত্ব থাকে। এরজন্য বছরের-পর-বছর বিভিন্ন সমাজ নিয়মিতভাবে বিভিন্ন উপায়ে প্রচেষ্টা করে গেছে। যেমন 'কচ্ছের রান' এর এক জনজাতি 'মালধারী' জল সংরক্ষণের জন্য 'বৃদাস' নামের একটি উপায় ব্যবহার করে থাকে। এর জন্য ছোট কুয়ো বানানো হয় আর তাকে বাঁচানোর জন্য তার আশেপাশে গাছপালা লাগানো হয়ে থাকে। এই ভাবেই মধ্যপ্রদেশের ভিল জনজাতি নিজস্ব একটি ঐতিহাসিক পরম্পরা 'হলমা'-কে জল সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত করে থাকে। এই পরম্পরায় এই জনজাতির মানুষ জলের সঙ্গে যুক্ত সমস্যার সমাধানের জন্য এক জায়গায় একত্রিত হন। হলমা পরম্পরার মাধ্যমে পাওয়া পরামর্শের জন্যই এই এলাকায় জলের সংকট কম হয়েছে আর মাটির নীচের জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। বন্ধুরা, এ রকমই কর্তব্যের ভাব যদি সবার মনে সঞ্চারিত হয় তাহলে জল সংকটের সঙ্গে যুক্ত বড় বড় সমস্যার সমাধান হতে পারে। আসুন, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে আমরা জল সংরক্ষণ আর জীবন সংরক্ষণের সংকল্প গ্রহণ করি। আমরা বিন্দু বিন্দু জল বাঁচাবো আর তার সঙ্গে প্রত্যেকটি জীবনও। আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনারা দেখেছেন যে কিছুদিন আগে আমি আমাদের তরুণ বন্ধু আর ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পরীক্ষা-পে-চর্চা করেছিলাম। এই চর্চার সময় কিছু ছাত্রছাত্রী বলেছিলেন যে তাদের অঙ্ক পরীক্ষার প্রতি ভীতি আছে। এরকম কথা অনেক বিদ্যার্থীই নিজেদের বার্তায় আমায় পাঠিয়েছিলেন। ওই সময়ই আমি স্থির করেছিলাম যে গণিতের উপর আমি মন কি বাতে নিশ্চয়ই চর্চা করব। বন্ধুরা, গনিত তো এমন একটি বিষয় যেটা আমাদের ভারতীয়দের কাছে সবচেয়ে বেশি সহজ হওয়া উচিত। কারণ গণিত নিয়ে সমগ্র বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বেশি অবদান ও যোগদান ভারতীয়রাই করেছেন। শূণ্য অর্থাৎ জিরোর আবিষ্কার আর তার মাহাত্ম্য সম্বন্ধে আপনারা সবাই অনেক শুনেছেন। আপনারা এটাও অনেকবার শুনেছেন যে যদি শূন্য আবিষ্কার না হতো ত��হলে হয়তো আমরা এত বৈজ্ঞানিক প্রগতি দেখতে পেতাম না। ক্যালকুলাস থেকে কম্পিউটার পর্যন্ত সব বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার জিরোর উপরেই তো আধারিত। ভারতের গণিতজ্ঞ এবং পণ্ডিতেরা এটাও উল্লেখ করেছেন ''যৎ কিঞ্চিৎ বস্তু তত্ সর্বং, গণিতেন বিনা নাহি।'' অর্থাৎ এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে যা কিছু রয়েছে তার সবটাই অংক দিয়ে নির্মিত। আপনারা বিজ্ঞানের পড়াশোনার কথা মনে করুন তাহলে এই কথার অর্থ আপনারা বুঝতে পারবেন। বিজ্ঞানের সকল নীতি একটা গাণিতিক সূত্রের মাধ্যমে ব্যক্ত করা হয়। নিউটনের ল, আইনস্টাইনের ফেমাস ইকুয়েশন, বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানের সকল বিষয় আসলে অঙ্ক। এখনতো বৈজ্ঞানিকরাও থিওরি অফ এভরিথিং-এর কথা ও আলোচনা করেন। অর্থাৎ এমন একটা সিঙ্গেল ফর্মুলা যেটা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সকল বিষয়কে একসঙ্গে যুক্তিপূর্ণভাবে ব্যাখ্যা করে। আমাদের মুনি-ঋষিরা অঙ্কের সাহায্যে বিজ্ঞানের বিস্তার নিয়ে এমন কল্পনা সব সময় এভাবেই ব্যক্ত করেছেন। আমরা যেমন শূন্যের আবিষ্কার করেছি তেমনি অসীম অর্থাৎ ইনফিনিটিকেও প্রকাশ করেছি। আমরা কথা বলার সময় যখন যোগ বা সংখ্যার কথা বলি, তখন মিলিয়ন, বিলিয়ন এবং ট্রিলিয়ন পর্যন্ত বলি আর ভাবি। কিন্তু বেদে আর ভারতীয় গণিতে গণনা এইসব উচ্চসীমা অতিক্রম করে। আমাদের এখানে একটা পুরনো শ্লোক প্রচলিত আছে. ''একং দশং শতং চৈব, সহস্রম, অযুতং, তথা। লক্ষ্যং, নিযুতং, চ্, কোটিঃ, অর্বুদম এব চ।। বৃন্দং, খর্ব, নিখর্বঃ চ, শঙ্খঃ পদমঃ চ সাগরঃ অন্ত্যং মধ্যং পরার্ধঃ চ, দশ বৃদ্ধয়া তথা ক্রমম।। এই শ্লোকে সংখ্যার একটা অর্ডার বলা রয়েছে। যেমন এক, দশ, একশ, হাজার আর অযুত। লাখ নিযুত আর কোটি অর্থাৎ ক্রোড়। এভাবেই এই সংখ্যা এগোয়। সংখ, পদম্ এবং সাগর পর্যন্ত। এক সাগর-এর মানে ১০ এর গুণিতক ৫৭ পর্যন্ত। শুধু এটাই নয়, এরপরেও ঔধ, মহোধের মত সংখ্যাও রয়েছে। এক মহোঘ অর্থাৎ ১০-এর পাওয়ার ৬২ পর্যন্ত। মানে একের পর ৬২টা শূন্য। সিক্সটিটু জিরো। আমরা এত বড় সংখ্যা মাথায় চিন্তা করলেও আমাদের সমস্যা হয়, কিন্তু ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে এর ব্যবহার হাজার হাজার বছর ধরে হয়ে এসেছে। এই কিছুদিন আগে আমার ইন্টেল কোম্পানির সি.ই.ও-র সঙ্গে দেখা হয়েছিল। উনি আমায় একটি পেন্টিং দিয়েছিলেন যেখানে বামন অবতার এর মাধ্যমে গণনা বা পরিমাপের ভারতীয় পদ্ধতি চিত্রের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে। ইন্টেলের নাম এলেই কম্প��উটারের কথা আপনার মাথায় নিশ্চয় এসেছে। কম্পিউটারের ভাষায় বাইনারী সিস্টেমের ব্যাপারে আপনারা অবশ্যই শুনেছেন, কিন্তু আপনারা কি জানেন যে আমাদের দেশে আচার্য পিঙ্গলার মত ঋষিরা ছিলেন যিনি বাইনারি কল্পনা করেছিলেন। এভাবেই আর্যভট্ট থেকে শুরু করে রামানুজন পর্যন্ত এমন বিশিষ্ট গণিতজ্ঞরা এরকম কত বিষয়ে এখানে কাজ করেছেন। বন্ধুগণ, আমাদের ভারতীয়দের জন্য গণিত কখনই কঠিন বিষয় ছিল না। এর একটি বড় কারণ হল আমাদের বৈদিক গণিত। আধুনিক কালে বৈদিক গণিতের কৃতিত্ব দেওয়া হয় শ্রী ভারতী কৃষ্ণ তীর্থজী মহারাজকে। উনি গণনার প্রাচীন পদ্ধতি পুনর্জীবিত করেছেন এবং তাকে বৈদিক গণিতের নাম দিয়েছেন। বৈদিক গণিতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত্ব হলো যে আপনি এর মাধ্যমে কঠিন থেকে কঠিনতর গণনা চোখের পলকে মনে মনে করে ফেলতে পারবেন। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায়, যুব সম্প্রদায়ের তৈরী বৈদিক গণিত শেখার এবং শেখানোর এমন অনেক ভিডিও আপনি নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন। বন্ধুগণ, আজ 'মন কি বাতে' বৈদিক গণিত শেখায় এমন এক জন আমাদের সাথে যোগ দেবেন। সেই সাথী হচ্ছেন কলকাতার গৌরব টেকরীওয়াল জী। উনি বিগত দুই থেকে আড়াই দশক ধরে বৈদিক গণিতের আন্দোলনকে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আসুন, তাঁর সাথে কিছু কথা বলি। মোদি জি- গৌরব জি নমস্কার! গৌরব- নমস্কার স্যার। মোদি জি- আমি শুনেছি যে আপনি বৈদিক গণিতের বিষয়ে খুব উৎসাহী । অনেক কিছু করেছেন। প্রথমে আমি আপনার বিষয়ে কিছু জানতে চাইব এবং তারপরে আপনার এই আগ্রহের বিষয়ে আমাকে জানাবেন। গৌরব- স্যার কুড়ি বছর আগে আমি যখন বিজনেস স্কুলের জন্য আবেদন করছিলাম, তখন তার একটা প্রতিযোগিতামূলক ছিল, যার নাম হচ্ছে ক্যাট। তাতে গণিতের অনেক প্রশ্ন থাকত। যেগুলি কম সময়ের মধ্যে সমাধান করতে হত। তো আমার মা আমাকে একটা বই এনে দেয়, যার নাম ছিল বৈদিক গণিত। স্বামী শ্রী ভারতী কৃষ্ণ তীর্থ জি মহারাজ সে বইটি লিখেছিলেন। সে বইতে উনি ১৬টি সূত্র দিয়েছিলেন। যার মাধ্যমে গণিতের সমাধান খুব সহজ এবং দ্রুত করা যেত। যখন আমি বইটি পড়ি তখন আমি খুব অনুপ্রাণিত হই এবং তারপরে গণিতের প্রতি আমার আগ্রহ জন্ম নেয়। আমি বুঝতে পারি এই বিষয়, যেটি কিনা ভারতেরই উপহার, যা আমাদের ঐতিহ্য, তাকে বিশ্বের প্রতিটি কোণে কোণে পৌঁছে দিতে হবে। তখন থেকেই আমি বৈদিক গণিতকে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে নিয়ে ���াওয়ার পরিকল্পনা করি। কারণ গণিতের আতঙ্ক সবার মনেই আছে। আর বৈদিক গণিতের থেকে সরল আর কি বা হতে পারে ! মোদি জি- গৌরব জি কত বছর ধরে আপনি এই বিষয়ে কাজ করছেন? গৌরব- আজ প্রায় কুড়ি বছর হয়ে গেল। আমি এই বিষয়ে চেষ্টা করে চলেছি। মোদি জি- আর সচেতনতার জন্য কি করেছেন? কোন কোন উপায় ব্যবহার করছেন? কিভাবে পৌঁছাচ্ছেন মানুষের কাছে? গৌরব – আমরা স্কুলে যাই, আমরা অনলাইন শিক্ষা দি। আমাদের সংস্থার নাম হল ভেদিক ম্যাক্স ফোরাম ইন্ডিয়া। এই সংস্থার পক্ষ থেকে আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা বৈদিক অঙ্ক করাই স্যার। মোদি জি- গৌরব জি, আপনি তো জানেন আমি নিয়মিত বাচ্চাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পছন্দ করি এবং তার জন্য অবসর খুঁজি। আর ""এক্সাম ওয়ারিয়রস"" এর মাধ্যমে আমি তো তাদের বলতে গেলে এক রকম ইনস্টিটিউশনালাইজড করে দিয়েছি! আর আমার অভিজ্ঞতা হল, অধিকাংশ ক্ষেত্রে যখন বাচ্চাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলি তখন অংকের নাম শুনলেই তারা পালিয়ে যায়! আর তাই আমার চেষ্টা এটাই, অকারণে একটা যে আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়েছে তাকে দূর করা, এই ভয় দূর করা। আর ছোট ছোট টেকনিক যেগুলি পরম্পরায় চলে আসছে তা ভারতের গণিত শাস্ত্রের ক্ষেত্রে কোন নতুন বিষয় নয়। সম্ভবত পৃথিবীতে প্রাচীন ভারতীয় পরম্পরা যেগুলি রয়েছে, তার মধ্যে গণিতের পরম্পরাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে এক্সাম ওয়ারিয়রসদের ভয় দূর করার জন্য আপনি কী করবেন? গৌরব- স্যার, এটা তো সবচেয়ে বেশি উপযোগী বাচ্চাদের জন্য। কারণ পরীক্ষার এই ভয় প্রত্যেক বাড়িতেই রয়েছে। পরীক্ষার জন্য বাচ্চারা টিউশন নেয়। বাবা মা-রা নাজেহাল হন। টিচাররাও জেরবার হয়ে পড়েন। বৈদিক গণিতের মাধ্যমে এসব ছুমন্তর হয়ে যায়। সাধারণ গণিত এর থেকে বৈদিক গণিত পনেরশো শতাংশ দ্রুত, আর এর মাধ্যমে বাচ্চাদের মধ্যে প্রচুর আত্মবিশ্বাস আসে এবং মস্তিষ্কও দ্রুত কাজ করে। আমরা বৈদিক গণিতের পাশাপাশি যোগও শুরু করেছি, যাতে বাচ্চারা যদি চায় তাহলে চোখ বন্ধ করেও হিসেব কষতে পারে বৈদিক গণিতের মাধ্যমে। মোদি জি- ধ্যানের যে পরম্পরা আছে তাতেও এভাবে অংক করা বিষয়ে একটি প্রাইমারি কোর্স রয়েছে। গৌরব- রাইট স্যার। মোদি জি- আচ্ছা গৌরব জি। আমার খুব ভালো লাগলো। আপনি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই কাজের দায়িত্বভার নিয়েছেন আর বিশেষ করে আপনার মা এক উত্তম গুরুর উদাহরণস্বরূপ আপনাকে এই পথে নিয়ে এসেছেন। আর আজ আ��নি লক্ষ লক্ষ বাচ্চাদের সেই রাস্তায় নিয়ে চলেছেন। আমার তরফ থেকে আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। গৌরব- ধন্যবাদ স্যার। আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ স্যার কারণ আপনি বৈদিক গণিতের মাহাত্ম্যকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং আমাকে বেছে নিয়েছেন। আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। মোদি জি- অনেক অনেক ধন্যবাদ। নমস্কার। গৌরব- নমস্কার স্যার। বন্ধুরা গৌরব জি খুব সুন্দর ভাবে বললেন বৈদিক গণিত কিভাবে গণিতের সমস্যাকে মজাদার করে তুলতে পারে। শুধু তাই নয়, বৈদিক গণিতের মাধ্যমে আপনারা বিজ্ঞানের বড় বড় সমস্যার সমাধান করতে পারেন। আমি চাইব সব বাবা মা-রা নিজেদের সন্তানদের বৈদিক গণিত অবশ্যই শেখাবেন। তাতে ওদের আস্থা তো বাড়বেই, ব্রেনের অ্যানালিটিক্যাল পাওয়ারও বাড়বে। আর হ্যাঁ, গণিত নিয়ে কিছু বাচ্চার মধ্যে যেটুকু ভয় আছে সেই ভয়টুকুও পুরোপুরি কেটে যাবে। আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ ""মন কি বাতে"" মিউজিয়াম থেকে শুরু করে গণিত পর্যন্ত অনেক জ্ঞানবর্ধক বিষয় নিয়ে আলোচনা হল। এইসব বিষয় আপনাদের পরামর্শ অনুসারেই ‘মন কি বাত’ এর অংশ হয়ে ওঠে। আমাকে আপনারা ভবিষ্যতেও এভাবেই আপনাদের পরামর্শ নমো অ্যাপ এবং মাই গভ এর মাধ্যমে পাঠাতে থাকবেন। আগামী দিনে দেশে ঈদের উৎসব আসতে চলেছে। তেসরা মে অক্ষয় তৃতীয়া এবং ভগবান পরশুরাম এর জন্মতিথি উদযাপিত হবে। কিছুদিন পরেই বৈশাখ বুদ্ধ পূর্ণিমার উৎসব আসবে। এ সকল উৎসবই সংযম, পবিত্রতা, দান এবং সৌহার্দ্যের উৎসব। আপনাদের সবাইকে এই উৎসবগুলির অগ্রিম শুভকামনা জানাই। আপনারা এই উৎসবগুলি খুব আনন্দ ও সৌহার্দ্যের সঙ্গে উদযাপন করুন। এসবের মধ্যে আপনাদের করোনা থেকেও সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক পরা, নিয়মিত ব্যবধানে হাত ধোয়া, সুরক্ষার জন্য যা কিছু জরুরী সব কিছু আপনারা পালন করুন। আগামী ""মন কি বাত"" এ আমরা আবার মিলিত হব এবং আপনাদের পাঠানো আরও কিছু নতুন বিষয় সম্বন্ধে আলোচনা করব। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনাদের থেকে বিদায় নিচ্ছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",২৪.০৪.২০২২ তাৰিখে ‘মন কী বাত’ৰ ৮৮তম খণ্ডত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8B/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A6%A3%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE/,"মাননীয় রাষ্ট্রপতি মুন-জে-ইন, সম্মানিত প্রতিনিধিবৃন্দ, বন্���ুগণ, আনইয়োঙ্গ হা-সেয়ো! নমস্কার! আমাকে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে আমন্ত্রণ জানানো এবং উষ্ণ স্বাগত অভ্যর্থনার জন্য আমি অন্তর থেকে রাষ্ট্রপতি মুন-কে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি আগেও কয়েকবার বলেছি, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেও বলেছি যে ভারতের উন্নয়নের জন্য সবচাইতে যোগ্য অনুকরণীয় মডেল হতে পারে দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন। দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত উন্নয়ন ভারতের জন্য প্রেরণার উৎস। সেজন্য কোরিয়া সফর আমার জন্য সর্বদাই আনন্দের বিষয়। বন্ধুগণ, গত বছর জুলাই মাসে আমার রাষ্ট্রপতি মুন-কে ভারত স্বাগত জানানোর সৌভাগ্য হয়েছিল। তাছাড়া, পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন এবং জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময়েও আমাদের দেখা হয়েছে। আমি অনুভব করেছি যে ভারতের ‘পূর্বের জন্য কাজ করো নীতি’ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ‘নতুন দক্ষিণমুখী নীতি’র মধ্যে যে মিল রয়েছে তা আমাদের বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও বেশি গভীরতা এবং শক্তি যোগানোর সুদৃঢ় প্রেক্ষিত গড়ে তুলছে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সম্পর্কে ভারতের লক্ষ্য হল পারস্পরিক সৌহার্দ্য, আসিয়ান দেশগুলিকে কেন্দ্রে রেখে পারস্পরিক সমৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার প্রদান। এক্ষেত্রে ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়ার দৃষ্টিকোণ এবং পারস্পরিক স্বার্থ যেমন জড়িত রয়েছে, তেমনই এই গোটা অঞ্চল ও বিশ্বের হিতের জন্য আমরা মিলেমিশে কাজ করতে পারি। গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার মাননীয় রাষ্ট্রপতির ভারত সফরের পর অত্যন্ত কম সময়ে উভয় দেশের সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি হওয়ায় অত্যন্ত আমি আনন্দিত। এই উন্নয়ন আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের রোড-ম্যাপ রচনার আধার, উভয় দেশের জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধি এতে নিহিত রয়েছে। বন্ধুগণ, গত সপ্তাহে ভারতের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের পর রাষ্ট্রপতি মুন যেভাবে শোক ব্যক্ত করেছেন এবং যে ভাষায় সমর্থনের বার্তা পাঠিয়েছেন, সেজন্য আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের দ্বিপাক্ষিক এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমন্বয়কে আরও শক্তিশালী করে তুলতে দায়বদ্ধ। আজ ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পুলিশ এজেন্সির মধ্যে যে মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে তা আমাদের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও নিবিড় করবে। বিশ্বের সমস্ত নাগরিকের এই সমস্যার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এখন এসেছে। বন্ধুগণ, আমরা ভারতের অর্থনৈতিক পরিবর্তনে দক্ষিণ ক���রিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বলে মনে করি। আমাদের পারস্পরিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সম্পর্ক আরও নিবিড় হচ্ছে। আজ রাষ্ট্রপতি মুন এবং আমি ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের পারস্পরিক বাণিজ্যকে ৫০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতার কথা বলেছি। পরিকাঠামো, বন্দর উন্নয়ন, সামুদ্রিক খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, স্টার্ট-আপ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমরা সহমত হয়েছি। আমাদের ক্রমবর্ধমান সামরিক সহযোগিতা উভয় দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কে-৯ ‘বজ্র’ আর্টিলারি গান অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রক্রিয়া চলছে। প্রতিরক্ষা উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের উল্লেখযোগ্য সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি এবং যৌথ উৎপাদনের একটি রোড-ম্যাপ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহমত হয়েছে। একইভাবে, আমরা ভারতে নির্মীয়মান প্রতিরক্ষা শিল্প করিডরে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলির অংশীদারিত্বকে স্বাগত জানাব। বন্ধুগণ, গত বছর নভেম্বরে অযোধ্যায় আয়োজিত ‘দীপোৎসব’-এ দক্ষিণ কোরিয়ার ফার্স্ট লেডি কিমকে প্রধান অতিথি হিসেবে পাওয়া আমাদের জন্য সম্মানের বিষয় ছিল। তাঁর সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের হাজার হাজার বছরের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক নতুনভাবে আলোকিত হয়েছে, আর উভয় দেশের নতুন প্রজন্মের মনে পরস্পর সম্পর্কে উৎসাহ ও সচেতনতার আবহ গড়ে তুলেছে। উভয় দেশের নাগরিকদের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে গত বছর অক্টোবর মাস থেকে আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার পর্যটকদের জন্য ভারতে ‘ভিসা-অন-অ্যারাইভাল’ পরিষেবা প্রদানের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণকারী ভারতীয় নাগরিকদের ‘গ্রুপ ভিসা’ প্রদান প্রক্রিয়া সরলীকরণের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। এটি আমাদের দ্বিপাক্ষিক পর্যটন উন্নয়নে সহায়ক হবে। এমনই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমি এবার দক্ষিণ কোরিয়া সফরে এসেছি যখন সারা পৃথিবীতে মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী বর্ষ পালন করা হচ্ছে। আর দক্ষিণ কোরিয়ায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শতাব্দী সমারোহ পালন করা হচ্ছে। আমাদের মহাত্মা গান্ধী স্মরণোৎসব সংগ্রহের জন্য রাষ্ট্রপতি মুন-এর লেখা অসাধারণ শ্রদ্ধাঞ্জলির জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। বন্ধুগণ, আজ কোরিয়া উপ-দ্বীপে শান্তি এ���ং সুস্থিতি স্থাপনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি মুন-এর প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস এবং ধৈর্যকে আমি অভিনন্দন জানাই। কোরিয়া উপ-দ্বীপে স্থায়ী শান্তির জন্য আমি ভারতের পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতির কথা আবার উচ্চারণ করতে চাই। আজ দুপুরে আমাকে যে সিওল শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হবে, তা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। এই সম্মানপ্রাপ্তিকে আমি নিজের কৃতিত্ব বলে মনে করি না। এই সম্মান ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের সদ্ভাবনা ও ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে আমি গ্রহণ করব। আমাকে এবং আমার প্রতিনিধিদলকে আপনারা যে ভালবাসামাখা স্বাগত সম্মান ও আতিথেয়তা প্রদান করেছেন তার জন্য আমি রাষ্ট্রপতি মুন, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার এবং এ দেশের জনগণকে হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই। খম্‌সা-হম-নিদা ধন্যবাদ।",কোৰিয়া গণৰাজ্য ভ্ৰমণৰ সময়ত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা সংবাদ বিবৃতি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%81-%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%81-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A7%B0/,"জম্মু ও কাশ্মীরে যুবক-যুবতীদের জন্য আজ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন। জম্মু ও কাশ্মীরের ২০টি জায়গায় ৩ হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণীকে আজ সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। তাঁরা পূর্ত, স্বাস্থ্য, খাদ্য, পশুপালন, জলশক্তি, শিক্ষা, সংস্কৃতি সহ বিভিন্ন বিভাগে কাজের সুযোগ পাবেন। যাঁরা আজ নিয়োগপত্র পেয়েছেন, তাঁদের সকলকে আমি অভিনন্দন জানাই। আমি এই ‘রোজগার মেলা’ আয়োজনের জন্য শ্রী মনোজ সিনহাজী ও তাঁর দলের সকল সদস্যদের অভিনন্দন জানাই। আমাকে বলা হয়েছে যে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অন্যান্য বিভাগে আরও ৭০০টি নিয়োগপত্র দেওয়ার জন্য কাজ চলছে পূর্ণোদ্যমে। যাঁরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই চাকরি পাবেন, তাঁদের জন্যও রইল আমার অগ্রিম শুভেচ্ছা। বন্ধুগণ, একুশ শতকের এই দশকটি জম্মু ও কাশ্মীরের ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পুরনো চ্যালেঞ্জকে পেছনে ফেলে নতুন সম্ভাবনার পূর্ণ সদ্ব্যবহারের সময় এসেছে। আমি আনন্দিত যে, বৃহৎ সংখ্যায় জম্মু ও কাশ্মীরের তরুণ-তরুণীরা তাঁদের অঞ্চল ও এখানকার উন্নয়নের জন্য এগিয়ে আসছেন। জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের নতুন মাইলফলক তৈরি করবেন তাঁরা। তাই, আজকের এই চাকরি মেলা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধুগণ, আমাদের নতুন চিন্তাভাবনাকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। মর্মস্পর্শী সরকার ও স্বচ্ছতা থাকায় জম্মু ও কাশ্মীরে এখন উন্নয়ন হচ্ছে দ্রুতগতিতে। আমাকে বলা হয়েছে যে, ২০১৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি পদে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ চাকরি পেয়েছেন। এর মধ্যে গত দেড় বছরে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে ২০ হাজারেরও বেশি। এটি একটি বিশেষ পদক্ষেপ। আমি বিশেষ করে, জম্মু ও কাশ্মীরের উপ-রাজ্যপাল মনোজ সিনহাজী ও তাঁর দলের সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। যোগ্যতার মাধ্যমে চাকরি – এই মন্ত্র মেনে কাজ করছেন তিনি। এর ফলে, সরকারের প্রতি এই অঞ্চলের যুবক-যুবতীদের আস্থা বাড়ছে। বন্ধুগণ, কেন্দ্রীয় সরকার গত ৮ বছরে রোজগার ও স্বরোজগারের জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এই উদ্যোগের আওতায় ২২ অক্টোবর থেকে দেশের বিভিন্ন অংশে চাকরি মেলা আয়োজিত হচ্ছে। এই অভিযানের আওতায় আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ১০ লক্ষ নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। জম্মু ও কাশ্মীরে কাজের পরিবেশ বদলেছে। এর ফলে, বিনিয়োগ হচ্ছে ব্যাপকভাবে। নতুন করে কর্মসংস্থান হচ্ছে যুবক-যুবতীদের। আমরা কাশ্মীরে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে চেষ্টা চালাচ্ছি। ইতিমধ্যেই শ্রীনগর থেকে শারজা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক উড়ান চালু হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে রাতের বেলাতেও বিমান রওনা দিচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় কৃষকরা উপকৃত হচ্ছেন। বন্ধুগণ, পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটন শিল্পেও ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। বর্তমানে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক উপত্যকায় আসছেন। বেড়েছে কাজের সুযোগও। কয়েক বছর আগেও এই পরিস্থিতি ছিল কল্পনারও অতীত। আমরা সমাজের সব অংশের মানুষকে সমান সুযোগ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখানকার স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। খোলা হয়েছে ২টি নতুন এইমস্‌, ৭টি নতুন মেডিকেল কলেজ, ২টি রাজ্য ক্যান্সার প্রতিষ্ঠান এবং ১৫টি নার্সিং কলেজ। বন্ধুগণ, জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ স্বচ্ছতার উপর সর্বদাই জোর দেন। আমি এর প্রশংসা করি। আমাদের যুবসম্প্রদায়, তরুণ-তরুণী, যাঁরা নতুন করে সরকারি চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন, তাঁরাও স্বচ্ছতাকে প্রাথমিক গুরুত্ব দেবেন বলে আশা করি। এর আগে আমি যখনই জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি, সর্বদাই তাঁদের জন্য দুঃখ পেয়েছি। তাঁদের রাগ ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার উপর। জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ সর্বদাই দুর্নীতিকে ঘৃণা করেন। দুর্নীতি দূর করতে মনোজ সিনহাজী ও তাঁর দল যে কাজ করছেন, আমি তার প্রশংসা করি। জম্মু ও কাশ্মীর প্রত্যেক ভারতীয়র কাছেই গর্বের বিষয়। আমাদের একযোগে একে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে হবে। ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গঠনের বিশাল লক্ষ্য রয়েছে আমাদের। এই স্বপ্ন পূরণের জন্য আমাদের প্রয়োজন দৃঢ় মানসিকতার। আরও একবার আমি জম্মু ও কাশ্মীরের যুবক-যুবতীদের নতুন জীবন ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানাই। অনেক ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে",জম্মু আৰু কাশ্মীৰ ৰোজগাৰ মেলাত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভিডিঅ’ বাৰ্তাৰ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%88-%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE-%E0%A6%9C/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80/,সাবিত্রীবাঈ ফুলের জন্ম জয়ন্তীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “মহীয়সী নারী সাবিত্রীবাঈ ফুলের জন্ম জয়ন্তীতে প্রণাম জানাই। দরিদ্র এবংপ্রান্তিক সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে তিনি নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। তিনিসর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারের প্রতি। তাঁর আদর্শে গভীরভাবেঅনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরই স্বপ্ন পূরণে আমরা নিরলস কাজ করে চলেছি”।,সাবিত্ৰীবাই ফুলেৰ জয়ন্তীত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শ্ৰদ্ধাঞ্জলি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A7%8E-%E0%A6%95%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%96/,"নয়াদিল্লি, ৩০ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ‘উজ্জ্বল ভারত উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ-বিদ্যুৎ@২০৪৭’-এর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে যোগ দেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি বিদ্যুৎক্ষেত্রের বন্টন ব্যবস্থার সংস্কার করা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। তিনি এনটিপিসি-র সবুজ শক্তি ক্ষেত্রের বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। জাতীয় সৌর রুফটপ পোর্টালেরও সূচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নেন। ম���ন্ডি থেকে শ্রী হংসরাজ প্রধানমন্ত্রীকে ‘কুসুম’ প্রকল্পের বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর কাছে জানতে চান, অন্য কৃষকরা এই প্রকল্পের বিষয়ে কতটা আগ্রহী। শ্রী হংসরাজ প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রকল্পের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং কিভাবে এটি তাঁর ও তাঁর পরিবারের উপকারে এসেছে সে বিষয়ে বিস্তৃত জানান। ত্রিপুরার খোয়াইয়ের শ্রী কলহ রিয়াং প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছনোয় কি কি পরিবর্তন এসেছে সে বিষয়ে জানান। তিনি বলেন, সৌরবিদ্যুৎ চালু হওয়ার পরে কেরোসিনের ওপর নির্ভরতা কমেছে। গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছনোয় অন্য আর কি পরিবর্তন এসেছে সে কথা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। জবাবে শ্রী রিয়াং জানান, এখন তাঁরা সহজেই মোবাইল ফোন চার্জ করতে পারেন। এর আগে এই কাজের জন্য তাঁদের অনেকটা দূরে যেতে হত। সৌরবিদ্যুৎ তাঁদের শিশুদের শিক্ষার মান উন্নত করেছে এবং স্থানীয় শিল্পক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে। এছাড়া, সন্ধ্যার পর জীবনযাত্রাতেও পরিবর্তন এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী রিয়াং-কে সরকার পরিচালিত শিক্ষা বিষয়ক টিভি চ্যানেলগুলির উপকারিতার বিষয়ে জানতে চান। তিনি শ্রী রিয়াং-কে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথাও জিজ্ঞাসা করেন। ‘দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রাম জ্যোতি যোজনা’র এক সুবিধাভোগী, বিশাখাপত্তনমের বাসিন্দা শ্রী কাগু ক্রান্তিকুমার বিদ্যুৎ তাঁদের জীবনে কতটা সদর্থক প্রভাব এনেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের উন্নতি হলেই দেশ এগিয়ে যাবে। দেশের সব গ্রামে বিদ্যুতায়নের সুবিধা পৌঁছনোয় সন্তোষ প্রকাশ করেন শ্রী মোদী। সুসংহত বিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রকল্পের এক সুবিধাভোগী বারাণসীর শ্রীমতী প্রমিলা দেবীকে প্রধানমন্ত্রী হর হর মহাদেব বলে শুভেচ্ছা জানান। বারাণসীর সাংসদ প্রধানমন্ত্রী, শ্রীমতী প্রমিলা দেবীকে তাঁর হয়ে বাবা বিশ্বনাথের কাছে প্রণাম জানাতে বলেন। শ্রী মোদী ওভারহেড বিদ্যুতের তারের ব্যবহার ক্রমশ কমিয়ে আনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। আমেদাবাদের শ্রী ধীরেন সুরেশবাহি প্যাটেল সৌর প্যানেল লাগানোর বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রুফটপ প্যানেল লাগানোয় ধীরেন ভাই এখন একজন বিদ্যুৎ বিক্রেতা হয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ২০৪৭ সালের মধ্যে পরিস্থিতি মজবুত করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে��ে। এ বিষয়ে জন-অংশীদারিত্ব অন্যতম সহায়ক হয়ে উঠছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৫ বছরে দেশের উন্নতি ত্বরান্বিত করতে বিদ্যুৎ ও শক্তিক্ষেত্রের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। বাণিজ্য সরলীকরণ ও জীবনযাত্রা সহজ করার জন্য বিদ্যুৎক্ষেত্রকেও মজবুত করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। দেশে শক্তি নিরাপত্তা ও সবুজ শক্তি ব্যবস্থাপনার দিকে আজকের চালু করার প্রকল্পগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই প্রকল্পগুলি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিক্ষেত্রে ভারতের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়ক হবে। লাদাখ এবং গুজরাটে আজ থেকেই দুটি বড় সবুজ হাইড্রোজেন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। লাদাখের এই কারখানাটি থেকে দেশের যানবাহনের জন্য সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন হবে। এটি হবে দেশের প্রথম প্রকল্প যা বাণিজ্যিকভাবে সবুজ হাইড্রোজেন-ভিত্তিক যানবাহন চলাচলকে সম্ভব করে তুলবে। লাদাখ খুব শীঘ্রই দেশের প্রথম জায়গা হবে যেখানে ফুয়েল সেল বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল করবে। এটি লাদাখকে এই অঞ্চলের প্রথম কার্বন নিঃসরণহীন অঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে। শ্রী মোদী জানান, অসামরিক জ্বালানি ক্ষেত্রে পেট্রোলের সঙ্গে ইথানল মেশানোর পর দেশ এখন পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাসের সঙ্গে সবুজ হাইড্রোজেন মেশানোর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। এর ফলে, প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করার ওপর নির্ভরতা কমবে। ২০১৪ সালের আগে বিদ্যুৎক্ষেত্রে দেশে যে করুণ পরিস্থিতি ছিল সে কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের বিদ্যুৎক্ষেত্রের মানোন্নয়নের জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে মজবুত করার জন্য চারটি দিশা-নির্দেশে একযোগে কাজ চলছে। তার মধ্যে রয়েছে – উৎপাদন, পরিবহণ, বন্টন এবং সংযোগ। প্রধানমন্ত্রী জানান, গত আট বছরে দেশে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে। ‘এক দেশ এক পাওয়ার গ্রিড’ ব্যবস্থাপনায় দেশের বিদ্যুৎ বন্টন ব্যবস্থা মজবুত হয়েছে। সারা দেশে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার সার্কিট কিলোমিটার সরবরাহ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। ‘সৌভাগ্য’ প্রকল্পের আওতায় দেওয়া হয়েছে প্রায় ৩ কোটির বেশি বিদ্যুৎ সংযোগ। শ্রী মোদী বলেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির মধ্যেই আমরা ১৭৫ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়��ছিলাম। বর্তমানে আমরা এই লক্ষ্য পূরণের প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছেছি। এখন পর্যন্ত অ-জীবাশ্ম ক্ষেত্র থেকে পাওয়া ১৭০ গিগাওয়াট ক্ষমতার পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদন হয়। সৌরবিদ্যুৎ চালু করার বিষয়ে বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় ৪-৫টি দেশের মধ্যে ভারত রয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ কারখানাগুলির অনেকক’টি এখন ভারতে। দেশে আজ থেকে আরও দুটি বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হচ্ছে। তেলেঙ্গানা ও কেরলে চালু হওয়া এই সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি দেশের প্রথম ও দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাড়িতে বাড়িতে সৌর প্যানেল লাগানোর বিষয়েও এখন উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দিচ্ছে। “বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা মানে ভবিষ্যৎকে উন্নত করা। ‘প্রধানমন্ত্রী কুসুম যোজনা’ এর বিশেষ উদাহরণ। আমরা কৃষকদের সৌর পাম্প চালুর সুবিধা দিচ্ছি এবং তাঁদের জমির পাশে সৌর প্যানেল লাগানোর সুবিধাও দিচ্ছি” – বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উজালা’ প্রকল্প দেশে বিদ্যুতের ব্যবহার এবং বিদ্যুৎ বিল কম করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রতি বছর দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের বিদ্যুৎ বিল থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। শ্রী মোদী বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিতে এক বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। রাজনীতির ক্ষেত্রে মানুষের সত্যতা স্বীকার করার সৎ সাহস থাকা উচিৎ। কিন্তু আমরা দেখতে পাই কিছু রাজ্য তা এড়িয়ে চলছে। অল্প সময়ের জন্য এই নীতি-কৌশল ভালো মনে হলেও আজ সত্য লুকিয়ে রাখা মানে আগামীদিনে আমাদের শিশু ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলে দেওয়া। আজকের সমস্যার সমাধান এড়িয়ে গিয়ে আগামীদিনের জন্য তা ফেলে রাখা কখনই দেশের ভবিষ্যতের জন্য সঠিক নয় – বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। বিদ্যুৎক্ষেত্রে এ ধরনের চিন্তাভাবনা বেশ কিছু রাজ্যকে কঠিন সমস্যায় ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্টন ক্ষেত্রে আমাদের ক্ষতির পরিমাণ দুই অঙ্কের সংখ্যায় কিন্তু, বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতে এই হার ১ অঙ্কের। এর অর্থ হল এই যে বিদ্যুতের অপচয় কমাতে আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে। বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্য বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও বেশি পরিমাণে করতে হবে। ব���ভিন্ন রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা দেখা গেছে। মানুষ জেনে আশ্চর্য হবেন যে অনেক রাজ্যেরই ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি বকেয়া রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিগুলিকে তাদের ঐ টাকা দেওয়ার কথা। বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিগুলি বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি পায়। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন রাজ্যকে যত শীঘ্র সম্ভব তাদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি, দেশবাসীকে সততার সঙ্গে তাঁদের বিদ্যুৎ বিল মিটিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎক্ষেত্র কোনও ‘রাজনীতি’র বিষয় নয়, এটি ‘রাষ্ট্রনীতি’ এবং দেশ গঠনের বিষয়। বিদ্যুৎক্ষেত্রের মান রক্ষার দায়িত্ব সকলের – একথা বলে শ্রী মোদী তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার বিদ্যুৎক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য নানা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। সকলের জন্য ব্যয়সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুতের সুবিধা এর অন্যতম। এছাড়া, প্রায় ১৮ হাজার গ্রামে নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। /",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে শক্তি খণ্ডৰ পুনৰ্নিৰ্মাণ বিতৰণ খণ্ড আঁচনি আৰম্ভ কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ১৮ অগাস্ট, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (আইসিএমআর) এবং সুইজারল্যান্ডের ফাউন্ডেশন ফর ইনোভেটিভ নিউ ডায়াগনোস্টিকস্ (এফআইএনডি) – এর মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্রটি অনুমোদিত হয়েছে। এর ফলে, দুটি সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে একে-অপরকে সাহায্য করবে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সমঝোতাপত্রটি স্বাক্ষরিত হয়। সুবিধা : এই সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হওয়ায় আইসিএমআর এবং এফআইএনডি আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে একে-অপরকে সাহায্য করবে। আর্থিক প্রভাব : আইসিএমআর এবং এফআইএনডি বিভিন্ন প্রস্তাব বিবেচনা করে স্থানীয় অংশীদার ও গবেষকদের জন্য যথাক্রমে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার ও ৪ লক্ষ ��ার্কিন ডলার ব্যয় করবে। প্রেক্ষাপট : আইসিএমআর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণা করে থাকে। এফআইএনডি ২০১৩ সালের ভারতীয় কোম্পানি আইনের ৮ নম্বর ধারা অনুসারে একটি স্বাধীন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান।","ভাৰতীয় চিকিৎসা গৱেষণা পৰিষদ (ICMR), ভাৰত আৰু উদ্ভাৱনীমূলক নতুন ডায়েগনষ্টিক্সৰ অৰ্থে ফাউণ্ডেশ্যন (FIND), ছুইজাৰলেণ্ডৰ মাজৰ বুজাবুজিৰ চুক্তিত কেবিনেটৰ অনুমোদ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%80-3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%87/,"শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি শ্রী মৈত্রিপালা সিরিসেনা আজ (১৭ অক্টোবর, ২০১৮) প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। সংবাদমাধ্যমের একাংশে তাঁকে এবং শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিবকে ভারতের হত্যার ছক রয়েছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা তিনি খারিজ করে দেন। তিনি বলেন, এই ধরণের খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং দু’দেশের মধ্যে মৈত্রীর সম্পর্ক বিঘ্নিত ও ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করাই এর উদ্দেশ্য। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি জানান, সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে জরুরি ভিত্তিতে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং শ্রীলঙ্কা সরকার জনসমক্ষে এই ধরণের তথ্য খারিজ করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে বলে সিরিসেনা জানান। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি ব্যক্তিগত বন্ধুর মতোই শ্রীলঙ্কার প্রকৃত বন্ধু হিসেবে মনে করেন। ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে পারস্পরিক সুবিধাজনক সম্পর্কের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে তিনি হাত মিলিয়ে কাজ করবেন। শ্রীলঙ্কা সরকার জরুরি ভিত্তিতে এই ধরণের পরিস্থিতি মোকাবিলার উদ্যোগ নেওয়ায় এবং জনসমক্ষে এই ধরণের ভুল প্রচারের বিষয়টি খারিজ করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর প্রশংসা করেন। ‘প্রতিবেশীই প্রথম’ – ভারতের এই নীতির উল্লেখ করে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি সিরিসেনা বলেন, ভারতের সঙ্গে ভবিষ্যতেও সার্বিক সহযোগিতার সম্পর্ক অব্যাহত রাখায় তিনি বিশেষভাবে উদ্যোগ নেবেন।",প্ৰধানমন্ত্ৰীৰে ফোনযোগে বাৰ্তালাপ শ্ৰীলংকাৰ ৰাষ্ট্ৰপতি মৈত্ৰীপালা ছিৰিসেনাৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%87-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A7%B0-%E0%A7%A7/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের ১০৬তম অধিবেশনে উদ্বোধনী ভাষণ দেন। এবারের বিজ্ঞান কংগ্রেসের মূল ভাবনা ‘ভবিষ্যতের ভারত : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’। এই বিষয়টি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীর সঙ্গে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সংযোগ ঘটানোই হবে ভারতের প্রকৃত শক্তি। অতীতের বিশিষ্ট ভারতীয় বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশ চন্দ্র বোস, সিভি রমণ, মেঘনাদ সাহা, সত্যেন্দ্রনাথ বসু প্রমুখের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান এই বিজ্ঞানীরা স্বল্প সম্পদ সত্ত্বেও কঠোর ও আন্তরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সেবা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শত শত ভারতীয় বিজ্ঞানীর জীবন ও কর্ম প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও জাতি গঠনের সঙ্গে যুক্ত গভীর মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গীর এক অভিন্ন ইচ্ছাশক্তির পরিচয় বহন করে। আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে ভারত তার বর্তমানকে পরিবর্তনের এবং নিজের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। শ্রী মোদী প্রাক্তন দুই প্রধানমন্ত্রী শ্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী এবং শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, শাস্ত্রীজির শ্লোগান ছিল ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ’। অটলজি বলেছিলেন, ‘জয় বিজ্ঞান’। এখন সময় এসেছে, ‘জয় অনুসন্ধান’ বলে আরেক কদম এগিয়ে যাওয়ার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞানের প্রকৃত উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে জ্ঞান সমৃদ্ধ প্রজন্ম গড়ে তোলা এবং আর্থ-সামাজিক স্বার্থে জ্ঞান ব্যবহারের মাধ্যমে। বিজ্ঞান সাধনার জন্য এক অনুকূল বাতাবরণ গড়ে তোলার পাশাপাশি, আমাদের উদ্ভাবন ও স্টার্ট আপের ওপর জোর দিতে হবে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞানীদের মধ্যে উদ্ভাবনমূলক কাজকর্মের প্রসারে অটল উদ্ভাবন মিশন চালু করা হয়েছে। বিগত চার দশকের তুলনায় শেষ চার বছরে একাধিক প্রযুক্তি-ভিত্তিক বিজনেস ইনক্যুবেটর স্থাপন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুলভ স্বাস্থ্য পরিচর্যা, আবাসন, দূষণমুক্ত বায়ু, জল ও শক্তি সহ কৃষি উৎপাদনশীলতা এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত সমস্যাগুলির সমাধানে বিজ্ঞানীদের আরও বেশি মনোনিবেশ করতে হবে। বি��্ঞান সর্বজনীন হলেও স্থানীয় চাহিদা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার সঙ্গে যুক্ত সমস্যাগুলির সমাধানে প্রযুক্তিকে উপযুক্তভাবে সদ্ব্যবহার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিগ ডেটা অ্যানালিসিস’, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লক চেন সংক্রান্ত প্রযুক্তিগুলিকে কৃষি ক্ষেত্রে, বিশেষ করে চাষিদের স্বার্থে কাজে লাগাতে হবে। সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের মানোন্নয়নে কাজ করার জন্য বিজ্ঞানীদের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে কম বৃষ্টিপাত বিশিষ্ট এলাকায় খরা মোকাবিলা, বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা, অপুষ্টি মোকাবিলা, শিশুদের মধ্যে রোগ-জ্বালা নিয়ন্ত্রণ, দূষণমুক্ত শক্তি, পরিশ্রুত পানীয় জল এবং সাইবার নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলির কথা উল্লেখ করেন। ২০১৮-তে ভারতীয় বিজ্ঞান ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সাফল্যের কথাও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে – বিমানের জন্য জৈব জ্বালানি উৎপাদন; স্বল্প দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য ‘দিব্য নয়ন’; ক্যান্সার, যক্ষ্মা ও ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্বল্প মূল্যের বিভিন্ন উপকরণ; সিকিম – দার্জিলিং অঞ্চলে ভূমিধ্বসের আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা প্রভৃতি। ত্তিনি বলেন, শিল্প পণ্যগুলির মাধ্যমে গবেষণা ও উন্নয়নের সাফল্যগুলিকে একত্রিত করতে বাণিজ্যিকীকরণের এক মজবুত মাধ্যমের প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী সমাজ বিজ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তথা শিল্প ও মানবতাবাদকে মিশিয়ে এক অনন্য গবেষণামূলক প্রয়াস গ্রহণের আহ্বান জানান। গবেষণা ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে আমাদের শক্তি জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাগার, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি, আইআইএসসি, টিআইএফআর এবং আইআইএসইআই – এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর ভিত্তি করেই গড়ে ওঠে। এ প্রসঙ্গে শ্রী মোদি বলেন, রাজ্যের অধীন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিতেও গবেষণার উপযুক্ত বাতাবরণ গড়ে তুলতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার ইন্টার ডিসিপ্লিনারি সাইবার ফিজিক্যাল সিস্টেম সংক্রান্ত এক জাতীয় মিশন অনুমোদন করেছে। এই কর্মসূচি রূপায়ণে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলে তিনি জানান। কর্মসূচিতে গবেষণা ও উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, মানবসম্পদ ও দক্ষতা, উদ্ভাবন, স্টার্ট আপ ইকোসিস্টেম-সহ শিল্প সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সহযোগিতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। মহাকাশ ক্ষেত্রে অগ্রগতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী কার্টোস্যাট-২ এবং অন্যান্য উপগ্রহের উৎক্ষেপণে সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গগণায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে ২০২২ সাল নাগাদ তিনজন ভারতীয়কে মহাকাশে পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রক্তাল্পতাজনিত রোগের কার্যকর সমাধানে গবেষণার কাজ শুরু হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন বিষয়ক পরিষদ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উপযুক্ত নীতি প্রণয়নে সাহায্য করবে বলেও তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রীর গবেষণা ফেলোশিপ প্রকল্পের আওতায় দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলির এক হাজার প্রতিভাবান পড়ুয়াকে আইআইটি এবং আইআইএসসি প্রতিষ্ঠানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য সরাসরি ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। এই প্রকল্প গবেষণা ক্ষেত্রের উৎকর্ষসাধনের পাশাপাশি, দেশের অগ্রণী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করবে।",ভাৰতীয় বিজ্ঞান সমাৰোহৰ ১০৬সংখ্যক অধিৱেশনত প্ৰধানমন্ত্রীৰ উদ্বোধনী ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A7%AA%E0%A7%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF/,"নয়াদিল্লি, ২৮ আগস্ট ২০২২ ভারতীয় পরিবারগুলিতে সুজুকির নাম আজ পরিচিত দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে। মারুতি-সুজুকির এই সাফল্য ভারত-জাপান অংশীদারিত্বের বন্ধনকেই চিহ্নিত করে। গত আট বছরে ভারত ও জাপানের মধ্যে সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে গুজরাট-মহারাষ্ট্রের বুলেট ট্রেন থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের বেনারসে ‘রুদ্রাক্ষ কেন্দ্র’-এর মতো বহু উন্নয়ন প্রকল্পই ভারত-জাপান মৈত্রী সম্পর্কের পরিচয় বহন করে। মৈত্রী সম্পর্কের কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় যে প্রত্যেক ভারতীয়ই জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্বর্গীয় শিনজো আবে-কে নিশ্চিতভাবেই স্মরণ করে। ‘ভারতে সুজুকির ৪০ বছর’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য উপস্থাপনাকালে আজ একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাটের গান্ধীনগরের মহাত্মা মন্দিরে আয়োজিত এই বিশেষ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মিঃ সাতোশি সুজুকি, সুজুকি সুজ��কি মোটর কর্পোরেশনের ভূতপূর্ব প্রেসিডেন্ট মিঃ ও সুজুকি, সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট মিঃ টি সুজুকি এবং মারুতি-সুজুকির চেয়ারম্যান শ্রী আর সি ভার্গব। এছাড়াও, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, সাংসদ শ্রী সি আর পাতিল রাজ্যের মন্ত্রী শ্রী জগদীশ পাঞ্চাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাষণ দেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মনোহর লাল। জাপানের প্রধানমন্ত্রী মিঃ ফুমিও কিশিদা-র একটি ভিডিও বার্তাও ছিল এদিনের অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ। শ্রী মোদী তাঁর ভাষণে আরও বলেন, গুজরাটে সুজুকির উপস্থিতি আজ থেকে ১৩ বছর আগে। জাপানের সঙ্গে গুজরাটের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এক সময় গুজরাটকে একটি মিনি জাপানে রূপান্তরিত করার সঙ্কল্প গ্রহণ করেছিলেন। ২০০৯-এ ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ শীর্ষ সম্মেলনকালে একটি সহযোগী রাষ্ট্র হিসেবে যোগ দিয়েছিল জাপান। গুজরাটে জাপানি বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করতে তিনি যে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, একথারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে তাঁর সঙ্কল্প পূরণে অনেক ব্যবস্থাই তখন গ্রহণ করা হয়েছিল। বিশ্বমানের বেশ কয়েকটি গলফ কোর্স ও জাপানি খাদ্য সম্ভারের রেস্তোরাঁ স্থাপন ছাড়াও গুজরাটে জাপানি ভাষার প্রসার তারই কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। শ্রী মোদী বলেন, জাপানের প্রতি আমরা বরাবরই আন্তরিক ও শ্রদ্ধাশীল। এই কারণেই সুজুকি সহ ১২৫টি জাপানি সংস্থা বর্তমানে গুজরাটে কাজ করে চলেছে। গুজরাটের উন্নয়নের যাত্রাপথে ‘কাইজেন’-এর অবদানের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সহ অন্যান্য সরকারি দপ্তরেও ‘কাইজেন’-এর প্রয়োগ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। বৈদ্যুতিক যানের বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এই ধরনের দু’চাকা বা চারচাকার যানে কোনরকম শব্দ বা আওয়াজ থাকে না। এইভাবে নিঃশব্দে কাজ করে যাওয়া প্রযুক্তির একটি দিকমাত্র শুধু নয়, সেইসঙ্গে দেশে নিঃশব্দ বিপ্লবেরও এক বিশেষ সূচনা। বৈদ্যুতিক যানের বিপণনের জন্য অনুকূল পরিস্থিতির স্বার্থে এই ধরনের যানে ক্রেতাদের নানা রকম সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে যেমন, আয়করের ক্ষেত্রে রিবেট এবং ঋণ গ্রহণ প্রক্রিয়ার সরলীকরণ। বৈদ্যুতিক যানগুলির চার্জিং পরিকাঠামো গড়ে তুলতেও বেশ কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিওপি-২৬-এ ভারত ঘোষণা করেছে যে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে অ-জীবাশ্ম উৎস থেকে কারণ, আগামী ২০৭০ সালের মধ্যে বাতাসে কার্বন নির্গমনের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে আমাদের। জৈব-জ্বালানি, ইথানল মিশ্রণ এবং মিশ্র জ্বালানি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মারুতি-সুজুকি সমীক্ষা ও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। কম্প্রেসড বায়ো-মিথেন গ্যাস সম্পর্কিত প্রকল্পের কাজ শুরু করার জন্য সুজুকির কর্ণধারদের কাছে প্রস্তাব রাখেন প্রধানমন্ত্রী। ‘অমৃতকাল’-এর পরবর্তী ২৫ বছরে জ্বালানি ক্ষেত্রে ভারতকে আত্মনির্ভর করে তোলাই যে তাঁর সরকারের লক্ষ্য, একথাও বিশেষ জোর দিয়ে বলেন প্রধানমন্ত্রী। জাপানের প্রধানমন্ত্রী মিঃ ফুমিও কিশিদা তাঁর ভিডিও বার্তায় বলেন যে ভারতে মারুতি-সুজুকির দীর্ঘ ৪০ বছরের উপস্থিতি দু’দেশের সুদৃঢ় অর্থনৈতিক সম্পর্কের সাক্ষ্যই বহন করে। ভারতের বাজারে বাণিজ্যিক প্রসারের যে বিশেষ সম্ভাবনা রয়েছে একথা তুলে ধরার জন্য সুজুকির পরিচালন কর্তৃপক্ষের ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি। এই সাফল্যের পেছনে ভারতের সরকার ও জনসাধারণের যে অকুন্ঠ সাহায্য ও সমর্থন রয়েছে, একথারও উল্লেখ করেন মিঃ ফুমিও কিশিদা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশ প্রচেষ্টায় বিশেষ গতি সঞ্চার ঘটেছে। সুজুকি ছাড়াও অন্যান্য বহু জাপানি সংস্থা বর্তমানে ভারতে বিনিয়োগের প্রসার ঘটাতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ভারত ও জাপানের দীর্ঘ পারস্পরিক সম্পর্কের এটি ৭০তম বছর। সেইদিক দিয়েও এই বছরটি যে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, একথার উল্লেখ করে মিঃ কিশিদা বলেন, শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তিনিও স্থিরসঙ্কল্প ভারত-জাপান কৌশলগত ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বকে এক নতুন মাত্রায় উন্নীত করতে।",গান্ধীনগৰৰ মহাত্মা মন্দিৰত ভাৰতত ছুজুকীৰ ৪০সংখ্যক বৰ্ষপূৰ্তিৰ স্মাৰক অনুষ্ঠানত ভাষণ আগবঢ়ালে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%AE-%E0%A6%8F-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%95-%E0%A6%B8/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ স্টকহোম-এ ভারতীয় সম্প্রদা��ের এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। তাঁকে আন্তরিকতার সঙ্গে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য স্যুইডেন সরকার, বিশেষত স্যুইডেনের মাননীয় রাজা এবং ঐ দেশের প্রধানমন্ত্রী মিঃ স্টিফ্যান লফভেন-কে বিশেষ ধন্যবাদ জানান তিনি। মিঃ লফভেনও উপস্থিত ছিলেন এই সমাবেশে। শ্রী মোদী বলেন, এক বিরাট রূপান্তর প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে ভারত বর্তমানে এগিয়ে চলেছে। ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’ এই মন্ত্রকে সম্বল করে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে। গত চার বছরে এক উন্নত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভারত গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে ভারত সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনের মতো এক বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে ভারত যাতে বিশ্বে চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পারে, তা নিশ্চিত করতে সর্বতোভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর সুবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই তাকিয়ে রয়েছে ভারতের দিকে। এই প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের মানবতাবাদী কর্মপ্রচেষ্টা, ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ, আন্তর্জাতিক সৌর সমঝোতা গোষ্ঠী গঠন এবং এমটিসিআর, ওয়াশেনার ব্যবস্থা এবং অস্ট্রেলীয় গোষ্ঠীতে সদস্যপদের মতো ঘটনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে, বিশেষত মহাকাশ কর্মসূচি ক্ষেত্রে ভারতের কারিগরি দক্ষতা স্বীকৃতি লাভ করেছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল পরিকাঠামোর প্রসারের মধ্য দিয়ে ভারতের সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে নিরন্তর যোগাযোগ গড়ে উঠেছে। অন্যদিকে, প্রযুক্তির প্রয়োগ ও ব্যবহারের মাধ্যমে বৃদ্ধি পেয়েছে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা। তাই, সরকারের কাছে সহজেই পৌঁছে যাওয়ার বিষয়টি এখন আর কোন সুযোগ মাত্র নয়, বরং তা একটি সহজ স্বাভাবিক ঘটনা। এই প্রসঙ্গে অপ্রয়োজনীয় ফাইল বাতিল বলে ঘোষণা, বাণিজ্যিক কাজকর্মকে সহজতর করে তোলা, জিএসটি রূপায়ণ, প্রত্যক্ষ সুফল হস্তান্তর এবং ‘উজ্জ্বলা’ যোজনার মাধ্যমে রান্নার গ্যাসের সুযোগ সম্প্রসারণের মতো কর্মসূচিগুলির কথা উল্লেখ করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, ‘মুদ্রা’ যোজনার মাধ্যমে শিল্পোদ্যোগীদের কাছে নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ ঘটেছে। এই কর্মসূচির মোট সুফলভোগীদের ৭৪ শতাংশই হলেন মহিলা। প্রসঙ্গত, ‘অটল উদ্ভাবন মিশন’, ‘দক্ষ ভারত’ এবং ‘স্টার্ট আপ’ কর্মসূচি প্রসঙ্গেও বক্তব্য রাখেন তিনি। উদ্ভাবন প্রচেষ্টার প্রসারে ভারত যে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছে সে কথার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্যুইডেন এবং ইজরায়েলের সঙ্গে উদ্ভাবন প্রচেষ্টা সম্পর্কিত অংশীদারিত্ব ইতিমধ্যেই গড়ে উঠেছে। এছাড়াও, জীবনযাত্রার মানকে আরও সহজ করে তোলার ওপরও সরকার বিশেষ জোর দিয়েছে। ‘আয়ুষ্মান ভারত’ কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি হল বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সমস্ত পদক্ষেপ যে রূপান্তর প্রচেষ্টারই এক বিশেষ অঙ্গ, সে কথার উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, স্যুইডেন এবং উত্তর ইউরোপ তথা উত্তর আটলান্টিক দেশগুলির সঙ্গে ভারতের অংশীদারিত্বমূলক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে স্যুইডেনের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সম্প্রদায়ের উচিৎ ভারতের প্রতি এক বিশেষ আবেগ ছাড়াও সেখানকার বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবনের সুযোগ-সুবিধাকে আপন করে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। /",ষ্টকহমত ভাৰতীয় সমুদায়ক সম্বোধন প্রধানমন্ত্রীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%A8-%E0%A6%9A%E0%A6%BF-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%95-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BF/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এক এনসিসি র‍্যালিতেভাষণদানকালে বলেন যে, এই সমাবেশে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক তরুণ এনসিসি সদস্য তাঁরনিজ নিজ পরিচয় ও ব্যক্তিত্ব বহন করে এনেছেন। কিন্তু তাঁদের এক মাসেরও বেশি সময়েরঅনুশীলনকালে একদিকে যেমন তাঁদের নিজেদের মধ্যে নতুন নতুন মৈত্রী সম্পর্ক গড়েউঠেছে, অন্যদিকে তেমনই তাঁরা একে অপরের কাছ থেকে অনেক বিষয়েই শিক্ষালাভ করেছেন।এনসিসি শিবিরগুলিতে ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সম্পর্কে তরুণ শিক্ষার্থীদের কাছেশিক্ষাদান করা হয়। জাতির জন্য তাঁরা যাতে আরও ভালো কিছু করতে পারেন, সেই লক্ষ্যেইতাঁদের জন্য শিবিরগুলিতে উৎসাহদানের ব্যবস্থা থাকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এনসিসি শিবিরে শিক্ষার্থীরা শেখার যে আগ্রহ ও উৎসাহলাভ করে থাকেন, তা তাঁদের সারা জীবনের পাথেয় হয়ে থাকবে। এনসিসি অর্থাৎ জাতীয় সমরশিক্ষার্থী বাহিনী শুধুমাত্র বিশেষ পোষাক অর্থাৎ ইউনিফর্ম বা অভিন্নতার বিষয়টিপরিস্ফুট করে না, এই বাহিনী গঠনের মূল উদ্দেশ্য হ’ল ঐক্য গড়ে তোলা। এনসিসি’রমাধ্যমেই এমন কিছু দল বা গোষ্ঠী আমরা গড়ে তুলতে পারি, যেখানে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজকরে যাওয়ার শক্তি সঞ্চারিত হয়। সেই সঙ্গে, তাঁরা সকলেই একে অন্যকে নানাভাবেঅনুপ্রাণিত করেন। শ্রী মোদী বলেন, এনসিসি’র সাতটি গৌরবময় দশক ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত। এইবাহিনী বেশ কিছু মানুষের মনে নিষ্ঠার ভাব জাগিয়ে তুলেছে। আমাদের অর্জিত সাফল্যকেইআজ আমরা উদযাপন করছি। সেইসঙ্গে, আজ আমরা একথাও চিন্তা করছি যে, এনসিসি’র অভিজ্ঞতাআগামী বছরগুলিতে কিভাবে আরও সফল ও ফলপ্রসূ করে তোলা যায় – সে সম্পর্কে। আগামী পাঁচবছরের শেষে এনসিসি’র ৭৫তম বর্ষপূর্তি উদযাপন, তাই পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্যকার্যপরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষেরই স্থির করা প্রয়োজন বলে মনে করেনপ্রধানমন্ত্রী। ভারতের বর্তমান যুব সমাজ যে দুর্নীতিকে কোনও ভাবেই মেনে নেবে না, একথাবিশেষ দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যক্ত করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বিশেষ জোর দিয়ে বলেন যে,দুর্নীতি ও কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই অহরহ চলতেই থাকবে। কারণ, এই যুদ্ধের সঙ্গেজড়িয়ে রয়েছে ভারতের তরুণ ও যুব সমাজের ভবিষ্যৎ। ভীম অ্যাপ-এর সাহায্যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেনের কাজকর্মকে উৎসাহ দিতেউদ্যোগী হওয়ার জন্য এনসিসি সদস্যদের কাছে আর্জি জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেনযে, এই পদক্ষেপ স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। ভারতের যুব সমাজযদি স্থিরপ্রতিজ্ঞ হয়, তা হলে কোনও কিছুই যে অসম্ভব নয় – একথা বিশেষ জোরের সঙ্গেব্যক্ত করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে লোকের বিশ্বাস ছিল যে, ধনী ও ক্ষমতাবানরা সবকিছুরঊর্ধ্বে। কিন্তু এই পরিস্থিতির বর্তমানে পরিবর্তন ঘটেছে। এক সময়ে যাঁরামুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন ছিলেন, দুর্নীতির দায়ে তারাই এখন কারার অন্তরালে জীবনকাটাচ্ছেন। আধার প্রসঙ্গটিও এদিন স্থান পায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। তিনি বলেন, আধারভারতের বিকাশ প্রচেষ্টায় এক বিশেষ শক্তি জুগিয়েছে। যে সুফল আগে ভুল লোকের হাতেগিয়ে পৌঁছতো, তা কিন্তু এখন নিশ্চিতভাবেই পৌঁছে যাচ্ছে সঠিক ব্যক্তির কাছে।",এন চি চিৰ ৰেলীক উদ্দেশ্যি প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95/,"নতুন দিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ভূটানের রাজা জিগমে খেসর নামগিয়েল ওয়াংচুক সেদেশের জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার 'অর্ডার অফ দ্য ড্রুক গ্যালপো' প্রদান করেছেন। তাঁকে এই সম্মান জানানোর জন্য শ্রী মোদী সেদেশের রাজার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ভূটানের প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটের জবাবে শ্রী মোদী একগুচ্ছ ট্যুইটে বলেছেন, ""ধন্যবাদ লিয়নচেন @/",ভূটানৰ সৰ্বোচ্চ অসামৰিক সন্মানেৰে সন্মানীত কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%AC%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%A6/,"নয়াদিল্লি, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ফুটবলের কিংবদন্তী ব্রাজিলের পেলে-র প্রয়াণে গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, পেলে-র প্রয়াণে ক্রীড়া জগতে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হল। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন – “পেলে-র প্রয়াণে ক্রীড়া জগতে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হল। বিশ্ব ফুটবলের এই সুপারস্টারের জনপ্রিয়তা দেশ-কালের গণ্ডী মুছে দিয়েছে। তাঁর অনবদ্য ক্রীড়া নৈপুণ্য ও সাফল্য আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। তাঁর পরিবার-পরিজন ও গুণমুগ্ধ ভক্তদের সমবেদনা জানাই। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।” /",ব্ৰাজিলিয়ান ফুটবল কিংবদন্তী পেলেৰ মৃত্যুত শোক প্ৰকাশ প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AA/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%8B-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%9A%E0%A6%BF/,"ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই দারুসালম, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভিয়েতনাম সকলেই আমাদের প্রাণবন্ত আঞ্চলিক অর্থ-ব্যবস্থার সমৃদ্ধি ও বিবিধতার কথা স্বীকার করি। এক অবাধ, উন্মুক্ত, স্বচ্ছ, সার্বিক, আন্তঃসংযুক্ত, স্থিতিশীল, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তুলতে আমাদের মধ্যে অভিন্ন অঙ্গীকার রয়েছে। অর্থ-ব্যবস্থার ধারাবাহিক ও সর্বাঙ্গীন বিকাশের লক্ষ্য পূরণে এই অঞ্চলের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই অঞ্চলে আমাদের আর্থিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি একে-অপরের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলেও আমরা বিবেচনা করি। তাই, অংশীদার দেশগুলির মধ্যে নিরন্তর বিকাশ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও নিবিড় করা অত্যন্ত জরুরি। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব অর্থ-ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করার বিষয়টি আরও একবার প্রতিফলিত করেছে। সেই অনুসারে, অর্থ-ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারে স্থিতিশীলতা, ধারাবাহিকতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। আমাদের কর্মীবাহিনী, মহিলা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থা এবং সমাজের সবচেয়ে অসুরক্ষিত শ্রেণীর মানুষ সহ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারিত করে অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করার প্রয়োজনীয়তা কোভিড মহামারীর সময় উপলব্ধি হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী-ভিত্তিতে আর্থিক প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতার বিষয়টি নির্ভর করবে প্রযুক্তির যথার্থ প্রয়োগ, উদ্ভাবনের প্রসার, ডিজিটাল অর্থ-ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ এবং শক্তি ক্ষেত্রে নিরাপত্তা অর্জনের মতো বিষয়গুলির উপর। একই সঙ্গে, জলবায়ু সমস্যার মোকাবিলা এমনভাবে করতে হবে, যাতে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সর্বাঙ্গীন বিকাশ ও আর্থ-সামাজিক কল্যাণের বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়। ভবিষ্যতের লক্ষ্যে আমাদের অর্থ-ব্যবস্থাকে প্রস্তুত করে তুলতে আমরা সমৃদ্ধির জন্য ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করছি। এই কাঠামোর উদ্দেশ্যই হ’ল – আমাদের অর্থ-ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা, ধারাবাহিকতা, আর্থিক বিকাশ, স্বচ্ছতা ও পারস্পরিক প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতা, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা অবদান রাখতে চাই। আমরা ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য অংশীদার দেশগুলিকেও এই অর্থনৈতিক কাঠামোতে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানাই, যাদের এই অঞ্চলের প্রতি অভিন্ন উদ্দেশ্য, স্বার্থ ও উচ্চাকাঙ্খা রয়েছে। এই কাঠামোভুক্ত অংশীদার দেশগুলির সঙ্গে আমরা সহযোগিতার লক্ষ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ, যা কারিগরি সহায়তা ও দক্ষতা বৃদ্ধির গুরুত্বকে স্বীকার করে। আজ আমরা নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে ভবিষ্যৎ বোঝাপড়া গড়ে তুলতে সমবেতভাবে আলোচনা��� সূচনা করছি। অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে মজবুত করে ধার্য লক্ষ্য পূরণে এ ধরনের আলাপ-আলোচনায় কাঠামোভুক্ত অংশীদার দেশগুলিকে যুক্ত করতে আমরা ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য অংশীদার দেশগুলিকেও সামিল হওয়ার আমন্ত্রণ জানাই। বাণিজ্য: আমরা এক উচ্চ গুণমানবিশিষ্ট, সার্বিক, উন্মুক্ত ও অবাধ বাণিজ্যের বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই, বাণিজ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত নীতিতে এক নতুন ও সৃজনশীল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চাই, যা প্রকৃতপক্ষে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ও বিনিয়োগ, ধারাবাহিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক বিকাশের পথ আরও প্রশস্ত করবে। এর ফলে, আমাদের কর্মী বাহিনী ও গ্রাহকরা উপকৃত হবেন। একইভাবে, আমরা ডিজিটাল অর্থ-ব্যবস্থায় সহযোগিতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সচেষ্ট হব। সরবরাহ-শৃঙ্খল: আমরা সরবরাহ-শৃঙ্খল ব্যবস্থাকে আরও বেশি নমনীয় ও পারস্পরিক সংযুক্ত করে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ, যাতে সমগ্র প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, বিবিধতা, নিরাপত্তা ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয়। আমরা সঙ্কট মোকাবিলার ক্ষেত্রেও সহযোগিতা গড়ে তুলতে চাই। সেই সঙ্গে, গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল ও প্রক্রিয়াজাত সামগ্রী, সেমিকন্ডাক্টর, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ তথা পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তির আদান-প্রদান নিশ্চিত করতে চাই। পরিবেশ-বান্ধব শক্তি, কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ হ্রাস এবং পরিকাঠামো: প্যারিস চুক্তির উদ্দেশ্য ও প্রয়াসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমাদের সাধারণ মানুষ ও কর্মী বাহিনীর জীবনযাপনকে আরও সহজ-সরল করে তুলতে পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও তার প্রয়োগ আরও ত্বরান্বিত করতে আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। একইভাবে, আমাদের অর্থ-ব্যবস্থায় কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমিয়ে এমন এক অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই, যা জলবায়ু পরিবর্তনে ন্যূনতম প্রভাব ফেলবে। এই লক্ষ্যে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও নিবিড় করা, আর্থিক সংস্থান, দীর্ঘস্থায়ী বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো গড়ে তোলা তথা কারিগরি সহায়তা অত্যন্ত জরুরি। কর ও দুর্নীতি দমন: আমরা ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বহুপাক্ষিক দায়বদ্ধতা, কর ফাঁকি রোধ ও দুর্নীতি দমনে স্বাক্ষরিত বিভিন্ন চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এক কার্যকর কর, অর্থ চোরাচালান রোধ এবং ঘুষ বন্ধ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে অংশীদার দেশগুলির মধ্যে আলাপ-আলোচনার ভিত্ত���তে সহযোগিতার আরও নতুন নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করা অব্যাহত থাকবে, যাতে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আমরা অবাধ ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য এক অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে অত্যন্ত আশাবাদী। সেই সঙ্গে, অনুকূল এই পরিবেশের সুযোগ-সুবিধা আমাদের কর্মী বাহিনী, শিল্প সংস্থা, সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।",সমৃদ্ধিৰ বাবে ইণ্ডো-পেচিফিক অৰ্থনৈতিক পৰিকাঠামো সন্দৰ্ভত বিবৃত +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%9F%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%82%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%B0/,"নতুনদিল্লি, ২৩শে মে,২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ টোকিওতে সফটব্যাঙ্ক কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড ডিরেক্টর মিঃ মাসাওসি সনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ভারতের নতুন শিল্পোদ্যোগ বা স্টার্টআপের সঙ্গে যুক্ত ক্ষেত্রে সফটব্যাঙ্কের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। ভারতে প্রযুক্তি, জ্বালানী ও আর্থিক ক্ষেত্রের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভবিষ্যতে সফটব্যাঙ্কের অংশগ্রহণের দিকটি নিয়েও তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ভারতে সহজে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে যে সব সংস্কারমূলক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, আলোচনায় সেই বিষয়গুলিও স্থান পেয়েছে। এ ছাড়াও দেশে সফটব্যাঙ্কের বিনিয়োগ বাড়ানোর সম্ভাব্য জায়গাগুলির বিষয়ে নির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়েও তাঁরা আলোচনা করেছেন। /",চফ্টবেংক কৰ্পৰেশ্যনৰ ব’ৰ্ড সঞ্চালক আৰু প্ৰতিষ্ঠাপক মাচায়োশী চোনৰে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ বৈঠক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE/,"মহামান্য রাষ্ট্রপতি সোলি, মালদ্বীপ থেকে আগত অন্যান্য সম্মানীয় মন্ত্রীগণ তথা অতিথিবৃন্দ, আপনাদের সকলকে ভারতে আন্তরিক স্বাগত জানিয়ে আমি খুবই আনন্দিত। রিপাবলিক অফ মালডিভ্‌স’-এর রাষ্ট্রপতি পদ গ্রহণের জন্য আপনাকে আরেকবার শুভেচ্ছা। শুধু মালদ্বীয় নয়, গোটা বিশ্বে আপনার গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম ও সাফল্য প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। গত মাসে আপনার শপথ গ্রহণ সমারোহে উপস্থিত থাকা শুধু আমার জন্য নয়, ভারতের জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয় ছিল�� রাষ্ট্রপতি পদ গ্রহণের এক মাসের মধ্যে আপনি বিদেশ সফরের জন্য ভারতকে বেছেছেন। আমাদের জন্য এটা অত্যন্ত সম্মান ও গর্বের বিষয়। আপনার এই সফর সেই নিবিড় পারস্পরিক ভরসা এবং বন্ধুত্বের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে। আমাদের বন্ধুত্ব শুধু ভৌগোলিক নৈকট্যের ফলে নয়, সাগরের ঢেউ উভয় দেশের সৈকতকে জুড়েছে। ইতিহাস, সংস্কৃতি, ব্যবসা এবং সামাজিক সম্পর্ক আমাদের ক্রমে আরও কাছে এনেছে। উভয় দেশের মানুষ আজ গণতন্ত্রের প্রতি নিজেদের আস্থা এবং উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। আপনার এই সফর উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। বন্ধুগণ, রাষ্ট্রপতি সোলি এবং আমার মধ্যে আজ অত্যন্ত সৌহার্দ্র্যপূর্ণ এবং বন্ধুতপূর্ণ আবহে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে পরম্পরাগত শক্তিশালী এবং মৈত্রীপূর্ণ সম্পর্ক আরও নিবিড় করার প্রতি আমাদের দৃঢ় প্রত্যয় এই আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি, আপনার সরকারের জনগণ-কেন্দ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যকে আমি অনেক প্রশংসা জানাই। এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রতিবেশী রূপে আমরা মালদ্বীপের সাফল্য কামনা করি। মালদ্বীপের জনগণের জীবন বদলাতে আপনার সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নের মাধ্যমে মালদ্বীপের উন্নয়নের মানবিক রূপ আরও উজ্জ্বল করে তুলছে। ভারত সর্বদা আপনাদের সঙ্গে রয়েছে। আমি আনন্দিত যে এই দায়বদ্ধতার প্রত্যক্ষ অভিব্যক্তি রূপে মালদ্বীপের সামাজিক, আর্থিক উন্নয়নের জন্য আর্থিক সহায়তা, কারেন্সি সোয়াপ এবং ন্যূনতম সুদে লাইন্‌স অফ ক্রেডিট রূপে ভারত মালদ্বীপকে ১.৪ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার আর্থিক সাহায্য প্রদান করবে। উভয় দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে ভারত পূর্ণ সহযোগিতা করবে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে পণ্য পরিবহণ পরিষেবা, তথ্য, ভাবনা, সংস্কৃতি এবং জনগণের মধ্যে আদানপ্রদানকে উৎসাহ যোগানো হবে। রাষ্ট্রপতি সোলিকে স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, পরিকাঠামো, কৃষি, দক্ষতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং পর্যটনে আমাদের অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। আমরা আগামী পাঁচ বছরে মালদ্বীপের নাগরিকদের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা এবং ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত এক হাজার আসন প্রদানেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের নাগরিকদের মধ্যে সৌহার্দ্র্য আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দিয়েছে। সেজন্য আজ আমরা নতুন ভিসা চুক্তি স্বাক্ষরকে স্বাগত জানাই। আমরা পারস্পরিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি তথা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি দেখতে চাই। এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে। মালদ্বীপে স্বচ্ছ, জবাবদিহিতা এবং আইনানুগ প্রশাসনের লক্ষ্যে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের এক স্বাগত বার্তা প্রদান করে। রাষ্ট্রপতিজি, আমাদের প্রতিবেশী ও মিত্র দেশ মালদ্বীপ ‘এলভিসি’ শ্রেণী থেকে উন্নতি করে এখন মধ্য আয় গোষ্ঠীর দেশ হয়ে ওঠার দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় আমরা ভারতবাসী গর্বিত। দীর্ঘস্থায়ী সুদূরপ্রসারী উন্নয়ন এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে মালদ্বীপ এই সাফল্য পেয়েছে। এসব সমস্যার মোকাবিলা আর সমুদ্র-সম্পদের সুদূরপ্রসারী উন্নয়নে মালদ্বীপের ভূমিকা বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ হবে। এজন্য ভারত এবং মালদ্বীপের মধ্যে সামুদ্রিক সহযোগিতার বিবিধ মাত্রায় পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য আমরা সহমত। মহামাননীয়েষু, আপনাদের আবার কমনওয়েল্‌থ-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা একে সমর্থন করব। আমরা ভারত মহাসাগর রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওআরএ) পরিবারে আপনাদের স্বাগত জানাই। রাষ্ট্রপতি সোলি এবং আমি, এ ব্যাপারে সহমত যে ভারত মহাসাগর ক্ষেত্রে শান্তি এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও নিবিড় করার প্রয়োজন রয়েছে। উভয় দেশের নিরাপত্তা পরস্পরের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পরস্পরের হিতে সদা সজাগ থাকার ক্ষেত্রেও আমরা একমত। পাশাপাশি, এমন কোনও গতিবিধি আমরা নিজেদের দেশে হতে দেব না যা অপরের ক্ষতি করতে পারে। এই অঞ্চলের উন্নয়ন ও স্থিরতার ক্ষেত্রে ভারত ও মালদ্বীপের অংশীদারিত্ব সমান থাকবে। সেজন্য আমি রাষ্ট্রপতি সোলির সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার ক্ষেত্রে সহমত যাতে দু’দেশের সম্পর্কের অনন্ত সম্ভাবনা বিকশিত হয়। আর উভয় দেশের জনগণ এর দ্বারা উপকৃত হন। অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",মালদ্বীপৰ ৰাষ্ট্ৰপতিৰ ভাৰত ভ্ৰমণ কালত যুটীয়া সংবাদমেলত প্ৰধানমন্ত্রীৰ প্ৰেছ বিবৃতি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A7%B1%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82/,"আপনারা সবাই কেমন আছেন, ভালো আছেন তো? শিবরাত্রির প���িত্র উৎসবে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ভোলানাথ আপনাদের সবার ভালো করবেন। আমার বক্তব্য শুরু করার আগে তিনবার ভারতমাতার জয়ধ্বনি করব আর আপনাদেরকে দিয়েও করাবো। পরাক্রমী ভারতের জন্য ভারতমাতার জয় বিজয়ী ভারতের জন্য ভারতমাতার জয় বীর জওয়ানদের জন্য ভারতমাতার জয় আমাকে আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য বিপুল সংখ্যায় আগত জামনগরের প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আজ শিবরাত্রির পবিত্র উৎসব আর গুজরাট এমন রাজ্য, যেখানে দুটি জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে। সোমনাথ ও নাগেশ্বরের এই মাটি আমার জন্য অত্যন্ত শুভ। আর আজ আমার এই মাটিতে আসার সৌভাগ্য হয়েছে। আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে গিয়ে বলতাম যে, গুজরাটে কোনও সমস্যা নেই, সবকিছুই ভালো। আপনাদের কী কী সমস্যা রয়েছে? আমি তাঁদেরকে নিজের কথা যখন বোঝাতাম, তখন সবাই খুব আশ্চর্য হতেন। আমি বলতাম যে, আমাদের রাজ্যে কোনও কয়লা কিংবা অন্য খনিজ পদার্থের প্রাচুর্য্য নেই। জলকষ্ট রয়েছে। আমাদের সরকারের সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হয় প্রত্যেক ১০ বছরের মধ্যে ৭ বছর খরাক্রান্ত বিভিন্ন অঞ্চলে জল পৌঁছনো। ঈশ্বর যদি আমাদের জলের প্রাচুর্য্য দিতেন, তা হলে আমরা এতটাই শক্তিশালী হতাম যে, সারা ভারতকে যেখানে ইচ্ছে নিয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু রাজ্য সরকারের বাজেটের সিংহভাগই জলের পেছনে খরচ করতে হয়। ভারতের অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমার কথা বিশ্বাস করতেন না। কিন্তু তাঁরা আমার সংকল্প দেখে অবাক হতেন! যে রাজ্যে ১২ মাস প্রবাহিত হওয়া নদী নেই, বৃষ্টিপাত কম – সেই রাজ্যকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হলে কান্নাকাটি করে কোনও লাভ হবে না। আগে খরার সময়ে কচ্ছের আপামর জনগণ বাঁচার জন্য অন্যত্র চলে যেতেন। আমরা সেজন্য আগে এই জলের সমস্যা দূর করতে চেয়েছি। সর্দার সরোবর বাঁধ নির্মাণে এত সমস্যা হয়েছিল, আর এই সমস্ত প্রতিকূলতার জন্য তৎকালীন সমস্ত সরকার দায়ী। তারা এড়িয়ে যেতে পারেন না, তাঁদের জবাব দিতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আজ থেকে ৪০ বছর আগে এই বাঁধের কাজ সম্পূর্ণ হলে গুজরাটবাসীদের চার দশক ধরে এত সমস্যার সম্মুখীন হতে হ’ত না। আর আমাদের এত বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে এটি সম্পূর্ণ করতে হ’ত না। আজ গুজরাটের শুষ্ক অঞ্চলগুলি, বিশেষ করে কচ্ছ ও কাথিয়াবাড়ে জল পৌঁছে দিতে কত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে, সেটা আমিই জানি। আমার মনে পড়ে, যখন আমি রাজকোটের মাটিতে দাঁড়িয়ে ‘সৌনি’ প্রকল্প ঘোষণা করেছিলাম, তখন অনেকেই একে নির্বাচনী চমক বলে আমার সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু আমি এসব সমালোচনায় মাথা ঘামাই না। আপনি যে কোনও সময়েই কোনও কাজ করুন না কেন, তখন কোথাও না কোথাও নির্বাচন চলবে। আমার আশংকা ছিল যে, , ৫০০-৭০০ কিলোমিটার দূরত্বে প্রায় ২০তলা বাড়ির মতো উঁচু এলাকায় পাইপলাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়ার এই প্রকল্প আদৌ সফল হবে কি না! কাজটি আদৌ করতে পারবো কি না! আমার পূর্ববর্তীরা হ্যান্ড পাম্পের ব্যবস্থা করেছেন, সাংঘাতিক খরার সময় ট্যাঙ্কার দিয়ে জল পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন ; কিন্তু এর থেকে স্থায়ী কোনও ব্যবস্থার কথা তাঁরা ভাবতেও পারেন নি! আমি ভেবেছিলাম বলেই আজ ‘সৌনি’ প্রকল্পের জল একটা বিশাল অঞ্চলের জলকষ্ট দূর করতে পেরেছে। কচ্ছের আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মোতায়েন বি.এস.এফ. জওয়ানরা আজ নর্মদার তাজা জল খেতে পারেন। এই সাফল্য প্রযুক্তির, কারিগরিবিদ্যা ও ইচ্ছাশক্তির। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমি গুজরাট ছেড়ে যাওয়ার পরও আমার টিম ততটাই নিষ্ঠার সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ করতে করতে ‘সৌনী’ প্রকল্পের একেকটি পর্যায়ের শেষ করে গেছে। আমি অনেকদিন ধরেই বলে আসছি যে নর্মদার জল গল্পের পরশপাথরের মতো। গল্পের পরশপাথর যেমন যাকে ছোঁয়াবেন সে-ই সোনা হয়ে যায়, নর্মদার জলও তেমনি যে মাটিতে যাবে সেই মাটিকে সুজলা ও উর্বর করে তোলে, মাঠগুলি সবুজে ভরে যায়, সোনার ফসলে সুফলা হয়। আমাদের কৃষকদের পরিশ্রমের সঙ্গে নর্মদার জলের ছোঁয়ায় তাঁদের ঘাম প্রজ্জ্বলিত হয়ে ওঠে। আজ গুজরাট সেটা করে দেখিয়েছে। আজ এখানে আমার গুরু গোবিন্দ সিংজী মেডিকেল কলেজ সম্প্রসারণের বেশ কয়েকটি উদ্বোধনের সৌভাগ্য হয়েছে। আমাদের সকলেরই জানা উচিৎ যে, গুরু পরম্পরার সঙ্গে গুজরাটের একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। গুরু গোবিন্দ সিংহের প্রথম ‘পাঁচ প্যারে’র একজন ছিলেন গুজরাটের দ্বারকার দর্জি সমাজের প্রতিনিধি। তখন দ্বারকা জামনগর রাজ্যের অংশ ছিল। সেই শিষ্য, গুরুর সম্মান রক্ষার্থে নিজের মস্তক কেটে দিতেও পিছপা হননি। আমরা আজ সেই শিষ্যের কথা মনে রেখে তাঁর গুরু গোবিন্দ সিংহের নামে নির্মিত এই হাসপাতালের পরিষেবা উন্নয়নের মাধ্যমে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। এই হাসপাতাল এই অঞ্চলের আরোগ্য ক্ষেত্রে বিপ্লব আনবে। এখান থেকে আমি আমেদাবাদ যাব, সেখানে আরও চারটি বড় হাসপাতাল প্রকল্পের শিলান্যাস করব। কারণ, আ���রা মনে করি, উন্নত হাসপাতাল ও আধুনিক প্রযুক্তি ছাড়া আজকের ব্যস্ত জীবনে আধুনিক চিকিৎসা সম্ভব নয়। আগেকার দিনে খাদ্যে ভেজাল ছিল না বলে মানুষের শারীরিক গঠন বেশ মজবুত ছিল। একজন বৈদ্যরাজ গোটা গ্রামের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে পারতেন। এখন সময় বদলেছে, বাম চোখের আলাদা ডাক্তার হন আর ডান চোখের আলাদা! এখন বিশেষজ্ঞদের জমানা। আমাদের সেরকম করেই তৈরি হতে হয় আর সেই বিশেষজ্ঞদের কথা মাথায় রেখেই গুজরাটে আধুনিক হাসপাতাল গড়ে তোলা হচ্ছে। গুজরাটে তো দুটি স্বাস্থ্য প্রকল্প একসঙ্গে কাজ করছে – আয়ুষ্মান ভারত যোজনা এবং মুখ্যমন্ত্রী অমৃতম যোজনা বা সংক্ষেপে ‘মা’ যোজনা। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন এখানে চিরঞ্জীবি যোজনা শুরু করেছিলাম। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গরিব মায়েদের জন্য বেশ কিছু প্রসূতি হাসপাতাল গড়ে তুলে সদ্যজাত ও প্রসূতি মায়েদের মৃত্যুর হার হ্রাস করার ক্ষেত্রে অনেকটা সাফল্য পেয়েছিলাম। আমি কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব পেয়ে সারা দেশে আরও অনেক সংহত প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত যোজনা চালু করেছি। এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রকল্প। আপনারা সবাই জানেন, আমি ছোট কিছু পছন্দ করি না, যা করি তা বড় করেই করি। যখন গুজরাটে পাইপ লাইন চালু করেছি, তখন ৫০০ – ৭০০ -৯০০ কিলোমিটার লম্বা পাইপ লাইন চালু করেছি। আর সেই পাইপ এতই প্রশস্ত ছিল যে, তার ভেতর দিয়ে মারুতি গাড়ি চলে যেতে পারে। তেমনই এখন যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করেছি, তার মাধ্যমে আমেরিকা, কানাডা এবং মেক্সিকো – এই তিন দেশের মোট জনসংখ্যারও বেশি মানুষ ভারতে উপকৃত হবেন। যে কোনও গরিব পরিবারের একজন সদস্য বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য বিমার সহায়তা পাবেন। যে কোনও বড় হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারবেন। দেশের ১৫ হাজার বড় হাসপাতাল এখন এই প্রকল্পাধীন। শুধু তাই নয়, মনে করুন – জামনগর থেকে এক ভাই ভোপাল, কলকাতা কিংবা কোচিন বেড়াতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন, তাঁকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবার জন্য জামনগর ফিয়ে আসার দরকার নেই। ভোপালের হাসপাতালে পিএমজেওয়াই কার্ড দেখালেই সেখানে চিকিৎসা শুরু হবে। এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর, দেশের ছোট ছোট শহরগুলিতে ২ – ৩ হাজার বড় বড় হাসপাতাল গড়ে ওঠার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর একেকটি হাসপাতালে কয়েকশো মানুষের কর্মসংস্থান হয়। ডাক্তার, নার্স ছাড়াও অনেক ছোট ছোট টেকনিশিয়ান ��দে নিয়োগ হয়। সেজন্য আমি বলেছি, দেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি বড় বিপ্লব আসতে চলেছে। আর এই হাসপাতালগুলি হবে এই বিপ্লবের সহায়ক ক্ষেত্র। জল নিয়ে যত কথাই বলি, কিছু কিন্তু থেকে যায়। জল এমন একটা জিনিস, যখন মানুষ এর অপব্যবহার করেন, তখনই সঙ্কট শুরু হয়। এত বড় সৌনি প্রকল্প সফল হওয়ার পরও গুজরাটে জলের প্রয়োজন বৃষ্টি কিংবা নদীর জল দিয়ে পুরো হবে না। সেজন্য সমুদ্রের জল শোধনের মাধ্যমে মিষ্টি জলে রূপান্তরিত করার জন্য বড় প্রকল্প গড়ে তোলার প্রয়োজন হয়েছে। তেমনই একটি প্রকল্পের আজ শিলান্যাস হয়েছে। এর মানে এই দাঁড়ায় যে, জলকে ঈশ্বরের আশীর্বাদ ভেবে ব্যবহার করতে হবে। জল নষ্ট করার কোনও অধিকার গুজরাটবাসীর নেই। এই রাজ্যের সরকারকে গরিব মানুষের প্রত্যেক টাকা থেকে ২০ পয়সা জলের পেছনে খরচ করতে হয়। কারণ? জলই তো জীবন! সেজন্য কোনও প্রকল্পে স্কুলের ১ লক্ষ শ্রেণীকক্ষের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তা থেকে ১০ হাজার শ্রেণীকক্ষের টাকা জলের জন্য ব্যয় করতে হয়। তেমনই হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ টাকা থেকেও শেষ মুহূর্তে টাকা সরিয়ে জলের জন্য ব্যয় করতে হয়। অর্থাৎ, এই রাজ্যে সরকারের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান হ’ল জল। এই প্রেক্ষিতে প্রত্যেক গুজরাটবাসীকে জল সাশ্রয়ের দায়িত্ব বহন করতে হবে। কৃষকদের ড্রিপ ইরিগেশন প্রথায় চাষকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। গোটা রাজ্যে প্রতি বিন্দু জলের সঠিক ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে হবে। এবার যাঁরা কুম্ভমেলায় গিয়েছিলেন, তাঁরা ফিরে এসে সেখানকার পরিচ্ছন্নতা অভিযানের প্রশংসা করেছেন। সারা দেশে আন্দোলন গড়ে ওঠায় স্বচ্ছ ভারত অভিযান যেমন সফল হয়েছে, তেমনই গুজরাটে জল বাঁচাও আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মহাত্মা গান্ধী ১০০ বছর আগে হরিদ্বারে কুম্ভমেলায় গিয়ে কুম্ভমেলাকে পরিচ্ছন্নতার মেলায় পরিচ্ছন্নতা মেলায় পরিণত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তারপর থেকে ১০০ বছর ধরে তাঁর ইচ্ছাকে বাস্তবায়নের সদিচ্ছা কেউ দেখাননি। কিন্তু আমরা সেটা করে দেখিয়েছি। আর যেভাবে সারা দেশে স্বচ্ছ ভারত আন্দোলন সফল হয়েছে, সেভাবেই গুজরাটে জল বাঁচাও আন্দোলনকে আমরা ফল করে তুলতে পারি। আজ শিবরাত্রির পবিত্র উৎসবের দিন। নর্মদার পবিত্র জলে প্রভু শিবকে যেভাবে আপনারা অভিষেক করছেন, তেমনই পবিত্র মনে গুজরাটবাসী জল বাঁচানোর সংকল্প নিন। দেখবেন যে, অনেক বড় বিপ্লব চলে আসবে। আজ এখানে রেলের বেশ কিছু প্রকল্প উদ্বোধন করার সৌভাগ্য হয়েছে। যে গতিতে রেল উন্নয়নের কাজ চলছে, বৈদ্যুতিকীকরণ, মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজের রূপান্তরণ এবং ডবল লাইনের কাজ দ্বিগুণ গতিতে এগিয়ে চলেছে। আপনারা আমাকে চেনেন, আমার কাজের ধরণ সম্পর্কে পরিচিত বলে আপনাদের অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু দেশের বাকি অংশের মানুষ এভাবে কাজ করতে দেখে অবাক হন, আমি তাঁদেরকে বলি যে, যান, গুজরাটে গিয়ে দেখে আসুন, করতে চাইলে সব কিছু করা যায়। সদিচ্ছা থাকতে হয়। এখন সারা দেশে দ্বিগুণ গতিতে সব কাজ হচ্ছে। রেলের কাজেও গতি বেড়েছে। দ্বিগুণ গতিতে উন্নত মানের রেলের কামরা নির্মিত হচ্ছে, অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে আধুনিকীকরণ হচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প চালু করেছি। এর মাধ্যমে ৫ একর কিংবা তার কম পরিমাণ কৃষি জমির মালিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিন কিস্তিতে সরাসরি বছরে মোট ৬ হাজার টাকা কৃষি বাবদ ব্যয়ের জন্য জমা পড়বে। প্রত্যেক কৃষি ঋতুতে ২ হাজার টাকা করে সার, বীজ, পশুখাদ্য ও কীটনাশক কেনার জন্য এই অর্থ প্রদান করা হচ্ছে। আমার পূর্ববর্তীরা কৃষকদের ঋণ মকুবের নামে এমন মিথ্যার বেসাতি চালু করেছিলেন যে, কৃষক সমাজ আজও সেই ভ্রমের মোহজাল থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। ২০০৮ – ০৯ সালে সাধারণ নির্বাচনের আগে দেশের কৃষকদের মোট কৃষি ঋণ ছিল ৬ লক্ষ কোটি টাকা। ঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসে আমাদের পূর্ববর্তী সরকার সাকুল্যে ৫২ হাজার কোটি টাকা ঋণ মকুব করেছিল। আর এর অধিকাংশই পেয়েছিলেন ধনী কৃষকরা। আমরা এমন প্রকল্প এনেছি যে, প্রতি বছর দেশের কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৭৫ হাজার কোটি টাকা জমা হবে। অর্থাৎ ১০ বছরে সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকা। আর আমরা ভালোভাবেই জানি যে, দেশের গ্রামগুলিতে এই সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকা পৌঁছলে দেশের গ্রামগুলির অর্থনীতি কেমনভাবে বদলে যাবে। আগে ২০ – ২৫ শতাংশ কৃষকদের ঋণ মকুব হ’ত আর এই নতুন সুদূরপ্রসারী প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৯০ শতাংশ কৃষক উপকৃত হবেন। ভাই ও বোনেরা, কোনও রকম স্বজন-পোষণ ছাড়াই যে কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে আমরা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ মন্ত্রকে আদর্শ করে এগিয়ে চলেছি। সম্প্রতি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কৃষকরা যেসব সুবিধা পেতেন, এখন থেকে পশুপালক ও মৎস্যজীবীরাও কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এই সুবিধাগুলি পাবেন। শ্রদ্ধেয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্র��� অটল বিহারী বাজপেয়ীর শাসনকালে স্বাধীনতার পর প্রথমবার দেশের জনজাতিদের কল্যাণে একটি আলাদা বিভাগ গড়ে তোলা হয়েছিল। আমরা শাসন ক্ষমতায় এসে প্রথম মৎস্যজীবীদের জন্য একটি আলাদা বিভাগ খুলেছিলাম। আর এখন মৎস্য পালনকে আরও আধুনিক করে তুলতে বিশ্বের সমস্ত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারকে সুনিশ্চিত করতে মৎস্য পালকদের জন্য একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রক গড়ে তুলেছি। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া আমাদের মৎস্যজীবী ভাইদের কম সুদে ১৫ লক্ষ টাকা ঋণদানের ব্যবস্থা করা হ য়েছে, যাতে তাঁরা উন্নতমানের নৌকা ও মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে গভীর সমুদ্রে যেতে পারেন ও সুরক্ষিতভাবে ফিরে আসতে পারেন। আমাদের সরকারের লক্ষ্য হ’ল – ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সমস্ত গৃহহীনদের গৃহ প্রদান করা। আমরা এই লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে কাজ করে চলেছি। বিগত সরকারের পাঁচ বছরে গৃহহীনদের জন্য সারা দেশে ২৫ লক্ষ গৃহ নির্মিত হয়েছিল। আর আমরা বিগত ৫৫ মাসে ১ কোটি ৩০ লক্ষ গৃহ নির্মাণ করেছি। আর শুধু চার দেওয়াল সম্বলিত বাড়ি নয়, তাঁদেরকে বিদ্যুৎ, পানীয় জলের ব্যবস্থা, রান্নার গ্যাস সংযোগ এবং শৌচালয়েরও ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এই ধরণের প্রত্যেক আবাসনের কাছাকাছি বিদ্যালয় না থাকলে এই মানুষেরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের কিভাবে লেখাপড়া শেখাবেন, এই চিন্তা মাথায় রেখে আমরা অনেক নতুন নতুন বিদ্যালয় গড়ে তুলেছি। আমাদের এই জামনগর শহর ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নের জন্য বিখ্যাত। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক শিল্পোদ্যোগ উন্নয়ন প্রকল্প যাতে সহজে ব্যাঙ্ক ঋণ পায়, তা সুনিশ্চিত করার জন্য অনলাইনে ৫৯ মিনিটের মধ্যে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। ফলে, ঋণের জন্য মহাজন কিংবা ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের পেছনে ছুটতে হবে না, কাউকে চা-ও খাওয়াতে হবে না। এই দ্রুততার জন্যই আমরা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ – এ ১৪২তম স্থান থেকে এই অল্প সময়ের মধ্যেই ৭৭তম স্থানে উঠে এসেছে। ফলে, জামনগর – মোরবি – রাজকোট ইত্যাদি শহরে ছোট ছোট কারখানাগুলি উপকৃত হয়েছে। আমরা সারা দেশে অভিন্ন পরিষেবা কর চালু করেছি। আর দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর নাগরিকের প্রয়োজন অনুসারে এর আইনেও অনেক সংশোধনও করেছি। এছাড়া, সাধারণ ব্যবসায়ী বা উৎপাদকরা যাতে তাঁদের নির্মিত জিনিসগুলি কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকারের দপ্তরগুলিকে যাতে বিক্রি করতে পারে, সেজন্য আমরা জিইএম পো��্টাল চালু করেছি। ঐ পোর্টালে নিজেকে নথিভুক্ত করালে কোনও রকম দরপত্র বা দালালের সাহায্য ছাড়াই সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকারের দপ্তরগুলিতে আপনাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। ভাই ও বোনেরা, জনগণের শক্তি ও সামর্থের সাহায্য ছাড়া কোনও দেশ বা রাজ্য উন্নতি করতে পারে না। আমাদের গুজরাটে আগে প্রায়ই জাতিদাঙ্গা হ’ত। আমাদের এই জামনগরেও অনেক জাতিদাঙ্গা হয়েছে। কিন্তু আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে জনগণের সামর্থ্যকে রাজ্যের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করতে শুরু করায় সামগ্রিক সৌহার্দ্যের আবহ গড়ে উঠেছে। এখন সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চান। ফলে সকলের উন্নতি সুনিশ্চিত হয়েছে। এখন আপনারা বলুন, এই দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ উৎখাত করে দেওয়া উচিৎ কিনা? জামনগরবাসী উচ্চস্বরে বলুন, এই দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ উৎখাত করে দেওয়া উচিৎ কিনা? সন্ত্রাসবাদকে সমূলে উৎখাত করে ফেলে দিতে হবে। এখন কেউ জিজ্ঞেস করতে পারেন যে, এখানে চেঁচিয়ে কী হবে? যেখানে রোগ সেখানে তো চিকিৎসা করতে হবে। সন্ত্রাসবাদের শিকড় হ’ল আমাদের প্রতিবেশী দেশে। সেজন্য আমরা সেখান থেকেই সন্ত্রাসবাদকে উৎখাতের প্রচেষ্টা শুরু করেছি। ভাই ও বোনেরা, আমাদের সেনাবাহিনীর শৌর্য ও পরাক্রমের জন্য আমাদের গর্ব করা উচিৎ। আমি সম্প্রতি দিল্লিতে একটি ভাষণে বলেছি, সেনা বাহিনীর জওয়ানদের অভূতপূর্ব পরাক্রমে সমগ্র দেশবাসী গর্বিত। আমাদের কেউ আক্রমণ করলে মৃত্যু শোকে কান্নাকাটি না করে প্রতি আক্রমণ করা উচিৎ। আমাদের সেনাবাহিনী সেটা করে দেখিয়েছে। আমাদের বিমানবাহিনী তাঁদের পরাক্রম দেখিয়েছে। এখন যদি তাঁদের হাতে রাফাল বিমান থাকতো, তা হলে পরিণাম আরও অন্য কিছু হ’ত। এখন যাঁরা আমার কথা বুঝতে পারছেন না, তার জন্য আমি তো দায়ী নই। তাঁরা সেনাবাহিনীর দিকেই প্রশ্ন তুলছেন। আরে মেহেরবান, ‘সাবু’ ব্যবহার করুন, ‘সাবু’ মানে ‘সামান্য বুদ্ধি’। এয়ার স্ট্রাইকের সময় আমাদের পরাক্রমী বায়ুসেনাদের কাছে যদি রাফাল বিমান থাকতো, তা হলে আমাদের কোনও পাইলটকে শত্রুর এলাকায় প্যারাজাম্প করতে হ’ত না। আর শত্রুরও কোনও কিছু রক্ষা পেত না। কিন্তু আমাদের দেশের বীরদের প্রণাম জানাই। তাঁরা সামান্য উপকরণ নিয়েই প্রবল দেশাত্মবোধ ও সংকল্প নিয়ে আক্রমণকারীদের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদীদের নাটের গুরু য��দিন সীমান্তপারে থাকবে, ততদিন আমাদের পরাক্রমী সৈনিকরাও চুপ করে বসে থাকবেন না। আমাদের সম্মানিত বিরোধী নেতানেত্রীরা এতদিন চিৎকার করছিলেন যে, মোদী কী করছে, মোদী কী করছে? এখন দেখে নিন মোদী কী করতে পারে! আপনারা প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, সবাই মিলে মোদীকে শেষ করবেন। কিন্তু দেশবাসীর মন্ত্র হ’ল মোদীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসবাদকে সমূলে ধ্বংস করবেন। অনেক অনেক সেলাম ভাই, আমার সঙ্গে বলুন – ভারতমাতার জয় ভারতমাতার জয় ধন্যবাদ।",জামনগৰত গুৰু গোৱিন্দ সিং চিকিৎসালয় দেশবাসীৰ নামত উচৰ্গা অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A7%9F-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ২৯ আগস্ট ২০২২ জাতীয় ক্রীড়া দিবসে খেলোয়াড়দের অভিনন্দিত করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের কিংবদন্তী হকি খেলোয়াড় মেজর ধ্যানচাঁদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাও নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। এক ট্যুইট বার্তায় শ্রী মোদী বলেছেন, “জাতীয় ক্রীড়া দিবসে অভিনন্দন জানাই। মেজর ধ্যানচাঁদজির জন্মবার্ষিকীতে জানাই শ্রদ্ধা। সাম্প্রতিক বছরগুলি ক্রীড়া জগতের পক্ষে ভালো ফলদায়ক। এই ধারা অব্যাহত থাকুক। ভারতের সর্বত্র খেলাধুলা আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠুক এই কামনা জানাই।”",প্রধানমন্ত্রীয়ে ৰাষ্ট্ৰীয় ক্ৰীড়া দিৱসত খেলুৱৈসকলক অভিনন্দন জনা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E2%80%8C%E0%A6%9B-%E0%A6%B8%E0%A7%8D/,"প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনার আওতায় হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরেএকটি নতুন এইম্‌স স্থাপনের প্রস্তাবে আজ সম্মতি জানাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ১,৩৫১ কোটি টাকার এই নির্মাণপ্রকল্পটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের বৈশিষ্ট্যগুলি হল : · এইম্‌স স্থাপনের কাজ সম্পূর্ণ হবে কাজ শুরু করার ৪বছরের মধ্যে। প্রাক্‌-নির্মাণ পর্যায়ের কাজকর্মের জন্য নির্দিষ্ট হয়েছে ১ বছর,নির্মাণ কাজ চলবে ২.৫ বছর ধরে এবং এটি চালু করতে সময় লাগবে আরও ৬ মাস। · এই প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা হবে ৭৫০ শয্যাবিশিষ্ট একহাসপাতাল যেখানে ট্রমা সেন্টারের সুযোগ-সুবিধাও যুক্ত থাকবে। · প্রতি বছর এমবিবিএস পঠন-পাঠনের জন্য ১০০ জনছাত্রছাত্রী ভর্তির সুযোগ পেতে পারেন, এ ধরনের একটি মেডিকেল কলেজও গড়ে তোলা হবেএইম্‌স-এর মধ্যে। · এখানে থাকবে একটি নার্সিং কলেজও। প্রতি বছর এইকলেজে পড়ার সুযোগ পাবেন ৬০ জন বিএসসি (নার্সিং) পড়ুয়া। · এইম্‌স নয়াদিল্লির আদলে এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক,চিকিৎসক এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য থাকার ব্যবস্থাও রাখা হবে। এজন্য গড়ে তোলা হবেএকটি আবাসিক কমপ্লেক্স যেখানে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধারও ব্যবস্থা থাকবে। · ২০-টির মতো স্পেশালিটি এবং সুপার স্পেশালিটি দপ্তরখোলা হবে এই হাসপাতালে। থাকবে, ১৫-টি অপারেশন থিয়েটারও। · ৩০ শয্যাবিশিষ্ট একটি আয়ুষ চিকিৎসাকেন্দ্রেরও ব্যবস্থাথাকবে নতুন প্রতিষ্ঠানটিতে। সুপ্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থার সাহায্যে রোগীদের সুস্থকরে তোলার জন্য সমস্তরকম সুযোগ-সুবিধাও যুক্ত থাকবে সেখানে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনার আওতায়ইতিমধ্যেই এইম্‌স স্থাপিত হয়েছে ভুবনেশ্বর, ভোপাল, রায়পুর, যোধপুর, ঋষিকেশ এবংপাটনায়। অন্যদিকে, রায়বেরিলিতে এইম্‌স নির্মাণের কাজও বর্তমানে এগিয়ে চলেছে। এছাড়াও,২০১৫ সালে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মহারাষ্ট্রের নাগপুর, পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী এবংঅন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের মঙ্গলাগিরিতে একটি করে এইম্‌স স্থাপনের। ২০১৬-তেভাতিন্ডা ও গোরখপুরে দুটি এবং অসমের কামরূপে একটি এইম্‌স স্থাপনের প্রস্তাবেসম্মতি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। /",বিলাসপুৰত নতুন এইম্‌ছ স্থাপনত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%B2-%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%A4/,"নয়াদিল্লি, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ইটালির সাধারণ নির্বাচনে জর্জিয়া মেলনি’র দল ফ্রাতেলি ডিল্টাইয়া জয়ের পথে এগিয়ে যাওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেছেন: “জর্জিয়া মেলনি, আপনার দল ফ্রাতেলি ডিল্টাইয়া ইটালির সাধারণ নির্বাচনে জয়ের পথে এগিয়ে যাওয়ায় অভিনন্দন জানাই। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করে তোলার লক্ষ্যে আপনার সাথে একসঙ্গে কাজ করে যাওয়ার জন্য আমি আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছি।”",ইটালীৰ সাধাৰণ নিৰ্বাচনত ফ্ৰাটেলি ডি’ইটালিয়াক বিজয়ৰ দিশে আগুৱাই নিয়াৰ বাবে জিঅৰ্জিয়া মেলোনিক অভিনন্দন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%82%E0%A6%95/,"ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্ক বা আইপিপিবি গড়ে তোলার ব্যাপারে প্রকল্প বরাদ্দ ৮০০ কোটি টাকা থেকে সংশোধন করে ১,৪৩৫ কোটি টাকা করার বিষয়টি আজ অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে আজ (২৯ আগস্ট, ২০১৮) কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকটি হয়। সংশোধিত হিসেবে যে অতিরিক্ত ৬৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে তার মধ্যে ৪০০ কোটি টাকা প্রযুক্তি সংক্রান্ত মূল্যের জন্য খরচ হবে এবং বাদবাকি ২৩৫ কোটি টাকা মানবসম্পদে খরচ করা হবে। প্রসঙ্গত, আইপিপিবি পরিষেবা আগামী পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে ৬৫০টি আইপিপিবি শাখা এবং ৩২৫০টি অ্যাক্সেস পয়েন্টে পাওয়া যাবে। এ বছর ডিসেম্বর নাগাদ ১.৫৫ লক্ষ ডাকঘরেও এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। এই পরিষেবা চালু হলে সারা দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বাড়বে প্রায় ৩,৫০০ দক্ষ ব্যাঙ্ক পেশাদারের জন্য। এই পরিষেবা চালু করার মূল লক্ষ্য হল সাধারণ মানুষের জন্য কম খরচায় বিশ্বাসযোগ্য ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার সন্ধান দেওয়া। পাশাপাশি, প্রকল্পটিতে সরকারের ‘কম নগদ’ অর্থনীতির দর্শনও গুরুত্ব পাবে বহুলাংশে।",ইণ্ডিয়ান পোষ্ট দেনা বেংক স্থাপনৰ বাবে সংশোধিত আনুমানিক ব্যয়ত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%8B-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A6%B2/,"নয়াদিল্লি, ০৭ মার্চ, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি মিঃ ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি ও আলোচনার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি বিস্তারিতভাবে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। শ্রী মোদী বর্তমান সংঘর্ষ ও তার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত মানব সভ্যতার সঙ্কট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আবারও হিংসার পথ ত���যাগ করতে বলেন। যে কোনও বিষয়ের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও উভয় পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনার ক্ষেত্রে ভারত সবসময় পাশে রয়েছে বলে তিনি জানান । প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেন থেকে ২০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনার কাজে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান। সেদেশে এখনও যেসব ভারতীয় ছাত্রছাত্রী রয়েছেন, তিনি তাঁদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি তাঁদের দ্রুত নিরাপদে ফিরিয়ে আনার উপর গুরুত্ব দেন।",ইউক্ৰেইনৰ ৰাষ্ট্ৰপতি ভ’ল’ডিমিৰ জেলেনস্কীৰ সৈতে বাৰ্তালাপ প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A6%B6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লি, ০১ জুন, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ী বক্সার নিখাত জারিন, মণীষা মৌন এবং পারভিন হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “@nikhat_zareen, @BoxerMoun এবং পরভিন হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অত্যন্ত আনন্দিত। এরা মহিলা বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ী হয়ে ভারতকে গর্বিত করেছেন। খেলাধুলোর প্রতি আগ্রহ এবং জীবনযাত্রার বিভিন্ন দিক নিয়ে আমাদের মধ্যে খোলামেলা কথা হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রচেষ্টার জন্য তাঁদের শুভেচ্ছা জানাই”।",বিশ্ব বক্সিং চেম্পিয়নশ্বিপৰ বিজয়ী মহিলা বক্সাৰসকলক সাক্ষাৎ প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A7%9F-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A7%B1%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE/,"বাহে গুরুজি কা খালসা … বাহে গুরুজি কি ফতেহ্‌ !! দেশের নানা প্রান্ত থেকে সমাগত সকল সম্মানিতদের আমি স্বাগত জানাই। আপনাদের সকলকে, গোটা দেশকে লোহরি উৎসব উপলক্ষে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এই উৎসব বিশেষ করে, আমাদের দেশের অন্নদাতা সাথীদের ফসল কাটার ঋতুর উৎসব, অনন্ত খুশির উৎসব হয়ে উঠুক, এই মঙ্গলকামনা করি। বন্ধুগণ, আজ দেশ গুরু গোবিন্দ সিং-এর প্রকাশ পর্ব পালন করছে। খালসা পন্থের স্রষ্টা, মানবতার রক্ষাকর্তা, মানবিক মূল্যবোধের প্রতি সমর্পিত শ্রদ্ধেয় গুরু গোবিন্দ সিং-কে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম। দেশ ও বিশ্বের সর্বত্র বসবাসকারী শিখ পন্থাবলম্বী এবং ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি সমর্পিত প্রাণ প্রত্যেক ব্যক্তিকে শুভেচ্ছা জানাই। বন্ধুগণ, গত বছর আমরা গুরু গোবিন্দ সিং-এর ৩৫০তম জন্মজয়ন্তী বর্ষ পালন করেছি। শিখ পন্থার এই গুরুত্বপূর্ণ উৎসবকে স্মরণীয় করে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে ৩৫০ টাকা মূল্যের স্মারক মুদ্রা সমর্পণ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এমনিতে আমাদের হৃদয়ে শত শত বছর ধরেই গুরু গোবিন্দ সিং-এর প্রভাব রয়েছে, আগামী অনেক শতাব্দীকাল ধরে তাঁর প্রভাব থাকবেও। তাঁর আদর্শ ও মূল্যবোধ আমাদের জীবনকে একইভাবে প্রেরণা যুগিয়ে যাবে, দেশবাসীর পক্ষ থেকে তাঁর স্মৃতিকে অবিনশ্বর করে রাখার জন্য এটা আমাদের ছোট্ট প্রচেষ্টা। বন্ধুগণ, শ্রদ্ধেয় শ্রী গুরু গোবিন্দ সিং-এর ব্যক্তিত্ব অনেক দর্শনের সঙ্গমে গড়ে উঠেছে। তিনি গুরু তো ছিলেনই, একজন শ্রেষ্ঠ ভক্তও ছিলেন। তিনি যত ভালো যোদ্ধা ছিলেন, তত ভালো কবি ও সাহিত্য স্রষ্টা ছিলেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি যতটা অনমনীয় ছিলেন, ততটাই শান্তির জন্য আগ্রহী ছিলেন। মানবতা, রাষ্ট্র ও ধর্ম রক্ষার জন্য, তাঁর আত্মবলিদানের কথা সারা পৃথিবী জানে। ইন পুত্রন কে কারণ, ওয়ার দিয়ে সুত চার । চার মুয়ে তো ক্যায়া হুয়া, জীবিত কই হাজার ।। হাজারো সন্তানের রক্ষার জন্য যিনি নিজের সন্তান তথা বংশধরদের বলিপ্রদত্ত করেছেন, দেশ ও ধর্মকে রক্ষা করার জন্য ত্যাগ ও বলিদানের এর থেকে বড় উদাহরণ কী হাতে পারে! বন্ধুগণ, অসীম বীরত্বের পাশাপাশি তাঁর ধৈর্য্যশক্তি ছিল অদ্ভুত। তিনি সংঘর্ষ করতেন কিন্তু অতুলনীয় ত্যাগের পরাকাষ্টা ছিলেন। তিনি অন্যায় ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়তেন। তিনি মানুষের মধ্যে উঁচু-নিচু, জাতপাতের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আমাদের নতুন ভারত নির্মাণের ক্ষেত্রে এসব মূল্যবোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বন্ধুগণ, গুরু গোবিন্দ সিং জ্ঞানকে কেন্দ্রে রেখে নিজে সংকলন করা ‘গুরু গ্রন্থ সাহিব’-এর প্রতিটি শব্দকে জীবনের মন্ত্র করে নিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে এখন থেকে ‘গুরু গ্রন্থ সাহিব’ এবং এর প্রতিটি শব্দ যুগ যুগ ধরে আমাদের প্রেরণা যোগাবে। ‘পঞ্চ প্যায়ারে’ এবং ‘খালসা পন্থ’-এর রচনায়ও সমগ্র ভারতকে ঐক্যসূত্রে বাধার প্রচেষ্টা ছিল। গুরু গোবিন্দ সিং-এর দীর্ঘ সময়ের মনন-চিন্তন এবং অধ্যয়নের পরিণামে খালসা পন্থের বিকাশ ঘটেছিল। তিনি বেদ, পুরাণ এবং অন্��ান্য প্রাচীন গ্রন্থ পাঠ করেছেন। গুরু নানক দেব থেকে শুরু করে তেগ বাহাদুর পর্যন্ত শিখ পন্থের পরম্পরা এবং মোঘল শাসনকালে শিখ পন্থের ইতিহাস সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত জানতেন। দেশ-সমাজে ঘটমান প্রতিটি ঘটনা সম্পর্কে তিনি নিজের মতামত লিপিবদ্ধ করেছেন। বন্ধুগণ, আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো ‘শ্রী দশম গ্রন্থ সাহেব’ পড়েছেন। ভাষা এবং সাহিত্যে তাঁর অদ্ভুত দখল ছিল। জীবনের প্রতিটি রসের ব্যাখ্যা তিনি এমনভাবে করেছে যে এই গ্রন্থের শিক্ষা সাধারণ মানুষের হৃদয় স্পর্শ করে। এর রচনাশৈলী, অলঙ্কার, ছন্দ ও প্রবাহ মন্ত্রমুগ্ধ করার মতো। ভারতীয় ভাষাগুলি সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান এবং শেখার আগ্রহ ছিল অতুলনীয়। বন্ধুগণ, শ্রদ্ধেয় গোবিন্দ সিং-এর কাব্য ভারতীয় সংস্কৃতির রূপরেখা, দেশের আধ্যাত্মিক জীবন দর্শনের সরল অভিব্যক্তি। তাঁর ব্যক্তিত্ব যেমন বহুমাত্রিক ছিল, তেমনই তাঁর কাব্যও অনেক এবং বিবিধ বিষয়কে ধারণা করে এবং প্রেরণা যোগায়। বন্ধুগণ, যে কোন দেশের সংস্কৃতি সে দেশের মহিমাকে উজ্জ্বল করে, সমৃদ্ধ করে এবং এর প্রচার-প্রসার করা সর্বদাই বিশ্বের শক্তিশালী সভ্যতাগুলির অগ্রাধিকার ছিল। বিগত সারে চার বছর ধরে আমাদের দেশ সেই প্রচেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতের যে সাংস্কৃতিক জ্ঞানের ঐতিহ্য রয়েছে, তাকে বিশ্বের সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। যোগ থেকে শুরু করে আয়ুর্বেদ পর্যন্ত আমাদের সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠাকে পুনঃস্থাপিত করার ক্ষেত্রে আমারা সফল হয়েছি। এই প্রক্রিয়া নিরন্তর জারি রয়েছে। বন্ধুগণ, বিশ্ববাসীর আরোগ্য, সমৃদ্ধি এবং শান্তি কামনা করে আমাদের ঋষি, মুনি ও গুরুরা যে শিক্ষা দিয়ে গেছেন, চেষ্টা করা হচ্ছে সেগুলি থেকে যেন বিশ্ববাসী উপকৃত হতে পারেন। আমরা গুরু গোবিন্দ সিং-এর ৩৫০তম জন্মজয়ন্তী বর্ষ মহাড়ম্বরে পালন করেছি, এখন গুরু নানক দেবের ৫৫০তম জন্মজয়ন্তী সমারোহের প্রস্তুতিও চলছে। এটা আমাদের সরকারের সৌভাগ্য যে আমরা এই পবিত্র সমারোহের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিশেষ সুযোগ পেয়েছি। কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই প্রকাশোৎসব দেশের সকল রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে উদযাপনের পাশাপাশি সারা পৃথিবীতে আমাদের ভারতীয় দুতাবাসগুলিতেও পালন করা হবে। শুধু তাই নয়, আপনারা জেনেছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের অভূতপূর্ব প্রচেষ্টার ফলে করতারপুর করিডর গড়ে উঠছে। এখন গুরু নানকের প্রদর্শিত পথের অনুসারী প্রত্যেক ভারতীয়, প্রত্যেক শিখ, দূরবীনে না দেখে কোনরকম ভিসা ছাড়াই সশরীরে নারোয়াল গিয়ে গুরুদ্বার দরবার সাহিব দর্শন করতে পারবেন। ১৯৪৭-এর আগস্টে যে ভুল হয়েছিল, এটি তার প্রায়শ্চিত্য। আমাদের গুরুর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূর রয়ে গেছে, আমাদের সঙ্গে নেওয়া হয়নি। এই করিডর সেই লোকসানকে কম করার একটি উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা। বন্ধুগণ, গুরু গোবিন্দ সিং হোন কিংবা গুরু নানক দেব, আমাদের প্রত্যেক গুরু ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর শিক্ষা দিয়েছেন। তাঁদের প্রদর্শিত পথেই আজ কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৮৪-তে হওয়া অন্যায়ের সুবিচার পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দশকের পর দশককাল ধরে আমাদের মা-বোনেদের ছেলে-মেয়েরা যে অশ্রুপাত করে চলেছেন তা মোছার কাজ, তাঁদের সুবিচার পাওয়ানোর দায়িত্ব এখন দেশের বিচার বিভাগ পালন করবে। বন্ধুগণ, আজকের এই পবিত্র দিনে আরেকবার গুরু গোবিন্দ সিং-এর প্রদর্শিত ১১ সূত্রীয় পথে চলার প্রয়োজন রয়েছে। আজ যখন ভারত একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র রূপে স্থাপিত হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে, তখন ভারতীয় ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজন রয়েছে। আমার বিশ্বাস যে, আমরা সকল গুরুর প্রদর্শিত পথে আমাদের নতুন ভারতের সঙ্কল্পকে আরও শক্তিশালী করতে পারব। আরও একবার আপনাদের সবাইকে প্রকাশ পর্ব উপলক্ষে অভিনন্দন জানাই। আপনাদের জন্য নতুন বছর অনেক খুশি নিয়ে আসুক, এই কামনা নিয়ে – জো বোলে, সো নিহাল ! … সৎ শ্রী অকাল !",গুৰু গোৱিন্দ সিংজীৰ জন্মবাৰ্ষিকীত স্মাৰক মুদ্ৰা মুকলি অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,"নয়াদিল্লী, ২৫ অক্টোবর, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশন-এর সূচনা করেছেন। এদিন তিনি বারণসীর জন্য প্রায় ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ ডঃ মান্ডভিয়া, ডঃ মহেন্দ্র নাথ পান্ডে সহ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং জনপ্রতিনিধিরা। সমাবেশের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানান, করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশ ১০০ টিকার ডোজ দেওয়ার একটি বড় মাইলফলক অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, “বাবা বিশ্বনাথের আর্শিবাদে, মা গঙ্গার অটুট মহিমায়, কাশীবাসির অটল বিশ্বাসের সঙ্গে সবার জন্য বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার অভিযান সফলভাবে এগিয়ে চলেছে।” প্রধানমন্ত্রী দুঃখপ্রকাশ করে জনান যে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দেশে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়া হয়নি। এরজন্য নাগরিকদের যথাযথ চিকিৎসা করাতে এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে ছুটে বেড়াতে হয়েছে। ফলে রোগীর অবস্থার অবনতি হয়েছে এবং আর্থিক চাপ বেড়েছে। মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র মানুষের হৃদ রোগের চিকিৎসা নিয়ে ক্রমাগত উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যে সরকার দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় ছিল, তারা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সার্বিক উন্নয়নের পরিবর্তে সাধারণ মানুষকে এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখেছিল। শ্রী মোদী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশনের লক্ষ্য হল এই ঘাটতি পূরণ করা। আগামী ৪-৫ বছরে গ্রাম থেকে ব্লক, জেলা থেকে অঞ্চল এবং জাতীয় স্তরে জটিল স্বাস্থ্য পরিষেবা শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করে তোলায় হল এর প্রধান উদ্দেশ্য। এই নতুন মিশনের আওতায় সরকারের গৃহীত উদ্যোগের কথা বর্ণানা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিভিন্ন ঘাটতি মেটাতে আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশনের তিনটি প্রধান দিক রয়েছে। প্রথমটি হল রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য বিস্তৃত সুবিধা তৈরি করা। এর আওতায় গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্রই স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। সেখানে রোগের প্রাথমিক লক্ষ্যণ শনাক্তকরণে সুবিধা থাকবে। এই কেন্দ্রগুলিতে বিনামূল্যে চিকিৎসা, পরামর্শ, বিনামূল্যে পরীক্ষা, বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়ার মতো সুবিধা মিলবে। গুরুতর অসুস্থতার জন্য ৬০০টি জেলায় ৩৫ হাজার নতুন ক্রিটিক্যাল কেয়ার শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পের দ্বিতীয় দিকটি হল রোগ নির্ণয়নের জন্য পরীক্ষার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। এই মিশনের আওতায় রোগ নির্ণয় ও পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। দেশের ৭৩০টি জেলায় জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগার এবং ৩ হাজারটি ব্লকে জনস্বাস্থ্য ইউনিট গড়ে তোলা হবে। এছাড়াও ৫টি আঞ্চলিক জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কে���্দ্র, ২০টি মেট্রোপলিটন ইউনিট এবং ১৫টি বিএসএল পরীক্ষাগার এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। শ্রী মোদী বলেন, এই মিশনের তৃতীয় দিকটি হল গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ। এই গবেষণাগারগুলি মহামারী বিষয়ে গবেষণার কাজ চালবে। পাশাপাশি বর্তমান ৮০টি ভাইরাল ডায়গনেস্টিক এবং গবেষণা পরীক্ষাগারকে শক্তিশালী করে তোলা হবে। ১৫টি জৈব নিরাপত্তা স্তরীয় পরীক্ষাগার চালু করা হবে। এছাড়াও ৪টি নতুন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজি ও একটি জাতীয় স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডাব্লুএইচও-এর আঞ্চলিক গবেষণা প্ল্যাটফর্মও এই নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করে তুলবে বলেও মতপ্রকাশ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানান, “এর অর্থই হল প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশনের মাধ্যমে চিকিৎসা থেকে জটিল গবেষণা পর্যন্ত পরিষেবাগুলির জন্য দেশের প্রতিটি প্রান্তে একটি সম্পূর্ণ ইকো ব্যবস্থাপনা তৈরি করা হবে।” প্রধানমন্ত্রী এই ব্যবস্থাপনায় কর্মসংস্থানের সম্ভাবনার দিক তুলে ধরে জানান, প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো হল স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের পাশাপাশি একটি আত্মনির্ভরতার অন্যতম মাধ্যম। শ্রী মোদী বলেন, সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য অর্জনে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে সকলে সাশ্রয়ী মূল্যে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন। স্বচ্ছ ভারত মিশন, জল জীবন মিশন, উজ্জ্বলা যোজনা, পোষণ অভিযান, মিশন ইন্দ্রধনুষের মতো প্রকল্পগুলি কোটি কোটি মানুষকে রোগ থেকে বাঁচিয়েছে বলেও তিনি জানান। আয়ুষ্মান ভারত যোজনার আওতায় ২ কোটিরও বেশি দরিদ্র মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশনের মাধ্যমে অনেকের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা গেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন কেন্দ্রে এবং উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে এমন এক সরকার রয়েছে যা দরিদ্র, নিপীড়িত, অনগ্রসর শ্রেণী এবং মধ্যবিত্তের ব্যাথা-বেদনা বোঝে। শ্রী মোদী বলেন, দেশে স্বাস্থ্য সুবিধার উন্নতি সাধনে সরকার দিন-রাত কাজ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, উত্তরপ্রদেশে যে গতিতে নতুন মেডিকেল কলেজ খোলা হচ্ছে তা রাজ্যে মেডিকেল পড়ুয়াদের আসন সংখ্যা পূরণ করবে এবং প্রচুর পরিমাণে চিকিৎসক পাওয়া যাবে। এখন দরিদ্র পিতা-মাতারা সন্তানদের চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন থেকে বঞ্চিত হবেন না। পবিত্র শহর কাশীর অতি দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, শহরের পরিকাঠামোগত করুণ অবস্থার জন্য সাধারণ মানুষ এখান থেকে প্রায় অন্যত্র চলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে। কাশীর হৃদয় ও মন একই রয়েছে, শুধু শরীরে উন্নতি সাধন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “গত ৭ বছরে বারাণসীতে যে কাজ হয়েছে তা গত কয়েক দশকে করা হয়নি।” প্রধানমন্ত্রী বিগত বছরে কাশীর অন্যতম প্রধান সাফল্য বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি হিসেবে বিশ্বব্যাপি শ্রেষ্ঠত্বের দিকের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আজ প্রযুক্তি থেকে স্বাস্থ্য, বিএইচইউ-তে অভূতপূর্ব সুবিধা তৈরি হয়েছে। সারা দেশ থেকে তরুণ বন্ধুরা এখানে পড়াশোনার জন্য আসছেন।” বারাণসীতে গত ৫ বছরে খাদি এবং অন্যান্য কুটির শিল্পের পণ্য বিক্রি ৯০ শতাংশ এবং উৎপাদন ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী পুনরায় দেশবাসীকে স্থানীয় পণ্যের বিষয়ে প্রচার ও সোচ্চার- ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, স্থানীয় পণ্যের অর্থ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু পণ্যকে তুলে ধরা নয়, দেশবাসীর কঠোর পরিশ্রমের ফল হিসেবে যেকোন উৎপাদিত পণ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। তাই উৎসবের মরশুমে এই বিষয়ে প্রচার ও প্রসারের জন্য দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানান তিনি।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰধানমন্ত্ৰী আয়ুষ্মান ভাৰত স্বাস্থ্য আন্তঃগাঁথনি অভিযান আৰম্ভ কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%82%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%9A%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আমেদাবাদে বৃহস্পতিবার অত্যাধুনিক সুপার স্পেশালিটি সরকারি হাসপাতাল- সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল চিকিৎসা বিজ্ঞান ও গবেষনা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। আমেদাবাদ পুরনিগম নির্মিত ৭৮ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটিতে ১ হাজার ৫০০টি রোগি-শয্যা সহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই হাসপাতালের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ঘুরে দেখেন। বিশ্বমানের হাসপাতাল নির্মাণে আমেদাবাদ পুরনিগমে��� ভূমিকার উচ্ছসিত প্রশংসা করে বলেন, ‘আমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল চিকিৎসা বিজ্ঞান ও গবেষনা প্রতিষ্ঠানটি দেশের অন্যান্য সরকারি হাসপাতালগুলির কাছে আদর্শ বা মডেল হয়ে উঠবে’। ৭৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১৮ তল বিশিষ্ট এই হাসপাতালটিতে সুলভ মূল্যে বিশ্বমানেরচিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে। আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির সঙ্গে এই হাসপাতালটিকে যুক্ত করা হয়েছে। এই উপলক্ষে এক জনসভায় শ্রী মোদী আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির উল্লেখ করে বলেন, ‘এই কর্মসূচির জন্যই ছোট শহরগুলিতেও নতুন হাসপাতাল নির্মাণের চাহিদা বাড়ছে। দ্রুত নতুন হাসপাতাল গড়ে তোলা হচ্ছে, চিকিৎসক ও আধা-চিকিৎসক কর্মীর চাহিদা বাড়ছে এবং এরফলে স্বাস্হ্য পরিচর্যা ক্ষেত্রে যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মসংস্হানের নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে’। শ্রী মোদী আরও বলেন, বিগত চার বছরে দেশে স্বাস্হ্য পরিষেবা প্রদানের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে। সেইসঙ্গে চিকিৎসা শিক্ষারও বিস্তার ঘটেছে। এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের স্বাস্হ্য পরিষেবা পাওয়ার চাহিদা পূরণে ব্যাপক সাহায্য করছে। গরিব মানুষের উদ্বেগ এবং তাদের কল্যাণে এই উদ্বেগগুলি দূরীকরণের বিষয়টি সর্বাগ্রে থাকে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সর্বদাই গরীব মানুষের পাশে রয়েছে। এদের স্বার্থেই স্বাস্হ্য পরিচর্যা পরিষেবার সম্প্রসারণ ঘটানো হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী জনঔষধী যোজনার মাধ্যমে কম দামে জেনেরিক ওষুধপত্রের সংস্হান করা হচ্ছে। এগুলি সবই সরকারের কল্যাণমূলক উদ্যোগের প্রতিফলন। সারা দেশে প্রায় ৫ হাজার প্রধানমন্ত্রী জনঔষধী কেন্দ্র চালু করা হয়েছে’। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সকলের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদানে সরকার অঙ্গিকারবদ্ধ এবং সাধারণ শ্রেণীভুক্ত দরিদ্র মানুষের স্বার্থে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ এই লক্ষ্যেই একটি পদক্ষেপ। সাধারণ শ্রেণীভুক্ত দরিদ্র মানুষের ১০ শতাংশ সংরক্ষণের লক্ষ্যপূরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির আসন সংখ্যা ১০ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে। সরকারি চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ শ্রেণীভুক্ত দরিদ্র মানুষের স্বার্থে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত রূপায়ণের যে পরিকল্পনা গুজরাট সরকার নিয়েছে, শ্রী মোদী তার প্রশংসা করেন। সংরক্ষণ বলবৎ করার ক্ষেত্রে গুজরাটই দেশের প্রথম রাজ্য হয়ে উঠেছে। হালকা মেজাজে প্রধানমন্ত���রী বলেন, ইংরাজি নববর্ষে এটাই তাঁর প্রথম গুজরাট সফর। এই সফর এমন এক উৎসবের মরশুমে হচ্ছে, যখন আমেদাবাদবাসীদের স্বার্থে স্বাস্হ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে এ ধরণের একটি আধুনিক হাসপাতাল উৎসর্গ করার চেয়ে আর ভালো সময় হতে পারে না। দেশের হাতে গোনা কয়েকটি পুর নিগমে বিশ্ব মানের এ ধরণের স্বাস্হ্য পরিষেবা ব্যবস্হা প্রদানে এগিয়ে এসেছে। আমেদাবাদের মহানাগরিক হিসাবে সর্দার প্যাটেলর ভূমিকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্হ্য, অনাময় এবং পরিস্কার পরিছ্ন্নতার ক্ষেত্রে তাঁর প্রয়াস দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। সকলের সমান সুযোগ-সুবিধা ও উন্নতির লক্ষ্যে তাঁর প্রতিশ্রূতির কথা পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিয়ে‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’– এই মন্ত্রেই নতুন ভারত গড়ে তোলা সম্ভব বলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শেষ করেন। /",আহমেদাবাদত অত্যাধূনিক চৰ্দাৰ বল্লভভাই পেটেল চিকিৎসা বিজ্ঞান প্ৰতিষ্ঠান উদ্বোধন কৰি প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ক’লে চৰকাৰে দুখীয়াসকলৰ কাষত থকাৰ লগতে চিকিৎসা সেৱাৰ সুবিধা বৃদ্ধিত গুৰুত্ব আৰোপ কৰিছে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%9F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মনোহর পারিকরের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “শ্রী মনোহর পারিকর ছিলেন এক অতুলনীয় নেতা। এক প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও ব্যতিক্রমী প্রশাসক যিনি সকলের কাছেই প্রশংসা পেতেন। জাতির প্রতি অক্লান্ত সেবার জন্য প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাঁকে মনে রাখবে। তাঁর প্রয়াণে গভীর শোকাহত। তাঁর পরিবার ও অনুগামীদের প্রতি সমবেদনা জানাই। ওম শান্তি। শ্রী মনোহর পারিকর ছিলেন আধুনিক গোয়ার প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর অমায়িক ব্যক্তিত্ব এবং সব মানুষের কাছে সহজে পৌঁছে যাওয়ার সহজাত ক্ষমতার জন্য বহু বছর ধরে তিনি এই রাজ্যের জনপ্রিয় নেতা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তাঁর জনস্বার্থমূলক নীতি, গোয়াকে অগ্রগতির এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। মনোহর পারিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর একাধিক সিদ্ধান্তের ফলে দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি ছাড়াও, দেশজ পদ্ধতিতে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর উৎপাদন বৃদ্ধি তথা প্রাক্তন সেনাকর্মীদের কল্যাণের মতো বিষয়গুলি দেশ প্রত্যক্ষ করেছিল।” /",শ্ৰী মনোহৰ পাৰিকৰৰ মৃত্যুত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ গভীৰ শোক প্ৰকাশ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%A3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%AC/,ভারত ও রোয়ান্ডার মধ্যে বাণিজ্যমূলক সহযোগিতার কাঠামো গড়ে তোলার বিষয়টিতে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এ বছর ২৩শে জুলাই বাণিজ্য সংক্রান্ত সহযোগিতামূলক কাঠামোটি স্বাক্ষরিত হয়। এই কাঠামো দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও সুসংহত করবে।,ভাৰত আৰু ৰুৱাণ্ডাৰ মাজত বাণিজ্য সহযোগিতা পৰিকাঠামোত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/pms-meeting-with-the-president-of-guyana-on-the-sidelines-of-17th-pravasi-bhartiya-divas/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A6%E0%A6%B6-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%A6-2/,"নয়াদিল্লি, ৯ জানুয়ারি, ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ইন্দোরে অনুষ্ঠিত সপ্তদশ প্রবাসী ভারতীয় দিবসের অবকাশে গায়ানার রাষ্ট্রপতি ডঃ মোহামেদ ইরফান আলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সপ্তদশ প্রবাসী ভারতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শ্রী আলি ৮-১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি সফরে ভারতে এসেছেন। বৈঠকে উভয় নেতা জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, পরিকাঠামো উন্নয়ন, ওষুধ উৎপাদন, স্বাস্থ্যক্ষেত্র, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা সহ বিভিন্ন বিষয়ে সর্বাঙ্গীণ এক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা ভারত ও গায়ানার জনসাধারণের মধ্যে ১৮০ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেন এবং আগামীদিনে এই সম্পর্ককে আরও মজবুত করার বিষয়ে সহমত পোষণ করেন। রাষ্ট্রপতি আলি ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি ১০ জানুয়ারি প্রবাসী ভারতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন। এই অনুষ্ঠানে প্রবাসী ভারতীয় সম্মান পুরস্কার প্রদান করা হবে। ডঃ আলি ১১ জানুয়ারি ইন্দোরে বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের এক সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন। তিনি ইন্দোর ছাড়াও দিল্লি, কানপুর, ব্যাঙ্গালোর ও মুম্বাই সফর করবেন। /",সপ্তদশ প্ৰবাসী ভাৰতীয় দিৱসৰ সময়ত গিয়েনাৰ ৰাষ্ট্ৰপতিৰ সৈতে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ বৈঠ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%85%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল (১৯শে অক্টোবর,২০১৮) মহারাষ্ট্রের শিরডি সফরে যাবেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে শ্রী সাইবাবা সংস্থান ট্রাস্টের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের শিলান্যাস করবেন। শ্রী সাইবাবা সমাধির শতবর্ষ উপলক্ষে একটি রৌপ্য মুদ্রারও তিনি আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করবেন। এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মহারাষ্ট্রে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা – গ্রামীণ’ (পিএমএওয়াই-জি)-র সুবিধাপ্রাপ্তদের হাতে গৃহপ্রবেশের সূচক হিসেবে ঘরের চাবি তুলে দেবেন। জনসভায় তিনি ভাষণও দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী সাইবাবা সমাধি মন্দির ভবনও পরিদর্শন করবেন। /",১৯ অক্টোবৰত মহাৰাষ্ট্ৰৰ ছিৰ্দি ভ্ৰমণ কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4/,"মঞ্চে উপস্থিত আমার মন্ত্রিমণ্ডলের সহযোগী ডঃ মহেশ শর্মা মহোদয়, শ্রী কিরেণ রিজুজুজি, ইন্টারন্যাশনাল বৌদ্ধিস্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব ডঃ ধম্মপিয়েজি এবং সারা দেশ থেকে আগত ভক্তগণ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ, আমাদের দেশে মন্ত্রশক্তির একটা মর্যাদা রয়েছে। আর যখন আমরা সবাই একসঙ্গে একই জায়গায় থেকে সহস্র মন-মস্তিষ্ক একসঙ্গে মন্ত্র জপ করি, তখন যে মিলিত প্রাণশক্তির প্রকাশ ঘটে, আমরা সবাই এখানে সেই শক্তি-মণ্ডলকে অনুভব করছি। চোখ খুললে পরস্পরকে দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষে ও তন্ত্রিকায় এখানে যে ভগবান বুদ্ধের নামজপ হচ্ছে, তার অনুরণন আমরা সবাই অনুভব করছি। ভগবান বুদ্ধের প্রতি আমাদের যে ভাব ও ভক্তি, তা শব্দ দিয়ে বর্ণনা করা যাবে না। মানুষ যেমন মন্ত্র দ্বারা মুগ্ধ হয়, আমরা তেমনই বুদ্ধে বিমুগ্ধ। আমার সৌভাগ্য যে, আজ বুদ্ধ পূর্ণিমার এই পবিত্র দিনে আপনাদের সবার মাঝে আসার ও বিশেষ করে সকল ধর্মগুরুর আশীর্বাদ গ্রহণের সৌভাগ্য হয়েছে। একটু আগেই আমাদের মহেশ শর্মাজি এবং কিরেণ রিজিজুজি বলছিলেন যে, দ্বিতীয়বার আমি এখানে এসেছি। গত বছরও আসতাম , কিন্তু গত বছর আমি এই পুণ্য দিনে শ্রীলঙ্কায় ���কটি আন্তর্জাতিক সমারোহে প্রধান অতিথি রূপে আমন্ত্রিত ছিলাম। গতবার শ্রীলঙ্কার জনগণ, সেদেশের সরকার এবং সারা পৃথিবী থেকে সমাগত বৌদ্ধ ধর্মগুরুদের মাঝে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। আমরা সবাই ব্যস্ত মানুষ অনেক অনেক দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু এই ব্যস্ততার মধ্যেও জীবনের কিছু মুহূর্ত ভগবান বুদ্ধের নামজপ করলে আমরা ধন্য হতে পারি। কিন্তু এখানে যে ধর্মগুরু ও ভিক্ষুকবৃন্দকে দেখতে পাচ্ছি, তাঁরা তো নিজের গোটা জীবন বুদ্ধের করুণার সন্দেশ প্রচারের দায়িত্বে স্বেচ্ছা-নিয়োজিত। তাঁরা নিজেরাও ভগবান বুদ্ধের প্রদর্শিত জীবন-যাপন করেন। আজ আমি এই উপলক্ষে পৃথিবীময় ভগবান বুদ্ধের বার্তা পৌঁছে দেওয়া, এই মহামানবদের সাদর প্রণাম জানাই। আপনারা সবাই দেশের নানাপ্রান্ত থেকে এসেছেন। আপনাদেরকেও হার্দিক স্বাগত জানাই। যেসব সংস্থা ও ব্যক্তি বুদ্ধের প্রদর্শিত পথে মানবকল্যাণে বিশেষ কাজ করে দেখিয়েছেন, আজ এই মঞ্চ থেকে তাঁদের অনেককে সম্মান প্রদর্শনের সৌভাগ্যও আমার হয়েছে। আমি তাঁদের সকল প্রচেষ্টার জন্য সাদর অভিনন্দন জানাই এবং ভবিষ্যতের জন্য তাঁদেরকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বিশেষ করে, সারনাথের সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ হায়ার টিবেটান স্টাডিজ এবং বৌদ্ধগয়ার অল ইন্ডিয়া ভিক্ষুক সংঘকে এই মহার্ঘ্য বৈশাখ সম্মান প্রাপ্তির জন্য আমি অনেক অভিনন্দন জানাই। বন্ধুগণ, গোটা পৃথিবীতে এই ভূ-ভাগ – আমাদের ভারত যে অমূল্য মহাদেশের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার বহন করে, তা অতুলনীয়। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের ঐতিহ্যে এহেন সমৃদ্ধি খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়। গৌতমবুদ্ধের জন্ম, তাঁর শিক্ষা, তাঁর মহানির্বাণ নিয়ে সহস্রাধিক বছর ধরে অনেক কিছু বলা হয়েছে, অনেক লেখা হয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের সৌভাগ্য যে, যাবতীয় বিপর্যয় ও প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সেইসব লেখার অনেকটাই আজও অক্ষত এবং অমলীন রয়েছে। আজ আমরা এজন্য গর্ব করতে পারি যে, ভারতের মাটি থেকে যত দর্শন বিশ্বে জনপ্রিয় হয়েছে, তার সর্বোচ্চ ভাব শুধুই মানবকল্যাণ, বিশ্বের সমস্ত জীবের কল্যাণ, প্রকৃতির কল্যাণেই নিহীত। বিশ্ব কল্যাণকে কেন্দ্রে রেখে রচিত এই মতবাদগুলি কখনই এহেন অন্য জনপ্রিয় মতবাদকে অতিক্রমণ করেনি। আপন ও পরের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ রাখেনি। তাঁদের মনে আমার বিচারধারা আর তোমার বিচারধারার মধ্যে কোনও বৈষম্য ছিল না, আমার ঈশ্বর ও তোমার ঈশ্বরেও কোনও বৈরী ��িল না। আমরা গর্বিত যে, ভারতীয় মহাপুরুষদের এই সকল বিচারধারা সমগ্র মানবজাতির হিতকে প্রাধান্য দিয়ে এগিয়ে গেছে। কিন্তু কেউ বলেনি যে, তুমি আমার সাথে এসো, তা হলেই শুধু তোমার ভালো হবে। গৌতমবুদ্ধের দর্শন এই মতবাদগুলির মধ্যে একটি নবচেতনা জাগরণের পাশাপাশি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আজও রাষ্ট্রীয় চরিত্র গঠনে নতুন নতুনভাবে পরিভাষিত হচ্ছে। বন্ধুগণ, এটাই আমাদের এই মাটির বৈশিষ্ট্য, আর এজন্য আমাদের দেশের মানুষ বুক ফুলিয়ে বলতে পারে, বিশ্ববাসীর চোখে চোখ রেখে বলতে পারে যে, আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের ইতিহাস এবং আমাদের পরম্পরা সাক্ষী রয়েছে যে, ভারত কখনও অন্যকে আক্রমণ করে না। হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের সংস্কৃতি মৌলিক দার্শনিক ভিত্তিই আমাদের এই পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে। বন্ধুগণ, সিদ্ধার্থ থেকে গৌতমবুদ্ধ হয়ে ওঠার সফর তা কেবল নির্বাণপ্রাপ্তির সফরনামা নয়, এই সফরনামা এই সত্যকে উজাগর করে যে, যিনি নিজের জ্ঞান, ধনসম্পদ দিয়ে অন্যের বেদনা ও দুঃখ লাঘবের কথা ভাবেন, তিনিই বুদ্ধের প্রদর্শিত পথে এগিয়ে যেতে পারেন এবং একদিন তাঁরও বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত হয়। বুদ্ধ পূর্ণিমায় আমরা প্রতি মুহূর্তে করুণা ও মৈত্রীর বাণীগুলিকে স্মরণ করব। আজ যখন হিংসা, সন্ত্রাসবাদ, জাতিবাদ ও উত্তরাধিকারবাদের কালিমা বুদ্ধের বার্তাকে কালো মেঘের মতো ঢেকে দিতে চাইছে, তখন এই করুণা ও মৈত্রীর বার্তা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক, প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। যাঁরা নিজের বিরোধীদের হিংসা, ঘৃণা ও ধ্বংসের উদ্দেশ্য নিয়ে আক্রমণ করে, তাঁরা জীবিত মানুষ নন। যাঁরা ঘৃণা, হিংসা এবং অন্যায়কে মৈত্রী ও করুণা দ্বারা জয় করতে পারেন, তাঁরাই প্রকৃত জীবিত মানুষ। যাঁরা নিজের ক্রুদ্ধ মনকে শান্ত বুদ্ধের ধ্যান দিয়ে জিততে পারেন, তারাই সফল হন, অমর হন। সত্য আর করুণার সম্মিলনই একজন মানুষের মনে বুদ্ধকে অঙ্কুরিত করে, পল্লবিত করে, বুদ্ধ করে তোলে। বুদ্ধের অর্থ হ’ল – হিংসাশ্রয়ী মনকে ক্রদ্ধ স্থিতি থেকে শুদ্ধ অন্তঃকরণের স্থিতিতে নিয়ে আসা। কোনও সমাজ, জাতি, বর্ণ, ভাষা ইত্যাদি যেন মানুষে মানুষে যাতে বৈষম্য সৃষ্টি না করে – এই সন্দেশ একা বুদ্ধের বার্তা নয়, একা ভারতের বার্তা নয়, ইহুদি সমাজে, পার্সি সমাজে হাজার হাজার বছর ধরে এই ঐতিহ্য রয়েছে। আমাদের মন, অস্থি ও রক্ত যেমন শরীরের অবিভাজ্য অঙ্গ, তেমনভাবেই সমাজের প্রত্যেক মানুষকে ভেদভাবহীন আপন করে নে��য়ার দর্শন যুগ যুগ ধরে বিশ্বের নানাপ্রান্তে মানবসভ্যতাকে ঋদ্ধ করেছে। গৌতমবুদ্ধ সেই সাম্য, সমদৃষ্টি এবং সংঘ ভাবকেই মৈত্রী ও করুণার বাণীতে রূপান্তরিত করে সারা পৃথিবীতে সর্বাধিক স্বীকার্য মহাপুরুষ হয়ে উঠেছেন। এই দর্শনে উদ্ধুদ্ধ হয়ে বাবাসাহেব আম্বেদকরও বুদ্ধের প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করেছেন। আজ বিশ্বে ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ পরিচয় আমাদের ভৌতিক উন্নতির পাশাপাশি বুদ্ধের দেশ হিসাবেও। ‘ধর্মম স্মরণম গচ্ছামি, বুদ্ধম স্মরণম গচ্ছামি, সংঘম স্মরণম গচ্ছামি’ আমাদের দেশের পবিত্র ভূমি থেকে নিঃসৃত এই বাণী গোটা বিশ্বে মানবতাবাদীদের মন্ত্র হয়ে উঠেছে। সেজন্য বুদ্ধ পূর্ণিমার সবচেয়ে বড় বার্তা হ’ল ‘অন্যকে বদলানোর আগে নিজেকে বদলানো শুরু কর, তুমিও বুদ্ধ হয়ে উঠবে, বাইরের সবকিছু দেখার আগে ভেতরের যুদ্ধকে জেতো, তা হলে তুমিও বুদ্ধ হয়ে উঠবে’।‘অপো দীপঃ আপ ভবঃ’ – নিজের মনের আলো অনুসন্ধান কর, তা হলেই তুমি বুদ্ধ হয়ে উঠবে। ভগবান বুদ্ধ সর্বদাই চিত্তের শান্তি এবং হৃদয়ের করুণার প্রেরণা যোগাতেন। সাম্য, ন্যায়, স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার আজকের গণতান্ত্রিক বিশ্বের প্রধান উপাদান। কিন্তু এগুলি সম্পর্কে ভগবান বুদ্ধ আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে অত্যন্ত স্পষ্ট বার্তা দিয়ে গেছেন। ভারতে এই বিষয়টি আলাদা করে বিচার্য ছিল না, সমগ্র বিশ্বদৃষ্টির অঙ্গ ছিল। ভগবান বুদ্ধর দর্শনে সাম্যের অর্থ হ’ল – প্রত্যেক ব্যক্তির এই বিশ্বে গরিমাময় উপস্থিতি। কোনও বৈষম্য ছাড়াই প্রত্যেক ব্যক্তির কাজ ও বেঁচে থাকার অধিকার সুনিশ্চিত হওয়া উচিৎ। বন্ধুগণ, বিশ্বের যে কোনও দেশে জাতিভেদ, সন্ত্রাসবাদ এবং সামাজিক ন্যায়ের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা প্রতিটি প্রতিস্পর্ধা মানুষ নিজেই তৈরি করেছে। এই বৈষম্যই অন্যায়, শোষণ, অত্যাচার, হিংসা, সামাজিক উত্তেজনা এবং সৌহার্দের মূলস্রোত। যখন অন্যদিকে ন্যায়, স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের সিদ্ধান্ত একরকমভাবে সাম্যের সিদ্ধান্তেরই বিস্তারিত রূপ। এরফ মানে সাম্যই হ’ল এই সকল সিদ্ধান্তের মূল তত্ত্ব। আমাদের সমাজে সাম্যের ভাবনা সুদৃঢ় হলেই সামাজিক ন্যায়, স্বাধীনতা, মানবাধিকার, সামাজিক পরিবর্তন, ব্যক্তিগত অধিকার, শান্তি, সৌহার্দ্য ও সমৃদ্ধির পথ আমাদের জন্য উন্মুক্ত হবে আর আমরা দ্রুত এগিয়ে যেতে পারব। ভগবান নিজের উপদেশে ‘অষ্টাঙ্গ’-এর উল্লেখ করেছেন। এই ‘অষ্টাঙ্গ’ সম্পর্কে জ���নতে না পারলে ভগবান বুদ্ধকে জানা মুশকিল। এই অষ্টাঙ্গের মাধ্যমে ভগবান বুদ্ধ বলেছেন – সম্যক দৃষ্টি, সমকল্প, সম্যক বাণী, সম্যক আচরণ, সম্যক জীবিকা, সম্যক প্রযত্ন, সম্যক চেতনা এবং সম্যক ধ্যান। আজকের যুগে আমরা যেসব সঙ্কটের মুখোমুখী, ভগবান বুদ্ধের প্রদর্শিত পথে সেগুলির মোকাবিলা করা সম্ভব। এই সঙ্কটগুলি থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে হলে বুদ্ধের করুণা ও প্রেমের বার্তাই সবচেয়ে উৎকৃষ্ট পথ, সেজন্য ভগবান বুদ্ধের অনুগামীদের সকলের শক্তি সক্রিয় করে তোলাই হ’ল সময়ের চাহিদা। ভগবান বুদ্ধও বলেছিলেন যে, এই পথে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে গেলে তবেই সামর্থ্যপ্রাপ্তি হবে। বন্ধুগণ, ভগবান বুদ্ধ ছিলেন, সেই দার্শনিকদের অন্যতম, যিনি তর্কবুদ্ধি ও ভাবনার সংকল্পকে প্রয়োজনীয় বলে মনে করতেন। তিনি নিজে ‘ধম্ম’ সিদ্ধান্তগুলি তর্কের মাধ্যমে যাচাই করার কথা বলতেন। নিজের শিষ্যদের বলতেন, তর্কের মাধ্যমে যাচাই না করে কোনও আবেগ কিংবা অনুরাগের বশবর্তী হয়ে যেন কোনও মতবাদকে গ্রহণ না করেন। দ্বিতীয় শতকে ভগবান বুদ্ধের বার্তাগুলির দার্শনিক ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মহান বৌদ্ধ চিন্তক নাগার্জুন সম্রাট উদয়কে যে পরামর্শ দিয়েছিলেন, তা আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। তিনি বলেছিলেন, ‘দৃষ্টিহীন, অসুস্থ, বঞ্চিত, অসহায় এবং দরিদ্রদের জন্য সুলভে খাদ্য ও পানীয়র ব্যবস্থা এবং তাঁদের প্রতি করুণার মনোভাব থাকা উচিৎ; অসুস্থ মানুষের উপাচার এবং দুর্ভাগ্যগ্রস্থ কৃষকদের প্রতি বীজ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ’। ভগবান বুদ্ধের বিশ্বজনীন দর্শনের কেন্দ্রে রয়েছে সকলের দুঃখ কিভাবে চিরকালের জন্য দূর করা যায়। তিনি বলতেন যে, কারও দুঃখ দেখে দুঃখিত হওয়ার চেয়েও বেশি প্রয়োজন তাঁর দুঃখ কিভাবে দূর করা যায় সেকথা মাথায় রেখে তাঁকে সক্ষম করে তোলা, তাঁর ক্ষমতায়ন করা। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজ আমার নেতৃত্বাধীন সরকার সেই করুণা ও সেবাভাবকে প্রাধান্য দিয়ে গৌতমবুদ্ধের প্রদর্শিত পথেই এগিয়ে চলেছে। সাধারণ মানুষের দুঃখ, কষ্ট দূর করে তাঁদের জীবনকে সহজ করে তোলাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। জন ধন যোজনার মাধ্যমে ৩১ কোটিরও বেশি গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা, দিনে মাত্র ৪০ পয়সা আর মাসে ১ টাকা কিস্তির বিনিময়ে প্রায় ১৯ কোটি দরিদ্র মানুষকে বিমার কবচ প্রদান, ৩ কোটি ৭০ লক্ষেরও বেশি দরিদ্র মহিলাকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সংযোগ ও উনুন দেওয়া, মিশন ইন্দ্রধনুষের মাধ্যমে ৩ কোটিরও বেশি শিশু এবং ৮০ লক্ষেরও বেশি গর্ভবতী মহিলার টিকাকরণ, মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে কোনও রকম ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ছাড়া ১২ কোটিরও বেশি ঋণ প্রদান – এরকম অনেক কাজ এই সরকার করেছে গরিবদের ক্ষমতায়নের জন্য। এখন আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে সরকার প্রায় ৫০ কোটি গরিব মানুষকে বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুবিধা সুনিশ্চিত করার পথে এগিয়ে চলেছে। বন্ধুগণ, অন্তর্ভুক্তিকরণের এই ভাবনা সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলার আদর্শ গৌতমবুদ্ধের জীবনকে বদলে দিয়েছিল। এক রাজপুত্র, যাঁর জীবনে সমস্ত সুখ-সুবিধা ছিল। তিনি গরিব মানুষের দুঃখ ও যন্ত্রণা দেখে অনুভব করেছিলেন যে, ‘আমি এঁদের থেকে আলাদা নই, আমি এঁদেরই মতো’। এই সত্য অনুভবই তাঁকে যে প্রজ্ঞা দিয়েছে – জ্ঞান, তর্ক ক্ষমতা, চৈতন্য, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ তাঁর ভেতরে একটি শক্তি হয়ে প্রস্ফুটিত হয়ে উঠেছিল। আজ আমরা এই ভাবকে যতটা আত্মস্থ করতে পারব, ততই সর্বাগ্রে মানুষ হওয়ার যোগ্য হব। মানবতার জন্য একবিংশ শতাব্দীকে গোটা বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শতাব্দী হয়ে উঠতে এই দর্শনই পাথেয় হতে পারে। ভাই ও বোনেরা, দাসত্বের দীর্ঘ কালখন্ডের পর অনেক কারণে আমাদের দেশে নিজেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে যতটা তুলে ধরার প্রয়োজন ছিল, যেভাবে তুলে ধরার প্রয়োজন ছিল, তা হয়নি। যে দেশ নিজের ইতিহাস সংরক্ষণ করে তার ঐতিহ্যকে গুরুত্ব সহকারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাতে তুলে দিতে পারে না, সেই দেশ কখনও পূর্ণতা পায় না। একথা মনে রেখে আমাদের সরকার নিজেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বিশেষ করে, ভগবান বুদ্ধের সঙ্গে জুড়ে থাকা স্মৃতিগুলিকে তুলে ধরতে বৃহৎ দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের দেশের প্রায় ১৮টি রাজ্যে এক বা একাধিক বৌদ্ধ তীর্থস্থান রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রায় ২ হাজার বছরেরও বেশি পুরনো। এই তীর্থস্থানগুলি সারা পৃথিবীর পর্যটকদের আকর্ষিত করে। কিন্তু সারা পৃথিবী থেকে আসা এই পর্যটকদের থাকা-খাওয়া ও যাতায়াতের উপযোগী আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা অত্যন্ত প্রয়োজন। একথা ভেবেই দেশে ‘স্বদেশ দর্শন স্কিম’-এর মাধ্যমে আমরা একটি ‘বুদ্ধিস্ট সার্কিট’ গড়ে তোলার কাজ করছি। এই ‘বুদ্ধিস্ট সার্কিট’-এর জন্য সরকার ৩৬০ কোটি টাকারও অধিক অর্থ মঞ্জুর করেছে। এই অর্থের মাধ্যমে উত্তর প্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও গুজরাটের বৌদ্ধ তীর্থস্থানগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক গয়া-বারাণসী-কুশিনগর রুটে সড়কপথের দু-ধারে প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক মানের পরিষেবা গড়ে তুলছে। পর্যটন মন্ত্রক প্রতি দু-বছরে একবার ‘ইন্টারন্যাশনাল কনক্লেভ অন বুদ্ধিজম’-এর আয়োজন করছে। এ বছর এই অনুষ্ঠানে সারা পৃথিবী থেকে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রের পণ্ডিতরা আসবেন। এ ধরণের অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য হ’ল বিশ্বের সর্বত্র অধিকাংশ মানুষের কাছে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে পৌঁছে দেওয়া। স্থানীয় স্তরে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকরা এই বৌদ্ধ তীর্থস্থানগুলিতে এলে আমাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন। এছাড়া, কেন্দ্রীয় সরকার পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতেও বৌদ্ধ ঐতিহ্য সংরক্ষণে সাহায্য করছে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া মায়ানমারের বাগান অঞ্চলে আনন্দ মন্দিরের পুনর্নির্মাণ এবং রাসায়নিক সংরক্ষণের কাজে হাত দিয়েছে। দু-বছর আগে ভয়ানক ভূমিকম্পে এই মন্দির অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া আফগানিস্তানের বামিয়ানে, কম্বোডিয়ার আঙ্কারভাট এবং তোপ্রোহম মন্দিরে, লাওসের ওয়োতপোহু মন্দিরে, ভিয়েতনামের মাইসন মন্দিরে সংরক্ষণের কাজে হাত দিয়েছে। বিশেষ করে, মঙ্গোলিয়ায় গানদেন মনাস্ট্রির সমস্ত পুঁথি ও শিলালিপি সংরক্ষণ ও ডিজিটাইজেশনের কাজ ভারত সরকার করছে। আজ এই মঞ্চ থেকে আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রককে একটি অনুরোধ জানাই, আপনারা ভাবুন যে, বৌদ্ধ দর্শন সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নানাপ্রান্তে যে প্রতিষ্ঠানগুলি রয়েছে, সেগুলিতে ভগবান বুদ্ধের শিক্ষার সংকলন – ‘ত্রিপিটক’-এর সংরক্ষণ ও অনুবাদের যে কাজ চলছে, সেগুলিকে কিভাবে এক মঞ্চে নিয়ে আসা যায়! সেগুলির জনয কি একটি বিস্তৃত পোর্টাল গড়ে তোলা যেতে পারে, যাতে সহজ শব্দের মাধ্যমে ভগবান বুদ্ধের দর্শন এবং তাঁকে নিয়ে ঐ প্রতিষ্ঠানগুলিতে যে কাজ করা হয়েছে ও হচ্ছে, সেগুলির একটি সংকলন হতে পারে! আমি মহেশ শর্মাজিকে অনুরোধ করব যে, তিনি এই প্রকল্পের নেতৃত্ব নিজের হাতে নিন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করুন। বন্ধুগণ, এটা আমাদের সকলের সৌভাগ্য যে, আড়াই হাজার বছর পরও ভগবান বুদ্ধের বাণীগুলি আমাদ��র কাছে রয়েছে। আর যখন সৌভাগ্য বলছি, তখন তার প্রেক্ষিতে আপনারা সেই পরিস্থিতিগুলোর কথা ভাবুন যে, কেন আমি সেই কথা বলছি। এতে আমাদের আগে যাঁরা ছিলেন, নিশ্চিতভাবেই তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের অবদানের ফলস্বরূপ আজ আমরা বুদ্ধ পূর্ণিমায় এভাবে অনুষ্ঠান করতে পারছি। আড়াই হাজার বছর ধরে আমাদের পূর্বজরা এই ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে গেছেন আর প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এই দর্শন সঞ্চারের প্রয়াস প্রতিনিয়ত জারি রেখেছেন। এখন ভবিষ্যতের মানব ইতিহাস আপনাদের সক্রিয় ভূমিকার জন্য অপেক্ষমান। আপনাদের সংকল্পের মাধ্যমে তাঁদের হাতে কতটা তুলে দিতে পারবেন! আমি চাই যে, আজ এখান থেকে যাওয়ার আগে আমরা এই ভাবনা নিয়ে যাই যে, আগামী ২০২২ সালে যখন আমাদের দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব পালন করবে, তার আগে আমরা প্রত্যেকে কোন ৫ কিংবা ১০টি সংকল্প গ্রহণ করব, যেগুলি আমরা তার আগে বাস্তবায়িত করতে পারব! এই সংকল্প নিজেদের ঐতিহ্যের সংরক্ষণ, গৌতমবুদ্ধের দর্শনের প্রচার, প্রসার এ জাতীয় কোনও কিছু নিয়েও হতে পারে। কিন্তু আমার প্রার্থনা এখানে উপস্থিত প্রত্যেকে, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন আগামী ২০২২ সালকে লক্ষ্য স্থির করে অবশ্যই কিছু না কিছু সংকল্প গ্রহণ করুন। আপনাদের এই প্রচেষ্টা নতুন ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা জানি যে, আমাদের ওপর ভগবান বুদ্ধের আশীর্বাদ রয়েছে। সেজন্য আমার ভরসা আছে, যে সংকল্পই আমরা গ্রহণ করি না কেন, সেগুলি আমরা অবশ্যই সিদ্ধ করতে পারব। আজ বুদ্ধ পূর্ণিমার এই পবিত্র অবসরে ভগবান বুদ্ধের চরণে এসে বসার সুযোগ পেয়েছি, তাঁকে প্রণাম জানানোর সুযোগ পেয়েছি। আপনাদের সবার দর্শন পেয়েছি, সেজন্য নিজেকে ধন্য মনে করি। আরেকবার আপনাদের সকলকে বুদ্ধ পূর্ণিমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার কথা শেষ করছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",নতুন দিল্লীত বুদ্ধ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ উদ্ধোধনী ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF/,"নেচার কিওর সেন্টার বা প্রাকৃতিক আরোগ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে সমবেত অতিথিবৃন্দ ও আমন্ত্���িত ব্যক্তিদের নমস্কার জানাই। অনলাইন ও টেলিভিশনে যাঁরা এই অনুষ্ঠান দেখছেন তাঁদেরকেও আমার নমস্কার জানাই। ভদ্রমহোদয় ও ভদ্রমহিলাগণ, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে অনেক শুভেচ্ছা। হিমালয়ের পাদদেশে সুন্দর ও মনোরম শহর দেরাদুনে আজ সকালে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে সমাজের নানা শ্রেণীর হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে সামিল হতে পেরে আমি আনন্দিত। সারা বিশ্ব জুড়ে বিগত কয়েকদিন ধরে যোগ দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের ছবি আমি দেখেছি। নিঃসন্দেহে বিগত তিন বছরের মধ্যেই এই কর্মসূচি সারা বিশ্ব জুড়ে গণ-আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের বহু দেশে যোগচর্চা সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের অভিন্ন অংশ হয়ে উঠেছে। যোগ দিবস উদযাপনের পাশাপাশি, এর প্রভাব বহু দূর পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে। ভারতে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনের ক্ষেত্রে আমি তিনটি ভিন্ন বিষয় উপলব্ধি করেছি। আমি নিশ্চিত, এই ধরণের ভিন্ন ভিন্ন উপলব্ধি অন্যান্য দেশেও হয়ে থাকে। প্রথমত, যোগের মানসিকতায় অনুপ্রাণিত হয়ে অভিষ্ট লক্ষ্য পূরণে তাঁরা নিজেরাই শপথ নিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, যাঁরা ইতিমধ্যেই যোগ’কে জীবনের অভিন্ন অংশ হিসাবে গ্রহণ করেছেন, তাঁদের কাছেও যোগ দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান নিজেদেরকে পুনরায় অভীষ্ট লক্ষ্য পূরণে উৎসর্গ করার মুহূর্ত হয়ে উঠেছে। তৃতীয় বিষয় হ’ল, যোগের উপকারিতার কথা ছড়িয়ে দেওয়া। হাজার হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, যারা যোগ থেকে ইতিমধ্যেই লাভবান হয়েছেন, তাঁদের কর্তব্য সেই সমস্ত মানুষের কাছে যাওয়া যাঁরা এখনও যোগের সুফল উপলব্ধি করতে পারেননি। এইভাবে, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস বিশ্বের অনেকের কাছেই উৎসব হিসাবে উদযাপিত হবে। যোগ শব্দের অর্থ হ’ল – ‘ঐক্যবদ্ধ করা বা হওয়া’। তাই, যোগের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস নিহিত রয়েছে, তা আমাকে আশাবাদী করে তোলে। আমি আশা করি, যোগ সমগ্র বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ রাখার মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। এই নেচার কিওর সেন্টার উদ্বোধনের জন্য আপনি আন্তর্জাতিক যোগ দিবসকে বেছে নেওয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি আশা করি, এই কেন্দ্রটি তার সমস্ত কর্মসূচি ও উদ্যোগে যোগের উপাদানগুলিকে ব্যাপকভাবে অঙ্গীভূত করার চেষ্টা করবে। বন্ধুগণ, যোগ ও আয়ুর্বেদের মতো ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় জ্ঞানের পদ্ধতিগুলি আমাদের স্বাস্থ্যবান রাখতে সাহায্য করে। দেহ ও মনের সহজাত দুর্বলতাগুলি থেকে মুক্তি দিতে যোগ ও আয়ুর্বেদ সাহায্য করে। প্রাচীন এই জ্ঞান-পদ্ধতিগুলি প্রত্যেককে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে থাকে। প্রচলিত চিকিৎসা-পদ্ধতির সুবিধা যাঁরা গ্রহণ করেছেন, তাঁদের কাছে প্রাচীন জ্ঞান-পদ্ধতিগুলি এক নতুন তেজ-শক্তি নিয়ে এসেছে। আধুনিক জীবনযাপনের বিরূপ প্রভাব দেহ ও মনের ওপর পড়ে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থায় রোগ-প্রতিরোধের চেয়ে আরোগ্যলাভে বেশি জোর দেওয়া হয়। একথা নকচ করার কোনও উপায় নেই যে, বর্তমান সময়ের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি দূর করতে আমাদের প্রচলিত ওষুধপত্রের প্রয়োজন। কিন্তু এটাও ঘটনা যে, স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে এমন কিছু ফাঁক-ফোকর থেকে যাচ্ছে, যার ওপর নজরই দেওয়া হচ্ছে না। সমগ্র বিশ্বের স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞরাও এখন একথা স্বীকার করেছেন যে, যোগ ও আয়ুর্বেদের মতো প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি সমসাময়িক চিকিৎসা ব্যবস্থার পরিপূরক হয়ে উঠতে পারে। এই ঐতিহাসিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগী কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই পদ্ধতি গ্রহণ করলে ব্যক্তি তথা সমাজের সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ বৃদ্ধি পাবে। কিছু মানুষের ভিন্ন ধারণা সত্ত্বেও একথা বলা যায় যে, যোগ কেবল ব্যায়াম ও দৈহিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের মধ্যেই সীমিত নয়। মন, দেহ ও মানসিকতার গভীরে প্রোথিত রয়েছে যোগ। যোগ নিজেকে আরও ভালোভাবে বোঝার সুযোগ করে দেয়। যোগের মধ্যে গভীর আদর্শ নিহিত রয়েছে, তা আমাদেরকে পাপ থেকে মুক্তির অথবা ভয়কে জয় করার পথে হাঁটতে সাহায্য করে। বন্ধুগণ, আমি সবসময় বিশ্বাস করে এসেছি যে, যোগের কোনও ধর্ম হয় না। যোগচর্চার মধ্যে এমন কিছু ব্যবহারিক বা ফলিত পদক্ষেপ রয়েছে, যার মধ্যমে প্রত্যেকেই লাভবান হতে পারেন। এমনকি, তাঁরাও লাভবান হতে পারেন, যাঁরা নিজেদের কোনও জাতি বা ধর্মের মানুষ হিসাবে গণ্য করেন না। আধুনিক যোগচর্চায় প্রায়শই প্রাচীন জ্ঞানের বিভিন্ন উপাদান লক্ষ্য করা যায়। এই সমস্ত উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে – নৈতিক ও শাস্ত্রগত আদর্শ, শরীরকে সুস্থ রাখতে বিভিন্ন ভাবভঙ্গি, আধ্যাত্মিক আদর্শ, গুরুর নির্দেশ ও নিয়মাবলী, মন্ত্রোচ্চারণ, শ্বাস ত্যাগ ও একাগ্রতার মধ্যে মস্তিষ্ককে স্থির রাখা। ব্যক্তিবিশেষের জীবনযাপন পরিবর্তনে যোগচর্চায় গুরুত্ব দেওয়া হয়, যাতে জীবনশৈলীর সঙ্গে জড়িত সমস্যাগুলি সহজেই প্রতিরোধ ও সমাধান করা যায়। যোগ-বিশেষজ্ঞরা দৈনন্দিন যোগচর্চাকে পরম লাভবান হিসাবে গণ্য করে থাকেন। এরফলে, স্বাস্থ্য, আবেগ, মানসিক শান্তি ও সুখী জীবনযাপনে উন্নতি ঘটে। এমন বিশ্বাসও রয়েছে যে, নির্দিষ্ট কয়েকটি যোগাভ্যাস ও প্রাণায়ামের মাধ্যমে বেশ কিছু অসুখ-বিসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আধুনিক বিজ্ঞান এখন এ বিষয়ে প্রামাণ্য সাক্ষ্য অনুসন্ধানে উদ্যোগী হয়েছে। বিজ্ঞানও একথা স্বীকার করেছে যে, যোগচর্চার মাধ্যমে দেহের বহু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, যেমন – হৃদযন্ত্র, মস্তিষ্ক ও অন্তর্গ্রন্থির নিত্যনৈমিত্তিক কাজকর্ম ও পরিচালন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আজ পশ্চিমী দেশগুলিতে যোগের প্রতি আগ্রহ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একথা বলা অতিরঞ্জিত হবে না যে, পশ্চিমী দুনিয়ায় যোগ ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। আমাকে জানানো হয়েছে যে, কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই ২ কোটিরও বেশি মানুষ যোগচর্চা করছেন। শুধু তাই নয়, এই সংখ্যা বার্ষিক ৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের একাধিক আধুনিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন রোগের বিকল্প বা আনুষঙ্গিক চিকিৎসা-পদ্ধতি হিসাবে যোগকে গ্রহণ করেছে। দেরীতে হলেও যোগচর্চা সম্বন্ধে বহু গবেষণা শুরু হয়েছে। ভারত সরকারও জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রামাণ্য সাক্ষ্য-ভিত্তিক পরম্পরাগত স্বাস্থ্য পরিচর্যা ব্যবস্থা রূপায়ণে অঙ্গিকারবদ্ধ। আমাদের জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি গত বছর ঘোষিত হয়। এই নীতিতে অসুখ-বিসুখের প্রতিরোধে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অ-সংক্রমিত রোগগুলির প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী কর্মসূচি আমরা শুরু করেছি। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারত। আজ যে উদ্যোগগুলি নেওয়া হচ্ছে, তার সুফল পেতে কয়েক বছর লাগবে। কিন্তু আমি দৃঢ় বিশ্বাসী যে, বাস্তবিক ফল শীঘ্রই পাওয়া যাবে। পরিশেষে, আমি আরও একবার বলতে চাই যে, এই প্রাকৃতিক আরোগ্য কেন্দ্রটি যোগের সুফলগুলি তুলে ধরতে কাজ করবে। জীবনে একটু স্বাচ্ছন্দ্য ও খুশির জন্য যাঁরাই এখানে আসবেন, তাঁরা যোগের সুফল উপলব্ধি করতে পারবেন। ব্যক্তি-বিশেষের নিজস্ব উদ্বেগ দূর করতে এই কেন্দ্রটি কল্যাণের যে পথ বেছে নিয়েছে, তা জানতে পেরে আমি খুশি হয়েছি। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, এই রোগী কল্যাণ কেন্দ্রটির উদ্দেশ্য জীবনব্যাপী কল্যাণসাধন করা। আমি একথাও স্বীকার করি যে, বৈজ্ঞানিক পদক্ষেপের প্রতি আস্থা ও প্রত্যয় সহজাত। এ ধরণের উদ্দেশ্য নিয়ে এই কেন্দ্রটি রোগী কল্যাণে ��ক্ষ্যণীয় অবদান রাখবে এবং যোগচর্চার উপকারিতার কথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে। আমি এটা জেনেও খুশি হয়েছি যে, এই কেন্দ্রটির মাধ্যমে ৫০০ জন মানুষের সরাসরি কর্মসংস্থান এবং ১৫ হাজার মানুষের পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এই উদ্যোগের জন্য আপনাদের সকলকে আমরা শুভ কামনা জানাই। ধন্যবাদ। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",মার্কিন যুক্তৰাষ্ট্রৰ নিউইয়র্কত ভিডিঅ’ কনফাৰেন্সিংযোগে প্রাকৃতিক আৰোগ্য কেন্দ্রৰ উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%AE-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5/,"নয়াদিল্লি, ০৬ অগাস্ট, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমস্‌ – এ কুস্তিতে সোনা জয়ের জন্য দীপক পুনিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দীপক পুনিয়ার অসামান্য ক্রীড়া নৈপুণ্যে গর্বিত বোধ করছি। দীপক ভারতের সম্পদ। দেশকে অনেক সম্মান এনে দিয়েছে। তাঁর সোনা জয়ে প্রত্যেক ভারতবাসী আনন্দিত। আগামী দিনের জন্য তাঁকে জানাই অভিনন্দন”।",বাৰ্মিংহাম ২০২২ কমনৱেলথ গেমছত সোণৰ পদক লাভ কৰাৰ বাবে মল্লযুঁজাৰু দীপক পুনিয়ালৈ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শুভেচ্ছ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE-12/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A7%8E-%E0%A6%85/,ওমান ভারত ভারত যৌথ বাণিজ্যিক পর্ষদের ৩০ জন তরুন শিল্পপতি আজ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা দু দেশের মধ্যে থাকা দীর্ঘদিনের সমুদ্র বাণিজ্য সংক্রান্ত সহযোগিতার বিষয়গুলি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দু দেশের মধ্যে শক্তি ও খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্পর্ক দৃঢ় করার ওপর জোর দেন। একইসঙ্গে ওমানের সুলতানকেও তিনি প্রাক রমজানের শুভেচ্ছা জানান।,প্ৰধানমন্ত্ৰীক সাক্ষাৎ অ’মান-ভাৰত যুটীয়া ব্যৱসায়িক পৰিষদৰ সদস্যৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%A7-%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A6%AB/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8/,"মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী কে পি শর্মা ওলিজি, বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ, উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের বন্ধুগণ, নমস্কার! প্রধানমন্ত্রী জ্যু, তপাইলে মেরী হার্দিক স্বাগত র সৎকার গর্নুভয়ো। য়স লাই ম হার্দিক আভার ব্যক্ত গর্দ ছুঁ। বন্ধুগণ, নেপালের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক পুরনো হলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এটি আমার তৃতীয় নেপাল সফর। এ থেকে এটা স্পষ্ট হয় যে, ভারত-নেপাল সম্পর্ক নিয়ে আমার সরকারের দায়বদ্ধতা কত গভীর। কিন্তু আমি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কিংবা সাধারণ নাগরিক হিসাবেও যখন নেপালে এসেছি, এখানকার জনগণ আমাকে আপন করে নিয়েছেন। এবার আপনারা যেভাবে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন, তার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী ওলিজি ও তাঁর সরকার এবং নেপালবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উভয় সরকারের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ঊর্ধ্বে সাধারণ মানুষের পারস্পরিক, পারিবারিক গভীর ও মধুর সম্পর্কের ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। বন্ধুগণ, আমার এই সফর একটি ঐতিহাসিক সময়ে হচ্ছে। এই তো কিছুদিন আগে আপনাদের দেশে নির্বাচন হয়েছে, আপনারা নিজেদের আশা-আকাঙ্খাকে বাস্তবায়িত করার জন্য ঐতিহাসিক জনাদেশ দিয়ে একটি নতুন সরকার নির্বাচন করেছেন। এক বছরের মধ্যেই সাফল্যের সঙ্গে ত্রিস্তরীয় নির্বাচন করানোর জন্য আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। নেপালের ইতিহাসে প্রথমবার দেশের প্রত্যেক প্রান্তে প্রান্তিক সরকার গড়ে উঠেছে। এটি শুধু নেপালের জন্যই নয়, ভারত ও এই সমগ্র অঞ্চলের জন্যও একটি গর্বের বিষয়। নেপাল সামাজিক ও আর্থিক পরিবর্তনের জন্য একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করছে, যার ভিত্তি হবে সুশাসন এবং সমতার ভিত্তিতে উন্নয়ন। ১০ বছর আগে নেপালের নবীন প্রজন্ম বুলেটের পথ ছেড়ে ব্যালটের পথ বেছে নিয়েছে। যুদ্ধ থেকে বুদ্ধের পথে এগিয়ে আসার এই পরিবর্তনের জন্য আমি নেপালের জনগণকে অন্তর থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। বন্ধুগণ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ভারত ও নেপালের প্রাচীন সম্পর্ককে আরও নতুন শক্তি যুগিয়েছে। গণতন্ত্র এমন একটি শক্তি, যা সাধারণ থেকে অসাধারণ সকল মানুষের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ ও অধিকার প্রদান করে। ভারত এই শক্তিকে অনুভব করেছে আর আজ ভারতের প্রত্যেক নাগরিক তাঁদের স্বপ্ন পূরণে উৎসর্গীকৃত। আমি আপনাদের সবার চোখে ���েই চমক দেখতে পাচ্ছি যে, আপনারাও নেপালকে সেই পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। আমি আপনাদের চোখে নেপালের জন্য এমনই স্বপ্ন দেখছি। প্রধানমন্ত্রী ওলিজিকে তাঁর এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার প্রক্রিয়ায় আমি ১২৫ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বন্ধুগণ, সম্প্রতি নেপালের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় ওলিজিকে দিল্লিতে সংবর্ধিত করার সু্যোগ হয়েছিল। নেপালকে নিয়ে তিনি কি ভাবছেন, তা জানার সুযোগ হয়েছিল। ওলিজি তাঁর ‘সমৃদ্ধ নেপাল, সুখী নেপালী’ স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চান। ভারতও সর্বদাই নেপালের সমৃদ্ধি ও সুখ কামনা করে, ভবিষ্যতেও করবে। ভারতও একই ধরণের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছে। বন্ধুগণ, ভারতে আমাদের সরকারের মূলমন্ত্র হ’ল ‘সকলের সঙ্গে সকলের উন্নয়ন’। সমাজের কোনও অংশ, দেশের কোনও প্রান্ত যেন এই উন্নয়ন ধারা থেকে বঞ্চিত না হয়, আমরা নিয়মিত সেই প্রচেষ্টাই করে যাচ্ছি। ফলস্বরূপ, পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ সর্বত্র উন্নয়নের রথ ছুটতে শুরু করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে যে অঞ্চলগুলিতে উন্নয়নের আলো একদমই পৌঁছয়নি, আমাদের সরকার সেই অঞ্চলগুলির উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। বিশেষ করে, দেশের পূর্বভাগ – নেপালের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলি; উত্তর প্রদেশ থেকে শুরু করে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সমকক্ষ করে তোলার সংকল্প নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি। এই অঞ্চলগুলিতে যে উন্নয়নযজ্ঞ চলছে, তার দ্বারা নিশ্চিতভাবেই প্রতিবেশী রূপে নেপাল সর্বাধিক লাভবান হবে। বন্ধুগণ, আমাদের জল ব্যবস্থাপনা এবং শক্তি সহযোগিতার ক্ষেত্রে আমরা আজ একটি নতুন অধ্যায় জুড়েছি। প্রধানমন্ত্রী ওলিজি’র সঙ্গে একসাথে আজ ৯০০ মেগাওয়াট শক্তি উৎপাদনক্ষম অরুণ-৩ বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপনের সৌভাগ্য হয়েছে। প্রায় ৬ হাজার কোটি ভারতীয় টাকা বিনিয়োগে এই প্রকল্প নেপালে সর্ববৃহৎ প্রকল্পে পরিণত হয়েছে। এভাবে জল, স্থল ও অন্তরীক্ষ মাধ্যমে পরস্পরের সম্পর্ক আরো নিবিড় করে তুলতে হবে। জনগণের মধ্যে সম্পর্ক যত প্রস্ফুটিত, ফলবান এবং শক্তিশালী হবে, তা যোগাযোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য আমরা ভারত ও নেপালের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছি। বন্ধুগণ, ভারত ও নেপালের সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আমাদের মুক্ত সীমান্ত বিশ���ষ ভূমিকা পালন করছে। কোনও অবাঞ্চিত শক্তিকে আমরা এই মুক্ত সীমান্তের অপব্যবহার করতে দেব না। গত মাসে আমরা দু’জনে বীরগঞ্জে প্রথম ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টের উদ্বোধন করেছি। এই চেক পোস্ট যখন পূর্ণ শক্তিতে কাজ শুরু করবে, তখন সীমান্ত বাণিজ্য এবং আসা-যাওয়া অনেক বেশি সহজ হবে। জয়নগর-জনকপুর রেলপথের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। বন্ধুগণ, গত মাসে মাননীয় ওলিজির সঙ্গে দিল্লিতে ও আজ এখানে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যে নতুন সম্পর্কের সূচনা হয়েছে, তা আমাদের সম্পর্কে একটি নতুন প্রাণশক্তি সঞ্চার করেছে। নেপালকে নিয়ে তিনি কি ভাবছেন, তা জানার সুযোগ হয়েছিল। ওলিজি তাঁর ‘সমৃদ্ধ নেপাল, সুখী নেপালী’ স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চান। আমরাও তাই চাই। আজ যখন আমি ভারত-নেপাল সম্পর্ক নিয়ে ভাবি, তখন অত্যন্ত আশাবাদী হয়ে উঠি। এই আশা, বিশ্বাস, ভরসা এবং পারস্পরিক বন্ধুত্বের ভাবনা নিয়ে আমি আরেকবার প্রধানমন্ত্রী ওলিজি, তাঁর সরকার ও নেপালবাসীকে অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। ভারত নেপাল মৈত্রী অমর রহোস। ধন্যবাদ।","নেপাল ভ্ৰমণকালত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ প্ৰেছ বিবৃতি (১১ মে’, ২০১৮)" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%9F%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%83%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A5%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA/,"বিহারের মোকামায় নমামি গঙ্গেকর্মসূচির আওতায় শনিবার চারটি নিকাশি প্রকল্প এবং চারটি মহাসড়ক প্রকল্পেরশিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। মোট ৩৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এইপ্রকল্পগুলি রূপায়িত হবে। এই উপলক্ষে এক বিশালজনসমাবেশে ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রামধারী সিং দিনকর জি-র মতো একজন মহানকবির নিবিড় স্মৃতি বিজড়িত একটি স্হানে আসার সুযোগ পেয়ে তিনি আনন্দিত। বিহারেরউন্নয়ন ও অগ্রগতিতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যসরকার সম্ভাব্য সকল রকম পদক্ষেপগ্রহণ করবে বলে তিনি আশ্বাস দেন রাজ্যবাসীকে। শ্রী মোদী বলেন, জনসাধারণেরআশা-আকাঙ্খার বাস্তবায়নে সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যে প্রকল্পগুলিরশিলান্যাস আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে তা বিহারের উন্নয়নে এক বিশেষ জোয়ার এনে দেবে বলে মনেকরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়কনির্মাণ প্রকল্পগুলির রূপায়ণে গতি সঞ্চারের দিকে তাঁর সরকার বিশেষভাবে দৃষ্টিদিয়েছে। নমামি গঙ্গে-���র আওতায় যে কর্মসূচিগুলি রূপায়িত হচ্ছে তা গঙ্গানদীকেদূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন তিনি। সম্প্রতি চালু হওয়াঅন্ত্যোদয় এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন, সরকারি এই পদক্ষেপে বিহার সহ পূর্বভারতের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের যোগাযোগ আরও নিবিড় হয়ে উঠবে। উন্নত যোগাযোগব্যবস্হা উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে জোরদার করে তুলতে পারে-এই মতপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীবলেন, সড়ক, রেল ও জলপথে সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্হাকে আরও উন্নত করে তুলতে বিশেষজোর দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এদিন যে জাতীয়মহাসড়ক প্রকল্পগুলির শিলান্যাস করেন তার মধ্যে রয়েছে ৩১ নম্বর জাতীয় মহাসড়কেরআন্টা-সিমারিয়া সেকশন-কে চার লেনের রাস্তায় রূপান্তর ও ছয় রাস্তার গঙ্গা সেতুনির্মাণ ; একত্রিশনম্বর জাতীয় মহাসড়কের বখতিয়ারপুর-মোকামা সেকশন-টিকে চার লেনের রাস্তায় রূপান্তর ; ১০৭ নম্বর জাতীয় মহাড়কেরমহেশখুন্ত-সহর্ষ-পূর্ণিয়া সেকশন-এ দু লেনের রাস্তা নির্মাণ এবং ৮২ নম্বর জাতীয়মহাসড়কে বিহারশরিফ-বরবিঘা-মোকামা সেকশন-এ দু লেনের রাস্তা নির্মাণ। অন্যদিকে যে চারটি নিকাশিপ্রকল্পের শনিবার প্রধানমন্ত্রী শিলান্যাস করেন সেগুলি হল বেউর-এ জল ও বর্জ্য শোধনপ্রকল্প, বেউর-এ নিকাশি ব্যবস্হার নেটওয়ার্কের সঙ্গে এক নতুন নিকাশি প্রকল্প যুক্তকরা, কারমালিচক-এ বর্জ্য শোধন প্রকল্প এবং সৈয়দপুরে জল ও বর্জ্য নিকাশি ব্যবস্হা। /","আন্তঃগাঁথনিমুলক প্ৰকল্পৰ আধাৰশিলা স্থাপন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ, মোকামাত ৰাজহুৱা সভাত ভাষণ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF-11/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%A8-%E0%A6%89/,"নতুন ভারত, স্মার্ট ইন্ডিয়ার সংকল্প বাস্তবায়িত করতে আপনারা যাঁরা ব্রতী হয়েছেন, সেই নবীন বন্ধুদের অনেক অনেক অভিনন্দন। এই নিয়ে তৃতীয়বার আমি প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। ২০১৭ সালে যখন আমরা এই অভিযান শুরু করেছিলাম, তখন থেকে নিরন্তর এর কর্মকান্ড সম্প্রসারিত হচ্ছে। বন্ধুগণ, স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন জাতীয় স্তরে অনুষ্ঠিত বৃহত্তম ‘ওপেন ইনোভেশন মডেল’ হিসাবে উঠে এসেছে। এখানে একই মঞ্চে বহুসংখ্যক শিল্পোদ্যোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি দপ্তর, পেশাদার এবং ছাত্রছাত্রীরা মিলেমিশে কাজ করছেন। ৩০ ���াজার ছাত্রছাত্রী নিয়ে শুরু হওয়া এই হ্যাকাথনে আজ অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ২ লক্ষে পৌঁছেছে। আজ আমি বলতে পারি যে, আমরা সঠিক পথেই এগিয়ে চলেছি। বন্ধুগণ, পূর্ববর্তী দুটি হ্যাকাথন থেকে অনেক উদ্ভাবক ধারণা উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে শুরুতে শুধুই সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সরকার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু এবার বেশ কিছু শিল্পোদ্যোগও নিজেদের সমস্যা আপনাদের সামনে এনে রেখেছেন। এর মাধ্যমে নিশ্চিতভাবেই আপনাদের প্রচেষ্টার সম্প্রসারণ ঘটবে এবং একজন আবিষ্কারক বাজারে আপনাদের পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে। বন্ধুগণ, আমাদের অর্থনীতি একটি নতুন ট্র্যাকে ছুটছে। আমরা সবাই মিলে যে নতুন ভারতের নির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছি, তা এই উদ্ভাবন ও স্টার্ট আপ বিশ্বে সাফল্যের আলো দেখছে। গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সে আজ আমরা ৫৭তম স্থানে পৌঁছে গিয়েছি। ২০১৪’য় আমরা সেই তালিকায় ৮১ নম্বর স্থানে ছিলাম। অর্থাৎ আমরা সাড়ে চার বছরে ২৪ স্থান অতিক্রম করেছি। আমরা এখন যে মেজাজে কাজ করে চলেছি, অতি শীঘ্রই আমরা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ২৫টি দেশের মধ্যে পৌঁছে যাব। ভারত আজ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট আপ দেশে পরিণত হয়েছে। বিগত ৩ -৪ বছরে ১৫ হাজারেরও বেশি স্টার্ট আপ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই স্টার্ট আপগুলি শুধুই বড় বড় শহরে সীমাবদ্ধ নেই, দেশের প্রায় প্রত্যেক জেলাতেই এখন এই ধরণের স্টার্ট আপ স্থাপিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হ’ল নতুন স্থাপিত স্টার্ট আপগুলির প্রায় অর্ধেক ছোট ছোট শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এভাবে দেশের প্রায় ১৫০টি ‘টেকনোলজি বিজনেস ইনকিউবেটার্স’ – এর মধ্যে স্টার্ট আপ – এর সংখ্যা তিন বছর আগে যেখানে ১ হাজার ৬০০ ছিল, তা এ বছর দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ হাজারে পৌঁছে গেছে। বন্ধুগণ, উদ্ভাবন ও স্টার্ট আপের জন্য ইতিবাচক আবহ গড়ে তুলতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। অটল ইনকিউবেশন মিশন সম্পর্কে তো আপনারা ভালোভাবেই পরিচিত। সারা দেশে ৫ হাজারেরও বেশি বিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই অটল টিঙ্কারিং ল্যাবস্‌ চালু হয়েছে। এগুলির মাধ্যমে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকেই ছাত্রছাত্রীরা ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির সঙ্গে সরাসরি পরিচিত হচ্ছে। বন্ধুগণ, প্রশাসন এবং শিল্পোদ্যোগগুলির যে সমস্যা আপনাদের সামনে রাখা হয়েছে, সেগুলির পাশাপাশি, আমি আপনাদের একটি অনুরোধও জানাতে চাই। শিশু ও মহিলাদের প্রতি অপরাধ দেশের ক্রমব��্ধমান সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম। একটি উন্নত সমাজ গড়ে তুলতে আমাদের এগুলি সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। আপনারা কি এমন কোনও ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেম উদ্ভাবন করতে পারেন, যার মাধ্যমে বাড়ি থেকে শুরু করে বিদ্যালয় পর্যন্ত শিশুদের সমস্ত গতিবিধি তদারকি করা যাবে। বাড়ি ও বিদ্যালয়ের পাশাপাশি, স্থানীয় পুলিশ স্টেশন এবং পেট্রোলিং ভ্যানকেও যাতে সঠিক সময়ে সক্রিয় করা যায়, এরকম একটি ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেম উদ্ভাবন করতে পারলে আপনারা দেশ ও সমাজের অনেক উপকার করবেন। একইভাবে, সড়কপথ ও গলিপথগুলিতে যাঁরা ফল ও সব্জি বিক্রি করেন, তাঁদের জন্য ই-মার্কেট প্লেসের মতো কোনও প্রযুক্তিগত সমাধান, যার মাধ্যমে স্থানীয় স্তরে বাড়ি বাড়ি ফল-সব্জি সরবরাহের একটি সহজ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। বন্ধুগণ, স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথনকে শুধুই একটি বার্ষিক কর্মতৎপরতা হিসাবে না দেখে একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া হিসাবে দেখতে হবে। যা সারা বছর ধরে চলবে, যাতে কোনও শিল্পোদ্যোগ বা সরকারি দপ্তরের সমস্যার অভিনব সমাধানের ক্ষেত্রে সমাধানকারীকে পুরস্কার প্রদান করা যায়! আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনাদের মতো অনেক নবীন প্রজন্মের বন্ধু নিরন্তর এই কর্মযজ্ঞের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইবেন আর তাহলে এই সমস্যাগুলিরও সমাধান করা সম্ভব হবে। আপনাদের সবার ওপর, আমার দেশের নবীন বন্ধুদের ওপর আমার সম্পূর্ণ ভরসা আছে। আপনারা সবাই নতুন ভারতের নতুন আত্মবিশ্বাসের প্রধান ভিত্তি।",স্মার্ট ইণ্ডিয়া হেকাথন উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রীসকলৰ সৈতে ভিডিঅ’ কনফাৰেন্সৰ মাধ্যমেৰে বার্তালাপৰ পূৰ্বে প্রধানমন্ত্রীৰ উদ্বোধনী ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%A3-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মধ্যপ্রদেশের মান্দলায় এক জনসভায় রাষ্ট্রীয় গ্রামীণ স্বরাজ অভিযান-এর সূচনা করেছেন। তিনি আগামী পাঁচ বছরের জন্য আদিবাসীদের সার্বিক উন্নয়নে পরিকল্পনার এক রূপরেখা প্রকাশ করেছেন। মান্দলা জেলার মানেরি-তে ইন্ডিয়া অয়েল কর্পোরেশনের একটি এলপিজি বটলিং প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তরও তিনি স্থাপন করেন। স্থানীয় সরকারের এক ডায়রেক্টরিও তিনি প্রকাশ করেন। যে সব গ্রামে ১০০ শতাংশ ধোঁয়ামুক্ত রান্নাঘরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে, ‘মিশন ইন্দ্রধনুষ’-এর আওতায় যে সব গ্রামে ১০০ শতাংশ প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হয়েছে এবং ‘সৌভাগ্য’ কর্মসূচির আওতায় যে সব গ্রামে ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণ হয়েছে, সেই গ্রামের সরপঞ্চদের সম্বর্ধনা জানান প্রধানমন্ত্রী। মান্দলা থেকে সারা দেশের পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিনিধিদের উদ্দেশে এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মহাত্মা গান্ধীর গ্রাম স্বরাজ এবং ‘গ্রামোদয় থেকে রাষ্ট্রোদয়’-এর উদাত্ত আহ্বান স্মরণ করেন। তিনি বলেন, জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবসে মধ্যপ্রদেশে আসতে পেরে তিনি আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, মহাত্মা গান্ধী সর্বদাই গ্রামের গুরুত্বের কথা তুলে ধরতেন এবং গ্রাম স্বরাজের কথা বলতেন। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে গ্রামের জন্য কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি পালনের কথা পুনরায় স্মরণ করান। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, গ্রামোন্নয়নের কথা বলার সময় বাজেট বরাদ্দ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, বিগত কয়েক বছরে আলোচনার অভিমুখটি পরিবর্তিত হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সাধারণ মানুষ বর্তমানে একটি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ যাতে সদ্ব্যবহার হয়, তা সুনিশ্চিত করার প্রয়োজনের ওপর জোর দিচ্ছেন। এছাড়া, এই ধরণের প্রকল্পের কাজ যাতে নির্ধারিত সময়ে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হয় তার কথাও বলা হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি সাধারণ মানুষকে তাঁদের সন্তানসন্ততিদের শিক্ষার ওপর নজর দেওয়ার আহ্বান জানান এবং বলেন যে শিশুর ভবিষ্যতের জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজন। কৃষিক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগের প্রসঙ্গও তিনি তুলে ধরেন। পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের প্রতি তিনি জল সংরক্ষণের প্রতি নজর দেওয়ার আহ্বান জানান এবং জলের প্রতিটি বিন্দু যাতে সংরক্ষিত হয়, তা নিশ্চিত করার কথা বলেন। শ্রী নরেন্দ্র মোদী ‘জন ধন যোজনা’র মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। এছাড়া, ‘বন ধন যোজনা’র মাধ্যমে উপজাতীয় সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং ‘গোবর ধন যোজনা’র মাধ্যমে কৃষকদের স্বয়ম্ভর করে তোলা এবং বর্জ্য পদার্থকে শক্তিতে রূপান্তরের কথাও উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের গ্রামগুলির রূপান্তর করা গেলে, তাই ভারতের রূপান্তর সুনিশ্চিত করবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে, সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যার ফলে মহিলাদের নিরাপত্তা সুরক্ষ��ত হবে।",ৰাষ্ট্রীয় গ্রামীণ স্বৰাজ অভিযানৰ শুভাৰম্ভ কৰিলে প্রধানমন্ত্রীয়ে; জনজাতিসকলৰ সৰ্বাগীন উন্নয়ন পৰিকল্পনাৰ ৰূপৰেখা প্রকাশ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%8F%E0%A6%AB%E0%A6%8F%E0%A6%9B%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%9C/,"সিকিউরিটিজঅ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি)-র সঙ্গে জিব্রাল্টারের ফিনান্সিয়ালসার্ভিস কমিশন (এফএসসি)-এর পারস্পরিক সহযোগিতা ও কারিগরি সহায়তার লক্ষ্যে এক মউস্বাক্ষরের প্রস্তাব বুধবার অনুমোদিত হল প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীরনেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এইদুটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক মউ স্বাক্ষরের ফলে আরওপ্রসার লাভ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। দু’দেশের শেয়ার বাজারের প্রসার ও বিকাশেরউপযোগী পরিস্থিতি গড়ে তুলতেও মউ স্বাক্ষরের ঘটনা বিশেষভাবে সাহায্য করবে। মউস্বাক্ষরের পরিপ্রেক্ষিতেদুটি সংস্থার মধ্যে তথ্য বিনিময়ের কাঠামোটিও আরও মজবুতহয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে যার ফলে, মূল্য সংযোজন ঘটবে সেবি এবং এফএসসি-র পারস্পরিকবৈদেশিক সহযোগিতা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে দায়দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও। /",ছেবি আৰু এফএছচিৰ মাজত বুজাবুজি চুক্তি স্বাক্ষৰত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0-15/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4-2/,শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র স্থল পরিদর্শন করেছেন দীপাবলির প্রাক্কালে আজ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যা সফর করলেন এবং ভগবান শ্রীরামলালা বিরাজমান-এর দর্শন এবং পূজা করলেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র পরিদর্শন করেন। তিনি মন্দির স্থলে শ্রমজীবী সহ এই পবিত্র প্রকল্পে যুক্ত মানুষদের সঙ্গেও কথা বলেন।,উত্তৰ প্ৰদেশৰ অযোধ্যাত ‘ভগৱান শ্ৰী ৰামলালা বিৰাজমান’ৰ দৰ্শন আৰু পূজা সম্পন্ন কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%A3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%95-%E0%A6%B6/,"নতুন��িল্লি, ২২শে মার্চ, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিহার দিবসে রাজ্যের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ বিহারের সব ভাই-বোনেদের বিহার দিবস উপলক্ষ্যে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ এই রাজ্যের উন্নয়ন নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছাক, সেই কামনা করি। /",বিহাৰ দিৱসত বিহাৰবাসীক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AD/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা বুধবার ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে অভিবাসন ও গতিবিধি সহযোগিতা চুক্তিতেস্বাক্ষরের অনুমোদন দিল| ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতির আসন্ন ভারত সফরের সময় এই চুক্তিস্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে| এইচুক্তি দু’দেশের নাগরিকদের মধ্যেকার সম্পর্ক বৃদ্ধিতে, ছাত্রছাত্রী, গবেষক,শিক্ষাবিদ, দক্ষ পেশাদারদের যাতায়াত বৃদ্ধিতে এবং অনিয়মিত অভিবাসন ও মানব পাচার প্রতিরোধসম্পর্কিত বিষয়ে সহযোগিতাকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এক মাইল ফলক হিসেবে কাজ করবে|ভারত যে ফ্রান্সের সঙ্গে বহুমুখী সম্পর্ককে দ্রুত বৃদ্ধি করে চলেছে তার প্রামাণিকসাক্ষ্য এই চুক্তি এবং তা দুই দেশের মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান বিশ্বাস ও আস্থারপ্রতীক| এইচুক্তি প্রাথমিকভাবে সাত বছরের জন্য কার্যকর থাকবে এবং তা পরবর্তী সময়েস্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্নবীকরণ হবে| এর পরিচালনা পদ্ধতির জন্য গঠিত হবে এক যুগ্মকার্যকর গোষ্ঠী| A.D",ভাৰত আৰু ফ্ৰান্সৰ মাজত প্ৰবাসন আৰু গতিশীলতাৰ ক্ষেত্ৰত সহযোগিতাৰ বাবে বুজাবুজিৰ চুক্তি স্বাক্ষৰৰ প্ৰস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%97-%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AB%E0%A6%BF-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%AE%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97-%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AB%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%AC/,"নয়াদিল্লি, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথম ভারতীয় হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ ডায়মন্ড লিগ ট্রফি জয়ের মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করার জন্য শ্রী নীরজ চোপড়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক ট্যুইট র্বাতায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; “প্রথম ভারতীয় হিসেবে ম��্যাদাপূর্ণ ডায়মন্ড লিগ ট্রফি জয়লাভ করে ইতিহাস সৃষ্টি করায় @Neeraj_chopra1 কে অভিনন্দন জানাই। তিনি আবারও তাঁর অধ্যাবসায় ও ধারাবাহিকতার প্রমাণ দিলেন। তাঁর ধারাবাহিক সাফল্য ভারতীয় খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করে।”",ডায়মণ্ড লীগ ট্ৰফী বিজয়ৰ বাবে নীৰজ চোপ্ৰাক অভিনন্দন প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%93-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9D-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A7%B0-%E0%A6%B2%E0%A6%98%E0%A7%82-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A6%BE/,"আমার মন্ত্রিসভার সহযোগী অরুণ জেটলি মহোদয়, গিরিরাজ সিংহ মহোদয়, শিবপ্রতাপ শুক্লা মহোদয়, পোন রাধাকৃষ্ণন মহোদয় ও অন্যান্য মাননীয় সহযোগীরা। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র ও অন্যান্য আর্থিক, বাণিজ্য ও শিল্প জগৎ থেকে আগত সকল মাননীয় ব্যক্তিবর্গ এবং সমগ্র দেশ থেকে আগত ক্ষুদ্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ। দেশের ক্ষুদ্র শিল্পের প্রয়োজনে সমর্পিত এই অনুষ্ঠানে আপনাদের সকলকে এবং দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত শিল্পপতি বন্ধুদের হৃদয় থেকে স্বাগত জানাই, অভিনন্দন জানাই। সবার আগে আপনাদের সবাইকে দীপাবলি এবং নতুন সম্বত বর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা। আমরা জানি যে দীপাবলি এবং নতুন বছরের আমাদের দেশে কতটা গুরুত্ব। এই গুরুত্ব এখন বিশ্ববাসীও উপলব্ধি করতে শুরু করেছে। বিশেষ করে, আমাদের ব্যবসায়ী ভাই-বোনেরা এদিন এই আশা নিয়ে নতুন খাতা খোলেন যে দীপাবলির শুভ লগ্নে খাতা খুললে গোটা বছর ভালো কাটবে। তাছাড়া, এই সময়েই আমাদের দেশে কৃষি এবং কৃষিজাত দ্রব্য বাজারে চলে যায়। এই সময়ে যে বিকি-কিনি হয় তা আগামী বছরের বাজারের প্রবৃদ্ধিও নির্ধারণ করে। সেজন্যই দীপাবলি এ দেশের জন্য এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যতটা বাজেটের সময় হয়। এই সময়ে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি আমাদের ভবিষ্যতে অনেক বড় প্রভাব ফেলে। আজ এই বিশেষ আয়োজনে আপনাদের সামনে ক্ষুদ্র শিল্প সংক্রান্ত সরকারের ১২টি বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্তারিত জানাতে চাই। বিগত কয়েক সপ্তাহে ভারত সরকারের কয়েকটি মন্ত্রক মিলে এই সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছে। এর জন্য বিগত কিছুদিন ধরে বেশ কিছু ফসলের ক্ষেত্রে ছোট স্তরে প্রয়োগ করে একটি ট্রায়াল রানের আয়োজন করা হয়েছিল। সমস্ত সমীক্ষার পর আজ দেশের জনগণের সামনে আমি এই ঐতিহাসিক ১২টি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে চাই। বন্ধুগণ, এই ১২টি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রচ���িত স্বতন্ত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিবর্তে মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বতন্ত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই গতিহীনতার শিকার হতে হয়। আর, আপনাদের সমস্ত স্বপ্ন ফাইল চাপা পড়ে থাকে। কিন্তু মিলিত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আধিকারিকরা নিজে ফাইল নিয়ে এগিয়ে এসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেন। এই ১২টি সিদ্ধান্ত দেশের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের জন্য একটি বড় দীপাবলির উপহার। এর মাধ্যমে দেশের ক্ষুদ্র শিল্প একটি নতুন যুগে পা রাখতে চলেছে। ভাই ও বোনেরা, ভবিষ্যতের ছবি তুলে ধরার আগে আমি আপনাদের সামনে অতীত এবং বর্তমান নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। এটা এজন্য প্রয়োজন কারণ যে অতীত আমাদের গৌরমের ভ্রমে আচ্ছন্ন করে রাখে, আর যে বর্তমান আমাদের উৎসাহ বর্ধন করে, তার উল্লেখ অবশ্যই করা উচিৎ। বন্ধুগণ, এটা আমরা খুব ভালোভাবেই জানি যে, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ আমাদের কোটি কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের উপায়। ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ আমাদের দেশের অর্থ ব্যবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ কৃষির পর কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সবচাইতে বড় ক্ষেত্র। কৃষি যদি ভারতের অর্থ ব্যবস্থার মেরুদণ্ড হয়, তাহলে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ হল এ দেশের অর্থ ব্যবস্থার শক্তিশালী পা যা দেশের প্রগতিকে ত্বরান্বিত করার কাজ করে। হস্তশিল্প থেকে শুরু করে ওষুধ উৎপাদন, চাষের ক্ষেত থেকে শুরু করে খেলার মাঠ পর্যন্ত, বস্ত্র থেকে অস্ত্রশস্ত্র, উল থেকে শুরু করে শক্তি উৎপাদন – এরকম অনেক ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের অবদান অনস্বীকার্য। · কাঞ্চিপুরমের শাড়ি হোক কিংবা পানিপথের তাঁতশিল্প, · লুধিয়ানার হোসিয়ারি হোক কিংবা মুরাদাবাদের পিতল, · বেনারসের শাড়ি হোক কিংবা আলিগড়ের তালা, · জামশেদপুর এবং পুণের অটো শিল্প হোক, ভারুচের রাসায়নিক শিল্প হোক কিংবা কোয়েম্বাটোরের বিদ্যুৎচালিত পাম্প, · যোধপুর, কিষাণগড়ের হস্তশিল্প এবং পাথরের কাজ হোক কিংবা কটকের গহনা শিল্প, · মধুবনীর চিত্রশিল্প হোক কিংবা মেরঠের ক্রীড়া সরঞ্জাম শিল্প পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ – এগুলি আমাদের জন্য নিছকই শিল্পোদ্যোগ নয়, এগুলি আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের পরম্পরা, আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ�� বিশেষ বিশেষ ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ অনেক শহরের পরিচয় গড়ে তুলেছে। আমি যদি বলি যে, দেশের প্রত্যেক জেলার সঙ্গে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ একটি বিশেষ পরিচয় জুড়ে দিয়েছে তাহলে হয়তো অত্যুক্তি হবে না! সময়ের সঙ্গে এই ঐতিহ্য আমাদের ক্ষুদ্র শিল্পকে উন্নত করার মাধ্যমে দেশের অর্থব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করেছে। বন্ধুগণ, আজ ভারত বিশ্ব অর্থনীতির আকাশে একটি উজ্জ্বল তারকা হয়ে উঠেছে। গোটা বিশ্বের নজর ভারতের দিকে, বিশ্বের বাণিজ্যিক আলোচনার কেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়া এই নতুন ভারতে যে কোনও সংকল্পকে সাকার করার শক্তি এবং ১৩০ কোটি ভারতবাসীর আশা ও আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়িত করার সামর্থ্য রয়েছে। ভারতকে এই উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার কৃতিত্ব, দেশকে নতুন প্রাণশক্তিতে তরতাজা করে তোলার কৃতিত্ব আমাদের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের রয়েছে। আপনাদের পরিশ্রমের ফলেই আজ ভারত বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম একটি শক্তিকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। বিগত চার-সাড়ে চার বছরে ভারতে যেসব পরিবর্তন এসেছে আপনারাই তার সবচাইতে বড় অংশীদার। আপনারা আনুষ্ঠানিকতার লক্ষ্যে অনেক চেষ্টা করেছেন। ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত হয়েছে, ই-কমার্সের মতো নতুন ব্যবস্থায় নিজেরা সামিল হয়েছেন, জিএসটি-র মতো দেশের এতবড় কর সংস্কার ব্যবস্থাকে আপন করে নিয়েছেন। আপনারা নিজেদের প্রজ্ঞা এবং সাহসের সঙ্গে বিশ্ব বাজারের মোকাবিলাও করছেন। দেশে এই পরিবর্তনগুলির ফলেই আজ ভারত চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে নতুন যুগে প্রবেশ করতে চলেছে।আজ আমরা এক নতুন উদ্যমে নতুন যুগে প্রবেশ করতে চলেছি। দেশের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ এই পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করার ফলেই এই সমস্ত কিছু সম্ভব হচ্ছে। আপনাদের এই সাহসকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য সরকারও আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। গত চার-সাড়ে চার বছরে দেশে অনেক সংস্কার এবং নতুন নতুন সিদ্ধান্তের ফলে আজ ভারতে ব্যবসা করা খুব সহজ হয়ে উঠেছে। দু’দিন আগেই বিশ্ব ব্যাঙ্ক যে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’-এর র‍্যাঙ্কিং ঘোষণা করেছে, তাতে আমরা গত বছরের তুলনায় আরও ২৩ ধাপ এগিয়ে গিয়েছি। চার বছর আগে আমরা ১৪২তম স্থানে ছিলাম। বিগত চার বছরে আমরা ৬৫ ধাপ এগিয়ে এখন ৭৭তম স্থানে পৌঁছে গিয়েছি। আর যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অধিকাংশ রাজ্�� সরকার তার প্রত্যেক বিভাগে একের পর এক নতুন নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে, আমার দৃঢ় বিশ্বাস এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০টি দেশের মধ্যে পৌঁছতে আমাদের আর বেশি দেরি লাগবে না। ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’-এর ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া যত সহজ হয়, এর দ্বারা ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলি সবচাইতে বেশি লাভবান হয়। নির্মাণের ক্ষেত্রে অনুমতি, বিদ্যুৎ সংযোগ ও অন্যান্য অনুমতির ক্ষেত্রে আমাদের ক্ষুদ্র শিল্পগুলি সবসময়ই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হত। আমরা একদমই তৃণমূলস্তরে গিয়ে বিভিন্ন আইন সংস্কার করে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের পথ আরও সহজ করে তুলেছি। তাছাড়া, বিগত চার-সাড়ে চার বছরে এক্ষেত্রে বিশেষ লক্ষ্য রেখে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে যে ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে তাও ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগকে নতুন শক্তি দিয়েছে। বন্ধুগণ, ক্ষুদ্র শিল্পকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে কিছু উপাদান অত্যন্ত প্রয়োজন। আমি সেগুলিকে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করেছি। ক) মূলধনের যোগান, সহজ শর্তে ঋণদানের মাধ্যমে অর্থ প্রবাহ জারি রাখা, খ) উৎপাদিত পণ্যের বাজার, ই-কমার্সের মতো মঞ্চে আপনাদের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি, গ) প্রযুক্তির উন্নতি ঘটানো, ঘ) সরকারি দখলদারি কম করে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’কে নিশ্চিত করা এবং ঙ) কর্মচারীদের নিরাপত্তা ভাবনা সুনিশ্চিত করা। এগুলি সম্পর্কে আমি আপনাদের বিস্তারিত বলতে চাই। প্রথম শ্রেণী ‘ক’-এর ক্ষেত্রে মূলধনের যোগান, সহজ শর্তে ঋণদানের মাধ্যমে অর্থ প্রবাহ জারি রাখতেই আপনাদের যেন ব্যাঙ্কের দরজায় বেশি না ঘুরতে হয় তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে। যে কোন ব্যবসার জন্য এটাই আপনাদের প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তা। অনেক মানুষ নিজের পুঁজি সম্বল করে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু ব্যবসা বিস্তারের ক্ষেত্রে ঋণ নিতেই হয়। এখন আপনাদের এই প্রয়োজন মেটাচ্ছে ব্যাঙ্কগুলি। তৃণমূলস্তরে আপনাদের যাদের বার্ষিক লেনদেন ২০ লক্ষ থেকে ৫ কোটির মধ্যে রয়েছে, তাদের ঋণ পেতে খুব সমস্যা হত। ব্যালান্স শিটের আকার ছোট হওয়ার ফলে ব্যাঙ্কগুলি আপনাদের ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত থাকত, দেরি করত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঋণও দিত না। বিশেষ করে, যে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলিকে বৃহৎ শিল্পক্ষেত্রে তাদের উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ করতে হয়, তাদেরও বড় কোম্পানিতে বিল গ্রহণ করা থেকে টাকা পাওয়া পর্যন্ত বিলম্ব আর্থিক সমস্যাকে আরও গভীর করে তুলত। এই বিলম্বের প্রত্যক্ষ প্রভাব আপনাদের আর্থিক লেনদেনকে সঙ্কটাপন্ন করে তুলত। আপনাদের এই সমস্যা দূর করার জন্য আমি আজকের প্রথম ঘোষণা করছি, সেটি হল দেশে ৫৯ মিনিট লোন পোর্টাল চালু করা। অর্থাৎ, এখন সকালে বাড়ি থেকে অফিস পৌঁছতে আপনাদের যতটা সময় লাগবে কিংবা সন্ধ্যায় খাতা মেলাতে যতটা সময় লাগবে, সেই সময়ের মধ্যেই আপনাদের ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তগত মঞ্জুরি পাবেন। বন্ধুগণ, কিছুদিন আগে জেটলিজির নির্দেশে একটি প্রচেষ্টার সূত্রপাত হয়েছে। তখন আমি আধিকারিকদের বলি যে আপনারা ট্রায়াল হিসেবে শুরু করছেন বটে, কিন্তু আমি আপনাদের যে লক্ষ্য দেব সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন? ভাই ও বোনেরা, এ বছর ভারতের স্বাধীনতার ৭২ বছর পূর্তি হল। আমি তাদের বলেছিলাম, যে যেদিন আপনারা এই পোর্টাল সারা দেশের জন্য জারি করবেন, সেদিনের মধ্যে কি আপনারা ৭২ হাজার ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতিদের ঋণ মঞ্জুর করতে পারবেন? বন্ধুগণ, এই মুহূর্তে যখন আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি, আপনাদের সামনে ঐ যে কাউন্টার দেখতে পাচ্ছেন, সেখানে যে ঘড়িটা দেখতে পাচ্ছেন, তার সংখ্যার দিকে তাকিয়ে দেখুন। কত ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতিদের এই পোর্টালের মাধ্যমে ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে কিংবা পুনর্নবীকরণ করা হয়েছে তার সংখ্যা এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কিভাবে লাগাতার এই সংখ্যা পরিবর্তন হচ্ছে। তার মানে দূরে কোথাও দেশের যে কোন প্রান্তে আপনাদের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতি ভাই কিংবা বোনের জন্য মাত্র ৫৯ মিনিটে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ মঞ্জুর হচ্ছে। ভাবুন, মাত্র ৫৯ মিনিট! আমি ইচ্ছে করেই তাদেরকে এক ঘন্টা সময় দিইনি। কারণ, এক থেকে দুই আর দুই থেকে তিন হতে সময় লাগে না। সেজন্য আমি এই ৫৯ মিনিটের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করেছি। ভাই ও বোনেরা, এই কাজ পূর্ববর্তী কোনও সরকারও করতে পারতো! কিন্তু এ ধরণের কাজের জন্য সদিচ্ছা ও সততা থাকতে হয়। ‘ন্যূনতম সরকার, অধিকতম প্রশাসন’-এর মূলমন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলা আমাদের সরকার, প্রত্যেক পদক্ষেপে আপনাদের আইনের বেড়াজাল থেকে মুক্তি প্রদানের কাজ করছে। আমার মনে আছে যে যখন আমি পোর্টাল নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখন তাঁদের বলেছিলাম যে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের বার্ষিক লেনদেনের তথ্য আপনাদের কাছে জমা পড়া জিএসটি রিট���র্ন এবং আয়কর রিটার্নের মাধ্যমে পেয়ে যান, তাহলে এগুলি বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদেরকে ব্যাঙ্ক ঋণ কেন দেওয়া যাবে না? আমি এটাও বলেছিলাম যে এই পরিষেবা যাতে অধিকাংশ শিল্পপতি পেতে পারেন, সেজন্য এর সঙ্গে আমাদের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের আর্থিক লেনদেনের সংযোগ রয়েছে তেমন পোর্টালের লিঙ্ক থাকা উচিৎ। যেমন জিএসটি পোর্টাল। এই পোর্টালের সঙ্গে যে সৎ করদাতারা যুক্ত হবেন, তাঁদের ঋণ পেতে সমস্যা হবে কেন? সেজন্যই আপনারা যখনই জিএসটি পোর্টালে নিজেদের রিটার্ন ফাইল করবেন, তখনও আপনারা এই পরিষেবা পাবেন। আপনি যখনই এই পোর্টালে যাবেন আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হবে যে আপনি কি ঋণ চান? যদি আপনি হ্যাঁ বলেন, তাহলে ৫৯ মিনিট লোন পোর্টাল-এর পরিষেবা আপনি পাবেন। বন্ধুগণ, আমরা চাই সরকার যেন জিএসটি-র সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক শিল্পপতি, প্রত্যেক ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতিদের দরজায় সরকারি পরিষেবা পৌঁছয়। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে এই সমস্ত সুবিধাসম্পন্ন ৫৯ মিনিট লোন পোর্টাল আপনাদের সমর্পণ করছি এবং আজ থেকে এ দেশের প্রত্যেক ক্ষেত্রের ক্ষুদ্র শিল্পপতিরা এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন। এই নতুন ভারতে বারবার ব্যাঙ্কে যাওয়ার প্রক্রিয়া সমাপ্ত করতে চাই। বন্ধুগণ, এখন আমি দ্বিতীয় ঘোষণায় আসছি। এখন আপনারা ৫৯ মিনিটের মধ্যে ঋণপ্রাপ্তির সিদ্ধান্তগত মঞ্জুরি পেলেন। কিন্তু সুদের হার কত হবে এটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমি যে কথা বলতে যাচ্ছি সেটা মনযোগ দিয়ে শুনুন। ভাই ও বোনেরা, এটা নিশ্চিত যে জিএসটি নিবন্ধীকৃত প্রত্যেক ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতি ১ কোটি টাকা পর্যন্ত নতুন ঋণ কিংবা ইনক্রিমেন্টাল ঋণ নিলে সুদের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। আমি একটু আগেই আপনাদের সততা প্রতিষ্ঠার কথা বলেছি, এটি তারই বিস্তার। এখন জিএসটি-র সঙ্গে যুক্ত হওয়া এবং কর প্রদান আপনাদের শক্তির কারণ হয়ে উঠবে, আপনারা এর মাধ্যমে ২ শতাংশ সুদে ছাড় পাবেন। শুধু তাই নয়, রপ্তানিকারকদের জন্যও দীপাবলির উপহার রয়েছে। রপ্তানিকারকদের পণ্য ছাড়ার আগে থেকে পণ্য পাঠানোর পরবর্তী সময়ের মধ্যে যে ঋণ প্রদান করা হয়, তার সুদ ছাড়ের হারও সরকার ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভাই ও বোনেরা, দেশে রপ্তানী ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের বড় অবদান রয়েছে। দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ��০ শতাংশ আপনারাই করে থাকেন। সেজন্য ভারতের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দ্বারা যাতে আপনাদের মতো ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতি রপ্তানিকারকরা উপকৃত হন, সেকথা মাথায় রেখে এই সুদের হারে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমার আশা, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের রপ্তানিকারকদের অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে। বন্ধুগণ, এতক্ষণ পর্যন্ত যে দুটি ঘোষণা করেছি তার মাধ্যমে ঋণ পাওয়া সহজ হবে, ব্যাঙ্কে কম যেতে হবে এবং সুদের হার হ্রাস পাবে। কিন্তু আমি চাই, যেসব কারণে আপনাদের সাধারণত ঋণ নিতে হয়, সেসব সমস্যা নিরসন করতে। আমি জানি যে, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলি বড় কোম্পানিগুলিকে তাদের উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ করে। কিন্তু সেই কোম্পানিগুলি থেকে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য পেতে তাদের অনেক মাস অপেক্ষা করতে হয়। সেক্ষেত্রে আপনাদের ব্যবসা চালু রাখতে ঋণ নিতে হয়। আমার আজকের তৃতীয় ঘোষণা এই সমস্যা সমাধান সম্পর্কিত। যে কোম্পানিগুলির বার্ষিক লেনদেন ৫০০ কোটি টাকার বেশি, তাদেরকে এখন ‘ট্রেড রিসিভেবল্‌স ই-ডিসকাউন্টিং সিস্টেম’ কিংবা ‘ট্রেড্‌স’ প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যাতে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলির সরবরাহ করা পণ্যের মূল্য পেতে সমস্যা না হয়। আপনারা অনেকেই জানেন, এই ‘ট্রেড্‌স’ এমনই একটি মঞ্চ, যেখানে কিছু ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ রয়েছে আর কিছু সরকারি পিএসইউ রয়েছে, ব্যাঙ্কও রয়েছে আর ক্ষুদ্র শিল্পজাত পণ্য যেসব বড় কোম্পানিতে সরবরাহ করা হয়, সেরকম কিছু কোম্পানিও রয়েছে। এখন সরকার, এই মঞ্চকে আরও সম্মানিত ও বিকশিত করতে চায়। সরকারি সমস্ত পিএসইউ-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা নিজেদের অধীন সমস্ত বিভাগকে ‘ট্রেড্‌স’-এর অন্তর্গত করে। এখন আমি আপনাদের বলব যে এই ৫০০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেনকারী কোম্পানিগুলি ‘ট্রেড্‌স’-এর সাথে যুক্ত হলে কিভাবে উপকৃত হবে। মনে করুন কোন বড় কোম্পানি কোন ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ থেকে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের পণ্য কিনেছে। সেই ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতির কাছে সাপ্লাই অর্ডারের কনফার্মড রিসিট আছে আর তিনি যথারীতি পণ্য সরবরাহ করেছেন। এক্ষেত্রে কোন কারণে তার টাকা দীর্ঘ সময়ের জন্য আটকে গেলে ‘ট্রেড্‌স’ সেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে সাহা��্য করবে। কোন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর জন্য ১০ লক্ষ টাকা অনেক বড় অর্থ। তাঁরা ‘ট্রেড্‌স’ প্ল্যাটফর্মে ঐ বড় কোম্পানি থেকে পাওয়া পণ্য সরবরাহের কনফার্মড রিসিট আপলোড করলে, দু-তিন মাসের মধ্যে ঐ বড় কোম্পানি থেকে অর্থ পাবেই। বড় কোম্পানির কনফার্মড রিসিট থাকলে, ব্যাঙ্কও সেই বিলের ভিত্তিতে যথোচিত অর্থ প্রদান করবে। পরবর্তী সময়ে যখন কোম্পানি থেকে টাকা আসবে, তখন ব্যাঙ্ক সেই টাকা নিয়ে নেবে। এভাবে ব্যবসা চলতে থাকবে। বন্ধুগণ, এর মাধ্যমে সবচাইতে বড় লাভ হবে, আপনার যে টাকা এই ব্যবস্থায় খাটছে, সেই টাকা কখনও কোথাও আটকাবে না। আজ এই ঘোষণার পাশাপাশি আমি বড় কোম্পানিগুলিকেও অনুরোধ করব যে আপনারা ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ থেকে সরবরাহ করা পণ্যের বিল দ্রুত মঞ্জুর করুন যাতে তাদের টাকা পেতে দেরি না হয়। ভাই ও বোনেরা, তারপরও যদি আপনাদের টাকা পেতে দেরি হয় সেজন্য বিকল্প তৈরি আছে। ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ মন্ত্রকের ‘সমাধান’ পোর্টালে ক্ষুদ্র শিল্পপতিরা নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। এর সমাধান নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সরকারি উদ্যোগে করা হবে। সরকার ঐ টাকা দ্রুত দিয়ে দেওয়ার জন্য বড় কোম্পানিগুলিকে প্রেরণা দেবে। বন্ধুগণ, আপনারা যাতে দ্রুত ঋণ পান, সেই ঋণে যাতে সুদ কম থাকে, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের রপ্তানিকারকরাও যাতে সুদে ছাড় পায়, টাকার চক্র যাতে চালু থাকে – এইসব কিছুকেই আমাদের সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমার প্রথম তিনটি ঘোষণা এই লক্ষ্যে। এখন আমি ‘খ’ শ্রেণীর কথা বলব। সেটি হল দেশের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ ক্ষেত্রের জন্য নতুন বাজার গড়ে তোলা। এই লক্ষ্যে সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। তার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আজ আমি ঘোষণা করতে চলেছি। ভাই ও বোনেরা, গত বছরে সরকারি কোম্পানিগুলি তাদের প্রয়োজন মাফিক প্রায় ১ লক্ষ ১৪ হাজার কোটি টাকার পণ্য বিভিন্ন ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ থেকে কিনেছে। এতদিন পর্যন্ত যে নিয়ম ছিল সেই অনুযায়ী সরকারি কোম্পানিগুলিকে তাদের ২০ শতাংশ কেনাকাটা ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ থেকে করতে হত। আমার আজকের চতুর্থ ঘোষণা এই কেনাকাটা সংক্রান্ত। আমরা ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ থেকে সরকারি সংস্থাগুলির ক্রয়ের পরিমাণ বাধ্যতামূলকভাবে ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করছি। এই প্র���্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমার আজকের গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চম ঘোষণা মহিলা উদ্যোগপতিদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট। সরকারি কোম্পানিগুলির মোট কেনাকাটার ৩ শতাংশ মহিলা উদ্যোগপতিদের দ্বারা পরিচালিত ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ থেকেই করতে হবে। আমি মনে করি, আজকের এই সিদ্ধান্ত দেশের মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং উইমেন আন্ত্রেপ্রেনিউরশিপকে আরও শক্তিশালী করবে। বন্ধুগণ, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ উৎপাদিত পণ্যের বাজার সুনিশ্চিত করার জন্য সরকার ই-মার্কেট প্লেস বা ‘জেম’ গড়ে তুলেছে এখন থেকে দু-আড়াই বছর আগেই। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আনা। গত দু-আড়াই বছরে দেশের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলি এই স্বচ্ছতার ফলে অত্যন্ত উপকৃত হচ্ছে। আমার আজও মনে পড়ে তামিলনাড়ুর সেই মহিলার কথা যিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি ছোট থার্মাস বিক্রি করেছিলেন আর যথাসময়ে টাকা পেয়ে গিয়েছিলেন। এরকম অসংখ্য ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতিদের এই পোর্টাল নতুন সুযোগ দিয়েছে, তাঁদের জীবনে নতুন প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। না হলে আগে কি কেউ ভাবত পারতো যে বড় বড় সরবরাহ কোম্পানিগুলিকে টপকে তারা কখনও সরকারি দপ্তরগুলিতে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে? কখনই না। কিন্তু এইসব কিছু সম্ভব হয়েছে ‘জেম’ পোর্টালের মাধ্যমে। বন্ধুগণ, ইতিমধ্যেই এই ‘জেম’-এর সঙ্গে যে দেড় লক্ষেরও বেশি সরবরাহকারী যুক্ত হয়েছেন, তার মধ্যে রয়েছে ৪০হাজার ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ। এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে ৯ লক্ষ অর্ডার দেওয়া হয়েছে আর প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্যসম্পন্ন হয়েছে। আপনারা ভাবুন, কোনো দালালকে কমিশন না দিয়েই শিল্পপতিরা এই সাহায্য পেয়েছেন। ভাই ও বোনেরা, এই ‘জেম’ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্তটি আপনাদের জন্য দীপাবলির উপহার রূপে আমার ষষ্ঠ ঘোষণা। বন্ধুগণ, এখন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন সমস্ত কোম্পানি ‘জেম’-এর সদস্য হওয়া আবশ্যক করা হয়েছে। আর, আপনারা যারা এই মঞ্চে ‘ভেন্ডার্স এমএসএমই’ রূপে নিজেদের নিবন্ধীকৃত করেছেন, তারাই বেশি উপকৃত হবেন। এই সিদ্ধান্ত আজ আরও বিস্তারিত হতে যাচ্ছে। নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে ‘জেম’-এর মতোই ই-কমার্স এবং অনলাইন মার্কেটিং-এর মাধ্যমে আপনাদের উৎপাদিত পণ্য য��� বিক্রি হবে, তার জন্য উৎকর্ষ শংসাপত্র গ্রহণ আবশ্যক করা হয়েছে। এই শংসায়নের মাধ্যমে আপনারা যাতে উপকৃত হতে পারেন সেজন্য সরকার বিভিন্ন সার্টিফিকেশন এজেন্সির সঙ্গে মিলে কাজ করছে। এগ্রিগেটরের এই মডেল আমরা ক্ষুদ্র শিল্পগুলিকে বেসরকারি ক্ষেত্রে অন্যান্য কোম্পানিগুলির সঙ্গেও যুক্ত করার ক্ষেত্রে চালু করেছি। বন্ধুগণ, এখন আমি ‘গ’ শ্রেণীর দিকে এগবো। মূলধন এবং বাজার ছাড়া আমাদের ক্ষুদ্র শিল্পপতিদের সামনে আরেকটি বড় সমস্যা হল প্রযুক্তি উন্নয়ন। আমাদের অনেক ক্ষুদ্র শিল্প যথাসময়ে আধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা উপকৃত হওয়ার সুযোগ পায় না। দেশে এখন যত টুলরুম বা কারিগরীকেন্দ্র রয়েছে, সেগুলি আপনাদের পণ্যের নকশা তৈরি করতে এবং সংস্কার করতে সাহায্য করছে। এই টুলরুমগুলিতে আপনারা এমন উন্নত প্রযুক্তির পণ্য তৈরি করতে পারেন যেগুলির মেশিন আপনাদের কাছে নেই। সরকার বিগত চার বছরে এই টুলরুমগুলির সুযোগ-সুবিধা উন্নত করার কাজ করেছে। এই টুলরুমগুলির মাধ্যমে বিগত সরকারের শেষ চার বছরে সারা দেশে যেখানে ৩ লক্ষ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আমাদের সরকার প্রায় দ্বিগুণ, ৬ লক্ষ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করেছে। আমার আজকের সপ্তম ঘোষণা এই প্রযুক্তি উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত। ভাই ও বোনেরা, সরকার সারা দেশে এই টুলরুম ব্যবস্থা আরও বিস্তারিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর জন্য সারা দেশে ২০টি হাব গড়ে তোলা হবে। আর টুলরুমের মতো সারা দেশে ১০০টি স্পোক স্থাপন করা হবে। আমি আজ এই গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ৬ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করছি। এর মাধ্যমে উন্নত নকশা থেকে শুরু করে উৎকর্ষ, প্রশিক্ষণ এবং সর্বক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের উপদেশ গ্রহণের মাধ্যমে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলি অত্যন্ত লাভবান হবে। ভাই ও বোনেরা, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পর এখন আমি ‘ঘ’ শ্রেণীর দিকে এগিয়ে যাব। সেটি হল ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’। আপনাদের মধ্যে অনেকেই ওষধি উৎপাদনের কাজ করেন। সেগুলি রপ্তানিও করেন। আমাদের যে ছোট ছোট কোম্পানিগুলি গুরুত্বপূর্ণ জীবনদায়ী ওষুধ উৎপাদন করে, সেই কোম্পানিগুলিতে যে মেধাবী কেমিস্টরা রয়েছেন, তাঁদের উৎপাদিত ওষুধ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বড় কোম্পানিগুলির মাধ্যমে বিক্রি করতে হয়। আমার আজকের অষ্টম ঘোষণা এই ওষুধ কোম্পানিগুলির স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট। ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝার�� ওষুধ কোম্পানিগুলির ব্যবসা সহজ করতে তাদের উৎপাদিত পণ্য যাতে সরাসরি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছতে পারে, তা সুনিশ্চিত করতে তাদের ক্লাস্টার গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ আমি এই ক্লাস্টার গড়ে তুলতে ৭০ শতাংশ খরচ কেন্দ্রীয় সরকারের বহনের কথা ঘোষণা করছি। সরকারের এই সিদ্ধান্ত ওষুধ উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। বন্ধুগণ, আপনারা হয়তো অনুভব করেছেন যে আমি যখন থেকে বলা শুরু করেছি, অনেকবার প্রযুক্তি, জিএসটি, অনলাইন পোর্টাল, ফর্মালাইজেশন, ট্রেড, জেম, পোর্টাল – এরকম অনেক শব্দ ব্যবহার করেছি। আসলে এই সমস্ত ব্যবস্থা আপনাদের নানা ঢিমেতেতাল প্রক্রিয়ার জাল থেকে মুক্তি প্রদানের ব্যবস্থা। জিএসটি দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে সুসংগঠিত করেছে, সুনিয়ন্ত্রিত করেছে। এর মাধ্যমে ব্যবসায় আধুনিক প্রযুক্তিকে ‘বিগ ডেটা অ্যানালিটিক্স’-এর সঙ্গে যুক্ত করা সহজ হয়ে উঠেছে। এই তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ আরও সহজ হবে। আপনাদের দরজায় পরিষেবা পৌঁছতে আরও সহায়ক হবে। আমি মনে করি যে এই সিদ্ধান্ত নতুন ভারতের নতুন ব্যবসার আবহ গড়ে তোলার ভিত্তি হয়ে উঠবে এবং সততাকে উৎসাহ প্রদান করবে। বন্ধুগণ, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ স্থাপন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারি প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে আমি আজকের নবম ঘোষণা করতে যাচ্ছি। আপনাদের যাতে ন্যূনতম ফর্ম এবং রিটার্ন ভরতে হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আটটি শ্রম আইন এবং দশটি কেন্দ্রীয় নিয়মের মাধ্যমে এখন থেকে আপনাদের বছরে দু’বারের বদলে মাত্র একবার রিটার্ন জমা দিতে হবে। সরকার, ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ করে তুলতে হিউম্যান ইন্টারভেনশন কমানোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। আয়কর সম্পর্কে বলতে গিয়ে একটু আগেই অরুণজি একথা উল্লেখ করেছেন। আমার দশম ঘোষণার বিষয়ও এটাই। অনাবশ্যক যাচাই থেকে মুক্তি প্রদানের জন্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এখন থেকে ইন্সপেক্টররা কবে কোন কোম্পানিতে যাবেন, তার সিদ্ধান্ত একটি কম্পিউটারচালিত র‍্যান্ডম অ্যালটমেন্ট-এর মাধ্যমে হবে। আর তাঁদের সফর বৃত্তান্ত ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পোর্টালে আপলোড করতে হবে। তাঁরা নিজেদের ইচ্ছামতো যে কোন কোম্পানিতে যেতে পারবেন না। ভাই ও বোনেরা, ক্ষুদ্র শিল্পকে ইন্সপেক্টর রাজ থেকে মুক্তি প্রদানের জন্য এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ��ত হবে। সরকার আপনাদের বিশ্বাস করে। দেশের প্রত্যেক নাগরিককে বিশ্বাস করে। সেজন্য বিগত চার বছরে অনেক জায়গায় এফিডেভিট জমা করার প্রথা এবং সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কয়েকটি শ্রেণীতে ইন্টারভিউ প্রথা রদ করে স্ব-শংসায়ন চালু করা হয়েছে। আজ আমি ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য পরিবেশ সংক্রান্ত আইনে একটি বড় সংস্কারের ঘোষণা করতে যাচ্ছি। এটি হল আপনাদের জন্য আমার ১১তম দীপাবলির উপহার, আমার একাদশ ঘোষণা। এই ঘোষণা পরিবেশ সংক্রান্ত ক্লিয়ারেন্সের প্রক্রিয়াকে সরল করবে এবং স্ব- শংসায়ন কে উৎসাহ জোগাবে। বন্ধুগণ, আপনারা সবাই জানেন যে, এতদিন পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্রের ক্ষেত্রে অনুমতি পেতে দুটি স্তর পার করতে হত। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বায়ু প্রদুষণ এবং জল প্রদুষণ আইনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের জন্য এখন থেকে এই দুটোকে মিলিয়ে একটাই অনুমতি নিতে হবে। তার সঙ্গে সরকার আপনাদের স্ব-শংসায়ন রিটার্ন মঞ্জুর করবে। শ্রম বিভাগের মতোই পরিবেশের ক্ষেত্রেও নিয়মিত নজরদারি সমাপ্ত হবে এবং ১০ শতাংশ ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগরই নজরদারি হবে। সরকার এই সিদ্ধান্তও নিয়েছে যে, সবুজ এবং সাদা শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। টুলরুম থেকে শুরু করে স্ব-শংসায়ন, আপনারা গোড়াতেই লালকেল্লার প্রাকার থেকে আমার বক্তব্য শুনেছেন। আমি ‘জিরো ডিফেক্ট, জিরো এফেক্ট’ উৎপাদন এবং বাজারজাত করাতে জোর দিয়েছি। আপনারাও উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিবেশের ওপর কোনরকম কুপ্রভাব যাতে না পড়ে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। সরকার সাধারণ মানুষকে বিশ্বাস করে, সকল ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতিদের বিশ্বাস করার ফলে যেভাবে দেশে গণ-অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার পরিণামস্বরূপ দেশে অরণ্য এলাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্ধুগণ, সরকার ব্যবসা ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া সরল করতে সর্বদা সচেষ্ট। গতকালই এই লক্ষ্যে আরেকটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তটি আমার আজকের দ্বাদশতম ঘোষণা। সরকার, কোম্পানি আইনে একটি বড় পরিবর্তন এনে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলিকে আইনি জটিলতা থেকে স্বস্তি দিয়েছে। ভাই ও বোনেরা, কোম্পানি আইন অনুসারে এতদিন ছোট ছোট ভুলের জন্য বা অনিচ্ছাকৃত উল্লঙ্ঘনের জন্য আপনাদের অপরাধী সাব্যস্ত করা হত। অনেক ব্যবসায়িকে জেলেও যেতে হয়েছে। আর প্রায় প্রত্যেককেই আদালতে নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট করতে হয়েছে। আপনাদের এই মূল্যবান সময় এবং অর্থ যাতে নষ্ট না হয় আর মান-সম্মান বজায় থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে সরকার একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে। এখন থেকে আর ছোট ছোট ভুলের জন্য আপনাদের আদালতে যেতে হবে না। সংশ্লিষ্ট বিভাগে গিয়ে কিছু সহজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের ভুল শুধরাতে পারবেন। ফলস্বরূপ, ৬০ শতাংশেরও বেশি মামলা যেগুলি বিশেষ আদালতে চলছে সেগুলির সহজ সমাধান হয়ে যাবে। আমাকে বলা হয়েছে যে সারা দেশে এরকম মামলার সংখ্যা কয়েক লক্ষ। সেজন্য এগুলি ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ ট্রাইব্যুনালের (এনসিএলটি) ক্ষেত্রীয় নির্দেশকদের অধিকারে চলে যাবে। এক্ষেত্রে মামলাগুলির নিষ্পত্তি ত্বরান্বিত হবে। ভাই ও বোনেরা, সরকার ক্ষুদ্র শিল্প এবং একজনের মালিকানাধীন কোম্পানির ক্ষেত্রে আরও কিছু ছাড় দিয়েছে। অনেক বিষয়ে আগে যত জরিমানা দিতে হত, তা এখন অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধুগণ, এখন আমি ‘ঙ’ শ্রেণীর দিকে এগবো। সরকারের এই বড় সিদ্ধান্ত এবং প্রচেষ্টার মাঝে আমাদের এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ পরিচালনা করার সময় আমাদের শ্রমিক ও কারিগরদের সামাজিক সুরক্ষা সুরক্ষিত করতে হবে। সেজন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, সারা দেশে অভিযান চালিয়ে এক্ষেত্রে কর্মরত কারিগরদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হবে। সরকার এটা সুনিশ্চিত করবে যাতে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলিতে কর্মরত শ্রমিকদের প্রত্যেকের জন ধন অ্যাকাউন্ট থাকে। তাঁরা প্রত্যেকেই ‘প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা’ এবং ‘প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা’য় নিবন্ধীকৃত থাকেন। কোম্পানি বড় হলে তাঁরা কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিল এবং ইএসআই-এর পরিষেবাও যাতে পান, তা সুনিশ্চিত করা হবে। এভাবে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের মাধ্যমে যাঁদের কর্মসংস্থান হবে তাঁরা যাতে প্রধানমন্ত্রী রোজগার প্রোৎসাহন যোজনা দ্বারা উপকৃত হন, সেটাও সুনিশ্চিত করা হবে। বন্ধুগণ, বিশ্বায়নের যুগে এই ১২টি সিদ্ধান্ত ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলিকে সুদৃঢ়করণের মাধ্যমে একটি নতুন অধ্যায় রচনা করবে। মাত্র ৫৯ মিনিটে ঋণ পাওয়া, জিএসটি পোর্টালের মাধ্যমে ঋণ নিলে সুদে ছাড়, সস্তা ‘এক্সপোর্ট ক্রেডিট’ ট্রেডের মাধ্যমে সমস্ত ���রকারি কোম্পানিগুলির ৫০০ কোটিরও বেশি বার্ষিক লেনদেনকারী বড় কোম্পানিগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা। সরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ থেকে ২৫ শতাংশ কেনাকাটা মহিলা ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতিদের থেকে কমপক্ষে ৩ শতাংশ কেনাকাটার নিশ্চয়তা ‘জেম’-এ সমস্ত সরকারি কোম্পানিগুলির নথিভুক্তিকরণ, প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য সারা দেশে ২০টি হাব এবং ১০০টি স্পোক, দেশে ওষধ ক্লাস্টার্স গড়ে তোলা, শ্রম আইনে পরিবর্তন, রিটার্ন প্রক্রিয়া সহজ করা, ৪৮ ঘন্টায় তদারকির রিপোর্ট, পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং কোম্পানি আইনে বড় রদবদল – এই সমস্ত সিদ্ধান্ত ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করবে, নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। রাষ্ট্র নির্মাণের এই মহাযজ্ঞে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের কর্মচারীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। এই সিদ্ধান্তগুলির মাধ্যমে আপনাদের প্রচেষ্টা সুফলদায়ী হবে। সারা দেশের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলি উপকৃত হবে। বন্ধুগণ, আমার টিম যখন এই সমস্ত দায়িত্ব পালন করবে, এত পরিশ্রম করবে, তখন আমারও কিছু পরিশ্রমের মাধ্যমে এক্ষেত্রে অবদান রাখার ইচ্ছে জাগে। সেজন্য আমি নিজে ১০০টি জেলায় যেখানে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের সঙ্গে একটি ঐতিহ্য যুক্ত রয়েছে, সেখানে নিজে সমীক্ষায় যাব। যে টিম তৃণমূলস্তরে কাজ করছে, তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আগামী ১০০ দিন আমার ব্যক্তিগত তদারকিতে কাজ হবে। বন্ধুগণ, ভারতে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ, আপনারা সবাই বাস্তবে স্বপ্নের ভারত গড়ে তুলতে, উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভারত গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। আপনাদের পরিশ্রমের ফল নিজের চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন। এই ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের বীজ ভবিষ্যতে বড় শিল্প হয়ে ওঠে এবং আপনাদের নতুন শিল্প যে আনন্দ দেয়, আপনারা তাকে লালন করেন। ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ সরকারের সেই ভাবনার প্রতীক যার মূলে রয়েছে কর্মসংস্থান। তার মূলে রয়েছে দেশের নবীন প্রজন্মকেকর্মপ্রার্থী না করে কর্মদাতা করে গড়ে তুলতে। আপনারা এখন নিছকই শিল্পপতি নন, আপনারা নতুন ভারতের গুরুত্বপূর্ণ নির্মাতাদের অন্যতম। আশা করি এই অভিযান ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য লাভদায়ক হবে। আর এই সি���্ধান্তগুলি দ্বারা দেশের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলি লাভবান হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলি ভবিষ্যতে দেশের শিল্প বিপ্লবকে একটি নতুন রূপ, নতুন মাত্রা প্রদান করবে ও প্রযুক্তিচালিত স্বচ্ছ ব্যবসার ভিত্তি হয়ে উঠবে। সরকারের এই যাবতীয় সংস্কার আপনাদের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অভিযানকে গতি প্রদান করবে, প্রাণশক্তিতে ভরপুর করে তুলবে এই কামনা নিয়েই আমি আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই দীপাবলি আপনাদের সকলের জন্য, গোটা দেশের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ ক্ষেত্রের জন্য শুভ হবে, লাভজনক হবে এবং নতুন সুযোগ নিয়ে আসবে। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। অনেক অনেক ধন্যবাদ! /","ক্ষুদ্ৰ, লঘূ আৰু মধ্যমীয়া উদ্যোগখণ্ডলৈ বিশেষ সহযোগিতা প্ৰদান সম্পৰ্কীয় ঐতিহাসিক কাৰ্যক্ৰমৰ ঘোষণা কৰি দিয়া প্ৰধান মন্ত্ৰীৰ ভাষণ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%96-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%88%E0%A6%A4%E0%A7%87/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন দিল্লীর লোক কল্যাণ মার্গে ১৪০ জন আখ চাষীর সঙ্গে তাদের সুবিধে অসুবিধের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করেন।এই চাষীরা উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের বিভিন্ন জায়গা থেকে নতুন দিল্লীতে আসেন। মন্ত্রিসভার আগামী বৈঠকে চলতি খরিফ মরশুমের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য উৎপাদন ব্যয়ের ১৫০% ধার্য করায় অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন। এর ফলে চাষীদের আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। তিনি এও জানান যে আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে এই বছরের (২০১৮-১৯) আখের মরশুমের জন্য আখের যথাযথ ও লাভজনক মূল্য ঘোষণা করা হবে। এই বছরের মূল্য গত অর্থবর্ষের তুলনায় বেশি হবে বলে শ্রী মোদী জানান। আখ থেকে উপার্জিত অর্থ ব্যয়ের চেয়ে ৯.৫ শতাংশ বেশি হলে চাষীদের উৎসাহভাতাও দেওয়া হবে। আখ চাষীদের বকেয়া মেটাতে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলির বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী চাষীদের জানান। নয়া নীতি প্রনয়ণের ফলে গত সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে ৪০০০ কোটি টাকারও বেশি বকেয়া অর্থ চাষীদের দেওয়া হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। শ্রী মোদী চাষীদের আশ্বস্ত করে বলেন যে আখ চাষের বকেয়া মেটাতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহ��� করতে রাজ্য সরকারগুলিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, চাষীদের স্প্রিং কলার ও ড্রিপ সেচের মত আধুনিক চাষের পদ্ধতি অবলম্বন এবং সোলার পাম্প ব্যবহারের পরামর্শ দেন। চাষের জমিতে বিদ্যুতের উৎস এবং বাড়তি রোজগারের জন্যও সোলার প্যানেল বসানোরও উপদেশ দেন তিনি। ফসলের গুনমান বাড়ানোর ওপরও তিনি জোর দেন। ফসল ফলনের পরে পড়ে থাকা বর্জ্যের যথাযথ ব্যবহার করে তা থেকে সার ও পরিপোষক তৈরীর মাধ্যমে বাড়তি রোগারের উৎস হিসেবে ব্যবহারের আহ্বান জানান। ২০২২-এর মধ্যে রাসায়নিক সার ব্যবহারের পরিমাণ ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর পরামর্শ দেন শ্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রী কর্পোরেট সংস্হাগুলির সঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক আলাপচারিতার বিষয়ে চাষীদের জানান। চাষীদের রোজগার বাড়াতে ফসলের গুনমান, বৃদ্ধি, ওয়েরহাউস ও গুদামের ব্যবস্হাপনা, উচ্চমানের বীজের ও বাজারের সঙ্গে যোগাযোগ স্হাপনের ক্ষেত্রে বেসরকারী সংস্হাগুলিকে আরো বেশী করে বিনিয়োগের জন্য তিনি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী আরও স্মরণ করিয়ে দেন যে আখ চাষীদের ২১ হাজার কোটি টাকারও বেশী আর্থিক বোঝা লাঘব করতে ইতিপূর্বে ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬-তেও কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করেছে। চিনিকলগুলির মাধ্যমে চাষীদের এই অর্থ প্রদানের বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হয়েছিল। চাষীরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং সাম্প্রতিক অতীতে কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলির প্রশংসা করেন। তার মধ্যে রয়েছে চিনির আমদানি শুল্ক ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করা এবং ভালো কাজের জন্য মোট ১৫৪০ কোটি টাকার অনুদান প্রদান করে চিনিকলগুলি ক্যুইন্টাল প্রতি ৫.৫০ টাকা করে চাষীদের দিয়েছে। কৃষকরা উল্লেখ করেন যে তাদের পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ফসলের ওপর মোট ১১৭৫ কোটি টাকার কর মুকুবের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার মধ্যস্হতা করে। যে চিনি শিল্পে দীর্ঘমেয়াদী স্হিতিশীলতা বজায় রাখতে পেট্রোলে ১০ শতাংশ ইথানোল মেশানোর ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের জানান। /…",কুঁহিয়াৰৰ কৃষকসকলৰ সৈতে মত বিনিময় কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BF/,নয়া দিল্লি: ৩০ নভেম্বর: প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাবৃহস্পতিবার ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে বিনিয়োগ সহযোগিতা ও সুবিধার চুক্তি(আই.সি.এফ.টি.) স্বাক্ষরের ও অনুসমর্থনের অনুমোদন দিল| এই চুক্তির ফলে দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে| ভারত ওব্রাজিলের মধ্যেকার এই আই.সি.এফ.টি. ভারতে ব্রাজিলের বিনিয়োগকারীদের এবং ব্রাজিলেভারতের বিনিয়োগকারীদের যথোপযুক্ত সুবিধা প্রদান করবে| এটা সমস্ত রকমের বিনিয়োগসুবিধার বিষয়ে ভেদাভেদহীন ও একটি পর্যায়ের মান সুনিশ্চিত করে বিনিয়োগকারীদের আস্থাও বিশ্বাস বৃদ্ধি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে| এভাবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটাসহায়ক বিনিয়োগ পরিবেশ প্রদান করা যাবে| এটা ব্রাজিলের সমস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্যএকটি পছন্দের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফ.ডি.আই.) গন্তব্য হিসেবে ভারতকেউপস্থাপিত করার জন্য সহায়তা করবে|,ভাৰত আৰু ব্ৰাজিলৰ মাজত বিনিয়োগৰ ক্ষেত্ৰত সগযোগিতাৰ প্ৰস্তাৱত কোবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%98%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%AB%E0%A7%A6-%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%98%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%B0-%E0%A7%AB%E0%A7%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF/,"নতুন দিল্লি, ২১ জানুয়ারি, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মেঘালয়ের রাজ্যের ৫০-তম প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন । এই রাজ্য প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে যারা অবদান রেখেছেন তাদের সকলকেই তিনি শ্রদ্ধা জানান । অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রী মোদী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার নেওয়ার পর তাঁর উত্তর-পূর্বাঞ্চল পর্ষদের বৈঠকে যোগ দিতে শিলং সফরের কথা স্মরণ করেন । ৩-৪ দশক পর প্রথম কোন প্রধানমন্ত্রী এই রাজ্য সফর করেছিলেন । প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা মানুষ হিসেবে তাদের পরিচয় আরও জোরদার করে তোলার জন্য এই রাজ্যের বাসিন্দারা অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন । শ্রী মোদী বলেন, “মেঘালয় বিশ্বকে প্রকৃতি, অগ্রগতি, সংরক্ষণ এবং পরিবেশ-স্থায়িত্বের বার্তা দিয়েছে ।” প্রতিটি গ্রামে ‘হুইসলিং ভিলেজ’ এবং গায়কদের ঐতিহ্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শিল্প ও সঙ্গীতের ক্ষেত্রে এরাজ্যের অবদানের কথা তুলে ধরেন । তিনি বলেন, এই ভূমি প্রতিভাবান শিল্পীদের তৈরি করেছে এবং শিলং চেম্বার কয়্যার এটিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে । মেঘালয়ের সমৃদ্ধশালী ক্রীড়া সংস্কৃতি থেকে দেশের বহু প্রত্যাশা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন । প্রধানমন্ত্রী জৈব চাষের ক্ষেত্রে রাজ্যে ক্রমবর্ধমান খ্যাতির কথা জানান । তিনি বলেন, “মেঘালয়ের বোনেরা বাঁশ বুননের শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করেছে এবং এখানকার কঠোর পরিশ্রমী কৃষকরা জৈব রাজ্য হিসেবে মেঘালয়ের পরিচিতিকে শক্তিশালী করেছে।” প্রধানমন্ত্রী উন্নত সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগের জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা পুনরায় তুলে ধরেন । তিনি বলেন, রাজ্যের জৈব পণ্যগুলির জন্য নতুন দেশীয় ও বিশ্বব্যাপী বাজার নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সবরকম প্রয়াস চালাচ্ছে । প্রধানমন্ত্রী গ্রামীন সড়ক যোজনা এবং জাতীয় জীবিকা মিশনের মতো প্রকল্পগুলি মেঘালয়কে বিশেষভাবে সাহায্য করেছে । ২০১৯ সালে যেখানে মাত্র ১ শতাংশ পরিবারে জল জীবন মিশনের আওতায় পাইপবাহিত জল পৌঁছে যেত, সেখানে এখন ৩৩ শতাংশ পরিবারে সেই জল পৌঁছে যাচ্ছে । প্রধানমন্ত্রী জানান, টিকা বন্টনের জন্য ড্রোন ব্যবহারকারী প্রথম রাজ্য হল মেঘালয় । প্রধানমন্ত্রী মেঘালয়ের সাধারণ মানুষকে পর্যটন ও জৈব পণ্য ছাড়াও নতুন ক্ষেত্র বিকাশের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন ।",মেঘালয়ৰ ৫০ সংখ্যক প্ৰতিষ্ঠা দিৱসত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সম্বোধ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"নতুনদিল্লি, ১৪ই এপ্রিল, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বৈশাখী উপলক্ষ্যে জনসাধারণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “সকলকে বৈশাখীর শুভেচ্ছা জানাই। এই উৎসব, আমাদের জীবনকে আনন্দময় করে তুলুক, সকলের মঙ্গল হোক এই প্রার্থনা করি। সকলের জীবনে সাফল্য ও সমৃদ্ধি আসুক।“ /",বৈশাখী উপলক্ষে ৰাইজক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শুভেচ্ছা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0/,বিহার দিবস উপলক্ষে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেনপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “বিহার দিবস উপলক্ষে বিহারের ভাই ও বোনদের জানাই অভিনন্দন। ঐতিহাসিক কালথেকেই জাতির অগ্রগতিতে বিহারের রয়েছে মূল্যবান ও দৃষ্টান্তমূলক অবদান”। …,বিহাৰ দিৱস উপলক্ষে বিহাৰবাসীক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শুভেচ্ছা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A7%80/,"শ্রী সরস্বত্যৈ নমঃ! বাণী পরম্পরার এই পবিত্র আয়োজনে আমার সঙ্গে উপস্থিত মহারাষ্ট্রের মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী ভগৎ সিং কোশিয়ারিজি, মহারাষ্ট্র বিধানসভার মাননীয় বিরোধী দলনেতা শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশজি, মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের মাননীয় মন্ত্রী শ্রী সুভাষ দেশাইজি, মাননীয়া ঊষাজি, মাননীয়া আশাজি, মাননীয় আদিনাথ মঙ্গেশকরজি, মাস্টার দীনানাথ স্মৃতি প্রতিষ্ঠানের সকল সদস্যগণ, সঙ্গীত এবং সংস্কৃতি জগতের সকল বিশিষ্ট বন্ধুগণ, অন্যান্য সকল সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ! এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে মাননীয় হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরজিরও আসার কথা ছিল, কিন্তু একটু আগেই যেমন আদিনাথজি বললেন, শরীর অসুস্থ থাকার কারণে তিনি এখানে আসতে পারেননি। আমি তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। বন্ধুগণ, আমি নিজেকে এই অনুষ্ঠানে অত্যন্ত উপযুক্ত ব্যক্তি বলে মনে করছি না কারণ, সঙ্গীতের মতো গভীর বিষয় সম্পর্কে আমার একদমই জ্ঞান নেই। কিন্তু নিজের সাংস্কৃতিক বোধ থেকে আমি এটা অনুভব করি যে সঙ্গীত যেমন একটি সাধনার ফল, তেমনই সঙ্গীত ভাবনারও প্রকাশ। যা অব্যক্তকে ব্যক্ত করে তাকেই বলে শব্দ। যা ব্যক্তের শরীরে প্রাণশক্তি ভরে দেয়, চেতনা সঞ্চার করে দেয়, তাকে বলে নাদ। আর যা চেতনাকে ভাব এবং ভাবনায় পরিপূর্ণ করে তোলে, তাকে সৃষ্টি এবং সংবেদনার তুরীয় অবস্থানে পৌঁছে দেয়, তা সঙ্গীত। আপনি হয়তো নিস্পৃহ বসে আছেন, কিন্তু সঙ্গীতের একটি স্বর আপনার দু’চোখে অশ্রুধারা বইয়ে দিতে পারে। সঙ্গীতের এমনই সামর্থ্য রয়েছে। কিন্তু সঙ্গীতের স্বর আপনার মনে বৈরাগ্যের বোধও এনে দিতে পারে। আবার সঙ্গীত থেকে আপনার মন বীররসে পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। সঙ্গীত কারো মনে মাতৃত্ব এবং মমতার অনুভূতি এনে দিতে পারে। সঙ্গীত আপনাকে রাষ্ট্রভক্তি এবং কর্তব্যবোধের শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। আমরা সবাই অত্যন্ত সৌভাগ্যের অধিকারী যে আমরা সঙ্গীতের এই সামর্থ্যকে, এই শক্তিকে লতা দিদি রূপে সাক্ষাৎ মূর্ত হয়ে উঠতে দেখেছি। আমরা নিজেদের চোখে তাঁকে দর্শন করার সৌভাগ্য পেয়েছি, আর মঙ্গেশকর পরিবার প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এই যজ্ঞে নিজেদের আহুতি দিয়ে চলেছে, আর আমার জন্য এই অভিজ্ঞতা এর থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই একটু আগেই হরিশজি কিছু খবরের কাগজের হেডলাইন তুলে ধরে আমার সঙ্গে লতাদিদির সম্পর্কের কথা বলছিলেন, কিন্তু আমি ভাবছিলাম যে দিদির সঙ্গে আমার সম্পর্ক ঠিক কবে থেকে, কতটা পুরনো! স্মৃতির গভীরে অনেক দূর যেতে যেতে মনে পড়ছিল যে হয়তো চার-সাড়ে চার দশক আগে মাননীয় সুধীর ফড়কেজি আমাকে তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন। তখন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এই পরিবারের সঙ্গে আমার অপার ভালোবাসার সম্পর্ক নিবিড় থেকে নিবিড়তর হয়েছে। অসংখ্য ঘটনা ও সেগুলির স্মৃতি আমার জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। আমার জন্য লতা দিদি সুর সম্রাজ্ঞীর পাশাপাশি অনেক কিছু; যা বলতে গেলে আমার গর্ব অনুভূত হয় যে তিনি আমার বড় বোন ছিলেন। আমাদের দেশের অনেক প্রজন্মের মনে প্রেম এবং করুণা জাগিয়ে তোলা লতা দিদি আমাকে সর্বদাই তাঁর দিক থেকে একজন বড় বোনের মতোই অপার স্নেহ দিয়ে গেছেন। আমি মনে করি, একজন মানুষের জীবনে এর থেকে বড় সৌভাগ্য কী হতে পারে? হয়তো অনেক দশক পর এই প্রথমবার রাখী উৎসব যখন আসবে, তখন আমার হাতে রাখী বাঁধার জন্য লতা দিদিকে পাব না। সাধারণভাবে কোনও সম্মান সমারোহে যাওয়া থেকে আমি আজকাল দূরেই থাকি, আর এখন যেমন হরিশজি বলছিলেন, কোনও সম্মান গ্রহণ করা – এই ধরনের বিষয় থেকেও আমি দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করি। আমি নিজেকে এই ধরনের অনুষ্ঠানে অ্যাডজাস্ট করতে পারি না। কিন্তু পুরস্কারটি যখন লতা দিদির নামে, আমার লতা দিদির মতো বড় বোনের নামে অলঙ্কৃত, তখন এটি আমার জন্য তাঁর আপনত্বের ছোঁয়ার মতো, আর আমার ওপর মঙ্গেশকর পরিবারের একটা অধিকার আছে। সেজন্য এই পরিবারের মাননীয় সদস্যদের ডাকে সাড়া দিয়ে এখানে আসা এক প্রকার আমার জন্য একটি দায়িত্ব পালন। এই পুরস্কার আমার জন্য ভালোবাসার প্রতীক। আর যখন আদিনাথজির বার্তা আসে, তিনি আমার আজকে কী কী কর্মসূচি আছে, আমি কতটা ব্যস্ত – এসব কিছুই জানতে চান না। আমি বলি, আমি নিজেকেই বলি, ভাই, আগে হ্যাঁ করে দাও তো! এক্ষেত্রে না বলা যে আমার পক্ষে সম্ভবই না। আমি এই পুরস্কারকে সকল দেশবাসীর উদ্দেশে সমর্পণ করছি। যে���াবে লতা দিদি আমার দেশের প্রত্যেক মানুষের ছিলেন, সেভাবে তাঁর নাম অলঙ্কৃত আমাকে দেওয়া এই পুরস্কারও দেশের প্রত্যেক মানুষেরই সম্পত্তি। লতা দিদির সঙ্গে প্রায়ই আমার কথা হত। তিনি নিজে থেকেই আমাকে বার্তা পাঠাতেন, আর আশীর্বাদও পাঠাতেন। হয়তো তাঁর একটি কথা আমাদের সকলের কাজে লাগতে পারে, যেটি আমি ভুলতে পারি না। আমি তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতাম, কিন্তু তিনি কী বলতেন? তিনি সব সময়েই বলতেন – “মানুষ তাঁর বয়স দিয়ে নয়, তাঁর কাজ দিয়ে বড় হয়। যিনি দেশের জন্য যতটা করেন, তিনি ততটাই বড়!” নিজের জীবনে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে যাওয়া ব্যক্তির এরকম ভাবনায় তিনি যে কত মহান, এটাই আমরা অনুভব করতে পারি। আমি মনে-প্রাণে জানি যে দিদি আমার থেকে বয়সে যেমন বড় ছিলেন, তেমনই কর্মের দিক থেকেও অনেক বড় ছিলেন। আমরা সবাই যতটা সময় লতা দিদির সঙ্গে কাটিয়েছি, আমরা সবাই জানি যে তিনি সারল্যের প্রতিমূর্তি ছিলেন। লতা দিদি সঙ্গীতে এমন স্থান অর্জন করেছেন যে মানুষ তাঁকে মা সরস্বতীর প্রতিরূপ বলে মানতেন। তাঁর কন্ঠস্বর প্রায় ৮০ বছর ধরে ভারতীয় সঙ্গীত জগতে নিজের ছাপ রেখে গেছে। গ্রামোফোন দিয়ে যাত্রা শুরু করে টেপ রেকর্ডারের ক্যাসেট, তারপর সিডি, তারপর ডিভিডি আর তারপর পেন ড্রাইভ, অনলাইন মিউজিক এবং অ্যাপস পর্যন্ত সঙ্গীত এবং সঙ্গীত প্রেমীরা কয়েক প্রজন্ম ধরে কত বড় যাত্রাপথ লতাজির পাশাপাশি সফর করেছে। ভারতীয় সিনেমার ৪-৫ প্রজন্মকে তিনি তাঁর কন্ঠস্বরে মূর্ত করে তুলেছেন। ভারতরত্নের মতো সর্বোচ্চ সম্মান তিনি দেশকে দিয়েছেন, আর দেশ গৌরবান্বিত হয়েছে। গোটা বিশ্ব তাঁকে সুর সম্রাজ্ঞী মনে করত, কিন্তু তিনি নিজেকে সুরের সম্রাজ্ঞী নয়, একজন একনিষ্ঠ সাধিকা বলে মনে করতেন। আর এটা আমরা অনেকে কাছ থেকেই দেখেছি ও শুনেছি যে তিনি যখনই কোনও গান রেকর্ডিং-এর জন্য যেতেন, তখন নিজের চপ্পলগুলি বাইরে খুলে যেতেন। সঙ্গীতের সাধনা আর ঈশ্বরের সাধনা তাঁর জন্য এক রকমই আরাধনার বিষয় ছিল। বন্ধুগণ, আদি শঙ্করাচার্যের অদ্বৈতের সিদ্ধান্তকে আমরা সবাই যদি শোনার চেষ্টা করি, বোঝার চেষ্টা করি, তাহলে কখনও কখনও এর জটিলতায় পথ হারিয়ে ফেলতে পারি। কিন্তু আমি যখন আদি শঙ্করের অদ্বৈতের সিদ্ধান্তের কথা ভাবার চেষ্টা করি, তখন যদি তাঁর সম্পর্কে আমাকে সরল শব্দ দিয়ে বলতে হয়, সেই অদ্বৈতের সিদ্ধান্তে ঈশ্বরের উচ্চারণও স্বর বিনা অসম্পূর্ণ। ঈশ্বরে স্বর সমা��িত রয়েছে। যেখানে স্বর আছে, সেখানে পূর্ণতা আছে, সঙ্গীত আমাদের হৃদয়ের অন্তঃস্থলে, আমাদের অন্তর্মনে প্রভাব ফেলতে সক্ষম যদি তার উদ্গম লতাজির মতো পবিত্র হয়, তাহলে সেই পবিত্রতা আর ভাবও সেই সঙ্গীতে মিলে, মিশে একাকার হয়ে যায়। লতাজির ব্যক্তিত্বের এই অংশটি আমাদের সকলের জন্য, আর বিশেষ করে, নবীন প্রজন্মের জন্য একটি প্রেরণাস্বরূপ। বন্ধুগণ, লতাজির সশরীরে যাত্রাপথ একটি এমন সময়ে পূর্ণ হয়েছে যখন আমাদের দেশ তার স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছে। তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই ভারতের অনুভূতিকে স্বর দিয়েছেন আর এই ৭৫ বছর ধরে দেশের যাত্রাপথ তাঁর সুরের সঙ্গে জড়িয়েছিল। এই পুরস্কারের সঙ্গে লতাজির পিতা শ্রদ্ধেয় দীনানাথ মঙ্গেশকরজির নামও জড়িত রয়েছে। মঙ্গেশকর পরিবার দেশের জন্য যে অবদান রেখে গেছে তার জন্য আমরা সকল দেশবাসী তাদের কাছে ঋণী। সঙ্গীতের পাশাপাশি দেশভক্তির যে চেতনা লতা দিদির ভেতরে ছিল, তার উৎস ছিলেন তাঁর পিতাই। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় সিমলায় ব্রিটিশ ভাইসরয়ের কর্মসূচিতে দীনানাথজি বীর সাভারকরের লেখা গান গেয়েছিলেন। ব্রিটিশ ভাইসরয়ের সামনে এই দীনানাথজি এমনটি করতে পারতেন আর সঙ্গীতের মাধ্যমেই করতে পারতেন। তিনি তাঁর থিম বা মুল ভাবনা নিয়ে প্রদর্শনও করেছিলেন আর বীর সাভারকরজি এই গান ব্রিটিশ শাসকদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লিখে গিয়েছিলেন। এই সাহস, এই দেশভক্তি দীনানাথজি তাঁর পরিবারকে ঐতিহ্য রূপে দিয়ে গেছেন। লতাজি সম্ভবত কোথাও একবার বলেছিলেন যে, আগে তিনি অল্পবয়সে সমাজ সেবার ক্ষেত্রেই কাজ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সঙ্গীতের প্রতি অমোঘ আকর্ষণ থেকে লতাজি সঙ্গীতকে নিজের জীবনের আরাধনা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু দেশপ্রেম এবং দেশসেবা তাঁর গানগুলির মাধ্যমেই প্রেরণা পেয়ে গেছে। তা সে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজকে নিয়ে বীর সাভারকরজির লেখা গান – “হিন্দু নরসিংহা” হোক, অথবা সমর্থ গুরু রামদাসজির প্রথম পদ হোক, লতাজি শিব কল্যাণ রাজার রেকর্ডিং-এর মাধ্যমে তাকে অমর করে দিয়েছেন। “অ্যায় মেরে ওতন কে লোগোঁ, জরা আখোঁ মেঁ ভর লো পানি” আর “জয় হিন্দ কী সেনা …” – এ ধরনের আবেগময় পংক্তি গেয়েছিলেন যা দেশের প্রতিটি মানুষের মনে, প্রত্যেক যুবক-যুবতীর মনে অমর হয়ে রয়েছে। তাঁর জীবনের সঙ্গে জড়িত এরকম অনেক দিক রয়েছে। লতা দিদি এবং তাঁর পরিবারের অবদানকে আমরা যেন অমৃত মহোৎসবে দেশের প্রত্যেক মানুষের সামনে প্রেরণাস্বরূপ তুলে ধরতে পারি, এটা আমাদের কর্তব্য। বন্ধুগণ, আজ দেশ ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর আত্মবিশ্বাস সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলেছে। লতাজি ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর মধুর প্রস্তুতির মতোই এর মূর্ত প্রতীক ছিলেন। আপনারা দেখুন, তিনি দেশের ৩০টিরও বেশি ভাষায় হাজার হাজার গান গেয়েছিলেন। হিন্দি হোক কিংবা মারাঠি, সংস্কৃত হোক কিংবা অন্য কোনও ভারতীয় ভাষা – লতাজির আওয়াজ এমনই প্রত্যেক ভাষায় সম্পৃক্ত হয়েছে যে সবাই তাঁকে নিজের ভাবেন। তিনি প্রত্যেক রাজ্য, প্রত্যেক এলাকার জনগণের মনে একাত্ম হয়ে গেছেন। ভারতীয়ত্বের সঙ্গে সঙ্গীত কিভাবে অমর হতে পারে – এই ভাবধারা নিয়ে তিনি জীবনধারণ করে দেখিয়েছেন। ভারতীয়ত্বের পাশাপাশি সঙ্গীত কিভাবে অমর হয়ে উঠতে পারে, এটা তিনি নিজের জীবনে প্রয়োগ করে দেখিয়েছেন। তিনি শ্রীমদ্ভগবৎ গীতা সর্বসমক্ষে পাঠ করেছেন আর তুলসী, মীরাবাঈ, সন্ত জ্ঞানেশ্বর এবং নরসী মেহতার গানগুলিকেও সমাজের মন ও মস্তিষ্কে রোপণ করে গেছেন। রামচরিত মানসের চৌপাইয়া বা চতুষ্পদী থেকে শুরু করে বাপুজির প্রিয় ভজন “বৈষ্ণব জন তো তেরে কহিয়ে” পর্যন্ত সবকিছু লতাজির আওয়াজে পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। তিনি তিরুপতি দেবস্থানমের জন্য অনেক গান এবং মন্ত্রের একটা সেট রেকর্ড করেছিলেন যা আজও প্রতিদিন ভোরে সেখানে বাজে। অর্থাৎ, সংস্কৃতি থেকে শুরু করে আস্থা পর্যন্ত, পূর্ব থেকে শুরু করে পশ্চিম পর্যন্ত, উত্তর থেকে শুরু করে দক্ষিণ পর্যন্ত, লতাজির সুরগুলি গোটা দেশকে একটি একতার সূত্রে গাঁথার কাজ করেছে। ভারতের বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক রাজদূত ছিলেন। তেমনই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ছিল নিষ্কলুষ। পুণেতে তিনি নিজের রোজগারের টাকা দিয়ে এবং বন্ধুদের সহযোগিতায় মাস্টার দীনানাথ মঙ্গেশকর হাসপাতাল তৈরি করিয়েছেন যা আজও গরীবদের সেবা করে যাচ্ছে আর হয়তো দেশের খুব কমই এমন লোক রয়েছেন যাঁরা এই হাসপাতালের প্রশংসা শুনতে পাননি। করোনার কালখণ্ডেও দেশের যত সেরা নির্বাচিত হাসপাতাল রয়েছে, যেগুলিতে সর্বাধিক গরীবদের জন্য কাজ হয়েছে, তাদের মধ্যে পুণের এই মঙ্গেশকর হাসপাতাল সবচাইতে বেশি সুনাম অর্জন করেছে। বন্ধুগণ, আজ স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে দেশ তার নিজস্ব অতীতকে মনে করছে, আর দেশ ভবিষ্যতের জন্য নতুন সঙ্কল্প নিয়ে আসছে। আমরা আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ স���টার্ট-আপ ইকো-সিস্টেমের মধ্যে অন্যতম। আজ ভারত প্রত্যেক ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। নিরন্তর উন্নয়নের এই যাত্রা আমাদের সঙ্কল্পগুলির অঙ্গ। কিন্তু উন্নয়ন নিয়ে ভারতের মৌলিক দৃষ্টি সব সময়েই আলাদা। আমাদের জন্য উন্নয়নের অর্থ হল – ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অউর সবকা প্রয়াস’। ‘সবকে সাথ’ এবং সকলের জন্য বিকাশের এই ভাবনায় ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ ভাবনাও সামিল রয়েছে। আমরা চাই গোটা বিশ্বের উন্নয়ন, সম্পূর্ণ মানবতার কল্যাণ – এসব শুধুই ভৌতিক সামর্থ থেকে হাসিল করা যায় না। এর জন্য প্রয়োজন হয় মানবিক মূল্যবোধের। এর জন্য প্রয়োজন হয় আধ্যাত্মিক চেতনার! সেজন্য আজ ভারত বিশ্বকে যোগ এবং আয়ুর্বেদ থেকে শুরু করে পরিবেশ রক্ষার মতো বিষয়গুলি নিয়ে দিশা দেখাচ্ছে। আমি মনে করি, মানবতার কল্যাণে ভারতের এই অবদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আমাদের ভারতীয় সঙ্গীতও। এই দায়িত্ব আপনাদের হাতে রয়েছে। আমরা নিজেদের এই ঐতিহ্যকে সেই মূল্যবোধগুলির সঙ্গে যাতে জীবন্ত রাখতে পারি এবং এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, আর বিশ্ব শান্তির একটি মাধ্যম করে তুলতে পারি, এটাই আমাদের সকলের প্রধান দায়িত্ব। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনাদের মতো যাঁরা সঙ্গীত জগতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁরা সবাই এই দায়িত্বকে নির্বাহণ করবেন এবং একটি নতুন ভারতকে দিশা দেবেন। এই বিশ্বাস নিয়েই আমি আপনাদের সবাইকে হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই। মঙ্গেশকর পরিবারকেও আমি হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই যে, আপনারা দিদির নামে ঘোষিত এই পুরস্কারের প্রথম গ্রহীতা হিসেবে আমাকে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু হরিশজি যখন সম্মানপত্রটি পড়ছিলেন, তখন আমি একথা ভাবছিলাম যে আমাকে এই কথাগুলি অনেকবার পড়তে হবে, আর ভালোভাবে পড়লে তবেই নোট করতে পারব যে এখন আমার এর মধ্যে কতটা জানা বাকি, কতটা পাওয়া বাকি, এখন আমার মধ্যে কতটা ত্রুটি রয়েছে, তা আমি কিভাবে শুধ্রাবো, কিভাবে নিজেকে সম্পূর্ণ করব। লতা দিদির আশীর্বাদে আর মঙ্গেশকর পরিবারের ভালোবাসায় আমার মধ্যে যত ত্রুটি রয়েছে, সেই খামতিগুলিকেই আজ আপনারা আমার সম্মানপত্র রূপে প্রস্তুত করেছেন। সেই খামতিগুলিকে আমি সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করব। অনেক অনেক ধন্যবাদ! নমস্কার! /",মুম্বাইত অনুষ্ঠিত লতা দীননাথ মংগেশকাৰ বঁটা প্ৰদান অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আগবঢ়োৱা ভাষণৰ ইংৰাজী সংস্কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,"ধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুনদিল্লীতে লোককল্যাণ মার্গে এক অনুষ্ঠানে সহজে ব্যবসার সুযোগ বিষয়ে মহা চ্যালেঞ্জ কর্মসূচির সূচনা করেছেন। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হচ্ছে, কৃত্রিম মেধা, ইন্টারনেট অফ থিংস, বিগ ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্লকচেইনের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-ভিত্তিক অভিনব ধারনা বা প্রস্তাব আহ্বান করা, যার মাধ্যমে সরকারি কর্মপ্রক্রিয়ার সংস্কার করা যায়। স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া পোর্টালকেই এই মহা চ্যালেঞ্জের মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করা হবে। এই উপলক্ষে আয়োজিত এক জমায়েতে প্রধানমন্ত্রী ‘সহজে ব্যবসার সুযোগ’-এর বিশ্ব ক্রমতালিকায় ভারতের অবস্হানকে উন্নত করার জন্য উদ্যোগ নেওয়ায় শিল্পমহলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি স্মরণ করেন যখন ‘সহজে ব্যবসার সুযোগ’ সংক্রান্ত বিশ্ব সূচকে ভারতের স্হানকে শীর্ষস্হানীয় ৫০টি দেশের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার কথা তিনি প্রথম উত্থাপন করেছিলেন, তখন তাঁর কথায় সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র চার বছরে আমরা অনেকদূর অগ্রসর হতে পেরেছি বলে তিনি জানান। এই সময়ে সহজে ব্যবসার সুযোগের সূচকে ভারত ৬৫ ধাপ এগিয়েছে। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত প্রথম স্হানে রয়েছে এবং শীর্ষস্হানীয় ৫০টি দেশের তালিকায় ভারতের স্হান করে নিতে আর মাত্র কয়েক ধাপ বাকি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয়তার ধারণায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি সহজে ব্যবসার সুযোগকে আরও উন্নত করতে একযোগে কাজ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সুনির্দিষ্ট নীতির ভিত্তিতে প্রশাসন পরিচালনা ও স্বচ্ছ নীতির ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, সাধারণ মানুষের জীবনযাপনকে আরও সহজ করে তোলাও তার অন্যতম লক্ষ্য। বর্তমানে ছোট ব্যবসায়ীরা অনেক সহজেই ব্যবসা করতে পারেন। বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার কাজ সহজে হয়েছে। গত চার বছরে ১৪০০’র ও বেশি পুরনো আইন সরকার বাতিল করেছে। বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তি এবং আমদানি করা জিনিসপত্র ছাড়াতে এখন অনেক কম সময় লাগছে। তিনি বলেন, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ক্ষেত্র বা এম.এস.এম.ই-তে মাত্র ৫৯ মিনিটে ১ কোটি টাকা পর্য���্ত ঋণ অনুমোদন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আই.এম.এফ এবং মুডিজের মতো সংস্হাগুলিও ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন- কতো কম সময়ের মধ্যে ভারতকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করা যায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তবে এর জন্য অর্থনীতির সর্বক্ষেত্রে আরও উন্নতির প্রয়োজন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমান বাস্তব পরিস্হিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিল্পনীতির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে এবং এই নীতি নতুন ভারতের উদ্যোগপতিদের নতুন ধ্যান-ধারনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। প্রধানমন্ত্রী সহজে ব্যবসা সুযোগের ক্রমতালিকায় ভারতকে শীর্ষস্হানীয় ৫০টি দেশের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য অর্জনে কাজ করার জন্য সমাবেশে উপস্হিত সকলের কাছে আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন- আধুনিক ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিল্পসংস্হা কাজের প্রক্রিয়ায় মানুষের হস্তক্ষেপ করা দরকার। তিনি বলেন, এই ধারনা ভিত্তি কর্মসংস্কৃতি, সুনির্দিষ্ট নীতি দ্বারা চালিত প্রশাসনিক কাজকর্মকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।","সহজে ব্যৱসায় কৰাৰ প্ৰধান প্ৰত্যাহ্বান শীৰ্ষক কাৰ্যসূচীৰ শুভাৰম্ভ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ, উদ্যোগ জগতৰ বিভিন্ন প্ৰতিনিধিক উদ্দেশ্যি ভাষণ প্ৰদান" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%9C/,"নতুন দিল্লি, ১৬ মে, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নেপালের লুম্বিনীতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার অ্যান্ড মেডিটেশন হলে ২৫৬৬তম বুদ্ধ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা ও তাঁর পত্নী আর্জু রানা দেউবা উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে সেদেশের সংস্কৃতি, পর্যটন ও অসামরিক বিমান পরিবহণ তথা লুম্বিনী ডেভলপমেন্ট ট্রাস্টের সভাপতি মিঃ প্রেম বাহাদুর আলে, লুম্বিনীর মুখ্যমন্ত্রী কুল প্রসাদ কে সি, শ্রদ্ধেয় মেত্তেয়া শাক্য পুত্তা সহ নেপাল সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষে এক সমাবেশে ভাষণ দেন। প্রায় আড়াই হাজার ব্যক্তি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। বহু বৌদ্ধ সন্ন্যাসী, পন্ডিত ও আন্তর্জাতিক প্রতিনিধির���ও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। /",নেপালৰ লুম্বিনীত বুদ্ধ জয়ন্তী উদযাপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%9B%E0%A6%87%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বিজ্ঞান ভবনে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্তসংস্থাগুলির এক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। কর্পোরেট গভর্ন্যান্স, মানবসম্পদ পরিচালন, ফাইনান্সিয়াল রি-ইঞ্জিনিয়ারিং,উদ্ভাবন, প্রযুক্তি এবং ২০২২ সালের মধ্যে নতুন ভারতের দৃষ্টিকোণ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীরসামনে বিভিন্ন বিষয় বস্তু তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই সমাবেশকে রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের একনতুন সূচনা বলে বর্ণনা করেন। তাঁর সামনে তুলে ধরা বিভিন্ন বিষয় বস্তুর প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে নিজস্ব পদ্ধতিতে কাজের স্বাধীনতাদিয়েছে। যাতে তারা তাদের কাজের অগ্রগতি ঘটাতে পারে, সেই লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্তনেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি জাতি গঠনের কাজে এবং স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির জন্য একই সঙ্গে মুনাফা এবং সামাজিকসুবিধাসৃজন, এই দুটি কাজই গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির কর্মীদেরপ্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সব কর্মীদের কঠোর পরিশ্রম ছাড়া সমস্ত বিদ্যুৎবিহীন গ্রামে বিদ্যুতের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া এবং দরিদ্রদের রান্নার গ্যাসের সংযোগদেওয়ার মতো, সরকারের প্রধান লক্ষ্য পূরণ কোনও ভাবেই সম্ভব হ’ত না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র পুরনো দিনের কাজের অগ্রগতির কথা ভাবলেই চলবেনা, নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার উদ্যোগও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীবলেন, একুশ শতকের কর্মপদ্ধতি মূল নীতিই হ’ল উদ্ভাবন ও উদ্যোগ। উৎসাহ, কল্পনা এবংপ্রতিষ্ঠান গঠনকে সাফল্যের তিনটি প্রধান চাবিকাঠি হিসাবে ধরতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নতুন ভারত গড়ে তোলার কাজে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে এগিয়েআসার আহ্বান জানান। নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে এই কাজ করতে হবে বলেতিনি বলেন। এজন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির সামনে তিনি পাঁচসূত্রী উদ্যোগের উল্লেখকরেন। এগুলি হ’ল – অগ্রগতি, প্রক্রিয়া, ব্যক্তিগত উদ্যোগ, সংগ্রহ এবং প্রস্তুতি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বিস্তারিতভাবে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কাজ এবংআর্থিক অগ্রগতি, স্বচ্ছতা ও কাজকর্মের দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। জিইএমমঞ্চের মাধ্যমে পণ্যদ্রব্য সংগ্রহ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের কাছ থেকেজিনিসপত্র কেনাকাটার ওপরও তিনি জোর দেন। কৃত্রিম মেধা, কোয়ান্টাম কম্প্যুটিং এবংরোবোটিক্সের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য প্রস্তুত থাকার কথাওপ্রধানমন্ত্রী বলেন। নতুন ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির সামনে তিনি পাঁচটি চ্যালেঞ্জের কথাউল্লেখ করেন : · ২০২২ সালেরমধ্যে ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি কিভাবে তাদের ভূ-কৌশলগত কাজের পরিধিসর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে? · ২০২২ সালেরমধ্যে কিভাবে ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি দেশের আমদানি বাবদ ব্যয় হ্রাস করতেপারে? · ২০২২ সালেরমধ্যে ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি কিভাবে উদ্ভাবন ও গবেষণার মেলবন্ধন ঘটাতেপারে? · ২০২২ সালেরমধ্যে ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি কিভাবে তাদের সামাজিক দায়িত্ব বাবদ তহবিলসবচেয়ে ব্যবহার করবে? · ২০২২ সালেরমধ্যে ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি দেশের জন্য কোন্‌ উন্নয়নের আদর্শ তুলে ধরবে? প্রধানমন্ত্রীবলেন, বিশ্বের ৫০০টি বৃহত্তর কোম্পানির মধ্যে এক-চতুর্থাংশই কোনও না কোনও দেশেররাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। তিনি বলেন, ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি অন্যান্য দেশেররাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে, বিদেশে বিনিয়োগের জন্য একটিসার্বিক রণকৌশল নিতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি ভারতেরপ্তানি বাবদ ব্যয় হ্রাস করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। কেন্দ্রীয়রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির আধুনিক গবেষণা ও উন্নয়নের পরিকাঠামোর কথা তুলে ধরে তিনিবলেন, সিএসআইআর এবং আইসিএআর-এর মতো সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনের একটিঅখন্ড ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার। এই প্রসঙ্গে তিনি সরকারি দপ্তর ও কেন্দ্রীয়রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির মধ্যে তথ্য বিনিময়ের ওপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রীকেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির সামাজিক দায়বদ্ধতা বাবদ অর্থ ব্যয়কে প্রতি বছরবিষয়নির্দিষ্ট করে তোলার প্রস্তাব করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি ���ামাজিক দায়বদ্ধতা বাবদঅর্থ স্কুলের শৌচালয় নির্মাণের কাজে লাগানোর সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। উন্নয়নকামীজেলাগুলির জন্যও এই অর্থ ব্যয় করা যেতে পারে। এছাড়া, দক্ষতা উন্নয়নের জন্যওকেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি এই অর্থ ব্যয় করতে পারে। প্রধানমন্ত্রীবলেন, কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি কাগজ বিহীন কাজের ব্যবস্থা, নগদ বিহীনলেনদেন এবং বর্জ্য পরিচালনের মতো অনেক ক্ষেত্রে আদর্শ হয়ে উঠতে পারে। প্রধানমন্ত্রীআশা প্রকাশ করেন, নতুন ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সাকার করে তোলার কাজে কেন্দ্রীয়রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করবে। …",চিপিএছইৰ সন্মিলনত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ প্ৰদান +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0-25/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AE-%E0%A7%A7%E0%A7%A6-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE/,"আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের সকলকে নমস্কার।৩১ অক্টোবর আমাদের সবার প্রিয় সর্দার বল্লভভাই পটেলের জন্মজয়ন্তী উদযাপন এবং অন্যান্য বছরের মতোই ‘রান ফর ইউনিটি’তে দেশের যুবশক্তির একতার লক্ষ্যে দৌড়বার জন্যে আমাদের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ।এখন তো আবহাওয়াও খুব চমৎকার। তার ফলে ‘রান ফর ইউনিটি’র উদ্দীপনা আরোই বাড়বে।আমার ইচ্ছা, আপনারা সকলে বিরাট সংখ্যায় একতার এই দৌড়ে অবশ্যই অংশ নিন।স্বাধীনতার প্রায় সাড়ে ছ’ মাস আগে, বিখ্যাত আন্তর্জাতিক পত্রিকা ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের ২৭ জানুয়ারি, ১৯৪৭-এরসংস্করণে প্রচ্ছদে সর্দার পটেলের ছবি ছাপা হয়েছিল। ‘টাইম’ সেবার তার লিড স্টোরিতে ভারতের একটি নকশা দিয়েছিল।আমরা আজ যেমন দেখি, সেই নকশা কিন্তু ঠিক তেমনটি ছিল না।সে ছিল বহুধা বিভক্ত এক ভারত। তখন ৫৫০-টিরও বেশি দেশীয় রাজ্য ছিল।ভারতের ব্যাপারে ইংরেজদের আগ্রহ যদিও তখন ফুরিয়ে গিয়েছিল, তবু এই দেশকে তারা ছিন্নভিন্ন করে রেখে যেতে চেয়েছিল। ‘টাইম’ ম্যাগাজিন লিখেছিল, বিচ্ছিন্নতা, হিংসা, খাদ্য-সঙ্কট, মূল্যবৃদ্ধি এবং ক্ষমতাররাজনীতির মতো বিপদ ভারতকে ছেয়ে আছে– কিন্তু এসবের মধ্যেও দেশকে একতার সূত্রে বাঁধবার ক্ষমতা যদি কারোর থেকে থাকে তবে তিনি সর্দার বল্লভভাই পটেল। ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের ওই লেখাটি সেই লৌহ পুরুষের জীবনের অন্যান্য দিকগুলিতেও আলোকপাত করেছিল— কীভাবে তিনি গত শতাব্দীর দুইয়ের দশকে আমেদাবাদে ��ন্যাত্রাণের ব্যবস্থা করেছিলেন, কীভাবে তিনি বারদৌলি সত্যাগ্রহকে দিশা দেখিয়েছিলেন।দেশের জন্যে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা এবং দায়বদ্ধতা এতটাই ছিল যে সাধারণ কৃষক, মজদুর থেকে শুরু করে বড় বড় উদ্যোগপতিরা পর্যন্ত সকলে তাঁর ওপরে ভরসাকরতেন।গান্ধীজি সর্দার প্যাটেলকে বলেছিলেন, রাজ্যগুলির সমস্যা এতটাই ভয়াবহ যে একমাত্র আপনি এর সমাধান-সূত্র বার করতে পারেন।সর্দার প্যাটেল সত্যিই এক এক করে সমস্যাগুলির সমাধানের রাস্তা বের করলেন এবং গোটা দেশকে একতার সূত্রে গেঁথে ফেলার আপাত অসম্ভব কাজটিও সম্পন্ন করে দেখালেন। সব ক’টি দেশীয় রাজ্যকে তিনি ভারতের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন, তা সে জুনাগড়ই হোক বা হায়দরাবাদ, ত্রিবাংকুর বা রাজস্থানের দেশীয় রাজ্যগুলি।সর্দার প্যাটেলই ছিলেন সেই একমাত্র ব্যক্তি যাঁর বুদ্ধি বিবেচনা এবং রণ নীতির কৌশলে আজ আমরা অখণ্ড ভারতবর্ষকে দেখতে পাচ্ছি। একতার বাঁধনে বাঁধা এই রাষ্ট্রকে, আমাদের ভারত মা-কে দেখলে স্বভাবতই আমাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের পুণ্যস্মৃতির কথা মনে পড়ে। এই ৩১ অক্টোবর সর্দার প্যাটেলের জন্মজয়ন্তী তো আরোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই দিন তাঁর প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে আমরা ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ রাষ্ট্রের হাতে তুলে দেব। গুজরাটে নর্মদা নদীর তীরে স্থাপিত এই মূর্তিটি উচ্চতায় আমেরিকার ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’র দ্বিগুণ। এটি হবে বিশ্বের উচ্চতম গগনচুম্বী স্থাপত্য। প্রতিটি ভারতীয় এবার গর্ব করে বলতে পারবেন যে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মূর্তিটি এখন ভারতভূমিতে রয়েছে। যে পুণ্যভূমির সঙ্গে সর্দার পটেলের সংযোগ ছিল, এই মূর্তি এবার তারই আকাশসীমাকেও আলোকিত করবে। আমি আশা রাখি, দেশের প্রতিটি নাগরিক ‘মা ভারতী’র এই মহান উপলব্ধি নিয়ে বিশ্বের সামনে বক্ষ প্রসারিত করে, মাথা উঁচু করে তার গৌরব গান করবেন এবং স্বাভাবিক ভাবেই হিন্দুস্থানের প্রতিটি মানুষ এখন ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ দেখতে আগ্রহী হবেন। আমার বিশ্বাস, সারা দেশে এই বিশেষ স্থাপত্য এক প্রিয় দ্রষ্টব্য বলে চিহ্নিত হবে। আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, গতকাল আমরা ‘Infantry Day’ পালন করেছি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সকল সদস্যকে আমি প্রনাম জানাচ্ছি। সৈনিকদের পরিবারকেও তাদের মানসিকতার জন্য স্যালুট করছি। আপনারা কি জানেন, কেন ভারতবাসী ‘Infantry Day’ পালন করে? এটা সেই দিন, যেদিন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা কাশ্মীরের মাটিতে নেমেছিল এবং অনুপ্রবেশকারীদের থেকে এই উপত্যকাকে রক্ষা করেছিল। এই ঐতিহাসিক ঘটনাও সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের সঙ্গে সম্পর্কিত। আমি ভারতের মহান সৈনিক সাম মানেকশ-এর একটি পুরনো সাক্ষাৎকার পড়ছিলাম। এই সাক্ষাৎকারে ফিল্ড মার্শাল মানেকশ ঐ সময়ের কথা বলেছেন, যখন তিনি কর্ণেল ছিলেন। ঐ সময়, ১৯৪৭ সালে কাশ্মীরে সৈন্য অভিযান শুরু হয়েছিল। ফিল্ড মার্শাল মানেকশ বলেছেন, ঐ সময় কাশ্মীরে সৈন্য পাঠাতে দেরী হওয়ার জন্য এক বৈঠকে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল কেমন বিরক্ত হয়েছিলেন। বৈঠকের মধ্যে সর্দার প্যাটেল নিজের অভ্যস্ত ঢংয়ে মানেকশ’র দিকে তাকিয়ে বলেন, কাশ্মীরে সেনা অভিযানে কোনও রকম বিলম্ব করা চলবে না এবং যত শীঘ্র সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমাদের সৈনিকরা বিমানে করে কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় আর তারা কেমন সাফল্য পেয়েছিল সেটা আমরা দেখেছি। আগামী ৩১-শে অক্টোবর আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়াণ দিবস। ইন্দিরাজীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাচ্ছি। আমার প্রিয় দেশবাসী, খেলাধূলা পছন্দ করে না এমন মানুষ আছেন কি? খেলার জগতে Spirit, Stamina, Strength, Skill ইত্যাদি বিষয়গুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও খেলোয়াড়ের সাফল্যের মাপকাঠি এই সকল গুণ। আবার অন্য দিকে রাষ্ট্র নির্মাণেও এই চারটি গুণ গুরুত্বপূর্ণ। কোনও দেশের যুবকদের মধ্যে এই সকল গুণ থাকলে তারা কেবলমাত্র দেশের অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতেই উন্নতি করবে তা নয়, খেলাধূলার ক্ষেত্রেও দেশের বিজয় পতাকা তুলে ধরবে। সম্প্রতি, আমার দুটি সাক্ষাৎ হয়েছে, যা মনে রাখার মতো। প্রথমত, জাকার্তায় অনুষ্ঠিত Asian Para Games, 2018-য় অংশগ্রহণকারী para athlete-দের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। এই গেমস-এ মোট ৭২-টি পদক জিতে ভারত এক নূতন রেকর্ড গড়েছে এবং দেশের সম্মান বাড়িয়েছে। এই সব প্রতিভাবান প্যারা-অ্যাথলিটদের প্রত্যেকের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে এবং আমি প্রত্যেককে অভিনন্দন জানিয়েছি। তাঁদের অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে এগিয়ে যাওয়ার সাহস আমাদের সকল দেশবাসীর কাছে প্রেরণাস্বরূপ। একই ভাবে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত Summer Youth Olympics, 2018-য় আমাদের বিজয়ী খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিলিত হওয়ারও সুযোগ পেয়েছি। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে Youth Olympics, 2018-তে আমাদের খেলোয়াড়রা অন্যান্য বারের থেকেও ভালো প্রদর্শন করেছে। এই গেমসে আমরা ১৩-টি পদকের অতিরিক্ত Mix Event-এ আরও ৩-টি পদক জয় করেছি। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে যে এবার এশিয়ান গেমসেও ভারতের প্রদর্শন খুবই ভালো ছিল। দেখুন, গত কয়েক মিনিটের মধ্যে আমি কতবার এখন পর্যন্ত সব থেকে ভালো, সব থেকে সুন্দর শব্দের ব্যবহার করেছি। এই হচ্ছে ভারতের খেলাধূলার কথা, যেটা প্রতিদিন নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছে। শুধু খেলার জগতে নয়, ভারত অন্যান্য এমন কিছু ক্ষেত্রেও নূতন রেকর্ড বানাচ্ছে, যেগুলির কথা আমরা কখনও চিন্তাও করিনি। উদাহরণস্বরূপ, আমি আপনাদের প্যারা অ্যাথলেট নারায়ণ ঠাকুরের কথা বলবো, যিনি ২০১৮-র এশিয়ান প্যারা গেমসে দেশের জন্য স্বর্ণ পদক জিতেছেন। ইনি জন্ম থেকেই দিব্যাঙ্গ। আট বছর বয়সে তাঁর পিতৃবিয়োগ হয়। পরের আট বছর উনি এক অনাথাশ্রমে কাটান। অনাথাশ্রম ছাড়ার পর জীবন-গাড়ি চালানোর জন্য উনি",২৮.১০.২০১৮ তাৰিখৰ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ মন কী বাতৰ ৪৯তম খণ্ডৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%AD%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A6%A4-%E0%A6%A6/,"নয়াদিল্লি, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ নবরাত্রি উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। নবরাত্রির সূচনায় দেবী শৈলপুত্রীর কাছে প্রার্থনা জানিয়েছেন তিনি। দেবীর কৃপায় সকলের সুখ, স্বাস্থ্য ও সৌভাগ্যও কামনা করেছেন তিনি। একগুচ্ছ ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন – “শক্তি উপাসনার মাহেন্দ্রক্ষণ নবরাত্রি উপলক্ষে আপনাদের সকলকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আস্থা ও বিশ্বাসের এই উৎসবের মুহূর্তে সকলের জীবনে নতুন শক্তি ও উৎসাহ সঞ্চারিত হোক – এই কামনা জানাই। জয় মাতাদি!” “वन्दे वाञ्छितलाभाय चन्द्रार्धकृतशेखराम्‌। वृषारूढां शूलधरां शैलपुत्रीं यशस्विनीम्‌ ।।” “দেবী শৈলপুত্রীর আরাধনার সঙ্গে সঙ্গেই আজ থেকে শুভ সূচনা হল নবরাত্রির। তাঁর কৃপায় সকলের জীবন সুখ, স্বাস্থ্য ও সৌভাগ্যপূর্ণ হয়ে উঠুক – এই কামনা জানাই।”",নৱৰাত্ৰিৰ পবিত্ৰ ক্ষণত দেশবাসীক শুভেচ্ছা প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9F/,"ভাইব্র্যান্ট গুজরাট সম্মেলনে যোগ দিতে মাল্টার প্রধানমন্ত্রী ডঃ যোশেফ মাসকাট ১৭ থেকে ১৯শে জানুয়ারি ভারত সফর করছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সে দেশের অর্থনীতি, বিনিয়োগ, ক্ষুদ্র বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী ডঃ ক্রিশ্চিয়ান কার্ডোনা এবং তাঁর মন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিক ও বৃহৎ বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল। তাঁদের স্বাগত জানান, গুজরাটের রাজ্যপাল শ্রী ও পি কোহলি। শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মাল্টার প্রধানমন্ত্রী ডঃ মাসকাট প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি গত সেপ্টেম্বরে ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতির মাল্টা সফরের উল্লেখ করেন। দু’দেশের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং একে অপরের দেশে যাতায়াত বৃদ্ধিরও তিনি প্রশংসা করেন। দুই প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অন্যান্য বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়িয়ে তোলার বিষয়েও আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী মাসকাট মাল্টায় আফ্রিকা ও ইউরোপের বাজারের জন্য ভারতীয় ঔষধি এবং আইটি শিল্পকে স্বাগত জানান। উন্নত প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম মেধার বিকাশেও ভারতের সহযোগিতা চান তিনি। ব্লক চেন টেকনলজি এবং সিস্টেম মনিটরের জন্য ভারতীয় আইটি সংস্থাগুলির ভূমিকারও তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী শিক্ষাক্ষেত্রে মাল্টার সহযোগিতার সম্ভাবনাগুলি তুলে ধরেন। গুজরাটের ফরেন্সিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মাল্টার প্রশিক্ষক নিযুক্তির সম্ভাবনার কথা তিনি বলেন। আন্তর্জাতিক সৌর ক্ষেত্রে দু’দেশের পূর্ণ সহযোগিতার উল্লেখ করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। /…","ভাইব্ৰেণ্ট গুজৰাট ছামিট ২০১৯ (১৭-১৯ জানুৱাৰী, ২০১৯) ত অংশগ্ৰহণৰ বাবে ভাৰতত উপস্থিত মাল্টাৰ প্ৰধানমন্ত্ৰী" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC/,"নতুন দিল্লি, ১৪ জানুয়ারি, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিক টুইট বার্তার মাধ্যমে আজ মকর সংক্রান্তি, উত্তরায়ন, ভোগি, মাঘ বিহু এবং পোঙ্গল উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ""সমগ্র ভারত জুড়ে আজ আমরা বিভিন্ন উৎসবকে চিহ্নিত করেছি যা ভারতের প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক বৈচিত্রকে মেলে ধরে। এই উৎসবে আমার শুভেচ্ছা জানাই। মকর সংক্রান্তির শুভেচ্ছা। অপূর্ব উত্তরায়ন উৎসব। ভোগি উপলক্ষে প্রত্যেকের জন্য রইল শুভেচ্ছা। এই বিশেষ উৎসব আমাদের সমাজে আনন্দের চেতনাকে সমৃদ্ধ করুক। আমি আমাদের সমস্ত নাগরিকের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করছি। সকলের জন্য রইল মাঘ বিহুর শুভেচ্ছা। এই উৎসব সকলের জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক এই প্রার্থনা করি। পোঙ্গল'কে তামিলনাড়ুর একটি প্রাণবন্ত সংস্কৃতির সমার্থক বলা যেতে পারে। এই বিশেষ উৎসব উপলক্ষে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সকলকে, বিশেষ করে তামিল জনগণকে আমার শুভেচ্ছা জানাই। আমি প্রার্থনা করি প্রকৃতির সাথে আমাদের বন্ধন ও আমাদের সমাজের ভাতৃত্বের চেতনা যেন আরও সুদৃঢ় হয়।","মকৰ সংক্রান্তি, উত্তৰায়ন, ভোগী, মাঘ বিহু আৰু পোংগল উৎসৱ উপলক্ষে দেশবাসীক শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%95/,"নয়াদিল্লী, ১৫ জানুয়ারি, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পবিত্র মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে কর্ণাটকের জনসাধারণকে তাঁর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বাসবরাজ এস বোম্মাই-এর মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা বার্তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কর্ণাটকের আমার বোন ও ভাইদের মকর সংক্রান্তির শুভেচ্ছা জানাই। দেশের উন্নয়নে এই রাজ্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে থাকে। রাজ্যের মানুষদের ক্ষমতায়ণের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একযোগে কাজ করে যাবে।’",মকৰ সংক্ৰান্তি উপলক্ষে কৰ্ণাটকৰ জনসাধাৰণক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%9A/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%95/,"দেশবাসীকে ইস্টারের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “ইস্টার আনন্দময় হয়ে উঠুক! এই বিশেষ দিনটিতে শান্তি, ঐক্য এবংসৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও নিবিড় হয়ে উঠবে বলেই আমি আশা করি। ঈশ্বর যীশু খ্রীস্টেরমহান আদর্শ ও চিন্তাভাবনা সেবার মানসিকতায় দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করবে বলেই আমারবিশ্বাস। এর মধ্য দিয়ে সমাজে এক ইতিবাচক পরিবর্তন বাস্তবায়িত হবে”।",ইষ্টাৰ উপলক্ষে দেশবাসীক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শুভেচ্ছা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AA/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B1%E0%A7%87/,"নয়াদিল্লি, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারের শিক্ষা সংক্রান্ত নতুন একটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। উদীয়মান ভারতের জন্য পিএম স্কুলস্‌ বা পিএম শ্রী স্কুলস্‌ প্রকল্পটি দেশের ১৪ হাজার ৫০০-রও বেশি বিদ্যালয়ে কার্যকর করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকার/রাজ্য সরকার/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন/স্থানীয় প্রশাসন পরিচালিত স্কুলগুলির মধ্য থেকে পিএম শ্রী স্কুলস্‌ কোন কোন বিদ্যালয়ে কার্যকর হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই স্কুলগুলিতে ২০২০-র জাতীয় শিক্ষা নীতি কার্যকর করা হবে। সংশ্লিষ্ট স্কুলের নিকটবর্তী অন্য বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষা সংক্রান্ত নানা পরামর্শ দেওয়া হবে। পিএম শ্রী স্কুল ছাত্রছাত্রীদের পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি, তাদের একবিংশ শতাব্দীর সময়োপযোগী হিসাবে গড়ে তুলতে সার্বিক উন্নয়নের উপর অগ্রাধিকার দেবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ থেকে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের মধ্যে ২৭,৩৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ১৮,১২৮ কোটি টাকা ব্যয় করবে। এই প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিদ্যালয়ে এমন একটি পরিবেশ গড়ে তোলা, যেখানে তারা উন্নত মানের শিক্ষালাভের উপভোগ্য এক পরিবেশ পাবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবেশ থেকে আসা নানা ভাষাভাষী ছাত্রছাত্রীদের চাহিদার দিকটি বিবেচনা করা হবে। ২০২০-র জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুসরণ করে ছাত্রছাত্রীরা যাতে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষালাভ করতে পারে, সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। পিএম শ্রী স্কুল সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অন্যান্য স্কুলগুলিকে শিক্ষাদানে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবে। সোলার প্যানেল ও এলইডি আলো, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যমে পুষ্টি উদ্যান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্লাস্টিক মুক্ত ক্যাম্পাস, জল সংরক্ষণ, পরিবেশ রক্ষার জন্য বিভিন্ন পরম্পরা ও ঐতিহ্য সম্পর্কে শিক্ষাদানের মতো পরিবেশ-বান্ধব উদ্যোগ স্কুলগুলিতে নেওয়া হবে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ, খেলাধূলা/খেলনার মাধ্যমে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষাদান, অনুসন্ধিৎসু মানসিকতা গড়ে তোলা, শিক্ষার্থীদের সহায়ক ব্যবস্থাপনা, আলোচনা-ভিত্তিক নমনীয় ও উপভোগ্য শিক্ষাদানের পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। প্রত্যেক ক্লাসে প্রতিটি ছাত্রছাত্রীরা যাতে যথাযথ শিক্ষালাভ করে, সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়নের জন্য বাস্তব জীবনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান তারা কিভাবে করতে পারবে এবং তাদের দক্ষতার দিকটিও বিবেচনা করা হবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য ক্ষেত্রীয় দক্ষতা পরিষদ ও স্থানীয় শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলা হবে। বিদ্যালয়গুলির মধ্যে গুণমান সংক্রান্ত মূল্যায়নের জন্য একটি বিশেষ কাঠামোগত ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। নির্ধারিত সময় অন্তর এ বিষয়ে মূল্যায়ন করা হবে। পিএম শ্রী স্কুলে সর্বাঙ্গীন শিক্ষালাভের জন্য উদ্ভাবনমূলক শিক্ষাদান পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে। ছাত্রছাত্রীরা স্কুল ব্যাগ ছাড়াই স্কুলে আসার সুযোগ পাবে। স্থানীয় হস্তশিল্পীদের কাছে তারা বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির প্রশিক্ষণ নেবে। বিজ্ঞান ও গণিতের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে। শিক্ষার অধিকার আইনের সুবিধা এই স্কুলগুলিতে যাতে সকলে পায়, তা নিশ্চিত করা হবে। বিভিন্ন ধরনের অনুদান, যেমন – গ্রন্থাগার অনুদান, ক্রীড়া অনুদান স্কুলগুলিতে দেওয়া হবে। প্রাক্-প্রাথমিক পর্যায়ে ‘বালবাটিকা’ এবং অক্ষর জ্ঞান ও গণনার ক্ষমতা অর্জনের বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। ছাত্রছাত্রীরা যাতে তাদের পছন্দমতো বিষয় নিয়ে পড়াশুনো করতে পারে, তা নিশ্চিত করা হবে। বিদ্যালয়গুলিতে মাতৃভাষা/আঞ্চলিক ভাষায় পঠন-পাঠনে উৎসাহ দেওয়া হবে। ভাষাগত দিক থেকে কোনও বাধা সৃষ্টি হলে, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাপনার সাহায্য নেওয়া হবে। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে অত্যাধুনিক শ্রেণীকক্ষ ও ডিজিটাল গ্রন্থাগার এইসব বিদ্যালয়ে গড়ে তোলা হবে। বিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামোর মানোন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। পিএম শ্রী স্কুলে সমগ্র শিক্ষা, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন এবং নবোদয় বিদ্যালয় সংগঠনের মতো বিভিন্ন পরিকাঠামোর সাহায্য নেওয়া হবে। কোন কোন স্কুলকে পিএম স্কুলের মর্যাদা দেওয়া হবে, তা নির্ধারণের জন্য স্বচ্ছ একটি ��্যবস্থাপনা গ্রহণ করা হবে। অনলাইনের মাধ্যমে আগ্রহী বিদ্যালয়গুলি এই প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার আবেদন করতে পারবে। বছরে চারবার এই পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। এক্ষেত্রে তিনটি পর্যায়ের উপর ভিত্তি করে স্কুলগুলি বাছাই করা হবে। আবেদনের সময় স্কুলগুলির প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল/কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন/জওহর নবোদয় বিদ্যালয় যাচাই করবে এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে পাঠাবে। প্রত্যেক ব্লক বা পুরসভা থেকে সর্বোচ্চ দুটি বিদ্যালয় পিএম শ্রী স্কুলস্ প্রকল্পের আওতাভুক্ত হতে পারবে। এর মধ্যে একটি স্কুল প্রাথমিক এবং অন্যটি মাধ্যমিক/উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের হবে। ভাস্করাচার্য ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর স্পেস অ্যাপ্লিকেশনস্ অ্যান্ড জিও ইনফরমেটিক্স – এর সাহায্যে স্কুলগুলির ভৌগলিক অবস্থানগত চিহ্ন যোগ করা হবে। একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি চূড়ান্ত পর্যায়ে কোন কোন স্কুল এই প্রকল্পের আওতায় আসবে, তা নির্ধারণ করবে। পিএম শ্রী স্কুলস্ প্রকল্পের আওতায় যে সমস্ত বিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত হবে, সেখানে দেশের ঐতিহ্য, ভারতীয় রীতি-নীতি ও মূল্যবোধ, বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের অবদান সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের অবগত করা হবে। এর পাশাপাশি, বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় তারা যাতে মতবিনিময় করতে পারে, সেই সংক্রান্ত উদ্যোগও নেওয়া হবে। ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর ভাবনাকে সঞ্চারিত করতে এই স্কুলগুলিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চরিত্র গঠন, নাগরিকদের কর্তব্যবোধ এবং দেশ গঠনের কাজে প্রত্যেকের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করে তোলার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। ছাত্রছাত্রীদের সর্বাঙ্গীন বিকাশ এই স্কুলগুলি নিশ্চিত করবে। ১৮ লক্ষেরও বেশি ছাত্রছাত্রী প্রত্যক্ষভাবে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে। পিএম শ্রী স্কুলস্ – এর সন্নিকটে থাকা অন্যান্য স্কুলগুলিও এই স্কুলের থেকে পরামর্শ লাভ করবে এবং সংশ্লিষ্ট স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত্ হবে।",এখন নতুন কেন্দ্ৰীয়ভাৱে পৃষ্ঠপোষকতা কৰা আঁচনি- পিএম শ্ৰী স্কুলছ (পিএম স্কুলছ ফৰ ৰাইজিং ইণ্ডিয়া)ত কেবিনেটে অনুমোদন জনায +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%9A/,"উপস্থিত সকলকে আমার শুভেচ্ছা জানাই। প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য গৃহ প্রদানের ঐতিহাসিক প্রচেষ্টার আপনারা সবাই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার গৃহ নির্মাণ ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত পেশাদারদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি। এটি আমাদের সেই দায়বদ্ধতার পরিণাম, মধ্যবিত্তদের স্বপ্ন পূরণের ব্যাপারে আমরা আন্তরিক। আমি দেখতে পাচ্ছি যে, ক্রেডাই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত অনেকে এখানে উপস্থিত আছেন। বন্ধুগণ, তালকাটরা স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে আমি দেশের গৃহ নির্মাণ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত নবীন বন্ধুদের বলেছিলাম যে, তাঁরা যেন গৃহ নির্মাণ ক্ষেত্রটিকে নতুন ভারতের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে প্রাণশক্তি সঞ্চার করে জঙ্গম করেন। সেজন্য দেশ ও বিশ্বের গৃহ নির্মাণ বিদ্যার আধুনিকতম প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। আপনাদের সাহায্যের জন্য প্রতি পদক্ষেপে কেন্দ্রীয় সরকার আপনাদের পাশে দাঁড়াতে এবং আপনাদের সঙ্গে দু-কদম এগিয়ে যেতে তৈরি। সেই প্রতিশ্রুতিরই ফসল হ’ল নির্মাণ প্রযুক্তি বিষয়ক আজকের এই আলোচনাসভা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার গৃহ নির্মাণ ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত পেশাদারদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি। এটি সরকারের সেই দায়বদ্ধতার পরিণাম। এটি দেশের সকল দরিদ্র জনসাধারণের মাথার ওপর ছাদ সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই আলোচনাসভা থেকে গৃহ নির্মাণ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নানা উদ্ভাবক প্রসঙ্গ উঠে আসবে, যেটি নাকি আমাদের পরবর্তী কাজের ক্ষেত্রে অত্যন্ত মূল্যবান হয়ে উঠবে। বন্ধুগণ, আজকের এই আলোচনাসভায় সারা বিশ্বে গৃহ নির্মাণ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যে সমস্ত সমস্যা উঠে এসেছে, সেগুলি নিয়েও আলোচনা হবে, যাতে সেসব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমাদের নগরোন্নয়ন আরও সুনিয়ন্ত্রিতভাবে এগিয়ে যায়। ভারত এখন বিশ্বের সেই দেশগুলির অন্যতম, যেখানে দ্রুতগতিতে নগরায়ন হচ্ছে। সেজন্য অনেক নতুন গৃহ নির্মাণের তাগিদ আমরা অনুভব করছি। বন্ধুগণ, আমাদের সরকার গৃহ নির্মাণ ক্ষেত্রে আদল বদলে দেওয়ার জন্য ৭টি ফ্ল্যাগশিপ মিশন নিয়ে একসঙ্গে কাজ করছে। স্বচ্ছ ভারত অভিযান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা, ন্যাশনাল আর্বান লাইভলিহুড মিশন, হৃদয় এবং অম্রুত – এর মতো গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি শুরু করেছি। পাশাপাশি, শহরগুলিতে যানবাহন ব্যবস্থার পরিবর্তন এবং স্মার্ট সিটি প্রকল্পও চালু হয়েছে। এসব কিছু মাথায় রেখে আজ আমাদের সামনে ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক পরিবেশে গৃহ নির্মাণের সমস্যা রয়েছে। বন্ধুগণ, এই সমস্যাগুলি মাথায় রেখে আমাদের সরকার গৃহ নির্মাণ ক্ষেত্রের জন্য একটি সার্বিক সমন্বয়ধর্মী দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ সৃষ্টি করেছে। গৃহ নির্মাতা এবং যাঁরা বাড়ি কেনেন, তাঁরা কী ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হন, সেগুলি মাথায় রেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা সুলভ গৃহ নির্মাণকেই অগ্রাধিকার দিয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমরা রিয়েল এস্টেট সংক্রান্ত আইনগুলিকে সংশোধন করেছি। তৃতীয়ত, দক্ষতা উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেছি। চতুর্থত, গৃহ নির্মাণ প্রযুক্তিকে উন্নত করার দিকেও লক্ষ্য রেখেছি। আজকের এই কর্মসূচি আমাদের চতুর্থ উদ্যোগের একটি অংশ। আমার মনে আছে যে, ‘প্রগতি’র একটি অনুষ্ঠানে আমি বিভিন্ন মন্ত্রককে আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়াগুলি রপ্ত করার পরামর্শ দিয়েছি। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, ‘গ্লোবাল হাউজিং টেকনোলজি চ্যালেঞ্জ ইন্ডিয়া’র মাধ্যমে আপনারা সবাই এখানে এসেছেন। বন্ধুগণ, গৃহ নির্মাণ মানে শুধু চারটি দেওয়াল বানিয়ে দেওয়া নয়। আমরা অন্যরকম গৃহ নির্মাণের স্বপ্ন দেখি। প্রতিটি গৃহ যেন গৃহবাসীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় সক্ষম হয়, সেটা আমরা সুনিশ্চিত করতে চাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় হ’ল – আমাদের দেশে অসংখ্য মানুষের নিজের বাড়ি-ই নেই। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা ২০২২ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে প্রত্যেক ভারতবাসীর যেন পাকা বাড়ি থাকে, সেটি সুনিশ্চিত করতে চাই। এই দৃষ্টিভঙ্গী থেকেই বিগত ৫৫ মাসে সারা দেশে ১ কোটি ৩০ লক্ষ গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মিত হয়েছে। বিগত সরকার তাদের শেষ পাঁচ বছরে গৃহহীনদের জন্য ২৫ লক্ষ গৃহ প্রদানে সক্ষম হয়েছিল। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয় যে, আমাদের কাজের ধরণ কিরকম! গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে আমরা শুধু চারটি দেওয়াল বানিয়ে দিয়েই কর্তব্য শেষ বলে মনে করি না। আমরা প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল, বিদ্যুৎ সংযোগ, রান্নার গ্যাসের সংযোগ সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি, বাড়ির ক্ষেত্রফলও বৃদ্ধি করেছি। কিন্তু আরও অনেক কিছু করার আছে। সেজন্য আমি বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে সাহায্যের প্রত্যাশা করি। আর বিশ্বের যে কোনও জায়গায় যেভাবে এই গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণের সমস্যা মোকাবিলা করা হচ্ছে, সে সম্পর্কে জেনে আমাদের ক্��মতা বৃদ্ধি করতে চাই, যাতে আমরা দেশের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তিকে সাহায্য করতে পারি। বন্ধুগণ, যেভাবে আমাদের দেশে দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের নিজস্ব বাড়ির স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ হচ্ছিল, তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমরা এই পরিস্থিতি থেকে তাঁদেরকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সকলে মিলে কাজ করতে শুরু করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি যে, সাধারণ মধ্যবিত্তদের গৃহ নির্মাণের সমস্যার সমাধানে পাশে দাঁড়াতে। আমাদের সরকারের এই প্রচেষ্টার ফলই গৃহ ঋণে সুদের হার আগের তুলনায় অনেক হ্রাস পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে সরকার যতটা ছাড় দিচ্ছে, ১৯ – ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে মধ্যবিত্তদের ২০ বছরে প্রায় ৫ – ৬ লক্ষ টাকা সাশ্রয় হবে। বন্ধুগণ, গরিব ও মধ্যবিত্তদের গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ের কথা মাথায় রেখে আমাদের সরকার আয়কর এবং অপ্রত্যক্ষ কর সংশ্লিষ্ট নিয়মাবলীও পরিবর্তন করেছে। সম্প্রতি সরকার ও জিএসটি কাউন্সিল দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথমত, বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করযোগ্য আয়ের ক্ষেত্রে আর কর দিতে হবে না। দ্বিতীয়ত, ক্যাপিটাল ট্যাক্সের ক্ষেত্রে ছাড় এখন একটি বাড়ির জায়গায় দুটি বাড়ি পর্যন্ত পাওয়া যাবে। এই সকল প্রচেষ্টা মধ্যবিত্তদের নতুন বাড়ি কেনার জন্য উৎসাহিত করবে। আর তাহলে আপনাদের ব্যবসা অনেক বৃদ্ধি পাবে। বন্ধুগণ, জিএসটি রিয়েল এস্টেট ব্যবসাকে চাঙ্গা করেছে। ডেভেলাপার্স এবং ক্রেতা – উভয়েই উপকৃত হচ্ছেন। সম্প্রতি সুলভ গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে জিএসটি ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। তেমনি নির্মীয়মান হাউসিং এস্টেট প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। মধ্যবিত্তদের জন্য নির্মীয়মান গৃহ প্রকল্পে অর্থের যোগান সুনিশ্চিত করতে সুলভ গৃহ নির্মাণ তহবিল গড়ে তোলা হয়েছে। বন্ধুগণ, আমরা মনে করি, অধিক সংখ্যায় উন্নত মানের গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে আমাদের গৃহ নির্মাণ ক্ষেত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরামর্শ সম্পর্কে সংবেদনশীল হতে হবে। আমরা সেটাই করছি। গৃহ নির্মাণ ক্ষেত্রটিকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারে হাত দিয়েছি। নির্মাণকারীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে ও রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রে প্রত্যয় বৃদ্ধির জন্য আমরা নতুন রেরা আইন চালু করেছি। এই সমস্ত সংস্কারের কারণেই বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহজে ব্যব��া শুরু করার তালিকায় ভারত দ্রতগতিতে ১৮১তম স্থান থেকে ৫২তম স্থানে পৌঁছে গেছে। বন্ধুগণ, সরকারের নতুন নীতির ফলে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। বিশেষ করে, গ্রামাঞ্চলে নতুন নির্মাণ প্রযুক্তি প্রশিক্ষিত মানবসম্পদের যোগান বৃদ্ধি হয়েছে। আমাদের সরকার এক্ষেত্রে মহিলাদের প্রশিক্ষণের অভিযান শুরু করেছে। এখন সারা দেশে হাজার হাজার প্রশিক্ষিত রানী মিস্ত্রী নির্মাণযজ্ঞে অংশগ্রহণ করছেন। বন্ধুগণ, দেশের যুবসম্প্রদায়ের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি করে তাঁদেরকে বাজারের উপযোগী করে তোলার মাধ্যমে অনেক বেশি কর্মসংস্থান সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া, সারা পৃথিবীতে কারিগরি ও প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে আমাদের কারিগরি ও প্রযুক্তি পাঠ্যক্রমগুলিতে পরিবর্তনের লক্ষ্যেও আমরা কাজ করে চলেছি। সেজন্য এক্ষেত্রে স্টার্ট আপ এবং নবীন উদ্যোগপতিরা নতুন নতুন বিকল্প নিয়ে আসতে পারছেন। বন্ধুগণ, ভারতের নির্মাণ দৃষ্টিভঙ্গীতে আমরা আরেকটি পরিবর্তন এনেছি। দেশের সড়কপথ নির্মাণ থেকে শুরু করে আবাসিক বহুতল নির্মাণ ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণে পরিবেশ-বান্ধব উপাদান ব্যবহারকে উৎসাহ যোগানো হচ্ছে, যাতে এই পথ বাড়িগুলি যে কোনও বিপর্যয় সহ্য করতে পারে। সেজন্য আমাদের নবীন বন্ধুদের স্থানীয় পরিবেশ ও প্রকৃতির অনুকূল অনেক উদ্ভাবন সুফলদায়ক হয়েছে। বন্ধুগণ, আপনারা শুনে খুশি হবেন যে, আশা ইন্ডিয়া বা ‘অ্যাফোর্ডেবল সাস্টেনেবল হাউসিং আক্সেলারেটার’ এ এই ধরণের উদ্ভাবনকে বাজারের উপযোগী করে তোলার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। বন্ধুগণ, আমি একথা জেনে খুশি হয়েছি যে এই ধরণের উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও কারিগরির সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রীও এখানে রয়েছেন। এখানে যা আলোচনা হবে পুরোটাই ন্যাশনাল নলেজ নেটওয়ার্কে প্রকাশিত হবে, যাতে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এর দ্বারা উপকৃত হয়। এখানে যে সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা হবে, এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকেও সেগুলি সমাধানের সুযোগ দেওয়া হবে। আপনারা সবাই যাতে গৃহ নির্মাণ প্রযুক্তি সংক্রান্ত যেসব ফলিত প্রয়োগ হচ্ছে, সেগুলিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে লাইট হাউস প্রোজেক্ট চালু করা হয়েছে। গুজরাট, ঝাড়খন্ড, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাডু, ত্রিপুরা এবং উত্তর প্রদেশে এই প্রকল্পগুলি চালু হলে আপনারা নতুন নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে পা��বেন। আপনাদের জন্য বলা যায় এটি একটি ফলিত গবেষণাগারের ব্যবস্থা। সেখানে আপনারা ওয়েবকাস্ট ডেমোর মতো প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের নবীন পেশাদারদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে পারবেন। বন্ধুগণ, জিএইচটিসি ইন্ডিয়া এমন একটি মঞ্চ, যার মাধ্যমে ভারতের নির্মাণ ক্ষেত্রের পরিবেশ আন্তর্জাতিক মানের হয়ে উঠতে পারে। এর মাধ্যমে আমাদের সমস্যাগুলিরও আন্তর্জাতিক মানের সমাধান হতে পারে। আপনাদের উৎসাহ দিতে আমার মনে হয়, এখানে দেশে গৃহ নির্মাণ প্রযুক্তির বিপ্লবের সূত্রপাত হ’ল। আমরা এখন দেশের শহরগুলিতে গৃহ নির্মাণকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি। বন্ধুগণ, নতুন ভারতের নতুন ব্যবসায়িক আবহে আপনাদের ক্ষেত্রটির অপরিসীম সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে নতুন মধ্যবিত্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারত বিশ্বের সেই হাতে গোনা দেশগুলির অন্যতম, যেগুলিতে গৃহ নির্মাণের ক্ষমতা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা যাতে গৃহ নির্মাণের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সেই চাহিদা পূরণ করতে পারি, তার প্রেরণা যোগাতে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত অর্থবর্ষটিকে আমি আজ গৃহ নির্মাণ প্রযুক্তিবর্ষ হিসাবে ঘোষণা করছি। বন্ধুগণ, আজ এখানে একটি মানচিত্র উদ্বোধনের সৌভাগ্য হয়েছে। আগে আমাদের দেশে বিপর্যয় সংক্রান্ত বিষয়গুলি কৃষি বিভাগের দায়িত্বে ছিল। গুজরাটে ২০০১ সালে ভূমিকম্প আসার পর দেশ বুঝতে পারে যে, সমস্যা কত বড় হয়ে উঠতে পারে, সেজন্য এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে গৃহ মন্ত্রালয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাতে ঐ মন্ত্রকের রাজ্যগুলির সঙ্গে সমন্বয় ক্ষমতাকে কাজে লাগানো যায়। মাননীয় অটল বিহারী বাজপেয়ী নেতৃত্বাধীন সরকার এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিল। গুজরাটে আগে এই ধরণের বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য জেলা-ভিত্তিক গ্রামীণ মানচিত্র প্রকাশের প্রচেষ্টা হয়েছিল। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজ কেন্দ্রীয় সরকার এরকম বিপর্যয়ের সম্ভাবনার নিরিখে দেশকে বিভিন্ন ‘জোন’ – এ বিভক্ত করে মানচিত্র প্রকাশ করেছে। এই মানচিত্র গৃহ নির্মাণ থেকে শুরু করে গ্যাসের পাইপ লাইন সম্প্রসারণ এবং সরকারের দরপত্র আহ্বান ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা যে কোনও রাজ্য সরকারের কোনও বিভাগের পরিকল্পনার ক্ষেত্রে এই মানচিত্র কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে। পাশ��পাশি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কারিগরি স্থাপত্য ও নির্মাণ শিক্ষার ক্ষেত্রে পাঠক্রমে যে কোনও অঞ্চলের সংবেদনশীলতা বুঝতে এটি কাজে লাগবে, যাতে সেই অনুসারে মানবসম্পদের উন্নয়ন সম্ভব হয়। কোনও অঞ্চলের ভৌগোলিক ও পরিবেশগত বৈচিত্র্য অনুসারে সমস্যাগুলি অনুধাবন করে নির্মাণ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তারতম্য আনা সম্ভব হবে। এখানে বিভিন্ন কোম্পানির বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন, সেজন্য আমি চাই যে, আপনারা এই মানচিত্র নিয়ে দু’দিনের কর্মশালার আয়োজন করুন। আপনারা এই অ্যাটলাসটিকে বুঝে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের ভৌগোলিক ও পরিবেশগত বৈচিত্র্যের তুলনামূলক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলি অনুধাবন করে নির্মাণ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তারতম্য আনার ক্ষেত্রে কার্যকরি ভূমিকা পালন করতে পারবেন। তা হলে আপনাদের নির্মিত ভবনগুলির স্থায়িত্ব অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। যাঁরা এবার কুম্ভমেলা দেখেছেন, তাঁরা জানেন যে, নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে অস্থায়ী ব্যবস্থাও কত সুচারুভাবে গড়ে তোলা যায়। আমাদের দেশের মানুষই তা করে দেখিয়েছেন। প্রয়াগরাজের গঙ্গাতটে এই ৪০ দিনে ২২ কোটিরও বেশি মানুষ একত্রিত হয়েছিলেন। প্রতিদিন গঙ্গাতটে ইউরোপের অনেক দেশের জনসংখ্যারও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তা সত্ত্বেও এবারের কুম্ভমেলা পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে উদাহরণ স্থাপন করেছে। আমাদের পরিকল্পিত স্মার্ট সিটিগুলিতে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে সংহত সঞ্চালন ব্যবস্থা কিভাবে কাজ করবে, তার একটি সফল প্রয়োগ আমাদের নবীন প্রজন্মের বন্ধুরা কুম্ভমেলায় করে দেখিয়েছেন। অর্থাৎ, আমাদের দেশে সেই সামর্থ্য রয়েছে। অস্থায়ী ব্যবস্থাপনা যদি এত উন্নতমানের হতে পারে, আমাদের নবীন প্রজন্মের গড়ে তোলা স্থায়ী ব্যবস্থা হয়তো বিশ্বের একটি মডেল হয়ে উঠতে পারে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই দু’দিনে আমাদের আলাপ-আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক অত্যন্ত সুফলদায়ক হবে। আপনারা প্রত্যেকে নিজ নিজ কোম্পানির সমস্যাগুলি সমাধান করতে পারবেন। পাশাপাশি, দেশে এক্ষেত্রে নতুন প্রাণসঞ্চার হবে, নতুন গতি পাবে, আমাদের গৃহ নির্মাণ বযবস্থার কায়াকল্প হবে। আর আপনারা মনে রাখবেন, ভারত যা করে, সারা পৃথিবী তা খুঁটিয়ে দেখে। এদেশের সেই শক্তি রয়েছে, যা অভিধানের শব্দের অর্থ বদলে দিতে পারে। আগে অভিনন্দন শব্দের ইংরেজি মানে ছিল ‘কনগ্র্যাচ্যুলেশন’। আর আজকের পর থেকে অভিনন্দন শব্দের অর্থ বদল��� যাবে। এই শক্তি আমাদের দেশের রয়েছে। আসুন, আমরা নিজেদের হাতকে বিশ্বাস করতে শিখি। একটি পরাক্রমী রাষ্ট্র হিসাবে এগিয়ে যেতে নিজেদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একের পর এক পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকার আপনাদের সঙ্গে রয়েছে। আরেকবার আপনাদের সবাইকে এই আলোচনাসভার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",নতুন দিল্লীত ‘কনষ্ট্ৰাকচন টেকন’ল’জী ইণ্ডিয়া ২০১৯’ৰ মুকলি অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%AA-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%8F%E0%A6%AE-%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%99/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%89%E0%A6%AA-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-2/,"নয়াদিল্লি, ৮ আগস্ট ২০২২ উপ-রাষ্ট্রপতি শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আজ যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যসভায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তিনি শ্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডুর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, আমরা এ বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করতে চলেছি এমন একটি সময়ে যখন দেশের রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, লোকসভার অধ্যক্ষ এবং প্রধানমন্ত্রী – সকলেই জন্মগ্রহণ করেছেন স্বাধীনতা-উত্তরকালে। তাঁদের প্রত্যেকেই উঠে এসেছেন খুব সাধারণ পরিবারগুলি থেকে। এর একটি প্রতীকী অর্থ রয়েছে যা এক নতুন যুগের সূচক। জনজীবনে যুক্ত হওয়ার সময় থেকেই দেশের যুব সমাজকে উপ-রাষ্ট্রপতি বরাবরই উৎসাহ যুগিয়ে এসেছেন। উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে যুবকল্যাণে তিনি আত্মনিয়োগ করেছিলেন। বিভিন্ন সময় শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দলের কর্মী হিসেবে শ্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডুর মতাদর্শগত অঙ্গীকার, বিধায়ক হিসেবে তাঁর সাফল্য, সাংসদ হিসেবে তাঁর কর্মচাঞ্চল্য এবং ভারতীয় জনতা পার্টির প্রেসিডেন্ট রূপে তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা বিশেষ প্রশংসার দাবি রাখে। কেন্দ্রের মন্ত্রী হিসেবে তাঁর কঠিন শ্রম ও বিচক্ষণতা এবং উপ-রাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান রূপে তাঁর নিষ্ঠা ও মর্যাদাপূর্ণ অভিব্যক্তি আমাদের মুগ্ধ করেছে। স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে শ্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে এসেছেন বহু বছর ধরেই। কোনও দায়িত্ব গ্রহণেই শ্রী নাইডু কখনও পিছিয়ে যাননি। তাই যাঁরা জনজীবনের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের অনেক কিছুই শিক্ষণীয় রয়েছে শ্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে। উপ-রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তব্য ও আলোচনায় শব্দের ব্যবহারে যে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন তারও উল্লেখ করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, শ্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডুর প্রতিটি শব্দই মন দিয়ে শোনার, উপলব্ধি করার এবং অনুসরণ করার। তাঁর শব্দ ব্যবহারে আপত্তি বা বিরোধিতা করার কোনও পথ ছিল না। শুধু তাই নয়, একটিমাত্র ছত্রে তিনি যেভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারতেন তা সকলের কাছেই সুবিদিত, কারণ ভাষার ওপর তাঁর দখল ছিল অসাধারণ। সংসদ এবং তার বাইরে যে শব্দ ও বাক্যে তিনি নিজেকে প্রকাশ করতেন তার প্রভাব ছিল বিরাট। কারণ তাঁর বক্তব্যের সারবত্তার সঙ্গে গভীরতার এক বিশেষ মেলবন্ধন ঘটত। অতুলনীয় ছিল তাঁর শব্দ চয়ন যার মধ্য দিয়ে ফুটে উঠত তাঁর জ্ঞানের গভীরতা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ ভারতে শ্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডুর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল খুবই সরল ও অনাড়ম্বরভাবে। একজন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী থেকে দলের সভাপতি হয়ে ওঠার ঘটনার মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছিল তাঁর এগিয়ে চলার অদম্য মানসিকতা যা তাঁর মতাদর্শ ও ধৈর্য্যের সঙ্গে ছিল সম্পৃক্ত। দেশকে যদি আমরা ভালোবাসি, সঠিকভাবে আমাদের মতামত যদি আমরা প্রকাশ করতে পারি, ভাষাগত বৈচিত্র্যের ওপর যদি আমাদের আস্থা থাকে, তাহলে কোনও একটি বিশেষ অঞ্চল বা ভাষা যে কখনই কাজের জগতে অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে না তা প্রমাণ করেছেন শ্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু স্বয়ং। প্রত্যেকটি ভারতীয় ভাষার প্রতি তিনি ছিলেন শ্রদ্ধাশীল। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করার সময় এই পরিচয় আমরা পেয়েছি। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর মেয়াদকালে সেখানকার কাজও শুধুমাত্র বহুগুণে বৃদ্ধি পায়নি, আলাপ-আলোচনার পরিসর ও পরিধিও পেয়েছে এক নতুন মাত্রা। বহু ঘটনায় তিনি এমন এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যা রাজ্যসভার ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সংসদে তিনি বিতর্ক ও আলোচনাকে এমন এক মাত্রায় উন্নীত করেছিলেন যেখানে বিমূর্ত হয়ে উঠেছিল গণতন্ত্রের পূর্ণতা।",ৰাজ্যসভাত উপ-ৰাষ্ট্ৰপতি শ্ৰী এম ভেংকায়া নাইডুক বিদায় জনালে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%87/,"নয়াদিল্লি, ১৫ স���প্টেম্বর ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মালয়েশিয়ার প্রাক্তন ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং মালয়েশিয়া থেকে প্রথম প্রবাসী ভারতীয় সম্মানপ্রাপ্ত টুন ডঃ এস স্যামি ভেলু-র প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। একটি ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন – “মালয়েশিয়ার প্রাক্তন ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং মালয়েশিয়া থেকে প্রথম প্রবাসী ভারতীয় সম্মানপ্রাপ্ত টুন ডঃ এস স্যামি ভেলু-র প্রয়াণে আমি শোকাভিভূত। তাঁর পরিবারের প্রতি আমি আন্তরিক সমবেদনা জানাই। ওঁ শান্তি!”",মালয়েছিয়াৰ প্ৰাক্তন কেবিনেট মন্ত্ৰী টুন ডঃ এছ. ছামি ভেল্লুৰ বিয়োগত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শোক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AA-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%80-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%9B%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AA-%E0%A6%9C%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লি, ১৫ অক্টোবর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সপ্তম এশিয়া কাপ জয়ী ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের এক ট্যুইট বার্তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; “আমাদের মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্যরা তাঁদের ধৈর্য্য আর ক্রীড়া নৈপুণ্যের মাধ্যমে আমাদের গর্বিত করেছেন। মহিলাদের এশিয়া কাপ জয়ী দলকে অভিনন্দন জানাই। যে ক্রীড়া দক্ষতা ও দলগত ঐক্য তাঁরা দেখিয়েছেন তা অনবদ্য। আগামীদিনেও দলের সদস্যদের সাফল্য কামনা করি।”",‘মহিলাৰ এছীয়া কাপ’ জয় কৰা ‘ভাৰতীয় মহিলা ক্ৰিকেট’ দলক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ অভিনন্দ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%83%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%BF/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিল্পের নকশা সংক্রান্ত বিষয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের সংযোজনের জন্য কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে রয়েছে – ক) চিহ্নের নিবন্ধীকরণের জন্য নিস চুক্তি অনুযায়ী পণ্য এবং পরিষেবার আন্তর্জাতিক শ্রেনীবিন্যাস, খ) ভিয়েনা চুক্তি অনুযায়ী বিশেষ ধরণের চিহ্নের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রেণীবিন্যাস এবং গ) লোকার্নো চুক্তি অনুযায়ী শিল্পের নকশা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক শ্রেণীবিন্যাসের লক্ষ্যে ভারতের সংযোজনের জ��্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ। নিস, ভিয়েনা এবং লোকার্নো চুক্তি সংযোজনের ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে শ্রেণীবিন্যাসের পদ্ধতি অনুযায়ী ট্রেডমার্ক এবং নকশা পরীক্ষার জন্য ভারতের মেধাস্বত্ত্ব দপ্তরের সুবিধা হবে। এর ফলে, ভারতীয় নকশা, বৈশিষ্ট্য এবং পণ্য আন্তর্জাতিক মানের শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতির সুযোগ গ্রহণের সুবিধা পাবে। ভারতে মেধাস্বত্ত্ব সুরক্ষার প্রশ্নে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এই সংযোজনের ফলে প্রত্যয়ী হবেন। এই চুক্তি অনুযায়ী পর্যালোচনা এবং পুনর্বিন্যাসের প্রক্রিয়ায় এই সংযোজন, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। /…",আন্তঃৰাষ্ট্ৰীয় শ্ৰেণীবিভাজন পদ্ধতি সন্দৰ্ভত তিনিখনকৈ চুক্তিৰ প্ৰস্তাৱলৈ কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%81-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%81-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AF/,"নয়াদিল্লি, ৮ আগস্ট ২০২২ রাজস্থানের খাতু শ্যামাজি মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। “রাজস্থানের শিকার-এ খাতু শ্যামাজি মন্দির কমপ্লেক্সে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় আমি শোকাহত। শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির জন্য আমি চিন্তিত। ঘটনায় যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই প্রার্থনা জানাই।” – এক ট্যুইট বার্তার মাধ্যমে এইভাবেই শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।",ছিকাৰ ৰাজস্থানৰ খাতু শ্যামজী মন্দিৰ কমপ্লেক্সত হেঁচাঠেলাৰ ফলত প্ৰাণহানি হোৱা ঘটনাত শোক প্ৰকাশ কৰিছে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AC-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80/,"আজ নয়াদিল্লিতে ডঃ আম্বেদকর আন্তর্জাতিক কেন্দ্রটিজাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রতিষ্ঠানটিরতিনি শিলান্যাস করেছিলেন ২০১৫-র এপ্রিল মাসে। এই উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঘোষণা করেন যে, ডঃ আম্বেদকর-এর চিন্তাভাবনা ও শিক্ষাদর্শেরপ্রচার ও প্রসারে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাবে কেন্দ্রীয় সরকার। আর্থ-সাম���জিক রূপান্তরের লক্ষ্যে ডঃ আম্বেদকরআন্তর্জাতিক কেন্দ্রটিকে এই লক্ষ্যে সরকারের অঙ্গীকারের এক বাস্তবায়ন বলে বর্ণনাকরেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে সমীক্ষা ও গবেষণা চালানোরক্ষেত্রে এটি হয়ে উঠবে এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলকবিকাশ ও সংশ্লিষ্ট আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রের উন্নয়নে একটি ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ হিসাবেকাজ করে যাবে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন যে, দর্শন ওচিন্তাভাবনার ক্ষেত্রে পথিকৃৎরা বিভিন্ন সময়ে দেশের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যগুলি স্থিরকরেছেন। জাতি গঠনের কাজে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য সমগ্র জাতি বিশেষভাবে ঋণীবাবাসাহেবের কাছে। তাঁর চিন্তাভাবনা ও মতাদর্শ আরও বেশি সংখ্যক দেশবাসী, বিশেষতযুবসমাজের মধ্যে প্রসারলাভ করুক, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ আগ্রহী কেন্দ্রীয় সরকার।এই কারণেই ডঃ আম্বেদকর-এর জীবনযাপনের সঙ্গে যুক্ত স্থানগুলিকে পুণ্যভূমি রূপে গড়েতোলা হচ্ছে। প্রসঙ্গত দিল্লির আলিপুর, মধ্যপ্রদেশের মহাও, মুম্বাইয়ের ইন্দুমিল,নাগপুরের দীক্ষাভূমি এবং লণ্ডনে আম্বেদকর-এর বাসভবনের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, ডঃ আম্বেদকর-এর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বর্তমান প্রজন্মের কাছেএই স্থানগুলি হ’ল ‘পঞ্চতীর্থ’। ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেনের লক্ষ্যে ‘ভীম’অ্যাপ্লিকেশনটির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার ডঃ আম্বেদকর-এর অর্থনৈতিক প্রজ্ঞাকেইশ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ১৯৪৬ সালে ডিসেম্বরে ডঃ আম্বেদকর-এর ভাষণের একটিঅংশের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিতকরলেও জাতির সমস্যা দূর করার জন্য ডঃ আম্বেদকর-এর চিন্তাভাবনা ছিল অনুপ্রেরণামূলক।কিন্তু ডঃ আম্বেদকর-এর স্বপ্নকে সম্পূর্ণভাবে আমরা এখনও সফল করে তুলতে পারিনি।সামাজিক কুফলগুলি দূর করার ক্ষেত্রে বর্তমান প্রজন্মের যথেষ্ট ক্ষমতা ও সম্ভাবনারয়েছে বলে মনে করেন শ্রী মোদী । রাজনৈতিক গণতন্ত্রের পাশাপাশি সামাজিক গণতন্ত্রওপ্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন – ডঃ আম্বেদকর-এর এই কথাগুলি প্রসঙ্গত স্মরণ করেন শ্রীনরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, গত তিন থেকে সাড়ে তিন বছরে এই সামাজিক গণতন্ত্রেরস্বপ্ন পূরণে কাজ করে চলেছে তাঁর সরকার। জন ধন যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনা, স্বচ্ছ ভারতমিশন, বিম��� কর্মসূচি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং সাম্প্রতিককালের সৌভাগ্য যোজনারকথা উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচিরূপায়ণের কাজ নির্দিষ্ট সময়কালের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে সর্বতোভাবে সচেষ্ট রয়েছেকেন্দ্রীয় সরকার। সঠিক সময়ে রূপায়িত ডঃ আম্বেদকর আন্তর্জাতিক কেন্দ্রটি এর একটি বড়উদাহরণ বলে বর্ণনা করেন তিনি। মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কার্ড বন্টন, মিশনইন্দ্রধনুষ এবং গ্রামীণ বৈদ্যুতিকীকরণের সফল অগ্রগতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে শ্রী মোদীবলেন, জনকল্যাণমুখী কর্মসূচির বাস্তবায়নে তাঁর সরকার দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।স্বনির্ভর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচির কথাও উল্লেখ করেনতিনি। প্রধানমন্ত্রী বিশেষ জোর দিয়ে বলেন যে, ‘নতুন ভারত’গঠনের যে ডাক তিনি দিয়েছেন, সেই ভারতবর্ষের কথাই চিন্তা করেছিলেন ডঃ বি আরআম্বেদকর। সমান সুযোগ ও অধিকার এবং জাতিভেদ প্রথা মুক্ত এই ‘নতুন ভারত’ প্রযুক্তিরশক্তিতে আরও বলীয়ান হয়ে উঠবে। ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর-এর স্বপ্ন ও চিন্তাভাবনারবাস্তবায়নে কাজ করে যাওয়ার জন্য সকলকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদী। আগামী ২০২২ সালের মধ্যেই এই স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে দেশবাসীৰ নামত অৰ্পণ কৰিলে ড০ আম্বেদকাৰ আন্তঃৰাষ্ট্ৰীয় কেন্দ্ৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%AB%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A7%B0%E0%A6%96%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%9B%E0%A6%BF/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে হিন্দুস্হান উর্বরক অ্যান্ড রসায়ন লিমিটেডকে লিজে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। এছাড়া, এফসিআইএল-এর গোরক্ষপুর এবং সিন্ধ্রির সার কারখানা পুনরুজ্জীবন এবং এইচএফসিএল-এর বারাউনি সার কারখানা পুনরুজ্জীবনের জন্য ছাড় এবং জমি লিজ সংক্রান্ত চুক্তিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে একটি আন্তর্মন্ত্রক কমিটিকে এফসিআইএল/এইচএফসিএল ও এইচইউআরএল-এর মধ্যে প্রয়োজনে চুক্তি অনুমোদনের কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে। এরফলে গোরক্ষপুর, সিন্ধ্রি ও বারাউনির সার কারখানাগুলির পুনরুজ্জীবন সার উৎপাদন ক্ষেত্রে লগ্নি আকর্ষণ করবে। অন্যদিকে, জগদীশপুর-হলদিয়া পা���পলাইনের মাধ্যমে পরিবাহিত গ্যাস এই সার কারখানাগুলিকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা যাবে। এই উদ্যোগের ফলে দেশের পূর্বাঞ্চলে অর্থনীতি জোরদার হবে এবং এই অঞ্চলে কর্মসংস্হানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া, দেশজ ইউরিয়া উৎপাদন বাড়বে ও সার ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা সৃষ্টি হবে। /",এফচিআইএলৰ গোৰখপুৰ আৰু ছিন্দ্ৰি আৰু এইচএফচিএলৰ বাৰাউনি সাৰ কাৰখানাৰ পুনৰুজ্জীৱিতকৰণৰ লক্ষ্যৰে ৰেহাই সংক্রান্তীয় চুক্তি আৰু ভূমি লিজত দিয়া চুক্তিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%AA%E0%A7%A6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%A4/,"নয়াদিল্লি, ২৮ আগস্ট ২০২২ গুজরাটের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মনোহর লালজি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কৃষ্ণ চৌতালাজি, সংসদে আমার সহকর্মী শ্রী সি আর পাটিলজি, সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের পদস্থ আধিকারিকগণ, ভারতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত, মারুতি-সুজুকির সমস্ত কর্মীবর্গ, অন্যান্য সকল বিশিষ্টজন এবং ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ! প্রথমেই সুজুকি এবং সুজুকি পরিবারের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেককেই জানাই আমার অভিনন্দন। ভারতের পরিবার এবং জনসাধারণের সঙ্গে সুজুকির সম্পর্ক আজ দীর্ঘ চল্লিশ বছরের। বৈদ্যুতিক যানের ব্যাটারি উৎপাদনের একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষামূলক প্রকল্পের আজ এখানে শিলান্যাস হচ্ছে। আবার, আজই হরিয়ানায় সূচনা হতে চলেছে একটি নতুন গাড়ি নির্মাণ প্রকল্পের। আমি বিশ্বাস করি যে এই ধরনের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সুজুকির এক বিরাট সম্ভাবনায় ভবিষ্যৎই সূচিত হবে। সুজুকি মোটর এবং এই বিশাল সংস্থার সকল সদস্যকেই জানাই আমার আন্তরিক অভিনন্দন। বিশেষ করে আমি অভিনন্দন জানাই মিঃ ওসামু সুজুকি এবং মিঃ তোশিহিরো সুজুকি। যখনই আপনারা আমার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মিলিত হন, ভারতে সুজুকির এক নতুন ভবিষ্যতের স্বপ্ন তখন আমার কাছে তুলে ধরেন। এ বছর মে মাসেই মিঃ ওসামু সুজুকির সঙ্গে আমার সাক্ষাৎকার ঘটে এবং তিনি তখন আমাকে ভারতে সুজুকির ৪০ বর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানান। ভবিষ্যতের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ ও কর্মপ্রচেষ্টাকে প্রত্যক্ষ করে আমি বিশেষভাবে আনন্দিত। বন্ধুগণ, মারুতি-সুজুকির এই সাফল্য ভারত-জা���ান সম্পর্কের বলিষ্ঠতার পরিচয়ই বহন করে। গত আট বছরে আমাদের এই দুটি দেশের সম্পর্কে এক নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। গুজরাট-মহারাষ্ট্রের বুলেট ট্রেন থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের বেনারসে রুদ্রাক্ষ কেন্দ্রের মতো উন্নয়ন প্রকল্পগুলি ভারত-জাপান মৈত্রী সম্পর্কেরই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। জাপানের ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত শিনজো আবে-র স্মৃতি প্রতিটি ভারতবাসীর হৃদয়ে জাগরূক এবং তা আমাদের দু’দেশের মধ্যে মৈত্রী সম্পর্কের কথাই মনে করিয়ে দেয়। শিনজো আবে-র গুজরাট সফরের কথা বিশেষভাবে স্মরণ করেন এই রাজ্যের অধিবাসীরা। আমাদের দু’দেশের সম্পর্ককে আরও আন্তরিক করে তোলার কাজকে বর্তমানে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী মিঃ ফুমিও কিশিদা। কিছুক্ষণ আগেই আমরা শুনেছি প্রধানমন্ত্রী কিশিদার ভিডিও বার্তা। প্রধানমন্ত্রী কিশিদা এবং জাপানের সকল নাগরিককে জানাই আমার অভিনন্দন। বন্ধুগণ, এই সুযোগে গুজরাট ও হরিয়ানার অধিবাসীদের জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। দেশের শিল্প বিকাশ প্রচেষ্টা এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিকেও তাঁরা বরাবরই শক্তি ও উৎসাহ যুগিয়ে এসেছেন। এই দুটি রাজ্যের জন্য শিল্প সম্ভাবনা ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচি সম্পর্কিত সরকারি নীতি ও উদ্যোগ বাণিজ্যিক কাজকর্মকে সহজতর করে তুলেছে। রাজ্য দুটির কোটি কোটি মানুষ, বিশেষ করে তরুণ ও যুবকরা এর ফলে নানাভাবে উপকৃত হচ্ছেন। বন্ধুগণ, এই বিশেষ অনুষ্ঠানে এসে পুরনো দিনের একটি কথা আমার মনে পড়ে গেল এবং তা খুবই স্বাভাবিক কারণে। আজ থেকে প্রায় ১৩ বছর আগে সুজুকি কোম্পানি যখন প্রথম গুজরাটে আসে তার উৎপাদন সম্পর্কিত নির্মাণ প্রচেষ্টার লক্ষ্যে, আমি ঠিক সেই দিনটির কথাই বলছি। সেই সময় আমি বলেছিলাম – ‘আমাদের মারুতির বন্ধুরা যখন গুজরাটের জল পান করবেন তখনই তাঁরা উপলব্ধি করবেন যে এই রাজ্যে উন্নয়নের সঠিক মডেল কি হতে পারে সে সম্পর্কে।’ আমি আজ খুবই খুশি যে গুজরাট সুজুকির কাছে তার প্রতিশ্রুতি সফল করতে পেরেছে। সেইসঙ্গে সুজুকিও সম্মান জানিয়েছে গুজরাটের সেই অঙ্গীকারকে। গুজরাট বর্তমানে শুধুমাত্র দেশের মধ্যেই নয়, বিশ্বের মধ্যেও যান নির্মাণের ক্ষেত্রে একটি শীর্ষস্থান অধিকার করে রয়েছে। বন্ধুগণ, আজ হল এমনই একটি মুহূর্ত যখন গুজরাট ও জাপানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা আমি যতই আলোচনা করি না কেন, তাতেও বোধহয় অনেককিছু বলাই বাকি থেকে যায়। জাপানের সঙ্গে গুজরাটের সম্পর্ক প্রকৃত অর্থেই যে কোনো কূটনৈতিক বৃত্তের ঊর্ধ্বে। ২০০৯-এ ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ শীর্ষ সম্মেলন যখন অনুষ্ঠিত হয় সেই সময়কার কথা আমি স্মরণ করতে পারছি। জাপান বরাবরই এই সম্মেলনে একটি অংশীদার রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থিত ছিল। একদিকে একটি রাজ্য এবং অন্যদিকে একটি উন্নত দেশ ও তারা পরস্পরকে সাহায্য ও সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছে। এর থেকে বড় কথা আর কি হতে পারে! এমনকি আজও ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ শীর্ষ সম্মেলনে সবথেকে বেশি সহযোগী দেশের স্থানটি অধিকার করে রয়েছে জাপান। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমার কার্যকালে একটি কথা আমি প্রায়ই বলতাম যে গুজরাটকে আমি একটি মিনি জাপানের রূপ দিতে আগ্রহী। আমার এই চিন্তাভাবনার পেছনে যে সত্যটি কাজ করত তা হল এই যে জাপানের মাননীয় অতিথিরা যেন একথাই অনুভব করেন যে গুজরাটের মধ্যে তাঁরা অন্য এক জাপানকেই যেন আবিষ্কার করছেন। জাপানি সংস্থা এবং তাদের কর্মীরা যাতে কোনরকম সমস্যার মুখে না পড়েন তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বতোভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি। অনেক ছোট ছোট ব্যাপারও যে আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি একথা আপনারা সহজেই কল্পনা করতে পারবেন। অনেকেই হয়তো একথা শুনে বিস্মিত হবেন যে জাপানের নাগরিকরা গলফ ছাড়া থাকতে পারেন না। জাপানিদের আপনারা গলফ ছাড়া কখনই কল্পনা করতে পারবেন না। কিন্তু গুজরাটে তখন গলফ খেলার কোনো সুযোগ-সুবিধাই আমরা করে উঠতে পারিনি। তাই আমরা অনুভব করেছিলাম যে জাপানকে যদি আমরা এখানে বারেবারে ফিরে পেতে চাই তাহলে গলফ কোর্স তৈরির কাজও অনতিবিলম্বে শুরু করে দিতে হবে। আমি আজ খুবই খুশি যে গুজরাটে এখন গলফ খেলার অনেক মাঠই তৈরি হয়ে গেছে যেখানে কর্মরত জাপানি নাগরিকরা সপ্তাহান্তে তাঁদের ছুটি উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এমনকি, জাপানি খাদ্য সম্ভারের অনেক রেস্তোরাঁও এখানে খোলা হয়েছে। জাপানি খাদ্য সম্ভার যাতে এখানে সঠিকভাবে পরিবেশিত হয় সে বিষয়েও আমরা যত্নবান হয়েছি। অনেক গুজরাটিই এখন জাপানি ভাষা রপ্ত করেছেন যাতে তাঁদের জাপানি বন্ধুরা কোনরকম সমস্যায় না পড়েন। বর্তমানে গুজরাটে জাপানি ভাষা শিক্ষার অনেক পাঠই শুরু হয়ে গেছে। বন্ধুগণ, জাপানের জন্য আমাদের উদ্যোগ ও আন্তরিকতার কোনদিনই কোনো ঘাটতি হয়নি। এই কারণে গুজরাটে বর্তমানে সুজুকি সহ ১২৫টিরও বেশি জাপানি সংস্থা কাজ করে চলেছে। যানবাহন থেকে জৈব-জ্বাল���নি – সবক’টি ক্ষেত্রেই প্রকল্পের সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে জাপানি সংস্থাগুলি। আমেদাবাদে জেট্রো যে বাণিজ্য সহায়তা কেন্দ্র গড়ে তুলেছে সেখানে একইসঙ্গে বহু সংস্থাকে নানাভাবে সুযোগ-সুবিধাদানের ব্যবস্থা রয়েছে। গুজরাটে বর্তমানে দুটি জাপান-ভারত প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা নির্মাণ ও উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রতি বছর শত শত তরুণ ও যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। গুজরাটের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইটিআই-গুলির সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বহু জাপানি সংস্থার। আমেদাবাদে জেন গার্ডেন এবং কাইজেন অ্যাকাডেমি স্থাপনের জন্য হিয়োগো ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশনের অমূল্য অবদানের কথা গুজরাট কোনদিনই ভুলতে পারবে না। বর্তমানে স্ট্যাচু অফ ইউনিটির অদূরে এই ধরনের পরিবেশ-বান্ধব একটি উদ্যান গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আজ থেকে ১৮-১৯ বছর আগে কাইজেন গড়ে তোলার সময় যে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল তাতে নানাভাবে উপকৃত হয়েছে গুজরাট। গুজরাটের উন্নয়ন প্রচেষ্টার সাফল্যের পেছনে কাইজেন-এর নিশ্চিতভাবেই এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণের পর কাইজেন-এর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং কেন্দ্রীয় সরকারি অন্যান্য দপ্তরকে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। দেশ বর্তমানে কাইজেন-এর কল্যাণে নানা সুফল ভোগ করছে। সরকারি কাজকর্মে ‘জাপান প্লাস’-এর প্রয়োগের জন্য আমরা বিশেষ ব্যবস্থাও করেছি। গুজরাট এবং জাপানের সম্পর্কের যাত্রাপথে পুরনো জাপানি বন্ধুদের অনেকেই আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন। আমি আরও একবার তাঁদের সকলকে অভিনন্দন জানাই। আমি বিশ্বাস করি যে এই ধরনের সম্প্রসারণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সুজুকির এক বিরাট সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ সূচিত হবে। বন্ধুগণ, ভারতে বৈদ্যুতিক যানবাহনের বাজার যেভাবে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে তা আজ থেকে মাত্র কয়েক বছর আগেও কেউ কল্পনা করতে পারত না। বৈদ্যুতিক যানের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলির অন্যতম হল এই যে তা থেকে কোনরকম শব্দ বা আওয়াজ বেরোয় না। দু’চাকারই হোক বা চার-চাকারই হোক, এই ধরনের যানে কোনরকম আওয়াজ টের পাওয়া যায় না। এই নৈঃশব্দের বিষয়টি শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত কৃৎকৌশলই নয়, একইসঙ্গে তা দেশে এক নিঃশব্দ বিপ্লবের সূচক। আজকের দিনে সাধারণ মানুষ বৈদ্যুতিক যানকে আর অতিরিক্ত একটি যা��� বলে গণ্য করেন না, বরং তাকে এক পরিবহণ মাধ্যম হিসেবেই গ্রহণ করেন। এই ধরনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার জন্য গত আট বছর ধরেই দেশ এক রূপান্তর প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে আমরা বৈদ্যুতিক যানের চাহিদা ও যোগানের বিষয়টি নিয়ে আরও বেশি করে কাজ করে চলেছি। বৈদ্যুতিক যানের ক্রেতাদের নানা ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে যাতে এই ধরনের যানের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে। আয়করে বিশেষ ছাড় সহ সহজ শর্তে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বৈদ্যুতিক যানের চাহিদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে। একইসঙ্গে পিএলআই কর্মসূচির মাধ্যমে অটোমোবাইল এবং গাড়ির যন্ত্রাংশের যোগান বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্রুত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বৈদ্যুতিক যানের উপযোগী অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করতেও বেশ কয়েক কদম এগিয়ে গেছে আমাদের সরকার। পিএলআই কর্মসূচির আওতায় ব্যাটারি নির্মাণ কারখানাগুলিকেও নানাভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বৈদ্যুতিক যান চার্জ দেওয়ার উপযোগী পরিকাঠামো গড়ে তুলতে বেশ কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে, প্রযুক্তি বিনিময়ের মতো বিষয়গুলির ক্ষেত্রে নীতি গ্রহণের কাজও নতুনভাবে শুরু হয়েছে। চাহিদা, যোগান এবং অনুকূল পরিবেশ ও পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বৈদ্যুতিক যান শিল্পের অগ্রগতি নিশ্চিত করে তোলা হচ্ছে। এর অর্থ হল, এই নিঃশব্দ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অদূর ভবিষ্যতে এক বিরাট পরিবর্তন আসতে চলেছে। বন্ধুগণ, বৈদ্যুতিক যান সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে যখন আমরা আলোচনা করি তখন জলবায়ু সম্পর্কে আমাদের অঙ্গীকার ও লক্ষ্যমাত্রাকে অবশ্যই মনে রাখা প্রয়োজন। সিওপি-২৬-এ ভারত ঘোষণা করেছে যে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সংস্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ৫০ শতাংশের উৎসই হবে অজৈব জ্বালানি। আগামী ২০৭০ সালের মধ্যে বাতাসে কার্বন নির্গমনের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য আমরা স্থির করেছি। এই কারণে পরিকাঠামো তালিকায় বৈদ্যুতিক যান চার্জ দেওয়ার পরিকাঠামো এবং ‘গ্রিড স্কেল ব্যাটারি সিস্টেম’ ব্যবস্থাকে আমরা তালিকাভুক্ত করেছি। সেইসঙ্গে, জৈব গ্যাসের মতো বিকল্প জ্বালানির লক্ষ্যেও আমরা কাজ করে চলেছি। মারুতি-সুজুকি জৈব জ্বালানি, ইথানল মিশ্রণ এবং হাইব্রিড বৈদ্যুতিক যান নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করে চলেছে জেনে আমি আনন্দিত। কম্প্রেসড বায়ো-মিথেন গ্যাস, অর্থাৎ সিবিজি-র সম্���াবনা ও সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখে সে সম্পর্কিত প্রকল্প ও কর্মসূচি তৈরি করার জন্য আমি প্রস্তাব রাখছি সুজুকি কর্তৃপক্ষের কাছে। এই ক্ষেত্রটিতে ভারতের অন্যান্য সংস্থাও নানাভাবে কাজ করে চলেছে। কারিগরি শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার স্বার্থে দেশে এক সুস্থ প্রতিযোগিতা ও উন্নততর কাজের পরিবেশ গড়ে উঠুক, এটাই কাম্য কারণ, এর ফলে দেশ এবং বাণিজ্যিক প্রচেষ্টা – উভয়েই লাভবান হবে। বন্ধুগণ, আগামী ২৫ বছরে জ্বালানি চাহিদার ক্ষেত্রেও ভারতকে স্বনির্ভর করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা জানি যে বিদেশ থেকে জ্বালানি আমদানির একটা বড় অংশই কাজে লাগে পরিবহণকে সচল রাখতে। সুতরাং, উদ্ভাবন ও উদ্যোগই হবে বর্তমানে আমাদের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত দুটি ক্ষেত্র। আমি নিশ্চিত যে আপনাদের এবং যান শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল সহকর্মীর সহযোগিতার মধ্য দিয়েই দেশ নিশ্চিতভাবেই লক্ষ্য পূরণের দিকে এগিয়ে যাবে। আজ আমরা যে গতিতে আমাদের সড়ক ও মহাসড়কগুলি তৈরি করছি, সেই গতিতেই বলীয়ান হয়ে সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির লক্ষ্য পূরণে আমরা নিশ্চিতভাবেই সফল হব। আমি আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই এবং আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই সুজুকি পরিবারকে। সম্প্রসারণ পরিকল্পনার যে স্বপ্ন আপনারা তুলে ধরেছেন তার বাস্তবায়নে রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যে সহযোগিতার কোনরকমই অভাব হবে না, এই আশ্বাস আমি আপনাদের দিতে পারি। অনেক অনেক ধন্যবাদ!",গুজৰাটৰ গান্ধীনগৰত ভাৰতত চুজুকিৰ ৪০ বছৰ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পাঠ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%8F-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E2%80%8C%E0%A6%B8-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A7%A8/,"1. অর্থনৈতিক তথা বাণিজ্যিক সহযোগিতাপ্রসারের লক্ষ্যে ব্রিক্‌স কার্যসূচি 2. উদ্ভাবন ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রসারের লক্ষ্যে ব্রিক্‌স কার্যসূচি(২০১৭-২০২০) 3. সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে কাস্টমস সম্পর্কিত বিষয়ে সহযোগিতা প্রসারেরলক্ষ্যে এক কৌশলগত কাঠামোর খসড়া 4. ব্রিক্‌স বাণিজ্য পরিষদ এবং নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের মধ্যে কৌশলগতসহযোগিতা প্রসারের লক্ষ্যে সমঝোতাপত্র। ept,2017",চীনৰ জিয়ামেনত অনুষ্ঠিত ২০১৭ৰ ব্ৰিকছ সন্মিননত সময়ত ব্রিক্‌ছ নেতাৰ উপস্থিতিত স্বাক্ষৰিত দস্তাৱেজ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BF/,"প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনিয়ন্ত্রিত সঞ্চয় প্রকল্প বন্ধে এ সংক্রান্ত ২০১৮ সালের বিলে সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির সুপারিশ মেনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৮-র ১৮ই জুলাই অনিয়ন্ত্রিত সঞ্চয় প্রকল্প নিষিদ্ধকরণ বিল, ২০১৮ পেশ করা হয়েছিল। পরে, বিলটিকে অর্থ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়। এ বছরের তেসরা জানুয়ারি কমিটি এ বিষয়ে তাদের রিপোর্ট দিয়েছে। বিলটিতে প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলির ফলে দেশে বেআইনি চিটফান্ডের সমস্যা মোকাবিলায় আইনটি আরও কঠোর হবে। এর ফলে, দেশে দরিদ্র মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ নয়ছয় প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। বিলটিতে, অনিয়ন্ত্রিত সঞ্চয় প্রকল্পকে তুলে ধরা, কাজ চালানো এবং এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ করার সংস্থান আছে। এছাড়া, কোনভাবেই এই ধরণের চিটফান্ড প্রকল্পে অর্থ সংগ্রহ করা যাবে না। সংশোধনীগুলির নীতি হচ্ছে, অনিয়ন্ত্রিত সঞ্চয় প্রকল্পে অর্থ সংগ্রহ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হবে। বর্তমানে প্রচলিত ব্যবস্থায় বেআইনি লগ্নি প্রকল্পে অর্থ সংগ্রহের পর আইনগত ব্যবস্থার সংস্থান রয়েছে। বিলটিতে এই ধরণের অনিয়ন্ত্রিত সঞ্চয় প্রকল্প চালানো, নিয়ন্ত্রিত সঞ্চয় প্রকল্পে প্রতারণামূলক খেলাপি এবং চিটফান্ড প্রকল্পে অর্থ লগ্নির জন্য মানুষকে প্রলোভিত করার কাজকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করার কথা বলা হয়েছে। বিলটিতে অপরাধীদের জন্য কঠোর শাস্তি ও বিরাট পরিমাণ অর্থ জরিমানার সংস্থান রয়েছে। এছাড়াও, বিলটিতে বেআইনিভাবে চিটফান্ডের জন্য সংগৃহীত অর্থ ফেরৎ দেওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে চিটফান্ডের সংগঠক বা মালিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সঞ্চয়কারী বা গ্রাহকের টাকা ফেরতের সংস্থান রাখা হয়েছে। এই ধরণের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা এবং তা বিক্রি করে গ্রাহকদের ফেরৎ দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকবে। সারা দেশে সমস্ত ধরণের অর্থ সঞ্চয় সংগ্রহের তথ্য একটি অনলাইন কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডের তৈরি করে সেখানে রাখা হবে। বিলটিতে ‘সঞ্চয় সংগ্রাহক’ এবং ‘সঞ্চয়’-এর সার্বিক সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আই��� দ্বারা অনুমোদিত বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্র বাদে কোন ব্যক্তি বা সংস্থান সঞ্চয় প্রকল্পের জন্য অর্থ সংগ্রহ বা অর্থ সংগ্রহের জন্য উৎসাহদান করলেই তাকে ‘সংগ্রাহক’ হিসাবে ধরা হবে। বিলটিকে কার্যকর করার প্রাথমিক দায়িত্ব রাজ্য সরকারগুলির হাতে থাকবে। সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশ জুড়ে বেআইনি চিটফান্ড সমস্যা মোকাবিলার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।","অনিয়ন্ত্রিত সঞ্চয় আঁচনি নিষিদ্ধকৰণ বিধেয়ক, ২০১৮ৰ সংশোধনী প্ৰস্তাৱ কেবিনেটৰ অনুমোদন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%B6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-2/,ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী শ্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর পুণ্যতিথি উপলক্ষেতাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। “শাস্ত্রীজির পুণ্যতিথিতে আমরা তাঁর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করি। তাঁরঅতুলনীয় সেবানিষ্ঠা এবং নির্ভীক নেতৃত্বদানের ঘটনা আগামী প্রজন্মগুলির কাছেচিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে” – এক বার্তায় বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।,প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী লাল বাহাদুৰ শাস্ত্ৰীৰ পূণ্য তিথিত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শ্ৰদ্ধাঞ্জলি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%B0/,"রবিবার রাশিয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের প্রেক্ষিতে রুশ ফেডারেশনেররাষ্ট্রপতি পুতিন’কে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এক টেলিফোন বার্তায়অভিনন্দন জানিয়েছেন। শ্রী পুতিনের সাফল্যে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীজানিয়েছেন যে, তাঁর নেতৃত্বে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে ‘বিশেষ এবং সুবিধাপ্রাপ্তকৌশলগত অংশীদারিত্ব’ আরও শক্তি অর্জন করবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন যে, এ বছরেরশেষ দিকে দু’দেশের মধ্যে ভারতে যে বার্ষিক শীর্ষ বৈঠক হওয়ার কথা হয়েছে, সেখানেরাষ্ট্রপতি পুতিন’কে স্বাগত জানানোর জন্য তিনি অপেক্ষা করবেন। রাষ্ট্রপতি পুতিন প্রধানমন্ত্রীকে এই টেলিফোন বার্তার জন্য ধন্যবাদ জানান।তিনি সর্বক্ষেত্রে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকারব্যক্ত করেন এবং ভারত ও তার জনগণের নিরবচ্ছিন্�� অগ্রগতির জন্য শুভেচ্ছা জ্ঞাপনকরেন।",ৰাষ্ট্ৰপতি নিৰ্বাচনত জয়ৰ পাছতে পুটিনলৈ অভিনন্দনসূচক ফোন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদি শুক্রবার খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে যুক্ত বিশ্বের প্রথম সারির বিভিন্নকোম্পানির সি.ই.ও.-দের সঙ্গে মত বিনিময় করলেন| ‘ ওয়ার্ল্ডফুড ইন্ডিয়া ’ অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবেই ছিল এইআলাপচারিতা| এই আলাপচারিতায় যেসবকোম্পানির সি.ই.ও. এবং আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, অ্যামাজন(ইন্ডিয়া), অ্যামওয়ে, ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ, কার্গিল এশিয়া প্যাসিফিক,কোকা-কোলা ইন্ডিয়া, ড্যানফস, ফিউচার গ্রুপ, গ্ল্যাক্সো স্মিত ক্লাইন, আইস ফুড,আই.টি.সি., কিকোম্যান, লুলু গ্রুপ, ম্যাককেইন, মেট্রো ক্যাশ এন্ড ক্যারি, মন্ডেলেজইন্টারন্যাশনাল, নেসলে, ও.এস.আই. গ্রুপ, পেপসিকো ইন্ডিয়া, সিল্ড এয়ার, শরফ গ্রুপ,স্পার ইন্টারন্যাশনাল, দ্য হেইন সেলেস্টিয়াল গ্রুপ, দ্য হার্শে কোম্পানি, ট্রেনটলিমিটেড, ওয়ালমার্ট ইন্ডিয়া| তাছাড়া খাদ্য প্রক্রিয়াকরণশিল্পমন্ত্রী শ্রীমতি হরসিমরাত কাউর বাদল, খাদ্য প্রক্রিয়ায়করণ শিল্পেরপ্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পদস্থআধিকারিকগণও এতে উপস্থিত ছিলেন| ‘ বাণিজ্যসহজতার পরিবেশ ’ নিয়ে সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকেরপ্রতিবেদনে ভারতের রেংকের বিশেষ অগ্রগতি হওয়ার জন্য সি.ই.ও.-গণ প্রধানমন্ত্রীকেঅভিনন্দন জ্ঞাপন করেন| তারা বলেন, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীরলক্ষ্য এবং গত তিন বছরে তাঁর নেতৃত্বে শান্তি ও অর্থনৈতিক সংস্কারের অগ্রগতিতেতারা অনুপ্রাণিত| এর মধ্যে বিশেষ করে জি.এস.টি. ’ রমত দৃঢ় পদক্ষেপ ও পরিকাঠামোগত সংস্কার এবং এফ.ডি.আই. নিয়ে উদারীকরণের প্রশংসা করেনতাঁরা| তাঁরা উল্লেখ করেন যে, কৃষিতেউত্পাদন বৃদ্ধি, খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কর্মসংস্থান এবং কৃষিপণ্যে মূল্যযুক্তকরার জন্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্র হচ্ছে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়| ভারতেরখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্র, কৃষি, আনুষঙ্গিক ক্ষেত্র ও খুচরা ক্ষেত্রে ব্যাপকপ্রবৃদ্ধির জন্য তাঁদের সংযুক্তির বিষয়��ুলোও তাঁরা তুলে ধরেন| ভারতের প্রবৃদ্ধিরক্ষেত্রে তাঁদের অংশ গ্রহণের কথা তাঁরা পুনরায় ব্যক্ত করেন| সি.ই.ও.-দের তাঁদের মতামতজানানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁদের পর্যবেক্ষণ ভারত সম্পর্কেতাঁদের অসাধারণ উদ্দীপনাকেই প্রদর্শিত করে| সি.ই.ও.-গণ যেসব বিষয়ে পরামর্শদিয়েছেন, তারও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী| কৃষির উত্পাদন ও কৃষকদের আয়বৃদ্ধির জন্য তাঁরা যেসব পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সেসবকে স্বাগতজানান| প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণী এবং সরকারের নীতিপরিচালিত উদ্যোগের জন্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রের বাস্তুতন্ত্রে এক সম্ভাবনারজগত খুলে দিয়েছে| তিনি চাষের খরচ কমানো এবং ফসলের ক্ষতি কমানোর জন্য কেন্দ্রীয়সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের উল্লেখ করেন| প্রধানমন্ত্রী আরও উত্পাদন বৃদ্ধির জন্যভারতের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার জন্য সি.ই.ও.-দের আহ্বান জানান| এর আগে শ্রীমতি হরসিমরাত কাউরবাদল খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য সরকারের নীতি নিয়েসংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন|",খাদ্য প্ৰস্তুতকৰণ খণ্ডৰ বিশ্বৰ মুখ্য কাৰ্যবাহী বিষয়াসকলৰ সৈতে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ বাৰ্তালাপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ১৩ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পবিত্র গুরু পূর্ণিমা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “গুরু পূর্ণিমা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাই। আজ সকল আদর্শ গুরুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দিন।যাঁরা আমাদের জীবনে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন, পরামর্শ ও শিক্ষা দিয়েছেন।আমাদের সমাজ জ্ঞান অর্জন ও বুদ্ধিমত্তার উপর অত্যাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। প্রার্থনা করি, আমাদের গুরুর আশীর্বাদ ভারতকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিক”।",প্রধানমন্ত্রীয়ে গুৰু পূৰ্ণিমাত জনসাধাৰণক অভিনন্দন জনাইছে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A7%9F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF-2/,"নয়াদিল্লি, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ প��রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পণ্ডিত দীন দয়াল উপাধ্যায়কে তাঁর জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; “পণ্ডিত দীন দয়াল উপাধ্যায়জিকে তাঁর জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর অন্ত্যোদয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ এবং দরিদ্রদের সেবা করার মানসিকতা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। একজন ব্যতিক্রমী বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবি হিসেবে তিনি সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।”",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ক তেওঁৰ জয়ন্তীত শ্ৰদ্ধাঞ্জলি দিয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A6%9B%E0%A7%8C%E0%A6%A1%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%B1%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A6%B0/,"ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়িয়ে তুলতে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক এবং সৌদি পর্যটন কমিশন ও সৌদি আরব ন্যাশনাল হেরিটেজের মধ্যে সমঝোতাপত্র বা মউ স্বাক্ষরের প্রস্তাবটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এই মউ স্বাক্ষরের উদ্দেশ্য হ’ল – পর্যটন ক্ষেত্রের উন্নয়ন, হোটেল, রিসর্ট, পর্যটক আবাস সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা, পর্যটন সংক্রান্ত তথ্য ও পরিসংখ্যান সহ কৃষি-পর্যটন, মরু পর্যটন প্রভৃতি ক্ষেত্রে তথ্য ও বিশেষজ্ঞ আদান-প্রদান। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান বা কর্মসূচি বিনিময়, পর্যটন সংক্রান্ত স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি আদান-প্রদান, বিশেষজ্ঞ ও পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত প্রতিনিধিদের একে অপরের দেশ ভ্রমণ। পর্যটন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা খুঁজে বের করা এবং পর্যটন প্রকল্পগুলিতে পারস্পরিক বিনিয়োগে উৎসাহ প্রদান। যৌথভাবে পর্যটন সংক্রান্ত অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী, সভা-সম্মেলন প্রভৃতি আয়োজন করার সংস্থানও প্রস্তাবে রয়েছে। এছাড়া, পর্যটন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনমূলক অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তির আদান-প্রদান এবং পর্যটন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত আন্তর্জাতিক মঞ্চ ও সংগঠনগুলিতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় বাড়ানোর কথাও চুক্তিতে রয়েছে।",ভাৰত আৰুছৌডি আৰৱৰ মাজত পর্যটন ক্ষেত্রতবুজাবুজি চুক্তি স্বাক্ষৰৰ ক্ষেত্ৰত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%85/,"নতুন দিল্লি, ২ এপ্রিল, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী মরিসন, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীরা, এবং দুই দেশের সমস্ত বন্ধু, যাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন, নমস্কার! এক মাসেরও কম সময়ে আজ আমার বন্ধু স্কটের সঙ্গে তৃতীয়বার মুখোমুখি হয়েছি। আমাদের মধ্যে গত সপ্তাহে ভার্চুয়াল শিখর সম্মেলনে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। সে সময় আমরা অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে যত দ্রুত সম্ভব বোঝাপড়ায় পৌঁছোনোর জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলাম। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজ এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে। অসাধারণ এই সাফল্যের জন্য আমি দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ও তাঁদের আধিকারিকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আমি বিশেষ ভাবে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং সেদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মিঃ মরিসনের বাণিজ্যদূত মিঃ টনি অ্যাবটকে অভিনন্দন জানাই। তাঁর প্রয়াসের ফলেই চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়েছে। বন্ধুগণ, অল্প সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই চুক্তি স্বাক্ষর দুই দেশের পারস্পরিক আস্থাকেই প্রতিফলিত করে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নিঃসন্দেহে এটি একটি সন্ধিক্ষণ। আমাদের দুই দেশের অর্থ ব্যবস্থায় এমন অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, যা একে অপরের চাহিদা মেটাতে পারে। এই চুক্তির মাধ্যমে অর্থ ব্যবস্থার সুযোগ-সুবিধার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারবো বলেই আমার বিশ্বাস। এই চুক্তি ছাত্র-ছাত্রী, পেশাদার এবং পর্যটক বিনিময় ব্যবস্থাকে আরও সরল করে তুলবে। এর ফলে, দুই দেশের সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে। আমি আরও একবার ভারত – অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য চুক্তির সফল বোঝাপড়া সম্পূর্ণ করার জন্য দুই দেশের আধিকারিকদের অভিনন্দন জানাই। আজকের এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মরিসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন নির্বাচন সফল ভাবে আয়োজন করার জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই। আগামীকাল বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচের জন্য অস্ট্রেলিয়ার মহিলা ক্রিকেট দলকে আমার শুভেচ্ছা। নমস্কার! বিঃদ্রঃ – এটি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আক্ষরিক অনুবাদ নয়, মূল ভাষণ তিনি হিন্দিতে দি��েছিলেন। /",ভাৰ্চুৱেল পদ্ধতিত ভাৰত-অষ্ট্ৰেলিয়াৰ মাজত অৰ্থনৈতিক সহযোগিতা আৰু বাণিজ্য চুক্তি(ইণ্ডিয়াঅষ্ট্ৰেলিয়া ইচিটিএ)ৰ স্বাক্ষৰ অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদীৰ বক্তব্যৰ ইংৰাজী অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%86/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A7%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মো দী শনিবার আকাশপথেবিহারের বন্যা বিধ্বস্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। রাজ্যের ত্রাণ, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণমূলক পদক্ষেপ প্রসঙ্গে পূর্ণিয়ায় আয়োজিত এক বৈঠকে খোঁজ খবরও নেন। এতে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীনীতিশ কুমার, উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রী সুশীল মোদি সহ রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। তিনি ভয়াবহবন্যার সঙ্কট থেকে পরিত্রাণের জন্য রাজ্যকে সবধরণের সম্ভাব্য সহায়তার ব্যাপারে আশ্বস্তকরেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জরুরি ভিত্তিতে ৫০০ কোটি টাকা অনুদানের ঘোষণাও করেনবিহারের জন্য। তিনি জানান, খুব শিগগিরই এক কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে এসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণনিরূপন করবে। বিশেষত: ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের শস্য বিমার টাকা সহ অন্য ত্রাণ সহায়তার ব্যবস্থাদ্রুত নিশ্চিত করার ব্যাপারে ব্যক্তিগত উদ্যোগের আশ্বাসও দেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক যোগাযোগ, বিদ্যুৎব্যবস্থাপনার পরিকাঠামো সারাইয়ের ক্ষেত্রেও কেন্দ্র থেকে সবরকম সহায়তা করা হবে বলেপ্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন। একই সঙ্গে বিধ্বংসী বন্যায় নিহতদের পরিজনকে ২ লক্ষ টাকাও গুরুতর আহতদের ৫০,০০০ টাকা করে মাথাপিছু অনুদান প্রদানের কথাও তিনি ঘোষনা করেন। এদিকে ভারত সফরে আসা নেপালের প্রধানমন্ত্রীশ্রী শেরবাহাদুর দেওবার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক আলোচনায়সপ্তকোশী উচ্চ বাঁধ প্রকল্প ও সুনকোশী জলাধার তথা জল বিভাজিকা প্রকল্পের বিস্তৃত রিপোর্টযতো দ্রুত সম্ভব প্রস্তুত করার ব্যাপারে সহমত ব্যক্ত করা হয়। উভয় দেশ একই সঙ্গে জলজ মা র এলাকা সমূহ চিহ্নিত করে বন্যা নিয়ন্ত্রণেরপ্রক্রিয়ায় সমন্বয়সাধনের ব্যাপারেও সম্মত হয়। এর ফলে গোটা অঞ্চলের বন্যা নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা আরও জোরদার হবে বলেও উভয় দেশের পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করা হয়।",আকাশমাৰ্গেৰে বিহাৰৰ বানবিধ্বস্ত পৰিস্থিতিৰ ব��জ ল’লে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে; ৫০০ কোটি টকাৰ সাহাৰ্য ঘোষণা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9B-%E0%A6%A6/,"নয়াদিল্লী, ৫ জুন, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরাখণ্ডে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জেরে শোকপ্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল (পিএমএনআরএফ) থেকে এই বাস দুর্ঘটনায় মৃত পরিবারবর্গ পিছু ২ লক্ষ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় থেকে এক ট্যুইট বার্তায় বলা হয়েছে ; “উত্তরাখণ্ডে বাস দুর্ঘটনা খুবই বেদনাদায়ক। এই দুর্ঘটনায় যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাই। রাজ্য সরকারের পৌরোহিত্যে স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে সমস্ত সম্ভাব্য সাহায্যের কাজে যুক্ত রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী@নরেন্দ্র মোদী।” “উত্তরাখণ্ডে দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন পিএমএনআরএফ থেকে তাদের পরিবারবর্গ পিছু ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।”",উত্তৰাখণ্ডত সংঘটিত বাছ দুৰ্ঘটনাত শোক প্ৰকাশ প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%8F%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%8F%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%B8%E0%A6%A8/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৭শে জানুয়ারি ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে ভারত-মধ্য এশীয় শীর্ষ সম্মেলনের সূচনা করবেন। কাজাখস্তান, কিরগিজ প্রজাতন্ত্র, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্থান ও উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপতিরা সম্মেলনে যোগ দেবেন। ভারত ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলির নেতৃবৃন্দের এ ধরনের বৈঠক এই প্রথম। প্রথম ভারত – মধ্য এশীয় শীর্ষ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান যোগাযোগ প্রতিফলিত। এটি ভারতের ‘বর্ধিত প্রতিবেশী’ নীতির অঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী ২০১৫ সালে মধ্য এশিয়ার দেশগুলিতে ঐতিহাসিক সফর করেন। পরবর্তীতে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উচ্চস্তরীয় আলাপ-আলোচনা হয়। তৃতীয় ভারত-মধ্য এশীয় আলোচনায় বিদেশ মন্ত্রীরা এই সম্মেলনের বিষয়ে পরিকল্পনা করেন। নতু�� দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ১৮-২০ ডিসেম্বর সেই আলোচনায় মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে ১০ই নভেম্বর নতুন দিল্লিতে আফগানিস্তানের উপর জাতীয় নিরাপত্তা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই বৈঠকে মধ্য এশিয়ার দেশগুলির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিবদের মধ্যে আফগানিস্তান নিয়ে একটি অভিন্ন আঞ্চলিক নীতি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথম ভারত-মধ্য এশীয় সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক যাতে নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়, তার জন্য কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় – তা নিয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় হবে। ভারত ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সর্বাঙ্গীণ ও স্থায়ী সম্পর্কের জন্য এই সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটি প্রতিফলিত হবে।",ভাৰত-মধ্য এছিয়া শীৰ্ষ সন্মিলনৰ প্ৰথম বৈঠক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%87/,"নয়া দিল্লি: নয়া দিল্লিরসেনা হাসপাতালে (আর.এন্ড আর.) গুরুতর অসুস্থ হয়ে ভর্তি হওয়া ভারতীয় বায়ুসেনারমার্শাল অর্জন সিং-কে দেখে এলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি| প্রধানমন্ত্রীতাঁর পরিবার পরিজনদের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন এবং তাঁর দ্রুত আরোগ্যের কামনা করেন| প্রধানমন্ত্রী তাঁর ট্যুইট বার্তায় বলেছেন, “ভারতীয় বায়ুসেনারমার্শাল অর্জন সিং-কে দেখার জন্য আর. এন্ড আর. হাসপাতালে গিয়েছিলাম, তিনিগুরুতরভাবে অসুস্থ| আমি তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সাক্ষাত করেছি| ভারতীয় বায়ুসেনার মার্শাল অর্জন সিং-এর দ্রুতআরোগ্যের জন্য আমরা সবাই প্রার্থনা করছি| চিকিৎসকগণও তাঁদের সাধ্যমত করে চলেছেন|”",চিকিৎসালয়ত ভাৰতীয় বায়ুসেনাৰ মাৰ্শ্বাল অৰ্জুন সিঙক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সাক্ষাৎ; তেখেতৰ আশু-আৰোগ্য কামনা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%89%E0%A6%AA-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%8F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%89%E0%A6%AA-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF/,"মাননীয় সভাপতি মহোদয়, সংসদের ���ক্ষ থেকে, দেশবাসীর পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আজ ১১ আগস্ট, ইতিহাসে এই তারিখটির গুরুত্ব অপরিসীম। আজকের দিনে মাত্র ১৮বছর বয়সী স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরাম বসু’কে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল। দেশেরস্বাধীনতা সংগ্রামে কত লড়াই হয়েছে, কত স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রাণবিসর্জন দিয়েছেন,তাঁদের স্মৃতি আমাদেরকে স্মরণ করায় যে, তাঁদের স্বপ্ন সফল করতে আমাদের সকলেরই কতবড় দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, ভেঙ্কাইয়া নাইডু দেশের প্রথমউপ-রাষ্ট্রপতি, যাঁর জন্ম হয়েছে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর। তাছাড়া, শ্রী ভেঙ্কাইয়ানাইডু প্রথম এমন উপরাষ্ট্রপতি যিনি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক জীবন ধরে কেন্দ্রীয় সরকারেরনানা দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সংসদ ভবন’কে তিনি হাতের তালুর মতো চেনেন। সংসদ সদস্যথেকে শুরু করে নানা সমিতির দায়ভার পালন করা, সংসদ অধিবেশনে সক্রিয় অংশগ্রহণ থেকেএখন উপ-রাষ্ট্রপতি। দেশ সম্ভবত, এই প্রথম এরকম একজন উপ-রাষ্ট্রপতি পেয়েছে। রাজনৈতিক জীবনে তাঁর জন্ম হয়েছে জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনকর্মসূচি থেকে। ছাত্রাবস্থাতেই জয়প্রকাশ নারায়ণের আহ্বানে শুচিতা থেকে সুশাসন-এরযে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু হয়েছিল, অন্ধ্রপ্রদেশে একজন ছাত্রনেতা রূপে তিনিআন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আর তখনই অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভায় নির্বাচিত হওয়ারপর থেকে রাজ্যসভা সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তিনি নিজের ব্যক্তিত্বেরবিকাশ ঘটিয়েছেন। তাঁর কাজের পরিধিও ক্রমে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলস্বরূপ, আজতাঁকে সবাই পছন্দ করে এই মহীয়ান পদের গৌরব প্রদান করেছেন। ভেঙ্কাইয়াজী কৃষকের সন্তান। অনেক বছর ধরে আমার তাঁর সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্যহয়েছে। গ্রাম, গরিব ও কৃষকদের প্রতিটি বিষয়কে অনুপুঙ্খ অধ্যয়ন করে তবেই তিনি নিজেরইনপুট দেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তিনি ছিলেন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। কিন্তু আমি অনুভবকরেছি যে, মন্ত্রিসভায় নগরোন্নয়ন নিয়ে তিনি যত কথা বলতেন, গ্রামোন্নয়ন নিয়েও ততটাইগুরুত্ব দিয়ে কৃষকদের বিষয়গুলি তুলে ধরতেন। এটা তিনি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে করতেন;তাঁর পারিবারিক প্রেক্ষিতের কারণেই হয়তো তিনি তা করতেন। এমন সময়ে ভেঙ্কাইয়াজী উপরাষ্ট্রপতি পদে আসীন হয়েছেন, যখন সারা পৃথিবীর সামনেআমাদের গণতন্ত্রের পরিপক্কতাকে তুলে ধরার প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে। সকল রাজনৈতিকদেওয়ালের ঊর্ধ্বে এই দায়িত্ব। বিশ্বকে বোঝাতে হবে যে, ভারতের সংবিধানের প্রতিটিঅনুপুঙ্খের শক্তি কতটা! সামর্থ্য কতটা! আজ ভারতের সকল সাংবিধানিক উচ্চপদে এমনব্যক্তিরা বসে আছেন, যাঁরা গরিব ঘরের সন্তান। তাঁদের প্রেক্ষাপট দারিদ্র্য, গ্রামআর সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবার। তাঁরা কোনও উচ্চ বংশজাত নন। এই প্রথমবার সকলসাংবিধানিক উচ্চপদে এই গরিব ঘরের মানুষদের আসীন হওয়ার বিষয়টিই ভারতের সংবিধানেরগরিমা প্রদর্শন করে। আমাদের গণতন্ত্রের পরিপক্কতা প্রমাণ করে। সেজন্য ১২৫ কোটিভারতবাসী গর্ব করতে পারেন। আমাদের পূর্বজরা আমাদের যে ঐতিহ্য দিয়ে গেছেন, এই ঘটনারমাধ্যমে সেই ঐতিহ্যের গরিমা অনুভব করা যায়। সেজন্য আমি আরেকবার দেশের সংবিধাননির্মাতাদের প্রণাম জানাই। ভেঙ্কাইয়াজির প্রখর ব্যক্তিত্ব, কর্তৃত্ব এবং সুবক্তা হিসাবে সর্বজনবিদিত।তিনি যখন তেলুগু ভাষায় বক্তৃতা দেন, মনে হয় যে, সুপারফাস্ট রেলগাড়ি চালাচ্ছেন। এটাতখনই সম্ভব, যখন অন্তরে ভাবনাচিন্তার স্পষ্টতা থাকে। শ্রোতাদের সঙ্গে নিজেকে জুড়তেনিছকই শব্দের খেলা নির্ভর বক্তৃতা দিলে চলবে না, শব্দের খেলা কারও অন্তর স্পর্শকরে না। কিন্তু শ্রদ্ধাভাব থেকে অঙ্কুরিত ভাবনাচিন্তার ভিত্তিতেই নিজের ধারণা আরদূরদৃষ্টির মিশেলে হৃদয় থেকে বেরিয়ে আসা শব্দাবলীই মানুষের মন স্পর্শ করে।ভেঙ্কাইয়াজির বক্তব্য এমনভাবেই মানুষের মন ছুঁয়ে যায়। এটা সত্যি কথা যে, আজ সংসদে এমন কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নেই, যিনিসরকারের কাছে তাঁর এলাকার গ্রামবিকাশ ও সার্বিক উন্নতির খাতিরে নানা প্রকল্পেরজন্য দরবার করেন না! নিজের এলাকায় প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার দ্রুতবাস্তবায়নের জন্য তাঁরা দরবার করেন। আমাদের সাংসদদের জন্য গর্বের কথা যে, এইপ্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা আমাদের উপ-রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু’রমস্তিষ্কপ্রসূত। গ্রাম, গরিব, দলিত, পীড়িত, শোষিতদের প্রতি মনে সংবেদনা থাকলে তবেইকারও মনে তাঁদেরকে সেই কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করার প্রবল ইচ্ছা জন্ম নিতেপারে। ভেঙ্কাইয়াজি তেমন একজন মানুষ। আজ যখন ভেঙ্কাইয়াজি আমাদের মাঝে উপ-রাষ্ট্রপতি রূপে আসীন, আমাদের সকলেরজন্য কিছুদিন খুবই কঠিন কাটবে। কারণ, আদালতে কোনও উকিল যখন নির্বাচিত হয়েবিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন শুরুর দিকে বার সদস্যদের মনে অদ্ভুত অনুভূতিহয়��� এতদিন যিনি আমাদের সঙ্গে নিয়মিত আড্ডা দিয়েছেন এখন তাঁকেই বিশেষভাবে মান্যকরতে হবে। আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যই এটা যে আমরা ব্যবস্থা অনুকূল কার্যশৈলীরঅভিযোজন ঘটাই। আমি বিশ্বাস করি, যিনি এত দীর্ঘকাল রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন, প্রতিটি ঘটনা ওসিদ্ধান্তের বিবরণ অনুপুঙ্খ জানেন, এই পরিণত মানুষটি উপ-রাষ্ট্রপতি হিসাবে আমাদেরসকলকে সঠিক পথ দেখাবেন। এই পদের গরিমাকে আরও উচ্চে তুলে ধরার ক্ষেত্রে তাঁর অবদানহবে অবিস্মরণীয়। আমি অনেক বড় পরিবর্তনের সংকেত পাচ্ছি। এই পরিবর্তন দেশের ভালোরজন্য হবে। আজ ভেঙ্কাইয়াজীকে এই গরিমাময় পদে আসীন হতে দেখে একটি কবিতার লাইন আমারমনে পড়ছে – আমল করো এইসা আমন মেঁ, আমল করো এইসা আমন মেঁ, জঁহা সে গুজরে তুমহারি নজরেঁ, উধর সে তুমহে সেলাম আয়ে। অউর উসী কো জোড়তে হুয়ে মেঁই কহনা চাহুঙ্গা – এই পঙক্তির শব্দগুলি সামান্য বদলে আমি বলতে চাই – আমল করে এইসা সদন মেঁ, জঁহা সে গুজরে তুমহারী নজরেঁ, উধর সে তুমহে সেলাম আয়ে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা। অনেক অনেক ধন্যবাদ। …",ৰাজ্যসভাত উপ-ৰাষ্ট্ৰপতি এম. ভেংকায়া নাইডুক আদৰণী জনাই প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আগবঢ়োৱা ভাষণৰ লিখিত ৰূপৰ ইংৰাজী সংস্কৰণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A0%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE/,"প্রধানমন্ত্রী লী সিয়েন লুঙ, আপনার বন্ধুত্ব, নেতৃত্ব, ভারত-সিঙ্গাপুর অংশীদারিত্ব এবং এই অঞ্চলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রীগণ, মিঃ জ্ঞান চিপমেন, অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ও মহোদয়গণ, নমস্কার ও আপনাদের প্রত্যেককে শুভসন্ধ্যা। ভারতের কাছে সুবর্ণভূমি হিসাবে পরিচিত এই অঞ্চলে ফিরে আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্থাপনের এই বিশেষ বছরটিতে এখানে উপস্থিত হতে পেরে আমি আনন্দিত। বছরের গোড়ায় জানুয়ারিতে আমাদের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের দিন আসিয়ান দেশগুলির ১০ জন নেতাকে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে সম্মান জানানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। আসিয়ান দেশগুলির প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের বাস্তব প্রতিফলন হ’ল আসিয়ান-ভারত শীর্ষ বৈঠক। কয়েক হাজার বছর ধরেই ভারতীয়রা পূবের দেশগুলির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। কেবল সূর্যোদয় দেখতেই তাঁরা সেখানে যাননি, বরং সমগ্র বিশ্বে সূর্যরশ্মী ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যও তাঁরা প্রার্থনা জানিয়েছেন। সমগ্র মানবজাতি এখন পূর্বের উত্থান দেখছে কারণ, সমগ্র বিশ্বের ভাগ্য ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের দ্বারা অনেকটাই প্রভাবিত হবে। সিঙ্গাপুর আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে, যখন সমুদ্রপথে সকলের প্রবেশ অবাধ, সমুদ্র নিরাপদ, প্রতিটি দেশ পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত তখন আইনের শাসন সফল হয়। সমগ্র অঞ্চলে স্থিতাবস্থা আসে। রাষ্ট্র আকারে বড় বা ছোট যাই হোক না কেন, স্বার্বভৌম দেশ হিসাবে সমৃদ্ধি লাভ করে। এমনকি, পছন্দ-অপছন্দের মধ্যেও কোনও ভয়-ভীতি থাকে না। সিঙ্গাপুর আমাদের আরও দেখিয়েছে, যখন রাষ্ট্রগুলি নীতির পক্ষে সওয়াল করে, কোনও একটি শক্তির স্বার্থে নয়, তখন সেই রাষ্ট্রগুলি সমগ্র বিশ্বের শ্রদ্ধা আদায় করে নেয়। এমনকি, আন্তর্জাতিক বিষয়ের ক্ষেত্রে জোরালো সমর্থক হয়ে দাঁড়ায়। ভারতের কাছে সিঙ্গাপুরের গুরুত্ব অনেক। এই মনোভাবের ফলেই সিঙ্ঘের মতো শক্তিমান একটি দেশ ও সমশক্তিমান একটি শহর ঐক্যবদ্ধ হয়ে রয়েছে। বহু শতাব্দী ধরে সিঙ্গাপুর ভারতের কাছে পূবের দেশগুলিতে যাওয়ার প্রবেশপথ। দু’হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে মৌসুমি বায়ু, সমুদ্রের স্রোত ও মানুষের প্রত্যাশার শক্তির ফলেই ভারত ও এই অঞ্চলের মধ্যে কালজয়ী যোগসূত্র গড়ে উঠেছে। বিগত তিন দশক ধরে এই অঞ্চলে আমাদের ভূমিকা ও অংশীদারিত্ব অক্ষুণ্ন রাখতে আমরা সেই ঐতিহ্য পুনর্প্রতিষ্ঠা করেছি। ভারতের কাছে বিশ্বের আর কোনও অঞ্চল এতখানি গুরুত্ব পায়না। প্রাক্‌-বৈদিক যুগ থেকেই ভারতীয় মননে মহাসাগরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হাজার হাজার বছর আগে সিন্ধু সভ্যতার সময় এবং ভারতীয় উপদ্বীপেও নৌ-বাণিজ্যের প্রচলন ছিল। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন গ্রন্থ বেদ-এ মহাসাগর ও জলের দেবতা বরুণের উল্লেখ রয়েছে। প্রচীন পুরানেও ভারতের ভৌগলিক সীমানার সঙ্গে সমুদ্রের যোগসূত্রের কথা বর্নিত হয়েছে। আমার নিজের রাজ্য গুজরাটে এক সময়ে বিশ্বের অন্যতম পুরনো বন্দর ছিল, যার নাম লোথাল। আজও তার ভগ্নাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়। ভারতের ইতিহাসের রূপদানের ক্ষেত্রে অনেকখানি অংশ জুড়ে রয়েছে ভারত মহাসাগর। বর্তমান ভারতের ভবিষ্যৎ এই মহাসাগরের ওপর অনেকখানি নির্ভরশীলএই মহাসাগর দিয়েই ভারতের ৯০ শতাংশ বাণিজ্য পরিচালিত হয়। শক্তিরও অন্যতম উৎস এই মহাসাগর। বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম জীবন রেখা এটি। ���ূবের দিকে মালাক্কা প্রণালী ও দক্ষিণ চিন সাগর ভারতকে প্রশান্ত মহাসাগরের সঙ্গে জুড়েছে। এই অঞ্চলেই রয়েছে আমাদের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদ্বার। আমাদের বাণিজ্য এই অঞ্চলে দ্রুত বাড়ছে। এমনকি, বিদেশি বিনিয়োগের একটা বড় অংশ এই পথ দিয়েই আসছে। বিনিয়োগের পরিমাণের দিক থেকে আসিয়ানের অংশ ২০ শতাংশ। এই অঞ্চলের সঙ্গে আমাদের স্বার্থ ও সম্পর্কের ভিত্তি অনেক গভীর। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে আমাদের সম্পর্ক ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। আমাদের বন্ধু ও অংশীদার রাষ্ট্রগুলিতে আর্থিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে ও নৌ নিরাপত্তা বাড়াতে আমরা সাহায্য করছি। ভারত মহাসাগরীয় নৌ সম্মেলনের মতো ফোরামের মাধ্যমে আমরাও সমবেত নিরাপত্তা প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করছি। ভারত মহাসাগরীয় সংগঠনের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতার এক সুসংহত লক্ষ্য নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। সমুদ্রপথে সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে ও সকলে যাতে অবাধ যাতায়াত করতে পারে, সে লক্ষ্যেও আমরা ভারত মহাসাগর অঞ্চলের বাইরের দেশগুলির সঙ্গে কাজ করে চলেছি। তিন বছর আগে মরিশাসে আমি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী এক কথায় ব্যাখ্যা করেছিলাম – সাগর, হিন্দিতে যার অর্থ মহাসাগর। যে কোনও অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধির জন্য সমুদ্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য।এই অঞ্চলে সাগরের অর্থ হ’ল – সকলের নিরাপত্তা ও বিকাশ। এই একই নীতি আমরা পূবের দেশগুলির ক্ষেত্রেও অনুসরণ করি। জল ও স্থল উভয় দিক থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আমাদের প্রতিবেশি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিটি দেশের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত আড়াই দশক ধরে আমরা আসিয়ান দেশগুলির কৌশলগত অংশীদার হয়ে উঠছি। বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন ও ৩০টি বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে চলেছে। পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন, এআরএফ-এর মতো আসিয়ান পরিচালিত বৈঠকগুলির সক্রিয় অংশীদার আমরা। বিমস্টেক এবং মেকঙ্গ-গঙ্গা অর্থনৈতিক করিডরেরও আমরা অংশীদার। জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অর্থনৈতিক থেকে কৌশলগত ক্ষেত্রে পুরোপুরি বদলে গেছে। এই সম্পর্ক দৃঢ় ও স্থায়ী ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতায় ব্যাপক গতি সঞ্চার হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্কে নতুন শক্তি সঞ্চারিত হয়েছে। আমাদের বহু অংশীদারের সঙ্গে তিন বা তার বেশি উপায়ে আমরা বৈঠকে মিলিত হয়ে থাকি। তিন বছরের কিছু সময় আগে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সম্পর্কের এক সফল নতুন অধ্যায় শুরু করার লক্ষ্যে আমি ফিজি গিয়েছিলাম। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র সহযোগিতা ফোরামের বৈঠকগুলির মাধ্যমে ভৌগলিক দূরত্ব থাকা সত্তেও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সেতু গড়ে উঠেছে। পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বাইরেও আমাদের অংশীদারিত্ব মজবুত হচ্ছে ও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের কৌশলগত নীতির এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য যে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের কৌশলগত অংশীদারিত্ব বিশেষ সহযোগিতার স্তরে উন্নীত হয়েছে। ১০ দিন আগে সোচিতে রাষ্ট্রপতি পুতিনের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠকে আমি বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলার জন্য এক মজবুত বহু মেরু বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলাম। একই সঙ্গে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বিশ্ব কৌশলগত অংশীদ্বারিত্ব ইতিহাসের দ্বিধাদ্বন্দ্ব অতিক্রম করে গভীর থেকে গভীরতর হয়ে চলেছে। এই সম্পর্ক ক্রমপরিবর্তনশীল বিশ্বে নতুনভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গীই এই সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। চিনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে যতগুলি স্তর রয়েছে, তা আর অন্য কোনও সম্পর্কের মধ্যে নেই। আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুই জনবহুল দেশ। দ্রুত বিকাশশীল অর্থনীতিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাণিজ্যও বাড়ছে। বিভিন্ন সমস্যা ও সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে আমরা যথেষ্ট ধৈর্য্য ও সময়-জ্ঞানের পরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছি। এপ্রিলে চীনের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক আমাদের বোঝাপড়াকে মজবুত করতে এবং বিশ্ব শান্তি ও অগ্রগতির জন্য দুই দেশের মধ্যে সুদৃঢ় ও স্থিতিশীল সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝাতে সাহায্য করেছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, ভারত ও চিন যখন আস্থা, বিশ্বাস ও পারস্পরিক স্বার্থের বিশয়গুলিতে সংবেদনশীল হয়ে একযোগে কাজ করবে তখন এশিয়ার পাশাপাশি বিশ্বেরও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হবে। আফ্রিকার সঙ্গে ভারতের অংশীদারিত্ব ক্রমবর্ধমান। ভারত-আফ্রিকা শীর্ষ ফোরামের বৈঠকে এই অংশীদ্বারিত্ব মজবুত হচ্ছে। অবশ্য, এর নেপথ্যে রয়েছে আফ্রিকার চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তার ওপর ভিত্তি করে সহযোগিতার প্রসার, এক সুপ্রাচীন ইতিহাস ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা। বন্ধুগণ, আমাদের অঞ্চলের কথায় ফিরে আসি। ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক ও সহযোগিতার পিছনে রয়েছে গভীর অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষাগত সহযোগিতা। বিশ্বের অন্য যে কোনও অঞ্চলের তুলনায় এই অঞ্চলে আমাদের অনেক বেশি সংখ্যায় বাণিজ্যিক চুক্তি রয়েছে। সিঙ্গাপুর, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের সুসংহত অর্থনৈতিক অংশীদ্বারিত্ব চুক্তি রয়েছে। আসিয়ান গোষ্ঠিভুক্ত দেশ ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের অবাধ বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। সুসংহত আঞ্চলিক অংশীদ্বারিত্ব চুক্তিকে চূড়ান্ত রূপ দিতে আমরা সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছি। ভারতের ৯০ নটিক্যাল মাইল দূরের প্রতিবেশি ইন্দোনেশিয়ায় সদ্য আমার প্রথম সফর শেষ করেছি। আমার বন্ধু রাষ্ট্রপতি উইডোডো ও আমি ভারত-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ককে এক সুসংহত কৌশলগত অংশীদ্বারিত্বে উন্নীত করেছি। একাধিক অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মধ্যে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নৌ বাণিজ্য সহযোগিতার ক্ষেত্রেও আমাদের একই ধরণের দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে ফেরার সময় আমি সংক্ষিপ্ত সফরে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলাম। সেখানে আসিয়ান দেশগুলির অন্যতম বর্ষীয়ান নেতা প্রধানমন্ত্রী মহাথীর-এর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছি। বন্ধুগণ, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার পাশাপাশ মানবিক সাহায্য ও দুর্যোগে ত্রাণ বন্টনের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীগুলি বিশেষ করে নৌ-বাহিনী এই অংশে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে। এই অঞ্চলে ভারতীয় নৌ-বাহিনী অন্যান্য দেশের নৌ বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, যৌথ মহড়া চালাচ্ছে এবং সৌজন্য মিশনে যাচ্ছে। সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমাদের সুদীর্ঘ ২৫ বছর ধরে নৌ-মহড়া চলছে। সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমরা শীঘ্রই ত্রি-পাক্ষিক মহড়া শুরু করব। আমাদের প্রত্যাশা অন্যান্য আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গেও এ ধরণের মহড়া আয়োজিত হবে। পারস্পরিক সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা ভিয়েতনামের মতো অংশীদার দেশের সঙ্গে কাজ করছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে ভারত মালাবার নৌ-মহড়া চালিয়েছে। একাধিক আঞ্চলিক দেশ ভারত মহাসাগরে ভারতের মিল নৌ-মহড়ায় সামিল হয়েছে। এশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো শহরে জলদস্যু মোকাবিলা ও অস্ত্রশস্ত্রের চোরাচালানের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক সহযোগিতা চুক্তি গড়ে তোলার ব্যাপারে আমরা সক্রিয় রয়েছি। এখানে উপস্থিত শ্রোতাদের ও দেশে আমাকে যাঁরা শুনছেন, তাঁদের জানাতে চাই, আমাদের মূল লক্ষ্য হ’ল ২০২২-র মধ্যে এক নতুন ভারত গড়ে তোলা। আমাদের বার্ষিক বিকাশ হার ৭.৮-৮ শতাংশে বজায় রয়েছে। আমাদের অর্থনীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অখন্ডতা বৃদ্ধি পাবে। ৮০ কোটির বেশি যুবসম্প্রদায়ের দেশের মানুষ বোঝে যে, ভারতের আর্থিক বিকাশের মধ্যেই তাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ নয়, বরং বিশ্ব পর্যায়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরও গভীরতার ওপরেই তাদের আগামী সুরক্ষিত। অন্য যে কোনও অঞ্চলের তুলনায় এই অঞ্চলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীরতর ও আমাদের উপস্থিতি ধীরে ধীরে বাড়বে। কিন্তু, আমরা এমন ভবিষ্যৎ চাই, যার জন্য প্রয়োজন স্থায়ী শান্তির। তবে, এটাই এখন দূর অস্ত। বিশ্ব শক্তির পরিবর্তন ঘটছে, বিশ্ব অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য পাল্টাচ্ছে এবং প্রযুক্তির পট পরিবর্তন হচ্ছে। বিশ্ব শৃঙ্খলার ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ছে। ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। আমাদের সকলের অগ্রগতির জন্য আমরা এখন অনিশ্চয়তার কিনারায় বাস করছি, আমাদের সামনে অসংখ্য প্রশ্ন, যার কোনও সমাধান নেই। অসংখ্য বিবদমান বিষয়; প্রতিযোগিতা ও দাবিদাওয়া। আমরা ক্রমবর্ধমান পারস্পরিক অনাস্থা ও সামরিক ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধির মতো বিষয় প্রত্যক্ষ করছি। অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয় বৈদেশিক ক্ষেত্রে উত্তেজনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বাণিজ্য ও প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন সীমারেখা টানা হচ্ছে। সর্বোপরি আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির ওপর আমরা ক্ষমতার আস্ফালন দেখতে পাচ্ছি। এসবের মধ্যেই এমন কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা আমাদের সকলকেই স্পর্শ করছে। এর অন্যতম একটি সন্ত্রাস ও উগ্রপন্থার বিরামহীন বিপদ। সৌভাগ্য ও ব্যর্থতার ওপর পারস্পরিক নির্ভরশীল এই বিশ্ব। কোনও দেশই নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারে না। বর্তমান এই বিশ্বে সমস্ত বিভেদ ও প্রতিযোগিতার ঊর্ধ্বে উঠে একসঙ্গে কাজ করার সময় এসেছে। কিন্তু এটা করা কি সম্ভব? হ্যাঁ, এটা করা সম্ভব। এর প্রকৃত উদাহরণ হিসাবে আমি আসিয়ানের কথা উল্লেখ করছি। বিশ্বে আর কোনও দেশ-গোষ্ঠীর মধ্যে সংস্কৃতি, ধর্ম, ভাষা, সুপ্রশাসন ও সমৃদ্ধির বিবিধতা দেখা যায় না, যেটা আসিয়ান দেশগুলিতে নজরে পড়ে। দক্ষিণ এশিয়া যখন বিশ্বে প্রতিযোগিতার অগ্রভাগে ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিল, তখন আসিয়ানের উদ্ভব হয়। আর আজ একটি অভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে ১০টি দেশের সংগঠন আসিয়ান। ��ই অঞ্চলের স্থায়ী ভবিষ্যতের জন্য আসিয়ানের একতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রত্যেকেই একে সমর্থন করে। আমরা এর বিরোধিতা করি না। চারটি পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে আমি অংশ নিয়েছি। আমি নিশ্চিত যে, আসিয়ান আরও বেশি অঞ্চল জুড়ে অখন্ডতা বজায় রাখতে পারবে। বিভিন্ন দিক থেকে আসিয়ান ইতিমধ্যেই অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে। এই ভূমিকা পালন করতে করতেই আসিয়ান ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেছে। পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন ও আঞ্চলিক সুসংহত অর্থনৈতিক অংশীদ্বারিত্ব – আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ এই দুই উদ্যোগ এই অঞ্চলের ভৌগলিক সীমাকে পরিপূর্ণতা দিয়েছে। বন্ধুগণ, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর এক প্রাকৃতিক অঞ্চল। এই অঞ্চলে বিশ্বের নানা সুযোগ-সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রতিদিন আমার মধ্যে এই বিশ্বাস আরও দৃঢ় হচ্ছে যে, যাঁরা এই অঞ্চলে বসবাস করেন, তাঁদের ভাগ্য পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। বিভেদ ও প্রতিযোগিতার ঊর্ধ্বে উঠে আজ আমাদের একসঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। ভৌগলিক ও সভ্যতাগত উভয় দিক থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশ দুই মহান মহাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত। ব্যাপকতা, উদারতা এবং আসিয়ানের কেন্দ্রীকতা ও একতা নিহিত রয়েছে নতুন গড়ে ওঠা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে একটি বিশেষ কৌশল কেন্দ্র বা সীমিত সংখ্যক সদস্যের গোষ্ঠী হিসাবে ভারত দেখতে চায় না। আধিপত্য বজায় রাখতে চায়, এমন গোষ্ঠী হিসাবেও দেখতে চায় না ভারত। এমনকি, কোনও দেশের বিরুদ্ধে গড়ে তোলা মঞ্চ হিসাবেও আমরা একে বিবেচনা করতে চায় না। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যাপারে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গী অত্যন্ত ইতিবাচক এবং এর অনেক উপাদান রয়েছে। এই অঞ্চল অবাধ, উন্মুক্ত ও সুসংহত। যেটি আমাদেরকে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিন্ন উদ্দেশে পরিচালিত করে। এর কেন্দ্রে রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। সেই সঙ্গে এর ভবিষ্যৎ কেন্দ্রবিন্দুতে আসিয়ান থেকেছে এবং আগামীদিনেও থাকবে। এই আদর্শই সর্বদা ভারত’কে পথ দেখাবে। কারণ, আমরা এই অঞ্চলের শান্তও নিরাপত্তার স্বার্থে এক স্থপতু হিসাবে সহযোগিতা করতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি যে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমাদের অভিন্ন সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার বিষয়গুলি খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন এক অভিন্ন আইন-ভিত্তিক ব্যবস্থার, যা সকলের ক্ষেত্রে ���মানভাবে প্রযোজ্য হবে। এমনকি, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখন্ডতার প্রতিও ব্যবস্থার বিশ্বাস থাকবে। এই ব্যবস্থা ও নিয়মনীতি সকলের সম্মতিতে তৈরি হবে, কয়েকজনের ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে নয়। এত কিছু বলার অর্থ এই যে, রাষ্ট্রগুলি যখন আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও অঙ্গীকার করবে, তখন তা মেনে চলার ব্যাপারেও উদ্যোগী হবে। আঞ্চলিকতা ও বহুপাক্ষিকতাবাদের প্রতি এটাই হ’ল ভারতের আস্থার ভিত্তি। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, আকাশ ও সমুদ্রের উন্মুক্ত অংশ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের সকলের সমানাধিকার রয়েছে। যখন আমরা সকলেই এই বিধি মেনে চলব, তখন সমুদ্র আমাদের সমৃদ্ধির পথ ও শান্তির মাধ্যম হয়ে উঠবে। সেইসঙ্গে, আমরা সকলে নৌ-বাণিজ্য অপরাধ দমনে, সামুদ্রিক জৈব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে, দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং নীল অর্থনীতি থেকে সমৃদ্ধির লক্ষ্যে অগ্রসর হতে সক্ষম হয়ে উঠবে। বিশ্বায়নের ফলে আমরা সকলেই ও এই অঞ্চলও লাভবান হয়েছে। ভারতীয় খাবার এর অন্যতম দৃষ্টান্ত। কিন্তু পণ্য ও পরিষেবার ক্ষেত্রে বিদেশি শিল্প সংস্থার প্রতিযোগিতার দরুণ সংরক্ষণ নীতির দাবি জোরালো হচ্ছে। বিরোধিতার আড়াল থেকে এর সমাধান খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। আমরা সকলের সমান অংশীদারিত্ব চাই। ভারত সর্বদাই অবাধ ও স্থিতিশীল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থার পক্ষে সওয়াল করেছে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও আমরা আইন-ভিত্তিক উদার, সামঞ্জস্যপূর্ণ ও স্থিতিশীল বাণিজ্যিক পরিবেশের পক্ষে সওয়াল করব। আমাদের এই নীতি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সকল দেশের স্বার্থবাহী হবে। আর ঠিক এটাই আমরা আঞ্চলিক সুসংহত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব থেকে চাই। যোগাযোগ খুব গুরুত্বপূর্ণ। ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ও সমৃদ্ধির থেকেও যোগাযোগ বজায় রাখা অনেক বেশি আবশ্যক। পারস্পরিক যোগাযোগ একটি অঞ্চলকে অখন্ড রাখে। আমরা যোগাযোগের উপকারিতা ও গুরুত্ব বুঝি। এই অঞ্চলে বেশ কিছু যোগাযোগমূলক উদ্যোগ রয়েছে। আর এই উদ্যোগগুলিকে সফল করে তুলতে গেলে কেবল পরিকাঠকামো নির্মাণ করলেই হবে না, সেই সঙ্গে পারস্পরিক আস্থার সেতুও গড়ে তুলতে হবে। উদ্যোগগুলি এমন হবে, যা সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানাবে, ভৌগলিক অখন্ডতাকে স্বীকার করবে। সেইসঙ্গে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও স্থায়ীত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করবে। তবে, কৌশলগত প্রতিযোগিতাকে উৎসাহ দেয় এমন উদ্যোগ থেকে বিরত থাকতে হবে। এই নীতিকে সামনে ���েখে আমরা সকলের সঙ্গেই কাজ ক্রতে প্রস্তুত। ভারত তার নিজের দায়িত্ব পালন করে চলেছে। অংশীদার হিসাবে পাশে পেয়েছে জাপান, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলকে। সেই সঙ্গে, আমরা নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক ও এশিয়া পরিকাঠামো উন্নয়ন ব্যাঙ্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এগুলি সবই সম্ভব হবে, যদি না আমরা শক্তি প্রদর্শনের যুগে ফিরে না যাই। একথা আমি আগেই বলেছি। দ্বন্দ্ব ও বিদ্বেষপূর্ণ এশিয়া আমাদের আরও পিছনের দিকে ঠেলে দেবে। সহযোগিতামূলক এশিয়া এই শতাব্দীকে আরও উজ্জ্বল করবে। প্রতিটি দেশকে নিজের কাছেই জানতে চাইতে হবে যে, তারা আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ বিশ্ব গড়তে চায়, না বিভেদের পথ বেছে নিতে চায়। এই দায়িত্ব বর্তমান শক্তিধর ও উত্থানশীল শক্তিধর দেশ উভয়েরই। প্রতিযোগিতা থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু তা যেন কখনও দ্বন্দ্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মতপার্থক্য যেন কোনও ভাবেই বিবাদ না হয়ে ওঠে। অভিন্ন মূল্যবোধ ও স্বসার্থ নিয়ে অংশীদারিত্ব গড়ে ওঠা খুবই স্বাভাবিক। এজন্যই ভারতের এই অঞ্চলে ও তার বাইরে বহু অংশীদ্বার রয়েছে। এক স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য আমরা তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে বা কখনও দুই বা তিন দেশ একসঙ্গে মিলে কাজ করতে চাই। কিন্তু আমাদের বন্ধুত্ব অন্য কোনও রাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তার রোধ করার জোড় নয়। আমরা নীতি ও মূল্যবোধের পক্ষ এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ বেছে নিয়েছি। সারা বিশ্ব জুড়ে আমাদের সম্পর্ক সে কথারই প্রতিফলন ঘটায়। আমরা যখন একজোট হয়ে কাজ করব, তখন আমরা বর্তমান সময়ের প্রকৃত চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় সক্ষম হয়ে উঠব। আমাদের এই গ্রহকে সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম হয়ে উঠব। সন্ত্রাসবাদ ও সাইবার অপরাধ থেকেও আমরা আমাদের মানুষজনকে সুরক্ষিত রাখতে পারব। পরিশেষে, আরও একবার বলতে চাই – ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের নিজস্ব সম্পর্ক ও যোগাযোগ হবে সুসংহত ও ব্যাপক। আমরা বেদান্ত দর্শনে বিশ্বাস করি। এটাই আমাদের সভ্যতার, বহুত্ববাদের, সহাবস্থানের, উদারতার ও আলাপ-আলোচনার ভিত্তি। গণতন্ত্রের যে আদর্শগুলি আমাদের জাতি হিসাবে পরিচিতি দিয়েছে, সেগুলিও বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে দিশা দেখিয়েছে। আমরা এমন এক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক আইনের শাসনের পক্ষে, যেখানে ছোট বা বড় সমস্ত দেশ সমান ও সকলের সার্বভৌম রয়েছে। আমা���ের সমুদ্র, মহাকাশ ও আকাশপথ অন্যান্যদের জন্য খোলা রাখতে আমরা সকলের সঙ্গেই কাজ করব। সন্ত্রাসবাদ ও সাইবার বিপদ থেকে সুরক্ষিত থাকতেও আমরা অন্যদের সঙ্গে কাজ করব। আমরা আমাদের অর্থনীতিকে উদার ও সম্পর্কের মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় রাখব। বন্ধু ও অংশীদ্বারদের সঙ্গে আমরা আমাদের সম্পদ, বাজার ও সমৃদ্ধি ভাগ করে নেব। আমাদের গ্রহের জন্য আমরা এক সুস্থায়ী উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চাই। এভাবেই আমরা আমাদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের অংশীদারদের পক্ষ থেকে সুবিস্তৃত এই অঞ্চল ও তার বাইরে অগ্রসর হতে চাই। এই অঞ্চলের প্রাচীন জ্ঞানই হ’ল আমাদের অভিন্ন ঐতিহ্য। ভগবান বুদ্ধের শান্তি ও করুণার বার্তা আমাদের সকলকে একত্রে সামিল করেছে। আমরা একসঙ্গে মানবসভ্যতাকে অনেক কিছু দিতে পারি। আমরা ক্ষমতার সীমা ও সহযোগিতার সুফল প্রত্যক্ষ করেছি। এই বিশ্ব দুই রাস্তার সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ইতিহাসের খারাপ শিক্ষায় প্রলুব্ধ হওয়ার পথ যেমন রয়েছে, তেমনই জ্ঞানের পথও রয়েছে। এই জ্ঞানই আমাদের ক্ষুদ্রতর স্বার্থের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে ওপরে ওঠার এবং সকল জাতির কল্যাণের স্বার্থে একযোগে কাজ করার দিশা দেখায়। আমি সকলকে এই পথ অনুসরণেরই আহ্বান জানাচ্ছি। ধন্যবাদ। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",ছাংগ্ৰী-লা ডায়েলগত প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদীৰ ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7-%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল (২৩ জানুয়ারি) নতুন দিল্লীর লালকেল্লায় সুভাষ চন্দ্র বসু সংগ্রহালয়ের উদ্বোধন করবেন। সুভাষ চন্দ্র বসু ও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি সম্পর্কিত সংগ্রহালয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে তিনি ফলকের আবরণ উন্মোচন করবেন। পরে তিনি সংগ্রহালয় ঘুরেও দেখবেন। জালিয়ান ওয়ালাবাগ ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ইয়াদ-এ-জালিয়ান সংগ্রহালয়টিও তাঁর ঘুরে দেখার পরিকল্পনা রয়েছে। দিল্লির লালকেল্লায় ১৮৫৭-তে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কিত সংগ্রহালয় এবং ভারতীয় শিল্পকলা নিয়ে গড়ে ওঠা দৃশ্যকলা সংগ্রহালয়টিও শ্রী মোদী ঘুরে দেখবেন। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি সংগ্রহালয়ে সুভাষ চন্দ্র বসু এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির ঐতিহাসিক তথ্য ও বিবরণ ���য়েছে। এই সংগ্রহালয়ে সুভাষ চন্দ্র বসু ও ন্যাশনাল আর্মির ব্যবহৃত নানা সামগ্রী প্রদর্শিত হয়েছে। এই সমস্ত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, নেতাজীর ব্যবহৃত কাঠের চেয়ার ও তরবারি, পদক, ব্যাচ, সেনা পোশাক সহ ন্যাশনাল আর্মির সঙ্গে যুক্ত নানা সামগ্রী। প্রধানমন্ত্রী ২০১৮-র ২১ অক্টোবর এই সংগ্রহালয়ের শিলান্যাস করেছিলেন। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর গঠিত আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এই সংগ্রহালয়ের শিলান্যাস করা হয়েছিল। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার মূল্যবোধগুলিকে তুলে ধরতে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সম্মান জানাতে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর নামে পুরস্কার প্রদানের কথা প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন। একইসঙ্গে তিনি জাতীয় পুলিশ স্মারক জাতীর উদ্দেশে উৎসর্গ করেছিলেন। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির মূল্যবোধ ও আদর্শগুলিকে প্রধানমন্ত্রী আরও একবার গত ৩০শে ডিসেম্বর আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সফরের সময় জনসমক্ষে তুলে ধরেছিলেন। ভারতীয় ভূ-খন্ডে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ত্রিবর্ণ রঞ্জিত জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী স্মারক ডাকটিকিট, মুদ্রা ও ছোট পুস্তিকা প্রকাশ করেন। ভারতের স্বাধীনতার জন্য আন্দামান-নিকোবরের অসংখ্য যুবক নেতাজীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কিভাবে নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী সেকথাও স্মরণ করেন। ১৯৪৩-এর সেই বিশেষ দিনটি, যেদিন নেতাজী ত্রিবর্ণ রঞ্জিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলন, সেই ঘটনাকে স্মরণে রেখেই প্রধানমন্ত্রী ১৫০ ফুট দীর্ঘ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। নেতাজীর প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাতে শ্রী মোদী রস দ্বীপের নাম পাল্টে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু দ্বীপ রাখেন। এর আগে, ২০১৫-র অক্টোবরে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করে কেন্দ্রীয় সরকাররের হেফাজতে থাকা নেতাজী সম্পর্কিত বিভিন্ন ফাইল প্রকাশের জন্য তাঁকে অনুরোধ জানান। ভারতীয় জাতীয় মহাফেজখানায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গত বছরের জানুয়ারি মাসে শ্রী মোদী নেতাজী সম্পর্কিত ১০০টি ফাইলের ডিজিটাল সংস্করণ জনসমক্ষে প্রকাশ করেন। ইয়াদে-এ-জালিয়ান সংগ্রহালয়ে ১৯১৯-এর ১৩ এপ্রিল জালিয়ান ওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের বিভিন্ন তথ্য রাখা হয়েছে। এছাড়াও এই সংগ্রহালয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনানীদের বীরত্ব, সৌর্য্য ও আত্মবলিদানের নানা কাহিনী স্হান পেয়েছে। ১৮৫৭-তে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত নানা ঐতিহাসিক ঘটনার পাশাপাশি ভারতীয়দের সাহসীকতা ও আত্মবলিদানের ঘটনা এই সংগ্রহালয়ে তুলে ধরা হয়েছে। ষোড়শ শতাব্দী থেকে ভারতের স্বাধীনতা পর্যন্ত ভারতীয় শিল্পকলার নানা নিদর্শন দৃশ্যকলা সংগ্রহালয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্হা করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের পূর্বে এই সংগ্রহালয়গুলি ঘুরে দেখে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশের জন্য আত্মবলিদানকারী বীর সংগ্রামীদের স্মৃতির যথাযথ শ্রদ্ধা জানাবেন। /…",লালকিল্লাত সুভাষ চন্দ্র বসু সংগ্রহালয় উদ্বোধন কৰিব প্রধানমন্ত্রীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%B9/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6-%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%9B%E0%A7%87/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার (১৪ই সেপ্টেম্বর) ইন্দোরে দাউদি বোহরা সম্প্রদায় আয়োজিত শহীদ ইমাম হুসেমের স্মৃতিরক্ষা উদযাপন অনুষ্ঠান আশারা মুবারকা উপলক্ষে এক বিরাট জনসভায় ভাষণ দিলেন। ইমাম হুসেনের আত্মবলিদান স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী বলেন, ইমাম সর্বদাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এবং শান্তি ও ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য শহীদ হয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, ইমামের আদর্শ ও শিক্ষা আজও সমান প্রাসঙ্গিক। ডঃ সৈয়দনা মুফাদ্দল সইফুদ্দিনের কাজের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতি ভালোবাসা ও আন্তরিকতাই তাঁর শিক্ষার মূল উপাদান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলার সংস্কৃতি ও কৃষ্টিই ভারতকে অন্যান্য দেশের থেকে পৃথক করেছে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “আমাদের অতীত নিয়ে আমরা গর্বিত, আমরা বর্তমানে বিশ্বাস রাখি এবং আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ব্যাপারে আমরা আস্থাশীল।” দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সম্প্রদায় ভারতের সার্বিক অগ্রগতি ও বিকাশে সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সমগ্র বিশ্বে ভারতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সক্ষমতা ছড়িয়ে দিতে এই সম্প্রদায়ের মহান প্রচেষ্টা অব্যাহত থা���বে। বোহরা সম্প্রদায়ের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই সম্প্রদায়ের মানুষের স্নেহ ও ভালোবাসা পাওয়া তাঁর কাছে সৌভাগ্যের ব্যাপার। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এই সম্প্রদায়ের সহায়তার কথা স্মরণ করে শ্রী মোদী বলেন, এই সম্প্রদায়ের মানুষের ভালোবাসা ও স্নেহপরায়ণতার টানেই তিনি ইন্দোরে এসেছেন। দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক উদ্যোগের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে দরিদ্র ও আর্ত মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে, তিনি ‘আয়ুষ্মান ভারত’, ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ ও ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র মতো বিভিন্ন সরকারি উন্নয়নমূলক উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন। সরকারি এই উদ্যোগগুলি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনছে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইন্দোরের মানুষকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘স্বচ্ছতাই প্রকৃত সেবা’ কর্মসূচির আগামীকাল সূচনা হচ্ছে। ব্যাপক এই স্বচ্ছতা অভিযানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য তিনি সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান জানান। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বোহরা সম্প্রদায়ের সততা সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) এবং দেউলিয়া ও ঋণ পরিশোধে অক্ষমতা আইনের মাধ্যমে সরকার সৎ ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করার কাজ করছে। তিনি বলেন, ভারতীয় অর্থনীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নতুন ভারত গড়ে ওঠার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহানও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, ডঃ সৈয়দনা মুফাদ্দল সইফুদ্দিন দৃষ্টান্তমূলক কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন এবং দেশের স্বার্থে তাঁর কর্মপ্রচেষ্টার সাফল্য কামনা করেন। /",ইন্দোৰত শ্বহীদ ইমাম হুছেইন(এছএ)ৰ স্মৃতিচাৰণ অনুষ্ঠান-আছাৰা মুবাৰকত অংশ ল’লে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে; সমবেত ৰাইজক উদ্দেশ্যি আগবঢ়ালে ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9A%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B-%E0%A6%93-%E0%A6%B0%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ কেরলের রাজ্যপাল শ্রী আরিফ মহম্মদ খান, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পিনারাই বিজয়ন, কেরালা সরকারের মন্ত্রীগণ, অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং কোচির ভাই ও বোনেরা! ওনামের পবিত্র উৎসবে আজ কেরলের প্রতিটি প্রান্ত সিক্ত। এই উৎসব উপলক্ষে কেরলকে ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সংযোগ প্রকল্প উপহার দেওয়া হয়েছে। আমি এই প্রকল্পগুলির জন্য আপনাদের সকলকে অনেক অভিনন্দন জানাই, যা জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং ব্যবসাকে সহজ করে তুলবে। আমরা ভারতীয়রা স্বাধীনতার ‘অমৃত কাল’-এর পরবর্তী ২৫ বছরে একটি উন্নত ভারত গড়ার জন্য একটি বিশাল সংকল্প নিয়েছি। উন্নত ভারতের এই পথচিত্রে আধুনিক পরিকাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আজ কেরলের এই মহান ভূমি থেকে উন্নত ভারতের জন্য আরেকটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বন্ধুগণ, আমার মনে আছে, আমি ২০১৭ সালের জুন মাসে কোচি মেট্রোর আলুভা-পালারিভাট্টম সেকশনের উদ্বোধন করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আজ কোচি মেট্রো প্রথম পর্বের সম্প্রসারণের উদ্বোধন করা হ’ল। এছাড়াও, কোচি মেট্রোর দ্বিতীয় ধাপের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয়েছে। কোচি মেট্রোর দ্বিতীয় ধাপটি জেএলএন থেকে চলবে। স্টেডিয়াম থেকে ইনফোপার্ক। এটি কাক্কানাদের সাথে এসইজেড কোচি স্মার্ট সিটিকেও সংযুক্ত করবে। অর্থাৎ, কোচি মেট্রোর দ্বিতীয় পর্যায় আমাদের যুবক-যুবতী এবং পেশাদারদের জন্য আশীর্বাদ-স্বরূপ। কোচির এই প্রকল্পটি সমগ্র দেশের নগর ও পরিবহণ উন্নয়নে একটি নতুন দিক-নির্দেশ দেবে। কোচিতে ইউনিফাইড মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট অথরিটিও বাস্তবায়িত হয়েছে। এই কর্তৃপক্ষ মেট্রো, বাস, নৌপথ ইত্যাদির মতো সব ধরনের পরিবহণকে একই ছাতার নীচে আনতে কাজ করবে। মাল্টি-মডেল কানেক্টিভিটি – এই মডেলের মাধ্যমে কোচি শহরের তিনটি সরাসরি সুবিধা হবে। এতে শহরের মানুষের যাতায়াতের সময় কমবে, সড়কে যানজট কমবে এবং শহরের দূষণও কমবে। এটি ‘নেট জিরো’র বিশাল প্রতিশ্রুতি পূরণে সহায়তা করবে। কেন্দ্রীয় সরকার গত আট বছরে মেট্রোকে শহরে পরিবহণের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজধানী থেকে রাজ্যের অন্যান্য বড় শহরে মেট্রো নেটওয়ার্ক প্রসারিত করেছে। প্রায় ৪০ বছর আগে আমাদের দেশে প্রথম মেট্রো ট্রেন চলে। পরবর্তী ৩০ বছরে, দেশে ২৫০ কিলোমিটারেরও কম মেট্রো নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ছিল। গত আট বছরে দেশে ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি মেট্র��র নতুন রুট তৈরি করা হয়েছে এবং ১ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি মেট্রো রুটের কাজ চলছে। আমরা ভারতীয় রেলকে সম্পূর্ণ রূপান্তর করছি। আজ কেরলকে উপহার দেওয়া প্রকল্পের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের বড় রেলস্টেশন পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে৷ এখন এর্নাকুলাম টাউন, এর্নাকুলাম জংশন এবং কোল্লামও এইসব সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত হবে। কেরলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আজ একটি নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে। তিরুবনন্তপুরম থেকে ম্যাঙ্গালুরু পর্যন্ত পুরো রেল পথ ডবল লাইন করা হয়েছে। এটি সাধারণ ভ্রমণকারীদের পাশাপাশি, পুণ্যার্থীদের জন্য একটি অসাধারণ সুবিধা এনে দেবে। এট্টুমানুর-চিংগাভানাম-কোট্টায়াম ট্র্যাক দ্বিগুণ করা ভগবান আয়াপ্পার 'দর্শন' ব্যাপকভাবে সহজ করবে। লক্ষাধিক ভক্তের দীর্ঘদিনের দাবি এখন পূরণ হয়েছে। এটি সারা দেশ এবং বিশ্বের ভক্তদের জন্য একটি আনন্দের মুহূর্ত। কোল্লাম-পুনালুর সেকশনের বিদ্যুতায়ন পুরো অঞ্চল জুড়ে দূষণমুক্ত এবং দ্রুত রেল ভ্রমণ সুগম করে তুলবে। স্থানীয় মানুষের সুবিধার পাশাপাশি, জনপ্রিয় এই পর্যটন কেন্দ্রের আকর্ষণও বাড়বে। প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার অর্থ ব্যয়ে কয়েকটি পরিকাঠামো প্রকল্পের কাজ বর্তমানে কেরলে চলছে। এই আধুনিক পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি কেরলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে এবং কৃষি ও শিল্পকে শক্তিশালী করবে। কেন্দ্রীয় সরকার কেরলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর জোর দিচ্ছে। আমাদের সরকার জাতীয় মহাসড়ক-৬৬, যাকে কেরালার লাইফলাইন বলা হয়, ছয় লেনে রূপান্তরিত করছে। এর জন্য ৫৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ করা হচ্ছে। পর্যটন এবং বাণিজ্য আধুনিক এবং উন্নত সংযোগ থেকে বিশাল সুবিধা পায়। পর্যটন এমন একটি শিল্প, যা দরিদ্র, মধ্যবিত্ত, গ্রাম এবং শহর সহ সবাইকে সাহায্য করে। স্বাধীনতার ‘অমৃত কাল’-এ পর্যটনের বিকাশ দেশের উন্নয়নে ব্যাপকভাবে সহায়ক হবে। কেন্দ্রীয় সরকারও পর্যটন ক্ষেত্রের উদ্যোগকে উৎসাহিত করছে। মুদ্রা যোজনার অধীনে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ পাওয়া যায়। এই প্রকল্পের অধীনে, কেরলের লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র উদ্যোগপতিদের ৭০ হাজার কোটি টাকারও বেশি আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের মধ্যে অনেকেই পর্যটন শিল্পে রয়েছেন। কয়েকদিন আগে আমি হরিয়ানায় মা অমৃতানন্দময়ীজীর অমৃতা হাসপাতালের উদ্বোধন করার সুযোগ ���েয়েছি। আমি মমতাময়ী অমৃতানন্দময়ী আম্মার আশীর্বাদও পেয়েছি। আমি কেরলের ভূমি থেকে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বন্ধুগণ, আমাদের সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস’-এর মূল মন্ত্রে কাজ করে দেশের উন্নয়ন করছে। স্বাধীনতার এই ‘অমৃত কাল’-এ আমরা একসঙ্গে উন্নত ভারতের পথকে সুদৃঢ় করব – এই কামনা নিয়ে। এই উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আপনাদের সকলকে অনেক অভিনন্দন। আবারও, আপনাদের সবাইকে ওনামের শুভেচ্ছা। অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দিতে ছিল",কেৰালাৰ কোচিত মেট্ৰ’ আৰু ৰে’ল সম্পৰ্কীয় পদক্ষেপৰ শুভাৰম্ভ অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B-18/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%A5%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%9B%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%B0-%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%B2/,"নয়াদিল্লি, ০৭ অগাস্ট, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বার্মিংহাম কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরুষদের ট্রিপল জাম্পে স্বর্ণ পদক জয়ী এলধোস পল’কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আজকের ট্রিপল জাম্প ইভেন্টটি ঐতিহাসিক। আমাদের ক্রীড়াবিদরা তাঁদের উৎকর্ষ প্রমাণ করেছেন। অসামান্য প্রতিভাধর এলধোস পল, যিনি স্বর্ণ পদক জয় করেছেন, তাঁকে অভিনন্দন জানাই। অতীতের আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলির মতোই এবারও তিনি ভালো ফল করেছেন। তাঁর নিষ্ঠা প্রশংসনীয়। #Cheer4India""।",এথলেটিকছৰ পুৰুষৰ ট্ৰিপল জাম্পত স্বৰ্ণ পদক অৰ্জন কৰাৰ বাবে এলধোচ পলক অভিনন্দন প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%85%E0%A6%82%E0%A6%B6-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে শত্রু সম্পত্তির অংশ বিক্রির জন্য নীতি-পদ্ধতি ও ব্যবস্থার রূপরেখা অনুমোদন করা হয়। ১৯৬৮ সালের শত্রু সম্পত্তি আইনের নির্দিষ্ট ধারা মোতাবেক এইসব সম্পত্তির অভিভাবক হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক/ভারতের শত্রু সম্পত্তি অভিভাবক সংস্থা, (সিইপিআই)। এই সম্পত্তির অংশ বিক্রির জন্য মন্ত্রিসভা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। বিনিয়োগ এবং জনসম্পদ পর��চালন দপ্তরকে শত্রু সম্পত্তি আইনের নির্দিষ্ট ধারানুযায়ী এই সম্পত্তিগুলি বিক্রয়ের কর্তৃত্ব/অধিকার দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের সরকারি অ্যাকাউন্টে বিলগ্নীকরণ বাবদ আয় হিসাবে এই অর্থ জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশে ৯৯৬টি কোম্পানির ২০ হাজার ৩২৩ জন শেয়ার মালিকের মোট ৬ কোটি ৫০ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৭৭টি শেয়ার শত্রু সম্পত্তি অভিভাবক সংস্থার অধীনে রয়েছে। এই কোম্পানিগুলির মধ্যে ৫৮৮টি সক্রিয় বা কার্যকর রয়েছে। এর মধ্যে ১৩৯টি সংস্থা নথিভুক্ত রয়েছে। এই সম্পত্তি বিক্রয় করার জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে নিয়ে গঠিত একটি বিকল্প ব্যবস্থা কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন। এই কমিটি বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট শেয়ারগুলির মূল্য ও পরিমাণ নির্ধারণ করে বিক্রয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে যেসব শত্রু সম্পত্তির অংশ দীর্ঘকাল ধরে অব্যবহৃত হিসাবে পড়ে আছে, তার আর্থিক ব্যবহার সম্ভব হবে। ২০১৭ সালে শত্রু সম্পত্তি আইনের সংশোধনের ফলে এগুলি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিক্রয়ের এবং তা যথাযথভাবে ব্যবহারের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।",শত্রু সম্পত্তিৰ অংশ বিক্রীৰ বাবে নীতি-নিয়ম আৰু ব্যৱস্থাৰ ৰূপৰেখা গঠনত অনুমোদন কেবিনেটৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%AE%E0%A7%8B/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A6%95/,"নয়াদিল্লি, ১৮ অগাস্ট, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে মার্চ মাসে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) এবং বাংলাদেশের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রকের মধ্যে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা ও মোকাবিলা সংক্রান্ত যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সুবিধা : এই সমঝোতাপত্র অনুযায়ী, ভারত ও বাংলাদেশ বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা ও মোকাবিলায় প্রস্তুতি, দক্ষতা বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদান করবে। এর ফলে, উভয় দেশই উপকৃত হবে। সমঝোতাপত্রের উল্লেখযোগ্য দিক : ১) কোনও দেশে প্রাকৃতিক বা মনুষ্যসৃষ্ট বড় বিপর্যয় ঘটলে ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজে অন্য দেশ সহায়তা করবে। ২) এ সংক্রান্ত প��রাসঙ্গিক তথ্য, দূর সঞ্চারী তথ্য এবং অন্যান্য বৈজ্ঞানিক তথ্য দুটি দেশ আদান-প্রদান করবে। বিপর্যয়ের সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সুবিধা হবে। ৩) উন্নত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা, দ্রুত সতর্কবার্তা পাঠানো, দূর সঞ্চারী ও দিক-নির্দেশ ব্যবস্থাপনা, বিপর্যয় প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সহ দুটি দেশ তথ্য আদান-প্রদান করবে। ৪) বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা প্রতিরোধে আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ৫) দুটি দেশ যৌথভাবে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মহড়া চালাবে। ৬) বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ৭) বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকাশনা, পাঠ্য পুস্তক ও তথ্য আদান-প্রদান করা হবে। এছাড়াও, প্রয়োজনীয় গবেষণামূলক বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।","দুৰ্যোগ প্ৰবন্ধন, সহনীয়কৰণ আৰু প্ৰশমন ক্ষেত্ৰত সহযোগিতা সম্পৰ্কীয় ভাৰত আৰু বাংলাদেশৰ মাজত সম্পাদিত বুজাবুজিৰ চুক্তি(এমঅ’ইউ)লৈ কেবনেটৰ অনুমোদ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%A1%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AD%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%A1%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AD%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ (২ মার্চ) নতুন দিল্লিতে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে ভাষণ দেন। স্বচ্ছ ভারত মিশন সম্পর্কে ‘ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপ’ সচেতন করার ব্যাপারে যে প্রয়াস নিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তার প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মেয়াদকালের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, জাতীয় স্তরে তাঁর স্বল্প অভিজ্ঞতাই অভিশাপের পরিবর্তে আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। দেশের বৈদেশিক নীতি প্রসঙ্গে যে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত কয়েকদিনের ঘটনাসমূহ, এই নীতি নিয়ে যে সন্দেহ রয়েছে তা নিরসনে সাহায্য করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আজকের ভারত এক নতুন ভারত এবং এক ভিন্ন ভারত। তিনি বলেন, প্রত্যেক সেনার জীবন অমূল্য এবং আজ ভারতের সঙ্গে কেউই বিশৃঙ্খলা তৈরির সাহস দেখাতে পারে না। জাতীয় স্বার্থে যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাঁর সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও শ্রী মোদী অভিমত প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ভে��রে এবং বাইরে কিছু অশুভ শক্তি রয়েছে, যারা দেশের বিরুদ্ধে এবং ভারতের এই একতা দেখে ভীত। তিনি বলেন, এই ভীতি একদিকে দেশের পক্ষে ভালোই। ভারতের শৌর্য দেখে শত্রুরা ভীত, দুর্নীতি পরায়ণ ব্যক্তিরা আইনের কারণে ভীত, পক্ষান্তরে এই ভীতি মঙ্গলজনক। তিনি আরও বলেন, নতুন ভারত তার সক্ষমতা ও সম্পদ নিয়ে এগিয়ে চলেছে। সরকার এবং সশস্ত্র বাহিনীগুলির সদিচ্ছা নিয়ে যারা সন্দেহ প্রকাশ করে থাকেন, তাদের উদার মানসিকতার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন। শ্রী মোদী বলেন, নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা করতে গিয়ে আসলে তারা দেশের বিরোধিতা করছেন। এমনকি, এই বিরোধিতা দেশের ক্ষতি করছে। তাঁর অভিমত, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীগুলির প্রতি যারা সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং যারা দেশে সন্ত্রাসে প্ররোচনা দেন, তাদেরকেই বিশ্বাস করেন। সুস্পষ্টভাবে তিনি বলেন, ভারত রাফায়েল যুদ্ধ বিমানের অভাব সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বেশি অনুভব করেছে। এমনকি, এই যুদ্ধ বিমান সংগ্রহ নিয়ে অনেক রাজনৈতিক খেলাও হয়েছে। যাদের কিছু পদক্ষেপ জাতীয় নিরাপত্তায় বিরূপ প্রভাব ফেলেছে, প্রধানমন্ত্রী তাঁদের কড়া সমালোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বহু বছর ধরেই যারা দেশ শাসন করেছেন, তাদের দুটি বিষয়ের ওপর আগ্রহ ছিল। এগুলি হল – দান-খয়রাতি ও চুক্তি। এর ফলে, সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দেশের জওয়ান ও কৃষকরা। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কারণ, হাতেগোনা কয়েকজন চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। আর, কৃষিক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কারণ, চুক্তির পেছনে সঠিক কোন দৃষ্টিভঙ্গি ছিল না। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি পূরণেই দান-খয়রাতি করা হয়েছে যাতে দরিদ্ররা দরিদ্রই থেকে যান এবং তাদের কাছে দয়ার পাত্র হয়ে থাকেন। এর সবথেকে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হল কৃষি ঋণ মকুব। তাঁর সরকার যে ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’ চালু করেছে, তার উদ্দেশ্যই হল কৃষক সমাজের ক্ষমতায়ন। ঘোষণার ২৪ দিনের মধ্যেই এই প্রকল্প শুরু করা হয়েছে বলেও শ্রী মোদী উল্লেখ করেন। শ্রী মোদী বলেন, তাঁর সরকারের ৫৫ মাস এবং অন্যান্যদের ৫৫ বছর প্রশাসনিক ব্যবস্থায় দুই ভিন্নধর্মী প্রয়াসের প্রতিফলন ঘটায়। তিনি বলেন, ‘তাদের প্রয়াস ছিল প্রতীকি’, আর ‘আমাদের প্রয়াস সামগ্রিক’। এ প্রসঙ্গে তিনি সেনানীদের জন্য ‘এক পদ এক পেনশন’; ‘গরিব মানুষের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ’; পরিচ্ছন্ন রান্নার জ্বালানি ‘উজ্জ��বলা যোজনা’; ‘সকলের জন্য বিদ্যুৎ’ এবং ‘সকলের জন্য আবাসন’ কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন। তিনি প্রশ্ন করেন, ভারত কেন এখনও প্রকাশ্য স্থানে শৌচকর্ম থেকে মুক্ত হয়ে ওঠেনি! বহু দশক পেরিয়ে গেলেও কেন যুদ্ধ স্মারক বা পুলিশ স্মারক গড়ে তোলা হয়নি! প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত আজ দ্রুতগতিতে দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। ভারত এখন দ্রুত বিকাশশীল বৃহৎ অর্থনীতি। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতির কথাও তিনি উল্লেখ করেন। কর্মপ্রয়াসের পাশাপাশি আইন বা উদ্যোগের যৌথ মেলবন্ধনে এগিয়ে যেতে তাঁর সরকার বিশ্বাসী। তিনি বলেন, ২০১৪-১৯ ছিল সকলের মৌলিক চাহিদাগুলি পূরণ করা। তবে, ২০১৯ পরবর্তী বছরগুলিতে প্রত্যাশা পূরণ এবং অগ্রগতির নতুন উচ্চতায় পৌঁছনোর সময় হয়ে উঠতে চলেছে।",ইণ্ডিয়া টুডে কনক্লেভত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5-%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A7%B1-%E0%A7%B0%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A7%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5-%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%95/,"নতুনদিল্লি, ৯ই মে, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে প্রণাম জানাই। তাঁর ভাবনা ও কাজের মাধ্যমে তিনি লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন। দেশ, সংস্কৃতি ও লোকায়ত ঐতিহ্যকে নিয়ে কিভাবে গর্ব অনুভব করতে হয়, তাঁর কাছ থেকেই আমরা শিখেছি। তিনি শিক্ষা , বিদ্যা-গ্রহণ ও সামাজিক ক্ষমতায়নের উপর গুরুত্ব দিতেন। দেশের জন্য তাঁর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ”। /",গুৰুদেৱ ৰবীন্দ্ৰ নাথ ঠাকুৰৰ জন্ম জয়ন্তীত শ্ৰদ্ধা নিবেদন প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8-%E0%A6%8F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%9B%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%B0/,"আপনাদের সঙ্গে দেখা না করে যদি চলে যেতাম, তা হলে আমার সফর অসম্পূর্ণ থাকত।কত দূরদূরান্ত থেকে নিজেদের সময় বের করে আপনারা এখানে এসেছেন। আজ কাজের দিন হওয়াসত্ত্বেও এসেছেন। এটা ভারতের প্রতি আপনাদের ভালোবাসা ও অন্তরের টান থেকে আজ সবাইএক ছাদের নীচে একত্রিত হয়েছেন। আমি সবার আগে আপনাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতেচাই। আমি ভারতের বাইরে যেখানেই যাই, সেখানকার প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করারচেষ্টা অবশ্যই করি। কিন্তু আজ আপনারা যে নিয়মানুবর্তিতা দেখিয়েছেন, সেজন্য আপনাদেরঅনেক অনেক ধন্যবাদ। এই একটি গুণের মধ্যে এত বড় শক্তি অন্তর্নিহিত যে, দেশ থেকে এতদূরে এসে এই বিপুল সংখ্যক ভারতীয়দের এক জায়গায় দেখতে পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত,সেজন্য আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাই। এদেশে আমি প্রথমবার এলাম। এই আসা ভারত ও ফিলিপিন্সের সম্পর্কের ক্ষেত্রেঅত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা যেদিন আমাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পণ করেছেন,সেদিন থেকেই আমি ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ গ্রহণ করেছি। কারণ, ভারতের পূর্ব প্রান্তেরএই দেশগুলির সঙ্গে আমরা অনেক বেশি আত্মীয়তা ও ঘনিষ্ঠতা অনুভব করি। কোনও না কোনওকারণে আমাদের মধ্যে একটি ঐতিহ্যগত আবেগের সম্পর্ক আছে। পূর্ব এশিয়ার এমন কোনও দেশনেই, যারা রামায়ণ সম্পর্কে জানেন না, যেখানে রাম অপরিচিত। এমন কোনও দেশ নেই, যারাবুদ্ধকে শ্রদ্ধা করে না। ভারতের সঙ্গে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি এই ঐতিহ্যগত মিল যুগযুগ ধরে আমাদের আত্মিক সম্পর্ককে মজবুত করে রেখেছে। এই ঐতিহ্যকে যথাযথভাবে সংরক্ষণকরা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মে সঞ্চারিত করার দায়িত্ব বহন করছেন প্রবাসী ভারতীয়রা।এক্ষেত্রে ভারতীয় দূতাবাস যতটা কাজ করতে পারে, তারচেয়ে অনেক গুণ দায়িত্ব নির্বাহেরসামর্থ্য রয়েছে প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে। আমি এখন অনুভব করি যে, সারা পৃথিবীতে আজপ্রত্যেক ভারতীয় গর্বের সঙ্গে অন্যদের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছেন। এটা যে কোনওদেশের নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূরণ বিষয়। সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকাভারতীয়রা শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরে নানা পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। আর ভারতীয়দেরএকটি বৈশিষ্ট্য হ’ল – আমরা যেখানেই যাই, সেই অঞ্চলকে আপন করে নিই। এটা কম কথা নয়।সবাই অন্যকে আপন করে নিতে পারে না। নিজের মধ্যে দৃঢ় আত্মবিশ্বাস থাকলেই অপরকে আপনকরে নেওয়া যায়। যাঁরা কয়েক প্রজন্ম ধরে অন্য দেশে আছেন, পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণেনতুন প্রজন্ম মাতৃভাষায় কথা বলা ভুলে গেছেন, তবুও ভারতে খারাপ কিছু হলে আপনারাওবিনিদ্র রজনী কাটান। আর ভারতের কিছু ভালো হলে আপনারাও গর্বিত হন। সেজন্য ভারতেরবর্তমান সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকে এমন উচ্চতায় ��ৌঁছে দিতেচাইছে, যাতে আমরা সকল ক্ষেত্রে বিশ্ব মানের হয়ে উঠি। এই সমকক্ষ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াঅত্যন্ত সমস্যাসঙ্কুল। কিন্তু একবার সেইসব বাধা অতিক্রম করে সেই উচ্চতায় পৌঁছতেপারলে সমানে সমানে খেলার ময়দান পাওয়া যায়। আর ভারতীয়দের হৃদয়, মস্তিষ্ক ও বাহুতেসেই সামর্থ্য রয়েছে যে, একবার সমানে সমানে খেলতে পারলে তাঁদের অগ্রগতিকে আর কেউআটকাতে পারবে না। আর সেজন্য বিগত সাড়ে তিন বছর ধরে বর্তমান সরকার দেশের ১২৫ কোটিজনগণের শক্তি, সামর্থ্য প্রাকৃতিক উপাদানসমূহ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে নিরন্তরউজ্জীবনের মাধ্যমে নতুন ভারতে পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা জারি রেখেছে। যে কোনও যুগেইভারতীয়রা কারও থেকে পিছিয়ে ছিল না। ১০০ বছর আগে, ৫০০ বছর আগে, ১,০০০ বছর আগে,৫,০০০ বছর আগে ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনা সাক্ষী যে, আমাদের দেশবাসী কখনো কারও অনিষ্টকরেননি। আমি যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে সেসব দেশের নেতৃবৃন্দকে বলি যে,ভারতীয়রা কখনও সাম্রাজ্যবাদী মনোভাব নিয়ে কোনও দেশ আক্রমণ করেনি। অথচ, প্রথমবিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দেড় লক্ষেরও বেশি ভারতীয় সৈনিক বিশ্বে শান্তিস্থাপনের লক্ষ্যে শহীদ হয়েছেন। তাঁরা অন্য কোনও দেশে নিজেদের জাতীয় পতাকা পুঁততেযাননি। আজ পর্যন্ত রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তি সেনায় সর্বাধিক শৌর্যের সঙ্গে যে দেশেরসৈনিকরা সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ করেছে, সেদেশের নাম ভারত। সেজন্য বিশ্বের যে কোনওস্থানে বসবাসকারী ভারতীয় গর্ব করতে পারেন। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে চরম অশান্তি ওরাষ্ট্র বিপ্লবে শান্তি সেনার ভূমিকায় সর্বাধিক বিশ্বস্ততার সঙ্গে সাফল্যেরঅধিকারি ভারতীয় সেনাদল আজও পৃথিবীর অনেক দেশে মোতায়েন রয়েছেন। বুদ্ধ ও গান্ধীরদেশের সৈনিকদের কাছে শান্তি নিছকই একটি শব্দ নয়, আমরা বিশ্বকে দেখিয়েছি, কি করেশান্তিতে বাঁচতে হয়, শান্তি আমাদের শিরা ও ধমনীতে প্রবাহিত। কারণ, আমাদের পূর্বজরাবলে গেছেন, বসুধৈব কুটুম্বকম অর্থাৎ গোটা বিশ্ব একটি পরিবার – এই মন্ত্র তাঁরাআমাদের দিয়ে গেছেন। কিন্তু তত্ত্বজ্ঞানে যত গভীরতাই থাকুক না কেন, যত উচ্চ মানেরইহোক না কেন, ঐতিহ্য যত মহানই হোক না কেন, বর্তমান ততটাই উজ্জ্বল, তেজস্বী ওপরাক্রমী হলে তবেই বিশ্ববাসী সেই সামর্থ্যকে স্বীকার করে নেয়। আজ দীর্ঘকাল পরবিশ্ববাসী ভারতের এই সামর্থ্য স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। আর সেজন্য আমরা আমাদেরগৌরবময় ���তীত থেকে প্রেরণা নিয়ে এগিয়ে চলেছি। একবিংশ শতাব্দীকে যেহেতু এশিয়ারশতাব্দী বলে মানা হচ্ছে, আমাদের কর্তব্য হ’ল – নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্য দিয়েএকবিংশ শতাব্দীকে ভারতের শতাব্দী করে গড়ে তোলা। এটা আমার কাছে খুব কঠিন বলে মনে হয়না। তিন-সাড়ে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এটা সম্ভব। এই সময়কালে প্রতিদিন কোনওনা কোনও ইতিবাচক সংবাদে সরকার ও জনগণের সম্পর্ক পুনর্নবীকৃত হয়েছে। এখন আর একথাভেবে ভয় হয় না, কোনও নেতিবাচক ঘটনা ঘটলে অফিসে গিয়ে কিভাবে মুখ দেখাবো। এখনপ্রতিদিন অত্যন্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে ঘর থেকে বাইরে পা রাখি। ভারত থেকে এখন শুধুসুখবরই আসবে। এখন দেশে প্রতিটি সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থের কথা ভেবে, উন্নয়নের কথাভেবে নেওয়া হচ্ছে। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও যদি দেশের ৩০ কোটি পরিবার ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা থেকেদূরে থাকে, তা হলে দেশের অর্থনীতি কিভাবে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। সেজন্য আমরাসরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেই প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা শুরু করেছি। এর মাধ্যমেগরিব মানুষ জিরো ব্যালেন্সে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পেরেছেন। এই অসংখ্যঅ্যাকাউন্ট খুলতে ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের খুব কষ্ট হয়েছে। ম্যানিলায় ব্যাঙ্কগুলিকেমনভাবে চলে সে সম্পর্কে আপনারা সবাই জানেন। সরকারের সিদ্ধান্ত জেনে ভারতীয়ব্যাঙ্কগুলি আমার কাছে আবেদন রেখেছিল, যাতে স্টেশনারি বাবদ ন্যূনতম অর্থ সংগ্রহকরতে দেওয়া হয়। কিন্তু আমি বলেছি যে, এই প্রক্রিয়া দেশের গরিবদের অধিকার প্রদানেরপ্রক্রিয়া। তাঁরা যেন সসম্মানে এক টাকাও জমা না রেখে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতেপারেন, সে ব্যবস্থা আপনাদের করতেই হবে। এতদিন গরিব মানুষ ব্যাঙ্কের সামনে দু’জনবন্দুকধারীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভয়েই সেদিকে পা রাখতেন না। তাঁরা ভাবতেন যে, ঐশীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যাঙ্কগুলি আমাদের জন্য নয়। তাঁরা সুদখোর মহাজনদের কাছে গিয়ে হাতপাততেন। আর ঐ সুদখোর মহাজনেরা তাঁদের সঙ্গে কি ব্যবহার করত, তা আপনারা ভালোভাবেইজানেন! আমরা ৩০ কোটি দরিদ্র দেশবাসীকে জিরো ব্যালেন্সে অ্যাকাউন্ট খোলার অধিকারদিলাম। কিন্তু শুনলে আশ্চর্য হবেন যে, আপনারা অনেক বড়লোকি চাল দেখেছেন, বড়লোকদেরঅন্তরের দারিদ্র্য দেখেছেন, কিন্তু আমি এই প্রকল্পের অভিজ্ঞতায় গরিব মানুষের মনেরঐশ্বর্য দেখেছি। আজ আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আমার দেশের গরিবরা মনেরঐশ্বর্যে অনেক ধনী। বাড়ির মেয়েরা, মায়েরা আগে গমের ভাঁড়ারে সামান্য সাশ্রয় করাটাকা লুকিয়ে রাখতেন, বিছানার তোষকের নিচে লুকিয়ে রাখতেন, যাতে অতিরিক্ত টাকা হাতেপেয়ে বাড়ির ছেলেরা কোনও বাজে খরচ না করে, তাঁদের স্বভাব খারাপ না হয় সেই ভেবে মাবোনেরা টাকা লুকিয়ে রাখতেন। এখন সুযোগ পেয়ে তাঁরা নতুন খোলা ব্যাঙ্ক আকাউন্টে সেইসাশ্রয় করা টাকা রাখলেন, মোট ৬৭হাজার কোটি টাকা জন ধন অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে।এভাবে স্বাধীনতার পর এই প্রথম দেশের অর্থব্যবস্থার মূলধারায় দেশের গরিবরাও সক্রিয়অংশগ্রহণ করলেন। এখন আর এই ঘটনাকে কেউ ছোট পরিবর্তন বলতে পারবেন না। যে শক্তি ওসামর্থ্য এযাবৎ ব্যবস্থার বাইরে ছিল তা আজ ব্যবস্থার কেন্দ্রে চলে এসেছে। এমনি অনেক উদ্যোগ আমরা নিয়েছি; যা নিয়ে আগে কখনও আলোচনা হয়নি, যা হতে পারেএমনটি কেউ কল্পনাও করেননি। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন যে দেশ যেমন চলছে তেমনি চলবে। কেনভাই, সিঙ্গাপুর পরিচ্ছন্ন শহর হতে পারে, ফিলিপিন্স পরিচ্ছন্ন দেশ হতে পারে,ম্যানিলা পরিচ্ছন্ন শহর হতে পারে, তা হলে ভারত পরিচ্ছন্ন দেশ হতে পারবে না কেন?দেশে এমন নাগরিক কি কেউ আছেন, যিনি পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করেন না! অপরিচ্ছন্নতাকেউ পছন্দ করেন না। কিন্তু উদ্যোগ নিতে হ’ত, দায়িত্ব নিতে হ’ত, সাফল্য-অসাফল্যেরকথা না ভেবে শুরু করতে হ’ত – এটাই কেউ করেন না। মহাত্মা গান্ধী যে অবস্থায় ছেড়েগিয়েছিলেন, আমরা সরকারে দায়িত্ব নিয়ে সেখান থেকেই কাজ শুরু করেছি। অত্যন্ত গর্বেরসঙ্গে বলছি, ইতিমধ্যেই ভারতে ২ লক্ষ ২৫ হাজারেরও বেশি গ্রাম খোলা মাঠে প্রাকৃতিককর্মমুক্ত ঘোষিত হয়েছে। তার মানে এতগুলি গ্রামে সাধারণ মানুষের জীবনমানে সুনিশ্চিতপরিবর্তন এসেছে। আপনাদের মধ্যে যাঁরা ২০-২৫-৩০ বছর আগে ভারত থেকে এদেশে এসেছেন, তাঁদেরসঙ্গে যদি আজও ভারতের সম্পর্ক থেকে থাকে, তা হলে পরিবর্তন অনুভব করতে পারবেন।আপনারা দেশ ছাড়ার আগে দেখেছেন, দেশে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার কিংবা গ্যাস সংযোগপেতে কত কাঠখড় পোড়াতে হ’ত। কারও বাড়িতে রান্নার গ্যাস সংযোগ এলে প্রতিবেশীরা এভাবেভীড় জমাতেন যেন মার্সিডিজ গাড়ি এসেছে। আমাদের দেশের প্রত্যেক সাংসদ ২৫টি করে কুপনপেতেন, তার মাধ্যমে তাঁরা নিজের নির্বাচনী এলাকায় ২৫টি পরিবারকে সন্তুষ্ট করতেপারতেন। কিন্তু তাঁরা অনেকেই এই রান্নার গ্যাস সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে কিরকমদুর্নীতির আশ্��য় নিতেন, তা আপনারা খবরের কাগজে পড়েছেন। ২০১৪ সালের লোকসভানির্বাচনের আগে একদিকে বিজেপি আর অন্যদিকে শাসক দল কংগ্রেস ছিল ঐ নির্বাচনীপ্রচারে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টি আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। তখনশাসকদলের পক্ষ থেকে একটি সভা হয়েছিল, যে সভায় দেশবাসী প্রতীক্ষা করছিলেন, কারনেতৃত্বে শাসকদল ঐ নির্বাচন লড়বে, সেটা জানার জন্য। সেই সভায় শাসকদলের বড় বড়নেতারা বক্তব্য রাখার পর সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁরা জানান যে, আমরা যদি নির্বাচনেজয়ী হই, তা হলে এখন যেমন বছরে পরিবার পিছু ৯টি গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হয়, তার বদলে১২টি সিলিন্ডার দেব। এই ঘোষণা শুনে দেশবাসী খুশিতে হাততালি দিয়েছিলেন। নির্বাচনের পর দায়িত্ব গ্রহণ করে আমরা ঠিক করি যে, দেশের গরিব পরিবারগুলিকেবিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে। তখন দেশের মোট ২৫ কোটি পরিবারের মধ্যে৫ কোটি পরিবার দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাস করতেন। আমরা সেই অভিযান শুরু করি আরইতিমধ্যেই ৩ কোটি পরিবারের রান্নাঘরে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের পৌঁছে দিতেপেরেছি। আগে রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি নিয়ে অনেক গালভরা কথা বলা হ’ত। আমরা এইভর্তুকিকে প্রাপকের আধার কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করে দিলাম। বায়ো-মেট্রিকপরিচিতির ছাঁকনিতে এক্ষেত্রেও অনেক ভুতুড়ে প্রাপকের হদিশ পাওয়া গেল না, অনেকদুর্নীতি ধরা পড়ল। ফলস্বরূপ, দেশের রাজকোষে ৫৭ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হ’ল।তারমানে প্রতি বছর এই ৫৭ হাজার কোটি টাকা কাদের পকেটে যেত, সেটা আপনারা অনুমানকরতে পারেন! তারা কি মোদীকে পছন্দ করবে? আপনারাই বলুন, আমরা কি তাদের ভয় পেয়ে চলব?বর্তমান সরকারের কঠোর সিদ্ধান্তে আমরা এভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাফল্য পেয়েছি। আপনারা এখানে বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত হয়ে আমাকে যেভাবে আশীর্বাদ প্রদানকরেছেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, যে উদ্দেশ্যে দেশ আমার মতো একজন সামান্যমানুষকে নেতৃত্বের সুযোগ দিয়েছে, আমি সেই উদ্দেশ্য পূর্তিতে কোনও খামতি রাখব না।২০১৪ সালের আগে খবরের কাগজে কী পড়তেন? কয়লাখনির দুর্নীতিতে কত হাজার কোটি টাকা,২জি দুর্নীতিতে কত হাজার কোটি টাকা, দেশের রাজকোষ থেকে খরচ হয়েছে! ২০১৪’র পরমোদীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়, কত টাকা সাশ্রয় করতে পেরেছেন? রাজকোষেকত টাকা আমদানি হয়েছে? পরিবর্তনটা লক্ষ্য করুন, তখন দেশের চিন্তা ছিল য���, কত টাকানষ্ট হয়েছে, আর আজ আমাকে জবাবদিহি করতে হয় যে, কত টাকা আমদানি করতে পেরেছি! বন্ধুগণ, আমাদের দেশে কোনও কিছুরই অভাব নেই, এগিয়ে যাওয়ার জন্য সকলসম্ভাবনা ও সামর্থ্য রয়েছে। আর সেসব সম্ভাবনা ও সামর্থ্যকেই গুরুত্বপূর্ণ নীতিতেপরিবর্তিত করে আমরা এগিয়ে চলেছি। ফলে, দেশের উন্নয়ন আজ নতুন উচ্চতা অতিক্রম করছে।সকল ক্ষেত্রে দেশের সাধারণ মানুষের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে দেশের সাধারণমানুষকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলার ফলে পরিণাম এত ভালো হচ্ছে, আর আরও এত ভালো হওয়ার সম্ভবনারয়েছে যে, আপনারা দীর্ঘদিন এখানে থাকতে চাইবেন না, বরং দেশে ফিরতেই চাইবেন। আমারখুব ভালো লেগেছে যে, আজকের এই সভায় আপনারা এখানে বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত হয়ে আমাকেআশীর্বাদ করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",ফিলিপাইছত ভাৰতীয় সমূদায়ৰ অভ্যৰ্থনা অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%A3-%E0%A6%B8%E0%A7%9C%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A7%9F%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A7%8E/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%83%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A5%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%95-%E0%A6%96%E0%A6%A3/,"প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা, আবাসন, কয়লা এবং বিদ্যুতের মতো মূলপরিকাঠামো ক্ষেত্রগুলির কাজের অগ্রগতি বৃহস্পতিবার পর্যালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রায় আড়াই ঘন্টার এই পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেনপ্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, নীতি আয়োগ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকাঠামো সম্পর্কিতমন্ত্রকগুলির শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা। নীতি আয়োগের সিইও’র উপস্থাপনায় জানা যায় যে, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়কযোজনার আওতায় ধার্য লক্ষ্যমাত্রার ৮১ শতাংশের কাজই সম্পূর্ণপ্রায়। সংখ্যার নিরিখে১ লক্ষ ৪৫ হাজার গ্রামকে এই কর্মসূচির সঙ্গে ইতিমধ্যেই যুক্ত করা হয়েছে। বাকিগ্রাম ও অঞ্চলগুলি সুনির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই কর্মসূচি রূপায়ণের সঙ্গে যুক্ত হয়েযাবে বলে পর্যালোচনা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তাঁর মত ব্যক্ত করে বলেন যে, এই কাজের জন্যপ্রাপ্ত সহায়সম্পদকে সর্বোচ্চ মাত্রায় ব্যবহার করে যেতে হবে সারা বছর ধরেই।কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের দিনক্ষণ আরও এগিয়ে নিয়ে আসার ফলে রূপায়ণের অ���্রগতি আরওবিশেষভাবে উৎসাহিত হবে বলে মনে করেন তিনি। ‘মেরি সড়ক অ্যাপ’ সম্পর্কে যে সমস্তঅভিযোগ পাওয়া গেছে, তার দ্রুত নিরসনে গৃহীত ব্যবস্থাদি সম্পর্কে শ্রী মোদীকে অবহিতকরেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। এই সমস্ত অভিযোগগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করেপ্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তাঁদের পরামর্শ দেনপ্রধানমন্ত্রী। আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে দেশের গ্রামাঞ্চলে ১ কোটি বাসস্থান নির্মাণ করে তাসুফল গ্রহীতাদের কাছে হস্তান্তরের যে রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে, রূপায়ণের ক্ষেত্রেতার অগ্রগতি সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, এই সমস্তবাসস্থান সুফল গ্রহীতাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কতটা ইতিবাচক সুফল এনে দিতে পারে,তা বিশেষভাবে পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন। কারণ, আমাদের মূল লক্ষ্যই হ’ল, সাধারণ ওদরিদ্র জনসাধারণের জীবনধারণের মানোন্নয়ন নিশ্চিত করে তোলা। এদিন কয়লা ক্ষেত্রের কাজকর্ম সম্পর্কেও বিশেষ আগ্রহ দেখান প্রধানমন্ত্রী।আধুনিকতম প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে খনি সংক্রান্ত কাজকর্ম এবং কয়লা থেকে গ্যাসআহরণ প্রচেষ্টায় পূর্ণ উদ্যমে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। গ্রামীণবৈদ্যুতিকীকরণ এবং বসতবাড়িতে বিদ্যুতের সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগতিরবিষয়টি সম্পর্কেও পর্যালোচনা বৈঠকে অবহিত করা হয় প্রধানমন্ত্রীকে।",মুখ্য আন্তঃগাঁথনিমুলক খণ্ডসমূহৰ অগ্ৰগতিৰ পৰ্যালোচনা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0-21/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A7%A8%E0%A7%AF-%E0%A7%A6%E0%A7%AD-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7/,"আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার! আজকাল অনেক জায়গা থেকে ভালো বর্ষার খবর আসছে। কোথাও কোথাও অতিরিক্ত বর্ষা চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে কিছু জায়গায় মানুষ এখনও বর্ষার প্রতীক্ষা করছেন। ভারতের বিশালত্ব ও বিবিধতার কারণে কখনও কখনও বর্ষাও তার পছন্দ-অপছন্দ প্রকট করে। কিন্তু এজন্য বর্ষাকে দোষারোপ করা ঠিক নয়। মানুষই প্রকৃতির সঙ্গে বিরোধের পথে এগিয়ে গেছে আর তারই ফলস্বরূপ কখনো কখনো প্রকৃতি আমাদের উপর বিরূপ হয়ে পড়ে। এই কারণে এটা আমাদের সবার দায়িত্ব যে আমরা প্রকৃতিকে ভালোবাসি, প্রকৃতিকে রক্ষা করি, প্রকৃতির উন্নয়নে সহায়তা করি। তাহলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় থাকবে। বিগত দিনে এই রকমই একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় পুরো বিশ্বের মনযোগ আকর্ষণ করেছে। মানুষের চিন্তা-ভাবনাকে উদ্বেলিত করেছে। আপনারা টিভি-তে নিশ্চয় দেখেছেন যে থাইল্যাণ্ডে ১২ জন কিশোর ফুটবল খেলোয়াড়ের একটি দল এবং তাদের কোচ একটি গুহাতে বেড়াতে গিয়েছিল। ওখানে গুহাতে যেতে এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সাধারণভাবে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু ঐ দিন ভাগ্যদেবীর অন্যরকম ইচ্ছা ছিল। ওরা যখন গুহার ভিতরে অনেকটা ঢুকে গেছে, তখন হঠাৎ প্রচুর বৃষ্টির কারণে গুহার মুখে প্রচুর জল জমে যায়। খেলোয়াড়দের বাইরে বেরনোর রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। কোন রাস্তা না পাওয়াতে ওরা গুহার ভেতরে একটি ছোট টিলার উপর আটকে ছিল, তাও একদিন-দুদিন নয় — ১৮ দিন! কল্পনা করতে পারেন, মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ওই কিশোররা যখন এক-একটা মুহূর্ত কাটাচ্ছিল, তখন সেই সময়টা কেমন ছিল? একদিকে তারা যখন বিপদের সঙ্গে লড়াই করছিল, তখন অন্যদিকে সমগ্র বিশ্বের মানুষ একজোট হয়ে এই কিশোরদের নিরাপদে বাইরে বেরনোর জন্য প্রার্থনা করছিল। ওই কিশোরেরা কোথায় আছে, কি অবস্থায় আছে, ওদের কীভাবে বাইরে আনা যায় — সেটা জানার সব রকম প্রচেষ্টা চালানো হয়। সময় মতো উদ্ধার না করা গেলে মনসুন-এর কারণে কয়েক মাস ওদের বার করে নিয়ে আসা সম্ভব হত না। যাই হোক, যখন ভালো খবর এলো, সারা বিশ্ব শান্তি পেল। খুশি হল। কিন্তু এই পুরো ঘটনাটিকে আমার একটু অন্যভাবে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে। এই পুরো অপারেশানটা কীভাবে চালানো হয় — প্রতিটি স্তরে সকলে যে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন সেটা সত্যিই অভূতপূর্ব! ওখানকার সরকার, বাচ্চাদের পিতা-মাতা, পরিবারের লোকজন, গণমাধ্যম, দেশের নাগরিকবর্গ — প্রত্যেকে শান্তি ও ধৈর্যের এক অনুকরণীয় আচরণ করে দেখিয়েছে। সবাই দলবদ্ধ ভাবে এই মিশনে সামিল হয়েছে। প্রত্যেকের এই সংযত ব্যবহার — আমার মনে হয় এটা শেখার ও আত্মস্থ করার বিষয়। মা-বাবার দুঃখ হয়নি বা মা চোখের জল ফেলেননি তা কিন্তু নয়। প্রত্যেকের ধৈর্য, সংযম, পুরো সমাজের শান্ত ব্যবহার সত্যিই আমাদের জন্য শিক্ষামূলক বিষয়। এই অপারেশানে থাইল্যাণ্ডের নৌবাহিনীর এক সৈন্যকে প্রাণ দিতে হয়েছে। সমগ্র বিশ্ব আশ্চর্যান্বিত যে এইরকম বিপদসঙ্কুল পরিস্থিতি সত্ত্বেও উদ্ধারকারীরা জলমগ্ন অন্ধকার গুহাতে সাহস ও ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করেছে, আশা ছাড়েনি। এই ঘটনা এটাই দেখায় যে যখন মানুষ জোটবদ্ধ হ���, তখন অনেক আশ্চর্য জিনিষ হয়। এটাই প্রয়োজন যে আমরা শান্ত মনে স্থির চিত্তে নিজেদের লক্ষ্যে মনোনিবেশ করি এবং তার জন্য কাজ করতে থাকি। কিছুদিন আগে আমাদের দেশের জনপ্রিয় কবি নীরজ প্রয়াত হয়েছেন। কবি নীরজের বৈশিষ্ট্য ছিল — আশা, ভরসা, দৃঢ় সংকল্প এবং আত্মবিশ্বাস। কবি নীরজের সব কথা আমাদের সকল ভারতবাসীকে অনেক শক্তি, প্রেরণা দিতে পারে। উনি লিখেছেন — অন্ধকার দূর হবেই যতই তুফান উঠুক যতই বজ্রপাত হোক দীপ যখন জ্বলেছে তখন অন্ধকার দূর হবেই। — কবি নীরজকে আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। প্রধানমন্ত্রীজী নমস্কার! আমার নাম সত্যম। আমি এবছর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে অ্যাডমিশান নিয়েছি। আমাদের স্কুলের বোর্ড-পরীক্ষার সময় আপনি এক্‌জাম স্ট্রেস এবং এডুকেশনের কথা বলেছিলেন। আমাদের মত স্টুডেন্টদের জন্য এখন আপনার কী বক্তব্য আছে? জুলাই এবং আগষ্ট মাস কৃষকদের জন্য এবং সব তরুণদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এটাই হচ্ছে সেই সময় যখন কলেজগুলির জন্য ‘পিক সেশন’। সত্যমের মত লক্ষ লক্ষ যুবক স্কুল থেকে বেরিয়ে কলেজে যায়। ফেব্রুয়ারি আর মার্চ মাস যায় পরীক্ষা, প্রশ্ন-উত্তর লেখায়। এপ্রিল এবং মে মাস ছুটিতে আনন্দ করার সঙ্গে সঙ্গে রেজাল্ট, ভবিষ্যত জীবনের দিক নির্ণয় এবং ‘কেরিয়ার চয়েস’ করতে ব্যয় হয়। জুলাই হচ্ছে সেই মাস, যখন যুবকরা নিজের জীবনের নূতন পথে পদক্ষেপ করে। যখন ফোকাস ‘কোশ্চেন’ থেকে সরে ‘কাট-অফ’-এ চলে যায়। ছাত্রদের মনযোগ ‘হোম’ থেকে ‘হোস্টেল’-এ চলে যায়। ছাত্ররা ‘পেরেন্ট’দের ছত্রছায়া থেকে ‘প্রফেসর’দের ছত্রছায়াতে প্রবেশ করে। আমার বিশ্বাস, আমার যুব বন্ধুরা কলেজ জীবনের শুভারম্ভকে নিয়ে খুবই উৎসাহিত এবং খুশি। প্রথমবার বাড়ির বাইরে বেরনো, গ্রামের বাইরে যাওয়া, এক সুরক্ষিত পরিবেশ থেকে বাইরে বেরিয়ে নিজেকে নিজের পথ প্রদর্শক হতে হয়। এতসব যুবক নিজের ঘর ছেড়ে জীবনকে এক নূতন পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে বেরিয়ে পরে। অনেক ছাত্র কলেজে জয়েন করেছে, অনেকে জয়েন করবে। আপনাদের আমি এটাই বলবো যে, “Be Calm! Enjoy Life!” জীবনের আনন্দ পুরোপুরি উপভোগ করুন। বই ছাড়া কোনও উপায় নেই, পড়াশোনা তো করতেই হবে। কিন্তু নূতন নূতন বিষয় খোঁজার ইচ্ছা চালিয়ে যেতে হবে। পুরনো বন্ধুরা খুবই মূল্যবান। ছোটোবেলার বন্ধুত্ব অমূল্য। কিন্তু নূতন বন্ধু নির্বাচন, বন্ধুত্ব করা এবং চালিয়ে যাওয়া খুবই বুঝেশুনে করা দরকার। নূতন কিছু শিখুন। যেমন নতুন নতুন দক্ষতা, নতুন নতুন ভাষা শিখুন। যে সমস্ত যুবক নিজের ঘর ছেড়ে বাইরে অন্য কোথাও পড়তে গেছেন, তাঁরা ঐ জায়গাকে আবিষ্কার করুন। ওখানকার সম্পর্কে, ওখানকার লোক, ভাষা, সংস্কৃতি সম্বন্ধে জানুন। ওখানকার যে সব বেরানোর জায়গা আছে, সেখানে যান, সে সম্পর্কে জানুন। নূতন অধ্যায় শুরু করছেন —সব নব যুবকদের জন্য আমার শুভকামনা রইল। কলেজ মরশুমের কথা যখন উঠলই, তখন মধ্যপ্রদেশের ছাত্র আশারাম চৌধুরীর কথা বলতেই হয়। খবরে দেখছিলাম অত্যন্ত গরীব পরিবারের ছেলে এই আশারাম জীবনের কত সমস্যা পার হয়ে সাফল্য অর্জন করেছে। যোধপুর ’ রেট একদিক থেকে তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রির জন্য বাজারের কাজ করছে। এই ঘটনাটিকে খতিয়ে দেখলে একটা ব্যাপার আপনাদের অবশ্যই মনে হবে যে এই তরুণেরা আমেরিকায় সেদেশের চলন-বলন, বিচার-বিবেচনার মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন, হয়ত বেশ কিছু বছর আগে দেশ ছেড়েছেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজের গ্রামের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়গুলি জানেন, চ্যালেঞ্জগুলিকে বোঝেন এবং গ্রামের সঙ্গে ইমোশনালি যুক্ত রয়েছেন। এই কারণেই সম্ভবত তাঁরা গ্রামের যা প্রয়োজন, ঠিক সেই অনুসারে কিছু বানাতে পেরেছেন। নিজের গ্রাম, নিজের শিকড়ের সঙ্গে এই যোগ এবং নিজের দেশের জন্য কিছু করে দেখাবার এই মানসিকতা সব ভারতবাসীর মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই রয়েছে। কিন্তু কখনও কখনও সময়ের জন্য, দূরত্বের জন্য, কখনও বা পরিস্থিতির জন্য তার ওপর হাল্কা একটা পর্দা পড়ে যায়। কিন্তু ছোট্ট একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গও যদি তাকে স্পর্শ করে তো সব কথা আবার জেগে ওঠে এবং চলে যাওয়া দিনগুলির দিকে আমাদের আবার টেনে নিয়ে আসে। আমরাও বরং একটু পরখ করে নিই, আমাদের ক্ষেত্রেও এরকম কিছু ঘটেনি তো — অবস্থান, পরিস্থিতি বা দূরত্ব আমাদেরও বিচ্ছিন্ন করে দেয়নি তো — কোনও আস্তরণ পড়ে যায়নি তো! ভেবে দেখুন অবশ্যই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহাশয়, নমস্কার! আমি সন্তোষ কাকড়ে, কোলাপুর, মহারাষ্ট্র থেকে বলছি। পণ্ঢরপুরের বারী অর্থাৎ পুণ্যযাত্রা মহারাষ্ট্রের পুরনো ঐতিহ্য। প্রতি বছর এই উৎসব খুব উৎসাহ ও আনন্দের সঙ্গে পালন করা হয়। প্রায় ৭-৮ লক্ষ বারকরী এতে যোগদান করেন। এই অভিনব অনুষ্ঠান সম্পর্কে দেশের বাকি মানুষ জানুক, তাই ‘বারী’ উৎসব সম্বন্ধে আরও কিছু জানান। সন্তোষজী, আপনার ফোনের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ! সত্যিই পণ্ঢরপুরের পুণ্যযাত্রা এক অদ্ভুত উৎসব। বন্ধ���গণ, আষাঢ় মাসের একাদশী, যেটা এবছর ২৩-শে জুলাই তারিখে ছিল, এই দিনে পণ্ঢরপুরের পুণ্যযাত্রা জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয়। পণ্ঢরপুর মহারাষ্ট্রের কোলাপুর জেলার পবিত্র শহর। আষাঢ় মাসের একাদশীর প্রায় ১৫-২০ দিন আগে থেকেই বারকরী অর্থাৎ তীর্থযাত্রীরা পালকি নিয়ে পণ্ঢরপুরের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করেন। এই যাত্রা, যাকে ‘বারী’ বলা হয়ে থাকে, এতে লক্ষ লক্ষ বারকরী যোগদান করেন। সন্ত জ্ঞানেশ্বর আর সন্ত তুকারামের মত সন্ন্যাসীদের পাদুকা পালকিতে রেখে বিঠ্‌ঠল ভগবানের নামে নাচগান করতে করতে পণ্ঢরপুরের দিকে রওনা দেওয়া হয়। এই পুণ্যযাত্রা শিক্ষা, সংস্কৃতি আর শ্রদ্ধার ত্রিবেণী সঙ্গম। ভগবান বিট্‌ঠল, যাঁকে বিঠোবা বা পাণ্ডুরঙ্গ-ও বলা হয়, তাঁর দর্শনের জন্য ভক্তরা ওখানে পৌঁছন। ভগবান বিট্‌ঠল দরিদ্র, অসহায়, পীড়িতদের স্বার্থরক্ষা করেন। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, গোয়া, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানার লোকেদের অপার শ্রদ্ধা এবং ভক্তি রয়েছে এই ভগবানের প্রতি। আপনারা পণ্ঢরপুরের বিঠোবা মন্দিরে যান, ওখানকার মাহাত্ম্য, সৌন্দর্য, আধ্যাত্মিক আনন্দের এক আলাদা অনুভূতি রয়েছে। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের শ্রোতাদের আমার অনুরোধ, যদি সুযোগ আসে পণ্ঢরপুরের পুণ্যযাত্রার অভিজ্ঞতা অবশ্যই অর্জন করবেন। জ্ঞানেশ্বর, নামদেব, একনাথ, রামদাস, তুকারাম — এরকম অসংখ্য সন্ন্যাসী মহারাষ্ট্রে আজও সাধারণ মানুষকে শিক্ষা প্রদান করছেন। এঁরা অন্ধ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শক্তি দেন। ভারতের প্রতি প্রান্তে এইসব সন্ন্যাসী যুগ যুগ ধরে প্রেরণা দিয়ে আসছেন। ‘ভারূড’ বা ‘আভংগ’-এর মতো শ্লোকে আমরা ওঁদের কাছ থেকে সদ্ভাব, প্রেম আর ভ্রাতৃত্ববোধের উপদেশ পাই। অন্ধ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে শ্রদ্ধার সঙ্গে সমাজ লড়াই করতে পারে, এই মন্ত্র আমরা এঁদের কাছ থেকে পাই। এঁরাই সঠিক সময়ে সমাজকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন এবং সমাজ থেকে পুরনো কুসংস্কার দূর হোক, এটা সুনিশ্চিত করেছেন। মানুষের মধ্যে করুণা, সাম্য এবং শুচিতার ভাবনা নিয়ে এসেছেন। আমাদের এই ভারতভূমি বহু রত্নে খচিত বসুন্ধরা। সাধু-সন্ন্যাসীদের যেমন এক উজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে আমাদের দেশে, ঠিক সেইরকম কর্মবীর মহাপুরুষেরা মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে জীবনদান করেছেন, নিজেদের সমর্পিত করেছেন। ঠিক এরকমই এক মহাপুরুষ ছিলেন লোকমান্য তিলক, যিনি অনেক ভারতীয়ের মনে গভীর ছাপ ফেলেছেন। আমরা ২৩-শে জুল��ই তিলকজীর জন্মজয়ন্তী, আর ১-লা আগষ্ট ওঁর প্রয়াণদিবসে তাঁকে ভক্তি ভরে স্মরণ করি। লোকমান্য তিলক সাহস আর আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান ছিলেন। ব্রিটিশ শাসকদের ভুলভ্রান্তি দেখিয়ে দেওয়ার মতো ক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তা তাঁর ছিল। ইংরেজরা লোকমান্য তিলককে এতটাই ভয় পেত যে কুড়ি বছরের মধ্যে তিন-তিনবার তাঁর বিরুদ্ধে রাজদ্রোহের অভিযোগ এনেছিল। এটা কোনও সামান্য কথা নয়! লোকমান্য তিলক এবং আমেদাবাদে তাঁর যে মূর্তি রয়েছে তা নিয়ে এক বিশেষ ঘটনার কথা আপনাদের আমি বলছি। ১৯১৬-র অক্টোবর মাসে লোকমান্য তিলকজী যখন আমেদাবাদে এসেছিলেন — ভাবুন, আজ থেকে ১০০ বছর আগে, তাঁকে স্বাগত জানাতে চল্লিশ হাজারেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। এই সময় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের সঙ্গে লোকমান্য তিলকজীর দীর্ঘক্ষণ কথা বলার সুযোগ হয়েছিল এবং সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল লোকমান্য তিলকজীর দ্বারা অত্যন্ত প্রভাবিত হয়েছিলেন। ১-লা আগষ্ট, ১৯২০ লোকমান্য তিলকজীর মৃত্যু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আমেদাবাদে তাঁর স্মারক মূর্তি প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। এরপর নগর কর্পোরেশনের মেয়র হয়েই বল্লভভাই প্যাটেল ব্রিটেনের মহারানীর নামাঙ্কিত ‘ভিক্টোরিয়া গার্ডেন’-এ মহামান্য তিলকের স্মারক প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। স্বাভাবিক ভাবেই ব্রিটিশ শাসক এই বিষয়ে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হয় এবং সেখানকার কালেক্টর বার বার ‘স্মারু হেলা’ নামক স্মারক নির্মাণের প্রস্তাব নাকচ করে দিতে থাকেন। কিন্তু সর্দার সাহেব তো সর্দার সাহেব। প্রয়োজনে তিনি পদত্যাগ করবেন কিন্তু লোকমান্য তিলকের স্মারক মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেই ছাড়বেন। অবশেষে সর্দার প্যাটেল মূর্তি নির্মাণ করে ২৮-শে ফেব্রুয়ারি ১৯২৯-এ মহাত্মা গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানান সেই মূর্তির উদ্বোধন করতে। সেই মহা-উদ্‌ঘাটন অনুষ্ঠানে পূজনীয় বাপু বলেছিলেন, আমেদাবাদ পুরসভা মেয়র হিসেবে শুধু একজন ব্যক্তিকেই পায়নি, সেই সঙ্গে এমন এক শক্তি পেয়েছে, যার দ্বারা তিলকের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। আমার প্রিয় দেশবাসী, এই যে মূর্তি সর্দার প্যাটেল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তার একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে লোকমান্য তিলকজী চেয়ারে উপবিষ্ট। এই মূর্তির নীচে লেখা আছে, “স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার”। ইংরেজের কাছে এই লেখা ঈশ্বরের নির্দেশের মত শুনতে লেগেছিল। লোকমান্য তিলকের উদ্য���গেই প্রথম সার্বজনীন গণেশ উৎসব উদ্‌যাপন শুরু হয়েছিল। সার্বজনীন গণেশ উৎসব পরম্পরাগতভাবে শ্রদ্ধা ও আয়োজনে সমৃদ্ধ হয়ে উঠলেও একই সঙ্গে সমাজ জাগরণ, একতা, সমদর্শিতা এবং সাম্যের মানসিকতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটা প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছিল। সেই সময়ের দাবীই ছিল ইংরেজের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশবাসীকে একজোট করা। গণেশ উৎসব জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে জনসাধারণকে সঙ্ঘবদ্ধ হতে সাহায্য করেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই উৎসবের জনপ্রিয়তা বাড়তে লাগল। এর থেকেই প্রমাণ হয় আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য এবং বীর নায়কদের প্রতি যুব সমাজের আজও craze আছে। এখন যে কোনও শহরের অলিতে গলিতে গণেশ মণ্ডপ দেখতে পাওয়া যায়। ঐ গলির সব পরিবার মিলেমিশে ঐ গণেশ উৎসবের আয়োজন করে। একটা টিম হিসেবে কাজ করে। আমাদের যুবসমাজের কাছে এ এক অতুলনীয় সুযোগ। এতে তাঁরা organisation ও leadership-এর মতো বিশেষ ক্ষমতা অর্জন করতে পারেন এবং নিজেদের ভেতর সেগুলিকে বিকশিত করতে পারেন। আমার প্রিয় দেশবাসী, আমি গতবারেও বলেছি, আজ লোকমান্য তিলকজীকে স্মরণ করতে গিয়ে আবারও বলছি, এবারেও আপনারা গণেশ উৎসব ধুমধামের সঙ্গে পালন করুন কিন্তু ‘পরিবেশ-বন্ধব’ উৎসব উদ্‌যাপন করুন। গণেশজীর মূর্তি থেকে তাঁর সাজসজ্জা, পূজা সামগ্রী সব পরিবেশ-বন্ধব হোক। আমি চাই, প্রত্যেক শহরে ইকো-ফ্রেণ্ডলি গণেশ উৎসবের প্রতিযোগিতা হোক, তাঁদের পুরষ্কৃত করা হোক এবং ‘মাইগভ’ ও ‘নরেন্দ্র মোদী অ্যাপ’-এ এই পরিবেশ-বন্ধব গণেশ উৎসবের ব্যাপক প্রচার করা হোক। আমি অবশ্যই জনগণকে আপনাদের কথা জানাবো। লোকমান্য তিলকজী দেশবাসীকে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হতে আহ্বান করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার এবং সে অধিকার অর্জন করেই ছাড়বো।” আজ আমাদের আবার বলার সময় এসেছে, “স্বরাজ আমাদের জন্মগত অধিকার এবং সে অধিকার অর্জন করেই ছাড়বো।” সুশাসন এবং উন্নয়নের সুফল প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এভাবেই নতুন ভারত সৃষ্টি হবে। তিলকজীর জন্মের পঞ্চাশ বছর পরে ঠিক ওই দিন অর্থাৎ ২৩-শে জুলাই ভারতমাতার আর এক সুপুত্রর জন্ম হয়েছিল। যিনি নিজের জীবন সমর্পণ করেছিলেন যাতে করে দেশবাসী স্বাধীন ভারতে শ্বাস নিতে পারে। আমি চন্দ্রশেখর আজাদের কথা বলছি। ভারতে এমন কোনও নওজোয়ান আছেন, যিনি এই পংক্তি শুনে প্রেরণা পাবেন না — সরফোরশি কি তমন্না অব হামারে দিল মে হ্যায় দেখনা হ্যায় জোর কিতনা বাজু-এ-ক��তিল মে হ্যায়। এই কবিতার লাইনগুলি আশফাক উল্লাহ্‌ খান, ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদের মতো তেজীদের প্রেরণা দিয়েছিল। চন্দ্রশেখর আজাদের সাহসিকতা এবং স্বাধীনতার জন্য আকুলতা অনেক যুবককেই প্রেরণা জুগিয়েছিল। আজাদ নিজের জীবন বাজী রেখেছিলেন কিন্তু বিদেশী শাসনের সামনে কখনও মাথা নোয়াননি। এটা আমার সৌভাগ্য যে মধ্যপ্রদেশে চন্দ্রশেখর আজাদের গ্রাম অলীরাজপুর যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এলাহাবাদের চন্দ্রশেখর আজাদ পার্কেও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার সুযোগ মিলেছে এবং চন্দ্রশেখর আজাদজী সেই বীর ছিলেন, যিনি বিদেশীদের গুলিতে মরতে চাইতেন না — বাঁচলে স্বাধীনতার জন্য লড়তে লড়তে বাঁচব আর মরলেও স্বাধীনতা অর্জন করেই মরবো — এই ছিল ওঁর বৈশিষ্ট্য। আরও একবার ভারতমাতার দুই মহান সন্তান লোকমান্য তিলকজী এবং চন্দ্রশেখর আজাদজীকে শ্রদ্ধাপূর্ণ নমস্কার জানাচ্ছি। কিছুদিন আগে ফিনল্যাণ্ডে অনুষ্ঠিত জুনিয়র অনূর্ধ্ব কুড়ি বিশ্ব অ্যাথলেটিক্‌স চ্যাম্পিয়নশিপে ৪০০ মিটারের দৌড়ে ভারতের বাহাদুর কন্যা, কিষাণকন্যা হিমা দাস স্বর্ণপদক জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। দেশের আর এক কন্যা একতা ভয়ান আমার চিঠির জবাবে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমাকে ই-মেল করে। এখন ও ওখানে এশিয়ান গেমসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ই-মেলে একতা লিখছে — যে কোনও অ্যাথলিটের জীবনে মাহেন্দ্রক্ষণ সেটাই যখন সে তেরঙ্গা জড়িয়ে ধরে আর আমার গর্ব যে আমি তা করে দেখিয়েছি। একতা, আমাদের সবার আপনাকে নিয়ে গর্ব হয়। আপনি দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। টিউনিশিয়ায় বিশ্ব প্যারা-অ্যাথলেটিক্স গ্রাঁ প্রি, ২০১৮-তে একতা স্বর্ণপদক ও ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে। ওর এই সাফল্য উল্লেখযোগ্য এই কারণে, যে ও নিজের চ্যালেঞ্জকে সাফল্যের মাধ্যম বানিয়ে নিয়েছে। ২০০৩-এ রোড অ্যাকসিডেণ্টে একতা ভয়ানের শরীরের নীচের অংশ অচল হয়ে পড়ে। কিন্তু এই মেয়েটি সাহস হারায়নি এবং নিজেকে শক্তিশালী করে তুলে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছেছে। আরও একজন সাহসী যোগেশ কটুনিয়াজী। ইনি বার্লিনে প্যারা-অ্যাথলেটিকদের গ্রাঁ প্রি-তে ডিস্‌কাস থ্রোয়িংয়ে বিশ্বরেকর্ড করে স্বর্ণপদক জিতেছেন। ওঁর সঙ্গে সুন্দর সিং গুর্জরও জ্যাভলিন থ্রোয়িংয়ে স্বর্ণপদক জেতেন। আমি একতা ভয়ানজী, যোগেশ কটুনিয়াজী, সুন্দর সিংজীকে তাঁদের সাহস ও সংগ্রামী মনোভাবের জন্য সেলাম জানাচ্ছি, অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনারা আরও এগিয়ে চলুন, খেলুন, উন্নতি কর���ন। আমার প্রিয় দেশবাসী, আগষ্ট মাস ইতিহাসের অনেক ঘটনা, উৎসবের ঘটনাপ্রবাহে ভরা। কিন্তু আবহাওয়ার জন্য কখনও কখনও অসুখও ঘরে প্রবেশ করে। আমি আপনাদের সকলের ভালো স্বাস্থ্যের জন্য, দেশভক্তির প্রেরণা জাগানো এই আগষ্ট মাসের জন্য এবং শতবর্ষ ধরে চলে আসা অনেক অনেক উৎসবের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ‘মন কি বাত’-এ আবার মিলিত হবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ!",প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ২৯.০৭.২০১৮ তাৰিখে ৪৬তম খণ্ডৰ মন কী বাতত প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%96%E0%A6%A8%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%83%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A5%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%95-%E0%A6%96-2/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা এবং খনন ক্ষেত্রের মূল পরিকাঠামোমূলক বিষয়গুলির প্রগতি পর্যালোচনা করলেন। পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিকাঠামো সংক্রান্ত মন্ত্রক, নীতি আয়োগ ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রধান আধিকারিকসমূহ। বৈঠক চলাকালীন নীতি আয়োগের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক শ্রী অভিতাভ কান্ত জানান, ভারতের স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে হয়েছে ৩৪৪ গিগাওয়াট। অর্থাৎ, ২০১৪-তে ভারতের শক্তি ঘাটতি ৪ শতাংশ থাকলেও, ২০১৮-তে এটি হ্রাস পেয়ে হয়েছে ১ শতাংশ। ট্রান্সফর্মার বা বিদ্যুৎবাহী তারগুলির ক্ষমতা সম্প্রসারিত হয়েছে। শহর এবং গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ পরিস্থিতি নিয়েও কথাবার্তা হয় বৈঠকে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রেও ক্রমপুঞ্জিত স্থাপন ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানানো হয় বৈঠকে। ২০১৩-১৪-তে এই ক্ষেত্রে উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৩৫.৫ গিগাওয়াট। ২০১৭-১৮-তে তা বেড়ে হয়েছে ৭০ গিগাওয়াট। একই সময়ে সৌরশক্তি ক্ষেত্রেও স্থাপন ক্ষমতা ২.৬ গিগাওয়াট থেকে বেড়ে হয়েছে ২২ গিগাওয়াট। উপস্থিত আধিকারিকরা এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে ২০২২ নাগাদ ১৭৫ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন, তা পূরণ করা অবশ্যই সম্ভব হবে। /",মুখ্য আন্তঃগাঁথনিমুলক খণ্ড শক্তি আৰু খনিৰ কাম-কাজৰ পৰ্যালোচনা প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE-%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%9F/,"নতুন দিল্লি, ২৪ এপ্রিল, ২০২২ নমস্কার! খেলো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় গেমসের জন্য আপনাদের সকলকে হার্দিক অভিনন্দন! এই ব্যাঙ্গালুরু শহর দেশের যুব সম্প্রদায়ের উদ্যোমের পরিচিতি বহন করছে। বেঙ্গালুরু পেশাদারদের কাছে গর্বের শহর। ডিজিটাল ভারতের হাব হিসেবে পরিচিত ব্যাঙ্গালুরুতে খেলো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতা আয়োজনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। খেলাধুলো ও স্টার্টআপ ক্ষেত্রের এই সমাবেশ নিঃসন্দেহে অভূতপূর্ব! বেঙ্গালুরুতে খেলো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় গেমস এই সুন্দর শহরটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলবে। শুধু তাই নয়, দেশের যুবারাও এই শহর থেকে এক নতুন উদ্যোম নিয়ে ফিরে যাবেন। এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য আমি কর্ণাটক সরকারকে অভিনন্দন জানাই। বিশ্বব্যাপী মহামারীর চ্যালেঞ্জের মধ্যেও এই প্রতিযোগিতা ভারতের যুব সম্প্রদায়ের দৃঢ় সংকল্প ও অদম্য জেদের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমি আপনাদের প্রয়াস ও সাহসিকতাকে অভিনন্দন জানাই। যুব সম্প্রদায়ের এই জেদ ভারতকে প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন গতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। আমার তরুণ বন্ধুরা, সফল হওয়ার প্রথম মন্ত্রই হল টিম স্পিরিট বা দলগত একতা। খেলাধুলো থেকেই আমরা দলগত একতার বিষয়টি শিখি। আপনারাও খেলো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় গেমসে দলগত একতার বিষয়টি উপলব্ধি করবেন। দলগত একতার এই মানসিকতা আপনাকে জীবনে নতুন দিশা দেখাবে। খেলায় জয়ের অর্থ হল সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গী ও ১০০ শতাংশ নিষ্ঠা! আপনাদের মধ্যে এমন অনেক খেলোয়াড় রয়েছেন, যাঁরা ভবিষ্যতে রাজ্যস্তরীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন। এমনকি, এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাতেও ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। ক্রীড়া ক্ষেত্রে আপনাদের এই অভিজ্ঞতা জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে সাহায্য করবে। যে শক্তি ও জ্ঞান আপনাকে খেলাধুলোয় এগিয়ে নিয়ে যায়, তা আপনাকে জীবনেও এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তাই খেলাধুলো ও জীবনে আবেগের গুরুত্ব রয়েছে। একজন ব্যক্তি যিনি চ্যালেঞ্জকে স্বাগত জানান, তিনি খেলাধুলো ও জীবনে জয়ী হন। এমনকি, খেলাধুলো ও জীবনে পরাজয়ের অপর অর্থ হল জয়লাভ। আসলে পরাজয় থেকেই শিক্ষা মেলে। সততা আপনাকে খেলাধুলো ও জীবনে নেতৃত্ব দিতে সাহায্য করে। তাই, খেলাধুলো ও জীবনে প্রতিটি মুহূর্তের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কিন্��ু বর্তমান মুহূর্ত অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই মুহূর্তে বেঁচে থাকা এবং সেই সঙ্গে এই মুহূর্তে কিছু করা অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। জয়লাভে নম্র হওয়ার দক্ষতা এবং পরাজয় থেকে শেখার কৌশল জীবনে অগ্রগতির ক্ষেত্রে সবথেকে মূল্যবান। আর এটাই আমরা খেলার মাঠ থেকে শিখি। খেলাধুলোয় শরীর যখন শক্তিতে পূর্ণতা পায়, তখন একজন খেলোয়াড়ের ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনের চেতনা তীব্রতর হয়। ঠিক এই সময় একজন ভাল খেলোয়াড়ের মাথা ঠান্ডা থাকে এবং সে অনেক বেশি সংযমী হয়ে ওঠে। প্রকৃতপক্ষে এটাই জীবন-যাপনের সেরা কৌশল। বন্ধুগণ, আপনারা নতুন ভারতের যুব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। আপনারা এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের মশাল বাহক। যুব সম্প্রদায়ের চিন্তা-ভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গী আজ ভারতের নীতিগত বিষয়গুলিকে সঠিক রূপ দিচ্ছে। আজকের যুব সম্প্রদায় ফিটনেসকে দেশের অগ্রগতির মন্ত্র করেছেন। এমনকি আজকের যুবারা সেকেলে চিন্তা-ভাবনার শিকল থেকে খেলাকে মুক্ত করেছেন। নতুন শিক্ষানীতিতে খেলাধুলোর প্রতি অগ্রাধিকারই হোক বা আধুনিক ক্রীড়া পরিকাঠামো নির্মাণ, মেধাবি খেলোয়াড়দের অন্বেষণে স্বচ্ছতা বজায় রাখাই হোক বা খেলোধুলোয় আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ – এগুলি সবই এখন নতুন ভারতের হলমার্ক বা স্বতন্ত্র পরিচিতি হয়ে উঠেছে। ভারতের যুব সম্প্রদায়ের আশা-আকাঙ্খা নতুন ভারত নির্মাণে সিদ্ধান্ত প্রণয়নে সঠিক রূপ দিচ্ছে। এখন দেশে নতুন ক্রীড়া বিজ্ঞান কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশে ক্রীড়া ক্ষেত্রের জন্য স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে। আসলে এগুলি সবই আপনাদের সুবিধার্থে ও স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। বন্ধুগণ, খেলাধুলোর মধ্যে যে শক্তি নিহীত রয়েছে, তা দেশের সক্ষমতার আরও প্রসার ঘটায়। ক্রীড়া ক্ষেত্রে সাফল্য দেশের স্বতন্ত্র পরিচিতি গড়ে তোলে। টোকিও অলিম্পিক থেকে ফেরার পর অ্যাথলিটদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা আমার এখনও মনে পড়ে। এই ক্রীড়াবিদদের ব্যক্তিগত সাফল্যের চেয়েও তারা দেশকে গর্বিত করেছেন এটাই যেন তাদের মধ্যে প্রতিফলিত হচ্ছিল। দেশের হয়ে জয়লাভে যে খুশি ও আনন্দ আসে তার কোন বিকল্প নেই। আপনারাও কেবল নিজের বা পরিবারের জন্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন না। এটা বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের প্রতিযোগিতা হতে পারে, কিন্তু এটা মনে রাখবেন যে আপনারা দেশের হয়ে খেলছেন। তাই আপনার মধ্যে যে একজন প্রতিভাবান খেলো���াড়ের সত্ত্বা রয়েছে, আপনি তাকে দেশের জন্য প্রস্তুত করছেন। আর এই মানসিকতা আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, আপনার এই মানসিকতা না কেবল আপনাকে খেলার মাঠে, সেই সঙ্গে পদক জিততেও সাহায্য করবে। আমি নিশ্চিত যে আপনারা সকলেই এই প্রতিযোগিতায় ভাল খেলবেন এবং ক্রীড়া নৈপুণ্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখবেন! এই বিশ্বাস নিয়ে আপনাদের সকলকে আরও একবার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই! ধন্যবাদ! বিঃদ্রঃ – এটি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আক্ষরিক অনুবাদ নয়। মূল ভাষণ তিনি হিন্দিতে দিয়েছিলেন। /",খেলো ইণ্ডিয়া ইউনিভাৰছিটী গেমছ উদ্বোধনত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ বাৰ্ত +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AA-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AA-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A4-%E0%A6%89%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%B1%E0%A6%BE/,"সম্মানিত রাষ্ট্রপতি মুসেভেনি, তাঁর সুযোগ্য পত্নী মাননীয়া জেনেট মুসেভেনি এবং বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভাই ও বোনেরা, আপনাদের সকলের সঙ্গে আমার আত্মীয়তার সম্পর্ক, আপনত্বের সম্পর্ক। আমি আপনাদের পরিবারেরই একজন, এই বিশাল পরিবারের এক সদস্য হিসাবে আপনাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে আমার আনন্দ অনেক গুণ বেড়ে গেছে। আমাদের এই মিলনকে মহিমান্বিত করতে আজ স্বয়ং মাননীয় রাষ্ট্রপতি ও তাঁর স্ত্রী এখানে এসেছেন। তাঁদের এই উপস্থিতি ১২৫ কোটি ভারতবাসী এবং উগান্ডায় বসবাসকারী হাজার হাজার ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষদের প্রতি তাঁদের অপার ভালোবাসার প্রতীক। আমি সেজন্য রাষ্ট্রপতি মহোদয়কে অন্তর থেকে অভিনন্দন জানাই। আজ এখানে আপনাদের সবার মাঝে এসেছি আর আগামীকাল আমার উগান্ডার সংসদ ভবনে বক্তব্য রাখার সৌভাগ্য হবে। আমি শুনেছি, দু’দিন আগে দিল্লির সংসদ ভবনে আমি যখন বক্তব্য রাখছিলাম, আপনারাও সেই বক্তব্য শুনছিলেন, সমগ্র উগান্ডার মানুষ শুনছিলেন। আপনাদের সকলকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, এই প্রথম উগান্ডার সংসদ ভবনে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখার সুযোগ পাবেন। এই সম্মান প্রদানের জন্য আমি উগান্ডার রাষ্ট্রপতি এবং জনগণকে ১২৫ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। বন্ধুগণ, উগান্ডায় আসা এবং আপনাদের মতো সজ্জনদের সঙ্গে মিলিত হয়ে কথাবার্তা বলার সৌভাগ্য যে কোনও ভারতবাসীর জন্য আনন্দের বিষয়। আমার প্রতি আপনাদের এই উৎসা���, স্নেহ, ভালোবাসা যেন নিরন্তর বর্ষিত হতে থাকে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আমার উগান্ডায় আসার সৌভাগ্য হয়েছে। ১১ বছর আগে আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এদেশে প্রথমবার এসেছিলাম এবং আপনাদের অনেকের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছে। অনেকের সঙ্গে প্রাণভরে কথা বলারও সুযোগ হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অনেককেই আজ আমার সামনে দেখতে পাচ্ছি। আর আমি দেখে অবাক হচ্ছিলাম যে, দেশের রাষ্ট্রপতি মহোদয় তাঁদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে চেনেন। আপনাদের সঙ্গে তাঁর এত নিকট সম্পর্ক যে আজ সারা দিন আমরা একসঙ্গে ছিলাম, তিনি অনেক পরিবারের কথা নাম ধরে ধরে বলছিলেন। কাকে কত বছর ধরে চেনেন, কিভাবে চেনেন। আমি জানি, আপনারা নিজেদের পরিশ্রম, আচার-ব্যবহার এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দিয়ে এই সম্মান অর্জন করেছেন। এই পুঁজিকে ছোট করে দেখা উচিৎ নয়। ভারত থেকে আসার পর ৩-৪ প্রজন্ম ধরে উগান্ডার মাটির সঙ্গে এই সম্পর্ক স্থাপন, এই ভালোবাসার প্রেক্ষিতেই আপনারা এই পুঁজি অর্জন করেছেন। বন্ধুগণ, উগান্ডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আজকের নয়। এই সম্পর্ক কয়েক শতাব্দী প্রাচীন। আমাদের মধ্যে সম্পর্কের অনুঘটক হ’ল শ্রম এবং শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই। উগান্ডার উন্নয়ন আজ যে উচ্চতায় পৌঁছেছে, তার বুনিয়াদ মজবুত করতে উগান্ডাবাসীর রক্তঘামে ভারতীয়দের রক্তঘামের সুরভী মিশেছে। এখানে উপস্থিত নবীন প্রজন্মের মানুষদের আমি মনে করাতে চাই, আজ যে রেলগাড়িতে আপনারা সফর করেন, তা ভারত ও উগান্ডার পারস্পরিক সম্পর্ককেও গতি প্রদান করছে। একটা সময় ছিল, যখন উগান্ডা ও ভারত উভয়েই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে পরাধীনতার শেকলে বাঁধা ছিল। তখন আমাদের পূর্বজদের ভারত থেকে এখানে আনা হয়েছিল। মাথায় বন্দুকের নল ঠেকিয়ে কিংবা চাবুক মেরে মেরে তাঁদেরকে রেল লাইন পাতার কাজে বাধ্য করা হয়েছিল। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে সেই মহাত্মা শ্রমিকরা উগান্ডার ভাই-বোনেদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জীবন-যুদ্ধে লড়ে গেছেন। উগান্ডার স্বাধীনতা সংগ্রামেও ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। উগান্ডা স্বাধীন হলে আমাদের অনেক পূর্বজ এদেশেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দুধের মধ্যে চিনি যেমন গুলে যায়, তেমনই আমাদের পূর্বজরা উগান্ডার জনগণের সঙ্গে মিশে তাঁদের স্বভাব দিয়ে সমাজে মিষ্টত্ব বৃদ্ধি করেছেন। আজ আপনারা সবাই উগান্ডার উন্নয়ন, এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য, কলা-সংস্কৃতি, ক���রীড়া এবং সমাজের সকল ক্ষেত্রে নিজেদের প্রাণশক্তি অর্পণ করছে। এদেশের জিঞ্জায় মহাত্মা গান্ধীর অস্থি বিসর্জন হয়েছিল। আগে যেমন ভারতীয় রাজনীতিতে অনেক ভারতীয় বংশোদ্ভূত সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন, আজও তেমনই অনেকেই সক্রিয় রয়েছেন। স্বর্গীয় নরেন্দ্র ভাই প্যাটেল স্বাধীন উগান্ডার সংসদে প্রথম অ-ইউরোপীয় অধ্যক্ষ সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হয়েছিলেন। যদিও তারপর এমন একটা সময় আসে, যখন সবাইকে সমস্যায় পড়তে হয়, অনেককে দেশত্যাগও করতে হয়। কিন্তু উগান্ডার জনগণ ও বর্তমান সরকার তাঁদেরকে নিজেদের অন্তর থেকে বেরিয়ে যেতে দেননি। উগান্ডার জনগণ এবং বিশেষভাবে এদেশের রাষ্ট্রপতি মহোদয় যেভাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের বুকে টেনে নিয়েছেন, সেজন্য আমি অন্তর থেকে তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের মধ্যে অধিকাংশেরই জন্ম এদেশে হয়েছে, অনেকের তো ভারত দেখারই সুযোগ হয়নি। অনেকে এমনও রয়েছেন, যাঁরা তাঁদের পূর্বজরা ভারতের কোন্‌ রাজ্য, গ্রাম কিংবা শহর থেকে এসেছিলেন, সে সম্পর্কেও জানেন না। কিন্তু তবুও আপনারা ভারতকে নিজেদের হৃদয়ে জীবিত রেখেছেন। হৃদয়ের একটি স্পন্দন উগান্ডার জন্য হলে অন্য স্পন্দনটি ভারতের জন্য হয়। বিশ্ববাসীর সামনে আপনারাই সঠিক অর্থে ভারতের রাজদূত। একটু আগেই যখন রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের সঙ্গে আমি মঞ্চে আসছিলাম, তখন দেখছিলাম যে আমরা পৌঁছানোর আগে এখানে কী ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। আপনারা যেভাবে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র্যকে তুলে ধরে সকলকে মন্ত্রমুগ্ধ করে তুলছিলেন, তাকে প্রশংসা করতেই হয়। আমার পূর্ববর্তী সফর এবং এবারের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে, আপনারা বিভিন্ন ভারতীয় ভাষা, খাদ্যাভাস, কলা ও সংস্কৃতি, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য, পারিবারিক মূল্যবোধ এবং বসুধৈব কুটুম্বকম্‌ – এর ভাবনা যেভাবে আপনারা নিজেদের অস্তিত্বে ধারণ করেন, তা অতুলনীয়, সেজন্য প্রত্যেক ভারতবাসী আপনাদের জন্য গর্বিত। আমি আপনাদের অভিনন্দন ও প্রণাম জানাই। বন্ধুগণ, উগান্ডা সহ আফ্রিকার সকল দেশ ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর অন্যতম কারণ হ’ল এই দেশগুলিতে আপনাদের মতো ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষদের বিপুল উপস্থিতি। দ্বিতীয়ত, এই দেশগুলির স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। তৃতীয়ত, আমাদের সকলের সামনে দেশকে উন্নত করার চ্যালেঞ্জ। ঐতিহ��সিকভাবে পরস্পরের সুখ-দুঃখে সামিল হওয়ার পাশাপাশি আমরা সবাই পরস্পর থেকে কিছু না কিছু শিখেছি। যথাসম্ভব পরস্পরকে সাহায্য করেছি। আজও আমরা এই ভাবনা নিয়ে মিলেমিশে এগিয়ে চলেছি। আমরা উগান্ডার সঙ্গে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই। উগান্ডার সেনাবাহিনীর প্রয়োজন অনুসারে ভারত তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। বিভিন্ন অসামরিক ক্ষেত্রেও উগান্ডার সহস্রাধিক ছাত্রছাত্রী এখন ভারতে পড়াশুনা করছেন। আপনাদের মধ্যে যাঁরা নিজেরাই ভারত থেকে কর্মসূত্রে উগান্ডায় এসেছেন, তাঁরা যে ভারত ছেড়ে এসেছিলেন, আজ আর সে ভারত নেই। দেশ অনেক বদলে গেছে। উগান্ডা যেমন আফ্রিকা মহাদেশে সর্বাধিক দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়া অর্থনীতির দেশ হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে, ভারতও তেমনই বিশ্বের সর্বাধিক দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়া বড় অর্থনীতির দেশগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছে। ভারতীয় অর্থ ব্যবস্থা এখন গোটা বিশ্বের উন্নয়নকে গতি প্রদান করছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ আজ ভারতের পরিচয় হয়ে উঠেছে। ভারতে নির্মিত গাড়ি, স্মার্ট ফোন আজ এমন সব দেশে রপ্তানি হচ্ছে, যে দেশগুলি থেকে এক সময়ে এইসব জিনিস আমরা ভারতে আমদানি করতাম। অদূর ভবিষ্যতেই হয়তো আপনারা উগান্ডায় সুলভে উন্নতমানের যে স্মার্টফোন কিনবেন, তাতে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ লেবেল দেখতে পাবেন। সম্প্রতি ভারতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মোবাইল নির্মাণ কোম্পানির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সৌভাগ্য আমার হয়েছে। ভারত তীব্রগতিতে উন্নত বিশ্বের ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হয়ে উঠছে। পাশাপাশি, ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ভারত জনগণের ক্ষমতায়নের মাধ্যম করে তুলেছে। আজ ভারতীয়রা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সকল সরকারি পরিষেবা পেতে পারেন। শিশুর জন্ম থেকে শুরু করে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিবন্ধীকরণের কাজ ডিজিটাল ও অনলাইন প্রযুক্তির মাধ্যমে করা সম্ভব হচ্ছে। দেশের প্রত্যেক বড় পঞ্চায়েতকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্তিকরণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আজ সূঁচ থেকে শুরু করে রেল লাইন, মেট্রো রেলের কামরা থেকে শুরু করে উপগ্রহ পর্যন্ত ভারতে নির্মিত ইস্পাত দিয়ে ভারতেই উৎপাদিত হচ্ছে। স্টার্ট আপ-এর হাব হিসাবেও ভারত দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বে আমি যেখানেই যাই, আপনাদের মতো ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও প্রবাসী ভারতীয়দের মনে করাতে চাই যে, আগে দেশের বাইরে ভারতের কিরকম ছবি গড়ে উঠেছিল। হাজার হাজার বছরের গৌরবময় ইতিহাস সমৃদ্ধ দেশটিকে বিশ্ববাসীর সামনে সাপ, সাঁপুড়ে, যাদুটোনার দেশ হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছিল। কিন্তু আমাদের নবীন প্রজন্ম ভারতকে আইটি সফট্‌ওয়্যারের দেশ হিসাবে তুলে ধরে এই চিত্র বদলে দিয়েছে। আজ সেই চিত্র স্টার্ট আপ-এর মাধ্যমে আরও পরিবর্তিত হচ্ছে। আপনারা শুনলে গর্ববোধ করবেন যে, বিগত দু’বছর দেশের প্রায় ১১ হাজার স্টার্ট আপ নিবন্ধীকৃত হয়েছে। দেশ ও বিশ্বের প্রয়োজন অনুসারে আমাদের নবীন প্রজন্ম নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করছেন। বন্ধুগণ, আজ ভারতের ৬ লক্ষেরও বেশি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। দেশে আর এমন একটিও গ্রাম অবশিষ্ট নেই, যেখানে বিদ্যুৎ নেই। দেশে বিদ্যুৎ কতটা সুলভ হয়েছে, তা আপনারা বিশ্ব ব্যাঙ্কের র‍্যাঙ্কিং দিয়েই আন্দাজ করতে পারেন। বিদ্যুৎ প্রাপ্তির সরলতার নিরিখে ভারত বিশ্ব ব্যাঙ্কের র‍্যাঙ্কিং-এ ৮২ ধাপ অতিক্রম করে ইতিমধ্যেই বিশ্বে ২৯ নম্বর স্থানে পৌঁছে গেছে। পাশাপাশি, এলইডি অভিযানের মাধ্যমে বিদ্যুতের খরচ তিন ভাগের দু’ভাগ কমিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। গত চার বছরে দেশে ১০০ কোটিরও বেশি এলইডি বাল্ব বিক্রি হয়েছে। বন্ধুগণ, এভাবে ভারতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা আজ নতুন ভারতের সংকল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছি। বন্ধুগণ, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই আমি আপনাদের মাঝে আসার জন্য উৎসাহী ছিলাম। তিন বছর আগে আপনাদের মাননীয় রাষ্ট্রপতি মহোদয় যখন ভারত-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য ভারতে এসেছিলেন, তখনই তিনি বিনম্র আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু আমি কোনও ভাবেই আসতে পারিনি। বিগত চার বছরে আফ্রিকার সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে ভারতের বিদেশ নীতিতে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। ২০১৫ সালে যখন আমরা ইন্দো-আফ্রিকা ফার্ম শিখর সম্মেলন আয়োজন করেছিলাম, তখন প্রথমবার আফ্রকার সকল দেশের নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আমাদেরকে অবাক করে দিয়ে প্রত্যেকেই আমাদের নিমন্ত্রণ স্বীকার করে ৪১টি দেশের সর্বময় নেতা দিল্লির সেই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আমরা হাত বাড়ালে আফ্রিকার সকল দেশ এগিয়ে এসে ভারতকে বুকে জড়িয়ে ধরেছে। বিগত চার বছরে আফ্রিকার এমন একটি দেশও নেই, যেদেশে ভারতের একজন মন্ত্রীও সফরে আসেননি। রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্তরে ২০টিরও বেশি সফর সম্পন্ন হয়েছে। ইন্দো-আফ্রিকা ফার্ম শীর্ষ সম্মেলনের পর আফ্রিকার ৩২টি দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব ভারতে এসে সফর করে গেছেন। আমরা ১৮টি দেশে ভারতীয় দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এগুলি চালু হলে আফ্রকায় ভারতীয় দূতাবাসের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭ হবে। আফ্রিকার সামাজিক বিকাশ এবং গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনে আমাদের সহযোগিতার পাশাপাশি এই দেশগুলির আর্থিক উন্নয়নেও আমরা সক্রিয় অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করেছি। ফলস্বরূপ, গত বছর আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক-এর বার্ষিক বৈঠক ভারতে আয়োজিত হয়েছে। তখন আফ্রিকার জন্য ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি লাইন্স অফ ক্রেডিটের প্রকল্প মঞ্জুর করা হয়েছে। ইন্দো-আফ্রিকা ফার্ম শীর্ষ সম্মেলনে আমাদের ১০ বিলিয়ন ডলার দায়বদ্ধতা রয়েছে। এছাড়া, ৬০০ মিলিয়ন ডলার অনুদান এবং ৫০ হাজার ছাত্রছাত্রীদের ভারতে পড়াশুনার জন্য ছাত্রবৃত্তি দিতেও আমরা দায়বদ্ধ। আফ্রিকার ৩৩টি দেশের জন্য ভারত ই-ভিসার সুবিধা দিয়েছে। গত বছর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ভারতের বাণিজ্যিক লেনদেন ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি আফ্রিকার সকল দেশকে আন্তর্জাতিক সৌরসংঘের সদস্য হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলাম। আজ আন্তর্জাতিক সৌরসঙ্ঘের সদস্য দেশগুলির প্রায় ৫০ শতাংশ আফ্রিকা মহাদেশের। আন্তর্জাতিক মঞ্চে আফ্রিকার দেশগুলি সমস্বরে ভারতকে সমর্থন জানিয়েছে। আমার মনে হয়, এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলির উপস্থিতি ধীরে ধীরে নতুন ওয়ার্ল্ড অর্ডারে মজবুত হচ্ছে। এই লক্ষ্যে আমাদের মতো দেশগুলির পারস্পরিক সহযোগিতা কোটি কোটি মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনে দেবে। যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে আপনারা সবাই নিজেদের মূল্যবান সময় বের করে এখানে এসেছেন, আমাকে আশীর্বাদ ও সম্মান জানিয়েছেন, সেজন্য আমি আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। মাননীয় রাষ্ট্রপতি এবং উগান্ডার জনগণকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আপনারা জানেন যে, ২০১৯ সালে জানুয়ারি মাসের ২২-২৩ তারিখ এবার কাশীতে প্রবাসী ভারতীয় দিবস পালন করা হবে। এই কাশীর জনগণই আমাকে ভোট দিয়ে তাঁদের প্রতিনিধি হিসাবে সংসদে পাঠিয়েছেন। তাঁদের জন্যই আমি আজ প্রধানমন্ত্রী। সেই কাশীবাসীর পক্ষ থেকে আমি আজ আপনাদের আমন্ত্রণ জানাতে এসেছি। এই প্রবাসী ভারতীয় দিবসের আয়োজন শুরু হওয়ার আগে গুজরাটে ভাইব্রেন্ট গুজরাট, গ্লোবাল ইনভেস্টার্স সামিট হবে ১৮-২০ জানুয়ারি। তার আগে ১৪ জানুয়ারি থেকে কুম্ভমেলা শুরু হচ্ছে। সেজন্য আমি আপনাদের বলব যে, গুজরাটে বিনিয়োগকারীদের শীর্ষ সম্মেলন এবং কাশীতে প্রবাসী ভারতীয় দিবস অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে প্রয়াগরাজে স্নান করে, কুম্বমেলা দেখে ২৬ জানুয়ারি আপনারা দিল্লিতে আসুন। এই এক সপ্তাহের প্যাকেজে আপনারা ভারতে অনেক কিছু দেখার সুযোগ পাবেন। আমি আজ সামনে বসে থাকা আমার উগান্ডার ভাই-বোনেদেরও আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আপনারাও আসুন আপনারা যে ভালোবাসা দিয়েছেন, আপনাদের দেশের প্রগতির জন্য ভারতের শুভেচ্ছা আমি বহন করে এনেছি। আপনাদের জীবনকে আরও গৌরবময় করে তুলতে ভারত আপনাদের সঙ্গে আছে। আমি আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",২৪ জুলাইত উগাণ্ডাত প্ৰৱাসী ভাৰতীয়ক সম্বোধন কৰি প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আগবঢ়োৱা ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A6%AE/,"উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রদ্ধেয় রাম নায়েক মহোদয়, রাজ্যের যশস্বী পরিশ্রমী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য মনোজ সিনহা, সংসদ সদস্য ও বিজেপি-র প্রদেশ অধ্যক্ষ মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে, জাপান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার শ্রী হিরেকা আসারি এবং আমার বেনারসের ভাই ও বোনেরা। আমি সবার আগে দেশের গৌরব বৃদ্ধিকারী এক কন্যার কথা বলে শুরু করতে চাই। আপনারা দেখেছেন যে, আসামের নওগাঁও জেলার ডিমগামের একটি ছোট মেয়ে হিমা দাস কিভাবে আমাদের গর্বিত করেছেন। আপনারা টিভিতে দেখেছেন। আমি আজ বিশেষভাবে তাঁর জন্য একটি ট্যুইট করেছি। ঐ স্টেডিয়ামে ধারাভাষ্যকাররা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন, যখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পেছনে ফেলে একটি ভারতীয় মেয়ে প্রত্যেক সেকেন্ডে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন ধারাভাষ্যকার যে উত্তেজনা নিয়ে ধারাবিবরণী দিচ্ছিলেন, তখন সমস্ত ভারতবাসীর বুক গর্বে ভরে গিয়েছিল। তারপর, হিমা দাস হাত বাড়িয়ে তেরঙ্গা পতাকার জন্য ছুটছিলেন। তেরঙ্গা পেতেই সেটি গায়ে জড়িয়ে নেন। জয়ের আনন্দে তেরঙ্গা পতাকা বাতাসে ওড়ানোর পাশাপাশি তিনি অসমীয়া গামছা গলায় জড়াতেও ভোলেননি। আর যখন তিনি মেডেল পাচ্ছিলেন, ভারতের তেরঙ্গা পতাকা উড়ছিল, আর জন গণ মন …… শুরু হ’ল তখন আপনারা সবাই দেখেছেন যে, ১৮ বছর বয়সী হিমার দু’চোখ থেকে গঙ্গা-যমুনার স্রোত দু’গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছিল। সেই অশ্রুধারা ভারতমায়ের প্রতি সমর্পিত ছিল। এই দৃশ্য ১২৫ কোটি ভারতবাসীকে একটি প্রেরণা ও প্রাণশক্তি প্রদান করে। ছোট্ট একটি গ্রামের ধানচাষী পরিবারের মেয়েটি ১৮ মাস আগেও জেলাস্তরে খেলতেন। আর আজ সারা পৃথিবীতে ভারতের নাম উজ্জ্বল করে এসেছেন। আমি হিমা দাসকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদেরকেও অনুরোধ করছি, করতালি দিয়ে হিমা দাস’কে অভিনন্দন জানান। ভাই ও বোনেরা, বাবা ভোলেনাথের প্রিয় শ্রাবণ মাস শুরু হতে চলেছে। কিছুদিন পরই কাশীতে দেশ ও বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে শিবভক্তরা এসে মেলায় সামিল হবেন। এই উৎসবের প্রস্তুতি নতুন উদ্যমে শুরু হয়েছে। এই উৎসবের প্রস্তুতির মাঝে আমি সেই পরিবারগুলির যন্ত্রণা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে চাই। যাঁরা বেনারসের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন, সেই শোকার্ত পরিবারগুলির প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই। অন্যের ব্যথা-যন্ত্রণা ভাগ করে নেওয়া, সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের ভাবনা কাশীর বিশেষ চরিত্র। ভোলেবাবার মতো সহজ-সরল বেনারসবাসীর মন এই সংস্কারগুলি ভুলে যায়নি। শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরে এগুলি দিয়েই তো আজকের বেনারস গড়ে উঠেছে। এর পৌরাণিক পরিচয়কে নতুন উচ্চতা দিতে কাশীকে একবিংশ শতাব্দীর প্রয়োজনীয়তা অনুসারে উন্নত করার প্রচেষ্টা আমরা গত চার বছর ধরে নিরন্তর জারি রেখেছি। নতুন ভারতের জন্য এক নতুন বেনারস নির্মিত হচ্ছে, যার আত্মা চিরপুরাতন কিন্তু শরীর নবীন। এর প্রতিটি কণায় সংস্কৃতি ও সংস্কার প্রোথিত থাকবে কিন্তু পরিষেবাগুলি হবে স্মার্ট। পরিবর্তিত বেনারসের এই চিত্র এখন সর্বক্ষেত্রে ফুটে উঠছে। আজ সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে কাশীর সড়ক, চৌরাস্তা, গলি, ঘাট ও পুকুরগুলির ঝাঁ চকচকে চেহারা দেখে মন ভরে যায়। মাথার ওপর ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তারের জঞ্জাল আর দেখা যায় না। অথচ, প্রতিটি সড়ক আলোয় স্নান করতে থাকে। রঙবেরং-এর আলোয় ফোয়ারার দৃশ্য মন ছুঁয়ে যায়। বন্ধুগণ, বিগত চার বছরে বেনারসে বেশ কয়েকটি ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে নির্মিত প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে আর এই উন্নয়নযজ্ঞ চলতেই থাকবে। ২০১৪ সালের পর আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম। রাজ্য সরকার বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজে অসহযোগিতা করছিল ও বাধা দিচ্ছিল। কিন্তু বছর খানেক আগে আপনারা বিপুল ভোটে লক্ষ্ণৌতে বিজেপি সরকার নির্বাচন করায় বেনারস তথা সমগ্র উত্তর প্রদেশে উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া জারি রেখেই একটু আগে আমি প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মীয়মান কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছি। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ৩০টিরও বেশি প্রকল্পের মাধ্যমে এখানকার সড়কপথ, পরিবহণ ব্যবস্থা, পানীয় জল সরবরাহ, পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা, রান্নার গ্যাস, পরিচ্ছন্নতা এবং শহরের সৌন্দর্যায়ন আরও উন্নত হবে। এছাড়া, ইনকাম ট্যাক্স ট্রাইব্যুনালের সার্কিট বেঞ্চ ও কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের জন্য সিজিএইচএস ওয়েলনেস সেন্টার-এর পরিষেবা স্থানীয় জনগণের জীবনকে সহজ করবে। ভাই ও বোনেরা, বেনারাসে আজ যে পরিবর্তন আসছে, তার দ্বারা পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিও লাভবান হচ্ছে। আজ এখানে ঐ গ্রামগুলিতে পানীয় জল সরবরাহের কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন হ’ল আমি সংশ্লিষ্ট কৃষক ভাই-বোনদের সেজন্য শুভেচ্ছা জানাতে চাই। এই সভার কাছেই আজ চালু হ’ল একটি ‘পেরিশেবল কার্গো কেন্দ্র’। আমার সৌভাগ্য যে এই প্রকল্পটির শিলান্যাস আমি করেছিলাম আর যথাসময়ে উদ্বোধন-ও করলাম। এই কার্গো সেন্টার এখানকার কৃষকদের জন্য ঈশ্বরের বরদান হয়ে উঠবে। আলু, মটর, টমেটোর মতো সব্জি খুব কম সময়েই নষ্ট হয়ে যায়। এখানে এই সকল সব্জির গুদামীকরণের যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন আর আপনাদের ফল-সব্জি পচে যাওয়ার ভয় থাকবে না। এখান থেকে রেল স্টেশনও ফলে সব্জি ও ফল দূরবর্তী শহরগুলিতে পাঠাতেও খুব একটা বেগ পেতে হবে না। বন্ধুগণ, পরিবহণের মাধ্যমে রূপান্তরণের পথে বর্তমান সরকার তীব্রগতিতে এগিয়ে চলেছে। এক্ষেত্রে আমরা দেশের পূর্বভাগে উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। একটু আগেই আজমগড়ে দেশের সর্বাধিক লম্বা এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনও এই দৃষ্টিকোণেরই অংশ। বন্ধুগণ, কাশী সর্বদাই মোক্ষদায়ী আর জীবনের খোঁজে এখানে মানুষের স্রোত সদা অব্যাহত। কিন্তু এখন স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের সাহায্যে জীবনের সঙ্কট মোচনের জন্য আপনাদের সহযোগিতায় এখানে অত্যাধুনিক চিকিৎসা হাব গড়ে তোলা হচ্ছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিখ্যাত বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি এইম্‌স-এর সঙ্গে একটি বিশ্বমানের স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার মউ স্বাক্ষর করেছে। বেনারসবাসীদের পাশাপাশি, বিভিন্ন কারণে বেনারসে আসা মানুষের জন্যও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য সড়ক ও রেল পরিষেবা উন্নত করা হয়েছে। আজ এখানকার ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন নতুন রূপ দেওয়ার কাজ চালু হয়েছে। বারানসী থেকে বালিয়া পর্যন্ত বৈদ্যুতিকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং আজ থেকে এই সেকশনে মেমো ট্রেন চালু হ’ল। একটু আগেই আমি সবুজ পতাকা দেখিয়ে ঐ মেমো ট্রেনের যাত্রা সূচনা করলাম। এখন থেকে সকালে ঐ ট্রেনে চেপে বালিয়া ও গাজিপুরের মানুষ এসে কাজ সেরে সন্ধ্যায় ফিরে যেতে পারবেন। তাঁদেরকে আর দূরগামী রেলের ভিড়ের ধাক্কা খেতে হবে না। বন্ধুগণ, কাশীর ভক্তজন ও দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যাঁরা ভোলেনাথের শরণে কাশী আসেন, তাঁদের জন্য উন্নত পরিষেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পঞ্চকোষি মার্গ প্রশস্তিকরণের কাজও আজ থেকে শুরু হ’ল। পাশাপাশি, এই শহরে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বসম্পন্ন অঞ্চলগুলিতে যাতায়াত ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য দু’ডজন সড়কপথ পুনর্নির্মিত হয়েছে। একটু আগেই সেগুলির উদ্বোধনের সৌভাগ্য আমার হ’ল। ভাই ও বোনেরা, আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় কাশী এখন আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। আজ এখানে ইন্টারন্যাশনাল কনভারশন সেন্টার রুদ্রাক্ষ – এর শিলান্যাস করা হয়েছে। দু’বছর আগে আমার পরম বন্ধু জাপানের প্রধানমন্ত্রী মিঃ শিনজো আবে আমার সঙ্গে এসে কাশীবাসী তথা ভারতবাসীকে এই উপহার দিয়েছিলেন। আগামী দেড়-দু’বছরের মধ্যে এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হবে। আপনাদের সকলের পক্ষ থেকে এই উপহারের জন্য আমি জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। বন্ধুগণ, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আদিত্যনাথ যোগীর নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশ সরকার শুধু কাশী নয়, সমগ্র উত্তর প্রদেশে পর্যটনশিল্প উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। সেজন্যে পরিচ্ছন্নতা ও ঐতিহ্যসমূহের সৌন্দর্যায়ণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আপনারা যেভাবে স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। বন্ধুগণ, কাশীর মহত্ব ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব সংরক্ষণের জন্য আপনাদের অবদান অতুলনীয়। কিন্তু আমাদের চার বছর আগের সেই সময়কে ভুলে যাওয়া উচিৎ নয়। যখন বারানসীর অস্তিত্ব সঙ্কটাকীর্ণ ছিল। চার দিকে নোংরা, আবর্জনা, খানা-খন্দময়, সড়ক, ভাঙাচোরা পার্ক, পুতিগন্ধময় নর্দমা, লাইট পোস্টগুলিতে ঝুলতে থাকা বিদ্যুতের তারের জঙ্গল, যানজটে হ��সফাস করা শহর, বাবদপুরা এয়ারপোর্ট থেকে শহরে আসার সেই ভয়ানক পথটির কথা আমি ভুলতে পারি না। ঐ পথে চলতে গিয়ে মানুষের কত সমস্যা হয়েছে, কতজন সময় মতো বিমানবন্দরে পৌঁছতে পারেননি, গঙ্গা ঘাটগুলির কী দুর্দশা ছিল, তা আপনাদের ভোলার কথা নয়। পূর্ববর্তী সরকার এই সমস্ত ব্যবস্থা সম্পর্কে বেপরোয়া থাকায় গঙ্গা পরিণত হয়েছিল একটি বৃহৎ নর্দমায়। মানুষের কষ্ট যত বাড়ছিল, সরকারের ক্ষমতায় থাকা পরিবারগুলির সিন্দুক তত উপচে পড়ছিল। সেই পরিস্থিতি থেকে গঙ্গামা-কে উদ্ধার করতে আমাদের ঘাম ছুটে গেছে। আমরা বিচ্ছিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু দেখছি না। মা গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করতে শুধু বেনারস নয়, গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত একসঙ্গে অভিযান শুরু করেছি। শুধু গঙ্গাবক্ষ পরিস্কার করাই নয়, পার্শ্ববর্তী শহর ও জনপদগুলির নোংরা ও আবর্জনা যাতে গঙ্গায় না পড়ে – সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। সেজন্য ইতিমধ্যে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০টিরও বেশি প্রকল্প মঞ্জুর করা হয়েছে। একটু আগেই কয়েকটি পয়ঃপ্রণালী নির্মাণ ও প্রশস্তিকরণ প্রকল্পের শুভ সূচনা হ’ল। বন্ধুগণ, আগেও অনেক অর্থ ব্যয়ে পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা ও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হয়েছিল। কিন্তু পূর্ববর্তী সরকারগুলির কর্মসংস্কৃতি এমন ছিল যে, এগুলি নির্মাণের উৎকর্ষ পরীক্ষা করা হয়নি। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই এগুলি বিকল হয়ে পুতিগন্ধময় হয়ে উঠত। এখন যে পয়ঃপ্রণালী ও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হচ্ছে, সেগুলি মঞ্জুর করার সময়েই নিশ্চিত করা হয়েছে এগুলি যেন কমপক্ষে ১৫ বছর অক্ষত থাকে। ঠিকেদার সংস্থাগুলিকে কিস্তিতে টাকা দেওয়া হচ্ছে; ১৫ বছর পরই তাঁরা সম্পূর্ণ টাকা পাবে। এর মানে আমরা শুধুই কোনও ব্যবস্থা চালু করে ক্ষান্ত হই না, তার স্থায়িত্বের ব্যাপারেও সুনিশ্চিত হতে চাই। আমরা জানি যে, এরকম পাকা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সময় ও শ্রম বেশি লাগে। কিন্তু পরিণাম অনেক বেশি সুফলদায়ক হয়। আগামীদিনে সারা দেশের সঙ্গে বেনারসও এই সুফল পাবেন। ভাই ও বোনেরা, এই সমস্ত কাজ বেনারসকে স্মার্টসিটিতে রূপান্তরিত করবে। এখানে যে ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার চালু হয়েছে, সেটি দ্রুতগতিতে কাজ করছে। এই ধরণের কন্ট্রোল সেন্টারগুলির মাধ্যমে আমরা সারা দেশের প্রশাসন ও গণপরিষেবাগুলি নিয়ন্ত্রণ করব। এরকম ১০টি প্রকল্প ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। বন্ধুগণ, স্মার্টসিটি শুধুই শহরগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের অভিযান নয়, এগুলি দেশকে একটি নতুন পরিচয় এনে দেবে। এগুলি ‘যুব ভারত, নতুন ভারত’-এর প্রতীক। এভাবে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ অভিযান দেশের সাধারণ মানুষের জীবনকে সুগম ও সরল করে তুলছে। এক্ষেত্রে আমাদের উত্তর প্রদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সেজন্য আমি আদিত্যনাথ যোগী ও তাঁর টিমকে শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের নতুন শিল্প নীতি গড়ে তোলা, বিনিয়োগের পরিবেশ ইতিমধ্যেই বিশ্ববাসীর নজর কাড়ছে। কিছুদিন আগে নয়ডায় স্যামসাং কোম্পানি ফোন নির্মাণে বিশ্বের বৃহত্তম কারখানা উদ্বোধনের সৌভাগ্য হয়েছে। এতে, কয়েক হাজার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হবে। আপনারা শুনে গর্বিত হবেন যে, গত চার বছরে দেশে মোবাইল ফোন নির্মাণকারী কারখানার সংখ্যা ২ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১২০ হয়েছে। এর মধ্যে ৫০টিরও বেশি আমাদের উত্তর প্রদেশে গড়ে উঠেছে। এই কারখানাগুলিতে ইতিমধ্যেই ৪ লক্ষেরও বেশি নবীন প্রজন্মের মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। বন্ধুগণ, ডিজিটাল ইন্ডিয়া অভিযানও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আজ এখানে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসের বিপিও উদ্বোধন হ’ল এই কেন্দ্রটি বেনারসের নবীন প্রজন্মের মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ নিয়ে আসবে। ভাই ও বোনেরা, সরকার মা ও বোনেদের স্বনির্ভরতাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে কোনও রকম গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ প্রদান থেকে শুরু করে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সংযোগ ও সিলিন্ডার প্রদানের মাধ্যমে গরিব মা ও বোনেদের জীবনে পরিবর্তন এনেছে। সকলের কাছে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি পৌঁছে দিতে কাশীতে একটি বড় প্রকল্প চালু হয়েছে, তারই অংশ হিসাবে আজ এখানে ‘সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটিং সিস্টেম’-এর উদ্বোধন হ’ল। এর জন্য এলাহাবাদ থেকে বেনারস পর্যন্ত পাইপলাইন পাতা হয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, ইতিমধ্যেই বেনারসের ৮ হাজার বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে রান্নার গ্যাসের সংযোগ স্থাপিত হয়েছে এবং এই প্রকল্প অনুযায়ী ভবিষ্যতে ৪০ হাজারেরও বেশি পরিবারে রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেওয়া হবে। বন্ধুগণ, পিনএনজি হোক কিংবা সিএনজি এই পরিকাঠামো পরিবর্তন শহরের প্রদূষণ মাত্রাকে নিঃসন্দেহে হ্রাস করবে। পাশাপাশি, যখন বেনারসে সমস্ত বাস, অটো রিক্‌শা প্রভৃতি গাড়ি সিএনজি-তে চলবে, তখন অনেক কর্মসংস্থানও হবে। বন্ধুগণ, জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যখনই দেখা হয়, আর শুনেছি, যে কোনও ভারতবাসীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়, তিনি মুক্ত কন্ঠে কাশীর প্রশংসা করেন। তিনি যখন আমার সঙ্গে এখানে এসেছিলেন, তখন আপনারা তাঁকে যে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন, তিনি আজও তা ভোলেননি। কিছুদিন আগে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতিও আমার সঙ্গে এখানে এসে এরকম অভ্যর্থনা পেয়েছেন। আর নিজের দেশে ফিরে সবার কাছে এখানকার কথা বলেন – এটাই কাশীর পরম্পরা, এটাই কাশীর হৃদয়ের উষ্ণতা। এই কাশী গোটা বিশ্বে নিজের সুরভি ছড়িয়ে দিয়েছে। এই কাশীর আদর ও স্নেহ অতুলনীয়। আমার কাশীর ভাই ও বোনেরা, আপনারা এই অতুলনীয় আদর ও স্নেহ, প্রেম ও আতিথেয়তা প্রদর্শনের সুযোগ পাবেন, আগামী জানুয়ারি মাসের ২১ থেকে ২৩ তারিখ এই শহরে সারা পৃথিবী থেকে প্রবাসী ভারতীয়রা আসবেন। প্রবাসী ভারতীয় দিবসে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভারতীয় শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট মানুষেরা আসবেন। এঁদের মধ্যে অনেকের পূর্বজরা ৩-৪ প্রজন্ম আগে বিদেশে চলে গিয়েছেন। এই বিশিষ্ট মানুষদের কাশীতে পদার্পণ আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। তাঁদের যথাযোগ্যভাবে স্বাগত জানানোর জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। শহরের প্রতিটি অঞ্চলে তাঁদের আতিথেয়তার পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, যাতে সারা পৃথিবীতে কাশীর গৌরব আরও ছড়িয়ে যায়। ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি এখানে প্রবাসী ভারতীয় দিবস উদযাপনের পর এই বিশিষ্ট মানুষেরা ২৪ তারিখ প্রয়াগরাজে কুম্ভ দর্শনে যাবেন। আর সেখান থেকে ২৬ জানুয়ারি দিল্লি পৌঁছবেন। আমি নিজেও একজন কাশীবাসী হিসেবে ২১শে জানুয়ারি আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাঁদের অভ্যর্থনায় অংশগ্রহণ করব। এই কর্মসূচিতে সারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভারতীয়রা আসছেন। তাই এটি আমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। আমার কাশীর ভাই ও বোনেরা, আজ আপনাদের মাঝে এসে অনেকগুলি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের সৌভাগ্য হ’ল। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত সাংসদ হিসাবে আমার দায়িত্ব হ’ল আপনাদের জন্য যথাসম্ভব পরিশ্রম করা। আর আমি এই দায়িত্ব যথাসম্ভব পালন করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতেও করব। আমি আরেকবার আপনাদের অন্তর থেকে অভিনন্দন জানাই। আমার সঙ্গে মুক্ত কন্ঠে বলুন হর হর মহাদেব। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",বাৰাণসীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্ৰকল্পৰ আধাৰশিলা স্থাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5-%E0%A6%A7%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লি, ২১ অক্টোবর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বদ্রীনাথ মন্দিরে দর্শন ও পুজা করেন। শ্রী মোদী গর্ভগৃহে প্রার্থনা করেন। তিনি অলকানন্দা নদী তীরে উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতিও খতিয়ে দেখেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পুষ্কর সিং ধামি এবং উত্তরাখন্ডের রাজ্যপাল অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল গুরমিত সিং।",উত্তৰাখণ্ডৰ ‘বদ্ৰীনাথ ধাম’ত দৰ্শন আৰু পূজা সম্পন্ন কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE-16/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A7%8E-%E0%A6%9A/,"চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল উই ফিংঘে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রতিরক্ষা ও সামরিক ক্ষেত্রে আদান-প্রদান সহ ভারত ও চীনের মধ্যে বিভিন্ন স্তরে উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টির প্রশংসা করেন। ভারত-চীন সম্পর্ককে বিশ্বের স্থিতিশীলতা রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখা ভারত ও চীন উভয় দেশেরই পরিণত মনস্কতার ইঙ্গিত বহন করে। প্রয়োজনে নিজেদের মধ্যে সমস্ত রকম মতভেদ দূর করে যাবতীয় বিতর্ক দূরে রাখার কথাও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিংপিং-এর সঙ্গে উহান, ক্যুইনডাও এবং জোহানেসবার্গে বৈঠকে মিলিত হওয়ার কথা বিশেষভাবে স্মরণ করেন।",প্রধানমন্ত্রীক সাক্ষাৎ চীনৰ ষ্টেট কাউন্সেলৰ তথা প্রতিৰক্ষা মন্ত্রী জেনেৰেল ৱেই ফিংঘেৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0-26/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BE/,"আমার প্রিয় দেশবাসী! নমস্কার! ৩-রা অক্টোবর ২০১৪ বিজয়া দশমীর পার্বণ — ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা সবাই মিলে একটা যাত্রা শুরু করেছিলাম। ‘মন কি বাত’-এর সেই যাত্রার আজ ৫০-তম পর্ব পূ��্ণ হলো। বলা যায় Golden Jubilee Episode — স্বর্ণময় এপিসোড। এবারে যতো চিঠি ও ফোন এসেছে তার বেশিরভাগই এই ৫০-তম সংস্করণ প্রসঙ্গেই বলেছে। ‘মাই গভ’ অ্যাপের মাধ্যমে দিল্লির অংশুকুমার, কমলকুমার, পাটনা থেকে বিকাশ যাদব আবার একই ভাবে ‘নরেন্দ্রমোদী অ্যাপ’-এ দিল্লির মণিকা জৈন, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান থেকে প্রসেনজিত সরকার, নাগপুরের সঙ্গীতা শাস্ত্রী — এঁরা প্রত্যেকেই প্রায় এক রকম প্রশ্ন পাঠিয়েছেন। এঁদের বক্তব্য সাধারণ মানুষ আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করেন টেকনোলজির নানান সোস্যাল মিডিয়া অ্যাপের মাধ্যমে কিন্তু আপনি জনসাধারনের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য রেডিও মাধ্যম বেছে নিলেন কেন? — এই প্রশ্ন খুবই স্বাভাবিক। আজকের যুগে মানুষ যখন রেডিও-কে প্রায় ভুলতে বসেছিল, সেখানে মোদী কেন রেডিও-কে ফিরিয়ে আনল? এ নিয়ে আমি আপনাদের একটা গল্প বলি। সে সময় — ১৯৯৮ সাল, আমি হিমাচল প্রদেশে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছি। মে মাসের সন্ধেবেলা আমি কোনও পাহাড়ী অঞ্চলে কাজ করতে যাচ্ছি। হিমাচলের ঠাণ্ডায় রাস্তার ধারে একটা চায়ের দোকানে চা খেতে দাঁড়িয়ে চা চাইলাম। খুব ছোট দোকান, কোনও ছাদ নেই, একটা ঠেলা গাড়িতে সব রেখে একা হাতেই একজন মানুষ চায়ের দোকান চালাচ্ছেন। তিনি একটা কাঁচের প্লেটে মিঠাই দিয়ে বললেন আগে মিষ্টিমুখ করুন তারপর চা খাবেন। জানতে চাইলাম, বাড়িতে কোনও বিয়ে-সাদী বা পুজো-আর্চা হয়েছে কি! এ কি তার মিষ্টি! দোকানী বললো, আরে না না, আপনি কি খবর রাখেন না? এ কথা বলার সঙ্গে তাঁর এত খুশি ও উচ্ছ্বাস দেখে আমি জানতে চাইলাম, আরে কি খবর, সেটা বলুন আমাকে! তিনি বললেন, আরে আজ ভারত বোম ফাটিয়েছে। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। এবার দোকানী বললেন, এই নিন রেডিও শুনুন। রেডিওয় শুনলাম, সেই বোমা ফাটানো নিয়ে আলোচনা চলছে। দোকানী জানালো প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারি বাজপেয়ীজী সেই বোমা ফাটানোর, পরমাণু বোমার পরীক্ষার ঐতিহাসিক গুরুত্ব, সেই দিনটির তাৎপর্য নিয়ে রেডিওতে বলেছেন, তিনি শুনেছেন। দোকানদার ভদ্রলোকের খুশি, নাচ দেখতে দেখতে আমি ভাবছিলাম জনমানবশূণ্য এই এলাকা, বরফে ঘেরা পাহাড়ী অঞ্চলে, জঙ্গলের মাঝে এই দোকানী সারাদিন রেডিও শুনছেন তাঁর এই দোকানে। রেডিও তাঁর মনে বড় প্রভাব বিস্তার করছে, অনেক খবর পাচ্ছেন। তখনই আমি উপলব্ধি করেছিলাম আমাদের রেডিও প্রত্যেক মানুষের সব থেকে কাছে পৌঁছতে পারে, জুড়তে পারে মানুষকে। রেডিওর প্রকাণ্ড ক্ষমতা। রেডিওর কম্যুনিকেশন রিচ এবং তার সুদূরপ্রসারী প্রভাবের কথা আমি সেই থেকে ভেবে চলেছি। এরপর যখন আমি প্রধানমন্ত্রী হলাম সব থেকে শক্তিশালী সংযোগ মাধ্যমের সাহায্য নেবো এটাই স্বাভাবিক। ২০১৪-র মে মাস থেকে যখন আমি প্রধান সেবক-এর দায়িত্ব পালন করা শুরু করলাম আমার মনে হয়েছিল, আমাদের দেশের একতা, আমাদের গৌরবময় ইতিহাস, শৌর্য, বৈচিত্র্য, সাংস্কৃতিক বিবিধতা, মানুষের নানান কর্মযজ্ঞ, তার পুরুষকার, আবেগ, ত্যাগ, তপস্যা — ভারতের এই কাহিনিকে সারা দেশের সমস্ত মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। দূর দূর গ্রাম থেকে মেট্রো শহরগুলিতে, কিষাণ থেকে তরুণ প্রফেশন্যাল সব্বার কাছে পৌঁছে দিতে হবে দেশের এই সব কথা — এবং এভাবেই ‘মন কি বাত’ করা শুরু হয়েছিল। প্রতি মাসে লাখ খানেক চিঠি পড়তে পড়তে, ফোন কল শুনতে শুনতে, বিভিন্ন অ্যাপে আসা নানান কথা জানতে জানতে এবং সেগুলি এক সঙ্গে মিলিয়ে, আমার নিজের নানান হাল্কা মজার কথা বলতে বলতে ৫০-তম এপিসোডে পৌঁছে গেছি। ৫০-তম এপিসোডের যাত্রা আমরা সব্বাই মিলে সেরে ফেলেছি। ‘মন কি বাত’ নিয়ে আকাশবাণী একটা সমীক্ষা করেছে। সেই সমীক্ষার ফলাফল খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। সার্ভে থেকে জানা যাচ্ছে যে শ্রোতারা ‘মন কি বাত’ শুনে আসছেন তাঁদের মধ্যে সত্তর শতাংশ মানুষ ‘মন কি বাত’-এর প্রত্যেকটা এপিসোডই শুনেছেন। বেশিরভাগ মানুষের ধারণা ‘মন কি বাত’ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। ‘মন কি বাত’-এর মাধ্যমে গণ-আন্দোলন অনেক বিস্তৃতি লাভ করেছে। ‘হ্যাস ট্যাগ ইণ্ডিয়া পজিটিভ’ এই বিষয়ের উপর বহু আলোচনা হয়েছে। এই বিষয়টি আমাদের দেশবাসীর অন্তর্নিহিত ধারণাকে ইতিবাচক চিন্তাধারায় উদ্ভাসিত করেছে। জনগণ ‘মন কি বাত’-এর মাধ্যমে পরস্পরের অভিজ্ঞতার বিনিময় করছেন তার সঙ্গে ‘volunteerism’ অর্থাৎ স্ব-ইচ্ছায় কিছু করার ভাবনা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটা এমনই একটা সুষ্ঠ পরিবর্তন যাতে মানুষ সমাজসেবার জন্য অনেক বেশি এগিয়ে আসছেন। আমি এটি দেখে খুবই আনন্দিত যে ‘মন কি বাত’-এর জন্য রেডিওর এত জনপ্রিয়তা। শুধুমাত্র রেডিওর মাধ্যমে জনগণ এই ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে না — টিভি, এফ.এম রেডিও, মোবাইল, ইন্টারনেট, ফেসবুক লাইভ এবং periscope–এর সঙ্গে সঙ্গে ‘নরেন্দ্রমোদী অ্যাপ’ – এই সমস্ত মাধ্যমের সহায়তায় জনগণ ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানটিতে আন্তরিকতার সঙ্গে যোগদান করছেন। আমি ‘মন কি বাত’ পরিবারের সকলে সদস্যকে এই অনুষ্ঠানের উপর বিশ্বাস রাখা এবং এতে অংশগ্রহণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ দিচ্ছি। ফোন কল — “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহাশয়, নমস্কার! হায়দ্রাবাদ থেকে আমি শালিনী বলছি। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানটি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটির গোড়াতে মানুষের ধারণা হয়েছিল এই অনুষ্ঠানটি একটি রাজনৈতিক মঞ্চে পর্যবসিত হবে এবং এটি একটি আলোচনার বিষয়বস্তুও হয়েছিল। কিন্তু এই অনুষ্ঠান যেভাবে এগিয়ে যেতে লাগল, তাতে আমরা দেখলাম, রাজনীতির পরিবর্তে অনুষ্ঠানটি সামাজিক নানান সমস্যা এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের উপর কেন্দ্রীভূত এবং এই ভাবেই আমার মতন কোটি কোটি সাধারণ মানুষের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ধীরে ধীরে আলোচনাও সমাপ্ত হল। এবার আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে আপনি কী করে এই অনুষ্ঠানটিকে রাজনীতিমুক্ত করতে পারলেন। কখনও কি আপনার এই রকম মনে হয়নি, আপনি এই অনুষ্ঠানটিকে রাজনীতির ক্ষেত্র হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন অথবা এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে সরকারী সাফল্যের কথা তুলে ধরতে পারেন। ধন্যবাদ!” আপনার ফোন কলের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ! আপনার অনুমান সঠিক। আসলে নেতারা মাইক পেলে আর লক্ষ-কোটি শ্রোতা পেলে আর কী চাই? কয়েকজন যুববন্ধু ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন এবং সব বিষয়ের উপর পর্যালোচনা করেছিলেন। ওঁরা সবকটি পর্বের ভাষা বিশ্লেষণ করেছিলেন এবং অধ্যয়ণ করে দেখেছেন যে কোনো কোনো শব্দ কতবার করে প্রয়োগ করা হয়েছে? আবার কোন কোন শব্দ বার বার বলা হয়েছে। ওঁরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে এই অনুষ্ঠানটি ‘অ্যাপলিটিক্যাল’। যখন ‘মন কি বাত’ শুরু করা হয়েছিল তখন আমি নিশ্চিত ছিলাম যে এই অনুষ্ঠানের মধ্যে কোনও রাজনীতি থাকবে না। সরকারের কোনও বাহবা থাকবে না। এই অনুষ্ঠানে কোনও ‘মোদি’ শব্দ থাকবে না এবং এই সঙ্কল্প নিশ্চিত করার জন্য আপনাদের সবার প্রেরণাই আমার সম্বল। প্রত্যেক ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শুরুর আগে যে সমস্ত চিঠিপত্র, comments, phone calls আসে তার থেকে জানা যায় যে শ্রোতারাও এই অনুষ্ঠান শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। মোদী আসবেন এবং চলে যাবেন কিন্তু আমাদের এই দেশ চিরস্থায়ী। আমাদের সংস্কৃতি অমর থাকবে। ১৩০ কোটি ভারতবাসীর এই ছোটো ছোটো কাহিনিগুলি সর্বদা বেঁচে থাকবে। উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভরপুর নতুন প্রেরণা দেশকে আরও উচ্চ শিখরে পৌঁছে দেবে। আমি কখনও কখনও অতীতকে ফিরে দেখি আর বিস্মিত হয়ে যাই। আমাদের দেশের কোনও এক জায়গার কোনও একজন চিঠি লিখে জানালেন — ছোট দোকানদার, অটো চালক, সবজি বিক্রেতাদের মতো মানুষদের সঙ্গে আমাদের কখনও দরাদরি করা উচিত নয়। — আমি চিঠিগুলি পড়ি আর তার মধ্যে এইরকম ভাব অনুভব করি এবং সেগুলি মনে গেঁথে রেখে কাজ করি। দুটো ঘটনাই আমি নিজে উপলব্ধি করেছি এবং ওদের সঙ্গেও share করে নিচ্ছি এবং আপনাদের সকলের সঙ্গেও ভাগ করে নিচ্ছি। কিন্তু কে জানে কখন আবার এই কথাগুলো ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে। সোস্যাল মিডিয়া আর হোয়াটস্‌অ্যাপ-এ ঘুরে বেড়াবে এবং আর এক পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাবে। স্বচ্ছতার উপর আপনাদের পাঠানো গল্পগুলি, সাধারণ মানুষের অনেক অনেক উদাহরণ — জানি না, কীভাবে কখন ঘরে ঘরে স্বচ্ছতার এই শিশু ব্র্যাণ্ড অ্যাম্বাসেডার-এর জন্ম দিয়েছে যে পরিবারের সদস্যদেরও সচেতন করে, আবার কখনও কখনও ফোন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহাশয়কেও আদেশ দিয়ে থাকে। কোনোদিন কোন সরকারের এতটা ক্ষমতা হবে কি, যে ‘selfie with daughter’ অর্থাৎ ‘নিজের কন্যার সাথে নিজস্বীর’ মত প্রকল্প হরিয়ানার এক ছোট্ট গ্রাম থেকে শুরু হয়ে, সমগ্র দেশেই নয়, সারা বিশ্বেও ছড়িয়ে পড়বে। সমাজের প্রত্যেক শ্রেণির মানুষ, এমনকি সেলিব্রিটিরাও এই বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সমাজের চিন্তাধারাকে এমন এক আধুনিক ভাষ্য-ভঙ্গিমায় তুলে ধরা হয়েছে, যাতে আধুনিক প্রজন্ম আলোকিত হয়। কখনো কখনো ‘মন কি বাত’ নিয়ে মজাও করা হয়েছে। কিন্তু আমার মনে সব সময়ই ১৩০ কোটি দেশবাসী বিরাজ করছে। তাদের মনই আমার মন। ‘মন কি বাত’ কিন্তু সরকারি কথা নয় – এটা সমাজের কথা। ‘মন কি বাত’ একটা আশাব্যঞ্জক, উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভারতের কথা। ভারতের মূল প্রাণশক্তি রাজনীতি বা রাজশক্তি নয়। ভারতের মূল প্রাণশক্তি হলো সমাজনীতি বা সমাজশক্তি। সমাজজীবনের অনেক দিক থাকে যার মধ্যে রাজনীতিও একটা দিক মাত্র। রাজনীতি যদি মূল বিষয় হয়ে যায়, তা কোন সুস্থ সমাজব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হতে পারে না। কখনও রাজনৈতিক ঘটনা বা রাজনৈতিক মানুষেরা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে যে সমাজের অন্য প্রতিভা বা অন্য উদ্যম ক্ষমতা অবহেলিত হয়ে পড়ে। ভারতের মতো দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য জনমানুষের প্রতিভা এবং সমাজের অন্যান্য বিষয়গুলি যাতে উপযুক্ত স্থান পায় সেটা খেয়াল রাখা আমাদের সকলের মিলিত দায়িত্ব। আর ‘মন কি বাত’ এই লক্ষ্যে এগিয়ে চলার একটা ক্ষুদ্র, বিনম্র প্রচেষ্টা। (ফোন কল – 2) “নমস্কার প্রধানমন্ত্রী জি! আমি প্রমিতা মুখার্জি বলছি মুম্বই থেকে। স্যার, ‘মন কি বাত’এর প্রত্যেক পর্ব, গভীর চিন্তাভাবনায়, তথ্যে, ইতিবাচক কাহিনি এবং সাধারণ নাগরিকের শুভ কর্মে পরিপূর্ণ থাকে। তাই আমি জিজ্ঞেস করতে চাই যে প্রত্যেক প্রোগ্রামের আগে আপনি কতটা প্রস্তুতি নেন?” ফোন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। একদিক থেকে আপনার এই আপনার প্রশ্নটি আমাকে একজন আপনজন মনে করেই করা। আমি মনে করি ‘মন কি বাতের’ ৫০-তম পর্বের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব এই যে, আপনি প্রধানমন্ত্রীকে নয়, যেন নিজের এক ঘনিষ্ঠ সঙ্গীকে প্রশ্ন করছেন। এটাই তো গণতন্ত্র। আপনি যে প্রশ্নটি করেছেন সহজ ভাষায় যদি তার উত্তর দিই তাহলে বলব, কিচ্ছু না। আসলে ‘মন কি বাত’ আমার জন্য খুবই সোজা একটি কাজ। প্রত্যেক ‘মন কি বাতের’ আগে মানুষে চিঠি পাঠায়। ‘মাই গভ’ আর ‘নরেন্দ্রমোদী অ্যাপ’-এ মানুষেরা তাদের মতামত ভাগ করে। একটি টোল ফ্রি নাম্বারও আছে – 1irst। আরও একবার বাবাসাহেবকে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি। আমার প্রিয় দেশবাসী, দু’দিন আগে ২৩-শে নভেম্বর আমরা সবাই শ্রী গুরুনানক দেবের জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপন করেছি। আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৯-এ তাঁর ৫৫০-তম প্রকাশ পর্ব উদ্‌যাপন করতে চলেছি। শ্রী গুরুনানক দেব সর্বদা মানবজাতির কল্যাণ কামনা করেছেন। উনি সমাজকে সবসময় সত্য, কর্ম, সেবা, করুণা ও সৌহার্দ্য–র পথ দেখিয়েছেন। আমাদের দেশ আগামী বছর শ্রী গুরুনানক দেবের ৫৫০-তম জন্মজয়ন্তী সাড়ম্বরে পালন করবে। এর বিস্তার দেশ ছাপিয়ে, সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়বে। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত প্রদেশগুলিকে অনুরোধ করা হয়েছে ধুমধামের সঙ্গে এই দিনটি পালন করতে। এই ভাবেই শ্রী গুরুনানক দেবের ৫৫০-তম প্রকাশ পর্ব সারা বিশ্বের সমস্ত দেশে উদ্‌যাপন করা হবে। এরই সঙ্গে শ্রী গুরুনানক দেবের সঙ্গে জড়িত সমস্ত পবিত্র স্থান জুড়ে একটি ট্রেন-ও চালানো হবে। সম্প্রতি আমি যখন এই ব্যাপারে একটি আলোচনা করছিলাম তখন আমার মনে পড়ল লখপত সাহিব গুরুদ্বার-এর কথা। ২০০১ সালে গুজরাটে ভূমিকম্পের সময় এই গুরুদ্বার বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, কিন্তু যে ভাবে স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যসরকার ঐ গুরুদ্বার পুনরুদ্ধার করে তা উদাহরণযোগ্য। ভারত সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে — কর্তারপুর করিডর তৈরি করার। যাতে, আমাদের দেশের যাত্রী��া সহজেই পাকিস্তানে অবস্থিত কর্তারপুরে শ্রী গুরুনানক দেবের পবিত্র ভূমি দর্শন করতে পারেন। আমার প্রিয় দেশবাসী, ৫০-তম পর্বের পর আমরা আবার মিলিত হব আগামী ‘মন কি বাত’-এ। আমার বিশ্বাস, ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানটির বিষয়ে আমার যে চিন্তা-ভাবনা ছিল, তা আপনাদের সামনে প্রথমবার তুলে ধরতে পারলাম কারণ আপনারাই তা জানতে চেয়েছিলেন। আমাদের এই যাত্রা চলতেই থাকবে। আপনাদের সাহচর্য আমি যত বেশি করে পাব, ততই এই যাত্রা গভীর হবে এবং সন্তোষজনক হবে। কখনও কখনও মানুষের মনে প্রশ্ন ওঠে যে, ‘মন কি বাত’ থেকে আমি কী পেলাম? আমি আজ এটা বলতে চাই যে, ‘মন কি বাত’-এর যে feedback আসে, সেখানে একটা ব্যাপার আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে, বেশিরভাগ মানুষ বলেছেন যে, তাঁরা যখন সপরিবারে বসে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানটি শোনেন, তখন তাদের মনে হয় যেন পরিবারেরই কর্তা তাদের মাঝে তাদেরই কথা তাদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন। আমি যখন এই কথাটা বিশদে জানতে পারলাম যে আমি আপনার, আপনাদেরই একজন, আপনাদের মাঝে এবং আপনারাই আমাকে বড় বানিয়েছেন তখন আমি খুব খুশি হলাম। আমি আপনাদের পরিবারের সদস্যরূপে ‘মন কি বাত’-এর মাধ্যমে বারবার আসব, আপনাদের সঙ্গে মিলিত হব। আপনাদের সুখ-দুঃখ, আমার সুখ-দুঃখ। আপনার আকাঙ্ক্ষা, আমার আকাঙ্ক্ষা। আপনার সদিচ্ছা, আমারও সদিচ্ছা। আসুন, এই যাত্রাকে আমরা আরও এগিয়ে নিয়ে যাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ!",প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ‘মন কী বাত’ৰ ৫০তম খণ্ডত ২৫.১১.২০১৮ তাৰিখে প্ৰদান কৰা মূলপাঠৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%82/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A6%9A%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A6%A4-%E0%A7%AE%E0%A7%A6%E0%A7%A6/,"নয়াদিল্লি, ১০ অক্টোবর ২০২২ গুজরাটের ভারুচের আমোদ-এ ৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের আজ শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। জাতির উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত এই প্রকল্পগুলি হল – জাম্বুসারে একটি বড় ধরনের ‘ড্রাগ পার্ক’, দহেজ-এ গভীর সমুদ্রে পাইপলাইন স্থাপন সংক্রান্ত প্রকল্প, অঙ্কলেশ্বর বিমানবন্দরের প্রথম পর্যায় এবং অঙ্কলেশ্বর ও পানোলি-তে বিভিন্ন স্তরের শিল্প শেড স্থাপন। গুজরাটে রাসায়নিক শিল্পকে আরও উন্নত করে তোলা সম্পর্কিত কয়েকটি প্রকল্পও আজ জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলির মধ্যে ছিল – জিএসিএল প্রকল্প, ভারুচে ভূগর্ভস্থ জল নিকাশি ব্যবস্থা এবং আইওসিএল-এর দহেজ কয়ালি পাইপলাইন স্থাপন। অনুষ্ঠানের সূচনায় প্রয়াত শ্রী মুলায়ম সিং যাদবের স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মুলায়ম সিং-জির সঙ্গে আমার সম্পর্কের এক বিশেষ মাত্রা গড়ে উঠেছিল। যখনই আমরা আলাপ-আলোচনায় মিলিত হতাম পরস্পরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ পেত।” প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন যে সেই সময় মুলায়ম সিং-জি তাঁকে যেভাবে পরামর্শ দিয়েছিলেন তা আজও তাঁর কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সময়ে মুলায়ম সিং-জির আশীর্বাদও অকুন্ঠভাবে তাঁর ওপর বর্ষিত হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মুলায়ম সিং-জি বরাবরই সকলের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখার চেষ্টা করতেন। তাই, “গুজরাট এবং মা নর্মদার তটভূমিতে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধেয় মুলায়ম সিং-জির প্রতি আজ আমি আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করছি। তাঁর পরিবার-পরিজন ও অনুগামীরা যাতে এই অপূরণীয় ক্ষতি বহন করার মতো শক্তি লাভ করেন সেজন্য আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানাই।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারুচের অনেক কৃতী সন্তানই তাঁদের কর্মকৃতিত্ব ও কুশলতার মাধ্যমে দেশকে এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছেন। সোমনাথ আন্দোলনে সর্দার প্যাটেলের ভূমিকা, কানাহাইয়ালাল মানেকলাল মুন্সী এবং ভারতীয় সঙ্গীত গুরু পণ্ডিত ওঙ্কারনাথ ঠাকুরের অবদানের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, গুজরাট তথা সমগ্র দেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় ভারুচের এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যখনই আমরা ভারতের ইতিহাস এবং দেশের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে আলোচনা করি তখনই গর্বের সঙ্গে উচ্চারিত হয় ভারুচের নাম। ভারুচ জেলা যে ক্রমশ সব প্রদেশের নাগরিকদেরই এক মিলনক্ষেত্র রূপে গড়ে উঠতে চলেছে, একথারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী বলেন, ভারুচ এই প্রথম একটি বড় ধরনের ‘ড্রাগ পার্ক’ উপহার পেতে চলেছে। রাসায়নিক ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকটি বড় ধরনের প্রকল্প এখানে গড়ে উঠবে। এছাড়াও সংযোগ ও যোগাযোগের প্রসারে আরও দুটি বড় প্রকল্পের আজ এখানে সূচনা হল। ভারুচের বিমানযাত্রীদের যাতে বরোদা অথবা সুরাট বিমানবন্দরের ওপর নির্ভরশীল থাকতে না হয় তা নিশ্চিত করতে অঙ্কলেশ্বরে ভারুচ বিমানবন্দর স্থাপনের শিলান্যাসও আজ অনুষ্ঠিত হল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারুচ হল এমন একটি জেলা যেখানে দেশের অন্যান্য ক্ষুদ্র রাজ্যগুলির তুলনায় শিল্পের সংখ্যা অনেক বেশি। এর সঙ্গে নতুন বিমানবন্দর গড়ার কাজ সম্পূর্ণ হলে উন্নয়নের এক নতুন শিখরে আরোহন করবে এই অঞ্চলটি। শ্রী মোদী বলেন, গুজরাট এখন নতুনভাবে গড়ে উঠছে। গত দু’দশকে এই রাজ্যটি পিছিয়ে পড়া একটি রাজ্য থেকে শিল্প ও কৃষিতে উন্নত একটি রাজ্যে রূপান্তরিত হয়েছে। এখানকার ব্যস্ত নৌ-বন্দর এবং উপকূলরেখা বরাবর উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণের সুবাদে এখানকার আদিবাসী ও মৎস্যজীবীদের জীবনযাত্রায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। গুজরাটের অধিবাসীরা পরিশ্রমী ও কষ্ট সহিষ্ণু। এই কারণে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবকালে রাজ্যের তরুণ ও যুবক-যুবতীদের কাছে এক সোনালী যুগের সূচনা হতে চলেছে। বাধামুক্ত কাজের পরিবেশ গড়ে তোলার এই সুযোগকে কখনই হাতছাড়া করা উচিৎ নয় বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে প্রয়োজন নীতি ও সদিচ্ছার। ভারুচের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে এখন অনেকটাই উন্নত, একথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। বেশ কয়েক বছরের চেষ্টায় এখানকার কৃষি, স্বাস্থ্য ও পানীয় জলের যোগান পরিস্থিতিও এখন অনেকটাই উন্নত। এখনকার শিশুরা জানে না কার্ফু কি জিনিস যা এক সময় এখানে একটি আকছার ঘটনা ছিল। এখানকার কন্যাসন্তানরা এখন শুধু এক মর্যাদার জীবনই যাপন করেন না, সেইসঙ্গে কর্মব্যস্ত থাকেন অনেক রাত পর্যন্তও। এইভাবেই সমাজ ও সমষ্টির জীবনধারায় তাঁরা পরিবর্তন এনে দিয়েছেন। ভারুচে একদিকে যেমন শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারিত হয়েছে, অন্যদিকে তেমনই তরুণ ও যুবকদের সামনে নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধাও এখন উপস্থিত। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং অব্যবহৃত সহায়সম্পদকে কাজে লাগিয়ে গুজরাট বর্তমানে উৎপাদন এবং শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রচেষ্টার এক বিশেষ কেন্দ্র রূপে গড়ে উঠেছে। সম্প্রসারিত হয়েছে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধাও। কেন্দ্র ও রাজ্য পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে এই রূপান্তর প্রচেষ্টায় সামিল হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। স্থানীয় তথা আঞ্চলিক উৎপাদনের সপক্ষে প্রচার ও অভিযান শুরু করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে পণ্য আমদানির ওপর নির্ভর না করে স্থানীয় ও আঞ্চলিক স্তরে উৎপাদিত পণ্যের বিপণন সম্ভব করে তুলতে প্রত্যেক নাগরিকেরই এগিয়ে আসা উচিৎ। আত্মনির্ভর ভারত গঠনের কাজে এইভাবেই তাঁরা আত্মনিয়োগ করতে পারেন। আসন্ন দীপাবলি উৎসবে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্পীদের তৈরি পণ্য ব্যবহারের আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ভারতীয় অর্থনীতি ছিল দশম স্থানে কিন্তু বর্তমানে তা পঞ্চম স্থান অধিকার করার সাফল্য অর্জন করেছে। ঔপনিবেশিক মানসিকতা পরিহার ও বর্জন করার মধ্য দিয়েই এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এই সাফল্যের জন্য কৃষক, শ্রমিক-কর্মচারী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, শিল্পপতি – সকলেই কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন। ওষুধ উৎপাদনের মাধ্যমে মানুষের জীবন রক্ষার কাজে এগিয়ে আসার জন্য ভারুচের অধিবাসীদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, অতিমারী পরিস্থিতি ওষুধ শিল্পের গুরুত্বকে এখন আরও বেশি করে তুলে ধরেছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুজরাট দেশকে নানাভাবে সাহায্য করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের ওষুধ রপ্তানি ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ অংশ রয়েছে এই রাজ্যটির। ভারুচের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় কিছু দুষ্কৃতী ও দুর্বৃত্ত এক সময় যেভাবে বাধাদানের চেষ্টা করেছিল, সেকথারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে সমস্ত রকম বাধা-বিপত্তি সমূলে উৎপাটিত হয়েছে। সর্দার সরোবর বাঁধের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় উগ্রপন্থীদের বাধাদানের ঘটনার কথাও স্মরণ করেন তিনি। ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশের কয়েকটি অঞ্চল এবং মহারাষ্ট্রে উগ্রপন্থীদের তৎপরতা এখনও রয়েছে বলে তিনি জানান। দুর্বৃত্ত দমনে গুজরাটবাসীদের ভূমিকার সপ্রশংস উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী বলেন, গণিত ও বিজ্ঞানে সুশিক্ষাই ইতিবাচক কাজের সুযোগ গড়ে তুলতে পারে। আদিবাসী, যুবক ও তরুণ-তরুণীরা এখন নানা ধরনের প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়ে চিকিৎসা, বিজ্ঞান ও আইনকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। গুজরাট তথা সারা দেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় আদিবাসী সম্প্রদায়গুলির ভূমিকার কথাও তাঁর বক্তব্যে আজ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের অবদানকে সম্মান জানাতে ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্দেশে উৎসর্গ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকীতেই উদযাপিত হবে এই বিশেষ দিনটি। পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেদাবাদ ও গান্ধীনগর – এই দুটি শহরের আদর্শে গড়ে তোলা হবে ভারুচ ও অঙ্কলেশ্বরকে। “মানুষ যেভাবে নিউ ইয়র্ক এবং নিউ জার্সি – এই দুটি শহরের কথা আলোচনা করে, ঠিক তেমনভাবেই একদিন ভারুচ ও অঙ্কলেশ্বর উঠে আসবে তাঁদের সপ্রশংস উল্লেখের তালিকায়”।",গুজৰাটৰ ভাৰুচৰ আমোদত ৮০০০ কোটিৰো অধিক টকাৰ এলানি প্ৰকল্পৰ আধাৰশিলা স্থাপন কৰাৰ লগতে কেইটামান প্ৰকল্প ৰাষ্ট্ৰৰ নামত উচৰ্গা কৰে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%A9%E0%A7%A6-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AD%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A9%E0%A7%A6-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%B8%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৩০ জুলাই সকাল ১০টায় বিজ্ঞান ভবনে সর্বভারতীয় জেলা আইনী পরিষেবা কর্তৃপক্ষের প্রথম সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। বিজ্ঞান ভবনে ৩০ এবং ৩১ জুলাই জেলা আইনী পরিষেবা কর্তৃপক্ষের প্রথম জাতীয় স্তরের সম্মেলনটি জাতীয় আইনী পরিষেবা কর্তৃপক্ষ (নালসা) আয়োজন করছে। দেশজুড়ে জেলা আইনী পরিষেবা কর্তৃপক্ষগুলির কাজের ধারা যাতে অভিন্ন থাকে এবং প্রতিটি সংস্থার মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলার জন্য সম্মেলনে আলোচনা করা হবে। দেশে মোট ৬৭৬টি জেলা আইনী পরিষেবা কর্তৃপক্ষ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা শাসক এই সংস্থাটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। নালসা, আইনী সহায়তা এবং আইন সংক্রান্ত সচেতনতা কর্মসূচীগুলি জেলা আইনী পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য আইন পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আয়োজন করে। নালসা পরিচালিত লোক আদালতগুলির মাধ্যমে জেলা আদালতগুলিতে মামলার বোঝা কমাতে জেলা আইনী পরিষেবা কর্তৃপক্ষ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।",৩০ জুলাইত প্ৰথম সৰ্বভাৰতীয় জিলা আইন সেৱা প্ৰাধিকৰণৰ বৈঠকৰ উদ্বোধনী অধিৱেশনত ভাষণ আগবঢ়াব প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AE%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারত ও মরক্কোর মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষর এবং তা অনুমোদনের সিদ্ধান্তে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। নভেম্বরের ১১ থেকে ১৮ তারিখ দু’দেশের মধ্যে প্রস্তাবিত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ���ফরকালে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা আছে। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে অর্থনৈতিক অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে লিপ্ত পলাতক ব্যক্তিদের দু’দেশের মধ্যে প্রত্যর্পণের জন্য একটি জোরদার আইনি ভিত্তি তৈরি হবে। এছাড়া, এই চুক্তিটি দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে এবং দু’দেশের পারস্পরিক স্বার্থ বিরোধী কাজে লিপ্ত অপরাধিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হবে।",ভাৰত আৰু মৰক্কোৰ মাজত প্ৰত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষৰ আৰু সংশোধনত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%87/,"প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর জন্মজয়ন্তীতেতাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন : “প্রাক্তনপ্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর জন্মজয়ন্তীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।”",প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী ইন্দিৰা গান্ধীৰ জন্ম বাৰ্ষিকী উপলক্ষে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শ্ৰদ্ধাঞ্জলি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%82%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8D/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার নতুন দিল্লিতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলি পর্যালোচনা করেন। বৈঠকে আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত বরিষ্ঠ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ছাড়াও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, দিল্লির উপ-রাজ্যপাল শ্রী অনিল বাইজাল-সহ কেন্দ্রীয় সরকার, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি সরকারের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। সহজে ব্যবসা-বাণিজ্য করার অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সূচকের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। আলোচনায় নির্মাণ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত অনুমোদন, চুক্তি বলবৎ, সম্পত্তি নথিভুক্তকরণ, নতুন ব্যবসা শুরু করা, বিদ্যুৎ সংযোগ, ঋণ সহায়তা সহ ঋণ পরিশোধের অক্ষমতার মতো বিষয়গুলি উত্থাপিত হয়। বিগত চার বছরে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সূচক অনুযায়ী ভারতের ১৪২তম স্থান থেকে ৭৭তম স্থানে উঠে আসার বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশকে সহজ করে তোলার লক্ষ্যে গৃহীত সংস্কারমূলক পদক্ষেপগুলি রূপায়ণে যে সমস্ত বাধা-বিপত্তি রয়েছে, তা দূর করার পন্থা-পদ্ধতিগুলি নিয়ে আধিকারিকরা আলোচনা করেন। শেষ প্রান্তে থাকা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া পরিষেবার মানোন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ব্যবস্থাপনাকে আরও সুবিন্যস্ত করার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, সুবিন্যস্ত প্রণালী কেবল ব্যবসা-বাণিজ্যের সূচকেই নয়, সহজে জীবনযাপনের মানোন্নয়ন সহ ক্ষুদ্র ব্যবসার বিকাশেও সহায়ক হবে। উদীয়মান ও প্রগতিশীল অর্থনীতি হিসাবে ভারতের জন্য এ ধরণের সহায়ক ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সহজে ব্যবসা-বাণিজ্যের সূচকে ভারতের অগ্রগতির বিষয়ে সমগ্র বিশ্বের গভীর আগ্রহ রয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।",সুচল ব্যৱসায়ৰ উন্নতিৰ ক্ষেত্ৰত গ্ৰহণ কৰা বিভিন্ন পদক্ষেপৰ পৰ্যালোচনা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AD%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AD-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%BF/,"নতুনদিল্লি, ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৭শে ফেব্রুয়ারি মন কি বাত অনুষ্ঠানে নিজেদের মতামত জানানোর জন্য নাগরিকদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছেন। “আগামী ২৭ তারিখ এমাসের মন কি বাত সম্প্রচারিত হবে। প্রতিবারের মত এবারও আমি এই অনুষ্ঠানের জন্য আপনাদের মতামতের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আপনারা মাইগভে বা নমো অ্যাপে মতামত লিখে পাঠান অথবা 1800-11-7800 ডায়াল করে আপনার বার্তা রেকর্ড করুন।” /","২৭ ফেব্ৰুৱাৰী, ২০২২ৰ মন কি বাত অনুষ্ঠানৰ বাবে জনসাধাৰণক নিজৰ মতামত ব্যক্ত কৰাৰ আহ্বান প্ৰধানমন্ত্ৰী" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-26/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%AD-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%8F%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%BF/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদী ১৭ই মার্চে রাজধানীর, ভারতীয় কৃষি গবেষনার সংস্হার পুষা ক্যাম্পাসে বার্ষিককৃষি উন্নতি মেলায় কৃষকদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এছাড়া জৈব কৃষি সংক্রান্ত একটিপোর্টালের উদ���বোধন করবেন এবং ২৫টি কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপনকরবেন। প্রধানমন্ত্রী কৃষিকর্মন এবং দীনদয়াল উপাধ্যায় কৃষিবিজ্ঞান প্রোৎসাহনপুরস্কার তুলে দেবেন। এবারের মেলার মূল সুর হচ্ছে২০২০-এর মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুন করা। কৃষকদের মধ্যে আধুনিকতম কৃষি প্রযুক্তিসংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষেই কৃষি উন্নতি মেলার আয়োজন করা হয়। কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার মূলবিষয়ভিত্তিক প্যাভেলিয়ন, ক্ষুদ্র সেচ বিষয়ে সরাসরি প্রদর্শন, বর্জ্য জল ব্যবহার,পশুপালন এবং মৎস চাষ বিষয়ে এবারের কৃষি মেলায় স্টল দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বীজ, সাড়এবং কীটনাশনক উৎপাদনকারী সংস্হাগুলি মেলায় স্টল দেওয়া হয়েছে। /…",১৭ মাৰ্চত আইএআৰআইত ‘কৃষি উন্নতি মেলা’ত কৃষকসকলক উদ্দেশ্যি ভাষণ আগবঢ়াব প্ৰধানমন্ত্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%83/,"প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রীনগরে শনিবার (১৯শে মে) এক অনুষ্ঠানে কিষাণগঙ্গা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র জাতির উদ্দেশে উৎস্বর্গ করেন। শ্রীনগর রিং রোডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এই উপলক্ষে এক জনসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে, বিগত চার বছরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য তাঁর জম্মু ও কাশ্মীর সফরে আসার কথা স্মরণ করেন। তিনি আরও বলেন, রমজান মাস ইসলাম ধর্মের প্রর্বতক মোহাম্মদ-এর শিক্ষা ও বার্তা স্মরণ করার সময়। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, জম্মু-কাশ্মীরে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে ৩৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কিষাণগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি সদূরপ্রসারী হবে। এই রাজ্যের কাশ্মীর, জম্মু ও লাদাখ অঞ্চলের সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। /",শ্ৰীনগৰত প্ৰধানমন্ত্ৰীঃ দেশবাসীৰ নামত উচৰ্গা কিষাণগঞ্জ জলবিদ্যুৎ প্ৰকল্প +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বিকেলে এখানে আফগানিস্তানের চিফএকজিকিউটিভ ডঃ আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকার বৈঠকে মিল��ত হন। সাক্ষাৎকারকালে দু’দিনের জন্য ভারত সফরে আসা ডঃ আবদুল্লাহ-কে তিনিআন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে বহুধা প্রসারিত কৌশলগত অংশীদারিত্বেরসম্পর্কে যে আন্তরিকতা ও বলিষ্ঠতা রয়েছে তার ওপর বিশেষ জোর দেন দুই নেতাই। পারস্পরিকসহযোগিতার এই বাতাবরণকে আরও নিবিড় করে তোলার প্রচেষ্টাকেও স্বাগত জানান তাঁরা। নয়াদিল্লিতেঅনুষ্ঠিত দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট পরিষদের যে বৈঠকঅনুষ্ঠিত হয়, তাতে উন্নয়নের লক্ষ্যে অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে আরও নতুন করে গড়েতোলার আহ্বান ও ঘোষণাকেও তাঁরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। দু’দেশের মধ্যেঅর্থনৈতিক এবং উন্নয়ন সহযোগিতা প্রসারের যে অফুরন্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সেইপ্রসঙ্গেও তাঁরা সহমত প্রকাশ করেন। এই সম্পর্ককে কিভাবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়,সে সম্পর্কেও আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় দুই নেতার মধ্যে। আফগানিস্তানে পরিকাঠামোর প্রসার এবং ক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির কাজে ভারতযেভাবে নিরন্তর সমর্থন ও সহযোগিতা যুগিয়ে যাচ্ছে, সেজন্য ডঃ আবদুল্লাহআফগানিস্তানের পক্ষ থেকে ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারত সরকারের। এক শান্তিপূর্ণ, অভিন্ন, সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং গণতান্ত্রিকআফগানিস্তান রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকলরকম প্রচেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন যুগিয়েযেতে ভারত যে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ, একথার পুনরুচ্চারণ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আফগানিস্তান সহ সন্নিহিত এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের নিরাপত্তার বিষয়গুলিসম্পর্কেও মতবিনিময় করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ডঃ আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ।নিরাপত্তার প্রশ্নে গভীর সমন্বয়সাধনের মধ্য দিয়ে একযোগে কাজ করে যাওয়ারপ্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা। দুই নেতার বৈঠক শেষে দুটি দেশের মধ্যে পুলিশ প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন সম্পর্কেপ্রযুক্তিগত সহযোগিতা সম্পর্কিত এক চুক্তি বিনিময় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। শ্রী মোদী এবংডঃ আবদুল্লাহ উভয়েই উপস্থিত ছিলেন সেখানে। আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে ডঃ আবদুল্লাহ তাঁর দেশের এক বিশিষ্ট শিল্পীরতৈরি একটি প্রতিকৃতি উপহার দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। শ্রী মোদী এই শিল্পনিদর্শনটির ভূয়সী প্রশংসা করেন। /",আফগানিস্তানৰ মুখ্য কাৰ্যবাহী ড০ আব্দুল্লা আব্দুল্লাক সাক্ষাৎ কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%8F-%E0%A6%8F%E0%A6%87%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A4-%E0%A6%8F%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A6%9B/,"ভগবান শিবের আশীর্বাদধন্য মীণাক্ষি – সুন্দরেশ্বর মন্দির যে শহরে বিদ্যমান, সেখানে আমি আসতে পেরে যথার্থাই আনন্দিত। গতকাল দেশ সাধারণতন্ত্র দিবস পালন করেছে।এই প্রেক্ষিতে মাদুরাইয়ে অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স বা এইম্‌স – এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’কেই সমর্থন করে। বন্ধুগণ, আমরা সবাই জানি যে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নতুন দিল্লির এইম্‌স একটি ব্র্যান্ড।মাদুরাইয়ের এইম্‌স নির্মাণের পর স্বাস্থ্য সুরক্ষার এই ব্র্যান্ড দেশে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে – কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর এবং সেখান থেকে মাদুরাই; অপর দিকে গুয়াহাটি থেকে গুজরাট পর্যন্ত।মাদুরাইয়ের এইম্‌স নির্মাণে ব্যয় হবে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।এই হাসপাতাল নির্মাণের ফলে তামিলনাডুর সমস্ত জনসাধারণ উপকৃত হবেন। বন্ধুগণ, এনডিএ সরকার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওপর এই কারণেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, যাতে প্রত্যেকে সুস্থ থাকেন এবং কম খরচে স্বাস্থ্য পরিষেবা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনার অধীনে আমরা সারা দেশে মেডিকেল কলেজগুলির উন্নয়নে সমর্থন যুগিয়েছি।আজ আমি মাদুরাই, তাঞ্জাভুর এবং তিরুনেলভেলি মেডিকেল কলেজে সুপার স্পেশালিটি ব্লক উদ্বোধন করতে পেরে আনন্দ অনুভব করছি। প্রতিষেধক বা রোগ নিবারণ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করেছে মিশন ইন্দ্রধনুষ।প্রধানমন্ত্রী মাতৃত্ব বন্দনা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষিত মাতৃত্ব অভিযান নিরাপদ গর্ভাবস্থার বিষয়টিতে জনআন্দলনে পরিণত করতে পেরেছি। বিগত সাড়ে চার বছরে স্নাতক পূর্ববর্তী মেডিকেল আসনের সংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।আয়ুষ্মান ভারতের সূচনা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।সারা দেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় সাফল্য অর্জনের জন্য এটি একটি অনন্য ব্যবস্থা।দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি সার্বিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পটি যথার্থ।সুসংহত প্রাথমিক সুরক্ষা প্রদান এবং প্রতিষেধকমূলক স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে ১ লক্ষ ৫০ হাজার স্ব��স্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ১০ কোটিরও বেশি দরিদ্র পরিবারকে পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আওতায়।উল্লেখ্য, এটি পৃথিবীর বৃহত্তম স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প।আমি আনন্দিত একথা শুনে যে, তামিলনাডুর ১ কোটি ৫৭ লক্ষ মানুষকে ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। মাত্র তিন মাসে তামিলনাডুর প্রায় ৮৯ হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং এদের জন্য ২০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ অনুমোদন করা হয়েছে।আমি খুশি হয়েছি একথা জেনেও যে, তামিলনাডু-তে ১ হাজার ৩২০টি স্বাস্থ্য সুরক্ষা কেন্দ্র চালু হয়েছে। রোগ নিয়ন্ত্রণ ক্ষেত্রেও আমরা রাজ্যগুলিকে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকি।আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের সরকার দেশ থেকে যক্ষ্মা রোগকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।আমি একথা জেনে খুশি হলাম যে, রাজ্য সরকার চেন্নাইয়ে যক্ষ্মা মুক্ত করার প্রয়াসে জোর দিচ্ছে, যাতে ২০২৩ সালের মধ্যে ঐ রাজ্য থেকে যক্ষ্মা রোগটিকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা যায়। সংশোধিত জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সবদিক সম্পূর্ণভাবে রূপায়ণ করার জন্য এই রাজ্য বদ্ধপরিকর এবং রাজ্যের এই প্রয়াসকে আমি সাধুবাদ জানাই। বিভিন্ন রাজ্য এ ধরণের রোগগুলির মোকাবিলার জন্য যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করবে কেন্দ্র সরকার। আজ আমি তামিলনাডুতে ১২টি পোস্ট অফিস পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করতে পেরে আনন্দিত।আমাদের দেশের নাগরিকরা যাতে সহজে জীবনযাপন করতে পারেন, তার জন্য এ ধরণের উদ্যোগ যথার্থই দৃষ্টান্তমূলক। আমি পুনরায় জানাচ্ছি যে, আমার সরকার সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। জয় হিন্দ!",তামিলনাডুৰ মাডুৰাইত এইমছৰ আধাৰশিলা স্থাপন অনু্ষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আগবঢ়োৱা ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%86/,"মিঃ জোকনসেপশিয়ন, চেয়ারম্যানআসিয়ানবাণিজ্য উপদেষ্টা পরিষদ; মাননীয়নেতৃবৃন্দ, ভদ্রমহিলা ওভদ্রমহোদয়গণ! প্রথমেই, বিলম্বেরজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। রাজনীতির মতো বাণিজ্যিক কাজকর্মেও সময় এবং তা সঠিকভাবে অনুসরণকরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কখনও কখনও আমাদের সকল রকম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তামেনে চলা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফিলিপিন্স-এ প্রথম সফরে এসে এবং ম্যানিলায় উপস্থিতথাকতে পেরে আমি খুশি। ভারত এবংফিলিপিন্স-এর মধ্যে অনেকগুলি বিষয়েই বেশ মিল রয়েছে : · দুটি দেশেই রয়েছে বহুত্ববাদী সমাজ ব্যবস্থা এবং এক প্রাণবন্ত গণতন্ত্র। · বিশ্বের দ্রুততম গতিতে বৃদ্ধি পাওয়া অর্থনীতিগুলির মধ্যে অন্যতম হলআমাদের এই দুটি দেশ। · আমাদের দু’দেশেরই রয়েছে এক বিরাট সংখ্যক তরুণ এবং আশা-আকাঙ্ক্ষায়উদ্দীপ্ত জনসাধারণ যাঁরা খুবই পরিশ্রমী এবং উদ্ভাবনী প্রচেষ্টায় বিশেষভাবে আগ্রহী। শুধু তাইনয়, ভারতের মতো ফিলিপিন্স-এর সরকারও পরিবর্তনের প্রত্যাশী। অন্তর্ভুক্তিমূলকবিকাশ, পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণায় তারা আগ্রহী।আমাদের শীর্ষস্থানীয় অনেকগুলি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাই যে এখানে বিনিয়োগ প্রচেষ্টায়যুক্ত রয়েছে, তাতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। তাদের মাধ্যমে হাজার হাজার কর্মসংস্থানেরসুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি, ফিলিপিন্স-এর পরিষেবা ব্যবস্থাকে বিশ্বের সর্বত্র পৌঁছেদেওয়া সম্ভব হয়েছে। বন্ধুগণ, আজ সকালে আসিয়ানশীর্ষ বৈঠকের সূচনা অনুষ্ঠানে রামায়ণ অবলম্বনে ‘রাম হরি’ নামে একটি নৃত্যনাট্যেরঅসাধারণ পরিবেশন আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। ভারত এবং আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির জনসাধারণকিভাবে ঐতিহাসিক দিক থেকে পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন তাই তুলে ধরা হয়েছে এইপরিবেশনাটিতে। এই বন্ধন শুধুমাত্র ঐতিহাসিক নয়, এ হল সদা প্রাণোচ্ছল এক মিলিতঐতিহ্যের বন্ধন। আমার সরকারের ‘পুবের জন্য কাজ করো’ নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেএই অঞ্চলটি। আসিয়ানভুক্ত প্রত্যেকটি দেশের সঙ্গে আমাদের রয়েছে এক ব্যতিক্রমীরাজনৈতিক তথা জনসাধারণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক। আমাদের অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিকসম্পর্ককেও আমরা সেই উচ্চতায় নিয়ে যেতে আগ্রহী। বন্ধুগণ, ভারতেররূপান্তর প্রক্রিয়ার কাজ এগিয়ে চলেছে নজিরবিহীনভাবে। এক সহজ, কার্যকর এবং স্বচ্ছপ্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রশাসন ও পরিচালনকে যাতে আরও ভালো ও দক্ষ করেতোলা যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য দিন-রাত অহরহ পরিশ্রম করে চলেছি আমরা। একটিদৃষ্টান্ত এখানে তুলে ধরা যাক : টেলিযোগ���যোগসংক্রান্ত স্পেকট্রাম, কয়লা খনি অঞ্চল ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ, এমনকি বেসরকারিবেতার চ্যানেল সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক সহায়সম্পদের নিলাম ব্যবস্থাকে আমরা উদার করেতুলেছি। এ সমস্ত কিছু থেকেই রাজস্ব সংগৃহীত হয়েছে প্রায় ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একদিকে যেমন আমরা আমাদের দায়িত্বশীলতার প্রসারঘটিয়েছি, অন্যদিকে তেমনই বৈষম্য এবং দুর্নীতিকেও কমিয়ে আনতে পেরেছি। আর্থিক লেনদেনএবং কর ব্যবস্থায় আমরা এক অভিন্ন পরিচিতি ব্যবস্থা চালু করেছি যার ফলাফল ইতিমধ্যেইসকলে লক্ষ্য করেছেন। এই সমস্ত প্রচেষ্টা এবং তার সঙ্গে উচ্চ মূল্যের ব্যাঙ্ক নোটেরবিমুদ্রাকরণআমাদের অর্থনীতির এক বিশাল ক্ষেত্রকে ব্যবহারিক করে তুলেছে। নতুনকরদাতাদের আয়কর রিটার্ন পেশের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। অন্যদিকে,ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেনের মাত্রা এক বছরের মধ্যেই বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৪ শতাংশ। কারণ,কম নগদের অর্থনীতির পথে আমরা ক্রমশ এগিয়ে চলেছি। সাধারণ মানুষের কাছে সহজেই পৌঁছে যাওয়ারলক্ষ্যে আমরা আশ্রয় নিয়েছি প্রযুক্তির। নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য আমরাচালু করেছি ‘মাই গভ’ নামে এক অনলাইন ব্যবস্থা যার মাধ্যমে প্রায় ২০ লক্ষের মতোকাজ-পাগল নাগরিকদের কাছ থেকে আমরা নীতি ও কর্মসূচি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনা,পরামর্শ এবং পন্থা-পদ্ধতির হদিশ লাভ করতে পেরেছি। আমরা সূচনাকরেছি ‘প্রগতি’ নামে ইতিবাচক কর্মপ্রচেষ্টা এবং সঠিক সময়ে তা রূপায়ণ সম্পর্কিত একনতুন কাঠামোগত ব্যবস্থা। এই মঞ্চটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কর্মী ও আধিকারিকদেরসঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মসূচি রূপায়ণ এবং জনসাধারণের অভাব-অভিযোগেরনিরসন সম্পর্কিত বিষয়গুলি আমি পর্যালোচনা করে দেখার সুযোগ পাই। ‘ন্যূনতম সরকারিহস্তক্ষেপ, সর্বোচ্চ প্রশাসন’ – এই নীতির ওপর জোর দিয়ে ইতিমধ্যেই ১,২০০টি অপ্রচলিতআইন আমরা বাতিল বলে ঘোষণা করেছি গত তিন বছরে। দেউলিয়া এবংঋণ খেলাপি সম্পর্কিত নতুন নতুন আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা এবং সেইসঙ্গে আইপিআরও মধ্যস্থতার বিষয়গুলি এক এক করে আমরা চালু করেছি। পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্রআদায়ের বাধ্যবাধকতা থেকে আমরা মুক্ত করে দিয়েছি ৩৬টির মতো শ্বেত শিল্পকে। কোনসংস্থা বা কোম্পানির নথিভুক্তিকরণ এখন একদিনের ব্যাপার মাত্র। শিল্প লাইসেন্সেরমতো বিষয়টিকে আমরা সরল করে তুলেছি এবং পরিবেশ ও অরণ্য সংক্রান্ত ছাড়পত্র লাভেরজন্য চালু করেছি অনলাইন আবেদন ব্যবস্থা। এ সমস্ত কিছুই নতুন বাণিজ্যিক উদ্যোগ গড়েতোলার কাজকে খুবই সহজ করে তুলেছে। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলাফলও আমরা লক্ষ্য করেছি। বাণিজ্যিককাজকর্মকে সহজতর করে তোলার ক্ষেত্রে এ বছরের বিশ্ব ব্যাঙ্কের সূচক অনুযায়ী ভারতএখন অতিক্রম করে এসেছে আরও ৩০টি ধাপ। এই বছরটিতে এই মাত্রায় উত্তরণের কৃতিত্ব আরঅন্যকোন দেশইদেখাতে পারেনি। ভারতের দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার প্রচেষ্টার এ হল এক সফলস্বীকৃতি। সমগ্রবিশ্বই এখন লক্ষ্য করেছে যে : – বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামুখিনতার সূচকে গতদু’বছরে আমরা অতিক্রম করেছি ৩২টি স্থান। – ডব্ল্যুআইপিও-র বিশ্ব উদ্ভাবন সূচকঅনুযায়ী আমরা দু’বছরে উঠে এসেছি আরও ২১ ধাপ ওপরে। – বিশ্বব্যাঙ্কের ২০১৬-র সার্বিক সাফল্যের সূচক অনুসারে আমরা অতিক্রম করেছি১৯টি ধাপ। বন্ধুগণ, আমাদেরঅর্থনীতির অধিকাংশ ক্ষেত্রই এখন প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত।প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই চালু হয়েছে স্বয়ংক্রিয় অনুমোদনদানেরব্যবস্থা। তাই, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে ভারত বর্তমানে রয়েছেপুরোভাগে। গত তিন বছরের তুলনায় এ বছর আমরা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ লাভ করেছি ৬৭শতাংশেরও বেশি। এই কারণে বর্তমানে আমরা বিশ্বে এক সুসংহত অর্থনীতি রূপে পরিচিতিলাভ করেছি। এর থেকেও বড় কথা হল, এই সমস্ত মাইলফলক আমরা স্থাপন করতে পেরেছি বেশকয়েকটি বড় ধরনের সাম্প্রতিক সংস্কার কর্মসূচিতে হাত দেওয়ার আগেই। এ বছর জুলাইমাসে সারা দেশে এক অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা কর ব্যবস্থা চালু করার মতো একটি দুরূহকাজ আমরা সম্পন্ন করতে পেরেছি। এর ফলে, ভারতে রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বহুবিধকর আরোপের ব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়েছে। আমাদের দেশের বিশালত্ব এবং বৈচিত্র্য এবংরাষ্ট্র পরিচালনার যুক্তরাষ্ট্রীয় ধ্যান-ধারণার নিরিখে এই সাফল্য কোন অংশেই কম নয়।তাসত্ত্বেও আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে এই সাফল্যই কিন্তু যথেষ্ট নয়। বন্ধুগণ,ভারতীয় জনসাধারণের এক বিশাল অংশ ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পরিধির বাইরে ছিল। এর ফলে,সঞ্চয় এবং প্রাতিষ্ঠানিক ঋনের সুযোগ-সুবিধা থেকে তাঁরা বঞ্চিত থেকে গিয়েছিলেন।কিন্তু ‘জন ধন যোজনা’র ম��ধ্যমে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই কোটি কোটি ভারতবাসীর জীবনেপরিবর্তন সূচিত হয়েছে। মাত্র এক বছরের মধ্যেই খোলা হয়েছে ১৯ কোটি ৭০ লক্ষ ব্যাঙ্কঅ্যাকাউন্ট। এ বছর আগস্টমাস পর্যন্ত ভারতের ব্যাঙ্কগুলিতে খোলা হয়েছে ২৯ কোটি এই ধরনের অ্যাকাউন্ট। নগদছাড়াই খুব সহজে আর্থিক লেনদেনের জন্য প্রায় ২০ কোটি রুপে কার্ড এ পর্যন্ত বন্টনকরা হয়েছে। এইভাবে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সঙ্গে দরিদ্র সাধারণ মানুষকে যুক্ত করার ফলেতা সরকারি কাজকর্মে দুর্নীতির মোকাবিলার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকরেছে। বর্তমানে দরিদ্র সাধারণ মানুষদের জন্য ভর্তুকি সহায়তা প্রত্যক্ষ সুফলহস্তান্তর ব্যবস্থায় সরাসরি জমা করে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে তাঁদের সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কঅ্যাকাউন্টগুলিতে। এর ফলে, বৈষম্যের আশঙ্কা যেমন দূর হয়েছে, অন্যদিকে তেমনই যাবতীয়ফাঁক-ফোকর ও ত্রুটি-বিচ্যুতিও কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ১৪ কোটি ৬০ লক্ষেরও বেশিমানুষ এখন শুধুমাত্র রান্নার গ্যাসের ওপরই সরাসরি নগদ ভর্তুকির সুযোগ লাভ করছেনতাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে। এই ধরনের ৫৯টি পৃথক পৃথক কর্মসূচিরক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ সুফল হস্তান্তরের সুযোগ সম্প্রসারিত হয়েছে সরকারিভাবে। যোগ্য ওসঠিক সুফল গ্রহীতাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে এখন সরাসরি হস্তান্তরিত হচ্ছে ১০বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো ভর্তুকি সহায়তা। বন্ধুগণ, বর্তমানশীর্ষ বৈঠকের প্রধান প্রধান বিষয়গুলির অন্যতম হল শিল্পোদ্যোগ প্রচেষ্টা। ভারতে ‘মেকইন ইন্ডিয়া’ নামে এক বিশেষ অভিযানের আমরা সূচনা করেছি। এই উদ্যোগের মধ্য দিয়েআন্তর্জাতিক মূল্য শৃঙ্খলে এক প্রধান ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য ভারতেররূপান্তরের লক্ষ্যে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। ভারতকে আমরা বিশ্বের এক বিশেষ উৎপাদনস্থলরূপে গড়ে তুলতে আগ্রহী। সেইসঙ্গে, আমাদের দেশের যুবশক্তিকে আমরা কর্মপ্রার্থী নয়,গড়ে তুলতে আগ্রহী কর্মদাতা রূপে। এই লক্ষ্যে ‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া’ এবং ‘স্ট্যান্ডআপ ইন্ডিয়া’র মতো কর্মসূচিগুলির আমরা সূচনা করেছি। ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীদেরশিল্পোৎসাহী করে তোলার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা ছিল আর্থিক ঋণ সহায়তার অপ্রতুলতা।তাই, ভারতে এই প্রথমবার ন্যূনতম শর্তে ঋণ সহায়তার প্রসার ঘটানো হয়েছে ৯ কোটিরওবেশি ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীর জন্য‘মুদ্রা’ যোজনার মাধ্যমে। এই সংখ্যা ফিলিপি���্স-এরমোট জনসংখ্যার প্রায় কাছাকাছি। এর ফলে, দেশের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীদেরঅবদানকে স্বীকৃতিদানের পাশাপাশি, ব্যবসায়িক দিক থেকে কর্মদ্যোগীদের ক্ষমতায়নেরব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি লক্ষ্য করছি যে ফিলিপিন্স এবং আসিয়ান অঞ্চলে শিল্পোদ্যোগপ্রচেষ্টার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই শীর্ষ বৈঠকে শিল্পোদ্যোগীদের প্রয়োজনেরস্বার্থেইআসিয়ানের পক্ষ থেকে পরামর্শ ও পথ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।নিঃসন্দেহে এ এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সত্যি কথা বলতে কি, অদূর ভবিষ্যতে দক্ষিণ এবংদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হয়ে উঠতে চলেছে আন্তর্জাতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক বিশেষচালিকাশক্তি। তাই, আসিয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগ রক্ষা করে চলা ভারতের এক বিশেষলক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সতত চঞ্চল এই অঞ্চলটির জন্য আমরা স্থল, জল এবং আকাশপথে সংযোগ ওযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আগ্রহী। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলিকে যুক্তকরার লক্ষ্যে মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডের মধ্য দিয়ে এক ত্রিপাক্ষিক মহাসড়ক গড়েতোলার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ভারত এবংআসিয়ানভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে সমুদ্রপথে পরিবহণ সম্পর্কিত একটি চুক্তির দ্রুতসম্পাদনে আমরা কাজ করে চলেছি। সামুদ্রিক দিক থেকে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গেউপকূলবর্তী জাহাজ চলাচল পরিষেবা চালু করার পথ ও উপায় আমরা অন্বেষণ করে চলেছি। আকাশপথেসংযোগের ক্ষেত্রে ভারতের চারটি মেট্রো শহরের সঙ্গে প্রতিদিন একটি করে পরিষেবাচালুর সুযোগ রয়েছে আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলির। এছাড়াও, আরও ১৮টি গন্তব্যে বিমানপরিষেবা চালুর সুযোগ রয়েছে তাদের। ভারতে পর্যটনের প্রসারে বৈদ্যুতিন ভিসা পদ্ধতিরমতো বেশ কিছু ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ভারত থেকে বিশ্বেরঅন্যত্র পর্যটনের প্রসার ঘটেছে দ্রুততম গতিতে। এইভাবে সংযোগ ও যোগাযোগের বিষয়টিকেবিশেষ গুরুত্বদানের লক্ষ্যে আগামী মাসে নয়াদিল্লিতে ভারত আয়োজন করতে চলেছেআসিয়ান-ভারত সংযোগ ও যোগাযোগ সম্পর্কিত শীর্ষ বৈঠকের।সবক’টি আসিয়ানভুক্ত দেশেরমন্ত্রী, সরকারি কর্মী ও আধিকারিক এবং বাণিজ্যিক প্রতিনিধিরা তাতে অংশগ্রহণ করবেন।ভারত যেভাবে এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ-সুবিধা প্রসারের কথা চিন্তা করছে,তাতে আমি নিশ্চিত যে আসিয়ানের বাণিজ্য গোষ্ঠীগুলিও ভারতে বাণিজ্যিক উদ্যোগ গ্রহণেরসম্ভাবনাকে স্বীকার করে নিয়েছে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই যখন ভারতের সঙ্গে ইতিমধ্যেইনিবিড়ভাবে যুক্ত হয়েছেন, অন্যরা তখন হয়তো চিন্তা করছেন যে এই সম্ভাবনাকে কিভাবেকাজে লাগানো যায়। আগামী বছরের জানুয়ারিতে আসিয়ান-ভারত স্মারক শীর্ষ বৈঠকের সঙ্গেসামঞ্জস্য রেখে আমরা আয়োজন করতে চলেছি আসিয়ান-ভারত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৈঠক এবংপ্রদর্শনীরও। তাতে অংশগ্রহণের জন্য আমি আপনাদের সকলকেই আমন্ত্রণ জানাই। এই ধরনের আসিয়ান-কেন্দ্রিকএক বৃহত্তম বাণিজ্যিক ঘটনা এই প্রথম ঘটতে চলেছে ভারতে। আপনাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতেঅংশগ্রহণের জন্য ভারত যেমন আগ্রহী, ঠিক তেমনই আমরা আসিয়ানভুক্ত আপনাদের সকলকেইআমন্ত্রণ জানাই আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টার অংশীদার হয়ে ওঠার জন্য। মাবুহায়! মরাংমিগসালামাৎ! ধন্যবাদ!","মেনিলাত আছিয়ান বাণিজ্য আৰু বিনিয়োগ সন্মিলনত প্রধানমন্ত্রীৰ ভাষণ (১৩ নৱেম্বৰ, ২০১৭)" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%93/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%86/,"নয়া দিল্লি: ৩ জানুয়ারি: প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বুধবার তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ওবৈদ্যুতিন (আই.সি.টি. এন্ড ই.) ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ভারত ও বেলজিয়ামের মধ্যেসমঝোতা স্মারক (মউ) সম্পর্কে অবহিত হলো| বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপের ভারত সফরের সময়গত ৭ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে এই মউ স্বাক্ষরিত হয়েছিল| এই মউ-এর মাধ্যমে ভারত ও বেলজিয়ামেরমধ্যে আই.সি.টি. এন্ড ই. নীতির ক্ষেত্রে সেরা বিষয়ের আদান-প্রদান সহ বেশকিছু বিষয়েসহযোগিতার সম্ভাবনা| এর মধ্যে রয়েছে আই.সি.টি. এন্ড ই.-এর ক্ষেত্রে নির্মাণ ওপরিষেবা উন্নয়নে জোর দিয়ে ডিজিটাল এজেন্ডা প্রযুক্তি ও গবেষণা, ই-গভর্নেন্স ও ই-জনপরিষেবা প্রদান, বিশেষজ্ঞদের যাতায়াত, সম্মেলনে অংশ গ্রহণ, সাইবার নিরাপত্তা এবংপর্যাপ্ত ডাটা, বাজারের সহজলভ্যতা, বাণিজ্য ও পরিষেবার বিভিন্ন বিষয়ের সমস্যাসমাধান| বৈদ্যুতিন ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক বিভিন্নদেশের সঙ্গে তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তির (আই.সি.টি.) ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য কাজ করেচলেছে| বর্তমান জ্ঞানের যুগে আই.সি.টি. আর্থিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের বিভিন্নসামাজিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এক বি��েষ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালনকরছে| তাই এক্ষেত্রে তথ্য ও জ্ঞানের আদান-প্রদানের জন্য বৈদ্যুতিন ওতথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও সংগঠনের সঙ্গে চুক্তি ওসমঝোতা স্বাক্ষর করে চলেছে| ভারত সরকারের ‘ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া’, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ইত্যাদির মত উদ্যোগের প্রতি লক্ষ্য রেখে এক্ষেত্রে বাণিজ্যের সুযোগ বৃদ্ধি এবংপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার প্রয়োজনীয়তাও দেখা দিয়েছে| ভারত ও বেলজিয়ামের মধ্যে নিবিড়বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে| ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে ভারতের বাণিজ্য সহযোগীহিসেবে বেলজিয়াম দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে| বেলজিয়াম ই-গভর্নেন্স, বৈদ্যুতিন আই.ডি.কার্ড, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কর ইত্যাদি বিভিন্ন যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দক্ষ|গত ২০১৬ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী যখন ব্রাসেলস গিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নেরসম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন, তখন দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতে দু’দেশের মধ্যেতথ্য-প্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিন ক্ষেত্রে মউ স্বাক্ষরের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়| সেঅনুযায়ী কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী নয়া দিল্লিতে গত ৭ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে ব্রাজিলের মহামান্য উপ-প্রধানমন্ত্রী শ্রী আলেকজান্ডার ডেক্রু’র নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন| সেই বৈঠকে ডিজিট্যাল ইন্ডিয়াএবং ডিজিট্যাল বেলজিয়াম নিয়ে দু’দেশের মানুষকে ডিজিট্যালভাবে সক্ষম করার জন্যএকসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি নিয়ে দৃঢ়তা ব্যক্ত করা হয়|",তথ্য যোগাযোগ প্ৰযুক্তি আৰু বৈদ্যুতিন (আইচিটি এণ্ড ই) খণ্ডৰ সহযোগিতাৰ অৰ্থে ভাৰত আৰু বেলজিয়ামৰ মাজত বুজাবুজি চুক্তি স্বাক্ষৰত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%A9%E0%A7%A6-%E0%A6%85%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A9%E0%A7%A6-%E0%A6%85%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BE-%E0%A7%A7-%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ২৯ অক্টোবর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৩০ অক্টোবর থেকে পয়লা নভেম্বর পর্যন্ত গুজরাট ও রাজস্থান সফর করবেন। ৩০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ভদোদরায় সি-২৯৫ বিমান তৈরির কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। ৩১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী যাবেন কেভাডিয়া। সেখানে তিনি স্ট্যাচু অফ ইউনিটিতে সর্দার প্যাটেলের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপ��� যোগ দেবেন জাতীয় একতা দিবসের অনুষ্ঠানে। প্রধানমন্ত্রী ৯৭তম কমন ফাউন্ডেসন কোর্সের প্রশিক্ষণরত আধিকারিকদের সমাবেশে ভাষণ দেবেন। তিনি এরপর যাবেন বনসকান্থা জেলায়। সেখানে ফারডে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। আমেদাবাদে রেল প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। পয়লা নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী যাবেন রাজস্থানের বংশওয়ারা জেলায়। সেখানে তিনি ‘মানগড় ধাম কি গৌরব গাঁধা’ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এরপর গুজরাটের পাঁচমহল জেলার জাম্বুঘোড়ায় বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। ভদোদরায় প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী এখানে সি-২৯৫ বিমান তৈরির কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এটি হবে দেশের বিমান তৈরির প্রথম বেসরকারী কারখানা। টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেড এবং স্পেনের এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস যৌথভাবে ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য সি-২৯৫ বিমান তৈরি করবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা বাড়াতে আরো সহায়ক হবে এই প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী এখানে একটি প্রদর্শনীও ঘুরে দেখবেন। কেভাডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী কেভাডিয়ায় স্ট্যাচু অফ ইউনিটিতে জাতীয় একতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এখানে প্যারেডে অংশ নেবেন বিএসএফ ও পাঁচ রাজ্যের পুলিশ বাহিনী। এই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে উত্তরাঞ্চল থেকে হরিয়ানা, পশ্চিমাঞ্চল থেকে মধ্যপ্রদেশ, দক্ষিণাঞ্চল থেকে তেলেঙ্গানা, পূর্বাঞ্চল থেকে ওড়িশা এবং উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে ত্রিপুরা। এছাড়াও ২০২২এর কমনওয়েল্থ গেমস-এ পদকজয়ী ৬ জন এই প্যারেডে অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ হবে আম্বাজির আদিবাসী শিশুদের সঙ্গীত দলের উপস্থাপনা। এছাড়াও এনসিসি-র “হাম এক হ্যায়, হাম শ্রেষ্ঠ হ্যায়” শীর্ষক একটি বিশেষ অনুষ্ঠানও থাকবে। প্রধানমন্ত্রী ৯৭তম কমন ফাউন্ডেসন কোর্সের প্রশিক্ষণরত আধিকারিকদের সমাবেশে ভাষণ দেবেন। এখানে ২৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৫৫ জন প্রশিক্ষণরত আধিকারিক রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কেভাডিয়ায় দুটি নতুন পর্যটন ক্ষেত্র মাজে গার্ডেন ও মিয়াওয়াকি জঙ্গলের উদ্বোধন করবেন। মাজে গার্ডনটি ৩ একর জমির ওপর তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রায় ১.৮ লক্ষ গাছ লাগানো হয়েছে। মিয়াওয়াকি জঙ্গল গড়ে তোলা হয়েছে ২ একর জমির ওপর। বনসকান্থায় প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী বনসকান্থার থারড সফর করবেন। এক অনুষ্ঠান ৮ হাজার কোটি টাকার জল সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাসও করবেন তিনি। আমেদাবাদে প্রধানমন্ত্রী আমেদাবাদের আসারভাতে ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে এই অঞ্চলে পর্যটক, ব্যবসায়ী ও উৎপাদনকারী এবং শিল্পক্ষেত্রের বিশেষ সুবিধা হবে, কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। ফলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। পাঁচমহলে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী পাঁচমহলের জাম্বুঘোড়ায় ৮৬০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। তিনি গোধরাতে শ্রী গোবিন্দ গুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনেরও উদ্বোধন করবেন। এছাড়া সন্ত জোরিয়া পরমেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রাজা রুপসিং নায়েক প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী গোধরা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। বংশওয়ারায় প্রধানমন্ত্রী আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী রাজস্থানের বংশওয়াড়ার মানগড় পর্বতে আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘মানগড় ধাম কি গৌরব গাঁধা’ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী ভিল আদিবাসীদের সমাবেশে ভাষণ দেবেন ও ভিল স্বাধীনতা সংগ্রামী শ্রী গোবিন্দ গুরুর স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। উল্লেখ্য, ১৯১৩ সালের ১৭ নভেম্বর মানগড় পর্বতে শ্রী গোবিন্দ গুরুর নেতৃত্বে ভিলরা ইংরেজের বিরোধীতা করে। তাদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় পুলিশ। শহীদ হন প্রায় দেড় হাজার আদিবাসী।",৩০ অক্টোবৰৰ পৰা ১ নৱেম্বৰলৈ গুজৰাট আৰু ৰাজস্থান ভ্ৰমণ কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B-%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B-%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%9A%E0%A7%8D/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল (১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯) হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র সফর করবেন। সেখানে স্বচ্ছ শক্তি ২০১৯, মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানদের সভায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ শক্তি ২০১৯ – এর পুরস্কার প্রদান করবেন। প্রধানমন্ত্রী কুরুক্ষেত্রে স্বচ্ছ সুন্দর শৌচালয় প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখবেন এবং একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী হরিয়ানায় একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন/ভিত্তিপ্রস্তর স্থ���পন করবেন। স্বচ্ছ শক্তি, ২০১৯ একটি জাতীয় স্তরের অনুষ্ঠান, যার লক্ষ্য স্বচ্ছ ভারত অভিযানে রূপায়ণে গ্রামীণ মহিলাদের অগ্রণী ভূমিকা জনসমক্ষে তুলে ধরা। সারা দেশ থেকে মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। এই বছরের স্বচ্ছ শক্তি অনুষ্ঠানের লক্ষ্য মহিলাদের ক্ষমতায়ন।এ বছর প্রায় ১৫ হাজার মহিলা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পানীয় জল ও অনাময় মন্ত্রক হরিয়ানা সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে স্বচ্ছ শক্তি ২০১৯ আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে। উদ্যোক্তারা স্বচ্ছ ভারত অভিযানে গ্রামাঞ্চলের তৃণমূল স্তর থেকে সেরা কাজগুলি সকলকে জানাবেন। অনুষ্ঠানে স্বচ্ছ ভারত এবং সাম্প্রতিককালে আয়োজিত স্বচ্ছ সুন্দর শৌচালয় (পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন শৌচালয়) নামক অভিনব বিশ্ব স্তরের প্রচারানুষ্ঠানের সাফল্যগুলি তুলে ধরা হবে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৭ সালে প্রথম গুজরাটের গান্ধীনগরে স্বচ্ছ শক্তি কর্মসূচিটি চালু করেন। আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসে অনুষ্ঠিত স্বচ্ছ শক্তি ২০১৭ কর্মসূচিতে সারা দেশ থেকে ৬ হাজার জন মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান গুজরাটে একত্রিত হয়েছিলেন। তার পরের বছর স্বচ্ছ শক্তি ২০১৮ উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ৮ হাজার জন মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান, ৩ হাজার মহিলা স্বচ্ছাগ্রহী এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে জড়িত মহিলাদের স্বচ্ছ ভারত গড়ে তোলার প্রতি অসাধারণ অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এবার এই কর্মসূচির তৃতীয় পর্বটি কুরুক্ষেত্র থেকে চালু করা হবে। তৃণমূল স্তরে, গ্রামীণ মহিলারা কিভাবে সমাজে পরিবর্তন আনার দূত হিসাবে কাজ করছেন এবং একটি স্বচ্ছ ভারত গড়ে তুলতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে মহিলাদের চালু করা উদ্যোগগুলির উদাহরণ এই স্বচ্ছ শক্তি। দোসরা অক্টোবর, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী যে স্বচ্ছ ভারত অভিযান চালু করেছিলেন, সেই কর্মসূচির অধীনে চলতি উদ্যোগগুলির অংশ এই আন্দোলন। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের লক্ষ্য দোসরা অক্টোবর, ২০১৯ – এর মধ্যে একটি পরিচ্ছন্ন ও উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম মুক্ত ভারত গড়ে তোলা। …",স্বচ্ছ শক্তি ২০১৯ – স্বচ্ছ ভাৰতৰ বাবে গ্ৰাম্য মহিলা চেম্পিয়ন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%A8%E0%A7%88%E0%A6%A4%E0%A6%BF-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%AC/,"ভারত ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে সার্বিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি সংশোধনের দ্বিতীয় খসড়ার বিষয়টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আজ (তেসরা অক্টোবর) এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে কর্মপরবর্তী অনুমোদন দেয়। চুক্তিটি গত ২৪শে আগস্ট স্বাক্ষরিত হয়। সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে, এই চুক্তিটির সঠিক রূপায়ণও সম্ভব হবে।",ভাৰত আৰু ছিংগাপুৰৰ মাজত ব্যাপক অৰ্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি(চিইচিএ)ৰ দ্বিতীয় প্ৰ’ট’কল সংশোধনীত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%9F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%9F/,"ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে ডাক বিভাগের যৌথ টিকিট প্রকাশ সংক্রান্ত চুক্তিটির সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে বসা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয় আজ। ডাকটিকিট প্রকাশের ক্ষেত্রে পারস্পরিক লাভজনক কাজে গতি আনতে এবং একই সঙ্গে ডাক সংক্রান্ত সহযোগিতা দু’দেশের মধ্যে গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ। প্রসঙ্গত, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করার ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে আদান-প্রদান আরও জোরদার করা আবশ্যক। এক্ষেত্রে বলা আবশ্যক ভারত ও রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিষয়ক সকল ক্ষেত্রেই একে অপরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।",ভাৰত আৰু ৰাছিয়াৰ মাজত যুটীয়াভাৱে ডাক টিকট প্ৰকাশত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%AA-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%AA-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BE/,"অনেকেই ভেঙ্কাইয়াজিকে যে কারণে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি তাঁর দীর্ঘকালীন স্বভাবের বাইরে গিয়ে নতুন কাজে সাফল্যের জন্য। আমি যখন সংসদ ভবনে তাঁকে দেখি, অনেক সময়েই তাঁকে যে ধৈর্য ও সংযমের প্রতিমূর্তি হয়ে উঠতে হয় – আমি মনে করি, সেই ভূমিকা সফলভাবে পালন করে তিনি অনেক বড় কাজ করেছেন। অধিবেশন ঠিকঠাক চললে সভাপতির আসনে কে বসে আছেন, সেদিকে কারও নজর যায় না। তাঁর কতটা ক্ষমতা, কী বৈশিষ্ট্য – সেটা গুরুত্বপূর্ণ না হয়ে সংসদ সদস্যদের সামর্থ্য এবং তাঁদের ভাবনাচিন্তাই গুরুত্ব পায়। কিন্তু যখন অধিবেশন ঠিকভাবে চলে না, তখন সবার নজর ঐ সভাপতির আসনে কে বসে আছেন, সেদিকেই চলে যায়। তিনি কেমন নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলা-পরায়ণতা পালন করে কিভাবে সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। গত এক বছরে দেশবাসীর তাঁকে এই সভাপতির আসনে দেখার সুযোগ হয়েছে। আর আমরা এমন এক রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে লালিত-পালিত হয়েছি, যেমন – আমি যখন রাষ্ট্রীয় সচিব ছিলাম, অন্ধ্রপ্রদেশের মহাসচিব থাকার সময়ে আমাকে যখন রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তখন আমি ভেঙ্কাইয়াজির সাহায্যে একজন মহাসচিব রূপে কাজ করছিলাম, এর দায়িত্ব অনেক। পদের গুরুত্ব থেকে কার্যভার বেশি ছিল আর তা নিয়েই ভেঙ্কাইয়াজি সফলভাবে কাজ করে গেছেন। এখনই বলা হয়েছে যে, ভেঙ্কাইয়াজি গত এক বছরে দেশের একটি ছাড়া সমস্ত রাজ্যে সফর করেছেন। যে রাজ্যে যাননি, এমন নয় যে, সে রাজ্যে কোনও কর্মসূচি ছিল না। নির্ধারিত দিনে আবহাওয়া খারাপ ছিল তাই হেলিকপ্টার যেতে পারেনি। না হলে তিনি সে রাজ্যেও যেতেন। আমরা সংসদের কাজ সেরে বেরিয়ে হয়তো ভাবলাম তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করি কথা বলি। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই শুনি, তিনি ততক্ষণে কেরালা, তামিলনাডু কিংবা অন্ধ্রপ্রদেশ পৌঁছে গেছেন। অর্থাৎ যেদিন থেকে দায়িত্ব পেয়েছেন, সেদিন থেকেই ঐ দায়িত্ব নির্বাহের জন্য নিজেকে যোগ্য করে তুলতে প্রয়োজনীয় পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে সেই পদের উপযোগী করে গড়ে তোলার চেষ্টা করে গেছেন। ফলস্বরূপ, যেখানেই হাত দিয়েছেন, সেখানেই সাফল্য পেয়েছেন। ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবন কম নয়। প্রথম ১০ বছরের রাজনৈতিক জীবন ছাত্র হিসাবে সংঘ সেবক রূপে আর ৪০ বছর সরাসরি রাজনৈতিক জীবন। এই দীর্ঘ কার্যকালে তিনি নিজে অনেক কিছু শিখেছেন, সঙ্গীদেরও অনেক কিছু শিখিয়েছেন। আমরা দীর্ঘকাল তাঁর সঙ্গে কাজ করছি, কখনও কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করলে তাঁকে চেনা মুশকিল হয়ে যায়। কিন্তু যখন সবার কাছ থেকে শুনি, আমাদের পরিচিত পরিচিত বন্ধুর এতটা সামর্থ্য ও অমুক গুণ রয়েছে, তখন এত গর্ব ও আনন্দ হয় যে, এতদিন এই মহাপুরুষের সঙ্গে কাজ করেছি। ভেঙ্কাইয়াজি খুবই নিয়মনিষ্ঠ মানুষ। আর আমাদের দেশে এখন এমন পরিস্থিতি যে, নিয়মনিষ্ঠাকে অগণতান্ত্রিক বলে দেওয়া খুব সহজ। যিনি সামান্য নিয়মনিষ্��া দেখাবেন, তিনিই সমস্যায় পড়েছেন। তাঁকে স্বৈরতান্ত্রিক বলে দেওয়া হবে, আরও অনেক শব্দ তাঁদের অভিধানে আছে। কিন্তু ভেঙ্কাইয়াজি যে নিয়মনিষ্ঠায় আগ্রহী, সেই নিয়মগুলি তিনি নিজের ক্ষেত্রেও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেন। তাঁর সঙ্গে কোথাও সফরে গেলে সবসময় সতর্ক থাকতে হয়। তাঁর কাছে কখনও ঘড়ি, কলম এসব জিনিস থাকে না। অধিকাংশ সময়ে তাঁর পকেটে কোনও টাকাও থাকে না। এর মানে, আপনি তাঁর সঙ্গে গেলে এসব জিনিস আপনার মনে করে সঙ্গে রাখতে হবে। অথচ, তিনি এতটাই নিয়মনিষ্ঠ ও সময়ানুবর্তী যে, কোথাও দেরীতে পৌঁছন না, কোনও কাজ দেরীতে করা পছন্দ করেন না। কখনও কোনও অনুষ্ঠানে দেরী হয়ে গেলে তিনি মঞ্চে বসে পরবর্তী অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য এমন ছটফট করবেন যে বাধ্য হয়ে অন্যদের বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে হয়। অর্থাৎ নিয়মানুবর্তিতা তাঁর স্বভাবে রয়েছে। আর সেজন্য যখন যে দায়িত্ব পেয়েছেন, সর্বদাই দূরদৃষ্টি নিয়ে রোডম্যাপ, কর্মপদ্ধতি ও কৌশল ঠিক করে সেজন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ যোগাড় করে যোগ্য ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিয়ে কাজটিকে সফল করে তুলেছেন। প্রথমবার যখন তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন, শ্রদ্ধেয় অটলজি তাঁকে একটি বিশেষ বিভাগের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন। দক্ষিণ ভারতের জনপ্রতিনিধি ভেঙ্কাইয়াজি বরাবরই ইংরেজিতে খুব ভালো, সুবক্তা; সেজন্য তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু ভেঙ্কাইয়াজি জানতে পেয়ে আমার কাছে ছুটে আসেন। আমি তখন মহাসচিব ছিলাম। এসে বলেন, ভাই, আমাকে ফাঁসাচ্ছো কেন? এটা আমার কাজ নয়। আমি জিজ্ঞেস করি, আপনি কী করতে চান? তিনি বলেন, আমাকে এই বড় বিভাগ দেবেন না। আমাকে গ্রামীণ বিকাশ দিন, আমি সেখানে জান লড়িয়ে দেব। আমি বললাম, যান অটলজিকে গিয়ে বলুন। আর আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, তিনি সরাসরি অটলজিকে গিয়ে বললেন, আমি স্বভাব, বৃত্তি ও প্রবৃত্তিতে কৃষক। কৃষকদের জন্য কিছু করতে পারলে আমি নিজেকে ধন্য ভাববো। সেজন্য মন্ত্রীত্ব যদি দিতেই হয়, আমাকে গ্রামীণ বিকাশ মন্ত্রক দিন। ফলস্বরূপ, তিনি একটি ইতিহাস রচনা করলেন। একটু আগেই যেমন অরুণজি বলছিলেন, ভেঙ্কাইয়াজি প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনাকে সর্বাধিক কার্যকরি প্রকল্পে পরিণত করেছিলেন। তারপর থেকে সমস্ত সংসদ সদস্য সরকারের কাছে সবার আগে যে দাবি জানায়, তা হল তাঁর এলাকায় প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনার বরাদ্দ। একটা সময় ছিল, যখন সবাই তাঁর সংসদীয় অঞ্চলে রেল স্টেশনের জন্��� দাবি করত। সেখান থেকে সাংসদদের অগ্রাধিকার পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনার দিকে আগ্রহী করে তোলার কৃতিত্ব যদি কাউকে দিতে হয়, তা ভেঙ্কাইয়াজিকেই দিতে হবে। তেমনই গ্রামে গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার জন্য তিনি যে পরিশ্রম করেছেন, তা অতুলনীয়। আজও যখন সংসদের অধিবেশনে এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা প্রতিহত হয়, তখন তিনি সবচেয়ে বেশি বিরক্ত হন, তাঁর মনে হয়, আরে বিদেশ নীতি সম্পর্কে আলোচনা এক-আধ দিন না হলেও চলবে, কিন্তু যখন গ্রাম ও কৃষক নিয়ে আলোচনার হওয়ার কথা, তখন কেন সংসদ অচল করা হবে? তাঁর ভেতরে এই যে অস্থিরতা, তা দেশের সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য তাঁর মনের তীব্র আকাঙ্খা-প্রসূত। বক্তা হিসাবে যাঁরা তাঁর তেলেগু বক্তৃতা শুনেছেন, তাঁরা জানেন যে, আজ অব্দি কেউ তাঁর মতো গতিতে বলতে পারেননি। আপনাদের মনে হবে যে, নিজেরা লোকাল ট্রেনে বসে আছেন, আর তিনি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস চালিয়ে যাচ্ছেন। এত দ্রুত বলার জন্য চিন্তার যোগান কোথা থেকে পান, তা ভেবে আশ্চর্য হতে হয়! আর অত্যন্ত সাবলীলভাবে তিনি অন্তঃমিল দিয়ে ছন্দে কথা বলতে ভালোবাসেন। রাজনৈতিক ভাষণে এতটা বলেন না। কিন্তু যখন আমাদের সাংগঠনিক বৈঠক হয়, সেখানে অধিকাংশ সময়েই তিনি ছন্দে কথা বলেন। এর প্রভাব আপনারা সংসদ ভবনেও দেখতে পেয়েছেন। আমি তাঁর এক বছর কার্যকালের সমস্ত হিসাব দেশের সামনে তুলে ধরার জন্য যে টিম কাজ করেছে, তাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আমি স্বীকার করি যে, এই তথ্য সংকলন এহেন একটি উঁচু পদকে কিভাবে সমাজের উপকারে লাগানো যায়, এতে কতটা অভিনবত্ব আনা যায়, কতটা গতি প্রদান করা যায় এবং এসবের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিজের মর্যাদা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকে কিভাবে সাহায্য করা যায়, তার প্রমাণ এই বইটিতে গ্রন্থিত হয়েছে। এটা দেখে মনে হতে পারে যে, উপ-রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের এক বছরের কার্যকালের বর্ণনা। কিন্তু এটি একটি পারিবারিক অ্যালবামের মতো, যেখানে আমরা সবাই কোথাও না কোথাও রয়েছি, সাংসদরা রয়েছেন, রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীরা রয়েছেন আবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও রয়েছেন। দেশের দূরদূরান্তের রাজ্যগুলি রয়েছে, যাদের সঙ্গে কেন্দ্রের সম্পর্কে ভারসাম্য বজায় রাখার সতর্ক প্রচেষ্টা রয়েছে। এখান থেকেও একটি দর্শন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আমি ভেঙ্কাইয়াজিকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জ���নাই। তাঁর মনে যেমন ইচ্ছা রয়েছে, সংসদ খুব ভালোভাবে চলুক, সংসদের প্রতিটি আলোচনা অর্থবহ ও কার্যকরি হোক এবং দেশের কাজে লাগুক। তাঁর এই স্বপ্ন; আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তাঁর লাগাতার প্রচেষ্টায় এই স্বপ্নও সফল হবে। আমি ভেঙ্কাইয়াজিকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাই।",উপ-ৰাষ্ট্রপতি ভেংকায়া নাইডুৰ কার্যকালৰ প্ৰথম বৰ্ষপূর্তি উপলক্ষে গ্রন্থ উন্মোচনী অনুষ্ঠানত প্রধানমন্ত্রীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লি, ১৮ অগাস্ট, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারতীয় বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থার অধীনস্থ সেন্টার ফর ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ল’র বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় ভারতের স্থায়ী মিশন এবং দ্য গ্র্যাজুয়েট ইন্সটিটিউট, জেনেভার সেন্টার ফর ট্রেড অ্যান্ড ইকনোমিক ইন্টিগ্রেশনের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দ্য গ্র্যাজুয়েট ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-এর সিটিইআই-এর সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্র অনুযায়ী, সিটিআইএল-এর কর্মীরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়াও, বাণিজ্য দপ্তরের আধিকারিক, সিটিআইএল-এর গবেষক এবং শিক্ষাবিদরা আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের বিষয়ে সমকালীন বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। এর ফলে, তাঁদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইনে ভারতের অবস্থান সুদৃঢ় হবে। এই সমঝোতাপত্র অনুযায়ী, সিটিআইএল, বাণিজ্য দপ্তর ও অন্যান্য সরকারি সংস্থার কর্মীরা সিটিইআই-এর থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। এর সাহায্যে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের আলোচনা এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিবাদের নিষ্পত্তিতে ভারতের সুবিধা হবে। বিস্তারিত : এই সমঝোতাপত্র অনুসারে, ভারত, সুইজারল্যান্ড সহ অন্যান্য দেশের শিক্ষাবিদ, নীতি প্রণয়নকারী, ছাত্রছাত্রী এবং বাণিজ্য আইন নিয়ে যাঁরা কাজ করেন – তাঁরা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। এই সমঝোতাপত্র তিন বছরের জন্য কার্যকর হবে।","বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাত ভাৰতীয় বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থাৰ অধীনস্থ বাণিজ্য আৰু বিনিয়োগ আইন কেন্দ্ৰৰ ভাৰতৰ স্থায়ী মিচন আৰু দ্য গ্ৰেজুৱেট ইনষ্টিটিউট, জেনেভাৰ চেণ্টাৰ ফৰ ট্রেড এণ্ড ইকন’মিক ইণ্টিগ্রেচনৰ মাজত স্বাক্ষৰিত বুজাবুজি পত্ৰত কেবিনেটৰ অনুমোদ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লিতে জাতির উদ্দেশে জাতীয় যুদ্ধ স্মারক উৎসর্গীকরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনির্বাণ অগ্নিশিখা প্রজ্জ্বলন করেন। এর আগে প্রাক্তন সেনানীদের এক বিপুল সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লক্ষ লক্ষ বীর ও আত্মোৎসর্গীকৃত সেনানীদের কারণে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আজ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী হিসাবে গণ্য করা হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন, শত্রুপক্ষ হোক বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যে কোনও পরিস্থিতিতেই প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা ক্ষেত্রে সেনারা সর্বাগ্রে থাকেন। পুলওয়ামায় সাম্প্রতিক জঙ্গিহানায় সিআরপিএফ – এর যে সমস্ত জওয়ান শহীদ হয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁদের স্মরণ করেন এবং দেশের সুরক্ষায় যাঁরা আত্মবলিদান করেছেন, সেই সমস্ত শহীদদেরও শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে আজ নতুন ভারতের যে ভাবমূর্তি গড়ে উঠছে, তার পেছনে সশস্ত্র বাহিনীগুলির বড় অবদান রয়েছে। জাতীয় যুদ্ধ স্মারক জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেনাকর্মী ও প্রাক্তন সেনানীদের কল্যাণে ‘এক পদ, এক পেনশন’ প্রদানের যে অঙ্গীকার কেন্দ্রীয় সরকার করেছিল, তা বাস্তবায়িত হয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক পদ, এক পেনশন’ ব্যবস্থার ফলে পেনশন হার ২০১৪’র তুলনায় ৪০ শতাংশ এবং সেনাকর্মীদের বেতন ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। সেনাবাহিনীর জন্য দীর্ঘদিন ধরে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের যে দাবি ছিল, সে প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এ ধরণের তিনটি হাসপাতাল গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেন। সশস্ত্র বাহিনীগুলির প্রতি সরকারের প্রয়াসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সেনা দিবস, নৌ দিবস এবং বায়ুসেনা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সেনাকর্মীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের বিষয়ে যে অনুপ্রেরণা দেওয়া হয়ে থাকে, তার কথাও উল্লেখ করেন। সেনাকর্মীদের সাহসিকতার পুরস্কারের জন্য ২০১৭’র ১৫ই আগস্ট যে পোর্টালের সূচনা হয়েছে, শ্রী মোদী সেকথাও স্মরণ করেন। মহিলারাও এখন যুদ্ধ বিমানের বৈমানিক হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীতে মহিলা আধিকারিকদের সল্প মেয়াদী সেবার পরিবর্তে পুরুষ সহকর্মীদের মতোই এখন স্থায়ীকরণের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিরক্ষা সংগ্রহের সমগ্র প্রক্রিয়াতেই পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকার স্বচ্ছতা ও এবং সংগ্রহ ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে যথাযথ নজরদারির উদ্যোগ নিয়েছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের আওতায় যে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে, তিনি সেকথাও উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী রাষ্ট্রসংঘের ৭০টি প্রধান শান্তি রক্ষা অভিযানের মধ্যে প্রায় ৫০টিতে অংশ নিয়েছে। এমনকি, প্রায় ২ লক্ষ ভারতীয় সেনা এই অভিযানের অঙ্গ হয়ে উঠেছেন। ভারতীয় নৌ-বাহিনী ২০১৬ সালে যে আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউ বা নৌ সম্মেলন আয়োজন করে, তাতে ৫০টি দেশের নৌ-বাহিনী অংশ নেয়। এছাড়াও, ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রতি বছর সম-মানসিকতা ভাবাপন্ন বন্ধু দেশগুলির বাহিনীর সঙ্গে গড়ে ১০টি করে যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়ে থাকে। ভারত মহাসাগরে জলদস্যু আক্রমণের ঘটনা লক্ষ্যণীয় হারে হ্রাস পাওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলে জলদেশে ভারতীয় সেনার উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব মজবুত হওয়ায় এ ধরণের ঘটনা কমে এসেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য ১ লক্ষ ৮৬ হাজার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট সংগ্রহের যে দাবি ছিল, সেই দাবি তাঁর সরকার পূরণ করেছে এবং বিগত সাড়ে চার বছরে ২ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি এই ধরণের জ্যাকেট সংগ্রহ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সর্বাধুনিক যুদ্ধ বিমান, হেলিকপ্টার, ডুবো জাহাজ, যুদ্ধ জাহাজ এবং প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সুসজ্জিত করে তুলছে। সেনাবাহিনীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যে সমস্ত বিষয় দীর্ঘদিন ধরে পড়েছিল, জাতীয় স্বার্থে সেই বিষয়গুলিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় যুদ্ধ স্মারকের পাশাপাশি, জাতীয় পুলিশ স্মারকও গড়ে তোলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার মহান জাতীয়তাবাদী নেতা, যেমন – সর্দার প্যাটেল, বাবাসাহেব আম্বেদকর এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর অসামান্য অবদানকে স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতীয় স্বার্থের বিষয়টিকে সর্বাগ্রে রেখে কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনীয় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চলবে বলেও শ্রী মোদী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।",ৰাষ্ট্ৰীয় যুদ্ধ স্মাৰকৰ উচৰ্গা অনুষ্ঠানত উপস্থিত প্ৰাক্তন সেনা জোৱানসকলক উদ্দেশ্যি প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%B9/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মহাত্মা গান্ধী এবং লাল বাহাদুর শাস্তীর জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা অর্পণ করে বলেছেন, ‘গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপিতাকে শত শত প্রণাম । আজ থেকে আমরা পুজনীয় বাপুর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী বর্ষে প্রবেশ করছি। এটি আমাদের সামনে বাপুজির স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করার অনেক বড় সুযোগ। সৌম্য ব্যক্তিত্ব, কুশল নেতৃত্ব এবং দৃঢ় প্রত্যয় এর প্রতীক। লাল বাহাদুর শাস্ত্রীজিকে তার জন্মজয়ন্তীতে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।’",জন্ম বাৰ্ষিকী উপলক্ষে মহাত্মা গান্ধী আৰু লাল বাহাদুৰ শাস্ত্ৰীৰ প্ৰতি প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শ্ৰদ্ধাঞ্জলি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%98%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%83%E0%A7%B0%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লি, ২৯ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস উপলক্ষে বাঘ সংরক্ষণের সঙ্গে যুক্ত সকলের প্রশংসা করেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন – “আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস উপলক্ষে আমি যাঁরা বাঘ সংরক্ষণের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত তাঁদের সকলের কাজের প্রশংসা করছি। আপনারা জেনে গর্বিত বোধ করবেন যে ভারতে ৭৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার জায়গায় ৫২টি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ অঞ্চল রয়েছে। ব্যাঘ্র সংরক্ষণের কাজে স্থানীয় মানুষজনকে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করতে নানারকম অভিনব প্রয়াসও গ্রহণ করা হয়েছে।”",প্রধানমন্ত্রীয়ে আন্তঃৰাষ্ট্ৰীয় বাঘ দিৱস উপলক্ষে বাঘ সংৰক্ষণবাদীৰ প্ৰয়াসৰ প্ৰশংসা কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%97-7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7-2/,"নয়াদিল্লি, ০৪ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের গান্ধীনগরে ডিজিটাল ইন্ডিয়া সপ্তাহ ২০২২-এর সূচনা করেছেন। এর মূল ভাবনা ভারতের কারিগরি কৌশলকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার প্রয়াস। এই অনুষ্ঠানে তিনি আরও বিভিন্ন ডিজিটাল উদ্যোগের সূচনা করেন। প্রযুক্তির সহজলভ্যতা ও সহজে পরিষেবা প্রদান করে জীবনযাত্রার মান সহজ করতে এবং স্টার্টআপগুলিকে উৎসাহ দিতে এই উদ্যোগগুলি চালু করা হয়েছে। শ্রী মোদী চিপস টু স্টার্টআপ কর্মসূচির আওতায় চালু হতে যাওয়া ৩০টি প্রতিষ্ঠানের প্রথম দলটির ঘোষণা করেছেন । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং শ্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। এছাড়াও, রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রীরা জনগণের প্রতিনিধি স্টার্টআপ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সমাবেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশ শতকের ভারতের ক্রমপরিবর্তনশীল ছবি পরিস্ফূট হচ্ছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র মাধ্যমে ভারত কিভাবে মানবজাতির উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করছে, তা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, “আট বছর আগে শুরু হওয়া এই প্রচার সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যেভাবে বিকশিত হয়েছে, আমি তাতে আনন্দিত”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব দেশ সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করেনি, সময় তাদের পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে। তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের সময় ভারত এর সুফলভোগী ছিল। কিন্তু, বর্তমানে আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, ভারত চতুর্থ শিল্প বিপ্লব শিল্প ৪.০ – এর ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে গুজরাটের ভূমিকারও প্রশংসা করেন। ৮-১০ বছর আগের কথা স্মরণ করে নরেন্দ্র মোদী বলেন, জন্মের শংসাপত্র, বিল জমা দেওয়া, রেশন দোকান, ফলাফল জানতে বা ব্যাঙ্কের কাজ – সব ক্ষেত্রেই জনগণকে লাইনে দাঁড়াতে হ’ত। কিন্তু, অনলাইন ব্যবস্থা চালুর ফলে ভারত থেকে এখন ঐ দীর্ঘ লাইনগুলি ক্রমশ অবলুপ্ত হচ্ছে। জীবনের শংসাপত্র, সংরক্ষণ, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার মতো বিভিন্ন পরিষেবা দ্রুত সহজে পাওয়া যায়। পাশাপাশি, প্রযুক্তির মাধ্যমে সরাসরি ভর্তুকি প্রদান ব্যবস্থাপনায় গত আট বছরে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ২৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি সরাসরি পাঠানো সম্ভব হয়েছে। ‘প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে দেশের ২ ���ক্ষ ২৩ হাজার কোটি টাকা ভুল হাতে পৌঁছনো বন্ধ করা গেছে’। দুর্নীতি কমাতে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ভূমিকার উপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়া বর্তমানে সরকারকে জনগণের দরজায় ও ফোনে নিয়ে এসেছে। ১ লক্ষ ২৫ হাজারেরও বেশি সাধারণ পরিষেবা কেন্দ্র এবং গ্রামীণ বিপণীগুলি বর্তমানে গ্রামীণ ভারতে ই-কমার্স ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এছাড়াও, গ্রামাঞ্চলের জমি-জমা সংক্রান্ত নথিপত্রও প্রযুক্তির সাহায্যে পাওয়া যাচ্ছে। অতিমারীর সময় প্রযুক্তির ব্যবহার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত আট বছরের ডিজিটাল ইন্ডিয়া দেশে যে ক্ষমতা তৈরি করেছে, তার সাহায্যে করোনা অতিমারী মোকাবিলায় সাহায্য পেয়েছে ভারত। দেশের কোটি কোটি মহিলা, কৃষক, শ্রমিকরা একটি মাত্র ক্লিকের মাধ্যমেই হাজার হাজার কোটি টাকা তাঁদের ব্যাঙ্কে পেয়েছেন। “এক দেশ, এক রেশন কার্ড – ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা ৮০ কোটিরও বেশি দেশবাসীর জন্য বিনামূল্যে রেশন নিশ্চিত করতে পেরেছি”। আমরা বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে কার্যকর কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচি চালাচ্ছি। আমাদের কোউইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ২০০ কোটির কাছাকাছি প্রতিষেধক ও এ-সংক্রান্ত শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের ফিনটেক কর্মসূচি বাস্তব অর্থেই জনগণের দ্বারা জনগণের জন্য কাজের উদাহরণ। ভারতের জনগণই এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে। দেশবাসী এটিকে তাঁদের জীবনের অংশ করে নিয়েছে। এর ফলে, দেশের জনগণের বিনিময় ব্যবস্থা সহজতর হয়েছে। বিশ্বের ৪০ শতাংশ ডিজিটাল লেনদেনই ভারতে হয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ৪-৫ বছরে শিল্প ৪.০-এর জন্য ১৪-১৫ লক্ষ যুবসম্প্রদায়কে দক্ষ ও তাঁদের দক্ষতাকে আরও উন্নত করে তোলার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ম্যাপিং, ড্রোন, গেমিং এবং অ্যানিমেশন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আগামী দিনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে ভারত আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বৈদ্যুতিন সামগ্রী নির্মাণের লক্ষ্য নিয়েছে। ভারত সহজলভ্য গ্রহীতা থেকে পরিবর্তিত হয়ে সস্তায় প্রস্তুতকারক হয়ে উঠতে চায়। সেমিকন্ডাক্টরের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ভারত আরও বেশি মাত্রায় বিনিয়োগ করছে”। ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচি দেশের মানুষকে পরিষেবা প্রদানের পাশাপাশি, নতুন দিশা পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। যে উদ্যোগুলি চালু হয়েছে, তার বিবরণ: ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া ভাষিনী’ ভারতীয় ভাষায় ইন্টারনেট ও ডিজিটাল পরিষেবা প্রদান করবে। এতে কন্ঠস্বরের মাধ্যমে সুবিধা উপভোগ করা যাবে। ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া জেনেসিস’ ভারতের টু টিয়ার ও থ্রি টিয়ার শহরগুলির স্টার্টআপগুলিকে সফল করে তুলতে একটি প্ল্যাটফর্ম ‘ইন্ডিয়াস টেক গ্লোবাল’ – আধার, ইউপিআই, ডিজিলকার, কোউইন প্রতিষেধক প্ল্যাটফর্ম, সরকারের ই-মার্কেট প্লেস (জেম), দীক্ষা প্ল্যাটফর্ম এবং আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের মতো প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নে সাহায্য করবে। ‘মাইস্কিম’ সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার একটি প্ল্যাটফর্ম। প্রধানমন্ত্রী ‘মেরি পেহচান’ প্রকল্পেরও সূচনা করেন। সি টু এস কর্মসূচি সেমিকন্ডাক্টরগুলি ডিজাইন করার ক্ষেত্রে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া সপ্তাহ ২০২২ – এর বিভিন্ন কর্মসূচি গান্ধীনগরে ৪-৬ জুলাই পর্যন্ত চলবে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া বর্ষপূর্তিতে ইউপিআই, আধার, কোউইন, ডিজিলকারের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির সুবিধা জনগণ কিভাবে নিতে পারবেন, তা জানানো হবে। বিশ্বের জনগণের কাছে ভারতের প্রযুক্তির উন্নয়ন তুলে ধরা হবে। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্টার্টআপ ক্ষেত্র ছাড়াও সরকারি ও শিল্প ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। একটি ডিজিটাল মেলারও আয়োজন করা হয়েছে। এতে রয়েছে ২০০টি স্টল। ৭-৯ জুলাই ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে পালিত হবে ডিজিটাল ইন্ডিয়া সপ্তাহ।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে গান্ধীনগৰত ডিজিটেল ইণ্ডিয়া সপ্তাহ ২০২২ উদ্বোধন কৰে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%83-%E0%A6%AE%E0%A7%83/,"নয়াদিল্লি, ৩০ নভেম্বর ২০২২ দেশে মাতৃত্বকালীন মৃত্যু হার হ্রাস পাওয়ার ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন যে নারী ক্ষমতায়নের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই যাতে যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে সেই দিকটিতেই আমরা বিশেষভাবে জোর দিচ্ছি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থা ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডঃ মনসুখ মাণ্ডব্যের এক ট্যুইট বার্তা উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন : “এটি হল এক বিশেষ উৎসাহব্যঞ্জক প্রবণতা। এই পরিবর্তনে আমি খুশি। নারী ক্ষমতায়নের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি বিষয় যাতে যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে সেই দিকটিতেই আমরা বিশেষভাবে জোর দিচ্ছি।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৪-১৬ সময়কালে প্রতি ১ লক্ষ শিশুর জন্মের ক্ষেত্রে মৃত্যু হার ছিল ১৩০। তুলনায়, ২০১৮-২০ – এই সময়কালে এই হার নেমে এসেছে ৯৭-তে।",প্রধানমন্ত্রীয়ে মাতৃ মৃত্যুৰ হাৰত গুৰুত্বপূৰ্ণ হ্ৰাসৰ প্ৰশংসা কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B9%E0%A7%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA/,"নয়াদিল্লি, ১৭ অগাস্ট, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ পরম্পরাগত জ্ঞান সংক্রান্ত ডিজিটাল লাইব্রেরী (টিকেডিএল)-র তথ্য ভান্ডার উন্মুক্ত করার বিষয়টি অনুমোদন করেছে। টিকেডিএল তথ্য ভান্ডার উন্মুক্ত করা ভারত সরকারের একটি উচ্চকাঙ্খী ও দূরদর্শী পদক্ষেপ। এটি ভারতীয় চিরাচরিত জ্ঞানের ক্ষেত্রে এক নতুন ভোর হবে। টিকেডিএল বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের পরম্পরাগত জ্ঞান ও ঐতিহ্যের উপর ভিত্তিতে করে গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের কাজ চালাতে উৎসাহ দেবে নতুন শিক্ষা নীতি ২০২০’র আওতায়। ভারতীয় পরম্পরাগত জ্ঞানের চর্চা সামাজিক সুফল যোগানোর পাশাপাশি, অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও সুযোগ করে দিচ্ছে। যেমন – এদেশের সনাতন ঔষধি ও সুস্বাস্থ্য ব্যবস্থা অর্থাৎ আয়ুর্বেদ, সিদ্ধা, ইউনানি, সওয়ারিগতা এবং যোগা দেশে ও বিদেশে অসংখ্য মানুষের চাহিদা মেটাচ্ছে আজও। কোভিড-১৯ অতিমারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেও অনেককে ভারতীয় সনাতনী ঔষধি ব্যবস্থার সাহায্য নিতে দেখা গেছে। এ বছরের এপ্রিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) তার প্রথম সনাতনী ঔষধির বিশ্ব কেন্দ্রটি ভারতে স্থাপন করেছে। এগুলি বর্তমান পরিস্থিতিতে সনাতনী জঙানের প্রাসঙ্গিকতার গুরুত্ব নির্দেশ করে। মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের ফলে সনাতনী জ্ঞান ও বর্তমান চর্চার সংহতি ও মিলনের মধ্য দিয়ে উদ্ভাবন এবং বাণিজ্যিকরণ বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব প্রদান করলো। আগামী দিনে ভারতীয় পরম্পরাগত জ্ঞান সম্পর্কে অন্যান্য ক্ষেত্রের তথ্যাদিও টিকেডিএল – এর তথ্য ভান্ডারে যুক্ত হবে সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিপ্রেক্ষিতে। এতদিন পূর্ণাঙ্গ টিকেডিএল তথ্য ভান্ডারটি অনুস��্ধান ও পরীক্ষার জন্য বিশ্ব জুড়ে ১৪টি মাত্র পেটেন্ট অফিসেই ব্যবহার করা যেত। এবারে এই তথ্য ভান্ডার ব্যবহারের সুযোগ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সৃজনশীল মনকে উন্নততর আরও নিরাপদ ও আরও কার্যকর সুস্বাস্থ্যগত সমাধান করতে উদ্বুদ্ধ করবে। ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য নব নব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বলিষ্ঠ ভিত্তি রচনা করবে।",পেটেণ্ট কাৰ্যালয়সমূহৰ উপৰি পৰম্পৰাগত জ্ঞান ডিজিটেল লাইব্ৰেৰী(টিকেডিএল)ৰ তথ্য ব্যৱহাৰকাৰীসকলে ব্যাপক হাৰত আহৰণত কেবিনেটৰ অনুমোদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%98%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AD%E0%A7%82-%E0%A6%B8-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%98%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AD%E0%A7%82-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5/,"নয়াদিল্লি, ১১ অক্টোবর ২০২২ আন্তর্জাতিক অভ্যাগতবৃন্দ, বিশ্ব ভূ-স্থানিক ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা, সম্মানীয় অংশগ্রহণকারী এবং বন্ধুগণ। ভারতে স্বাগত! রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশ্ব ভূ-স্থানিক আন্তর্জাতিক কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনে আপনাদের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পেয়ে আমি খুশি। এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পেরে ভারতের মানুষ খুশি তার কারণ আমরা একসাথেই ভবিষ্যৎ গড়তে চাই। হায়দরাবাদে যে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে তা খুবই সুন্দর। এই শহর সংস্কৃতি, ভালো খাবার, আতিথেয়তা এবং উন্নত প্রযুক্তির দিশার জন্য পরিচিত। বন্ধুগণ, এই সম্মেলনের মূল ভাবনা – ‘ভূ-সমন্বিত আন্তর্জাতিক গ্রাম : কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে’। বিগত কয়েক বছর ধরে ভারত যে পথের দিশারী, এখানে সেটাই পরিলক্ষিত হচ্ছে। অন্ত্যোদয়-এর লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি যার অর্থ হচ্ছে শেষ সীমায় শেষ ব্যক্তিটির সশক্তিকরণ। এই দিশাই বৃহত্তর পর্যায়ে শেষ সীমা পর্যন্ত সশক্তিকরণের পথে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ৪৫ কোটি মানুষ ব্যাঙ্কিং পরিষেবার বাইরে, যে সংখ্যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার থেকেও বেশি, তাঁদের ব্যাঙ্কিং পরিষেবার মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে এবং ১৩ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ, যা ফ্রান্সের জনসংখ্যার দ্বিগুণ, তাঁদের বিমার আওতায় আনা হয়েছে। ১১ কোটি পরিবারের মধ্যে স্বচ্ছতার সুবিধা সম্প্রসারিত হয়েছে এবং ৬ কোটিরও বেশি পরিবারকে পাইপবাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বন্ধুগণ, ভারতের এই অগ্রগতির যাত্রাপথে প্রযুক্তি এবং মেধা হল দুটি স্তম্ভ। প্রথমে আমরা প্রথম স্তম্ভ হিসেবে প্রযুক্তির দিকে আলোকপাত করি। প্রযুক্তি রূপান্তর নিয়ে আসে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো শুনেছেন যে ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের এক নম্বর স্থান দখল করে আছে। আপনি যদি বাইরে গিয়ে দেখেন তাহলে দেখবেন যে ছোট ব্যবসায়ীরাও ডিজিটাল লেনদেন পছন্দ করছেন এবং তা গ্রহণ করছেন। এই প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েই আমরা কোভিড-১৯ অতিমারী সময়কালে দরিদ্রদের সাহায্য করতে পেরেছি। আমাদের প্রযুক্তি-ভিত্তিক জ্যাম-এর মতো ত্রয়ী নিরলসভাবে ৮০ কোটি মানুষকে সরকারের জনকল্যাণমুখী সুবিধার সুযোগ দিয়ে আসছে। প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভর করেই বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকাকরণ কর্মসূচি সম্পাদন করা হয়েছে। ভারতে প্রযুক্তি বর্জনের বাহক নয়। এটা অন্তর্ভুক্তির বাহক। আপনারা সকলেই ভূ-স্থানিক ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত। আপনারা জেনে খুবই খুশি হবেন যে ভূ-স্থানিক প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তি এবং অগ্রগতির ক্ষেত্রে পরিচালকের ভূমিকা নিয়েছে। ধরা যাক আমাদের ‘স্বামীত্ব’ যোজনা। গ্রামের সম্পত্তি মানচিত্রকরণের ক্ষেত্রে আমরা ড্রোনকে ব্যবহার করছি। এই ডেটাকে কাজে লাগিয়ে গ্রামবাসীরা তাঁদের সম্পত্তি কার্ড পাচ্ছেন। দশকে এই প্রথম গ্রামের মানুষদের তাঁদের সম্পত্তির স্বচ্ছ নথিপত্র রয়েছে। আপনারা অনেকেই জানেন যে বিশ্বে সম্পত্তির অধিকার সমৃদ্ধি অর্জনের পথকে প্রশস্ত করে দেয়, আর এই সমৃদ্ধি আরও গতিশীল হতে পারে যদি মহিলারা সম্পত্তির মূল সুবিধাভোগী হতে পারেন। ভারতে আমরা এই কাজটিই করছি। আমাদের জন-আবাসন প্রকল্প ২ কোটি ৪০ লক্ষ দরিদ্র পরিবারকে বাসস্থান যুগিয়েছে। এই সমস্ত গৃহের প্রায় ৭০ শতাংশই মহিলারা হয় এককভাবে অথবা যৌথ সত্ত্বাধিকারী। দারিদ্র্য এবং লিঙ্গ বৈষম্য ঘোচাতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপগুলির প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে। আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষী ‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি জাতীয় মাস্টার প্ল্যান’ বহুস্তরীয় পরিকাঠামো নির্মাণ করছে। ভূ-স্থানিক প্রযুক্তি একে শক্তি যোগাচ্ছে। আমাদের ‘ডিজিটাল ওশন প্ল্যাটফর্ম’ সমুদ্র ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ভূ-স্থানিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। সামুদ্রিক ইকো-সিস্টেম এবং পরিবেশের ক্ষেত্রে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ইতিমধ্যেই ভূ-স্থানিক প্রযুক্তির সুবিধা ভাগ করে নেওয়ার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমাদের দক্ষিণ এশীয় উপগ্রহ প্রতিবে��ী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাচ্ছে। বন্ধুগণ, আমি আপনাদের বলেছি যে ভারতের যাত্রাপথ প্রযুক্তি এবং মেধা-নির্ভর। এবারে আমরা দ্বিতীয় স্তম্ভ হিসেবে মেধার আলোচনা করি। মহৎ উদ্ভাবনী প্রাণশক্তি নিয়ে ভারত এক তরুণ জাতি। বিশ্বে স্টার্ট-আপ হাবের ক্ষেত্রে ভারত শীর্ষ স্থান অধিকার করে আছে। ইউনিকর্ন স্টার্ট-আপ-এর সংখ্যা ২০২১ থেকে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এটা ভারতের তরুণ মেধার ফলেই সম্ভব হয়েছে। ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তির ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস ভারত উদযাপন করছে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ স্বাধীনতা হল উদ্ভাবনী স্বাধীনতা। ভূ-স্থানিক ক্ষেত্রের জন্য এটা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। তরুণ ও মেধাবী যুব সম্প্রদায়ের জন্য আমরা এই ক্ষেত্রকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। গত দু’শতকের বেশি সময় ধরে যে ডেটা সংগৃহীত হয়েছিল, হঠাৎ করে তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে এবং সকলেই তার সুবিধা পাচ্ছে। ডেটা সংগ্রহ, সৃষ্টি এবং ডিজিটাইজেশনকে গণতান্ত্রিকরণ করা হয়েছে। এই সংস্কার বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। ভূ-স্থানিক ক্ষেত্রের সঙ্গে আমরা ড্রোন ক্ষেত্রকেও শক্তিশালী করেছি। মহাকাশ ক্ষেত্রকে বেসরকারি অংশগ্রহণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ভারতে ৫জি পরিষেবা চালু হয়েছে। সংগৃহীত ডেটাগুলির পাশাপাশি ড্রোন প্রযুক্তি নতুন ডেটা সংগ্রহ করছে, মহাকাশ ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জনের প্ল্যাটফর্ম এবং উচ্চ গতিশীল সংযোগ তরুণ ভারত এবং সারা বিশ্বের জন্যই আগামীদিনে নির্ণায়ক হয়ে দেখা দেবে। বন্ধুগণ, আমরা যখন বলছি কাউকেই বাদ দেওয়া হবে না’, এর অর্থ সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কোভিড-১৯ অতিমারী সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলার প্রয়োজনীয়তার পথ আমাদের দেখিয়েছে। উন্নয়নশীল বিশ্বে কোটি কোটি মানুষের রোগ নির্ণয়, ওষুধ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি, টিকা এবং আরও অনেক কিছুর প্রয়োজন রয়েছে। তাঁদেরকে তাঁদের ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সঙ্কটের মুহূর্তে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রত্যেককে একে অন্যের জন্য এগিয়ে আসতে একটা প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের প্রয়োজন রয়েছে। আন্তর্জাতিক সংগঠন হিসেবে প্রত্যেক এলাকার শেষ সীমায় সম্পদ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলার ক্ষেত্রে হাতে হাত মেলানো এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একই ধরিত্রীর বাসিন্দা। আমি নিশ্চিত যে আমাদের এই ধরিত্রীকে রক্ষা করতে আপনারা সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহারিক সুবিধা বিনিময় করবেন। ভূ-স্থানিক প্রযুক্তির সম্ভাবনা অপরিসীম। সুস্থায়ী নগরোন্নয়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ ও মোকাবিলা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব চিহ্নিতকরণ, অরণ্য ব্যবস্থাপনা, জল ব্যবস্থাপনা, মরু প্রসার রোধ এবং খাদ্য সুরক্ষা। এছাড়াও, ভূ-স্থানিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের ধরিত্রীর জন্য আমরা অনেক কিছু করতে পারি। আমি আশা করব, এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার জন্য এই সম্মেলন একটি মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে। বন্ধুগণ, রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশ্ব ভূ-স্থানিক আন্তর্জাতিক কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশন আমাকে আশাবাদী করে তুলেছে। সারা বিশ্বের ভূ-স্থানিক শিল্পের অংশীদাররা একত্র হয়েছে। তা৬দের সঙ্গে রয়েছেন নীতি-নির্ধারক এবং শিক্ষাক্ষেত্রের মানুষজন যাঁরা একে অন্যের সঙ্গে আলোচনা করছেন। আমি স্থির নিশ্চিত যে সারা বিশ্বকে এক ছাতার তলায় এনে নতুন ভবিষ্যতের দিশারী হতে এই সম্মেলন আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে। ধন্যবাদ!",ৰাষ্ট্ৰসংঘৰ বিশ্ব ভূ-স্থানিক আন্তৰ্জাতিক কংগ্ৰেছত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পূৰ্ণ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A7%B0-%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A7%B0-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A7%B1-%E0%A6%B8/,"‘যুবশক্তি : ভবিষ্যৎ ভারত সম্পর্কে একচিন্তাভবনা’ শীর্ষক রাজ্য পর্যায়ের এক যুব সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। কর্ণাটকের তুমাকারু-তে এই যুবসম্মেলনের আয়োজন করা হয়। স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার ১২৫তম বার্ষিকী এবংভগিনী নিবেদিতার সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষেই এই সম্মেলনের আয়োজন। এছাড়াও,তুমাকুরুর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ আশ্রমের রজত জয়ন্তী বর্ষপূর্তিও এই সম্মেলনেরআরেকটি উপলক্ষ। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, যুব সমাজের আশা ও আকাঙ্খা অনুভব ও উপলব্ধিকরার জন্য তিনি দেশের তরুণ ও যুবকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মিলিত হওয়ার সম্ভাব্যসমস্ত রকম সুযোগকেই কাজে লাগান। তাঁদের আশা-আকাঙ্খার বাস্তবায়নই তাঁর এক বিশেষলক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, স্বামী বিবেকানন্দের জীবন ওকর্মপ্রচেষ্টার ওপর আলোকপাত করাই এই সম্মেলনের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য। শ্রী মোদী তাঁর ভাষণে আরও বলেন যে, স্বাধীনতা আন্দোলনকালে সর্বস্তরেরমানুষের মধ্যে একটি মাত্র সংকল্প বিশেষভাবে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল, তা হল – দেশকেপরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা। সমাজ সংস্কার প্রচেষ্টাও যুক্ত ছিল তাতে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের আবেগ ও অনুভূতিগুলির মধ্যেসমন্বয়সাধনের লক্ষ্যে গত চার বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এইকাজে সাফল্যও মিলেছে। সংহতি যে কোনও ধরণের উগ্রবাদকে দমন করতে পারে বলে মনে করেনতিনি। সাফল্য অর্জনে সংকল্পবদ্ধ হওয়ার জন্য তরুণ ও যুবকদের আহ্বান জানান শ্রীনরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, জাতি গঠনের কাজে তরুণ ও যুবশক্তির উদ্যোগী হওয়াপ্রয়োজন। প্রসঙ্গত, মুদ্রা যোজনা, স্বনির্ভর কর্মসংস্থান এবং দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচিরকথাও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক উন্নততর বর্তমান এবং এক উজ্জ্বলতর ভবিষ্যতেরলক্ষ্যে অতীতকে জানতে ক্রমশই আগ্রহী হয়ে উঠছে বর্তমান যুব সমাজ।",কৰ্ণাটকৰ টুমাকুৰুৰ যুৱ সন্মিলনত ভিডিঅ’ কনফাৰেন্সযোগে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%B2/,"দেশের কেন্দ্রশাসিতঅঞ্চলগুলির উপ-রাজ্যপাল, অর্থাৎ লেঃ গভর্নরদের বেতন ও ভাতা সংশোধন সম্পর্কিত একটিপ্রস্তাব আজ অনুমোদিত হল প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিতকেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এর ফলে, কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব পদমর্যাদার সমানবেতন ও ভাতার সুবিধা পাবেন লেঃ গভর্নররা। মন্ত্রিসভার বৈঠকেস্থির হয়েছে যে ১ জানুয়ারি, ২০১৬ থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির লেঃ গভর্নদের মাসিকবেতন ৮০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকায় উন্নীত করা হবে। এছাড়াও, মহার্ঘভাতা সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও তাঁরা ভোগ করবেন কেন্দ্রীয় সচিবদের মতোই। তবে, লেঃগভর্নদের বেতন ও ভাতা কোন সময়েই কোন রাজ্যের রাজ্যপালদের বেতন ও ভাতা অতিক্রম করেযাবে না। এর আগে,কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির লেঃ গভর্নদের বেতন ও ভাতা সংশোধিত হয়েছিল ১ জানুয়ারি,২০০৬ তারিখে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের সচিবদের ক্ষেত্রে সংশোধিত বেতন ও ভাতাকার্যকর হয়েছে ১ জানুয়ারি, ২০১৬ থেকে।",কেন্দ্ৰীয় শাসিত অঞ্চলৰ লেফটেনেণ্ট গবৰ্ণৰসকলৰ সংশোধিত দৰমহা আৰু বানচত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%AB%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-2/,"গুজরাট ফরেন্সিক সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আজ উপস্হিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ঐ অনুষ্ঠানে শ্রী মোদী বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় এবং এখানকার ছাত্রছাত্রীরা পথপ্রদর্শকের ভূমিকায় রয়েছে। একটি ব্যতিক্রমী পাঠ্যক্রম নির্বাচন করায় ছাত্রছাত্রীদের তিনি প্রশংসাও করেন। এই ধরণের পাঠ্যক্রম যথেষ্ঠ যুগপোযোগী বলে তিনি উল্লেখ করেন। ছাত্রছাত্রীদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের আত্মবিশ্বাস এবং স্হির সংকল্প আগামীদিনে তাদের যথেষ্ঠ সাহায্য করবে। শ্রী মোদী বলেন, একটি দৃঢ় বিচার ব্যবস্হা নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে, পাশাপাশি অপরাধও কমায় যা দক্ষ পুলিশবাহিনী এবং যোগ্য বিচার-বিভাগীয় ব্যবস্হার মতোই। তিনি আরও বলেন, মানুষ কোন অপরাধ করলে, তার ভয় থাকা উচিত যে, যে কোন মুহূর্তে সে ধরা পড়ে যেতে পারে। এখানে বিচারসংক্রান্ত বিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রধানমন্ত্রী ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করে বলেন, অপরাধ সংক্রান্ত অনুসন্ধান এবং সঠিক রায় দানের ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি আন্তর্জাতিক মানের মানবসম্পদ ভান্ডার সৃষ্টি করতে পেরেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। ভাষণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সাইবার অপরাধ সম্পর্কেও বক্তব্য রাখেন এবং এই প্রেক্ষিতে সাইবার বিচার সংক্রান্ত গবেষনাগারকে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি আগামী দিনে বিচার ব্যবস্হাকে সহায়তা করতে ডিএনএ প্রোফাইলিং ব্যবহারের ওপর জোর দেন। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, আগামী দিনে গুরুতর অপরাধ নিবারণ করা সম্ভব হবে। সম্ভব হবে মহিলাদের ওপর অপরাধ করার প্রবণতা কমিয়ে আনাও। এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী প্রক্রিয়া প্রগতিশীল পরিবর্তন আনার প্রচেষ্টায় ছাত্রছাত্রীদের সামিল হওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি, তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতও কামনা করেন। /",গুজৰাটৰ ফৰেনচিক বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ৰ অভিৱৰ্তন সমাৰোহত প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%9A-%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA-%E0%A6%AE%E0%A7%81/,"মির্জাপুরে এসে আজ আমি অত্যন্ত গর্ব অনুভব করছি। জগৎজননী মা বিন্ধবাসিনীর কোলে আপনাদের সবাইকে দেখে খুব ভালো লাগছে। আপনারা সকলেই অনেকক্ষণ ধরে এখানে উপস্থিত হয়েছেন। আপনাদের প্রণাম জানাই। এই বিপুল জনসংখ্যা দেখে আমার আস্থা অনেক বেড়ে গেছে যে, মা বিন্ধ্যবাসিনী এবং আপনাদের আশীর্বাদ আমার ওপর বর্ষিত হচ্ছে। উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রদ্ধেয় রাম নায়েক মহোদয়, রাজ্যের যশস্বী পরিশ্রমী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, সদা হাস্যময় উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য আমার বোন অনুপ্রিয়া, রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ, গর্বপাল সিং, আশুতোষ ট্যান্ডন, রাজেশ আগরওয়াল, সংসদ সদস্য ও বিজেপি-র প্রদেশ অধ্যক্ষ মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে, সাংসদ বীরেন্দ্র সিং, সাংসদ ভাই ভাই ছোটেলাল এবং বিপুল সংখ্যায় আগত আমার ভাই ও বোনেরা। আমি সেই তখন থেকে মঞ্চ থেকে বসে দেখছি দু’দিক থেকেই দলে দলে মানুষ আসছেন, এখনও আসছেন। বিন্ধ্য পর্বত ও ভাগীরথীর মধ্যবর্তী এই গোটা এলাকা দিব্য ও অলৌকিক, শতাব্দীকাল ধরে অপার সম্ভাবনার কেন্দ্র। সেই সম্ভাবনার অন্বেষণ এবং এই অঞ্চলের উন্নয়নযজ্ঞে সামিল হয়ে আজ আপনাদের আশীর্বাদ গ্রহণের সৌভাগ্য হয়েছে। গত বছর মার্চ মাসে আমি যখন সৌর প্রকল্প উদ্বোধন করতে এসেছিলাম, তখন আমার সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতিও ছিলেন। তখন আমাদের দু’জনকেই মা বিন্ধ্যবাসিনীর ছবি ও ওড়না দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছিল। সেই অভ্যর্থনায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ম্যাক্র এতই অভিভূত হয়েছিলেন যে তিনি আমার কাছে মায়ের মহিমা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। আর আমার কাছে মায়ের মহিমা জেনে তিনি অবাক হয়ে যান। এভাবেই এই আস্থার পরম্পরা বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলকে নিতে হবে। এই রাজ্যে আদিত্যনাথ যোগীর নেতৃত্বে এনডিএ সরকার গঠনের পর পূর্বাঞ্চল তথা গোটা উত্তর প্রদেশের উন্নয়ন কতটা গতি পেয়েছে, তা আজ সবাই দেখতে পাচ্ছে। এই অঞ্চলে গরিব, বঞ্চিত, শোষিত, পীড়িত মানুষের উন্নয়নের যে স্বপ্ন সোনেলাল প্যাটেলের মতো কর্মঠ মানুষেরা দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়িত করার প্রচেষ্টা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার নিরন্���র কাজ করে চলেছে। বিগত দু’দিন ধরে উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চলের জনগণকে এরকম অসংখ্য উন্নয়ন প্রকল্প উৎসর্গ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। দেশের সর্ববৃহৎ পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে, বারানসীতে নির্মিয়মান পেরিশেবল কার্গো সেন্টার এবং রেলের অসংখ্য প্রকল্প পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নকে অভূতপূর্ব গতি প্রদানের কাজ করবে। একটু আগেই ঐতিহাসিক বাণসাগর বাঁধ সহ প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস হয়েছে। এই প্রকল্পগুলি সেচ, স্বাস্থ্য এবং সুষ্ঠু যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করার মাধ্যমে মির্জাপুর, সোনভদ্র, ভদৌরি, চন্দৌলি এবং এলাহাবাদ অঞ্চলে কৃষকদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে চলেছে। কৃষকদের নাম করে পূর্ববর্তী সরকারগুলি সাধারণ মানুষের ভালো না করে শুধু নিজেদের আর পরিবারের সদস্যদের ভালো করেছে। দারিদ্র্য দূরীকরণের নামে ভোট চেয়ে, দলিত বা পিছিয়ে পড়া মানুষের নামে ভোট চেয়ে তাঁদেরই ভোটে নির্বাচিত হয়ে তাঁরা নিজেদের পারিবারিক সিন্দুক ভরা ছাড়া আর কোনও কাজ করেননি। অথচ এখন দেখুন, এতদিন যাঁরা পরস্পরের মুখদর্শন করতেন না, তাঁরা সবাই একত্রিত হয়েছেন। সকাল-সন্ধ্যা শুধুই আমার নাম জপ করেন – মোদী মোদী মোদী। এই সকল পরিবারবাদী দলগুলি আপনাদের উন্নয়নের প্রতিবন্ধক। তাঁরা আপনাদের ক্ষমতায়ন চান না। কারণ, আপনাদের ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত হলে তাঁদের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। বন্ধুগণ, প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মিত এই বাণসাগর প্রকল্প শুধু মির্জাপুর নয়, এলাহবাদ সহ গোটা অঞ্চলে প্রায় দেড় লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচের জল পৌঁছে দেবে। এই প্রকল্প আগে সম্পূর্ণ হলে দু’দশক আগে থেকেই আপনারা উপকৃত হতে পারতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৯৭৮ সালে শিলান্যাস হওয়া এই প্রকল্পের কাজ বাস্তবে শুরু হতেই ২০ বছর লেগে যায়। তারপরও একের পর এক সরকার ক্ষমতায় আসে কিন্তু জনগণ প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছু পান না। ২০১৪ সালে আপনারা আমাদের সেবার সুযোগ দিলে আমরা ঝুলে থাকার সমস্ত জনকল্যাণকারী প্রকল্প খুঁজে বের করি। লালফিতের ফাঁসে হারিয়ে যাওয়া এই বাণসাগর প্রকল্পকে তখন আমরা প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঁচাই যোজনার সঙ্গে যুক্ত করি এবং একে সম্পূর্ণ করার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করি। কিন্তু শুরুর দিকে রাজ্যে ভিন্ন মতাবলম্বী সরকার থাকায় কাজে তেমন গতি আসছিল না। কিন্তু বছর খানেক আগে আপনারা আদ��ত্যনাথ যোগীর নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতায় আনায় এই প্রকল্পের কাজেও গতি আসে। তার পরিণামস্বরূপ, আজ বাণসাগরের এই অমৃত আপনাদের সকলের জীবনে সৌভাগ্য এনে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। আপনারা শুনলে খুশি হবেন যে, বাণসাগর ছাড়াও এরকম যুগ সুগ ধরে অসম্পূর্ণ পড়ে থাকা ‘সরজুনগর রাষ্ট্রীয় পরিযোজনা’ এবং ‘মধ্য গঙ্গাসাগর পরিযোজনা’র কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। বন্ধুগণ, এই বাণসাগর প্রকল্প ঠিক সময়ে চালু হলে মাত্র ৩০০ কোটি টাকার বাজেটেই সম্পূর্ণ হয়ে যেত। কিন্তু ৪০ বছর পর এটি সম্পূর্ণ করতে আমাদের খরচ হয়েছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। সাধারণ মানুষের রক্ত জল করা অর্থ এভাবে অপচয় করার দায় পূর্ববর্তী সরকারগুলিকে নিতে হবে। সারা ভারতে এরকম অসংখ্য প্রকল্প তাঁরা অসম্পূর্ণ ছেড়ে গেছেন। ভাই ও বোনেরা, আজ এখানে যে কৃষকেরা উপস্থিত হয়েছেন, তাঁদের কাছে আমার কিছু আবদার রয়েছে। এই মা বিন্ধবাসিনীর মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনাদের একটি প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে। সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করে আপনাদের কাছে যে জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, আমাকে কথা দিন সেই জল আপনারা নষ্ট হতে দেবেন না। স্প্রিঙ্কলার সেচের মাধ্যমে এর প্রত্যেক জলবিন্দুকে আপনারা কাজে লাগাবেন। এতে আপনাদের টাকা বাঁচবে, জল সাশ্রয় হবে এবং কম পরিশ্রমে অধিক ফসল উদ্বোধন করতে পারবেন। যদি তা করতে পারেন, এই সেচখালের মাধ্যমে যে ১ লক্ষ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে জল পৌঁছবে, তা থেকে আরও ৭৫ হাজার হেক্টর জমি সেচের জল পেতে পারে। তারমানে, আপনারা আমাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে দ্বিগুণ সংখ্যক কৃষক উপকৃত হবেন। আপনাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। সরকার ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পে ভর্তুকি দেয়। আপনারা সেইও ভর্তুকির সুবিধাও গ্রহণ করুন। আমার প্রিয় কৃষক ভাই ও বোনেরা, যাঁরা আপনাদের জন্য কুমীরের কান্না কাঁদতেন, তাঁরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারিত করার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসেননি। খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন ও ফটো ঠিকই ছাপাতেন। কিন্তু কৃষকরা কিছু পাননি। অনেক বছর আগেই ফসল উৎপাদনে মোট খরচের দেড় গুণ সহায়ক মূল্য প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু কৃষকদের নামে রাজনীতি করা নেতাদের এতো সময় কোথায়! আমরা দায়িত্ব নিয়ে এই কাজটি করেছি। আপনাদের প্রধান সেবক হিসাবে দেশের গ্রাম, গরিব, কৃষকদের সামনে মাথা নত করে বলছি, আমরাও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেড় গুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম এবং আমরা তা করে দেখিয়েছি। সম্প্রতি সরকার কৃষকদের প্রতিশ্রুতি পূরণের মাধ্যমে খরিফ চাষে ১৪টি ফসলে ন্যূনতম সমর্থন মূল্য অনেকটাই বৃদ্ধি করেছে। ধান, ভুট্টা, জোয়ার, বাজরা, অড়হর, মুগ, সূর্যমুখী, সয়াবীন, তিল ইত্যাদির সমর্থন মূল্য ২০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে, যাতে তাঁরা বিনিয়োগ মূল্যের দ্বিগুণ সমর্থন মূল্য পান। ভাই ও বোনেরা, এই সিদ্ধান্তের ফলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের কৃষকেরাও অনেক লাভবান হবেন। ১ ক্যুইন্টাল ধানে এবার ২০০ টাকা বেশি পাবেন। ১ ক্যুইন্টাল ধান উৎপাদনে আপনাদের খরচ হয় ১,১০০-১,২০০ টাকা, ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য স্থির হয়েছে ১,৭৫০ টাকা। এর মানে সরাসরি ৫০ শতাংশ লাভ হবে। আমাকে বলা হয়েছে যে, গত বছরের তুলনায় এ বছর উত্তর প্রদেশে চার গুণ ধান ক্রয় সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সেজন্য আমি আদিত্যনাথ যোগী ও তাঁর পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানাই। অড়হরের সহায়ক মূল্য ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রায় ৬৫ শতাংশ লাভ সুনিশ্চিত। বন্ধুগণ, আমাদের সরকার দেশের কৃষকদের ছোট ছোট সমস্যা বুঝে নিয়ে সেগুলি দূর করার জন্য দিন-রাত কাজ করছে। বীজ থেকে বাজার পর্যন্ত কৃষককে সাহায্য করে তাঁদের আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। আগে আপনাদের ইউরিয়া সংগ্রহ করার জন্য পুলিশের লাঠি খেতে হ’ত। কালো বাজার থেকে ইউরিয়া কিনতে হ’ত। গত চার বছরে আপনাদের আশীর্বাদ ও সহযোগিতায় আমরা এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে এসেছি। ভাই ও বোনেরা, আমরা ঠিক করেছি যে আগামী ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।সরকারের পুরনো নীতি বদলে, সমস্ত সমস্যা নিরসন করে এগিয়ে যেতে হবে। যেমন – আমরা বাঁশের বৈজ্ঞানিক প্রজাতি অনুসারে ঘাস হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে আইন প্রণয়ন করেছি। ফলে আগে অবৈজ্ঞানিকভাবে বাঁশকে গাছ মনে করায় তার চাষ ও বিক্রির ক্ষেত্রে কৃষকদের যে আইনি সমস্যার সম্মুখীন হতে হ’ত, তা দূর হয়েছে। এখনও দেশে হাজার কোটি টাকার বাঁশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এখন আমার দেশের চাষিরাই বেশি করে বাঁশের চাষ করে এই বিরাট পরিমাণ টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন। ক্ষেতের আলে কাটা তার না লাগিয়ে বাঁশ চাষ করলে ক্ষেতের সীমানা যেমন সুরক্ষিত থাকবে, তেমনই কৃষকের আমদানিও বৃদ্ধি পাবে। আমরা যখন কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার কথা বলেছি, অনেকেই তখন তা নিয়ে ঠাট্টা- বিদ্রুপ করেছেন, নানার���ম নিরাশাব্যঞ্জক কথা বলেছেন, একটা হতাশার পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমরা লক্ষ্যস্থির রেখে এগিয়ে চলেছি। দেশের কৃষকদের ওপর আমার ভরসা ছিল। আমাদের দেশের কৃষকদের সামনে কোনও লক্ষ্যস্থির করে দিয়ে, প্রয়োজনীয় পরিবেশ গড়ে তুলতে পারলে, পরিবর্তন আনতে পারলে তাঁরা ঝুঁকি নিতে, পরিশ্রম করতে এবং পরিণাম আনতে প্রস্তুত; আগেও তাঁরা এটা করে দেখিয়েছেন। আমরা কিন্তু আপনাদের সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে আমরা মূলতঃ চারটে বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছি। প্রথমতঃ–কৃষকের বিনিয়োগ ও কাঁচামালের প্রয়োজন হ্রাস করা। দ্বিতীয়তঃ- উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য পাওয়া। তৃতীয়তঃ – উৎপাদিত ফসলের অপচয় রোধ, আর চতুর্থতঃ – কৃষকের বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থা গড়ে তোলা! আপনাদের জীবন সুগম করে তুলতে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও সুলভ করতে এখানে বেশ কিছু সেতু উদ্বোধন ও শিলান্যাসের সৌভাগ্যও আমার হয়েছে। চুনার সেতু উদ্বোধনের পর চুনার ও বারানসীর মধ্যে দূরত্ব অনেক কমে গেছে। আমাকে এটাও বলা হয়েছে যে, বর্ষার সময়ে এখানকার হাজার হাজার মানুষ দেশের বাকি অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। এই নতুন সেতু তাঁদের এই সমস্যা দূর করবে। ভাই ও বোনেরা, সস্তা ও উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেশের দরিদ্রতম মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সংকল্প নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি। এখানে নির্মীয়মান নতুন মেডিকেল কলেজ, মির্জাপুর ছাড়াও সোনভদ্র, ভদোহি, চন্দৌলি এবং এলাহবাদের জনগণের উপকারে লাগবে। এছাড়া, এখানকার জেলা হাসপাতাল ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হবে। ফলে, কঠিন রোগের ক্ষেত্রেও চিকিৎসার জন্য আমাদের দূরে যেতে হবে না। আজ এই অনুষ্ঠানে গোটা উত্তর প্রদেশে ১০০টিরও বেশি জনঔষধি কেন্দ্র উদ্বোধন হ’ল। এই জনঔষধি কেন্দ্রগুলি গরিব, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জীবনে আশার আলো দেখাবে। এই কেন্দ্রগুলিতে ৭০০রও বেশি ওষুধ এবং ১৫০টিরও বেশি শল্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন উপকরণ সুলভে পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই সারা দেশে এরকম প্রায় সাড়ে তিন হাজার জনঔষধি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ৮০০-রও বেশি ওষুধকে মূল্য নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে। হৃদ রোগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় স্টেন্টের মূল্য এবং হাঁটু প্রতিস্থাপনকে সুলভ করা হয়েছে। ফলে, যে গরিব মানুষের মাসে হাজার টাকার ওষুধ কিনতে হয়, তিনি এখন সেই ওষুধ ২৫০-৩০০ টাকায় পাবেন। যাঁদ���র বাড়িতে বয়স্ক মানুষরা রয়েছেন, তাঁদের মাসে ১০০০-৫০০০ টাকার ওষুধ কিনতে হয়। সেই পরিবারগুলির কত টাকা সাশ্রয় হবে একবার ভাবুন। এই কাজ আগের সরকারও করতে পারত। কিন্তু তাদের জন্য দল, পরিবার এবং ক্ষমতাই অগ্রাধিকার পেয়েছে। সাধারণ মানুষের ভালো করার কথা ভাবার সময় তাঁদের ছিল না। বন্ধুগণ, আজকাল অনেকের জীবনে ডায়লিসিসের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গেছে। এই সমস্যা সমাধানে আমরা প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় ডায়ালিসিস কর্মসূচি চালু করেছি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা দেশের প্রত্যেক জেলায় ডায়ালিসিস কেন্দ্র গড়ে তুলছি। ইতিমধ্যেই দেশে প্রায় ২৫ লক্ষ ডায়ালিসিস সেশন গরিব, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে। প্রত্যেক সেশনে গরিবদের ১,৫০০-২,৫০০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। এই কিডনী সংক্রান্ত সমস্যা দূরীকরণে স্বচ্ছ ভারত মিশন অভিযান কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। গত বছরের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী যে গ্রামগুলিতে শৌচালয়ের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে, সেখানকার বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের কিডনী সংক্রান্ত রোগ কমেছে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রেও প্রতিটি পরিবারে চিকিৎসা খরচ বাবদ গড়ে বার্ষিক ৫০ হাজার টাকা সাশ্রয় হয়েছে। বন্ধুগণ, দারিদ্র্য ও অসুস্থতার কুচক্রকে বিনাশ করার জন্য সরকার অবিলম্বে একটি বড় প্রকল্প চালু করবে। এই আয়ুষ্মান ভারত’কে অনেকে মজা করে মোদী কেয়ার বলছেন। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার দেশের সকল গরিব পরিবারের যে কোনও সদস্য অসুস্থ হলে বছরে ৫ লক্ষ টাকা খরচের চিকিৎসা বিনামূল্যে প্রদান করার ব্যবস্থা গড়ে তুলছে। এর দ্বারা দেশের প্রায় ৫০ কোটি গরিব মানুষ উপকৃত হবেন। ভাই ও বোনেরা, গরিব, শোষিত, পীড়িত, বঞ্চিত মানুষের প্রতিটি সমস্যা সমাধানে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাঁদের জীবনকে সহজ করে তোলার ব্রত নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি। সেজন্য জন ধন যোজনার মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের প্রায় ৫ কোটি গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। মাসে মাত্র ১ টাকা এবং দিনে ৯০ পয়সা কিস্তিতে এই রাজ্যের দেড় কোটিরও বেশি গরিব মানুষের জীবন সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় তিনশো কোটি টাকার বিমারাশি দুর্ভাগ্যতাড়িত পরিবারগুলির হাতে পৌঁছেছে। আমি শুধু উত্তর প্রদেশের ক্তহাই বলছি। আমরা যদি একশো কোটি টাকাও ঘোষণা করতাম তাহলে খবরের কাগজে হেডলাইন হতো। কিন্তু আমরা ইতিমধ্যেইতিনশো কোটি টাকার বিমারাশি দুর্ভাগ্যতাড়িত পরিবারগুলির হাতে পৌঁছে দিতে পেরেছি। ৮০ লক্ষেরও বেশি মহিলাকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার প্রদানের মাধ্যমে জ্বালানি কাঠের ধোঁয়া থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এখন গরিবরা রুপে কার্ডের মাধ্যমে বড়লোকদের মতোই এটিএম কাউন্টার ব্যবহার করতে পারছেন। বন্ধুগণ, আপনাদের মধ্যে যাঁরা এখনও এই প্রকল্পগুলির দ্বারা উপকৃত হননি, তাঁদের অনুরোধ জানাই যে, আপনারা এই প্রকল্পগুলির সঙ্গে যুক্ত হন। কেউ চান না যে, মা বিন্ধবাসিনীর আশীর্বাদের আপনাদের পরিবারে কোনও সঙ্কট আসুক। কিন্তু আগামীকালের গর্ভে কী রয়েছে – তা কে জানেন! কোনও সঙ্কট যদি সত্যি সত্যি চলে আসে, তাহলে এই প্রকল্পগুলি আপনাদের সঙ্কট মোচনে পাশে দাঁড়াবে। গরিব মানুষের কল্যাণে যে প্রকল্পগুলি সরকার চালু করেছে, যে সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছে, সেগুলি গরিবদের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি তাঁদের জীবনযাত্রার মানেও পরিবর্তন আনছে। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক রিপোর্টে আমরা দেখেছি যে, গত দু’বছরে ভারতে ৫ কোটিরও বেশি মানুষ অত্যন্ত দারিদ্র অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এসব খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয় না। টিভিতেও দেখায় না আর খবরের কাগজে ছাপা হলে, তা ভেতরের পাতায় ছোট করে লেখা হয়। কোনও নেতিবাচক খবর হলে অবশ্য সংবাদ মাধ্যম তা নিয়ে এতদিনে সোরগোল ফেলে দিত। আমাদের প্রত্যেক প্রকল্পে পরিণাম এখন স্পষ্ট প্রতীয়মান। যেমন – উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে মহিলাদের শুধুই কাঠ ও কয়লার ধোঁয়া থেকে মুক্তি দেয়নি, ঐ পরিবারগুলির রোজগার বৃদ্ধিতেও সাহায্য করেছে। উত্তর প্রদেশেরই ৮০ লক্ষেরও বেশি মহিলাকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার প্রদানের মাধ্যমে জ্বালানি কাঠের ধোঁয়া থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জন ধন যোজনার মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের প্রায় ৫ কোটি গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে কোনও রকম গ্যারান্টি ছাড়া উত্তর প্রদেশের ১ কোটিরও বেশি মানুষ ব্যাঙ্ক ঋণ পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ১৮ লক্ষ মানুষ গৃহ পেয়েছেন, যা এই সকল পরিবারকে দারিদ্র্য সীমার ওপরে আসতে সাহায্য করেছে। বন্ধুগণ, গরিবের জন্য ওষুধ, কৃষকের জন্য সেচের জল, শিশুদের জন্য লেখাপড়া এবং যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা নতুন ভারতের সংকল্প সিদ্ধ কর��ে নতুনভাবে কাজ করে চলেছি। আজ আজ আপনাদের মাঝে এসে অনেকগুলি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের সৌভাগ্য হ’ল। উত্তর প্রদেশের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার ও আদিত্যনাথ যোগীর নেতৃত্বাধীন উত্তর প্রদেশ সরকার যেভাবে এক একটি প্রকল্প সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকল কর্মবীরকে অন্তর থেকে শুভেচ্ছা জানাই। আমি আরেকবার মা বিন্ধ্যবাসিনীর আশীর্বাদে আপনাদের অনুরোধ জানাই যে, এই সেচখালের মাধ্যমে পাওয়া প্রত্যেক বিন্দু জল ব্যবহারের যে প্রতিশ্রুতি আপনারা আমাকে দিয়েছেন, তা সততার সঙ্গে পালন করবেন। এই গরমে আপনারা বিপুল সংখ্যায় এখানে এসে আপনারা আমাদের সকলকে যেভাবে আশীর্বাদ জানিয়েছেন, সেজন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আপনারা সকলে আমার সঙ্গে মুষ্ঠিবদ্ধ করে পূর্ণ শক্তি দিয়ে বলুন ভারতমাতা কি জয়। ভারতমাতা কি জয়। ভারতমাতা কি জয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ। …",বাণসাগৰ কেনেল প্ৰকল্প মুকলি আৰু মিৰ্জাপুৰত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্ৰকল্পৰ আধাৰশিলা স্থাপনত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%A3-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%B6/,"টেকনিক্যালইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম (টিআইটিপি)-এর ক্ষেত্রে ভারত ও জাপানের মধ্যে একসহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাবে বুধবার অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এদিন অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার এইবৈঠকটি। আগামী১৬ থেকে ১৮ অক্টোবর কেন্দ্রীয় দক্ষতা বিকাশ ও শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রীর টোকিও সফরকালে এইসহযোগিতা চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গতউল্লেখ্য, টিআইটিপি হল এক বিশেষ উচ্চাশামূলক কর্মসূচি যার আওতায় ভারতের কারিগরিদক্ষতাসম্পন্ন কর্মীদের ইন্টার্ন হিসেবে জাপানে পাঠানো হবে ৩-৫ বছরের জন্য। সেখানেতাঁরা তাঁদের সংশ্লিষ্ট কাজকর্মের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা লাভকরবেন। আশাকরা হচ্ছে যে সহযোগিতা চুক্তির হাত ধরে দক্ষতা বিকাশের ক্ষেত্রে ভারত ও জাপানেরমধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও প্রসার লাভ করবে। /….",“কাৰিকৰী আভ্যন্তৰীণ প্ৰশিক্ষণ কাৰ্যসূচী” সন্দৰ্ভত ভাৰত আৰু জাপানৰ মাজ��� প্ৰস্তাৱিত বুজাবুজি চুক্তিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-120/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-48/,"নতুন দিল্লি, ২ মে, ২০২২ চ্যান্সেলর স্কোলজ, বন্ধুগণ, গুটেন ট্যাগ, নমস্কার প্রথমেই আমি আমাকে ও আমার প্রতিনিধি দলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়ার জন্য চ্যান্সেলর স্কোলজকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এবছর আমার প্রথম বিদেশ সফর জার্মানি দিয়ে শুরু হল। এমনকি, এবছর কোন বিদেশী নেতার সঙ্গে আমার প্রথম টেলিফোনে বার্তালাপও হয়েছিল আমার বন্ধু চ্যান্সেলর স্কোলজের সঙ্গে। আজ ভারত – জার্মানি আন্তঃসরকারি পর্যায়ের আলাপ-আলোচনা চ্যান্সেলর স্কোলজের কাছেও এবছর এই প্রথম। এগুলি থেকেই দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্বের গুরুত্বের প্রতি অগ্রাধিকারের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়। বহু গণতান্ত্রিক দেশের মত ভারত ও জার্মানির মধ্যে অনেক অভিন্ন মূল্যবোধ রয়েছে। এই অভিন্ন মূল্যবোধ ও অভিন্ন স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে বিগত বছরগুলিতে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি হয়েছে। আন্তঃসরকারি পর্যায়ে আমাদের সর্বশেষ আলোচনা হয়েছিল ২০১৯-এ। এরপর থেকে সারা বিশ্বে লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন ঘটেছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রতিকূল প্রভাব পড়েছে। সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাবলী দেখিয়ে দিয়েছে বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা কত ভঙ্গুর। ইউক্রেন সঙ্কটের একবারে গোড়া থেকেই আমরা অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়েছি। আমরা বারবার বলেছি, সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হল আলাপ-আলোচনা। আমরা বিশ্বাস করি, এই যুদ্ধে কোন পক্ষই জয়ী হবে না। পক্ষান্তরে প্রত্যেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর একারণেই আমরা সর্বদাই শান্তির পক্ষে। ইউক্রেন সঙ্কটের দরুণ যে অশান্তি দেখা দিয়েছে, তার ফলে তেলের দাম আকাশছোঁয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, সারা বিশ্বে খাদ্য শস্য ও সারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এরফলে, সারা বিশ্বে প্রত্যেক পরিবারের ওপর বোঝা বেড়েছে। শুধু তাই নয়, এর গুরুতর প্রভাব পড়েছে উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলিতে। ইউক্রেন সঙ্কটের দরুণ যে মানবিক প্রভাব পড়েছে, ভারত তার জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা ইউক্রেনে মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছি। খাদ্য পণ্য রপ্তানি, তেল সরবরাহ ও আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে আমরা বন্ধু মনোভাবাপন্ন অন্যান্য দেশগুলিকে সাহায্য করছি। আজ ষষ্ঠ আন্তঃসরকারি পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা থেকে ভারত – জার্মানির অংশীদারিত্ব এক নতুন দিশা পেয়েছে। আন্তঃসরকারি পর্যায়ে এই আলাপ-আলোচনা বিদ্যুৎ ও পরিবেশ ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতাকে এক নতুন দিশা দেখিয়েছে। আমাদের অঞ্চল এবং সমগ্র বিশ্বের ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে আজ যে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আজ আমরা পরিবেশ বান্ধব ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে ভারত – জার্মানির অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ভারত সমগ্র বিশ্বের সামনে এটা তুলে ধরেছে যে, পরিবেশ-বান্ধব ও দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে অগ্রগতি আস্থার বিষয়, যেটি ভারত গ্লাসগোতে উত্থাপন করেছে। দুই দেশের মধ্যে নতুন এই অংশীদারিত্বের অঙ্গ হিসেবে জার্মানি ২০৩০ নাগাদ ভারতে পরিবেশ-বান্ধব ক্ষেত্রে অগ্রগতির জন্য অতিরিক্ত ১০ বিলিয়ন ইউরো সহায়তার বিষয়টিতে সম্মত হয়েছে। এজন্য আমি চ্যান্সেলর স্কোলজকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের সমসাময়িক সামর্থের বিষয়গুলিকে বিবেচনায় রেখে আমরা একটি পরিবেশ-বান্ধব হাইড্রোজেন কর্মীগোষ্ঠী গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্তের ফলে দুই দেশেই পরিবেশ-বান্ধব হাইড্রোজেন পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ অত্যন্ত কার্যকর হয়ে উঠবে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে উন্নয়নমূলক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভারত ও জার্মানি উভয়েরই সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। আজ আমরা ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতার মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষের দেশগুলিতে যৌথ উদ্যোগে প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রগতিশীল বিশ্বের জন্য আমাদের সহযোগিতা এক স্বচ্ছ ও দীর্ঘ মেয়াদি ভিত্তিতে উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে বিকল্প হয়ে উঠবে। বন্ধুগণ, কোভিড পরবর্তী সময়ে অন্যান্য ক্রমবিকাশশীল অর্থনীতিগুলির তুলনায় ভারতে দ্রুত অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারত বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারে এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হয়ে উঠবে বলে আমাদের বিশ্বাস। সম্প্রতি আমরা অল্প সময়ের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য চুক্তির বোঝাপড়া নিয়ে দ্রুত অগ্রগতিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। ভারতের সুদক্ষ কর্���ীবাহিনী ও পেশাদাররা বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রেখেছেন। ভারত ও জার্মানির মধ্যে সুসংবদ্ধ দেশান্তর গমন এবং পরস্পরের দেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি আরও একবার এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন এবং আপনাদের প্রয়াসের জন্য ধন্যবাদ জানাই। বিঃদ্রঃ – এটি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আক্ষরিক অনুবাদ নয়, মূল বক্তব্য তিনি হিন্দিতে রেখেছিলেন। /",প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদীৰ প্ৰেছ বিবৃতিৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A6%AE/,"নতুনদিল্লি, ৯ই এপ্রিল, ২০২২ রামনবমী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১০ই এপ্রিল বেলা ১টার সময় জুনাগড়ের গাথিলায় উমিয়া মাতা মন্দিরের চতুর্দশ প্রতিষ্ঠা দিবসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখবেন । গুজরাটের মূখ্যমন্ত্রী থাকার সময় ২০০৮ সালে শ্রী মোদী এই মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন। সেই সময় তাঁর পরামর্শক্রমে মন্দিরের পরিচালন ট্রাস্ট নানা সামাজিক ও স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজে নিজেদের যুক্ত করে। এর মধ্যে দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিতরণ রয়েছে। উমিয়া মাতা কড়বা পাতিদারদের কুলদেবী হিসেবে পূজিত হন। /",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ৰাম নৱমী উপলক্ষে জুনাগড়ৰ গাথিলাত উমিয়া মাতা মন্দিৰৰ চতুৰ্দশ প্ৰতিষ্ঠা দিৱস উদযাপনত ভাষণ প্ৰদান কৰিব +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%82%E0%A6%B6%E0%A6%97/,"নয়াদিল্লি, ০৪ অক্টোবর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলি ক্রীড়াবিদদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ দেয়। ভারতীয় ক্রীড়া কর্তৃপক্ষের এক ট্যুইটের জবাবে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ট্যুইটে বলেন, “ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলি আকর্ষণীয় কারণ, এখানে ক্রীড়াবিদরা বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পান। জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণকা���ীদের মধ্যে গরবা জনপ্রিয় হয়েছে বলে আমি আনন্দিত”।",ৰাষ্ট্ৰীয় ক্ৰীড়াত অংশগ্ৰহণকাৰীসকলৰ মাজত গৰবাৰ জনপ্ৰিয়তা অৰ্জনত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সন্তোষ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%B0/,"নমস্কার! এই গ্রামের সন্তান পরৌঁখ গ্রামের মাটিতে জন্মগ্রহণকারী আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি মাননীয় শ্রী রামনাথ কোবিন্দজি, অনুষ্ঠানে উপস্থিত মাননীয়া শ্রীমতী কবিতা কোবিন্দজি, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল মাননীয়া শ্রীমতী আনন্দিবেন প্যাটেলজি, উত্তরপ্রদেশের জনপ্রিয় এবং প্রাণশক্তিতে ভরপুর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, মঞ্চে উপস্থিত আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধেয় বন্ধুগণ, উত্তরপ্রদেশ রাজ্য মন্ত্রিসভার মাননীয় মন্ত্রীগণ, মাননীয় সাংসদগণ, মাননীয় বিধায়কগণ আর বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা। রাষ্ট্রপতিজি যখন আমাকে বলেছিলেন যে আমাকে আজ এখানে আসতে হবে, তখন থেকে আপনাদের কাছে এসে গ্রামের সবার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম। আজ এখানে এসে সত্যিই মনে অনেক শান্তি পেয়েছি, খুব ভালো লেগেছে। এই গ্রামের মানুষ আমাদের মাননীয় রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের শৈশবকেও দেখেছে, আর বড় হওয়ার পর তাঁকে প্রত্যেক ভারতবাসীর গর্ব হয়ে উঠতেও দেখেছে। এখানে আসার আগে রাষ্ট্রপতিজি আমার কাছে এই গ্রামের অনেক স্মৃতিচারণ করেছেন। আমি জানতে পেরেছিলাম যে পঞ্চম শ্রেণী উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই তাঁকে ৫-৬ মাইল দূরের একটি গ্রামের স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছিল। তিনি খালি পায়ে দৌড়তে দৌড়তে স্কুল পর্যন্ত যেতেন, আর এই দৌড় স্বাস্থ্য ভালো করার জন্য দৌড় ছিল না। প্রচন্ড গরমে উত্তপ্ত পায়ে চলা রাস্তার তাপ যেন পায়ে কম লাগে, জ্বালা যেন ন্যূনতম হয়, সেজন্যই তাঁকে এই দৌড় দৌড়তে হত! আপনারা ভাবুন! এরকমই উত্তপ্ত দুপুরে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়া কোনও বালক খালি পায়ে তার স্কুলে যাওয়ার জন্য ছুটছে। জীবনে এমন সংঘর্ষ, এমন তপস্যাই একজন মানুষকে প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করে। আজ রাষ্ট্রপতিজির গ্রামে আসার এই অভিজ্ঞতা আমার জীবনের একটি অত্যন্ত সুখকর স্মৃতি হয়ে থাকবে। ভাই ও বোনেরা, যখন আমি মাননীয় রাষ্ট্রপতিজির সঙ্গে এই গ্রামের বিভিন্ন জায়গা ��ুরে ঘুরে দেখছিলাম, তখন আমি এই পরৌঁখ গ্রামে আজকের ভারতের গ্রামের অনেক আদর্শ চিত্র অনুভব করছিলাম। এখানে এসে সবার আগে আমার পাথরী মাতার আশীর্বাদ নেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। এই মন্দির এই গ্রামের, এই এলাকার আধ্যাত্মিক আভার পাশাপাশি ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এরও একটি উজ্জ্বল প্রতীক, আর আমি বলতে পারি যে এটি এমন একটি মন্দির, যেখানে দেবভক্তিও আছে, দেশভক্তিও আছে। দেশভক্তি এজন্য বলছি যে রাষ্ট্রপতিজির বাবার ভাবনাকে আমি প্রণাম জানাই। তাঁর অদ্ভূত কল্পনাশক্তিকে প্রণাম জানাই। তিনি তাঁর জীবনে তীর্থাটন বা অনেক তীর্থস্থান ভ্রমণ করতে গিয়েছেন। ভিন্ন ভিন্ন যাত্রায় দেশের ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তে গিয়েছেন। ঈশ্বরের আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়তেন। কখনও বদ্রীনাথ গিয়েছেন, কখনও কেদারনাথ গিয়েছেন। কখনও অযোধ্যা গিয়েছেন, কখনও কাশী গিয়েছেন। কখনও মথুরা গিয়েছেন আবার কখনও ভারতের এরকম অন্যান্য অনেক পবিত্র স্থানে গিয়েছেন। সেই সময় তাঁর আর্থিক পরিস্থিতি এমন ছিল না যে গ্রামের সকলের জন্য প্রত্যেক তীর্থ থেকে তিনি প্রসাদ কিনে আনতে পারেন, আর গ্রামের সবাইকে বিতরণ করতে পারেন। তখন তাঁর মাথায় এই অদ্ভূত ভাবনা আসে, এই অদ্ভূত কল্পনা করেন যে প্রত্যেক তীর্থের পাথর তাঁদের গ্রামে আনবেন। এরপর থেকে তিনি যে তীর্থেই যেতেন, সেই মন্দির পরিসরের দু-একটা নুড়ি বা ছোট পাথর সেখান থেকে নিয়ে আসতেন, আর সেই পাথরগুলি গ্রামে এনে এখানে গাছের নিচে রেখে দিতেন। এভাবে ভারতের বিভিন্ন তীর্থযাত্রায় গিয়ে সেসব পবিত্র স্থান থেকে তিনি পাথর নিয়ে এসেছেন, ভারতের নানা প্রান্ত থেকে পাথর এনেছেন। এগুলির প্রতি তাঁর ভক্তিভাব গ্রামবাসীর মনে এমন একটি পবিত্রভাব জাগিয়ে তুলেছিল যে গ্রামবাসীরা এই পাথরগুলিকে মন্দির রূপেই পূজা করেন, আর প্রত্যেকেই জানেন যে এটা অমুক তীর্থক্ষেত্রের পাথর, তমুক মন্দির পরিসরের পাথর, কিংবা অমুক পবিত্র নদীর পাড় থেকে তুলে আনা পাথর। সেজন্য আমি বলছি যে এতে দেবভক্তি যেমন আছে, পাশাপাশি দেশভক্তিও আছে। রাষ্ট্রপতিজির বাবা স্বয়ং এই মন্দিরে পুজো করতেন। এই পবিত্র মন্দিরের দর্শন করার পর স্বাভাবিকই আমার মনে অনেক ধরনের ভাবনা খেলা করছে, আর আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি যে আমার এই পবিত্র মন্দির দর্শন করার সৌভাগ্য হয়েছে। বন্ধুগণ, পরৌঁখ-এর মাটি থেকে রাষ্ট্রপতিজি যে শিষ্টাচার পেয়েছেন, তার সাক্ষী আজ হয়ে উঠছে গোটা বিশ্ব, আর আমি আজ দেখছিলাম যে একদিকে সংবিধান, আর অন্যদিকে শিষ্টাচার। আজ পরৌঁখ গ্রামে এসে রাষ্ট্রপতিজি তাঁর পদের সমস্ত মর্যাদা থেকে বেরিয়ে এসে আমাকে যেভাবে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন তা আমাকে অভিভূত করে দিয়েছে। ভাবা যায়, তিনি স্বয়ং হেলিপ্যাডে আমাকে স্বাগত জানাতে এসেছিলেন! আমি অত্যন্ত লজ্জা অনুভব করছিলাম যে তাঁর নেতৃত্বে, তাঁর পথ প্রদর্শন অনুসারে আমরা কাজ করছি, তাঁর পদের একটি গরিমা রয়েছে, একটি বরিষ্ঠতা রয়েছে। তিনি সেগুলিকে এক পাশে রেখে দিয়ে আমাকে স্বাগত জানাতে এসেছেন। আমি বললাম রাষ্ট্রপতিজি, আপনি আজ আমার সঙ্গে অন্যায় করলেন। তখন তিনি অত্যন্ত সহজভাবে বললেন – সংবিধানের মর্যাদাগুলিকে তো আমি পালন করিই, কিন্তু কখনও কখনও শিষ্টাচারেরও যে নিজস্ব শক্তি রয়েছে তা পরিস্ফুট হয়ে ওঠে। আজ আপনারা আমার গ্রামে এসেছেন, আর আমি এখানে এসেছি অতিথি সৎকার করার জন্য। আমি এখানে রাষ্ট্রপতি রূপে আসিনি, আমি এই গ্রামের মাটিতে একটি শিশু রূপে নিজের জীবন শুরু করেছি। সেই গ্রামের নাগরিক রূপে আজ আমি আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। ‘অতিথি দেব ভবঃ’ – এই শিষ্টাচার ভারতে কিভাবে আমাদের শিরায়, ধমনীতে প্রবাহিত হয় তার উত্তম উদাহরণ আজ এখানে আমাদের শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রপতিজি তুলে ধরেছেন। আমি মাননীয় রাষ্ট্রপতিজিকে সাদর প্রণাম জানাই। মাননীয় রাষ্ট্রপতিজি পরৌঁখ গ্রামে তাঁর পৈতৃক বাড়িটিকে একটি মিলন কেন্দ্র রূপে বিকশিত করার জন্য দান করেছেন। আজ সেটি একটি সভাঘর এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রূপে এই গ্রামে নারী ক্ষমতায়নকে নতুন শক্তি প্রদান করছে। তাঁরই প্রচেষ্টায় এখানে আম্বেদকর ভবন রূপে বাবা আম্বেদকরের আদর্শ এবং প্রেরণার কেন্দ্রও গড়ে তোলা হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ভবিষ্যতে পরৌঁখ গ্রামটি মাননীয় রাষ্ট্রপতির প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল গ্রামবাসীর মিলিত প্রচেষ্টায় উন্নয়নের পথে আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে, আর দেশের সামনে গ্রামীণ বিকাশের একটি নতুন মডেল হিসেবে নিজেকে তুলে ধরবে। বন্ধুগণ, আমরা বড় হয়ে যে যেখানেই পৌঁছে গিয়ে থাকি না কেন, দেশের বড় বড় শহর, মহানগর কিংবা বিশ্বের যে কোনও প্রান্তেই গিয়ে বসবাস শুরু করি না কেন, যদি আমরা নিজেদের গ্রামকে ভালোবেসে থাকি, তাহলে আমাদের গ্রাম কখনও আমাদের ভেতর থেকে বেরিয়ে যায় না। প্রত্যেকের গ্রাম তাঁদের শিরায়, ধমনীতে আজীবন প্রবাহিত হতে থ���কে। আমাদের ভাবনায় সব সময় অনির্বাণ প্রদীপের মতো জ্বলতে থাকে। আমরা সেজন্য বলি যে ভারতের আত্মা গ্রামে বসবাস করে। কারণ, এ দেশের গ্রামগুলিই আমাদের আত্মায় বসবাস করে। আজ যখন দেশ তার স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছে, তখন গ্রামীণ ভারতের জন্য, আমাদের গ্রামগুলির জন্য আমাদের স্বপ্নগুলি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মহাত্মা গান্ধী ভারতের স্বাধীনতাকে ভারতের গ্রামের সঙ্গে যুক্ত করে দেখতেন। ভারতের গ্রাম মানেই হল, যেখানে আধ্যাত্মও থাকবে, আদর্শও থাকবে। ভারতের গ্রাম মানেই হল, যেখানে পরম্পরাও থাকবে আর প্রগতিশীলতাও থাকবে। ভারতের গ্রাম মানেই হল, যেখানে শিষ্টাচারও থাকবে আর সমবায়ও থাকবে, ভারতের গ্রাম মানেই হল, যেখানে সমতাও থাকবে আর মমতাও থাকবে! আজ স্বাধীনতার অমৃতকালে এমনই গ্রামগুলির পুনর্গঠন করা, এমনই গ্রামগুলির পুনর্জাগরণ করা আমাদের সকলের কর্তব্য। আজ এই পুনর্গঠন আর পুনর্জাগরণের সঙ্কল্প নিয়ে দেশ গ্রাম, গরীব, কৃষি, কৃষক এবং পঞ্চায়েতি গণতন্ত্রের বিভিন্ন মাত্রায় কাজ করছে। আজ ভারতের গ্রামগুলিতে সবচাইতে দ্রুতগতিতে সড়কপথ গড়ে উঠছে। আজ ভারতের গ্রামগুলিতে সবচাইতে দ্রুতগতিতে অপটিক্যাল ফাইবার পাতা হচ্ছে। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে সেই অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে যুক্ত করা হচ্ছে। আজ ভারতের গ্রামগুলিতে দ্রুতগতিতে গৃহহীনদের জন্য গৃহ তৈরি হচ্ছে। এলইডি স্ট্রিট লাইট লাগানো হচ্ছে। শহরগুলির পাশাপাশি আমাদের গ্রামগুলিও উন্নয়নের প্রত্যেক পথে পায়ে পা মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে। এটাই নতুন ভারতের ভাবনা, আর নতুন ভারতের সঙ্কল্পও। আপনারা ভাবুন! কেউ কী কখনও কল্পনা করেছিলেন যে একদিন কৃষি সংক্রান্ত অনেক জটিল কাজও ড্রোনের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব হবে! গ্রামে গ্রামে মানুষ কৃষির জন্য ড্রোন ব্যবহার করবে! কিন্তু আজ দেশ এই লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আমাকে বলা হয়েছে যে এই পরৌঁখ গ্রামেও ৩০০ জনেরও বেশি বাড়ির মালিককে ‘স্বামীত্ব’ যোজনার মাধ্যমে ড্রোনে মাপা সম্পত্তির কাগজ বা পরচা বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদেরকেও দ্রুত সম্পত্তির কাগজ যাতে দেওয়া যায় সেই কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে কিভাবে প্রত্যেক কৃষককে নানা রকম পরিষেবা প্রদান করা যায়, আর কিভাবে তাঁদের রোজগার বাড়ানো যায় – উভয় লক্ষ্য নিয়েই দ্রুতগতিতে কাজ চলেছে। বন্ধ��গণ, আমাদের গ্রামগুলির কাছে সবচাইতে বেশি সামর্থ্য রয়েছে। আমাদের গ্রামগুলির কাছে সবচাইতে বেশি শ্রমশক্তি রয়েছে। আমাদের গ্রামগুলিতে সবচাইতে বেশি মানুষ সমর্পণ ভাব নিয়ে কাজ করেন। সেজন্য ভারতের গ্রামগুলির ক্ষমতায়ন আমাদের সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের অন্যতম। ‘জন ধন যোজনা’ থেকে শুরু করে ‘আবাস যোজনা’, ‘উজ্জ্বলা যোজনা’র মাধ্যমে পাওয়া রান্নার গ্যাসের সংযোগ, প্রত্যেক বাড়িতে নলের মাধ্যমে পরিশ্রুত জল পৌঁছে দেওয়ার অভিযান, ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’ – এই সবকিছুর সুফল কোটি কোটি গ্রামবাসী পাচ্ছেন। সারা দেশে দরিদ্র কল্যাণের জন্য দেশ যে গতিতে কাজ করছে তা অভূতপূর্ব। এখন দেশের একটাই লক্ষ্য – প্রত্যেক প্রকল্পের ১০০ শতাংশ সুফল ১০০ শতাংশ সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছয়। অর্থাৎ, আমরা চাই জনগণের ১০০ শতাংশ ক্ষমতায়ন। সেখানে কোনও বৈষম্য থাকবে না, কোনও পার্থক্য থাকবে না। এটাই তো সামাজিক ন্যায়। বাবাসাহেব আম্বেদকর তো এই সাম্য ও বৈষম্যহীনতার স্বপ্নই দেখেছিলেন। এই স্বপ্নকে ভিত্তি করেই তিনি আমাদেরকে আমাদের সংবিধান সৃষ্টি করে দিয়ে গেছেন। বাবাসাহেবের সেই স্বপ্নগুলি আজ এতদিনে বাস্তবায়িত হচ্ছে। দেশ আজ সেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। বন্ধুগণ, আজকের এই উপলক্ষ আরও একটি কারণে অত্যন্ত ঐতিহাসিক। আর এখন যে কথাটা বলব সেটা সবাই নোট করে নিন, কারণ, এই বিষয়টা দেশের গণতন্ত্রের শক্তি, দেশের গ্রামগুলির শক্তিকে একসঙ্গে দেখায়। এখানে, এই মঞ্চে আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি মাননীয় শ্রী রামনাথ কোবিন্দজি, অনুষ্ঠানে উপস্থিত মাননীয়া শ্রীমতী কবিতা কোবিন্দজি, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল মাননীয়া শ্রীমতী আনন্দিবেন প্যাটেলজি, উত্তরপ্রদেশের জনপ্রিয় এবং প্রাণশক্তিতে ভরপুর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি উপস্থিত রয়েছেন। আমাকেও আপনারা, সমস্ত দেশবাসী এ দেশের সেবার এত বড় দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। আমরা চারজনই কিন্তু দেশের কোনও না কোনও ছোট গ্রাম কিংবা মফঃস্বল শহর থেকে উঠে এসে আজ এখানে পৌঁছেছি। আমার জন্মও গুজরাটের একটি ছোট্ট মফঃস্বল শহরে হয়েছিল। সেখানে গ্রামের সংস্কৃতি, শিষ্টাচার নিয়েই আমি বড় হয়েছি। আমাদের এখানে উপস্থিত সকলকেই নানা সংঘর্ষের মাধ্যমে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হয়েছে। আমাদের শিষ্টাচারকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হয়েছে। এটাই আমাদের গণতন্ত্রের আসল শক্তি। ভারতের বিভিন্ন গ্রামে জ���্মগ্রহণ করে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তিও এখন দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল কিংবা মুখ্যমন্ত্রী পদে পৌঁছতে পারছেন। কিন্তু ভাই ও বোনেরা, আজ যখন আমরা গণতন্ত্রের এই মহান শক্তি নিয়ে আলোচনা করছি, তখন আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পরিবারতন্ত্র ও স্বজনপোষণের মতো সমস্যাগুলি থেকে সাবধান থাকারও প্রয়োজন রয়েছে। এই পরিবারতন্ত্র ও স্বজনপোষণ শুধু রাজনীতি নয়, দেশের প্রত্যেক ক্ষেত্রের প্রতিভাগুলির গলা টিপে ধরে, আর তাঁদেরকে এগিয়ে যেতে দেয় না। এমনিতে বন্ধুগণ, আমি যখন পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলি, তখন কিছু মানুষের মনে হয় যে এটি কোনও রাজনৈতিক বিবৃতি। আমি নাকি কোনও কোনও রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধেই কথা বলছি, এমনটি প্রচার করা হয়। কিন্তু আমি দেখতে পাচ্ছি যে যাঁরা আমার এই পরিবারতন্ত্রের সংজ্ঞায় পড়েন, বা আমার মনে পরিবারতন্ত্র বলতে আমি যা বুঝি, তাঁরা সকলেই আমার কারণে আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন, রেগে আছেন! দেশের কোণায় কোণায় এই পরিবারতন্ত্রের ধ্বজা বাহকেরা আমাদের বিরুদ্ধে এখন একজোট হচ্ছেন। তাঁরা রেগে আছেন যে দেশের যুব সম্প্রদায় কেন মোদীজির পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে বলা কথাগুলিকে এত গুরুত্ব দিয়ে শোনে ও মানে? বন্ধুগণ, আমি এই মহান ব্যক্তিদের বলতে চাই যে আমার কথার ভুল অর্থ বের করবেন না। আমি কোনও রাজনৈতিক দল কিংবা কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগতভাবে অখুশি নই। আমি তো চাই যে দেশে একটি শক্তিশালী বিপক্ষ থাকুক। গণতন্ত্রের প্রতি সমর্পিত রাজনৈতিক দল থাকুক। আমি তো চাই যে পরিবারতন্ত্রের থাবায় আটকে পড়া রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদেরকে এই রোগ থেকে মুক্ত করুক, তারা নিজেরাই নিজেদের দলের চিকিৎসা করুক। তবেই ভারতের গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে। দেশের যুব সম্প্রদায় রাজনীতিতে বেশি করে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে। যাই হোক না কেন, আমার মনে হয় পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি থেকে আমি একটু বেশিই আশা করে ফেলেছি। সেজন্য আমি আপনাদের মধ্যে দাঁড়িয়েও বলব যে এটা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব যে আমরা দেশে পরিবারতন্ত্রের মতো গণতন্ত্র বিরোধী কু-রীতিগুলিকে অঙ্কুরিতই যেন হতে না দিই। গ্রামের গরীবের ছেলে-মেয়েরা বিশেষ করে গ্রামের গরীবের মেয়েরাও যেন দেশের রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন সেজন্য এই দেশে পরিবারতান্ত্রিক দলগুলিকে থামানো অত্যন্ত প্রয়োজন। বন্ধুগণ, রাষ্ট্রপতিজির এই গ্রাম�� আমি আজ আপনাদের কাছে উপহারস্বরূপ কিছু চাইতে এসেছি। হ্যাঁ, আমি কিছু চাইতে এসেছি! আপনারা হয়তো ভাবছেন যে এ কেমন প্রধানমন্ত্রী যিনি আমাদের গ্রামে এসেছেন, সঙ্গে কিছু আনেননি, তার ওপর আমাদের থেকেই চাইছেন! হ্যাঁ ভাই ও বোনেরা, আমি চাইছি! আপনারা দেবেন তো? আমি এই পরৌঁখ গ্রামের জনগণের কাছে যা চাইব, তা পাব তো? পরৌঁখ-এর পাশাপাশি এখানে আমাদেরকে আশীর্বাদ করতে পার্শ্ববর্তী যত গ্রামের মানুষেরা এসেছেন, আমি তাঁদের কাছেও চাইছি। আপনারা দেবেন তো? দেখুন, আপনারা নিজেদের গ্রামে এত উন্নয়নের কাজ করেছেন। আজ যখন দেশ তার স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছে তখন আপনাদের নিজস্ব প্রচেষ্টাকে আরও বাড়াতে হবে। অমৃতকালে দেশবাসী সঙ্কল্প গ্রহণ করেছে যে দেশের প্রত্যেক জেলায় ৭৫টি করে ‘অমৃত সরোবর’ খনন করা হবে, আর একটু আগেই যোগীজি বলছিলেন যে এখানে পরৌঁখ গ্রামেও দুটি ‘অমৃত সরোবর’ নির্মাণ করা হচ্ছে। আপনাদেরকে এই ‘অমৃত সরোবর’ নির্মাণের জন্যও সাহায্য করতে হবে, কর সেবা করতে হবে, আর এভাবেই এর গরিমা বজায় রাখতে হবে। আমি আপনাদের কাছে আরও একটি বিষয় চাইছি, আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আপনারা আমার এই আবদারকেও সম্পূর্ণ রূপে পূরণ করবেন; আর তা হল ন্যাচারাল ফার্মিং বা প্রাকৃতিক চাষ। পরৌঁখ গ্রামের অধিকাংশ কৃষক যদি এই প্রাকৃতিক চাষকে আপন করে নেন, ন্যাচারাল ফার্মিং-কে আপন করে নেন, তাহলে এই গ্রাম দেশের জন্য একটি অনেক বড় উদাহরণ হয়ে উঠবে। বন্ধুগণ, ভারতের সাফল্যের একটাই পথ – ‘সবকা প্রয়াস’। এই ‘সবকা প্রয়াস’ বা সকলের প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্নগুলিও বাস্তবায়িত হবে, আর আত্মনির্ভর ভারতের অর্থ হল আত্মনির্ভর গ্রাম, আত্মনির্ভর যুব সম্প্রদায়। আমাদের গ্রামগুলির উন্নয়ন যদি দ্রুতগতিতে হতে শুরু করে তাহলে দেশের উন্নয়নও দ্রুতগতিতে হতে শুরু করবে। আমাদের গ্রামগুলি উন্নত হবে, তাহলে দেশ উন্নত হবে। মাননীয় কোবিন্দজি রূপে দেশকে একজন রাষ্ট্রপতি প্রদানকারী গ্রাম পরৌঁখ-এর জনগণ এটা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে এই গ্রামের মাটিতে কতটা সামর্থ্য রয়েছে। আমাদের এই সামর্থ্যকে, এই প্রতিভাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে, আমাদের সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। তবেই আমরা দেশের স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়িত করতে পারব। এই সঙ্কল্প নিয়ে আমি আরও একবার মাননীয় রাষ্ট্রপতিজিকে অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই যে, তিনি তাঁর সঙ্গে আমাকেও এখানে তাঁর গ্রামে আসার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি আপনাদের সবাইকে আরও একবার হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানাই, আর গ্রামের প্রত্যেক অলিতে, গলিতে যেখানে যেখানে গিয়েছি, সেখানেই যতটা উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে গ্রামবাসী আমাকে অভিবাদন জানিয়েছেন, পুষ্প বর্ষণ করেছে, ভালোবাসা বর্ষণ করেছেন, সেজন্যও আমি আপনাদের মতো সকল গ্রামবাসীকে অন্তর থেকে অভিনন্দন জানিয়ে নিজের বাণীকে বিরাম দিচ্ছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ!",উত্তৰ প্ৰদেশৰ কানপুৰৰ পৰৌংখ গাঁৱত অনুষ্ঠিত এক সমাৰোহত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%9F%E0%A7%81-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A7%A8%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A7%A8-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%A4/,"নয়াদিল্লি, ১৪ জুলাই, ২০২২ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী লাপিড, শ্রদ্ধেয় শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, মাননীয় রাষ্ট্রপতি বাইডেন, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আমি প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী লাপিড’কে অনেক অভিনন্দন জানাই। আজকের এই সম্মেলন আয়োজন করার জন্যও তাঁকে ধন্যবাদ। এটি আসলে প্রকৃত অর্থেই কৌশলগত অংশীদারদের একটি বৈঠক। আমরা সকলেই খুব ভালো বন্ধু এবং আমাদের একটি অভিন্ন লক্ষ্য ও স্বার্থ রয়েছে। সুধীবৃন্দ, আজ প্রথম সম্মেলনে ‘আইটুইউটু’ একটি ইতিবাচক লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। যৌথ প্রকল্প শুরু করার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রকে আমরা চিহ্নিত করেছি এবং এই কাজে অগ্রসর হওয়ার উদ্দেশ্যে একটি পরিকল্পনা রচনা করেছি। ‘আইটুইউটু’ কাঠামোর মধ্যে জল, জ্বালানী, পরিবহণ, মহাকাশ, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা – এই ৬টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আমরা যৌথ বিনিয়োগ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্পষ্টতই, ‘আই২ইউ২’র আলোচ্যসূচী ও উদ্দেশ্য প্রগতিশীল ও বাস্তবসম্মত। আমাদের দেশগুলির মূলধন বিশেষজ্ঞদের ব্যবহার ও বাজার – এই ক্ষেত্রগুলির পারস্পরিক সামর্থ্যকে কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণে গতি আনতে পারবো এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবো। বিশ্ব জুড়ে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার মধ্যে আমাদের সহযোগিতামূলক কাঠামো বাস্তব-ভিত্তিক সমঝোতার আদর্শ উদাহরণ হয়ে উঠবে। আমি নিশ্চিত ‘আইটুইউটু’র মাধ্যমে আমরা বিশ্ব জুড়ে শক্তি সুরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারব। ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছেন।",‘আই২ইউ২ শীৰ্ষ সন্মিলন’ত প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%96%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AD/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%96%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%97/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্হান মন্ত্রক, খনি নিরাপত্তা সংক্রান্ত মহানির্দেশকের দপ্তর (ডিজিএমএস) এবং অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড সরকারের অধীন প্রাকৃতিক সম্পদ, খনি এবং শক্তি দপ্তরের মধ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করার প্রস্তাব আজ অনুমোদন করা হয়েছে। এই মৌ স্বাক্ষরের ফলে ডিজিএমএস এবং অস্ট্রেলিয়ার খনিতে নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং একইসঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার কাজ চালানোর জন্য সেফটি ইনি মাইনস টেস্টিংস অ্যান্ড রিসার্চ স্টেশন বা সিমটার্স-র মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে উঠবে। উল্লেখ্য, যেসব ক্ষেত্রে এই অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা হবে তার মধ্যে রয়েছে ১) বিপদ-ভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্হাপনা এবং প্রশিক্ষণদান ২) সম্মেলন, সেমিনার ও অন্যান্য প্রযুক্তিমূলক বৈঠকের আয়োজন বা পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্হ্য সংক্রান্ত আকাদেমি গড়ে তোলা এবং ৩) ডিজিএমএস-এর গবেষণা সংক্রান্ত রসায়নাগারের আধুনিকীকরণ। প্রসঙ্গত, সমঝোতাপত্রটি স্বাক্ষরের তারিখ থেকে কার্যকর হবে এবং তিন বছরের জন্য তা বহাল থাকবে। /","খনি সুৰক্ষা, পৰীক্ষা আৰু গৱেষণাগাৰৰ ক্ষেত্ৰত ভাৰত-অষ্ট্ৰেলিয়াৰ মাজত সম্পন্ন বুজাবুজি চুক্তিলৈ কেবিনেটৰ অনুমোদন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D-7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0-6/,"নয়াদিল্লি, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মাননীয়া শেখ হাসিনা ভারত সফর করেন ৫-৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত। ভারতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপ-রাষ্ট্রপতি শ্রী জগদীপ ধনকরের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মিলিত হন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষ��ৎ করেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী জি কিষাণ রেড্ডি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর যে সমস্ত জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন এবং যাঁরা গুরুতরভাবে জখম হয়েছিলেন, তাঁদের সন্তান-সন্ততিদের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ছাত্র বৃত্তি’র সূচনা ছিল শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে অন্যতম একটি বিশেষ কর্মসূচি। ৭ সেপ্টেম্বর ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক গোষ্ঠীগুলি আয়োজিত এক বাণিজ্যিক বৈঠকেও ভাষণ দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী ৬ সেপ্টেম্বর এক একান্ত সাক্ষাৎকারে মিলিত হন। পরে, দু’দেশের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়েও আলাপ-আলোচনা চলে। এক হৃদ্য ও আন্তরিক পরিবেশে এই সাক্ষাৎকার ও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দু’দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ঐতিহ্য, গণতান্ত্রিক মূল্য এবং বহুত্ববাদের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা এক গভীর সম্পর্কের কথা উঠে আসে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সাক্ষাৎকারকালে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে দুটি দেশের মধ্যে যে কৌশলগত সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, সেই প্রসঙ্গে বিশেষ সন্তোষও প্রকাশ করেন দুই নেতা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফর করেন ২০২১-এর মার্চ মাসে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বাংলাদেশের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণই ছিল শ্রী মোদীর বাংলাদেশ সফরের মূল উদ্দেশ্য। দুটি দেশ আবার একইসঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানও উদযাপন করে। সম্মানিত অতিথি হিসেবে শ্রী মোদী বাংলাদেশের বিজয় দিবস-এর সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানেও যোগ দেন। দু’দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের মধ্য দিয়ে সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র প্রসারিত হওয়ায় দুই প্রধানমন্ত্রীই বিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ বছর জুন মাসে ভারত ও বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রীদের নেতৃত্বে যৌথ পরামর্শদান সম্পর্কিত কমিশনের সপ্তম বৈঠক নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়। এই বিষয়টিরও স্মৃতিচারণ করেন দুই নেতা। নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য ও যোগাযোগ, জলসম্পদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং রাজনৈতিক মতবিনিময় সহ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সবক’টি বিষয় নিয়েই দুই প্রধানমন্ত্রী কথাবার্তা বলেন। এছাড়াও, পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা, সাইবার নিরাপত্তা, মহাকাশ প্রযুক্তি, সবুজ জ্বালানি, নীল অর্থনীতি সহ সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্রগুলিও স্থান পায় তাঁদের আলোচ্যসূচিতে। বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ও দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত ছিল। কোভিড-১৯ অতিমারীজনিত পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙে পড়ার বিষয়টি নিয়েও তাঁরা আলোচনা করেন। এই ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলায় এই অঞ্চলের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে মৈত্রী সম্পর্কের মধ্য দিয়ে বৃহত্তর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর তাঁরা বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। দু’দেশের মধ্যে রেল, সড়ক এবং অন্যান্য সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসারে বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণের আশু প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন দুই প্রধানমন্ত্রী। টোঙ্গি-আখাউরা রেলপথের প্রসার ও সম্প্রসারণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার ও সেই সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান ইত্যাদি ক্ষেত্রে দুটি দেশের মধ্যে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তাকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা এবং শ্রী নরেন্দ্র মোদী। হিলি-র সঙ্গে বিরামপুর-এর যোগাযোগ স্থাপন, বেনাপোল-যশোর রেলপথ বরাবর রেলের সিগন্যাল ব্যবস্থাকে উন্নত করে তোলা, বুড়িমারী ও চ্যাংরাবান্ধার মধ্যে সংযোগ ও যোগাযোগের পুনরুদ্ধার, সিরাজগঞ্জে একটি কন্টেনার ডিপো স্থাপন এবং কাউনিয়া-লালমণির হাট-মোঘলঘাট-নিউ গীতালদহ-র মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলা ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতার আওতায় এই প্রকল্পগুলির ব্যয়ভার বহনের বিষয়েও সহমত পোষণ করেন দুই নেতা। ব্রডগেজে ট্রেন চলাচলের জন্য বাংলাদেশকে ভারত ২০টি ডিজেল ইঞ্জিন দিয়ে সাহায্য করায় ভারতের বিশেষ প্রশংসাও করেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে ভারত হল বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের এক বৃহত্তম কেন্দ্র। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের এই উন্নয়ন প্রচেষ্টায় দুই নেতাই সন্তোষ প্রকাশ করেন। ভারত থেকে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বাংলাদেশকে যোগান দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা অনুরোধ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে। শ্রী মোদী তাঁকে আশ্বাস দিয়ে বলেন যে সব রকম পরিস্থিতি বিবেচনা করে ব���ংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ রক্ষার বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে ভাবনাচিন্তা করা হবে। দুই নেতাই স্বীকার করেন যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি রক্ষার বিষয়টি যে একটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্র, সে বিষয়ে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। জিরো লাইনের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্পের যে সমস্ত কাজ এখনও বাকি রয়েছে, তা দ্রুত সম্পূর্ণ করার জন্য দু’দেশের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেন তাঁরা। ত্রিপুরা সীমান্ত অঞ্চলে বেড়া দেওয়ার কাজও রয়েছে এই কর্মসূচির মধ্যে। শান্তিপূর্ণ ও অপরাধমুক্ত সীমান্ত অঞ্চল গড়ে তোলার ওপর দুই প্রধানমন্ত্রীই বিশেষ জোর দেন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ায় দুই নেতাই সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন যে এক্ষেত্রে মৃত্যুর হারকে শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য জোরকদমে কাজ করে যাওয়া উচিৎ। দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় অস্ত্রের চোরাচালান, মাদক পাচার, জাল নোটের রমরমা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীরা যেভাবে তৎপরতা দেখিয়েছেন, তার বিশেষ প্রশংসাও করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। সন্ত্রাসকে নির্মূল করতে দুটি দেশই যে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ, একথাও পুনর্ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা ও শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁরা বলেন যে সন্ত্রাস ও উগ্রপন্থার মোকাবিলায় সমস্ত রকমভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হবে। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের ৩৮তম বৈঠকটি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট, ২০২২ পর্যন্ত। ভারতের জলশক্তি মন্ত্রক এবং বাংলাদেশের জলসম্পদ মন্ত্রকের মধ্যে স্বাক্ষরিত মউটিকে স্বাগত জানান দুই প্রধানমন্ত্রী। এই মউ স্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশের জলসেচের চাহিদা যেমন পূরণ হবে, অন্যদিকে তেমনই দক্ষিণ আসামের জল প্রকল্পগুলির রূপায়ণও নিশ্চিত করা যাবে। ত্রিপুরার জলসেচ সম্পর্কিত জরুরি প্রয়োজন মেটাতে ফেনী নদীর জল ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি দ্রুত সম্পাদন করার বিষয়টি সম্পর্কে বাংলাদেশকে অনুরোধ জানানো হয় ভারতের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশ ভারতের এই অনুরোধ রক্ষার জন্য বিশেষভাবে চিন্তাভাবনা করবে বলে জানানো হয়। জল সম্পর্কিত যে মউটি দু’দেশের মধ্যে ২০১৯ সালে স্বাক্ষরিত হয় তার রূপায়ণের মধ্য দিয়ে ফেনী নদীর ১.৮২ কিউসেক জল ত্রিপুরার সাব্রুম শহরে পানীয় জল সরবরাহের কাজে ব্যবহারের জন্য ভারতকে প্রয়োজনীয় কাজ শুরুর অনুমতি দেওয়ায় বাংলাদেশকে এ দেশের পক্ষ থেকে বিশেষ ধন্যবাদ জানানো হয়। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জল ব্যবস্থাপনার বিষয়টি যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, একথা স্বীকার করেন দুই প্রধানমন্ত্রীই। নদী সম্পর্কে দু’দেশের মধ্যে তথ্য ও পরিসংখ্যান বিনিময়ের জন্য যৌথ নদী কমিশন যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তাকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা এবং শ্রী নরেন্দ্র মোদী। দু’দেশের মধ্যে জল ভাগ করে নেওয়ার জন্য চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় খসড়া তৈরির কাজে এই তথ্য ও পরিসংখ্যান বিনিময় বিশেষভাবে সাহায্য করবে বলে তাঁরা মনে করেন। ১৯৯৬ সালে গঙ্গার জল ভাগ করে নেওয়ার জন্য যে সমঝোতাপত্রটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তার আওতায় বাংলাদেশ কতটা জল এ পর্যন্ত ব্যবহার করেছে সে সম্পর্কে সমীক্ষা চালানোর জন্য একটি যৌথ কারিগরি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান দুই প্রধানমন্ত্রী। তিস্তার জলবন্টন সম্পর্কে একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুরোধ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। এ সম্পর্কিত একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয় ২০১১ সালে। তিস্তার জলবন্টন সম্পর্কে আগের আলোচনার সূত্র ধরেই শেখ হাসিনা ভারতকে অনুরোধ জানান বিষয়টি বিবেচনার জন্য। দু’দেশের মধ্যে বয়ে চলা সাধারণ নদীগুলির নাব্যতা বৃদ্ধি ও দূষণ রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেন দুই প্রধানমন্ত্রী। আঞ্চলিক পর্যায়ে ভারত ও বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিডগুলির মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার ওপর জোর দেন দুই নেতাই। বিহারের কাটিহার থেকে আসামের বোড়নগর পর্যন্ত ৭৬৫ কেভি বিদ্যুৎ সংবহন লাইনটি বাংলাদেশের পার্বতীপুরের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে প্রস্তাব করা হয়েছিল, সে সম্পর্কিত প্রকল্পের কাজও দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার বিষয়টিতে গুরুত্ব আরোপ করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে, ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখতে ভারতকে অনুরোধ করেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন বসানোর কাজে অগ্রগতির বিষয়টি পর্যালোচনা করেন দুই নেতা। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন যে প্রকল্পটির কাজ অনতিবিলম্বেই সম্পূর্ণ হবে। বাংলাদেশের পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থের চাহিদা পূরণে সহযোগিতা করার জন্য ভারতের কাছে আবেদন জানান শেখ হাসিনা। এ সম্পর্কে আলাপ-আলোচনার বাতাবরণ তৈরির কাজ শুরু করতে ভারত তার সম্মতির কথা জ্ঞাপন করে। আসাম ও মেঘালয়ে বন্যা বিপর্যয়ের কারণে আসাম থেকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরায় পেট্রোলিয়াম, তেল ও লুব্রিক্যান্ট নিয়ে আসার কাজে ভারতকে সহযোগিতা করার জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে শোধিত পেট্রোলিয়াম সরবরাহের জন্য একটি নথিভুক্ত ‘জি-টু-জি’ সরবরাহকারী সংস্থা হিসেবে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনকে বেছে নেওয়ায় ভারত ধন্যবাদ জানায় বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে। উন্নয়ন প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে বিশেষ অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, তার মধ্য দিয়ে সহযোগিতার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই নেতাই সন্তোষ প্রকাশ করেন। ভারত যেভাবে দক্ষতার সঙ্গে উন্নয়ন তহবিলের অর্থ বাংলাদেশকে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে, তার বিশেষ প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা। তিনি স্বীকার করেন যে বাংলাদেশের উন্নয়নের কাজে ভারতই হল প্রধান সহযোগী রাষ্ট্র। চট্টগ্রাম ও মঙ্গলা বন্দরকে ব্যবহারের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে জাহাজ চলাচলের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন দুই নেতাই। দুটি বন্দরের মধ্যে জাহাজ চলাচল অচিরেই পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে বলে তাঁরা মনে করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার যোগাযোগ সহজতর করে তুলতে ফেনী নদীর ওপর মৈত্রী সেতু চালু করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোগত কাজ দ্রুত সম্পূর্ণ করার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানানো হয় ভারতের পক্ষ থেকে। বিবিআইএন মোটর ভেহিকেল চুক্তি রূপায়ণের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক তথা আঞ্চলিক সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত চালু করতে সম্মত হন দুই নেতাই। পশ্চিমবঙ্গের হিলি থেকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মেঘালয়ের মহেন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত একটি সড়ক সংযোগ গড়ে তোলা সহ দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ের বিভিন্ন প্রকল্প যাতে দ্রুত রূপায়িত হয় তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে অনুরোধ জানানো হয় ভারতের পক্ষ থেকে। ভারত-মায়ানমার-থাইল্যান্ড-এর মধ্যে যে ত্রিপক্ষীয় সড়ক প্রকল্প রূপায়ণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাদেশ। ভারত ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে তৃতীয় দেশগুলিতে পণ্য পরিবহণের জন্য ভারত বাংলাদে���কে প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশের বাণিজ্য গোষ্ঠীগুলিকে এজন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তার বন্দর কাঠামো ব্যবহার জন্য। নেপাল ও ভুটানে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত ভূখণ্ড বাংলাদেশের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে ভুটান পর্যন্ত রেল সংযোগ গড়ে তোলার কাজে সাহায্য করার জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটটির সদ্য উদ্বোধন হয়েছে। বাংলাদেশের এই অনুরোধ ভারত ভেবে দেখবে বলে জানিয়েছে। সীমান্ত বরাবর রেল সংযোগ গড়ে তুলতে বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিধিনিষেধ রয়েছে তা শিথিল করার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানানো হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। দু’দেশের উদ্যোগে একটি যৌথ সমীক্ষা চালানো হয় সুসংবদ্ধ অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রসারের লক্ষ্যে। সমীক্ষায় সুপারিশ করা হয়েছে যে এ সম্পর্কিত চুক্তিটি দু’দেশেরই প্রভূত উপকারে আসবে। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রসারের ওপর জোর দিয়ে বলা হয়েছে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোগুলিকে আরও উন্নত করে তোলার জন্য বিশেষত, ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন ও ল্যান্ড পোর্ট অঞ্চলে আরোপিত বিধি-নিষেধ এজন্য শিথিল করার প্রস্তাবও করা হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির স্বার্থে এবং বিপণন ব্যবস্থাকে আরও সহজ করে তুলতে ক্ষেত্র বিশেষে এই সমস্ত বিধি-নিষেধ তুলে দেওয়ার জন্য। আগরতলা-আখাউরা-র মধ্য দিয়ে এই বিপণন ব্যবস্থার প্রসার ঘটানো যেতে পারে। পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে পণ্য চলাচলের জন্য একটি দ্বিতীয় গেট তৈরির যে প্রস্তাব ভারত দিয়েছে, দুটি দেশের পক্ষ থেকে তার অগ্রগতি খতিয়ে দেখে দ্রুত এই কাজ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দু’দেশের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। ভারত-বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আরও গভীর ও মজবুত করে তোলার জন্য যে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দুই নেতাই। লাইন অফ ক্রেডিট-এর আওতায় সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলি দ্রুত চূড়ান্ত করার অনুকূলেও তাঁরা মত প্রকাশ করেন। বলা হয় যে এই প্রকল্পগুলি রূপায়িত হলে লাভবান হবে দুটি দেশই। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্য যান সংগ্রহের প্রস্তাবটি চূড়ান্ত হওয়ায় এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানানো হয়। নৌ-নিরাপত্তাকে আরও জোরদার করে তুলতে উপকূল বরাবর একটি রেডার সিস্টেম গড়ে তোলার যে প্রস্তাব ২০১৯-এ স্বাক��ষরিত মউটিতে করা হয়েছিল, তা দ্রুত রূপায়ণের কথা বলা হয় ভারতের পক্ষ থেকে। কোভিড-১৯ অতিমারীকালে ভারত ও বাংলাদেশ পরস্পরের সঙ্গে বিশেষভাবে সহযোগিতা করেছে। ভারত থেকে ঐ সময় ‘ভ্যাক্সিন মৈত্রী’ এবং ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ ট্রেন বাংলাদেশে পাঠানো হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতকে দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র। এইভাবে দু’দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্পর্ককে গভীরতর করে তোলার ওপর জোর দেন দুই প্রধানমন্ত্রী। দু’দেশের মধ্যে রেল, সড়ক, বিমান ও জলপথে সংযোগ ও যোগাযোগ পুনরায় চালু হওয়ায় বিশেষ সন্তোষও প্রকাশ করা হয়। রেল ও সড়ক পথের চেকপোস্টগুলি পুনরায় চালু করার যে সিদ্ধান্ত ভারত গ্রহণ করেছে তাকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ। কোভিড-১৯ অতিমারীর আগের অবস্থায় সবক’টি চেকপোস্টকে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়। এ বছর জুন মাস থেকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ নামে একটি ট্রেন নিয়মিত যাত্রা শুরু করেছে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয় দুই রাষ্ট্রনেতার পক্ষ থেকে। ভারত-বাংলাদেশ যুগ্ম প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধুর ওপর যে তথ্যচিত্রটি (মুজিব : দ্য মেকিং অফ আ নেশন) নির্মিত হয়েছে, তা দ্রুত রিলিজের ব্যাপারে আশাবাদী দুই প্রধানমন্ত্রীই। ১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রযোজনার জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাওয়ার সপক্ষে মতপ্রকাশ করে দুটি দেশই। এছাড়াও, বাংলাদেশের মুজিব নগর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা পর্যন্ত ‘স্বাধীনতা সড়ক’ চালু করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার কাজ যাতে অনতিবিলম্বেই সম্পূর্ণ হয় সে সম্পর্কেও আগ্রহ প্রকাশ করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭১-এর বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের ওপর বিরল ও দুষ্প্রাপ্য ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ ও সংকলন করার জন্য যৌথভাবে কাজ করার প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু অধ্যাপকের পদ সৃষ্টি হওয়ায় ভারতের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ থেকে একটি স্টার্ট-আপ প্রতিনিধিদল ভারত সফরে আসবে। এর ফলে, উদ্ভাবন প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে দুটি দেশই মনে করে। আগামী মাসগুলিতে দু’দেশের মধ্যে পুনরায় চালু হবে যুব সফর বিনিময় কর্মসূচি। বাংলাদেশের মুক্তি যোদ্ধাদের চিকিৎসার যে বন্দোবস্ত ভারতে করা হয়েছে, তার বিশেষ প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা। সুন্দরবন সংরক্ষণে ২০১১ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়। এর সফল বাস্তবায়নের ওপর বিশেষ জোর দেন দুই প্রধানমন্ত্রী। তাঁরা বলেন যে সুন্দরবন সংরক্ষণের মাধ্যমে সেখানকার অরণ্য পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে এবং জীবন ও জীবিকার জন্য সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল স্থানীয় অধিবাসীরা তাতে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। নতুন নতুন ক্ষেত্রগুলিতে দু’দেশের সহযোগিতার মাত্রা বৃদ্ধির বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে দুই নেতাই বলেন যে বহির্মহাকাশ, সবুজ জ্বালানি, পরমাণু অস্ত্রের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রযুক্তির প্রয়োগ সম্ভব করে তুলতে দুটি দেশই পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতা করে যাবে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আলোচনাকালে মায়ানমারের রাখাইন থেকে বিতাড়িত ১০ লক্ষেরও বেশি শরণার্থীকে মানবতার খাতিরে বাংলাদেশ যেভাবে আশ্রয়দানের মানসিকতা দেখিয়েছে তার বিশেষ প্রশংসা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত হল বাংলাদেশ ও মায়ানমার – দুটি রাষ্ট্রেরই নিকটতম প্রতিবেশী। তাই, দুটি দেশকে সহায়তা করতে ভারত প্রস্তুত। যে শরণার্থীদের জোর করে তাঁদের জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে, তাঁরা যাতে নিরাপদে আবার সেখানে ফিরে যেতে পারেন তা নিশ্চিত করতে দুটি দেশের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় সমর্থন যুগিয়ে যাবে ভারত। আঞ্চলিক স্তরের বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতার এক সুসংবদ্ধ বাতাবরণ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনা। বিমস্টেক সচিবালয় গঠন এবং সে সম্পর্কিত পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবদানেরও বিশেষ প্রশংসা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি মউ স্বাক্ষরিত হয়। রেল, সড়ক, নদী, তথ্যপ্রযুক্তি, বৈজ্ঞানিক ও শিল্প সংক্রান্ত গবেষণা, মহাকাশ প্রযুক্তি, সম্প্রচার, বিচার ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা প্রসারের লক্ষ্যেই এই মউগুলি স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়াও, কয়েকটি প্রকল্প ও কর্মসূচির উদ্বোধন ও ঘোষণাও ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচির অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে রয়েছে :",বাংলাদেশৰ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাৰত ভ্ৰমণৰ সময়ত ভাৰত-বাংলাদেশৰ যুটীয়া বিবৃতি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%9F%E0%A6%85%E0%A6%AB-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%9B%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ইনস্টিটিউট অফ কোম্পানি সেক্রেটারিজ অফ ইন্ডিয়া(আইসিএসআই)-এর সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষের উদ্বোধনে ভাষণ দেন। এই উপলক্ষেআয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আইসিএসআই-এর সঙ্গে যুক্ত সবাইকে অভিনন্দন জানান। তিনিবলেন, যাঁরা কোম্পানিগুলিকে আইনানুগভাবে পরিচালনা নিশ্চিত করেন এবং এইসব কোম্পানিরহিসাবনিকাশ যথাযথভাবে বজায় রাখেন, সেইসব ব্যক্তিদের মাঝে আসতে পেরে তিনি অত্যন্তখুশি। তিনি বলেন, তাঁদের কাজ দেশের কর্পোরেট সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকানিয়েছে। তাঁদের উপদেশ দেশেরকর্পোরেট সংস্থাগুলি পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশেষভাবেগুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রীবলেন, আমাদের দেশে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা আমাদের সামাজিক কাঠামোরসততাকে দুর্বল করার ও দেশের মর্যাদা হানিরও চেষ্টা চালায়। তিনি বলেন, সরকার আমাদেরব্যবস্থার মধ্য থেকে এই ধরনের ব্যক্তিদের অপসারণের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শ্রী মোদীবলেন যে সরকারের উদ্যোগের ফলে বর্তমানে দেশের অর্থনীতি কম নগদে কাজ করে যাচ্ছে।জাতীয় আয়ের সঙ্গে নগদের অনুপাত বিমুদ্রাকরণের আগেকার ১২ শতাংশ থেকে কমে ৯ শতাংশহয়েছে। যাঁরা কেবল নৈরাশ্যের ধারণা ছড়াতে চায়, প্রধানমন্ত্রী তাঁদের বিরুদ্ধেসাবধানবাণী উচ্চারণ করেন।চলতি অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার কমে৫.৭ শতাংশ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অতীতেও এই ধরনের আয় বৃদ্ধির হার কমার উদাহরণ তুলেধরেন। তিনি বলেন, সেই সময়ে কম আয় বৃদ্ধির হারের সঙ্গে সঙ্গে ছিল, উচ্চহারেমুদ্রাস্ফীতি, চলতি খাতে উচ্চ হারে ঘাটতি এবং বেশি পরিমাণে রাজকোষ ঘাটতি। প্রধানমন্ত্রীবলেন, এমন একটা সময় ছিল যখন ভারতকে সবচেয়ে দুর্বল পাঁচটি অর্থনীতির দেশ হিসেবেগণ্য করা হত। এই দেশগুলি বিশ্ব অর্থনীতির অগ্রগতিকে টেনে ধরত। এর আগেরত্রৈমাসিকে জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার কমার বিষয়টি স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে,সরকার এই প্রবণতা পরিবর্তন করতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণসংস্কার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। তিনি জোরেরসঙ্গে বলেন, দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা যে কোন মূল্যে বজায় রাখা হবে। তিনি সমবেতসকলকে আশ্বাস দেন যে, সরকারের গৃহীত বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপের ফলে আগামী কয়েক বছরেরমধ্যেই দেশকে উন্নয়নের এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন, সততাকেউৎসাহিত করা হবে এবং সৎ মানুষদের স্বার্থ সুরক্ষিত করা হবে। বিগত তিনবছরে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বরাদ্দ এবং বিনিয়োগে বিপুল বৃদ্ধির বিষয়টিপ্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন। এই সময়কালে ২১টি ক্ষেত্রে ৮৭টি সংস্কারমূলক পদক্ষেপকার্যকর হয়েছে বলে তিনি জানান। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিপুল বৃদ্ধির বিষয়টিকে তুলেধরতে তিনি বেশ কিছু তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীবলেন যে, সরকারের নীতি এবং পরিকল্পনার ক্ষেত্রে, দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণী যাতেসঞ্চয় করতে পারে তা বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।এইসব মানুষের জীবন যাতে উন্নত হয়, সেইবিষয়টিকেও মাথায় রাখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীজোরের সঙ্গে বলেন যে, তিনি মানুষ এবং জাতির ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করেন। যদিও এই কাজকরতে গিয়ে তাঁকে বেশ কয়েকবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু তাঁর নিজের‘বর্তমান’-এর জন্য কোনভাবেই তিনি দেশের ‘ভবিষ্যৎ’কে বন্ধক রাখতে পারেন না। /",আইচিএছআইৰ সোণালী জয়ন্তীৰ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে কোম্পেনী ছেক্ৰেটেৰীসকলক সম্বোধন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%85%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B2/,"নয়াদিল্লির চাণক্যপুরীতে জিসাস অ্যান্ড মেরি মার্গ এবং ডঃ রাধাকৃষ্ণন মার্গের সংযোগস্থলেমধ্যপ্রদেশ সরকারের একটি অতিথিশালা গড়ে উঠবে। এজন্য ১.৪৭৮ একর, অর্থাৎ ৫,৮৮২.৯৬বর্গ মিটার আয়তনের একটি প্লট মধ্যপ্রদেশ সরকারের অনুকূলে বন্টনের প্রস্তাবে আজ ছাড়পত্রদিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিতহয়মন্ত্রিসভার বৈঠক। বন্টনকরা জমিতে রাজ্যের অতিথিশালা নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হলে ২ নম্বর গোপীনাথ বরদলুইমার্গে অবস্থিত ০.৮৯ একর জমি কেন্দ্রীয় আবাসন ও শহরাঞ্চলের দারিদ্র্য দূরীকরণমন্ত্রককে হস্তান্তরিত করা হবে মধ্যপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে । মন্ত্রিসভারবৈঠকে জমি হস্তান্তর সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাসমন্বিত একটি আধুনিক অতিথিশালা গড়ে তোলা সম্ভব হবে রাজ্য সরকারের পক্ষে। ঐঅতিথিশালা নির্মাণ ছাড়া অন্য কোন কাজের জন্য এই জমি কোনভাবেই ব্যবহার করা চলবে না। /",দিল্লীত ৰাজ্যিক অতিথিশালা নিৰ্মাণৰ উদ্দেশ্যে মধ্যপ্ৰদেশ চৰকাৰক ভূমি আৱণ্টনত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%A7-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%A7-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%93%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%8D/,"২০১৪-র আগেএকটি এলইডি বাল্বের দাম যেখানে ৩৫০ টাকা ছিল, তা এখন কমে ৪০-৫০ টাকা হয়েছে । সেইবাল্বগুলি বাড়িতে ব্যবহারের ফলে প্রতি বছর দেশবাসীর বিদ্যুতের বিলে আনুমানিক ১৫হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে । আজ প্রত্যেকভারতীয় নতুন ভারতের স্বপ্ন সাকার করার জন্য কাজ করছে । আমরা এমনএকটি ভারত নির্মাণের পথে এগিয়ে চলেছি যেখানে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তিও এগিয়েযাওয়ার সমান সুযোগ পাবেন । যেখানে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তিও স্বপ্ন দেখতে পারবেন । সেই স্বপ্নবাস্তবায়িত করার জন্য আশা সঞ্চারিত হবে । আজ আমারসামনে ভারতের বাইরে ওমানের মাটিতে একটি খুদে ভারত দেখতে পাচ্ছি । দেশেরভিন্ন ভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বিভিন্ন পেশার সঙ্গে জড়িত ভারতীয়দের একটি সমৃদ্ধচিত্র আমার চোখের সামনে নির্মিত হতে দেখছি । আমি প্রায়দশ বছর পর ওমানে এসেছি । আগে যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আফ্রিকাসফরের পথে আমি সালালাহ্‌হয়ে গিয়েছি । দীর্ঘদিন ধরে আমার মনে ওমানে এসে আপনাদেরসঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে ছিল, আজ সেই সুযোগ এসেছে । ভারত এবংওমানের মধ্যে সম্পর্ক শত সহস্র বছরের পুরনো । বিগত তিন বছরে আমরা কিভাবে একটি নীতিপ্রণয়ন করে উপসাগরীয় দেশগুলির সঙ্গে ভারতের পুরনো এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলিকেবর্তমান সময়ের অনুকূল নতুন জামা পরাচ্ছি । একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছি । আপনারাহয়তো এটাও লক্ষ্য করেছেন যে ভারতের ক্রমবর্ধমান উন্নতির ফলে ভারতের প্রতি উপসাগরীয়দেশগুলির আগ্রহও প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে । ওমানেরসঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্কও আজ একটি নতুন মোড়ের মুখে । আমাদেরপারস্পরিক সম্পর্কে একটি নতুন গতি, নতুন প্রাণশক্তি সঞ্চারিত হয়েছে । আমাদেরসৌভাগ্য যে ওমানের র���জ পরিবারের সঙ্গে ভারতের পুরনো আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে । আজ মাননীয়সুলতানের নামে বিপুল সংখ্যায় আপনাদের উপস্থিতিতে আমার হাজির হওয়া একটি বিশেষগুরুত্বপূর্ণ ঘটনা । এই আত্মীয়ভাবাপন্ন অভিব্যক্তির জন্য আমি তাঁর প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ । ‘ ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপ, অধিকতম পরিষেবা ’ – এই মন্ত্র নিয়ে আমরা দেশের সাধারণ মানুষের জীবনকে সহজতর করে তোলার জন্য নানাকাজ করছি । প্রক্রিয়াসমূহকেসরল করে তোলা, অনাবশ্যক আইনগুলিকে বাতিল করা, সরকারি দপ্তরগুলিতে ৪০-৫০ পৃষ্ঠারফর্মগুলিকে সংক্ষেপিত করে ৪-৫ পৃষ্ঠার করে তোলা, আর, সেগুলিও অনলাইনে ভরারব্যবস্থা করা, মানুষের অভিযোগগুলিকে আন্তরিকভাবে শোনা, আর, সেগুলি সমাধানের জন্যকাজ করা আমাদের সরকারের সংস্কৃতি করে তুলতে আমরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি । পরিবর্তিতভারতে আজ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তিকেও ব্যাঙ্ক থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় না । বদলে যাওয়া ভারতে প্রশাসন বাড়ি বাড়ি গিয়ে,গরিব বিধবার বাড়িতে গিয়ে গ্যাস সংযোগ দিয়া আসছে । যাঁদেরবাড়িতে আজও অন্ধকার, তাঁদের খুঁজে নিয়ে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার অভিযানসরকার চালু করেছে । আজ ভারতেরকেন্দ্রীয় সরকার গরিব মানুষের জন্য এমন সব বিমা প্রকল্প এনেছে যাতে প্রতিদিন ৯০পয়সা, আর একটি প্রকল্পে মাসে ১ টাকা কিস্তি জমা দিলে তাঁদের জীবন এবং সুরক্ষা বিমাপ্রদান করা হচ্ছে । ইতিমধ্যেই এই বিমা প্রকল্পগুলির মাধ্যমে যাঁরা এই অল্প সময়ের মধ্যেক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এরকম ২ হাজার কোটি বিমার টাকা সেই সমস্ত গরিব পরিবারের ব্যাঙ্কঅ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে । এবারেরবাজেটের দিকে যদি ভালো করে তাকান তাহলে দেখবেন আমরা এমন সব প্রকল্প শুরু করেছি যাগোটা পৃথিবীকে আকৃষ্ট করছে । যেমন, ‘ আয়ুষ্মান ভারত যোজনা ’ । এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১০ কোটি দরিদ্র পরিবার, অর্থাৎ প্রায় ৪০-৫০কোটি নাগরিকের স্বাস্থ্য বিমা ঘোষিত হল । এটি এমন প্রকল্প যে পরিবারের যে কোনসদস্যের বছরে ৫ লক্ষ টাকা খরচের চিকিৎসা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে । একবিংশশতাব্দীর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের উপযোগী পরিকাঠামোনির্মাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছি । বিশেষ করে, পরিবহণ ক্ষেত্রে আমরা পরস্পরপরিপূরক হাইওয়ে, রেলওয়ে, এয়ারওয়ে, ওয়াটারওয়ে-র সংহত উন্নয়ন শুরু করেছি । ‘ ভারতমালা ’ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৩ হাজার কিলোমিটার জাতীয় মহাস���ক নির্মাণের কাজ শুরুকরেছে । দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে রেল নির্মাণের কাজ চলছে । ১১টি বড়শহরে মেট্রো রেল বিস্তারের কাজ শুরু হয়েছে । এভাবে দেশের সমুদ্র তটবর্তী অর্থনীতি আরতার সঙ্গে যুক্ত পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা এই ‘ সাগরমালা ’ যোজনাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছি । মৎস্যজীবীভাই-বোনদের জন্য ‘ নীল বিপ্লব ’ প্রকল্প শুরু করেছি । তাঁদের আধুনিক ট্রলার কেনার জন্যকেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে । কেন্দ্রীয়সরকার দেশে ১১০টিরও বেশি জলপথ গড়ে তুলছে । এখন ভারতেকোন সিদ্ধান্তকে আর থামিয়ে রাখা যাবে না । লক্ষ্য স্থির করে আমরা প্রতিটি প্রকল্পকেনির্ধারিত সময়ের আগে সম্পূর্ণ করছি । এটা ভারতের পরিবর্তিত কর্মসংস্কৃতিরউদাহরণ । এটাই নতুন ভারতের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রমাণ । ভালোভাবেকাজ করার ইচ্ছা এবং সুস্পষ্ট নীতির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে দেশের অর্থ সাশ্রয়হয় । যখন দক্ষভাবে এই কাজ করা হয়, তখন বর্তমান ব্যবস্থাকে ভালোভাবে ব্যবহারকরেই দেশের অর্থ সাশ্রয় হয় । আমি আপনাদেররাষ্ট্র নির্মাণের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আহ্বান রাখছি দেশের উন্নয়নের জন্য,নতুন ভারত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আপনাদের সঙ্কল্পের প্রভাব ভারতেও দেখা যাবে ।",১১ ফেব্ৰুৱাৰীত ওমানৰ মস্কটত প্ৰবাসী ভাৰতীয়ক সম্বোধন কৰি প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আগবঢ়োৱা ভাষণৰ ইংৰাজী সংস্কৰণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%AC-2/,"প্রসূন যোশী – নমস্কার মোদীজি প্রধানমন্ত্রী – আপনাকেও নমস্কার এবং সমস্ত দেশবাসীকে নমস্কার প্রসূন যোশী – মোদীজি, আমরা সবাই জানি যে, আপনি কত ব্যস্ত কর্মসূচি থেকে সময় বের করে এখানে এসেছেন, সেজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি ভারত সম্পর্কে কিছুদিন আগে লিখেছিলাম …… ‘ধরিত্রীর অন্তরে যিনি গভীরে নামবেন, তার দুই চোখে জীবনের রাগ ফুটে উঠবে ধরিত্রীর অন্তরে যিনি গভীরে নামবেন, তার দুই চোখে জীবনের রাগ ফুটে উঠবে যাঁর পা মাটিতে থাকবে, ধুলো লাগবে, তাঁর সঙ্গেই একদিন গোটা বিশ্ব হাঁটবে’। আপনার জীবনের সফর শুরু হয়েছে রেল স্টেশনে আর আজ আপনি লণ্ডনের রয়্যাল প্যালেসে প্রধান অতিথি। এই সফরকে আপনি কিভাবে দেখেন? প্রধানমন্ত্রী – প্রসূনজি আমি সবার আগে আপনা���ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। এখানে এত বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত মানুষের সঙ্গে সাক্ষাতের সৌভাগ্য হয়েছে আর নিজের মাটির ধুলো নিয়ে কথা শুরু করার সুযোগ পেয়েছি। আপনি তো কবিরাজ, সেজন্য রেল স্টেশন থেকে রয়্যাল প্যালেস – আপনার জন্য এই তুলনা খুব সহজ! কিন্তু জীবনের পথ অনেক কঠিন। রেল স্টেশনের স্মৃতি আমার ব্যক্তিগত জীবনের গল্প। আমার জীবনের লড়াইয়ে একটি সোনালী পৃষ্ঠা, যা আমাকে বাঁচতে শিখিয়েছে, যুঝতে শিখিয়েছে আর এটা শিখিয়েছে যে জীবন নিজের জন্য নয়, অন্যদের জন্যও হতে পারে। রেল লাইনের ধারে ছুটতে থাকা আর রেলের শব্দ আমার ছোটবেলার অভিজ্ঞতা – এটাই আমার বাস্তব। কিন্তু রয়্যাল প্যালেস নরেন্দ্র মোদীর স্থান নয়, এটা আমার গল্প নয়। প্রসূনজি – আর যা আপনার মনে ……. প্রধানমন্ত্রী – এই রয়্যাল প্যালেসে পা রাখা ১২৫ কোটি ভারতবাসীর সংকল্পের পরিণাম। এখানে ১২৫ কোটি ভারতবাসীর প্রধান সেবক পৌঁছছে, ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদী নয়। এটাই ভারতের গণতন্ত্রের শক্তি, সংবিধানের সামর্থ্য। কারণ, গণতন্ত্রে ক্ষমতা কয়েকটি পরিবারের হাতে কুক্ষিগত থাকে না। গণতন্ত্রে জনগণই ঈশ্বরের রূপ। তাঁরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে একজন চা বিক্রেতাকেও প্রতিনিধি নির্বাচন করে রয়্যাল প্যালেসে পাঠাতে পারে। প্রসূন যোশী – এই ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদী, আর যে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন – এই সত্ত্বা যখন এক হয়ে যায়, আর যখন আপনি এরকম স্থানে পৌঁছে দেখেন যে, আমি একটি যাত্রাপথ পেরিয়ে এসেছি, যা এক জায়গায় মিলে যায় আর একই ব্যক্তিতে সমন্বিত হয়। প্রধানমন্ত্রী – আসলে আমার এরকম হয় না। আমি তো একটা সময় আদি শঙ্করাচার্যের অদ্বৈতবাদ চর্চা করেছি, আমি জানি যে, যেখানে আমি নেই, শুধু তুমি আর তুমি; যেখানে দ্বৈত নেই, সেখানে দ্বন্দ্ব নেই, আর সেজন্য যেখানে দ্বৈত নেই, আমি নিজের মনে সেই নরেন্দ্র মোদীকে যদি নিয়ে যাই, তা হলে হয়তো দেশের সঙ্গে অন্যায় করে ফেলব। দেশের সঙ্গে আমি তখনই ন্যায় করতে পারব, যখন নিজেকে ভুলিয়ে দিতে পারব, নিজস্ব সত্ত্বাকে উৎসর্গ করতে পারব, তখনই সেই বৃক্ষ জন্ম নেবে। বীজও তো নিজেকে উৎসর্গ করে তবেই বটবৃক্ষের অঙ্কুরোদগম হয়। আর সেজন্য আপনি যা বলেছেন, তা আমি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি। প্রসূন – কিন্তু যখন দেশের প্রশ্ন ওঠে আপনি সেটাকে অত্যন্ত ‘ফোকাস’ করে দেখেন আর সবাই আজ পরিবর্তনের কথা বলছেন। পরিবর্তন আগে ভাবনায় আসে তারপর কর্মে, অবশেষে, একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায়। আপনার থেকে ভালো করে একথা আর কে জানেন। কিন্তু পরিবর্তন নিজের সঙ্গে নিয়ে আসে মোদীজি – অধৈর্য্য, কাতরতা, অসহিষ্ণুতা। আমি কী বলতে চাইছি তা এই ভিডিওটি দেখিয়ে বলতে চাইছি! মোদীজি, এক্ষুনি আমরা সবাই দেখলাম এবং ট্যুইটারে প্রশান্ত দীক্ষিতজিও একটি প্রশ্ন করেছেন যে, অনেক কাজ হচ্ছে, সড়কপথ তৈরি হচ্ছে, রেল লাইন প্রসারিত হচ্ছে, দ্রুত আবাসন নির্মিত হচ্ছে। আগে দু-পা এগোনোর অভ্যাস থাকলে এখন আমরা অনেক গুণ বেশি এগিয়ে যাচ্ছি, তবুও অধৈর্য্য – এখন, এখন, এখনই কেন নয় ……. এইও ব্যাপারটাকে আপনি কিভাবে দেখেন? প্রধানমন্ত্রী – আমি এই বিষয়টিকে একটু অন্যভাবে দেখি। যে মুহূর্তে আমাদের মনে আত্মতুষ্টির জন্ম নেয়, জীবন আর সামনে এগোয় না।যুগে যুগে বাঁচার লড়াই জীবনের প্রত্যেক পর্যায়ে কিছু না কিছু নতুন প্রাপ্তির উৎসাহ যোগায়। না হলে জীবন থেমে যায়। কেউ যদি বলেন যে, অধৈর্য্য খারাপ জিনিস, আমি মনে করব, তিনি এখন বৃদ্ধ হয়েছেন। আমার দৃষ্টিতে অধৈর্য্য একটি তারুণ্যের লক্ষণ এবং আপনারা লক্ষ্য করেছেন, যাঁর বাড়িতে সাইকেল আছে, তিনি ভাবেন, স্কুটার থাকলে ভালো হ’ত। যাঁর বাড়িতে স্কুটার আছে, তিনি চার চাকার স্বপ্ন দেখেন। এই উৎসাহ না থাকলে পরদিন সাইকেলও আর থাকবে না। সে বলবেন, ছাড়ুন তো বাসেই চলে যাব। সেটা প্রাণশক্তির লক্ষণ নয়। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, ১২৫ কোটি দেশবাসীর হৃদয়ে আমি একটি উৎসাহ, উদ্দীপনা, আশা-আকাঙ্খা সৃষ্টি করতে পেরেছি। অন্যথা, দীর্ঘ সময় ধরে দেশবাসী নিরাশার গহ্বরে নিমজ্জিত ছিলেন। আর এমন অবস্থা হয়েছিল যে, সবাই ধরেই নিয়েছিলেন যে আর কিচ্ছু হবে না। আমি অত্যন্ত আনন্দিত, মানুষের মনে আমাদের জন্য এই প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে যে, আমরা অবশ্যই করে দেখাব। আপনাদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘদিন আগেই ভারত থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তাঁরা হয়তো জানেন না যে, আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে খরা পরিস্থিতি তৈরি হলে গ্রামের মানুষে সরকারি দপ্তরে গিয়ে আবেদনপত্র জমা দিতেন। সেই আবেদনে লেখা থাকত যে, আমাদের এলাকা খরাক্রান্ত, এই অঞ্চলে মাটি কাটার কাজ দিন, আমরা গ্রামের কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করতে চাই। তখনও মানুষ ততটাই অধৈর্য্য ছিলেন। এমনকি, আমি অনেককে অপেক্ষা করতে দেখেছি যে, খরা এলে মাটি কাটার কাজ পাওয়া যাবে। তবেই গ্রামে কাঁচা সড়ক নির্মাণ হবে। কিন্তু কয়েক বছর আগে যখন আমি গুজরাটের মুখ্যমন��ত্রী ছিলাম, ততদিনে তাঁদের প্রত্যাশা বদলে গেছে। যে এলাকায় সিঙ্গেল লেন সড়ক রয়েছে, তাঁরা ডবল লেনের জন্য আবেদন জানাতেন। আর যেখানে ডবল লেন রয়েছে, সেখানে আরও উন্নত মানের সড়কপথের আবেদন জানাতেন। একবার গুজরাটের একটি সীমান্তবর্তী তহশিল উচ্ছ্বল নিঝর, এলাকা থেকে কয়েকজন ড্রাইভার আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তাঁরা আমার কাছে উন্নতমানের সড়ক নির্মাণের আবেদন জানান। আমি বললাম, ভাই আমি তো এক সময়ে তোমার এলাকায় স্কুটারে করে ঘুরতাম, বাসে যেতাম। বছরের পর বছর আমি ওখানকার অরণ্য অঞ্চলে কাজ করেছি। তোমাদের ওখানে তো ভালো রাস্তাই আছে। তাঁরা বলেন, রাস্তা তো আছে কিন্তু আমরা কলার চাষ করি, আমাদের উদ্বৃত্ত কলা বিদেশে রপ্তানি হয়। এখন যে রাস্তা রয়েছে, ঝাঁকুনির ফলে ট্রাকে কলা চেপে যায়। আমাদের ২০ শতাংশ লোকসান হয়। সেজন্য মসৃণ পথ চাই। আমাদের দেশের আদিবাসীদের মনেও এই প্রত্যাশা, অধৈর্য্য – আমার মতে, প্রগতির বীজ বপন করে। সেজন্য আমি অধৈর্য্যকে খারাপ কিছু ভাবি না। দ্বিতীয়ত, আপনারা হয়তো পরিবারের মধ্যেও দেখেছেন, এক পরিবারে তিনটি ছেলে থাকলে, বাবা-মা তিন জনকেই ভালোবাসেন। কোনও কাজ পড়লে যে নিজে উৎসাহ দেখিয়ে করে, পরবর্তী সময়ে তাকেই আবার ঐ কাজটি করতে বলা হয়। তেমনভাবেই আজ দেশ আমার কাছ থেকে বেশি প্রত্যাশা করছে। এজন্য করছেন যে, তাঁরা আমাকে ভরসা করেন। তাঁরা ভাবেন যে, আমার মাথায় একবার ঢুকিয়ে দিতে পারলে আজ নয়তো কাল কাজটি করেই ছাড়ব। আমি মনে করি যে, এটাই ঠিক। দেশবাসী কখনও ভাবেননি যে দেশ এত তীব্রগতিতে কাজ করতে পারে। আগে ‘ইনক্রিমেন্টাল চেঞ্জ’ হলেই মানুষ সন্তুষ্ট হয়ে যেতেন। কিন্তু এখন আর হন না। আগে প্রতিদিন যে গতিতে সড়কপথ নির্মিত হ’ত, আজ তার প্রায় তিন গুণ গতিতে কাজ হচ্ছে। রেলপথ প্রসারণের কাজ, সৌরশক্তি প্রকল্প স্থাপনের কাজ শৌচাগার নির্মাণের কাজ – প্রত্যেক ক্ষেত্রেই এই প্রত্যাশা অত্যন্ত স্বাভাবিক। আমার ওপর তাঁদের ভরসা আছে বলেই তাঁরা প্রত্যাশার করেন। প্রসূনজি – হ্যাঁ, আগে মানুষ চাইতেন যে, তাঁদের বাসস্থান পর্যন্ত সড়কপথ পৌঁছাক। কিন্তু যখন সড়কপথ পৌঁছে যায়, তখন তাঁরা বিশ্বের দরবারে পৌঁছতে চান। তা হলে একদিকে যেমন এই আশা জাগানোর কথা বলেন, তখন অধৈর্য্যকে আপনি ভালোভাবে বুঝেছেন এবং তার ইতিবাচক দিক হ’ল, তা এগিয়ে যাওয়ার ভাবনার দ্যোতক। মোদীজি, একদিকে যেমন মানুষের অধৈর্য্য, অন্যদিকে আপনি��� কি যে সরকারি ব্যবস্থার সঙ্গে কাজ করছেন, কখনও সেই ব্যবস্থার কারণে ধৈর্য হারান? কখনও কি মনে হয় যে সরকারি কর্মপদ্ধতি আপনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেই গতিতে এগুচ্ছে না? যে বুলেট ট্রেনের গতিতে আপনার মন চায়! আপনি কি কখনও নিরাশ হন। প্রধানমন্ত্রী – আমি জানতাম না যে, কবির মনেও একজন সাংবাদিক বসে থাকতে পারে। আমি স্বীকার করি যে, যেদিন আমার অধৈর্‍্য শেষ হয়ে যাবে, সেদিন আমি আর দেশের কাজে লাগব না। আমি চাই যে, এটা বজায় থাকুক। কারণ, অধৈর্য্য আমার জন্য প্রাণশক্তি, অধৈর্য্য আমাকে শক্তি দেয়, আমাকে দৌড় করায়। প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যাই, পরের দিনের স্বপ্ন নিয়ে ঘুমাই আর ঘুম থেকে উঠেই তা বাস্তবায়নে লেগে পড়ি। নিরাশার কথা যদি বলেন, আমি মনে করি যে, যখন নিজের জন্য কিছু নিতে হয়, পেতে হয়, নিজেকে কোনও কিছু হতে হয়, তবেই আশা ও নিরাশা বেশি প্রভাবিত করে। কিন্তু যখন আপনারা ‘সর্বজন হিতায়, সর্বজন সুখায়’ সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যান, তখন নিরাশার প্রশ্নই ওঠে না। অনেকে কখনও কখনও মনে করেন যে, কিছুই হবে না। সরকার বাজে, নিয়ম বাজে, আইন বাজে, প্রশাসন বাজে, কায়দা-কানুন সবই বাজে; এ ধরণের কথাবার্তা বলার মতো এক ধরণের লোক পাওয়া যায়। আমি অন্য ধরণের মানুষ। যদি একটি গ্লাসে অর্ধেক ভরে থাকে, তখন কেউ বলতে পারেন যে, অর্ধেক গ্লাস খালি আর অন্যজন বলতে পারেন যে, অর্ধেক গ্লাস ভরা। আর আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, তা হলে বলব, অর্ধেক গ্লাস জলে ভরা আর বাকি অর্ধেক বাতাস ভরা। সেজন্য আপনারা দেখবেন, একই ব্যবস্থা সেই আইন, সেই প্রশাসন, সেই কর্মপদ্ধতি থাকা সত্বেও বিগত চার বছরের হিসাব নিলে দেখতে পাবেন! আমি অন্য কোনও সরকারের সমালোচনা করার জন্য এই মঞ্চ ব্যবহার করতে চাই না। আমার করাও উচিৎ নয়। কিন্তু বোঝার জন্য তুলনামূলক চর্চার প্রয়োজন হয় যে, গত ১০ বছরে কিভাবে কাজ হ’ত, তা হলেই বুঝব এই চার বছরে কিভাবে কাজ হয়েছে। আপনাদের হয়তো মনে আছে যে, তখনকার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি, তখনকার কর্মধারা – আপনারা আকাশ-পাতাল পার্থক্য দেখতে পাবেন। কারণ, যখন স্পষ্ট নীতি, স্বচ্ছ চিন্তাভাবনা এবং সৎ উদ্দেশ্য থাকে, আর ‘সর্বজন হিতায়, সর্বজন সুখায়’ উদ্দেশ্য থাকলে তখন একই ব্যবস্থাকে থেকেও আপনারা ইপ্সিত পরিণাম পেতে পারেন। আমার চিন্তা প্রক্রিয়ার ভিত্তি এরকম হওয়ার ফলে আমি যখন যেরকম চাই, সবসময় সেরকম না হলেও নিরাশ হই না। কারণ, আমি বোঝার চেষ্টা করি, কেন হয়নি। পরবর্তী সম���ে নতুনভাবে করার চেষ্টা করি। আর করেই ছাড়ি। প্রসূন – মোদীজি এখন আমি ভিডিও-র মাধ্যমে একটা প্রশ্ন নেব। দিল্লি থেকে প্রিয়াঙ্কা বর্মা আপনাকে একটি প্রশ্ন করেছেন, চলুন দেখি। প্রিয়াঙ্কা, মোদীজি, আই অ্যাম প্রিয়াঙ্কা ফর্ম দিল্লি। আমার প্রশ্ন হ’ল – আমরা সরকার নির্বাচন করি, যাতে সরকার আমাদের জন্য কাজ করে। কিন্তু যখন থেকে আপনি দায়িত্ব নিয়েছেন, পুরো ব্যবস্থাটাই বদলে গেছে। আপনি তো সরকারের পাশাপাশি আমাদের মতো ছেলেমেয়েদেরও কাজে লাগিয়ে দিয়েছেন। আমি আপনার কাছে জানতে চাই যে, আগে এরকম কেন হ’ত না? ধন্যবাদ। প্রসূন – প্রিয়াঙ্কার প্রশ্নটি সরকারের কাজ নিয়ে। তা সে রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি নিয়ে হোক কিংবা অন্যকিছু। অনেক কিছু বিষয়ে আপনি জনগণের কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশা করেন, সেটা কিরকম? প্রধানমন্ত্রী – প্রিয়াঙ্কা খুব ভালো প্রশ্ন করেছেন। আর দেখুন, ১৮৫৭ থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত দেশে প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছিল ১৮৫৭ সালে। তারপর থেকে যে কোনও বছরকে বেছে নিন, ভারতের যে কোনও প্রান্তের কথা বলুন, কেউ না কেউ স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন কিংবা সমগ্র যৌবন কারান্তরালে কাটিয়েছেন। অর্থাৎ স্বাধীনতা সংগ্রাম কোনও সময়েই থেমে ছিল না। কিন্তু মহাত্মা গান্ধী কি করেছেন? মহাত্মা গান্ধী এই গোটা ভাবনাকে একটি নতুন রূপ দিয়েছেন। তিনি তাঁর আন্দোলনে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করেছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামীরা তাঁর নির্দেশে ঝাড়ু হাতে নিয়ে সাফাই অভিযানে নেমেছেন। তখন যে কোনও সাধারণ মানুষও বলতেন, আচ্ছা ভাই তোমাদের দেশের স্বাধীনতা চাই না? আপনি শিক্ষক হলে ছাত্রদের ভালো করে পড়ান। যিনি বয়স্কদের শিক্ষার কাজ করেন কিংবা যিনি খাদির কাজ করেন, তাঁদেরকে গান্ধীজি সেই কাজটি করে যাওয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলতেন, তোমরা সবাই প্রভাত ফেরি শুরু করতে পার। মহাত্মা গান্ধী স্বাধীনতা আন্দোলনকে জনআন্দোলনে পরিবর্তিত করেছিলেন। সাধারণ মানুষকে তাঁদের ক্ষমতা অনুসারে কাজ দিয়েছিলেন। তুমি চরকা নিয়ে বসে যাও, সুতো কাটো – দেশ স্বাধীন হবে। আর মানুষের মনে আস্থা জন্মায় – হ্যাঁ, এভাবেও স্বাধীনতা আসতে পারে। আমি মনে করি যে, এমনিতেও তো কত মানুষই মারা যান, কিন্তু দেশের জন্য যাঁরা মারা যান, তাঁদেরকে শহীদ বলা হয়। আর একজন যখন শহীদ হন, তখন তাঁর পেছনে আরেকজন দাঁড়িয়ে যান, তিনিও শহীদ হন। গান্ধীজি একসঙ্গে ভারতের সমস্ত প্রান্ত থেকে কোটি কোটি মানুষকে এভাবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। সেজন্য স্বাধীনতা আন্দোলন গতি পেয়েছিল। উন্নয়নের জন্যও তেমনই গণআন্দোলন গড়ে তোলা উচিৎ। তবেই দ্রুত পরিবর্তন আসবে উন্নয়ন হবে; স্বাধীনতার পর আরেকবার এরকম পরিবেশ গড়ে উঠেছে। আগে গ্রামে একটি গর্ত থাকলে গ্রামবাসী একসঙ্গে হয়ে আবেদনপত্র লিখিয়ে জীপগাড়ি ভাড়া নিয়ে তহশিলে গিয়ে জমা দিতেন। ঐ জীপ ভাড়ায় পয়সাতেই হয়তো গর্তটি বুজিয়ে দেওয়া সম্ভব হ’ত। কিন্তু মানুষের মনে ধারণা ছিল যে, এটা সরকারের কাজ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এমনই পরিবেশ গড়ে উঠেছিল। ফলে, জনগণ ও সরকারের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। ক্রমে সেই দূরত্ব বাড়তে থাকে। আপনারা অনেকেই হয়তো লক্ষ্য করেছেন, বাসে যেতে যেতে সময় কাটানোর জন্য অনেকে সিটের মধ্যে আঙুল ঢুকিয়ে দেয়, যে ফুটো তৈরি হয়, ধীরে ধীরে সেটিকে আরও বড় করে দেয়। কিন্তু নিজের গাড়ি হলে কি কেউ এই কাজটা করে? যে মুহূর্তে কারও মনে হবে যে সরকার আমার, দেশ আমার – তখন সেই ভাব আর থাকে না। আমি মনে করি যে, দেশে এই মনোভাব তৈরি হওয়া উচিৎ। দ্বিতীয়ত, গণতন্ত্র কোনও চুক্তিপত্র নয় যে, আজ তোমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি, পাঁচ বছর কাজ কর, তারপর জিজ্ঞেস করব কী করেছ? পছন্দ না হলে অন্যকে ভোট দেব। এটা শ্রমিক চুক্তি নয়, এটি অংশীদারিত্বের কাজ। আমাদের অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র গড়ে তুলতে হবে। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে সরকার থেকে বেশি করে সমাজের অনেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আর তাঁরা দ্রুত সমস্যা সমাধানের শক্তি অর্জন করে – কিভাবে? আসলে জনতার সম্মিলিত শক্তি অনেক বেশি। জনগণের ওপর যত বেশি আস্থা রাখবেন, তত বেশি পরিণামও আসবে। দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি শৌচালয় নির্মাণ অভিযান শুরু করি। শুধু সরকার চেষ্টা করলে কটাই বা শৌচাগার আমরা বানাতে পারতাম? একটি নির্দিষ্ট সময়ে আগের সরকার ৫ হাজার শৌচালয় নির্মাণ করে থাকলে আমরা বড় জোর সেই সময়ের মধ্যে ১০ হাজার শৌচাগার নির্মাণ করতে পারতাম। কিন্তু জনগণ সচেষ্ট হওয়ায় আমরা অনেক গুণ বেশি সাফল্য পেয়েছি। জনগণের শক্তি এমনই। ভারতে রেলে রিজার্ভেশনের ক্ষেত্রে বয়স্ক নাগরিকদের টিকিটের দামে ছাড় আছে। আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রেলকে বলি, রিজার্ভেশন ফর্মে একটা লাইন লিখে দিতে যে, আমি প্রবীণ নাগরিক হওয়া সত্বেও ছাড় চাই না। আমি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কোনও আবেদন করিনি, কিন্তু আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, ভ��রতের এমনই বৈশিষ্ট্য, সাধারণ মানুষের দেশভক্তি এতই প্রবল যে, এই তো কিছুদিন আগেই রিজার্ভেশন ফর্মে এই লাইনটি লেখা হয়েছিল আর ইতিমধ্যেই ৪০ লক্ষ প্রবীণ নাগরিক স্বেচ্ছায় ছাড় নেবেন না বলে লিখে পুরো টাকা দিয়েই টিকিট কেটেছেন। আমরা যদি আইন করে প্রবীণ নাগরিকদের কোথাও এই ছাড় বন্ধ করতাম, তা হলে মিছিল বের হ’ত, কুশপুত্তলিকা দাহ হ’ত। তারপর দেখা যেত, মোদীর জনপ্রিয়তা কমে গেছে। সরকারে আসার পর লালকেল্লার প্রাকার থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে বলেছিলাম, যাঁরা স্বচ্ছল তাঁদের কি রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি নেওয়া উচিৎ? আগে বছরে কটা গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া যাবে, সেই ভিত্তিতে নির্বাচনী লড়াই চলত। কেউ বলতেন, আমাকে প্রধানমন্ত্রী করুন, তা হলে ৯টার জায়গায় ১২টা সিলিন্ডার পাবেন। কিন্তু আমি শুধু ভর্তুকি ত্যাগের অনুরোধ রেখেছিলাম আর আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে ভারতের প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ পরিবার রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি ত্যাগ করেছেন। আমার দেশে সৎ লোকের কোনও অভাব নেই। দেশের জন্য আত্মবলিদানকারী মানুষেরও কোনও অভাব নেই। দেশের এই সামর্থ্যকে বুঝতে হবে। সরকারকেই যে শুধু দেশ চালাতে হবে, তার কোনও মানে নেই। সরকারকে সেই অহঙ্কার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। জনগণের শক্তিকে পুঁজি করে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই আমরা যেমনটি চাই, জনগণ হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে তার থেকে ভালো পরিণাম এনে দেবেন। আমি এরকমই চিন্তা নিয়ে এগিয়ে চলেছি। প্রসূন – বাহ্‌ মোদীজি। আমার একটি কবিতার দুটি লাইন মনে পড়ছে। সরকার আর জনতার মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যাওয়ায় এই লাইন দুটি লেখা হয়েছিল। ‘কি হাম নীচী নজর করকে দেখত হ্যায় চরণ তুমরে, তুম যাইকে বইঠে হো ইক উঁচি অটরিয়া মাঁ’। প্রধানমন্ত্রী – আমি জনতা- জনার্দনের কাছে এই প্রার্থনাই করবো যে, আপনারা আমাদের আশীর্বাদ দিন, আমার যেন এমন অভ্যাস না হয়! প্রসূন – শ্রী ময়ূরেশ ওঝানিজি একটি প্রশ্ন করতে চান। ময়ূরেশজি এদিকে আসুন! ময়ূরেশ ওঝানি – নমস্কার মোদীজি, আপনি যখন সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের গুরুত্বপূর্ণ, ঐতিহাসিক ও সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন আপনার মনে কেমন ভাবনা জেগে উঠেছিল? প্রসূন – ইনি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে জানতে চাইছেন! প্রধানমন্ত্রী – আপনি শব্দের মাধ্যমে নিজের ভাবনা প্রকাশ করতে পারছেন না, তবু আকার ইঙ্গিতের মাধ্যমে প্রশ্ন করেছেন বলে আমি আপনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এই দৃশ্য আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। লঙ্কা ত্যাগের সময় ভগবান রামচন্দ্রের সঙ্গে লক্ষণের যে কথোপকথন হয়েছিল, সেখানেও আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হতে দেখেছি। কিন্তু যখন কেউ সীমান্তপার থেকে সন্ত্রাসবাদীদের পাঠানোর উদ্যোগ নেয়, সাধারণ নাগরিককে হত্যা করে সেই পিঠে ছুড়ি মারা শত্রুকে এই মোদী তাঁদের ভাষাতেই জবাব দিতে জানে। যাঁরা এসে আমাদের তাবুতে শুয়ে থাকা ক্লান্ত সৈনিকদের গোপনে হত্যা করে, আপনারা কি চান, আমি তাঁদেরকে ক্ষমা করব? সেজন্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছি। আমার দেশের সৈনিকদের নিয়ে আমি গর্বিত। যেমন পরিকল্পনা নিয়েছিলাম, ১ শতাংশও ভুল না করে সেই কাজ সফলভাবে করে তাঁরা সূর্যদয়ের আগেই ফিরে এসেছিলেন। আর আমাদের সততা দেখুন, দেশের মানুষ জানার আগে সংবাদ মাধ্যম সেখানে পৌঁছনোর আগে আমরাই পাকিস্তানের সেনাদের ফোন করে জানিয়ে দিয়েছি যে, আজ রাতে আমরা এটা করেছি, অমুক জায়গায় লাশগুলি রেখে এসেছি, তোমরা গিয়ে নিয়ে এসো। আমরা সকাল ১১টা থেকে তাঁদের ফোন করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু তাঁরা ফোন ধরছিলেন না। আমি এদিকে সাংবাদিক সম্মেলন আহ্বান করে রেখেছিলাম, আমাদের সেনা আধিকারিকরা দাঁড়িয়ে ছিলেন, সাংবাদিকরা অবাক হচ্ছিলেন যে, তাঁদের কেন ডাকা হয়েছে কিন্তু কিছু বলা হচ্ছে না। কিন্তু আমরা তবু অপেক্ষা করেছি, ১২টায় তাঁরা টেলিফোন তোলার পর পাকিস্তানী সেনাকে খবর জানিয়ে তবেই আমরা ভারতের সংবাদ মাধ্যমকে এবং বিশ্ববাসীকে জানিয়েছি। এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ভারতীয় সৈনিকদের পরাক্রম, এদেশে সন্ত্রাসবাদীদের পাঠানো দেশকে বুঝিয়ে দেয় যে, এখন ভারত বদলে গেছে। প্রসূন – মোদিজি, আপনি বীরত্বের কথা বললেন, সেনার কথা বললেন, সেনার এত ত্যাগ সত্বেও আমরা সেই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি হতে দেখি, সেনার বীরত্ব নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলতে দেখি – এই বিষয়টা আপনি কিভাবে দেখেন? প্রধানমন্ত্রী – দেখুন, আমি এই মঞ্চকে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সমালোচনার জন্য ব্যবহার করতে চাই না। এটুকুই বলতে চাই যে, ঈশ্বর তাঁদের সৎবুদ্ধি দিন। প্রসূন – মোদীজি, আমরা পরিবর্তন এবং অধৈর্য্য নিয়ে কথা বলেছি। বলা হয় যে, যেখানে রবির কিরণ পৌঁছয় না, সেখানে কবি পৌঁছে যান। একজন কবি হিসাবে বলছি না, সত্যিকরের উন্নয়ন সেটাই, যা সবার কাছে পৌঁছয়। যেভাবে আপনি প্রবীণদের কথা বলেছেন, ব্যঙ্গের কথা বলেছেন, কোনও সভ্যতা যতক্ষণ সমাজের ভঙ্গুর দিকগুলিকে রক্ষা করার বিষয়টি নিশ্চ��ত করতে পারে, ততক্ষণ নিজেকে নিয়ে গর্ব করতে পারে না। আমি এখন সেই দুর্বলদের কথা বলতে চাই, অনেক বড় প্রকল্পের হল্লায় যাঁদের উন্নয়ন হারিয়ে যায়। ঢোলের আওয়াজে যেমন বাঁশির শব্দ মন্থর হয়। আসুন কয়েকটি ছবি দেখি। মোদীজি, আপনিই প্রথম শৌচাগারের মতো বিষয় নিয়ে লালকেল্লার প্রাকার থেকে কথা বলেছেন। এই যে অগ্রাধিকার পরিবর্তন করলেন, এই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত আপনি কিভাবে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী – দেখুন, আমি একথা বলব না যে, স্বাধীনতার পর এত বছরে কোনও সরকার এদিকে নজর দেয়নি। একথা বলা অন্যায় হবে। আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকেই বলেছি, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ আমরা যেখানে পৌঁছেছি, তাতে প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রী, সমস্ত রাজ্য সরকার, সকল মুখ্যমন্ত্রী এবং সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের কোনও না কোনও অবদান রয়েছে। কিন্তু এত প্রকল্প বাস্তবায়নের পর, এত অর্থ ব্যয়ের পরও সাধারণ মানুষের জীবনে পরিবর্তন কেন আসেনি। মহাত্মা গান্ধী আমাদের একটা উপায় বাতলেছিলেন। আমি মনে করি, যে কোনও উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে এর চেয়ে বড় আর উপায় হতে পারে না। তিনি বলেছিলেন, যে কোনও নীতিকে সমাজের শেষ প্রান্তে বসে থাকা মানুষের জীবনধারণের নিরিখে মাপতে হবে। আমি সেই নীতিই অনুসরণ করছি। আমি জানি যে, এটা খুব কঠিন দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছি। এরজন্য আমাকে হয়তো অনেক নেতির শিকার হতে হবে। কিন্তু তাই বলে, যে দায়িত্ব নিয়েছি, সেটা ছেড়ে যাব না। দরিদ্র জনগণের স্বার্থে কাজ করে যাব। কোনও বালিকাকে ধর্ষণ করা কত মর্মান্তিক ঘটনা। কিন্তু আমরা কি বলব যে, তোমরা যখন সরকারে ছিলে, তখন এতগুলি হ’ত আর এখন এতগুলি হয়। আমার মনে হয়, এরচেয়ে ভুল আর কিছু হতে পারে না। ধর্ষণ ধর্ষণই হয়। একটি কন্যার ওপর এই অত্যাচার আমরা কেমন করে মেনে নেব। সেজন্য আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকে এই নতুন বিষয় উত্থাপন করেছিলাম। মেয়ে সন্ধ্যার পর দেরী করে বাড়ি ফিরলে মা-বাবা নানারকম খোঁজখবর করেন। কিন্তু ছেলেদেরকে জিজ্ঞেস করেন না – এই কথাটাই আমি লালকেল্লা থেকে বলেছিলাম। আমার মতে, দোষ সমাজের, ব্যক্তির, দোষ মানসিক বিকৃতির। তা সত্বেও দেশের জন্য চিন্তার বিষয়। এই পাপ যারা করে, তারাও তো কারও ছেলে তাদের বাড়িতেও তো মা রয়েছেন। তেমনি, স্বাধীনতার এত বছর পর ভারতে ৩০-৪০ শতাংশ মানুষ শৌচালয় ব্যবহার করতেন। অধিকাংশ মা-বোনদেরই প্রাকৃতিক কারণে খোলা মাঠে যেতে হ’ত। দেখুন আমি বই পড়ে দারিদ্র্য শিখিনি, টিভি দেখে অনুভব করিনি। আমি জন্ম থেকেই দারিদ্র্য ও পশ্চাদপদতার যন্ত্রণা অনুভব করে এসেছি। সেজন্য মন থেকে ভাবি। রাজনীতি নিজের জায়গায়। আমার সমাজ নীতি, রাষ্ট্রনীতি আমাকে বলে এদের জীবনে পরিবর্তন আনতে হবে। সেজন্য আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকে বলেছিলাম, দেশের ১৮ হাজার গ্রামে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি, তার মানে বাকি গ্রামগুলিতে পৌঁছেছে। যাঁরা পৌঁছে দিয়েছিলেন, তাঁদেরকে শত শত প্রণাম। কিন্তু ৭০ বছর পরও ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ না পৌঁছনোর দায়িত্ব আমাদের নেওয়া উচিৎ। সেজন্য আমি সরকারি আধিকারিকদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, কতদিন নেবেন? তাঁরা বলেছিলেন, সাত বছর। আমি বললাম, এতদিন অপেক্ষা করতে পারব না। আর আমি লালকেল্লা থেকে ঘোষণা করে দিলাম যে, ১ হাজার দিনের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করতে চাই। কঠিন কাজ ছিল। অঞ্চলগুলি দুর্গম, অনেক জায়গায় উগ্রবাদী মাওবাদীদের এলাকা ছিল। কিন্তু তবুও আমরা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এইসব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পেরেছি। এখন ১৫০-১৭৫টি গ্রাম বাকি আছে। কাজ চলছে। এখন আমরা লক্ষ্য ঠিক করেছি যে, প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব। দেশে মোট ২৫ কোটি পরিবার রয়েছে। তার মধ্যে ৪ কোটি পরিবার এখনও বিদ্যুতের আওতার বাইরে। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও এতগুলি পরিবার অষ্টাদশ শতাব্দীর জীবন কাটাচ্ছে। আমরা ঠিক করলাম, সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে ঐ ৪ কোটি পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেব। তাঁদের শিশুরা বিদ্যুতের আলোতে পড়াশুনা করবে। কম্প্যুটার চালাবে, মোবাইল রিচার্জ করবে এবং বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হবে। টিভি কেনার পয়সা থাকলে টিভি কিনবে, পরিবর্তিত বিশ্বকে দেখবে। এই বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আকাঙ্খা তাঁদের মনে চাগিয়ে তুলতে চাই। তাঁরাও যদি অধৈর্য্য হয়ে আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করেন, সেটাকেই আমি ক্ষমতায়ন বলি। আমি এভাবেই গরিবদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি নতুন ফৌজ গড়ে তুলতে চাই। তবেই দারিদ্র্য মিটবে। প্রসূন – মোদীজি, আপনি অনেক পরিশ্রম করছেন। কিন্তু আপনি একা দেশ বদলাতে পারবেন? প্রধানমন্ত্রী – দেখুন, আমি পরিশ্রম করি, এটা কোনও বিষয় নয়, না করলে বিষয় হ’ত। আমার পুঁজি হ’ল ১০০ কোটি দেশবাসীর ভালোবাসা আর সেজন্য আমার অত্যধিক পরিশ্রম করা উচিৎ। কিন্তু আমি দেশবাসীকে বলতে চাই যে, আমি আপনাদের মতোই সাধারণ নাগরিক। সাধারণ মানুষের মতো আমারও ত্রু���ি-বিচ্যুতি আছে। কিন্তু আমার ভেতরে একটি ছাত্র আছে। আমি আমার সমস্ত শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ, ছোটবেলা থেকে আমার ভেতরের ছাত্রটিকে মরতে দেননি। যে দায়িত্ব পাই, তা থেকেই শিখতে ও বুঝতে চেষ্টা করি। নির্বাচনের আগে দেশবাসীকে বলেছিলাম যে, আমার অভিজ্ঞতা নেই, ভুল হতে পারে কিন্তু তাঁদের আশ্বস্ত করেছিলাম যে, আমি ভুল করতে পারি কিন্তু বাজে উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও কাজ করব না। আমি গুজরাটের সর্বাধিক দীর্ঘমেয়াদী মুখ্যমন্ত্রী। আর গত চার বছর ধরে আমি দেশের প্রধান সেবকের দায়িত্ব পেয়েছি। কিন্তু দেশকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, বাজে উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও কাজ করব না। আমি কখনই ভাবিনি যে, একা দেশ বদলে দেব। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে, দেশে লক্ষ লক্ষ সমস্যা থাকলে ১২৫ কোটি সমাধানও আছে। এই ১২৫ কোটির শক্তি আমি অনুভব করি। সেজন্য বিমুদ্রাকরণের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলাম। আমার বন্ধু আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি এরপর বলেছিলেন যে, আমার সিদ্ধান্ত শুনে তাঁরা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী ভয় পেয়েছিলেন। তাঁরা ভেনেজুয়েলার অভিজ্ঞতা থেকে ভয় পেয়েছিলেন। ৮৬ শতাংশ মুদ্রা বাণিজ্যিক ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে গেলে ভয় তো হবেই। তখন টিভির পর্দায় নিয়মিত সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল আক্রমণ চলছিল। কিন্তু দেশবাসীর প্রতি আমার আস্থা ছিল, কারণ আমার দেশ সততার স্বার্থে লড়ছে। এখন এর পরিণাম আপনাদের সামনে। মোদী নিমিত্ত মাত্র। এখানেই মোদীর প্রয়োজন। পাথর ছুঁড়তে হলে, নোংরা ফেলতে হলে, গালি দিতে হলে – কাউকে তো চাই! আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি যে, আমার ১২৫ কোটি দেশবাসীর ওপর কেউ পাথর ছোঁড়া, নোংরা ফেলা কিংবা গালি দিতে পারছে না। আমি একা সব সহ্য করছি। আর আমি আপনার মতো কবিও নই। কিন্তু প্রত্যেক যুগে কেউ না কেউ তো লিখতেই থাকেন। আমরা সবাই কবি হতে পারি না। প্রসূনরাই হতে পারে। তবে আমি কখনও লিখতাম। প্রসূন – ঠিক। প্রধানমন্ত্রী – আমি এমন জীবন কাটিয়ে এসেছি যে, সবকিছু সহ্য করতে অভ্যস্ত। ঠোকর খেয়ে খেয়ে এগিয়েছি। আমি একটা কবিতায় লিখেছিলাম, ঠিক ঠাক শব্দগুলি মনে নেই, পরে আপনি আমার বইয়ে দেখে নেবেন, আমি লিখেছিলাম, ‘যাঁরা আমাকে পাথর ছোঁড়ে, আমি সেই পাথরগুলোই জুড়ে পক্‌থী বানিয়ে নিই’। আর সেই পক্‌থীতে চরে এগিয়ে যাই’। সেজন্য আমি ‘টিম ইন্ডিয়া’ তত্ত্বে বিশ্বাস করি। শুধু সরকার নয়। আমলাতন্ত্র, রাজ্য সরকার, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আমি অগ্রাধিকার দিই। সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আমি প্রতিযোগিতামূলক, সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রূপান্তরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সম্প্রতি আমি দেশের ১১৫টি জেলাকে অভিলাষী জেলা হিসাবে চিহ্নিত করেছি। আমি তাদেরকে প্রেরণা যোগাচ্ছি যে আপনারা নিজেদের রাজ্যে গড় উন্নয়নের মান পর্যন্ত উঠে আসুন, আমি পাশে আছি। মহাত্মা গান্ধী স্বাধীনতাকে গণআন্দোলনে পরিণত করেছিলেন। আমি উন্নয়নকে গণআন্দোলনে পরিণত করে তুলছি। মোদী একা কিছু করবে না। কিন্তু দেশবাসী করবে এবং মোদীও। যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম তখনও বলতাম। সরকারের কাজের বিরোধিতা হ্রাস করতে পারলে দেশ এগিয়ে যেতে পারে। আমি মৌলিক ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আপনাকে একটা কবিতা শোনাতে চাই – ‘সাপ এত সতর্ক কেন? সাপ এত সতর্ক কেন? আমি দংশনে অভ্যস্ত। সাপ এত সতর্ক কেন? আমি দংশনে অভ্যস্ত, যুগ যুগ ধরে বিষ পান করছি, আমি সত্য, আশ্বস্ত। সাপ এত সতর্ক কেন? আমি দংশনে অভ্যস্ত, যুগ যুগ ধরে বিষ পান করছি, আমি সত্য, আশ্বস্ত। এই আমার মাটি, আমার রক্তের গন্ধ শুকেছে, যা ব্যক্ত করছে মৌনকে, অভিব্যক্তকে আমি অভয় নিয়ে চলব, বিচলিত নই, ত্রস্ত নই সাপ এত সতর্ক কেন? আমি দংশনে অভ্যস্ত। আমার উৎস কোথায় আর কোথায় গন্তব্য? আমি দেখতে পাচ্ছি সত্যকে, রূপ যার দেদীপ্যমান! আমি নিজের খোঁজে কত যুগ ধরে ব্যস্ত। সাপ এত সতর্ক কেন? আমি দংশনে অভ্যস্ত। আমি সজ্ঞানে এর বুদবুদ সৃষ্টিতে, আমি সজ্ঞানে এর বুদবুদ সৃষ্টিতে। একটি ক্ষুদ্র বিন্দু আমি একটি ক্ষুদ্র বিন্দু আমি, এক শাশ্বত বৃষ্টির সাগর পাব না, আমি নদী গতিময় সাপ এত সতর্ক কেন? আমি দংশনে অভ্যস্ত। প্রধানমন্ত্রী – প্রসূনজি আমরা আপনার ভাবনাকে সমাদর করি। কিন্তু আমাদের ধমনীতে সেই ভাবই প্রবাহিত – অমৃতস্য পুত্রা বয়ং। এই মনোভাব নিয়ে আমরা প্রতিপালিত হয়েছি আর সেজন্য আমাদের দেশে সবাই দংশন সহ্য করেছেন, বিষপান করেছেন, যন্ত্রণা সহ্য করেছেন, অপমানেও ভুগেছেন। কিন্তু স্বপ্নগুলিকে কখনও মরতে দেননি। আর এই উৎসাহই দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার শক্তি রাখে। আর আমি একে অনুভব করি। প্রসূন – এখানে কিছু প্রশ্ন নিচ্ছি। শ্রী শ্যামুয়েল ডাউজট আপনাকে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে চান। আর যাঁরা প্রশ্ন করতে চান, তাঁরা লিখে দিন। আমি একে একে ডাকব। শ্যামুয়েল – শুভ সন্ধ্যা প্রধানমন্ত্রীজি, মোদী কেয়ার সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কী? সবাই এটা নিয়ে বলছেন। ধন্যবাদ। প্রসূন – মনে হয় ওবামা কেয়ারের মতোই মোদী কেয়ার! সম্ভবত তিনি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আপনার পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চান। প্রধানমন্ত্রী – দেখুন, তিনটি বিষয়ে আমি আগ্রহী। আমি বড় বড় কথা বলতে চাই না। আমার জীবনের প্রেক্ষাপটই এমন। এখানে মেঘনাথ ভাই বসে আছেন। তিনি জানেন, কিন্তু তিনটি জিনিস শিশুদের পড়াশুনা, যুবকদের কর্মসংস্থান আর বৃদ্ধদের ওষুধ – এই তিনটি জিনিস ঠিক হলে আমরা একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে পারি। রোগ এমন জিনিস যে যে কোনও পরিবারকে শেষ করে দিতে পারে। এসব কথা ভেবেই আমরা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একটি সংহত পরিকল্পনা নিয়েছি, যা এখন মোদী কেয়ার রূপে জনপ্রিয় হচ্ছে, সেই প্রকল্পের নাম হ’ল আয়ুষ্মান ভারত। সেখানে আমরা প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য রক্ষা, সুলভ স্বাস্থ্য রক্ষা এবং দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসা শৃঙ্খল সুনিশ্চিত করার কাজ করছে। এর দুটো উপাদান রয়েছে। ১) দেশে প্রায় দেড় লক্ষেরও বেশি ওয়েলনেস সেন্টার গড়ে তুলতে চাই, যাতে আশপাশের ১২-১৫টি গ্রামের মানুষ এগুলির দ্বারা উপকৃত হন। আর এগুলি সম্পূর্ণভাবে প্রযুক্তিনির্ভর হয়। বড় হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। যাতে বিপজ্জনক কোনও রোগীকে বড় হাসপাতালে পাঠাতে পারে। ২) প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য সুরক্ষা, যোগাসন এবং জীবনযাপন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে পুষ্টি সুনিশ্চিত করা। আমরা নারী ও শিশু স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রেও এই উপাদানের আশ্রয় নিচ্ছে। বিশ্বের সমৃদ্ধ দেশগুলিও মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে এতটা উদার নয়, যতটা আমরা দায়িত্ব নিয়ে শুরু করেছি। মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে ২৬ সপ্তাহ করে দিয়েছি। তাছাড়া, সরকার দেশের প্রায় ১০ কোটি পরিবার বা ৫০ কোটি দরিদ্র মানুষকে বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ বিমা কোম্পানির মাধ্যমে যোগাবে। অদূর ভবিষ্যতে ১ হাজারেরও বেশি ভালো নতুন হাসপাতাল নির্মাণের মাধ্যমে সুদূরপ্রসারী স্বাস্থ্য সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার ব্যবস্থা হচ্ছে। তেমনই, ওষুধের প্যাকিং উন্নত করার মাধ্যমে জেনেরিক মেডিসিনের উৎকর্ষ বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করা হবে যে, ওষুধ ১০০ টাকায় পাওয়া যেত, তা আজ জেনেরিক মেডিকেল স্টোরে পাওয়া যায়। আমরা এরকম প্রায় ৩ হাজার জনঔষধালয় গড়ে তুলছি। তা যাতে সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারে, সেজন্য সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। …",লণ্ডনত অনুষ্ঠিত ভাৰত কী বাত সবকে সাথ কাৰ্যসূচীত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাব বিনিময়ৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%85%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A7%8D/,"সিঙ্গাপুরের এমেরিটাস বরিষ্ঠ মন্ত্রী মিঃ গোহ্‌চোক টঙ্গ বুধবার এখানে এক সাক্ষাৎকারে মিলিত হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। মিঃ টঙ্গ-এর সঙ্গে দীর্ঘদিনের মৈত্রী সম্পর্কেরকথা আলাপচারিতাকালে স্মরণ করেন শ্রী মোদী। এ বছরের প্রথম দিকে সরকারি নীতিসম্পর্কিত লি কুয়ান ইউ স্কুলের পরিচালন পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণকরার জন্য মিঃ গোহ্‌ চোক টঙ্গ-কে অভিনন্দিত করেন তিনি। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত ও সিঙ্গাপুরের মধ্যেবেশ কিছু উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময় কর্মসূচির উল্লেখ প্রসঙ্গে এই বিষয়টি যেভাবেগুরুত্বলাভ করেছে, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই ধরণের সফর বিনিময়কর্মসূচিকে আন্তরিকভাবে স্বাগতও জানান তিনি। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সংযোগ ও যোগাযোগ এবং সুরক্ষা ওনিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রগুলিতে যেভাবে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে, তারওবিশেষ প্রশংসা করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, ভারতের ‘পূবের জন্য কাজ কর’নীতিতে সিঙ্গাপুর একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে রয়েছে। ভারত-আসিয়ান শক্তিশালীসম্পর্কের ভিত্তিতেই এই সম্পর্ক প্রসার লাভ করেছে বলে মনে করেন তিনি। আসিয়ান-এরসঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্থাপনের পথে মিঃ গোহ্‌ চোক টঙ্গ-এর যে বিশেষ ভূমিকা ও অবদানরয়েছে, একথাও স্বীকার করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনের সাক্ষাৎকারকালে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আঞ্চলিক তথা আন্তর্জাতিক বিষয়গুলি সম্পর্কেও আলোচনা ও মতবিনিময়করেন দুই নেতা।",ছিংগাপুৰৰ অৱসৰপ্ৰাপ্ত জ্যেষ্ঠ মন্ত্ৰী শ্ৰী গহ চক টঙৰ সৈতে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সাক্ষাৎ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A7%81/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4/,"পর্যটনে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করতে ভারত ও বুলগেরিয়ার মধ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের বিষয়টি অনুমোদন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে আজ মন্���্রিসভার বৈঠকটি হয়। প্রসঙ্গত, উল্লিখিত দু’দেশের মধ্যে পর্যটনে উৎসাহ দিতে সমঝোতাপত্রটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যগুলির মধ্যে রয়েছে পর্যটন সংক্রান্ত তথ্য দু’দেশের মধ্যে বিনিময় করা, পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত হোটেল এবং ট্যুর অপারেটর সহ অন্যান্য অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো, মানবসম্পদ উন্নয়নের সহযোগিতার জন্য বিনিময় কর্মসূচি শুরু করা, দু’দেশের ট্যুর অপারেটর এবং অন্যান্য মতামতদাতাদের মধ্যে বিনিময় সফর ত্বরান্বিত করা যাতে দ্বিপাক্ষিক পর্যটন আরও গুরুত্ব পায়। নিরাপদ, সম্মানীয় এবং ধারাবাহিক পর্যটন ত্বরান্বিত করা প্রমুখ। উল্লেখ্য, ১৯৯৪-এর মে মাসের ২৬ তারিখ পর্যটন ক্ষেত্রে ভারত ও বুলগেরিয়ার মধ্যে সহযোগিতার একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।",ভাৰত আৰু বুলগেৰিয়াৰ মাজত পৰ্যটন ক্ষেত্ৰত বুজাবুজি চুক্তি স্বাক্ষৰৰ বাবে কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%BE/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকেমাদক সেবন, মাদক চালান প্রতিরোধে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিঅনুমোদন করেছে। মাদক চালান ও মাদক সেবনের মতো কু-প্রথা বন্ধে দুই দেশের মধ্যেসহযোগিতা বৃদ্ধির সংস্থান রয়েছে এই চুক্তিতে। এই লক্ষ্যে উভয় পক্ষ তথ্য ও অভিজ্ঞতাবিনিময় করবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। এছাড়া, প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়েআলোচনা আদান-প্রদানের মধ্য দিয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশের মধ্যে মাদক চালান বন্ধ করেসন্ত্রাসবাদীদের অর্থের যোগান বন্ধ করার কথাও এই চুক্তিটিতে বলা হয়েছে। …","ভাৰত আৰু ফ্ৰান্সৰ মাজত নাৰ্কোটিক ড্ৰাগছ, নিচাযুক্ত দ্ৰব্যৰ অবৈধ সেৱন তথা অবৈধ সৰবৰাহ নিৰ্মূল আৰু ৰসায়ন সৰবৰাহৰ লগত জড়িত অপৰাধ আদি বিষয়ত বুজাবুজিৰ চুক্তি স্বাক্ষৰৰ প্ৰস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%97%E0%A7%8C%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%86/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A6%BE-2/,"য়াদিল্লি, ১১ নভেম্বর, ২০২২ বেঙ্গালুরুতে আজ কেম্পেগৌড়া ��ন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২ নম্বর টার্মিনালের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক আলোচনায় এই টার্মিনাল ২ বিল্ডিং – এর বিস্তারিত কাজকর্ম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী এই কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ২ – এর হাঁটাপথটি ঘুরে দেখেন এবং কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা এখানে রয়েছে – তিনি তাও প্রত্যক্ষ করেন। টার্মিনাল ২ – এর উপর নির্মিত একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রও প্রধানমন্ত্রী দেখেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এই টার্মিনাল ২ – এর ফলে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি, এই বিমানবন্দরে যাত্রী পরিবহণ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। আমাদের শহরের কেন্দ্রগুলিতে প্রথম সারির পরিকাঠামোর সুবিধা সম্প্রসারণই আমাদের প্রচেষ্টার অঙ্গ। এই টার্মিনালটি খুব সুন্দর ও যাত্রী-বান্ধব। এর উদ্বোধন করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত”। প্রেক্ষাপট প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টার্মিনাল ২ নির্মিত হয়েছে। এই টার্মিনালের ফলে যাত্রী পরিবহণ ক্ষমতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে যেখানে প্রায় আড়াই কোটি যাত্রী পরিবহণ করে, এখন তা বেড়ে হবে বার্ষিকি ৫-৬ কোটি। এই টার্মিনাল ২ বেঙ্গালুরুর গার্ডেন সিটির প্রতি এক শ্রদ্ধার নিদর্শন-স্বরূপ এবং বাগানের মধ্য দিয়ে যাত্রী চলার পথ এক অনন্য অভিজ্ঞতা-স্বরূপ। হ্যাঙ্গিং গার্ডেন এবং বাইরের বাগানের বিস্তৃত পরিসর মিলে যাত্রীরা প্রায় ১০ হাজার স্কোয়ার ফুটেরও বেশি এলাকা সবুজের সান্নিধ্য উপভোগ করতে পারবেন। ১০০ শতাংশ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার সুনিশ্চিত করে এই বিমানবন্দর এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বাসবরাজ বোম্বাই, কর্ণাটকের রাজ্যপাল শ্রী থাওয়ার চাঁদ গেহলট এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী প্রহ্লাদ যোশী।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে বেংগালুৰুত কেম্পেগৌড়া আন্তঃৰাষ্ট্ৰীয় বিমানবন্দৰৰ টাৰ্মিনেল ২ উদ্বোধন কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%BF-%E0%A6%87/,"নয়া ��িল্লি: ১৬ নভেম্বর: প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান,প্রযুক্তি, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগতসহযোগিতায় ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান আকাদেমি (আই.এন.এস.এ.) ও বেলারুশের জাতীয় বিজ্ঞানআকাদেমির (এন.এ.এস.বি.) মধ্যেকার চুক্তি নিয়ে অবহিত করা হয়| গত ১২ সেপ্টেম্বর (২০১৭) বেলারুশের রাষ্ট্রপতিশ্রী আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর ভারত সফরের সময় নয়া দিল্লিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিতহয়েছিল| এই চুক্তি মূলত ভারত ও বেলারুশের বিশ্বমানেরপ্রযুক্তিগুলো চিহ্নিত করা, নির্ধারণ করা এবং বাণিজ্যিকরণের জন্যই করা হয়েছে| এইচুক্তি গবেষণা ও প্রযুক্তির আদান-প্রদান, দুই পক্ষের বিশেষজ্ঞদের আসা-যাওয়া, যৌথকর্মশালা ইত্যাদির মাধ্যমে দুই দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তার মধ্য দিয়েবৈজ্ঞানিক ও আর্থিক অগ্রগতি সূচিত করবে| .","বিজ্ঞান, প্ৰযুক্তি, কৃষি ইত্যাদৰ দৰে ক্ষেত্ৰৰ পাৰস্পৰিক লাভালাভৰ অৰ্থে ভাৰত আৰু বেলাৰুছৰ মাজত বৈজ্ঞানিক আৰু প্ৰযুক্তিগত সহযোগিতাৰ দিশত স্বাক্ষৰিত চুক্তিত কেবিনেটৰ অনুমোদন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E2%80%8C%E0%A6%B8%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A9%E0%A7%A6%E0%A7%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%A8%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D/,"মাননীয়প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং, আমার শ্রদ্ধাভাজন ব্রিক্‌স সহকর্মীবৃন্দ, এবং বিশিষ্টনেতৃবৃন্দ, আপনাদেরসকলের সঙ্গে আজ এখানে মিলিত হতে পেরে আমি আনন্দিত। যে সমস্ত দেশের আজ আপনারা এখানেপ্রতিনিধিত্ব করছেনতারা সকলেই ভারতের ঘনিষ্ঠ ও মূল্যবান বন্ধু-রাষ্ট্র।নিরন্তর ওসুসংবদ্ধ উন্নয়নের লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয়কে আমরা অগ্রাধিকারদিয়েছি, তার বিভিন্ন প্রেক্ষিত নিয়ে আমি আলোচনা করতে আগ্রহী। এ ধরনের আলাপ-আলোচনারউদ্দেশ্যে আমাদের সকলকে এখানে একত্রিত হওয়ার সুযোগদানের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাইপ্রেসিডেন্ট জি জিনপিং-কে। মাননীয়নেতৃবৃন্দ, রাষ্ট্রসঙ্ঘের২০৩০-এর লক্ষ্যে কর্মসূচি গ্রহণ এবং এর আওতায় ১৭টি নিরন্তর উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাস্থির করার পর অতিক্রান্ত হয়েছে দুটি বছর।আমরা লক্ষ্য করেছি যে এই সময়কালে নির্দিষ্টলক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য সমবেত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সদ্যসমাপ্ত জুলাই মাসে নিরন্তর উন্নয়নের লক্ষ্যগুলি সম্পর্কে এক জাতীয় পর্যালোচনার কাজভারত সম্পূর্ণ করেছে। আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচির মূল মন্ত্রই হল – “সব কা সাথ, সব কাবিকাশ”, অর্থাৎ, সমবেত প্রচেষ্টা, অন্তর্ভুক্তিমূলক বিকাশ। প্রত্যেকটি নিরন্তরউন্নয়নের লক্ষ্যকে আমাদের নিজস্ব উন্নয়ন কর্মসূচি ও প্রকল্প অনুযায়ী আমরা স্থিরকরেছি রাজ্য তথা যুক্তরাষ্ট্রীয় পর্যায়ে। নিরন্তর উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাগুলিসম্পর্কে সংসদীয় আলোচনা ও বিতর্কেরও আয়োজন করা হয় আমাদের দেশের সংসদে। সুনির্দিষ্টএক মেয়াদের মধ্যে এই লক্ষ্য পূরণের তাগিদেরূপায়িত হচ্ছে আমাদের এই কর্মসূচিগুলি।একটিমাত্র দৃষ্টান্তআমি এই প্রসঙ্গে তুলে ধরতে চাই। ব্যাঙ্কের সুযোগ-সুবিধা থেকেবঞ্চিত মানুষের কাছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা যেমনসচেষ্ট হয়েছি, অন্যদিকে তেমনই ব্যবস্থা করেছি প্রত্যেকের জন্যই একটি করেবায়োমেট্রিক পরিচয়পত্রের। এছাড়াও, মোবাইল ফোনের সাহায্যে এক উদ্ভাবনী পদ্ধতিঅবলম্বন করে প্রত্যক্ষ সুফল হস্তান্তরেরসুযোগ আমরা এই প্রথম পৌঁছে দিয়েছি দেশের ৩৬কোটি নাগরিকের কাছে। মাননীয়নেতৃবৃন্দ, দেশে আমরাযেভাবে এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, সেই একই ধরনের প্রচেষ্টা এক বলিষ্ঠআন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গড়ে উঠুক এটাই আমাদের লক্ষ্য। এজন্যআমাদের পক্ষ থেকে যা কিছু করণীয় তা করার জন্যও আমরা এখন প্রস্তুত। প্রতিবেশীবিকাশশীল দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতার এক সুদীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে ভারতের। উন্নয়নেরক্ষেত্রে আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নের পাশাপাশি, এই সহযোগিতা আমরা অব্যাহতরেখেছি। প্রতিটি পদক্ষেপেই আমাদের সম্পদ ও অভিজ্ঞতা আমরা ভাগ করে নিয়েছি বিভিন্নক্ষেত্রে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালী করে তোলা থেকে শুরু করে সাধারণমানুষের কল্যাণে উচ্চ প্রযুক্তির সাহায্যে সমাধানের রাস্তা খুঁজে বের করা –সর্বত্রই আমাদের নিজেদের অভিজ্ঞতাকে আমরা ভাগ করে নিয়েছি অন্যের সঙ্গে। এ বছরেরপ্রথম দিকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিচর্যা, যোগাযোগ এবং বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে আগ্রহীআঞ্চলিক সহযোগীদেশগুলির কল্যাণে আমরা উৎক্ষেপণ করেছি দক্ষিণ এশীয় উপগ্রহ।ভারতীয়কারিগরি তথা অর্থনৈতিক সহযোগিতা হল ভারতের অন্যতম একটি প্রধান কর্মসূচিযা অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময়ক���ল ধরে এশিয়া, আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা,ক্যারিবিয়ান এবং প্রশান্ত মহাসাগরের ১৬১টি সহযোগী দেশের কাছে পৌঁছে দিয়েছেদক্ষতাবিকাশ ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা। শুধুমাত্র আফ্রিকা থেকেই বিগত দশকটিতে২৫ হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী ভারতে প্রশিক্ষণ লাভ করেছে আইটিইসি বৃত্তির জন্য।২০১৫-তে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ভারত-আফ্রিকা ফোরাম শীর্ষ বৈঠকে মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই আইটিইসিবৃত্তির সংখ্যা দ্বিগুণ অর্থাৎ৫০ হাজারে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করেছি।ঐ শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেয় আফ্রিকার ৫৪টি দেশ। আফ্রিকার ‘সোলার মামাজ’ প্রশিক্ষণ লাভকরে ভারতেই যা এখন আফ্রিকা মহাদেশের হাজার হাজার বাসস্থানে আলোর সুযোগ পৌঁছেদিচ্ছে। আফ্রিকার সঙ্গে আমাদের ক্রমপ্রসারমান সহযোগিতার সম্পর্ক এতটাই নিবিড় যে এইপ্রথম আফ্রিকার বাইরে আফ্রিকা উন্নয়ন ব্যাঙ্কের প্রথম বার্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হলভারতেএ বছরের গোড়ার দিকে।পারস্পরিক অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে যে সমস্ত প্রকল্প আমরাবাস্তবায়িত করে চলেছি, তা বিশ্বের বহু দেশের মানুষের কাছেই পৌঁছে দিচ্ছে জল,বিদ্যুৎ, সড়ক, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, টেলি-মেডিসিন এবং প্রাথমিক পরিকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা।আমাদের এই সমস্ত প্রচেষ্টার মধ্যে কোনরকম গূঢ় উদ্দেশ্য বা অভিপ্রায় নেই। আমাদেরলক্ষ্য হল, আমাদের সহযোগী দেশগুলির চাহিদা ও অগ্রাধিকারগুলিকে ভিত্তি করে সহযোগিতাপ্রসারের এক বিশেষ আদর্শকে বাস্তবে রূপ দেওয়া। মাননীয়নেতৃবৃন্দ, যে দেশগুলিআজ এখানে প্রতিনিধিত্ব করছে, বিশ্বের মানবজাতির প্রায় অর্ধাংশেরই তা বসবাসভূমি।আমরা যা কিছুই করি না কেন, তা বিশেষভাবে প্রভাবিত করবে সমগ্র বিশ্ব জগৎকে। সুতরাং,আমাদের মূল কর্তব্যই হল একটু একটু করে এক উন্নততর বিশ্ব গড়ে তোলা আমাদের এই ব্রিক্‌সপ্রচেষ্টার মাধ্যমেই। পরবর্তী ১০ বছরকে এক সুবর্ণ দশকে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রেব্রিক্‌স যে এক বিশেষ চালিকাশক্তির ভূমিকা পালন করে চলেছে, গতকালই আমি একথারউল্লেখ করেছিলাম আমার বক্তব্যের মধ্যে। আমাদের সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি, নীতি এবংইতিবাচক কাজকর্মের মধ্য দিয়ে ১০টি মহান প্রতিশ্রুতি পালনের প্রস্তাব আমি আপনাদেরকাছে পেশ করছি : 1. এক সুরক্ষিত বিশ্ব ব্যবস্থা সম্ভব করেতোলা। এজন্য প্রয়োজন সংগঠিতভাবে এবং সমন্বয়সাধনের মাধ্যমে সন্ত্রাস মোকাবিলা,সাইবার নি���াপত্তা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা- এই তিনটি বিষয়কে লক্ষ্য করে সর্বতোভাবেপ্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। 2. এক সবুজ বিশ্ব পরিবেশ গঠন। এজন্য জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় আমাদের সমষ্টিগতভাবেসচেষ্ট হতে হবে। জোরদার করে তুলতে হবে আন্তর্জাতিক সৌর সমঝোতার মতো একটিকর্মসূচিকে। 3. অধিকতর শক্তি ও ক্ষমতাসম্পন্নএক বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলা। অর্থনীতিরবিকাশ, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কার্যকারিতারপ্রসারের লক্ষ্যে যথোপযুক্ত প্রযুক্তি গ্রহণএজন্য একান্ত প্রয়োজন। 4. এক অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গড়ে তোলা। সাধারণ মানুষকে ব্যাঙ্ক ও আর্থিকক্ষেত্র সহঅর্থনৈতিক মূলস্রোতে এজন্য সামিল করতে হবে। 5. ডিজিটাল বিশ্ব গঠনের স্বপ্নকে সফল করে তোলা। আমাদের অর্থনীতির ভেতরে এবংবাইরে যে সমস্ত ব্যবস্থা এখনও ডিজিটাল প্রযুক্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত, সেগুলিকে প্রযুক্তিরআওতায় নিয়ে আসতে হবে। 6. আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দক্ষতার প্রসার। কোটি কোটি যুবক-যুবতীকে ভবিষ্যৎপ্রজন্মের উপযোগী দক্ষতায় প্রশিক্ষিত করে তোলা প্রয়োজন। 7. সুস্থ বিশ্ব গঠন। রোগ-ব্যাধি নির্মূলকরণে এবং সুলভ স্বাস্থ্য ব্যবস্থারসুযোগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে এক সুস্থ বিশ্ব আমরা গড়ে তুলতে পারি। 8. সমতার ভিত্তিতে বিশ্বকে নতুন করে রূপ দেওয়া। লিঙ্গের ক্ষেত্রে সমতারক্ষার পাশাপাশি সকলের জন্যই সমান সুযোগের ব্যবস্থা করা। 9. পরস্পর সংযুক্ত এক বিশ্ব শৃঙ্খল। পণ্য ও পরিষেবার যোগান বৃদ্ধি এবংমানবসম্পদের বিনিময় সফরসূচির মাধ্যমে এই শৃঙ্খল গড়ে তোলার সম্ভব। 10. বিশ্ব সম্প্রীতি। মতাদর্শ, ব্যবহারিক আচার-আচরণ এবং ঐতিহ্য – এইবিষয়গুলির ওপর এজন্য জোর দিতে হবে। কারণ, প্রকৃতির সঙ্গে শান্তি ও সম্প্রীতিপূর্ণসহাবস্থানের মূলে রয়েছে এই বৈশিষ্ট্যগুলি। আমাদের কার্যসূচিরএই বিশেষ বিশেষ দিকগুলি অনুসরণ করে এবং সেইমতো আমাদের কর্মপ্রচেষ্টা চালিয়ে গেলেনিজের নিজের দেশের কল্যাণসাধন ছাড়াও বিশ্ব মানবতার কল্যাণেও প্রত্যক্ষভাবে আমরাঅবদান সৃষ্টি করতে পারি। প্রতিটি দেশের জাতীয় প্রচেষ্টায় সমর্থন ও সহযোগিতাপ্রসারের জন্য ভারত সর্বদাই প্রস্তুত সঙ্কল্পবদ্ধ এক অংশীদার হিসেবে। এই বিশেষলক্ষ্যে একযোগে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমি বিশেষভাবে আগ্রহী। ২০১৭-তে ব্রিক্‌স-এরচেয়ারম্যান পদ বিশেষ যোগ্যতার সঙ্গেই অলঙ্কৃত করার জন্য আমি প্রশংসা করিপ্রেসিডেন্ট জি-কে। জ���য়ামেনের মতো একটি মনোরম শহরে তিনি যেভাবে আমাদের সাদরঅভ্যর্থনা জানিয়েছেন এবং আতিথেয়তার ব্যবস্থা করেছেন, সেজন্যও আমি তাঁর বিশেষপ্রশংসা করি। আমি স্বাগত জানাই প্রেসিডেন্ট জুমাকে। আগামী বছর জোহানেসবার্গে শীর্ষবৈঠকে ভারতের পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি আমি দিয়ে যাচ্ছি। ধন্যবাদ। / ..",২০৩০ৰ ভিতৰত বহনযোগ্য উন্নয়নৰ লক্ষ্য; উন্নয়নৰ বাবে ব্যাপক সহযোগিতামুলক পৰিৱেশ গঢ়ি তোলাৰ আহ্বান +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%A7%E0%A7%AF%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%87/,"নয়াদিল্লী, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৯ শে ডিসেম্বর গোয়া সফর করবেন। গোয়া মুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী স্টেডিয়ামে বিকাল ৩টের সময় এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। শ্রী মোদী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এবং ‘অপারেশন বিজয়’এ অংশগ্রহণকারী প্রাক্তন সেনানীদের এই অনুষ্ঠানে সম্বর্ধিত করবেন। প্রতি বছর ১৯শে ডিসেম্বর গোয়া মুক্তি দিবস উদযাপন করা হয়। এইদিন ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পর্তুগীজ শাসন থেকে গোয়াকে মুক্ত করেছিল। প্রধানমন্ত্রী নব-নির্মিত আগুয়ারা দূর্গ কারাগার সংগ্রহশালা, গোয়া মেডিকেল কলেজে সুপার স্পেশালিটি ব্লক, দক্ষিণ গোয়ায় জেলা হাসপাতাল, মোপা বিমান বন্দরে বিমান চলাচল সংক্রান্ত দক্ষতা বিকাশ কেন্দ্র এবং মারগাঁও-এ ডাবোলিন-নাভেলিন গ্যাস ইনসুলেটেড সাব স্টেশন সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। তিনি ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি অফ লিগাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ অফ বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ট্রাস্ট্রের শিলান্যাস করবেন। প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে উন্নত মানের চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তুলতে স্চেষ্ট হয়েছেন। তাঁর এই উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পের ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে গোয়া মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে সুপার স্পেশালিটি ব্লক গড়ে তোলা হয়েছে। গোয়া রাজ্যে এটিই একমাত্র সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল। এখানে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, বাইপাস সার্জারি, লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপন, ডায়ালিসিস ইত্যাদির মতো জটিল চিকিৎসা করা যাবে। এ ছাড়াও এখানে পিএম কেয়ার তহবিল থেকে ১ হাজার এলপিএম পিএসএ প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে। দক্ষিণ গোয়ায় নব-নির্মিত হাসপাতালটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২২০ কোটি টাকা। এই হাসপাতালে ৩৩ রকমের ওপিডি পরিষেবা, অত্যাধুনিক রোগ নির্ণয় যন্ত্রপাতি এবং ফিজিও থেরাপি, অডিওমেট্রির মতো বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়া যাবে। হাসপাতালে অক্সিজেনের সুবিধাযুক্ত ৫০০টি শয্যা, চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ৫,৫০০ লিটারের তরলীকৃত অক্সিজেন ট্যাঙ্ক এবং ৬০০ এলপিএম ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি পিএসএ প্ল্যান্ট তৈরি করা হয়েছে। স্বদেশ দর্শন প্রকল্পের আওতায় আগুয়াড়া দূর্গ কারাগার সংগ্রহশালাটিকে নতুনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। এরজন্য ব্যয় হয়েছে ২৮ কোটি টাকা। গোয়াকে মুক্ত করার আগে আগুয়াড়া দূর্গে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অত্যাচার করা হতো। এখানে সংগ্রহশালাটিতে গোয়ার মুক্তির জন্য যেসব বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী লড়াই করেছিলেন তাঁদের ভূমিকার কথা তুলে ধরা হবে এবং তাঁদের যথাযথ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। নির্মিয়মান মোপা বিমান বন্দরে বিমান চলাচলের জন্য দক্ষতা বিকাশ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। ৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই কেন্দ্রে ১৬ রকমের কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা ভবিষ্যতে মোপা বিমান বন্দর এবং দেশ-বিদেশের অন্যান্য বিমান বন্দরে কাজের সুযোগ পাবেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের সুসংহত বিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মারগাঁও-এ ডাবোলিন-নাভেলিনে গ্যাস ইনসুলেটেড সাব স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। এর সাহায্যে ডাভোলিন, নেশাই, নাভেলিন, অ্যাকুয়েম-বাইকসো এবং তেলাউলিন গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সুবিধা হবে। গোয়াকে উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে দ্য ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি অফ লিগাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ অফ বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ট্রাস্ট্র তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী পর্তুগীজ শাসন থেকে গোয়াকে মুক্ত করতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবেন। ইতিহাসের সেই বিশেষ সন্ধিক্ষণ এবং অপারেশন বিজয়ে যে ৭ জন বীর নৌসেনা প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁদের স্মরণে তৈরি ভারতীয় নৌ বাহিনীর রণতরী গোমন্তকের ছবি সম্বলিত ডাকটিকিট প্রকাশ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী পত্রদেবীতে হুতাত্মা স্মারকে ছবি সম্বলিত একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করবেন। এই ডাকটিকিটে গোয়া স্বাধীনতা সংগ্রামে যাঁরা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। প্রধানমন্ত্রীকে গোয়া স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন ঘটনা সম্বলিত একটি কোলাজ পোস্টকার্ড ‘মেঘদূত’ উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হবে। শ্রী মোদী স্বয়ংপূর্ণ গোয়া কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগী, স্বয়ংপূর্ণ মিত্র এবং শ্রেষ্ঠ পঞ্চায়েত ও পুরসভাকে পুরস্কৃত করবেন। সফরকালে শ্রী মোদী পানাজির আজাদ ময়দানে বেলা ২টো ১৫ মিনিটে শহীদ স্মারকে পুস্পার্ঘ্য নিবেদন করবেন। এরপর তিনি মিরামারে আড়াইটার সময় কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করবেন।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ১৯ ডিচেম্বৰত গোৱা ভ্ৰমণ আৰু গোৱা মুক্তি দিৱস উদযাপনৰ কাৰ্য্যসূচীত অংশগ্ৰহণ কৰি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%89%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A7%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%89/,"মঞ্চে উপস্থিত সমস্ত মাননীয় ব্যক্তিবর্গ এবং আজকের এই পবিত্র দিবসে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমাগত প্রিয় ভক্ত ভাই ও বোনেরা। শ্রী গুরু রবিদাসজির জয়ন্তী উপলক্ষে আপনাদের সবাইকে এবং সারা পৃথিবীতে তাঁর অনুগামীদের অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে গুরু রবিদাসের আশীর্বাদে নিজের প্রতিশ্রুতি পালনের জন্য আপনাদের মাঝে আরেকবার আসতে পেরেছি। ২০১৬ সালে আজকের দিনে এখানে প্রণাম জানিয়ে আপনাদের সঙ্গে পংক্তিভোজনেরসৌভাগ্য আমার হয়েছিল। তখনই আমি এই প্রাঙ্গণ এবং জন্মস্থানটির সৌন্দর্যায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তারপর যখন উত্তরপ্রদেশে যোগীজির নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছিল, তখন তাঁকে একটি ব্যাপক প্রকল্প গড়ে তোলার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। আমি অত্যন্ত আনন্দিত, কয়েক দশক ধরে আপনারা যে দাবি জানিয়ে আসছিলেন, তা কোন সরকারই পূরণ করছিল না। আজ আমরা সেই দাবি পূরণের শুভ সূচনা করলাম। সকল ভক্তজনকে জানাই, প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগে এই সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্যায়নের প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে। সেজন্য বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখান পর্যন্ত যে সড়কটি রয়েছে, সেটির আধুনিকীকরণ করা হবে। পাশাপাশি, ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ আরেকটি সড়ক নির্মিত হবে। গুরু রবিদাসজির একটি ব্রোঞ্জের মূর্তি নির্মিত হবে। কমিউনিটি হল এবং অন্যান্য পর্যটক-বান্ধব পরিষেবা গড়ে উঠবে। অর্থাৎ, এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হওয়ার ���র এখানে যে লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও পর্যটকরা আসবেন, তাঁরা সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাবেন। বন্ধুগণ, এখানকার সাংসদ হিসেবে সন্ত রবিদাসজির এই জন্মস্থানকে এভাবে সাজিয়ে তোলার সৌভাগ্য আমার হচ্ছে। ভারতের সামাজিক জীবনকে নতুন আলোকবর্তিকা প্রদর্শন এবং প্রেরণা যুগিয়েছে এই মাটি। সন্ত রবিদাসজির জীবন দর্শন অত্যন্ত সরল জীবনযাপনের পথ দেখায়। তিনি বলতেন, “এয়সা চাহু রাজ মেঁ, যহাঁ মিলে সবন কো অন্ন, ছোট-বড়ো সব সমান বসে, রবিদাস রহে প্রসন্ন।” অর্থাৎ, গুরুজি এমন ভারতের কল্পনা করেছিলেন যেখানে কোনরকম ভেদভাব না রেখে সকলের মৌলিক প্রয়োজনগুলি পূরণের দিকে লক্ষ্য রাখা হবে। বন্ধুগণ, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার বিগত সাড়ে চার বছরে সততার সঙ্গে এই ভাবনাগুলি নিয়ে এগিয়ে চলেছে। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ এবং উন্নয়নের পঞ্চধারা, অর্থাৎ, ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা, যুবসম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান, বয়স্কদের ঔষধি, কৃষকদের সেচের জল এবং প্রত্যেক মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শোনা সুনিশ্চিত করার জন্য আমাদের সরকার নিয়মিত কাজ করে চলেছে। একটু পরেই আমি বেনারসে দুটো ক্যান্সার হাসপাতাল সহ অনেক স্বাস্থ্য পরিষেবার উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস করতে যাচ্ছি। তাছাড়া, বারাণসী এবং পূর্ব উত্তরপ্রদেশের জীবনকে সহজ করে তোলার অনেক প্রকল্প আজ এখান থেকে শুরু হবে। এই প্রকল্প দ্বারা সমাজের প্রত্যেক অংশের মানুষ উপকৃত হবেন। ভাই ও বোনেরা, আমাদের সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপে শ্রী গুরু রবিদাসজির ভাবনার অনুকূল। গরিব পরিবারগুলিকে পাকা বাড়ি, প্রত্যেক বাড়িতে নিজস্ব শৌচালয়, প্রত্যেক পরিবারকে উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সংযোগ, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ, পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং গরিব ও মধ্যবিত্ত যুবসম্প্রদায়ের জন্য কোনরকম গ্যারান্টি ছাড়া ব্যাঙ্ক থেকে মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ঋণ প্রদান, কৃষকদের প্রতিটি খেতে সেচের জল পৌঁছনো এবং এখন দেশের প্রায় ১২ কোটি গরিব কৃষক পরিবারকে প্রতি বছর সরাসরি ৬ হাজার টাকা অনুদান। যাঁরা চির বঞ্চিত ও উপেক্ষিত, তাঁদের পাশে এই সরকার সবসময় রয়েছে। গুরুদেব বলতেন, জাতপাত, সম্প্রদায়ের ঊর্ধ্বে উঠে প্রত্যেক মানুষের সেবা করা উচিৎ। তিনি বলতেন – “জাতি-জাতি মেঁ জাতি হ্যায়ঁ, জো কেতন কে পাত। রৈদাস মনুষ না জুড় সকে, জব তক জাতি ন জাত। ” অর্থাৎ, জাতি কলাপাতার মতো যেখানে পাতার ভেতরেও পাতা থাকে। সেজন্য যখন জাতির নামে ভেদভাব হয়, তখন সকল মানুষ পরস্পরের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে যুক্ত হতে পারে না, সামাজিক সদ্ভাবনা, ঐক্য ও সমতা গড়ে ওঠা সম্ভব হয়। বন্ধুগণ, গুরুর প্রদর্শিত এই পথে যদি সততার সঙ্গে আমরা কাজ করে যেতাম, তাহলে এতদিনে ভারত জাতপাতের নামে সমস্ত অত্যাচার থেকে মুক্ত হত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ এমনটি হয়নি। ভাই ও বোনেরা, নতুন ভারতে এই পরিস্থিতি পরিবর্তিত হবে। আমাদের নবীন বন্ধুরা যাঁরা ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় প্রযুক্তির যুগে সামাজিক এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার অংশ হয়ে উঠবেন, তাঁরা সবাই মিলে এই পরিস্থিতি বদলে দেবেন। তাঁদের স্বার্থকে চিহ্নিত করতে হবে। যাঁরা শুধুই রাজনৈতিক স্বার্থে জাতপাতকে টিকিয়ে রাখতে চায়। বন্ধুগণ, গুরু রবিদাস আমাদের আরেকটি সামাজিক ত্রুটির কথা বলেছেন, তা হল বেইমানি – অন্যের অধিকার হরণ করে নিজেদের স্বার্থরক্ষা। গুরুজি বলেছিলেন – “শ্রম কউ ইসর জানি কেই, জউ পুজে হী দিন-রৈন।” অর্থাৎ, সত্যিকারের শ্রমই ঈশ্বরের আসল রূপ। সততার সঙ্গে যে কাজ করা হয়, সেই রোজগার থেকেই জীবনে সুখ ও শান্তি পাওয়া যায়। বিগত সাড়ে চার বছর ধরে আমরা এই ভাবনাকেই রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংস্কারের মাধ্যমে বাস্তবায়িত করার পথে এগিয়ে চলেছি। বিমুদ্রাকরণ, বেনামি সম্পত্তির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ এবং কালো টাকা উপার্জনের পথ বন্ধ করার প্রচেষ্টাকে আমাদের ব্যবস্থার অংশ করে তুলেছি। ভারতে এসব চলে – এই মানসিকতা সমাপ্ত করতে চেয়েছি। বন্ধুগণ, সন্ত রবিদাসের আশীর্বাদে নতুন ভারতে অসদুপায়ের কোন জায়গা নেই। যাঁরা সততার সঙ্গে, পরিশ্রম করে এগিয়ে যেতে চান, তাঁদের জন্য সরকার প্রত্যেক স্তরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। সম্প্রতি আপনারা দেখেছেন, যাঁরা সততার সঙ্গে কর দেন, তেমন কোটি কোটি মধ্যবিত্ত মানুষের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করযোগ্য আয় থেকে কর তুলে দেওয়া হয়েছে। একদিকে, যারা জনগণের অর্থ লুন্ঠন করে তাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে, আর অন্যদিকে সততাকে সম্মান জানানো হচ্ছে। ভাই ও বোনেরা, আমরা ভাগ্যবান যে এ ধরণের গুরু, সাধু, ঋষি, মুনি এবং মণীষীদের আমরা পথপ্রদর্শক হিসেবে পেয়েছি। তাঁদের জ্ঞানের এই মহান পরম্পরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে যেভাবে পথ দেখিয়ে নিয়ে চলেছে, আমাদের সরকার প্রতিনিয়ত সেই পথেই চলার চেষ্টা করছে। গত বছর মগহরে আমি নিজে সন্ত কবীরের পূণ্য স্মারকে�� আধারশিলা নিজে স্থাপন করেছি, সারনাথে ভগবান বুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র স্থানকে সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হয়েছে, তেমনই গুরুনানক দেবের ৫৫০তম জন্মজয়ন্তী সমারোহ গোটা বিশ্বে ব্যাপকভাবে পালন করা হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, আমাদের দেশ ও সমাজের জন্য যাঁরা অবদান রেখে গেছেন, তাঁদেরকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে সম্মান জানানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার এবং উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকার কাজ করে চলেছে। এই সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যই আমাদের শক্তি, আমাদের প্রেরণা। আপনাদের জীবনকে সহজ ও সরল করে তুলতে গুরু রবিদাসজির প্রদর্শিত পথকে আমরা আরও মসৃণ করে তুলবো। আরেকবার আপনাদের সবাইকে শ্রদ্ধেয় গুরু রবিদাসজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে তাঁর জন্মস্থান সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্যায়ণের প্রকল্পের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। শ্রদ্ধেয় গুরু মহারাজজির চরণে প্রণাম জানিয়ে আমার বক্তব্য এখানেই সম্পূর্ণ করছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",গুৰু ৰবিদাসৰ জন্মস্থান উন্নয়ন প্ৰকল্পৰ আধাৰশিলা স্থাপন কৰি প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%95-%E0%A6%A1%E0%A6%BE/,"২০১৮ সালের ২৪শে ডিসেম্বর ওড়িশা সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। আইআইটি ভুবনেশ্বর চত্বরে তিনি আজ পাইকা বিদ্রোহের স্মরণে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেন। ওড়িশায় ১৮১৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতায় পাইকা বিদ্রোহ হয়। ভুবনেশ্বরে উৎকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাইকা বিদ্রোহের ওপর একটি চেয়ার স্থাপনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ললিত গিরি সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেন। ওড়িশার বিশিষ্ট বৌদ্ধ স্থাপত্য কেন্দ্র ললিত গিরি। এখানে ভগবান বুদ্ধে প্রতিকৃতি ও স্তুপ রয়েছে। শ্রী নরেন্দ্র মোদী আইআইটি ভুবনেশ্বর জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। তিনি ভুবনেশ্বরে নতুন ইএসআইসি হাসপাতালেরও সূচনা করেন। তিনি একটি পাইপ লাইন ও সড়ক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অনুষ্ঠানের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প চালু করা হয়েছে বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। পূর্ব ভারতের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ লক্ষ্য নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইআইটি ভুবনেশ্বর ওড়িশার শিল্পোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা নেবে এবং জনগণের জীবনযাত্রার উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওড়িশার পরিকাঠামো, তেল ও গ্যাস পাইপ লাইন, সড়ক যোগাযোগ, পরিকাঠামো ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। ওড়িশার সার্বিক উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। …",পাইকা বিদ্রোহৰ স্মাৰক ডাকটিকট আৰু মুদ্ৰা মুকলি প্ৰধানমন্ত্রীৰ; দেশবাসীৰ নামত উচৰ্গা কৰিলে ভূৱনেশ্বৰ আইআইটিৰ চৌহদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%A7%E0%A7%AA-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%AA-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%A4/,"নয়াদিল্লি, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৪ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় আমেদাবাদে প্রমুখ স্বামী মহারাজ শতাব্দী মহোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। প্রমুখ স্বামী মহারাজ একজন পথপ্রদর্শক ও গুরু ছিলেন। ভারত ও বিশ্বের অগুন্তি মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব তিনি। এক মহান আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে ব্যাপক সম্মান ও প্রশংসা পান তিনি। আধ্যাত্মবোধ ও মানবতার সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন বিএপিএস স্বামী নারায়ণ সংস্থার নেতা হিসেবে। তিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। গ্রহণ করেছেন নানা সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় উদ্যোগ। এইচএইচ প্রমুখ স্বামী মহারাজের জন্ম শতবর্ষে সারা বিশ্বের জনগণ তাঁর জীবন ও কাজের উৎসব উদযাপন করছে। বর্ষব্যাপি সারা বিশ্বে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিএপিএস স্বামী নারায়ণ সংস্থা এই উৎসবের আয়োজন করবে শাহীবাগে। ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত আমেদাবাদে প্রতিদিন নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে, থাকবে বিশেষ প্রদর্শনী। ১৯০৭ সালে শাস্ত্রীজি মহারাজ বিএপিএস স্বামী নারায়ণ সংস্থা স্থাপন করেন। বেদ শিক্ষার ওপর নির্ভর করে এবং আধ্যাত্মিকতার ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে বিএপিএস বিশ্বব্যাপি প্রচার চালায়। বিশ্বাস, একতা এবং নিঃস্বার্থ পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে এই সংস্থা। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানসিক চাহিদা পূরণও এর লক্ষ্য। বিশ্বব্যাপি নানা মানবিক সহায়তা কাজেও অংশ নেয় বিএপিএস।",১৪ ডিচেম্বৰত আহমেদাবাদত প্ৰমুখ স্বামী মহাৰাজ শতাব্দী মহোৎসৱৰ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত অংশগ্ৰহণ কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A1%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A7%B1%E0%A7%88/,"নতুনদিল্লি, ২০শে মার্চ, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী , ভারতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ও অল ইংল্যান্ড ওপেন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ানশিপের ফাইনালিস্ট লক্ষ্য সেনের প্রশংসা করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “@lakshya_sen আপনার জন্য আমরা গর্বিত। আপনি দারুণ খেলেছেন। আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। আমি নিশ্চিত আপনি সাফল্যের নতুন শিখরে পৌছাবেন”। /",ভাৰতীয় বেডমিণ্টন খেলুৱৈ আৰু অল ইংলেণ্ড অপেন বেডমিণ্টন চেম্পিয়নশ্বিপৰ ফাইনেলিষ্ট লক্ষ্য সেনক প্ৰশংসা প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8/,"নয়া দিল্লি ও হায়দ্রাবাদ: আমরা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র সরকারেরসহযোগিতায় বিশ্ব উদ্যোগ শীর্ষ সম্মেলন (জি.ই.এস.) ২০১৭-এর আয়োজন করতে পেরেআনন্দিত| দক্ষিণ এশিয়ায় এবারই প্রথম এ ধরনের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে| বিশ্বেরউদ্যোগের বাস্তুতন্ত্রকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে প্রথম সারিরবিনিয়োগকারী, উদ্যোগী, শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের একসঙ্গে নিয়েআসে এই ধরনের আয়োজন| এই আয়োজন শুধুমাত্র সিলিকন ভ্যালির সঙ্গে হায়দ্রাবাদের সংযুক্তিই ঘটাবে না,এর মধ্য দিয়ে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যেকার নিবিড় সংযোগও প্রদর্শিত হবে|উদ্যোগ ও উদ্ভাবনাকে উত্সাহ প্রদান করার ক্ষেত্রে আমাদের পারস্পরিক প্রতিশ্রুতিকেওগুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরবে| এ বছরের এই শীর্ষ সম্মেলনে যেসব বিষয় আলোচনা হবে তার মধ্যে রয়েছে,স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবন বিজ্ঞান, ডিজিট্যাল অর্থব্যবস্থা ও আর্থিক প্রযুক্তি,বিদ্যুত ও পরিকাঠামো এবং প্রচার মাধ্যম ও বিনোদন| এইসব বিষয়গুলো মানব সমাজেরকল্যাণ ও সমৃদ্ধির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট| এবারকার জি.��.এস. এর মূল ভাবনা “সবার সমৃদ্ধির জন্য মহিলারাই প্রথম”-এরজন্য স্বতন্ত্র হয়ে উঠেছে| ভারতীয় ভাবধারায় মহিলাদের শক্তির স্বরূপ অর্থাত শক্তিরদেবী বলে উল্লেখ করা হয়| আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সমস্ত রকম উন্নয়নের জন্য নারীক্ষমতায়ন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ| আমাদের ইতিহাসে অসাধারণ প্রতিভা ও দৃঢ়চেতা নারীদের উল্লেখ রয়েছে|খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীর সময়ের এক মহিলা দার্শনিক গার্গী, তিনি একজন ঋষিকেদার্শনিক বিতর্কে আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা সেই সময়ের জন্য এক অশ্রুত ঘটনা| রানিঅহল্যাবাই হোলকার ও রানি লক্ষীবাই-এর মত আমাদের যোদ্ধা রানিগণ তাঁদের রাজত্বরক্ষার জন্য সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছেন| আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামও এই ধরনেরঅনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টান্তে পরিপূর্ণ| ভারতীয় মহিলারা জীবনের বিভিন্ন পেশায় নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন| মঙ্গলগ্রহপরিক্রমাকারী অভিযান সহ, আমাদের সমস্ত মহাকাশ কর্মসূচিতে মহিলা বিজ্ঞানীদেরঅপরিসীম অবদান রয়েছে| ভারতীয় বংশোদ্ভূত কল্পনা চাওলা ও সুনীতা উইলিয়ামস আমেরিকারমহাকাশ অভিযানে অংশ গ্রহণ করেছেন| ভারতের সবচেয়ে পুরনো চারটি হাইকোর্টের মধ্যে তিনটিই এখন মহিলা বিচারপতিদেরনেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে| আমাদের মহিলা খেলোয়াড়রা দেশকে গর্বিত করেছেন| এইহায়দ্রাবাদ শহরেরই সাইনা নেহওয়াল, পি.ভি. সিন্ধু, সানিয়া মির্জা ভারতের জন্যজয়মাল্য নিয়ে এসেছেন| ভারতে তৃণমূল পর্যায়ের নীতি-নির্ধারণে মহিলাদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করারজন্য গ্রামীণ ও শহুরে স্থানীয় সংস্থাগুলোতে আমরা মহিলাদের ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশপ্রতিনিধিত্ব প্রদান করেছি| আমাদের কৃষি ও সহযোগী ক্ষেত্রগুলোতে ষাট শতাংশেরও বেশি কর্মী হচ্ছেনমহিলারাই| গুজরাটে দুগ্ধ সমবায় এবং শ্রী মহিলা গৃহ উদ্যোগ লিজ্জত পাপড় হচ্ছেবিশেষভাবে সফল ও বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত মহিলা পরিচালিত সমবায় আন্দোলনের উদাহরণ| বন্ধুগণ, এখানে এই বিশ্ব উদ্যোগ শীর্ষ সম্মেলনে পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি প্রতিনিধিহচ্ছেন মহিলা| আগামী দু ’ দিন ধরেআপনাদের সঙ্গে এমন অনেক মহিলার সাক্ষাত হবে, যারা তাঁদের নিজের জীবনের পেশায় ভিন্নধরনের দিক সূচিত করার সাহস দেখিয়েছেন| তাঁরা এখন মহিলা উদ্যোগীদের নতুন প্রজন্মকেঅনুপ্রাণিত করছেন| আমি আশা করি যে, মহিলা উদ্যোগীদের কীভাবে আরও সহায়তা করা যায়,এই শীর্ষ সম্মেলনের আলোচনা সেদিকেই গুরুত্ব দেবে| ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, ভারত যুগ যুগ ধরেই উদ্ভাবনা ও উদ্যোগের জন্মভূমি| ভারতের প্রাচীন পুঁথি ‘ চরকসংহিতা ’ পৃথিবীর সামনে আয়ুর্বেদকে নিয়েএসেছে| যোগ হচ্ছে এরকমই আরেকটি ভারতীয় উদ্ভাবনা| এখন প্রতিবছর ২১ জুন যোগ দিবসউদযাপনের জন্য গোটা পৃথিবী এগিয়ে আসে| প্রচুর উদ্যোগী এখন যোগ, অধ্যাত্মিকতা,ঐতিহ্যগত আয়ুর্বেদিক পণ্যের প্রচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন| বর্তমানে আমরা যে ডিজিট্যাল যুগে বাস করছি, তার মূল ভিত্তি হচ্ছে বাইনারিপদ্ধতি| আর এই বাইনারি পদ্ধতির মূল ভিত্তি ‘ শূন্যবা জিরো ’ র উদ্ভাবন ভারতে আর্যভট্ট-এর কাজেরমাধ্যমে হয়েছে| একইরকমভাবে আধুনিক যুগের অর্থনৈতিক নীতি, কর পদ্ধতি ও জন অর্থনীতিরনানা বিষয় আমাদের প্রচীন পুঁথি কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের রূপরেখায় চিত্রিত| প্রাচীন ভারতের ধাতুবিদ্যায় পারদর্শিতা সবার জানা| আমাদের অনেক বন্দর ওপোতাশ্রয় এবং প্রথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন জাহাজঘাটা ‘ লোথাল ’ আমাদের অসাধারণ বাণিজ্য সংযোগের প্রমাণই বহন করে| বিদেশের মাটিতে ভারতীয় নাবিকদেরভ্রমণের কাহিনী আমাদের পূর্বপুরুষদের উদ্যোগের মানসিকতা ও উত্সাহকেই প্রতিফলিতকরে| একজন উদ্যোগীকে চিহ্নিত করার প্রধান গুণাবলী কী কী? একজন উদ্যোগী কোনো উদ্দেশ্য পূরণের জন্য জ্ঞান ও দক্ষতা ব্যবহার করেন|প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও একজন উদ্যোগী সুযোগ খুঁজে বের করেন| তারা ব্যবহারকারীরজন্য আরও সুবিধাজনক ও আরামদায়ক পদ্ধতি তৈরির চেষ্টার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন|তাঁরা ধৈর্যশীল ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ| স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, প্রতিটি কাজকে তিনটিপর্যায়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয় — উপহাস,বিরোধিতা এবং তারপর স্বীকৃতি| যারা সময়ের চেয়ে অনেক আগে কিছু ভেবে থাকেন, তাদেরকেসবসময়ই ভুল বোঝা হয়ে থাকে| অধিকাংশ উদ্যোক্তাই এর সঙ্গে পরিচিত থাকবেন| মানব সমাজের ভালোর জন্য ভিন্নভাবে ও সময়ের চেয়ে এগিয়ে চিন্তা করার ক্ষমতাইএকজন উদ্যোগীকে স্বতন্ত্র করে থাকে| আমি ভারতের নব প্রজন্মের মধ্যে সেই ক্ষমতাকেইদেখতে পাচ্ছি| আমি ৮০ কোটি সম্ভাব্য উদ্যোগীকে দেখতে পাচ্ছি, যারা বিশ্বকে একউন্নত স্থান তৈরির পথে কাজ করতে পারেন| ভারতে স্মার্টফোনের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০১৮ সালের মধ্যে ৫০ কোটি ছাড়িয়েযাবে বলে বলা হচ্ছে| মানুষের কাছে পৌঁছানো ও কর্মসংস্থানের দিক দিয়ে এই বিষয়টিযেকোনো উদ্যোগের বৃদ্ধির জন্য দারুণ সম্ভাবনা প্রদান ��রছে| আমাদের স্টার্ট-আপ কর্মসূচি হচ্ছে উদ্যোগকে লালন করার জন্য এবং উদ্ভাবনাকেউত্সাহ দেওয়ার জন্য এক ব্যাপক কর্ম পরিকল্পনা| এর মধ্য দিয়ে পরিচালনগত ভার কমিয়েস্টার্ট-আপকে সহায়তা করা হচ্ছে| ১২০০-এর বেশি অপ্রয়োজনীয় আইন বাতিল করা হয়েছে,২১টি ক্ষেত্রের এফ.ডি.আই. ’ র জন্য ৮৭টিনিয়ম লাঘব করা হয়েছে এবং সরকারের বিভিন্ন পদ্ধতি এখন অনলাইনে করা হয়েছে| আমাদের সরকার বাণিজ্যিক পরিবেশকে উন্নত করার জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণকরেছে| এর ফলেই বিশ্ব-ব্যাঙ্কের বাণিজ্য সহজতার প্রতিবেদনে ভারতের স্থান গত তিনবছরে ১৪২ থেকে ১০০ তম স্থানে উঠে এসেছে| আমরা আমদের বিভিন্ন সূচক যেমন নির্মাণ অনুমতি পাওয়া, ঋণ পাওয়া, সংখ্যালঘুবিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা, কর প্রদান, চুক্তি প্রয়োগ করা, অর্থশূন্যতা স্থির করাইত্যাদি ক্ষেত্রে উন্নতি করেছি| এই প্রক্রিয়া এখনও সমাপ্ত হয়নি| এটা হচ্ছে এমন এক যুগ যখন আমরা ১০০তম স্থাননিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছি না| আমরা ৫০তম স্থানের দিকে ধাবিত হওয়ার চেষ্টা করছি| আমরা উদ্যোগীদের দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহজে অর্থ সহায়তা প্রদান করার জন্যমুদ্রা প্রকল্পের সূচনা করেছি| ২০১৫ সালে এর সূচনার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯ কোটিরওবেশি ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে, অর্থমূল্যে যা প্রায় ৪.২৮ লক্ষ কোটি টাকা| এর মধ্যে ৭কোটিরও বেশি ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে মহিলা উদ্যোগীদের জন্য| আমার সরকার “অটল উদ্ভাবনা মিশন”-এর সূচনা করেছে| আমরা ৯০০টিরও বেশি স্কুলেনানারকম মেরামতির গবেষণাগার খুলছি, যাতে ছেলেমেয়েদের মধ্যে উদ্ভাবনা ও উদ্যোগেরসংস্কৃতিকে উত্সাহ দেওয়া যায়| আমাদের “মেন্টর ইন্ডিয়া” উদ্যোগের সূচনা এক্ষেত্রেদক্ষদের তাদের এই মেরামতির গবেষণাগারের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ দেওয়া ওশেখানোর জন্য করা হয়েছে| এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ১৯টিইনকিউবেশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে| উদ্ভাবনামূলক স্টার্ট-আপ বাণিজ্যকে পরিমাপযোগ্যও দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য এই কেন্দ্রগুলো কাজ করে যাবে| আমরা আধারের সূচনা করেছি, যা বিশ্বের সর্ববৃহত বায়োমেট্রিক নির্ভরডিজিট্যাল ডাটাবেস| এখন পর্যন্ত এর আওতায় ১১৫ কোটি মানুষ এসেছেন এবং প্রতিদিন ৪কোটিরও বেশি লেনদেনকে ডিজিট্যাল নির্ভর পদ্ধতিতে প্রামাণিকতা করা হচ্ছে| আমরা এখনআধার ব্যবহার করে প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের মাধ্যমে সুবিধ��প্রাপকদের বিভিন্নধরনের সরকারি আর্থিক সুবিধা প্রদান করছি| জনধন যোজনার মাধ্যমে ৩০ কোটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, যেখানে জমাপড়েছে ৬৮৫ বিলিয়ন টাকা বা ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ| এর মধ্য দিয়ে আগে সমাজেরযে অংশ ব্যাঙ্কের আওতায় ছিলেন না, তাদেরকে প্রথাগত আর্থিক পদ্ধতিতে নিয়ে আসাহয়েছে| এর মধ্যে ৫৩ শতাংশ একাউন্টই হচ্ছে মহিলাদের| আমরা কম নগদ অর্থনীতির দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছিএবং ভিম (বি.এইচ.আই.এম.) নামের এক ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস অ্যাপ-এর সূচনাকরেছি| এক বছরেরও কম সময়ে এই পদ্ধতি এখন প্রতিদিন ২৮০ হাজার লেনদেন করছে| আমরা ‘ সৌভাগ্য প্রকল্প ’ চালু করেছি, যার সাহায্যে প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুত সংযোগ দেওয়ার কর্মসূচি প্রায়শেষের পথে| এর মাধ্যমে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সব পরিবারকেই বিদ্যুতপরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে| আমরা ২০১৯ সালের মার্চ মাসের মধ্যে সমস্ত গ্রামীণ এলাকায় হাই-স্পিডব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার জন্যও একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছি| আমাদের পরিচ্ছন্ন বিদ্যুত কর্মসূচির অধীনে শুধুমাত্র গত তিন বছরে আমরাআমাদের পুনর্নবীকরণ বিদ্যুতের ক্ষমতা ৩০ হাজার মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে৬০ হাজার মেগাওয়াট করেছি| গত বছরে সৌরবিদ্যুত উত্পাদনের ক্ষমতা ৮০ শতাংশেরও বেশিবৃদ্ধি পেয়েছে| আমরা একটি জাতীয় গ্যাস গ্রিড নির্মাণের জন্য কাজ করছি| একটি ব্যাপকজাতীয় বিদ্যুত নীতি গঠনের পথেও কাজ চলছে| স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতার উন্নয়নে আমাদের স্বচ্ছ ভারত মিশন এবং গ্রামীণও শহুরে আবাস যোজনা অভিযান, মর্যাদাপূর্ণ জীবনের প্রতি আমদের প্রতিশ্রুতিকেইউল্লেখ করে| সাগরমালা ও ভারতমালার মতো আমাদের পরিকাঠামো ও সংযোগকারী কর্মসূচিগুলিউদ্যোগীদের বিনিয়োগের জন্য অনেক বাণিজ্য-সুযোগ প্রদান করেছে| আমাদের সাম্প্রতিক ‘ বিশ্ব খাদ্যভারত ’ উদ্যোগ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ওকৃষি ক্ষেত্রের অপচয় নিয়ে উদ্যোগীদের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করছে| আমার সরকার অনুধাবন করে যে, উদ্যোগের বিস্তৃতির ক্ষেত্রে সবার জন্য স্বচ্ছনীতি ও আইনের শাসন প্রদানকারী পরিবেশের প্রয়োজন| দেশজুড়ে পণ্য ও পরিষেবা কর চালু করে সম্প্রতি ঐতিহাসিক কর পদ্ধতি গ্রহণ করাহয়েছে| ২০১৬ সালে চালু হওয়া আমাদের অর্থশূন্যতা ও দেউলিয়া অবস্থার আইন (ইনসলভেন্সিএন্ড ব্যাংকরাপ্সি কোড) হচ্ছে সমস্যায় পড়া উদ্যোগের সময়মত সমাধান সুনিশ্চিত করারএক পদক্ষেপ| ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের এর থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আমরা সম্প্রতি একে আরওউন্নত করেছি| সমান্তরাল অর্থনীতি মোকাবিলা করা, কর ফাঁকি প্রতিরোধ করা এবং কালো টাকানিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে| আমাদের এই প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়ে মুডি ’ জসম্প্রতি ভারতের সরকারি বন্ড রেটিংকে উন্নত করেছে| এই অগ্রগতি প্রায় ১৪ বছর পরহয়েছে| বিশ্বব্যাংকের লজিস্টিক পারফরম্যান্স সূচকে ভারতের স্থান ২০১৪ সালের ৫৪তমস্থান থেকে এগিয়ে ২০১৬ সালে ৩৫তম স্থানে এগিয়ে এসেছে| এর মাধ্যমে কোনো দেশ থেকেপণ্য আমদানি বা রফতানির ক্ষেত্রে সহজতা ও দক্ষতা চিহ্নিত হয়| একটি বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশকে ম্যাক্রো-অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে স্থিতিশীলকরা প্রয়োজন| আমরা রাজকোষ ও চলতি খাতে ঘাটতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং মুদ্রাস্ফীতিকমাতে সফল হয়েছি| আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় ৪০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছেএবং আমরা বড় আকারের বৈদেশিক তহবিলের প্রবাহকে আকৃষ্ট করে যাচ্ছি| ভারতের যুব উদ্যোগীদের প্রতি আমি বলব:- ২০২২ সালের মধ্যে এক নবভারতের নির্মাণে আপনারা প্রত্যেকেই কিছু না কিছু মূল্যবান অবদান রাখতে পারেন|আপনারা ভারতের পরিবর্তনের বাহন এবং রূপান্তরের হাতিয়ার| বিশ্বে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আমার উদ্যোগী বন্ধুদের প্রতি আমি বলব:-আসুন, ভারত ও বিশ্বের জন্য —‘ ভারতেনির্মাণ করুন ও ভারতে বিনিয়োগ করুন ’ ( ‘ মেকইন ইন্ডিয়া ’ ও ‘ ইনভেস্টইন ইন্ডিয়া ’ )| আমি আপনাদের প্রত্যেককে ভারতেরবিকাশের কাহিনীতে অংশীদার হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি| এবং আরও একবার আমাদেরআন্তরিক ও ঐকান্তিক সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিচ্ছি| আমি জানতে পেরেছি যে, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প নভেম্বর ২০১৭-কে ‘ জাতীয়উদ্যোগী মাস ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন| আমেরিকাও ২১নভেম্বরকে ‘ জাতীয় উদ্যোগী দিবস ’ হিসেবে পালন করছে| এই শীর্ষ সম্মেলন অবশ্যই সেই ভাবনাকে অনুরণিত করবে| এই শীর্ষসম্মেলনে ফলপ্রসূ, চিত্তাকর্ষক ও কার্যকর আলোচনার আশা প্রকাশ করে আমি আমার ভাষণসমাপ্ত করছি| আপনাদের ধন্যবাদ|","বৈশ্বিক উদ্যমিতা সন্মিলন, ২০১৭ত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%89%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%97%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%97%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,"মুম্বাই-আমেদাবাদরুটে ভারতের প্রথম উচ্চগতির রেল প্রকল্পের আজ শিলান্যাস করলেন ভারতেরপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী মিঃ শিনজো আবে। শিলান্যাসঅনুষ্ঠানে শ্রী মোদী তাঁর বক্তব্যে ‘নতুন ভারত’ গঠনের পথে উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবংইচ্ছাশক্তির বিষয়টির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। দেশবাসীকে এই উপলক্ষে অভিনন্দনজানিয়ে তিনি বলেন যে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের হাত ধরে রেল পরিবহণের ক্ষেত্রেপ্রযুক্তি ও অগ্রগতির এক বিশেষ মেলবন্ধন ঘটবে। এর সুফলওযে অচিরেই মিলবে সেসম্পর্কেও তাঁর আশার কথা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। উচ্চগতির এই রেল প্রকল্প গড়েতোলার কাজে জাপানের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান জাপানেরপ্রধানমন্ত্রীকে। মিঃ শিনজো আবে-র বিশেষ প্রশংসা করে তিনি বলেন যে এই প্রকল্পেরসূচনা হয়েছে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই। শ্রী মোদীবলেন যে উচ্চগতির এই রেল প্রকল্প শুধুমাত্র মুম্বাই ও আমেদাবাদ শহর দুটিকেপরস্পরের আরও কাছে নিয়ে আসার কাজেই সফল হবে না, একইসঙ্গে শত শত কিলোমিটার দূরেঅবস্থিত দুটি শহরের অধিবাসীদের মধ্যেও এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলবে। তিনি বলেন,মুম্বাই আমেদাবাদ করিডরে এক নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে উঠতে চলেছে এবং এর ফলেসমগ্র অঞ্চলই হয়ে উঠবে একটিমাত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল। প্রধানমন্ত্রীবলেন, প্রযুক্তি সফল হয়ে উঠতে পারে তখনই যখনই তার সুফলগুলি পৌঁছে দেওয়া যায় সাধারণমানুষের কাছে। এই প্রকল্পে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে তা একদিকে যেমন ভারতীয়রেলকে সমৃদ্ধ করবে, অন্যদিকে তেমনই উৎসাহ যোগাবে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিকেও।উচ্চগতির এই রেল প্রকল্পটি হয়ে উঠবে পরিবেশ তথা মানব-বান্ধব। ভবিষ্যতে হাইস্পিডকরিডরটি যে দ্রুত বিকাশ ও অগ্রগতির এক বিশেষ অঞ্চল হয়ে উঠতে চলেছে একথাও প্রসঙ্গতঘোষণা করেন তিনি। শ্রী মোদীবলেন, ভবিষ্যতের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখেই সরকার পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চালিয়েযাচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এই প্রকল্প রূপায়ণের কাজ সম্পূর্ণ করতে সংশ্লিষ্ট সকলেই যেএকযোগে কাজ করে যাবে এ বিষয়ে তাঁর আস্থা ও বিশ্বাসের কথা ব্যক্ত করেন তিনি। এর আগে, জাপানেরপ্রধানমন্ত্রী মিঃ শিনজো আবে বলেন, ভারত-জাপান অংশীদারিত্ব শুধুমাত্র কৌশলগতএকবিশেষ সম্পর্��মাত্র নয়, একইসঙ্গে তা আন্তর্জাতিকও। আজ থেকেআর কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের সৌন্দর্য যে বুলেট ট্রেনের জানালাপথেই দেখা যাবে এবিষয়ে তাঁর আশার কথা ব্যক্ত করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। /",ভাৰতৰ ক্ষীপ্ৰগতি ৰে’ল প্ৰকল্পৰ আধাৰশিলা স্থাপন প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদী আৰু জাপানৰ প্ৰধানমন্ত্ৰী আবেৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%B0-%E0%A6%98%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A7%82/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A7%B0-%E0%A6%98%E0%A7%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লি, ১৩ অগাস্ট, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী হর ঘর তিরঙ্গা অভিযানে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়ায় গর্ব ও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, সমাজের সকল স্তরের মানুষ বিপুল সংখ্যায় এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকার সঙ্গে ছবি তুলে, তা harghartiranga.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকলের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার জন্য নাগরিকদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশ জুড়ে হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনের ব্যাপ্তির কিছু ছবি ট্যুইটারের মাধ্যমে সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।",হৰ ঘৰ তিৰংগা আন্দোলনৰ আশ্চৰ্যজনক সঁহাৰিত সুখ আৰু গৌৰৱ প্ৰকাশ কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9D%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%96%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9D%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,"ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মুজি, রাজ্যের প্রাণবন্ত জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী রঘুবর দাস, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদে আমার সহকর্মী শ্রী জগৎ প্রসাদ নাড্ডা, আমার সহকর্মী এই রাজ্যের ভূমিপুত্র শ্রী সুদর্শনপ্রসাদ ভগৎজি,আমার সহকর্মী জয়ন্ত সিনহাজি,নীতি আয়োগের সদস্য ডক্টর বি.কে.পাল,রাজ্যসরকারের মন্ত্রী রামচন্দ্র চন্দ্রমুখী,সংসদে আমার সহযোগী শ্রী রামটহল চৌধুরীজি, বিধায়ক শ্রী রামকুমার পাহনজি, এখানে উপস্থিত সকল বিশিষ্ট মানুষজন এবং বিশাল সংখ্যায় আগত ঝাড়খন্ডনিবাসী আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা। বন্ধুগণ, আজ আমরা সবাই সেই বিশেষ উপলক্ষের সাক্ষী থাকতে চলেছি,যা আগামী দিনে মানবতার সবচেয়ে বড় সেবা হিসেবে নির্ধারিত হতে চলেছে। আজ আমি এখানে শুধুমাত্র ঝাড়খন্ডের বিকাশের প্রক্রিয়াকে গতিশীল করার জন্যই নয়, বরং গোটা দেশের জন্য আমাদের ঋষি-মু��িগণ যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, যা নাকি প্রত্যেক পরিবারেরই স্বপ্ন হয়ে থাকে, আমাদের মুনি-ঋষিরা স্বপ্ন দেখেছিলেন, ‘সর্ব ভবন্তু সুখিনা,সর্ব সন্তু নিরাময়ঃ!’ আমাদের এই বহু শতাব্দী প্রাচীন শপথকে এই শতাব্দিতেই বাস্তবায়িত করতে হবে, আর এজন্যই এর এক মহামূল্যবান সূচনা হতে চলেছে। সমাজের শেষ পংক্তিতে যে মানুষটি দাঁড়িয়ে আছেন, সেই গরিব থেকে গরিবতর মানুষের জন্য চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা যায়, তেমন স্বপ্নপূরণের জন্য এক বিশাল বড় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বিরসামুন্ডার এই মাটিতে গ্রহণ করা হচ্ছে। আজ গোটা দেশের নজর রাঁচির দিকে নিবদ্ধ। দেশের ৪০০-রও বেশি জেলাতে এমনই বড়সড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানকার সমস্ত মানুষ রাঁচির এই গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশের দিকে তাকিয়ে আছেন। এরপর তাঁরাও এই কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আজ এখানে আমার দু’টো মেডিক্যাল কলেজের সূচনা করারও সুযোগ হয়েছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, স্বাধীনতার ৭০ বছরে তিনটে মেডিক্যাল কলেজে সাড়ে তিনশো পড়ুয়া আর বিগত চার বছরে আটটি মেডিক্যাল কলেজে ১২০০ পড়ুয়া। কাজ কি করে হয়, কত ব্যাপক মাত্রায় হতে পারে, কত গতিতে হতে পারে, এর উদাহরণ খোঁজার জন্য অন্য কোথাও যেতে হবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। ভাই ও বোনেরা, আয়ুষ্মান ভারতের সংকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা আজ থেকে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পকে প্রত্যেকেই নিজের নিজের কল্পনানুযায়ী নাম দিচ্ছেন। কেউ একে মোদী কেয়ার বলছেন, কেউ আবার গরিবদের প্রকল্প নাম দিয়েছেন। কিন্তু আমার জন্য এটি দেশের দরিদ্র নারায়ণের সেবার একটি সুবর্ণ সুযোগ। আমার মতে, এর থেকে ভালো করে কোনও মতেই গরিব মানুষের সেবা করা সম্ভব নয়। দেশের ৫০ কোটিরও বেশি মানুষকে বছরে ৫ লক্ষেরও বেশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রদানকারী এই প্রকল্প বিশ্বের এ ধরণের সর্ববৃহৎ প্রকল্প। গোটা দুনিয়ায় সরকারি অর্থে এর চেয়ে বড় কোনও প্রকল্প আর নেই। এই প্রকল্পে উপকৃতদের সংখ্যা, আমরা এখানে বসে কল্পনাও করতে পারবো না; গোটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭-২৮টি দেশের মোট জনসংখ্যার থেকে বেশি মানুষ ভারতে এই প্রকল্প দ্বারা উপকৃত হবেন। গোটা আমেরিকার জনসংখ্যা, গোটা কানাডা ও মেক্সিকোর মিলিত জনসংখ্যার সমান সংখ্যক মানুষকে এই আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে আরোগ্য প্রদান করা হবে। আর সেজন্য একটু আগেই আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রী নাড্ডাজি বলছিলেন যে, বিশ্বে ���বচেয়ে নামী স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিনগুলিতে প্রশংসা করে লেখা হয়েছে যে, ভারত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মাধ্যমে দেশে দরিদ্র জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে চলেছে। আমি বিশ্বাস করি, আগামীদিনে বিশ্বের চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে যাঁরা চিন্তাভাবনা করেন, আরোগ্য ও অর্থনীতির সমন্বয়ে নিরাময় এবং আধুনিক ব্যবস্থা নিয়ে যাঁরা ভাবেন, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের পরিবর্তন আনতে পারলে সমাজ জীবনে এর কী কী প্রভাব পরিলক্ষিত হবে; তেমন সমাজ বিজ্ঞানী, স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবিদরা এই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পকে তাঁদের পাঠ্যক্রমের বিষয় করে তুলবে। তাঁদের ভাবতে হবে, এই ভিত্তিতে তাঁদের দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী কেমন মডেল গড়ে তোলা উচিৎ! এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে যারা কাজ করে চলেছেন, তাদের সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাই। এটা সহজ কাজ ছিল না, ছ’মাসের মধ্যে এত বড় প্রকল্প; এর পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়ন পর্যন্ত নানা পর্যায়ে আপনারা উৎকর্ষের পরিচয় দিয়েছেন। সুশাসন একেই বলে! দলবদ্ধভাবে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৫০ কোটি মানুষ ও ১৩ হাজার হাসপাতালকে যুক্ত করে এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে আপনারা অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। সেজন্য আমি আজ সর্বসমক্ষে ১২৫ কোটি ভারতবাসীর সামনে গোটা টিমকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই টিম এখন পূর্ণ শক্তি দিয়ে অধিক সমর্পণ ভাব নিয়ে কাজ করে যাবে। কারণ, এতদিন শুধু প্রধানমন্ত্রী তাদের পেছনে পড়ে ছিল কিন্ত এখন ৫০ কোটি দরিদ্র মানুষের আশীর্বাদ তাদের সম্বল। আর যখন ৫০ কোটি গরিব মানুষের আশীর্বাদ কোনও টিমের সঙ্গে থাকে, যে কোনও গ্রামের আশা কর্মীরাও সর্বান্তকরণে এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সদা তৎপর থাকবেন – এটা আমার বিশ্বাস। বন্ধুগণ, গরিবদের নিরাময়ের এই সুরক্ষা কবচ জাতির উদ্দেশে সমর্পণ করে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যে, প্রকল্প খুবই ভালো এবং প্রত্যেকের জন্য হলেও কেউ হাসপাতাল উদ্বোধন করতে এসে কি বলতে পারেন যে, আপনাদের হাসপাতাল সবসময়ে ভরে থাকুক! কেউ বলতে পারেন না। আমি উদ্বোধন করতে গিয়ে সবসময় বলি, আপনাদের হাসপাতাল সবসময়ে খালি থাকুক। আজ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প উদ্বোধন করার সময় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবো যে আমার দেশের কোনও গরিব কিম্বা তাঁর পরিবারের সামনে যেন এমন সংকট না আসে যাতে তাঁদের এই প্রকল্পের সাহায্যে কোনও হাসপাতালে যেতে হয়। আমি ঈশ্বরের কাছে সকলের উত্তম স্বাস্থ্যের প্রার্থনা করি। কিন্তু এহেন দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে এহেন সংকটের সম্মুখীন হলে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ আপনাদের সেবায় হাজির। সেরকম কঠিন সময়ে যে কোনও ধনী মানুষ যে ধরণের চিকিৎসা পরিষেবা পেতে পারেন, আমার দেশের গরিবদেরও এখন সেই পরিষেবা পাওয়া উচিৎ। যে প্রকল্প আজ থেকে চালু হ’ল, এত বড় প্রকল্পের ‘ট্রায়াল রান’ও প্রয়োজন ছিল। প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করবে, আরোগ্য মিত্র রূপে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁরা ঠিক মতো প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারছেন কি না, হাসপাতালগুলি আগে যেভাবে কাজ করতো, সেই ব্যবস্থায় কাঙ্খিত পরিবর্তন এসছে কি না – সেসব খতিয়ে দেখার জন্য দেশের ভিন্ন ভিন্ন জেলায় বিগত কয়েক দিন ধরে এই পরীক্ষামূলক কাজ চলছিল। এর সাফল্য থেকে আমার বিশ্বাস আরও জোরালো হয়েছে যে, এই অভিযান সঠিক অর্থে দেশের দরিদ্র জনগণকে স্বাস্থ্যের অধিকার প্রদানে সক্ষম হবে। বন্ধুগণ, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সঙ্গে একটি বিশেষ মাত্রা যুক্ত হয়েছে। বিগত ১৪ এপ্রিল ছত্তিশগড়ের বস্তারের আরণ্যক গ্রামগুলিতে যখন এর প্রথম পর্যায় শুরু হয়েছিল, আরোগ্য কেন্দ্র উদ্বোধন হয়েছিল, দিনটি ছিল বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তী। আর আজ দ্বিতীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়টি শুরু করা হ’ল ২৫ সেপ্টেম্বর তারিখে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মজয়ন্তীকে মাথায় রেখে। আজ রবিবার বলে আমার সুবিধা মতো আমরা এই প্রকল্প দু’দিন আগেই শুরু করেছি। কিন্তু আজও জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ ভারতীয় চৈতন্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রবক্তা রাষ্ট্রকবি দিনকরের জন্মদিন। আর সেজন্য এই মহাপুরুষদের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে সমাজে সমস্ত রকম ভেদভাব দূর করার জন্য যাঁরা সারা জীবন গরিবদের জন্য ভেবেছেন, গরিবদের জন্য বেঁচেছেন, দরিদ্র মানুষের গরিমা রক্ষায় সারা জীবন সংঘর্ষ করেছেন। আজ সেই মহাপুরুষদের স্মরণ করে জাতির উদ্দেশে এই প্রকল্প উৎসর্গ করছি। দেশে উন্নত চিকিৎসা যেন শুধু কিছু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে, সবাই যেন উন্নত চিকিৎসা পান – এই ভাবনা থেকেই আজ জাতির উদ্দেশে এই প্রকল্প উৎসর্গ করছি। ভাই ও বোনেরা, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই আমরা ‘গরিবি হটাও’ শ্লোগান শুনে আসছি। গরিবদের নামে মালা জপতে জপতে যারা গরিবদের চোখে ধুলো দিয়ে গেছেন, তাঁরা যদি আজ থেকে ৩০-৪০-৫০ বছর আগে গরিবদের নামে রাজনীতি করার বদলে তাঁদের ক্ষমতায়নে জোর দিতেন, তা হলে আজ দেশের এই দশা হ’ত না। দেশকে এখনও অনেক মৌলিক ভুলের মাশুল গুনতে হচ্ছে। তাঁরা ভাবতেন যে, গরিবদের বিনামূল্যে কিছু পাইয়ে দিলেই তাঁরা সন্তুষ্ট থাকবেন। কিন্তু আসলে দরিদ্র মানুষ যেমন আত্মাভিমানী হন, তা পরিমাপ করার মতো কোনও দাড়িপাল্লা ঐ তথাকথিত দরিদ্রদরদীদের ছিল না। আমি গরিব ঘরের সন্তান। দারিদ্র্যের যন্ত্রণা আমি বুঝি। গরিবদের আত্মসম্মানও আমি বুঝি। সেই আত্মসম্মানই আমাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি দেয়। কিন্তু তাঁরা কখনও গরিবদের আত্মসম্মানের কথা ভাবেননি, সেজন্য প্রত্যেক নির্বাচনে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি করে গেছেন। আমরা এই রোগের গোড়ায় গিয়েছি। সেজন্য দেশ দারিদ্র্য মুক্তির পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। বিগত দিনে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা বলেছে যে, গত দু-তিন বছরের মধ্যে ভারতের ৫ কোটি পরিবার অতি দরিদ্র পরিস্থিতি থেকে উপরে উঠে এসেছে। ভাই ও বোনেরা, গরিব মানুষের ক্ষমতায়নের মাধ্যমেই আমরা এই সাফল্য পেয়েছি। গরিব মানুষ মাথার ওপর ছাদ পেলে তাঁর জীবনের চিন্তাভাবনা বদলায়। গরিব মা রান্নার গ্যাসের সংযোগ পেলে জীবনে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অন্যের সমকক্ষ হওয়ার জন্য এগিয়ে যেতে পারেন। গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুললে তাঁর আত্মসম্মান বৃদ্ধি পায়। অর্থ সাশ্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। গরিব মানুষের টিকাকরণ হলে, পোষণ মিশন সফল হলে, গরিব মায়েরা ক্ষমতায়নের পথে এগিয়ে যান। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, সম্প্রতি যে এশিয়ান গেমস্‌ হয়ে গেল, সেখানে ভারতের হয়ে পুরষ্কার কারা এনেছেন? স্বর্ণপদক কারা এনেছেন? সাম্প্রতিক অতীতে ভারতকে যাঁরা নতুন নতুন সম্মানজনক সাফল্য এনে দিয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই গ্রামের গরিব ঘরে বড় হয়ে ওঠা, অপুষ্টির সঙ্গে লড়াই করা যুবক-যুবতীরা। গরিবের ক্ষমতাকে উপলব্ধি করতে হবে। সেজন্য আমাদের প্রত্যেক প্রকল্প গরিব মানুষের ক্ষমতায়নের জন্য রচিত। দেশের আরেকটি বড় পরিবর্তন এসেছে। এতদিন দেশের সমস্ত নীতি ভোট ব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে। যে জাতি বা সম্প্রদায় নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি দিতে পারে, তাঁদের জন্য সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবা হ’ত। ক্ষেত্রীয় উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন এবং সাম্প্রদায়িক সঙ্কট থেকে মুক্তির কথা না ভেবে পূর্ববর্তী সরকারগুলি শুধুই ভোটের রাজনীতি করে সমাজকে বিভাজনের মাধ্যমে লুঠমার চালিয়েছে। আমরা সেই পথ পরিহার করেছি। আমরা চাই না যে দেশ আর কখনও সেই পথে ফিরে আসুক। আমাদের মন্ত্র হ’ল – ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। আয়ুষ্মান ভারতের ক্ষেত্রে কোনও জাতি, সম্প্রদায়, উঁচু-নীচু ভেদভাব মানা হবে না। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, অঞ্চল, সম্প্রদায়, বিশ্বাস নির্বিশেষে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। কেউ ঈশ্বরকে মানেন কি মানেন না, মন্দির, মসজিদ, গুরদ্বোয়ারা কিংবা গির্জায় প্রার্থনা করতে যান, প্রত্যেকের জন্যই আয়ুষ্মান ভারত যোজনা। বন্ধুগণ, এই প্রকল্প কতটা ব্যাপক, তা অনুমান করা যায় এই উদাহরণ দিয়ে যে, ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনী, লিভার ও ডায়াবেটিস সহ ১,৩০০টিরও বেশি রোগের চিকিৎসা এই প্রকল্পে সামিল করা হয়েছে। শুধু সরকারি হাসপাতাল নয়, বেসরকারি হাসপাতালেও তাঁরা এই চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ প্রদান করা হবে। এর মধ্যে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ভর্তির খরচ, অপারেশনের খরচ, ওষুধপত্রের খরচ এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামের খরচও সামিল করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সারা দেশের প্রত্যেক মানুষ যেন সমান মানের চিকিৎসা পান – সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাউকে যেন চিকিৎসার জন্য দরজায় দরজায় ঘুরতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। সবকিছু প্রযুক্তির মাধ্যমে সুনিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনও সঙ্কলটগ্রস্ত মানুষ যেন এই প্রকল্প থেকে বাদ না পড়েন, সেজন্য নিরন্তর সমীক্ষা জারি রয়েছে। এই প্রকল্পে আপনাদের কোনও প্রকার নথিভুক্তিকরণের প্রয়োজন নেই। আপনারা যে ই-কার্ড পাচ্ছেন, সেটাই যথেষ্ট। সেখানেই আপনাদের সমস্ত তথ্য থাকবে – এজন্য কোনও আবেদন-নিবেদনের প্রয়োজন নেই। এছাড়া একটা টেলিফোন নম্বর এবং আমি বিশ্বাস করি তা আপনাদের মনে রাখা জরুরি। আমি সমস্ত গরিব পরিবারের প্রতি অনুরোধ জনাব আপনারা এই নম্বরটা অবশ্যই মনে করে রাখবেন,১৪৫৫৫ ওয়ান ফোর ট্রিপল ফাইভ, এই নম্বর থেকে আপনি জানতে পারবেন এই যোজনায় আপনার নাম আছে কি নেই, আপনার পরিবারের নাম আছে কি নেই। আপনার সমস্যা, কি সুবিধে পাবেন,এই সমস্ত কিছু কাছাকাছি কমন সার্ভিস সেন্টার, আজ দেশে তিন লক্ষ কমন সার্ভিস সেন্টার আছে, এই তিন লক্ষ কমন সার্ভিস সেন্টারের কোনও একটির জন্য ���পনাকেও দু’তিন কিলোমিটারের বেশি যেতে হবে না|সেখানে গিয়ে আপনি তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। বন্ধুরা, এই ব্যবস্থাপনার সঙ্গেই আরও দু’রকম বড় সহায়ক পেয়ে যাবেন, প্রথমতঃ আপনার গ্রামের আশা ও এ এন এম বোন এবং দ্বিতীয়তঃ প্রত্যেক হাসপাতালে আপনাদের সাহায্য করতে নিয়োজিত থাকবে প্রধানমন্ত্রী আরোগ্য মিত্র। এই প্রধানমন্ত্রী আরোগ্য মিত্র আপনার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে থেকে শুরু করে চিকিৎসার পর পর্যন্ত আপনাকে যোজনার সুবিধে পাইয়ে দিতে পুরোপুরি সাহায্য করে যাবে|দেশকে আয়ুষ্মান করে তোলার জন্য এই নিবেদিত প্রাণ বন্ধু আপনাকে ঠিকঠাক তথ্য যোগাবেন। বন্ধুগণ, আয়ুষ্মান ভারতের এই অভিযান প্রকৃত অর্থে একতাবদ্ধ ভারতে সবার জন্য একই ধরনের চিকিৎসার ভাবনাকে মজবুত করবে|যে রাজ্য এই যোজনার সঙ্গে যুক্ত হবে, সেখানকার বাসিন্দারা যদি অন্য রাজ্যে যান, তবে সেখানে পর্যন্ত হঠাৎ প্রয়োজন পড়লে, এই যোজনার সুবিধে সেখানেও পেতে পারেন। এখন পর্যন্ত এই যোজনায় গোটা দেশের ১৩ হাজারেরও বেশি হাসপাতাল আমাদের সহযোগী হয়েছে। আগামী দিনে আরও হাসপাতাল এর আওতায় এসে যাবে|শুধু তা-ই নয়, যে হাসপাতাল ভালো পরিষেবা দেবে,বিশেষ করে গ্রামের হাসপাতালে, তাদের সরকার থেকেও সহায়তা করা হবে। ভাই ও বোনেরা, আয়ুষ্মান ভারত যোজনার লক্ষ্য আর্থিক সুবিধে দেওয়া তো বটেই, সঙ্গে এমন ব্যবস্থাও দাঁড় করানো,যাতে ঘরের কাছেই আপনার জন্য উত্তম চিকিৎসার সুবিধে করে দেওয়া যায়। বন্ধুরা, আজ এখানে দশটি ওয়েলনেস সেন্টারের শুভসূচনা হয়েছে। এখন ঝাড়খন্ডে প্রায় চল্লিশটি এমন সেন্টার কাজ করছে, আর গোটা দেশে এই সংখ্যাটা প্রায় দু’আড়াই হাজারে পৌঁছে গেছে। আগামী চার বছরে দেশে এমন দেড়লক্ষ স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ভাই ও বোনেরা,এই হেলথ ও ওয়েলনেস সেন্টারগুলি আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই সেন্টারে ছোটখাটো অসুখের চিকিৎসা তো হবেই, সঙ্গে ঔষধও পাওয়া যাবে। এখানে বিনাখরচে অনেকগুলো পরীক্ষা–নিরীক্ষা করানোরও ব্যবস্থা থাকবে। এরফলে কঠিন অসুখের লক্ষণও আগে থেকে ধরা পড়লে চিকিৎসার সাহায্য পাওয়া যাবে। বন্ধুগণ, সরকার দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রটিকে শুধরানোর জন্য একটি সংহত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। প্রত্যেক সিদ্ধান্ত ও নীতি পরস্পরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। একদিকে সরকার সুলভ স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকে নজর দিচ��ছে। পাশাপাশি, প্রতিরোধী স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকেও লক্ষ্য রাখছিল। যোগাভ্যাস, স্বচ্ছ ভারত অভিযান, উন্মুক্ত স্থানে মলমুত্র বন্ধ করার জন্য অভিযান – এই সমস্ত কিছুর মাধ্যমে কঠিন রোগের কারণগুলি উৎস থেকে নির্মূল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনারা সম্প্রতি হয়তো একটি রিপোর্টে জেনেছেন যে, স্বচ্ছ ভারত মিশনের ফলে ৩ লক্ষ শিশুর জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নবজাত শিশু ও প্রসূতি মায়েদের জীবন রক্ষার পরিসংখ্যান দ্রুত মৃত্যু থেকে জীবনের পথে এগিয়ে চলেছে। সরকার রাষ্ট্রীয় পোষণ মিশন অভিযানের মাধ্যমে অপুষ্টি দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে। স্বাস্থ্য পরিষেবায় মানবসম্পদ বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বাস্থ্য কর্মীদের সংখ্যা বাড়িয়ে আগামী তিন বছরে প্রায় আড়াই হাজার উৎকৃষ্ট মানের হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। এর মধ্যে অধিকাংশই টয়ার-২ এবং টায়ার-৩ শহরগুলিতে গড়ে উঠবে। ফলে মধ্যবিত্ত যুবক-যুবতীদের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, গোটা প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্য পরিষেবার পাশাপাশি, বিমা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা, কল সেন্টার, ব্যবস্থাপনা, ঔষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদন ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রে লক্ষ-কোটি কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা গড়ে উঠেছে। প্যারা-মেডিকেল স্টাফ থেকে শুরু করে প্রশিক্ষিত চিকিৎসকদের চাহিদা দেশে অনেক বৃদ্ধি পেতে চলেছে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য ক্ষেত্র সংশ্লিষ্ট অনেক স্টার্ট আপ উদ্যোগও গড়ে উঠবে। লক্ষ লক্ষ চিকিৎসক, সেবিকা, অন্যান্য চিকিৎসা কর্মী এবং হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট কর্মীর কর্মসংস্থান হবে। অর্থাৎ দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তদের জন্য অনেক বড় কর্মসংস্থানের সুযোগ এটা। দেশের প্রতিটি গ্রাম, আধা শহর এবং টিয়ার-১ ও টিয়ার -২ শহরগুলির স্বাস্থ্য পরিকাঠামো শক্তিশালী করার জন্য সরকার নিরন্তর কাজ করে চলেছে। বিগত চার বছরে দেশে ১৪টি নতুন এইম্‌স হসপিটাল মঞ্জুর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনার মাধ্যমে প্রত্যেক রাজ্যে ন্যূনতম একটি এইম্‌স গড়ে তোলার কথা ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি, একই সময়ে ৮২টি নতুন সরকারি মেডিকেল কলেজ চালু করার কাজ চলছে। প্রতি ৩/৪টি সংসদীয় ক্ষেত্রে ন্যূনতম একটি করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গড়ে তোলার কাজ চলছে। আজ এখানেও তেমনই ৬০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে কোডোরমা ও চাইবাসায় দুটি ৪০০ শয্যাসম্পন্ন মেডিকেল কলেজের শিলান্যাস ক��া হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, বিগত চার বছরে সারা দেশে ২৫ হাজারেরও বেশি আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসক আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকার চায়, আগামী ৪-৫ বছরে সরকার দেশে ১ লক্ষ নতুন চিকিৎসক হোক। বন্ধুগণ, দীনদয়াল উপাধ্যায়জী বলতেন যে, শিক্ষার মতোই স্বাস্থ্যের পেছনে যে খরচ করা হয়, তাকে খরচ না বলে বিনিয়োগ বলা উচিৎ। ভালো শিক্ষা ও দক্ষতার অভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন যেমন সম্ভব নয়, তেমনই অসুস্থ ও অপুষ্ট নাগরিক দিয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব নয়। বন্ধুগণ, আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির প্রচেষ্টায়, আরোগ্য মিত্র, আশা, এএনএম বোনেদের সহযোগিতায়, প্রত্যেক চিকিৎসক, সেবিকা, স্বাস্থ্য কর্মী এবং পরিষেবা প্রদানকারীদের সমর্পিত ভাবনার সমন্বয়ে আমরা এই প্রকল্পকে সফল করে তুলতে পারব। একটি সুস্থ দেশ গড়ে তুলতে পারব। নতুন ভারত সুস্থ, শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আপনারা সবাই সুস্থ ও দীর্ঘায়ু হবেন। এই আশা নিয়ে আজ রাঁচির মাটি থেকে, ভগবান বিরসামুন্ডার মাটি থেকে ১২৫ কোটি দেশবাসীর চরণে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা সমর্পণ করছি। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভারতমাতা কি – জয়। ভারতমাতা কি – জয়। ভারতমাতা কি – জয়। আমি বলব আয়ুষ্মান, আপনারা বলবেন ভারত আয়ুষ্মান – ভারত আয়ুষ্মান – ভারত আয়ুষ্মান – ভারত আয়ুষ্মান – ভারত আয়ুষ্মান – ভারত অনেক অনেক ধন্যবাদ।",ঝাৰখণ্ডৰ ৰাঁচীত আয়ুষ্মান ভাৰত-পিএমজেএৱাই মুকলি অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2/,"নতুনদিল্লি, ২০শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী অরুণাচল প্রদেশের প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “অরুণাচল প্রদেশের প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানাই। এই রাজ্যের মানুষ অসামান্য প্রতিভা ও কঠোর পরিশ্রমী স্বভাবের জন্য পরিচিত। আগামী দিনে রাজ্যের উন্নয়ন নতুন উচ্চতায় পৌঁছাক, সেই কামনাই করি।“",‘ৰাজ্য স্থাপনা দিৱস’ উপলক্ষে অৰুণাচল প্ৰদেশ বাসীলৈ শুভকামনা জনাইছে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A7%A8%E0%A7%AB-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%9F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A7%A7%E0%A7%A9/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%A6/,"নয়াদিল্লি, ১৩ অক্টোবর ২০২২ হিমাচল প্রদেশের চাম্বায় আজ দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইসঙ্গে, ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা’র তৃতীয় পর্যায়ের সূচনাও করেন তিনি। এই উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে দু’দিন আগে মহাকাল শহর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি, আর আজ তিনি উপস্থিত হয়েছেন মণি মহেশ্বরের ভূমিতে। চাম্বার বিশদ বিবরণ সম্বলিত একটি চিঠি তিনি এই এলাকার এক শিক্ষকের কাছ থেকে পেয়েছিলেন বলে প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। চিঠিটি তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে সকলের কাছে তিনি তুলে ধরেছিলেন। চাম্বা এবং অন্যান্য প্রত্যন্ত গ্রামে সড়ক সংযোগ গড়ে তোলার বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের সূচনা পর্বে উপস্থিত থাকতে পেরে বিশেষ আনন্দ প্রকাশ করেন শ্রী মোদী। তিনি বলেন, চাম্বা এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি সম্পর্কিত কয়েকটি প্রকল্পের সূচনাও রয়েছে তাঁর এই সফরসূচির মধ্যে। হিমাচল প্রদেশে অতিবাহিত তাঁর দিনগুলির কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাহাড় কা পানি অউর পাহাড় কা জওয়ানি, পাহাড় কে কাম নেহি আতি” (অর্থাৎ, পাহাড়ের জল ও যৌবন কখনই পাহাড়ের জন্য ব্যবহার করা হয় না) – এই কথাটি আজ আর প্রাসঙ্গিক নয় কারণ, পাহাড়ের যুবশক্তি এই এলাকার উন্নয়নে এখন এক সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। শ্রী মোদী বলেন, আগামী ২৫ বছরের সময়কাল ১৩০ কোটি ভারতবাসীর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার অমৃতকাল এখন উপস্থিত। তাই, এই সময়কালের মধ্যে ভারতকে এক উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার কাজ আমাদের সম্পূর্ণ করতে হবে। হিমাচল প্রদেশ প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তির বাকি আর মাত্র কয়েকটি মাস। অর্থাৎ, ভারত যখন স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন করবে ঠিক সেই সময়েই হিমাচল উদযাপন করবে তার শততম প্রতিষ্ঠাকাল। এই কারণেই আগামী ২৫ বছর আমাদের সকলের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় হিমাচল প্রদেশের আবেদনে দিল্লি কোনরকম সাড়া দিত না। তাই, এখানকার দাবি ও আবেদন-নিবেদনের ফল ছিল কার্যত শূ্ণ্য। ফলে, চাম্বার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ধর্মীয় স্থানগুলির উন্নয়ন অবহেলিত থেকে যেত। কিন্তু, এই জেলাটি এখন একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষামূলক জেলায় পরিবর্তিত হয়েছে। চাম্বার উন্নয়নে তাঁর সরকার এখন বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শ্রী মোদী বলেন, ডবল ইঞ্জিন সরকারের ক্ষমতা আজ হিমাচলের মানুষ অনুভব ও উপলব্ধি করছেন কারণ, এই রাজ্যের উন্নয়নের হার বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ। পূর্ববর্তী সরকারগুলি শুধুমাত্র সেই সময়েই এলাকার উন্নয়নে নজর দিত যখন কাজের বোঝা হত হালকা অথচ রাজনৈতিক মুনাফা ছিল অনেক বেশি। ফলে, প্রত্যন্ত আদিবাসী এলাকাগুলির হাল ছিল খুবই শোচনীয়। কিন্তু বর্তমানে ডবল ইঞ্জিন সরকারের কাজের ধরন অন্যান্যদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সাধারণ মানুষের জীবনকে কিভাবে আরও সহজ করে তোলা যায় সেদিকেই আমাদের এখন অগ্রাধিকার। এই কারণে আদিবাসী এবং পাহাড়ি এলাকাগুলির উন্নয়নের ওপর আমরা সবচেয়ে বেশি মাত্রায় গুরুত্ব দিয়েছি। রান্নার গ্যাস সংযোগ, পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ, স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রসার, আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচি এবং সড়ক সংযোগের মাধ্যমে প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলের জীবনযাত্রায় এখন পরিবর্তন ঘটেছে। একদিকে যেমন আমরা গ্রামগুলিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তুলছি, অন্যদিকে তেমনই দেশের বিভিন্ন জেলায় নতুন নতুন মেডিকেল কলেজও আমরা স্থাপন করে চলেছি। হিমাচল প্রদেশে পর্যটন যাতে ব্যহত না হয় তা নিশ্চিত করতে এখানে টিকাকরণের বিষয়টিকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ১০০ শতাংশ টিকাকরণের কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পূর্ণ করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশের ৭ হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছিল। এজন্য তখন ব্যয়ের মাত্রা দাঁড়িয়েছিল ১,৮০০ কোটি টাকা। কিন্তু, গত আট বছরে ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মিত হয়েছে ১২ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কপথ। আজ এখানে যে সড়ক সংযোগ প্রকল্পের সূচনা হল, তাতে ৩ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ গ্রামীণ সড়ক তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে প্রধানমন্ত্রী সকলকে অবহিত করেন। শ্রী মোদী বলেন, এক সময় হিমাচল প্রদেশকে দিল্লিতে ছুটে আসতে হত উন্নয়নের আবেদন-নিবেদন জানাতে। কিন্তু আজ হিমাচল নতুন নতুন প্রকল্প ও অগ্রগতির তথ্য পেশ করে আরও নতুন নতুন উন্নয়নের দাবি নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়। প্র��ানমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের অর্থাৎ, জনসাধারণের আদেশ আমার কাছে শিরোধার্য। আপনারাই হলেন আমার আদেশকর্তা। আমি এটাকে আমার সৌভাগ্য বলেই মনে করি। আপনাদের সেবা করার সুযোগ পেয়ে যে আনন্দ আমি লাভ করি তা তুলনাহীন। সেটা আমাকে আরও নতুন করে শক্তি যোগায়।” গত আট বছরের উন্নয়নের একটি সার্বিক চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রুত উন্নয়নের এক মহাযজ্ঞ শুরু হয়েছে দেশের পার্বত্য অঞ্চলগুলিতে। উন্নয়ন কর্মসূচির প্রসার ঘটেছে দূর ও প্রত্যন্ত এলাকায় এবং আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে উন্নয়নের এই সুফল হিমাচলের চাম্বার ক্ষেত্রেই শুধু সীমাবদ্ধ থাকবে না, এথেকে উপকৃত হবে পাঙ্গি-ভারামোর, ছোটা-বড়া-ভাঙ্গাল, গিরিম্পার, কিন্নর ও লাহুল-স্পিতি। উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা হিসেবে উন্নয়নের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করায় চম্বাবাসীকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলির উন্নয়ন প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন, সিরমোরের গিরিপর অঞ্চলের হাতি সম্প্রদায়কে আদিবাসী মর্যাদাদানের এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এথেকেই প্রমাণিত যে আদিবাসী সমাজের উন্নয়নে আমার সরকার কতটা সজাগ ও সতর্ক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রাজ্যের তথা কেন্দ্রের পূর্ববর্তী সরকারগুলি প্রত্যন্ত এবং আদিবাসী গ্রামগুলির উন্নয়নের কথা বলত তখনই, যখনই নির্বাচনের সময় এসে উপস্থিত হত। কিন্তু বর্তমান ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রতিটি দিনই চিন্তাভাবনা করে এখানকার উন্নয়ন সম্পর্কে। করোনা অতিমারীর সময় দরিদ্র পরিবারগুলির ত্রাণে সরকার কিভাবে এগিয়ে এসেছিল, তাও বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিনামূল্যে রেশন কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছিল। গত দেড় বছর ধরে দেশের ৮০ কোটি মানুষের কাছে আমরা খাদ্যশস্য পৌঁছে দিতে পেরেছি। এই ঘটনায় বিস্মিত সারা বিশ্বের মানুষ। দেশে কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচি সফল করে তোলার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মী এবং আশাকর্মীদের প্রশংসা করেন তিনি। সেইসঙ্গে সক্রিয়ভাবে টিকাকরণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য জনসাধারণকেও তিনি ধন্যবাদ জানান। শ্রী মোদী বলেন, সেবার মানসিকতা যখন দৃঢ় হয়ে ওঠে, তখনই উন্নয়ন সম্ভব করে তোলা যায়। আদিবাসী এবং পার্বত্য এলাকাগুলিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি যে একটি চ্যালেঞ্জ বিশেষ তা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের শক্তিকে আমরা এই উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করতে পেরেছি। আদিবাসী অঞ্চলগুলির জল ও বনসম্পদ অমূল্য। চাম্বা হল দেশের সেই সমস্ত জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম যেখানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সূচনা হয়। যে প্রকল্পগুলির আজ সূচনা হল তা বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে চাম্বা সহ সমগ্র হিমাচল প্রদেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে চাম্বা সহ সমগ্র রাজ্য কোটি কোটি টাকা আয় ও উপার্জনের সুযোগ পাবে। একইসঙ্গে, কর্মসংস্থানের নানা ধরনের সুযোগ সৃষ্টি হবে এখানকার তরুণ ও যুবকদের জন্য। বিলাসপুরে যে হাইড্রো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটির কাজ শুরু হয়েছে তা থেকে উপকৃত হবে হিমাচলের তরুণ ও যুবকরাও। হিমাচল প্রদেশের উদ্যানপালন, পশুপালন ও শিল্পকলার খ্যাতি ও গুরুত্বের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানকার ফুল, চাম্বার চুখ, রাজমা মদ্র, চাম্বা চপ্পল, চাম্বা থাল এবং পাঙ্গি কি থাঙ্গি-কে সকলের সামনে তুলে ধরতে স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি কাজ করে চলেছে। এজন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যুক্ত মহিলা কর্মীদের প্রচেষ্টার বিশেষ প্রশংসা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডবল ইঞ্জিন সরকার হল এমন একটি সরকার যা স্থানীয় ও আঞ্চলিক সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ধর্ম বিশ্বাসকে সম্মান জানায়। চাম্বা সহ সমগ্র হিমাচল প্রদেশই হল ঐতিহ্য ও ধর্ম বিশ্বাসের এক বিশেষ অঞ্চল। এই রাজ্যে ঐতিহ্য-পর্যটন প্রসঙ্গের অবতারণা করে শ্রী মোদী বলেন, কুলু-তে দশেরা উৎসব তিনি এক সময় পরিদর্শন করেছেন। এর মধ্য দিয়ে মেলবন্ধন ঘটেছে ঐতিহ্য ও পর্যটনের। ডালহৌসি ও খাজিয়ারের মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলি আধ্যাত্মিকতা ও পর্যটক আকর্ষণের দিক থেকে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে রয়েছে। হিমাচল প্রদেশের এই শক্তিকে স্বীকৃতি দিয়েছে বর্তমান ডবল ইঞ্জিন সরকারই। হিমাচল এখন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এক নতুন ঐতিহ্যের জন্ম দিতে। পরিশেষে, হিমাচল প্রদেশের অধিবাসীদের স্বপ্ন ও সঙ্কল্পকে সফল করে তুলতে তিনি যে কোনো সময়ই পিছপা হবেন না, একথা দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী জয়রাম ঠাকুর, রাজ্যপাল শ্রী রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আর্লেকর, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী শ্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর, সাংসদ শ্রী কিষাণ কাপুর ও শ্রীমতী ইন্দু গোস্বামী এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি শ্রী সুরেশ কাশ্যপ।",হিমাচল প্ৰদেশৰ চাম্বাত দুটা জলবিদ্যুৎ প্ৰকল্পৰ আধাৰশিলা স্থাপন কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%A4/,"নয়াদিল্লি, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ নমস্কার! আজকের ওয়েবিনারের থিম – ‘আত্মনির্ভরতা ইন ডিফেন্স – কল টু অ্যাকশন’ দেশের ইচ্ছাশক্তিকে স্পষ্ট করছে। বিগত কয়েক বছর ধরে ভারত তার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যে আত্মনির্ভরতার ওপর জোর দিচ্ছে তার দায়বদ্ধতা আপনারা এ বছরের বাজেটেও দেখতে পাবেন। বন্ধুগণ, পরাধীন ভারতে দাসত্বের কালখণ্ডে যেমন, তেমনই স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেও আমাদের ডিফেন্স ম্যানুফ্যাকচারিং বা প্রতিরক্ষা উৎপাদনের শক্তি অনেক বেশি ছিল। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে ভারতে নির্মিত অস্ত্রশস্ত্র বড় ভূমিকা পালন করত, কিন্তু পরবর্তী বছরগুলিতে আমাদের এই শক্তি ক্রমে দুর্বল হয়েছে। এটা থেকে স্পষ্ট হয় যে ভারতের ক্ষমতা কখনও কম ছিল না, আর এখনও কম নেই। বন্ধুগণ, প্রতিরক্ষার যে মূল সিদ্ধান্ত সেটি হল – আপনার কাছে নিজস্ব কাস্টমাইজড এবং ইউনিক সিস্টেম থাকতে হবে। তবেই সেটা আপনার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। যদি ১০টি দেশের কাছে একই ধরনের প্রতিরক্ষা উপকরণ থাকে, তাহলে আপনার সেনাবাহিনীর হাতে কোনও ইউনিকনেস বা বিশি ষ্টতা থাকবে না। এই বিশিষ্টতা এবং সারপ্রাইজ এলিমেন্ট বা চমকের উপাদান তখনই আপনার হাতে থাকতে পারে যখন এর সমস্ত উপকরণ ও সাজসরঞ্জাম আপনার নিজের দেশেই বিকশিত হবে। বন্ধুগণ, এ বছরের বাজেটে দেশের মধ্যেই গবেষণা, নকশা তৈরি করা এবং সমরাস্ত্র ও সাজসরঞ্জাম উন্নয়ন থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত একটি ভাইব্র্যান্ট ইকো-সিস্টেম বিকশিত করার ব্লু-প্রিন্ট পেশ করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা বাজেটে প্রায় ৭০ শতাংশ শুধুই দেশীয় শিল্পোদ্যোগের জন্য রাখা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এখনও পর্যন্ত ২০০-রও বেশি ডিফেন্স প্ল্যাটফর্ম এবং সাজসরঞ্জামের পজিটিভ ইন্ডিজিনেশন তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকা ঘোষণার পর ডোমেস্টিক প্রোকিওরমেন্টের জন্য প্রায় ৫৪ হাজার কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। তাছাড়া, ৪ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সরঞ্জামের ক্রয় প্রক্রিয়াও ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। অতি দ্রুত তৃতীয় তালিকাও প্রকাশিত হতে চলেছে। এটা স্পষ্ট করে যে আমাদের দেশেই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকে কিভাবে সমর্থন করা হচ্ছে। বন্ধুগণ, যখন আমরা বাইরে থেকে অস্ত্রশস্ত্র কিনে আনি, তখন তার প্রক্রিয়া এত দীর্ঘ হয় যে, যখন সেগুলি আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীগুলির হাতে এসে পৌঁছয়, ততদিনে এর মধ্যে অনেকগুলিই কালবাহ্য হয়ে পড়ে। এর সমাধানও ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’ আর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অভিযানের মধ্যেই রয়েছে। আমি দেশের সেনাবাহিনীকেও প্রশংসা করব, কারণ তাঁরাও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের আত্মনির্ভরতার গুরুত্ব বুঝে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আজ আমাদের সেনাবাহিনীগুলির কাছে ভারতে নির্মিত সাজসরঞ্জাম থাকলে তাদের আত্মবিশ্বাস, তাদের গর্ব নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। এক্ষেত্রে আমাদের সীমান্তে মোতায়েন সৈনিকদের মনোভাবকেও বোঝা উচিৎ। আমার মনে আছে, যখন আমি ক্ষমতার কোনও অলিন্দে ছিলাম না, আমি যখন শুধুই দলের কাজ করতাম, যখন পাঞ্জাব আমার কর্মক্ষেত্র ছিল, তখন একবার ওয়াঘা সীমান্তে সৈনিকদের সঙ্গে গল্প করার সৌভাগ্য হয়েছিল। তখন যে জওয়ানরা সেখানে মোতায়েন ছিলেন, তাঁরা আলোচনার সময় আমার সামনে একটি কথা বলে ফেলেছিলেন, আর সেই কথা আমার হৃদয় স্পর্শ করেছিল। তাঁরা বলেছিলেন যে ওয়াঘা বর্ডারে ভারতের যে গেট রয়েছে, সেটি আমাদের শত্রু দেশের গেট থেকে আকারে সামান্য ছোট। আমাদের গেটটা আকারে তাদের থেকে বড় হওয়া উচিৎ, আর আমাদের জাতীয় পতাকার দণ্ডটিও যেন তাদের থেকে লম্বা হয়। এরকমই আমাদের জওয়ানদের মনের ভাবনা। আমাদের দেশের সৈনিকরা এই ভাবনা নিয়েই সীমান্তে তটস্থ থাকেন। ভারতে নির্মিত যুদ্ধ সরঞ্জাম নিয়ে তাঁদের মনে একটি ভিন্ন আত্মাভিমান থাকে। সেজন্য আমাদের যত প্রতিরক্ষা উপকরণ রয়েছে, সেগুলির জন্য আমাদের নিজেদের সৈনিকদের ভাবনাকে সম্মান জানানো উচিৎ। এটা আমরা তখনই করতে পারব যখন আমরা আত্মনির্ভর হব। বন্ধুগণ, আগেকার আমলে যুদ্ধ ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে হত। আজ ভিন্ন পদ্ধতিতে হয়। আগে যুদ্ধের সাজসরঞ্জামে পরিবর্তন আসতে অনেক দশক লেগে যেত। কিন্তু আজ যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র ও সাজসরঞ্জাম প্রায় প্রতিদিন পরিবর্তিত হচ্ছে। আজকে যে অস্ত্র অত্যন্ত কার্যকরি, সেই অস্ত্র কালবাহ্য হতে সময় লাগে না। যত আধুনিক প্রযুক্তি-ভিত্তিক অস্ত্রশস্ত্র আসছে সেগুলি তো আরও দ্রুত কালবাহ্য হয়ে পড়ে। ভারতের য�� তথ্যপ্রযুক্তির শক্তি রয়েছে সেটা আমাদের অত্যন্ত বড় সামর্থ্য। এই শক্তিকে আমরা যত বেশি নিজেদের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রয়োগ করব, ততটাই আমরা নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সুরক্ষিত ও আশ্বস্ত থাকব। যেমন, এখন সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে যদি কথা বলি, তাহলে এটা বলা যেতে পারে যে, এখন এই সাইবার নিরাপত্তাও যুদ্ধের একটা হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। তা নিছকই কোনও ডিজিটাল অ্যাক্টিভিটির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এটি এখন দেশের নিরাপত্তার বিষয় হয়ে উঠেছে।২ বন্ধুগণ, এটা আপনারাও খুব ভালোভাবে জানেন যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সব সময়েই কী ধরনের প্রতিযোগিতা থাকে। আগেকার দিনে বিদেশি কোম্পানিগুলি থেকে যত সাজসরঞ্জাম ও অস্ত্রশস্ত্র কেনা হত, সেগুলি নিয়ে প্রায়ই নানা ধরনের আরোপ-প্রত্যারোপ চলত। আমি আজ সেসব বিষয়ের গভীরে যেতে চাই না। কিন্তু একথা সত্যি যে প্রত্যেক ক্রয়ের সময় বিবাদ সৃষ্টি হত, ভিন্ন ভিন্ন উৎপাদনকারীর মধ্যেও যে প্রতিযোগিতা থাকে, তার কারণে অপর পক্ষের পণ্যকে ছোট করে দেখানো বা তার খুঁত বের করার অভিযান একটা চিরকালীন ব্যাপার। আর সেজন্য নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব তৈরি হয়, নানা আশঙ্কাও সৃষ্টি হয় আর এভাবেই দুর্নীতির দরজাও খুলে যায়। কোন সাজসরঞ্জাম বা অস্ত্রশস্ত্র ভালো, আর কোনটা খারাপ, কোনটা আমাদের জন্য বেশি কার্যকর হবে, কোনটা ভালো হলেও আমাদের জন্য কার্যকর হবে না, তা নিয়েও অনেক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। অনেক বিতর্ক পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়। কর্পোরেট জগতও এই লড়াইয়ের অংশীদার হয়ে ওঠে। ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’-এর মাধ্যমে আমরা এরকম অনেক সমস্যার সমাধান খুঁজে পাচ্ছি। বন্ধুগণ, যখন সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে, সঙ্কল্প নিয়ে আমরা এগিয়ে যাই, তখন কেমন পরিণাম আসে তার একটি উন্নত উদাহরণ আমাদের অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলি। একটু আগেই আমাদের প্রতিরক্ষা সচিব এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। গত বছরের আগে আমরা সাতটি নতুন ডিফেন্স পাবলিক আন্ডারটেকিংস গঠন করেছিলাম। আজ সেগুলি দ্রুতগতিতে বিজনেসের সম্প্রসারণ করছে আর নতুন নতুন বাজারে পৌঁছে যাচ্ছে। রপ্তানির অর্ডারগুলিও নিচ্ছে। এটাও অত্যন্ত সুখের বিষয় যে বিগত ৫-৬ বছরে প্রতিরক্ষা রপ্তানি ক্ষেত্রে আমরা ছয়গুণ বৃদ্ধির সাফল্য পেয়েছি। আজ আমরা ৭৫টিরও বেশি দেশকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া ডিফেন্স ইকুইপমেন্টস’ এবং পরিষেবা প্রদান করছি। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কে আমাদের সরকা�� যেভাবে উৎসাহ যোগাচ্ছে তার পরিণামস্বরূপ বিগত সাত বছরে প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষেত্রে ৩৫০টিরও বেশি কোম্পানিকে নতুন শিল্পোদ্যোগ লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। যেখানে ২০০১ থেকে ২০১৪-র মধ্যে মাত্র ২০০টি এমন কোম্পানিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। বন্ধুগণ, বেসরকারি ক্ষেত্রও ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) এবং ডিফেন্স পাবলি সেক্টর ইউনিটস-এর সমকক্ষ হয়ে উঠুক, সেজন্য ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বাজেটের ২৫ শতাংশ শিল্পোদ্যোগ, স্টার্ট-আপস এবং অ্যাকাডেমিয়ার জন্য রাখা হয়েছে। বাজেটে ‘স্পেশাল পারপাস ভেহিকেল মডেল’-এর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা বেসরকারি শিল্পোদ্যোগের ভূমিকাও নিছকই একটি ভেন্ডার কিংবা সরবরাহকারী হিসেবে থেমে থাকবে না, এটি একটি অংশীদার রূপেও তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করবে। আমরা মহাকাশ ক্ষেত্র এবং ড্রোন ক্ষেত্রেও বেসরকারি অংশগ্রহণ ও অংশীদারিত্বের নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছি। উত্তরপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর ডিফেন্স করিডরগুলিতে ও পিএম গতি শক্তি ন্যাশনাল প্ল্যানের সঙ্গে এগুলিকে যুক্ত করেছি। এভাবে তৈরি নতুন ব্যবস্থা দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে প্রয়োজনীয় শক্তি যোগাবে। বন্ধুগণ, ‘ট্রায়াল, টেস্টিং অ্যান্ড সার্টিফিকেশন’-এর ব্যবস্থা স্বচ্ছ, সময় নির্ধারিত, প্র্যাগমেটিক এবং নিরপেক্ষ করে তোলা একটি স্পন্দিত প্রতিরক্ষা শিল্পোদ্যোগ বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এর জন্য একটি স্বতন্ত্র ব্যবস্থা গড়ে তুলে এই ধরনের সমস্যাগুলিকে দূর করার ক্ষেত্রে উপযোগী প্রমাণিত হতে পারে। এর ফলে দেশে প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের কাজও মাত্রা পাবে। বন্ধুগণ, আপনাদের সবার কাছ থেকে দেশের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই আলোচনার ফলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার নতুন নতুন পথ খুলে যাবে। আমি চাই যে আজ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছ থেকে আমরা শুনব, আপনাদের সামনে আমি দীর্ঘ ভাষণ দিতে চাই না। আজকের এই দিনটি আপনাদের দিন। আপনারা ব্যবহারিক বিষয়গুলিকে তুলে ধরুন, সমস্যা ও সমাধান নিয়ে নিজেদের বক্তব্য রাখুন। এখন বাজেট নির্ধারিত হয়ে গেছে। ১ এপ্রিল থেকে নতুন বাজেট কার্যকরী হবে। আমাদের হাতে প্রস্তুতির জন্য একটি গোটা মাস রয়েছে। আমাদের এত দ্রুত কাজ করতে হবে যে ১ এপ্রিল থেকেই যাতে সমস্ত প্রক্রিয়া কার্যকর হতে শুরু করে। এই যে এক্সারসাইজ, এটাই আমরা চাইছিলাম। আমরা বাজেটকেও এক মাস আগে পেশ করার পদ্ধতি গড়ে তুলেছি। এর পেছনেও আমাদের উদ্দেশ্য এটাই যে আমরা প্রকৃত বাজেট বাস্তবায়নের আগে, কার্যকর করার আগে, সমস্ত সরকারি বিভাগগুলিকে এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে প্রস্তুতি নেওয়ার সম্পূর্ণ সুযোগ দেব যাতে আমাদের সময় নষ্ট না হয়। আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ জানাই, এটা দেশভক্তির কাজ, এটা দেশ সেবার কাজ। আসুন আমরা কবে লাভ হবে, কত লাভ হবে তা নিয়ে পরে চিন্তা করি। আগে আমরা দেশকে কিভাবে শক্তিশালী করে তুলব তা নিয়ে ভাবি। আমি আপনাদেরকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আর আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ আমাদের সশস্ত্র সেনাবাহিনীগুলি, আমাদের সেনার সমস্ত শাখা অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে এই কাজে সমস্ত উদ্যোগ নিচ্ছে এবং উৎসাহ যোগাচ্ছে। এখন এই সুযোগ আমাদের বেসরকারি কোম্পানিগুলি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যেন না হারান। আমি আরও একবার আপনাদের আমন্ত্রণ জানাই। আমি আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই! ধন্যবাদ! /",বাজেটৰ পিছত ‘প্ৰতিৰক্ষাত আত্মনিৰ্ভৰ ভাৰত- কাৰ্যাৱলী প্ৰণয়ন’ শীৰ্ষক ৱেবিনাৰত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A7%81%E0%A6%A5%E0%A6%95%E0%A6%A8-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%8F-%E0%A6%AA/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A7%B1-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF/,"নয়াদিল্লি, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লির তালকোটরা স্টেডিয়ামে ক্রিডাই ইয়ুথকন – ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে ভাষণ দেন। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সাল নাগাদ প্রত্যেক গৃহহীন ব্যক্তিকে নিজস্ব গৃহ প্রদানের লক্ষ্যে সরকার দ্রুতগতিতে কাজ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে দেড় কোটি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ লক্ষ বাড়ি শহরাঞ্চলের গরিবদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্তমান সরকারের আওতায় গৃহ নির্মাণ থেকে গৃহ প্রদান সমগ্র প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়েছে। সদিচ্ছা নিয়ে যখন একটি সরকার নীতি প্রণয়ন করে, তখন স্বাভাবিকভাবেই দুর্নীতি দূর করা সম্ভব হয় এবং এর ভালো পরিণামও পাওয়া যায়। শ্রী মোদী বলেন, রিয়েল এস্টেট নিয়ামক কর্তৃপক্ষ বা রেরা গ্রাহক ও রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের মধ্যে আস্থার বন্ধনকে আরও মজবুত করেছে। এখনও পর্যন্ত ২৮টি রাজ্যে রেরা কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কর্তৃপক্ষের আওতায় ৩৫ হাজারেরও বেশি রিয়েল এস্টেট প্রোজেক্ট এবং ২৭ হাজার রিয়েল এস্টেট এজেন্ট নথিভুক্ত হয়েছেন। এছাড়াও, এই কর্তৃপক্ষের নিয়মনীতি মেনে লক্ষ লক্ষ আবাসন নির্মাণ হচ্ছে। বিগত চার বছরে সহজে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে লক্ষণীয় অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ভারতে সহজে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল বাতাবরণ গড়ে তোলা সুনিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ প্রসঙ্গে শ্রী মোদী আবাসন নির্মাণ সংক্রান্ত অনুমোদন সহ বিভিন্ন সরকারি ছাড়পত্র আগের তুলনায় এখন অনেক দ্রুত মঞ্জুর করা হচ্ছে বলেও জানান। আবাসন শিল্প তথা গৃহ-ক্রেতাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানে কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত কর ক্ষেত্রে সংস্কারের কথাও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। আবাসন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সামগ্রীর ক্ষেত্রে জিএসটি’র হার কমানো হয়েছে। সদ্য অন্তর্বর্তী বাজেটে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য আয়ের ক্ষেত্রে করের একাধিক সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষিত উদ্যোগগুলি কার্যকর হলে আবাসন ক্ষেত্র ও গৃহ-ক্রেতারা উপকৃত হবেন বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। সাধারণ মানুষের জন্য নিজস্ব বাড়ির স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী ক্রিডাই-এর অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ক্রিডাই ইয়ুথকন সম্মেলন এমন এক সময়ে আয়োজিত হচ্ছে, যখন ‘নতুন ভারত’ গড়ে উঠতে চলেছে। এই নতুন ভারত গঠনের দেশের যুবসম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলেও শ্রী মোদী অভিমত প্রকাশ করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী তালকোটরা স্টেডিয়ামে ক্রিডাই আয়োজিত এক প্রদর্শনীও ঘুরে দেখেন।",ক্ৰেডাই যুৱ সন্মিলন ২০১৯ ত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সম্বোধন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A7%A8%E0%A7%AC-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A1%E0%A7%87-%E0%A6%A1%E0%A6%83/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A7%A8%E0%A7%AC-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A1%E0%A7%B0-%E0%A6%85%E0%A6%A8/,"আমার মন্ত্রী পরিষদের সহযোগী শ্রী থাবরচন্দ্রজি গেহলট, শ্রী রামবিলাস পাসওয়ানজি, এই অঞ্চলের সাংসদ এবং আমার মন্ত্রী পরিষদের সঙ্গী ডঃ হর্ষবর্ধনজি, শ্রী রামদাস আঠওলেজি, শ্রী বিজয় সাঁপলাজি, এখানে উপস্থিত অন্য সমস্ত মাননীয় ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, সবার আগে আমি ১২৫ কোটি দেশবা���ীকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই এজন্যে যে, তাঁরা আজ ডঃ আম্বেদকর ন্যাশনাল মেমোরিয়াল রূপে একটি অমূল্য উপহার পেয়েছেন। আজ বাবাসাহেবের স্মৃতিতে নির্মিত এই জাতীয় স্মারকটি দেশের উদ্দেশে সমর্পন করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হচ্ছে। দেশে বৈশাখীর পরবও উদযাপন করা হচ্ছে। বৈশাখী আমাদের অন্নদাতা কৃষকদের পুজো করার দিন। আমি দেশবাসীকে বৈশাখীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আজ জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যাকাণ্ড দিবসও। আজ থেকে ৯৯ বছর আগে নিরস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উপর ব্রিটিশ সরকারের নির্বিচারে গুলীবর্ষণের সেই ঘটনা মানবসভ্যতার ইতিহাসে সর্বাধিক হৃদয়বিদারক ঘটনাগুলির অন্যতম। জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যাকাণ্ড-এ শহিদ প্রত্যেক স্বাধীনতা সংগ্রামীকে আমি প্রণাম জানাই। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার পর এত সরকার এসেছে, কত সময় পেরিয়ে গেছে, কিন্তু যে কাজ অনেক আগে হওয়া উচিত ছিল, সেই কাজ অনেক দশক পর আজ হচ্ছে। আর সেজন্যে এখানে আসা, এই কর্মকাণ্ডে সামিল হওয়া, সেই স্থানে এসে দাঁড়ানো যেখানে বাবাসাহেব জীবনের শেষ সময়টা কাটিয়েছেন, এটা আমার জন্য অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী মুহূর্ত। বাবাসাহেবের নামে তাঁর স্মৃতিতে নির্মিত এই জাতীয় স্মৃতিসৌধ, দেশবাসীর পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি একটি আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি। আগামীকাল বাবাসাহেবের জন্মজয়ন্তী। তার একদিন আগে এখানে এই সমারোহের আয়োজন। বাবাসাহেবের প্রতি আমাদের সবার অটুট শ্রদ্ধা প্রদর্শন, সরকারের দায়বদ্ধতাকে প্রকাশ করছে। এই পবিত্র কর্মসম্পাদনের জন্য আমি ন্যায় ও অধিকার মন্ত্রক এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের এই উদ্যোগকে অন্তর থেকে অনেক অনেক সাধুবাদ জানাই। এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করতে থাকা প্রত্যেক শ্রমিককে আমার প্রণাম। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ আজ এখানে উপস্থিত নেই। তাঁরা হয়তো এখন দূরে কোথাও অন্য কাজে লেগে পড়েছেন, কিন্তু আমি তাঁদেরকেও কোটি কোটি প্রণাম জানাই। ভাই ও বোনেরা, আজ থেকে এই স্মারক দিল্লির পর্যটন মানচিত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন রূপে পরিগণিত হবে। এখানে এসে মানুষ বাবাসাহেবের জীবনের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বিষয়, তাঁর ভাবধারা সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। এই স্মারক একজন অসামান্য ব্যক্তির অসাধারণ জীবনের প্রতীক। এই স্মৃতিসৌধটি একটি বইয়ের আকৃতিতে গড়ে তোলা হয়েছে। এই বই হ’ল ভারতের সংবিধান – যেটি রচনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর, যা বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রকে রক্ষা করার পথ সুগম করেছে। যখন নতুন প্রজন্মের মানুষ এই স্মৃতিসৌধ দেখতে আসবেন, এখানে এসে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বাবাসাহেবের জীবন ও কর্মধারা নানা পর্যায় দেখে তাঁর জীবনের বিশালতাকে অনুভব করতে পারবেন। বন্ধুগণ, আমার সরকারের সৌভাগ্য বাবাসাহেবের জীবনের সঙ্গে যুক্ত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেগুলিকে আমি সর্বদা পঞ্চতীর্থ রূপে শ্রদ্ধা সহ স্মরণ করি। সেগুলিকে ইতিমধ্যেই একেকটি পর্যটন কেন্দ্র রূপে বিকশিত করার সুযোগ পেয়েছি। শ্রী গেহলটজি এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছেন। মধ্যপ্রদেশে বাবাসাহেবের জন্মভূমি, লণ্ডনে তাঁর শিক্ষাভূমি, নাগপুরে দীক্ষাভূমি আর মুম্বাইয়ে চৈত্যভূমি (চিন্তন ভূমি) আর দিল্লিতে মহানির্বাণভূমি। এই পুণ্যতীর্থ তাই নিছকই একটি ইঁট-সিমেন্ট দিয়ে নির্মিত সৌধ নয়, এটি একটি জীবন্ত প্রতিষ্ঠান, আচার-বিচারে বড় প্রতিষ্ঠান। বন্ধুগণ, এই সুরম্য ভবনটি আমাদের সরকারের কর্ম-সংস্কৃতির প্রতীকও। যখন অটল বিহারী বাজপেয়ীজির সরকার ছিল – কত বছর হয়ে গেছে ভাবুন! তখনই এই সৌধ নির্মাণের প্রস্তাব আসে, মঞ্জুর হয়, সরকারি প্রক্রিয়া এগিয়ে চলে। কিন্তু পরবর্তী সরকারের সময় থেকেই এই প্রক্রিয়া ফাইলচাপা পড়ে। ২০১৪ সালে দেশবাসী আমাকে সরকারের নেতৃত্বপ্রদানের দায়িত্ব অর্পন করার পর আমরা এই ফাইল খুঁজে বের করে, দ্রুতগতিতে কাজ শুরু করি। ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ এই স্মৃতিসৌধের শিলান্যাসের সময়ই আমি ঘোষণা করেছিলাস্ম যে, ২০১৮ সালে বাবাসাহেবের জন্মজয়ন্তীর আগেই আমি এটি উদ্বোধন করতে চাই! আমি অত্যন্ত বিনম্রভাবে বলতে চাই যে, আমরা এমন একটি কর্মসংস্কৃতি গড়ে তোলার চেষ্টা করছি, আমরা যে যে কাজের শিলান্যাস করব, তার উদ্বোধনও আমরাই করব। সময়ানুবর্তিতা, নিজের সঙ্গীদের ওপর, টিমের ওপর আস্থা এবং সরকারের ইচ্ছাশক্তি, কেমন পরিবর্তন আনতে পারে, তা আজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এই সুরম্য স্মৃতিসৌধ উদ্বোধনের মাধ্যমেই প্রতিভাত হয়েছে। বন্ধুগণ, গণতন্ত্রে জবাবদিহিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু জনগণকে নয়, নিজেকেও জবাব দিতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে অধিকাংশ সরকারই এক্ষেত্রে উন্নাসিক। বর্তমান সরকার এই ব্যবস্থাকে বদলে দিয়েছে। আপনারা হয়তো দিল্লির ১৫ জনপথ এলাকায় নির্মিত আম্বেদকর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার দেখতে গিয়েছেন। ১৯৯২ ���ালে এটি নির্মাণের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু তারপর ২২ বছর সেটি ফাইলচাপা ছিল। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৫ সালে শিলান্যাস করি। গত ডিসেম্বর মাসে সেটির উদ্বোধনও করি। এখন সেই ‘স্টেট অফ দ্য আর্ট’ ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারটি দিল্লির অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং গর্বের পর্যটনস্থল। ভাই ও বোনেরা, তৃণমূল স্তরে গিয়ে ব্যবস্থার ত্রুটিগুলিকে শুধরে নিয়ে কাজ করতে পারলেই এমনই ব্যবস্থার কায়াকল্প সম্ভব। এই দিন তিনেক আগেই আমি চম্পারণে ছিলাম, সেখান থেকে আমি মাধেপুরায় ইলেক্ট্রিক লোকোমোটিভ কারখানার ফেজ-১’রও উদ্বোধন করেছি। এই প্রকল্পের গল্পটিও একই রকম মঞ্জুর হয়েছে ২০০৭ সালে। কিন্তু কাজ শুরু হয়েছে আমরা ২০১৫-তে। এই ৭ বছর ধরে আগের সরকার প্রকল্পটিকে ফাইলচাপা রেখেছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই যে থামিয়ে রাখা, বিভ্রান্ত করা, ঝুলিয়ে রাখার কর্মসংস্কৃতি গড়ে উঠবে – এটা বাবাসাহেব কখনও কল্পনাই করতে পারেননি। তিনি কখনও ভাবেননি যে স্বাধীন ভারতে সরকারি প্রকল্পগুলি ৩০-৪০ বছরেও সম্পূর্ণ হবে না। এভাবে প্রকল্পগুলিকে অসম্পূর্ণ রেখে দেওয়া দেশের প্রতি একটি বড় অপরাধ। বন্ধুগণ, বিগত চার বছরে আমরা খুঁজে খুঁজে এরকম বছরের পর বছর ধরে লালফিতের ফাঁসে পড়ে থাকা প্রকল্পগুলিকে বের করে এনে কাজ চালু করেছি। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের তদারকিতে, নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে সাড়ে নয় লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে সেসব অসম্পূর্ণ প্রকল্পের কাজ এখন দ্রূতগতিতে এগিয়ে চলেছে! বিগত চার বছর ধরে আয়োজিত নিয়মিত বৈঠকগুলি এই প্রগতিকে নতুন গতি দিয়েছে। বন্ধুগণ, অভাবের কথা বলে কাঁদবো না, আর প্রভাবে বিচলিত হব না! – এই মন্ত্র প্রত্যেকের জন্যে একটি শক্তিতে রূপান্তরিত হয়! বাবাসাহেব আম্বেদকর নিজের জীবন দিয়ে এই শক্তি সঞ্চার করে গেছেন। সেজন্যে বর্তমান সরকারকেও আপনারা কখনও কাঁদতে দেখবেন না! আমরা তো নিজেদের সম্পদ ও সামর্থে ভরসা করে প্রতিনিয়ত অগ্রগতির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাই। এই ভাবনাই আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ আর সেগুলি বাস্তবায়ণে নিজেদের সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে শিখিয়েছে। ভাই ও বোনেরা, আজ থেকে ঠিক এক মাস আগে দিল্লিতে যক্ষ্মা রোগ নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সারা পৃথিবীর প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। সেই বৈঠকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সকলে সিদ্ধান্ত নেয় যে, যক্ষ্মাকে ২০৩০ সালের মধ্যে জয় করতে হবে। সেই বৈঠকে ভারত ঘোষণা করেছে যে, ২০২৫ সালের মধ্যেই ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করা হবে। অর্থাৎ আমরা নিজেদের জন্য লক্ষ্য প্রাপ্তির সময়সীমা অন্যান্য দেশের তুলনায় ৫ বছর এগিয়ে এনেছি। এখন আপনারা ভাবুন, পূর্ববর্তী সরকারগুলি কর্মসম্পাদনের তারিখ কি করে পিছিয়ে দেওয়া যায়, তা নিয়ে মাথা ঘামাতো কিন্তু বর্তমান সরকার কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই তার সম্পাদনে তারিখ স্থির করে ফেলে – এটা কেমন কাজ! বর্তমান সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ সম্পূর্ণ করায় বিশ্বাস রাখে। আর এই কাজ কেমন? যক্ষ্মার বিরুদ্ধে লড়াই ধনীদের জন্য নয়, যক্ষ্মা তো গরিবদের বাড়িতেই বাসা করে থাকে। দলিত-বঞ্চিত-শোষিত মানুষকে এ ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়াই বাবাসাহেব আম্বেদকরের স্বপ্ন ছিল। আমরা সেই স্বপ্ন পূরণের কাজ করছি। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলগুলিতে গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের টিকাকরণ থেকে শুরু করে গ্রামগুলিকে গ্রামীণ সড়ক যোজনার মাধ্যমে সুগম করা সকল ক্ষেত্রেই সরকার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল, এখন তার সম্পাদনের সময়সীমা ২-৩ বছর করে এগিয়ে এনেছে। যে কাজ ২০২২ সালে করার কথা ভেবেছিলাম, এখন মনে হচ্ছে ২০২০-র মধ্যেই সেগুলি করে ফেলতে পারব। তা হলে ২০২৪ সালে যা যা করার কথা সেগুলি ২০২২-এর মধ্যে কেন করতে পারব না। বন্ধুগণ, বাবাসাহেবের বিচারধারার ভিত্তি হ’ল সাম্যের বিভিন্ন রূপ। সম্মানের সাম্য, আইনে সাম্য, অধিকারে সাম্য, মানবিক গরিমায় সাম্য, সুযোগে সাম্য। এমনই কত না বিষয়ে সাম্য স্থাপনের স্বার্থে বাবাসাহেব জীবনের নতুন ব্যাখ্যায় সেই বিষয়গুলি তুলে ধরতেন। তিনি প্রায়ই আশা প্রকাশ করতেন যে, ভারত সরকার কোনও রকম জাতি-ধর্ম-বর্ণ-বৈষম্যকে না মেনে সংবিধান দর্শিত পথে কাজ করে যাবে। আজ বর্তমান সরকারের প্রতিটি প্রকল্পে আপনারা সামাজিক ন্যায় এবং কোনও রকম বৈষম্যহীন সাম্যের অধিকার প্রতিষ্ঠা অনুভব করবেন। দশকের পর দশক কাল ধরে আমাদের দেশে যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে বর্তমান সরকার তা নানাভাবে নিরসনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। যেমন – জন ধন যোজনা, স্বাধীনতার এত বছর পর কোটি কোটি জনগণের নিজস্ব ব্যাঙ্কের খাতা না থাকা অনেক বড় সামাজিক অন্যায়। আমাদের সরকার এই অসাম্য দূর করেছে। জন ধন যোজনার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই দেশে ৩১ কোটিরও বেশি দরিদ্র মানুষ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। একই রকমভাবে দেশের কোটি কোটি বাড়িতে শৌচালয় না থাকা, সামাজিক অন্যা���েরই আরেকটি রূপ। ইতিমধ্যেই আমরা স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে দেশে প্রায় ৭ কোটি শৌচালয় নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২৫ লক্ষ শৌচালয় গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী আমার দলিত-পীড়িত-বঞ্চিত-শোষিত এবং আদিবাসীদের বাড়িতে তৈরি হয়েছে। বিগত চার বছরে দেশ অনুভব করেছে কিভাবে শৌচালয় নির্মাণের মাধ্যমে পারিবারিক সম্মান বৃদ্ধি হয়, সাম্য সুনিশ্চিত হয়! ভাই ও বোনেরা, আজকের এই আধুনিক সময়ে কারও বাড়িতে বিদ্যুৎসংযোগ না থাকাটা অনেক বড় সামাজিক অন্যায়! ২০১৪ সালে আমাদের দেশে ১৮হাজার এমন গ্রাম ছিল যেগুলিতে বিদ্যুতের খুঁটিও পৌঁছোয় নি। স্বাধীনতার এত বছর পরেও ১৮ হাজার গ্রাম অষ্টাদশ শতাব্দীর মতো জীবনযাপন করতে বাধ্য ছিলেন। আমি প্রধানমন্ত্রী হয়ে অনেক সাহস করে লালকেল্লার প্রাকার থেকে ঘোষণা করেছিলাম যে, আগামী ১০০০দিনের মধ্যে ঐ গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব। আমরা কাজে লেগে পড়ি, আর আজ শেষ যে তথ্য পেয়েছি, তা অনুসারে ২০০ থেকে ২২৫টি গ্রামে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছনোর কাজ বাকি আছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই আমরা প্রত্যেক বাড়িতেই বিদ্যুৎ পৌঁছনোর কাজ শুরু করে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে দেশের ৪ কোটি বাড়িতে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে আলো থাকলে গোটা সমাজ আলোকিত হবে। স্বরোজগারকে উৎসাহ প্রদানকারী মুদ্রা যোজনাও দশকের পর দশক কাল ধরে চলতে থাকা অন্যায়কে সমাপ্ত করার কাজ করছে। ইতিমধ্যেই মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ১২ কোটিরও বেশি ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ কোটি ১৬ লক্ষেরও বেশি দলিত প্রাপক কোনও রকম গ্যারান্টি ছাড়াই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেয়েছেন। আর তা দিয়ে তাঁরা আজ নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। বন্ধুগণ, বর্তমান বাজেটেও সরকার একটি বড় প্রকল্প ঘোষণা করেছে। সারা পৃথিবীতে এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই প্রকল্প সামাজিক ভারসাম্যহীনতা দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই প্রকল্পের নাম হ’ল ‘আয়ুষ্মান ভারত’। এর মাধ্যমে সরকার দেশের প্রায় ১০-১১ কোটি দরিদ্র পরিবার বা প্রায় ৪৫-৫০ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনবেন। ঐ পরিবারগুলির যে কোনও সদস্য অসুস্থ হলে তাঁদের বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচে চিকিৎসা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। আজ দেশের যে কোনও প্রান্তে গ্রামীণ মহিলারা যে প্রকল্প নিয়ে সবচেয়ে বেশি খুশি, তা হ’ল উজ্জ্বলা যোজনা। আগে যাঁদের রান্নাঘরে গ্যাস কানেকশন আছে, তাঁদের দিকে সবাই সম্মানের চোখে তাকাতেন। যাঁদের ঘরে ছিল না, তাঁরা নিঃসন্দেহে সামাজিক অন্যায়ের শিকার। উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে সরকার বিনামূল্যে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি মা ও বোনেদের রান্নার গ্যাস সংযোগ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই এর লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করে ৮ কোটি করে দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয়, বিগত কয়েক দশকে সমস্ত সরকারি প্রকল্পের তুলনায় সামাজিক ন্যায় স্থাপনের ক্ষেত্রে এটি সর্বাধিক জনপ্রিয় প্রকল্প হয়ে উঠেছে। বন্ধুগণ, আইনের মাধ্যমে সামাজিক ভারসাম্য রক্ষারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৫ সালে দলিতদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করার জন্য প্রচলিত আইনকে সরকার আরও শক্ত করেছে। দলিতদের ওপর অত্যাচারের তালিকাকে ২২টি ভিন্ন ভিন্ন অপরাধ থেকে বাড়িয়ে আমরা তাকে ৪৭ রকমের অপরাধের শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করেছি।",দিল্লীৰ ২৬ আলিপুৰ ৰোডৰ অনুষ্ঠিত ড. আম্বেদকাৰ ৰাষ্ট্ৰীয় স্মাৰক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ২৯ মার্চ, ২০২২ জয় হরিবোল! জয় হরিবোল! শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১১তম আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে সকল পূণ্যার্থী, সাধু, গোসাই, পাগল, দলপতি ও মতুয়া মায়েদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও নমস্কার! আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী এবং অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শ্রী শান্তনু ঠাকুরজি, শ্রী মঞ্জুল কৃষ্ণ ঠাকুরজি, শ্রীমতী ছবি রানি ঠাকুরজি, শ্রী সুব্রত ঠাকুরজি, শ্রী রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসজি, অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা! এটা আমার অত্যন্ত সৌভাগ্য যে গত বছর ওরাকান্দিতে স্বয়ং উপস্থিত হয়ে শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরজি এবং মহান মতুয়া পরম্পরাকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। আজ ঠাকুরবাড়ির মতো মহাতীর্থে আপনাদের মতো সমস্ত বন্ধুদের সঙ্গে প্রযুক্তির মাধ্যমে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। আপনাদের সকলকে প্রযুক্তির মাধ্যমে দেখার, আপনাদের দর্শনের সুযোগ পেয়েছি। যখন আমি সশরীরে ওরাকান্দি গিয়েছিলাম, তখন আপনাদের কাছ থেকে অনেক আন্তরিক ভালবাসা পেয়েছিলাম, অনেক আশীর্���াদ পেয়েছিলাম, আর ঠাকুরবাড়ি সর্বদাই আমাকে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছে, অনেক ভালোবাসা দিয়েছে। বন্ধুগণ, এই মতুয়া ধর্মীয় মহামেলা আমার জন্যে মতুয়া পরম্পরাকে প্রণাম জানানোর একটি বড় সুযোগ। এই মহামেলা সেই মূল্যবোধগুলির প্রতি আস্থা ব্যক্ত করার বড় সুযোগ, যেগুলির ভিত্তি শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরজি স্থাপন করে গিয়েছিলেন। একে গুরুচাঁদ ঠাকুরজি এবং বড় মা আরও মজবুত করে তুলেছেন, আর আজ শান্তনুজির সহযোগিতায় এই পরম্পরা এই সময় ক্রমে আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে। ঐক্যবদ্ধতা, ভারতীয়ত্ব, নিজের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতি সমর্পণ ভাব নিয়ে আধুনিকতাকে আপন করে নেওয়া – এই শিক্ষা আমরা মহান মতুয়া পরম্পরা থেকে পেয়েছি। আজ যখন আমরা স্বার্থের জন্য খুন-জখম হতে দেখি, যখন সমাজকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেওয়ার চেষ্টা হয়, যখন ভাষা এবং আঞ্চলিকতার ভিত্তিতে বৈষম্য আনার প্রবৃত্তি দেখা যায়, তখন শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরজির জীবন, তাঁর দর্শন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেজন্য এই মেলা, এই মহামেলা, ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর মূল্যবোধকেও শক্তিশালী করে তোলে। ভাই ও বোনেরা, আমরা প্রায়ই বলি যে আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের সভ্যতা অনেক মহান। আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতি এজন্যই মহান কারণ, এতে নিরন্তরতা রয়েছে, প্রবাহমানতা রয়েছে। এতে নিজেকে ক্ষমতায়িত করার একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি রয়েছে। এটি একটি নদীর মতো, যা নিজের পথ তৈরি করে যেতে থাকে, আর পথে যতই বাধা-বিপত্তি আসুক না কেন, সেই অনুসারে নিজেকে পরিবর্তিত করে নেয়। এই মহানতার কৃতিত্ব শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরজির মতো সমাজ সংস্কারকদের, যাঁরা সমাজ সংস্কারের প্রবাহকে কখনও থামতে দেননি। শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের বার্তাগুলিকে আমি যতটা বুঝি, যা ‘হরি লীলা অমৃত’ পাঠ করলে বোঝা যায়, যা প্রতিনিয়ত এই সমন্বয়ের কথা বলে । শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরজি আজ থেকে দুই শতাব্দী আগেই কতটা দূরদর্শীতার সঙ্গে এই পথনির্দেশ করে গেছেন! আজ আমরা পৃথিবীতে যে ‘জেন্ডার সিস্টেম’-এর কথা বলি, লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার কথা বলি, শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরজি অষ্টাদশ শতাব্দীতেই সেই লিঙ্গ বৈষম্য দূর করাকে নিজের জীবনের ‘মিশন’ করে তুলেছিলেন। লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণের জন্য তিনি অনেক ভেবেছেন, অনেক কথা বলেছেন। মেয়েদের শিক্ষা থেকে শুরু করে মেয়েদের নানা অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য উচ্চকন্ঠ হয়েছেন। মা, বোন ও মেয়েদের গরিমাকে সামাজিক ভাবনা-চিন্তার মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। সেই দুই শতাব্দী আগেই তিনি মহিলা আদালত এবং মেয়েদের জন্য বিদ্যালয় স্থাপনের মতো উদ্যোগ নিয়েছেন। এ থেকে স্পষ্ট হয় যে তাঁর চিন্তাভাবনা কেমন ছিল, তিনি কতটা দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ছিলেন, তাঁর ‘মিশন’ কী ছিল! ভাই ও বোনেরা, আজ যখন ভারত ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’-এর অভিযানকে সফল করে তুলছে, যখন নানা উদ্যোগের মাধ্যমে মা, বোন ও মেয়েদের পরিচ্ছন্নতা, সুস্বাস্থ্য এবং আত্মাভিমান বা অস্মিতাকে প্রতিনিয়ত সম্মান জানাচ্ছে, যখন স্কুল-কলেজে মেয়েরা নিজেদের সামর্থ্য প্রদর্শন করার অভিজ্ঞতা অর্জন করছে, যখন সমাজের প্রত্যেক ক্ষেত্রে আমাদের বোন ও মেয়েদের ছেলেদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ নির্মাণের কাজে অবদান রাখতে দেখা যাচ্ছে, তখন মনে হয় যে আমরা প্রকৃত অর্থে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরজির মতো মহান মহাপুরুষদের সম্মান জানাচ্ছি। যখন সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’-এর ভিত্তিতে সরকারি প্রকল্পগুলিকে প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে, যখন ‘সবকা প্রয়াস’ রাষ্ট্রের উন্নয়নের শক্তি হয়ে উঠছে, তখন আমরা সার্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ ও সংহত সমাজ নির্মাণের দিকে এগিয়ে চলেছি। বন্ধুগণ, ভারতের উন্নয়নে মতুয়া সমাজের অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার যথাসম্ভব চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে সমাজের সঙ্গে জুড়ে থাকা প্রত্যেক পরিবারের জীবন সহজ হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিটি জনকল্যাণমূলক প্রকল্প দ্রুতগতিতে যাতে মতুয়া পরিবারগুলির কাছেও পৌঁছয়, তা সুনিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারকে উৎসাহ যোগানো হচ্ছে। পাকা বাড়ি তৈরি, নলের মাধ্যমে জল, বিনামূল্যে রেশন, ৬০ বছর বয়সের পর পেনশন, লক্ষ লক্ষ টাকার বিমা – এ ধরনের প্রত্যেক প্রকল্পের আওতায় ১০০ শতাংশ মতুয়া পরিবারকে নিয়ে আসার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা জারি রয়েছে। বন্ধুগণ, শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরজি সমাজকে একটি বার্তা দিয়েছিলেন, যেটাকে আমরা স্বাধীনতার অমৃতকালে ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য প্রেরণার উৎস করে তুলেছি। তিনি ঈশ্বরীয় প্রেমের পাশাপাশি আমাদের মনে কর্তব্যবোধ জাগ্রত করতে চেয়েছিলেন। পরিবারের প্রতি কর্তব্য, সমাজের প্রতি নিজেদের দায়িত্বগুলিকে কিভাবে পালন করা হবে, তার ওপর তিনি বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। এই কর্তব্য সুসম্পন্ন করার ভাবনাকে আমরা জাতির বিকাশেরও ভিত্তি করে তুলতে চাই। আমাদের সংবিধান আমাদের অনেক অধিকার দিয়েছে। সেই অধিকারগুলিকে আমরা তখনই সুরক্ষিত রাখতে পারব, যখন আমরা নিজেদের কর্তব্যগুলিকে সততার সঙ্গে পালন করব। সেজন্য আজ আমি মতুয়া সমাজের সমস্ত বন্ধুদের কাছে কিছু অনুরোধ রাখতে চাই। আমাদের শাসন ব্যবস্থা থেকে দুর্নীতি হটানোর জন্য, আমাদের শাসন ব্যবস্থা থেকে দুর্নীতি মেটানোর জন্য, সমাজের প্রতিটি স্তরে আমাদের প্রত্যেকের সচেতনতাকে আরও বেশি করে বাড়াতে হবে। যদি কোথাও কোনও উৎপীড়নের ঘটনা ঘটে, তাহলে তার বিরুদ্ধে সেখানে প্রত্যেককেই আওয়াজ তুলতে হবে। এটি আমাদের সমাজের প্রতি কর্তব্য আর রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্যও। রাজনৈতিক গতিবিধিতে অংশ নেওয়া আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু রাজনৈতিক বিরোধের কারণে যদি কেউ কাউকে হিংসার মাধ্যমে থামিয়ে দেয়, ভয় দেখিয়ে, ধমকে, চমকে অন্য কাউকে থামিয়ে দেয়, তাহলে সেটি নিঃসন্দেহে অপরের অধিকার হনন। সেজন্য আমাদের কর্তব্য হল যে, হিংসা, অরাজকতার মানসিকতা যদি সমাজের কোনও স্তরে থাকে, তাহলে তার স্পষ্ট বিরোধিতা করতে হবে। স্বচ্ছতা ও সুস্বাস্থ্য থেকে শুরু করে নিজের কর্তব্যগুলির প্রতি আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। নোংরা আবর্জনাকে আমাদের বাড়ি ও গলি থেকে দূরে রাখতে হবে। এই অভ্যাসকে আমাদের শিষ্টাচারের অঙ্গ করে তুলতে হবে। ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মন্ত্রকেও আমাদের জীবনের অঙ্গ করে তুলতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের তথা ভারতের শ্রমিকদের, কৃষকদের, মজুরদের ঘাম যে পণ্যে মিশে রয়েছে, আপনারা অবশ্যই সেই পণ্যই কিনবেন, আর সবচাইতে বড় কর্তব্য হল, ‘দেশ সবার আগে’ – এই নীতি। দেশের থেকে বড় কিছু হতে পারে না। আমাদের প্রতিটি কাজে দেশকে সর্বোপরি রেখেই চলতে হবে। কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আমাদের এটা অবশ্যই ভাবতে হবে যে, এর মাধ্যমে দেশের মঙ্গল, দেশের কল্যাণ যেন অবশ্যই হয়। বন্ধুগণ, মতুয়া সমাজ নিজের কর্তব্যগুলির প্রতি সর্বদা সচেতন ছিল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই যে, স্বাধীনতার অমৃতকালে একটি নতুন ভারতের নির্মাণে আপনাদের সহযোগিতা এভাবেই পেতে থাকব। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা। অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",পশ্চিমবংগৰ শ্ৰীধাম ঠাকুৰনগৰত মাতুৱা ধৰ্ম মহা মেলাৰ সময়ত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A1%E0%A6%83-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%A1%E0%A6%83-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ২৩ জুন, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখার্জীর প্রয়াণ বার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখার্জীর প্রয়াণ বার্ষিকীতে আমি তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। ভারতের একতা ও অখন্ডতা বজায় রাখার জন্য তাঁর প্রদর্শিত পথ অদ্বিতীয়। এই লক্ষ্যে তিনি যে কাজ করেছেন, তার জন্য ভারতবাসী তাঁর কাছে চিরঋণী। দেশের উন্নয়নের জন্য নিরলস কাজ করেছেন তিনি। এক শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখ্যার্জী। আমরা তাঁরই স্বপ্ন পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”।",পুণ্য তিথিত ডঃ শ্যামা প্ৰসাদ মুখাৰ্জীক স্মৰণ প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%B0%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80/,"নয়াদিল্লি, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ, শুক্রবার নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী শ্রী জোনাস গাহর স্টোর-এর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। উন্নয়নশীল দেশগুলির পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে আর্থিক সহায়তার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ সহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেছেন। উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য সঠিক সময়ে যথেষ্ট পরিমাণে জলবায়ু পরিবর্তন আটকাতে প্রয়োজনীয় তহবিলের যোগানের ওপর প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, শ্রী স্টোর-এর অঙ্গীকার এক্ষেত্রে প্রশংসার যোগ্য। উভয় নেতা মহাসাগরীয় অর্থনীতি (ব্লু ইকনমি)-র জন্য টাস্ক ফোর্স গঠন সহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন সহযোগিতামূলক উদ্যোগের পর্যালোচনা করেছেন। পরিবেশ-বান্ধব হাইড্রোজেন জ্বালানি, জাহাজ চলাচল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং শিক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত ও নরওয়ের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।",নৰৱেৰ প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী জোনাছ গহৰ ষ্টোৰৰ সৈতে প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদীৰ টেলিফোনিক বাৰ্তালা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF/,"মাননীয় রাষ্ট্রপতি, আমার প্রিয় বন্ধু মির্জিওয়েব, উজবেকিস্তান থেকে আগত সম্মানিত অতিথিবৃন্দ এবং বন্ধুগণ, ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ, নমস্কার। রাষ্ট্রপতি মহোদয়, এটি আপনার সরকারিভাবে প্রথম ভারত সফর। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আপনি নিজের পরিবারের সদস্য এবং উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। আপনার পরিবারের সদস্যদের এবং এই প্রতিনিধিদলের সদস্যদের স্বাগত জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। উজবেকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সাক্ষী আমাদের পারস্পরিক ইতিহাস এবং সংস্কৃতি। ‘মেহমান’, ‘দোস্ত’ এবং ‘আজিজ’ – এর মতো অসংখ্য শব্দ উভয় দেশে একই অর্থ বহন করে সমানভাবে প্রযোজ্য। এটা শুধু ভাষার মিল নয়, হৃদয় ও ভাবনার মিল। আমি গর্বিত ও আনন্দিত যে আমাদের উভয় দেশের সম্পর্কের বুনিয়াদ এতো শক্তিশালী ভিতের ওপর গড়ে উঠেছে। রাষ্ট্রপতি মহোদয়, আপনার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল ২০১৫ সালে, যখন আমি উজবেকিস্তান সফরে গিয়েছিলাম। আপনার ভারতের প্রতি সদ্ভাবনা এবং বন্ধুত্ব ভাবনা দেখে আমার মনে আপনার ব্যক্তিত্ব প্রভাব ফেলেছিল। এটি আমাদের চতুর্থ সাক্ষাৎ। কিন্তু আমার মনে আপনি ইতিমধ্যেই একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর স্থান দখল করেছেন। আপনি আমার ‘আজিজ দোস্ত’! আপনার সঙ্গে আসা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধিদলকে কাছে পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আপনার আদেশ এবং প্রদর্শিত পথে বিগত দিনে ভারতে তাঁদের অনেকের সঙ্গে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের গুরুত্বপূর্ণ দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে। আজ আমাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এবং সার্থক আলোচনা হয়েছে। ভারত ও উজবেকিস্তানের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আরও নিবিড় করে তুলতে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আমরা কিছু সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নিয়েছি। আঞ্চলিক গুরুত্ব বিষয়ক আলোচনা, যেখানে আমাদের নিরাপত্তা, শান্তি, সমৃদ্ধি এবং পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে সার্থক আলোচনা হয়েছে। এই বিষয়গুলিকে আমরা সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্থাপন করে আমাদের সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজকের এই সাক্ষাতে আমরা এ বিষয়ে সম্পূর্ণ সহমত হয়েছি যে, উভয় দেশের মধ্যে প্রাচীন ও প্রগাঢ় সম্পর্ককে উভয় দেশের জনগণের আশা ও আকাঙ্খা অনুসারে আরও বিস্তা��িত করার সময় এসেছে। মাননীয়, আপনার বেশ কিছু সাহসী এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ও সংস্কারের মাধ্যমে উজবেকিস্তান পুরনো ব্যবস্থাকে পেছনে রেখে আধুনিকতার পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এটা আপনার নেতৃত্ব ও দূরদৃষ্টির পরিণাম। আমি একে স্বাগত জানাই। আপনাকে অনেক অভিনন্দন জানাই এবং ভবিষ্যতে আরও সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছা জানাই। মাননীয়, উজবেকিস্তানের অগ্রাধিকার অনুযায়ী, ভারত প্রস্তাবিত ক্ষেত্রগুলিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমাদের বর্তমান সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলির বৃদ্ধির জন্য আমরা আজ বিশেষভাবে আলোচনা করেছি। ব্যবসা ও বিনিয়োগের সম্পর্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমরা সহমত পোষণ করেছি। ২০২০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে এক বিলিয়ন ডলারে –পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। আমরা অগ্রাধিকারসম্পন্ন বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে আলাপ-আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উজবেকিস্তানের প্রস্তাবে ভারত উজবেকিস্তানে সামাজিক ক্ষেত্রে পরিষেবা প্রদানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। সুলভে গৃহ নির্মাণ এবং এরকম আরও সামাজিক পরিকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলারের লাইন অফ ক্রেডিট প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ৮০০ মিলিয়ন ডলারের লাইন অফ ক্রেডিট তথা এক্সিম ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ‘বায়ার্স ক্রেডিট’ – এর অন্তর্গত আমরা উজবেকিস্তানের প্রস্তাবগুলিকে স্বাগত জানাবো। মহাকাশ বিজ্ঞান, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উজবেকিস্তানের উন্নয়নের স্বার্থে ভারতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর প্রস্তাব আমরা পেশ করেছি। ভারত ও উজবেকিস্তানের রাজ্যগুলির মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতাকে আমরা স্বাগত জানাই। আজ আগ্রা এবং সমর্কন্দের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং গুজরাট ও আন্দিজনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভারত ও উজবেকিস্তানের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির নানা পথ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ভারত ২০১৮-র ফেব্রুয়ারি মাসে অ্যাশগ্যাবেট চুক্তির সদস্য হয়েছে। এক্ষেত্রে সমর্থনের জন্য আমরা উজবেকিস্তানের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা আনন্দিত যে, উজবেকিস্তান আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহণ করিডরে সামিল হওয়ার ক্ষেত্রে সহমত হয়েছে। মাননীয়, আপনার বরিষ্ঠ পরামর্শদাতা ও মন্ত্রী আগামীকাল গা��্ধী স্যানিটেশন কনভেনশনের সমাপণ সমারোহে সামিল হবেন। মহাত্মা গান্ধীর সত্য, অহিংসা ও শান্তির বার্তার প্রতি আপনাদের মনে যে সম্মান রয়েছে, তা ভারতীয়দের হৃদয় স্পর্শ করেছে। তাসকন্দের সঙ্গে ভারতের পূর্ব প্রধানমন্ত্রী শ্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর স্মৃতি জড়িয়ে আছে। শাস্ত্রীজির স্মারক এবং লালবাহাদুর শাস্ত্রী স্কুলের পুনরুজ্জীবনের জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। এই দুই মহান নেতার জন্মদিনের প্রাক্‌-সন্ধ্যায় আপনাদের ভারতে উপস্থিত থাকা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাননীয়, এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও নিবিড় হচ্ছে। আজকের আলোচনার সময়ে আমরা যৌথ সৈন্য অভ্যাস এবং সৈন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মহোদয়, আপনার বক্তব্যে ও প্রতিনিধিদলের বক্তব্যে আরেকবার স্পষ্ট হয়েছে যে, ভারত ও উজবেকিস্তান একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ পারিপার্শিক পরিবেশ চায়। ক্ষেত্রীয় শান্তি এবং স্থিরতার স্বার্থে আমি উজবেকিস্তানের প্রচেষ্টাসমূহকে সমর্থন জানাই ও প্রশংসা করি। এক্ষেত্রে ভারত, উজবেকিস্তানের সঙ্গে যথাসম্ভব সহযোগিতা করবে। স্থির, গণতান্ত্রিক এবং সমৃদ্ধ উজবেকিস্তান আমাদের সমগ্র ক্ষেত্রের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এই প্রেক্ষিতে উভয় দেশের মধ্যে নিয়মিতভাবে সম্পর্ক বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি। সাংস্কৃতিক ও ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির সম্পর্কই আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি। ই-ভিসা, পর্যটন, অ্যাকাডেমিক এক্সচেঞ্জ এবং বিমান যোগাযোগের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করেছি। মাননীয়, আজ আমরা একটি নতুন যুগের দিকে পা বাড়াচ্ছি, যাতে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতা স্পর্শ করবে এবং আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করবে। আমি আরেকবার আপনাকে এবং আপনার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানাই। ভারতে আপনার আনন্দময় ও সুফলদায়ক সফর কামনা করি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",উজবেকিস্তানৰ ৰাষ্ট্ৰপতিৰ ভাৰত ভ্ৰমণ কালত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ প্ৰেছ বিবৃতি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B6-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3-%E0%A6%93-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%89%E0%A6%A8/,"পুলিশ প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন সম্পর্কিত বিষয়েপ্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রসারের লক্ষ্যে ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে এক মউস্বাক্ষরের প্রস্তাবে আজ অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এখানে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদনদানেরসিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। প্রস্তাবিত মউটি আফগানিস্তানের জাতীয় পুলিশবাহিনীর দক্ষতা এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা প্রসারেরপাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকেও আরও জোরদার করে তোলার কাজেসাহায্য করবে। মউ স্বাক্ষরের দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্যএই সহযোগিতা চুক্তি বহাল থাকবে। তবে, কোনও রকম পরিবর্তন বা সংশোধন ছাড়াই এই চুক্তিআরও পাঁচ বছরের জন্য সম্প্রসারিত করা যেতে পারে।",আৰক্ষীৰ প্ৰশিক্ষণ আৰু উন্নয়নৰ দিশত কাৰিকৰী সহযোগিতাৰ অৰ্থে ভাৰত আৰু আফগানিস্তানৰ মাজত দ্বিপাক্ষিক বুজাবুজি চুক্তি স্বাক্ষৰত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%A3/,"প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদী সোমবার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সূচনার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন । জাতীয় স্বাস্হ্য সুরক্ষা কর্মসূচীর আওতায় এই প্রকল্পের কথা সাম্প্রতিক কেন্দ্রীয়বাজেটে ঘোষিত হয়েছিল । দু ’ ঘন্টার এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বাস্হ্যও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এবং নীতি আয়োগের শীর্ষস্হানীয় আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রীকেএই প্রকল্পে এ যাবৎ কাজের অগ্রগতি বিষয়ে অবহিত করেন । এই প্রকল্পটি যাতে সুন্দরভাবে শুরু করা যায়, সে বিষয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয় । এই কর্মসূচিতেপ্রত্যেক পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্হ্য বিমার সুরক্ষা প্রদান করা হবে । দেশের ১০ কোটিরও বেশি দরিদ্র এবং প্রান্তিক পরিবারকে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্তকরার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে । এই প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপকরা সারাভারতে সর্বত্র নগদহীন বিমার সুবিধা পাবেন । প্রধানমন্ত্রীস্বাস্হ্যকেন্দ্রগুলির মাধ্যমে সার্বিক প্রাথমিক স্বাস্হ্য পরিষেবা প্রদানেরবিষয়েও প্রস্তুতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন । প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদ��র,দরিদ্র এবং সমাজের দুর্বলতর শ্রেণীর মানুষের কাছে এই প্রকল্পের সুবিধা যাতে পৌঁছেদেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে কাজ আহ্বান জানান ।",আয়ুষ্মান ভাৰতৰ শুভাৰম্ভণিৰ প্ৰস্তুতি সন্দৰ্ভত পৰ্যালোচনা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%AA%E0%A7%80-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F/,"মাননীয় স্টেট কাউন্সিলর, শ্রদ্ধ্বেয় প্রতিনিধিবৃন্দ, সংবাদমাধ্যমের বন্ধুগণ, মিঙ্গলাবা, ২০১৪ সালে এএসইএএন শিখর সম্মেলন উপলক্ষে আমি আগে একবার এসেছিলাম কিন্তু এইস্বর্ণভূমি মায়ানমারে এটিই আমার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। কিন্তু যে উষ্ণ অভ্যর্থনাআমি পেয়েছি, মনে হচ্ছিল যেন আমি নিজের বাড়িতেই আছি, সেজন্য আমি মায়ানমার সরকারকেকৃতজ্ঞতা জানাই। মাননীয়, মায়ানমার শান্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আপনার সাহসী নেতৃত্ব প্রশংসাযোগ্য।আপনারা যে প্রতিস্পর্ধাসমূহের মুখোমুখী সেগুলি আমি খুব ভালোভাবে বুঝি। রাখাইনরাজ্যে চরমপন্থী হিংসার ফলে নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে লড়াইয়ে অনেক নির্দোষ মানুষেরজীবনহানি নিয়ে আপনাদের দুশ্চিন্তার অংশীদার আমরাও। যে কোনও শান্তি প্রক্রিয়া বাবিশেষ সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে আমরা সকল পক্ষকে একসঙ্গে নিয়ে আলাপ-আলোচনারমাধ্যমে মীমাংসার পথ খুঁজতে পছন্দ করি। মায়ানমারের ঐক্য ও ভৌগোলিক অখন্ডতাকেসম্মান জানিয়ে আমরা চাই – সকল নাগরিকের শান্তি, ন্যায় এবং সম্মান সুনিশ্চিত হোক। বন্ধুগণ, আমার মনে হয়, ভারতের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অভিজ্ঞতা মায়ানমারেরজন্যও প্রাসঙ্গিক। আর সেজন্য মায়ানমারের প্রশাসনিক, আইনসভা এবং নির্বাচন কমিশন ওপ্রেস কাউন্সিলের মতো সংস্থাগুলির ক্ষমতায়নে আমাদের ব্যাপক সহযোগ নিয়ে আমি গর্ববোধকরি। প্রতিবেশী হিসাবে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে আমাদের স্বার্থ একই রকম। দু’দেশের দীর্ঘভূ-সীমান্ত ও সামুদ্রিক সীমান্তে নিরাপত্তা ও স্থিরতা বজায় রাখার জন্য আমাদেরএকযোগে কাজ করতে হবে। প্রয়োজন-মাফিক সড়ক এবং সেতু নির্মাণ, শক্তি সংযোগ এবংযোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার ক্ষেত্রে আমাদের যৌথ প্রচেষ্টা একটি সুন্দর ভবিষ্যতেরসংকেত বহন করছে। কালাদান প্রকল্পে সিত্তবে বন্দর, প্যালেটওয়া অন্তর্দেশীয়জলবন্দর-এর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন এগুলি সংযুক্ত���করণের জন্য সড়ক নির্মাণের কাজশুরু হয়ে গেছে। আপার মায়ানমারের প্রয়োজন অনুসারে ভারত থেকে প্রয়োজন অনুসারে ভারতথেকে ট্রাকে করে হাইস্পীড ডিজেল আসা শুরু হয়ে গেছে। আমাদের উন্নয়ন অংশীদারিত্বেরসুবাদে মায়ানমারে উন্নতমানের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও গবেষণার সুবিধা উন্নয়নসন্তোষজনক। এক্ষেত্রে মায়ানমার ইন্সটিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং অ্যাডভান্সসেন্টার অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন-এর অবদান বিশেষভাবেউল্লেখযোগ্য। এই দুটি প্রধান শিক্ষা কেন্দ্র দ্রুত বিশ্বমানের শিক্ষার্থী গড়ে তুলছে।ভবিষ্যতেও আমাদের প্রকল্পগুলি মায়ানমারের প্রয়োজন এবং অগ্রাধিকার অনুযায়ীই গড়েউঠবে। আমাদের দু’দেশের মধ্যে আজ যে চুক্তিগুলি সম্পাদিত হয়েছে, সেগুলি আমাদেরবহুমুখী দ্বিপাক্ষিক সহযোগকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। বন্ধুগণ, আমি একথা ঘোষণা করে অত্যন্ত আনন্দ অনুভব করছি যে, ভারত সরকার ভারতে ভ্রমণকরতে ইচ্ছুক যে কোনও মায়ানমার নাগরিকদের গ্র্যাটিস ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্তনিয়েছে। ভারতের বিভিন্ন জেলে বন্দী ৪০ জন মায়ানমার নাগরিককে মুক্তিদানের ঘোষণা করেআমি আনন্দিত। আশা করি, তাঁরা কিছুদিনের মধ্যেই মায়ানমারে তাঁদের পরিবার-পরিজনেরকাছে চলে আসবেন। শ্রদ্ধাভাজন, ন্যা পি দ্য’তে আমরা অত্যন্ত সদর্থক আলোচনা করেছি। আর যতক্ষণ মায়ানমারেথাকব, সেই সময় নিয়েও আমার মনে অত্যন্ত উৎসাহ রয়েছে। আজ আমি বাগানে আনন্দ টেম্পল-এযাব। আনন্দ টেম্পল এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসম্পন্ন বাড়িগুলি গতভূমিকম্পের পর সাংঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এগুলি এখন ভারতের সহযোগিতায় নতুনকরে গড়ে তোলা হচ্ছে। ইয়াঙ্গনে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও আমিবিভিন্ন ধার্মিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন স্মারকসমূহে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করব।আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আগামীদিনে আমরা পরস্পরের কল্যাণে আরও শক্তিশালী এবং নিবিড়সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য একসঙ্গে কাজ করব। ধন্যবাদ। চেজু তিন বা দে।",নেই পী টাওত ম্যানমাৰৰ ষ্টেট কাউন্সেলাৰৰ সৈতে যুটীয়া সংবাদমেলত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ বিবৃত্তিৰ ইংৰাজী সংস্কৰণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8-3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%AA/,"নয়াদিল্লি, ৮ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী আবে শিনজো-র ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমার প্রিয় বন্ধু শ্রী আবে শিনজো-র ওপর হামলার ঘটনায় আমি অত্যন্ত ব্যথিত। তাঁকে, তাঁর পরিবারের সদস্যদের এবং জাপানের জনসাধারণকে সমবেদনা জানাই ও তাঁর আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করি।”",প্রধানমন্ত্রীয়ে জাপানৰ প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী আবে শ্বিঞ্জোৰ ওপৰত হোৱা আক্ৰমণত স্তম্ভি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9F-2/,"ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মিঃ লার্স লোক্কে রাসমুসেন ১৮ ও ১৯শে জানুয়ারি ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলন, ২০১৯-এ যোগ দিতে ভারত সফর করছেন। এই অনুষ্ঠানে ডেনমার্ক অংশীদার দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করছে। প্রধানমন্ত্রী রাসমুসেনের সঙ্গে ডেনমার্কের প্রধান প্রধান সংস্থাগুলির সিইও সহ সে দেশের এক বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল ভারত সফরে আসছেন। গান্ধীনগরে ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ সম্মেলনের ফাঁকে ১৮ই জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী রাসমুসেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। ইতিপূর্বে স্টকহোমে ২০১৮-র এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত প্রথম ইন্ডিয়া-নরডিক শিখর সম্মেলনে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করেছিলেন। বৈঠকে দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলাপচারিতায় মিলিত হন এবং পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিশাল সুযোগ রয়েছে বলে দুই প্রধানমন্ত্রীই উল্লেখ করেন। ভারতের পক্ষে উপযোগী এমন নানা ধরণের প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ডেনমার্ক বিশ্বে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ডেনমার্কের দক্ষতা রয়েছে, ভারতের রয়েছে বৃহৎ বাজার এবং সারা বিশ্বের রয়েছে নতুন প্রযুক্তির চাহিদা বলে উল্লেখ করে শ্রী মোদী ভারত ও ডেনমার্ককে একটি গবেষণা মঞ্চ গড়ে তুলতে উৎসাহ যোগান, যেখানে সারা বিশ্বের উদ্বেগের বিভিন্ন বিষয় যেমন – খাদ্য নিরাপত্তা, জল নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও সুস্থায়ী উন্নয়নের সমাধানসূত���র পাওয়া যাবে। বৈঠক চলাকালীন ভারতের জাহাজ মন্ত্রক ও ডেনমার্কের শিল্প, বাণিজ্য ও আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রকের মধ্যে নৌ-সংক্রান্ত নানা বিষয় এবং ইম্যাজিন পানাজি স্মার্ট-সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড ও নতুন দিল্লিস্থিত ডেনমার্কের দূতাবাসের মধ্যে গোয়ার পানাজিতে আর্বান লিভিং ল্যাব প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দুটি সমঝোতাপত্র বিনিময় করা হয়। ভারতে প্রায় ১৩০টি ডেনমার্কের সংস্থা জাহাজ, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, পরিবেশ, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মতো বিষয়ে বিনিয়োগ করেছে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও যেমন, স্মার্ট নগরোন্নয়ন ও বর্জ্য-থেকে-শক্তি উৎপাদনের মতো ক্ষেত্রেও তারা যুক্ত হতে আগ্রহী। গুজরাটেও জাহাজ ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে একাধিক বড় বড় ডেনমার্কের সংস্থা কাজ করছে। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী রাসমুসেন ১৯শে জানুয়ারি নতুন দিল্লিতে ড্যানিশ সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং ডেনমার্কের দূতাবাসের নতুন ভবনের উদ্বোধন করবেন। তিনি আগ্রাও পরিদর্শন করবেন। /",ভাইব্ৰেণ্ট গুজৰাট ছামিট ২০১৯ ত অংশগ্ৰহণৰ বাবে ভাৰতত উপস্থিত ডেনমাৰ্কৰ প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%AC-%E0%A6%85%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%85%E0%A6%B2%E0%A6%AA%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B9/,"নয়াদিল্লি, ০৬ অগাস্ট, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, আমরা মহিলা হকিতে খুব অল্পের জন্য পদক থেকে বঞ্চিত হয়েছি। কিন্তু, দলের সদস্যদের মধ্যে নতুন ভারতের মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা সর্বদাই নতুন নতুন ক্ষেত্রে নিজেদের সেরাটা দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, টোকিও অলিম্পিক ২০২০-তে আমাদের মহিলা হকি দলের ক্রীড়া নৈপুণ্য সর্বদাই মনে রাখবো। একগুচ্ছ ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “টোকিও অলিম্পিক ২০২০-তে আমাদের মহিলা হকি দলের ক্রীড়া নৈপুণ্য আমরা সর্বদাই মনে রাখবো। প্রতিযোগিতার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাঁরা নিজেদের সেরাটা উজার করে দিয়েছেন। দলের প্রত্যেক সদস্য অভাবনীয় সাহসিকতা, দক্ষতা ও সহনশীলতা দেখিয়েছেন। ভারত মহিলা হকি দলের অসামান্য প্রদর্শনের জন্য গর্বিত। মহিলা হকিতে আমরা খুব অল্পের জন্য পদক থেকে বঞ্চিত হয়েছি। কিন্তু, এই দলের মধ্য দিয়ে নতুন ভারতের মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা সর্বদাই নতুন নতুন ক্ষেত্রে নিজেদের স��রাটা উজার করে দিয়েছি। এর থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হ’ল টোকিও অলিম্পিক ২০২০’তে মহিলা হকি দলের সাফল্য ভারতীয় কন্যাদের হকির প্রতি আগ্রহ বাড়াবে এবং প্রতিযোগিতায় আরও বেশি সাফল্য অর্জনে উৎসাহিত করবে। এই দলের কৃতিত্বের জন্য গর্ববোধ করি”।",মহিলা হকীত আমি অলপৰ বাবেহে পদকৰ পৰা বঞ্চিত হ’লো যদিও এইটো দলে নতুন ভাৰতৰ আত্মাক প্ৰতিবিম্বিত কৰিছে : প্ৰধানমন্ত্ৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8/,"নতুনদিল্লি,৮ই জুন, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গত আট বছরে ভারতের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করার জন্য যে সব উদ্যোগগুলি নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। কয়েকটি ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ সকলের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নতুন ভারত দৃঢ় সংকল্প নিয়েছে। আয়ুষ্মান ভারত, জন ওষুধি কেন্দ্র , চিকিৎসা ক্ষেত্রে পরিকাঠামো গড়ে তোলা, বিনামূল্যে টিকাকরণ — প্রত্যেক ক্ষেত্রে দেশ আজ বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে।#8YearsOfHealthyIndia” “ যারা স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিনিয়োগ করবেন, আগামী দিনগুলো হবে তাঁদের”। “ভারতের স্বাস্থ্যক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে আমাদের সরকার যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে, তারজন্য আমি গর্বিত #8YearsOfHealthyIndia”। “যে সব ক্ষেত্রগুলিকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি, স্বাস্থ্য ক্ষেত্র তার মধ্যে অন্যতম। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন ঘটানো, প্রত্যেকে যাতে স্বল্পমূল্যে উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবা পান, তা নিশ্চিত করা ছাড়াও এই ক্ষেত্রের সঙ্গে প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে। #8YearsOfHealthyIndia”",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ‘স্বাস্থ্যৱান ভাৰতৰ ৮ বছৰ’ৰ বিৱৰণ শ্বেয়াৰ কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%95-%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D/,"নতুনদিল্লি, ২৮শে নভেম্বর, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় মিঃ পেটর ফিয়ালাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; “ চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় পেটর ফিয়ালা, আপনা���ে অভিনন্দন। ভারত-চেক সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করতে আপনার সঙ্গে কাজ করবার প্রত্যাশায় রইলাম।“",চেক গণৰাজ্যৰ প্ৰধানমন্ত্ৰী হিচাপে নিযুক্তি লাভ কৰাৰ বাবে মহামহিম পেটৰ ফিয়ালাক অভিনন্দন প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A7%B1%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%AF/,"আমি বলবো সর্দার প্যাটেল, আপনারা বলবেন – অমর রহে, অমর রহে। সর্দার প্যাটেল – অমররহে, অমররহে। সর্দার প্যাটেল – অমররহে, অমররহে। সর্দার প্যাটেল – অমররহে, অমররহে। আমি চাইবো আরেকটি শ্লোগান এই মাটি থেকে প্রত্যেক মুহূর্তে এদেশে গুঞ্জরিত হোক। আমি বলবো, দেশের একতা, আপনারা বলবেন, জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ! দেশের একতা – জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ! দেশের একতা- জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ! দেশের একতা – জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ! দেশের একতা – জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ! মঞ্চে উপস্থিত গুজরাটের রাজ্যপাল ওমপ্রকাশ কোহলি মহোদয়, রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপাণীজি, কর্ণাটকের রাজ্যপাল ওয়জুভাই অয়ালা মহোদয়, মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল মহোদয়া, সংসদে আমার সহযোগী এবং রাজ্যসভার সদস্য শ্রী অমিত ভাই শাহ, গুজরাটের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতিন ভাই, বিধানসভার অধ্যক্ষ রাজেন্দ্রজি, দেশের নানাপ্রান্ত ও বিদেশ থেকে সমাগত সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, মা নর্মদার এই পবিত্র ধারার তটে সাতপুড়া এবং বিন্ধ্যের আঁচলে এই ঐতিহাসিক ক্ষণে আমি আপনাদের সকলকে, দেশবাসীকে, বিশ্বের সর্বত্র বসবাসকারী ভারতীয় এবং ভারতপ্রেমীদের প্রত্যেককে অভিনন্দন জানাই। আজ গোটা দেশ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের স্মৃতিতে রাষ্ট্রীয় একতা দিবস পালন করছে। এই উপলক্ষ্যেআমাদের দেশের নবীন প্রজন্মের মানুষেরা দেশের কোণায় কোণায় রাষ্ট্রীয় একতা ও অখণ্ডতার জন্যে ‘একতার জন্যে দৌড়’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের অভিবাদন জানাই। আপনাদের মনের এই দেশভক্তির শক্তি দিয়েই আমাদের সভ্যতা ফলে, ফুলে বিকশিত হচ্ছে। বন্ধুগণ, যে কোনও দেশের ইতিহাসে এমন সময় আসে যখন তা সম্পূর্ণতার অনুভব এনে দেয়। আজ তেমনই একটি মুহূর্ত যা যে কোনও দেশের ইতিহাসে সোনার অক্ষরে লেখার যোগ্য, আর যাকে কখনও মেটানো যায় না! ভারতের পরিচয় তৈরি এবং ভারতের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন এমন বিরাট ব্যক্তিত্বকে যথোচিত সম্মান প্রদর্শনের ক্ষেত্রে একটি অসম্পূর্ণতা নিয়ে আমরা স্বাধীনতার পর থেকে এত বছর কাটিয়ে দিয়েছি! আজ ভারতের বর্তমান, তার ইতিহাসের এক স্বর্ণিম পুরুষের কীর্তিকে সম্মান জানানোর কাজ করেছে। আজ যখন মাটি থেকে আকাশ পর্যন্ত সর্দার সাহেবের অভিষেক হচ্ছে, এর মাধ্যমে ভারত শুধুই নিজের জন্য একটি ইতিহাস রচনা করছে না, ভবিষ্যতের প্রেরণার গগনচুম্বী ভিত্তি স্থাপন করছে। এটা আমার সৌভাগ্য যে সর্দার সাহেবের এই বিশাল মূর্তি দেশকে সমর্পণ করার সুযোগ পেয়েছি। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এর কল্পনা করেছিলাম তখন স্বপ্নেও ভাবিনি যে একদিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এর উদ্বোধন করার সুযোগ পাব। আমি নিজেকে সর্দার সাহেব ও দেশের কোটি কোটি জনগণের আশীর্বাদধন্য বলে মনে করি। আজ গুজরাটের জনগণ আমার হাতে যে অভিনন্দনপত্র তুলে দিয়েছে, তার জন্য আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। এই অভিনন্দনপত্র আমার জন্য শুধুই সম্মানপত্র নয়, যে মাটিতে আমি বড় হয়ে উঠেছি, আমার মা আমার পিঠে হাত রেখে যে সংস্কার, শক্তি, উৎসাহ এবং প্রাণশক্তি যুগিয়েছেন, এই অভিনন্দনপত্র তাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই সম্মানপত্রে আমি আপনাদের সকলের পাশাপাশি আমার মায়ের আশীর্বাদও অনুভব করছি। ‘লোহা অভিযানে’র সময় আমাকে এক টুকরো লোহাও অর্পণ করা হয়েছে। আমেদাবাদ থেকে যখন আমরা অভিযান শুরু করেছিলাম, তখন যে পতাকা ওড়ানো হয়েছিল, সেটিও আমাকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। সেজন্য আমি গুজরাটের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞ। এই সমস্ত উপহার আমি এখানেই রেখে যাব যাতে আপনারা এগুলিকে এখানকার প্রদর্শনশালায় সাজিয়ে রাখতে পারেন যাতে পরবর্তী সময়ে পর্যটকরা এগুলি দেখতে পারেন। আমার সেই পুরনো দিনগুলির কথা মনে পড়ছে, আর মন খুলে অনেক কিছু বলার ইচ্ছে করছে। আমার সেদিনের কথা মনে পড়ছে যখন সারা দেশের সমস্ত গ্রামের কৃষকদের থেকে মাটি চাওয়া হয়েছিল, আর ক্ষেতে বাতিল হয়ে যাওয়া পুরনো যন্ত্রপাতি একত্রিত করার কাজ চলছিল। এই সবকিছু নিজের হাতে তুলে দিয়ে সারা দেশের লক্ষ লক্ষ গ্রামের কোটি কোটি কৃষক পরিবার এই মূর্তি নির্মাণকে এক গণ-আন্দোলনে পরিণত করেছিলেন। তাঁদেরই দেওয়া পুরনো সরঞ্জামগুলি থেকে কয়েক হাজার মেট্রিক টন লোহা এই মূর্তির কাঠামো তৈরির কাজে লেগেছে। বন্ধুগণ, আমার এটাও মনে আছ��� যখন এই প্রস্তাব আমি রেখেছিলাম, তখন এ নিয়ে অনেক আশঙ্কার আবহ গড়ে উঠেছিল। এই প্রথম আমি সে সম্পর্কে বলছি। প্রথম যখন আমার মনে এই কল্পনা এসেছিল, তখন আমি এখানে এরকম কোন পাহাড় খুঁজছিলাম, যে পাহাড় খোদাই করে সর্দার সাহেবের মূর্তি বের করে আনা যেতে পারে। কিন্তু অনেক অন্বেষণ ও পাহাড়ের মাটি পরীক্ষানিরীক্ষা করে জানা গেল যে এরকম খোদাই করে মূর্তি বের করার মতো পাহাড় পাওয়া যাবে না। এখানকার পাহাড়ের পাথর এতটা শক্তিশালী নয়। তখন আমার চিন্তা বদলাতে হল। আর আজ যে রূপে আপনারা দেখছেন, সেই ভাবনা জন্ম নিল। আমি নিয়মিত অনেকের সঙ্গে আলোচনা করে, তাঁদের পরামর্শ নিয়ে এই প্রকল্পটি গড়ে তুলেছিলাম। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি মানুষ তাঁদের পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের আস্থা ও সামর্থ্যকে একটি শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন। ভাই ও বোনেরা, বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই মহাপুরুষের সাহস, সামর্থ্য ও সঙ্কল্পকে মনে করাবে। যিনি ভারতমাতাকে টুকরো টুকরো করার ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করার পবিত্র ব্রত পালন করেছিলেন। সেই সময় বিশ্ববাসী ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে যেসব আশঙ্কা প্রকাশ করছিল, সেই সমস্ত আশঙ্কাকে বরাবরের জন্য সমাপ্ত করতে পেরেছিলেন যে মহাপুরুষ, সেই লৌহ পুরুষ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে আমি শত শত প্রণাম জানাই। বন্ধুগণ, সর্দার সাহেবের সামর্থ্য তখনই দেশের কাজে লেগেছে, যখন ভারত মাতা সাড়ে পাঁচশোরও বেশি দেশীয় রাজন্যশাসিত রাজ্য আলাদা হয়ে যাওয়ার সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। গোটা বিশ্বের সংবাদমাধ্যম ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশ ছিল। তারা ভাবছিল, এই বৈচিত্র্যের জন্যই ভারত টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। কিন্তু সেসব নিরাশার মধ্যেও তারা তাদের সামনে একটি আশার কিরণ ছিল। আর সেই আশার কিরণের নাম ছিল সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। সর্দার প্যাটেল কৌটিল্যের মতো কূটনীতিবিদ এবং শিবাজি মহারাজের মতো শৌর্যবান ছিলেন।তিনি ১৯৪৭-এর ৫ই জুলাই দেশীয় রাজন্যশাসিত রাজ্যগুলিকে সম্বোধন করে বলেছিলেন যে, “বিদেশি আক্রমণকারীদের সামনে আমাদের পারস্পরিক বিবাদ ও শত্রুতাই আমাদের পরাজয়ের কারণ ছিল। এখন আমাদের সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি দ্বিতীয়বার সেই দাসত্বের দিকে ঠেলে দেবে।” আমি মনে করি সর্দার সাহেবের সেই বাক্য আজও ততটাই প্রাসঙ্গিক। সর্দার সাহেবের এই বার্তা দেশীয় রাজন্যবর্গকে ঐক্যের শক্তি অনুধাবন করতে সহায়ক হয়েছে। আর তাঁরা স্বেচ্ছায় ভারতে যোগদান করেছেন। সর্দার সাহেবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের কয়েকশ’ রাজ-রাজড়া একরকম ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। দেশের ঐক্যের স্বার্থে তাঁদের এই ত্যাগকেও আমাদের কখনও ভোলা উচিৎ নয়। আমার একটা স্বপ্ন আছে যে এই স্থানে দেশের সেই সাড়ে পাঁচশরও অধিক রাজ-রাজড়াদের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন সামগ্রীর প্রদর্শনশালা গড়ে তোলা। ভারচ্যুয়াল প্রদর্শনশালা তৈরি করলে আগামী প্রজন্মও দেশের ইতিহাস সঠিকভাবে জানতে পারবে। আজ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাউকে যদি একটি তহসিলের অধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হয়, আর তারপর বলা হয় যে তার শাসনকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগে পদ ছেড়ে দিতে হবে, তাহলেই দেখবেন কত বড় ঝড় উঠবে। আর এই রাজা-মহারাজারা শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরে সঞ্চিত তাঁদের পূর্ব পুরুষদের সবকিছু দেশের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁদের সেই ত্যাগকেও আমাদের কখনও ভোলা উচিৎ নয়। তাঁদের কথাও মনে রাখতে হবে। বন্ধুগণ, বিশ্ব একদিন যে দুর্বলতার কারণে আমাদের জন্য শঙ্কিত ছিল, তাকেই সর্দার সাহেব শক্তিতে পরিণত করার পথ দেখিয়েছিলেন। তাঁর প্রদর্শিত পথেই এগিয়ে ভারত আজ বিশ্ববাসীর সঙ্গে নিজের শর্তে বার্তালাপ করতে পারছে। ভারত আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক ও সামরিক শক্তি হিসাবে পরিচিত হতে চলেছে। এর পেছেনে সাধারণ কৃষকের জন্মগ্রহণ করা অসাধারণ ব্যক্তিত্ব সর্দার সাহেবের অনেক বড় অবদান ছিল। অনেক চাপ, অনেক মতভেদ থাকা সত্ত্বেও তিনি দেশের প্রশাসনে সুশাসন স্থাপন করতে পেরেছিলেন। কচ্ছ থেকে কোহিমা, কার্গিল থেকে কন্যাকুমারী আজ আমরা কোনরকম বাধা ছাড়াই যাতায়াত করতে পারি। সর্দার সাহেবের সঙ্কল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এটি সম্ভব হয়েছে। তিনি এই সঙ্কল্প গ্রহণ না করলে দেশবাসীকে কতটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হত তার কল্পনা করুন! আজ গির-এর সিংহ দেখতে হলে, সোমনাথে পুজো দিতে হলে, হায়দরাবাদের চারমিনার দেখতে হলে যে কোন ভারতীয়কে ভিসা নিয়ে যেতে হত। সর্দার সাহেবের সঙ্কল্প বাস্তবায়িত না হলে আজ কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী সরাসরি ট্রেন সফরের কথা কল্পনাও করা যেত না। সর্দার সাহেবের সঙ্কল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দেশের মধ্যে অখণ্ড সিভিল সার্ভিসেসের মতো প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, ১৯৪৭-এর ২১শে এপ্রিল অল ইন্ডিয়া অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেসের ভবিষ্যৎ আইএএস, আইপিএস এবং আইএফএস প্রবেশনার্সদের সম্বোধন করতে গিয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বলেছিলেন যে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসেসে ইন্ডিয়া, সিভিল এবং সার্ভিস কোনটাই নেই। সেজন্য যুবকদের দেশের কথা ভেবে নতুনভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে ভারতীয় প্রশাসনিক সেবার গৌরব বৃদ্ধি করতে হবে। অল ইন্ডিয়া অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেসকে ভারতের নবনির্মাণের অগ্রদূত হতে হবে। সর্দার সাহেবের এই প্রেরণাই ভারতের প্রশাসনিক সেবায় ইস্পাত পরিকাঠামো গড়ে তোলে। ভাই ও বোনেরা, ভারতের ইতিহাসের সবথেকে জটিল সময়ে সর্দার প্যাটেলকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী করা হয়েছিল। সমস্ত ব্যবস্থার পুনর্নিমাণের এবং অবিন্যস্ত আইন ব্যবস্থাকে সামলানোর দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। সেই কঠিন পরিস্থিতি থেকে দেশকে বের করে এনে তিনি আমাদের আধুনিক পুলিশ ব্যবস্থার ভিত্তি গড়ে তুলেছিলেন। বন্ধুগণ, দেশের গণতন্ত্রে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করার জন্য সর্দার সাহেব সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। মহিলাদের দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের অধিকার প্রদানের পেছনেও সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। পঞ্চায়েত এবং পুরসভাগুলির নির্বাচনে দেশের মা ও বোনেদের তখন অংশগ্রহণের অধিকার ছিল না। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সর্দার সাহেবই প্রথম প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তাঁর উদ্যোগেই স্বাধীনতার কয়েক দশক আগে এই ভেদাভেদ দূর করার পথ উন্মোচিত হয়েছিল। তাঁরই উদ্যোগে আজ সমস্ত জনগণের ‘মৌলিক অধিকার’ ভারতীয় গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। বন্ধুগণ, এই মূর্তি সর্দার সাহেবের সেই পণ, প্রতিভা, পৌরুষ এবং সঙ্কল্প ভাবনার প্রতীক। এই মূর্তি তাঁর সামর্থ্য এবং সমর্পণকে সম্মান জানিয়ে নতুন ভারতে নতুন আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার প্রতীক। এই মূর্তি ভারতের অস্তিত্বের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশকারীদের প্রতি মুহূর্তে মনে করাবে যে দেশ শাশ্বত ছিল, শাশ্বত আছে এবং শাশ্বত থাকবে। এই মূর্তি দেশের সেই কৃষকদের আত্মাভিমানের প্রতীক যাঁদের ক্ষেতের মাটি এবং যাঁদের কৃষির সরঞ্জামের লোহা দিয়ে এই মূর্তির মজবুত কাঠামো গড়ে উঠেছে। এই মূর্তি তাঁদের প্রতি মুহূর্তে বিভিন্ন সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে ফসল উৎপন্ন করার ভাবনাকে দৃঢ়তা প্রদান করবে। এই মূর্তি সেই আদিবাসী ভাই-বোনদের অবদানের স্মারক যাঁরা স্বাধীনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে দেশের উন্নয়ন যাত্রায় নিজেদের বহুমূল্য অবদান রেখেছেন। এই উচ্চতা ভারতের যুব সম্প্রদায়কে সর্বদা মনে করাবে যে ভবিষ্যতের ভারত, আপনাদের আকাঙ্ক্ষার ভারত এতটাই বিশাল। এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের সামর্থ্য এবং মন্ত্র একটা, শুধু একটাই হতে পারে – ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’, ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’, ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’। বন্ধুগণ, স্ট্যাচু অফ ইউনিটি আমাদের কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত সামর্থ্যেরও প্রতীক। বিগত প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে প্রতিদিন গড়ে আড়াই হাজার শ্রমিক ও শিল্পী মিশন মোডে কাজ করেছেন। কিছুক্ষণ পর আমরা যাঁকে সম্মানিত করব, তিনি দেশের গণ্যমান্য শিল্পী নবতিপর শ্রীযুক্ত রাম সুতার। তাঁরই নেতৃত্বে দক্ষ শিল্পীদের দল এই অতুলনীয় গৌরবময় স্মারক গড়ে তুলেছে। মনে ‘মিশন’ ভাবনা নিয়ে রাষ্ট্রীয় একতার প্রতি সমর্পণ ভাব নিয়েই এত দ্রুত এই কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব। সর্দার সরোবর বাঁধের শিলান্যাস কবে হয়েছিল, আর কত দশক পর তার উদ্বোধন হয়েছে তাতো আপনারা নিজেদের চোখের সামনেই দেখেছেন। এই মহান শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক শ্রমিক, শিল্পী এবং প্রযুক্তিবিদকে আমি তাঁদের অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। সর্দার সাহেবের এই মূর্তির সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এর নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের নাম ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিল। বন্ধুগণ, আট বছর আগে আজকের দিনে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, আজ এই সফর একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০১০-এর ৩১শে অক্টোবর আমি আমেদাবাদে এই ইচ্ছার কথা সকলের সামনে বলেছিলাম। কোটি কোটি ভারতবাসীর মতো আমার মনেও একটি ভাবনা ছিল যে মহাপুরুষ দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এতবড় কাজ করেছেন, তাঁকে অবশ্যই যথাযোগ্য সম্মান জানানো উচিৎ। আমার ইচ্ছা ছিল যে এই সম্মানও তাঁকে কৃষক এবং শ্রমিকদের ঘামের বিনিময়ে প্রদান করা হবে যাঁদের জন্য সর্দার প্যাটেল সারা জীবন লড়াই করে গেছেন। বন্ধুগণ, সর্দার প্যাটেল খেড়া থেকে বারদোলি অঞ্চলের কৃষকদের শোষণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন, সত্যাগ্রহ করেছিলেন এবং তাঁদের দাবি আদায় করে ছেড়েছিলেন। আজ যে সমবায় আন্দোলন দেশের অনেক গ্রামের অর্থ ব্যবস্থার শক্তিশালী ভিত্তি হয়ে উঠেছে, তা সর্দার সাহেবেরই দূরদৃষ্টির পরিণাম। বন্ধুগণ, সর্দার প্যাটেলের এই স্মা��ক তাঁর প্রতি কোটি কোটি ভারতবাসীর সম্মান প্রদর্শন এবং সামর্থ্যের প্রতীক তো বটেই, এ দেশের অর্থ ব্যবস্থায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে হাজার হাজার আদিবাসী ভাই-বোনেদের প্রতি বছর প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে। সাতপুড়া এবং বিন্ধের এই এলাকার মানুষকে প্রকৃতি যা কিছু দিয়েছে, তা এখন আধুনিক রূপে আপনাদের কাজে লাগবে। দেশের যে অরণ্যগুলি সম্পর্কে অনেক কবিতা লেখা হয়েছে, গোটা বিশ্বের পর্যটকরা এখন সেসব অরণ্য ও জনজাতি পরম্পরার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে মিলিত হতে পারবেন। আমি আরেকবার গুজরাট সরকারের প্রশংসা করব যে তারা এই মূর্তির চারপাশের সমস্ত অঞ্চলকে পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে বিকশিত করছে। যে নতুন ফুলের উপত্যকা গড়ে উঠেছে তা এই স্মারকের আকর্ষণকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। আর আমি চাইব যে এখানে এমন একটি একতা নার্সারি গড়ে তোলা হোক, যেখানে ঘুরতে আসা প্রত্যেক পর্যটককে একটি করে ঐক্যের বৃক্ষ কিংবা গুল্মের চারা উপহার দেওয়া হবে। ঐ ঐক্যের গাছে তাঁরা নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজের মাটিতে বপন করে জাতীয় ঐক্যের ভাবনায় উদ্বুদ্ধ হবেন। পাশাপাশি, পর্যটন এখানকার প্রতিটি মানুষের জীবনকে বদলে দেবে। বন্ধুগণ, এই জেলার পরম্পরাগত জ্ঞান অত্যন্ত সমৃদ্ধ। স্ট্যাচু অফ ইউনিটিকে কেন্দ্র করে যে নতুন পর্যটন শিল্প গড়ে উঠবে, তার মাধ্যমে এই অঞ্চলের পরম্পরাগত জ্ঞানেরও প্রসার ঘটবে। সারা পৃথিবীতে এই অঞ্চলের একটি নতুন পরিচয় গড়ে উঠবে। আমি যেহেতু এই অঞ্চলের সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে যুক্ত রয়েছি, আমি অনেক কিছু জানি। এখানকার চাল থেকে তৈরি হওয়া উনা-মান্ডা, তহলা-মান্ডা, ঠোকালা-মান্ডা-র মতো খাবার পর্যটকদের খুবই ভালো লাগবে। এভাবেই এই অঞ্চলে খাতি ভিন্ডির মতো অনেক ঔষধি গুণসম্পন্ন ভেষজ গাছগাছালি খুব ফলে যেগুলির খ্যাতি এখন অনেক দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়বে। সেজন্যে আমার বিশ্বাস, এই স্মারক এই অঞ্চলের কৃষিকে উন্নত করতে, জনজাতি জীবনকে উন্নত করতে নানা গবেষণার কেন্দ্রও হয়ে উঠবে। বন্ধুগণ, বিগত চার বছরে কেন্দ্রীয় সরকার এই মহাপুরুষের অবদানকে স্মরণ করার জন্য একটি বড় অভিযান শুরু করেছে। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম তখনই আমার এ নিয়ে আগ্রহ ছিল। আমাদের পুরনো সংস্কৃতি এবং সংস্কার থেকেই সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের এই গগনচুম্বী মূর্তির কল্পনা। তাঁর স্মৃতিতে আমরা ���িল্লীতে আধুনিক প্রদর্শনশালা গড়ে তুলেছি। গান্ধীনগরে মহাত্মা মন্দির এবং ডান্ডি কুটীর, বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের পঞ্চতীর্থ নির্মাণ, হরিয়ানায় কৃষক নেতা স্যর ছোটুরামের উচ্চতম মূর্তি নির্মাণ, কচ্ছের মাণ্ডবিতে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পুরোধা, গুজরাটের সুসন্তান শ্যামজি কৃষ্ণবর্মার স্মারক নির্মাণ এবং আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনদের বীর নায়ক গোবিন্দ গুরুর শ্রদ্ধাস্থল নির্মাণ – এমনই অনেক মহাপুরুষদের স্মারক আমরা বিগত বছরগুলিতে গড়ে তুলেছি। তাছাড়া, দিল্লীতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতিতে আলাদা সংগ্রহালয়, মুম্বাইয়ে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের সুউচ্চ মূর্তি নির্মাণ এবং আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের জনজাতি নায়কদের স্মৃতিতে সংগ্রহালয় গড়ে তুলে ইতিহাস পুনরুজ্জীবনের কাজ আমরা করে চলেছি। বাবাসাহেবের অবদানকে মনে রেখে প্রতি বছর ২৬শে নভেম্বর দেশব্যাপী সংবিধান দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হোক কিংবা নেতাজির নামে জাতীয় সম্মান চালুই হোক – আমাদের সরকারই এই সমস্ত কিছু শুরু করেছে। কিন্তু বন্ধুগণ আমি অবাক হই যখন দেখি আমাদের এই অভূতপূর্ব কাজগুলিকে কেউ কেউ রাজনীতির চশমা দিয়ে দেখার দুঃসাহস করে। সর্দার প্যাটেলের মতো মহাপুরুষদের প্রশংসা করলেও আমার সমালোচনা করা হয়। যেন আমি কোন অপরাধ করে ফেলেছি। আমি আপনাদের জিজ্ঞাসা করতে চাইছি, দেশের সুপুত্রদের স্মরণ করা কি অপরাধ? বন্ধুগণ, আমরা চাই যে ভারতের প্রত্যেক রাজ্যের নাগরিক সর্দার প্যাটেলের দূরদৃষ্টি এবং দর্শনকে বুঝে নিজেদের সামর্থ্য বৃদ্ধির প্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করুক। ভাই ও বোনেরা, সর্দার প্যাটেল স্বাধীন ভারতে যে ধরণের গ্রামের কল্পনা করেছিলেন তা তিনি স্বাধীনতার তিন-চার মাস আগে বিট্টলভাই কলেজের উদ্বোধনের সময় বলেছিলেন। আমরা তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে উন্নত পদ্ধতিতে গ্রামে গ্রামে গৃহহীনদের জন্য গৃহনির্মাণ করছি। সর্দার সাহেব তখনই দেশের গ্রামগুলিকে খোলা জায়গায় শৌচকর্ম মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ করার পথে আজ আমরা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছি। সেই গণ-অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই দেশ ইতিমধ্যেই গ্রামীণ স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ সাফল্য পেয়েছে। ভাই ও বোনেরা, সর্দার প্যাটেল একটি শক্তিশালী, সতর্ক, ঐক্যবদ্ধ ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়��ের জন্য সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেশের প্রত্যেক গৃহহীনের জন্য গৃহ নির্মাণ, স্বাধীনতার পর থেকে সাত দশকেও যে ১৮০০০ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি, সেই গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। দেশের প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য দিন-রাত কাজ চলছে। দেশের প্রত্যেক গ্রামে সড়ক পথ, অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক এবং ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশের প্রত্যেক বাড়িতে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া, প্রত্যেক বাড়িতে শৌচালয় নির্মাণের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। সম্প্রতি আমরা শুরু করেছি বিশ্বের সর্ববৃহৎ জনস্বাস্থ্য প্রকল্প – আয়ুষ্মান ভারত। কেউ কল্পনা করতে পারেন যে, আমেরিকা, মেক্সিকো এবং কানাডার মিলিত জনসংখ্যার থেকেও বেশি গরিব মানুষ এই প্রকল্প দ্বারা উপকৃত হতে চলেছেন। ভারতের বাইরে অনেকে এই প্রকল্পকে ‘মোদী কেয়ার’ বলছে। এটি ‘সুস্থ ভারত’ গড়ার পথে একটি বড় পদক্ষেপ।‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ – এই মন্ত্র নিয়ে একটি শক্তিশালী ভারত গড়ে তোলার পথে আমরা এগিয়ে চলেছি। ভাই ও বোনেরা, সর্দার সাহেব যেমন দেশীয় রাজন্যশাসিত রাজ্যগুলিকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করে রাজনৈতিক ঐক্য স্থাপন করেছে, তেমনই আমাদের সরকার জিএসটির মাধ্যমে দেশের আর্থিক ঐক্য সুনিশ্চিত করেছে। জনগণের ‘এক জাতি এক কর’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছে। কৃষকদের দেশব্যাপী কৃষি মান্ডিগুলির সঙ্গে যুক্ত করার প্রকল্প ‘ই-ন্যাম’, ‘এক জাতি এক গ্রিড’-এর প্রকল্প, ‘ভারতমালা’, ‘সেতু ভারতম’, ‘ভারত নেট’ – এরকম অনেক প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে অদূর ভবিষ্যতেই সর্দার সাহেবের ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার পথে আমরা এগিয়ে চলেছি। বন্ধুগণ, আজ আমরা দেশের জন্য চিন্তা করা যুবশক্তির বলে বলীয়ান। এই পথেই এগিয়ে গেলে দেশের ঐক্য, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার যে দায়িত্ব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আমাদের সমর্পণ করে গেছেন, তা বাস্তবায়িত করতে পারব। সর্দার সাহেবের সঙ্কল্পকে পবিত্রভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মনে সঞ্চারিত করার জন্য আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে। বন্ধুগণ, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বলতেন, প্রত্যেক ভারতীয়কে এটা ভুলতে হবে যে তিনি কোন জাতি এবং বর্গের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁকে শুধু মনে রাখতে হবে যে তিনি ভারতীয়। দেশের প্রতি তাঁর যতটা অধিকার আছে, ততটাই কর্তব্যও রয়েছে। সর্দার স���হেবের এই শাশ্বত ভাবনা এই সুউচ্চ মূর্তির মতোই আমাদেরকে প্রেরণা যুগিয়ে যাবে এবং এই কামনা নিয়েই এই স্ট্যাচু অফ ইউনিটিকে সমর্পণ করছি। এটি শুধু ভারত নয়, মা নর্মদার তটকে গোটা বিশ্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনস্থল করে তুলবে। মা নর্মদা এবং তাত্ত্বিক উপত্যকায় বসবাসকারী প্রত্যেক জনজাতির ভাই-বোনদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য আমি আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানাই। এই উপলক্ষে সমগ্র দেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ যে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের প্রাণশক্তি নিয়ে এটি একটি ‘একতার তীর্থ’ হিসেবে গড়ে উঠেছে। আমরা এগবো এবং পাশাপাশি অন্যদেরকেও এগিয়ে যেতে সাহায্য করব – এই ভাবনাই ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারে। আমার সঙ্গে বলুন – সর্দার প্যাটেল – জয় হো। সর্দার প্যাটেল – জয় হো। দেশের ঐক্য জিন্দাবাদ। দেশের ঐক্য জিন্দাবাদ। দেশের ঐক্য জিন্দাবাদ। দেশের ঐক্য জিন্দাবাদ। দেশের ঐক্য জিন্দাবাদ। অনেক অনেক ধন্যবাদ!",গুজৰাটৰ কেৱৰীয়াত ষ্টেচ্যু অব ইউনিটী ৰাষ্ট্ৰৰ নামত উত্সৰ্গা কৰি দিয়া প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%B9/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%A6/,"জাপান থেকে আগত বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ এবং এইঐতিহাসিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে উপস্থিত সকল শ্রদ্ধাভাজন, আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু শ্রীযুক্ত আবে-সান’কে আমি ভারতেএবং বিশেষ করে, গুজরাটের মাটিতে আরেকবার হৃদয় থেকে স্বাগত জানাই। বন্ধুগণ, অসম্পূর্ণ সংকল্প আর ফ্রেমে বাঁধানোস্বপ্ন নিয়ে কোনও দেশ কখনও এগিয়ে যেতে পারে না। স্বপ্নের বিস্তারই যে কোনও দেশ ওসমাজকে, যে কোনও ব্যক্তির উড়াল নির্দিষ্ট করার সামর্থ্য বলে। আমাদের নতুন ভারতেরস্বপ্নের বিস্তার, তার উড়াল অসীম, তার ইচ্ছাশক্তি অপরিসীম। আজ ভারত তার অনেক বছর পুরনো স্বপ্ন পূরণের দিকেএকটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি দেশের ১২৫ কোটি জনগণকে মুম্বাই-আমেদাবাদ হাইস্পীড রেলকরিডর নির্মাণের এই ভূমিপুজো উপলক্ষে কোটি কোটি শুভেচ্ছা জানাই। বুলেট ট্রেন প্রকল্প,একটি এমন কর্মসূচি, যা তীব্রগতিসম্পন্ন, দ্রুত উন্নয়ন আর তার সঙ্গে আধুনিকতমপ্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত সাহায্য পেতে সাহায্য করবে। এতে সুবিধা হবে, সুরক্ষাওথাকবে, যা রোজগার নিশ্চিত করবে আবার গতিও। যা মানব-বান্ধব, পরিবেশ-বান্ধবও। আজকেরদিনটি জাপান-ভারত সম্পর্কের একটি ঐতিহাসিক এবং আবেগঘন দিন। ভালো বন্ধুত্বের কোনওসীমা-পরিসীমা থাকে না। ভালো বন্ধুত্বের স্থান সময়ের ঊর্ধ্বে। জাপান দেখিয়ে দিয়েছেযে, তারা সেই সময় ও সীমার ঊর্ধ্বে কেমন ভারতের প্রকৃত বন্ধু হয়ে উঠতে চায়। মুম্বাইআর আমেদাবাদ-এর মাঝে ভারতের প্রথম হাইস্পীড রেল প্রকল্প দু’দেশের মধ্যে নিবিড় থেকেনিবিড়তর হতে থাকা সম্পর্কেরও এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ, উজ্জ্বল প্রতীক। আজ এত দ্রুত এইপ্রকল্পের ভূমিপুজো আয়োজনের পেছনেও সর্বাধিক কৃতিত্বের অধিকার আমার বন্ধু আবে-সানএবং শ্রীযুক্ত শিনজো আবে ব্যক্তিগত আগ্রহে সুনিশ্চিত করেছেন যেন এই প্রকল্পের কোনওপর্যায়ে কোনও সমস্যা না হয়। বন্ধুগণ, মানবসভ্যতার বিকাশ, পরিবহণের নানা মাধ্যমবিকাশের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা যদি এশিয়ার সভ্যতার দিকে তাকাই, তা হলে দেখবযে, সেই সময় সমস্ত গ্রাম ও শহর গড়ে উঠেছে নদীর তীরে। সেই অঞ্চলগুলি উন্নয়নেরকেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। তারপর ক্রমে সড়ক ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যম হয়ে ওঠে।হাইওয়েগুলির দু’পাশে নগর গড়ে উঠতে শুরু করে। আর এখন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নয়নসাধিতহবে হাইস্পীড করিডর সন্নীহিত অঞ্চলগুলিতে। বন্ধুগণ, যে কোনও দেশের উন্নয়নে পরিবহণ ব্যবস্থাঅত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তা সে রেল, সড়ক, জলপথ বা আকাশপথ – যাই হোকনা কেন? এই পরিবহণ ব্যবস্থা দেশে যোগাযোগের ভিত্তি তৈরি করে। যাঁরা আমেরিকারইতিহাস পড়েছেন, তাঁরা জানেন যে, রেলপথ আমেরিকার উন্নয়নে কত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাপালন করেছে। একটু আগেই আমার বন্ধু আবে-সান বলছিলেন, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরজাপানের পরিস্থিতি কেমন ছিল। কেমন দুরবস্থা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াইকরতে হয়েছে। কিন্তু ১৯৬৪ সালে জাপান বুলেট ট্রেন চালু করে। তারপর ধীরে ধীরে এইপ্রযুক্তি বিশ্বের ১৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আর জাপানের অর্থনীতি দ্রুতগতিতে সমৃদ্ধিলাভ করে। আজ ইউরোপ থেকে চিন পর্যন্ত এর প্রভাব অনুভব করা যায়। হাইস্পীড রেল এইদেশগুলিতে শুধুই আর্থিক পরিবর্তন আনেনি, সামাজিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনসাধনে সক্ষম হয়েছে। তখন থেকে আজ পর্যন্ত সময় অনেক বদলেছে, প্রয়োজনও বদলেছে। কোনওকিছু সাধনের প্রচেষ্টার পদ্ধতিও তাই বদলানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সময়ের অগ্রগতিরপাশাপাশি ছোট ছোট পরিবর্তন এসেছে, নতুন নতুন পরিষেবা যুক্ত হয়েছে কিন্তু আজ আর ধীরেধীরে এগিয়ে যাওয়ার সময় নেই। প্রযুক্তি গত ১০০ বছরে যে হারে পরিবর্তিত হয়েছে, বিগত২৫ বছরে তার থেকে অনেক বেশি গতিতে বদলে গেছে। সেজন্য আজ আমাদের সাধারণ যোগাযোগব্যবস্থার থেকে বেশি করে হাইস্পীড যোগাযোগ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিতে হচ্ছে।দ্রুতগতির যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে গতি বাড়বে, দূরত্ব কমবে। আর্থিক উন্নতির নতুননতুন সুযোগ তৈরি হবে। বন্ধুগণ, যে কোনও দেশের আর্থিক উন্নয়নের সঙ্গে সরাসরিসম্পর্ক থাকে উৎপাদনের। উৎপাদন বাড়লে অগ্রগতি হয়। আমাদের অগ্রাধিকার হ’ল অধিকউৎপাদন, দ্রুত গতির যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্ধুগণ, আজ এই উপলক্ষে আমি জাপানের বন্ধুত্বেরআরেকটি দিক সম্পর্কে সপ্রশংস উল্লেখ করতে চাই। আমরা ভারতীয়রা, বিশেষ করে গুজরাটিরাযখনই কোনও জিনিস কেনা-বেচা করি, তখন যথাসম্ভব দামদর করি। প্রতিটি পয়সার হিসাব করি।লাভ-লোকসান নিয়ে সতর্ক থাকি। একটি সাধারণ বাইক কিনতে হলে ১০টি ব্যাঙ্কে ঘুরে কারাকত শতাংশ দরে ঋণ দিচ্ছে, তা যাচাই করে নিই। কত বছরে সেই ঋণ পরিশোধ করতে হবে,সেক্ষেত্রে বাইকের পেছনে মোট কত খরচ হবে, তা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার করি। এমনকি সম্ভবহলে, ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সঙ্গেও দরদাম করার চেষ্টা করি। অর্ধেক শতাংশ কম সুদে ঋণদিলে মনে মনে খুশি হয়ে যাই। কিন্তু বন্ধুগণ, আমরা এমন কোনও ব্যাঙ্ক পাব না, যাঁরাআমার বন্ধু আবে-সান – এর মতো প্রায় বিনা সুদে ঋণ দিয়ে বলছেন, ১০-২০ বছর নয়, ৫০বছরে পরিশোধ করতে হবে। আমাদের দেশের ব্যাঙ্ক আমাদের ঋণ দিতে চায় না, কিন্তু ভারতএমন এক বন্ধু পেয়েছে, যারা বুলেট ট্রেন প্রকল্পবাবদ ৮৮ হাজার কোটি টাকা মাত্র ০.১শতাংশ সুদে ৫০ বছরে ফেরতের শর্তে ঋণদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি অবাক হয়েছি, যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম,তখন বুলেট ট্রেনের কথা বললে সবাই বলতো, কেন বুলেট? কবে আনবেন? কবে আনবেন? কবেআনবেন? যখন আনার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, তখন তাঁরাই জিজ্ঞেস করছেন, কেন আনছেন? ভাই ওবোনেরা, এই বুলেট ট্রেন প্রকল্প জাপান ভারতকে প্রায় বিনে পয়সায় উপহার দিচ্ছে।সেজন্য আমি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ও জনগণের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি।যাঁরা এই প্রকল্পের জন্য প্রযুক্তি ও আর্থিক সাহায্য দিয়ে ভারত’কে সহায়তার জন্যএগিয়ে এসেছে। ভাই ও বোনেরা, এই হাইস্পীড রেল ব্যবস্থা ৫০০কিলোমিটার দূরবর্তী দু’টি শহরকে, অনেক কাছে নিয়ে আসবে। সেজন্য আমি বলব, এই ট্রেন‘আমরু-আমেদাবাদ’ থেকে ‘আমচি-মুম্বাই’ যাবে। এই প্রকল্প যেদিন সম্পন্ন হবে, সেদিনমুম্বাই থেকে আমেদাবাদের দূরত্ব মাত্র ২-৩ ঘন্টায় অতিক্রম করা যাবে। আমরা যদিবিমানযাত্রার সঙ্গে তুলনা করি, তা হলে নিজের শহরের বিমানবন্দরে যতটা সময় আগে যেতেহয়, তারপর নানা চেকিং ইত্যাদি বাবদ যা সময় লাগে তার অর্ধেক সময়ের মধ্যেই হাইস্পীডরেলের মাধ্যমে আমরা মুম্বাই পৌঁছে যেতে পারব। কল্পনা করতে পারেন, কতটা পরিবর্তনআসবে! মানুষের কত সময় বাঁচবে। মুম্বাই-আমেদাবাদ সড়কপথে প্রতিদিন যে হাজার হাজারগাড়ি যাতায়াত করে, তার সংখ্যাও কমবে। ফলে, জ্বালানি সাশ্রয় হবে, পরিবেশ দূষণও কমহবে। পাশাপাশি, বিদেশ থেকে কম জ্বালানি আমদানি করতে হবে। ফলে, বিদেশি মুদ্রাওসাশ্রয় হবে। বন্ধুগণ, এই প্রকল্পের পাশাপাশি মুম্বাই-আমেদাবাদরুটে একটি নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও বিকশিত হতে যাচ্ছে। এই দুই শহরের মধ্যবর্তীসম্পূর্ণ এলাকা এক প্রকার ‘সিঙ্গল ইকনোমিক জোন’-এ পরিবর্তিত হয়ে যাবে। হাইস্পীডকরিডর শুধু যাতায়াতের গতি বৃদ্ধি করবে না, বাণিজ্যকেও গতি প্রদান করবে।ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে, ফলে মানবসম্পদ এবং পণ্য পরিবহণও সরল ওসুগম হবে। এতে দেশের উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে। একটি ভুল ধারণা রয়েছ যে, সমস্ত নতুন প্রযুক্তিধনীদের কথা মাথায় রেখে গড়ে ওঠে। প্রযুক্তিকে যদি গরিব মানুষের ক্ষমতায়নের জন্যপ্রয়োগ করা হয়, তা হলে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও আমরা দ্রুত জয় পেতে পারি।সেজন্য আমাদের প্রচেষ্টা হ’ল প্রযুক্তিকে অধিক ব্যবহারের মাধ্যমে এতটাই সুলভ করেতুলব, যাতে দেশে গরিব মানুষের জীবনের সঙ্গেও তা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ে। আজ যখনআমরা ভারতের রেল ব্যবস্থাকে নতুন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করছি, তখনওআমাদের মাথায় রয়েছে কিভাবে এই নতুন প্রযুক্তি দ্বারা সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। এইপ্রযুক্তি রূপান্তরের মাধ্যমে রেল উপকৃত হবে। সংশ্লিষ্ট কলাকুশলী, ভেন্ডর ওনির্মাতারাও উপকৃত হবেন। রেলের গোটা নেটওয়ার্কই পুনর্নবীকৃত হলে সংশ্লিষ্ট সকলেইউপকৃত হবেন। আমরা রেলপথকে ডবল লাইনে রূপান্তরিত করা, বিদ্যুতিকরণের মতো কাজগুলিকেদ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আগের চেয়ে অনেক বেশি গতিতে কাজ হচ্ছে। বর্তমান সরকার ���েলসংস্কারে যত অর্থ বিনিয়োগ করেছে, তা আগে কখনো হয়নি। বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরাদশকের পর দশক ধরে থেমে থাকা প্রকল্পগুলিকেও সম্পূর্ণ করার প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকারদিয়েছি। ভারতীয় রেলের ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পণ্য পরিবহণকে সহজ করার চেষ্টাচালাচ্ছি। মুম্বাইয়ের জওহরলাল নেহরু সমুদ্র বন্দর থেকে উত্তরপ্রদেশের দাদরি পর্যন্ত ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডর নির্মাণ করা হচ্ছে।তেমনই, কলকাতা বন্দর থেকে লুধিয়ানা পর্যন্ত ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডরনির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী তিন-সাড়ে তিন বছরের মধ্যে এই প্রকল্প সম্পূর্ণ করারচেষ্টা আমরা করছি। এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে রেলের পণ্য পরিবহণে গতি বাড়বে এবংযাত্রী পরিবহণেও সময় সাশ্রয় হবে। বন্ধুগণ, হাইস্পীড রেল প্রোজেক্ট আমাদের আমাদেরআধুনিক রেলপথ নির্মাণের অন্যতম অঙ্গ। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ এর ভূমি পুজোহচ্ছে। আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, স্বাধীনতার ৭০ বছর পর আমরা যখন সাবরমতী আশ্রমেরশতাব্দী পালন করছি, মনে ইচ্ছা ও স্বপ্ন রয়েছে যে, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিউপলক্ষে ২০২২-২৩ সালের মধ্যে আমরা এই প্রকল্প সম্পূর্ণ করতে পারব আর একটু আগেশ্রীযুক্ত আবে-সান যেমন বলেছেন, আমরা দু’জনই এই ট্রেনে বসে যাত্রাসূচনা করব। আমিআপনাদের আশ্বস্ত করছি যে জাপান আর ভারত উভয়ের প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা এই প্রকল্পেরউদ্বোধন তাঁর ইচ্ছেমতই যথাসময়ে হবে। এই প্রকল্পের পাশাপাশি হাই-স্পিড রেল বিশেষজ্ঞদেরপ্রশিক্ষণের জন্যে বরোদায় হাই-স্পিড ট্রেনিং ইন্সটিটিউট স্থাপন করা হচ্ছে। এটিকেওআমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বলে মনে করি। বরোদায় অনেক বছর ধরেই ভারতীয় রেলেরএকটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট রয়েছে। এখন হাইস্পীড রেল প্রকল্পের জন্য যে ধরনেরমানবসম্পদ প্রয়োজন, যে ধরনের প্রযুক্তি তাদের শেখানো হবে, জাপান সরকার ঐ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভারতের নবীন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের বিশেষ করে, গুজরাটের ছেলেমেয়েদেরসেই মানের শিক্ষা দেবে। আর যখন মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন তখন দেশের শক্তি অনেক গুণবৃদ্ধি হয়। জাপানের সহযোগিতায় সেই কাজ এখন বরোদায় হতে যাচ্ছে, রেলের আধুনিক ইঞ্জিনিয়ারদেরপ্রশিক্ষণের কাজ। কল্পনা করতে পারেন, এতে নতুন ভারতের মানবসম্পদের সামর্থ্য কত গুণবৃদ্ধি পাবে। সেজন্য আমার কাছে হাইস্পীড রেলওয়ে ভূমি পুজোর থেকেও এই নবীনপ্রজন্��ের যুবক-যুবতীদের আধুনিক প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরভূমি পুজো করা হচ্ছে, তা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিশ্চিত যে, এর মাধ্যমে একবিংশশতাব্দীর ভারতের মজবুত ভিত্তি স্থাপন করা হচ্ছে। আমি এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ভারত ও জাপানের সকলপ্রতিনিধি ও কর্মচারীদের আরেকবার অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাই। তাঁদেরপ্রচেষ্টায় এই প্রকল্প আজ এত দূর পৌঁছেছে আর আজ থেকে মাটিতে এর আসল কাজ শুরু হয়েযাচ্ছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আপনারা সবাই মিলে এই প্রকল্পকে নির্ধারিত সময়ের আগেইসম্পূর্ণ করার প্রচেষ্টা চালাবেন এবং করে দেখাবেন। আমি আরেকবার জাপানেরপ্রধানমন্ত্রী এবং আমার পরম মিত্র শ্রীযুক্ত শিনজো আবে, শ্রীযুক্ত আবে-সান’কেঅন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আর ভারতের রেল নেটওয়ার্ক এত বড় যে, জাপানের যতজনসংখ্যা সেই সংখ্যক যাত্রী প্রতি সপ্তাহে ভারতীয় রেলে প্রতি সপ্তাহে তারচেয়ে বেশিমানুষ রেলে সফর করেন। কত বিশাল তার ক্ষমতা আমাদের অনেক সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে,গতি রয়েছে আর আপনাদের রয়েছে দক্ষতা। এইসব মিলে নতুন ভারত’কে নতুন গতি প্রদানেরলক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাব। আমি আরেকবার গুজরাটবাসীদের আজকের এই সুন্দরঅনুষ্ঠান ও স্বাগত সম্মানের আয়োজনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। জাপানের প্রধানমন্ত্রীরমর্যাদা অনুযায়ী তাঁকে যেভাবে সম্মান জানানো হয়েছে সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। গুজরাটএবং মহারাষ্ট্র সরকারকে অভিনন্দন জানাই। তারা মিলিতভাবে জাপান সরকারেরপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে দ্রুতগতিতে এই হাইস্পীড রেল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ এগিয়েনিয়ে গেছেন। আর সেজন্য গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকেওহৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",আহমেদাবাদত ভাৰতৰ প্ৰথম দ্ৰুতবেগী ৰে’ল প্ৰকল্পৰ আধাৰশিলা স্থাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে দিয়া ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87-%E0%A6%AA/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A7%B0-%E0%A6%85%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"মুম্বাইয়ের অগ্নিকাণ্ডে জীবনহানির ঘটনায় গভীর শোক ও বেদনা প্রকাশ করেছেনপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “মুম্বাইয়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমি মর্মাহত। এই মর্মান্তিক পরিস্থিতিতেশোক সন্তপ্ত পরিবারগুলির মতোই আমিও সমান উদ্বিগ্ন। ঘটনায় যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁরাদ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই প্রার্থনা জানাই”।",মুম্বাইৰ অগ্নিকাণ্ডত প্ৰাণহানি হোৱা লোকসকলৰ প্ৰতি প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শোক প্ৰকাশ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%98%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%98-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87/,"রাষ্ট্রসঙ্ঘদিবস উপলক্ষে এই বিশ্ব সংগঠনটির কাছে এক অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি তাঁর বার্তায় বলেছেন : “রাষ্ট্রসঙ্ঘদিবস উপলক্ষে অভিনন্দন জানাই। বিশ্ব শান্তির প্রসারে রাষ্ট্রসঙ্ঘের কর্মপ্রচেষ্টারআমরা প্রশংসা করি। এই প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাব ও পরামর্শ অনুযায়ী যে ব্যাপক উদ্যোগও প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়, আমরা তারও প্রশংসা করি।”",ৰাষ্ট্ৰসংঘ দিবস উপলক্ষে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শুভেচ্ছা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0-24/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A9%E0%A7%A6-%E0%A7%A6%E0%A7%AF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE/,"আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার! এমন কোনও ভারতবাসী কি আছেন যিনি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, আমাদের সেনাবাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে গর্ব বোধ করেন না?প্রত্যেক ভারতবাসী, তা তিনি যে কোনও অঞ্চল, জাতি, ধর্ম বা ভাষাভুক্ত হোন না কেন, আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতি সম্মান ও সমর্থন জানাতে সদা তৎপর। গতকালই একশো পঁচিশ কোটি দেশবাসী ‘পরাক্রম পর্ব’ পালন করেছেন। আমরা স্মরণ করেছি ২০১৬ সালে সংঘটিত ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর ঘটনাটি, যখন আমাদের সেনারা আমাদের দেশে সন্ত্রাসবাদের আড়ালে প্রক্সি ওয়্যারের নামে যারা ধৃষ্টতা দেখাচ্ছিল, তাদের যথোপযুক্ত জবাব দিয়েছিল। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সেনারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল যাতে সিংহভাগ জনসাধারণ, বিশেষত দেশের যুব প্রজন্ম অনুভব করতে পারে আমাদের শক্তি কতখানি, আমরা কতটা সক্ষম আর আমাদের সেনারা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে কীভাবে দেশবাসীকে সুরক্ষা প্রদান করে। ‘পরাক্রম পর্ব’র মত দিবস দেশের যুবশক্তির কাছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবপূর্ণ ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে। দেশের একতা এবং অখণ্ডতাকে সুনিশ্চিত করার জন্য আমাদের প্রেরণা দেয়। আমিও বীর যোদ্ধাদের ভূমি রাজস্থানের যোধপুরে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলাম। এটা নিশ্চিত যে আমাদের সেনারা তাদের সবাইকে যথোপযুক্ত জবাব দেবে যারা আমাদের দেশের শান্তি ও উন্নতির পরিবেশকে নষ্ট করতে চাইবে। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, আর শান্তি বজায় রাখার জন্য দায়বদ্ধও। কিন্তু সম্মানের সঙ্গে আপোস করে আর দেশের সার্বভৌম ক্ষমতার বিনিময়ে কদাপি নয়। ভারত সদাসর্বদাই শান্তি ব্যবস্থা কায়েম রাখার প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ও সমর্পিত। বিংশ শতাব্দীর দু–দুটি বিশ্বযুদ্ধে আমাদের এক লক্ষেরও বেশি সেনা শান্তির জন্য নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন, এই ঘটনা সেই যুদ্ধের, যার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক ছিল না। আমাদের দৃষ্টি কখনই অপর কোনও দেশের ভূমির ওপর পরেনি। এটা ছিল ‘শান্তি’র প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা। কিছুদিন আগেই ২৩শে সেপ্টেম্বর আমরা ইজরায়েলে Haifa যুদ্ধের শতবার্ষিকী উপলক্ষে মহীশূর, হায়দ্রাবাদ ও যোধপুর ল্যান্সারের বীর সৈনিকদের স্মরণ করেছি, যাঁরা আক্রমণকারীদের থেকে Haifa-কে মুক্ত করেছিলেন। এও ছিল শান্তিরক্ষার উদ্দেশ্যে আমাদের সৈনিকদের প্রদর্শিত এক পরাক্রম। আজও রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিভিন্ন শান্তিরক্ষা বাহিনীগুলিতে সর্বাধিক সংখ্যায় সেনা পাঠানো দেশগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম। দশকের পর দশক ধরে আমাদের বাহাদুর জওয়ানরা blue helmet পরিধান করে সমগ্র বিশ্বের শান্তিব্যবস্থা কায়েমের উদ্দেশ্যে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদের বায়ুশক্তি তুলনাহীন। আকাশে নিজেদের অপরিসীম শক্তির পরিচয় দিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রত্যেক দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছে ও আমাদের সুরক্ষা সম্বন্ধে আশ্বস্ত করেছে। সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে জনসাধারণ কুচকাওয়াজের যে অংশটির প্রতি সর্বাধিক আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করেন তা হল Fly Past, যেখানে আমাদের বায়ুসেনার অভূতপূর্ব কলাকৌশল ও শক্তি প্রদর্শনের ঝলক থাকে। ৮–ই অক্টোবর আমরা ‘বায়ুসেনা দিবস’ পালন করি। ১৯৩২–এ ছয়জন পাইলট ও ১৯ জন সেনাকে নিয়ে শুরু হওয়া আমাদের বায়ু সেনাবাহিনী আজ একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম সাহসী ও শক্তিশালী বায়ুসেনায় পরিনত হয়েছে। এ এক স্মরণীয় যাত্রা। দেশের প্রতি সমর্পিত সমস্ত বায়ুসেনানী ও তাদের পরিবারের সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক অভিনন্দন। ১৯৪৭–এ যখন পাকিস্তানের আক্রমণকারীরা অতর্কিত আক্রমণ শুরু করে তখন এই বা���ুসেনাই শ্রীনগরকে আক্রমণকারীদের হাত থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে ভারতীয় বাহিনী ও যুদ্ধোপকরণ যাতে যুদ্ধের ময়দানে সঠিক সময়ে পৌঁছয় তা সুনিশ্চিত করেছিল। ১৯৬৫–র যুদ্ধেও বায়ুসেনা শত্রুপক্ষকে উচিত জবাব দিয়েছিল। ১৯৭১–এর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা কে না জানে? ১৯৯৯–এ কারগিলকে অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে মুক্ত করতেও বায়ুসেনা অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। টাইগার হিল–এ শত্রুপক্ষের ঘাঁটিতে ক্রমাগত বোমাবর্ষণ করে বায়ুসেনা তাদের নাস্তানাবুদ করেছিল। ত্রাণ এবং উদ্ধারকার্য হোক বা আপৎকালীন ব্যবস্থাপনা, বায়ুসেনার উল্লেখযোগ্য ভূমিকার জন্য সমগ্র দেশ তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তুফান, ঝঞ্ঝা,বন্যা বা ভয়াবহ দাবানলের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলির মোকাবিলায় ও দেশবাসীর সহায়তায় বায়ুসেনার অবদান দৃষ্টান্তমূলক। দেশেGender Equality অর্থাৎ নারী–পুরুষের সমতা সুনিশ্চিত করতেও বায়ুসেনা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ও নিজেদের প্রত্যেক বিভাগের দ্বার দেশের কন্যাদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। এখন তো বায়ুসেনা মহিলাদের ‘শর্ট সার্ভিস কমিশন’-এর সঙ্গে সঙ্গে ‘পার্মানেন্ট কমিশন’-এর বিকল্পও বেছে নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে, যার ঘোষণা আমি এই বছর ১৫ আগষ্টের দিনটিতে লালকেল্লার প্রাকার থেকে করেছিলাম। ভারত গর্বের সঙ্গে বলতে পারে, ভারতীয় সশস্ত্র সেনাবাহিনীতে শুধু পুরুষ শক্তিই নেই, নারীশক্তির যোগদানও দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নারী শক্তিশালী তো বটেই এখন সশস্ত্রও হচ্ছে। আমার প্রিয় দেশবাসী! কদিন আগেই আমাদের নৌবাহিনীর এক আধিকারিক, অভিলাষ টোমি জীবন–মৃত্যুর লড়াই লড়ছিল। সারা দেশ চিন্তিত ছিল ওকে কিভাবে বাঁচানো যায়। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন অভিলাষ টোমি নৌবাহিনীর এক নির্ভীক, সাহসী ও বীর সৈনিক। অভিলাষ প্রথম ভারতীয় যিনি কোনো আধুনিক প্রযুক্তি ছাড়াই একটি ছোট্ট নৌকো নিয়ে বিশ্ব–ভ্রমণ করছিলেন। ৮০ দিন ধরে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে গোল্ডেন গ্লোব রেস প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে যখন দ্রুতগতিতে এগোচ্ছিলেন তখন এক ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক ঝড়ের মধ্যে পড়েন। এত বিপদের মধ্যেও ভারতীয় নৌবাহিনীর এই বীর বেশ ক’দিন ধরে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যান। অপার সাগরের মধ্যে পানীয় জল বা খাবার ছাড়াই ভাসতে থাকেন, কিন্তু হার স্বীকার করেন নি। সাহস, সঙ্কল্পশক্তি আর দক্ষতার এ এক আশ্চর্য নিদর্শন! কয়েকদিন আগেই, অভিলাষকে মাঝ–সমুদ্রে উদ্ধারের পর, আমি ওর সঙ্গে ফোনে কথা বলি। এর আগেও অবশ্য আমাদের সাক্ষাৎ হয়েছে। এত বড় বিপদ কাটিয়েও আবার এইরকম দুঃসাহসী কিছু করার সংকল্পের কথা আমাকে বলল… ওর মধ্যে এই মনোবল, এই যে উদ্দীপনা রয়েছে… সেইটা আমাদের দেশের যুবসমাজের কাছে, তরুণ প্রজন্মের কাছে একটা প্রেরণা। আমি অভিলাষ টোমির দ্রুত আরোগ্যের জন্যে প্রার্থনা করছি আর আশা করছি যে ওর এই সাহস, এই বীরত্ব, এই দৃঢ়সংকল্প – এই লড়ে জিতে নেওয়ার শক্তি – আমাদের দেশের যুব প্রজন্মকে প্রেরণা ও উৎসাহ যোগাবে। আমার প্রিয় দেশবাসী, ২–রা অক্টোবর দিনটির কী মাহাত্ম্য — তা শিশুরাও জানে। এবছর এই দিনটির আরও বিশেষ এক গুরুত্ব রয়েছে। আমরা আগামী দু–বছর ধরে মহাত্মাগান্ধীর সার্ধশত জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপনের জন্য বিশ্বজুড়ে নানান কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছি। মহাত্মা গান্ধীর ভাবধারা ও চিন্তাচেতনা আজ সারা বিশ্বে পৌঁছে গেছে। ডক্টর মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র বা নেলসন ম্যাণ্ডেলার মত মণীষীরা প্রত্যেকেই গান্ধীজীর ভাবধারা থেকে শক্তি অর্জন করেছেন। তাঁরা স্বজাতির সমান অধিকার এবং সম্মান অর্জন করতে দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন। আজকের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের সঙ্গে পূজনীয় বাপুজীর আরও এক মহৎ কাজ নিয়ে আলোচনা করতে চাই — যা সমস্ত দেশবাসীরই জানা দরকার। ১৯৪১ সালে মহাত্মা গান্ধী constructive programme বা ‘গঠনমূলক কার্যক্রম’ হিসেবে কিছু চিন্তাধারা লিপিবদ্ধ করতে শুরু করেন। পরে, ১৯৪৫ সালে যখন স্বাধীনতা সংগ্রাম জোরদার হয়ে উঠল, তখন গান্ধীজী তাঁর এই চিন্তাধারাগুলির সংশোধিত প্রতিলিপি তৈরি করলেন। পূজনীয় বাপুজী কৃষক, গ্রামের মানুষ এবং শ্রমিক ভাইদের অধিকার রক্ষা, স্বচ্ছতা, শিক্ষার প্রসার ইত্যদি নানা বিষয়ে নিজের চিন্তাভাবনা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেন, যাকে Gandhi Charter–ও বলা হয়। পূজনীয় বাপুজী জনসংযোগকারী ছিলেন। মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া, মানুষকে আপন করে নেওয়া বাপুজীর বিশেষত্ব, যা তাঁর স্বভাবেই ছিল। এটাই মহাত্মা গান্ধীর ব্যক্তিত্বের সর্বাপেক্ষা মূল্যবান বৈশিষ্ট্য হিসেবে প্রত্যেকে অনুভবও করেছেন। তিনি দেশবাসীকে উপলব্ধি করিয়েছিলেন যে তারা দেশের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং আবশ্যক। এই উপলব্ধিকে তিনি এক সর্বাত্মক জন আন্দোলনের রূপ দিয়েছিলেন যা ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ অবদান। স্বাধীনতা সংগ্রামে মহাত্মা গান্ধীর আহ্বানে সমাজের প্রতিটি ক্���েত্রের, প্রতিটি গোষ্ঠীর মানুষ নিজেকে সমর্পণ করে দিয়েছিলেন। বাপুজী আমাদের সবাইকে এক প্রেরণাদায়ক মন্ত্র দিয়েছিলেন, যা ‘গান্ধীজীর জাদুমন্ত্র’ বলে আমরা জানি। সেখানে গান্ধীজী বলেছিলেন — “আমি তোমাদের এমন এক কৌশলের কথা বলে যাচ্ছি, যখনই তোমাদের মনে সন্দেহ জাগবে অথবা অহংকার তোমাদের মনকে আচ্ছন্ন করবে, তখনই আমার চিন্তাধারা স্মরণ কোরো। তুমি জীবনে সবচেয়ে দরিদ্র এবং দুর্বল যে মানুষটিকে দেখেছো, তার মুখ মনে কোরো এবং নিজের মনকে প্রশ্ন কোরো — তুমি যে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছো — তা ঐ মানুষটির জন্য কতখানি উপযোগী হবে। এতে কি সে লাভবান হবে? এর ফলে কি তার জীবনে এবং ভাগ্যে কোনও পরিবর্তন আসবে?অর্থাৎ এতে কি কোটি কোটি ক্ষুধার্ত এবং অতৃপ্ত মানুষ স্বরাজ অর্জন করবে? তখনই তুমি লক্ষ্য করবে তোমার সন্দেহ নিরসন হল এবং অহংকার নিবৃত্ত হল।” আমার প্রিয় দেশবাসী, গান্ধীজীর এক কৌশল আজও একইরকম গুরুত্বপূর্ণ। দেশের ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্তশ্রেণির আর্থিক শক্তি এবং ক্রয় ক্ষমতা আজ উর্দ্ধমুখী। এই প্রেক্ষিতে আমরা যখন কিছু কিনতে যাই, তখনই পূজনীয় বাপুজীর সেই মহান কৌশল বা মন্ত্র স্মরণ করতে পারি। আমি যে পণ্যটি ক্রয় করছি, তাতে আমাদের দেশের কোনও নাগরিকের লাভ হচ্ছে কি? এতে কার মুখে খুশির আলো ঝলমল করবে? কে সেই ভাগ্যবান — যার কাছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমার এই ক্রয় থেকে লাভ পৌঁছবে। দরিদ্রতর মানুষের কাছে যদি সেই লাভ পৌঁছয় — তাহলেই আমার খুশিও বহুগুণে বেড়ে যাবে। গান্ধীজীর এই কৌশলকে মনে রেখে আগামীদিনে আমরা যখনই কিছু কিনব, গান্ধীজীর সার্ধশত জন্মজয়ন্তী যাপন করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে আমাদের প্রত্যেকটি ক্রয়ের ফলে যেন কোনও না কোনও দেশবাসীর ভালো হয় এবং পণ্যটির উৎপাদনে যাঁদের ঘাম ঝরেছে, যাঁরা বিনিয়োগ করেছেন, যাঁরা নিজেদের প্রতিভা কাজে লাগিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের কাছেই যেন কিছু না কিছু লাভ পৌঁছয়। এটাই গান্ধীজীর কৌশল, এটাই গান্ধীজীর বার্তা। আমার বিশ্বাস আপনাদের ছোট্ট একটি পদক্ষেপ দরিদ্রতম মানুষের জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। আমার প্রিয় দেশবাসী, গান্ধীজি যখন বলেছিলেন জঞ্জাল পরিষ্কার করলে স্বাধীনতা পাওয়া যাবে তখন হয়ত উনি জানতেনও না এটা কিভাবে হবে। কিন্তু এমনটা হয়েছে। ভারত স্বাধীনতা পেয়েছে। তেমন ভাবেই আজ আমাদের মনে হতে পারে আমাদের এই ছোট্ট কা��ের মাধ্যমে ও আমার দেশের আর্থিক প্রগতিতে, আর্থিক সশক্তিকরণ এর ক্ষেত্রে ,দরিদ্রকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি যোগাতে আমরা বড় অবদান রাখতে পারি। আর আমার মতে এটাই আজকের যুগের প্রকৃত দেশভক্তি, এটাই পুজনীয় বাপুর কাজের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। যেমন বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান উপলক্ষে খাদি ও হস্তশিল্পজাত দ্রব্য কেনার কথা ভাবুন। এতে অনেক বয়ন শিল্পীর সাহায্য হবে। কথিত আছে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীজী পুরনো বা ছেঁড়াফাটা খাদির কাপড়ও যত্ন করে রেখে দিতেন। কারণ তাতেও কারো পরিশ্রম জড়িয়ে থাকে। উনি বলতেন এইসব খাদির কাপড় অনেক পরিশ্রম করে বানানো হয়েছে। এর প্রতিটি সুতো যেন কাজে লাগে। দেশ ও দেশবাসীর প্রতি ভালোবাসা ওই ছোটখাটো চেহারার মহামানবের শিরায় শিরায় প্রবাহিত ছিল। দুদিন পর পূজনীয় বাপুর সঙ্গে আমরা শাস্ত্রীজির জন্মজয়ন্তী ও পালন করব। শাস্ত্রীজীর নাম উচ্চারিত হতেই আমাদের অর্থাৎ ভারতবাসীর মনে এক অসীম শ্রদ্ধার জন্ম হয়। ওর সৌম্য ব্যক্তিত্ব প্রত্যেক দেশবাসীর মন সর্বদা গর্বে ভরে দেয়। লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর বিশেষত্ব ছিল বাইরে থেকে ওঁকে অত্যন্ত নরম দেখাতো। কিন্তু অন্তরে তিনি দৃঢ়প্রত্যয়ী ছিলেন। ‘জয় জওয়ান জয় কিষাণ’ মন্ত্রটি ছিল তাঁর বিরাট ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক। প্রায় দেড় বছরের সংক্ষিপ্ত কার্যকালে উনি দেশের যুবক ও কৃষকের সাফল্যকে শিখরে পৌঁছে দেওয়ার মন্ত্র দিয়ে গেছেন। এটা রাষ্ট্রের প্রতি ওর নিঃস্বার্থ তপস্যারই ফল। আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ যখন আমরা পূজনীয় বাপুকে স্মরণ করছি খুব স্বাভাবিক ভাবেই স্বচ্ছতার কথা তো বলতেই হয় 15সেপ্টেম্বর থেকে ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ অভিযান শুরু হয়েছে। কোটি কোটি মানুষ এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন। আমারও সৌভাগ্য হয়েছে দিল্লির আম্বেদকার স্কুলে বাচ্চাদের সঙ্গে স্বচ্ছতা শ্রম দান করার। আমি সেই স্কুলে গেছি, যার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন পূজনীয় বাবা সাহেব নিজে। 15 তারিখ থেকে দেশজুড়ে প্রতিটি শ্রেণির মানুষ এই শ্রম দানে যুক্ত হন। বিভিন্ন সংস্থা এতে অংশগ্রহণ করেছে। স্কুলের বাচ্চা, কলেজের ছাত্র ছাত্রী, এন সি সি, এন এস এস, যুব সংগঠন, মিডিয়া গ্রুপ, কর্পোরেট জগত সবাই বৃহদাকারে স্বচ্ছতা শ্রম দান করেছেন। আমি এর জন্য সকল স্বচ্ছতাপ্রেমী দেশবাসীকে আন্তরিকভাবে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আসুন শোনা যাক একটি ফোন কল, ""নমস��কার, আমার নাম শয়তান সিং। জেলা বিকানির, তহশীল পুগল, রাজস্থান থেকে বলছি আমি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দুটি চোখের একটিতেও আমি দেখতে পাই না। আমি সম্পূর্ণ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। আমি বলতে চাই ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে মোদীজি ‘স্বচ্ছ ভারত’-এর যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমরা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা শৌচকর্ম করতে যেতে খুবই অসুবিধায় পড়তাম। এখন প্রতিটি ঘরে শৌচালয় তৈরি হয়েছে, তাই এতে আমাদের খুব সুবিধা হয়েছে। এই পদক্ষেপ খুবই প্রশংসনীয় এবং এই উদ্যোগ আরও এগিয়ে যাক। অনেক অনেক ধন্যবাদ! আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা বলেছেন। প্রত্যেকের জীবনেই স্বচ্ছতার নিজস্ব গুরুত্ব আছে। আর ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানের ফলে আপনার ঘরে শৌচালয় তৈরি হয়েছে, তাতে এখন আপনার সুবিধা হচ্ছে, আমাদের সবার জন্য এর থেকে খুশির খবর আর কি হতে পারে! সম্ভবত এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত মানুষরাও কল্পনা করতে পারবেন না যে প্রজ্ঞাচক্ষু হওয়ার কারণে শৌচালয় হওয়ার আগে আপনি কতটা অসুবিধার মধ্যে দিয়ে জীবন কাটাচ্ছিলেন আর শৌচালয় হওয়ার পর তা আপনার জন্য কত বড় আশীর্বাদ হয়েছে। আপনি যদি এই বিষয়টা জানিয়ে আমাদের ফোন না করতেন তাহলে হয়তো স্বচ্ছতা অভিযানে যুক্ত ব্যক্তিদের মনেও এই সংবেদনশীল বিষয়টি আসত না। আপনার ফোনের জন্য আমি আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। আমার প্রিয় দেশবাসী ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’ শুধু দেশেই নয় বরং সারা পৃথিবীতে একটি সাফল্যের কাহিনি হয়ে উঠেছে যার বিষয়ে সকলেই আলোচনা করছেন। এবার ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্বচ্ছতা সম্মেলন আয়োজন করতে চলেছে– ‘মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক স্বচ্ছতা সম্মেলন’ অর্থাৎ মহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্যানিটেশন কনভেনশন। সারা পৃথিবীর থেকে স্বচ্ছতা মন্ত্রকের আধিকারিক এবং এই বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা এসে স্বচ্ছতা সম্পর্কিত প্রয়োগ ও অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেবেন। ‘Mahatma Gandhi International Sanitation Convention’-এর সমাপ্তি ২রা অক্টোবর, ২০১৮–তে বাপুর সার্ধশত জন্ম জয়ন্তীর শুভ সূচনার সঙ্গেই হবে। আমার প্রিয় দেশবাসী, সংস্কৃতে একটা কথা আছে, ""ন্যায়মূলং স্বরাজ্যং স্যাত"" অর্থাৎ স্বরাজের মূলে থাকে ন্যায়। যখন ন্যায়ের বিষয়ে আলোচনা হয়, তখন মানবাধিকারের চিন্তাভাবনা সেখানে সম্পূর্ণরূপে অন্তর্নিহিত থাকে। শোষিত, পীড়িত এবং বঞ্চিত মানুষদের স্বাধীনতা, শান্তি এবং তাদের প্রতি ন্যায় সুনিশ্চিত করার জন্য এটা অনিবার্য। ডক্টর বাবাসাহেব আম্বেদকার রচিত সংবিধানে গরীবদের মূল অধিকারগুলি রক্ষার জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে। তাঁর ভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়ে, ১২ ই অক্টোবর ১৯৯৩ সালে, ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন’ অর্থাৎ ""National Human Rights Commission"" (",৩০.০৯.২০১৮ তাৰিখৰ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ মন কী বাতৰ ৪৮তম খণ্ডৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A6%A4/,"নয়াদিল্লি, ০৭ অগাস্ট, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, হস্তচালিত তাঁত ভারতের বৈচিত্র্যের প্রকাশ এবং অগণিত তন্তুবায় ও শিল্পীদের নৈপুণ্য এর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। তিনি সকলকে স্থানীয় তাঁত সামগ্রী কেনার আহ্বান জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “হস্তচালিত তাঁত ভারতের বৈচিত্র্যের প্রকাশ এবং অগণিত তন্তুবায় ও শিল্পীদের নৈপুণ্য এর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। জাতীয় হস্তচালিত তাঁত দিবস আমাদের তন্তুবায়দের সাহায্য করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এর মাধ্যমে #MyHandloomMyPride ভাবনাকে প্রসারিত করে। আসুন আমরা সবাই স্থানীয় তাঁত সামগ্রী কিনি”! অলিম্পিক পদকজয়ী সাইখোম মীরাবাঈ চানুর একটি ট্যুইটকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী আরেকটি ট্যুইট বার্তায় বলেছেন, “বিগত কয়েক বছর ধরে হস্তচালিত তাঁতের প্রতি নতুন করে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। @mirabai_chanu, #MyHandloomMyPride ভাবনাকে সমর্থন করছেন দেখে আমি আনন্দিত। আমি আশাবাদী আত্মনির্ভর ভারত গঠনের জন্য হস্তচালিত তাঁত শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে”।",ৰাষ্ট্ৰীয় হস্ততাঁত দিৱসত স্থানীয় হস্ততাঁত পণ্যলৈ সমৰ্থন জনোৱাৰ আহ্বান প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF/,"নয়াদিল্লি, ১২ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ পাটনায় বিহার বিধানসভার শতবার্ষিকী উদযাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন। শ্রী মোদী বিধানসভার শতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য নির্মিত শতাব্দী স্মৃতি স্তম্ভের উদ্বোধন করেন। তিনি বিধানসভা সংগ্রহালয়ের শিলান্যাসও করেছেন। এই সংগ্র��শালার বিভিন্ন গ্যালারিতে বিহারের গণতন্ত্রের বিভিন্ন ইতিহাস তুলে ধরা হবে এবং বর্তমান কাঠামোয় পৌঁছতে যেসব বিবর্তনগুলি অতিক্রম করেছে তা এই সংগ্রহালয়ে প্রদর্শিত হবে। এখানে একটি কনফারেন্স হল গড়া হবে যেখানে ২৫০টির বেশি আসন থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বিধানসভা অতিথিশালারও শিলান্যাস করেছেন। বিহারের রাজ্যপাল শ্রী ফাগু চৌহান এবং মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতিশ কুমার সহ অন্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিহারকে যিনি ভালোবাসবেন বিহার তাঁকে সেই ভালোবাসা বহুগুণে ফিরিয়ে দেবে। এটাই বিহারের চরিত্র। “বিহার বিধানসভা কমপ্লেক্সে কোনও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমিই প্রথম পদার্পণ করলাম। আমি বিহারের মানুষের এই ভালোবাসা মাথা পেতে নিচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, শতাব্দী স্মৃতি স্তম্ভ বিহারের আকাঙ্ক্ষাকে পূরণ করতে অনুপ্রাণিত করবে। বিহার বিধানসভার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই বিধানসভা ভবনে উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার প্রাক্কালে রাজ্যপাল শ্রী সত্যেন্দ্র প্রসাদ সিনহা এই বিধানসভা থেকে দেশীয় শিল্পগুলিকে উৎসাহিত করার জন্য এবং স্বদেশী চরকার ব্যবহার বাড়াতে আবেদন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর এই বিধানসভা থেকে জমিদারি প্রথা বিলোপ আইন পাশ করা হয়। এই ঐতিহ্য বজায় রেখে নীতিশজির সরকার বিহার পঞ্চায়েতি রাজ আইন পাশ করেন। ফলে, দেশের মধ্যে বিহারই প্রথম রাজ্য যেখানে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হয়। “গণতন্ত্রে সমাজ জীবনে সমান অংশগ্রহণ এবং সম-অধিকারের উদাহরণ এই বিধানসভা।” প্রধানমন্ত্রী প্রাচীনকাল থেকে ভারতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অনুসরণের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “বহু যুগ ধরে আমাদের শেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে বিদেশি শাসন এবং বিদেশি ভাবনার কারণেই ভারত গণতন্ত্রকে পেয়েছে। যখন কেউ এ ধরনের কথা বলতে চান তখন তিনি আসলে বিহারের ইতিহাসকে এবং ঐতিহ্যকে গোপন করতে চান। যখন বিশ্বের বেশিরভাগ অংশে সভ্যতা এবং সংস্কৃতির প্রথম ধাপে সবাই পৌঁছেছিলেন, সেই সময় বৈশালীতে একটি উন্নত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর ছিল। যখন বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে ভাবনা-চিন্তা হচ্ছিল, সেই সময় লিচ্ছবী এবং বাজিসঙ্ঘ-এর মতো প্রজ��তন্ত্রের উদাহরণ আমরা এ দেশের ইতিহাসে পাই। ভারতে গণতন্ত্রের ধারণা প্রাচীন এবং তা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত। ভারত গণতন্ত্রকে সাম্যবাদ হিসেবে বিবেচনা করে। ভারত বিশ্বাস করে সহাবস্থান ও সম্প্রীতিতে। আমরা সত্য, সহযোগিতা, সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। আমরা সমাজের সংগঠিত শক্তির ওপর বিশ্বাসী।” প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, বিশ্বের গণতন্ত্রের জননী হল ভারত। বিহারের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং পালি ভাষায় রচিত বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল সেই সাক্ষ্য বহন করে। বিহারের এই গৌরবকে কেউ মুছে দিতে পারবেন না বা গোপন করতে পারবেন না। “এই ভবনটি ভারতীয় গণতন্ত্রকে গত ১০০ বছর ধরে শক্তিশালী করেছে। তাই এই ভবন আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। এই ভবনটি সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ যা পরাধীনতার সময়েও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ভূলুন্ঠিত হতে দেয়নি।” প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার সময় ক্ষমতা হস্তান্তরের সময়কালে বৃটিশদের বিরুদ্ধে শ্রী বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে রক্ষা করার জন্য বিহার সর্বদা তার অঙ্গীকার বজায় রেখেছে। শ্রী মোদী এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন, বিহার ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছিল – শ্রী বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ। লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ, কর্পুরি ঠাকুর এবং বাবু জগজীবন রামের মতো নেতারা এই ভূমি থেকে উঠে এসেছেন। যখন দেশের সংবিধানকে ধ্বংস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়, সেই সময় প্রতিবাদ আন্দোলনের সামনের সারিতে বিহার ছিল। “বিহার যত বেশি সমৃদ্ধ হবে ভারতের গণতন্ত্রও তত শক্তিশালী হবে। শক্তিশালী বিহার আরও দক্ষ ভারত গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের সময়কালে বিহার বিধানসভার ১০০ বছর পূর্তি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এই সময় আমাদের সকলকে, প্রত্যেক জনপ্রতিনিধিকে আত্মবিশ্লেষণ করতে হবে। “আমরা যত আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করব, আমাদের স্বাধীনতা এবং অধিকার তত বেশি শক্তিশালী হবে।” একবিংশ শতাব্দীর পরিবর্তিত চাহিদা এবং স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে নতুন ভারতের বিভিন্ন সঙ্কল্পের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের সাংসদ হিসেবে, রাজ্যের বিধায়ক হিসেবে আমাদের সকলের দায়িত্ব হল গণতন্ত্র যেসব সমস্যার সম্মুখীন হবে সেগুলিকে একযোগে সকলে মিলে সমাধান করব। দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দেশের জন্য আমাদের একসুরে সোচ্চার হতে হবে।” শ্রী মোদী আরও বলেছেন, “আমাদের আচরণের মধ্য দিয়ে দেশের গণতন্ত্রের পরিপূর্ণতা প্রকাশিত হয়। এর জন্য বিধানসভাগুলিকে জনসাধারণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইতিবাচক আলোচনার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।” সংসদে সম্পাদিত বিভিন্ন কাজের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, “গত কয়েক বছর ধরে সংসদে সাংসদদের উপস্থিতির হার যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সদনে অনেক বেশি কাজ হয়েছে। গত বাজেট অধিবেশনেও লোকসভায় কাজের হার ছিল ১২৯ শতাংশ, রাজ্যসভায় এই হার ৯৯ শতাংশ। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশ নতুন নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর করার বিষয়ে সক্রিয়।” একবিংশ শতাব্দীকে ভারতের শতাব্দী বলে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ভারতের জন্য এই শতাব্দী হল দায়িত্ব পালনের শতাব্দী। এই শতকে নতুন ভারত গড়ার যে স্বর্ণালী লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে, আগামী ২৫ বছরে আমাদের তা অর্জন করতে হবে। এই লক্ষ্য পূরণ করার জন্য আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাই, এই ২৫ বছর ধরে দেশের জন্য আমাদের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে হবে।” তিনি আরও বলেছেন, “আমরা আমাদের কর্তব্যকে আমাদের অধিকার থেকে কখনই পৃথক করব না। আমরা যত আমাদের দায়িত্ব পালনের জন্য কাজ করব, আমাদের অধিকার তত বেশি শক্তিশালী হবে। কর্তব্যের প্রতি আমাদের আনুগত্য আমাদের অধিকারকে নিশ্চিত করবে।”",বিহাৰ বিধানসভাৰ শতবাৰ্ষিকী উদযাপনৰ সামৰণি অনুষ্ঠান সম্বোধন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B2%E0%A7%8B/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সাধারণ শ্রেণিভুক্ত গরিব মানুষের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ প্রদানের সংবিধান সংশোধনী বিলটিকে গরিব মানুষের কল্যাণে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, এই বিল ‘সকলকে সঙ্গে নিয়ে, সকলের বিকাশে’র লক্ষ্যে সরকারের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। আজ মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে এক জনসভায় ভাষণে শ্রী মোদী বলেন, গরিব মানুষের সংরক্ষণের স্বার্থবাহী এই বিলটি সম্পর্কে যারা মিথ্যা প্রচার করছেন, লোকসভায় বিলটি পাশ হয়ে যাওয়ায় তাদের যথাযোগ্য জবাব দেওয়া গেল। রাজ্যসভাতেও বিলটি পাশ হয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। প্রধা��মন্ত্রী আরও বলেন, “সাধারণ শ্রেণিভুক্ত তথাপি আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ প্রদানে লোকসভায় গতকাল আমরা এক ঐতিহাসিক বিল পাশ করেছি। এই বিলটি ‘সকলকে সঙ্গে নিয়ে, সকলের বিকাশে’র জন্য আমাদের দৃঢ় সঙ্কল্পকে আরও মজবুত করে।” নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী অসম ও উত্তর-পূর্ববাসী মানুষকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, তাঁদের অধিকার ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা সুরক্ষিত রাখা হবে। তিনি আরও বলেন, “এই বিলটি পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে বসবাসকারী ভারতমাতার পুত্র ও কন্যাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের পথ প্রশস্ত করেছে। বহু ঐতিহাসিক উত্থান-পতন দেখার পর আমাদের এই ভাই-বোনেরা ভারতের অঙ্গ ও অংশ হয়ে উঠতে চায়।” শ্রী মোদী বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ ও তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও দুর্নীতি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোনভাবেই একে দমিয়ে রাখা যাবে না। দুর্নীতি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে তাঁর সাহসী লড়াইয়ের পিছনে রয়েছে সাধারণ মানুষের সমর্থন ও আশীর্বাদ। প্রধানমন্ত্রী আজ সোলাপুরে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প উদ্বোধনের পর ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে এক জনসভায় ভাষণ দেন। শ্রী মোদী, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র আওতায় ৩০ হাজার গৃহ নির্মাণের এক কর্মসূচির শিলান্যাস করেন। এই কর্মসূচির ফলে রিক্সা চালক, রাস্তা থেকে পরিত্যক্ত সামগ্রী সংগ্রহকারী, বস্ত্রশিল্পের কর্মী ও বিড়ি শ্রমিকরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। গৃহ নির্মাণের এই কর্মসূচি রূপায়ণে মোট খরচ ধরা হয়েছে ১,৮১১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা। তিনি বলেন, “আজ আমরা গরিব, শ্রমিক শ্রেণীর পরিবারগুলির জন্য ৩০ হাজার গৃহ নির্মাণের এক কর্মসূচির উদ্বোধন করেছি। এই কর্মসূচির সুফলভোগীদের মধ্যে রয়েছেন কারখানার শ্রমিক, রিক্সা চালক, অটো চালক প্রভৃতি। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই যে খুব শীঘ্রই আপনারা এই বাড়ির চাবি হাতে পাবেন।” মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পরিবারগুলির জন্যও সুলভে আবাসন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। এখন থেকে এঁরা ২০ বছরের মেয়াদকালে গৃহঋণের ক্ষেত্রে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারবেন। সরকারের এই উদ্যোগ জীবনযাপনের মানোন্নয়নে গৃহীত ব্যবস্থাদির প্রতিফলন বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০১৪-তে ৫২ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের ৯৮.৭১৭ কিলোমিটার অংশকে চারলেন বিশিষ্ট করার প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন। আজ এই জাতীয় মহাসড়কের চারলেন বিশিষ্ট সোলাপুর-তুলজাপুর-ওসমানাবাদ শাখা জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হল। প্রকল্প নির্মাণে খরচ পড়েছে ৯৭২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। মহাসড়কের এই অংশটি মহারাষ্ট্রের মারাঠওয়াড়া অঞ্চলের সঙ্গে সোলাপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে। তিনি আরও জানান, ৫২ নম্বর জাতীয় মহাসড়কে সড়ক নিরাপত্তার জন্য দুটি বড় ও ১৭টি ছোট মাপের সেতু, যান চলাচলের জন্য চারটি এবং পথচারীদের জন্য ১০টি আন্ডারপাস রয়েছে। এছাড়াও, তুলজাপুরে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ যে বাইপাস গড়ে তোলা হয়েছে, তার ফলে শহরে যানজট কমবে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য মহাসড়কের সম্প্রসারণ এবং জীবনযাপনের মানোন্নয়নে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিগত চার বছরে প্রায় ৪০ হাজার কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক গড়ে তোলা হয়েছে। এই কাজে খরচ হয়েছে ৫.৫ লক্ষ কোটি টাকা। এছাড়াও, ৫২ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।” এই অঞ্চলে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্প্রসারণের কথা ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তুলজাপুর হয়ে সোলাপুর-ওসমানাবাদ রেল লাইন নির্মাণে সরকার অনুমতি দিয়েছে। আঞ্চলিক বিমান যোগাযোগ কর্মসূচি ‘উড়ান’ যোজনার আওতায় সোলাপুর থেকে বিমান পরিষেবা চালু করার প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। স্বচ্ছ ভারত ও সুস্থ ভারত সম্পর্কে তাঁর পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী সোলাপুরে ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা সহ তিনটি বর্জ্য পরিচালনা কেন্দ্র জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। নতুন এই নিকাশি ব্যবস্থার ফলে সোলাপুর শহরে নিকাশি ব্যবস্থার পাশাপাশি অনাময় ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটবে। প্রধানমন্ত্রী, সোলাপুর স্মার্ট সিটিতে অঞ্চল-ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে জল সরবরাহ ও নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নে এক যৌথ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। এছাড়াও, ‘অম্রুত’ মিশনের আওতায় উজানি বাঁধ থেকে সোলাপুর শহরে পানীয় জল সরবরাহ বাড়াতে এবং ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কয়েকটি কর্মসূচির সূচনা করেন। এই উদ্যোগের ফলে পরিষেবা প্রদান ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি ঘটবে এবং সাধারণ মানুষের কল্যাণে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় উন্নতি হবে। সোলাপুর ও সংলগ্ন এলাকার মানুষের কল্যাণে সড়ক যোগাযোগ ও পরিবহণ, জল সরবরাহ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রভৃতি ক্ষেত্রে উক্ত প্রকল্পগুলি সুদূরপ্রসারী ভূমিকা নেবে। /",সাধাৰণ শ্ৰেণীৰ দুখীয়া লোকসকলৰ বাবে ১০% সংৰক্ষণ বিধেয়ক হৈছে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ আৰু ই দুখীয়াসকলৰ প্ৰতি চৰকাৰৰ প্ৰতিশ্ৰুতিক প্ৰতিফলিত কৰিছে বুলি ক’লে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%82%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%B2%E0%A7%88-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%AD%E0%A7%87/,"ইংরেজিনববর্ষের সূচনায় দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “২০১৮ বছরটিআপনাদের সকলের পক্ষে শুভ হোক, এই কামনা জানাই। প্রার্থনা করি, এই বছরটি প্রত্যেকেরজীবনে আনন্দ, সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি বহন করে আনুক।” /",দেশবাসীলৈ নতুন বছৰৰ শুভেচ্ছা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8/,"মঞ্চে উপবিষ্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী শেখ হাসিনা মহোদইয়া, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল মাননীয় কেশরী নাথ ত্রিপাঠী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা ব্যানার্জি, বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক সবুজকলি সেন এবং রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ ইন্সটিটিউটের উপাচার্য শ্রদ্ধেয় স্বামী আত্মপ্রিয়ানন্দ এবং এখানে উপস্থিত বিশ্বভারতীর অধ্যাপকবৃন্দ ও আমার প্রিয় নবীন বন্ধুরা। আমি প্রথমেই বিশ্বভারতীর আচার্য হিসাবে আপনাদের সকলের কাছ থেকে ক্ষমা চাইছি। আমি যখন আসছিলাম কিছু শিশু ইঙ্গিতে বোঝাচ্ছিল যে, খাওয়ার জলও নেই। আপনাদের সকলের যে অসুবিধা হয়েছে, আচার্য হিসাবে আমি সেই দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারি না, সেজন্য সবার আগে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেশের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য আমার হয়েছে। সেখানে আমি বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকি। কিন্তু এখানে আমি অতিথি নই, আচার্য রূপে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। এখানে আমার এই ভূমিকার পেছনে রয়েছে মহান গণতন্ত্�� এবং প্রধানমন্ত্রী পদ। এমনিতে এই গণতন্ত্র এই পদকে ১২৫ কোটিরো বেশি জনগণকে ভিন্নভিন্ন প্রকারে প্রেরণা যোগানোর জন্য আচার্যের ভূমিকাই দিয়ে রেখেছে। গণতান্ত্রিক মূল্যসমূহের আলোয় যাঁরাই লালিত-পালিত হন, তাঁরাই শ্রেষ্ঠ ভারত ও শ্রেষ্ঠ ভবিষ্যৎ নির্মাণে সহায়ক হন। আমাদের শাস্ত্রে বলা হয়েছে, আচার্যত বিদ্যাবিহিতা সাধিষ্ঠতম প্রাপ্যুতি ইতি অর্থাৎ আচার্যের কাছে না গেলে বিদ্যা শ্রেষ্ঠতা ও সাফল্য পাওয়া যায় না। আমার সৌভাগ্য যে, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই পবিত্র ভূমিতে এতজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মাঝে আজ কিছু সময় কাটাতে পারছি। কোনও মন্দির প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে মন্ত্রোচ্চারণ শুনে যে প্রাণশক্তি অনুভব করা যায়, তেমনই প্রাণশক্তি আমি বিশ্বভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে দাড়িয়ে অনুভব করছি। গাড়ি থেকে নেমে যখন আমি মঞ্চের দিকে এগিয়ে আসছিলাম, তখন ভাবছিলাম, এখানকার মাটির প্রতিটি কণায় গুরুদেবের পদস্পর্শ লেগে আছে। এখানেই আশেপাশে কোথাও বসে তিনি অনেক শব্দ লিখে গেছেন। অনেক ধুন, অনেক সঙ্গীত গুণগুণ করে গেয়েছেন। কখনও মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় আবার কখনও ছাত্রদের জীবনের মানে ভারত তথা দেশের আত্মাভিমান সম্পর্কে বুঝিয়েছেন। বন্ধুগণ, আজ এই প্রাঙ্গণে আমরা ঐতিহ্যপালনের জন্য একত্রিত হয়েছি। এই আম্রকুঞ্জ প্রায় শতাব্দীকাল ধরে এই ধরণের অসংখ্য অনুষ্ঠানের সাক্ষী। বিগত কয়েক বছর ধরে আপনারা এখানে যা শিখেছেন তার একটি পর্যায় সম্পূর্ণ হচ্ছে। আপনাদের মধ্যে যাঁরা আজ ডিগ্রি পেলেন, তাঁদেরকে আমি অন্তর থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আর ভবিষ্যতের জন্যও শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের এই ডিগ্রি আপনাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ। এদিক থেকে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনারা এখানে শুধুই ডিগ্রি অর্জন করেননি, এখানে যা শিখেছেন, যা পেয়েছেন, তা অমূল্য। যার মাধ্যমে আপনারা একটি সমৃদ্ধ পরম্পরার উত্তরাধিকারী হয়ে উঠেছেন। আপনাদের সম্পর্ক একটি গুরু-শিষ্য পরম্পরার সঙ্গে, এটি যতটাই প্রাচীন ততটাই আধুনিক। বৈদিক ও পৌরাণিক সময়ে আমাদের মুনি-ঋষিরা এরকম ভেবেছিলেন। আধুনিক ভারতে এই ঐতিহ্যকেই গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো মণীষীরা এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আজ আপনাদেরকে যে সপ্তপর্ণ গুচ্ছ প্রদান করা হয়েছে, তা কেবলই গাছের পাতা নয়, এটি একটি মহান বার্তা। প্রকৃতি কিভাবে আমাদের একজন মানুষ হিসাবে একটি ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে পারে, তার একটি প্রতীক একটি উদাহরণ এই সপ্তপর্ণের গুচ্ছ। এটাই এই অতুলনীয় প্রতিষ্ঠানের প্রেক্ষিত। এটাই গুরুদেবের দর্শন,যা বিশ্বভারতীর ভিত্তি স্থাপন করেছে। ভাই ও বোনেরা, যত্র বিশ্বম ভবেতেক নিরম অর্থাৎ গোটা বিশ্ব একটি ঘর – এটাই বেদের শিক্ষা। এই মূল্যবান শিক্ষাকে গুরুদেব বিশ্বভারতীর প্রাণবাক্য-এর মর্যাদা দিয়েছেন। এই বেদমন্ত্রে ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের সংক্ষিপ্তসার লুকিয়ে আছে। গুরুদেব চাইতেন, এখানে এমন উদাহরণ স্থাপন করবেন, যেখানে গোটা বিশ্ব নিজের বাড়ি বলে ভাববে। এখানে পাখির নীড় এবং মানুষের বাড়িকে একই রূপে দেখা হয়। এই গোটা বিশ্বকে সমাহিত করার ভাবনাই ভারতীয়ত্ব। এটাই বসুধৈব কুটুম্বকম্‌ মন্ত্রের মূল কথা, যা হাজার হাজার বছর ধরে এই ভারতভূমিতে গুঞ্জরিত হচ্ছে এবং এই মন্ত্রের জন্য গুরুদেব সারা জীবন সমর্পণ করে গেছেন। বন্ধুগণ, বেদ ও উপনিষদের ভাবনাকে সংহত করে গুরুদেব যেভাবে শান্তিনিকেতন গড়ে তুলেছিলেন, তা আজ একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্ববাসীর সামনে প্রকট সমস্যাগুলির মোকাবিলা করার ক্ষেত্রেও প্রাসঙ্গিক। আজ সীমায় আবদ্ধ রাষ্ট্র একটি বাস্তব। কিন্তু এটাও সত্য যে, এই ভূখন্ডের মহান পরম্পরাকে আজ বিশ্ব ভুবনায়নের রূপে আত্মিকৃত করেছে। আজ এখানে আমাদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাজি রয়েছেন। এরকম সুযোগ খুব কমই আসে যে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী এসে হাজির হয়েছেন। ভারত ও বাংলাদেশ দুটি ভিন্ন রাষ্ট্র হলেও আমরা পরস্পরের সঙ্গে সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে জুড়ে রয়েছি। সংস্কৃতি কিংবা সরকারি নীতির ক্ষেত্রেও আমরা পরস্পরের থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। এর একটি উদাহরণ হ’ল বাংলাদেশ ভবন। একটু পরই আমরা দু’জন গিয়ে ঐ ভবনটি উদ্বোধন করব। ঐ ভবনটি গুরুদেবের দর্শন প্রতিফলিত হবে। বন্ধুগণ, আমি ভেবে অবাক হয়ে যাই, যখন দেখি, গুরুদেবের ব্যক্তিত্ব ও তাঁর সফরের বিস্তার কত ব্যাপক ছিল। বিদেশ যাত্রার সময় আমি এরকম অনেকের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি, যাঁরা বলেছেন যে, কত বছর আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁদের দেশ সফরে গিয়েছিলেন। সেই দেশগুলি আজও অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে গুরুদেবকে মনে রেখেছে। সেখানকার মানুষ আজও গুরুদেবের দর্শনের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত রাখার চেষ্টা করে। আমি যখন আফগানিস্তান��� গিয়েছিলাম, প্রায় প্রত্যেক আফগানবাসী অত্যন্ত গররবের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পটির কথা বলেছেন। বছর তিন আগে তাজাকিস্তানে গুরুদেবের একটি মর্মর মূর্তি উদ্বোধনের সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। সেখানকার জনগণের চোখে গুরুদেবের প্রতি যে সম্মান আমি দেখেছি, তা কখনও ভুলতে পারব না। বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আজও অধ্যায়নের বিষয়। তাঁর নামে বিশেষ চেয়ার রয়েছে। আমি যদি বলি যে, গুরুদেব আগেও বিশ্বনাগরিক ছিলেন এবং আজও রয়েছেন – তা হলে ভুল হবে না। আজ এই উপলক্ষে তাঁর সঙ্গে গুজরাটের যে সম্পর্ক ছিল, সে সম্পর্কে অত্যন্ত শ্রদ্ধা সহ কিছু না বলে আমি থাকতে পারছি না। তাঁর বড়দা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে যোগদানকারী প্রথম ভারতীয় ছিলেন। জীবনের অনেকটা সময় তিনি আমেদাবাদে কর্মরত ছিলেন। আমি কোথাও পড়েছি, সম্ভবত তিনি যখন আমেদাবাদের কমিশনার ছিলেন, তখনই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পড়াশুনার জন্য ইংল্যান্ড যাওয়ার আগে মাস ছয়েক তাঁর কাছে থেকে ইংরাজি শিখেছেন। তখন গুরুদেবের বয়স ১৭ বছর ছিল। সেই সময়েই তিনি তাঁর জনপ্রিয় উপন্যাস ‘ক্ষুদিত পাষাণ’-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ ও বেশ কয়েকটি কবিতা লিখেছেন। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিতে পৌঁছনোর আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যে চিত্তের প্রসার ঘটছিল, তার মধ্যে গুজরাটবাসেরও ভূমিকা রয়েছে। বন্ধুগণ, গুরুদেব মনে করতেন যে, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্ম কোনও না কোনও লক্ষ্যসাধনের জন্য হয়। প্রত্যেক বালক যাতে তার সেই লক্ষ্যপ্রাপ্তির জন্য যথাযথভাবে যোগ্যতা অর্জন করতে পারে, তা সুনিশ্চিত করে শিক্ষা। তিনি শিশুদের জন্য কেমন শিক্ষা চাইতেন, তার ঝলক আমরা তাঁর কবিতায় অনুভব করতে পারি। তিনি লিখেছেন যে, শিক্ষা শুধু তাই নয়, যা বিদ্যালয়ে প্রদান করা হয়। শিক্ষা ব্যক্তির সার্বিক ভারসাম্যযুক্ত বিকাশ, যাকে সময় ও স্থানের গণ্ডীতে বাধা যায় না। সেজন্য গুরুদেব সর্বদা চাইতেন যে, ভারতীয় ছাত্ররা বহির্বিশ্বে যা কিছু হচ্ছে, সে সম্পর্কে জানুক। অন্যান্য দেশের মানুষ কেমনভাবে থাকেন, তাঁদের সামাজিক মূল্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কি – এসব সম্পর্কে জানাকে তিনি জোর দিতেন। পাশাপাশি তিনি বলতেন, ভারতীয়ত্বকেও ভুলবে না। আমাকে বলা হয়েছে যে, একবার আমেরিকায় কৃষি নিয়ে পড়তে যাওয়া তাঁর জামাইকে চিঠিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন যে, ওখানে শুধু কৃষি নিয়ে পড়লেই চলবে না, স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে মেলামেশা করাও তোমার শিক্ষার অঙ্গ। কিন্তু তাঁদেরকে জানতে গিয়ে তুমি যদি নিজের ভারতীয় পরিচয় হারাতে থাকো, তার চেয়ে ভালো নিজেকে ঘরে বন্দী করে রাখা। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে কবির এই শিক্ষা এবং ভারতীয় দর্শন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাঁর জীবন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবনার সম্মিলন, যা আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যের অঙ্গস্বরূপ। সেজন্য তিনি বিশ্বভারতীতে শিক্ষার একটি স্বতন্ত্র বিশ্ব গড়ে তুলেছেন। এখানে শিক্ষার মূল মন্ত্র হচ্ছে সারল্য। আজও এখানে গাছের নীচে খোলা বাতাসে পঠন-পাঠনের রীতি চালু রয়েছে, যেখান মানুষ আর প্রকৃতির মধ্যে সহজ বার্তালাপ সম্ভব। সঙ্গীত, চিত্রকলা, নাট্য, অভিনয় সহ মানব জীবনের যতগুলি সাংস্কৃতিক মাত্রা রয়েছে, এখানে প্রকৃতির কোলে বসেই প্রত্যক্ষ করা যায়। আমি অত্যন্ত আনন্দিত, যে স্বপ্নগুলি নিয়ে গুরুদেব এই মহান প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিস্থাপন করেছিলেন, তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠান নিরন্তর এগিয়ে চলেছে, শিক্ষার সঙ্গে দক্ষতা উন্নয়নকে যুক্ত করে সাধারণ মানুষের জীবনমানকে উপরে তোলার এই প্রচেষ্টা অত্যন্ত প্রশংনীয়। আমাকে বলা হয়েছে যে, এখানকার প্রায় ৫০টি গ্রামের মানুষের সঙ্গে যুক্ত থেকে আপনারা সেই গ্রামগুলির উন্নয়নযজ্ঞেও অংশগ্রহণ করেন। একথা শুনে আপনাদের প্রতি আমার আশা-আকাঙ্খা একটু বেড়ে গেছে। যাঁরা কিছু করেন, তাঁদের প্রতি আশা জন্মায়। বন্ধুগণ, ২০২১ সালে এই মহান প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষ উদযাপনের আগে আগামী দু-তিন বছরে আপনারা নিজেদের এই কর্মযজ্ঞকে ৫০টি গ্রাম থেকে বাড়িয়ে ১০০ কিংবা ২০০টি গ্রামে বিস্তারিত করতে পারেন। আমার অনুরোধ যে, আপনাদের প্রচেষ্টাগুলিকে আরও দেশের প্রয়োজনের সঙ্গে জুড়ুন। যেমন আপনারা সংকল্প নিতে পারেন যে, ২০২১ সালে এই প্রতিষ্ঠানের শতাব্দী উদযাপনের আগে আপনারা যে ১০০টি গ্রামের উন্নয়নে সামিল হবেন, সেগুলির প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ, রান্নার গ্যাস সংযোগ, শৌচালয়, মা ও শিশুদের টিকাকরণ এবং প্রত্যেককে ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত করে তোলা সুনিশ্চিত করবেন। তাঁরা যাতে কমনসার্ভিস সেন্টারে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফর্ম অনলাইনে ভরতে পারেন আপনারা খুব ভালোভাবেই জানেন যে, উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে প্রদত্ত রান্নার গ্যাস সংযোগ এ���ং স্বচ্ছ ভারত মিশনের মাধ্যমে নির্মিত শৌচালয় দেশের সর্বত্র মহিলাদের জীবন সহজ করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। গ্রামগুলিতে আপনাদের প্রচেষ্টা এই শক্তির উপাসক অঞ্চলে নারী শক্তির ক্ষমতায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এই ১০০টি গ্রামকে প্রকৃতি পূজন গ্রাম করে গড়ে তুলুন। এই গ্রামগুলিতে জল সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা বিকশিত করা, কাঠ না জ্বালিয়ে বায়ু দূষণ রোধ করা এবং জৈব সার প্রয়োগের মাধ্যমে ভূমি সংরক্ষণে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। ভারত সরকারের গোবর্ধন যোজনার চেক লিস্ট অনুসরণ করে এর সমস্ত লাভ আপনারা এই গ্রামগুলিতে পৌঁছে দিতে পারেন। বন্ধুগণ, আজ আমরা একটি নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। ১২৫ কোটি ভারৎবাসী ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশকে নতুন ভারত-এ রূপান্তরিত করার সংকল্প নিয়েছে। এই সংকল্পকে বাস্তবায়িত করতে শিক্ষা এবং আপনাদের মতো মহান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ ধরণের প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষিত ছাত্রছাত্রীরা দেশকে নতুন প্রাণশক্তি ও দিশা প্রদান করে। সেজন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় যেন নিছকই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না হয়ে সামাজিক জীবনে তার সক্রিয় অংশীদারিত্ব থাকে, তার নিরন্তর প্রয়াস জারি রয়েছে। সরকার দ্বারা উন্নত ভারত অভিযানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে গ্রামোন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। গুরুদেবের দর্শনের পাশাপাশি নতুন ভারতের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার লাগাতার কাজ করে যাচ্ছে। এ বছরের বাজেটে শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিকাঠামো ও ব্যবস্থা উজ্জীবন বা ‘রাইস’ নাম একটি নতুন প্রকল্প সূচনার ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আগামী চার বছরে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার আনতে ১ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা হবে। গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অফ অ্যাকাডেমিক নেটওয়ার্ক বা ‘জ্ঞান’ প্রকল্পও চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়ানোর জন্য বিশ্বে সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে পর্যাপ্ত পরিষেবা পায়, তা সুনিশ্চিত করতে ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে হায়ার এডুকেশন, ফিনান্সিং এজেন্সি গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে উচ্চ মানের পরিকাঠামো গঠনের জন্য বিনিয়োগ সহজ হবে। কম বয়সে উদ্ভাব মনো���ৃত্তি গড়ে তোলার জন্য আমরা সারা দেশে ২,৪০০টি বিদ্যালয়কে বেছে নিয়েছি। সেই বিদ্যালয়গুলিতে অটল টিঙ্কারিং ল্যাবের মাধ্যমে আমরা ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। বন্ধুগণ, আপনাদের এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষা ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের জীবন্ত উদাহরণ। আমি চাইব যে, বিশ্বভারতীর ১১ হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রীরা উদ্ভাবনকে উৎসাহ যোগাতে গোড়া থেকেই সরকারের কিছু প্রকল্পের দ্বারা উপকৃত হন। আপনার সবাই এখান থেকে পড়াশুনো করে গুরুদেবের আশীর্বাদে একটি দর্শনে সম্পৃক্ত হয়েছেন। আপনারা নিজের সঙ্গে বিশ্বভারতীর পরিচয় নিয়ে যাচ্ছেন। আমার অনুরোধ, আপনারা এর গৌরবকে আরও উচ্চতায় পৌঁছে দিতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। যখন খবরে শুনি যে, অমুক প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা নিজের উদ্ভাবন ও উদ্যোগের মাধ্যমে ৫০০ কিংবা ১,০০০ জন মানুষের জীবন বদলে দিয়েচভহেন, তখন আমি মনে মনে সেই প্রতিষ্ঠানকে প্রণাম জানাই। আপনারা মনে রাখবেন যে, গুরুদেব বলেছিলেন, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে। আপনারা যদি সঙ্গে কাউকে না পান, তবু নিজের লক্ষ্যে অটল থেকে একাই এগিয়ে যাবেন। কিন্তু আজ আমি এখানে আপনাদের বলতে এসেছি যে, আপনারা যদি এক পা এগিয়ে যান, তা হলে সরকার চার পা এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। গণঅংশীদারিত্বের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া প্রতিটি পদক্ষেপই আমাদের দেশকে একবিংশ শতাব্দীর সেই উচ্চতায় পৌঁছে দেবে, যার স্বপ্ন গুরুদেবও দেখতেন। বন্ধুগণ, গুরুদেব নিজের মহাপ্রয়াণের কিছুদিন আগে গান্ধীজিকে বলেছিলেন, বিশ্বভারতী সেই জাহাজ, যাতে তাঁর জীবনের সর্বাপেক্ষা বহুমূল্য গুপ্তধন রয়েছে। তিনি আশা করেছিলেন যে, আমরা ভারতবাসী এই বহুমূল্য ভাণ্ডারকে সঞ্জীবিত রাখবো। এই সঞ্জীবনের এবং তাকে আরও সমৃদ্ধ করার দায়িত্ব এখন আমাদের সকলের ওপর বর্তেছে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ভারতের পাশাপাশি বিশ্বকে নতুন পথ দেখাতে থাকুক – এই কামনা নিয়ে আমি নিজের বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। আপনারা নিজেদের, নিজের পিতা-মাতার, এই প্রতিষ্ঠানের এবং এই দেশের স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়িত করুন। সেজন্য আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা, অনেক অনেক ধন্যবাদ। …",পশ্চিমবংগৰ শান্তিনিকেতনত অৱস্থিত বিশ্বভাৰতী বিশ্ববিদ্যালয়ৰ সমাবৰ্তনত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে দিয়া ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%88/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B9-%E0%A6%AB-2/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিরপৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বুধবার ভারত ও কাতারের মধ্যে দ্বৈত করারোপ এড়ানোএবং আয়ের ওপর করের ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতি বন্ধ করার চুক্তির সংশোধনীর অনুমোদনদিল| বর্তমানেভারত ও কাতারের মধ্যে যে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি (ডি.টি.এ.এ.) রয়েছে, তাস্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৯৯ সালের ৭ এপ্রিল এবং তা কার্যকর হয় ২০০০ সালের ১৫ জানুয়ারিথেকে| সংশোধিতচুক্তিতে ট্রিটি শপিংকে বন্ধ করার জন্য সুবিধার সীমাবদ্ধতার ব্যবস্থা ও ভারতেরসঙ্গে সাম্প্রতিক চুক্তিগুলোর নিয়মকে যুক্ত করার সর্বাধুনিক গুণমানের তথ্যেরআদান-প্রদানের জন্য প্রক্রিয়ায় উন্নয়নের ব্যবস্থা রয়েছে| সংশোধিত ডি.টি.এ.এ. অ্যাকশন-৬ এবং জি-টুয়েন্টিও.ই.সি.ডি. নির্ভর ক্ষরণ ও লাভ পরিবর্তন (বি.ই.পি.এস.) যোজনার অ্যাকশন-ফোরটিনেরঅন্তর্গত পারস্পরিক সমঝোতার প্রক্রিয়ার অধীনে সন্ধির অপব্যবহারের বিষয়ে ন্যূনতমগুণমানকে সম্পূর্ণ করবে, যেখানে ভারতও সমান অংশীদার|",দ্বৈত কৰ পৰিহাৰ আৰু ৰাজহ ফাঁকি প্ৰতিৰোধৰ ক্ষেত্ৰত ভাৰত আৰু কাট্ট্ৰাৰৰ মাজত স্বাক্ষৰিত বুজাবুজি চুক্তিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A7%8C%E0%A6%A1%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%B1%E0%A7%B0-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A7%B1%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A7%8D/,"· প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে সৌদি আরবের যুবরাজ তথা সেদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রি মহম্মদ বিন সলমন বিন আব্দুল আজিজ আল সাউদ ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি ভারত সফর করেন। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। উল্লেখ করা যেতে পারে, সৌদি রাজা সলমন বিন আব্দুল আজিজ আল সাউদের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০১৬র এপ্রিলে সেদেশ সফরে গিয়েছিলেন। · সৌদি যুবরাজকে রাষ্ট্রপতি ভবনে গত বিশে ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি যুবরাজের সম্মানে এক ভোজসভার আয়োজন করেন। · প্রধানমন্ত্রী মোদী ও সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন বিন আব্দুল আজিজ আল সাউদ গত ২০ ফেব্রুয়ারি হায়দ্রাবাদ হাউসে প্রতিনিধি পর্যায়ে বৈঠকে মিলিত হ��। এরপর যুবরাজ ভারতের বিদেশমন্ত্রী শ্রীমতি সুষমা স্বরাজের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। · ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে যে মৈত্রী ও আন্তরিকতার সম্পর্ক রয়েছে তা এই দুই দেশের কয়েক শতাব্দী প্রাচীন অর্থনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক বন্ধনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। দুই দেশের মধ্যে ভৌগলিক নৈকট্য, সভ্যতাগত যোগসূত্র, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ, পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য এবং প্রগতিবাদী মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ রয়েছে। অভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ-সুবিধাগুলি দুই দেশের এই মজবুত সম্পর্কে আরও গতি সঞ্চার করেছে। · এক সৌর্হাদ্রপূর্ণ বাতাবরণে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মৈত্রীর এই বাতাবরণই দুই দেশ ও তাদের নেতৃবৃন্দকে একসূত্রে আবদ্ধ করে। উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও মৈত্রীর আদর্শ বাতাবরণ গড়ে ওঠায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার এই বাতাবরণ আস্হা, পারস্পরিক বোঝাপড়া, সৌজন্যবোধ এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। উভয় পক্ষই বাণিজ্য, শক্তি, নিরাপত্তা ও সাংস্কৃতিক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন। উল্লেখ করা যেতে পারে ২০১৬র এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর রিয়াধ সফর পরবর্তীকালে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে এবং তা এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। · সৌদি আরবে আধুনিকতাবাদ এবং উদারীকরণের যে সিদ্ধান্ত যুবরাজ নিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর প্রশংসা করেন। একইভাবে সৌদি যুবরাজও ভারতের সার্বিক আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ, বহুত্ববাদ ও সহনশীলতার আদর্শ অনুসরণের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। · ২০১০র ফেব্রুয়ারিতে রিয়াধ ঘোষনাপত্রে যে কৌশলগত অংশিদারিত্ব গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছিল, তাকে আরও মজবুত করতে দুই পক্ষই তাদের অঙ্গীকারের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেন। · দু-দেশের মধ্যে বর্তমান কৌশলগত অংশিদারিত্বকে কৌশলগত অংশিদারিত্ব কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে উচ্চস্তরীয় নজরদারি ব্যবস্হায় রূপান্তরিত করার ব্যাপারে উভয়েই একমত হয়েছে। এই কাউন্সিলে থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও সেদেশের যুবরাজ। · ভারতের নীতি আয়োগ এবং সেদেশের ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ শীর্ষক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যৌথভাবে কর্মশিবির আয়োজনের প্রশংসা করা হয়। সম্প্রতি রিয়াধে এই কর্মশিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। এই কর্মশিবিরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ গড়ে তোলা ও বিনিয়োগের জন্য ৪০টিরও বেশি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করা হয়। · সৌদি যুবরাজের ভারত সফরকালে নিম্নলিখিত সমঝোতাপত্রগুলি স্বাক্ষরিত হয়েছে- Øভারতের জাতীয় বিনিয়োগ ও পরিকাঠামো তহবিলে লগ্মি সম্পর্কিত সমঝোতাপত্র Øপর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমঝোতাপত্র Øআবাসন ক্ষেত্রে সহযোগিতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমঝোতাপত্র Øইনভেস্ট ইন্ডিয়া এবং সৌদি আরব জেনারেল ইনভেস্টমেন্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে কাঠামোগত সহযোগিতা কর্মসূচি Øঅডিও-ভিস্যুয়াল আদান-প্রদানের জন্য সম্প্রচার ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতাপত্র Øআর্ন্তজাতিক সৌর-জোটে সৌদি আরবকে সামিল করতে চুক্তি · সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ইতিবাচক অগ্রগতির বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে উভয়পক্ষই পণ্য সামগ্রী লেনদেন, বিশেষ করে তেল বর্হিভূত ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক যে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, তা কাজে লাগানোর ওপর জোর দেয়। ২০১৮র ফেব্রুয়ারি মাসে রিয়াধে ভারত-সৌদি যৌথ কমিশনের দ্বাদশ বৈঠকে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, বিনিয়োগ, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে যে আলোচনা হয়, দুই পক্ষই তাতে স্বাগত জানান। ·উভয় পক্ষই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং রপ্তানী ক্ষেত্রের বাধা-বিপত্তিগুলি দূর করার ব্যাপারে সহমত প্রকাশ করেন। ·উভয় পক্ষই সৌদি রাজার ‘২০৩০ পরিকল্পনা’এবং ভারতের ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচিগুলির (মেক ইন ইন্ডিয়া, স্টার্টআপ ইন্ডিয়া, স্মার্ট সিটি, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রভৃতি) সঙ্গে সঙ্গতি বজায় রেখে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করার ব্যাপারে সম্মত হন। সৌদি আরবের বৃহৎ প্রকল্পগুলিতে ভারতীয় বেসরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্হার বিনিয়োগ তথা বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগাতে সৌদি আরব প্রস্তুত বলে জানানো হয়। ভারত ও সৌদি আরবের আর্থিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তনের বিষয়টিতেও দুই পক্ষ সহমত প্রকাশ করেন। ·দুই দেশের সরকার, সহজে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলা, বর্তমান বাণিজ্য সংক্রান্ত নিয়মনীতিগুলিকে আরও সরল ও যুক্তিসঙ্গত করে তোলা সহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ নিয়মনীতি শীথিল করতে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, উভয় পক্ষই তাকে স্বাগত জানান। ·২০১৬-তে প্রধানমন্ত্রী মোদী রিয়াধ সফরের সময় সৌদি আরবের জেনারেল ইনভেস্টমেন্ট কর্তৃপক্ষ এবং ইনভে��্ট ইন্ডিয়ার মধ্যে কাঠামোগত সহযোগিতাচুক্তি স্বাক্ষরের পর লগ্নির পরিবেশে যে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, উভয়পক্ষই তাকে স্বাগত জানান। উভয়পক্ষই নিজেদের দেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধাগুলির পূর্ণ সদ্ব্যবহারে শিল্প-বাণিজ্য মহলের প্রতি আহ্বান জানান। ·সৌদি আরবে শিল্প শহর ও বন্দরগুলিতে যে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো ও পরিবহন পরিষেবা ব্যবস্হা গড়ে তোলা হয়েছে তাকে কাজে লাগানোর জন্য সেদেশের রাজপুত্র ভারতীয় সংস্হাগুলিকে আমন্ত্রণ জানান। ·সৌদি যুবরাজ শক্তি, পরিশোধন, পেট্রোরসায়ন, পরিকাঠামো, কৃষি, খনিজ ও খনি, উৎপাদন, শিক্ষা ও স্বাস্হ্যক্ষেত্রে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি যে লগ্নির কথা ঘোষনা করেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানান। ·৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে প্রথম যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে পশ্চিম উপকূলীয় তৈল শোধনাগার ও পেট্রোরসায়ন প্রকল্প গড়ে তোলার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, উভয়পক্ষই তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। দুই পক্ষই এই প্রকল্পের রূপায়ণ ত্বরান্বিত করার ব্যাপারেও সহমত প্রকাশ করেছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এটি বিশ্বর বৃহত্তম গ্রীণ ফিল্ড বা পরিবেশবান্ধব তৈল শোধনাগার হয়ে উঠবে। ·ভারতের জাতীয় বিনিয়োগ ও পরিকাঠামো তহবিল তথা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সৌদি আরবের বিনিয়োগকে প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে, উভয়পক্ষই তাতেও সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এই সমঝোতার ফলে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতর পথ আরও প্রসস্ত হবে। ·সৌদি আরবের পক্ষ থেকে ভারতে শক্তি, শোধনাগার, পেট্রোরসায়ন, পরিকাঠামো, কৃষি, খনিজ ও খনি, উৎপাদন, শিক্ষা ও স্বাস্হ্যক্ষেত্রে বিনিয়োগের ব্যাপারে যে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। ·আবাসন ক্ষেত্রে সহযোগিতা গড়ে তুলতে এবং সৌদি আরবের আবাসন প্রকল্পগুলিতে ভারতীয় সংস্হাগুলির অংশগ্রহণে উৎসাহ দিতে যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে, উভয়পক্ষই তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। ·বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে এক উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার লক্ষে জোট গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন সৌদি যুবরাজ তার উচ্ছসিত প্রশংসা করে বলেছেন, বিপর্যয় মোকাবিলা ও তার প্রতিরোধের লক্ষ্যে এ এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ·শক্তি নিরাপত্তাকে কৌশলগত অংশীদারিত্বের এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ ���িসাবে স্বীকার করে নিয়ে উভয় পক্ষই শক্তিক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, সৌদি আরব বিশ্বের সবথেকে বিশ্বস্ত তেল ও গ্যাস সরবরাহকারী দেশ। এমনকি ভারতের কাছেও এক গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহকারী দেশ। ভারত-সৌদি আরব শক্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও দুই পক্ষ সহমত হয়েছেন। শক্তি ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্কে পরিবর্তন ঘটিয়ে পেট্রোরসায়ন প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ তথা যৌথ উদ্যোগ গড়ে তুলে এই সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে পরিণত করার বিষয়ে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে। ·অশোধিত তেল ও পেট্রোজাত পণ্যের ক্ষেত্রে ভারতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সৌদি যুবরাজ পুনরায় আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, অন্যান্য উৎস থেকে সরবরাহ বিঘ্নিত হলে ভারতের চাহিদা মেটাতে তার দেশ সাহায্য দেবে। ·পেট্রোলিয়াম সংরক্ষণে ভারতের কৌশলগত উদ্যোগে সৌদি আরবের অংশগ্রহণকে প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানিয়েছেন। ·আন্তর্জাতিক সৌর জোটে সৌদি আরবের সামিল হওয়ার সিদ্ধান্তকে প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে উভয় পক্ষের তরফে বলা হয়েছে, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতা গড়ে তোলাই নয়, বরং গবেষনা ও উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগেরও বিপুল সুযোগ রয়েছে। ·উভয় পক্ষই দূর নিয়ন্ত্রণ, উপগ্রহ-ভিত্তিক যোগাযোগ এবং দিক নির্দেশ ব্যবস্হা সহ মহাকাশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতার ব্যাপারেও সম্মতি হয়েছেন। ·পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করে দক্ষতা বিকাশের লক্ষে এক যৌথ কর্মীগোষ্ঠী গঠনের বিষয়েও উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছেন। ·২০১৪র ফেব্রুয়ারি মাসে সৌদি সম্রাট সলমন বিন আব্দুল আজিজ আল সউদ-এর ভারত সফরকালে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ক্ষেত্রে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্রের পর বিশেষজ্ঞ বিনিময় ও প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত-সৌদি সহযোগিতায় সাম্প্রতিক অগ্রগতির ব্যাপারেও উভয়পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেন। দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত যৌথ কমিটির চতুর্থ বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলিকেও উভয়পক্ষ স্বাগত জানিয়েছে। গত দোসরা ও তেসরা জানুয়ারি রিয়াধে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ·উভয়পক্ষই অনতিবিলম্বে যৌথ নৌ-মহড়া আয়োজনে সম্মত হয়েছেন। অন্যান্য ক্ষেত্রেও এধরনের দ্বিপাক্ষিক মহড়া বাড়ানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গেছে। ·যৌথ উদ্যোগে প্রতিরক্ষা সাজ-সরঞ্জাম ও উপকরণ নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি বিবেচনায় রেখে এই ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও সমন্বয় গড়ে তোলার ব্যাপারেও উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে। আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া এবং সেদেশের ভিশন ২০৩০ উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে এই সহযোগিতা গড়ে তোলা হবে। ·দুই দেশের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে নৌ-বাণিজ্য নিরাপত্তাগত সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারেও উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছেন। ·যোগাযোগ সংক্রান্ত আঞ্চলিক প্রকল্পগুলি সম্পর্কে উভয়পক্ষই সম্মত হয়েছে যে, এই প্রকল্পগুলি আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতিকে মান্যতা দিয়ে রূপায়ন করতে হবে যাতে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দেশগুলির সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখন্ডতা অক্ষুন্ন থাকে। ·উভয়পক্ষই আঞ্চলিক স্হিতিশীলতা এবং প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। ২০১৪র মে পরবর্তী সময়ে পাকিস্হানের সঙ্গে মৈত্রীর সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী মোদী ব্যক্তিগত উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন সৌদি যুবরাজ। এ প্রসঙ্গে উভয়পক্ষই সম্মত হয়েছেন যে ভারত ও পাকিস্হানের মধ্যে গঠনমূলক আলাপ-আলোচনার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে হবে। ·উগ্রপন্হা ও সন্ত্রাসবাদ সমস্ত জাতি ও সমাজের পক্ষে বিপজ্জনক বলে স্বীকার করে নিয়ে উভয়পক্ষই সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্হাকে যেকোন জাতি, ধর্ম বা সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত করার প্রচেষ্টাকে খারিজ করে দিয়েছেন। উভয়পক্ষই সন্ত্রাসবাদকে যেকোন দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহারের বিষয়টিকে নাকচ করার জন্য সমস্ত দেশের কাছে আবেদন জানিয়েছে। দুই দেশই সন্ত্রাস পরিকাঠামো ভেঙে ফেলে যাবতীয় সহায়তা ও মদতদান থেকে বিরত থাকার জন্য সমস্ত দেশের কাছে আবেদন জানিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সুদৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত রাষ্ট্রসঙ্ঘের সুসংবদ্ধ কনভেনশনের বিষয়গুলিকেও গ্রহণ করার ব্যাপারে দুই পক্ষের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে। জঙ্গি ও তাদের সংগঠনগুলিকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ঘোষিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ·ভারত ও সৌদি দুই পক্ষই রাষ্ট্রীয় নীতির হাতিয়ার হিসাবে স���্ত্রাসের ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য সমস্ত দেশের কাছে আবেদন জানিয়েছে। জঙ্গিদের অস্ত্রশস্ত্র সহ ক্ষেপনাস্ত্র ও দ্রোণ সরবরাহ করার থেকে বিরত থাকার জন্য অন্যান্য রাষ্ট্রের প্রতি আবেদন জানানো হয়েছে। ·প্রধানমন্ত্রী ও সৌদি যুবরাজ দুজনেই জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর জঙ্গি হামলার কড়া নিন্দা করেছেন। ·ভারত ও সৌদি আরব পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলির পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে নিরাপত্তা পরিস্হিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। দু পক্ষের আলোচনায় আঞ্চলিক তথা আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্হিতিশীলতার মতো বিষয়গুলি গুরুত্ব পেয়েছে। ·প্যালেস্তাইনবাসী মানুষের প্রাপ্য অধিকার সুনিশ্চিত করতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত এবং আরব শান্তি উদ্যোগের ওপর ভিত্তি করে মধ্যপ্রাচ্যে স্হায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্হা গ্রহণের বিষয়ে উভয়পক্ষের তরফেই আশাপ্রকাশ করা হয়েছে। ·সন্ত্রাস দমনে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে এবং গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে পারস্পরিক সুবিধার্থে উভয়পক্ষই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ে সুসংহত নিরাপত্তা-আলোচনা শুরুর ব্যাপারে এবং সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে যৌথ কর্মীগোষ্ঠী গঠনে সম্মত হয়েছে। ·প্রধানমন্ত্রী মোদী ও সৌদি যুবরাজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও নিবিড় করার ব্যাপারে তাদের অঙ্গিকারের কথা পুনরায় উল্লেখ করেছেন। উভয়ই সামুদ্রিক নিরাপত্তা, আইনবলবৎকারী সংস্হা, অর্থ তছরুপ, মাদক পাচার, মানব পাচার, অবৈধ উদ্বাস্তু এবং সীমান্তপারের সংগঠিত অপরাধ দমনে দু-পক্ষকেই গুরুত্ব দিয়েছেন। ·সাইবার ক্ষেত্রের অপব্যবহারের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে উভয়পক্ষই সাইবার ক্ষেত্র এবং সাইবার অপরাধ দমন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা গড়ে তোলার লক্ষে যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছে। ·বিপুল সংখ্যক ভারতীয়দের আপ্যায়নে এবং তাদের সার্বিক কল্যাণে সৌদি নেতৃত্বের ভূমিকার জন্য ভারতের পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ দেওয়া হয়েছে। ·৩২তম সৌদি জাতীয় ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভারতকে সম্মানীয় অতিথি দেশ হিসাবে গণ্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী সেদেশের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। উভয়��ক্ষই দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়াতে এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতাকে মজবুত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে সৌদি আরবে ভারতীয় সংস্কৃতি সপ্তাহ উদযাপন এবং একইভাবে ভারতে সৌদি আরব সংস্কৃতি উদযাপনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ·ভারত থেকে হজ তীর্থযাত্রীদের কোটা বাড়িয়ে ২ লক্ষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী সৌদি যুবরাজকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ·সৌদি আরবের বিভিন্ন সংশোধনাগারে বন্দি ৮৫০ জন ভারতীয় বন্দিকে মুক্তির যে সিদ্ধান্ত সৌদি যুবরাজ নিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তারজন্য সৌদি যুবরাজকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। ·উভয়পক্ষই মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়ানোর ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং পর্যটন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সমস্যাগুলি দূর করার ব্যাপারে জোর দিয়েছেন। অভিবাসন সংক্রান্ত সমস্যাগুলি দ্রুত নিরসনের ব্যাপারেও উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে। ·সৌদি আরবের বিমান সংস্হাগুলিতে বর্তমানে মাসিক আসন সংখ্যা ৮০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ ১২ হাজার করার ব্যাপারেও ভারত সরকার সম্মত হয়েছে। এই সংখ্যা কিভাবে আরও বৃদ্ধি করা যায় সেব্যাপারে সমীক্ষার কাজ চলছে। ·সৌদি আরবে বসবাসকারী ভারতীয়দের সুবিধার্থে পেমেন্ট ব্যবস্হায় সহযোগিতার সুযোগ-সুবিধা খুঁজে বের করতে উভয়পক্ষই সম্মত হয়েছে। এই ব্যবস্হা চালু হলে হজ ও উমরাহ তীর্থযাত্রীরাও বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। সৌদি আরবে কর্মরত আটকে পড়া ভারতীয় শ্রমিকদের সমস্যাগুলি মানবিকতার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমাধান করার জন্য সৌদি যুবরাজের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ·রাষ্ট্রসঙ্ঘ, জি-২০ ও বিশ্ববাণিজ্য সংগঠন সহ অন্যান্য বহুপাক্ষিক মঞ্চগুলিতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে এ ধরনের বহুপাক্ষিক মঞ্চগুলির সংস্কারের ক্ষেত্রে উভয়পক্ষই তাদের অঙ্গিকারের কথা প্রকাশ করেছে। এই প্রেক্ষিতে উভয়পক্ষই রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ, বিশ্ববাণিজ্য সংগঠন, আন্তর্জাতিক অর্থ প্রতিষ্ঠান সহ আন্তর্জাতিক ফোরামগুলির সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। ·বিশ্বব্যাপি জটিল সমস্যাগুলির সমাধানে বহুপাক্ষিক ব্যবস্হাগুলির কার্যকর সংস্কারের গুরুত্বের ওপরেও উভয়পক্ষ জোর দিয়েছেন। দুই পক্ষই রাষ্ট্রসঙ্ঘে সংস্কারের লক্ষ্যে নিরাপত্তা পরিষদের আসু সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। ·ফেরার অর্থনৈতিক অপরাধীদের সমস্যা সমাধানে একযোগে কাজ করার ব্যাপারেও উভয়পক্ষ তাদের অঙ্গিকারের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেছে। ·সৌদি যুবরাজ, উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা সেদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মহম্মদ বিন সলমন বিন আব্দুল আজিজ তাঁকে ও তার প্রতিনিধিদলকে ভারত সরকার ও ভারতবাসীর পক্ষ থেকে যে উষ্ণ আতিথিয়তা দেওয়া হয়েছে, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। /",ছৌডি আৰৱৰ যুৱৰাজৰ ভাৰত ভ্ৰমণৰ সময়ত ভাৰত-ছৌডি আৰৱ যৌথ বিবৃতি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%8F%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF/,"নয়াদিল্লি, ৮ নভেম্বর ২০২২ “আদবানি’জির বাসভবনে গিয়ে আমি তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছি। ভারতের অগ্রগতিতে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর মেধা ও প্রজ্ঞার জন্য ভারতে তিনি সর্বজনশ্রদ্ধেয়। বিজেপি-র গঠন ও তাকে শক্তিশালী করে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর অনন্য অবদান রয়েছে। তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।” শ্রী এল কে আদবানির জন্মদিনে এক ট্যুইট বার্তার মাধ্যমে একথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। /",প্রধানমন্ত্রীয়ে জন্ম দিনত শুভেচ্ছা জনাবলৈ শ্ৰী এল কে আদৱানিক সাক্ষাৎ কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AE%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE/,"কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ভারত ও মরক্কোর মধ্যে প্রস্তাবিত সংশোধিত বিমান পরিষেবা সংক্রান্ত চুক্তি অনুমোদন করেছে। নতুন এই চুক্তি কার্যকর হলে দু’দেশের মধ্যে বিগত ২০০৪ সালের বিমান চলাচল সংক্রান্ত পুরনো চুক্তিটি বাতিল হয়ে যাবে। বিমান পরিষেবা সংক্রান্ত এই চুক্তিটি ভারত ও মরক্কর অসামরিক বিমান চলাচল ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এর ফলে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আদান-প্রদান আরও বৃদ্ধি পাবে। যোগাযোগ বৃদ্ধি পাওয়ার দরুণ বাণিজ্যিক দিক থেকেও ভারত ও মরক্কোর বিমান সংস্থাগুলি লাভবান হবে। এই চুক্তির উল্লেখযোগ্য দিকগুলি হল, দু’দেশের বিমান সংস্থাগুলি বিভিন্ন ধরণের পরিষেবার জন্য কোড বিনিময় করতে পারবে। ব্যবসা বাড়াতে দু’দেশের বিমান সংস্থাগুলি সমবায়ের ভিত��তিতে বিপণনের জন্য নিজেদের মধ্যে অথবা তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে পারবে। এছাড়া, দু’দেশের ছ’টি করে শহরের যাতায়াতের জন্য বিমান সংস্থাগুলি যে কোন সংখ্যায় বিমান চালাতে পারবে। ভারতের বিমান সংস্থাগুলি মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কা, বরাত, মারাকেশ, আগাদির, তাঙ্গীর ও ফেজে এবং মরক্কোর বিমান সংস্থাগুলি ভারতের দিল্লী, মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদে বিমান চালাতে পারবে।",ভাৰত আৰু মৰক্কোৰ মাজত বিমান সেৱা চুক্তি স্বাক্ষৰত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98%E0%A6%9F/,"নয়াদিল্লী, ০৯ মে, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তেলেঙ্গানায় কামারেড্ডি জেলায় এক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজনের প্রাণহানিতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি এই দুর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে এককালীন অনুদানের কথা ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এক ট্যুইটে বলা হয়েছে, “তেলঙ্গানায় কামারেড্ডি জেলায় এক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজনের প্রাণহানিতে অত্যন্ত দুঃখিত। শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলিকে সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।নিহতদের প্রত্যেকের নিকটাত্মীয়কে ২ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী”",তেলেংগানাত সংঘটিত দুৰ্ঘটনাত প্ৰাণ হেৰুওৱা লোকসকলৰ প্ৰতি প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে শোক প্ৰকাশ কৰিছ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%97-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%83-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A7%8B/,"আজ ১২৫ কোটি ভারতীয়ের ১০ জন বিশিষ্ট অতিথিকে অভ্যর্থনা করার সম্মানলাভ ঘটেছে – এঁরা আসিয়ান রাষ্ট্রসমূহের কর্ণধারবৃন্দ – ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবসের উৎসব উপলক্ষে আমাদের রাজধানী নতুন দিল্লিতে এঁদের আগমনে। বৃহস্পতিবার আসিয়ান-ভারত অংশীদারিত্বের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আসিয়ান নেতৃবৃন্দের জন্য এক স্মারক শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন করার সুযোগ ঘটেছিল আমার। এই আসরে আমাদের সঙ্গে তাঁদের উপস্থিতি আসিয়ান রাষ্ট্রগুলির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছার এক নজির বিহীন নিদর্শন। এই অসামান্য শুভেচ্ছার জবাবে এই শীতের সকালে ভারত তাঁদের বন্ধুত্বের উষ্ণতায় বরণ করে নিতে এগিয়ে এসেছে। এটা কোনও সাধারণ অনুষ্ঠান নয়, এটা হ’ল এক অবিস্মরণীয় অভিযাত্রায় এক ঐতিহাসিক মাইল ফলক, যা আজ ভারত ও আসিয়ান’কে তাদের ১৯০ কোটি মানুষের, অর্থাৎ বিশ্বের সমগ্র মানবজাতির প্রায় এক-চতুর্থাংশের জন্য এক মহান অঙ্গীকারের সুগভীর সৌহার্দ্যের প্রতীক। ভারত-আসিয়ান অংশীদারিত্ব মাত্র ২৫ বছরে পা দিয়েছে – এটা হতেই পারে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দুই সহস্রাব্দেরও বেশি প্রাচীন। শান্তি ও মৈত্রী, ধর্ম ও সংস্কৃতি, শিল্পকলা ও বাণিজ্য, ভাষা ও সাহিত্য প্রভৃতির অন্তরে নিহিত সম্পর্কগুলি এখন ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অসাধারণ বৈচিত্র্যপূর্ণ সম্পর্কের প্রতিটি বিভিন্নতায় উপস্থিত, আর এর ফলে আমাদের এই দুই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক ও স্বাচ্ছন্দ্যের এক অনন্য বলয় গড়ে উঠেছে। দু-দশকেরও বেশি আগে ভারত প্রয়োজন মতো পরিবর্তনসাধনের মাধ্যমে নিজেকে মেলে ধরেছিল। আর শত শতাব্দী ধরে অর্জিত প্রবৃত্তির মাধ্যমে এটা স্বাভাবিকভাবেই পূর্বের দিকে ঘুরে গিয়েছিল। এইভাবে পূবের সঙ্গে ভারতের পুনরাত্মীকরণের অভিযাত্রা শুরু হয়। ভারতের ক্ষেত্রে আমাদের বেশিরভাগ বৃহৎ প্রধান অংশীদার ও বাজারের অধিকাংশই হ’ল আসিয়ান ও পূর্ব এশিয়া থেকে উত্তর আমেরিকা পর্যন্ত পূবের দিকে ছড়িয়ে আছে। আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আসিয়ান ভূমি ও সমুদ্রপথে আমাদের দুই নিকট প্রতিবেশী হ’ল আমাদের ‘পূবে তাকাও’ নীতির মূল ধাত্রীভূমি এবং গত তিন বছরে পূবের প্রতি সক্রিয় হওয়ার নীতির মূল ভিত্তি। এই পথে সংলাপ-অংশীদারের ভূমিকা থেকে যাত্রা শুরু করে আসিয়ান ও ভারত কৌশলগত অংশীদারে পরিণত হয়েছে। আমরা আমাদের বিরাট ভিত্তিগত অংশীদারিত্বকে ৩০টি ব্যবস্থার সাহায্যে এগিয়ে নিয়ে গেছি। প্রতিবার আসিয়ানে নতুন সদস্যভুক্তির সঙ্গে সঙ্গে আমরা কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত অংশীদারিত্ব বাড়িয়ে চলেছি। আমরা আমাদের সমুদ্রগুলিকে সুরক্ষিত ও নিরাপদ রাখার জন্য এক সঙ্গে কাজ করছি। আমাদের বাণিজ্য এবং লগ্নির প্রবাহও অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আসিয়ান হ’ল ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার; আর ভারত হ’ল আসিয়ানের সপ্তমতম। ভারতের বহির্মুখী বিনিয়োগের ২০ শতাংশের বেশি যায় আসিয়ান দেশগুলিতে। ���িঙ্গাপুরের নেতৃত্বে আসিয়ান হ’ল ভারতের বিনিয়োগের প্রধান উৎস। এই অঞ্চলে ভারতের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিগুলি হ’ল এই ক্ষেত্রে তার সবথেকে প্রাচীন এবং সারা পৃথিবীর নিরিখে সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্খী। বিমান যোগাযোগ অত্যন্ত দ্রুত বেড়েছে আর মহাদেশগতভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক ভেতর পর্যন্ত আমরা জাতীয় মহাসড়কগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। নব নব ত্বরা ও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে। ক্রমবর্ধমান সংযোগ নিকটত্ব বাড়িয়েছে আর এরফলে ভারত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল পর্যটন উৎসগ্যলির অন্যতম হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই অঞ্চলে মানুষজনের মধ্যে ৬০ লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যাবিশিষ্ট ভারতীয় সমাজ – বৈচিত্র্যে শিকড় প্রোথিত রেখে গতি সঞ্চারের সুতীব্র আকাঙ্খা সহ – আমাদের দুই দেশের মধ্যে এক অসামান্য মানব সংযোগ করে তুলেছে। প্রধানমন্ত্রী এবার প্রতিটি আসিয়ান সদস্য দেশ সম্পর্কে তাঁর মতামত তুলে ধরেছেন থাইল্যান্ড থাইল্যান্ড আসিয়ান গোষ্ঠীর মধ্যে ভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসাবে উঠে এসেছে এবং এটি আসিয়ান গোষ্ঠী থেকে ভারতে গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগকারীদেরও অন্যতম। ভারত ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য গত এক দশকে দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সম্পর্কে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে প্রসারিত। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে যুক্ত করে আমরা হলাম গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অংশীদার। আমরা আসিয়ান, পূর্ব এশিয়া শীর্ষ বৈঠক ও বিমস্টেক (বহু ক্ষেত্রব্যাপী কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বঙ্গোপসাগরীয় বলয়-ভিত্তিক সহযোগিতা) প্রভৃতি গোষ্ঠীতে যেমন ঠিক তেমনই মেকং-গঙ্গা সহযোগিতা, এশীয় সহযোগিতা সংলাপ এবং ভারত মহাসাগরীয় বলয় সঙ্ঘের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনভাবেই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর ভূমিকা পালন করে আসছি। ভারতে ২০১৬ সালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলেছে। মহান ও জনপ্রিয় নৃপতি ভূমিবল আদুল্যদেজ-এর প্রয়ানে সারা ভারতবর্ষ তাদের থাই ভাই-বোনদের সঙ্গে অশ্রুমোচন করেছে। ভারতবাসী থাইল্যান্ডের বন্ধুত্বপূর্ণ জনসাধারণের সঙ্গে সেদেশের নতুন নৃপতি রাজা মহাবজ্রালংকর্ণ বোদিন্দ্রদেবায়ভারাংকুন-এর দীর্ঘ, সমৃদ্ধিশালী ও শান্তিপূর্ণ রাজত্বকালের জন্য প্রার্থনা করে। ভিয়েতনাম ঐতিহ্যগতভাবে ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের এই দুই দেশের ইতিহাসের মূলে বিদেশি শাসনের হাত থেকে মুক্তির অভিন্ন সংগ্রাম এবং জাতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট বিধৃত। মহাত্মা গান্ধী ও রাষ্ট্রপতি হো চি মিন-এর মতো মহান নেতা উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ে জাতির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ভারতে ২০০৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নগুয়েন তান দং-এর সফরকালে আমরা কৌশলগত অংশীদারিত্বের চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলাম। এই অংশীদারিত্ব ২০১৬ সাল এক পূর্ণাঙ্গ সামরিক অংশীদারিত্বে বিকশিত হয়েছে আমার ভিয়েতনাম সফরে। ভিয়েতনামের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক যোগাযোগের দ্বারা চিহ্নিত। ভারত ও ভিয়েতনামের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১০ বছরে প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ভারত ও ভিয়েতনামের মধ্যে সামারিক অংশীদারিত্বের এক তাৎপর্যপূর্ণ স্তম্ভ হিসাবে উঠে এসেছে। ভারত ও ভিয়েতনামের মধ্যে সহযোগিতার আরেক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হ’ল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। মায়ানমার ভারত ও মায়ানমারের স্থলসীমান্তের দৈর্ঘ্য ১,৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি আর দু’দেশের মধ্যে জলসীমান্তও বিদ্যমান। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রবহমান ধারায় আমাদের আত্মীয়তার গভীর অনুভূতি ও অভিন্ন বৌদ্ধ ঐতিহ্যের দ্বারা ইতিহাসগত অতীতের মতো এখনও এই দুটি দেশ আবদ্ধ। শোয়েডাগন প্যাগোডার জ্বাজ্বল্যমান স্তম্ভ এই সম্পর্ককে গৌরবজনকভাবে তুলে ধরে রেখেছে। বাগানে ভারতের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের সহযোগিতায় আনন্দ মন্দিরের পুনরুজ্জীবনের প্রয়াস এই অভিন্ন ঐতিহ্যেরই প্রতীক। ঔপনিবেশিক শাসনকালে আমাদের নেতৃবৃন্দের মধ্যে রাজনৈতিক বন্ধন ছিল, যা স্বাধীনতার অভিন্ন সংগ্রামের সময়ে আশা ও ঐক্যের এক মহান দৃষ্টান্ত রূপে প্রতিভাত হয়েছিল। গান্ধীজি বহুবার ইয়াঙ্গন সফর করেন। বালগঙ্গাধর টিলক’কে বহু বছর ইয়াঙ্গনে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। ভারতের স্বাধীনতার জন্য নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ঐতিহাসিক আহ্বান মায়ানমারে বহু মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছিল। গত এক দশকে আমাদের বাণিজ্য দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। আমাদের বিনিয়োগ সম্পর্কও অত্যন্ত বলিষ্ঠ। ভারত ও মায়ানমারের সম্পর্কের ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক সহযোগিতার এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই সহায়তামূলক পোর্টফোলিওর আর্থিক মূল্য এখন ১৭৩ কোটি ডলারেরও বেশি। ভারতের স্বচ্ছ উন্নয়নমূলক সহযোগিতা মায়ানমারের জাতীয় অগ্রাধিকারগুলির সঙ্গে সমরৈখিক এবং আসিয়ান সংযোগের মহাপরিকল্পনার সঙ্গে তালমিল রেখে চলছে। সিঙ্গাপুর সিঙ্গাপুর হ’ল এই অঞ্চলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ঐতিহ্যের জানালা, বর্তমানের প্রগতি আর ভবিষ্যতের সমৃদ্ধির প্রতীক। সিঙ্গাপুর ছিল ভারত ও আসিয়ানের মধ্যে এক সেতুবিশেষ। আজ এটি আমাদের পুবের প্রবেশদ্বার, আমাদের প্রধান অর্থনৈতিক সহযোগী এবং এক প্রধান বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদার, যে সম্পর্কের অহরহ অনুরণন ঘটে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বিশ্ব মঞ্চে আমাদের সদস্যভুক্তির ক্ষেত্রে। সিঙ্গাপুর ও ভারত এক কৌশলগত অংশীদারিত্বের অংশভাক। আমাদের রাজনৈতিক সম্পর্ক শুভেচ্ছা, উষ্ণতা এবং আস্থায় সম্পৃক্ত। আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক উভয়ের ক্ষেত্রেই বলিষ্ঠতমগুলির মধ্যে পড়ে। আমাদের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব দুটি দেশের অগ্রাধিকারের প্রতিটি ক্ষেত্র জুড়ে রয়েছে। সিঙ্গাপুর হ’ল ভারতের অন্যতম প্রধান গন্তব্য এবং বিনিয়োগের উৎস। হাজার হাজার ভারতীয় কোম্পানি সিঙ্গাপুরেও পঞ্জিকৃত। ১৬টি ভারতীয় মহানগরীর সঙ্গে প্রতি সপ্তাহে সিঙ্গাপুরের ২৪০টিরও বেশি সরাসরি উড়ান রয়েছে। সিঙ্গাপুরের তৃতীয় বৃহত্তম পর্যটক হ’ল ভারতের। অনুপ্রেরণামূলক বহু সংস্কৃতিবাদ এবং প্রতিভার প্রতি সম্মানের খ্যাতি রয়েছে সিঙ্গাপুরের। আর তারই ফলে সেখানে এক স্পন্দমান ও গতিশীল ভারতীয় জনগোষ্ঠীর প্রকাশ ঘটেছে, যা দুটি দেশের মধ্যে গভীরতর সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুতিতে অবদান রেখে চলেছে নিরন্তর। ফিলিপিন্স দু’মাসের সামান্য বেশি আগে ফিলিপিন্সে আমি অত্যন্ত সন্তোষজনক এক সফর সেরে এসেছি। আসিয়ান-ভারত, ইএএস ও সংক্রান্ত শীর্ষ বৈঠকগুলিতে যোগদান ছাড়াও আমার সুযোগ ঘটেছিল সেদেশের রাষ্ট্রপ্রধান দুতের্তের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আর আমাদের উষ্ণ ও সমস্যা বিহীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কিভাবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল। আমরা উভয় দেশই পরিষেবা ক্ষেত্রে শক্তিশালী আর প্রধান দেশগুলির মধ্যে উচ্চতমদের মধ্যে আমাদের উভয়ের বিকাশ হার পড়ে। আমাদের বাণিজ্য ও ব্যবসা সম্ভাবনা যথেষ্ট প্রতিশ্রুতিমান। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন আনা ও দুর্নীতির সঙ্গে লড়াই করার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি দুতের্তের অঙ্গীকারকে আমি প্রশংসা করি। এগুলি হ’ল সেইসব ক্ষেত্র, যেখানে দ��টি দেশ এক সঙ্গে কাজ করতে পারে। সার্বজনীন পরিচয়পত্র, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি, সকলের জন্য ব্যাঙ্কিং-এর সুযোগ করে দেওয়া, সরাসরি সুবিধা হস্তান্তরের ব্যবস্থা এবং নগদ বিহীন লেনদেনে উৎসাহ যোগানোর মতো ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা ফিলিপিন্সের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে আমরা খুশি। ফিলিপিন্স সরকারের আরেকটি অগ্রাধিকারমূলক এলাকা হ’ল সাশ্রয়ী ওষুধ সকলের জন্য প্রাপ্তির সুযোগ করে দেওয়া আর এক্ষেত্রেও আমরা অবদান রাখতে তৈরি। মুম্বাই থেকে মারাউই, সন্ত্রাসের কোনও সীমানা হয় না – এই অভিন্ন চ্যালেঞ্জটির মোকাবিলায় আমরা ফিলিপিন্সের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়িয়ে চলেছি। মালয়েশিয়া ভারত ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সমকালীন সম্পর্ক যথেষ্ট প্রসারিত এবং বিভিন্ন ক্ষেত্র জুড়ে রয়েছে মালয়েশিয়া ও ভারত কৌশলগত অংশীদারিত্বের বাঁধনে বাঁধা এবং আমরা বেশ কিছু বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক মঞ্চে সহযোগিতা করে থাকি। ২০১৭’য় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ভারতে সরকারি সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলেছে। মালয়েশিয়া আসিয়ান গোষ্ঠীর মধ্যে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আর আসিয়ান থেকে ভারতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তারা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য গত ১০ বছরে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ভারত ও মালয়েশিয়ার মধ্যে ২০১১ সাল থেকে দ্বিপাক্ষিক পূর্ণাঙ্গ অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তিটি হ’ল নজির বিহীন, কেননা দুই দেশই পণ্যসামগ্রীর ব্যবসাগত ক্ষেত্রে আসিয়ানের চেয়েও বেশি অঙ্গীকার করেছে এবং পরিষেবাগত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডব্ল্যুটিও প্লাস অফার বিনিময় করেছে। দু’দেশের মধ্যে দ্বৈতকর বিলোপ সংক্রান্ত সংশোধিত চুক্তিটি ২০১২’র মে মাসে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটি এবং ২০১৩’য় স্বাক্ষরিত অন্তঃশুল্ক সংক্রান্ত সহযোগিতামূলক সমঝোতা আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করেছে। ব্রুনেই ভারত ও ব্রুনেই-এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য গত এক দশকে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ভারত ও ব্রুনেই উভয়েই রাষ্ট্র সঙ্ঘ, নির্জোট আন্দোলন, কমনওয়েলথ, এআরএফ প্রভৃতির সদস্য এবং উভয়েই বিকাশশীল দেশ হওয়ায় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিগত সুদৃঢ় বন্ধন রয়েছে। প্রধান আন্তর্জাতিক বিষয়গুলির ক্ষেত্রে ভারত ও ব্রুনেই-এর যথেষ্ট অভিন্নতা রয়েছে। ভারতে ২০০৮-এর মে মাসে ব্রুনেই-এর সুলতানের সফর ভারত-ব্রুনেই সম্পর্কের নিরিখে এক মাইল ফলক। এদেশের উপ-রাষ্ট্রপতি ২০১৬’র ফেব্রুয়ারিতে ব্রুনেই সফর করেছিলেন। লাও পিডিআর ভারত ও লাও পিডিআর-এর মধ্যে সম্পর্ক বহু ক্ষেত্রেই ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত। ভারত বিদ্যুৎ সংবহন ও কৃষি ক্ষেত্রে লাও পিডিআর-এ নানা প্রকল্পে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। আজ ভারত ও লাও পিডিআর নানা ধরনের বহুপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক ফোরামে সহযোগিতা করে থাকে। ভারত ও লাও পিডিআর-এর মধ্যে বাণিজ্য এখনও সম্ভাব্যসীমার নীচে। ভারত লাও পিডিআর-কে শুল্ক মুক্ত অগ্রাধিকারমূলক মাশুল প্রদান প্রকল্পের তালিকাভুক্ত করেছে লাও পিডিআর থেকে ভারতে রপ্তানি বৃদ্ধিতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। পরিষেবাগত বাণিজ্যের প্রভূত সম্ভাবনা আমাদের রয়েছে। আসিয়ান-ভারত পরিষেবা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তির রূপায়ণ দু’দেশের পরিষেবাগত বাণিজ্যের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। ইন্দোনেশিয়া ভারত মহাসাগরে মাত্র ৯০ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে অবস্থিত ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে একই মানবসভ্যতার অংশভাগ হওয়ার দুই সহস্রাব্দেরও বেশি প্রাচীন এক ঐতিহ্য রয়েছে। ওড়িশায় উদযাপিত বার্ষিক বালি-যাত্রা কর্মসূচিই হোক কিংবা রামায়ণ-মহাভারতের কিংবদন্তী, যা গোটা ইন্দোনেশিয়া জুড়ে চোখে পড়ে, এইসব অনন্য সাংস্কৃতিক বন্ধন এশিয়ার দুটি বৃহত্তম গণতন্ত্রকে এক বিশেষ প্রতিবেশীসুলভ বাঁধনে বেঁধে রেখেছে। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য বা ভিন্নেকা তুঙ্গল ইকা দু’দেশের ভাগ করে নেওয়া সামাজিক মূল্যবোধ কাঠামোর এক প্রধান দিক। কৌশলগত অংশীদার হিসাবে আমাদের সহযোগিতা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, সাংস্কৃতিক এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগের সমস্ত ক্ষেত্র জুড়ে প্রসারিত। আসিয়ানে আমাদের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হ’ল ইন্দোনেশিয়া। ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য গত ১০ বছরে আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৬’য় এদেশে রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো’র সরকারি সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলেছে। কম্বোডিয়া ভারত ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সনাতন ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মূল রয়ে গেছে সভ্যতাগত সুপ্রাচীন বন্ধনের মধ্যে। আমাদের সুপ্রাচীন ঐতিহাসিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের গৌরবময় সাক্ষী এবং মহান প্রতীক হ’ল আংকোর ওয়াট মন্দিরের বিশাল স্থাপত্য। ভ���রত ১৯৮৬-১৯৯৩ – এর কঠিন সময়ে আংকোর ওয়াট মন্দিরের পুনরুজ্জীবন ও সংরক্ষণের কাজ সম্পাদন করে গর্বিত। এই মূল্যবান সহযোগিতাকে টা-প্রোম মন্দিরের সংরক্ষণের বর্তমান কাজেও সম্প্রসারিত করতে পেরে আমরা খুশি। খমের রুজ শাসনতন্ত্রের অবসানের পর ভারতই ১৯৮১ সালে প্রথম সেদেশের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৯১ সালে প্যারিস শান্তি চুক্তি ও তা চূড়ান্ত করার কাজেও যুক্ত ছিল ভারত। এইসব ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের সম্পর্ক উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের নিয়মিত সফরের মাধ্যমে জোরদার হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সামর্থ্য নির্মাণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, উন্নয়নমূলক ও সামাজিক প্রকল্প, সাংস্কৃতিক বিনিময়, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, পর্যটন ও মানুষে মানুষে যোগাযোগের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা দু’দেশের সহযোগিতাকে ছড়িয়ে দিয়েছি। আসিয়ানের দিক থেকে এবং নানা বৈশ্বিক মঞ্চে কম্বোডিয়া হ’ল এক গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী এবং ভারতের সমর্থনমূলক অংশীদার। ভারত কম্বোডিয়ার অর্থনৈতিক বিকাশের অংশীদার হয়ে থাকার ক্ষেত্রে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং দু’দেশের ঐতিহ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর করে তোলার আকাঙ্খা রাখে। এবং ভারত ও আসিয়ান আরও অনেক কিছু করছে। আসিয়ান নেতৃত্বের নানা প্রতিষ্ঠান যেমন – পূর্ব এশিয়া শীর্ষ বৈঠক, এডিএমএম প্লাস (এশীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক প্লাস) এবং এআরএফ (এশীয় আঞ্চলিক ফোরাম) আমাদের এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। ভারত আঞ্চলিক পূর্ণাঙ্গ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির এক উৎসাহী সদস্য হিসাবে ১৬ জন সদস্যের প্রত্যেকের জন্য পূর্ণাঙ্গ, সুষম ও ন্যায্য চুক্তি প্রার্থনা করে। অংশীদারিত্বের জোর ও বলিষ্ঠতা কেবলমাত্র সংখ্যার বিচারেই আসে না, সম্পর্কের গভীরতা থেকেও আসে। ভারত ও আসিয়ান-এর মধ্যে সম্পর্ক কোনও প্রতিযোগিতা ও দাবি মুক্ত। ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে আমাদের অভিন্ন দর্শন রয়েছে অন্তর্ভুক্তি ও সংহতির অঙ্গীকারের ভিত্তিতে, আকার নিরপেক্ষভাবে সব দেশের সার্বভৌম সাম্যের প্রতি বিশ্বাস এবং বাণিজ্য ও যোগাযোগের অবাধ ও উদার সংযোগপথের প্রতি সমর্থনের মাধ্যমে। আসিয়ান-ভারত অংশীদারিত্ব বেড়েই চলবে। জনসংখ্যা, গতিশীলতা ও চাহিদা বৃদ্ধির দান এবং দ্রুত পরিণত হয়ে ওঠা অর্থনীতির মাধ্যমে – ভারত ও আসিয়ান এক বলিষ্ঠ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলবে। যোগাযোগ বাড়বে এবং ব্যবসাও প্রসা���িত হবে। ভারতে সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয়বাদের যুগে আমাদের রাজ্যগুলিও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে উৎপাদনশীল সহযোগিতা গড়ে তুলছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল পুনরুজ্জীবনের পথে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ এর উন্নতিকে ত্বরান্বিত করবে। বিনিময়ে এক যুক্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চল আমাদের স্বপ্নের আসিয়ান-ভারত বন্ধনের সেতু হয়ে দাঁড়াবে। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আমি চারটি বার্ষিক আসিয়ান-ভারত শীর্ষ বৈঠক এবং পূর্ব এশিয়া শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিয়েছি। এগুলি এতদঅঞ্চলকে আসিয়ান ঐক্য, কেন্দ্রীয়তা এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে উপযুক্ত রূপদানে আমার আস্থাকেই সুদৃঢ় করেছে। এই বছরটি নানা মাইলফলকের। ভারত গত বছর ৭০ পূর্ণ করেছে। আসিয়ান ৫০ বছরের সোনালী মাইলফলকে উপনীত। আমরা প্রত্যেকেই আমাদের ভবিষ্যতের দিকে আশা নিয়ে এবং আমাদের অংশীদারিত্বের দিকে প্রত্যয় নিয়ে তাকাতে পারি। ৭০-এ উপনীত ভারত হ’ল তার যুবশক্তির চেতনা, উদ্যোগ ও অন্তর্নিহিত শক্তির দ্যোতক। বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত বিকাশশীল প্রধান অর্থনীতি হিসাবে ভারত বৈশ্বিক সুযোগের নতুন সীমানা এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার নোঙর হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেকটি দিন কাটছে আর ভারতে ব্যবসা করা ততই সহজ ও স্বচ্ছন্দ হয়ে উঠছে। আমাদের প্রতিবেশী ও বন্ধুদের মতোই আসিয়ান দেশগুলিও নবভারতের রূপান্তরের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠবে বলে আমার আশা। আসিয়ানের নিজস্ব উন্নতিকে আমরা প্রশংসা করি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া যখন পৈশাচিক যুদ্ধের রঙ্গ মঞ্চ হয়ে উঠেছিল আর অনিশ্চয়তার দেশসমূহের অঞ্চল হিসাবে পরিচিত ছিল, সেই সময়ে জন্ম নিয়ে আসিয়ান এক অভিন্ন উদ্দেশ্য ও ভাগ করে নেওয়া ভবিষ্যতের লক্ষ্যের পেছনে ১০টি রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। উচ্চতর আকাঙ্খার পথ অনুসরণ করা এবং আমাদের সময়ের নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার ক্ষমতা আমাদের আছে : পরিকাঠামো ও নগরায়ন থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কৃষি ও এক স্বাস্থ্যবান গ্রহ। আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং সংযোগ ক্ষমতাকেও কাজে লাগাতে পারি নজির বিহীন গতি ও মাপে জীবনটাকে পাল্টে ফেলার চেষ্টায়। আশার ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজন শান্তির সুদৃঢ় বলিষ্ঠতা। এ হ’ল বদলের যুগ, বিপর্যয় ও পরিবর্তন যা আসে, তা ইতিহাসে বিরল। আসিয়ান ও ভারত উভয়েরই সামনে রয়েছে অফুরান সুযোগ – বিরাট দায়িত্ব – আমাদের সমকালের অনিশ্চয়তা ও উ��্চাবচতার মধ্য দিয়ে আমাদের অঞ্চল ও গোটা বিশ্বের জন্য স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরির। বিশ্বপালক রবির প্রথম রেখা এবং সুযোগের রশ্মিগুচ্ছের দর্শন পেতে ভারতীয়রা সবসময়েই পুবের দিকে তাকিয়ে থেকেছেন। এখন, ঠিক আগের মতোই, সেই পুব অথবা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ভারতের ভবিষ্যৎ এবং আমাদের অভিন্ন ভাগ্যের ক্ষেত্রে অনিবার্য ভূমিকা নেবে। আসিয়ান-ভারত অংশীদারিত্ব উভয় ক্ষেত্রেই এক সংজ্ঞামূলক ভূমিকা পালন করবে। আর দিল্লিতে আসিয়ান ও ভারত উভয়েই আগামী অভিযাত্রার জন্য তাদের শপথের পুনরুচ্চারণ করেছে।","এচিয়ান-ভাৰতঃ একে মূল্যবোধ, উমৈহতীয়া ভৱিষ্যতঃ নৰেন্দ্ৰ মোদী" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%BF/,"নয়াদিল্লী, ০১ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ইয়ার লাপিড-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি নাফতালি বেনেটকে ভারতের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি ট্যুইট বার্তায় বলেছেন, “@yairlapid-কে ইজরায়ের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য উষ্ণ শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আমরা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন করছি। এই সময়ে উভয় রাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমি আশাবাদী।” “@naftalibennett-ভারতের প্রকৃত বন্ধু হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনাগুলি মনে থাকবে। আপনার নতুন দায়িত্বের সাফল্য কামনা করি।”",ইজৰাইলৰ প্ৰধানমন্ত্ৰী হিচাপে অধিষ্ঠিত মহামহিম য়াইৰ লাপিডক অভিনন্দন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%81/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%AA/,"নয়াদিল্লি, ৪ মার্চ, ২০২২ নমস্কার! ‘এনার্জি ফর সাসটেনেবল গ্রোথ’ বা ‘সুদূরপ্রসারী উন্নয়নের জন্য শক্তি উৎপাদন’ – এটা আমাদের পুরাতন পরম্পরা থেকে প্রেরণা নিয়ে শুরু করা অভিযান যা ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা এবং আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের পথও। ভারতের স্বচ্ছ দৃষ্টিকোণ ��ল, সুদূরপ্রসারী উন্নয়ন যা সুদূরপ্রসারী শক্তির উৎসগুলি থেকেই সম্ভব হয়ে উঠতে পারে। গ্লাসগো-তে আমরা ২০৭০ সালের মধ্যে ‘নেট জিরো’ স্তর পর্যন্ত পৌঁছনোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। আমি সিওপি-২৬-এ ‘সাসটেনেবল লাইফস্টাইল’ বা দীর্ঘস্থায়ী জীবনশৈলীকে উৎসাহ যোগানোর জন্য ‘লাইফ’ মিশনের কথা বলেছিলাম। ‘লাইফ’ মানে লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্ট -এর দূরদৃষ্টি সামনে রেখেছিলাম। আমরা ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স বা আন্তর্জাতিক সৌর সঙ্ঘের মতো গ্লোবাল কোলাবোরেশনকেও নেতৃত্ব দিচ্ছি। নন-ফসিল এনার্জি ক্যাপাসিটির ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছি ৫০০ গিগাওয়াট। ২০৩০ পর্যন্ত আমাদের ‘ইন্সটল্ড এনার্জি ক্যাপাসিটি’বা ইন্সটল করা শক্তি ক্ষমতার ৫০ শতাংশ আমাদের নন-ফসিল এনার্জি থেকে অর্জন করতে হবে। ভারত নিজের জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে, সেটিকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিইনি ,বরং, একটি সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। আমাদের জন্য এটিকে একটি বড় সুযোগ বলে মনে করছি। এই দৃষ্টিকোণ নিয়ে ভারত বিগত কয়েক বছর ধরে কাজ করছে আর এবারের বাজেটে এই ভাবনাকে ‘পলিসি লেভেল’ বা নীতির পর্যায়ে উন্নীত করা হয়েছে। বন্ধুগণ, এবারের বাজেটে সৌরশক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে ‘হাই এফিশিয়েন্সি সোলার মডিউল ম্যানুফ্যাকচারিং’বা উচ্চ-দক্ষতাসম্পন্ন সৌর মডিউল উৎপাদননের জন্য ১৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়েছে। এই বাজেট বরাদ্দের মাধ্যমে সৌর মডিউল এবং এর সংশ্লিষ্ট পণ্যের উৎপাদন এবং গবেষণা ও উন্নয়নে ভারতকে একটি ‘গ্লোবাল হাব’ হিসেবে গড়ে তুলতে সুবিধা হবে। বন্ধুগণ, আমরা ‘ন্যাশনাল হাইড্রোজেন মিশন’ও ঘোষণা করেছি। ভারতের কাছে প্রচুর মাত্রায় ‘রিনিউয়েবল এনার্জি পাওয়ার’ বা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির একটি ইনহেরেন্ট অ্যাডভান্টেজ বা ফল্গুধারা রয়েছে। এর মাধ্যমে ভারত বিশ্বে গ্রিন হাইড্রোজেন বা পরিবেশ-বান্ধব হাইড্রোজেন উৎপাদনের হাব হয়ে উঠতে পারে। হাইড্রোজেন ইকো-সিস্টেমে ফার্টিলাইজার, রিফাইনারিজ এবং টান্সপোর্টেশন সেক্টরের মধ্যে ইন্টার-কানেক্টেড রয়েছে। এটা একটি এমন ক্ষেত্র, যাতে বেসরকারি ক্ষেত্র দ্বারা উদ্ভাবনকে উৎসাহ যোগানো উচিৎ যাতে ভারতের সম্পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করা যায়। বন্ধুগণ, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির পাশাপাশি শক্তি সংরক্ষণ নিয়েও একটি বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে উঠে এসেছে। সেজন্য সমাধান খোঁজার উদ্দেশে বাজেটে সংরক্ষণ ক্ষমতায় ক্রমোন্নয়নের গতি বজায় রাখার জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এ বছরের বাজেটে ‘ব্যাটারি সোয়াপিং পলিসি’ আর ‘ইন্টার-অপারেবিলিটি স্ট্যান্ডার্ডস’ সম্পর্কেও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এগুলির মাধ্যমে ভারতে ইলেক্ট্রিক ভেহিকেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে উদ্ভূত সমস্যাগুলি হ্রাস পাবে। ‘প্লাগ-ইন চার্জিং’-এ বেশি সময় এবং বেশি টাকা খরচ হয় কারণ ইলেক্ট্রিক ভেহিকেলের দামের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ব্যাটারিরই হয়। সেজন্য সোয়াপিং-এর মাধ্যমে ইলেক্ট্রিক ভেহিকেলের ‘আপ-ফ্রন্ট কস্ট’ বা অগ্রিম খরচ কমে যাবে। এক্ষেত্রে মোবাইলের ব্যাটারি উৎপাদন এবং সৌরশক্তি সংরক্ষণ – এসব ক্ষেত্রেও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রেও আমি মনে করি আমরা সবাই মিলে কাজ করতে পারি। বন্ধুগণ, সুদূরপ্রসারী উন্নয়নের জন্য শক্তি উৎপাদনের পাশাপাশি শক্তি সংরক্ষণ প্রক্রিয়াও ততটাই প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে আরও বেশি ‘এনার্জি এফিশিয়েন্ট এ/সি’ কিভাবে উৎপাদিত হবে আর বেশি করে এনার্জি এফিশিয়েন্ট হিটার, গিজার, ওভেন ইত্যাদি কিভাবে উৎপাদিত হবে সে সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছু করার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমার মনে হয়। যেখানে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়, সেখানে এনার্জি এফিশিয়েন্ট পণ্য উৎপাদনকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমি আপনাদের একটি উদাহরণ দিচ্ছি। যখন ২০১৪ সালে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন দেশে এলইডি বাল্বের দাম ৩০০ – ৪০০ টাকা ছিল। আমাদের সরকার এলইডি বাল্বের উৎপাদন বাড়িয়েছে, আর উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে স্বাভাবিকভাবেই এর দাম কমে ৭০-৮০ টাকা হয়ে গেছে। ‘উজালা যোজনা’র মাধ্যমে আমরা দেশে প্রায় ৩৭ কোটি এলইডি বাল্ব বিতরণ করেছি। এর ফলে দেশে প্রায় ৪৮ হাজার মিলিয়ন কিলোওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে। আমাদের গরীব এবং মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির বিদ্যুতের বিলে বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে আর প্রতি বছর প্রায় ৪ কোটি টন কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পেয়েছে। আমরা পরম্পরাগত স্ট্রিট লাইট প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ স্মার্ট এলইডি বাল্ব দিয়ে রিপ্লেস করেছি। এতে আমাদের দেশে যে স্থানীয় প্রশাসনগুলি রয়েছে, মহানগরের পৌরসভা ও অন্যান্য শহরের পুরসভাগুলির পাশাপাশি পঞ্চায়েতগুলিতে স্ট্রিট লাইট রিপ্লেস করার ফলে তাদের বছরে বিদ্যুতের বিলে ৬ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এক্ষেত্রেও বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে আর প্রায় ৫০ লক্ষ টন কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পেয়েছে। আপনারা কল্পনা করতে পারেন, এই একটি প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা পরিবেশ দূষণ রোধে কত বড় সাফল্য পেয়েছি? বন্ধুগণ, কোল গ্যাসিফিকেশনকে বা কয়লার গ্যাসে রূপান্তরণকে আমরা কয়লার একটি বিকল্প রূপে ভাবতে পারি। এ বছরের বাজেটে কোল গ্যাসিফিকেশনের জন্য চারটি পাইলট প্রোজেক্ট রাখা হয়েছে যাতে প্রযুক্তিগত এবং অর্থনৈতিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। এক্ষেত্রে আরও উদ্ভাবনের প্রয়োজন রয়েছে। আমি চাই যে এক্ষেত্রে কর্মরত সকলে কোল গ্যাসিফিকেশনকে ভারতের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে আরও নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে কিভাবে উন্নত করা যায়, সাশ্রয়ী করে তোলা যায়, তা নিয়ে চেষ্টা করে যাবে। এমনভাবেই আপনারা দেখছেন সরকার একটি বড় মিশন মোডে ইথানল ব্লেন্ডিং বা পেট্রল ও ডিজেলে ইথানল মিশ্রণের মাত্রাকে নিরন্তর বাড়াচ্ছে এবং আরও বাড়ানোর উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। এবারের বাজেটে আনব্লেন্ডেড ফুয়েল বা অমিশ্রিত জ্বালানির ওপর এক্সট্রা ডিফারেন্সিয়াল এক্সাইজ ডিউটি বা অতিরিক্ত আবগারি শুল্ক চাপানো হয়েছে। আমাদের দেশীয় চিনি কারখানাগুলি এবং ডিস্টিলারিগুলিকে আরও বেশি আধুনিক করে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রেও আমাদের প্রযুক্তির উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেজন্য আমাদের এ ধরনের ডিস্টিলিং প্রসেস নিয়ে কাজ করতে হবে যাতে পটাশ এবং কম্প্রেসড বায়ো-গ্যাসের মতো অতিরিক্ত বাই-প্রোডাক্টও আমরা পাই। কয়েক সপ্তাহ আগে আমি বারাণসীতে আর কিছুদিন আগে ইন্দোরেও গোবর্ধন প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেছি। আমরা কি আগামী দু’বছরে দেশে ৫০০ থেকে ১ হাজারটি এরকম গোবর্ধন প্ল্যান্ট বেসরকারি উদ্যোগে স্থাপন করতে পারি? আমাদের শিল্পোদ্যোগগুলি যেন এ ধরনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য ‘ইনোভেটিভ ইনভেস্টমেন্ট’ বা উদ্ভাবক বিনিয়োগ করার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনে করি। বন্ধুগণ, আমাদের শক্তির চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে। সেজন্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির লক্ষ্যে ‘ট্রানজিশন’ বা রূপান্তরণ ভারতের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ। একটি অনুমান অনুসারে, ভারতে ২৪ থেকে ২৫ কোটি বাড়ি রয়েছে। আমরা কিভাবে ‘ক্লিন কুকিং’ বা পরিবেশ-বান্ধব রান্নার ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাব? আমি মনে করি, আমাদের স্টার্ট-আপগুলি এই কাজ অনেক সহজেই এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। আপনাদের জন্য সৌর উনুনের ক্ষেত্রেও অনেক বড় বাজার অপেক্ষা করছে যা ‘ক্লিন কুকিং মুভমেন্ট’ বা পরিবেশ-বান্ধব রান্নার অভিযান চালানোর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, গুজরাটে একটি সফল প্রয়োগ হয়েছে। গুজরাটে যত জলের খাল বা নহর রয়েছে সেগুলিতে আমরা সৌর প্যানেল লাগিয়েছি। ফলে জমির খরচ বেঁচে গেছে, জলের সাশ্রয়ও হয়েছে, বিদ্যুতও উৎপাদন হয়েছে। অর্থাৎ, বহুমুখী লাভ হয়েছে। এরকমই উদ্যোগ এখন দেশের অন্যান্য অঞ্চলে প্রবাহিত নদীগুলি এবং সরোবরগুলিতে করা যেতে পারে। এই উদ্যোগকে আমাদের যথাসম্ভব বাড়াতে হবে। আরও একটি কাজ আমরা বাড়িতে বসেই করতে পারি। আপনাদের বাড়ির চারপাশে যত বাগান রয়েছে কিংবা ব্যালকনি রয়েছে, আমাদের যে গার্ডেনিং কনসেপ্ট রয়েছে সেখানে কি আমরা ‘সোলার ট্রি’ বা সৌর বৃক্ষ লাগাতে পারি? প্রত্যেক পরিবারের একটি নিজস্ব সোলার ট্রি থাকবে। এরকম একটি নতুন ভাবনা আমরা গড়ে তুলতে পারি। যে সৌর বৃক্ষটি বাড়ির মোট প্রয়োজনের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ, কিংবা কোনও কোনও ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুতের যোগান দিতে পারবে, আর বাড়িরও একটা পরিচয় গড়ে উঠবে যে এটা সৌর বৃক্ষসম্পন্ন বাড়ি। অর্থাৎ, পরিবেশের প্রতি সচেতন নাগরিকের বাড়ি। একটি সমাজকে ‘ক্রেডিবল সোসাইটি’ বা ভরসাযোগ্য সমাজ রূপে আমরা নিজেদেরকে গড়ে তুলতে করতে পারি আর এই বিষয়টিকে অত্যন্ত সহজে ও সুন্দরভাবে গড়ে তোলা যেতে পারে। এই সৌর বৃক্ষের ভাবনাকে আমি আমাদের যে কনস্ট্রাকশন বা গৃহ নির্মাণকারী ব্যক্তিরা রয়েছেন, বিল্ডাররা রয়েছেন, আর্কিটেক্টরা রয়েছেন, তাঁদেরকেও বলব যে বাড়ি তৈরিতে একটি নতুন পদ্ধতি কি আমরা যুক্ত করতে পারি? আপনারা ভাবুন। আমাদের দেশে মাইক্রো-হাইড্রাল প্রোজেক্টস বা ক্ষুদ্র জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সংখ্যা অনেক। উত্তরাখণ্ড-হিমাচল প্রদেশে আমরা দেখেছি ‘ঘরাট’ নামক একটি ‘পনচাক্কি’ বা জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের চাকা থাকে। ক্ষুদ্র জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আরও গবেষণা করে আমরা এগুলির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন কিভাবে বাড়াতে পারি, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা করা উচিৎ। বিশ্বে সব ধরনের ন্যাচারাল রিসোর্সের শর্টেজ হতে চলেছে, সব ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব অবশ্যম্ভাবী। এক্ষেত্রে সার্কুলার ইকনমি একটি সময়ের চাহিদা, আর একে জীবনের অনিবার্য অঙ্গ করে গড়ে তুলতেই হবে। আমাদের জন্য প্রত্যেক ক্ষেত্রে উদ্ভাবন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, আর নতুন নতুন পণ্য উৎপাদনও প্রয়োজনীয়। সেজন্য আমি দেশের বেসরকারি ক্ষেত্রকে ভরসা দিতে চাই যে সরকার আপনাদের সকল প্রচেষ্টায় আপনাদের সঙ্গে আজ যেভাবে দাঁড়িয়ে আছে, ভবিষ্যতেও তেমনই দাঁড়িয়ে থাকবে। আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা শুধু যে নতুন নতুন লক্ষ্য অর্জন করব তা-ই নয়, সম্পূর্ণ মানবতাও প্রদর্শন করব। বন্ধুগণ, আমি একথাও বলতে চাইব যে, সাধারণতঃ বাজেট তৈরি হওয়ার অনেক আগেই অনেক আলাপ-আলোচনা হয়। আমাদের টিভি চ্যানেলগুলি সংসদের যে বাজেট কর্মসূচি সেটা দেখাতে ব্যস্ত থাকে। আমরা দেখেছি সংসদে কত ভালো চিন্তাভাবনার মন্থন হয় আর তা থেকেও বাজেটেরও সামান্য লাভ হয়। বাজেট রচনার সময় খুব ভালো ভালো ভাবনা সঙ্কলিত হয়। কিন্তু এখন আমরা অন্যদিকে গুরুত্ব দিয়েছি। চলুন, বাজেট তো তৈরি হয়ে গেছে। এখন বাজেটে আর কোনও পরিবর্তন আসবে না। এটি আমাদের সংসদের সম্পত্তি, আর এক্ষেত্রে সমস্ত সিদ্ধান্ত সংসদই ঠিক করে। আমাদের হাতে যে দু’মাস সময় থাকে, ১ এপ্রিল থেকে বাজেট বাস্তবায়িত হবে, এই দু’মাসে আমরা এভাবে বাস্তবায়নের রোডম্যাপকে সুন্দরভাবে ব্যবহার করার দিকে কিভাবে জোর দেব, আর প্রকল্পটিকে খুব ভালোভাবে কিভাবে বাস্তবায়িত করব – সেটা দেখতে হবে। বাজেটকে আমরা কত ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারি এবং কিভাবে করতে পারি – সেই চেষ্টা করতে হবে। সরকারের ভাবনাচিন্তার প্রক্রিয়া এবং তৃণমূল স্তরে কাজ করার পদ্ধতি, আর বাণিজ্যিক জগতের পদ্ধতির মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকে। আজকের সেমিনারে সেই উত্তরগুলি পুনরুচ্চারণের চেষ্টা থাকতে হবে, যা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের, তাঁদের থিঙ্কিং প্রসেস বা চিন্তা প্রক্রিয়া আর সরকারের যত নির্ণয়, সেগুলির চিন্তা প্রবাহ। এতে অন্তর্বিরোধ থাকলে চলবে না। এক্ষেত্রে পরস্পরের মধ্যে দূরত্ব রাখলেও চলবে না। যদি এমনটি সম্ভব হয়, তাহলে অনেক কিছুই দ্রুতগতিতে বাস্তবায়িত হবে। কচিৎ-কদাচিৎ দু-একটি বাক্য এমন শুনতে পাই, ফাইলগুলিতে এরকম শব্দের কথা জানা গেছে, যেগুলি সংশোধন করতে ছয় থেকে আট মাস লেগে যাবে, আর বাজেটের নির্ধারিত সময়ও ফুরিয়ে যাবে! আমরা এই সমস্ত ভুলগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে সেগুলি থেকে নিজেদের বাঁচাতে চাই। সেজন্যই আমরা এই ওয়েবিনারগুলির আয়োজন করেছি। এটি আমরা সরকারের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে কোনও জ্ঞান দেওয়ার জন্য আয়োজন করিনি। আমাদের বাজেট কি তা বোঝানোর জন্যও করছি না। আমাদের থেকে বেশি কর��� আপনারা ইতিমধ্যেই বুঝে নিয়েছেন। আমরা আপনাদের বক্তব্য শোনার জন্যই এ ধরনের ওয়েবিনারের আয়োজন করি, আর শোনার ক্ষেত্রেও বাজেটের জন্য কোনও পরামর্শ নয়, বরং যে বাজেট তৈরি হয়ে গেছে তাকে সম্পূর্ণরূপে কিভাবে আমরা বাস্তবায়িত করতে পারি। আর এই বাস্তবায়ন অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কিভাবে করব যাতে যত বেশি সম্ভব ফল আমরা সঙ্গে নিয়ে যেতে পারি। আমাদের যেন কোনও ব্যুহ না রচনা করতে হয় তা সুনিশ্চিত করতে এই ওয়েবিনার থেকে যত বেশি সম্ভব ফল নিয়ে আমরা কিভাবে এগিয়ে যাব –সেটা দেখতে হবে। আমাদের এমন কোনও ব্যুহ রচনা করলে চলবে না যা বিনা কারণেই সময় খারাপ করে দেয়। সেজন্যই অধিক গতি আনার জন্য আমি চাই আপনারা কংক্রিট প্র্যাক্টিক্যাল একজাম্পল, আরও সাজেশন দিয়ে এই ওয়েবিনারকে সফল করে তুলবেন। আপনাদের সবাইকে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভকামনা। অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",কেন্দ্রীয় বাজেট দাখিলৰ পাছত ‘বহনক্ষম উন্নয়নৰ বাবে শক্তি’ বিষয়ক লৈ আয়োজিত ৱেবিনাৰত প্রধানমন্ত্রীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,"প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শোক প্রকাশ করেছেন। এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের প্রয়াণে বুশ পরিবার ও মার্কিন জনগণকে আমার সমবেদনা জানাই। বিশ্ব ইতিহাসে সংকটজনক পরিস্থিতির মোকাবিলায় তাঁর নেতৃত্ব বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে সর্বদা গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর অনুপস্থিতি সর্বদা অনুভূত হবে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি”।",আমেৰিকা যুক্তৰাষ্ট্ৰৰ প্ৰাক্তন ৰাষ্ট্ৰপতি জৰ্জ এইচ. ডব্লিউ. বুশ্বৰ বিয়োগত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শোক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A8-%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%93-%E0%A6%AE%E0%A7%8E/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%A8/,"ভারত, ব্রিটেন ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে গত ১৭ এপ্রিল গবাদি পশুপালন, ডেয়ারি ও মৎস্যচাষ ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ���যে যে সমঝোতাপত্র বা মউ স্বাক্ষরিত হয়, সে ব্যাপারে বুধবার (২৯ আগস্ট, ২০১৮) কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে অবহিত করা হয়। ভারতে গবাদি পশু ও মৎস্যচাষ ক্ষেত্রে উৎপাদন তথা উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা প্রসারের লক্ষ্যে এই মউ স্বাক্ষরিত হয়। এই মউ স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে দেশে গবাদি পশুর স্বাস্থ্য, গবাদি পশুর সংখ্যাবৃদ্ধি ও মৎস্যচাষ ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটবে। সেইসঙ্গে, দেশে ডেয়ারি সামগ্রীর ব্যবহার বাড়বে এবং রপ্তানিও বৃদ্ধি পাবে। গবাদি পশুপালন, মৎস্যচাষ ও ডেয়ারি ক্ষেত্রে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনা ও সহযোগিতার প্রসারেও এই মউ সাহায্য করবে। গবাদি পশুর জন্য পুষ্টিকর খাদ্যের ব্যাপারে এবং এ ধরণের খাদ্যের যে সব জায়গায় ঘাটতি রয়েছে তা সেখানে পাঠিয়ে গবাদি পশুর উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এটি সাহায্য করবে। পশু ও প্রাণীজ সামগ্রীর রপ্তানির ক্ষেত্রে গুণগত মান সম্পর্কে যে উদ্বেগ থাকে তা দূর করা সম্ভবও হবে। সহযোগিতা ও আলাপ-আলোচনার ক্ষেত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যৌথ কর্মসূচি রচনার জন্য সব পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি যৌথ কর্মীগোষ্ঠী গঠন করা হবে।","পশুপালন, দুগ্ধপাম আৰু মীনপালনৰ ক্ষেত্ৰত ভাৰত, ব্ৰিটেইন আৰু উত্তৰ আয়াৰলেণ্ডৰ মাজত স্বাক্ষৰিত বুজাবুজি চুক্তি সম্পৰ্কে অৱগত কৰিলে কেবিনেটক" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%A8/,"সরকারিভাবেকান্দলা বন্দরের নতুন নামকরণ হল দীনদয়াল বন্দর। এই মর্মে একটি প্রস্তাব আজকর্মপরবর্তী অনুমোদন লাভ করে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিতকেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। উল্লেখ্য,ভারতে বিভিন্ন বন্দরের নামকরণ করা হয় সাধারণত সংশ্লিষ্ট শহর বা অঞ্চলেরনামানুসারে। তবে, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিবেচনা ও চিন্তাভাবনার পর অতীতের মহাননেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কোন কোন বন্দরের নাম তাঁদের নামে নামাঙ্কিত করারসিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার। কান্দলাবন্দরকে ‘দীনদয়াল বন্দর, কান্দলা’– এইভাবে চিহ্নিত করে ভারতের এক মহান সন্তানপণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মূল্যবান অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাল সমগ্��জাতি। এই ঘটনা গুজরাটের অধিবাসী বিশেষত, যুব সমাজকে অনুপ্রাণিত করবে কারণ, তাঁদেরঅনেকেই হয়তো এই মহান নেতার অবদান সম্পর্কে সচেতন বা অবহিত নন। /",কান্দলা বন্দৰ দীনদয়াল বন্দৰ হিচাপে নামকৰণত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%95-%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বুধবারের (২৯ আগস্ট, ২০১৮) বৈঠকে ভারতের বিমা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আইআরডিএআই) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স অফিসের মধ্যে সমঝোতাপত্র বা মউ স্বাক্ষরের অনুমোদন মিলেছে। এই মউ স্বাক্ষরের ফলে দুই দেশের বিমা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মধ্যে তথ্য বিনিময় ও গবেষণা সহায়তা সহ পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সমন্বয়সাধনের ক্ষেত্রে এক কাঠামো গড়ে উঠবে। চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের কর্তৃপক্ষই বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা ও পদ্ধতি সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে এবং প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহায়তা যোগাবে। বিমা ক্ষেত্রে এক মজবুত তথা বিচক্ষণ নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মান নির্ণায়ক কাজকর্ম, আর্থিক সুস্থিতি এবং গ্রাহক স্বার্থ সুরক্ষার মানোন্নয়ন ও সুরক্ষা ব্যবস্থার রূপায়ণের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বজায় রাখতে দুই দেশই সম্মত হয়েছে।",বীমা নিয়ামক খণ্ডত ভাৰত আৰু মাৰ্কিন যুক্তৰাষ্ট্ৰৰ মাজত বুজাবুজি চুক্তি স্বাক্ষৰত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%93-%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%85%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82/,"ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়! যখনই আমি জাপানে আসি তখন প্রত্যেকবারই দেখি যে আমার উপর আপনাদের ভালোবাসার বর্ষণ ক্রমে বাড়ছে। আপনাদের মধ্যে অনেক বন্ধু এমন আছেন যাঁরা অনেক বছর ধরে এখানে বসবাস করছেন। জাপানের ভাষা, এখানকার বেশভূষা, এখানকার সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস এক প্রকার আপনাদের জীবনেরও অংশ হয়ে উঠেছে আর এরকম অংশ হয়ে ওঠার একটি প্রধান কারণ হল যে ভারতীয়দের চরিত্রে মূলত শিষ্টাচারের সমাবেশ খুব সহজেই ঘটে। কিন্তু পাশাপাশি, জাপানে আপনাদের পরম্পরা, নিজস্ব মূ��্যবোধ, আপনাদের জীবনযাপনের প্রতি যে দায়বদ্ধতা রয়েছে সেটাও অত্যন্ত গভীর, আর পানাদের ক্ষেত্রেএই দুটোর মিলন হয়েছে বা সমাবেশ ঘটেছে বলা যায়। সেজন্য স্বাভাবিক রূপেই পরস্পরের প্রতি একটি আত্মীয়তা অনুভব করা অত্যন্ত স্বাভাবিক। বন্ধুগণ, আপনারা এখানে রয়েছেন। আপনাদের মধ্যে অনেকেই এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। আমি জানি যে অনেকে এখানে এসে বিবাহবন্ধনেও আবদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু এটাও সত্যি যে অনেক বছর ধরে এখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত থাকার পরও ভারতের প্রতি আপনাদের শ্রদ্ধা, ভারতের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক অটুট রয়েছে। যখনই ভারত থেকে কোনও ভালো খবর আসে, তখন আপনাদের আনন্দের সীমা থাকে না, তাই না? আর কখনও কোনও খারাপ খবর যদি আসে, তখনও আপনারা খুব কষ্ট পান। আমাদের প্রত্যেকের এই বৈশিষ্ট্যও ভারতীয়দের একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যে আমরা আমাদের কর্মভূমির সঙ্গে শরীর ও মন দিয়ে যুক্ত হয়ে পড়ি, মিলেমিশে যাই, নিজেদের উৎসর্গ করে দিই, কিন্তু মাতৃভূমির সঙ্গে যে শিকড়ের সম্পর্ক, তার সঙ্গেও কখনও দূরত্ব তৈরি হতে দিই না এবং এটাই আমাদের ভারতীয়দের সবচাইতে বড় সামর্থ্য। বন্ধুগণ, স্বামী বিবেকানন্দ জি যখন তাঁর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের জন্য শিকাগো যাচ্ছিলেন, তার আগে তিনি জাপানে এসেছিলেন। তখন জাপান তাঁর মনমন্দিরে, তাঁর মন-মস্তিষ্কে একটি গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। জাপানের জনগণের দেশভক্তি, জাপানের জনগণের আত্মবিশ্বাস, জাপানীদের জীবনে অনুশাসনপ্রিয়তা, নিজেকে ও চারপাশকে পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রে জাপানীদের সচেতনতা – এই সবকিছু দেখে বিবেকানন্দ জি জাপানীদের প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত ছিলেন। বিশ্বকবি ররীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তাঁর একটি বক্তব্যে বলেছিলেন – “Japan has come out of the immemorial east like a lotus blossoming in easy grace, all the while keeping its firm hold upon the profound depth for which it has sprung.” অর্থাৎ,”জাপান অনাদি পূর্ব দিগন্ত থেকে উঠে এসেছে সহজ অনুগ্রহে ফুটে থাকা পদ্মের মতো, যে গভীর গভীরতার জন্য এটি প্রস্ফুটিত হয়েছে, তার উপর দেশটি নিজেকে দৃঢ়ভাবে ধরে রেখেছে”। এর মাধ্যমে তিনি বলতে চেয়েছেন যে জাপান পদ্মফুলের মতো যতটা শক্তভাবে নিজেদের শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত, ততটাই সৌন্দর্য দিয়ে দেশটি তার চারপাশের শোভাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। আমাদের এই মহাপুরুষদের জাপান সম্পর্কে এমনই পবিত্র ভাবনা জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের গভীরতাকে স্পষ্ট করে। বন্ধুগণ, এবার যখন আমি জাপানে এসেছি, ত��ন আমাদের উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিককূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। সাত দশক! বন্ধুগণ, আপনারাও এখানে বসবাস করার সময় আমাদের এই সম্পর্কের নিবিড়তাকে হয়তো প্রতিনিয়ত অনুভব করেন। ভারতেও আমরা প্রতি মুহূর্তে এটা অনুভব করি যে ভারত এবং জাপান পরস্পরের ‘ন্যাচারাল পার্টনার’ বা বলা যায়, প্রাকৃতিকভাবেই আমরা পরস্পরের সহযোগী। ভারতের উন্নয়ন যাত্রায় জাপানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আত্মীয়তার, আধ্যাত্মিকতার। জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সহযোগিতার, ঘনিষ্ঠতার। আর এজন্য আমাদের এই সম্পর্কের একটা নিজস্ব সামর্থ্য আছে কারণ, এই সম্পর্কের ভিত্তি হল পারস্পরিক সম্মান আর এই সম্পর্ক বিশ্বের জন্য মিলিত সঙ্কল্প গ্রহণের সম্পর্কও। জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের প্রধান অনুঘটক হলেন গৌতম বুদ্ধ। আর সেজন্য জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি হল বৌদ্ধের বা জ্ঞানের। আমাদের যেমন মহাকাল, তেমনই জাপানে ডাইকোকুটেন। আমাদের যেমন ব্রহ্মা, তেমনই জাপানের রয়েছে বন্টেন। আমাদের যেমন রয়েছে মা সরস্বতী, তেমনই জাপানের রয়েছে বিদ্যাদেবী বেঞ্জাইটেন। আমাদের রয়েছে মহাদেবী লক্ষ্মী আর জাপানের রয়েছে ধনের দেবী কিছিজোটেন। আমাদের রয়েছে সিদ্ধিদাতা গণেশ আর জাপানের রয়েছে ক্যাঙ্গিট্যান। জাপানে ভারতের মতোই জৈন পরম্পরাও রয়েছে আর আমরা উভয় দেশই মেডিটেশন বা ধ্যানকে আত্মার সঙ্গে সাধকের সাক্ষাতের মাধ্যম বলে মানি। একবিংশ শতাব্দীতেও ভারত আর জাপান এই সাংস্কৃতিক সম্পর্কগুলিকে সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতার সঙ্গে পালন করে চলেছে, এগিয়ে নিয়ে চলেছে আর আমি কাশীর সাংসদ হিসেবে অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে বলতে চাইব যে জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিয়া পি(শিনজো আবে) যখন কাশীতে এসেছিলেন, তখন তিনি কাশীবাসীকে একটি অনেক বড় উপহার দিয়েছিলেন। কাশীতে জাপানের সহযোগিতায় নির্মিত রুদ্রাক্ষ ভবন আর আমার পুরনো কর্মভূমি আমেদাবাদে জৈন গার্ডেন এবং কাইজেন অ্যাকাডেমি স্থাপন – এমনই সব উদ্যোগ যা আমাদের সম্পর্ককে আরও অনেক নিবিড়তর করেছে। এখানে আপনারা সবাই জাপানে বসবাস করে এই ঐতিহাসিক বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করে তুলছেন, আরও মজবুত করে তুলছেন। বন্ধুগণ, আজকের বিশ্বে ভগবান বুদ্ধের ভাবনা নিয়ে, তাঁর প্রদর্শিত পথে চলার প্রয়োজন হয়তো আগের থেকে অনেক বেশি। আজকের বিশ্বের প্রতিটি সম���্যার মোকাবিলায় এটাই সবচাইতে সঠিক পথ। হিংসার বিরুদ্ধে, অরাজকতার বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের মতো সমস্যার মোকাবিলায় মানবতাকে রক্ষার ক্ষেত্রে ভগবান বুদ্ধের প্রদর্শিত পথই সবচাইতে উত্তম পথ। ভারত অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে আমাদের দেশ ভগবান বুদ্ধের প্রত্যক্ষ আশীর্বাদ পেয়েছে। তাঁর ভাবনা-চিন্তাকে অনুসরণ করে ভারত প্রতিনিয়ত মানবতার সেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। মানবতার সামনে যত ধরনের বড় বড় সমস্যা এসেছে, তা সে যত বড়ই হোক না কেন, ভারত তার সমাধান অবশ্যই খুঁজে বের করতে সক্ষম। করোনা মহামারীর সময় সমগ্র বিশ্বের সামনে যে ১০০ বছরের সবচাইতে বড় মানবতার সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছিল, সেটাও আমাদের সামনে রয়েছে, আর এই সঙ্কট যখন শুরু হয়েছিল তখন কেউই জানতেন না যে ভবিষ্যতে কী হবে। শুরুতে তো এমনটাই মনে হচ্ছিল যে অমুক দেশে এসেছে, আমাদের এখানে কী! কিন্তু কেউই জানত না যে একে কিভাবে হ্যান্ডেল করতে হবে বা এর কিভাবে মোকাবিলা করতে হবে, আর এর মোকাবিলায় কোনও টিকাও ছিল না। এর প্রতিষেধক টিকা কবে আবিষ্কার হবে, সে ব্যাপারেও কারোর কোনও ধারনা ছিল না। এমনকি, এই সন্দেহও জেগে উঠেছিল, আদৌ এর কোনও টিকা আবিষ্কার করা সম্ভব হবে কি হবে না। বিশ্বের সর্বত্র চারিদিকে অনিশ্চয়তার আবহ ছিল। সেই কঠিন পরিস্থিতিতেও ভারত বিশ্বের অনেক দেশে প্রয়োজনীয় ওষুধ পাঠিয়েছে, আর যখন টিকা আবিষ্কার হয়েছে, ভারত নিজেদের চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি টিকা তৈরি করে সেই ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ভ্যাক্সিন নিজেদের কোটি কোটি নাগরিককে যেমন দিয়েছে, তেমনই যত দ্রুত সম্ভব বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে পাঠিয়েছে। বন্ধুগণ, নিজেদের দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও উন্নত করার জন্য ভারত অভূতপূর্ব অর্থ বিনিয়োগ করছে। দেশের দূরদুরান্তের এলাকাগুলিতেও স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য দেশে লক্ষ লক্ষ নতুন ওয়েলনেস সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। আপনারা একথা জেনেও অত্যন্ত আনন্দ পাবেন, হয়তো আপনারা একথা জেনেও আনন্দ পাবে যে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ভারতের আশা ওয়ার্কার্স, আশাকর্মী বোনেদের ডায়রেক্টর জেনারেলস গ্লোবাল হেলথ লিডার অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করেছে। ভারতের লক্ষ লক্ষ আশাকর্মী বোনেরা মাতৃত্বকালীন পরিষেবা থেকে শুরু করে টিকাকরণ পর্যন্ত, অপুষ্টি থেকে শুরু করে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পর্যন্ত দেশের স্বাস্থ্য অভিযানকে গতি প্রদানের জন্য গ্রামে গ্রামে অসাধারণ কাজ করছেন। আজ আমি জাপানের মাটি থেকে আমাদের সমস্ত আশাকর্মী বোনেদের এই সাফল্যের জন্য হৃদয় থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই, তাঁদেরকে স্যালুট জানাই। বন্ধুগণ, ভারত আজ কিভাবে আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলির মোকাবিলার ক্ষেত্রে বিশ্ববাসীকে সাহায্য করছে; এর আরও একটি বড় উদাহরণ হল পরিবেশের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে ভারতের উদ্যোগ। আজ ক্লাইমেট চেঞ্জ বা আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্কট বিশ্বের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে। আমরা ভারতেও এই সমস্যাকে অনুভব করেছি আর এই সমস্যার সমাধানের জন্য পথ খোঁজার লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে চলেছি। ভারত ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণকে ‘নেট জিরো’ করার দায়বদ্ধতাকে বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। আমরা ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স বা আন্তর্জাতিক সৌর সঙ্ঘের মতো আন্তর্জাতিক উদ্যোগেরও নেতৃত্ব দিচ্ছি। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সারা পৃথিবীতে নানা রকম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সমস্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বিপর্যয়ের বিপদকে আর এগুলি থেকে উদ্ভূত দূষণের কুপ্রভাবকে জাপানের জনগণের থেকে বেশি করে আর কে বুঝতে পারে! জাপান নিজেদের দেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষমতাও অনেক বাড়িয়ে নিয়েছে, আর এক্ষেত্রে বিশ্ববাসীকে পথ দেখাচ্ছে। যেভাবে জাপানের জনগণ এই সমস্যাগুলির মোকাবিলা করেছেন, প্রত্যেক সমস্যা থেকে, প্রত্যেক বিপর্যয় থেকে তাঁরা কিছু না কিছু শিখেছেন, সেগুলির সমাধান খুঁজেছেন আর সেই অনুযায়ী নানা ব্যবস্থাও বিকশিত করেছেন। নিজেদের আচার, ব্যবহার, শিষ্টাচারের ক্ষেত্রেও নানা পরিবর্তন এনেছেন। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে মোকাবিলার প্রচেষ্টা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ভারতও এই লক্ষ্যে নিজের সিডিআরআই বা কোয়ালিশন ফর ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার-এ নেতৃত্ব প্রদান করছে। বন্ধুগণ, ভারত আজ ‘গ্রিন ফিউচার’ বা পরিবেশ-বান্ধব ভবিষ্যৎ, ‘গ্রিন জব কেরিয়ার রোডম্যাপ’ বা পরিবেশ-বান্ধব কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা রচনার ক্ষেত্রেও অনেক দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ভারতে ইলেক্ট্রিক মোবিলিটিকে ব্যাপক উৎসাহ যোগানো হচ্ছে। গ্রিন হাইড্রোজেনকে হাইড্রো কার্বনের বিকল্প করে তোলার জন্য বিশেষ মিশন শুরু করা হয়েছে। বেশি জৈব-জ্বালানি ব্যবহারের ��ন্য সংশ্লিষ্ট রিসার্চ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার বা গবেষণা ও পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে অনেক বড় মাত্রায় কাজ চলছে। ভারত বর্তমান দশকের শেষের দিকে তার টোটাল ইনস্টল্ড পাওয়ার ক্যাপাসিটির ৫০ শতাংশ নন-ফসিল ফুয়েলের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করার সঙ্কল্প নিয়েছে। বন্ধুগণ, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে ভারতীয়দের এই যে ক্রমবর্ধমান আত্মবিশ্বাস, এই আত্মবিশ্বাসের প্রভাব আজ প্রত্যেক ক্ষেত্রে, প্রত্যেক দিকে, প্রত্যেক পদক্ষেপে পরিস্ফুট হচ্ছে। গ্লোবাল চেন সাপ্লাই যেভাবে বিগত দুই বছরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, গোটা সাপ্লাই চেন এখন প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এটি আজ গোটা বিশ্বের জন্য একটি অনেক বড় সঙ্কট হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য আমরা আত্মনির্ভরতার সঙ্কল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছি আর আমাদের এই আত্মনির্ভরতার সঙ্কল্প যে শুধু ভারতের জন্য কাজে লাগে তা নয়, আমাদের এই আত্মনির্ভরতার সঙ্কল্প একটি স্থায়ী, টেকসই ও বিশ্বস্ত গ্লোবাল সাপ্লাই চেনের জন্যও অনেক বড় ইনভেস্টমেন্ট রূপে প্রতিপন্ন হবে। আজ গোটা বিশ্ব এটা অনুভব করছে যে ভারতে যে গতি ও পরিমাপে কাজ চলছে, ভারত যে গতি ও পরিমাপে কাজ করতে পারে তা অভূতপূর্ব। বিশ্ব আজ এটাও দেখছে যে পরিমাণে ভারত তার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনস্টিটিউশনাল ক্যাপাসিটি বিল্ডিং-এর ক্ষেত্রে জোর দিচ্ছে, এটাও অভূতপূর্ব। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আমাদের এই ক্যাপাসিটি নির্মাণে জাপান একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। মুম্বাই-আমেদাবাদ হাইস্পিড রেল থেকে শুরু করে দিল্লি-মুম্বাই ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর নির্মাণ, ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর নির্মাণ – এরকম অনেক’টি বড় বড় প্রকল্প ভারত জাপানের সহযোগিতায় গড়ে তুলছে। এগুলি ভারত-জাপান সম্পর্কের নিবিড়তার অনেক বড় উদাহরণও। বন্ধুগণ, ভারতে যে পরিবর্তনগুলি হচ্ছে সেগুলির মধ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা রয়েছে। আমরা ভারতে একটি শক্তিশালী এবং স্থিতিস্থাপক, দায়িত্বশীল গণতন্ত্রের পরিচয় সুদৃঢ় করে তুলেছি। একে বিগত আট বছরে আমরা জনগণের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যম করে তুলেছি। ভারতের ডেমোক্র্যাটিক প্রসেসের সঙ্গে আজ সমাজের সেই মানুষেরাও যুক্ত হচ্ছেন যাঁরা কখনও গৌরবের সঙ্গে অনুভব করতেন না যে তাঁরাও এই সুন্দর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অঙ্গ। প্রত্যেকবার প্রত্যেক নির্বাচনে রেকর্ড টার্নআউট আর এক্ষেত্রেও …আমাদের এখানে উপস্থিত মা ও বোনেরা শুনে খুব খুশি হবেন, যদি আপনারা ভারতে নির্বাচনে ভোটদানের ক্ষেত্রে মানুষের সংখ্যাকে বিস্তারিত জানেন, তাহলে আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে ভারতে বেশ কিছু নির্বাচনে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি ভোট দিয়েছেন। এই স্বতঃস্ফূর্ত ভোটদান এটা প্রমাণ করে যে ভারতে গণতন্ত্র দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম সাধারণ নাগরিকদের অধিকারের প্রতি কতটা সজাগ, কতটা সমর্পিত, আর প্রত্যেক নাগরিককে ভারতের গণতন্ত্র কতটা সামর্থ্যবান করে তুলছে। বন্ধুগণ, মূল সুবিধাগুলির পাশাপাশি আমরা আধুনিক ভারতের প্রত্যাশাগুলিকেও নতুন উচ্চতা প্রদান করছি, নতুন মাত্রা দিচ্ছি। ভারতে ‘ইনক্লুসিভনেস’ বা অন্তর্ভুক্তিকরণে লিকেজ প্রুফ গভর্ন্যান্স সুনিশ্চিত করা এবং একটি এমন বাস্তবায়ন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে প্রযুক্তির যথাসম্ভব ব্যবহার বাড়ানো যায়। প্রযুক্তির যথাসম্ভব ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে একটি এমন ব্যবস্থা তৈরি করা যায় এবং সেই ব্যবস্থাকে সম্প্রসারিত করা যায় – যাতে যিনি যে জিনিসের অধিকারী তিনি যেন বাধাহীনভাবে, কোনরকম সুপারিশ ছাড়াই, কোনওরকম দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দিয়েই নিজেদের অধিকার পেতে পারেন, এবং তা বাস্তবায়িত করতে আমরা সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে চেষ্টা করছি। আর আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন যে প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের চালু করা প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের মাধ্যমে তাঁদের ব্যাঙ্ক আকাউন্টে সরাসরি টাকা জমা করার এই পরম্পরা করোনার এই কঠিন সময়ে গত দুই বছর ধরে ভারতে আরও বিশেষ করে বললে, ভারতের দূরদুরান্তের গ্রামে বসবাসকারী মানুষদের, অরণ্য এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের নাগরিক অধিকারগুলিকে অত্যন্ত সুচারুভাবে রক্ষা করেছে, তাঁদেরকে সাহায্য করেছে। বন্ধুগণ, ভারতের ব্যাঙ্কিং সিস্টেম এই কঠিন পরিস্থিতিতেও নিরন্তর চালু ছিল, আর এর একটা বড় কারণ হল ভারতে ডিজিটাল রেভোলিউশন এসেছে। এই ডিজিটাল বিপ্লবের মাধ্যমে ডিজিটাল নেটওয়ার্কের যে শক্তি গড়ে উঠেছে তার সুফল আমরা নিয়মিত ভোগ করছি, আর আপনাদের মতো ভারত হিতৈষী বন্ধুরা একথা জেনে খুশি হবেন যে গোটা বিশ্বে যে ডিজিটাল লেনদেন হয়, যে ক্যাশলেস লেনদেন হয়, এখানে জাপানে তো আপনারা এই প্রযুক্তির সঙ্গে খুব ভালোভাবেই পরিচিত, কিন্তু একথা শুনে আপনারা অত্যন্ত আনন্দিত হবেন, কেউ কেউ আশ্চর্যও হবেন এবং গর্বিত হবেন যে ��োটা বিশ্বে যত ডিজিটাল লেনদেন হয় তার ৪০ শতাংশই এখন শুধু ভারতে হয়। করোনা মহামারীর শুরুর দিনগুলিতে যখন সবকিছু বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেই সঙ্কটের সময়েও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এক ক্লিকে বোতাম টিপে একসঙ্গে কোটি কোটি ভারতবাসীর কাছে সহজেই তাঁদের প্রয়োজনীয় অর্থ সাহায্য পৌঁছে দিতে পেরেছিল। আর যাঁদের যাঁদের জন্য এই সাহায্য নির্ধারিত ছিল, শুধু তাঁরাই তা পেয়েছেন, যথাসময়ে পেয়েছেন আর এভাবেই তাঁরা এই সঙ্কটের সঙ্গে লড়াই করার, এই সঙ্কটের সঙ্গে যুঝতে পারার শক্তি পেয়েছেন, সঙ্কটের বিরুদ্ধে যুঝতে পারার সামর্থ্যও পেয়েছেন। ভারতে আজ প্রকৃত অর্থে ‘পিপল লেইড গভর্ন্যান্স’ বা জনগণের নেতৃত্বে প্রশাসন কাজ করছে। গভর্ন্যান্সের এই মডেল তার ডেলিভারি বা রূপায়ণকে দক্ষ করে তুলছে। এটাই গণতন্ত্রের প্রতি ক্রমাগত শক্তিশালী হয়ে ওঠা আস্থার সবচাইতে বড় কারণ। বন্ধুগণ, আজ যখন ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব পালন করছে, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছে, তখন ভারত আগামী ২৫ বছর সময়ে অর্থাৎ, স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তির সময় দেশকে আমরা কোথায় পৌঁছে দিতে চাই, কোন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে চাই, বিশ্বে আমাদের পতাকা কোথায় কোথায়, কিভাবে কিভাবে আমাদের পুঁততে হবে আজ ভারতবাসী তার রোডম্যাপ রচনা করার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। স্বাধীনতার এই অমৃতকাল নিঃসন্দেহে ভারতের সমৃদ্ধির, সম্পন্নতার একটি অভূতপূর্ব ইতিহাস লিখতে চলেছে বন্ধুগণ। আমি জানি, এই যে সঙ্কল্পগুলি আমরা গ্রহণ করেছি, এই সঙ্কল্পগুলি প্রত্যেকটিই অনেক বড় বড় সঙ্কল্প। কিন্তু বন্ধুগণ, আমি যেভাবে লালিত-পালিত হয়েছি, আমি বংশপরম্পরায় যে শিষ্টাচার পেয়েছি, যে যে মানুষেরা আমাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গড়ে তুলেছেন, তাঁদের এই প্রতিপালনের ফলেও আমার মধ্যে একটি অভ্যাস তৈরি হয়ে গেছে। আমি মাখনের ওপর কাঠি দিয়ে দাগ কেটে মজা পাই না। আমি পাথরের ওপর দাগ কাটতে পছন্দ করি। কিন্তু বন্ধুগণ, এখানে প্রশ্ন মোদীর নয়, মোদীর কী স্বভাব সেটা আমার বক্তব্যের বিষয় নয়, আজ ভারতের ১৩০ কোটি জনগণ, আর এমনকি আমি জাপানে বসে থাকা প্রবাসী ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের চোখেও সেই চমক দেখতে পাচ্ছি, এই আত্মবিশ্বাস ১৩০ কোটি দেশবাসীর আত্মবিশ্বাস, এই সংকল্প ১৩০ কোটি দেশবাসীর সঙ্কল্প, এই স্বপ্ন ১৩০ কোটি মানুষের স্বপ্ন, আর এই ১৩০ কোটি মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার এই বিরাট সামর্থ্�� অবশ্যই নতুন পরিণাম নিয়ে আসবে বন্ধুগণ। আমাদের স্বপ্নের ভারত আমরা অবশ্যই গড়ে তুলব। আজ ভারত তার সুপ্রাচীন সভ্যতা, তার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, তার গৌরবময় সংস্থাগুলি, তার হৃত আত্মবিশ্বাসকে পুনরুদ্ধার করছে, আবার ফিরিয়ে আনছে। যে কোনও ভারতীয় আজ বিশ্বের যে কোনও স্থানে দাঁড়িয়ে, বুক ফুলিয়ে, অন্যদের চোখে চোখ রেখে অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে ভারতের কথা বলছে। আজ এই পরিবর্তন এসেছে। আজ আমি এখান থেকে যাওয়ার আগে ভারতের মহত্বে প্রভাবিত কিছু মানুষের সঙ্গে দেখা হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে, যাঁরা ভারতের ঐতিহ্য, ভারতের গর্বকে সুউচ্চে তুলে রাখার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাঁরা আমাকে অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে যোগাসন নিয়ে কথা বলছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই যে যোগাসনে সমর্পিতপ্রাণ। তাঁদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় জাপানে আজ হয়তো এমন কেউই নেই যাঁদের কল্পনায় যোগ নেই। আমাদের আয়ুর্বেদ, আমাদের পারম্পরিক চিকিৎসা পদ্ধতি আর আজকাল তো আমাদের দেশে উৎপন্ন মশলারও চাহিদা সারা পৃথিবীতে ক্রমে বাড়ছে। বিশ্বের অনেক দেশ এখন ভারত থেকে হলুদ আমদানি করছে। শুধু তাই নয় বন্ধুগণ, আমাদের খাদি আবার জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে, ধীরে ধীরে এই খাদি শুধুই নেতাদের কস্টিউমে পরিণত হয়ে থেকে গিয়েছিল, আজ কিন্তু তার প্রকৃত পুনরুজ্জীবন হচ্ছে। খাদি ক্রমে আবার গ্লোবাল হয়ে উঠছে বন্ধুগণ। এভাবেই তো গোটা বিশ্বে ভারতের পরিবর্তিত ভাবধারা গড়ে উঠছে বন্ধুগণ। আজকের ভারত তার নিজস্ব অতীতকে নিয়ে যতটা গর্বিত, ততটাই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-নির্ভর, বিজ্ঞান-নির্ভর, উদ্ভাবন-নির্ভর, মেধা-নির্ভর ভবিষ্যৎ নিয়েও আশান্বিত। জাপানের প্রযুক্তিপ্রিয়তা ও পরিচ্ছন্নতা দেখে প্রভাবিত স্বামী বিবেকানন্দজি একবার বলেছিলেন যে – “আমাদের ভারতের নবীন প্রজন্মের মানুষদের প্রত্যেকেরই তাঁদের জীবনে কমপক্ষে একবার জাপান সফর করা উচিৎ।” আপনারা সবাই যে তাঁর এই বাক্য পড়েই এখানে এসেছেন সেটা আমি মনে করি না, কিন্তু বিবেকানন্দজি ভারতের জনগণকে বলেছিলেন যে ভাই, একবার তো দেখে এসো জাপান কেমন দেশ! বন্ধুগণ, সেই সময়ে বিবেকানন্দজি যে কথা বলেছিলেন, আজকের যুগের মতো করে সেই কথাকে, সেই সদ্ভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে আমি বলতে চাইব যে জাপানের প্রত্যেক নব যুবক-যুবতী যেন তাঁদের জীবনে কমপক্ষে একবার ভারত সফরে আসেন। আপনারা নিজেদের স্কিলস বা কর্মদক্ষতার মাধ্যমে, আপনাদের প্রতিভার মাধ্যমে, আপনাদের আন্ত্রেপ্রেনিওরশিপের সাফল্যের মাধ্যমে জাপানের এই মহান ভূমির সন্তানদের মন্ত্রমুগ্ধ করে দিয়েছেন। ভারতীয়ত্বের নানা বিচিত্র রঙে, ভারতের নানা সম্ভাবনার সঙ্গেও আপনারা জাপানকে নিয়মিত পরিচয় করাচ্ছেন। ভারতের আস্থা হোক, আধ্যাত্মিকতা হোক কিংবা অ্যাডভেঞ্চার, জাপানের জন্য তো ভারত একটি স্বাভাবিক পর্যটন গন্তব্য। আর সেজন্য ‘ভারত চলো’, ‘ভারত দেখো’, ‘ভারতের সঙ্গে যুক্ত হও’ – এই সঙ্কল্পগুলি নিয়ে জাপানে বসবাসকারী প্রত্যেক প্রবাসী ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের কাছে আমি অনুরোধ জানাই যে, আপনারা সবাই অনুগ্রহ করে আমার এই মিশনের সঙ্গে, এই মনোভাবের সঙ্গে যুক্ত হোন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আপনাদের সার্থক প্রচেষ্টায় ভারত ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্ব নতুন উচ্চতা স্পর্শ করবে। এই অদ্ভূত স্বাগত অনুষ্ঠানের জন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি দেখছিলাম যে, যখন এখানে আসছিলাম, চারিদিকে সকলের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখছিলাম। আপনারা জয় জয়কার করছিলেন, আর আপনারা নিজেদের মধ্যে যতটা ভারতকে সঞ্জীবিত রাখার চেষ্টা করেন তা কিন্তু বিশ্ববাসী দেখতে পাচ্ছে। আপনাদের এই ভালোবাসা সত্যিই হৃদয়কে স্পর্শ করে। আপনাদের এই ভালোবাসা, এই স্নেহ যেন সব সময় বজায় থাকে। এত বিপুল সংখ্যায় এখানে উপস্থিত হয়েছেন আপনারা আর আমাকে বলা হয়েছে যে, জাপানের শুধু টোকিওবাসী প্রবাসী ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা নন, বাইরে থেকেও কিছু বন্ধু আজ এসেছেন। আগে আমি যখন এসেছি, নিজেই অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করতাম, কিন্তু এবার যেতে পারিনি। আপনারাই দূরদুরান্ত থেকে চলে এসেছেন। কিন্তু আমার খুব ভালো লাগছে, আপনাদের সকলের সঙ্গে আরও একবার সাক্ষাতের সৌভাগ্য হল। সেজন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। হৃদয় থেকে আপনাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়! অনেক অনেক ধন্যবাদ! /",জাপানৰ টকিঅ’ত ভাৰতীয় সমূদায়ক উদ্দেশ্যি আগবঢ়োৱা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF/,"নয়াদিল্লি, ০৯ নভেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরাখন্ডের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সেই রাজ্যের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন; “প্রতিষ্ঠা দিবসে উত্তরাখন্ডের জনগণকে শুভেচ্ছা। এটি হল এমন একটি রাজ্য যা প্রকৃতি ও আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। এই রাজ্যের জনগণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশ নির্মাণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। আগামীদিনেও উত্তরাখন্ডের উন্নয়ন অব্যাহত থাকুক এই কামনা করি।”",উত্তৰাখণ্ডৰ প্রতিষ্ঠা দিৱসত সেই ৰাজ্যৰ জনগণক শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%A9-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A9-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%B8/,"প্রশ্ন :প্রিয় শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়, আমি তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজে সাংবাদিকতা স্নাতক অন্তিম বর্ষের ছাত্রী। মহোদয়, আমরা গত পাঁচ বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক উদ্যোগ দেখতে পেয়েছি। আপনি কি শিক্ষাক্ষেত্রের এই উদ্যোগগুলি নিয়ে সন্তুষ্ট? আমাকে প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। উপস্থাপক :মাননীয়, আমরা গত পাঁচ বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক উদ্যোগ দেখেছি। আপনি কি শিক্ষাক্ষেত্রের এই উদ্যোগগুলি নিয়ে সন্তুষ্ট? অনুগ্রহ করে বলুন। প্রধানমন্ত্রী :আপনার এই প্রশ্নের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আজ দেশের প্রায় আড়াই কোটি যুবক-যুবতীর সঙ্গে বার্তালাপের সৌভাগ্য হল। প্রযুক্তিকে ধন্যবাদ। প্রত্যেক জিনিসকে দু’ভাবে দেখা যায়। যেখানে প্রচেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আমরা সঠিক পথে চলেছি। আমরা নির্ধারিত সময়-ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে চলেছি।শিক্ষার ক্ষেত্রে যে বিশ্বমান রয়েছে, আমরা তা অর্জন করতে চাই। সেজন্য আধুনিক ভারতে যে ধরণের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা উচিৎ, সরকার সে ধরণের প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। সারা ভারতে আইআইটি এবং আইআইএম-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলির বিস্তার ঘটছে। একইভাবে, আমরা দক্ষতা উন্নয়নের মতো বৃহৎ ক্ষেত্রটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। আজ উচ্চশিক্ষার জন্য আমাদের অনেক ছাত্রছাত্রী বিদেশে যেতে বাধ্য হয়। ফলে দেশের কোটি কোটি টাকা বিদেশে চলে যায়। আমরা দেশে এমন শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই যাতে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের আর উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে হবে না। পরিবর্তে, বিদেশ থেকে ছাত্রছাত্রীদের ���মাদের দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আসতে হবে। এই স্বপ্ন নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিগত সাড়ে চার বছরে অনেক কাজ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমি আত্মসন্তুষ্টিতে নিজের পিঠ চাপড়াতে চাই। আমার সন্তুষ্টি হয় স্বপ্নের জন্ম দিয়ে, নতুন নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করে এবং সেই লক্ষ্যসাধনের জন্য এগিয়ে যেতে পারলে আমার আনন্দ নিশ্চিন্তে ঘুমোনোর জন্য নয়, স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়নের জন্য। ধন্যবাদ। উপস্থাপক : ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এখন উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসামের কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অনামিত্রা মহান্তা আপনাকে প্রশ্ন করতে চান। প্রশ্ন : প্রিয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা শিক্ষা সহ দৈনন্দিন জীবনে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার প্রভূত ব্যবহার দেখতে পাচ্ছি। দেশ এবং জনগণের মধ্যে এর প্রভাবকে আপনি কিভাবে দেখেন? ধন্যবাদ। উপস্থাপক : মাননীয়, শিক্ষা সহ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার প্রভূত ব্যবহারের ফলে দেশ এবং জনগণের মধ্যে কি প্রভাব পড়েছে বলে আপনি মনে করেন? অনুগ্রহ করে বলুন। প্রধানমন্ত্রী : মানবসভ্যতা নিরন্তর বিকাশের পথে এগিয়ে চলে। প্রযুক্তি একটি বড় নিয়ন্ত্রক শক্তি। নতুন নতুন আবিষ্কার মানুষের জীবনকে প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত করার চেষ্টা করে। কিন্তু বিগত ৪০ বছরে বিশ্ব যে গতিতে পরিবর্তিত হয়েছে … তার পূর্ববর্তী ২০০-৩০০ বছর ধরে আবিষ্কার, প্রযুক্তি ও প্রয়োগ বিশ্বকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ফলে, বিগত ৪০-৫০ বছরে প্রযুক্তি মানবসভ্যতাকে একটি বিশেষ উচ্চতা প্রদান করেছে। সমুদ্রতল থেকে শুরু করে মহাকাশ, ভূ-পৃষ্ঠ থেকে শুরু করে ডিজিটাল বিশ্ব – সকল ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আপনারা দেখেছেন, বান্দিপোরায় একটি বিপিও উদ্বোধন করা হয়েছে। কাশ্মীরে এটিই প্রথম বিপিও যা ডিজিটাল বিপ্লবের ফলেই সম্ভব হয়েছে। আমি যখন বিশ্ববাসীকে বলি যে আমাদের কাছে ১২০ কোটি মানুষের বিস্তারিত বিবরণের তথ্য রয়েছে, তখন সবাই আশ্চর্য হয়ে যায়। আমাদের এত সম্পদ; ডিজিটাল বিপ্লবের ফলে তা পরিমাপযোগ্য হয়ে উঠেছে। জন ধন-আধার-মোবাইল – এই তিনের সমাহারে ভারত সরকার এই সাফল্য পেয়েছে। এখন দেশের যে কোন সাধারণ মানুষকে সরকার যদি কোন অনুদান পাঠাতে চায়, তা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। শিক্ষাক্ষেত্রেও এখন অসংখ্য বিষয়-নির্দিষ্ট অ্যাপ পাওয়া যায় এবং এর মধ্যে অনেকগুলিই বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। সেজন্য নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীরা অ্যাপের মাধ্যমে হোমওয়ার্ক করতে পারছে। এভাবে চলতে থাকলে একটা সময় আসবে যখন দেশে টিউশন এবং কোচিং ক্লাসের রমরমা বন্ধ হয়ে যাবে। প্রশাসনের ক্ষেত্রেও ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেজন্য শুধুই শিক্ষা নয়, আমাদের সামগ্রিক জীবনযাপনে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে এরকম পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে গেছে যে একে ছাড়া বাঁচতেই পারব না। সেজন্য আমাদের উচিৎ এটা দেখা যে কিভাবে অধিকাংশ মানুষের কল্যাণে এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা যায়। ডিজিটাল বিপ্লব দূরশিক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দূর-দুরান্তের পাহাড়ি আরণ্যক পরিবেশে থেকেও দরিদ্র পরিবারের সন্তানরা দূরশিক্ষার মাধ্যমে উৎকৃষ্ট শিক্ষা পেতে পারে। আমরা দেখছি যে নবীন প্রজন্মের অনেকেই আজকাল ভার্চ্যুয়াল ল্যাবের মাধ্যমে ছেলে-মেয়েদের পড়াচ্ছেন। এতে ছেলে-মেয়েদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। থ্রি-ডি প্রোজেকশনের ফলে ছাত্রছাত্রীরা যে কোন জিনিসকে অনেক ভালোভাবে বুঝতে পারছে। যেমন মনে করুন, শারীর শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের হৃদযন্ত্র কিভাবে কাজ করে সেটি মাস্টারমশাই যেভাবেই ব্যাখ্যা করুন না কেন, তার পাশাপাশি থ্রি-ডি প্রোজেকশনে যখন দেখানো হবে, ছাত্রছাত্রীরা অনেক ভালোভাবে বুঝতে পারবে। আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলিতে মধ্যাহ্নভোজন প্রকল্পের কি প্রভাব তা জানতে একটা ছোট সমীক্ষা করিয়েছিলাম। সেই সমীক্ষায় এটাও দেখা হচ্ছিল যে আমরা যদি ডিজিটাল স্মার্ট ক্লাসরুম চালু করি, তাহলে কি পার্থক্য আসবে। কয়েকটি স্কুলে স্মার্ট ক্লাসরুম ছিল। কিন্তু অন্য স্কুলগুলিতে তা ছিল না। তারা মধ্যাহ্নভোজনকেই অগ্রাধিকার দিয়েছিল। কিন্তু স্মার্ট ক্লাসরুম যে স্কুলগুলিতে ছিল, সেগুলিতেও মধ্যাহ্নভোজনের ব্যবস্থা ছিল। সমীক্ষা থেকে জানতে পারলাম যে, স্মার্ট ক্লাসরুমের আকর্ষণে ঐ স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি অনেক বেশি এবং স্কুলছুটের সংখ্যা ন্যূনতম। আমাদের সমীক্ষকরা এও দেখেছেন যে বস্তির ছেলে-মেয়েরা স্মার্ট ক্লাসরুমে বসে পড়াশোনা করতে এত আনন্দ পায় যে তারা মধ্যাহ্নভোজনকেও ভুলে যেতে পারে। তাদেরকে ডেকে ডেকে খেতে নিয়ে যেতে হয়। এটা হল আম���দের শিক্ষা ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রভাবের উদাহরণ। আমি নিশ্চিত যে আগামীদিনে বিশেষ করে, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এই ডিজিটাল প্রভাব অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে। ধন্যবাদ। উপস্থাপক : মাননীয়, হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গৌরব আপনাকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে চায়। প্রশ্ন : মাননীয় মহোদয়, আমাদের দেশের দারিদ্র্য দেখে খুব কষ্ট হয়। আমরা দেখেছি যে আপনি এই দারিদ্র্য দূরীকরণে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। আপনি কি মনে করেন যে আমরা ভবিষ্যতে দারিদ্র্যমুক্ত ভারত গড়ে তুলতে পারব? উপস্থাপক : মাননীয়, আমরা দেশে দারিদ্র্য দেখে খুব কষ্ট পাই। আপনি এই দারিদ্র্য দূরীকরণে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। আপনি কি মনে করেন যে ভারত ভবিষ্যতে দারিদ্র্যমুক্ত হবে? অনুগ্রহ করে বলুন। প্রধানমন্ত্রী :দেশবাসী যদি ভেবে নেয় আমাদের দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হতে হবে, তাহলে বিশ্বের এমন কোন শক্তি নেই যারা আমাদের গরিব করে রাখতে পারবে। ১২৫ কোটি ভারতবাসীর এত সামর্থ্য রয়েছে যে আমরা যদি আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং মানবসম্পদকে যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব নয়। বিগত সাড়ে চার বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আজকাল বিশ্বে দুটো বিষয় উঠে এসেছে। প্রথমটি হল, ভারত বিশ্বের দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়া বড় অর্থনীতির দেশগুলির মধ্যে সর্বাগ্রে। সেজন্য প্রত্যেক ভারতীয় গর্ববোধ করতে পারে। দ্বিতীয়টি হল, রাষ্ট্রসঙ্ঘ সহ সমস্ত আন্তর্জাতিক এজেন্সিগুলির মতে দ্রুতগতিতে দারিদ্র্য থেকে বাইরে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে ভারত এক নম্বরে। ফলে, আমাদের দেশে নব্য মধ্যবিত্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রেও তাঁদের বক্তব্য যে ভারতে তপশিলি জনজাতি এবং সংখ্যালঘু মুসলমানদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ সর্বাধিক দ্রুতগতিতে দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসছে। মহাত্মা গান্ধী বলতেন, স্বাধীনতা এবং পরিচ্ছন্নতার মধ্যে আমাকে যদি একটিকে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি আগে পরিচ্ছন্নতাকে বেছে নেব। তিনি নিজের জীবদ্দশায় নানারকম পদক্ষেপ নিয়েছেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের পাশাপাশি, পরিচ্ছন্নতার জন্যও আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আমরা যত দ্রুত এ ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারতাম, তা হয়নি। আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রথম ভাষণে দেশবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম স্বচ্ছ ��ারত অভিযান শুরু করার জন্য। আপনাদের সকলের প্রচেষ্টায় আজ এই আন্দোলন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। জম্মু-কাশ্মীরের যে আধিকারিকরা আজ এখানে বসে রয়েছেন, তাঁরাই কিছুক্ষণ আগে অনন্তনাগে আমার হাত থেকে পরিচ্ছন্নতার কাজ করার জন্য পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁদের এই সাফল্যের জন্য ভারতবাসী অত্যন্ত গর্বিত। তাঁদের মতো আধিকারিক এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমেই জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যটি উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম মুক্ত ঘোষিত হয়েছে। ২০১৪ সালে আমরা যখন কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব নিই, তখন দেশে গ্রামীণ পরিচ্ছন্নতা ৩৮ শতাংশ ছিল যা এখন ৯৮ শতাংশে পৌঁছেছে। এই সাফল্য শুধু সরকারের উদ্যোগেই হয়নি, দেশের মানুষ সঙ্কল্প নিয়ে এগিয়ে আসার ফলেই এই সাফল্য এসেছে। গরিবদের কথা ভেবে দেশে প্রায় অর্ধ শতাব্দী পূর্বেই ব্যাঙ্কগুলির রাষ্ট্রীয়করণ হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল এই যে ব্যাঙ্কগুলিতে গরিবদের কোন অ্যাকাউন্ট ছিল না। আমরা এই বৈষম্য দূর করার জন্য জন ধন অ্যাকাউন্ট খোলার উদ্যোগ নিয়েছি। ২০১৪ সালে যেখানে দেশের ৪০ শতাংশ জনগণের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল, আজ তা বেড়ে প্রায় ১০০ শতাংশ হয়েছে। রাজ্যগুলির দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট ২৫ থেকে ২৬ কোটি পরিবার রয়েছে। আমরা শাসন ক্ষমতায় আসার পর দেখলাম যে এর মধ্যে প্রায় ৪ কোটি পরিবারের বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছনোর অভিযান শুরু করি আর অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলতে পারি যে আজকের দিনে জম্মু-কাশ্মীরে এই অভিযান ১০০ শতাংশ সফল হয়েছে। তার মানে, আমাদের দেশবাসী যদি ঠিক করে একটা সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, তাহলে সেটা করা সম্ভব। জম্মু-কাশ্মীর সেটা প্রমাণ করে দেখিয়েছে। কাজেই, দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসতে হলেও দেশবাসীকে এমনি সঙ্কল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ভোটের আগে মিষ্টি বিতরণ করলে হবে না। গরিবদের ক্ষমতায়নের দিকে নিয়ে যেতে হবে। তাঁদের মনে দারিদ্র্য থেকে উত্তরণের মেজাজ গড়ে তুলতে হবে। এই আবহ গড়ে তোলার সপক্ষে আমরা শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি। শিক্ষায় বিপ্লব আনার পাশাপাশি, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে গরিব মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং চিকিৎসা সুনিশ্চিত করার পথে সফল পদক্ষেপ নিয়েছি। আমার বাবা-মা দারিদ্র্যে জীবনযাপন করেছেন। আমি নিজের সন্তানদের দারিদ্র্যের মধ্যে বড় হতে বাধ্য করব না। এই ���্রত্যয় এখন চতুর্দিকে জেগে উঠছে। আর এই প্রত্যয়ই দ্রুতগতিতে দেশকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেবে। আর সেদিন দূরে নেই, আমরা জীবিতাবস্থাতেই দেখে যাব যে ভারত দারিদ্র্য মুক্ত হয়েছে। ধন্যবাদ। উপস্থাপক : ধন্যবাদ মাননীয়, দেশে এই পরিবর্তনের আবহ দেখে আজকের যুবসম্প্রদায় অত্যন্ত উৎসাহিত। ওড়িশার উৎকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অঙ্কিতা আপনাকে কিছু বলতে চান। প্রশ্ন : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়, আমাদের রাজ্যে অনেক ঐতিহ্যশালী পর্যটনস্থল এবং অসাধারণ সমুদ্র সৈকত রয়েছে। আমি নিজের রাজ্যে পর্যটন শিল্পকে উন্নত করার জন্য কিছু করতে চাই। কিন্তু বুঝতে পারি না যে কি করব। শিক্ষাকে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত করে আমরা কিভাবে ওড়িশার জন্য কিছু করতে পারি? প্রধানমন্ত্রী : আপনি যে জীবনে সত্যিকারের শিক্ষা পাচ্ছেন, তা প্রমাণিত। সেজন্য আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই। আপনি নিজের রাজ্যের সামর্থ্য সম্পর্কে অবহিত। আর তাকে কিভাবে বিকাশিত করা যায় তা নিয়ে ভাবছেন। আপনার এই প্রশ্ন শুনে শ্রীনগরবাসীরা হয়তো অবাক হচ্ছেন। এটা ঠিক যে আমাদের দেশে পর্যটনের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু দেশ এ সম্পর্কে বরাবরই উদাসীন। পর্যটনের প্রথম শর্ত হল আমাদের যা আছে তা নিয়ে গর্ব করতে শিখতে হবে। অথচ আমরা হতাশায় ভুগি, নিজেদের সবকিছুকে ফালতু ভাবি। আমরা নিজেরাই যদি নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নিয়ে গর্ব না করি, তাহলে বিশ্ববাসীকে কিভাবে তা দেখতে আমন্ত্রণ জানাব? বিশ্বে যেখানেই পর্যটন শিল্প উন্নত হয়েছে, তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্থানীয় মানুষের গর্বের কারণে সম্ভব হয়েছে। গাইড পর্যটককে নিয়ে একটি পুরনো থামের কাছে গিয়ে বলবেন যে এই থামটির জন্য এই গ্রামবাসী গর্বিত এবং এর ইতিহাস শোনাবেন। পর্যটকদের তখনই মনে হবে যে তাঁর টাকা নষ্ট হয়নি। আপনারা শুনলে খুশি হবেন যে আমরা বিগত সাড়ে চার বছরে পর্যটন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতিসাধন করতে পেরেছি। অদূর ভবিষ্যতেই ভারত পর্যটন ব্যবসায় ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠতে চলেছে। আমার মনে পড়ে একবার আমেরিকা সরকারের নিমন্ত্রণে সে দেশে গিয়েছিলাম। তাঁরা জিজ্ঞাসা করেছিল, আপনার রুচি কি? আমি লিখে জানিয়েছিলাম যে আপনাদের দেশের একটি চাষের ক্ষেত্রে সফল গ্রাম ঘুরে দেখতে চাই। আমার দ্বিতীয় আবদার ছিল যে একটি প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুল দেখতে চাই। তৃতীয় ছিল, একটি ছোট্ট গ্রামের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেখতে চাই। আর চতুর্থ ছিল, সে দেশের সবথেকে পুরনো ঐতিহ্যসম্পন্ন বস্তুটি দেখা যার জন্য আমেরিকা গর্ব করে। আমাদের দেশে যে কোন গলিতে গেলে কেউ বলবে যে এই জিনিসটা ২০০০ বছর পুরনো আর ঐটি ৩০০০ বছর পুরনো। এই সম্পদকে আমাদের কর্মসংস্থানের দৃষ্টি থেকে দেখা উচিৎ। ওড়িশার সমুদ্র সৈকত, ঐতিহাসিক ও ধার্মিক স্থাপত্য ওড়িশার বড় সম্পদ। কাজেই পর্যটনকে ঘিরে কর্মসংস্থানের ভাবনা অত্যন্ত ইতিবাচক। আগে দেশে বছরে প্রায় ৭০ হাজার পর্যটক আসতেন। কিন্তু আমাদের উদ্যোগে গত বছর প্রায় ১ কোটি পর্যটক এসেছেন। ২০১৪-র আগে পর্যটন থেকে বছরে গড়ে ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশি মুদ্রা আয় হত। গত এক বছরে তা গড়ে ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। এই বৃদ্ধির ফলে ভারতের প্রতি বিশ্বব্যাপী আকর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার মতো নবীন প্রজন্মের মানুষেরা অনেক বড় ব্যবসা শুরু করতে পারে। উবের-এর মতো ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেন, হোম-স্টে-র মতো ব্যবস্থা চালু করতে পারেন। এসব ক্ষেত্রে বিশ্বের আধুনিকতম ব্যবস্থাগুলি সম্পর্কে জেনে সেগুলি নিজের রাজ্য তথা দেশে চালু করতে পারেন। সম্প্রতি বেনারসে আমরা প্রবাসী ভারতীয় দিবস উপলক্ষে বিদেশ থেকে প্রবাসী ভারতীয়দের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কাশীর সাংসদ হিসেবে নিজে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ফলে, ইতিমধ্যেই কাশী ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে হোম-স্টে এবং আধুনিক যাতায়াত ব্যবস্থার যে পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে তা অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্পকে অনেক উন্নত করবে। আপনারাও ওড়িশার জন্য এরকম কিছু উদ্যোগ নিলে সেখানকার নবীন প্রজন্ম উপকৃত হবে। উপস্থাপক: ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আপনি গুজরাটের মানুষ। এখন গুজরাটের অ্যামেন কলেজ থেকে বিজয় কুমার আপনার কাছে কিছু জানতে চান। প্রশ্ন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়, নতুন বাজেট পেশ করার পর থেকে কৃষকদের স্বার্থে যে নতুন প্রকল্পগুলি চালু হয়েছে সেগুলি সম্পর্কে অনেক শুনেছি। আপনি সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে একটি জনসভায় বলেছেন যে আগামী ১০ বছরে সরকার কৃষকদের স্বার্থে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে। আমার প্রশ্ন হল, সরকার এত টাকা কোথা থেকে আনবে? ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রী : আমার মনে হয় আপনি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সমর্থক খবরের কাগজ পড়েন। যদিও আপনি আমার প্রতিবেশী। আমার গ্��াম বডনগরে আর আপনি বিশনগরের বাসিন্দা। এটা ঠিক যে আপনার এলাকার কৃষকদের অনেক সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে, জলের সমস্যা। কিন্তু আমাদের দেশে সম্পদের কোন অভাব নেই। দুর্ভাগ্যবশতঃ দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে সরকার ১ টাকা দিলে সাধারণ মানুষের কাছে ১৫ পয়সা পৌঁছয়। আমরা এসে এখন জনগণের হাতে ১০০ পয়সাই পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত করেছি। সরকার যখন প্রতিটি পয়সার সঠিক ব্যবহার করে তখন করদাতারাও সততার সঙ্গে কর দিতে দ্বিধা করেন না। আমি যখন সম্পন্ন দেশবাসীদের রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি ত্যাগ করতে আবেদন জানিয়েছিলাম, সেজন্য আইন প্রণয়ন করিনি কিন্তু নিজে থেকেই ১ কোটি ২৫ লক্ষ পরিবার ভর্তুকি ত্যাগ করেন। ফলস্বরূপ, সমসংখ্যক গরিব পরিবারে আমরা বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস পৌঁছে দিতে পারি। তেমনই, আমার অনুরোধে দেশের ৪২ লক্ষ বয়স্ক নাগরিক রেল যাত্রায় ভর্তুকি ত্যাগ করেছেন। সেখান থেকেও অনেক অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। এভাবেই দেশে সততার আবহ গড়ে তুলে আমরা দ্রুত ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দিকে এগিয়ে চলেছি। আরেকটি রহস্য আমি আপনাদের সামনে উন্মোচন করছি। ডঃ মনমোহন সিং-এর আমলে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের দায়িত্ব সামলাতেন যে মুখ্যসচিব, তিনি আপনার রাজ্যের বাসিন্দা। আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দেশকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ করে তোলার কথা ঘোষণা করলে তিনি অবাক হয়েছিলেন। কিন্তু আজ তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। দেশের সৎ করদাতাদের প্রদত্ত অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করেই আমরা এই অসম্ভবকে সম্ভব করছি। ১০ বছরে কৃষকদের যখন ৭ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে, তখন তাঁরা যে কোন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন। এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই তাঁরা এগিয়ে চলেছেন। ধন্যবাদ। উপস্থাপক : অনেক অনেক ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়। এখন অনেক ছাত্রছাত্রী এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাঁরা আপনাকে শুনছেন। প্রশ্নকর্তাদের উৎসাহিত করার জন্য এবং দেশকে নতুন আলোকবর্তিকা প্রদর্শনের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনি নিজেকে দেশের প্রধান সেবক হিসেবে মনে করে দেশের সেবায় আত্মোৎসর্গ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ : যে নবীনদের সঙ্গে আজ কথা বলার সৌভাগ্য হল, তাঁদের আত্মবিশ্বাস এবং ভবিষ্যতের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব আমার জন্য অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। আমি সবার আগে এই প্রশ্নকর্তা এবং এই কর্মসূচিতে যুক্ত হওয়া সমস্ত নবীনদের কৃ���জ্ঞতা জানাই। আপনাদের আরেকবার বলি যে এখানে শ্রীনগরে ভীষণ ঠান্ডা। রাত হতেই তা শূণ্যের নিচে নেমে যেতে পারে। তা সত্ত্বেও এখানে অনেক কাশ্মীরি ভাই-বোনেরা বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত রয়েছেন। এটাই কাশ্মীরের প্রাণশক্তি এবং কাশ্মীরিদের ইতিবাচক ভাবনাকে তুলে ধরছে। মঞ্চে উপস্থিত জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল শ্রদ্ধেয় সৎপাল মালিক মহোদয়, আমার মন্ত্রিসভার সদস্য ডঃ জিতেন্দ্র সিং এবং এখানে উপস্থিত প্রিয় ভাই ও বোনেরা। বন্ধুগণ, প্রথমেই আমি শহীদ নাজির আহমেদ বানি সহ হাজারো বীরদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই যাঁরা দেশের নিরাপত্তা এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য আত্মবলিদান দিয়েছেন। শহীদ নজির আহমেদ বানিকে তাঁর অদম্য সাহস ও শৌর্যের জন্য রাষ্ট্র কৃতজ্ঞতার সঙ্গে অশোক চক্র দ্বারা সম্মানিত করেছে। তাঁর মতো যুবকরাই জম্মু-কাশ্মীর তথা দেশের যুবকদের রাষ্ট্রের জন্য আত্মোৎসর্গের পথ দেখান। আমি জম্মু-কাশ্মীরের লক্ষ লক্ষ নাগরিককে শুভেচ্ছা জানাই যাঁরা অনেক বছর পর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং নগর পঞ্চায়েতের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। গণতন্ত্রের প্রতি আপনাদের এই নিষ্ঠা, ঘৃণা নিয়ে বেঁচে থাকা কতিপয় মানুষকে একটি বড় বার্তা দিয়েছে। আজ এখানে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মিত এবং নির্মীয়মান বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাসের সৌভাগ্য হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত এই প্রকল্পগুলি শ্রীনগর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলবে বলে আমার বিশ্বাস। সেজন্য আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আমাদের সরকার ঝাড়খণ্ড থেকে আয়ুষ্মান ভারত যোজনার সূত্রপাত করেছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে উজ্জ্বলা যোজনা চালু করেছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনার সূত্রপাত করেছে, তামিলনাড়ু থেকে তাঁতশিল্প সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় অভিযান শুরু করেছে। হরিয়ানা থেকে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ আন্দোলনের সূত্রপাত করেছে, আর রাজস্থান থেকে শুরু করেছে পোষণ অভিযান। আজ গোটা দেশের জন্য এই শ্রীনগরের মাটি থেকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি আমরা চালু করতে যাচ্ছি। সেটি হল, ‘রাষ্ট্রীয় উচ্চশিক্ষা অভিযান’ বা রুসার দ্বিতীয় সংস্করণের সূত্রপাত। এখান থেকেই সারা দেশে ৭০টি মডেল ডিগ্রি কলেজ, ১১টি পেশাদার কলেজ, একটি মহিলা ���িশ্ববিদ্যালয় এবং ৬০টিরও বেশি আন্ত্রেপ্রেনিউর, উদ্ভাবন এবং কেরিয়ার হাব-এর উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস করা হচ্ছে। এর মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের জন্য অনেক ক’টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বন্ধুগণ, এভাবেই নতুন ভারতের জন্য গবেষণা, উদ্ভাবন, ইনকিউবেশন এবং স্টার্ট-আপ-এর জন্য একটি নতুন মেজাজ গড়ে তোলা হচ্ছে। সারা দেশের বিদ্যালয়গুলিতে গড়ে তোলা হচ্ছে অটল টিঙ্কারিং ল্যাব্‌স এবং অটল ইনকিউবেশন সেন্টার। এভাবে আমাদের ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞান এবং জয় অনুসন্ধান’-এর সঙ্কল্পকে বাস্তবায়নের জন্য আমরা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছি। এর সাক্ষী রইল শ্রীনগর তথা জম্মু ও কাশ্মীর। বন্ধুগণ, আমরা স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া আন্দোলন গড়ে তোলার ফলে আজ ভারত চিন এবং আমেরিকার পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট-আপ দেশে পরিণত হয়েছে। বিগত চার বছরে ১৫ হাজারেরও বেশি স্টার্ট-আপ সফলভাবে কাজ করে চলেছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ টিয়ার-১ এবং টিয়ার-২ শহরে গড়ে উঠেছে। বন্ধুগণ, স্টার্ট-আপের পাশাপাশি দেশের গ্রামাঞ্চলে আধুনিক প্রযুক্তির বিস্তারকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি। আজ সারা দেশে স্থাপিত ৩ লক্ষেরও বেশি কমন সার্ভিস সেন্টার গ্রামে গ্রামে ডিজিটাল পরিষেবা প্রদান করছে। লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করছে। আজ বান্দিপোরায় রাজ্যের প্রথম বিপিও উন্মোচিত হওয়ায় স্থানীয় যুবক-যুবতীদের জন্য অনেক নতুন সুযোগ এসেছে। ভাই ও বোনেরা, আজ যতগুলি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাসের সৌভাগ্য আমার হয়েছে, সেগুলি দেশের এমন জেলাগুলিতে চালু হচ্ছে যারা উন্নয়নের ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। রুসা’র দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশের ৩৭৫টিরও বেশি জেলায় উৎকৃষ্ট শিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে। এটি সুযোগের সাম্যের লক্ষ্যে আরেকটি বড় পদক্ষেপ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই সকল জেলার যুবক-যুবতীদের যখন নিজের বাড়ির পাশেই কর্মসংস্থান হবে, তখন তাঁদের মেধার বিকাশ সর্বাধিক হবে, নিজেদের দক্ষতাকে শান দিতে পারবেন। বন্ধুগণ, ‘নতুন ভারত’-এর আত্মবিশ্বাসের উজ্জ্বল উদাহরণ হল জম্মু-কাশ্মীরের নয় বছর বয়সী কন্যা তজামুল ইসলামের মতো অনেক নবীন বন্ধু যাঁরা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নতুন কিছু করার জন্য এগিয়ে আসছেন। এই নবীন সাথীদের উৎসাহ-উদ্দীপনাকে কেন্দ্রীয় সরকার আরও ডানা মেলতে দিতে চায়। সেজন্য ‘খেলো ইন্ডিয়া অভিযান’-এর মাধ্যমে সারা ��েশে একটি মেধা অন্বেষণ কর্মসূচি চালু হয়েছে। ছোট ছোট শহর ও শহরতলীতে খেলাধূলার উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে জম্মু-কাশ্মীরের ২২টি জেলাতেও মাল্টিপারপাস স্পোর্টস হল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আজও গান্দরবলে তেমনই একটি ইন্ডোর স্টেডিয়াম উদ্বোধন করা হয়েছে। বন্ধুগণ, বিগত ৭-৮ মাসে জম্মু-কাশ্মীরে উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনও এখানকার সাধারণ মানুষের জীবনকে সহজ করে তোলার জন্য কাজ করে চলেছে। আমাকে বলা হয়েছে যে এখানে ১০-২০ বছর ধরে আটকে থাকা এমন অনেক প্রকল্প বিগত কয়েক বছরে সম্পূর্ণ করেছেন। যেমন বারামুলার সেতু কিংবা বিগত দু’মাসে কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রীর ডাক্তারি পড়ার ব্যবস্থা। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আপনারা নির্ধারিত সময়ের আগেই জম্মু-কাশ্মীরকে উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্মমুক্ত করে তুলতে পেরেছেন। সেজন্য আপনাদের শুভেচ্ছা জানাই। এখন আপনারা জম্মু ও কাশ্মীরকে দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে প্রত্যেক গ্রামে নলের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। বন্ধুগণ, আমাদের সরকার নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে লক্ষ্যসাধনের জন্য সৎ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। ২০১৪ সালে আমি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর জানতে পারি যে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সাত দশক পেরিয়ে গেলেও ১৮ হাজার গ্রামের মানুষ অষ্টাদশ শতাব্দীর মতো অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যেতেন। সেজন্য লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রদত্ত প্রথম ভাষণে আমি এক হাজার দিনের মধ্যে ঐ ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করি। কেন্দ্রীয় সরকার ঐ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই সেই লক্ষ্যসাধনে সফল হয়। তারপর আমরা ‘সৌভাগ্য’ যোজনার মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগের অভিযানে নামি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই আড়াই কোটি বাড়িতে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান সম্ভব হয়েছে। বাকি পরিবারগুলিতেও অদূর ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এই অভিযানের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের প্রায় প্রত্যেক পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগসাধন সম্ভব হয়েছে। সেজন্য আমি রাজ্যের প্রত্যেক ইঞ্জিনিয়ার এবং বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদের এবং আপনাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। রাজ্য সরকারের পুরো টিমকে শুভেচ্ছা জানাই। বন্ধুগণ, জম্মু-���াশ্মীরের প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছনোর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রচেষ্টা চলছে। লেহ্‌, লাদাখ ও জম্মু হয়ে এখন শ্রীনগরে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সরবরাহের বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাসের সৌভাগ্য হয়েছে। স্বাধীনতার পর প্রথমবার এখানকার বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী এত ব্যাপক স্তরে কাজ হচ্ছে। আগে ভারতের জন্য ধার্য জল আমরা ধরতে না পারায় প্রবাহিত হয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চলে যেত। আমরা তার প্রতিটি বিন্দুকে কাজে লাগিয়ে পানীয় জল, সেচ এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করার লক্ষ্যে অনেকগুলি প্রকল্পের কাজ শুরু করেছি। বন্ধুগণ, সারা দেশে এরকম অসংখ্য প্রকল্পের মাধ্যমে পরিকাঠামো নির্মাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে সড়কপথ, রেলপথ, বিদ্যুৎ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের মৌলিক পরিষেবা গড়ে তোলার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। জম্মু-কাশ্মীরে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সুদৃঢ় করতে আজই জম্মু এবং পুলওয়ামায় নির্মীয়মান দুটি এইম্‌স হাসপাতালের শিলান্যাস করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। ফলে, রাজ্যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই অনেক বড় পরিবর্তন এসেছে বলে আমি মনে করি। পাশাপাশি দেশের ইতিহাসে প্রথমবার গরিবদের জন্য ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে গরিব মানুষেরা প্রতি বছর পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচের চিকিৎসা বিনামূল্যে করাতে পারবেন। দেশের প্রায় ৫০ কোটি দরিদ্র মানুষ এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন। এর মধ্যে ৩০ লক্ষ মানুষ হল জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা। বন্ধুগণ, এই প্রকল্পটির মাধ্যমে মাত্র ১০০ দিনের মধ্যেই দেশে ১০ লক্ষেরও বেশি গরিব মানুষের চিকিৎসা সম্ভব হয়েছে। এঁদের মধ্যে অনেকেই কঠিন রোগে আক্রান্ত এবং নিজেদের ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়ে মৃত্যুর জন্য দিন গুণছিলেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রোজ ১০ হাজার দরিদ্র ভাই-বোনেরা চিকিৎসার সুবিধা পাচ্ছেন। আমেরিকা, কানাডা এবং মেক্সিকোর মোট জনসংখ্যারও বেশি সংখ্যক মানুষ আমাদের ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’র আওতায় রয়েছেন। কল্পনা করতে পারেন – এটা কত বড় প্রকল্প! বন্ধুগণ, ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর মতো প্রকল্প ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এরও উৎকৃষ্ট উদাহরণ। কারণ জম্মু ও কাশ্মীর কিংবা দেশের যে কোন রাজ্যের নাগরিক দেশের অন্য যে কোনও রাজ্যের যে কোনও পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারবেন। প্রত্যেক সমস্যা ও প্রতিকূলতায় দেশের যে কোনও প্রান্তে��� মানুষ, অন্য প্রান্তের মানুষের পাশে দাঁড়াবেন, এটাই তো ভারতের সংস্কৃতি, এটাই কাশ্মীর তথা ভারতের ভাবনা! বন্ধুরা, এই কাশ্মীরিয়তকে সম্বল করেই আমাদের কাশ্মীরী পণ্ডিতদের ভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে যাঁদেরকে একদিন হিংসার বলি হয়ে রাজ্য থেকে চলে যেতে হয়েছিল। তাঁদের বাড়ি, জমি এবং পূর্বপুরুষদের স্মৃতিকে ফিরিয়ে দিতে হবে, তাঁদের সসম্মানে ফিরিয়ে আনতে হবে। রাজ্য সরকার এজন্য বৈসু এবং সেফপুরাতে ট্যানজিট বাসস্থান গড়ে তোলার কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। আজ বান্দিপোরা এবং গান্দেরবালে এমনই দুটি ট্র্যানজিট আবাসের শিলান্যাসের সৌভাগ্য হয়েছে। এই প্রকল্পটিও প্রধানমন্ত্রী বিকাশ প্যাকেজের অন্তর্গত। বন্ধুগণ, এখানে প্রায় ৭০০টি ফ্ল্যাট গড়ে উঠলে শরণার্থী পণ্ডিত পরিবারগুলির পুনর্বাসন হবে। যাঁরা সেখানে ফিরে আসতে আগ্রহী, সরকার তাদের সম্পূর্ণ সুরক্ষা ও সম্মানের সঙ্গে তাঁদের সেখানে থাকার ব্যবস্থা করবে। পাশাপাশি তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রেও সরকার দায়বদ্ধ। ২০১৫ সালে ঘোষিত পিএম ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজের মাধ্যমে রাজ্য সরকার ৩ হাজার নিযুক্তিকে মঞ্জুর করে দিয়েছে। আমার বিশ্বাস, এখন নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হবে। বন্ধুগণ, আগেই বলেছি যে কাশ্মীরের বীর শহীদ নাজীব আহমেদ বাণী, মহম্মদ ঔরংজেব এবং তজামুর হুসেনরা শান্তি স্থাপন ও দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে আত্মোৎসর্গ করেছেন। স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যাঁরা বাঁচেন – তাঁরাই সত্যিকারের বীর। যারা অন্যের স্বপ্নকে হত্যা করে, তারা কাপুরুষ! আজ গোটা দেশ নির্দোষ, নিরস্ত্র কাশ্মীরি যুবক-যুবতীদের হত্যা দেখে ক্ষুব্ধ, কারণ যাঁরা শান্তিতে বাঁচতে চান, তাঁদেরকে জোর করে সন্ত্রাসবাদীদের আক্রমণের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এটাই কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদের সত্য। আমি আপনাদেরকে এবং সমগ্র দেশবাসীকে আশ্বস্ত করছি যে, পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করে সরকার এই সন্ত্রাসের মোকাবিলা করবে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মাধ্যমে ভারত গোটা বিশ্বকে জানিয়েছে যে এখন ভারত নতুন রীতিনীতি ও আদর্শ নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আমাদের অগ্রাধিকার হল জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়ন। আমি আরেকবার শিক্ষা সংক্রান্ত এতগুলি প্রকল্প ও পরিকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পগুলির জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, শ্রদ্ধেয় অটল বিহ��রী বাজপেয়ী যে স্বপ্ন দেখতেন, উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি আমাদের যে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন, তা থেকে এক ইঞ্চিও পিছিয়ে যাব না। তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে দেখাবো। সেজন্য লাদাখ, শ্রীনগর, ও জম্মু অঞ্চলের প্রত্যেক নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর মন্ত্র নিয়ে আমরা সমৃদ্ধ কাশ্মীর, শান্ত কাশ্মীর, সারা ভারত তথা বিশ্বের পর্যটকদের আমন্ত্রণ জানানোর ক্ষমতা রাখে যে কাশ্মীর তার সুজলা, সুফলা, শস্য-শ্যামলা উপত্যকাগুলির স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমরা সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। এই রাজ্যের প্রত্যেক পরিবারের প্রতিটি শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারলে ভারতের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বলতর হবে। এই ওতপ্রোত সম্পর্ককে মাথায় রেখে আমরা সবাই মিলে এ অঞ্চলের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাব, এই বিশ্বাস নিয়ে আপনাদের সবাইকে হৃদয় থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। ধন্যবাদ। /",৩ ফেব্ৰুৱাৰীত শ্ৰীনগৰত সমগ্ৰ ভাৰতৰ শিক্ষাৰ্থীৰ সৈতে বাৰ্তালাপ কৰি প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%93%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%B2-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%93%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%B2-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%95%E0%A7%B0/,"ওড়িশার চাঁদিখোল এবং কর্ণাটকের পাড়ুরে অতিরিক্ত ৬.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন পেট্রোলিয়ামের মজুত ভাণ্ডার গড়ে তোলার প্রস্তাবে আজ সম্মতি জানাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এর মধ্যে ডেডিকেটেড এসপিএম (সিঙ্গল পয়েন্ট মুরিং) নির্মাণের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত। চাঁদিখোল এবং পাড়ুরের মজুত ভাণ্ডার দুটি যথাক্রমে ৪ এবং ২.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন পেট্রোলিয়াম মজুতের উপযোগী করে নির্মাণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ আলোচনার পর এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণায় সরকার অতিরিক্ত দুটি মজুত ভাণ্ডার গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিল। চাঁদিখোল ও পাড়ুরে মজুত ভাণ্ডার নির্মাণ প্রকল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিশেষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে উপকৃত হবেন ওড়িশা ও কর্ণাটকের সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অধিবাসীরা।",ওড়িশাৰ চান্দিখোল আৰু কৰ্ণাটকৰ পাডুৰত অতিৰিক্ত ৬.৫ মিলিয়ন মেট্ৰিকটন বহনক্ষম কৌশলগত পেট্ৰোলিয়াম ভাণ্ডাৰ স্থাপন�� কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%B0-%E0%A6%AF%E0%A6%BE/,"সবার আগে আমি পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী আক্রমণে শহীদ জওয়ানদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। তাঁরা দেশের সেবা করতে গিয়ে নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। এই দুঃখের সময়ে তাঁদের পরিবারবর্গের প্রতি আমার এবং সমস্ত ভারতবাসীর সমবেদনা জানাই। এই আক্রমণের ফলে জনগণের যত আক্রোশ, রাগ তা আমি খুব ভালোভাবেই অনুভব করছি। এই সময় দেশ যা প্রত্যাশা করে, কিছু করে দেখাতে চায়, তাতে এটাই স্বাভাবিক। আমরা দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলিকে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি। আমাদের সৈনিকদের শৌর্য এবং তাঁদের বীরত্বের ওপর সরকারের সম্পূর্ণ ভরসা আছে। আমি বিশ্বাস করি, দেশভক্ত মানুষেরা যেখানে যে খবর পাবেন, তা আমাদের বিভিন্ন সংস্থার কাছে পৌঁছে দেবেন যাতে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আরও তীব্র হতে পারে। আমি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি এবং তাদের নেতাদের বলতে চাই যে, আপনারা অনেক বড় ভুল করেছেন। তার জন্য আপনাদের অনেক বড় মূল্য দিতে হবে। আমি দেশকে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই আক্রমণের পেছনে যে শক্তিই থাকুক না কেন, তাদেরকে অবশ্যই সাজা দেওয়া হবে। যাঁরা আমাদের সমালোচনা করছেন, আমি তাঁদের ভাবনাকেও সম্মান করি। তাঁদের ভাবনাকে বুঝি। আর সেজন্য মনে করি যে তাঁদের সমালোচনার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। কিন্তু আমার সমস্ত বন্ধুদের অনুরোধ জানাই যে সময় অত্যন্ত সংবেদনশীল। আপনি সরকারের পক্ষে থাকুন কিংবা বিপক্ষে, সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে পরস্পরের প্রতি দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা যদি সংঘবদ্ধভাবে এই আক্রমণের মোকাবিলা করি, তাহলে সারা পৃথিবীতে এই বার্তা যাবে যে ভারতবাসী এই আক্রমণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। কারণ, আমরা যে কোন লড়াই জেতার জন্যই লড়ি। গোটা বিশ্ববাসীর কাছে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া আমাদের প্রতিবেশী দেশ যদি মনে করে তারা যে কুকর্ম করছে, যেভাবে ষড়যন্ত্র রচিত হচ্ছে, তা ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টিতে সফল হবে, তাহলে তারা চিরদিনের জন্য স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দিন। তারা কখনই এটা করতে পারবেন না। এই সময় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভীষণরকম আর্থিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তারা ভারতে এই ধরণের অস্থিরতা সৃষ্টি কর��� নিজেদের জনগণের লক্ষ্যকে সেদিকে ঘোরাতে চায়। কিন্তু তাদের এই উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। সময় এটা প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা যেভাবেই চেষ্টা করুক না কেন, ভারত নিজের মতো উন্নতির পথে এগিয়ে গেছে। ১৩০ কোটি ভারতবাসী এ ধরণের প্রতিটি ষড়যন্ত্র ও আক্রমণের যথাযোগ্য জবাব দেবে। অনেক বড় দেশ অনেক কঠিন শব্দ প্রয়োগ করে এই সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের নিন্দা করেছে এবং ভারতের পাশে থাকার কথা ঘোষণা করেছে। আমি সেই সমস্ত দেশের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই এবং সবাইকে আহ্বান জানাই যে আসুন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মানবতাবাদী সমস্ত শক্তিকে একত্রিত করে অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যখন সমস্ত দেশ একমত, এক স্বর এবং এক লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে তখন সন্ত্রাসবাদ বেশিক্ষণ টিকতে পারবে না। বন্ধুগণ, পুলওয়ামা আক্রমণের পর আমাদের সকলের মন ভারাক্রান্ত। এই আক্রোশ ভরা মন নিয়ে দেশবাসী এই আক্রমণের মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকবে। আমাদের বীর শহীদদের আত্মবলিদানকে আমরা বৃথা যেতে দেব না। যাঁরা দেশের জন্য শহীদ হয়েছেন, তাঁদের জীবনে দুটিই লক্ষ্য ছিল – প্রথমটি হল দেশের সুরক্ষা, আর দ্বিতীয় হল দেশের সমৃদ্ধি। এই বীর শহীদদের আত্মাকে প্রণাম জানিয়ে, তাঁদের আশীর্বাদ নিয়ে আমি আরেকবার আপনাদের আশ্বস্ত করছি, যে স্বপ্ন নিয়ে তাঁরা আত্মাহুতি দিয়েছেন, সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য আমরা জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত সমর্পণ করব। সমৃদ্ধির পথে আমরা আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাব। সেই লক্ষ্য নিয়েই আজ আমি এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ধারণা এবং নক্‌শাকে বাস্তবায়িত করার জন্য প্রত্যেক ইঞ্জিনিয়ার এবং কারিগরদের কৃতজ্ঞতা জানাই। চেন্নাইয়ের কারখানায় নির্মিত এই ট্রেনটি দিল্লি থেকে কাশী পর্যন্ত প্রথমবার যাত্রা করবে। এটাই ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর সত্যিকারের শক্তি, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের শক্তি। বন্ধুগণ, বিগত সাড়ে চার বছরে আমরা ভারতীয় রেলকে অত্যন্ত সততা ও পরিশ্রমের সঙ্গে পরিবর্তিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সেই চেষ্টার একটি ঝলক হল এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। বিগত বছরগুলিতে রেল ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র মাধ্যমে নির্মাণ ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি করেছে। দেশে রেল কোচ কারখানাগুলির আধুনিকীকরণ ও ডিজেল ইঞ্জিনগুলির ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনে রূপান্তরণের জন্য নতুন নতুন কারখানা চালু করা হয়েছে। আপনাদের হয়তো মনে আছে, শুরুতে যখন র��লের টিকিট সংরক্ষণ ব্যবস্থা অনলাইনে করা হয়েছিল, তখন কি অবস্থা ছিল। এক মিনিটে ২ হাজারেরও বেশি টিকিট বুক করা যেত না। কিন্তু আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে রেলের ওয়েবসাইট অনেক বেশি ব্যবহারকারী-বান্ধব হয়ে উঠেছে এবং ১ মিনিটে ২০ হাজারেরও বেশি টিকিট বুক হতে পারে। আগে পরিস্থিতি এমন ছিল যে, কোন রেল প্রকল্প মঞ্জুর হতে ন্যূনতম দু’বছর লেগে যেত। এখন দেশে একটি রেল প্রকল্প মঞ্জুর হতে ৩-৪ মাস কিংবা বড়জোর ছ’মাস হয়। সেজন্য, রেলের সমস্ত কাজ ত্বরান্বিত হচ্ছে। গোটা দেশে ব্রডগেজ লাইনে প্রহরীবিহীন লেভেল ক্রসিংগুলি পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন সারা দেশে ৮,৩০০-রও বেশি প্রহরীবিহীন লেভেল ক্রসিং ছিল। সেজন্য নিয়মিত দুর্ঘটনা হত। এখন ব্রডগেজ লাইনে প্রহরীবিহীন লেভেল ক্রসিংগুলি পুরোপুরি তুলে দেওয়ার ফলে দুর্ঘটনার হার অনেক কমেছে। দেশে রেললাইন বিছানোর কাজ এবং বৈদ্যুতিকীকরণের গতি দ্বিগুণ হয়েছে। সর্বাধিক ব্যস্ত রেলপথগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেগুলি থেকে ঐতিহ্যবাহী ট্রেনগুলিকে তুলে নিয়ে নতুন পথে পরিচালিত করা হচ্ছে। বিদ্যুৎচালিত ট্রেন বৃদ্ধির ফলে বায়ুদূষণ হ্রাস পেয়েছে এবং ডিজেলের খরচও বেঁচেছে। ট্রেনের গতিও বেড়েছে। রেলকে আধুনিক করে তোলার এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনেক নতুন কর্মসংস্থানও হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, ২০১৪ থেকে এখন পর্যন্ত রেলে নতুন দেড় লক্ষ কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে। এখন যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে, সেটি সম্পূর্ণ হলে এই সংখ্যা ২ লক্ষে দাঁড়াবে। বন্ধুগণ, আমি এই দাবি কখনই করি না যে আমরা এত অল্প সময়ে ভারতীয় রেলের সবকিছু বদলে দিতে পেরেছি। আরও অনেক কিছু করার রয়েছে। একথা অবশ্যই বলতে পারি যে ভারতীয় রেলকে বিশ্বের আধুনিকতম রেল পরিষেবাগুলির সমকক্ষ করে তোলার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে চলেছি এবং আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে পারি যে এই উন্নয়নযাত্রা আরও গতিসম্পন্ন হবে, আরও শক্তিশালী হবে। জল, স্থল ও আকাশপথে ভারতের পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ – সমস্ত অংশে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ মন্ত্র নিয়ে আমরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাব। এই উন্নয়নের মাধ্যমেই আমরা দেশের জন্য আত্মবলিদানকারী শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাব। নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রকারী সকল অপরাধীদের কঠোরতম সাজা দেব। আত্মবলিদানকারী প্রত্যেক শহীদের প্রতিটি রক্তবিন্দুর মূল্য তাদের পরিশ��ধ করতে হবে। এই বিশ্বাস নিয়ে আমি আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। এই শহীদদের স্মৃতিতে আমার সঙ্গে বলুন – বন্দে মাতরম – বন্দে মাতরম বন্দে মাতরম – বন্দে মাতরম বন্দে মাতরম – বন্দে মাতরম",বন্দে ভাৰত এক্সপ্রেছৰ যাত্রাৰ শুভাৰম্ভ কৰি প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%AD%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B1%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A6%A4/,"নয়াদিল্লি, ০৪ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ অন্ধ্রপ্রদেশের ভীমাভরমে কিংবদন্তী স্বাধীনতা সংগ্রামী আল্লুরি সীতারামা রাজু’র বর্ষব্যাপী ১২৫তম জন্মজয়ন্তীর সূচনা করলেন। অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী বিশ্বভূষণ হরিচন্দন, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ওয়াই এস জগন মোহন রেড্ডি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী জি কিষাণ রেড্ডি অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতি-স্থলে উপস্থিতদের উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের মতো মূল্যবান ঐতিহ্যের এই মহান ভূমিকে নমস্কার জানানোর সুযোগ পেয়ে বাধিত বোধ করছেন। তিনি আজাদি কা অমৃত মহোৎসব আল্লুরি সীতারামা রাজু’র ১২৫তম জন্মজয়ন্তী এবং রাম্পা বিদ্রোহের ১০০ বছর একসঙ্গে পূর্তির উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী মহান ‘মান্যম বীরুডু’ আল্লুরি সীতারামা রাজু’কে স্মরণ করেন এবং সমগ্র দেশের পক্ষ থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবার-পরিজনের সঙ্গে দেখা হওয়ায় হর্ষও প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী ‘আদিবাসী পরম্পরা’ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ঐতিহ্য থেকে উৎসারিত স্বাধীনতা সংগ্রামীদেরও শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রী জানান যে, আল্লুরি সীতা রামা রাজু গারুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী এবং রাম্পা ক্রান্তির শতবর্ষ সারা বছর ধরে পালিত হবে। তিনি বলেন, পান্ডরঙ্গীতে তাঁর জন্মস্থান, চিন্তাপল্লী পুলিশ থানার সংস্কার, মোগাল্লুতে আল্লুরি ধ্যান মন্দির নির্মাণ, এই কাজগুলি অমৃত মহোৎসবের উদ্দেশ্যের প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, আজকের এই অনুষ্ঠানে প্রতিফলিত হচ্ছে যে, প্রত্যেকেই আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নায়কোচিত কাজ সম্পর্কে সচেতন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম শুধুমাত্র কিছু বছরের কিছু এলাকার অথবা কিছু মানুষের ইতিহাস নয়। এ��� ইতিহাস ভারতের প্রত্যেকটি অঞ্চলের আত্মত্যাগ, দৃঢ়চিত্ততার ইতিহাস। তিনি আরও বলেন, “আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস দেশের বৈচিত্র্য, সংস্কৃতি এবং ঐক্যের শক্তির প্রতীক”। আল্লুরি সীতারামা রাজু’কে ভারতের সংস্কৃতি, আদিবাসী পরিচিতি, শৌর্য, আদর্শ এবং মূল্যবোধের প্রতীক হিসাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীতারামা রাজু গারুর জন্ম থেকে আত্মত্যাগ পর্যন্ত তাঁর জীবনযাত্রা আমাদের সকলের কাছে অনুপ্রেরণা। তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন আদিবাসী সমাজের অধিকার, তাঁদের আনন্দ-দুঃখ এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আল্লুরি সীতারামা রাজু ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ যা দেশকে একসূত্রে বেঁধে রেখেছে তার প্রতীক”। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, ভারতের অধ্যাত্মবোধ আল্লুরি সীতারামা রাজু’কে দিয়েছিল সহমর্মিতা ও করুণা, আদিবাসী সমাজের পরিচিতি ও সাম্যের বোধ, জ্ঞান ও সাহস। আল্লুরি সীতারামা রাজুর যৌবনকাল এবং রাম্পা বিদ্রোহে যাঁরা তাঁদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, তাঁদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে, তাঁদের আত্মত্যাগ আজও সমগ্র দেশের প্রাণশক্তি এবং অনুপ্রেরণার উৎস। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের যুবসমাজ স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিল। আজ যুবসমাজের সামনে সুবর্ণ সুযোগ দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসার”। তিনি উল্লেখ করেন যে, “এখন নতুন নতুন সুযোগ, পথ, ভাবনা প্রক্রিয়া এবং সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে নতুন ভারতে এবং আমাদের যুবসমাজ সেই সম্ভাবনা পূরণে দায়িত্ব নিচ্ছে”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্ধ্রপ্রদেশ নায়ক ও দেশপ্রেমীদের ভূমি। এখানে ছিলেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার মতো স্বাধীনতার নায়ক, যিনি দেশের পতাকা তৈরি করেছিলেন। এই ভূমি কানেগান্তি হনুমান্থু, কান্ডুকুরি বীরসালিঙ্গম পান্তুলু এবং পত্তি শ্রীরামুলুর মতো নায়কদের ভূমি। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, আজ আমাদের সকল দেশবাসীর দায়িত্ব অমৃতকালে এইসব স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্ন পূরণ করা। আমাদের নতুন ভারতকে হতে হবে তাঁদের স্বপ্নের ভারত। সেই ভারত – যেখানে দরিদ্র, কৃষক, শ্রমিক, অনগ্রসর, আদিবাসীদের জন্য থাকবে সমান সুবিধা। প্রধানমন্ত্রী জানান যে, গত আট বছরে সরকার দেশের জনজাতি সমাজের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম আদিবাসী মিউজিয়াম তৈরি করা হয়েছে আদিবাসী���ের গর্ব ও দেশের ঐতিহ্য প্রদর্শনের জন্য। অন্ধ্রপ্রদেশের লাম্বাসিঙ্গিতে ‘আল্লুরি সীতারামা রাজু মেমোরিয়াল ট্রাইবাল ফ্রিডম ফাইটার্স মিউজিয়াম’ও তৈরি করা হচ্ছে। একইভাবে, ১৫ নভেম্বর ভগবান বীরসা মুন্ডার জন্ম দিনটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় জনজাতীয় গৌরব দিবস হিসাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, বিদেশী শাসকরা সবচেয়ে বেশি অত্যাচার করেছে জনজাতির উপর এবং চেষ্টা করেছে তাঁদের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, আজ দক্ষ ভারত মিশনের মাধ্যমে জনজাতির শিল্প ও দক্ষতা নতুন পরিচয় পাচ্ছে। ‘ভোকাল ফর লোকাল’ জনজাতির শিল্প দক্ষতাকে উপার্জনের মাধ্যম করে তুলছে। তিনি বলেন, বহু পুরনো আইনে জনজাতি মানুষের বাঁশের মতো বনজ সম্পদ কাটায় নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেগুলি আমরা পরিবর্তন করেছি এবং তাদের বনজ সম্পদের অধিকারও দিয়েছি। একই রকমভাবে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সংগ্রহের জন্য বনজ সম্পদের সংখ্যা ১২ থেকে বাড়িয়ে ৯০-এরও বেশি করা হয়েছে। ৩ হাজারেরও বেশি বন গণ বিকাশ কেন্দ্র এবং ৫০ হাজারেরও বেশি বন গণ স্বনির্ভর গোষ্ঠী জনজাতি পণ্য ও শিল্পকে আধুনিক সুবিধার সঙ্গে সংযুক্ত করছে। উচ্চাকাঙ্খী জেলা কর্মসূচি প্রভূতভাবে সাহায্য করবে জনজাতি জেলাগুলিকে এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে ৭৫০টিরও বেশি একলব্য মডেলের বিদ্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে এবং মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষায় উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে জাতীয় শিক্ষা নীতিতে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মান্যম বিরুডু’ আল্লুরি সীতারামা রাজু ব্রিটিশদের সঙ্গে তাঁর লড়াইয়ে দেখিয়েছিলেন যে – ‘দম হ্যায় তো মুঝে রোক লো’ – যদি পারো আমাকে আটকাও। বর্তমানেও দেশ নানারকম সমস্যার সম্মুখীন। সেই একই সাহসের সঙ্গে ১৩০ কোটি দেশবাসী একতা ও শক্তির সঙ্গে প্রত্যকটি সমস্যাকে বলছে ‘দম হ্যায় তো হামে রোক লো’। প্রেক্ষাপট আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসাবে সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বীকৃতিদান এবং সারা দেশের মানুষকে তাঁদের সম্পর্কে অবহিত করায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই উদ্যোগের অঙ্গ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কিংবদন্তী স্বাধীনতা সংগ্রামী আল্লুরি সীতারামা রাজুর বর্ষব্যাপী ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উদযাপনের সূচনা করলেন ভীমাভরমে। ১৮৯৭ সালের ৪ঠা জুলাই জন্ম নিয়েছিলেন আল্লুরি সীতারামা রাজু। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তিনি স্মরণীয়। পূর্বঘাট পর্বতমালা অঞ্��লে জনজাতি মানুষের স্বার্থ রক্ষায় তিনি লড়াই করেছিলেন। ১৯২২ সালে শুরু হওয়া রাম্পা বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে স্থানীয় মানুষ বলতেন, ‘মান্যম বীরুডু’ (অরণ্য নায়ক)। বর্ষব্যাপী উদযাপনের অঙ্গ হিসাবে সরকার একাধিক উদ্যোগের পরিকল্পনা করেছে। বিজয় নগরম গ্রাম জেলার পান্ডরঙ্গিতে আল্লুরি সীতারামা রাজুর জন্মস্থান এবং চিন্তাপল্লী পুলিশ থানার (রাম্পা বিদ্রোহের শতবর্ষ উপলক্ষে – এই থানার উপর আক্রমণ দিয়েই সূচনা হয়েছিল রাম্পা বিদ্রোহের) সংস্কার করা হবে। এছাড়াও, মোগাল্লুতে আল্লুরি সীতারামা রাজুর ধ্যানমগ্ন একটি মূর্তি সহ আল্লুরি ধ্যানমন্দির নির্মাণ, দেওয়াল চিত্র এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর আলাপচারিতামূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবন কাহিনী বর্ণনার প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে সরকার।",অন্ধ্ৰ প্ৰদেশৰ ভীমাৱৰমত কিংবদন্তি স্বাধীনতা সেনানী আল্লুৰী সীতাৰামা ৰাজুৰ ১২৫ সংখ্যক জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত বছৰজোৰা কাৰ্যক্ৰমৰ শুভাৰম্ভ ঘোষণা কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%B8%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%B8%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6/,"আমাদের দেশ ও বিশ্বে ডাকটিকিটের একটি নিজস্ব গুরুত্বরয়েছে। ডাকটিকিট একরকমভাবে ইতিহাসকে নিজের মধ্যে সঞ্জীবিত রেখেছে। আর ডাকটিকিট একহিসেবে রাজদূতের কাজ করে। বিশ্বের যে কোনও দেশে আমাদের চিঠিপত্র গেলে তাতে আমাদেরদেশের ডাকটিকিট লাগানো থাকে। সারা পৃথিবীতে অনেক মানুষ এই ডাকটিকিটগুলি সংগ্রহকরেন। সেগুলি দেখলে বোঝা যায় যে কোনও নির্দিষ্ট দেশে কখন কিরকম পরিবর্তন এসেছে।অর্থাৎ , ডাকটিকিট একপ্রকারদেশের পরিচায়ক হয়ে ওঠে। ভারতের ডাকবিভাগও এক্ষেত্রে নিরন্তর অবদান রেখেছে। আজ প্রভু রামচন্দ্রের জীবন সম্পর্কিত একটি ডাকটিকিটেরআবরণ ঊন্মোচন হল। এই উন্মোচনপর্ব দিল্লির বিজ্ঞান ভবন কিম্বা প্রধানমন্ত্রী বাসভবনেওঅনুষ্ঠিত হতে পারতো! কিন্তু মনে হল যে নবরাত্রির পবিত্র উৎসব শুরু হয়েছে। শ্রীরামচন্দ্রেরজীবনে নবরাত্রি আর বিজয়া দশমীর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আর যেখানে তুলসীদাসেরশ্রুতিগুলি আজও জীবন্ত , এই ডাকটিকিট প্রকাশের জন্য সেই মানস মন্দিরের থেকে ভালজায়গা আর কী হতে পারে! আমার কাশীতে সরকারি কাজ ছিল , সেজন্যে ডাকবিভাগের সঙ্গে কথা বলে এই ইচ্ছা বাস্তবায়িতকরি। শ্রীরামচন্দ্রকে নিয়ে ডাকটিকিট আগেও অনেক প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এটি প্রথমটিকিট সংগ্রহ যেখানে তাঁর জীবনের নানা দিক আলাদা আলাদা ডাকটিকিটে প্রদর্শিত হয়েছে।এই একটি টিকিটের মধ্যে অনেক-কটা আলাদা টিকিট সম্মিলিত রয়েছে। প্রভু রামের জীবননিয়ে এরকম ডাকটিকিট আগে কখনো প্রকাশিত হয়নি। আজ প্রথমবার এরকম হচ্ছে। আমি আনন্দিতযে মানসের এই পবিত্র ভূমিতে এর প্রকাশ অনুষ্ঠান করার সুযোগ পেয়েছি। প্রভু রামেরজীবন প্রত্যেক মানুষের জীবনে প্রেরণাস্বরূপ। আমরা যদি মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ করি , শৈশবেই তাঁর জীবনে রাম একটি মন্ত্রেপরিণত হয়েছিল। এহেন মহাপুরুষ , এহেন চেতনাপুরুষের জীবনেরপ্রতিটি দিক আমাদের সবাইকে প্রেরণা জোগাতে পারে। আমি প্রভু রামচন্দ্রকে প্রণামজানিয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে নবরাত্রির এই পবিত্র উৎসবের দিনে এই ডাকটিকিট প্রকাশ করেনিজের আনন্দ প্রকাশ করছি। আপনাদের সবাইকে এখানে উপস্থিতথাকার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।",বাৰানসীৰ তুলসী মানস মন্দিৰত ৰামায়ণৰ ওপৰত আধাৰিত ডাক টিকট মুকলি কৰি প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে দিয়া ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%A6%E0%A7%A6-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B2-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B9%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,"দেশের যেসমস্ত জেলার উন্নয়নের প্রয়োজন বা চাহিদা রয়েছে, সেগুলির সার্বিক রূপান্তরেরলক্ষ্যে এক বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীরনেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। এই ধরনের জেলাগুলির সার্বিক রূপান্তর সম্পর্কিত একসম্মেলনে আগামীকাল ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। নিতি আয়োগ আয়োজিতএই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর আম্বেদকর আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে। ১০০-টিরও বেশিজেলার রূপান্তর প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে সেখানে আলোচনা ওমতবিনিময়ও করবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ২০২২সালের মধ্যে এক ‘নতুন ভারত’ গড়ে তোলার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী, তারসঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই সম্মেলনের আয়োজন। উন্নয়নের মাপকাঠির দিক থেকে যে সমস্ত জেলাএখনও পিছিয়ে রয়েছে, সেগুলির দ্রুত বিকাশ তথা রূপান্তর কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানপ্রধান নীতিগুলির একটি অন্যতম বিষয়। অতিরিক্ত সচিব এবং যুগ্ম সচিব পদমর্যাদারবরিষ্ঠ সরকারি আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলাগুলির উন্নয়ন সম্পর্কিত সুনির্দিষ্টপ্রয়োজন বা চাহিদার বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার মাধ্যমে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সমন্বয়রক্ষা করার।",বিকাশশীল জিলাসমূহৰ ৰূপান্তৰ শীৰ্ষক সন্মিলনত ভাষণ প্ৰদান কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%A8%E0%A7%AC-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A7%A8%E0%A7%AC-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%87/,"নয়াদিল্লি, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৬ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে মেজর ধ্যানচাঁদ জাতীয় স্টেডিয়ামে ঐতিহাসিক ‘বীর বাল দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি প্রায় ৩০০ জন ক্ষুদে কীর্তনীয়ার সঙ্গে ‘শবদ কীর্তন’ – এ অংশ নেবেন। এই বিশেষ আয়োজনে শ্রী মোদী প্রায় ৩ হাজার ছাত্রছাত্রীর কুচকাওয়াজের সূচনা করবেন। কেন্দ্র সাহিবজাদাদের দৃষ্টান্তমূলক সাহসিকতার কাহিনী দেশের ছোট ছোট ছেলেমেয়ে সহ প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে নানা তথ্য সংগ্রহ করবেন। দেশ জুড়ে স্কুল-কলেজে রচনা ও প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতা এবং নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। রেল স্টেশন, পেট্রোল পাম্প, বিমানবন্দর সহ সর্বসাধারণের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল প্রদর্শনীর ব্যবস্থাও করা হবে। সাহিবজাদাদের জীবনের কথা এবং আত্মবলিদানের ঘটনা বিশিষ্ট জনেরা সকলের কাছে তুলে ধরবেন। প্রধানমন্ত্রী ২০২২ – এর ৯ জানুয়ারী শ্রীগুরু গোবিন্দ সিংজীর প্রকাশ পর্ব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২৬ ডিসেম্বরকে ‘বীর বাল দিবস’ উদযাপনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। শ্রীগুরু গোবিন্দ সিংজীর দুই পুত্র সাহিবজাদা বাবা জোরাওয়ার সিংজী এবং ফতে সিংজীর শহীদ হওয়ার ঘটনাটিকে স্মরণ করতেই এই উদ্যোগ।",প্রধানমন্ত্রীয়ে ২৬ ডিচেম্বৰত মেজৰ ধ্যানচান্দ জাতীয় ষ্টেডিয়ামত ঐতিহাসিক ‘বীৰ বাল দিৱস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানত অংশগ্রহণ কৰি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%8D-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%9A%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%9B/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ হিমাচল প্রদেশের ধরমশালায় রাজ্য সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত জন আভার সমাবেশে ভাষণ দিলেন। সমাবেশে আসার আগে প্রধানমন্ত্রী সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির ওপর একটি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। এইসব কর্মসূচির সুবিধা-প্রাপকদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন। পরে, এক জনসভায় ভাষণ দিয়ে তিনি হিমাচল প্রদেশকে ‘দেবভূমি’ এবং সাহসিকতার স্থান বলে প্রশংসা করেন। তিনি স্মরণ করেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে এই রাজ্যের বিশেষ সম্পর্কের কথা। গত এক বছরে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের সর্বত্র, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছনোর যে উদ্যোগ রাজ্য সরকার নিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তার প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, হিমাচল প্রদেশ সরকার পরবর্তী প্রজন্মের পরিকাঠামোর ওপর বিশেষ নজর দিচ্ছে। সড়ক, রেল, বিদ্যুৎ, সৌরশক্তি এবং পেট্রোলিয়াম ক্ষেত্রে হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। হিমাচল প্রদেশের পর্যটনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ভারতে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৩ সালে ৭০ লক্ষ বিদেশি পর্যটক ভারত ভ্রমণে এসেছিলেন, ২০১৭-তে তা বেড়ে ১ কোটি হয়েছে। অনুরূপভাবে, ভারতে অনুমোদিত হোটেলের সংখ্যা ২০১৩-র ১ হাজার ২০০ থেকে বেড়ে বর্তমানে তা ১ হাজার ৮০০ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন যে, ৪০ বছর ধরে আমাদের প্রাক্তন সেনাকর্মীরা ‘এক পদ, এক পেনশন’ – এর দাবি করে আসছেন। তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ সংক্রান্ত সমগ্র বিষয়টি এবং প্রয়োজনীয় অর্থের যোগানের কথা ভাবা হয়। এরপরই প্রাক্তন সেনাকর্মীদের জন্য ‘এক পদ এক পেনশন’ – এর নীতি রূপায়ণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী হিমাচল প্রদেশের মানুষের পরিচ্ছন্নতা বোধের জন্য তাঁদের বিশেষ প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ঐ রাজ্যের নাগরিকরা স্বচ্ছতাকে তাঁদের সংস্কৃতির অঙ্গ হিসাবে গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রেও এই সংস্কৃতির ভালো প্রভাব পড়বে। প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্নীতি বিরোধী উদ্যোগ বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর কর্মসূচি রূপায়ণের মাধ্যমে দুর্নীতিতে লাগাম পরানো গেছে এবং প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।",হিমাচল প্ৰদেশ চৰকাৰৰ এবছৰ সম্পূৰ্ণ হোৱা উপলক্ষে ধৰমশালাত জন আভাৰ ৰেলী সম্বোধন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%9B%E0%A7%8C%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%B1%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%97%E0%A7%83/,"ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে আবাসন ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে গত ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্র সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে। নতুন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে জানানো হয়। এই সমঝোতা স্বাক্ষরের ফলে সুলভ এবং স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আবাসনের সংস্থান সহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত কারিগরি সহায়তা আরও বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে, উভয় দেশের আবাসন ও পরিকাঠামো প্রকল্পগুলিতে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ও সংস্থার অংশগ্রহণ আরও বাড়বে। আবাসন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত আধুনিক নির্মাণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন তথা হস্তান্তর সহ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কাজকর্ম আরও বৃদ্ধি পাবে।",ভাৰত আৰু ছৌদি আৰৱৰ মাজত গৃহ নিৰ্মাণৰ ক্ষেত্রত সহযোগিতাৰ লক্ষ্যৰে স্বাক্ষৰিত বুজাবুজি চুক্তিৰ সন্দৰ্ভত অৱগত কৰিলে কেবিনেটক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%8F-%E0%A6%8F%E0%A6%AE-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%8F-%E0%A6%8F%E0%A6%AE-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%95-%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%95/,"নয়াদিল্লী, ১০ জুন, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নভসরিতে এ.এম নায়েক হেল্থ কেয়ার কমপ্লেক্স এবং নিরালি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধন করেছেন। একইসঙ্গে তিনি খারেল শিক্ষা কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভুপেন্দ্রভাই প্যাটেল উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানান, নভসরিতে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে, যা এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সাহায্য করবে। প্রধানমন্ত্রী নিরালি ট্রাস্ট এবং শ্রী এ.এম নায়েকের কর্মকান্ডের প্রশংসা করে বলেন, তিনি এক ব্যক্তিগত দুঃখজনক ঘটনার সম্মুখীন হয়েও সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে অন্যকোন পরিবার যাতে এই ধরণে�� ঘটনার সম্মুখীন না হন তারজন্য আধুনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল নভসরিবাসীদের জন্য তৈরি করেছিলেন। এরজন্য অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী বলেন, দরিদ্রদের ক্ষমতায়ণ ও জীবনযাত্রা সহজ করার জন্য সাস্থ্যসেবার আধুনিকীকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, “আমরা গত ৮ বছরে দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উন্নতির জন্য একটি সামগ্রিক পদ্ধতির ওপর নজর দিয়েছি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা সুবিধার আধুনীকরণের পাশাপাশি পুষ্টি ও পরিচ্ছন্ন জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য প্রয়াস চালানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের রোগ থেকে রক্ষা করার লক্ষ্য নিয়েছি, রোগের ক্ষেত্রে খরচ কমানোর ওপরও নজর দিয়েছি।” তিনি গুজরাটের স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো এবং স্বাস্থ্যসেবার সূচকগুলির উন্নতির কথা উল্লেখ করেছেন। কারণ, গুজরাট নীতি আয়োগের সুস্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্য সূচকের শীর্ষে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর কর্মকান্ডের কথা স্মরণ করেন। স্বাস্থ্য গুজরাট, উজ্জ্বলা গুজরাট, মুখ্যমন্ত্রী অমৃতম যোজনার মতো প্রকল্পগুলি চালু করেছিলেন বলেও জানান তিনি। শ্রী মোদী বলেন, এই অভিজ্ঞতা সমগ্র দেশের দরিদ্রদের সেবায় সাহায্য করেছে। তিনি বলেন, আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় গুজরাটে ৪১ লক্ষ রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পেয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই মহিলা, বঞ্চিত এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। এই প্রকল্পটি রোগীদের ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় করেছে। গুজরাটে ৭ হাজার ৫০০টি স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র এবং ৬০০টি ‘দীনদয়াল চিকিৎসালয়’ তৈরি হয়েছে। গুজরাটে সরকারি হাসপাতালগুলিতে ক্যান্সারের মতো রোগের উন্নত চিকিৎসার সুবিধা রয়েছে। ভাবনগর, জামনগর, রাজকোট ইত্যাদি অনেক শহরে ক্যান্সার চিকিৎসার সুবিধা রয়েছে। একইভাবে কিডনির চিকিৎসার ক্ষেত্রে রাজ্যে পরিকাঠামোর উন্নতি সাধন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির মানোন্নয়নের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের জন্য চিরঞ্জিবী যোজনার কথা তুলে ধরেছেন। এই যোজনা থেকে ১৪ লক্ষ মা উপকৃত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, গুজরাটে চিরঞ্জিবী এবং খিখিলাহাট প্রকল্পগুলিকে মিশন ইন্দ্রধনুষ ও প্রধানমন্ত্রী মাতৃবন্দনা যোজনায় জাতীয় স্ত��ে সম্প্রসারিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে চিকিৎসা শিক্ষার উন্নতির কথাও জানান। তিনি বলেন, রাজকোটে খুব শীঘ্রই এআইআইএমএস গড়ে তোলা হচ্ছে। মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বেড়ে ৩০এ পৌঁছেছে। এমবিবিএস-এ আসন সংখ্যা ১ হাজার ১০০ থেকে বেড়ে ৫ হাজার ৭০০ হয়েছে এবং স্নাতকোত্তর স্তরে আসনসংখ্যা ৮০০ থেকে বেড়ে ২ হাজার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গুজরাটের মানুষের সেবার চিন্তাভাবনাকে অভিবাদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “গুজরাটের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য ও সেবায় জীবনের লক্ষ্য। আমাদের কাছে বাপুর মতো মহাপুরুষদের অনুপ্রেরণা রয়েছে, যারা সেবাকে দেশের শক্তিতে পরিণত করেছেন।” গুজরাটের এই চেতনা এখনও শক্তিতে ভরপুর। এখানে সবচেয়ে সফল ব্যক্তিও কিছু সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান।",নৱসাৰীত এ.এম. নায়ক হেল্থকেয়াৰ কমপ্লেক্স আৰু নিৰালী মাল্টি স্পেচিয়েলিটি হস্পিটেল উদ্বোধন কৰে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%82%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%82%E0%A6%A4-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A6%AA-%E0%A6%85%E0%A6%AB-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%9C%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%AA/,"নয়াদিল্লি, ০৬ জুলাই, ২০২২ অসমের প্রাণবন্ত মুখ্যমন্ত্রী শ্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাজী, শ্রী অতুল বোরাজী, কেশব মহান্তজী, পীযূষ হাজারিকাজী, মন্ত্রীগণ, সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ডঃ দয়ানন্দ পাঠকজী, অগ্রদূতের প্রধান সম্পাদক ও প্রবীণ সাংবাদিক শ্রী কণকসেন ডেকাজী, অন্যান্য বিশিষ্ট জন, ভদ্রমহোদয় ও ভদ্রমহোদয়াগণ! আমার সকল বন্ধু, সাংবাদিক, কর্মী এবং পাঠক, যাঁরা অসমিয়া ভাষায় উত্তর-পূর্বের শক্তিশালী কন্ঠ অগ্রদূতের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের আমার আন্তরিক অভিনন্দন। এই ৫০ বছরে যার অর্থ স্বর্ণিম যাত্রার পাঁচটি দশক। আমার আশা, ‘অগ্রদূত’ আগামী দিনে নতুন উচ্চতা স্পর্শ করবে। প্রাঞ্জল এবং তরুণ দলকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। এই অনুষ্ঠানের জন্য শ্রীমন্ত শঙ্করদেব কলা ক্ষেত্রকে বেছে নেওয়া চমৎকারভাবে এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেছে। শ্রীমন্ত শঙ্করদেবজী অসমিয়া কবিতা ও গানের মাধ্যমে ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর বাণীকে শক্তিশালী করেছিলেন। সেই একই মূল্যবোধকে আরও পুষ্ট করেছে ‘দৈনিক অগ্রদূত’ তাঁদের সাংবাদিকতা দিয়ে। আপনাদের সংবাদপত্র এই দেশে সম্প্রীতি ও ঐক্যের বাণীকে সজীব রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ডেকাজীর নেতৃত্বে দৈনিক অগ্রদূত সবসময় জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছে। এমনকি, জরুরি অবস্থার সময় যখন আমাদের গণতন্ত্র আক্রান্ত হয়েছিল, দৈনিক অগ্রদূত ও ডেকাজী সাংবাদিকতার মূল্যবোধের সঙ্গে কখনও সমঝোতা করেননি। তিনি শুধুমাত্র অসমে ভারতীয় সাংবাদিকতাকেই শক্তিশালী করেননি, মূল্যবোধ-ভিত্তিক সাংবাদিকতার জন্য নতুন প্রজন্মও সৃষ্টি করেছেন। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে দৈনিক অগ্রদূতের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন শুধুমাত্র নতুন মাইলফলকে পৌঁছচ্ছে, তা নয়, সাংবাদিকতা ও ‘আজাদি কা অমৃতকালে’ জাতীয় দায়িত্বের জন্য একটি অনুপ্রেরণা-স্বরূপ। বন্ধুগণ, গত কয়েকদিন ধরে আসাম বন্যার কারণে বিরাট সমস্যার মুখোমুখী। অসমের অনেক জেলাতেই স্বাভাবিক জনজীবন মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত। হিমন্তজী ও তাঁর দল ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করছেন। আমিও সময়ে সময়ে সেখানকার অনেক লোকের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ রাখছি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলছি। আজ আমি অসমের মানুষ এবং অগ্রদূত – এর পাঠকদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একসঙ্গে কাজ করে তাদের এই কঠিন অবস্থা থেকে উদ্ধার করবে। বন্ধুগণ, ‘ভারতীয় ভাষায় সাংবাদিকতা’ – এর ভূমিকা ভারতের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও উন্নয়ন যাত্রায় মহান ভূমিকা পালন করেছে। সাংবাদিকতার পরিপ্রেক্ষিতে অসম সচেতন এলাকা। প্রায় ১৫০ বছর আগে আসামে সাংবাদিকতার শুরু, যা সময়ের সঙ্গে আরও উন্নতি করেছে। অসম দেশকে উপহার দিয়েছে সেই সব সাংবাদিক ও সম্পাদক, যাঁরা মাতৃভাষায় সাংবাদিকতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। এমনকি, আজও এ ধরনের সাংবাদিকতা সরকারের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পর্ক স্থাপনে মহান অবদান রেখে চলেছে। বন্ধুগণ, গত ৫০ বছরের দৈনিক অগ্রদূত – এর যাত্রা থেকে আমরা অসমে পরিবর্তনের কাহিনী পাই। মানুষের সংগ্রাম এই পরিবর্তন আনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মানুষের সংগ্রাম অসমের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও গর্বকে রক্ষা করেছে এবং এখন মানুষের অংশগ্রহণের ফলে অসম উন্নয়নের নতুন কাহিনী লিখছে। বন্ধুগণ, গণতন্ত্র ভারতীয় সমাজে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ, এই সমাজে যে কোনও মতভেদ দূর করতে বিতর্ক ও আলোচনার সুযোগ আছে। যখন কোনও আলোচনা হবে, তখন সেটার সমাধানও হবে। আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভাবনা বিকশিত হয়। সেজন্য ভা���তীয় গণতন্ত্রে জ্ঞানের প্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে তথ্যের ধারাও নিয়মিত এবং অবারিত বয়ে চলেছে। অগ্রদূতও এই ঐতিহ্য বহন করে নিয়ে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। বন্ধুগণ, বর্তমানে বিশ্বে কোথায় আমরা আছি, সেটা কোনও ব্যাপার নয়। আমাদের মাতৃভাষায় ব্যবহৃত সংবাদপত্র আমাদের ঘরে থাকার অনুভব এনে দেয়। আপনারা সকলেই জানেন যে, দৈনিক অগ্রদূত অসমিয়া ভাষায় আগে সপ্তাহে দু’বার প্রকাশিত হ’ত। সেখান থেকেই এর যাত্রা শুরু। এখন এটি দৈনিক সংবাদপত্রে পরিণত হয়েছে এবং এখন এটি ই-পেপার হিসাবে অনলাইনেও পাওয়া যায়। আপনি বিশ্বের যে কোনও জায়গাতেই থাকুন না কেন, আপনি আসাম ও আসামের খবরের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারছেন। এই সংবাদপত্রের উন্নয়ন যাত্রায় প্রতিফলিত হয় যে, আমাদের দেশে রূপান্তর ও ডিজিটাল উন্নয়ন। বর্তমানে ডিজিটাল ইন্ডিয়া ‘স্থানীয় সংযোগ’ – এর শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে যে ব্যক্তি অনলাইন নিউজ পেপার পড়েন, তিনি এও জানেন কিভাবে অনলাইন পেমেন্ট করতে হয়। দৈনিক অগ্রদূত এবং আমাদের সংবাদ মাধ্যম অসম তথা দেশের এই রূপান্তরের সাক্ষী। বন্ধুগণ, যখন আমরা স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ করছি, তখন আমাদের একটা প্রশ্ন করতেই হবে। কেন কোনও একটি বিশেষ ভাষা জানা থাকার দরুন শুধু কিছু মানুষই বুদ্ধিজীবী বলে পরিচিত হবেন! এটা শুধু ভাবাবেগের প্রশ্ন নয়, এটা বৈজ্ঞানিক যুক্তি নিয়েও প্রশ্ন বটে। একবার ভাবুন, কেন ভারত গত তিনটি শিল্প বিপ্লবের সময় গবেষণা ও উন্নয়নে পিছিয়ে থেকেছে। যখন ভারতেরও শতাব্দী প্রাচীন জ্ঞান, উদ্ভাবন, নতুন ভাবনা এবং ধারণার ঐতিহ্য ছিল? এর একটা বড় কারণ যে, এই সম্পদ আমাদের ছিল ভারতীয় ভাষায়। দীর্ঘ ঔপনিবেশিকবাদের সময় ভারতীয় ভাষাগুলির প্রসার ব্যাহত হয়েছে এবং আধুনিক বিজ্ঞান, জ্ঞান ও গবেষণা সীমিত ছিল শুধুমাত্রা কয়েকটি ভাষায়। ভারতবাসীর বৃহদংশেরই সেইসব ভাষায় অথবা সেই জ্ঞান আহরণ করার সুযোগ ছিল না। তাই, বুদ্ধিজীবীদের উৎকর্ষের সুযোগ সঙ্কুচিত হচ্ছিল। এর ফলে, আবিষ্কার ও উদ্ভাবন সীমায়িত হয়ে গিয়েছিল। একবিংশ শতাব্দীতে যখন বিশ্ব এগিয়ে চলেছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে, তখন বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিপুল সুযোগ রয়েছে ভারতের কাছে। এই সুবিধা আমাদের তথ্য শক্তি এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকরণের জন্য। আমরা চেষ্টা করছি, নিশ্চিত করতে যাতে কোনও ভারতীয় সেরা তথ্য, সেরা দক্ষতা এবং সেরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হন শুধুমাত্র ভাষার প্রতিবন্ধকতার জন্য। সেজন্য জাতীয় শিক্ষা নীতিতে আমরা ভারতীয় ভাষায় পড়াশোনার উপর উৎসাহ দিয়েছি। যেসব ছাত্রছাত্রী তাদের নিজ নিজ মাতৃভাষায় পড়াশোনা করছে, তাদের এলাকার প্রয়োজন এবং সেই এলাকার মানুষের প্রত্যাশা বুঝতে পারবে। পরে, তারা যে পেশায় বেছে নিক না কেন। এর পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করছি, যাতে ভারতীয় ভাষাগুলিতে বিশ্বের সেরা বিষয়গুলি পাওয়া যায়। এর জন্য আমরা ন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেশন মিশন নিয়ে কাজ করছি। আমরা নিশ্চিত করছি, যাতে প্রত্যেক ভারতীয় আপন ভাষণে ইন্টারনেট ব্যবহারে সক্ষম হন। ইন্টারনেট জ্ঞান ও তথ্যের বিশাল ভান্ডার। মাত্র দু’দিন আগে এই উদ্দেশ্যে ভাষিণী প্ল্যাটফর্মের সূচনা হয়েছে। এটি ভারতীয় ভাষাগুলির অভিন্ন ভাষা-ভিত্তিক মঞ্চ। এর উদ্দেশ্য প্রত্যেক ভারতীয়কে সহজে ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত করা, যাতে তিনি সহজে যোগাযোগ করতে পারেন এবং সংযুক্ত হতে পারেন নিজের মাতৃভাষায় তথ্য, জ্ঞান, সরকার, সরকারি সুবিধার আধুনিক উৎসের সঙ্গে। কোটি কোটি ভারতীয়কে তাঁদের মাতৃভাষায় ইন্টারনেটের সুযোগ এনে দেওয়া সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুটি দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। সর্বোপরি, এটি ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর উদ্দেশ্যকে শক্তিশালী করবে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে ভ্রমণ এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে। বন্ধুগণ, অসম সহ সমগ্র উত্তর-পূর্ব পর্যটন, সংস্কৃতি এবং জীব বৈচিত্র্যের পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী। তথাপি, এই সমগ্র অঞ্চল যতটা আবিষ্কৃত হওয়া উচিৎ ছিল, তা হয়নি। অসমের ভাষা ও সঙ্গীতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য দেশ তথা বিশ্বে পৌঁছনো উচিৎ। গত ৮ বছর ধরে অভূতপূর্ব প্রয়াস চালানো হচ্ছে অসম ও সমগ্র উত্তর-পূর্বকে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করার। এই সঙ্গেই ভারতের উন্নয়নের কাহিনীতে অসম ও উত্তর-পূর্ব ভারতের ভূমিকা ক্রমাগত বাড়ছে। এখন যদি এই অঞ্চল ভাষা পরিপ্রেক্ষিতে ডিজিটালভাবে সংযুক্ত হয়, তখন অসমের সংস্কৃতি, জনজাতি ঐতিহ্য এবং পর্যটন অত্যন্ত উপকৃত হয়। বন্ধুগণ, সেজন্য অগ্রদূতের মতো দেশে সব দেশজ ভাষার সাংবাদিকতার প্রতিষ্ঠানগুলিকে বিশেষ অনুরোধ করতে চাই যে, তাঁরা যেন ডিজিটাল ইন্ডিয়ার এ ধরনের প্রতিটি প্রয়াস সম্পর্কে আমাদের পাঠকদের যেন সচেতন করেন। ভারতের ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিকে সমৃদ্ধ ও সক্���ম করে তুলতে প্রত্যেকের প্রয়াস জরুরি। স্বচ্ছ ভারত মিশনের মতো অভিযানে আমাদের সংবাদ মাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা সারা দেশে এবং বিশ্বে এখনও প্রশংসিত হয়। একইভাবে, ‘অমৃত মহোৎসব’ – এর সময়ে দেশের সঙ্কল্প পূরণ করার কাজে অংশ নিয়ে আপনি নতুন দিক-নির্দেশ দিতে পারেন ও নতুন প্রাণশক্তি সঞ্চার করতে পারেন। আপনারা ভালোভাবেই জানেন, অসমে জল সংরক্ষণ ও তার গুরুত্ব সম্পর্কে। এই লক্ষ্যে দেশ বর্তমানে অমৃত সরোবর অভিযান চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি জেলায় ৭৫টি অমৃত সরোবার নির্মাণের লক্ষ্যে দেশ কাজ করছে। আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে, অগ্রদূতের সাহায্যে অসমে এমন কোনও ব্যক্তি থাকবেন না, যিনি না এর সঙ্গে যুক্ত হবেন। প্রত্যেকের প্রয়াস এতে নতুন উৎসাহ যোগাবে। একইভাবে, অসমের স্থানীয় মানুষ ও আমাদের জনজাতি সমাজ স্বাধীনিতা সংগ্রামে বিপুল অবদান রেখেছে। সংবাদ মাধ্যম প্রতিষ্ঠান হিসাবে এই উজ্জ্বল অতীতের কথা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বড় ভূমিকা নিতে পারে। আমি নিশ্চিত যে, গত ৫০ বছর ধরে অগ্রদূত সমাজে এই ইতিবাচক প্রয়াসে প্রাণশক্তি সঞ্চার করার যে দায়িত্ব পালন করে আসছে, তা আগামী কয়েক দশক ধরে চলবে। এটি অসমের মানুষের উন্নয়ন ও অসমের সংস্কৃতির নেতা হিসাবে কাজ করে যাবে। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত, পূর্ণ ওয়াকিবহাল সমাজ। আসুন, একসঙ্গে কাজ করি। আমি আরও একবার এই সুবর্ণ যাত্রার জন্য এবং আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আপনাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দিতে ছিল",অগ্ৰদূত গ্ৰুপ অফ নিউজপেপাৰ্ছৰ সোণালী জয়ন্তী সমাৰোহৰ উদ্বোধন উপলক্ষে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পাঠ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%8F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F-2/,"নয়াদিল্লি, ০৭ মে, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী ২০২০-র জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন। তিনি বলেন, ২০২০-র এনইপি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সকলের জন্য শিক্ষার সুযোগ, সমন্বয় ও গুণমানের বিষয়গুলি নিশ্চিত করা হয়েছে। স্কুলছুট পড়ুয়াদের আবারও শিক্ষার মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা, উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভিন্ন স��য়ে কোনও পাঠক্রমে যুক্ত হওয়া অথবা পাঠক্রম থেকে বের হওয়ার সুযোগের মতো বিভিন্ন সংস্কারমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে, অমৃতকালে দেশের অগ্রগতি নিশ্চিত হবে। বিদ্যালয় শিক্ষা: প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় পাঠক্রমের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির বিষয়ে জানানো হয়। ন্যাশনাল স্টিয়ারিং কমিটির পরামর্শক্রমে এই ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে। বিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থায় শৈশবের শুরুতে বিশেষভাবে যত্ন নেওয়া এবং শিক্ষাকে আরও অর্থবহ করতে ‘বালবাটিকা’, নিপুণ ভারত, বিদ্যাপ্রদেশ, পরীক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার ছাড়াও শিল্পের মাধ্যমে বা খেলনার মাধ্যমে শিক্ষাদানের মতো বিভিন্ন উদ্ভাবনমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এর সাহায্যে শিশুদের সর্বাঙ্গীন বিকাশ ঘটবে এবং তারা আরও ভালোভাবে শিখতে পারবে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের যাতে অতিরিক্ত প্রযুক্তির ব্যবহার করতে না হয়, তার জন্য অনলাইন ও অফলাইন দুটি পদ্ধতিই অর্থাৎ হাইব্রিড শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি যে তথ্য ভান্ডার গড়ে তুলেছে, সেগুলিকে বিদ্যালয়ের তথ্য ভান্ডারের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে, যাতে শিশুরা যখন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বিদ্যালয়ে যাবে, তখন এইসব তথ্য বিদ্যালয়ের কাজে লাগানো যাবে। প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দক্ষতা বিকাশের জন্য দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি বিভিন্ন খেলনার সাহায্য নেওয়ার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মাধ্যমিক স্তরের যেসব বিদ্যালয়গুলিতে বিজ্ঞান গবেষণাগার রয়েছে, সেখানে স্থানীয় স্তরে কৃষকদের মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। উচ্চ শিক্ষায় বহু বিষয়ে একাধিক বিষয়ে পড়াশুনোর সুযোগ: বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভিন্ন সময়ে যুক্ত হওয়া এবং পাঠক্রম থেকে বের হওয়ার মতো নমনীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়। ছাত্রছাত্রীরা যাতে তাদের সুবিধা মতো পছন্দসই বিষয় নিয়ে পড়াশুনো করতে পারে, তার জন্য জীবনের বিভিন্ন সময়ে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ এবং ‘ডিজিলকার’ প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অফ ক্রেডিটের সূচনা করা হয়েছে। জীবনের যে কোনও সময়ে পড়াশুনো করার সুযোগ গড়ে তুলতে এবং শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যাতে ভাবনাচিন্তা করতে পারেন, সে সংক্রান্ত সুযোগের ব্যব���্থা করা হয়েছে। বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)- এর নীতি-নির্দেশিকা অনুসারে ছাত্রছাত্রীরা একই সঙ্গে দুটি শিক্ষামূলক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। ইউজিসি পাঠক্রমের পরিকাঠামো এবং স্নাতক স্তরে ক্রেডিট সিস্টেম ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে জাতীয় স্তরে উচ্চ শিক্ষার জন্য যোগ্যতা নির্ধারণের পরিকাঠামোর পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই পরিকাঠামোর পরিবর্তনটির বিষয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। বহুমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা: বিদ্যালয় স্তরে ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে অনলাইনে, মুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে এবং বহুবিধ শিক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এই উদ্যোগের ফলে কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে ছাত্রছাত্রীদের পঠন-পাঠনে যে ক্ষতি হয়েছে, সেই সমস্যার খানিকটা সুরাহা হবে। একই সঙ্গী, দেশের প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলে শিক্ষাকে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। স্বয়ম, দীক্ষা, স্বয়মপ্রভা, ভার্চ্যুয়াল ল্যাব সহ অন্যান্য অনলাইন ব্যবস্থাপনায় ছাত্রছাত্রীদের নিবন্ধীকরণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পোর্টালগুলি শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়বস্তু বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় তৈরি করছে। এছাড়াও, মূক ও বধির ছাত্রছাত্রীদের জন্য সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ এবং দৃষ্টিহীন ছাত্রছাত্রীদের জন্য রেকর্ড করা অডিও বিষয়বস্তুরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, ইউজিসি মুক্ত ও দূর শিক্ষা ব্যবস্থা এবং অনলাইন পঠন-পাঠনের বিশেষ সুযোগ এনেছে। ইতিমধ্যে ৫৯টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ৩৫১টি পাঠক্রম শুরু করেছে। ৮৬টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুক্ত দূর শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের ১ হাজার ৮১টি পাঠক্রমে যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। পাঠক্রমের বিষয়বস্তুর পরিমাণ অনলাইনে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উদ্ভাবন ও নতুন শিল্পোদ্যোগ: নতুন শিল্পোদ্যোগ বা স্টার্টআপ এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে ২৮টি রাজ্য ও ৬টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ২ হাজার ৭৭৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উদ্ভাবন পরিষদ বা ইনোভেশন কাউন্সিল গড়ে তোলা হয়েছে। দেশ জুড়ে গবেষণা, গবেষণায় উৎসাহদান এবং স্টার্টআপ গড়ে তোলার একটি সংস্কৃতি তৈরি করতে ২০২১ – এর ডিসেম্বরে এনইপি-র সঙ্গে সাযুজ্য রেখে অটল র্যা ঙ্কিং অফ ইন্সটিটিউশনস্ অন ইনোভেশন অ্যাচিভমেন্ট – এর সূচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উদ্ভাবনমূলক কাজে উৎসাহ দানের জন্যই এই কর্মসূচির সূচনা। ১ হাজার ৪৩৮টি প্রতিষ্ঠান এই কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছে। বিভিন্ন উদ্ভাবনকে শিল্প সংস্থায় প্রয়োগ করতে এআইসিটিই ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। এর মাধ্যমে ঐসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রচলিত পড়াশুনোর পাশাপাশি, পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে গবেষণাগার গড়ে তোলা হয়েছে। ভারতীয় ভাষাগুলির মাধ্যমে শিক্ষায় উৎসাহদান: পড়ুয়ারা ইংরাজী না জানার ফলে যাতে তাদের পড়াশুনায় কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভিন্ন ভাষায় শিক্ষাদানের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলি প্রাথমিক স্তরে দুটি বা তিনটি ভাষায় পাঠ্য-পুস্তক তৈরি করছে। দীক্ষা প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশুনোর জন্য ৩৩টি ভারতীয় ভাষায় বিষয়বস্তু তৈরি করা হয়েছে। জাতীয় স্তরে মুক্ত বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনায় মাধ্যমিকে ভারতীয় সাইন ল্যাঙ্গুয়েজকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি ১৩টি ভাষায় জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা নিচ্ছে। এআইসিটিই কৃত্রিম মেধাযুক্ত একটি অনুবাদক অ্যাপ তৈরি করেছে। এই অ্যাপে বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় স্টাডি মেটেরিয়ালগুলি অনুবাদ করা সম্ভব। কারিগরি পাঠক্রমগুলির জন্য যে বই লেখা হয়, সেগুলি বাংলা, হিন্দি, মারাঠী, তামিল, তেলেগু ও কন্নড় ভাষায় লেখা হচ্ছে। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের ১০টি রাজ্যে ১৯টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৬টি ভারতীয় ভাষায় পাঠদান শুরু হয়েছে। আঞ্চলিক ভাষায় পড়াশুনার জন্য ৩০-৬০টি অতিরিক্ত আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এআইসিটিই মোট ছাত্রছাত্রীদের ৫০ শতাংশ যাতে আঞ্চলিক ভাষায় পড়াশুনোর সুযোগ পায়, তার ব্যবস্থা করেছে। ২০২০-র এনইপি অনুযায়ী, ভারতীয় পদ্ধতিতে শিক্ষাদানে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এআইসিটিই-তে এ বিষয়ে একটি বিশেষ সেল তৈরি হয়েছে। এছাড়াও, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১৩টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ভারতীয় পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বৈঠকে শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন ও শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, দক্ষতা উন্নয়ন ও শিল্পোদ্যোগ প্রতিমন্ত্রী শ্রী রাজীব চন্দ্রশেখর, শিক্ষা মন্ত্রকের তিন প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার,শ্রীমতী অন্নপূর্ণা দেবী এবং শ্রী রাজকুমার রঞ্জন সিং, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব উপদেষ্ট��, ক্যাবিনেট সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, এআইসিটিই এবং এনসিভিইটি-র চেয়ারম্যান, এনসিইআরটি’র নির্দেশক এবং শিক্ষা মন্ত্রকের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ৰাষ্ট্ৰীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ৰূপায়ণৰ অগ্ৰগতি পৰ্যালোচনা কৰিবলৈ এক উচ্চ পৰ্যায়ৰ বৈঠকত সভাপতিত্ব কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%AC/,"ভারত ও কলম্বিয়ার মধ্যে বিনিয়োগের প্রসার ও সুরক্ষা সম্পর্কিত যেচুক্তিটি ২০০৯-এর ১০ নভেম্বর তারিখে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, সেটি সম্পর্কে একটি পৃথক যৌথঘোষণাপত্র স্বাক্ষরের প্রস্তাবে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আজ এখানে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এই অনুমোদনদানেরসিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সহযোগিতা চুক্তিটি সম্পর্কে দু’দেশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয়ব্যাখ্যা ও ঘোষণার মাধ্যমে যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় আরও সুস্পষ্ট করে তোলা হবে।বিনিয়োগের প্রসার ও সুরক্ষা ক্ষেত্রে এই ঘোষণাপত্রের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে বলে মনেকরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। /",ভাৰত আৰু কলম্বিয়াৰ মাজত বিনিয়োগৰ প্রসাৰ আৰু সুৰক্ষা সন্দৰ্ভত ২০০৯ৰ ১০ নৱেম্বৰত স্বাক্ষৰিত চুক্তিৰ যৌথ ঘোষণাপত্রৰ ব্যাখ্যাৰ প্রস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%8F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%B9%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার (২৪ অক্টোবর) নতুন দিল্লীতে ‘ম্যায় নেহি হম’ পোর্টাল এবং একটি অ্যাপের সূচনা করেন। ‘সেল্ফফর সোসাইটি’ তথা সমাজের জন্য আমি’র ভাবনাভিত্তিক ‘ম্যায় নেহি হম’পোর্টালটি তথ্যপ্রযুক্তি পেশাদার এবং সংগঠনগুলিকে সামাজিক সমস্যা ও সমাজ সেবার স্বার্থে নিজেদের প্রয়াসগুলিকে এক মঞ্চে নিয়ে আসতে সাহায্য করবে। আশা করা হচ্ছে, এই ধরনের কাজকর্ম সম্পাদনের মধ্যে দিয়ে সমাজের দুর্বলতর শ্রেণীর মানুষের সেবার লক্ষ্যে প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধাগুলিকে কাজে লাগিয়ে আরও সহযোগিতা গড়ে তুলতে পোর্টালটি সাহায্য করবে। সামাজিক কল্যাণের স্বার্থে ���াজ করতে উৎসাহী মানুষের অংশগ্রহণ বাড়িয়ে তুলতেও পোর্টালটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই উপলক্ষে, তথ্যপ্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিন উপকরণ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত পেশাদার, শিল্পপতি এবং প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যে অন্যের জন্য কাজ করতে, সমাজের সেবা করতে এবং ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে চায়, সে ব্যাপারে তাঁর পূর্ণ আস্হা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মত বিনিময়কারিদের মধ্যে ভারতের অগ্রণী তথ্যপ্রযুক্তি সংস্হার তরুন পেশাদাররা ছাড়াও শ্রী আনন্দ মহিন্দ্রা, শ্রীমতি সুধা মূর্তি প্রমুখ ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি প্রয়াস তা বড় বা ছোট যাই হোক না কেন, সর্বদাই তার ওপর সমান গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, সরকারের প্রকল্প ও বাজেট থাকতে পারে, কিন্তু যে কোনও উদ্যোগের সাফল্য সাধারণ মানুষের সামিল হওয়ার মধ্যে নিহিত রয়েছে। অন্যের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে কিভাবে আমরা আমাদের ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারি, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করার প্রয়োজন রয়েছে বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি লক্ষ্য করেছেন ভারতের যুব সম্প্রদায় প্রযুক্তির ক্ষমতাকে অত্যন্ত কার্যকর উপায়ে সদ্ব্যবহার করছেন। এরা কেবল নিজেদের স্বার্থেই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছেন না, বরং অন্যদের স্বার্থেও তা কাজে লাগাচ্ছেন। তিনি এ ধরনের প্রচেষ্টাকে অসাধারণ দৃষ্টান্ত হিসেবে বর্ণনা করেন। সামাজিক ক্ষেত্রে একাধিক স্টার্ট-আপ রয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তরুণ সামাজিক শিল্পোদ্যোগীদের সাফল্য কামনা করেন। একাধিক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের নির্ধারিত কাজকর্ম সম্পাদনের বাইরে বেরিয়ে এসে অভিনব কিছু করা এখন অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। এখনও অনেক কিছু জানার ও আবিষ্কারের বাকি রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত পেশাদাররা বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্ম বিশেষ করে, দক্ষতা প্রদান ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাদের প্রয়াসের কথা প্রধানমন্ত্রী সামনে তুলে ধরেন। এক প্রশ্নের জবাবে শ্রী মোদী বলেন, স্বচ্ছ ভারত মিশনের প্রতীক বাপুর চশমা, বাপুই এই মিশনের অনুপ্রেরণা এবং আমরা সকলেই বাপুর স্বপ্নপূরণের লক্ষে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় যখন ‘সরকার’ কিছুই করতে পার���না, তখন তাকে ‘সংস্কারের’ মাধ্যমে তা করে দেখাতে হয়। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাকে জীবনযাপনের অঙ্গ করে তোলার জন্যও তিনি আহ্বান জানান। জল সংরক্ষণের গুরুত্ব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জল সংরক্ষণের বিষয়ে জানতে-বুঝতে হলে মানুষকে গুজরাটের পোরবন্দরে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর বাড়ি দেখতে হবে। আমাদের জল সংরক্ষণের পাশাপাশি জলের পুনর্ব্যবহারেরও প্রয়োজন। কঠোর পরিশ্রমী কৃষকদের আমি ‘বিন্দু বিন্দু জলসেচ’ পদ্ধতি গ্রহনের আবেদন জানাচ্ছি। শ্রী মোদী বলেন, স্বেচ্ছা-প্রয়াসের মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রের উন্নতিতে অনেক কিছু করা যেতে পারে। এ ধরনের উদ্যোগে যুব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে এবং কৃষক সমাজের কল্যাণে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বহু সংখ্যক মানুষ কর প্রদান করছেন, কারন তাদের মনে বিশ্বাস রয়েছে যে করের টাকা যথাথয ব্যবহার হচ্ছে এবং মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের যুব সম্প্রদায়ের মেধাকে কাজে লাগিয়ে ভারত স্টার্ট-আপ ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করছে। গ্রামীণ ডিজিটাল শিল্পোদ্যোগী গড়ে তোলার কাজে যুক্ত একটি দলের প্রশ্নের জবাবে শ্রী মোদী বলেন, এমন এক ভারতবর্ষ গড়ে তোলা প্রয়োজেন যেখানে সকলের সমান সুযোগ-সুবিধা থাকবে। তিনি বলেন, সামাজিক কাজ করা প্রত্যেকের কাছেই একটি গর্বের বিষয়। ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পক্ষেত্রকে নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার প্রবণতায় অসম্মতি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মতবিনিময় কর্মসূচি সামাজিক ক্ষেত্রে অগ্রণী কর্পোরেট সংস্হাগুলি কি ধরনের কাজ করছে তা তুলে ধরেছে। তিনি কর্পোরেট সংস্হাগুলির কর্মীদের সাধারণ মানুষের সেবা করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। /",‘ম্যে নহী হম’ পোর্টেল আৰু এপ উদ্বোধন উপলক্ষে তথ্যপ্ৰযুক্তি তথা বৈদ্যুতিক সা-সামগ্ৰী নির্মাণৰ সৈতে জড়িত বৃত্তিধাৰীসকলৰে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ বাৰ্তালাপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AB%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AE%E0%A7%83/,"নয়াদিল্লি, ২৪ অগাস্ট, ২০২২ অমৃতা হাসপাতাল রূপে আমাদের সবাইকে আশীর্বাদধন্য করে তোলা মা অমৃতানন্দময়ীজী-কে প্রণাম জানাই। স্বামী অমৃতাস্বরূপানন্দ পুরীজী, হরিয়ানার মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী বন্দারু দত্তাত্রেয়জী, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মনোহরলালজী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহযোগী শ্রী কৃষ্ণপালজী, হরিয়ানার উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দুষ্মন্ত চৌটালাজী, উপস্থিত অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, কিছুদিন আগেই দেশ একটি নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে স্বাধীনতার অমৃতকালে প্রবেশ করেছে। আমাদের এই অমৃতকালে দেশের সামগ্রিক প্রচেষ্টাগুলি প্রতিষ্ঠিত রূপ নিচ্ছে। দেশের সামগ্রিক ভাবনা জাগ্রত হচ্ছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, অমৃতকালের এই প্রথম বেলায় দেশ মা অমৃতানন্দময়ীর আশীর্বাদধন্য হচ্ছে। ফরিদাবাদে আজ অমৃতা হাসপাতাল রূপে আরোগ্যের এত বড় প্রতিষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন হচ্ছে। এই হাসপাতাল ভবনের আকারের দিক থেকে, প্রযুক্তি দিক থেকে যতটা আধুনিক, পরিষেবা, সংবেদনা এবং আধ্যাত্মিক চেতনার নিরিখে ততটাই অলৌকিক। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আধুনিকতা এবং আধ্যাত্মিকতার এই অদ্ভুত সঙ্গম গরীব ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার, তাঁদের জন্য সুলভে কার্যকর চিকিৎসার মাধ্যম হয়ে উঠবে। আমি এই অভিনব কাজের জন্য, সেবার এত বড় মহাযজ্ঞের জন্য পূজনীয় আম্মার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। স্নেহত্তিন্ডে, কারুণ্যত্তিন্ডে, সেওয়নত্তিন্ডে, ত্যাগত্তিন্ডে, পর্যায়মাণ আম্মা। মাতা অমৃতানন্দময়ী দেবী, ভারত্তিন্ডে মহত্তায়, আধ্যাত্মিক পারম্পর্যত্তিন্ডে, নেরওকাশিয়াণ। অর্থাৎ – আম্মা, প্রেম, করুণা, সেবা ও ত্যাগের প্রতিমূর্তি। তিনি ভারতের আধ্যাত্মিক পরম্পরার বাহক। আমাদের শাস্ত্রে বলা হয়েছে – অয়ং নিজঃ পরো ভেতি গণনা, লঘুচেতসাম্‌। উদারচরিতানাং তু বসুধৈব কুটুম্বকম্‌।। এত্র মহা উপনিষদ আশয়মাণ, অম্মইউডে, জীবিতা সন্দেশম। অর্থাৎ – আম্মার জীবনবার্তার সঙ্গে আমরা মহা উপনিষদের বিশ্বকে আত্মীয় করে নেওয়ার ভাবনার মিল দেখতে পাই। আমি মঠের সঙ্গে যুক্ত সাধু-সন্ন্যাসীদের, ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত সকল সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে, সংশ্লিষ্ট সকল চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী ও অন্যান্য কর্মী বন্ধুদেরও আজকের এই পবিত্র অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। বন্ধুগণ, আমরা বারবার শুনেছি, ন ত্বহম্‌ কাময়ে রাজ্যম্‌, ন চ স্বর্গ সুখানি চ। কাময়ে দুঃখ তপ্তানাম, প্রাণিনাম্‌ আর্তি নাশনম্‌।। অর্থাৎ – আমাদের মনে রাজ্য লাভের কোনও কামনা নেই, স্বর্গ সুখের কোনও ইচ্ছে নেই। আমাদের কামনা হ’ল, আমরা ��াতে গরীব-দুঃখীদের, রোগীদের পীড়া দূর করার সৌভাগ্য অর্জন করি। যে সমাজের ভাবনা এরকম, যে সমাজের শিষ্টাচার এরকম, সেখানে সেবা ও চিকিৎসা সমাজের চেতনাতেই পর্যবসিত হয়। সেজন্য ভারত এমন একটি দেশ, যেখানে চিকিৎসা একটি সেবাকর্ম এবং আরোগ্য একটি দান, যেখানে আরোগ্য ও আধ্যাত্ম উভয়েই পরস্পরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। আমাদের দেশে আয়ুর্বিজ্ঞান একটি স্বতন্ত্র বেদ। আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানকেই আয়ুর্বেদ নাম দেয়েছি। আমরা আয়ুর্বেদের সবচেয়ে মহান বিদ্বানদের, সবচেয়ে মহান বৈজ্ঞানিকদের, ঋষি ও মহর্ষির স্থান দিয়েছি। এর মাধ্যমে তাঁদের উপর আমাদের পারমার্থিক আস্থা ব্যক্ত করেছি। মহর্ষি চরক, মহর্ষি শুশ্রুত, মহর্ষি বাগভট্ট এমন কতই না উদাহরণ রয়েছে, যাঁদের জ্ঞান ও স্থান আজ ভারতীয় মানসে অমরত্ব লাভ করেছে। ভাই ও বোনেরা, ভারত তার এই শিষ্টাচার ও দর্শনকে অনেক শতাব্দীর দাসত্ব ও অন্ধকার সময়েও কখনও কোনোভাবে লুপ্ত হতে দেয়নি। একে সযত্নে সংরক্ষণ করে রেখেছে। আজ দেশে আমাদের সেই আধ্যাত্মিক সামর্থ্য আরেকবার শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আমাদের মহান আদর্শগুলির প্রাণশক্তি আরেকবার বলবান হয়ে উঠছে। পূজনীয় আম্মা ভারতের এই পুনর্জাগরণের একজন গুরুত্বপূর্ণ বাহক রূপে দেশ ও বিশ্বকে অনুভব করেছেন। তাঁর সংকল্প এবং প্রকল্পগুলি, সেবার এতগুলি বিশাল প্রতিষ্ঠান রূপে আজ আমাদের সামনে রয়েছে। সমাজ জীবনের সঙ্গে যুক্ত এরকম যত ক্ষেত্র রয়েছে, পূজনীয় আম্মান বাৎসল্য, তাঁর করুণা আমরা সব জায়গায় দেখতে পাই। তাঁর মঠ আজ হাজার হাজার শিশুকে ছাত্র বৃত্তি প্রদান করছে। লক্ষ লক্ষ মহিলাকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমে ক্ষমতায়িত করে তুলছে। আপনার সবাই তাঁর মঠের এই ঐতিহ্য অনুসারে স্বচ্ছ ভারত অভিযানেও দেশের জন্য অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন। স্বচ্ছ ভারত তহবিলে আপনাদের প্রদত্ত বহুমূল্য অবদানের সাহায্যে গঙ্গার পারে বসবাসকারী বেশ কিছু এলাকায় অনেক পরিচ্ছন্নতা অভিযান সংগঠিত হয়েছে। এর ফলে, নমামি গঙ্গে অভিযানেও আপনারা অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন। পূজনীয় আম্মার প্রতি গোটা বিশ্বে অনেক মানুষের মনে শ্রদ্ধাভাব রয়েছে। কিন্তু, আমি একজন ভাগ্যবান ব্যক্তি। বিগত অনেক দশক ধরে আমি ক্রমাগত আম্মার স্নেহ, পূজনীয় আম্মার আশীর্বাদের পরশ নিয়মিত পেয়েছি। আমি তাঁর সরল মন ও মাতৃভূমির প্রতি বিশাল দূরদৃষ্টিকে অনুভব করেছি। আর সেজন্য আমি এটা বলতে পারি যে, দেশে এহেন উদার এবং মানবতার প্রতি সমর্পিত আধ্যাত্মিক সত্ত্বা থাকে, তার উৎকর্ষ ও উত্থান সুনিশ্চিতভাবে হয়। বন্ধুগণ, আমাদের ধার্মিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে শিক্ষা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত দায়িত্বগুলি পালনের এই ব্যবস্থা একরকমভাবে আমাদের প্রাচীনকালের পিপিপি মডেল। একে তো পাবলিক-প্রাইভেট পার্টানারশিপ বলাই হয়। কিন্তু, আমি একে ‘পারস্পরিক প্রচেষ্টা’ রূপেও দেখি। দেশ নিজস্ব স্তরে বিভিন্ন ব্যবস্থা রচনা করে, পাশাপাশি বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ক্ষেত্রেও নিজস্ব ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আমাদের দেশে এর পাশাপাশি, ধার্মিক প্রতিষ্ঠানগুলিও একেকটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে। আজ দেশবাসীও এই চেষ্টা করছেন, যাতে সরকার সম্পূর্ণ নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে মিশন মোডে দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রের পুনর্নবীকরণ করবে। সেজন্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলিকেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি ক্ষেত্রের পাশাপাশি, অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কার্যকর পিপিপি মডেল রচনা করা হচ্ছে। আমি এই মঞ্চ থেকে আহ্বান জানাই, অমৃতা হাসপাতালের এই প্রকল্প দেশের অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানের জন্যও একটি আদর্শ স্থাপন করবে, আদর্শ নিয়ে চলার মাধ্যমে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। আমাদের অন্যান্য বেশ কিছু ধার্মিক প্রতিষ্ঠানও এ ধরনের অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে ও অন্যান্য অনেক সংকল্প নিয়ে কাজ করছে। আমাদের বেসরকারি ক্ষেত্র পিপিপি মডেলের পাশাপাশি, স্পিরিচ্যুয়াল প্রাইভেট পার্টনারশিপকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে অর্থ যোগানের মাধ্যমে সাহায্য করতে পারে। বন্ধুগণ, সমাজের প্রত্যেক শ্রেণী, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান, প্রতিটি ক্ষেত্রের প্রচেষ্টার সুফল যে পাওয়া যায়, তা আমরা করোনার কঠিন সময়েও দেখেছি। এক্ষেত্রে যত স্পিরিচ্যুয়াল প্রাইভেট পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছে, আজ আমি সেগুলি সম্পর্কে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, ভারত যখন নিজস্ব টিকা তৈরি করেছিল, তখন কিছু মানুষ কিভাবে এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার চেষ্টা করেছিল। এই অপপ্রচারের কারণেই সমাজে অনেক ধরনের গুজব ছড়াতে শুরু করে। কিন্তু, যখন এই সমাজের ধর্মগুরু ও অধ্যাত্মিক গুরুরা একসঙ্গে মিলিত হয়ে জনগণকে ঐসব গুজবে কান দিতে মানা করেন, তখন এর দ্রুত প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। ভারতকে সেরকম টিকাকরণ নিয়ে দ���বিধার সম্মুখীন হতে হয়নি – যেমনটি অন্যান্য অনেক দেশে দেখা গেছে। আজ ‘সবাক প্রয়াস’ – এর এই ভাবনাই ভারতকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকাকরণ কর্মসূচি সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শক্তি যুগিয়েছে। বন্ধুগণ, এবার স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার প্রাকার থেকে আমি অমৃত কালের পঞ্চপ্রাণের একটি দূরদৃষ্টি দেশের সামনে রেখেছি। এই পঞ্চপ্রাণের একটি হ’ল – সম্পূর্ণভাবে দাসত্বের মানসিকতাকে ত্যাগ করা। এই সময় দেশে এই বিষয়টি নিয়ে খুব আলাপ-আলোচনা চলছে। আমরা যখন এই মানসিকতা ত্যাগ করি, তখন আমাদের কর্মধারার দিশা পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তন আজ দেশের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থায়ও পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখন আমরা নিজেদের পারম্পরিক জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার উপরও ভরসা করতে পারছি। এগুলির মাধ্যমে বিশ্ববাসীকেও উপকৃত করতে পারছি। আমাদের আয়ুর্বেদ, আমাদের যোগ আজ সারা পৃথিবীতে একটি বিশ্বস্ত চিকিৎসা পদ্ধতি রূপে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ভারতের এই প্রস্তাব নিয়ে আগামী বছর গোটা বিশ্ব ইন্টারন্যাশনাল মিলেট ইয়ার পালন করতে চলেছে। মোটা ধান, মোটা শস্য; আমি আশা করি যে আপনারা সবাই এই অভিযানকেও এভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাবেন। নিজেদের প্রাণশক্তিতে সমৃদ্ধ করে তুলবেন। বন্ধুগণ, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিষেবার সীমা শুধু হাসপাতাল, ওষুধপত্র ও চিকিৎসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। সেবার সঙ্গে যুক্ত এরকম অনেক কাজ থাকে, যা সুস্থ সমাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। উদাহরণ-স্বরূপ আমি বলতে পারি, পরিশ্রুত এবং বিশুদ্ধ জল যেন দেশের প্রত্যেক সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় – এটাও তেমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের দেশে না জানি কত অসুখ শুধু দূষিত জলের কারণেই সৃষ্টি হয়। সেজন্য দেশবাসী তিন বছর আগেই জল জীবন মিশনের মতো দেশব্যাপী অভিযানের সূত্রপাত করেছিল। এই তিন বছরে দেশের ৭ কোটি নতুন গ্রামীণ পরিবারের রান্নাঘরের নল বাহিত জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমি বলতে চাই, এই অভিযানে হরিয়ানা সরকার বিশেষভাবে কার্যকরি পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি এ বিষয়ে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই, হরিয়ানা আজ দেশের সেই অগ্রণী রাজ্যগুলির অন্যতম, যেখানে বাড়ি বাড়ি নল বাহিত জল পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে। এভাবেই ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ অভিযানেও হরিয়ানার জনগণ খুব ভালো কাজ করেছে। ফিটনেস এবং ক্রীড়া নৈপুণ্য – এই দুটি বিষয় তো হরিয়ানার শিরা-ধমনীতে প্রবাহিত। এগুলি হরিয়ানার মাটির সম্পদ। এখানকার শিষ্টাচারের অঙ্গ। তাই, এই রাজ্যের তরুণ-তরুণীরা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ক্ষেত্রে আমাদের ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকার মর্যাদা বৃদ্ধি করছে। এই গতিতেই আমাদের দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও কম সময়ে অনেক বড় বড় সাফল্য অর্জন করতে হবে। আমাদের সামাজিক সংগঠনগুলিও এক্ষেত্রে অনেক বড় অবদান রাখতে পারে। বন্ধুগণ, প্রকৃত উন্নয়ন সেটাই, যেটা সবার কাছে পৌঁছায়, যার দ্বারা সবাই লাভবান হন। কঠিন রোগগুলির চিকিৎসাকে সকলের জন্য সুলভ করে তোলার এই ভাবনা অমৃতা হাসপাতালেরও ভাবনা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যে সেবার মনোভাব নিয়ে আপনারা এই অমৃতা সংকল্পকে হরিয়ানা ও দিল্লির এনসিআর – এর লক্ষ লক্ষ পরিবারকে আয়ুষ্মান করে তুলবে। আরেকবার পূজনীয় আম্মার শ্রীচরণে আমি প্রণাম জানাই। আপনাদের সকলকে হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানিয়ে অনেক অনেক শুভকামনা, অনেক অনেক ধন্যবাদ।",হাৰিয়ানাৰ ফৰিদাবাদৰ অমৃতা চিকিৎসালয়ৰ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পূৰ্ণ পাঠ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7/,"নয়াদিল্লি, ০৪ অক্টোবর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সংস্কৃত ভাষায় ক্রিকেটের ধারাবিবরণী দেওয়ার যে প্রচেষ্টা নাগরিকরা চালিয়েছেন, তার প্রশংসা করেছেন। তিনি তাঁর মন কি বাত – এর একটি অংশ ভাগ করে নিয়েছেন, যাতে কাশীতে এই একই ধরনের প্রচেষ্টা চালানোর কথা বলা হয়েছে। দেশের একজন নাগরিকের ট্যুইটকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি দেখতে পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। যাঁরা এই চেষ্টা চালিয়েছেন, তাঁদের অভিন্দনন। গত বছরে আমার #MannKiBaat অনুষ্ঠানে আমি কাশীর এ ধরনের একটি ঘটনার কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলাম। আজও তা ভাগ করে নিচ্ছি। https://t.co/bEmz0u4XvO”",সংস্কৃতত ক্ৰিকেট ধাৰাভাষ্য প্ৰদানৰ প্ৰচেষ্টাৰ শলাগ প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A7%8C%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%B1%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4/,"ক্রমিক সংখ্যা চুক্তি/সমঝোতাপত্রের বিষয় ভারতের পক্ষে নথিপত্র বিনিময়কারী সৌদি আরবের পক্ষে নথিপত্র বিনিময়কারী ১ জাতীয় বিনিয়োগ ও পরিক���ঠামো তহবিলে লগ্নির জন্য ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে সমঝোতাপত্র। বিদেশ মন্ত্রী শ্রীমতী সুষমা স্বরাজ শক্তি, শিল্প ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ্‌ ২ কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক ও সৌদি আরবের পর্যটন ও জাতীয় ঐতিহ্য বিষয়ক কমিশনের মধ্যে পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতাপত্র। বিদেশ মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চলীয় বিষয়ক সচিব শ্রী টি এস তিরুমূর্তি বিদেশ প্রতিমন্ত্রী আদেল আল জুবের ৩ আবাসন ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে সমঝোতাপত্র। সৌদি আরবে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত শ্রী আহমেদ জাভেদ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রী মজিদ বিন আব্দুল্লা আল কোয়াসাবি ৪ দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে ভারতে ইনভেস্ট ইন্ডিয়া এবং সৌদি আরবের জেনারেল ইনভেস্টমেন্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে কাঠামোগত সহযোগিতা কর্মসূচি। সৌদি আরবে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত শ্রী আহমেদ জাভেদ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রী মজিদ বিন আব্দুল্লা আল কোয়াসাবি ৫ ভারতের প্রসার ভারতী এবং সৌদি আরবের সৌদি ব্রডকাস্টিং নিগমের মধ্যে অডিও ভিজ্যুয়াল অনুষ্ঠান আদান-প্রদানে সহযোগিতা গড়ে তুলতে সমঝোতাপত্র। সৌদি আরবে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত শ্রী আহমেদ জাভেদ গণমাধ্যম বিষয়ক মন্ত্রী তুর্কি আব্দুল্লা আল শাবানা এছাড়াও, সৌদি আরব আন্তর্জাতিক সৌরজোট সংক্রান্ত ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।",ছৌদি আৰৱৰ ৰাজকুমাৰৰ ভাৰত ভ্ৰমণৰ সময়চোৱাত স্বাক্ষৰিত হোৱা বুজাবুজিৰ চুক্তি/চুক্তিসমূহৰ তালিকা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A7%B1%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A7%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%AD%E0%A7%87/,"নয়াদিল্লী, ১ নভেম্বর, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কেরলের প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন ; “কেরল পিরাভি দিবসে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা। কেরল তার মনোরম পরিবেশ এবং এখানকার জনগণের পরিশ্রমী স্বভাবের জন্য সুপরিচিত। কেরলের জনগণ তাদের বিভিন্ন প্রচেষ্টায় সফল হোক।”",কেৰালা পিৰাৱী দিৱসৰ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%9A%E0%A6%BF-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AD%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A7%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%9A/,"কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত শ্রী কুচি লেভা প্যাটেল সমাজের রজত জয়ন্তীঅনুষ্ঠানে নয়াদিল্লি থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী। পূর্ব আফ্রিকার উন্নয়ন সহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পে কুচি লেভা প্যাটেলসমাজের বিশেষ অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। কেনিয়ার স্বাধীনতাসংগ্রামে ভারতীয় সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও তিনি তুলে ধরেন তাঁরএদিনের ভাষণে। দেশের সার্বিক বিকাশ প্রচেষ্টায় বিশেষত, ২০০১-এ কচ্ছ-এর ভূকম্প পরবর্তীপর্যায়ে সেখানে পুনর্গঠন এবং পুনর্বাসন সংক্রান্ত কাজকর্মে কুচি সমাজের অবদানেরকথাও উল্লেখ করেন শ্রী মোদী। তিনি বলেন, কচ্ছকে একসময় মরু অঞ্চল বলে বর্ণনা করাহত। কিন্তু তা এখন একটি অন্যতম প্রধান পর্যটন গন্তব্য রূপে সকলের কাছে আকর্ষণীয়হয়ে উঠেছে। তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নর্মদার জলকে কচ্ছ-এর দূরদূরান্তএলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কাজে তাঁর সরকার যে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়েছিল, তার কথাওএদিন উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বিকাশ প্রচেষ্টায় রাজ্য এবং কেন্দ্র উভয়েই যে এক দ্বৈতচালিকাশক্তির ভূমিকা পালন করে চলেছে একথার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত কয়েকবছরে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে এই অঞ্চলের উন্নয়নে। কচ্ছ ওজামনগরের মধ্যে প্রস্তাবিত রোরো পরিষেবা চালুর বিষয়টি সম্পর্কেও তিনি সমবেত জনসাধারণকেঅবহিত করেন। তিনি বিশেষ জোর দিয়ে বলেন যে ভারত এবং আফ্রিকার দেশগুলির সহযোগিতা ক্রমশনিবিড়তর হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিককালে, ভারত-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলন এবং আফ্রিকা উন্নয়নব্যাঙ্কের একটি বৈঠক যে ভারতেই অনুষ্ঠিত হয়েছে একথারও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীবলেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি স্বয়ং ২০বারেরও বেশি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ সফর করে এসেছেন। বর্তমান সরকারের আমলেই এই ঘটনাঘটেছে বলে তিনি প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাষণদানকালে সমবেত জনসাধারণের উদ্দেশেআমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ২০১৯-এর জানুয়ারি মাসে কুম্ভ মেলা উপলক্ষেতাঁরা ভারত সফরে আসতে পারেন। যাঁরা এযাবৎকাল এ দেশ সফর করেননি, ভ��রতের সাংস্কৃতিকতথা আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য সম্পর্কে এক বিশেষ অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ ঘটবে তাঁদের। শ্রী কুচি লেভা প্যাটেল সমাজের নাইরোবি ওয়েস্ট কমপ্লেক্সের রজত জয়ন্তীঅনুষ্ঠানের জন্য সমবেত জনতাকে অভিনন্দিত করেন প্রধানমন্ত্রী।",কেনিয়াৰ নাইৰোবিত শ্ৰী কচি লেভা পেটেল সমাজৰ ৰূপালী জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানত ভিডিঅ’ কনফাৰেন্সযোগে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-10/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%A4-%E0%A7%A9%E0%A7%AC%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লি, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ৩৬তম জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সূচনা করেছেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি দেসার-এ আন্তর্জাতিক মানের ‘স্বর্ণিম গুজরাট ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়’-এর উদ্বোধন করেন এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা খেলোয়াড়দের উদ্দেশে ভাষণ দেন। উপস্থিত খেলোয়াড়দের প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সকলের মধ্যে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সাত হাজারের বেশি খেলোয়াড়, ১৫ হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারী দেশের ৩৫ হাজারেরও বেশি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্কুল থেকে এসেছেন। এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে ৫০ লক্ষের বেশি ছাত্রছাত্রী যুক্ত হয়েছেন যা অনবদ্য। “পৃথিবীর বৃহত্তম স্টেডিয়ামে বিশ্বের তরুণ এক রাষ্ট্রের সবথেকে বড় ক্রীড়া উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে! যখন কোনো অনুষ্ঠান এত সুন্দরভাবে আয়োজন করা হয়, তখন তার ফলাফল অভূতপূর্ব হতে বাধ্য।” তিনি এই প্রসঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য সঙ্গীত ‘জুড়েগা ইন্ডিয়া – জিতেগা ইন্ডিয়া’ থেকে কয়েকটি অংশ উদ্ধৃত করেন। স্টেডিয়ামে উপস্থিত সকলে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপস্থিত ক্রীড়াবিদদের মধ্যে যে আস্থা প্রতিফলিত হচ্ছে তা আগামীদিনে ভারতীয় ক্রীড়া জগতকে যে সুবর্ণ যুগে পৌঁছে দেবে, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। স্বল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের একটি বড় ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য শ্রী মোদী গুজরাটবাসীর প্রশংসা করেন। আমেদাবাদে গতকাল যে ড্রোন প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল তার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রদর্শন��� সকলকে গর্বিত করেছে। “ড্রোনের মতো প্রযুক্তির এ ধরনের যথাযথ ব্যবহার গুজরাট এবং ভারতকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।” ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ম্যাসকট এশীয় সিংহ ‘সাওয়াজ’-এর মধ্য দিয়ে ভারতীয় যুব সম্প্রদায়ের নির্ভীক মানসিকতায় অংশগ্রহণের মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের উত্থানও অনুভূত হচ্ছে। এই স্টেডিয়ামের বৈশিষ্ট্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য কমপ্লেক্সে কয়েকটি মাত্র খেলার সুযোগ থাকে কিন্তু, সর্দার প্যাটেল স্পোর্টর্স কমপ্লেক্সে ফুটবল, হকি, বাস্কেটবল, কাবাডি, বক্সিং এবং লন টেনিস সহ বিভিন্ন খেলার সুযোগ রয়েছে। “এক কথায় বলা যায়, এটি সারা দেশের কাছে আদর্শ হয়ে উঠেছে। যখন উন্নতমানের পরিকাঠামো নিশ্চিত করা হয় তখন খেলোয়াড়দের মনোবল তুঙ্গে ওঠে।” জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের নবরাত্রি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই উৎসব মা দুর্গার আরাধনার মধ্যে আর সীমাবদ্ধ নেই। এখানে গরবা-র মতো আনন্দঘন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া যায়। “এই উৎসবের নিজস্বতা রয়েছে।” শ্রী মোদী জাতীয় জীবনে খেলাধূলার গুরুত্বের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেন। “ক্রীড়াক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের জয়লাভ এবং তাঁদের অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্য অন্যান্য ক্ষেত্রেও দেশকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। ক্রীড়া জগতের সুপ্ত শক্তি দেশের পরিচিতি এবং ভাবমূর্তিকে বহুগুণ বৃদ্ধি করে।” তিনি বলেন, “আমি ক্রীড়া জগতের সঙ্গে যুক্ত আমার বন্ধুদের সব সময়েই বলে থাকি, চেষ্টার মধ্য দিয়ে সাফল্যের সূচনা হয়। যে মুহূর্ত থেকে আপনি লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাবেন, তখন থেকেই সাফল্যও সূচিত হবে। আপনি যদি এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতাকে পরিত্যাগ না করেন তাহলে জয়লাভ নিশ্চিত।” গত আট বছর ধরে খেলাধুলা জগতের অগ্রগতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে ভারত একশোরও কম আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করত, আর এখন এই সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। “আট বছর আগে ভারতের খেলোয়াড়রা ২০-২৫ রকমের খেলায় অংশগ্রহণ করতেন, আর এখন প্রায় ৪০ রকমের খেলায় ভারতীয় খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করেন। ফলে, ভারতের পদক জয়ের সংখ্যাও বাড়ছে।” করোনার কঠিন সময়কালে আমাদের খেলোয়াড়দের মনোবল যাতে ভেঙে না পড়ে তার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। “আমরা খেলোয়াড়োচিত মানসিকতায় ক্রীড়াক্ষেত্রে কাজ ���রে চলেছি। টপস-এর মতো বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। আজ নামী খেলোয়াড়দের সাফল্য ভবিষ্যতের নতুন খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করবে। তাই, টপস এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।” শ্রী মোদী বলেন, এ বছরের টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতীয় খেলোয়াড়রা সবথেকে ভালো ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন। ব্যাডমিন্টনে থমাস কাপ জয় সকলকে খেলাধুলার বিষয়ে আরও উৎসাহিত করেছে। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ভিন্নভাবে সক্ষম খেলোয়াড়দের সাফল্যেরও প্রশংসা করেন। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় মহিলা ক্রীড়াবিদদের সমান এবং শক্তিশালী অংশগ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রীড়াক্ষেত্রের এই সাফল্য আগেই আসা সম্ভব ছিল কিন্তু, ভারতের ক্রীড়া জগতে পেশাদারিত্বের পরিবর্তে দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের কারণে সেই সম্ভাবনা নষ্ট হয়। “আমরা এই অনিয়মগুলিকে দূর করেছি এবং যুব সম্প্রদায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য তাদের মনে আস্থা গড়ে তুলেছি।” নতুন ভারতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ এখন আর শুধুমাত্র নীতি প্রণয়নের মধ্যেই নিজেকে আবদ্ধ রাখতে চায় না, দেশের যুব সম্প্রদায় এগিয়ে যেতে চায়। ফিট ইন্ডিয়া এবং খেলো ইন্ডিয়ার মতো উদ্যোগগুলি আজ জন-আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, গত আট বছরে দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে বাজেটের পরিমাণ প্রায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে, খেলোয়াড়দের জন্য আরও অর্থ বরাদ্দ করা সম্ভব হয়েছে এবং তাঁরা নতুন নতুন সুযোগকে কাজে লাগাতে পেরেছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়, উন্নত ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবসরপ্রাপ্ত খেলোয়াড়দের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা থেকে যাতে নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়রা উপকৃত হন সেই লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, পুরুষানুক্রমে খেলাধুলা ভারতের সংস্কৃতির অঙ্গ এবং হাজার হাজার বছর ধরে এই সংস্কৃতি লালিত হচ্ছে। “স্বাধীনতার অমৃতকালে দেশ গর্বের সঙ্গে সেই ঐতিহ্যকে আবারও চর্চা করছে।” আজ শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট খেলা নিয়ে দেশে চর্চা হচ্ছে না, ‘কালারিপায়াত্তু’ ও যোগ���সনের মতো ভারতীয় খেলাগুলি নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। “জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মতো বড় আয়োজনে এই খেলাগুলি অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি।” যাঁরা প্রতিযোগিতায় এই খেলাগুলিতে অংশগ্রহণ করবেন তাঁদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি নির্দিষ্ট করে আপনাদের জন্য কয়েকটি কথা বলতে চাই। একাধারে আপনারা হাজার হাজার বছরের একটি সংস্কৃতিকে বহন করছেন, অন্যদিকে ভবিষ্যতের ক্রীড়া জগতকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন। আগামীদিনে যখন এই খেলাগুলি আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি পাবে, তখন আপনারা কিংবদন্তী হিসেবে বিবেচিত হবেন।” তাঁর ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী খেলোয়াড়দের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা যদি প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করতে চান তাহলে ধারাবাহিকতাকে বজায় রেখে প্রতিশ্রুতি পালনের বিষয়টিও আপনাদের শিখতে হবে।” খেলোয়াড়োচিত মানসিকতার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোনো খেলায় হার-জিৎ থাকেই কিন্তু তা কখনই চূড়ান্ত হতে পারে না। ভারতের মতো তরুণ প্রতিভাপূর্ণ একটি রাষ্ট্রের স্বপ্ন তখনই পূরণ হবে যখন আপনাদের জীবনে খেলোয়াড়োচিত মানসিকতা অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত থাকবে। “মনে রাখবেন, যখন কোনো অভিযান শুরু হবে, তখনই বিকাশ নিশ্চিত হবে। আপনাদের এই ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখতে হবে। এটিই হবে আপনাদের জীবনের মূল লক্ষ্য। আমি নিশ্চিত, জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আপনাদের বিজয় দেশ যেমন উদযাপন করবে, একইভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যেও নতুন আস্থার সঞ্চার হবে।” অনুষ্ঠানে গুজরাটের রাজ্যপাল শ্রী আচার্য দেবব্রত, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর, সাংসদ শ্রী সি আর পাটিল, গুজরাটের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী হর্ষ সাংভি, আমেদাবাদের মেয়র শ্রী কিরিত পারমার সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। পটভূমিকা গুজরাটে এই প্রথম জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায় প্রায় ১৫ হাজার খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক এবং আধিকারিক অংশগ্রহণ করবেন। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা খেলোয়াড়রা ৩৬ রকমের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করবেন। আমেদাবাদ, গান্ধীনগর, সুরাট, ভদোদরা, রাজকোট এবং ভাবনগর – এই ছয়টি শহরে প্রতিযোগিতাগুলি অনুষ্ঠিত হবে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর শ্রী মোদী ক্রীড়াক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন। এর ফলে খুব কম সময়ের মধ্যে এ ধরনের একটি বড় প্রতিযোগিতা গুজরাটে আয়োজন করা সম্ভব হল।",আহমেদাবাদত ৩৬সংখ্যক ৰাষ্ট্ৰীয় ক্ৰীড়া মুকলি বুলি ঘোষণা প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের জাতীয় পরিষদ এনসিভিটি এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন সংস্থা এনএসডিএ-কে মিলিত করে বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জাতীয় পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। নতুন এই সংস্থাটি স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে, বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের কাজে জড়িত সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ এবং এইসব সংস্থার কাজের প্রামাণ্য মান স্থির করবে। সংস্থাটির প্রাথমিক কাজ হবে বৃত্তিমূলক এবং দক্ষতা উন্নয়নমূলক বিভিন্ন সংস্থার কাজের মূল্যায়ন, তাদের পুরস্কার প্রদান ও তথ্য সংগ্রহকারী সংস্থাগুলির স্বীকৃতি প্রদান ও নিয়ন্ত্রণ। এছাড়া, বিভিন্ন সংস্থা এবং দক্ষতা উন্নয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দক্ষতা মানের অনুমোদনের কাজও সংস্থাটি করবে। অন্যদিকে, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণের কাজের দায়িত্বও পালন করবে এই সংস্থা। এছাড়া, এই ধরণের কাজ বিষয়ে গবেষণা ও প্রচার এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির কাজও এই সংস্থা করবে। প্রস্তাবিত এই পরিষদের একজন চেয়ারপার্সন থাকবেন এবং আধিকারিক ও অনাধিকারিক পর্যায়ের সদস্যও থাকবেন। যেহেতু দুটি সংস্থাকে মিলিয়ে এনসিভিইটি গড়ে তোলা হবে, তাই দুটি সংস্থার বিভিন্ন পরিকাঠামো ও সহায়সম্পদ এই সংস্থা ব্যবহার করতে পারবে। এর অতিরিক্ত হিসাবে এই সংস্থার কাজের সুবিধার্থে নতুন কয়েকটি পদ সৃষ্টি করা হবে। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের এই উদ্যোগের ফলে দক্ষতা উন্নয়ন সংক্রান্ত কর্মসূচিগুলির গুণমান এবং প্রাসঙ্গিকতার দিকটিতেও বিশেষভাবে নজর দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়া, বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ এবং নিয়োগকারীরাও এগিয়ে আসবেন। সামগ্রিকভাবে ভারতকে ��িশ্বের কর্মদক্ষতার রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত কর্মসূচি রূপায়ণের ক্ষেত্রে নতুন এই সংস্থা বিশেষ ভূমিকা নেবে। তাছাড়া, আমাদের দেশে দক্ষতা-ভিত্তিক শিক্ষা প্রণালীকে আরও বেশি প্রেরণামূলক হিসাবে দেখা হবে এবং ছাত্রছাত্রীরা দক্ষতা-কেন্দ্রিক শিক্ষা পাঠ্যক্রমের প্রতি আরও বেশি করে আকৃষ্ট হবে। দক্ষ কর্মীবাহিনীর নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের ব্যবস্থার ফলে আমাদের দেশে শিল্প এবং পরিষেবাদাতা সংস্থাগুলির পক্ষে ব্যবসার সুবিধা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।","ৰাষ্ট্ৰীয় বৃত্তিমূলক প্ৰশিক্ষণ পৰিষদ, এচিভিটি আৰু ৰাষ্ট্ৰীয় দক্ষতা বিকাশ অভিকৰণ, এনএছডিএক একত্ৰীকৰণ কৰি ৰাষ্ট্ৰীয় বৃত্তিমূলক শিক্ষা আৰু প্ৰশিক্ষণ পৰিষদ, এনচিভিইটি প্ৰতিষ্ঠাত কেবিনেটৰ অনুমোদন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A7%B0%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লি, ১৫ নভেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বালিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে আজ মার্কিন রাষ্ট্রপতি শ্রী জোসেফ আর বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁরা কৌশলগত এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, অ্যাডভান্সড্‌ কম্প্যুটিং, কৃত্রিম মেধা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সহযোগিতা ও ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার জন্য গৃহীত পদক্ষেপের পর্যালোচনা করেছেন। কোয়াড, আইটুইউটু-র মতো নতুন নতুন গোষ্ঠীগুলিতে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নিবিড় সহযোগিতা বজায় থাকায় উভয় নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ক্ষেত্রে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ভারত – মার্কিন অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করতে রাষ্ট্রপতি বাইডেনের নিরবচ্ছিন্ন সমর্থনের কারণে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা করেন, জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালনের সময় ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা বজায় থাকবে।",বালিত অনুষ্ঠিত জি-২০ শীৰ্ষ সন্মিলনৰ সময়ত আমেৰিকা যুক্তৰাষ্ট্ৰৰ ৰাষ্ট্ৰপতিৰ সৈতে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ বৈঠক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF/,"ভারত ও মালটার মধ্যে পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে দু’দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সায় জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ (১২ সেপ্টেম্বর) এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মালটার উপ-রাষ্ট্রপতির আসন্ন ভারত সফরের সময় চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। ভারত ও মালটার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের মূল উদ্দেশ্য দুটি দেশকে পর্যটনের সেরা গন্তব্যস্থল হিসেবে তুলে ধরা। এর ফলে সমগ্র বিশ্ব থেকে দুটি দেশে পর্যটকদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাবে। চুক্তির আরেক উদ্দেশ্য ভারত ও মালটায় পর্যটন ক্ষেত্র ও পর্যটন সংক্রান্ত শিল্পের জন্য মানবসম্পদ গড়ে তোলা। এর ফলে, একটি নতুন ধরণের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক পর্যটন শিল্পের বিকাশ সম্ভব হবে ও দু’দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে। এই চুক্তির ফলে দু’দেশের মধ্যে পর্যটন ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। /",ভাৰত আৰু মালটাৰ মাজত পৰ্যটনৰ ক্ষেত্ৰত সহযোগিতা সুদৃঢ় কৰাৰ বাবে বুজাবুজি চুক্তি স্বাক্ষৰত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%AD-%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AB%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%AD-%E0%A6%8F%E0%A6%9B%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AB%E0%A6%B2-%E0%A6%89%E0%A7%8E/,"প্রিয় বন্ধুরা! কালাশনিকভ অ্যাসল্ট রাইফেল উৎপাদনের জন্য রাশিয়া-ভারত উদ্যোগের সূচনা অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের স্বাগত জানাই। রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে বিশেষ ও সুবিধাসম্পন্ন কৌশলগত অংশীদারিত্বের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার এক ঐতিহ্য রয়েছে। সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে আমরা ভারতকে বিশ্বাসযোগ্য ও উচ্চ গুণমানসম্পন্ন অস্ত্রশস্ত্র তথা সাজসরঞ্জাম সরবরাহ করে আসছি। আমাদের দেশের সহায়তায় ভারতে ১৭০টিরও বেশি সামরিক ও শিল্প সংস্থা গড়ে উঠেছে। রাশিয়া-ভারত নতুন এই যৌথ উদ্যোগের ফলে সর্বাধুনিক ২০০ সিরিজের বিশ্বখ্যাত কালাশনিকভ অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরি হবে। ঘটনা প্রবাহে স্থানীয় ভিত্তিতেই এর উৎপাদন হতে চলেছে। এই উদ্যোগের ফলে ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। সেইসঙ্গে, রাশিয়ার আধুনিক প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে ছোট মাপের অস্ত্রশস্ত্রও তৈরি হবে। আমি আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, গত অক্টোবরে আমার সরকারি ভারত সফরের সময় আমি এবং আমার বন্ধু শ্রী মোদী, এ দেশে কালাশনিকভ উৎপাদনের লক্ষ্যে সহমতে পৌঁছাই। অত্যন্ত স্বল্প সময়ে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আন্তঃসরকারি চুক্তিগুলির রূপরেখা তৈরি ও তা স্বাক্ষরের কাজ সম্পন্ন হয়। এ প্রসঙ্গে আমি রাশিয়া ও ভারতের বিশেষজ্ঞদের ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। একইসঙ্গে, এই যৌথ উদ্যোগটিকে দ্রুত বাস্তবায়িত করতে যাঁরা অবদান রেখেছেন, তাঁদেরকেও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আমি নিশ্চিত, নতুন এই উদ্যোগ ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের প্রভূত সম্ভাবনাকে আরও জোরদার করবে, জাতীয় অর্থনীতিতে বিজ্ঞান ও শিল্প ভিত্তির বিকাশকে আরও ত্বরান্বিত করবে, সুদক্ষ কর্মীবাহিনীর জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে, সেইসঙ্গে পেশাদারী শিক্ষা তথা কর্মী প্রশিক্ষণের কাজকর্মকেও ত্বরান্বিত করবে। এই উদ্যোগ আমাদের দুই দেশের মধ্যে মৈত্রী ও গঠনমূলক সহযোগিতার আরও একটি নিদর্শন হয়ে উঠবে। আমি আপনাদের সাফল্য ও শুভেচ্ছা কামনা করি।",কালাশনিকভ এছল্ট ৰাইফল উৎপাদনৰ বাবে ৰাছিয়া-ভাৰত যৌথ উদ্যোগৰ শুভাৰম্ভণি অনুষ্ঠানত অংশগ্ৰহণকাৰী আৰু অতিথিবৃন্দক উদ্দেশ্যি ৰাছিয়াৰ ৰাষ্ট্ৰপতি ভ্লাডিমিৰ পুটিনে প্ৰেৰণ কৰা বার্তাৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A7%B0%E0%A7%8D-3/,"মাননীয় বিশিষ্টজন, বন্ধুগণ, আমার মিত্রসম প্রেসিডেন্ট জোকোউই-কে আমি আরও একবার অভিনন্দন জানাই। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও তিনি জি-২০ সম্মেলনে দক্ষতার সঙ্গেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। বালি ঘোষণাকে গ্রহণ করার জন্য জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকেও আমি অভিনন্দন জানাই। জি-২০-র সভাপতিত্বকালে ইন্দোনেশিয়ার প্রশংসনীয় এই উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ভারত সর্বতোভাবে চেষ্টা করে যাবে। বালি-র এই পবিত্র দ্বীপভূমিতে জি-২০-র সভাপতিত্বের দায়িত্বভার গ্রহণের মতো ঘটনা ভারতের পক্ষে এক শুভ সমাপতন বলেই আমি মনে করি। মাননীয় বিশিষ্টজন, ভারত জি-২০-র দায়িত্বভার গ্রহণ করছে এমন একটি সময়ে যখন সমগ্র বিশ্ব নানা ধরনের ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কট, অর্থনৈতিক মন্দা, খাদ্য ও ���্বালানির ক্রমবর্ধমান মূল্য পরিস্থিতি এবং অতিমারীর দীর্ঘস্থায়ী কুফলের মোকাবিলায় হিমসিম খেয়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের দেশগুলি অনেক আশা নিয়েই তাকিয়ে রয়েছে জি-২০-র দিকে। আমি আজ আপনাদের সকলকে এই মর্মে আশ্বাস দিতে চাই যে ভারতের জি-২০-র সভাপতিত্বকাল হয়ে উঠবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, উচ্চাকাঙ্ক্ষী, সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি এবং কর্মসূচি-ভিত্তিক এক বিশেষ সময়কাল। মাননীয় বিশিষ্টজন, জি-২০-তে যাতে নতুন নতুন চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা যায় এবং সমবেত প্রচেষ্টাকে দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়িত করা যায়, সেই লক্ষ্যে পরবর্তী এক বছর ধরে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব। প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর অধিকার কায়েম করার প্রবণতা বর্তমানে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষের একটি বিশেষ কারণ। পরিবেশ কলুষিত হওয়ারও এটি একটি মূল কারণ। তাই, পৃথিবী নামক গ্রহটির ভবিষ্যৎকে নিরাপদ করে তুলতে অছি ব্যবস্থা গড়ে তোলাই হল একটি সমাধানের রাস্তা। এই লক্ষ্যে ‘এলআইএফই’ বা লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্ট অর্থাৎ, পরিবেশের স্বার্থে জীবনশৈলী গড়ে তোলার অভিযান এই প্রচেষ্টায় এক বড় ধরনের সার্থকতা এনে দিতে পারে। নিরন্তর জীবনশৈলীকে এক গণ-আন্দোলন রূপে গড়ে তোলাই হল এর মূল উদ্দেশ্য। মাননীয় বিশিষ্টজন, উন্নয়নের সুফলকে সার্বজনীন তথা অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তোলা আজকের দিনে বিশেষ প্রয়োজন। তাই, উন্নয়নের সুফলকে সংহতি ও সহানুভূতির বাতাবরণের মধ্য দিয়ে সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজে আমাদের সামিল হতে হবে। আরও মনে রাখতে হবে যে নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া বিশ্বের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই, আমাদের জি-২০ কর্মসূচিতেও মহিলা পরিচালিত উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে যেতে হবে। শান্তি ও নিরাপত্তা ছাড়া আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মগুলি অর্থনৈতিক অগ্রগতি বা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সুযোগ গ্রহণ করতে অপারগ। তাই, শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে এক সুস্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিতে হবে জি-২০-র পক্ষ থেকে। ভারতের জি-২০-র সভাপতিত্বের যে থিমটি তৈরি করা হয়েছে তার মূল বক্তব্যকে ‘অভিন্ন পৃথিবী, অভিন্ন পরিবার, অভিন্ন ভবিষ্যৎ’ – এই বার্তার মধ্য দিয়েই সম্পূর্ণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মাননীয় বিশিষ্টজন, ভারতের জি-২০-র সভাপতিত্বের দায়িত্বভার গ্রহণ প্রতিটি ভারতীয়র কাছে এক বিশেষ গর্বের বিষয়। দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও শহরে জি-২০-র বৈঠকগুলির আমরা আয়োজন করব। ভার���ের বিস্ময়কর বৈচিত্র্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক চেতনার ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির পূর্ণ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে নিয়ে যাবেন আমাদের অতিথিবৃন্দ। গণতন্ত্রের জননী বলে খ্যাত আমাদের দেশে, অর্থাৎ ভারতে এই অভিনব উদযাপনে আপনারা সকলেই উপস্থিত থাকবেন বলে আমি আশা করি। আমরা সকলে মিলে জি-২০-কে বিশ্বে এক পরিবর্তনের অনুঘটক রূপে তুলে ধরতে পারব বলে মনে করি। আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ! প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে",বালিত অনুষ্ঠিত জি-২০ শীৰ্ষ সন্মিলনৰ সামৰণী অধিৱেশনত শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদীৰ ভাষণৰ অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%A1%E0%A6%83-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-41/,"নতুন দিল্লি,১ এপ্রিল, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রদ্ধেয় ডঃ শ্রী শ্রী শ্রী শিবকুমার স্বামীগালু'র জন্ম জয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; ""আমি পরম পবিত্র ডঃ শ্রী শ্রী শ্রী শিবকুমার স্বামীগালুকে জয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানাই। তিনি অগণিত মানুষের হৃদয়ে বাস করেন।মানুষের সেবা,স্বাস্থ্য ও শিক্ষার জন্য তার কাজকে আমরা সর্বদা স্মরণ করব। আমরা তাঁর স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ চালিয়ে যাব। """,প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদীয়ে মহামহিম ড০ শ্ৰী শ্ৰী শিৱকুমাৰ স্বামীগালুক তেওঁৰ জয়ন্তীত শ্ৰদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন কৰে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE/,"মায়ানমারেরইয়ামেথিন-এ মহিলা পুলিশপ্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি উন্নীত করে তোলার লক্ষ্যে ভারত ওমায়ানমারের মধ্যে এ বছর ৬ সেপ্টেম্বর যে মউ স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তাতে কর্মপরবর্তীঅনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আজএখানে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। ভারতও মায়ানমারের মধ্যে এই মউ স্বাক্ষরের ফলে ইয়ামেথিন-এর মহিলা পুলিশ প্রশিক্ষণকেন্দ্রটিকে আরও উন্নত করে তোলার কাজ সহজ হবে মায়ানমার সরকারের পক্ষে। এর ফলেসার্বিকভাবে ক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে মায়ানমার পুলিশ বাহিনীর। ভারত সরকারেরআর্থিক এব��� প্রযুক্তিগত সহায়তায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির মান আরও উন্নত করে তোলা হবে।",ম্যানমাৰৰ য়ামেথিনৰ মহিলা আৰক্ষী প্ৰশিক্ষণ কেন্দ্ৰৰ উন্নীতকৰণ সম্পৰ্কীয় বুজাবুজি চুক্তিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%AB/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%80-%E0%A6%AD/,"প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী ২২ এবং ২৩ সেপ্টেম্বর তাঁর সংসদীয় কেন্দ্র বারাণসী সফর করবেন। বারাণসী সফরকালেপরিকাঠামো, রেলওয়ে, বস্ত্র বয়ন শিল্প, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, পরিবেশ এবং অনাময়,পশুপালন, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় বিষয়বস্তু-কেন্দ্রিক নানান অনুষ্ঠানে শ্রী মোদী অংশগ্রহণকরবেন। প্রধানমন্ত্রীবড়া লালপুর এলাকায় হস্তশিল্পের একটি বাণিজ্যিক বিপণন কেন্দ্র – ‘দীনদয়াল হস্তকলাসঙ্কুল’কে জাতির প্রতি উৎসর্গ করবেন। তিনি সঙ্কুল-এ এই কেন্দ্র স্বল্প সময়ের জন্যঘুরে দেখবেন। পরে, শ্রী মোদী ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে মহামানা এক্সপ্রেস-এর যাত্রাসূচনা করবেন। এই ট্রেনটি বারাণসীর সঙ্গে সুরাট এবং গুজরাটের ভদোদরার মধ্যে সংযোগস্থাপন করবে। একইঅনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী শহরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ভিত্তিপ্রস্তরের আবরণউন্মোচন করবেন অথবা প্রকল্প উৎসর্গ করবেন। প্রধানমন্ত্রী উৎকর্ষ ব্যাঙ্ক-এরব্যাঙ্কিং পরিষেবারও উদ্বোধন করবেন। এছাড়া, এই ব্যাঙ্কের সদর দপ্তরের ভবননির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তরের আবরণ উন্মোচন করবেন। উৎকর্ষ ব্যাঙ্ক মাইক্রোফিনান্স বা অতিক্ষুদ্র ঋণদানের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রীএক ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে জল অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা এবং জল শববাহন পরিষেবাবারাণসীর মানুষদের জন্য উৎসর্গ করবেন। ২২সেপ্টেম্বরের সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী বারাণসীর ঐতিহাসিক তুলসী মানস মন্দির সফরেযাবেন। তিনি রামায়ণের ওপর একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করবেন। পরে, প্রধানমন্ত্রী শহরেরদুর্গা মাতা মন্দিরেও যাবেন। ২৩সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শাহানশাহপুর গ্রামে পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত কিছুকর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। তারপর তিনি পশুধন আরোগ্য মেলা সফর করবেন।প্রধানমন্ত্রী পরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ এবং পুর)-র সুবিধাপ্রাপকদেরসার্টিফিকেট প্রদান করবেন এব��� এই উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় ভাষণ দেবেন।","প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ বাৰানসী ভ্ৰমণ, কেইবাটাও উন্নয়নমূলক প্ৰকল্পৰ উদ্বোধন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%A8%E0%A6%B9%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ তথ্য প্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিন উৎপাদন বিষয়ক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন। এই উপলক্ষে তিনি “ম্যায় নেহি হাম” পোর্টাল ও অ্যাপের সূচনা করবেন। এই পোর্টালটি ‘সেলফ্‌ ফর সোসাইটি’ বা সমাজের জন্য আমি – এই বিষয়ের ওপর কাজ করবে। তথ্য প্রযুক্তি কর্মীদের নানা সামাজিক পরিষেবার কাজে একযোগে কাজ করতে সাহায্য করবে। সমাজে দুর্বলতর শ্রেণীর মানুষের পরিষেবায় বৃহত্তর স্বার্থে একযোগে কাজ করবেন তথ্য প্রযুক্তি কর্মীরা। সমাজের উন্নয়নে যাঁরা কাজ করতে আগ্রহী, তাঁদের জন্য কাজের সুযোগ করে দেবে এই পোর্টাল। প্রধানমন্ত্রী শিল্প ক্ষেত্রের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মিলিত হবেন। তথ্য প্রযুক্তি কর্মী ও বৈদ্যুতিন কারিগরি সংস্থার কর্মীদের সমাবেশে তিনি ভাষণ দেবেন। টাউন হল ধাঁচের এক সমাবেশে তিনি আলোচনায় অংশ নেবেন। সারা ভারতের ১০০টির বেশি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মীরা ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমের এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।",‘মেই নহী হাম’ প’ৰ্টেল আৰু এপছ মুকলি অনুষ্ঠানত তথ্য-প্ৰযুক্তি আৰু বৈদ্যুতিক সামগ্ৰী নিৰ্মাণ পেছাদাৰীৰে মতবিনিময় কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B9-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%B1%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8/,"আপনাদের সবাইকে গুরু পরবের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। হয়তো গুরু নানক দেবজির আশীর্বাদ, মহান গুরু পরম্পরার আশীর্বাদেই আমার মতো একজন সাধারণ মানুষের হাতে কিছু পবিত্র দায়িত্ব সম্পাদনের সৌভাগ্য হয়েছে। যা কিছু ভাল হচ্ছে সবই গুরুজনদের, সন্ন্যাসীদের আশীর্বাদের ফলেই হচ্ছে। আমরা কিছুই না, সেজন্যে সম্মানের যোগ্যও নয়, সম্মানের যোগ্য সেই সব মহাপুরুষ, সেই সমস্ত গুরুজন যাঁরা শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরে ত্যাগ, তপস্যার মহান পরম্পরায় দেশকে গড়ে তুলেছেন, দেশকে রক্ষা করেছেন। আমার সৌভাগ্য যে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্���ী হওয়ার পর আর তার আগে যখন গুজরাটে ভয়ংকর ভূমিকম্প হয়েছিল তা কচ্ছের লখপতে যেখানে একসময় গুরুনানক দেবজি ছিলেন এবং আজও সেখানে গুরুনানক দেবজির পাদুকা রাখা আছে। ভূমিকম্পের সময় সেই গুরুদ্বার ভেঙ্গে পড়েছিল। আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর, আমার প্রথম কাজ ছিল ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া কচ্ছের পুনঃ নির্মান। সেই বিধ্বস্ত গুরুদ্বারও সেই তালিকায় ছিল। আর সেই সময় হয়তো এই গুরু-পরম্পরার আশীর্বাদে আমি আদিষ্ট হয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম যে আগে যেরকম ছিল, যেরকম মাটি ও অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করা হয়েছিল সেরকম উপাদান দিয়েই পুনঃনির্মানের কাজ করাবো, সেরকম দক্ষ বাস্তুকার ও রাজমিস্ত্রীদের খুঁজে এনে নিয়োগ করে কাজ করিয়েছি। আজ সেই গুরুদ্বার বিশ্ব-মানচিত্রে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ রূপে স্থান করে নিয়েছে। আমরা যখন উড়ান যোজনা … উড়ান যোজনার মাধ্যমে দেশে বিমান যাত্রা সুলভ করার জন্যে প্রকল্প গড়ে তুলছি, তখন আরেকবার আদিষ্ট হলাম, আর সিদ্ধান্ত নিলাম যে ওই উড়ান যোজনার সূত্রপাত যে দুটি শহর থেকে করবো, তার মধ্যে একটি নান্দেড সাহিব। আমার সৌভাগ্য যে নান্দেড সাহিবের আশীর্বাদ আজও আমার উপর বর্ষিত হয়ে চলেছে। আমি অনেক বছর ধরে পাঞ্জাবে সংগঠনের কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সেজন্যে গুজরাটে থেকে গেলে যা জানতে পারতাম না, আপনাদের মধ্যে থেকে, বাদল সাহেবের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্টতার ফলে অনেক কিছু জেনেছি, বুঝেছি! আমি সবসময়ই অনুভব করতাম যে গুজরাটের সঙ্গে পাঞ্জাবের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে, কারণ ‘পাঁচ প্যায়ারে’র মধ্যে একজন ছিলেন গুজরাটের দ্বারকার মানুষ। সেজন্য দ্বারকা যে জেলার মধ্যে পড়ে সেই জেলার জামনগরে আমরা গুরু গোবিন্দ সিংহের নামে একটি বড় হাসপাতাল গড়ে তুলেছি। আমি মনে করি, দেশের প্রত্যেক প্রান্তে মহাপুরুষেরা দেশকে একতার মন্ত্রে দীক্ষিত করে গেছেন, বিশেষ করে গুরু নানক দেবজির বাণীতে আমাদের দেশের সম্পূর্ণ সাংস্কৃতিক পরম্পরার সারসংক্ষেপ পাওয়া যায়। গুরুবাণী আমাদের মনকে যে অনুভবে সিক্ত করে তা সরলভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে। আমাদের পরস্পরকে আপন ভাবতে শেখায়। সমাজে উঁচুনিচু ভেদভাবের যে সমস্যা ছিল, কুসংস্কার ছিল, সেগুলিকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে সরলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন যাতে সমাজে সবরকম ভেদভাব দূর হয়। একসূত্রে সকলকে বেঁধে সকলের মনে ইশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা জাগিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন। আজও দেশের ঐক্য ও সংহতির জন্যে গুরুবাণী, গুরু নানকদেবজির বাণী থেকে বড় কিছু আমাদের কাছে নেই। আমি মনে করি, করতারপুর নিয়ে এই সিদ্ধান্ত, ১৯৪৭সালে দেশবিভাগের ফলে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, বা পরবর্তী সময়ে উভয় দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে শত্রুতা তৈরি হয়েছে, …এর সমাধান কবে হবে তা সময় বলবে। কিন্তু মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক একটি বড় শক্তি। কে ভেবেছিল যে একদিন বার্লিনের দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলা যাবে! হয়তো গুরুনানক দেবজির আশীর্বাদে এই করতারপুর করিডোর, নিছকই করিডোর না থেকে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক নিবিড় করার একটি বড় উপায় হয়ে উঠবে। গুরুবাণীর একেকটি ‘শবদ’(শবদ = স্তোত্র) সেক্ষেত্রে আমাদের শক্তিপ্রদান করবে। আমরা তো ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ মন্ত্র মেনে চলা মানুষ, গোটা বিশ্বকে একটি পরিবার মনে করা আদর্শ মেনে বড় হয়ে ওঠা মানুষ, আমরা কারও খারাপ চাই না! আর কল্পনা করুন, সাড়ে পাঁচশো বছর আগে যখন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল ছিল না, সেই সময়ে গুরুনানক দেবজি ভারতের সমস্ত প্রান্তে পদব্রজে গিয়েছেন; কোথায় আসাম আর কোথায় কচ্ছ! পদযাত্রার মাধ্যমে তিনি একরকম গোটা ভারতকে নিজের মধ্যে সমাহিত করে নিয়েছিলেন। এহেন সাধনা, এহেন তপস্যা এবং আজকের এই গুরুপরব আমাদের সকলের জন্য একটি নতুন প্রেরণা, নতুন প্রাণশক্তি, নতুন উৎসাহ জোগাবে যা দেশের একতা ও অখণ্ডতার জন্যে আমাদের শক্তি জোগাবে। আমরা সবাই মিলেমিশে কাজ করলে, ‘সঙ্গত’ (সামূহিক উপাসনা)-এর একটি নিজস্ব শক্তি রয়েছে, এই মহান পরম্পরা, এই ‘লঙ্গর’(সামূহিক আহার) সাধারণ খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা নয়। লঙ্গর একটি সংস্কার, লঙ্গর একটি ঐতিহ্য। কোনও ভেদভাব না রেখে সরল পদ্ধতিতে সমাজে স্মতা বজায় রাখার কত বড় প্রচেষ্টা! আজ এই পবিত্র উৎসবের দিনে, এই পবিত্র আবহে, গুরু গ্রন্থসাহিবের উপস্থিতিতে, আমি এই মহান পরম্পরাকে প্রণাম জানিয়ে গুরুদের মহান ত্যাগ ও তপস্যাকে প্রণাম জানাই। আপনাকে আমাকে যে সম্মান জানিয়েছেন তা আমার সম্মান নয়, এই মহান পরম্পরারই সম্মান। আমরা যা করতে পেরেছি তা নিতান্তই সামান্য। ঈশ্বর আমাদের শক্তি দিন, আমরা আরও কাজ করতে চাই! আমি আরেকবার আপনাদের সবাইকে অন্তর থেকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",শ্ৰী সুখৱীৰ সিং বাদলৰ বাসগৃহত গুৰু নানক জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B9-%E0%A6%89/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6-4/,"নয়াদিল্লি, ০৩ নভেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে কেন্দ্রীয় সতর্কতা আয়োগ (সিভিসি)-এর সতকর্তা সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রী সিভিসি-র অভিযোগ জানানো সংক্রান্ত নতুন পোর্টালের সূচনা করেন। সভায় ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্দার প্যাটেলের জন্মবার্ষিকী থেকে সতর্কতা সচেতনতা সপ্তাহ শুরু হয়েছে। “সর্দার প্যাটেল তাঁর সমগ্র জীবনে সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছেন এবং এই মূল্যবোধের সঙ্গে জনপরিষেবা দিয়েছেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, সচেতনতা ও সতর্কতা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চালাতে হবে। এটিই এই সপ্তাহ পালনের মূল লক্ষ্য। দুর্নীতি মুক্ত ভারত গঠনের স্বপ্ন পূরণের জন্য সকলকে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত ভারতের জন্য বিশ্বাস ও আস্থা জরুরি। সরকারের ওপর জনগণের আস্থা আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্ববর্তী সরকার কেবলমাত্র জনগণের আস্থা হারিয়েছে তাই নয়, তারা জনগণের ওপর ভরসা করতেও ব্যর্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি এবং ক্ষমতার ওপর নিয়ন্ত্রণ সহ নানান কাজ চলেছে। দাসত্বের এই মানসিকতা গত চার প্রজন্ম ধরে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। আজাদি কা অমৃতকালে আমাদের এই ধারনা পরিবর্তন করতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রী যে আহ্বান জানিয়েছিলেন সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতি জনগণের উন্নয়নকে ব্যহত করে। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জনগণকে যদি তাদের ন্যূনতম চাহিদা পূরণের জন্য কষ্ট করতে হয় তাহলে কীভাবে তারা দেশের উন্নয়নে অংশ নেবে? প্রধানমন্ত্রী বলেন, নানাবিধ চাপ থাকা সত্ত্বেও আমরা গত ৮ বছর ধরে সমগ্র ব্যবস্থাপনা পরিবর্তনের চেষ্টা চালাচ্ছি। সরকার চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে পার্থক্য দূর করার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সরাসরি সুবিধাভোগীদের হাতে তাঁদের প্রাপ্য হস্তান্তর করা হয়েছে। জেম এক বিশাল পার্থক্য তৈরি করেছে। মূল সুবিধাগুলির প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের প্��কল্পগুলির লক্ষ্য হচ্ছে ভেদাভেদ ছাড়া দুর্নীতিমুক্ত ভাবে সমাজের সব অংশের মানুষের কাছে এগুলি পৌঁছে দেওয়া। প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে জলসংযোগ, পাকা বাড়ি, বিদ্যুৎ সংযোগ এবং গ্যাস সংযোগের বিষয়টি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির অন্যতম বড় কারন হচ্ছে বিদেশী পণ্যের ওপর অত্যাধিক নির্ভরতা। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার জন্য সরকারের চেষ্টা উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত এখন নিজেই রাইফেল থেকে শুরু করে যুদ্ধ বিমান তৈরি করছে। সিভিসি-কে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রতিষ্ঠান স্বচ্ছতার জন্য সকলের চেষ্টাকে উৎসাহ যোগায়। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের নানা কাজের উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত ভারতের জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ফৌজদারি মামলার ওপর নজরদারি করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থার পরামর্শও দেন। তিনি জনগণের অভিযোগ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থাপনা গ্রহণের ওপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণের নজরদারি বাড়ানোর ওপরেও বিশেষ গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি কতটা শক্তিশালী তা কখনই বিচার্য বিষয় নয়। কোনো অবস্থাতেই তাদের রক্ষা করা যাবে না। সিভিসি-র মতো প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব এই সমস্ত ব্যক্তিকে বিচার ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা। কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিরই রাজনৈতিক, সামাজিক সুবিধা পাওয়া উচিত নয়। ক্রমশ সমাজে এই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা অনেক সময় দেখেছি দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পরেও তাকে কারাগারে পাঠানোর বদলে তার কাজকে বড় করে দেখানো হয়।” এই পরিস্থিতি ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থার জন্য মোটেই ভালো নয়। এখনও কিছু মানুষ অভিযুক্ত প্রমানিত হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সওয়াল করেন। এই ধরণের ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমাজের দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, দুর্নীতি দূর করার কাজে সিভিসি-র কোনোভাবেই আত্মপক্ষ সমর্থনের প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনতা জনার্দন ভগবানের রূপ নিয়ে কাজ করে চলেছে। তারা সত্যতা যাচাইয়ের পদ্ধতি জানেন। প্রধানমন্ত্রী জনগণকে সত্যের পথে চলার আহ্বান জানান এবং নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আপনি যখন বিশ্বাসের সঙ্গে কোনো কাজ করবেন সমগ্র দেশ তখন আপনার সঙ্গে থাকবে।” বক্তব্যের শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতা বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। “আমি নিশ্চিত আপনারা এই অমৃতকালে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।” প্রধানমন্ত্রী প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা বিজয়ীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। আগামীদিনে এই ধরনের ভাষণ প্রতিযোগিতা আয়োজনেরও পরামর্শ দেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই বিষয়ক প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পাঁচ জনের মধ্যে চার জনই মেয়ে। এই বিষয়ে আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী ছেলেদেরও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যথাসম্ভব প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান সচিব ডঃ পি কে মিত্র, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ডঃ জীতেন্দ্র সিং, ক্যাবিনেট সচিব কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স কমিশনার শ্রী সুরেশ এন প্যাটেল এবং ভিজিলেন্স কমিশনার শ্রী পি কে শ্রীবাস্তব এবং শ্রী অরবিন্দ কুমার। প্রেক্ষাপট সিভিসি প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত সতকর্তা সচেতনতা সপ্তাহ পালন করে। উন্নত দেশ গঠনে দুর্নীতিমুক্ত ভারত গঠনই এর লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৫ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে নতুন দিল্লীত সতৰ্কতা সজাগতা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত কাৰ্যসূচীত ভাষণ দিয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%B9%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%83/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%B9%E0%A7%88-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D/,মুম্বাইয়েপদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “মুম্বাইয়েপদপিষ্ট হয়ে প্রাণহাণির ঘটনায় আমি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাই। আহতদের জন্য জানাইআমার প্রার্থনা। মুম্বাইয়েরপরিস্থিতির ওপর এখন নিরন্তর নজর রাখা হচ্ছে। রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বর্তমানেমুম্বাইয়ে রয়েছেন। তিনি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সকলরকম সহায়তার বিষয়গুলি নিশ্চিতকরছেন।” /,মুম্বাইত পদপিষ্ট হৈ মৃত্যু হোৱা সকলৰ প্ৰতি প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শোক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0-28/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AA-%E0%A7%A6%E0%A7%A8-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%9A/,"আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার! ‘মন কি বাত’ শুরু করতে গিয়ে আজ আমার মন ভারাক্রান্ত। দশ দিন আগে, ভারতমাতা তাঁর বীর সুসন্তানদের হারিয়েছেন। এই সাহসী বীরেরা আমাদের একশো কোটি ভারতবাসীকে রক্ষা করতে আত্মবলিদান করেছেন। দেশবাসী যাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারেন সেদিকে খেয়াল রেখে এইসব বীর সুসন্তানরা দিন-রাত এক করে সজাগ দৃষ্টি রেখে চলতো। পুলওয়ামাতে সন্ত্রাসবাদীদের আক্রমণে বীর জওয়ানদের শহিদ হওয়ার পর সারা দেশের মানুষের মনেই আঘাত ও আক্রোশ জন্মেছে। শহিদের এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি চারিদিক থেকে সমবেদনার বার্তা আসছে। এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে আবেগ আমার মনে জাগছে, সেই আবেগ প্রত্যেক দেশবাসীর অন্তরে আছে এবং মানবতায় বিশ্বাস করেন যাঁরা, সারা বিশ্বে মানবতাবাদী মানুষের মধ্যেও আছে। ভারতমাতাকে রক্ষা করার কাজে নিজের প্রাণ বলিদান দিচ্ছেন যাঁরা, দেশের সেই সব বীর, সুসন্তানদের প্রণাম জানাই। এই শহিদ হওয়া, সন্ত্রাসকে সমূলে উৎপাটিত করার জন্য আমাদের নিরন্তর উৎসাহিত করবে, আমাদের সঙ্কল্পকে আরও শক্ত করবে। দেশের সামনে উপস্থিত এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য আমাদের সবাইকে জাতপাত, সাম্প্রদায়িকতা, আঞ্চলিকতাবাদ এবং বাকি সব মতানৈক্য ভুলে যেতে হবে, যাতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা আগের চাইতে আরও দৃঢ়, শক্তিশালী এবং ফলপ্রসূ পদক্ষেপ নিতে পারি। আমাদের সশস্ত্র সেনা অদম্য সাহসের পরিচয় দিয়ে থাকে। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য তাঁরা অত্যাশ্চর্য ক্ষমতা দেখিয়েছেন এবং সন্ত্রাসবাদীদের তাদের ভাষাতেই জবাব দিয়েছেন। আপনারা দেখেছেন যে সন্ত্রাসের ১০০ ঘণ্টার ভিতরেই কীরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেনারা সন্ত্রাসবাদীদের এবং তাদের মদতকারীদের কীভাবে সমূলে ধ্বংস করা যায় তার সঙ্কল্প নিয়েছে। বীর সৈনিকদের শহিদ হয়ে যাওয়ার পর, মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁদের পরিজনদের প্রেরণাদায়ক বার্তা সামনে এসেছিল, যা কিনা সমগ্র দেশের মানুষের মধ্যে অতীব সাহস, উৎসাহ এবং শক্তির প্রেরণা জাগিয়ে থাকে। বিহারের ভাগলপুরে শহিদ রতন ঠাকুরের পিতা রামনিরঞ্জনজী এই দুঃখের সময়েও উদ্দীপনার সঙ্গে দৃঢ় সঙ্কল্পের যে পরিচয় দিয়ে���েন তা আমাদের সকলকে প্রেরণা জোগায়। তিনি বললেন যে ওঁর অন্য পুত্রকেও দেশের শত্রুদের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য পাঠাবেন এবং প্রয়োজন হলে নিজেও লড়াইয়ের ময়দানে উপস্থিত হবেন। ওড়িশার জগৎসিংহপুরের শহিদ প্রসন্না সাহুর পত্নী মীনাজীর অদম্য সাহসকে সমগ্র দেশ কুর্ণিশ জানাচ্ছে। তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে জন আরোগ্য যোজনা’য় উপকৃত মানুষের সঙ্গে দেখা করতে চাই। এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলার সুযোগ হয়েছিল। একজন সহায়সম্বলহীন মা তাঁর ছোট বাচ্চার চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। এই যোজনার সাহায্য নিয়ে তার বাচ্চাকে চিকিৎসা করিয়েছেন এবং সে সুস্থ হয়ে উঠেছে। দিনভর খাটাখাটনির উপার্জনে সংসারের ভার সামলানো পরিবারের প্রধান মানুষটি অ্যাক্সিডেণ্টে পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন, কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। এই যোজনার সাহায্য নিয়ে চিকিৎসা করিয়ে এখন নতুন জীবন লাভ করেছেন। ভাই ও বোনেরা, গত পাঁচ মাসে প্রায় বারো লক্ষ দরিদ্র পরিবার এই যোজনার সুযোগ নিয়েছেন। আমি বুঝতে পারছি, দরিদ্র মানুষের জীবনে এর ফলে কত বড় পরিবর্তন এসেছে। আপনারা যদি কোনো দরিদ্র মানুষকে জানেন, যিনি অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না, তাঁদের এই যোজনা সম্পর্কে জানান। এই যোজনা এইসব দরিদ্র জনসাধারণের উপকারের জন্যই চালু করা হয়েছে। আমার প্রিয় ভাই বোনেরা স্কুলে স্কুলে পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা সংসদদশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করবে। পরীক্ষার্থীদের, তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের সকলকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। কিছুদিন আগে দিল্লিতে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ এই কার্যক্রমে টাউন হল ফরম্যাটে এক বিপুল আয়োজন হয়েছিল। এই টাউন হল কার্যক্রমে টেকনলোজির সাহায্যে দেশ-বিদেশের কয়েক কোটি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে,তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে,টিচারদের সঙ্গে কথা বলার অবকাশ হয়েছিল। ‘পরীক্ষা পে চর্চা’র একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পরীক্ষা সংক্রান্ত নানান বিষয় নিয়ে এখানে আলোচনা করা যায়। এমন কিছু না কিছু বিষয়চলে আসে যে তা সব পরীক্ষার্থীদের কাছেই অত্যন্ত কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে। সমস্ত বিদ্যার্থী, তাদের শিক্ষক, পিতা-মাতা ইউটিউবে এই কার্যক্রমের রেকর্ডিং দেখতে পারেন, আসন্ন পরীক্ষা-যোদ্ধাদের ওসংশ্লিষ্ট সকলকে আমার আগাম শুভকামনা জানালাম। আমার প্রিয় দেশবাসী, ভারতের কথা হবে আর তার পুজোপার্বণের কথা হবে ন�� তা তো হয় না। সম্ভবত আমাদের দেশে হেন দিন নেই যেদিনের সঙ্গে কোনও না কোনো উৎসব বা পার্বণ জুড়ে নেই বা কোনও বিশিষ্ট তাৎপর্য নেই, কারণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্য। আর কয়েকদিনের মধ্যে মহাশিবরাত্রি আসছে এবং এবার শিবরাত্রি সোমবার পড়েছে। সোমবার এবং শিবরাত্রি একসঙ্গে পড়ে গেলে আমাদের মন বিশেষ পবিত্র ভাবনায় ও ভক্তিতে ভরে ওঠে। শিবরাত্রি পার্বণ উপলক্ষে সব্বাইকে আমার অনেক অনেক শুভকামনা! আমার প্রিয় দেশবাসী কিছুদিন আগে আমি কাশীগিয়েছিলাম। ওখানে আমার দিব্যাঙ্গ ভাই-বোনেদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছিল। তাঁদের নানান ভাবনা-চিন্তা নিয়ে আলোচনা হল আর সেগুলো আমাদের অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী করে তোলে,অনুপ্রাণিত করে। সেই আলোচনায় একজন দৃষ্টিতে অন্য ভাবে সক্ষমতরুণের সঙ্গে কথা বললাম,তিনি জানালেন,“আমিস্টেজ আর্টিস্ট। বিভিন্ন মনোরঞ্জনী ওবিনোদন অনুষ্ঠানে আমি মিমিক্রি করি।”তখন আমি জানতে চাইলাম কাদের মিমিক্রি করেন আপনি। তিনি জানালেন “আমিপ্রধানমন্ত্রীর মিমিক্রি করি।” তখন আগ্রহী হলাম, দেখাতে বললাম কেমন সে মিমিক্রি। অত্যন্তআশ্চর্য হয়ে গেলাম, মজাও লাগলো উনি ‘মন কি বাত’-এ আমি যেভাবেকথা বলি তার মিমিক্রি করলেনএবং ‘মন কি বাত’-এরই মিমিক্রি করে শোনালেন। আমার এটা শুনেভালো লাগল যে মানুষ শুধু আমার ‘মন কি বাত’শোনেই না তা মনে রাখে, ‘মন কি বাত’নিয়ে চর্চাও করে। এ কথা মেনে নিতেই হবে এই দিব্যাঙ্গতরুণের ক্ষমতায়আমি অত্যন্ত প্রভাবিত হয়েছি। আমার প্রিয় দেশবাসী, ‘মন কি বাত’ কার্যক্রমের মাধ্যমে আপনাদের সকলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন আমার কাছে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। রেডিওর মাধ্যমে প্রত্যেক মাসে কোটি কোটি পরিবারের সঙ্গে আমি মুখোমুখি হই। আত্মীয় হয়ে উঠেছি। অনেক সময় আপনাদের চিঠি পড়তে পড়তে, আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে, বা ফোনে পাঠানো আপনাদের নানান কথা, পরামর্শ শুনতে শুনতে মনে হয়েছে আমাকে আপনারা আপনাদের পরিবারেরই একজন করে নিয়েছেন। এ আমার এক অত্যন্ত খুশির অনুভব। বন্ধুগণ নির্বাচন গণতন্ত্রের সব থেকে বড় উৎসব। আগামী দু’মাস আমরা নির্বাচন নিয়ে বিভিন্নভাবে ব্যস্ত থাকব। আমি নিজে এই নির্বাচনে একজন প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াব। সুস্থ গণতন্ত্রের নিয়ম মেনে এর পরের ‘মন কি বাত’ আগামী মে মাসের শেষ রবিবারেই হবে অর্থাৎ, এই মার্চ, এপ্রিল ও মে — এই তিন মাসের যত ভাবনাচিন্তা আছে, নির্���াচনের পর আপনাদের শুভেচ্ছা ও বিশ্বাসের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে আপনাদের আশীর্বাদ নিয়ে আবার আমাদের ‘মন কি বাত’-এর মাধ্যমে আমাদের এই কথাবার্তার প্রক্রিয়া আবার শুরু করব এবং আগামী বহু বছর ধরে ‘মন কি বাত’ বলতেই থাকব। আপনাদের সবাইকে আরেকবার অনেক অনেক ধন্যবাদ!",২৪.০২.২০১৯ তাৰিখে সম্প্ৰচাৰিত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ‘মন কী বাত’ৰ ৫৩তম খণ্ডৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF-2/,"‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ সম্মেলনে যোগ দিতে চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী শ্রী আন্দ্রেজ বাবিজ ১৭ থেকে ১৯শে জানুয়ারি সরকারি সফরে ভারতে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সে দেশের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী শ্রীমতী মার্তা নোভাকোভা এবং এক বৃহৎ বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল। অংশীদার দেশ চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী বাবিজ সে দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সম্মেলনের ফাঁকে ১৮ই জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রধানমন্ত্রী বাবিজ এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করে চেক প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় অর্থনীতির দ্রুত বিকাশ এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভূত সম্ভাবনার প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বাবিজ গত সেপ্টেম্বরে ভারতের রাষ্ট্রপতির চেক প্রজাতন্ত্র সফরকালে দু’দেশের মধ্যে হওয়া একাধিক সমঝোতাপত্রের কথা উল্লেখ করেন। ভারী যন্ত্রপাতি উৎপাদন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে চেক প্রজাতন্ত্রের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী চেক সংস্থাগুলিকে ভারতের বিরাট বাজারের সুযোগ নেওয়ার অনুরোধ জানান। বিশেষ করে, ভারতের প্রতিরক্ষা, গাড়ি এবং রেলের উৎপাদন ক্ষেত্রে সুবিধা গ্রহণের জন্য চেক সংস্থাগুলিকে আহ্বান জানান। দুই প্রধানমন্ত্রী ভারত ও চেক প্রজাতন্ত্রের দীর্ঘ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ঐতিহ্যের উল্লেখ করে এই সম্পর্ক আরও বাড়িয়ে তোলার ওপর জোর দেন। ভারত সফরকালে চেক প্রধানমন্ত্রী বাবিজ ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। /",ভাই��্ৰেণ্ট গুজৰাট সন্মিলনত অংশগ্ৰহণৰ উদ্দেশ্যে চেক গণৰাজ্যৰ প্ৰধানমন্ত্রীৰ ভাৰত ভ্ৰমণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AA-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%9B%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D/,"মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার বন্ধু মার্ক রুট, সম্মানিত প্রতিনিধিগণ, সংবাদমাধ্যমের সদস্যবৃন্দ, বন্ধুগণ, প্রধানমন্ত্রী মার্ক এবং তাঁর সঙ্গে আসা বিশিষ্টজনেদের ভারতে হার্দিক স্বাগত। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, প্রধানমন্ত্রী মার্কের সঙ্গে তাঁর চারজন ক্যাবিনেট সহযোগী, হেগ এর মেয়র এবং দু’শোরও অধিক বাণিজ্য প্রতিনিধি ভারতে এসেছেন। নেদারল্যান্ড থেকে আসা এটি সর্বকালীন সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল। এ থেকে স্পষ্ট হয় যে দু’দেশের বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্পর্ক কতটা সক্রিয় এবং সম্ভাবনাপূর্ণ। ২০১৫ সালেপ্রধানমন্ত্রীমার্করুট প্রথমবার ভারতে এসেছিলেন।২০১৭ সালে আমি নেদারল্যান্ড গিয়েছিলাম।আর আমাদের তৃতীয় শীর্ষ সম্মেলন হল আজ।এমন খুব কম দেশই রয়েছে যার সঙ্গে ভারতের উচ্চপর্যায় সফরজনিত সম্পর্কে এমন গতি রয়েছে!আর এই স্বতঃস্ফুর্ততার ফলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্যে,আমি আমারবন্ধুমার্করুটকে হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানাই। বন্ধুগণ, আজ আমরা দু’জনে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতিকে পর্যালোচনা করেছি।ক্ষেত্রীয় আর আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে মতবিনিময় করেছি।আর আমরা উভয় দেশের প্রধান কোম্পানিগুলির সিইওদের সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা করেছি।গতবছর আমি যখন নেদারল্যান্ড গিয়েছিলাম,তখনআমারবন্ধুমার্করুটকে অনুরোধ করেছিলাম নেদারল্যান্ড যাতে আন্তর্জাতিক সৌর সঙ্ঘের সদস্যপদ গ্রহণের ব্যাপারে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করে!সৌরশক্তি ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডের কাছে যে প্রযুক্তি,অভিজ্ঞতা এবং সাফল্য রয়েছে,তার দ্বারা সারা পৃথিবী উপকৃত হতে পারে।আর আমি অত্যন্ত খুশি যে আজ নেদারল্যান্ড আন্তর্জাতিক সৌর সঙ্ঘের সদস্যপদ গ্রহণ করেছে।এই সিদ্ধান্তের জন্যে প্রধানমন্ত্রী রুটকে কৃতজ্ঞতা জানাই।রাষ্ট্রসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ থেকে শুরু করে মাল্টিল্যাটারাল এক্সপোর্ট কন্ট্রোল রিজাইমস বা বহুমাত্রিক রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ শাসন ব্যবস্থা পর্যন্ত ভারত এবং নেদারল্যান্ডের মধ্যে নিবিড় সহযোগিতা ও সমন্বয় রয়েছে।এখন আন্তর্জাতিক সৌর সঙ্ঘের আন্তর্জাতিক মঞ্চেও আমাদের মধ্যে নিবিড় সহযোগিতা একটি নতুন মাত্রা দেবে। বন্ধুগণ,ডাচ কোম্পানিগুলির কাছে ভারত নতুন নয়।অনেক বছর ধরে কয়েকশো ডাচ কোম্পানি ভারতে কাজ করছে।ভারতে এযাবৎ আসা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ড পঞ্চম বৃহত্তম দেশ।একইরকমভাবে ভারতীয় কোম্পানিগুলির বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও নেদারল্যান্ড অত্যন্ত আকর্ষক গন্তব্য।আর সেজন্যেই উভয় দেশের প্রধান কোম্পানিগুলির সিইওদের সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা অত্যন্ত উপযোগী হয়েছে! আমি আনন্দিত যে নেদারল্যান্ডের ব্যবসায়ী মহল ভারতে সৃষ্ট সুযোগগুলি সম্পর্কে উৎসাহী। আমিও তাঁদের আশ্বস্ত করেছি যে, ভারতে অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতি আমার এই দায়বদ্ধতা বজায় থাকবে! কৃষি এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্র ভারতের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টি আমাদের খাদ্য সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত।পাশাপাশি, আমাদের ভারতের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যপূরণেও এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ড-এর সাফল্যে কথা আমরা জানি। গতবছর ‘ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়া’তে নেদারল্যান্ড ‘ফোকাস কান্ট্রি’ রূপে অংশগ্রহণ করেছে। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে ২০১৯-এ এর পরবর্তী সংস্করণে নেদারল্যান্ডের অংশীদারিত্ব আরও বেশি হবে। আমি আনন্দিত যে বারামতিতে সব্জি বিষয়ক প্রথম ইন্দো-ডাচ সেন্টার ফর এক্সেলেন্স চালু হয়ে গেছে। এভাবে অন্যান্য কিছু কেন্দ্রেও আমরা যৌথভাবে কাজ করছি। এভাবে নগরোন্নয়ণের ক্ষেত্রেও আমাদের সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভদোদরা এবং দিল্লিতে বর্জ্য জল ব্যবস্থাপনার প্রকল্পে আমরা যৌথভাবে কাজ করছি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আমরা ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পরস্পরের সহযোগী। আর ২০১৯-এ ভারতে অনুষ্ঠেয়‘টেক সামিট”-এ নেদারল্যান্ড অংশীদার দেশ রূপে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই সফল অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। বন্ধুগণ, আমাদের সরকারের বিদেশনীতিতে অগ্রাধিকার হল বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয় সমাজের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া। ২০১৭ সালে সেন্ট মার্টিনে প্রবল সামুদ্রিক ঝড়ের প্রকোপে বিপর্যস্ত ভারতীয়দের উদ্ধারে সহযোগিতার জন্যে আমি প্রধানমন্ত্রী রুট এবং নেদারল্যান্ড সরকারকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি আরেকবার আপনাকে এবং আপনার স���্গে আসা বিশিষ্ট প্রতিনিধিদের ভারতে হার্দিক স্বাগত জানাই। ধন্যবাদ। অনেক অনেক ধন্যবাদ।","নেদালেণ্ডছৰ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাৰত ভ্ৰমণকালত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ প্ৰেছ বিবৃতি(২৪ মে’, ২০১৮)" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%8C%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A7%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D/,"দু’দিনেরসফরে মুসৌরির লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(এলবিএসএনএএ)-এ গিয়ে ৯২তম ফাউন্ডেশন কোর্সের ৩৬০ জন আধিকারিক-প্রশিক্ষার্থীদেরকাছে শুক্রবারভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই দিনটি ছিল তাঁর সফরেরদ্বিতীয় দিন। ১৭টি সিভিল সার্ভিস এবং তিনটি রয়্যাল ভুটান সিভিল সার্ভিসেরআধিকারিক-প্রশিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। প্রধানমন্ত্রীরভাষণের আগে আধিকারিক-প্রশিক্ষার্থীরা “আমি সিভিল সার্ভিসে কেন যোগ দিলাম” – এইবিষয়টির ওপর তাঁদের লেখা নিজের নিজের প্রবন্ধ উপস্থাপিত করেন এই অনুষ্ঠানে। শিক্ষা,আবাসন, সুসংহত পরিবহণ ব্যবস্থা, অপুষ্টি, কঠিন বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা, দক্ষতাবিকাশ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন, এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত এবং আগামী ২০২২ সালের মধ্যেএক ‘নতুন ভারত’ গঠন-এর বিষয়গুলিকে বেছে নিয়ে তাঁরা তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন এইউপস্থাপনার মাধ্যমে। ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ সম্পর্কে তাঁদের নিজের নিজেরচিন্তাভাবনার কথাও তাঁরা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। আধিকারিক-প্রশিক্ষার্থীদেরউপস্থাপনার জন্য তাঁদের বিশেষ প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তাঁর ভাষণে বলেন,তরুণ ও নবীন আধিকারিকদের এই উপস্থাপনাগুলি সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করারজন্যতিনি ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেনকেন্দ্রীয় সরকারের পদস্থ আধিকারিকদের। ফাউন্ডেশনকোর্স শেষ হওয়ার আগেই পদস্থ আধিকারিকরা যাতে সে সম্পর্কে তাঁদের মতামত ওচিন্তাভাবনার কথা আধিকারিক-প্রশিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন, সেজন্যওপ্রধানমন্ত্রী তাঁদের বিশেষভাবে আর্জি জানান। প্রশিক্ষণশেষে আধিকারিক-প্রশিক্ষার্থীরা কিভাবে তাঁদের কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত হবেন,সেজন্য কিছু কিছু পরামর্শও দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জনসাধারণের সমস্যানিরসনে তাঁদের অবশ্যই সজাগ ও যত্নবান হতে হবে। শিক্ষা, ���্রশিক্ষণ এবং পঠন-পাঠনেরমাধ্যমে তাঁরা নিশ্চিতভাবেই ভুল পথে পা রাখবেন না বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তুদলবদ্ধভাবে কাজ করার সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখারমাধ্যমে কর্মজীবনে সফল হওয়ার সুযোগ লাভ করবেন তাঁরা। জন-অংশীদারিত্বএবং সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের গুরুত্বের বিষয়টি তাঁর ভাষণে তুলে ধরেন শ্রীনরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, নীতিগত উদ্যোগগুলির সফল রূপায়ণের ক্ষেত্রে তা একান্তজরুরি। শ্রী মোদীবলেন, প্রাক্‌-স্বাধীনতাকালে সিভিল সার্ভিসের কাজ ছিল ব্রিটিশ সরকারকে সর্বতোভাবেরক্ষা করা। কিন্তু এখন সিভিল সার্ভিসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল সাধারণ মানুষেরকল্যাণ ও সমৃদ্ধি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিভিল সার্ভিসের আধিকারিকরা যদি এই লক্ষ্যও উদ্দেশ্যকে অনুসরণ করে চলেন, তাহলে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ এবং জনসাধারণের মধ্যে দূরত্বদূর করা যাবে। কাজের প্রতিঅনাগ্রহ এবং দলবদ্ধভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে অনীহার ভাব মুসৌরিতে এই প্রাথমিকপ্রশিক্ষণের সময়েই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। ফাউন্ডেশন কোর্সের সময়আধিকারিক-প্রশিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক কাজের খুঁটিনাটি বিষয়গুলি সম্পর্কে ভালোভাবেইঅবহিত হয়েছেন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তাঁদের দলবদ্ধভাবে কাজ করা এবংনেতৃত্ব দেওয়া –এই দুটি বিষয়কে ভালোভাবে রপ্ত করে তাঁদের কর্মজীবনে তা প্রয়োগ করারপরামর্শ দেন। শ্রী মোদীবলেন, সামাজিক আন্দোলন গণতান্ত্রিক পরিবর্তন সম্ভব করে তুলতে পারে। সিভিলসার্ভিসের এক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটকের ভূমিকা রয়েছে। আগেরদিন একসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আধিকারিক-প্রশিক্ষার্থীদের ‘বৈষ্ণব জন’ভক্তি সঙ্গীতপরিবেশনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যে গানের অন্তর্নিহিত ভাব ও চিন্তার কথা অনুভবও উপলব্ধি করা উচিৎ আধিকারিকদের। সরকারি আধিকারিকদের এইভাবে ‘বৈষ্ণব জন’ হয়ে ওঠারপরামর্শ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীবলেন, সরকারি আধিকারিকদের সবচেয়ে বড় শক্তি হল তাঁরা ব্যক্তি হিসেবে নিজেদের নয়,সরকারি কাজকর্মকেই সকলের সামনে তুলে ধরতে সঙ্কল্পবদ্ধ। অশোক চক্রের চতুর্থ সিংহেরসঙ্গে তিনি তুলনা করেন সরকারি আধিকারিকদের। তিনি বলেন, এই সিংহটি অদৃশ্য বাঅন্তরালেই থেকে যায় কিন্তু তা সত্ত্বেওআমরা তার উপস্থিতি সর্বদাই অনুভব করি। শ্রী মোদীবলেন, সফর বা ভ্রমণ হল এক বিশেষ ভারতীয় ঐতিহ্য। কারণ, এর মাধ্যমে জনসাধারণের সঙ্গেআলাপচারিতায় মিলিত হওয়া যায় যা নিঃসন্দেহে এক বিশেষ শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা। বিভিন্ন পদেনিয়োগের পর অফিসের বাইরে গিয়েও সরকারি সফরকালে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের তিনি পরামর্শ দেনআধিকারিক-প্রশিক্ষার্থীদের। প্রধানমন্ত্রীবলেন, আধিকারিক-প্রশিক্ষার্থীরা তাঁদের কর্মজীবন গড়ে তুলতে বিশেষভাবে সজাগ ও সচেতন।এই কারণেই চাকরির পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে তাঁরা এই অ্যাকাডেমিতে আজউপস্থিত রয়েছেন। দেশবাসীকে সেবা করার জন্য তাঁদের এখন ব্রত উদযাপনের মানসিকতা গড়েতুলতে হবে। ভবিষ্যতে তাঁরা যখন অফিসের বাইরে গিয়ে বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে কাজকরার সুযোগ পাবেন, তখনই জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে তাঁরা অনুভব ও উপলব্ধি করতেপারবেন। এদিন সকালেঅ্যাকাডেমির লন-এ আধিকারিক-প্রশিক্ষার্থীদের যোগচর্চার সময়েও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেনশ্রী নরেন্দ্র মোদী। অ্যাকাডেমিরএকটি নতুন হস্টেল ভবনের শিলান্যাস উপলক্ষে এক প্রস্তর ফলকের আবরণ উন্মোচন করেনতিনি। এছাড়াও, শরীরচর্চার জন্য ২০০ মিটার দীর্ঘ এক সিন্থেটিক রাস্তা তৈরিপ্রকল্পেরও সূচনা করেন তিনি। অ্যাকাডেমিরবালওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়ে সেখানকার শিশুদের সঙ্গেও মিলিত হন প্রধানমন্ত্রী। অ্যাকাডেমিরজিমন্যাশিয়াম এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলিও তিনি ঘুরে দেখেন।",মিচৌৰিৰ লাল বাহাদুৰ শাস্ত্রী নেচনেল একাডেমীত ৯২তম ফাউণ্ডেচন পাঠ্যক্ৰমৰ প্ৰশিক্ষণপ্ৰাপ্ত বিষয়াক সম্বোধি প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও উদযাপন প্রচেষ্টার বিশেষ প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন যে এর মধ্য দিয়ে দেশের সংস্কৃতি ও যুব সমাজের মধ্যে এক গভীর বন্ধন গড়ে উঠবে। কলা রামনাথের এক ট্যুইট বার্তার উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন : “এ হল এক ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টা। ভারতের সমৃদ্ধ সাঙ্গীতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও উদযাপন প্রচেষ্টার সঙ্গে যে বিশেষ আবেগ জড়িয়ে রয়েছে, এ হল তারই এক নিদর্শন। এই প্রচেষ্টা যে দেশের সংস্কৃতি ও যুব সমাজের মধ্যে এক গভীর বন্ধনের ���ম্পর্ক গড়ে তুলবে, এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত।” /",ভাৰতৰ সমৃদ্ধ সাংগিতীক পৰম্পৰাৰ সংৰক্ষণ আৰু উদযাপনৰ প্ৰয়াসক প্ৰশংসা প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A7%B0%E0%A6%96%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AA/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ (২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯) উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর থেকে ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’ (পিএম-কিষাণ) প্রকল্পের সূচনা করেছেন। এই প্রকল্পের সূচনার সঙ্গে সঙ্গেই সুফলভোগী কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির ২,০০০ টাকা সরাসরি পৌঁছে যাবে। প্রকল্পের সূচনার জন্য শ্রী মোদী কৃষকদের অভিনন্দন জানান। তিনি ডেয়ারি শিল্প ও মৎস্যচাষের সঙ্গে যুক্ত পরিবারগুলিকেও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এখন থেকে এঁরাও কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাবেন। সমাবেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসে এই দিনটি স্মরণীয় হয়ে উঠতে চলেছে কারণ, স্বাধীনতার পর আজ প্রথমবার কৃষক সমাজের কল্যাণে সর্ববৃহৎ প্রকল্পের সূচনা হল। কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে এবং তাঁদের ক্ষমতায়ন ঘটাতে তাঁর সরকারের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২২-এর মধ্যে কৃষকের আয় দ্বিগুণ করতে তাঁর সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ নিচ্ছে। ‘পিএম-কিষাণ’ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১২ কোটি কৃষক লাভবান হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। শ্রী মোদী বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি বছর কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ৭৫,০০০ কোটি টাকা স্থানান্তরিত করা হবে প্রত্যেক বছর। তিনি রাজ্য সরকারগুলিকে সুফলভোগী কৃষকদের নামের তালিকা দ্রুত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান। প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা সময়মতো কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগের সরকারগুলি নির্দিষ্ট সময়ভিত্তিক ঋণ মকুবের কথা ঘোষণা করে থাকলেও উদ্যোগ কৃষকদের দীর্ঘমেয়াদিভাবে কোন বিশেষ সুবিধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ‘পিএম-কিষাণ’ প্রকল্প কেবল তাঁদের আর্থিক বোঝাই লাঘব করবে না, সেইসঙ্গে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিপুল বিনিয়োগের পথও প্রশস্ত করবে। ‘পিএম-কিষাণ’ প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা সরাসরি হস্তান্তরিত করা হবে। এর ফলে, আর্থিক সহায়তার পুরোটাই সরাসরি সুফলভোগীদের কাছে পৌঁছে যাবে। প্র���ানমন্ত্রী আরও জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ পড়ে থাকা কৃষিসেচ প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুত শেষ করতে সরকার প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নি করছে। এর ফলে, দেশের বিভিন্ন অংশের কৃষকরা স্থায়ী ভিত্তিতে লাভবান হবেন। কৃষক শ্রেণীর কল্যাণে ১৭ কোটি মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ড, নিমের আস্তরণযুক্ত ইউরিয়া, উৎপাদন খরচের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি হারে ২২টি ভিন্ন ধরণের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা এবং ই-ন্যাম বা বৈদ্যুতিন জাতীয় কৃষি বাজার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কৃষকরা এখন থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ সহায়তা গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী, কৃষক সমাজের স্বার্থে অন্যান্য কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির কথাও উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র পূর্ব উত্তরপ্রদেশ এখন দ্রুত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে। এই পরিবর্তনের মধ্যে শিল্প, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সার্বিক উন্নয়নের বিষয়গুলি স্পষ্ট প্রতিফলিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোরক্ষপুর ও পূর্ব উত্তরপ্রদেশের জন্য আজ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা যে সমস্ত প্রকল্পের সূচনা বা শিলান্যাস হয়েছে, সেগুলি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত সহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিকে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর মানসিকতার প্রতীকি বলে শ্রী মোদী উল্লেখ করেন। /",উত্তৰপ্ৰদেশৰ গোৰখপুৰত ‘পিএম-কিষাণ’ আঁচনিৰ শুভাৰম্ভ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A6%97%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D/,"মঞ্চে উপস্থিত জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল শ্রী এন এন বোরাজি, মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিজি, আমার মন্ত্রিমণ্ডলের সহযোগী শ্রী নীতিন গড়করিজি, ডঃ জিতেন্দ্র সিংজি, আর কে সিংজি, জম্মু ও কাশ্মীরের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কবিন্দ্র গুপ্তাজি, রাজ্যের শক্তি মন্ত্রী শ্রী সুনীল কুমার শর্মাজি, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ শ্রী নজির আহমেদ খানজি, সাংসদ ও দেশের অগ্রজ নেতা সম্মানিত ডঃ ফারুক আব্দুল্লাজি, সাংসদ শ্রী মুজাফফর হুসেন বেগজি, এখানে উপস্থিত অন্য সকল মাননীয় ব্যক্তিবর্গ এবং আমার জম্মু ও কাশ্মীরের প্রিয় ভাই ও বোনেরা। আরেকবার আপনাদের মাঝে জম্মু ও কাশ্মীরে আসার সুযোগ আমি পেলাম। আপনাদের আত্মীয়তা ও স্নেহ আমাকে এখানে বারবার টেনে আনে। বিগত চার বছরে এমন কোনও বছর নেই যে, আমি এখানে আসিনি। শ্রীনগরে ভয়ানক বন্যার পরও দীপাবলীর দিনে আমি এখানকার বন্যা পীড়িতদের সঙ্গে দীপাবলী উদযাপন করেছি। এছাড়া, সীমান্তে প্রহরারত সৈনিকদের সঙ্গেও দীপাবলী পালনের সৌভাগ্য আমার হয়েছে। রমজানের এই পবিত্র মাসে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। এই মাসটি পয়গম্বর মহম্মদ সাহেবের শিক্ষা ও তাঁর বার্তা স্মরণ করার মাস। তাঁর জীবন থেকে সাম্য ও সৌভাতৃত্ববোধের শিক্ষাই সঠিক অর্থে দেশ ও বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এটাও অত্যন্ত আনন্দের যে রমজানের এই মোবারক মাসে আমরা এখানে একটি বড় স্বপ্ন সাকার হতে দেখার জন্য একত্রিত হয়েছি। আজ আমার জাতির উদ্দেশে কিশনগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি উৎসর্গ করার সৌভাগ্য হয়েছে। অনেক সমস্যা মোকাবিলা করে এই প্রকল্প জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়ন যাত্রায় নতুন মাত্রা সংযোজনের জন্য প্রস্তুত। এই উপলক্ষে আমি আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। এর ফলে, এই রাজ্যের মানুষ শুধু বিনামূল্যেই নয়, পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ পাবেন। এখন জম্মু ও কাশ্মীরের যতটা বিদ্যুতের প্রয়োজন তার একটা বড় অংশ দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে পাঠানো হয়। এবার ৩৩০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এই প্রকল্প শুরু হওয়ায় এই রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই মিটবে। ভাই ও বোনেরা, এই প্রকল্প কারিগরি বিদ্যার একটি অনুপম উদাহরণ। এটি বাস্তবায়নের জন্য অনেক মানুষ তপস্যা করেছেন। পাহাড়ের বুক কেটে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে কিশনগঙ্গার জলকে বান্দীপোরার বোনার নালায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক শ্রমিক, কর্মচারী এবং প্রত্যেক ইঞ্জিনিয়ার বিশেষ ধন্যবাদের পাত্র। আপনাদের সাহস ও তিতিক্ষার পরিণাম এই কঠিন প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়ন। আজ এই মঞ্চ থেকে আমি শ্রীনগর রোড এবং রিং রোডের শিলান্যাসের সুযোগ পেয়েছি। ৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কপথটি প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মিত হবে। এই রিং রোড শ্রীনগর শহরের অন্তর্বর্তী এলাকাগুলিতে যানজটের সমস্যা দূরীকরণে সহায়ক হবে। পাশাপাশি, জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে কাশ্মীর, জম্মু ও লাদাখের ভারসাম্য যুক্ত উন্নয়ন অত্যন্ত প্রয়োজন। একথা মাথায় রেখে আড়াই বছর আগে ৮০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এত কম সময়ে মাত্র ৬৩ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ স্বীকৃত হয়েছে। আর ইতিমধ্যেই ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে আইআইটি এবং আইআইএম স্থাপনের কাজ, ২টি এইমস্‌ হাসপাতাল নির্মাণ, প্রাথমিক চিকিৎসালয় থেকে শুরু করে জেলা হাসপাতালগুলি আধুনিকীকরণের কাজও চালু হয়েছে। নতুন জাতীয় সড়ক, অলওয়েদার রোড, নতুন সুড়ঙ্গ, পাওয়ার ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন লাইন, নদী ও হ্রদগুলির সংরক্ষণ, কৃষকদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প, হিমঘর, গুদামীকরণ, নবীনদের কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করতে নতুন নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীতে জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণে এইসব বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বন্ধুগণ, যখনই আমি পাহাড়ে আসি একটি প্রবাদ মনে পড়ে। আগে বলা হ’ত যে, পাহাড়ের যৌবন এবং পাহাড়ের জল কখনও পাহাড়ের কাজে লাগে না। যখন কোনও আধুনিক প্রযুক্তি গড়ে ওঠেনি, মানুষ প্রকৃতির খামখেয়ালীপনার সামনে অসহায় ছিল – এটি তখনকার প্রবাদ। কিন্তু এখন যুগ বদলেছে। আমরা তাই আপনাদের সকলের সহযোগিতা এই প্রবাদকে বদলে দেওয়ার প্রচেষ্টায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি। জম্মু ও কাশ্মীরের জল এবং এখানকার যৌবন দুটোই এখন এখানকার মানুষদের কাজে লাগবে। জম্মু ও কাশ্মীরে এমন অনেক নদী আছে, যা থেকে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই রাজ্য দেশের এমন একটি অংশ, যা শুধুই নিজের প্রয়োজনসাধন নয়, দেশের বাকি অংশের প্রয়োজনমাফিক বিদ্যুৎ সরবরাহের সামর্থ্য রাখে। একথা মাথায় রেখেই বিগত চার বছর ধরে আমরা এখানে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছি। কিশ্তওয়াড়-এ ৮ হাজার কোটিরও বেশি অর্থ বিনিয়োগে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু হতে চলেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চলছে। স্মার্ট গ্রিড এবং স্মার্ট মিটারের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। রাস্তার আলোর ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রাম থেকে শহর সমস্ত পথকে আলোকিত করার জন্য, রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। বন্ধুগণ, আমাদের উদ্দেশ্য শুধুই গ্রামে গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া নয়। যে বাড়িগুলিতে ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, তাঁদের বিদ্যুৎ বাবদ খরচের বোঝা হ্রাস করার চেষ্টাও আমরা করছি। উজালা যোজনার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরে ৭৮ লক্ষেরও বেশি এলইডি বাল্ব বিতরণ হয়েছে। এর ফলে, এখানকার জনগণের বিদ্যুতের বিল বাবদ প্রতি বছর প্রায় ৪০০ কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় হচ্ছে। সরকার রাজ্যর প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে বদ্ধ পরিকর। সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে এখন জম্মু ও কাশ্মীরে প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। বন্ধুগণ, জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নে পর্যটন হ’ল রোজগারের সর্ববৃহৎ উপায়। আপনাদের জন্য জম্মু ও কাশ্মীরের প্রকৃতিই কম বিনিয়োগে সর্বাধিক রোজগার প্রদান করার সামর্থ্য রাখে। এই রাজ্যে বিভিন্ন ধর্মের তীর্থস্থান রয়েছে। বাবা বরফানি হোন কিংবা মাতা রানীর দরবার। দেশ-বিদেশ থেকে ভক্তরা দলে দলে এখানে আসেন। কিন্তু আজকের পর্যটন পুরনো পদ্ধতিতে অচল। আজকের পর্যটকরা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা চান। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থাকা তাঁদের পছন্দ নয়। তাঁরা সরু কিংবা ঘিঞ্জি পথে আটকে থাকতে চান না। তাঁদের বিশ্রামগৃহে বিদ্যুৎ চাই, শৌচালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়া চাই, তাঁদের উন্নত মানের বিমান পরিষেবা চাই। পর্যটনের জন্য যেমন আধুনিক ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন, তা মাথায় রেখে জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের অধিক স্বাচ্ছন্দ্য ও পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির নানা প্রচেষ্টা সরকার করে যাচ্ছে। বন্ধুগণ, সমগ্র বিশ্বেই এমন অনেক স্থান আছে, যেখানকার সম্পূর্ণ অর্থ ব্যবস্থা পর্যটন-কেন্দ্রীক। এরকম অনেক দেশও আছে। আমাদের দেশে জম্মু ও কাশ্মীরের এমনই সামর্থ্য রয়েছে যে, এখানকার পর্যটন ব্যবস্থাপনা উন্নত হলে এই রাজ্য ভারতের অর্থনীতির বৈভব বৃদ্ধি করতে পারে। আমরা তাই এই রাজ্যে কেবল পর্যটন ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের স্বার্থে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে ১২টি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, ৩টি পর্যটন সার্কিট এবং ৫০টি পর্যটন গ্রাম গড়ে তোলার কাজ করছি। কিন্তু আমি আগে যেমন বলেছি, পর্যটনকে উন্নত করতে হলে সামগ্রিক পরিকাঠামোর উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে। এই পরিকাঠামো উন্নয়নে অন্যতম বড় উপাদান হ’ল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। হাইওয়ে, রেলওয়ে, ওয়াটারওয়ে, আইওয়ে, রোডওয়ে – এইসব কিছু হ’ল একবিংশ শতাব্দীর অনিবার্যতা। এক্ষেত্রে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গী অত্যন্ত স্পষ্ট। ১২৫ কোটি ভারতবাসীর জীবন মানকে উপরে তুলতে হলে আগে তাকে সরল ও সুগম করে তুলতে হবে। এই ভাবনাকেই আমরা নতুন নাম দিয়েছি ‘স্মার্ট ব্যবস্থা’। এই ভাবনারই পরিণামস্বরূপ আজ ভারতমালা প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে জাতীয় সড়কের জাল দ্রুতগতিতে বিস্তারিত হচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরেও একইভাবে জাতীয় সড়কের জাল দ্রুতগতিতে বিস্তারিত হচ্ছে। এখানে আসার আগে আমি দেশের দীর্ঘতম জোজিলা সুড়ঙ্গ খননকার্যে শুভ উদ্বোধন করে এসেছি। এই সুড়ঙ্গ জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নে নতুন গাথা লিখবে। আপনারা ভাবুন, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে পড়াশুনার জন্য কিংবা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে, চিকিৎসার জন্য, বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য আপনাদের অনেক কম সময় ও অর্থ খরচ হবে। পথে যেতে যেতে আমাদের অনেক আপেল পচে যায়, সব্জি পচে যায়। নতুন পথ কৃষকদের এই অপচয় থেকে ফল ও শাক-সব্জিকে বাঁচিয়ে তাঁদের পরিশ্রমের যথাযোগ্য মূল্য পেতে সাহায্য করবে। শ্রীনগরে নির্মীয়মান এই রিং রোড, শ্রীনগর-শোপিয়াঁ-কাজিগুন্ড জাতীয় সড়ক কিংবা চেনানি-সুধ মহাদেব-গোহা সড়কগুলি সম্পূর্ণ হলে আপনাদের অনেক সময় বাঁচবে এবং উৎপাদিত পণ্যের অপচয় হ্রাস পাবে। রাজ্যের যে অঞ্চলগুলি প্রবল তুষার পাতের কারণে কয়েক মাসের জন্য যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, সেগুলিকেও সংযুক্ত করা হচ্ছে। যে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। আপনারা হয়তো এটাও জানেন যে, সরকার শ্রীনগর ও জম্মু শহরকে স্মার্টসিটিতে পরিণত করার কাজ এগিয়ে নিয়ে চলেছে। শহর দুটি জল সরবরাহ এবং পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা উন্নততর করার জন্য অমৃত যোজনার মাধ্যমে প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগে কাজ শুরু হয়েছে। এই অত্যাধুনিক সুবিধা, আধুনিক সড়ক আপনাদের জীবনকে যেমন সহজ করে তুলবে, তেমনই জম্মু ও কাশ্মীরের সৌন্দর্যও আরও বৃদ্ধি পাবে। ভাই ও বোনেরা, গ্রাম ও শহরগুলিকে স্মার্ট করে তুলতে পরিচ্ছন্নতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, জম্মু ও কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ এই অভিযানকে পূর্ণ শক্তি দিয়ে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। সম্প্রতি আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় এখানকার কন্যা ৫ বছর বয়সী জন্নত-কে ডাললেক পরিষ্কার করার আন্দোলনে সামিল হতে দেখেছি। যখন দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এমন পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন ভাবনা নিয়ে এগিয়ে আসে, তখন এই অভিযানের একজন সদস্য হিসাবে আমার আনন্দ অনেক বেড়ে যায়। বন্ধুগণ, আমি জানি এই রাজ্যে এরকম অনেকেই নিজের মতো করে এ ধরণের অনেক কাজ করছেন। ভাই ও বোনেরা, আমি জানি যে, সেই ভয়ানক বন্যা এখানে যে বিপর্যয় ডেকে এনেছিল, তা আপনাদের জীবনকে পর্যুদস্ত করে দিয়েছিল। আমরা যথাসম্ভব সেই লোকসানের ক্ষতিপূরণ করার চেষ্টা করেছি। সেজন্য রাজ্য সরকারও নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বন্ধুগণ, আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে রাজ্যের পিডিপি-বিজেপি জোট সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে, সেটি হল ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের কাজ। আন্তর্জাতিক সীমান্ত কিংবা লাইন অফ কন্ট্রোলের ওপার থেকে অনুপ্রবেশকারী ও সন্ত্রাসবাদীদের আক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে মানুষেরা এখানে এসেছেন, তাঁদের যথাযথ পুনর্বাসন সুনিশ্চিত করার জন্য প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আজ জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক যুবক দেশের অন্যান্য রাজ্যের যুবসম্প্রদায়ের সামনে রোল মডেল হয়ে উঠেছেন। দেশের সিভিল সার্ভিসে আমি যখন এখানকার যুবক-যুবতীদের নাম দেখি, তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয়, তখন আমার আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। যেদিন বান্দীপোরার সেই কন্যাটি কিক বক্সিং-এ ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন, সেদিন আমার বুক গর্বে ফুলে উঠেছিল। তজামুলের মতো প্রতিভাদের দেশ মাথায় করে রাখতে চায়। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের ক্রীড়া মেধাকে উৎসাহিত করতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ রাজ্যের ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নত করা হচ্ছে। ভাই ও বোনেরা, জম্মু ও কাশ্মীরের নবীন প্রজন্মের শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করার জন্য আমরা সচেষ্ট রয়েছি। রাজ্য সরকারের সঙ্গে একজোট হয়ে অনেক নতুন প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছি। হিমায়ত প্রকল্পের মাধ্যমে এখানে ১ লক্ষ নবীনদের প্রশিক্ষিত করার প্রকল্প চালু হয়েছে। ১৬ হাজারেরও বেশি শিশু প্রধানমন্ত্রী স্পেশাল স্কলারশিপ স্কিমের মাধ্যমে লাভবান হয়েছে। তাঁরা দেশের নামী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। ভিন্ন ভিন্ন কারণে কলেজ ও স্কুল ছুট ৬০ হাজার ছাত্রছাত্রীকে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই রাজ্যের নবীন প্রজন্ম সর্বদ���ই সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য আগ্রহ দেখিয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশকে শক্তিশালী করার জন্য ইতিমধ্যেই ৫টি ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ন চালু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পরম্পরা অনুযায়ী সেনাবাহিনী, কেন্দ্র ও রাজ্যের পুলিশ এবং ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ানগুলিতে ২০ হাজারেরও বেশি সৈনিক এই রাজ্য থেকে নিয়োগ হয়েছেন। এখন নতুন ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ান চালু হলে আরও ৫ হাজার জনকে নিয়োগ করা হবে। ভাই ও বোনেরা, আমাদের সরকার নাগরিক ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তাকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয়। এই দায়িত্ব পালনের জন্য আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীগুলি সদাপ্রস্তুত। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, প্যারামিলিটারি ফোর্স এবং সেনাবাহিনীর জওয়ানদের আমি বলতে চাই যে, কঠিন পরিস্থিতিতেও আপনারা বীরত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। আপনাদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় এত সুন্দর যে তুষারঝড় কিম্বা অগ্নিকাণ্ডের মতো বিপর্যয়ের সময় পীড়িতদের ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে আপনাদের ক্ষিপ্রতা প্রশংসার দাবি রাখে। এখানকার সাধারণ মানুষও দেশের স্বার্থে যা যা করছেন, যত ধরণের কষ্টে ভুগছেন তাঁর প্রতিটি চিত্র আজ দেশের জনসাধারণের মনে স্থান করে নিয়েছে। ভাই ও বোনেরা, দেশের ১২৫ কোটি মানুষ আজ নতুন ভারতের সংকল্প নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। জম্মু ও কাশ্মীর এই নতুন ভারতের সবচেয়ে উজ্জ্বলতম তারকা হয়ে উঠতে পারে। জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য এমনভাবে আমরা কাজ করছি যাতে নতুন ভারতে এই রাজ্যটিকে উদীয়মান তারকা হিসাবে গণ্য করা হয়। ভারতের মানচিত্রের কথা কল্পনা করুন, যখন ভারতের মুকুট থেকে হীরের মুকুটের মতো জ্যোতি বিচ্ছুরিত হবে, এই বিচ্ছুরণ অবশিষ্ট ভারতকে উন্নয়নের পথ দেখাবে। দেশের উৎকৃষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, উন্নত সড়ক ও আধুনিক এয়ারপোর্ট গড়ে তুলতের পারলে আমাদের এই রাজ্য থেকেও ভালো চিকিৎসক, প্রযুক্তিবিদ, অধ্যাপক এবং আধিকারিক উঠে না আসার কোনও কারণ নেই। বন্ধুগণ, এমন অনেক শক্তি রয়েছে, যারা চায় না যে জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়ন হোক, এখানকার মানুষ শান্তিতে বসবাস করুন। কিন্তু বন্ধুগণ, এই বিদেশি শক্তিগুলিকে সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য আমাদের সংকল্প নিয়ে এগিয়ে চলতে হবে। যারা এতদিন বিদেশি অপপ্রচারে প্রভাবিত হয়ে নিজের পবিত্র মাতৃভূমিকেই আক্রমণ হানছিল, এই রাজ্যে মেহবুবা মুফতিজির নেতৃত্বে যে পিডিপি-বিজেপি জোট সরক��র এবং কেন্দ্রীয় সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টায় সেই বিভ্রান্ত যুবকদের মূলধারায় ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। বন্ধুগণ, শান্তি ও স্থায়িত্বের কোনও বিকল্প হয় না। আমার অনুরোধ, যে নবীনরা বিভ্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা মূলধারায় ফিরে আসুক। এই মূলধারা হ’ল – তাঁদের পরিবার, পিতা-মাতা। এই মূলধারা হ’ল – জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নে তাঁদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। জম্মু ও কাশ্মীরের গৌরব বৃদ্ধির দায়িত্ব এই নবীন প্রজন্মের। জম্মু ও কাশ্মীর সুজলা-সুফলা, শস্য শ্যামলা, এতো সামর্থবান যে, দেশের অন্য যে কোনও রাজ্য থেকে কোনও অংশে জম্মু ও কাশ্মীরের পিছিয়ে থাকার কারণ নেই। প্রত্যেক বিভ্রান্ত যুবকের হাতে তুলে নেওয়া পাথর, প্রতিটি অস্ত্র তাদের নিজস্ব জম্মু ও কাশ্মীরকেই অস্থির করে তোলে। রাজ্যকে এই অস্থিরতার পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে। ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তাদের শুধুই কাশ্মীর নয়, ভারতের উন্নয়নের মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। হাজার হাজার বছর ধরে আমরা একই ভারতমায়ের সন্তান। বিশ্বে এমন কোনও শক্তি নেই, যারা ভাইকে ভাইয়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যেতে পারে। দুই ভাইয়ের মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধি করতে পারে। মায়ের দুধে কোনও বিভাজন হয় না। যারা দশকের পর দশক ধরে এই বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করছে, তারা আজ নিজেরাই ধ্বংসের মুখে। ভাই ও বোনেরা, আমি আরেকবার বলব যে, গত বছর এই রাজ্যে সীমান্তে প্রহরারত সৈনিকদের সঙ্গেও দীপাবলী পালনের সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আজ রমজানের পবিত্র মাসে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। এটাই কাশ্মীর তথা এই দেশের বিশেষত্ব, এই ভাবনার মাধ্যমেই ভারত বিশ্বকে শান্তি ও সম্প্রীতির পথ দেখাচ্ছে। পরমৎ সহিষ্ণুতার এই পরম্পরা বিশ্বে আর কোথাও এভাবে দেখা যায় না। এই দেশ ধর্ম ও সম্প্রদায়ের ঊর্ধ্বে সর্বদাই সৌভাতৃত্বকে স্থান দিয়েছে। সেজন্য – অটলজি কাশ্মীরিয়ত’কে যতটা সম্মান করতেন, মোদী ততটাই কাশ্মীরিয়তের ভক্ত। সেজন্য আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকেও বলেছিলাম, গালি দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, গুলিতেও এর সমাধান নেই। প্রত্যেক কাশ্মীরিকে বুকে জড়িয়ে ধরতে পারলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারে স্পষ্ট নীতি এবং ইচ্ছা রয়েছে। আর সিদ্ধান্ত গ্রহণেও আমরা কখনও পিছিয়ে থাকি না। বিভ্রান্ত ছাত্রদের উপর থেকে সহস্রাধিক মোকদ্দমা তুলে ��েওয়ার সিদ্ধান্ত কিংবা রমজানের পবিত্র মাসে বিনা শর্তে ‘সিজ ফায়ার’-এর সিদ্ধান্তের পেছনে সরকারের এই সদিচ্ছাই কাজ করছে যে কাশ্মীরে স্থায়ী শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হোক, স্থিরতা ও উন্নয়নের গতি ত্বরাণ্বিত হোক। বন্ধুগণ, ইসলামের আড়ালে সন্ত্রাস ছড়ানোর প্রত্যেক প্রচেষ্টাই জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ দেখছেন, কিভাবে তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। স্থায়িত্বের এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকার একজন প্রতিনিধিকেও নিয়োগ করেছে। তিনি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি, তিনি নিয়মিত এখানকার বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন। আমি চাই যে, যে যা বলতে চান, সেটা তাঁকে বলুন। প্রত্যেক ব্যক্তির সঙ্গে কথাবার্তা বলে শান্তি প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা চলছে। ভাই ও বোনেরা, সরকার নিজের পক্ষ থেকে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না। কাশ্মীরিয়ত এবং দেশাত্মবোধের মিলিত ভাবনাকে সর্বাগ্রে রাখা জন্য আমি জম্মু ও কাশ্মীরের সকল নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানাই। এই রাজ্যের প্রত্যেক মা-বাবা, বুদ্ধিজীবী ও ধর্মগুরুদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আপনারা নবীন প্রজন্মকে সঠিক পথ দেখান। আমি চাই যে, আপনারা, আমরা সকলে মিলে নিজেদের সমস্ত শক্তি শুধুমাত্র জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নে প্রয়োগ করি। প্রত্যেক সমস্যা, বিবাদ, মতভেদে একটাই সমাধান – তা হল – উন্নয়ন, উন্নয়ন এবং উন্নয়ন। নতুন ভারতের পাশাপাশি নতুন জম্মু ও কাশ্মীর, শান্ত ও সমৃদ্ধ জম্মু ও কাশ্মীর, পরিবর্তমান ভারতের উন্নয়নগাথাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আমার বিশ্বাস। এই বিশ্বাস নিয়েই আপনাদের সামনে মন খুলে নিজের কথা বলেছি। আমি বিশ্ববাসীকেও এই মঞ্চ থেকে বলতে চাই যে, যারাই সন্তাস ও বিভেদের পথ অবলম্বন করেছেন, তাদেরকেই পস্তাতে হয়েছে। সবাই আজ শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে ফিরতে চাইছেন। এই শান্তি, সৌভ্রাতৃত্ব ও সমৃদ্ধির ঐতিহ্যকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আর সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনও খামতি থাকবে না। প্রয়োজনে আমরা যে কোনও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। আপনাদের পাশে থাকব; আমরা যে প্রত্যাশা নিয়ে এগিয়ে চলেছই, তা বাস্তবায়িত করব এবং আরেকবার আমাদের এই কাশ্মীরের জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকা লে ও লাদাখ ভারতের মুকুটের উজ্জ্বলতম মনি হয়ে উঠবে। এই ভাবনা নিয়ে – সেঠা সেঠা শুকরিয়া, আজ দিউ ইজাজত, খুদাই থই নওয় খোশত খুশহাল ধন্যবাদ।",শ্ৰীনগৰৰ কিষণগংগা জলবিদ্যুত্ প্ৰকল্প ৰাষ্ট্ৰৰ নামত উত্সৰ্গা কৰি দিয়া প্ৰধানমন্ত্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোডীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9A%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9A%E0%A6%BF/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বুধবার ভারত-নেপাল সীমান্তের মেচি নদীরওপর নতুন সেতুর নির্মাণকার্য শুরু করার জন্য খরচ ভাগাভাগি, সময়সূচি ও নিরাপত্তাবিষয় নিয়ে রূপায়ণ ব্যবস্থার কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে ভারত ও নেপালের মধ্যে স্বাক্ষরহতে যাওয়া সমঝোতা স্মারকের (মউ) অনুমোদন দিল| এই নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৮.৬৫ কোটি টাকা| এই টাকাএ.ডি.বি.-এর ঋণের মাধ্যমে ভারত সরকার বহন করবে| ৩২৭ বি. নং জাতীয় সড়কে ভারতেরপানিটাংকি বাইপাস থেকে নেপালের কাকরভিট্টা পর্যন্ত ৮২৫ মিটারের ছয় লেনের সংযোগকারীসড়ক সহ ১৫০০ মিটার সড়কের যে মানোন্নয়ন চলছে, তারই অংশ হিসেবেই মূলত তৈরি হচ্ছে এইসেতুটি| মেচি সেতুটি ভারতে এশিয়ান মহাসড়ক সংখ্যা ০২-এর শেষপ্রান্ত, যা নেপালেরসঙ্গে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ প্রদান করে| এই সেতু নির্মাণের ফলে দু’দেশের মধ্যেআঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং এর মাধ্যমে আন্ত-সীমান্ত বাণিজ্য শক্তিশালী হওয়ারসম্ভাবনা| তাছাড়া শিল্প, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময়কে শক্তিশালী করার মধ্য দিয়েদুই দেশের বন্ধনকে শক্তিশালী করবে| সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রকেরঅধীনস্ত জাতীয় মহাসড়ক ও পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগম (এন.এইচ.আই.ডি.সি.এল.) এই প্রকল্পরূপায়ণের জন্য নির্ধারিত সংস্থা| নেপাল সরকারের সঙ্গে আলোচনা-ক্রমে এই সেতুরবিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন (ডি.পি.আর.) তৈরি করা এবং এর অবস্থান চূড়ান্ত করাহয়েছে |",ভাৰত-নেপাল সীমান্তৰ মেচি নদীৰ ওপৰত নতুন দলং নির্মাণৰ ক্ষেত্রত কাৰ্যকৰী ব্যৱস্থা গ্ৰহণ কৰিবলৈ ভাৰত আৰু নেপালৰ মাজত বুজাবুজি চুক্তি স্বাক্ষৰৰ বাবে কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-111/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-39/,"নতুন দিল্লি, ২১শে মার্চ, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মি. স্কট মরিসন আজ ভারত – অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। সম্মেলনে তাঁরা উভয় দেশের মধ্যে বহুস্তরীয় সম্পর্কের পর্যালোচনা করেছেন এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন। সম্মেলনে নিউ সাউথ ওয়েলথ ও কুইন্সল্যান্ডে প্রবল বন্যায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর সমবেদনা জানিয়েছেন। ২০২০র জুন মাসে প্রথম ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে উভয় দেশের মধ্যে সর্বাঙ্গীন কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা হয়। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অগ্রগতির বিষয়ে উভয় নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ব্যবসা – বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, শিক্ষা ও উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ, জল ব্যবস্থাপনা, নতুন ও পুনর্নবিকরণযোগ্য জ্বালানী সংক্রান্ত প্রযুক্তি, কোভিড – ১৯ সংক্রান্ত গবেষণা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের প্রসার ঘটায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ২৯টি প্রাচীন শিল্প নিদর্শন ভারতকে ফেরৎ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই শিল্পকলাগুলির মধ্যে রয়েছে, ভাস্কর্য্য, হাতে আঁকা ছবি, ফটোগ্র্যাফ। এগুলির মধ্যে কয়েকটি নবম ও দশম শতাব্দীর শিল্পকীর্তি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দ্বাদশ শতাব্দীতে চোল যুগের ব্রোঞ্জের পুরাকীর্তি, একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীর রাজস্থানের জৈন ভাস্কর্য্য, গুজরাটের দ্বাদশ – ত্রয়োদশ শতাব্দীর বেলেপাথরে তৈরি দেবী মহিষাসুরমর্দিনী, অষ্টাদশ – উনবিংশতি শতাব্দীর হাতে আঁকা ছবি এবং জিলেটিন সিলভার ফটোগ্র্যাফ। কোভিড – ১৯ মহামারীর সময় অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত ভারতীয় সম্প্রদায়౼ বিশেষত ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের প্রতি যত্ন নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। দুটি গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় উভয় নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মুক্ত, সমন্বিত ও সমৃদ্ধ ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ ও মূল্যবোধের জন্য এই সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়েছে। সর্বাঙ্গীন কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরো শক্তিশালী হওয়ার ফলে এর প্রভাবের বিষয়ের উপর একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে বিশেষ মাত্রা দিতে সর্বাঙ্গীন ��ৌশলগত অংশীদারিত্বের আওতায় দুই প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছর শীর্ষ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।",প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদী আৰু অষ্ট্ৰেলিয়াৰ প্ৰধানমন্ত্ৰী স্কট মৰিছনে ভাৰত-অষ্ট্ৰেলিয়া দ্বিতীয় ভাৰ্চুৱেল সন্মিলনৰ আয়োজন কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AB/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%9B%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A4%E0%A7%87/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ডেটা সোনিফিকেশনের মাধ্যমে অর্থের লেনদেনের শব্দের সাহায্যে ডিজিট্যাল পদ্ধতিতে দেওয়া নেওয়া ও ইউপিআই-এর তথ্য জানানোর জন্য ইন্ডিয়া ইন পিক্সেল (আইআইপি)-র প্রশংসা করেছেন। ইন্ডিয়া ইন পিক্সেলের এক ট্যুইট বার্তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমাকে ডিজিট্যাল পদ্ধতিতে অর্থ প্রদান ও ইউপিআই-এর বিষয়ে প্রায়শই বলা হয়, কিন্তু ডেটা সোনিফিকেশনের মাধ্যমে অর্থের লেনদেনের শব্দের সাহায্যে ডিজিট্যাল পদ্ধতিতে দেওয়া নেওয়া ও ইউপিআই-এর পয়েন্টের বিষয়ে যেভাবে আপনার কাজ করেন, তা জেনে আমার দারুণ লেগেছে। বিষয়টি আকর্ষণীয়, চিত্তাকর্ষক ও অবশ্যই তথ্য সমৃদ্ধ!”",ডাটা ছ’নিফিকেচনৰ জৰিয়তে ইউপিআই আৰু ডিজিটেল পৰিশোধৰ সমস্ত বিষয় দাঙি ধৰাৰ বাবে বাবে আইআইপিক প্ৰশংসা কৰে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%8F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ১৫ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর পরবর্তী ‘মন কি বাত’ পর্বের জন্য জনগণকে তাঁদের পরামর্শ দিতে বলেছেন। ৩১ জুলাই বেলা ১১টায় এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হবে। MyGov, ‘নমো’ অ্যাপ বা ১৮০০১১৭৮০০ নম্বরে রেকর্ড করে বার্তা পাঠানো যাবে। ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “MyGov-এর জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এ মাসের ৩১ তারিখের ‘মন কি বাত’-এর জন্য আপনার কি কোনও পরামর্শ আছে? আমি তা শুনতে আগ্রহী। আপনারা MyGov বা ‘নমো’ অ্যাপ-এ আপনাদের বার্তা পাঠান অথবা ১৮০০১১৭৮০০ নম্বরে রেকর্ড করে আপনার মতামত জানান।”",‘মন কি বাত’ৰ বাবে জনসাধাৰণৰ পৰা ধাৰণা আমন্ত্ৰণ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A6%A3%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC/,"নয়াদিল্লি, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপতি মাননীয় মিঃ সাভকত মিরজিইয়োয়েভের আমন্ত্রণে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) রাষ্ট্র প্রধানদের বৈঠকে যোগ দিতে আমি সমরখন্দ সফর করছি। এসসিও শিখর সম্মেলনে আমি আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে এবং এসসিও-র বিস্তার প্রসঙ্গে আলোচনা করবো। এছাড়া, উজবেক পৌরহিত্যে বাণিজ্য, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও পর্যটন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি সমরখন্দে রাষ্ট্রপতি মিরজিইয়োয়েভের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য উৎসুক। আমি ২০১৮ সালে তাঁর ভারত সফরের কথা স্মরণ করছি। ২০১৯ সালে তিনি ভাইব্রেন্ট গুজরাট শিখর সম্মেলনে সম্মানীয় অতিথি হিসাবে অংশ নিয়েছিলেন। শিখর সম্মেলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি, আমি অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবো।",উজবেকিস্তান ভ্ৰমণৰ পূৰ্বে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ প্ৰস্থান বিবৃতি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%97%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%9B%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0/,"আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশন আয়োজিত মাদকমুক্ত ভারত গড়ে তোলার অভিযানে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী সারা বিশ্বে ৩ কোটিরও বেশি মানুষ মাদকাসক্ত। এই প্রেক্ষিতে, দেশে মাদকাসক্তি নির্মূল করার অভিযানে শ্রীশ্রী রবিশঙ্কর এবং তাঁর সংস্থা ‘আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশন’ – এর নিরলস প্রয়াসকে প্রশংসা করেন শ্রী মোদী। প্রসঙ্গত, তাঁর এই ভিডিও বার্তাটি আজ হিসারে গুরু জাম্বেশ্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে সকলকে শোনানো হয়। সামাজিক অবক্ষয়ের একটি উদাহরণ হিসাবে মাদকাসক্তিকে চিহ্নিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে, ছাত্রছাত্রীরা ক্রমাগত নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, মাদক যে ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’ নয়, সে বিষয়ে যুবসমাজকে সচেতন হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাস্থ্য সমস্যা ছাড়াও পরিবারিক সমস্যা তৈরি করে মাদক। দেশের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হয় এই মাদক ব্যবসার কারণেই। মাদক ব্যবসা যে সন্ত্রাসবাদীদের ক্ষেত্রে একটি বড়সড় আয়ের সূত্র সেই বিষয়টিও আলোচনার মাধ্যমে জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিমত, মাদক ব্যবসা থেকে উপার্জিত অর্থ অনেক সময়েই দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে। এই প্রেক্ষিতে শ্রী মোদীর যুবসম্প্রদায়ের প্রতি বার্তা – ‘সে নো টু ড্রাগস্‌’। তিনি একই সঙ্গে মাদকাসক্ত মানুষদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে তরুণ সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মাদকাসক্তি দূর করতে কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের উল্লেখ করেন। তিনি মাদক চাহিদা কমাতে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কেও তিনি যুবসম্প্রদায়কে অবহিত করেন। ২০১৮’য় গৃহীত এই পরিকল্পনায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি, ক্ষমতার সম্প্রসারণ, অরক্ষিত এলাকায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা বা বিশেষ মধ্যস্থতার ব্যবস্থা করা, যাতে মাদকের চাহিদা ২০২৩ সালের মধ্যে বহুলাংশে কমিয়ে আনা যায়, তার সংস্থান রয়েছে।",ড্ৰাগছমুক্ত ভাৰত অভিযানৰ বাবে ভিডিঅ’ কনফাৰেন্সযোগে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰিলে ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ কার নিকোবর সফর করেন। সেখানে তিনি সুনামি স্মৃতিসৌধে পুষ্প স্তবক অর্পণ করে প্রয়াতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন। এই দীপপুঞ্জের অধিবাসী বিভিন্ন উপজাতি গোষ্ঠীর প্রধান সহ বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। আরোং – এ এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (আইটিআই) সহ আধুনিক একটি স্পোর্টস্‌ কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন। মাস জেটিতে তিনি উপকূলবর্তী এলাকা সুরক্ষা সংক্রান্ত কাজকর্মের শিলান্যাস ও ক্যাম্বেল বে জেটির সম্প্রসারণের সূচনা করেন। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও শিল্পকলার কথাও উল্লেখ করেন। দ্বীপপুঞ্জের পারিবারিক তথা সার্বিক ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এই ঐতিহ্য বহু বছর ধরে ভারতীয় সমাজের শক্তি বৃদ্ধি করে এসেছে। এই অনুষ্ঠানে যোগদানের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী সুনামি স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনের কথাও উল্লেখ করেন। সুনামির পর এই দ্বীপপুঞ্জের পুনর্গঠনে নিকোবরবাসীর উৎসাহ এবং কঠোর পরিশ্রমের তিনি প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ যে সমস্ত প্রকল্পের সূচনা হয়েছে, সেগুলি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবহণ, শক্তি, ক্রীড়া ও পর্যটন ক্ষেত্রের উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী হয়ে উঠবে। উন্নয়নের দিশায় অগ্রসর হওয়ার পথে কোনও দেশবাসী বা দেশের কোনও অংশই পিছিয়ে থাকবে না বলে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা তিনি পুনরায় ব্যক্ত করেন। শ্রী মোদী বলেন, দূরত্ব কমিয়ে হৃদয়ের আরও কাছকাছি নিয়ে আসার মানসিকতা গড়ে তোলাই এই সরকারের লক্ষ্য। শ্রী মোদী বলেন, উপকূলবর্তী এলাকার সুরক্ষা সংক্রান্ত কাজ শেষ হলে তা কার নিকোবর দ্বীপের সংরক্ষণে সাহায্য করবে। শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান চালু হলে এই দ্বীপের যুবসম্প্রদায়ের দক্ষতার পাশাপাশি, ক্ষমতায়ন ঘটবে বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। নিকোবর দ্বীপের যুবদের ক্রীড়া ক্ষেত্রে সাফল্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অত্যাধুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্সটি তাঁদের ক্রীড়া নৈপুণ্যের বিকাশ ও মানোন্নয়নে ব্যাপক সাহায্য করবে। ভবিষ্যতে এ ধরণের আরও ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে বলেও তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মানুষের জীবনযাপনের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। এই দ্বীপপুঞ্জে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার সম্প্রসারণের কথাও তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। এই দ্বীপপুঞ্জের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও স্থানীয় সংস্কৃতি সংরক্ষণের বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখেই উন্নয়নমূলক কাজকর্ম গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। কৃষি ক্ষেত্রে শ্রী মোদী শুকনো নারকেল শাঁসের সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, মৎস্যচাষের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কল্যাণে সরকার কাজ করে চলেছে। তিনি জানান, দেশে মৎস্যচাষ ক্ষেত্রকে আরও লাভজনক করে তুলতে সম্প্রতি ৭ হাজার কোটি টাকার সংস্থান করা হয়েছে। দেশের সমুদ্র সংলগ্ন এলাকাগুলি নীল বিপ্লবের কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সমুদ্র শৈবাল চাষাবাদে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে, মৎস্যজীবীদের আধুনিক নৌকা সংগ্রহে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে। সৌরশক্তির উৎপাদন ও ব্যবহারে ভারত সর্বাত্মক প্রয়াস নিচ্ছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সৌর জোটের কথাও স্মরণ করেন। সমুদ্র লাগোয়া অঞ্চলগুলিতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি কার নিকোবর দ্বীপে যেসব প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে, সে কথাও উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সমগ্র নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং নিকটবর্তী মালাক্কা প্রণালী সম্পদ ও নিরাপত্তা উভয় দিক থেকেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্পদ ও নিরাপত্তার বিষয়গুলিকে বিবেচনায় রেখেই সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে পরিবহণ পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। পরিকাঠামোর বিকাশ প্রসঙ্গে শ্রী মোদী ক্যাম্বেল বে জেটি ও মাস জেটিতে যে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম চলছে, সেকথাও উল্লেখ করেন। এই দ্বীপপুঞ্জের সার্বিক উন্নয়নে তাঁর সরকারের অঙ্গীকারের কথা প্রধানমন্ত্রী পুনরায় ব্যক্ত করেন।",কাৰ নিকোবৰত প্ৰধানমন্ত্রী : জনজাতি সম্প্ৰদায়ৰ মুৰব্বীসকলৰ সৈতে মত বিনিময় আৰু আইটিআইকে ধৰি অত্যাধুনিক ক্ৰীড়া প্ৰকল্পৰ চৌহদ উদ্বোধন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%A0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A6%BE-%E0%A6%AE/,"নয়াদিল্লি, ১২ ডিসেম্বর ২০২২ সারদা মঠের অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা মাতাজি-র প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন – “প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা মাতাজি-র প্রতি আমি আমার শ্রদ্ধা জানাই। সারদা মঠ এবং রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের মাধ্যমে সমাজ সেবায় তাঁর অমূল্য অবদানের জন্য তিনি সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। মিশনের সকল পদাধিকারী এবং ভক্তবৃন্দের সাথে আমিও সমব্যথী। ওঁ শান্তি!”",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে শাৰদা মঠৰ অধ্যক্ষ প্ৰব্ৰজিকা ভক্তিপ্ৰাণ মাতাজীৰ দেহাৱসানত শ্ৰদ্ধাঞ্জলি অৰ্পণ কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%93-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC/,"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞান ক্ষেত্রে ভারত ও জর্ডন পরস্পরের সঙ্গেসহযোগিতা করে যাবে। আজ এই মর্মে একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হ’ল প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। প্রস্তাবিত চুক্তির আওতায় যে যে বিষয়ে সহযোগিতা প্��সারের কথা বলা হয়েছে,তার মধ্যে রয়েছে : ১) সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ২) স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিচালন ও ব্যবস্থাপনা ৩) স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি ও পরিষেবা ৪) স্বাস্থ্য সম্পর্কিত গবেষণা প্রচেষ্টা ৫) জাতীয় স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান ৬) স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও স্বাস্থ্য অর্থনীতি ৭) ক্রনিক রোগ ও ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ৮) তামাক নিয়ন্ত্রণ ৯) যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়, তার চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের ব্যবস্থা ১০) ওষুধ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সাজসরঞ্জাম উৎপাদন ১১) স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অন্যান্য ক্ষেত্র দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার খুঁটিনাটি বিষয়গুলিকে ব্যাখ্যা ও চিহ্নিত করারকাজে একটি কর্মীগোষ্ঠী গঠন করার কথাও বলা হয়েছে প্রস্তাবিত চুক্তির আওতায়। …c",ভাৰত আৰু জৰ্দানৰ মাজত স্বাস্থ্যক্ষেত্ৰত সহযোগিতাৰ বাবে বুজাবুজিৰ চুক্তিৰ প্ৰস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%93-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97/,"ভারতও স্যুইজারল্যান্ডের মধ্যে স্বাক্ষরিত রেল প্রকল্প সম্পর্কিত এক সহযোগিতা চুক্তি প্রসঙ্গেএকবিস্তারিত আলোচনা আজ স্থান পায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এই মউ বা সহযোগিতাচুক্তিটি দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় এ বছরের ৩১ আগস্ট তারিখে। সুড়ঙ্গখনন কৌশল, বহু উদ্দেশ্যসাধক পরিবহণ ব্যবস্থা, রেল স্টেশনগুলির আধুনিকীকরণ, ট্রেনেরসময়সূচি ও চলাচল ব্যবস্থার উন্নয়ন, রেলের বৈদ্যুতিক সাজসরঞ্জাম, যাত্রীবাহী ট্রেনও তার মাশুল তালিকা, কোচ নির্মাণ ও বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্নক্ষেত্রে দুটি দেশ পরস্পরের মধ্যে প্রযুক্তিগত সহায়তা বিনিময় করবে স্বাক্ষরিতমউ-এর আওতায়। প্রসঙ্গতউল্লেখ্য, রেলের সার্বিক প্রসার ও উন্নয়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং সেখানকার জাতীয়রেলপথগুলির সঙ্গে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের এক বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণকরেছে ভারতের রেল মন্ত্রক। রেল প্রযুক্তি, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, প্রযুক্তিগতসফর বিনিময় কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ, আলোচনাচক্র ও কর্মশালা ইত্যাদির মাধ্যমেপারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রযুক্তিগতসহযোগিতার প্রসার ঘটাতে আগ্রহী ভারতীয় রেল। /",ৰে��ল খণ্ডৰ কাৰিকৰী সহযোগিতাৰ অৰ্থে ভাৰত আৰু ছুইজাৰলেণ্ডৰ মাজত স্বাক্ষৰিত বুজাবুজি চুক্তিৰ সন্দৰ্ভত অৱগত কৰিলে কেবিনেটত +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%89%E0%A6%A6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A7%8B/,"নেটওয়ার্ক ১৮-র গ্রুপ এডিটর-ইন-চিফ রাহুল যোশী মহোদয়, দেশ-বিদেশ থেকে সমাগত অতিথিবৃন্দ, এখানে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের বন্ধু, ভদ্র মহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ, সবার আগে আপনাদের সবাইকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই, আমাকে ‘উদীয়মান ভারত’ শিখরসম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। বন্ধুগণ, আমরা যখন ‘উদীয়মান’ বলি, তখন প্রথমেই ‘অন্ধকার থেকে আলোর পথেযাওয়ার কথা মনে পড়ে। আমরা যেখানে ছিলাম, যে পরিস্থিতিতে ছিলাম, তা থেকে এগিয়েযেতে, উন্নততর ভবিষ্যতের দিকে যাওয়ার মনোভাব জেগে ওঠে। এই ‘উদয়’ হওয়া শব্দের বিস্তার দেশের প্রেক্ষিতে অনেক ব্যাপক হয়ে পড়ে।প্রশ্ন এই যে ‘উদীয়মান ভারত’ কী? কেবল অর্থ ব্যবস্থা শক্তিশালী হলেই ‘উদীয়মানভারত’ বলব? সেনসেক্সের রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধিকে ‘উদীয়মান ভারত’ বলব? নাকি বিদেশিবিনিয়োগে বৃদ্ধি পেলে ‘উদীয়মান’ বলব? বন্ধুগণ, আমার কাছে ‘উদীয়মান ভারত’ শব্দবন্ধের মানে হ’ল দেশের ১২৫ কোটিনাগরিকের আত্মাভিমানের উদয়, দেশের আত্মগৌরবের উদয়। যখন এই ১২৫ কোটি মানুষেরইচ্ছাশক্তি সমবেত হয়, তাঁদের সংকল্প এক হয়, তখন অনেক অসাধ্য সাধ্য হয়, অসম্ভবওসম্ভব হয়। এই সমবেত ইচ্ছাশক্তি-ই আজ নতুন ভারতের সংকল্পসাধনে এক হয়ে কাজ করছে। ভাই ও বোনেরা, অনেক দেশের সরকার উন্নয়ন ও পরিবর্তনে নেতৃত্ব দেয় আরনাগরিকরা সরকারকে অনুসরণ করেন। কিন্তু বিগত চার বছরে ভারতে এই পদ্ধতি বদলে গিয়েছে।এখন দেশের নাগরিকরা নেতৃত্ব দিচ্ছে, আর সরকার তাঁদের অনুসরণ করছে। আপনারা নিজেরাই দেখেছেন, কত কম সময়ের মধ্যে স্বচ্ছ ভারত মিশন একটি গণআন্দোলনেরূপান্তরিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমও এতে অংশীদারের ভূমিকা পালন করেছে। কালো টাকা আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের নাগরিকরা ডিজিটাল লেনদেনকেএকটি শক্তিশালী অস্ত্রে পরিণত করেছে। ভারত আজ ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে দ্রুততমউন্নয়নশীল বাজারের মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপ যেভাবে জনসমর্থন পাচ্ছে, তা এইসাক্ষ্য দেয় যে, জনগণ দেশকে সমস্�� খারাপ অভ্যাস, রীতিনীতি ও কুসংস্কার থেকে মুক্তিদিতে কোমর বেঁধেছে। আমাদের রাজনৈতিক বিরোধিরা যাই বলুন না কেন, এই প্রেরণা সম্বল করেই সরকার এতবড় বড় পদক্ষেপ নিতে পেরেছে আর সেগুলিকে বাস্তবায়িত করে দেখিয়েছে। যে সিদ্ধান্তগুলিসম্পররেকে কয়েক দশক আগেই প্রস্তাব রাখা হয়েছিল, কিন্তু সেগুলি ফাইল চাপা পড়েছিলআমরা সেগুলিকে লালফিতের ফাঁস মুক্ত করি। যে আইনগুলি কয়েক দশক আগেই প্রণীত হয়েছে,কিন্তু দুর্নীতিতন্ত্রের চাপে বাস্তবায়িত হয়নি, বর্তমান সরকার সেসব জনহিতকরসিদ্ধান্ত এবং দুর্নীতি বিরোধী আইনকে বাস্তবায়িত করেছি। বন্ধুগণ, ভারতে যে মৌলিক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা নাগরিকদের সক্রিয়তারকারণেই পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই ইচ্ছাশক্তি-ই দেশে ভারসাম্যহীনতা দূর করছে। ভাই ও বোনেরা, দেশের উদয় হোক কিংবা কোনও সমাজ কিংবা ব্যক্তির, সাম্যভাব নাথাকলে কোনও সংকল্প সিদ্ধান্ত হতে পারে না। সেজন্য আমাদের সরকার আপ্রাণ চেষ্টাচালাচ্ছে, যাতে জাতীয় স্তরে এই ভারসাম্যহীনতা ও অসাম্য দূর হয়। এর পরিণাম কী হতেপারে, তা আমি নেটওয়ার্ক ১৮-র দর্শকদের একটি ভিডিও-র মাধ্যমে অনুভব করতে চাই। বন্ধুগণ, উজ্জ্বলা যোজনা শুধু রান্নাঘর নয়, কোটি কোটি পরিবারের জীবন বদলেদিচ্ছে। এই প্রকল্প আমাদের সামাজিক ব্যবস্থায় একটি বড় ভারসাম্যহীনতার অবসানঘটাচ্ছে। বন্ধুগণ, এখানে আসার আগে আজ সারাদিন আমি মণিপুরে ছিলাম। বিজ্ঞান কংগ্রেসেরউদ্বোধন, তারপর ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস, আজ সেখানে উত্তর-পূর্ব ভারতেরজন্য অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটাআমার ২৮ বা ২৯তম উত্তর-পূর্ব ভারত সফর। আপনারা ভাবুন, এমনটি কেন? কেন আমাদের সরকার উত্তর-পূর্ব ভারত তথা সমগ্রপূর্ব ভারতের উন্নয়নে জোর দিচ্ছে? যাঁরা ভাবছেন, আমরা ভোটের জন্য এরকম করছি, তাঁরাশুধু দেশের মাটি থেকে নয়, মানুষের মন থেকেও দূরে সরে গেছে! বন্ধুগণ, পূর্ব ভারতের আবেগময় সংহতি আর জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্যকে মাথায় রাখাঅত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সেজন্য আমাদের সরকার ‘পুবের জন্য কাজ’ করার মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আরযখন আমি পূর্বের জন্য কাজ করার কথা বলি, তার বিস্তার শুধু উত্তর-পূর্ব ভারত নয়,গোটা উত্তর প্রদেশ, বিহার, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও এই উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিরসঙ্গে থাকে। দেশের এই পূর্বভাগ উন্নয়নের দৌড়ে পিছিয়ে র��েছ। এর একটি বড় কারণ ছিল,এই অঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে উদাসীনতা। এই অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত শত শত প্রকল্প হয়শুরুই হয়নি, কিংবা দশকের পর দশক সময়কার ধরে ঝুলে আছে। আমাদের সরকার এইভারসাম্যহীনতা দূর করতে বছরে রপর বছর ধরে ঝুলে থাকা প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ করার কাজশুরু করেছে। আপনারা শুনে অবাক হবেন যে, আসামে গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস ক্র্যাকারপ্রকল্পটি ৩১ বছর ধরে ঝুলে ছিল। আমরা সরকারে দায়িত্ব নিয়ে সেই কাজ আবার শুরুকরেছি। তেমনই দ্রুততার সঙ্গে উত্তর প্রদেশের গোরখপুর, বিহারের বরৌনি আর ঝাড়খন্ডেরসিন্ধ্রিতে অনেক বছর ধরে বন্ধ থাকা সার কারখানাগুলি খোলার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। জগদীশপুর থেকে হলদিয়া পর্যন্ত যে পাইপ লাইনবিছানো হচ্ছে, তা থেকে এইকারখানাগুলিতে গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এই পাইপ লাইন পূর্ব ভারতের প্রধান শহরগুলিতেগ্যাস পাইপ লাইন-ভিত্তিক সম্পূর্ণ বাস্তু ব্যবস্থা বিকশিত হবে। আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা ও তদারকিতে ওড়িশার পারাদ্বীপ তৈল শোধনাগারের কাজেগতি এসেছে আর অদূর ভবিষ্যতেই পারাদ্বীপ একটি উন্নয়নের দ্বীপ হয়ে উঠবে। এমনইদ্রুৎতার সঙ্গে আমাদের সরকার আসাম এবং অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে দূরত্ব কমাতে দীর্ঘকয়েক দশক ধরে নির্মীয়মান ঢোলা সদিয়া সেতুর কাজ সম্পূর্ণ করেছে। সড়ক ও রেলপথ উন্নয়নের মাধ্যমে পূর্ব ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নেরপরিকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি জলপথ উন্নয়নের কাজকেও আমরা উৎসাহ যোগাছি। বেনারস আরহলদিয়ার মাঝে জলপথ উন্নয়ন এই অঞ্চলের শিল্পাঞ্চলগুলির মধ্যে পণ্য পরিবহণেরক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। দ্রুত যাতায়াতের প্রয়োজন মেটাতে পূর্ব ভারতের ১২টি নতুন বিমানবন্দর গড়েতোলা হচ্ছে। এর মধ্যে ৬টি বিমানবন্দর হবে উত্তর-পূর্ব ভারতে। সম্প্রতি আপনারাদেখেছেন যে, সিকিমে প্রথমবার বাণিজ্যিক বিমান অবতরণ করছে। যখন দেশে নতুন নতুন অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস খোলারসুযোগ পেলাম, আমরা এক্ষেত্রেও পূর্ব ভারতকেই অগ্রাধিকার দিয়েছি। আমরা সরকারেরদায়িত্ব নিয়ে মহাত্মা গান্ধীজির কর্মভূমি পূর্ব চম্পারণ-মোতিহারিতে একটি কেন্দ্রীয়বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছি। বন্ধুগণ, এই সরকারের শুরু করা বেশ কিছু প্রকল্পে এই এলাকাগুলি লক্ষ লক্ষমানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ‘দিল্লি অনেক দূরে’ ধারনা থেকে বেরিয়ে এসে আমরা দিল্লিকে পূর্ব ভারতেরদ���জায় এনে দাঁড় করিয়েছি। আমরা ‘সবার সঙ্গে – সকলের উন্নয়ন’ মন্ত্র নিয়ে দেশেরপ্রত্যেক ভৌগোলিক অঞ্চলের উন্নতিকে উন্নয়নের মুখ্যধারার অংশ করে নিয়েছি। বন্ধুগণ, আমি আপনাদেরকে একটি মানচিত্র দেখাতে চাই! এই মানচিত্র সাক্ষ্য দেয়যে, কিভাবে দেশে বিগত চার বছরে একটি বড় ভারসাম্যহীনতা দূর হয়েছে আর উত্তর-পূর্বভারতের গ্রামগুলি আলোকিত হয়েছে! আমি প্রায়ই বলি যে, দেশ স্বাধীন হওয়ার সাত দশক পরও এমন ১৮ হাজার গ্রামেবিদ্যুৎ ছিল না! আপনারা শুনে অবাক হবেন যে, সেগুলির মধ্যে ১৩ হাজার গ্রামেই ছিলপূর্ব ভারতে। আর এই ১৩ হাজারের মধ্যে ৫ হাজার গ্রাম ছিল উত্তর-পূর্ব ভারতে।ইতিমধ্যেই এই গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘সৌভাগ্য যোজনা’রসূত্রপাত করেছে। এই বাবদ সরকার ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ করছে। পূর্ব ভারতের জনগণের জীবনে এই বিদ্যুতের আলো তাঁদের বিচ্ছিন্নতা থেকেঐক্যের পথে নিয়ে আসছে। এই পথই ‘উদীয়মান ভারত’-এর ঔজ্জ্বল্যকে আরও প্রখর করবে। বন্ধুগণ, কর্পোরেট জগতে একটি লোকোক্তি খুবই প্রচলিত আছে, ‘যা তুমি পরিমাপকরতে পারো না, তার তুমি ব্যবস্থাপনাও করতে পারো না’! আমরা এই মন্ত্রকে শুধুনিজেদের কর্মপদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত করিনি, একে আরও এগিয়ে নিয়ে গেছি, ব্যবস্থাপনারজন্যই পরিমাপ করও আর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গণআন্দোলন গড়ে তোলো। যখন গণআন্দোলন গড়ে ওঠে, ব্যাপক স্তরে সরকার ও জনতার মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়েওঠে, তখন তার ফলও ভালো হয়, দীর্ঘস্থায়ী হয়। আমি আপনাদের দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবারউদাহরণ দেব। আমরা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রকে বহুমুখী পদ্ধতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে চারটিস্তম্ভ-নির্ভর উন্নয়নের কাজ করছি। প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য সুলভ স্বাস্থ্য পরিষেবা সরবরাহ ক্ষেত্রের উদ্যোগ ব্রত হিসাবে উদ্যোগ রূপায়ণ আমরা এই চারটি বিষয়ে একসঙ্গে জোর দিয়েছি। দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রেকেবল স্বাস্থ্য মন্ত্রক একা কাজ করলে তা থেকে শুধুই ‘বায়ুগহ্বর’ তৈরি হয়, কিন্তুসমাধান হয় না। আমাদের প্রচেষ্টা হ’ল – ফাঁকাআওয়াজ নয়, কেবল সমাধান । জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই অভিযানে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পাশাপাশি এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য মন্ত্রক যেমন – স্বচ্ছতা মন্ত্রক, আয়ুষ মন্ত্রক, রাসায়নিক ও সার মন্ত্রক, উপভোক্তা মন্ত্রকএবং মহিলা ও শিশু বিকাশ মন্ত্রককেও সঙ্গে রেখেছি । এভাবে আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়েনির্ধারিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা করছি। আমরা যদি প্রথম স্তম্ভ অর্থাৎ প্রতিরোধমূলকস্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলি, এটা হ’ল সবচেয়ে সস্তা ও সহজ। আমরা সবাই জানি যে, সুস্থ জীবনের জন্য সবার আগেপ্রয়োজন পরিচ্ছন্নতা। তাই, এদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা পানীয় জল ও স্বচ্ছতা মন্ত্রককেসক্রিয় করেছি। এর পরিণাম দেখুন, ২০১৪ সালে গোটা ভারতে ৬.৫ কোটিবাড়িতে শৌচালয় ছিল, কিন্তু এখন ১৩ কোটি বাড়িতেই শৌচালয় – অর্থাৎ দ্বিগুণ বৃদ্ধিপেয়েছে । আজ দেশের স্বাস্থ্যবিধির আওতা ৩৮ শতাংশ থেকেবেড়ে প্রায় ৮০ শতাংশে পৌঁছে গেছে। এই বৃদ্ধিও দ্বিগুণেরও বেশি। পরিচ্ছন্নতাঅভিযানের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি বাড়িতে এই বার্তাও পৌঁছে গেছে যে, অপরিচ্ছন্নতারোগ-শোককে আমন্ত্রণ জানায়। আর পরিচ্ছন্নতা অসুস্থতাকে তাড়ায়। প্রতিরোধমূলকস্বাস্থ্য পরিষেবা হিসাবে যোগাভ্যাস নতুনভাবে নিজের পরিচয় স্থাপন করেছে। আয়ুষমন্ত্রকের সক্রিয়তার ফলে যোগ আজ সারা পৃথিবীতে একটি গণআন্দোলনে পরিণত হয়েছে। এবারের বাজেটে আমরা ওয়েলনেস সেন্টার স্থাপনেরঘোষণা করেছি। কেন্দ্রীয় সরকার দেশের প্রত্যেক বড় পঞ্চায়েতগুলিতে হেলথ্‌ ওয়েলনেসসেন্টার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা টিকাকরণ প্রকল্পে বিশেষ জোর দিয়েছি। আমরাসরকারে আসার আগে দেশে টিকাকরণের বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ১ শতাংশ। আজ সেই হার বৃদ্ধিপেয়েছে ৬.৭ শতাংশ হয়েছে। বন্ধুগণ, প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য পরিষেবারপাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিষেবাকে সুলভ করে তোলাও জরুরি। স্বাস্থ্য পরিষেবাকে মানুষেরকাছে এবং সুলভ করে তোলার জন্য আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা রাসায়নিক ও সার মন্ত্রককে সক্রিয় করে সারাদেশে ৩ হাজারেরও বেশি জনঔষধি কেন্দ্র খুলেছি, যেখানে গরিব মানুষেরা ৮০০-রও বেশিওষুধ কম দামে পাবেন। দরিদ্র হৃদরোগীদের কম দামে স্টেন্টপ্রতিস্থাপনের জন্য আমরা উপভোক্তা মন্ত্রককে সক্রিয় করেছি। ফলে, আজ হার্টস্টেন্টের মূল্য ৮৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি কৃত্রিম হাঁটু প্রতিস্থাপনেরমূল্যকেও নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। ফলে এর দামও ৫০-৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এবারের বাজেটে আমরা একটি বড় প্রকল্প ঘোষণাকরেছি, তা হ’ল আয়ুষ্মান ভারত। এইপ্রকল্পের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তি উপকৃত হবেন। প্রায় ১০ কোটিপরিবার অর্থাৎ প্রায় ৪৫-৫০ কোটি নাগরিকের চিকিৎসার চিন���তা দূর হবে। তাঁদের পরিবারেকেউ অসুস্থ হলে বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ কেন্দ্রীয় সরকার ও বিমাকোম্পানিগুলি বহন করবে। বন্ধুগণ, স্বাস্থ্য পরিষেবায় তৃতীয় বড় স্তম্ভহ’ল ‘সরবরাহ ক্ষেত্রের উদ্যোগ’। স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সকল প্রয়োজনীয় পরিষেবাসুনিশ্চিত করার জন্য আমাদের সরকার লাগাতার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বিশেষ করে,গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। এই সমস্যা দূর করতে আমাদের সরকার মেডিকেলকলেজগুলিতে আসন সংখ্যা বাড়িয়েছে। বন্ধুগণ, ২০১৪ সালে যখন আমরা সরকারের দায়িত্বনিয়েছি, তখন মেডিকেল কলেজগুলিতে ৫২ হাজার আন্ডার গ্র্যাজুয়েট আর ৩০ হাজার পোস্টগ্র্যাজুয়েটের আসন ছিল। এখন দেশে ৮৫ হাজারেরও বেশি আন্ডার গ্র্যাজুয়েট এবং ৪৬হাজারেরও বেশি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট আসন রয়েছে। এছাড়া, সারা দেশে নতুন অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউটঅফ মেডিকেল সায়েন্স এবং আয়ুর্বেদ বিজ্ঞান সংস্থান স্থাপন করা হচ্ছে। পাশাপাশি,প্রতি তিনটি সংসদীয় ক্ষেত্রের মধ্যে ন্যূনতম একটি মেডিকেল কলেজ নির্মাণের প্রকল্পগ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রচেষ্টাগুলি দ্বারা আমাদের যুব সম্প্রদায় ও দেশের গরিবজনসাধারণ উপকৃত হবেন। নার্সিং এবং প্যারা মেডিকেল ক্ষেত্রে জনসম্পদ বৃদ্ধিরউদ্দেশ্যে কাজ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন পেশার মানুষ যত বেশি বৃদ্ধিপাবে, স্বাস্থ্য পরিষেবাও তত সুলভ ও মানুষের নাগালের মধ্যে পৌঁছবে। ভাই ও বোনেরা, স্বাস্থ্য পরিষেবা চতুর্থ ওগুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হ’ল ‘ব্রত হিসাবে উদ্যোগ রূপায়ণ’। কিছু সমস্যা এমন হয় যে,যেগুলির সমাধানে মিশন ধাঁচে কাজ করার প্রয়োজন হয়। দেশে মা ও বোনেদের স্বাস্থ্যের উন্নতি, তাঁদেরকেরোগমুক্ত রাখার উদ্দেশ্যে আমরা মহিলা ও শিশু বিকাশ মন্ত্রককে সক্রিয় করেছি। এরমাধ্যমে আজ বেশ কিছু কর্মসূচি চালু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষিত মাতৃত্ব অভিযান এবংপ্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনার মাধ্যমে মা ও শিশুর যথাযথ পুষ্টি সুনিশ্চিত করাহচ্ছে। গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসে রাষ্ট্রীয় পোষণ অভিযানের সূচনা করাহয়েছে। এটি জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবান করে তুলতে সবচেয়ে নতুন ও বড় পদক্ষেপ। শিশু ওমায়েদের সঠিক পুষ্টি সুনিশ্চিত হলে, তাদের সুস্বাস্থ্যও সুনিশ্চিত হবে। আমি মনে করি যে, কোনও আকারের জামা-ই সবার গায়েলাগে না। প্রত্যেক ক্ষেত্রের ইউনিক ডেভেলপমেন্ট মডেল বিকাশের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেআমাদের সরকার। বন্ধুগণ, আপনাদের একটি ভিডিও দেখিয়ে সারা দেশের মানুষের আনন্দেরঅংশীদার করে তুলতে চাই। আপনারা এই ছবিতে যে আনন্দোজ্জ্বল চেহারাগুলিদেখেছেন, সেগুলি আমার জন্য উদীয়মান ভারত। এই পরিবর্তন কিভাবে এসেছে? আপনাদের হয়তো মনে আছে যে, ছয় বছর আগে জুলাই মাসেগ্রিড বসে যাওয়ায় সারা দেশ অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল। আসলে যা হয়েছিল, তা একটিব্যবস্থা, একটি শাসনতন্ত্রের ব্রেকডাউন ছিল। ‘সিলোস’-এর এমনই পরিস্থিতি ছিল যে একসময়ে শক্তি মন্ত্রক জানত না যে, কয়লা মন্ত্রকের রোড ম্যাপ কি! নতুন ওপুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে শক্তি মন্ত্রকের কোনও সমন্বয় ছিল না। আমরা এই সিলোস ভেঙ্গে সমাধানের উদ্দেশ্যে শক্তিক্ষেত্রে সারা দেশে ব্যাপকভাবে বহুমুখী কাজ করছি। আজ ভারতের শক্তি সুরক্ষাকেসর্বশ্রেষ্ঠ সমাধান করার জন্য শক্তি মন্ত্রক, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রক ওকয়লা মন্ত্রক একটি একক রূপে কাজ করছে। কয়লা থেকে আমাদের শক্তি সুরক্ষা আসে। তেমনইপুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি আমাদের আগামী প্রজন্মের উন্নততর ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্যদীর্ঘস্থায়ী শক্তি প্রদান করতে পারে। এর ফলেই আমরা শক্তি স্বল্পতা থেকে শক্তিপ্রাচুর্যের পথে নেটওয়ার্ক ফেইলিয়োর থেকে নেট এক্সপোর্টার হয়ে ওঠার পথে এগিয়েচলেছি। সরকারের প্রচেষ্টায় ‘এক দেশ, এক গ্রিড’-এর স্বপ্নও বাস্তবায়িত হয়েছে। বন্ধুগণ, পরাজয়, হতাশা, নিরাশার পরিবেশ কখনোদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। আপনারাও দেখেছেন যে, বিগত চার বছরে দেশের মানুষেরমনে দেশ পরিচালনকারী ব্যবস্থাগুলি কিভাবে সাহসী হয়ে উঠেছে, কিভাবে ভরসা প্রদানকরেছে। যে পরিবর্তন মানুষ নিজেদের সামনে দেখতে পাচ্ছেন, নিজেদের জীবনে অনুভবকরছেন, তার মাধ্যমে প্রত্যেক ভারতবাসীর মানে আস্থা জন্মেছে যে, একবিংশ শতাব্দীরভারত নিজেদের দুর্বলতাকে জয় করে সকল বন্ধন ছিঁড়ে এগিয়ে যেতে পারে, ‘এক ভারত,শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর স্বপ্নেক বাস্তবায়িত করতে পারে। মানুষের এই প্রবল আস্থাই উদীয়মানভারতের মূল ভিত্তি। ভাই ও বোনেরা, এর জন্য আজ গোটা বিশ্ব ভারতের এইউদয়কে সম্মান জানাচ্ছে। বিগত সরকারের ১০ বছরের শাসনকালে যতগুলি দেশের রাষ্ট্রপতি ওপ্রধানমন্ত্রী ভারতে এসেছেন আর বিগত চার বছরে যতজন এসেছেন, তার তুলনা করলেই এবিষয়ে আমার আর কিছু বলার প্রয়োজন হবে না। আগের সরকারে��� আমলে এক বছরে পৃথিবীরযতগুলি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ভারতে এসেছেন, এখন তার প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যকরাষ্ট্রপ্রধান প্রতি বছর ভারতে আসেন। উদীয়মান ভারতের এই ছবি নিয়ে আপনারা সবাই সর্বকরতে পারেন। বন্ধুগণ, ভারত শুধু নিজের নয়, গোটা বিশ্বেরউন্নয়নকে এক নতুন মাত্রা প্রদান করেছে। ভারত আজ সারা পৃথিবীতে সৌর বিপ্লবেরনেতৃত্ব দিচ্ছে। আপনারা দেখেছেন, কিভাবে পাঁচদিন আগে আমরা আন্তর্জাতিক সৌর জোটসম্মেলনের আয়োজন শুরু করেছি। এই সম্মেলনে যে দিল্লি সৌর নীতি প্রণীত হয়েছে, সেটিকেবাস্তবায়িত করতে বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশ সহমত হয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের মতো বিষয়নিয়ে ভারতের এই প্রচেষ্টা একবিংশ শতাব্দীতে সমগ্র মানবতার সুরক্ষায় সবচেয়ে বড়পদক্ষেপের অন্যতম। বন্ধুগণ, বিগত চার বছরে যেভাবে আন্তর্জাতিকক্ষেত্রে ভারতের প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে, তার জন্য একটি সুচিন্তিত রণনীতির মাধ্যমেনিরন্তর কাজ করা হচ্ছে। ভারত বিশ্বকে বার্তা দিয়েছে শান্তি, উন্নয়ন ও দীর্ঘস্থায়িউন্নয়নের। ভারতে বড় বড় সংঘ যেমন – রাষ্ট্রসংঘ কিংবা জি-২০এমন সব বিষয় উত্থাপন করেছে, যা গোটা বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে। সন্ত্রাসবাদ শুধুএকটা দেশ কিংবা একটি ক্ষেত্রের সমস্যা নয়, বিশ্বের প্রত্যেক দেশের জন্য এটি একটিপ্রতিস্পর্ধা হয়ে উঠেছে – এই মতবাদ ভারত আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলিতে স্থাপন করতেপেরেছে। বিভিন্ন দেশে কালো টাকার প্রবাহ এবং দুর্নীতিকিভাবে বিশ্বের উন্নয়নের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কার্যকরী অর্থনৈতিক প্রশাসনের জন্যসমস্যা সৃষ্টি করেছে, এই বিষয়টি ভারতই সবচেয়ে জোর দিয়ে তুলে ধরতে পেরেছে। বন্ধুগণ, এটা ভারতেরই আত্মবিশ্বাস যে, এখানেগোটা বিশ্ব ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নিবারণের সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে,সেখানে আমরা তার পাঁচ বছর আগেই অর্থাৎ ২০২৫ সালের মধ্যেই এই রোগ থেকে মুক্তিপাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি। ভাই ও বোনেরা, বিশ্বের জন্য আজ ‘উদীয়মান ভারত’শুধু দুটি শব্দ নয়, এই দুটি শব্দ ১২৫ কোটি ভারতবাসীর সেই শক্তির প্রতীক, যাকে আজগোটা বিশ্ব প্রণাম জানাচ্ছে। এই কারণেই যে সংস্থাগুলির সদস্য লাভের জন্য ভারতবছরের পর বছর প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল, তা এখন বাস্তবায়নের পথে। মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল ডিজাইন-এ সামিল হওয়ার পর ভারত ‘ওয়াসেনারঅ্যারেঞ্জমেন্ট’ এবং অস্ট্রেলিয়া গ্রুপেরও সদস্য হয়েছে। ইন্টার ন্যাশনালট্র��ইব্যুনাল ফর দ্য ল অফ দ্য সী-র নির্বাচনে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইমঅর্গানাইজেশনের নির্বাচনে, ইউনাইটেড নেশনস্‌ ইকনোমিক সোশ্যাল কাউন্সিল-এরনির্বাচনে ভারত জয়লাভ করেছে। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস-এ ভারত যেভাবে জয়পেয়েছে, তা নিয়ে সারা পৃথিবীতে আলোচনা হয়েছে। বন্ধুগণ, ভারতের এই ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ফলে ইয়েমেনে যখন সঙ্কট উপস্থিতহয়, ভারত নিজের নাগরিকদের নিরাপদে উদ্ধারের পর বিশ্বের অন্যান্য দেশও তাদেরনাগরিকদের উদ্ধারের জন্য ভারতের কাছে আবেদন জানায়। আপনারা শুনে গর্বিত হবেন যে, ঐসঙ্কটের দিনে ভারত ৪৮টি দেশের নাগরিকদের সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করেছিল। কূটনীতিতে মানবিক মূল্যবোধকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করি আমরা। আমাদের এইনীতি থেকে বিশ্ববাসী অনুভব করেছে যে, ভারত শুধুই নিজের জন্য নয়, বিশ্বের উপকারেরজন্য কাজ করে। আমাদের ‘সকলের সঙ্গে সকলের উন্নয়ন’-এর মন্ত্র দেশের সীমায় আবদ্ধথাকেনি। আজ আমরা শুধু আয়ুষ্মান ভারত নয়, আয়ুস্মান বিশ্বের জন্যেও কাজ করছি। যোগ এবংআয়ুর্বেদকে নিয়ে সারা পৃথিবীতে যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, তাও উদীয়মান ভারত-এরইপ্রতিবিম্ব। বন্ধুগণ, অর্থব্যবস্থা নিয়ে যদি কথা বলি, তা হলে বিগত ৩-৪ বছরে ভারত নিজেরপাশাপাশি সারা পৃথিবীকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির শক্তি প্রদান করেছে। যেদেশ বিশ্বেরজিডিপি’র ৩ শতাংশ মাত্র, সেই দেশই আজ বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে ৭ গুণ বেশিঅবদান রাখছে। যত বৃহৎ অর্থনীতির সূচক রয়েছে – মুদ্রাস্ফীতি, চলতি খাতে ঘাটতি, রাজস্বঘাটতি, মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি, সুদের হার, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আসা,সকল ক্ষেত্রেই ভারত ভালো অবদান রেখেছে। আজ বিশ্বের সর্বত্র ভারতকে নিয়ে যে আশা ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তারফলে সমস্ত রেটিং এজেন্সিগুলি ভারত’কে রেটিং-এ আগের তুলনায় উচ্চ স্থানে দেখাচ্ছে। Ø আজ বিশ্বেরতিনটি সর্বোচ্চ সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক গন্তব্যগুলির একটি হচ্ছে ভারত। Ø প্রত্যক্ষবিদেশি বিনিয়োগ আস্থা সূচকে ভারতকে বিশ্বের দুটি সর্বোচ্চ সম্ভাবনাময় মার্কেটপারফর্মারের মধ্যে একটি বলে মনে করা হচ্ছে। Ø আঙ্কটাড-এরবিশ্ব বিনিয়োগ রিপোর্টেও ভারতকে বিশ্বের পছন্দের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগেরগন্তব্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। Ø বিশ্বব্যাঙ্কের ইজ অফ ডুইং বিজনেস-এর র‍্যাঙ্কিং-এও আমরা প্রথম তিন বছরেই ৪২ ধাপ উন্���তিকরেছি। Ø ২০১৭-১৮সালে তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতে উন্নয়নের হার ৭.২ শতাংশ। অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা বলছেনযে, এই উন্নয়নের হার আরও বৃদ্ধি পাবে। বন্ধুগণ,২০১৪ সালের আগে দেশের কর ব্যবস্থার পরিচয় ছিল বিনিয়োগকারীদের জন্য অ-বন্ধুত্বসুলভ,অনিশ্চিত ও অস্বচ্ছ। এখন সেই পরিস্থিতি পরিবর্তিত হচ্ছে। অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা করচালু হওয়ার পর ভারত ইতিমধ্যেই বিশ্বে বৃহত্তম অর্থনৈতিক বাজারগুলির মধ্যে অন্যতমহয়ে উঠেছে। বন্ধুগণ,আমাদের সরকার গরিব, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের আশা-আকাঙ্খা পূরণে সার্বিকদৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করছে। Ø এবারেরবাজেটে আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে পুনরুজ্জীবনযোগ্য পরিকাঠামো এবং ব্যবস্থা বা ‘রাইস’নামক একটি নতুন প্রকল্প শুরু করার কথা ঘোষণা করেছি। এর মাধ্যমে আমাদের সরকার আগামীচার বছরে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সংস্কারের জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করতেযাচ্ছে। Ø সরকার দেশে২০টি বিশ্বমানের ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স গড়ে তোলার কাজ হাতে নিয়েছে। উচ্চ শিক্ষারসঙ্গে যুক্ত বেসরকারি ও সরকারি ইনস্টিটিউটগুলির সঙ্গে মিলে আমরা কাজ করছি। এইমিশনের মাধ্যমে ১০টি সরকারি ইনস্টিটিউটকে ১০হাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যও দেওয়াহবে। Ø এভাবে দেশেরনবীন প্রজন্মের স্ব-রোজগার এবং বিশেষ করে ক্ষুদ্র অতিক্ষুদ্র এবং মাঝারি ক্ষেত্রেকর্মরত শিল্পোদ্যোগীদের উৎসাহ দিতে আমরা স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া, স্টার্ট আপ ইন্ডিয়াএবং স্কিল ইন্ডিয়া মিশনের মতো কর্মসূচি চালু করেছি। Ø বিশেষ করে,প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা নবীন প্রজন্ম ও মহিলাদের ক্ষমতায়নে বড় মাধ্যম হয়েউঠছে। যখন থেকে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে, তখন থেকে অদ্যাবধি ১১ কোটিরও বেশি ঋণমঞ্জুর করেছে আমাদের সরকার। ইতিমধ্যেই বিনা গ্যারান্টিতে ৫ লক্ষ কোটি টাকার ঋণপ্রদান করা হয়েছে। এ বছরের বাজেটেও আমরা ৩ লক্ষ কোটি টাকার মুদ্রা ঋণ দেওয়ারসিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সকল প্রচেষ্টাগুলিকে যদি একটি ফুলের তোড়া হিসাবেদেখি, তা হলে এই তোড়াটি মূলত মধ্যবিত্ত এবং শহুরে নবীন প্রজন্মের মানুষদেরআশা-আকাঙ্খা পূর্ণ করা এবং কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগের তোড়া। আমি আশা করি, উন্নয়নের মুখ্য ধারার পেছনে থেকে যাওয়া যেকোনও ব্যক্তি কিংবা ক্ষেত্র যদি তীব্রগতিতে এগিয়ে আসেন, তাঁদের শক্তি এবং উৎপাদিতফসল কিংবা পণ্যের প্রতি সুবিধা করা হবে। তবেই উদীয়মান ভারতের ��ারনা আরও শক্তিশালীহবে। অবশেষে, আমি উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকে ২০২২ সালের মধ্যেদেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার সংকল্পসিদ্ধির যাত্রা সম্পর্কে মনে করাতে চাই।আপনাদের গ্রুপ কি কোনও সংকল্প গ্রহণ করেছে? কোনও রোড ম্যাপ তৈরি করেছে? আপনারা কিভেবেছেন যে, ২০২২ সালের মধ্যে নতুন ভারতের স্বপ্ন সফল করতে আমরা এভাবে অবদান রাখব? আমি অত্যন্ত আনন্দিত হব যদি আপনাদের গ্রুপ কোনও চ্যালেঞ্জনিয়ে নিজেদের সংকল্পকে নিজেদের চ্যানেলে ‘প্রোমোট’ করেন এবং তার ‘ফলো-আপ’ও দেখাতেথাকেন। বন্ধুগণ, ১২৫ কোটি ভারতবাসী ঈশ্বরের প্রতিরূপ। দেশেরপ্রতিটি সংস্থা প্রত্যেক একককে দেশের কল্যাণে, রাষ্ট্র নির্মাণের স্বার্থে উন্নয়নযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সংকল্পবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আপনাদের যে সংকল্পই থাকুক, তা সিদ্ধির জন্য আমার পক্ষথেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।",নতুন দিল্লীত অনুষ্ঠিত হোৱা ৰাইজিং ইণ্ডিয়া সন্মিলনত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে দিয়া ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,জাতীয় তাপবিদ্যুৎ নিগমের (এনটিপিসি) রায়বেরিলি প্রকল্পে অগ্নিকান্ডজনিতদুর্ঘটনার সংবাদে মর্মাহত প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এক বার্তায়বলেছেন : “এনটিপিসি’র রায়বেরিলি প্রকল্পে দুর্ঘটনার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত।শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির মতো আমিও সমান উদ্বিগ্ন। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এইপ্রার্থনা জানাই। পরিস্থিতির ওপর বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে এবং স্বাভাবিক অবস্থাফিরিয়ে আনতে কর্মী ও আধিকারিকরা সচেষ্ট রয়েছেন”।,ৰায়বেৰেইলীৰ এনটিপিচি প্ৰকল্পত সংঘটিত দুৰ্ঘটনাত শোক প্ৰকাশ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8C%E0%A6%AA/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D-12/,"নয়াদিল্লি, ২৫ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মুর কার্যকালের মেয়াদ সফলভাবে হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর এই রাষ্ট্রপতি ���দে আসীন হওয়া এক গৌরবময় মুহুর্ত, বিশেষত তা দেশের দরিদ্র, প্রান্তিক এবং নিম্নবিত্তদের জন্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালনের সময় রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হয়ে তাঁর ভাষণে রাষ্ট্রপতি ভারতের সাফল্যকে তুলে ধরেছেন এবং সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথের দিশা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এক ট্যুইটে বলেছেন : “দেশের রাষ্ট্রপতি পদে শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মুজির শপথ গ্রহণ সমগ্র দেশ গর্বের সঙ্গে প্রত্যক্ষ করেছে। রাষ্ট্রপতি পদে তাঁর আসীন হওয়া এক গৌরবময় মুহুর্ত, বিশেষত তা দেশের দরিদ্র, প্রান্তিক এবং নিম্নবিত্তদের জন্য। রাষ্ট্রপতি পদে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ সফল হবে বলে আমি আমার শুভেচ্ছা ব্যক্ত করছি।” “রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুজি আশা এবং ভালোবাসার বার্তা দিয়েছেন। ভারত যখন আজাদি কা মহোৎসব পালন করছে ভারতের সাফল্যের প্রতি আলোকপাত করে তিনি দেশের সামনে সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথের দিশা দিয়েছেন।”",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ৰাষ্ট্ৰপতি শ্ৰীমতী দ্ৰৌপদী মুৰ্মুক সফল কাৰ্যকালৰ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AF%E0%A7%8C%E0%A6%A5%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%AF/,"ভারতীয় ডাক বিভাগ ও ভিয়েতনামের ডাক বিভাগের মধ্যে যৌথভাবে প্রকাশিত একটি ডাকটিকিটের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বুধবারের বৈঠকে অবহিত করা হয়। ভারতীয় ডাক বিভাগ, কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রক ও ভিয়েতনাম ডাক বিভাগ যৌথভাবে ‘প্রাচীন স্হাপত্য’ শীর্ষক বিষয়ে একটি ডাক টিকিট প্রকাশে সম্মত হয়েছিল। এ বছরের গোড়ায় ২৫ জানুয়ারি ঐ ডাক টিকিট প্রকাশিত হয়। যৌথভাবে প্রকাশিত স্মারক এই ডাক টিকিট ভারতের সাঁচির স্তুপ ও ভিয়েতনামের পোহ মিনহ প্যাগোড়ার ছবি রয়েছে। ভারতের ডাক প্রশাসন ও ভিয়েতনাম ডাক বিভাগের মধ্যে ২০১৭-র ১৮ ডিসেম্বরে সাক্ষরিত সমঝোতাপত্রে এই ডাক টিকিট প্রকাশের সংস্হান ছিল। /…",ভাৰত আৰু ভিয়েটনামৰ মাজত যুটীয়া ডাক টিকট প্ৰকাশৰ বাবে স্বাক্ষৰিত বুজাবুজি চুক্তি কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%AA/,"নয়াদিল্লি, ১৮ নভেম্বর, ২০২২ স্কাইরুট এরোস্পেস উদ্ভাবিত ভারতের প্রথম বেসরকারি রকেট ‘বিক্রম সাব-অর্বিটাল’-এর সফল উৎক্ষেপণে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এবং ইন-স্পেসকে অভিনন্দিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। একগুচ্ছ ট্যুইট বার্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন : “স্কাইরুট এরোস্পেস উদ্ভাবিত রকেট ‘বিক্রম-এস’-এর আজ সফল উৎক্ষেপণ হল শ্রীহরিকোটা থেকে। এই ঘটনা ভারতের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বেসরকারি উদ্যোগে ভারতের মহাকাশ শিল্পের যাত্রাপথে এ হল এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই সাফল্যের জন্য ইসরো এবং ইন-স্পেস ইন্ডিয়াকে আমার অভিনন্দন।” “এই সাফল্যের ঘটনা একথাই প্রমাণ করে যে আমাদের যুব সমাজ যথেষ্ট মেধা ও প্রতিভার অধিকারী। ২০২০ সালে মহাকাশ ক্ষেত্রের সংস্কারের মতো এক বিশেষ পদক্ষেপের পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করতে তাঁরা যে যথেষ্ট পারদর্শী, এই সাফল্য সেকথাই প্রমাণ করে।” /","প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ভাৰতৰ প্ৰথম বেচৰকাৰী ৰকেট, বিক্ৰম-এছৰ সফল প্ৰক্ষেপণৰ বাবে ইছৰো আৰু ইন-স্পেচক অভিনন্দন জনায" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৭২তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লার প্রাকার থেকে আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। তাঁর ভাষণের বিশেষ বিশেষ অংশ এখানে তুলে ধরা হল: দেশ আজ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। এক নতুন শিখরে আরোহণের লক্ষ্য পূরণে কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে নতুন নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছে আমাদের দেশ। আমরা এমন এক সময় এই স্বাধীনতা উৎসব পালন করছি, যখন উত্তরাখণ্ড, হিমাচল, মণিপুর, তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে আমাদের কন্যা-সন্তানরা সাত সমুদ্র জয় করে ঘরে ফিরেছেন। তাঁরা ফিরে এসেছেন আমাদের মধ্যে সাত সমুদ্রে আমাদের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা উত্তোলন শেষে। আমাদের আদিবাসী সন্তানরা, যাঁরা দূর-দূরান্তের অরণ্যের অধিবাসী, তাঁরা এভারেস্ট পর্বত শৃঙ্গে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আমাদের জাতীয় পতাকার গৌরবকে তুলে ধরতে পেরেছেন। দলিত, শোষিত, বঞ্চিত কিংবা নারী – সকলের জন্যই সামাজিক ন্যায়কে আরও জোরদার করে তুলেছে আমাদের সংসদ। তাঁদের সকলের স্বার্থ সুরক্ষিত করে তোলা হয়েছে সতর্কতা ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে। ওবিসি কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদাদানের দাবি দীর্ঘদিনের। ওবিসি কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদাদানের মাধ্যমে অনগ্রসর এবং বিশেষভাবে অনগ্রসর শ্রেণীগুলির স্বার্থরক্ষায় উদ্যোগী হয়েছে বর্তমান সংসদ। বন্যার কারণে যে সমস্ত মানুষ তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন কিংবা অশেষ দুঃখ-কষ্টের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছেন, তাঁদের আমি এই মর্মে আশ্বাস দিতে চাই যে সমগ্র দেশ রয়েছে তাঁদের পাশেই। তাঁদের ত্রাণ ও সাহায্যের জন্য চেষ্টা চলছে পুরোদমে। যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের সকলকে জানাই আমার আন্তরিক সমবেদনা। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের ১০০ বছর পূর্তি আগামী বছরটিতে। দেশের স্বাধীনতার স্বার্থে জনতা আত্মবলিদান দিয়েছেন। তাঁদের ওপর শোষণের মাত্রা ছিল সীমাহীন। জালিয়ানওয়ালাবাগের সেই ঘটনায় যে বীর ও সাহসীরা আত্মাহুতি দিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে আমরা অনুপ্রেরণা লাভ করি। সেই সমস্ত নির্ভিক হৃদয়কে আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে আমি সম্মান ও অভিবাদন জানাই। ভারত বর্তমানে বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহৎ অর্থনীতির একটি দেশে পরিণত হয়েছে। যে সমস্ত বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবাসীর পক্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামে সামিল হয়েছিলেন, তাঁদের সকলকে আমি আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে অভিবাদন জানাই। জনসাধারণের সেবায় আমাদের সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী এবং পুলিশবাহিনী দিবারাত্র জীবনপণ সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত জাতীয় পতাকার গৌরব ও মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখাই তাঁদের জীবনের লক্ষ্য। স্বাধীনতার পরে বাবা আম্বেদকর সাহেবের উদ্যোগ ও নেতৃত্বে এক বিশেষ অন্তর্ভুক্তিমূলক সংবিধানের খসড়া রচিত হয়েছিল। এক নতুন ভারত গঠনের সঙ্কল্প সঙ্গে নিয়েই তার সেই আত্মপ্রকাশ। এক স্বনির্ভর, শক্তিশালী এবং সততঃ নিরন্তর উন্নয়নমুখী হয়ে উঠতে ভারতকে। শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্যতাই নয়, কার্যকারিতার দিক থেকেও ভারতকে আরও এক উন্নত স্থানে দেখতে আমরা আগ্রহী। দেশকে আমরা সেইভাবেই গড়ে তুলতে চাইছি। ১২৫ কোটি দেশবাসীর কঠোর শ্রম, স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্ক্ষা যখন একযোগে কাজ করে যায়, তখন সাফল্য অর্জিত না হওয়ার কোন কারণ থাকতে পারে না। ২০১৪ সালে শুধুমাত্র একটি সরকার গঠনের মধ্য দিয়েই ১২৫ কোটি ভারতবাসী থেমে থাকেননি। পরিবর্তে, ভারতকে নিরন্তরভাবে ��রও উন্নত করে তুলতে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন তাঁরা। এটাই হল ভারতের আসল শক্তি। গত চার বছর ধরে যে সমস্ত কাজ আমরা করে চলেছি সেদিকে আপনারা যদি একবার ফিরে তাকান তাহলে বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করবেন যে কি অসম্ভব গতিতে দেশ এগিয়ে চলেছে এবং কি দ্রুততার সঙ্গে আমরা অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছি। ২০১৩ সালে যেভাবে কাজ হত সেভাবে যদি আমরা কাজ করে যেতাম তাহলে হয়তো কয়েক শতাব্দী লেগে যেত ভারতকে পুরোপুরিভাবে উন্মুক্ত স্থানে প্রাকৃতিক কাজকর্মের অভ্যাসমুক্ত করে তুলতে কিংবা দেশের প্রতিটি প্রান্তে বিদ্যুতের সুযোগ পৌঁছে দিতে অথবা গ্রাম ও শহরাঞ্চলের প্রত্যেক মহিলাকে এলপিজি সংযোগ ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসতে। যদি আমরা ২০১৩-র সেই গতিতে কাজ করতাম, তাহলে একটি সমগ্র প্রজন্ম লেগে যেত অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে সারা দেশকে যুক্ত করার কাজে। বিভিন্ন লক্ষ্য পূরণের কাজে আমরা এইভাবেই দ্রুততর গতিতে এগিয়ে যেতে আগ্রহী। গত চার বছরে পরিবর্তন বা রূপান্তরের এক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে আমাদের দেশ। এক নতুন আগ্রহ, উৎসাহ এবং সাহসিকতার সঙ্গে জাতি ক্রমশঃ এগিয়ে চলেছে। মহাসড়ক নির্মাণের কাজ এখন দ্বিগুণ এবং গ্রামে বাসস্থান নির্মাণের সংখ্যা চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে এখন রেকর্ড পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদনের পাশাপাশি রেকর্ড সংখ্যক মোবাইল ফোন উৎপাদিত হচ্ছে। ট্র্যাক্টর বিক্রয়ের সংখ্যাও এখন এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। স্বাধীনতার পরে এই প্রথম সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিমান সংগ্রহ করছে আমাদের দেশ। দেশে এখন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে নতুন নতুন আইআইএম, আইআইটি এবং এইম্‌স। ছোট ছোট স্থানগুলিতে নতুন নতুন কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচিকে আরও উৎসাহ যোগানো হচ্ছে। টায়ার-২ এবং টায়ার-৩ শহরগুলিতে স্টার্ট আপ কর্মসূচি উত্তরোত্তর প্রসার লাভ করছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য একটি ‘কমন সাইন’ অভিধান সংকলনের কাজও বর্তমানে এগিয়ে চলেছে। প্রযুক্তি ও আধুনিকীকরণের সুযোগ এখন সম্প্রসারিত দেশের কৃষিক্ষেত্রেও। আমাদের কৃষকরা বর্তমানে ক্ষুদ্র সেচ, বারি সিঞ্চন এবং বিন্দু বিন্দু সেচ ব্যবস্থার সঙ্গে ক্রমশঃ অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। আমাদের সেনাবাহিনী বিপর্যয় কবলিত মানুষদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন সহানুভূতি ও সহমর্মিতার সঙ্গে। তাঁরাই আবার শত্রুপক্ষের ওপর আঘাত হানতে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালিয়ে যাচ্ছেন। নতুন নতুন উদ্দেশ্যকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের এগিয়ে চলা উচিৎ। কারণ, আমাদের লক্ষ্য যদি অস্বচ্ছ বা অস্পষ্ট থাকে, তাহলে অগ্রগতি কিন্তু অসম্ভব। একসঙ্গে অনেকগুলো বছর কেটে গেলেও বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে আমরা তখন কুল খুঁজে পাব না। কৃষকদের উৎপাদিত শস্যের মূল্যকে আকর্ষণীয় করে তোলার মতো এক সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি আমরা। বহু শস্যেরই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে উৎপাদন ব্যয়ের দেড়গুণেরও বেশি। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নতুন নতুন ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে খোলাখুলিভাবে তাঁদের আগ্রহ দেখানোর ফলে তাঁদের সাহায্যেই আমরা জিএসটি-র সফল বাস্তবায়ন সম্ভব করে তুলতে পেরেছি। ব্যবসায়ীদের মধ্যে তা এক নতুন আত্মবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে। দেশের কল্যাণের স্বার্থে বিশেষ সাহস ও সদিচ্ছার সঙ্গেই রূপায়িত হয়েছে ‘বেনামি সম্পত্তি আইন’। ভারতকে এক সময় অর্থনীতির দিক থেকে বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ বলে মনে করত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। কিন্তু আজ তারাই আবার যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে শুরু করেছে যে সংস্কার কর্মসূচির ওপর আমাদের গুরুত্ব আমাদের মূল নীতিগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে। এক সময় ‘লাল ফিতের ফাঁস’ কথাটি প্রায়ই ব্যবহার করা হত। আর আজ ‘রেড কার্পেট’-এর বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে সর্বত্র। বাণিজ্যিক কাজকর্মকে সহজতর করে তোলার র‍্যাঙ্কিং-এ আমরা পৌঁছে গিয়েছি ১০০তম অবস্থানে। সমগ্র দুনিয়া এখন বিশেষ গর্বের সঙ্গেই লক্ষ্য করছে আমাদের এই সাফল্য। এক সময় বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে ‘ভারত’ কথাটির অর্থই ছিল ‘নীতির দিক থেকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত’ এবং ‘বিলম্বিত সংস্কার’-এর একটি দেশ। কিন্তু আজ ভারতকে বর্ণনা করা হচ্ছে ‘সংস্কার, সংস্কার প্রচেষ্টা, কাজ ও সাফল্য এবং রূপান্তরমুখী’ একটি দেশ হিসাবে। ‘পাঁচটি প্রায় ভেঙে পড়া’ দেশের মধ্যে অন্যতম বলে মনে করা হত ভারতকে। কিন্তু বর্তমানে বলা হচ্ছে যে বহু কোটি ডলার বিনিয়োগের একটি সঠিক গন্তব্যভূমি হল আমাদের ভারত। ভারতের অর্থনীতি প্রসঙ্গে বলতে শোনা যাচ্ছে যে ‘ঘুমন্ত হাতি এখন ঘুম ভেঙে দৌড়তে শুরু করেছে’। বিশ্ব অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলির মতে আগামী তিন দশকে বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তিকে আরও মজবুত করে তুলতে পারবে ভারত। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মঞ্চে ভারতের মর্যাদা এখন বিশেষভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মঞ্চগুলিতে ভারত এখন তার বক্তব���য যথেষ্ট বলিষ্টভাবেই পেশ করতে পারছে। অতীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ লাভ করার জন্য ভারতকে অপেক্ষা করতে হত। কিন্তু এখন এই ধরণের অসংখ্য প্রতিষ্ঠান নিজেরাই এগিয়ে আসছে ভারতকে সদস্যপদ দেওয়ার জন্য। বিশ্ব উষ্ণায়নের ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের কাছে আশার আলো জাগিয়ে তুলেছে ভারত। আন্তর্জাতিক সৌর সমঝোতার উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হচ্ছে সমগ্র বিশ্বেই। খেলাধূলার জগতেও দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এখন বেশ ভালোরকমই সাড়া জাগিয়ে তুলেছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের সুদূরতম গ্রামটিতেও পৌঁছে গেছে বিদ্যুতের সুযোগ। মহাসড়ক, রেলপথ, আকাশপথ, জলপথ এবং তথ্যপথের প্রসার ও অগ্রগতির ক্ষেত্রেও উত্তর-পূর্ব ভারত একটি বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তরুণ ও যুবকরা তাঁদের নিজের নিজের এলাকায় এখন বিপিও স্থাপন করছেন। জৈব কৃষি পদ্ধতির একটি বিশেষ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। উত্তর-পূর্ব ভারতে স্থাপিত হতে চলেছে একটি ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়। এক সময় উত্তর-পূর্ব ভারত ছিল দিল্লি থেকে শতেক যোজন দূরে। কিন্তু মাত্র চার বছরের মধ্যেই দিল্লিকে আমরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার কাজে সাফল্য অর্জন করেছি। আমাদের দেশে মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশেরই বয়স ৩৫ বা তার আশেপাশে। কাজের প্রকৃতি পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও এক বিশেষ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে দেশের তরুণ ও যুবকরা। স্টার্ট আপ, বিপিও, ই-কমার্স কিংবা মোবিলিটি – যাই হোক না কেন, নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্রে দেশের তরুণ ও যুবকদের এখন স্বচ্ছন্দ বিচরণ। দেশকে বর্তমানে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে সঙ্কল্পবদ্ধ আমাদের তরুণ ও যুবসমাজ। মুদ্রা ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে দেশের ১৩ কোটি মানুষকে যা হল আমাদের এক বড় ধরণের সাফল্য। ঋণ গ্রহীতাদের মধ্যে ৪ কোটিই হলেন তরুণ ও যুবক যাঁরা এই প্রথম ঋণ সহায়তা লাভ করে স্বনিযুক্তির মাধ্যমে স্বাধীনভাবে এগিয়ে চলেছেন। পরিবর্তনশীল পরিবেশ ও পরিস্থিতির এ এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ৩ লক্ষ গ্রামে সাধারণ পরিষেবা কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বেও রয়েছেন আমাদের এই তরুণ ও যুবকরা। তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে নিমেষের মধ্যে বহির্বিশ্বের সঙ্গে প্রতিটি গ্রাম এবং প্রত্যেক নাগরিককে যুক্ত করে তোলার কাজে তাঁরা ব্যস্ত রয়েছেন। উদ্ভাবনী শক্তির সাহায্যে আমাদের বিজ্ঞানীরা ‘নাবিক’-এর সূচনা করতে চলেছেন। মৎস্যজীবী এবং অন্যান্যদের বিশেষ উপকারে আসবে এই কর্মসূচিটি। বহির্মহাকাশে আগামী ২০২২ সালের মধ্যে মানুষ সহ মহাকাশ যান পাঠানোর সঙ্কল্প গ্রহণ করেছে আমাদের দেশ। ভারতই হল চতুর্থ দেশ যে এই ঝুঁকি গ্রহণ করতে পেরেছে। আমরা বর্তমানে কৃষিক্ষেত্রের আধুনিকীকরণ ও অগ্রগতির দিকে বিশেষ নজর দিয়েছি। দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তির আগেই কৃষকদের আয় ও উপার্জন দ্বিগুণ করে তোলার স্বপ্ন রয়েছে আমাদের। আধুনিকীকরণের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রের সুযোগ-সুবিধাকে দিগন্তপ্রসারী করে তুলতে আমরা আগ্রহী। ‘বীজ থেকে বাজার’ পর্যন্ত মূল্য সংযোজনের কাজেও আগ্রহ রয়েছে আমাদের। বিশ্ব বাজারে দেশের কৃষক সাধারণের শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরাই প্রথম কৃষি রপ্তানি নীতি রূপায়ণের পথে অগ্রসর হয়েছি। বর্তমানে জৈব কৃষি পদ্ধতি, নীল বিপ্লব, মধুর বিপ্লব, সৌরশক্তি চালিত কৃষি ব্যবস্থার নতুন নতুন পথ উন্মুক্ত করে দিতে এগিয়ে চলার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। মৎস্যচাষের ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হল ভারত। ভারত থেকে মধু রপ্তানির পরিমাণও এখন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আখ উৎপাদকদের ক্ষেত্রে একটি খুশির খবর হল এই যে ইথানলের উৎপাদন এখন বৃদ্ধি পেয়েছে তিনগুণের মতো। গ্রামীণ অর্থনীতিতে অন্যান্য ক্ষেত্রগুলির গুরুত্বও কিছু কম নয়। মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন, কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ ইত্যাদির মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের সহায়সম্পদের প্রসার ঘটানোর কাজেও আমরা আগ্রহী। গ্রাম ভারতকে আমরা আরও দক্ষ করে তুলতে চাই এবং এই লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছি আমরা। খাদিপণ্যের বিক্রিও এখন বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ মাত্রায়। সৌরশক্তি চালিত কৃষি পদ্ধতিতে এখন আগ্রহী হয়ে উঠেছে দেশের কৃষক সমাজ। এই কারণে কৃষিক্ষেত্রে অবদানের পাশাপাশি, সৌর জ্বালানি বিপণনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের দ্বারও এখন তার কাছে উন্মুক্ত। অর্থনৈতিক বিকাশ ও অগ্রগতির পাশাপাশি, মানবজীবনের মর্যাদা বৃদ্ধির বিষয়টিকেও আমরা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। তাই, একজন সাধারণ মানুষ যাতে শ্রদ্ধা, সম্ভ্রম ও গর্বের সঙ্গে তাঁর জীবন অতিবাহিত করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে আমরা নির্দিষ্ট কর্মসূচিগুলি নিয়ে আরও এগিয়ে যেতে আগ্রহী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বচ্ছতা অভিযানের মাধ্যমে ৩ লক্ষ শিশুকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। সত্যাগ্রহ আন্দোলনের জন্ম দিয়েছিলেন গান্ধীজি। তাঁর কাছ থেকে এই অনুপ্রেরণা লাভ করে ‘স্বচ্ছতাগ্রহ’কে সফল করে তুলতে আমরা আগ্রহী। তাঁর সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে কোটি কোটি ‘স্বচ্ছতাগ্রহী’ স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করে তোলার মাধ্যমে প্রকৃত অর্থেই শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন তাঁর প্রতি। দেশের দরিদ্রতম ব্যক্তিটির কাছেও স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ পৌঁছে দিতে কেন্দ্রীয় সরকার ‘প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা’ অভিযানের সূচনা করেছে। এই কর্মসূচিটির আওতায় বর্তমানে যে কোন ব্যক্তি কোন ভালো হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন। ‘আয়ুষ্মান ভারত’ কর্মসূচির আওতায় স্বাস্থ্য বিমার আওতায় নিয়ে আসা হবে দেশের ১০ কোটি পরিবারকে। অর্থাৎ, নাগরিকদের ৫০ শতাংশের কাছেই এই সুযোগ সম্প্রসারিত হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিটি পরিবার বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমার সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। স্বচ্ছতা ও প্রযুক্তির ওপর আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা লাভের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের যাবতীয় বাধা ও অসুবিধা দূর করবে প্রযুক্তির প্রয়োগ ও ব্যবহার। এই লক্ষ্য পূরণে প্রযুক্তির পদ্ধতিগত ব্যবস্থাকেও আমরা উন্নত করে তুলেছি। ‘প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য অভিযান’-এর সূচনা হবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর। ভয়ঙ্কর রোগ-ব্যাধির সমস্যাগুলি থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে মধ্যবিত্ত পরিবার এবং তরুণ ও যুবকদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধার প্রসার ঘটানো হচ্ছে। টায়ার-২ এবং টায়ার-৩ শহরগুলিতে নির্মাণ করা হবে নতুন নতুন হাসপাতাল। স্বাস্থ্যকর্মীও নিযুক্ত হবেন প্রচুর সংখ্যায়। আগামী বছরগুলিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ-সুবিধারও বিশেষ প্রসার ঘটবে। এই চার বছরে দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়নে আমরা চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি। এক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে প্রকাশ যে গত দু’বছরে দারিদ্রসীমার ওপরে উঠে এসেছেন ৫ কোটি মানুষ। দরিদ্রদের ক্ষমতায়নের জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি কর্মসূচি। কিন্তু দালালদের খপ্পরে পড়ে দরিদ্র সাধারণ মানুষ এই কর্মসূচির সুযোগ ঠিকমতো ভোগ করতে পারছেন না। সমস্তরকম গলদ ও ফাঁকফোকর দূর করার জন্য সরকারিভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কালো টাকা ও দুর্নীতিকে নির্মূল করার কাজে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমাদের এই সমস্ত পদক্ষেপের ফলেই ৯০ হাজা��� কোটি টাকার সাশ্রয় ঘটেছে সরকারি কোষাগারে। যাঁরা সৎ, তাঁরাই কর মিটিয়ে দেন। তাঁদের অবদানেই রূপায়িত হয় আমাদের কর্মসূচিগুলি। তাই, কৃতিত্ব প্রাপ্য করদাতাদের, সরকারের নয়। ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিগত ৭০ বছরে প্রত্যক্ষ করদাতার সংখ্যা ছিল মাত্র ৪ কোটি। কিন্তু সেই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ২৫ লক্ষে। দীর্ঘ ৭০ বছরে পরোক্ষ কর ব্যবস্থায় রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৭০ লক্ষ। কিন্তু জিএসটি রূপায়ণের মাত্র এক বছরের মধ্যেই ১৬ লক্ষ রাজস্ব সংগ্রহ করতে পেরেছি আমরা। কালো টাকার দুর্নীতিকে আমরা প্রশ্রয় দিতে পারি না। জানি বাধা রয়েছে অনেক। কিন্তু তবুও আমি পিছিয়ে আসব না। দিল্লির রাস্তায় কিন্তু ক্ষমতার দালালদের এখন আর দেখা যায় না। স্বচ্ছতা রক্ষার স্বার্থে অনলাইন পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ার আমরা সূচনা করেছি। তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ ও ব্যবহারকে আমরা নিয়ে গিয়েছি সর্বোচ্চ মাত্রায়। শর্ট সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীতে আমরা নিয়োগ করব মহিলা আধিকারিকদের। স্বচ্ছতা পুরোপুরি বজায় থাকবে আমাদের সমগ্র প্রক্রিয়াটিতে। পুরুষ আধিকারিকদের মতোই সমান সুযোগ ও অধিকার লাভ করবেন মহিলা আধিকারিকরা। ধর্ষণের ঘটনা নিঃসন্দেহে বেদনাদায়ক। কিন্তু যে যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় ধর্ষিতাকে, তা কিন্তু আরও ভয়ঙ্কর। এই সত্যটি উপলব্ধি করা উচিৎ দেশের জনসাধারণের। ধর্ষিতার কষ্ট, যন্ত্রণা ও ভয়কে অনুভব ও উপলব্ধি করা প্রয়োজন প্রত্যেকেরই। আসুরিক মানসিকতা ও কাজকর্ম থেকে সমাজ তথা দেশকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত করতে হবে। আইন তার নিজের পথেই চলবে। আর ঐ ধরণের দুষ্কর্ম বন্ধ করতে হবে আমাদের। তাই, আমরা আক্রমণ করব সেই মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গিকেই। এই ধরণের বিকৃতির অবসান ঘটাতে কাজ করে যাওয়া উচিৎ আমাদের। তিন তালাক প্রথা মুসলিম মহিলাদের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। যাঁরা তালাক পাননি তাঁদের দুরাবস্থাও কম কিছু নয়। তাই, সংসদের বাদল অধিবেশনে একটি আইন বলবৎ করে মুসলিম মহিলাদের সেই যন্ত্রণা থেকে আমরা মুক্তি দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজও এমন কিছু কিছু ব্যক্তি রয়েছেন যাঁরা এই বিলের অনুমোদনের বিরোধিতা করে যাচ্ছেন। নিরাপত্তা বাহিনীগুলির তৎপরতা এবং রাজ্য সরকারগুলির প্রচেষ্টার কারণে ও সেইসঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি রূপায়ণের সৌজন্যে এবং ���র্বোপরি জনসাধারণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন থেকে মুক্ত করা হয়েছে ত্রিপুরা ও মেঘালয়কে। জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্যা নিরসনে শ্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রদর্শিত পথটিকেই শ্রেয় বলে মনে করি আমরা। ঐ পথকেই আমরা অনুসরণ করে চলব। হিংসা, ঘৃণা বা গুলিচালনার আমরা পক্ষপাতী নই বরং কাশ্মীরের দেশপ্রেমী সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়েই আমরা আরও এগিয়ে যেতে আগ্রহী। আগামী মাসগুলিতে জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রামীণ জনসাধারণ তাঁদের অধিকারগুলি ভোগ করার সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। তাঁরা নিজেরাই তাঁদের দেখভাল করতে পারবেন যথোপযুক্তভাবে। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়নের কাজে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ দিয়ে থাকে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে। পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলির নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহনে আমাদের উদ্যোগী হতে হবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা এগিয়ে চলেছি। প্রত্যেক ভারতীয়রই স্বপ্ন রয়েছে একটি করে নিজের বাসস্থান গড়ে তোলার। সেই লক্ষ্য পূরণেই রূপায়িত হচ্ছে আমাদের ‘সকলের জন্য বাসস্থান’ কর্মসূচিটি। একজন সাধারণ মানুষের ইচ্ছা ও আগ্রহ রয়েছে তাঁর বাড়িটিকে বিদ্যুতের আলোয় সাজিয়ে তোলার। তাই, প্রত্যেকটি গ্রামেই আমরা পৌঁছে দিচ্ছি বিদ্যুতের সুযোগ। রান্নাঘরের ধোঁয়া ও ঝুল-কালি থেকে মুক্তি পেতে ইচ্ছুক প্রত্যেক ভারতীয়। তাঁদের এই ইচ্ছাপূরণে সকলের জন্যই রান্নার গ্যাসের ব্যবস্থা করেছি আমরা। নির্মল পানীয় জলের চাহিদা রয়েছে প্রত্যেক ভারতবাসীর। তাই আমাদের লক্ষ্য হল সকলের জন্য জলের ব্যবস্থা করা। প্রত্যেক ভারতীয় চান যে তাঁর নিজস্ব একটি শৌচালয় গড়ে উঠুক। তাঁদের জন্য এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করে তোলা আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য। আবার দক্ষতা বিকাশেও আগ্রহী প্রত্যেক ভারতবাসী। তাই, সকলের জন্য দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচির ব্যবস্থাও করেছি আমরা। উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ পেতে ইচ্ছুক ভারতের প্রতিটি ব্যক্তি। আর এই লক্ষ্যেই রূপায়িত হচ্ছে আমাদের সকলের জন্য স্বাস্থ্য কর্মসূচিটি। নিরাপত্তার কারণে প্রত্যেক ব্যক্তিই চান একটি করে স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ। তাঁদের এই চাহিদা পূরণে সকলের জন্যই বিমার সুযোগ আমরা সম্প্রসারিত করছি। ইন্টারনেটের সুযোগ পেতে আগ্রহী প্রত্যেক ভারতবাসী। সকলের জন্য এই সংযোগের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি আমরা। সংযো�� ও যোগাযোগ প্রসারের মন্ত্রকে সম্বল করে উন্নয়নের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা বিশেষভাবে আগ্রহী। সংঘাত ও সংঘর্ষের পথে যেতে আমাদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। পথ বা সড়ক অবরোধও আমাদের কাম্য নয়। কারোর কাছে মাথা নোয়াতে আমরা মোটেই রাজি নই। তাই, দেশ কখনই থেমে থাকবে না। কোন কিছুর কাছেই নতিস্বীকার করবে না। নিরলসভাবেই সে এগিয়ে চলবে। আমাদের পৌঁছতে হবে নতুন নতুন উচ্চতায়। আগামী বছরগুলিতে প্রভূত সাফল্য ও অগ্রগতিকে বাস্তবায়িত করে তোলাই হল আমাদের স্বপ্ন। /…",স্বাধীনতা দিৱসত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আগবঢ়োৱা ভাষণৰ মূল দিশসমূহ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE/,"মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্টেফন লবৈন, সংবাদ মাধ্যমের বন্ধুগন, এটি আমার প্রথম সুইডেন সফর। প্রায় তিন দশক পর ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী সুইডেন সফরে এসেছেন। এদেশে আমাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জ্ঞাপন ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী লবৈন এবং সুইডেন সরকারকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার এই সফরে প্রধানমন্ত্রী লবৈন ভারতের সঙ্গে অন্যান্য নর্ডিক দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করেছেন। সে জন্যও আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই। ভারতের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া মিশন’-এ সুইডেন গোড়া থেকেই শক্তিশালী অংশীদার ছিল। ২০১৬ মুম্বাই-এ আমাদের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী লবৈন স্বয়ং অনেক বড় বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন। বিদেশ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন গতবছর অক্টোবর মাসে এই সুইডেনেই আয়োজন করা হয়েছিল। আমাদের আজকের আলাপ-আলোচনাতেও সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ভারতের উন্নয়ন যাত্রায় সুইডেন কিভাবে ভারতের সঙ্গে সফল অংশীদারিত্ব করতে পারে। এর পরিনামস্বরুপ আজ আমরা একটি উদ্ভাবন অংশীদারিত্ব এবং যৌথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে সম্মত হয়েছি। উদ্ভাবন, বিনিয়োগ, স্টার্ট আপ, শিল্প উৎপাদন ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমাদের যৌথ অংশীদারিত্ব বিশেষ মাত্রা যোগ করবে। এগুলির পাশাপাশি আমরা পুণর্নবীকরনযোগ্য শক্তি উৎপাদন, নাগরিক পরিবহন ও বর্জ্য ব্যবস্হাপনার মতো অনেক বিষয়ে নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি যার সঙ্গে ভারতের জনগণের জীবন ধারণের উৎকর্ষ বৃদ্ধির মত বিষয়টিও জড়িত রয়েছে। বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়েও আজ প্রধানমন্ত্রী লবৈন এবং আমি সুইডেনের প্রধান কোম্পানীগুলির সিইও-দের সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করবো। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আর একটি প্রধান স্তম্ভ হলো আমাদের প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সুইডেন দীর্ঘকাল ধরেই ভারতের সহযোগী। আর আমি বিশ্বাস করি ভবিষ্যতেও এক্ষেত্রে বিশেষ করে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে আমাদের সহযোগিতা অনেক নতুন অবসর জন্ম নেবে। আমরা আমাদের নিরাপত্তা সহযোগিতায় বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা ক্ষেত্রটিকে আরও শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর একটি বিষয়ে আমরা সহমত, তা হল, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমাদের নিবিড় সম্পর্ককে তুলে ধরা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমরা অনেক ঘনিষ্ট সহযোগী। ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা বজায় থাকবে। আজ আমরা ইউরোপ এবং এশিয়ায় নানা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা, মতবিনিময় করেছি। অবশেষে আর একবার প্রধানমন্ত্রী লবৈনকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। /…","ছুইডেন ভ্ৰমণকালত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ প্ৰেছ বিবৃতিৰ লিখিত ৰূপৰ ইংৰাজী সংস্কৰণ(১৭ এপ্ৰিল, ২০১৮)" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B6-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লি, ২২ এপ্রিল, ২০২২ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, সম্মানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ, আমাদের সংবাদ মাধ্যমের বন্ধুরা, নমস্কার! প্রথমেই আমি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং তাঁর সঙ্গে আসা প্রতিনিধিদলের সদস্যদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাই। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এটি হয়তো তাঁর প্রথম ভারত সফর, কিন্তু ভারতের পুরনো বন্ধু হিসাবে তিনি ভারতকে খুব ভালোভাব এ জানেন এবং চেনেন। বিগত কয়েক বছর ধরে ভারত ও বৃটেনের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রী জনসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। যখন ভারত তার স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছে, সেই সময় প্রধানমন্ত্রী জনসন-এর ভারত সফর একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। গতকাল সারা দেশ দেখেছে, আপনি সবরমতী আশ্রমে মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আপনার ভারত সফর শুরু করেছেন। বন্ধুগণ, গত বছর দুটি দেশ সর্বাঙ্গীণ কৌ��লগত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে। আমাদের সম্পর্ককে এই দশকে একটি নির্দিষ্ট দিশায় এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা উচ্চাকাঙ্খী ‘রোডম্যাপ ২০৩০’ – এর সূচনা করেছি। আমাদের আজকের আলোচনায় আমরা এই রোডম্যাপের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছি এবং আগামী দিনে এর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছি। দুই দেশই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ‘ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট – এফটিএ’ নিয়ে কাজ করে চলেছে। এই বিষয়ে আলোচনায় ভালো অগ্রগতি হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বছরের শেষেই এফটিএ সংক্রান্ত সমস্ত উদ্যোগ সম্পূর্ণ করবো। গত কয়েক মাসে ভারত সংযুক্ত আরব আমীরশাহী ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির কাজ শেষ করেছে। একইভাবে, আমরা বৃটেনের সঙ্গেও এফটিএ – এ বাস্তবায়িত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চাই। প্রতিরক্ষায় উৎপাদন, প্রযুক্তি এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের আত্মনির্ভর ভারত অভিযানকে সাহায্য করতে আমরা বৃটেনকে স্বাগত জানাই। বন্ধুগণ, আমরা আমাদের পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের যে পরিকল্পনা করেছি এবং ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার পাইপলাইন সহ সর্বাত্মক সংস্কার নিয়ে আলোচনা করলাম। বৃটিশ কোম্পানিগুলির ভারতে বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। গতকালই গুজরাটের হালোলে এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ আমরা দেখেছি। বৃটেনে ১৬ লক্ষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত বসবাস করেন। তাঁরা সেদেশের সমাজ ও অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক অবদান রেখে চলেছেন। আমরা চাই, এই প্রাণবন্ত সেতুবন্ধন আরও শক্তিশালী হোক। প্রধানমন্ত্রী জনসন ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়ে অত্যন্ত সক্রিয়। এর জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানাই। বন্ধুগণ, গ্লাসগো’তে অনুষ্ঠিত কপ-২৬ এ যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে, সেগুলি বাস্তবায়নের জন্য আমরা আমাদের অঙ্গীকার আবারও ব্যক্ত করেছি। আজ আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জলবায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে এবং জ্বালানী ক্ষেত্রে দুটি দেশের মধ্যে অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করে তোলা হবে। ভারতের জাতীয় হাইড্রোজন মিশনে অংশগ্রহণের জন্য আমরা বৃটেনকে স্বাগত জানাই। আমাদের মধ্যে কৌশলগত প্রযুক্তি সংক্রান্ত আলোচনার পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যও আমি প্রস্তাব রাখছি। বন্ধুগণ, আজ আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সংক্রান্ত অংশীদারিত্ব বাস্তবায়নে আমাদের দুই দেশের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, ���েটি আগামীদিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ বলে প্রমাণিত হবে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের উন্নয়নমূলক অংশীদারিত্বকে এই উদ্যোগ আরও শক্তিশালী করে তুলবে। এই ব্যবস্থাপনায় ভারত ও বৃটেন ১০ কোটি মার্কিন ডলার অন্যান্য দেশকে সাহায্য করবে এবং তৃতীয় কোনও দেশে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ উদ্ভাবন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। এভাবে স্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে সুবিধা হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে। এটি আমাদের নতুন শিল্পোদ্যোগ বা স্টার্টআপ এবং অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগকে নতুন নতুন বাজার খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। এর মধ্য দিয়ে ভারতীয় সংস্থাগুলির উদ্ভাবন আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে যাবে । বন্ধুগণ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যাতে মুক্ত, সমন্বিত ও আইন অনুযায়ী সমস্ত কার্যকলাপ সম্পন্ন হয় – আমরা তার উপরও গুরুত্ব দিচ্ছি। ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় উদ্যোগে অংশগ্রহণের জন্য বৃটেনের সিদ্ধান্তকে ভারত স্বাগত জানায়। আমরা ইউক্রেন সমস্যার সমাধানের জন্য অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করা এবং কূটনৈতিক ব্যবস্থাপনায় আলাপ-আলোচনার উপর গুরুত্ব দিচ্ছি। সমস্ত রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি। আমরা আফগানিস্তানে একটি সর্বাঙ্গীন ও সর্বস্তরের প্রতিনিধিমূলক সরকার গঠনের পক্ষে। এই সরকার শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশ গড়ে তুলবে। আফগান ভূখন্ড থেকে যাতে অন্য কোনও দেশে জঙ্গী হামলার পরিকল্পনা না হয়, তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সুধী, ভারত ও বৃটেনের মধ্যে সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে আপনি সর্বদাই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। এর জন্য আপনি প্রশংসার দাবিদার। আরও একবার আপনাকে ও আপনার সঙ্গে আসা প্রতিনিধিদলের সদস্যদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাই। অনেক ধন্যবাদ! প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছিলেন",যুক্তৰাজ্যৰ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সৈতে এক যুটীয়া সংবাদমেলত প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদীৰ বক্তব্ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-5/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A4-in-space-%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96/,"নতুন দিল্লি, ১০ ���ুন, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ আমেদাবাদের বোপালে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (ইন-স্পেস)-এর সদর দপ্তরের উদ্বোধন করেছেন। এই উপলক্ষে ইন-স্পেস সদর দপ্তর এবং মহাকাশ ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রয়োগ ও পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বেসরকারি কয়েকটি সংস্থার মধ্যে সমঝোতাপত্র সম্পর্কিত নথি বিনিময় হয়। মহাকাশ ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণ মহাকাশ কর্মসূচিতে আরও গতি সঞ্চার করবে এবং ভারতের মেধাবী যুবসম্প্রদায়ের কাছে সুযোগ-সুবিধার নতুন দ্বার খুলে দেবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল এবং মহাকাশ শিল্প ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এই উপলক্ষে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে আধুনিক ভারতের উন্নয়নের যাত্রাপথে আজ এক স্মরণীয় মুহূর্তের সূচনা হল। তিনি এজন্য সমস্ত দেশবাসী এবং বিজ্ঞানী মহলকে অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী ইন-স্পেস সদর দপ্তরের সূচনাকে আখেরে ভারতীয় মহাকাশ শিল্পের জন্য 'এদিকে দেখুন' শীর্ষক একটি মুহূর্ত বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এই কেন্দ্রটি মহাকাশ ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধার অগ্রদূত হয়ে উঠবে। শ্রী মোদী বলেন, ইন-স্পেস কেন্দ্রটি ভারতের যুবসম্প্রদায়কে তাদের মেধা জনসমক্ষে তুলে ধরার সুযোগ করে দেবে। ভারতের যুবারা সরকারি বা বেসরকারি যেক্ষেত্রেই কাজ করুন না কেন, ইন-স্পেস সেন্টারটি সকলের কাছে বড় সুযোগ এনে দেবে। ইন-স্পেস সেন্টারটি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের মহাকাশ ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা এর রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আপনারা সকলেই এই মহাকাশ কেন্দ্রটির দিকে দেখুন। আসলে ইন-স্পেস হল মহাকাশ, ইন-স্পেস হল গতি এবং ইন-স্পেস হল অপরকে টেক্কা দেওয়া। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে মহাকাশ ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাকে বিক্রেতা হিসেবে দেখা হয়েছে। এই ক্ষেত্রটিতে বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণের সুযোগে সর্বদাই বিঘ্ন ঘটানো হয়েছে। তিনি বলেন, বড়মাপের চিন্তা-ভাবনাই বিজয়ী হয়। মহাকাশ ক্ষেত্রে সংস্কারের মাধ্যমে যাবতীয় বিধি-নিষেধ দূর করা হচ্ছে। ইন-স্পেস কেন্দ্রটির মাধ্যমে বেসরকারি শিল্প সংস্থার অংশগ্রহণে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। দেশ আজ বিজেতা তৈরির করার অভিযান গ্রহণ করেছে��� তিনি বলেন, বেসরকারি ক্ষেত্র কেবল এখানে বিক্রেতা হিসেবে নয়, বরং মহাকাশ ক্ষেত্রের বিজয়ী হিসেবে ভূমিকা পালন করবে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি মহাকাশ প্রতিষ্ঠানগুলির সক্ষমতা এবং ভারতের বেসরকারি ক্ষেত্রের আগ্রহ যখন মিলিত হবে, তখন আকাশসীমাও ছাড়িয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী অনুতাপ প্রকাশ করে বলেন, আগে ভারতের যুবারা তাদের সম্ভাবনার পূর্ণ বাস্তবায়নের সুযোগ-সুবিধা পেতেন না। ভারতীয় যুবাদের মধ্যে এখন উদ্ভাবন, নতুন প্রাণশক্তি সঞ্চার এবং অনুসন্ধানের মানসিকতা দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, এটা দেশের কাছে দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ ও বাধা-নিষেধের মধ্যে বিভেদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু আজ আমরা আমাদের তরুণদের কাছে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য শুধু সরকারি পথ অনুসরণের শর্তই রাখতে পরি না। এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, নিয়ন্ত্রণ কায়েমের সময় পার হয়েছে এবং সরকার যুবাদের এগিয়ে চলার পথে যাবতীয় বাধা-বিপত্তি দূর করছে। তিনি প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষেত্র উদার করার নীতি, আধুনিক ড্রোন নীতি, ভূ-স্থানিক ডেটা বা তথ্য সম্পর্কিত নীতি-নির্দেশিকা এবং টেলিযোগাযোগ বা তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নিজের সুবিধা মত জায়গা থেকে কাজ করার সুবিধা গ্রহণের উদাহরণ দেন। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ভারতে বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য সহজে ব্যবসা বাণিজ্যের অনুকূল বাতাবরণ গড়ে তুলতে হবে, যাতে বেসরকারি ক্ষেত্র সাধারণ মানুষের জীবন-যাপনের মানোন্নয়নে সমান অবদান রাখতে পারে। তিনি বলেন, একজন বিজ্ঞানীই হোন বা একজন কৃষক / শ্রমিক, তিনি বিজ্ঞান উপলব্ধি করুন বা নাই করুন – এই সমস্ত কিছুকেই অতিক্রম করে আমাদের মহাকাশ অভিযান দেশের মানুষের অভিযান হয়ে উঠেছে। আমরা চন্দ্রযান অভিযানের সময় সাধারণ মানুষের মধ্যে আবেগের এক একাত্মতা লক্ষ্য করেছি। তিনি খুশি প্রকাশ করে বলেন, আজ ৬০টির বেশি বেসরকারি সংস্থা দেশের মহাকাশ ক্ষেত্রকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। দেশে মহাকাশ ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনার জন্য তিনি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ইসরোর ভূমিকার প্রশংসা করেন। শ্রী মোদী মহাকাশ ক্ষেত্রকে আরও উদার করার প্রয়োজনীয়তার কথা পুনরায় উল্লেখ করে এই ক্ষেত্রে ইসরোর পারদর্শিতা ও দক্ষতার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ভারতের মহাকাশ কর্মসূচি আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের সবথেকে বড় পরিচয় হয়ে উঠেছে��� প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে মহাকাশ প্রযুক্তি আমূল পরিবর্তনের মূল ভিত্তি হয়ে উঠছে। মহাকাশ প্রযুক্তি আজ না কেবল দূরবর্তী অঞ্চলে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে বরং আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়েও সংযোগ স্থাপনের বড় মাধ্যম হয়ে উঠছে। এপ্রসঙ্গে তিনি মহাকাশ প্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইন-স্পেস সেন্টারটিকে নিরলস কাজ করে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, বেসরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে সংগৃহীত তথ্য ভবিষ্যতে এগিয়ে চলার বড় মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। শ্রী মোদী বলেন, বিশ্ব মহাকাশ ক্ষেত্রের বাজার ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০৪০ নাগাদ এই বাজার এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছোনোর প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিশ্ব মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারতের অংশীদারিত্ব আরও বাড়ানোর সুযোগ এসেছে এবং এক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থারগুলি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। মহাকাশ পর্যটন এবং মহাকাশ কূটনৈতিক দৌত্যের ক্ষেত্রে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। দেশে অপার সম্ভাবনা থাকলেও তার সদ্ব্যবহার সীমিত প্রয়াসের মাধ্যমে কখনই সম্ভব নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। এপ্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সকলকে আশ্বস্ত করে বলেন, মহাকাশ ক্ষেত্রে সংস্কারমূলক প্রক্রিয়া কোন বাধা-বিঘ্ন ছাড়াই অব্যাহত থাকবে। অবশ্য এজন্য বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও বাণিজ্যিক সম্ভাবনার বিষয়টি সঠিক ভাবে উপলব্ধি করে তার সদ্ব্যবহারের সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য এক উপযুক্ত ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। ইন-স্পেস কেন্দ্রটি বেসরকারি ক্ষেত্রের যাবতীয় প্রয়োজনীয়তা মেটাতে এক জানালা ব্যবস্থা এবং স্বাধীন নোডাল এজেন্সি হিসেবে কাজ করবে। এক নতুন ভারতীয় মহাকাশ নীতি প্রণয়নে সমন্বয়সাধনের জন্য সরকারি সংস্থা, মহাকাশ শিল্প সংস্থা, স্টার্টআপ এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলার কাজ চলছে। এপ্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন, ভারত এক নতুন মহাকাশ নীতি প্রণয়নে কাজ করছে এবং মহাকাশ ক্ষেত্রে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করার নীতি গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবজাতীর ভবিষ্যৎ ও কল্যাণে দুটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। এই দুটি হল – মহাকাশ ও সমুদ্র। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতকে অবিলম্বে এই দুটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্��নের পথে অগ্রসর হতে হবে। তিনি বলেন, এই দুটি ক্ষেত্রে দেশে যে সমস্ত সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, সেই সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এক্ষেত্রে বিদ্যালয়গুলিতে অটল টিঙ্কারিং ল্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি জানান, শ্রীহরিকোটায় কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ চাক্ষুষ করার জন্য ১০ হাজার মানুষের বসার একটি গ্যালারি তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সন্তোষপ্রকাশ করে বলেন, গুজরাট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিষ্ঠানের জন্য বড় কেন্দ্র হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যেই জামনগরে (হু) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরম্পরাগত চিকিৎসা পদ্ধতির আন্তর্জাতিক কেন্দ্র, জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়, পন্ডিত দীনদয়াল শক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় উদ্ভাবন ফাউন্ডেশন, ভাষ্করাচার্য ইন্সটিটিউট ফর স্পেস অ্যাপ্লিকেশনস এবং সদ্য উদ্বোধন হওয়া ইন-স্পেস প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি সারা দেশের, বিশেষ করে গুজরাটের যুবাদের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানগুলির সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের আহ্বান জানান। উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০২০-র জুন মাসে ইন-স্পেস সদর দপ্তর স্থাপনের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে মহাকাশ সম্পর্কিত কর্মকান্ডে উৎসাহদান ও নিয়ন্ত্রণে মহাকাশ দপ্তরের একটি স্বশাসিত তথা একক জানালা বিশিষ্ট নোডাল এজেন্সি হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সদ্ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে। /",আহমেদাবাদৰ বোপালত IN-SPACe ৰ মুখ্য কাৰ্যালয় উদ্বোধন কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%B9/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80-%E0%A6%B8/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গুজরাটের রাজকোটে মহাত্মা গান্ধী সংগ্রহালয় উদ্বোধন করছেন। রাজকোটের আলফ্রেড উচ্চবিদ্যালয়ে এই সংগ্রহালয়টি গড়ে তোলা হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার বছরগুলিতে এই সংগ্রহালয়টি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছিল। গান্ধী-সংস্কৃতি, তাঁর মূল্যবোধ এবং আদর্শ সম্পর্কে সচেতনতা প্রচারে সংগ্রহালয়টি কাজ করবে। শ্রী মোদী ৬২৪টি বাড়ির এক স���কারি আবাসন প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ফলকের আবরণ উন্মোচন করেন। তিনি ২৪০টি উপকৃত পরিবারের ‘ই-গৃহপ্রবেশ’ অনুষ্ঠানও প্রত্যক্ষ করেন। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাত্মা গান্ধীর কাছ থেকে এখনও অনেক কিছু শেখার রয়েছে। গান্ধীর আর্শিবাদধন্য এই ভূমি বাপুর সঙ্গে অতোপ্রতভাবে জড়িত বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। পরিবেশের ব্যাপারে বাপুর উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গান্ধীজির কাজকর্মে উৎসাহিত হয়ে আমাদের আরও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সবুজায়িত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাইনের একেবারে শেষে দাঁড়িয়ে থাকা দরিদ্রতম ব্যক্তি এবং সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত মানুষের সর্বদায় সেবা করার বিষয়টি বাপু আমাদের শিখিয়েছিলেন। বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের তাদের জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে চাই। গরিব মানুষের জন্য বাড়ি বানাতে চাই। স্বাধীনতার পর ৭০ বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু, বাপুর ‘স্বচ্ছ ভারতের’ স্বপ্নপূরণ হয়নি বলেও প্রধানমন্ত্রী খেদ ব্যক্ত করেন। একজোট হয়ে আমরা বাপুর এই স্বপ্নপূরণ করতে পারি বলেও প্রধানমন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন। বিগত চার বছরে আমরা ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানে লক্ষ্যণীয় সাফল্য অর্জন করেছি। তা সত্বেও আমাদের এই কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে বলে তিনি মন্তব্য করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী মহাত্মা গান্ধী সংগ্রহালয় ঘুরে দেখেন। /",ৰাজকোটত মহাত্মা গান্ধী সংগ্ৰহালয় উদ্বোধন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%9C-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A6%B6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A7%B1-%E0%A6%AE/,"প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদীয়ে আজি প্ৰকাশিত বিশ্ববেংকৰ ২০১৮ বৰ্ষৰ ‘ব্যৱসায়ৰ বাবে সহজ পৰিৱেশৰ ৰচনা’ৰ প্ৰতিবেদনত ভাৰতে ৩০ নং স্থান দখল কৰাত আনন্দ প্ৰকাশ কৰিছে।যোৱা বছৰ ভাৰত ১৩০ নং স্থানত আছিল। এলানি টুইটৰ যোগেদি প্ৰধানমন্ত্ৰীগৰাকীয়ে এই ফলাফলক ঐতিহাসিক আখ্যা দি কয় যে ভাৰতত বহুমূখী সংস্কাৰ সাধন হোৱাৰ বাবেহে ই সম্ভৱ হৈছে। “ভাৰতত বহুমূখী সংস্কাৰ সাধন হোৱাৰ বাবেহে ব্যৱসায়ৰ বাবে সহজ পৰিৱেশৰ ৰচনাৰ এই ঐতিহাসিক ফলাফল সম্ভৱ হৈছে। ব্যৱসায়ৰ বাবে সহজ পৰিৱেশে উদ্যোগীসকলৰ সন্মূখত সোণালী সুযোগ আনি দিছে। বিশেষকৈ লঘূ, ক্ষ��দ্ৰ আৰু মধ্যমীয়া উদ্যোগীসকলে সমৃ্দ্ধি লাভ কৰিছে। যোৱা তিনি বছৰত আমি ৰাজ্যসমূহৰ মাজত এই ক্ষেত্ৰত প্ৰতিযোগিতা অনুষ্ঠিত কৰিছো, যি অতি লাভজনক হোৱা দেখা গৈছে। ইয়াৰ আগতে ভাৰতত ব্যৱসায় কৰা কেতিয়াও ইমান সহজ নাছিল। ভাৰতে সমগ্ৰ বিশ্বক ইয়াত লুকাই থকা অৰ্থনৈতিক সম্ভাৱনীয়তাসমূহ আৱিষ্কাৰ কৰি তাৰ সদব্যৱহাৰ কৰিবলৈ আহ্বান জনাইছে। ‘সংস্কাৰ, প্ৰদৰ্শন আৰু পৰিৱৰ্তন’ৰ মন্ত্ৰৰে উদ্বুদ্ধ হৈ আমি অৰ্থনৈতিক প্ৰগতিৰ দিশত কাম কৰি যাম”, প্ৰধানমন্ত্ৰীগৰাকীয়ে কয়।",২২ সংখ্যক ৰাষ্ট্ৰীয় যুৱ মহোৎসৱ-২০১৮ৰ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ লিখিত ৰূপৰ ইংৰাজী সংস্কৰণ (ভিডিঅ’ কনফাৰেন্সৰ মাধ্যমেৰে) +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A4-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ২৬ অক্টোবর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের নতুন বছর উপলক্ষে গুজরাটিদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নতুন বছর প্রত্যেকের জীবনে আলোকজ্জ্বল হয়ে উঠুক প্রত্যেকের জীবনে সমৃদ্ধি আসুক এই কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি গুজরাট সর্বদাই সাফল্যের নতুন শিখরে পৌঁছাক এই কামনাও করেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন; “સૌ ગુજરાતીઓને નવા વર્ષની અંતઃકરણપૂર્વકની શુભેચ્છાઓ…!! આજથી શરૂ થતુ નવું વર્ષ આપના જીવનને પ્રકાશમય કરી પ્રગતિના પંથે દોરી જાય….નવા સંકલ્પો, નવી પ્રેરણાઓ તથા નવા લક્ષ્યો સાથે ગુજરાત હરહંમેશ સિદ્ધિના ઉચ્ચ સોપાનો સર કરે તેવી અભિલાષા સાથે નૂતન વર્ષાભિનંદન…”।",গুজৰাটী নৱবৰ্ষত গুজৰাটৰ সকলো লোককে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শুভেচ্ছ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A6%A0%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%B9/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A7%8E-%E0%A6%A1/,"বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠনের মহানির্দেশক শ্রী রবার্তো আজেভেদো আজ নতুন দিল্লিতেভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। শ্রী আজেভেদোবর্তমানে বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠনের মন্ত্রিপর্যায়ের সাধারণ বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্যনতুন দিল্লিতে এসেছেন। এই সংগঠনের মহানির্দেশক, বহুপাক্ষিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালীকরার পথ খুঁজে বের করতে, আলোচনা শুরু করার ক্ষেত্রে, ভারত সরকারের উদ্যোগের জন্যধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে জানান, ভারত বহুপাক্ষিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থার জোরালোসমর্থক। তিনি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠনের কাজকর্মের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করেউন্নয়নশীল দেশগুলির উদ্বেগ দূর করা দরকার। তিনি বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠনেরমহানির্দেশককে, মুক্ত বাণিজ্য ও বিশ্বায়নের সুবিধা যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে আরওবেশি করে দৃশ্যমান হয়, সে বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আর্জি জানান।প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠনের মন্ত্রিপর্যায়ের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের সাফল্যকামনা করেন।",প্ৰধানমন্ত্ৰীক সাক্ষাৎ ডব্লিউটিঅ’ৰ সঞ্চালক প্ৰধানৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80/,"নমস্তে। ভনক্কম। আপনাদের সবাইকে নমস্কার। ইন্দোনেশিয়া তথা বালিতে আসার পর প্রত্যেক ভারতবাসীর মনে একটি ভিন্ন ধরনের অনুভূতি হয়। আজ আমিও সেই স্পন্দন অনুভব করছি। যে দেশের সঙ্গে ভারতের কয়েক হাজার বছর ধরে সম্পর্ক রয়েছে; আমরা শুনেছি যে কয়েক হাজার বছর ধরে ভারত থেকে অনেক প্রজন্মের মানুষ এদেশে এসেছেন আবার ফিরেও গেছেন। কিন্তু সেই পরম্পরাকে কখনও ম্লান হতে দেননি। কয়েক হাজার বছর ধরে এই পরম্পরাকে সঞ্জীবিত রাখা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই পরম্পরাকে জানা এবং প্রতি মুহূর্তে তার সঙ্গে যুক্ত থাকা- সেখানকার মানুষ, সেই ভূমি একটি ভিন্ন আনন্দের অভিজ্ঞতায় সিক্ত করতে থাকে। আপনারা কি কল্পনা করতে পারেন যে, আজ যে সময় আপনাদের সঙ্গে এই বালিতে বসে কথা বলছি, বালির নানা পরম্পরার জয়গান গাইছি, সেই সময় বালি থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে ভারতের কটক শহরে মহানদীর কিনারায় “বালি যাত্রা মহোৎসব” চলছে। এই বালি যাত্রা কী? এই মহোৎসব ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে কয়েক হাজার বছরের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে উদযাপন করছে। ইন্দোনেশিয়ার জনগণ এবার বালি যাত্রার ফটো যখন ইন্টারনেটে দেখবেন তখন গর্ববোধ করবেন, আনন্দিত হবেন, উৎসাহে উচ্ছ্বসিত হবেন। করোনা মহামারীর ফলে মাঝে কয়েক বছর এই মহোৎসব আয়োজন করা যায়নি সেজন্য এবার ওড়িশায় এই মহোৎসব বেশ জাঁকজমক সহকারে ধুমধাম করে লক্ষ লক্ষ মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পা��ন করা হচ্ছে। আমাকে বলা হয়েছে যে সেখানকার মানুষ এই বালি যাত্রা উপলক্ষে একটি প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। আর সেটি হল কাগজের নৌকা তৈরি করে জলে ভাসানো। তারা এই কাগজের নৌকা জলে ভাসানোর ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করার চেষ্টা করছেন। তার মানে হল ওড়িশায় আজ যাঁরা একত্রিত হয়েছেন তাঁদের শরীর সেখানে থাকলেও তাঁদের মন আপনাদের মাঝে এই বালিতে রয়েছে। বন্ধুগণ, আমরা কথায় কখায় প্রায়ই বলি ‘ইটস আ স্মল ওয়ার্ল্ড ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ার পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই বাক্যটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। সমুদ্রের বিশাল ঢেউগুলি ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ার সম্পর্কের ঢেউয়ের মতোই উৎসাহ ও উদ্দীপনায় জীবন্ত। কখনও ক্লান্তি অনুভব হয়না। এই সম্পর্ক সমুদ্রের অবিরাম ঢেউয়ের মতোই চলতে থাকে আর আমাদের সম্পর্ককে সঞ্জীবিত রাখে। একটা সময় ছিল যখন ‘কলিঙ্গ মেদাঙ্গ’-এর মতো সাম্রাজ্যের মাধ্যমে ভারতের দর্শন এবং ভারতের সংস্কৃতি ইন্দোনেশিয়ার ভূমিতে পৌঁছেছিল। আজ আমরা এমন একটা সময়ে পৌঁছেছি যখন ভারত এবং ইন্দোনেশিয়া একবিংশ শতাব্দীর উন্নয়ন যাত্রায় পরস্পরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে চলেছে। ইন্দোনেশিয়ার মাটি ভারত থেকে আসা মানুষদের যুগে যুগে যে ভালোবাসা দিয়ে গ্রহণ করেছে, তাঁদেরকে যেভাবে নিজেদের সমাজে সম্মিলিত করেছে, সেই ভালোবাসার ফলেই আজও আপনারা ইন্দোনেশিয়ার উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির জন্য নিজেদের অবদান রেখেছেন। আমাদের অনেক সিন্ধি পরিবার আজও এখানে থাকেন। ভারত থেকে আসা আমাদের এই সিন্ধি পরিবারের ভাই বোনেরা এখানকার বস্ত্র শিল্প ক্ষেত্রে এবং ক্রীড়া পণ্য ক্ষেত্রে, ফিল্ম এবং টিভি ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রেও অনেক অবদান রেখেছেন। আমার গুজরাটের অনেক মানুষের উপস্থিতি এখানে নানা গ্রহ-রত্ন হিরে, খনি শিল্প এমনকি কৃষি ক্ষেত্রেও পরিলক্ষিত হয়। ভারত থেকে আসা ইঞ্জিনিয়ার, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পেশার মানুষ ইন্দোনেশিয়ার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। অসংখ্য তামিলভাষী শিল্পী এখানকার সংস্কৃতি, এখানকার কলাকে আরও সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন। আমার মনে আছে ৩-৪ বছর আগে যখন প্রথমবার ইন্দোনেশিয়ার বাপ্পা নিওম্যান নুআরতাকে যখন ভারত সরকার পদ্মশ্রী সম্মান প্রদান করেছিল তখন ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে মুর্হূমুর্হূ হাততালির শব্দ প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল। তাঁর নির্মিত শিল্পকর্ম গরুর-বিষ্ণু-ক্যানকানা এতো অসাধারণ ছিল যে প্রায় প্রত্যেক ভারতবাসী তার প্রশংসা করেছে। তেমনিই ইন্দোনেশিয়ার ওয়ান দিবিয়া এবং এগাস ইন্দ্রো উদায়নাজি যখন পদ্ম পুরস্কার পেয়েছিলেন, তখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমার তার সম্পর্কে অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়েছিল। এগাস ইন্দ্রো উদায়নাজিকে আপনারা খুব ভালোভাবেই চেনেন আর তিনি আজ এখানে উপস্থিতও রয়েছেন। তিনি বালিতে মহাত্মা গান্ধীর দর্শনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাণপন পরিশ্রম করছেন। আমি কোথাও তাঁর একটা সাক্ষাৎকার দেখেছিলাম, সেখানে তিনি বলছিলেন যে ভারতের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল অতিথি পরায়ণতা। অর্থাৎ “অতিথি দেব ভবঃ”। অর্থাৎ অতিথি দেব ভবঃ-র এই ভাবনা প্রত্যেক ভারতবাসীর শিরা-ধমনীতে প্রবাহিত হয়। এই সাক্ষাৎকার পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। কিন্তু আর একটি কথা বলা উচিত, আপনত্ব নিয়ে ভারতের প্রশংসা তিনি যতোই করুন না কেন ইন্দোনেশিয়ার জনগণের স্বভাবে আপনত্ব কম নেই। আমি যখন গতবার জাকার্তায় এসেছিলাম তখন ইন্দোনিশায় জনগণ আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছেন তা আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি এবং অনুভব করেছি। এত মান, সম্মান, ভালোবাসা ও স্নেহ অতুলনীয়। আমার মনে আছে রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডোজির সঙ্গে ঘুড়ি উড়িয়ে আমি খুব মজা পেয়েছিলাম। আমাদের গুজরাটে সংক্রান্তির সময় ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ রয়েছে আর আমি ভালোই ঘুড়ি ওড়াতে পারি। এখানে ইন্দোনেশিয়াতেও সংক্রান্তির সময় অনেক ঘুড়ি ওড়ানো হয়। তবে ভারত এবং ইন্দোনেশিয়া সব সময় সুখের সময়ের বন্ধু নয়, আমরা দুঃখের সময়ও পরস্পরের পাশে দাঁড়াই। ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ায় যখন বড় ভূমিকম্প হয় তখন ভারত সাহায্যের জন্য দ্রুত “অপারেশন সমুদ্র মৈত্রী”-তে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেজন্যই আমি সে বছর জাকার্তায় এসেছিলাম। আর তখন একটি কথা বলেছিলাম যে, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে ৯০ নটিক্যাল মাইলের দূরত্ব রয়েছে ঠিকই, কিন্তু বাস্তবে আমরা পরস্পরের থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দূরে নেই, আমরা পরস্পরের ৯০ নটিক্যাল মাইল কাছে রয়েছি। বন্ধুগণ, জীবনের প্রতি পদক্ষেপে, প্রতি মুহূর্তে এমন অনেক কিছু রয়েছে যেখানে ভারত এবং ইন্দোনেশিয়া মিলে মিশে পরস্পরের সম্পর্ককে সহজ করে রেখেছে। বালির এই ভূমি মহর্ষি মার্কণ্ডেয় এবং মহর্ষি অগস্ত্যের পদধূলিতে পবিত্র হয়েছে। ভারতে যেমন হিমালয় রয়েছে, বালিতে তেমনি অগুঙ্গ পর্বত রয়েছে। ভারতে যেমন গঙ্গা আছে, বা��িতে তেমন তীর্থ গঙ্গা আছে। ভারতে প্রত্যেক শুভ কাজের আগে যেমন শ্রী গণেশ করা হয়, এখানেও তেমনি প্রত্যেকের বাড়িতে গণেশ বিরাজমান। সার্বজনিক স্থানগুলিতেও তাঁর পবিত্রতা সর্বজনবিদিত। পূর্ণিমার ব্রত, একাদশীর মহিমা, ত্রিকাল সন্ধ্যার মাধ্যমে সূর্য উপাসনার পরম্পরা, মা সরস্বতী রূপে জ্ঞানের আরাধনা- এ রকম অসংখ্য বিষয় রয়েছে যা আমাদের পরস্পরের সঙ্গে জুড়ে রেখেছে আর প্রতিনিয়ত জুড়ে চলেছে। বালির প্রত্যেক নাগরিক ছোটবেলা থেকে মহাভারতের গাথা শুনে বড় হন। আমি তো দ্বারকাধীশ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভূমি গুজরাটে লালিত পালিত হয়েছি। আমার জীবন সেখানে কাটিয়েছি। বালির জনগণের মনে মহাভারতের জন্য যতটা শ্রদ্ধা রয়েছে ভারতের জনগণের মনেও বালির জনগণের জন্য ততটাই আত্মীয় মনোভাব রয়েছে। আপনারা এখানে ভগবান বিষ্ণু এবং ভগবান রামের আরাধনা করেন। আর আমরা যখন ভারতে ভগবান রামের জন্মভূমিতে অনিন্দ্যসুন্দর রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর নতুন করে স্থাপন করি তখন ইন্দোনেশিয়ার রামায়ণ পরম্পরাকেও গর্বের সঙ্গে স্মরণ করি। কয়েক বছর আগে যখন ভারতে রামায়ণ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল, তখন ভারতের নানা প্রান্ত ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া থেকে অনেক শিল্পী, এখানকার অনেক শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, নৃত্যবিশারদ ও গায়ক ভারতে এসেছিলেন। আমেদাবাদ, হায়দ্রাবাদ, লক্ষ্ণৌ ইত্যাদি অনেক শহরে নিজেদের কর্মসূচি পালন করে তাঁরা অযোধ্যায় এসেছিলেন, এবং তাঁদের সর্বশেষ অনুষ্ঠান হয়েছিল সেই অযোধ্যাতেই। আর সেই সমস্ত অনুষ্ঠান অনেক ভারতবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছিল। ভারতের যেখানেই তাঁরা গেছেন সেখানকার খবরের কাগজে তাঁদের শিল্প নৈপ্যুণ্যের কথা ছাপা হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, বালিতে হয়তো এমন কেউ নেই যিনি একবার ভারতে গিয়ে অযোধ্যা কিংবা দ্বারকা ঘুরে আসতে চান না। ভারতেও অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁরা এখানকার প্রমবনন মন্দির এবং গরুর বিষ্ণু কিনকানা-র অনিন্দ্যসুন্দর প্রতিমা দর্শন করার জন্য উৎসাহী। করোনা কালের আগে এক বছরে ৫ লক্ষেরও বেশি ভারতবাসীর এদেশে ঘুরতে আসা এই প্রবণতার সাক্ষী। বন্ধুগণ, যখন ঐতিহ্য একরকম হয়, যখন মানবতার প্রতি আস্থা সমান হয়, তখন উন্নয়নের জন্যও সমান রাস্তা গড়ে উঠতে থাকে। কয়েক মাস আগেই ১৫ আগস্ট তারিখে ভারত তার স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তি উদযাপন করেছে। ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা দিবস ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দু’দিন পর আসে। ১৭ আগস্ট তারিখে পালিত হয়, কিন্তু ইন্দোনেশিয়া ভারত থেকে দু’দিন আগেই স্বাধীন হয়েছিল। ইন্দোনেশিয়ার কাছ থেকে ভারতের অনেক কিছু শেখার আছে। স্বার্ধীন হওয়ার পর বিগত ৭৫ বছরের উন্নয়ন যাত্রায় ইন্দোনেশিয়াকে দেওয়ার মতো অনেক কিছু ভারতের কাছেও আছে। ভারতের মেধা, ভারতের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, ভারতের শিল্পোদ্যোগ। আজ, এই সমস্ত কারণে ভারত বিশ্বে একটি নতুন পরিচয় গড়ে তুলেছে। আজ বিশ্বের অগণিত কোম্পানি এমন রয়েছে যাদের সিইও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। আজ বিশ্বে যতো ইউনিকর্ন তৈরি হচ্ছে সেগুলির প্রত্যেক ১০টার মধ্যে একটা ভারতের ইউনিকর্ন রয়েছে। আজ ভারত বিশ্বের সর্বাধিক দ্রুত গতিতে উন্নয়নশীল বড় অর্থনীতির দেশ। আজ ভারত ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। আজ ভারত গ্লোবাল ফিনটেক, আইটিবিপিএন-এর জন্য আউট সোর্সিং-এর ক্ষেত্রেও বিশ্বে এক নম্বর। আজ ভারতে স্মার্ট ফোন ডেটা ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিশ্বে এক নম্বর, আর ওষুধ সরবরাহ এবং টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রেও ভারত এক নম্বরে। বন্ধুগণ, ২০১৪ সালের পর থেকে ভারতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আর সেই পরিবর্তন মোদী নয়, সেই বড় পরিবর্তনের নাম গতি এবং দক্ষতা। আজ ভারত অভূতপূর্ব গতি এবং অপ্রত্যাশিত মাত্রায় কাজ করছে। এখন ভারত আর ছোটো করে ভাবে না। মূর্তি নির্মাণ করলেও তা বিশ্বে সর্ব বৃহৎ, স্টেডিয়াম গড়ে তুললেও তা বিশ্বে সর্ব বৃহৎ। ২০১৪ সালের পর থেকে ভারতে ৩২ কোটি থেকেও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তার মানে হল, আমেরিকার মোট জনসংখ্যা যতো প্রায় সমসংখ্যক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে ভারত প্রয়া ৩ কোটি গরিব নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে পাকা বাড়ি বানিয়ে দিয়েছে। আর যখন বাড়ি তৈরি হয়ে যায় তখন মানুষ রাতারাতি লাখপতি হয়ে যায়। যখন আমি ৩ কোটি বাড়ির কথা বলছি, তার মানে অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যার সমান মানুষের বাড়ি বিনামূল্যে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। বিগত ৭-৮ বছরে ভারতে ৫৫ হাজার কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ গোটা বিশ্বকে প্রায় দেড় চক্কর লাগানোর মতো দৈর্ঘ্যের নতুন জাতীয় মহাসড়ক তৈরি হয়েছে। আজ ভারত আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে যত মানুষকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করছে তা গোটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা থেকেও বেশি। করোনা সংকটের সময় ভারত সরকার তার যতো না��রিককে বিনামূল্যে টিকার ডোজ দিয়েছে তার মোট সংখ্যা আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যার আড়াই গুণ। এই তথ্যগুলি জেনে নিশ্চয়ই আপনাদের বুক গর্বে ফুলে উঠছে। সেইজন্যই বলছি যে, ভারতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বন্ধুগণ, আজকের ভারত তার ঐতিহ্য নিয়ে গর্বিত, তার ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত থেকে আকাশ ছোঁয়া ও উন্নত ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে। কিন্তু ভারতের এই লক্ষ্য শুধুই নিজেদের জন্য নয়। আমরা স্বার্থপর নই। শুধু নিজেদের জন্য কাজ করার শিষ্টাচার আমাদের নেই। একবিংশ শতাব্দীতে আজ বিশ্ববাসী ভারতের কাছে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। আর সেই প্রত্যাশাকে ভারত নিজের দায়িত্ব বলে মনে করে। আমরা বিশ্বের ভালোর জন্য নিজেদেরকে উৎসর্গ করতে সংকল্পবদ্ধ। আজ আমরা নিজেদের উন্নয়নের জন্য যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের পথ-মানচিত্র রচনা করছি তখন এর পাশাপাশি বিশ্বের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক আকাঙ্খা পূর্তির দিকেও লক্ষ্য রাখছি। আজ যখন ভারত আত্মনির্ভর ভারতের দূরদৃষ্টি নিয়ে এগিয়ে চলেছে সেই ভাবনায় বিশ্বের কল্যাণের ভাবনাও জুড়ে রয়েছে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে ‘ভারত এক সূর্য, এক পৃথিবী, এক গ্রিড’ মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করার জন্য ভারত এক পৃথিবী এক স্বাস্থ্য অভিযান শুরু করেছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের মতো সমস্যা প্রতিরোধে বিশেষ করে দ্বীপ রাষ্ট্রগুলির স্বার্থে ভারত নিয়মিত কাজ করে চলেছে। আবহাওয়া পরিবর্তন প্রতিরোধে ভারত বিশ্বকে ‘মিশন লাইফ’ অর্থাৎ ‘লাইফ স্টাইল ফর এনভায়রনমেন্ট’- প্রত্যেক নাগরিক যাতে এমন জীবনশৈলী পালন করে যা পরিবেশ বান্ধব হবে! আজ যখন গোটা বিশ্ব পরিবেশ বান্ধব এবং সার্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে আকর্ষিত হচ্ছে তখন ভারতের যোগ ও আর্য়ুবেদ সমগ্র মানবতার জন্য এক একটি বড় উপহার। আর বন্ধুগণ, যখন আর্য়ুবেদের কথা বলছি তখন ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে আর একটি সম্পর্কের কথা মনে পড়ছে। আমার মনে আছে যখন আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম তখন গুজরাটের আর্য়ুবেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এখানকার “ইউনিভার্সিটিস হিন্দু ইন্দোনেশিয়া”-র মধ্যে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে তার কয়েক বছর পর ইন্দোনেশিয়ার এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আর্য়ুবেদ হাসপাতাল স্থাপিত হয়েছে। বন্ধুগণ, ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’- অর্থাৎ গোটা বিশ্বকে একটি পরিবার হিসেবে ভাবার এই ভাবনা, এই শিষ্টাচার বিশ্ব কল্যাণের পথকে প্রশস্ত করে। করোনার সংকটকালে আমরা দেখেছি ভারত জীবনদায়ী ওষুধ থেকে শুরু করে টিকা উৎপাদন পর্যন্ত প্রত্যেকটি প্রয়োজনীয় সম্পদের ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা অর্জন করেছে। আর এর ফলে গোটা বিশ্ব উপকৃত হয়েছে। ভারতের নব অর্জিত সামর্থ অসংখ্য দেশের জন্য একটি সুরক্ষা কবচের কাজ করেছে। ইন্দোনেশিয়ার মতো আমাদের প্রতিবেশী এবং বন্ধু দেশগুলির জন্য আমরা বিশেষভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছি। এভাবে আজ ভারত মহাকাশ ক্ষেত্রেও একটি প্রধান আন্তর্জাতিক মহাশক্তি রূপে উঠে আসছে। আর এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও যে ভারত অনেক দশক ধরে শুধু বিদেশী অস্ত্রশস্ত্র ও অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম আমদানি করতো, সেই দেশ আজ নিজস্ব উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে। ব্রহ্মোস মিসাইল থেকে শুরু করে তেজস যুদ্ধ বিমান- এগুলির আকর্ষণ এখন সারা পৃথিবীতে ক্রমবর্ধমান। আজ ভারত বড় বড় লক্ষ্যস্থির করছে আর সেগুলি অর্জনের জন্য কঠিন পরিশ্রম করছে। সংকল্প থেকে সিদ্ধির এই মন্ত্র আজ একবিংশ শতাব্দীর নতুন ভারতের প্রেরণা হয়ে উঠেছে। আজ এই সুযোগে আমি আপনাদের সবাইকে আগামী ‘প্রবাসী ভারতীয় সম্মেলন’-এ অংশগ্রহণের জন্য নিমন্ত্রণ জানাচ্ছি। প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে ৯ তারিখে আমরা এই কর্মসূচি পালন করি। এবার এই সম্মেলন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে হবে। আর ইন্দোর হচ্ছে ভারতের এমন একটি মহানগর যেটি গত ৫-৬ বছর ধরে দেশের পরিচ্ছন্নতম শহরের পুরস্কার জিতেছে। সেজন্যই বলছি আপনারা এবার অবশ্যই ইন্দোরে আয়োজিত এই প্রবাসী ভারতীয় সম্মেলনে আসুন। নিজের ব্যস্ত কর্মসূচির মধ্যে থেকে ওই দিনটি বের করে এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত হন। যখন আপনারা ইন্দোরে আসবেন তার দু একদিন পরই আমেদাবাদে ঘুড়ি উৎসব হবে। আর ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দারা ঘুড়ি উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন না এটা হতেই পারে না। আপনারা যখন ভারতে আসবেন তখন একা আসবেন না। গোটা পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলে আসুন। সঙ্গে আপনার প্রতিবেশী ইন্দোনেশিয়ান পরিবারগুলিকেও নিয়ে আসুন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ার সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে তুলতে আপনাদের সহযোগিতা এবং সক্রিয় অবদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনারা সবাই কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদের এই কর্মভূমির কল্যাণের জন্য যত অবদান রাখছেন- তা তো রাখবেনই। এটাই ভারতের শিষ্টাচার। আমরা যেখানে থাকি, সেই সমাজের জন্য কাজ করার দায়িত্বও আমাদের ভালোভাবে পালন করতে হয়। আমি দেখতে পাচ্ছি যে আমাদের গুজরাটের বোহরা সমাজের অনেক ভাই-বোনেরা এখানে রয়েছেন। আমি সৌভাগ্যবান যে সৈয়দনা সাহেবের সঙ্গে আমার অনেক ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। আর বিশ্বের যেখানেই যাই বোহরা পরিবারের কেউ না কেউ আমার সঙ্গে এসে যখন দেখা করেন তখন খুব আনন্দ হয়। বন্ধুগণ, আপনারা এখানে এতো বিপুল সংখ্যায় এসেছেন, নিজেদের মূল্যবান সময় বের করে এসেছেন। আর উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে উপস্থিত হয়েছেন। আমি দেখতে পাচ্ছি আপনাদের চোখে-মুখে ওড়িশার বালি যাত্রার মতোই উৎসাহ ও উদ্দীপনা। আপনাদের এই ভালোবাসার জন্য, আপনাদের স্নেহের জন্য, ভারতের প্রতি আপনাদের এই শ্রদ্ধার জন্য আমি আপনাদের সবাইকে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই, অনেক অনেক শুভ কামনা জানাই। ধন্যবাদ বন্ধুগণ!",ইণ্ডোনেছিয়াৰ বালিত ভাৰতীয় সমূদায়ৰ অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%B2-%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%B2-%E0%A6%85%E0%A6%87%E0%A6%B2/,"নয়া দিল্লি: ৩০ নভেম্বর: প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বৃহস্পতিবার হিন্দুস্তান ভেজিটেবল ওয়েলস কর্পোরেশন লিমিটেডের(এইচ.ভি.ও.সি.) সমস্ত ভূমি সম্পত্তিকে এর সঠিক ব্যবহার/বন্দোবস্ত করার জন্য কেন্দ্রীয়আবাসন ও শহুরে বিষয়ক মন্ত্রককে (এম.ও.এইচ.ইউ.এ.) অথবা এর কোনো অনুমোদিত সংস্থাকে হস্তান্তরেরঅনুমোদন দিল| এই ভূমিসম্পত্তি হস্তান্তরের বিনিময়ে সরকার থেকে এইচ.ভি.ও.সি. যেসব ঋণ নিয়েছিল তা সুদসমেত বাদ দিয়ে দেওয়া হবে| তাছাড়া বিভিন্ন আদালত/বিচারসভা/কর্তৃপক্ষের কাছে জমেথাকা কোনো মামলার জন্য ভবিষ্যতে উঠতে পারে, এইচ.ভি.ও.সি.’র এমন সমস্ত শর্তসাপেক্ষদায়্গুলিও সরকার গ্রহণ করবে| সব মিলিয়ে সাতটি শহরে থাকা এই জমিগুলো বছরের পর বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায়পড়ে রয়েছে| এম.ও.এইচ.ইউ.এ.’র কাছে এই সম্পত্তির হস্তান্তরের ফলে তা জনগণের কাজেব্যবহার করা যাবে| এর মধ্য দিয়ে এই রুগ্ন পি.এস.ইউ. অর্থাত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাএইচ.ভি.ও.সি.-কে ��হজে গুটিয়ে নেওয়া সহজ হবে|",হিন্দুস্তান ভেজেটেবল অইলচ কৰ্পোৰেশ্যন লিমিটেডৰ ভূমি সম্পত্তি আৱাস আৰু নগৰ পৰিক্ৰমা মন্ত্ৰালয়লৈ হস্তান্তৰ কৰাৰ প্ৰস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A7%AB%E0%A7%AE%E0%A7%AC%E0%A7%A6-%E0%A6%95%E0%A7%8B/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE-8/,"‘লাইট হাউজ’ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ১,১০০টি বাসস্থান তিনি উৎসর্গ করলেন রাজ্যের দরিদ্র মানুষের কল্যাণে ইন্ডিয়া আরবান হাউজিং কনক্লেভ ২০২২-এর উদ্বোধন করেন “এক উন্নত ভারত গঠনের লক্ষ্যে উন্নত গুজরাট গড়ে তোলা’কে আমাদের কর্মযজ্ঞের একটি মঞ্চ” “রাজকোট থেকে আমি অনেক কিছুই শিখেছি। এই অঞ্চলেরই একটি বিদ্যালয়ে আমার শিক্ষা জীবন শুরু হয়” “যদি কোনো মানুষের জীবনে প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদার অভাব ঘটে, তাহলে সে কখনই দারিদ্র্যকে জয় করতে পারে না” “‘গরীবি হটাও’ এবং ‘রোটি কাপড়া অউর মাকান’-এর মতো স্লোগানগুলি শুধুমাত্র স্লোগানই থেকে গিয়েছিল” “পূর্ববর্তী সরকারগুলির আমলে যেভাবে বাড়ি-ঘর তৈরি করা হত, আমরা কিন্তু সেইভাবে কাজ করে যাচ্ছি না। সাধারণ মানুষ যাতে স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারেন তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য” “গত দু’দশকে রাজকোট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং উৎপাদন সামগ্রীর রপ্তানির মাত্রা ৫ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করে গেছে” “বিশ্বের সেরামিক উৎপাদনের মোট চাহিদার ১৩ শতাংশই উৎপাদিত হয় এখানে” গত আট বছরে ৩ কোটিরও বেশি পাকা বাড়ি বন্টন করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন গ্রাম ও শহরের দরিদ্র মানুষদের মধ্যে। ১০ লক্ষ পাকা বাড়ি মঞ্জুর করা হয়েছে শুধুমাত্র গুজরাটের বিভিন্ন শহরের দরিদ্র মানুষের জন্য। এর মধ্যে ৭ লক্ষ বাড়ির নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই ও তাঁর কর্মীরা দরিদ্র কল্যাণে গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় কাজ করছেন। শুধুমাত্র দরিদ্রদের জন্যই নয়, সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষদের নিজেদের একটি বাসস্থানের স্বপ্নকেও আমরা বাস্তবায়িত করেছি। এই লক্ষ্যে গুজরাটের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লক্ষ লক্ষ মানুষকে ১১ হাজার কোটি টাকারও বেশি দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, রুটি-রুজির খোঁজে যে সমস্ত শ্রমিক ও কর্মী বিভিন্ন শহরে এসে বসবাস করছেন, তাঁদেরও কম ভাড়ায় আরও ভালো বাসস্থানের ব্যবস্থা করা উচিৎ বলেই আমি মনে করি। এই কারণে দ্রুতগতিতে তাঁদের কল্যাণেও একটি কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে। গুজরাটের রাজকোটে আজ ৫,৮৬০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস ও তা উৎসর্গকালে এই তথ্য পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘লাইট হাউজ’ প্রকল্পের আওতায় ১,১০০টিরও বেশি বাড়ি নির্মিত হয়েছে বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী এদিন গুজরাটের ২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক বরাবর রাজকোট-গোন্দাল-জেটপুর সেকশনের চার লেনের রাস্তাকে ছয় লেনের রাস্তায় রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটির শিলান্যাসও করেন। এছাড়াও, মোরবী, রাজকোট, বোতাড়, জামনগর এবং কচ্ছ-এর বিভিন্ন অঞ্চলে ২,৯৫০ কোটি টাকার জিআইডিসি শিল্প এস্টেটেরও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী একইসঙ্গে অন্যান্য যে সমস্ত প্রকল্পের এদিন শিলান্যাস করেন তার মধ্যে রয়েছে – গাধকায় আমূলের একটি ডেয়ারি প্ল্যান্ট, রাজকোটে একটি ইন্ডোর স্পোর্টর্স কমপ্লেক্সের নির্মাণ, দুটি পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প এবং রেল ও সড়ক পথের আরও বেশ কয়েকটি কর্মসূচি। এই উপলক্ষে এক সমাবেশে ভাষণদানকালে শ্রী মোদী বলেন যে বছরের এই সময়টিতে বেশ কিছু নতুন নতুন সঙ্কল্প আমরা গ্রহণ করে থাকি এবং সেগুলি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মযজ্ঞেরও সূচনা হয়। তিনি বলেন, দেশের ছয়টি স্থানের মধ্যে রাজকোট হল অন্যতম যেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নির্মিত ১,১৪৬টি বাড়ি আজ উৎসর্গ করা হয়েছে। দীপাবলীর আগে এই ঘটনাকে এক আনন্দময় মুহূর্ত বলে বর্ণনা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ২১ বছরে কেন্দ্র ও গুজরাট সরকার মিলিতভাবে স্বপ্নের বাস্তবায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে তাও বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। রাজকোট থেকে আমি অনেক কিছুই শিখেছি। এই অঞ্চলেরই একটি বিদ্যালয়ে আমার শিক্ষা জীবন শুরু হয়। এই শহরটিতে শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে একদা এসেছিলেন স্বয়ং মহাত্মা গান্ধীও। তাই এই শহরটির ঋণ আমি কোনদিনই পরিশোধ করতে পারব না। রাজকোট সহ সমগ্র গুজরাটের উন্নত আইন ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে শ্রী মোদী বলেন, এখানকার তরুণরা বর্তমানে গভীর রাত পর্যন্ত নির্ভয়ে বাইরের কাজ করতে পারেন। এই ঘটনা আমাদের মনে এক ধরনের সন্তোষ এনে দিয়েছে কারণ, এক সময় দাগী অপরাধী, মাফিয়ারাজ, দাঙ্গাবাজ, সন্ত্রাসবাদী এবং অন্যান���য কুখ্যাত অপরাধীদের মোকাবিলা করতে আমাদের ব্যস্ত থাকতে হত। আমাদের সেই চেষ্টা বিফল হয়নি। শ্রী মোদী বলেন, বিগত দশকগুলিতে প্রতিনিয়ত আমাদের প্রচেষ্টাই ছিল গুজরাটবাসী যেন একাধারে দক্ষ ও কাজকর্মে চৌখস হয়ে উঠতে পারেন। এজন্য যা কিছু করা প্রয়োজন তা আমরা করেছি এবং এখনও করে যাচ্ছি। ‘এক উন্নত ভারত গঠনের লক্ষ্যে উন্নত গুজরাট গড়ে তোলা’কে আমাদের কর্মযজ্ঞের একটি মঞ্চ বলেই আমরা মনে করেছি। একদিকে যেমন আমরা শিল্পোন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছি, অন্যদিকে তেমনই ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাট’ অভিযানের মধ্য দিয়ে বিনিয়োগ প্রচেষ্টাকেও আমরা উৎসাহিত করেছি। ‘কৃষি মহোৎসব’ এবং গরীব কল্যাণ মেলা’র মাধ্যমে দরিদ্র গ্রামবাসীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যেও আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা লক্ষ্য করেছি যে দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন তাঁদের দ্রুত দারিদ্র্যের কবল থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। যদি কোনো মানুষের জীবনে প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদার অভাব ঘটে, তাহলে সে কখনই দারিদ্র্যকে জয় করতে পারে না। উপযুক্ত শৌচাগার, বিদ্যুতের সুবিধা, পাইপলাইনের মাধ্যমে জলের যোগান, রান্নার গ্যাস এবং ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে যে সমস্ত বাড়ি গড়ে তোলা হচ্ছে এবং হয়েছে, তা দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নের লক্ষ্যেই রূপায়িত। একইভাবে রোগ-ব্যাধি একটি দরিদ্র পরিবারকে চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে এনে দাঁড় করায়। এই ধরনের শোচনীয় পরিস্থিতির যাতে ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেই লক্ষ্যে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ এবং পিএমজেএওয়াই-এমএ-র মতো কর্মসূচিগুলি রূপায়িত হচ্ছে যার আওতায় দরিদ্র পরিবারগুলির জন্য নিখরচায় উন্নতমানের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। পূর্ববর্তী সরকারগুলি দরিদ্র মানুষের শোচনীয় পরিস্থিতির কোনো খোঁজখবর রাখত না। দরিদ্র মানুষের জন্য তাদের মধ্যে কোনরকম অনুভূতিই কাজ করত না। সেই কারণে ‘গরীবি হটাও’ এবং ‘রোটি কাপড়া অউর মাকান’-এর মতো স্লোগানগুলি শুধুমাত্র স্লোগানই থেকে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে সড়ক, বাজার, শপিং মল এবং প্লাজা ছাড়াও নগর জীবনের উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের আরও একটি দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের সরকার উপলব্ধি করেছে যে রাস্তায় বসে যাঁরা পণ্য বিক্রি করেন তাঁদের জন্যও আমাদের কিছু করা প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে আমরা তাঁদের সঙ্গে ব্যাঙ্কগুলির একটি যোগসূত্র স্থাপন করে দিয়েছি। খুব সহজ শর্তেই তাঁরা এখন ঋণের সুবিধা পাচ্ছেন ব্যাঙ্কগুলি থেকে। শুধু তাই নয়, ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন সম্পর্কেও তাঁরা এখন আরও বেশি মাত্রায় সচেতন হয়ে উঠছেন। এর ফলে, ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিটিও ক্রমপ্রসারিত হচ্ছে। রাজকোটে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্পের প্রসার সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে শ্রী মোদী বলেন, একটি শিল্প নগরী হিসেবে রাজকোটের বিশেষ সুখ্যাতি রয়েছে। সেইসঙ্গে এখানকার ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প সংস্থাগুলির জন্যও শহরটি বিশেষভাবে পরিচিত। গত দু’দশকে রাজকোট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং উৎপাদন সামগ্রীর রপ্তানির মাত্রা ৫ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করে গেছে। ঐ সময়কালের মধ্যে এখানকার কলকারখানার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ এবং শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে আরও বহুগুণ। এখানে কাজের পরিবেশ অনুকূল হওয়ায় হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানও সম্ভব হয়েছে। মোরবীর সেরামিক টালি আজ বিশ্ব বিখ্যাত। বিশ্বের সেরামিক উৎপাদনের মোট চাহিদার ১৩ শতাংশই উৎপাদিত হয় এখানে। রপ্তানির দিক থেকেও মোরবীর বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। মোরবী-তে উৎপাদিত সামগ্রী ছাড়া ঘরের মেঝে, বাথরুমের দেওয়াল এবং শৌচাগার নির্মাণ বোধহয় অসম্পূর্ণই থেকে যায়। এই কারণে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে মোরবী-তে গড়ে তোলা হচ্ছে একটি সেরামিক্স পার্ক। পরিশেষে, প্রগতিশীল শিল্পনীতি গ্রহণ করার জন্য গুজরাট সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী, আবাসন ও নগর বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী কৌশল কিশোর, গুজরাটের প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্রী বাজিভাই ভালা, রাজ্যের ভূতপূর্ব মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় রুপানি এবং সাংসদ শ্রী মোহনভাই কুন্ডরিয়া ও শ্রী রামাভাই কুমারিয়া।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে গুজৰাটৰ ৰাজকোটত প্ৰায় ৫৮৬০ কোটি টকা মূল্যৰ প্ৰকল্পৰ আধাৰশিলা স্থাপন কৰে আৰু ৰাষ্ট্ৰৰ প্ৰতি উৎসৰ্গা কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A7%8B/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0-2/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গুয়াহাটিতে আজ রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু, মেন্দিপাথার-গুয়াহাটি-শোকহুভ���-র মধ্যে বিশেষ ট্রেনের যাত্রা সূচনা করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ভারতীয় রেলের এক ট্যুইটের জবাবে প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে বলেন, “উত্তর-পূর্বের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও মজবুত করার জন্য গত আট বছর ধরে অবিরাম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই অঞ্চলের যুবশক্তির জন্য এটি বিশেষভাবে সহায়ক হবে।”",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে উত্তৰ-পূবত ৰে’ল সংযোগ আৰু আন্তঃগাঁথনি শক্তিশালী কৰাৰপদক্ষেপক প্ৰশংসা কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%89-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AD-%E0%A6%8F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%89-%E0%A6%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AD%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,"নতুন দিল্লিতে ওয়াই ৪ ডি নিউ ইন্ডিয়া কনক্লেভে আজ ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ আজ রূপান্তরের মধ্য দিয়ে চলছে। দ্রুততম বিকাশশীল অর্থনীতি হিসাবে ভারত আজ নিজেকে যে প্রতিপন্ন করতে পেরেছে, সে বিষয়টি উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে দ্রুতদারিদ্র্য কমছে। তাঁর এও অভিমত, সরকার যখন সক্রিয়তার পরিচয় দিচ্ছে, তখন যুবসমাজ কেবল প্রাপ্ত সুযোগের সদ্ব্যবহারই করছেন না, তাঁরা নতুন করে নিজেদের গড়ে তুলছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবসম্প্রদায়ের আশা-আকাঙ্খা বা ক্ষমতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারত পরিবর্তনশীল ক্রিয়াকলাপগুলি চালাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের ৩ কোটি শিশুর টিকাকরণ সম্ভব হয়েছে, বিগত চার বছরে ১.৭৫ লক্ষ কিমি গ্রামীণ সড়ক নির্মিত হয়েছে, বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে প্রত্যেকটি গ্রামে, ২০১৭-র অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৮৫ লক্ষ বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে; দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে ৪.৬৫ কোটি রান্নার গ্যাস সংযোগ এবং বিগত চার বছরে ১ কোটিরও বেশি বাড়ি গরিব মানুষের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই বিরাট সংখ্যায় পৌঁছনোর অন্যতম কারণ ভারতের ৮০ কোটি মানুষ বর্তমানে ৩৫ বছরের নীচে রয়েছে। শ্রী মোদী দেশের বহু নেতার উদাহরণ দিয়েছেন যাঁরা অত্যন্ত নগণ্য পটভুমি থেকে উচ্চ পদে আসীন হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতি কেবল রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। প্রশাসনিক পরিষেবায় উচ্চপদে অভিষিক্ত বহু যুবকই এসেছেন হয় গ্রাম অথবা ছোট শহর থেকে। হিমা দাস-এর উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অ্যাথলিটের মতোই অন্যান্য অল্প বয়সী মেয়েরা ক্রীড়া ক্ষে���্র থেকে পদক নিয়ে আসছেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি মনে করেন, ভারতের নব্য যুবসমাজ মনে করে সবকিছুই সম্ভব এবং সবকিছুই পাওয়া যেতে পারে। শ্রী মোদী এ প্রসঙ্গে বলেন, দেশের চাহিদার ওপর লক্ষ্য রাখতে মানুষের জীবনকেও আরও সরল করতে হবে। ভারতমালা, সাগরমালা, মুদ্রা, স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া, আয়ুষ্মান ভারত – এর মতো প্রকল্পগুলি কিভাবে সাহায্য করছে তারও ব্যাখ্যা করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্ভাবন ও গবেষণায় যে তাঁর সরকার প্রভূত গুরুত্ব দিয়েছে, তাও এ প্রসঙ্গে জানান তিনি। ডিজিটাল লেনদেনের বিকাশে যুবসমাজ যথেষ্ট সাহায্য করছে বলে প্রধানমন্ত্রী পরিশেষে জানান।এ প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন, দেশের স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্য করেছিল যুবসম্প্রদায়। নতুন ভারতের উদয়েও যুবসম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি মনে করেন, নতুন ভারত এমনই একটি স্থান, যেখানে প্রক্রিয়াসমূহ প্রগতি চিহ্নিত করে, প্রক্রিয়ায় মানুষের প্রভাব নয়। ……",নিউ ইণ্ডিয়া কনক্লেভত প্রধানমন্ত্রীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%89%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%AF/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বুধবারের বৈঠকে ভারত ও উজবেকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য ও শিল্প সহ ফার্মাসিউটিক্যাল সামগ্রীর গবেষণা ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতাপত্র বা মউ স্বাক্ষরে অনুমোদন মিলেছে। উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপতির ভারত সফরকালে আগামী ১লা অক্টোবর এই মউ স্বাক্ষরিত হবে। উভয় দেশে ওষুধ শিল্পের অগ্রগতির গুরুত্বের বিষয়টিকে বিবেচনায় রাখার পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যাল ক্ষেত্রে বাণিজ্য, উৎপাদন, গবেষণা ও উন্নয়নের ব্যাপারে পারস্পরিক সহযোগিতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে দু’দেশের সরকার দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার একটি নিয়মমাফিক ব্যবস্থা তৈরির চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এই মউ স্বাক্ষরের ফলে ওষুধ উৎপাদনের সম্ভাবনা খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। এমনকি, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য, শিল্প এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।",ফাৰ্মাচিউটিকেল খণ্ডত সহযোগিতা বৃদ্ধিৰ লক্ষ্যৰে ভাৰত আৰু উজবেকিস্তানৰ মাজত বুজাবুজি চুক্তি স্বাক্ষৰ কৰিবলৈ কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87/,"নয়াদিল্লি, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; “মাননীয় রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ আমাদের সময়ের কিংবদন্তী হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি তাঁর দেশ এবং জনগণকে এক অনুপ্রেরণাদায়ক নেতৃত্ব প্রদান করেছেন। জনজীবনে তিনি এক মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর প্রয়াণে আমি মর্মাহত। রানীর পরিবার-পরিজন এবং বৃটেনের জনগণকে শোকের এই মুহুর্তে সমবেদনা জানাই।” “২০১৫ এবং ২০১৮ সালে বৃটেন সফরের সময় মাননীয়া দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সেই সফরকালে যে আন্তরিকতা ও উষ্ণ অভ্যর্থনা তাঁর কাছে থেকে আমি পেয়েছি তা কখনই ভোলার নয়। একবার সাক্ষাতের সময় তিনি আমাকে তাঁর বিয়েতে মহাত্মা গান্ধীর দেওয়া উপহার হিসেবে পাওয়া রুমালটি দেখিয়েছিলেন। সেই সুন্দর মুহুর্তটি আমার মনের মনিকোঠায় সবসময় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।”",মহাৰাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথৰ মৃত্যুৰ পিছত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে সমবেদনা জ্ঞাপন কৰে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%B6/,"নয়াদিল্লি, ০৮ মার্চ, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ‘কন্যা শিক্ষা প্রবেশ উৎসব অভিযান’কে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এর মাধ্যমে মেয়েরা আরও বেশি শিক্ষা লাভের আনন্দ উপভোগ করবে। তিনি এই অভিযানকে সফল করার জন্য সব ধরনের উদ্যোগের আহ্বান জানান। কম বয়সী মেয়েরা যাতে লেখাপড়ার করার সুযোগ পায় এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারে, এই অভিযানের মধ্য দিয়ে তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শ্রীমতী স্মৃতি জুবিন ইরানির এক ট্যুইট বার্তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, যার মধ্য দিয়ে মেয়েরা আরও বেশি শিক্ষা লাভের আনন্দ উপভোগ করবে। আসুন, আমরা সকলে মিলে এক জাতি হিসাবে এই অভিযানকে সফল করে তুলি”।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে কন্যা শিক্ষা প্ৰৱে�� উৎসৱ অভিযানক প্ৰশংসা কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%85%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B2/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের অঞ্জারে মুন্দ্রা এনএনজি (রান্নার গ্যাস) টার্মিনাল, আঞ্জার-মুন্দ্রা পাইপ লাইন প্রকল্প এবং পালানপুর-পালি-বাড়মের পাইপলাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। এই উপলক্ষে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, কচ্ছ-এ তিনি যে ভালোবাসা পেয়েছেন, তা অতুলনীয়। কচ্ছ অঞ্চলে বিগত দু-দশকে যে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম হয়েছে, তিনি তার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আজকের কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রান্নার গ্যাস টার্মিনালের সূচনা, “একসঙ্গে তিনটি এ ধরনের টার্মিনাল উদ্বোধন করতে পেরে, আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি”। শ্রী মোদী বলেন, গুজরাটে যখন প্রথম টার্মিনাল গড়ে উঠেছিল, রাজ্যের মানুষ বিস্মিত হয়েছিলেন। এখন এই রাজ্যে রান্নার গ্যাসের চতুর্থ টার্মিনালটি গড়ে উঠতে চলেছে। গুজরাট ভারতের এলএনজি হার হয়ে উঠছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই উদ্যোগ প্রত্যেক গুজরাটবাসীকে গর্বিত করবে। যে কোনও দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এক শক্তিশালী বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা যদি গরিব মানুষের জন্য বিদ্যুতের সংস্হান করতে না পারি, তাহলে আমরা দারিদ্র দুরীকরণও করতে পারব না”। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা চিরাচরিত পরিকাঠামোর পাশাপাশি আই-ওয়েজ, গ্যাস গ্রীড, ওয়াটার গ্রীড এবং অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের মতো ব্যবস্হাও চাইছেন। পর্যটন ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র বিশ্ব ভারতে আসার জন্য আগ্রহী। কচ্ছে আমরা দেখেছি, শ্বেতশুভ্র কচ্ছের রণ কিভাবে সমগ্র বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অসামরিক বিমান পরিবহন ক্ষেত্রকে আরও সুলভ করে তোলার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্হার উন্নতিতে কেন্দ্রীয় সরকার যে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সে কথাও উল্লেখ করেন। সমস্ত গ্রাম ও জনপদে বিদ্যুৎ সংযোগ সুনিশ্চিত করতে যে সকল প্রয়াস নেওয়া হয়েছে, তার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে��� শ্রী মোদী বলেন, “দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় আমরা গুণগতমানের পরিবর্তন নিয়ে আসতে চাই”।",অনজাৰত এলএনজি টাৰ্মিনেল আৰ পাইপলাইন প্ৰকল্প উদ্বোধন কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A7-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A7-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%98%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87/,"অবৈধ অভিবাসীদেরফেরৎ পাঠানোর লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গেচুক্তিবদ্ধ হবেভারত। আজ এই মর্মে ঐ দুটি দেশের সঙ্গে এক সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের প্রস্তাবে সম্মতিদিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্ব দেনমন্ত্রিসভার আলোচনাপর্বে। এই সমঝোতাপত্রস্বাক্ষরের হাত ধরে কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসামুক্ত ব্যবস্থা চালু হতেপারে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যে যাঁরা বৈধভাবে সফর করছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে উদারযুক্তরাজ্য ভিসা নীতি কার্যকরেরও সংস্থান থাকবে। সমঝোতাপত্রটিস্বাক্ষরিত হলে যাঁরা একে অপরের দেশে অবৈধভাবে বসবাস করছেন, তাঁদের ফেরৎ পাঠানোর বিষয়টিওনিশ্চিত হবে।",অবৈধ প্ৰব্ৰজনকাৰী ঘুৰাই অনাৰ ক্ষেত্ৰত ভাৰত-ব্ৰিটেইন আৰু নৰ্দান আয়াৰলেণ্ডৰ মাজত বুজাবুজি চুক্তি স্বাক্ষৰত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%96-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%93/,"নয়াদিল্লি, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী আজ তাঁর ৭ নং লোক কল্যাণ মার্গ-এর বাসভবনে এক শিখ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মিলিত হন। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে ‘অখণ্ড পাঠ’-এর আয়োজন করা হয় দিল্লির গুরুদ্বার শ্রী বালাসাহিব-জির পক্ষ থেকে। ‘অখণ্ড পাঠ’-এর সূচনা হয় ১৫ সেপ্টেম্বর এবং তার সমাপ্তি ঘটে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখে। শিখ প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে গুরুদ্বারের প্রসাদ ও আশীর্বাদ তাঁর হাতে তুলে দেয়। শিখ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা একটি পাগড়ি ও শিরোপার মাধ্যমে সম্মান জানান প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন তাঁরা। শিখ সম্প্রদায়কে সম্মান প্রদর্শনের লক্ষ্যে শ্রী মোদী যে সমস্ত গুরুত্বপূর্�� পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, সেজন্য প্রতিনিধিদল ধন্যবাদ জানায় প্রধানমন্ত্রীকে। ২৬ ডিসেম্বর দিনটি ‘বীর বাল দিবস’ রূপে ঘোষিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রশংসাও করেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। এছাড়াও, কর্তারপুরসাহিব-এর করিডর পুনরায় খুলে দেওয়া, গুরুদ্বারের লঙ্গরগুলির ওপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহার ইত্যাদির জন্য প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে শ্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানানো হয়। ‘গুরু গ্রন্থসাহিব’ আফগানিস্তান থেকে ভারতে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করার জন্যও তাঁরা বিশেষ প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রীর।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আজি তেওঁৰ বাসভৱনত শিখ প্ৰতিনিধি দলক সাক্ষাৎ কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8-%E0%A6%85%E0%A6%AB/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লি, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বরিষ্ঠ সহযোগী শ্রী রাজনাথ সিং-জি, শ্রী হরদীপ সিং পুরীজি, শ্রী অজয় ভট্টজি, শ্রী কৌশল কিশোরজি, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপীন রাওয়াতজি, তিনটি সেনাবাহিনীর প্রধান, বরিষ্ঠ আধিকারিকগণ, অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ! স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে আজ আমরা দেশের রাজধানীতে নতুন ভারতের প্রয়োজনীয়তা ও আকাঙ্ক্ষা অনুসারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছি। এই নতুন ডিফেন্স অফিস কমপ্লেক্স আমাদের সেনাবাহিনীগুলির কাজকর্মকে আরও বেশি সুবিধাজনক, আরও বেশি কার্যকরী করে তোলার প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করে তুলবে। এই নতুন পরিষেবার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও বিভাগের সঙ্গে জড়িত সমস্ত বন্ধুদের আমি অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। বন্ধুগণ, আপনারা সকলেই জানেন যে এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত কাজকর্ম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৈরি হফম্যানস-এর মাধ্যমেই চলছে। এই ধরনের হাটম্যান্টস যেগুলি সেই সময় ঘোড়ার আস্তাবল এবং ব্যারাক-সংশ্লিষ্ট প্রয়োজন অনুসারে তৈরি করা হয়েছিল। স্বাধীনতার পর এত দশক পেরিয়ে গেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, স্থলবাহিনী, নৌ-বাহিনী এবং বিমানবাহিনীর দপ্তর রূপে বিকশিত করার সময় এগুলিকে সামান্য মেরামত করা হত। কোনও উচ্চ পদাধিকারী এলে সামান্য পেন্টিং করা হত, আর এভাবেই চলত। আমি যখন এই বিষয়টি খুঁটিয়ে দেখি, তখন আমার মনে প্রথম ভাবনা আসে, যদি এত খারাপ অবস্থায় আমাদের সেনাবাহিনীর সঙ্গে মুখ্য ব্যক্তিরা দেশ রক্ষার কাজ করেন, তাঁদের এই পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের দিল্লির সংবাদমাধ্যম কখনও কেন লেখেনি? এটা আমার মনের কথা। আমি ভাবতাম, কী কারণ হতে পারে যে কেন্দ্রীয় সরকার এগুলি সংস্কারের কোনও কাজ করেনি! অনেক ভেবেও এর কোনও উত্তর পাইনি। কিন্তু তাঁরা যে এই হাটম্যান্টসগুলিতে উচ্চ পদাধিকারীরা যে ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন সে সম্পর্কে জানতেন না তা নয়। আজ যখন একবিংশ শতাব্দীর ভারতের সৈন্যশক্তিকে আমরা সমস্ত দিক থেকে আধুনিক করে তুলতে চলেছি, একের পর এক আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত করতে চলেছি, সীমান্তে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের মাধ্যমে তিনটি সেনাদলের মধ্যে কো-অর্ডিনেশন উন্নত হচ্ছে, সেনার প্রয়োজন অনুসারে অস্ত্রশস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনা, যা প্রতি বছরই করা উচিৎ, তার গতি আরও দ্রুত হয়েছে, তখন দেশের প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজকর্ম এই অনেক দশক পুরনো হাটম্যান্টস থেকেই চলতে থাকবে, এটা কিভাবে সম্ভব? সেজন্য এই পরিস্থিতির পরিবর্তনও অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। আর আমি এটা বলতে চাইব, যাঁরা সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রোজেক্টের পেছনে ডান্ডা নিয়ে তাড়া করছেন, তাঁরাও অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে এই সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, সাত হাজারের বেশি সেনা অফিসার যেখানে কাজ করেন, সেই ব্যবস্থা যে বিকশিত হচ্ছে, এই বিষয়ে তাঁরা একদম চুপ থাকেন কারণ তাঁরা জানেন যে গুজব তাঁরা ছড়ান, এখানে যদি মুখ খোলেন তখন তাঁদের সেই কথা খাটবে না। আজ দেশবাসী দেখছে সেন্ট্রাল ভিস্তার পেছনে আমরা কী করছি। এখন কে জি মার্গ এবং আফ্রিকা অ্যাভিনিউতে যে আধুনিক অফিসগুলি গড়ে উঠছে সেগুলি দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি কাজকে কার্যকরী রূপে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হবে। রাজধানীতে আধুনিক ডিফেন্স কমপ্লেক্স নির্মাণের পথে এটা বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। উভয় পরিসরে আমাদের জওয়ান ও কর্মচারীদের জন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয় সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে, আর আমি আজ দেশবাসীর সামনে আমার মনে চলতে থাকা ভাবনার কথাও তুলে ধরতে চাই। ২০১৪ সালে আপনারা আমাকে সেবার সৌভাগ্য দিয়েছেন। আর তখন থেকেই আমি বুঝতে পারছিলাম যে সরকারি দপ্তরগুলির অবস্থা ভালো ন���। সংসদ ভবনের পরিস্থিতি ভালো নয়। ২০১৪ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই আমি এই পদক্ষেপ নিতে পারতাম। কিন্তু তখন এ পথে যাইনি। আমি সবার আগে ভারতের শক্তি ও পরাক্রম, ভারতের জন্য বেঁচে থাকা, ভারতের জন্য লড়তে থাকা আমাদের বীর জওয়ানদের জন্য, যাঁরা মাতৃভূমির জন্য শহীদ হয়েছেন তাঁদের স্মৃতিতে অনিন্দ্যসুন্দর স্মারক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিই। আর যে কাজ স্বাধীনতার পরেই শুরু হওয়া উচিৎ ছিল, সেই কাজ ২০১৪-র পর শুরু হয়েছে। আর সেই কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আমরা আমাদের দপ্তরগুলিকে ঠিক করার জন্য সেন্ট্রাল ভিস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নিই। কিন্তু মনে রাখবেন, সবার আগে আমরা দেশের বীর শহীদদের কথা, দেশের বীর জওয়ানদের স্মারক নির্মাণকেই অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম। বন্ধুগণ, এই নির্মাণ কাজের পাশাপাশি এখানে আবাসিক পরিসরও তৈরি করা হয়েছে। যে জওয়ানরা ২৪x৭ গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তার কাজে ব্যস্ত থাকেন, তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় আবাসন, রান্নাঘর, মেস, চিকিৎসার জন্য আধুনিক পরিষেবা – এসব কিছু নির্মাণ করা হয়েছে। সারা দেশ থেকে হাজার হাজার অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক তাঁদের পুরনো সরকারি কাজকর্মের জন্য এখানে আসেন। তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁদের বেশি সমস্যা না হয়, সেজন্য যথোচিত কানেক্টিভিটির দিকে এখানে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। আরেকটি ভালো কথা, যে ভবনগুলি তৈরি হয়েছে সেগুলি প্রত্যেকটিই পরিবেশ-বান্ধব আর রাজধানীর ভবনগুলির যে পুরাতন রং-রূপ ছিল, তাদের যে পরিচিতি ছিল, সেটাকেও তেমনই বজায় রাখা হয়েছে। ভারতের শিল্পীদের আকর্ষণীয় কলাকৃতি, আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীকগুলিকে এই পরিসরে স্থান দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, দিল্লির সজীবতা আর এখানকার পরিবেশকে সুরক্ষিত রেখে আমাদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের আধুনিক স্বরূপ এখানে এসে প্রত্যেকে অনুভব করবেন। বন্ধুগণ, দিল্লি ভারতের রাজধানী হয়েছে ১০০ বছরেরও বেশি সময় হয়ে গেছে। ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে এখানকার জনসংখ্যা এবং অন্যান্য পরিস্থিতিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। যখন আমরা রাজধানীর কথা বলি, তখন সেটি শুধু একটি শহর থাকে না। যে কোনও দেশের রাজধানী সেই দেশের ভাবনা, সেই দেশের সঙ্কল্প, সেই দেশের সামর্থ্য এবং সেই দেশের সংস্কৃতিরও প্রতীক হয়। ভারত তো বিশ্বের গণতন্ত্রের জননী। সেজন্য ভারতের রাজধানী এমন হওয়া উচিৎ যার কেন্দ্রে জনগণ থাকবে, জনগণেশ থাকবে। আজ যখন আমরা ইজ অফ লিভিং এবং ��জ অফ ডুয়িং বিজনেসকে গুরুত্ব দিচ্ছি, তখন এতে আধুনিক পরিকাঠামোরও ততটাই বড় ভূমিকা রয়েছে। সেন্ট্রাল ভিস্তা সংশ্লিষ্ট যে কাজ হচ্ছে তার মূলেও এই ভাবনাই রয়েছে। এর বিস্তারকে আমরা আজ শুরু হওয়া সেন্ট্রাল ভিস্তার ওয়েবসাইটে দেখতে পাব। বন্ধুগণ, বিগত বছরগুলিতে রাজধানীর আকাঙ্ক্ষাগুলির অনুরূপ দিল্লিতে নতুন নতুন ভবন নির্মাণের ওপর অনেক জোর দেওয়া হয়েছে। সারা দেশ থেকে নির্বাচিত হয়ে যে জনপ্রতিনিধিরা দিল্লিতে আসেন তাঁদের জন্য নতুন আবাসন নির্মাণ থেকে শুরু করে আম্বেদকরজির স্মৃতি এবং স্মারকগুলিকে সংরক্ষিত রাখার প্রচেষ্টা, অনেক নতুন নতুন ভবন নির্মাণের কাজ ক্রমাগত জারি রয়েছে। আমাদের সেনা, আমাদের শহীদ, আমাদের আত্মবলিদানকারীদের সম্মান এবং সুবিধার সঙ্গে যুক্ত রাষ্ট্রীয় স্মারকগুলিও এর অন্যতম। এত দশক পর সেনা, বিভিন্ন আধা-সামরিক বাহিনী এবং পুলিশের শহীদদের জন্য নবনির্মিত রাষ্ট্রীয় স্মারক আজ দিল্লির গৌরব বৃদ্ধি করছে। আর এর একটি বড় বৈশিষ্ট্য হল, এগুলির প্রত্যেকটিই নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ হয়েছে, অন্যথা সরকারি কাজের পরিচয় ছিল চলছে চলবে। আগে কোনও কাজ সম্পন্ন হতে ৪-৬ মাস দেরিকে স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া হত। আমরা সরকারে নতুন কর্মসংস্কৃতি আনার সৎ প্রচেষ্টা চালিয়েছি যাতে দেশের সম্পত্তি নষ্ট না হয়, নির্ধারিত সময়ে কাজ হয় আর পেশদারিত্ব ও দক্ষতা দিয়ে পূর্ব নির্ধারিত খরচের থেকে সামান্য কম খরচেই সম্পন্ন হয়! আমরা এই সমস্ত বিষয়ে জোর দিয়েছি আর এই ভাবনা ও দৃষ্টিকোণের ফলেই যে দক্ষতার উন্নয়ন হয়েছে তার অনেক বড় উদাহরণ এখানে দেখতে পাচ্ছেন। ডিফেন্স অফিস কমপ্লেক্সের যে কাজ ২৪ মাসে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল তা মাত্র ১২ মাসে সম্পন্ন হয়েছে। অর্থাৎ, ৫০ শতাংশ সময় বাঁচানো সম্ভব হয়েছে তাও এমন সময়ে যখন করোনা সঙ্কট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের উপস্থিতি নিয়ে নানা ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছিল। করোনার সঙ্কটকালে এই প্রকল্পে হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই নির্মাণ কার্যের সঙ্গে যুক্ত সকল শ্রমিক বন্ধু, সকল ইঞ্জিনিয়ার, সকল কর্মচারী ও আধিকারিক এত কম সময়ে নির্মাণ কার্য সম্পন্ন করার জন্য অভিনন্দনের অধিকারী। পাশাপাশি, করোনার এত ভয়ানক সঙ্কটে জীবন আর মৃত্যুর মাঝে প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিল তখনও দেশ নির্মাণের এই পবিত্র কাজে যাঁরা অবদান রেখেছেন গোটা দেশ তাঁদেরক�� অভিনন্দন জানাচ্ছে, গোটা দেশ তাঁদেরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। এ থেকে বোঝা যায়, যখন নীতি এবং নিয়ত সাফ থাকে, ইচ্ছাশক্তি প্রবল থাকে, প্রচেষ্টায় সততা থাকে, তখন কোনকিছু অসম্ভব নয়। সবকিছু সম্ভব। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দেশের নতুন সংসদ ভবনের নির্মাণও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সম্পূর্ণ হবে যেমনটি হরদীপ সিং-জি দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে বলছিলেন। বন্ধুগণ, আজ নির্মাণ ক্ষেত্রে যে দ্রুততা দেখা যাচ্ছে এতে নতুন নির্মাণ প্রযুক্তিরও বড় ভূমিকা রয়েছে। ডিফেন্স অফিস কমপ্লেক্সে ঐতিহ্যগত আরসিসি নির্মাণের পরিবর্তে লাইট গেজড স্টিল ফ্রেম প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে এই ভবন আগুন এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকবে। এই নতুন কমপ্লেক্সটি গড়ে ওঠার ফলে অনেক ডজন একরে ছড়িয়ে থাকা পুরনো হফম্যানস-এর রক্ষণাবেক্ষণে যে বিপুল খরচ প্রতি বছর হত, তারও সাশ্রয় হবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে শুরু দিল্লি নয়, দেশের অন্যান্য শহরেও স্মার্ট পরিষেবা বিকশিত করতে, গরীবদের জন্য পাকা বাড়ি তৈরি করে দিতে আধুনিক নির্মাণ প্রযুক্তি প্রয়োগে জোর দেওয়া হচ্ছে। দেশের ছয়টি শহরে নির্মীয়মান ‘লাইট হাউজ প্রোজেক্ট’ এই লক্ষ্যে একটি অনেক বড় প্রয়োগ। এক্ষেত্রে নতুন স্টার্ট-আপগুলিকে উৎসাহ যোগানো হচ্ছে। যে গতি এবং যে মাত্রায় আমরা আমাদের আর্বান সেন্টারগুলিকে রূপান্তরিত করতে চাই, তা নতুন প্রযুক্তির ব্যাপক প্রয়োগের মাধ্যমেই সম্ভব। বন্ধুগণ, এই যে ডিফেন্স অফিস কমপ্লেস্ক তৈরি করা হয়েছে এটি সরকারের কর্মসংস্কৃতিতে আসা আরেকটি পরিবর্তন এবং অগ্রাধিকারের প্রতিবিম্বস্বরূপ। এই অগ্রাধিকার হল সরকারের হাতে থাকা জমির সদ্ব্যবহার। আর শুধু জমি নয়, আমাদের বিশ্বাস আর আমাদের প্রচেষ্টা, আমাদের যত সম্পদ আছে, আমি যত প্রাকৃতিক সম্পদ আছে, সেগুলির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার হওয়া উচিৎ। এ ধরনের সম্পদ অবহেলায় ফেলে রাখা এখন দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। এই ভাবনা থেকেই সরকার ভিন্ন ভিন্ন দপ্তরের মালিকানায় যত জমি রয়েছে সেগুলির যথাযথ ব্যবহারের জন্য, যথার্থ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার দিকে জোর দিয়েছে। এই যে নতুন কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হল তা প্রায় ১৩ একর জমির ওপর তৈরি হয়েছে। দেশবাসী যখন এটা শুনবে, তখন যাঁরা দিন-রাত আমাদের প্রতিটি কাজের সমালোচনা করেন, তাঁদের চেহারা সামনে রেখে আমার কথাগুলি শুনুন দেশবাসী। দিল্লির মতো অত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে ৬২ একর জমিতে এই হফম্যানসগুলি তৈরি হয়েছিল। রাজধানীর বুকে ৬২ একর জমি। আমরা সেখান থেকে তুলে এই অফিসগুলিকে এখানে স্থানান্তরিত করেছি আর অত্যাধুনিক ব্যবস্থার ফলে মাত্র ১৩ একর জমিতে এই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাহলেই বুঝতে পারছেন দেশের সম্পত্তির কত বড় সদ্ব্যবহার হচ্ছে। অর্থাৎ এত বড় এবং আধুনিক সুবিধাগুলির জন্য আগের তুলনায় প্রায় পাঁচগুণ কম জমি ব্যবহার করা হবে। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার অমৃতকাল অর্থাৎ, আগামী ২৫ বছর। আগামী ২৫ বছরে নতুন আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণের এই মিশন সকলের প্রচেষ্টাতেই সম্ভব। সরকারি ব্যবস্থার উৎপাদনশীলতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির যে দায়িত্ব আজ দেশ পালন করছে, এখানে নির্মীয়মান নতুন ভবন সেই স্বপ্নগুলিকে সমর্থন করছে। সেই সঙ্কল্পগুলিকে বাস্তবায়নের বিশ্বাস জাগাচ্ছে। কমন কেন্দ্রীয় সচিবালয় হবে, কানেক্টেড কনফারেন্স হল হবে, মেট্রোর মতো পাবলিক ট্রান্সপোর্টের সুলভ যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে। এই সবকিছু রাজধানীকে জন-বান্ধব করে তোলার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করবে। এই সমস্ত লক্ষ্যগুলিকে আমরা দ্রুতগতিতে পূরণ করব এই কামনা নিয়ে আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই! অনেক অনেক ধন্যবাদ! /",নতুন দিল্লীত প্ৰতিৰক্ষা কাৰ্যালয় চৌহদ উদ্বোধন কৰি দিয়া প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%85%E0%A6%B2-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%AF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%B8%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F/,"সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শ্রী এন ভি রমনা জি, বিচারপতি শ্রী ইউ. ললিত জি, বিচারপতি শ্রী ডি.ওয়াই. চন্দ্রচূর জি, কেন্দ্রীয় সরকারের আমার সহকর্মী এবং দেশের আইনমন্ত্রী, শ্রী কিরণ জি, সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় বিচারকগণ, মন্ত্রী শ্রী এসপি বাঘেল জি, হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতিগণ, চেয়ারম্যান ও সচিবগণ জেলা আইনি সেবা কর্তৃপক্ষ, সম্মানিত অতিথিবৃন্দ, ভদ্রমহিলা ও সুধীবৃন্দ! ভারতের বিচার ব্যবস্থায় যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে থাকাটা সবসময়ই আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা, কিন্তু বক্তব্য রাখাটা একটু কঠিন। জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং সচিবদের এই জাতীয় প্রথম জাতীয় সভা এবং আমি বিশ্বাস করি, এটি একটি ভাল শুরু, যার অর্থ এটি চলবে। আপনি এই ধরনের একটি অনুষ্ঠানের জন্য যে সময়টি বেছে নিয়েছেন তাও সঠিক এবং ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। আজ থেকে কয়েকদিন বাদে দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ করছে। এটা আমাদের স্বাধীনতার ‘অমৃত কালের’ সময়। এই সময় সেইসব সংকল্পের যা আগামী ২৫ বছরে দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস এবং ইজ অফ লিভিং-এর মতোই দেশের এই ‘অমৃত যাত্রা’তে ন্যায়বিচারও সমান গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এবং সমস্ত জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। আমি বিশেষ করে, ললিতজি এবং আপনাদের সকলকে এই অনুষ্ঠানের জন্য অভিনন্দন জানাই এবং আমার শুভেচ্ছা জানাই। বন্ধুগণ, ন্যায়বিচারের ধারণা সম্পর্কে, আমাদের দেশে বলা হয়: অঙ্গেন গাত্রম্ নয়েন বক্রম, নয়েন রাজ্যম লাভানেন ভোজ্যম। অর্থাৎ, শরীরের জন্য যেমন বিভিন্ন অঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ, মুখের জন্য চোখ এবং খাবারের জন্য লবণ, তেমনি দেশের জন্য ন্যায়বিচারও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা সবাই সংবিধান বিশেষজ্ঞ! আমাদের সংবিধানের ৩৯এ অনুচ্ছেদ, রাষ্ট্রীয় নির্দেশমূলক নীতির মধ্যে পড়ে, সেই অনুচ্ছেদে আইনি সহায়তাকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। দেশের জনগণের আস্থা থেকেই এর গুরুত্ব আমরা উপলব্ধি করি। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের এই বিশ্বাস আছে যে, তাঁর কথা কেউ না শুনলে আদালতের দরজা সব সময় খোলা আছে। ন্যায়বিচারের এই বিশ্বাস প্রতিটি দেশবাসীকে উপলব্ধি করে যে, দেশের আইনি ব্যবস্থা তাঁর অধিকার রক্ষা করছে। এর ফলস্বরূপ, দেশ জাতীয় আইনী সেবা কর্তৃপক্ষও প্রতিষ্ঠা করেছে, যাতে দুস্থ ব্যক্তিরাও ন্যায়বিচারের অধিকার পান। আমাদের জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষগুলি বিশেষ করে, আমাদের আইনি সহায়তা ব্যবস্থার ভিত্তি-স্বরূপ। বন্ধুগণ, আপনারা সকলেই জানেন যে, সমাজের জন্য বিচার ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, ন্যায়বিচার প্রদানও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগীয় কাঠামোরও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। গত আট বছরে দেশের বিচার বিভাগীয় কাঠামো শক্তিশালী করার জন্য দ্রুত অগ্রগতি হয়েছে। বিচার বিভাগীয় কাঠামো আধুনিকীকরণে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। দেশে আদালতের সংখ্যাও বেড়েছে। বিচার বিভাগীয় কাঠামো নির্মাণের এই দ্রুত অগ্রগতি, বিচার ব্যবস্থাকে ত্বরান্বিত করব���। বন্ধুগণ, আজ বিশ্ব এক অভূতপূর্ব ডিজিটাল বিপ্লবের সাক্ষী এবং, ভারত এই বিপ্লবের একটি প্রধান কেন্দ্র হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। কয়েক বছর আগে, যখন দেশটি ভীম – ইউপিআই এবং ডিজিটাল পেমেন্ট চালু হয়েছিল, তখন কিছু লোক ভেবেছিলেন যে এর প্রভাব সীমিত হবে। কিন্তু আজ, আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রতিটি গ্রামে ডিজিটাল পেমেন্ট হচ্ছে। আজ, সারা বিশ্বে যে সমস্ত রিয়েল টাইম ডিজিটাল পেমেন্ট হচ্ছে, তার ৪০ শতাংশ ভারতেই ঘটছে। ডিজিটাল পেমেন্ট এখন রাস্তার বিক্রেতা থেকে শুরু করে গ্রামের প্রতিটি দরিদ্র মানুষের জন্য একটি স্বাভাবিক রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে যখন উদ্ভাবন এবং অভিযোজনের প্রাকৃতিক সম্ভাবনা রয়েছে, তখন ন্যায়বিচার প্রদানে প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য এর চেয়ে ভাল সময় আর হতে পারে না। আমি আনন্দিত যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দেশের বিচার ব্যবস্থা দ্রুত এগোচ্ছে। ই-কোর্ট মিশনের ফলে দেশে ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করা হচ্ছে। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের মতো অপরাধের জন্য চব্বিশ ঘণ্টা আদালত কাজ শুরু করেছে। জনগণের সুবিধার্থে আদালতে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর ব্যবস্থাও বাড়ানো হচ্ছে। আমাকে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত দেশের জেলা আদালতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক কোটির বেশি মামলার শুনানি হয়েছে। হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও প্রায় ৬০ লক্ষ মামলার শুনানি হয়েছে। করোনার সময় আমরা যে বিকল্পটি গ্রহণ করেছি, তা এখন সিস্টেমের একটি অংশ হয়ে উঠছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, আমাদের বিচার ব্যবস্থা ন্যায়বিচারের প্রাচীন ভারতীয় মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং একুশ শতকের বাস্তবতার সাথে তাল মেলাতেও প্রস্তুত। এর কৃতিত্ব আপনাদের সকলেরই। আমি এই বিষয়ে সমস্ত প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। বন্ধুগণ, জাতীয় আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এবং সমস্ত জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষকেও সাধারণ মানুষের কাছে ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য প্রযুক্তির এই ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। একজন সাধারণ নাগরিককে তাঁর অধিকার, কর্তব্য, সাংবিধানিক কাঠামো, নিয়ম ও প্রতিকার সম্পর্কে সচেতন করতে প্রযুক্তিও বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। গত বছর, মাননীয় রাষ্ট্রপতি আইনি সাক্ষরতা এবং সচেতনতার জন্য ভারত জোড়া প্রচারের সূচনা করেছিলেন। এ ব্যাপারে জেলা আইনী সেবা কর্তৃপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এর আগে, ২০১৭ সালেও ���্রো বোনো লিগ্যাল সার্ভিসেস প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছিল। এর আওতায় মোবাইল এবং ওয়েব অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে আইনি পরিষেবা সম্প্রসারিত হয়েছিল। এই কতৃপক্ষ যদি এক ধাপ এগিয়ে এই প্রচেষ্টায় পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি ব্যবহার করে, তাহলে জনগণ আরও উপকৃত হবেন। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার ৭৫ বছর – সময়টা আমাদের কর্তব্য পালনের সময়। আমাদের এমন সব ক্ষেত্রে কাজ করতে হবে, যা এতদিন পর্যন্ত অবহেলিত ছিল। দেশের বিচারাধীন বন্দীদের মানবিক ইস্যুতে অতীতে বহুবার সংবেদনশীলতা দেখিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এমন অনেক বন্দী আছেন, যাঁরা বছরের পর বছর ধরে আইনি সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছেন। আমাদের জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এই বন্দীদের আইনি সহায়তা প্রদানের দায়িত্ব নিতে পারে। আজ সারা দেশের জেলার জজরা এখানে এসেছেন। জেলা পর্যায়ের আন্ডার-ট্রায়াল রিভিউ কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে, আমি আপনাকে বিচারাধীন বন্দীদের মুক্তির জন্য অনুরোধ করছি। আমাকে বলা হয়েছে যে নালসা-ও এই দিকে অভিযান শুরু করেছে। আমি আপনাদের সকলকে এই উদ্যোগের জন্য অভিনন্দন জানাই। আশা করি, আপনারা আইনি সহায়তার মাধ্যমে এই প্রচারাভিযানকে সফল করে তুলবেন। আমি বার কাউন্সিলকেও অনুরোধ করব, যাতে আরও বেশি সংখ্যক আইনজীবীকে এই প্রচারাভিযানে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করা যায়। বন্ধুগণ, আমি আশা করি, আমাদের সকলের প্রচেষ্টা এই ‘অমৃত কাল’-এ দেশের সংকল্পকে একটি নতুন দিকনির্দেশ দেবে। আমাকে আপনাদের মাঝে থাকার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আমি নিশ্চিত যে এই দুই দিনব্যাপী বুদ্ধিমত্তার অধিবেশনটি সমানভাবে বড় ফলাফল নিয়ে আসবে। কারণ, অনুষ্ঠানটি প্রত্যাশা এবং আশায় ভরা। সেই প্রত্যাশার সাথে, অনেক ধন্যবাদ! (প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দিতে ছিল)",দিল্লীত প্ৰথম সৰ্বভাৰতীয় জিলা আইন সেৱা প্ৰাধিকৰণসমূহৰ সন্মিলনত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%8F-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%93-%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"আগামী ১৮ ও১৯ ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটক সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদী। তিনি ১৮ তারিখ বিকেলে গিয়ে পৌঁছবেন মুম্বা��তে। নভি মুম্বাই আন্তর্জাতিকবিমানবন্দরের প্রারম্ভিক পর্বের অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন নভি মুম্বাইয়ে। ঐ একইঅনুষ্ঠানে জওহরলাল নেহরু বন্দর কর্তৃপক্ষের চতুর্থ কন্টেনার টার্মিনালটি উৎসর্গকরবেন জাতির উদ্দেশে। বিশ্ববিনিয়োগ কর্তাদের শীর্ষ বৈঠক ‘ম্যাগনেটিক মহারাষ্ট্র : কনভারজেন্স, ২০১৮’-তে উদ্বোধনী ভাষণদেবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে, মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়াধওয়ানি ইনস্টিটিউট ফরআর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এরও সূচনা করবেন তিনি। এরপর, শ্রীমোদী রওনা হবেন কর্ণাটকের মহীশূরের উদ্দেশে। পরেরদিন, অর্থাৎ ১৯ ফেব্রুয়ারি একভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি ভাষণ দেবেন হায়দরাবাদে আয়োজিত বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তিসম্মেলনে। বাহুবলী মহামস্তকঅভিষেকমহোৎসব উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীশ্রবণবেলাগোলাপরিদর্শন করবেন। মহীশূর রেল স্টেশনেআয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎচালিত মহীশূর-বেঙ্গালুরু রেল পরিবহণকে উৎসর্গ করবেনজাতির উদ্দেশে। মহীশূর এবং উদয়পুরের মধ্যে যাতায়াতকারী ‘প্যালেস ক্যুইন হামসফরএক্সপ্রেস’-এর যাত্রার সূচনা করবেন শ্রী মোদী। পরে, মহীশূরে এক জনসমাবেশে তিনিভাষণ দেবেন। /…",১৮ আৰু ১৯ ফেব্ৰুৱাৰীত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ মহাৰাষ্ট্ৰ আৰু কৰ্ণাটক ভ্ৰমণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5-%E0%A6%B8%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%99/,"বর্ষীয়ান হিন্দি কবি কেদারনাথ সিং-এর প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদী শোক ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “মহান কবি ও লেখক কেদারনাথ সিং-এর মৃত্যুতে তিনিগভীর দুঃখ পেয়েছেন। এই কবি তাঁর কবিতায় সাধারণ মানুষের আবেগকে তুলে ধরেছেন। তিনিসর্বদাই সাধারণ মানুষ ও সাহিত্য জগতের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন”। ২০১৩ সালে কেদারনাথ সিং-কে সাহিত্য ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য জ্ঞানপীঠপুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল। তিনি ‘আভি বিলকুল আভি’, ‘জমিন পাক রহি হ্যায়’ এবং‘অকাল মেই সারস’ সহ তাঁর সাহিত্যকৃতির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।",জ্যেষ্ঠ কবি কেদাৰনাথ সিঙৰ বিয়োগত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শোক প্ৰকাশ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AD-%E0%A6%AC%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%AE%E0%A7%A6%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AD-%E0%A6%AC%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A7%AE%E0%A7%A6-%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A6/,"নয়াদিল্লি, ১১ অক্টোবর ২০২২ অমিতাভ বচ্চনের ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শ্রী মোদী বলেছেন, অমিতাভ বচ্চন ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব যিনি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে দর্শক সাধারণকে আনন্দ দিয়েছেন এবং মোহিত করে রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী এক ট্যুইট বার্তায় বলেছেন – “শুভ ৮০তম জন্মদিন অমিতাভ বচ্চনজি। তিনি ভারতের অন্যতম চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব যিনি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে দর্শক সাধারণকে আনন্দ দিয়েছেন এবং মোহিত করে রেখেছেন। তাঁর দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন কামনা করি।”",অমিতাভ বচ্চনৰ ৮০ তম জন্মদিনত শুভেচ্ছা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A6%9F-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B7%E0%A6%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A3/,"নতুনদিল্লি, ১০ই নভেম্বর, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ছটপূজা উপলক্ষ্যে জনসাধারণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; “ সূর্য উপাসনার মহাপর্ব ছটে আপনাদের সকলকে অনেক শুভকামনা জানাই। ছটী মাইয়া সকলকে সুস্বাস্থ্য ও সুখ-সৌভাগ্য প্রদান করুন।“",ষট পূজা উপলক্ষে জনসাধাৰণক শুভেচ্ছা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%AE-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%AE-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AD/,"হর হর মহাদেব! আমি কি আপনাদের অনুমতি নিয়ে শুরু করতে পারি? তাহলে আমি শুরু করছি। হর হর মহাদেব! বাবা বিশ্বনাথ, মাতা অন্নপূর্ণার নগরী কাশীর পূণ্যভূমির সকল বন্ধু এবং বোনেদের প্রণাম জানাই। দীপাবলি, দেব দীপাবলি, অন্নকূট, ভাইয়াদুজ, প্রকাশ উৎসব এবং সকলের আনন্দের ছট – এইসব উৎসব উপলক্ষে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা। উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দিবেন প্যাটেল, উত্তরপ্রদেশের প্রাণশক্তিতে পরিপূর্ণ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যজি, উত্তরপ্রদেশের অন্যান্য মন্ত্রীগণ, কেন্দ্রীয় সরকারে আমাদের আর এক সাথী শ্রী মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডেজি, রাজ্য সরকারের আর এক মন্ত্রী শ্রী অনিল রাজভরজি, নীলক���্ঠ তিওয়ারিজি, রবীন্দ্র জয়সওয়ালজি, অন্যান্য মন্ত্রীগণ, সংসদে আমাদের সাথী শ্রীমতী সীমা দ্বিবেদীজি, বি পি শরদজি, বারাণসীর শ্রীমতী মৃদুলা জয়সওয়ালজি, অন্যান্য জনপ্রতিনিধিগণ, প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্বাস্থ্য পেশার সঙ্গে জড়িত যত মানুষ এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, জেলা হাসপাতালগুলির প্রতিনিধিরা, বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা এবং এখানে উপস্থিত আমার বারাণসীর ভাই ও বোনেরা! দেশ করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ১০০ কোটি টিকা ডোজের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বাবা বিশ্বনাথের আশীর্বাদে, মা গঙ্গার অবিরল প্রতাপে, কাশীবাসীর অখণ্ড বিশ্বাসে ‘সবাইকে টিকা, বিনামূল্যে টিকা’ অভিযান সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। আমি আপনাদের সবাইকে, সমস্ত আপনজনদের সাদর অভিনন্দন জানাই। আজকে এই কিছুক্ষণ আগে একটি অনুষ্ঠানে উত্তরপ্রদেশের জন্য নয়টি মেডিকেল কলেজ উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এর ফলে, এই রাজ্যের পূর্বাঞ্চল এবং গোটা উত্তরপ্রদেশের কোটি কোটি গরীব, দলিত, পিছিয়ে পড়া, শোষিত, বঞ্চিতদের মতো সমাজের সমস্ত শ্রেণীর মানুষ অনেক লাভবান হবেন। অন্যান্য শহরের বড় হাসপাতালগুলিতে যেতে তাঁদের যত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, ছোটাছুটি করতে হয়, তাও অনেকটা হ্রাস পাবে। বন্ধুগণ, রামচরিতমানসে একটা সোরঠা আছে – “মুক্তি জন্ম মহি জানি, জ্ঞান খানিঅঘ হানি কর। জহং বস শম্ভু ভবানী, সো কাশী সেইঅ কস ন।।” অর্থাৎ, কাশীকে তো শিব এবং শক্তির সাক্ষাৎ নিবাস। জ্ঞানের ভাণ্ডার কাশী তো কষ্ট এবং ক্লেশ উভয় থেকেই মুক্ত করে। সেজন্য স্বাস্থ্য-সংশ্লিষ্ট এতবড় প্রকল্প, নানা রোগের কষ্ট থেকে মুক্তির এতবড় সঙ্কল্প, এর শুভ সূচনার জন্য কাশী থেকে ভালো কোন জায়গা হতে পারে? আমার প্রিয় কাশীর ভাই ও বোনেরা, আজ এই মঞ্চ থেকে দুটি বড় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। একটি কেন্দ্রীয় সরকারের এবং এর মাধ্যমে গোটা দেশের জন্য ৬৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করে গড়ে তোলা এই কর্মসূচি আজ কাশীর পবিত্র মাটি থেকে উদ্বোধন করা হচ্ছে। দ্বিতীয়টি, কাশী এবং পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে হাজার হাজার কোটি টাকার কর্মসূচির উদ্বোধন। এভাবে আমি বলব যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি আর রাজ্যের কর্মসূচি সব মিলিয়ে আজ প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকার কাজের সিদ্ধান্ত কিংবা উদ্বোধন আজ এখান থেকে হচ্ছে। কাশী থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পগুলিতে মহাদেবে�� আশীর্বাদও রয়েছে। আর যেখানে মহাদেবের আশীর্বাদ আছে, সেখানে তো কল্যাণই কল্যাণ, সাফল্যই সাফল্য, আর যখন মহাদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায় তখন কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়াও অত্যন্ত স্বাভাবিক। বন্ধুগণ, আজ আমার কাশী থেকে উত্তরপ্রদেশ সহ গোটা দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য, ভবিষ্যতের মহামারী থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য, আমাদের তৈরি করা উচ্চস্তরের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশন, গ্রাম ও ব্লকস্তরে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আত্মবিশ্বাস এবং আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধির জন্য ৬৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে ‘আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশন’ দেশকে সমর্পণ করার সৌভাগ্য হয়েছে। আজ কাশীর পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পও এখানে উদ্বোধন করা হয়েছে। আমাদের সড়কগুলি প্রশস্ত করা থেকে শুরু করে ঘাটগুলির সৌন্দর্য বৃদ্ধি, গঙ্গাজি এবং যমুনাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, বিভিন্ন সেতু, পার্কিং স্থল, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিষেবা সংক্রান্ত প্রকল্প, উৎসবের এই মরশুমে জীবনকে সুরভীময়, সুস্থ এবং সমৃদ্ধ করে তোলার জন্য কাশীতে যে উন্নয়ন পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তা এক প্রকার গোটা দেশকে নতুন প্রাণশক্তি, নতুন বিশ্বাস প্রদান করবে। এর জন্য কাশী সহ … আজ আমি কাশীর মাটি থেকে ১৩০ কোটি দেশবাসীকে ভারতের নানা প্রান্তে, ভারতের গ্রাম ও শহরগুলির প্রত্যেককে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। ভাই ও বোনেরা, আমাদের দেশে আরোগ্যকে প্রত্যেক কাজের মূল আধার বলে মনে করা হয়। শরীরকে সুস্থ রাখতে যে বিনিয়োগ করা হয়, সেটাকে সর্বদাই উত্তম বিনিয়োগ বলে মনে করা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে এই দীর্ঘ কালখণ্ডে আরোগ্য নিয়ে, বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে ততটা লক্ষ্য রাখা হয়নি যতটা দেশের প্রয়োজন ছিল। দেশে দীর্ঘ সময় ধরে যাদের সরকার ছিল, তারা দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে বিকশিত করার জায়গায় তাকে নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখেছে। গ্রামগুলিতে হয় হাসপাতাল নেই অথবা হাসপাতাল থাকলেও চিকিৎসা করার কেউ নেই। ব্লকস্তরের হাসপাতালগুলিতে ততটা বিভিন্ন রকমের পরীক্ষানিরীক্ষার সুযোগ নেই যতটা দেশের প্রয়োজন আর পরীক্ষা হলেও তার ফল নিয়ে নানারকম ভ্রম থাকে। সঠিক ফল কিনা তা নিয়ে নানা দুশ্চিন্তা থাকে। জেলা হাসপাতালে পৌঁছনোর পর জানা যায়, যে কঠিন রোগ শনাক্ত হয়েছে তা সারাতে শল্যচিকিৎসা করতে হবে। কিন্তু যে শল্যচিকিৎসা হওয়ার প্রয়োজন তার কোনও সুবিধাই সেই জেলা হাসপাতালে নেই। তখন বড় হাসপাতালে ছোট। বড় হাসপাতালে তার থেকেও বেশি ভিড়, লম্বা লাইন, দীর্ঘ অপেক্ষা। আমরা সবাই এর সাক্ষী যে রোগী এবং তাঁর গোটা পরিবার এরকম কত অসংখ্য সমস্যার সম্মুখীন হন। এরকম লড়াই করতে করতে জীবন চলে যায়। অনেক সময়ে কঠিন রোগের ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায়, তার ওপর অনাবশ্যক আর্থিক বোঝাও মাথার ওপর চাপে! বন্ধুগণ, আমাদের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থায় সবচাইতে বড় অভাব যেগুলি ছিল, সেগুলি গরীব এবং মধ্যবিত্ত মানুষদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবসময়েই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে ছিল। আয়ুষ্মান ভারত হেলথ ইনফ্রাস্ট্রাকচার মিশন বা স্বাস্থ্য পরিকাঠামো অভিযান দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ব্যবস্থার এই ত্রুটিগুলি দূর করার একটি সমাধান হয়ে এসেছে। ভবিষ্যতে কোনও মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা যেন প্রস্তুত থাকি, সক্ষম থাকি, সেজন্য আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সবসময়ের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে যাতে যে কোনও রোগ দ্রুত শনাক্ত করা যায়, পরীক্ষানিরীক্ষায় বিলম্ব না হয়। আগামী ৪-৫ বছরে দেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে শুরু করে ব্লক, প্রত্যেক জেলা, রাজ্য, ক্ষেত্র এবং জাতীয় স্তরে ক্রিটিক্যাল হেলথ কেয়ার নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি। বিশেষ করে, যে রাজ্যগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবার অভাব অত্যধিক রয়েছে, আমাদের পর্বতসঙ্কুল রাজ্যগুলি, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিকে যেমন বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তেমনই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচলকে। বন্ধুগণ, দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের ভিন্ন ভিন্ন গ্যাপগুলিকে অ্যাড্রেস করার জন্য বা ত্রুটিগুলি দূর করার জন্য আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশনে তিনটি বড় দিক রয়েছে। প্রথমতঃ, ডায়াগনস্টিক এবং ট্রিটমেন্টের জন্য বিস্তৃত পরিষেবা গড়ে তোলা হবে। এই প্রক্রিয়ায় গ্রাম ও শহরগুলিতে অনেক হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার খোলা হচ্ছে, যেখানে রোগ গোড়াতেই শনাক্ত করার পরিষেবা থাকবে। এই কেন্দ্রগুলিতে বিনামূল্যে মেডিকেল কনসালটেশন, বিনামূল্যে পরীক্ষানিরীক্ষা ও বিনামূল্যে ঔষধের ব্যবস্থা থাকবে। যথাসময়ে রোগ চিহ্নিত করতে পারলে রোগ জটিল হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়, আর জটিল রো���ের ক্ষেত্রে তার চিকিৎসার জন্য ৬০০টিরও বেশি জেলায় ক্রিটিক্যাল কেয়ারসম্পন্ন ৩৫ হাজারেরও বেশি নতুন শয্যা তৈরি করা হবে। বাকি প্রায় ১২৫টি জেলায় রেফারেলের পরিষেবা প্রদান করা হবে। জাতীয় স্তরে এর জন্য প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য ক্যাপাসিটি বিল্ডিং-এর জন্য ১২টি কেন্দ্রীয় হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি বিকশিত করার কাজও চলছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যগুলিতেও শল্যচিকিৎসা-সংশ্লিষ্ট নেটওয়ার্ককে মজবুত করতে ২৪X৭ ঘন্টা চালু থাকা ১৫টি ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারও গড়ে তোলা হবে। বন্ধুগণ, এই প্রকল্পের দ্বিতীয় দিকটি হল বিভিন্ন রোগের পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য টেস্টিং নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। এই মিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের পরীক্ষানিরীক্ষা, তার তদারকি কিভাবে হবে তা সুনিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। দেশের ৭৩০টি জেলায় ইন্টিগ্রেটেড পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরিজ আর দেশে চিহ্নিত ৩,৫০০ টি ব্লকে ‘ব্লক পাবলিক হেলথ ইউনিটস’ গড়ে তোলা হবে। পাঁচটি ‘রিজিওনাল ন্যাশনাল সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল’, ২০টি ‘মেট্রোপলিটন ইউনিটস’ এবং ১৫টি ‘বিএসএল ল্যাবরেটরিজ’ও এই নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করবে। ভাই ও বোনেরা, এই মিশনের তৃতীয় দিকটি হল, মহামারীর সঙ্গে যুক্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির উন্নয়ন ও সেগুলিকে শক্তিশালী করে তোলার কাজ করা। এই সময় দেশে ৮০টি ভাইরাল ডায়াগনস্টিক্স এবং রিসার্চ ল্যাবরেটরিজ রয়েছে। এগুলিকে আরও উন্নত করে তোলা হবে। মহামারীর সময় বায়ো-সেফটি লেভেল-৩ মানের গবেষণাগারের প্রয়োজন হয়। এরকম মানের ১৫টি নতুন ল্যাবরেটরিকে অপারেশনাল করে তোলা হবে। এগুলি ছাড়াও দেশে চারটি নতুন ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ ভাইরলজি’ আর একটি ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ওয়ান হেলথ’ও স্থাপন করা হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার জন্য ‘হু’ বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘রিজিওনাল রিসার্চ প্ল্যাটফর্ম’ও গবেষণার এই নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করে তুলবে। অর্থাৎ, আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো অভিযানের মাধ্যমে দেশের কোণায় কোণায় চিকিৎসা থেকে শুরু করে ‘ক্রিটিক্যাল রিসার্চ’ বা জটিল গবেষণা পর্যন্ত একটি সম্পূর্ণ ইকো-সিস্টেম বিকশিত করা হবে। বন্ধুগণ, এমনিতে এই ধরনের কাজ অনেক দশক আগেই হয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল কিন্তু, এখন কি জটিল পরিস্থিতি তা আর আপনাদের সামনে বর্ণনা করার প্রয়োজন আর নেই! আমরা বিগত স���ত বছর ধরে ক্রমাগত সংস্কার করে চলেছি, কিন্তু এখনও একটি বড় মাত্রায় অনেক বড় অ্যাগ্রেসিভ অ্যাপ্রোচ নিয়ে আমাদের এই কাজ করতে হবে। কিছুদিন আগে আপনারা হয়তো দেখেছেন যে, আমি দিল্লি থেকে গোটা দেশের জন্য একটি ‘গতি শক্তি’ নামক অনেক বড় দেশব্যাপী স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সংক্রান্ত কর্মসূচির উদ্বোধন করেছি। আজ এই দ্বিতীয় পদক্ষেপে প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা শুধু স্বাস্থ্যক্ষেত্রে, শুধু গরীব মানুষের চিকিৎসার জন্য, শুধু আপনাদের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, দেশের প্রত্যেক নাগরিককে সুস্থ রাখার জন্য আজ কাশীর মাটি থেকে এতবড় একটা অভিযান শুরু করে আমরা সারা দেশে এই প্রকল্পের কাজকে ছড়িয়ে দেব। বন্ধুগণ, যখন এমন স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে ওঠে, তখন এ থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবাও যেমন উন্নত হয়, তেমনই এ থেকে কর্মসংস্থানেরও একটি সুস্থ আবহ বিকশিত হয়। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, ল্যাবরেটরি, ফার্মেসি, হাসপাতাল-স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মানুষ, অফিস ঘরগুলি, ট্র্যাভেল ট্রান্সপোর্ট, খাওয়া-দাওয়া – এরকম অনেক প্রকারের রোজগারের ব্যবস্থা এই প্রকল্প থেকে গড়ে উঠতে চলেছে। আমরা দেখেছি, একটি বড় হাসপাতাল তৈরি হলে তার চারপাশে একটি গোটা শহর গড়ে ওঠে, আর সেজন্য আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশন স্বাস্থ্যের পাশাপাশি জনগণের আর্থিক আত্মনির্ভরতারও একটি বড় মাধ্যম হয়ে উঠতে চলেছে। আজকের সূত্রপাত দেশে এমনি একটি ‘হলিস্টিক হেলথ কেয়ার’ এর জন্য গড়ে তোলা প্রচেষ্টার একটি পর্যায়। হলিস্টিক হেলথ কেয়ার অর্থাৎ, যা সকলের জন্য সুলভ হবে, যা সাধারণ মানুষের জন্য সস্তা হবে এবং সকলের নাগালের মধ্যে থাকবে। হলিস্টিক হেলথ কেয়ার অর্থাৎ, যেখানে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সুস্থতাকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে। স্বচ্ছ ভারত অভিযান, জল জীবন মিশন, উজ্জ্বলা যোজনা, পোষণ অভিযান, মিশন ইন্দ্রধনুষ – এরকম অনেক অভিযান দেশের কোটি কোটি গরীব মানুষকে নানারকম রোগের করাল গ্রাস থেকে বাঁচিয়েছে। আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে ২ কোটিরও বেশি গরীব মানুষ ইতিমধ্যেই হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা করিয়েছেন। এই চিকিৎসা সংক্রান্ত অনেক সমস্যাকে এই ‘আয়ুষ্মান ভারত ক্রিটিক্যাল মিশন’ এর মাধ্যমে সমাধান করা হচ্ছে। ভাই ও বোনেরা, আমাদের আগে অনেক বছর ধরে যাঁরা সরকারের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা পয়সা কামানো ও দুর্নীতির নানা পথ খুলে দিয়েছে। গরীবের কষ্ট দেখে তাঁরা তাঁদের থেকে দূরে পালাতেন। আজ কেন্দ্র এবং আপনাদের রাজ্যে যে সরকার রয়েছে সে সরকার গরীব, দলিত, শোষিত, বঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া, মধ্যবিত্ত – সকলের কষ্ট বোঝে। দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করে তুলতে আমরা দিন-রাত এক করে কাজ করে চলেছি। আগে জনগণের টাকা নানারকম দুর্নীতির মাধ্যমে হরণ করা হত। এই টাকা দুর্নীতিবাজ ও দালালদের সিন্দুকে জমা হত। আজ বড় বড় প্রকল্পে আমরা অর্থ বিনিয়োগ করছি। সেজন্য আজ ইতিহাসের সব থেকে বড় মহামারীর বিরুদ্ধে দেশ লড়াই করছে, আর আত্মনির্ভর ভারতের জন্য লক্ষ-কোটি টাকা বিনিয়োগে পরিকাঠামোও গড়ে তুলছে। বন্ধুগণ, স্বাস্থ্য পরিষেবা বৃদ্ধির জন্য চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি ততটাই দ্রুতগতিতে বাড়ানো প্রয়োজন। উত্তরপ্রদেশে যত দ্রুতগতিতে নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ খোলা হচ্ছে, তার খুব ভালো প্রভাব মেডিকেলের আসন এবং চিকিৎসকদের সংখ্যার ওপর পড়বে। আসন বাড়ানোর ফলে এখন গরীব মা-বাবার সন্তানরাও চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারবে, আর অধিকাংশই তা বাস্তবায়িত করতে পারবে। ভাই ও বোনেরা, স্বাধীনতার পর ৭০ বছরে দেশে যত ডাক্তার মেডিকেল কলেজগুলি থেকে পড়াশোনা করে বেরিয়ে এসেছেন, তার থেকে বেশি ডাক্তার আগামী ১০-১২ বছরে দেশ পেতে চলেছে। আপনারা কল্পনা করতে পারেন যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কত বড় কাজ দেশে হচ্ছে। যখন দেশের কোণায় কোণায় বেশি ডাক্তার হবে তখন গ্রামে গ্রামে সহজেই ডাক্তারের দেখা পাওয়া যাবে। এটাই নতুন ভারত, যেখানে অভাব থেকে এগিয়ে গিয়ে প্রত্যেক নাগরিকের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য দিন-রাত কাজ করা হচ্ছে। ভাই ও বোনেরা, অতীতে উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে গোটা দেশে যে ধরনের কাজ হয়েছে, তেমনভাবে চললে আজ কাশীর অবস্থা কি হত? বিশ্বের সবচাইতে প্রাচীন নগরী, ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক কাশীকেও তাঁরা নিজের অবস্থার মধ্যেই ছেড়ে রেখেছিলেন। সারা শহরে ঝুলতে থাকা বিদ্যুতের তারের জাল, ভাঙা উঁচু-নিচু সড়কপথ, বিভিন্ন ঘাট এবং গঙ্গা মায়ের দুর্দশা, যানজট, পরিবেশ দূষণ, নানারকম অব্যবস্থা – এসব কিছুই চলত। আজও কিন্তু কাশীর হৃদয় তেমনই আছে, মনও তেমনই আছে, কিন্তু কাশীকে উন্নত করে তোলার সৎ প্রচেষ্টাও চলছে। যত কাজ বারাণসীতে গত সাত বছরে হয়েছে, তত কাজ বিগত কয়েক দশকে হয়নি। ভাই ও বোনেরা, রিং রোডের অভাবে কাশীতে যে প্রবল যানজট হত সে��া আপনারা বছরের পর বছর ধরে অনুভব করেছেন। ‘নো-এন্ট্রি’ খোলার জন্যে রোজ অপেক্ষা করা তো বারাণসীবাসীর অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। এখন রিং রোড তৈরি হওয়ার ফলে প্রয়াগরাজ, লক্ষ্ণৌ, সুলতানপুর, আজমগড়, গাজিপুর, গোরক্ষপুর, দিল্লি, কলকাতা – যে কোনও জায়গায় আসা-যাওয়া করতে হলে শহরবাসীকে আর সমস্যায় পড়তে হবে না। শুধু তাই নয়, রিং রোড এখন গাজিপুর থেকে বিরনোন পর্যন্ত চারলেনের ন্যাশনাল হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। জায়গায় জায়গায় সার্ভিস রোডের পরিষেবাও দেওয়া হয়েছে। এর ফলে অনেক গ্রামের পাশাপাশি প্রয়াগরাজ, লক্ষ্ণৌ, গোরক্ষপুর এবং বিহার ও নেপাল পর্যন্ত আসা-যাওয়া অনেক সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে। এর ফলে, যাতায়াত যেমন সহজ হবে, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও তেমনই গতি বাড়বে। পরিবহণের খরচও কমবে। ভাই ও বোনেরা, যতক্ষণ পর্যন্ত দেশে একটি ডেডিকেটেড ইনফ্রাস্ট্রাকচার না গড়ে ওঠে, ততক্ষণ পর্যন্ত উন্নয়নের গতি অসম্পূর্ণ থাকে। বরুণা নদীর ওপর দুটি সেতু তৈরি করার ফলে কয়েক ডজন গ্রামের জন্য এখন শহরে আসা-যাওয়া সহজ হয়েছে। এর ফলে প্রয়াগরাজ, ভদৌহি এবং মির্জাপুর এলাকা থেকে বিমানবন্দরে যাতায়াত করা জনগণ অনেক উপকৃত হবেন। কার্পেট শিল্পোদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত বন্ধুদেরও লাভ হবে, আর মা বিন্ধবাসিনীর দর্শন করার জন্য বিমানবন্দর থেকে সরাসরি যাঁরা মির্জাপুর যেতে চান, সেই মায়ের ভক্তরাও অনেক উপকৃত হবেন। বিভিন্ন সড়কপথ, সেতু, পার্কিং স্থল গড়ে তোলার এরকম অনেক প্রকল্প আজ কাশীবাসীকে সমর্পণ করা হল। এর ফলে এখানকার শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জীবন আরও বেশি সুগম হবে। রেল স্টেশনে গড়ে ওঠা আধুনিক একজিকিউটিভ লাউঞ্জের ফলে যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়বে। বন্ধুগণ, গঙ্গা নদীর পরিচ্ছন্নতা আর নির্মলতা সুনিশ্চিত করার জন্য বিগত বছরগুলিতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে। এর পরিণাম আজ আমরা অনুভব করতে পারছি। বিভিন্ন বাড়ি থেকে নালার মাধ্যমে যে নোংরা জল গঙ্গা নদীতে গিয়ে পড়তো, তা বন্ধ করার ক্রমাগত প্রচেষ্টা চলছে। এখন রামনগরে পাঁচটি নালার মাধ্যমে প্রবাহিত পয়ঃপ্রণালীকে ট্রিটমেন্টের জন্য আধুনিক ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে চারপাশে বসবাসকারী ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ সরাসরি লাভবান হবেন। শুধু গঙ্গা নয়, বরুণার পরিচ্ছন্নতা নিয়েও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ চলছে। দীর্ঘকাল ধরে উপেক্ষার শিকার থাকা বরুণা তার অস্তিত্ব হারানোর প্রান্ত সীমায় পৌঁছে গিয়েছিল। বরুণাকে বাঁচানোর জন্যই চ্যানেলাইজেশনের প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। আজ পরিশ্রুত জলও বরুণাতে পৌঁছে যাচ্ছে। ১৩টি ছোট-বড় নালাকেও ট্রিটমেন্ট করা হচ্ছে। বরুণার উভয় কিনারায় পাথওয়ে, রেলিং, লাইটিং, পাকা ঘাট, সিঁড়ি – এরকম পরিষেবা নির্মাণও সম্পূর্ণ হতে চলেছে। বন্ধুগণ, কাশী আধ্যাত্মের পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থ ব্যবস্থারও একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। কাশী সহ সম্পূর্ণ পূর্বাঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল দেশ-বিদেশের বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিগত বছরগুলিতে অনেক পরিষেবার উন্নয়ন করা হয়েছে। পেরিশেবল কার্গো সেন্টার বা পচনশীল পণ্য কেন্দ্র থেকে শুরু করে প্যাকেজিং ও প্রসেসিং-এর আধুনিক পরিকাঠামো এখানে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই পর্যায়ে এখানে ‘লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ফুড অ্যান্ড ভেজিটেবল মার্কেট’-এর আধুনিকীকরণ হয়েছে। যেরকম পুনর্নবীকরণ হয়েছে তাতে কৃষকদের অনেক সুবিধা হবে। শহংশাহপুরে বায়ো-সিএনজি প্ল্যান্ট গড়ে ওঠার ফলে বায়ো-গ্যাসও পাওয়া যাবে, আবার কৃষকরা হাজার হাজার মেট্রিক টন জৈব সারও পাবেন। ভাই ও বোনেরা, বিগত বছরগুলির আরেকটি সাফল্য যদি কাশীতে হয়ে থাকে সেটি হল আরেকবার বিশ্বে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠত্বের দিকে এগিয়ে চলা। আজ প্রযুক্তি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে অভূতপূর্ব পরিষেবা তৈরি করা হচ্ছে। সারা দেশ থেকে এখানে তরুণ-তরুণীরা পড়াশোনা করার জন্য আসেন। পাশাপাশি কয়েকশ’ ছাত্রছাত্রীর জন্য এখানে যে আবাসিক পরিষেবা গড়ে উঠেছে তা তরুণ বন্ধুদের জীবনের উন্নতিতে অনেক সহায়ক হয়ে উঠবে। বিশেষ করে, কয়েকশ’ ছাত্রীর জন্য যে হস্টেলের পরিষেবা গড়ে উঠেছে তা মালব্যজির দূরদৃষ্টিকে বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে আরও শক্তি যোগাবে। মেয়েদেরকে উচ্চ এবং আধুনিক শিক্ষা প্রদানের জন্য যে সঙ্কল্প নিয়ে তিনি বেঁচে ছিলেন, তা বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করবে। ভাই ও বোনেরা, এই সকল উন্নয়ন প্রকল্প নিশ্চিতভাবেই আমাদের আত্মনির্ভরতার সঙ্কল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করবে। কাশী এবং এই গোটা এলাকার অদ্ভূত মৃৎশিল্প বিখ্যাত। অন্যান্য হস্তশিল্প এবং বস্ত্রশিল্পে এই এলাকার হস্তশিল্পী এবং তাঁতিদের প্রত্যেকের হাতে যেন জাদু রয়েছে। সরকারের প্রচেষ্টায় বিগত পাঁচ বছরে বারাণসীতে খাদি এবং অন্যান্য কুটীর উদ্যোগে উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রায় ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তেমনই বিক্রির ক্ষেত্রে প্রায় ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। সেজন্য আরেকবার আমি এখান থেকে সমস্ত দেশবাসীকে অনুরোধ জানাব যে, এবারের দীপাবলিতে আমাদের এই বন্ধুদের দীপাবলির কথাও মাথায় রাখতে হবে। আমাদের ঘরের সাজসজ্জা থেকে শুরু করে আমাদের জামাকাপড় এবং দীপাবলির প্রদীপ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই আমাদের ‘লোকাল’ এর জন্য ‘ভোকাল’ থাকতে হবে। ধনতেরাস থেকে শুরু করে দীপাবলি পর্যন্ত প্রতিটি উৎসবে খুব স্থানীয় পণ্য কেনাকাটা করুন। তাহলেই সকলের দীপাবলি আনন্দে ভরে উঠবে, আর যখন আমি ‘লোকাল’ নিয়ে ‘ভোকাল’ হওয়ার কথা বলি, তখন আমি দেখেছি আমাদের টিভিওয়ালারা শুধুই মাটির প্রদীপ দেখান। ‘ভোকাল ফর লোকাল’ শুধুই মাটির প্রদীপ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না ভাই, যত পণ্য সৃষ্টির পেছনে আমাদের দেশবাসীর ঘাম ঝরানো পরিশ্রম থাকে, যত পণ্যের উৎপাদনে আমাদের দেশের মাটির সুরভী থাকে – এই সব কিছুর কথাই আমি বলছি, আর দেখবেন একবার যদি আমাদের স্থানীয় জিনিস কেনার অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়, তাহলে উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে, কর্মসংস্থানও বাড়বে, দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তিও কাজ পাবেন, আর সবাই মিলেমিশে এই কাজ করতে পারবেন। সকলের প্রচেষ্টায় আমরা দেশে অনেক বড় বড় পরিবর্তন আনতে পারব। বন্ধুগণ, আরেকবার আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশনের জন্য গোটা দেশকে, আর বিবিধ উন্নয়ন প্রকল্প ও অন্যান্য অনেক প্রকল্পের জন্য কাশীবাসীকে অনেক অনেক শুভকামনা। আপনাদের সবাইকে আগামী সমস্ত উৎসবের দিনগুলির জন্য আরেকবার অনেক অনেক অগ্রিম শুভকামনা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",বাৰানসীত পিএম আয়ুষ্মান ভাৰত হেল্থ ইনফ্ৰাষ্ট্ৰাকচাৰ মিছন উদ্ঘাটন কৰি দিয়া প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পাঠ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%B6-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%AE%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D/,"মহামহিম, ভদ্রমহোদয় / ভদ্রমহোদয়াগণ, নমস্কার! এবছরও আমরা আমাদের চিরাচরিত ফ্যামেলি ফটো তুলতে পারিনি। কিন্তু ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আমরা প্রথামাফিক আসিয়ান – ভারত শিখর সম্মেলন আয়োজন অব্যাহত রাখতে পেরেছি। ২০২১-এ আসিয়ানের সভাপতি হিসেবে সফল ভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্রুনেইয়ের সুলতানকে আ���ি অভিনন্দন জানাই। মহামহিম, ভদ্রমহোদয় / ভদ্রমহোদয়াগণ, কোভিড-১৯ মহামারীর জন্য আমরা সকলেই বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জপূর্ণ সময় অন্যদিকে ভারত – আসিয়ান বন্ধুত্বের পরীক্ষাও নিয়েছে। কোভিডের সময় থেকে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহানুভূতি ভবিষ্যতে আমাদের বন্ধনকে আরও মজবুত করবে। সেই সঙ্গে ভারত ও আসিয়ান দেশগুলির মানুষের মধ্যে সৌজন্যের ভিত্তি হয়ে উঠবে। ভারত ও আসিয়ানের মধ্যে হাজার বছরের পুরানো যে প্রাণবন্ত সম্পর্ক রয়েছে, তা ইতিহাসে প্রতিফলিত। এই সম্পর্ক আমাদের অভিন্ন মূল্যবোধ, পরম্পরা, ভাষা, প্রাচীন গ্রন্থ, স্থাপত্য, সংস্কৃতি এবং খাদ্যাভ্যাসের মধ্যেও যথার্থ ফুটে ওঠে। আর একারণে আসিয়ানের সঙ্গে আমাদের একতা ও আত্মকেন্দ্রিকতা সর্বদাই ভারতের কাছে অগ্রাধিকার পেয়ে এসেছে। আসিয়ান দেশগুলির এই ভূমিকা এবং ভারতের পূবে তাকাও নীতি সমগ্র এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারতের ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় উদ্যোগ এবং আসিয়ানের ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় দৃষ্টিভঙ্গি সমগ্র ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের অভিন্ন মূল্যবোধ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার কাঠামো হয়ে উঠেছে। মহামহিম, ভদ্রমহোদয় / ভদ্রমহোদয়াগণ, ২০২২-এ আমাদের অংশীদারিত্বের তিন দশক পূর্ণ হবে। একই সঙ্গে ভারতও স্বাধীনতার ৭৫ তম বার্ষিকী পূর্ণ করবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমরা গুরুত্বপূর্ণ এই মাইলফলক আসিয়ান – ভারত মিত্রতার বর্ষ হিসেবে উদযাপন করবো। কম্বোডিয়ার নেতৃত্বে আসিয়ানের সভাপতিত্বে এবং আমাদের দেশের কো-অডিনেটর বা তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে একযোগে এই সম্পর্ককে আরও নিবিড় করে তুলতে ভারত অঙ্গিকারবদ্ধ। আমি আপনাদের সকলের মতামত শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। অনেক ধন্যবাদ! বিশেষ দ্রষ্টব্য : এটি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আক্ষরিত তর্জমা নয়। মূল ভাষণ হিন্দিতে দেওয়া হয়েছিল।",১৮তম ভাৰত-আছিয়ান শিখৰ সন্মিলনত প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদীৰ মন্তব্য +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0-19/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AF-%E0%A7%A6%E0%A7%AA-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%B2-%E0%A6%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF/,"আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার! সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়াতে গত চৌঠা এপ্রিল থেকে ১৫-ই এপ্রিল অবধি কমনওয়েলথ গেমস্‌-এর আয়োজন হয়েছিল। ভারত সহ পৃথিবীর ৭১টি দেশ এতে অংশগ্রহণ করেছিল। যখন এতবড় আয়োজন হয়, গোটা বিশ্ব থেকে আসা হাজার হাজার খেলোয়াড় এতে অংশগ্রহণ করে, কল্পনা করুন, এতে কত উৎসাহব্যঞ্জক পরিবেশ তৈরি হতে পারে? আবেগ, উদ্দীপনা, উৎসাহ, আশা, আকাঙ্ক্ষা, কিছু করে দেখানোর সঙ্কল্প— যখন এরকম উৎসাহব্যঞ্জক পরিবেশ হয় সেখানে কে এর থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে পারে? এটা এমন এক সময় ছিল যখন গোটা দেশ জুড়ে প্রত্যেকে ভাবত আজ কোন কোন খেলোয়াড় perform করবে। ভারতের ক্রীড়ানৈপুণ্য কেমন হবে, আমরা কত পদক জিতব, এরকমই সব স্বাভাবিক ভাবনাচিন্তা ছিল। আমাদের খেলোয়াড়রাও দেশবাসীর আশানুরূপ দুর্দান্ত ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করে এবং একের পর এক মেডেল জিততে থাকেন। সেটা শ্যুটিং হোক, কুস্তি হোক, ভারোত্তোলন হোক, টেবিল টেনিস হোক, কি ব্যাডমিণ্টন — সবকিছুতেই ভারত রেকর্ড সাফল্য পেয়েছে। ২৬-টি সোনা, ২০টি রূপো, ২০-টি ব্রোঞ্জ নিয়ে ভারত মোট ৬৬টা পদক জিতেছে। প্রত্যেক ভারতীয়কে এই সাফল্য গর্বিত করেছে। পদক জেতা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কাছে গর্ব আর আনন্দের বিষয়।এটা সমগ্র দেশ আর দেশবাসীর জন্যও অত্যন্ত গৌরবের উৎসব। খেলা শেষ হওয়ার পর যখন পদকের সঙ্গে ভারতের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাথলিট তেরঙ্গা পতাকা জড়িয়ে বিজয় মঞ্চে পদক নিয়ে দাঁড়ান, জাতীয় সঙ্গীত বাজতে থাকে, তখন যে অনুভূতি হয়, খুশির, গৌরবের, সম্মানের— এ এক অনবদ্য অভিজ্ঞতা — বিশেষ অভিজ্ঞতা। মন-প্রাণ একেবারে জুড়িয়ে যায়, আশা আর উৎসাহে ভরপুর হয়। আমরা সবাই একাত্ম বোধ করি। হয়তো এই বিশেষ অনুভবকে প্রকাশ করার জন্য আমার কাছে যথেষ্ট শব্দ নেই। কিন্তু আমি এই খেলোয়াড়দের কাছ থেকে যা শুনছি, আমি আপনাদের তা শোনাতে চাই। আমার তো গর্ব হচ্ছে, আপনাদেরও গর্ব হবে। আমি মণিকা বাত্রা। কমনওয়েলথ থেকে চারটি পদক এনেছি। দুটো সোনা, একটি রূপো, একটি ব্রোঞ্জ। আমি ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান যাঁরা শোনেন, তাদের বলতে চাই যে আমি খুবই খুশি। কারণ, ভারত এই প্রথমবার টেবিল টেনিস এত জনপ্রিয় হচ্ছে। হ্যাঁ, আমি সম্ভবতঃ আমার সেরা টেবিল টেনিস খেলেছি। এর আগে আমি যে ম্যাচ প্র্যাক্‌টিস করেছি, সেই বিষয়ে বলতে চাই যে আমি আমার প্রশিক্ষক সন্দীপ স্যার-এর সঙ্গে অনেক প্র্যাক্‌টিস করেছি। কমনওয়েলথ-এর আগে পর্তুগালে আমাদের শিবির হয়েছিল। সরকার আমাদের টুর্ণামেন্টে পাঠিয়েছিল, আমি সরকার���ে ধন্যবাদ জানাচ্ছি কারণ তারা আমাদের এত International Exposure অর্থাৎ আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। তরুণ প্রজন্মকে শুধু একটাই বার্তা দেব, কখনো হাল ছেড়ো না। নিজেকে উজাড় করে দাও। আমি পি. গুরুরাজ ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান যাঁরা শোনেন, তাঁদের এটা বলতে চাই যে কমনওয়েলথ গেমস, ২০১৮-য় আমার পদক জেতার স্বপ্ন ছিল। আমি প্রথমবার কমনওয়েলথ গেমসে অংশ গ্রহণ করে ভারতকে পদক দিতে পারায় খুব খুশি। আমি এই পদক আমার গ্রাম কুন্দপুর এবং আমার রাজ্য কর্ণাটক, আর আমার দেশকে উৎসর্গ করেছি। আমি মীরাবাঈ চানু— ২১-তম কমনওয়েলথ গেমস্‌-এ আমি ভারতের জন্য প্রথম স্বর্ণপদক জিতেছিলাম। এই কারণে আমি খুবই খুশি হয়েছি। অনেক ছায়াছবিতে যেমন দেখি, সেরকম আমার স্বপ্ন ছিল ভারতের জন্য—মণিপুরের জন্য এক সফল খেলোয়াড় হওয়ার। মণিপুরের মেরি দিদির মত আমিও এক সফল খেলোয়াড় হওয়ার চিন্তা করতাম। আমার সাফল্যের ভিত্তি আমার নিয়মানুবর্তিতা, আন্তরিকতা, সমর্পণ ভাবনা এবং কঠোর পরিশ্রম। কমনওয়েলথ গেমস্‌-এ ভারতের প্রদর্শন খুব ভাল তো ছিলই, একই সাথে এটা ছিল বৈশিষ্ট্য পূর্ণ। বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এই কারণে যে এবার এমন কিছু বিষয় ছিল যা প্রথমবার হয়েছে। আপনারা কি জানেন, এবার কমনওয়েলথ গেমস্‌-এ ভারতের যত জন কুস্তিগীর অংশগ্রহণ করেছেন প্রত্যেকে পদক এনেছেন। মণিকা বাত্রা যতগুলি ইভেণ্ট-এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, সবগুলিতেই পদক জিতেছেন। মণিকা বাত্রা প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি ব্যক্তিগত Table Tennis-এ ভারতকে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছেন। শ্যুটিং-এ ভারত সব থেকে বেশি পদক জিতেছে। ১৫ বছর বয়স্ক ভারতীয় শ্যুটার অনিশ ভানবালা স্বর্ণপদক জেতার ক্ষেত্রে ভারতের সব থেকে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে নাম করেছেন। ভারতের একমাত্র সচিন চৌধুরী কমনওয়েলথ গেমস-এ ‘প্যারা পাওয়ার লিফটিং’-এ পদক জিতেছেন। এবারের গেমস এজন্যও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ মহিলা খেলোয়াড় রাই বেশির ভাগ পদক জিতেছেন। স্কোয়াশ হোক বা বক্সিং, ভারোত্তলন হোক বা শ্যুটিং সব ক্ষেত্রেই মহিলা খেলোয়াড়রা তাদের পরাক্রম দেখিয়েছে। ব্যাডমিণ্টন-এর ফাইনালে তো দুই ভারতীয় খেলোয়াড় সাইনা নেহবাল ও পি. ভি. সিন্ধুর মধ্যে খেলা হয়। সবাই উৎসাহিত ছিল কারণ লড়াই যাই হোক দুটি পদক তো ভারত পাবেই। পুরো দেশবাসী এই খেলা দেখেছে। আমারও এই খেলা দেখে খুব ভালো লেগেছে। গেমস্‌-এ অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়রা দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে ছোট ��োট শহর থেকে এসেছে। অনেক বাধা-বিপত্তি পার করে এই জায়গায় পৌঁছেছে। আজকে তাঁরা যে সাফল্য অর্জন করেছেন, যে লক্ষ্যে পৌঁছেছেন, তাঁদের এই জীবনযাত্রায়, তাঁদের মাতা-পিতা, অভিভাবক, কোচ, অন্যান্য সহায়ক, স্কুল, স্কুলের শিক্ষক বা স্কুলের পরিবেশ প্রত্যেকেরই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে। ওঁদের বন্ধুদেরও ভূমিকা আছে যাঁরা সকল পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়িয়েছেন। খেলোয়াড়দের সঙ্গে সঙ্গে আমি তাঁদের সকলকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শুভেচ্ছা জানাচ্ছি! গতমাসের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে আমি দেশবাসীদের, বিশেষ করে যুবকদের ‘Fit India’-র জন্য আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমি সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম যে, Fit India–র সঙ্গে যুক্ত হন। Fit India-কে lead করুন। আমি খুবই আনন্দিত যে উৎসাহের সঙ্গে মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। Fit India-র প্রতি সমর্থন জানিয়ে অনেকে আমাকে চিঠি লিখেছেন Social Media-য় নিজেদের Fitness মন্ত্র Fit India Story–ও share করেছেন। জনৈক ভদ্রলোক, শ্রী শশিকান্ত ভোঁসলে নিজের Swimming Pool-এর একটি ছবি share করে লিখেছেন, আমার শরীর আমার অস্ত্র, আমার মৌলিক পদার্থ জল, আমার বিশ্ব হচ্ছে সাঁতার। আরেকজন, রুমা দেবনাথ লিখেছেন প্রাতঃভ্রমণ করে আমি নিজেকে সুখী এবং স্বাস্থ্যবান অনুভব করছি। তিনি আরও বলেছেন যে, Fitness হাসি নিয়ে আসে। আমরা যখন সুখী হই, তখন আমরা তো হাসবোই। শ্রীমতী দেবনাথ, এতে কোনও সন্দেহ নেই যে সুখ বা আনন্দই হচ্ছে Fitness। ধবল প্রজাপতি নিজের ট্রেকিং-এর ছবি দিয়ে লিখেছেন। আমার জন্য travelling এবং ট্রেকিংই হচ্ছে Fit India। এটা দেখে ভাল লাগছে যে বেশ কিছু নামকরা ব্যক্তিও বেশ আকর্ষণীয় ভাবে Fit India-র জন্য আমাদের যুবকদের উৎসাহিত করছেন। চিত্রাভিনেতা অক্ষয়কুমার ট্যুইটারে একটি ভিডিও দিয়েছেন। আমি ওই ভিডিও দেখেছি, আপনারাও নিশ্চয় দেখবেন। এই ভিডিওতে ওকে কাঠের খুঁটি নিয়ে ব্যায়াম করতে দেখা যাচ্ছে। উনি বলেছেন যে, এই ব্যায়াম পেট এবং পিঠের মাংসপেশির জন্য খুব উপকারী। ওঁর আর একটি ভিডিও-ও বেশ জনপ্রিয় হয়ে গেছে, যাতে ওঁকে অন্যদের সঙ্গে ভলিবল খেলতে দেখা যাচ্ছে। আরও অনেক যুবক Fit India উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা share করেছেন। আমার মনে হয়, এই ধরনের আন্দোলন আমাদের সকলের জন্য, সমগ্র দেশের জন্য খুবই লাভজনক। একটা কথা তো আমি নিশ্চয় বলবো যে বিনা খরচের Fit India আন্দোলনের নাম যোগ ব্যায়াম। Fit India অভিযানে যোগ ব্যায়ামের বিশেষ গুরুত্ব আছে। আপনারাও নিশ্চয় প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ২১-শে ��ুন ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’-এর গুরুত্ব তো এখন গোটা বিশ্ব স্বীকার করেছে। আপনারাও এখন থেকে প্রস্তুত হন। আপনি একা নন। আপনার শহর, গ্রাম, আপনার এলাকা, আপনার স্কুল, আপনার কলেজ, যে কোনও বয়সের পুরুষ-মহিলা প্রত্যেককে যোগ অভ্যাসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সম্পূর্ণ শারীরিক বিকাশে, মানসিক বিকাশে, মানসিক স্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যোগ অভ্যাসের উপযোগিতা এখন ভারতে বা বিশ্বের কাউকে বলার প্রয়োজন নেই। আপনারা হয়তো একটি অ্যানিমেটেড ভিডিও দেখেছেন, যেখানে আমাকে দেখানো হয়েছে। ভিডিও-টি আজকাল খুব বিখ্যাত হয়েছে। যে কাজ একজন শিক্ষক করতে পারেন, সেই কাজ অ্যানিমেশন-এর মাধ্যমে করা হচ্ছে, এই কারণে খুব যত্ন নিয়ে এই কাজ করার জন্য আমি অ্যানিমেশন প্রস্তুতকারকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার যুবা বন্ধুরা, আপনারা সবাই তো পরীক্ষা-পরীক্ষা-পরীক্ষার খপ্পর থেকে বেড়িয়ে এসে এখন ছুটির চিন্তা করছেন। ছুটি কীভাবে কাটাবেন, কোথায় যাবেন ভাবছেন। আমি আজ আপনাদের একটি নতুন কাজের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাই। আমি দেখেছি যে অনেক যুবক এখন নতুন কিছু একটা শেখার জন্য সময় ব্যয় করছেন। Summer Internship-এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে আর যুবকরাও খোঁজ খবর করছেন। Summer Internship অবশ্যই একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা। চার দেওয়ালের বাইরে, কাগজ-কলম, কম্প্যুটার থেকে দূরে থেকে নতুন ভাবে জীবন কাটানোর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ হয়। আমার যুব বন্ধুরা, এক বিশেষ internship–এর জন্য আমি আজকে আপনাদের অনুরোধ করবো, ভারত সরকারের তিন-চারটি মন্ত্রক যেমন ক্রীড়া, মানবসম্পদ উন্নয়ন, পানীয় জল বিভাগ — সবাই মিলে ‘স্বচ্ছ ভারত Summer Internship, ২০১৮’ শুরু করেছে। কলেজের ছাত্র-ছাত্রী,",২৯.০৪.২০১৮ তাৰিখে অল ইণ্ডিয়া ৰেডিঅ’যোগে সম্প্ৰচাৰ হোৱা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ মন কী বাতৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%AC%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%B1%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8/,"নতুন দিল্লি, ১০ এপ্রিল, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর মাসিক বেতার অনুষ্ঠান 'মন কি বাত'-এর একটি ক্লিপ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে মাধবপুর মেলাকে ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র ও প্রাণবন্ততার এক অনন্য উদযাপন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এক ট্যুইটে বলেছেন, ""মাধবপুর মেলা শুরু হয়েছে। এই উপলক্ষে আমি ভার���ের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র ও প্রাণবন্ততার অনন্য উদযাপনের প্রতীক মাধবপুর মেলা সম্পর্কে গত মাসের #MannKiBaat-এ যে কথা বলেছিলাম তা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি""। এই মেলার মূল ভাবনা ও আনন্দমুখর পরিবেশের ওপর জোর দিয়ে গুজরাট পর্যটনের একটি ট্যুইটও তিনি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। /",মাধৱপুৰ মেলাক ভাৰতৰ সাংস্কৃতিক বৈচিত্ৰ্যৰ এক অনন্য উদযাপন বুলি বৰ্ণনা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%AA%E0%A7%AA%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%B8-%E0%A6%85%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A1-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%9F%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%AA%E0%A7%AA%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%A6%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%85%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লি, ১৯ জুন, ২০২২ চেস অলিম্পিয়াড এর এই আন্তর্জাতিক কর্মসূচিতে উপস্থিত আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যগণ, ইন্টারন্যাশনাল চেস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট আর কে ডি ডভরকোভিচ, অল ইন্ডিয়া চেস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ, হাইকমিশনারগণ, দাবা এবং অন্যান্য খেলার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ, বিভিন্ন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিগণ, অন্যান্য সকল সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, চেস অলিম্পিয়াড টিমের সদস্য এবং অন্যান্য দাবা খেলোয়াড়গণ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ! আজ চেস অলিম্পিয়াড গেমসের প্রথম টর্চ রিলে ভারত থেকে শুরু হচ্ছে। এ বছর প্রথমবার ভারত চেস অলিম্পিয়াড গেমসের উদ্যোক্তার ভূমিকা পালন করতে চলেছে। আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে একটি ক্রীড়া তার জন্মস্থান থেকে বেরিয়ে গোটা বিশ্বে তার জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে চলেছে, অনেক দেশের জন্য এটা একটা আবেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। আমি আনন্দিত যে দাবার এত বড় আন্তর্জাতিক ক্রীড়ানুষ্ঠান আরও একবার তার জন্মস্থানে ফিরে এসে উদযাপিত হতে চলেছে। অনেক শতাব্দী আগে ভারত থেকে প্রথম চতুরঙ্গ রূপে এই ক্রীড়ার মশাল সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল। আজ দাবা বা সতরঞ্জ-এর প্রথম অলিম্পিয়াড মশালও ভারত থেকে বেরোতে চলেছে। আজ যখন ভারত তার স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ পূর্তি পালন করছে, অমৃত মহোৎসব পালন করছে, তখনই চেস অলিম্পিয়াডের এই মশালও দেশের ৭৫টি শহরে যাবে। ইন্টারন্যাশনাল চেস ফেডারেশন – ফিডে-র এই সিদ্ধান্তে আমি খুব খুশি হয়েছি। ফিডে এটাও ঠিক করেছে যে প্রত্যেক চেস অলিম্পিয়াড গেমসের জন্য টর্চ রিলে ভারত থেকেই শুরু হবে। এই সম্মান শুধু ভারতের সম্মান নয়, আমাদের দেশে সতরঞ্জ-এর এই গৌরবময় ঐতিহ্যেরও ��ম্মান। আমি এর জন্য ফিডে এবং এর সমস্ত সদস্যকে অভিনন্দন জানাই। আমি ৪৪তম চেস অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী সমস্ত খেলোয়াড়দের তাঁদের অসাধারণ প্রদর্শনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনাও জানাই। আপনাদের মধ্যে যাঁরাই এই খেলায় জয়লাভ করবেন, আপনাদের এই জয় আপনাদের খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতারই জয় বলে চিহ্নিত হবে। আপনারা মহাবলীপুরমে এই অলিম্পিয়াডের প্রতিটি খেলা খুব ভালোভাবে খেলুন, খেলার উৎসাহ ও উদ্দীপনাকে সবার ওপরে রেখে খেলুন। বন্ধুগণ, হাজার বছর ধরে এই দেশ থেকে ‘তমসো মা জ্যোতির্গময়’-এর মন্ত্র গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। অর্থাৎ, আমরা ক্রমাগত অন্ধকার থেকে আলোর পথে এগিয়ে চলেছি। আলো অর্থাৎ মানবতার উন্নত ভবিষ্যৎ। আলো মানে সুখী এবং সুস্থ জীবন, আলো মানে প্রত্যেক ক্ষেত্রে সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা আর এজন্যই ভারত একদিকে গণিত, বিজ্ঞান এবং মহাকাশ বিদ্যার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুসন্ধান করেছে আর অন্যদিকে আয়ুর্বেদ, যোগ এবং বিভিন্ন খেলাকে জীবনের অংশ করে তুলেছে। ভারতে কুস্তি এবং কাবাডি, মল্লখম ইত্যাদি ক্রীড়ার আয়োজন হত যাতে আমরা সুস্থ শরীরের পাশাপাশি সামর্থ্যবান যুব প্রজন্মকে তৈরি করতে পারি। তেমনই বিশ্লেষণাত্মক এবং সমস্যা সমাধানকারী মস্তিষ্কের জন্য আমাদের পূর্বজরা চতুরঙ্গ বা সতরঞ্জ অথবা দাবার মতো খেলা আবিষ্কার করেছিলেন যা বিশ্বের অনেক দেশে পৌঁছে যায় এবং খুব জনপ্রিয় হয়। আজ স্কুলগুলিতে দাবা তরুণদের জন্য, শিশুদের জন্য একটি এডুকেশন টুল রূপেও ব্যবহার করা হচ্ছে। দেখা গেছে যে দাবা শিখে ওঠা ছেলে-মেয়েরা ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধান করতে পারছেন। চতুরঙ্গের ঘুঁটি থেকে শুরু করে নানা কম্পিউটার গেম-এ কিংবা ডিজিটাল চেস-এ ভারত প্রত্যেক পদক্ষেপে সতরঞ্জ-এর এই দীর্ঘ যাত্রাপথের সাক্ষী। ভারত এই খেলাকে নীলকন্ঠ বৈদ্যনাথ, লালা রাজা বাবু এবং তিরুভেঙ্গদাচারিয়া শাস্ত্রীর মতো মহান খেলোয়াড় দিয়েছে। আজও আমাদের সামনে উপস্থিত রয়েছেন বিশ্বখ্যাত বিশ্বনাথন আনন্দজি, কোনেরু হাম্পিজি, ভিদিতজি, দিব্যা দেশমুখজির মতো অনেক প্রতিভা যাঁরা সতরঞ্জের ক্ষেত্রে আমাদের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকার সম্মান বৃদ্ধি করেছেন। একটু আগেই আমি কোনেরু হাম্পিজির সঙ্গে চেস-এর সেরেমনিয়াল মুভ-এরও মজাদার অভিজ্ঞতার আনন্দ পেয়েছি। বন্ধুগণ, আমার এটা দেখে খুব ভালো লাগে যে গত ৭-৮ বছরে ভারত দাবায় খুব ভালো ফল করেছে। ৪১তম চেস অলিম্পিয়াডে ভারত ব্রোঞ্জ রূপে তার প্রথম মেডেল জিতেছে। ২০২০ এবং ২১ সালে ভার্চ্যুয়াল চেস অলিম্পিয়াডে ভারত গোল্ড এবং ব্রোঞ্জও জিতেছে। এবার তো এযাবৎকালের তুলনায় আমাদের সবচাইতে বেশি খেলোয়াড় এই চেস অলিম্পিয়াডে সামিল হয়েছেন। সেজন্য আমার আশা যে এবার ভারত মেডেলের ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড তৈরি করবে। আমি যেরকম আশা করছি আপনারা সবাই নিশ্চয়ই সেরকম আশা করছেন, তাই না? বন্ধুগণ, আমি খুব ভালোভাবে দাবা খেলতে জানি না কিন্তু এটুকু বুঝি যে দাবার পেছনে লুক্কায়িত ভাবনা এবং এর নিয়মগুলির অর্থ অনেক গভীর হয়। যেমন দাবার প্রত্যেক চালের নিজস্ব অভিনব শক্তি থাকে, তার অভিনব ক্ষমতা থাকে। যদি আপনারা একটি ঘুঁটি নিয়ে সঠিক চাল চালেন, তার শক্তিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করেন, তাহলে তা সবচাইতে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এমনকি যাকে সবচাইতে দুর্বল বলে মনে করা হয়, সেই ঘুঁটিও এক সময় সবচাইতে শক্তিশালী ঘুঁটি হয়ে উঠতে পারে। প্রয়োজন হল সতর্কতার সঙ্গে শুধু সঠিক চাল দেওয়া, সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া, তাহলেই আপনার চেস বোর্ডে সিপাই ঘুঁটি হোক কিংবা হাতি, উঁট বা মন্ত্রীর শক্তিকে আপনি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। বন্ধুগণ, চেস বোর্ডের এই গুরুত্ব আমাদের জীবনেকে একটি বড় বার্তা দেয়, প্রকৃত সমর্থন এবং প্রকৃত আবহ দেয় যে দুর্বল থেকে দুর্বলতম ব্যক্তির জন্যও কোনও লক্ষ্য অসম্ভব হয় না। কেউ যে কোনও প্রেক্ষিত থেকে উঠে আসুন না কেন, যে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হোন না কেন, প্রথম পদক্ষেপ নেওয়ার সময় যদি তিনি সঠিক সাহায্য পান তাহলে তিনি শক্তিশালী হয়ে মনের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। বন্ধুগণ, সতরঞ্জ খেলার আরও একটি বড় বৈশিষ্ট্য হল দূরদৃষ্টি। সতরঞ্জ আমাদের বলে যে স্বল্প মেয়াদের সাফল্যের বদলে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিরাই প্রকৃত সাফল্য পান। আমি যদি আজ ভারতের ক্রীড়া নীতি নিয়ে কথা বলি তাহলে ক্রীড়াক্ষেত্রে /",৪৪তম দবা অলিম্পিয়াডৰ বাবে টৰ্চ ৰীলে মুকলি কৰাৰ সময়ত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%B2-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8/,"দেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর গভীর আলোচনা প্রয়োজন। আলোচনা যত গভীরতর হবে, প্রবীণ এবং অভিজ্ঞ সাংসদদের কাছ থেকে আরও বেশি রকম প্রস্তাব ও পরামর্শ আমরা লাভ করব। এর ফলে দেশও বিশেষভাবে উপকৃত হবে। সরকারি বিভিন্ন নীতি ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে উন্নতমানের প্রস্তাব ও পরামর্শ থেকে লাভবান হবে কেন্দ্রীয় সরকার। আমি আশা করব যে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সংসদের জন্য নির্ধারিত সময়কালের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারের লক্ষ্যে এগিয়ে আসবে সবক’টি রাজনৈতিক দলই। প্রত্যেকের কাছ থেকেই আমরা এ বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করি। সংসদের এই বিতর্ক ও আলোচনা প্রক্রিয়া একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে রাজ্য বিধানসভাগুলিকেও প্রভাবিত করবে বলে আমি মনে করি। সমস্ত রাজনৈতিক দলই এই পথ অনুসরণ করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমার এই আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা আমি অনেক সময়েই ব্যক্ত করেছি এবং তা বাস্তবায়িত করার জন্য চেষ্টাও চালিয়েছি। এখন আমি আরও একবার আপনাদের কাছে আমার এই আশার কথা ব্যক্ত করছি। এর বাস্তবায়নে আমরা আবার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। যে কোন রাজনৈতিক দল বা সাংসদের পছন্দের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও বিতর্কের জন্য সরকার প্রস্তুত। এই মরশুমে প্রবল বর্ষণ দেশের কোন কোন অংশে আমাদের সামনে এক কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। অথচ, দেশের অন্যান্য অংশে এখনও বর্ষার ঘাটতি রয়ে গেছে। এই সমস্ত বিষয়ের ওপর আলোচনা খুবই প্রাসঙ্গিক হবে বলে আমার বিশ্বাস। অনেক অনেক ধন্যবাদ। /","সংসদত বৰ্ষাকালীন অধিবেশন আৰম্ভ হোৱাৰ পূৰ্বে দিয়া প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ মন্তব্য, ১৮ জুলাই,২০১৮" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%AD-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%86/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%AD-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6/,"মহামান্যইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী শ্রীযুক্ত বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, শ্রীমতী সারানেতানিয়াহু, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় রুপানি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতিনপ্যাটেল, আইক্রিয়েটের সঙ্গে যুক্ত সকল বুদ্ধিজীবী, উদ্ভাবক, রিসার্চ স্কলার,আধিকারিকবৃন্দ এবং এখানে উপস্থিত নবীন প্রজন্মের বন্ধুগণ, ভাই ও বোনেরা, আমিআনন্দিত যে আজ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দেশের নবীন উদ্ভাবকদের সমর্পিতএই সংস্থার উদ্বোধন হচ্ছে। আমি শ্রদ্ধেয় নেতানিয়াহু’র কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তিনিগুজরাট আসার আমন্ত্রণ স্বীকার করেছেন আর সস্ত্রীক এসেছেন। এই অনুষ্ঠানে আসার আগেআমরা সাবরমতী আশ্রম গ��য়েছিলাম, সেখানে পূজনীয় বাপুজিকে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগপেয়েছি। ঘুড়ি ওড়ানোর সুযোগও হয়েছে। গতবছর আমি যখন ইজরায়েল গিয়েছিলাম, তখনই ভেবেছিলাম যে এই সংস্থার ইজরায়েলের সঙ্গেসম্পর্ক সুদৃঢ় করা উচিৎ। আর তখন থেকেই আমি আমার বন্ধু মিঃ নেতানিয়াহু’র ভারত আসারঅপেক্ষা করছিলাম। আমি খুশি যে তিনি শুধু গুজরাট আসেননি, আজ আমরা তাঁর উপস্থিতিতেএই সংস্থার ক্যাম্পাসটিও উদ্বোধন করেছি। আমি শ্রী নেতানিয়াহু আর তাঁর সঙ্গে আসাপ্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যদের আরেকবার স্বাগত জানাই, তাঁদের প্রতি আমারকৃতজ্ঞতা জানাই। আজযখন আমরা ‘আইক্রিয়েট’ উদ্বোধন করছি, সে সময় আমি স্বর্গীয় প্রফেসর এনভি ভসানিকেওস্মরণ করতে চাইব। আমার খুব ভালো মনে আছে যে, এখানে যখন ‘আইক্রিয়েট’-এর কল্পনা করাহয়েছিল, একে মূর্তরূপ দেওয়ার প্রাথমিক দায়িত্ব প্রফেসর ভসানির কাঁধে ন্যস্তহয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি অসুস্থ হয়ে দীর্ঘকাল অজ্ঞান অবস্থায় কাটিয়েএকদিন আমাদের ছেড়ে চলে যান। তাঁর প্রাথমিক প্রয়াস এত সুপরিকল্পিত ছিল যে,পরবর্তীকালে তাঁর যোগ্য উত্তরসূরী আজ একে বাস্তব রূপ প্রদান করেছেন। কৃষকএকটি ছোট্ট চারা পোঁতেন, লালন-পালন করে বড় করেন, তবেই পরবর্তী কয়েক প্রজন্ম সেইবিশাল বৃক্ষের ফল পেতে থাকেন। তা দেখে সেই কৃষকের আত্মা যেখানেই থাকুক না কেন,নিশ্চিতভাবেই আনন্দিত হন। আজ ‘আইক্রিয়েট’-এর উদ্বোধন সমারোহ আমাদের সবাইকে সেইআনন্দ দিচ্ছে যে একটি বীজ আমরা বপন করেছিলাম, তা আজ বটবৃক্ষের মতো বড় হয়ে উঠেছে। জন্মেরসময়ই কোনও প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব ভালোভাবে আঁকা যায় না। আমরা সবাই জানি যে, শুধুভারত নয়, আজ বিশ্বের সর্বত্র ‘ফার্মাসিউটিক্যাল’ ক্ষেত্রে গুজরাটের নাম রয়েছে,গুজরাটিদের খ্যাতি রয়েছে। কিন্তু অনেক কম মানুষই হয়তো এর প্রেক্ষাপট জানেন। আজথেকে ৫০-৬০ বছর আগে আমেদাবাদের কয়েকজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষের প্রচেষ্টায় একটিফার্মেসি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল; সেটাই ছিল দেশের প্রথম ফার্মেসি কলেজ। ঐ কলেজআমেদাবাদ তথা গোটা গুজরাটে ফার্মেসি ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী বাস্তুতন্ত্র গড়েতুলেছে। আমরা ‘আইক্রিয়েট’ থেকেও একই রকম প্রত্যাশা রাখি। এখান থেকে পাশ করার পরযুবক-যুবতীরা যেন উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সারা পৃথিবীতে ভারতের নাম উজ্জ্বল করে। আমারমনে আছে যে, কয়ক বছর আগে ‘আইক্রিয়েট’ প্রকল্পের শিলান্যাস করার সময় আমি বলেছিলামযে, এই প্রকল্পের সঙ্গে আমি ইজরায়েলকে জুড়তে চাই। ইজরায়েলের অভিজ্ঞতা, সেদেশেরস্টার্ট আপ আবহের ্সুফল যেন এই সংস্থা তথা এদেশের নবীন প্রজন্ম পায়, একথা মাথায়রেখেই বলছি যে, ইজরায়েলের প্রযুক্তি এবং সৃষ্টিশীলতা গোটা বিশ্বকে প্রভাবিত করে।ভারতের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে যুক্ত হলে ইজরায়েলের অভিজ্ঞতাথেকে ভারতীয় উদ্ভাবকরাও লাভবান হতে পারবেন। জলসংরক্ষণ, কৃষি উৎপাদন, কৃষিজাত দ্রব্যাদির দীর্ঘসময় ধরে সংরক্ষণ, খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ, মরু অঞ্চল এবং ঊষর ভূমিতে চাষবাস, সাইবার সুরক্ষা ইত্যাদি বিভিন্নবিষয়ে ভারত এবং ইজরায়েল যৌথভাবে কাজ করতে পারে। বন্ধুগণ,ইজরায়েলের বন্ধুরা বিশ্ববাসীর সামনে প্রমাণ করে দিয়েছে যে, দেশে আকার নয়,দেশবাসিদের সংকল্পই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। একবারআমার ইজরায়েলের পূর্ব রাষ্ট্রপতি এবং মহান প্রজ্ঞাবান শ্রদ্ধেয় শিমোন পেরেজেরসঙ্গে সাক্ষাতের সৌভাগ্য হয়েছিল। তিনি বলতেন, “আমরা প্রমাণ করব যে, আবিষ্কারেরকোনও সীমা-পরিসীমা নেই। আবিষ্কার দেশের সঙ্গে দেশের আর মানুষের সঙ্গে মানুষের ভাববিনিময়কেসহজ করে”। তাঁর এই কথা আজ ১০০ শতাংশ সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। ভারত ও ইজরায়েল’কে কাছেআনার ক্ষেত্রে উদ্ভাবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভাইও বোনেরা, শ্রদ্ধেয় শিমোন পেরেজের বলা আরেকটি কথা আমি উদ্ধৃত করতে চাই। তিনিবলতেন, “যত বড় স্বপ্ন দেখবেন, ফলাফল তত বেশি রঙিন হবে”। ইজরায়েলের এই ভাবনা নোবেলপুরস্কারের সঙ্গে ইজরায়েলের রসায়নকে শক্তিশালী করেছে। এর প্রমাণ হ’ল ইজরায়েলেরবৈজ্ঞানিকরা ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন! ভাইও বোনেরা, প্রখ্যাত বৈজ্ঞানিক অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের একটি বিখ্যাত উক্তি হ’ল –“কল্পনা হ’ল জ্ঞানের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ”। এই কল্পনা – এই স্বপ্নগুলিই আমাদেরনতুন সাফল্যের উচ্চতায় পৌঁছে দিতে পারে। এই স্বপ্নগুলিকে কখনও মরতে দেওয়া চলবে না।এই স্বপ্নগুলি থমকে যেতে দেবেন না! শিশুদের আগ্রহকে পোষন করার দায়িত্ব আমাদেরসকলের। লজ্জা, আবিষ্কারের শত্রু। আপনারা চারপাশের শিশুদের মনোযোগ দিয়ে দেখুন।আপনারা যদি তাদেরকে বলেন যে, তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া উচিৎ! তারা জিজ্ঞাসা করবে, কেনঘুমানো উচিৎ? আপনি যদি বলেন যে, আমার এই সঙ্গীত পছন্দ! তা হলে তৎক্ষণাৎ জানতেচাইবে, আপনি কেন এই সঙ্গীত পছন্দ কর��ন? একবার অঙ্কের এক ক্লাসে মাস্টারমশাইবোঝালেন যে, তিনটি ফল যদি তিনজনকে সমানভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়, তা হলে প্রত্যেকেএকটি করে পাবে, ছয়টি ফল যদি ছয় জনকে দেওয়া হয়, তা হলে তারাও একটি করে পাবে! অর্থাৎযতজন ছাত্র ততগুলি ফল থাকলে প্রত্যেকে একটি করে ফল পাবে। তখন একজন ছাত্র উঠেদাঁড়িয়ে শিক্ষকের চোখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, যদি ফলের সংখ্যা শূন্য হয় আরছাত্র সংখ্যাও শূন্য তা হলেও কি প্রত্যেক ছাত্র একটি করে ফল পাবে? শিক্ষক মশাইপ্রশ্ন শুনে অবাক হয়ে তাকান, অন্য ছাত্ররা হাসতে শুরু করে। আপনারা শুনলে খুশি হবেনযে, ঐ শিক্ষার্থী আর কেউ নয়, ভবিষ্যতে গণিতের মহান পণ্ডিত হয়ে ওঠা শ্রীনিবাসরামানুজম স্বয়ং। আর তাঁর ঐ একটি প্রশ্নই গণিতের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নকে স্পষ্টকরে তোলেন যে, শূন্যকে শূন্য দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল এক হয় কি না! আমাদেরযুবকদের প্রাণশক্তি আছে, উৎসাহও আছে। তাদের চাই, স্বাভাবিক প্রেরণা, সামান্যপথপ্রদর্শন, নেটওয়ার্ক যোগাযোগ, প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা। এইসব বিষয়গুলি তাদেরআবিষ্কারের সঙ্গে যুক্ত হলে বড় বড় পরিণাম নিশ্চিত হয়। আজ আমরা দেশের সম্পূর্ণব্যবস্থাকেই উদ্ভাবন-বান্ধব করে গড়ে তোলার কাজ করছি। আমাদের মন্ত্র হ’ল – আগ্রহথেকে জন্মাক ইচ্ছে, ইচ্ছের শক্তি থেকেই অঙ্কুরিত হোক নানা বুদ্ধি, সেসব বুদ্ধিরশক্তি থেকে হোক উদ্ভাবন, আর উদ্ভাবনের জোয়ারে গড়ে উঠুক আমাদের নতুন ভারত। বন্ধুগণ,প্রত্যেক ব্যক্তির মনে, প্রত্যেক নবীনের মনে কিছু না কিছু করার, উদ্ভাবনমূলক কিছুকরার ইচ্ছে থাকে। তাঁদের মনে ভাবনা জাগে আর মিলিয়ে যায়। যে ভাবনাগুলি জাগে সেগুলিআমাদের সম্পত্তি। কিন্তু সেই ভাবনাগুলি এমনি মিলিয়ে যাওয়া, হারিয়ে যাওয়া, কোনওমাটি স্পর্শ না করাকে আমি সমাজ, সরকার ও ব্যবস্থার দুর্বলতা মনে করি। আমি এইব্যবস্থায় পরিবর্তন আনছি। নবীনদের ভাবনা যেন এমনি মিলিয়ে না যায়, সেটা দেখা আমাদেরসকলের দায়িত্ব। নবীনরা যাতে নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পারে, নিজেদের ক্ষমতারপরিচয় গোটা বিশ্বকে দিতে পারে তেমন সাহায্যকারী সংস্থা গড়ে তোলা, সরকার ও সমাজেরদায়িত্ব। এই ভাবনা থেকেই এই ‘আইক্রিয়েট’-এর জন্ম। আমিআনন্দিত যে, ‘আইক্রিয়েট’ দেশের নবীন প্রজন্মকে তাঁদের স্বপ্ন পূরণে, তাঁদেরউদ্ভাবনী ধারনাগুলিকে সাকার করতে বড় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আমি যখন‘আইক্রিয়েট’-এর উদ্ভাবিত পণ্যসমূহ সম্পর্কে জেনেছি, দেখেছি; খুবই আনন্দ পেয়েছি।আমাকে বলা হয়েছে যে, ‘বায়ো স্ক্যান লেবার’ আড্ডা, ‘স্পেকট্রামস্‌ পার্ট’,‘আইকন’-এর মতো অনেক উদ্ভাবন, ‘আইক্রিয়েট’-এর সাহায্যে সম্ভব হয়েছে আর সাফল্যেরপ্রথম শর্ত হয় – সাহস। যাঁরা সাহস করতে পারেন, তাঁরা যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতেপারেন। আপনারা আমার সঙ্গে সহমত তো? আমার কথা সমর্থন করেন তো নবীন বন্ধুরা? সাহস নাথাকলে মানুষ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ‘আইক্রিয়েট’-এর মাধ্যমে উদ্ভাবনকারী সাহসীযুবকদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। প্রচলিতসংস্কৃতি আর উদ্ভাবনের মধ্যে সর্বদাই টানাপোড়েন চলতে থাকে। যখনই কেউ নতুন কিছুকরতে চান, তখন এক ধরনের মানুষেরা তাঁকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করতে থাকে, বিরোধ করে!অধিকাংশ মানুষ কালিদাসের ‘মেঘদূত’ আর ‘শকুন্তলা’ সম্পর্কে তো জানেন কিন্তু খুব কমমানুষই জানেন যে, কালিদাস তাঁর লেখা মালবিকাগ্নিমিত্রম-এ প্রচলিত সংস্কৃত আরউদ্ভাবন নিয়ে একটি মজাদার কথা বলেছিলেন। পুরাণমিৎয়েব না সাধু সর্বং ন চপি কাব্যং নওয়মিৎয়োয়দয়ম্‌। সন্তঃ পরীক্ষয়ানয়তরদ্ভজন্‌তে মূঢ়ঃ পরপ্রভয়য়নেয়বুদ্ধিঃ।। অর্থাৎকোনও জিনিস পুরনো হলেই যে সেটা ভালো হবে তা জরুরি নয়। তেমনই কোনও কিছু নতুন হলেইযে তা খারাপ হবে – তা ঠিক নয়! বুদ্ধিমান ব্যক্তি প্রতিটি জিনিসকে গুণের নিরিখেমাপে আর মূর্খরা অন্যদের মন্তব্য শুনে নিজের সিদ্ধান্ত নেয়। কত শত বছর আগে কালিদাসপ্রচলিত সংস্কৃতি আর উদ্ভাবনের মাঝের টানাপোড়েনের সমাধান করে গেছেন। বন্ধুগণ,আমাদের বৈজ্ঞানিকদের এমন ক্ষমতা রয়েছে, যত টাকায় হলিউডে একটি কল্পবিজ্ঞানের সিনেমাতৈরি হয়, তার থেকেও কম টাকায় বাস্তবে সত্যিকরের মঙ্গলযান তাঁরা মঙ্গলগ্রহে পৌঁছেদিয়েছেন। এই চারদিন আগেই ইসরো মহাকাশযান উৎক্ষেপণে সেঞ্চুরি করেছে। এই সাফল্য এমনিআসে না। এর পেছনে রয়েছে আত্মোৎসর্গ, পরিশ্রম; যে স্বপ্নের উড়ান চাই, সেইপ্রাণশক্তি ভারতীয় যুবকদের মনে ভরপুর রয়েছে – এটা আমি দিন-রাত অনুভব করি। ভাইও বোনেরা, আপনারা লক্ষ্য করেছেন, ‘আইক্রিয়েট’-এর ‘আই’টিকে ইংরেজি ‘স্মল লেটার’-এরাখা হয়েছে; এর পেছনে একটা কারণ আছে। বন্ধুগণ, সৃষ্টিশীলতার সবচেয়ে বড় বাধা আসে এই‘আই’ বড় হয়ে গেলে। সৃষ্টিশীলতার সঙ্গে ‘আই’ ‘ক্যাপিটাল লেটার’-এ থাকার মনে হ’লঅহম্‌ আর অহংকার বাধা সৃষ্টি করবেই। সেজন্য গোড়া থেকেই এখানে সৃষ্টিশীলতাকে অহ্‌মআর অহংকা��� থেকে মুক্ত রাখা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আরেকটি কথা অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ ছিল। সৃষ্টিশীলতার গোড়াপত্তন ‘স্মল আই’ দিয়ে হলেও স্বপ্ন ‘ক্যাপিটালআই’ অর্থাৎ ‘ইনডিভিজ্যুয়াল’ থেকে শুরু করে ‘ইন্ডিয়া’ পর্যন্ত পৌঁছানো। আমাদেরলক্ষ্য ছিল ‘স্মল আই’ থেকে ‘ক্যাপিটাল আই’ পর্যন্ত অনেক বড় উল্লম্ফন। এক ব্যক্তিথেকে শুরু করে গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়া। আজকেরপ্রয়োজন হ’ল যে, আমাদের নবীন প্রজন্ম দেশের সামনে দাঁড়ানো সমস্যাগুলি থেকে মুক্তিরজন্য উদ্ভাবন করুক। কার্যকরি উদ্ভাবন চাই। সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের মানকে কিভাবেন্যূনতম অর্থ ব্যয়ে উন্নত করা যায়, তা নিয়ে গবেষণা করে উদ্ভাবন চাই। ম্যালেরিয়াবিপদ হয়ে উঠলে ন্যূনতম টাকা খরচ করে কিভাবে গরিব পরিবারগুলিকে তা থেকে মুক্তিদেওয়া যায়, সে সম্পর্কে পথ খুঁজে বের করতে হবে! যক্ষ্মা সীকল সেল-এর বিপদ থেকেকিভাবে তাঁদের রক্ষা করব, তাঁদের পরিবেশকে কিভাবে সুলভে আবর্জনামুক্ত করব? খাদ্যথেকে উৎপাদিত বর্জ্য, কৃষি উৎপাদনের বর্জ্যগুলিকে কিভাবে অল্প খরচে সম্পদেরূপান্তরিত করা যায় – এ ধরনের সমস্যাগুলির সমাধানের পথ খুঁজতে উদ্ভাবন চাই। আজদেশে বড় মাত্রায় ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ চলছে। এ বিষয়ে উদ্ভাবনের পাশাপাশি স্বরোজগারআর প্রযুক্তিগত উন্নয়নের স্বার্থে দেশে এই ধরনের ভাবনা আর ‘আইক্রিয়েট’-এর মতোউৎসর্গীকৃত সংস্থা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। একথা ভেবেই কেন্দ্রীয় স্তরে ‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া’, ‘স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া’,‘মুদ্রা যোজনা’র মতো অনেক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। ‘অটল ইনোভেশন মিশন’ বাবদ সরকারসারা দেশে ২ হাজার ৪০০’রও বেশি ‘অটল টিংকারিং ল্যাবস্‌’ স্থাপনের প্রস্তাব মঞ্জুরকরেছে। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনাকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যেএবং আধুনিক পদ্ধতিতে হাতে-কলমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সারা দেশে এভাবে একটি নতুনমঞ্চ গড়ে উঠবে। গতবছর আমার ইজরায়েল সফরের সময় আমরা চল্লিশ মিলিয়ন আমেরিকান ডলারের একটি তহবিল গড়েতুলেছি, যা ভারত এবং ইজরায়েলের একটি যৌথ উদ্যোগে উভয় দেশের মেধাকে প্রযুক্তিউদ্ভাবনের লক্ষ্যে নতুন কিছু করার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। এই যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমেখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, জল, স্বাস্থ্য পরিষেবা তথা শক্তি ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দেওয়াহবে। আমরা ‘উদ্ভাবন সেতু’রও পরিকল্পনা করেছি, যার মাধ্যমে উভয় দেশের ‘স্টার্টআপ’গুলির মধ্যে বিনিময় চালু হবে। আমিখুশি যে, এই প্রক্রিয়ায় ‘ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ’-এর মাধ্যমে কয়েকজন বিজেতা নির্বাচিতহয়েছেন। আজ তাঁদের হাতে ‘স্টার্ট আপ অ্যাওয়ার্ড’ও তুলে দেওয়া হয়েছে। একটু আগেইদেখেছেন যে, ইজরায়েলের টিম এবং ভারতীয় টিমের সদস্যরা মঞ্চে এসেছিলেন।ইন্ডিয়া-ইজরায়েল ইনোভেশন ব্রিজ একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। আগামী দিনে এই অনলাইনপ্ল্যাটফর্ম উভয় দেশের ‘স্টার্ট আপ’ কোম্পানিগুলির মধ্যে বড় সংযোগের মাধ্যমে হয়েউঠবে। দু’দিনআগে যখন দিল্লিতে উভয় দেশের সিইও-দের বৈঠক হচ্ছিল, সেখানেও আমি এই প্রয়াসকেসমর্থনের আবেদন রেখেছি। বন্ধুগণ, ভারতের অপরিসীম সামুদ্রিক শক্তি রয়েছে। আমাদেরসমুদ্রতট ৭ হাজার ৫০০ কিলোমিটার থেকে বেশি দীর্ঘ, ১ হাজার ৩০০-রও বেশি আমাদেরসমুদ্র দ্বীপ রয়েছে। বেশ কিছু দ্বীপ রয়েছে, যেগুলির আয়তন সিঙ্গাপুরের চেয়েও বড়।প্রায় ২৫ লক্ষ বর্গ কিলোমিটারের একটি এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন রয়েছে – এটি আমাদেরএমন একটি শক্তি যা অতুলনীয়। দেশের উন্নয়নে এই শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুননতুন উদ্ভাবনের প্রয়োজন রয়েছে। এর উদ্ভাবনগুলি নীল বিপ্লবে নতুন প্রাণশক্তি সঞ্চারকরবে।। আমাদের মৎস্যজীবী ভাই-বোনদের জীবন বদলে দেবে। আমিইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই যে, তিনি গত বছর আমার ইজরায়েল সফরের সময়তিনি আমাকে সমুদ্রের জল পরিশুদ্ধ করে ব্যবহার করার যন্ত্র দেখিয়েছিলেন। তিনি নিজেগাড়ি চালিয়ে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তেমনি একটি যন্ত্র আজ তিনি সঙ্গেকরে নিয়ে এসেছেন, একটু আগেই আপনারা এর লাইভ ডেমো বড় পর্দায় দেখছিলেন। বনাসকাঠাজেলায় সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে এই নতুন পদ্ধতি কাজে লাগানো হয়েছে। এরফলে, বিএসএফপোস্টে মোতায়েন সুরক্ষা কর্মী এবংত পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলির মানুষ তো বিশুদ্ধপানীয় জল পাবেনই, ভারতে এ ধরনের প্রযুক্তি পরীক্ষার সুযোগ তৈরি হয়েছে। ভাইও বোনেরা, আপনাদেরকে আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, কৃষিতে ইজরায়েলের সহযোগিতায়নির্মীয়মান ২৮টি উৎকর্ষ কেন্দ্র-র মধ্যে ২৫টি ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে। এদেরমাধ্যমে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, তথ্য এবং জেনেটিক রিসোর্স বিনিময়ে সুবিধা হচ্ছে।এগুলির মধ্যে তিনটি উৎকর্ষ কেন্দ্র আমাদের গুজরাটে স্থাপিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানেরপর আমি আর ইজরায়েলের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রান্তিক তালুক, সাবরকন্ঠ জেলার ভদরাড়গ্রামে যাব। সেখানেও কৃষিতে সেন্টার অফ এক্সেলেন্স গড়ে উঠেছে। সেখান থেকে ভিডিওকনফারেন্স-এর মাধ্যমে কচ্ছ-এর খজুর-এ গড়ে ওঠা গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গেও কথা বলতেপারব। ভদরাড় কেন্দ্র থেকে গুজরাটের কৃষকদের একটি নতুন সব্জির চারা বিতরণ করাহচ্ছে। ঐ কেন্দ্রে ১০ হাজার কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে আর ২৫ হাজারেরও বেশিকৃষক ইতিমধ্যে ঐ কেন্দ্র ঘুরে দেখে গেছেন। বেশ কয়েকজন কৃষককে ইজরায়েলে পাঠিয়ে প্রশিক্ষণদেওয়া হয়েছে। ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে এই সহযোগিতা, এই পারস্পরিক উন্নয়নের ভাবনা,উভয় দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একবিংশশতাব্দীতে উভয় দেশের এই বন্ধুত্ব মানবতার ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় লিখবে।বন্ধুগণ, পরস্পরের সংস্কৃতিকে সম্মান, পরস্পরের পরম্পরাকে সম্মান আমাদের সম্পর্ককেসর্বদা সুদৃঢ় করতে থাকবে। যত কম সংখ্যাতেই হোক না কেন, আমেদাবাদ ও পার্শ্ববর্তীঅঞ্চলে ইহুদিরা শান্তিতে বসবাদ করেন। তাঁরা গুজরাটের ইতিহাসের সঙ্গে, সংস্কৃতিরসঙ্গে মিলেমিশে গেছেন। গুজরাটের ইহুদিরা দেশের অন্যান্য প্রান্তে এমনকি ইজরায়েলেনিজেদের কাজকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ভারত এবং ইজরায়েলের পারস্পরিক সম্পর্ক আরওবৃদ্ধি পাক, আরও সুদৃঢ় হোক, এই কামনা নিয়ে আমি নিজের বক্তব্য সম্পূর্ণ করতে চাই।‘আইক্রিয়েট’কে সফল করে তুলতে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, তাঁদেরকে আমি বিশেষভাবেধন্যবাদ জানাই। শ্রীনারায়ণ মূর্তি মহোদয়, শ্রী দিলীপ সিংঘভি সহ অনেক জ্ঞানী মানুষেরা এই ‘আইক্রিয়েট’গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, নিজেদের বহু মূল্য সময় দিয়েছেন। আমিআশা করি যে, এই সংস্থায় যে উদ্ভাবনের আবহ গড়ে উঠবে, তা গোটা দেশের নবীন প্রজন্মেরক্ষমতায়নে অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে। আর আমি ইজরায়েলের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবংতাঁর স্ত্রী শ্রীমতী সারাকে অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। তাঁরা আমার ভালো বন্ধু,আমাদের এই বন্ধুত্ব দু’দেশের বন্ধুত্বে একটি নতুন শক্তি রূপে মাত্রান্বিত হয়েউঠছে। আজ তিনি ভারতের জন্য যে বিশেষ উপহার এনেছেন, সেই উপহার দেশের সাধারণ মানুষেরহৃদয়কে স্পর্শ করবে। সেজন্য আমি হৃদয় থেকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। আমিআরেকবার উপস্থিত সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আর ‘আইক্রিয়েট’কে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। ধন্যবাদ। …",১৭ জানুৱাৰী তাৰিখ�� আহমেদাবাদৰ দেও ধলেৰা গাঁৱত আই ক্ৰিয়েট কেন্দ্ৰ মুকলি কৰি প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে দিয়া ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E2%80%8C%E0%A6%B8-%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AD-%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%9F/,"শোভনা ভারতীয়া মহোদয়া, উপস্থিত সকল সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, ভাই ও বোনেরা, আরেকবার আপনাদের মাঝে আসার সুযোগ পেলাম। অনেক পরিচিত মুখও দেখতে পাচ্ছি। আমাকে আরেকবার ডাকার জন্য হিন্দুস্থান টাইমস্‌ গ্রুপ এবং তাদের পাঠকবর্গকে কৃতজ্ঞতা জানাই। বন্ধুগণ, দু’বছর আগে আমি যখন প্রথমবার এই শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে এসেছিলাম, তখন বিষয় ছিল ‘উজ্জ্বলতর ভারতের পথে’, কেবলমাত্র দু’বছর, এই দু’বছরের মধ্যে আজ আমাদের বিষয় বদলে হয়েছে ‘অপরিবর্তনীয় ভারতের উত্থান’। এটা নিছকই বিষয়ের পরিবর্তন নয়, এটা দেশের ভাবনার পরিবর্তন, দেশের আত্মবিশ্বাসের পরিবর্তনের প্রতীক। আমরা যদি দেশকে একটি সম্পূর্ণতা নিয়ে দেখি, একটি জীবন্ত অস্তিত্ব হিসাবে দেখি, তা হলে আজ আমাদের দেশে যে ইতিবাচক চরিত্র তৈরি হয়েছে, তা আগে কখনও ছিল না। আমার মনে পড়ে না যে, দেশের দরিদ্র মানুষজন, নবীন প্রজন্ম, মহিলারা, কৃষকরা, শোষিত-বঞ্চিতরা নিজেদের সামর্থ্য, নিজেদের উপাদান এবং নিজেদের স্বপ্নের ওপর এতটা ভরসা আগে কখনও করেননি। এই ভরসার পরিবেশ আজ তৈরি হয়েছে। আমরা ১২৫ কোটি ভারতবাসী মিলে দিনরাত এক করে এই পরিবেশ তৈরি করেছি। এভাবে দেশবাসী যখন নিজের ও দেশের ওপর ভরসা করে – এটাই যে কোনও দেশকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দেওয়ার মন্ত্র। আজ গীতা জয়ন্তী, গীতাতে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে – উদ্ধরেত আত্মন আত্মানম ন আত্মানং অবসাদয়েত আত্মেব-আত্মন বন্ধু আত্মেব রিপুর আত্মনা – অর্থাৎ, নিজেকে ওপরে ওঠাও, নেতিবাচক চিন্তাকে প্রশ্রয় দিও না, নিজেই নিজের বন্ধু আর নিজেই নিজের শত্রু। আর সেজন্য ভগবান বুদ্ধ বলেছিলেন – ‘অপ্প দীপো ভব’ অর্থাৎ, নিজের আলো নিজেই হয়ে ওঠো। ১২৫ কোটি ভারতবাসীর ক্রমবর্ধমান আস্থা এই দেশের উন্নয়নে একটি মজবুত ভিত্তি গড়ে তুলছে। এই সভাগৃহে উপস্থিত প্রত্যেক ব্যক্তি থেকে শুরু করে এই হোটেলের বাইরে যাঁরা অটোরিক্‌শা চালান, যাঁরা রিক্‌শা চালান, যাঁরা ক্ষেতের কাজ করছেন কিংবা যাঁরা সারা রাত বরফের মধ্যে দাঁড়িয়ে সীমান্ত প্রহরার পর এখন কোনও তাঁব���তে ঘুমিয়ে আছেন, তাঁদের সকলের তপস্যার পরিণাম এই মজবুত ভিত্তি। এমনি প্রত্যেক ভারতবাসীর তপস্যার কারণেই আমরা ‘উজ্জ্বলতর ভারতের পথে’ থেকে এগিয়ে ‘অপরিবর্তনীয় ভারতের উত্থান’ নিয়ে কথা বলতে পারছি। বন্ধুগণ, ২০১৪ সালে দেশের মানুষ নিছকই সরকার বদলানোর জন্য ভোট দেননি, তাঁরা ভোট দিয়েছিলেন দেশ বদলানোর জন্য। ব্যবস্থায় এমন পরিবর্তন আনার জন্য যা স্থায়ী হবে, অপরিবর্তনীয় হবে। স্বাধীনতার এত বছর পরও আমাদের ব্যবস্থার দুর্বলতা আমাদের দেশের সাফল্যের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল। একটা এমন ব্যবস্থা ছিল, যা দেশবাসীর ক্ষমতা সঠিক ব্যবহার করতে পারছিল না। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দেশের কোনও না কোনও ব্যক্তিকে এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছিল। এটা শুধু আমার প্রচেষ্টা নয়, এটা আমার অঙ্গীকারও যে, সেই লড়াকু মানুষদের আর ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে না। তাঁদের জীবনে অপরিবর্তনীয় পরিবর্তন আসবে, তাঁরা সরল জীবনযাপনের পথে এগিয়ে যাবেন। ছোট ছোট বিষয়ের জন্য রেল, বাসের টিকিট, রান্নার গ্যাস সংযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ, হাসপাতালে ভর্তি, পাসপোর্ট, ইনকাম ট্যাক্স রিফান্ড পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে যাতে হয়রান না হতে হয়। বন্ধুগণ, বর্তমান সরকার দুর্নীতিমুক্ত, জনগণ-কেন্দ্রিক আর উন্নয়ন-বান্ধব, বাস্তুতন্ত্রকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়েছে। নীতি-ভিত্তিক, প্রযুক্তি-ভিত্তিক, স্বচ্ছ ব্যবস্থা-ভিত্তিক একটি এমন বাস্তু ব্যবস্থা, যাতে ভুলভ্রান্তি ও লিকেজের সম্ভাবনা কম থাকে। আমি যদি জন ধন যোজনার কথাই বলি, এটি গরিব মানুষের জীবনে এমন পরিবর্তন এনেছে, যা আগে কেউ ভাবতেই পারতেন না। এখন সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে আর প্রত্যেক জন ধন অ্যাকাউন্টধারীকে রুপে ডেবিট কার্ডও প্রদান করা হচ্ছে। আমাদের ১২৫ কোটি জনগণের মধ্যে এরকম মানুষের সংখ্যা ৩০ কোটিরও বেশি। সেই গরিবের আত্মবিশ্বাস সম্পর্কে ভাবুন, যখন তিনি ব্যাঙ্কে গিয়ে পয়সা জমা করেন, যখন রুপে ডেবিট কার্ড ব্যবহার করেন – এই আত্মবিশ্বাসই এখন স্থায়ী হয়ে উঠেছে। একে কেউ বদলাতে পারবে না। তেমনই উজ্জ্বলা যোজনা গ্রামে বসবাসকারী ৩ কোটিরও বেশি মহিলার জীবনে স্থায়ী পরিবর্তন এনেছে। তাঁরা নিছকই নিঃশুল্ক গ্যাস সংযোগ পাননি, সুরক্ষা পেয়েছেন, স্বাস্থ্য পেয়েছেন, উদ্বৃত্ত সময় পরিবারের জন্য দিতে পারছেন। এমনই কোটি কোটি মহিলাদের কথা ভাবুন, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের কারণে যাঁদের জীবনে পরিবর্তন এসেছে। সরকারের উদ্যোগে শুধু কোটি কোটি শৌচালয় নির্মাণ করেনি, মা ও বোনেদের সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিয়েছে, যা তাঁদেরকে প্রতিদিন সন্ধ্যার অন্ধকার নামা পর্যন্ত সহ্য করতে হ’ত। কেউ কেউ হয়তো খানিকটা নোংরার ছবি তুলে তর্ক করেছেন, লিখেছেন, টিভিতে দেখিয়েছেন, কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারাও জানেন যে, এই অভিযান দেশের তৃণমূল স্তরে কতটা অপরিবর্তনীয় পরিবর্তন এনেছে। ভাই ও বোনেরা, আমি জানিনা, এই সভাগৃহে উপস্থিত কতজন এটা অনুভব করবেন, এখান থেকে বেরোনোর পর যত টাকা আপনারা পার্কিং-এ টিপস্‌ হিসাবে দেবেন, তার থেকে অনেক কম টাকায় আজ গরিব মানুষ জীবন বিমা’র কিস্তি জমা দিতে পারেন। ভাবুন, মাসিক এক টাকা কিস্তিতে দুর্ঘটনা বিমা, দিন প্রতি ৫০ পয়সা কিস্তিতে জীবন বিমা! আজ দেশে ১৫ কোটিরও বেশি গরিব মানুষ সরকারের এই সকল যোজনার দ্বারা উপকৃত। এই সকল যোজনা বাবদ ইতিমধ্যেই গরিবদের ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ ফেরৎ দেওয়া হয়েছে। এত টাকা অন্য কোনও সরকার দিলে তাদেরকে মসিহা রূপে তুলে ধরা হ’ত। গরিবদের জন্য এত বড় কাজ হয়েছে, কিন্তু আমার মনে হয় না কেউ এই অগ্রগতির কথা তুলে ধরতে উৎসুক। আমি এলইডি বাল্বের উদাহরণ দিচ্ছি। আগের সরকারের আমলে যে এলইডি বাল্ব ৩০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হ’ত এখন তা ৫০ টাকায় পাওয়া যায়। উজালা যোজনা শুরু হওয়ার পর থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় ২৮ কোটি এলইডি বাল্ব বিক্রি হয়েছে। এই বাল্বগুলি ব্যবহারের ফলে ইতিমধ্যেই আনুমানিক ১৪ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এমনটা নয় যে, সাশ্রয়ের ফলে বিদ্যুতের বিল এখন যেমন কম আসছে ভবিষ্যতে তেমন কম আসা বন্ধ হয়ে যাবে। এই সাশ্রয়ও জারি থাকবে। এই সাশ্রয়ও এখন স্থায়ী সাশ্রয়। ভাই ও বোনেরা, আগের সরকারকে এরকম পদক্ষেপ নিতে কেউ বাধা দিয়েছিল বলে আমার জানা নেই। কিন্তু এটুকু জানি যে, ব্যবস্থায় স্থায়ী পরিবর্তন আনার উদ্দেশ্যে কেউ যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, দেশের ভালোর জন্য কেউ সিদ্ধান্ত নিলে সেটাকে আটকানো যায় না। যাঁরা একথা বিশ্বাস করেন না যে, দেশে যাদুদন্ড ঘুরিয়ে পরিবর্তন আনা যায় না, হতাশা এবং নিরাশায় পূর্ণ পরিবেশে এই পদ্ধতি আমাদের নতুন এবং সৃষ্টিশীল কিছু করতে বাধা দেয়। এই পদ্ধতি আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধা দেয়। সেজন্য বর্তমান সরকারের পদ্ধতি একেবারেই আলাদা। যেমন – ইউরিয়াতে নিম কোটিং-এর উদাহরণ যদি দি���, আগের সরকারও ইউরিয়াতে ৩৫ শতাংশ নিম কোটিং দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। যদিও গোটা ব্যবস্থাই জানতো যে, ৩৫ শতাংশ নিম কোটিং করলে কোনও লাভ হবে না। ইউরিয়ার চোরাপাচার রুখতে তাকে ১০০ শতাংশ নিম কোটিং করাতেই হবে। তবেই এই নিম কোটিংযুক্ত ইউরিয়া আর চোরাপথে পাচার হবে না। ভাই ও বোনেরা, এই সিদ্ধান্তের ফলে বিভিন্ন রাসায়নিক সার কারখানায় চোরাপথে ভর্তুকিযুক্ত ইউরিয়া পাচার থামিয়ে দেওয়ায় এখন দেশে আর ইউরিয়ার সঙ্কট নেই। ব্যবস্থায় দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষককেও এখন তাঁদের ক্ষেতে তুলনামূলক কম ইউরিয়া মেশাতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই কম ইউরিয়া দেওয়ার ফলে ফলনের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। তেমনই এখন আমরা দেশে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলছি যার মাধ্যমে কৃষকরা যে কোনও প্রান্ত থেকেই নিজের ফসল ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবেন। ফলে দেশে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। ই-ন্যাম অর্থাৎ ইলেকট্রনিক ন্যাশনাল এগ্রিকালচার মার্কেট থেকে ইতিমধ্যেই দেশের সাড়ে চারশো বাজারকে অনলাইনে যুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই মঞ্চ দেশের সমস্ত কৃষকদের তাঁদের ফসলের ন্যায্য দাম পেতে সাহায্য করবে। সম্প্রতি সরকার দেশের কৃষিতে সরবরাহ শৃঙ্খলকে মজবুত করার জন্যে, গুদামজাতকরণ ব্যবস্থাকে মজবুত করার জন্যে “প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্পদা যোজনা”র সূচনা করেছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল, ক্ষেতে কিম্বা বাগিচায় উৎপন্ন ফসলকে বাজারে পৌঁছনোর আগেই খারাপ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করা। সরকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রটিকেও মজবুত করছে যাতে কৃষকের ক্ষেত একটি শিল্প-এককের মতো কাজ করে। সরকার ফুড পার্ক এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত প্রযুক্তি বাবদ, আধুনিক গুদাম নির্মাণ বাবদ, কৃষি-প্রক্রিয়াকরণের সম্পূর্ণ পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সরকার ৬ হাজার কোটি টাকার থেকেও বেশি খরচ করতে যাচ্ছে। ভাই ও বোনেরা, সময়ের সঙ্গে জৈব চাষ এবং জৈব উৎপাদনের চাহিদা নিয়মিত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিকিমের মতোই দেশের বেশ কিছু রাজ্যের ১০০ শতাংশ জৈব রাজ্য হয়ে ওঠার ক্ষমতা রয়েছে। বিশেষ করে, হিমালয়ের পাদদেশের রাজ্যগুলি। সেজন্য সরকার ১০ হাজার ক্লাস্টার গড়ে তুলে সেখানে জৈব চাষকে উৎসাহ প্রদানের প্রকল্প চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্প্রতি আমরা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভাই ও বোনেরা, আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, এতদিন দেশের আইনে বাঁশকে একটি গাছ হিসাবে দেখা হ’ত। ফলে, কৃষকদের বাঁশ কাটতে অনেক সমস্যা হ’ত। এখন সরকার বাঁশকে গাছের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। এরফলে, দেশের প্রান্তিক অঞ্চলগুলিতে বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের কৃষকরা লাভবান হবেন, যাঁরা বাঁশের আসবাবপত্র এবং নানা হস্তশিল্প নির্মাণ করে জীবকার্জন করেন। বন্ধুগণ, আমাদের সরকার সব সিদ্ধান্তই দেশের প্রয়োজন বুঝে সার্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে নেয়। আগে কখনও এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে দেশের মানুষ দুশ্চিন্তায় দিন কাটাতেন। তাঁরা দেশকে দুর্নীতিমুক্ত দেখার পাশাপাশি নতুন ব্যবস্থার নির্মাণ প্রক্রিয়াও দেখতে চাইছিলেন। ভাই ও বোনেরা, আমাদের ব্যবস্থায় দুর্নীতিকেই নিয়মে পরিণত করা হয়েছিল। কালোটাকাই দেশের প্রতিটি বড় ক্ষেত্রকে নিয়ন্ত্রণ করছিলো। ২০১৪সালে দেশের ১২৫ কোটি মানুষ এই ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্যে ভোট দিয়েছিল। তাঁরা ভোট দিয়েছিলেন দেশকে নানা স্থায়ী রোগের হাত থেকে মুক্ত করতে, তাঁরা ভোট দিয়েছিলেন নতুন ভারত গড়ে তুলতে। বিমুদ্রাকরণের পর দেশে যে ধরনের চরিত্রগত পরিবর্তন এসেছে তা আপনারা নিজেরাই হয়তো অনুভব করছেন। স্বাধীনতার পর প্রথমবার এমন হয়েছে যখন দুর্নীতিবাজরা কালোটাকার লেনদেন করতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁরা ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন। যে কালোধন আগে সমান্তরাল অর্থনীতির ভিত্তি ছিল, বিমুদ্রাকরণেরর পর তা মূলস্রোতে ফিরে এসেছে, ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে ফিরে এসেছে; প্রমাণ সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে। সরকারের হাতে যে নতুন তথ্যভাণ্ডার এসেছে তা কোনও গুপ্তধনের খোঁজ থেকে কোনও অংশে কম নয়। এই তথ্যভাণ্ডারে খননকার্য চালিয়ে জানা গেছে যে আমাদের দেশে একই ঠিকানা থেকে চার- পাঁচশো কোম্পানি চলতো আর এক একটি কোম্পানির দু-হাজারের মতো ব্যাঙ্ক আকাউন্ট ছিল। কেমন আজব বৈপরীত্য দেখুন, একদিকে একজন গরিবের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে কত সমস্যা হতো আর অন্যদিকে একটি কোম্পানি কত সহজে কয়েকহাজার অ্যাকাউন্ট খোলাতে পারতো! বিমুদ্রাকরণের পর এই অ্যাকাউন্টগুলি খুলে তাঁরা কিভাবে সরকারকে ফাঁকি দিয়েছে তা ধরা পড়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এরকম দু’লক্ষ কোম্পানির নথিভুক্তিকরণ বাতিল করা হয়েছে। এই কোম্পানিগুলির ডাইরেক্টরদের চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের দায়িত্ব ছিল এটা দেখা যাতে কোম্পানিগুলি নিয়ম মেনে কাজ করছে কিনা! তাঁরা এখন আর কোনও কোম্পানির ডাইরেক্টর হতে পারবেন ন��! বন্ধুগণ, এটা একটি এমন পদক্ষেপ, যা আমাদের দেশের আর্থিক স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। জিএসটি চালু করাও দেশের আর্থিক স্বচ্ছতার জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ৭০ বছরে যে ব্যবস্থা তৈরি হয়েছিল, ব্যবসা করতে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হ’ত, সেগুলিকে পেছনে ফেলে দেশ এখন এগিয়ে চলেছে। জিএসটি’র মাধ্যমেও দেশে স্বচ্ছতার একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। অধিকাংশ ব্যবসায়ী এই সৎ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। বন্ধুগণ, আধার কার্ডের সাহায্যে এমনই এক অপরিবর্তনীয় পরিবর্তন ত্বরান্বিত হচ্ছে। আধার এমন একটি শক্তি, যার মাধ্যমে সরকার গরিবের অধিকার সুনিশ্চিত করতে চায়। সস্তা রেশন, ছাত্রবৃত্তি, ওষুধের খরচ, পেনশন, নানা সরকারি ভর্তুকি, গরিবদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠাতে আধার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আধার-এর সঙ্গে মোবাইল এবং জন ধন অ্যাকাউন্টের শক্তি যুক্ত হয়ে একটি এমন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, যা কয়েক বছর আগে কল্পনাও করা যেত না। বিগত তিন বছরে আধার-এর সাহায্যে ব্যবস্থা থেকে কয়েক কোটি ভুতুড়ে নাম হটানো হয়েছে। এখন তো এটি বেনামী সম্পত্তির বিরুদ্ধেও একটি বড় হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, বর্তমান সরকার সরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রেও পুরনো পদ্ধতি সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছে। আমরা গভর্নমেন্ট ই-মার্কেট প্লেস বা জেম নামক একটি নতুন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি। এর মাধ্যমে দরপত্র ঘোষণা করে এখন সরকারি দপ্তরগুলির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা হচ্ছে। এর মাধ্যমে যে কোনও হস্তশিল্প নির্মাতা, ক্ষুদ্র শিল্প এবং সমবায় সমিতিগুলিও সরকারকে জিনিস বিক্রি করতে পারছে। ভাই ও বোনেরা, আমরা একটি এমন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যাচ্ছি, যাতে ব্যবস্থার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দুর্নীতি ও কালো টাকা রোজগারের সম্ভাবনা নিশ্চিহ্নপ্রায় হবে। যেদিন দেশের সমস্ত বেচাকেনা, টাকা-পয়সার লেনদেন প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে ডিজিটাল ঠিকানায় হতে শুরু হবে, সে দিন থেকে সংগঠিত দুর্নীতি অনেকটাই থেমে যাবে। আমি জানি, এজন্য আমাকে রাজনৈতিকভাবে বড় মূল্য দিতে হতে পারে, কিন্তু তার জন্য আমি প্রস্তুত। বন্ধুগণ, প্রকল্পগুলি দ্রুত বাস্তবায়িত হলেই দেশের প্রগতি ত্বরান্বিত হয় নিশ্চয়ই কোনও পরিবর্তন এসেছে, যার ফলে সমস্ত সরকারি প্রকল্পে কাজের গতি বেড়েছে। উপাদান একই, উৎস একই, কিন্তু ব্যবস্থায় গতি এসেছে। সরকারি আমলাতন্ত্রেও এমনি নতুন কর্মসংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। আমলারা অনেক বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছেন বলেই এই গতি আনা সম্ভব হয়েছে। এর ফলেই পূর্বতন সরকারের আমলে প্রতিদিন গড়ে ১১ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নির্মাণ হ’ত আর এখন প্রতিদিন গড়ে ২২ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নির্মিত হয়। বিগত সরকারের শেষ তিন বছরে গ্রামে ৮০ হাজার কিলোমিটার সড়কপথ নির্মিত হয়েছিল, আমাদের সরকার বিগত তিন বছরে গ্রামে ১ লক্ষ ২০ হাজার সড়কপথ নির্মাণ করেছে। বিগত সরকার শেষ তিন বছরে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার নতুন রেল লাইন বিস্তার ঘটিয়েছে। আমরা বিগত তিন বছরে ২ হাজার ১০০ কিলোমিটারের থেকেও বেশি রেল লাইন বিছিয়েছি। বিগত সরকারের শেষ তিন বছরে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার রেলপথের বৈদ্যুতিকীকরণ হয়েছিল। বর্তমান সরকারের তিন বছরে ৪ হাজার ৩০০ কিলোমিটারের বেশি রেলপথের বৈদ্যুতিকীকরণ হয়েছে। বিগত সরকারের শেষ তিন বছরে প্রায় ১ লক্ষ ৪৯ হাজার কোটি টাকার মূলধনী ব্যয় হয়েছে, বর্তমান সরকারের প্রথম তিন বছরে প্রায় ২ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকার মূলধনী ব্যয় হয়েছে। বিগত সরকারের শেষ তিন বছরে প্রায় ১২ হাজার মেগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনক্ষমতা ন্যাশনাল গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বর্তমান সরকারের তিন বছরে ২২ হাজার মেগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনক্ষমতা ন্যাশনাল গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বিগত সরকারের সময় জাহাজ পরিবহণ শিল্পে কার্গো হ্যান্ডলিং-এর বৃদ্ধি ঋণাত্মক ছিল। বর্তমান সরকার এক্ষেত্রে তিন বছরে ১১ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করেছে। বন্ধুগণ, তৃণমূল স্তরে সংস্কার না করলে সকল উন্নয়নকর্মে এই গতি বৃদ্ধি সম্ভব হ’ত না! সরকার কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারত না। বড় এবং স্থায়ী পরিবর্তন আনতে হলে গোটা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হয়। আমরা এই পরিবর্তন আনতে পেরেছি বলে বিগত তিন বছরে বিশ্বে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’-এর র‍্যাঙ্কিং-এ ভারত ১৪২ থেকে এগিয়ে ১০০ নম্বরে পৌঁছে গেছে। ভাই ও বোনেরা, আপনারা সবাই জানেন যে, ২০১৪ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করার সময় আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে কী কী পেয়েছি! অর্থ বযবস্থা কেমন খারাপ ছিল, প্রশাসন, রাজকোষের স্থিতি এবং র‍্যাঙ্কিং ব্যবস্থা – সবকিছু নড়বড়ে অবস্থায় ছিল। ঐ পরিস্থিতিকে আপনারা খবরের কাগজের শিরোনামে ‘নীতি পক্ষাঘাত’ আখ্যায়িত হতে দেখেছি। ভাবুন, আমাদের দেশকে তখন ‘ফ্র্যাজাইল ফাইভ’ বা ‘ভঙ্গুর পাঁচ’ ���েশের অন্যতম বলে মনে করা হ’ত। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাগুলি এই ভেবে ভারতে বিনিয়োগ করতে ভয় পেত যে এই ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে বিনিয়োগ করলে তাদেরও না ভরাডুবি হয়! আজ ভারত কোথায় দাঁড়িয়ে, কিভাবে দাঁড়িয়ে – সে সম্পর্কে আপনারা খুব ভালোভাবে জানেন। বড় হোক কিংবা ছোট, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ আজ ভারতের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত ক্রমাগত নিজের প্রভাব বৃদ্ধি করেছে। এখন আর থামা নয়, শুধুই এগিয়ে যাওয়া। বন্ধুগণ, যখন একটি দেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উঠে দাঁড়ায়, তখন ‘অপরিবর্তনীয়’ আর ‘পরিবর্তনীয়’ সংজ্ঞার উর্ধ্বে চলে যায়। যখন একটি দেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পা বাড়ায়, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তখন তাই-ই হয়, যা বিগত ৭০ বছরে হয়নি। ‘ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস’-এর নির্বাচনে ভারতের সাফল্য গোটা বিশ্বে ভারতের প্রতি ভাবনায় পরিবর্তনের প্রতীক। ভাই ও বোনেরা, যখন রাষ্ট্রসঙ্ঘে সর্বসম্মতিক্রমে ভারতের প্রস্তাব অনুমোদন করে বিশ্ব জুড়ে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন শুরু হয়েছিল, তখন থেকেই এর অপরিবর্তনীয় উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। যখন ভারতের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সৌর সংঘ গড়ে ওঠে, তখন এর অপরিবর্তনীয় উত্থান পরিলক্ষিত হয়। বন্ধুগণ, আমাদের সরকার কূটনীতিকেও মানবতার সঙ্গে জুড়েছে, মানবিক সংবেদনের সঙ্গে জুড়েছে। নেপালে ভয়ানক ভূমিকম্প বিধ্বংসী রূপ নিয়ে ভারতই প্রথম ত্রাণ ও পুনর্বাসনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। শ্রীলঙ্কার প্রলয়ঙ্কারী বন্যাতেও ভারতীয় নৌ-বাহিনীর তৎপরতায় সবার আগে সাহায্য পৌঁছেছে। মালদ্বীপে পানীয় জলের সঙ্কট হলে ভারত জাহাজ ভরে ভরে পানীয় জল সরবরাহ করেছে। ইয়েমেনে সঙ্কটকালে ভারত নিজের দেশের ৪ হাজার নাগরিকের পাশাপাশি আরও ৪৮টি দেশের ২ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করে এনেছে। ভারতের এই ক্রমবর্ধমান সাহায্যের হাত আর আত্মবিশ্বাসের ফলেই আজ বিদেশে বসবাসকারী প্রত্যেক ভারতীয় মাথা উঁচু করে সকলেরর চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে। বিদেশেও যখন ‘অবকি বার ক্যামেরন সরকার’ আর ‘অবকি বার ট্রাম্প সরকার’ শ্লোগান শোনা যায়, তখন গোটা বিশ্বে ভারতীয়দের সামর্থ্যের স্বীকৃতি অনুভব করা যায়। ভাই ও বোনেরা, প্রত্যেক সংগঠন, প্রতিটি সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তি যখন নিজের সামর্থ্য বুঝে, নিজস্ব স্তরে পরিবর্তনের সূত্রপাত করবে, তখনই ‘নতুন ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। ‘নতুন ভারত’-এর এই ��্বপ্ন আমি একা দেখছি না, আপনারাও দেখছেন। আজকের সময়ের দাবি হ’ল, রাষ্ট্র নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি সংস্থাকে দেশের প্রয়োজন বুঝে, দেশের সামনে উপস্থিত প্রতিস্পর্ধাগুলিকে বুঝে নিজের স্তরে সংকল্প গ্রহণ করতে হবে। ২০২২ সালে, দেশ যখন স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব পালন করবে, তার আগেই আমাদের সংকল্প-সাধন করতে হবে। আমি আপনাদের কোনও পরামর্শ দিতে পারব না, কিন্তু আমাদের সকলের প্রিয়, ভূতপূর্ব রাষ্ট্রপতি ডঃ আব্দুল কালামের একটি বক্তব্য মনে করাতে চাই। তিনি বলেছিলেন – “আমাদের এখানে সংবাদ মাধ্যম এত নেতিবাচক কেন? ভারতে আমরা নিজেদের ক্ষমতা এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে লজ্জিত থাকব কেন? আমাদের দেশ এত মহান, আমাদের এত অদ্ভুত সাফল্যের কাহিনী আছে, তারপরও আমরা সেসব স্বীকার করতে অস্বীকার করি। এমনটি কেন হয়”? কয়েক বছর আগেই তিনি এই বক্তব্য রেখেছিলেন। আপনাদের মতো বিদ্বজ্জনদের ভালো লাগলে নিউজ রুম এবং সেমিনারে এই বিষয়ে আলোচনা করুন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনারাও যে পরিবর্তন আনবেন, তা অপরিবর্তনীয় হবে। এই মঞ্চ থেকে আমি গোটা দেশের সংবাদ মাধ্যমকে আহ্বান জানাই। আপনারাও সংকল্প গ্রহণ করুন, অন্যদেরকেও প্রেরণা যোগান। যেমন আপনারা ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’কে নিজেদের অভিযান হিসাবে গ্রহণ করে সারা দেশে একটি জনআন্দোলনে পরিবর্তিত করার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন, তেমনই সংকল্প থেকে সিদ্ধির এই যাত্রাপথেও নেতৃত্ব দিন। এই কটি শব্দ বলেই আমি নিজের বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আরেকবার হিন্দুস্থান টাইমস্‌ গ্রুপকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। অনেক অনেক ধন্যবাদ। জয়হিন্দ। …",২০১৭ বৰ্ষৰ হিন্দুস্তান টাইমছ লিডাৰশ্বিপ চামিটত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে দিয়া ভাষণৰ সাৰাংশ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%9E/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%AB%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%B0-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8-%E0%A7%A8%E0%A7%A9/,"নয়াদিল্লি, ০৫ জানুয়ারি, ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা পঞ্চদশ অর্থ কমিশন (২০২২-২৩ থেকে ২০২৫-২৬)-এর অবশিষ্ট সময়ে ১২ হাজার ৮৮২.২ কোটি টাকার উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন করেছে। এক্সপেনডিচার ফিনান্স কমিটি (ইএফসি)-র সুপারিশের ভিত্তিতে নর্থ-ইস্ট স্পেশাল ইনফ্রা���ট্রাকচার স্কিলের জন্য খরচ হবে ৮ হাজার ১৩৯.৫ কোটি টাকা যার মধ্যে আছে চলতি প্রকল্পগুলির দায়। এনইসি কর্মসূচির জন্য খরচ হবে ৩ হাজার ২০২.৭ কোটি টাকা যার মধ্যে আছে চলতি প্রকল্পগুলির দায়। অসমে বিটিসি, ডিএইচএটিসি এবং কেএএটিসি-র জন্য বিশেষ প্যাকেজের জন্য খরচ হবে ১৫৪০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ক্ষেত্রের কর্মসূচি এনইএসআইডিএস-এ যেখানে কেন্দ্রই পুরো টাকা যোগায় সেটি পূর্নগঠিত করা হয়েছে যাতে আছে দুটি ভাগ একটি সড়কের জন্য অন্যটি সড়ক ব্যতিত অন্য কাজের জন্য। মন্ত্রকের নতুন কর্মসূচি প্রাইম মিনিস্টার্স ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ফর দি নর্থ ইস্টার্ন রিজিয়ন-পিএম ডিভাইন-এর জন্য খরচ হবে ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, যা পৃথকভাবে আগেই অনুমোদিত হয়েছে ২০২এর অক্টোবরে। এর অধীন পরিকাঠামো, সামাজিক উন্নয়ন এবং জীবিকা ক্ষেত্রে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব কার্যকর হবে। মন্ত্রিসভা কর্মসূচি বর্ধিত করায় প্রকল্প নির্বাচনে কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য আরও ভালো পরিকল্পনা করা যাবে। প্রকল্পের অনুমোদন হবে দ্রুত এবং কর্মসূচির নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যেই প্রকল্প রূপায়ণ হবে। ২০২৫-২৬-এর মধ্যে বেশিরভাগ প্রকল্পের কাজ সম্পূ্র্ণ করার প্রয়াস নেওয়া হবে। সেইজন্য কর্মসূচিগুলি প্রাথমিকভাবে ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪-এ নতুন ভাবে অনুমোদিত হবে। গত ৮ বছরে প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্বাঞ্চল সফর করেছেন ৫০ বারের বেশি। আর অন্যদিকে ৭৪টি মন্ত্রক থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চল সফর করা হয়েছে ৪০০ বারের বেশি। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার। জঙ্গিপনার ঘটনা কমেছে ৭৪ শতাংশ। নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা কমেছে ৬০ শতাংশ। সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনা কমেছে ৮৯ শতাংশ। প্রায় ৮ হাজার তরুণ আত্মসমর্পণ করে মূল স্রোতে ফিরেছেন। ২০১৯এ ত্রিপুরায় ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের সঙ্গে, ২০২০তে ব্রু এবং বোরো চুক্তি এবং ২০২১এ কার্বি চুক্তি হয়েছে। আসাম-মেঘালয় এবং আসাম-অরুণাচল সীমান্ত বিবাদ প্রায় নিষ্পন্ন। ২০১৪ থেকে ৪ লক্ষ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ হয়েছে অঞ্চলের জন্য। গত ৪ বছরে এম এমডিওএনইআর কর্মসূচির অধীনে খরচ হয়েছে ৭৫৩৪.৪৬ কোটি টাকা। ২০২৫-২৬ পর্যন্ত আগামী ৪ বছরে খরচের জন্য পাওয়া যাবে ১৯ হাজার ৪৮২.২০ কোটি টাকা। এই অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। রেল যোগাযোগে উন্নতির জন্য ২০১৪ থে��ে ৫১ হাজার ১৯ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। ৭৭ হাজার ৯৩০ কোটি টাকার ১৯টি নতুন প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত যেখানে বার্ষিক গড় বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১২২ কোটি টাকা সেখানে গত ৮ বছরে প্রায় ৩৭০% বৃদ্ধি হয়ে গড় বার্ষিক বাজেট বরাদ্দ হয়েছে ৯ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা। আগামী তিন বছরে ২০৯টি প্রকল্পে ৯ হাজার ৪৭৬ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে। এরজন্য কেন্দ্রীয় সরকার খরচ করছে ১ লক্ষ ৬ হাজার ৪ কোটি টাকা। বিমান যোগাযোগও প্রভূতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬৮ বছরে উত্তর-পূর্বে মাত্র ৯টি বিমান বন্দর ছিল, সেখানে মাত্র ৮ বছরে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭টি। বিমান যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে ২০১৪ থেকে ১১৩%। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অসামরিক বিমান পরিবহণে ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। টেলিকম যোগাযোগের উন্নতির জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৪ হাজার ৫২৫টি গ্রামে ফোরজি সংযোগ অনুমোদন করেছে। ২০২৩এর মধ্যে ওই অঞ্চলে সম্পূর্ণ টেলিকম যোগাযোগের জন্য ৫০০ দিনের লক্ষ্য স্থির করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জীবন ও সংস্কৃতির সঙ্গে জলপথ অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত। ২০১৪র আগে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মাত্র একটি জাতীয় জলপথ ছিল। এখন সেখানে ১৮টি জাতীয় জলপথ আছে। জাতীয় জলপথ ২ এবং জাতীয় জলপথ ১৬র উন্নয়নের জন্য সম্প্রতি ৬ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দক্ষতা বৃদ্ধি পরিকাঠামো উন্নয়নে আনুমানিক ১৯০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। ১৯৩টি নতুন দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে। দক্ষতা বৃদ্ধি করতে খরচ হয়েছে ৮১.৮৩ কোটি টাকা। বিভিন্ন কর্মসূচিতে মোট ১৬ লক্ষ ৫ হাজার ৮০১ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। উদ্যোগপতিদের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্পোদ্যোগ তুলে ধরা হচ্ছে। ৬৪৫.০৭ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে ৯৭৮টি ইউনিটকে সাহায্য করতে বা স্থাপন করতে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে থেকে ৩ হাজার ৮৬৫টি স্টার্টআপ নথিভুক্ত হয়েছে। গত ৮ বছরে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে নজর দিয়ে ২০১৪-১৫ থেকে সরকার ৩১ হাজার ৭৯৩.৮৬ কোটি টাকা খরচ করেছে। ১৯টি রাজ্য ক্যান্সার প্রতিষ্ঠা এবং ২০টি টার্সিয়ারি কেয়ার ক্যান্সার সেন্টার অনুমোদিত হয়েছে। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ২০১৪-১৫ থেকে সরকার ৩৭ হাজার ০৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, যার মধ্যে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৩ কোটি ���াকা খরচ হয়েছে। ৯ হাজার ২৬৫ কোটি টাকার নর্থইস্ট গ্যাস গ্রীড (এনইজিজি) প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকে আলোকিত করতে ৫৫০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।",১৫তম বিত্ত আয়োগৰ (২০২২-২৩ ৰ পৰা ২০২৫-২৬) বেলেঞ্চ ম্যাদৰ বাবে ১২৮৮২.২ কোটি টকা ব্যয়ৰ সৈতে উত্তৰ-পূৰ্বাঞ্চলৰ উন্নয়ন মন্ত্ৰালয়ৰ আঁচনিসমূহ অব্যাহত ৰখাত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B2/,"নয়াদিল্লি, ২ আগস্ট, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার জন্ম বার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ; “মহান পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার জন্ম বার্ষিকীতে আমি তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। জাতীয় পতাকা উপহার দেওয়ায় আমরা সমগ্র জাতি তাঁর প্রতি ঋণী। এজন্য আমরা গর্ব অনুভব করি। জাতীয় পতাকা থেকে শক্তি এবং অনুপ্রেরণা নিয়ে রাষ্ট্রের অগ্রগতির স্বার্থে আমরা যেন কাজ করে চলি।”",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে পিংগালী ভেংকায়াৰ জন্ম জয়ন্তীত শ্ৰদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন কৰে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A7%B0/,"নমস্কার বন্ধুগণ। সংসদের বাজেট অধিবেশন আজ শুরু হতে চলেছে। রাষ্ট্রপতিরভাষণের মধ্য দিয়েই সূচনা হবে এই অধিবেশনের। বিগত অধিবেশনে আমরা চেষ্টা করেছিলামএবং এ ব্যাপারে জাতিরও বিশেষ আশা ছিল যে, তিন তালাকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়নিয়ে কোনও রকম রাজনীতি করা হবে না, যাতে মুসলিম মহিলাদের জন্য তাঁদের যোগ্য অধিকারপ্রতিষ্ঠা করা যায়। কিন্তু শীর্ষ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তিন তালাক বিলটি সংসদেঅনুমোদন করানো যায়নি। কিন্তু আমি এখনও এ বিষয়ে আশাহত হইনি। দেশের সমস্ত রাজনৈতিকদলের কাছে আমি আবেদন জানাই যে, মুসলিম নারীদের অধিকার সুরক্ষিত করার জন্য তিনতালাক বিল অনুমোদনে তাঁরা যাতে যৌথভাবে সহযোগিতা করেন। নতুন বছরে অর্থাৎ ২০১৮ সালেএটাই হবে মুসলিম নারী সমাজের প্রতি আমাদের শ্রেষ্ঠ উপহার। বাজেট অধিবেশনটি কিন্তু খ���বই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ভারতীয় অর্থনীতি সম্পর্কেসমগ্র বিশ্বই বর্তমানে খুব বেশি রকম আশাবাদী। এই ঘটনা ঘটছে এমন একটি সময়ে, যখনআন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা, বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারেরমতামতের ভিত্তিতে সমগ্র বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে আমাদের দিকে। কারণ, ঐ সমস্ত সংস্থাভারত সম্পর্কে যে মতামত প্রকাশ করেছে, তা খুবই ইতিবাচক। ভারতের বিকাশ এবংভবিষ্যতের উন্নয়ন প্রচেষ্টা প্রসঙ্গে তাদের এই মত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশে দ্রুতবিকাশশীল অর্থনীতিতে এক নতুন শক্তি সঞ্চারিত হবে বাজেটের মধ্য দিয়ে এবং সাধারণমানুষের আশা-আকাঙ্খাঙ্গো তাতে পরিপূর্ণতা লাভ করবে। বাজেট অধিবেশনের এক মাস পরে বাজেটপ্রস্তাবের বিষয়গুলি বিশদভাবে খতিয়ে দেখে এই উদ্দেশ্যে গঠিত বিভিন্ন কমিটি। অতীতঅভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি যে, বাজেট প্রস্তাব পর্যালোচনাকালে জাতীয় স্বার্থকে সর্বদাইরাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে রাখা হয়। শাসক দলের সাংসদরা যেমন বাজেট প্রস্তাবেরত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন, বিরোধী দলের সদস্যরাও তেমনিবাজেট প্রস্তাবগুলির বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি সকলের নজরে নিয়ে আসেন। এক কথায়আলোচনা ও বিতর্কের এক সুস্থ পরিবেশ গড়ে ওঠে এর মধ্য দিয়ে। গতকালের সর্বদলীয় বৈঠকে আমি জানিয়েছি যে, ঐ সমস্ত কমিটির আলোচনা ও বিতর্ককেসর্বোচ্চ মাত্রায় গুরুত্ব দিয়ে সাধারণ মানুষের কল্যাণে যে সমস্ত প্রস্তাব আগেগ্রহণীয় সেগুলিকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করব। কারণ, আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হ’লবিভিন্ন সুফল ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত দেশের দলিত, নিপীড়িত এবং অবহেলিত মানুষেরকাছে বাজেট প্রস্তাবের সর্বোচ্চ সুফল পৌঁছে দেওয়া। বিস্তারিতভাবে সবকিছু আলোচনা ওপর্যালোচনার মাধ্যমে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করতে পারি এবং সেইভাবেই এগিয়েযেতে পারি ভবিষ্যতের দিকে।",সংসদৰ বাজেট অধিবেশনৰ পূৰ্বে সংবাদ মাধ্যমৰ সন্মুখত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আগবঢ়োৱা বিবৃতিৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%B9%E0%A6%B2-%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%AF/,"নয়াদিল্লি, ২৫ জুলাই, ২০২২ হরমোহন সিং যাদবজি ডঃ রাম মনোহর লোহিয়ার আদর্শ অনুসরণ করেছিলেন তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে। তাঁর নিজের র��জ্য উত্তরপ্রদেশ এবং সেইসঙ্গে দেশের রাজনীতিতে যে অবদান তিনি সৃষ্টি করে গেছেন তা পরের প্রজন্মগুলিকে পথ নির্দেশ করেছে। তাঁর সমাজ সেবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছে তাঁর ভবিষ্যৎ প্রজন্মগুলি। স্বর্গীয় শ্রী হরমোহন সিং যাদবের দশম পূণ্য তিথিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, হরমোহন সিং যাদবজি শুধুমাত্র শিখ হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধেই এক বিশেষ রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করেননি, একইসঙ্গে শিখ ভাই-বোনদের রক্ষা করার জন্য তিনি এগিয়ে এসেছিলেন। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে বহু নিরীহ ও নিরপরাধ শিখ পরিবারকে তিনি রক্ষা করেছিলেন। তাঁর এই অবদান ও নেতৃত্বকে সম্মান জানাতে দেশ তাঁকে শৌর্যচক্রে ভূষিত করেছিল। শ্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলির অস্তিত্ব গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে এবং গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরির মূলে রয়েছে একটি দেশ। জরুরি অবস্থার সময় দেশের অধিকাংশ দলই, বিশেষত অ-কংগ্রেসী দলগুলি এই আদর্শকে অনুসরণ করে এসেছে এবং সহযোগিতা ও সমন্বয়ের বার্তা বহন করেছে। দেশের গণতন্ত্র যখন প্রায় ধ্বংস হতে বসেছিল, সেই সময় দেশের সবক’টি বড় বড় দলই সংবিধান রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করেছে। সেই সংগ্রামে সামিল ছিলেন চৌধুরি হরমোহন সিং যাদবজিও। মতাদর্শের থেকেও দেশ ও সমাজের স্বার্থ রক্ষা যে আরও বেশি প্রয়োজন, একথা তখন রাজনৈতিক দলগুলি আরও বেশি করে অনুভব করতে পেরেছিল। শ্রী মোদী বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রাজনৈতিক স্বার্থ ও মতাদর্শকে দেশ ও সমাজের ঊর্ধ্বে রাখার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকারের কাজে বাধাদান অনেক সময় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কর্মসূচি হয়ে দাঁড়ায়, অথচ তারা নিজেরা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন সরকারি সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নে তারা ব্যর্থ হয়। রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও মতাদর্শ নিশ্চয়ই প্রয়োজন, কিন্তু সবকিছুর ঊর্ধ্বে হল দেশ, সমাজ ও জাতি। সাংস্কৃতিক শক্তি সম্পর্কে ডঃ লোহিয়ার ধারণার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, মৌলিক ভারতীয় চিন্তাধারায় সমাজ কখনই বিবাদ-বিতর্কের বিষয় নয়, বরং সম্প্রীতি, সহাবস্থান ও মিলিত প্রচেষ্টার তা এক বিশেষ ফসল। বিভিন্ন সময়ে রামায়ণ উৎসবের আয়োজন করে এবং গঙ্গার পরিবেশ রক্ষার কাজে আত্মনিয়োগের মাধ্যমে ডঃ লোহিয়া দেশের সাংস্কৃতিক শ���্তিকে আরও জোরদার করে তুলতে চেয়েছিলেন। ‘নমামি গঙ্গে’ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশ তাঁর সেই স্বপ্নকে আজ ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজের প্রতি যত্নবান হওয়ার জন্য সামাজিক ন্যায়-নীতিকে আমাদের অনুসরণ করে চলতে হবে। দেশের ৭৫তম স্বাধীনতার বছরটিতে দেশ যখন অমৃত মহোৎসবে সামিল হয়েছে, তখন এই বিষয়টি বিশেষভাবে অনুধাবন করার সময় আমাদের সামনে এসেছে। সামাজিক ন্যায়ের অর্থই হচ্ছে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষকে সমান চোখে দেখা এবং তাঁদের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির পথ প্রশস্ত করা। এইভাবে দেশের দলিত, অনগ্রসর, আদিবাসী, নারী ও দিব্যাঙ্গ সহ অন্যান্যরা যখন এগিয়ে আসতে পারবেন, তখনই দেশ তথা জাতি অগ্রগতির পথে আরও এগিয়ে যাবে। হরমোহনজি শিক্ষাকে পরিবর্তনের এক বিশেষ হাতিয়ার বলেই মনে করতেন। শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর প্রচেষ্টা আমাদের মধ্যে প্রেরণা যুগিয়েছে। ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ কর্মসূচি, আদিবাসী এলাকাগুলিতে একলব্য বিদ্যালয় স্থাপন এবং মাতৃভাষায় শিক্ষার প্রসারের মধ্য দিয়ে সেই পথই অনুসরণ করে চলেছে বর্তমান ভারত। উল্লেখ্য, শ্রী হরমোহন সিং যাদব (১৮ অক্টোবর, ১৯২১ থেকে ২৫ জুলাই, ২০১২) ছিলেন যাদব সম্প্রদায়ের এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে তিনি বহু বছর ধরে যুক্ত ছিলেন এবং এমএলসি, এমএলএ, রাজ্যসভার সদস্য এবং অখিল ভারতীয় যাদব মহাসভার চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি কাজ করে গেছেন। কানপুর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার নেপথ্যেও ছিল তাঁর এক অগ্রণী ভূমিকা। ১৯৮৪ সালে শিখ বিরোধী দাঙ্গা ও আন্দোলনে বিপন্ন মানুষের রক্ষায় তিনি যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তাঁকে সম্মান জানাতে ১৯৯১ সালে তাঁকে শৌর্যচক্রে ভূষিত করা হয়।",প্ৰয়াত শ্ৰী হৰমোহন সিং যাদৱৰ দশম পুণ্যতিথিৰ কাৰ্যসূচীত ভাষণ আগবঢ়ালে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A7%9C%E0%A6%A4-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভারত মাতার জয়, ভারত মাতার জয়! উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দী বেন প্যাটেলজি, উত্তরপ্রদেশের যশস্বী এবং কর্মতৎপর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মাজি, উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রীগণ, উপস্থিত অন্যান্য সাংসদ ও বিধায়কগণ এবং আমার আলিগড়ের প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আজ আলিগড়ের জন্য, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জন্য একটি অনেক বড় দিন। আজ রাধা অষ্টমীও। সেজন্য আজকের এই দিনটি আরও পবিত্র হয়ে উঠেছে। ব্রজভূমির প্রতিটি কণায় কণায়, প্রতিটি বিন্দুতে রাধাই রাধা। আমি আপনাদের সবাইকে এবং গোটা দেশকে রাধা অষ্টমী উৎসবের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের সৌভাগ্য যে, উন্নয়নের এতবড় কাজটির সূত্রপাত আজকের এই পবিত্র দিনে সম্পন্ন হচ্ছে। আমাদের শিষ্টাচার হল, যখন কোনও শুভ কাজ হয়, তখন আমাদের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিদের অবশ্যই স্মরণ করি। আমি আজ এই মাটির মহান সন্তান স্বর্গীয় কল্যাণ সিং-জির অনুপস্থিতি অনেক বেশি করে অনুভব করছি। আজ কল্যাণ সিং-জি আমাদের সঙ্গে থাকলে রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নির্মীয়মান আলিগড়ের নতুন পরিচয় দেখে অনেক খুশি হতেন। আমি দৃঢ় নিশ্চিত, আজ তাঁর আত্মা যেখানেই থাকুক না কেন, সেখান থেকে আমাদের আশীর্বাদ দিচ্ছেন। বন্ধুগণ, ভারতের হাজার হাজার বছরের ইতিহাস এমন অনেক দেশভক্তের কীর্তিতে সঞ্জীবিত যাঁরা তাঁদের সময়ে ভারতকে নিজেদের তপস্যা এবং ত্যাগের মাধ্যমে নতুন দিশা দেখিয়েছেন। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে এমন অনেক মহান ব্যক্তি রয়েছেন যাঁরা নিজেদের সবকিছু উৎসর্গ করেছেন। কিন্তু এ দেশের দুর্ভাগ্য যে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই দেশ-নায়ক ও দেশ-নায়িকাদের তপস্যা ও কীর্তি সম্পর্কে দেশের পরবর্তী প্রজন্মকে পরিচিত করানো হয়নি। তাঁদের কীর্তিগাথা সম্পর্কে জানতে না পেরে দেশের কয়েকটি প্রজন্ম বঞ্চিত থেকে গেছে। বিংশ শতাব্দীর সেই ভুলগুলিকে আজ একবিংশ শতাব্দীর ভারত শুধরাচ্ছে। মহারাজা সুহেল দেবজি থেকে শুরু করে দীনবন্ধু চৌধুরি ছোটুরামজি কিংবা রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জি ; রাষ্ট্র নির্মাণের ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে পরিচিত করানোর সৎ প্রচেষ্টা আজ দেশে হচ্ছে। আজ যখন দেশ তাঁর স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পালন করছে, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছে, তখন এই প্রচেষ্টাগুলিকে আরও গতি প্রদান করা হয়েছে। ভারতের স্বাধীনতায় রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-এর অবদানকে প্রণাম জানানোর এই প্রচেষ্টা তেমনই একটি পবিত্র সুযোগ। বন্ধুগণ, আজ দেশের তেমন প্রত্যেক যুবক-যুবতী যাঁরা বড় বড় স্বপ্ন দেখছেন, যাঁরা বড় লক্ষ্য অর্জন করতে চান, তাঁদের ��বশ্যই রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং সম্পর্কে জানতে হবে, পড়তে হবে। রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জির জীবন থেকে আমরা অদম্য ইচ্ছাশক্তি, নিজের স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়নের জন্য অসাধ্যসাধনের আপ্রাণ চেষ্টা আজও আমাদের অনেক শিক্ষা দেয়। তিনি ভারতের স্বাধীনতা চাইতেন এবং নিজের জীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত সেজন্য সমর্পণ করে দিয়েছিলেন। তিনি শুধু ভারতে থেকে ভারতীয়দের প্রেরণা জোগাননি, তিনি ভারতের স্বাধীনতার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়েছেন। আফগানিস্তান থেকে শুরু করে পোল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা – জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি ভারত মাতাকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে সবরকম চেষ্টা করেছেন। সারা জীবন আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন। আমি আজকের যুব সম্প্রদায়কে বলব যে যখনই তাঁদের কোনও লক্ষ্যকে কঠিন বলে মনে হবে, তখন রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জির কথা স্মরণ করবেন, দেখবেন আপনাদের ইচ্ছাশক্তি অনেক প্রবল হয়ে উঠবে, সাহস অনেক বেড়ে যাবে। রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জি যেভাবে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে একাগ্রতা নিয়ে, নিষ্ঠার সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার জন্য কাজ করে গেছেন, তা আজও আমাদের সকলের জন্য প্রেরণার উৎস। বন্ধুগণ, আজ যখন আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি, তখন দেশের আরেকজন মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী, গুজরাটের সুপুত্র শ্যামজি কৃষ্ণ ভার্মার কথা মনে পড়ছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জি বিশেষ করে, শ্যামজি কৃষ্ণ ভার্মাজি ও লালা হরদয়ালজির সঙ্গে দেখা করতে ইউরোপে গিয়েছিলেন। সেই বৈঠকে যে লক্ষ্য স্থির হয়েছিল তার পরিণাম আমরা আফগানিস্তানে ভারতের প্রথম নির্বাসিত সরকার রূপে দেখতে পেয়েছি। এই সরকারের নেতৃত্ব রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জি করেছিলেন। এটা আমার সৌভাগ্য, আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, শ্যামজি কৃষ্ণ ভার্মার মৃত্যুর ৭৩ বছর পর তখন তাঁর অস্থি ভারতে ফিরিয়ে আনার সাফল্য পেয়েছিলাম। আপনারা যদি কখনও কচ্ছ-এ যাওয়ার সুযোগ পান, তাহলে দেখবেন কচ্ছ-এর মাণ্ডভিতে শ্যামজি কৃষ্ণ ভার্মাজির একটি অনন্য সুন্দর স্মারক রয়েছে যেখানে তাঁর অস্থি রাখা রয়েছে। সেই স্মারক আমাদের ভারত মাতার জন্য বাঁচার প্রেরণা জোগাবে। আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী রূপে আমার আরেকবার রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জির মতো দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর নামে নির্মীয়মান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাসের সৌভাগ্য হল। আমার জীবনে এটা বড় সৌভাগ্যের দিন। আজ এই পবিত্র অনুষ্ঠানে আপনারা এত বিপুল সংখ্যায় আমাকে আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য এসেছেন, এই পবিত্র দিনে জনগণেশের দর্শনও অত্যন্ত শক্তিদায়ক ঘটনা। বন্ধুগণ, রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জি শুধু যে ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন তা নয়, তিনি ভারতের ভবিষ্যৎ নির্মাণের ভিত্তি স্থাপনের ক্ষেত্রেও সক্রিয় অবদান রেখেছেন। তিনি নিজের দেশ-বিদেশ সফরের অভিজ্ঞতাকে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের জন্য প্রয়োগ করেন। বৃন্দাবনে আধুনিক টেকনিক্যাল কলেজ নির্মাণের সময় নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি দান করা ছাড়াও অর্থ যুগিয়েছেন। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জি জমি দিয়েছিলেন আর স্বাধীনতার এই অমৃত বর্ষে যখন একবিংশ শতাব্দীর ভারত শিক্ষা এবং প্রকৌশলের নতুন যুগের দিকে এগিয়ে চলেছে, তখন ভারত মাতার এহেন অমর সুপুত্রের নামে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলাই তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ। এই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য যোগীজি এবং তাঁর পুরো টিমকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। বন্ধুগণ, এই বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক শিক্ষার একটি বড় কেন্দ্র তো হয়ে উঠবেই, পাশাপাশি দেশে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত পড়াশোনা, ডিফেন্স ম্যানুফ্যাকচারিং সংক্রান্ত প্রযুক্তি এবং মানবসম্পদ গড়ে তোলার কেন্দ্রও হয়ে উঠবে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে যেভাবে শিক্ষা, দক্ষতা এবং স্থানীয় ভাষায় পড়াশোনার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, তার মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা অনেক লাভবান হবেন। দেশের সৈন্যশক্তিকে মজবুত করতে আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে যাওয়া ভারতের প্রচেষ্টাগুলি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ধরনের পড়াশোনায় আরও গতি প্রদান করবে। আজ শুধু দেশ নয়, গোটা বিশ্ব দেখছে যে ভারতে কিভাবে আধুনিক গ্রেনেড থেকে শুরু করে রাইফেল, যুদ্ধবিমান, অত্যাধুনিক ড্রোন, যুদ্ধজাহাজ ইত্যাদি নির্মাণের অভিযান চলছে। ভারত বিশ্বের একটি বৃহত্তম প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিকারক দেশ – এই ধারনা বদলে আমরা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানিকারক হয়ে উঠতে চাই। স্বাধীনতার পর ৭৫ বছর পেরিয়ে গেছে। আমাদের দেশ শুধু প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি করেই গেছে। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে আমরা বিশ্বে একটি প্রতিরক্ষা রপ্তানিকারকের নতুন পরিচয় গড়ে তোলার সঙ্কল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছি। ভারতের এই পরিবর্তিত পরিচয়ের একটি বড় কেন্দ্র আমাদের উত্তরপ্রদেশে তৈরি হতে চলেছে আর উত্তরপ্রদেশের একজন সাংসদ রূপে এই কারণে আমি অত্যন্ত গর্বিত। বন্ধুগণ, কিছুক্ষণ আগে ডিফেন্স করিডরের ‘আলিগড় নোড’-এর প্রগতি আমি সরেজমিনে দেখেছি। আলিগড়েই ডিফেন্স ম্যানুফ্যাকচারিং সংক্রান্ত দেড় ডজনেরও বেশি কোম্পানি কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে হাজার হাজার নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চলেছে। ‘আলিগড় নোড’-এ ছোট ছোট অস্ত্র, বড় অস্ত্রশস্ত্র, ড্রোন, এরোস্পেস, মেটাল কম্পোনেন্টস, অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম, ডিফেন্স প্যাকেজিং – এই ধরনের পণ্য নির্মাণের জন্য নতুন নতুন কারখানা চালু হচ্ছে। এই পরিবর্তন আলিগড় এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিকে একটি নতুন পরিচয় দেবে। বন্ধুগণ, এতদিন পর্যন্ত মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর, দোকানের নিরাপত্তার জন্য আলিগড়ের ভরসায় থাকতেন তাই না? কারণ আলিগড়ের তালা লাগানো থাকলে সবাই নিশ্চিন্ত থাকতে পারে। আজ আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ছে। প্রায় ৫৫-৬০ বছর আগে কথা। আমি ছোট ছিলাম। আলিগড় থেকে তালা বিক্রি করতে এক মুসলমান ভদ্রলোক আমাদের গ্রামে অতিথি হয়ে ছিলেন। তিনি তিন মাস পরপর আমাদের গ্রামে অতিথি হতেন। এখনও মনে পড়ে যে তাঁর পরনে থাকত কালো জ্যাকেট আর একজন বিক্রেতা হিসেবে তিনি সবার দোকানে নিজের তালা রেখে যেতেন আর তিন মাস পরে এসে টাকা নিয়ে যেতেন। গ্রামের চারপাশে যে গ্রামগুলি ছিল, সেখানকার ব্যবসায়ীদেরকেও তিনি তালা সরবরাহ করতেন। আমার বাবার সঙ্গে তাঁর খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিল। তিনি যখনই আসতেন ৫-৬ দিন আমাদের গ্রামে থাকতেন আর সারাদিনে যত টাকা তুলতেন তা আমার বাবার কাছে রেখে যেতেন। বাবা তাঁর টাকা খুব সামলে রাখতেন। ৫-৬ দিন পর গ্রামে যাওয়ার আগে তিনি বাবার কাছ থেকে সব টাকা নিয়ে ফেরার ট্রেনে উঠে পড়তেন। আমরা ছোটবেলায় উত্তরপ্রদেশের দুটি শহরের সঙ্গে খুব পরিচিত ছিলাম। একটি হল সীতাপুর আর অন্যটি আলিগড়। আমাদের গ্রামে কারোর চোখের রোগ হলে চিকিৎসার জন্য সবাই সীতাপুরে যেতেন। এর বেশি কিছু বুঝতাম না। কিন্তু সবার মুখে সীতাপুর শুনেছি। আর এই মহাশয়ের কারণে বারবার আলিগড়ের নাম শুনেছি। কিন্তু বন্ধুগণ, এখন থেকে আলিগড় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের জন্য পরিচিত হবে। আজ পর্যন্ত যে আলিগড়ের তালা দেশের অসংখ্য মানুষের বাড়ি ও দোকান নিরাপদ রাখত, একবিংশ শতাব্দীতে সেই আলিগড় ভারতের সীমান্ত রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এখানে এমন অস্ত্রশস্ত্র তৈরি হবে … ‘এক জেলা এক পণ্য’ প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশ সরকার আলিগড়ের তালা এবং হার্ডওয়্যারকে একটি নতুন পরিচয় প্রদানের কাজ করেছে। এর মাধ্যমে যুব সম্প্রদায়ের জন্য অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের জন্য নতুন সুযোগ গড়ে উঠছে। এখন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণ শিল্পের মাধ্যমে এখানকার শিল্পপতিরা বিশেষ করে, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীরা নতুন নতুন শিল্পোদ্যোগ স্থাপনের সুযোগ পাবেন, উৎসাহ পাবেন। এই ছোট শিল্পোদ্যোগীদের জন্য ডিফেন্স করিডরের ‘আলিগড় নোড’ অনেক নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। ভাই ও বোনেরা, ডিফেন্স করিডরের ‘লক্ষ্ণৌ নোড’-এ বিশ্বের সবচাইতে উন্নত মিসাইলের অন্যতম ‘ব্রাহ্মস’ নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে। এর জন্য আগামী কয়েক বছরে ৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। ‘ঝাঁসি নোড’-এও আরেকটি মিসাইল নির্মাণ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট চালু করার প্রস্তাব রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ ডিফেন্স করিডর এরকম বড় বড় বিনিয়োগ এবং রোজগারের অনেক বড় বড় সুযোগ নিয়ে আসছে। বন্ধুগণ, আজ উত্তরপ্রদেশ দেশ ও বিশ্বের প্রত্যেক ছোট-বড় বিনিয়োগকারীর জন্য অত্যন্ত আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠছে। এটা তখনই হয় যখন বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় আবহ গড়ে ওঠে, সমস্ত প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। আজ উত্তরপ্রদেশ ডবল ইঞ্জিন সরকারের ডবল লাভের অনেক বড় উদাহরণ। যোগীজি এবং তাঁর গোটা টিম ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’-এর মন্ত্র নিয়ে উত্তরপ্রদেশকে নতুন ভূমিকা পালনের জন্য প্রস্তুত করে তুলছেন। এখন আপনাদের সকলের প্রচেষ্টায় একে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সমাজে উন্নয়নের সুযোগগুলি থেকে এতদিন যাঁদেরকে দূরে রাখা হয়েছিল, সমাজের সেই অংশগুলিকে আজ শিক্ষা ও সরকারি চাকরির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আজ দেশে বড় বড় পরিকাঠামো প্রকল্প এবং বড় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় উত্তরপ্রদেশের নাম নেওয়া হয়। বিশেষ করে, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মানুষ এর দ্বারা অনেক লাভবান হচ্ছেন। বৃহত্তর নয়ডায় ইন্টিগ্রেটেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ গড়ে তোলা, মাল্টি-মডেল লজিস্টিক্স হাব, জেবার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, দিল্লি-মীরাট রিজিওনাল র‍্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম, উন্নত মেট্রো যোগাযোগ ব্যবস্থা, আধুনিক উড়ালপুল এবং এক্সপ্রেসওয়ে – এরকম অনেক কাজ আজ পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে এত হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গড়ে উঠছে যে আগামী বছরগুলিতে উত্তরপ্রদেশ ভারতের উন্নয়নের বড় ভিত্তি হয়ে উঠবে। ভাই ও বোনেরা, আমি আজ এটা দেখে অত্যন্ত আনন্দিত, যে উত্তরপ্রদেশকে এতকাল দেশের উন্নয়নে একটি বড় বাধা রূপে দেখা হত, সেই রাজ্যটিই আজ দেশের বড় বড় উন্নয়ন অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে। যেমন শৌচালয় নির্মাণ অভিযান, দরিদ্রদের জন্য পাকা বাড়ি নির্মাণ, উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে গরিবদের বাড়িতে রান্নার গ্যাস সংযোগ, মানুষের বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ, পিএম কিষাণ সম্মান নিধি – এরকম প্রতিটি প্রকল্প, প্রত্যেক অভিযানে, যোগীজির নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশ দেশের লক্ষ্যসাধনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আমি সেদিনের কথা ভুলিনি। ২০১৭ সালের আগে এই রাজ্যে গরীবদের স্বার্থে নেওয়া প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হত। এক একটি প্রকল্প চালু করার জন্য কেন্দ্র থেকে অসংখ্যবার চিঠি লেখা হয়েছে। কিন্তু এই রাজ্যে সেই গতিতে কাজ হত না। এটা আমি ২০১৭-র আগের কথা বলছি। যেমনটা হওয়া উচিৎ ছিল, তেমনটা হত না। বন্ধুগণ, উত্তরপ্রদেশের মানুষ এটা ভুলতে পারেনি কিভাবে এ রাজ্যে দুর্নীতি হত। একের পর এক ঘোটালা হত। প্রতিটি সরকারি কাজ দুর্নীতিবাজদের হাতে চলে গিয়েছিল। আজ যোগীজির নেতৃত্বাধীন সরকার সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নে নিয়োজিত। একটা সময় ছিল যখন এ রাজ্যের শাসন, প্রশাসন গুন্ডা এবং মাফিয়াদের ইচ্ছায় চলত। কিন্তু এখন সেই তোলাবাজ, মাফিয়া রাজের ক্রীড়নকরা সবাই গরাদের পেছনে। আমি পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জনগণকে বিশেষভাবে মনে করাতে চাই, ৪-৫ বছর আগে আপনারা বাড়িতে কতটা ভয়ে ভয়ে থাকতেন। বোন ও মেয়েদের বাড়ি থেকে বেরোতে, স্কুল-কলেজে পাঠাতে ভয় করত। যতক্ষণ পর্যন্ত মেয়েরা বাড়িতে না ফিরে আসত, বাবা-মায়ের শ্বাস রুদ্ধ হয়ে থাকত। এমন আবহ থাকার ফলে অনেক পরিবারকে তাদের পারিবারিক বিষয়-সম্পত্তি ছেড়ে পালাতে হয়েছিল। আর আজ উত্তরপ্রদেশে এরকম কিছু করার আগে অপরাধীরা একশোবার চিন্তা করে। যোগীজির সরকার গরীবের কথা শোনে, গরীবকে সম্মান করে। যোগীজির নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশের পরিবর্তিত কর্মসংস্কৃতির একটি বড় প্রমাণ – ‘সবাইকে টিকা, বিনামূল্যে টিকা’ অভিযান। উত্তরপ্রদেশ ইতিমধ্যেই ৮ কোটিরও বেশি টিকাকরণ করেছে। দেশে একদিনে সবচাইতে বেশি ��িকাকরণের রেকর্ডও এই রাজ্যটির রয়েছে। করোনার এই সঙ্কটকালে গরীবদের রক্ষা করার চিন্তাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। কোনও গরীব যেন খালি পেটে না থাকে তা সুনিশ্চিত করতে মাসের পর মাস ধরে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণ করা হচ্ছে। গরীবদের খিদে থেকে বাঁচানোর জন্য যে কাজ বিশ্বের অনেক অনেক বড় বড় দেশ করতে পারেনি, তা আজ ভারত করছে, আমাদের উত্তরপ্রদেশ করছে। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার এই অমৃতকালে গ্রামীণ অর্থনীতিতে দ্রুত পরিবর্তন আসছে। পরিবর্তনের সঙ্গে কিভাবে ভারসাম্য রেখে চলতে হয় তার পথ কয়েক দশক আগেই দেশকে দেখিয়ে গেছেন স্বয়ং চৌধুরী চরণ সিং-জি। যে পথ চৌধুরী চরণ সিং-জি দেখিয়ে গেছেন, তা থেকে দেশের খেতমজুর এবং ছোট কৃষকরা কতটা লাভবান হয়েছেন তা আমরা সবাই জানি। আজকের অনেক প্রজন্ম সেই সংস্কারগুলির কারণে একটি গরিমাময় জীবনযাপন করতে পারছেন। দেশের যে ছোট ছোট কৃষকদের চিন্তা চৌধুরী সাহেব করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে সরকার সহযোগী হিসেবে পাশে থাকার প্রয়োজন ছিল। আমাদের দেশে ৮০ শতাংশেরও বেশি ছোট কৃষকের দুই হেক্টর থেকেও কম জমি রয়েছে। অর্থাৎ, দেশের প্রতি ১০ জন কৃষকের মধ্যে ৮ জনের অত্যন্ত ছোট জমির মালিকানা রয়েছে। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছে যাতে ছোট জমির মালিক কৃষকদের সুবিধা হয়। দেড়গুণ ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান থেকে শুরু করে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের পরিধি বিস্তার, বিমা যোজনায় সংস্কার, ৩ হাজার টাকা পেনশনের ব্যবস্থা – এরকম সিদ্ধান্ত ক্ষুদ্র কৃষকদের ক্ষমতায়িত করছে। করোনার এই কঠিন সময়ে সারা দেশে ছোট কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরকার ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি প্রত্যক্ষ হস্তান্তর করেছে। এর মধ্যে ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি শুধু উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা পেয়েছেন। আমি এজন্য অত্যন্ত আনন্দিত যে উত্তরপ্রদেশে বিগত চার বছরে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ক্রয়ের নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। আখ বিক্রি নিয়ে যে সমস্যা হত, ক্রমাগত প্রচেষ্টায় তাও অনেকটা লাঘব করা গেছে। বিগত চার বছরে উত্তরপ্রদেশের আখ চাষিদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি আখ কেনা হয়েছে। আগামী বছর উত্তরপ্রদেশের আখ চাষিদের জন্য নতুন নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলতে চলেছে। আখ থেকে যে ইথানল তৈরি হয়, যে জৈব জ্বালানি তৈরি হয়, জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার প্রয়োগ বাড়ানো হচ্ছে। এই প্রকল্পের ফলে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের আখ চাষিরাও অনেক লাভবান হবেন। বন্ধুগণ, আলিগড় সহ গোটা পশ্চিম উত্তরপ্রদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যোগীজির নেতৃত্বাধীন সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দিন-রাত পরিশ্রম করছে। আমরা মিলেমিশে এই অঞ্চলকে আরও সমৃদ্ধ করব। এখানকার ছেলে-মেয়েদের সামর্থ্যকে আরও বাড়াব আর উন্নয়ন-বিরোধী প্রতিটি শক্তির হাত থেকে উত্তরপ্রদেশকে রক্ষা করব। রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং-জির মতো রাষ্ট্র-নায়কদের প্রেরণা থেকে আমরা সমস্ত লক্ষ্যে সাফল্য পাব। এই কামনা নিয়ে আপনাদের সকলকে এত বিপুল সংখ্যায় আশীর্বাদ প্রদানের জন্য সম্মিলিত হওয়ায় ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের সবাইকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে – সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই, অনেক অনেক শুভকামনা জানাই! দু’হাত ওপরে তুলে আমার সঙ্গে বলুন – আমি বলব, রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং! আপনারা দু’হাত ওপরে তুলে বলবেন – অমর রহে, অমর রহে! রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং অমর রহে, অমর রহে! রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং অমর রহে, অমর রহে। রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং অমর রহে, অমর রহে। ভারত মাতার জয়। ভারত মাতার জয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ!! /",আলীগড়ত ৰাজা মহেন্দ্ৰ প্ৰতাপ সিং ৰাজ্যিক বিশ্ববিদ্যালয়ৰ আধাৰশিলা স্থাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%82/,"নয়াদিল্লি, ১২ আগস্ট, ২০২২ বিশ্ব হস্তি দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী হস্তি সংরক্ষণকারীদের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। গত ৮ বছরে হস্তি সংরক্ষণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একগুচ্ছ ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন; “#WorldElephantDay-তে হাতিদের রক্ষায় আমাদের দায়বদ্ধতা পুনরায় ব্যক্ত করছি। আপনারা জেনে খুশি হবেন সমগ্র এশিয়ার হাতির ৬০ শতাংশই রয়েছে ভারতে। গত ৮ বছরে হাতিদের জন্য সংরক্ষিত উদ্যান বৃদ্ধি পেয়েছে। হাতিদের রক্ষার কাজে যাঁরা যুক্ত আমি তাঁদের সাধুবাদ জানাই।” “ভারতে মানুষ এবং জীবজন্তুদের মধ্যে সংঘর্ষ যথা সম্ভব কমিয়ে আনার যে বৃহত্তর চেষ্টা চলেছে, পরিবেশগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় অধিবাসী এবং তাদের প্রথাগত ভাবনাকে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে হাতি সংরক্ষণে সাফল্যকে এক সদর্থক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা উচিত।”",বিশ্ব হস্তী দিৱসত হাতী সংৰক্ষণবিদসকলৰ প্ৰচেষ্টাক প্ৰশংসা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A7%8E-%E0%A7%B0/,"রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী মিঃ দিমিত্রি রোগোজিন শনিবার বিকেলে এখানে একসাক্ষাৎকারে মিলিত হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। এ বছর মিঃ রোগোজিন-এর তৃতীয় ভারত সফর উপলক্ষে তাঁকে আন্তরিকভাবে স্বাগতজানান প্রধানমন্ত্রী। এ বছর উচ্চ পর্যায়ের বিনিময় কর্মসূচির প্রসারে বিশেষ সন্তোষপ্রকাশ করেন তিনি। সেই সঙ্গে, গত জুন মাসে দ্বিপাক্ষিক বার্ষিক শীর্ষ বৈঠক উপলক্ষেতাঁর নিজের সেন্ট পিটার্সবার্গ সফরের কথাও স্মরণ করেন শ্রী মোদী। উপ-প্রধানমন্ত্রী রোগোজিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নিরন্তর এবং বৈচিত্র্যময়প্রসার সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। বিশেষত,শক্তি ও জ্বালানি ক্ষেত্রে স্থায়ী সহযোগিতার সম্পর্ক এবং উচ্চ প্রযুক্তি ক্ষেত্রেসহযোগিতার লক্ষ্যে এক অভিন্ন পন্থা অনুসরণের মতো বিষয় দুটি বিশেষভাবে উঠে আসে দুইনেতার আলোচনার মধ্যে। প্রসঙ্গত, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট মিঃ পুতিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের বার্তাতিনি পৌঁছে দেন শ্রী মোদীর কাছে। প্রত্যুত্তরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীও রাশিয়ারপ্রেসিডেন্টের প্রতি তাঁর আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের বার্তা উচ্চারণ করেন।",প্ৰধানমন্ত্ৰীক সাক্ষাৎ ৰাছিয়াৰ উপ-প্ৰধানমন্ত্ৰী ডিমিট্ৰি ৰোগোজিনৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%AD-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A7%AD-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87/,"নয়াদিল্লি, ৪ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৭ জুলাই বৃহস্পতিবার বারাণসী সফর করবেন। বেলা ২টো নাগাদ বারাণসীর এল টি কলেজে তিনি অক্ষয় পাত্র মিড-ডে মিল রান্নাঘরের উদ্বোধন করবেন। এখানে প্রায় ১ লক্ষ পড়ুয়ার মিড-ডে মিল তৈরির ব্যবস্থা রয়েছে। ২-৪৫ মিনিট নাগাদ প্রধানমন্ত্রী যাবেন ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টার – রুদ্রাক্ষ-তে। সেখানে তিনি জাতীয় শিক্ষানীত�� রূপায়ণের বিষয়ে অখিল ভারতীয় শিক্ষা সমাগমের উদ্বোধন করবেন। এরপর বিকেল ৪টে নাগাদ প্রধানমন্ত্রী পৌঁছবেন শিগরায় ডঃ সম্পূর্ণানন্দ ক্রীড়া স্টেডিয়ামে। সেখানে তিনি ১,৮০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। বিভিন্ন উন্নয়নী কর্মসূচির উদ্বোধন ও শিলান্যাস প্রধানমন্ত্রী গত আট বছরে বারাণসীর পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক প্রয়াস চালিয়েছেন। এর ফলস্বরূপ, শহরের সম্পূর্ণ দৃশ্যটাই পালটে গেছে। প্রাথমিক দৃষ্টি দেওয়া হয়েছিল মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করার দিকে। এই লক্ষ্যে ডঃ সম্পূর্ণানন্দ ক্রীড়া স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী ৫৯০ কোটি টাকা মূল্যের কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এগুলির মধ্যে রয়েছে বারাণসী স্মার্ট-সিটি ও নগর প্রকল্পের অন্তর্গত কিছু উদ্যোগ। প্রথম দফায় গঙ্গার ঘাটে স্নান করার জন্য ‘নমো ঘাট’-এর পুনর্নির্মাণ করা হবে। পেট্রোল ও ডিজেল-চালিত ৫০০টি নৌকাকে সিএনজি-তে রূপান্তরিত করা হবে। পুরনো কাশীর কামেশ্বর মহাদেব ওয়ার্ডের পুনর্গঠন এবং দাসেপুরে ও হারহুয়া গ্রামে তৈরি ৬০০টি ইডব্লিউএস বাড়ি নির্মাণ, দশাশ্বমেধ ঘাটে বাজার এলাকা উন্নয়ন ও পর্যটকদের সুবিধা বাড়ানোর কর্মসূচি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জেলার পয়ঃপ্রণালী ও জল সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষা সম্পর্কিত প্রকল্পেরও উদ্বোধন করবেন তিনি। মাহিগাঁও গ্রামে আইটিআই, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈদিক বিজ্ঞান কেন্দ্র-এর দ্বিতীয় ধাপ এবং রামনগরে সরকারি মহিলা আবাস ও দুর্গাকুণ্ডে মহিলাদের জন্য বৃদ্ধাবাসের উদ্বোধনও করবেন। প্রধানমন্ত্রী ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর ক্রীড়া চত্বরে সিন্থেটিক অ্যাথলেটিক ট্র্যাক ও সিন্থেটিক বাস্কেট বল কোর্টের উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ১,২০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর মধ্যে রয়েছে সড়ক পরিকাঠামো সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রকল্প। এগুলি বাস্তবায়িত হলে শহর ও গ্রামীণ এলাকার যান চলাচল সহজ হবে। এই অঞ্চলে পর্যটনে উৎসাহ দিতে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর মধ্যে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় সারনাথ-বৌদ্ধ সার্কিটের উন্নয়নী কাজও রয়েছে। এছাড়াও তিনি পুরনো কাশীর বেশ কিছু উন্নয়নী কর্মসূচির ভিত��তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন ঐ অনুষ্ঠানে। অখিল ভারতীয় শিক্ষা সমাগম প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও কনভেনশন সেন্টার – রুদ্রাক্ষ-তে অখিল ভারতীয় শিক্ষা সমাগম-এর উদ্বোধন করবেন। ৭-৯ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রকের উদ্যোগে এর আয়োজন করা হবে। এখানে বিভিন্ন শিক্ষাবিদ, নীতি নির্ধারক সহ শিক্ষা জগতের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৩০০ জন প্রতিনিধি তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশি, নতুন শিক্ষানীতি কার্যকর করার জন্য একটি দিশা-নির্দেশ নিয়েও আলোচনা করবেন।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ৭ জুলাইত বাৰাণসী ভ্ৰমণ কৰিব +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A6%A3%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4/,"কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে স্বাক্ষরিত পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে একটি সমঝোতাপত্র অনুমোদন করেছে। ১০ই মার্চ এই সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়। নতুন দিল্লিতে আজ প্রধানমন্ত্রীর পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব মঞ্জুর করা হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী ভারতের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ সোলার এনার্জি এবং ফ্রান্সের কমিশারিয়েট আল এনার্জি অ্যাটোমিকে এট আউক্স এনার্জিস অল্টারনেটিভিস সংস্হার মধ্যে পরস্পরের সুবিধার চিন্হিত ক্ষেত্রগুলিতে গবেষনা/হাতেকলমে প্রদর্শন/পাইলট প্রকল্প বিষয়ে কাজ করার লক্ষ্যে উভয় দেশ উদ্যোগ নেবে। পারস্পরিক চুক্তির ভিত্তিতে উভয় দেশই আইএসএ সদস্য রাষ্ট্রগুলিতে পাইলট প্রকল্প রূপায়ন এবং চালু করার জন্য কাজ করবে। যৌথ গবেষনা প্রকল্প, যৌথ গবেষনা এবং উন্নয়ন, যৌথ কর্মশালা, গবেষনা এবং প্রযুক্তি বিনিময় এবং এই ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ বিনিময় সহ নানান উপায়ের মাধ্যমে সহযোগিতার কাজ চলবে। সমঝোতাটিতে দু দেশের মধ্যে কৃৎকৌশল এবং তথ্য নেটওয়ার্কিং বিষয়ে বিনিময়েরও সংস্হান রয়েছে। এই সমঝোতার মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক পর্যায়ে সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। /",নবীকৰণযোগ্য শক্তিৰ ক্ষেত্ৰত ভাৰত আৰু ফ্ৰান্সৰ মাজত স্বাক্ষৰিত বুজাবুজি চুক্তিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1/,"তেলেঙ্গানা রাজ্য প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অন্ধ্রপ্রদেশবাসীদেরও প্রধানমন্ত্রী শুভকামনা জানিয়েছেন। এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তেলেঙ্গানার মানুষকে শুভেচ্ছা জানাই। আগামী বছরগুলিতে রাজ্যের মানুষের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা পূরণ হোক। অন্ধ্রপ্রদেশের জনগণকেও প্রধানমন্ত্রী শুভকামনা জানিয়েছেন। তিনি সমস্ত রাজ্যবাসীর সুস্বাস্হ্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন। /…",তেলেংগানাৰ প্ৰতিষ্ঠা দিৱসত ৰাজ্যবাসীক শুভেচ্ছা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ; অন্ধ্ৰপ্ৰদেশবাসীকো শুভেচ্ছা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লি, ১৯ অক্টোবর, ২০২২ গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতজী, দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রদ্ধেয় শ্রী রাজনাথ সিংজী, গুজরাটের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেলজী, গুজরাট রাজ্য সরকারের মন্ত্রী শ্রী জগদীশভাই, গুজরাট মন্ত্রিসভার অন্যান্য সকল সদস্যগণ, চিফ অফ ডিফেন্স সার্ভিসেস জেনারেল অনিল চৌহানজী, চিফ অফ এয়ার স্টাফ এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর চৌধরী, চিফ অফ নেভাল স্টাফ অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার, চিফ অফ আর্মি স্টাফ জেনারেল মনোজ পান্ডে, অন্য সম্মানিত ব্যক্তিগণ, বিদেশ থেকে আগত সকল শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিবর্গ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ! গুজরাটের মাটিতে শক্তিশালী, সামর্থবান এবং আত্মনির্ভর ভারতের এই মহোৎসবে আপনাদের সকলকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। এখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী রূপে আপনাদের স্বাগত জানানো যতটা গৌরবের, এই মাটির সন্তান হিসাবে আপনাদের স্বাগত জানানো আমার জন্য ততটাই গৌরবের। ডেফএক্সপো ২০২২ – এর এই আয়োজন নতুন ভারতের এমন অনিন্দ্য সুন্দর চিত্র আঁকছে, যার সংকল্প আমরা অমৃতকালে নিয়েছি। এতে যেমন দেশের উন্নয়ন রয়েছে, পাশাপাশি রয়েছে রাজ্যগুলিরও সহযোগিতা। এতে যুবসম্প্রদায়ের শক্তির সঙ্গে মিশেছে তারুণ্যের স্বপ্নও। এতে নবীনদের সংকল্পের সঙ্গে তাঁদের সাহস ও সামর্থও যুক্ত হয়েছে। এতে বিশ্বের জন্য আশার আলো রয়েছে, বন্ধুরাষ্ট্রগুলির জন্য সহযোগিতার অনেক সুযোগও রয়েছে। বন্ধুগণ, আমাদের দে���ে ডিফেন্স এক্সপো এর আগেও অনেক হয়েছে। কিন্তু, এবারের ডেফএক্সপো অভূতপূর্ব। একটি নতুন সূচনার প্রতীক। এটি দেশের এমন প্রথম ডিফেন্স এক্সপো, যেখানে শুধুমাত্র ভারতীয় কোম্পানিগুলি অংশগ্রহণ করছে শুধুমাত্র ভারতে নির্মিত প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের প্রদর্শনী হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। এই প্রথমবার কোনও ডিফেন্স এক্সপো-তে ভারতের মাটিতে তৈরি ভারতের জনগণের পরিশ্রমে গড়ে ওঠা নানা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রদর্শিত হচ্ছে। এখানে আজ লৌহ পুরুষ সর্দার প্যাটেলের এই পুণ্যভূমিতে দেশীয় কোম্পানিগুলি, আমাদের বৈজ্ঞানিকরা ও আমাদের নবীন প্রজন্মের সামর্থকে সকলের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে ১ হাজার ৩০০-রও বেশি এক্সিবিটর অংশগ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন ভারতীয় শিল্পোদ্যোগের পাশাপাশি, কিছু সংশ্লিষ্ট শিল্পোদ্যোগ; অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ এবং ১০০টিরও বেশি স্টার্টআপ – এর প্রতিনিধিরা রয়েছেন। সেজন্য বলা যায় যে, আপনারা এখানে দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে সমাগত সবাই আমাদের দেশবাসীর ক্ষমতা ও সম্ভাবনা উভয়ের ঝলক একসঙ্গে দেখতে পাচ্ছেন। এই সম্ভাবনাগুলিকে বাস্তবায়নের জন্য প্রথমবার ৪৫০টিরও বেশি সমঝোতাপত্র ও চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করা হচ্ছে। বন্ধুগণ, এই ডেফএক্সপো ২০২২ – এর আয়োজন আমরা অনেক আগেই করতে চেয়েছিলাম। গুজরাটের জনগণ এ সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই জানেন। কিন্তু, কিছু উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে আমাদের কিছুটা দেরী হ’ল। সেজন্য বিদেশি অতিথিদের কিছুটা অসুবিধা হয়েছে। কিন্তু, দেশের এখন পর্যন্ত সর্বকালীন ও সর্ববৃহৎ এই ডিফেন্স এক্সপো একটি নতুন ভবিষ্যতের শক্তিশালী সূচনা করল। আমি জানি যে, এর ফলে, কিছু দেশের অসুবিধাও হয়েছে। কিন্তু, অনেক দেশ ইতিবাচক ভাবনা নিয়ে আমাদের দিকে সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দিয়েছে। বন্ধুগণ, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, ভারত যখন ভবিষ্যতের এই সুযোগগুলিকে সাকার করে তুলছে, তখন ভারতের ৫৩টি আফ্রিকী বন্ধুরাষ্ট্র কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই উপলক্ষে আজ দ্বিতীয় ভারত – আফ্রিকা প্রতিরক্ষা আলোচনাও শুরু হতে চলেছে। ভারত ও আফ্রিকীয় দেশগুলির মধ্যে এই সখ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সেই পুরনো বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে আছে আর সময়ের সঙ্গে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। নতুন মাত্রায় মাত্রান্বিত হচ্ছে। আমি আফ্রিকা থেকে সমাগত সম্মানিত বন্ধুদের জানাতে চাই যে, ���পনারা আজ গুজরাটের যে ভূমিতে পা রেখেছেন, তার জন্য আফ্রিকীয় দেশগুলির অত্যন্ত প্রাচীন সমুদ্র বাণিজ্য সম্পর্ক ছিল। আফ্রিকাতে যে প্রথম রেলগাড়ি চালু হয়েছিল, তার নির্মাণ কার্যও এই গুজরাটের কচ্ছ থেকে আফ্রিকায় যাওয়া মানুষরাই করেছেন। কত কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের শ্রমিকরা আপ্রাণ পরিশ্রম করে আফ্রিকায় আধুনিক রেল লাইন পাতার কাজে অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। শুধু তাই নয়, আজ আফ্রিকায় গেলে আমরা যে ‘দুকান’ শব্দটি সর্বত্র শুনতে পাই, সেটি একটি গুজরাটি শব্দ। তেমনই ‘রোটি’, ‘ভাজি’ – এই শব্দগুলিও ভারতীয়দের থেকেই আপনারা আত্মস্থ করে নিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীর মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নেতার জন্মভূমি যেমন ছিল গুজরাট, তেমনই তাঁর প্রথম কর্মভূমি ছিল আফ্রিকা। আফ্রিকার প্রতি এই আত্মীয়ভাব এবং আপনত্ব আজও ভারতের বিদেশ নীতির কেন্দ্রে রয়েছে। করোনা সঙ্কটকালে যখন ভ্যাকসিন নিয়ে গোটা বিশ্ব দুশ্চিতায় ছিল, তখন ভারত আমাদের আফ্রিকীয় বন্ধু দেশগুলিকে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়েছে। আমরা প্রতিটি প্রয়োজনের সময় ওষুধ থেকে শুরু করে শান্তি সেনা পাঠানোর ক্ষেত্রে আফ্রিকার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার চেষ্টা করেছি। এখন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় এই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। বন্ধুগণ, এই আয়োজনকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান ওশান রিজিয়ন প্লাস’ – এর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের কনক্লেভ। এই কনক্লেভে আমাদের ৪৬টি বন্ধুরাষ্ট্র অংশগ্রহণ করছে। আজ আন্তর্জাতিক সুরক্ষা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, আন্তর্জাতিক সমুদ্র সুরক্ষাও একটি অগ্রাধিকারে পর্যবসিত হয়েছে। ২০১৫ সালে আমি মরিশাসে বক্তব্য রাখার সময় বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা ও উন্নয়নের পাশাপাশি, আমাদের ‘সাগর’ দূরদৃষ্টির কথাও তুলে ধরেছিলাম। তেমনই আমি সিঙ্গাপুরে আয়োজিত ‘শাংগ্রি লা ডায়লগ’ – এ বলেছিলাম, ভারত – প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় আফ্রিকীয় দেশগুলির উপকূল থেকে আমেরিকা পর্যন্ত ভারতের স্বার্থ নিহিত রয়েছে। আজ বিশ্বায়নের নিরিখে মার্চেন্ট নেভির ভূমিকাও সম্প্রসারিত হয়েছে। ভারতের কাছে বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে। আর আমি বিশ্ববাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আপনাদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য ভারত যথাসম্ভব সমস্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবে। আম���া কখনই পিছিয়ে আসবো না। সেজন্য এই ডিফেন্স এক্সপো ভারতের প্রতি বিশ্ববাসীর বিশ্বাসের প্রতীকও হয়ে উঠেছে। এখানে এতগুলি দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিশ্বের অনেক বড় সামর্থ আজ গুজরাটের মাটিতে একত্রিত হয়েছে। আমি এই আয়োজনে ভারতের সমস্ত বন্ধু দেশ এবং তাদের প্রতিনিধিদের হৃদয় থেকে স্বাগত জানাই। এই অসাধারণ আয়োজনের জন্য আমি গুজরাটের জনগণ, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল ও তাঁর পুরো টিমকে অভিনন্দন জানাই। দেশ তথা বিশ্বে উন্নয়ন ও শিল্পোদ্যোগ সামর্থ নিয়ে গুজরাটের যে পরিচয় গড়ে উঠেছে, তা আজ এই ডিফেন্স এক্সপো আয়োজনের মাধ্যমে নতুন উচ্চতা স্পর্শ করেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আগামী দিনগুলিতে গুজরাট যে প্রতিরক্ষা শিল্পোদ্যোগের ক্ষেত্রে একটি বড় কেন্দ্র হয়ে উঠবে, যা ভারতের নিরাপত্তা এবং সামরিক সামর্থে গুজরাটের অনেক বড় অংশগ্রহণকে সুনিশ্চিত করবে। বন্ধুগণ, আমি একটু আগে বড় স্ক্রিনে উৎসাহ ও উদ্দীপনায় ভরপুর ডিসার জনগণকে দেখছিলাম। ডিসায় গড়ে ওঠা নতুন এয়ারফিল্ডটি দেশের প্রতিরক্ষা এবং এই এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ডিসা আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে মাত্র ১৩০ কি.মি. দূরে। আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী, বিশেষ করে আমাদের বিমানবাহিনী পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করলে এই পশ্চিম সীমান্তে যে কোনও হানাদারি বা আকাশসীমা অতিক্রমণের উপযুক্ত জবাব দেওয়া সম্ভব হবে। আমার ডিসার ভাই ও বোনেরা, আপনাদেরকে আমি গান্ধীনগর থেকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। এখন তো ডিসা, বনসকান্থা ও পাটনের মতো জেলাগুলির সৌভাগ্যের সময়। গুজরাট তো সেই ২০০০ সালেই এই এয়ারফিল্ডের জন্য জমি দিয়েছিল। যখন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, আমি নিয়মিত এখানকার নির্মাণকর্মের অগ্রগতি নিয়ে তদ্বির করেছি। এই এয়ারফিল্ড গড়ে তোলার গুরুত্ব সম্পর্কে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি, এত বড় জমি দিয়েছি, কিন্তু ১৪ বছর ধরে কিছুই হয়নি। ফাইলও অধরা থেকে গিয়েছিল। এর যৌক্তিকতা নিয়ে এত প্রশ্নও তোলা হয়েছিল যে, আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও প্রতিটি বিষয়কে নিয়মানুগভাবে আবর শুরু করতে অনেক সময় পেরিয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় সরকারে দায়িত্ব পাওয়ার পর আমরা ডিসায় অপারেশনাল বেস নির্মাণে সিদ্ধন্ত নিই, আর আমাদের সেনাবাহিনীর এই প্রত্যাশা আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমার বন্ধু, যিনি আজ চ���ফ অফ ডিফেন্স স্টাফ হয়েছেন, তার অবদানও এক্ষেত্রে অনস্বীকার্য। আজ এখানে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট সকলেই আমাকে মনে করিয়েছেন যে, জেনারেল চৌধরির সুযোগ্য নেতৃত্বেই এই সাফল্য এসেছে। সেজন্য ডিসাবাসীকে আমি যত অভিনন্দন জানাব, ততটাই অভিনন্দন জানাব আমার প্রিয় বিমানবাহিনীর বন্ধুদের। এই এলাকা এখন দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠবে। বনসকান্থা এবং পাটন যেমন সৌরশক্তি উৎপাদনের নবীন কেন্দ্র হিসাবে দেশব্যাপী তাদের পরিচয় গড়ে তুলেছে, সেই বনসকান্থা এবং পাটনও এখন দেশের বিমানবাহিনীর শক্তি কেন্দ্র হয়ে উঠবে। বন্ধুগণ, যে কোনও শক্তিশালী দেশের জন্য ভবিষ্যতের নিরাপত্তার অর্থ কী, মহাকাশ প্রযুক্তি তার একটা অনেক বড় উদাহরণ। আমাকে বলা হয়েছে যে, ইতিমধ্যেই আমাদের তিনটি সশস্ত্র সেনাবাহিনী এই এলাকার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে পর্যালোচনা করেছে। সেইসব সমস্যার সমাধানের কাজও আমাদের দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ‘মিশন ডিফেন্স স্পেস’ দেশের বেসরকারি ক্ষেত্রকেও তাদের সামর্থ প্রদর্শনে সুযোগ করে দেবে। মহাকাশে ভবিষ্যতের সম্ভাবনাগুলির দিকে তাকিয়ে ভারতকে এই প্রস্তুতি আরও বিস্তারিতভাবে নিতে হবে। আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলিকেও নতুন নতুন উদ্ভাবক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। মহাকাশে ভারতের শক্তি যেন সীমিত না থাকে, এর সুফল যেন শুধুই ভারতীয়দের জন্য সীমিত না থাকে, সেই দূরদৃষ্টি নিয়েই আমাদের এই অভিযান। মহাকাশ প্রযুক্তি ভারতের উদার ভাবনাসম্পন্ন মহাকাশ কূটনীতি নতুন পরিভাষাকে রচনা করে চলেছে। নতুন নতুন সম্ভাবনার জন্ম দিয়ে চলেছে। এর ফলে, অনেক আফ্রিকী বন্ধুদেশ সহ অন্যান্য অনেক ছোট ছোট দেশও লাভবান হচ্ছে। আজ ভারত ৬০টিরও বেশি উন্নয়নশীল দেশের স্বার্থে তার মহাকাশ বিজ্ঞান উন্মুক্ত করে দিয়েছে। ‘সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট’ – এর একটি উজ্জ্বল প্রমাণ। আগামী বছরের মধ্যে আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত ১০টি দেশও ভারতের উপগ্রহ ভিত্তিক তথ্য দেওয়ামাত্র ব্যবহারের সুযোগ পাবে। এমনকি, ইউরোপ ও আমেরিকার মত … উপগ্রহ ভিত্তিক তথ্য ব্যবহার করছে। এইসব কিছুর পাশাপাশি, মহাকাশ প্রযুক্তি আমাদের সমুদ্র বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও অপার সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের মৎস্যজীবী ভাই ও বোনেদের আয় বৃদ্ধি এবং তাঁদের অধিকতর নিরাপত্তার জন্য রিয়েল টাইম তথ্য পাচ্ছেন। আমরা জানি য��, মহাকাশ সংক্রান্ত এই সম্ভাবনাগুলি আমাদের যুবসম্প্রদায়ের স্বপ্নগুলিতে অনন্ত আকাশে ডানা মেলতে সাহায্য করবে। তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অধিক গুণমানসম্পন্ন সাফল্য অর্জন করবে। এই যুবশক্তি ভবিষ্যৎ নির্মাণকারী মহাকাশ প্রযুক্তিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। সেজন্য এই বিষয়টিকেও ডিফেন্স এক্সপো-তে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। গুজরাটের এই ভূমির সঙ্গেই ডঃ বিক্রম সারাভাইয়ের মতো বৈজ্ঞানিকের প্রেরণা ও গৌরব যুক্ত রয়েছে। সেই প্রেরণা আমাদের সংকল্পগুলিকে নতুন প্রাণশক্তি যোগাবে। বন্ধুগণ, আজ যখন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র নিয়ে কথা হচ্ছে, তখন বলতে হয়, আমাদের ভবিষ্যৎ যুদ্ধকৌশল ইতিমধ্যেই আমাদের যুবসম্প্রদায়ের হাতে চলে এসেছে। ফলে, ভারতের যুবসম্প্রদায়ের উদ্ভাবন এবং গবেষণার ভূমিকা অনেক বেড়েছে। সেজন্য এই ডিফেন্স এক্সপো আমাদের যুবসম্প্রদায়ের জন্য একটি ভবিষ্যৎ জানালার মতো। বন্ধুগণ, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত ""অভিপ্রায়, উদ্ভাবন ও রূপায়ণ"" – এর মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আজ থেকে ৮ বছর আগে পর্যন্ত বিশ্বে ভারতের পরিচয় ছিল সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানীকারী দেশ রূপে। আমরা সারা পৃথিবী থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতাম। কিন্তু, নতুন ভারত এই ইন্টেন্ট বা ইচ্ছেশক্তি দেখিয়েছে। আর আজ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নতুন নতুন সাফল্যগাথা তৈরি করছে। বিগত ৫ বছরে আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানী আটগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আমরা বিশ্বের ৭৫টিরও বেশি দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানী করছি। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতের প্রতিরক্ষা রপ্তানী ১.৫৯ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে গেছে। আর আগামী দিনে আমরা একে ৫ বিলিয়ন ডলার বা ৪০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি। এই রপ্তানী অল্প কয়েকটি সরঞ্জামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। ভারতীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলি আজ আন্তর্জাতিক সরবরাহ-শৃঙ্খলের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠছে। আমরা আন্তর্জাতিক মানের ‘স্টেট অফ আর্ট’ সরঞ্জাম সরবরাহ করছি। আজ একদিকে অনেক দেশ ভারতে নির্মিত ‘তেজস’ – এর মতো আধুনিক ফাইটার জেট কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে। আর অন্যদিকে, আমাদের কোম্পানিগুলি আমেরিকা, ইজরায়েল এবং ইতালির মতো দেশগুলিকেও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের কলকব্জা সরবরাহ কর��ে। বন্ধুগণ, যখন কোনও ভারতবাসী শোনেন যে, ভারতে তৈরি ব্রহ্মোস মিসাইল তার ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে বেশি ঘাতক এবং আধুনিকতম বলে অনেক দেশ এটি কিনতে চায়, তখন তাঁদের বুক গর্বে ভরে ওঠে। বন্ধুগণ, ভারতের প্রযুক্তির উপর আজ বিশ্ববাসী ভরসা করছেন। কারণ, ভারতীয় সেনাবাহিনীগুলি এগুলির ক্ষমতাকে প্রমাণ করে দিয়েছে। আইএনএস বিক্রান্তের মতো অত্যাধুনিক এয়ারক্র্যাফট কেরিয়ার ভারতীয় নৌ-বাহিনীতে যুক্ত হয়ে এর শক্তি বাড়িয়েছে। অত্যাধুনিক কারিগরি এবং প্রযুক্তির বিশাল মাস্টার পিস এই যুদ্ধ জাহাজটি কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড সম্পূর্ণ স্বদেশী প্রযুক্তি অনুসরণ করে তৈরি করেছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতি অনুসরণ করে নির্মিত ‘প্রচন্ড’ লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারকে ভারতীয় বায়ুসেনায় যুক্ত করা হয়েছে। তেমনই, ভারতীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত ‘কমব্যাট গান’ ভারতীয় কোম্পানিগুলি থেকে কিনে নিজেদের অস্ত্রাগারে স্থান দিয়েছে ভারতীয় স্থল সেনা। গুজরাটের হাজিরায় নির্মীয়মান মর্ডাল আর্টিলারি আজ দেশের সীমান্তের নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে। বন্ধুগণ, দেশের এই সাফল্যের ক্ষেত্রে আমাদের নীতি, সংস্কার এবং ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ – এর অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। ভারত তার প্রতিরক্ষা বাজেটের ৬৮ শতাংশ ভারতীয় কোম্পানিগুলি থেকে যুদ্ধাস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এটা অনেক বড় সিদ্ধান্ত। আর ভারতীয় সেনাবাহিনীগুলির আজকের প্রগতিশীল নেতৃত্ব আমাদের এই নীতি বাস্তবায়নে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এগুলি কোনও রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি প্রসূত সিদ্ধান্ত নয়। এই সিদ্ধান্ত সৈন্য ইচ্ছাশক্তির ফল। আমি অত্যন্ত গর্বিত যে, আজ আমাদের সেনাবাহিনীগুলিতে এমন সৈনিক ও সেনা নায়করা রয়েছেন, যাঁরা এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলিকে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। এছাড়া আমরা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনকে গতিশীল করতে বিভিন্ন স্টার্টআপ, শিল্পোদ্যোগ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে আহ্বান জানিয়েছি। গবেষণা খাতে ২৫ শতাংশ বাজেট আমরা অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে গবেষণারত নতুন প্রজন্মের জন্য বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, ভারত সরকার যদি তাদের ১০০ টাকা দেয়, তা হলে আমার দেশের নবীন প্রজন্মের সেই ক্ষমতা আছে যে, তাঁরা দেশকে ১০ হাজার টাকা ফিরি��ে দেবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, সরকারের প্রচেষ্টার পাশাপাশি, আমাদের সেনা নায়করাও এগিয়ে এসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, দেশের প্রয়োজনে যত বেশি সম্ভব যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জাম তাঁরা দেশীয় কোম্পানিগুলি থেকেই কিনবেন। সেনাবাহিনীগুলি একসঙ্গে হয়ে বেশ কিছু যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জামের দুটি তালিকা চূড়ান্ত করেছে। এর মধ্যে একটি তালিকার যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জাম শুধু দেশীয় কোম্পানিগুলি থেকে কেনা হবে। আর দ্বিতীয় তালিকাটি হ’ল – সেইসব যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জামের, যেগুলি আমরা অনিবার্যভাবেই বিদেশ থেকে কিনতে বাধ্য। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত, যখন শুনলাম, আজ সেনা নায়করা প্রথম তালিকায় আরও ১০১টি নতুন সরঞ্জাম জুড়েছেন, যা তাঁরা শুধুই ভারতীয় কোম্পানিগুলি থেকে কিনবেন। এই সিদ্ধান্ত আত্মনির্ভর ভারতের সামর্থকেও তুলে ধরে। আর দেশের সৈনিকদের নিজের দেশে উৎপাদিত যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জামের উপর ক্রমবর্ধমান ভরসার প্রতীক। এই তালিকার পর, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে মোট ৪১১টি যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জাম ভারতীয় কোম্পানিগুলি থেকে কেনা হবে। আপনারা কল্পনা করুন, এত বড় বাজেট ভারতীয় কোম্পানিগুলির ভিত্তিতে কতটা শক্তিশালী করবে, আমাদের দেশের গবেষণা ও উদ্ভাবনকে কতটা শক্তি যোগাবে, আমাদের প্রতিরক্ষা নির্মাণ ক্ষেত্রকে কত শক্তিশালী করে তুলবে আর এর মাধ্যমে আমার দেশের নবীন প্রজন্ম কত লাভবান হবে! বন্ধুগণ, এই আলোচনার মাধ্যে আরেকটি বিষয়কে আমি অবশ্যই তুলে ধরতে চাই। আমাদের ধারাভাষ্যকাররাও কখনও কখনও এই বিষয়গুলি নিয়ে সমস্যায় পড়েন। কিন্তু আমি অবশ্যই বলব যে, এটা আমাদের সকলের জীবনে একটি বড় অভিজ্ঞতা। আমরা যখন ট্রেনের সিটে বসি, এক আসনে ৪ জন বসে থাকলে পঞ্চম জনকে আর বসতে দিই না। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিগুলিরও ঐ একই অবস্থা। বিশ্বে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ ক্ষেত্রে কিছু কোম্পানির যে একচ্ছত্র আধিপত্য রয়েছে, সেখানে তারা অন্য কাউকে ঢুকতে দিতে চায় না। কিন্তু, ভারত সাহস দেখিয়ে নিজেদের জায়গা বানিয়ে নিয়েছে। আজ বিশ্বের জন্য ভারতীয় নবীন প্রজন্মের দক্ষতা একটি বিকল্প হয়ে উঠে আসছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতীয় নবীন প্রজন্মের সামর্থ এত দ্রুত দেখাতে পারছে, তার কারণ হ’ল – ভারত সবার ভালো চায়। বিশ্ববাসীর জন্য নতুন নতুন সুযোগ, বিকল্প গড়ে তুলতে চায়। আমাদের নবীন প্রজন্মের এই প্রচেষ্টার সামর্থের উ��র আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে। তাঁদের প্রচেষ্টাতেই আগামী দিনে দেশ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী হবে। এর পাশাপাশি, দেশের সামর্থে নবীন প্রজন্মের অংশগ্রহণ অনেক গুণ বাড়বে। আজকের এই ডিফেন্স এক্সপো-তে আমরা যে জিনিসগুলি দেখতে পাচ্ছি, সেগুলিতে আমি ‘গ্লোবাল গুড’ – এরও সংকেত দেখতে পাচ্ছি। বিশ্বের অনেক ছোট ছোট দেশ, যারা সম্পদের অভাবে তাদের নিরাপত্তা ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে – তারা এ থেকে অনেক লাভবান হবে। বন্ধুগণ, ভারত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের এই সুযোগগুলিকে অনন্ত আকাশ রূপে দেখছে, ইতিবাচক সম্ভাবনা রূপে দেখছে। আজ আমাদের উত্তর প্রদেশ ও তামিলনাডুতে দুটি ডিফেন্স করিডর দ্রুতগতিতে উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বের অনেক বড় বড় কোম্পানি ভারতে বিনিয়োগের জন্য আসছে। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে সরবরাহ-শৃঙ্খলের একটা বড় নেটওয়ার্ক বিকশিত হচ্ছে। এই বড় কোম্পানিগুলির সুবাদে আমাদের অসংখ্য অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ সহযোগী শিল্পোদ্যোগ হিসাবে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের এই ছোট শিল্পোদ্যোগগুলির হাতেও এখন অনেক পুঁজি আসবে। এক্ষেত্রে লক্ষ-কোটি টাকা বিনিয়োগের ফলে নবীন প্রজন্মের জন্য অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে উঠবে। ফলে, দেশে একটি নতুন উন্নতির শিখরে পৌঁছনোর সুযোগ গড়ে উঠবে। আমি গুজরাট ডিফেন্স এক্সপো ২০২২ – এ অংশগ্রহণকারী সমস্ত কোম্পানিকে আহ্বান জানাতে চাই যে, আপনারা এই সুযোগগুলিকে ভবিষ্যতের ভারতকে কেন্দ্রে রেখে বাস্তবায়িত করুন। আপনারা সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। উদ্ভাবন করুন, গুণমানের নিরিখে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জাম নির্মাণের সংকল্প নিন আর শক্তিশালী উন্নত ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করুন। আমি নবীন প্রজন্মের সমস্ত বন্ধুদের, গবেষক ও উদ্ভাবকদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমি আপনাদের সঙ্গে রয়েছি। আপনাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে আমি আমার বর্তমানকে আপনাদের জন্য উৎসর্গ করতে প্রস্তুত। বন্ধুগণ, দেশ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে যে বদলে যাচ্ছে, তা হয়তো আপনারাও অনুভব করছেন। একটা সময় ছিল, যখন এদেশে কোনও অনুষ্ঠানে পায়রা উড়ানো হ’ত আজ সেই দেশ চিতা ছাড়ার ক্ষমতা রাখে। এই ঘটনাগুলি ছোট হলেও এর সংকেত অনেক বড়। এই শব্দগুলি সরল বাক্য তৈরি করলেও এর সামর্থ অপরিসীম। আজ ভারতের যুবশক্তি, ভারতের সামর্থ বিশ্বের প্রত্যাশার কেন্দ্র হয়ে উঠছে। আজকের এই ডিফেন্স এক্সপো সেই প্রত্যাশারই একটি প্রতীকী উদাহরণ রূপে প্রস্তুত। আমি আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথজীকে আন্তরিকভাবে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। যে কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি একের পর এক সাফল্য অর্জন করছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি খুব কম কথা বলেন। কিন্তু, দৃঢ়তার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করেন। আমি তাঁকে ও তাঁর পুরো টিমকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। আপনাদের দীপাবলি উৎসব আনন্দময় হয়ে উঠুক। আমাদের গুজরাটবাসীকে নতুন বছরের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রী ভাষণের বেশ কিছু অংশ গুজরাটি ভাষায় ছিল, যা ভাবানুবাদ করা হয়েছে","গুজৰাটৰ গান্ধীনগৰত মহাত্মা গান্ধী সমাৰোহ আৰু প্ৰদৰ্শনী কেন্দ্ৰত ডেফএক্সপ’, ২২ৰ উদ্বোধনৰ সময়ত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবা" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF-%E0%A6%B0%E2%80%8D%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4/,"ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়! আমার মন্ত্রিসভার সহযোগী, দেশের প্রথম মহিলা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রদ্ধেয়া নির্মলা সীতারমন, ডঃ সুভাষ মামরে, তিন সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিক, এনসিসি-র মহানির্দেশক, বিদেশ থেকে আসা আমাদের অতিথিবৃন্দ, এনসিসি-র মহান পরম্পরার অংশ হয়ে ওঠা আমার সমস্ত নবীণ বন্ধুরা। প্রতিবারের মতো এবারও সাধারণতন্ত্র দিবসে ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর-এর শিবিরে আসার সৌভাগ্য হল। আর যতবারই আপনাদের মাঝে এসেছি, পূর্ববর্তী অনেক স্মৃতি মস্তিষ্কে এসে ভিড় করে। এই যে আপনারা উৎসাহ ও অনুশাসনের অদ্ভুত মিশ্রণে দিনযাপন করছেন, আমারও এরকম জীবনযাপনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। একজন ক্যাডেট রূপে কাটানো সেই দিনগুলি আজ পর্যন্ত আমার সঙ্কল্পকে আমার প্রেরণাকে প্রাণশক্তি যুগিয়ে যাচ্ছে। বন্ধুগণ, এই শিবিরের একটি নিজস্ব গৌরবময় অতীত রয়েছে এবং ভবিষ্যতের জন্য এর অসীম গুরুত্ব রয়েছে। এই শিবিরে অংশগ্রহণকারী সকলকে আমি অনেক শুভেচ্ছা জানাই। গত বছর যখন আপনাদের মাঝে এসেছিলাম, তখন বেশ কিছু অনুরোধ রেখেছিলাম। দেশ ও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে গ�� বছর এনসিসি ক্যাডেটরা স্বচ্ছ ভারত অভিযান, ডিজিটাল লেনদেন, ‘বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও’ অভিযান কিংবা পরিবেশ সংক্রান্ত বেশ কিছু কাজে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ করে, কেরলে ভয়ঙ্কর বন্যার পর ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে এনসিসি ক্যাডেটদের অবদান অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এখানে আপনারা যে সহযোগ ও সমর্পণের পাঠ গ্রহণ করেছেন সেটাই কেরলে বিপর্যয়ের সময় দুর্গতদের ত্রাণ ও উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়তে পেরেছেন। আমার বিশ্বাস যে আপনারা এভাবেই নিজেদের দায়িত্ব পালন করে যাবেন। বন্ধুগণ, দু’দিন আগেই আমাদের সাধারণতন্ত্র ৭০তম বছরে পা রেখেছে। আগে রাজপথে এবং আজ এখানে আমাদের চেহারার দ্যুতি এবং অনুশাসনের মিশ্রণে যে ছন্দ তৈরি হয়েছে, তাতে আমি নতুন ভারতের পদচারণা অনুভব করেছি। পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বুক উঁচু করে, মাথা উঁচু করে, রাষ্ট্র গৌরবের জন্য তৎপর এই অসীম প্রাণশক্তি উৎসাহপ্রদানকারী। আপনাদের এই উৎসাহ ও উদ্দীপনার ফলেই ভারত আজ নতুন আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর। আজ বিশ্ববাসী বলছে যে ভারত শুধুই সম্ভাবনাপূর্ণ দেশ নয়, বাস্তবায়নেও আত্মবিশ্বাসের পরিচয় দিয়ে চলেছে। বন্ধুগণ, দেশের অর্থ ব্যবস্থা হোক কিংবা আমাদের শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার সামর্থ্য, প্রতিটি স্তরে আমাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের সেনাবাহিনী স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে আমরা অযথা আক্রমণ করি না, কিন্তু কেউ আমাদের আক্রমণ করলে আমরা তাদের ছাড়িও না। আমরা শান্তির সমর্থক। কিন্তু দেশরক্ষার জন্য আমরা যে কোন পদক্ষেপ নিতে পিছপা হব না। সেজন্যই বিগত চার বছরে জাতীয় নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারত বিশ্বের সেই হাতেগোনা দেশগুলির অন্যতম, যাঁদের জল, স্থল ও আকাশপথে পরমাণু আক্রমণ ও প্রতিরক্ষার ক্ষমতা রয়েছে। তাছাড়া, দশকের পর দশক ধরে ঝুলে থাকা যুদ্ধ বিমান এবং আধুনিক কামান সংক্রান্ত বেশ কিছু চুক্তির বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া, দেশের মধ্যেই মিসাইল থেকে শুরু করে ট্যাঙ্ক, গোলা-বারুদ এবং হেলিকপ্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। আমি নবীন বন্ধুদের আশ্বস্ত করতে চাই যে আগামীদিনেও দেশের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন কঠিন ও কড়া সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবো না। দেশ নিরাপদ ও সক্ষম থাকলে তবেই যুবসম্প্রদায় নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পারবে। বন্ধুগণ, আপনারা এখা��ে দেশের নানাপ্রান্ত থেকে এসেছেন। আপনাদের মধ্যে অনেকে ছোট ছোট শহর কিংবা দেশের প্রান্তিক গ্রামগুলি থেকে এসেছেন। আপনাদের কত কষ্ট করতে হয়, তা আমি অনুভব করতে পারি। আমি শুধু এটুকু বলব যে, এই পরিশ্রমই আমাদের সবাইকে সমৃদ্ধ করে, আমাদের ভিত মজবুত করে। পরিশ্রমের কি পরিণাম হয়, তা জানার জন্য এনসিসি ক্যাডেটদের বেশি দূরে যেতে হবে না। আপনাদের মধ্যেই অনেকে সম্প্রতি অদ্ভূত সাহসের পরিচয় দিয়ে দেশকে গর্বিত করেছেন। পর্বতারোহন এবং ট্রেকিং-এর মতো সাহসী অভিযান হোক কিংবা ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে তেরঙ্গা পতাকা ওড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক ক্যাডেটই সাফল্য অর্জন করেছেন। উত্তর-পূর্ব নির্দেশালয়ের ক্যাডেট হিমা দাসকে তো আজ বিশ্ববাসী চেনে। ধানক্ষেতের আলপথে ছুটতে ছুটতে নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে হিমা আজ এই স্তরে পৌঁছেছেন। সংসারের অভাবকে সৌভাগ্যে রূপান্তরিত করার মাধ্যমে হিমা প্রথমে জুনিয়র অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে আর তারপর এশিয়ান গেমসে দেশকে গর্বিত করেছে। এরকম অনেক নবীন প্রতিভাকে দেখলে, তাদের সঙ্গে পরিচিত হলে আমার ভরসা আরও শক্তিশালী হয়। বন্ধুগণ, স্বপ্ন দেখা আর আকাঙ্ক্ষার আকাশ স্পর্শ করাই হত নবীনত্বের পরিচায়ক, এটাই নবীনতার স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। আপনারা নিজেদের স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষাকে উঁচু আকাশে উড়তে দিন। নিজেদের প্রচেষ্টাকে তুলে ধরুন। বর্তমান সরকার দেশের প্রত্যেক যুবকের প্রতিটি স্বপ্নকে বাস্তবায়নের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে চায়। নতুন ভারত প্রত্যেক কর্মযোগীকে সম্মান করে, সুযোগ দেয়। আপনারা সবাই দেশের কর্মশক্তির অংশ হওয়ার জন্য প্রস্তুত। আমি আপনাদের একটি বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাই। আপনারা কে কোন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন, আপনারা কাদের পরিচিত, আর্থিক অবস্থা কেমন – এসবের ভিত্তিতে আপনাদের ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠে না। আপনাদের দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস, আপনাদের পায়ের ফোস্কাই সুফলদায়ক হবে। বন্ধুগণ, সমাজে সমস্ত প্রকার ভারসাম্যহীনতা, অসাম্যকে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সার্থক প্রয়াস করতে হবে। ভিআইপি নয়, ‘ইপিআই’ অর্থাৎ, ‘এভরি পার্সন ইজ ইম্পরট্যান্ট’, প্রত্যেকেই গুরুত্বপূর্ণ – এই সংস্কারকে শক্তিশালী করার নিয়মিত প্রচেষ্টা চলছে। গাড়ির ওপর থেকে লালবাতি সরানো হয়েছে। এখন মন থেকেও এটা সরানোর চেষ্টা চলছে। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, আপনাদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে শুধুই অভাব এবং পরিস্থিতির কারণে বিনষ্ট হতে দেওয়া হবে না। বন্ধুগণ, সুযোগের সাম্য প্রসঙ্গে আমাদের কন্যাসন্তানদের কথা বলতে হয়। আমার সামনে বসে থাকা ক্যাডেট্‌সরা ছেলে না মেয়ে তা নিয়ে আপনাদের উৎসাহ কিংবা সামর্থ্যে কোন পার্থক্য মাপা উচিৎ নয়। কন্যাদের সমস্তরকম সুযোগ প্রদান আমাদের সরকারের অগ্রাধিকার। বিগত সাড়ে চার বছরে মেয়েদের কর্মশক্তিকে উৎসাহ প্রদানের জন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শ্রম, সেবা এবং উদ্যম নিয়ে আজ মেয়েরা দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলিকেও শক্তিশালী করে তুলেছে। এই প্রথমবার আমাদের মেয়েরা যুদ্ধবিমানের পাইলট হয়েছে। তারিণীর গৌরব সারা পৃথিবী দেখেছে। এখন সেনাবাহিনীতেও মেয়েদের অংশীদারিত্ব মজবুত করার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মিলিটারি পুলিশের মোট বাহিনীর ২০ শতাংশ মেয়েদের দ্বারা পূর্ণ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বন্ধুগণ, নারীশক্তির পরাক্রম আমরা বিগত সাড়ে চার বছরে রাজপথেও দেখেছি। দেশের ইতিহাসে প্রথমবার মহিলা সেনার পুরো দল প্যারেডে অংশগ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি, পুরুষ সেনাদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন একজন মহিলা। মেয়েরা যাতে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পারে, তার জন্য যথোপযুক্ত আবহ গড়ে তোলা হচ্ছে। আমরা নিজেদের শুধু নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে আলাপ-আলোচনায় সীমাবদ্ধ না রেখে নিয়মিত পদক্ষেপ নেওহা হচ্ছে। বন্ধুগণ, সুযোগের সাম্যের ক্ষেত্রে দুর্নীতি একটি বড় বাধা। ঘুষ, স্বজনপোষণ, আপন-পর – এসব কিছু আমাদের ব্যবস্থা থেকে হটাতে হবে। আমার এবং আমার সরকারের ভাবনা এবং কাজ থেকেই প্রমাণিত যে দুর্নীতিবাজরা যত বড় মানুষই হোক না কেন, যত ক্ষমতাশালীই হোক না কেন, কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। ব্যবস্থা থেকে দালালদের সরানোর জন্য গরিবদের লুন্ঠনমুক্ত করার জন্য আমরা সততার সঙ্গে পূর্ণ ক্ষমতা প্রয়োগ করছি। বন্ধুগণ, আপনাদের মতো নবীন বন্ধুদের সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলেই আমাদের সরকার এতকিছু করতে পারছে। ‘স্বচ্ছ ভারত’ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশকে পরিচ্ছন্ন করার আন্দোলন, বিমুদ্রাকরণের মতো কড়া সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে সমর্থন এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মাধ্যমে সৎ ও স্বচ্ছ লেনদেন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। প্রতিটি সরকারি প্রকল্পকে জনগণের প্রকল্প করে তুলতে আপনাদের সক্রিয় ভূমিকা অনস্বীকার্য। আপনাদের আরেকটি অনুরো���, বিগত সাড়ে চার বছরে দিল্লিতে দেশের ঐতিহ্য, রাষ্ট্রনায়কদের স্মৃতিতে অনেকগুলি নতুন পবিত্রস্থল গড়ে তোলা হয়েছে – আপনারা অবশ্যই সেগুলি ঘুরে দেখবেন। তাহলে অনেক কিছু দেখবেন ও শিখবেন। যেমন সম্প্রতি লালকেল্লায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতিতে ‘ক্রান্তি মন্দির’ গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে গেলে আপনারা জানতে পারবেন যে আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে লালকেল্লার সম্পর্ক কী? তেমনই গত বছর দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হওয়া পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মীদের স্মৃতিতে ‘রাষ্ট্রীয় পুলিশ স্মারক’ উদ্বোধন করা হয়েছে। আপনারা আলিপুর রোডে নবনির্মিত বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের সমাধি স্মারকও দেখতে যাবেন। সর্দার প্যাটেলের নতুন স্মারকও দিল্লিতে তৈরি হয়েছে। সেখানে গড়ে উঠেছে একটি ডিজিটাল মিউজিয়াম। এগুলি দেখলে আপনারা অনেক মহান ব্যক্তির জীবন ও সমাজের প্রতি আবদান সম্পর্কে জানতে পারবেন। প্রেরণা পাবেন। আমার বিশ্বাস, আপনাদের উদ্দীপ্ত প্রাণশক্তি নতুন ভারতকে উদ্দীপনাময় করে তুলবে। আগামী মাসে আরেকটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রেরণা স্থল উদ্বোধন হবে, সেটি হল জাতীয় স্তরের একটি যুদ্ধস্মারক। এ কাজ অনেক বছর আগেই হওয়া উচিৎ ছিল। যাঁরা দেশকে রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ আত্মবলিদান দিয়েছেন, সেই বীরদের স্মৃতিতে ফেব্রুয়ারি মাসে ঐ স্মারকটির উদ্বোধনের সৌভাগ্য আমার হবে। আমি আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। এই সুযোগ আমাদের ভাবনাকে উন্নত করে। নিজের গ্রাম, শহর, নিজের এলাকা, জাতিগোষ্ঠীর ঊর্ধ্বে উঠে সমগ্র দেশ ও জাতি সম্পর্কে জানার ও ভাবার আবহ গড়ে তোলে। যে কোন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সে দেশের সমাজ ব্যবস্থাকে একতার সূত্রে বাঁধতে হয়, আশাবাদ ও আকাঙ্ক্ষাকে আকাশে ডানা মেলতে দিতে হয়। নিরাশার গহ্বরে ডুবে থাকা সমাজ কখনোই নিজেদেরকে এবং দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে পারে না। আজ আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে ১২৫ কোটি ভারতবাসী এখন আশা ও আকাঙ্ক্ষায় উদ্বেল, সেজন্য আমি নিশ্চিত যে আমার দেশ উন্নয়নের নতুন নতুন শিখর অতিক্রম করবেই। যে স্বপ্ন নিয়ে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা আপ্রাণ লড়েছেন, আত্মবলিদান দিয়েছেন, তাঁদের স্বপ্নগুলি বাস্তবায়নের সময় এসে গেছে। আসুন, আমরা সবাই মিলে ভারতমাতার জয়জয়কার করতে করতে সেই স্বপ্নগুলিকে নতুন প্রাণশক্তি যোগাই, নতুন সঙ্কল্প গ্রহণ করি। আমার সঙ্গে বলুন – ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়! অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",নতুন দিল্লীত এনচিচিৰেলীত অংশগ্ৰহণ কৰি প্রধানমন্ত্রীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2-19/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%88-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%89%E0%A6%A3%E0%A7%80-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"পাটনা মেট্রো রেল প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন পাটনা শহরে গ্যাস বন্টন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন পাটনা-তে নদী পাড় সৌন্দর্যায়নের প্রথম পর্যায়ের কাজের সূচনা করবেন বারাউনি তৈল শোধনাগার সম্প্রসারণ কাজের শিলান্যাস করবেন ছাপড়া ও পূর্ণিয়াতে মেডিকেল কলেজের সূচনা করবেন একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প উদ্বোধনের কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিহার সফর করবেন। বারাউনি পৌঁছে তিনি সেখানে রাজ্যের জন্য একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করবেন, সেগুলি পাটনা শহর ও আশপাশের এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ঘটাবে। এই প্রকল্পগুলির ফলে পাটনা শহরে শক্তির যোগান বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও, এই প্রকল্পগুলি সার উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি, বিহারে চিকিৎসা পরিষেবা ও পরিষ্কার – পরিচ্ছন্নতার মান বাড়াতে সাহায্য করবে। শ্রী মোদী পাটনা শহর ও আশপাশের এলাকার মানুষের জীবনযাপনের মানোন্নয়ন তথা যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়াতে পাটনা মেট্রো রেল প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। পাটনাতে তিনি নদীতীর সৌন্দর্যায়ের প্রথম পর্যায়ের কাজের সূচনা করবেন। শ্রী মোদী ৯৬.৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ কার্মালিচক বর্জ্য নিকাশি নালার শিলান্যাস করবেন। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী বারহ্‌, সুলতানগঞ্জ ও নওগাছিয়া-তে বর্জ্য নিকাশি সম্পর্কিত কাজের সূচনা করবেন। অম্রুত কর্মসূচির আওতায় তিনি রাজ্যের একাধিক এলাকার জন্য ২২টি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। প্রধানমন্ত্রী বারাউনি – কুমেদপুর, মুজাফফরপুর – রক্সৌল, ফাতুহা – ইসলামপু এবং বিহার শরিফ – দানিওয়ান বিদ্যুতায়িত রেল শাখার উদ্বোধন করবেন। এরপর, শ্রী মোদী জগদীশপুর – বারাণসী প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপ লাইনের ফুলপুর থেকে পাটনা পর্যন্ত অংশের সূচনা করবেন। এছাড়াও, তিনি পাটনা শহরে গ্যাস ব��্টন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। বারাউনি তৈল শোধনাগারের ক্ষমতা বার্ষিক ৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন বাড়াতে একটি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। দুর্গাপুর থেকে মুজাফফরপুর ও পাটনা পর্যন্ত পারাদ্বীপ – হলদিয়া – দুর্গাপুর রান্নার গ্যাসের পাইপ লাইন সম্প্রসারণ কাজেরও তিনি সূচনা করবেন। বারাউনি তৈল পরিশোধনাগারে শ্রী মোদী এটিএফ হাইড্রোট্রিটিং ইউনিটের শিলান্যাস করবেন। এই ইউনিটটি চালু হলে বারাউনি শহর ও আশপাশের এলাকায় শক্তির যোগান লক্ষ্যণীয়ভাবে বৃদ্ধি পাবে। প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের সারণ, ছাপড়া ও পূর্ণিয়াতে মেডিকেল কলেজের শিলান্যাস করবেন। এছাড়াও, তিনি ভাগলপুর ও গয়াতে সরকারি মেডিকেল কলেজের মানোন্নয়ন কাজের শিলান্যাস করবেন। এরপর, প্রধানমন্ত্রী বারাউনি-তে অ্যামোনিয়া – ইউরিয়া সার কমপ্লেক্সের শিলান্যাস করবেন। বারাউনি থেকে প্রধানমন্ত্রী ঝাড়খন্ডের হাজারিবাগ ও রাঁচি যাবেন।",কাইলৈ বিহাৰৰ বাৰাউণী ভ্ৰমণ কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4/,"রাজধানীর তিলক মার্গে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সমীক্ষা বিভাগ (এএসআই)-এর নতুন সদর দপ্তর ভবন ‘ধারোহার ভবন’-এর আজ (১২ই জুলাই, ২০১৮) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি তাঁর ভাষণে বলেন যে গত প্রায় ১৫০ বছর ধরে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সমীক্ষা বিভাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। দেশের ইতিহাস এবং সমৃদ্ধ পুরাতাত্ত্বিক ঐতিহ্য যে আমাদের গর্ব একথাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে স্থানীয় ইতিহাস এবং নিজেদের শহর, মফঃস্বল তথা অঞ্চলগুলির পুরাতাত্ত্বিক তাৎপর্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকার জন্য সকলকেই আগ্রহী হতে হবে। এমনকি, বিদ্যালয় পাঠ্যক্রমেও স্থানীয় পুরাতত্ত্বের তাৎপর্যের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ। প্রসঙ্গত, পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত প্রশিক্ষিত গাইডদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তাঁরা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সুপরিচিত। শ্রী মোদী বলেন, প্রত্যেকটি পুরাতাত্ত্বিক আবিষ্কারেরই নিজস্ব একটি কাহিনী রয়েছে। এই সমস্ত আবিষ্কারের সঙ্গে এক সময় যুক্ত ছিলেন বহু পুরাতত্ত্ববিদ, যাঁরা বহু পরিশ্রমে এ সমস্ত কিছু আবিষ্কার করে গেছেন। কয়েক বছর আগে তিনি স্বয়ং ফ্রান্সের তদানীন্তন প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে ভারত-ফ্রান্স যৌথ উদ্যোগে আবিষ্কৃত পুরাতত্ত্ব নিদর্শনগুলি পরিদর্শন করে এসেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ভারতের মহান ঐতিহ্যগুলিকে গর্ব ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বিশ্ব সমক্ষে তুলে ধরা উচিৎ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের নতুন সদর দপ্তর ভবনটিকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী আলো এবং বৃষ্টির জলের পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা সহ নানা অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত সাজসরঞ্জামে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এখানে রয়েছে প্রায় দেড় লক্ষ বই ও সাময়িকপত্রের এক কেন্দ্রীয় পুরাতাত্ত্বিক গ্রন্থাগার। /",নতুন দিল্লীত ভাৰতীয় প্ৰত্নতাত্ত্বিক জৰীপ বিভাগৰ মুখ্য কাৰ্যালয় উদ্বোধন কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A7%8C%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%93-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE/,"নতুনদিল্লি, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আসামে নৌকা দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য সম্ভাব্য সব রকমের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় শ্রী মোদী বলেছেন; “ আসামে নৌকা দুর্ঘটনার খবরে আমি শোকাহত। যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য সম্ভাব্য সব রকমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সকলের সুরক্ষা ও কল্যাণ কামনা করি।“ /",অসমত নাও দুর্ঘটনাত প্রধানমন্ত্রীৰ শোক প্রকা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81/,"দেশে পাম তেল উৎপাদন ক্ষেত্রের পরিধি বাড়ানোর একটি প্রস্তাবে সম্মতি দিলকেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। পাম তেলের সার্বিক উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্তমন্ত্রিসভার। বুধবার এখানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিতকেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাম তেল উৎপাদন ক্ষেত্রের পরিধি বাড়ানোর এক প্রস্তাবআলোচনার পর এই সম্মতিদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কর্পোরেট সংস্থাগুলি যাতে পামতেল উৎপাদনের বিষয়ে আরও বেশি করে আগ্রহী হয়ে ওঠে সেজন্য ২৫ হেক্টরেরও বেশি জমিতেপ্র���োজনীয় সরকারি সহায়তাদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি এই সিদ্ধান্তেরপরিপ্রেক্ষিতে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের সুফল পাওয়া যাবে। পাম তেলের উৎপাদন বাড়ানোর কাজে আরও বেশি করে উৎসাহ দিতে সহায়তাদানের নিয়ম-নীতিরওসংশোধন করা হবে বলে মন্ত্রিসভা এদিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রান্নার কাজে ভোজ্য তেল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বাউপকরণ। দেশে বর্তমানে ভোজ্য তেল উৎপাদিত হয় ৯ মিলিয়ন মেট্রিক টনের মতো। কিন্তুদেশে এর বর্তমান চাহিদা রয়েছে ২৫ মিলিয়ন মেট্রিক টনের মতো। চাহিদা ও যোগানের মধ্যেএই ঘাটতি পূরণে এতদিন পর্যন্ত জোর দেওয়া হত আমদানির ওপর। এক পরিসংখ্যানগত তথ্যেপ্রকাশ, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ভোজ্য তেল আমদানি খাতে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৬৮ হাজার কোটিটাকা। আমদানিকৃত ভোজ্য তেলের মধ্যে ৭০ শতাংশই ছিল পাম তেল । অধিক উৎপাদনশীলতার কারণে হেক্টর প্রতি এরউৎপাদনও তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি । এই কারণে ভোজ্য তেলের মধ্যে পাম তেলের উৎপাদন খরচবেশ কম। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নাইজিরিয়া, থাইল্যান্ড এবং কলম্বিয়া হল বিশ্বেরপ্রধান প্রধান পাম তেল উৎপাদনকারী দেশ। তবে ১৯৮৬-৮৭ এবং ২০১৪-১৫ সাল থেকে ভারতওপাম তেল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কিছু কর্মসূচি রূপায়ণ করে আসছে। /",ভাৰতৰ পাম তেল ক্ষেত্ৰ আৰু উৎপাদন বৃদ্ধিৰ পদক্ষেপত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A4-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0/,প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ভারত ও তুরস্কের মধ্যে পোস্তদানা ব্যবসা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা অনুমোদন করেছে। এই সমঝোতায় তুরস্ক থেকে দ্রুত ও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে পোস্তদানা আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এই সমঝোতা অনুসারে তুরস্কের শস্য পর্ষদ তুরস্ক থেকে ভারতে পোস্তদানা রপ্তানি নিয়ন্ত্রনে একটি অনলাইন ব্যবস্হার প্রচলন করবে। এই অনলাইন ব্যবস্হার সদস্যপদের জন্য রপ্তানিকারক কোম্পানীগুলি দায়িত্বপ্রাপ্ত সংগঠনের মাধ্যমে আবেদন জানাবে। প্রতি বছর কত পরিমান পোস্তদানা ভারত তুরস্ক থেকে আমদানি করবে তা দুই দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে স্হির করা হবে। তুরস্কে রপ্তানিকারক ও ভারতে আমদানিকারক কোম্পানীগুলির মধ্যে বিক্রয়সংক্রান্ত চুক্তি তুরস্কের শস্য পর্ষদে অনলাইন ব্যবস্হার মাধ্যমে নথিভুক্তির পর লেনদেনের কাজ হবে। প্রতি বছর উভয় পক্ষ আমদানি-রপ্তানির পরিমান নির্ধারন করবে। ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রকের নীতি নির্দেশিকা অনুসারে তুরস্কের শস্য পর্ষদের অনলাইন ব্যবস্হা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ নারকোটিক্স পোস্তদানা বিক্রয় সংক্রান্ত চুক্তিগুলি নথিভুক্ত করবে। পরে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য অনলাইনে দেওয়া হবে। ভারতের সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ নারকোটিস্কের অনুমোদিত চুক্তিগুলি-ই কেবলমাত্র তুরস্কের শস্য পর্ষদ রূপায়নের অনুমতি দেবে। বিক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পর তুরস্কের শস্য পর্ষদ রপ্তানিকারকদের এ সংক্রান্ত একটি আইনগত সার্টিফিকেট প্রদান করবে। এই সমঝোতার ফলে তুরস্ক থেকে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দ্রুত এবং স্বচ্ছ পদ্ধতিতে ভারতে পোস্তদানা আনা সম্ভব হবে। আইনগত জটিলতায় আমদানিতে বিলম্ব এড়ানোও সম্ভব হবে। এই সমঝোতা রূপায়নের ফলে ভারতের অভ্যন্তরীন বাজার পোস্তদানার সরবরাহ নিশ্চিত হবে এবং ভারতীয় গ্রাহকরা এর ফলে উপকৃত হবেন। /,দ্রুত আৰু স্বচ্ছ পদ্ধতিৰে তুৰ্কীৰ পৰা আফুগুটি ব্যৱসায়ৰ সন্দৰ্ভত ভাৰত আৰু তুৰ্কীৰ মাজত বুজাবুজি চুক্তি স্বাক্ষৰত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9D%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AA/,"নয়াদিল্লী, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিপর্যয়ের ঝুঁকি কমানোর ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার জন্য ভারতের জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও ইটালির ডিপার্টমেন্ট অফ সিভিল প্রোটেকশন অফ প্রেসিডেন্সি অফ দ্য কাউন্সিল অফ মিনিস্টার্স-এর মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্রটি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সুবিধা : বিপর্যয়ের ঝুঁকি কমানোর ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার জন্য এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটি ভারতের জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও ইটালির ডিপার্টমেন্ট অফ সিভিল প্রোটেকশন অফ প্রেসিডেন্সি অফ দ্য কাউন্সিল অফ মিনিস্টার্স-এর মধ���যে স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতাপত্রের ফলে ভারত এবং ইটালি বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একে অপরের দ্বারা উপকৃত হবে। এছাড়াও বিপর্যয় ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি, দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে উভয় দেশের সুবিধা হবে। জুন মাসে এই সমঝোতাপত্রটি স্বাক্ষরিত হয়।",‘দুৰ্যোগৰ বিপদ-সংকূলতা প্ৰশমণ আৰু প্ৰবন্ধন’ৰ ক্ষেত্ৰত সহযোগিতা সন্দৰ্ভত ভাৰত আৰু ইটালীয়ান ৰিপাব্লিকৰ মাজত সম্পাদিত বুজাবুজিৰ চুক্তিলৈ কেবিনেটৰ অনুমোদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%9B-%E0%A6%8F%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ বাণিজ্য দপ্তরেরএকটি নোটে অনুমোদন দানের মাধ্যমে২০১৭-র ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনার বুয়েন্‌স এয়ার্‌স-এঅনুষ্ঠিতবিশ্ব বাণিজ্য সংগঠন (ডব্ল্যুটিও)-এর একাদশ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে গৃহীতভারতের অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গিকে একটি কর্মপরবর্তী প্রক্রিয়া হিসেবে সমর্থন জানানোহয়। সম্মেলনে ভারতের এই দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের মূল লক্ষ্য ছিল মন্ত্রী পর্যায়েরসম্মেলন চলাকালীন ভারতের স্বার্থ, অগ্রাধিকার এবং উদ্বেগের বিষয়গুলিকে যথোচিতভাবেপেশ করা। এই সম্মেলনে গৃহীতসিদ্ধান্তগুলির মধ্যে ছিল, ২০১৯ সালে দ্বাদশ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে একটি স্থিরসিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার লক্ষ্যে মৎস্যচাষের ওপর ভর্তুকিদান সম্পর্কিত একটিকর্মসূচি পেশ এবং ভারতের পক্ষ থেকে বৈদ্যুতিন বাণিজ্য সম্পর্কে উত্থাপিত একটিপ্রস্তাব সম্পর্কে আলোচনা ও মতবিনিময় সহ আরও কয়েকটি বিষয়। তবে, বিনিয়োগ সংক্রান্তসুযোগ-সুবিধা, ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং অতিক্ষুদ্র শিল্প সংস্থা, লিঙ্গানুপাত এবংবাণিজ্যের মতো নতুন নতুন বিষয়গুলিতে মতৈক্যের অভাবে কোনরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাযায়নি। শুধু তাই নয়, সর্বসম্মতিক্রমে মন্ত্রী পর্যায়ের এই সম্মেলন থেকে কোনরকমঘোষণাপত্রও প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়নি। বহুপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়, দোহা কর্মসূচি এবংবিকাশশীল দেশগুলির ক্ষেত্রে বিশেষ এবং বৈষম্যমূলক আচার-আচরণ সম্পর্কে কোনরকম বিশেষউল্লেখ না থাকার ফলে ভারতও এই ঘোষণাপত্রের বিষয়টিতে সম্মতি জানায়নি।","আর্জেণ্টিনাৰ বুয়েনছ ���য়াৰছত ১০-১৩ ডিচেম্বৰ, ২০১৭ত অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাৰ একাদশ মন্ত্রী পর্যায়ৰ সন্মিলনত গৃহীত ভাৰতৰ দৃষ্টিভংগীক কেবিনেটৰ অনুমোদন সমর্থন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাৰ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AF%E0%A7%8C%E0%A6%A5-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B7%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B7%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%83-2/,"নয়াদিল্লী, ২ মে, ২০২২ চ্যান্সেলার ওলফ স্কোলজ এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর যৌথ সভাপতিত্বে আজ ভারত ও জার্মানির মধ্যে ষষ্ঠ পর্যায়ের আন্তঃসরকারি আলোচনা সম্পন্ন হয়। দুই নেতার পাশাপাশি মন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত দুটি প্রতিনিধি দল কথাও যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে। ভারত যখন স্বাধীনতার ৭৫-তম বার্ষিকী উদযাপন করছে তখন জার্মানি ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক পারস্পরিক আস্থা, অভিন্ন স্বার্থ, অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন ও মানবাধিকার তথা বিশ্বব্যাপি চ্যালেঞ্জের বহুপাক্ষিক মোকাবিলার মধ্যে প্রোথিত রয়েছে। দুই দেশের সরকারই রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে এক কার্যকর আইন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রসংঘের সনদে উল্লিখিত আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতিগুলির ওপর জোর দিয়েছে। একইসঙ্গে সমস্ত রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখন্ডতার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। দুই দেশই বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় বহুপাক্ষিক মঞ্চের সংস্কার ও তাকে আরও শক্তিশালী করার উপর পুনরায় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। দুই নেতাই কোভিড-১৯ মহামারী থেকে অর্থ ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারে নিজেদের অঙ্গীকারের কথা পুনরায় উল্লেখ করেছেন। একইসঙ্গে ক্রমবর্ধমান বিশ্ব উষ্ণায়ন রুখতে পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প বিস্তারের সময়ের তুলনায় অন্তত দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে রাখার ব্যাপারে অঙ্গীকার প্রকাশ করেছে। সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০৩০-এর মধ্যে যে সমস্ত বিষয় স্থির হয়েছে তা পুরণে উভয় দেশই প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী নিজেদের জাতীয় অঙ্গীকারের কথা আরও একবার বলেছে। রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে আইনের শাসন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার গুরুত্বের ওপর দুই দেশই দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। ভারত ও জার্মানী এক কার্যকর ও সংস্কার সাধিত বহুপাক্ষিক মঞ্চের গুরুত্বের কথা পুনরায় উল্লেখ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র, বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা, গণতন্ত্রের প্রতি হুমকির মতো চ্যালেঞ্জগুলির প্রেক্ষিতে দুই দেশই বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে। আণবিক সরবরাহ গোষ্ঠীতে অবিলম্বে ভারতকে সামিল করার বিষয়েও জার্মানি তার সমর্থনের কথা পুনরায় উল্লেখ করেছে। উভয় দেশই এক অবাধ, উন্মুক্ত ও সার্বিক ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে। জার্মান সরকারের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সম্পর্কিত নীতি-নির্দেশিকার প্রাসঙ্গিকতা ভারত স্বীকার করে নিয়েছে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে জার্মানির ক্রমবর্ধমান যোগাযোগ এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে উল্লেখ করে উভয় পক্ষই গত জানুয়ারি মাসে মুম্বাইয়ে সেদেশের নৌবাহিনীর জাহাজ বায়ার্ণ-এর নোঙর করাকে স্বাগত জানিয়েছে। আগামী বছর জার্মানির একটি বন্দরেও ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজের নোঙর করার বিষয়টিকে সেদেশ স্বাগত জানিয়েছে। ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে নিবিড় কৌশলগত সহযোগিতাকে ভারত ও জার্মানি স্বাগত জানিয়েছে। ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও সুদৃঢ় করার বিষয়েও সহমত হয়েছে। ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে যোগাযোগ সম্পর্কিত অংশীদারিত্ব কার্যকর করার বিষয়েও উভয় পক্ষ অত্যন্ত আশাবাদী। এরফলে প্রযুক্তি ও নিরাপত্তাগত ক্ষেত্রে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ দূর করা সম্ভব হবে। উভয় পক্ষই আঞ্চলিক সংগঠন যেমন বিমস্টেক এবং জি২০-র মতো বহুপাক্ষিক মঞ্চে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে। ২০২৩-এ ভারতের নেতৃত্বে জি২০-র সভাপতিত্বের সময় সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করতে দুই দেশই অত্যন্ত আশাবাদী। বর্তমানে জার্মানির নেতৃত্বে জি৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ভারত এবং জি৭-এর মধ্যে সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করার বিষয়েও উভয় পক্ষই সহমত হয়েছে। একইসঙ্গে শক্তিক্ষেত্রে রূপান্তরের লক্ষ্যে অন্য দেশের সরকারগুলির সঙ্গেও যৌথ কর্মসূচি গ্রহণে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর তরফে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অবৈধ এবং উস্কানিমূলক আগ্রাসনের পুনরায় কঠোর সমালোচনা করেছে জার্মানি। ইউক্রেনে বর্তমানে যে মানবিক সংকট চলছে তাতে ভারত ও জার্মানি দুই দেশই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। উভয় দেশই ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের আ��ু প্রয়োজনীয়তার কথা পুনরায় উল্লেখ করেছে। ভারত ও জার্মানি ইউক্রেনে সংঘর্ষের দরুণ অশান্ত পরিস্থিতি এবং সীমান্ত এলাকা তথা সারা বিশ্বে এর প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেছে। এই প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ইউক্রেনে চলতি সংকটের বিষয়ে ভারত ও জার্মানি উভয়ই নিজেদের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ বজায় রেখে চলবে। আফগানিস্তানে মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেইসঙ্গে ক্রমবর্ধমান হিংসার ঘটনা তথা জঙ্গি হানার মতো বিষয়গুলিতেও দুই দেশ চিন্তা প্রকাশ করেছে। আফগানিস্তানে এক শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও স্থিতিশীল ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দুই দেশই তাদের জোরালো সমর্থনের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেছে। আফগানিস্তানবাসিকে মানবিক সহায়তা দেওয়া অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। আফগানিস্তানের ভূখন্ড যাতে জঙ্গিদের নিরাপদ আস্তানা, প্রশিক্ষণের কেন্দ্র অথবা জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে আর্থিক মদতের কেন্দ্র না হয়ে উঠে সে ব্যাপারেও দুই দেশ নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গীর কথা পুনরায় উল্লেখ করেছে। আফগানিস্তানে পরিস্থিতি নিয়ে নিবিড় আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রাখার বিষয়েও ভারত ও জার্মানি সহমত হয়েছে। দুই নেতাই সব ধরণের সন্ত্রাসবাদের কঠোর নিন্দা করেছেন। সেইসঙ্গে ছায়াযুদ্ধ ও সীমান্ত পারের সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আস্তানা ও পরিকাঠামো চিরতরে নির্মূল করতে দুই নেতাই সমস্ত দেশের প্রতি একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন কমিটির রীতি-নীতি অনুযায়ী উভয় নেতাই সমস্ত জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকি ধর্মীয় মৌলবাদ দমনেও পারস্পরিক তথ্য বিনিময় অব্যাহত রাখতে দুই নেতা অঙ্গীকার প্রকাশ করেছেন। অর্থ চোরাচালান এবং সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক মদত বন্ধ করতে উভয় নেতাই আন্তর্জাতিক আদর্শগুলি তুলে ধরার ওপর জোর দিয়েছেন। দুই দেশের সরকার যৌথ সর্বাঙ্গীন কর্মপরিকল্পনার পূর্ণ রূপায়ণে তথা চলতি সমস্ত বোঝাপড়ার দ্রুত নিষ্পত্তিতে পৌঁছতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও নিবিড় করার লক্ষ্যে উভয় পক্ষই শ্রেণীবদ্ধ কিছু তথ্য বিনিময়ে চুক্তির জন্য বোঝাপড়া শুরু করার বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছে। উভয় দেশই দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও নিবিড় করার প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বিনিময় আরও সম্প্রসারিত করার বিষয়েও দুই দেশ সহমত হয়েছে। দুই দেশের সরকার এই গ্রহের সুরক্ষায় নিজেদের যৌথ কর্তব্যের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। সেইসঙ্গে অভিন্ন, দীর্ঘস্থায়ী সর্বাঙ্গীন অগ্রগতির ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার ব্যাপারে আরও প্রয়াস গ্রহণে উদ্যোগী হয়েছে। উভয় পক্ষই আন্তঃসরকারি আলাপ-আলোচনার কাঠামোর মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিবার্ষিক বৈঠক আয়োজনের বিষয়েও সহমত হয়েছে। শক্তিক্ষেত্রে রূপান্তর, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, শহরাঞ্চলের ধারাবাহিক উন্নয়ন, পরিবেশ বান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থা, চক্রাকার অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষিবিদ্যা, জৈব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পরিবেশের সুরক্ষা এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সুদক্ষ ব্যবহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে দুই দেশ একযোগে কাজ করবে বলে স্থির হয়েছে। ভারত ও জার্মানির মধ্যে পরিবেশ বান্ধব ও দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের জন্য যে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেই অনুযায়ী ভারত-জার্মান গ্রীন হাইড্রোজেন কর্মীগোষ্ঠীর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে। এছাড়াও সৌর বিদ্যুৎ ও অন্যান্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষ ও প্রান্তিক কৃষকদের স্বার্থে প্রাকৃতিক সম্পদের সুদক্ষ ব্যবহার এবং কৃষিবিদ্যা সম্পর্কে সহযোগিতা গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। লেহ্-হরিয়ানা গ্রীন এনার্জি করিডর বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে সহযোগিতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে। একইসঙ্গে অরণ্যের ভূ-প্রকৃতি পুনরুদ্ধারে সহযোগিতা আরও নিবিড় করার কথা বলা হয়েছে। ভারতের নীতি আয়োগ এবং সেদেশের বিএমজেড প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহরাঞ্চলীয় এসডিজি সূচক ও ড্যাশবোর্ড প্রণয়নে সহযোগিতা গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল স্মার্ট সিটিজ নেটওয়ার্কের মধ্যে নগরোন্নয়ন সম্পর্কিত সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করার পাশাপাশি তা অব্যাহত রাখার বিষয়েও উভয় পক্ষ একমত হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে শহরাঞ্চলীয় উন্নয়নের জন্য ভারত-জার্মান যৌথ কর্মীগোষ্ঠীর নিয়মিত বৈঠক চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও সিদ্ধ��ন্ত হয়েছে। কৃষি, খাদ্য শিল্প ও গ্রাহক সুরক্ষা সম্পর্কিত যৌথ কর্মীগোষ্ঠীর গঠনমূলক ভূমিকা পালনের কথা উভয় দেশই স্বীকার করে নিয়েছে। এই বিষয়গুলিতে বর্তমান সমঝোতাপত্রের ভিত্তিতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা এবং প্রত্যাশিত পরিণাম পাওয়ার বিষয়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে। ভারতে শষ্যবীজ ক্ষেত্রে সফল ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোয় দুই দেশের সরকার প্রশংসা জানিয়েছে। ভারতের কৃষি বিপণন ব্যবস্থার মানোন্নয়নে গত বছর আগস্ট মাসে যে দ্বিতীয় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা মূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে সে কথাও উল্লেখ করা হয়। উভয় পক্ষই বর্তমান সহযোগিতামূলক চুক্তির ভিত্তিতে খাদ্য নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও নিবিড় করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত-জার্মান উৎকর্ষ কেন্দ্র স্থাপনে জার্মান এগ্রি বিজনেস অ্যালায়েন্স এবং ভারতের কৃষি দক্ষতা পরিষদের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্রকে উভয় পক্ষই স্বাগত জানিয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কৃষিকাজ ও খাদ্য সম্পর্কিত বিষয়ে প্রযুক্তি ও জ্ঞান আদান-প্রদানের লক্ষ্যে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সৌরজোট সম্পর্কে উভয় পক্ষই সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করতে একমত হয়েছে। সেইসঙ্গে ভারত ও জার্মানীর মধ্যে কৌশলগত অগ্রাধিকারের বিষয়গুলিতে সমন্বয় বজায় রাখার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য জোট গঠনের লক্ষ্যে উভয় পক্ষই বর্তমান সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করতে সম্মত হয়েছে। উদ্ভাবন ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের নিরিখে দুই দেশের বেসরকারি ক্ষেত্রের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়াতেও উভয় দেশ একমত হয়েছে। আগামী বছর রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগে জল সম্পদ নিয়ে যে সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে তারজন্য প্রস্তুতি গ্রহণে উভয় পক্ষই একে অপরের প্রশংসা করেছে। বহুপাক্ষিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থা এবং বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় উন্নয়নশীল দেশগুলির অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার গুরুত্বের কথা ভারত ও জার্মানী পুনরায় উল্লেখ করেছে। এই সংস্থার সংস্কারের ক্ষেত্রেও দুই দেশের সরকার নিজেদের অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছে। ভারত ও জার্মানি বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার দেশ। এক অবাধ বাণিজ্য চুক্তির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতের মধ্যে আসন্ন বোঝাপড়ায় সহযোগিতার লক্ষ্যে উভয় দেশ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিশ্বব্যাপি কর্মসংস্থানে যে সংকট দেখা দিয়েছে তার প্রেক্ষিতে এক দীর্ঘস্থায়ী শ্রম নিবিড় বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার গুরুত্বের বিষয়টিতে উভয় পক্ষই জোর দিয়েছে। বিশ্ব শ্রম সংগঠনের ১৩৮ ও ১৮২-তম কনভেনশনে ভারতের পক্ষ থেকে যে সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, জার্মানি তাকে স্বাগত জানিয়েছে। দুই দেশ শিশু শ্রম এবং শ্রমদানে বাধ্য করার বিষয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে। দুই দেশ ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত, আর্থিক ও সামাজিক পরিবর্তনকে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে। ডিজিটাল সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ভারত-জার্মান ডিজিটাল ডায়ালগ গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। কর আরোপ ক্ষেত্রে উভয় পক্ষই গত বছরের ৮ই অক্টোবর বেস ইরোশন অ্যান্ড প্রফিট শিফ্টিং সম্পর্কিত সর্বাঙ্গীন কাঠামোয় পারস্পরিক সহমতের লক্ষ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে দুই দেশই তাকে স্বাগত জানিয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উভয় দেশ ভারত-জার্মান ফাস্ট ট্র্যাক মেকানিজমের সফল মডেল অব্যাহত রাখতে নিজেদের প্রস্তুতির কথা পুনরায় উল্লেখ করেছে। দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রসারে দুই দেশই তাদের প্রস্তুতির কথা পুনরায় উল্লেখ করেছে। রেল ক্ষেত্রে জার্মানির সংস্থাগুলির কারিগরি দক্ষতার বিষয়টি ভারত স্বীকার করে নিয়েছে। দুই দেশই রেল সহযোগিতার ক্ষেত্রে নিজেদের আগ্রহের কথা পুনরায় উল্লেখ করেছে। ভারতীয় রেল ব্যবস্থাকে ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ কার্বন নিঃসরণ মুক্ত করে তুলতে উপযুক্ত প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে। গ্লোবাল প্রোজেক্ট কোয়ালিটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ক্ষেত্রে ভারত-জার্মান কর্মী গোষ্ঠীর ভূমিকায় দুই দেশ একে অপরের প্রশংসা করেছে। স্টার্টআপ ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও নিবিড় করতে উভয় দেশের সরকারই তাদের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছে। এই লক্ষ্যে স্টার্টআপ ইন্ডিয়া এবং জার্মান অ্যাক্সেলেটর সংস্থার মধ্যে চলতি সহযোগিতায় দুই দেশ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। উভয় দেশ মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ সহ পড়ুয়া, শিক্ষাবীদ বিনিময়ের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানের করে তুলতেও উভয় পক্ষ একে অপরের প্রয়াসকে স্বাগত জানিয়েছে। শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতায় ভারত ও জার্মানি সন্তোষ প্রকাশ করে এই উদ্যোগকে আরও নিবিড় করতে সম্মত হয়েছে। ভারত সরকার স্টাডি ইন ইন্ডিয়া বা ভারতে পঠন-পাঠনের মতো কর্মসূচিগুলিতে জার্মানীর ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করার ওপর জোর দিয়েছে। উভয় দেশ কৌশলগত অনুসন্ধান ও উন্নয়ন মূলক অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প সংস্থাগুলির মধ্যে সহযোগিতার বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে। বিজ্ঞান ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল ফেসিলিটি ফর অ্যান্টিপ্রোটোন অ্যান্ড আয়ন রিসার্চ ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে বাস্তবায়িত করতে দুই দেশ নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে। দক্ষ স্বাস্থ্য ও শুশ্রুষা কর্মীদের অভিবাসনের জন্য কেরালা সরকার এবং জার্মান ফেডারেল এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সির পক্ষ থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টিকে দুই দেশের সরকার স্বাগত জানিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা ও সুস্বাস্থের বিষয়ে জার্মান সোস্যাল অ্যাক্সিডেন্ট ইনস্যুরেন্স এবং ভারতের ন্যাশনাল সেফ্টি কাউন্সিলের মধ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরকে দুই দেশ স্বাগত জানিয়েছে। ভারত ও জার্মানির মধ্যে ক্রমবর্ধমান সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়টিতে দুই দেশের সরকার সন্তোষ প্রকাশ করেছে। কোভিড-১৯ মহামারীর কঠিন পরিস্থিতি এখনও বিদ্যমান, একথা স্বীকার করে নিয়ে দুই দেশ চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ শৃঙ্খলে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের বান্দায় বায়ো সেফ্টি লেভেল বা বিএসএল-৪ ল্যাবোরেটরি স্থাপনে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং সেদেশের রবার্ট-কচ ইন্সটিটিউটের মধ্যে যে সহযোগিতা গড়ে উঠেছে উভয় পক্ষই তাকে স্বাগত জানিয়েছে। দুই দেশের সরকার চিকিৎসা সামগ্রী ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহযোগিতার লক্ষ্যে আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছে। এই লক্ষ্যে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কনট্রোল অর্গানাইজেশন এবং সেদেশের ফেডারেল ইন্সটিটিউট ফর ড্রাগস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস প্রতিষ্ঠা���ের মধ্যে যৌথ ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। ষষ্ঠ পর্যায়ে অন্তঃসরকারি আলোচনায় যে সমস্ত বিষয়ে কথা হয়েছে, তা নিয়ে দুই নেতাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ভারত-জার্মান কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও সম্প্রসারিত ও নিবিড় করার বিষয়েও তারা নিজেদের অঙ্গীকারের কথা পুনরায় উল্লেখ করেছেন। ষষ্ঠ আন্তঃসরকারি আলোচনায় যোগ দিতে যাওয়া ভারতীয় প্রতিনিধি দলকে যে অভ্যর্থনা দেওয়া হয়েছে তারজন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী চ্যান্সেলার ওলফ স্কোলজ-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পরবর্তী আন্তঃসরকারি আলাপ-আলোচনা আয়োজনের জন্য ভারত অত্যন্ত আশাবাদী।",ষষ্ঠ ভাৰত-জাৰ্মানী আন্তঃ চৰকাৰী পৰামৰ্শ সম্পৰ্কীয় আলোচনা সন্দৰ্ভত প্ৰকাশিত যুটীয়া বিবৃতি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%B9%E0%A6%B2-%E0%A6%A6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%89%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A4/,"নয়াদিল্লি, ২৬ নভেম্বর, ২০২২ “আমরা, অর্থাৎ দেশের জনসাধারণ – এই কথাটি একাধারে আহ্বান, আস্থা ও শপথ গ্রহণের প্রতীকী ব্যঞ্জনা। সংবিধানের এই শক্তির মধ্যেই নিহিত রয়েছে ভারতাত্মার মনোবল। এই শক্তিই আবার ভারতকে গণতন্ত্রের জননী রূপে বিশ্বে পরিচিতি এনে দিয়েছে। আধুনিক সময়কালে জাতির সাংস্কৃতিক ও নৈতিক আবেগগুলির জন্ম হয়েছে দেশের সংবিধানকে ঘিরেই।” সংবিধান দিবস উপলক্ষে আজ দেশের শীর্ষ আদালতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৯৪৯ সালের এরকমই একটি দিনের কথা প্রসঙ্গত স্মরণ করেন তিনি। কারণ, এই দিনটিতেই দেশের এক নতুন ভবিষ্যতের সূচনা হয়েছিল। স্বাধীনতার এই অমৃত মহোৎসবকালে সংবিধান দিবসের গুরুত্বের কথাও তাঁর ভাষণে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সংবিধান রচনার সঙ্গে যুক্ত ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর সহ অন্যান্যদের উদ্দেশে এদিন গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। স্বাধীনতার বিগত ৭০ বছরে দেশের উন্নয়নের যাত্রাপথে তথা ভারতীয় সংবিধানের প্রসার ও প্রচারে আইন, বিচার ও প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত অসংখ্য মানুষের অবদান রয়েছে। আজকের এই বিশেষ দিনটিতে তাঁদের সকলকেই অশেষ ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে ভারতের ইতিহাসে এক অন্ধকারময় দিনের কথাও স্মরণ করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, সেই বছরটিতে দেশ যখন সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ দিনটি উদযাপনে ব্যস্ত, ঠিক তখনই এই ২৬ নভেম্বর তারিখটিতেই ভারতকে এক জঘন্যতম সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের শিকার হতে হয়। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছিল তারা ছিল মানুষ তথা মানবতার শত্রু। মুম্বাইতে সেই কাপুরুষোচিত জঙ্গি হামলায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশে আরও একবার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী বলেন, বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে ভারতের উন্নয়নশীল অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি সকলের কাছেই এক আশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের স্থিতিশীলতা সম্পর্কে যাবতীয় আশঙ্কা ও উদ্বেগকে তুচ্ছ প্রমাণ করে ভারত এখন সর্বশক্তি নিয়ে এগিয়ে চলেছে তার বৈচিত্র্যের গর্বকে সঙ্গে করে। দেশের এই সাফল্যের মূলে রয়েছে আমাদের সংবিধান। গণতন্ত্রের জননী রূপে ভারত যেভাবে সংবিধানের আদর্শকে আরও মজবুত করে তোলার মাধ্যমে জনমুখী নীতিগুলির বাস্তবায়ন তথা নারী ও দরিদ্রের ক্ষমতায়ন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে বিশেষ আনন্দ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের আইনগুলি এখন আরও সহজ ও সরল করে তোলা হয়েছে যার ফলে সাধারণ মানুষও তার মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। বিচার যাতে সঠিক সময়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে যে কর্তব্যগুলির কথা উল্লেখ করেছিলেন আজ তার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, এই কর্তব্য সম্পাদন হল সাংবিধানিক শক্তিরই এক বহিঃপ্রকাশ। দেশের অমৃতকালকে ‘কর্তব্যকাল’ রূপে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বাধীনতার এই অমৃতকালেই দেশের স্বাধীনতার ৭৫টি বছর পূর্ণ হতে চলেছে। এর মধ্য দিয়ে আগামী ২৫ বছরের লক্ষ্যে আমরা উন্নয়নের যাত্রাপথে সামিল হয়েছি। তাই, জাতি গঠনের উদ্দেশ্যে কর্তব্য পালনের সেই মন্ত্রই হল আমাদের কাছে সর্বাগ্রগণ্য। শ্রী মোদী বলেন, স্বাধীনতার এই অমৃতকাল হল এমনই একটি সময়কাল যা জাতি গঠনের কাজে দেশবাসীকে কর্তব্যনিষ্ঠ হয়ে ওঠার আহ্বান জানায়। ব্যক্তিগত তথা প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে কর্তব্য পালনই হল আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এই কর্তব্যপথ অনুসরণ করেই উন্নয়নের নতুন নতুন শিখরে দেশকে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর এক সপ্তাহকালের মধ্যেই ভারত জি-২০-র সভাপতিত্বের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে চলেছে। তাই, সঙ্ঘবদ্ধভাবে বিশ্বের দ���বারে দেশের খ্যাতি ও সম্মানকে তুলে ধরা আমাদের সমবেত দায়িত্ব। গণতন্ত্রের জননী রূপে ভারতের যে পরিচিতি রয়েছে তাকে আরও সুসংহত করে তুলতে হবে। দেশের যুবশক্তির কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, আমাদের সংবিধান একাধারে উদার চিন্তাভাবনা, ভবিষ্যৎ দর্শন ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য সুপরিচিত। তাই, ভারতের অগ্রগতির ইতিহাসে যুবশক্তির ভূমিকা ও অবদানেরও এক স্বতন্ত্র স্বীকৃতি প্রাপ্য। ভারতের সংবিধান সম্পর্কে দেশের যুব সমাজকে সচেতন করে তোলার ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানুষে মানুষে সমতা ও ক্ষমতায়নের যে কথা বলা হয়েছে সংবিধানের নীতিগুলিতে, সে সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে হবে বর্তমান প্রজন্মের তরুণ ও যুবকদের। সংবিধান রচনার পেছনে যে ইতিহাস ও কর্মপ্রচেষ্টা রয়েছে সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হবে তাঁদের। এর মধ্য দিয়েই দেশের সংবিধান সম্পর্কে তাঁদের আগ্রহ ও ঔৎসুক্য বৃদ্ধি পাবে। দেশের সংবিধান রচনাকালে যে ১৫ জন মহিলা সদস্য যুক্ত ছিলেন তাঁদের মধ্যে দাক্ষায়নী ভেলাযুধানের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দাক্ষায়নী এসেছিলেন সমাজের অবহেলিত মানুষদের প্রতিনিধি হয়ে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সংবিধান রচনার কাজে তাঁর অবদানের কথা খুব কমই শোনা যায়। দলিত ও শ্রমজীবী মানুষের বহু বিষয়কেই তিনি সেই সময় সামনে আনতে পেরেছিলেন। একইসঙ্গে দুর্গাবাঈ দেশমুখ, হংস মেহতা এবং রাজকুমারী অমৃত কাউর সহ অন্যান্য মহিলা সদস্যের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নারীকল্যাণ সম্পর্কিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁরা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন। দেশের যুব সমাজ যখন এই সত্যগুলি জানতে পারবেন, তখন অনেক প্রশ্নেরেই উত্তর খুঁজে পাওয়া তাঁদের পক্ষে সহজ হয়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, এর মধ্য দিয়ে সংবিধানের প্রতি তাঁদের আনুগত্যও বৃদ্ধি পাবে যা দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র তথা ভবিষ্যৎকে আরও শক্তিশালী করে তোলার পক্ষে কাজ করে যাবে। শ্রী মোদী বলেন, স্বাধীনতার এই অমৃতকালে দেশের প্রয়োজন হল সংবিধানের প্রতি এই আনুগত্য, যা দেশকে এক উন্নত ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে। আজ এই সংবিধান দিবসে সেই লক্ষ্যে আমাদের আবার নতুন করে সঙ্কল্পবদ্ধ হয়ে ওঠার শক্তি সঞ্চারিত হবে এর মধ্য দিয়ে। আজ সংবিধান দিবসের ঐ অনুষ্ঠানে ই-আদালত কর্মসূচির আওতায় কয়েকটি নতুন উদ্যোগেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। ���গুলির মধ্যে রয়েছে – ভার্চ্যুয়াল জাস্টিস ক্লক, Just/",ভাৰতৰ উচ্চতম ন্যায়ালয়ত সংবিধান দিৱস উদযাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লি, ২৯ জুলাই, ২০২২ তামিলনাড়ুর সম্মানীয় রাজ্যপাল শ্রী আর এন রবিজি, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী শ্রী এম কে স্তালিনজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী এল মুরুগনজি, অন্যান্য মন্ত্রীগণ ও অতিথি-অভ্যাগতগণ, আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডঃ আর ভেলরাজজি, আমার তরুণ বন্ধুরা, তাঁদের অভিভাবক ও শিক্ষকরা – “অনৈবকুম্ভ ভানাক্কম।” প্রথমেই আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আজ যাঁরা স্নাতক হচ্ছেন তাঁদের সকলকে অভিনন্দন। আপনারা ইতিমধ্যেই আপনাদের মনে ভবিষ্যৎ গঠন করেছেন। তাই আজ শুধু সাফল্যের দিন নয়, লক্ষ্য পূরণের দিনও। আপনাদের সব স্বপ্ন পূরণ হোক, আমি এই কামনা করি। আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারীদের জন্য এ এক বিশেষ মুহূর্ত। আপনারা দেশ গঠন করছেন, আগামীদিনের নেতা তৈরি করছেন। আপনারা অনেক পড়ুয়ার দলকে আসতে ও যেতে দেখেছেন। প্রতিটি দলই কোনও না কোনভাবে বিশেষ। তাদের নিজেদের কিছু স্মৃতিকথা রয়েছে। যাঁরা আজ স্নাতক হচ্ছেন, বিশেষভাবে তাঁদের অভিভাবকদের আমি অভিনন্দন জানাই। আপনাদের সন্তানের সাফল্যের জন্য আপনাদের ত্যাগ বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। আজ আমরা চেন্নাইয়ের তরুণ যুবাদের সাফল্য উদযাপন করছি। ১২৫ বছর আগে ১৮৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্বামী বিবেকানন্দ মাদ্রাজ টাইমস-এ বক্তব্য রেখেছিলেন। তাঁকে ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁর পরিকল্পনার কথা জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, “দেশের তরুণ সম্প্রদায়ের ওপর আমার বিশ্বাস, আধুনিক প্রজন্ম হবে আমার যোদ্ধা। তাঁরা সিংহের মতো সব সমস্যার সমাধান করবেন।” আজও সেই শব্দগুলি সমান প্রাসঙ্গিক, কিন্তু বর্তমান সময়ে কেবলমাত্র ভারত তার তরুণ প্রজন্মের দিকে তাকিয়ে রয়েছে তা নয়, গোটা বিশ্ব আশা নিয়ে ভারতের তরুণদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে কারণ, তাঁরাই দেশের উন্নয়নের চালিকাশক্তি এবং ভারত হল বিশ্বের উন্নয়নের অন্যতম ইঞ্জিন। এটা অত্যন্ত সম্মানের। পাশাপাশি, এর দায়িত্বও অনেক। আমি আশা করি আপনারা সকলেই তা পূরণ করবেন। বন্ধুগণ, আমরা যখন আমাদের তরুণদের ওপর বিশ্বাস নিয়ে কথা বলি, তখন ভারতরত্ন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এ পি জে আব্দুল কালামের কথা কি করে ভুলতে পারি? আমি নিশ্চিত, আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের জন্য এটি অত্যন্ত গর্বের যে ডঃ কালাম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। আমি শুনেছি, তিনি যে ঘরটিতে থাকতেন সেটিকে একটি সংগ্রহশালায় পরিণত করা হয়েছে। তাঁর চিন্তাভাবনা ও মূল্যবোধ আমাদের তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করুক। বন্ধুগণ, আপনারা এক বিশেষ সময়ে স্নাতক হচ্ছেন। কিছু মানুষ একে বিশ্বে অনিশ্চয়তার সময় বলে মনে করতে পারেন, কিন্তু আমি বলব এটি এক বিশেষ সুযোগের সময়। কোভিড-১৯ অতিমারী ছিল একটি বিশেষ ঘটনা, এই শতকের অন্যতম গুরুতর সঙ্কট। প্রতি দেশেই এর ছোঁয়া লেগেছে। ভারত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এই সঙ্কটের মোকাবিলা করছে। এজন্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের বিজ্ঞানীদের, স্বাস্থ্যকর্মীদের ও সাধারণ জনগণকে যার ফলশ্রুতিতে আজ ভারত প্রায় সবক্ষেত্রেই এক নতুন জীবনের সঞ্চার করছে, তা শিল্প হোক, উদ্ভাবন হোক, বিনিয়োগ হোক বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য – সবক্ষেত্রেই ভারত এগিয়ে রয়েছে সামনের দিকে। আমাদের শিল্প বেড়েছে অনেকটাই। উদাহরণের জন্য বলতে হয় ইলেক্ট্রনিক্স উৎপাদনের ক্ষেত্রটির কথা। গত বছরে ভারত ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক দেশ। উদ্ভাবন এখন জীবনযাত্রার অন্যতম অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাত্র ছয় বছরে মান্যতাপ্রাপ্ত স্টার্ট-আপ-এর সংখ্যা বেড়ে ১৫ হাজার শতাংশে পৌঁছেছে! হ্যাঁ, আপনারা ঠিক শুনছেন, ১৫ হাজার শতাংশ! ২০১৬ সালে এটি ছিল মাত্র ৪৭০, আর এখন তা প্রায় ৭৩ হাজার! যখন শিল্প এবং উদ্ভাবন ভালো কাজ করে, তখন বিনিয়োগ আপনা থেকেই আসে। গত বছর ভারত রেকর্ড সংখ্যক এফডিআই পেয়েছে যার পরিমাণ ছিল ৮৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি। অতিমারী-পরবর্তী পরিস্থিতিতে আমাদের স্টার্ট-আপও রেকর্ড সংখ্যক বিনিয়োগ পেয়েছে। সর্বোপরি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে ভারতের স্থান এখন এযাবৎকালের মধ্যে সেরা। পণ্য ও পরিষেবা ক্ষেত্রে রপ্তানিতে ভারত এযাবৎকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছুঁয়েছে। বিশ্বের এক কঠিন সময়ে আমরা খাদ্যশস্য রপ্তানি করেছি। সাম্প্রতিককালে আমরা আমাদের পশ্চিমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সঙ্গে এবং পূর্বে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। ভারত ���খন বাধা-বিঘ্নকে সুযোগে পরিবর্তন করছে। বন্ধুগণ, আপনাদের অধিকাংশই ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। এই শতকে প্রযুক্তি-নির্ভর ক্ষেত্রের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আপনাদের কাছে তিনটি মূল বিষয় গুরুত্ব পাবে। এর প্রথমটি হল, প্রযুক্তি আপনারা পছন্দ করেছেন। প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে আপনাদের স্বাচ্ছন্দ্য রয়েছে। এমনকি, দেশের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তিও বর্তমানে এটি গ্রহণ করছে। কৃষকরা বাজার, আবহাওয়া এবং জিনিসপত্রের মূল্য সম্পর্কে তথ্য জানতে অ্যাপ ব্যবহার করছেন। জীবনযাত্রাকে সহজ করতে গৃহিনীরা ব্যবহার করছেন প্রযুক্তি। শিশুরা পড়াশোনা করছে প্রযুক্তির মাধ্যমে। ছোট ছোট বিক্রেতারাও ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেন করছেন। আপনারা যদি তাঁদের নগদে টাকা দিতে চান, অনেকেই বলবেন তাঁরা লেনদেনের জন্য ডিজিটাল মাধ্যমই পছন্দ করেন। ডিজিটাল লেনদেন ও ফিনটেক-এর ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের অন্যতম নেতা। আপনার যাদু দেখানোর জন্য প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এক বিশাল সম্ভাবনার বাজার আপনার অপেক্ষায়। দ্বিতীয় যে বিষয়টির কথা আমি বলব তা হল ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বাস। কিছুদিন আগে পর্যন্ত সামাজিক ব্যবস্থাপনায় কোনও তরুণের নিজেকে একজন উদ্যোগপতি হিসেবে পরিচয় দেওয়া কঠিন ছিল। সাধারণভাবে মানুষ তাঁদের বলতেন জীবনে দাঁড়ানোর জন্য অর্থাৎ, মাস মাইনের চাকরি পাওয়ার জন্য। কিন্তু, বর্তমানে ছবিটা পালটে গেছে সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে। মানুষ এখন জিজ্ঞাসা করেন, আপনি নিজে কিছু করার চেষ্টা করছেন কিনা! এমনকি, কেউ যদি চাকরিও করেন তাহলেও তাঁকে একজন স্টার্ট-আপ হিসেবে কাজ করতে দেখা যায়। আপনি এখন নিজেই ঝুঁকি নিতে পারছেন আবার অন্যের তৈরি করা সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার করতে পারছেন। তৃতীয় যে বিষয়টির কথা আমি বলব তা হল – সংস্কারের ইচ্ছে। এর আগে দেশের কাছে মজবুত সরকারের অর্থ ছিল, প্রত্যেকের প্রতিটা কিছুর ওপর নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু আমরা এই ধারণা পালটে দিয়েছি। এক মজবুত সরকার কখনই প্রতি মানুষের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে না। এক বলিষ্ঠ সরকার দায়িত্বশীল। সে তার নিজের ক্ষমতা জানে এবং অন্যদের সম্ভাবনা বিকশিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়। এক বলিষ্ঠ সরকারের শক্তি অন্যের কাজ করার ক্ষমতা স্বীকার মধ্য দিয়েই পরিস্ফুট হয়। এক বলিষ্ঠ সরকার এটা স্বীকার করে যে সে সবকিছু জানতে বা করতে পারে না। তাই, আ���নারা প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সংস্কার দেখতে পাচ্ছেন এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্বাধীনভাবে সাধারণ মানুষের কাজ করার অধিকারের বিষয়টিও। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি তরুণ প্রজন্মকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। জীবনযাত্রা সহজ করার জন্য সাম্প্রতিককালে প্রায় ২৫ হাজার নীতি বাতিল করা হয়েছে। কর কাঠামোর সংস্কার করা হয়েছে, শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে ড্রোন, মহাকাশ সহ বিভিন্ন নতুন ক্ষেত্র আরও উন্মোচিত করার জন্য সেখানেও সংস্কার আনা হচ্ছে ব্যাপক পরিমাণে। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ‘পিএম গতি শক্তি মাস্টার প্ল্যান’-এর মাধ্যমে ব্যাপক সংস্কার করা হচ্ছে। এসব কিছুই আপনাদের উন্নয়নের জন্য নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে। আগামী ২৫ বছর আপনার জন্য ও ভারতের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এটি অমৃতকাল। আমরা আমাদের স্বাধীনতার শতবর্ষের দিকে এগিয়ে চলেছি। আমরা ভাগ্যবান যে আপনাদের মতো অনেক তরুণ তাঁদের নিজেদের ভবিষ্যৎ তৈরির পাশাপাশি দেশের ভবিষ্যতও গঠন করবেন। তাই আপনাদের উন্নতি ভারতের উন্নতি। আপনার শিক্ষা ভারতের শিক্ষা। আপনার জয় ভারতের জয়। তাই আপনি যখন আপনার বা আপনার পরিবারের জন্য কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন … মনে রাখবেন, স্বাভাবিকভাবেই এটি কিন্তু ভারতের পরিকল্পনাও হবে। কেবলমাত্র আপনাদের প্রজন্মের কাছেই এই ঐতিহাসিক সুযোগ রয়েছে। একে গ্রহণ করুন এবং এর সর্বোত্তম সদ্ব্যবহার করুন। আরও একবার, আপনাদের সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।",চেন্নাইৰ আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ৰ ৪২সংখ্যক সমাৱৰ্তনত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%89%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%AC-%E0%A6%94%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6/,"প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বুধবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলশিল্প উন্নয়ন প্রকল্প (এন.ই.আই.ডি.এস.), ২০১৭-এর অনুমোদন দিল, যার জন্য ২০২০ সালেরমার্চ মাস পর্যন্ত আর্থিক বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৩০০০ কোটি টাকা| সরকার ২০২০ সালেরমার্চ মাসের আগে মূল্যায়নের পর প্রকল্পের বাকি মেয়াদের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দপ্রদান করবে| এন.ই.আই.ডি.এস. হচ্ছে অধিক বরাদ্দের সঙ্গে আগের দুটি প্রকল্পেরঅধীনের সহায়তাগুলোর সম্মিলিত বিষয়| বিবরণ: উত্তর-পূর্বাঞ্চলেররাজ্যগুলোতে কর্মসংস্থানকে উত্সাহিত করার জন্য সরকার এই প্রকল্পের মাধ্যমেপ্রাথমিকভাবে এম.এস.এম.ই. ক্ষেত্রগুলোকে উত্সাহ দিচ্ছে| সরকার এই প্রকল্পে মাধ্যমেকর্মসংস্থান সৃষ্টি করার জন্য সুনির্দিষ্ট সহায়তাও দিচ্ছে| সরকারের অন্য প্রকল্পগুলোর একবা একাধিক ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া সমস্ত যোগ্য শিল্পকেন্দ্রগুলোও এই প্রকল্পেসুবিধা পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবে| এই প্রকল্পের অধীনে সিকিম সহউত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে স্থাপিত নতুন শিল্প কেন্দ্রগুলোকে নিম্নলিখিতসহায়তা প্রদান করা হবে: ঋণ লভ্যতার জন্য কেন্দ্রীয় মূলধন বিনিয়োগ সহায়তা (সি.সি.আই.আই.এ.সি.) প্ল্যান্ট ও মেশিনারির প্রতি ইউনিটে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকার সীমার হিসেবে ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ সহায়তা| কেন্দ্রীয় সুদ সহায়তা (সি.আই.আই.) কোনো কেন্দ্রের বাণিজ্যিক উত্পাদন শুরু করার তারিখ থেকে প্রথম পাঁচ বছরের জন্য যোগ্য ব্যাঙ্ক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত চালু মূলধনের অগ্রিম ঋণের ৩ শতাংশ| কেন্দ্রীয় ব্যাপক বিমা উদ্দীপক (সি.সি.আই.আই.) বিল্ডিং এবং প্ল্যান্ট ও মেশিনারির বিমার ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক উত্পাদন শুরু করার তারিখ থেকে প্রথম পাঁচ বছরের জন্য বিমার কিস্তির ১০০ শতাংশ ব্যয়-পরিশোধ পণ্য ও পরিষেবা করের (জি.এস.টি.) ব্যয়-পরিশোধ কোনো কেন্দ্রের বাণিজ্যিক উত্পাদন শুরু করার তারিখ থেকে প্রথম পাঁচ বছরের জন্য সি.জি.এস.টি. এবং আই.জি.এস.টি.-তে কেন্দ্রীয় সরকারের অংশ পর্যন্ত ব্যয়-পরিশোধ আয়কর (আই.টি.) ব্যয়-পরিশোধ কোনো কেন্দ্রের বাণিজ্যিক উত্পাদন শুরু করার তারিখ থেকে প্রথম পাঁচ বছরের জন্য আয়করের কেন্দ্রীয় সরকারের অংশ পর্যন্ত ব্যয়-পরিশোধ পরিবহন সহায়তা (টি.আই.)",উত্তৰ-পূব ঔদ্যোগিক বিকাশ আঁচনি(এনইআইডিএছ)-২০১৭ত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A7%81-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81/,"আমার মন্ত্রী পরিষদের সমস্ত সদস্য, ভারতের শিল্প জীবনকে গতি প্রদানকারী, তথ্যপ্রযুক্তি পেশাকে শক্তিশালী করে তোলা সমস্ত অভিজ্ঞ সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত আমাদের নবীন প্রজন্ম, গ্রামের কমন সার্ভিস সেন্টারগুলিতে অনেক আশা, অনেক স্বপ্ন সাজিয়ে বসে থাকা আমাদের স্কুল-কলেজ ও আইআইটি সহ অনেক প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছ��ত্রী, আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয় হল আমার সবচেয়ে প্রিয় কাজটি করার জন্য আজ আপনাদের মাঝে আসার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের মাননীয় রবিশঙ্করজি সরকারের কাজের বর্ণনা দিচ্ছিলেন। কিন্তু আমি সেজন্য আপনাদের মাঝে আসিনি। যে কোন ব্যক্তি নিজের জীবনে যতই সাফল্য পেয়ে থাকুন না কেন, যতই ঐশ্বর্য ও পদ-প্রতিষ্ঠা অর্জন করুন না কেন, জীবনে যে সব স্বপ্ন দেখেছেন তা একে একে বাস্তবায়িত হওয়ার পরও তাঁর মনে সন্তুষ্টির জন্য একটা আকুতি থাকে। আমি অনুভব করেছি, অনেক কিছু পাওয়ার পরও কেউ যদি আরও কিছু করে, তাহলে তাঁর তৃপ্তির মাত্রা গুণিতক হারে বৃদ্ধি পায়। একটু আগেই এখানে প্রদর্শিত তথ্যচিত্রে আজিমজি প্রেমজির কথা শুনছিলাম। ২০০৩-০৪-এ যখন আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম ব্যবসায়িক কারণে তিনি আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। কিন্তু তারপর আমি দেখেছি বিগত ১০-১৫ বছরে যতবারই তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে, তিনি নিজের সম্পর্কে, কোম্পানি সম্পর্কে এবং কর্পোরেট কাজের কোন বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে কোন আলোচনা করেননি। তিনি আমার সঙ্গে শুধু নিজের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে চলেছেন, তা হল শিক্ষার প্রচার ও প্রসার! আর এতটাই বুঁদ হয়ে তিনি তাঁর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেন যা হয়তো তাঁর নিজের কোম্পানির জন্যও করেন না। এ থেকে আমার ভাবনা আরও পোক্ত হয়, তিনি সারা জীবন পরিশ্রম করে যে এত বড় কোম্পানি গড়ে তুলেছেন সেই সাফল্য থেকে তিনি যে আনন্দ পেয়েছেন, এই বয়সে তার থেকেও অনেক বেশি আনন্দ তিনি পান নিজের লক্ষ্য পূরণের জন্য কাজ করে! তার মানে হল এই যে, ব্যক্তি নিজের জীবনে পেশাগত কাজের মাধ্যমে সমাজের সেবা অবশ্যই করেন। যেমন একজন চিকিৎসক মানুষের চিকিৎসা করেন। একজন বিজ্ঞানী গবেষণাগারে নিজের জীবন উৎসর্গ করে এমন আবিষ্কার করেন যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষের জীবন বদলে দেয়। কিন্তু এই পেশাগত কাজের বাইরেও আমরা যদি এমন কিছু করতে পারি যা নিজের নামের জন্য আমরা করছি না, সমাজের জন্য করছি এবং চোখের সামনে তার সুফল দেখতে পাচ্ছি, সেটার আনন্দই আলাদা। সেই আনন্দই পরবর্তী সময়ে সেই ব্যক্তির বেঁচে থাকার মূল প্রেরণাশক্তি হয়ে ওঠে। আপনারা নিজের জীবনে এই প্রয়োগ করে দেখবেন ‘স্বান্তঃ সুখায়’। অনেকে বলেন এই আনন্দ এমনই যা ভেতর থেকে আমাদের প্রাণশক্তি যোগায়। আমরা রামায়ণের গল্পে শুনেছি কাঠবিড়ালি রামসেতু নির্মাণে রামকে সাহ��য্য করেছিল। কাঠবিড়ালি যেমন নিজস্ব প্রেরণা থেকে এই পবিত্র কর্মে যুক্ত হয়েছিল, শ্রীরামচন্দ্রকেও তেমনই সাফল্য পেতে কাঠবিড়ালির প্রয়োজন হয়েছিল। সরকার যতই উদ্যোগ নিক, যতই বাজেট বরাদ্দ করুক, যতক্ষণ পর্যন্ত না কোন কাজে গণ-অংশীদারিত্ব থাকবে না, সাফল্যও সেই মাত্রায় আসবে না। কারোর জন্য ভারত অপেক্ষায় থাকতে পারে না। বিশ্ববাসীও এখন ভারতকে অপেক্ষমান অবস্থায় দেখতে চায় না। বিশ্ববাসী আমাদের যেভাবে দেখতে চায়, সেভাবে নিজেদের তৈরি করতে হলে আমাদের দেখতে হবে কিভাবে আমাদের কাজের মাধ্যমে ভারতের সাধারণ মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনা যাবে। আমাদের দক্ষতা, সামর্থ্য, শক্তি, অভিজ্ঞতা – এই সবকিছুর সম্মিলিত প্রয়োগে আমরা কী না করতে পারি? মনে করুন, এমন কোন লঙ্গরখানায় আপনি গেলেন যেখানে যে কোন গরিব মানুষ গেলে তাঁকে খাবার দেওয়া হয়। যাঁরা খাবার দেন তাঁরা অত্যন্ত নিষ্ঠা সহকারে দেন। যাঁরা খেতে যান, তাঁরা জানেন যে গেলেই খাবার পাবেন। এটা একটা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা। এরকম কিছুদিন চলতে থাকার পর, যাঁরা খেতে যান তাঁরা আর এটা লক্ষ্য করেন না যে কারা খাবার পরিবেশন করছে। আর যাঁরা পরিবেশন করেন তাঁরাও আলাদা করে দেখেন না যে কাদের পরিবেশন করছেন। কিন্তু একজন গরিব আরেকজন গরিব পরিবারের দরজায় ক্ষুধার্ত অবস্থায় গিয়ে যখন দাঁড়ান তখন সেই গরিব গৃহস্থের তাঁকে অর্ধেক রুটি ছিড়ে খেতে দেওয়ার ঘটনা তাঁদের দু’জনেরই সারা জীবন মনে থাকে। যে কোন প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার জায়গায় ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নিজের প্রেরণায় কোন কিছু করলে তা অনেক বড় পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়। এটা আমরা সবাই দেখেছি। আপনি বিমানে যাচ্ছেন। পাশের আসনে একজন বয়স্ক মানুষ বসে আছেন। তিনি জল খাবেন কিন্তু বোতলের ছিপি খুলতে পারছেন না। আপনি তাঁর বোতলের ছিপি খুলে তাঁকে জল খেতে সাহায্য করলেন। এতে আপনি যে তৃপ্তি পাবেন তা বলে বোঝানো যাবে না! অর্থাৎ, কারও জন্যে বেঁচে থাকার আনন্দই আলাদা হয়। আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর একটি পরম্পরা গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি, যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম তখনও চেষ্টা করেছি। আমি যখনই কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যাই, আমাকে সেই অনুষ্ঠানের জন্য যারা আমন্ত্রণ জানাতে আসেন, তাদেরকে বলি যে আমার সঙ্গে ১০ জন বিশেষ অতিথি থাকবে এবং তাদেরকে সামনের সারিতে বসাতে হবে। সমাবর্তনের দিন আমি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী দরিদ্র ��স্তি অঞ্চলের কোন সরকারি স্কুল থেকে অষ্টম, নবম, দশম শ্রেণীতে পাঠরত ৫০ জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে যাই। সমাবর্তনের সময় কৃতি ছাত্রছাত্রীরা যখন বিশেষ আলখাল্লা ও টুপি পরে আচার্য কিংবা উপাচার্যের হাত থেকে ডিগ্রি গ্রহণ করেন, আমার বিশেষ অতিথিরা তখন বড় বড় চোখ করে সেই দৃশ্য দেখে। এ থেকে তারাও একদিন মঞ্চে উঠে সম্মান গ্রহণ করার প্রেরণা পায়। আমি তাদের মনে সেই ইচ্ছার বীজটাই বপন করতে চাই। সারা বছর শ্রেণীকক্ষে বসে পড়াশোনা করে তারা যতটা শিক্ষালাভ করে, আমার মনে হয় এই একটি ঘটনা তাদেরকে সেই তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে দিতে সাহায্য করে। আমাদের আনন্দজি এখানে বসে আছেন, তাঁর সঙ্গেও আমার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময় থেকে পরিচয়। কিন্তু তখন থেকেই একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি যে, নিজের স্বার্থে তিনি কখনও আমার সঙ্গে একটা কথাও বলেন নি। যা কথা হয়েছে সবই গুজরাটের উন্নয়ন নিয়ে কিংবা রাজ্যের জন্যে বিনিয়োগ আনার বিষয় নিয়ে! তিনি সবসময়ই বলতেন, সাহেব, সামাজিক কাজের মাধ্যমে কত কিছুই না করা যায়! এই যে দৃষ্টিভঙ্গী, এই মেজাজই সমাজ ও দেশের অনেক বড় শক্তি হয়ে ওঠে। আজ এখানে এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমার তেমনই আনন্দ হচ্ছে। আমি সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত মানুষ। সেজন্য আমাকে যে তথ্য পরিবেশন করা হয়, আমি শুধুই সেসব তথ্যের শিকার হয়ে উঠি না। আমার যে সব তথ্য প্রয়োজন তা আমি নিজের মতো খুঁজে নিই। সেজন্য আমি প্রায়ই নতুন নতুন তথ্য খুঁজে পাই। আর প্রযুক্তির মঞ্চই আমাকে এই পরিষেবা দেয়। সেখানেও আমি দেখেছি, অনেক নবীন ছেলে-মেয়ে এত কাজ করে, তিন-চারজনের দল বানিয়ে শনি-রবিবার করে কোন প্রত্যন্ত গ্রামে চলে যায়, কিংবা শহরের বস্তিতে গিয়ে কাজ করে। সাধারণ মানুষের মধ্যে তাদের মতো করে থাকে, ছেলে-মেয়েদের পড়ায়। অর্থাৎ, বর্তমান ভারতের বিশেষ করে, ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী যুবক-যুবতীদের যে প্রজন্ম তাঁদের মধ্যে এমন একটা সেবাপরায়ণতা আমি দেখেছি, সাধারণ মানুষের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার এই প্রবণতা একটি বিশেষ শক্তিতে পরিণত হয়ে উঠতে দেখেছি। সেই শক্তিকে আমদের কোন না কোন আন্দোলনের সঙ্গে জুড়ে দিতে হবে। সুগঠিত কোন ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই। এমন কোন নমনীয় মঞ্চের সঙ্গে জুড়তে হবে যেখানে সকলেই নিজের ইচ্ছায় কাজ করে, কিন্তু যাই করুক না কেন, কোথাও না কোথাও পরিণাম সঞ্চিত হয় আর পরিবর্তন চোখে পড়তে শুরু করে। এরাই ভারতের ভাগ্য পরিবর্তন করে দি���ে পারে। আপনাদের হাতে যে প্রযুক্তি রয়েছে তাতেই ভারতের ভাগ্য সুপ্ত রয়েছে। এই দুটোকে কি করে মেলানো যায়! মনে করুন একজন মালি খোলা মাঠে এমনি বীজ ফেলে দিল। যদি আবহাওয়া ঠিক থাকে, তাহলে এথেকে গাছ হবে। তাতে ফুলও ফুটবে। কিন্তু সেই মালিই যদি সেই মাঠে নির্দিষ্ট রঙের, নির্দিষ্ট আকারের ফুলের গাছগুলিকে সুন্দর করে সাজিয়ে লাগায় তাহলে ফুল ফোটার পর যে দৃশ্য তৈরি হবে, তা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসবে। তখন সেই বাগান প্রত্যেকের প্রেরণার উৎস হয়ে উঠবে। তেমনই আমাদের যে অসন্নিবিষ্ট সেবাশক্তি রয়েছে, তাকে সংহত রূপ দিতে পারলে সুফল অবশ্যই পাওয়া যাবে। আজকাল সোশ্যাল স্টার্ট-আপ-এর যুগ শুরু হয়েছে। আমি সেদিন কোন সোশ্যাল সাইটে ব্যাঙ্গালোরের এক তথ্যপ্রযুক্তি পেশাদার সম্পর্কে জানলাম যিনি নিজের কাজের পর গাড়ি চালিয়ে গরিব মানুষদের হাসপাতালে নিয়ে যান। এটা করে তিনি খুব আনন্দ পান। আমি এরকম অটো-রিক্সাওয়ালাকে দেখেছি যিনি অটোর পিছনে লিখে রেখেছেন যে গরিবদের বিনামূল্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার দেশের গরিব অটো-রিক্সাওয়ালার কত বড় সিংহ হৃদয় দেখুন। মনে করুন একদিন তাঁর ভাগ্যে ছ’জনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে সেদিন তাঁর নিজের বাড়ির লোকেদের না খেয়ে থাকতে হবে। তবুও এরকম ঘোষণা করতে তাঁর বুক কাঁপে না। মানুষের স্বভাবজাত এই যে গুণ, অপরের জন্য কিছু করার যে ইচ্ছা, সেটাই হল ‘ম্যাঁয় নেহি হম’। তার মানে এই নয় যে ‘আমি’ বলে কিছু থাকবে না। আমরা ‘আমি’কে প্রসারিত করতে চাই। ‘স্ব’ থেকে ‘সমষ্টি’র দিকে যাত্রা করতে চাই। ব্যক্তি কখন অন্যের দিকে নিজের হাত বাড়াবে, প্রত্যেকেই বৃহৎ পরিবারের আনন্দ পেতে চায়। এই বৃহৎ পরিবার থেকেও বড় পরিবার আমার গোটা সমাজ, গোটা দেশ – তখনই একটি মহাশক্তিতে পরিণত হয়। এই মনোভাব নিয়ে, এই সেবাভাব নিয়ে ‘আইটি টু সোসাইটি’র এই যাত্রা। সে আপনি ‘আইটি টু সোসাইটি’ বলুন বা ‘আইআইটি টু সোসাইটি’ই বলুন। আমাদের এই মনোভাব নিয়ে এগোতে হবে। আমি আপনাদের কথা শুনতে চাই। চলুন, একে একে আপনাদের কথা শুনি! আমাদের দেশের সাধারণ চিত্র এটাই – বড়লোকদের, ব্যবসায়ীদের, শিল্পপতিদের সমালোচনা করা এখন ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রবণতা দেখে আমি খুবই বিরক্ত। আমি এর ঘোর বিরোধী। দেশকে গড়ে তুলতে প্রত্যেকের অবদান রয়েছে। আজ এই অনুষ্ঠান থেকে বোঝা যাবে এই সমস্ত সংস্থাগুলি নিজেদের কর্পোরেট ক্ষেত্রের দায়ি���্ব হিসেবে নিজেদের মেধাবী কর্মচারীদের বলছে যে চল পাঁচদিন জনসেবার জন্য যেতে হবে। কোম্পানির সমস্ত ব্যবস্থা তোমাদের সঙ্গে রয়েছে। তোমাদের চাকরিও জারি থাকবে। এটা কম কথা নয়। এটাও জারি থাকবে। সাধারণ মানুষের জীবনে এই সেবা অনেক বড় অবদান রাখতে পারে। আর আজ যখন আমরা সবাই একটি মঞ্চে এসেছি, তখন সবার চোখ খুলে গেছে। আচ্ছা, তার মানে দেশের প্রত্যেক প্রান্তে আমার দেশের মানুষ স্বেচ্ছায় এ ধরণের কাজ করছে। এই সমষ্টি মনোভাবের শক্তি অনেক বড় হয়। এই প্রেরণার মূলে রয়েছে ‘আমরা’। সেখানেও এই ‘স্ব’ আর ‘সেবা’র যে দৃষ্টিকোণ রয়েছে তা অনেক বড় অবদান রাখবে। আর আপনারা যোগাযোগ দুনিয়ার মানুষ, প্রযুক্তি বিশ্বের মানুষ। আপনাদের পক্ষে এ কাজ করা অন্যদের তুলনায় অনেক সহজ। এর প্রভাব, প্রচার ও প্রসার অনেক বেশি হতে পারে, অনেক সুলভে হতে পারে। আমরা যত বেশি এ কাজে এগিয়ে যাব, তত বেশি প্রেরণার কারণ হয়ে উঠব। আলাদা আলাদা করে ফুল পাওয়ার আনন্দ একরকম আর, ফুলের তোড়া পাওয়ার আনন্দ অন্যরকম। আমি মনে করি, আজ এই মঞ্চে ফুলের তোড়া গড়ে তোলার কাজ হয়েছে। আপনাদের এই প্রচেষ্টা, সেবাভাব, নতুন নতুন ক্ষেত্রে কর্মরত নবীন প্রজন্মের মানুষজন ভারতমাতার গর্ব। আপনাদের দেখে দেশবাসী অনুভব করবেন যে দেশে এমন সব ফুল ফুটেছে যারা নিরন্তর সৌরভ ছড়িয়ে যাচ্ছে। অনেকের জীবন বদলে দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছে। যাঁরা অত্যন্ত মনযোগ সহকারে নিষ্ঠার সঙ্গে এই কাজ করছেন, সেই সমস্ত নব যুবক-যুবতীদের আমি অন্তর থেকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই। যে কোম্পানিগুলি নিজেদের আর্থিক বিকাশের পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য নিজেদের ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়েছে, তাদের মেধা প্রয়োগ করেছে, সেই সমস্ত কোম্পানিকে আমি অভিনন্দন জানাই। আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রত্যেক মানুষের অংশীদারিত্ব অনিবার্য। ১২৫ কোটি ভারতবাসী যেদিন এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে, সেদিন বিশ্বের কোন শক্তিই ভারতকে আটকে রাখতে পারবে না। ভারতকে এগিয়ে আসতে হবে। ১২৫ কোটি ভারতবাসীর সম্মিলিত শক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে আর সঠিক লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই নিজের নিজের মতো লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে গেলে পরিণাম আসবে না। সম্মিলিতভাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগোতে হবে। তবেই পরিণাম আসবে। আমি অত্যন্ত আশাবাদী মানুষ। আমার চার বছরের ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, দেশ এখন পর্যন্ত কেন এগোয়নি? এটা আমা��� জন্য একটা প্রশ্ন। কিন্তু এই প্রশ্ন কখনও আমার মনে জাগে না যে এই দেশ কি আদৌ এগোবে? আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। বিশ্বের সমস্ত সমস্যা পার করে আমাদের দেশ নিজের জায়গা তৈরি করে ছাড়বে। এই বিশ্বাস নিয়ে, এই কর্মসূচির পরিকল্পনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই। আপনারা সকলে বিপুল সংখ্যায় এসেছেন এবং এত দীর্ঘ সময় ধরে আমার কথা শুনেছেন। আবার, পাশাপাশি আপনাদের সঙ্গে কথা বলারও সুযোগ দিয়েছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ। Thank you!",‘মে’ নেহী হু’ প’ৰ্টেল আৰু এপ্প মুকলি অনুষ্ঠান তথা ‘ছেল্ফ ফৰ ছ’চাইটি’ৰ ওপৰত তথ্য-প্ৰযুক্তি উদ্যোগৰ সৈতে জড়িত লোকসকলৰ সৈতে বাৰ্তালাপ অনুষ্ঠানত প্ৰদান কৰা ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A7%B0/,প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির কার্যপরবর্তী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে : ১ মেসার্স রাষ্ট্রীয় ক্যামিক্যাল্স অ্যান্ড ফার্টিলাইজার্স লিমিটেড (আরসিএফ)-এর জমি মুম্বাই মেট্রোপলিট্যান রিজিওন্যাল ডেভলপমেন্ট অথরিটিকে হস্তান্তর- ২ মেসার্স রাষ্ট্রীয় ক্যামিক্যাল্স অ্যান্ড ফার্টিলাইজার্স লিমিটেড (আরসিএফ)-এর জমি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অফ গ্রেটার মুম্বাইকে হস্তান্তর- ৩ হস্তান্তরিত এই জমি ক্ষেত্রে গৃহীত/গ্রহণযোগ্য স্হানান্তরযোগ্য উন্নয়ন অধিকার সার্টিফিকেট বিক্রয় দুটি সংস্হাই উন্নয়নমূলক কাজের জন্য এই জমি ব্যবহার করবে। /,মেচাৰ্চ ৰাষ্ট্ৰীয় সাৰ আৰু ৰসায়ন(আৰচিএফ) ৰ ভূমি মুম্বাই মেট্ৰ’পলিটান আঞ্চলিক উন্নয়ন প্ৰাধিকৰণ(এমএমআৰডিএ)ক হস্তান্তৰ কৰিবলৈ কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AF-%E0%A6%A8%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AF-%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%B0-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A7%B0/,"আর্জেন্টিনার সমর্পিত প্রাণ যোগসাধকবৃন্দ, ভারত এবং ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি অগাধ ভালোবাসা যাঁদের, সেই আর্জেন্টিনার জনগণ, আর্জেন্টিনায় বসবাসকারী ভারতীয় ভাই ও বোনেরা, আর্ট অফ লিভিং-এর কর্মকর্তা এবং সদস্যবৃন্দ, নমস্কার! বুয়েনাস তার্দর্স। বুয়েনস এয়ারেস-এ সকাল, দুপুর এবং বিকেল বুয়েনস, অর্থাৎ প্রকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর থাকে। মহর্ষি পতঞ্জলির ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত আপনাদের সকলকে ১২৫ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে আমার অনেক অনেক অভিনন্দন। আমি আর্ট অফ লিভিং-এর সদস্যদের এবং আপনাদের সবাইকে এই জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের জন্য হৃদয় থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বন্ধুগণ, আমি ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে ১৫ হাজারেরও বেশি কিলোমিটার অতিক্রম করে কিছুক্ষণ আগেই বুয়েনস এয়ারেস-এ পৌঁছেছি। কিন্তু আপনাদের উৎসাহ এবং ভালোবাসা দেখে আমার একদমই মনে হয়নি যে ভারতের বাইরে আছি। এখানে অনেক মানুষ অত্যন্ত নিপুণভাবে এবং যথাবিধি সূর্য নমস্কার করছিলেন। আর্জেন্টিনার এই রূপোলি সন্ধ্যায় আমি আপনাদের যোগ সাধনা দেখে তরতাজা হয়ে উঠেছি এবং উৎসাহে চনমনে। বন্ধুগণ, আজকের কর্মসূচির নাম ‘শান্তির জন্য যোগ’। যোগের যে কোন কর্মসূচির এর থেকে ভালো নাম খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। যোগের মাধ্যমে আমাদের মন ও শরীর উভয়েই সুস্থ থাকে। যোগ শরীরকে শক্তি দেয় আর মনকে শান্তি। যখন ব্যক্তির মনে শান্তি থাকবে, তখনই পরিবার, সমাজ ও দেশে শান্তি বিরাজমান থাকবে। স্বাস্থ্য, সুস্থতা এবং শান্তির জন্য বিশ্বকে ভারতের উপহার হল যোগ। ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে এই মূল্যবোধের প্রতি আর্জেন্টিনা-সহ সমগ্র বিশ্বের দায়বদ্ধতা প্রদর্শিত হয়। ‘সর্বে সন্তু সুখিনঃ’ এবং ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ – এই ভারতীয় দর্শনের এটাই ফলিত অভিব্যক্তি। আমি জেনে খুশি হয়েছি যে এ বছর বুয়েনস এয়ারেস-এ যোগ দিবস উপলক্ষে ১০ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। বন্ধুগণ, যোগের অর্থ হল যুক্ত করা। এই প্রক্রিয়া আমাদের সুস্থতা ও সুখের সঙ্গে যুক্ত করে। আর আজ এখানে যোগ হাজার হাজার কিলোমিটারের দূরে থাকা ভারত এবং আর্জেন্টিনার মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করছে। আমাদের জনগণকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করছে। আত্মীয়তার সম্পর্কে আবদ্ধ করছে। উভয় দেশের মধ্যে দুটি বিশাল মহাসাগর এবং মহাদেশ পেরিয়ে প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। উভয় দেশের মধ্যে সময়ের পার্থক্য ৮ ঘন্টা ৩০ মিনিট। অর্থাৎ, এখন আপনাদের এখানে সন্ধ্যা, আর ভারতে মানুষ ব্রহ্মমুহূর্তের সাধনা শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু আপনাদের যোগাভ্যাস দেখিয়ে দিল যে ভারত এবং আর্জেন্টিনা পরস্পরের সংস্কৃতিকে এতটাই ভালোবাসে যে এই হাজার হাজার কিলোমিটারের দূরত���ব এখানে একটি পরিসংখ্যান মাত্র। আর্জেন্টিনাবাসী ভারতীয় দর্শন, কলা, সঙ্গীত এবং নৃত্যকে ভালোবাসে। আর ভারতীয়রা আর্জেন্টিনার ফুটবলকে ভালোবাসে। এখানকার ফুটবল তারকাদের লক্ষ লক্ষ অনুগামী ভারতে রয়েছে। মারাদোনার নাম তো আমাদের দেশের মানুষের মুখে মুখে, এমনকি প্রবাদের মধ্যেও এসে গেছে। এখন ভারতের একটি রাজ্য ওড়িশায় হকি বিশ্বকাপ চলছে। সেজন্য ভারতবাসী অত্যন্ত উৎসাহে তা নিয়ে ব্যস্ত। আজই আর্জেন্টিনার দল সেখানে প্রথম ম্যাচ জিতেছে। আমি শুনেছি, খুবই টানটান উত্তেজনাময় খেলা হয়েছে। আমি আর্জেন্টিনা হকি টিমকে পরবর্তী খেলাগুলির জন্য শুভেচ্ছা জানাই। ভারত এবং আর্জেন্টিনার জনগণের স্বপ্ন এবং প্রত্যাশা একইরকম। উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক সৌহার্দ্যপূর্ণ। আমরা উভয়েই উন্নয়নশীল এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ-সম্পন্ন দেশ। উভয়েই বিশ্ব মঞ্চে পরস্পরের পাশে দাঁড়ায়। আজ ভারতের বন্ধু আর্জেন্টিনা জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সফল আয়োজন করায় ভারত অত্যন্ত গর্ববোধ করছে। এই শীর্ষ সম্মেলনে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে কথা হবে তার মধ্যে রয়েছে – বিশ্ব অর্থনীতি, সুদূরপ্রসারী উন্নয়ন, পরিবেশের পরিবর্তন, বিদেশে পলায়মান আর্থিক তছরূপকারী ইত্যাদি। এই বিষয়গুলি শুধু ভারত এবং আর্জেন্টিনা নয়, সমগ্র বিশ্বের হিতের সঙ্গে যুক্ত। আমাদের উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যবসা, ঔষধি, তেল ও গ্যাস, তথ্যপ্রযুক্তি এবং মহাকাশ – এমনই বেশ কিছু ক্ষেত্রে আমরা পরস্পরের সাফল্য থেকে উপকৃত হতে পারি। ভারত এবং আর্জেন্টিনার পারস্পরিক সহযোগিতা জল, স্থল এবং আকাশে পরস্পরের জন্য একটি নতুন সোনালী ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে। এই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাদের সকলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা প্রত্যেকেই ভারতের রাষ্ট্রদূত। আপনাদের অবদান প্রতিনিয়ত উভয় দেশের মধ্যে সেতু নির্মাণ করছে। আজ আমাদের মধ্যে যোগ আরেকটি নতুন সেতুবন্ধন গড়ে তুলেছে। আমি চাইব আমরা এমন আরও অনেক সুযোগ গড়ে তুলব যা উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতা বাড়ায়। ভারত এবং আর্জেন্টিনার উন্নয়নে ট্যাঙ্গো নৃত্যের গতি আসবে। আত্মীয়তার উষ্ণতায় আমরা মেতে উঠব। বন্ধুগণ, আর্জেন্টিনার প্রবাসী ভারতীয় এবং ভারতবন্ধুদের আমি ভারতকে আরও বিস্তারিতভাবে জানার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। আর্জেন্টিনায় বসবাসকারী সমস্ত ভারতীয় জানুয়ারি মাসে কাশীতে আয়োজিত প্রবাসী ভারতীয় দিবসে অবশ্যই আসবেন এবং আর্জেন্টিনাবাসী আপনাদের বন্ধু-বান্ধবদেরও অবশ্যই নিয়ে আসবেন। সেই সময় আপনারা সবাই প্রয়াগরাজে অর্ধ কুম্ভের আবহে, ভারতের সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি, পরিবর্তমান ভারত, নতুন ভারতের দর্শন করতে পারবেন। আমাকে এখানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য এবং আপনাদের সঙ্গে বসে যোগ নিয়ে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আর্ট অফ লিভিং এবং তার প্রচেষ্টাকে আমি অকুন্ঠ সাধুবাদ জানাই। শ্রীমতী প্যাট্রিসিয়া সোসাকে কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি যোগের এই সুরম্য সন্ধ্যাকে সুরময় করে তুলেছেন। তাঁর সুরের ছন্দে আপনারা নিজে থেকেই যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। যোগ এভাবেই বিশ্বকে যুক্ত করতে থাকে। ভালো থাকবেন। শান্ত থাকবেন, সুখী থাকবেন। মুচাস গ্রাসিয়াস, ধন্যবাদ। /…",২৯ নৱেম্বৰ ২০১৮ তাৰিখে আৰ্জেণ্টিনাত অনুষ্ঠিত হোৱা ‘শান্তিৰ বাবে যোগ’ শীৰ্ষক অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%95%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A7%B1%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"নমস্কার, আমার কৃষক ভাই-বোনেরা। নমস্কার- নমস্কার। আমার জন্যে এটা অত্যন্ত আনন্দের যে সারা দেশের ৬০০ জেলার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং দেশের বিভিন্ন গ্রামে গড়ে ওঠা ২ লক্ষ কমন সার্ভিস সেন্টারে বসে আমার যে কৃষক ভাই ও বোনেরা আজকের এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়েছেন, আজ তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা, তাঁদের মুখে তাঁদের বক্তব্য শোনার দুর্লভ সুযোগ পেয়েছি। আপনারা সময় বের করে এসেছেন, এক উৎসবের পরিবেশ তৈরি করে নিয়ে একসঙ্গে বসেছেন, আমি এখানে বসে টিভি স্ক্রিনে আপনাদের হাসি হাসি চেহারা দেখতে পাচ্ছি, আপনাদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা অনুভব করতে পারছি। কৃষকরাই আমাদের অন্নদাতা – তাঁরা আমাদের খাবার জোগান, গৃহপালিত পশুদের খাদ্য আর সমস্ত শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহ করেন, দেশের খাদ্য সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার সম্পূর্ণ কৃতিত্বই কৃষক ভাই ও বোনেদের। ভারতকে খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলতে আমাদের কৃষক ভাই-বোনেরা নিজেদের রক্ত-ঘাম এক করে দিয়েছে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে কৃষকদের উন্নয়ন ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হতে থাকে। গোড়া থেকেই দেশের কৃষকদের তাঁদের ��াগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেক চিন্তা পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন ছিল নিরন্তর প্রচেষ্টার, বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টার। প্রগতিশীল কৃষকদের নেতৃত্ব প্রদানের সুযোগ দিয়ে যুগোপযোগী পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সে কাজে আমরা অনেক দেরি করে দিয়েছি। বিগত চার বছরে আমরা জমির রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু করে, উন্নত মানের বীজ উৎপাদন করে কৃষকদের হাতে পৌঁছে দেওয়া, বিদ্যুৎ-জল থেকে শুরু করে উৎপাদিত ফসলের বাজারিকরণ পর্যন্ত একটি ভারসাম্যযুক্ত ব্যাপক প্রকল্পের মাধ্যমে প্রভূত কাজের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। আর আমরা ঠিক করেছি যে আগামী ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।সরকারের পুরনো নীতি বদলে, সমস্ত সমস্যা নিরসন করে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা যখন কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার কথা বলেছি, অনেকেই তখন তা নিয়ে ঠাট্টা- বিদ্রুপ করেছেন, নানারকম নিরাশাব্যঞ্জক কথা বলেছেন, একটা হতাশার পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমরা লক্ষ্যস্থির রেখে এগিয়ে চলেছি। দেশের কৃষকদের ওপর আমার ভরসা ছিল। আমাদের দেশের কৃষকদের সামনে কোনও লক্ষ্যস্থির করে দিয়ে, প্রয়োজনীয় পরিবেশ গড়ে তুলতে পারলে, পরিবর্তন আনতে পারলে তাঁরা ঝুঁকি নিতে, পরিশ্রম করতে এবং পরিণাম আনতে প্রস্তুত; আগেও তাঁরা এটা করে দেখিয়েছেন। আমরা কিন্তু আপনাদের সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে আমরা মূলতঃ চারটে বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছি। প্রথমতঃ–কৃষকের বিনিয়োগ ও কাঁচামালের প্রয়োজন হ্রাস করা। দ্বিতীয়তঃ- উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য পাওয়া। তৃতীয়তঃ – উৎপাদিত ফসলের অপচয় রোধ, আর চতুর্থতঃ – কৃষকের বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থা গড়ে তোলা! দেশের কৃষকদের ফসলের উচিত দাম পেতে সাহায্য করতে এবারের বাজেটে সরকার একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা হল, তালিকাভুক্ত ফসলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সমর্থন মূল্য তাঁর বিনিয়োগের অন্তত পক্ষে দেড়গুণ ঘোষণা করা হবে! এতে অন্যান্য শ্রমিকদের পারিশ্রমিক, হালের বলদ/ মোষ/ অন্য প্রাণী/ ট্র্যাক্টর, জলসেচের মেশিন ও বিদ্যুতের খরচ, বীজ ও সারের খরচ, রাজ্য সরকারকে যে শুল্ক দিতে হয়, ভাগচাষীদের ক্ষেত্রে জমিভাড়া, এবং বিনিয়োগের জন্য নেওয়া ঋণের সুদকে যুক্ত করে হিসেব করা হবে। শুধু তাই নয়, কৃষকের নিজের ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যের পারিশ্রমিকও এর স���্গে যুক্ত করে মোট খরচের দেড়গুণ ন্যূনতম সমর্থন মূল্য ধার্য করা হবে! কৃষির জন্য সরকার একটি নিশ্চিত অর্থ বরাদ্দ করে। পূর্বতন সরকারের পাঁচ বছরে কৃষিবাবদ বাজেট বরাদ্দ ছিল ১ লক্ষ ২১ হাজার কোটি টাকা। আমরা তা বাড়িয়ে ২০১৪-১৯ এর জন্য করেছি ২ লক্ষ ১২ হাজার কোটি টাকা। এতেই বোঝা যায় যে কৃষক কল্যাণে আমাদের সরকারদৃঢ়প্রতিজ্ঞ! আজ দেশে শুধু শস্য নয়, ফল, সব্জি এবং দুধের রেকর্ড উৎপাদন হচ্ছে। আমাদের কৃষক ভাই-বোনেরা বিগত ৭০ বছরের সমস্ত পরিসংখ্যানকে ম্লান করে দিয়েছেন। বিগত ৪৮মাসে কৃষিতে অভূতপূর্ব প্রগতি হয়েছে। ২০১৭-১৮তে খাদ্যশস্য উৎপাদন বছরে গড়ে প্রায় ২৮০ মিলিয়ন টন থেকে বেশি হয়েছে। ২০১০-১৪ তে এই গড় ছিল বছরে ২৫০ মিলিয়ন টনের কাছাকাছি। এভাবে ডাল উৎপাদনে ১০.৫% এবং বাগিচা ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। নীল বিপ্লব এর ক্ষেত্রে মৎস্য চাষে ২৬ শতাংশবৃদ্ধি, আর শ্বেত বিপ্লবের ফলে পশুপালন ও দুধ উৎপাদনে ২৪ শতাংশবৃদ্ধি হয়েছে। আমাদের সরকার চাষের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ায় অর্থাৎ বীজ বপন থেকে বাজারজাত করা পর্যন্ত সমস্ত পর্যায়ে কৃষকের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রকল্প রচনা করেছে। কৃষককল্যাণেএকটিস্বয়ংসম্পূর্ণব্যবস্থাগড়েতোলারলক্ষ্যেআমরাএগিয়েচলেছি।বীজবপনেরআগেইকৃষকযাতেজানতেপারেন যেকোন্‌ মাটিতেকোন্‌ বীজবুনলেভালফলনহবে, সেজন্যমৃত্তিকাস্বাস্থ্যকার্ডচালুকরাহয়েছে।পাশাপাশি উৎকৃষ্ট বীজ ও প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান সুনিশ্চিত করতে কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং কৃষকদের ক্রেডিট কার্ডের সীমা বাড়ানো হয়েছে। আগে সারের জন্য লম্বা লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হতো, কিন্তু এখন আর কৃষকদের ইউরিয়া ও অতিরিক্ত সারের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয় না। সার পাওয়া সহজ হয়েছে, সারে কালোবাজারি বন্ধ হয়েছে। আজ কৃষকরা দেশের সর্বত্র ১০০ শতাংশনিম কোটিং করা ইউরিয়া পাচ্ছেন। বীজ বপনের পর চাই পর্যাপ্ত পরিমাণ জল। সেই জল জোগাতে আজ সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনার অন্তর্গত প্রায় ১০০টি প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হতে চলেছে। প্রত্যেক ক্ষেতে জল পৌঁছনোর লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। কৃষকদের চাষে ঝুঁকিমুক্ত করতে আমরা ফসল বিমা যোজনা চালু করেছি। ফসল কাটার পর বাজারে নিয়ে গিয়ে কৃষক যাতে সঠিক মূল্য পান তা সুনিশ্চিত করতে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ই-নাম’ চালু করা ���য়েছে। ফলে দালালরা আর কৃষকের লভ্যাংশ থেকে হাতিয়ে নিতে পারবে না, ‘কাটিং’ করতে পারবে না! আসুন, দেখি এই প্রকল্পগুলি থেকে কৃষক ভাই বোনেরা কতটা লাভবান হয়েছেন, তাঁদের জীবনে কী কী পরিবর্তন এসেছে, তাদেরই মুখ থেকে শুনবো? সুযোগ পেলে আমাদের কৃষক কী কী করতে পারেন, তা দেখে আমরা অনুপ্রেরিত হতে পার, ওখানকার কৃষকরা যখন পেরেছে তখন আমরাও পারব! আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আজ যারা এই গোটা অনুষ্ঠান দেখছেন, তাঁরা হয়তো আমাদের কৃষকদের নিয়ে গর্ব করবেন! তাঁদের পরিশ্রম, প্রগতি আর নতুন নতুন প্রয়োগ দেখে গর্বিত হবেন। আমি মনে করি দেশের গ্রাম ও কৃষকের উন্নতি হবে, তখন দেশেরও উন্নতি হবে! কৃষকের ক্ষমতায়ণ হলে দেশেরও ক্ষমতায়ণ হবে! আমার কৃষক ভাই ও বোনেরা, আমি প্রায়ই প্রযুক্তির সফল প্রয়োগের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে কথা বলি। আজও আমার সঙ্গে লক্ষ লক্ষ কৃষক এই অনুষ্ঠানে যুক্ত রয়েছেন। যারা এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আমার সঙ্গে কথা বলছেন, তাঁদের কথা শুধু আমি নই, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে গোটা ভারত শুনছে, সমস্ত কৃষকরা শুনছে, আপনাদের থেকে শিখছেনও। সরকারি আধিকারিকরাও শুনছেন। আপনাদের বক্তব্য নথিভুক্ত করছেন, রেকর্ড করছেন। আপনাদের প্রয়োগ নিয়ে তাঁরা আলাপ- আলোচনাও করবেন। এই সাফল্যকে তাঁরা অন্যত্র প্রয়োগের চেষ্টা করবেন। আর আমার এই কর্মসূচি চলতে থাকবে। কারণ, এই কর্মসূচি আমার জন্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠেছে, যা প্রতি সপ্তাহে আমাকে কিছু না কিছু শেখায়। দেশবাসীকেও শেখায়, ভারতের দূর-দূরান্তের কৃষকদের পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হওয়ার, কথাবার্তা বলার সুযোগ করে দেয়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আমি আপনাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছি, বুঝতে পারছি, আজ দেশের নানা প্রান্তে কী কী হচ্ছে, কেমনভাবে হচ্ছে, সেসব সম্পর্কে আপনাদের কাছ থেকে সরাসরি জানতে পারছি। তাই আবার আগামী বুধবার আমরা মিলিত হবো। আগামী বুধবার মানে ২৭শে জুন। সদিন আমাদের দেশের গরিব মানুষ, নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, আমাদের কৃষক, কারিগর ভাই ও বোনেদের সামাজিক সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে যে বিমা প্রকল্পগুলি চালু হয়েছে, সেগুলি নিয়ে সারাদেশের গরিবমানুষ, নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, আমাদেরকৃষক, কারিগরভাইওবোনেদের সঙ্গে কথা বলবো। সুরক্ষা বিমা প্রকল্পগুলি থেকে তাঁরা কতটা লাভবান হয়েছেন, কারণ, ব্যাপক স্তরে আমরা কাজ করেছি। আর আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে য�� আপনারা, কৃষক ভাই ও বোনেরা নিশ্চয়ই এই প্রকল্পগুলির সুবিধা নিয়েছেন! আপনারাও সুরক্ষা বিমা যোজনা দ্বারা লাভবান হবেন। আজ দেশের সকল প্রান্তের কৃষকদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছে, তাঁদের আশীর্বাদ লাভের সৌভাগ্য হয়েছে, তাঁদের শ্রমের সাফল্যগাঁথা শোনার সুযোগ হয়েছে, তাঁদের নিষ্ঠা ও তপস্যা আজ এই দেশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিচ্ছে। আমি আরেকবার আমার সমস্ত কৃষক ভাই ও বোনেদের প্রণাম জানাই। আপনারা সময় বের করে এসেছেন, আমার সঙ্গে কথা বলেছেন, আমাকে কিছু শিখিয়েছেন, সেজন্যে আপনাদের অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। ধন্যবাদ। ……",দেশৰ কৃষক সমাজৰে হোৱা প্ৰধানমন্ত্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোডীৰ বাৰ্তালাপৰ মূল পাঠ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%89/,"হর হর মহাদেব! কাশী ‘সাতবার নয়া তৌহার’ অর্থাৎ সপ্তাহে সাতদিনে নয়টি উৎসবের জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন নতুন নতুন উৎসব এখানে উদযাপিত হয়। আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে অভিনন্দন জানাই। উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেলজি, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রীগণ, সাংসদগণ, বিধায়কগণ এবং আমার বেনারসের ভাই ও বোনেরা! আমি প্রথমে আপনাদের সবাইকে আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই। বিধানসভা নির্বাচনের সময় আমি আপনাদের কাছে এসেছিলাম এবং উত্তরপ্রদেশে আবারও সরকার গড়ার জন্য সাহায্য চেয়েছিলাম। যে অভূতপূর্ব সমর্থনে উত্তরপ্রদেশের মানুষ এবং বেনারসের মানুষ আমাদের ঋদ্ধ করেছেন তার জন্য আমি আপ্লুত। নির্বাচনের পর এই প্রথম আপনাদের কাছে আমি এসেছি। আমি কাশী, উত্তরপ্রদেশের জনসাধারণকে আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই, অভিনন্দন জানাই। আজ আবারও আমরা এখানে বিকাশের উৎসবে আরও গতির সঞ্চার করতে উদ্যোগী হয়েছি। গত আট বছর ধরে পবিত্র নতুন কাশীর বিকাশ অব্যাহত রয়েছে। কাশী সব সময়েই প্রাণবন্ত আর এখন সারা দেশের সামনে কাশী তার ঐতিহ্য ও উন্নয়নকে তুলে ধরছে। কাশীর মহান আধ্যাত্মিক ও উদ্ভাবনীমূলক ঐতিহ্যের সঙ্গে এ শহরের রাস্তাঘাট, পুকুর, ঘাট এমনকি, রেল স্টেশন ও বিমানবন্দরেও উন্নয়নের প্রতিনিয়ত ছোঁয়া লাগছে। কাশীতে একটি প্রকল্পের কাজ শেষ হলেই চারটি নতুন প্রকল্পের ক���জ শুরু হয়। আজ এখানে ১,৭০০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে। রাস্তা, জল, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পয়ঃনিকাশি ও সৌন্দর্যায়নের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে। ভাই ও বোনেরা, কাশীর আত্মা অবিনশ্বর। আমরা এর কাঠামোতে প্রতিনিয়ত সংস্কারের কাজ চালাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হল কাশীর উন্নয়নকে আরও প্রাণবন্ত ও প্রগতিশীল করে তোলা। শিক্ষা, দক্ষতা, পরিবেশ, পয়ঃনিকাশি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি যখন ঘটে তখন কাশীর আধুনিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন নিশ্চিত হয়। আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়ায় নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানগুলি এই পবিত্র ভূমিতে গড়ে উঠছে। একইসঙ্গে দরিদ্র মানুষেরা এখানে বাড়ি, বিদ্যুৎ, জল, রান্নার গ্যাস ও শৌচাগারের সুবিধা পাচ্ছেন। নৌকা চালক, তন্তুবায়, হস্তশিল্পী, রাস্তার হকার, এমনকি গৃহহীনরাও এখানকার উন্নয়নের সুফল পাচ্ছেন যার মধ্য দিয়ে সর্বাত্মক উন্নয়ন নিশ্চিত হচ্ছে। আজ যেসব প্রকল্পের সূচনা এবং শিলান্যাস হল তার মধ্য দিয়ে এ শহরের প্রাণশক্তি, প্রগতি এবং স্পর্শকাতরতার প্রতিফলন হচ্ছে। আমার কাশী ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস’-এর আদর্শ উদাহরণ। ভাই ও বোনেরা, আপনারা আমাকে আপনাদের সাংসদ হয়ে সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। যখন ভালো কোনও কিছু করা হয় তখন আমার আনন্দ দ্বিগুণ হয়। যখন কাশীর সচেতন নাগরিকরা দেশকে পথ দেখান তখন আমি খুব আনন্দ পাই। কাশীর নাগরিকরা সারা দেশের কাছে এই বার্তাই পাঠিয়েছেন যে শর্টকাট-এর মাধ্যমে দেশের উপকার হয় না। কিছু নেতার হয়তো উপকার হতে পারে, কিন্তু দেশের মানুষ তাতে উপকৃত হন না। আমার এখনও মনে আছে, ২০১৪ সালে কাশীতে আসার পর লোকে বলতেন, “এখানে এত রকমের ঝামেলা, এগুলি কি করে মেটানো সম্ভব?” হ্যাঁ, মানুষ তাই-ই জিজ্ঞাসা করতেন। তাঁদের এই ভাবনার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। বারাণসীতে উন্নয়নের এবং পরিবর্তন আনার যথেষ্ট সুযোগ আছে। কিন্তু এই শহরের জন্য যুগ যুগ ধরে কোনও কিছু করা হয়নি। এহেন পরিস্থিতিতে সবথেকে সোজা উপায় হল শর্টকাট পদ্ধতি মেনে চলা। মানুষের হাতে কিছু সুযোগ সুবিধা দিয়ে দাও, সে এর থেকে বেশি আর কিছু ভাববে না। কঠোর পরিশ্রম কে করতে চায় বলুন তো? আমি বারাণসীর জনসাধারণকে সঠিক পথ দেখানো এবং সঠিক পথ বাছাই করার জন্য প্রশংসা করি। তাঁরা সেই ধরনের কাজের ��াবি করেন যা বর্তমান সময়ের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানই শুধু করবে না, বহুদিন পরেও বারাণসীর উপকারে লাগবে। আমার প্রিয় কাশীর ভাই ও বোনেরা, এখন যে কাজগুলি হচ্ছে সেগুলি কি আগামীদিনের জন্যও কার্যকর? আগামী প্রজন্মের জন্যও কার্যকর? এই কাজের ফলে এখানকার যুব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ কি উজ্জ্বল হবে? সারা দেশ কি কাশীর প্রতি আকৃষ্ট হবে? সারা দেশ কি কাশী ভ্রমণ করবে? বন্ধুগণ, আজ আমরা বুঝতে পারছি, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সুফল কতটা। গত আট বছরে কাশীর পরিকাঠামোর কতটা উন্নতি হয়েছে? কৃষক, শ্রমিক এবং ব্যবসায়ীদের জন্য এই উন্নয়ন যথেষ্ট কাজে লেগেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, আর্থিক লেনদেন বেড়েছে এবং পর্যটনের প্রসার ঘটেছে। একজন রিক্সাচালক আমাকে বলেছেন, “বাবু, এখন আমি সারাদিনে যথেষ্ট কাজ পাই।” একজন ব্যবসায়ী বলেছেন, “সাহেব, মাত্র এক মাসে যত পণ্যসামগ্রী বিক্রি হয়েছে তা আগে ছয় মাসে বিক্রি হত।” আপনারা বলুন এটা সত্যি কিনা! আজ যেভাবে এখানে রাস্তা তৈরি হচ্ছে, দরিদ্রদের জন্য বাড়ি বানানো হচ্ছে, পাইপলাইন বসানো হচ্ছে, তার ফলস্বরূপ ছোট দোকানদারদের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ছে, সিমেন্ট ও ইস্পাতের মতো নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সামগ্রীর বিক্রি বাড়ছে। সোজা কথায়, বারাণসীর সমগ্র অঞ্চলে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। বারাণসীর মানুষের দূরদর্শিতার সুফল গোটা অঞ্চলের মানুষ পাচ্ছেন। আজ কাশীর চারদিকে দেখুন – রিং রোড, ব্রড ন্যাশনাল হাইওয়ে, বাবতপুর সিটি লিঙ্ক রোড, আশাপুর রেল ওভারব্রিজ, চৌকাঘাট-লোহারতারা উড়ালপুল এবং মাহমুরগঞ্জ-মান্ডুয়াদি উড়ালপুল বারাণসীর মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করে তুলেছে। বরুণা নদীর ওপর রেল সেতুর কাজ শেষ হলে মানুষের আরও সুবিধা হবে। আজ কাশীতে আরও তিনটি রাস্তা চওড়া করার কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে মউ, আজমগড়, গাজিপুর, বালিয়া, ভাদোসি, মির্জাপুর সহ বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। কাশী শহরের যানজটও কমবে। ভাই ও বোনেরা, শহরের সঙ্গে আশপাশের গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা চওড়া রাস্তার মাধ্যমে গড়ে তোলার জন্য নয়টি সড়ক প্রকল্পের আজ শিলান্যাস করা হয়েছে। এই রাস্তাগুলি বর্ষাকালে আশপাশের গ্রামের কৃষক এবং যুব সম্প্রদায়ের সকলের পক্ষে বেনারসে পৌছানোটা সহজ করে তুলবে। যোগীজির সরকার জেলা সদরগুলির সঙ্গে মহকুমা ও ব্লকের মধ্যে রাস্তাগুলিকে চওড়া করার যে উদ��যোগ নিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। আজ সেবাপুরী ও বেনারসের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী রাস্তাটি প্রশস্ত করার কাজ শুরু হল। যখন এই প্রকল্প শেষ হবে তখন বেনারস জেলার সমস্ত মহকুমা ও ব্লকের মধ্যে সাত মিটার চওড়া রাস্তা মানুষ ব্যবহার করতে পারবেন। ভাই ও বোনেরা, আর কয়েকদিন পরেই বর্ষা শুরু হচ্ছে। দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে বাবার ভক্তরা বিপুল সংখ্যায় কাশীতে জড়ো হবেন। বিশ্বনাথ ধাম প্রকল্প শেষ হওয়ার পর এটিই প্রথম শ্রাবণ উৎসব। গত কয়েক মাস ধরে বিশ্বনাথ ধামের প্রতি মানুষের আগ্রহ কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে তা আপনারা বুঝতে পেরেছেন। যোগীজি আমাকে বলছিলেন, প্রচন্ড গরম সত্ত্বেও লক্ষ লক্ষ ভক্ত প্রতিদিন কাশী বিশ্বনাথ ধামে এখন আসছেন। এই সময়কালে বাবার ভক্তরা এমন এক মহান ও নতুন কাশী উপলব্ধি করতে পাবেন যা আধ্যাত্মিকতায় পূর্ণ। ভাই ও বোনেরা, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের ভক্ত ও পর্যটকদের কাশীর আধ্যাত্মিক পরিবেশের আস্বাদন দিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আগে ভক্তরা যখন আমাদের এই জায়গায় আসতেন তখন গ্রামের মানুষ তাঁদের বাড়িতে ভক্তদের আমন্ত্রণ জানাতেন, খাওয়ার ব্যবস্থা করতেন। তাঁরা ভক্তদের সব ধরনের সহায়তা করতেন। কাশীর এই ঐতিহ্যের অর্থ কোনও ভক্ত যাতে কখনও কোনও সমস্যায় না পড়েন। আমাদের সরকারও এই একই মনোভাব নিয়ে কাজ করে চলেছে। কাশী ভৈরব যাত্রা, নবগৌরী যাত্রা, নবদুর্গা যাত্রা, আস্থা বিনায়ক যাত্রার মতো প্রতিটি যাত্রায় ভক্তরা যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন তার জন্য সরকার নানা ব্যবস্থা করছে। পাঁচকোশী পরিক্রমায় ভক্তরা যাতে বিভিন্ন জায়গায় বসে বিশ্রাম নিতে পারেন তার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হচ্ছে। গঙ্গাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে যে সঙ্কল্প নেওয়া হয়েছে তা পূরণে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। ভাই ও বোনেরা, আমাদের কাছে উন্নয়নের অর্থ শুধু ঢাক পেটানো নয়। আমাদের কাছে উন্নয়নের অর্থ দরিদ্র, পিছিয়ে পড়া, অবহেলিত, প্রান্তিক মানুষ, আদিবাসী, মা ও বোনেদের ক্ষমতায়ন। আজ ‘পিএম আবাস যোজনা’য় বারাণসীর ৬০০টি দরিদ্র পরিবার পাকা বাড়ি পেয়েছেন। অর্থাৎ, ৬০০ জন নতুন লাখোপতি আমাদের মধ্যে উপস্থিত। নিজের বাড়িতে থাকার স্বপ্ন যাঁদের আজ পূরণ হল, তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এই পরিবারগুলির মা ও বোনেদের বিশেষ করে অভিনন্দন জানাই কারণ এই বাড়িগুলি তৈরির সময় যাতে মা ও বোনেদের নাম থাকে আমরা সেটি নিশ��চিত করেছি। প্রত্যেক দরিদ্র মানুষ যাতে পাকা বাড়ি পান, গ্রামাঞ্চলে প্রত্যেক পরিবার যাতে নলবাহিত জলের সংযোগ পান তা নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। জল জীবন মিশনের আওতায় বহু জল প্রকল্পের কাজ চলছে। হাজার হাজার পরিবার, বিশেষত আমাদের বোনেরা এই প্রকল্পগুলি থেকে উপকৃত হবেন। ‘সকলের জন্য উন্নয়ন’ – এই ভাবনায় অসহায় মা, বোন ও মেয়েদের জন্য আশ্রয়স্থল তৈরি করা হবে। ভাই ও বোনেরা, এই ধরনের সর্বাঙ্গীণ উন্নয়ন আসলে সুপ্রশাসনের উদাহরণ। আপনারা দেখুন, ছোট ব্যবসায়ী এবং রাস্তার হকাররা আগে কত সমস্যার সম্মুখীন হতেন। এখন গোদালিয়া থেকে দশাশ্বমেধ পর্যন্ত গৌরব পথ নির্মাণ করা হয়েছে। দশাশ্বমেধে একটি কমপ্লেক্স তৈরির কাজ চলছে। আগামীদিনে এই কমপ্লেক্সে রাস্তার হকাররা তাঁদের পণ্যসামগ্রী বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও, চৌকাঘাট-লোহারতারা উড়ালপুলের নিচে ২ কিলোমিটার দীর্ঘ অঞ্চলে হকারদের জন্য একটি বিশেষ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। আজ থেকে সারনাথের বৌদ্ধ সার্কিট নির্মাণের কাজ শুরু হল। সেখানেও রাস্তার হকারদের জন্য বেশ কিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বন্ধুগণ, আপনারা এর আগে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং অর্থনৈতিক করিডরের মতো বিভিন্ন প্রকল্পের কথা শুনেছেন আর আজ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন রাস্তার হকারদের জন্য কাশীতে বিশেষ অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে। এই প্রথম রাস্তার হকাররা ‘পিএম স্বনিধি যোজনা’র মাধ্যমে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাচ্ছেন। এ পর্যন্ত দেশে প্রায় ৩৩ লক্ষ হকার এই ঋণ পেয়েছেন যার মধ্যে কাশীর হাজার হাজার বন্ধুও রয়েছেন। বন্ধুগণ, আমাদের সরকার দরিদ্র মানুষদের সব সমস্যার সমাধান করতে এবং সব ধরনের সহায়তা করতে সর্বদাই সচেষ্ট। বিনামূল্যে করোনার টিকাদান, দরিদ্র মানুষদের বিনামূল্যে রেশন বিতরণ করা হচ্ছে – সরকার আপনাদের সেবায় সর্বদাই নিয়োজিত। গত কয়েক বছর ধরে যে ডিজিটাল পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে তার থেকে দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত মানুষরা প্রচুর সুযোগ পেয়েছেন। আজ মোবাইল ফোন সস্তা হয়েছে, মোবাইলের মাধ্যমে ফোন করতে প্রায় কোনও পয়সাই লাগছে না। বারাণসীর মানুষ এইসব সুবিধাগুলি পাচ্ছেন। এখন ইন্টারনেট খুব সস্তা হয়ে গেছে। ফলে, নতুন নতুন জীবিকার সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। ফল হিসেবে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে। খু�� কম অর্থ বিনিয়োগ করে আজ যুব সম্প্রদায় নতুন নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। দরিদ্র মানুষেরা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন। আগে অর্থের অভাবে দরিদ্র মানুষেরা চিকিৎসা করাতে পারতেন না, আজ তাঁরা চিকিৎসা করাতে পারছেন। এর ফলে হাসপাতালের চাহিদা বাড়ছে, মেডিকেল কলেজের চাহিদা বাড়ছে। গত কয়েক বছরে আমরা উত্তরপ্রদেশেই প্রচুর মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছি। কাশীতেই ক্যান্সার সহ অন্যান্য চিকিৎসার অত্যাধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। বন্ধুগণ, একদিকে আমরা যেমন সিএনজি-চালিত যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোর মধ্য দিয়ে শহরকে ধোঁয়ামুক্ত করছি, অন্যদিকে আমরা নৌকা চালকদেরও এই সুযোগ দিচ্ছি। ঘাটে সিএনজি স্টেশন দেশের মধ্যে কাশীতেই প্রথম তৈরি করা হয়েছে। কাশী এর জন্য গর্বিত। গঙ্গায় ৬৫০টি ডিজেল এবং পেট্রোল-চালিত নৌকার মধ্যে ৫০০টিতে সিএনজি-চালিত যন্ত্র লাগানো হয়েছে। এর ফলে, পর্যটকরা গঙ্গাবিহারের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন এবং পরিবেশও কম দূষিত হবে। একইসঙ্গে নৌকা চালকদের জ্বালানি-বাবদ কম অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। এর ফলে কম অর্থ ব্যয় করে রোজগার বেড়েছে। ভাই ও বোনেরা, কাশী জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার শহরই শুধু নয়, এ শহর খেলাধূলার জন্যও বিখ্যাত। আজ বিমানবন্দর থেকে এখানে আসার পথে আমার সঙ্গে খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎ হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আমি উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখতে পেয়েছি। আমার বিশ্বাস, এই স্টেডিয়াম আগামীদিনে কাশীকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। এখানে ব্যায়াম এবং কুস্তির মতো সুস্থ থাকার বিভিন্ন শারীরিক কসরতের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আজ নাগপঞ্চমীতে তার কিছু নিদর্শন আমরা দেখেছি। কিন্তু খেলাধূলা তো শুধু শরীরকে ফিট রাখা আর বিনোদনের জন্য নয়, খেলাধূলা দেশের গর্ব বৃদ্ধি করে, আরও ভালো কেরিয়ারের পথ দেখায়। বছরের পর বছর ধরে বারাণসী সহ পূর্বাঞ্চলের বহু খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক স্তরে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। অলিম্পিকের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি খেলাকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কাশীতেও এ ধরনের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। আজ যে স্টেডিয়ামে আমরা সভা করছি, খুব শীঘ্রই এখানে আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে। একবিংশ শতাব্দীর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাকে এই স্টেডিয়ামে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এখানে ২০টিরও বেশি ইন্ডোর গেম-এর ব্যবস্থা করা হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, ফিটনেস সেন্টার এবং হস্টেল গড়ে তোলা হবে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের জন্য একটি ‘কিডস জোন’-এরও ব্যবস্থা করা হবে। এর ফলে শিশুরা খেলাধূলা এবং শরীরচর্চার প্রতি আগ্রহী হবে, অল্প বয়স থেকেই পেশাদারী খেলায় তাদের আগ্রহ তৈরি হবে। এই কমপ্লেক্সে ভিন্নভাবে সক্ষমদের খেলাধূলার জন্য অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাও তৈরি করা হবে। ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর স্পোর্টর্স কমপ্লেক্স বাস্কেটবল সহ অ্যাথলিটিক্সে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করায় তরুণ খেলোয়াড়দের সুবিধা হবে। ভাই ও বোনেরা, গঙ্গার মতো কাশীরও উন্নয়নের প্রবাহকে অব্যাহত রাখতে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু কাশী এবং গঙ্গার পরিচ্ছন্নতার জন্য যে সঙ্কল্প আমরা গ্রহণ করেছি তা ভুলে গেলে চলবে না। আপনাদের সেই সঙ্কল্প মনে আছে তো? আপনারা দু’হাত তুলুন আর বলুন আপনাদের মনে আছে কিনা! আমাদের কাশী কি পরিচ্ছন্ন থাকবে? আমাদের মা গঙ্গাকে কি পরিচ্ছন্ন থাকবেন – হ্যাঁ কি না? কেউ নদীকে দূষিত করবেন না, তাই তো? কেউ অন্য কাউকে দূষিত করতেও দেবেন না। আমাদের কাশী – আমাদের তাকে রক্ষা করতে হবে। কাশীকে গড়ে তুলতে হবে। আমরা একযোগে এই কাজ করব। এই শহরের রাস্তাঘাট এবং বাজারগুলিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের। বাবা বিশ্বনাথের আশীর্বাদ এবং কাশীর মানুষের আস্থার মাধ্যমে আমরা প্রত্যেকটি সঙ্কল্প পূরণ করব, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত। আরও একবার আপনাদের অভিনন্দন জানাই। হর হর মহাদেব! ধন্যবাদ! (প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছেন)",বাৰাণসীৰ ছিগ্ৰাত এলামি উন্নয়নমূলক আঁচনিৰ শুভাৰম্ভণি অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%AA%E0%A7%AF-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF/,"দেশের আদিবাসী সম্প্রদায় যাতে শিক্ষা, ক্রীড়া এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারি কর্মসূচিগুলির সুযোগ পূর্ণ মাত্রায় গ্রহণ করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে এক সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারেন রাজ্যপালরা। বিশেষত যে সমস্ত রাজ্যে আদিবাসীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় রয়েছে সেখানে রাজ্যপালরা এই ভূমিকা ভালোভাবেই পালন করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত ৪৯তম রাজ্য���াল সম্মেলনে আজ (৪ জুন, ২০১৮) একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আদিবাসী সম্প্রদায় যে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে একথাও প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের এই অবদানকে অবশ্যই স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা যায়। এজন্য ডিজিটাল সংগ্রহশালা গড়ে তোলারও পরামর্শ দেন তিনি। দেশবাসী যাতে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প ও কর্মসূচির সর্বোচ্চ সুফল ভোগ করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যপালরা কিভাবে তাঁদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারেন তাও এদিন সবিস্তারে ব্যাখ্যা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্যপালদের ভূমিকা শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিকই নয়, সেইসঙ্গে অন্যদিক থেকেও নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে তাঁদের কাজ করে যেতে হয়। রাজ্যপালরা যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্যের ভূমিকাও পালন করে থাকেন, একথাও আজ স্মরণ করিয়ে দেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, যুবসমাজের মধ্যে যোগাভ্যাস বা যোগচর্চা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলার একটি সুযোগ হিসাবে ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসকে কাজে লাগানো যেতে পারে। অন্যদিকে, মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উদযাপনে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিরও যে এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে, একথারও উল্লেখ করেন তিনি। জাতীয় পুষ্টি মিশন, গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণ এবং উন্নয়নকামী রাজ্যগুলির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন যে সাম্প্রতিককালে বিদ্যুতের সুযোগ পৌঁছে যাওয়া গ্রামগুলিতে রাজ্যপালরা তাঁদের সফরসূচির মাধ্যমে বৈদ্যুতিকরণের সুফলগুলি সরেজমিন প্রত্যক্ষ করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে সাম্প্রতিককালে ‘গ্রাম স্বরাজ অভিযান’-এর সূচনা হয় ১৪ই এপ্রিল। ঐ সময়কালে দেশের ১৬ হাজারেরও বেশি গ্রামে সাতটির মতো গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে রূপায়িত হয়েছে। জন-অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই গ্রামগুলি সাতটি বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত হয়েছে। আগামী ১৫ই আগস্টকে লক্ষ্যমাত্রা চিহ্নিত করে আরও ৬৫ হাজার গ্রামকে নিয়ে আসা হচ্ছে ‘গ্রাম স্বরাজ অভিযান’-এর আওতায়। ৫০তম রাজ্যপাল সম্মেলন যাতে আগামী বছরের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হয়, সেভাবে কর্মসূচি ছকে ফেলার পরামর্শ দেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে, এর ফলে এই বার্ষিক সম্মেলন আরও বেশি মাত্রায় ফলপ্রসূ হয়ে উঠতে পারে। /…",৪৯ সংখ্যক ৰাজ্যপাল সন্মিলনৰ উদ্বোধন পৰ্বত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A7%B1%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%BF/,"এখানে উপস্থিত ভাই ও বোনেরা এবং নবীন প্রজন্মের বন্ধুগণ, ওড়িশার উন্নয়নকল্পে সমর্পিতপ্রাণ আমাদের কাজ করার সঙ্কল্প আজ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে। একটু আগেই ১৪ হাজার কোটি টাকারও অধিক বিনিয়োগে নির্মিত কিংবা নির্মীয়মান বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন কিংবা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে উচ্চশিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্যাস, সড়কপথ এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্বসম্পন্ন প্রকল্প রয়েছে। এই সকল প্রকল্প ওড়িশার উন্নয়ন এবং এখানকার প্রত্যেক মানুষের জীবনকে সহজ এবং সুগম করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সেজন্য আমি ওড়িশার প্রত্যেক নাগরিককে অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বন্ধুগণ, দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও কেন্দ্রীয় সরকার ওড়িশা সহ পূর্ব ভারতের উন্নয়নে এত গুরুত্ব দিচ্ছে। দেশের ভারসাম্যযুক্ত উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিগত চার বছর ধরে নিরন্তর এই অঞ্চলের পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অনেক প্রকল্পের সম্প্রসারণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ব ভারতকে পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার ‘গেটওয়ে’ হিসেবে বিকশিত করার দিকে এগোচ্ছে। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর মন্ত্র নিয়ে ওড়িশার প্রত্যেক নাগরিক, ওড়িশার প্রত্যেক প্রান্তে উন্নয়ন – এই সঙ্কল্প নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এগিয়ে চলেছে। বন্ধুগণ, আজ আমার আইআইটি ভুবনেশ্বরকে ওড়িশার প্রতিভাবান ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে সমর্পণ করার সৌভাগ্য হয়েছে। ১,২৬০ কোটি টাকা খরচ করে এটি গড়ে তোলা হয়েছে। এই সুন্দর আধুনিক ক্যাম্পাস আগামীদিনে ওড়িশার নবীন প্রজন্মের যুবক-যুবতীদের স্বপ্নপূরণের কেন্দ্র হয়ে উঠবে, কর্মসংস্থানের নতুন মাধ্যম হয়ে উঠবে। আইআইটি-র এই ক্যাম্পাসে ওড়িশার স্থানীয় শিল্পোদ্যোগ, এখানকার অরণ্যসম্পদ সম্পর্কিত গবেষণা হবে। এ রাজ্যের জনজাতি ভাই-বোনদেরজীবন উন্নয়নের জন্য নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে গবেষণা হবে। এই প্রত���ষ্ঠান দেশ ও বিদেশের জন্য উঁচুমানের ইঞ্জিনিয়ার এবং শিল্পোদ্যোগী গড়ে তোলার পাশাপাশি ওড়িশাকে উন্নত প্রযুক্তির শিল্পোন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাছাড়া, আগামীদিনে বেরহামপুরে প্রায় ১,৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ’ও কাজ করতে শুরু করবে। বন্ধুগণ! বিগত সাড়ে চার বছরে কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে এমনই অনেক শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প মঞ্জুর করেছে। এগুলির মাধ্যমে সরকার নতুন ভারতকে আধুনিক প্রযুক্তি এবং ‘স্টার্ট-আপ’-এর হাব করে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা জারি রেখেছে। আশা করি, ওড়িশার এই নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জ্ঞান এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ওড়িশার পুরনো পরিচয়কে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। বন্ধুগণ, শিক্ষার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার জনগণের সুস্বাস্থ্যকেও অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই ভাবনা থেকেই খুরদা, ভুবনেশ্বরে নির্মিত ইএসআইসি হাসপাতালের সম্প্রসারণের কাজও সম্পূর্ণ করা হয়েছে। আজ আগের তুলনায় দ্বিগুণ ক্ষমতাসম্পন্ন আধুনিক পরিষেবাযুক্ত এই হাসপাতালটিও জনগণের প্রতি সমর্পণ করা হয়েছে। এখন এটি ১০০ শয্যাবিশিষ্ট বড় হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য হল দূর-দূরান্তের বিভিন্ন গ্রাম এবং অরণ্যে বসবাসকারী আমার জনজাতি ভাই-বোনদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা। সেই লক্ষ্য মাথায় রেখে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের মাধ্যমে ‘হেল্‌থ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’ নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আগামী কয়েক বছরে যখন প্রতিটি কেন্দ্র নির্মিত হয়ে যাবে তখন ওড়িশা তথা গোটা দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। বন্ধুগণ, ওড়িশায় স্বাস্থ্য পরিষেবা বৃদ্ধির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধির কাজও ত্বরান্বিত করছে। রাজ্যের সমস্ত দুর্গম অঞ্চলকে সড়ক পথে যুক্ত করার প্রকল্পগুলির গতি বৃদ্ধি করা হয়েছে। গ্রামে গ্রামে এবং শহরগুলির মধ্যে সড়ক পথের সম্প্রসারণ ঘটানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার ওড়িশায় জাতীয় সড়কের দৈর্ঘ্য ১০ হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত করার লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সেই লক্ষ্যেই আজ এখানে সড়ক ও মহাসড়কের চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। চান্দীখোল থেকে ভদ্রক এবং টাঙ্গী থেকে পাইটোলা মহাসড়ক ছয় লেনের ক��া, কটক থেকে আঙ্গুল পর্যন্ত সড়ক পথ প্রশস্তীকরণ, খণ্ডগিরি উড়ালপথের নির্মাণ, প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ব্যয় নির্মীয়মান এই সকল প্রকল্প ওড়িশার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জনগণের যাতায়াত এবং ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক সহজ হবে। বন্ধুগণ, ওড়িশায় পরিকাঠামো নির্মাণে যত উন্নতি হবে, স্থানীয় শিল্পপতিদের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের পথ ততই সহজ হবে।বিশেষত, তেল এবং গ্যাসের ক্ষেত্রে ওড়িশার ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল। পারাদ্বীপ-হায়দরাবাদ পাইপলাইন ওড়িশাকে নতুন পরিচয় প্রদান করবে। এখানকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের নতুন নতুন পথ খুলবে। প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইন ওড়িশার পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থসমূহের প্রয়োজন মেটাবে। পারাদ্বীপ তৈল শোধনাগার থেকে নির্গত পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন এবং বিমানের জ্বালানি অনেক শহর এবং গ্রামের প্রয়োজন মেটাবে। প্রায় চার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মিত এই প্রকল্পের মাধ্যমে বেরহামপুর, বিশাখাপত্তনম, রাজামুন্দ্রি এবং বিজয়ওয়াড়াতে ‘ডেলিভারি কাম পাম্পিং স্টেশন’ গড়ার মাধ্যমে এই পাইপলাইন ওড়িশাকে এক প্রকার পূর্ব ভারতের পেট্রোলিয়াম হাব-এ পরিণত করবে। বন্ধুগণ, দেশের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর পরিবারগুলির রান্নাঘরে নির্মল ধোঁয়ামুক্ত রান্নার গ্যাস ও সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সরকার সমর্পিতপ্রাণ। দেশের প্রত্যেক বাড়িতে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার অভিযানে আমরা পূর্ণ সাফল্যের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি। এখন পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে রান্নার গ্যাস পৌঁছনোর জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা যোজনা’ দ্রুতগতিতে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে আজ জগদীশপুর, হলদিয়া, বোকারো, ধামরা পাইপলাইন প্রকল্পের ‘বোকারো-আঙ্গুল সেকশন’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল। প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে এর মাধ্যমে ওড়িশার পাঁচটি জেলার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের ছ’টি জেলাতেও পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে রান্নার গ্যাস পৌঁছে যাবে। বন্ধুগণ, সম্পদ এবং পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে যতক্ষণ সাংস্কৃতিক বিকাশের মাত্রা সংযোজন না হয়, ততক্ষণ উন্নয়ন অসম্পূর্ণ থাকে। দেশের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী পায়কা বিদ্রোহের ২০০ ব���র পূর্তি উপলক্ষে আজ একটি বিশেষ ডাকটিকিট এবং মুদ্রা প্রকাশ করা হল। তাছাড়া, সরকার পায়কা বিদ্রোহের নায়ক বক্সি জগবন্ধুর নামে উৎকল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি চেয়ারের সূচনা করল। এই চেয়ার পাইকা এবং জনজাতি আন্দোলন সহ যাবতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের গবেষণা কেন্দ্র হয়ে ওঠার পাশাপাশি ওড়িশার জনজাতি সমাজে আসা সামাজিক এবং আর্থিক পরিবর্তনগুলি বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বন্ধুগণ, পাইকার নায়কদের সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি আমরা ওড়িশার সমৃদ্ধ আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার ওপর জোর দিয়েছি। আজ আমার কটক জেলার ললিতগিরিতে প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহশালা উদ্বোধনের সৌভাগ্য হয়েছে। এতে বৌদ্ধযুগের গোড়ার দিকের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন সংগৃহীত এবং প্রদর্শিত হয়েছে। এই সংগ্রহশালা সারা পৃথিবীর বৌদ্ধদের, গবেষকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠার পাশাপাশি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকর্ষণ করবে। এর ফলে ওড়িশার পর্যটন শিল্প শক্তিশালী হবে। অনেক নবীন যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানও সুনিশ্চিত হবে। বন্ধুগণ, কেন্দ্রীয় সরকার ওড়িশার সম্পূর্ণ উন্নয়নে সমর্পিতপ্রাণ। পরিকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে এ রাজ্যের প্রত্যেক নাগরিকের উন্নয়নে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে এই সক্রিয়তা নিরন্তর জারি থাকবে। আমরা চাই যে ওড়িশা নতুন ভারতের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হয়ে উঠুক। সেজন্য আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করবো, এগিয়ে যাব। এই কামনা নিয়ে আরেকবার এই সমস্ত প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাসের জন্য সমস্ত ওড়িশাবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে জগন্নাথকে প্রণাম জানাই। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।","ভূৱনেশ্বৰত আইআইটি মুকলি, আইআইএছইআৰ তথা উৰিষ্যাত অন্যান্য উন্নয়নমূলক প্ৰকল্পৰ আধাৰশিলা স্থাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%9C%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8/,"নতুন দিল্লি, ৩ মে, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পরশুরাম জয়ন্তীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "" পরশুরাম জয়ন্তীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা। ভগবান পরশুরাম দয়া ও করুণার পাশাপাশি শৌর্য তথা পরাক্রমের জন্য পূজিত হন।"" /",পৰশুৰাম জয়ন্তীত দেশবাসীক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%97%E0%A7%83%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A7%8D/,"সোমবারনয়াদিল্লিতে ‘প্রধানমন্ত্রী সহজ বিজলীহর ঘর যোজনা’, অর্থাৎ, ‘সৌভাগ্য’ কর্মসূচিরআনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই কর্মসূচির মূললক্ষ্য হল দেশের প্রত্যেকটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের সুযোগ পৌঁছে দেওয়া। পণ্ডিতদীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘দীনদয়াল উর্জা ভবন’ নামে ওএনজিসি-র একটিনতুন ভবনও উৎসর্গ করেন জাতির উদ্দেশে। গ্যাসক্ষেত্রের একটি বুস্টার কম্প্রেসারও এদিন জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন তিনি। জন ধনযোজনা, বিমা কর্মসূচি, মুদ্রা যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনা এবং উড়ান কর্মসূচির সাফল্যেরদৃষ্টান্তগুলি প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন তাঁর ভাষণে। দেশের দরিদ্রতম মানুষেরকল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকার কিভাবে এই সমস্ত কর্মসূচি রূপায়ণের কাজে এগিয়ে গেছে, তাতিনি ব্যাখ্যা করেন তাঁর এদিনের বক্তব্যে। প্রধানমন্ত্রীসহজ বিজলী হর ঘর যোজনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের যে ৪ কোটি বাড়িবিদ্যুতের সুযোগ থেকে এখনও বঞ্চিত রয়ে গেছে, সেই সমস্ত বাড়িতে ১৬ হাজার কোটি টাকাব্যয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের সুযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে। দরিদ্রদের কাছে এই ব্যবস্থা পৌঁছেদেওয়া হবে সম্পূর্ণ বিনা খরচে। প্রসঙ্গততিনি উল্লেখ করেন যে এর আগে বিদ্যুৎহীন ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুতের সুযোগ পৌঁছেদেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছিলেন তিনি। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত বাকি রয়েছে ৩হাজারটিরও কম গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার কাজ। শ্রী মোদীবলেন, কয়লার অপ্রাচুর্য এখন এক অতীত ইতিহাস মাত্র। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিপাওয়ার ফলে বিদ্যুৎ যোগানে ঘাটতির পরিমাণ দূর করার পাশাপাশি উৎপাদনের সুনির্দিষ্টলক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করাও সম্ভব হয়েছে। আগামী ২০২২সালের মধ্যে ১৭৫ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করারলক্ষ্যে তাঁর সরকার কিভাবে কাজ করে চলেছে তাও এদিন প্রসঙ্গত ব্যাখ্যা করেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী ব���েন, পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি ক্ষেত্রে বিদ্যুতের মাশুল উল্লেখযোগ্যভাবেকমিয়ে আনা হয়েছে। অন্যদিকে, বৃদ্ধি পেয়েছে বিদ্যুৎ সংবহন ক্ষমতা। ‘উদয়’কর্মসূচির মাধ্যমে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাগুলি যেভাবে তাদের লোকসানের মাত্রা কমিয়েআনার কাজে সাফল্য অর্জন করেছে, তা সহযোগিতা তথা প্রতিযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয়তারএক বিশেষ দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি। ‘উজালা’কর্মসূচির প্রসঙ্গও এদিন উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। এলইডি বাল্বের দাম যেঅনেকটাই কমিয়ে আনা গেছে একথারও উল্লেখ ছিল এদিন তাঁর ভাষণে। শ্রী মোদীবলেন, ‘নতুন ভারত’ গড়ে তুলতে প্রয়োজন জ্বালানির এমন এক কাঠামোগত ব্যবস্থা যা সমতা,দক্ষতা এবং নিরন্তর বিকাশের নীতি অনুসরণ করে গড়ে উঠবে। জ্বালানি ক্ষেত্রকে আরওচাঙ্গা ও শক্তিশালী করে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মসংস্কৃতির ক্ষেত্রেও যে আমূলপরিবর্তন ঘটেছে, সেই প্রসঙ্গটিও এদিন স্থান পায় তাঁর বক্তব্যে। সরকারিকর্মসংস্কৃতি পরিবর্তনের পাশাপাশি সমগ্র দেশের কর্মসংস্কৃতি বিশেষভাবে উৎসাহিত হবেবলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। /",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে শুভাৰম্ভ কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰী সৌভাগ্য যোজনাৰ; দেশবাসীৰ নামত উচৰ্গা দীনদয়াল শক্তি ভৱন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%BF-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%BF-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%A3-%E0%A6%86%E0%A6%97/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লির পুসা ক্যাম্পাসে আইএআরআইমেলার ময়দানে আয়োজিত কৃষি উন্নতি মেলা পরিদর্শন করেছেন। তিনি এই মেলার থিমপ্যাভেলিয়ন এবং জৈবিক মেলা কুম্ভ-ও ঘুরে দেখেন। প্রধানমন্ত্রী এদিন দেশের ২৫টিকৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এছাড়া, জৈব কৃষি পণ্যেরবিপণনের জন্য তিনি একটি ই-মার্কেটিং পোর্টালেরও উদ্বোধন করেন। তিনি এই অনুষ্ঠানেকৃষি কর্মন পুরস্কার এবং পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় কৃষি প্রোৎসাহন পুরস্কার প্রদানকরেন। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এইধরনের কৃষি উন্নতি মেলা নতুন ভারত গড়ে তোলার পথ সুগম করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণভূমিকা নেয়। তিনি বলেন, আজ নতুন ভারতের দুই অগ্রদূত কৃষক এবং বিজ্ঞানীদের সমাবেশেযুগপৎ কথা বলার সুযোগ হয়েছে। প্রধা��মন্ত্রী বলেন, কৃষক ও বিজ্ঞানীদের দেশে কৃষিরূপান্তরের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী কৃষি ক্ষেত্রে কাজের অগ্রগতির স্বীকৃতিতে পুরস্কার প্রাপকরাজ্য মেঘালয়ের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার পর থেকে কৃষি ক্ষেত্রে অগ্রগতির জন্য কৃষকদেরকঠোর পরিশ্রম ও দৃঢ় মানসিকতার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন যে, আজ আমাদের দেশেখাদ্যশস্য, ডালশস্য, ফল, সব্জি এবং দুধের রেকর্ড উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু তবুও আজকেরদিনেও কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। যেসবকারণে কৃষকদের আয় কমে এবং তাঁদের ক্ষতি এবং ব্যয়ের পরিমাণ বাড়ে, সেগুলি মোকাবিলায়বর্তমান চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এইসব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় সরকার একসার্বিক দৃষ্টিভঙ্গীতে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা এবং তাঁদের জীবনসহজতর করে তোলাই এই কাজের লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ১১ কোটিসয়েল হেলথ্‌ কার্ড কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ইউরিয়ার ওপর নিমেরপ্রলেপ লাগানোর ফলে সার বাবদ কৃষকদের ব্যয় কমেছে এবং ফসলের উৎপাদন বেড়েছে। শ্রী মোদী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার মাধ্যমে কৃষি বিমারপ্রিমিয়াম হ্রাস করা হয়েছে, বিমার ঊর্দ্ধ সীমা তুলে দেওয়া হয়েছে এবং বিমা বাবদকৃষকদের দাবি মতো অর্থ প্রদানের পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঁচাইযোজনার মাধ্যমে দেশের সব জমিতে সেচের কথা ভাবা হয়েছে বলে তিনি জানান। দেশের বকেয়াসেচ প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ করার জন্য ইতিমধ্যেই ৮০,০০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। কিষাণ সম্পদ যোজনা নামে এক কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের জন্য ক্ষেত থেকেবাজার পর্যন্ত সরবরাহ শৃঙ্খল জোরদার করা এবং আধুনিক কৃষি পরিকাঠামো সৃষ্টি করারউদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বাজেটে ঘোষিত ‘অপারেশন গ্রিনস্‌’প্রকল্পের মাধ্যমে সব্জি, ফল বিশেষ করে টমেটো, পেঁয়াজ ও আলু চাষিরা উপকৃত হবেন। কৃষক কল্যাণের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি আদর্শ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। রাজ্যগুলিকেএই আইনগুলি রূপায়ণের জন্য বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান যে, কৃষকদের জন্য আধুনিক বীজ, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহএবং সহজে বিপণনের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে চলেছে। তিনি বলেন যে, কেন্দ্���ীয় সরকার সমস্ত বিজ্ঞাপিত ফসলের ন্যূনতম সমর্থন মূল্যসংশ্লিষ্ট ফসলগুলির উৎপাদন ব্যয়ের কমপক্ষে দেড় গুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উৎপাদনব্যয়ের হিসাবের জন্য শ্রম, কৃষি যন্ত্রপাতি ভাড়া, বীজ ও সারের মূল্য, রাজ্যসরকারকে প্রদেয় রাজস্ব, কার্যকর পুঁজির ওপর সুদ এবং লিজ প্রাপ্ত জমির ভাড়ার মতোবিষয়গুলিকে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি বিপণনের ক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে সার্বিকপদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রামীণ খুচরো বাজারগুলিকে পাইকারি এবং বিশ্ব বাজারেরসঙ্গে যুক্ত করা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মন্তব্য করেন। সাম্প্রতিককেন্দ্রীয় বাজেটে গ্রামীণ খুচরো কৃষি বাজারের কথা অনুমোদন করা হয়েছে। ২২,০০০গ্রামীণ হাটকে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো সহ উন্নীত করা হবে এবং কৃষি পণ্য বিপণন কমিটি ওই-ন্যাম মঞ্চের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী কৃষক উৎপাদক সংগঠন গড়ে তোলার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন। তিনিবলেন, কৃষক উৎপাদক সংগঠনগুলিকে সমবায় সমিতির ধরণে আয়করের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে।এই কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষি বিপণন সংস্কারের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায় সংযুক্ত হবে।কারণ, জৈব কৃষি পণ্যের জন্য এর সঙ্গে একটি ই-মার্কেটিং পোর্টালের ব্যবস্থা করাহবে। শ্রী মোদী বলেন, সবুজ বিপ্লব ও শ্বেত বিপ্লবের পাশাপাশি আমাদের জৈব বিপ্লব,জল বিপ্লব, নীল বিপ্লব এবং মিষ্টি বিপ্লবের ওপর জোর দিতে হবে। কৃষি বিজ্ঞানকেন্দ্রগুলি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। মৌমাছি পালন কিভাবে কৃষকদের জন্য অতিরিক্ত আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হতে পারে,প্রধানমন্ত্রী তার কথাও উল্লেখ করেন। অনুরূপভাবে, তিনি সৌরকৃষির সুবিধার কথাওবলেন। গত তিন বছরে দেশের কৃষকদের মধ্যে ২.৭৫ লক্ষ সৌর পাম্প বিতরণ করা হয়েছে বলেতিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন কম্পোস্ট এবং পশু মল থেকে জৈব গ্যাস উৎপাদনেরলক্ষ্যে গোবর ধন যোজনা প্রসঙ্গেও উল্লেখ করেন। শস্যের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো ক্ষতিকারক প্রভাবের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেপ্রধানমন্ত্রী বলেন, এগুলিকে না পুড়িয়ে তার পরিবর্তে যন্ত্রের মাধ্যমে মাটিতেমিশিয়ে দেওয়া হলে, তা মাটির উর্বরতার পক্ষে উপকারি ভূমিকা নিতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণে কৃষি ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থারলক্ষ্যে কাজ করছে। কৃষি উন্নতি মেলার মতো এ ধরনের অনুষ্��ান দেশের দূরদূরান্তে আয়োজন করার ওপরপ্রধানম্নত্রী জোর দেন। তিনি এই ধরনের অনুষ্ঠানের প্রভাব বিশ্লেষণের কথাও বলেন। ……",কৃষি উন্নতি মেলাত ভাষণ আগবঢ়ালে প্রধানমন্ত্রীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A7%B1%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8/,"নয়াদিল্লি, ১৯ অক্টোবর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সুইডেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় উলফ ক্রিস্টারসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন ; “সুইডেনের পরবর্তী নির্বাচিত হওয়ায় মাননীয় উলফ ক্রিস্টারসনকে অভিনন্দন। আমাদের বহুমুখী অংশীদারত্ব আরও জোরদার করতে আমি তাঁর সংগে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী।""",ছুইডেনৰ পৰৱৰ্তী প্ৰধানমন্ত্ৰী হিচাপে নিৰ্বাচিত হোৱা উলফ ক্ৰীষ্টাৰছনক অভিনন্দন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A7%AB%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A6-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E2%82%B9%E0%A7%AB%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A6-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A7%8B-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF/,"নয়াদিল্লি, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভাবনগরে আজ ৫,২০০ কোটি টাকারও বেশি বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের প্রথম সিএনজি টার্মিনাল এবং ভাবনগরে ‘ব্রাউন ফিল্ড’ বন্দরের শিলান্যাস করেন। প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ একর জমির ওপর নির্মিত আঞ্চলিক বিজ্ঞান কেন্দ্রেরও উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী অনেক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন যেমন – এপিপিএল কন্টেনার প্রোজেক্ট (আওয়াধক্রুপা প্লাস্টোমেক প্রাইভেট লিমিটেড), ২৫ মেগাওয়াট পালিতানা সৌর পিভি প্রোজেক্ট, দ্বিতীয় পর্যায়ের সৌনি যোজনা লিঙ্কের সপ্তম প্যাকেজ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের সৌনি যোজনা লিঙ্কের নবম প্যাকেজ সহ ছোরভাদলা জোন জল সরবরাহ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এত বিপুল সংখ্যক মানুষ সেখানে সমবেত হওয়ায় তাঁদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, একদিকে যখন দেশ যখন স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করছে, ভাবনগর তার প্রতিষ্ঠার ৩০০ বছর পূর্ণ করেছে। ৩০০ বছরের যাত্রাপথে ভাবনগর দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে গেছে এব�� সৌরাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে তার স্বাক্ষর রেখেছে। আজ যে সমস্ত প্রকল্পের উদ্বোধন হল তার মধ্য দিয়ে ভাবনগরের উন্নয়নের যাত্রাপথে এক নতুন গতির সঞ্চার হবে। সুরাট-ভদোদরা-আমেদাবাদের মতোই রাজকোট-জামনগর-ভাবনগর শীঘ্রই সেই স্বতন্ত্রতা অর্জন করবে বলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ভাবনগরে শিল্প, কৃষি এবং ব্যবসার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। ডবল ইঞ্জিন সরকারের এগিয়ে চলার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হল আজকের এই অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাবনগর গুজরাট উপকূলে অবস্থিত এবং দেশের সর্ববৃহৎ উপকূলবর্তী এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। কিন্তু স্বাধীনতা-উত্তর দশকগুলিতে উপকূলবর্তী এলাকার উন্নয়নে প্রকৃত নজরের অভাবজনিত কারণে এই বিস্তীর্ণ উপকূলবর্তী এলাকা সাধারণ মানুষের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়। ডবল ইঞ্জিন সরকার যে কাজ করেছে তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, গত দু’দশকে সরকারের আন্তরিক প্রয়াসই ছিল গুজরাট উপকূলকে ভারতের সমৃদ্ধির গেটওয়ে হিসেবে গড়ে তোলা। শ্রী মোদী বলেন, গুজরাটে অনেক বন্দরের উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণ করেছে ডবল ইঞ্জিন সরকার যার ফলে কর্মসংস্থানের অনেক নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তিনি আরও জানান, দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য হিসেবে গুজরাট এলএনজি টার্মিনাল পাচ্ছে। গুজরাটে তিনটি এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। কোস্টলাইন ইকো-সিস্টেমের গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে উপকূল এলাকায় শিল্প গড়ে তুলতে সরকার প্রধান ভূমিকা পালন করছে এবং এইসব শিল্পগুলির শক্তির চাহিদা মেটাতে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের উন্নয়নকল্পে মৎস্যবন্দর নির্মাণ করা হয়েছে এবং তাঁদের উন্নয়নকল্পে মৎস্য প্রক্রিয়াকরণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই এলাকায় ম্যানগ্রোভ অরণ্য গড়ে তোলা হয়েছে। উপকূল এলাকার কিভাবে উন্নয়ন করতে হয় তা গুজরাটের কাছে শিখতে হয় বলে তৎকালীন সরকার যে মন্তব্য করেছিল, সে প্রসঙ্গেরও উল্লেখ করেন শ্রী মোদী। অ্যাকোয়াকালচারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী মত প্রকাশ করেন। দেশের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে এক বিরাট ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি গুজরাট উপকূল লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের এক মাধ্যম হয়ে উঠেছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। সৌরাষ্ট্রকে শক্তি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। দেশের শক্তি চাহিদা মেটাতে এই এলাকা এক গুরুত্বপূর্ণ হাব হিসেবে আগামীদিনে দেখা দেবে বলে শ্রী মোদী মন্তব্য করেন। হাইড্রোজেন ইকো-সিস্টেম এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সমার্থক হয়ে গুজরাট উপকূলবর্তী এলাকা আজ আত্মপ্রকাশ করেছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভাবনগর বন্দর এক বিরাট ভূমিকা পালন করবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে শয়ে শয়ে নতুন কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ব্যবসা-ভিত্তিক গুদাম, পরিবহণ ব্যবস্থা এবং লজিস্টিক্স-এর প্রসার ঘটবে। আলং শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভেহিকেল স্ক্র্যাপেজ পলিসি থেকে সর্বোচ্চ লাভবান হবে ভাবনগর। লোথালকে ঐতিহ্যের এক মূল কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে এটাই সবথেকে পুরনো বন্দর এবং লোথাল মেরিটাইম মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা এই এলাকার এক নতুন স্মারক হিসেবে দেখা দেবে। বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে একে জায়গা করে দিতে যাবতীয় প্রয়াস দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। লোথালের পাশাপাশি ভেলাভাদর জাতীয় উদ্যানের ইকো-পর্যটন সার্কিট ভাবনগরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থে লাভদায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে মৎস্যজীবীদের নৌকাগুলির উন্নতিকল্পে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি কৃষকদের ক্ষমতায়নের পথ অনুসরণ করে মৎস্যজীবীদেরও ক্রেডিট কার্ড প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, একটা সময় গুজরাটের মৎস্যজীবীদের সচেতনতার অভাবে বিপদসঙ্কুল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হত। তিনি জানান, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মৎস্যজীবীদের এমন একটি লাল বাস্কেট দিয়েছিলেন যাতে অনেকগুলি বোতাম লাগানো ছিল, বিপদে পড়ে যা টিপলে উপকূলরক্ষী বাহিনীর সাহায্য পাওয়া যেত। রাজকোটে শুরু হওয়া সৌনি যোজনা রূপায়ণের ক্ষেত্রে যেসব পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। কিছু কিছু মহলে প্রাথমিক সমালোচনা সত্ত্বেও এই প্রকল্পের দ্রুত অগগতি হয়েছে যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌনি যোজনা নর্মদাকে এমন একটা জায়গাতে নিয়ে পৌঁছেছে যা আশানুরূপ উন্নতি ঘটেছে। আজ যে সমস্ত প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে তাতে করে নর্মদার জলকে ভাবনগর এবং আমরেলির বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দেওয়া যাবে বলে ম�� প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে, ভাবনগরের গারিয়াধর, জেসর, মাহুবার পাশাপাশি আমরেলি জেলার রাজুলা, খাম্বারও অনেক কৃষক উপকৃত হবেন। আজ শিলান্যাস হওয়া প্রকল্পগুলির মাধ্যমে ভাবনগর, গির সোমনাথ, আমরেলি, বোতাড়, জুনাগড়, রাজকোট ও পোরবন্দর জেলার কয়েকশ’ গ্রাম এবং কয়েক ডজন শহর উপকৃত হবে বলে জানান শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ভাষণের শেষ প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাঁরা ছেড়ে চলে গেছেন তাঁদের সমর্থন করা ডবল ইঞ্জিন সরকারের সঙ্কল্প। তিনি আরও জানান, গুজরাটে গরীব কল্যাণ মেলার আয়োজন করা হয়। এরকমই একটি অনুষ্ঠানে তিনি ভাবনগরের এক বোনকে ট্রাইসাইকেল হাতে তুলে দিয়েছিলেন। সেটি পেয়ে সেই মেয়েটি বলেছিলেন যে সে কখনও ট্রাইসাইকেল চালায়নি। ফলে সে বৈদ্যুতিক ট্রাইসাইকেল দিতে বলে। এই ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, গরীবদের এই আশা ও স্বপ্ন তাঁকে শক্তি যোগাচ্ছে। নিরলস কাজ করে যাওয়ার শক্তি তাঁদের এই স্বপ্ন আর আশা থেকেই তিনি পান। গরীবরা যখন সম্মান এবং সুযোগ পান, তখন তাঁরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দারিদ্র্যকে কাটিয়ে উঠতে পারেন। ভাবনগরের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে আজকের এই প্রকল্পগুলি ভাবনগরের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণ করবে। তাঁর প্রতি মানুষের ভালোবাসা যে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে সেজন্য তিনি তাঁদের ধন্যবাদ জানান। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী শ্রী মনসুখ মাণ্ডব্য, সাংসদ শ্রী সি আর পাটিল, ডঃ ভারতীবেন শিয়াল এবং শ্রী নারানভাই কাচ্ছাড়িয়া অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ভাবনগরে বিশ্বের প্রথম সিএনজি টার্মিনাল এবং ‘ব্রাউন ফিল্ড’ বন্দরের শিলান্যাস হল। ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে এই বন্দর তৈরি হবে। এই বন্দর অত্যাধুনিক পরিকাঠামোসম্পন্ন এবং এতে বিশ্বের চতুর্থ সর্ববৃহৎ লকগেট ব্যবস্থা থাকবে। এই এলাকায় অন্য যে সমস্ত প্রকল্প তৈরি হবে তার চাহিদাও এই টার্মিনাল মেটাবে। এই বন্দর মারফৎ বর্তমানে যে সড়ক এবং রেল নেটওয়ার্ক রয়েছে তার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ গড়ে তুলবে অত্যাধুনিক কন্টেনার টার্মিনাল, বহু উদ্দেশ্যসাধক টার্মিনাল এবং লিকুইড টার্মিনাল। এতে পণ্য ওঠানো-নামানোর ব্যয় সাশ্রয় হবে এবং অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। স্বচ্ছ জ্বালানির চাহিদা মেটাতে বিক��্প শক্তি কেন্দ্র হিসেবে এই টার্মিনাল কাজ করবে। প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা আঞ্চলিক বিজ্ঞান কেন্দ্রে মেরিন অ্যাকোয়াটিক, অটোমোবাইল, নোবেল প্রাইজ, ফিজিওলজি এবং মেডিসিন, ইলেক্ট্রো-মেকানিক্স আর বায়োলজি সায়েন্সের গ্যালারি থাকবে। শিশুদের উদ্ভাবনী চিন্তার প্রসারের ক্ষেত্রে এইসব গ্যালারিগুলি সাহায্য করবে। এই সমস্ত বিভিন্ন প্রকল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বমানের পরিকাঠামো গড়ে তোলার সঙ্কল্প প্রতিফলিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বহুমুখী সংযোগ এবং শহরাঞ্চলীয় যাতায়াত ব্যবস্থা প্রসারিত হবে এবং মানুষের জীবনযাত্রার স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ানোর সরকারের যে লক্ষ্য তাই প্রতিফলিত হচ্ছে।",ভাবনগৰত ₹৫২০০ কোটিৰো অধিক মূল্যৰ প্ৰকল্প উদ্বোধন আৰু আধাৰশিলা স্থাপন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%B0/,"ভারতমাতার জয়, ভারতমাতার জয়, ভারতমাতার জয়, মঞ্চে উপস্থিত উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রদ্ধেয় রাম নায়েক মহোদয়, এই রাজ্যের জনপ্রিয় ও প্রাণশক্তিতে ভরপুর যশস্বী মুখ্যমন্ত্রী আদিত্য যোগীরাজ, উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ দীনেশ শর্মা, সাংসদ অধ্যাপক রামশঙ্কর কাঠরিয়া মহোদয়, ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ অধ্যক্ষ এবং সংসদে আমার সহযোগী ডঃ মহেন্দ্র পান্ডেজী, চৌধরী বাবুলালজী, শ্রী অনিল জৈন, সমস্ত মাননীয় ব্যক্তিবর্গ এবং আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, নতুন বছরে উত্তর প্রদেশে এটি আমার প্রথম জনসভা। আপনাদের সবাইকে নতুন বছরের অভিনন্দন জানাই। আমি আপনাদের মাঝে আসতে পারে নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করছি। যখনই আমার সমর্থনের প্রয়োজন হয়েছে, গোটা উত্তর প্রদেশ আমাকে আশীর্বাদে ভরিয়ে দিয়েছে। আপনাদের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা পূরণের জন্য আমি প্রতিনিয়ত সৎ প্রচেষ্টা করে যাই এবং চাই যে ভবিষ্যতেও এইভাবে আপনারা আমাকে আশীর্বাদ করে যাবেন। আর আমিও সমর্পণ ভাব নিয়ে দেশের সেবা করে যাব। আপনাদের সকলের আস্থা ও সহযোগিতার পরিণাম আমাদের ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ আন্দোলন একটি নতুন পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। একটু আগেই এখানে আগ্রার উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত যে সকল প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করা হয়েছে, সেগুলি নির্মাণ করতে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এই প্রকল্পগুলি পানীয় জল, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পয়ঃপ্রণালী, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আগ্রাকে স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার প্রকল্প। এগুলির জন্য আমি আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। এগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্পে জাপান সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, সেজন্য আমি জাপানকেও অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই। ভাই ও বোনেরা, আপনারা সবাই জানেন যে, বৃহত্তর আগ্রা ও মথুরা অঞ্চলে দীর্ঘকাল ধরে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। এখানে ভূগর্ভস্থ জলের স্বাদ পানের উপযুক্ত নয়। যে যমুনার ধারা এখানকার জীবনকে এক সময়ে সুজলা সুফলা করে তুলেছিল, আজ সেই নদীর জল দূষিত হয়ে পড়েছে। সেজন্য আমরা আপনাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আপার গঙ্গা খালের মাধ্যমে পানীয় জলের সমস্যা দূরীকরণের প্রকল্প গড়ে তুলেছি। আজ প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে আগ্রা জলসম্পত্তি পূর্তি গঙ্গাজল পরিযোজনা আপনাদের প্রতি সমর্পণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এই এলাকার লক্ষ লক্ষ পরিবার স্বচ্ছ পানীয় জল পাবে। আপনাদের জানাতে চাই যে, নমামি গঙ্গে মিশনের মতো আমরা যমুনা নদীর সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। ভাই ও বোনেরা, পানীয় জলের সমস্যা দূরীকরণের পাশাপাশি, আগ্রা শহরের পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থাকে আধুনিক করে তোলার জন্য অনেকগুলি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, এবার গঙ্গাজল পানের সৌভাগ্য আপনাদের হ’ল। বিশুদ্ধ পানীয় জল হলে শুধু তৃষ্ণা মেটে না, মানুষের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। গরিব মানুষ বেশি উপকৃত হন। এই শুদ্ধ জল আগ্রার প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করবে। সেজন্য এই প্রকল্পকে নিছকই একটি কারিগরি প্রকল্প হিসাবে না দেখে একে আগ্রায় জীবনের অমৃত ধারা হিসাবে দেখা উচিৎ। এই জল আগ্রার জীবনকে একটি নতুন শক্তি প্রদান করবে। ভাই ও বোনেরা, গোটা দেশে একটি অমৃত মিশন চলছে। এর মাধ্যমে আগ্রার পশ্চিম ভাগেও পয়ঃপ্রণালী নেটওয়ার্ক প্রকল্পের শিলান্যাস আজ হ’ল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে পয়ঃপ্রণালী বিছানো হবে, সেটি ৫০ হাজার বাড়ির সঙ্গে যুক্ত হবে। বন্ধুগণ, আগ্রা, দেশের সেই শহরগুলির অন্যতম, যেখানে স্মার্ট পরিষেবা বিকশিত হচ্ছে। সেজন্য আগ্রায় নতুন কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার নির্মাণের কাজ চালু হয়েছে। প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মীয়মান এই কেন্দ্রটি গোটা শহরের সমস্ত নাগরিক ব্যবস্থাপনাকে তদারকি করবে। ১ হাজার ২০০-রও বেশি নজরদার�� ক্যামেরা দিনরাত কাজ করবে। শহরের যে কোনও প্রান্তে কি হচ্ছে, তা জানা যাবে। কোথাও যানজটের সমস্যা থাকবে না। ময়লা আবর্জনা থাকবে না, পরিষ্কার করার দায়িত্ব যাঁদের, তাঁরা সঠিক সময়ে এসেছেন কিনা তা জানা যাবে। এই ব্যবস্থা বিদেশ থেকে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদান করবে। আগ্রা এমনিতেও দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। আমরা চাই যে, এখানকার পর্যটন বিগত ৭০ বছরের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিক। আগ্রার অর্থনীতিতে জোয়ার আসুক। এই পানীয় জল, নজরদারি ক্যামেরা, পয়ঃপ্রণালী সংস্কার, এই স্মার্ট সিটির উদ্যোগ, এই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, আর আজ যে রেলসেতু উদ্বোধন করলাম, হেলিপোর্টের শিলান্যাস করলাম – এই সব কিছু আগ্রায় পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করবে। পরিচ্ছন্ন পরিবেশে তাজমহলের মতো ঐতিহাসিক সৌধের চমক আরও বৃদ্ধি পাবে। এর দ্বারা পর্যটন শিল্প সরাসরি প্রভাবিত হবে। ভাই ও বোনেরা, কোনও দেশ কিংবা শহর ততক্ষণ স্মার্ট হতে পারে না, যতক্ষণ সেখানকার মানুষ সুস্থ না হন। এ কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সারা দেশে সস্তায় চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করার জন্য পরিকাঠামো গড়ে তুলছে। প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষার মাধ্যমে এখন আগ্রার এসএন মেডিকেল কলেজকে আরও উন্নত ও বিস্তার ঘটানো হচ্ছে। ২৫০-রও বেশি নতুন শয্যা যুক্ত হচ্ছে এবং সুপার স্পেশালিটি পরিষেবা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া, মহিলা হাসপাতালে ১০০ শয্যার প্রসূতি বিভাগ এবং ২টি পলিক্লিনিক উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। বন্ধুগণ, আগামীদিনে কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে দেশের হাসপাতালগুলির একটা বড় নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে। ছোট ছোট শহরগুলি এবং আধা-শহরগুলিতেও স্বাস্থ্য পরিষেবার বিস্তার ঘটবে। নবীন প্রজন্মের যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। অনেকে একে মোদি কেয়ারও বলেন। আজ দেশে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ এই প্রকল্পের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করছেন। অনেক মানুষ বিগত ৪-৫ বছর ধরে কঠিন রোগে ভুগছিলেন, অর্থের অভাবে মৃত্যুর অপেক্ষা করছিলেন। আর বাড়িতে একজন অসুস্থ মানুষ থাকলে পুরো পরিবারটাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। আয়ুষ্মান ভারত যোজনা চালু হওয়ার পর ১০০ দিনের মধ্যেই দেশে প্রায় ৭ লক্ষ গরিব ভাই-বোন ও শিশুরা এই প্রকল্পের সুবিধা লাভ করেছেন। ভাই ও বোনেরা, বিজেপি সরকারের উন্নয়নের ��ঞ্চধারা অর্থাৎ – ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, যুবকদের কর্মসংস্থান, বয়স্কদের ওষুধ, কৃষকদের সেচের জল এবং সকল মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনা সম্পর্কে আমরা দায়বদ্ধ। আগ্রা সহ উত্তর প্রদেশের প্রায় প্রতিটি জেলা ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্রসিদ্ধ। আগ্রার পেঠা বিশ্ব প্রসিদ্ধ; এখানকার অনেক পরিবারের আয়ের উৎস। কেন্দ্রীয় সরকার এবং বর্তমান উত্তর প্রদেশ সরকার এই ক্ষুদ্র শিল্পগুলিতে আরও প্রাণশক্তি যোগাতে চায়। রাজ্য সরকারের ‘এক জনপদ, এক পণ্য’ প্রকল্প রাজ্যের ঐতিহ্যসম্পন্ন ছোট ছোট শিল্পগুলির উন্নয়নে মাইল ফলক হয়ে উঠবে। এই প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অভিযানকেও শক্তি যোগাবে। বন্ধুগণ, আমাদের সরকার সর্বদাই ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে উন্নত করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীদের ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণ পেতে যাতে অসুবিধা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে অনলাইন ঋণের একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। মাত্র ৫৯ মিনিটের মধ্যেই ১ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর হওয়ার প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এছাড়া, বড় শিল্পোদ্যোগগুলি যাতে ছোট ছোট অনুসারি শিল্পগুলির সরবরাহ করা উপকরণের টাকা আটকে না রাখে, ক্যাশ-ফ্লো চলতে থাকে – সরকার সেদিকেও লক্ষ্য রেখেছে। যাঁরা বিদেশে রপ্তানি করেন, তাঁদের ঋণের সুদে ২ শতাংশ অতিরিক্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। এভাবে পরিবেশের ছাড়পত্র থেকে শুরু করে তদারকি পর্যন্ত নিয়মগুলিকে অনেক সরল করা হয়েছে। এই সকল প্রচেষ্টার মাধ্যমে আগামীদিনে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং আগ্রা ও তৎসন্নিহিত অঞ্চলের যুবসম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি হবে। নিয়ম-কানুন সহজ হলে তবেই ব্যবসা-বাণিজ্য বিস্তারলাভ করে। আমরা সেজন্য সারা দেশে অভিন্ন কর ব্যবস্থা রূপে জিএসটি প্রণয়ন করেছি। এর প্রক্রিয়া এতই সরল যে ব্যবসায়ী ও গ্রাহকরা সহজেই বুঝতে পারেন, উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক আগের তুলনায় অনেক বেশি নিবিড় হয়েছে। এই নতুন ব্যবস্থা মাত্র দেড় বছর হয়েছে। নিয়মিত গণঅভিযোগ নিরসনের মাধ্যমে এতে অনেক সংস্কারসাধনও হয়েছে। এত বড় দেশে এই একটি সাধারণ ব্যবস্থার সাফল্য বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়েছে। ভাই ও বোনেরা, অনেকে গুজব ছড়াচ্ছেন যে, জিএসটি নামে একটি নতুন কর চাপানো হয়েছে। আমি এটা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই যে, জিএসটি কোনও নতুন কর চাপানো নয়। আগে যেসব পণ্যের ক্ষেত্রে ১৮-৪০ শতাংশ কর দিতে হ’ত, সেগুলির মধ্যে ৯৯ শতাংশের কর হ্রাস করে ১৮ শতাংশের নীচে নিয়ে আসা হয়েছে। কোনোটায় ১৮, কোনোটায় ১২, কোনোটায় ৫ আবার কোনোটায় শূন্য শতাংশ কর নেওয়া হচ্ছে। সচেতন গ্রাহকরা এই ব্যবস্থার দ্বারা অনেক উপকৃত হয়েছেন। জিএসটি-কে ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের জন্য আরও সরল করার প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। গণঅংশীদারিত্বের মাধ্যমে জিএসটি কাউন্সিল আপনাদের সবার পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে এই সংস্কারের কাজ করছে। আমি জিএসটি কাউন্সিলকে অনুরোধ করেছি, যাতে কম লাভজনক শিল্পোদ্যোগের ক্ষেত্রে আরও কম কর নির্ধারিত হয়। জিএসটি কাউন্সিলে দেশের প্রত্যেক রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা রয়েছেন, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। তাঁরা সবাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেন। আমি তাঁদের অনুরোধ করেছি, যাতে জিএসটি-র আওতায় আসা শিল্পোদ্যোগগুলির বার্ষিক আয়ের সীমা ২০ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ লক্ষ করা হয়। এছাড়া, মধ্যবিত্তদের গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে যেন শুধু ৫ শতাংশ কর ধার্য হয়। আগেও আমি এই প্রস্তাব রেখেছিলাম। কিন্তু কয়েকটি রাজ্যের বিরোধিতায় কাউন্সিল সহমত হতে পারেনি। আমি আশা করি যে, এবার জিএসটি কাউন্সিল দেশের সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আমার এই দুটি অনুরোধ রক্ষার চেষ্টা করবে। বন্ধুগণ, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ নিছকই একটি শ্লোগান নয়, এটি সুশাসনের আত্মা। দেশের যে কোনও শ্রেণীর ব্যক্তি যাতে কোনও সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, আমরা তা সুনিশ্চিত করতে চাইছি। ভাই ও বোনেরা, গতকাল লোকসভায় কিভাবে ঐতিহাসিক বিল পাশ হয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার এত বছর পরে দেশের গরিবদের মধ্যে অসাম্যকে স্বীকার করে নিয়ে সমাধান খোঁজার একটি প্রচেষ্টা করা হয়েছে। সাধারণ শ্রেণীর গরিব পরিবারের ছেলেমেয়েরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি পরিষেবায় যাতে সংরক্ষণ পায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মজার বিষয় হ’ল – আগেও এ নিয়ে আমরা অনেক শ্লোগান শুনেছি, নির্বাচনের আগে অনেক প্রতিশ্রুতি শুনেছি। কিন্তু আমি গোড়া থেকেই বলে আসছি যে, ৫০ শতাংশের বাইরে গিয়ে সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া বেইমানি ছাড়া আর কিছু না। কারণ, ৫০ শতাংশের উপরে যেতে হলে সংবিধান সংশোধন না করে যাওয়া সম্ভব নয়। সংবিধান সংশোধন না করে কেউ যদি অন্য কাউকে সংরক্ষণ দিতে চায়, তা হলে সেটা গরিব, আদিবাসী, দলিত এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষদের সংরক্ষণের অধিকার থেকে চুরি করা হবে। আমি আজ অত্যন্ত আনন্দিত যে, একদিন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যে কথা বলতাম, আজ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আমি সেই ধারণাকেই কাজে লাগিয়েছি। লোকসভা সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয় এবং অন্য কারও সংরক্ষণের অধিকারকে খন্ডিত না করেই অতিরিক্ত সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে দেশের উচ্চ বর্ণের গরিব শিশুদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। কেউ কেউ বলছেন, মোদীজি এই বিল নির্বাচনের আগে কেন এনেছেন? আপনারাই আমাকে বলুন, আমাদের দেশে প্রত্যেক ছ’মাসেই কোথাও না কোথাও নির্বাচন হয়, তিন মাস আগে যদি এই বিল আনা হ’ত – তা হলে বলতেন, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানের নির্বাচনের আগে এনেছেন। তার আগে হলে বলতেন কর্ণাটক নির্বাচনের আগে এনেছেন। সেজন্য আমরা চেয়েছিলাম যে, দেশে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে পাঁচ বছর পর পর হোক। এরকম ৩-৬ মাস পর পর নির্বাচন হতে থাকলে পুলিশ আইন ব্যবস্থা দেখবে নাকি ভোটের বাক্স সামলাবে! কিন্তু আমাদের এই প্রস্তাব অন্যরা মানেনি। এই চৌকিদারকে দূর থেকে দেখে তাঁরা এতো ঘাবড়ে যান যে, ভাবেন আমাদের লেনদেন পরে হবে, আগে এই চৌকিদারকে হাটাও। একে হাটালে চুরি-ডাকাতির জীবন অনেক সহজ হবে। ভাই ও বোনেরা, উচ্চবর্ণের সমাজের দরিদ্রদের সংরক্ষণের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে ভারতের সংসদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে। এর ফলে, দেশের প্রত্যেক নাগরিক সমান অধিকার পাবেন। সেজন্য আমি প্রত্যেক সংসদ সদস্যদের কৃতজ্ঞতা জানাই। বন্ধুগণ, এই পদক্ষেপের ফলে দারিদ্র্যের কারণে পিছিয়ে পড়া দেশের লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী এগিয়ে আসার সুযগ পাবেন। এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের পাশাপাশি, আমরা উচ্চ শিক্ষা, প্রযুক্তিগত ও বাণিজ্যিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও ১০ শতাংশ আসন বৃদ্ধি করে উচ্চ শিক্ষার পরিসরকে বৃদ্ধি করেছি। কিন্তু যাঁরা নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য গুজব রটিয়ে বাজার গরম করছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রটিয়ে সমাজকে বিভক্ত করতে চাইছেন, তাঁদের ষড়যন্ত্রকে পরাস্ত করতে হবে। বন্ধুগণ, সরকার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটি হ’ল নাগরিকত্ব সম্পর্কিত সংবিধান সংশোধন। দেশ বিভাগের আগে এই উপ-মহাদেশের যে অঞ্চলগুলি ভারতের অংশ ছিল, নানা পরিস্থিতির শিকার হয়ে যাঁরা ধর্মীয় কারণে সেইসব অঞ্চল থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন, এই সংশোধনের মাধ্যমে আমরা তাঁদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছি। বিরোধী পক্ষের যে বন্ধুরা এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করছেন, আশা করি তাঁরা আমাদের ভাবনার সংবেদনশীলতাকে বুঝবেন। বন্ধুগণ, সাড়ে চার বছর আগে আপনারা আমাকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি একনিষ্ঠভাবে সেই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছি। সেজন্য আজ আপনাদের নিয়োজিত এই চৌকিদারের বিরুদ্ধে কারা একত্রিত হতে শুরু করেছে, সেটা আপনারা স্পষ্ট বুঝতে পারছেন। এই উত্তর প্রদেশে যাঁরা একদিন ইঁট, বালি, সিমেন্ট থেকে শুরু করে শোষিত-বঞ্চিতদের অধিকার হরণ করেছিলেন, তাঁরা আজ আমার দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। যাঁরা একদিন একে অপরের চোখের দিকে তাকাতেন না, তাঁরা পরস্পরের কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতি ঢাকার জন্য হাত মিলিয়েছেন। ভাই ও বোনেরা, রাজনৈতিক স্বার্থে তাঁরা লক্ষ্মৌ গেস্ট হাউসে লজ্জাজনক ঘটনা ভুলে, মুজফফরনগর সহ পশ্চিম উত্তর প্রদেশের অনেক অঞ্চলে যে অপকর্ম হয়েছিল, সব ভুলে এই চৌকিদারের বিরুদ্ধে পরস্পরের হাত ধরেছে। যখন ওদের বিরুদ্ধে অনেক তদন্ত চলছে, তখন তাঁরা এই ষড়যন্ত্রে সামিল হয়েছেন। ভাই ও বোনেরা, ২-৩ দিন আগে আপনারা সংসদে দেখেছেন যে, আমাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কিভাবে বিরোধী দলের নেতাদের অনেক মিথ্যার পর্দা ফাঁস করে দিয়েছেন। আমরা গর্বিত যে, স্বাধীন ভারতে আমাদের মন্ত্রিসভাতেই প্রথম একজন মহিলা দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হয়েছেন। আমরা নারীর আত্মাভিমানকে মর্যাদা দিয়েছি। তিনি যখন বিরোধীদের মিথ্যার পর্দা ফাঁস করলেন, তখন তাঁরা ঐ মহিলার ওপর ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু করেন। এভাবে তাঁরা শুধুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নয়, গোটা ভারতের নারী শক্তিকে অপমান করেছেন। আর এর মূল্য তাঁদেরই শোধ করতে হবে। ভাই ও বোনেরা, তাঁরা যতই চেষ্টা করুন, তদন্ত এজেন্সিগুলি নিজেদের কাজ করতে থাকবে, তাঁদের কাছে হিসাব চাইবে। বন্ধুগণ, আপনাদের নিয়োজিত চৌকিদার যদি এই পরিস্থিতি থেকে দেশকে উত্তরণ ঘটাতে পারে, তা মোদীর কৃতিত্বে হবে না, ১৩০ কোটি ভারতবাসীর বিশ্বাস ও আশীর্বাদের ফলেই হবে। ভাই ও বোনেরা, এখন আপনাদের মিশেল মামার কথা নিশ্চয়ই মনে পড়েছে। এখন যে তাকে ভারতে আনা হয়েছে। ইনি যদি এখন রাজসাক্ষী হয়ে হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস করে দেন, তা হলে তাঁদের কি হবে! সেজন্য মিশেলকে দেশে আনতে��� কংগ্রেস দ্রুত উকিল পাঠিয়ে তার হয়ে মামলা লড়ছে। ভাই ও বোনেরা, এখন চৌকিদারকে নিয়ে তাঁদের সমস্যা আরও বেড়ে গেছে। তাঁরা ভেবেছিলেন, মোদী মুখে যাই বলুক না কেন, সেও একদিন অন্য রাজনৈতিক নেতাদের মতো এমনি হয়ে যাবে। কিন্তু যখন দেখলেন, চার বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর সে চৌকিদারের ভূমিকা ছাড়ছে না, তখন তাঁরা প্রমাদ গুণছেন। আমি আরেকবার আপনাদের সকলকে এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলির জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনারা এত বিপুল সংখ্যায় আমাকে আশীর্বাদ দিতে এসেছেন, সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার সঙ্গে বলুন – ভারতমাতার জয়, ভারতমাতার জয়, ভারতমাতার জয়, আপনাদের সকলকে মকর সংক্রান্তি অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাই। …",আগ্ৰাত বহুমুখী প্ৰকল্পৰ উদ্বোধন তথা আধাৰশিলা স্থাপন কৰি দিয়া প্ৰধান মন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7/,"মাননীয় রাষ্ট্রপতি পল কগামে, সম্মানিত প্রতিনিধিগণ, সংবাদ মাধ্যমের সদস্যগণ, এই প্রথমবার ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী রোয়ান্ডা সফরে এসেছেন। আমার বন্ধু রাষ্ট্রপতি কগামে মহোদয়ের নিমন্ত্রণে আমার এই সৌভাগ্য হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের বন্ধুত্বপূর্ণ আতিথেয়তা, আমাকে এবং আমার সঙ্গে আসা প্রতিনিধিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা ও সম্মানের জন্য আমি হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাকে স্বাগত জানাতে স্বয়ং রাষ্ট্রপতি মহোদয় বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাঁর এই বিশেষ উষ্ণতাপূর্ণ আন্তরিকতা গোটা ভারতের নাগরিকদের সম্মানিত করল। আগামীকাল সকালে আমি কিগালি গণহত্যা স্মারকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করতে যাব। ১৯৯৪ সালে ঐ গণহত্যার পর রাওয়ান্ডায় যে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়, তা প্রকৃত অর্থে প্রশংসনীয় ও অতুলনীয়। রাষ্ট্রপতি কগামের দক্ষ নেতৃত্বে একটি কার্যকরি ও দক্ষ শাসন ব্যবস্থা আজ রাওয়ান্ডার অর্থনৈতিক উন্নয়নকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। বন্ধুগণ, ভারত ও রোয়ান্ডার সম্পর্ক সময়ের কষ্ঠিপাথরে পরীক্ষিত। আমাদের জন্য এটা গর্বের বিষয় যে রোয়ান্ডার আর্থিক উন্নয়ন ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নযাত্রায় ভারত আপনাদের বিশ্বস্ত অংশীদার। রোয়ান্ডার উন্নয়নযাত্রায় আমাদের অংশগ্রহণ ভবিষ্যতেও জারি থাকবে। আমরা প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, পরিকাঠামো উন্নয়ন �� প্রকল্প সহায়তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছি। আইসিটি-র মতো ক্ষেত্রগুলিতে রোয়ান্ডার জন্য অগ্রণী ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ক্যাপাসিটি বিল্ডিং-এর ক্ষেত্রে এই সহযোগিতা আমরা আরও বৃদ্ধি করব। আজ আমরা ২০০ মিলিয়ন ডলারের লাইন অফ ক্রেডিট এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেছি। আজ আমরা কয়েকটি নতুন ক্ষেত্র যেমন – চর্মশিল্প এবং ডেয়ারি গবেষণা সহ উভয় দেশের সহযোগিতার আরও কয়েকটি ক্ষেত্র নিয়েও আলোচনা করেছি। এই প্রসঙ্গে আমি আগামীকাল রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের সঙ্গে রবেরু আদর্শ গ্রাম যাত্রা নিয়ে অত্যন্ত আগ্রহী। ভারত একটি কৃষি প্রধান দেশ। আমাদের অধিকাংশ নাগরিক গ্রামে বসবাস করেন, সেজন্য রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের এই উদ্যোগ এবং গ্রামীণ জীবন উন্নয়নে রোয়ান্ডার অভিজ্ঞতা থেকে আমি উপকৃত হতে চাই। নির্মাণ ক্ষেত্র আতিথেয়তা ও পর্যটন সহ অনেক ক্ষেত্রে ভারত ও রোয়ান্ডার অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করা নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আর সেজন্য প্রেসিডেন্ট কগামে আর আমি আগামীকাল উভয় দেশের প্রধান বাণিজ্য নেতাদের সঙ্গে মিলিত হব এবং তাঁদের দেওয়া পরামর্শ নিয়ে আলোচনা করব। বন্ধুগণ, আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, শীঘ্রই আমরা রোয়ান্ডায় ভারতীয় হাই কমিশন চালু করতে যাচ্ছি। এরফলে, শুধু উভয় সরকারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বার্তালাপ সম্ভব হবে না, পাশাপাশি কনস্যুলর, পাসপোর্ট এবং ভিসা ও অন্যান্য পরিষেবাও সুলভ হবে। উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক আগামীদিনে আরও উচ্চস্তরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমি আশাবাদী। আমি আরেকবার রাষ্ট্রপতি মহোদয়কে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। আর ১২৫ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে রওয়ান্ডার জনগণকে শুভেচ্ছা জানাই। ধন্যবাদ",ৰুৱাণ্ডা ভ্ৰমণ কালত প্রধানমন্ত্রীৰ প্রেছ বিবৃতি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%95-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A3-3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%95-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A3%E0%A7%B0/,লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণের জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানালেনপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “শ্রদ্ধেয় লোকনায়ক জয়প্রকাশজির জন্মজয়ন্তীতে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি। তাঁরঅদম্য সাহস ও ন্যায়নিষ্ঠা প্রত্যেক ভারতীয়কে আজও অনুপ্রাণিত করে”।,লোকনায়ক জয়প��ৰকাশ নাৰায়ণৰ জন্মবাৰ্ষিকীত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ প্ৰণাম +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%B6%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%87/,"নয়াদিল্লি, ০৭ জুন, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ওয়েবসাইট narendramodi.in থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর স্বপ্ন পূরণে কিভাবে ভারত সরকার কাজ করেছে, সে সম্পর্কিত কয়েকটি নিবন্ধ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। এ সম্পর্কে তিনি MyGov প্ল্যাটফর্মের ট্যুইট থ্রেড শেয়ার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এক ট্যুইটে বলেছেন, “আমাদের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর স্বপ্ন পূরণে ভারত সরকার কিভাবে কাজ করেছে, সে সম্পর্কিত তথ্যমূলক কয়েকটি নিবন্ধ এখানে রয়েছে। #8YearsOfAspirationalMiddleClass”। সহজে জীবনযাপনের মান গত ৮ বছরে কিভাবে বেড়েছে, সে সম্পর্কিত ট্যুইট থ্রেড তিনি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। #8YearsOfAspirationalMiddleClass”।",‘আকাংক্ষী মধ্যবিত্ত শ্ৰেণীৰ ৮ বছৰ’ সন্দৰ্ভত লেখা আৰু টুইটাৰ থ্ৰেড শ্বেয়াৰ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A7%87-%E0%A7%A8%E0%A7%AA%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%97%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D/,"তথ্য প্রযুক্তি-ভিত্তিক ‘প্রগতি’র মঞ্চে আজ ২৪তম পর্যায়ের এক আলোচনা বৈঠকেমিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে ‘প্রগতি’র মঞ্চে প্রথম যে ২৩টি আলোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেখানে৯.৪৬ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের ২০৮টি প্রকল্প ও কর্মসূচি রূপায়ণের অগ্রগতিরবিষয়গুলি পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়াও, ১৭টি বিভিন্ন ক্ষেত্রের কাজকর্ম সম্পর্কেজনসাধারণের ক্ষোভ ও অভিযোগের নিরসন ও নিষ্পত্তির বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রী খতিয়েদেখেছিলেন ঐ বৈঠকগুলিতে। আজ ‘প্রগতি’র মঞ্চে কেদারনাথের পুনর্নির্মাণ ও পুনর্গঠন কর্মসূচির অগ্রগতিরবিষয়টি পর্যালোচনা করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ড্রোনের সাহায্যে তোলা ছবির মাধ্যমে এসম্পর্কে একটি উপস্থাপনা পেশ করা হয় উত্তরাখন্ড সরকারের পক্ষ থেকে। দিল্লি পুলিশের কাজকর্ম সম্পর্কে যে সমস্ত অভিযোগ পাওয়া গেছে, তার নিরসনেকি কি ব্যবস্থা এ পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়েছে, সে সম্পর্কেও খোঁজখবর নেনপ্রধানমন্ত্রী। তিনি জোর দেন ক্ষোভ ও অভিযোগ নিরসনের ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করেত���লার ওপর। রেল, সড়ক, বিদ্যুৎ এবং পেট্রোলিয়াম ও কয়লা ক্ষেত্র সহ ১০টি পরিকাঠামোপ্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনাও এদিন স্থান পায় ‘প্রগতি’র মঞ্চে। প্রকল্পগুলিরূপায়িত হচ্ছে -হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড,পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাডু এবং কেরলে। ৪০ হাজারকোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে রূপায়িত হচ্ছে এই সমস্ত প্রকল্প। ‘প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা’ এবং ‘প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনা’রূপায়ণের অগ্রগতিও এদিন খতিয়ে দেখেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী।",প্ৰগতিৰ যোগেদি প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ মত বিনিময় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A7%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4/,"নয়াদিল্লি, ১ নভেম্বর ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মোরবীতে দুর্ভাগ্যজনক সেতু দুর্ঘটনাজনিত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৈঠক করলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে কর্তৃপক্ষকে দুর্গত পরিবারের পাশে থাকতে হবে এবং এই দুঃখজনক মুহূর্তে সব রকম সাহায্য যাতে তাঁরা পান তা নিশ্চিত করতে হবে। আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধার কাজ এবং দুর্গতদের সাহায্য সম্পর্কে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই মুহূর্তে প্রয়োজন বিস্তারিত তদন্ত যাতে এই দুর্ঘটনার কারণগুলি জানা যায়। তিনি আরও বলেছেন, এই তদন্ত থেকে উপযুক্ত শিক্ষা নিয়ে তা দ্রুত রূপায়ণ করতে হবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি, গুজরাট সরকারের মন্ত্রী শ্রী ব্রিজেশ মের্জা, গুজরাটের মুখ্যসচিব, রাজ্যের ডিজিপি, স্থানীয় জেলাশাসক, এসপি, আইজি, বিধায়ক, সাংসদ এবং অন্য আধিকারিকরা। এর আগে মোরবীতে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। তিনি স্থানীয় হাসপাতালে যান যেখানে আহতদের চিকিৎসা চলছে। উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন এবং তাঁদের কাজের প্রশংসা করেন।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে মোৰবিত সমীক্ষা বৈঠকৰ অধ্যক্ষতা কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লি, ২৯ জুন, ২০২২ আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বছর জানুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি এবং আন্তর্জাতিক পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এজেন্সির মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি সম্পর্কে অবহিত করা হয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সম্পাদিত চুক্তির লক্ষ্য হল এক দূষণমুক্ত জ্বালানি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রসার ঘটানো। জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় এবং বর্তমান জ্বালানি ব্যবস্থাকে দূষণমুক্ত করতে ভারতের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা বিশেষভাবে উৎসাহিত হবে এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম-বহির্ভূত উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে উচ্চাকাঙ্ক্ষামূলক লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ভারতের, তাও বিশেষভাবে উৎসাহিত হবে এই চুক্তির আওতায়। এর ফলশ্রুতিতে প্রসার ঘটবে ‘আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচি’টিরও। কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার যে যে ক্ষেত্রগুলি বিশেষ গুরুত্ব পাবে তার মধ্যে রয়েছে – নির্মল জ্বালানি ও পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার বিনিময়, দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি পরিকল্পনায় ভারতের কর্মপ্রচেষ্টাকে সহায়তাদান, ভারতের উদ্ভাবন প্রচেষ্টার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি ও ব্যয়সাশ্রয়ী কার্বনমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা।",কেন্দ্রীয় মন্ত্ৰীসভাই ভাৰতৰ নবীন আৰু পুনর্নবীকৰণযোগ্য শক্তি মন্ত্রালয় (এমএনআৰই) আৰু আন্তর্জাতিক পুনর্নবীকৰণযোগ্য শক্তি এজেঞ্চী (আইআৰইএনএ)ৰ মাজত স্বাক্ষৰিত চুক্তিত অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9D%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%96%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9D%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8/,ঝাড়খন্ডের প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেনপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “ঝাড়খন্ডের প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্যবাসীকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।ঝাড়খন্ড রাজ্যটি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হোক এই প্রার্থনাজানাই”।,ঝাৰখণ্ডৰ প্ৰতিষ্ঠা দিৱস উপলক্ষে ঝাৰখণ্ডবাসীলৈ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শুভেচ্ছা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AA/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%89/,"নতুনদিল্লি, ৮ই নভেম্বর, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, শ্রী লালকৃষ্ণ আদবানিকে তাঁর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইটবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; “ শ্রদ্ধেয় আদবানিজিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি। মানুষের ক্ষমতায়ন ও আমাদের সাংস্কৃতিক গর্বকে আরো প্রসারিত করতে তাঁর উদ্যোগের জন্য দেশ শ্রী আদবানির কাছে চিরঋণী হয়ে থাকবে। তাঁর বিদ্যাচর্চা ও প্রজ্ঞার জন্য তিনি শ্রদ্ধার পাত্র।“",এল কে আদৱানি জীৰ জন্মদিন উপলক্ষে তেওঁক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AD-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%85%E0%A6%82%E0%A6%B6%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AD-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%85%E0%A6%82%E0%A6%B6%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%B9%E0%A6%A3/,"মঞ্চে উপস্থিত দেশের প্রথম মহিলা বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ মহোদয়া, বিদেশ প্রতিমন্ত্রী জেনারেল ভি কে সিং মহোদয়, শ্রদ্ধেয় বিনয় সহস্রবুদ্ধে মহোদয় এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সম্মানিত অতিথিবর্গকে আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে স্বাগত জানাই। আর গতকাল আপনারা যেখানে গিয়েছিলেন, সেই উত্তর প্রদেশ রাজ্যের একজন সাংসদ হিসাবে আমি আপনাদের বিশেষ সম্মানপূর্বক স্বাগত জানাই। আমাদের দেশে হিন্দু পরম্পরায় মনে করা হয়, যখন কেউ তীর্থযাত্রা থেকে ফেরেন, তখন তাঁকে প্রণাম জানালে তীর্থযাত্রী যতটা পুণ্যার্জন করেছেন, তার কিছুটা অংশ যিনি প্রণাম জানাচ্ছেন, তার ভাগেও জোটে। সেজন্য আপনারা যে অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাক্ষী থেকেছেন, সেই তীর্থযাত্রার পুণ্য ফলের কিছুটা অংশ আপনাদের স্বাগত জানিয়ে আমিও পেয়েছি। আপনারা আমার থেকেও বেশি ভাগ্যবান। কারণ, এবার এখনও পর্যন্ত আমি কুম্ভমেলায় যেতে পারিনি। কিন্তু আমি আগামীকাল যাব। যখন থেকে আমার জ্ঞান হয়েছে, তখন থেকে প্রত্যেক কুম্ভমেলায় যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আগামীকালও আমি যাব। কুম্ভমেলায় না গেলে কেউ বুঝতেই পারবেন না যে, এটি কত বড় ঐতিহ্যের প্রদর্শন। হাজার হাজার বছর ধরে নির্দিষ্ট দিনে ও নির্দিষ্ট সময়ে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এর জন্য কাউকে কোনও আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয় না। সেখানে কেউ অতিথি হিসাবে যান না, আর কেউ আতিথেয়তার চেষ্টাও করেন না। তবুও মা গঙ্গার চরণে যেখানেই কুম্ভ হয়, গোটা দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তীর্থযাত্রীরা সেখানে আসেন। আপনারা যে কুম্ভমেলা দেখে অত্যন্ত প্রভাবিত হয়েছেন, যা আপনাদের হৃদয় স্পর্শ করেছে, সেটি কিন্তু পূর্ণ কুম্ভ নয়। আপনারা অর্ধ কুম্ভ দেখে এসেছেন। কাজেই পূর্ণ কুম্ভ কেমন হয়, তা আপনারা অনুমান করতে পারেন! ভারতে সাংস্কৃতিক ঐক্যের গুরুত্ব অপরিসীম। এই সমাগম দেশের মানুষকে যতটা আধ্যাত্মিক প্রেরণা যোগায়, ততটাই সামাজিক সংস্কার আন্দোলনের অংশ হয়ে ওঠে। আগেকার দিনে আমাদের দেশে যেরকম গণতান্ত্রিক কাঠামো ছিল, তখনকার আধ্যাত্মিক নেতা, সমাজ সংস্কারক ও জ্ঞানী তপস্যীরা তিন বছর ধরে প্রব্রজ্যার মাধ্যমে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করতেন এবং সমাজ জীবনে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতেন, সেগুলির সমাধান তাঁরা কিভাবে করেছেন, সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে তাঁরা প্রত্যেক অর্ধ কুম্ভে ৪০ – ৪৫ দিন ধরে একসঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ভারতের কোথায় কোন্‌ প্রান্তে কী চলছে, সে বিষয়ে সবাইকে অবগত করা হ’ত। আর সেই আলোচনা থেকে যা কিছু ভালো, সেগুলির ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্তে উপনীত হতেন, সেই বার্তা নিয়ে সবাই ফিরে যেতেন। আর ১২ বছরে একবার এই পুরো সময়ের মধ্যে যে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেগুলির প্রয়োগ কোথায় কতটা সফল হয়েছে, আর কোথায় ব্যর্থ হয়েছে, তা নিয়ে পর্যালোচনা করতেন। সমাজে আর কী পরিবর্তনের প্রয়োজন, তা যথাযথ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হ’ত। সেখানে সামাজিক, ধার্মিক এবং রাজা-মহারাজাদের মতো রাজনৈতিক নেতারাও সামিল হতেন। তাঁরা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে সেসব সিদ্ধান্ত মেনে চলতেন। এই মেলার আধ্যাত্মিক আবহের ঊর্ধ্বে এহেন সামাজিক কার্যকারিতা সম্পর্কে বিশ্ববাসী অবহিত নন। আপনারা এবারেও হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, কুম্ভমেলায় কোনও না কোনও সামাজিক বার্তা ছিল। সাধারণ মানুষের উপকারে লাগে – এরকম বার্তা ছিল। সেখানে কোনও বৈষম্যকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রত্যেক তীর্থযাত্রী গঙ্গা স্নান করেছেন। নিজের নিজের আস্থা অনুসারে পুজো ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। সমগ্র বিশ্ব যখন শান্তির খোঁজে রয়েছে, ভারত স্বাভাবিকভাবেই তখন পর্যটনের গন্তব্য হয়ে উঠছে। ব্যক্তিগত জীবনের দৌড়-ঝাঁপ থেকে কিছুটা সময় বের ক��ে মানুষ নিজের জন্য, নিজের অন্তর্যামীর সঙ্গে কাটাতে চায়। ধন, বৈভব, সমৃদ্ধি, আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন হোটেল – এসব কিছু মানুষকে প্রভাবিত করে ঠিকই, কিন্তু প্রেরণা যোগায় না। তথাকথিত উন্নয়ন থেকে বিতশ্রদ্ধ হয়ে তাঁরা প্রেরণার খোঁজে থাকেন। যাবতীয় বৈষয়িক সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও কত মানুষ অন্তর্নীহিত আনন্দ খুঁজতে কুম্ভে আসেন, জীবনের নতুন পথ খোঁজেন, তা হয়তো আপনারা অনুভব করেছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আপনারা যখন দেশে ফিরে যাবেন, তখন অনেকেই আপনাদের জিজ্ঞেস করবেন যে, কী দেখেছেন? একটা নদীতে ডুব দেওয়ার জন্য এত টাকা খরচ করে কেন গিয়েছিলেন? এবার কুম্ভমেলায় গিয়ে সেখানকার অস্থায়ী ব্যবস্থাপনা দেখে আপনারা হয়তো ভারতের সংগঠনমূলক সামর্থ্য কতটা, তা অনুভব করেছেন। আমাকে বলা হয়েছে যে, সেখানকার তথ্য কেন্দ্রে প্রতিদিন হাজার হাজার হারিয়ে যাওয়া মানুষ, বিশেষ করে, হারিয়ে যাওয়া শিশুদের খবর আসে। এত লোকের ভিড়ে দু – একটি শিশু কিংবা বয়স্ক মানুষ হাতছাড়া হয়েই যেতে পারেন। কিন্তু মেলা-প্রাঙ্গণের অন্বেষণ ব্যবস্থা এত সুন্দর যে, এত হাজার হাজার হারিয়ে যাওয়া মানুষকে ঠিক তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রয়াগরাজের গঙ্গাতটে এই ৪০ দিনে ২২ কোটিরও বেশি মানুষ একত্রিত হয়েছিলেন। প্রতিদিন গঙ্গাতটে ইউরোপের অনেক দেশের জনসংখ্যারও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তা সত্ত্বেও এবারের কুম্ভমেলা পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে উদাহরণ স্থাপন করেছে। অর্থাৎ, আমাদের দেশে সেই সামর্থ্য রয়েছে। এই ব্যবস্থা হয়তো বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনার ছাত্রদের জন্য একটি কেস স্টাডির বিষয় হয়ে উঠতে পারে। এজন্য আমি ভারতের বিদেশ মন্ত্রক, বিশেষ করে, সুষমা স্বরাজ মহোদয়াকে অন্তর থেকে অভিনন্দন জানাই। তিনি ও তাঁর মন্ত্রক কুম্ভমেলাকে নিছকই একটি দায়িত্ব পালনের বিষয় হিসাবে নেননি। এর সামাজিক দৃষ্টিকোণের সঙ্গে শ্রদ্ধা, সাংস্কৃতিক চেতনা এবং আধুনিক প্রযুক্তির মেল-বন্ধনকেও সফলভাবে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। ভারতে এই প্রথম এই ধরণের মেল-বন্ধনের প্রচেষ্টা হয়েছে। আপনারা এসে এই প্রচেষ্টাকে সাফল্যমণ্ডিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সেজন্য আপনাদেরও আমি অনেক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই। ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে বিশ্বকে আকর্ষিত করার যে অভূতপূর্ব সামর্থ্য রয়েছে, ��া বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে আমরা দৃঢ় সংকল্প। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আপনাদের মাধ্যমে বিশ্ববাসী এই আধুনিক ভারতকে চিনবে। আগামীদিনে আমাদের দেশে সাধারণ নির্বাচন হবে। কুম্ভমেলার মতোই সাধারণ নির্বাচনের সময়ে সারা দেশে প্রযুক্তির মাধ্যমে যে অস্থায়ী ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে, তাও একটি দেখার মতো বিষয়। ৮০ কোটি মানুষ নিজেদের স্বাধীন মতপ্রকাশ করবেন। এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ নির্বাচন ব্যবস্থা। আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছি যে, যাতে এবারের নির্বাচনে বিদেশ থেকে অনেক অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়, তাঁরা নির্বাচন পর্যটনে আসবেন। কেউ মার্চের দ্বিতীয়-তৃতীয় সপ্তাহে আসবেন, কেউ শেষ সপ্তাহে কিংবা এপ্রিল কিংবা মে মাসে আসবেন। বিশ্বের প্রতিটি দেশ থেকে অন্তত দু’জন প্রতিনিধি প্রত্যেক সপ্তাহে এসে দেখে যাবেন, আর ভারতের গণতন্ত্রের শক্তি ও সামর্থ্যকে অনুভব করবেন। আপনারা যখন অক্ষয়বট দেখেছেন, তখন ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের আধ্যাত্মিক অনুভূতি সম্পর্কে পরিচিত না হলেও এতটা নিশ্চয়ই বুঝেছেন যে, এই দেশ কতটা প্রকৃতি-প্রেমিক। হাজার হাজার বছর ধরে একটি বৃক্ষকে বিশ্বাসের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখার মাধ্যমে এদেশের সমাজ বৃক্ষগুল্মের মধ্যে পরমাত্মাকে দেখে। এই সমাজকে যদি বিশ্ববাসী আগে বুঝতে পারতো, এই দর্শন মেনে যদি বিশ্ব চলতো, তা হলে কখনও আবহাওয়া পরিবর্তন কিংবা বিশ্ব উষ্ণায়নের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হ’ত না। এই বৃক্ষ একটি প্রতীক মাত্র। বৃক্ষগুল্মের মধ্যে পরমাত্মা দর্শন আমাদের দেশের মানুষকে প্রকৃতির সঙ্গে সহবাসে অভ্যস্ত করেছে। এই সহবাস এবং প্রকৃতির প্রতি অপার শ্রদ্ধাই মানবজাতিকে টিকিয়ে রাখতে পারে। প্রকৃতি বিরোধী নানা কাজের ফলেই মানবজাতি আজ সঙ্কটের সম্মুখীন। আর সেই সঙ্কট থেকে মুক্তির উপায় দেখাতে পারে আমাদের মহান পরম্পরা। এই অক্ষয়বটের দর্শন, নদীর প্রতি শ্রদ্ধা, অত্যাধুনিক বিশ্ব মানের ব্যবস্থাপনা সারা পৃথিবীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য যেমন কেস স্টাডির বিষয় হয়ে উঠতে পারে, তেমনই ভারতের মহান পরম্পরা মানবজাতির কল্যাণে পথপ্রদর্শক হয়ে উঠতে পারে। এই অনুভবের কথা আপনাদের কাছে বলতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত ও আনন্দিত। আমি আরেকবার আপনাদের সকলকে অন্তর থেকে স্বাগত জানাই। যতটা সময় আপনারা এদেশে থাকার সুযোগ পাবেন, ভারতকে ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন, আর ফিরে গিয়ে বিশ্ববা���ীকে নতুন ভারত দর্শনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলুন। তাঁরা যতটা জানেন, ভারত তারচেয়ে কিছুটা বেশি। এই ভারত আগামীদিনে মানবজাতিকে নতুন পথ দেখানোর সামর্থ্য রাখে। আপনারা এই মহান পরম্পরার রাজদূত হয়ে নিজের দেশে ফিরে যাবেন – এটাই আমার শুভেচ্ছা। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",কুম্ভ বিশ্বজনীন অংশগ্ৰহণ অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B8/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ (২১শে অক্টোবর, ২০১৮) পুলিশ স্মৃতিরক্ষা দিবসে জাতীয় পুলিশ স্মারক জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন। প্রধানমন্ত্রী নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর নামাঙ্কিত পুরস্কার ঘোষণা করেন। বিপর্যয় মোকাবিলার কাজে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের এই সম্মান প্রদান করা হবে। বিপর্যয়ের হাত থেকে মানুষের জীবন রক্ষা করতে গিয়ে যাঁরা সাহসিকতার পরিচয় দেন, এখন থেকে প্রতি বছর তাঁদের সম্মানে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। শ্রী নরেন্দ্র মোদী জাতীয় পুলিশ স্মারকে পুষ্পস্তবক প্রদান করেন এবং শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। হট স্প্রিংস দুর্ঘটনায় প্রাণে রক্ষা পাওয়া তিনজনকে প্রধানমন্ত্রী সম্মানিত করেন। জাতীয় পুলিশ স্মারক সংগ্রহালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে ভিজিটর্স বুকে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশের সেবায় জীবন উৎসর্গ করেছেন এমন বীর ও সাহসী পুলিশকর্মীদের কুর্ণিশ জানান। লাদাখের হট স্প্রিংস-এ যে বীর পুলিশকর্মীরা সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁদের স্মরণ করেন এবং তাঁদের পরিবারবর্গ এবং প্রিয়জনদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। জাতীয় পুলিশ স্মারক উৎসর্গ করতে পেরে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, স্মারকের মূল স্থাপত্যটি পুলিশবাহিনীর ক্ষমতা, সাহস ও সেবার প্রতি নিয়োজিত থাকার প্রতীক। তিনি আরও জানান যে জাতীয় পুলিশ স্মারকের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি বস্তু নাগরিকদের পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর সাহসিকতা সম্বন্ধে শিক্ষা দেবে ও অনুপ্রেরণা যোগাবে। দেশে বর্তমানে যে শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির বাতাবরণ রয়েছে তা পুলিশ, আধা-সামরিক ও সামরিক বাহিনীর ত্যাগ ও অবিরাম প্রয়াসের ফলেই সম্ভব হয়েছে বলে ��্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। জাতীয় ও রাজ্যস্তরের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর অবদানের কথাও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনী বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে তারা অসাধারণ অবদান রাখে। প্রধানমন্ত্রী জানান, এনডিএ সরকার জাতীয় পুলিশ স্মারকের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে এবং এই স্মারক তৈরির কাজ ঠিক সময়মতো শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, দেশ গঠনের কাজে যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তাঁদের যথোপযুক্ত সম্মান প্রদান সংক্রান্ত সরকারের চিন্তাধারার প্রতিফলন এই স্মারক। প্রযুক্তির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পুলিশবাহিনীকে সেবা নিবৃত্তিতে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের প্রয়োগের আহ্বান জানান। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পুলিশবাহিনীর আধুনিকীকরণ প্রকল্পের (এনপিএফ) কথা উল্লেখ করেন। আধুনিক প্রযুক্তি, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে পুলিশবাহিনীর আধুনিকীকরণের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশ ও সমাজের মধ্যে যোগাযোগ আরও জোরদার করে তুলতে পুলিশবাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেকটি পুলিশ স্টেশনকে আরও নাগরিক-বান্ধব করে তোলার আহ্বান জানান। জাতীয় পুলিশ স্মারকের বিভিন্ন অংশের মধ্যে একটি মূল স্থাপত্য রয়েছে এবং একটি ‘ওয়াল অফ ভ্যালর’ রয়েছে যেখানে সেইসব পুলিশকর্মীদের নাম খোদাই করা রয়েছে যাঁরা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন। এছাড়া, শহীদ পুলিশকর্মীদের স্মৃতিতে একটি অত্যাধুনিক সংগ্রহালয়ও স্থাপন করা হয়েছে। /",ৰাষ্ট্ৰীয় আৰক্ষী স্মৃতিসৌধ দেশলৈ উৎসৰ্গা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰঃ সুভাষ চন্দ্ৰ বসুৰ নামত বঁটা ঘোষণা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ০৯ অগাস্ট, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মহারাষ্ট্র সরকারে আজ যে সকল মন্ত্রীরা শপথ নিয়েছেন, তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ যাঁরা মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন, তাঁদের সকলকে অভিনন্দন। এই মন্ত্রিসভা প্রশ��সনিকভাবে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও সুশাসন দানে উৎসাহীদের এক অপূর্ব সম্মিলন। রাজ্যবাসীর সেবার জন্য তাঁদের আমি শুভেচ্ছা জানাই”।",মহাৰাষ্ট্ৰ চৰকাৰৰ মন্ত্ৰী হিচাপে শপত গ্ৰহণ কৰা সকলোকে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ অভিনন্দ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%A6%E0%A7%AB-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%85/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B9%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4-2/,"বন্ধুগণ, এটি ২০১৮ সালের প্রারম্ভিককাল। আমি আপনাদের সবাইকে অনেক অনেকশুভেচ্ছা জানাই। এই ভবনের এটি প্রথম বড় অনুষ্ঠান। বিগত ৭ ডিসেম্বর, ২০১৭’তে আমি এইবাড়িটিকে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছিলাম। যে মহাপুরুষের নামের সঙ্গে এই ভবন যুক্ত,আমাদের প্রত্যাশা যে তাঁর দর্শন নিয়ে বিশ্বময় ভাবনাচিন্তা হবে। বাবাসাহেবেরনামাঙ্কিত এই ভবনে আয়োজিত যে কোনও অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায় কারণ তিনি সারাজীবন সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে রচিত আমাদের সংবিধানও এই প্রত্যাশা পূরণের জন্য একটি কাঠামোপ্রদান করেছে। এখন সামাজিক ন্যায় শুধুই একটি সামাজিক ব্যবস্থার মধ্যেই সীমিত থাকেনা। ক্ষেত্র বিশেষেরও পিছিয়ে পরে থাকা একটি অন ্যায়ের ফল বলেই আমি মনে করি। কোনওগ্রাম পিছিয়ে পড়লে যে শুধু ঐ নির্দিষ্ট গ্রামটিই একটি সত্ত্বা সমষ্টির মধ্যেপিছিয়ে পড়ে – এমনটি নয়। সেই গ্রামের বাসিন্দারা সমস্ত সুযোগ-সুবিধা, তাঁদেরঅধিকার, সবকিছুই অন্যায়ের শিকার হয়। আর সেজন্য এই ১১৫টি জেলার উন্নয়ন, সেইবাবাসাহেব আম্বেদকরের সামাজিক ন্যায়ের অঙ্গীকারের একটি বিশাল ব্যবস্থাগতসমাধান-সাধনের প্রয়াসের অংশ হয়ে উঠবে। আর সেই অর্থে এই ভবনেপ্রথম অনুষ্ঠানটি আমার মতে একটি অত্যন্ত শুভ সংকেত বহন করছে। আপনারা দু-তিন দিন ধরে আলাপ-আলোচনা করছেন। অভিজ্ঞতার নিরিখে আমি বলতে পারিযে, আমাদের দেশে যদি একবার আমরা দৃঢ়সংকল্প গ্রহণ করে কোনও কাজ শুরু করি; সে কাজেঅবশ্যই সাফল্য আসে। দেশে সমস্ত ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ হওয়ার পরও ৩০ কোটিরও বেশি মানুষেরকাছে এই ব্যবস্থা অধরা থেকে গিয়েছিল। কিন্তু একবার দেশবাসী সিদ্ধান্ত নিলেন যে,আগে যা হয়েছে, যেমন চলেছে – তা আর চলবে না! তখনই জন ধন অ্যাকাউন্ট খোলার অভিযানশুরু হলে সেটি ক্রমে গণআন্দোলনে পর্যবসিত হয় আর দেশের অন্তিম প্রান্তে বসে থাকামানুষটিও নিজেকে দেশের অর্�� ব্যবস্থার মূলস্রোতের অংশ বলে ভাবতে শুরু করেন। এটি এইদেশ, এই সরকারের কর্মচারীবৃন্দ এবং দেশের ব্যাঙ্কগুলি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেইবাস্তবায়িত করে দেখান। আমরা তো দীর্ঘকাল ধরেই সারা দেশের সমস্ত মানুষকে শৌচাগার ব্যবহারের কথা বলেআসছি, অনেক প্রকল্প তৈরি হয়েছে, বাজেট বরাদ্দ হয়েছে, রিপোর্ট হ’ত, কাজে অগ্রগতিওহ’ত। আপনারা যদি বলতেন, গতকাল অব্দি এই পরিসংখ্যান ছিল, আজ এতটা কাজ হয়েছে, তা হলেএই ভেবে আপনারা খুশি হতেন যে আগে আমরা বছরে পাঁচ পা এগোতাম, এখন বছরে ছয় পাএগিয়েছি, সাত পা গিয়েছি। এভাবে আমাদের খুশি করার পদ্ধতিও হয়তো গড়ে তোলা হয়েছিল। আমরাসমাধান খোঁজার পথও অত্যন্ত সাধারণ পদ্ধতিতেই খুঁজে নিতাম। আর এই সমস্যাপ্রত্যেকবার সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ত। মেয়েরা কেন স্কুলছুট হয়? কারণ, বিদ্যালয়েশৌচাগার নেই। অধিকাংশ মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ কী? কারণ, শৌচাগার নেই। আমরাদৃঢ় সংকল্প নিলাম যে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে, সবাইকে সংবেদনশীল করে তুলতেহবে, সচেতনতা বাড়াতে হবে। আমরা দেখলাম যে, এই টিমই সাধারণত সারা বছরে যত কাজ করে,একই ব্যবস্থা, একই আইন মেনে তাঁরাই এর অনেক গুণ কাজ করে দেখিয়েছে। ৪ লক্ষেরও বেশিবিদ্যালয়ে শৌচাগার নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে, আর যথাসময়ে তদারকি হয়েছে। প্রত্যেকেছবি তুলে আপলোড করেছেন, যাতে যে কেউ চাইলে দেখতে পারেন। এই দেশের, এই সরকারিব্যবস্থাই এত অল্প সময়ে এই অসাধ্যসাধন করে দেখিয়েছে। আমরা ঠিক করলাম যে, ১ হাজার দিনের মধ্যে দেশের যে ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎপৌঁছয়নি, সেই গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব। তার আগে যখন সংশ্লিষ্টউচ্চ-আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখন তাঁরা বলছিলেন যে, এতগুলি গ্রামে বিদ্যুৎপৌঁছতে ৫-৭ বছর তো লাগবেই। কিন্তু যখন আমি তাঁদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলাম যে,১ হাজার দিনের মধ্যেই ঐ ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে হবে, তাঁরা সেইচ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করে একই ব্যবস্থা, আইনকানুন, একই ফাইল চালাচালির প্রক্রিয়া, একই পরম্পরা, একই প্রযুক্তি ওপদ্ধতি অবলম্বন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ঐ টিম নিয়েই ১৮ হাজার গ্রামে সাফল্যেরসঙ্গে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। মাটি পরীক্ষা নতুন বিষয় ছিল। দেশের অধিকাংশ কৃষক এই সুবিধা সম্পর্কে অবগতছিলেন না। কিন্তু আমরা দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করলাম যে, প্রত্যেক কৃষকের কাছে মৃত্তিকাস্বাস্থ্য কার্ড তুলে দেবই। সেই কার্ডে তাঁদের ক্ষেতের মৃত্তিকার গুণাগুনবিশ্লেষণের ফলাফল লেখা থাকবে। একই ব্যবস্থা, একই টিমের সদস্যরা দৃঢ় সংকল্প নিয়েপূর্ণ উদ্যমে কাজ করছেন, আর আমাকে বলা হয়েছে যে, তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেইলক্ষ্য পূরণে সক্ষম হবেন। আমি একথা বলার জন্য এই উদাহরণগুলি দিচ্ছি যে, আমরা অসীম ক্ষমতার অধিকারী।আমরা অপার সম্ভাবনার যুগে এই ব্যবস্থার নেতৃত্ব দিচ্ছি। আর আমরাই অসংখ্য সুযোগেরজন্ম দিয়ে অনেক অপ্রতীম সিদ্ধির জন্মদাতাও হয়ে উঠতে পারি। আমি স্বয়ং আপনাদের মাঝেথাকতে থাকতে অনুভব করছি ও শিখছি আর আমার বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়ে উঠছে। এভাবেই অনেকস্থগিত কাজ বাস্তবায়িত করার কথা ভেবেছি। আপনাদের কাছে ইচ্ছা প্রকাশ করেছি। তারপরইআপনাদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে যে, আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে কাজটি করে ফেলতেপারব! ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’-এ ভারত এতটা পিছিয়ে ছিল, একথা শুনে কিংবা পড়ে ক্ষমতাসীনকোনও সরকারের কাণ্ডারী চিন্তিত হননি, ব্যথিত হননি – এটা আমি বিশ্বাস করি না।প্রত্যেকেই চিন্তিত ছিলেন আর প্রত্যেকেই নিজের মতো করে সমাধানের চেষ্টাও নিশ্চয়ইকরেছেন। বিশ্ববাসীর নজরে আমরা কতদিন পিছিয়ে থাকব। একথা ঠিক যে, বর্তমানআন্তর্জাতিক পরিস্থিতি অনুসারে আমাদের বিদেশনীতি নির্ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।সেখানে কোনও ব্যক্তি বা দলের পছন্দ মতো করে এগোলে চলবে না। এভাবে দেশের স্বার্থমাথায় রেখে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে অগ্রগতি ঘটানোর ইতিবাচক ফল হিসাবে যে পরিবেশ গড়েউঠেছে, ভারতের প্রতি যে আকর্ষণ সৃষ্টি হয়েছে, সেই আকর্ষণ দেশের পক্ষে লাভদায়ক হয়েউঠছে, সুযোগে পরিবর্তিত হচ্ছে। সেই বিশ্বাস থেকেই ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’-এর জন্য আমাদের ত্রুটিগুলিকেচিহ্নিত করেছি। কোন্‌ কোন্‌ রাস্তা খুলতে পারে, তা বুঝতে ছোট কর্মশালা করেছি।পদ্ধতিগতভাবে এক পা, দু পা, তিন পা করে এগিয়েছি। সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণজানিয়ে তাঁদের সঙ্গে একে একে কথা বলেছি, বোঝাপড়া বাড়িয়েছি। সমস্ত রাজ্যেরমুখ্যসচিব, মুখ্য আধিকারিকদের ডেকে তাঁদের সঙ্গেও বোঝাপড়া তৈরি করেছি। তাঁদেরবাস্তবায়নে নানা সমস্যার খুঁটিনাটি জেনে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয়কর্তা ও আধিকারিকদের সঙ্গে বসে সমাধানের পথ খুঁজেছি। অনেক হোমওয়ার্ক করে সমাধানেররাস্তা পেয়েছি। এর ফলস্বরূপ, বিশ্বে ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’-এর তালিকায় ২০১৪ সাল��র১৪২ নম্বর জায়গা থেকে শুরু করে, ২০১৭’তে ১০০ নম্বরে পৌঁছে গেছি। ৪২ স্থান এগিয়েযাওয়ার, এই উল্লম্ফনের সাফল্য কাদের? কোনও খবরের কাগজে সম্পাদকীয় লেখার মাধ্যমে এইসাফল্য আসেনি। কোনও টিভির পর্দায় নেতার ছবি দেখিয়ে কিংবা কোনও নেতার আকর্ষকবক্তৃতা শুনিয়ে এই সাফল্য আসেনি। এই সাফল্য এসেছে আপনাদের প্রচেষ্টায়। আপনাদেরপরিশ্রম, কর্মোদ্যম ও একনিষ্ঠতার মাধ্যমে। আর এরফলে আমার মনে একটি বিশ্বাস পোক্তহয়েছে যে, আমরা যদি সমস্যার শিকড়ে গিয়ে পথ খুঁজি ….. আর একথা ঠিক যে উপর থেকেচাপিয়ে দেওয়া জিনিস জীবিত থাকলেও তাতে প্রাণ থাকে না। আর প্রাণ না থাকলে তার কোনওপরিচিতি গড়ে ওঠে না, তা থেকে কোনও সুফলও পাওয়া যায় না। আপনারাই সেইসব মানুষ, যাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, আপনারা যে পথে চলছেন, সেই পথদিয়ে পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা ১৫-২০ বছর আগে গিয়েছেন, ২৫ বছর আগে তাঁরাসেপথে হেঁটেছেন। আর আজ তো বিশ্ব অনেক বদলে গেছে। আজ প্রত্যাশাগুলিও বদলে গেছে,ভাবনা বদলেছে, ব্যবস্থাও বদলেছে। এসব কথা আপনারা খুব ভালোভাবে জানেন। কারণ, আপনারাপ্রতিদিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। সমাধানের উপায় খুঁজতে ছটফট করছেন। যেসবস্বপ্ন নিয়ে মুসৌরির অ্যাকাডেমিতে পা রেখেছিলেন, এখন সেগুলি বাস্তবায়িত করার সুযোগখুঁজছেন। কারণ, আপনারা জানেন যে, এখন যদি কাজ না করতে পারেন, ৫-৭ বছর পর দায়িত্ববদলে যাবে, তখন ক্ষমতা বাড়লেও কাজ করার শক্তিই হয়তো থাকবে না। আমি বলব যে, আজ আপনার ভাবনাগুলিকে বাস্তব রূপ দেওয়ার সবচেয়ে বড় সুযোগএসেছে। আপনি কী ভাবছেন? আপনাদের অভিজ্ঞতা কী বলে? রোডম্যাপ আঁকার সময় আপনাদেরনিজস্ব অনুভবে কোন্‌ বিষয়গুলি অগ্রাধিকার পাচ্ছে, তা আমি আপনাদের ‘প্রেজেন্টেশন’-এদেখতে পাচ্ছিলাম। আমি অনুভব করছিলাম যে, আপনারা বিষয়টি কত গভীরে গিয়ে বুঝেছেন।বাজেট ঠিক আছে, অন্য সব কিছুই ঠিক আছে, কিন্তু সমস্যাটা কোথায় – সেটার অন্বেষণেআপনারা সফল হলেই পথ খুলে যাবে! আজ আমি দেখছিলাম যে, আপনাদের ‘প্রেজেন্টেশন’গুলিতে পরিচ্ছন্ন চিন্তার ছাপরয়েছে। আমি এটাও অনুভব করছিলাম যে, সিদ্ধান্তের প্রতি বিশ্বস্ততা আপনাদেরআত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। আর আমি বক্তাদের পাশাপাশি শ্রোতাদের চোখমুখেও প্রভাবিতহওয়ার ঔজ্জ্বল্য দেখেছি। স্লাইডের পাশাপাশি পাশে দাঁড়ানো মানুষদের চোখেও কাজ করারদীপ্তি দেখেছি। আমার চোখের সামনে ‘নতুন ভারত’ দৃশ্যমান হয়ে উঠছিল। সেজন্য এই সামগ্রিকতার মনোভাবকেই আমরা সবাই মিলে এগিয়ে নিয়ে যাব। এখনমানুষের স্বভাব যেমন …., আমি সার্বজনিক জীবনে কাজকরে এসেছি, সংগঠনের কাজেই আমার জীবনের অধিকাংশ কেটেছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলছি,মানুষের স্বভাবই হ’ল যে, সবচেয়ে সহজ কাজটি সে সবার আগে করে। স্কুলে পড়ার সময় শিক্ষক মশাই এটা শিখিয়েছেন যে, সহজ প্রশ্নের উত্তরগুলি আগেলিখতে হয়। কঠিনগুলি তারপর চেষ্টা করতে হয়। আর সেজন্য আমাদের মানসিক গড়নটাই এমন হয়েযায় যে আমরা শুধু সহজ কাজটাই করতে ভালোবাসি। সহজ কাজ করতে করতে হঠাৎ কোনওপ্রতিস্পর্ধার মুখোমুখি হলে আমরা স্থবির হয়ে পড়ি। আর সেজন্যই ব্যক্তি থেকে শুরুকরে সরকারি দপ্তর পর্যন্ত সরল কাজ করার প্রতি প্রবণতা বেশি। এখানে যে বড় বড়আধিকারিকরা বসে আছেন, তাঁদেরকে যদি বলা হয় যে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কৃষিতে এতটালক্ষ্য পূরণ করতে হবে, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে কিংবা সামগ্রিক শিল্পক্ষেত্রে এতটা লক্ষ্য পূরণ করতে হবে – তা হলে দেখবেন, অধিকাংশই বিচলিত হয়ে পড়বেন।যাঁদের নেতৃত্বে ভাল ফলাফলের রেকর্ড রয়েছে, তাঁদের উচ্চ প্রশংসা করে, তাঁরা বিষয়টিতাঁদের দিকেই ঠেলে দেবেন। অবশেষে, তাঁদের সাফল্যই অন্যদের তুলনামূলক কম সাফল্যেরসঙ্গে যুক্ত হয়ে গড়ে মাঝারি মাপের জাতীয় সাফল্যে রূপান্তরিত হবে। এভাবে যাঁরা ভালকাজ করতে পারেন, তাঁদেরকেই চাপ দিয়ে কাজ করানোর কৌশল আপনাদের অনেকেই খুব ভালোভাবেরপ্ত করে নিয়েছেন। আর সেজন্যই আমাদের জাতীয় পর্যায়ের লক্ষ্য পূরণের পরিসংখ্যানসবসময়েই মাঝারি মানের হয়। আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, গোড়ার দিকে এতটা সফল হইনি। যোজনা কমিশনেরবিচারে আমাদের নম্বর অনেক পেছনে থাকত। কিন্তু আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে করতেই আমিব্যাপারটা বুঝে গেলাম। সেজন্যে প্রতিবছর জানুয়ারি মাস থেকেই আমি নিয়মিত লক্ষ্যরাখতাম যে কত তারিখে বাজেটের টাকা খরচ করা হয়নি, খরচের ক্ষেত্রে কী কী অসুবিধা হয়েথাকতে পারে! যারা খরচ করার ক্ষেত্রে দ্বিধা করছেন, তাঁদের কাছে আধিকারিকদের পাঠিয়েআমি বিষয়টি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করতাম। শুরুর দিকে আমি তেমন সাফল্য না পেলেও, পরেরদিকে অনেক গিঁট খুলতে সক্ষম হলাম। কারণ, যারা ভাল কাজ করেন ও করাতে পারেন, অর্থাৎযেখানে সুশাসন থাকে, সেখানে কাজ করার অভ্যাসও গড়ে ওঠে। আমি মনে করি যে, গতানুগতিকচিন্তা প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ��িষ্টি চায়ে দু-চামচ আরও চিনি মেশালে খুবএকটা পার্থক্য হয় না। কিন্তু যে চায়ে চিনি থাকে না, সেখানে চিনি পৌঁছে দিতে পারলেসেই চা যিনি পান করবেন, তাঁর পাশাপাশি যিনি পরিবেশন করবেন তাঁর সকালটাও অত্যন্তমধুর হয়ে উঠতে পারে। সেজন্য যে ১৫০টি জেলাকে আমরা উন্নয়নের জন্য বেছে নিয়েছি, চেষ্টা করেছি যাতেপ্রত্যেক রাজ্যের ন্যূনতম একটি জেলাকে এর মধ্যে রাখা হয়। কোনও রাজ্য যতই উন্নত হোকনা কেন, সেখানেও কোনও কোনও এলাকা পিছিয়ে পড়ে থাকে। আর সেই পিছিয়ে পড়া ব্যাপরটামানসিকভাবে সকলকে দুর্বল করে দেয় যে কোনও আধিকারিকের সেই জেলায় বদলি হলে তিনি নিজেও অন্যরাও চিন্তায় পড়ে যান। কবে তিনি সেই জেলা থেকে আবার অন্য জেলায় বদলি হবেন,সেই প্রচেষ্টাই তাঁর কাজের চেয়ে বেশি বড় হয়ে ওঠে। ফলে জেলার উন্নতি আর হয় না। যেশিক্ষকের সেই জেলায় বদলি হয় তিনিও যে কোনওভাবে চলে আসতে চান। সেই জেলায় কোনওদপ্তরে কাজে ফাঁকি দেওয়ার জন্য কাউকে শাস্তি দিতে গিয়ে তার উপরওয়ালা ভাবেন যে তাকেআর কোথায় পাঠানো যাবে! এভাবে উভয় পক্ষই নিস্ফল সময় কাটাতে থাকেন। যাঁরা উন্নয়নের বিজ্ঞানকে জানেন, তাঁরা একটা কথা বোঝেন যে, উন্নয়ন একটিনিয়মিত প্রক্রিয়া। একটি সীমার পর উন্নয়ন থেমে থাকলে নিষ্ক্রিয়তা উন্নয়নের গ্রাফকেনীচের দিকে ঠেলে দেয়। পরিস্থিতি সামলানোর জন্য তখন অনেক বেশি শক্তি প্রয়োগ করতেহয়। সেজন্য কোনও একটি জায়গার উন্নয়নকে এমন চরম সীমায় পৌঁছে দেওয়া উচিৎ নয় যে, ঐরাজ্যের বাকি অঞ্চলগুলি এর থেকে অনেক পেছনে থেকে যাবে; তা হলে সেই রাজ্য কখনওউন্নত হতে পারবে না। আমি জানি যে, আপনারা অনেকেই নিজেদের মতো করে এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তির পথখুঁজেছেন। অনেক কৌশল গড়ে তুলেছেন। প্রত্যেক জেলার সমস্যা এক রকম নয়। ভারতবৈচিত্র্যময় দেশ, প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন সমস্যা ও সুযোগও রয়েছে। কিন্তু যেখানে এই৫টি অথবা ৬টি পরিসংখ্যান আপনাদের সার্বিক গ্রাফকে অবনমিত করে তোলে, সেসব ক্ষেত্রেলক্ষ্য নির্দিষ্ট করে সকলে মিলে জোর দিয়ে সেই গ্রাফকে ওপরে তোলা যায় না! এটা এজন্য জরুরি কারণ আপনি যত উৎসাহ নিয়েই কাজ করুন না কেন, যত ঐকান্তিকপ্রচেষ্টাই চালান না কেন, আপনার দপ্তরে বেশ কিছু লোক এমন পাবেন, যাঁরা বলবেন যে,সাহেব এখানে কিছু হবে না, আপনি নতুন এসেছেন, জানেন না! সেই মহাজ্ঞানী ব্যক্তিদেরমানসিকতা পরিবর্তনের জন্য সাফল্যের গল্প থাকা প্রয়োজনীয়। এই সাফল্য��র গল্প তাঁদেরও অন্যদের আত্মবিশ্বাসের মাত্রাকে গড়ে তোলে। তারমানে এই সাহেবের নেতৃত্বে এটা হতেপারে। সেজন্য আপনাদের প্রথম কৌশল হওয়া উচিৎ, হতাশার গহ্ববরে নিমজ্জিত ব্যবস্থাকেকেমন করে একটি ইতিবাচক ব্যবস্থায় পরিবর্তিত করবেন। এই সাফল্য পাওয়ার জন্য একটিপদ্ধতি হ’ল কোনও একটি অসফল ক্ষেত্রে অধিক জোর দিয়ে সেখানকার গ্রাফকে উপরে তুলেধরুন, আর তাঁদেরকে বলুন যে, দেখুন ভাই আপনারাই এই সাফল্য এনেছেন। তারমানে আপনারাকরতে পারেন। আরেকটি বিষয় এখানে উঠে এসেছে, যা এতটা সরল নয়। তা হল গণআন্দোলন। এমনি মুখেবললেই গণআন্দোলন শুরু হয়ে যায় না। যেখানে হতাশা গ্রাস করে আছে, সেখানে জনআন্দোলনগড়ে তুলতে কিছু সম্ভাবনার স্ফুলিঙ্গ বিন্দু খুঁজে নিতে হয়। কিন্তু ইতিবাচক কাজকরার জন্য আপনাদের আগে একটি ‘কোর টিম’কে প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে। তাঁদের সঙ্গে ওতাঁদের মধ্যে মানসিক বোঝাপড়া অত্যন্ত জরুরি। ধীরে ধীরে প্রথম স্তর, দ্বিতীয় স্তর…… ষষ্ঠ ও সপ্তম স্তর, যেভাবে আপনি চাইছেন, তাঁরাও যেন সেভাবেই ভাবেন, সেরকমটিম গড়ে তুলতে পারলে আপনি ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার জন্য অনেকটাই এগিয়ে যাবেন। এইযে গত দু’দিন ধরে আমরা কর্মশালা করছি, সেটা আসলে কী? কেন্দ্রীয় সরকার দেশেজেলাস্তরে যে ধরনের উন্নয়ন করতে চায়, তা মাথায় রেখে আপনাদের সঙ্গে মতবিনিময় ওপারস্পরিক বোঝাপড়া গড়ে তোলা। এক পক্ষ দুই পা এগিয়ে গেলে, অন্য পক্ষকেও দুই কদমএগিয়ে আসতে হবে। তবেই কোথাও না কোথাও সঙ্গম বিন্দু গড়ে উঠবে। সঙ্গম বিন্দু গড়েউঠলে তবেই গণআন্দোলনের প্রেক্ষিতও গড়ে তোলা যাবে। এই দু’দিনের কর্মশালা আপনাদেরকে জ্ঞান বিতরণের জন্য আয়োজন করা হয়নি। এখানেযাঁরা বক্তব্য রাখছেন, তাঁরাই সব জানেন, আর আপনারা কিছু জানেন না – এমনটি নয়।তাঁরা আপনাদের আহামরি কিছু শেখাতেও পারবেন না। আপনাদের যে অভিজ্ঞতা, সম্যকপরিস্থিতি সম্পর্কে আপনারা যতটা অবহিত, তা ক্ষমতার উচ্চ অলিন্দে বসে থাকাপদাধিকারিরা বুঝবেন এবং নীতি প্রণয়নের সময়, ব্যূহ রচনার সময় এই বিষয়গুলিকে মাথায়রাখবেন। আর সেজন্য এই কর্মশালার নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। আপনারা ফিরে গিয়ে কি একেকটিতহশিল ধরে এরকম কর্মশালার আয়োজন করতে পারবেন? এরকমই একেকটি ভাবনাচিন্তা বিনিময়েরক্ষেত্র যদি স্থানীয় স্তরে গড়ে তুলতে পারেন, তাঁদের কাছ থেকে জানতে পারেন যে,প্রত্যেকের ক্ষমতা কতটা! আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ ���ই কাজটি আগেই করে থাকেন, তা হলেএবার ফিরে গিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা তাঁদের সঙ্গে বিনিময় করুন। আপনি তাঁদেরকে নিয়ে কতটাকরতে পারেন, সে সম্পর্কে অসংখ্য মানুষকে যতক্ষণ অবহিত না করাতে পারেন, ততক্ষণ এইপ্রক্রিয়ার আনন্দ বুঝতে পারবেন না। সাফল্যই আমাদের আনন্দের দিকে ঠেলে দেয়। মনে করুন, এক ভদ্রলোক একটি ঘরে থাকেন, তাঁর দরজায় একটি ফুটো করে তিনি একটিহাত বের করে চেঁচাতে থাকেন যে, আপনারা আমার সঙ্গে করমর্দন করুন, দেখবেন যে, অনেকেইলাইনে দাঁড়িয়ে তাঁর সঙ্গে করমর্দন করছেন। একবার দৃশ্যটা কল্পনা করুন! কিন্তু যদিআপনাদের বলা হয় যে, ঐ ঘরে শচিন তেন্ডুলকর রয়েছেন, আর এটা তাঁর হাত, তা হলে দেখবেন,হঠাৎ-ই পরিস্থিতি কেমন বদলে গেছে। আপনি নিজে চোখে দেখেননি, শুধু অন্যের কাছেশুনেছেন, তথ্যের অনেক শক্তি থাকে মশাই। যাঁর কাছ থেকে কোনও কাজ নিতে চান, সে যদিজানেন যে পরিণাম কী, তা হলে কাজে উৎসাহ বৃদ্ধি পায়। তাঁকে যদি বলা হয় যে, তোমারনাতিপুতিরা এই কাজ দেখে কত গর্ববোধ করবে, তা হলে দেখবেন, সে কাজ আরও মজবুত করেকরার আগ্রহ তাঁদের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনারা যতক্ষণ মানুষকে যুক্ত করার ‘সিস্টেমেটিক স্কিম’ না গড়ে তুলবেন,ততক্ষণ গণঅংশীদারিত্ব সম্ভব নয়। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমঅত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছিল, তার একটা প্রভাব রয়েছে। ওপর থেকে নীচ পর্যন্তআপনারা এতে নিজেদের নিয়মিত যুক্ত রেখেছেন। এর প্রাকৃতিক প্রভাব প্রত্যেক ব্যক্তিকেপরিচ্ছন্নতা ক্ষেত্রে অবদান রাখতে প্রেরণা জুগিয়েছে, গর্বিত করেছে। এক্ষেত্রেআপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে দেশের ছোট ছোটছেলেমেয়েরা। তারাই এক প্রকার পরিচ্ছন্নতার দূত হিসাবে কাজ করেছে। বাড়িতেও ঠাকুরদা ঠিক জায়গায় নোংরা না ফেললে আজ কনিষ্ঠতম সদস্যটি বলে ওঠেযে, এরকম যেখানে সেখানে নোংরা ফেলবেন না, মোদীজী বারণ করেছেন! এটাই বার্তার শক্তি,বার্তা পরিবর্তন আনে। আমরা সমাজের পুষ্টিহীনতা নিয়ে আলোচনা করবো, নাকি পুষ্টি নিয়েআলোচনা করবো! পিছিয়ে পড়া জেলা বলবো, নাকি উচ্চাকাঙ্খী জেলা বলবো? ইতিবাচক শব্দব্যবহার করলেই দেখবেন, মানসিকতায় পার্থক্য গড়ে উঠছে! সেজন্যেই আগে আমাদের শব্দমালাকে ইতিবাচক করে তুলতে হবে। ইতিবাচক শব্দমালাইতিবাচক ভাবনাচিন্তার কারণ হয়ে ওঠে। মুম্বাইয়ে আমার এক অগ্রজ বন্ধু ছিলেন, যারসঙ্গে দেখা হলে, কেমন আছো? জিজ্ঞেস করলেই তিনি দশ মিনিট ধরে তাঁর নিদ্রাহীনতারসমস্যা, এবং আরও নানা সমস্যার কথা বলতেন। একবার আমরা কয়েকজন পরিচিত বন্ধু তাঁরসঙ্গে দেখা হতেই বলতে শুরু করি, বাহ, বাহ্‌ তোমাকে দেখতে খুব সুন্দর লাগছে,স্বাস্থ্যও ভালো মনে হচ্ছে! আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম যে, তাঁর চেহারায় এক আশ্চর্য দ্যুতি, পুরনোদুঃখভাব যেন উধাও! এরপর থেকে আমরা তাঁর সঙ্গে এভাবেই কথা বলতে থাকি আর তাঁর দেখাহতেই নিজের দুঃখের কথা বলার অভ্যাস ত্যাগ করাতে সক্ষম হই। সেজন্য আমাদের অপুষ্টি নিয়ে আলোচনা না করে পুষ্টি বৃদ্ধির কথা আলোচনা করাউচিৎ। এই পুষ্টি বৃদ্ধি শব্দটি দেখবেন আপনাদের লক্ষ্য পূরণে অনেক বেশি কার্যকরিহয়ে উঠবে। আশা কর্মী দিদিরা এখনকার থেকে অনেক বেশি উৎসাহ নিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বেন।কারণ, এখন থেকে তাঁরা অপুষ্টি দূর করবেন না, তাঁরা পুষ্টি বৃদ্ধি করবেন। আপনারএলাকায় পুষ্টি বৃদ্ধি নিয়ে কবিতা লেখার প্রতিযোগিতা আয়োজন করুন। আপনারা হয়তোভাবছেন যে, কবিতা লিখলে কি পেট ভরবে? কিন্তু আয়োজন করেই দেখুন। আপনার এলাকায়বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকদের বলুন যে, পুষ্টি বৃদ্ধি নিয়ে শিশুদের মধ্যে কবিতা রচনাপ্রতিযোগিতা, নাটক প্রতিযোগিতা চালু করতে। আমার মনে পড়ে, একবার একটি অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রে গিয়ে ১৫ মিনিটের একটি নাটক দেখেছিলাম। তাতে ছোট ছোট বাচ্চারা কেউ টমেটো,কেউ গাজর, কেউ ফুলকপি সেজে এসেছিল। যে গাজর সেজেছিল, সে যখন মঞ্চে গিয়ে বলে আমিএকটি গাজর, আমাকে খেলে এই উপকার হয়, তখন উপস্থিত সমস্ত বাচ্চাদের মাথায় ঢুকে যায়যে গাজর খাওয়া উচিৎ। আগে যে বাচ্চাটি সাধাসাধি করলেও গাজর খেত না সে এখন মায়েরপেছন পেছন ঘুরতে থাকে। এভাবেই গণআন্দোলন শুরু করা যায়। আমরা সাধারণ মানুষের মধ্যেভালো শ্লোগান প্রতিযোগিতা শুরু করে তাঁদেরকে এই আন্দোলনে যুক্ত করতে পারি। তখনইদেখবেন, এই আন্দোলন সত্যি সত্যিই পুষ্টি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। আপনারা সেসব এলাকার সম্পন্ন মানুষদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করুন। তাঁদেরকে বলুনযে, আপনার বাড়ির কোনও সদস্যের জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী কিংবা মৃত্যু বার্ষিকীতেরান্না করা খাবার নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ির ছেলেমেয়েদের কাছে গিয়ে নিজে বিতরণ করুন। দেখবেনযে, ৪০-৫০টি শিশুকে নিজের হাতে পরিবেশন করে খাইয়ে তাঁরা এত আনন্দ পাবেন যে, এটাইপ্রথা হয়ে দাঁড়াবে। আর সারা বছরে আপনারাও ঐ শিশুদের ৭০-৮০ দিনের মধ্যা��্ন ভোজনেরবরাদ্দ বাঁচিয়ে সেই অর্থ দিয়ে অন্যদিনগুলিতে আরও ভালো পুষ্টি প্রদান করতে পারছেন। এতেদেখবেন স্কুলছুটও কমবে। অঙ্গনওয়াড়ি ছেলেমেয়েদের মাসে একদিন নিকটবর্তী কোনও মন্দির,ধর্মস্থল, নদীর পারে কিংবা বাগানে ঘুরতে নিয়ে গেলে কিংবা ঐ এলাকার প্রাথমিকবিদ্যালয়ে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে সেই বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজনেরব্যবস্থা করলে, তাদের সঙ্গে খেলাধূলার ব্যবস্থা করলে, তাদের ভবিষ্যতে বিদ্যালয়েযাওয়ার ঝোঁক বাড়বে। আপনারা হয়তো জানেন যে, আমি একটা ছোট কর্মসূচি শুরু করেছিলাম। যে কোনওবিশ্ববিদ্যালয়ে আমাকে সমাবর্তনে আমন্ত্রণ জানালে আমি তাদেরকে বলি, একটি শর্তেআসবো, আমার সঙ্গে ৫০ জন বিশেষ অতিথি থাকবেন। তাঁদের সামনের সারিতে বসতে দিতে হবে।আর প্রধানমন্ত্রী এরকম বললে কে আর না করবেন! কিন্তু শুরুতে অনেকে হয়তো ভাবতেন যে,প্রধানমন্ত্রী হয়তো বিজেপির কর্মকর্তাদের নিয়ে যাবেন। কিন্তু যখন বলতাম যে, অমুকঅমুক সরকারি স্কুলে যে গরিব ছেলেমেয়েরা পড়ে, সেরকম ৫০টি শিশুকে আপনারা সমাবর্তনেপ্রেক্ষাগৃহের সামনের সারিতে নিয়ে বসাবেন, তখন তাঁরা অবাক হয়ে যেতেন। আমি সমাবর্তনঅনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে দেখতাম, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্রছাত্রীরা গাউন পরেমাথায় টুপি পরে শংসাপত্র নেওয়ার জন্য মঞ্চে উঠে আসে, তখন ঐ সামনের সারিতে বসে থাকাছেলেমেয়েদের চোখ কেমন উৎসাহে চক্‌চক্‌ করে ওঠে। অনেক বড় ভাষণ যে কাজ করতে পারে না,ঐ পরিবেশের সাক্ষী হয়ে ঐ গরিব ছেলেমেয়েদের মনে তারচেয়ে অনেক বেশি উচ্চাকাঙ্খা জেগেওঠে। উচ্চাকাঙ্খী জেলাগুলির ক্ষেত্রে এটা অত্যন্ত জরুরি, ঐ জেলার সাধারণ মানুষেরপ্রত্যাশাকে চিহ্নিত করা, তাঁদের মনে উচ্চাকাঙ্খা জাগিয়ে তোলা। সাধারণ মানুষেরপ্রত্যাশা পূরণের ইচ্ছাকে জাগিয়ে তুলতে পারলেই গণঅংশীদারিত্বের মাধ্যমে উন্নয়নেরলক্ষ্য পূরণ সহজ হয়। আমাদের যত প্রকল্প রয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে গণসচেতনতা বাড়াতে এলাকারবিদ্যাল্যগুলির শিক্ষকদের বলুন, প্রতিদিন সকালে যখন প্রার্থনা হয় তাঁরা যেনছাত্রদেরকে আগে থেকে বলে দেন কবে কে পুষ্টি বৃদ্ধি নিয়ে বলবে, কে স্বাস্থ্য নিয়েবলবে। প্রতিদিন ১০ মিনিট কোনও না কোনও ছাত্রছাত্রী যদি এসব বিষয়ে বক্তব্য রাখে, তাহলে দেখবেন বাতাসে এই বিষয়ের সচেতনতা ছড়াবে। মনে করুন, কোথাও আমরা ৬টি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছি, এর মধ্যে কোনটি কোনওঅঞ্চলে সফল হচ্ছে আবার অন্য কোনও অন্য অঞ্চলে। আপনারা শুধু সাফল্যটাকেই মডেলহিসেবে তুলে ধরুন। অন্যদের ডেকে এনে সেই সাফল্য পরিদর্শন করান। তবেই তাঁদের মনেআত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। তাঁরা ভাববেন যে, আমরাও নিজেদের গ্রামে এভাবে করতে পারব।এই ভাবনা মাথায় নিয়েই আমরা ১১৫টি উচ্চাকাঙ্খী জেলায় লক্ষ্য পূরণের কথাভেবেছি। পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে সর্বাধিক চাহিদা ও দাবি থাকে সড়ক নির্মাণে।কখনও বাজেট অপ্রতুল থাকতে পারে কিন্তু আপনারা যদি ঐ এলাকার জনগণের ওপর দায়িত্ব দেনযে, সড়ক অবশ্যই গড়ে উঠবে। কিন্তু আজ আমি যেখান দিয়ে পথ যাবে সেই দাগ কেটে দিচ্ছি,সেই দাগের দু-পাশে আপনারা গাছ লাগানো শুরু করুন, সেই গাছগুলির উচ্চতা যেদিন ৫ ফুটহবে, তার আগেই পাকা রাস্তা তৈরি হয়ে যাবে। আপনারা দেখবেন, এতে গ্রামের মানুষদায়িত্ব নিয়ে কাজ করবেন। আপনারাও ঐ চিহ্নিত পথে প্রথমে মনরেগার কাজ শুরু করান। এতেগ্রামের মানুষের কিছুটা কর্মসংস্থানও হবে। মানুষের উচ্চাকাঙ্খা আর সরকারের প্রকল্পউভয়ের মিলন বিন্দু যদি তাঁদের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় তবে উন্নয়ন অনেকসরল হয়। আমাদের অনেক আধিকারিক অনেক সৃষ্টিশীল হন, তাঁরা নতুন নতুন উদ্ভাবনেরমাধ্যমে কাজ করেন। কিন্তু দেশের দুর্ভাগ্য যে, তাঁদের প্রয়োগ ও সাফল্যকে ব্যবস্থাতেমন গুরুত্ব দেয় না। তাঁদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সেই উদ্ভাবনও হারিয়ে যায়। আমিএজন্য প্রশাসকদের ঘন ঘন বদলির পক্ষে নই। আমার নেতৃত্বে আমার টিম যতটা কাজ করবে,তার জন্য যদি আমাকেই জবাবদিহি করতে হয় কিংবা তার ফল আমাকেই ভোগ করতে হয়, তা হলেআমার কাজের ঐকান্তিকতা অনেক বেশি থাকবে। ভালো টিম গড়ে তুলতে পারলে, সুনির্দিষ্টদায়িত্ব, পরিচ্ছন্ন রোডম্যাপ, কার্যকরি তদারকি ব্যবস্থা এবং সুনির্দিষ্ট সময়ে কাজশেষ করার অভ্যাস একবার গড়ে তুলতে পারলে নেতৃত্ব বদল হলেও সেই টিম একইভাবে কাজ করতেথাকে। আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না যে, দেশের যে ১১৫টি জেলা বোঝা হিসাবে পরিগণিতহচ্ছে, সেগুলির উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারলে দেশ মাথা উঁচু করে এতদূর এগিয়ে যাবে যেআর কখনও থামবে না। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, দেশের এরকম অনেক জায়গা আছে, যেখানে কোনওএকটি কারণে এমন মোড় এসেছে যে গোটা এলাকা উন্নতির শিখর স্পর্শ করেছে। ভারতে এরকম৫০-১০০টি জায়গা আছে, যেখানে হঠাৎ-ই উন্নয়ন হয়েছে। তাদের উদাহরণ নিয়ে আপনারা���নিজেদের এলাকায় এ ধরনের কোনও ‘ব্রেক থ্রু’ করুন, দেখবেন কিভাবে সমস্ত কিছু বদলাতেশুরু করেছে। এই ১১৫টি উচ্চাকাঙ্খী জেলা যদি ১০ পা এগিয়ে যায়, তা হলে কল্পনা করুনদেশের সমস্ত হিসাব কতটা বদলে যাবে। তখন সরকারগুলিও ভাববে, এই জেলাগুলির জন্য বাজেটবরাদ্দ করতেই হবে, অগ্রাধিকার দিতেই হবে। মানুষের স্বভাব হ’ল ট্রেনে সফরের সময় জানালার পাশে সিট পেলে ভালো লাগে।কিন্তু উড়োজাহাজে বসলে তখন পা লম্বা করে বসার জায়গা যে আসনে থাকে সেই আসনের চাহিদাবেশি হয়। আমি এই আকাঙ্খাকে খারাপ ভাবি না। তেমনই আপনাদের যে সহ-শিক্ষার্থীরা উন্নতজেলাগুলিতে পোস্টিং হয়েছেন, তাঁরা আপনাদের থেকে নিজেদের বেশি ভাগ্যবান ভেবেছেন। আরআপনাদেরকে সান্ত্বনা দিয়েছেন, চিন্তা কোরো না কষ্ট করে কয়েক মাস কাটিয়ে দাও।কিন্তু আমি মনে করি, উন্নত জেলাগুলিতে যে নবীন আধিকারিকদের পোস্টিং হয়, তাঁদেরনতুন কিছু করার সুযোগ খুব কম থাকে। তাঁরা প্রচলিত গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়েদেন। কিন্তু যাঁদের পোস্টিং কঠিন এলাকাগুলিতে হয়, তাঁরা নানারকম উদ্ভাবনীপ্রচেষ্টার মাধ্যমে যে সাফল্য অর্জন করেন, তা তাঁদের সতীর্থদের থেকে অনেক বেশিআত্মবিশ্বাসী এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন করে তোলে। ভবিষ্যতে তাঁরাই জীবনে অনেক বেশিউন্নতি করার সুযোগ পান। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেই জীবনটা সব ক্ষেত্রেসোনার হয়ে যায় না। যাঁরা কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে নিজেদের গড়ে তোলেন, অধিকাংশক্ষেত্রে তাঁরাই জীবনে বেশি সফল হন।আপনাদের বিভাগগুলিতে যাঁরা সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন, তাঁরা প্রায় সকলেই কঠিনপরিস্থিতির মোকাবিলা করে উঠে এসেছেন। সেজন্য ১১৫টি কঠিন ও উচ্চাকাঙ্খী জেলারনেতৃত্ব প্রদানকারী আধিকারিকদের আমি ভাগ্যবান বলে মনে করি। তাঁরা জীবনে উন্নতিরচরম শিখরে ওঠার সুযোগ পেয়েছেন। যেখানে ভালো থাকে, সেখানে আরও ভালোকে কেউ আমল দেননা। কিন্তু যেখানে কিছুই নেই, মনে করুন, উষর মরুভূমিতে কেউ যদি একটিও গাছ বড় করেতুলতে পারেন, তাঁর জীবনে আনন্দের পরিসীমা থাকবে না। আপনারা তেমনই ভাগ্যবান মানুষ,যাঁরা নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছেন, আমার বিশ্বাস আপনাদের সামর্থ্য দিয়েআপনারা নতুন পরিস্থিতি গড়ে তুলতে পারবেন। এতে আপনার নিজের জীবনেও অনেক বিবর্তন ঘটেযাবে, সন্তুষ্টি আসবে – এটা ভাবতে পারবেন, আমি কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে দিয়েছি। যাঁদেরজীবনে কোনও প্��তিস্পর্ধা নেই, তাঁদেরকে আমি ভাগ্যবান বলে মনে করি না। যাঁরাপ্রতিস্পর্ধা মোকাবিলা করার সামর্থ্য রাখেন, তাঁদেরকেই জীবন দু’হাত ভরে দেয়। এইইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আপনারা কাজে লেগে পড়ুন। আজ আমরা জানুয়ারি মাসে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলছি। বাবাসাহেব আম্বেদকরের নামেনামাঙ্কিত এই ভবনে দাঁড়িয়ে যে আলোচনা করছি, তার একটি লক্ষ্য পূরণের টাইম টেবিল কি১৪ এপ্রিল পর্যন্ত হতে পারে? ১৪ এপ্রিল বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তী পালিতহবে। এই তিন মাসের মধ্যে আপনাদের নেতৃত্বে এই ১১৫টি জেলাকে আমরা কোথায় পৌঁছে দিতেপারি, তার ফলাফলকে ভিত্তি করে এই ১১৫টি জেলার ভবিষ্যৎ কর্মসূচি আমরা নির্ধারণ করব।আপনাদের মধ্যে যাঁরা সবচেয়ে ভালো কাজ করবেন, আমি কথা দিচ্ছি যে আগামী এপ্রিল মাসেআমি সেই জেলায় গিয়ে সেই টিমের সঙ্গে কয়েক ঘন্টা সময় কাটাবো। তাঁরা কিভাবে সাফল্যপেয়েছেন, তা আমি সরেজমিনে দেখে বোঝার চেষ্টা করব। তাঁদের থেকে শেখার চেষ্টা করব।আমি জানি যে, তিন মাসের মধ্যে তেমন কোনও নতুন জিনিস আমরা চালু করতে পারব না। যেব্যবস্থা রয়েছে, তার মধ্যেই নতুন প্রাণশক্তি সঞ্চার করতে হবে, সচেতনতা বৃদ্ধিরমাধ্যমে গণঅংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করতে হবে। নতুন প্রয়োগের পরিকল্পনা করতে হবে।আপনাদের সাফল্য দেখে আমি আমার ভবিষ্যৎ কর্মসূচি পরিবর্তিত করতে চাই। আপনাদেরকর্মযজ্ঞের অংশ হয়ে উঠতে চাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, ছোট ছোট এককের পরিবর্তনের মাধ্যমেই দেশের উন্নতি ওসাধারণ মানুষের জীবনে পরিবর্তনের সূচনা হয়। এসবের সামগ্রিক প্রভাবেই দেশে পরিবর্তনআসে। এগুলি আমাদের দেশের অনুঘটক প্রতিনিধি আর আপনারা সেই পরিবর্তনের প্রতিনিধিদেরনেতৃত্ব দেবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই দর্শন, সামর্থ্য ও সম্ভাবনা আগামী ২০২২ সালেভারত যখন স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তি পালন করবে তার আগেই দেশকে উন্নতির নতুন শিখরেপৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা আমলাতান্ত্রিক জগতে বড়বড় সফল আমলাদের সাফল্যগাথা শুনেছি। অমুক আধিকারিক সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের সঙ্গেকাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তাঁর সময়ে এই এই কাজ হয়েছে, যার সুফল দেশ এখনও ভোগকরে। তমুক আধিকারিক পণ্ডিত নেহরুর সঙ্গে কাজ করেছেন, তমুক কাজকে পণ্ডিত নেহরুপ্রশংসা করেছেন। এই প্রেরণাদায়ী গাথাগুলি দেশের পরবর্তী আমলাদের কিভাবে নতুন দিশাপ্রদান করেছে, কিভাবে কর্মসম্পাদনের ইতিহাস গড়ে উঠেছে! কিন্তু জেলাস্তরে সাফল্যেরকথা নিয়ে তেমন গাথা শোনা যায় না। কিন্তু এটা তো ঠিক যে, জেলাস্তরেও অসংখ্যপ্রাণবন্ত আধিকারিকের সফল নেতৃত্বে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমি চাই যে, বিগত ৭০ বছরেএ ধরনের সাফল্যের ঘটনাগুলি আপনারা তুলে আনুন, যা থেকে আপনারাও প্রেরণা পাবেন আরভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও প্রেরণা যোগাতে পারবেন। এখন সময়ের চাহিদা হ’ল জেলা থেকে আওয়াজউঠুক, সমস্ত সাফল্যগাথা জেলাগুলি থেকে উঠে আসুক। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সক্রিয় ছিলাম গোড়ার দিকে। এখন তেমন একটা সময়পাই না। কিন্তু দু’দিন আগে এমনি সার্ফিং করতে গিয়ে আমি একজন মহিলা আইএএসআধিকারিকের ট্যুইট দেখেছি, যা অত্যন্ত কৌতূহলজনক। তিনি এখন অত্যন্ত উচ্চপদাধিকারী,আমি নামটা ভুলে গেছি। তিনি লিখেছেন, তাঁর জীবনের সর্বাধিক আনন্দের মুহূর্ত হ’লতিনি যখন জুনিয়র অফিসার ছিলেন, একবার গাড়িতে যাওয়ার সময় দেখেন একটি শিশু একটিস্কুলের সামনে ছাগল চড়াচ্ছে। তিনি গাড়ি দাঁড় করিয়ে সেই স্কুলের শিক্ষককে ডেকেবলেন, যাতে ঐ বাচ্চাটিকে স্কুলে ভর্তি করেন। তিনি বাচ্চাটিকেও বোঝান। এর ২৭ বছর পরতিনি যখন ঐ এলাকায় পরিদর্শনে যান, একজন হেড কনস্টেবল এগিয়ে এসে তাঁকে স্যালুট মেরেবলেন, ম্যাডাম চিনতে পেরেছেন, আমি সেই ছাগল চড়ানো ছেলেটি, যাকে আপনি স্কুলে ভর্তিকরে দিয়েছিলেন। সেই মহিলা আধিকারিক ট্যুইটে লিখেছেন, একটি ছোট্ট ঘটনা কত বড়পরিবর্তন আনতে পারে। আমাদের জীবনে সুযোগ পেলেই আমাদের উচিৎ সেই সুযোগগুলিকে কাজেলাগানো। আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে এই দেশ অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। এদেশে কোনওকিছু খারাপ হলে আজও বলা হয় যে, হয়তো ঈশ্বরের এটাই ইচ্ছা ছিল। এরকম সৌভাগ্য বিশ্বেরকোনও সরকারের হয় না যে, তাঁদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতার ফলকে জনগণ নিজেদেরভাগ্যফল হিসাবে মেনে নেন। তাঁরা ঈশ্বরকে দোষ দেন কিন্তু আমাদের দিকে আঙুল তোলেননা। এর চেয়ে বড় জনসমর্থন কিংবা জন-সহযোগ আমরা আর কি আশা করতে পারি? এরচেয়ে বড়গণআস্থা আর কি হতে পারে? আমরা যদি একে না চিনতে পারি, আমরা যদি এই সুযোগেরসদ্ব্যবহার করে তাঁদের জীবনে পরিবর্তন আনতে না পারি, তা হলে আমরা নিজেদের মনে কিজবাব দেব? আর সেজন্য বন্ধুগণ আমার বিশ্বাস, এই ১১৫টি জেলাই ভবিষ্যতে ভারতের ভাগ্যপরিবর্তনের কারণ হয়ে উঠতে পারে। নতুন ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নের একটি মজবুত ভিত্তিএখান থেকে��� গড়ে উঠতে পারে। আর বন্ধুগণ, এই কাজের দায়িত্ব এখন আপনার ও আপনাদের টিমেকাঁধে ন্যস্ত। আমি আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।","পিছপৰা জিলাসমূহৰ আয়ুক্তসকলৰ সভাত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ (৫ জানুৱাৰী, ২০১৮)" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%AD%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%9C-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%AD%E0%A7%B0%E0%A7%8B%E0%A6%9C-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%95-%E0%A6%AA/,নভরোজ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “পার্সিসম্প্রদায়কে জানাই নভরোজ মুবারক! আগামী বছরটি আরও সুখ ও সম্প্রীতি বহন করে নিয়েআসুক। প্রার্থনা করি প্রত্যেকের স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্খা যেন চরিতার্থতা লাভ করে”।,নভৰোজ উপলক্ষে দেশবাসীক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শুভেচ্ছা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%B0%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A7%B0/,একবিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তিকরণের প্রস্তাবে আজনীতিগতভাবে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীরনেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত এই সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রায়ত্তব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তিকরণ প্রস্তাবের দ্রুত বাস্তবায়নকে সম্ভব করে তুলবে।ব্যাঙ্কগুলিকে যথেষ্ট শক্তিশালী ও প্রতিযোগিতামুখী করে তোলার লক্ষ্যেই এইসংযুক্তিকরণের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বিবেচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্যপেশ করা হয়েছিল। রাষ্ট্রায়ত্তব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তিকরণের লক্ষ্যে বিকল্প ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য দিকগুলি হল : · শক্তিশালীএবং প্রতিযোগিতামুখী ব্যাঙ্ক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত বাণিজ্যিক চিন্তাভাবনা অনুসরণকরেই গ্রহণ করা হচ্ছে । · ব্যাঙ্কপর্ষদগুলির পক্ষ থেকে এজন্য প্রথমেই কাজ শুরু করা প্রয়োজন। · নীতিগতঅনুমোদনের জন্য ব্যাঙ্কগুলির কাছ থেকে পাওয়া সংযুক্তিকরণ প্রস্তাব পেশ করা হবেবিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলার সঙ্গে যুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে। · নীতিগতঅনুমোদনের পর প্রচলিত আইন এবং সেবির নীতি-নির্দেশিকা অনুসরণ করে পরবর্তী পদক্ষেপগ্রহণ করা হবে ব্যাঙ্কগুলির পক্ষ থেকে। · ভারতীয়শীর্ষ ব্যাঙ্কের সঙ্গে পরামর্শক্রমে চূড়ান্ত কর্মসূচিটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশকরা হবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। /,বিকল্প ব্যৱস্থা অনুসৰণেৰে ৰাষ্ট্রীয়কৃত বেংকসমূহৰ একত্ৰিকৰণৰ প্রস্তাৱত নীতিগত অনুমোদন কেবিনেটৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AD/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%B6/,"নয়াদিল্লি, ১২ জুলাই, ২০২২ নমস্কার, এই ঐতিহাসিক কর্মসূচিতে আমাদের মধ্যে উপস্থিত বিহারের মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী ফাগু চৌহানজী, রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতিশ কুমারজী, বিধানসভার অধ্যক্ষ শ্রী বিজয় সিনহাজী, বিহার বিধান পরিষদের কার্যকারি অধ্যক্ষ শ্রী অবধেশ নারায়ণ সিং, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী রেণু দেবীজী, তারাকিশোর প্রসাদজী, বিরোধী দলনেতা শ্রী তেজস্বী যাদবজী, উপস্থিত সকল মন্ত্রী ও বিধায়কগণ, অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, বিহার বিধানসভা ভবনের শতবর্ষ উপলক্ষে আপনাদের সকলকে, সমস্ত বিহারবাসীকে অনেক অনেক শুভকামনা। বিহারের চরিত্র হ’ল, যাঁরা বিহারকে ভালোবাসেন, বিহার তাঁদের ভালোবাসাকে কয়েকগুণ করে ফিরিয়ে দেয়। আমার সৌভাগ্য যে আজ বিহার বিধানসভায় আমিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমি এই ভালোবাসার জন্য বিহারের প্রত্যেক নাগরিককে আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই। মুখ্যমন্ত্রী ও অধ্যক্ষ মহোদয়কেও হৃদয় থেকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। বন্ধুগণ, কিছুক্ষণ আগে শতাব্দীর স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এই স্তম্ভ বিহারের গৌরবময় অতীতের প্রতীক হয়ে থাকবে। পাশাপাশি, এটি বিহারের কোটি কোটি মানুষের আকাঙ্খাকেও প্রেরণা যোগাবে। কিছুক্ষণ আগে বিহার বিধানসভা মিউজিয়াম এবং বিধানসভা গেস্ট হাউসেরও শিলান্যাস হয়েছে। আমি এই উন্নয়নকর্মগুলির জন্য নীতিশ কুমারজী এবং বিজয় সিনহাজীকে অন্তর থেকে অভিনন্দন জানাই। আজ বিধানসভা পরিসরে শতাব্দী পারকে কল্পতরু রোপণ করারও সুন্দর অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। কল্পতরু সম্পর্কে কথিত রয়েছে যে, এটি আমাদের আশা-আকাঙ্খা বাস্তবায়নের একটি বৃক্ষ। গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে এই ভূমিকা সংসদীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে পালন করতে হয়। আমি আশা করি, বিহার বিধানসভা তার এই ভূমিকাকে একই রকমভ��বে পালন করে যাবে। বিহার ও দেশের উন্নয়নে তাঁর অমূল্য অবদান রাখতে থাকবে। বন্ধুগণ, বিহার বিধানসভার একটি নিজস্ব ইতিহাস রয়েছে। এই বিধানসভা ভবনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার আগে এই বিধানসভা থেকেই গভর্নর সত্যেন্দ্র প্রসন্ন সিনহাজী স্বদেশী শিল্পোদ্যোগগুলিকে উৎসাহিত করতে সবাইকে স্বদেশী চরকা আপন করে নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর এই বিধানসভায় জমিদারি উন্মূলন অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল। এই পরম্পরাকে এগিয়ে নিয়ে নীতিশজীর সরকার বিহার পঞ্চায়েতি রাজের মতো অধ্যাদেশ জারি করেছে। এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে বিহার তার পঞ্চায়েতি রাজে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছে। গণতন্ত্র থেকে শুরু করে সমাজ জীবন পর্যন্ত সমান অংশীদারিত্ব এবং সমান অধিকার নিয়ে কিভাবে কাজ করা যেতে পারে, বিহার বিধানসভা তার উদাহরণ। আজ যখন আমি এই বিধানসভা পরিসরে দাঁড়িয়ে আপনাদের সঙ্গে এই বিধানসভা ভবন নিয়ে কথা বলছি, তখন আমি একথাও ভাবছি যে, ১০০ বছরে এই ভবন কত মহান ব্যক্তিত্বের বক্তব্যের সাক্ষী রয়েছে। সকলের নাম নেওয়া সম্ভব নয়, কিন্তু এই ভবনটি ইতিহাস রচয়িতাদের দেখেছে, আর নিজেও অনেক ইতিহাস রচনা করেছে। কথিত আছে যে, বাণীর প্রাণশক্তি কখনও সমাপ্ত হয় না। এই ঐতিহাসিক ভবনে এরকম অনেক কথা বলা হয়েছে, বিহারের উত্থানের সঙ্গে জড়িত এমন অনেক সঙ্কল্প নেওয়া হয়েছে, যা আজও আমাদের সকলের সামনে প্রাণশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে উপস্থিত হয়েছে। আজও যেন সেই বাণীগুলি, সেই শব্দগুলি প্রতিনিয়ত গুঞ্জরিত হচ্ছে। বন্ধুগণ, বিহার বিধানসভা ভবনের এই শতাব্দী উৎসব এমন সময়ে হচ্ছে, যখন দেশ তার স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছে। বিধানসভা ভবনের শতবর্ষ আর দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর এটা শুধুই সময়ের সংযোগ নয়, এটি সংযোগের মিলিত অতীত-ও। আর এর মধ্যে সদর্থক বার্তাও রয়েছে। একদিকে বিহারে চম্পারণ সত্যাগ্রহের মতো আন্দোলন হয়েছে। অন্যদিকে, এই ভূমি ভারতকে গণতন্ত্রের শিষ্টাচার এবং আদর্শের পথে চলার নিশানা দেখিয়েছে। কয়েক দশক ধরে আমাদের একথা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে যে, বিদেশি শাসক এবং বিদেশি ভাবনা থেকেই ভারতে গণতন্ত্রের উদ্ভব। এমনকি, আমাদের অনেক ভারতীয়রাও এ ধরনের কথা বলেন। কিন্তু, যে কোনও ব্যক্তি যখন এসব কথা বলেন, তখন তাঁরা বিহারের ইতিহাস ও বিহারের ঐতিহ্যের উপর ��র্দা ফেলার চেষ্টা করেন। যখন বিশ্বের বড় ভূ-ভাগ সভ্যতা ও সংস্কৃতির দিকে গুটি গুটি পায়ে এগোচ্ছিল, তখন ভারতের বৈশালীতে স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সঞ্চালিত হচ্ছিল। যখন বিশ্বের অন্যান্য ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক অধিকারগুলিকে বোঝা ও সচেতন হওয়া শুরু হয়েছিল, তখন ভারতের লিচ্ছবি এবং বৃজিসংঘ – এর মতো গণরাজ্য নিজের সমৃদ্ধির শীর্ষে ছিল। বন্ধুগণ, ভারতের গণতন্ত্রের ধারণা ততটাই প্রাচীন, যতটা প্রাচীন এই দেশ, যতটা প্রাচীন আমাদের সংস্কৃতি। হাজার হাজার বছরে আগে লেখা আমাদের বেদে বলা হয়েছে ‘ত্বাং ভিশো ভৃনতাং রাজ্যায় ত্বা – মিমাঃ প্রদীশঃ পঞ্চদেবীঃ’ অর্থাৎ, রাজাকে যেন সমস্ত প্রজা মিলিতভাবে বেছে নেন, আর বেছে নেন বিদ্বানদের সমিতিগুলি। এই কথাগুলি বেদে বলা হয়েছে। কয়েক হাজার বছর আগে গ্রন্থিত পুস্তকেও বলা হয়েছে। আজও আমাদের সংবিধানে সাংসদ ও বিধায়কদের নির্বাচন, মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করেই অনুষ্ঠিত হয়। একটি ভাবনারূপে, আমাদের দেশে গণতন্ত্র সেজন্য হাজার হাজার বছর ধরে জীবিত রয়েছে। কারণ, ভারত গণতন্ত্রকে সাম্যের মাধ্যম বলে মনে করে। ভারত সহ-অস্তিত্ব ও সৌহার্দ্যের ভাবনায় ভরসা রাখে। আমরা সৎ ব্যক্তির উপর ভরসা রাখি, সমবায়ের উপর ভরসা রাখি, সামঞ্জস্যে ভরসা রাখি এবং সমাজে সংহতি শক্তির উপর ভরসা রাখি। সেজন্য আমাদের বেদগুলি এই মন্ত্রও দিয়ে গেছে – ‘সং গচ্ছংধ্বং সং ওহদধ্বং, সং ওহ মনাংসি জানতাম’।। এর মানে হ’ল – আমরা মিলেমিশে চলবো, সবাই মিলে বলবো, পরস্পরের মনকে, পরস্পরের ভাবনাকে জানবো ও বুঝবো। এই বেদ মন্ত্রেই একটু এগিয়ে বলা হয়েছে ‘সমানো মন্ত্রঃ সমিতিঃ সমানী। সমানং মনঃ সহ চিতমেষাং’।। এর মানে হ’ল – আমরা মিলেমিশে এক রকম ভাবনাচিন্তা করবো। আমাদের সমিতি ও সভাগুলি এবং সদন কল্যাণভাবের জন্য যেন সমভাবাপন্ন হয়। আমাদের হৃদয়ও সমতা রক্ষা করে। হৃদয় দিয়ে গণতন্ত্রকে স্বীকার করার এই বিরাট ভাবনা একটি রাষ্ট্র রূপে ভারতই প্রস্তুত করতে পেরেছে। সেজন্য আমি যখনই বিশ্বের নানা প্রান্তে ভিন্ন ভিন্ন দেশে যাই, বড় বড় আন্তর্জাতিক মঞ্চে উপস্থিত থাকি, তখন আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে বলি; কারণ, আমাদের কানে কোনও না কোনও কারণে একটি শব্দ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমাদের মনের গঠন প্রক্রিয়াকেও এক জায়গায় স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের বা��ংবার শোনানো হয়েছে যে, আমরা বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। আর আমরাও সেকথা বারবার শোনার ফলে সেকথা স্বীকার করে নিয়েছি। কিন্তু, একথাটি অসম্পূর্ণ। সম্পূর্ণ কথাটি হ’ল, আমি বিশ্বের যে কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে যখন যাই, অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে বলি যে, বিশ্বে গণতন্ত্রের জননী হ’ল ভারত। সেজন্য আমাদের প্রত্যেক ভারতবাসী, বিশেষ করে বিহারের জনগণের সারা পৃথিবীতে গর্বের সঙ্গে বলা উচিৎ – বিশ্বে গণতন্ত্রের জননী হ’ল ভারত। এক্ষেত্রে বিহারের গৌরবময় ঐতিহ্য পালি ভাষায় লিখিত ঐতিহাসিক দস্তাবেজগুলি জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। বিহারের এই বৈভবকে কেউ মুছে দিতে পারবেন না, কেউ লুকাতেও পারবেন না। এই ঐতিহাসিক ভবনটি বিহারের সেই গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে গত ১০০ বছর ধরে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। সেজন্য আমি মনে করি যে, আজ এই ভবনটিও আমাদের সকলের প্রণামের দাবিদার। বন্ধুগণ, এই ভবনের ইতিহাসের সঙ্গে বিহারের সেই চেতনা যুক্ত রয়েছে, যা পরাধীনতার সময়েও নিজস্ব গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমাপ্ত হতে দেয়নি। এর নির্মাণের সঙ্গে এবং তার পরবর্তী যত ঘটনাক্রম যুক্ত হয়েছে, সেগুলি আমাদের বার বার স্মরণ করা উচিৎ। কিভাবে শ্রীকৃষ্ণ সিংজী বা শ্রী বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ ইংরেজদের সামনে শর্ত রেখেছিলেন যে, তাঁরা তখনই সরকার গঠন করবেন, যখন বৃটিশ শাসক নির্বাচিত সরকারের কাজকর্মে নাক গলাবে না। কিভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতের সম্মতি ছাড়াই দেশকে যুদ্ধে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। তার প্রতিবাদে শ্রী বাবুজী ও তাঁর সরকার পদত্যাগ করেছিল। এই পদক্ষেপের জন্য বিহারের প্রত্যেক মানুষ গর্ববোধ করেন। এই ঘটনা সর্বদাই এই বার্তা বহন করেছে যে, বিহার গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কখনও কোনও কিছুকে স্বীকার করতে পারে না। ভাই ও বোনেরা, আমরা সবাই দেখেছি যে, কিভাবে স্বাধীনতার পরও বিহার তার গণতান্ত্রিক নিষ্ঠা নিয়ে ততটাই অটল, ততটাই দায়বদ্ধ থেকেছে। বিহার স্বাধীন ভারতকে ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ রূপে প্রথম রাষ্ট্রপতি উপহার দিয়েছে। লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ, কর্পুরি ঠাকুর ও বাবু জগজীবন রাম – এর মতো মহান দেশ নায়কদের জন্ম এই ভূমিতেই হয়েছে। যখন দেশে সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করার চেষ্টা করা হয়েছে, তখনও তার বিরুদ্ধে বিহারই সবার আগে এগিয়ে বিরোধিতার বিউগল বাজিয়েছে। জরুরি অবস্থার সেই কালো দিনগুলিতে বিহারের ভূমি দেখিয়ে দিয়েছে যে, ভারতে গণতন��ত্রের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা কখনও সফল হতে পারে না। আর সেজন্য আমি মনে করি যে, বিহার যত সমৃদ্ধ হবে, ভারতের গণতান্ত্রিক শক্তিও ততটাই শক্তিশালী হবে। বিহার যতটা শক্তিশালী হবে, ভারতও ততটাই সামর্থ্যবান হয়ে উঠবে। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব আর বিহার বিধানসভার শতবর্ষ পূর্তির এই ঐতিহাসিক সময়ে আমাদের সকলের জন্য, প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির জন্য আত্মবিবেচনা ও আত্মনিরীক্ষণের বার্তাও নিয়ে আসে। আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে যতটা শক্তিশালী করবো, আমাদের স্বাধীনতাও ততটাই শক্তিশালী হবে। আমাদের অধিকারগুলিও ততটাই শক্তিশালী হবে। আজ একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্ব দ্রুতগতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে। নতুন নতুন প্রয়োজনের নিরিখে ভারতের জনগণের, আমাদের যুবসম্প্রদায়ের আশা-আকাঙ্খাও ক্রমে বাড়ছে। আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাগুলিকে এর হিসাবে দ্রুতগতিতে কাজ ক্রতে হবে। আজ যখন আমরা স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে একটি নতুন ভারতের সংকল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছি, তখন এই সংকল্পগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমাদের সংসদ এবং বিধানসভাগুলির উপরও বর্তায়। এর জন্য আমাদের সততা ও নিষ্ঠা নিয়ে দিনরাত পরিশ্রমের প্রয়োজন রয়েছে। দেশের সাংসদ রূপে, রাজ্যের বিধায়ক রূপে, আমাদের এটাও দায়িত্ব যে আমরা গণতন্ত্রের সামনে উপস্থিত হওয়া সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে মিলেমিশে দূর করবো। পক্ষ ও বিপক্ষের ব্যবধানের উপরে উঠে দেশের জন্য, দেশের মঙ্গলের জন্য আমাদের সমস্বরে কথা বলতে হবে। জনগণের হিতে তাঁদের স্বার্থ জড়িত বিষয়গুলি নিয়ে লোকসভা ও বিধানসভাগুলি যেন ইতিবাচক আলাপ-আলোচনার কেন্দ্র হয়ে ওঠে, বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপের জন্য আমাদের সকলের আওয়াজ যেন ততটাই জোরদার হয় – এই লক্ষ্যে আমাদের নিরন্তর এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের আচরণেও আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক পরিপক্কতা পরিস্ফূট হয়। সেজন্য বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের পাশাপাশি, আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে পরিপক্ক গণতন্ত্র রূপেও নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বন্ধুগণ, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজ দেশে সেই লক্ষ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আমি যদি সংসদের কথা বলি, তা হলে বিগত কয়েক বছরে সংসদে সাংসদদের উপস্থিতি এবং সংসদের উৎপাদনশীলতায় রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি হয়েছে। একটু আগে বিজয়জী বিহার বিধানসভায় বিধায়কদের উপস্থিতি এবং বিধানসভার উৎপাদনশীলতা নিয়ে যে বর্ণনা দিয়েছেন, সেখানেও আমরা এই ইত��বাচকতার প্রমাণ পেয়েছি। বন্ধুগণ, এমনিতে সংসদেও বিগত বাজেট অধিবেশনেও লোকসভার উৎপাদনশীলতা ১২৯ শতাংশ ছিল। রাজ্যসভাতেও ৯৯ শতাংশ উৎপাদনশীলতা নথিভুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ, দেশ নিয়মিত নতুন নতুন সংকল্প নিয়ে কাজ করছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর আমরা সবাই জানি যে, যখন মানুষ এটা দেখেন, তাঁরা যাঁদেরকে নির্বাচন করে জনপ্রতিনিধি হিসাবে পাঠিয়েছেন, তাঁরা পরিশ্রম করছেন, আইনসভায় জনগণের কল্যাণে তাঁদের বক্তব্য অত্যন্ত সুচারুভাবে পেশ করছেন, তখন তাঁদের মনে গণতন্ত্রের উপর বিশ্বাস আরও বৃদ্ধি পায়। এই বিশ্বাস বাড়ানো আমাদের সকলের দায়িত্ব। বন্ধুগণ, সময়ের সঙ্গে আমাদের নতুন নতুন ভাবনা, নতুন নতুন দর্শনের প্রয়োজন হয়। সেজন্য যেভাবে সময় ও প্রজন্ম বদলায় গণতন্ত্রকেও নতুন নতুন মাত্রা যুক্ত করে যেতে হয়। এই পরিবর্তনগুলির জন্য আমাদের শুধু নতুন নতুন নীতির প্রয়োজন হয় না, পুরনো নীতি ও আইনগুলিকেও সময়ের নিরিখে বদলাতে হয়। বিগত বছরগুলিতে আমাদের দেশের সংসদ এরকম প্রায় ১ হাজার ৫০০টি আইন বাতিল করেছে। এই আইনগুলি সাধারণ মানুষের জীবনে যে সমস্যা সৃষ্টি করছিল, দেশের উন্নয়নকে যেভাবে বাধা দিচ্ছিল, এই আইনগুলি বাতিল করার ফলে সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। আরেকটি নতুন বিশ্বাস জন্ম নিয়েছে। রাজ্য স্তরেও এরকম অনেক পুরনো আইন রয়েছে, যেগুলি অনেক বছর ধরে চলছে। আমাদের সবাইকে মিলেমিশে সেগুলিকে যাচাই করার প্রয়োজন রয়েছে। বন্ধুগণ, বিশ্বের জন্য একবিংশ শতাব্দী ভারতের শতাব্দী। আমরা ক্রমাগত শুনে আসছি, অনেকের কাছ থেকেই শুনেছি যে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এরকম কথা বলছেন। কিন্তু, ভারতবাসীর জন্য আমি বলবো, এই শতাব্দী কর্তব্যের শতাব্দী। আমাদের এই শতাব্দীতে আগামী ২৫ বছরে নতুন ভারতের সোনালী লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে। আমাদের কর্তব্যই আমাদের এই লক্ষ্যগুলি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে। সেজন্য এই ২৫ বছর দেশের জন্য কর্তব্য পথে এগিয়ে চলার বছর। কর্তব্য ভাবনা নিয়ে নিজেদেরকে সমর্পণ করার অমৃত সময়। আমাদের নিজেদেরকে নিজেদের জন্য, নিজেদের সমাজের জন্য, নিজের দেশের জন্য কর্তব্যের কষ্ঠি পাথরে বিচার করতে হবে। আমাদের কর্তব্যের পরাকাষ্ঠাকে অতিক্রম করতে হবে। আজ ভারত আন্তর্জাতিক মঞ্চে যত কীর্তি স্থাপন করছে, আজ ভারত যত দ্রুতগতিতে আন্তর্জাতিক শক্তি রূপে উঠে আসছে, এর পেছনে কোটি কোটি ভারতবাসীর ���র্তব্য নিষ্ঠা ও কর্তব্য ভাবনা রয়েছে। গণতন্ত্রে আমাদের আইনসভা জনগণের ভাবনার প্রতিনিধিত্ব করে। সেজন্য দেশবাসীর কর্তব্য নিষ্ঠা যেন আমাদের আইনসভাগুলিতে এবং জনপ্রতিনিধিদের আচরণেও সর্বদা পরিস্ফুট হয়। আমরা আইনসভায় যেমন আচরণ করবো, যতটা কর্তব্য নিয়ে আইনসভায় নিজেদের বক্তব্য রাখবো, দেশবাসীও ততটাই প্রাণশক্তি ও প্রেরণা পাবেন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা আমাদের নিজেদের কর্তব্যগুলিকে নিজেদের অধিকারগুলি থেকে আলাদা মনে করা উচিৎ নয়। আমরা নিজেদের কর্তব্যের জন্য যতটা পরিশ্রম করবো, আমাদের অধিকারগুলিও ততটাই শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আমাদের কর্তব্য নিষ্ঠাই আমাদের অধিকারগুলির একমাত্র গ্যারান্টি। সেজন্য আমাদের মতো সকল জনপ্রতিনিধিদের কর্তব্য পালনের সংকল্পকেও পুনরুচ্চারণ করতে হবে। এই সংকল্পই আমাদের এবং আমাদের সমাজের সাফল্যের পথকে প্রশস্ত করবে। আজ যখন আমরা দেশের অমৃত সংকল্পগুলি নিয়ে এগিয়ে চলেছি, তখন আমাদের নিজেদের কর্তব্যে, আমাদের পরিশ্রমে যেন কোনও ঘাটতি না থাকে। একটি দেশ রূপে আমাদের একতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তির জীবনও যেন সহজ হয়ে ওঠে। দেশের দলিত-পীড়িত-শোষিত-বঞ্চিত, জনজাতি প্রত্যেকেই যেন সবধরনের পরিষেবা পান – তা সুনিশ্চিত করার সংকল্প আমাদের সকলকেই নিতে হবে। আজ সবাইকে পাকা বাড়ি, পানীয় জল, সবাইকে বিদ্যুৎ, সবাইকে চিকিৎসা – এরকম লক্ষ্য নিয়ে দেশ কাজ করছে। এটাই আমাদের সকলের মিলিত দায়িত্ব। বিহারের মতো সামর্থ্যবান ও প্রাণশক্তিতে ভরপুর রাজ্যে গরীব, দলিত-পীড়িত-শোষিত-বঞ্চিত, জনজাতি এবং মহিলাদের উত্থান বিহারকেও দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর বিহার যখন এগোবে, তখন ভারতও তার সোনালী অতীতকে পুনরুচ্চারণ করে উন্নয়ন ও সাফল্যের নতুন উচ্চতাকে স্পর্শ করবে। এই ভাবনা নিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক আপনারা সবাই আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন – সেজন্য আমি রাজ্য সরকারকে, অধ্যক্ষ মহোদয়কে আর উপস্থিত সমস্ত বরিষ্ঠ নাগরিকদের হৃদয় থেকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। পাশাপাশি, এটা ১০০ বছরের যাত্রা উদযাপনের অন্তিম মুহূর্ত। আগামী ১০০ বছরের জন্য এই মুহূর্ত যেন নতুন প্রাণশক্তির কেন্দ্র হয়ে ওঠে – এই প্রত্যাশা নিয়ে অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক অনেক শুভকামনা।",পাটনাৰ বি��াৰ বিধান সভাৰ শতবাৰ্ষিকী উদযাপনৰ সামৰণি অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পাঠ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%9A%E0%A7%8D/,আম্বেদকর জয়ন্তীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “আম্বেদকর জয়ন্তীতে সকলকে অভিনন্দন জানাই। সমাজের দরিদ্রতম ও প্রান্তিক স্তরের লক্ষ লক্ষ মানুষের মনে আশা জাগিয়ে তুলেছিলেন পূজ্য বাবাসাহেব। দেশের সংবিধান রচনার কাজে তাঁর প্রচেষ্টার জন্য আমরা তাঁর কাছে ঋণী। তাই সকল দেশবাসীকে আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তীতে শুভেচ্ছা জানাই। জয় ভীম!”,আম্বেদকাৰ জয়ন্তীৰ শুভেচ্ছা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A6%E0%A6%B6-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%AD-%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1/,"নয়াদিল্লি, ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ভারত সরকারের একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প ‘প্রবাসী ভারতীয় দিবস সম্মেলন’। বিদেশে বসবাসরত ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার জন্য এই মঞ্চ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অনাবাসী ভারতীয়রা নিজেদের মতবিনিময়ের সুযোগ পান। মধ্যপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে সপ্তদশ প্রবাসী ভারতীয় দিবস সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। ইন্দোরে ৮-১০ জানুয়ারি এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের সম্মেলনের মূল ভাবনা – ‘অভিবাসী : অমৃতকালে ভারতের উন্নয়নে আস্থাশীল অংশীদার’। প্রবাসী ভারতীয় দিবস সম্মেলনে ৭০টি দেশের ৩,৫০০ অনাবাসী ভারতীয় অংশগ্রহণ করার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। এই সম্মেলনের তিনটি ভাগ রয়েছে। ৮ জানুয়ারি যুব প্রবাসী ভারতীয় দিবস যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রকের অংশীদারিত্বে অনুষ্ঠিত হবে। অস্ট্রেলিয়ার সাংসদ শ্রীমতী জেনেটা ম্যাসকারেনহ্যাস যুব প্রবাসী ভারতীয় দিবসে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ৯ জানুয়ারি প্রবাসী ভারতীয় দিবসের সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। গিয়ানার রাষ্ট্রপতি ডঃ মোহামেদ ইরফান আলি প্রধান অতিথি এবং সুরিনামের রাষ্ট্রপতি শ্রী চন্দ্রিকাপ্রসাদ সান্তোখী বিশেষ অতিথি হিসেবে সম্মেলনে উপস্থিত থাকবে���। নিরাপদ, আইনানুগ, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে দক্ষ মানবসম্পদের দেশান্তরী হওয়ার গুরুত্বের কথা তুলে ধরতে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা হবে। এই ডাকটিকিটের বিষয় – ‘সুরক্ষিত যায়ে, পরীক্ষিত যায়ে’। শ্রী মোদী প্রথম ডিজিট্যাল প্রবাসী ভারতীয় দিবস প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। এই প্রদর্শনীর বিষয় “আজাদী কা অমৃত মহোৎসব – ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রবাসী ভারতীয়দের ভূমিকা”। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রবাসী ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদানের কথা তুলে ধরা হবে। জি-২০ গোষ্ঠীতে ভারত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। এই প্রেক্ষিতে ৯ জানুয়ারি একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১০ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু ২০২৩ সালের প্রবাসী ভারতীয় সম্মান পুরস্কার প্রদান করবেন এবং সমাপ্তি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রবাসী ভারতীয়দের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রবাসী ভারতীয় দিবস সম্মেলনে পাঁচটি বিষয়ের ওপর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছে। যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী শ্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর প্রথম অধিবেশনে পৌরোহিত্য করবেন। অধিবেশনের বিষয় – ‘উদ্ভাবন এবং নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগে প্রবাসী ভারতীয় যুব সম্প্রদায়ের ভূমিকা’। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. মনসুখ মাণ্ডব্য দ্বিতীয় অধিবেশনে পৌরোহিত্য করবেন। এই অধিবেশনের বিষয় – ‘অমৃতকালে ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতির প্রসারে প্রবাসী ভারতীয়দের ভূমিকা’। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ডঃ রাজকুমার রঞ্জন সিং, ডা. মাণ্ডব্যকে অধিবেশন পরিচালনার কাজে সহায়তা করবেন। তৃতীয় অধিবেশনের বিষয় হল – ভারতের সফট পাওয়ার বা বিশেষ ক্ষমতার প্রয়োগ – শিল্পকর্ম, ভারতীয় খাদ্য এবং সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে মৈত্রীর বন্ধন। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতী মীনাক্ষী লেখী এই অধিবেশনে পৌরোহিত্য করবেন। শিক্ষা, দক্ষতা বিকাশ এবং শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান চতুর্থ অধিবেশনে পৌরোহিত্য করবেন। এই অধিবেশনের বিষয় – ‘ভারতীয় শ্রমশক্তিকে বিশ্বজুড়ে কাজে লাগানো – সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রবাসী ভারতীয়দের ভূমিকা’। পঞ্চম অধিবেশনের বিষয় – ‘দেশ গড়ার কাজে প্রবাসী ভারতীয় শিল্পোদ্যোগীদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো’। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী ন���র্মলা সীতারমন এই অধিবেশনে পৌরোহিত্য করবেন। প্রতিটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বিশিষ্ট প্রবাসী ভারতীয়রা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করবেন। সপ্তদশ প্রবাসী ভারতীয় দিবস সম্মেলন চার বছর পর সকলের প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে। কোভিড-১৯ অতিমারীর পর এটিই প্রথম সম্মেলন। সেদিক থেকে এই সম্মেলনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ২০২১ সালে সর্বশেষ প্রবাসী ভারতীয় দিবস সম্মেলন ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান http://www.pbdindia.gov.in এবং https://www.youtube.com/user/",১৭ তম প্ৰৱাসী ভাৰতীয় দিৱস সন্মিলন ২০২ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%85%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%85%E0%A6%AE%E0%A7%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%93%E0%A6%9A%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%A1%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লী, ৮ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রী অমরনাথ পবিত্র গুহার কাছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে জীবনহানির ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শ্রী অমরনাথ পবিত্র গুহার কাছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ঘটনায় আমি দুঃখিত। শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে জানাই সমবেদনা। পরিস্থিতি পর্যলোচনা, করতে উপ-রাজ্যপাল শ্রী মনোজ সিনহা মহাশয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের যথা সম্ভব সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।”",শ্ৰী অমৰনাথ গুহাৰ ওচৰত ডাৱৰ বিস্ফোৰণৰ ফলত প্ৰাণ হেৰুওৱালোকৰ প্ৰতি শোক প্ৰকাশ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%8F%E0%A6%87%E0%A6%9A%E0%A6%8F%E0%A6%AE%E0%A7%B0-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%97%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%86/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় স্বাস্হ্য মিশনের অগ্রগতি সহ এই মিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রোগ্রাম কমিটি এবং স্টিয়ারিং গ্রুপের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। বিগত ৫ বছর এবং ২০১৭-১৮তে জাতীয় স্বাস্হ্য মিশনের আওতায় অর্জিত সাফল্যগুলির মধ্যে রয়েছে- মাতৃত্বকালীন মৃত্যুহার ২০১০-১২র ১৭৮ থেকে ২০১৪-১৬তে ২.৭ শতাংশ কমে ১৩০ হয়েছে। একইভাবে নবজাতকের মৃত্যুহার ২০১১ সালের ৪৪ থেকে কমে ২০১৬তে ৩৪-এ দাঁড়িয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০১৮তে বার্ষিক নবজাতক মৃত্যুহার ৮.১ শতাংশ হারে কমেছে। ৫ বছরের নিচে শিশুমৃত্যু হার ২০১১র ৫৫ থেকে কমে ২০১৬তে ৩৯ হয়েছে। ২০১৫-১৬তে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যু হার ৯.৩ শতাংশ হারে কমেছে। এছাড়াও বিভিন্ন রোগব্যাধি সংক্রান্ত স্বাস্হ্য সূচকেও লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি ঘটেছে- ম্যালেরিয়া ও কৃমি আক্রান্তের ঘটনা ২০১১র ১.০ থেকে কমে ২০১৬তে ০.৮৪ হয়েছে। ২০১৭তে ম্যালেরিয়া জনিত মৃত্যু ৭০ শতাংশ এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি লক্ষে ২০১৩র ২৩৪ থেকে কমে ২০১৭তে ২০৪ হয়েছে। একইভাবে যক্ষ্মা জনিত মৃত্যুর ঘটনা ২০১৬র ৩২ থেকে কমে ২০১৭তে ২১ হয়েছে। পোলিও আক্রান্তের সংখ্যা অবশ্য ২০১৭র ৫৫৪ থেকে বেড়ে ২০১৮র মার্চ পর্যন্ত ৫৭১-এ পৌঁছেছে। দেশের সমস্ত ব্লকে ১০ হাজার জনসংখ্যা পিছু কালাজ্বরে আক্রান্তের ঘটনা ১ শতাংশের কাছাকাছি কমেছে। ২০১৬তে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৪ থেকে কমে ২০১৭তে ৭২এ পৌঁছেছে। একইভাবে তামাক সেবনের ফলে সৃষ্ট চারটি প্রধান অসংক্রামক ব্যাধি যেমন- ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, হৃদরোগ এবং ফুসফুসের জটিল অসুখ আক্রান্তের সংখ্যা ২০০৯-১০এর ৩৪.৬ থেকে ৬ শতাংশ কমে ২০১৬-১৭তে ২৮.৬ শতাংশ হয়েছে।",এনএইচএমৰ অধীনত অগ্ৰগতি আৰু এনএইচএমৰ কৰ্তৃত্বশীল আঁচনি সমিতি তথা মিছন সঞ্চালন গোটৰ সিদ্ধান্তসমূহৰ সম্পৰ্কে অৱগত কৰিলে কেবিনেটক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%8D/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে তামিলনাডুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ এম করুণানিধির প্রয়াণে শোক প্রকাশ করা হয়। উল্লেখ করা যেতে পারে, ডঃ করুণানিধি চেন্নাইয়ের কাবেরি হাসপাতালে গত ৭ আগস্ট প্রয়াত হন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে দু মিনিট নীরবতা পালন করে এবং একটি শোক প্রস্তাব গ্রহণ করে। শোক প্রস্তাবের বিষয় নিম্নরূপ – কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ এম করুণানিধির দুঃখদায়ক প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে। চেন্নাইয়ের কাবেরি হাসপাতালে ৭ আগস্ট তিনি প্রয়াত হন। তাঁর প্রয়াণে দেশ একজন প্রবীণ ও বিশিষ্ট নেতাকে হারাল। যাঁকে স্নেহবশত ‘কলাইগনার’ বলা হ’ত। নাগাপাট্টিনাম জেলার থিরুক্কুভালাই গ্রামে ১৯২৪ সালে ৩ জুন তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে সুদীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি সার্বজনিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে কুলিথালাই আসন থেকে জয়ী হয়ে তিনি তামিলনাড়ু বিধানসভায় প্রবেশ করেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩৩। ১৯৬৭ সালে তামিলনাড়ু সরকারে তিনি মন্ত্রীত্ব পান। এরপর, ১৯৬৯ সালে প্রথমবার তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন। তিনি পাঁচ বার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি, তিনি তামিল চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার ছিলেন। দ্রাবিড় আন্দোলনের আদর্শগুলি প্রচারের জন্য তিনি চলচ্চিত্রকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেন। ডঃ করুণানিধি তাঁর লেখনীগুণ ও সুবক্তা হিসাবেও জনপ্রিয় ছিলেন। তামিল সাহিত্যে তাঁর গভীর অবদান রয়েছে। সেই সঙ্গে কবিতা, চিত্রনাট্য, উপন্যাস, আত্মজীবনী, নাটক, সংলাপ ও সিনেমার গান রচনার ক্ষেত্রেও তিনি স্বতন্ত্র পরিচয় রেখেছিলেন। তাঁর প্রয়াণে তামিলনাড়ুর মানুষ একজন জনপ্রিয় নেতাকে হারাল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সরকার ও সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে ডঃ করুণানিধির শোক-সন্তপ্ত পরিবার ও তামিলনাড়ুর জনগণের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে।",তামিলনাডুৰ প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী এম.কৰুণানিধিৰ বিয়োগত কেবিনেটৰ শোকপ্ৰকাশ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%89%E0%A6%87-%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%B1%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ (২৪ অক্টোবর) ভারত ও মালাউই-র মধ্যে অপরাধীদের প্রত্যাবর্তন চুক্তির অনুমোদন ও স্বাক্ষরে সায় জানানো হয়েছে। এই চুক্তির ফলে মালাউই থেকে আগত এবং সে দেশে আশ্রয় নেওয়া সন্ত্রাসবাদী, আর্থিক কেলেঙ্কারিতে যুক্ত অপরাধী ও অন্যান্য অপরাধীদের প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে একটি আইনি কাঠামো তৈরি হবে। /",ভাৰত আৰু মালাৱিৰ মাজত প্ৰত্যৰ্পণ চুক্তি স্বাক্ষৰ আৰু আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্ৰদানত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%85%E0%A6%82%E0%A6%B6-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্��ি, ০৫ নভেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জনগণকে পর্যটনের সময় সীমা দর্শনে নাদাবেট সহ অন্য সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন। পর্যটন, সংস্কৃতি ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির ট্যুইটের জাবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন; “সীমা দর্শন প্রকল্প পর্যটন ক্ষেত্রে এক নতুন দিক যুক্ত করেছে। এটি সীমান্তে যাঁরা বসবাস করেন তাঁদের সহনশীলতাকে ধন্যবাদ জানানোর সুযোগ দেয়। আমি আপনাদের সকলকে নাদাবেট সহ অন্য সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখার আহ্বান জানাই…”",সীমা দৰ্শনৰ অংশ হিচাপে নাগৰিকসকলক নাদাবেট আৰু আন-আন সীমাঞ্চল ভ্ৰমণেৰে পৰ্যটনক সমৃদ্ধকৰণৰ আহ্বান প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%86%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8-2/,"৯০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে শনিবার (১৪ জুলাই, ২০১৮) কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রকল্পগুলির মধ্যে ছিল বারাণসী শহরের গ্যাস বন্টন প্রকল্প এবং বারাণসী ও বালিয়ার মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী মেমু ট্রেন। পঞ্চকোশি পরিক্রমা মার্গের শিলান্যাসের পাশাপাশি স্মার্ট সিটি মিশন এবং ‘নমামি গঙ্গে’ কর্মসূচির আওতায় আরও কয়েকটি প্রকল্পেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। বারাণসীর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রেরও ঐদিন শিলান্যাস করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শুরু করেন বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে অনুর্ধ্ব ২০ বিভাগে ৪০০ মিটারে স্বর্ণ পদক জয়ী তরুণ অ্যাথলিট হিমা দাসকে অভিনন্দন জ্ঞাপনের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে কাশী শহরটিকে একুশ শতকের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য গত চার বছর ধরে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে, এই শহরটির সুপ্রাচীন বৈশিষ্ট্যগুলি যাতে অটুট ও অক্ষুণ্ন থাকে সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। নতুন বারাণসী শহর হয়ে উঠবে আধ্যাত্মিকতা ও আধুনিকতার এক বিশেষ সমন্বয়, নতুন ভারতের এক প্রতীক বিশেষ। নতুন বারাণসী শহরের কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য এখনই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন শ্রী মোদী। তিনি বলেন, গত চার বছরে বারাণসী শহরের জন্য প্রচুর বিনিয়োগ করা হয়েছে। প্রায় এক হ��জার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি উদ্বোধনের পাশাপাশি কিছু কিছু প্রকল্পের আজ শিলান্যাসও করা হয়েছে। ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার এটি এক অঙ্গ বলে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের একটি চিকিৎসা-বিজ্ঞান কেন্দ্র রূপে বারাণসী আত্মপ্রকাশ করছে বলে এদিন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে, এক বিশ্বমানের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং এইম্‌স সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে যাবে। বারাণসী সহ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে তোলার লক্ষ্যে যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তারও এদিন উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কাশী বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র রূপে গড়ে উঠছে। আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের কথাও বলেন তিনি। এই কেন্দ্রটির আজই শিলান্যাস পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। বারাণসীর জনসাধারণের কল্যাণে জাপানের প্রধানমন্ত্রী মিঃ শিনজো আবে-র অবদানের কথাও এদিন প্রশংসিত হয় প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠে। স্বচ্ছ ভারত অভিযান সহ অন্যান্য কর্মসূচিগুলি রূপায়ণের ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ সরকার ও রাজ্যবাসীর উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার সপ্রশংস উল্লেখ করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন যে, চার বছর আগে বারাণসীর সড়ক এবং অন্যান্য পরিকাঠামোর হাল ছিল খুবই দুর্ভাগ্যজনক। শহরের যাবতীয় বর্জ্য তখন অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় গঙ্গা নদীর জলে মিশে দূষণের সৃষ্টি করত। কিন্তু আজ গঙ্গা থেকে গঙ্গোত্রী হয়ে মহাসমুদ্র পর্যন্ত দূষণ মুক্তির কাজ এগিয়ে চলেছে। নিকাশি ব্যবস্থার প্রয়োজনে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই সমস্ত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার সুফল মিলবে আগামীদিনে। বারাণসীকে স্মার্ট নগরী রূপে গড়ে তুলতে এক সুসংবদ্ধ নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ বর্তমানে পুরোদমে চলছে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, স্মার্ট সিটি কর্মসূচি শুধুমাত্র শহরের পরিকাঠামো উন্নয়নের একটি কর্মসূচি মাত্র নয়, বরং ভারতের এক নতুন পরিচিতি ও ভাবমূর্তি গড়ে তোলার বিশেষ উদ্যোগ। রাজ্য সরকারের শিল্পনীতি এবং বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ ও পরিস্থিতির প্রশংসা করে শ্রী মোদী বলেন যে এ সমস্ত কিছুর সুফল এখনই একটু একটু করে অনুভূত হচ্ছে। সম্প্রতি নয়ডায় স্যামসাং-এর মোবাইল উৎপাদন কারখানার উদ্বোধনেরও উল্লেখ ছি��� প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। তিনি বলেন, দেশের মোবাইল উৎপাদন কেন্দ্রগুলি এখন লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে। শহরের গ্যাস বন্টন প্রকল্প সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে বারাণসী শহরের ৮ হাজার বাড়িতে ইতিমধ্যেই পাইপলাইনের মাধ্যমে রান্নার গ্যাসের সুযোগ পৌঁছে গেছে। শহরে পরিবহণের ক্ষেত্রে জ্বালানি হিসাবে সিএনজি ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। জাপানের প্রধানমন্ত্রী মিঃ শিনজো আবে এবং ফরাসী প্রেসিডেন্ট মিঃ ইমান্যুয়েল ম্যাকঁর-কে বারাণসী শহর যেভাবে স্বাগত জানিয়েছিল, তারও এদিন স্মৃতিচারণ করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, আতিথেয়তা পরিষেবার আরেকটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরার ক্ষণ এখন উপস্থিতপ্রায়। কারণ, প্রবাসী ভারতীয় দিবস আয়োজিত হতে চলেছে ২০১৯-এর জানুয়ারিতে।","বাৰাণসীত বিভিন্ন উন্নয়নমুলক প্ৰকল্পৰ উদ্বোধন, আধাৰশিলা স্থাপন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7-%E0%A7%A6%E0%A7%AD-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AD-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF/,"এবছরের ১ জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের আরও এক কিস্তি মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধিরপ্রস্তাব আজ অনুমোদিত হল প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিতকেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। ভাতা বৃদ্ধির হার হবে ১ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারিপেনশনাররাও জুলাই মাস থেকে অতিরিক্ত ১ শতাংশ হারে মহার্ঘ ত্রাণ (ডিআর) পাবেনমন্ত্রিসভার এই অনুমোদনদানের ফলে। কেন্দ্রীয়সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীরা বর্তমানে যথাক্রমে তাঁদের মূল বেতন ও পেনশনের ৪ শতাংশমহার্ঘ ভাতা ও মহার্ঘ ত্রাণ হিসেবে পেয়ে থাকেন। অতিরিক্ত১ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা ও মহার্ঘ ত্রাণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষেরজুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি – এই আট মাসে সরকারের ব্যয় হবে ২,০৪৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে উপকৃত হবেন ৪৯ লক্ষ ২৬ হাজার কেন্দ্রীয়সরকারি কর্মী এবং ৬১ লক্ষ ১৭ হাজার কেন্দ্রীয় সরকারি পেনশনার। /",১.০৭.২০১৭ তাৰিখৰপৰা কাৰ্যকৰী হোৱাকৈ কেন্দ্ৰীয় চৰকাৰৰ কৰ্মচাৰীৰ বাবে ১ শতাংশ অতিৰিক্ত মাৰগীয় ভাট্টা আৰু পেন্সনাৰ সকললৈ মাৰগীয় সাহাৰ্য প্ৰদানৰ বাবে কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A6%E0%A7%A7-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AD-%E0%A7%A8%E0%A7%AE-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%A4-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A6%A3/,"নয়াদিল্লি, ২৫ আগস্ট ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৭ ও ২৮ আগস্ট গুজরাট সফর করবেন। ২৭ আগস্ট বিকেল ৫-৩০ মিনিটে শ্রী মোদী আমেদাবাদে সবরমতী নদী তীরে খাদি উৎসবে বক্তব্য রাখবেন। ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী ভূজ-এ ‘স্মৃতি বন’ স্মারকের উদ্বোধন করবেন। এরপর বেলা ১২টায় তিনি ভূজ-এ একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। শ্রী মোদী বিকেল ৫টায় গান্ধীনগরে সুজুকি গোষ্ঠীর ভারতে ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন। খাদি উৎসব খাদিকে জনপ্রিয় করতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরলস উদ্যোগের ফলে দেশে খাদি পণ্যের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলস্বরূপ, ২০১৪ সালের পর থেকে ভারতে খাদি সামগ্রীর বিক্রি চারগুণ বেড়েছে, গুজরাটে যা আটগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অঙ্গ হিসেবে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় খাদি শিল্পের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে এই শিল্পকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। আমেদাবাদে সবরমতী নদী তীরে খাদি উৎসবে গুজরাটের বিভিন্ন জেলার ৭,৫০০ মহিলা খাদি শিল্পী একসঙ্গে চরকা কাটবেন। এই অনুষ্ঠানে ১৯২০ সালের পর থেকে খাদির বিবর্তন তুলে ধরা হবে। ২২ রকমের চরকা উৎসবে প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে স্বাধীনতা আন্দোলনের ইয়েরাওয়াড়া চরকা ছাড়াও বর্তমান যুগের উন্নত প্রযুক্তি সম্বলিত চরকাও প্রদর্শনীতে স্থান পাবে। পণ্ডুরু খাদি উৎপাদন ও প্রদর্শনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী গুজরাট রাজ্য খাদি গ্রামোদ্যোগ বোর্ডের নতুন ভবনের উদ্বোধন করবেন এবং সবরমতী নদী তীরে একটি ফুট ওভারব্রিজও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। ভূজ-এ প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ভূজ জেলায় ‘স্মৃতি বন’ স্মারকের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুসারে ৪৭০ একর জমিতে এটি গড়ে তোলা হয়েছে। ২০০১ সালে যে বিধ্বংসী ভূমিকম্প হয়েছিল তার কেন্দ্র ছিল ভূজ-এ। ঐ ভূমিকম্পে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। ভূমিকম্পের পর পুনর্গঠনের সময় মানুষের জীবনীশক্তিকে শ্রদ্ধা জানাতে এই স্মারক নির্মিত হয়েছে। ভূমিকম্পের সময় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, স্মারকে তাঁদের নাম খোদিত রয়েছে। পুনর্জন্ম, পুনঃঅনুসন্ধান, পুনঃপ্রতিষ্ঠা, পুনর্গঠন, পুনর্ভাবনা, পুনর্জীবন এবং পুনর্নবীকরণ – এই পাঁচটি বিষয়ের ওপর সাতটি ব্লক সম্বলিত ‘স্মৃতি বন ভূমিকম্প সংগ্রহশালা’টি এখানে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। যে কোনো বিপর্যয়ের পর পৃথিবীর আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসার ক্ষমতা ‘পুনর্জন্ম’ ব্লকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গুজরাটের ভূ-বৈচিত্র্য এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিবরণ ‘পুনঃঅনুসন্ধান’ ব্লকে থাকবে। ২০০১ সালে ভূমিকম্পের পর ত্রাণ ও পুনর্গঠনের জন্য কি কি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা তৃতীয় ব্লকটিতে রয়েছে। চতুর্থ ব্লকে ২০০১ সালে ভূমিকম্পের পর গুজরাটের পুনর্গঠনের জন্য যে সমস্ত উদ্যোগ নেওয়া হয় তার বিবরণ রয়েছে। পঞ্চম ব্লকে যে কোনো সময়ে যে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলায় কি কি করণীয় সে বিষয়ে দর্শকদের কাছে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হবে। একটি সিমুলেটরের সাহায্যে ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা ষষ্ঠ ব্লকে পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ফাইভ-ডি সিমুলেটর ব্যবহার করা হয়েছে। সপ্তম ব্লকে ভূমিকম্পে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ থাকছে। প্রধানমন্ত্রী ভূজ-এ ৪,৪০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। তিনি সর্দার সরোবর প্রকল্পের কচ্ছ ব্রাঞ্চ ক্যানেল উদ্বোধন করবেন। ৩৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ক্যানেলের একটি অংশ ২০১৭ সালে শ্রী মোদী উদ্বোধন করেন। এবার বাকি অংশের উদ্বোধন হবে। এই খাল উদ্বোধন হওয়ার ফলে কচ্ছ জেলার ৯৪৮টি গ্রাম এবং ১০টি শহরে সেচ ও পানীয় জলের সংস্থান করা যাবে। প্রধানমন্ত্রী সারহাদ ডেয়ারির নতুন স্বয়ংক্রিয় দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ ও প্যাকিং প্ল্যান্টের উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও, ভূজ-এর আঞ্চলিক বিজ্ঞান কেন্দ্র, গান্ধীধামে ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর কনভেনশন কেন্দ্র, আনজারে বীর বাল স্মারক, নাখত্রানায় ভূজ-এর দুটি সাব-স্টেশন সহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। শ্রী মোদী ভূজ-ভীমাসার সড়ক সহ প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকার একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাসও করবেন। গান্ধীনগরে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ভারতে সুজুকি সংস্থার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন। গান্ধীনগরের মহাত্মা মন্দিরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সুজুকি গোষ্ঠীর দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প – হনসালপুর-এ সুজুকি মোটর গুজরাট ইলেক্ট্রিক ভেহিকেল ব্যাটারি ম্যানুফ্যাকচারিং কেন্দ্র এবং হরিয়ান���র খারখোড়ায় মারুতি সুজুকি গোষ্ঠীর একটি গাড়ি উৎপাদন কেন্দ্রের শিলান্যাস করবেন তিনি। হনসালপুর-এ সুজুকি মোটর গুজরাট ইলেক্ট্রিক ভেহিকেল ব্যাটারি ম্যানুফ্যাকচারিং কেন্দ্রটি ৭,৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে। এখানে বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য উন্নতমানের রাসায়নিক সেল তৈরি হবে। হরিয়ানার খারখোড়ায় গাড়ি উৎপাদন কেন্দ্রে প্রতি বছর ১০ লক্ষ যাত্রীবাহী গাড়ি উৎপাদনের ক্ষমতা থাকবে। এটি হবে বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রীবাহী গাড়ি নির্মাণ কেন্দ্র। এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।",২৭-২৮ আগষ্টত গুজৰাট ভ্ৰমণ কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A7%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%86/,"সুপ্রভাত বন্ধুগণ, শীত ঋতুটির সূচনা সাধারণত দিওয়ালির সময় থেকেই শুরু হয়ে যায়। তবে, বিশ্বউষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখনও সেরকম তীব্র ঠান্ডা আমরা অনুভব করছি না। তবে যাই হোক না কেন, আমাদের শীতকালীন অধিবেশন কিন্তু এখন শুরু হতে যাচ্ছে।এই শীতকালীন অধিবেশনে, যার সূচনা ২০১৭-তে এবং সমাপ্তি ২০১৮’য়, বেশ কিছুগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংসদে উত্থাপিত হবে বলে আমার বিশ্বাস। এই বিষয়গুলির গুরুত্ব ওতাৎপর্য কিন্তু সুদূরপ্রসারী। আমার মতে, বিতর্ক চলতে দেওয়া উচিৎ খুব ভালোভাবেই এবং ইতিবাচক পরিবেশে। শুধুতাই নয়, বিতর্ক চলাকালীন উদ্ভাবনী কিছু কিছু প্রস্তাবও সেখান থেকে উঠে আসা উচিৎ।এইভাবেই সংসদের আলোচনার সময়কালকে দেশের স্বার্থে ও কল্যাণে যথাযথভাবে সদ্ব্যবহারকরা সম্ভব। আমার অবশ্য এ বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস রয়েছে। এমনকি গতকাল একটি সর্বদলীয়বৈঠকেও আমরা মিলিত হয়েছি। সেখানে সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করেছেন যে, সংসদেরঅধিবেশনের যথোপযুক্ত সদ্ব্যবহার একান্ত জরুরি। কারণ, তাতে দেশকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়াসম্ভব হবে। আমি আরও আশা করি, সংসদের কাজকর্ম যদি ইতিবাচকভাবে চলে, তা হলে দেশ যেমনএকদিকে উপকৃত হবে, অন্যদিকে তেমনই আমাদের গণতন্ত্রও আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। সেইসঙ্গে, সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণের বিষয়টিও লাভ করবে এক বিশেষ গুরুত্ব।আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।",সংসদৰ শীতকালীন অধিবেশৰ আৰম্ভ হোৱাৰ প্ৰাকমুহূৰ্তত সংসদ ভৱনৰ বাহিৰত সংবাদ মাধ্যমক উদ্দেশ্যি প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে দিয়া বিবৃতিৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF/,"সিকিউরিটিজঅ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি)-র সঙ্গে কুয়েতের ক্যাপিটাল মার্কেট্‌সঅথরিটি (সিএমএ)-এর পারস্পরিক সহযোগিতা ও কারিগরি সহায়তার লক্ষ্যে এক মউ স্বাক্ষরেরপ্রস্তাব বুধবার অনুমোদিত হল প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিতকেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এইদুটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক মউ স্বাক্ষরের ফলে আরওপ্রসার লাভ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। দু’দেশের শেয়ার বাজারের প্রসার ও বিকাশেরউপযোগী পরিস্থিতি গড়ে তুলতেও মউ স্বাক্ষরের ঘটনা বিশেষভাবে সাহায্য করবে। মউস্বাক্ষরের পরিপ্রেক্ষিতেদুটি সংস্থার মধ্যে তথ্য বিনিময়ের কাঠামোটিও আরও মজবুতহয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে যার ফলে, মূল্য সংযোজন ঘটবে সেবি এবং সিএমএ-র পারস্পরিকবৈদেশিক সহযোগিতা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবেদায়দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও। /",ভাৰতৰ নিৰাপত্তা আৰু বিনিময় বোৰ্ড (SEBI) আৰু কুৱেইটৰ কেপিটেল মাৰ্কেট অথৰিটীৰ মাজত বুজাবুজি চুক্তিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A7%8C%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%93-%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE/,"কৃষ্ণা নদীর ওপর এক নৌকাডুবির ঘটনায় প্রাণহানির সংবাদে বিচলিতপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন : “কৃষ্ণা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এই মর্মান্তিক ঘটনায় যাঁরাপ্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবার-পরিজনদের মতো আমিও সমান উদ্বিগ্ন। উদ্ধারকাজেব্যস্ত রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার এবং জাতীয় বিপর্যয় ত্রাণ বাহিনীর সদর দপ্তরকর্তৃপক্ষ”।",কৃষ্ণা নদীত নাও ডুবি প্ৰাণহানি হোৱাসকলৰ প্ৰতি দুখ প্ৰকাশ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%81/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%95-%E0%A7%A8/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ ২০১৮-র বাঁধ নিরাপত্তা বিল সংসদে পেশ করার সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। দেশের সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যাতে একই ধরণের বাঁধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে, সেই লক্ষ্যেই এই বিলটি পেশ করার কথা ভাবা হয়েছে। এছাড়া, এই বিলটি মানুষের জীবন, গবাদিপশু ও সম্পত্তি সুরক্ষার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। দেশ ও বিদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ব্যাপক-ভিত্তির আলোচনার পর বিলটির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই বিলটিতে দেশের সমস্ত চিহ্নিত বাঁধের নিরাপদ কাজকর্ম সুনিশ্চিত করতে যথাযথভাবে নজরদারি এবং পরিচালনের সংস্থান রয়েছে। এছাড়াও, দেশের বাঁধগুলির নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতি-নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ করার জন্য বাঁধ নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি জাতীয় কমিটি গঠনের কথাও এতে বলা হয়েছে। দেশের বাঁধগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নীতি, নীতি-নির্দেশিকা এবং উচ্চমান ধরে রাখতে একটি জাতীয় বাঁধ নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ নামে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা গড়ে তোলার সংস্থানও এই বিলে রয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারগুলিও যাতে বাঁধ নিরাপত্তার জন্য রাজ্য পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে পারে, তার সংস্থানও বিলে রাখা হয়েছে। জাতীয় বাঁধ নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষকে রাজ্য পর্যায়ে বাঁধ নিরাপত্তা সংগঠন এবং সংশ্লিষ্ট বাঁধগুলির মালিকদের সঙ্গে বাঁধ নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য ও প্রচলিত ব্যবস্থার মান নির্ধারণের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। এই কর্তৃপক্ষ রাজ্য ও রাজ্য পর্যায়ের বাঁধ নিরাপত্তা সংগঠনগুলিকে প্রযুক্তি এবং পরিচালনগত সহায়তা দেবে। দেশের সবকটি বাঁধের জন্য একটি জাতীয় পর্যায়ের তথ্য ভাণ্ডার গড়ে তোলা এবং বাঁধের ত্রুটি ও ব্যর্থতার অতীত রেকর্ড সংরক্ষণের ব্যবস্থার কাজও এই কর্তৃপক্ষ করবে। যে কোনও ধরণের বাঁধের ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করবে এই কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ নিয়মিতভাবে বাঁধ নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীটি-নির্দেশিকা প্রকাশ করবে এবং এগুলি নিয়মিতকরণের উদ্যোগ নেবে। এছাড়া, নিয়ম-ভিত্তিক বাঁধ পরিদর্শন এবং বাঁধ ও তার কার্যাবলি বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের দায়িত্বও থাকবে এই কর্তৃপক্ষের হাতে। এই ধরণের অনুসন্ধান ও নতুন বাঁধ নির্মাণ ও তার পরিকল্পনার জন্য বিভিন্ন সংগঠনের স্বীকৃতি বা গুণমানগত পরিচিতি প্রদ���নের ব্যবস্থাও করবে এই কর্তৃপক্ষ। দুটি রাজ্যের বাঁধ কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির দায়িত্বও এই কর্তৃপক্ষের হাতে দেওয়া হবে। অন্যদিকে, একটি রাজ্যের বাঁধ অন্য রাজ্যে ভৌগোলিক এলাকার মধ্যে পড়লে জাতীয় কর্তৃপক্ষ রাজ্য বাঁধ নিরাপত্তা সংগঠনের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে আন্তঃরাজ্য বিরোধের সম্ভাবনা দূর করবে। সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ৫২০০টি বড় বাঁধ রয়েছে এবং প্রায় ৪৫০টি নতুন বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। এছাড়াও, ছোট ও মাঝারি আকারের হাজার হাজার বাঁধ আমাদের দেশে রয়েছে। এইসব বাঁধগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একটি আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই বিলটি আনা হবে বলে জানা গেছে।","বান্ধ নিৰাপত্তা বিধেয়ক, ২০১৮ কার্যকৰী কৰাৰ প্রস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F/,"নয়াদিল্লি, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ ভারতমাতার জয়, ভারতমাতার জয়, ভারতমাতার জয়! উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল শ্রী গুরমিত সিং-জি, এখানকার যুব ও কর্মঠ এবং জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পুষ্কর সিং ধামীজি, ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য অধ্যক্ষ শ্রী মদন কৌশিকজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী অজয় ভট্টজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য শ্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’জি, শ্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতজি, শ্রী তীরথ সিং রাওয়াতজি, শ্রী বিজয় বহুগুণাজি, উত্তরাখণ্ড সরকারের মন্ত্রী শ্রী সতপাল মহারাজজি, শ্রী হরক সিং রাওয়াতজি, শ্রী সুবোধ উনিয়ালজি, শ্রী মুন্সিধর ভগতজি, সংসদে আমার সাথী শ্রীমতী মালা রাজ্যলক্ষ্মীজি, শ্রী অজয় টমটাজি, অন্যান্য সাংসদ ও বিধায়কগণ, আর আমার কুমায়ুনের প্রিয় ভাই ও বোনেরা! যএখানে যাঁরা ওপরের দিকে দাঁড়িয়ে আছেন সবাই ঠিকঠাক দাঁড়াতে পেরেছেন তো? আমাকে শুনতে পাচ্ছেন তো? আপনারা এত বেশি সংখ্যক মানুষ ওখানে দাঁড়িয়ে আছেন, আমার ভয় করছে, আপনারা আর এগোবেন না কিন্তু। চারিদিকে সমস্ত বাড়ির ছাদে মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। আপনাদের এই ভালোবাসা, আপনাদের এই আশীর্বাদ, এর জন্য আমি আপনাদের কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞ। “গোলজ্যূকি ইয় পবিত্র ধরতী কুমায়ুঁ মে, আঁপূ সবৈ, ভাই বৈণিন কো ম্যার নমস্কার, ওয় সবৈ নানাতিনাকৈঁ মোর পেয়ার ওয় আশীষ!” অর্থাৎ, পবিত্র কুমায়ুনের গোলজ্যুকির মাটিতে আপনাদের সবাইকে, সমস্ত ভাই-বোনেদের আমার নমস্কার, আর যারা আমার থেকে বয়সে ছোট, তাদেরকে আমার ভালোবাসা ও আশীর্বাদ। উত্তরাখণ্ডের জাগেশ্বর-বাগেশ্বর-সোমেশ্বর-রামেশ্বর – এই তীর্থস্থানগুলির সমস্ত শিবস্থানকে আমার শত শত প্রণাম। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও কুমায়নের অনেক বড় অবদান ছিল। এখানকার পণ্ডিত বদ্রীদত্ত পাণ্ডেজির নেতৃত্বে উত্তরায়ণী মেলায় কুলি-বেগার প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছিল এবং এর সমাপ্তি হয়েছিল। বন্ধুগণ, আজ আবার আমার যখন কুমায়ুন আসার সৌভাগ্য হয়েছে, তখন আপনাদের সবার সঙ্গে আমার যে পুরনো সম্পর্ক রয়েছে, যে গভীর জানি বন্ধুগণ! উত্তরাখণ্ডে ক্রমবর্ধমান আধুনিক পরিকাঠামো, ‘চারধাম মহাপরিযোজনা’, নব-নির্মীয়মান রেল, রেলের নতুন নতুন রুট এই দশককে উত্তরাখণ্ডের দশক করে গড়ে তুলবে। উত্তরাখণ্ডে নির্মীয়মান নতুন নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, উত্তরাখণ্ডে ক্রমবর্ধমান শিল্পোদ্যোগ ক্ষমতা এই দশককে উত্তরাখণ্ডের দশক করে তুলবে। উত্তরাখণ্ডে পর্যটন ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হচ্ছে, গোটা বিশ্বে যোগ-এর প্রতি ক্রমবর্ধমান আকর্ষণ তাঁদেরকে উত্তরাখণ্ডের মাটির দিকে টেনে আনছে, আনতে চলেছে। পর্যটকদের জন্য নানারকম সুবিধা ক্রমে বাড়ছে। তাছাড়া, ‘হোম-স্টে অভিযান’ এই দশককে উত্তরাখণ্ডের দশক করে ছাড়বে। উত্তরাখণ্ডে ক্রমবর্ধমান ন্যাচারাল ফার্মিং বা প্রাকৃতিক চাষ, এখানকার ভেষজ পণ্য কৃষিক্ষেত্রেও এই দশককে উত্তরাখণ্ডের দশক করে তুলবে এবং উত্তরাখণ্ডের এই দশক ভারতের জন্য গৌরবপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। আজ যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন হল কিংবা শিলান্যাস হল, এগুলিও এই দশককে উত্তরাখণ্ডের দশক করে তোলার অনুকূল পরিকাঠামো গড়ে তুলবে। আমি উত্তরাখন্ডের জনগণকে, আজ হলদোয়ানির এই মাটি থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বন্ধুগণ, আমরা সবাই হিমালয়ের শক্তিকে জানি। আমরা এটাও জানি যে উত্তরাখণ্ডে কতগুলি নদীর উৎস রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই এখানকার জনগণ আরও দুটি ধারা দেখেছেন। একটি ধারা হল – পাহাড়কে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রাখো! আর দ্বিতীয় ধারা হল – পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য দিন-রাত এক করে পরিশ্রম করো। প্রথম ধারার লোকেরা আপনাদেরকে সব সময় উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রাখতে চেয়ে আসছেন। পাহাড়ে সড়কপথ, বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং জল সরবরাহের জন্য যতটা পরিশ্রম করা প্রয়োজন ছিল, তাঁরা স��্বদাই এর থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। এখানকার শত শত গ্রামে কত প্রজন্মের মানুষ যে ভালো সড়কের অভাবে, ভালো পরিষেবার অভাবে আমাদের প্রিয় উত্তরাখণ্ড ছেড়ে অন্য জায়গায় গিয়ে বসবাস শুরু করেছেন। আজ আমি অত্যন্ত সন্তুষ্ট যে উত্তরাখণ্ডের জনগণ দেশের এই ধরনের মানুষদের প্রকৃত সত্য জেনে ফেলেছেন। আজ আমাদের সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর মন্ত্র নিয়ে তীব্র গতিতে দেশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে দিন-রাত কাজ করে চলেছে। আজ উধমসিং নগর জেলায় গড়ে ওঠা এইমস, ঋষিকেশের স্যাটেলাইট কেন্দ্র এবং পিথোরাগড়ে জগজীবন রাম সরকারি মেডিকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এই দুই হাসপাতালে কুমায়ুন এবং তরাই অঞ্চলের জনগণের অনেক সুবিধা হবে। আলমোড়া মেডিকেল কলেজকে দ্রুত শুরু করার জন্য তীব্র গতিতে কাজ চলছে। উত্তরাখণ্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করার দ্রুত চেষ্টা করা হচ্ছে কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কানেক্টিভিটির সমস্যা অনেক বড় প্রতিকূলতা হয়ে উঠেছে। আমরা তাকেও দূর করার লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আজকের এই কর্মসূচিতে এই সভামঞ্চ থেকেই প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার সড়ক নির্মাণ প্রকল্প-বাবদ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মাধ্যমে ১,২০০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। এই সড়কগুলি ছাড়াও ১৫১টি স্কুল নির্মাণের কাজ করা হবে। ভাই ও বোনেরা, আপনাদের সুখ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখার ক্ষেত্রে যাঁরা ভাবনাচিন্তা করেছেন, তাঁদের কারণেই মানস-খণ্ড, যা মানস সরোবরের প্রবেশদ্বার ছিল, সেটি যথাযথ পথ না থাকায় সমস্ত সম্ভাবনা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। আমরা শুধুই টনকপুর-পিথোরাগড় অল ওয়েদার রোড নির্মাণের জন্য কাজ করিনি, বরং লিপুলেখ পর্যন্ত সড়ক তৈরি করেছি এবং এতে ভবিষ্যতেও অনেক বিস্তারিত কাজ হতে চলেছে। এমনিতে আজ যখন জনগণেশ এই মানুষদের প্রকৃত সত্য জেনে নিয়েছে, ততদিনে এই মানুষেরা আবার একটি নতুন দোকান খুলে ফেলেছে। এই দোকানটা হল গুজব রটানোর দোকান। গুজব উৎপাদন করো আর তা ছড়িয়ে দাও আর এই গুজবটিকে সত্যি প্রমাণ করার জন্য দিন-রাত চিৎকার করতে থাকো। আমাকে বলা হয়েছে যে, এখানে টনকপুর-বানেশ্বর রেললাইন নিয়েও উত্তরাখণ্ড-বিরোধী নতুন গুজব রটানো হচ্ছে। বন্ধুগণ, টনকপুর-বানেশ্বর রেললাইনের ফাইনাল লোকেশন সার্ভে এই প্রকল্পের অনেক বড় ভিত্তি, আর এই রেললাইনে যাতে দ্রুতগতিতে কাজ করা য��য় তা সুনিশ্চিত করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। আমি আপনাদের সবাইকে আজ এখানে ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস প্রদানের জন্য এসেছি। আজ ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেল রুট তৈরি হচ্ছে। কাল টনকপুর-বানেশ্বর রুটও এভাবেই তৈরি হবে। আমার উত্তরাখণ্ডের ভাই ও বোনেরা, এই শিলান্যাস কেবলই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন নয়, এটি শুধুই পাথর নয়, এটি সেই সঙ্কল্পশিলা যা ডবল ইঞ্জিন সরকার সিদ্ধ করে দেখাবে। বন্ধুগণ, উত্তরাখণ্ড রাজ্য স্থাপনের দুই দশক পূর্ণ হয়েছে। এই বছরগুলিতে আপনারা এরকম সব সরকার পরিচালনকারীদের দেখেছেন? যাঁরা বলতেন, প্রয়োজনে উত্তরাখণ্ডকে লুটে নাও, কিন্তু আমার সরকারকে বাঁচিয়ে দাও। এই মানুষেরা দু’হাত দিয়ে উত্তরাখণ্ডকে লুটেছেন। যাঁদের উত্তরাখণ্ডের প্রতি ভালোবাসা থাকবে, তাঁদের এরকম ভাবনা থাকতে পারে না। যাঁরা কুমায়ুনকে ভালোবাসেন, তাঁরা কুমায়ুন ছেড়ে যান না। এটা তো দেবভূমি! এখানকার জনগণের সেবা করা, উত্তরাখণ্ডের সেবা করা, দেবী-দেবতাদের সেবা করার সমান। পূণ্য অর্জন হয়। এই ভাবনা নিয়েই আমাদের সরকার কাজ করছে। আমি স্বয়ং আপ্রাণ পরিশ্রম করে চলেছি। আগেকার অসুবিধা এবং অভাবগুলি এখন সুবিধা ও সদ্ভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। তাঁরা আপনাদের মৌলিক সুবিধার ক্ষেত্রেও অনেক অভাবে রেখেছেন। আমরা প্রত্যেক শ্রেণী, প্রত্যেক ক্ষেত্রের আপামর জনগণকে ১০০ শতাংশ বুনিয়াদি সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য দিন-রাত এক করে কাজ করে চলেছি। ভাই ও বোনেরা, মানুষকে অভাবে রাখার রাজনীতিতে সবচাইতে বেশি লোকসান যদি কারোর হয়, তাঁরা হলেন আমাদের মা, বোন ও মেয়েরা। রান্নাঘরে ধোঁয়া থাকলে সবচাইতে বেশি সমস্যায় পড়েন মা ও বোনেরা, বাড়িতে শৌচালয় না থাকলে সবচাইতে বেশি সমস্যায় পড়েন বোন ও মেয়েরা, পাকা ছাদ না থাকলে বর্ষায় যখন ঘরের মধ্যে জল পড়ে তখন সবচাইতে বেশি সমস্যা হয় মায়ের। বাচ্চার অসুস্থ হলে চিকিৎসার টাকা নেই, পরিষেবা নেই, সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় মায়ের। পানীয় জল সংগ্রহের জন্য সবচাইতে বেশি পরিশ্রম এবং সময় লাগে আমাদের মা ও বোনেদের। বিগত সাত বছরে মাতৃশক্তির এই সমস্যাগুলিকে আমরা শিকড় থেকে দূর করার চেষ্টা করেছি। ‘জল জীবন মিশন – হর ঘর জল, হর ঘর নল’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেক বাড়িতে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। দু’বছরে এই অভিযানের মাধ্যমে দেশের ৫ কোটিরও বেশি পরিবারকে নলের মাধ্যমে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আজও যে ৭০টির বেশি প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছে, সেগুলির মাধ্যমে ১৩টি জেলার বোনেদের জীবন সহজ হতে চলেছে। শুধু তাই নয়, হলদওয়ানি এবং জগজিৎপুরের চারপাশের এলাকাতেও এখন পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে যাতে মানুষের পানীয় জলের অভাব না থাকে। বন্ধুগণ, যখন আমরা কোনও ঐতিহাসিক স্থানে যাই, তখন সেখানে আমাদের বলা হয় যে অমুক স্থানটি এত বছর আগে তৈরি করা হয়েছে, এই ইমারত এতটা পুরনো। কিন্তু অনেক দশক ধরে অবস্থা এমন ছিল যে বড় বড় প্রকল্পগুলির প্রসঙ্গ উঠলে আমাদের এখানে কী বলা হত? আমাদের এখানে বলা হত – অমুক প্রকল্প এত বছর ধরে আটকে আছে কিংবা তমুক প্রকল্প এত দশক ধরে অসম্পূর্ণ রয়েছে। আগে যে সব সরকার ছিল, এসব কথা তাদের পার্মামেন্ট ট্রেডমার্ক ছিল। আজ এখানে, উত্তরাখণ্ডে যে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হল, সেগুলির এরকমই ইতিহাস রয়েছে। আজ ভাবুন বন্ধুগণ! উত্তরাখণ্ডে, আজ এখানে মানুষ বসে আছেন, তাঁরা প্রায় চার দশক বা তার চাইতেও বেশি সময় ধরে অপেক্ষায় আছেন। এতদিন ধরে শুনে আসছেন, আপনারা জেনেও অনেকে হয়তো ভুলে গেছেন যে কারণটা কি ছিল। এই প্রকল্প সম্পর্কে প্রথমবার ১৯৭৬ সালে ভাবা হয়েছিল। এখন প্রায় ৫০ বছর হতে চলল। আজ ৪৬ বছর পর আমাদের সরকার এই কাজের শিলান্যাস করেছে। আমি উত্তরাখণ্ডের ভাই-বোনেদের একটা জিনিস জিজ্ঞাসা করতে চাই। যে কাজ ১৯৭৬-এ ভাবা হয়েছিল, ৪৬ বছর লেগে গেছে। এটা কি তারা পাপ করেছেন, নাকি করেননি? এ ধরনের পাপ যাঁরা করেছেন, তাঁদের কি সাজা পাওয়া উচিৎ নয়? আপনারাই বলুন তাঁদের সাজা পাওয়া উচিৎ কিনা। এভাবে দেরি করে দিয়ে আপনাদের তো ক্ষতি করেছে, তাই না? উত্তরাখণ্ডের অনেক ক্ষতি করেছে, তাই না? দু-দুটি প্রজন্ম ধরে আপনারা এই ক্ষতি সহ্য করেছেন। তাই কিনা? আপনারা কি এমন পাপীদের ভুলে যাবেন? এই ধরনের অন্যায়, পাপ যাঁরা করেছে তাঁদেরকে ভুলে যাবেন? নাকি তাঁদের বড় বড় কথার জালে আবার ভ্রমিত হবেন? কোনও দেশ ভাবতেও পারে না, এমন পাঁচ পাঁচটি দশক ধরে একটি প্রকল্প ফাইল চাপা পড়ে, এই টেবিল থেকে ওই টেবিল ঘুরে ঘুরতে প্রকল্পটাই ঝুলে ছিল। একের পর এক নির্বাচন এসেছে, বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কিছুই আপনাদের কাজে লাগেনি। ভাই ও বোনেরা, আমার সাত বছরের রেকর্ড দেখে নিন। খোঁজখবর করে এ ধরনের পুরনো জিনিসগুলিকে ঠিক করার কাজ আমার সময়কালে করা হচ্ছে। এখন আমি সমস্ত কাজকে ঠিক করছি। আপনারাও আজ সেগুলিকে ঠিক করুন। যাঁরা আগের সর��ারে ছিলেন, তাঁদের যদি আপনাদের জন্য বিন্দুমাত্র চিন্তা থাকত তাহলে কি এই প্রকল্পগুলি চার দশক ধরে ঝুলে থাকত? তাঁদের যদি আপনাদের প্রতি ভালোবাসা থাকত, তাহলে যে কাজগুলি না হওয়ার ফলে আপনাদের এত দুর্দশা ভুগতে হত কি? সত্য হল এটাই যে যাঁরা আগের সরকারে ছিলেন, তাঁদের উত্তরাখণ্ডের সামর্থ্য নিয়ে কখনই কোনও চিন্তা ছিল না, পরোয়া ছিল না। পরিণাম এটা হল যে, আমরা পর্যাপ্ত বিদ্যুতও পাইনি, কৃষকরা যথাযোগ্য সেচের জল পাননি আর দেশের অধিকাংশ গ্রামের জনগণকে নলের মাধ্যমে পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাবে জীবন কাটাতে হয়েছে। পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাব স্বীকার করেই জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। বন্ধুগণ, বিগত সাত বছর ধরে ভারত তার পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে আর আপনারা প্রাকৃতিক সামর্থ্যের প্রকৃত ব্যবহার করে যাচ্ছেন। আজ যে প্রকল্পগুলি শুরু হয়েছে, সেগুলি উত্তরাখণ্ডের পরিচয়কে একটি ‘পাওয়ার সারপ্লাস’ রাজ্য রূপে তুলে ধরবে। পাশাপাশি, এখানকার কৃষকরা সেচের পর্যাপ্ত সুবিধা পাবেন। এই বিদ্যুৎ আমাদের শিল্পোদ্যোগগুলি পাবে, এই বিদ্যুৎ আমাদের স্কুল-কলেজগুলি পাবে, এই বিদ্যুৎ আমাদের হাসপাতালগুলি পাবে, এই বিদ্যুৎ আমাদের প্রত্যেক পরিবার পাবে। বন্ধুগণ, উত্তরাখণ্ডে গঙ্গা-যমুনার স্বাস্থ্য, এখানকার জনগণের পাশাপাশি দেশের অনেক বড় জনসংখ্যার স্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলে। সেজন্য গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত আমরা একটি অভিযান শুরু করেছি। শৌচালয় নির্মাণ থেকে শুরু করে উন্নত পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা, নোংরা জলের ট্রিটমেন্টের আধুনিক ব্যবস্থা, গঙ্গায় যে নোংরা নালাগুলির প্রদূষণ ছড়ায় সেগুলির সংখ্যা দ্রুতগতিতে কমছে। আজও এখানে ‘নমামী গঙ্গে যোজনা’র মাধ্যমে উধমসিং নগর-রামনগর-নৈনিতাল সিওয়্যার লাইন এবং সিওয়্যার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করা হয়েছে। নৈনিতালের অসাধারণ সুন্দর ঝিলটির সংস্কার আগে কেউ করেনি। এখন এটি সংরক্ষণের কাজও করা হবে। বন্ধুগণ, বিশ্বের যে কোনও স্থানের পর্যটনে ততদিন পর্যন্ত উন্নতি হবে না যতদিন পর্যন্ত সেখানে পর্যটকদের যাতায়াত ও থাকার সুব্যবস্থা না হয়। আমাদের আগে যাঁরা সরকারের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা এই বিষয়টা নিয়ে ভাবেনইনি। আজ উত্তরাখণ্ডে যে নতুন নতুন সড়কপথ তৈরি হচ্ছে, অনেক সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে, নতুন রেলপথ তৈরি হচ্ছে, সেগুলি তাদের সঙ্গে নতুন পর্যটকও নিয়ে আসবে। আজ উত্তরাখণ্ডের প্রধান স্থানগুলিতে যে রোপওয়ে তৈরি হচ্ছে, সেগুলিও তাদের সঙ্গে নতুন পর্যটক নিয়ে আসবে। আজ উত্তরাখণ্ডে যেভাবে মোবাইল ফোনের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হচ্ছে, জায়গায় জায়গায় নতুন টাওয়ার স্থাপন করা হচ্ছে, এগুলি নিশ্চিতভাবেই পর্যটকদের সঙ্গে নিয়ে আসবে। আজ উত্তরাখণ্ডে যেভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি হচ্ছে, এই নতুন ব্যবস্থা নিশ্চিতভাবে পর্যটকদের মনে ভরসা বাড়াবে আর এই সবকিছুর ফলে কারা সবচাইতে বেশি লাভবান হবেন? এগুলির মাধ্যমে সবচাইতে বেশি লাভবান হবেন উত্তরাখণ্ডের যুব সম্প্রদায়, আমাদের পাহাড়গুলির নব যুবক-যুবতীরা। উত্তরাখণ্ডের জনগণ সাক্ষী আছেন, যখন কেদারনাথজি দর্শনের সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে, তখন ওখানে যাওয়ার জন্য শ্রদ্ধাবান মানুষদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে মানুষ সেখানে গেছেন। এভাবে আজ দেশ দেখছে যে কাশী বিশ্বনাথধাম তৈরি হওয়ার ফলে সেখানেও শ্রদ্ধাবান মানুষদের সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে কুমায়ুনেও জাগেশ্বরধাম ও বাগেশ্বরের মতো পবিত্র গন্তব্য রয়েছে। এগুলির উন্নয়ন এই এলাকার উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে। কেন্দ্রীয় সরকার নৈনিতালের দেবস্থলে ভারতের সর্ববৃহৎ অপটিক্যাল টেলিস্কোপও স্থাপন করেছে। এর ফলে দেশ-বিদেশ থেকে আগত বৈজ্ঞানিকেরা যেমন নতুন সুবিধা পেয়েছেন, তেমনই এই এলাকার নতুন পরিচয়ও গড়ে উঠেছে। বন্ধুগণ, আজ উন্নয়ন প্রকল্পগুলির জন্য ডবল ইঞ্জিন সরকার যত টাকা খরচ করছে, এর আগে কোনও সরকার এরকম খরচ করেনি। যখন এই সড়কপথগুলি তৈরি হয়, নতুন নতুন ভবন তৈরি হয়, পিএম আবাস যোজনার মাধ্যমে গরীব মানুষদের জন্য গৃহ নির্মাণ হয়, নতুন রেল রুট তৈরি হয়, তখন তাতেও স্থানীয় শিল্পোদ্যোগের জন্য, আমাদের উত্তরাখণ্ডের শিল্পোদ্যোগীদের জন্য নতুন সম্ভাবনা গড়ে ওঠে। উত্তরাখণ্ডের কোনও ব্যবসায়ীই যেমন এর জন্য সিমেন্টের যোগান দেন, তেমনই এখানকার কোনও ব্যবসায়ীই এর জন্য লোহা ও পাথরের কুচি সরবরাহ করেন। উত্তরাখণ্ডের কোনও প্রকৌশলী এর নকশা সংক্রান্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যান। উন্নয়নের এই প্রকল্পগুলি আজ এখানে রোজগারের অনেক সুযোগ তৈরি করছে। উত্তরাখণ্ডের যে যুবকরা নিজেদের ক্ষমতায় নিজেরাই রোজগার করতে চান, তাঁদের জন্য ডবল ইঞ্জিনের সরকার সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। উত্তরাখণ্ডের যে যুব সম্প্রদায় নিজেদের পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে নিজেরা রোজগার করতে চান, ‘মুদ্রা যোজনা’র মাধ্যমে তাঁদের কোনরকম ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ছাড়াই সুলভ হারে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। যে নবীন বন্ধুরা চাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁদেরকে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সাহায্য করা হচ্ছে। এখানে ছোট দোকানদার ভাই-বোনেদের ‘স্বনিধি যোজনা’র মাধ্যমে সাহায্য করা হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের দরিদ্রদের জন্য, মধ্যবিত্ত যুবকদের জন্য আমাদের সরকার ব্যাঙ্কের দরজা খুলে দিয়েছে। তাঁরা যাতে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন, কোনও বাধা যেন তাঁদের পথে না আসে সেজন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছি, দিন-রাত কাজ করছি। এখানে উত্তরাখণ্ডে আয়ুষ এবং সুগন্ধী পণ্যের সঙ্গে যুক্ত শিল্পেরও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। দেশ এবং বিশ্বে এর জন্য একটি অনেক বড় বাজার রয়েছে। কাশীপুরার অ্যারোমা পার্ক উত্তরাখণ্ডের এই শক্তিকে বল দেবে, কৃষকদের সম্বল দেবে। হাজার কোটি নব যুবক-যুবতীদের রোজগার দেবে। এভাবে প্লাস্টিক শিল্পোদ্যোগ পার্কও রোজগারের ক্ষেত্রে অনেক বড় সুযোগ সৃষ্টি করবে। ভাই ও বোনেরা, আজ দিল্লি এবং দেরাদুনে ক্ষমতার ভাব নিয়ে নয়, সেবাভাব নিয়ে সরকারগুলি চলছে। সীমান্তবর্তী রাজ্য হওয়া সত্ত্বেও পূর্ববর্তী সরকারগুলি এই এলাকার কোনও উন্নয়ন করেনি। পূর্ববর্তী সরকারগুলির এ ধরনের মনোভাব রাষ্ট্র রক্ষার জন্য সন্তানদের সমর্পণকারী কুমায়ুনের বীর মাতারা কখনও ভুলতে পারবেন না। যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি, জাতীয় সুরক্ষার প্রতিটি দিককে অবহেলা করা হয়েছে। আমাদের সেনা এবং অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের শুধুই অপেক্ষা করিয়েছে। ‘এক পদ এক পেনশন’-এর জন্য প্রতীক্ষা, আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের জন্য প্রতীক্ষা, বুলেট প্রুফ জ্যাকেটের মতো প্রয়োজনীয় সুরক্ষা কবচের জন্য প্রতীক্ষা, সন্ত্রাসবাদীদের কড়া জবাব দেওয়ার জন্য প্রতীক্ষা। কিন্তু এই নেতারা সেনা এবং আমাদের বীর অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের অপমান করার ক্ষেত্রে সবার আগে ছিলেন, তৎপর ছিলেন। উত্তরাখণ্ডের বীরাঙ্গনা মায়েরা, যাঁরা সেনাকে কুমায়ুন রেজিমেন্টের মতো একটি পরাক্রমশালী রেজিমেন্ট উপহার দিয়েছেন, তাঁরা এই অপমান কখনও ভুলতে পারবেন না। বন্ধুগণ, উত্তরাখণ্ডের জনগণ এই রাজ্যের উন্নয়নের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করতে চায়, আরও দ্রুত করতে চান। আপনাদের স্বপ্নগুলি যাতে সফল হয় এটাই আমাদের সঙ্কল্প। আপনাদের প্রত্যেকটি ইচ্ছাই আমাদের প্রেরণা। আপনাদের প্রতিটি প্রয়োজন পূরণ করা আমাদের দায়িত্ব। ডবল ইঞ্জিনের সরকারের ওপর আপনাদের এরকম আশীর্বাদ বজায় থাকলে উত্তরাখণ্ড নিশ্চিতভাবেই এই দশককে উত্তরাখণ্ডের দশক করে তুলতে পারবে। এই উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলির শুভ উদ্বোধন ও শিলান্যাসের জন্য আপনাদের সবাইকে, গোটা উত্তরাখণ্ডকে আমি অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। “পোঁরু বটী সাল ২০২২ উনের ছু, আঁপূ সব উত্তরাখণ্ডিন কে, নয়ি সালৈ কী বধৈ, তথা দগাড় মে ওণী ঘুঘুতি ত্যারেকি লৈ বধৈ!!” অর্থাৎ, সামনেই আগত ২০২২ সালের জন্য আপনাদের সমস্ত উত্তরাখণ্ডবাসীদের নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। এই নতুন বছর আপনাদের জীবনে অনেক সমৃদ্ধি নিয়ে আসুক। ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়! অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",হালদ্বানিত বিভিন্ন উন্নয়ণী প্ৰকল্পৰ উদ্বোধন আৰু আধাৰশিলা স্থাপন কৰি প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A1-5/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2-2/,"নয়াদিল্লী, ২৬ মে, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী চেন্নাই-এ ৩১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি ১১টি প্রকল্প জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ ও শিলান্যাস করেছেন। পরিকাঠামোর বিকাশের সঙ্গে যুক্ত এই প্রকল্পগুলি সমগ্র অঞ্চলে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের মানোন্নয়নে অত্যন্ত কার্যকর হবে এবং এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করবে। এই উপলক্ষ্যে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল শ্রী আর এন রবি, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী এম কে স্ট্যালিন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী এল মুরুগন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে, তামিলনাড়ুতে আরও একবার আসতে পারায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তামিলনাড়ুতে আসতে পারা সর্বদাই আনন্দের। এই ভূমির বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এখানকার মানুষ, সংস্কৃতি ও ভাষা অসাধারণ। তিনি আরও বলেন এই রাজ্য থেকে কেউ না কেউ সর্বদাই দুর্দান্ত হয়ে উঠেছে। ডেফলিম্পিক্সে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় দলের সদস্যদের অভ্যর্থনা জানানোর কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার ভারত সবথেকে ভালো ফল করেছে। এই প্রতিযোগিতায় ভারত যে ১৬টি পদক পেয়েছে তার ৬টির পিছনে অবদান রয়েছে তামিলনাড়ুর ছেলে-মেয়েদের। সমৃদ্ধ তামিল সংস্কৃতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তামিল ভাষা চিরন্তন এবং তামিল সংস্কৃতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে। চেন্নাই থেকে কানাডা, মাদুরাই থেকে মালয়েশিয়া, নামাক্কল থেকে নিউইয়র্ক, সালেম থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা সর্বদাই পোঙ্গল ও পুথান্ডু উৎসব যথোচিত উৎসাহ উদ্দীপনায় উদযাপিত হয়। তিনি আরও জানান, সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবেও তামিলনাড়ুর ভূমিপুত্র ও কেন্দ্রীয়মন্ত্রী থিরু এল মুরুগন চিরাচরিত তামিল পোশাকে রেড কার্পেটে হেঁটেছেন, যা প্রকৃতপক্ষে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা তামিল মানুষের কাছে গর্বের বিষয়। শ্রী মোদী বলেন, আজ যে সমস্ত প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে সেগুলি সবই সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে। তিনি বলেন, বেঙ্গালুরু-চেন্নাই এক্সপ্রেসওয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ মহানগরের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তুলবে এবং চেন্নাই বন্দর ও মাদুরাভয়ালের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী চারলেন বিশিষ্ট ডেকার এলিভেটেড সড়কটি চেন্নাই বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এমনকি এই মহানগরে যানজট এড়াতে সাহায্য করবে। পাঁচটি রেল স্টেশনের মানোন্নয়ের কাজ চলছে বলেও তিনি জানান। শ্রী মোদী বলেন, ভবিষ্যতের চাহিদা বিবেচনায় রেখে আধুনিকীকরণ ও উন্নয়নের কাজ এগিয়ে চলেছে। একইসঙ্গে এই উদ্যোগে স্থানীয় শিল্প ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটছে। তিনি আরও বলেন, মাদুরাই-টেনি রেল লাইনের গেজ পরিবর্তনের ফলে কৃষকরা যেমন লাভবান হবেন তেমনই তাঁরা নতুন বাজারের সুবিধা নিতে পাববেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় ঐতিহাসিক চেন্নাই লাইট হাউস প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে যারা নিজেদের বাড়ি পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী তাদের অভিনন্দন জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত সন্তুষ্টির বিষয় যে আমরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসার কাজ শুরু করেছি। রেকর্ড সময়ের মধ্যে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে এবং আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে চেন্নাইতেই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থায় মাল্টিমোডাল লজিস্টিক পার্ক আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই প্রকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াবে এবং আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার সংকল্প পূরণে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা নেবে। প্রধা��মন্ত্রী বলেন, ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে, যেসমস্ত দেশ পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়েছে তারা উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। সরকার উৎকৃষ্ট ও সুস্থায়ী পরিকাঠামো গড়ে তোলার ওপর সম্পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশই গরিব কল্যাণ। সামাজিক পরিকাঠামো ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রাধিকার সর্বজনহিতায় এবং সর্বজনসুখায়- এই আদর্শকে অনুসরণ করে এগিয়ে চলেছে। শ্রী মোদী বলেন, বর্তমান সরকার গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিগুলির সর্বাঙ্গীন সাফল্য অর্জনে নিরন্তর কাজ করে চলেছে। শৌচাগার নির্মাণ থেকে আবাসন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ…. আমরা সার্বিক সাফল্যের লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছি। সার্বিক সাফল্য যখন অর্জিত হবে তখন কেউই এই সুবিধা থেকে বাদ যাবেন না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার পরিকাঠামো ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি করেছে। কয়েক বছর আগেও পরিকাঠামো বলতে সড়ক, বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহের কথা বলা হত। আজ আমরা দেশে গ্যাস পাইপলাইন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কাজ করে চলেছি। আই-ওয়ে গড়ে তোলার লক্ষ্যেও কাজ চলছে। প্রতিটি গ্রামে হাইস্পিড ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু করাই আমাদের উদ্দেশ্য। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, সরকার তামিল ভাষা ও সংস্কৃতির আরও প্রসারে সম্পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ। এ বছর জানুয়ারিতে চেন্নাইয়ে সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ ক্লাসিক্যাল তামিল প্রতিষ্ঠানের নতুন ক্যাম্পাসের সূচনা হয়েছে। এই ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণ তহবিল যুগিয়েছে। সম্প্রতি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে তামিল শিক্ষার জন্য সুহ্মমনিয়া ভারতী চেয়ার গড়ে তোলা হয়েছে। তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রে অর্থাৎ বারাণসীতে এরকম একটি উদ্যোগ বাস্তবায়িত হওয়ায় তিনি অত্যন্ত আনন্দ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে চলছে। আপনারা সকলে শ্রীলঙ্কার বর্তমান ঘটনাবলী সম্পর্কে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে ভারত শ্রীলঙ্কাকে সম্ভাব্য সবরকম সাহায্য করছে। শ্রী মোদী স্মরণ করে বলেন, তিনিই প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি জাফনা সফর করেছেন। শ্রীলঙ্কায় তামিল সম্প্রদায়ের মানুষের সহায়তায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা, পরিবহণ, আবাসন ও সংস্কৃতি প্রভৃতি। আজাতি কা অমৃত মহোৎসবের সময় আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্ন পূরণে দেশবাসীর সমবেত সংকল্প গ্রহণের কথা তিনি আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রী ২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকার ৫টি প্রকল্প জাতির উদ্দেশ্য উৎসর্গ করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মাদুরাই-টেনি রেল লাইনের গেজ পরিবর্তন। ৫৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তাম্বারাম-চেঙ্গলপাত্তুরের মধ্যে তৃতীয় রেল লাইন। ১১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এন্নোর-চেঙ্গলপাত্তু এবং থিরুভাল্লু-বেঙ্গালুরু শাখায় ২৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপ লাইন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় ১১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে চেন্নাই লাইট হাউস প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে নির্মিত ১ হাজার ১৫২টি গৃহের উদ্বোধন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষ্যে ২৮ হাজার ৫৪০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে ৬টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। এরমধ্যে রয়েছে ১৪ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠতে চলা ২৬২ কিলোমিটার দীর্ঘ বেঙ্গালুরু-চেন্নাই এক্সপ্রেসওয়ে। এই এক্সপ্রেসওয়েটি চালু হলে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়ের মধ্যে যাত্রার সময় ২-৩ ঘণ্টা হ্রাস পাবে। তিনি পাঁচটি রেল স্টেশনের মানোন্নয়নে শিলান্যাস করেন। এই রেল স্টেশনগুলি হল চেন্নাই এগমোরে, রামেশ্বরম, মাদুরাই, কাঠপাডি এবং কন্যাকুমারী। এই রেল স্টেশনগুলির মানোন্নয়ন খাতে খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি। প্রধানমন্ত্রী চেন্নাইয়ে প্রায় ১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকার একটি মাল্টিমোডাল লজিস্টিক পার্কের শিলান্যাস করেন। এই লজিস্টিক পার্কটি পণ্য পরিবহণে অত্যন্ত সহায়ক হবে এবং বিবিধ উদ্দেশ্য পূরণেও কার্যকর ভূমিকা নেবে।","প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে তামিলনাডুত ৩১,৫০০ কোটি টকাৰ অধিক মূল্যৰ ১১ টা প্ৰকল্পৰ আধাৰশিলা উৎসৰ্গা আৰু স্থাপন কৰ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A7%8C%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%9A/,প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী চৌধুরী চরণ সিং-এর জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধানিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “চৌধুরী চরণ সিংজির জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করি। ঐকান্তিক নিষ্ঠার মধ্যদিয়ে চৌধুরী সাহেব জাতিকে সেবা করে গেছেন। দেশের গ্রামগুলির ��ন্নয়নে নিরলসভাবেপরিশ্রম করেছিলেন তিনি। কৃষকদের অধিকার রক্ষার কাজে তিনি ছিলেন এক বলিষ্ঠ সংগ্রামী”। …,প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী চৌধাৰী চৰণ সিঙৰ জন্ম বাৰ্ষিকীত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শ্ৰদ্ধাঞ্জলি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A7%A7%E0%A7%AA%E0%A6%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%AA-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%A4/,"নতুন দিল্লি, ১২ জুন, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী মঙ্গলবার (১৪ই জুন) মহারাষ্ট্র সফর করবেন। তিনি পুণের দেহুতে বেলা ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ জগৎগুরু শ্রীসন্ত তুকারাম মহারাজ মন্দিরের উদ্বোধন করবেন। এরপর, মুম্বাইয়ে পৌঁছে শ্রী মোদী বিকেল ৪টে ১৫ মিনিট নাগাদ জলভূষণ ভবন এবং রাজভবনে বিপ্লবীদের গ্যালারির উদ্বোধন করবেন। এরপর, তিনি সন্ধে ৬টা নাগাদ বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্সে মুম্বাই সমাচার পত্রিকার দ্বিশতাব্দী মহোৎসবে অংশ নেবেন। পুণেতে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী পুণের দেহুতে জগৎগুরু শ্রীসন্ত তুকারাম মহারাজ মন্দিরের উদ্বোধন করবেন। তুকারাম ছিলেন ওয়াকারি সন্ত এবং বিশিষ্ট কবি। কীর্ত্তন হিসেবে অধ্যাত্মিক গানের মাধ্যমে তিনি অভঙ্গ ভক্তিগীতিকার হিসেবেও সুবিদিত। পুণের দেহুতে তাঁর প্রয়ানের পর একটি শিলামন্দির গড়ে তোলা হয়েছিল। কিন্তু সেটিকে মন্দির হিসেবে রূপ দেওয়া হয়নি। পরবর্তী সময়ে এটিকে পাথর দিয়ে তৈরি ৩৬ ধাপ উচ্চতায় নতুন করে নির্মাণ করা হয়। এখন এই মন্দিরে সন্ত তুকারামের একটি বিগ্রহ রয়েছে। মুম্বাইয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী মুম্বাইয়ে রাজভবনে বিপ্লবীদের একটি গ্যালারি এবং জলভূষণ ভবনের উদ্বোধন করবেন। ১৮৮৫ সাল থেকে জলভূষণ ভবন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের সরকারি নিবাস। বহু বছর টিকে থাকার পর এই ভবনটিকে ভেঙে ফেলে সেখানে নতুন একটি ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়। ২০১৯-এর আগস্টে রাষ্ট্রপতি নতুন এই ভবনের শিলান্যাস করেন। অবশ্য নবনির্মিত ভবনটিতে ঐতিহ্যবাহী পুরানো ওই ভবনটির সমস্ত সতন্ত্র বৈশিষ্ট সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। ২০১৬-তে মহারাষ্ট্রের তৎকালীন রাজ্যপাল শ্রী বিদ্যাসাগর রাও রাজভবনে একটি বাঙ্কারের হদিশ পান। ব্রিটিশরা একসময় এই বাঙ্কারটিকে গোপনে গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্র মজুত রাখার কাজে ব্যবহার করত। ২০১৯-এ এই বাঙ্কারটির সংস���কার করা হয়। এরপর, একটি সংগ্রহালয় হিসেবে সেখানে এই গ্যালারি গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে এখানে মহারাষ্ট্রের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবীদের অবিস্মরণীয় অবদানের নানা ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। এই সংগ্রহালয় গড়ে তোলার মাধ্যমে বাসুদেব বলবন্ত ফাড়কে, চফেকর ব্রাদার্স, সাভারকর ব্রাদার্স, মাদাম ভিকাজি ক্যামা, ভি বি গোগতে, ১৯৪৬-এর নৌবিদ্রোহ ও অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বিপ্লবীদের শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্সে মু্ম্বাই সমাচার পত্রিকার দ্বিশতাব্দী মহোৎসবে যোগ দেবেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, ফার্দুনজি মারবানজি ১৮২২ সালের পয়লা জুলাই সাপ্তাহিক ভিত্তিতে মুম্বাই সমাচার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণের প্রকাশ শুরু করেন। ১৮৩২-এ এই পত্রিকার দৈনিক ভিত্তিতে প্রকাশনা শুরু হয়। এরপর থেকে ২০০ বছর ধরে এই পত্রিকার নিরন্তর প্রকাশনা অব্যাহত রয়েছে। অবিস্মরণীয় এই ঘটনার সাফল্য উদযাপনে একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করা হবে। /",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ১৪ জুনত মহাৰাষ্ট্ৰ ভ্ৰমণ কৰি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লি: ১০ নভেম্বর: প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদির পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা শুক্রবার শিল্প-নীতি ও প্রসার দফতরেরনিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দিল: (ক) দ্বারকার‘প্রদর্শনী ও সম্মেলন কেন্দ্র’ (ই.সি.সি.) এবং পি.পি.পি. এবং নন-পি.পি.পি. মুডে এরসংশ্লিষ্ট পরিকাঠামোর উন্নয়নে অনুমোদন দিল| যার ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫,৭০৩ কোটি টাকাএবং তা ২০২৫ সালের মধ্যে সমাপ্ত করার লক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে| এর মধ্যে রয়েছেপ্রদর্শনী ও সম্মেলনের স্থান, এরিনা, ট্রাঙ্ক-ইনফ্রাস্ট্রাকচার,মেট্রো/এন.এইচ.এ.আই. সংযোগ, হোটেল, অফিস, খুচরা বিক্রির কেন্দ্র ইত্যাদি| (খ) শিল্প-নীতিও প্রসার দফতরের অধীনে সরকার থেকে ১০০ শতাংশ ইক্যুইটির মাধ্যমে প্রকল্পের রূপায়ণ ওউন্নয়নের জন্য একটি স্পেশাল পারপাস ভেহিকেল (এস.পি.ভি.) হিসেবে একটি নতুন সরকারি কোম্পানিগঠন করা| সরকার তিন বছর ধরে ট্রাঙ্ক পরিকাঠামোর ইক্যুইটি হিসেবে এস.পি.ভি.-কে২০৩৭.৩৯ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে| যে পরিকাঠামোর মধ্যে প্রদর্শনীকেন্দ্রের অংশ যেমন হলঘর, সম্মেলন কক্ষ, মেট্রো সংযোগ, জাতীয় সড়কের সংযোগ, জমিঅধিগ্রহণ, জল ও পয়প্রণালীর পরিকাঠামো ইত্যাদি রয়েছে| (গ) সরকারিগ্যারান্টিযুক্ত ঋণ হিসেবে বাজার থেকে ১,৩১৮ কোটি টাকা তোলা এবং সরকারি জমিরনগদিকরণের মাধ্যমে ৪,০০০ কোটি টাকার ব্যবহার এবং এস.পি.ভি.’র দ্বারা সংগৃহীতবার্ষিক প্রকল্পের রাজস্ব সংগ্রহ| (ঘ) ডি.এম.আই.সি.ডি.সি.এই প্রকল্পের জন্য বার্ষিক ফি অনুসারে নলেজ পার্টনার হিসেবে কাজ করবে, যা ১ শতাংশহারে অভ্যন্তরীণ বৃদ্ধি হবে এবং তা প্রাথমিকভাবে দশ বছরের জন্য সর্বনিম্ন ৫ কোটিটাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা বার্ষিক হারে হবে| (ঙ) এস.পি.ভি.-রপর্ষদ বিস্তৃত আনুমানিক খরচ, প্রকল্পের পর্যায় সহ সমস্ত রকম বিষয়ের দায়িত্বেথাকবে| বাজারের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে ঋণ ওঠাবে বা জমির নগদিকরণ করবে| প্রকল্পের প্রথম পর্যায় শেষহবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে| দ্বিতীয় পর্যায় শেষ হবে ২০২৫ সালের মধ্যে| ধারণাকরা হচ্ছে যে, প্রস্তাবিত ই.সি.সি. সুবিধা সার্বিকভাবে কাজ করতে শুরু করলে প্রতিবছর ১০০ টির বেশি আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় প্রদর্শনীর চাহিদা পূরণ করবে| বার্ষিকহিসেবে প্রদর্শনীর সুবিধা পরিদর্শনের জন্য প্রথম পর্যায় (২০১৯-২০) শেষ হলে এককোটির বেশি মানুষ এবং দ্বিতীয় পর্যায় (২০২৫) শেষ হলে দুই কোটি ত্রিশ লক্ষের বেশিমানুষ আসবেন বলে আশা করা যাচ্ছে| তাছাড়া এই প্রকল্প প্রত্যক্ষও পরোক্ষভাবে পাঁচ লক্ষের বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করবে বলে আশা করা যচ্ছে|সম্মেলন ও প্রদর্শনী হচ্ছে দেশীয় নির্মাতাদের সঙ্গে বৈশ্বিক ক্রেতাদের সঙ্গেসংযুক্তি এবং বাণিজ্যের নানা ধারণার আদান-প্রদানের এক প্রধান মাধ্যম| দ্বারকার এইই.সি.সি. কেন্দ্রের কাজ শেষ হয়ে গেলে প্রদর্শনী বাজারের ক্ষেত্রে সাংহাই, হংকংসিঙ্গাপুরের সঙ্গে ভারত এক সারিতে এসে যাবে|",নতুন দিল্লীৰ দ্বাৰকাত প্ৰদৰ্শনী তথা সভাঘৰৰ উন্নয়নৰ প্ৰস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B-28/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%9B%E0%A6%A4-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A7%83/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বার্মিংহাম কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তিনবার পদক জেতায় বজরঙ্গ পুনিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। শ্রী পুনিয়া কুস্তিতে ৬৫ কেজি বিভাগে স্বর্ণ ��দক জয় করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ধারাবাহিকতা ও উৎকর্ষের সঙ্গে প্রতিভাবান বজরঙ্গ পুনিয়ার নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বার্মিংহাম কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তিনি স্বর্ণ পদক জয় করেছেন। কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তিনবার স্বর্ণ পদক জয় করে যে অনন্য নজির তিনি গড়েছেন, তার জন্য তাঁকে অভিনন্দন। তাঁর মানসিকতা ও আস্থা অনুপ্রেরণাদায়ক। সর্বদাই তাঁর প্রতি আমার শুভেচ্ছা”।",কমনৱেলথ গেমছত একেৰাহে তৃতীয়বাৰৰ বাবে পদক অৰ্জন কৰা বজৰং পুনিয়াক অভিনন্দন প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D/,"ভারতের প্রথম রেল ও পরিবহণ বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় রেল ও পরিহবণ প্রতিষ্ঠান (এনআরটিআই)-এর উপাচার্যের পদ সৃষ্টির বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্মতি জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারী, ২০১৯) এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এনআরটিআই-এর উপাচার্য প্রধান কার্যকরী অধিকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কাজ তাঁর তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ডিমড বিশ্ববিদ্যালয় হতে চলা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত রূপায়ণের দায়িত্বও উপাচার্যকে নিতে হবে। ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ থেকে এনআরটিআই এই আবাসিক ১০৩ জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে দুটি স্নাতক স্তরের কোর্স-বিএসসি (পরিবহণ প্রযুক্তি) ও ডিবিএ (পরিবহন ম্যানেজমেন্ট) চালু করেছে। তিন বছরের এই স্নাতক স্তরের দুটি বিষয়ে বিভিন্ন বিষয়ের পাঠ্য থাকবে যা বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলির মান অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। যৌথ গবেষণা ছাড়াও ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের বিনিময় কর্মসূচির জন্য এনআরটিআই সেরা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে সহযোগিতা স্হাপন করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় রাশিয়ার এনআরটিআই ও মস্কোর সেন্ট পিটার্সবার্গের পরিবহণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এখন পর্যন্ত চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাবনাচিন্তা অনুযায়ী এনআরটিআই পরিবহণ সংক্রান্ত শ���ক্ষা, একাধিক বিষয়ে গবেষণা ও প্রশিক্ষণে গুরুত্ব দেবে। রেল ও পরিবহণ ক্ষেত্রের জন্য উচ্চমানের বিশেষজ্ঞমানের সম্পদ তৈরী করতে ২০১৮তে এনআরটিআই-কে একটি ডিমড-টু-বি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্হাপন করা হয়। /…",গুজৰাটৰ বদোদৰাস্থিত ৰাষ্ট্ৰীয় ৰে’ল আৰু পৰিবহণ প্ৰতিষ্ঠানত উপাচার্যৰ পদ সৃষ্টিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%97%E0%A6%A3-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%A3-%E0%A6%93-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A7%8B/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A7%B1%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%A3-%E0%A6%86%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১৩,৩৬৫ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাটনা মেট্রো রেলর দুটি করিডর – দানাপুর থেকে মিঠাপুর এবং পাটনা রেল স্টেশন থেকে নতুন আইএসবিটি পর্যন্ত প্রকল্প রূপায়ণের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাটনায় মেট্রো রেল প্রকল্পটির কাজ পাঁচ বছরে সম্পূর্ণ করা হবে। দানাপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে মিঠাপুর পর্যন্ত করিডরটি পাটনা শহরের ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা – রাজাবাজার, সচিবালয়, হাইকোর্ট, আইন বিশ্ববিদ্যালয় রেল স্টেশনকে যুক্ত করবে। অন্যদিকে, পাটনা জংশন থেকে আইএসবিটি করিডরটি গান্ধী ময়দান, পিএমসিএইচ, পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজেন্দ্র নগর, মহাত্মা গান্ধী সেতু, ট্রান্সপোর্ট নগর ও আইএসবিটি-কে সংযুক্ত করবে। দানাপুর থেকে মিঠাপুর, এই ১৬.৯৪ কিলোমিটার দীর্ঘ করিডরটির বেশির ভাগই মাটির নিচ দিয়ে যাবে। এই করিডরটিতে ১১টি স্টেশন থাকবে। অন্যদিকে, পাটনা স্টেশন থেকে নতুন আইএসবিটি-র ১৪.৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ করিডরের বেশির ভাগ অংশই মাটির ওপর থাকবে। এই করিডরে ১২টি স্টেশন থাকবে। অনুমোদিত করিডর দুটি অন্যান্য পরিবহণ ব্যবস্থার সঙ্গে যেমন রেল স্টেশন এবং আইএসবিটি স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। /",পাটনাৰ ৰাজহুৱা পৰিবহণ আৰু যোগাযোগ ব্যৱস্থাত উদ্গনি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A7%B0%E0%A7%87/,"রেল ব্যবস্থায় বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও মজবুত ও প্রসারিত করার জন্য ভারত ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের মধ্যে গত ১০ জুলাই যে সমঝোতাপত্র বা মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে সে ব্যাপারে বুধবার (২৯ আগস্ট, ২০১৮) কেন্��্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে অবহিত করা হয়। উল্লেখ করা যেতে পারে, ভারতের রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন (আরডিএসও) এবং কোরিয়ার রেলরোড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (কেআরআরআই)-এর মধ্যে এই সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়। এই মউ স্বাক্ষরের ফলে ভারতীয় রেল সে দেশের রেল সংস্থার সঙ্গে সর্বশেষ অগ্রগতি ও সর্বাধুনিক জ্ঞান নিয়ে মতবিনিময় ও আলাপ-আলোচনা করতে পারবে। একইসঙ্গে, দুই দেশের রেল সংস্থার মধ্যে বিশেষজ্ঞ, রিপোর্ট ও প্রযুক্তিগত নথিপত্র বিনিময়ের পাশাপাশি বিশেষ প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির, আলোচনাসভা বা কর্মশিবির আয়োজনের ক্ষেত্রেও সমঝোতাপত্রটি সহায়ক হবে। জ্ঞান আদান-প্রদানের ব্যাপারেও এই সমঝোতাপত্রের বিশেষ ভূমিকা থাকবে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে একটি কাঠামো গঠনেও এই সমঝোতা বড় ভূমিকা নেবে। এই ক্ষেত্রগুলি হল – · পারস্পরিক স্বার্থে যৌথ গবেষণার পরিকল্পনা রচনা ও তার সম্পাদন; · ভারতে সর্বাধুনিক গবেষণা ও উন্নয়নকেন্দ্র স্থাপনে সহযোগিতা, · প্রযুক্তিগত বিষয়ে সেমিনার আয়োজনের পরিকল্পনা ও তা কার্যকর করা, · ভারতের আরডিএসও কর্মীদের জন্য স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, · নির্দিষ্ট প্রকল্পগুলির জন্য আরডিএসও এবং সে দেশের কেআরআরআই-এর কর্মী বিনিময় কর্মসূচি, · দুই দেশে রেল শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে শলা-পরামর্শ এবং · উভয় পক্ষের সহমতের ভিত্তিতে অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি।",ভাৰত আৰু কোৰিয়াৰ মাজত ৰে’লৱে খণ্ডত সহযোগিতাৰ অৰ্থে স্বাক্ষৰিত বুজাবুজি চুক্তি সম্পৰ্কে অৱগত কৰিলে কেবিনেটক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%A7%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AD-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AD-%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A7%A8%E0%A7%A7-%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%B2/,"দেশের নানাপ্রান্ত থেকে আগত সহকারিতা আন্দোলনের সঙ্গেযুক্ত মাননীয় ব্যক্তিবর্গ, লক্ষ্মণ রাওজী ইনামদার এর জন্মশতবার্ষিকী সমারোহ এই সহকারিতাআন্দোলনকে আরও জঙ্গম করে তুলুক, নতুন প্রেরণা জোগাক, আর আজ আপনারা সমাজের প্রতিসংবেদনশীল হয়ে সবাই মিলে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলির সমাধানখুঁজে বের করুন। আমাদের দেশ বহুরত্নগর্ভা। প্রত্যেক কালখণ্ডে দেশেরপ্রতিটি ভূখণ্ডে সমাজের জন্যে বেঁচে থাকা, সমাজের জন্যে কোনও না কোনও অবদান রাখাঅসংখ্য মানুষ জন্মগ্রহণ করেছেন। দেশের এমন কোনও ভূখণ্ড নেই যেখানে, কিম্বা এমনকোনও কালখণ্ড নেই যখন এরকম সমাজের প্রতি সমর্পিত ব্যক্তিরা নিজেদের দায়িত্ব পালনকরেন নি! আজকাল কিছু ক্ষমতাসীন মানুষ টিভি, খবরের কাগজ, নানা প্রচার মাধ্যমে এতছেয়ে থাকেন, এত মান-সম্মান পান যে তাদেরকে অনেক বড় বলে মনে হয়। কিন্তু আমাদের দেশেএমন অনেকে রয়েছেন যে তাঁরা কখনও খবরের কাগজের শিরোনামে থাকেন না, তিভিতে জ্বলজ্বলকরেন না, কেউ তাঁদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন না, মান-সম্মান প্রতিষ্ঠার জাঁকজমক থাকেনা, একেকজন মূক সাধকের মতো সমর্পিতপ্রাণ হয়ে – একটি প্রদীপ থেকে সহস্র প্রদীপপ্রোজ্জ্বলন করেন। এভাবে তিল তিল করে প্রোজ্জ্বলিত শরীরের প্রতিটি কণা আদর্শেরজন্যে, মূল্যবোধ লালনের খাতিরে জীবনপাত করেন। অপরিচিত চেহারা হলেও তাঁরা দেশকে যাদেন তার মূল্য কোনও অংশে কম নয়। উকিলসাহেবও একজন তেমনি নীরব সমাজকর্মী ও সাধকছিলেন। আজ অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন যে, আমরা তো নামই শুনিনি,আর আপনারা শতবার্ষিকী পালন করছেন। আমি বলবো, এই যে নাম শোনেন নি, এটাই ছিল তাঁরবৈশিষ্ট্য! নিজেকে সর্বদা পেছনে রেখেছেন! আমার মতে সহকারিতা আন্দোলনে সাফল্যেরমন্ত্র এটাই, নিজের নাম যশ খ্যাতিকে যথাসম্ভব নস্যাৎ করে সবাই মিলে সাধারণ মানুষকেএগিয়ে দেওয়া। তিনি ব্যক্তি নির্মাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করে রাষ্ট্রনির্মাণের একটি পথ খোঁজেন। আমার সৌভাগ্য যে জীবনের অনেকটা সময় তাঁর সান্নিধ্যপেয়েছি। যুবাবস্থায় অনেক বছর আমি তাঁরই নির্দেশিত পথে চলেছি। আর সেজন্যে আমার কাছেউকিলসাহেবের জীবন একটি নিত্য প্রেরণার উৎস। ২৫-৩০ বছর আগে আমি তাঁর জীবন নিয়ে একটিবই লিখতে গিয়ে অনুসন্ধান করে অবাক হয়ে যাই ; এত বছর তাঁর সান্নিধ্যে ছিলাম, কিন্তুকত কিছু জানিনা। আর তিনি প্রয়াত হওয়ার পর অনুভব করি যে আদর্শ জীবন ধারণের প্রকৃষ্টউদাহরণ ছিল তাঁর জীবনযাত্রা। কিন্তু নিজেকে সর্বদা পাদপ্রদীপ থেকে দূরে রাখতেন,সঙ্গীদের এগিয়ে দিতেন, সাথীদের সম্মিলিত শক্তিকে এগিয়ে দিতেন, জীবনদর্শনকেসম্পাদিত করে নিজের মধ্যেই এই মহান ঐতিহ্যের অমূল্য রত্ন সঞ্জীবিত রাখতেন। শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে হয়তো অনেক অনুষ্ঠান পালিত হবে,সহকারিতা আন্দোলন একটি নতুন শক্তি পাবে। কিন্তু আজ উকিল সাহেবের শতবার্ষিকী পালনকেউপলক্ষ্য করে আপনার�� যখন সহকারিতা ক্ষেত্রে তাঁর কী কী অবদান ছিল; সেসব স্মরণ করেএগিয়ে যান, সারাদিন বসে আলাপ আলোচনা করুন। বিশ্বে সহকারিতা ক্ষেত্রে আজ ‘সেরাঅভ্যাস’ কী কী সেগুলি নিয়েও আলোচনা করুন। কৃষিতে আমরা সহকারিতার মাধ্যমে কিভাবে এগুবো, ২০২২এরমধ্যে আমাদের কৃষকদের আয় কিভাবে দ্বিগুণ করা যায়, আর কী কী জিনিস আমরা যুক্ত করবো,কোন কোন বাজে অভ্যাস আমরা ত্যাগ করবো যাতে আমাদের কৃষি জগত আর গ্রামীণ জীবনকেআধুনিক ভারতের প্রয়োজন অনুসারে উন্নয়নমুখী করে গড়ে তুলবো! এখন গ্রামকে পেছনে ফেলে শহর এগিয়ে যাবে সেটা আর সম্ভবনয়। উন্নয়নে ভারসাম্য থাকতে হবে, সমান সুযোগ দিতে হবে। এই উন্নয়নে ভারসাম্য ও সমানসুযোগই সহকারিতা’র মূলমন্ত্র। সময়ের সঙ্গে যে কোনও ব্যবস্থা ত্রুটিসম্পন্ন হয়েউঠতে পারে। কোনও কোনও ব্যবস্থা কালবাহ্য হয়ে উঠতে পারে। সহকারিতা ক্ষেত্রের সঙ্গেযুক্ত প্রতিটি মানুষকে আত্মচিন্তন করে যাওয়া উচিৎ। এমন তো নয় যে, কো-অপারেটিভ একটিপরিকাঠামো? একটি আইনগত ব্যবস্থা, যা সাংবিধানিক সীমারেখার মধ্যে গড়ে ওঠা এমন কিছু,যার চৌকাঠ পার হলে আমরাও কো-অপারেটিভ হয়ে উঠছি! আমার মনে হয়, তা হলে বড় ভুল হয়েযাবে। এত বড় দেশ। ব্যবস্থা, নিয়ম, পরিকাঠামো, ডু’জ অ্যান্ডডোন্‌স-এর প্রয়োজন হয়। কিন্তু সহকারিতা এইসব দিয়ে চলে না। সহকারিতা একটি আত্মিকব্যাপার। সহকারিতা কোনও ব্যবস্থা নয় – একটি আত্মা। আর এই আত্মার জন্য সংস্কারঅবশ্যম্ভাবী। আর সেজন্য ইনামদারজি বারংবার বলতেন, ‘বিনা সংস্কার নেহি সহকার’অর্থাৎ সংস্কারহীন সহকারিতা উপযোগী নয়। আজ কখনো মনে হয়, সেই আত্মা কোনও শরীরের মধ্যে হারিয়েযায়নি তো! আমাদের সহকারিতার এই আত্মাকে পুনর্জীবিত ও পুনর্চেতনার জন্য উকিল সাহেবের থেকে বড় প্রেরণা আর কে হতে পারেন!আর আমরা যত বেশি করে এই সহকারিতার আত্মাকে বলীয়ান করে তুলব, তা ব্যবস্থার মধ্যেযদি কোনও ত্রুটি অঙ্কুরিত হয়ে থাকে, তাকেও সে অবলীলায় ঠিক করে দেবে। আমাদের দেশে গ্রাম-ভিত্তিক সহকারিতা আন্দোলন গড়ে উঠেছে।কিন্তু একথাকে অস্বীকার করা যায় না যে, এই নিয়ম-কানুনের মাধ্যমেই যখন আর্বানকো-অপারেটিভ ব্যবস্থা গড়ে উঠতে শুরু করে, তার মধ্যে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র – এটাওআর্বান; এসব ক্ষেত্রে যে রূপান্তরন প্রক্রিয়া শুরু হয়, তাতে অনেক দ্বন্দ্ব ও সংশয়বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। কিন্তু গ্রামীণ সহকারিতা আন্দোলন সেই তুলনায় আজও অনেক বেশিপবিত্র, অনেক কম কলুষিত। কৃষকদেরও মনে হয় যে, হ্যাঁ, এটাই আমার সঠিক পথ। আর যাঁরাএই সহকারিতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন, তাঁদেরও মনে হয় যে, এর মাধ্যমে আমরা গ্রাম,গরিব ও কৃষকদের হিতে কিছু করছি! আজ আপনারা অনেক আলোচনা করবেন। আমার মনে একটা ছোট্টবিষয় জেগে উঠেছে। আপনাদের বলছি, আপনারা অবশ্যই এটা নিয়ে আলোচনা করবেন। আমাদের দেশে কৃষকদের অনেক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু আপনারাখতিয়ে দেখলে বুঝবেন যে, কৃষকরা যা কেনেন – বাজারদরে কেনেন আর যা বিক্রি করেন তাপাইকারি দরে বিক্রি করেন। এই প্রক্রিয়াকে কি করে বদলানো যায়? যাতে কৃষকরা পাইকারিদরে কিনতে পারেন আর বাজার দরে বিক্রি করতে পারেন। তবেই তাদের কেউ ঠকাতে পারবে না।এতে দালালদের বাড়বাড়ন্ত কমবে। যাঁরা ডেয়ারি শিল্প নিয়ে পড়াশুনা করেছেন,কো-অপারেটিভ ডেয়ারি যাঁদের বিষয়, তাঁরা জানেন যে সেখানে কৃষক পাইকারি দরে কেনে আরপাইকারি দরে বিক্রি করেন। ডেয়ারি শিল্পের সাফল্যের মূল এটাই। আগে যাঁরা গবাদি পশুপালন করতেন, তাঁদেরকে ১০টি বাড়িতে গিয়ে দুধ বিক্রি করতে হ’ত। আর আজ তাঁরা কালেকশনসেন্টারে গিয়ে ১০ লিটার দুধ পাইকারি দরে বিক্রি করে দিয়ে আসে। তাঁরা পশুর খাবার,ওষুধপত্র এবং পশুপালন সংক্রান্ত অন্যান্য সামগ্রীও পাইকারি দরে ডেয়ারি থেকেইকেনেন। এই গোটা ব্যবস্থার দ্বারা সামগ্রিকভাবে গোটা গ্রাম লাভবান হয়। পরিণামস্বরূপ, ডেয়ারি দ্বারা প্রত্যেক গ্রামবাসীর কোনওনা কোনওভাবে অতিরিক্ত আয় হয়। আমরা যদি এটাই ব্যক্তিগতভাবে পাইকারি দরে দুধ সরবরাহকরি, তা হলে এত লাভ হবে না। কো-অপারেটিভ আছে বলেই এই রোজগার সম্ভব হয়েছে। আমরা কিএই ধরনের কো-অপারেটিভ আন্দোলন শুরু করতে পারি? এর কিছু পরম্পরাগত ব্যবস্থা ছিল।আগে ৫ মণ্ডলী হ’ত, যা সাধারণ মানুষ প্রতিযোগিতামূলকভাবে চালাতো। সহকার ক্ষেত্রএকটি নতুন রূপ নেয়। এছাড়া, আরও এরকম ১০টি বিষয় রয়েছে, যেগুলি কেউ বাস্তবায়িতকরেননি। আমরা কি সেই নতুন ক্ষেত্রগুলিকে বুঝে নিয়ে সহকারিতার মাধ্যমে সমস্যারসমাধান করতে পারি। এরকম অসংখ্য ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে আজও সহকারিতার ছোঁয়া লাগেনি।আর যেখানে ছোঁয়া লেগেছে, সেখানেও অনেক প্রতিযোগিতা যেমন চিনি, দুধ এসব ক্ষেত্রেভীষণ প্রতিযোগিতা, আর অন্য অনেক ক্ষেত্রে এক প্রজন্মের পরিশ্রম যুক্ত হলে তবেই তাসহকারিতার শক্তি বৃদ্ধি করবে। আমরা কি একটি নতুন প্রজন্মকে সহকারিতা আন্দোলনে প্রেরণাযুগিয়ে গ্রামীণ জীবনে আমূল পরিবর্তনের জন্য গড়ে তুলতে পারি? আমাদের দেশের যাচরিত্র, এদেশের উন্নয়নকে সহকারিতা আন্দোলনই সবচেয়ে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এটাবিদেশ থেকে ধার করা চিন্তা প্রক্রিয়া নয়। এটা আমাদের স্বভাব ও সংস্কারের অনুকূলব্যবস্থা। আর সেজন্য আমাদের দেশে এই ব্যবস্থার অঙ্কুরোদগম প্রাকৃতিকভাবেই সম্ভব।বাইরে থেকে ইনজেক্ট করতে হবে না। বাইরে থেকে আমরা যাই আনি না কেন, সমাজেপ্রাকৃতিকভাবেই তার একটা প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। কিন্তু এটি আমাদের সহজ প্রাকৃতিকব্যবস্থার অংশ বলেই আমরা মিলেমিশে একে দ্রুত অঙ্কুর থেকে মহীরূহ করে তুলতে পারব। এখন যেমন দেশে নিম আচ্ছাদিত ইউরিয়ার উৎপাদন হচ্ছে, এতেলাভবান হয়েছেন দেশের কৃষকরা। ইউরিয়া নিয়ে সাম্বৎসরিক হৈচৈ বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তুএই নিম আচ্ছাদনের জন্য নিমের ফলই যোগাড় করে একত্রিত করা, তা থেকে তেল বের করা, সেইতেল ইউরিয়া উৎপাদনকারী কারখানায় পৌঁছে দেওয়া; এতগুলি নতুন কাজ তৈরি হয়েছে। এইকাজগুলি করার জন্য আমাদের গ্রামের মহিলারা সহকারিতা মণ্ডলী গড়ে তুলতে পারেন।তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ অরণ্য থেকে নিমের ফল সংগ্রহ করবেন, কেউ কেউ তেল বের করবেন আরঅন্যরা সেই তেল সার কারখানায় পৌঁছে দেবেন। এভাবে একটি নতুন স্বউদ্যোগের ক্ষেত্রগড়ে উঠতে পারে। আমি আমাদের এই ডেয়ারিওয়ালা বন্ধুদের প্রায়শই বলি, আপনারাযেমন কৃষকদের পশুপালনের জন্য প্রেরণা যোগান, তেমনই মৌপালনের জন্য উৎসাহিত করুন। আর কেউ যদি নিজের বাড়িতে ৫০টি মৌ-উপনিবেশ স্থাপন করে, তা হলে বছরে ন্যূনতম২ লক্ষ টাকার মধু বিক্রি করতে পারবেন। এই অতিরিক্ত আয়ের পাশাপাশি ক্ষেতের আলগুলিতেমৌ-উপনিবেশ স্থাপনের ফলে ফলনও বৃদ্ধি পাবে। বাজারে যে রাসায়নিক মোম পাওয়া যায়,তাঁর দাম যদি ১০০ টাকা কেজি হয়, মৌ উপনিবেশ থেকে উৎপন্ন মোমের দাম ৪০০-৪৫০ টাকাকেজি। ভারতেই এর বড় বাজার রয়েছে। কিন্তু আমাদের কৃষকরা এখনও এ ব্যাপারে সচেতন নন।শতাধিক প্রজাতির মৌমাছি রয়েছে। সরকারের উদ্যান পালন ক্ষেত্রে যাঁরা কাজ করেন,তাঁদের সাহায্য নিতে পারেন। মৌ পালনের জন্য আপনাদের কোনও অতিরিক্ত পরিশ্রম করতেহবে না। কিন্তু আয় বেড়ে যাবে। আর যতটা উৎপাদিত হয়েছে, পুরো মধু যদি বিক্রি নাও হয়,তা হলে বাড়িতে রাখলে নষ্ট হবে না, ছেলেমেয়েরা খেলে তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।পাশাপাশি আপনারা গুজরাটের ডেয়ারি নেটওয়ার্ককে ব্য���হার করে দেশে মধু বিপ্লব আনতেপথিকৃত ভূমিকা পালন করবেন। একথা বলারতাৎপর্য হ’ল এরকম নানা নতুন নতুন ক্ষেত্রে আমরা কিভাবে এগিয়ে যাব। ভারতের বিশাল সমুদ্রতটে বসবাসকারী মৎস্যজীবী ভাই-বোনরা প্রতিকূলআবহাওয়াজনিত কারণে বছরে ছ’মাস কর্মহীন থাকেন। বর্ষায় উত্তাল সমুদ্রে মৎস্য শিকারতাঁদের পক্ষে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তাঁরা ঘরে বসে থাকতে বাধ্য হন। কিন্তুআমাদের দেশে সমুদ্র গুটিকার চাষ জনপ্রিয় হয়নি। আমাদের সমুদ্রতটবর্তী মৎস্যজীবী ভাইবোনেরা যদি কো-অপারেটিভের মাধ্যমে সমুদ্রের জলেই সমুদ্র গুটিকার চাষ করে, তা হলেতা ওষুধ ক্ষেত্রে অত্যন্ত মূল্যবান কাঁচামাল সরবরাহ করতে পারবে। সারা পৃথিবীর ওষুধনির্মাণ রসয়নাগারগুলিতে এই সমুদ্রের জলে উৎপন্ন সমুদ্র গুটিকার অত্যন্ত চাহিদারয়েছে। মাত্র ৪৫ দিনের জীবনচক্রে সমুদ্র গুটিকা পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। সমুদ্রতটবর্তীপ্রতিটি গ্রামে কোনও রকম পরিশ্রম না করেই মৎস্যজীবী ভাইবোনেরা মাত্র ৪৫ দিনেরমধ্যে একেক দফা সমুদ্র গুটিকার ফসল তুলতে পারেন। তারপর, এর থেকে সামান্য কিছুগুটিকার রস বের করে সেই রস আপনারা ফসলের ক্ষেতে ছড়িয়ে দিন, এতে আপনার ফলন বৃদ্ধিপাবে। আমার মৎস্যজীবী ভাই ও বোনেরা এভাবে ঐ কর্মহীন ছ’মাসে নতুন উপায়ের পথ খুঁজেপেতে পারেন। আর যে মহিলাদের দিনরাত বাড়িতেই থাকতে হয়, এই সমুদ্র গুটিকার চাষতাঁদের জন্য সাম্বৎসরিক রোজগারের সুযোগ এনে দিতে পারে। দেশের এই বিশাল সমুদ্রতটনীল বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমার বলার তাৎপর্য হ’ল আমাদের দেশে গ্রামীণ অর্থ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রেসহকারিতা আন্দোলন এভাবে ছোট ছোট জিনিসের মাধ্যমেই বড় পরিবর্তন আনতে পারে। উকিলসাহেব যেসব তত্ত্ব, সংস্কার ও সংবেদনশীলতাকে এই সহকারিতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তকরেছেন, সেই মৌলিক তত্ত্বগুলি নিয়ে আজ যে সকল সহকারিতা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্তবন্ধুরা এখানে এসেছেন, এই ভাবনাগুলির প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে তাঁরা আরও মানুষকেতাঁদের সঙ্গে যুক্ত করতে পারবেন, তবেই আমাদের সহকারিতা আন্দোলন প্রকৃত অর্থেসাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার মাধ্যমে সমান অংশীদারিত্বের ভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতেকাজে লাগবে। এই প্রত্যাশা নিয়ে উকিল সাহেবকে স্মরণ করে আপনাদের সকলকে হৃদয় থেকে অনেকঅনেক শুভেচ্ছা জানাই। ধন্যবাদ।",২০১৭ চনৰ ২১ ছেপ্তেম্বৰত লক্ষ্মণৰাও ইনামদাৰৰ জন্ম-শতবাৰ্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সহকাৰ সন্মিলনত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে দিয়া ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%9C-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A7%AD%E0%A7%AB-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE-2/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মহারাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন আরও বেশ কিছু প্রকল্পের। এই প্রকল্পগুলির মিলিত ব্যয়ের পরিমাণ ৭৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে নাগপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওয়ান হেলথ (এনআইও) এবং নাগ নদী দূষণ হ্রাস সম্পর্কিত প্রকল্পগুলিও। চন্দ্রপুরের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ পেট্রোকেমিক্যালস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনলজি (সিপেট)-ও আজ জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী। আবার, চন্দ্রপুরে স্থাপিত সেন্টার ফর রিসার্চ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কন্ট্রোল অফ হিমোগ্লোবিনোপ্যাথিজ-এরও উদ্বোধন করেন তিনি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নাগপুর ও বিলাসপুরের মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রার সঙ্কেত দেন। নাগপুর মেট্রো প্রকল্পের প্রথম পর্যায়টি উৎসর্গ করেন জাতির উদ্দেশে। সেইসঙ্গে নাগপুর মেট্রো প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়টির শিলান্যাসও করেন তিনি। নাগপুর ও শিরডির মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী হিন্দু হৃদয় সম্রাট বালাসাহেব থ্যাকারে মহারাষ্ট্র সমৃদ্ধি মহামার্গ-এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই দুটি স্থানের মধ্যে দূরত্ব ৫২০ কিলোমিটারের মতো। ১,৫৭৫ কোটি টাকার এইমস নাগপুর প্রকল্পটিও আজ জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। বিভিন্ন অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমন্বিত এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালটি গড়ে তোলা হয়েছে মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ তথা পার্শ্ববর্তী গড়চিরোলি, গোন্ডিয়া এবং মেলঘাট আদিবাসী অঞ্চলগুলির অধিবাসীদের কল্যাণে। এই উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহারাষ্ট্রের উন্নয়নে আজ সংযোজিত হচ্ছে ১১টির মতো নতুন নতুন প্রকল্প যা এই রাজ্যটিকে উন্নয়নের এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে। প্রকল্পগুলি সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নাগপুর থেকে শিরডির সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী হিন্দু হৃদয় সম্রাট বালাসাহেব থ্যাকারে মহারাষ্ট্র সমৃদ্���ি মহামার্গটি এখন উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত, বিদর্ভ অঞ্চলের অধিবাসীদের কাছে চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এইমস গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই সমস্ত প্রকল্প রূপায়ণের জন্য প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দিত করেন মহারাষ্ট্রের জনসাধারণকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের এই প্রকল্পগুলির মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হচ্ছে মহারাষ্ট্রের ডবল ইঞ্জিন সরকারের কর্মপ্রচেষ্টার অগ্রগতির দিকটি। সমৃদ্ধি মহামার্গটি যে নাগপুর ও মুম্বাইয়ের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনতেই সাহায্য করবে তাই নয়, একইসঙ্গে তা মহারাষ্ট্রের ২৪টি জেলার মধ্যে আধুনিক সংযোগ পরিকাঠামো গড়ে তুলবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ছাড়াও সংযোগ রক্ষাকারী সড়ক প্রকল্পগুলি থেকে কৃষক, তীর্থযাত্রী এবং শিল্প সংস্থাগুলি নানাভাবে উপকৃত হবে। এই সমস্ত প্রকল্পের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত প্রকল্পের আজ উদ্বোধন হল তার মধ্য দিয়ে পরিকাঠামো উন্নয়নের এক সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গিই প্রতিফলিত হয়েছে। নাগপুরের এইমস বা সমৃদ্ধি মহামার্গ কিংবা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বা নাগপুর মেট্রো – এ সমস্ত প্রকল্পের কার্যকারিতা হয়তো ভিন্ন, কিন্তু এই সবক’টি প্রকল্প একত্র করলে উন্নয়নের একটি সার্বিক চিত্র আমাদের সামনে ফুটে ওঠে। কারণ, এর সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে যাবে দেশের নাগরিকদের কাছেই। মহারাষ্ট্রের ডবল ইঞ্জিন সরকারের কর্মতৎপরতার উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রসার কিংবা সম্পদ সৃষ্টি, কৃষকের ক্ষমতায়ন বা জল সংরক্ষণ – প্রতিটি ক্ষেত্রেই সরকারের কাজকর্ম ও পরিকাঠামো উন্নয়নের মধ্যে একটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে এমন এক মানবিক স্পর্শ যা প্রত্যেকের জীবনকেই ছুঁয়ে যায়। পরিকাঠামো উন্নয়নের একটি সার্বিক চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক দরিদ্র মানুষের কাছে বিনা ব্যয়ে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এটি হল সামাজিক পরিকাঠামোরই এক বিশেষ অংশ। অন্যদিকে কাশী, কেদারনাথ, উজ্জয়িনী এবং পান্ধারপুরের মতো ধর্মীয় স্থানগুলির উন্নয়নের মধ্য দিয়ে আমাদের সাংস্কৃতিক পরিকাঠামোর দিকগুলি প্রতিফলিত হয়েছে। আবার, জন ধন যোজনা হল এমন একটি কর্মসূচি যা ৪৫ কোটিরও বেশি দরিদ্র মানুষকে যুক্ত ���রেছে ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে। এ হল আর্থিক পরিকাঠামোর এক বিশেষ অঙ্গ। অন্যদিকে, চিকিৎসা সম্পর্কিত সুযোগ-সুবিধা প্রসারের একটি পরিকাঠামো হিসেবে নাগপুরের এইমস প্রকল্পটির কথাও উল্লেখ করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন যে পরিকাঠামো শুধুমাত্র নির্জীব সড়ক বা ফ্লাইওভার নির্মাণই নয়, এর সম্প্রসারণ প্রচেষ্টার এক বিশেষ ব্যঞ্জনাও রয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, গোসেখুর্দ বাঁধটির শিলান্যাস পর্ব মিটে গেছে আজ থেকে ৩০ বা ৩৫ বছর আগে। কিন্তু এর কাজ সময়ে সম্পূর্ণ করা হয়নি। অথচ, এই প্রকল্প রূপায়ণে ব্যয়ের সংস্থান রাখা হয়েছিল ৪০০ কোটি টাকার মতো। এই বাঁধ প্রকল্পটি রূপায়ণে ব্যয়ের মাত্রা এখন পৌঁছে গেছে ১৮ হাজার কোটি টাকায়। ২০১৭ সালে ডবল ইঞ্জিন সরকার গঠনের পর থেকে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজে শুধু গতিই সঞ্চারিত হয়নি, সংশ্লিষ্ট সবক’টি সমস্যারই সমাধান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার এই অমৃতকালে এক উন্নত ভারত গড়ে তোলার সঙ্কল্প নিয়ে দেশ বর্তমানে এগিয়ে চলেছে। জাতির মিলিত প্রচেষ্টায় এই কাজে সাফল্য আসবেই। উন্নত ভারত গঠনের মূলমন্ত্রই হল জাতির উন্নয়নে রাজ্যের বিকাশ বা উন্নয়ন প্রচেষ্টা। তিনি বলেন, উন্নয়নের সুযোগ যেখানে সীমিত, সেখানে সুযোগ-সুবিধা প্রসারের পরিসরও সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। শিক্ষা যখন মুষ্টিমেয় কয়েকজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল তখন দেশের মেধা ও প্রতিভাকে পূর্ণমাত্রায় কাজে লাগানো যায়নি। একইভাবে, ব্যাঙ্কের সুযোগ-সুবিধা যখন মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের জন্য উন্মুক্ত ছিল, তখন দেশের বাণিজ্যিক প্রচেষ্টাও ছিল যথেষ্ট নিয়ন্ত্রিত। উন্নততর সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা যখন গুটিকয়েক শহরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, দেশের বিকাশ ও অগ্রগতিও ছিল ঠিক ততটাই সীমিত। ফলে, দেশের এক বিশাল সংখ্যক জনসাধারণ উন্নয়নের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে যান। ভারতের প্রকৃত শক্তিকে তখন কোনভাবেই তুলে ধরা সম্ভব হত না। কিন্তু গত আট বছরে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস’ – এর মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে মানুষের চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়েছে। অতীতে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন তাঁরাই এখন রয়েছেন সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায়। কৃষকদের দ্বারা পরিচালিত উন্নয়ন প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে শ্রী মোদী বলেন, বিদর্ভ-এর কৃষকরাও এখন ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’র দ্বারা উপকৃত হচ্ছেন। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সুযোগ-সুবিধাও পৌঁছে গেছে গ্রামের কৃষি ও শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের কাছে। বঞ্চিত মানুষের অগ্রাধিকার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শ্রী মোদী বলেন, দেশে ১০০টির মতো জেলায় পৌঁছে গেছে হকার ও ফুটপাত ব্যবসায়ীদের জন্য ঋণ সহায়তার সুযোগ। বিদর্ভ সহ মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু জেলা উন্নয়ন তালিকার বাইরে থেকে গিয়েছিল। কিন্তু গত আট বছরে এই বঞ্চিত জেলাগুলিতে আমরা নতুন উদ্যমে উন্নয়ন যজ্ঞের কাজ শুরু করে দিয়েছি। যেনতেনপ্রকারেণ কাজ শেষ করার রাজনীতি সম্পর্কে সকলকেই সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে করদাতাদের কষ্টার্জিত অর্থ লুঠ করার প্রবণতা কাজ করে। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা সরকার গঠনের জন্য সাধারণ মানুষের দ্বারস্থ হয়। দেশ যখন আগামী ২৫ বছরের মধ্যে এক উন্নত ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে, কয়েকটি রাজনৈতিক দল তখন নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করতে উদ্যত হয়েছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, প্রথম শিল্প বিপ্লবের সুযোগ বা সুফলকে আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের সময়েও দেশ পিছিয়ে ছিল। কিন্তু, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগকে কখনই হাতছাড়া হতে দেওয়া যায় না। যেনতেনপ্রকারেণ কাজ করার প্রবণতা কখনই স্থায়ী সমাধানের পথ প্রশস্ত করতে পারে না। দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যেতে হবে নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গিকে অনুসরণ করে। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুর – এই দুটি দেশের কথা দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এক সময় এই দুটি দেশকেই দরিদ্র দেশ রূপে চিহ্নিত করা হত। কিন্তু পরিকাঠামোর প্রসার ও উন্নয়নের মধ্য দিয়ে ঐ দুটি দেশের ভাগ্য এখন পরিবর্তিত হয়েছে। দুটি রাষ্ট্রই হয়ে উঠেছে অর্থনীতির দুটি প্রধান প্রধান কেন্দ্র। তাই, আমাদের এই মুহূর্তে প্রয়োজন সরকারের প্রতিটি অর্থই যাতে তরুণ প্রজন্মের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে ব্যয় করা হয় সে সম্পর্কে সজাগ ও সতর্ক থাকা। প্রধানমন্ত্রী দেশের তরুণ প্রজন্ম ও করদাতাদের এই মর্মে সতর্ক করে দেন যে কয়েকটি স্বার্থপর রাজনৈতিক দলের নীতিই হল আয়ের তুলনায় ব্যয়ের মাত্রাকে বাড়িয়ে যাওয়া। কিন্তু এই ধরনের নীতি অনুস��ণ করতে গিয়ে বিশ্বের বহু দেশের অর্থনীতি হয় বিপর্যস্ত হয়েছে নয় তলিয়ে গেছে। দেশের নিরন্তর উন্নয়ন এবং ধারাবাহিক সমাধান প্রচেষ্টার প্রতি দেশবাসীর সমর্থনকে সাধুবাদ জানান শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, গুজরাটের নির্বাচনী ফলাফল স্থায়ী উন্নয়ন ও স্থায়ী সমাধান প্রচেষ্টার লক্ষ্যে এক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণেরই ফলশ্রুতি। আজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ শিন্ডে, রাজ্যের রাজ্যপাল শ্রী ভগৎ সিং কোশিয়ারি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি।","প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে মহাৰাষ্ট্ৰত ৭৫,০০০ কোটি টকাৰ আধাৰশিলা স্থাপন কৰে আৰু প্ৰকল্পসমূহ দেশবাসীলৈ উৎসৰ্গা কৰ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF-9/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%85-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D/,"নমস্কার, বারানসীতে উপস্থিত আমার মন্ত্রী পরিষদের সহযোগী স্মৃতি ইরানি মহোদয়া, কার্পেট সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, কার্পেট বুনন শিল্পী ভাই ও বোনেরা এবং এখানে উপস্থিত অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ। কাশীর পবিত্র ভূমিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সমাগত সকলকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আমাকে বলা হয়েছে যে, বিশ্বের প্রায় ৩৮টি দেশে ২৫০টিরও বেশি অতিথি ছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীর, পশ্চিমবঙ্গ এবং দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকেও কার্পেট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন এখানে এসেছেন। আপনাদের সকলকে বেনারসে, বেনারসের সাংসদ হিসাবে স্বাগত জানাই। বন্ধুগণ, দেশে এখন উৎসবের মরশুম। দশহরা, দুর্গাপুজার পর প্রথমবার প্রযুক্তির মাধ্যমে বেনারসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সৌভাগ্য হ’ল। এখন আপনারা সবাই হয়তো ধনতেরাস এবং দীপাবলীর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। এটা বছরের সেই সময়, যখন আপনারা সবাই সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন। এই সময় বাকি বছরের তুলনায় কাজ অনেক বেশি থাকে, কারণ চাহিদা বেশি থাকে। আপনাদের শ্রম এবং কৃতীর পুরস্কার পাওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। বন্ধুগণ, বারানসী তথা উত্তর প্রদেশে বুনন শিল্পী এবং ব্যবসায়ী ভাই-বোনদের জন্য এ বছর দ্বিগুণ খুশি এসেছে। দীনদয়াল হস্তকলা স্কু��ে প্রথমবার ইন্ডিয়া কার্পেট এক্সপো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেজন্য আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এখন দিল্লির পাশাপাশি বারানসীতেও ভারতীয় কার্পেট শিল্প, আমাদের বুনন শিল্পীরা, কারু শিল্পীরা, ব্যবসায়ীরা নিজেদের দক্ষতা বিশ্ববাসীর সামনে প্রদর্শনের সুযোগ পাচ্ছেন। বন্ধুগণ, আমি আনন্দিত, যে লক্ষ্য নিয়ে দীনদয়াল হস্তকলা স্কুল নির্মিত হয়েছিল, তার লক্ষ্যপূরণের প্রতি আমরা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছি। এটা এজন্যও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই ক্ষেত্রটি বুনন শিল্পী ও কার্পেট ব্যবসার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এখানে দেশের হস্ত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ২৫ শতাংশ বুনন শিল্পী, শ্রমিক ও ব্যবসায়ী ভাই-বোন থাকেন। বারানসী, ভদোই, মির্জাপুর – এই কার্পেট ব্যবসার কেন্দ্রগুলি এখন পূর্ব ভারত তথা দেশের বস্ত্র রপ্তানির ‘গ্লোবাল হাব’ হয়ে উঠছে। শুধু তাই নয়, দীনদয়াল হস্তকলা স্কুলও হস্ত শিল্পের ক্ষেত্রে এই আন্তর্জাতিক পরিচয়কে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করছে। বন্ধুগণ, সরকার সরকার সর্বদাই হস্ত শিল্পের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগকে উৎসাহ প্রদানের জন্য প্রযুক্তির প্রয়োগ, প্রচার ও প্রসারের গুরুত্ব দেওয়ার খাতিরে নানা সুযোগ-সুবিধা দিতে সচেষ্ট। এবার বারানসীতে অনুষ্ঠিত এই ইন্ডিয়া কার্পেট এক্সপো এক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ। পাশাপাশি, বস্ত্র শিল্পের ক্ষেত্রে আমাদের ‘ফাইভ অ্যাপ’-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। আপনারা জানেন যে, ‘ফাইভ অ্যাপ’ বলতে আমি ‘ফার্ম টু ফাইবার, ফাইবার টু ফ্যাক্টরি, ফ্যাক্টরি টু ফ্যাশন, ফ্যাশন টু ফরেন’ বুঝি, যা কৃষক এবং বুনন শিল্পীদের সরাসরিন বিশ্ব বাজারের সঙ্গে যুক্ত করার একটি অত্যন্ত বড় প্রচেষ্টা। আগামী চার দিনে এই এক্সপো-তে উৎকৃষ্ট থেকে উৎকৃষ্টতম কার্পেট শিল্পের প্রদর্শন হবে, কোটি কোটি টাকার লেনদেন হবে, অনেক চুক্তি সম্পাদিত হবে, ব্যবসার অনেক নতুন নতুন সুযোগ উন্মোচিত হবে। বুনন শিল্পীরা নতুন নতুন কাজের সুযোগ পাবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, বিদেশ থেকে যে ব্যবসায়ী বন্ধুরা এসেছেন, তাঁরা আমাদের সংস্কৃতি, কাশী তথা ভারতের পরিবর্তিত ব্যবসায়ী পরিবেশের অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরবেন। বন্ধুগণ, হস্ত শিল্পে ভারতের সুদীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। ভারতের গ্রামীণ এলাকাগুলিতে আজও সুতো কাটার ক্ষেত্রে হস্তচালিত চরকার ব্যবহার রয়েছে। এক্ষেত্রে বেনারসের ভূমিকা আরও গ���রুত্বপূর্ণ। বেনারসের পরিচয় যত সন্ত কবীরের সঙ্গে যুক্ত ততটা হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। সন্ত কবীর সুতো কাটতে কাটতেই বাণী উচ্চারণ করতেন। কবীরদাস বলেছেন – কহি কবীর শুনো হো সন্তো, চরখা লখে জো কোয়। জো ইয়হ চরখা লখি ভয়ে, তাকো অওয়াগমন ন হোয়।। অর্থাৎ চরকাই জীবনের সার আর যিনি এটি বুঝেছেন তিনি জীবনের মর্মও বুঝেছেন। যে মাটিতে হস্তশিল্পকে জীবনের এত বড় দর্শনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, সেখানে বুনন শিল্পীদের জীবনকে সহজ করে তুলতে এ ধরণের ব্যবস্থা যখন গড়ে ওঠে, তখন মনে খুশির সঞ্চার হয়। বন্ধুগণ, আমাদের দেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে হস্তশিল্প ব্যবসার ঊর্ধ্বে প্রেরণার উৎস, সাবলম্বনের মাধ্যম এবং স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। গান্ধীজি, সত্যাগ্রহ এবং চরকা আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে এই তিনের মিলনের কতটা গুরুত্ব, তা আমরা ভালোভাবেই জানি। হস্তশিল্পের এই গুরুত্ব অনুভব করে এর মাধ্যমে শিল্পীদের সাবলম্বী করে তুলতে সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলস্বরূপ, আজ ভারত বিশ্বের সর্ববৃহৎ কার্পেট উৎপাদক দেশে পরিণত হয়েছে। বিগত চার-সাড়ে চার বছরে এই লক্ষ লক্ষ বুননশিল্পী, নকশা শিল্পী ও ব্যবসায়ীদের শ্রম এবং সরকারের নীতির সমাহারে আমরা হস্ত নির্মিত কার্পেট উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। বন্ধুগণ, ইতিমধ্যেই বিশ্বের কার্পেট বাজারের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি প্রায় ৩৫ শতাংশ আমরা অর্জন করেছি এবং আগামী দু-তিন বছরে এই ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্ব কার্পেট বাজারের ৫০ শতাংশে পৌঁছে যেতে পাড়ে। গত বছর আমরা ৯ হাজার কোটি টাকার কার্পেট রপ্তানি করেছি। এ বছর প্রায় ১০০টি দেশে কার্পেট রপ্তানি হয়েছে। তবে আমাদের আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না, আরও এগিয়ে যেতে হবে, যাতে ২০২২ সালে যখন আমরা স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি পালন করব, ততদিনে আমরা কার্পেট রপ্তানির এই পরিসংখ্যান আড়াই গুণেরও বেশি বৃদ্ধি করে ২৫ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে দিতে পারি। শুধু রপ্তানিই নয়, দেশের অভ্যন্তরীণ কার্পেট ব্যবসাও বিগত চার বছরে ৫০০ কোটি থেকে তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১৬০০ কোটিতে পৌঁছেছে। এই বৃদ্ধির পেছনে দুটি স্পষ্ট কারণ রয়েছে। প্রথমটি হ’ল – দেশের মধ্যবিত্তের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা আর দ্বিতীয়টি হ’ল – কার্পেট ব্যবসার ক্ষেত্রে এর প্রচার ও প্রসারে অভূতপূর্ব সরকারি পরিষেবা। বন্ধুগণ, এই গতিতে এগিয়ে গেলে দ���শে কার্পেট শিল্প তথা বস্ত্র শিল্পের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল। আজ ভারত বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম এবং বৃহৎ থেকে বৃহত্তম কার্পেট নির্মিত হয়। শুধু তাই নয়, ভারতে নির্মিত কার্পেট শিল্পের ক্ষেত্রে যত উৎকৃষ্ট, ততটাই পরিবেশ-বান্ধব। এটা আপনাদেরই মেধা ও দক্ষতার পরিণাম যে, সারা পৃথিবীতে ভারতে নির্মিত কার্পেট একটি বড় ব্র্যান্ড হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বন্ধুগণ, এই ব্র্যান্ডকে আরও শক্তিশালী করতে সরকার সমস্ত রকম প্রচেষ্টার জন্য দায়বদ্ধ। কার্পেট রপ্তানিকারীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য সবরকম পরিবহণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হচ্ছে। সারা দেশে গুদাম ও শো-রুম পরিষেবার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে, যাতে যে কোনও বড় বাজারে আপনাদের উৎপাদিত পণ্য দ্রুত পৌঁছতে পাড়ে। শুধু তাই নয়, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ‘জিরো ডিফেক্ট, জিরো এফেক্ট’ উৎকর্ষকে সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। ভদোই ও শ্রীনগরে কার্পেটের উৎকর্ষ যাচাইয়ের জন্য ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ কার্পেট টেকনলজিতে বিশ্বমানের গবেষণাগার স্থাপন করা হয়েছে। কার্পেটের পাশাপাশি, অন্যান্য হস্তশিল্পজাত পণ্য বাজারজাত করা এবং বুনন শিল্পীদের অন্যান্য সুবিধা প্রদানের জন্য অনেক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে বারানসীতেই ৯টি কমন ফেসিলিটি সেন্টার, কমন সার্ভিস সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। হাজার হাজার বুনন শিল্পী ভাই ও বোন ইতিমধ্যেই এই কেন্দ্রগুলি দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। বন্ধুগণ, উৎকর্ষ ছাড়াও বুনন শিল্পী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যেন মূলধনের সংকটে না পড়েন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গ্যারান্টি ছাড়াই ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বুনন শিল্পীদের জন্য তো মুদ্রা যোজনায় ১০ হাজার টাকা মার্জিন মানিরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই অর্থ সাহায্য অত্যন্ত কম সময়ে তাঁদের ব্যাঙ্কের খাতায় পৌঁছে যাচ্ছে। দালালদের হাত থেকে রক্ষা করতে বুনন শিল্পীদের ‘পেহচান’ নামক পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভদোই, মির্জাপুর, মেগা কার্পেট ক্লাস্টার এবং শ্রীনগর কার্পেট ক্লাস্টার বুনন শিল্পীদের আধুনিক তাঁতযন্ত্রও দিচ্ছে। পাশাপাশি, সেই তাঁতযন্ত্র পরিচালনা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাঁদের দক্ষতা উন্নয়নের অনেক প্রকল্প চালু হচ্ছে। বন্ধুগণ, ���গে যখন আমি বুনন শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলতাম, তখন একটা সাধারণ মন্তব্য অবশ্যই শুনতাম যে, তাঁরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের আর এই কাজের সঙ্গে যুক্ত করতে চান না। এর থেকে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি আর কী হতে পারে? কিন্তু আজ যখন আমরা কার্পেট শিল্পে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে পৌঁছে গিয়েছি, তখন আগামী প্রজন্মকে ততটাই উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই লক্ষ্য নিয়ে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ কার্পেট টেকনলজি ভদোই-এ কার্পেট নির্মাণ শিল্পে বি-টেক পাঠ্যক্রম চালু করা হয়েছে। দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতেও এ ধরণের পাঠ্যক্রম চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বুনন শিল্পীদের দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি তাঁদের ছেলেমেয়েরা যাতে অবশ্যই লেখাপড়া শেখে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। সেজন্য তাঁদের ছেলেমেয়েদের ৭৫ শতাংশ পড়াশুনার খরচ সরকার বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্ধুগণ, আপনাদের কলানৈপুণ্য ও শ্রমকে রাষ্ট্রের শক্তিতে রূপান্তরিত করার জনয সরকার দায়বদ্ধ। আগামীদিনে দেশের জন্য, বেনারসের জন্য এই কলা প্রদর্শনে অনেক বড় সুযোগ তৈরি হবে। আগামী বছর জানুয়ারি মাসে কাশীতে প্রবাসী ভারতীয় সম্মেলন আয়োজিত হবে। সেটিও আপনাদের জন্য প্রচারের একটি বড় মাধ্যম হয়ে উঠবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, সারা পৃথিবী থেকে আসা প্রবাসী ভারতীয় এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীরা আমাদের হস্তশিল্পের পাশাপাশি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং পরিবর্তিত কাশীকে উপভোগ করবেন। আরেকবার আপনাদের সকলকে ধনতেরাস, দীপাবলী এবং ছট পূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাই এবং এই সফল আয়োজনের মাধ্যমে কাশীকে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে এবং আমার বুনন শিল্পী ভাই ও বোনেদের ধন্যবাদ জানাই। আমদানি, রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত সমস্ত ব্যবসায়ীদের কাশীতে আসার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",বাৰাণসীত ভিডিঅ’ কনফাৰেন্সযোগে কাৰ্পেট এক্সপ’ত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদনমস্কাৰ৷ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%8B-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%B0-%E0%A6%89/,"নয়াদিল্লি, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ভারতমাতার জয়, ভারতমাতার জয়। উত্তরপ্রদেশের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী শ্রী হরদীপ পুরীজি, উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যজি, সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতিজি, শ্রী ভানুপ্রতাপ ভার্মাজি, উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী শ্রী সতীশ মহানাজি, শ্রীমতী নীলিমা কাটিয়ারজি, শ্রী রণবেন্দ্র প্রতাপজি, শ্রী লক্ষ্মণ সিং-জি, শ্রী অজিত পালজি, এখানে উপস্থিত সমস্ত মাননীয় সাংসদগণ, সমস্ত মাননীয় বিধায়কগণ, অন্যান্য সকল জনপ্রতিনিধি আর আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা! ঋষি-মুনিদের তপোভূমি, স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বিপ্লবীদের প্রেরণার স্থল, স্বাধীন ভারতের শিল্পক্ষেত্রের সামর্থ্যকে প্রাণশক্তি প্রদানকারী এই কানপুরকে আমার শত শত প্রণাম। এই কানপুর এমন শহর যেখানে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়জি, সুন্দর সিং ভাণ্ডারিজি এবং অটলবিহারী বাজপেয়ীজির মতো দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বকে গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে আর আজ শুধু যে কানপুরবাসীর জন্য আনন্দের বিষয় তা নয়, বরুণ দেবতাজিরও এই আনন্দে অংশগ্রহণের ইচ্ছা হয়েছে। বন্ধুগণ, কানপুরের অধিবাসীদের যে মেজাজ, যে কানপুরী আন্দাজ, তাঁদের ‘হাজির-জবাবী’ স্বভাবের কোনও তুলনাই নেই। “ইয়ে ঠগগুকে লাড্ডু কে ইহাঁ কেয়া লিখা হোতা হ্যায়? হাঁ, ঠগগুকে লাড্ডু কে ইহাঁ কেয়া লিখা হ্যায়। এয়সা কোই সগা নেহীঁ … এয়সা কোই সগা নেহীঁ …” এই পংক্তিগুলি আপনারা যেরকম বলতেন, সেরকমই বলতে থাকুন কিন্তু আমি তো এটাই বলব,…. আর যখন আমি বলছি, তখন আমি বলবোই, এই কানপুরই হল এমন শহর যার কোনও তুলনা নেই আর এমন কেউ নেই যে কানপুরে এসে আদর পায়নি। বন্ধুগণ, যখন সংগঠনের কাজে আমি আপনাদের মধ্যে আসতাম, তখন খুব শুনতাম – “ঝাড়ে রহো কলেক্টর-গঞ্জ !!! ঝাড়ে রহো কলেক্টর-গঞ্জ।” এখনও হয়তো আপনারা এরকমই বলেন। নতুন প্রজন্মের মানুষেরা ভুলে যাননি তো? বন্ধুগণ, আজ মঙ্গলবার, আর পনকিওয়ালা হনুমানজির আশীর্বাদে আজ উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নে আরও একটি সোনালী অধ্যায় যুক্ত হচ্ছে। আজকের দিনে কানপুর শহর মেট্রো যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমৃদ্ধ হয়েছে। পাশাপাশি, বীণা রিফাইনারির সঙ্গেও কানপুর আজ কানেক্ট হয়ে গেল। এর ফলে কানপুরের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের অনেক জেলায় পেট্রোলিয়াম পণ্য এখন সহজেই সুলভ হবে। এই দুটি প্রকল্পের জন্য আপনাদের সবাইকে, গোটা উত্তরপ্রদেশের অসংখ্য মানুষকে শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের সকলের মধ্যে আসার আগে আইআইটি কানপুরে আমার অনুষ্ঠান ছিল। আমি ��্রথমবার মেট্রো সফর করতে কানপুরবাসীদের মনোভাব, তাঁদের উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাক্ষী হতে চাইছিলাম। সেজন্য আমি মেট্রোতে সফর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা আমার জন্য প্রকৃতপক্ষে একটি মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা। বন্ধুগণ, উত্তরপ্রদেশে আগে যাঁরা সরকারের ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁরা কখনই সময়ের গুরুত্ব বোঝেননি। একবিংশ শতাব্দীর যে কালখণ্ডে উত্তরপ্রদেশের দ্রুতগতিতে প্রগতি করা উচিৎ ছিল, সেই অমূল্য সময়কে, সেই গুরুত্বপূর্ণ সুযোগকে পূর্ববর্তী সরকারগুলি হাতছাড়া করেছে। তাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের উন্নয়ন ছিল না। তাদের দায়বদ্ধতাও উত্তরপ্রদেশের জনগণের প্রতি ছিল না। আজ উত্তরপ্রদেশে যে ডবল ইঞ্জিনের সরকার চলছে তা বিগত কালখণ্ডে যত লোকসান হয়েছে তা পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা দ্বিগুণ গতিতে কাজ করছি। আজ দেশের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইউপি-তে তৈরি হচ্ছে। আজ দেশের সর্ববৃহৎ এক্সপ্রেসওয়ে ইউপি-তে তৈরি হচ্ছে। আজ দেশের প্রথম রিজিওনাল র‍্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম ইউপি-তে তৈরি হচ্ছে। ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের হাবও উত্তরপ্রদেশে তৈরি হবে। যে উত্তরপ্রদেশ কখনও অবৈধ হাতিয়ারসম্পন্ন গ্যাংগুলির জন্য বদনাম হয়েছিল, সেই উত্তরপ্রদেশেই দেশের নিরাপত্তার জন্য ডিফেন্স করিডর গড়ে উঠছে। বন্ধুগণ, সেজন্য ইউপি-র মানুষ এখন বলছেন যে – পার্থক্য অত্যন্ত স্পষ্ট! এই পার্থক্য শুধুই প্রকল্প বাস্তবায়নের নয়, এই পার্থক্য কর্মসংস্কৃতির পরিবর্তনেরও। ডবল ইঞ্জিনের সরকার যে কাজ শুরু করে তা পূর্ণ করার জন্য আমরা দিন-রাত এক করে দিই। কানপুর মেট্রো নির্মাণের কাজ আমাদের সরকারই শুরু করেছিল, আর আমাদের সরকার এর উদ্বোধনও করছে। পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের শিলান্যাসও আমাদের সরকার করেছে, আর উদ্বোধনও আমাদের সরকার করেছে। দিল্লি-মীরাট এক্সপ্রেসওয়ের শিলান্যাসও আমাদের সরকার করেছে, আর এটির কাজ সম্পূর্ণ করে জনগণের ব্যবহারের জন্য সমর্পণ করার কাজও আমরাই করেছি। আমি আপনাদের এরকম অনেক প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ান গোনাতে পারি। অর্থাৎ, পূর্ব হোক কিংবা পশ্চিম, অথবা আমার এলাকা, উত্তরপ্রদেশের প্রত্যেক প্রকল্পকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা এজন্য প্রয়োজনীয়, কারণ, যখন প্রকল্পগুলি যথাসময়ে সম্পূর্ণ হয়, তখন দেশের অর্থের যথাযথ ব্যবহার হয়। দেশের জনগণ এর দ্বারা লাভবান হন। আপনারা আমাকে বলুন, ট্র্যাফিক জ্যাম বা যানজট নিয়ে কানপুরের জনগণের অভিযোগ অনেক বছর ধরে শুনতে পাচ্ছিলাম। দৈনিক আপনাদের কত সময় এই যানজটের কারণে নষ্ট হত। আপনাদের কত অর্থ অপচয় হত। এখন আজ প্রথম পর্বের নয় কিলোমিটার লাইন সম্পূর্ণ হল। এই লাইন শুরু হওয়ার পর থেকে এই অভিযোগগুলি দূর করার জন্য একটি শুভ সূচনা হয়েছে। করোনার কঠিন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দু’বছরের মধ্যেই এই সেকশন শুরু করা নজিরবিহীন এবং অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার পর অনেক দশক ধরে আমাদের দেশে একটা ভাবনা ছিল যে যা কিছু নতুন হবে, ভালো হবে, তা তিন-চারটি বড় শহরে হবে। দেশের বড় বড় মেট্রো শহরগুলি ছাড়াও যে শহরগুলি ছিল সেগুলিকে তারা নিজের অবস্থায় ছেড়ে দিয়েছিল। এই শহরগুলির বাসিন্দাদের কত বড় শক্তি, তাঁদের পরিষেবা দেওয়া কতটা জরুরি, এটা পূর্ববর্তী সরকারগুলির নেতারা কখনও বুঝতে পারেননি। এই শহরগুলির আকাঙ্ক্ষাকে, এই শহরগুলিতে বসবাসকারী কোটি কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষাগুলিকে আগের সরকারগুলি তেমন গুরুত্ব দেয়নি। যাঁরা এখন আবহ গরম করার চেষ্টা করছেন, তাঁরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন তাঁদের উন্নয়নের কোনও ইচ্ছাই ছিল না। এখন আমাদের সরকার দেশের এমন গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই শহরগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে ভালো হয়, এখানে যেন উচ্চশিক্ষার ভালো ভালো প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে, বিদ্যুতের কোনও সমস্যা না থাকে, পানীয় জলের কোনও সমস্যা না থাকে, পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা যেন আধুনিক হয় – এই সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব কাজ করা হচ্ছে। আমি যদি মেট্রোর প্রসঙ্গেই কথা বলি, তাহলে কানপুর মেট্রোর প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন আজ হল। আগ্রা এবং মীরাট মেট্রোর কাজও দ্রুতগতিতে চলছে। আরও কয়েকটি অন্য শহরেও মেট্রো প্রকল্প গড়ে তোলার প্রস্তাব রয়েছে। লক্ষ্ণৌ, নয়ডা এবং গাজিয়াবাদে মেট্রোর ক্রমাগত সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। যে গতিতে উত্তরপ্রদেশে মেট্রোর কাজ চলছে তা সত্যিই অভূতপূর্ব। বন্ধুগণ, আমি যে পরিসংখ্যান দিচ্ছি, সেই পরিসংখ্যানগুলি একটু মনোযোগ দিয়ে শুনবেন। শুনবেন তো? মনোযোগ দিয়ে শুনবেন তো? দেখুন, শুনুন। ২০১৪-র আগে উত্তরপ্রদেশে যত মেট্রো চলত তার মোট দৈর্ঘ্য ছিল নয় কিলোমিটার। ২০১৪ থেকে শুরু করে ২০১৭-র মধ্যে মেট্রোর দৈর্ঘ্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ১৮ কিলোমিটার আর আজ কানপুর মেট্রোকে সামিল করলে উত্তরপ্রদেশে মেট্রোর দৈর���ঘ্য ৯০ কিলোমিটারেরও বেশি হয়ে গেছে। পূর্ববর্তী সরকারগুলি কিভাবে কাজ করছিল? আজ যোগীজির সরকার কিভাবে কাজ করছে সেটা স্পষ্ট। তবেই তো উত্তরপ্রদেশের জনগণ আজ পরস্পরকে বলেন – পার্থক্য অত্যন্ত স্পষ্ট! বন্ধুগণ, ২০১৪ সালের আগে দেশের মাত্র পাঁচটি শহরে মেট্রোর সুবিধা ছিল। অর্থাৎ, মেট্রো রেল সেই শহরগুলিতেই ছিল যেগুলিকে মেট্রো শহর বলা হয়। আজ শুধু ইউপি-রই পাঁচটি শহরে মেট্রো রেল চলছে। আজ দেশের ২৭টি শহরে মেট্রো রেলের কাজ চলছে। এই শহরগুলিতে বসবাসকারী গরীব পরিবারগুলি, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিও আজ মেট্রো রেলের সেই সুবিধা পাচ্ছেন, যা আগে মেট্রো শহরগুলিতে পাওয়া যেত। শহরের গরীবদের জীবনযাপনের মান উন্নত করার জন্য অনেক প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। তার ফলে টিয়ার-২, টিয়ার-৩ শহরগুলিতে যুব সম্প্রদায়ের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে তো ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হওয়ার পর এই প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হয়েছে। বন্ধুগণ, যে কোনও দেশ হোক কিংবা রাজ্য, ভারসাম্যহীন উন্নয়নের মাধ্যমে কখনও এগিয়ে যেতে পারে না। অনেক দশক ধরে আমাদের দেশের এই পরিস্থিতি ছিল যে এক অংশে উন্নয়ন হয়েছে আর অন্য অংশের উন্নয়ন হয়নি। রাজ্যস্তরে, সামাজিক স্তরে এই অসাম্যকে দূর করা ততটাই প্রয়োজনীয়। সেজন্য আমাদের সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর মন্ত্র নিয়ে কাজ করে চলেছে। সমাজের প্রত্যেক শ্রেণী – দলিত, শোষিত, পীড়িত, বঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া ও জনজাতির মানুষ সবাই আমাদের সরকারের প্রকল্পগুলি থেকে সমান লাভবান হচ্ছেন। আমাদের সরকার তাঁদের দিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছে যাঁদেরকে আগে কেউ দেখেনি, যাঁদের প্রতি আগে কখনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বন্ধুগণ, শহরগুলিতে বসবাসকারী দরিদ্র মানুষদের উন্নয়নকে পূর্ববর্তী সরকারগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এড়িয়ে গেছে। এহেন শহুরে গরীবদের জন্য আজ প্রথমবার আমাদের সরকার সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে কাজ করছে। আমি আপনাদের একটা উদাহরণ দিতে চাই। ২০১৭ সালের পূর্ববর্তী ১০ বছরে উত্তরপ্রদেশের শহুরে গৃহহীন গরীবদের জন্য মাত্র ২.৫ লক্ষ পাকা বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল আর বিগত সাড়ে চার বছরে উত্তরপ্রদেশ সরকার শহুরে গরীবদের জন্য ১৭ লক্ষেরও বেশি গৃহ নির্মাণ মঞ্জুর করেছে। এর মধ্যে ৯.৫ লক্ষ ইতিমধ্যেই নির্মিত হয়েছে আর বাকিগুলির কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। ভাই ও বোনেরা, আমাদের গ্রামগুলি থেকে অনেক বন্ধু নিয়মিত শহরে কাজ করতে আসেন। তাঁদ���র মধ্যে অনেকেই শহরে এসে ঠেলা চালান, রাস্তায় হকারি করেন, রেললাইনের দু’পাশে পসরা সাজিয়ে তাঁদের জীবন নির্বাহ করেন। আজ প্রথমবার আমাদের সরকারই এই মানুষদের জন্য কিছু কাজ করেছে। তাঁরা যাতে ব্যাঙ্ক থেকে সহজে ঋণ নিতে পারেন, তাঁরা যাতে ডিজিটাল লেনদেন করতে পারেন, এই লক্ষ্যে আমাদের সরকার কাজ করছে। ‘পিএম স্বনিধি যোজনা’র লাভ এখানে কানপুরের অনেক ঠেলাওয়ালা এবং রেললাইনের দু’পাশে পসরা সাজিয়ে বসা বন্ধুরা পেয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে স্বনিধি যোজনার মাধ্যমে ৭ লক্ষেরও বেশি বন্ধুকে ৭০০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, জনগণেশের প্রয়োজনীয়তাগুলি বোঝা, তাঁদের সেবা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার উত্তরপ্রদেশের প্রয়োজনগুলি বুঝে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে কাজ করছে। উত্তরপ্রদেশের কোটি কোটি বাড়িতে আগে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছত না। আজ আমরা প্রত্যেক বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে উত্তরপ্রদেশের প্রত্যেক বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছি। করোনার এই কঠিন সময়ে উত্তরপ্রদেশের ১৫ কোটিরও বেশি মানুষকে বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থাও আমাদের সরকারই করেছে। বন্ধুগণ, যাঁরা আগের সরকারে ছিলেন, তাঁদের এমন মানসিকতা ছিল যে পাঁচ বছরের জন্য সরকার চালানোর দায়িত্ব পাওয়া যেন লটারি পাওয়ার মতো। যতটা সম্ভব উত্তরপ্রদেশকে লুন্ঠন করো – লুটেপুটে নাও। আপনারা নিজেরাই দেখেছেন যে উত্তরপ্রদেশের পূর্ববর্তী সরকারগুলি যেসব প্রকল্পের কাজ শুরু করত সেগুলি থেকে কিভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হত। নানা আর্থিক কেলেঙ্কারি হত। এই মানুষেরা কখনই উত্তরপ্রদেশের জন্য বড় লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেননি। দূরদৃষ্টি নিয়ে কাজ করেননি। তাঁরা শুধু নিজেদের কথা ভেবেছেন। কখনও উত্তরপ্রদেশের জনগণের কাছে নিজেদের জবাবদিহিতাকে স্বীকার করেননি। আজ ডবল ইঞ্জিন সরকার সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে, সম্পূর্ণ জবাবদিহিতার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে। ডবল ইঞ্জিনের সরকার বড় বড় লক্ষ্য স্থির করতে, এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেগুলির যথাযথ বাস্তবায়ন করতে জানে। কে ভাবতে পেরেছিল যে উত্তরপ্রদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে ট্রান্সমিশন পর্যন্ত প্রক্রিয়ায় এত উন্নতি হতে পারে? আগে মানুষ এটা কখনও ভাবতেন না যে বিদ্যুৎ কেন গেল! তাঁরা জানতেন যে প্রতিদিনই ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। প্রতিবেশীর বাড়িতেও বিদ্যুৎ গেছে কিনা, আর প্রতিবেশীর বাড়িতেও বিদ্যুৎ গেলে তা নিয়ে শান্তিতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন সবাই। বন্ধুগণ, কে ভাবতে পেরেছিল যে গঙ্গাজির দূষণকে প্রতি মুহূর্তে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা সীসামউ-এর মতো ০ লবিশাল ও বেগবতী নালাও একদিন বন্ধ হতে পারে? কিন্তু এই কাজ আমাদের ডবল ইঞ্জিনের সরকার করে দেখিয়েছে। বিপিসিএল-এর পানকী-কানপুর ডিপোর ক্ষমতাকে চারগুণেরও বেশি বৃদ্ধির জন্য কানপুর অত্যন্ত স্বস্তি পাবে। ভাই ও বোনেরা, কানেক্টিভিটি এবং কমিউনিকেশন – উভয় প্রকার যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি গ্যাস এবং পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইনফ্রাস্ট্রাকচার নিয়েও যে কাজ হয়েছে সেগুলির মাধ্যমেও উত্তরপ্রদেশের অনেক লাভ হয়েছে। ২০১৪ পর্যন্ত দেশে মাত্র ১৪ কোটি এলপিজি গ্যাস কানেকশন ছিল। আজ ৩০ কোটিরও বেশি রান্নার গ্যাস সংযোগ আছে। শুধু উত্তরপ্রদেশেই প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ গরীব পরিবারকে নতুন এলপিজি রান্নার গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। নলের মাধ্যমে সুলভ রান্নার গ্যাসের সংযোগও গত সাত বছরে নয়গুণ হয়েছে। এটা এজন্যই সম্ভব হচ্ছে, কারণ বিগত বছরগুলিতে পেট্রোলিয়াম নেটওয়ার্কেরও অভূতপূর্ব সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বীণা-পানকী মাল্টি-প্রোডাক্ট পাইপলাইন এই নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। এখন বীণা রিফাইনারি বা তৈল শোধনাগার থেকে পেট্রোল, ডিজেলের মতো পণ্যের জন্য কানপুর সহ উত্তরপ্রদেশের অনেক জেলাকে শুধুই ট্রাকের ওপর নির্ভর করতে হয় না। এর ফলে উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নের ইঞ্জিন অবাধ জ্বালানি পেতে থাকবে। বন্ধুগণ, কোনও রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য, শিল্পের সম্প্রসারণের জন্য সবচাইতে প্রয়োজনীয় হল যথাযথ আইনি ব্যবস্থা। উত্তরপ্রদেশে আগে যত সরকার ছিল তারা মাফিয়াবাদের বৃক্ষের শেকড়কে এতটাই ছড়াতে দিয়েছিল যে সেগুলির ছায়ায় সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য বরবাদ হয়ে গিয়েছিল। এখন যোগীজির সরকার রাজ্যে আইনের শাসন ফিরিয়ে এনেছে। সেজন্য উত্তরপ্রদেশে এখন বিনিয়োগও বাড়ছে আর অপরাধী তার জামানত নিজেই বাতিল করে জেলে যাচ্ছে। ডবল ইঞ্জিনের সরকার এখন উত্তরপ্রদেশে শিল্পোদ্যোগ সংস্কৃতিকে উৎসাহ যোগাচ্ছে। এখানে, এই কানপুর শহরে, মেগা লেদার ক্লাস্টারকে মঞ্জুর করা হয়েছে। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ফজল��ঞ্জেও প্রযুক্তিকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ডিফেন্স করিডর হোক কিংবা শুধুই ‘এক জেলা এক পণ্য প্রকল্প’ দ্বারা আমাদের কানপুরের শিল্পোদ্যোগীরা বন্ধুরাও নিশ্চিতভাবেই লাভবান হচ্ছেন। বন্ধুগণ, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ বাড়ানোর জন্য লাগাতার কাজ চলছে। নতুন ইউনিটগুলির জন্য কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা থেকে শুরু করে জিএসটি-র হার কম করা, আরও অনেক আইনের জালকে সমাপ্ত করা, ফেসলেস অ্যাসেসমেন্ট থেকে শুরু করে এই লক্ষ্যে নেওয়া সমস্ত পদক্ষেপ নতুন ক্ষেত্রগুলিকে উৎসাহ যোগানোর জন্য সরকার ‘প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেন্টিভ’ দেওয়াও শুরু করেছে। সরকার কোম্পানি ল’-এর অনেক ধারাকেও ‘ডি-ক্রিমিনালাইজ’ করে দিয়েছে যা আমাদের ব্যবসায়ী বন্ধুদের সমস্যা বাড়াত। ভাই ও বোনেরা, যে দলগুলির আর্থিক পরিস্থিতি ভালো নয়, যাদের নীতি বাহুবলীদের আদর-সম্মান করা, তারা উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নে কখনই নজর দিতে পারবে না। সেজন্য আমাদের এমন প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে ভাবা উচিৎ যেগুলি সমাজকে শক্তিশালী করে তোলে, সমাজের ক্ষমতায়ন বাড়ায়। সেজন্য মহিলা ক্ষমতায়নের জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলিকেও তারা বিরোধিতা করে। তা সে তিন তালাক হোক কিংবা ছেলে ও মেয়েদের বিয়ের বয়স সমান করে দেওয়া – সব ব্যাপারে শুধুই বিরোধিতা করে। হ্যাঁ, যোগীজির সরকারের কাজ দেখে এঁরা অবশ্যই বলেন যে এটা তো আমরাই করেছি। আমি ভাবছিলাম যে বিগত দিনগুলিতে যাঁরা বাক্স ভরে ভরে, বিগত দিনগুলিতে যাঁরা বাক্স ভরে ভরে নোট পেয়েছেন, তারপরও এই মানুষেরা এটাই বলবেন যে লোকটা এমন কিছু করেছে যা কেউ করেনি। বন্ধুগণ, আজ কানপুরের বাসিন্দারা ব্যবসাকে খুব ভালোভাবে বোঝে। ২০১৭-র আগে দুর্নীতির যত ইতর, দুর্নীতির ইতর তারা গোটা উত্তরপ্রদেশে ছড়িয়ে দিয়েছিল তা আবার সবার সামনে চলে এসেছে। কিন্তু এখন তাঁরা মুখে তালা লাগিয়ে বসে আছেন, ঋণ নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসছেন না। নোটের যে পাহাড়, যা গোটা দেশ দেখেছে, সেটাই তাঁদের সাফল্য। এটাই তাঁদের বাস্তব। উত্তরপ্রদেশের মানুষ এখন সব দেখছেন এবং বুঝতে পারছেন। সেজন্য তাঁরা উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নকারীদের সঙ্গে রয়েছেন। উত্তরপ্রদেশকে নতুন উচ্চতায় যাঁরা পৌঁছে দিচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। ভাই ও বোনেরা, আজ এতবড় উপহার আপনাদের চরণে অর্পণ করার সময় অনেক ধরনের খুশিতে পরিপূর্ণ এই আবহ আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ উপ���ক্ষে আরও একবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা, অনেক ধন্যবাদ। ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়! অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",কানপুৰ মেট্ৰো প্রকল্পৰ উদ্বোধনত প্রধানমন্ত্রীৰ ভাষণৰ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0-23/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AC-%E0%A7%A6%E0%A7%AE-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%9A/,"আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার! আজ সমগ্র দেশ রাখীবন্ধন উৎসব পালন করছে। এই পুণ্যলগ্নে সমস্ত দেশবাসীকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা! রাখীবন্ধনের এই উৎসব বোন ও ভাইয়ের প্রেম ও বিশ্বাসের প্রতীক। বহু শতাব্দী ধরে এই উৎসব সামাজিক সৌহার্দ্যের এক বড় উদাহরণ। দেশের ইতিহাসে এমন অনেক ঘটনা আছে, যখন দেখা গেছে একটি রক্ষাসূত্র কীভাবে দুটি রাজ্য, বা আলাদা আলাদা ধর্মের মানুষকে বিশ্বাসের বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। কিছুদিন বাদেই জন্মাষ্টমী। আকাশে বাতাসে শোনা যাবে ‘হাথী ঘোড়া পাল-কি জয় কান্‌হাইয়া লাল-কি’ আর ‘গোবিন্দা – গোবিন্দা’ নামের জয়ধ্বনি। কৃষ্ণের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিয়ে এই উল্লাসে মেতে ওঠার আনন্দই আলাদা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষত মহারাষ্ট্রে ‘দহী-হাণ্ডি’র আয়োজনও ছেলেমেয়েরা করতে শুরু করে দিয়েছে নিশ্চয়ই। সমস্ত দেশবাসীকে জানাই রাখীবন্ধন ও জন্মাষ্টমীর আন্তরিক অভিনন্দন! বেঙ্গালুরুর বিজয়ভারতী বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী চিন্ময়ী সংস্কৃত ভাষায় জানিয়েছেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, নমস্কার! আমি চিন্ময়ী। মহাশয়, আজ ‘সংস্কৃত দিবস’। সংস্কৃত ভাষা যে সহজ সরল, সবাই জানে। আমরা এখানে সাধারণত সংস্কৃত ভাষাতেই কথা বলে থাকি। এই কারণে সংস্কৃত ভাষার গুরুত্ব এবং গভীরতাকে এইভাবে তুলে ধরছি।” — ভগিনী চিন্ময়ী, সংস্কৃতের গুরুত্ব নিয়ে তোমার এই ভাবনাকে সাধুবাদ জানাই। তোমাকে অনেক অনেক অভিনন্দন ও ‘সংস্কৃত সপ্তাহ’উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা! আমি চিন্ময়ীর প্রতি কৃতজ্ঞ যে সে এই বিষয়টি নজরে এনেছে। বন্ধুরা, রাখীবন্ধন ছাড়াও শ্রাবণ পূর্ণিমার দিনটি পালন করা হয় ‘সংস্কৃত দিবস’ হিসাবে। আমি সেই সমস্ত মানুষকেও অভিনন্দন জানাই, যাঁরা এই মহান ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার, এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং জনে জনে পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত আছেন। প্রত্যেকটি ভাষার নিজস্ব গুরুত্ব আছে। ভারতের এটা গর্ব যে ‘তামিল’ ভাষা বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ভাষা আর এটাও সমগ্র দেশবাসীর গর্ব যে বেদের সময় থেকে আজ পর্যন্ত জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারে সংস্কৃত ভাষা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজে লাগার মত জ্ঞানের বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে। তা সে বিজ্ঞান হোক বা তন্ত্রের জ্ঞান, কৃষি হোক বা স্বাস্থ্য, জ্যোতির্বিজ্ঞান হোক বা আর্কিটেকচার, অঙ্ক হোক বা ম্যানেজমেন্ট, অর্থশাস্ত্র হোক বা পরিবেশ — বলা হয়, গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর মত চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়বার মন্ত্রও আমাদের বেদে বিস্তারিত ভাবে উল্লিখিত আছে। আপনারা সবাই জেনে খুশি হবেন যে, কর্ণাটকের শিবমোগা জেলার ‘মট্টুর’ গ্রামের সমস্ত মানুষ আজ কথাবার্তার মাধ্যম হিসাবে সংস্কৃত ভাষাকে বেছে নিয়েছেন। আপনারা একটা কথা জেনে আশ্চর্য বোধ করবেন যে সংস্কৃত এমন একটি ভাষা, যার মধ্যে অনন্ত শব্দের নির্মাণ সম্ভব। দু-হাজার ধাতু, ২০০ প্রত্যয় — অর্থাৎ Suffix, ২২-টি উপসর্গ অর্থাৎ Prefix, আর সমাজজীবনের কাজে লাগার মত অসংখ্য শব্দের নির্মাণ সম্ভব এই ভাষায়। এই কারণে সূক্ষ্মাতীত ভাব ও বিষয় যাই হোক না কেন, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তার বর্ণনা করতে পারা সংস্কৃত ভাষার একটি বড় বৈশিষ্ট্য। আমরা কোনও কথাকে ওজনদার করতে হলে ইংরাজি কোটেশন ব্যবহার করি, কখনও কখনও শায়রী ইত্যাদিও বলে থাকি। কিন্তু যাঁরা সংস্কৃতের সুভাষিত শব্দগুলির সঙ্গে পরিচিত, তাঁরা জানেন, কত কম শব্দে বিষয়ের সঠিক ব্যাখ্যা সংস্কৃতের এই সুভাষিত শব্দগুলির মাধ্যমে হতে পারে। তাছাড়া এই ভাষা, শব্দ আমাদের মাটির সঙ্গে, আমাদের পরম্পরার সঙ্গে জড়িত থাকায় একে বোঝাও খুব সহজ। জীবনে ‘গুরু’র স্থান বোঝানোর জন্য বলা হয় — ‘একমপি অক্‌সরমস্তু, গুরুঃ শিষ্যং প্রবোধয়েত্‌ পৃথীব্যাং নাস্তি তদ্‌-দ্রব্যং, ইয়দ্‌-দত্ত্বা হ্যণৃণী ভবেৎ।।’ অর্থাৎ, কোনও গুরু তাঁর শিষ্যকে যদি এক অক্ষর জ্ঞানও প্রদান করেন, তাহলে সমগ্র বিশ্বে এমন কোনও বস্তু বা ধন নেই, যা দিয়ে শিষ্য গুরুর ঋণ চুকিয়ে দিতে পারে। আসুন, আসন্ন ‘শিক্ষক দিবস’ দিনটি আমরা এই মনোভাব নিয়ে পালন করি। জ্ঞান ও গুরু তুলনাহীন, অমূল্য! ‘মা’ ছাড়া একমাত্র শিক্ষকই পারেন শিশুর ভাবনাকে সঠিক পথে পরিচালনার দায়িত্ব নিতে। আর সেই কারণে তাঁর প্রভাবও থাকে সমস্ত জীবন জুড়ে। ‘শিক্ষক দিবস’ উপলক্ষ্যে মহান দার্শনিক ও দেশের ভূতপূর্ব রাষ্ট্রপতি ভারতরত্��� ডক্টর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণকে আমরা সর্বদাই স্মরণ করি। তাঁর জন্মজয়ন্তীতেই পুরো দেশ জুড়ে ‘শিক্ষক দিবস’ পালিত হয়। আমি দেশের সমস্ত শিক্ষকদের আসন্ন ‘শিক্ষক দিবস’-এর শুভেচ্ছা জানাই ও সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞান, শিক্ষা ও ছাত্রদের প্রতি তাঁর সমর্পণকে, তাঁর নিষ্ঠাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদের কৃষকভাইরা, যাঁরা উদয়াস্ত পরিশ্রম করেন, তাঁদের জন্য বর্ষা খুশির খবর নিয়ে আসে। গ্রীষ্মের ভীষণ দাবদাহে ঝলসে যাওয়া গাছপালা, শুকিয়ে যাওয়া জলাশয়গুলি বর্ষার আগমনে স্বস্তি লাভ করে। কিন্তু কখনও কখনও আবার অতিবৃষ্টি, বিধ্বংসী বন্যারূপেও দেখা দেয়। এমন একটা প্রাকৃতিক অবস্থা তৈরি হয়েছে যে কোথাও কোথাও অন্য স্থানগুলির তুলনায় অতিরিক্ত বর্ষা হচ্ছে। ক’দিন আগেই আমরা দেখলাম, ভীষণ বন্যা কীভাবে কেরলের জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এইরকম কঠিন পরিস্থিতিতে সারা দেশ কেরলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। যাঁরা এই বিপর্যয়ে নিজেদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, আমাদের গভীর সমবেদনা জানাই সেই সব পরিবারগুলিকে। যা ক্ষতি হয়ে গেছে, তা হয়তো কোনও দিনই পূরণ হবে না ঠিক, কিন্তু সেই সমস্ত শোকসন্তপ্ত পরিবারজনেদের আমি ভরসা যোগাতে চাই, ১২৫ কোটি দেশবাসী এই দুর্দিনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আপনার পাশে রয়েছে। আমি প্রার্থনা করি, যাঁরা এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আহত হয়েছেন, তাঁরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন। আমার পুরো বিশ্বাস আছে যে অদম্য প্রাণশক্তি ও সাহসের উপর ভর করে কেরলের জনজীবন দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। বিপর্যয় যেভাবে জনজীবনকে বিধ্বস্ত করে তোলে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যপূর্ণ ঠিকই, কিন্তু এই দুর্দিনেই আবার আমরা মানবতার ধর্মকেও উপলব্ধি করি। কচ্ছ থেকে কামরূপ আর কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত প্রত্যেকটি মানুষ নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন, যাতে যে যে প্রান্তগুলিতে বিপর্যয় ভয়াবহ হয়ে উঠেছে, তা সে কেরল হোক বা ভারতের যে কোনও জেলা বা এলাকা, সেই সমস্ত স্থানের জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফেরে। সমস্ত বয়সের মানুষ এবং সমস্তরকম কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষ নিজেদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। প্রত্যেকে ভাবছেন কেরলের মানুষের দুঃখ-কষ্ট কীভাবে ভাগাভাগি করে নেওয়া যায়, যাতে তা লাঘব হয়। আমরা সবাই জানি, সশস্ত্র সুরক্ষাবলের জওয়ানরা কেরলের এই বিপর্যয়ে উদ্ধারকার্যের নায়ক। তাঁরা বন্যাকবলিত মানুষদের বাঁচাবার জন্য সব রকম উপায় অবলম্বন করেছেন। এয়ার ফোর্স, নেভি বা আর্মি, বি-এস-এফ, সি-আই-এস-এফ, আর-এ-এফ — প্রত্যেকে উদ্ধার কার্যে ও ত্রাণ পৌঁছে দিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই এন-ডি-আর-এফের জওয়ানদের কঠোর পরিশ্রমের কথা। এই বিপদের মোকাবিলায় তাঁরা যেভাবে কাজ করেছেন তা বিশেষ প্রশংসার দাবী রাখে। এন-ডি-আর-এফের ক্ষমতা, তাঁদের দায়বদ্ধতা, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিস্থিতিকে আয়ত্বে আনার ক্ষমতা সমস্ত দেশবাসীর মনে এক শ্রদ্ধার আসন তৈরি করেছে। গতকালই ছিল ‘ওনাম’ উৎসব। আমরা প্রার্থনা করি, ‘ওনাম’-এর শুভ পার্বণ দেশকে বিশেষত কেরলকে এই বিপর্যয় দ্রুত কাটিয়ে ওঠার শক্তি দিক আর কেরলের উন্নতির গতিবৃদ্ধি হোক। আমি আরও একবার সমস্ত দেশবাসীর পক্ষ থেকে কেরলের জনসাধারণকে এবং দেশের অন্যান্য বিপর্যস্ত জায়গাগুলির মানুষজনকে বলতে চাই — এই দুর্দিনে পুরো দেশ তাঁদের পাশে আছে। প্রিয় দেশবাসী, এবারের ‘মন কি বাত’-এর জন্য পাঠানো পরামর্শগুলি পড়তে গিয়ে দেখলাম সবচেয়ে বেশি লোক যে বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন তা হল আমাদের সবার প্রিয় শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। গাজিয়াবাদ থেকে কীর্তি, সোনিপত থেকে স্বাতি বৎস, কেরলের ভাই প্রবীণ, পশ্চিমবাংলা থেকে ডক্টর স্বপন ব্যানার্জী, বিহারের কাটিহার থেকে অখিলেশ পাণ্ডে — আরও অসংখ্য মানুষ ‘নরেন্দ্র মোদী মোবাইল অ্যাপ’-এ এবং ‘মাই গভ’-এ অটলজীর জীবনের বিভিন্ন দিকগুলি নিয়ে আমাকে বলতে অনুরোধ করেছেন। ১৬-ই আগষ্ট যে মুহূর্তে দেশের ও বিশ্বের মানুষ অটলজীর প্রয়াণের খবর পেয়েছেন, প্রত্যেকে গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন। তিনি এমন একজন রাষ্ট্রনেতা, যিনি ১৪ বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করেন এবং গত দশ বছরে সক্রিয় রাজনীতি থেকে বহু দূরে চলে গিয়েছিলেন বলা চলে। তাঁকে খবরে বিশেষ দেখা যেত না। জনসমক্ষে তেমন আসতেন না। দশ বছরের অন্তরাল অনেকখানি। কিন্তু গত ১৬-ই আগষ্ট দেশ ও দুনিয়া দেখল যে ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষের মনে দশ বছরের এই ব্যবধান বিন্দুমাত্র রেখাপাত করেনি। অটলজীর জন্য সকলের যে স্নেহ, শ্রদ্ধা ও শোকভাবনার বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল, তা ওঁর বিশাল ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক। বিগত কয়েক দিনে ওঁর আরও অনেক গুণের বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। জনমানসে তিনি একজন যোগ্য সাংসদ, সংবেদনশীল লেখক, সুবক্তা ও জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী। সুশাসন অর্থাৎ Good Governance-কে মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য এই দেশ অটলজীর প্রতি সবসময় কৃতজ্ঞ থাকবে। আমি আজ অটলজীর বিশাল ব্যক্তিত্বের আরও এক নিদর্শনের ব্যাপারে আপনাদের জানাতে চাই — সেটি হল ওঁর প্রবর্তন করা Political Culture। উনি Political Culture-এ যে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছেন এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে সুব্যবস্থিত পরিকাঠামো দেওয়ার যে প্রয়াস করেছেন, তার ফলে দেশের অনেক লাভ হয়েছে ও ভবিষ্যতেও হবে, একথা নিশ্চিত। ভারত সব সময় ‘একানব্বইতম সংশোধন অধিনিয়ম ২০০৩’-এর জন্য অটলজীর কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে। এই সংশোধন আমাদের দেশের রাজনীতিতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনে। প্রথমটি হল রাজ্যগুলির মন্ত্রীমণ্ডলীকে বিধানসভার মোট আসনের পনের শতাংশ পর্যন্ত সীমিত করা। দ্বিতীয়টি হল দল-বদল বিরোধী আইনের নির্দিষ্ট সীমাকে এক-তৃতীয়াংশ থেকে বাড়িয়ে দুই-তৃতীয়াংশ করা এবং তার পাশাপাশি দল-বদলকারী নেতা-কর্মীদের অনুপযুক্ত ঘোষণা করার স্পষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করা। বহু বছর পর্যন্ত ভারতে জাম্বো অর্থাৎ বিরাট মন্ত্রীমণ্ডল গঠনের এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি ছিল। এই বিশাল মন্ত্রীমণ্ডল গঠনের মূল অভিপ্রায় ছিল বিভিন্ন নেতাদের খুশি করা, কাজের যথাযথ বণ্টন নয়। অটলজী এই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনেন যার ফলস্বরূপ অর্থ ও সম্পদের সাশ্রয় সম্ভব হয়, কর্মদক্ষতা বাড়ে। একমাত্র অটলজীই এমন দূরদর্শী ছিলেন যিনি পরিস্থিতির পরিবর্তন আনেন ও রাজনীতিতে সুস্থ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন। অটলজী এক সত্যিকারের দেশভক্ত ছিলেন। ওঁর সময়েই বাজেট পেশ করার সময়কে বদলানো হয়। আগে, ইংরেজদের প্রথানুযায়ী বিকেল পাঁচটায় বাজেট পেশ করা হত। কারণ সেই সময়েই লণ্ডনে পার্লামেণ্ট বসত। ২০০১-এ অটলজী বাজেট পেশ করার সময়কে বিকেল পাঁচটার বদলে বেলা এগারোটা করে দেন। আরও একটি ‘আজাদী’ আমরা অটলজীর কার্যকালে লাভ করি ‘ইণ্ডিয়ান ফ্ল্যাগ কোড’ তৈরির মাধ্যমে। এটি লাগু হয় ২০০২ থেকে, যার ফলে সার্বজনিক জায়গায় তিরঙ্গা উত্তোলন সম্ভব হয়। সাধারণ ভারতীয়রা জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সুযোগ পায়। এই ভাবে উনি আমাদের প্রাণপ্রিয় তিরঙ্গাকে জনসাধারণের কাছে নিয়ে আসেন। আপনারা দেখেছেন কীভাবে অটলজী ভোট প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এনে, জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে দেশের ভিত মজবুত করেছেন। আপনারা দেখছেন আজকাল কেন্দ্রে ও রাজ্যে একইসঙ্গে নির্বাচন করানোর বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। লোকে এর পক্ষে-বিপক্ষে নিজেদের মতামত রাখছেন, যা হিতকারী ও লোকতন্���্রের পক্ষে শুভ সংকেত। আমি অবশ্যই উল্লেখ করব, সুস্থ লোকতন্ত্রের জন্য, উত্তম লোকতন্ত্রের জন্য হিতকারী পরম্পরাগুলির বিকাশ, নানা বিষয়ে খোলামনে আলোচনা প্রয়োজন। গণতন্ত্র মজবুত করার ক্রমাগত প্রয়াস করাই উপযুক্ত শ্রদ্ধাঞ্জলি হবে অটলজীর প্রতি। ওঁর সমৃদ্ধ ও উন্নত ভারতের স্বপ্নকে পূরণ করার সংকল্পকে আরও একবার স্মরণ করে, সকলের পক্ষ থেকে অটলজীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছি। আমার প্রিয় দেশবাসী, আজকাল সংসদের সম্পর্কে যখনই আলোচনা হয়, তখন অবরোধ, হইহল্লার কথাই বলা হয়। কিন্তু যখন ভাল কিছু হয়, সেই বিষয়ে বিশেষ চর্চা হতে দেখা যায় না। কিছু দিন আগেই সংসদের বাদল অধিবেশন সমাপ্ত হয়। আপনারা জেনে প্রসন্ন হবেন লোকসভার productivity ১১৮ শতাংশ ও রাজ্যসভার ৭৪ শতাংশ ছিল। দলীয় স্বার্থ ত্যাগ করে সমস্ত সাংসদ বাদলঅধিবেশনকে সবথেকে বেশি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন, তারই পরিনাম হলো, লোকসভা ২১ টি ও রাজ্যসভা ১৪ টি বিল পাস করেছে। সংসদের এই বাদল অধিবেশন সামাজিক ন্যায় এবং যুবকল্যাণের ক্ষেত্রে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই অধিবেশনে যুব এবং অনগ্রসর শ্রেণির উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বেশ কতগুলো বিল পাস করা হয়েছে। আপনারা সবাই জানেন, কয়েক দশক ধরে …",২৬.০৮.২০১৮ তাৰিখে সম্প্ৰচাৰ হোৱাৰ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ৪৭তম মন কী বাতৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A7%B1%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%A8/,"‘স্বচ্ছতাই প্রকৃত সেবা আন্দোলনে’ যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আন্তরিকভাবে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আগামী দোসরা অক্টোবর আমরা গান্ধীজির জন্মের সার্ধ শতবার্ষিকী উদযাপনের সূচনা করব। বাপুর স্বপ্নের স্বচ্ছ ভারতের উদ্দেশ্য অর্জনে ইতিমধ্যেই এক ঐতিহাসিক গণ-আন্দোলনের রূপ নেওয়া স্বচ্ছ ভারত মিশনের চতুর্থ বর্ষপূর্তিও ঐদিন। স্বচ্ছ ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে যাঁরা কাজ করছেন আমি তাঁদের অভিনন্দন জানাই। ‘স্বচ্ছতাই প্রকৃত সেবা আন্দোলন’ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে। বাপুকে শ্রদ্ধা জানানোর এ এক মহৎ উপায়। আসুন, এই আন্দোলনের অংশ হয়ে উঠুন এবং স্বচ্ছ ভারত গড়ে তোলার প্রয়াসকে আরও শক্তিশালী করুন। আসুন, আগামী ১৫ই সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ন’টায় আমরা সকলে একত্রিত হই এবং স্বচ্ছতাই প্রকৃত সেবা আন্দোলনের সূচনা করি। স্বচ্ছ ভারত মিশনকে শক্তিশালী করতে যাঁরা তৃণমূল স্তরে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতার ব্যাপারে আমি অত্যন্ত আশাবাদী। এরপর স্বচ্ছতা সংক্রান্ত নানা কর্মসূচির সূচনা হবে।” /",স্বচ্ছতাই প্রকৃত সেৱা আন্দোলনৰ অংশ হোৱাৰ বাবে সকলোৰে প্রতি আন্তৰিক আহ্বান প্রধানমন্ত্রীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A7%B1-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%95-%E0%A6%A1/,"ভারত মাতার জয়, ভারত মাতার জয়, ভারত মাতার জয়, আমি জয়ধ্বনি দেবো, আপনারা আমার সঙ্গে প্রতিধ্বনি করুন। আমি বলবো … মহারাজা সুহেলদেও … আপনারা সবাই দু’হাত ওপরে তুলে দু’বার বলবেন – অমর রহে! মহারাজা সুহেলদেও – অমর রহে অমর রহে! বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, দেশের নিরাপত্তায় নিয়োজিত অসংখ্য বীর সন্তানের জন্মদাত্রী, অসংখ্য বীর সৈনিকের জন্মদাত্রী এই মাটিতে যুগ যুগ ধরে অনেক ঋষি-মুনিরা পা রেখেছেন। এহেন পবিত্র গাজিপুরের মাটিতে আরেকবার এসে অত্যন্ত আনন্দিত। আপনাদের সকলের উৎসাহ ও উদ্দীপনা সর্বদাই প্রাণশক্তির উৎস। আজও আপনারা এখানে এত শীতের মধ্যেও আমাকে আর্শীবাদ জানাতে এত বিপুল সংখ্যায় এসেছেন, সেজন্য আপনাদের সবাইকে প্রণাম জানাই। বন্ধুগণ, উত্তরপ্রদেশে আজ আমার উপস্থিতিতে পূর্ব উত্তরপ্রদেশে একটি বড় মেডিকেল হাব গড়ে তোলার প্রকল্প, কৃষি গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, উত্তরপ্রদেশের ক্ষুদ্র শিল্পগুলিকে মজবুত করার লক্ষ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একটু আগেই গাজিপুরে একটি মেডিকেল কলেজের শিলান্যাস করার সৌভাগ্য হয়েছে। আজ এখানে উত্তরপ্রদেশের গৌরব বর্ধনকারী একটি পূণ্যকার্য সম্পাদিত হল। মহারাজা সুহেলদেও-এর শৌর্যগাথা, দেশের জন্য তাঁর অবদানকে স্মরনীয় করে রাখার জন্য কিছুক্ষণ আগেই তাঁর স্মৃতিতে একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়েছে। পাঁচ টাকা মূল্যের এই ডাকটিকিটটি এখন ডাকঘরের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের হাতে পৌঁছে যাবে। বন্ধুগণ, মহারাজা সুহেলদেও দেশের সেই বীরদের অন্যতম, যাঁরা দেশের উন্নয়নের স্বার্থে লড়াই করেছেন। তিনি প্রত্যেক বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের কাছে প্রেরণাস্বরূপ। তাঁর স্ম��তি আমাদের ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ মন্ত্রকে শক্তি যোগায়। বলা হয় যে, মহারাজা সুহেলদেও-এর রাজত্বে মানুষ বাড়ির দরজায় তালা লাগানোর প্রয়োজন বোধ করতেন না। নিজের শাসনকালে তিনি মানুষের জীবনকে সমৃদ্ধ করে তুলতে, গরিবদের ক্ষমতায়নে অনেক কাজ করেছেন। সড়কপথ নির্মাণ, বাগিচা নির্মাণ, পাঠশালা চালু করা, মন্দির স্থাপনে তিনি নিজের রাজ্যকে অনেক সুন্দর রূপ দিয়েছিলেন। যখন বিদেশে হানাদারেরা ভারত ভূমিতে আক্রমণ হানে, তখন যে মুষ্টিমেয় বীরেরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন এবং তাদের পরাস্ত করেছেন তাঁদের মধ্যে মহারাজ সুহেলদেও অন্যতম। প্রতিবেশী রাজাদের সঙ্গে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে তিনি আঘাতকারীদের আক্রমণ প্রতিহত করতে পেরেছিলেন। তিনি একজন বীর যোদ্ধা, দক্ষ রণনীতিবিদ এবং অগ্রণী সংগঠক ছিলেন। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতেন। ভাই ও বোনেরা, দেশের এরকম বীর ও বীরাঙ্গণাদের পূর্ববর্তী সরকারগুলি একরকম বিস্মৃত হয়েছিল, প্রাপ্য সম্মান দেয়নি। আমাদের সরকার তাঁদের সম্মান জানানোর কাজ, নিজেদের দায়িত্ব বুঝে কাজ করে চলেছে। ভাই ও বোনেরা, উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ জনপদের চিতোরাকে আমরা কখনও ভুলতে পারবো না। এই মাটিতেই মহারাজা সুহেলদেও হানাদারদের পরাস্ত করেছিলেন। এক হাজার বছর আগে তাঁর এই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখার দায়িত্ব স্বাধীন ভারতে এই প্রথম যোগীজির নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকার নিয়েছে। একটি সুরম্য স্মারক নির্মাণের মাধ্যমে এহেন বীরপুরুষকে স্মরণের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অবহিত করানোর এই সিদ্ধান্তকে আমি অন্তর থেকে সাধুবাদ জানাই। ইতিহাসকে পুনরুদ্ধারের এই শুভ প্রচেষ্টার জন্য আমি রাজ্য সরকারকে শুভেচ্ছা জানাই। ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারও দেশের নিরাপত্তার খাতিরে এবং সামাজিক জীবনকে উন্নত করার লক্ষ্যে যাঁরাই অবদান রেখেছেন, তাঁদের স্মৃতিকে ভাস্বর করে রাখতে এ ধরণের নির্মাণের পক্ষে। আমরা নিজেদের ইতিহাস, পুরাতন সংস্কৃতির সোনালি পৃষ্ঠাগুলিতে ধুলো জমতে দিতে চাই না। বন্ধুগণ, মহারাজা সুহেলদেও যতবড় বীর ছিলেন, ততবড় দয়ালু এবং সংবেদনশীল ছিলেন। সংবেদনশীলতার এই সংস্কৃতিকে আমরা সরকার ও প্রশাসন ব্যবস্থায় পুনর্স্থাপনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকার এবং উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকার সততার সঙ্গে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যাতে গরিব, পিছিয়ে পড়া, দলিত, শোষিত, ��ঞ্চিতদের ক্ষমতায়ন ও তাঁদের অধিকার রক্ষা সুনিশ্চিত হয়, তাঁদের আওয়াজ যাতে প্রশাসনের কানে পৌঁছয় এবং তাদের স্বার্থে কাজ হয়। ভাই ও বোনেরা, আজ সরকার সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে। সরকার অনেক সমস্যার স্থায়ী সমাধানের প্রচেষ্টা জারি রেখেছে। ভোটের খাতিরে জনপ্রিয় ঘোষণা, ফিতে কাটার ঐতিহ্য আমাদের সরকার পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। কর্মসংস্কৃতিতে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেজন্যই আজ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনে ইতিবাচক ও ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপ গ্রহণের আবহ গড়ে উঠেছে। কিন্তু এই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে মজবুত ইমারত গড়ে তোলার কাজ এখনও করা হয়নি। উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবার বিস্তার এই লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রেক্ষিতে দেশে সবচাইতে কম বিকশিত ক্ষেত্রগুলির অন্যতম উত্তরপ্রদেশের এই পূর্বাঞ্চলে মেডিকেল হাব গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত এই লক্ষ্যে অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে। ভাই ও বোনেরা, একটু আগেই যে মেডিকেল কলেজের শিলান্যাস করা হয়েছে, সেটির মাধ্যমে এই অঞ্চলের মানুষ উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। পাশাপাশি, এখান থেকে অনেক মেধাবী চিকিৎসক পাশ করে বেরোবে। এলাকার মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের চিকিৎসক হওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে এই মেডিকেল কলেজ গাজিপুর জেলা হাসপাতালকে ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট করে তুলবে। এর দ্বারা গাজিপুরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলির সাধারণ মানুষও উপকৃত হবেন। দীর্ঘকাল ধরেই আপনাদের এই দাবি ছিল। আপনাদের সকলের প্রিয় জনপ্রতিনিধি, আমার সহযোগী মনোজ সিন্‌হা নিয়মিত এই দাবি জানিয়ে গেছেন। পাশাপাশি, গাজিপুরে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট ম্যাটারনিটি হাসপাতালের পরিষেবা গড়ে উঠেছে। জেলা হাসপাতালে আধুনিক অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু হয়েছে। আগামীদিনে এই পরিষেবাগুলি বিস্তারিত করা হবে। ভাই ও বোনেরা, গাজিপুরের এই নতুন মেডিকেল কলেজ, গোরক্ষপুরে এইম্‌স হাসপাতাল, বারাণসীতে নির্মীয়মান আধুনিক হাসপাতাল এবং পুরনো হাসপাতালগুলির বিস্তার, পূর্ব উত্তরপ্রদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে অনেক উন্নত করে তোলা হচ্ছে। বন্ধুগণ, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই প্রথমবার গরিব ও মধ্যবিত্তদের স্বাস্থ্যকে এত অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আয়ুষ্মান ভারত যোজনা, পিএমজেএওয়াই-কে অনেক মানুষ আ��র করে ‘মোদী কেয়ার’ নাম দিয়েছে। এই আয়ুষ্মান যোজনার দ্বারা যাতে অধিকাংশ জনগণ উপকৃত হন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে দ্রুতগতিতে কাজ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ক্যান্সার এবং কয়েকশ’ কঠিন রোগের ক্ষেত্রে বছরে পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা সুনিশ্চিত হয়েছে। এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর মাত্র ১০০ দিনের মধ্যে সারা দেশে প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ গরিব ভাই-বোন বিনামূল্যে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়েছেন, কিংবা এখনও চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে আমাদের উত্তরপ্রদেশের ১৪ হাজার ভাই-বোন ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। এরা ২-৫ বছর ধরে কঠিন রোগের শিকার হয়ে অসহায়ের মতো মৃত্যুর অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন। চিকিৎসার সামর্থ্য ছিল না। আজ সেই পরিবারগুলির মুখে হাসি ফুটেছে। বন্ধুগণ, দেশের প্রতিটি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি এবং সুরক্ষা বিমার মতো প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে। ৯০ পয়সা প্রতিদিন এবং মাসে ১ টাকা কিস্তি জমা দিয়ে সঙ্কটের সময় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাহায্য পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পগুলির সঙ্গে ২০ কোটিরও বেশি জনসাধারণ যুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে আমাদের উত্তরপ্রদেশের ১ কোটি ৭৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ রয়েছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই সঙ্কটে পড়া পরিবারগুলিকে ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিমার টাকা তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বন্ধুগণ, সরকার যখন স্বচ্ছভাবে কাজ করে, যখন জনহিতকে ব্যক্তিস্বার্থের ওপরে রাখা হয়, সংবেদনশীলতা যখন প্রশাসনের স্বভাবে পরিণত হয়, তখনই এত বড় বড় কাজ অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই সম্পাদিত হয়। তখনই, সততা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে স্থায়ী পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়। বন্ধুগণ, কাশীতে গড়ে ওঠা ‘ধান গবেষণা কেন্দ্র’, বারাণসী এবং গাজিপুরে নির্মিত ‘কার্গো সেন্টার’, গোরক্ষপুরে নির্মীয়মান খাদ্য কারখানা, বানসাগরে গড়ে ওঠা সেচ প্রকল্প – সারা দেশে বীজ থেকে বাজার পর্যন্ত এমনই অনেক ব্যবস্থা গড়ে উঠছে। আমাকে বলা হয়েছে যে গাজিপুরে যে ‘পেরিশেব্‌ল কার্গো সেন্টার’ গড়ে উঠেছে তার মাধ্যমে এখানকার কাঁচা লঙ্কা এবং সবুজ মটর … আমাদের মনোজজি বলছিলেন যে, দুবাইয়ের বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি দাম পাচ্ছেন। আজ যে কাজ হচ্ছে তা সততার সঙ্গে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। কৃষকরা যাতে কম বিনি���োগে অধিক রোজগার করতে পারেন সেকথা মাথায় রেখে সততার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। ভাই ও বোনেরা, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের কৃষকরা ইতিমধ্যেই ভোটের রাজনীতি আর লোভ দেখানো প্রতিশ্রুতির অসাড়তা টের পাচ্ছেন। সরকার পাল্টাতেই ঐ দুই রাজ্যে খাদ্যের জন্য, ইউরিয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া চালু হয়েছে, পুলিশের লাঠি চলছে। কালোবাজারীরা মাঠে নেমে পড়েছে। কর্ণাটকে লক্ষ কোটি কৃষককে কৃষিঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। পেছনের দরজা দিয়ে সরকার গঠিত হয়েছিল। কিন্তু এতদিন পরও মাত্র ৮০০ জন কৃষকের ঋণ মকুব হয়েছে। আপনারা আমাকে বলুন, এ কেমন প্রতিশ্রুতি? এ কেমন ছিনিমিনি খেলা? কৃষকদের কিভাবে ধোকা দেওয়া হচ্ছে তা আপনারা বোঝার চেষ্টা করুন ভাই ও বোনেরা। ঋণ মকুব তো দূর, এখন সে সব কৃষকদের পুলিশি নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। তাঁদেরকে যেন তেন প্রকারেণ ঋণ শোধের জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। বন্ধুগণ, তাৎক্ষণিক রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশের সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব হয় না। ২০০৯-এর নির্বাচনের আগে কি হয়েছিল আপনারা তার সাক্ষী। তখনও তারা এমনই সারা দেশের কৃষকদের কৃষিঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আমি এখানে উপস্থিত কৃষকদের কাছে জানতে চাই, ২০০৯-এর নির্বাচনে জিতে এসে তৎকালীন সরকার কি আদৌ আপনাদের ঋণ মকুব করেছিল? আপনাদের ঋণ মকুব হয়েছিল? তাহলে এমন প্রতিশ্রুতি, এমন ললিপপকে কি আপনারা বিশ্বাস করবেন? মিথ্যাবাদী, ধোঁকাবাজদের বিশ্বাস করবেন? ভাই ও বোনেরা, আপনারা শুনে অবাক হবেন যে, তখন সারা দেশে কৃষিঋণ ছিল ৬ লক্ষ কোটি টাকা, আর মকুব হয়েছিল মাত্র ৬০ হাজার কোটি টাকা। এখন চিন্তা করুন ওরা কত বড় ধোঁকাবাজ! পরে, সিএজি-র রিপোর্ট থেকে জানা গেছে যে ঐ ৬০ হাজার কোটি টাকার সিংহভাগ এমন ৩৫ লক্ষ মানুষকে দেওয়া হয়েছে যারা কৃষকই নন। তারা কোনও কৃষিঋণও নেননি। আর যাঁদের সত্যি সত্যি মকুব হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে লক্ষাধিক কৃষক যথাসময়ে শংসাপত্র না পাওয়ায় তাঁদের অতিরিক্ত সুদের টাকা জমা দিতে হয়েছে। এরকম পাপ করে গেছে তারা। ভাই ও বোনেরা, তাদের পাপের ফলে ঐ কৃষকরা আবার ঋণ পাওয়ার অধিকার হারিয়েছে। অনেকে মদে চুর হয়ে নিজের ও পরিবারের সর্বনাশ ডেকে এনেছে। অন্যরা সুদখোর মহাজনদের থেকে অতিরিক্ত সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে। বন্ধুগণ, এভাবে তাঁদের ঘোষিত কৃষিঋণ মকুবের দ্বারা আর যাঁরাই লাভবান হন না কেন, দেশের কৃষকরা লাভবান হননি। সেজন্য আমার অনুরোধ, কংগ্রেসের এই মিথ্যা এবং বেইমানি থেকে সতর্ক থাকুন। মনে রাখবেন, কংগ্রেস সরকার স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাবগুলিও বাস্তবায়িত করে যায়নি। কৃষকদের বিনিয়োগের দেড়গুণ ন্যূনতম সমর্থন মূল্য প্রদানের জন্য স্বামীনাথন কমিশন যে সুপারিশ করেছিল তাকে কংগ্রেস সরকার বছরের পর বছর ধরে ঠান্ডাঘরে ফেলে রাখে। তারা যদি আজ থেকে ১১ বছর আগেই ঐ সুপারিশ হাতে পেয়ে মঞ্জুর করত এবং বাস্তবায়িত করত, আজও আমাদের অনেক কৃষক ভাই-বোনেদের ঋণের জন্য হা-পিত্যেশ করতে হত না। কিন্তু তাদের পাপ, তারা ঐ সুপারিশকে ফাইলচাপা দিয়ে রেখেছে, কৃষকদের ন্যূনতম সমর্থন মূল্যে বৃদ্ধি নিশ্চিত করেনি। কৃষকদের ঋণ বাড়তে থাকে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার সেই ফাইল খুঁজে বের করে এবং সুপারিশ অনুযায়ী ২২টি ফসলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সমর্থন মূল্য বিনিয়োগের দেড়গুণ নির্ধারিত করে। ভাই ও বোনেরা, এরকম অনেক ইতিবাচক কাজ আমরা বিগত সাড়ে চার বছর ধরে করে চলেছি। আমাদের সরকার ছোট কৃষকদের ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত করছে। বড় বাজার ও মান্ডিগুলিতে নতুন পরিকাঠামো, নতুন নতুন পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে মান্ডিগুলিকে আধুনিক করা হচ্ছে। নতুন নতুন হিমঘর, জেলা ফুড পার্কের শৃঙ্খলা গড়ে তোলা হচ্ছে। বন্ধুগণ, কৃষকদের ফসল থেকে শুরু করে শিল্পের জন্য জরুরি আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি, উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলে বিগত সাড়ে চার বছরে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য অনেক ক’টা প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আরও অনেক প্রকল্পেরকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের কাজও দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। গতবার আমি তরিঘাট রেল-রোড পুলের শিলান্যাস করতে গাজিপুরে এসেছিলাম। আমাকে বলা হয়েছে যে অতি শীঘ্রই ঐ সেতুর কাজ সম্পূর্ণ হবে। তখন গাজিপুরের মানুষ দিল্লি ও কলকাতা যাওয়ার পথ পাবেন। বন্ধুগণ, বিগত সাড়ে চার বছরে উত্তরপ্রদেশে রেল পরিষেবা অনেক উন্নত হয়েছে। স্টেশন আধুনিকীকরণ, রেললাইন দ্বিগুণ করা এবং বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ ছাড়াও অনেক নতুন ট্রেন চালু হয়েছে। গ্রামগুলিতে সড়কপথ, জাতীয় সড়ক ও এক্সপ্রেসওয়ে – এই সবক’টি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এই এলাকার চেহারাই বদলে যাবে। সম্প্রতি কলকাতা থেকে নদীপথে বারাণসী পর্যন্ত মালবাহী জাহাজ পরিবহণ চালু হয়েছে। গাজিপুরেও জেটি তৈরি হচ্ছে। এগুলি সব তৈরি হলে এই অঞ্চলের যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানও অবধারিতভাবে বৃদ্ধি পাবে। বন্ধুগণ, সুশাসন ও স্বায়ত্তশাসনের সঙ্কল্প নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, স্বচ্ছ ভারত অভিযান, উজ্জ্বলা যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত যোজনা, মুদ্রা যোজনা, সৌভাগ্য যোজনাগুলি সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নকে সুনিশ্চিত করছে। উন্নয়নের পঞ্চধারা – বাচ্চাদের লেখাপড়া, যুবকদের রোজগার, বয়স্কদের ওষুধ, কৃষকদের সেচ ব্যবস্থা আর প্রত্যেক নাগরিকের অভাব-অভিযোগ শুনে তাঁদের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে এগুলি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে। ভাই ও বোনেরা, আপনাদের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবনকে উন্নত করতে আপনাদের এই চৌকিদার অত্যন্ত সততার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছে। আপনারা এভাবেই নিজেদের বিশ্বাস ও আশীর্বাদ রাখুন। এই চৌকিদারের তৎপরতায় অনেক চোরের রাতের ঘুম উড়ে গেছে। আপনাদের আস্থা ও আশীর্বাদই একদিন এই চোরদের সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। আরেকবার আপনাদের নতুন মেডিকেল কলেজের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আরেকবার মহারাজা সুহেলদেও-এর মহান পরাক্রমকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। দু’দিন পর ২০১৯ শুরু হবে। সেজন্য আপনাদের অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। ভারত মাতার জয় … ভারত মাতার জয়। /",মহাৰাজা সুহলদেৱ স্মাৰক ডাক টিকট উন্মোচন আৰু গাজিপুৰত চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ৰ আধাৰশিলা স্থাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰী ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D/,"বন্ধুগণ, আমি কন্যাকুমারীতে আসতে পেরে আনন্দিত হয়েছি। আমি শ্রদ্ধেয় আম্মা, জয়ললিতাজি’র প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আমার বক্তব্য শুরু করতে চাই। তামিলনাড়ুর মানুষের জন্য তাঁর ভালো কাজ বহু প্রজন্ম ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তামিলনাড়ু সরকার তাঁর উন্নয়নের স্বপ্নপূরণে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে জেনে আমি সুখি হয়েছি। আমি অত্যন্ত গর্বিত যে, ভারতের প্রথম মহিলা প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলাজি তামিলনাড়ুর মানুষ। আমাদের অসম সাহসী উইং কমান্ডার অভিনন্দনও যে তামিলনাড়ুর মানুষ, তাঁর জন্য প্রত্যেক ভারতীয় গর্বিত। কয়েকদিন আগে এখানকার বিবেকানন্দ কেন্দ্র গান���ধী শান্তি পুরস্কার পেয়েছে, তাই আমি এই কেন্দ্রকে অভিনন্দন জানতে চাই। গোষ্ঠি উন্নয়নে এই কেন্দ্রের সেবা শুধু প্রশংসনীয় নয়, প্রেরণাদায়ক ও বটে। বন্ধুগণ, কিছুক্ষণ আগে আমরা সড়ক, রেল ও মহাসড়কের কয়েকটি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করেছি এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপন করেছি। আমি মাদুরাই ও চেন্নাই-এর মধ্যে দ্রুততম ট্রেন ‘তেজস’এর যাত্রার সূচনা করেছি। এটি অত্যন্ত আধুনিক এক ট্রেন এবং মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচীর সাফল্যের এক বড় উদাহরন। চেন্নাই-এর ইন্টিগ্র্যাল কোচ ফ্যাক্টরিতে ট্রেনটি তৈরি হয়েছে। রামেশ্বরম থেকে ধনুস্কোডি’র মধ্যে রেললাইনের ভিত্তিপ্রস্তরও আজ স্হাপন করা হয়েছে। এই রেলপথটি ১৯৬৪ সালে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্হ হয়। কিন্তু তারপর ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই লাইনটির দিকে কোনো নজর দেওয়া হয়নি। তবে একেবারে না হওয়ার থেকে দেরিতে হলেও ভালো। আপনারা শুনে খুশি হবেন যে একটি নতুন পাম্বান রেল সেতু নির্মাণ করা হবে। বন্ধুগণ, বর্তমানে ভারত বিশ্বের মধ্যে দ্রুততম বর্দ্ধনশীল এক বৃহৎ অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। ভারত রেকর্ডগুলিতে পরবর্তী প্রজন্মের পরিকাঠামো নির্মাণ করছে। আমরা বৃহত্তম স্টার্ট-আপ ব্যবস্হার দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। এছাড়া ভারতেই বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্হ্য পরিষেবা আয়ুষ্মান ভারত পরিচালিত হচ্ছে। বন্ধুগণ, একুশ শতকের ভারতকে দ্রুতগতিতে ও বড়ো মাপে কাজ করতে হবে। বর্তমান এনডিএ সরকার ঠিক সেই কাজই করে চলেছে। এই গত রবিবারই এ বছরের বাজেটে ঘোষিত প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। এই প্রকল্পে, অনুর্দ্ধ ৫ একর পর্যন্ত জমির মালিক কৃষকদের কেন্দ্রীয় সরকার তিনটি কিস্তিতে প্রতি বছর ৬ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেবে। ১ কোটি ১০ লক্ষের বেশি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই এই অর্থের প্রথম কিস্তি পাঠানো হয়েছে। আপনারা ভাবতে পারেন, পয়লা ফেব্রুয়ারী ঘোষিত একটি প্রকল্প এই মাসেই বাস্তবে পরিণত হয়েছে। আমরা ২৬ দিনের মধ্যে এই প্রকল্পটির সূচনা নিশ্চিত করতে ২৪ ঘন্টা নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছি। বন্ধুগণ, লিপ ইয়ার এবং ফুটবল বিশ্বকাপ প্রতি চার বছর অন্তর একবার আসে, অনুরূপভাবে কংগ্রেসের অসম্পূর্ণ ঋণ মকুবের ঘটনা নির্বাচনের আগে কেবলমাত্র একবার আসে। কৃষকদের জন্য কোনোকিছুই না করে শেষে তারা আসে এবং বলে আমরা তোমাদের ঋণ মকুব করে দেব। বাস্তবে কংগ্রেসের ঋণ মকুবের সিদ্ধান্তের ফলে কেবলমাত্র হাতে গোনা কিছু কৃষক উপকৃত হন। এনডিএ- সরকারের কিষাণ সম্মাননিধি কয়েক বছর পর ঘোষিত এই ধরনের কোনো প্রকল্প নয়। প্রতি বছর কৃষকদের সুবিধা দেওয়া হবে, এবং ১০ বছর ধরে প্রায় ৭.৫ লক্ষ কোটি টাকা কঠোর পরিশ্রমী কৃষকদের দেওয়া হতে পারে। যখন কোনো সরকার দ্রুততার সঙ্গে বড়মাপের কাজ করে, সেটা পরিস্কার দেখা যায়। বন্ধুগণ, মহান সন্ত তিরুভাল্লুভার বলেছেন, ‘যখন বিরল সুযোগ আসে, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিরল কাজ করো।’ ২০১৪ সালে ৩০ বছর পর একটি রাজনৈতিক দল আমাদের আইনসভায় সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এক্ষেত্রে জনসাধারণের সুস্পষ্ট বার্তা ছিল এমন এক সরকার তারা চায়, যা কঠোর এবং সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাবে। মানুষ বংশানুক্রমিক শাসন চায়নি, চিয়েছিল সততা। তারা ক্ষয় চায়নি, চেয়েছিল উন্নয়ন। মানুষ নীতিপঙ্গুতা চায়নি, চেয়েছিল অগ্রগতি। তারা প্রতিবন্ধকতা চায়নি, চেয়েছিল সুযোগ। মানুষ বন্ধ্যাত্ব চায়নি, চেয়েছিল নিরাপত্তা। মানুষ ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি চায়নি চেয়েছিল অন্তর্ভুক্ত আর্থিক বৃদ্ধি। ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’-এর নীতি দ্বারা পরিচালিত হয়ে এবং ১৩০ কোটি ভারতীয়ের সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এনডিএ সরকার জাতীয় স্বার্থে ঐতিহাসিক কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি কয়েকটি স্হানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের উদাহরণ তুলে ধরতে চাই। তামিলনাড়ু একটি উপকূলবর্তী রাজ্য যেখানে মৎস্য উৎপাদন ক্ষেত্র অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। বহুমৎস্যজীবী ভাই ও বোনেরা এক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। এনডিএ সরকার এরই প্রেক্ষিতে মৎস্য বিষয়ক একটি নতুন দপ্তর চালু করেছে। পূর্বতন সরকারগুলি ভোট চাওয়ার জন্য আপনাদের কাছে আসতো কিন্তু মৎস্যজীবীদের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের দেখানোর মত তেমন কিছু নেই। আমাদের মৎস্যজীবী ও মহিলাদের কিষান ক্রেডিট কার্ডের সুবিধাদানের ব্যবস্হা চালু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার তামিলনাড়ুতে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপযোগী জলযান নির্মাণের জন্য ৩০০ কোটি টাকা দিয়েছে। মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে কাজের সময় মহাকাশ থেকে সহায়তা পাচ্ছেন। ভারতীয় মহাকাশ গবেষনা সংস্হা- ইসরো-র সহায়তার আমরা মৎস্যজীবীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের তথ্যপ্রদানের উদ্দেশ্যে বিশেষ ধরনের যন্ত্রের ব্যবস্হা করেছি। এই যন্ত্র থেকে সমুদ্রের কোন অঞ্চলে মাছ পাওয়�� যেতে পারে, কেবলমাত্র সেই তথ্যই নয়, আবহাওয়া সংক্রান্ত সাবধানবানীও পাওয়া যায়। বন্ধুগণ, আমরা একথা বুঝতে পেরেছি যে, আমাদের মৎস্যজীবী ভাই-বোনেদের আয় বাড়াতে হলে, মৎস্য সংগ্রহ সংক্রান্ত পরিকাঠামোর উন্নতি করতে হবে। রামনাথপুরম জেলার মুকায়ুর মৎস্যবন্দর এবং নাগাপট্টিনম জেলার পাম্পুহার সমুদ্র বন্দরের নির্মাণকাল প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে। বন্ধুগণ, ভারত সরকার মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ বিষয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল। ২০১৪ সালের মে মাস থেকে নিরবচ্ছিন্ন কূটনৈতিক উদ্যোগের ফলে শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষের কাছে ১৯০০র বেশি মৎস্যজীবীকে মুক্ত করা হয়েছে। এনডিএ সরকার দেশের উপকূলবর্তী এলাকার জন্য যোগাযোগ ও উন্নয়ন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জোর দিয়ে কাজ করছে। এছাড়াও আমরা বন্দর উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে বন্দর কেন্দ্রিক উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করেছি। আরও নতুন নতুন বন্দর গড়ে তোলা হচ্ছে। পুরনো বন্দরগুলির কার্যক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাগরমালা প্রকল্পও আমাদের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গ। শুধুমাত্র বর্তমানের প্রয়োজন মেটানোই নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজনের কথা ভেবেও রূপায়ণ করা হচ্ছে এই প্রকল্পটি। বন্ধুগণ, এবার আমির প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাই। আমাদের প্রাক্তন সেনাকর্মীদের আর্শিবাদে আমরা ‘এক পদ এক পেনশন’এর সিদ্ধান্ত রূপায়ণ করেছি। এই কাজটিই করার প্রয়োজন ছিল। যারা বহু বছর ধরে দেশ শাসন করেছে, তাঁরা কখনই এক পদ এক পেনশন’ নিয়ে কোন চিন্তাভাবনাই করেনি। বন্ধুগণ, ভারত বহু বছর ধরে সন্ত্রাসবাদের সমস্যার মুখোমুখি হয়ে আছে। কিন্তু আগের থেকে বড় পার্থক্য হচ্ছে, সন্ত্রাসের সামনে ভারত এখন আর অসহায় নয়। ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার আমাদের দেশে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে। হায়দ্রাবাদ, আমেদাবাদ, জয়পুর, বেঙ্গালুরু, দিল্লী, মুম্বাই, পুনে এবং অন্যান্য জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। দেশ আশা করেছিল এইসব সন্ত্রাসমূলক কাজের জন্য যারা দায়ি, তারা শাস্তি পাবে। কিন্তু তেমন কিছু হয়নি। ‘২৬/১১’-র মতো সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে। ভারত আশা করেছিল সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া হবে। কিন্তু তা হয়নি। কিন্তু যখন উরি’র ঘটনা ঘটল, আপনারা দেখেছেন আমাদের সাহসী সৈন্যরা কি করেছেন। যাঁরা এইভাবে দেশের সেবা করছেন, তাঁদের আমি কুর্ণিশ জা��াই। তাঁদের অতন্দ্র সতর্কতাই দেশকে নিরাপদ রাখে। একটা সময় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল, আমাদের বিমানবাহিনী ‘২৬/১১’-র পর ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালাতে চায়। কিন্তু ইউপিএ সরকার তাতে বাধা দিয়েছিল। আজ আমরা সংবাদপত্রের কথায়- সশস্ত্র বাহিনীকে তাদের ইচ্ছামতো কাজের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি। সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদীদের প্রভাব বহুলাংশে খর্ব হয়েছে। এই প্রভাব আগামীদিনে আরও খর্ব হবে। এ এক নতুন ভারত। এ এক এমন ভারত, যে সন্ত্রাসবাদীদের কাজের ফলে ক্ষয়ক্ষতি সুদ সহ ফিরিয়ে দেবে। বন্ধুগণ, গত কয়েকদিনের ঘটনাবলী থেকে এটা পরিস্কার হয়েছে যে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষমতা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এইসব ঘটনা সমগ্র জাতিকে একত্রিত করে তুলেছে। যেভাবে সমগ্র জাতি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে, তা এক অসাধারণ ঘটনা। এরজন্য আমি প্রতিটি ভারতীয় কাছে মাথা নত করি। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, হাতে গোনা কয়েকটি রাজনৈতিক দল মোদীর প্রতি ঘৃণা বশতঃ, এমনকি ভারতকেও ঘৃণা করতে শুরু করেছে। অতএব এটা আশ্চর্যের নয় যে যখন সমগ্র জাতি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সমর্থন করছে তখন এইসব দল আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সন্দেহের চোখে দেখছে। সমগ্র বিশ্ব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইকে সমর্থন জানাচ্ছে। কিন্তু কয়েকটি রাজনৈতিক দল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইকে সন্দেহের চোখে দেখছে। এরা হচ্ছে সেইসব মানুষ, যাদের কথায় পাকিস্তানের সুবিধা হচ্ছে এবং ভারতের ক্ষতি হচ্ছে। এরা হচ্ছে সেইসব মানুষ, যাদের বক্তব্য পাকিস্তানের আইনসভায় এবং সেদেশের রেডিও-য় ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। আমি তাদের উদ্দেশে প্রশ্ন রাখতে চাই- আপনারা কি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সমর্থন করেন, নাকি সন্দেহ করেন ? তাদের বলে দেওয়া দরকার যে তারা কি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর কাজে আস্হা রাখে, নাকি আমাদের দেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদের সমর্থনকারীদের প্রতি আস্হা রাখে ? আমি এইসব দলকে বলতে চাই- মোদী হয়তো আসবে, হয়তো বা চলেও যাবে। কিন্তু ভারত চিরদিনের জন্য থাকবে। আপনাদের নিজস্ব রাজনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য অনুগ্রহ করে ভারতকে দুর্বল করার কাজ বন্ধ করুন। প্রতিরক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমরা প্রথমেই ভারতীয় এবং শেষেও একমাত্র ভারতীয়। আপনাদের রাজনীতি অপেক্ষা করতে পারে, কারণ আমাদের দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হচ্ছে। বন্ধুগণ, এবার একটু দ���র্নীতি এবং কালোটাকা নিয়ে কথা বলা যাক। ভারত এমন প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছে, যিনি বলেছেন- প্রতি ১ টাকায় মাত্র ১৫ পয়সা দরিদ্র্য মানুষের কাছে পৌঁছায়। ভারত এমন উদ্ধত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথা শুনেছে, যিনি বলেছেন-লক্ষ টাকার কেলেঙ্কারিতে ‘ক্ষতির পরিমাণ শূন্য’। কিছু মানুষ বলেন দূর্নীতি জীবনের অঙ্গ। একথা তাঁরা মানতে পারেন, কিন্তু আমি কখনই মানতে পারি না। এনডিএ সরকার দূর্নীতির বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে। ভূয়া কোম্পানীগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের ভূয়া প্রাপকদের অপসারণ করা হয়েছে। দূর্নীতিগ্রস্হদের এখন তাদের কাজের জন্য কৈফিয়ত দিতে হবে। বিখ্যাত পুর্নগণনা মন্ত্রী, যিনি মানুষের সঙ্গে দুর্বব্যহার করে গর্ব অনুভব করেন এবং মধ্যবিত্তদের অপমান করেন, তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের জন্য এখন জামিনের আবেদন করতে হয়েছে। যেমনটা তাঁর দলের প্রথম পরিবার জামিনের জন্য আবেদন করতে বাধ্য হয়েছেন। বন্ধুগণ, যখন আমরা দূর্নীতির বিরুদ্ধে কঠিন, কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, একইসঙ্গে আমরা সৎকরদাতাদের পুরস্কৃত করার ব্যবস্হাও নিয়েছি। ঠিক একমাস আগে বাজেটের সময় ঘোষনা করা হয়েছিল যে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ের জন্য কোনও আয়কর দিতে হবেনা। যারা দীর্ঘ সময় ধরে ভারতকে শাসন করে গেছে, তারা কি মধ্যবিত্তের জন্য চিন্তাভাবনা করেছে, অথবা তাদের জন্য কর ছাড়ের ব্যবস্হা করেছে ? বন্ধুগণ, বহু বছর ধরে কংগ্রেস এমন এক অর্থনৈতিক সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছে, যাতে বৃহৎ বংশগুলির বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরাই কেবলমাত্র উপকৃত হোত। সাধারণ মানুষের জন্য কোনও সুবিধা অথবা অর্থনৈতিক উন্নতির ব্যবস্হা ছিলনা। যদি কেউ কংগ্রেসের এই অর্থনৈতিক সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কথা বলে থাকেন, তিনি হলেন তামিলনাড়ুর বিখ্যাত সন্তান সি রাজাগোপালাচারি। আমরা সংস্কারমুখী এবং জনবান্ধব এক অর্থনীতি সৃষ্টি করে, রাজাজীর স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করছি। ‘সহজে ব্যবসার সুবিধা’ বিষয়ক সূচকে ভারতের স্হান ৬৫ ধাপ এগিয়েছে। ৪ বছর আগে আমরা এই সূচকে ১৪২তম স্হানে ছিলাম, বর্তমানে আমরা ৭৭তম স্হানে উঠে এসেছি। গত বছর অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পক্ষেত্রের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একগুচ্ছ সুযোগ-সুবিধার কথা ঘোষণা করেছে। বর্তমানে মাত্র ৫৯ মিনিটের মধ্যে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। এটি এমনকি এখান থেকে চেন্নাই পৌঁছানোর জন্য সময়ের থেকেও দ্রুতগামী। বন্ধুগণ, আমরা ভারতের যুব সম্প্রদায় ও তাদের প্রতিভার ওপর আস্হাশীল। এই কারণেই মুদ্রা যোজনার মতো কর্মসূচির সূচনা করে যুব ভারতের উদ্যোগের ধারণা যাতে ডানা মেলতে পারে তার ব্যবস্হা করেছে। মুদ্রা যোজনার আওতায় ১৫ কোটি মানুষ ইতিমধ্যেই ৭ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ঋণ পেয়েছে। এই যোজনার আওতায় তামিলনাড়ু অন্যতম শীর্ষস্হানীয় রাজ্য। বন্ধুগণ, আমাদের বিরোধীদের সামাজিক ন্যায়ের প্রতি কোনরূপ দায়বদ্ধতা নেই। কংগ্রেসের শাসনকালেই দলিত সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে নৃশংস অত্যাচার হয়েছে। কংগ্রেসই ডঃ বালাসাহেব আম্বেদকরকে একবার নয়, দু-দুবার হারানোর ব্যবস্হা করেছে। ৪০ বছর ধরে কংগ্রেস ডঃ আম্বেদকরকে ভারতরত্ন দেয়নি, এমনকি তাঁর প্রতিকৃতি সংসদের সেন্ট্রাল হলে রাখার ব্যবস্হা করেনি। বিজেপির সমর্থনে অ-কংগ্রেসী সরকার-ই এই কাজ করেছে। বন্ধুগণ, বর্তমান এনডিএ সরকার তপশীলি জাতি-উপজাতি আইনে কঠোরতম সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ন্যায় আমাদের কাছে এক বিশ্বাসের বস্তু, ভোটে জেতার জন্য কোনও শ্লোগান নয়। বন্ধুগণ, ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনের দুটি পৃথক ভাগ রয়েছে। আমাদের দিকটি শক্তি এবং স্হিতিশীলতার স্বপ্ন দেখায়। অন্যদিকে বিরোধীদের দিকটি দূর্বলতা এবং পরাজয়ের সম্ভাবনার কথা বলে। আমাদের নেতৃত্বের কর্মসংস্কৃতি সারা ভারত জুড়ে সুবিদিত। বিরোধীদের নেতৃত্বে রয়েছে এক ধরনের বিভ্রান্তি। দেশের পরবর্তী নেতা হিসেবে বিরোধীরা কোনও নাম এখনও পর্যন্ত দিতে পারেনি। ভারতের বিকাশের জন্য তাদের কোনও লক্ষ্য বা স্বপ্ন নেই। রেকর্ড পরিমানে দুর্নীতি থেকে বিরত রাখার জন্য তাদের কোনও লজ্জা নেই। ভারত ২০০৯ সালকে মনে রেখেছে। কিভাবে ডিএমকে এবং কংগ্রেস নির্বাচনের পর বিভিন্ন মন্ত্রীপদ বরাদ্দ করেছিল তাও মনে রেখেছে। সেইসময় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের নির্বাচন করেননি। জন পরিষেবার সঙ্গে সম্পর্ক বিহীন কিছু মানুষ মন্ত্রীদের নির্বাচন করেছিল। মন্ত্রী পদের জন্য এমনকি টেলিফোনে দর কষাকষি পর্যন্ত হয়েছিল। ‘মহা মিলাবট’ বা মহাভেজাল সরকার ব্যক্তিগত অহংকারের বশবর্তী হয়ে কাজ করবে এবং বংশানুক্রমিক উচ্চাকাঙ্খা মেটানোর উদ্যোগ নেবে। আমার একমাত্র পরিবার হচ্ছে, ১৩০ কোটি ভারতীয়। আমি তাদের জন্যই বেঁচে থাকবো, আবার তাদের জন্যই মৃত্যু বরণ করবো। আমি কোন��� বংশানুক্রমিক শাসনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে জনজীবনে আসিনি। আমি ভারতের বৃদ্ধির জন্য যতদূর পারি কাজ করার উদ্দেশ্যে এখানে এসেছি। আমি দরিদ্র্যদের মধ্যে দরিদ্র্যতম মানুষের স্বপ্ন পূরণের এক ভারত গড়ে তোলার জন্য আপনাদের জন্য সমর্থন এবং আর্শিবাদ প্রার্থনা করি। এতো বিরাট সংখ্যায় এই জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানায়। ভারত মাতার জয় !",কন্যাকুমাৰীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্ৰকল্প মুকলি কৰাৰ পিছত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার গুজরাটের আনন্দে আমূলের চকোলেট তৈরীর অত্যাধুনিক কারখানা সহ একাধিক আধুনিক মানের খাদ্য-প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্হার উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর চকোলেট কারখানা পরিদর্শনের সময় সেখানকার নানা প্রযুক্তি ও সামগ্রী সম্পর্কে তাঁকে জানানো হয়। আনন্দের বাসিন্দারা বিপুল সংখ্যায় অনুষ্ঠানে উপস্হিত থাকায় প্রধানমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি জানান, উন্নয়নমূলক নতুন এই প্রকল্পগুলি সমবায় ক্ষেত্রের জন্য খবুই উপযুক্ত। তিনি বলেন, আমূল ব্র্যান্ডটি সারা বিশ্বে সুপরিচিত এবং বিশ্বের সর্বত্র প্রেরণা যুগিয়েছে। আমূল কেবলমাত্র দুগ্ধজাত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণেরই সংস্হা নয়, আমূল ক্ষমতায়ণের আর্দশ মডেল। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে সমবায়গুলির মাধ্যমে সর্দার প্যাটেল এমন একটি পথ দেখিয়েছেন যার সম্বন্ধে সরকার বা শিপ্লপতিরা ভাবেননি। তিনি বলেন, আমূল একটি বিশেষ মডেল, যাতে সাধারণ মানুষের গুরুত্ব রয়েছে। গুজরাটের সমবায় ক্ষেত্রে নানা উদ্যোগ জনসাধারণের বিশেষ করে কৃষকদের সহায়ক হয়েছে। সর্দার প্যাটেল নগরোন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। আগামী ২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকীর প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করছে, তবে এক্ষেত্রে আরো উন্নতি সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উদ্ভাবন ও মূল্য সংযুক্তিকরণকে গুরুত্ব দেওয়ার সময় এসেছে। এই সূত্রে প্রধানমন্ত্রী মধু উৎপাদনের উল্লেখ করেন। /",আনন্দত আধুনিক খাদ্য প্রস্তুতকৰণ ব্যৱস্থাৰ উদ্বোধন কৰিলে প্রধানমন্ত্রীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0-20/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A7%AA%E0%A7%AA%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95/,"নমস্কার! ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আবার একবার আপনাদের সবার সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, নৌসেনার ছয়জন মহিলা কম্যাণ্ডারের একটি দল গত কয়েক মাস ধরে সমুদ্রসফর করছিল। যার নাম ‘নাবিকা সাগর পরিক্রমা’। এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই। ভারতের এই ছয় কন্যার দল ২৫০ দিনেরও বেশি ‘আই-এন-এস-ভি তারিনী’র মাধ্যমে পুরো বিশ্ব ঘুরে গত ২১-শে মে ভারতে ফিরে এসেছে এবং সারা দেশ তাঁদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছে। বিভিন্ন মহাসাগর এবং কয়েকটি সমুদ্রযাত্রা করে প্রায় ২২,০০০ নটিক্যাল দূরত্ব অতিক্রম করেছে। এটি সারা বিশ্বেই একটি নজীর বিহীন ঘটনা। গত বুধবার, এই কন্যাদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার, তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা শোনার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি আরেকবার এই কন্যাদের দুঃসাহসিক কাজের জন্য, নৌসেনার খ্যাতি বাড়ানোর জন্য, ভারতের সম্মান বৃদ্ধির জন্য এবং বিশেষ করে ভারতের কন্যারা কোনও অংশেই কম নয় — বিশ্বের দরবারে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি। ‘সেন্স অফ অ্যাডভেঞ্চার’-এর কথা কে না জানে। যদি আমরা মানবজাতির প্রগতির দিকে দেখি, তবে দেখব, কোনও না কোনও দুঃসাহসিক কাজের মধ্যেই প্রগতির উদ্ভাবন ঘটেছে। আসলে প্রগতি দুঃসাহসিক কাজের মধ্যেই জন্ম নেয়। প্রথার বাইরে গিয়ে কিছু অসাধারণ কাজ করে দেখানোর অদম্য ইচ্ছে — এই ভাবনার মানুষ হয়ত কম, কিন্তু যুগ যুগ ধরে কোটি কোটি মানুষকে তা অনুপ্রাণিত করে এসেছে। আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন, গত কয়েকদিনে মাউণ্ট এভারেস্ট-জয়ী মানুষদের সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। শতাব্দী ধরে মাউণ্ট এভারেস্ট মানবজাতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে এবং সাহসী মানুষ সেই চ্যালেঞ্জ স্বীকারও করেছে। ১৬-ই মে মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরের একটি আশ্রম-বিদ্যালয়ের পাঁচজন আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রী — মনীষা ধুরবে, প্রমেশ আলে, উমাকান্ত মঢবি, কবিদাস কাতমোড়ে এবং বিকাশ সোয়াম — এরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করেছে। ২০১৭ সালের অগাস্ট মাস থেকে ওয়ার্ধা, হায়দ্রাবাদ, দার্জিলিং এবং লে-লাদাখে এদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। ‘মিশন শৌর্য’-য় এদের নির্বাচন করা হয়েছিল। এবং নামের সার্থকতা রেখে এভারেস্ট জয় করে এরা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। আমি চন্দ্রপুর স্কুলের এই ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। সম্প্রতি ষোলো বছরের শিবাঙ্গী পাঠক সবচেয়ে কনিষ্ঠ ভারতীয় মহিলা হিসেবে নেপালের দিক থেকে এভারেস্ট জয় করেছে। কন্যা শিবাঙ্গীকে অনেক অনেক অভিনন্দন! অজিত বাজাজ এবং তাঁর কন্যা দিয়া এভারেস্ট জয়ী প্রথম পিতা-পুত্রীর জুটি। শুধু যুবপ্রজন্মই এভারেস্ট জয় করছেন তা নয়, গত ১৯-শে মে পঞ্চাশোর্ধ্ব শ্রীমতী সঙ্গীতা বেহল-ও এভারেস্ট জয় করেছেন। এভারেস্ট আরোহীদের মধ্যে কয়েকজন এমনও আছেন যাঁরা শুধু দক্ষই নন, অনুভূতিপ্রবণও। কিছুদিন আগে ‘স্বচ্ছ গঙ্গা অভিযান’-এর অন্তর্ভুক্ত কার্যক্রমে",প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ৪৪সংখ্যক মন কী বাতৰ লিখিত ৰূপ (২৭.০৫.২০১৮) +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%9A%E0%A7%8C%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%AA-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B1%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,"নয়াদিল্লী, ০১ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী চৌঠা জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের ভীমাভরম এবং গুজরাটের গান্ধীনগর সফর করবেন। তিনি সকাল ১১টায় ভীমাভরমে কিংবদন্তী স্বাধীনতা সংগ্রামী আল্লুরি সীতারাম রাজুর বর্ষব্যাপী ১২৫তম জন্মবার্ষিকীর সূচনা করবেন। এরপর বিকেল ৪.৩০ মিনিটে শ্রী মোদী গান্ধীনগরে ডিজিটাল ভারত সপ্তাহ ২০২২এর উদ্বোধন করবেন। ভীমাভরমে প্রধানমন্ত্রী আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং দেশজুড়ে সকলের কাছে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রচার করছে। এই উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী অন্ধ্রপ্রদেশের ভীমাবরমে কিংবদন্তী স্বাধীনতা সংগ্রামী আল্লুরি সীতারাম রাজুর বর্ষব্যাপি ১২৫তম জন্মবার্ষিকীর সূচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রী আল্লুরি সীতারাম রাজুর ৩০ ফুট দীর্ঘ একটি ব্রোঞ্জের আবরণও উন্মোচন করবেন। ১৯৫৭ সালের চৌঠা জুলাই আল্লুরি সীতারাম রাজু জন্মগ্রহণ করেন। পূর্বঘাট পার্বত্য অঞ্চলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য তাঁর সংগ্রামের কথা চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। ১৯২২ সালে তাঁর নেতৃত্বে রাম্পা বিদ্রোহ অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় জনসাধারণ রাজুকে ‘মান্যম বীরুডু’ (জঙ্গলের নায়ক) হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বর্ষব্যাপী উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ভিজিয়ানাগ্রাম জেলায় পান্ড্রাঙ্গীতে আল্লুরি সীতারাম রাজুর জন্মস্থান এবং চিন্তাপল্লী থানার পুনর্নিমাণ করা হবে। রাম্পা বিদ্রোহের শতবার্ষিকী উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে থানার পুনর্নিমাণ হবে। বিদ্রোহীরা রাম্পা বিদ্রোহের সময় এই থানা আক্রমন করে তাঁদের আন্দোলনের সূচনা করেন। কেন্দ্র মোগাল্লুতে আল্লুরি ধ্যান মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এখানে ধ্যানমুদ্রায় আল্লুরি সীতারাম রাজুর একটি প্রতিকৃতি থাকবে। এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবনগাঁথা ম্যুরাল চিত্রকলা এবং কৃত্রিম মেধাযুক্ত মতবিনিময় ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হবে। গান্ধীনগরে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ভারত সপ্তাহ ২০২২এর উদ্বোধন করবেন। ডিজিটাল ভারত সপ্তাহ ২০২২এর মূল ভাবনা নতুন ভারতের টেকেড-এর অনুঘটন। প্রযুক্তি, স্ট্রিমলাইনের মাধ্যমে পরিষেবা প্রদানের সাহায্যে সহজ জীবনযাত্রা এবং স্টার্টআপকে উৎসাহিত করতে শ্রী মোদী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ডিজিটাল উদ্যোগের সূচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ইন্ডিয়া ভাষিনীর সূচনা করবেন। কন্ঠ ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা ছাড়াও এর সাহায্যে বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় ডিজিটাল পরিষেবা পাওয়া যাবে এবং নানা ভাষায় ইন্টারনেট ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এর সাহায্যে ভারতীয় ভাষায় বিষয়বস্তু রচনা করা সম্ভব হবে। বহুভাষিক তথ্য ভান্ডার গড়ে তোলার জন্য কৃত্রিম মেধাভিত্তিক ভাষা সংক্রান্ত এই প্রযুক্তি ভারতীয় ভাষার মাধ্যমে ব্যবহারে সুবিধা হবে। ভাষাদান উদ্যোগের মাধ্যমে ডিজিটাল ভারতীয় ভাষিনী নাগরিকদের তথ্য ভান্ডার গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। প্রধানমন্ত্রী উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন উদ্ভাবনী স্টার্টআপকে সাহায্য করতে ডিজিটাল ইন্ডিয়া জেনেসিসের-ও সূচনা করবেন। এই জাতীয় প্রযুক্তি ভিত্তিক স্টার্টআপ ব্যবস্থাপনায় দেশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের শহরগুলিতে নতুন শিল্পোদ্যোগকে সাহায্য করবে এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের জন্য ২৭৫ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। শ্রী মোদী আধার, ইউপিআই, ডিজি লকার, কো-উইন টিকা মঞ্চ, সরকারি বৈদ্যুতিন বাজার (জেম), দীক্ষা প্ল্যাটফর্ম এবং আয়ুষ্মান ভ��রত ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের মতো বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে যথাযথ উপস্থাপনের জন্য ইন্ডিয়া স্ট্যাক.গ্লোবাল-এর সূচনা করবেন। এরফলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভারত আগামী দিনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। অন্যান্য যেসব দেশ এই ধরণের প্রকল্পগুলির সন্ধান করছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে তারা উপকৃত হবে। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সন্ধান পেতে মাই স্কিম জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এই পরিষেবার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলির সন্ধান পাবেন। শ্রী মোদী মেরি পেহচান প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। ন্যাশনাল সিঙ্গেল সাইন অন দ্য এনএসএসও পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় স্বীকৃতি দেবে। এখানে একটি জায়গাতেই ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অনলাইনে আবেদন জানাতে পারবে। শ্রী মোদী চিপ টু স্টার্টআপ (সিটুএস) কর্মসূচির জন্য বিশেষ সহায়তা প্রকল্পে প্রথম ৩০টি সংস্থার নাম ঘোষণা করবেন। সিটুএস কর্মসূচির মাধ্যমে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও গবেষণা স্তরে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষিতরা সেমি কন্ডাক্টর তৈরিতে স্টার্টআপ সংস্থাগুলিকে সাহায্য করবেন এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলির বিকাশে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবেন। প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দানের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে দেশের সেমিকন্ডাক্টর মিশন বাস্তবায়িত হবে, যার ফলে দেশজুড়ে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন শিল্পের প্রসার ঘটবে। গান্ধীনগরে চৌঠা থেকে ৬ জুলাই ডিজিটাল ইন্ডিয়া সপ্তাহ ২০২২এর মূল কর্মসূচি উদযাপিত হবে। আধার, ইউপিআই, কো-উইন, ডিজিলকার ইত্যাদির মতো ব্যবস্থাপনা নাগরিকদের সহজ জীবনযাত্রাকে নিশ্চিত করতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তা এই কর্মসূচির মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া বার্ষিকীও এই কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হবে। আন্তর্জাতিক স্তরে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের দক্ষতা তুলে ধরার ফলে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে নানা কর্মসূচির বাস্তবায়ন এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচলার সুযোগ এর মাধ্যমে গড়ে উঠবে। এছাড়াও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের বিভিন্ন সুযোগের কথা তুলে ধরা হবে। এ��� কর্মসূচিতে প্রথম সারির সরকারি প্রতিষ্ঠান, শিল্পসংস্থা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও নতুন শিল্পোদ্যোগ বা স্টার্টআপ সংস্থাগুলিও অংশ নেবে। সহজ জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার প্রদর্শনের জন্য একটি ডিজিটাল মেলার আয়োজন করা হবে, যেখানে ভারতীয় স্টার্টআপ এবং ইউনিকর্নগুলি ২০০টির বেশি স্টল দেবে। ডিজিটাল ভারত সপ্তাহ উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে ৭-৯ জুলাই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ইন্ডিয়া স্ট্যাক নলেজ এক্সচেঞ্জ কর্মসূচি উদযাপিত হবে।",৪ জুলাইত ভীমাৱৰাম আৰু গান্ধীনগৰ ভ্ৰমণ কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE-4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%89%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE-3/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বুধবারের (২৬ সেপ্টেম্বর) বৈঠকে ভারত ও উজবেকিস্তানের মধ্যে কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এই চুক্তিতে দু’দেশের মধ্যে কৃষি সংক্রান্ত আইনকানুন, পণ্যমান এবং উভয় দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পণ্যদ্রব্য বিষয়ে তথ্য বিনিময়ের কথা রয়েছে। এছাড়া, উজবেকিস্তানে দু’দেশের যৌথ উদ্যোগে একটি কৃষি প্রকল্পগুচ্ছ স্থাপন, শস্য উৎপাদন এবং এই ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনার জন্য অভিজ্ঞতা বিনিময়, আধুনিক প্রযুক্তি-ভিত্তিক বীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও দু’দেশের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়, বীজের শংসাপত্র, দু’দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই বীজ ব্যবহার সংক্রান্ত আইনকানুন এবং সুবিধাজনক শর্তে বীজের নমুনা বিনিময়ের কথাও এই চুক্তিতে রয়েছে। জল ব্যবহারে, বিশেষ করে সেচের জল ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রযুক্তির প্রয়োগ, জেনেটিক্স, গাছের প্রজনন, জৈব প্রযুক্তি, বৃক্ষ সুরক্ষা, মাটির উৎপাদনশীলতা সংরক্ষণ, কৃষি কাজের যন্ত্রায়ন, জলের উৎস সংরক্ষণ প্রভৃতি বিষয়ও এই চুক্তিতে রয়েছে। অন্যদিকে, বৃক্ষ পৃথকীকরণের ক্ষেত্রে সহযোগিতা, পশুপালন, প্রাণী স্বাস্থ্য, পোল্ট্রি, জিনোমিক্স-এর ক্ষেত্রে তথ্য বিনিময়, কৃষি এবং খাদ্যপণ্যের ব্যবসার ক্ষেত্রে সহযোগিতা, উভয় দেশের মধ্যে যৌথ উদ্যোগে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে তোলা এবং উভয় দেশের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে স্থি��� হওয়া যে কোন বিষয়ে সহযোগিতার কথাও এই চুক্তিতে রয়েছে। উভয় দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি যৌথ কর্মীগোষ্ঠী গড়ে তুলে তাদের হাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হবে। চুক্তি রূপায়ণের ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধান এবং রূপায়ণের কাজে নজরদারি চালানোর দায়িত্বও এই কর্মীগোষ্ঠীর হাতে থাকবে। প্রতি দু’বছর বাদে বাদে এই কর্মীগোষ্ঠী ভারত এবং উজবেকিস্তানে বৈঠকে বসবে। পাঁচ বছরের জন্য এই চুক্তিটি কার্যকর থাকবে এবং প্রতি পাঁচ বছর অন্তর স্বয়ংক্রিয়ভাবে এর পুনর্নবীকরণ হবে। তবে, যে কোন দেশ এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে, আগে থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তার ছ’মাসের মধ্যে চুক্তিটি বাতিল করা যাবে।",ভাৰত আৰু উজবেকিস্তানৰ মাজত কৃষি আৰু ইয়াৰ প্ৰায়োগিক ক্ষেত্ৰত সহযোগিতাৰ লক্ষ্যৰে চুক্তি স্বাক্ষৰৰ প্রস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%AB%E0%A7%8C%E0%A6%9C-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%AB/,"আমার মন্ত্রী পরিষদের সহযোগী, মহেশ শর্মা মহোদয়, আজাদ হিন্দ ফৌজের সদস্য এবং দেশের বীর সন্তান শ্রদ্ধেয় লালটি রাম মহোদয়, সুভাষবাবুর ভাইপো ভাই চন্দ্রকুমার বসু মহোদয়, ব্রিগেডিয়ার আর এস চিকারা মহোদয় এবং এখানে উপস্থিত প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলির প্রাক্তন আধিকারিকবৃন্দ, অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, ভাই ও বোনেরা, আজ ২১শে অক্টোবর একটি ঐতিহাসিক দিন। আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান বলে মনে করি। আজ থেকে ৭৫ বছর আগে যেখানে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ‘ভিক্টরি প্যারেড’-এর স্বপ্ন দেখেছিলেন – এটি সেই লালকেল্লা। আজাদ হিন্দ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী রূপে শপথ নিয়ে নেতাজী ঘোষণা করেছিলেন যে, একদিন এই লালকেল্লায় অত্যন্ত গৌরবের সঙ্গে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা উত্তোলিত হবে। এই আজাদ হিন্দ সরকার ছিল অখন্ড ভারতের স্বপ্নের সরকার। আমি দেশবাসীদের আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। বন্ধুগণ, নিজের লক্ষ্যের প্রতি যে ব্যক্তির দূরদৃষ্টি এত স্পষ্ট ছিল, সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য তিনি সর্বস্ব উৎসর্গ করেছিলেন। এমন মানুষের স্মৃতি প্রজন্মের পর প্রজন্মকাল ধরে মানুষের প্রেরণা যুগিয়ে যাবে। আমি প্রণাম জানাই সেই মাতাপিতাকে যাঁরা নেতাজীর মতো সুপ���ত্রকে জন্ম দিয়েছেন। প্রণাম জানাই সেই মাতাপিতাদের, যাঁরা দেশের জন্য উৎসর্গীকৃত প্রাণ বীর-বীরাঙ্গনাদের জন্ম দিয়েছিলেন। আমি নত মস্তকে সেই অসংখ্য সৈনিক এবং তাঁদের পরিবাগবর্গকে প্রণাম জানাই, যাঁরা স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজেদের সর্বস্ব উৎসর্গ করেছিলেন। আমি সারা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা সেই ভারতবাসীদের প্রণাম জানাই। নেতাজীর এই অভিযানে তন-মন-ধন দিয়ে সহযোগিতা করেছেন এবং স্বাধীন, সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী ভারত গড়তে নিজেদের বহুমূল্য অবদান রেখেছেন। বন্ধুগণ, এই আজাদ হিন্দ সরকার নেতাজীর নেতৃত্বে সমস্ত ক্ষেত্রের জন্য নিজেদের পরিকল্পনা-মাফিক কাজ শুরু করেছিল। নিজস্ব ব্যাঙ্ক, নিজস্ব মুদ্রা, ডাকটিকিট এবং স্বতন্ত্র গুপ্তচর বাহিনী। দেশের বাইরে থেকে সীমিত সম্পদ নিয়ে একটি শক্তিশালী সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে এত ব্যাপক ব্যবস্থা বিকশিত করা একটি অসাধারণ ব্যাপার ছিল, যা আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনকে একটি শক্তিশালী পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছিল। নেতাজী এমন একটি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অসংখ্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলেন, যে সরকারের সাম্রাজ্যে কখনও সূর্য অস্ত যেতো না। নেতাজীর লেখা বইগুলি পড়লে জানা যায় যে, কিভাবে ছোটবেলা থেকেই তাঁর মনে এই শ্রেষ্ঠ বীর হয়ে ওঠার ভিত গড়ে উঠেছিল। আজ থেকে ১০৬ বছর আগে ১৯১২ সাল নাগাদ তিনি তাঁর মা-কে চিঠিতে যে কথা লিখেছিলেন, সেখানে পরাধীন ভারতের দুর্দশা, পরাধীনতার যন্ত্রণা ফুটে উঠেছিল। তখন তাঁর বয়স ১৫-১৬ বছরের বেশি ছিল না। কয়েক শতাব্দীর পরাধীনতা দেশকে যেরকম জর্জর করে তুলেছিল, তার যন্ত্রণা তিনি মায়ের কাছে চিঠিতে লিখে প্রশ্ন করেছিলেন যে, মা আমাদের দেশের কি ভবিষ্যতে আরও অবনতি ঘটবে? এই দুঃখিনী ভারতমায়ের এমন কোনও সন্তান জন্মাবেন না, যিনি নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে সারা জীবন দেশের সেবায় সমর্পণ করবেন! বল মা, আমরা আর কতদিন ঘুমিয়ে থাকব? ভাই ও বোনেরা, সেই চিঠিতেই তিনি মায়ের কাছে রাখা প্রশ্নগুলির উত্তরও দিয়েছিলেন। তিনি মা-কে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, এখন আর প্রতীক্ষা সম্ভব নয়, আর ঘুমিয়ে থাকার সময় নেই। এখন নিজেদের জড়তা কাটিয়ে জেগে উঠতে হবে, আলস্য ত্যাগ করতে হবে এবং কর্মে ডুবে যেতে হবে। নিজের অন্তরের এই তীব্র ইচ্ছা কিশোর সুভাষ-কে নেতাজী সুভাষ করে গড়ে তুলেছিল। নেতাজীর একটাই উদ্দেশ্য ছিল, একটাই লক্ষ্য ছিল – ভারতের স্বাধীনতা। মা ভারত-কে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা – এটাই ছিল তাঁর ভাবধারা এবং কর্ম ক্ষেত্র। তাঁকে নিজেদের জীবনের এই লক্ষ্য স্থির করতে এবং নিজের অস্তিত্ব সমর্পণের মন্ত্র তিনি স্বামী বিবেকানন্দ এবং তাঁর শিক্ষা থেকে নিয়েছেন – আত্মনো মোক্ষার্দম জগত হিতায় চ – অর্থাৎ জগতের সেবাতেই মুক্তির পথ উন্মোচিত হয়। তাঁর দর্শনের প্রধান ভিত্তি ছিল জগতের সেবা। দেশ সেবার এই মনোভাব থেকেই তিনি সমস্ত কষ্ট সহ্য করে, সমস্ত বাধা অতিক্রম করে, সমস্ত ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে গেছেন। ভাই ও বোনেরা, সুভাষবাবু এমনই সৈনিক ছিলেন, যিনি সময়ের সঙ্গে নিজেকে পরিবর্তন করেছেন এবং লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে গেছেন। সেজন্য তিনি আগে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে কংগ্রেসে থেকে দেশের মধ্যেই স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু করেছিলেন। কিন্তু পরে, পরিস্থিতি অনুযায়ী সশস্ত্র সংগ্রামের পথ বেছে নেন। তাঁর এই আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বন্ধুগণ, সুভাষবাবু যেভাবে বিশ্ব সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন, তার সুফল শুধু ভারত নয়, অন্যান্য দেশও পেয়েছে। সেই সময় পৃথিবীর যতগুলি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম চলছিল সর্বত্রই তিনি একটি প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। তিনি মনে করতেন কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। আমরাও সংগঠিত হতে পারি, ইংরেজদের প্রতিস্পর্ধা জানাতে পারি, আমরাও স্বাধীন হতে পারি। দক্ষিণ আফ্রিকার মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী ও পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতি ভারতরত্ন নেলসন ম্যান্ডেলা মহোদয় বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদানের সময় তিনিও সুভাষবাবুকেই নেতা মনে করতেন, হিরো মনে করতেন। ভাই ও বোনেরা, আজ আমরা আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫তম বর্ষ পালন করছি। আর চার বছর পর ২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি পালন করব। আজ থেকে ৭৫ বছর আগে নেতাজী শপথ গ্রহণের সময় এমন এক ভারত নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যেখানে সকলের সমান অধিকার ও সুযোগ থাকবে। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দেশের প্রাচীন ঐতিহ্য থেকে প্রেরণা নিয়ে আরও সমৃদ্ধ ও সুখী ভারত নির্মাণ করবেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দেশের ভারসাম্যযুক্ত উন্নয়ন এবং প্রতিটি ক্ষেত্রের বিকাশ। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ‘বিভাজন কর আর শাসন কর’ নীতিকে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলতে হবে। কারণ, এই ‘বিভাজন কর আর শাসন কর’ নীতিই ভারতকে কয়েক শতাব্দীকাল পরাধীন ���েখেছে। আজ স্বাধীনতার এত বছর পরও নেতাজীর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। ভারত অনেক পা এগিয়েছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত নতুন উচ্চতায় পৌঁছানো বাকি রয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য আজ ভারতের ১২৫ কোটি মানুষ নতুন ভারতের সংকল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে। একটি এমন নতুন ভারত, যার কল্পনা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু করেছিলেন। আজ যখন অনেক বিধ্বংসী শক্তি দেশকে ভেতর ও বাইরে থেকে আক্রমণ করে আমাদের স্বাধীনতা, ঐক্য এবং সংবিধানকে আঘাত হানছে, ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের এটা কর্তব্য – নেতাজী থেকে প্রেরণা গ্রহণ করে সেই অশুভ শক্তিগুলির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা, তাদের পরাভূত করা এবং দেশের উন্নয়নে নিজেদের সম্পূর্ণ অবদান রাখার সংকল্প গ্রহণ করা। কিন্তু বন্ধুগণ, এই সংকল্পগুলির পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হ’ল – জাতীয়তা বোধ। এই লালকেল্লায় আয়োজিত বিচারসভায় আজাদ হিন্দ সৈন্য শাহনওয়াজ খান বলেছিলেন যে, সুভাষ চন্দ্র বসুই প্রথম ব্যক্তি যিনি তাঁর মনে স্বাধীন ভারতের নাগরিক হওয়ার স্পৃহা জাগিয়ে তুলেছিল। কোন্‌ পরিস্থিতিতে শাহনওয়াজ খান একথা বলেছিলেন? ভারতকে একজন ভারতীয়র দৃষ্টিতে দেখার কী প্রয়োজন ছিল? এটা আজ যখন আমরা দেশের পরিস্থিতি দেখি, তখন আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি। বন্ধুগণ, সুভাষবাবু নিজের কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে বলেছিলেন যে, ভারতীয়দের ইংল্যান্ডের চশমা পরিয়ে ইউরোপ দর্শন করানো হয়। কারণ সেখানে গ্রেট ব্রিটেনের বড় অস্তিত্ব রয়েছে। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীনতার পরও ভারত আর এদেশের ব্যবস্থার রচয়িতারা ভারতকেও ইংল্যান্ডের চশমা দিয়ে দেখেছিলেন। এই অদূরদর্শিতার জন্য আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের ঐতিহ্যশালী ভাষাগুলি, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও পাঠ্যক্রমকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। আজ আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কয়েক দশক যদি সুভাষবাবু এবং সর্দার প্যাটেলের মতো ব্যক্তিত্বদের নেতৃত্বে দেশ চলতো, তা হলে দেশকে দেখার জন্য এ ধরণের বিদেশি চশমার প্রয়োজন হ’ত না এবং পরিস্থিতি অনেক ভিন্ন হ’ত। বন্ধুগণ, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, একটি পরিবারকে বড় দেখানোর জন্য দেশের অনেক সুপুত্র – তা তিনি সর্দার প্যাটেলই হন বা বাবাসাহেব আম্বেদকর কিংবা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, এদের অবদানকে বিস্মৃত করার অনেক প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। এখন আমাদের সরকার পরিস্থিতির বদল ঘটা���্ছে। আপনারা সবাই হয়তো জানেন যে, এখানে আসার আগে আমি জাতির উদ্দেশে রাষ্ট্রীয় পুলিশ স্মারক উৎসর্গ অনুষ্ঠান থেকে আসছি। সেখানে আমি নেতাজী সুভাশ চন্দ্র বসুর নামে একটি রাষ্ট্রীয় সম্মান চালু করার কথা ঘোষণা করেছি। আমাদের দেশে যখন প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়, তখন বিপর্যয় মোকাবিলা, ত্রাণ ও পুনর্বাসনে অন্যদের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েন যে বীরেরা, তাঁদেরই মধ্যে শ্রেষ্ঠ পুলিশ কর্মীদের প্রতি বছর নেতাজীর নামে একটি সম্মান প্রদান করা হবে। দেশের শৌর্য বৃদ্ধির জন্য আমাদের পুলিশের জওয়ান ও আধা সামরিক বাহিনীর সৈনিকরা এই সম্মান পাবেন। বন্ধুগণ, দেশের ভারসাম্যযুক্ত উন্নয়ন সমাজে প্রত্যেক স্তরের প্রত্যেক ব্যক্তিকে রাষ্ট্র নির্মাণের সুযোগ প্রদান, দেশের উন্নয়নে তাঁদের ভূমিকাকে সম্মান জানানো, নেতাজীর বিস্তারিত দৃষ্টিভঙ্গীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আজাদ হিন্দ সরকার পূর্ব ভারতকে স্বাধীনতার গেটওয়ে করে তুলেছিল। ১৯৪৪ সালের এপ্রিল মাসে কর্ণেল সৌকম মলিকের নেতৃত্বে মণিপুরের মোয়রাং-এ আজাদ হিন্দ ফৌজ ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করেছিল। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যে উত্তর-পূর্ব তথা পূর্ব ভারতের এত গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য যে স্বাধীনতার পর সেই পূর্ব ভারত উন্নয়ন দিক থেকে পিছিয়ে পড়ল। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, সুভাষ চন্দ্র বসু যেভাবে পূর্ব ভারতের গুরুত্বকে বুঝেছিলেন, তেমনই স্বাধীনতার এত বছর পর বর্তমান সরকার পূর্ব ভারতের গুরুত্বকে অনুধাবন করে সুপরিকল্পিতভাবে নিজেদের পূর্বমুখী উন্নয়ন যাত্রাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ভাই ও বোনেরা, আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করি যে, দেশের জন্য নেতাজী যা রেখে গেছেন, তাকে দেশের সামনে তুলে ধরা এবং তাঁর প্রদর্শিত পথে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আমি পেয়েছি। সেজন্য আজকের এই অনুষ্ঠানে আসার নিমন্ত্রণ পেয়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে নেতাজীর প্রদর্শিত পথে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা মনে পড়ে যায়। বন্ধুগণ, আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন ২০০৯ সালে কংগ্রেসের ঐতিহাসিক হরিপুরা অধিবেশন নিয়ে একটি পুনর্নির্মাণ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অধিবেশনে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল এবং গুজরাটের জনগণ যেভাবে সুভাষ চন্দ্র বসুকে কংগ্রেসের অধ্যক্ষ নির্বাচিত হওয়ার পর মোষের গাড়িতে চড়িয়ে অনে�� বড় শোভাযাত্রা বের করেছিলেন, তেমনই একটি শোভাযাত্রাও পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল। আমরা বিরোধী দলের লোক হয়েও ইতিহাসকে অবিকৃত রাখতে কংগ্রেসের অধিবেশনের স্মৃতিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার জন্য যাঁরা আত্মোৎসর্গ করেছিলেন, এটা তাঁদের সৌভাগ্য ছিল। কিন্তু আমরা সেই সুযোগ পাইনি। আমাদের সবার দেশের জন্য বেঁচে থাকা, উন্নয়নের জন্য আত্মোৎসর্গ করার পথ খোলা রয়েছে। ১২৫ কোটি ভারতবাসীর সামনে এই স্বাধীনতা থেকে সুশাসনের প্রক্রিয়া জারি রাখার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। নেতাজী বলেছিলেন, ‘অস্ত্রের শক্তি আর রক্তের মূল্যে তোমাদের স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তারপর যখন ভারত স্বাধীন হবে তখন দেশের জন্য স্থায়ী সেনা গড়ে তুলতে হবে, যাঁদের কাজ হবে আমাদের স্বাধীনতাকে চিরকাল রক্ষা করা’। আজ আমি বলতে পারি যে, ভারত এমনই এক সেনা দল গড়ে তোলার পথে এগিয়ে চলেছে, যেমনটি নেতাজী স্বপ্ন দেখেছিলেন। উৎসাহ ও উদ্দীপনা আমাদের সৈন্যদের প্রধান শক্তি। এখন এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং আধুনিক সমরাস্ত্র। আমাদের সৈনাবাহিনীর শক্তি সর্বদাই আত্মরক্ষার জন্য গড়ে তোলা এবং ভবিষ্যতেও তাই থাকবে। আমাদের কখনই অন্যের মাটির প্রতি কোনও লোভ ছিল না। কিন্তু সহস্রাব্দীর ইতিহাস সাক্ষী যখনই কোনও শক্তি ভারতের স্বাধীনতা হরণ করতে চেয়েছে, তখনই তারা তার যথাযথ জবাব পেয়েছে। বন্ধুগণ, আমরা গত চার বছরে সেনাবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধির জন্য, বীর সৈনিকদের জীবনকে সহজ করে তোলা এবং সৈন্য ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অনেক বড় ও কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সার্জিকাল স্ট্রাইক থেকে শুরু করে নেতাজি সংক্রান্ত ফাইলগুলিকে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্তের মতো এমনই অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। এখানে উপস্থিত অনেক অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক এর সাক্ষী যে বিগত কয়েক দশক ধরে তাঁদের যে ‘এক পদ, এক পেনশন’-এর দাবিপুরণ নিয়ে নানা টালবাহানা চলছিল আমরা সরকারের দায়িত্ব নিয়ে প্রতিশ্রুতিমতো তাঁদের সেই দাবি পূরণ করেছি। শুধু তাই নয়, প্রায় ১১,০০০ কোটি টাকা ‘এরিয়ার’-ও তাঁরা পেয়েছেন। এর দ্বারা লক্ষ লক্ষ অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক উপকৃত হয়েছেন। পাশাপাশি, বেতন কমিশনের সুপারিশে তাঁদের যে পেনশন নির্ধারিত হয়েছে, তা-ও ‘এক পদ, এক পেনশন’ চালু হওয়ার পর প্রথম পেনশন ভিত্তি করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া, আজকের সৈনিকদের শৌর্য সম্পর্কে যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারে, সেজন্য ন্যাশনাল ওয়ার মিউজিয়াম গঠনের কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বন্ধুগণ, আগামীকাল ২২ অক্টোবর রানী ঝাঁসি রেজিমেন্টেরও ৭৫ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। সশস্ত্র সেনায় মহিলাদের সমান অংশীদারিত্বের ভিত্তিও নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুই স্থাপন করে গেছেন। দেশের প্রথম সশস্ত্র মহিলা রেজিমেন্ট ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতি সুভাষবাবুর অগাধ বিশ্বাসের পরিণাম ছিল। সমস্ত বিরোধীদের সমালোচনা অগ্রাহ্য করে তিনি মহিলা সৈনিকদের সেলামী গ্রহণ করেছিলেন। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে, নেতাজী যে কাজ ৭৫ বছর আগে শুরু করেছিলেন, তার সদর্থক বাস্তবায়ন বর্তমান সরকারই করেছে। গত ১৫ আগস্ট আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকে একটি বড় ঘোষণা করেছি, সেটি হ’ল – শর্ট সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিযুক্ত মহিলা আধিকারিকদের তাঁদের পুরুষ সমকক্ষদের মতোই একটি স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্থায়ী কমিশন প্রদান করা হবে। বন্ধুগণ, এটা সরকারের বিগত চার বছরের বিভিন্ন সদর্থক পদক্ষেপের অগ্রগতি মাত্র। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ভারতীয় নৌ-বাহিনীকে মহিলাদের পাইলট নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিছুদিন আগেই নৌ-বাহিনীর ৬ জন বীরাঙ্গনা আধিকারিক সাত সমুদ্র জয় করে ভারতের নারী শক্তির পরিচয় বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছে। এছাড়া, দেশের প্রথম মহিলা ফাইটার পাইলট নিয়োগের প্রক্রিয়াও বর্তমান সরকারের আমলেই হয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, স্বাধীন ভারতে প্রথমবার সশস্ত্র সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার দায়িত্ব দেশের প্রথম মহিলা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রীমতী সীতারমন-কে প্রদান করা হয়েছে। বন্ধুগণ, আজ আপনাদের সকলের সহযোগিতায় সশস্ত্র সেনা দলের দক্ষতা এবং শৌর্যে দেশ সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ, সক্ষম ও উন্নয়নের পথে সঠিক লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আরেকবার আপনাদের সবাইকে, সমগ্র দেশবাসীকে এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। দেশের ঐক্য, অখন্ডতা এবং আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য আমাদের এই যাত্রা সর্বদা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর আশীর্বাদ ধন্য হয়ে থাকুক – এই কামনা নিয়ে আপনারা সবাই আমার সঙ্গে বলুন – ভারতমাতা কী – জয় ভারতমাতা কী – জয় ভারতমাতা কী – জয় বন্দে – মাতরম্‌ বন্দে – মাতরম্‌ বন্দে – মাতরম্‌ অনেক অনেক ধন্যবাদ।",লালকিল্লাত ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’ৰ ৭৫সং��্যক বৰ্ষপূৰ্তিৰ স্মাৰক অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A3-%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A3-%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%B1/,"দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি শ্রী সিরিল রামাফোসা, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কর্পোরেট জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা, ভদ্রমহোদয় ও মহোদয়াগণ, নমস্কার! ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা বাণিজ্য ফোরামে আপনাদের সকলের সঙ্গে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার মাননীয় রাষ্ট্রপতিকে পেয়ে আমরা সম্মানিত। এটা খুবই আনন্দের বিষয় যে আমরা আপনাকে আগামীকাল আমাদের ৭০তম সাধারণতন্ত্র দিবসের শোভাযাত্রায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে পাচ্ছি। আমাদের অংশীদারিত্ব ইতিহাসের এক অটুট বন্ধন। এই অটুট বন্ধনের সঙ্গে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় আন্দোলনের যোগসূত্র রয়েছে। বর্তমানে আমাদের অংশীদারিত্ব এক অভিন্ন ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার সঙ্গে যুক্ত যা, মাদিবা ও মহাত্মার স্বপ্নগুলির বাস্তবায়ন ঘটায়। আমাদের দুই দেশের মানুষের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আমরা আরও বেশি সহযোগিতা ও সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সূচনা ২২ বছর আগে লালকেল্লা ঘোষণাপত্র থেকে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, পুরনো দুই বন্ধু ও অংশীদার দেশের মধ্যে নিরন্তর আলাপ-আলোচনা প্রায় সব ক্ষেত্রেই আমাদেরকে আরও কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলির পাশাপাশি আরও নিবিড় সহযোগিতা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ব্যাপারে আমাদের অঙ্গীকারগুলির প্রতি আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সাম্প্রতিক সময়ে দুই পুরনো বন্ধুর মধ্যে অগ্রগতির ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন ক্রমশ বাড়ছে। ২০১৭-১৮-তে লেনদেনের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। বাণিজ্যিক লেনদেনের বৃদ্ধিতে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা বাণিজ্য শীর্ষ সম্মেলন এবং ভারতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বাণিজ্য ফোরাম কার্যকর ভূমিকা নিয়েছে। অবশ্য, বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রে আরও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমি ভারতীয় ও দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের সংস্থাগুলিকে লগ্নি বাড়ানোর ব্যাপারে একযোগে কাজ করার লক্ষ্যে এবং প্রকৃত সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে আহ্বান জ���নাই। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ভাইব্র্যান্ট গুজরাট সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছি। গত সপ্তাহে আয়োজিত ভাইব্র্যান্ট গুজরাট সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিরা বিপুল সংখ্যায় যোগ দিয়েছিলেন। এবারের সম্মেলনে ‘আফ্রিকা দিবস’ নামে পৃথক একটি দিন ধার্য ছিল। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের এই গভীরতা আমরা সাধারণভাবে যা অনুভব করি তার থেকে অনেক বেশি। আমাদের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বও অত্যন্ত নিবিড়। আপনারা সকলেই জানেন বর্তমানে ভারতের অর্থ ব্যবস্থা ২.৬ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বিশ্বের দ্রুততম বিকাশশীল প্রধান অর্থনীতিগুলির অন্যতম একটি। আমরা বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে ওঠার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি। সহজে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল বাতাবরণ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সর্বশেষ প্রতিবেদনে ভারত বিগত চার বছরে ৬৫ ধাপ উন্নতি করে ৭৭তম স্থানে পৌঁছেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের অন্য একটি সংস্থার তালিকায় ভারত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যতম আকর্ষণীয় দেশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু এসব সত্ত্বেও আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা প্রায়শই অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও সংস্কারের কাজ করে চলেছি। মেক ইন ইন্ডিয়া, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, ও স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়ার মতো আমাদের বিশেষ কর্মসূচিগুলি বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আমরা এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, থ্রিডি প্রিন্টিং, রোবোটিক্সের মতো উদ্ভাবনমূলক প্রযুক্তির বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের সরকার ১৩০ কোটি মানুষের জীবনযাপনের মানোন্নয়নে নিরন্তর কাজ করে চলেছে। আমরা আগামী প্রজন্মের পরিকাঠামো সহ এক নতুন ভারত গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই নতুন ভারতে গতি, দক্ষতা ও নতুন মানদণ্ড নিরূপণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এক নতুন দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্নকে সাকার করতে ২০১৮-তে আপনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের সূচনা করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে আপনার প্রয়াসগুলির আমরা সাফল্য কামনা করি। আগামী তিন বছরে ১০ লক্ষের বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে তোলার যে উদ্যোগ আপনি নিয়েছেন, আমি তার সাফল্য কামনা করি। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের বিনিয়োগ ক্রমশ বাড়ছে। ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ফলে সেখা���ে ২০ হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। মৈত্রী দেশ হিসেবে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে নীতিগত সংস্কার ক্ষেত্রে তার অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারলে খুশি হবে। সে দেশে ভারতীয় সংস্থাগুলির বিনিয়োগ আরও বাড়াতে আমরা উৎসাহ দিচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস রয়েছে যে, দক্ষিণ আফ্রিকার আরও বেশি সংস্থা ভারতের বাজারে সামিল হবে। নতুন ভারত গড়ে তোলার যে উদ্যোগ আমরা নিয়েছি, সে ব্যাপারে আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই নতুন ভারতে বিশেষ করে, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, খনন, প্রতিরক্ষা, আর্থিক প্রযুক্তি, বিমা ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা থাকবে। একইভাবে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে নতুন শিল্প স্থাপন, স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও ওষুধ শিল্প, জৈব প্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহী। সম্প্রতি চালু হওয়া গান্ধী ম্যান্ডেলা দক্ষতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার দক্ষতা প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে অংশীদার হয়ে উঠতে পেরে আমরা আনন্দিত। দক্ষতা প্রশিক্ষণের এই উদ্যোগে সে দেশের যুবসম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন ঘটবে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে রত্নালঙ্কার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা গড়ে উঠতে পারে। সরাসরি হীরে সংগ্রহের ব্যাপারে দুই দেশ নতুন নতুন পন্থা-পদ্ধতি খুঁজে বের করতে পারে। হীরে সংগ্রহ ব্যবস্থায় পারস্পরিক এই উদ্যোগ, দুই দেশের ক্রেতা-বিক্রেতাদের খরচ সাশ্রয় করবে। আন্তর্জাতিক সৌর জোটের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতের নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করতে পারে। ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের জন্য ভিসা ব্যবস্থার নিয়মনীতিতে সরলীকরণ এবং সরাসরি যোগাযোগ দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। একইসঙ্গে, মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়বে। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা অংশীদারিত্বের এমন অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, যা এখনও কাজে লাগানো যায়নি। আমাদের দুই দেশের মানুষের স্বার্থে অভিন্ন অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করতে আমরা একযোগে কাজ করতে পারি। আপনার এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেক সুযোগ তৈরি করে দেবে। অভিন্ন এই উদ্যোগগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ। ধন্যবাদ। অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",ভাৰত-দক্ষিণ আফ্ৰিকা ব্যৱসায়িক মঞ্চত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%A8/,"ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মহামান্য বেঞ্জামিননেতানিয়াহু, ভারত ও ইজরায়েলের শিল্পপতিগণ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ| আমারদেশের প্রত্যেক নাগরিকের পক্ষ থেকে আমি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং ইজরায়েলের প্রতিনিধিবর্গকেস্বাগত জানাই| আমি দু ’দেশের সি.ই.ও.-দেরসঙ্গে উপস্থিত হতে পেরে আনন্দিত| প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং আমি দ্বিপাক্ষিকসি.ই.ও. ফোরামের মাধ্যমে ভারতীয় ও ইজরায়েলের শিল্পপতিদের সঙ্গে একটা ফলপ্রসূআলোচনা সমাপ্ত করলাম| এই আলোচনা এবং গত বছর শুরু হওয়া সি.ই.ও. ’দের অংশীদারিত্ব নিয়ে আমি বিশেষভাবে আশাবাদী| বন্ধুগণ! ইজরায়েলএবং সে দেশের নাগরিকদের প্রতি আমার সবসময়ই একটা গভীর অনুভুতি রয়েছে| গুজরাটেরমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি ২০০৬ সালে ইজরায়েল সফরে গিয়েছিলাম| আবার গত বছর জুলাইমাসে আমি ইজরায়েল সফর করেছি, ভারত থেকে এটা ছিল এ ধরনের প্রথম সফর| সেটা একবিশেষ সফর ছিল| আমি অত্যন্ত কাছে থেকে ইজরায়েলের পরিচালনাকারী উদ্ভাবনা, উদ্যোগ ওঅধ্যবসায়ের অভিজ্ঞতা লাভ করেছি| গত কয়েক বছর ধরে নতুন শক্তি ও উদ্যমের জন্য আমাদেরসম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত হয়েছে| যা আমাদের মধ্যেকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতেসহায়তা করবে| ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যেকার সম্পর্কের এক নতুন দিগন্তের সন্নিকটে আমরাদাঁড়িয়ে রয়েছি, যে সম্পর্ক দু ’দেশেরমানুষের এবং তাদের জীবনযাত্রার উন্নয়নের জন্য পারস্পরিক সুযোগের দ্বারা পরিচালিত| আমাদেরএই সম্পর্কের রূপান্তরের জন্য বাণিজ্য ও শিল্পের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ|আপনাদের যৌথ প্রচেষ্টাই আমাদের আলোচনা ও বাস্তব সাফল্যে সঠিক মূল্য যুক্ত করবে|ভারতীয় অর্থনীতিতে গতি নিয়ে আসা এবং আমাদের জন্য ইজরায়েলের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিরপ্রাসঙ্গিকতার ক্ষেত্রে আমরা সম্মিলিতভাবে সীমাহীন বিষয় অর্জন করতে পারি| বন্ধুগণ! আমিআনন্দিত যে, আজ আমরা ‘ভারত-ইজরায়েল শিল্পগবেষণা ও উন্নয়ন এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনা তহবিল (আই.ফোর এফ.) ’-এরঅধীনে একমাত্র যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন (আর. এন্ড ডি.) প্রকল্পের সূচনা করেছি| গতজুলাই মাসে আমি যখন ইজরায়েল সফরে গিয়েছিলাম, তখন এর ঘোষণা হয়ে��িল| আগামী পাঁচ বছরধরে ব্যবহারের এই তহবিল মূলত বাণিজ্যিকভাবে পরিবর্তিত করা যেতে পারে এমন আধুনিকপ্রযুক্তিগত সমাধানে দু ’দেশের প্রতিভাকে একসঙ্গে সম্মিলিতকরার ক্ষেত্রে একটি প্রাথমিক সুযোগ| এইমঞ্চকে ব্যবহারের জন্য আমি দু ’দেশেরউদ্যোগীদের বিশেষভাবে উত্সাহিত করছি| তাছাড়া ‘ডাটাঅ্যানালিসিস ’ ও ‘সাইবার স্পেসসিকিউরিটি ’র মতো ক্ষেত্রে যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পেরমাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত বিনিময়ের বিষয়ও সমান উদ্দীপনাপূর্ণ| আমিআনন্দের সঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, ভারতে আগামী জুলাই মাসে (২০১৮) ভারত-ইজরায়েলউদ্ভাবনা ও প্রযুক্তি কনক্লেভ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে| আমি আশা করি এই কনক্লেভ নতুনপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতাপূর্ণ উন্নয়নকে অনুপ্রাণিত করবে| তবে বাস্তবে এরপ্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে যাবে আগামী বুধবার থেকে শুরু হওয়া ‘আই.ক্রিয়েট ’ অনুষ্ঠান থেকেই| এইক্যাম্পাসের উদ্বোধনের জন্য আমরা দু ’জনেই গুজরাট যাচ্ছি| যেক্যাম্পাসকে একটি উদ্ভাবনী কেন্দ্র হিসেবে উন্নত করা হচ্ছে| বন্ধুগণ! আমিপ্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে গুজরাটের গ্রামীণ এলাকায় নিয়ে যাচ্ছি| কেননা সাধারণমানুষকে সুবিধা প্রদানের মধ্যেই প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনার প্রকৃত শক্তি নিহিত রয়েছে|উদ্ভাবনা ও চর্চার এক অনন্য পরিবেশে স্টার্ট-আপ নেশন হিসেবে ইজরায়েল গোটা বিশ্বেপরিচিত| ইজরায়েলের উদ্যোগীদের জন্যই এই স্বীকৃতি সম্ভব হয়েছে| আপনারা ইজরায়েলকেএকটা শক্তিশালী, স্থায়ী ও উদ্ভাবনী অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তুলেছেন| আপনারা ৮০ লক্ষমানুষের দেশকে প্রযুক্তির এক বৈশ্বিক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছেন| এটাজল-ক্ষেত্রের প্রযুক্তিই হোক বা কৃষি প্রযুক্তি হোক, অথবা খাদ্য উত্পাদন, এরপ্রক্রিয়াকরণ বা সংরক্ষণই হোক, ইজরায়েল এসবের অগ্রগতি ও নতুন পথ নির্মাণেরক্ষেত্রে একটা উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে আছে| ভূমি, জল ও অন্তরীক্ষে আপনাদের ব্যবহারিকবা ভার্চুয়াল সুরক্ষার প্রযুক্তি প্রশংসা কুড়িয়েছে| মূলত, জলের ক্ষেত্রেঘাটতিপূর্ণ ভারতের একটি রাজ্য থেকে উঠে আসায় আমি বাস্তবিকভাবেই ইজরায়েলেরজল-দক্ষতার প্রশংসা করছি| বন্ধুগণ! ভারতে বড়আকারের পাশাপাশি ক্ষুদ্র পর্যায়ের ক্ষেত্রেও আমরা গত তিন বছর ধরে দৃঢ় পদক্ষেপগ্রহণ করছি, যাতে পরিবর্তন নিয়ে আসা যায়| আমাদের মূল ভাব হচ্ছে: সংস্কার, সম্পাদনও রূপান্তর| এর ফলেদ্বিমুখী ফলা��ল পাওয়া যাচ্ছে| একদিকে আমাদের প্রক্রিয়া, প্রণালী ও নিয়মকে বিশ্বেরসেরার সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া হচ্ছে| অন্যদিকে আমরা দ্রুত প্রবৃদ্ধির গতিকে বজায় রাখতেপারছি| পরিকাঠামোক্ষেত্রে বিশেষ সংস্কার সত্বেও আমরা দ্রুততম ক্রমবর্ধমান প্রধান অর্থনীতিগুলিরমধ্যে রয়েছি| প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এখন সর্বকালের মধ্যেবেশি| যুব অংশকে দক্ষ করে তোলা ও তাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করাহচ্ছে| আমাদের জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের নীচে এবং তারা প্রযুক্তি-নির্ভরপ্রবৃদ্ধির জন্য আগ্রহী| এটাআমাদের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি বিশেষ সুযোগও| সেজন্য আমরা ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া ’ অভিযানের সূচনাকরেছি| এক্ষেত্রে ভারত ও ইজরায়েলের অংশীদারিত্বের বিশেষ সম্ভাবনা রয়েছে|ভারত-ইজরায়েলের উদ্ভাবনা-সেতু দুই পক্ষেরই ‘স্টার্ট-আপ ’র ক্ষেত্রে সংযোগ হিসেবে কাজ করবে| ভারতের শিল্প, স্টার্ট-আপ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশাল জ্ঞান সংগ্রহ করার জন্য ইজরায়েলের এইসব ক্ষেত্রের সঙ্গেসহযোগী হওয়া উচিত বলে আমি বলে আসছি|","ভাৰত-ইজৰাইল ব্যৱসায়িক সন্মিলনত প্ৰধানমন্ত্ৰী বক্তব্য (১৫ জানুৱাৰী, ২০১৮)" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B-22/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%A4-%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ০৮ অগাস্ট, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরুষদের বক্সিং-এ ৯২+ কেজি বিভাগে রৌপ্য পদক জয়ী সাগর আহলাওয়াত’কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “সাগর আহলাওয়াত দারুন লড়াই করেছেন! কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বক্সিং-এ রৌপ্য পদক জয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন। এই প্রতিযোগিতায় ভারতের চালিকাশক্তির মধ্যে তিনি অন্যতম। তাঁর সাফল্য তরুণ প্রজন্মের বক্সারদের অনুপ্রাণিত করবে। আগামী দিনেও তিনি দেশকে গর্বিত করবেন – এই কামনাই করি। #Cheer4India""।",‘চিডব্লিউজি’-ত বক্সিং-ত ৰূপৰ পদক জয়ৰ বাবে সাগৰ আহলাৱাটক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ অভিনন্দন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A7%80%E0%A6%97/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A7%80%E0%A6%B8%E0%A6%AE/,"প্রধ���নমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংবিধানের ৩৪০ধারারআওতায় অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী (ওবিসি)-কে বিভিন্নভাবে ভাগ করার বিষয়টিপরীক্ষা করে দেখার জন্য একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাবে আজ সম্মতি দেওয়া হয়। কমিশনেরচেয়ারম্যান পদে নিয়োগের ১২ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হবে।নতুন এই কমিশনপরিচিতহবে ‘অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীগুলিকে বিভিন্ন ভাগে চিহ্নিত করার জন্য কমিশন’ হিসেবে । সংরক্ষণেরপ্রশ্নে অনগ্রসর শ্রেণী এবং সম্প্রদায়গুলির মধ্যে ফারাক বা বৈষম্যের বিষয়টি খতিয়েদেখা হবে কমিশনের পক্ষ থেকে। এজন্য ওবিসি সম্পর্কিত কেন্দ্রীয় তালিকাটি অনুসরণ করাহবে। ওবিসি-দের বিভিন্ন ভাগে চিহ্নিত করার ব্যবস্থা গড়ে তোলার সুপারিশ পেশ করা হবেকমিশনের অন্যতম কাজ। প্রসঙ্গতউল্লেখ্য, ১৯৯২-এর ১৬ নভেম্বরের এক আদেশে শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছিল যে কোন রাজ্যযদি সেখানকার অনগ্রসর শ্রেণীগুলির মধ্যে ভাগ বা পুনর্বিন্যাস প্রয়োজন বলে মনে করেতাহলে সেই কাজে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনরকম সাংবিধানিক বা আইনি বিধি-নিষেধ নেই।অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, পুদুচেরি, কর্ণাটক, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ,বিহার, মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ু ইতিমধ্যেই অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীগুলির ভাগ ওপুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে । /",অন্যান্য পিছপৰা শ্রেণীসমূহৰ বিভাজনৰ বিষয়টো পৰীক্ষা কৰাৰ বাবে আয়োগ গঠনৰ প্রস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%97/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল তিন দিনের গুজরাট সফরে যাচ্ছেন। সফরকালে তিনি গান্ধীনগর, আমেদাবাদ ও হাজিরা যাবেন। গান্ধীনগরে মহাত্মা মন্দির প্রদর্শনী তথা সম্মেলন কেন্দ্রে প্রথম অনুষ্ঠানে আগামীকাল শ্রী মোদী ভাইব্রান্ট গুজরাট গ্লোবাল ট্রেড শো – এর উদ্বোধন করবেন। এই ট্রেড শো-তে ২৫টির বেশি শিল্প ও ব্যবসায়িক সংস্থা অংশ নিচ্ছে। সেদিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী আমেদাবাদে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল চিকিৎসা-বিজ্ঞান ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন। আমেদাবাদ পৌর নিগমের পক্ষ থেকে গড়ে তোলা এই সুপার স্পেশালিটি প���বলিক হাসপাতালটিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সহ যাবতীয় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও সর্বাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা দানের বন্দোবস্ত রয়েছে। ৭৮ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটি দক্ষতা, আধুনিকতা ও সাফল্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের সঙ্গে সাযুজ্য বজায় রেখে এই হাসপাতালটির যাবতীয় কাজকর্ম কাগজ বিহীন উপায়ে পরিচালিত হবে। এর ফলে, সাধারণ মানুষ ব্যাপক লাভবান হবেন এবং আয়ুষ্মান ভারতের স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী এই হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধাগুলি পরিদর্শন করবেন এবং এক জনসভায় ভাষণ দেবেন। পরে, সন্ধ্যায় শ্রী মোদী আমেদাবাদ শপিং ফেস্টিভ্যাল, ২০১৯ উদ্বোধন করবেন। ভাইব্রান্ট গুজরাট শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি, এই শপিবং ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হচ্ছে। শপিং ফেস্টিভ্যালে শ্রী মোদী একটি ম্যাসকট উদ্বোধন করবেন। ভারতে এ ধরণের শপিং ফেস্টিভ্যালের আয়োজন এই প্রথম। আমেদাবাদ শহরের সংস্থাগুলি তাদের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী এই ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শনের সুযোগ পাবে। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এক জনসভাতেও ভাষণ দেবেন। পরদিন ১৮ তারিখ (শুক্রবার) প্রধানমন্ত্রী গান্ধীনগরে মহাত্মা মন্দির প্রদর্শনী তথা সম্মেলন কেন্দ্রে নবম ভাইব্রান্ট গুজরাট শীর্ষ সম্মেলনের সূচনা করবেন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন শ্রী মোদী ২০০৩ সালে প্রথম এ ধরণের সম্মেলন আয়োজন করেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল – বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্য হিসাবে গুজরাটকে তুলে ধরা। এই শীর্ষ সম্মেলন বিশ্ব জুড়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, জ্ঞান আদান-প্রদান এবং কার্যকর অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার মতো বিষয়গুলি নিয়ে এক উপযুক্ত মঞ্চ প্রদান করবে। প্রধানমন্ত্রী শনিবার (১৯ জানুয়ারি) হাজিরা যাবেন। সেখানে তিনি হাজিরা বন্দুক কারখানা স্থাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। হাজিরা থেকে শ্রী মোদী দাদরা ও নগর হাভেলির সিলভাসা যাবেন। সেখানে তিনি একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করবেন। সফরের শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী মুম্বাই যাবেন। মুম্বাইয়ে শ্রী মোদী ভারতীয় চলচ্চিত্রের জাতীয় সংগ্রহালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন।",ভাইব্ৰেণ্ট গুজৰাট সন্মিলন ২০১৯ ৰ বাবে কাইলৈ গুজৰাটত উপস্থিত হ’ব প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%AC-%E0%A7%AB/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%98%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9F/,"ভারতীয় বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ৬.৫৬২৮ একর জমিকেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের অনুকূলে হস্তান্তরের বিষয়টিতে আজ এখানে অনুমোদন দেওয়াহয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেঅনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। হস্তান্তরিত এই জমি ব্যবহার করা হবে বিদ্যালয় ভবনগড়ে তোলার কাজে। এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট কিছু পরিকাঠামো প্রসারের কাজেও এই জমিকে কাজেলাগানো হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই জমিটি বছরে মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে লিজেরভিত্তিতে হস্তান্তরের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের উপযোগী পরিকাঠামো গড়ে তোলারদায়িত্ব কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের। এজন্য তাদের নিজস্ব তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ করাহবে বলে হস্তান্তরের চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কানপুরের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়টি ১৯৮৫-র আগস্ট থেকেইঅস্থায়ীভাবে একটি ব্যারাকের মধ্যে থেকে কাজ করে চলেছে। এর ফলে, প্রয়োজনীয়পরিকাঠামো প্রসারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম অসুবিধা দেখা দিয়েছে । তাছাড়া, ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধিপাওয়ায় স্থানাভাবও বিশেষ প্রকট হয়ে ওঠে এই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়টিতে। এই সমস্তঅসুবিধা দূর করার লক্ষ্যেই জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব পেশ করা হয় কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভার কাছে। জমি হস্তান্তর সম্পর্কিত যাবতীয় কাজকর্ম আগামী দু’মাসের মধ্যে সম্পূর্ণকরার কথা বলা হয়েছে ঐ প্রস্তাবটিতে। /",কানপুৰ বিমান বাহিনী ঘাঁটিত কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংস্থানৰ গৃহ নিৰ্মাণৰ উদ্দেশ্যে প্রতিৰক্ষা মন্ত্ৰালয়ৰ ৬.৫৬২৮ একৰ ভূমি হস্তান্তৰৰ প্রস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A7%80-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A7%80%E0%A7%B0/,"অন্যান্য অনগ্রসরশ্রেণীগুলিকে কেন্দ্রীয় তালিকার বিভিন্ন পর্যায়ে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি পরীক্ষা করেদেখার জন্য এ সম্পর্কিত কমিশনের কার্যকালের মেয়াদ ২৭ মার্চ, ২০১৮ তারিখের পরেও আরও১২ সপ্তাহের জন্য বাড়ানোর একটি প্রস্তাব আজ অনুমোদিত হল প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এর ফলে, কমিশনেরমেয়াদ আগামী ২০ জুন, ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,সংবিধানের ৩৪০ নম্বর অনুচ্ছেদের আওতায় রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে কমিশন গঠিত হয় ২অক্টোবর, ২০১৭ তারিখে। বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) শ্রীমতী জি রোহিনীর নেতৃত্বে কমিশনেরকাজ শুরু হয় ঐ বছরের ১১ অক্টোবর তারিখ থেকে। কমিশন গঠনের পরপরই দেশের সবক’টি রাজ্যও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর বিভিন্ন পর্যায় সম্পর্কেআলোচনা ও মতবিনিময়ের কাজ শুরু করা হয়। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীভুক্ত প্রার্থীদেরশিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার প্রসার নিশ্চিত করতেই এই বিশেষউদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।",অন্যান্য পিছপৰা শ্রেণীৰ কেন্দ্রীয় তালিকাৰ বিভিন্ন পর্যায়ত অন্তর্ভুক্তিৰ বিষয়টো বিশেষভাৱে পৰীক্ষা কৰাৰ লক্ষ্যৰে গঠন কৰা আয়োগৰ ম্যাদ আৰু ১২ সপ্তাহৰ বাবে বৃদ্ধিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%97/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%95/,"জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর একবার্তায় ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করে তোলারআহ্বান জানিয়েছেন দেশের বৈধ ভোটদাতাদের উদ্দেশে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন : “জাতীয় ভোটার দিবসে প্রত্যেককেই অভিনন্দন জানাই। অভিনন্দন জানাই ভারতেরনির্বাচন কমিশনকেও। এই দিনটিতেই প্রতিষ্ঠা হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের। আমি দেশের বৈধ সকল ভোটদাতাদের বিশেষত, তরুণ ও যুবকদের আহ্বান জানাই তাঁদেরনাম ভোটার তালিকায় নথিভুক্তির মাধ্যমে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে আমাদের গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য। একটি ভোটের ক্ষমতাঅপরিসীম”।",ৰাষ্ট্ৰীয় ভোটাৰ দিৱসত সকলো যোগ্য ভোটাৰক নিজৰ নাম পঞ্জীয়ন কৰি ভোটাধিকাৰ সাব্যস্ত কৰিবলৈ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ আহ্বান +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%95-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%95-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A6%A4-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%A6-2/,"শিক্ষক দিবসে ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ��িক্ষক সম্প্রদায়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষকরা যে কেবলমাত্র অনুপ্রেরণা যোগান তাই নয়, তাঁরা শিক্ষাদান করেন এবং আলো ছড়ান। দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষকদের উদ্দেশে এক ই-মেল বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শিশুদের জীবনে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, শিক্ষকরা যে মূল্যবোধ শিশুদের শেখান, তা সারা জীবন তাদের সঙ্গে থেকে যায়। প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এ পি জে আব্দুল কালামকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, “শিক্ষকতা অত্যন্ত মহান এক পেশা এবং একজন ব্যক্তি মানুষের চরিত্র, দক্ষতা এবং ভবিষ্যৎ গড়ে দেয়।” শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, যেসব সমাজ শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়, তারাই একুশ শতকের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তিনি বলেন, বলাই বাহুল্য যে এক্ষেত্রে শিক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের উদ্দেশে তাঁর চিঠিতে আশা প্রকাশ করে বলেছেন যে শিক্ষকরা প্রযুক্তির সর্বশেষ অগ্রগতি বিষয়ে নিজেদের অবহিত রাখছেন এবং প্রযুক্তির সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের সংযোগ গড়ে তুলছেন। এ প্রসঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে ভারত সরকার কর্তৃক গৃহীত কিছু উদ্যোগ যে নতুন পরিবর্তনের সূচনা করতে চলেছে, সে বিষয়েও তিনি উল্লেখ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আমাদের দৃষ্টি বরাদ্দ থেকে ফলাফলের প্রতি নিবদ্ধ হয়েছে, শিক্ষাদান থেকে শিক্ষা গ্রহণের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘অটল টিঙ্কারিং ল্যাব’-এর মতো উদ্যোগের ফলে দক্ষতা বৃদ্ধির কাজে গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা ভারত জুড়ে যেভাবে অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হচ্ছে তাতে কোন ছাত্রই উচ্চমানের শিক্ষার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে না। দোসরা অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর সার্ধ শততম জন্মবার্ষিকী আয়োজনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বাপুর মহান আদর্শকে অভিনব উপায়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেওয়ার জন্য শিক্ষক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। স্বচ্ছ ভারত মিশনকে সফল করার ক্ষেত্রে শিক্ষক মহল যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের প্রশংসা করেন। ২০২২ সালে নতুন ভারতের স্বপ্নের কথা পুনরায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐ সময় আমাদের দেশের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উদযাপিত হবে। তিন�� আমাদের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী মানুষদের স্বপ্নকে সফল করে তুলতে আগামী চার বছর নিজেদের নিয়োজিত করতে শিক্ষক সমাজের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের তাঁদের পছন্দমতো যে কোন বিষয় বেছে নিয়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে তার সঙ্গে যুক্ত করে সমাজের চারপাশের মানুষের জীবনে সদর্থক পরিবর্তন আনার আহ্বান জানান। এই কাজই হবে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা নিবেদনের এক প্রয়াস এবং নতুন ভারত গড়ে তোলার কাজে শিক্ষকদের অবদান। /…",শিক্ষক দিৱসত শিক্ষক সমূদায়লৈ প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদীৰ পত্ৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9D%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%9D%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%81-%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%85/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9D%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%9D%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%A4-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%81/,"বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত মায়েরা,বোনেরা, ভাই ও তরুণ বন্ধুগণ| আজআট মার্চ, গোটা বিশ্ব শতবর্ষেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস হিসেবে এরসঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে| কিন্তু আজ সমগ্র হিন্দুস্থান ঝুনঝুনু-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েগেছে| দেশের প্রতিটি প্রান্তে প্রযুক্তির সহায়তায় এই ঝুনঝুনু ’র অসাধারণ দৃশ্য পৌঁছে যাচ্ছে| আমিঝুনঝুনু এমনি এমনি আসিনি, অনেক চিন্তা-ভাবনা করে এসেছি; আর সত্যি বলতে আসিনি,আপনারা আমাকে টেনে নিয়েছেন| আপনারা আমাকে আসার জন্য বাধ্য করেছেন| আর বাধ্য হয়েছিএই জন্য যে, আপনারা ‘বেটি বাঁচাওবেটি পড়াও ’ অভিযানকে এই জেলায় যেভাবে অসাধারণ পদ্ধতিতে এগিয়েনিয়ে গেছেন, এখানকার প্রতিটি পরিবার মহান কাজ করেছেন, তাতে স্বাভাবিকভাবেই আমারমনে হলো যে, চলো ঝুনঝুনু ’র মাটি মাথায় লাগিয়ে আসি| একটুআগেই বসুন্ধরাজি উল্লেখ করছিলেন যে, এটা কেন বীরদের ভূমি, এই ভূমির শক্তি কী ছিলো,আর সেজন্য সমাজসেবার কাজেই হোক, শিক্ষার ক্ষেত্রে হোক, দান-পুণ্যের বিষয় হোক,দেশের জন্য আত্মবলিদানের কথাই হোক; এই জেলা এটা প্রমাণিত করে দিয়েছে যে —যুদ্ধ হোক অথবা দুর্ভিক্ষ হোক, ঝুনঝুনুঝুঁকতে জানেনা, ঝুনঝুনু লড়াই করতে জানে| আর সেজন্য ঝুনঝুনু ’রমাটি থেকে আজ যে কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাতে ঝুনঝুনু থেকে দেশঅনুপ্রেরণা পাবে, এখান থেকে দেশ এক নতুন শক্তি পাবে| বেটিবাঁচাও বেটি পড়াও —যদি সাফল্য লাভকরে, তাহলে মনে একটা সন্তুষ্টি আসে| মনে হয় যে, যাক কিছু পরিস্থিতির তো উন্নতিহয়েছে| কিন্তু কখনও কখনও ���ুব দুঃখ হয়| দুঃখ এইজন্য হয় যে, যে দেশের মহান সংস্কৃতি,যে দেশের মহান পরম্পরা, শাস্ত্রের মধ্যে যেখানে শ্রেষ্ঠ বক্তব্য, বেদ থেকেবিবেকানন্দ পর্যন্ত —সঠিক পথে জ্ঞানদান, কিন্তু কী কারণে, এমনকী কারণে আজ আমাদেরকে নিজেদের ঘরে মেয়েদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য হাত-পা ধরতে হচ্ছে,বোঝাতে হচ্ছে; সেজন্য বাজেটে অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে| আমিমনে করি যে, কোনো সমাজের জন্যই এর চেয়ে বড়ো দুঃখজনক বিষয় আর কিছু হতে পারেনা| কয়েকদশক থেকে বিকৃত মানসিকতার জন্য, এক ভুল চিন্তাধারার জন্য, সামাজিক অশুভের জন্যআমরা মেয়েদের বলিদানের পথ বেছে নিয়েছি| যখন জানা যায় যে, হাজার ছেলেদের তুলনায়কোথাও ৮০০ মেয়ে, ৮৫০ মেয়ে, কোথাও ৯০০ মেয়ে —তখন এই সমাজের কী দুর্দশা হবে, তা কল্পনা করা যায়| নারী ও পুরুষের সাম্যেরমধ্য দিয়েই এই সমাজের চাকা এগিয়ে যায়, সমাজের গতিবিধি বৃদ্ধি পায়| কয়েকদশক থেকে মেয়েদের অস্বীকার করা হচ্ছে, প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে, মেরে ফেলা হচ্ছে|এর ফলেই আজ সমাজে এক ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে| আমি জানি যে, এক-দু ’টি প্রজন্মের মধ্যে এই পরিবর্তন হয়না|চার-পাঁচটি প্রজন্মের এই অশুভ চেতনা আজ সম্মিলিত হয়েছে| পুরনো যে ক্ষতি, সেই ক্ষতিদূর করার জন্য সময় লাগে, এটা সবাই বুঝেন| কিন্তু এখন তো আমাদের ঠিক করতে হবে যে,যত ছেলে জন্ম নেবে ততসংখ্যক মেয়েরও যেন জন্ম হয়| যত ছেলেকে লালন-পালন করবো,ততসংখ্যক মেয়েকেও লালন-পালন করবো| ছেলে-মেয়ে উভয়ই এক সমান; এই মানসিকতা নিয়ে যদিএগিয়ে যাই, তাহলে চার-পাঁচ-ছয় প্রজন্মে যে খারাপ অবস্হা হয়েছে, তা দুই অথবা তিনপ্রজন্মে ঠিক করতে পারবো| কিন্তু এর জন্য প্রথম শর্ত হচ্ছে —এখনযেসব সন্তানের জন্ম হবে, তাতে যেন কোনো ভারসাম্যের অভাব না হয়| আরআমার কাছে আনন্দের বিষয় হচ্ছে, আজ যেসব জেলাকে সম্মানিত করার সুযোগ পাওয়া গেছে, এইপ্রথম সারির দশটি জেলা এই কাজটিকে খুব ভালোভাবে করেছে| সদ্যোজাত ছেলেমেয়েদের মধ্যেছেলেদের সমান সমান মেয়েদের নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সফল হয়েছে| আজ যাদের সম্মান জানানোরসুযোগ হয়েছে, সেসব জেলাকে, রাজ্যকে, সেই টিমকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি| তাঁরা এইপবিত্র কাজকে নিজেদের দায়িত্ব হিসেবে নিয়েছেন| আমিদেশের সমস্ত আধিকারিকদের, সরকারে আমাদের সমস্ত সহযোগীদের, রাজ্য সরকারগুলোকেঅনুরোধ করব যে, এই বিষয়টিকে যেন জন-আন্দোলনের রূপ দেওয়া হয়| যতক্ষণ প্রত্যেকটিপরিবার এতে যুক্ত হবেনা, আর যতক্ষণ শাশুড়ি এর নেতৃত্ব গ্রহণ করবেন না, ততক্ষণ এইকাজের সময় বেশি লাগবে| কিন্তু যদি শাশুড়ি এই বিষয়ের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন, আর বলেদেন যে ঘরে মেয়েই চাই, তাহলে কারো শক্তি হবেনা যে মেয়েদের সঙ্গে কোনো অন্যায়করবেন| আর সেজন্য আমাদেরকে এক সামাজিক আন্দোলন তৈরি করতে হবে, আমাদেরকে জন-আন্দোলনতৈরি করতে হবে| ভারতসরকার দুই বছর আগে হরিয়ানায় —যেখানেনারী-পুরুষের অনুপাত খুবই উদ্বেগজনক ছিল, সেই প্রতিকূলতাকে স্বীকার করে হরিয়ানায়এই কর্মসূচি শুরু করেছিল| হরিয়ানার মাটিতে গিয়ে এই বিষয় নিয়ে বলা অনেক কঠিন বিষয়ছিল| আমার আধিকারিকগণ আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, সাহেব সেখানে তো পরিস্থিতিএতটাই খারাপ হয়ে গেছে যে, সেখানে গেলে নতুন কিছু ভুল হয়ে যাবে| আমি বলেছি যেখানেসবচেয়ে বেশি সমস্যা রয়েছে, সেখান থেকেই শুরু করবো| আর আজ আমি হরিয়ানাকে অভিনন্দনজানাই যে, তাঁরা গত দুই বছরে পরিস্থিতিকে এতো দ্রুতগতিতে উন্নত করেছেন| জন্মেরসময় মেয়েদের সংখ্যায় যে বৃদ্ধি হয়েছে, তা এক নতুন বিশ্বাস এক নতুন আশার জন্ম দেয়|গত দুই বছরের অভিজ্ঞতায়, তাতে যে সফলতা এসেছে, সেই সফলতাকে মনে রেখে আজ ৮ মার্চেঅন্তর্জাতিক নারী দিবসে ভারত সরকার এখন এই যোজনা ১৬০-১৬১ জেলাতেই নয়, ভারতের সমস্তজেলাতেই এখন এই যোজনাকে চালু করছে| এর ফলে পরিস্থিতি ভালো হবে| এই অবস্থা আরও ভালোকীভাবে হবে, তার জন্যও কাজ করা হবে| আমাদেরনিজেদেরকেই জিজ্ঞাসা করতে হবে| পুরনো যেসব ধ্যান-ধারণা রয়েছে, তাতে কখনো কখনোমেয়েদের বোঝা হিসেবে দেখানো হয়েছে| আজ এটা অনুভব করতে হবে, নানা ঘটনাও এটা জানানদিচ্ছে যে, মেয়েরা বোঝা নয়, মেয়েরাও গোটা পরিবারের মহিমা-মর্যাদা-সম্মান| ভারতেযখন আমরা শুনি স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে, মঙ্গলযান হয়েছে, তখন আমরা দেখি যে আমাদেরদেশের তিন মহিলা বিজ্ঞানী মহাকাশ বিজ্ঞানে এত বড় সাফল্য অর্জন করেছেন, তখন বুঝতেপারি যে, মেয়েদের শক্তি কী হতে পারে| যখন ঝুনঝুনুরই এক মেয়ে যুদ্ধ বিমান চালান তখনমনে হয় যে, মেয়েদের শক্তি কী হতে পারে| অলিম্পিকে যখন স্বর্ণপদক নিয়ে কেউ আসে,কোনো পদক নিয়ে আসে এবং যখন জানা যায়, যে নিয়ে এসেছে সে মেয়ে, তখন গোটা দেশের বুকগর্বে ভরে ওঠে এইজন্য যে, আমাদের মেয়েরা গোটা দেশের নাম উজ্জ্বল করছে| আরযাঁরা এটা মনে করেন যে, ছেলে হলে বৃদ্ধ বয়সে কাজে আসবে, এই পরিস্থিতি কিন্তুবাস্তবে কিছুটা অন্য রকমই| আমি এমন পরিবারও দেখেছি, যেখানে বৃদ্ধ মা-বাবা আছেন,চারজন ছেলে রয়েছে, ছেলেদের আলাদা বাংলো রয়েছে, গাড়ির প্রাচুর্য রয়েছে, কিন্তুমা-বাবার বার্ধক্য কাটছে আশ্রমে| এমন পরিবারও আমি দেখেছি| এমন পরিবারও দেখেছি যে,বৃদ্ধ মা-বাবার একমাত্র মেয়ে, বৃদ্ধ মা-বাবার কষ্ট যাতে না হয়, তার জন্য রোজগারেরকাজ করেন, চাকরি করেন, পরিশ্রম করেন, বিয়ে পর্যন্ত করেন না, আর মা-বাবার জন্যনিজের জীবন উত্সর্গ করে দেন| আরসেজন্য সমাজে যে চিন্তাধারা বজায় রয়েছে, এই যে বিকৃতি রয়েছে, তা থেকে আমাদেরবেরিয়ে আসতে হবে| একে এক সামাজিক আন্দোলনে পরিবর্তিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব|সফলতা বিফলতা নিয়ে কেউ সরকারকে দোষ দিতে পারেন, কিন্তু এই ক্ষেত্রের সফলতার আধারহচ্ছে প্রতিটি পরিবারের সংকল্প, আর সেজন্য ছেলে-মেয়ে এক সমান, মেয়েকে নিয়ে গর্বেরমানসিকতা, এটা যতদিন আমাদের মানসিকতায় আসবে না, ততদিন পর্যন্ত মায়ের কোলেই মেয়েদেরমেরে ফেলা হবে| অষ্টাদশশতাব্দীতে মেয়েদেরকে ‘দুধ-খাওয়ানো ’র একটা পরম্পরা ছিল| বড় পাত্রের মধ্যে দুধ ভরে নিয়ে মেয়েকে তাতে ডুবিয়েদেওয়া হতো| কিন্তু কখনও কখনও আমার মনে হয়, আমরা একবিংশ শতাব্দীর মানুষ হওয়ার পরওঅষ্টাদশ শতাব্দীর মানুষদের চেয়েও খারাপ| কেননা অষ্টাদশ শতাব্দীতে তো মেয়েকে অন্ততজন্ম দেওয়া হতো, সেই মেয়েটি তার মায়ের চেহারা দেখতে পেতো, ওই মা তার মেয়ের চেহারাদেখার সৌভাগ্য পেতেন, মেয়েটি এই পৃথিবীতে কিছু মুহূর্তের জন্য হলেও শ্বাস গ্রহণেরসুযোগ পেত, তারপর মহাপাপ করে সমাজের সবচেয়ে খারাপ কাজ করা হতো| কিন্তুআজ তো তার চেয়েও খারাপ কাজ করা হয় যে, মায়ের পেটেই —মাও মেয়ের মুখ দেখলো না, মেয়েও মায়ের মুখ দেখলো না —আধুনিকবিজ্ঞানের সাহায্যে মায়ে পেটের মধ্যেই বাচ্চাকে মেরে ফেলা হয়| আমি মনে করি এর চেয়েবড় খারাপ কোনো পাপ হয়না| যতক্ষণ আমরা মেনে নেবোনা যে, মেয়েরা আমাদের মহিমা-মর্যাদা-সম্মান,ততক্ষণ পর্যন্ত এই খারাপ বিষয়টি আমাদের মস্তিষ্ক থেকে বের হবে না| আজএখানে যাঁদের পরিবারে মেয়ের জন্ম হয়েছে, সেইসব মা ও মেয়েদের সঙ্গে দেখা করারসৌভাগ্য আমার হয়েছে| তাঁদের চেহারাতে ততটুকুই খুশি দেখতে পাচ্ছি| তাঁদের আমি জিজ্ঞাসাকরেছি, আপনারা জানেন কি আপনাদের যেদিন জন্ম হয়েছিল সেদিন কি মিষ্টি বিতরণ করাহয়েছিল? তাঁরা বলেছেন, তা তো জানেন না, কিন্তু যখন তাঁদের ঘরে মেয়ের জন্ম হয়েছে,তখন গোটা পাড়ায় তারা মিষ্টি বিতরণ করেছেন, আর অনুষ্ঠানও হয়েছে| আমাদেরকেএই প��িস্থিতির পরিবর্তন করতে হবে এবং এই পরিবর্তনের পথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ যাসরকার করছে, তার অংশ হিসেবে এই যোজনাকে গোটা দেশে আমরা বিস্তৃতি ঘটাচ্ছি| দ্বিতীয়তআজ একটা কর্মসূচির সূচনা হচ্ছে পুষ্টি মিশনের — জাতীয় পুষ্টি মিশন| এখন কেউ যদি পি.এম.-কে গালি দিতে চান, পি.এম.-কে নিয়েআলোচনা করতে চান, পি.এম. ’র সমালোচনা করতে চান, তাহলে তাঁদেরকাছে আমার অনুরোধ হচ্ছে, যতবার পি.এম.-এর সমালোচনা করবেন, পি.এম.-এর আলোচনা করবেন,ভালো বলুন, খারাপ বলুন, ভালো করুন আর নাই করুন, কিন্তু যখনই পি.এম. বলবেন, মনেপি.এম. আসবে, তখনই যেন নরেন্দ্র মোদি মনে না করে, পি.এম. শুনতেই যেন ‘পুষ্টি মিশন ’ মনে হতে থাকে| দেখবেন কীভাবে তা একবারেঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়বে| আরআমাদের এখান ছেলে হোক বা মেয়ে —তারশরীরের যে বিকাশ, তা থেমে যায়| কখনও জন্মের সময়েই অনেক কম ওজনের বাচ্চার জন্ম হয়,আর তাতেও অজ্ঞতার অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে| আমাদেরকে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে|আর আমি তারপরও বলবো, এটা শুধুমাত্র সরকারি বাজেট দিয়ে হওয়ার মতো কাজ নয়| এটা তখনইসম্ভব হয়, যখন তা জন-আন্দোলন হয়ে ওঠে| মানুষকে শিক্ষিত করা হয়, বোঝানো হয়, এরগুরুত্বের দিক দেখানো হয়| অপুষ্টিরবিরুদ্ধে আগে কাজ হয়নি, তা নয়| প্রতিটি সরকারই কোনো না কোনো প্রকল্প করেছে| কিন্তুদেখা গেছে যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের মনে হয়, যতটুকু ক্যালরির প্রয়োজন, ততটুকুযদি পেটে যায় তাহলেই অপুষ্টি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে| কিন্তু অভিজ্ঞতা তো এটা বলেযে, শুধুমাত্র খাবার ঠিকঠাক হলেই এই সমস্যার সমাধান হয়না| এর সম্পূর্ণ বাস্ততন্ত্রকেসঠিক করতে হবে| খাবার যদি ভালো পাওয়া যায়, কিন্তু যদি সেখানে জল খারাপ থাকে, তাহলেযতই খাবার পেটে যাক না কেন —অপুষ্টিরস্থিতিতে ফারাক আসবে না| খুবকম মানুষই জানেন যে, বাল্য বিবাহও অপুষ্টিজনিত বাচ্চাদের এক বড়ো কারণ| কম বয়সেবিয়ে হয়ে যাওয়া, সন্তান হয়ে যাওয়া —না মায়ের শরীরের বিকাশ হয়েছে, না জন্ম হতে যাওয়া বাচ্চার শরীর নিয়েও কেউভরসা করতে পারে| আর সেজন্য জীবনের সঙ্গে যুক্ত যত রকম দিক —অসুস্থহলে সময় মত ওষুধ খাওয়া, জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মায়ের দুধ খাওয়ানোর সৌভাগ্য, নইলেআমাদের এখানে তো আগের দিনের মানুষ তো বলতেন —না,না, জন্মেরসঙ্গে সঙ্গে যে দুধ তা বাচ্চাকে খাওয়াবে না; এটা তো ভুল| জন্মের সঙ্গে সঙ্গে যদিমায়ের দুধ বাচ্চা পায়, তাহলে পুষ্টির সময় বড়ো হওয়ার সময় সমস্যা কম আসে| মায়েরদুধের এতোটা শক্তি রয়েছে, কিন্তু আমরা সেটাকেও উপেক্ষা করি| সেজন্যমাকে তাঁর সম্পূর্ণ রূপে, যখন তাকে স্বীকার করি, তাঁকে পুজা করি, তাঁর মহানতাকেবুঝতে পারি, তাহলে মা-এর যদি আমরা দেখভাল করি, তাহলে তার কোলে আসা বাচ্চাও অপুষ্টিথেকে মুক্ত থাকবে| পুষ্টিরচিন্তা করা এক বিশেষ কাজ| কখনও কখনও সরকার নানারকমের টিকাকরণের কাজ করে থাকে|কিন্তু আমরা সেইসব হেলথ সেন্টারের যতগুলো পরিষেবা রয়েছে —বাজেট আছে, অফিসার রয়েছেন, কর্মী রয়েছেন —কিন্তু আমরা সেখানে যাই না| আর এর পরিণামেই কোনো না কোনো অসুস্থতার শিকারহয়ে যাই| আপনারাএখানে যে ফিল্মটি দেখিয়েছেন —তাতেদেখানো হয়েছে যে, এক হিসেবে দেখা গেছে, শুধুমাত্র হাত না ধুয়ে খাওয়ার অভ্যাসেরজন্য, শরীরে যেসব অসুস্থতা হয়ে থাকে, সেজন্য ৩০-৪০ শতাংশ মৃত্যুই এর জন্য হয়েথাকে| এই অভ্যাস কে করবে যে, মা যখন বাচ্চাকে খাবার খাওয়ান তখন তাঁর হাত ধুয়েখাওয়াতে হবে এবং বাচ্চা যখন নিজেই কিছু মুখে দেবে, তখন বাচ্চারও হাত ধুয়ে দিতেহবে| এসব কে শেখাবে? এইকাজটি আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য, আমাদের ছেলেমেয়েদের জীবনের উন্নতির জন্য এটাআমাদের সবার দায়িত্ব| আর সেজন্য এই যোজনাকে এক মিশন হিসেবে নিয়ে, ছড়িয়ে ছিটিয়েথাকা সমস্ত যোজনাকে একসঙ্গে সংযুক্ত করে —তা সেটা জলের সমস্যা হোক, ওষুধের সমস্যা হোক, প্রথার অসুবিধা হোক —সবগুলো ক্ষেত্রকে নিয়ে আসতে হবে| বাচ্চাদের মধ্যে দেখা যায়, স্কুলে যখনযায়, তখন একটা বয়সের পর বাচ্চাদের মনে এক মানসিক দুর্বলতার সমস্যা এসে যায়, সেটাকিসের হয়? যদি স্কুলে পাঁচটি বাচ্চার উচ্চতা বেশি হয়, আর বাকিদের উচ্চতা কম হয়,তাহলে তাদেরও মনে হতে থাকে যে, এই রকম উচ্চতা তারও হওয়া উচিত| তখন সে গাছের ডালেবা এখানে সেখানে ঝুলে ঝুলে মনে করে যে তার উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে —আপনাদের মধ্যে অনেকেই এটা করেছেন নিশ্চয়| সবারই মনে হয় যে, আমারও উচ্চতারবৃদ্ধি হওয়া উচিত| কিন্তু আমরা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এইসব বিষয়ের ওপর কাজ করি না| আজআমাদের দেশে বয়সের হিসেবে যতটুকু উচ্চতা হওয়া উচিত, তার চেয়ে অনেক কম হতে দেখাযাচ্ছে| আমাদের ছেলেমেয়েরা সুস্থ থাকুক, উচ্চতা ঠিক থাকুক, এইসব বিষয়ে মনোযোগ দিয়েএক সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ২০২২ সালে যখন আমরা স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ উদযাপনকরবো, তখন দেশে পুষ্টির বিষয়ে আমরা যাতে দুনিয়ার সামনে গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে,আমরা অর্জন করতে পেরেছি| আর আমাদের ছেলেমেয়েদের দেখুন, তাদের দেখতেই আমাদেরসম্পূর্ণ দিন এতো ভালো হয়ে যায়, এরকম হাসি-খুশি ছেলেমেয়ে যাতে সব সময় দেখা যায়,যেখানে আমরা যাবো সেখানেই দেখতে পাবো; এইরকম পরিস্থিতি আমাদেরকে তৈরি করতে হবে| প্রায়নয় হাজার কোটি টাকা দিয়ে এই যোজনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে| আর সুনির্দিষ্টগুণমানের সঙ্গে আশা কর্মীরা, গ্রামীণ পর্যায়ের স্বেচ্ছাসেবীরা, তাঁদের কাছেপ্রযুক্তির সহায়তা থাকবে, নিয়মিতভাবে তারা তাদের তথ্য সংগ্রহ করবেন| তাতে কোনোসমস্যা এলে দ্রুত উপর থেকে হস্তক্ষেপ করা হবে| সমস্যার সমাধান কীভাবে হবে —সেইসমস্ত বিষয় দেখা হবে| কখনও আট মাসপর্যন্ত বাচ্চার বৃদ্ধি সঠিকভাবে হয়ে থাকলেও, ওজন ঠিকঠাক হতে থাকলেও বৃষ্টিরদিনগুলো এসে গেলে হটাত করে অসুস্থতা শুরু হতে লাগলো| একসঙ্গে অনেক বাচ্চার শারীরিকঅসুস্থতা হতে থাকলো| আপনাদের আট মাসের পরিশ্রম নিচে নেমে আসতে থাকলো| তাই এটা একচ্যালেঞ্জিং কাজ| কিন্তু এই চ্যালেঞ্জিং কাজকেও আমাদের সম্পূর্ণ করতে হবে| আর আমারবিশ্বাস যে, আমরা যেসব সংকল্প করেছি, এই সংকল্পগুলো সম্পূর্ণ হবে| মিশনইন্দ্রধুনুষ-এর মাধ্যমে টিকাকরণের কাজে আরও দ্রুতগতি এসেছে এবং আমাদের প্রচেষ্টাহচ্ছে, বছরের শেষে ৯০ শতাংশ টিকাকরণের কাজ আমাদের অর্জন করতে হবে| প্রধানমন্ত্রীমাতৃ বন্দনা যোজনার অধীনে ৬০০০ টাকার আর্থিক সহায়তা সেসব মায়েদের দিয়ে, তাঁদেরগর্ভাবস্থায় তাঁদের কথা ভাবা হচ্ছে| এভাবেঘরে লাকড়ির চুলা জ্বালিয়ে মা একদিনে ৪০০ সিগারেটের ধুঁয়া নিজের ফুসফুসে নিয়ে যান|আমরা এ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার অধীনে বিনামূল্যেগ্যাসের সংযোগ দেওয়ার কাজ আরম্ভ করেছি| বিনামূল্যে গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার মাধ্যমেআজ প্রায় সাড়ে তিন কোটি পরিবারকে তা থেকে মুক্ত করার কাজ করা হয়েছে| আসন্ন দিনেওউন্নয়নের এই গতিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে আজ যেসব যোজনার সূচনা হয়েছে, তাকে আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে আমাদের দেশকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হিসেবে তৈরি করতে হবে|আমাদের ছেলেমেয়েরা যদি শক্তিশালী হয়, তাহলে আমাদের দেশের ভবিষ্যতও শক্তিশালী হবে| এইসংকল্পের সঙ্গে আপনারা সবাই এই জন-আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হোন| আমি দেশবাসীরউদ্দেশে আহ্বান করছি| এটা মানবতার কাজ, এটা পরবর্তী প্রজন্মের কাজ, এটা ভারতেরভবিষ্যতের কাজ, আপনারা সবাই আমাদের সঙ্গে যুক্ত হোন| সম্পূর্ণশক্তি দিয়ে আমার সঙ্গে বলুন — ভারতমাতা কি —জয় ভারতমাতা কি —জয় ভারতমাতা কি —জয় অনেক অনেক ধন্যবাদ|",ঝুনঝুনুত ৰাষ্ট্ৰীয় পৰিপুষ্টি অভিযান মুকলি আৰু বেটি বচাও বেটি পঢ়াও অভিযানৰ সম্প্ৰসাৰণ অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%AC-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A6%B6/,"নয়াদিল্লি, ০৫ নভেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পরিবেশ বান্ধব এবং সংসুহত উন্নয়নের সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাঁদের প্রশংসা করেছেন। শ্রী মোদী বলেন, এ থেকে বুনিয়াদি ধাঁচে নির্মাণ ও সক্রিয় অর্থব্যবস্থা উভয়ই গতি পাবে। সীমান্ত সড়ক সংস্থার এক ট্যুইটের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন; “বুনিয়াদি ধাঁচে নির্মাণ ও সক্রিয় অর্থব্যবস্থা উভয়ই গতি পাবে। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত সকলের প্রশংসা করি।”",প্রধানমন্ত্রীয়ে পৰিৱেশৰ অনুকূল আৰু দীৰ্ঘস্থায়ী বিকাশৰ কামত জড়িত সকলো লোকৰ প্ৰশংসা কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A1%E0%A6%83%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A1%E0%A7%A6-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%A8/,"দেশের প্রথমরাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদের জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেনপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “মহাত্মাগান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একসক্রিয় কর্মী হয়ে উঠেছিলেন। অসহযোগ আন্দোলনের মতো তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্নআন্দোলনে তিনি যোগ দেন। পরে, রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি হিসাবে তিনিনেতৃত্বদান করেন। ভারতেরপ্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে জাতি গঠনের বছরগুলিতে তাঁর নেতৃত্ব ও পরামর্শ ছিল বিশেষমূল্যবান। বহু প্রজন্মধরেই ভারতবাসীরা তাঁর বিশিষ্ট সেবার পরাকাষ্ঠায় অনুপ্রাণিত হয়ে আসছেন।” /",ড০ ৰাজেন্দ্ৰ প্ৰসাদৰ জয়ন্তী উপলক্ষে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শ্ৰদ্ধাঞ্জলি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%A3-%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%A4-%E0%A6%86/,"নয়াদিল্লি, ১৭ অগাস্ট, ২০২২ প্রধানমন���ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আজ ফ্রান্সের অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি) এবং ভারতের প্রযুক্তি তথ্য পূর্বাভাস ও মূল্যায়ন পর্ষদ (টিফ্যাক)-এর মধ্যে ভারতীয় পরিবহণ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পরিবহণ মঞ্চের কার্যকলাপকে সমর্থনের জন্য স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুমোদন করলো। এই চুক্তি গত ৬ জুলাই স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তি অনুসারে পরিবহণ ক্ষেত্রে নতুন নতুন বিজ্ঞান প্রসূত ফলাফল, নতুন নতুন নীতির অন্তর্নিহিত তথ্যাদি ব্যবহারের পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে সামর্থ্য বৃদ্ধি এবং এদেশের পরিবহণ ক্ষেত্রে কার্বন দূষণ কমিয়ে আনার জন্য উপযুক্ত প্রযুক্তিগত বিকল্প বুঝে নেওয়ার পথ সুগম হবে।",ভাৰতীয় পৰিবহণ খণ্ডটোত আইটিএফৰ ক্ৰিয়া-কলাপত সহায়ক হোৱাকৈ ভাৰত আৰু ফ্ৰান্সৰ মাজত চুক্তি স্বাক্ষৰত কেবিনেটৰ অনুমোদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%AC-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A7%B1-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%B1%E0%A7%B0/,"বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় নবীন বন্ধুরা, আমার সামনে নতুন ভারতের নতুন ছবি দেখতে পাচ্ছি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা ভাষা, নানা মত ও নানা পরিধানের রঙের মালা রূপে ভারতমাতার সমস্ত সন্তানদের আমি অভিবাদন জানাই। প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত সারা দেশের এনসিসি, এনএসএস এবং নেহরু যুব কেন্দ্রগুলিতে উপস্থিত বন্ধুদেরও আমি স্বাগত জানাই। বন্ধুগণ, আপনাদের মতো প্রাণশক্তি ও উৎসাহে পরিপূর্ণ বন্ধুদের সঙ্গে যখন দেখা হয়, যখন আলাপ-আলোচনা করি, তখন আপনাদের এই প্রাণশক্তি ও উৎসাহ আমি নিজের মধ্যেও অনুভব করি। আপনারা এখানে গত দু’দিন ধরে দেশ ও সমাজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছেন। এই আলোচনা প্রক্রিয়া দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। বন্ধুগণ, দেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে নিয়ে আপনাদের স্বার্থক আলোচনার জন্য অনেক বন্ধুকে এখানে পুরস্কৃত করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। যাঁরা পুরস্কৃত হয়েছেন, তাঁদেরকে শুভেচ্ছা জানাই এবং অন্য বন্ধুদেরও শুভেচ্ছা জানাই। কারণ, আপনাদের এখানে অংশগ্রহণ করতে পারাই একটি বড় পুরস্কার। বন্ধুগণ, নবীনদের ভাবনাকে গণতন্ত্র, দেশ ও সমাজের ভাবনার সঙ্গে যুক্ত করতে আমি সবসময়েই চে��্টা করি। জাতীয় যুব সংসদ এই প্রচেষ্টারই একটি অঙ্গ। আমি একবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানেও একথা বলেছি। আমি খুবই খুশি – জাতীয় যুব সংসদ আমার সেই ভাবনারই মূর্ত রূপ। এটি প্রথম প্রয়োগ, একটু বড় আকারের প্রয়োগ। কিন্তু আমার অনুরোধ যে, এই কর্মসূচিটি আরও কত ভালোভাবে সম্পাদন করা যায়, এর বিষয় আর কী কী হতে পারে, প্রাদেশিক ভাষাগুলি কিভাবে গুরুত্ব পেতে পারে, এগুলি সম্পর্কে আমি আপনাদের থেকে পরামর্শ পেতে চাই। সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগকে আমি অনুরোধ করব, তাঁরা যেন আপনাদের অনলাইন পরামর্শদানের ব্যবস্থা করেন। আর সকল অংশগ্রহণকারী যদি এর রচনা সম্পর্কে পরামর্শ দেন, তা হলে এই কর্মসূচি ভবিষ্যতে অনেক বেশি উদ্ভাবক ভাবনা ও নতুনত্বের সমাহারে নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠবে। আর ভবিষ্যতে যাঁরা সংসদ সদস্য হতে চান, তাঁরা রাষ্ট্রীয় যুব সংসদের অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে চাইবেন। তাঁরা তাঁদের প্রোফাইলে লিখবেন যে, আমি এতবার রাষ্ট্রীয় যুব সংসদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছি, অমুক বিষয় নিয়ে বক্তব্য রেখেছি, এতবার পুরস্কার জিতেছি কিংবা এতবার প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করেছি। এখানে যাঁরা অংশগ্রহণ করছেন, তাঁরা নিঃসন্দেহে পাঠক্রমের বাইরের বিষয় নিয়েও পড়াশুনা করেন এবং ভাবেন। যাঁরা পাঠক্রমের পড়ার সীমার মধ্যেই মুখ গুঁজে থাকেন, তাঁরা এখানে আসবেন না। আপনারা অন্যদের থেকে অনেক বেশি সংবেদনশীল। সেজন্য আপনারা হয়তো আমাকেও অধ্যয়ন করছেন। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আপনারা শুধু সেইসব কিছুই গ্রহণ করেন না, যা আপনাদের সামনে পরিবেশিত হয়। আপনারা নিশ্চয়ই খুঁজে বের করেন যে, কোনটা সত্যি; অন্যথা পরিবেশিত বস্তু অনেক সময়েই যথাযথ থাকে না। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, আমি টোকেন প্রথায় বিশ্বাস করি না। একটি সুদূরপ্রসারী ভাবনা থেকে একের পর এক পরস্পর সংযুক্ত ব্যবস্থা বিকশিত করাই আমার কর্মশৈলী অন্যতম অঙ্গ। সব কিছু আমি আগে বলি না। প্রোগ্রেসিভ আন-ফরম্যাট অনুসারে ধীরে ধীরে খুলি। আমার মনে একটি বড় স্বপ্ন আছে। তার একটি ক্ষুদ্র অংশ আজ এখানে শুরু হয়েছে। আপনারা যদি একে নিজেদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিকশিত করতে পারেন, তা হলে আমি চাইব অদূর ভবিষ্যতেই এই কর্মসূচিকে সরকারি কর্মসূচি থেকে বের করে দিতে। হয় সরকার একে বের করে দেবে অথবা এটি এমন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে যে, সেই প্রতিষ্ঠানই সরকারকে বের করে দেবে। ভিনোবা ভাবে ��লতেন, ‘অ-সরকারি – অসরকারি’ অর্থাৎ ‘যা সরকারি নয়, তার প্রভাব বেশি’। এর রূপ কী হতে পারে? মনে করুন – গোটা দেশে সরকার অনুঘটক ও উদ্দীপকের কাজ করবে এবং পরিধি ঠিক করে দিয়ে পরিকাঠামো নির্মাণ সহ সম্পূর্ণ উদ্যোগ নেবে। এবার জেলাস্তরে এনসিসি, এনএসএস, নেহরু যুব কেন্দ্র ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নির্বাচনে জয়লাভ করা ছাত্রনেতারা মিলেমিশে প্রত্যেক জেলায় বছরে ৩ – ৪ বার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরাট বিতর্ক সভার আয়োজন করবে। জেলার স্টেডিয়ামগুলিতে সেই বিতর্কের আয়োজন হবে, যেখানে ২৫ – ৫০ হাজার মানুষ শুনতে আসবেন যে, তাঁদের ছেলেমেয়েরা কী ভাবছেন ও কী বলছেন! এটা হতে পারে কী পারে না! কিন্তু আপনারা জিজ্ঞেস করতে পারেন, এর আয়োজন কে করবে? আমি চাই, এখন সরকার যেভাবে এর পরিকাঠামো গড়ে দিয়ে একটি আবহ নির্মাণ করছে, সেখান থেকেই একটি স্বশাসিত ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এর দ্বারা সকলেই উপকৃত হবেন। দ্বিতীয়ত, কী বলা হবে? বিতর্ক মানেই শুধু শব্দের সমারোহ নয়, জলধারার ওঠা-পড়া নয়, আমাদের মুখনিসৃত বক্তব্য তীরের মতো সঠিক লক্ষ্যে বিঁধতে হবে। আমাদের বক্তব্য প্রভাবশালী না হলেও তা যেন উদ্দীপনা যোগায় – এরকম হতে হবে। বিগত শতাব্দীতে মহাত্মা গান্ধীর মতো বক্তা খুব কম জন্মেছেন। কিন্তু তিনি বক্তব্যশৈলীতে ধনী ছিলেন না। তাঁর পোশাক-পরিচ্ছদও শারীরী ভাষা দিয়েও তিনি কোনও প্রভাব সৃষ্টি করতে চাননি। অথচ, তাঁর ভাবনা এমনই তপস্যার ফল ছিল যে, তাঁর মুখনিসৃত একেকটি শব্দ সারা পৃথিবীতে সাড়া জাগাতো। তখন তো আর হোয়াটস্‌ অ্যাপ ছিল না! শুধু বক্তব্য রাখলেই হবে না, বাগ্মীতার একটি বিশেষ শৈলী অর্জন করতে হবে। আমাদের দেশের গ্রাম, শহর ও শহরতলীগুলিতে এমন যুবসম্প্রদায় যদি গড়ে ওঠে, যাঁরা ইতিবাচক ভাবনায় ধনী, তাঁরা যখন সমাজকে নিজের মনের কথা বলবেন, তখন যে কোনও প্রকার সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তৃণমূল স্তরে এরকমই একটি শক্তিশালী প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের এই বিনম্র প্রচেষ্টা। আমার মনে হয়, সেদিন আর দূরে নেই, যখন আপনাদের দিক থেকেই দাবি উঠবে যে, তিনটি পুরস্কার দেওয়া হবে তার মধ্যে একটি পুরস্কার পুরুষদের জন্য সংরক্ষণ করা হোক। আজ তো দেখছি, তিনটি পুরস্কারই মেয়েরা জিতে নিয়েছেন। এই পুরস্কার বিজেতাদের আমার লক্ষ লক্ষ শুভেচ্ছা। এখানে আপনারা এই দু’দিনে দেশের স্বার্থে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। পরিচ্ছ���্নতা, সামাজিক সাম্য, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণ, কৃষকদের আয় বৃদ্ধি, পরিবেশ, ক্রীড়া – এরকম অনেক বিষয় নিয়ে আপনারা নিজেদের বক্তব্য রেখেছেন। এই কর্মসূচি থেকে এমন কিছু পরামর্শ উঠে এসেছে, যেগুলি সম্প্রসারিত করে দেশের অনেক ভবিষ্যৎ প্রকল্পকে শক্তিশালী করে তোলা যেতে পারে। সেজন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগকে আমার অনুরোধ, যাঁরা এখানে অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের বক্তব্যের লিখিত রূপ অনলাইনে প্রকাশ করুন। আর প্রত্যেককে বলুন যে, তাঁদের বক্তব্য থেকে নিজেই একটি বিশেষ বাক্য খুঁজে বের করে দিক। সেই বাক্যগুলি দিয়ে একটি অনলাইন পুস্তিকা প্রকাশ করুন। দেশের যুবসম্প্রদায় সেই অনলাইন পুস্তিকা দেখে নিজেদের পছন্দ মতো বিষয় নিয়ে রাখা বক্তব্যগুলি বিস্তারিতভাবে পড়তে পারবেন। এই অটোপাইলট ব্যবস্থা পাঠকদের কাজে লাগবে। জেলায় জেলায় এরকম ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে, এতে পরিকাঠামো সহযোগিতা করা ছাড়া সরকারের আর কোনও প্রয়োজন পড়বে না। জেলার সেরা প্রতিযোগীরা রাজ্যস্তরে আয়োজিত বিতর্কসভায় বক্তব্য রাখবেন আর সেখান থেকে নির্বাচিত সেরা তিনজন জাতীয় স্তরে আসবেন। এরকম ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে যে কোনও অঞ্চলের সমস্যা নিয়ে যে কেউ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা সাংসদকে ই-মেল মারফৎ জানাতে পারবেন যে, আপনারা এলাকার নবীন প্রজন্মের মানুষেরা এরকম ভাবছেন, আপনি চাইলে এই ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারেন। আমি নিশ্চিত যে, জনপ্রতিনিধিরা অবশ্যই উপকৃত হবেন, যেমন আমি নিজেও উপকৃত হয়েছি। আমার আরেকটি অনুরোধ হ’ল – এই যুব সাংসদদের ইতিবাচক পরামর্শগুলি কিভাবে আমাদের ব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারে, সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। আমি দৃঢ় নিশ্চিত যে, এখান থেকে যে ভাবনা আপনাদের প্রভাবিত করবে, যে শিক্ষা আপনারা সঙ্গে নিয়ে যাবেন, তা নতুন সৃষ্টির মাধ্যমে ভারতাত্মার সংস্কারের মাধ্যমে নতুন ভারত গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। যুব সাংসদ যত সৃষ্টিশীল হবেন, নতু ভারত তত উন্নয়নশীল হবে। সেজন্য আজ এই যুব সংসদে এসে আমরা কী করছি, তার একটা হিসাব দিতে চাই। আপনারা যে সাংসদদের নির্বাচিত করে পাঠান, তাঁরা কী করছেন – সেটা দেশবাসীর জানা উচিৎ। নবীন প্রজন্মের উচিৎ প্রশ্ন তোলা যে, দেশের সাংসদরা কী করছেন? আমি আপনাদের ষোড়শ লোকসভার উদাহরণ দিতে পারি। এই লোকসভা গড়ে ৮৫ শতাংশ উৎপাদনশীল। ২০৫টি বিল পাশ করা হয়েছে। পঞ্চদশ লোকসভার ত��লনায় ২০ শতাংশ বেশি দিন কাজ করেছে। কিন্তু আমি এতে সন্তুষ্ট নই। আমি পারলে ২০০ শতাংশ বেশি কাজের ব্যবস্থা করতাম। কিন্তু ৩০ বছর পর দেশের জনগণ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে নির্বাচিত করে ষোড়শ লোকসভা গঠন করেছিল। ফলে, ২০ শতাংশ বেশি কাজ হয়েছে। দেশের করদাতাদের অর্থ সঠিক কাজে লেগেছে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশের জন্য প্রয়োজনীয় নীতিগুলি নির্ধারিত হয়েছে। কিন্তু রাজ্যসভায় কী হয়েছে? আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় রাজ্যসভাই হচ্ছে বরিষ্ঠ সভা, সেখানে তপসী, তেজস্বী, বয়ঃবৃদ্ধ, তপঃবৃদ্ধ ঠান্ডা মাথার মানুষেরা বসেন। তাঁরা ভালোভাবে পরস্পরের কথা শুনে, ভাবনাচিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু, রাজ্যসভার বিগত অধিবেশনে উৎপাদনশীলতা মাত্র ৮ শতাংশ। এটি অত্যন্ত চিন্তার বিষয়! আপনারা একটা কাজ করুন। এখান থেকে ফিরে গিয়ে ২-৪টে জেলা মিলে যুব সাংসদদের একটি করে বিতর্কসভার আয়োজন করুন। আর সেখানে প্রধান অতিথি কিংবা বিশেষ অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানান আপনাদের এলাকার রাজ্যসভার সদস্যদের। তাঁদেরকে ভালো মালা পড়াবেন, শাল জড়াবেন এবং সুন্দর সুদৃশ্য চেয়ারে বসাবেন। তারপর তাঁদের অনুরোধ জানান যে, তিনি যেন তাঁর রাজ্যসভার অভিজ্ঞতা আপনাদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি আপনাদের অঞ্চলের জন্য কী করেছেন, সেই প্রশ্ন রাখুন। প্রশ্ন রাখলেই চাপ সৃষ্টি হবে। গণতন্ত্রে এটাই হওয়া উচিৎ। আমি বলছি না যে, কোনও নির্দিষ্ট দলের সাংসদদের ডাকুন, দলমত নির্বিশেষে সমস্ত রাজ্যসভার সদস্যদের কাছে প্রশ্ন রাখুন যে, আপনারা কী করেছেন? এভাবেই আমরা যুব সংসদকে আরও প্রভাবশালী করে তুলতে পারি। বন্ধুগণ, যুবকদের মনে অনেক আকাঙ্খা থাকে। তাঁরা উচ্চাকাঙ্খী হন। আমার মতে, এটাই স্বাভাবিক। এর অভিব্যক্তি হওয়া উচিৎ যেমনটি আমাদের এই মহিলাদের সুন্দর সুন্দর কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। আমি খুব বেশি কবিতা জানি না। দু-একটা যা পড়েছি সেখান থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি। একজন কবি লিখেছিলেন – তাঁর ধারণা যে আমার ওড়ার অভিজ্ঞতা কিছুটা কম, আমার বিশ্বাস এই আকাশ আমার জন্য যথেষ্ট নয়। সেজন্যই আমি সবসময়ে বলি, নবীনদের স্বপ্ন ও আকাঙ্খাকে থামানো উচিৎ নয়। তাঁদের উন্মুক্ত আকাশে উড়তে দিতে হবে। কারণ, নবীন প্রজন্মের ভাবনায় তাজা বাতাস থাকে, প্রাণশক্তি থাকে, তেজ থাকে, তীক্ষ্ণতা থাকে, তাঁদের ঘাড়ে অতীতের বোঝা থাকে না। সেজন্যই তাঁরা যে কোনও সমস্যার সমাধানে ��ধিক সক্ষম হন। বন্ধুগণ, দেশ ও সমাজের সমস্যাগুলি মেটাতে আপনাদের ভাবনাচিন্তা নতুন ভারতকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। আজ সময় যত দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, আজকের প্রজন্মের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাঁরা আগের তুলনায় অনেক দ্রুত ভাবেন ও কাজ করেন। আপনাদের তুলনায় আপনাদের বাড়ির ভাইপো-ভাইজিরা আরও দ্রুত ভাবেন ও কাজ করেন। আপনাদের সঙ্গে আপনাদের ভাইপো- ভাইজিদের বেশি বয়সের পার্থক্য নেই। তবুও আপনারা ভাবনার পার্থক্য অনুভব করছেন। একেই পরিবর্তন বলে। অনেকে বলেন, আজকালকার ছেলেমেয়েরা বেশি প্রশ্ন করে। বাড়িতেও বড়রা বলেন, চুপ কর যা পড়তে বস। আবার কেউ বলেন, আজকের নবীন প্রজন্মের ধৈর্য্য নেই। তাঁরা এক ধরণের কাজ করতে পছন্দ করে না, সব সময়ে নতুন কিছু চাই। আমি মনে করি, তাঁদের যত অভিযোগ সবকটাই নবীন প্রজন্মের এগিয়ে যাওয়ার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আজকের প্রজন্ম আগে থেকেই মাল্টি-টাস্কিং – এর জন্য প্রস্তুত থাকে। তাঁরা উচ্চাকাংখায় টইটম্বুর, তাঁরা দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে চান বলেই তাঁরাই নতুন ভারতের স্তম্ভ। বন্ধুগণ, আমাদের সরকার দেশের যুবকদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির জন্য যথাসম্ভব চেষতা করেছে। আমরা মনে করি, যুবকদের সুযোগ পাওয়া উচিৎ, সুযোগে সাম্য থাকা উচিৎ; সামর্থ্য তো তাঁদের রয়েছেই। সেজন্য শিক্ষা ও সরকারি পরিষেবায় উচ্চ বর্গের গরিব বন্ধুদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত আমাদের সরকার নিয়েছে। সমাজের অন্যান্য পিছিয়ে থাকা মানুষদের সংরক্ষণকে কোনও ভাবে বঞ্চিত না করে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আমরা এই ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সুনিশ্চিত করেছি। শুধু তাই নয়, সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মোট আসন সংখ্যা ২৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। বন্ধুগণ, সুযোগের সাম্য তখনই সুনিশ্চিত হয়, যখন ব্যবস্থা থেকে পরিবারবাদ স্বজন-পোষণ ও দুর্নীতি সদূর হয়। সেজন্য আমরা লাগাতার একের পর এক ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। খেলাধূলা থেকে শুরু করে সমস্ত ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে কিংবা স্টার্ট আপের মাধ্যমে নবীন প্রজন্মের উদ্ভাবনী ভাবনাকে দেশের শক্তিতে রূপান্তরণের লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে চলেছি। ভবিষ্যতে আপনাদের মতো নবীন প্রজন্মের মানুষদেরই এই কর্মযজ্ঞে নেতৃত্ব দিতে হবে। এই কর্মযজ্ঞ দ্বারা সমাজকে উপকৃত করার দায়িত্ব আপনাদের মতো নবীন প্রজন্মের মানুষ���েরই। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই প্রাথমিক পর্যায়ে ভারত যাতে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায়, স্টার্ট আপ ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বে সম্পূর্ণ দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে দেশে উদাহরণ সৃষ্টিকারী উদ্যোগও আমাদের সবাইকে একসঙ্গে মিলেমিশে নিতে হবে। মনে রাখবেন, আমি কিংবা আপনি যে প্রজন্মের মানুষ তাঁরা কেউ দেশকে স্বাধীন করার জন্য আত্মবলিদানের সুযোগ পাননি। দেশের জন্য লড়াই করারও সুযোগ পাননি। সেজন্য আমাদের প্রাণশক্তি, আমাদের প্রতিভা দেশের জন্য বেঁচে থাকতে এবং দেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে কাজে লাগাতে হবে। আমার মনে আরও উপদেশ রয়েছে। ভাগ্যিস আমি শিক্ষক হয়নি, তা হলে হয়তো বেশি হোমওয়ার্ক দিতাম। আপনারা দেশের প্রত্যেক জেলা থেকে এসেছেন। কেমনভাবে থাকছেন, তা জানি না। কিন্তু আপনাদের অনুরোধ করব, সময় বের করে দেশের ১২৫ কোটি জনগণের পক্ষ থেকে আমাদের রক্ষাকারী সৈনিকদের উদ্দেশে দু’দিন আগে যে রাষ্ট্রীয় যুদ্ধ মেমোরিয়াল উৎসর্গ করেছি, আপনারা অবশ্যই সেটি দেখতে যাবেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার এত বছর পর আপনাদের সরকার আমাদের রক্ষাকর্তা বীর সৈনিকদের স্মৃতির উদ্দেশে এবং বীর পুলিশদের উদ্দেশে স্মারক উৎসর্গ করেছে। আপনারা অবশ্যই এই দুটি দেখতে যাবেন, আপনাদের শ্রদ্ধা জানাবেন। আপনারা যখন ফিরে যাবেন, তখন এই দু’দিনের স্মৃতি আর কোনও কাজে লাগুক কিংবা না লাগুক আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনারা এখান থেকে প্রাণপ্রাচুর্যে পূর্ণ হয়ে ফিরে যাবেন। আমি আর বেশি সময় নিতে চাই না, আপনাদের পক্ষ থেকে কিছু প্রশ্ন আসবে – সেগুলির জবাবও আমাকে দিতে হবে। কিন্তু তার আগে আমি দ্বারিকা প্রসাদ দ্বিবেদীর দুটি পঙক্তি উদ্ধৃত করে নিজের বক্তব্য সম্পূর্ণ করব। এই বক্তব্যে আপনাদের জন্য বার্তা রয়েছে। আমার সম্পূর্ণ ভাষণ মনে না রাখলেও চলবে – এত ওপরে ওঠো, যতটা উঠেছে আকাশ। এত মৌলিক হও, যতটা সৃষ্টিকর্তা নিজে। বন্ধুগণ, আমার সমস্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ণে আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। সঞ্চালক – মাননীয় সারা দেশ থেকে যুবসম্প্রদায়ের মানুষেরা এখানে এসেছেন, তাঁদের অনেক প্রশ্ন ছিল, সেগুলির মধ্য থেকে কিছু নির্বাচিত প্রশ্ন ….. দিল্লির শশাঙ্ক গুপ্তা কিছু জিজ্ঞেস করতে চান …. শশাঙ্ক উঠে দাঁড়ান। শশাঙ্ক – নমস্কার, প্রধানমন্ত্রী মহোদয়, আমি শশাঙ্ক গুপ্ত দিল্লির বাসিন্দা। আমার এবং আমার নবীন বন্ধুদের একথা জেনে আমার খুব ভা��ো লাগছে যে, আমাদের দেশের শক্তির প্রশংসা সমস্ত দেশবাসী করছে। এই প্রেক্ষিতে আমাকে একটি প্রশ্ন করতে চাই। বর্তমান সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে অধিকাংশ প্রকল্প শুরু করেছে, যেমন – দক্ষ ভারত – প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, মেক ইন ইন্ডিয়া, গবেষণার সুবিধার্থে প্রাইম মিনিস্টার রিসার্চ ফেলোশিপ স্কিম কূটনীতি শেখার জন্য স্টুডেন্ট এনগেজমেন্ট এমইএ প্রোগ্রাম ইত্যাদি। এই প্রসঙ্গে আমি জানতে চাই যে, এসব প্রকল্প দ্বারা উত্তর-পুর্ব ভারত থেকে গুজরাট পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর থেকে তামিলনাডু পর্যন্ত দেশের প্রত্যেক অংশের নবীন প্রজন্ম কিভাবে উপকৃত হবেন? এটাই আমার প্রশ্ন। ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রী – আপনি ঠিক বলেছেন। অনেক সময়ে প্রকল্প রচিত হয়, কিন্তু বাস্তবায়িত হয় না। পূর্ববর্তী সরকার অনেক প্রকল্প রচনা করেও বাস্তবায়িত করেনি। অনেক প্রকল্প ভাবনাতে কিংবা কাগজেই আটকে থাকে, ফাইলের বাইরেই থাকে না। বাস্তবে আমরা যদি সমাজের প্রান্তে বসবাসকারী শেষ মানুষটির কাছে প্রকল্পটিকে পৌঁছে দিতে পারি, তবেই প্রকল্পটিকে সফল বলা যায়। অনেক দশক আগেই পূর্ববর্তী সরকার গরিব মানুষের দোহাই দিয়ে ব্যাঙ্ক রাষ্ট্রীয়করণ করেছিল। আপনাদের জন্মের অনেক আগেই এসব কিছু হয়েছিল। এরপর ৪০ – ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের সমস্ত গরিবদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়নি। আমরাও দায়িত্ব পাওয়ার পর গরিবদের জন্য জিরো ব্যালান্সে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে জন ধন আন্দোলন গড়ে তুলি। আর আমাদের দেশের গরিবদের বৈভব দেখুন, জিরো ব্যালান্সের অ্যাকুন্ট খোলার পরও দেশের গরিব পরিবারগুলি জন ধন অ্যাকাউন্টে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা সঞ্চয় করেছেন। সমাজের প্রান্তে বসবাসকারী শেষ মানুষটির কাছে প্রকল্পটিকে পৌঁছে দেওয়ার প্রসঙ্গে আমার মনে পড়ে দাদা ধর্মাধিকারীর কথা। দাদা ধর্মাধিকারী ছিলেন, একজন গান্ধীবাদী বিচারক। আপনারা সুযোগ পেলে তাঁর লেখা বইগুলি পড়বেন। আচার্য ভিনোবা ভাবের প্রভাবে তিনি এক জায়গায় লিখেছেন, আমার আত্মীয় এক যুবক আমার কাছে কর্মসংস্থানের সহায়তার জন্য এসেছিল। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করি যে, তুমি কী কী করতে পারো? সে বলে যে, আমি গ্র্যাজুয়েট! আমি বলি যে, তা তো বুঝলাম, কিন্তু তুমি কী করতে পারো? সে বলে যে, আমি গ্র্যাজুয়েট, কলেজে তিন বছর পড়েছি। আমি জিজ্ঞেস করি, তুমি কি গাড়ি চালাতে জানো? সে বলে, না! আমি জিজ্ঞ��স করি, রান্না করতে জানো? সে বলে, না! আমি জিজ্ঞেস করি, টাইপ করতে জানো? সে বলে, না! তা হলে তুমি কী জানো ……’ দাদা ধর্মাধিকারী সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন যে, ঈশ্বর আমাদের হাত দিয়েছেন, আমাদের গড়ে তুলতে হবে দক্ষতা। মানুষ যদি নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে, তা হলে সে না খেয়ে থাকবে না। সে নিজের পায়ে দাঁড়াতে, তাঁর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। কেন্দ্রীয় সরকার দক্ষতা উন্নয়ন অভিযানের মাধ্যমে সারা দেশে দক্ষতা উন্নয়নের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে। আগে বড় বাবুদের ছেলেমেয়েরাও বড় হয়ে বাবু হতে চাইতেন। কিন্তু আজকাল বড় আধিকারিকদের ছেলেমেয়েরা আর আধিকারিক হতে চান না, তাঁরা স্টার্ট আপ শুরু করতে চান, উদ্ভাবনের মাধ্যমে কিছু নতুন করতে চান! তাঁদের সাহায্য করতেই কেন্দ্রীয় সরকার মুদ্রা যোজনা চালু করেছে। কোনও রকম গ্যারান্টি ছাড়াই এই প্রকল্পের মাধ্যমে নবীন বন্ধুদের ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেশের নবীন প্রজন্মকে ভরসা করে সরকার তাঁদের লক্ষ-কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেছে। এদের মধ্যে ৪ কোটি এমন যুবক-যুবতী রয়েছেন, যাঁরা প্রথমবার ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেয়েছেন। তাঁরা নতুন শিল্পোদ্যোগ গড়ে তুলে নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়েছেন তো বটেই, পাশাপাশি, আরও কিছু মানুষকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। একথা বলার তাৎপর্য হ’ল – আমরা সমাজের প্রান্তিক মানুষটির কথা ভেবে প্রকল্প গড়ে তুলি। দেশের আড়াই লক্ষ গ্রামে গড়ে ওঠা কমনসার্ভিস সেন্টারগুলির মাধ্যমে গ্রামবাসীরা অনলাইনে ৪০০-রও বেশি সরকারি প্রকল্পের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলি দ্বারা উপকৃত হতে পারছেন। আপনারাও প্রতিবেশী ও পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের এই কমনসার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে আবেদন জানাতে হলে কী করতে হবে, কোথায় যেতে হবে – সে সম্পর্কে পরামর্শ দিতে পারেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, দেশবাসীর ওপর ভরসা রাখব। শাসন ক্ষমতায় যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মনে পাপ ছিল বলেই আগে জনগণকে সন্দেহ করা হ’ত। আমরা ভাবি যে, কিছু মানুষ ভুল পথ অনুসরণ করে বলে অধিকাংশ মানুষকে সন্দেহ করা উচিৎ নয়। সেজন্য আগে যে কোনও দরখাস্তের সঙ্গে আপনাদের যে নথিপত্র পেশ করতে হ’ত, সেগুলি কোনও পুরসভার প্রতিনিধি কিংবা গ্রামসভার সদস্যদের দিয়ে প্রত্যয়ন করতে হ’ত। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হ’ত। সামান্য প্রত্যয়ন করবেন বলে তাঁরা নানারকম বাহানা করত���ন, মেজাজ দেখাতেন – কেন? একজন জনপ্রতিনিধি তহশিল পঞ্চায়েত আধিকারিক, বিধায়ক, সাংসদ কিংবা কোনও গেজেটেড অফিসার আপনাদের সততার শংসাপত্র দেওয়ার কে? জনগণ নিজেই নিজের সততার প্রমান দেবেন। সেজন্য আমরা দেশ থেকে এই প্রত্যয়নের বিষয়টিকেই তুলে দিয়েছি। প্রত্যেক আবেদনকারী নিজের শংসাপত্র স্ব-প্রত্যয়িত করে জমা দেবেন এবং প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়ে চাকরিতে যোগদানের সময়ে আসল শংসাপত্রগুলি নিয়োগকর্তার প্রতিনিধিদের দেখিয়ে দেবেন। এই পরিবর্তন দেশে একটি সুপ্রশাসনের আবহ গড়ে তুলেছে। একটি গ্রামে খুব সুন্দর একটি বাসস্ট্যান্ড বানিয়ে দিলে উন্নয়ন সম্পূর্ণ হয় না। ঐ বাসস্ট্যান্ডটি নিয়মিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হলে সময় মতো বাস এলে এবং কন্ডাক্টরদের ব্যবহার যাত্রী-বান্ধব হলে এই সম্পূর্ণ প্যাকেজটি যখন মানুষের কাজে লাগে – আমি তাকেই উন্নয়ন বলে মনে করি। একথা মাথায় রেখেই স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই দেশে ৯ কোটি নতুন শৌচালয় গড়ে তোলা হয়েছে। এই উন্নয়নের সঙ্গে অন্য অনেক প্রকল্পের অন্তর্বর্তী সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে সংহত উন্নয়নসাধনের চেষ্টা করেছি। আমাদের দেশের কন্যাসন্তানরা ৩ – ৫ বছর বিদ্যালয় গিয়ে তারপর স্কুলছুট হয়ে যায় কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেল যে, বিদ্যালয়গুলিতে তাদের জন্য স্বতন্ত্র শৌচাগার ছিল না। সেজন্য পঞ্চম শ্রেণী বা তার আগেই মেয়েরা স্কুলছুট হ’ত। আর আমি স্বচ্ছ ভারত অভিযানের কথা বললে বিরোধী দিগ্‌গজরা বিদ্রুপ করে বলেছিলেন, শৌচাগার নির্মাণ কী প্রধানমন্ত্রীর কাজ! প্রধানমন্ত্রীকে তো বড় বড় কথা বলতে হবে। আমার আগে ১৩ জন এরকম বড় বড় কথা বলে চলে গেছেন। আর মেয়েরা শৌচাগার নেই বলে স্কুল ছেড়ে দিচ্ছে। সঞ্চালক – মাননীয় মহারাষ্ট্রের অমরাবতী থেকে এসেছেন আকাঙ্খা আসনারে। তিনি আপনার কাছে কিছু জানতে চান। আকাঙ্খা – সবার আগে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়কে সুপ্রভাত জানাই। আমি মহারাষ্ট্রের মেয়ে আকাঙ্খা। আপনারা কাছে প্রশ্ন করতে চাই যে, বিগত সাড়ে চার বছরে দেশের যুবসম্প্রদায়ের সামনে অনেক বেশি সুযোগ এসেছে। আমাদেরকে অনেক বেশি ভরসা করা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হ’ল – এই পরিস্থিতি কিভাবে পরিবর্তন হয়েছে? প্রধানমন্ত্রী – আমি এই পরিস্থিতি বদলাইনি। দেশবাসী বদলেছেন। দেশবাসীর বিশ্বাস বদলেছে। পরিচ্ছন্নতা সুনিশ্চিত করতে মোদী কি নিজে ঝাড়ু দিয়ে��ে? দেশবাসী ঠিক করেছেন যে, এবার পরিচ্ছন্ন হতে হবে আর সবাই উঠে পড়ে লেগেছেন। এখন বাড়ির ছোট শিশুও ভুল জায়গায় নোংরা ফেললে দাদু-দিদার ওপর চেঁচিয়ে উঠছে আর সঠিক জায়গায় ফেলতে বাধ্য করছে। জনগণের শক্তি ও সংকল্পের মাধ্যমেই দেশে পরিবর্তন আসে সরকারকে শুধু সুযোগ ও পরিসর করে দিতে হয়। আমাদের সরকার নিরন্তর সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে। ধন্যবাদ। সঞ্চালক – মাননীয়, আপনার সংসদীয় কেন্দ্র উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে এসেছেন খুশি শ্রীবাস্তব। তিনি আপনাকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চান? খুশি শ্রীবাস্তব – মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়, নমস্কার। আমার প্রশ্ন হ’ল, ভারতে দুর্নীতি সর্বস্তরে পৌঁছে গিয়েছিল। জনগণ অসহায় ছিলেন। কিন্তু বিগত চার বছরে আগে যারা ঘুষ নিত, তারাও আর নিচ্ছে না। ছোটবেলা থেকে চোখের সামনে যা দেখেছি, গত চার বছরে তা কেমন করে বন্ধ হয়ে গেল – এটিই আমার প্রশ্ন। প্রধানমন্ত্রী – একথা সত্যি। আমাদের পরও যে দেশগুলি স্বাধীন হয়েছে, তারা কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে গেছে। কিন্তু আমরা নিজেদের এসব দুর্নীতির কারণেই পিছিয়ে পড়েছি। শরীরে যদি ডায়াবেটিস হয়, তখন অন্য রোগগুলিকেও আমন্ত্রণ জানায়। সেজন্য ডায়াবেটিসকে রাজ রোগ বলে। দুর্নীতিও এমনই একটি ঘুন, যা বিভিন্ন রোগের রূপ নিয়ে আসে আর কুরে কুরে খায়। যতক্ষণ আমরা দেশকে দুর্নীতিরূপী ঘুনের হাত থেকে বাঁচাতে না পারব, ততক্ষণ নানা রোগ নানা চেহারা নিয়ে দেখা দিতে থাকবে। এই কাজ একটু কঠিন। প্রত্যেকের দ্বারা এই কাজ করা সম্ভব নয়। কোনও রকম নিহিত স্বার্থ থাকলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়লাভ সম্ভব নয়। যে নিজের সম্পর্কে বিন্দুমাত্র না ভেবে শুধু দেশের স্বার্থে ভাববেন, সেই একমাত্র জনগণ যাতে সংবিধান মেনে সততার সঙ্গে বাঁচতে পারেন, সেরকম আইন সংশোধন কিংবা প্রণয়ন করে দুর্নীতি দমন করতে পারবে। আমরা এই পথেই হেঁটেছি। সেজন্য নবীন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা যাতে জিনিস কিনতে হলে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বা ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে কিনতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করেছি। কেউ যদি ভুল কিছু করেন, সে ধরা পড়ে যায়। আমাদের প্রচেষ্টায় স্বাধীনতার ৭০ বছর পর আয়করদাতার সংখ্যা ২০১৪’র তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। এটা কি জনগণের সততার পথ অবলম্বনের লক্ষণ নয়! আপনাদের সহযোগিতায় এইসব কিছু সম্ভব হচ্ছে। সঞ্চালক – মাননীয়, কর্ণাটকের তুম্পুর থেকে এসেছেন শ্রী রক্ষিত। তিনি আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে চান। রক্ষিত – প্রধানমন্ত্রী মহোদয়, আপনাকে প্রণাম জানাই। আমি আপনার উদ্দেশে একটি বচন সমর্পিত করছি – ‘আচার্য হ্যায় স্বর, অনাচারিয়া হ্যায় নর’ অর্থাৎ ‘আচার্য তো শব্দ করছেন, অনাচার্যের উচ্চারণ শোনা যায় না’। আপনি সঠিক উচ্চারণের মাধ্যমে বিশ্বকে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, দেশবাসী আপনার সঙ্গে রয়েছেন আর আমরা এগিয়ে চলেছি। এক্ষেত্রে আমাদের যুবসম্প্রদায়ের কী করা উচিৎ – আপনি বলুন। প্রধানমন্ত্রী – যুবসম্প্রদায় কী করবে, সেটা কি আমাকে বলে দিতে হবে! আমাদের দেশে ৮০ কোটি মানুষের বয়স ৩৫ বছর কিংবা তার নীচে। তাঁরাই দেশকে বদলে দিতে পারেন। এটা কোনও কঠিন কাজ নয়। সামনেই তো সাধারণ নির্বাচন। আমাদের নবীন প্রজন্মের সকলে কী নিজেদের নাম ভোটার লিস্টে নথিভুক্ত করেছেন? একবিংশ শতাব্দীতে যাঁদের জন্ম হয়েছে, সেরকম মানুষেরা এই প্রথম লোকসভা ভোটে নিজেদের মত প্রকাশ করবেন। আর শিশুরা যখন প্রথমবার স্কুলে যায়, তখন পরিবারে যেমন উৎসব হয়, এমনকি গরিব বাড়ির ছেলেমেয়দেরও মিষ্টি খাওয়ানো হয়। তেমনই প্রথমবার যাঁরা ভোট দিতে যান, তাঁদেরকেও বাড়িতে মিষ্টি খাওয়ানো উচিৎ। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মাধ্যমে আমরা সবাইকে ডিজিটাল লেনদেনের জন্য উৎসাহিত করতে পারি। এটাই হবে অনেক বড় দেশ সেবা। এরকম ছোট ছোট কাজ করলেই সমাজে অনেক পরিবর্তন আনা সম্ভব। ধন্যবাদ। সঞ্চালক – মাননীয়, এটা শেষ প্রশ্ন ছিল, আপনি কি আমাদের আর কোনও কিছু বলে প্রেরণা যোগাবেন? প্রধানমন্ত্রী – বললাম তো, আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।",ৰষ্ট্ৰীয় যুৱ সংসদ উত্সৱৰ বঁটা প্ৰদান অনুষ্ঠানত দিয়া প্ৰধান মন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A4/,"মাননীয়, ইয়ুনমো সাং, বাণিজ্য, শিল্প ও শক্তি মন্ত্রী, বিশিষ্ট বাণিজ্যিক নেতৃবৃন্দ, বন্ধুগণ, শুভ অপরাহ্ন। সিওলে আজ আপনাদের সঙ্গে মিলিত হতে পেরে আমি আনন্দিত। মাত্র ১২ মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্যিক নেতৃবর্গের সঙ্গে এটি আমার তৃতীয় আলাপচারিতা। আমার সদিচ্ছা অনেক। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ভারতে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ যাতে বৃদ্ধি পায়, সে বিষয়ে আমি অত্যন্ত আগ্রহী। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম তখনও দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেছি। দক্ষিণ কোরি��া আমার কাছে অর্থনৈতিক বিকাশের আদর্শস্বরূপ। বন্ধুগণ, ১২৫ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারত, বর্তমানে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। · ভারত কৃষি প্রধান অর্থনীতির দেশ থেকে শিল্প ও পরিষেবামূলক অর্থনীতির দিকে এগোচ্ছে। · এমন একটি অর্থনীতি যা সারা বিশ্বের সঙ্গে একত্রে সংযুক্ত। · এমন একটি অর্থনীতি, যেটি লাল ফিতের বন্ধন থেকে বেড়িয়ে লাল কার্পেটের দিকে এগোচ্ছে। ভারতে বর্তমানে সুযোগ বেড়েছে। আমরা ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে যখন কাজ করে চলেছি, তখন আমাদের সহযোগী হিসেবে চেয়েছি সম-মানসিকতাসম্পন্ন সহযোগী। এদের মধ্যে আমি দেখেছি দক্ষিণ কোরিয়া প্রকৃতই ভারতের সহযোগী হওয়ার ক্ষমতা রাখে। ভারত, দক্ষিণ কোরিয়ার ১০টি বাণিজ্যিক সহযোগী দেশের একটি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্য রপ্তানির ষষ্ঠ বৃহত্তম গন্তব্য। ২০১৮-য় আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২১.৫ বিলিয়ন ডলার। সুসংহত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বমূলক চুক্তিটিকে আরও উন্নত করতে আলাপ-আলোচনা চালানো হবে, যাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছনো যায়। ভারতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগের পরিমাণ ৬ বিলিয়ন ডলার। বন্ধুগণ, ২০১৫ সালে আমার দক্ষিণ কোরিয়া সফরের পর আমরা ঐ দেশকে সহযোগিতার জন্য ‘ইনভেস্ট ইন্ডিয়া’র অধীনে “কোরিয়া প্লাস” সেল চালু করি। হুন্ডাই, স্যামসাং, এলজি ইলেক্ট্রনিক্স ভারতে এখন নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড। এর মধ্যে অচিরেই যুক্ত হবে কিয়া ব্র্যান্ডটি। ভারতে দক্ষিণ কোরিয়ার ৬০০টি বাণিজ্যিক সংস্থা বিনিয়োগ করেছে। আমরা দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আরও বেশি বিনিয়োগ আশা করি। এজন্য, দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের জন্য ভিসা-অন-অ্যারাইভ্যালের ব্যবস্থা করা হয় ২০১৮-র অক্টোবর থেকে। আমরা ভারতে দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্যিক দপ্তরগুলির আরও বেশি উপস্থিতি কামনা করি। অদূর ভবিষ্যতে ভারত ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) চালু করা হয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহজে ব্যবসা-বাণিজ্য করার যে র‍্যাঙ্কিং পদ্ধতি রয়েছে, তাতে ভারত ৬৫ ধাপ এগিয়ে ৭৭-এ উন্নীত হয়েছে। আগামী বছর আমরা সহজে ব্যবসা-বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে সেরা ৫০-এর মধ্যে পৌঁছনোর লক্ষ্য নিয়েছি। বর্তমানে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের দরজা পুরোপুরি খোলা। বিগত চার বছরে আমরা ২৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রত্যক্��� বিদেশি বিনিয়োগ আনতে পেরেছি। বন্ধুগণ, আমরা আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারেও যথেষ্ট উদ্যোগী হয়েছি। বিগত তিন বছরে আমরা ৩০ কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পেরেছি তাঁদের ক্ষেত্রে যাঁদের কোনদিনই কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না। এখন ভারতীয় পরিবারগুলির ৯৯ শতাংশের কাছেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং এই অ্যাকাউন্টগুলিতে ১২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি জমা পড়েছে। বিগত তিন বছরে ‘মুদ্রা’ যোজনায় আমরা ৯০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্ষুদ্র ঋণ ১২ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষকে দিতে পেরেছি। এর মধ্যে, ৭৪ শতাংশ ঋণ দেওয়া হয়েছে মহিলাদেরকে। আমরা বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং মোবাইল ফোনের সুবিধা দিয়েছি যাতে ভর্তুকি এবং পরিষেবা দেওয়া যায় তাঁদের, যাঁরা এতদিন ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার আওতায় ছিলেন না। গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণের ক্ষেত্রেও আমরা যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছি। ভারত বর্তমানে আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার দ্বারা সম্মানিত কারণ, ভারতের বহু গ্রাম ২০১৮-র মধ্যে বৈদ্যুতিকীকরণের আওতায় চলে এসেছে। এই উদ্যোগ এবং একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সৌর জোট গড়ে তোলার ব্যাপারে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাতে ‘গ্রিন গ্লোবাল ইকনমি’ সৃষ্টির পথিকৃৎ হয়ে যাবে ভারত। বন্ধুগণ, অর্থনৈতিক প্রগতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যোগ রয়েছে বিশ্বমানের পরিকাঠামোর – তা পরিবহণই হোক, বা বিদ্যুৎ অথবা বন্দর কিংবা জাহাজ নির্মাণ অথবা নগর পরিকাঠামো। ভারতে এগুলির বিপুল চাহিদা রয়েছে এবং পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ার রয়েছে প্রযুক্তিগত ক্ষমতা।আমাদের হিসেব মতো, ভারতে ২০২২ সালের মধ্যে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ৭০০ বিলিয়ন ডলারের মতো বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে। ‘সাগরমালা’ প্রকল্পের অন্তর্গত কিছু বন্দর প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে আগামী পাঁচ বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতের ৫০ কোটিরও বেশি জনসংখ্যা নগর-কেন্দ্রিক হয়ে যাবে এবং এর ফলে ভারতে স্মার্ট সলিউশন গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হবে। ভারতে পরিকাঠামোমূলক উন্নয়নে সহযোগিতা করার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরে ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল এবং রপ্তানি ঋণ-এর অধীনে প্রকল্পগুলিতে আর্থিক সহায়তাদানের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় নির্ধারণ করেছে। বন্ধুগণ, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগে গবেষণা এবং উদ্ভাবন ���ুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এজন্য আমরা ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’ চালু করেছি এবং এই কর্মসূচির জন্য চার বছরে ১.৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে যাতে ভারতে স্টার্ট-আপ ব্যবস্থা শুরু করা যায়। প্রেসিডেন্ট মুন-এর নেতৃত্বে দক্ষিণ কোরিয়া ২০২০-র মধ্যে ৯.৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার একটি কর্মসূচির কথা জানিয়েছে যাতে, স্টার্ট-আপ উদ্যোগগুলির মূলধনের প্রয়োজন বেশি করে মেটানো যায়। আমরা স্বপ্ন দেখছি, একটি ভারত-কোরিয়া স্টার্ট-আপ কেন্দ্র গড়ে তোলার যেটি দক্ষিণ কোরিয়ার স্টার্ট-আপ উদ্যোগ এবং ভারতের মেধার মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি হাবের মতো কাজ করবে। সাউথ কোরিয়ান ন্যাশনাল আইটি ইন্ডাস্ট্রি প্রোমোশন এজেন্সি বেঙ্গালুরুতে তাদের ভারতীয় দপ্তর খুলেছে যাতে ভারতে দক্ষিণ কোরিয়ার স্টার্ট-আপ চালু করা যায়। উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও দুটি দেশ ‘ইন্ডিয়া-কোরিয়া ফিউচার স্ট্র্যাটেজি গ্রুপ’ এবং ‘ইন্ডিয়া-কোরিয়া সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন কো-অপারেশন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্ধুগণ, আমরা, আমাদের দেশের নাগরিকদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী। দু’দেশের বাণিজ্যিক নেতৃবৃন্দ আমাদের স্বপ্ন নিজেদের মধ্যে যদি ভাগ করে না নেন, তাহলে আমাদের দু’দেশের সরকারের প্রচেষ্টার সম্পূর্ণ রূপায়ণ অসম্ভবই থেকে যাবে। আমি কোরিয়ার ভাষায় শেষ করতে চাই – হুনজা খাময়োন পল্লী খাজীমন হমকে খাময়োন মল্লী খম্নিদা অর্থাৎ, তুমি দ্রুত যাবে যদি তুমি একা যাও, কিন্তু তুমি দূরে যাবে যদি একসঙ্গে যাও। ধন্যবাদ। আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।",দক্ষিণ কোৰিয়া ভ্ৰমণকালত ভাৰত-দক্ষিণ কোৰিয়া বাণিজ্যিক সন্মিলনত প্রধানমন্ত্রীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%A4-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B1%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95/,"২০১৭-র শিল্পোদ্যোগসম্পর্কিত বিশ্ব সম্মেলন ভারতে আয়োজনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতেরযে মউ স্বাক্ষরিত হয়েছিল, কর্মপরবর্তী প্রক্রিয়া হিসেবে তা আজ এখানে অনুমোদিত হলপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভারবৈঠকে। ঐ মউ বা সমঝোতাপত্রে এই শীর্ষ সম��মেলন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন ও পরিচালনার জন্যদু’পক্ষের মধ্যে দায়-দায়িত্ব, সহযোগিতা বিনিময় ইত্যাদির সুস্পষ্ট উল্লেখ ছিল। ঐ বিশ্ব সম্মেলনেবিশ্বের বড় বড় শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে সংযোগ ও যোগাযোগ স্থাপনের এক বিশেষ সুযোগ সম্প্রসারিতহয় শিল্পোদ্যোগী এবং বিনিয়োগ কর্তাদের কাছে। বিশেষ করে, তরুণ শিল্পোদ্যোগীদের কাছেঅর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধাকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে এক বিশেষ মঞ্চ ছিল এই বিশ্বসম্মেলন। মহিলা শিল্পোদ্যোগী এবং প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলির কাছেও এই সম্মেলন এক বিশেষসুযোগ এনে দেয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,এই বিশ্ব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭-র ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর ভারতের হায়দরাবাদে। বিভিন্নবহুজাতিক সংস্থার সিইও, নীতি রচয়িতা এবং সরকারি কর্মী ও আধিকারিক ছাড়াও বিশ্বের১৫০-টি দেশের ১,৫০০-রও বেশি প্রতিনিধি যোগ দেন এই সম্মেলনে।",ভাৰতত যুটীয়াভাৱে বৈশ্বিক উদ্যমিতা সন্মিলন-২০১৭(জিইএছ-২০১৭) অনুষ্ঠিত কৰিবলৈ ভাৰত আৰু মাৰ্কিন যুক্তৰাষ্ট্ৰৰ মাজত স্বাক্ষৰিত চুক্তিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE-2/,"নয়াদিল্লী, ১১ মার্চ, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ আমেদাবাদে গুজরাট পঞ্চায়েত মহা সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন। রাজ্যের সব জায়গার পঞ্চায়েত সদস্যরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুজরাট হলো বাপু ও সর্দার বল্লবভাই প্যাটেলের জন্মস্থান। তিনি বলেন, “বাপু সবসময়ই গ্রামোন্নয়ন ও স্বনির্ভর গ্রামের কথা বলতেন। আজ আমরা যখন অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছি সেই সময়ে বাপুর গ্রামীণ বিকাশের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী গুজরাটের পঞ্চায়েতগুলির ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, মহামারীর সময় গ্রামগুলি শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে সুন্দর ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে। তিনি আরও বলেন, গুজরাটে পুরুষ পঞ্চায়েত সদস্যদের থেকে মহিলা প্রতিনিধিদের সংখ্যা বেশি। তিনি বলেন, ভারতীয় গণতন্ত্রের শক্তির সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা হয়না কারণ দেড় লক্ষ পঞ্চায়েত প্রতিনিধি এখানে একসঙ্গে বসে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী গ্রামোন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য কিভাবে ছোট ছোট উদ্যোগের মাধ্যমে কাজ করতে হবে সে বিষয়ে পঞ্চায়েত সদস্যদের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সদস্যদের নিজেদের স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবসটি উদযাপন করা উচিত। সেদিন স্কুল প্রাঙ্গন এবং প্রতিটি ক্লাসকে পরিষ্কার করতে হবে এবং বিদ্যালয়ের নানা কর্মসূচী পালন করতে হবে। আজাদি কা অমৃত মহোৎসব ২০২৩-এর আগস্ট পর্যন্ত পালন করা হবে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামে এই সময়ে ৭৫টি প্রভাতফেরির আয়োজন করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী আরও পরামর্শ দেন এই সময়কালে প্রতিটি গ্রামে ৭৫ রকমের কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে যেখানে গ্রামের প্রতিটি মানুষ এক জায়গায় বসে সার্বিক বিকাশের বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করবেন। গ্রামগুলিতে ৭৫তম স্বাধীনতা বর্ষের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ৭৫টি গাছ বসিয়ে ছোট্ট একটি বন তৈরি করারও তিনি পরামর্শ দেন। এছাড়াও মা বসুন্ধরাকে সার ও বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের বিষের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিটি গ্রামে কমপক্ষে ৭৫ জন কৃষককে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষের ওপর তিনি গুরুত্ব দেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামে ৭৫টি পুকুর খনন করতে হবে যাতে বৃষ্টির জল ধরে রাখা যায় এবং মাটির তলার জলের মাত্রা বাড়ে। এর ফলে গ্রীষ্মকালে সকলের সুবিধা হবে। শ্রী মোদী গ্রামের প্রতিটি গবাদি পশুর টিকাকরণ নিশ্চিত করতে পরামর্শ দেন, এরফলে গবাদি পশুগুলিকে ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ বা খুরাচাল অসুখের থেকে রক্ষা করা যাবে। বিদ্যুতের সাশ্রয়ের জন্য তিনি পঞ্চায়েত ভবনে এবং রাস্তার বাতিগুলির জন্য এলইডি বাল্ব ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছেন। সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের অভিজ্ঞতাকে গ্রামে কাজে লাগাতে হবে। গ্রামের জন্মদিন একসঙ্গে পালন করার তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যাতে সেদিন গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে গ্রামোন্নয়নের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্যদের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে একজন যাতে স্থানীয় স্কুলে যান এবং কমপক্ষে ১৫ মিনিট সময় কাটান। এর মধ্য দিয়ে গ্রামের স্কুলগুলিতে নজরদারি বাড়ানো যাবে এবং সেখানকার শিক্ষার মান ও পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে। পঞ্চায়েত সদস্যদের গ্রামবাসীদের কমন সার্ভিস সেন্টারের সর্বোচ্চ সুবিধা লাভের পরামর্শ দিতে হবে। কারণ এইসব কমন সার্ভিস সেন্টারগুলি সরকারের কাছে গ্রামবাসীদের পৌঁছানোর মহাসড়ক হিসেবে কাজ করে। এরফলে ট্রেনের টিকিট কাটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজ করতে আর শহরে যেতে হবেনা। প্রধানমন্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্যদের স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেন, যাতে গ্রামের কোনো ছেলেমেয়ে স্কুলছুট না হয়। একইসঙ্গে নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী গ্রামের শিশুরা বিদ্যালয় বা অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে যাতে ভর্তি হয় সে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী খেয়াল রাখতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণকারী পঞ্চায়েত সদস্যদের কাছে জানতে চান তিনি যেসব পরামর্শ দিয়েছেন সেগুলি তাঁরা মেনে চলবেন কি না। জবাবে পঞ্চায়েত সদস্যরা উচ্চস্বরে তাঁদের সম্মতি প্রকাশ করেন।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আহমেদাবাদত গুজৰাট পঞ্চায়ত মহাসন্মিলন সম্বোধন কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A7%AD-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%AD-%E0%A7%AE-%E0%A6%85%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A6%A3/,"প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৭-র ৭ এবং ৮ অক্টোবর গুজরাট সফর করবেন। ৭ অক্টোবরসকালে প্রধানমন্ত্রী দ্বারকাধীশ মন্দির সফর করবেন। দ্বারকায় তিনি ওখা ও বেইটদ্বারকার মধ্যে একটি সেতু ও অন্যান্য সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকরবেন। তিনি সেখানে একটি জনসভাতেও ভাষণ দেবেন। দ্বারকাথেকে প্রধানমন্ত্রী সুরেন্দ্র নগর জেলার চোটিলায় পৌঁছবেন। রাজকোটে তিনি একটিগ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এছাড়াও, আমেদাবাদ-রাজকোটজাতীয় সড়ককে ছ’লেনে উন্নীত করা এবং রাজকোট-মোরবি রাজ্য সড়ককে চার লেনে উন্নীত করারজন্য প্রকল্পেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী সম্পূর্ণস্বয়ংক্রিয়ভাবে দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণের একটি কেন্দ্র ও প্যাকেজিং প্ল্যান্ট জাতিরউদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। সুরেন্দ্র নগরে জোড়াবরনগর এবং রতনপুর এলাকার মধ্যে একটিপানীয় জলের পাইপলাইন প্রকল্পও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এখানেও তাঁর একটিজনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। ৮ অক্টোবরসকালে প্রধানমন্ত্রী ভাদনগর পৌঁছবেন। প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ার পর এই প্রথমতিনি এই শহরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি হাটকেশ্বর মন্দিরে যাবেন। একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রীপরিবর্ধিত ‘মিশন ইন্দ্রধনুস’ প্রকল্পের সূচনা করবেন। শিশুদের সম্পূর্ণ টিকাকরণেরআওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজকে ত্বরান্বিত ক���তে এই প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। নতুনএই প্রকল্পটি পুর এলাকার এবং যে সমস্ত অঞ্চলে টিকাকরণের হার কম, সেখানে বেশি জোরদেবে। প্রধানমন্ত্রী, ‘ইমটেকো’ অ্যাপেরসূচনা উপলক্ষে স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতেই-ট্যাবলেট তুলে দেবেন। আশা কর্মীদের কাজের উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘ইমটেকো’ একটি অভিনবমোবাইল ফোনের অ্যাপ্লিকেশন। ভারতে আশা কর্মীদের আরও ভালো পরিচালনা, সহায়তা এবংউদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে নবজাতক শিশু এবং নতুন মায়েদের এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসাএবং শিশুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে উদ্যোগের জন্যই এক অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। ‘ইমটেকো’রঅর্থ – ইনোভেটিভ মোবাইল ফোন টেকনলজি ফর কমিউনিটি হেল্‌থ অপারেশন্স (গোষ্ঠীস্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাজের জন্য অভিনব মোবাইল ফোন প্রযুক্তি)। গুজরাটিতে ‘টেকো’শব্দের অর্থ আবার ‘সমর্থন’। অতএব, ‘ইমটেকো’র অর্থ হচ্ছে ‘আমিই সমর্থন’।প্রধানমন্ত্রী এখানেও এক জনসভায় ভাষণ দেবেন। ঐদিন বিকেলেপ্রধানমন্ত্রী ভারুচে পৌঁছবেন। সেখানে নর্মদা নদীর ওপর ভাদভুত ব্যারেজেরভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। এছাড়া, গুজরাটের সুরাটের উধনা থেকে বিহারেরজয়নগর পর্যন্ত অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেসের যাত্রা সূচনা করবেন। তিনি গুজরাট নর্মদাফার্টিলাইজার কর্পোরেশনে বেশ কয়েকটি প্ল্যান্টের উদ্বোধন করবেন এবং ভিত্তিপ্রস্তরস্থাপনের ফলক উদ্বোধন করবেন। এখানেও তিনি এক জনসভায় ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় দিল্লি ফিরে আসবেন। /",৭-৮ অক্টোবৰত গুজৰাট ভ্ৰমণ কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9D%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%9D%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD/,"আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আজ দেশবাসী অত্যন্ত উদ্বেলিত ও শোকগ্রস্ত। এখানে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের মনের অবস্থা আমি ভালোভাবেই বুঝতে পারছি। সবার আগে আমি পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী আক্রমণে শহীদ জওয়ানদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। তাঁরা দেশের সেবা করতে গিয়ে নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। এই দুঃখের সময়ে তাঁদের পরিবারবর্গের প্রতি আমার এবং সমস্ত ভারতবাসীর সমবেদনা জানাই। এই আক্রমণের ফলে জনগণের যত আক্রোশ, রাগ তা আমি খুব ভালোভাবেই অনুভব করছি। এই সময় দেশবাসী কিছু করে দেখাতে চান, এটাই স্বাভাবিক। আমরা দেশের প্রতিরক্ষা ���াহিনীগুলিকে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি। আমাদের সৈনিকদের শৌর্য এবং তাঁদের বীরত্বের ওপর সরকারের সম্পূর্ণ ভরসা আছে। আমি বিশ্বাস করি, দেশভক্ত মানুষেরা যেখানে যে খবর পাবেন, তা আমাদের বিভিন্ন সংস্থার কাছে পৌঁছে দেবেন যাতে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আরও তীব্র হতে পারে। আমি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকেএর জন্য অনেক বড় মূল্য দিতে হবে। আমি দেশকে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই আক্রমণের পেছনে যে শক্তিই থাকুক না কেন, তাদেরকে অবশ্যই সাজা দেওয়া হবে। যাঁরা আমাদের সমালোচনা করছেন, আমি তাঁদের ভাবনাকেও সম্মান করি। তাঁদের ভাবনাকে বুঝি। আর সেজন্য মনে করি যে তাঁদের সমালোচনার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। কিন্তু বন্ধুগণ, সময় অত্যন্ত সংবেদনশীল। আপনি সরকারের পক্ষে থাকুন কিংবা বিপক্ষে, সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে পরস্পরের প্রতি দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন। আমরা সংঘবদ্ধভাবে এই আক্রমণের মোকাবিলা করলে সারা পৃথিবী জানবে যে, ভারতবাসী এই আক্রমণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ, আমরা যে কোন লড়াই জেতার জন্যই লড়ি। গোটা বিশ্ববাসীর কাছে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া আমাদের প্রতিবেশী দেশ যদি মনে করে তারা যে কুকর্ম করছে, যেভাবে ষড়যন্ত্র রচিত হচ্ছে, তা ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টিতে সফল হবে, তাহলে তারা চিরদিনের জন্য স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দিন। তারা কখনই এটা করতে পারবেন না। এই সময় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভীষণরকম আর্থিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তারা ভারতে এই ধরণের অস্থিরতা সৃষ্টি করে নিজেদের জনগণের লক্ষ্যকে সেদিকে ঘোরাতে চায়। কিন্তু তাদের এই উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। সময় এটা প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা যেভাবেই চেষ্টা করুক না কেন, ভারত নিজের মতো উন্নতির পথে এগিয়ে গেছে। ১৩০ কোটি ভারতবাসী এ ধরণের প্রতিটি ষড়যন্ত্র ও আক্রমণের যথাযোগ্য জবাব দেবে। অনেক বড় দেশ অনেক কঠিন শব্দ প্রয়োগ করে এই সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের নিন্দা করেছে এবং ভারতের পাশে থাকার কথা ঘোষণা করেছে। আমি সেই সমস্ত দেশের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই এবং সবাইকে আহ্বান জানাই যে আসুন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মানবতাবাদী সমস্ত শক্তিকে একত্রিত করে অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করি। বন্ধুগণ, এই মাটি মণিকর্ণিকার শৌর্যভূমি। তিনি ঝাঁসির রানী হয়ে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নতুন প্রাণশক্তি ও প্রেরণা যুগিয়েছেন। মণিকর্ণিকা কাশীর কন্যা ছিলেন। আমার সৌভাগ্য যে, এখানকার জনগণ আমাকে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছেন। সেজন্য তাঁর জন্মভূমির কথা আমার কর্মভূমির সঙ্গে বুন্দেলখন্ডে একটি বিশেষ ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। বুন্দেলখন্ডের মাটি দেশভক্তি ও ঈশ্বরভক্তিকে একটি নতুন উচ্চতা প্রদান করেছে। আমার মনে আছে যে, প্রথমবার যখন আপনাদের কাছে এসেছিলাম, তখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, যে ভালোবাসা আপনারা আমাকে দিচ্ছেন, তা আমি সুদ সহ ফেরৎ দেব। বিগত সাড়ে চার বছর ধরে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব নিয়ে সেই প্রতিশ্রুতি পালনের কাজ করে চলেছি। আমার কাজ দেখে আপনারা উত্তর প্রদেশেও বিজেপি সরকারকে নির্বাচিত করেছেন। তারপর থেকে যোগীজীর নেতৃত্বে রাজ্যের উন্নয়ন আরও অনেক ত্বরান্বিত হয়েছে। বন্ধুগণ, আমরা উন্নয়নের পঞ্চধারায় বিশ্বাস করি। অর্থাৎ, ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা, যুবসম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান, বয়স্কদের ওষুধ, কৃষকদের সেচ ব্যবস্থা এবং প্রত্যেকের অভাব-অভিযোগ শোনা। এই লক্ষ্য নিয়েই আজও বুন্দেলখন্ড তথা উত্তর প্রদেশের উন্নয়নকল্পে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করা হয়েছে। এর মধ্যে নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, রেল, বিদ্যুৎ এবং জল প্রকল্প রয়েছে। ভাই ও বোনেরা, এখন বুন্দেলখন্ডকে দেশের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের করিডর হিসাবে গড়ে তোলার অভিযান শুরু হয়েছে। ঝাঁসি থেকে আগ্রা পর্যন্ত নির্মীয়মান এই প্রতিরক্ষা করিডর দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি, বুন্দেলখন্ড তথা উত্তর প্রদেশের যুবসম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানকে আরও সুনিশ্চিত করবে। দেশ ও বিশ্বে অনেক বড় বড় বিনিয়োগকারী এই অঞ্চলে শিল্পোদ্যোগ গড়ে তোলার জন্য এগিয়ে আসছেন। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। বুন্দেলখন্ডের এমন কোনও অঞ্চল নেই, যেখান থেকে মানুষ কাজের খোঁজে গুজরাটে যান না। দীর্ঘকাল গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার ফলে আমি এই বিষয়টি ভালোভাবে বুঝি। গুজরাটের পাকিস্তান সীমান্তবর্তী কচ্ছ জেলার বিস্তৃত অঞ্চলে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার কারণে কোনও আধিকারিক সেখানে বদলি নিতে চাইতেন না। জলের অভাব ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা কম থাকায় জনসংখ্যাও ক্রম হ্রাসমান ছিল। কিন্তু, ২০০১ সালে প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পের পর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ঐ অঞ্চলে সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করেছি। ফলে, আজ কচ্ছ দেশের অন্যতম উন্নত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, নির্মীয়মান প্রতিরক্ষা করিডর অদূর ভবিষ্যতেই বুন্দেলখন্ড অঞ্চলকেও এই রকম উন্নত করে তুলবে। এখানকার মানুষকে আর অন্য অঞ্চলে কর্মসংস্থানের জন্য যেতে হবে না। আমি জানি যে, এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হ’ল জল। আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ-ও সেটা জানেন। সেজন্য আপনাদের সমস্যা দূর করতে আমরা ৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে পাইপ লাইন বসানোর প্রকল্প শুরু করেছি – আজ তার শিলান্যাস হ’ল। আমি স্থির নিশ্চিত যে, এই অঞ্চলের সমস্ত মা ও বোনেদের আশীর্বাদে অদূর ভবিষ্যতেই পাইপ লাইনের মাধ্যমে আপনাদের কাছে জল পৌঁছে যাবে। ভাই ও বোনেরা, এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে বুন্দেলখন্ডের প্রত্যেক জেলা – ঝাঁসি, ললিতপুর, জালৌন, হামিরপুর, মহোবা, বান্দা এবং চিত্রকূটের প্রত্যেক গ্রামে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছবে। এভাবেই ঝাঁসি শহর এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অমৃত যোজনার মাধ্যমে ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে একটি প্রকল্প গড়ে তুলেছে। যার মাধ্যমে বেতবা নদীর জল এই শহর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম হবে। ভাই ও বোনেরা, এই প্রকল্পগুলি বর্তমানের প্রয়োজনীয়তা সামলে ভবিষ্যতের প্রয়োজনও মেটাবে। পাহাড়ি বাঁধ প্রকল্প আধুনিকীকরণের মাধ্যমে কৃষকরা অনেক উপকৃত হবেন। জলের অভাবের পাশাপাশি, ওয়াটার গেট লিকেজের ফলে যে সমস্যা হ’ত, তার সমাধান করা হয়েছে। এবারের বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নামক একটি ঐতিহাসিক প্রকল্প এনেছে। এর মাধ্যমে যে কৃষকদের ৫ একরের কম জমি রয়েছে, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতি বছর তিন কিস্তিতে ২ হাজার টাকা করে মোট ৬ হাজার টাকা পৌঁছবে। এর ফলে, উত্তর প্রদেশেরও আনুমানিক ২ কোটি ২৫ লক্ষ কৃষকের মধ্যে ২ কোটি ১৪ লক্ষ কৃষক লাভবান হবেন। অর্থাৎ, উত্তর প্রদেশের প্রতিটি জেলায় ৯৫ শতাংশেরও বেশি কৃষক এই প্রকল্প দ্বারা উপকৃত হবেন। বন্ধুগণ, পিএম কিষাণ সম্মান যোজনা’র মাধ্যমে আগামী ১০ বছরে সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা হবে। মাঝে কোনও দালাল থাকবে না। বন্ধুগণ, বিগত সাড়ে চার বছর ধরে দ্রুতগতিতে গরিব ও কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলানোর জন্য আমরা যে পরিশ্রম করছিলাম, সেই অভিযান সফল হওয়ায় আপনারা ইতিমধ্যেই রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি, মনরেগার পারিশ্রমিক, পেনশন, ছেলেমেয়েদের ছাত্র��ৃত্তি সরাসরি আপনাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাচ্ছেন। কোনও দালাল আপনাদের অধিকার লুন্ঠন করতে পারছে না। ভাই ও বোনেরা, কেন্দ্রীয় সরকার পশুপালন এবং মৎস্য চাষীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁরাও কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ পাবেন। ফলে, মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে হবে না। আমরা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগে কৃষকরা কোনও রকম গ্যারান্টি ছাড়াই ব্যাঙ্ক থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ পেতেন। আমরা কৃষকদের আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষকে সহযোগিতার উদ্দেশ্যে এই গ্যারান্টি ছাড়া ঋণের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এভাবেই পশুধন সুরক্ষার স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার ‘কামধেনু আয়োগ’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আয়োগের মাধ্যমে গোমাতা এবং গো-বংশের রক্ষণা-বেক্ষণ সংক্রান্ত নিয়ম-কানুনগুলিকে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করার জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। বুন্দেলখন্ড অঞ্চলে গৃহ-পালিত পশুর খাদ্য সমস্যা এবং গবাদি পশুর চুরি-ডাকাতির সমস্যা সমাধানে এই ‘কামধেনু আয়োগ’ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বন্ধুগণ, এই অঞ্চলের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য এখানকার বিদ্যুৎ পরিবহণ ব্যবস্থা সংস্কার করা হয়েছে। এখন এই অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত পশ্চিম উত্তর প্রদেশের অনেক অঞ্চলে বিদ্যুৎ পরিবহণ ব্যবস্থা সংস্কার করা হবে। ফলে, পশ্চিম ও উত্তর গ্রিডে উৎপন্ন বিদ্যুৎ সহজেই সমস্ত এলাকায় পৌঁছবে। বন্ধুগণ, বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ে এবং এই অঞ্চলে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ঝাঁসি থেকে মাণিকপুর এবং খৈরার – ভীমসেন সেকশনে ডবল লাইন চালু করা এবং ঝাঁসি থেকে খৈরার ও ভীমসেনের পথে রেলপথ বৈদ্যুতিকীকরণ প্রকল্প এই অঞ্চলকে অনেক সুগম করে তুলবে। ভাই ও বোনেরা, কৃষক, সৈনিক এবং যুবসম্প্রদায়ের জন্য সুপরিকল্পিত উন্নয়নের মন্ত্র ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ নিয়ে বৈষম্যহীন উন্নয়নের কাজ আমরা করতে পেরেছি। কারণ, আপনারা কেন্দ্রে একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার নির্বাচিত করেছিলেন। আর সেজন্য সারা দেশ উত্তর প্রদেশের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে। কারণ, তিন দশক পর দেশকে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনে এই রাজ্যের জনগণের ভোটই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উত্তর প্রদেশের জনগণের এই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত ভারতের ভাগ্য বদ���ে দিয়েছে। ৩০ বছর ধরে নিরাশার গহ্বরে ডুবে থাকা দেশকে এই রাজ্যের মানুষ ২০১৪ সালে আশার আলো দেখিয়েছেন। আর গত সাড়ে চার বছরে ভারতবাসী দেখেছেন, একটি শক্তিশালী সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার কিভাবে জনগণের হিতে কাজ করতে পারে। সারা বিশ্বে দেশের সম্মান বৃদ্ধি করতে পারে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, উন্নয়নের স্বার্থে, নতুন ভারত গঠন করতে আগামী দিনেও আপনারা আমাকে আরও বেশি করে আশীর্বাদ করবেন। ভাই ও বোনেরা, আরেকবার উন্নয়নকে কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত করা এই সকল প্রকল্পের জন্য আপনাদের সকলকে আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আমি বিশেষ করে ঊমাজীকে অভিনন্দন জানাই। তিনি যেভাবে প্রতিটি জিনিসকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখে উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের প্রত্যেক বিভাগকে মনোযোগ দিতে বাধ্য করেন, তা উদাহরণযোগ্য। সেজন্য আমি তাঁকে অন্তর থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আপনারা সবাই আমার সঙ্গে পূর্ণ শক্তি দিয়ে বলুন – ভারতমাতা কি জয় ভারতমাতা কি জয় ভারতমাতা কি জয় অনেক অনেক ধন্যবাদ।",উত্তৰ প্ৰদেশৰ ঝাঁচীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্ৰকল্পৰ উচৰ্গা অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%A7%E0%A7%A7-%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%B6-%E0%A6%96/,"নতুন দিল্লি, ১২ মার্চ, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১২-ই মার্চ আমেদাবাদে ১১-তম খেল মহাকুম্ভের উদ্বোধন করেছেন । এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেল । শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী স্টেডিয়ামে উপস্থিত যুব শক্তির উৎসাহ-উদ্দীপনার ঢেউ লক্ষ্য করেন এবং বলেন যে এটি শুধু ক্রীড়া মহাকুম্ভ নয়, গুজরাটের যুবশক্তির একটি মহাকুম্ভও । প্রধানমন্ত্রী ভাষণের আগে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মহাকুম্ভ মহামারীর কারণে ২ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়নি । তবে এই অসাধারণ অনুষ্ঠান ক্রীড়াবিদদের মধ্যে নতুন শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করেছে । তিনি বলেন, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন “আমি ১২ বছর আগে যে বীজ বপন করেছিলাম, তা আজ এক বিশাল বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে ।” ২০১০ সালে গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদর্��ী নেতৃত্বে ১৬টি ক্রীড়াক্ষেত্র এবং ১৩ লক্ষ অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে এর যাত্রাপথ শুরু হয়েছিল । খেল মহাকুম্ভে আজ ৩৬টি সাধারণ ক্রীড়া এবং ২৬টি প্যারা ক্রীড়া অন্তর্ভুক্ত হয়েছে । ১১-তম খেল মহাকুম্ভের জন্য ৪৫ লক্ষেরও বেশি ক্রীড়াবিদ নাম নথিভুক্ত করেছেন । শ্রী মোদী উল্লেখ করেন যে, আগে ভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনে মাত্র কয়েকটি খেলার আধিপত্য ছিল এবং দেশীয় খেলাধুলাকে উপেক্ষা করা হত । খেলাধুলাতেও স্বজনপোষণ ছড়িয়ে পড়েছিল । তিনি বলেন, “খেলোয়াড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাবও একটি বড় কারণ ছিল । খেলোয়াড়দের সমস্ত প্রতিভা অতিবাহিত হত সমস্যাগুলির সঙ্গে লড়াই করার জন্য । সেই আবর্ত থেকে বেড়িয়ে এসে ভারতের যুবরা আজ আকাশ ছুঁয়েছে । সোনা এবং রূপো জয়ের আভা দেশের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করেছে ।” প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে, ভারত টোকিও অলিম্পিক এবং প্যারা অলিম্পিকের মতো প্রতিযোগিতায় রেকর্ড সংখ্যক পদক জিতেছে । তিনি বলেন, দেশের তরুণদের ওপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে । শ্রী মোদী জানান, “ভারত টোকিও অলিম্পিকে প্রথমবার ৭টি পদক জিতেছে । টোকিও প্যারা অলিম্পিকেও রেকর্ড গড়েছেন ভারতের ছেলেমেয়েরা । বিশ্ব পর্যায়ের এই প্রতিয়োগিতায় ভারত ১৯টি পদক জিতেছে । এটি শুধুমাত্র শুরু । ভারত এতে থামবে না বা ক্লান্তও হবে না ।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন থেকে ফিরে আসা শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, কীভাবে তারা তেরঙ্গার গর্ব অনুভব করেছেন । একইভাবে ক্রীড়া মঞ্চেও একই গর্ব ও দেশপ্রেম দেখা যায় । প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে তরুণদের নেতৃত্বের ওপর জোর দেন । তিনি বলেন, “স্টার্টআপ ইন্ডিয়া থেকে আজ স্ট্যান্ডআপ ইন্ডিয়া, মেক ইন ইন্ডিয়া থেকে শুরু করে আত্মনির্ভর ভারত এবং ভোকাল ফর লোকাল সবক্ষেত্রেই ভারতের যুবরা নিজেরাই নতুন ভারতের প্রচারাভিযানের দায়িত্ব নিয়েছেন । আমাদের যুবরা ভারতের সম্ভাবনাকে প্রতিষ্ঠা করেছে ।” প্রধানমন্ত্রী তরুণদের জীবনে শর্টকাট না নেওয়ার পরামর্শ দেন । শর্টকাটের পথ সবসময়ই ক্ষণস্থায়ী । তিনি বলেন, “সাফল্যের একটাই মন্ত্র – ‘দীর্ঘ মেদায়ী পরিকল্পনা এবং নিরন্তর প্রতিশ্রুতি’ । জয় বা পরাজয় কখনোই আমাদের শেষ গন্তব্য হতে পারে না।” যেহেতু খেলাধুলায় সাফল্যের জন্য ৩৬০ ডিগ্রি পদ্ধতির প্রয়োজন,তাই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশে খেলাধুলার প্রচারের জন্য একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে । খেলো ইন্ডিয়া কর্মসূচি এই ধরণের চিন্তাধারার একটি ভালো উদাহরণ । তিনি বলেন, “আমরা দেশের প্রতিভাকে চিনতে শুরু করেছি এবং তাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তা দিচ্ছি । প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও আমাদের তরুণরা প্রশিক্ষণের অভাবে পিছিয়ে ছিলেন । আজ খেলোয়াড়দের আরও ভালো প্রশিক্ষণের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে ।” গত ৭-৮ বছরে খেলাধুলার বাজেট ৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে । খেলোয়াড়দের পাশাপাশি প্রশিক্ষকদের উল্লেখযোগ্যভাবে উৎসাহভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে । তিনি খেলাধুলাকে একটি কার্যকারি কেরিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে সাফল্য অর্জনের কথা তুলে ধরেন । এই ক্ষেত্রে আগ্রহী যুবক যুবতীরা ম্যানেজমেন্ট, প্রশিক্ষণ, ডায়টেশিয়ান, স্পোর্টস রাইটিং-এর মতো একাধিক ক্ষেত্রকে বেছে নিতে পারেন । মণিপুর এবং মিরাটে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং অনেক প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া পাঠ্যক্রম চালু হচ্ছে । এত বড় উপকূল সীমারেখা থাকার কারণে তিনি সৈকত এবং জলক্রীড়ার ওপর আরও বেশি করে নজর দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান । সন্তানদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করার জন্য অভিভাবকদেরও অনুরোধ জানান তিনি । খেল মহাকুম্ভ গুজরাটের ক্রীড়া ক্ষেত্রে ইকো ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে । কোনো বয়সের সীমা ছাড়াই সমগ্র রাজ্য থেকে এমন মানুষের অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়, যারা একমাস ধরে এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন খেলাধুলায় যোগ দিয়েছেন। কাবাডি, খো খো, দড়ি টানাটানি প্রতিযোগিতা, যোগাসন, মল্লখাম্ভের মতো ঐতিহ্যবাহী এবং স্কেটিং, টেনিসের মতো আধুনিক খেলাধুলার অন্যতম মিলনক্ষেত্র হল এই মহাকুম্ভ । তৃণমূল পর্যায়ে ক্রীড়া ক্ষেত্রে প্রতিভা চিহ্নিত করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে । গুজরাটের প্যারা স্পোর্টসের বিষয়েও মহাকুম্ভে জোর দেওয়া হয়েছে ।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে একাদশ খেল মহাকুম্ভ মুকলি কৰাৰ কথা ঘোষণা কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A7%87/,"নয়াদিল্লি, ০৬ জানুয়ারি, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আজ ধারচুলা (ভারত) – ধারচুলাতে (নেপাল) মহাকালি নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ভারত ও নেপালের মধ্যে ���মঝোতাপত্র স্বাক্ষরে অনুমোদন দিয়েছে। এই সমঝোতা স্বাক্ষরের ফলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। প্রেক্ষাপট: নিকট প্রতিবেশী দেশ হিসাবে উন্মুক্ত সীমান্ত, সংস্কৃতি এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের গভীর যোগাযোগের মাধ্যমে গড়ে ওঠা আত্মীয়তার সূত্র ধরে ভারত ও নেপালের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতার এক অনন্য মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে। ভারত ও নেপাল উভয় দেশই সার্ক, বিমস্টেক – এর মতো বিশ্ব মঞ্চের পাশাপাশি, বিভিন্ন আঞ্চলিক মঞ্চেও একসঙ্গে কাজ করে চলেছে।",ধাৰচুলা (ভাৰত) – ধাৰচুলা (নেপাল)ত মহাকালী নদীৰ ওপৰত দলং নিৰ্মাণৰ বাবে ভাৰত আৰু নেপালৰ মাজত বুজাবুজি চুক্তিত অনুমোদন কেন্দ্ৰীয় কেবিনেট +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%A3/,"নয়াদিল্লি, ২৪ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, রাষ্ট্রপতি ভবন ছাড়ার আগে জাতির উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি শ্রী রাম নাথ কোবিন্দের অনুপ্রেরণামূলক ভাষণ “রাষ্ট্রপতি হিসাবে দেশ সেবায় তাঁর মনোভাব মূর্ত হয়ে উঠেছে”। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “রাষ্ট্রপতি হিসাবে দেশ সেবায় জাতীয় অগ্রগতিতে তাঁর যে মনোভাব জড়িত, তা রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের ভাষণের মধ্যেই ধরা পড়েছে”।",ৰাষ্ট্ৰপতি কোবিন্দৰ ভাষণে ৰাষ্ট্ৰীয় প্ৰগতিৰ প্ৰতি তেওঁৰ আগ্ৰহ প্ৰতিফলিত কৰে: প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AD%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AD%E0%A7%B1%E0%A6%A8/,"আমার মন্ত্রিমণ্ডলের সদস্য, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী শ্রী সুরেশ প্রভু মহোদয়, আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী মহোদয়, বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী সি আর চৌধুরী মহোদয়, বাণিজ্য মন্ত্রক ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকগণ এবং এখানে উপস্থিত অন্যান্য মাননীয় ব্যক্তিবর্গ। সবার আগে আমি সবাইকে এই বাণিজ্য ভবনের শিলান্যাস উপলক্ষে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। মঞ্চে ঘোষণা করা হয়েছে যে, আগামী বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এর নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে! আশা করি, এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এটির কাজ শেষ হবে এবং জনগণ লাভবান হবেন। বন্��ুগণ, সবার আগে সময়ের কথা বলার কারণ হ’ল, বর্তমান সরকারের আমলে যতগুলি শিলান্যাস আমি করেছি, সেগুলি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উদ্বোধনও করেছি অথবা উদ্বোধনের তারিখ নির্দিষ্ট হয়ে আছে। এর মাধ্যমে আমাদের কর্মসংস্কৃতি প্রতিফলিত হয়, নতুন ভারতের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া দেশ আর পুরনো ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্যও এ থেকে বোঝা যায়। বন্ধুগণ, আমি আপনাদের কিছু উদাহরণ দিতে চাই। আমার মনে পড়ে, ২০১৬ সালে প্রবাসী ভারতীয় কেন্দ্র উদ্বোধনের সময় এই তথ্য সামনে উঠে আসে যে এটির ঘোষণা হয়েছিল মাননীয় অটল বিহারী বাজপেয়ীর সময়ে, তারপর এটি মূর্তরূপ নিতে ১২ বছর লেগেছে। গত বছর ডিসেম্বরে যে ডঃ আম্বেদকর আন্তর্জাতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছি, সেটি নির্মাণের সিদ্ধান্তও ১৯৯২ সালে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু শিলান্যাস হয়েছে ২০১৫ সালে, কোথায় ১৯৯২ আর কোথায় ২০১৫, এর উদ্বোধন হয়েছে ২০১৭ সালে। অর্থাৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর একটি কেন্দ্র গড়ে উঠতে ২৩-২৪ বছরও লেগেগিয়েছে। বন্ধুগণ, এ বছর মার্চ মাসে আমি কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন (সিআইসি)-এর নতুন ভবন দেশকে উৎসর্গ করেছি। গত ১২ বছর ধরে এই ভবন নির্মাণ নিয়ে টালবাহানা চলছিল। কিন্তু এনডিএ সরকারই এই কাজ শুরু করায় এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ করে। আরেকটি উদাহরণ হ’ল, আলিপুর রোড-এ নির্মিত ‘আম্বেদকর রাষ্ট্রীয় স্মারক’। এই ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনেক বছর আগে হলেও দ্রুতগতিতে কাজ শুরু হয়েছিল অটল বিহারী বাজপেয়ী মহোদয়ের আমলে। কিন্তু তারপর ১০-১২ বছর কাজ বন্ধ ছিল। আমরা সরকারের দায়িত্ব নিয়ে আবার কাজ শুরু করাই আর দু’মাস আগে এর উদ্বোধন হয়। দিল্লির এই চারটি ভবন নির্মাণের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায় যে, ঢিমেতাল থেকে মুক্তি পেতে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করলে কত দ্রুত, কত ভালো পরিণাম পাওয়া যায়। দেশ এখন প্রত্যেক কাজে ঢিলেমির প্রবৃত্তি থেকে অনেক এগিয়ে গেছে। আমি খুশি যে, আজ দিল্লিতে এহেন পঞ্চম প্রতীক যুক্ত হওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এই নির্মীয়মান বাণিজ্য ভবনও একটি ছাদের নীচে বাণিজ্য ক্ষেত্রের সমস্ত ঢিমেতাল নিরসনের কাজ আরও ভালোভাবে করা হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এটি যথাসময়ে সম্পূর্ণও হবে। বন্ধুগণ, আজ ভারত সময়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে। আমাদের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের নীচে, এই তারুণ্যের প্রাণশক্তি আমাদের গণতন্ত্রকে একবিংশ শ���াব্দীর ভিত্তি দিয়েছে। তাঁদের আশা-আকাঙ্খার পূর্তি নিছকই কিছু মন্ত্রকের নয়, আমাদের সকলের সামগ্রিক দায়িত্ব। ভারত বিগত শতাব্দীতে বিভিন্ন কারণে শিল্প বিপ্লবের সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। কিন্তু আজ ঠিক সেইসব কারণেই ভারত একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তি বিপ্লবে অন্যতম নেতৃত্ব প্রদানকারী শক্তি হয়ে উঠতে পারে। এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রধান ভিত্তি ডিজিটাল প্রযুক্তি, আজকের ভারত নিশ্চিতভাবেই এই নিরিখে বিশ্বের অনেক দেশ থেকে অনেক এগিয়ে। আপনাদের বাণিজ্য মন্ত্রকের সমস্ত কাজেও আপনারা আজ নিশ্চয়ই ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রাধান্য লক্ষ্য করেছেন। এই নির্মীয়মান বাণিজ্য ভবন যে মাটিতে গড়ে উঠেছে, তা আগে ‘ডাইরেক্টোরেট জেনারেল অফ সাপ্লাইস্‌ অ্যান্ড ডিসপোসাল’-এর দপ্তর ছিল। এই শতবর্ষ পুরনো বিভাগ এখন বন্ধ হয়ে তার স্থান নিয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর সরকারি ই-মার্কেটপ্লেস – জিইএম। এই জিইএম সরকারের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়ের গোটা পদ্ধতিই সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ১৭ হাজারেরও বেশি ছোট-বড় বিক্রেতা কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এই বিক্রেতাদের জিইএম-এর মাধ্যমে ৫ লক্ষেরও বেশি দ্রব্য সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেক কম সময়ে জিইএম-এর মাধ্যমে ৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকার জিনিস কেনা হয়েছে। দেশের অসংখ্য দূর-দূরান্তের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কুটির শিল্পের মালিকের কাছ থেকে এভাবে সরকারি দপ্তরগুলির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার কৃতিত্ব বাণিজ্য মন্ত্রকের। কিন্তু এই ঘটনা আপনাদের জন্য এক দীর্ঘযাত্রার শুভ সূচনা বলে মনে করি। আর কিভাবে জিইএম-কে জনপ্রিয় এবং সুদূরপ্রসারিত করা যায়, কিভাবে এদেশের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দ্বারা উৎপাদিত দ্রব্যাদিকে রপ্তানিকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের শরিক করে তোলা যায়, সে বিষয়ে অনেক কিছু করা বাকি। আজ দেশে ৪০ কোটিরও বেশি স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা, সস্তা ডেটা আপনাদের কাজকে সহজ করে দিচ্ছে। বন্ধুগণ, আমাদের শাস্ত্রে রয়েছে যে – কো হি ভাবঃ সমর্থানাম্‌ কিম্‌ দূর ব্যবসায়িনাম্‌। অর্থাৎ, শক্তিমানের জন্য কোনও ওজন ভারী হয় না। তেমনই ব্যবসায়ীদের জন্য কোনও স্থান দূর হয় না! আজ প্রযুক্তি বাণিজ্যকে এত সুগম করে তুলেছে যে, প্রতিদিন আরও দূরত্ব হ্রাস পাচ্ছে। দেশের বণিক সম্প্রদায় এই প্রযুক্তিকে যত বেশি আত্মীকরণ করে নেবে, বাণিজ্য সংস্কৃতির যত গভীরে প্রযুক্তির বিস্তার ঘটবে, তত বেশি দেশের জনগণ লাভবান হবেন। আমরা দেখেছি যে, কিভাবে এক বছরেরও কম সময়ে জিএসটি দেশে বাণিজ্য প্রক্রিয়ায় বদল এনেছে। প্রযুক্তি না থাকলে কি এটা সম্ভব হ’ত? কখনোই না। আজ জিএসটি’র কারণেই দেশে অপ্রত্যক্ষ কর এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সংযুক্তিকরণ ত্বরান্বিত হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে গত বছর পর্যন্ত আমাদের দেশে মাত্র ৬০ লক্ষ মানুষ অপ্রত্যক্ষ কর প্রক্রিয়ার অংশ ছিল। জিএসটি চালু হওয়ার পর গত এক বছরে ৫৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ সংযুক্তিকরণের জন্য আবেদন করেছেন এবং ইতিমধ্যেই ৪৭ লক্ষেরও অধিক মানুষের নিবন্ধীকরণ হয়েছে। ফলে, দেশে এখন মোট নিবন্ধীকৃত ব্যক্তির সংখ্যা ১ কোটিরও অধিক। এই সাফল্য প্রমাণ করে যে, প্রক্রিয়া সরল হলে ন্যূনতম সরকার, অধিকতম প্রশাসনের পথে চললে সুফল লাভের পাশাপাশি, বেশি সংখ্যক মানুষ উন্নয়নের মূল ধারায় যুক্ত হওয়ার পথে পা বাড়ান। বন্ধুগণ, আপনারা খুব ভালোভাবেই জানেন যে, বিগত চার বছরে সরকার জন-বান্ধব, উন্নয়ন-বান্ধব এবং বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়েছে। যাবতীয় আন্তর্জাতিক প্রতিস্পর্ধা সত্ত্বেও ভারতের ম্যাক্র-ইকনোমিক সূচকগুলি স্থিতিশীল রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি, রাজস্ব ঘাটতি, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স – এসব ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী সরকারগুলির তুলনায় অনেক অগ্রগতি করা সম্ভব হয়েছে। আজ ভারত বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থার অগ্রগতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গত ত্রৈমাসিকে দেশের প্রবৃদ্ধি হার ৭.৭ শতাংশ ছুঁয়েছে। বিগত চার বছরে বিদেশি বিনিয়োগ রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে। আজ ভারত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ তালিকাসূচিতে প্রথম দুটি ক্রমবর্ধমান বাজার অর্থনীতির দেশের অন্যতম। সহজে বাণিজ্য স্থাপন তালিকাসূচির র‍্যাঙ্কিং-এ ১৪২তম স্থান থেকে ১০০তম স্থানে পৌঁছনো, লজিস্টিক পারফরম্যান্স তালিকাসূচিতেও ১৯ ধাপ এগোনো, বিশ্ব প্রতিযোগিতামূলক তালিকাসূচির র‍্যাঙ্কিং-এ ৭১তম স্থান থেকে ৩৯তম স্থানে পৌঁছনো, বিশ্ব উদ্ভাবন তালিকাসূচিতে ২১ ধাপ এগোনো – এই সরকারের দূরদৃষ্টির ফল। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, সম্প্রতি ভারত বিশ্বে প্রথম পাঁচটি অর্থনৈতিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু এই ইতিবাচক সূচকগুলি দেখে আত্মসন্তুষ্টি নয়, বরং আমাদের এখন দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি হারের লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে। ভারত কত বছরের মধ্যে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ক্লাবের সদস্য হয়, সেদিকে এখন গোটা বিশ্ব আগ্রহ সহকারে তাকিয়ে আছে। আমি মনে করি যে, বাণিজ্য মন্ত্রকের সকল দায়িত্বপূর্ণ আধিকারিকদের এই লক্ষ্যকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেওয়া উচিৎ। আর্থিক ক্ষেত্রের এই অগ্রগতি সরাসরি দেশের সাধারণ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে। সেজন্য আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, যখনই সহজে বাণিজ্য, সহজে ব্যবসা স্থাপনের কথা বলি, পাশাপাশি, জীবনযাত্রা সরল করার কথাও বলি। আজকের অন্তর্সম্পর্কিত বিশ্বে এসব বিষয় পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। যখন বিদ্যুৎ সংযোগ সহজে পাওয়া যায়, নির্মাণ সংক্রান্ত মঞ্জুরি দ্রুত পাওয়া যায়, যখন শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলিকে কোনও জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় না, এসব কিছু দ্বারা সাধারণ মানুষও লাভবান হন। সেজন্য আপনাদের জন্যও এটা চ্যালেঞ্জ যে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে এখনও যে সামান্য ঢিমেতাল পরিলক্ষিত হচ্ছে, সেসব ক্ষেত্রের স্থিতিকে গতি দিতে হবে! বিশেষ করে, পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা, উচ্চ রূপান্তরণ ব্যয় নির্মাণের গতি হ্রাস করে, পরিষেবাগুলির অ-যথাযথ গতিপথ পরিবর্তন করে, গতিরোধ করে – সেই সমস্যাগুলি দ্রুত নিরসনের প্রয়োজন রয়েছে। আমি আনন্দিত যে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার বাণিজ্য বিভাগ লজিস্টিক সেক্টরের সম্পূর্ণ বা একীকৃত উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে। এই উদ্যোগ নিশ্চিতভাবেই দেশে বাণিজ্যিক পরিবেশ সংস্কারে অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে! বন্ধুগণ, ইন্টিগ্রেটেড লজিস্টিক অ্যাকশন প্ল্যান আজ সময়ের চাহিদা আর নতুন ভারতের প্রয়োজনও। নীতি পরিবর্তন করে, বর্তমান প্রক্রিয়া সংস্কার এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করে এই লক্ষ্য পূরণ সম্ভব। আমাকে বলা হয়েছে যে, এই লক্ষ্যে বাণিজ্য বিভাগ একটি অনলাইন পোর্টাল গড়ে তোলার কাজ করছে। বিশ্ব বাণিজ্যে ভারতের উপস্থিতি আরও শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীয় সরকারের সকল মন্ত্রক এবং সমস্ত রাজ্যগুলির উচিৎ মিলেমিশে কাজ করা। ‘কাউন্সিল ফর ট্রেড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্রোমোশন’ রাজ্য সরকারগুলি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে উৎসাহ যোগাতে ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে তোলার কাজ করছে। ভারতের রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে হলে রাজ্যগুলির সক্রিয় অংশ���দারিত্ব জরুরি। আমি মনে করি যে, রাজ্যগুলি রাজ্যভিত্তিক রপ্তানি কৌশল রচনা করে জাতীয় বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, সংশ্লিষ্ট সকলকে সঙ্গে নিয়ে এই লক্ষ্যে যত এগিয়ে যাবে, ততই দেশের লাভ হবে। বন্ধুগণ, আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের উপস্থিতি বাড়াতে আমাদের পারস্পরিক উৎপাদিত পণ্যের বাজার বজায় রেখে নতুন পণ্যগুলির নতুন বাজার পেতে জোড় দিতে হবে। দেশের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যও নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। আমরা যখন স্বল্পমেয়াদী উন্নয়নের লাভগুলির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্বের মধ্যে একটি ভারসাম্য রক্ষা করে চলে, তা হলে এর সুফলও নজরে আসবে। গত বছর ডিসেম্বরে বিদেশ বাণিজ্য নীতি নিয়ে যে ‘মিডটার্ম রিভিউ’ করা হয়েছিল, তাকেও আমি অত্যন্ত ইতিবাচক উদ্যোগ বলে মনে করি। ‘ইনসেনটিভ’ বাড়িয়ে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রকে ‘হ্যান্ড হোল্ডিং’ করে রপ্তানি বৃদ্ধির সুবিধার্থে নেওয়া সমস্ত পরিবর্তনই প্রশংসনীয়। এতে দেশে কর্মসংস্থানও প্রভাবিত হবে। একদিকে গুরুত্বপূর্ণ হ’ল পণ্যের গুণমান, সেজন্য আমি ২০১৪ সালের ১৫ আগস্ট লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রথমবার দেশকে সম্বোধিত করার সময় ‘জিরো ডিফেক্ট, জিরো এফেক্ট’-এর আহ্বান করেছিলাম। ক্ষুদ্র, মাঝারি কিংবা বৃহৎ – যে কোনও শিল্পের ক্ষেত্রেই এমন ত্রুটিহীন পণ্য রপ্তানি করতে হবে, যাতে সেগুলি গুণমানের নিরিখে আন্তর্জাতিক মানের হয়, ত্রুটির জন্য ফেরৎ না আসে। পাশাপাশি, এগুলি উৎপাদন করতে গিয়ে আমাদের পরিবেশের যেন কোনও ক্ষতি না হয়। পণ্যের গুণবত্তা সংক্রান্ত সচেতনতা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সৌকর্য বৃদ্ধি এবং ‘নতুন ভারত’-এর পরিচিতিকে নির্ভরভোগ্য করে তুলবে। আপনারা দেখেছেন যে, ২০১৪ সালে আমাদের দেশে মাত্র দুটি মোবাইল ফোন নির্মাণ কারখানা ছিল, যা এখন বেড়ে ১২০টি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এরা অত্যন্ত সুলভে বিশ্বমানের ফোন উৎপাদন ও রপ্তানি করে সুনাম অর্জন করছে। বন্ধুগণ, এই সময় সংকল্প গ্রহণের চ্যালেঞ্জ স্বীকার করার। দেশের বাণিজ্য বিভাগ কি বিশ্বের প্রয়োজন অনুসারে ভারতের মোট রপ্তানিকে ১.৬ শতাংশ থেকে দ্বিগুণের একটু বেশি ৩.৪ শতাংশে পৌঁছে দেওয়ার সংকল্প গ্রহণ করবে? তা হলে এটি বিশ্ব অর্থনীতিতে জিডিপি’র, ভারতের অবদানের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করবে। ফলে, দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ আর��� বাড়বে আর আমাদের মাথাপিছু আয়ও বৃদ্ধি পাবে। এই সাফল্যের জন্য সরকারের সকল বিভাগের সঙ্গে এখানে উপস্থিত রপ্তানি উন্নয়ন কাউন্সিলের প্রত্যেক সদস্যের মিলিত প্রচেষ্টা করতে হবে। এছাড়া আমদানি নিয়েও সংকল্প গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা কি কিছু নির্বাচিত ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করতে পারি? জ্বালানি, শক্তি, বৈদ্যুতিন পণ্য, প্রতিরক্ষা সামগ্রী কিংবা চিকিৎসা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কে যথাসম্ভব উৎসাহ প্রদান করতে পারলেই এসব ক্ষেত্রে আমদানি হ্রাস করা যাবে। দেশজ উৎপাদন বাড়িয়ে ১০ শতাংশ আমদানি হ্রাস করতে পারলে দেশে বছরে সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে, যা দেশের প্রবৃদ্ধি হারকে দুই সংখ্যায় পৌঁছে দিতে কার্যকরি ভূমিকা পালন করতে পারে! শুধু বৈদ্যুতিন সামগ্রীর ক্ষেত্রেই দেশের মোট চাহিদার ৬৫ শতাংশ আমাদের বিদেশ থেকে কিনতে হয়। মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে আমরা যে বিপ্লব ঘটাতে পেরেছি, অন্যান্য বৈদ্যুতিন সামগ্রীর ক্ষেত্রেও তা দেশকে স্বনির্ভর করে তুলতে পারব না? বন্ধুগণ, এই আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করতে গত বছর সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কে অগ্রাধিকার দেওয়ার আদেশের মাধ্যমে দেশজ উৎপাদন ও উৎস থেকেই কিনতে জোর দেওয়া হয়েছে। এই আদেশকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা চালাতে হবে। সেজন্য আপনাদের সবাইকে সরকারের সমস্ত তদারকি ব্যবস্থাকে কার্যকর করে আদেশ পালন সুনিশ্চিত করতে হবে। দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে সরকার আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্কে সরলতা আনা, বিনিয়োগ-বান্ধব নীতি নির্ণয়, পরিকাঠামো এবং লজিস্টিক্সে জোড় দেওয়া – এই সমস্ত কিছু আমরা ভারতকে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য করছি, যাতে একবিংশ শতাব্দীর শিল্প বিপ্লবে আমরা এক পা-ও পিছিয়ে না পড়ি। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ক্রমবর্ধমান গৌরবই এই নির্মীয়মান বাণিজ্য ভবনের ভবিষ্যৎ গর্ব বৃদ্ধির কারণ। বন্ধুগণ, এখানে আসার আগে আপনারা আমাকে দিয়ে আরেকটি শুভকাজ করিয়েছেন, এই নির্মীয়মান ভবন পরিসরে মৌলশ্রী বা বকুল ফুলের গাছ লাগানোর সৌভাগ্য আমার হয়েছে। পৌরাণিক সময় থেকে আমাদের শাস্ত্রে এই বৃক্ষের নানা ঔষধি গুণের কথা লেখা রয়েছে। তাছাড়া, এই বৃক্ষ দীর্ঘজীবী হবে বছরের পর বছর মানুষকে ছায়া দেবে। আমাকে বলা হয়েছে যে, এই পরিসরে প্���ায় হাজারটি বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা রয়েছে। তাই আমি নিশ্চিত যে, এই নির্মীয়মান বাণিজ্য ভবনের সঙ্গে প্রকৃতির নিবিড় যোগাযোগ এখানে কর্মরত মানুষদের আনন্দে রাখবে, সুস্থ রাখবে। পরিবেশ-বান্ধব অথচ আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ আবহে আপনারা সকলে নতুন ভারতের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করবেন – এই কামনা-সহ আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। আপনাদের সবাইকে আরেকবার এই বাণিজ্য ভবনের শিলান্যাস উপলক্ষে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। ধন্যবাদ।",নতুন দিল্লীত বাণিজ্য ভৱনৰ আধাৰশিলা স্থাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আগবঢ়োৱা ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%8F%E0%A6%B8-%E0%A7%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B2-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%8F%E0%A6%9B%E0%A6%8F%E0%A6%9B-%E0%A7%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B2-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87/,আইআরএনএসএস-২-এরসফল উৎক্ষেপণে ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দিত করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রমোদী। “পিএসএলভি-রমাধ্যমে আইআরএনএসএস-২ উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণে দেশের বিজ্ঞানীদের আমি অভিনন্দনজানাই। এই সাফল্যের মধ্য দিয়ে আমাদের মহাকাশ কর্মসূচির সুফলগুলি পৌঁছে যাবে সাধারণমানুষের কাছে। ইসরোর দলবদ্ধ প্রচেষ্টার জন্য আমরা গর্বিত!” – ইসরোর বিজ্ঞানীদেরউদ্দেশে এক বার্তায় বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। /…,আইআৰএনএছএছ-২ৰ সফল উৎক্ষেপণৰ বাবে ইছৰোৰ বিজ্ঞানীসকলক প্রধানমন্ত্রীৰ অভিনন্দন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%AC-%E0%A7%AD-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%AC-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A7%AD-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4/,"নয়াদিল্লি, ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৬-৭ জানুয়ারি, ২০২৩-এ দিল্লিতে মুখ্য সচিবদের দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনে পৌরোহিত্য করবেন। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এটি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মুখ্য সচিবদের এই ধরনের প্রথম সম্মেলনটি হয়েছিল ২০২২-এর জুনে ধরমশালায়। এ বছর মুখ্য সচিবদের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে দিল্লিতে ৫-৭ জানুয়ারি, ২০২৩। তিনদিনের সম্মেলনে জোর দেওয়া হবে রাজ্যগুলির সঙ্গে মিলে দ্রুত এবং দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক বৃদ্ধি অর্জন করা। ২০০-রও বেশি মানুষ অংশ নেবেন যাঁদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিবৃন্দ ছাড়াও রাজ্য ও কেন্দ্রশাসি�� অঞ্চলের মুখ্য সচিব ও অন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ এবং বিশেষজ্ঞরা। বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানে জোর দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘বিকশিত ভারত’ অর্জনে সহযোগিতামূলক কর্মপ্রক্রিয়ার ভিত স্থাপন করা হবে এই সম্মেলনে। গত তিন মাস ধরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক, নীতি আয়োগ, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি এবং বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সরাসরি ও ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে বিস্তারিত আলোচনা করে এই সম্মেলনের আলোচ্যসূচি তৈরি করা হয়েছে। সম্মেলনে আলোচনা হবে মূলত ছ’টি বিষয়ে যেমন – (ক) অতিক্ষুদ্র, অণু ও মাঝারি শিল্পের ওপর জোর; (খ) পরিকাঠামো ও লগ্নি; (গ) শর্তাবলী সহজতর করা; (ঘ) মহিলাদের ক্ষমতায়ন; (ঙ) স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি; (চ) দক্ষতা বৃদ্ধি। তিনটি বিশেষ অধিবেশন আয়োজিত হবে – (ক) বিকশিত ভারত : উদ্দিষ্ট লক্ষ্য পর্যন্ত পৌঁছনো; (খ) জিএসটির-র পাঁচ বছর – শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা এবং (গ) আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা এবং ভারতের অবস্থান – এই তিনটি বিষয়ের ওপর। পাশাপাশি, চারটি বিষয়ে আলোচনায় জোর দেওয়া হবে। সেগুলি হল – (ক) ভোকাল ফর লোকাল; (খ) আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ; (গ) জি-২০ : রাজ্যগুলির ভূমিকা এবং (ঘ) নতুন নতুন প্রযুক্তি। প্রতিটি বিষয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সাফল্য সম্মেলনে তুলে ধরা হবে যাতে রাজ্যগুলি একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশমতো মূল সম্মেলনের আগেই রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে তিনবার ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন হয়েছে। সেগুলি আলোচনা করা হয়েছে তিনটি মূল বিষয়ে যেগুলি হল – (ক) উন্নয়নের ভরকেন্দ্র হিসেবে জেলাগুলি; (খ) চক্রাকার অর্থনীতি এবং (ঘ) মডেল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এই ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত তথ্য মুখ্য সচিবদের জাতীয় সম্মেলনে পেশ করা হবে। /",৬ আৰু ৭ জানুৱাৰীত দিল্লীত মুখ্য সচিবসকলৰ দ্বিতীয় ৰাষ্ট্ৰীয় সন্মিলনত অধ্যক্ষতা কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%AD%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AA/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%AD%E0%A7%B0%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নভরে উপলক্ষে জনসাধারণকে শুভেচ্ছাজানিয়েছেন। এক বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘নভরে মুবারক! নববর্ষের সূচনায় প্রত্যেকেরজীবন যাতে সুখ, সমৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্যে ভরে ওঠে আমি সেই ���ামনাই করি। প্রতিটিভারতীয়ই কাশ্মীরী পণ্ডিতদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য গর্ববোধ করে থাকেন”।",নভৰে উপলক্ষে দেশবাসীক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শুভেচ্ছা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%88/,"অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমার মন্ত্রিসভার সহকর্মী শ্রী হরদীপ সিং পুরীজি, প্রতিমন্ত্রী শ্রী কৌশল কিশোর ও মীনাক্ষি লেখিজি, দিল্লির উপ-রাজ্যপাল শ্রী বিনয় কুমার সাক্সেনাজি, দিল্লির সাংসদ বন্ধুরা, উপস্থিত অন্যান্য বিশিষ্টজন, উৎসাহী ভাই ও বোনেরা! বিজ্ঞান ভবনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, এখানে কোট, প্যান্ট, টাই পরা লোকেরা অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু আজ বিজ্ঞান ভবনে আমাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যে উদ্যম ও উদ্দীপনা দেখা যায় তা বিরল। শত শত পরিবারের জন্য, আমাদের দিল্লির হাজার হাজার দরিদ্র ভাই ও বোনের জন্য আজকের দিনটি অত্যন্ত স্মরণীয়। বছরের পর বছর ধরে দিল্লির বস্তিতে বসবাসকারী পরিবারগুলির জীবনের এক নতুন অধ্যায় আজ সূচিত হতে চলেছে। দিল্লির দরিদ্র পরিবারগুলিকে পাকা বাড়ি দেওয়া অভিযানের মাধ্যমে হাজার হাজার দরিদ্র পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করবে। বহু সুবিধাভোগী আজ তাঁদের ঘরের চাবি পেলেন। আমার সঙ্গে আজ যে চার-পাঁচটি পরিবারের দেখা হয়েছিল তাঁদের মুখ ছিল আনন্দ ও তৃপ্তিতে পরিপূর্ণ। প্রথম পর্যায়ে কালকাজি এক্সটেনশনের জন্য ৩ হাজারের বেশি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এখানের অন্যান্য পরিবারগুলির বাসিন্দারাও তাঁদের বাড়ি পাবেন। আমি নিশ্চিত, অদূর ভবিষ্যতে দিল্লিকে একটি মডেল শহর হিসেবে গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বন্ধুগণ, যেগুলি অগ্রগতির ভিত্তি স্থাপন করে, বড় স্বপ্ন এবং উচ্চ উত্থান যা আমরা দিল্লির মতো বড় শহরের উন্নয়ন, স্বপ্ন ও উন্নতির ভিত গড়ে ওঠে এই দরিদ্র ভাই-বোনদের কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনক হলেও বাস্তব হল, শহরের উন্নয়নে যাঁরা রক্ত-ঘাম ঝরিয়েছেন, তারা সেই শহরেই মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। যাঁরা এই ধরনের বাড়ি তৈরি করেন, তাঁরা যতদিন পিছনে থাকবেন, ততদিন তো সেই নির্মাণ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। আমাদের শহরগুলি গত সাত দশকে সার্বিক ও যথাযথ উন্ন���়ন থেকে বঞ্চিত ছিল। শহরের একদিকে রয়েছে – জরাজীর্ণ বস্তি আর অন্যদিকে রয়েছে ঝা চকচকে উঁচু বাড়ি। একদিকে শহরের কিছু এলাকাকে পশ অঞ্চল বলা হয়; অন্যদিকে, একই শহরের অনেক জায়গার মানুষের জীবনের মৌলিক চাহিদাও পূর্ণ হয় না। যখন একটি শহরে এ ধরনের অসাম্য দেখা যায়, তখন সেই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ে আমরা কিভাবে ভাববো? স্বাধীনতার অমৃতকালে আমাদের এই অসাম্য দূর করতে হবে। প্রত্যেকের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য দেশ ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস ও সবকা প্রয়াস’ – এর পথ অনুসরণ করা হচ্ছে। বন্ধুগণ, গত কয়েক দশক ধরে দেশের প্রশাসনের ভাবনা ছিল – দারিদ্র্য শুধুমাত্র গরীব মানুষদের ভাবনার বিষয়। কিন্তু আমাদের সরকার দরিদ্র মানুষের সরকার। আর তাই তাঁদের কথা না ভেবে এই সরকার থাকতে পারে না। বর্তমান সরকারের সময়কালে নীতি-নির্ধারণ ও নীতি গ্রহণের সময় দরিদ্ররাই অগ্রাধিকার পান। এই সরকার শহরাঞ্চলের গরীব মানুষদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। বন্ধুগণ, আপনারা শুনে আশ্চর্য হবেন, একটা সময় ছিল, যখন দিল্লিতে ৫০ লক্ষ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না। তাঁরা ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতেন।তাঁরা ব্যাঙ্কে যেতেই ভয় পেতেন। তাঁরা দিল্লিতেই থাকতেন, অথচ দিল্লি তাঁদের থেকে অনেক দূরে ছিল। আমাদের সরকার এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটায়। গরীব মানুষদের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়। এর ফলে, দিল্লির দরিদ্র মানুষরা প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের সুবিধা লাভ করছেন। নানা সরকারী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। দিল্লিতে বহু হকার সবজি এবং ফল বিক্রি করেন। অনেক বন্ধু অটো রিকশা ও ট্যাক্সি চালান।এঁদের মধ্যে গুটিকয় মানুষের ভীম-ইউপিআইI নেই! এরা সরাসরি তাঁদের মোবাইল ফোনে আর্থিক লেনদেন করেন। এর মাধ্যমে আর্থিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়। বর্তমানে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সঙ্গে সংযুক্তিকরণে সুবিধা প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনার ভিত্তি হয়ে উঠেছে। এই প্রকল্পের আওতায় শহরে বসবাসকারী রাস্তার হকারদের ব্যবসার সুবিধার্থে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দিল্লির ৫০ হাজারেরও বেশি হকার ভাই ও বোনেরা স্বনিধি যোজনার সুবিধা পাওয়ায় আমি খুশি৷ এছাড়াও, মুদ্রা প্রকল্পের আওতায় গ্যারান্টি ছাড়াই ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি সহায়তা পাওয়ায় দিল্লির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা উপকৃত হয়েছেন। বন্ধুগণ, রেশন কার্ডে অসঙ্গতির কারণে আমাদের গরীব বন্ধুরা একটি বড় সমস্যার সম্মুখীন হন। আমরা ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ ব্যবস্থাপণার মাধ্যমে দিল্লির লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করে তুলেছি। আমাদের পরিযায়ী শ্রমিকরা অন্য রাজ্যে কাজ করতে গেলে তাঁদের রেশন কার্ড মূল্যহীন হয়ে যেত। তাঁরা সংকটে পড়তেন। আজ ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ -এর কারণে তাঁরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বিশ্ব জুড়ে চলা করোনা অতিমারীর সময়কালে দিল্লির দরিদ্র মানুষরাও এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। গত দু’বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মানুষ বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দিল্লিতেই ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন বলুন, এত কিছুর তালিকা দিয়ে বিজ্ঞাপনে আমার কত টাকা খরচ করা উচিৎ ছিল। মোদীর ছবি সহ কত পৃষ্ঠার বিজ্ঞাপন পত্রিকায় দেখেছেন? আমি যে কাজের খতিয়ান তুলে ধরলাম, তা খুবই সামান্য; নয়তো সময় শেষ হয়ে যাবে। আসলে আপনাদের জীবনের পরিবর্তন আনার জন্য আমরা কাজ করফে চলেছি। বন্ধুগণ, আজ দিল্লির ৪০ লক্ষ দরিদ্র মানুষকে কেন্দ্রীয় সরকার বীমার আওতায় এনেছে। জন ঔষধি প্রকল্পের আওতায় এখন চিকিৎসার খরচ কমেছে। যখন জীবনে নিরাপত্তা থাকে, তখন দরিদ্র মানুষ নিজেকে দারিদ্র্যের কবল থেকে মুক্ত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। যতক্ষণ না তাঁরা দারিদ্র্যের কবল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন, ততক্ষণ কোনও বিশ্রাম নেন না। গরীব মানুষের জীবনে এই নিশ্চিন্ত ভাব কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা একজন দরিদ্রই সবথেকে ভালো বুঝতে পারবেন। বন্ধুগণ, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হ’ল – কয়েক দশক আগে দিল্লিতে গড়ে ওঠা বেশ কিছু অবৈধ কলোনী। আমাদের লক্ষ লক্ষ ভাই-বোন এই কলোনীগুলিতে বাস করেন। তাঁদের সারাটা জীবন বাড়ির চিন্তায় কেটেছে। দিল্লির জনগণের উদ্বেগ দূর করতে কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যোগী হয়েছে। পিএম-ইউডিএওয়াই প্রকল্পের মাধ্যমে দিল্লির অবৈধ কলোনীতে তৈরি বাড়িগুলিকে আইনি স্বীকৃতি দেবার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই হাজার হাজার মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারও দিল্লির মধ্যবিত্ত মানুষদের নিজেদের বাড়ির স্বপ্ন পূরণে অনেক সাহায্য করেছে। দিল্লির নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের নিজেদের বাড়ি তৈরি করতে সরকার এ বাবদ ৭০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। বন্ধুগণ, কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য হল – দিল্লিকে দেশের রাজধানী শহর হিসাবে যথাযথভাবে গড়ে তুলতে সবধরনের সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি শহর হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা। দিল্লির উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার জন্য আমরা যে কাজগুলি করেছি, তার সাক্ষী দিল্লির জনগণ, দরিদ্র এবং অগণিত মধ্যবিত্ত। আমি এ বছর লালকেল্লার প্রাকার থেকে উচ্চাকাঙ্খী সমাজ সম্পর্কে কিছু কথা বলেছিলাম। দিল্লির দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত নাগরিকরা আসলে উচ্চাকাঙ্খী ও প্রতিভাবান। বন্ধুগণ, ২০১৪ সালে যখন আমাদের সরকার গঠিত হয়, তখন জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লিতে মেট্রো রেলের যাত্রাপথ ছিল ১৯০ কিলোমিটার। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪০০ কিলোমিটার। গত ৮ বছরে ১৩৫টি নতুন মেট্রো স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। আজ কলেজের অনেক ছাত্রছাত্রী এবং চাকরিজীবীরা দিল্লিতে মেট্রো পরিষেবার জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি লেখেন। মেট্রো পরিষেবা সম্প্রসারণের ফলে তাঁদের অর্থের পাশাপাশি সময়ও বাঁচছে। দিল্লিকে যানজট থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাস্তাগুলিকে চওড়া ও উন্নত করতে ৫০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। শহরে একদিকে পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে, ‘কর্তব্য পথ’-এর মতো নির্মাণ কাজও চলেছে। দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে, আর্বান এক্সটেনশন রোড, মহাসড়কের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অক্ষরধাম থেকে বাঘপত – এর মধ্যে ছয় লেনের সড়ক নির্মাণ কিংবা গুরুগ্রাম ও সোহানা রোডের এলিভেটেড করিডর নির্মাণের মতো নানা উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর ফলে, দেশের রাজধানীতে আধুনিক পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ ঘটবে। বন্ধুগণ, জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লির জন্য দ্রুত রেল পরিষেবাও অদূর ভবিষ্যতে চালু হতে চলেছে। নতুন দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনের পুনর্নির্মাণের ছবিও নিশ্চয়ই আপনারা দেখেছেন। দ্বারকায় ৮০ হেক্টর জমির উপর ভারত বন্দনা পার্কের নির্মাণ কাজ আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শেষ হতে চলেছে শুনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ডিডিএ নাকি দিল্লিতে ৭০০টিরও বেশি বড় উদ্যান রক্ষণাবেক্ষণ করে। ওয়াজিরাবাদ ব্যারেজ এবং ওখলা ব্যারেজের মধ্যে ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে ডিডিএ বিভিন্ন পার্ক তৈরি করছে। বন্ধুগণ, আজ যাঁদের জীবনে নতুন একটি অধ্যায় সূচিত হচ্ছে, আমি অবশ্যই আমার সেই সব দরিদ্র ভাই ও বোনদের কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশা করতে পারি। আমি যদি আপনাদে�� কাছে কিছু আশা করি, আপনারা কি তা পূরণ করবেন? আমি কি আপনাদেরকে কিছু দায়িত্ব দিতে পারি? আপনারা কি তা পূরণ করবেন? ভুলে যাবেন নাতো? দেখুন, দরিদ্র মানুষদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নলবাহিত জল এবং বিদ্যুৎ সংযোগের সুবিধা সহ কোটি কোটি বাড়ি তৈরি করছে। রান্নার সময় মা-বোনেদের চোখে যাতে ধোঁয়া না লাগে তার জন্য তাঁদের উজ্জ্বলা সিলিন্ডারও দেওয়া হচ্ছে। আমাদের বাড়িতে শুধুমাত্র এলইডি বাল্বই যেন ব্যবহার করি, আমাদের তা নিশ্চিত করতে হবে। কি আপনারা এটা করবেন তো? দ্বিতীয়ত, আমরা কোনো অবস্থাতেই আমাদের কলোনীতে জলের অপচয় হতে দেব না। নয়তো জানেন কি হবে? কেউ কেউ বাথরুমে বালতি উল্টে রাখেন এবং কল খুলে রাখেন। যাঁরা ভোর ৬টায় ওঠেন, তাঁদের জন্য এটি অ্যালার্ম হিসেবে কাজ করে। কলের জল বালতিতে পড়ার শব্দে তাঁদের ঘুম ভাঙে। জল ও বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করা খুবই জরুরি। আর সবচেয়ে জরুরি বিষয় হল, বস্তির মতো পরিবেশ এখানে তৈরি করা উচিৎ নয়। আমাদের কলোনীগুলি পরিষ্কার এবং সুন্দর রাখা উচিৎ। আমি কলোনীতে টাওয়ারগুলির মধ্যে পরিচ্ছন্নতার প্রতিযোগিতা করার পরামর্শ দেব। বস্তি মানেই তা নোংরা, কয়েক দশক ধরে চলা এই ধারণার অবসান ঘটানো আমাদের দায়িত্ব। আমি নিশ্চিত, দিল্লি ও দেশের উন্নয়নে আপনারা আপনাদের ভূমিকা পালন করতে থাকবেন এবং দিল্লির প্রতিটি নাগরিকের অবদানে দিল্লি ও দেশের উন্নয়নের এই নিরলস যাত্রা বজায় থাকবে। এই আশা নিয়ে আমি আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ। (প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছেন)",দিল্লীৰ কালকাজীত নতুনকৈ নিৰ্মিত ইডব্লিউএছ ফ্লেট উদ্বোধনত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে দিয়া ভাষণৰ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AD-%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AD-%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-2/,"দেশের প্রধান বিচারপতি শ্রী দীপক মিশ্র, আমার মন্ত্রিমণ্ডলীর সদস্য আইনমন্ত্রী শ্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, ল কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ জাস্টিস বি এস চৌহান, নিতিআয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান ডঃ রাজীব কুমার, আইন প্রতিমন্ত্রী শ্রী পি পি চৌধুরী, এইসভাগৃহে উপস্থিত সকল সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, ভাই ও বোনেরা; ভারতীয় গণতন্ত্রে আজকের দিনটি যতটা পবিত্র, ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমারগণতান্ত্রিক ব্যবস্থাসমূহের আত্মা যদি কোনও কিছুকে বলা যায়, তা হল আমাদের সংবিধান।এই আত্মাকে, এই লিখিত গ্রন্থকে ৬৮ বছর আগে স্বীকার করে নেওয়া অত্যন্ত ঐতিহাসিকমুহূর্ত। এই দিনে আমরা একটি রাষ্ট্র হিসাবে ঠিক করেছিলাম যে, এখন আমাদের পরবর্তীলক্ষ্য সাধনে কোন্‌ নির্দেশাবলী মেনে, কোন্‌ নিয়মাবলী মেনে এগোতে হবে! সেইনিয়মাবলী, সেই সংবিধান যার প্রতিটি শব্দ আমাদের জন্য পবিত্র ও পুজনীয়। আজকের দিন দেশের সংবিধান নির্মাতাদের শ্রদ্ধা জানানোরও দিন। স্বাধীনতার পরযখন কোটি কোটি মানুষ নতুন আশা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তখন প্রতিকূলপরিস্থিতি থাকা সত্ত্বেও দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দেশের সামনে এমন একটি সংবিধান প্রস্তুতকরা, যা প্রত্যেকেই মেনে নেবেন – এটা কোনও সহজ কাজ ছিল না! যে দেশে এক ডজনেরও বেশিধর্মপন্থা, একশোরও বেশি ভাষা, সতেরোশোর-ও বেশি কথ্যভাষা, শহর-গ্রাম-ভ্রাম্যমানগোষ্ঠী এবং অরণ্যেও মানুষ থাকেন, তাঁদের নিজস্ব আস্থা রয়েছে, তাঁদেরকে এক মঞ্চেআনা, প্রত্যেকের আস্থাকে সম্মান জানিয়ে এই ঐতিহাসিক দস্তাবেজ রচনা করা সহজ ছিল না। এই সভাগৃহে উপস্থিত প্রত্যেকেই সাক্ষী রয়েছেন যে, সময়ের সঙ্গে আমাদেরসংবিধান প্রতিটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। যাঁরা বলেছিলেন যে, পরিবর্তিত সময়েরসঙ্গে দেশের সামনে যে সমস্যাগুলি আসবে, সেগুলির সমাধান এটি করতে পারবে না, আমাদেরসংবিধান। তাঁদের আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণ করেছে। এমন কোনও বিষয় নেই, যার ব্যাখ্যা, যার দিশা-নির্দেশ আমরা ভারতীয় সংবিধানেপাই না! সংবিধানের এই শক্তিকে বুঝে সংবিধান সভার অন্তবর্তী চেয়ারম্যান শ্রীসচ্চিদানন্দ সিনহা মহোদয় বলেছিলেন – “মানব দ্বারা রচিত কোনও রচনাকে যদি অমর বলা যায় – তা হল ভারতের সংবিধান”। আমাদের সংবিধান যতটা জীবন্ত, ততটাই সংবেদনশীল। আমাদের সংবিধান জবাবদিহিকরতে সক্ষম। বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর স্বয়ং সংবিধান সম্পর্কে বলেছিলেন, “এটা কার্যকরী, এটা নমনীয়, আর এর মধ্যে যুদ্ধ ও শান্তির সময় দেশকে ঐক্যবদ্ধরাখার শক্তি রয়েছে”। বাবাসাহেব আরও বলেছিলেন – “সংবিধানকে সামনে রেখে যদি কিছু ভুলহয়ও, তার দায় সংবিধানের নয়, সংবিধান পালনকারী সংস্থাগুলির হবে”। ভাই ও বোনেরা, এই ৬৮ বছর ধরে সংবিধান আমাদের একজন অভিভাবকের মতো সঠিক পথে,গণতন্ত্রের পথে চলা শিখিয়েছে, বিভ্রান্ত হতে দেয়নি। আজ আমরা সবাই এই অভিভাবকেরপরিবারের সদস্যরূপে এই সভাগৃহে উপস্থিত রয়েছি। সরকার, বিচার ব্যবস্থা, শাসনব্যবস্থার প্রত্যেকে এই পরিবারেরই সদস্য। বন্ধুগণ, আজ সংবিধান দিবস আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়েএসেছে। আমাদের সংবিধান, আমাদের অভিভাবক যেরকম প্রত্যাশা করে, আমরা কি একটিপরিবারের সদস্যরূপে সেই মর্যাদাগুলি পালন করছি? একই পরিবারের সদস্যরূপে পরস্পরকেশক্তিশালী করার কাজ করছি, একে অপরের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি? ভাই ও বোনেরা, এই প্রশ্ন শুধুই বিচার ব্যবস্থা কিংবা সরকারের দায়িত্বে থাকাব্যক্তিদের সামনেই নয়, এদেশের এরকম প্রতিটি স্তম্ভের সামনে ঝুলছে, দেশের কোটি কোটিমানুষ যাদেরকে ভরসা করেন, যাদের কাছে আশা করেন। এই সংস্থাগুলির এক একটি সিদ্ধান্ত,প্রতিটি পদক্ষেপ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে। প্রশ্ন এটাই যে, এই সংস্থাগুলি কিদেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের প্রয়োজন বুঝে, দেশের সামনে উপস্থিত চ্যালেঞ্জগুলিবুঝে, দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খা বুঝে পরস্পরকে সাহায্য, সমর্থন ও শক্তিশালী করবে। ভাই ও বোনেরা, ৭৫ বছর আগে যখন ১৯৪২ সালে গান্ধীজি ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনেরআহ্বান জানিয়েছিলেন, দেশ একটি নতুন উদ্দীপনায় উদ্বেলিত হয়েছিল। প্রত্যেক গ্রাম,প্রতিটি গলি, প্রত্যেক শহর, প্রত্যেক পাড়ায় এই উদ্দীপনা সঠিক পদ্ধতিতে পুষ্পিত হতেথাকে আর তারই পরিণামে পাঁচ বছর পর দেশ স্বাধীন হয়। আজ থেকে পাঁচ বছর পর আমরা স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তির উৎসব পালন করব। এইপাঁচ বছরে আমাদের একজোট হয়ে আমাদের সেই ভারতের স্বপ্নপূরণ করতে হবে। যেমন ভারতেরস্বপ্ন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা দেখেছিলেন। সেজন্য সংবিধান থেকে শক্তি নিয়েপ্রত্যেক সংস্থাকে সেই শক্তিকে সঠিক পথে সঞ্চালিত করতে হবে। ‘নতুন ভারত’-এরস্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার কাজে লাগাতে হবে। বন্ধুগণ, একথা আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ জনভাবনার এমন প্রবল প্রকাশদেশে আজ হয়তো কয়েক দশক পর পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভারত আজ বিশ্বে সর্বাধিক নবীন জনবলের দেশ।এই নবীন শক্তিকে সঠিক দিশায় পরিচালিত করতে প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মিলেমিশেকাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। বিংশ শতাব্দীতে আমরা একবার এই সুযোগ হারিয়েছি। এখন একবিংশ শতাব্দীতেভারত’কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে, নতুন ভারত গড়তে, আমাদের সবাইকে সংকল্প গ্রহণ করতেহবে। মিলেমিশে কাজ করার সংকল্প, পরস্পরকে শক্তিশালী করার সংকল্প। ভ��ই ও বোনেরা, দেশের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলির মোকাবিলা করতে ডঃরাজেন্দ্র প্রসাদ সংবিধান সভার একটি আলোচনায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হঅয়ার গুরুত্ববিস্তারিতভাবে বুঝিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন – “আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করছি যে, দেশ থেকে দারিদ্র্য মেটাতে, অপরিচ্ছন্নতামেটাতে, ক্ষিদে এবং অপুষ্টিজনিত রোগ দূর করতে, বৈষম্য মেটাতে, শোষণ সমাপ্ত করতে আরজীবনধারণের জন্য উন্নত পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে আমরা সর্বদাই সচেষ্টা থাকব। আমরাএকটি অনেক বড় উদ্যোগ নিতে চলেছি। আশা করি, এই প্রচেষ্টায় সকলের সহযোগিতা এবংসহানুভূতি পাব, সমাজের প্রত্যেকবর্গের মানুষের সমর্থন পাব”। ভাই ও বোনেরা, সংবিধান রচনার সঙ্গে যুক্ত মহান ব্যক্তিদের এই প্রজ্ঞার ফলেইআমাদের সংবিধানকে একটি ‘সামাজিক নথি’ বলে গণ্য করা হয়। এটি নিছকই একটি আইনের বইনয়, এতে একটি সামাজিক দর্শনও রয়েছে। ১৪ আগস্ট, ১৯৪৭, অর্থাৎ স্বাধীনতা লাভের কয়েকমুহূর্ত আগে বলা রাজেন্দ্রবাবুর এই বক্তব্য আজও ততটাই প্রাসঙ্গিক। আমাদের সকলেরউদ্দেশ্য তো অবশেষে দেশের সাধারণ মানুষের জীবনকে উন্নত করা, তাঁদেরদারিদ্র্য-অপরিচ্ছন্নতা, ক্ষুধা ও রোগ থেকে মুক্ত করা। তাঁদের সমান সুযোগ প্রদান,ন্যায় প্রদান, তাঁদের নিজস্ব অধিকার প্রদান। এই কাজ প্রতিটি সংস্থার ভারসাম্যরক্ষার মাধ্যমে, একটি সংকল্প নির্দিষ্ট করেই বাস্তবায়িত করা সম্ভব। ঐ বৈঠকে ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলেন। তিনিবলেছিলেন – “যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা উচ্চপদে আসীন ব্যক্তিদের দুর্নীতিমুক্ত না করতেপারব, স্বজনপোষণকে আমূল উৎপাটন না করতে পারব, ক্ষমতার লোভ, মুনাফাকারী আরকালোবাজারী দূর না করতে পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা প্রশাসনে দক্ষতাবৃদ্ধি করতেপারব না আর যেসব জিনিস জীবনের সঙ্গে যুক্ত, সেগুলি সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেপারব”। বন্ধুগণ, এসব কথা তিনি বলেছিলেন দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগে। ১৪আগস্ট ১৯৪৭, একটি দায়িত্বভাব ছিল, দেশের আন্তরিক দুর্বলতাগুলি অনুভূত হওয়ারপাশাপাশি, এই আকুতিও ছিল যে এই দুর্বলতাগুলিকে কিভাবে দূর করা যাবে। দুর্ভাগ্যবশতঃস্বাধীনতার এত বছর পরও ঐ দুর্বলতাগুলি দূর হয়নি। সেজন্য প্রশাসন ব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা এবং আইনসভা – তিনটি স্তরেই এই উদ্দেশ্যে মন্থনের প্রয়োজন রয়েছে যে এখনপরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কিভাবে এগোনো যাবে। আমাদের কাউকে ঠিক আর কাউকে ভুল প্রমাণিতকরার প্রয়োজন নেই। আমরা নিজের নিজের দুর্বলতা সম্পর্কে জানি, আমরা নিজের নিজেরশক্তিকেও চিনি। ভাই ও বোনেরা, বর্তমান সময় তো ভারতের ক্ষেত্রে সুবর্ণ যুগের মতো। অনেক বছরপর দেশে এমন আত্মবিশ্বাসের পরিবেশ গড়ে উঠেছে। নিশ্চিতভাবেই এর পেছনে ১২৫ কোটিভারতবাসীর ইচ্ছাশক্তি কাজ করছে। এই ইতিবাচক পরিবেশকে ভিত্তি করে আমাদের নতুন ভারতগড়ে তোলার পথে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের দেশে সামর্থ্য এবং উপাদানের অভাব নেই। ব্যস,আমাদের সময়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা যদি ভাবি যে, অফুরন্ত সময় রয়েছে, আমরা যদি ভাবি যে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মইসবকিছু করবে, সমস্ত ঝুঁকি নেবে, তা হলে ইতিহাস আমাদের কখনও ক্ষমা করবে না! যা করারআমাদেরকে এখনই করতে হবে, এবারই করতে হবে! এর পরিণাম আসতে আসতে আমরা থাকব না – একথাভেবে আমাদের থেমে থাকলে চলবে না! আমার বন্ধুগণ, আমরা না থাকলেও এই দেশ তো থাকবেই। আমরা না থাকলে যে ব্যবস্থাআমরা দেশকে দিয়ে যাব, তা যেন সুরক্ষিত-আত্মাভিমানী এবং স্বাবলম্বী ভারতের ব্যবস্থাহয়ে ওঠে। এক এমন ব্যবস্থা, যা সাধারণ মানুষের জীবনকে সহজ করে দেবে। বন্ধুগণ, আমি সর্বদাই মনে করি, সরকারের ভূমিকা ‘নিয়ন্ত্রক’ থেকে বেশি‘সাহায্যকারী’ হওয়া উচিৎ। আজ আপনারাও হয়তো অনুভব করেন যে, এখন কত দ্রুত আপনারাপাসপোর্ট পেয়ে যান। খুব বেশি হলে দু’দিন না হলে তিনদিন। আগে এই পাসপোর্ট পেতেএক-দু’মাস সময় লাগত। বিগত দু-তিন বছরে আপনাদের আয়কর রিফান্ড-এর জন্যও মাসের পর মাসঅপেক্ষা করতে হচ্ছে না। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করছেন যে ব্যবস্থায় গতি আসছে। আর এই গতি শুধু আপনাদেরইনয়, দেশের মধ্যবিত্ত, দরিদ্র – সকলের জীবনকেই সহজ করে দিচ্ছে। এখন ভাবুন, গ্রুপ-সি এবং ডি-র চাকরিতে ইন্টারভিউ প্রথা তুলে দেওয়ায়যুবসম্প্রদায়ের কতটা সময় এবং অর্থ সাশ্রয় হয়েছে! আগে সকল; নথির প্রতিলিপি গেজেটেডঅফিসারদের দিয়ে প্রত্যয়িত করতে হ’ত – এখন আর তা করাতে হয় না! ফলে বিনা কারণে আরদৌড়ঝাঁপ করতে হয় না, কোনও গেজেটেড অফিসার কিংবা বিধায়কের পেছনে ছুটতে হয় না। বন্ধুগণ, আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, আমাদের দেশের রাজকোষে এমন ২৭ হাজারকোটি টাকা ছিল, যার কোনও হদিশ ছিল না। এই টাকা শ্রমিকরা, কর্মচারীরা নিজেদের পিএফঅ্যাকাউন্টে জমা করিয়েছিলেন আর পরে স্থান কিংবা কোম্পানি পরিবর্তনের কারণে তাঁরানিজেদের জমানো টাকা দাবি কর���ে পারেননি। একবার শহর ছেড়ে এলে, আর কে ফিরে যায়, কে এতদৌঁড়ঝাঁপ করতে পারেন! আমাদের শ্রমিক আর মধ্যবিত্তের এত বড় সমস্যা সমাধানের জন্য বর্তমান সরকার ইউনিভার্সালঅ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবস্থা চালু করেছে। এখন কর্মচারীরা যেখানেই চাকরি করুক না কেন,তাঁদের কাছে ইউএএন নম্বর থাকে। এর মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের পিএফ থেকে টাকা তুলতেপারেন। বন্ধুগণ, বৃহদারণ্যক উপনিষদে বলা হয়েছে – তদেতৎ – ক্ষত্রস্য ক্ষত্রং য়দ্ধর্ধঃ তস্মাদ্ধর্মাৎ পরং নাস্তি অথো অবল্বীয়ান্‌ বলীয়াংসমাশংসতে ধর্মেন যথা রাজ্ঞা এবম্‌ আইন সম্রাটদের সম্রাট! আইনের ওপর কিছু নেই। আইনের মধ্যেই রাজার শক্তি নিহিতআর আইনই দরিদ্রদের, দর্বলদের শক্তিমানের বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস যোগায়, তাঁদেরসক্ষম করে তোলে। এই মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলার পথে আমাদের সরকারও নতুন আইন প্রণয়নকরে, পুরনো সময়াতিক্রান্ত আইন বাতিল করে জীবনশৈলীকে সহজ করার কাজ করছি। বিগত তিন-সাড়ে তিন বছরের মধ্যে প্রায় ১২০০ সময়াতিক্রান্ত আইন বাতিল করতেপেরেছি। সর্দার প্যাটেল যেমন দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, তেমনই দেশকে ঐক্যসূত্রেবাধার কাজ জিএসটি’র মাধ্যমে হয়েছে। কয়েক বছর পর ‘এক দেশ-এক কর’ – এর স্বপ্ন সাকারহয়েছে। এভাবে দিব্যাঙ্গদের সুবিধার জন্য আইনে পরিবর্তন-সাধনের সিদ্ধান্ত হোক,তপশিলি জাতি/তপশিলি জনজাতি সংশ্লিষ্ট আইন কঠিন করার ফয়সালা হোক, কিংবা বিল্ডারদেরযথেচ্ছাচার থামানোর জন্য আরইআরএ, এই সবকিছু এজন্য করা হয়েছে, যাতে সাধারণনাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে বিপত্তি কমে! বন্ধুগণ, এখানে এই সভাগৃহে হাজির প্রত্যেক মানুষ জানেন, সুপ্রিম কোর্টেরআদেশ থাকা সত্ত্বেও তিন বছর ধরে কালো টাকার বিরুদ্ধে ‘সিট’ গঠন করা হয়নি, আমাদেরসরকার শপথ গ্রহণের তিন দিনের মধ্যে এই দল গঠন করে দেয়। এই সিদ্ধান্ত যতটা কালোটাকা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছিল, ততটাই সাধারণ মানুষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। দেশেরদুর্নীতির ও কালো টাকার প্রতিটি লেনদেন কোথাও না কোথাও কোনও গরিবের অধিকার হরণকরে, তাঁদের জীবনকে ব্যতিব্যস্ত করে। ভাই ও বোনেরা, আমরা জনগণের সমস্যাগুলি বুঝে ছোট-বড় অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।চেষ্টা করেছি যাতে আমাদের সিদ্ধান্ত শুরু যথার্থই নয়, সংবেদনশীলও থাকে। বন্ধুগণ,মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করার সাফল্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে দেশের ‘ইজ অফ ডুইংবিজনেস’-এর ব্যাঙ্কিং-এ অভূতপূর্ব উন���নতি হয়। ২০১৪ সালে ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’-এভারতের বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং ছিল ১৪২, এখন আমরা ১০০তম স্থানে পৌঁছে গেছি। আমি আনন্দিত যে, আমাদের বিচার ব্যবস্থাও এই লক্ষ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপনিয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে, এ বছর জাতীয় স্তরে শুধু লোক আদালতের মাধ্যমেই ১৮ লক্ষ‘প্রিলিটিগেশন’ আর ২২ লক্ষ স্থগিত মামলার নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, এই পরিসংখ্যান একথা প্রমাণ করে যে, যেসব বিবাদ পারস্পরিককথাবার্তা কিংবা কারও মধ্যস্থতায় মিটে যেতে পারত, তেমন বিপুল সংখ্যক মামলাআদালতগুলিতে পৌঁছে গেছে। আমি জানি না, করত বছর ধরে এই মামলাগুলি ঝুলে ছিল! এইমামলাগুলির সহজ নিষ্পত্তির ফলে নিশ্চিতভাবেই আমাদের দেশের আদালতগুলির বোঝা হ্রাসপেয়েছে। এরফলে, আমাদের দেশে লোক আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাও বেড়েছে। আমার মনে হয়, এমনইকোটি কোটি স্থগিত মামলার সমাধানে এরকম লোক আদালত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেপারে। আমাকে বলা হয়েছে যে, এই সেপ্টেম্বরেই প্রধান বিচারপতি স্থগিত মামলাগুলিনিষ্পত্তি সম্পর্কে সকল উচ্চ আদালতের বিচারকদের চিঠিও লিখেছেন। আবেদন শুনানীরক্ষেত্রে বিলম্বকে তিনি আমাদের বিচার ব্যবস্থা এবং বিশেষ করে আমাদের অপরাধ বিচারব্যবস্থার দুর্বলতা বলে মনে করেন। তাঁরা শনিবারে বিশেষ আদালত চালু করে কিছু মামলারনিষ্পত্তি করার উপদেশ সম্পর্কে জেনে আমার খুব ভালো লেগেছে। স্থগিত মামলাগুলিরসমস্যা কমানোর জন্য তামিলনাড়ু ও গুজরাটের মতো রাজ্যগুলিতে সন্ধ্যাকালীন আদালত চালুকরা হয়েছে। এ ধরণের প্রয়োগ বাকি রাজ্যগুলিতে চালু করা যেতে পারে। বন্ধুগণ, বিচার-ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধিও সাধারণ মানুষেরজীবনযাত্রা সহজ করতে কার্যকরী প্রমাণিত হবে। ই-কোর্টের বিস্তার যত বৃদ্ধি পাবে,ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিড যত প্রসারিত হবে, আদালতে সাধারণ মানুষের হয়রানি ততকমবে! ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে দেশের আদালতগুলি কারাগার ব্যবস্থার সঙ্গেযুক্ত হলে আদালত এবং কারাগার প্রশাসনের মধ্যে সম্পর্ক নিবিড় হবে। আমাকে বলা হয়েছে যে, বিগত দু’বছরে প্রায় ৫০০টি আদালতের ভিডিওকনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে কারাগারগুলির সঙ্গে সংযুক্তিকরণ হয়েছে। আমাকে টেলি আইনপ্রকল্প সম্পর্কেও বলা হয়েছে, যার সাহায্যে দেশের দূরদূরান্তে বসবাসকারী মানুষদেরএবং গ্রামীণ গরিবদের আইনি পরামর্শ দেওয়া হচ��ছে। এই প্রকল্পের আওতা যত বৃদ্ধি পাবে,সাধারণ মানুষের তত ভালো হবে। আরেকটি উদ্ভাবনী ভাবনা আমার খুব ভালো লেগেছে – জাস্টিস ক্লক-এর ভাবনা এইঘড়ি এখন সরকারের আইন বিভাগের দপ্তরে লাগানো হয়েছে। এর মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ দক্ষতাপ্রদর্শনকারী জেলা আদালতগুলি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়, ভবিষ্যতে এরকম বিচার ঘড়িদেশের সমস্ত আদালতে লাগানোর প্রচেষ্টা চলছে। এর মাধ্যমে আদালতগুলিকে ‘র‍্যাঙ্কিং’প্রদানের কথা হয়েছে। পরিচ্ছন্নতার র‍্যাঙ্কিং শুরু করার পর শহরগুলির মধ্যে যেমন একটিপ্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, কলেজগুলিতে র‍্যাঙ্কিং শুরু করানোর পর উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার পরিবেশ গড়ে উঠেছে, তেমনই জাস্টিস ক্লকের বিস্তারের মাধ্যমে,এর মধ্যে কোনও সংস্কারের প্রয়োজন হলে তা করে চালু করলে আদালতগুলির মধ্যেও পেশাগতপ্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে। এটা আমার অভিজ্ঞতা যে প্রতিযোগিতার আবহ গড়ে তুলতেপারলে ব্যবস্থায় গতি আসে, কম সময়ে বেশি সংস্কার হতে দেখা যায়। আমি আইন বিশেষজ্ঞনই, কিন্তু আমার মনে হয় যে আদালতে প্রতিযোগিতার আবহ গড়ে উঠলে তা ‘ইজ দ্য অ্যাক্সেসটু জাস্টিস’ আর ‘ইজ অফ লিভিং’-কে ত্বরান্বিত করবে। গতকাল মাননীয় রাষ্ট্রপতি মহোদয়ওএই বিষয়ে দুশ্চিন্তা ব্যক্ত করেছেন যে, দেশের গরিব মানুষ ন্যায়-বিচারের জন্যআদালতে যেতে ভয় পায়। বন্ধুগণ, আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টার পরিণাম এটা হওয়া উচিৎ যেগরিব মানুষ আর আদালতকে ভয় পাবে না, সময় মতো ন্যায়-বিচার পাবে আর এই বিচারপ্রক্রিয়ায় তাঁদের ন্যূনতম খরচ হবে। বন্ধুগণ, আজ দেশের সংবিধান দিবস উপলক্ষে আমি দেশের সেই যুবক-যুবতীদেরশুভেচ্ছা জানাতে চাই, যাঁরা ১লা জানুয়ারি, ২০১৮-য় ভোটাধিকার পাবেন। একবিংশ শতাব্দীতেজন্মগ্রহণ করা এই সদ্যযুবক-যুবতীরা কয়েক মাস পরই নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দেবে।একবিংশ শতাব্দীকে ভারতের শতাব্দী গড়ে তোলার দায়িত্ব এই নবীন প্রজন্মের। তেমনইআমাদের দায়িত্ব এই নবীন প্রজন্মকে এমন ব্যবস্থার উত্তরাধিকার প্রদান করা, যাতাঁদের আরও মজবুত করবে, তাঁদের শক্তি বাড়াবে। এবার আমি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাদের মতো বিদ্বানদের সামনেতুলে ধরতে চাই। সেটি হ’ল – কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিতে এক সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়াসম্পাদন। গত কয়েক মাস ধরে দেশে এই বিষয়ে আলাপ-আলোচনা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক রাজনৈতিকদলই প্রত্যেক ৪-৬ মাস পর অনুষ্ঠিত নির্বা���নের ফলে দেশে আর্থিক বোঝা এবং প্রশাসনেরওপর চাপ নিয়ে চিন্তা ব্যক্ত করেছে। উদাহরণস্বরূপ – ২০০৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ১,১০০কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে।এছাড়া, প্রার্থীদের আলাদা খরচ রয়েছে। প্রত্যেক নির্বাচনে হাজার হাজার কর্মচারীকেস্থানান্তর করতে এবং লক্ষ লক্ষ নিরাপত্তাকর্মীকে দেশের এক প্রান্ত থেকেঅন্যপ্রান্তে পাঠাতে অনেক খরচ হয়, ব্যবস্থার ওপর চাপ পড়ে। আর আচরণবিধি চালু হলে,সরকার এত সহজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না! বিশ্বের অনেক দেশে এর ঠিক বিপরীত ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে সমস্ত স্তরের জন্যএকটি নির্দিষ্ট নির্বাচনের তারিখ থাকে। ফলে, দেশ সর্বদা কোথাও না কোথাও নির্বাচনপ্রক্রিয়ার মধ্যে থাকে না, নীতি-নির্ধারণ প্রক্রিয়া এবং বাস্তাবায়নে অধিক দক্ষতাথাকে। দেশের প্রশাসন ও অর্থ ব্যবস্থাকে কোনও অনাবশ্যক বোঝা গ্রহণ করতে হয় না। ভারতে আগেও একসঙ্গে নির্বাচনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর সেই অভিজ্ঞতা অত্যন্তসুখকর। কিন্তু আমাদের কর্মীদের সদিচ্ছার অভাবে সেই ব্যবস্থা টেকেনি। আমি আজ শুভসংবিধান দিবস উপলক্ষে এই আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ভাই ও বোনেরা, নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে যে কোনও ব্যক্তি, সংস্থা কিংবাসরকারকে যে কোনও দিন সংকটের সম্মুখীন হতে হয়। আমাদের দেশে এই ব্যবস্থা রয়েছে যেআমরা সময়ের সঙ্গে নিজেদের পরিষ্কৃত করি, নিজেদের নিয়ন্ত্রিত করি। বিশেষ করে,জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলগুলি দেশ ও সমাজের হিতে নিজেদের অনেক নিয়ন্ত্রণেরবন্ধনে বাঁধতে পারে। যেমন আজও অনেকে জানেই না যে, নির্বাচনের আগে যে আচরণবিধি চালু হয়, সেটিকোনও আইন প্রণয়নের মাধ্যমে চালু হয়নি, এই আচরণবিধি দেশের রাজনৈতিক দলগুলি নিজেরাইস্বেচ্ছায় স্বীকার করে নিয়েছে। তেমনই সংসদে কত না আইন প্রণয়ন করে নেতাদের এবংরাজনৈতিক ব্যবস্থাকে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।রাজনীতিতে শুচিতা স্বচ্ছতা বজায় রাখার প্রচেষ্টা জারি রয়েছে। যে সংস্থাই হোক নাকেন, তাতে আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং ভারসাম্য রক্ষার ব্যবস্থা যত মজবুত হয়, সংস্থাটি এবংতার সঙ্গে যুক্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও তত মজবুত হয়। আজ এই উপলক্ষে সংবিধানের তিনটি মূল স্তম্ভের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার প্রসঙ্গউত্থাপিত হওয়ায় একথা মনে রাখতে হবে যে, আমাদের দেশে বিচার-��্যবস্থা, আইন-ব্যবস্থাআর প্রশাসনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার মেরুদন্ড হ’ল আমাদের সংবিধান। এই ভারসাম্যেরজোরেই জরুরি অবস্থার সময় দেশে গণতন্ত্রকে বিপথগামী করার অনেক প্রচেষ্টা হলেও তাখারিজ হয়ে গেছে। বন্ধুগণ, সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক রায়দানের মাধ্যমে বলেছিল –“সংবিধানের বুনিয়াদী স্বরূপের অন্তর্গত, সাংবিধানিকভাবে আলাদা তিনটি অঙ্গ, সংবিধানদ্বারা নির্ধারিত সীমাগুলি অতিক্রম করে পরস্পরের সীমায় প্রবেশ করতে পারে না। এটাইসংবিধানের প্রভূত্বের সিদ্ধান্তের তর্কসম্মত এবং বাস্তব অর্থ”। সংবিধানের এই শক্তিগুলির কারণে বাবাসাহেব একে ‘ফান্ডামেন্টাল ডক্যুমেন্ট’বা মূল নথি আখ্যা দিয়েছেন। এটি এক এমন নথি, যা প্রশাসনিক, বিচার-বিভাগীয় এবংআইন-বিভাগের স্থিতি এবং শক্তিসমূহকে পরিভাশিত করে। ডঃ আম্বেদকর বলেছিলেন – “সংবিধানের উদ্দেশ্য শুধু রাষ্ট্র ব্যবস্থার তিনটি অঙ্গকে নির্মাণ করা নয়,তাদের অধিকারের সীমা নির্ধারণ করা। এটা এজন্যই প্রয়োজন যে, সীমা নির্দিষ্ট না করে দিলেসংস্থাগুলির মধ্যে নিরঙ্কুশতা বর্তাতে পারে আর তা উৎপীড়ন শুরু করতে পারে। সেজন্যআইনসভার যে কোনও আইন প্রণয়নের স্বাধীনতা থাকা উচিৎ, প্রশাসনের যে কোনও সিদ্ধান্তনেওয়ার স্বাধীনতা থাকা উচিৎ আর সুপ্রিম কোর্টের থাকা উচিৎ আইনের ব্যাখ্যা করারস্বাধীনতা”। বাবসাহেব-এর বলা এই কথাগুলি মেনে আমরা আজ এতদূর পৌঁছেছি আর গর্বের সঙ্গেসংবিধান দিবস পালন করছি। সংবিধানের এই বৈশিষ্ট্য, সংবিধানের মৌলিক গঠন প্রণালীসংশ্লিষ্ট তিনটি সংস্থার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্টও বেশ কিছুসিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৯৬৭ সালে একটি সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল – “আমাদের সংবিধান আইনসভা, শাসন ব্যবস্থা এবং বিচার ব্যবস্থার সীমা অত্যন্তসূক্ষ্মভাবে নির্ণয় করেছে। সংবিধান তাদের থেকে আশা করে যে তারা নিজেদের সীমা লঙ্ঘননা করে নিহিত শক্তিগুলি প্রয়োগ করবে”। ভাই ও বোনেরা, আজ যখন আমরা ‘নতুন ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্যযথাসম্ভব প্রচেষ্টা চালাচ্ছি, এই সময়ে সংবিধানের শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা আরও বৃদ্ধিপেয়েছে। প্রত্যেক ব্যবস্থাকে নিজের সীমার মধ্যে থেকে জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করতেহবে। আজ গোটা বিশ্ব ভারতের দিকে অনেক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। সেসব দেশ অনেকসমস্যার সমাধানের জন্য ভারতের দিকে তা���িয়ে আছে। অনেক দেশই ভারতের উন্নয়নে কাঁধেকাঁধ মিলিয়ে অংশগ্রহণ করতে চায়। এহেন পরিস্থিতিতে আমাদের আইন-ব্যবস্থা, শাসনব্যবস্থা এবং বিচার-ব্যবস্থাকে সংবিধান নির্ধারিত মর্যাদা মাথায় রেখে এগিয়ে যেতেহবে। বন্ধুগণ, আমি ‘ল কমিশন’ এবং ‘নিতি আয়োগ’কে এই আয়োজনের জন্য অভিনন্দন জানাই।সংবিধানের তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধিরাই এই অনুষ্ঠানে মন খুলে নিজেদের বক্তব্যরেখেছেন। অনেক বিশেষজ্ঞ ও বিদ্বান নিজেদের মতামত দিয়েছেন। প্রত্যেকের মতামতেরনিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এরকম বার্তালাপের অনেক প্রয়োজনরয়েছে। এটা আমাদের ব্যবস্থার পরিপক্কতার পরিচায়ক। এই অনুষ্ঠানে যেসব কার্যকর করারমতো বিষয় উঠে এসেছে, সেগুলিকে সবাই মিলে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বার্তালাপেরপ্রক্রিয়া যাতে নিরন্তর জারি থাকে, সে ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করা উচিৎ। ভাই ও বোনেরা, আজ সময়ের দাবি হ’ল – আমাদের পরস্পরের ক্ষমতায়নে এগিয়ে আসতেহবে, পরস্পরের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে হবে, সেই স্তম্ভ যেসব সমস্যার মোকাবিলা করছে,সেগুলি বুঝতে হবে। যখন এই তিনটি স্তম্ভই সংবিধানে লিপিবদ্ধ নিজের নিজের কর্তব্যসম্পাদনে জোর দেবে, তখনই দেশের নাগরিকদের অধিকার সহকারে বলতে পারবে – “আপনারাওনিজেদের কর্তব্য পালন করুন, উন্নাসিকতা ত্যাগ করে সমাজ ও দেশকে নিয়ে ভাবুন”। বন্ধুগণ, অধিকারের দ্বন্দ্বে কর্তব্যে অবহেলার সম্ভাবনা থাকে আর কর্তব্যেগাফিলতি থাকলে দেশ এগিয়ে যেতে পারবে না। আমি আরেকবার আপনাদের সবাইকে, দেশবাসীকে সংবিধান দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছাজানাই। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।",২০১৭ বৰ্ষৰ ৰাষ্ট্ৰীয় আইন দিৱসৰ সামৰণি অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে দিয়া ভাষণৰ সাৰাংশ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B-15/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5/,"নয়াদিল্লি, ০৭ অগাস্ট, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বার্মিংহাম কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরুষদের ১০ হাজার মিটার হাঁটায় ব্রোঞ্জ পদক জয়ী সন্দীপ কুমার’কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “বার্মিংহাম কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ওয়াকিং ইভেন্টে খেলোয়াড়রা ভালো ফল করছেন, দেখে ভালো লাগছে। ১০ হাজার মিটা��� ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জেতায় সন্দীপ কুমারকে অভিনন্দন। ভবিষ্যতে তাঁর আরও সাফল্য কামনা করি। #Cheer4India""।","প্রধানমন্ত্রীয়ে কমনৱেলথ গেমছ ২০২২ত পুৰুষৰ ১০,০০০ মিটাৰৰ ৰেচ ৱাকত ব্ৰঞ্জৰ পদক জয় কৰাত সন্দীপ কুমাৰক অভিনন্দন জনা" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%B8%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AC-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A7%81/,"নয়াদিল্লি, ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন দিল্লিতে মুখ্যসচিবদের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ভারতকে নতুন শিখরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন নীতি-ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় এবং ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস গ্রহণের ক্ষেত্রে এটি একটি সুন্দর মঞ্চ বলে শ্রী মোদী জানান। এক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন : “মুখ্য সচিবদের সম্মেলন অংশ নিলাম। ভারতকে নতুন শিখরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন নীতি-ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় এবং ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস গ্রহণের ক্ষেত্রে এটি একটি সুন্দর মঞ্চ।”",নতুন দিল্লীত অনুষ্ঠিত মুখ্য সচিবসকলৰ সন্মিলনত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ অংশগ্ৰহ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%89%E0%A6%AA-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-4/,"নয়াদিল্লি, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২২ সম্মানীয় চেয়ারম্যান মহোদয়, সম্মানীয় সকল বর্ষীয়ান সাংসদগণ, শুরুতেই আমি মাননীয় চেয়ারম্যানকে এই সভা ও সমগ্র দেশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই। এক সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসে নানা সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে আজ আপনি যে পদে আসীন হয়েছেন তা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার যোগ্য। আপনি উচ্চকক্ষের এই আসনকে আরও গৌরবান্বিত করেছেন। আমি আপনাকে বলতে চাই যে কিষাণ পুত্রের এই সাফল্য প্রত্যক্ষ করে দেশের মানুষ যারপরনাই আনন্দিত। সম্মানীয় চেয়ারম্যান, আজ আরও একটি আনন্দের দিন। সশস্ত্র বাহিনীর ফ্ল্যাগ-ডে আজ। সম্মানীয় চেয়ারম্যান, আপনি ঝুনঝুনু থেকে এসেছেন এবং ঝুনঝুনু বীর নায়কদের ভূমি। ঝুনঝুনুতে এমন পরিবার হয়তো খুবই কম আছে যারা দেশের সেবায় কোনো অগ্রণী ভূমিকা পালন করেনি। সর্বোপরি আপনি একজন সৈনিক স্কুলের ছাত্র। আপনাকে যখন আমি একজন কৃষক পুত্র ও সৈনিক স্কুলের পড়ুয়া হিসেবে দেখি তখন আপনার মধ্যে আমি একত্রে একজন কৃষক ও সেনাকে দেখতে পাই। সশস্ত্র বাহিনীর ফ্ল্যাগ-ডে’তে আপনার সভাপতিত্বে এই কক্ষের তরফ থেকে আমি দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই। আমি এই সভার সম্মানীয় সদস্যদের তরফ থেকে দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে অভিবাদন জানাই। সম্মানীয় চেয়ারম্যান, আজ সংসদের উচ্চকক্ষ আপনাকে এমন এক সময় স্বাগত জানাচ্ছে যখন দেশ দুটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত প্রত্যক্ষ করছে। মাত্র কয়েকদিন আগেই সমগ্র বিশ্ব ভারতের ওপর নির্ভর করে ভারতকে জি২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্বের দায়িত্ব অর্পন করেছে। এছাড়াও এখন ‘অমৃত কাল’এর সূচনা হয়েছে। এই ‘অমৃত কাল’ কেবলমাত্র নতুন উন্নত ভারত গঠনের সময় নয়, এই সময় ভারত বিশ্বের ভবিষ্যতের পথদিশা নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সম্মানীয় চেয়ারম্যান, আমাদের গণতন্ত্র, আমাদের সংসদ এবং আমাদের সংসদীয় ব্যবস্থাপনা ভারতের এই যাত্রাপথে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। আমি আনন্দিত যে গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে উচ্চকক্ষ আপনার মতো একজন দক্ষ ব্যক্তির নেতৃত্ব পাবে। আপনার নেতৃত্বে আমাদের সব সদস্যরা সভায় যথাযথভাবে তাঁদের দায়িত্ব পালন করবেন এবং দেশের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে এ এক কার্যকর স্থান হয়ে উঠবে। সম্মানীয় চেয়ারম্যান, আজ আপনি আনুষ্ঠানিকভাবে সংসদের উচ্চকক্ষের প্রধান হিসেবে আপনার নতুন দায়িত্ব শুরু করছেন। এই উচ্চকক্ষে যে দায়িত্ব রয়েছে তা যথাযথভাবে আপনি পালন করবেন। এই প্রথম দেশের ঐতিহ্যবাহী আদিবাসী সম্প্রদায় দেশের সম্মানীয় রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মুর মাধ্যমে আমাদের দিশা দেখাচ্ছে। এর আগে শ্রী রামনাথ কোবিন্দজিও সমাজের বঞ্চিত শ্রেণী থেকে উঠে এসে দেশের সর্বোচ্চ পদে আসীন হয়েছিলেন এবং এখন একজন কৃষক পুত্র হিসেবে আপনি কোটি কোটি দেশবাসীর প্রতিনিধিত্ব করছেন। সম্মানীয় চেয়ারম্যান, আপনার জীবন বার বার এটাই প্রমান করে যে কেবলমাত্র সংস্থান থাকলেই সাফল্য আসে তা নয়, ‘সাধনা’র মাধ্যমেই সাফল্য অর্জন করা যায়। আপনি বহু কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতেন। গ্রাম, দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ ও কৃষকদের জন্য আপনি যা করেছেন সামাজিক জীবনে প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে তা উদাহরণ স্বরূপ। সম্মানীয় চেয়ারম্যান, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বর্ষীয়ান আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে আপনার। আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে সভায় আপনি আপনা�� আদালতের অনুপস্থিতি অনুভব করতে পারবেন না। কারন সুপ্রিম কোর্টে আপনার সঙ্গে যাদের দেখা হত তাঁদের অনেকেই এখন রাজ্যসভার প্রতিনিধি। তাই আপনি আদালতের মতো একই পরিবেশ এখানে পাবেন। আপনি বিধায়ক, সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রাজ্যপাল হিসেবেও আপনার দায়িত্ব পালন করেছেন। এইসব কাজের মধ্যে বিশেষত্ব হল উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের মূল্যবোধ রক্ষায় আপনার নিষ্ঠা। আপনার অভিজ্ঞতা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সম্মানীয় চেয়ারম্যান, আপনি রাজনীতিতে থেকেও দলের ঊর্ধ্বে উঠে সকলের সঙ্গে মিলে কাজ করেছেন। উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের সময় আপনার জন্য সকলের যে একাত্মতাবোধ রয়েছে তা আমরা দেখতে পেয়েছি। ভোটের ৭৫ শতাংশ আপনার পক্ষে গেছে। সম্মানীয় চেয়ারম্যান, আমাদের দেশে বলা হয় নয়তি ইতি নায়ক : অর্থাৎ যাঁরা আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান তাঁরাই নায়ক। সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় নেতৃত্বের যথাযথ সংজ্ঞা। রাজ্যসভার পরিপ্রেক্ষিতে যা আরও বিশেষ কার্যকর। কারন এই সভার দায়িত্ব গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তগুলিকে বাস্তবায়িত করার। এইজন্য সভায় যখন আপনার মতো নেতা থাকেন তখন আমি মনে করি তা প্রত্যেক সদস্যের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। সম্মানীয় চেয়ারম্যান, রাজ্যসভা দেশের মহান গণতান্ত্রিক ঐহিত্যকে সদর্থকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এক বাহক। বহু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কোনো না কোনো সময় রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। বহু বিশিষ্ট নেতার সংসদীয় যাত্রাপথ শুরু হয় রাজ্যসভা থেকেই। তাই এই সভার গরিমা বজায় রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। সম্মানীয় চেয়ারম্যান, আমি নিশ্চিত আপনার নেতৃত্বে এই সভা ঐতিহ্য ও মর্যাদা নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। প্রয়োজনীয় বিতর্ক ও গণতান্ত্রিক আলোচনা সভার গরিমা বাড়াবে। সম্মানীয় চেয়ারম্যান, আমাদের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু গত অধিবেশন পর্যন্ত এই সভাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর বাক্য চয়ন এবং রসবোধ সভায় সব সময় আনন্দের পরিবেশ বজায় রাখতো। বহু সময় আমরা সাংসদের প্রাণ খোলা হাসিও দেখতে পেয়েছি। আমি নিশ্চিত আপনার দ্রুত মজার উত্তর দেওয়ার যে অভ্যাস রয়েছে তা কখনই প্রাক্তন চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতি বুঝতে দেবে না এবং আপনিও একইভাবে খোলামেলা পরিবেশে সভার কাজ চালিয়ে যাবেন। এই বিশ্বাসের সঙ্গে আমি সমগ্র দেশ ও সভার পক্ষ থেকে আপনাকে শুভেচ্ছা জানা��। ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে।",ৰাজ্যসভাত উপ ৰাষ্ট্ৰপতি শ্ৰী জগদীপ ধনখৰক আদৰণি জনাই প্ৰদান কৰা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ ইংৰাজীলৈ কৰা তৰ্জমাৰ অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%A6%E0%A6%BE/,"ভারতমাতা কী জয়! নমস্কার! এটা আমার সৌভাগ্য যে আজ জার্মানিতে এসে ভারতমাতার সন্তানদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। আপনাদের সবার সঙ্গে মিলিত হয়ে খুব ভালো লাগছে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই জার্মানির ভিন্ন ভিন্ন শহর থেকে আজ এখানে বার্লিনে এসে পৌঁছেছেন। আজ সকালে আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছিলাম যে, …এখানে শীতকাল এখন, ভারতে এই দিনগুলিতে এখন অনেক গরম, কিন্তু এখানে এত ঠান্ডা সত্ত্বেও ভোরবেলা ৪-৪-৩০ মিনিট নাগাদ এই ছোট ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে আপনারা এখানে এসে পৌঁছেছেন। আপনাদের এই ভালোবাসা, আপনাদের এই আশীর্বাদ, আমার অনেক বড় শক্তি। আমি আগেও জার্মানি এসেছি। আপনাদের মধ্যে অনেকের সঙ্গে আগেও দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে। আপনাদের মধ্যে অনেকে যখন ভারতে গেছেন তখন তাঁদের সঙ্গেও দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে। আমি এখানে দেখতে পাচ্ছি যে আমাদের নতুন প্রজন্ম, আমাদের ইয়ং জেনারেশনের প্রতিনিধিরা এখানে অত্যন্ত বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত হয়েছেন, আর এর কারণ হিসেবে আমি বলবো, যুবক – যুবতিদের মনে যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা থাকে তা তো আছেই, কিন্তু আপনারা নিজেদের ব্যস্ত সময় থেকে সময় বের করে এখানে এসেছেন। সেজন্য আমি আপনাদের সবার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। একটু আগেই আমাদের দেশের রাষ্ট্রদূত বলছিলেন যে এখানে সংখ্যার নিরিখে ভারতীয়দের সংখ্যা কম, জার্মানিতে ভারতীয়দের সংখ্যা কম কিন্তু, আপনাদের ভালোবাসায় কোনও খামতি নেই, আপনাদের উৎসাহ ও উদ্দীপনায় কোনও খামতি নেই, আর এই দৃশ্য আজ যখন ভারতের মানুষ প্রযুক্তির মাধ্যমে দেখছেন, তখন তাঁদের মনও গর্বে ভরে উঠছে বন্ধুগণ। সাথীগণ, আজ আমি আপনাদের সঙ্গে নিজের কথা বলতে আসিনি, এমনকি মোদী সরকারের কথাও বলতে আসিনি। কিন্তু আমার ইচ্ছা করছে যে মন খুলে আপনাদের সঙ্গে কোটি কোটি ভারতবাসীর সামর্থ্য নিয়ে কথা বলি, তাঁদের গৌরব গান করি, তাঁদের গীত গাই, আর যখন আমি কোটি কোটি ভারতবাসীর কথা বলছি, তখন শুধু তাঁদের কথা বলছি না, যাঁরা ওখানে থাকেন, আ���ি তাঁদের কথাও বলছি যাঁরা আপনাদের মতো বিদেশে থাকেন। আমার এই কথাগুলি বিশ্বের প্রত্যেক প্রান্তে বসবাসকারী ভারতমাতার সন্তানদের উদ্দেশে বলা। আজ আমি সবার আগে জার্মানিতে অত্যন্ত মর্যাদা ও সাফল্যের সঙ্গে ভারতের পতাকাকে উঁচুতে তুলে ধরার জন্য আপনাদের মতো সকল ভারতবাসীকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই, অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। বন্ধুগণ, একবিংশ শতাব্দীর এই সময়টি ভারতের জন্য, আমাদের মতো সকল ভারতবাসীর জন্য আর বিশেষ করে আমাদের নবীন প্রজন্মের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়। আজ ভারত অনেক সাফল্যের ক্ষেত্রে দৃঢ় নিশ্চয় হয়ে উঠেছে, আর ভারতবাসীও সেসব ক্ষেত্রে প্রত্যয়ী হয়ে উঠেছে। ভারত আজ সঙ্কল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আজ ভারত জানে কোথায় যেতে হবে, কিভাবে যেতে হবে, আর কবে পর্যন্ত কতদূর যেতে হবে। আর আপনারাও জানেন যে যখন কোনও দেশ স্থির নিশ্চিত হয়ে লক্ষ্যপূরণের চেষ্টা করে, তখন সেই দেশ নতুন পথেও চলতে শুরু করে, আর নিজেদের ঈপ্সিত গন্তব্য জয় করেও দেখায়। আজকের উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভারত – অ্যাসপিরেশনাল ইন্ডিয়া, আজকের যুব ভারত, দেশের দ্রুত উন্নয়ন চায়। আজকের ভারত জানে যে এর জন্য রাজনৈতিক স্থিরতা এবং প্রবল ইচ্ছাশক্তি কতটা প্রয়োজনীয়, কতটা অনিবার্য – এ সবকিছুই আজকের ভারত খুব ভালোভাবে বোঝে এবং সেজন্যই ভারতের জনগণ তিন দশক ধরে দেশে যে রাজনৈতিক অস্থিরতার বাতাবরণ ছিল, ২০১৪ সালে তাঁরা একটি বোতাম টিপে তার অবসান ঘটিয়ে দিয়েছেন। তারপর, ভারতের ভোটাররা বিগত ৭-৮ বছর ধরে টের পাচ্ছেন যে তাঁদের ভোটের শক্তি কতটা, আর সেই একটি ভোট ভারতকে কিভাবে বদলে দিতে পারে সেটা অনুভব করছেন। ইতিবাচক পরিবর্তন এবং দ্রুত উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষাই তাঁদেরকে ২০১৪ সালে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতাসম্পন্ন সরকার নির্বাচনে উৎসাহ যুগিয়েছে, আর দীর্ঘ ৩০ বছর পর এমনটা হয়েছে। এটা ভারতের মহান জনতার, এটাই ভারতের মহান জনতার দূরদৃষ্টির ফল যে ২০১৯-এ তাঁরা দেশের সরকারকে আগের বারের থেকেও বেশি শক্তিশালী সংখ্যাধিক্য দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। ভারতকে চতুর্দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে ধরনের দৃঢ় সঙ্কল্প গ্রহণকারী সরকার প্রয়োজন, ঠিক সেরকম সরকারকেই ভারতের জনগণ শাসন ক্ষমতা অর্পণ করেছেন। আমি জানি বন্ধুগণ যে আকাঙ্ক্ষার কত বড় আকাশ আজ আমাদের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, আমার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু আমি এটাও জানি যে আপ্রাণ পরিশ্রম করে, নিজেদের উৎসর্গ করে, কোটি কোটি ভারতবাসীর সহযোগিতায়, সেই কোটি কোটি ভারতবাসীর নেতৃত্বে ভারত নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। ভারত এখন আর সময় নষ্ট করবে না, ভারত এখন আর সময় হারাবে না। আজ এটি কেমন সময়, এই সময়ের সামর্থ্য কেমন, আর এই সময় পাওয়া কতটা মূল্যবান তা এখন ভারত খুব ভালোভাবেই জানে। বন্ধুগণ, এ বছর আমরা আমাদের দেশের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ পালন করছি। আমিই দেশের প্রথম এমন প্রধানমন্ত্রী যে স্বাধীন ভারতে জন্মগ্রহণ করেছি। যখন দেশ তার স্বাধীনতার ১০০তম বর্ষ পূর্তি পালন করবে, তখন এই দেশ যে উচ্চতা স্পর্শ করবে, সেই লক্ষ্য নিয়েই আজ ভারতের সরকার কাজ করছে। শতবর্ষ পূর্ণ হতে আমাদের হাতে ২৫ বছর সময় রয়েছে। আমরা অত্যন্ত দৃঢ় পদক্ষেপে, একের পর এক দৃপ্ত পদসঞ্চারে, দ্রুতগতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছি। বন্ধুগণ, ভারতের কখনও চেষ্টার ত্রুটি ছিল না, আর ভারতের কখনও সম্পদেরও অভাব ছিল না। স্বাধীনতার পর দেশ একটি পথ ঠিক করে, একটি দিশা নিশ্চিত করে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে যত পরিবর্তন আসা উচিৎ ছিল, যত দ্রুতগতিতে সেই পরিবর্তনগুলি আসা উচিৎ ছিল, আর এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়া যত ব্যাপক হওয়া উচিৎ ছিল, কোনও না কোনও কারণে আমাদের দেশে তা হয়নি, আমরা কোথাও পেছনে রয়ে গিয়েছি। বিদেশি শাসকরা বছরের পর বছর ধরে যেভাবে ভারতীয়দের আত্মবিশ্বাসকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছিল, সেখান থেকে দেশের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার একটাই পথ ছিল, সেটা হল আরও একবার ভারতের প্রত্যেক নাগরিককে আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ করে তোলা, প্রত্যেকের মন আত্মগৌরবে ভরিয়ে তোলা, আর সেজন্য সরকারের প্রতি জনগণের ভরসা রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের পরম্পরা মেনে চলায়, সরকার এবং জনগণের মধ্যে ভরসার ক্ষেত্রে একটি অনেক বড় ফাঁটল তৈরি হয়েছিল, সন্দেহের কালো মেঘ ঘনিভূত হয়ে উঠেছিল। কারণ, ব্রিটিশ শাসকরা দেশকে যে অবস্থায় রেখে গিয়েছিলেন, স্বাধীন দেশের নতুন সরকার সেই অবস্থায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা অবশ্যই করেছে, কিন্তু সে জন্য যে গতিতে কাজ করার দরকার ছিল, তাদের সেই গতির অভাব ছিল। সেজন্য সময়ের চাহিদা ছিল যে সাধারণ মানুষের জীবনে সরকারের ভূমিকাকে ন্যূনতম করে তোলা, সরকারের কর্তৃত্ব হ্রাস করা। প্রয়োজন ছিল ‘মিনিমাম গভর্নমেন্ট, ম্যাক্সিমাম গভর্ন্যান্স’-এর। প্রয়োজন ছিল যেখানে দরকার, শুধু সেখানেই যেন সরকারের উপস্থিতি থাকে, যাতে কোনও অভাব না থাকে, কিন্ত��� যেখানে প্রয়োজন নেই, সেখানে সরকারের প্রভাবও থাকা উচিৎ নয়। বন্ধুগণ, যখন দেশের সাধারণ মানুষ নিজেরাই উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে নেতৃত্ব প্রদান করেন, তখনই দেশ এগিয়ে যায়। যখন দেশের মানুষ এগিয়ে এসে উন্নয়নের লক্ষ্য স্থির করেন, তখনই দেশ এগিয়ে যায়। যেমন এখন আজকের ভারতে সরকার নয়, মোদী নয়, দেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষই ‘ড্রাইভিং ফোর্স’ হয়ে উঠেছেন, দেশের চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছেন। সেজন্য আমরা দেশের সাধারণ মানুষের জীবন থেকে সরকারের চাপও সরিয়ে দিচ্ছি, আর সরকারের অকারণ দখলদারীও সমাপ্ত করছি। আমাদের নিজেদের ‘রিফর্ম’ করার মাধ্যমে, সংশোধন করার মাধ্যমে দেশকে ‘ট্রান্সফর্ম’ করছি, পরিবর্তন আনছি। আমি সব সময়েই বলি, ‘রিফর্ম’ করার জন্য, সংস্কারের জন্য, ‘পলিটিক্যাল উইল’ বা রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি চাই। ‘পারফর্ম’ করার জন্য ‘গভর্নমেন্ট মেশিনারি এস্টাব্লিশমেন্ট’ চাই, আর ‘রিফর্ম’-এর জন্য সাধারণ মানুষের অংশীদারিত্ব চাই। তখনই গিয়ে ‘রিফর্ম’, ‘পারফর্ম’, ‘ট্রান্সফর্ম’-এর মেলবন্ধনে উন্নয়নের গাড়ি এগিয়ে যাবে। আজ ভারত ‘ইজ অফ লিভিং’বা সহজ জীবনযাপন, ‘কোয়ালিটি অফ লাইফ’বা জীবনযাপনে উৎকর্ষ , ‘ইজ অফ এমপ্লয়মেন্ট’বা সহজে কর্মসংস্থান, ‘কোয়ালিটি অফ এডুকেশন’ বা শিক্ষায় উৎকর্ষ, ‘ইজ অফ মোবিলিটি’বা সহজ যাতায়াত, ‘কোয়ালিটি অফ ট্র্যাভেল’বা যাতায়াতে উৎকর্ষ, ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’বা সহজে ব্যবসা, ‘কোয়ালিটি অফ সার্ভিসেস’বা পরিষেবায় উৎকর্ষ, ‘কোয়ালিটি অফ প্রোডাক্টস’বা পন্নের উৎকর্ষ – প্রত্যেক ক্ষেত্রে দ্রুতগতিতে কাজ করছে। নতুন নতুন মাত্রায় উন্নয়নকে প্রতিস্থাপিত করছে। এটা সেই দেশ, যাকে ছেড়ে আপনারা এখানে এসেছিলেন। এটা সেই দেশই যেখানে আজও একই ব্যুরোক্র্যাসি রয়েছে, একই দপ্তরগুলি রয়েছে, সেই টেবিল-চেয়ারগুলিই রয়েছে, সেই কলমধারীরাই রয়েছেন, সেই ফাইলগুলিই এখনও চলছে, সেই সরকারি মেশিনারিই কাজ করছে, কিন্তু এখন তুলনামূলক অনেক উন্নত ফল পাওয়া যাচ্ছে। বন্ধুগণ, ২০১৪ সালের আগে যখনই আমি আপনাদের মতো বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতাম, তখন আপনাদের কাছ থেকে একটা অনেক বড় অভিযোগ প্রায়ই শুনতাম। আপনাদেরও হয়তো সেসব পুরনো দিনের কথা মনে আছে! আর আজ যখন দেশে যান, তখন যদি ওখানে দেখেন যে কোথাও লেখা আছে ‘ওয়ার্ক ইন প্রগ্রেস’, তাহলে এখন সেখানে অনেক বিভাগ মিলে একটি সংহত কাজ করছে বলে জানবেন। কিন্তু আগে এই ‘ওয়ার্ক ইন প্রগ্রে��’এর মানে আলাদা ছিল। আমি কারোর সমালোচনা করতে চাই না, কিন্তু আমাদের দেশে এটাই হত যে আগে কোথাও সড়কপথ তৈরি হত, তারপর বিদ্যুতের লাইন নিয়ে যাওয়ার জন্য সেই সড়কপথ খোড়া হত। তারপর আবার পথ ঠিক করা হত। কিছুদিন পর জলের লাইন নিয়ে যাওয়ার জন্য আবার রাস্তা খোড়া হত। আবার রাস্তা ঠিক করা হলে কিছুদিন পর টেলিফোনের লাইন পাতার জন্য রাস্তা খোড়া হত বা আরও কিছু পাতার জন্য রাস্তা খোড়া হত। একটি সড়কপথ তৈরির যে বাজেট, সেই বাজেট অনুযায়ী রাস্তার কাজ সম্পূর্ণই হত না, এই কাজ চলতেই থাকত। আপনাদের শুধু একটাই উদাহরণ দিলাম, কারণ এই বিষয়টা আমি নিজের চোখে দেখেছি। এমনটি কেন হত? এর কারণ ছিল যে সরকারি বিভাগগুলির মধ্যে পরস্পরের সঙ্গে কোনও তথ্যের আদানপ্রদান হত না, কোনও কথাবার্তা হত না, কোনও যোগাযোগ ও সমন্বয় ছিল না, সবাই নিজের নিজের দুনিয়া বানিয়ে তার মধ্যে বসে থাকত। প্রত্যেকের কাছে রিপোর্ট কার্ড থাকত যে আমি এত দীর্ঘ সড়কপথ তৈরি করে দিয়েছি। অন্যজন বলত যে আমি এত কিলোমিটার বিদ্যুতের তার পেতে দিয়েছি, অন্য কেউ বলত যে আমি এত মিটার দীর্ঘ জলের পাইপ পেতে দিয়েছি; কিন্তু এর পরিণামস্বরূপ ওই পথে সবসময় একটা সাইনবোর্ড লাগানো থাকত – ‘ওয়ার্ক ইন প্রগ্রেস’। এই সিলোসগুলিকে ভাঙার জন্য এখন আমরা ‘পিএম গতি শক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান’ রচনা করেছি। চারিদিকে তার প্রশংসা শোনা যাচ্ছে। আমরা প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টের সিলোস ভেঙে ইনফ্রাস্ট্রাকচার বা পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক স্টেক হোল্ডারকে বা সংশ্লিষ্ট সকলকে একটাই প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছি। এখন সরকারের সমস্ত বিভাগ নিজেদের অংশের কাজ অ্যাডভান্স প্ল্যান বা অগ্রিম পরিকল্পনা করছে। এই নতুন অ্যাপ্রোচ বা ভাবনা উন্নয়নের সমস্ত কাজে গতি বাড়িয়ে দিয়েছে, আর পরিমাপও বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের এখন সবচাইতে বড় শক্তি যেখানে সেটা হল, ‘স্কোপ’বা সুযোগ, ‘স্পিড’বা গতি এবং ‘স্কেল’বা পরিমাপ। আজ ভারতে সোশ্যাল এবং ফিজিক্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ওপর অভূতপূর্ব বিনিয়োগ হচ্ছে। আজ ভারতে নতুন শিক্ষানীতি কার্যকর করার জন্য সহমতের একটি আবহ গড়ে উঠেছে, আর অন্যদিকে নতুন স্বাস্থ্যনীতিকে বাস্তবায়নের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আজ ভারতে রেকর্ড সংখ্যক নতুন এয়ারপোর্ট বা বিমানবন্দর তৈরি করা হচ্ছে। ছোট ছোট শহরগুলিকে এয়াররুটের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। ভারতে মেট্রো রেল কানেক্টিভিটি বাড়াতে যত কাজ এখন হচ্ছে, তা আগে কখনও হয়নি। ভারতে আজ রেকর্ড সংখ্যক নতুন মোবাইল টাওয়ার বসানো হচ্ছে, আর ভারতে ৫জি কড়া নাড়ছে। ভারতে আজ রেকর্ড সংখ্যক গ্রামকে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত করা হচ্ছে। আপনারা কল্পনা করতে পারেন, এখন ভারতের কত লক্ষ গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক পৌঁছেছে? আপনারা কল্পনা করতে পারেন যে ভারতের অধিকাংশ গ্রাম থেকে এখন যে কেউই বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন? কিভাবে ভারতের গ্রামের মানুষ এখন বিশ্ববাসীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন। আপনারা ভারতে থাকুন কিংবা জার্মানিতে থাকুন, আপনারা এই বিষয়টা অনেক বেশি ভালো বুঝতে পারবেন। ভারতে যত দ্রুত ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি বাড়ছে আর শুধু তাই নয়, এখন তো এরপর যে কথাটা বলব তা শুনে আপনারা জোরে হাততালি দিতে বাধ্য হবেন। এজন্য জোরে হাততালি দেবেন যে, যত সস্তায় ডেটা ভারতে পাওয়া যায় তা অনেক দেশের জন্য অকল্পনীয়। গত বছর গোটা বিশ্বে হওয়া ‘রিয়েল টাইম ডিজিটাল পেমেন্টস’-এ … মনোযোগ দিয়ে শুনুন! গোটা বিশ্বে ‘রিয়েল টাইম ডিজিটাল পেমেন্টস’-এ … আমি সারা পৃথিবীর কথা বলছি! এখন ভারত ছোট কিছু ভাবে না। গত বছর গোটা বিশ্বে ‘রিয়েল টাইম ডিজিটাল পেমেন্টস’-এর ৪০ শতাংশ অংশীদারিত্ব ভারতের। আমি আরও একটি কথা আপনাদের বলতে চাই, যা শুনে আমি জানি না আপনারা চুপচাপ বসে থাকবেন কি থাকবেন না। কিন্তু আপনাদের অবশ্যই ভালো লাগবে যে ভারতে এখন ট্র্যাভেল করার সময়, কোথাও আসা-যাওয়ার সময় পকেটে ক্যাশ নিয়ে যাতায়াতের প্রয়োজন প্রায় শেষ হয়ে গেছে। দূরদুরান্তের কোনও গ্রামেও যদি আপনারা যান, তাহলে নিজেদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আপনারা সব ধরনের পেমেন্ট করতে পারবেন। একটা মোবাইল ফোন আপনার পকেটে থাকাই যথেষ্ট বন্ধুগণ! বন্ধুগণ, আজ ভারতে গভর্ন্যান্সের ক্ষেত্রে টেকনলজির যে ধরনের ইনক্লুশন করা হচ্ছে তা নতুন ভারতের নতুন পলিটিক্যাল উইলকে তুলে ধরে আর তা গণতন্ত্রের ডেলিভারির ক্ষমতারও প্রমাণ। আজ কেন্দ্র, রাজ্য এবং লোকাল গভর্নমেন্টগুলির প্রায় একইরকম পরিসংখ্যান। এটা আপনাদের কাছে হয়তো অবাক লাগবে যে কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার এবং লোকাল সেলফ গভর্নমেন্টের প্রায় ১০ হাজার পরিষেবা, প্রায় ১ মিলিয়ন সার্ভিসেস অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। সরকারি সাহায্য থেকে শুরু করে ছাত্রবৃত্তি, কৃষকদের ফস��ের ন্যায্য মূল্য – সবকিছু এখন সরাসরি সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়। এখন কোনও প্রধানমন্ত্রীকে আর একথা বলতে হয় না যে, আমি দিল্লি থেকে ১ টাকা পাঠালে সাধারণ মানুষের কাছে মাত্র ১৫ পয়সা পৌঁছয়। এটা কাদের থাবা ছিল যেগুলি মাঝখানের ৮৫ পয়সা টেনে নিত? আপনাদের এটা জেনে খুব ভালো লাগবে যে বিগত ৭-৮ বছরে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, এই পরিসংখ্যান আপনাদের মনে আছে কিনা জানিনা, আমি বলে দিচ্ছি, ভয় পাবেন না! এটা আপনাদেরই পরিশ্রমের ফল। আপনাদেরই কাজের পরিণাম। বিগত ৭-৮ বছরে ভারত সরকার ডিবিটি বা ডায়রেক্ট বিনিফিট ট্রান্সফার বা প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের মাধ্যমে ২২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করেছে। মাত্র একটি ক্লিকে সরাসরি প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের মাধ্যমে আমরা এই ২২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ তাঁদেরকে পাঠিয়েছি। অর্থাৎ, এখন আপনারা জার্মানিতে আছেন, তাহলে আপনাদের এখানকার হিসেবে ৩০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে গেছে। মাঝে কোনও দালাল নেই, কাটিং করার কোনও কোম্পানি নেই, কাউকে কাটমানি দিতে হয়নি। এর ফলে ব্যবস্থায় কত বড় ট্রান্সপারেন্সি বা স্বচ্ছতা এসেছে, আর এর কারণে সরকার ও জনগণের মধ্যে যে ভরসার ফাঁটল তৈরি হয়েছিল, সেই ফাঁটল ভরার অনেক বড় কাজ আমরা করতে পেরেছি। এই নীতিগুলির কারণেই, কাজ করার তীব্র ইচ্ছাশক্তি থেকেই আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এই বিশ্বাস অর্জনের কাজ সুসম্পন্ন হয়েছে। বন্ধুগণ, এমনিতে নাগরিকদের হাতে যখন টুলস আসে, যখন নাগরিকরা এম্পাওয়ারড বা ক্ষ্মতায়িত ক্রস্ন। হয়, এই ক্ষমতায়নের ফলে তাঁদের আত্মবিশ্বাসে টৈটম্বুর হয়ে ওঠা অত্যন্ত স্বাভাবিক। তাঁরা তখন নিজেরাই সঙ্কল্প নিতে শুরু করেন আর তাঁরা স্বয়ং সঙ্কল্পকে সিদ্ধিতে রূপান্তরণের জন্য চূড়ান্ত পরিশ্রম করেন আর তখনই গিয়ে দেশ এগিয়ে যায় বন্ধুগণ! সেজন্য বন্ধুগণ, নতুন ভারত এখন শুধুই ‘সিকিওর ফিউচার’ বা সুরক্ষিত ভবিষ্যতের কথা ভাবে না, নতুন ভারত এখন রিস্ক বা ঝুঁকি নেয়, ‘ইনোভেট’ বা উদ্ভাবনের পথে হাঁটে, সেই উদ্ভাবনকে ‘ইনকিউবেট’ করে। আমার মনে আছে, ২০১৪ সালের কাছাকাছি আমাদের দেশে সব মিলিয়ে ২০০ থেকে ৪০০টি স্টার্ট-আপ ছিল। এত বড় দেশ আর মাত্র ২০০ থেকে ৪০০টি স্টার্ট-আপ! কতগুলি স্টার্ট-আপ? একটু মনে করে বলুন না বন্ধুরা! আজ থেকে ৮ ব��র আগে ভারতে সারা দেশে ২০০, ৩০০ কিংবা ৪০০টি স্টার্ট-আপ ছিল। আর আজ কতগুলি জানেন? আজ ভারতে স্টার্ট-আপ-এর সংখ্যা ৬৮ হাজারেরও বেশি। বন্ধুগণ আমাকে বলুন, আপনারা শোনার পর নিশ্চয়ই ভাবছেন, কোথায় ৪০০, কোথায় ৬৮ হাজার। এই ২০০-৪০০ থেকে ৬৮ হাজারে পরিণত হওয়ার ব্যাপারটা নিশ্চয়ই আপনাদের বুককে গর্বে ভরিয়ে দিয়েছে। ঠিক কিনা! একথা শোনার পর আপনাদের বুক তো গর্বে উঁচু হয়েছে তাই না? আপনাদের মাথা উঁচু হয়েছে কিনা! আর বন্ধুগণ, শুধু এইটুকুই নয়, শুধু স্টার্ট-আপ-এর সংখ্যা বৃদ্ধির কথাই বলছি না, আজ বিশ্বের সমস্ত প্যারামিটার্স বলছে যে এগুলির মধ্যে কয়েক ডজন স্টার্ট-আপ ইউনিকর্ন-এ পরিণত হয়েছে, আর এখন বিষয়টা ইউনিকর্ন-এই থেমে থাকেনি বন্ধুগণ, আজ আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি আমার দেশে অনেক কয়টি ইউনিকর্ন-ই দেখতে দেখতে ডিকাকর্ন-এ পরিণত হচ্ছে। অর্থাৎ, তারা ১০ বিলিয়ন ডলারের লেভেলও পার করে যাচ্ছে। আমার মনে পড়ে, আমি যখন গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রীর চাকরি করতাম আর আমার সহকর্মী যে কোনও বাবুকে জিজ্ঞাসা করতাম যে ছেলে-মেয়েরা কী করছে? অধিকাংশ মানুষই বলতেন যে আইএএস প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু আজ কেন্দ্রীয় সরকারে কর্মরত বাবুদের যদি জিজ্ঞাসা করি যে ভাই আপনার ছেলে-মেয়ে কী করে, তখন তাঁরা বলেন যে স্টার্ট-আপ চালু করেছে। এই পরিবর্তন ছোট নয় বন্ধুগণ! বন্ধুগণ, মূল কথাটি কী? মূল কথাটি হল এটাই যে আজ সরকার ‘ইনোভেটর্স’ বা উদ্ভাবকদের পায়ে শেকল পরিয়ে নয়, তাঁদের মনকে উদ্দীপনায় সঞ্জীবিত করে তাঁদের এগোনোর পথ প্রশস্ত করে দিচ্ছে। যদি আপনাদের জিও-স্পেশিয়াল-এর ক্ষেত্রে উদ্ভাবন করতে হয়, নতুন ধরনের কোনও ড্রোন তৈরি করতে হয় কিংবা মহাকাশ ক্ষেত্রে কোনও স্যাটেলাইট কিংবা রকেট তৈরি করতে হয় তাহলে এর জন্য সবার আগে সর্বাপেক্ষা ‘নার্চারিং’ আবহ আজ ভারতে রয়েছে বন্ধুগণ! একটা সময় ছিল যখন ভারতে কোনও নতুন কোম্পানি যদি রেজিস্টার করতে চাইত তখন তাদের রেজিস্ট্রি করানোর সময় কাগজ জমা করার পর তারা যখন ভুলে যেত ততদিনেও রেজিস্ট্রি হত না, মাসের পর মাস লেগে যেত। যখন ভরসা বৃদ্ধি পায়, নাগরিকদের ওপর সরকারের ভরসা বৃদ্ধি পায় আর সরকারের ওপর নাগরিকদের ভরসা বৃদ্ধি পায়, তখন অবিশ্বাসের ফাঁটলগুলি বন্ধ হতে শুরু করে। ফলস্বরূপ, আজ যদি কোনও কোম্পানি রেজিস্টার করতে চায় তাহলে সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টা লাগে বন্ধুগণ, ২৪ ঘন্টা! আমাদের দেশে সরকা���ের একটি অভ্যাস ছিল যে অফিসের যে কোনও চেম্বারে ৬ নম্বর টেবিল হোক কিংবা ১ নম্বর টেবিল, জানুয়ারিতে যদি আপনাদের কাছ থেকে কিছু চান, ২ নম্বর টেবিলের আধিকারিক ফেব্রুয়ারি মাসে আবার সেটাই চাইতেন। তারপর ৫ নম্বর টেবিলের আধিকারিক ফেব্রুয়ারির শেষে বলবেন, আরে ভাই ওই কাগজটা আনতো, আমার একটু প্রয়োজন আছে। অর্থাৎ বন্ধুগণ, নাগরিকদের হাজার হাজার কমপ্লায়েন্স মেনে চলতে হত, এটা আনো, ওটা আনো, আর এত সবকিছু নিয়ে ওঁরা কী করতেন সেটা ওঁরাই জানেন আর আপনারা জানেন। বিগত কয়েক বছরে এই কর্মসংস্কৃতি বদলেছে। বন্ধুগণ, আপনারা শুনলে হয়তো অবাক হবেন, আর আমাকে এ ধরনের কাজ করতে হচ্ছে, আমরা ইতিমধ্যেই ২৫ হাজারেরও বেশি কমপ্লায়েন্স সমাপ্ত করেছি। শুধু তাই নয়, যখন ২০১৩ সালে সাধারণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, কারণ আমার দল একথা ঘোষণা করে দিয়েছিল যে এঁকেই আমরা প্রধানমন্ত্রী বানাব, তখন আমি অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষের সামনে এমন ভাষণ দিতাম যে একদিন দিল্লিতে সমস্ত ব্যবসায়ীরা আমাকে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে ব্যবসায়ীদের অনেক বড় সম্মেলন চলছিল আর সেখানে আমার আগে যে ভদ্রলোক বক্তব্য রাখছিলেন তিনি বলছিলেন যে দেখুন, অমুক আইন তৈরি হয়েছে, তমুক আইন তৈরি হয়েছে। তাঁর বক্তব্য শুনে বুঝলাম যে তিনি অনেক আইন প্রণয়ন করেছেন। সাধারণ নির্বাচনের আগে সময়টাই এমন যে সবাই বলতে থাকেন যে ঠিক আছে, আমি এটা করে দেব। কিন্তু বন্ধুগণ, আমি একটু অন্য মাটি দিয়ে তৈরি মানুষ। আমি যখন ভাষণ দিতে উঠে দাঁড়াই, ২০১৩ সালের কথা, আমি দিল্লিতে সেদিন ভাষণ দিতে উঠে দাঁড়িয়ে প্রথমেই বললাম যে ভাই, আপনারা আইন প্রণয়নের কথা বলেন, কিন্তু আমার ইচ্ছা অন্যরকম। আমি জানি না যে আপনাদেরকে আমার ইচ্ছার কথা বললে আপনারা আমাকে ভোট দেবেন কি দেবেন না। না দিলে না দেবেন, আমার ছুটি হয়ে যাবে। আমি আজ এখানে দাঁড়িয়ে বলছি, আমি আজ আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে আমাকে যদি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে প্রত্যেকদিন দেশে একটি করে আইন বাতিল করব। অনেকেই আশ্চর্য হন যে সরকার কাকে বলে সে সম্পর্কে এই মানুষটির কোনও জ্ঞান আছে কী? হয়তো তাঁরা এরকমই ভেবেছিলেন। কিন্তু বন্ধুগণ, আমি আজকে আপনাদের একটি হিসাব দিচ্ছি। আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম পাঁচ বছরে ১ হাজার ৫০০টি আইন বাতিল করেছি বন্ধুগণ। এসব কেন করেছি? কারণ আমাদের মনে হয়েছিল যে এগুলি সব অপ্রয়োজনীয় এবং পর��্পর বিরোধী। এতসব আইনের জঞ্জালের বোঝা জনগণ কেন বহন করবেন? এই ভারত একটি স্বাধীন দেশ। এটি শুধুই মোদীর দেশ নয়, ১৩০ কোটি নাগরিকের দেশ। এখন দেখুন, দেশে … আগে তো আমাদের দেশের বৈশিষ্ট্য দেখুন সাহেব! একটি দেশ, সংবিধান ছিল দুটি। দেশের মানুষের সঙ্গে এই দ্বিচারিতা দূর করতে এত দেরি কেন লাগল? আগেকার দিনে বলা হত ‘টিউবলাইট’, মানে যে আলো দেরিতে জ্বলে। আপনারা জানেন তো যে ভারতে দুটি সংবিধান ছিল! সাত দশক ধরে ছিল! সেই দুটি সংবিধানকে এক সংবিধানে পরিণত করতে দেশবাসীর সাতটি দশক লেগে গেছে। এতদিনে তা বাস্তবায়িত হয়েছে বন্ধুগণ! গরীবের রেশন কার্ডে আগে যদি জব্বলপুরের ঠিকানা লেখা থাকত, আর তাঁকে যদি বাধ্য হয়ে জীবিকা নির্বাহের জন্য জয়পুরে যেতে হত তাহলে তাঁর সেই রেশন কার্ড কোনও কাজে লাগত না। দেশ একটাই ছিল, কিন্তু রেশন কার্ড হয়ে যেত আলাদা। আজ ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান রেশন কার্ড’ পদ্ধতি বাস্তবায়িত হয়েছে। আগে কেউ দেশে বিনিয়োগ করতে এসে গুজরাটে গেলে এক ধরনের ট্যাক্সেশন, মহারাষ্ট্রে গেলে দ্বিতীয় ধরনের ট্যাক্সেশন, পশ্চিমবঙ্গে গেলে তৃতীয় ধরনের ট্যাক্সেশন। তাঁর যদি ৩-৪টি কোম্পানি থাকে, একটি কোম্পানি গুজরাটে, দ্বিতীয় কোম্পানি মহারাষ্ট্রে আর তৃতীয় কোম্পানি পশ্চিমবঙ্গে হয়, তবে তাঁকে তিনটি রাজ্যেই ভিন্ন ভিন্ন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে নিয়োগ করতে হত যাঁরা ভিন্ন ভিন্ন আইন মেনে কাজ করতেন। কিন্তু আজ বন্ধুগণ, আজ সারা দেশে অভিন্ন কর ব্যবস্থা চালু হয়েছে। কী হয়নি! আর আমাদের অর্থমন্ত্রী নির্মলাজি এখানে বসে আছেন। এইএপ্রিল মাসে কী হয়েছে তিনি জানেন। পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি-র রেকর্ড কালেকশন হয়েছে। ১ লক্ষ ৬৮ হাজার কোটি টাকা জিএসটি-র রেকর্ড কালেকশন হয়েছে। ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান ট্যাক্স’-এর লক্ষ্যে এই শক্তিশালী পদক্ষেপ অনেক কার্যকরী প্রমাণ হয়েছে কিনা বন্ধুগণ! বন্ধুগণ, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, আজ এই ভাবনাটি আত্মনির্ভর ভারতের ‘ড্রাইভিং ফোর্স’ বা চালিকাশক্তিতে পরিণত হচ্ছে। আত্মবিশ্বাসে টৈইটম্বুর ভারত আজ দেশের সমস্ত ‘প্রসেস’ বা কর্মপদ্ধতি সহজ করে তুলছে। তার ওপর ‘প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেন্টিভ’ বা উৎপাদন-ভিত্তিক উৎসাহ ভাতার মাধ্যমে বিনিয়োগকে সমর্থনও করছে। এর বড় প্রভাব ভারতের সম্ভাব্য রপ্তানির ওপরও পড়ছে। এই তো কিছুদিন আগে আমরা ৪০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছি। যদি আমরা ‘গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস’ বা পণ্য ও পরিষেবা দেখি, তাহলে গত বছর ভারত থেকে ২৭০ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ, প্রায় ৫০ লক্ষ কোটি টাকারও ওপর রপ্তানি হয়েছে। এই পরিসংখ্যান দেখে হাততালি দেওয়ার জন্য আপনাদের হাত কি জমে গেছে বন্ধুগণ? ভারতের অনেক নতুন জেলা আজ নতুন নতুন দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে তাদের পরিধি বাড়িয়ে চলেছে আর দ্রুতগতিতে রপ্তানি হচ্ছে, আর এতে একটি মজার কথাও আছে। আজ দেশে যা তৈরি হচ্ছে সেসব পণ্য ‘জিরো ডিফেক্ট, জিরো এফেক্ট’-এর মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছে। ‘প্রোডাকশন’ বা উৎপাদনের উৎকর্ষে কোনও কোনও আপোস নয়, কোনরকম ‘ডিফেক্ট’ বা ত্রুটিকে মেনে নেওয়া হবে না, আর উৎপাদনের সময়ও পরিবেশের ওপর যেন কোনও কুপ্রভাব না পড়ে সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে। বন্ধুগণ, একবিংশ শতাব্দীর এই তৃতীয় দশকের সবচাইতে বড় সত্য এটাই যে আজ ‘ইন্ডিয়া ইজ গোয়িং গ্লোবাল’। ভারত আজ আবার বিশ্বজনীন হয়ে উঠছে। করোনার এই কঠিন সময়ে ভারত বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে জীবনদায়ী ওষুধ পাঠিয়ে অনেক জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে। যখন ভারত কোভিডের টিকা উৎপাদনে সাফল্য পেয়েছে তখন দেশ তার উৎপাদিত টিকা পাঠিয়ে প্রায় ১০০টি দেশকে সাহায্য করেছে বন্ধুগণ! বন্ধুগণ, আজকের তাজা খবর হল ‘রুকাবট কে লিয়ে খেদ হ্যায়’। বিঘ্নের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে বলছি, আজ গোটা বিশ্বের মানুষ গম সরবরাহের অপ্রতুলতার মুখোমুখি। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্বের বড় বড় দেশ আজ চিন্তিত। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে ভারতের কৃষকরা বিশ্ববাসীর পেট ভরানোর জন্য এগিয়ে আসছেন বন্ধুগণ। বন্ধুগণ, যখনই মানবতার সামনে কোনও সঙ্কট উপস্থিত হয়, তখন ভারত সমাধান নিয়ে সামনে এগিয়ে আসে। যাঁরা সঙ্কট নিয়ে আসেন, তাঁদেরকে সেই সঙ্কট নিরসনের জন্য শুভেচ্ছা জানাই। আমরা কিন্তু সঙ্কট নিয়ে আসি না। আমরা প্রতিনিয়ত সমাধান নিয়ে আসি, আর তখন সারা পৃথিবীতে জয়জয়কার ওঠে, সেটাই আমরা আজ দেখতে পাচ্ছি বন্ধুগণ! বন্ধুগণ এটাই নতুন ভারত, আর এটাই নতুন ভারতের শক্তি। আপনাদের মধ্যে যাঁরা অনেক বছর ধরে ভারতে আসেননি, তাঁরা বিন্দুমাত্র লজ্জা অনুভব করবেন না। আপনারা ভালোভাবে খোঁজখবর নিলে অবশ্যই অবাক হবেন যে অবশেষে এসব কী করে হয়েছে? এত বড় পরিবর্তন কিভাবে এসেছে? না বন্ধুরা! আপনাদের জবাব ভুল। মোদী কোনকিছুই করেনি, এসব কিছু করেছে ১৩০ কোটি ভারতবাসী। বন্ধুগণ, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের আবার এই যে এগিয়ে যাওয়া, এর পেছনে আপনাদের অবদানও অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। আজ ভারতে স্থানীয় পণ্যের প্রতি যে ‘ক্রেজ’ বা আকর্ষণ তৈরি হয়েছে, তা স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় স্বদেশী বস্তুর ওপর সৃষ্টি হওয়া আগ্রহের সঙ্গে তুলনীয়। অনেক বছর ধরে আমরা দেখেছি যে মানুষ একথা বলতেন যে অমুক জিনিসটা আমরা অমুক দেশ থেকে কিনেছি, এই জিনিসটি সেই দেশেরই তৈরি, কিন্তু আজ ভারতের জনগণের মনে নিজেদের স্থানীয় উৎপাদন, স্থানীয় পণ্য নিয়ে গর্বের অনুভূতি জেগেছে। আপনারাও হয়তো জানেন যে আজ থেকে ২০ বছর কিংবা ১০ বছর আগে যখন আপনারা বাড়িতে চিঠি লিখতেন যে আমি অমুক তারিখে বাড়িতে আসছি, তখন বাড়ি থেকে চিঠি আসত যে আসার সময় অমুক জিনিসটা নিয়ে এসো। আজ যখন বাড়িতে যান, তখন বাড়ি থেকে যদি চিঠি আসে, আর এখানকার সবাই সেই চিঠি পান, তাহলে তাঁরা যা চেয়েছেন তা কখনই কিনে আনবেন না। আমি সত্যি কথা বলছি কি বলছি না, ঠিক তো? বন্ধুগণ, এটাই সত্যি, আর সেজন্য আমি বলছি ‘ভোকাল ফর লোকাল’। কিন্তু আপনাদের লোকাল যেন এখানকার না হয়। বন্ধুগণ, এই যে উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে না, এই সমস্ত জিনিস তৈরি করতে কোনও না কোনও ভারতবাসীর পরিশ্রম লেগেছে। সেই সমস্ত পণ্যের ওপর কোনও না কোনও ভারতবাসীর ঘামের গন্ধ আছে বন্ধুগণ! সেই মাটির সুরভি আছে বন্ধুগণ! আর সেজন্য যা ভারতে উৎপাদিত হয়েছে, ভারতের মাটির সুরভি যাতে আছে, ভারতের যুব সম্প্রদায়ের ঘামের গন্ধ যাতে লেগে আছে, সেসব সরঞ্জামই আমাদের ‘ফ্যাশন স্টেটমেন্ট’ হওয়া উচিৎ বন্ধুগণ! আপনারা দেখুন, একবার এই ভাবনা যদি অনুভব করেন তাহলে আপনার মনের মধ্যে যে ‘ভাইব্রেশন’ বা স্পন্দন সৃষ্টি হবে, তা আপনার চারপাশে পৌঁছে যেতে দেরি লাগবে না। আর তারপর দেখবেন, কবে যাবেন আপনারা? এখন আমি ভারত যাচ্ছি ১০ দিনের জন্য। তাহলে এখান থেকে যাঁরা চিঠি দেবেন যে ফিরে আসার সময় ভারত থেকে এই এই জিনিস নিয়ে এসো, এটা হওয়া উচিৎ নাকি হওয়া উচিৎ না বন্ধুগণ? আপনাদের এ কাজ করা উচিৎ কি উচিৎ নয় বন্ধুগণ! বন্ধুগণ, আমি আপনাদেরকে একটি অসাধারণ উদাহরণ তুলে ধরছি। খুব সাধারণ উদাহরণ। আমি খাদির উদাহরণ দিতে চাই। আপনারা সবাই খাদি সম্পর্কে জানেন। খাদি এবং আমাদের দেশের নেতাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। নেতা আর খাদি আলাদা হতে পারে না। খাদি এলে নেতাকে দেখা যায়, আর নেতা এলে খাদিকে দেখা যায়। কিন্তু যে খাদি নিয়ে মহাত্মা গান্ধী তাঁর জীবনে বেঁচেছেন, যে খাদি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে শক্���ি যুগিয়েছে, দুর্ভাগ্যবশত স্বাধীনতার পর সেই খাদিরও সেই দশাই হয়েছে, যেমনটি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্নগুলির হয়েছিল। এটা কি দেশের দায়িত্ব ছিল না যে খাদি থেকে গরীব মায়ের রোজগার হত, যে খাদি দিয়ে বিধবা মা তাঁর ছেলে-মেয়েদের বড় করার জন্য আশ্রয় পেতেন, কিন্তু ধীরে ধীরে খাদিকে তার ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়, আর এক প্রকার এই শিল্পটি মৃত্যু পথযাত্রী হয়ে পড়ে। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হই, তখন আমি এই খাদি নিয়ে ইতিবাচক কিছু করার চেষ্টা করি। আমি বলি যে ভাই, আপনারা অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে বলেন যে বাড়িতে কারোর কাছে অমুক ফ্যাব্রিক আছে, তমুক ফ্যাবিক আছে, অমুক জায়গার শাড়ি আছে, তমুক জায়গার পাঞ্জাবি আছে। এমনটা বলেন তো, তাই না? কী জবাব দিন তো আপনারা! আরে, সত্যি কথা বললে কী ক্ষতি হবে বন্ধুরা! সেজন্য আমি বলছিলাম বন্ধুগণ, আপনারা সবাই খাদি কিনুন আর বলুন, আমার কাছে অমুক ফ্যাব্রিক আছে, কিন্তু খাদিও আছে। বন্ধুগণ, এটা অনেক ছোট ব্যাপার ছিল কিন্তু আজ আমি দেশের সামনে মাথা নত করে বলছি, আমার দেশ একসময় খাদিকে ভালোবেসেছিল, আর আপনারা জেনে আনন্দ পাবেন যে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে আজ প্রথমবার যখন দেশ স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছে, এ বছর খাদির ব্যবসা ১ লক্ষ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। এমনটি প্রথমবার হয়েছে। কত গরীব বিধবা মায়ের এর থেকে কর্মসংস্থান হয় বন্ধুগণ! বিগত ৮ বছরে খাদির উৎপাদনে যে প্রায় ১৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে, আর আপনারা এর পরিধি দেখুন বন্ধুগণ, আমি যে মেজাজ নিয়ে স্টার্ট-আপ-এর কথা বলি, ঠিক একই মেজাজ নিয়ে আমি খাদির কথাও বলি। যে মেজাজ নিয়ে আমি স্যাটেলাইটের কথা বলি, সেই একই মেজাজ নিয়ে আমি দেশের মাটির কথাও বলি। বন্ধুগণ, আজ আমি আপনাদের সকলকে এই অনুরোধ করব, এখন ভারতের ‘লোকাল’কে ‘গ্লোবাল’ করে তোলার ক্ষেত্রে আপনারাও আমার সঙ্গ দিন। এখানকার মানুষকে ভারতের ‘লোকাল’ বা স্থানীয় পণ্যের বৈচিত্র্য, ভারতের স্থানীয় পণ্যের শক্তি, ভারতের স্থানীয় পণ্যের সৌন্দর্যের সঙ্গে আপনারা অত্যন্ত সহজভাবে পরিচিত করাতে পারবেন। একটু ভাবুন! বিশ্বে এত বড় ইন্ডিয়া ডায়াসপোরা। প্রত্যেক ছড়িয়ে রয়েছে ইন্ডিয়ান ডায়াসপোরা আর এই ইন্ডিয়ান ডায়াসপোরার বিশেষত্ব হল এটাই যে যেভাবে দুধে চিনি মিশে যায়, ঠিক তেমনভাবেই ভারতবাসী পৃথিবীর অন্য যে কোনও দেশের মানুষের সঙ্গে, তাঁদের সমাজের সঙ্গে মিশে যেতে পারে, আর ‘ভ্যালু অ্যাডিশন’ বা মূল্য সংযোজন করার সময় সকলের অজান্তেই অবলীলায় সেই দুধকে মিষ্টি করে দেয়। যাঁদের কাছে এই সামর্থ্য আছে, তাঁরা অতি সহজেই ভারতের স্থানীয় পণ্যকে নিজেদের প্রচেষ্টায় জার্মানির মাটিতে ‘গ্লোবাল’ করে তুলতে পারে। আপনারা এই কাজটি করবেন? সবার কিরকম চাপা আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। একটু জোরে বলুন, করবেন? বলতে কী আছে! মোদীজি বলেছেন, এখন আরও একবার আসবেন। বন্ধুগণ, আমি আপনাদের ওপর ভরসা করি। আমার পূর্ণ বিশ্বাস যে আপনারা এই কাজটি করবেন বন্ধুগণ। আপনাদের আরও একটি বিষয় আমি মনে করাতে চাই, সেটি হল আমাদের যোগ, আমাদের আয়ুর্বেদ, আমাদের ‘ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন্স’ বা পরম্পরাগত ঔষধের নানা প্রোডাক্ট। আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না যে আজ এগুলির এত ‘পোটেনশিয়াল’ বা সম্ভাবনা রয়েছে। আপনারা সবাই ভারতের মানুষ, এটুকু পরিচয় দিলেই সামনের ব্যক্তিটি আপনাকে হয়তো জিজ্ঞাসা করেন যে আপনি যোগ জানেন কিনা। জিজ্ঞাসা করেন কি করেন না? মনে করুন আপনি তেমন কিছুই জানেন না, শুধু নাকে হাত দিয়ে যোগ-এর মুদ্রাটা যদি দেখিয়ে দেন, তাহলেই তাঁরা ভাববেন যে আরে ভাই, এতো দেখছি মাস্টার! আজকের বিশ্বে ভারতের ঋষি-মুনিদের তপস্যার প্রভাব এতটাই যে আপনি যদি একটা ছোট্ট বোর্ড লাগিয়ে দেন, অথবা কোনও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেন আর সঠিকভাবে নাকে হাত দিয়ে প্রাণায়ামটা শিখিয়ে দিতে পারেন, তাহলেই তাঁরা ডলার দিয়ে ফি দিতে আসবেন কি আসবেন না? তার মানে আমাদের মুনি-ঋষিরা এত বছর আগে কেমন ‘ব্র্যান্ড ভ্যালু’ তৈরি করে গেছেন যে সেটি আজও সুফলদায়ক হচ্ছে। হাজার হাজার বছর আগে যে মুনি-ঋষিরা এসব পদ্ধতি উদ্ভাবন করে গেছেন, এ ধরনের পথ দেখিয়ে গেছেন, তা আজ ভারতবাসী বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। কিন্তু আপনারা কি এই অভিযানে নিজেদের যুক্ত করতে পেরেছেন? আমি আপনাদের অনুরোধ জানাই যে আগামী ২১ জুন তারিখে ‘ইন্টারন্যাশনাল যোগা ডে’ বা আন্তর্জাতিক যোগ দিবস খুব দূরে নয়। এখন থেকে ছোট ছোট গোষ্ঠী তৈরি করে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ুন বন্ধুগণ। আপনাদের প্রতিবেশীদের সবাইকে সঠিকভাবে নাকে হাত দিয়ে প্রাণায়াম করা শিখিয়ে দিন বন্ধুগণ! আমি নাক কাটা শেখাতে বলছি না। বন্ধুগণ, আজ আপনাদের মধ্যে আরও একটি বিষয় আলোচনা করতে চাই, তা হল – ক্লাইমেট অ্যাকশন! পরিবেশের নিরাপত্তার স্বার্থে ভারত কী করেছে, ভারতে আমরা ক্লাইমেট চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় ‘পিপল পাওয়ার’ বা জনগণের শক্��ি থেকে ‘টেক পাওয়ার’ বা প্রযুক্তির শক্তি পর্যন্ত – প্রত্যেক সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে কাজ করছি। বিগত ৮ বছরে আমরা ভারতে এলপিজি রান্নার গ্যাসের কভারেজ ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে প্রায় ১০০ শতাংশ করে দিয়েছি। ভারতের এলইডি বাল্ব … এখন জার্মানবাসীরা তো দ্রুত বাল্বের বিষয়টা বুঝতে পারবেন। ভারতে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে এখন এলইডি বাল্ব ব্যবহার করা হচ্ছে। ‘উজালা’ যোজনার মাধ্যমে আমরা দেশে প্রায় ৩৭ কোটি এলইডি বাল্ব বিতরণ করেছি, আর এলইডি বাল্বের ব্যবহার শক্তি সাশ্রয়ের জন্য কতটা উপযোগী একথা আপনারা খুব ভালোভাবেই বোঝেন। ‘এনার্জি সেভিং’ বা শক্তি সংরক্ষণের স্বার্থে ভারত কিভাবে কাজ করেছে তা আজ আপনারা জার্মানিতে বুক ঠুকে মানুষকে বলতে পারবেন যে ভারত একটি ছোট্ট পরিবর্তন এনে কতটা শক্তি সাশ্রয় করেছে, আর এর ফলে প্রায় ৪৮ হাজার মিলিয়ন কিলোওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে। এর পাশাপাশি, প্রতি বছর প্রায় ৪ কোটি টন কার্বন নিঃসরণ কম হয়েছে। আপনারা কল্পনা করতে পারেন যে এই একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত বিশ্ব পরিবেশের কতটা নিরাপত্তা রক্ষার কাজ করেছে। বন্ধুগণ, এ ধরনের বিভিন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে আজ ভারত অভূতপূর্ব স্তরে ‘গ্রিন জবস’-এর ক্ষেত্রে একটি নতুন সুযোগ উন্মোচন করছে আর সেই সুযোগ প্রতিদিন ক্রমবর্ধমান। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে ভারত এবং জার্মানিও এই ‘এনার্জি’ বা শক্তিক্ষেত্রে একতি অনেক বড় পার্টনারশিপ বা অংশীদারিত্বের দিকে পা বাড়িয়েছে। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে আমরা এই ‘ক্লাইমেট রেসপনসিবিলিটি’ বা পরিবেশের দায়বদ্ধতাকে ‘নেক্সট লেভেল’-এ বা পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি উদাহরণ দিচ্ছি। ভারতীয়রা দেশের প্রত্যেক জেলায় ৭৫টি ‘অমৃত সরোবর’ খননের সঙ্কল্প নিয়েছে। প্রত্যেক জেলায়, অর্থাৎ আপনারা কল্পনা করতে পারেন আমি কী বলছি? এর মাধ্যমে আগামী ৫০০ দিনের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার নতুন ‘ওয়াটার বডি’ বা জলাশয় তৈরি হবে, পুকুর তৈরি হবে, দীঘি তৈরি হবে, সরোবর তৈরি হবে আর এরকম বুজে যাওয়া পুকুর, দীঘি ও সরোবরগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে। আমরা খুব ভালোভাবেই অনুভব করি যে জলই জীবন। জল থাকলেই আগামীকাল আছে। কিন্তু জলের জন্য ঘাম ঝরাতে হচ্ছে বন্ধুগণ! আপনারাও কী আমাদের এই অভিযানে যুক্ত হতে পারেন? আপনারা দেশের যে গ্রাম থেকে এসেছেন, সেই গ্রামে পুকুর তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনারাও সহযোগিতা করতে পারেন, আপনাদের তাঁদের প্রেরণা যোগাতে পারেন, আর স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে ‘অমৃত সরোবর’ খননের ক্ষেত্রে বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা প্রত্যেক ভারতবাসীর অবদান থাকলে আপনারা কল্পনা করতে পারেন বন্ধুগণ, আমরা কোথায় পৌঁছতে পারি! এই সাফল্য আপনাদের কতটা আনন্দে দেবে! বন্ধুগণ, ভারতে উন্নত বুদ্ধিসম্পন্ন বিখ্যাত জার্মান বিদ্বান ম্যাক্সমুলার ইন্দো-ইউরোপিয়ান ওয়ার্ল্ড-এর ‘শেয়ার্ড ফিউচার’-এর কথা বলে গেছেন। আপনাদের মধ্যে সবাই হয়তো এখানে দিনে ১০ বার তার উল্লেখ করেন। একবিংশ শতাব্দীতে তাঁর এই ভবিষ্যদ্বাণীকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার উৎকৃষ্ট সময় এসেছে। ভারত এবং ইউরোপের শক্তিশালী মেলবন্ধন বিশ্বে শান্তি এবং সমৃদ্ধি সুনিশ্চিত করতে পারে। এই মেলবন্ধন ক্রমাগত যাতে বাড়তে থাকে, আপনারাও এই উৎসাহ এবং উদ্দীপনা নিয়ে মানবকল্যাণের জন্য, ভারতের কল্যাণে কিছু না কিছু অবদান রাখেন তাহলে অনেক ইতিবাচক ফল অবশ্যই পাওয়া যাবে ।কারণ, আমরা তো ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ মন্ত্রে বিশ্বাসী দেশের মানুষ। বন্ধুগণ, আপনারা যে যেখানে আছেন অনেক উন্নতি করুন, পল্লবিত কুসুমিত হোন, আপনাদের সমস্ত স্বপ্ন পূরণ হোক, আপনাদের জন্য এটাই আমার শুভকামনা। আপনাদের সকলের জন্য অনেক শুভেচ্ছা। ১৩০ কোটি দেশবাসীর শুভকামনা আপনাদের সঙ্গে রয়েছে। আপনারা আনন্দে থাকুন, সুস্থ থাকুন। অনেক অনেক ধন্যবাদ! /",জাৰ্মানীৰ বার্লিনত সমূদায়ৰ অভ্যৰ্থনা অনুষ্ঠানত প্রধানমন্ত্রীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ৪ অক্টোবর ২০২২ নবরাত্রির মহানবমীতে প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী মা সিদ্ধিদাত্রীর কাছে প্রার্থনা করেছেন। তিনি প্রত্যেকের জীবনেসাফল্য কামনা করেন। মা সিদ্ধিদাত্রীর প্রতি তাঁর স্তোত্রপাঠ শ্রী মোদী সকলের সঙ্গেভাগ করে নিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন– “বিশ্বকর্তৃ বিশ্বভর্তৃ বিশ্বহর্তৃবিশ্বপ্রীতা। বিশ্বার্চিতা বিশ্বাতীতা সিদ্ধিদাত্রীনমস্তু তে।। নবরাত্রির মহানবমী মা সিদ্ধিদাত্রীরজন্য সমর্পিত। ওনার কৃপাবলে আপনারা সকলে কর্তব্যপথ অনুসরণ করার প্রেরণা পান, সেইসঙ্গেজীবনে সাফল্য এবং সমৃ��্ধিও লাভ করুন। আন্তরিক শুভকামনা!” /",মহা নৱমীত মা সিদ্ধিদাত্ৰীক প্ৰাৰ্থনা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%97%E0%A7%81-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%97%E0%A7%81-%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3/,"নয়াদিল্লি, ১৫ নভেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তেলেগু চলচ্চিত্রের নায়ক কৃষ্ণা গারুর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কৃষ্ণা গারুর প্রয়াণে চলচ্চিত্র ও বিনোদন জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হ’ল। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “কৃষ্ণা গারু ছিলেন একজন কিংবদন্তী অভিনেতা। তাঁর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের জন্য তিনি মানুষের মন জয় করেছেন। তাঁর প্রয়াণে চলচ্চিত্র ও বিনোদন জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হ’ল। শোকের এই মুহূর্তে @urstrulyMahesh সহ পরিবারের সকল সদস্যকে আমি সমবেদনা জানাই। ওঁ শান্তি”!",তেলেগু চুপাৰষ্টাৰ কৃষ্ণ গাৰুৰ মৃত্যুত গভীৰ শোক প্ৰকাশ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%AE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%8F%E0%A6%93%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%8F%E0%A6%AE%E0%A6%8F/,"নয়াদিল্লি, ১৬ অক্টোবর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে ১৭ অক্টোবর বিকেল ৪টের সময় গুজরাটে পিএমজেএওয়াই-এমএ প্রকল্পে আয়ুষ্মান কার্ড বিতরণের সূচনা করবেন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য শ্রী মোদী ২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী অমৃতম (এমএ) প্রকল্পের সূচনা করেন। ২০১৪ সালে এমএ বা মা প্রকল্পের পরিধির বিস্তার ঘটানো হয়। সেই সময় যেসব পরিবারের বার্ষিক আয় ৪ লক্ষ টাকার মধ্যে তারা এই প্রকল্পের আওতায় আসেন। পরবর্তীতে এই প্রকল্পের নাম হয় মুখ্যমন্ত্রী অমৃতম বাৎসল্য যোজনা। সেই সময় প্রকল্পের সুযোগ যাতে আরো অনেকে পান, সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে ২০১৮ সালে শ্রী মোদী, আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (এবি-পিএমজেএওয়াই)-র সূচনা করেন। এটি বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প। এই প্রকল্পে যোগ দেবার ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্য সংখ্যা বা বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নেই। প্রাথমিক চিকিৎসা বা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা౼ যেকোন চিকিৎসাতেই প্রত্যেক পরিবার ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমার সুবিধা পাবে। এবি-পিএমজেএওয়াই-এর সূচনার পর গুজরাটের “মা”/ ‘মুখ্যমন্ত্রী অমৃতম বাৎসল্য যোজনা[টিকে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। ২০১৯ সালে প্রকল্পটির নাম হয় পিএমজেএওয়াই-এমএ প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী অমৃতম বাৎসল্য এবং এবি-পিএমজেএওয়াই প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা পিএমজেএওয়াই-এমএ কার্ড পাবেন। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী এই কার্ড বিতরণের সূচনা করবেন। অনলাইনে গ্রাহক পরিচিতি যাচাইয়ের পর (ই-কেওয়াইসি) জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের প্যানেলভুক্ত সংস্থাগুলি গুজরাট জুড়ে সুবিধাভোগীদের বাড়িতে গিয়ে কার্ডটি পৌঁছে দেবে। ৫০ লক্ষ রঙিন আয়ুষ্মান কার্ড এরজন্য তৈরি করা হয়েছে।",গুজৰাটত ‘পিএমজেএওৱাই-এমএ’ যোজনা ‘আয়ুষ্মান কাৰ্ড’ বিতৰণ অভিযানৰ শুভাৰম্ভ কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E2%80%8C/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%9A%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%87/,"মঞ্চে উপস্থিত সকল সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত ভাই ও বোনেরা, কেমন আছেন? আমি দেখতে পাচ্ছি যে, এত বড় প্যান্ডেলেও স্থান সংকুলান হচ্ছে না, ওখানে অনেকে রোদে দাঁড়িয়ে আছেন। আপনারা সবাই এত বিপুল সংখ্যায় আশীর্বাদ দিতে এসেছেন, সেজন্য আমরা সবাই আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আজ আপনারা আমাকে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন কিংবা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সুযোগ করে দিয়েছেন। আপনারা আমাকে এই যে সম্মান দিয়েছেন, এর জন্যও সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত আমার সমস্ত কৃষক পরিবারকে সাদর প্রণাম ও ধন্যবাদ জানাই। আজা বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে আমূল ব্র্যান্ডের একটি বিশেষ পরিচয় গড়ে উঠেছে। বিশ্বের অনেক দেশে সফরে গিয়ে সেদেশের ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর, তাঁদের দেশে আমূল প্রোডাক্ট পাঠানোর ব্যবস্থা করা যায় কিনা – এ ধরণের অনুরোধ শুনে অবাক হয়েছি। আর এসব অনুরোধ শুনে গর্বিত হয়েছি যে, সাত দশক ধরে কৃষকদের সমবায় আন্দোলনের সাফল্যই দেশে-বিদেশে আমূলকে এত বিখ্যাত করে তুলেছে। অনেকের কাছেই এখন আমূল একটি প্রেরণা, একটি অনিবার্যতায় পর্যবসিত হয়েছে – এই সিদ্ধি কম কথা নয়। এটি অনেক বড় সাফল্য। আমূল নিছকই কোনও উৎপ���দনকারী সংস্থা নয়, শুধু দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ নয়; এটি একটি বিকল্প অর্থনীতির মডেল হিসাবেও সুপ্রতিষ্ঠিত। একদিকে সমাজবাদী অর্থনীতি, অন্যদিকে পুঁজিবাদী অর্থনীতি, একদিকে সরকার নিয়ন্ত্রিত অর্থ ব্যবস্থা, অন্যদিকে ধনী ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রিত অর্থ ব্যবস্থা – বিশ্ব এই দুই অর্থ ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু আমাদের দেশে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের মতো মহাপুরুষরা এমন একটি বীজ বপণ করে গেছেন, যা আজ তৃতীয় অর্থ ব্যবস্থার রূপ ধারণ করে মহীরূহে পরিণত হয়েছে। এতে সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে না, ধনী ব্যবসায়ীদেরও নিয়ন্ত্রণ থাকে না; তা সমবায় আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কৃষক ও সাধারণ মানুষের নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থ ব্যবস্থা রূপে অঙ্কুরিত হয়, বৃদ্ধি পায় এবং সকলেই এর অংশীদার হন। এই অর্থ ব্যবস্থার অভিনব মডেলটি সমাজবাদ ও পুঁজিবাদকে একটি সার্থক বিকল্প প্রদান করে। আমরা সবাই ভালোভাবে জানি যে, স্বাধীনতার প্রায় এক বছর আগে এই আমূলের একটি আইনসম্মত রূপ গড়ে উঠেছিল, কিন্তু সমবায় আন্দোলন তার আগে থেকেই চলছিল। খুব কম মানুষই জানেন যে, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল যখন আমেদাবাদ মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন আমেদাবাদের কর্পোরেশন ছিল না, নগরপালিকা ছিল …… সেই নগরপালিকায় সর্দার সাহেব দরিয়াপুর থেকে নির্বাচনে জিতে এসেছিলেন, সেই দরিয়াপুর থেকে আগে কৌশিকভাই জিততেন, কিন্তু সেবার সর্দার সাহেব মাত্র এক ভোটে কৌশিকভাইকে হারিয়ে নির্বাচনে জেতার পর মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। তিনি চেয়ারম্যান থাকার সময়েই গুজরাটে প্রথমবার নগরোন্নয়নের পরিকল্পনা পেশ করা হয়েছিল। আর তখনই তিনি প্রথমবার ‘কো-অপারেটিভ হাউসিং সোসাইটি’র প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। এটি ছিল সমবায়-ভিত্তিক গৃহ নির্মাণের কাজ মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির জন্য গৃহ নির্মাণের প্রস্তাব। এই প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর সর্দার সাহেব গুজরাটের ওয়রদেশ-এ প্রথম হাউসিং সোসাইটি নির্মাণের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ঐ মিউনিসিপ্যালিটির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি প্রীতম রায় দেশাইকে। তাঁরই নেতৃত্বে ঐ কো-অপারেটিভ হাউসিং সোসাইটি গড়ে ওঠার পর ১৯২৭ সালে ২৮ জানুয়ারি সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল সেটির উদ্বোধন করেছিলেন। এই উদ্বোধনের মাধ্যমেই দেশের সামনে একটি নতুন উন্নয়নের মডেল দৃষ্টান্ত হিসাবে স্থাপিত হয়। সর্দার সাহেব প্রীতম রায় দেশাইয়ের ন���মেই সেই সোসাইটির নাম রাখেন প্রীতম নগর। আজও আমেদাবাদে ঐ প্রীতমনগর সমবায় আন্দোলনের প্রথম সফল প্রয়োগ রূপে গোটা দেশকে পথ দেখাচ্ছে। সেই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে আরও সাফল্যলাভ করে; সে সময়ে ছিল বৃহৎ মহারাষ্ট্র। এই গোটা অঞ্চলে সমবায় নিছকই একটি ব্যবস্থা নয়, নিয়ম-নির্ধারিত কোনও সৃষ্টি নয়, একটি সংস্কার রূপে এখানকার মানুষের মনে স্থান করে নেয়। আর তারই পরিণাম স্বরূপ আজ গুজরাট সমবায় আন্দোলনে সারা দেশের সামনে দৃষ্টান্ত স্বরূপ সাফল্য অর্জন করেছে। আমূলের আগে উত্তর গুজরাটে এই দুগ্ধ সমবায় আন্দোলন শুরু হয়েছিল। দুগ্ধসাগর ডেয়ারি এবং বনাস ডেয়ারি বেশ সুনাম অর্জন করে। আমি মনে করি, এই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষদের নেতৃত্বে সমবায় আন্দোলন আগে যে গুজরাটে প্রতি ১০ বছরের মধ্যে ৭ বছরই খরাক্রান্ত হয়ে পড়তো, এখানকার কৃষক ও পশুপালকদের অনেকটাই সেই পরিস্থিতির মোকাবিলায় সাহায্য করবে। পরবর্তী সময়ে এমন সময়ও আসে, যখন কোনও না কোনও কারণে গান্ধীনগরে ক্ষমতাসীন রাজ্য সরকার এই সমবায় আন্দোলন ও ডেয়ারি উদ্যোগকে খর্ব করার জন্য আইন প্রণয়ন করে। ফলে, কচ্ছ-সৌরাষ্ট্রে ডেয়ারি গড়ে তোলা ও পরিচালনা করা বোঝাস্বরূপ হয়ে ওঠে। অথচ গুজরাটে অধিকাংশ পশুপালকরাই থাকেন কচ্ছ-সৌরাষ্ট্রে। গুজরাটের জনগণ যখন আমাদের হাতে রাজ্যের প্রশাসন তুলে দেন, তখন আমরা আবার এই চিত্রটি বদলে দিই। ডেয়ারি উদ্যোগে আবার সুদিন ফিরে আসে। কেউ কেউ নিজেদের ভীষণ জ্ঞানী বলে মনে করেন, কিন্তু তাঁদের এক্তিয়ারের বাইরে কিছু উপস্থিত হলে মনের অহঙ্কার থেকে সেটাকে স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকেন না, বিরোধিতারও সাহস নেই আর সেজন্য বিদ্রুপ করার পথ অনুসরণ করেন। আমার মনে পড়ে, যখন কচ্ছ-এ ‘হোয়াইট ডেজার্ট – রান উৎসব’ চালু করছিলাম, ভয়ানক ভূমিকম্পের পর কচ্ছের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বহুবিধ প্রকল্প রচনার মাধ্যমে ঐ বিধ্বস্ত অঞ্চলটিকে উন্নয়নের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে চাইছিলাম, তখন আমার একটি ভাষণে বলেছিলাম যে, উটের দুধে অনেক বেশি পুষ্টিমূল্য থাকে। আমাদের শিশুদের পুষ্টি বিকাশে উটের দুধ উপযোগী ভূমিকা পালন করতে পারে। জানি না কেন, তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একথা বলে কি পাপ করেছিল যে, তাকে নিয়ে উট ও উটের দুধ মিলিয়ে কার্টুন ছাপা হ’ত, সংবাদ মাধ্যমে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা হ’ত, জনসভায় আজেবাজে মন্তব্য করা হ’ত। আজ আমি ���ত্যন্ত আনন্দিত যে, আমূল উৎপাদিত উটের দুধ থেকে তৈরি চকোলেটের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। একটু আগেই রামসিং ভাই আমাকে বলছিলেন যে, এখন উটের দুধের দাম গরুর দুধের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। কখনও অজ্ঞানতার বশে মানুষ কী কী করতে পারে, এটা তার উদাহরণ। এখন মরু অঞ্চলে বসবাসকারী উটপালকেরা এত বড় বাজার পেলে তাঁদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আমূল আজ আমার এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছে। আমি মনে করতাম যে আমাদের দেশে পুষ্টি বৃদ্ধির জন্যে অনেক কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখনও পুষ্টি আন্দোলন গড়ে তুলতে অনেক উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কারণ আমার মতে, মা ও শিশুর পুষ্টি বৃদ্ধি হলে দেশ স্বাস্থ্যবান হবে। আরেকটি কারণে আমি আজ খুব খুশি, এখানে আজ সৌরশক্তি এবং সমবায় আন্দোলনের সমন্বয়সাধন করা হয়েছে। ক্ষেতে ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি এখন বিদ্যুৎ-ও উৎপাদিত হবে। যে ১১ জন কৃষক একত্রে সমবায় সমিতি গড়ে তুলে চাষের ক্ষেতকে ব্যবহার করে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করছেন, আমি তাঁদের অভিনন্দন জানাই। নীতি পরিবর্তনের মাধ্যমে তাঁদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বর্তমান রাজ্য সরকার কিনে নিচ্ছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, এই সৌরবিদ্যুৎ থেকে এই কো-অপারেটিভ এক বছরে ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত উপার্জন করবে। সমবায় ক্ষেত্রে এই চতুর্মুখী বিকাশ কৃষকদের মনে যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও ধরণের সমস্যা মোকাবিলার সাহস গড়ে তুলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হ’ল জন ধন, বন ধন এবং গোবর্ধন। বর্জ্য থেকে সম্পদ, পশুর মলমূত্র থেকেও সম্পদ আহরণের জন্য গোবর থেকে গ্যাস উৎপাদন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সার উৎপাদন। আমার স্পষ্ট মনে আছে, ড্যাকর উমরেথের কাছাকাছি ১০-১২টি গ্রাম থেকে গোবর সংগ্রহ করে আমাদের একজন উৎসাহী আধিকারিক প্রথম একটি প্রকল্প চালু করেছিলেন। সেই প্রকল্প থেকে গোবর গ্যাস উৎপাদন করে তিনি ঐ ১০-১২টি গ্রাম ছাড়াও আশেপাশের আরও গ্রামে গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছিলেন। আজ যেমন ১১ জন কৃষক একত্রিত হয়ে একটি সৌর পাম্পের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারছেন, তেমনই প্রত্যেক ১০-১১টি গ্রাম একত্রিত হয়ে এই ধরণের বড় গোবর্ধন আন্দোলন গড়ে তুলে উপার্জন বৃদ্ধি করতে পারেন। আমি আজ চরোতর-এর মাটিতে এসেছি, সর্দার সাহেবের তপস্যায়, অনেক সমবায় আন্দোলনের নেতাদের তপস্যায় এখানকার জন���ানসে যে সংস্কার গড়ে উঠেছে, আশা করি আগামীদিনে আমূল পথ দেখাবে, গোবর্ধন যোজনা পথ দেখাবে, গোবর্ধন যোজনাই সঠিক অর্থে স্বচ্ছ ভারত অভিযানেরই অংগ, বর্জ্য থেকে সম্পদ আহরণ হবে, পরিবেশবান্ধব জ্বালানী উৎপাদিত হবে; বিদেশ থেকে যা বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় – তার উপর নির্ভরতা কমবে। ফলে যে অর্থ সাশ্রয় হবে তা দিয়ে দেশের মানুষকে সেবা করার সুযোগও বাড়বে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আগামীদিনেও আপনারা এরকম নিজেদের দেশের সামনে আরও দৃষ্টান্ত স্থাপনে সক্ষম হবে। আর দু’বছর পর আমূল-এর ৭৫ বছর পূর্ণ হবে, আর ২০২২এ ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হবে। আমি অনুভব করেছি যে আমূল কখনও থামতে পারে না, নতুন ভাবনা, নতুন উদ্যম, নতুন কিছু করার সাহসই আমূল-এর প্রকৃতি। এখানকার সমস্ত সদস্য, এখানকার কর্মসংস্কৃতি, এই ব্যবস্থাকে নেতৃত্ব প্রদানকারীদের পেশাদারিত্ব, এখানকার সমবায় আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে আমি ভালভাবে চিনি। আমি তাঁদের সকলের সঙ্গে অনেক বছর ধরে যুক্ত। তাঁরা প্রত্যেকেই অত্যন্ত সাহসী এবং নতুন কিছু করা তাঁদের স্বভাবজাত। আমি আমূলের সমস্ত পেশাদারদের সমবায় আন্দোলনের সমস্ত নেতাদের একটি অনুরোধ জানাতে এসেছি, দু’বছর পর যখন আমূলের ৭৫ বছর পূর্ণ হবে, আর তারপরই ২০২২ সালে যখন ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হবে – এই দুই বিশেষ উপলক্ষ্যকে মাথায় রেখে আমূল কী নতুন কোনও লক্ষ্য স্থির করতে পারে? আমাদের হাতে মাত্র কয়েকটি বছর সময় রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আমরা লক্ষ্য স্থির করে দেশ ও বিশ্বের সামনে নতুন কোনও দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারি কি না? আজ গোটা বিশ্বে আমরা দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণে ১০ নম্বর স্থানে রয়েছি। আমূল যদি চায়, সংকল্প করে যে, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগেই আমরা দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণে এগিয়ে দেশকে ১০ থেকে ৩ নম্বর স্থানে পৌঁছে দেব, আর সেই লক্ষ্যে কাজ করতে থাকি, তা হলে আমার মনে হয় এটা অসম্ভব নয়। একটা সময় ছিল, যখন আমাদের দেশবাসী নানারকম অভাব নিয়ে বাঁচতেন। নানা অভাব থেকে মানুষের জীবনে যেসব সমস্যা সৃষ্টি হ’ত, সেগুলির বিরুদ্ধে লড়তে হ’ত। তখন সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া, ভাবনাচিন্তা এবং কর্মসংস্কৃতি ভিন্ন ছিল। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর দ্রুতগতিতে দেশকে সেসব সমস্যা থেকে বের করে আনতে সক্ষম হই। আজ আমাদের সামনে অভাব কোনও সঙ্কট নয়। আজ দেশের সামনে প্রধান সমস্যা হ’ল বিপুলতা। দেশের কৃষকরা এত এত শস্য ফলান যে কখনও কখনও বাজার পড়ে যায়। আর বাজার পড়ে গেলে কৃষকের যে লোকসান হয়, তার মূলে কোনও অভাব নয়, ফলনের বিপুলতাই দায়ী। আগে উৎপাদন কম হ’ত, বিদেশ থেকে গম আমদানি করতে হ’ত। কৃষি বিপ্লবের ফলে দেশের অন্ন ভাণ্ডার স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠে। তেমনই, শ্বেত বিপ্লবের ফলে দেশে দুধের সমস্যাও মেটে। এখন আমাদের প্রয়োজন থেকেও বেশি কিছু উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণের সমস্যায় আমরা ভুগছি। এই পরিস্থিতি থেকে বেরোনোর একমাত্র উপায় হ’ল মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে নানা রকমভাবে প্রক্রিয়াকরণ। আমাদের ডেয়ারি উদ্যোগ, প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে দুধের নানা রকম সামগ্রী, পশুপালকদের উপার্জন বৃদ্ধি না করলে পশু পালন ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। তেমনই, কৃষিজাত পণ্যের ক্ষেত্রেও মূল্য সংযোজন অনেক প্রয়োজন। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, এখানেই একদিন কৃষি মহোৎসব উপলক্ষে এসেছিলাম। এখানে আমার এক পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। তাঁকে কোট-প্যান্ট-টাই পরিহিত অবস্থায় দেখে আমি অবাক হয়ে বলি, তুমি তো অনেক বদলে গেছো। কি করছো আজকাল? তিনি জবাব দেন, আমি দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে পাউডার বানিয়ে বিক্রি করা শুরু করে লাভবান হয়েছি। এর মানে মূল্য সংযোজন। পাউডার দুধের পুষ্টিমূল্য দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় – এই ধারণাই অনেকের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। আমাদের প্রত্যেকটি কৃষিজাত পণ্যের সেই শক্তি রয়েছে। টমেটোর ফলন বেশি হলে এর বাজার পড়ে যায়। কারণ, টমেটো ২-৩ দিনের মধ্যেই পচে যায়। কিন্তু মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে টমেটোর প্রক্রিয়াকরণ করে সস্‌ উৎপাদন করলে ভালো বোতলে প্যাকিং হলে মাসের পর মাস খারাপ হয় না। আর দেশ তথা বিশ্বের বাজারে ভালো দামে বিক্রি হয়। আমাদের কৃষকদের লোকসান হয় না। সেজন্য আমাদের দুধের মতো প্রতিটি কৃষিজাত পণ্যের মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করে নানারকম রপ্তানিযোগ্য পণ্য উৎপাদনের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্পদা যোজনার মাধ্যমে নানাভাবে সাহায্য করছে। আমি একদিন ডেয়ারি ব্যবস্থাপকদের কাছে এরকম কিছু আবেদন রেখেছিলাম, আমরেলি এবং বনাস ডেয়ারি আমার আবেদনে সারা দিয়ে এগিয়ে এসেছিল, আমার অজান্তে আরও কোনও কোনও ডেয়ারিও এগিয়ে এসে থাকতে পারে। আমি বলেছিলাম যে, শ্বেত বিপ্লবের মতোই এখন আমাদের মিষ্টি বিপ্লব গড়ে তোলা উচিৎ। আমাদের পশুপালক বন্ধুদের আপনারা মউ পালনের প্রশিক্ষণ দিন। তাঁদের উৎপাদিত মধু আপনাদের দুধের কাউন্টার থেকে বিক্রি করুন। আপনাদের প্ল্যান্টে বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্যের যেমন প্যাকেজিং করেন, মধুরও সেরকমই প্যাকেজিং করুন। আমরেলি এবং বনাস এই দুটি বড় ডেয়ারি সংগঠন আমার কথায় সারা দিয়ে মধু উৎপাদনে এতটাই সাফল্য পেয়েছে যে, এখন ভারত আগের তুলনায় অনেক গুণ মধু উৎপাদন শুরু করেছে। আগে যে মধু বিদেশ থেকে আমদানি করতে হ’ত, এখন আমাদের দেশ থেকে মধু রপ্তানি হচ্ছে। মধু এমন একটি জিনিস, তা যদি ঠিক সময়ে বিক্রি না হয়, নষ্ট হয়ে যাবে না। বাড়ির ছেলেমেয়েরা মধু খেলে তাঁদের পুষ্টি বৃদ্ধি হবে। মধু উৎপাদনের জন্য কোনও পরিশ্রম করতে হয় না। যত ছোট চাষের ক্ষেতই হোক না কেন, মউ পালন সম্ভব। তেমনই সোলার প্যানেলও যে কোনও মাপের চাষের ক্ষেতে লাগানো যায়। এভাবেই আমরা ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগেই ভারতের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য তাঁদেরকে অনেক অনেক প্রকল্পে যুক্ত করছি। আমি আশা করি যে, আপনারা সবাই এর সঙ্গে যুক্ত হবেন। আরেকটি অনুরোধ আমি করেছিলাম, যা আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বাস্তবায়িত হয়নি। এখনও হয়নি, কিন্তু আমরা করতে পারি। যেমন, এখানে ‘টেক হোম রেশন’ এ বিষয়ে অনেক কাজ হয়েছে। আপনাদের ‘বাল আমূল’ প্রকল্প দেশে শিশুদের পুষ্টিবর্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশে মিড-ডে-মিল প্রকল্পে আপনাদের উৎপাদিত পণ্য আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যে গ্রামগুলিতে আমরা দুধ সংগ্রহ করতে যাই, কেন্দ্রীয়ভাবে যদি রান্নার ব্যবস্থা করা যায়, তা হলে দুধের গাড়িতে করেই স্কুলে-স্কুলে শিশুদের জন্য পুষ্টিকর ও উপাদেয় মিড-ডে-মিল পৌঁছে দিতে পারি। পরের দিন দুধের গাড়িতে তাদের খালি টিফিন বক্স ফেরৎ আসতে পারে। এভাবে কোনও রকম অতিরিক্ত পরিবহণ খরচ ছাড়াই খুব সহজে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পুষ্টিবর্ধনে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারি। আমাদের দুগ্ধ মণ্ডলী যেখানে যেখানে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে, সেখানকার স্কুলগুলি মিড-ডে-মিল বাবদ সরকার প্রদত্ত অর্থ দিয়ে এই টাটকাতাজা খাদ্য কিনতে পারে। শুধু সঠিক সমন্বয় ও ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি যে, ইস্কন যেভাবে সাফল্যের সঙ্গে অত্যাধুনিক মিড-ডে-মিল প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আমাদের ডেয়ারি প্রকল্পগুলির মিলিত প্রয়াসের আমাদের এলাকাগুলিতে এরকম শ���্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি। একই ব্যবস্থায় বহুমুখী উপযোগ – একথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করলে শুধু কিছু সীমিত ক্ষেত্র নয়, জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে আমরা প্রভাব ফেলার মতো কাজ করতে পারি। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমাদের দেশে গোচারণ ভূমি নিয়ে পশুপালকদের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া হয়। কিন্তু আমার মনে আছে যে, ধর্মচ এলাকার পশুপালক ভাইয়েরা অনেকে বছর আগেই সমবায় সমিতি গড়ে তুলে গোচারণের ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। নিজেদের পশুদের প্রয়োজন মিটিয়ে তাঁরা আশেপাশের গ্রামেও বাড়িতে বাড়িতে নিয়মিত সবুজ ঘাস পৌঁছে দিতেন। পরবর্তী সময়ে অনেকেই তাঁদের দেখাদেখি গোচারণ সমবায় সমিতি গড়ে তুলেছিল। এখন সেই সমিতিগুলি কী অবস্থায় আছে আমি জানি না। কিন্তু তাঁদের উদাহরণ দেওয়ার উদ্দেশ্য হ’ল সমবায়ের অভ্যাস যখন সংস্কারে পরিণত হয়, তখন সমবায় কিরকম ব্যাপক রূপ ধারণ করতে পারে, আর আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরস্পরের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আমরা কিভাবে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করতে পারি! আমি আরেকবার আমূল পরিবারের চতুর্মুখী উন্নতির জন্য আমার প্রগতিশীল কৃষক ও পশুপালক বন্ধুদের অভিনন্দন জানাই। সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল ও অন্যান্য মণীষীদের প্রদর্শিত পথে চলতে চলতে আপনারা প্রজন্মান্তরে যে উন্নত পরম্পরা গড়ে তুলেছেন, তা সমবায় ক্ষেত্রকে আজ বহুবিধ প্রকল্পের মাধ্যমে গুজরাটের মাটিকে, দেশের মাটিকে অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে সমর্পণের অনুভূতি নিয়ে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, এই সমস্ত প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কেন্দ্রীয় সরকার কখনও পিছিয়ে থাকবে না। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আপনাদের উন্নয়ন যাত্রায় সহযোগীর ভূমিকা পালন করবে। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার সঙ্গে সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে বলুন – ভারতমাতা কি – জয়। আরে ভাই কী হ’ল – এটা তো আমার চরোতর। এত দুর্বল প্রতিধ্বনি কেন? ভারতমাতা কি – জয়। এই না হলে চরোতর – সাবাশ। ধন্যবাদ।",গুজৰাটৰ আনন্দত আমুল চকলেটৰ কাৰখানা তথা অন্যান্য প্ৰকল্পৰ মুকলি অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B-26/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%9B%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বার্মিংহাম কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কুস্তিতে ৬২ কেজি বিভাগে স্বর্ণ পদক জয়ী সাক্ষী মালিক’কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “বার্মিংহাম কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আমাদের খেলোয়াড়রা দেশকে গর্বিত করছেন। সাক্ষী মালিকের দুর্দান্ত ক্রীড়া নৈপুণ্যে আমি আনন্দিত। মর্যাদাপূর্ণ স্বর্ণ পদক জয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানাই। প্রতিভার চালিকাশক্তি সাক্ষী অফুরান প্রাণশক্তির প্রতীক”।",কমনৱেল্থ গেমছত মল্লযুঁজৰ ৬২ কেজি শাখাত স্বৰ্ণ পদক অৰ্জন কৰা সাক্ষী মালিকক অভিনন্দন প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%99%E0%A6%95-%E0%A6%9F%E0%A7%87/,প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের মাননীয় রাষ্ট্রপতি শ্রী শি জিনপিং-কে আজসে দেশের রাষ্ট্রপতি পদে পুনর্নিবাচিত হওয়ার জন্য টেলিফোন করে অভিনন্দন জানান। দুই নেতাইদুটি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাওয়া প্রধান শক্তি হিসাবে ভারত ও চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিকসম্পর্ককে দ্বাবিংশ শতককে ‘এশীয় শতক’-এ পরিণত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণহিসাবে একমত হন। উভয় নেতাইদ্বিপাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলি নিয়ে আলোচনাচালিয়ে যেতে রাজি হন।,ৰাষ্ট্ৰপতি জি জিনপিঙক টেলিফোনযোগে শুভেচ্ছা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A7%B0/,"মঞ্চে উপস্থিত মহারাষ্ট্রের মাননীয় রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর রাও মহোদয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্রজি, বিধানসভার অধ্যক্ষ হরিবাবুজি, আমার মন্ত্রী পরিষদের সহযোগী সুভাষ ধামরেজি, সাঁইবাবা সংস্থান ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সুরেশ হাওরেজি, রাজ্যের সমস্ত মন্ত্রী, সাংসদ সদস্য, রাজ্যের সব বিধায়ক এবং এখানে বিপুল সংখ্যায় সমাগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনাদের সবাইকে এবং দেশের সমস্ত নাগরিককে দশহরা ও বিজয়া দশমীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আমরা সবাই নিজের প্রিয়��নদের সঙ্গে আনন্দ উৎসবগুলি কাটাতে চাই। আমিও চেষ্টা করি যে, প্রত্যেক উৎসব জনগণের মধ্যে গিয়ে পালন করতে। এই ভাবনা থেকেই আজ আপনাদের কাছে উপস্থিত হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। আপনারা যেমন বিপুল সংখ্যায় আমাকে এই পবিত্র উৎসব উপলক্ষে আশীর্বাদ জানাতে এসেছেন …….. আমি দেখতে পাচ্ছি যে, কোনও জায়গা খালি নেই, অর্ধেক লোক রোদে দাঁড়িয়ে আছেন – আপনাদের এই আপন করে নেওয়া ও ভালোবাসা নিরন্তর আমার মনে নতুন প্রাণশক্তির সঞ্চার করে। বন্ধুগণ, দশহরার পাশাপাশি আজ শিরডির এই পবিত্র ভূমি আরেকটি পবিত্র উপলক্ষের সাক্ষী হতে চলেছে। আজ এখানে সাঁইবাবা সমাধির শতাব্দী সমারোহ উৎসবের সমাপন হতে চলেছে। একটু আগেই আমি সাঁইবাবার দর্শন করে তাঁর আশীর্বাদ নিয়ে এসেছি। যখনই পূজনীয় সাঁইবাবার দর্শন করি, তখন কোটি কোটি ভক্তদের মতো, আপনাদের মনে যেমন ভাবনা জেগে ওঠে, তেমনই জনসেবার ভাবনা এবং জনসেবার জন্য নিজেকে সমর্পিত করা এক নতুন উৎসাহ এই মাটি থেকে আমি গ্রহণ করি। ভাই ও বোনেরা, শিরডির প্রতিটি ধূলিকণায় সাঁইবাবার মন্ত্র, তাঁর বাণীগুলি মিশে আছে। জনসেবা ত্যাগ ও তপস্যার জন্য প্রবাদপ্রতিম এই শিরডি তাঁতীয়া পাটিলজির নগরী, দাদা কোতে পাটিলজির নগরী, মাধবরাও দেশপান্ডে, মালসাপতির মতো মহাপুরুষরাও এই মাটিরই সন্তান। কাশীরাম শিপি আর আপ্পা জাগলে সাঁইবাবার অন্তিম সময় পর্যন্ত তাঁকে সেবা করেছেন। কোন্ডাজি, গওয়াজি এবং তুকারাম-কে কে ভুলতে পারেন? আমি এই পবিত্র মাটির মহান সুপুত্রদের উদ্দেশে প্রণাম জানাই। ভাই ও বোনেরা, সাঁইবাবার মন্ত্র ছিল ‘সবকা মালিক এক হ্যায়’। এই চার শব্দ সমাজকে একসূত্রে গেঁথে দেওয়ার মন্ত্র হওয়ায় সাঁই যতটা সমাজের ছিলেন, সমাজও ততটা সাঁইয়ের ছিল। তিনি সমাজের সেবার কিছু পথ দেখিয়েছিলেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, তাঁর প্রদর্শিত পথেই শ্রী সাঁইবাবা সংস্থান ট্রাস্ট নিরন্তর সমাজের সেবা করে যাচ্ছে। শিক্ষার মাধ্যমে সমাজকে শক্তিশালী করা, আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে মানুষের মনের পরিবর্তন করে সমাজে সমতা ও সহযোগিতার অনুপ্রেরণা যোগানোর ক্ষেত্রে আপনাদের প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজও এই মাটিতে আস্থা, অধ্যাত্ম এবং উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু প্রকল্পের সূত্রপাত হ’ল। গরিবের কল্যাণে এই প্রকল্পগুলি শুরু করার জন্য আমি মহারাষ্ট্র সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। দর্শনার্থীদের জন্য নির্মীয়মান নতুন পরিসরের ভূমি পূজন উপলক্ষে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজকের দিনেই সাঁইবাবা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, কন্যা বিদ্যালয় এবং কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হচ্ছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সাঁই-এর জীবন ও দর্শন নিয়ে গড়ে ওঠা সাঁই নলেজ পার্ক মানুষকে সাঁইবাবার জীবন ও দর্শন সহজভাবে বুঝতে সাহায্য করবে। বন্ধুগণ, আজ এখানে ১০ মেগাওয়াটের একটি সৌরশক্তি উৎপাদন কেন্দ্রের কাজ শুরু হ’ল। এর মাধ্যমে সংস্থানের সম্পদ বৃদ্ধি পাবে এবং পরিবেশ-বান্ধব শক্তি উৎপাদনে সংস্থানের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পাবে। সাঁই ট্রাস্টের পক্ষ থেকে কোটি কোটি শ্রদ্ধালুদের জন্য এটি দশহরা ও বিজয়া দশমীর একটি বড় উপহার। বন্ধুগণ, নবরাত্রি থেকে দীপাবলী পর্যন্ত সময়ে আমাদের দেশে মানুষ, বাড়ি-ঘর, গাড়ি, গয়না ইত্যাদি অনেক কিছু কেনেন। এই সময়ে অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে আমার মহারাষ্ট্রের আড়াই লক্ষ ভাই ও বোনেদের নিজস্ব বাড়ির চাবি তুলে দেওয়ার সৌভাগ্য হ’ল। এই নতুন বাড়ি আপনাদের নিজস্ব স্বপ্নের প্রতীক। এই বাড়ি আপনাদের আকাঙ্খাকে নতুন মাত্রা দেবে, আপনার ছেলেমেয়েদের জীবন সার্থক করে আপনার জীবনে পরিবর্তনের পথকে সুগম করবে। এটি দারিদ্র্যকে জয় করার লক্ষ্যে একটি বড় পদক্ষেপ। বন্ধুগণ, নিজস্ব বাড়ি আমাদের জীবনকে সহজ করে তোলে, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন উৎসাহ যোগায়। সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে সাহায্য করে। একথা মাথায় রেখেই আমরা ভেবেছি যে, ২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগেই দেশের প্রত্যেক গৃহহীন পরিবারের হাতে তাঁদের নিজস্ব বাড়ির চাবি তুলে দেব। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এত কম সময়ের মধ্যেই আমরা প্রায় আর্ধেক পথ পেরিয়ে এসেছি। আমাদের আগেও সরকার এক্ষেত্রে অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, গরিবদের মাথার ওপর ছাদের ব্যবস্থা করে দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে কাজ না করে তাঁরা শুধুই একটি বিশেষ পরিবারের নাম প্রচার করার জন্য এই কাজ করেছে। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল, ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি করা। আরে যে বাড়িতে হাত-পা ছড়িয়ে থাকা যাবে না, শৌচালয়, বিদ্যুৎ সংযোগ, পানীয় জল, রান্নার গ্যাস সংযোগ থাকবে না – সেটি কেমন বাড়ি। কিন্তু তাঁরা এভাবে ভাবেননি। কোনও প্রকল্পের গোড়াতে যদি রাজনৈতিক স্বার্থ থাকে, তা হলে তাঁরা কেমন করে ভাববেন! আমরা সেই রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে শুধু দরিদ্র কল্যাণের কথা ভেবেছি বলেই তাঁদের জীবনকে সহজ করে তোলার কথাও ভেবেছি। এই প্রেরণাই আমাদের কাজের গতিকে ত্বরান্বিত করেছে। ফলস্বরূপ, এত অল্প সময়েই অর্ধেক পথ পেরিয়ে আমরা জীবন উদাহরণ পেশ করতে পেরেছি। বন্ধুগণ, পূর্ববর্তী সরকার তাদের শেষ চার বছরে সারা দেশে মাত্র ২৫ লক্ষ গৃহহীনের জন্য গৃহ প্রদান করতে পেরেছিল। আর আমরা সরকারে আসার পর ১ কোটি ২৫ লক্ষ বাড়ি বানিয়েছি। এই কাজ করতে আগের সরকারের ২০ বছর বছর প্রয়োজন হ’ত। অথচ, আমরা একই কর্মচারী, একই ব্যবস্থা, একই সম্পদের উৎস নিয়ে পাঁচ গুণ বেশি কাজ করতে পেরেছি। স্বচ্ছ মন নিয়ে গরিব মানুষের সেবার কথা মাথায় রেখে কাজ করলে এত দ্রুত ফল পাওয়া সম্ভব। ভাই ও বোনেরা, পূর্ববর্তী সরকারের একটি বাড়ি বানাতে প্রায় ১৮ মাস সময় লাগত। আমরা সেই সময় কমিয়ে ১২ মাস করেছি। সময় কমানোর পাশাপাশি ঘরের আকার বানিয়েছি। আর সরকারি সাহায্য ৭০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হ’ল এই অর্থ এখন সরাসরি উপকৃতদের নিজেদের ব্যাঙ্কের খাতায় জমা হয়। উপকৃতদের নির্বাচনও বৈজ্ঞানিক ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় করা হয়। সেই বাড়ি যেন দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং শৌচালয় সহ সমস্ত মৌলিক সুবিধা থাকে – সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। আমি আরেকবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে যাঁরা আজ নিজের বাড়ি পেয়েছেন, তাঁদের সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আজ ভিন্ন ভিন্ন জেলার বেশ কিছু পরিবারের গৃহিনীদের সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে। সেই বোনেদের আত্মবিশ্বাসপূর্ণ চেহারায় খুশির ঝলক আমাকে অত্যন্ত আনন্দ দিয়েছে। আমাদের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে গরিব মানুষের মুখে হাসি ফুটলে আমাদের জীবন ধন্য হয়ে যায়। নতুন কাজ করার প্রাণশক্তি অর্জন করি। আজ এই বোনেদের আশীর্বাদ কুড়িয়ে তেমনই আরেকবার সেই সংকল্পকে উচ্চারণ করছি যে, তাঁদের সেবার জন্য আমরা প্রতি মুহূর্তে আমাদের জীবন উৎসর্গ করে যাব। ভাই ও বোনেরা, দেশের প্রত্যেক বাড়িতে শৌচালয় গড়ে তোলার অভিযান এখন অন্তিম পর্যায়। মহারাষ্ট্র এক্ষেত্রে প্রশংসনীয় কাজ করেছে, নিজেদের রাজ্যকে উন্মুক্ত স্থানে প্রাকৃতিক কর্মমুক্ত ঘোষণা করেছে। সেজন্য আমি রাজ্যের ১১ কোটি নাগরিককে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। ফলে, মহারাষ্ট্রের প্রতিটি গ্রাম ও শহরের অলিগলি পরিচ্ছন্ন থাকবে। পাশাপাশি, ডায়েরিয়ার মতো অসংখ্য রোগ থেকে গরিব কৃষক পরিবারের শিশুরা সুরক্ষিত থাকবে। ব��্ধুগণ, এখন সারা বিশ্বে আমাদের সম্প্রতি চালু করা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা নিয়ে প্রশংসার স্রোত বইছে। এর মাধ্যমে প্রতি বছর দেশের প্রায় ৫০ কোটি নাগরিক কঠিন রোগের ক্ষেত্রে বিনামূল্যে চিকিৎসার নিশ্চিত সুযোগ পাবেন। মহারাষ্ট্রের লক্ষ লক্ষ পরিবারও এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবে। এখনও এক মাসও হয়নি, ইতিমধ্যেই সারা দেশের হাসপাতালগুলিতে প্রায় ১ লক্ষ রোগী এই প্রকল্প দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। কারও বিনামূল্যে শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে পাথর বের করা হয়েছে, কারও বা টিউমার কাটা হয়েছে, কারও মেডিকেল বিল হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা আবার অন্য কারও ৩ লক্ষ। এখনও পর্যন্ত যতজন দাবি করেছেন গড়ে মাথাপিছু প্রায় ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। বন্ধুগণ, আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে দেশে আধুনিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। বিশেষ করে, টিয়ার-টু, টিয়ার-থ্রি শহরগুলিতে হাজার হাজার নতুন হাসপাতাল খোলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই হাসপাতালগুলি দেশে লক্ষ লক্ষ নবীন প্রজন্মের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, সমাজের প্রত্যেক মানুষের জীবন সরল ও সুখী করে তুলতে সরকার কাজ করে চলেছে। আমি জানি যে, এ বছর মহারাষ্ট্রে বরুণদেবের কৃপাদৃষ্টি তেমনভাবে পড়েনি, কম বৃষ্টি পড়েছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমার মাধ্যমে আপনারা দ্রুত ভর্তুকি পাবেন। এছাড়া, মহারাষ্ট্র সরকার যে যে পদক্ষেপ নেবে, সমস্ত ক্ষেত্রে কেন্দ্র কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পূর্ণ সহযোগিতা করবে। ভাই ও বোনেরা, জল সঙ্কট থেকে কৃষকদের মুক্তি দিতে সরকার প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঁচাই যোজনার মাধ্যমে বছরের পর বছর ধরে থেমে থাকা অনেক প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করছে। মহারাষ্ট্রেও অনেকগুলি প্রকল্পের কাজ চলছে। মহারাষ্ট্র সরকারও নিজেদের ‘জলযুক্ত শিবির অভিযান’-এর মাধ্যমে জলসঙ্কট নিবারণের একটি অভূতপূর্ব প্রকল্প শুরু করেছে। এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, এই অভিযানের মাধ্যমে রাজ্যের ১৬ হাজার গ্রাম খরামুক্ত হতে পেরেছে। আর প্রায় ৯ হাজার গ্রামকে খরামুক্ত করার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আমি মহারাষ্ট্রের জনগণকে এজন্য প্রশংসা করব যে, তাঁরা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সেচের ট্যাংকগুলি পরিষ্কার করার লক্ষ্যে ‘ডিসিল্টেশন’ অভিযান এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। এত কম সময়ে ৯ কোটি কিউবিক ���িটার কাদামাটি পরিষ্কার করে ফেলা সহজ কাজ নয়। কিন্তু আপনারা গণঅংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই অভূতপূর্ব কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে দেশবাসীকে পথ দেখিয়েছেন। আমাকে বলা হয়েছে, কোনও ঠিকাদারকে দিলে এই কাজ করাতে ৬০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ হ’ত কিন্তু আপনারা নিজেদের পরিশ্রম দিয়ে এটি করে ফেলেছেন। বন্ধুগণ, অধিক ফলনের ক্ষেত্রেও অনেক সময় সঠিক দাম না পেলে কৃষকদের ক্ষতি হয়। এদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ণয়ে কৃষকদের অনেক বছরের পুরনো দাবি পূরণ করেছে। আখ সমেত খরিফ এবং রবি-র ২১টি ফসলের সহায়ক মূল্য বিনিয়োগের ওপর ৫০ শতাংশ লাভ সুনিশ্চিত করেছে। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের ফলে এ বছর দেশের কৃষকদের হাজার হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় সুনিশ্চিত হবে। বন্ধুগণ, চাষের পাশাপাশি পর্যটনকেও সরকার উৎসাহ যোগাচ্ছে। মহারাষ্ট্রে শিরডির মতো অনেক বড় বড় তীর্থ স্থানের পাশাপাশি অজন্তা-ইলোরার মতো ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে সারা পৃথিবী থেকে পর্যটকরা আসেন। আমরা ধর্ম ও ইতিহাসের সঙ্গে স্থানীয় যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানকে যুক্ত করার একটি বড় অভিযান শুরু করেছি। দেশের পর্যটন সার্কিটগুলিকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে, সমস্ত আধুনিক পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। এই শিরডিতেই গত বছর যখন শতাব্দী সমারোহ সূচনার জন্য মাননীয় রাষ্ট্রপতি এসেছিলেন, তখন তিনি শিরডিবাসীকে একটি বিমানবন্দর উপহার দিয়েছিলেন। আমাকে বলা হয়েছে যে, এখন এই বিমানবন্দরে যত বিমান আসা-যাওয়া করে সেগুলির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে। ভাই ও বোনেরা, মহারাষ্ট্রের মাটি সর্বদাই দেশকে সামাজিক সাম্যের শিক্ষা দিয়েছে। বীর শিবাজী থেকে শুরু করে বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর কিংবা পূজনীয় মহাত্মা জ্যোতিবা ফুলে প্রত্যেকেই সাম্য ও ঐক্যকে সমাজের শক্তি বলে মনে করতেন। তাঁদের শিক্ষা গ্রহণ করে এগিয়ে গেলে সমাজ বিভাজন সৃষ্টিকারী প্রতিটি অপশক্তি ও অন্যায়কে পরাজিত করতে পারবে। আসুন এই বিজয়া দশমীতে আমরা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ এবং ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর সংকল্প আরও দৃঢ় করি। সাঁইবাবা আমাদের যে পথ দেখিয়ে গেছেন, সেই পথেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বন্ধুগণ, আজ এই পবিত্র স্থানে সাঁইবাবার সমাধির শতবর্ষ উদযাপন সমারোহের সমাপন হচ্ছে। আগামী ৩১ অক্টোবর মহারাষ্ট্রে আপনাদের প্রিয় সরকারের চার বছর পূর্তি হবে, ��েজন্য আমি মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং তাঁর পুরো টিমকে আগাম শুভেচ্ছা জানাই। আপনারা এমনভাবেই পূর্ণ শক্তি দিয়ে মহারাষ্ট্রবাসীর সেবা করে যান, আর প্রত্যেক মানুষের আশীর্বাদ পেতে থাকুন – এটাই কামনা করি। এই বিশ্বাস নিয়ে আরেকবার যাঁরা দশহরার পর নিজেদের স্বপ্নের বাড়ি পেলেন, তাঁদেরকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁদের জীবনের সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে নিজের বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। আপনাদের সকলকে এই পবিত্র অনুষ্ঠানে আমাকে এখানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। সাঁই ট্রাস্টের প্রতিও অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। আগামী প্রতিটি উৎসব আপনাদের সকলের জীবনে অনেক আনন্দ নিয়ে আসুক – এই শুভেচ্ছা জানিয়ে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ধন্যবাদ।",শ্ৰী ছাইবাবা সমাধিৰ শতবৰ্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%A8-%E0%A6%9A%E0%A6%BF-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%B0%E0%A7%8D/,"সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপন উপলক্ষে দিল্লিতে উপস্থিত ট্যাবলো শিল্পী,আদিবাসী অতিথি, জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনীর সদস্য এবং এনএসএস স্বেচ্ছাসেবকদেরসঙ্গে এক আলাপচারিতায় মিলিত হন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনমূর্তি লন-এ সমবেত জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনীর সদস্যদের কাছে ভারতেরবৈচিত্র্যের বিষয়টি বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের এমন অনেক বিষয়ইরয়েছে, যা আমরা একে অন্যের কাছ থেকে শিখে নিতে পারি। আমাদের চারপাশে যে পরিবর্তনঘটে চলেছে, তাকে গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। দেশে রূপান্তরমুখীপরিবর্তন ঘটানোর ক্ষমতা ভারতের যুব সমাজের রয়েছে বলে বিশেষ আস্থা ও বিশ্বাস ব্যক্তকরেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য সমগ্র দেশই বিশেষভাবে গর্বিত।জাতির সেবায় যাঁরা নিয়োজিত রয়েছেন, তাঁদের বীরত্ব ও সাহসিকতা সম্পর্কে আমাদেরসকলেরই জানার আগ্রহ থাকা উচিৎ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন অনেক পুলিশকর্মী রয়েছেন, যাঁরা জাতির জন্য তাঁদেরজীবন উৎসর্গ করে গেছেন। তাই তাঁদের আত্মোৎসর্গের ঘটনা সম্পর্কে অবহিত থাকা খুবইগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিও এদিন উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর আলাপচার��তাকালে। তিনিবলেন, মহাত্মা গান্ধীর স্বচ্ছ ভারত গঠনের স্বপ্নকে সাকার করে তোলার দায়িত্ব আমাদেরসকলের। আলাপচারিতাকালে শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, এবারের সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনআমাদের কাছে এক বিশেষ ঘটনা। কারণ, ১০টি রাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দ উদযাপন অনুষ্ঠানেউপস্থিত ছিলেন আমাদের মধ্যে।",এন চি চিৰ কেডেট আৰু প্ৰদৰ্শনীৰ শিল্পীসকলৰ সৈতে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ বাৰ্তালাপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A0%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A0%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F/,"মাননীয়, রাইট অনারেব্‌ল প্রধানমন্ত্রী ওলি, বহুক্ষেত্রীক প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বঙ্গোপসাগরীয় উদ্যোগ বা বিমস্টেক সদস্যভুক্ত দেশগুলি থেকে সমাগত আমার বন্ধু নেতৃবৃন্দ, সবার আগে আমি এই চতুর্থ বিমস্টেক শিখর সম্মেলনের আয়োজক দেশ নেপালে এই সম্মেলনের সফল আয়োজনের জন্য নেপাল সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ওলির প্রতি হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। যদিও এটি আমার জন্য প্রথম বিমস্টেক শিখর সম্মেলন, কিন্তু ২০০৬ সালে গোয়াতে আয়োজিত ব্রিক্‌স শিখর সম্মেলনের সঙ্গে বিমস্টেক রিট্রিট আয়োজনের সুযোগ পেয়েছিলাম। গোয়াতে আমরা যে কর্মসূচি স্থির করেছিলাম, সেই অনুসারে টিমগুলি প্রশংসনীয়ভাবে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েছে। এর তালিকায় ছিল: · প্রথম বার্ষিক বিমস্টেক বিপর্যয় মোকাবিলায় মহড়ার আয়োজন। · রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা প্রধানদের দুটি সাক্ষাৎকারের আয়োজন। · বিমস্টেক ট্রেড ফেসিলিটেশন এগ্রিমেন্ট নিয়ে আলোচনায় প্রগতি। · বিমস্টেক গ্রিড ইন্টারকানেকশন নিয়ে চুক্তি সম্পাদন। সেজন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকল দেশের প্রতিনিধিদের অভিনন্দন জানাই। সম্মাননীয়েষু, এই অঞ্চলের সকল দেশের সঙ্গে ভারতের শুধু কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, এই সকল দেশের সঙ্গে ভারতের অনেক শতাব্দী-প্রাচীন সভ্যতা, ইতিহাস, কলা, ভাষা, খাদ্যাভ্যাসের অটুট সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। এই অঞ্চলের একদিকে মহান হিমালয় পর্বতমালা, আর অন্যদিকে ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে বঙ্গোপসাগর। এই বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের সকলের উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং প্রগতির স্বার্থে এই সম্মেলনের গুরুত্ব অপরিসীম। আর, সেজন্য এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলেই ভারতের ‘প্রতিবেশী সর্বাগ্রে’ এবং ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ – এই দুই নীতির সঙ্গম ঘটে। সম্মাননীয়েষু, আমরা প্রত্যেকেই উন্নয়নশীল দেশ। নিজের নিজের দেশে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সম্পন্নতাকেই আমরা অগ্রাধিকার দিই। কিন্তু আজকের পারস্পরিক অন্তরঙ্গ সম্পর্কযুক্ত বিশ্বে এই কাজ কোন দেশ একা করতে পারে না। আমাদের পরস্পরকে সঙ্গ দিতে হবে, আশ্রয় দিতে হবে, পরস্পরের প্রচেষ্টায় সম্পূরক হয়ে উঠতে হবে! আমি মনে করি, সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হল আমাদের যোগাযোগ – বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন, পরিবহণ যোগাযোগ ব্যবস্থা, ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা আর প্রত্যেক দেশের জনগণের সঙ্গে অন্য দেশগুলির জনগণের যোগাযোগ – প্রত্যেক মাত্রায় আমাদের কাজ করতে হবে। বিমস্টেক-এ সমুদ্র সৈকতবর্তী জাহাজ চলাচল এবং মোটর ভেহিকেল্‌স চুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা ভবিষ্যতেও সাক্ষাৎকারের আয়োজন করতে পারি। আমাদের আন্ত্রেপ্রেনিওরদের মধ্যে সম্পর্ক এবং যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য ভারত, ‘বিমস্টেক স্টার্ট-আপ কনক্লেভ’-এর আয়োজন করতে প্রস্তুত। আমাদের দেশগুলি অধিকাংশই কৃষি প্রধান। আর আবহাওয়া পরিবর্তনের লক্ষণগুলির সঙ্গে যুযুধান এবং আশঙ্কায় তটস্থ। এই প্রেক্ষিতে কৃষি অনুসন্ধান, শিক্ষা এবং উন্নয়নে সহযোগিতার জন্য ভারত, আবহাওয়ার নিরিখে স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থাগুলি নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করবে। ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ভারত নিজস্ব ন্যাশনাল নলেজ নেটওয়ার্ককে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালে প্রসারিত করার জন্য আগে থেকেই সঙ্কল্পবদ্ধ। আমরা একে মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডে প্রসারের প্রস্তাব রাখছি। আমি আশা করি যে সকল বিমস্টেক দেশ এ বছর অক্টোবর মাসে নতুন দিল্লীতে আয়োজিত ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসে সামিল হবে। এই কংগ্রেসে বিমস্টেক মিনিস্টেরিয়াল কনক্লেভও থাকবে। বিমস্টেক সদস্য দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য ‘সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি ইন্টারভেনশন্‌স ইন দ্য নর্থ-ইস্টার্ন রিজিয়ন’ নামক একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা এই কর্মসূচিকে বিমস্টেক সদস্য দেশগুলির জন্য প্রসারিত করার প্রস্তাব রাখছি। এর মাধ্যমে গ্রামীণ ক্ষেত্রে জ্বালানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কৃষি এবং ক্যাপাসিটি বিল্ডিং-কে উৎসাহিত করা যায়। পাশাপাশি, ভারতের ‘নর্থ-ইস্টার্ন স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার’-এও বিমস্টেক সদস্য দেশগুলির গবেষক, ছাত্র এবং পেশাদারদের জন্য আমরা ২৪টি ছাত্রবৃত্তি চালু করছি। সম্মাননীয়েষু, এই ক্ষেত্রের জনগণের মধ্যে অনেক শতাব্দী পুরনো সম্পর্ক আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে একটি শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করে। আর, এই সম্পর্কগুলির একটি বিশেষ পর্যায় হল বৌদ্ধ ধর্ম এবং দর্শন। ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ভারত ইন্টারন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনক্লেভ-এর আয়োজন করবে। আমি এই উপলক্ষে সকল বিমস্টেক সদস্য দেশগুলিকে ‘গেস্ট অফ অনার’ রূপে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাই। আমাদের নবীন প্রজন্মের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ককে উৎসাহিত করতে ভারত বিমস্টেক ইয়ুথ সামিট এবং বিমস্টেক ব্যান্ড ফেস্টিভ্যাল-এর আয়োজনের প্রস্তাব রেখেছে। পাশাপাশি, বিমস্টেক ইয়ুথ ওয়াটার স্পোর্টস-এরও আয়োজন আমরা করতে পারি। বিমস্টেক দেশগুলির নবীন ছাত্রছাত্রীদের জন্য নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০টি ছাত্রবৃত্তি এবং জিপমর ইনস্টিটিউট-এ অ্যাডভান্সড মেডিসিনের জন্য ১২টি রিসার্চ ফেলোশিপ দেওয়া হবে। পাশাপাশি, ভারতের আইটেক কর্মসূচির অন্তর্গত পর্যটন, পরিবেশ, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, কৃষি, বাণিজ্য এবং ডব্ল্যুটিও-র মতো বিষয়গুলি নিয়ে ১০০টি শর্ট টার্ম ট্রেনিং কোর্সও চালু করা হবে। বঙ্গোপসাগর এলাকার কলা, সংস্কৃতি, সামুদ্রিক আইন এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে গবেষণার জন্য আমরা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেন্টার ফর বে অফ বেঙ্গল স্টাডিজ চালু করব। এই কেন্দ্রে আমদের সংশ্লিষ্ট সমস্ত দেশের ভাষাগুলিকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করার সূত্রগুলি নিয়েও গবেষণা করা যাবে। আমাদের প্রত্যেক দেশের নিজস্ব দীর্ঘ ইতিহাস এবং ইতিহাস বিজড়িত পর্যটনের সম্ভাবনা বাস্তবায়িত করার জন্য ঐতিহাসিক ইমারত এবং স্মারকগুলির সংস্কারের জন্য আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারি। সম্মাননীয়েষু, আঞ্চলিক সংহতি তথা আর্থিক প্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের এই মিলিত প্রচেষ্টার সাফল্যের জন্য এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার আবহ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। হিমালয় এবং বঙ্গোপসাগরীয় এলাকায় অবস্থিত আমাদের এই দেশগুলিকে বারবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়। কখনও বন্যা, কখনও ঝড়, কখনও ভূমিকম্প। এই প্রেক্ষিতে পরস্পরের সঙ্গে মানবিক সহায়তা এবং বিপর্যয় ত্রাণ প্রচে���্টার মাধ্যমে আমদের মধ্যে সহযোগিতা এবং সমন্বয় বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের অঞ্চলে ভৌগোলিক স্থিতি আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক বাণিজ্য পথগুলির সঙ্গে। আর আমদের প্রত্যেকের অর্থনীতিতেও ‘নীল অর্থনীতি’র বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পাশাপাশি, আগামী ডিজিটাল যুগে আমাদের অর্থনীতিতে সাইবার অর্থনীতির গুরুত্বও অনেক বাড়বে। এটা স্পষ্ট যে আমাদের ক্ষেত্রীয় নিরাপত্তা সহযোগিতায় এই সকল বিষয় নিয়ে সহযোগিতা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমাদের দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। আর সেজন্য আগামী মাসে ভারতে বিমস্টেক মাল্টি-ন্যাশনাল মিলিটারি ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ আয়োজন করা হচ্ছে। সেই কনক্লেভে আমি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির স্থল সেনানায়কদের স্বাগত জানাই। ভারত বিমস্টেক দেশগুলির একটি ট্রাই সার্ভিসেস হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড ডিজাস্টার রিলিফ এক্সারসাইজ-এরও আয়োজন করবে। দ্বিতীয় বার্ষিক বিমস্টেক ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এক্সারসাইজ আয়োজনের জন্য ভারত প্রস্তুত। আমরা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কর্মরত আধিকারিকদের জন্য কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত। ভারত ‘নীল অর্থনীতি’তে সকল বিমস্টেক দেশগুলির যুবক-যুবতীদের জন্য একটি হ্যাকাথন-এর আয়োজন করবে। এতে ‘নীল অর্থনীতি’র সম্ভাবনা ও সহযোগিতাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। সম্মাননীয়েষু, আমাদের মধ্যে এমন কোন দেশ নেই যারা সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের বিভিন্ন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ট্র্যান্স-ন্যাশনাল অপরাধ এবং ড্রাগ চোরাচালানের মতো সমস্যার সম্মুখীন নয়। বিভিন্ন নেশাদ্রব্য সম্পর্কিত বিষয়ে আমরা বিমস্টেক ফ্রেমওয়ার্কে একটি সম্মেলনের আয়োজন করতে প্রস্তুত। এটা স্পষ্ট যে এই সমস্যাগুলি কোন একটি দেশের আইন ও শৃঙ্খলার সমস্যা নয়। এর মোকাবিলা করতে হলে আমাদের একজোট হতে হবে। আর সেজন্য আমাদের যথাযথ আইন এবং নিয়মাবলী প্রস্তুত করতে হবে। এই প্রেক্ষিতে আমাদের আইন প্রণয়নকারী বিশেষ করে, মহিলা সাংসদদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। আমার প্রস্তাব যে আমাদের বিমস্টেক উইমেন পার্লামেন্টারিয়ান ফোরাম স্থাপন করা উচিৎ। সম্মাননীয়েষু, বিগত দু’দশকে বিমস্টেক উল্লেখযোগ্য প্রগতি করেছে। কিন্তু আমাদের সামনে অনেক দীর্ঘ যাত্রাপথ। আমাদের আর্থিক সংহতিকে আরও নিবিড় করার অনেক সম্ভাবনা রয়���ছে। আর এটাই আমাদের থেকে আমাদের জনগণ চায়। এই চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন আমাদের জনমানসে আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং অভিলাষা পূর্ণ করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের ভালো সুযোগ। এই চতুর্থ শিখর সম্মেলনের ঘোষণা এমনই অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ধারণ করবে। এর মাধ্যেম বিমস্টেক-এর সংগঠন এবং প্রক্রিয়া অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠবে। পাশাপাশি, বিমস্টেক প্রক্রিয়াকে বাস্তব রূপদান এবং শক্তিশালী করে তোলার জন্য এই শিখর সম্মেলনের সাফল্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক রূপে প্রমাণিত হবে। এর জন্য আয়োজক দেশ নেপাল সরকার, প্রধানমন্ত্রী ওলি এবং সকল অংশগ্রহণকারী নেতাদের আমি অন্তর থেকে অভিনন্দন জানাই। আগামীদিনেও ভারত আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার জন্য সঙ্কল্পবদ্ধ। ধন্যবাদ। অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",নেপালৰ কাঠমাণ্ডুত বিমষ্টেক সন্মিলনৰ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত প্রধানমন্ত্রীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%85%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA/,"রাজ্যসভার সদ্য অবসরপ্রাপ্তসদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিদায়ী ভাষণ রাজ্যসভার মাননীয় সভাপতি মহোদয় এবং সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদেরকয়েকজন সঙ্গী এখন থেকে সংসদের এই উচ্চকক্ষে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে সমাজসেবায়তাঁদের ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী করবেন। এই বিদায়ী সদস্যরা প্রত্যেকেই তাঁদের কর্মকালে এই সভাগৃহে দেশেরউজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তাঁদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করার চেষ্টাকরেছেন। তাঁদের এই অবদানকে দেশ কখনও ভুলতে পারবে না! আপনাদের এই উত্তম সেবার জন্যে আমার পক্ষ থেকেঅনেক অনেক ধন্যবাদ এবং আপনাদের ভবিষ্যতের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এই সভাগৃহে সেই বরিষ্ঠ মাননীয় সদস্যরা বসেনযাদের জীবনের অভিজ্ঞতা অধিবেশন গুলিতে মূল্য সংযোজন করে। সমাজ জীবনেরআশা-আকাঙ্ক্ষাগুলিকে একটি নিরপেক্ষ প্রাজ্ঞ মনোভাবের দাঁড়িপাল্লায় মেপে কোনটাভবিষ্যতের সমাজ ব্যবস্থার উপযোগী হবে আরকোনটা হবে না, তার মূল্যায়ন করার সামর্থ্য এই উচ্চকক্ষের থাকে , এই বরিষ্ঠ মাননীয়সদস্যদের থাকে। সেজন্য এখানে যা বলা হয়, তার একটা বিশেষ গুরুত্ব থাকে। সেইগুরুত্বই আমাদের নীতি নির্ধারণে অত্যন্ত ��ুরুত্বপূর্ণভূমিকা পালন করে। আমাদের মধ্যে শ্রদ্ধেয় পরাশরণজির মতো মাননীয়সদস্য আছেন, যিনিনিজের জীবনে পেশাদারিত্বের পাশাপাশি একজন তপস্বীর জীবনযাপন করেন,এই সভাগৃহ আজকের পর থেকে তাঁর মতো মানুষের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হবে। ভারতের গর্ব, দুই মহান খেলোয়াড় শ্রদ্ধেয়দিলীপজি এবং সচিনজির সান্নিধ্য থেকেও এই সভাগৃহ বঞ্চিত হবে। প্রফেসর ক্যুরিয়নসাহেবকেও তেমনি সবাই চিরদিন মনে রাখবেন । তাঁর সদাহাস্যময় চেহারা,যে কোনও কথাকে কিভাবে হেসে বলতে হয়, তা তাঁর কাছে সকলের শিক্ষণীয় বিষয়। সেজন্যেঅনেক সংকটের সময় এই সভা পরিচালনায় তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এটা ঠিক যে, এখানে খুব কম সদস্যই রয়েছেন যাদেরসঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক বিচার ধারার সম্পর্ক নেই । অনেক কম সদস্যই এমন আছেন।আমরা অধিকাংশই কোনও না কোনও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে এসেছি, তাই আমাদের বক্তব্যেসেই বিচার ধারার দৃষ্টিকোণকেপ্রতিস্থাপিত করার প্রচেষ্টা থাকা অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু সবুজ সভাঘরে যা হয় তাযে লাল সভাঘরেও হতে হবে তার কোনও মানে নেই। উচ্চ সভাঘরের আলাদা মর্যাদা রয়েছে যে!আজকের বিদায়ী সদস্যরা প্রত্যেকেই নিজেদের সেই মর্যাদা রক্ষা করে তাঁদের প্রাপ্যসম্ভ্রম আদায় করে গেছেন। আমার মনে হয়, আপনাদের মধ্যেঅনেকেই হয়তো মনে মনে প্রস্তুত হয়ে এসেছেন যে এটা আপনাদের রাজ্যসভায় সর্বশেষঅধিবেশন, ছেড়ে যাওয়ার আগে একটি বড় ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়ে যাবেন, এমন কিছু বলে যাবেন,যা দেশের মানুষের সেবায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, কিন্তু যাওয়ার আগে এবার আপনার আর সেসৌভাগ্য হয়নি। এর জন্যে শুধু কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়, কোনও নির্দিষ্ট পক্ষ দায়ী নয়।এখান থেকে ওখান পর্যন্ত প্রত্যেকেই দায়ী, যেজন্যে আপনারা ভাষণ দিতে পারলেন না! ভালহত, আপনারা যদি বিদায়ের আগেও কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজস্ব ভূমিকা পালন করে যেতে পারতেন! ছেড়ে যাওয়ার আগে মনেরাখার মতো কিছু রেখে যেতে পারলে আপনারা বিশেষ সন্তুষ্টি নিয়ে যেতেন। কিন্তু হয়তোএই সভাগৃহের কারণেই আপনারা সেই সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত থেকে গেলেন। গতকাল তো এমনও মনেহচ্ছিল যে আজ এই বিদায়ী অনুষ্ঠানও বাতিল না হয়ে যায়! কিন্তু শ্রদ্ধেয় চেয়ারম্যানমহোদয় অনেক চেষ্টা করে, সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করে সবাইকে সঙ্গে টানার ক্ষেত্রেসফল হন । শ্রীযুক্ত বিজয়ও এক্��েত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তবেই এটা সম্ভবহয়েছে যে আজ সমস্ত বিদায়ী সদস্যরা সংক্ষেপে নিজেদের বক্তব্য রাখতে পারছেন। কিন্তুতবুও বিদায়ের আগে কোনও গুরুত্বপূর্ণসিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজস্ব ভূমিকা পালন করে যেতে পারলেন না , ইতিহাস যা সবসময় মনে রাখতো এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ারক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারলেন না ! অবশ্য আগে এ রকম সুযোগ আপনারাপেয়েছেন , এবং নিজেদের অবদানও রেখেছেন , যেজন্য দেশ আপনাদের মনে রাখবে , কিন্তু বিদায়ের আগেও কোনও গুরুত্বপূর্ণসিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজস্ব ভূমিকা পালন করে যেতে পারলে আপনাদের ভাললাগতো ! ‘ তিনতালাক ’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যা আগামীদিনে ভারতের ইতিহাসেঅনেক বড় ভূমিকা পালন করবে , সেই সিদ্ধান্তে নিজেদের অবদানরাখার ক্ষেত্রে আপনারা বঞ্চিত রয়ে গেলেন । আপনাদের মধ্যে যারা পুনর্নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তাঁদের অবশ্য এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার সৌভাগ্য হবে।কিন্তু যারা আর আসবেন না তাঁদের মনে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষেত্রে নিজস্ব ভূমিকা পালন না করতে পারার ক্ষোভ থেকে যাবে, আজ থেকে দশ বছর, কুড়ি বছর, ত্রিশ বছর পরেও এইক্ষোভ থেকে যাবে! আমি আরেকবার যে মাননীয় সদস্যরা সাফল্যের সঙ্গে তাঁদের কার্যকাল শেষ করে বিদায়নিচ্ছেন, সেই সম্মানিত সদস্যদের শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের একজন সহকর্মী হিসেবে অনুরোধ জানাই, এটা ভাববেন না যে আপনার এইসভাগৃহে কার্যকাল সমাপ্ত হয়েছে বলে এই গোটা চত্বরে আর প্রবেশাধিকার রইলো না! আপনাদেরজন্যে এই চত্বরের দরজা সর্বদা খোলা থাকবে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরও খোলা থাকবে। দেশের স্বার্থে আপনাদের মনে যখন যে ভাবনার উদয় হবে, আপনারাঅবশ্যই আসবেন, আমার ভাল লাগবে। আপনার কথা শুনবো, তার গুরুত্ব বোঝার চেষ্টা করবোএবং আপনার ইচ্ছা অনুসারে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার, এবং সম্ভব হলে বাস্তবায়িত করারচেষ্টা অবশ্যই করবো। আমি আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই, অনেকঅনেক শুভেচ্ছা জানাই। /…",ৰাজ্যসভাৰ সদ্যঅৱসৰপ্রাপ্ত সদস্যসকলক উদ্দেশ্যি আগবঢ়োৱা প্রধানমন্ত্রীৰ বিদায়ী ভাষণৰ লিখিত ৰূপ (২৮.০৩.২০১৮) +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%9C%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ১০ জুলাই, ২০২২ সাত্ত্বিক চেতনায় সমৃদ্ধ, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল শ্রদ্ধেয় সন্ন্যাসী, সারদা মঠের সকল সাধ্বী মা, বিশিষ্ট অতিথিগণ এবং সমস্ত ভক্ত বন্ধুগণ! আপনাদের সবাইকে নমস্কার। আজ, শ্রদ্ধেয় সাধকদের নির্দেশনায়, স্বামী আত্মস্থানানন্দজির জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজন আমাকে অনেক ব্যক্তিগত অনুভূতি এবং স্মৃতিমাখা আবেগে তাড়িত করছে, এই অনুভূতিতে অনেক কিছু মিশে আছে। স্বামীজি তাঁর জীবনে শতায়ু হওয়ার খুব কাছাকাছি সময়ে দেহত্যাগ করেছিলেন। আমি সবসময় তাঁর আশীর্বাদ পেয়েছি, তাঁর সঙ্গে থাকার সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার সৌভাগ্য যে আমি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পেরেছি। সন্তানের ওপর যেমন পিতার ভালোবাসা বর্ষিত হয়, তেমনি আমার ওপর তাঁর ভালোবাসা বর্ষিত হতো। তাঁর আশীর্বাদ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমার উপর ছিল,এবং আমি অনুভব করি যে স্বামীজি মহারাজ তাঁর চেতন স্বরূপে আজও আমাদের আশীর্বাদ করছেন। আমি খুশি যে তাঁর জীবন ও কর্মধারাকে জনগণের কাছে তুলে ধরতে, দুটি স্মৃতি সংস্করণ, একটি চিত্র-জীবনী এবং একটি তথ্যচিত্রও আজ প্রকাশিত হচ্ছে। আমি এই দুটির জন্য রামকৃষ্ণ মিশনের সভাপতি পূজ্য স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজজিকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। বন্ধুগণ, স্বামী আত্মস্থানানন্দজি শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিষ্য পূজনীয় স্বামী জ্ঞানানন্দজির কাছে দীক্ষিত হয়েছিলেন। স্বামী রামকৃষ্ণ পরমহংসের মতো একজন সাধকের সেই জাগ্রত উপলব্ধি, সেই আধ্যাত্মিক শক্তি তাঁর মধ্যেও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান ছিল। আপনারা সবাই ভালো করেই জানেন যে, আমাদের দেশে সন্ন্যাসের একটি বড় ঐতিহ্য রয়েছে। সন্ন্যাসেরও অনেক রূপ আছে। বানপ্রস্থ আশ্রমকেও সন্ন্যাসের পথে একটি পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ‘সন্ন্যাস’ শব্দের অর্থ হল নিজের উপরে উঠে সমষ্টির জন্য কাজ করা, সমষ্টির জন্য বেঁচে থাকা। স্ব-কে সমষ্ঠি পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা। একজন সন্ন্যাসীর জন্য জীবের সেবাতেই ভগবানের সেবাকে অনুভব করা, জীবের মধ্যেই শিবকে দেখা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়। স্বামী বিবেকানন্দজি এই মহান সন্ন্যাসী পরম্পরা, সন্ন্যাস ঐতিহ্যকে আধুনিক রূপে গড়ে তুলেছেন। স্বামী আত্মস্থানানন্দজি তাঁর জীবনে সন্ন্যাসের এই রূপটি যাপন করেন এবং এই উপলব্ধিকে বাস্তব��য়িত করেন।তাঁর নির্দেশনায় বেলুড় মঠ এবং শ্রী রামকৃষ্ণ মিশন শুধু ভারতেই নয়, নেপাল, বাংলাদেশের মতো দেশেও অসাধারণ ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে। তিনি নিরন্তর গ্রামীণ জনগণের কল্যাণে কাজ করেছেন, এর জন্য তিনি নানা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। আজ সেসব প্রতিষ্ঠান দরিদ্রদের কর্মসংস্থান ও জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করছে। স্বামী আত্মস্থানানন্দজি দরিদ্রদের সেবা, জ্ঞানের প্রসার, ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্কিত কাজগুলিকে উপাসনা বলে মনে করতেন। এর জন্য মিশন মোডে কাজ করা, নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা, এগুলো ছিল রামকৃষ্ণ মিশনের আদর্শ। আমাদের সাধুসমাজে যেমন কথিত আছে, যেখানে ঐশ্বরিক চেতনা আছে সেখানেই তীর্থ আছে। তেমনি, যেখানেই এমন সাধক থাকেন, মানবতা, সেবা, এই সবকিছুই তাঁর কর্মধারার কেন্দ্রে থাকে। স্বামী আত্মস্থানানন্দজি তাঁর সন্ন্যাস জীবনব্যাপী এই ধারণাকে প্রমাণ করে দেখিয়ে গেছেন। বন্ধুগণ, কয়েক’শ বছর আগে আদি শঙ্করাচার্য থেকে শুরু করে আধুনিক যুগে স্বামী বিবেকানন্দ পর্যন্ত, আমাদের সন্ন্যাসী পরম্পরা সর্বদাই 'এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ –এর জয়ঘোষ করে আসছে। রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিষ্ঠাই 'এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত' ধারণার সঙ্গে জড়িত। স্বামী বিবেকানন্দ এই সংকল্পকে একটি অভিযানের রূপ দিতে তাঁর জীবনকে উৎসর্গ করেন। তিনি বাংলায় জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু আপনি দেশের যে কোনো প্রান্তে, যেখানেই যান না কেন, এমন কোনো এলাকা খুঁজে পাবেন না যেখানে বিবেকানন্দ যাননি বা সেখানকার মানুষ তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হননি। তাঁর ভারত সফর সেই পরাধীন ভারতে দেশকে তার প্রাচীন জাতীয় চেতনায় ঋদ্ধ করেছিল, এতে নতুন আত্মবিশ্বাস সঞ্চারিত করেছিল। রামকৃষ্ণ মিশনের এই ঐতিহ্যকে স্বামী আত্মস্থানানন্দজি তাঁর সারা জীবন ধরে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর জীবন অতিবাহিত করেছেন, অনেক কাজ করেছেন, এবং তিনি যেখানেই থাকতেন, সেখানে তিনি সম্পূর্ণরূপে সেখানকার মানুষের আপনজন হয়ে যেতেন। গুজরাটে থেকে তিনি গুজরাটি শিখে খুব ভালোভাবে বলতে পারতেন।আমি সৌভাগ্যবান যে তাঁর জীবনের শেষ সময়েও যখন আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তা গুজরাটি ভাষাতেই বলেছি। আমিও তাঁর মুখে গুজরাটি শুনতে পছন্দ করতাম। আমি আজ সেই দিনগুলির কথা মনে করাতে চাই যে, কচ্ছে যখন ভূমিকম্প হয়েছিল, তিনি একটি মুহূর্তও নষ্ট করেননি। আমি তখন রাজনীতিতে কোনও পদে ছিলাম না, আমি একজন স্বেচ্ছাসেবক কর্মী হিসাবে কাজ করতাম, এবং তাঁর সাথে একই সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। সে সময় তিনি আমার সঙ্গে সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন, রামকৃষ্ণ মিশন কচ্ছে কী কাজ করতে পারে! সম্পূর্ণ বিশদভাবে বলেন, এবং তাঁর নির্দেশনায় সেই সময়ে কচ্ছের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণের জন্য অনেক কাজ শুরু হয়েছিল। তাই রামকৃষ্ণ মিশনের সাধকদের সবাই দেশের জাতীয় ঐক্যের বার্তাবাহী কর্মযোগী হিসেবে চেনে। তাঁরা যখন বিদেশে যান, তখন তাঁরা সেখানে ভারতীয়ত্বের প্রতিনিধিত্ব করেন। বন্ধুগণ, রামকৃষ্ণ মিশনের এই জাগ্রত ঐতিহ্য রামকৃষ্ণ পরমহংসের মতো একজন ঐশ্বরিক ব্যক্তিত্বের আধ্যাত্মিক অনুশীলনের মাধ্যমে উদ্ভাসিত হয়েছে। স্বামী রামকৃষ্ণ পরমহংস, এমনই একজন সাধক ছিলেন যিনি মা কালীর সাক্ষাৎ দর্শন পেয়েছিলেন, যিনি তাঁর সমস্ত সত্ত্বা মা কালীর পায়ে সমর্পণ করেছিলেন। তিনি বলতেন- এই সমগ্র জগৎ, এই চর ও অচর, সবকিছুই মায়ের চৈতন্যে পরিব্যাপ্ত। বাংলার কালীপূজায় এই চেতনা দেখা যায়। এই চেতনা বাংলা তথা সমগ্র ভারতের আধ্যাত্মিকতায় অনুভব করা যায়। এই চেতনা ও শক্তির একটি রশ্মিকে স্বামী রামকৃষ্ণ পরমহংস স্বামী বিবেকানন্দের মতো যুগপুরুষের আকারে আলোকিত করেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ মা কালীর প্রতি যে আধ্যাত্মিক চেতনা অনুভব করেছিলেন, তা তাঁর মধ্যে অসাধারণ প্রাণশক্তি ও সামর্থ্য সঞ্চার করেছিল। স্বামী বিবেকানন্দের মতো তেজস্বী ব্যক্তিত্ব, এত মহান ব্যক্তিত্ব, কিন্তু জগন্মাতা কালীর স্মরণে, তাঁর ভক্তিতে ছোট শিশুর মতো বিহ্বল হয়ে যেতেন। আমি স্বামী আত্মস্থানানন্দজির মধ্যে একইরকম ভক্তির অচরতা, এবং একইরকম শক্তি সাধনার সামর্থ্য অনুভব করতাম। আর তাঁর সঙ্গে আলোচনায়ও মা কালীর প্রসঙ্গ উত্থাপিত হতো। আমার মনে আছে, যখনই বেলুড় মঠে গেছি, গঙ্গার ধারে বসে থেকে দূর থেকে মা কালীর মন্দির দেখেছি, তখন স্বাভাবিকভাবেই, একটা আশ্চর্য সংযুক্তি অনুভব করতাম। যখন আস্থা এত পবিত্র হয়, তখন শক্তি সাক্ষাৎ আমাদের পথ দেখান। সেজন্যেই, মা কালীর সেই অপরিমেয় অসীম আশীর্বাদ সর্বদাই ভারতের সঙ্গে থাকে। আজ ভারত এই আধ্যাত্মিক শক্তি নিয়েই বিশ্ব কল্যাণের চেতনায় এগিয়ে চলেছে। বন্ধুগণ, আমাদের সন্ন্যাসীরা আমাদের দেখিয়ে গেছ���ন যে যখন আমাদের চিন্তাভাবনায় ব্যাপকতা থাকে, তখন আমরা আমাদের নিজেদের প্রচেষ্টায় কখনও একা হয়ে পড়ি না! আপনারা ভারতের মাটিতে এমন অনেক সন্ন্যাসীর জীবনযাত্রা দেখতে পাবেন, যাঁরা শূন্য সম্পদ নিয়ে শিখরের মতো সংকল্প পূরণ করেছিলেন। আমি পূজনীয় আত্মস্থানানন্দজির জীবনেও একইরকম আত্মবিশ্বাস, একইরকম সমর্পন অনুভব করেছি। তাঁর সঙ্গে আমার গুরু ও শিষ্যের সম্পর্ক রয়েছে। আমি তাঁর মতো সন্ন্যাসীর কাছ থেকে নিঃস্বার্থ হতে এবং ১০০ শতাংশ নিষ্ঠা নিয়ে নিজেকে উৎসর্গ করতে শিখেছি। তাই আমি বলি যে, ভারতের একজন মানুষ, একজন ঋষি যখন এত কিছু করতে পারেন, তখন আমাদের ১৩০ কোটি দেশবাসীর সম্মিলিত সংকল্পে কোন লক্ষ্যটা পূরণ হতে পারে না? আমরা স্বচ্ছ ভারত মিশনেও এই সংকল্পের শক্তি দেখতে পেয়েছি। অনেক মানুষ বিশ্বাস করেনি যে ভারতে এমন একটি অভিযান সফল হতে পারে। কিন্তু, দেশবাসী অঙ্গীকার নিয়েছিল, যার পরিণাম বিশ্ব দেখছে। ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ অভিযানের উদাহরণও আমাদের সামনে রয়েছে। আমরা যখন দেশে ডিজিটাল লেনদেন চালু করি তখনও বলা হয়েছিল যে, এই প্রযুক্তি ভারতের মতো দেশের জন্য নয়। কিন্তু আজ সেই ভারতই ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে। একইভাবে, করোনা মহামারী প্রতিরোধী টিকাকরণের সাম্প্রতিকতম উদাহরণ আমাদের সামনে রয়েছে। দুই বছর আগে অনেকেই হিসেব করতেন যে ভারতে প্রত্যেকের ভ্যাকসিন পেতে কত সময় লাগবে, কেউ বলতেন ৫ বছর, কেউ বলতেন ১০ বছর, কেউবা বলতেন ১৫ বছর! আজ আমরা দেড় বছরের মধ্যে প্রায় ২০০ কোটি টিকার ডোজ দিতে পেরেছি। এই উদাহরণগুলি এই সত্যের প্রতীক যে, সংকল্প শুদ্ধ হলে প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ হতে সময় লাগে না, বাধাগুলি থেকেও পথ বেরিয়ে আসে। আমি নিশ্চিত যে দেশ এভাবেই আমাদের সাধকদের আশীর্বাদ ও অনুপ্রেরণা পেতে থাকবে। আগামী সময়ে, আমরা সেই মহান ভারতকে তৈরি করব যার আত্মবিশ্বাস স্বামী বিবেকানন্দ আমাদের দিয়ে গেছেন এবং যার জন্য স্বামী আত্মস্থানন্দের মতো সন্ন্যাসীরা সারাজীবন চেষ্টা করে গেছেন। আর আজ আমি যখন আপনাদের মতো সমস্ত শ্রদ্ধেয় সাধকদের সামনে এসেছি, তখন মনে হচ্ছে যেন আমি আমার পরিবারে এসেছি, আমি সেই মনোভাব নিয়েই কথা বলছি। আপনারা আমাকে সবসময় আপনাদের পরিবারের সদস্য হিসাবে বিবেচনা করেছেন। এখন সারা দেশে স্বাধীনতার অমৃত উৎসব চলছে। এই অমৃত মহোৎসবে দেশের প্রত্যেক জেলা��় ৭৫টি অমৃত সরোবর সৃষ্টির সংকল্প নেওয়া হয়েছে। আপনারা যে যেখানে কাজ করছেন, আপনারাও সেখানকার মানুষকে অনুপ্রাণিত করুন, আপনারাও এই অভিযানে যোগ দিন। আমি নিশ্চিত যে, আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহন স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে মানবসেবার একটি মহৎ অভিযানে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। আপনারা সর্বদাই সমাজের সুখ-দুঃখের সাথী হ্যে কাজ করে যান। আত্মস্থানানন্দজির জন্মশতবর্ষ ক্রমে নতুন শক্তি ও নতুন অনুপ্রেরণার বছর হয়ে উঠছে। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব দেশে কর্তব্যবোধ জাগ্রত করতে সফল হোক, আমাদের সকলের সম্মিলিত অবদানই এক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন আনতে পারে। এই মনোভাব ব্যক্ত করে, আবারও আপনাদের সবাইকে, সকল সন্ন্যাসীদের আমার প্রণাম জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ!",স্বামী আত্মাস্থানানন্দৰ শতবাৰ্ষিকী উদযাপনত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF-2/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী , তানজানিয়ার মহান নেতা এবং ভারতের বন্ধু মোয়ালিমু ন্যেরেরের ১০০তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। শ্রী মোদী বলেছেন, মোয়ালিমু ন্যেরেরের একতা ও সাম্যের জন্য নীতি আজও সমান প্রাসঙ্গিক। তিনি আরো বলেন, মিঃ ন্যেরেরের জীবন ও কর্ম আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “মোয়ালিমু ন্যেরেরের জীবন ও কর্ম আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর একতা ও সাম্যের জন্য নীতি আজও সমান প্রাসঙ্গিক। মহান এই নেতা, ভারতের বন্ধুর ১০০তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই। “",জন্ম শতবাৰ্ষিকীত মোৱালিমু ন্যেৰেৰেলৈ শ্ৰদ্ধাৰ্ঘ্য নিৱেদিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%B0/,"মালদ্বীপে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় শ্রী ইব্রাহিম মহম্মদ সলিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। মালদ্বীপে গতকাল রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শ্রী সলি-র নেতৃত্বে মালদ্বীপের গণতন্ত্র, শান্তি ও সমৃদ্ধিকে আরও সুদৃঢ় হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করেছেন। শ্রী সলি তাঁকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ট, মৈত্রীপূর্ণ ও সুপ্রতিবেশী সুলভ সম্পর্ককে- আরও জোরদার করতে উভয় নেতাই নিবিড়ভাবে কাজ করতে সহমত হয়েছেন।",মালদ্বীপৰ ৰাষ্ট্ৰপতি নিৰ্বাচনত জয়ী হোৱাৰ বাবে ফোনযোগে শ্ৰীযুত ইব্ৰাহীম ছলীক অভিনন্দন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A7%8B-2/,"মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জোসেপ কোন্তে, আমার মন্ত্রিসভার সদস্য ডঃ হর্ষ বর্ধন, প্রযুক্তি শীর্ষ বৈঠকে উপস্থিত প্রযুক্তি বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত ভারত এবং ইতালির সমস্ত বন্ধু, ভদ্রমহিলা এবং ভদ্রমহোদয়গণ! নমস্কার! চাও, কোমে স্তাই! ইতালি থেকে সমাগত সমস্ত অতিথিকে বিশেষভাবে আন্তরিক স্বাগত জানাই! বেনওয়েনুতো ইন ইন্ডিয়া! বন্ধুগণ, এটি ২৪তম প্রযুক্তি শীর্ষ বৈঠক। এই বৈঠকে অংশীদার দেশ হিসেবে ইতালির অংশগ্রহণ আর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কোন্তের গৌরবময়ী উপস্থিতি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এখানে আসার আগে আমাদের সরকারি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী কোন্তের সঙ্গে আমার বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে তাঁর উৎসাহ ও দায়বদ্ধতা আমাকে প্রভাবিত করেছে। এ বছরটি আমাদের কাছে এজন্যই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ভারত এবং ইতালির কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০তম বছর। এ বছর বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতার ৪০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এই শুভ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী কোন্তের ভারত সফরের একটি ভিন্ন গুরুত্ব রয়েছে। বন্ধুগণ, এটা সেই সময় যখন প্রযুক্তি ছাড়া জীবন কল্পনা করা মুশকিল। আজ প্রায় প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে প্রযুক্তি কোন না কোনভাবে যুক্ত। বিগত কয়েক বছরে প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও দ্রুত পরিবর্তন এসেছে। এই গতি এত দ্রুত যে একটি প্রযুক্তির প্রভাব সমাজের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই উন্নততর প্রযুক্তি চলে আসে। সেজন্য সকল দেশের সামনে পরিবর্তমান প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলা যত সমস্যা সৃষ্টি করে, তত সুযোগও তৈরি করে। ভারত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সামাজিক ন্যায়, ক্ষমতায়ন, যোগাযোগ এবং সরকারি ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ���রে তুলেছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি পরিষেবা সমাজের শেষ ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া সুনিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে, ডিজিটাল প্রযুক্তির এক ব্যাপক পরিকাঠামো বিকশিত করা হচ্ছে যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই সমস্ত পরিষেবার দ্বারা উপকৃত হতে পারেন। আমরা প্রযুক্তিকে ‘ইজ অফ লিভিং’-এর গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম বলে মনে করি। বন্ধুগণ, ভারতে আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর প্রকল্প চালু রয়েছে। সরকারি সাহায্যে সরাসরি উপকৃতদের ব্যাঙ্কের খাতায় অর্থ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। জন্মের শংসাপত্র থেকে শুরু করে বার্ধক্যভাতা পর্যন্ত অনেক পরিষেবা আজ অনলাইন হয়েছে। তিনশোরও বেশি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি পরিষেবাকে ‘উমঙ্গ’ অ্যাপ-এর মাধ্যমে একটি মঞ্চে আনা হয়েছে। ডিজিটাল পেমেন্ট আজকাল প্রায় মাসে ২৫০ কোটি লেনদেনের মাত্রা ছাড়িয়েছে। সারা দেশে প্রায় ৩ লক্ষেরও বেশি কমন সার্ভিস সেন্টার গ্রামে গ্রামে অনলাইন পরিষেবা প্রদান করছে। বিগত চার বছরে ভারতে ১ জিবি ডেটার দাম ৯০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে। ভারতে এই সুলভ ডেটা দেশের প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বন্ধুগণ, ভারত এখন সফ্‌টওয়্যার ক্ষেত্রে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয়কে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এগিয়ে চলেছে। আমরা ভারতে বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ থেকে প্রযুক্তি-নির্ভর সমাজ গড়ে তোলার ওপর জোর দিচ্ছি। সারা দেশে ‘অটল টিঙ্কারিং ল্যাব’-এর মাধ্যমে বিদ্যালয়স্তরে উদ্ভাবনের জন্যে একটা আবহ তৈরি করা হচ্ছে। ‘অটল উদ্ভাবন মিশন’-এর মাধ্যমে সারা দেশে এরকম সৃষ্টিশীল নবীনদের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে যাঁরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের শক্তিশালী স্তম্ভ হয়ে উঠবে। সরকারের এই সকল প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ, ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচ্যুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও)-এর বিশ্ব উদ্ভাবন তালিকার র‍্যাঙ্কিং-এ আমরা একুশ ধাপ উঠে এসেছি। তাছাড়া, আজ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্টার্ট-আপ ব্যবস্থা ভারতে তৈরি হয়েছে। ভারতে যেসব উদ্ভাবন হচ্ছে, সেগুলির উৎকর্ষ সুনিশ্চিত করার দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। ভারতের মহাকাশ প্রকল্প এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ এবং এর সাফল্য ইতালিও অনুভব করছে। আজ ভারত ইতালি সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপগ্রহ অনেক কম খরচে উৎক্ষেপণ করছে। এই উপগ্রহ প্রযুক্তির দ্বারাও ���েশের প্রত্যেক নাগরিক লাভবান হচ্ছেন। বন্ধুগণ, আজ যখন বিশ্ব ‘ইন্ডাস্ট্রি ৪.০’ নিয়ে আলোচনা করছে, তখন দুই প্রাচীন সভ্যতার দেশ ভারত এবং ইতালির মধ্যে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সহযোগিতা শক্তিশালী করার নতুন সুযোগ গড়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, অনেক সমস্যার সমাধানও আমরা এগুলির মাধ্যমে কার্যকর উপায়ে করতে পারব। বন্ধুগণ, আজ ভারত বিশ্বের সর্বাধিক দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা বৃহৎ অর্থ ব্যবস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম। ভারতের বিশাল অন্তর্দেশীয় বাজার, যুব জনসংখ্যা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ব্যবস্থা সম্মিলিতভাবে বিশ্বের উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে। তেমনই, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ইতালিরও সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। নির্মাণ ক্ষেত্রে উৎকর্ষের জন্য ইতালিরও সুনাম রয়েছে। সেজন্য ভারত ও ইতালি যৌথভাবে উন্নতমানের গবেষণা ক্ষেত্রে নিজেদের সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে পারে। এই সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা অনেক আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে মিলিতভাবে প্রযুক্তিগত সমাধান গড়ে তুলতে পারি। উভয় দেশের জনগণের জীবনমান উন্নত করতে, পরিবেশকে পরিচ্ছন্নতর করতে, মানবকল্যাণের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতাকে শক্তিশালী করতে আগের তুলনায় অনেক বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে উভয় দেশের বৈজ্ঞানিকরা এবং ব্যবসায় নেতৃত্বপ্রদানকারীরা একসঙ্গে মিলে গবেষণা এবং উদ্ভাবনের উন্নততর ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, পরিবেশ-বিজ্ঞান, স্নায়ু-বিজ্ঞান এবং তথ্যপ্রযুক্তি থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা ব্যাপকতর হয়ে উঠেছে। বন্ধুগণ, সহযোগিতার এই পথ শক্তিশালী করার পাশাপাশি, গবেষণা এবং উন্নয়নের পরিণাম যাতে শুধু ল্যাবরেটরিতে সীমাবদ্ধ না থাকে তা আমাদের সুনিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য আমি সবসময় বলি – “বিজ্ঞান বিশ্বজনীন, কিন্তু প্রযুক্তি হওয়া উচিৎ আঞ্চলিক”। ভারতে আমরা নিজেদের ঐতিহাসিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য সায়েন্স অ্যান্ড হেরিটেজ রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (শ্রী) শুরু করেছি। এর উদ্দেশ্য ঐতিহাসিক স্মারকগুলির সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধারের জন্য প্রযুক্তিগত সমাধান খুঁজে বের করা। এই উদ্যোগে প্রযুক্তি, পর্যটন এবং ইতিহাসের মেলবন্ধন দেখা যায়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে বিজ্ঞান, ��্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহ দিয়ে উন্নয়নের নতুন গতি সুনিশ্চিত করা সম্ভব। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। এটাই এই প্রযুক্তি শীর্ষ সম্মেলনের উদ্দেশ্য। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বিগত দু’দিনে এই শীর্ষ সম্মেলনে যে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা উভয় দেশের মধ্যে প্রযুক্তি বিনিময়, যৌথ উদ্যোগ এবং একে অন্যের বাজারে উপস্থিতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। এই শীর্ষ সম্মেলন আমাদের মিলিত ভবিষ্যৎ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বন্ধুগণ, আজ ভারত-ইতালি দ্বিপাক্ষিক শিল্প গবেষণা এবং উন্নয়ন সহযোগিতা কর্মসূচির পরবর্তী পর্যায়ের সূত্রপাত ঘোষণা করে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এর মাধ্যমে আমাদের শিল্প এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলি কোনরকম বাধা ছাড়া বিভিন্ন পণ্য নতুন উৎকর্ষসম্পন্ন রূপে উৎপাদন করতে পারবে। এখন সময়ের চাহিদা হল কিভাবে “নো হাউ”-কে “শো হাউ”-এ পরিবর্তন করা যায়। উভয় দেশের আর্থিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার জন্য আমরা ‘জয়েন্ট কমিশন অন ইকনমিক কো-অপারেশন’-এর নির্দেশিত পথে একটি ‘সিইও ফোরাম’ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহমত হয়েছি। পাশাপাশি, উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য, ব্যবসা ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সমস্ত সমস্যা দূর করার জন্য একটি ‘ফাস্ট ট্র্যাক মেকানিজম’ করে তুলতে সহমত হয়েছি। আমি আনন্দিত যে ভারত এবং ইতালি ‘লাইফস্টাইল অ্যাসেসরিজ ডিজাইন’ (এলএডি) ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সহমত হয়েছে। এতেও চর্মশিল্প ক্ষেত্রে ‘ট্রান্সপোর্টেশন অ্যান্ড অটোমোবাইল ডিজাইন’ (টিএডি)-কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি, আমি আপনাদের অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে একথা জানাতে চাই যে উভয় দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলির সংরক্ষণ, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, জীবনবিজ্ঞান সমূহ এবং ভূ-বিপর্যয়ের মতো কিছু নির্বাচিত ক্ষেত্রে দক্ষতা-নির্ভর ‘ইন্দো-ইটালিয়ান সেন্টার্স অফ এক্সেলেন্স’ স্থাপন করা হবে। এগুলির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চকক্ষ, বিভিন্ন অনুসন্ধান কেন্দ্র ও শিল্প পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি, সব ধরণের সমস্যার প্রযুক্তিগত সমাধানও খুঁজে বের করা হবে। বন্ধুগণ, প্রযুক্তিগত শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্যের জন্য আমি সমস্ত আয়োজকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। ইতালি সরকারকেও হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই। তারা একটি অংশীদার দেশ হিসেবে যু��্ত হওয়ার জন্য আমাদের আমন্ত্রণ স্বীকার করেছে। প্রযুক্তি শিখর সম্মেলনে সমস্ত যোগদানকারীকেও অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের সকলের অংশগ্রহণ এবং উপস্থিতি এই শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি আরেকবার প্রধানমন্ত্রী কোন্তের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি এই কর্মসূচির শোভা বর্ধন করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি ভারত-ইতালি নতুন অংশীদারিত্বের নব-নির্মাণে নিজের ব্যক্তিগত পথ প্রদর্শন, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং দায়বদ্ধতার অমূল্য উপহার দিয়েছেন। গ্রাস্তিয়ে মিল্লে! অনেক অনেক ধন্যবাদ!!! /",নতুন দিল্লীত অনুষ্ঠিত হোৱা ভাৰত-ইটালী প্ৰযুক্তি সন্মিলনৰ বিদায় অধিৱেশনত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%96-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81/,"নয়াদিল্লী, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গে আফগানিস্তানের শিখ-হিন্দু প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতের সময় সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানিত করেন এবং আফগানিস্তান থেকে শিখ ও হিন্দুদের নিরাপদে নিয়ে আসার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান। প্রতিনিধি দলের সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তাঁরা অতিথি নন, তাঁরা নিজেদের বাড়িতেই এসেছেন। ভারত তাদের নিজেদের বাড়ি। আফগানিস্তানে তাঁরা যে সংকটের সম্মুখীন হয়েছিলেন সে বিষয় নিয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। ভারতে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারের উদ্যোগের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের তাৎপর্যের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন; এর মাধ্যমে শিখ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সুবিধার বিষয়টিও আলাপচারিতায় উঠে এসেছে। ভবিষ্যতে সমস্ত বিষয় ও সমস্যার সমাধানে নিরন্তর সহায়তার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। শ্রী মোদী গুরু গ্রন্থ সাহিবকে সম্মান জানানোর পরম্পরার বিষয়টি উল্লেখ করেন। এই কারণেই আফগানিস্তান থেকে গুরু গ্রন্থ সাহিবের স্বরূপকে ভারতে নিয়ে আসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে আফগানদের থেকে তিনি যে ভালোবাসা পেয়েছেন সেকথা উল্লেখ কর��� প্রধানমন্ত্রী তাঁর কাবুল সফরের বিষয়টি স্মরণ করেন। শ্রী মঞ্জিন্দর সিং শীর্ষা নিরাপদে শিখ-হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য ভারত থেকে যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তারজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানান, সেই সময় তাঁদের পাশে অন্য কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রী তাদের সব সময় সব ধরণের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। সংকটের সেই সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁদের পাশে থাকায় প্রতিনিধি দলের বাকি সদস্যরাও শ্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানান। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানিয়েছেন আফগানিস্তান থেকে ভারতে যথাযথ মর্যাদায় গুরু গ্রন্থ সাহিবের স্বরুপ নিয়ে আসার জন্য বিশেষ উদ্যোগের কথা যখন তাঁরা জানতে পেরেছেন তখন তাঁদের চোখে জল এসে গিয়েছিল। তাঁরা সিএএ-র জন্যও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। এই আইনটি তাদের সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রভূত সাহায্য করেছে। তাঁরা বলেন, শ্রী মোদী শুধুমাত্র ভারতেরই প্রধানমন্ত্রী নন, যেহেতু তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের হিন্দু ও শিখদের সংকটের কথা উপলব্ধি করতে পারেন এবং উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক সাহায্যের উদ্যোগ নেন তাই তিনি বিশ্বের প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী ও প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতী মীনাক্ষী লেখী উপস্থিত ছিলেন।",আফগানিস্তানৰ শিখ-হিন্দু প্ৰতিনিধি দলক সাক্ষাৎ কৰে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AA/,"নয়াদিল্লি, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের নভসারিতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় জীবন হানিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। শ্রী মোদী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে এককালীন অর্থসাহায্য দেবার কথা ঘোষণা করেছেন। এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ""নভসারি প্রাণহানিতে আমি ব্যথিত। শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনকে জানাই সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। মৃতদের নিকটাত্মীয়কে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে দু লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা সাহায্য দেওয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী মোদী।""",গুজৰাটৰ নৱসাৰীত সংঘটিত পথ দুৰ্ঘটনাত নিহতসকলৰ প্ৰতি শোক প্ৰকাশ কৰিছে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B6-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লী, ০১ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সংগে টেলিফোনে কথা বলেন। কৃষি পণ্য , সার, এবং ফার্মা ক্ষেত্রে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য কিভাবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা। খাদ্য বাজার এবং আন্তর্জাতিক শক্তি সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে তারা কথা বলেন। গত বছর ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রপতি পুতিনের ভারত সফরের সময় যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছিলো সেগুলি বাস্তব রূপায়নের অগ্রগতির বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখেন তারা। ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী ফের বলেন ভারত দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা ও কূটনীতির পক্ষে জোর দিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক ও দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাবার বিষয়ে সম্মত হন উভয় নেতা। /",ৰাছিয়াৰ ৰাষ্ট্ৰপতি ভ্লাদিমিৰ পুটিনৰ সৈতে টেলিফোনিক বাৰ্তালাপ প্ৰধানমন্ত্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87-%E0%A6%86%E0%A6%87-%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%8C%E0%A6%B9%E0%A6%A6-%E0%A6%A6%E0%A7%87/,"নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার আই.আই.টি. গান্ধীনগর ক্যাম্পাসকে জাতিরউদ্দেশে উত্সর্গ করলেন| তিনি প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ ডিজিট্যাল সাক্ষরতা অভিযানেরঅধীনে প্রশিক্ষণার্থীদেরও অভিনন্দিত করেন| প্রধানমন্ত্রীগান্ধীনগরে একটি জনসভায় ভাষণ দেন| সেখানে প্রচুর সংখ্যায় আই.আই.টি.-য়ানরাও উপস্থিতছিলেন| প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা আই.আই.টি.-য়ান (আই.আই.টি. উত্তীর্ণ বা পড়ুয়া),আর আমার যখন বয়স কম ছিল তখন আমি ছিলাম টি’-ইয়ান (চা-বিক্রেতা)| কয়েক বছর আগে এইদিনে আমি প্রথম বারের মত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করি| তখন পর্যন্ত আমি একজনবিধায়কও ছিলাম না| আমি স্থির করেছিলাম যে, আমি যা কিছু করব তা আমার সক্ষমতারসেরাটা দিয়ে করব|” শ্রীনরেন্দ্র মোদি বলেন, দেশের প্রতিটি প্রান্তে সব বয়সী মানুষের কাছে এবং সমাজের সকলঅংশের মানুষের কাছে ডি��িট্যাল সাক্ষরতা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ চলছে| এইদিন ও যুগে আমরা ডিজিট্যাল বিভাজন করতে পারি না| ডিজিট্যাল ভারতের মধ্যে দিয়েস্বচ্ছতা, কার্যকর পরিষেবা প্রদান এবং সু-প্রশাসন সুনিশ্চিত হবে| প্রধানমন্ত্রীবলেন, আমাদের পড়াশোনা যেন পরীক্ষা নির্ভর না হয়| উদ্ভাবনার দিকেই আমাদের লক্ষ্যহওয়া উচিত|",আইআইটি গান্ধীনগৰ চৌহদ দেশবাসীৰ নামত উচৰ্গা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-118/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-10/,"নয়াদিল্লী, ২০ এপ্রিল, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ দাহোদে আদিজাতি মহাসম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান থেকে তিনি প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী ১৪০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। তিনি এদিন প্রায় ৮৪০ কোটি টাকা মূল্যের নর্মদা নদীর অববাহিকায় নির্মিত দাহোদ দক্ষিণাঞ্চল আঞ্চলিক জল সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। এটি দাহাদ জেলা ও দেবগড় বাড়িয়া শহরের প্রায় ২৮০টি গ্রামের জল সরবরাহের চাহিদা মেটাবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আজ প্রায় ৩৩৫ কোটি টাকা মূল্যের দাহোদ স্মার্ট সিটির ৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড কম্যান্ড অ্যান্ড কনট্রোল সেন্টার বিল্ডিং, স্ট্রম ওয়াটার ড্রেনেজ সিস্টেম, স্যুয়ারেজ ওয়ার্কস, কঠিন বর্জ্য পরিচালন ব্যবস্থাপনা এবং বৃষ্টির জল ধরে রাখার ব্যবস্থাপনা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় পঞ্চমহল ও দাহোদ জেলার ১০ হাজার জন উপজাতিকে ১২০ কোটি টাকা মূল্যের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ৬৬ কিলো ভোল্ট ঘোড়িয়া সাব স্টেশন, পঞ্চায়েত ভবন এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেরও উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী দাহোদে ৯ হাজার অশ্ব শক্তি ক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক রেল ইঞ্জিন তৈরি কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এই প্রকল্পের ব্যয় হবে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। ১৯২৬ সালে বাষ্পচালিত রেল ইঞ্জিন তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠিত দাহোদ ওয়ার্কশপটিকে পরিকাঠামোগত উন্নতি সাধন করে বৈদ্যুতিক রেল ইঞ্জিন তৈরির কেন্দ্রে পরিণত করা হবে। এখানে ১০ হাজ���র জনেরও বেশি মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। প্রধানমন্ত্রী এদিন রাজ্য সরকারের ৫৫০ কোটি টাকা মূল্যের একাধিক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের জল সরবরাহ প্রকল্প, ১৭৫ কোটি টাকা মূল্যের দাহোদ স্মার্টসিটি প্রকল্প। এছাড়াও ঘোড়িয়ায় জিইটিসিও সাব স্টেশন প্রকল্প রয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেল সহ গুজরাট সরকারের একাধিক মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শ্রী মোদী স্থানীয় উপজাতি সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন। দেশের সেবা করার জন্য তাঁকে অনুপ্রাণিত করতে এই সম্প্রদায় বিশেষ সাহায্য করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁদের সমর্থন ও আর্শীবাদকে সব সময় মাথা পেতে নিয়েছেন তিনি। উপজাতি সম্প্রদায় সমস্ত সমস্যা, বিশেষ করে মহিলাদের সমস্যাগুলির সমাধানে কেন্দ্র ও রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন সরকার কাজ করে চলেছে। তিনি বলেন, এদিন যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করা হয়েছে তার মধ্যে একটি হল পানীয় জল প্রকল্প, অন্যটি হল দাহোদকে একটি স্মার্ট শহর হিসেবে গড়ে তোলার প্রকল্প। এটি এই অঞ্চলের মা ও মেয়েদের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে আসবে। তিনি বলেন, দাহোদে ৯ হাজার অশ্ব শক্তি ক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যতিক রেল ইঞ্জিন তৈরির কেন্দ্র মেক ইন ইন্ডিয়ার বিষয়ে প্রচার চালাবে। দাহোদের এই রেলওয়ে অঞ্চলটির কিভাবে ক্ষতি হচ্ছিল সে কথাও স্মৃতিচারণ করেন তিনি। তাই এই এলাকার পুনরুজ্জীবনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান শ্রী মোদী। তিনি বলেন, এই বিপুল বিনিয়োগ এলাকার তরুণ সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে। এই ধরণের উন্নত রেল ইঞ্জিন তৈরি দেশের রেল ক্ষেত্রে দক্ষতার ইঙ্গিত বহন করে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী বলেন, “বিদেশে বৈদ্যুতিক রেল ইঞ্জিনের চাহিদা বাড়ছে। এই চাহিদা পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে দাহোদ। ভারত এখন বিশ্বের কয়েকটি দেশের মধ্যে অন্যতম যে, ৯ হাজার অশ্ব শক্তি ক্ষমতা সম্পন্ন রেল ইঞ্জিন তৈরি করে।” গুজরাট প্রসঙ্গ থেকে সরে এসে প্রধানমন্ত্রী জানান দেশের অগ্রগতি যাত্রায় আমাদের মা ও মেয়েদের কখনোই পিছিয়ে রাখা চলবেনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের সমস্ত পরিকল্পনার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছ�� নারীদের জীবনযাত্রায় স্বাচ্ছন্দ্য এবং ক্ষমতায়ণ। জলের অভাবের উদাহরণ তুলে ধরে মহিলাদের সুবিধার্থে সরকার প্রতিটি বাড়িতে নলবাহিত জল সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছরে ৬ কোটি পরিবার নলবাহিত কলের জলের সুবিধা পেয়েছে। গুজরাটের ৫ লক্ষ উপজাতি পরিবার এই সুবিধার আওতায় এসেছে বলেও জানান তিনি। আগামীদিনে এই অভিযান আরও জোরদার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মহামারী এবং যুদ্ধের এই কঠিন সময়ে সরকার তপশীলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের মতো দুর্বল সম্প্রদায়ের কল্যাণ নিশ্চিত করেছে। কোনো দরিদ্র পরিবার যাতে অনাহারে না ঘুমায়, তারজন্য ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ৮০ কোটিরও বেশি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রতিশ্রুতি পূর্নব্যক্ত করে জানান, প্রতিটি উপজাতি পরিবারে শৌচালয়, গ্যাস সংযোগ, বিদ্যুৎ, জলের সংযোগ সহ পাকা বাড়ির সুবিধা দেওয়া হয়েছে। গ্রামে স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র, শিক্ষা, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা এবং সড়ক গড়ে তোলা হচ্ছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার এই লক্ষ্য অর্জনে নিরন্তর পরিশ্রম করে চলেছে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী প্রাকৃতিক চাষের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। আজাদি কা অমৃত মহোৎসব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতো দিন অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী উপযুক্ত সম্মান পাননি। ভগবান বীরসা মু্ন্ডার মতো শ্রদ্ধেও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বীকৃতি দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি স্থানীয় শিক্ষকদের দাহোদ গণহত্যা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানাতে বলেছেন। এই গণহত্যা জালিয়ান ওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের মতোই। এতে নতুন প্রজন্ম এই ধরণের ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি সম্পর্কে জানতে পারবেন। তিনি বলেন, এখন একাধিক নতুন মেডিকেল ও নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এমনকি একলব্য মডেল বিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে। উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১০৮টি সুবিধা কেন্দ্রের আওতায় এখন সাপের কামড়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ইঞ্জেকশন পাওয়া যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরিশেষে, তিনি আজাদি কা অমৃত মহোৎসব বছরে বিভিন্ন জেলায় ৭৫টি সরোবর নির্মাণের জন্য পুনরায় অনুরোধ জানান।",প্রধানমন্ত্রী শ্রী নৰেন্দ্র মোদীয়ে গুজৰাটৰ দাহোদ আৰু পঞ্চমহলত ২২ হাজাৰ কোটি টকা মূল্যৰ প্রকল্পৰ উদ্বোধন আৰু আধাৰশিলা স্থাপন কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D/,লোকসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী সুলতান আহমেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “লোকসভারসাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী সুলতান আহমেদের মৃত্যুতে আমিশোকস্তব্ধ। বিষাদের এই মুহূর্তে তাঁর পরিবার-পরিজন এবং অনুগামীদের মতো আমিও সমানউদ্বেগের শরিক।” /,লোকসভাৰ সাংসদ তথা প্ৰাক্তন কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী শ্ৰী চুলতান আহমেদৰ বিয়োগত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শোক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A7%B1/,"নয়াদিল্লি, ০৭ নভেম্বর, ২০২২ কার্তিক পূর্ণিমা এবং দেব দীপাবলি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; “ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিক এবং ঐতিহ্যের প্রতীক কার্তিক পূর্ণিমা এবং দেব দীপাবলি উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। পবিত্র স্নান এবং দীপ প্রজ্জ্বলনের শুভ এই অনুষ্ঠান প্রত্যেকের জীবনে নতুন উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঞ্চার করুক।”",কাৰ্তিক পূৰ্ণিমা আৰু দেৱ দীপাৱলীৰ শুভেচ্ছা প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%A1%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AD-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%A1%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AD-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7/,"ইন্ডয়া টুডে গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং এডিটর ইন চিফ অরুণ পুরী মহোদয়, আপনার গ্রুপের সমস্ত সাংবাদিক বন্ধু, এই মুহূর্তে নিউজ রুমে কর্মরত সমস্ত সাংবাদিক, আপনাদের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত স্ট্রিংগার্স, এখানে উপস্থিত সমস্ত সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গ ও আমার বন্ধুরা, ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভের সঙ্গে যুক্ত সকলকে আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আপনাদের গ্রুপ যেভাবে স্বচ্ছ ভারত মিশনে অংশগ্রহণ করে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছেন, সেজন্য আপন��দের সকলেরই ধন্যবাদপ্রাপ্য। বন্ধুগণ, আমাকে অনুরোধ করা হয়েছে, দেশকে নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে আমি কী কী শিখেছি, সেসব অভিজ্ঞতার কথা বলতে। ২০১৪’র সাধারণ নির্বাচনের পর যখন দিল্লিতে এসেছিলাম, তখন সত্যি অনেক বিষয়ে কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। কেন্দ্রীয় সরকার কিভাবে চলে, কোন্‌ কোন্‌ ব্যবস্থা কিভাবে পরিচালিত হয়, সে সম্পর্কে বিশেষ ধারণা ছিল না। আমি মনে করি, এই না জানাটাই আমার জন্য আশীর্বাদ-স্বরূপ প্রতিপন্ন হয়েছে। আমি যদি পুরনো ব্যবস্থার অংশ হতাম, তা হলে নির্বাচনের পর সেই পুরনো ধাঁচের খাঁচাতেই আবদ্ধ হয়ে যেতাম। কিন্তু এমনটি হয়নি। বন্ধুগণ, আমার মনে পড়ে, ২০১৪’র নির্বাচনের আগে আপনাদের স্টুডিও-তেই একটি আলোচনায় বিশেষ কেউ বলেছিলেন, বিশ্বের কোথায় কী হচ্ছে সে সম্পর্কে মোদী অবগত নন। এক্ষেত্রে আমাদের বিদেশ নীতির কি হবে? কিন্তু আজ বিগত দিনের ঘটনাক্রমের মাধ্যমে আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, ভারতের বিদেশ নীতির প্রভাব কতটা কার্যকরী! দেখতে পেয়েছেন কিনা? যাই হোক, আপনারা স্বীকার করেছেন। বন্ধুগণ, আজকের ভারত নতুন ভারত, পরিবর্তিত ভারত। আমাদের প্রত্যেক বীর জওয়ানের রক্ত অমূল্য! আগে কী হ’ত, কত জওয়ানই না শহীদ হয়েছেন, কিন্তু প্রতিরোধমূলক কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কিন্তু এখন কেউ ভারতকে লালচোখ দেখানোর সাহস করতে পারে না। আমাদের সরকার রাষ্ট্রহিতে প্রত্যেক সিদ্ধান্ত গ্রহণে দায়বদ্ধ। ভারত আজ একটি নতুন নীতি ও রীতি নিয়ে এগিয়ে চলেছে, তা আজ সমস্ত বিশ্ব বুঝতে পারছে। বন্ধুগণ, আজকের নতুন ভারত নির্ভীক এবং নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম। কারণ, আজ সরকার ১২৫ কোটি ভারতবাসীর সমর্থন ও বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে চলেছে। ভারতবাসীর এই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই দেশের ভেতরে ও বাইরে কিছু দেশ বিরোধী মানুষের মনে ভয় সৃষ্টি করেছে। আজকের পরিবেশে আমি বলব যে, এই ভয় খুব ভালো। যখন শত্রুদের মনে ভারতের পরাক্রম নিয়ে ভয় থাকে, তখন সেই ভয় দেশের জন্য ইতিবাচক। সন্ত্রাসবাদীদের মনে যদি সৈনিকদের শৌর্য নিয়ে ভয় থাকে – সেই ভয় ভালো। অর্থ তছরূপকারীদের মনে যদি আইন এবং তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়ার ভয় থাকে – সেই ভয় ভালো। মামার ধমকে যখন বড় বড় পরিবার ভয় পেতে শুরু করে – সেই ভয় ভালো। ভ্রষ্ঠ নেতাদের মনে যখন জেলে যাওয়ার ভয় থাকে – সেই ভয় ভালো। দুর্নীতিবাজরা যখন আইনকে ভয় পেতে শুরু করে – সেই ভয় ভালো। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার পর থেকে অনেক দশক ধরে দেশবাসী অনেক অত্যাচার সহ্য করেছে। এখন এই নতুন ভারত নিজেদের সামর্থ্য, কর্মশক্তি এবং সম্পদের ভরসা করে এগিয়ে চলেছে, নিজেদের বুনিয়াদী দুর্বলতাগুলি দূর করার পাশাপাশি, নিজেদের সমস্যাগুলি সমাধানের চেষ্টা করছে। কিন্তু বন্ধুগণ, এই এগিয়ে যাওয়া ভারতের সঙ্গে আরেকটি সমস্যা এসে দাঁড়িয়েছে, সেটি হ’ল – নিজের দেশের বিরোধিতা করা এবং দেশ নিয়ে মজা করে আত্মসন্তুষ্টি লাভ করা। আমি অবাক হয়েছি, যখন সারা দেশ আমাদের সেনাবাহিনীর কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছে, তখন কেউ কেউ সেনাবাহিনীর প্রতিই সন্দেহ প্রকাশ করছে। একদিকে আজ গোটা বিশ্ব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের সঙ্গ দিচ্ছে আর অন্যদিকে কিছু দল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। তাদের এসব বক্তব্য ও তাদের লেখা নিবন্ধগুলি পাকিস্তানি সংসদ ভবন, রেডিও ও টেলিভিশন চ্যানেলে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিরোধীরা মোদীর বিরোধিতা করতে করতে দেশের বিরোধিতায় অবতীর্ণ হয়ে দেশকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমি আজ এই মঞ্চ থেকে এই ধরণের ব্যক্তিদের জিজঙেস করতে চাই যে, আমাদের সামর্থ্য নিয়ে আপনাদের আস্থা রয়েছে নাকি আপনারা সন্দেহ করেন? নাকি আপনারা তাদেরকে বিশ্বাস করেন, যারা আমাদের মাটিতে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহ যোগাচ্ছে। ভাই ও বোনেরা, আমি এমন প্রতিটি ব্যক্তি ও দলকে বলতে চাই যে, মোদী আসবে ও চলে যাবে। কিন্তু ভারত, সর্বদাই থাকবে। সেজন্য তাদের প্রতি আমার অনুরোধ, দয়া করে ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য, নিজেদের অহঙ্কার রক্ষার্থে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা ছেড়ে দিন। ভারতকে দুর্বল করার প্রক্রিয়া আপনারা বন্ধ করুন। বন্ধুগণ, দেশ আজ রাফাল বিমানের অভাব অনুভব করেছে। আজ ভারতবাসী সমস্বরে বলছেন যে, আমাদের কাছে রাফাল থাকলে কত ভালোই না হ’ত! আগে রাফাল নিয়ে নিহিত স্বার্থের কারণে আর এখন রাজনীতির কারণে দেশের অনেক লোকসান হয়েছে। আমি এই বিরোধিদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, মোদীর বিরোধ যত খুশি করুন, আমাদের প্রকল্পগুলিতে কোনও ত্রুটি থাকলে, সেগুলির সমালোচনা করুন। সেগুলির প্রভাব কতটা ইতিবাচক, তা নিয়ে সমালোচনা করুন, কিন্তু দেশের নিরাপত্তা নিয়ে, দেশের হিতে বিরোধিতা করবেন না। আপনারা মনে রাখবেন যে, মোদী বিরোধের এই জেদের ফলে মাসুদ আজহার এবং হাফিজ সৈয়দের মতো সন্ত্রাসের মাথাদের যাতে কোনও সুবিধা না হয় সেদি��ে লক্ষ্য রাখুন। বন্ধুগণ, যাঁরা অনেক বছর ধরে দেশের শাসন ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁদের দুটি জিনিসের প্রতি আগ্রহ ছিল, তা হ’ল – চুক্তি আর ভিক্ষা বিতরণ। এই চুক্তি আর ভিক্ষা বিতরণের সংস্কৃতি আমাদের দেশের উন্নয়ন যাত্রাকে ব্যহত করেছে। এই মনোভাবের সবচেয়ে বড় শিকার হলেন দেশের সৈনিক ও কৃষকরা। সৈনিকরা কিভাবে এর শিকার, তা নিয়ে আগে বলব। যাঁরা অনেক বছর ধরে দেশের শাসন ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁরা নিজ নিজ শাসনকালে এত বেশি প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত কেলেঙ্কারিতে কেন জড়িত? তাঁরা মিলিটারি জীপ ক্রয় সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে অস্ত্র কেলেঙ্কারি, ডুবো জাহাজ কেলেঙ্কারি এবং হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন। এসব কারণে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রটি ভীষণ রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যথাসময়ে সঠিক চুক্তি সম্পাদিত না হওয়ায় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া ব্যবহত হয়েছে। এই প্রতিটি চুক্তিতে কারা জড়িত ছিলেন? কারা প্রত্যেক চুক্তির দালালদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, সে সম্পর্কে এখন গোটা দেশ জানে। আর দিল্লির লুটেরারা অবশ্যই জানে। বন্ধুগণ, এটা সবাই জানেন যে, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী নিয়মিত বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের প্রয়োজন। ২০০৯ সালে আমাদের সেনাবাহিনী সরকারের কাছে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের প্রয়োজন জানিয়েছিল। আপনারা জেনে লজ্জিত হবেন যে, ২০০৯ থেকে ২০১৪’র মধ্যে একটিও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট কেনা হয়নি। আমরা শাসন ক্ষমতায় এসে ২ লক্ষ ৩০ হাজার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট কিনেছি। আমরা এই ক্রয় প্রক্রিয়াকে দালালমুক্ত করেছি। বর্তমান সরকার কোনও দুর্নীতকে সহ্য করবে না। আর এখন আমি ভিক্ষা বন্টন নিয়ে কথা বলব। যাঁরা এত বছর ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁরা ভিক্ষা বন্টন পছন্দ করতেন। সেই ভিক্ষা বন্টনের লক্ষ্য দরিদ্রদের ক্ষমতায়ন ছিল না। সেই ভিক্ষা এমনভাবেই বন্টিত হ’ত, যাতে গরিবরা গরিবই থেকে যান আর তাঁদের রাজনৈতিক প্রভূদের দয়ায় বেঁচে থাকেন। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হ’ল কৃষি ঋণ মকুবের প্রক্রিয়া। কোনও অর্থনীতিবিদ বা নীতি বিশেষজ্ঞ বলেন না যে, ঋণ মকুবের মাধ্যমে আমাদের কৃষি সংক্রান্ত কোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব। এটি কাটা ঘায়ে মলম লাগানোর বেশি আর কিছুই হতে পারে না। প্রত্যেক ১০ বছরে ইউপিএ একবার করে কৃষি ঋণ মকুবের ব্যবস্থা করেছে। তাঁদের সম্পূর্ণ শাসনকালে এ ধরণের কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে নির্বাচনের আগেই কৃষি ঋণ মকু�� করেছে। কিন্তু তাঁদের এই ঋণ মকুব বাস্তবসম্মত ছিল না। এর দ্বারা ২০ শতাংশের কম কৃষকরাই উপকৃত হয়েছেন। তবুও তাঁরা এই কৃষি ঋণের জোরে নির্বাচনে জেতার চেষ্টা করেছে। আমরা ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টিকে গ্রহণ করেছি। কৃষকদের উন্নয়নে আমরা পিএম – কিষাণ সম্মাননিধি নামক একটি সংহত ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি। এই ব্যবস্থা কোনও চুক্তি কিংবা ভিক্ষা বন্টন প্রক্রিয়া নয়। দেশের ১২ কোটি কৃষকদের তিন কিস্তিতে ৬ হাজার টাকা দেওয়া হবে। গত পয়লা ফেব্রুয়ারি এই প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি এটি চালু হয়েছে। আমরা ২৪ দিন ধরে দিবারাত্র কাজ করে এটি চালু করেছি। আগে হলে এতটা সময় লাগতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সমাধানেই। সেটি হ’ল – এই অনুদান পরিবারের কোন্‌ সদস্যের নামে চালু হবে। ঋণ মকুবের মতো হলেও পিএম – কিষাণ সম্মাননিধি একটি দীর্ঘ মেয়াদী সহায়ক ব্যবস্থা। আগেই আমরা বেশ কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে এর ভিত্তি তৈরি করেছিলাম। যেমন – মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ড, পিএম কৃষি সিঞ্চাই যোজনা এবং ই-ন্যাম – এগুলির কোনোটাই ভিক্ষা বিতরণ নয়। এগুলি প্রত্যেকটাই কৃষকদের আয় ২০২২ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে দীর্ঘ মেয়াদী পদক্ষেপ। এই এনডিএ সরকারের আমলেই কৃষকদের সম্মান জানাতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পূর্ববর্তী সরকারের আমলে এই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সংক্রান্ত ফাইলটি প্রায় সাত বছর ধরে লালফিতের ফাঁসে আটকে ছিল। আসলে ১০ শতাংশ ‘কমিশন’ নিয়ে কাজ করতেন আর আমরা ১০০ শতাংশ ‘মিশন’ নিয়ে কাজ করি। সেজন্যই সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে। বন্ধুগণ, তাঁদের ৫৫ বছরের শাসনের তুলনায় আমাদের ৫৫ মাসের শাসনে দৃষ্টিভঙ্গীগত পার্থক্য রয়েছে। তাঁদের ছিল ‘টোকেন অ্যাপ্রোচ’ আর আমাদের হ’ল ‘টোটাল অ্যাপ্রোচ’। প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁরা কেমন ‘টোকেন’ দেওয়ার পক্ষপাতি ছিলেন, তা আমি একটু ব্যাখ্যা করে বোঝাতে চাই। স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের শাসন ক্ষমতায় থাকা দলে একটি জনপ্রিয় শ্লোগান ছিল – গরিবি হটাও! কিন্তু এই দারিদ্র্য কিভাবে অপসারিত হবে, তা নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল না আর কোনও উদ্যোগও ছিল না। কিন্তু তাঁরা দেশের কোণায় কোণায় আওয়াজ তুলে গেছেন – গরিবি হটাও, গরিবি হটাও। তাঁরা জানতেন যে, দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য আপামর জনগণের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্য তাঁরা একটি ‘টোকেন’ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন, সেটি হ’ল – ব্যাঙ্ক রাষ্ট্রায়ত্তকরণ। গরিবদের নামে তাঁরা এই ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্তকৃত ব্যাঙ্কগুলির দরজা আদৌ গরিবদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন তাঁরা বোধ করেননি। প্রাক্তন সৈনিকদের ৪০ বছরের পুরনো দাবি মেনে ২০১৪ সালে সর্বশেষ বাজেটে ‘এক পদ, এক পেনশন’ প্রথা চালু করার ক্ষেত্রেও তাঁরা ৫০০ কোটি টাকার একটি ‘টোকেন’ তহবিল গঠন করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা জানতেন যে, এই টাকায় কখনই ‘এক পদ, এক পেনশন’ ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হবে না। কিন্তু নির্বাচন এগিয়ে আসছিল যে! ২০১৪ সালের আগে তাঁদের নির্বাচনী কর্মসূচির অন্যতম দফা ছিল পরিবার পিছু বার্ষিক গ্যাস সিলিন্ডার ৯টি থেকে বাড়িয়ে ১২টি করা। কল্পনা করুন, এত বড় রাজনৈতিক দল, যারা পরিবার পিছু বার্ষিক গ্যাস সিলিন্ডারের সংখ্যা হ্রাস করে ৯টিতে সীমাবদ্ধ রেখেছিল, তারা নির্বাচনে জিতলে বার্ষিক ১২টি সিলিন্ডার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। এই ধরণের ‘টোকেন’ প্রদান প্রথা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কাজ করতে হলে সামগ্রিকতার সঙ্গে করতে হবে। সেজন্য আমরা ১০০ শতাংশ সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে সমস্ত উদ্যোগ গ্রহণ করি। জন ধন – সকলের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণ। সবার জন্য বাড়ি – ২০২২ সালের মধ্যে প্রত্যেক ভারতীয়র মাথার ওপর ছাদ সুনিশ্চিত করা। আমরা সেই লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছি। ইউপিএ সরকারের শেষ পাঁচ বছরে গৃহহীনদের জন্য ২৫ লক্ষ গৃহ নির্মিত হয়েছিল। আর আমরা ইতিমধ্যেই দেড় কোটি গৃহ নির্মাণ করেছি। সকলের জন্য স্বাস্থ্য – আয়ুষ্মান ভারত – সুলভ স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে কোনও ভারতবাসী যেন বঞ্চিত না হন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ৫০ কোটি ভারতবাসী উপকৃত হবেন। এক পদ, এক পেনশন – ইউপিএ সরকার নির্ধারিত ৫০০ কোটির অপ্রতুল তহবিল থেকে অনেক বেশি প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে এনডিএ সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে। উজ্জ্বলা যোজনা – আমাদের পূর্বসূরীরা বছরে পরিবার পিছু রান্নার গ্যাসের ৯টি সিলিন্ডার দেবেন না ১২টি দেবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন। আমরা কোটি কোটি পরিবারকে ধোঁয়ামুক্ত রান্নাঘর উপহার দিতে রাত-দিন পরিশ্রম করেছি। সকলের জন্য বিদ্যুৎ – প্রত্যেক গ্রাম ও প্রতিটি পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ সুনিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করে চলেছি। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও যে ১৮ হাজার গ্রামের মানুষ সন্ধ্যার পর অন্ধকারে বসবাস করতেন, সেগুলিতে ইতিমধ্যেই ১০০ শতাংশ বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আর এখন আমরা প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। সুতরাং আপনারা বুঝতে পারছেন যে, আমরা অনেক বেশি গতি ও অধিকমাত্রায় কাজ করছি। সবকিছুই যেন সবার জন্য হয়, হাতে গোনা কয়েকজনের জন্য নয়। ‘টোকেন’ ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ রূপান্তরণের পথে আমরা কাজ করে চলেছি। বন্ধুগণ, ‘আজ তক’ ভালো প্রশ্নের জন্য সুপরিচিত। কিন্তু আজ আমি ‘আজ তক’ – এর এই মঞ্চ থেকে কিছু প্রশ্ন করতে চাই। এতদিন পর্যন্ত দেশের কোটি কোটি মানুষ কেন উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম করতে বাধ্য ছিলেন? এতদিন পর্যন্ত দেশের সরকার দিব্যাঙ্গদের প্রতি কেন সহানুভূতি ছিল না? এতদিন পর্যন্ত গঙ্গার জল কেন দূষণমুক্ত হয়নি? এতদিন পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব ভারতকে কেন উপেক্ষা করা হয়েছে? এতদিন পর্যন্ত আমাদের সেনাবাহিনীর মহান বীরদের স্মৃতিতে কোনও জাতীয় যুদ্ধ স্মারক কেন ছিল না? এতদিন পর্যন্ত আমাদের পরাক্রমী শহীদ পুলিশকর্মীদের স্মৃতিতে কোনও জাতীয় পুলিশ স্মারক কেন ছিল না? এতদিন পর্যন্ত আজাদ হিন্দ ফৌজ সরকারের স্মৃতিতে লালকেল্লায় কেন ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উত্তোলিত হয়নি? ‘আজ তক’ – এর এই মঞ্চকে আমি যদি এ ধরণের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে থাকি, তা হলে কয়েক ঘন্টা ধরে বিশেষ বুলেটিন প্রচারিত হতে পারে। এই প্রশ্নগুলি নিয়ে আপনারা ‘হল্লা বোল’ করুন কিংবা না করুন, কোনও ধারাবাহিক চালু করুন কিংবা না করুন – এটাই সত্য যে, এত বছর ধরে দেশে গরিব, পীড়িত, শোষিত ও বঞ্চিতদের ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তিকরণের কোনও সার্থক প্রচেষ্টা হয়নি। কিন্তু আমি এখানে প্রশ্ন করতে আসিনি। আপনারা কোনও প্রশ্ন না করলেও আমি এখানে জবাব দিতেই এসেছি যে, আমরা কতটা করতে পেরেছি আর কী করে যাচ্ছি! আপনারা নিজেদের ‘সব থেকে ক্ষিপ্র’ বলেন – এটাই আপনাদের ট্যাগ লাইন। সেজন্য আমি ভেবেছি, আজ আমিও নিজের সরকার কতটা ‘ক্ষিপ্র’ সে সম্পর্কে বলব। আজ আমরা সর্বাধিক দ্রুতগতিতে ভারত থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণ করছি। আজ আমরা সর্বাধিক দ্রুতগতিতে ক্রমবর্ধমান বড় অর্থনীতির দেশ। ১৯৯১ সাল থেকে হিসাব করলে বিগত ���াঁচ বছরে আমরা সর্বাধিক দ্রুতগতিতে জিডিপি বৃদ্ধি করতে পেরেছি। ১৯৯১ সাল থেকে হিসাব করলে বিগত পাঁচ বছরে আমরা সর্বাধিক দ্রুতগতিতে দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি হ্রাস করতে পেরেছি। আজ আমরা সর্বাধিক দ্রুতগতিতে সড়ক নির্মাণ করছি। আজ আমরা সর্বাধিক দ্রুতগতিতে রেলপথ উন্নয়নের কাজ করছি। আজ আমরা সর্বাধিক দ্রুতগতিতে গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ করছি। আজ আমরা সর্বাধিক দ্রুতগতিতে মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট স্থাপনের কাজ করছি। আজ আমরা সর্বাধিক দ্রুতগতিতে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক বিস্তারের কাজ করছি। আজ আমরা সর্বাধিক দ্রুতগতিতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আনতে সক্ষম হয়েছি। আজ আমরা সর্বাধিক দ্রুতগতিতে পরিচ্ছন্নতার পরিধি বৃদ্ধি করতে পেরেছি। অর্থাৎ, আপনাদের ট্যাগ লাইন ‘সর্বাধিক দ্রুতগতি’র মতো আমাদের সরকারের জীবনরেখা হ’ল – সর্বাধিক দ্রুতগতি। ভাই ও বোনেরা, ২০১৩ সালে যখন আপনাদের অনুষ্ঠানে এসেছিলাম, তখন আপনাদের দুই বন্ধুর গল্প শুনিয়েছিলাম। গল্পটা ছিল, একবার দু’জন বন্ধু জঙ্গলে ঘুরতে গেছে, ঘুরতে ঘুরতে তারা ঘন জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। ভয়ানক জন্তু-জানোয়ারের হাত থেকে নিজেদের জীবন রক্ষার জন্য তারা নিজেদের কাছে অনেক ধরণের বন্দুক রেখেছিল। কিন্তু তারা যখন পায়ে হেঁটে ঘন জঙ্গলে পৌঁছয়, তখন একটি বাঘ তাদের সামনে চলে আসে। এখন তারা কী করবে? বন্দুক তো গাড়িতে ফেলে এসেছে! এমন পরিস্থিতিতে তারা এই ভয়ানক সমস্যার সম্মুখীন হবে কেমন করে? পালিয়ে যাবে কোথায়? কিন্তু তাদের মধ্যে একজনের মনে পড়ে যে তার পকেটে বন্দুকের লাইসেন্স আছে। সে বন্দুকের লাইসেন্সটা পকেট থেকে বের করে বাঘকে দেখিয়ে বলে এই দ্যাখ – আমার কাছে বন্দুকের লাইসেন্স আছে। বন্ধুগণ, আমি যখন আপনাদের এই কাহিনী শুনিয়েছিলাম, তখন দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থা এরকমই ছিল। আগের সরকার অনেক আইন প্রণয়ন করেছে ঠিকই। কিন্তু কোনোটাই বাস্তবায়িত করেনি। আমরা সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর আইনের পাশাপাশি, বাস্তবায়নকেও গুরুত্ব দিয়েছি। তখনকার সঙ্গে বর্তমান সময়ের পার্থক্য কতটা, তা আরও কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে বোঝাতে চাই। বন্ধুগণ, ১৯৮৮ সালে বেনামী সম্পত্তি আইন পাশ করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই আইন বাস্তবায়িত করেছি এবং হাজার হাজার কোটি টাকার বেনামী সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছি। পূর্ববর্তী সরকার অনেক ঢ��ক-ঢোল পিটিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা আইন পাশ করেছিল। কিন্তু আমরা সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখি যে, দেশের মাত্র ১১টি রাজ্যে এই আইনের আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে। আমরা দেশের প্রত্যেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এই আইন বাস্তবায়িত করেছি। আর সুনিশ্চিত করেছি, যাতে দেশের প্রত্যেক মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হন। আগেও একই সরকারি আধিকারিকরা ছিলেন, একই ফাইল ও একই দপ্তর ছিল। কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গীর পার্থক্যের ফলে কাজ হ’ত ঢিমেতালে। আমরা দ্রুত কাজ করায় জোর দিয়েছি এবং দেশ কেমন গতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে, তা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। বন্ধুগণ, ২০১৪ – ২০১৯ মাত্র পাঁচ বছর সময়। কিন্তু আপনারা যদি আমাদের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার রেলপথে ছুটতে ছুটতে সরকারের কাজের বিশ্লেষণ করেন, তা হলে মনে হবে আপনারা যেন উন্নয়নের কয়েক দশকের যাত্রাপথ অতিক্রম করেছেন। আমি যখন এসব কথা দৃঢ়তার সঙ্গে বলি, তার পেছনে আমার সরকারের পাঁচ বছরের কঠিন পরিশ্রম এবং ১২৫ কোটি ভারতবাসীর আশীর্বাদ ও অংশীদারিত্ব রয়েছে। ২০১৪ – ২০১৯ দেশের জনগণের প্রয়োজন মেটানোর সময় ছিল। কিন্তু ২০১৯ – এর পর জনগণের আকাঙ্খার বাস্তবায়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ২০১৪ – ২০১৯ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের বাড়িতে বুনিয়াদী প্রয়োজন মেটানোর সময় ছিল। কিন্তু ২০১৯ – এর পর দ্রুতগতিতে উন্নয়নের জন্য ডানা মেলতে হবে। এই যে ২০১৪ – ২০১৯ পর্যন্ত আমাদের যাত্রা তার গতিপথ ২০১৯ – এ বদলে দেওয়া একটি স্বপ্নের গল্প রচনা; নিরাশা থেকে আশার শিখরে পৌঁছনোর গল্প সংকল্প থেকে সিদ্ধির পথে যাওয়ার গল্প! বন্ধুগণ, আমরা বইয়ে পড়েছি, একবিংশ শতাব্দী ভারতের শতাব্দী হবে। বিগত পাঁচ বছরে আমরা অনেক পরিশ্রম করে দেশের ভিত্তি শক্তিশালী করার কাজ করেছি। এই ভিত্তির উপরই নতুন ভারতের অত্যাধুনিক সুরম্য অট্টালিকা গড়ে উঠবে। আজ আমি সম্পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে বলতে পারছি, হ্যাঁ, একবিংশ শতাব্দী ভারতের শতাব্দী হবে। এই বিশ্বাস নিয়েই আমি নিজের বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। আপনারা আমাকে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, নিজের বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ দিয়েছেন – সেজন্য আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।",ইণ্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০১৯ত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%A7%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%80-%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%AE/,"নতুন দিল্লি, ০৮ এপ্রিল, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের অম্বাজি তীর্থধামে সাউন্ড অ্যান্ড লাইট শোতে ভক্তদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানান, আজ সন্ধ্যে ৭টা থেকে সেখানে ৫১টি শক্তিপীঠের পরিক্রমা উৎসব শুরু হচ্ছে। সাউন্ড অ্যান্ড লাইট শোতে পুরাণের নানা কাহিনী তুলে ধরা হবে। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন; “গুজরাটের আম্বাজি তীর্থধামে ভক্তদের জন্য একটি অত্যন্ত শুভ উপলক্ষ এসেছে। আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে, এখানে ৫১টি শক্তিপীঠের পরিক্রমা উৎসব শুরু হচ্ছে, যার মধ্যে আমাদের পুরাণের আকর্ষণীয় উপস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত একটি লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শোও রয়েছে। আমি অনুরোধ করছি আপনারা সকলে এই মহতী অনুষ্ঠানে যোগদান করুন।” /",গুজৰাটৰ অম্বাজী তীৰ্থধামত ধ্বনি আৰু পোহৰ প্ৰদৰ্শনীত ভক্তসকলক অংশগ্ৰহণ কৰিবলৈ আহ্বান প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বুধবারের (২৬ সেপ্টেম্বর) বৈঠকে সিরহিন্দ ফিডার ক্যানেল এবং রাজস্থান ফিডার ক্যানেলের সংস্কারের জন্য ৮২৫ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত – এই পাঁচ বছরে রাজস্থান ফিডার ক্যানেলের জন্য কেন্দ্রীয় সহায়তাবাবদ ৬২০.৪২ কোটি টাকা এবং সিরহিন্দ ফিডার ক্যানেলের জন্য একই সময়কালে ২০৫.৭৫৮ কোটি টাকা দেওয়া হবে। এই প্রকল্প রূপায়িত হলে দক্ষিণ-পশ্চিম পাঞ্জাবের মুক্তস্বর, ফরিদকোট এবং ফিরোজপুর জেলায় প্রায় ৮৪,৮০০ হেক্টর জমিতে জল জমার সমস্যা দূর হবে। অন্যদিকে, এই দুটি ক্যানেলে জলের প্রবাহ ও সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। রাজস্থান ফিডার ক্যানেল সংস্কারের ফলে কৃষকরা প্রায় ৯৮,৭৩৯ হেক্টর জমিতে উন্নত সেচের সুবিধা পাবেন। সিরহিন্দ ফিডারের সংস্কারের ফলে কৃষকরা ৬৯,০৮৬ জমিতে অনুরূপভাবে উন্নত সেচের সুবিধা পাবে। নাবার্ডের মাধ্যমে তহবিল যোগানের সমস্যা মেটানো ছাড়াও এই দুটি প্রকল্পের সার্বিক নজরদারির জন্য একটি বিশেষজ্ঞ প্রকল্প পর্যালোচনা কমিটিও গঠন করা হবে। এই দুটি গুর���ত্বপূর্ণ ফিডার ক্যানেলের সংস্কারের জন্য সমগ্র অর্থই কেন্দ্রীয় সহায়তা বাবদ দেওয়া হবে। /",ছিৰহিন্দ ফিডাৰ কেনেল আৰু ৰাজস্থান ফিডাৰ কেনেলৰ সংস্কাৰৰ বাবে ৮২৫ কোটি টকা আৰ্থিক সাহায্যত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%A8-4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A7%B1%E0%A6%A8-2/,"নয়াদিল্লি, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় আমার সব সহকর্মী, দেশের লজিস্টিক্স এবং শিল্পের প্রতিনিধিগণ, অন্য সকল বিশিষ্ট ব্যক্তি, ভদ্রমহোদয়া এবং ভদ্রমহোদয়গণ! আজ দেশ স্বাধীনতার “অমৃতকাল”এ উন্নত ভারত গড়ার লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। শেষ পদক্ষেপ অর্থাৎ সুফলভোগীদের নিকট পর্যন্ত দ্রুত পরিষেবা দেওয়া উচিত, পরিবহণ সংক্রান্ত সমস্যা দূর করা উচিত এবং আমাদের উৎপাদক ও শিল্পের সময় ও অর্থ দুটিই বাঁচানো উচিত। একইরকমভাবে আমাদের কৃষি পণ্য পরিবহনে বিলম্বের কারনে হওয়া ক্ষতির কিভাবে আমরা প্রতিরোধ করতে পারবো সেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে প্রতিনিয়ত প্রয়াস নেওয়া হয়েছে এবং ন্যাশনাল লজিস্টিক্স পলিসি তারই একটি অঙ্গ। আমি নিশ্চিত যে এই সকল ব্যবস্থার উন্নতির জন্য সরকারের বিভিন্ন অংশ এই ক্ষেত্রে সমন্বয় রেখে কাজ করবে। একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী থাকা প্রয়োজন এবং সেটাই আমাদের গতি দেবে যা আমরা চাই। আমার ৫-৭ মিনিট দেরি হয়েছে এখানে একটি প্রদর্শনীর জন্য। যদিও আমি সময়াভাবে ঠিকভাবে প্রদর্শগুলি দেখতে পারিনি এবং আমি এক ঝলকে সেগুলি দেখেছি। আমি আপনাদের অনুরোধ করবো কিছুটা সময় নিয়ে এই প্রাঙ্গনে ১৫-২০ মিনিটের জন্য প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখার জন্য। এই ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ভূমিকা কি? আমরা কেমনভাবে মহাকাশ প্রযুক্তির ব্যবহার করছি? যদি আপনারা এইসব প্রদর্শগুলি দেখেন তাহলে অনেক নতুন জিনিস জানতে পারবেন। আজ আমরা বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। আপনারা খুশি নন? একেবারে না হওয়ার থেকে দেরি হওয়া ভালো। এটা অনেক সময় ঘটে থাকে। চারিদিকে এতো নেতিবাচক যে কখনও কখনও ভালোটাকে দেখতে অনেক সময় লাগে। দেশে পরিবর্তন হচ্ছে। একটা সময় ছিল যখন আমরা পায়রা ছাড়তাম। আজ আমরা চিতা ছাড়ছি। এটা হঠাৎ ঘটে না। সকালে চিতা ছাড়ার সঙ্গে সন্ধ্যায় ন্যাশনাল লজিস্টিক্স পলিসির সূচনার মধ্যে কিছু না কিছু সম্বন্ধ আছে। আমরা চাই চিতার মতো গতিতে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় পণ্য যাক। দেশ চায় একই গতিতে সামনে এগোতে। বন্ধুগণ, মেক ইন ইন্ডিয়া এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’এর প্রতিধ্বনি শুধু ভারতেই নয় বিদেশেও হচ্ছে। ভারত আজ রপ্তানির বিশাল লক্ষ্য স্থির করছে। প্রথম প্রথম অতীতের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এতো বিশাল লক্ষ্য রাখা খুব অসুবিধাজনক ছিল। কিন্তু একবার যখন সিদ্ধান্ত হল তখন দেশ ভালোভাবেই সেটা করছে। এখন দেশ সেই লক্ষ্য পূরণ করছে। দেশের উৎপাদন শিল্প ক্ষেত্রের এতই সম্ভাবনা যে ভারত একটি ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে উঠে আসছে। আজ সারা বিশ্বও এই সত্য স্বীকার করছে। যারা পিএলআই কর্মসূচি খতিয়ে দেখেছেন তারা বুঝতে পারবেন যে বিশ্ব এই সত্যটিকে গ্রহণ করে নিয়েছে। এই রকম পরিস্থিতিতে ন্যাশনাল লজিস্টিক্স পলিসি প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্য নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে এসেছে। আমি এই রকম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ যা রূপান্তর ঘটাতে যাচ্ছে তার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে বণিক, ব্যবসায়ী, রপ্তানীকারি এবং দেশের কৃষকদের অভিনন্দন এবং আমার শুভেচ্ছা জানাতে চাই। বন্ধুগণ, এখানে অনেক নীতি প্রণেতা এবং শিল্পপতি উপস্থিত আছেন। তাঁরা তাঁদের জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন আবার পথও খুঁজে পেয়েছেন। অনেক সময় তাঁদের চটজলদি কোনো পথ বেছে নিতে হয়েছে। আজ আমি আপনাদের যা বলছি আগামীকাল মানুষ সেটাই লিখবে। নীতি মানেই তা চূড়ান্ত ফল নয়। বস্তুত এটা শুরু। পলিসির সঙ্গে কাজ যুক্ত হলে অগ্রগতি ঘটে। সেইজন্য যদি কাজের সূচক, কাজের পথনির্দেশ এবং কাজের মেয়াদকে নীতির সঙ্গে যুক্ত করা যায় তখন নীতির সঙ্গে কাজ যুক্ত হয়ে অগ্রগতি ঘটে। সেইজন্য সরকারের এবং এই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সকলের কাজের দায়িত্ব বেড়ে যায় যখনই নীতি চূড়ান্ত হয়। নীতি নিয়ে বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গী থাকতেই পারে। কেউ একটি নীতিকে ভালো মনে করতে পারেন আবার অন্যরা নাও করতে পারেন। কিন্তু নীতি হল চালিকাশক্তি এবং পথনির্দেশিকা। সেইজন্য একটি নীতিকে শুধুমাত্র সরকারি নথি হিসেবে দেখা উচিত নয়। আমাদের প্রয়োজন চিতার মতো গতিতে পুর্ব থেকে পশ্চিমে দ্রুততার সঙ্গে পণ্য পরিবহণ করা। বর্তমান ভারত তার নীতিগুলি প্রণয়ন এবং রূপায়নের আগে ভিত্তি তৈরি করে। একমাত্র তখনই সেই নীতি সফলভাবে রূপায়ন করা যায় এবং অগ্রগতির সম্ভাবনা থাকে। এই ন্যাশনাল লজিস্টিক্স পলিসিও আচমকাই সূচনা করা হচ��ছে না, এটা ৮ বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফল। একাধিকবার নীতির পরিবর্তন করা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদি আমার কথাই ধরি তাহলে বলতে হয় ২০০১ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আমার ২২ বছরের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা আছে। আমরা লজিস্টিক্স যোগাযোগের উন্নতি করতে এবং এই পদ্ধতিগত পরিকাঠামো উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সাগরমালা এবং ভারতমালার মতো প্রকল্পের সূচনা করেছিলাম। ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডরের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আজ ভারতীয় বন্দরগুলির মোট ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কন্টেনারবাহী জাহাজের পণ্য ওঠা-নামার গড় সময় ৪৪ ঘণ্টা থেকে কমে ২৬ ঘণ্টা হয়েছে। দেশে অনেক নতুন জলপথ তৈরি করা হচ্ছে যাতে আমরা পরিবেশ বান্ধব এবং সুলভ পরিবহন করতে পারি। প্রায় ৪০টি পণ্যবাহী বিমানের বন্দর তৈরি করা হয়েছে দেশে রপ্তানির জন্য। ৩০টি বিমান বন্দরে কোল্ড স্টোরেজের সুবিধা আছে। সারা দেশে ৩৫টি বহুমুখী লজিস্টিক্স হাব তৈরি করা হচ্ছে। আপনারা সকলেই দেখেছেন করোনা সংকটের সময়ে দেশ কিষাণ রেল এবং কৃষি উড়ানের ব্যবহার শুরু করেছিল। এতে দেশের দূরতম স্থান থেকে কৃষিপণ্য প্রধান বাজারে আনতে প্রভূত সহায়ক হয়েছে। কৃষি উড়ান কৃষকদের উৎপন্ন পণ্য বিদেশে নিয়ে গেছে। এখন দেশের প্রায় ৬০টি বিমান বন্দরে কৃষি উড়ানের সুবিধা পাওয়া যায়। আমি নিশ্চিত আমার কয়েকজন সাংবাদিক বন্ধু আমার ভাষণ শোনার পর আমার সঙ্গে দেখা করে বলবেন যে তাঁরা এই বিষয়গুলি সম্পর্কে জানতেন না। আপনাদের মধ্যে নিশ্চয়ই অনেকে আছেন যারা এতো কিছু হয়েছে জেনে অবাক হয়ে গেছেন। এ জন্যই যে আমরা এইসব নিয়ে গা করি না। সরকার পরিকাঠামো প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নি করা ছাড়াও প্রযুক্তির সাহায্যে লজিস্টিক্স ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছে। সেটা ই-সঞ্চিতের মাধ্যমে কাগজ বিহীন আমদানি-রপ্তানী বাণিজ্য প্রক্রিয়াই হোক বা ব্যক্তিগত হাজিরা ছাড়াই শুল্ক স্থির করা হোক কিংবা ইওয়ে বিল এবং ফাসট্যাগের সংস্থান রাখাই হোক, এই সব সুবিধায় লজিস্টিক্স ক্ষেত্রে কার্যকারিতা বহুল পরিমানে বৃদ্ধি করেছে। বন্ধুগণ, লজিস্টিক্স ক্ষেত্রে আরও একটি বড় সমস্যা গত কয়েক বছরে দূর করেছে সরকার। আগে বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক করের কারনে লজিস্টিক্সের গতি ব্যাহত হত। কিন্তু জিএসটি এই সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে। এরফলে অপ্রয়োজনীয় কাগজ চালাচালি ক���ে গেছে যা লজিস্টিক্স প্রক্রিয়ার সরলীকরণ করেছে। যেভাবে সরকার গত কয়েক মাসে ড্রোন নীতির পরিবর্তন করেছে পিএলআই কর্মসূচির সঙ্গে একে জুড়ে দিয়ে, আজ ড্রোনও ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন পণ্য পরিবহনে। আপনারা দেখবেন যুব সম্প্রদায় নিশ্চিতভাবে আসবে এই ক্ষেত্রে। ড্রোন পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হয়ে উঠতে চলেছে। আমি দেখতে চাই কৃষি পণ্য কিভাবে ড্রোনের মাধ্যমে হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এবং ছোটো গ্রামে পৌঁছে দেওয়া যায়। কিভাবে তাজা মাছ পৌঁছে দেওয়া যায় বড় বড় শহরের বদ্ধ এলাকায়। এই সবই খুব শীঘ্রই বাস্তবায়িত হতে চলেছে। যদি এই ভাবনা কারুর কাজে লাগে তার জন্য আমার রয়্যালটির প্রয়োজন নেই। বন্ধুগণ, আমি এগুলো বার বার বলছি এ কারনে যে ড্রোন আমাদের অনেক সাহায্য করেছে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে ওষুধ এবং টিকা পৌঁছে দিয়ে। আমরা এটা ব্যবহার করেছি। যা আমি বলছিলাম, লজিস্টিক্স ক্ষেত্র অত্যন্ত লাভবান হতে চলেছে পরিবহণ ক্ষেত্রে ড্রোনের সর্বোচ্চ ব্যবহারের কারনে। সেইজন্য আপনাদের সামনে একটা অত্যন্ত আধুনিক নীতি রাখছি। বন্ধুগণ, দেশে শক্তিশালী লজিস্টিক্সের ভিত গড়ে তোলার জন্য একাধিক সংস্কারের পরেই একমাত্র আমরা এই ন্যাশনাল লজিস্টিক্স পলিসি নিয়ে এসেছি। এই নীতি এখন রূপায়নের অপেক্ষায়। অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং অনেক ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন এর রূপায়ণের জন্য আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি লজিস্টিক্স ক্ষেত্রের বিশাল সাফল্য কল্পনা করতে পারছি। এই পরিবর্তন অভূতপূর্ব ফল নিয়ে আসতে চলেছে। এবং যদি আপনারা এক বছর পরে এর মূল্যায়ন করেন তখন আপনারা নিজেরাই স্বীকার করবেন এই সাফল্য যা আপনারা চিন্তাও করতে পারেননি। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত আমাদের প্রয়াস, দক্ষতা এবং কয়েকটি নীতি মেনে লজিস্টিক্সের খরচ ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ থেকে নামিয়ে যতো শীঘ্র সম্ভব একক সংখ্যায় নিয়ে আসা। বন্ধুগণ, ন্যাশনাল লজিস্টিক্স পলিসির মাধ্যমে আরও দুটি প্রধান সমস্যার মোকাবিলা করা গেছে। একজন উৎপাদককে তার ব্যবসার কারনে বিভিন্ন লাইসেন্সের জন্য বিভিন্ন জেলায় আবেদন করতে হত। আমাদের রপ্তানিকারকদেরও দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। রপ্তানিকারকদের তাঁদের পণ্যের খোঁজ রাখার জন্য শিপিং বিল নম্বর, রেলওয়ে কনসাইনমেন্ট নম্বর, ইওয়ে বিল নম্বর ইত্যাদি যোগাড় করে রাখতে হত। একমাত্র তখনই তাঁরা দেশকে স���বা করতে পারতেন। আপনারা খুবই ভালো যে আপনারা খুব বেশি নালিশ করেননি। কিন্তু আমি আপনাদের যন্ত্রণা বুঝি। তাই আমি চেষ্টা করছি এর উন্নতি করতে। ইউনিফায়েড লজিস্টিক্স ইন্টারফেস প্ল্যাটফর্ম বা ইউলিপ যার আজকে সূচনা হয়েছে তা এই দীর্ঘ প্রক্রিয়া থেকে রপ্তানীকারকদের রক্ষা করবে। এর একটা মহড়া আপনারা প্রদর্শনীতে দেখতে পাবেন। আপনারা বুঝতে পারবেন কিভাবে আপনারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন এবং ব্যবসার উন্নতি করতে পারছেন। ইউলিপ পরিবহন ক্ষেত্র সংক্রান্ত সব ডিজিটাল পরিষেবাকে নিয়ে আসবে একটিমাত্র প্ল্যাটফর্মে। ইজ অফ লজিস্টিক্স সার্ভিসেস বা ই-লগস নামে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেরও আজ সূচনা হয়েছে ন্যাশনাল লজিস্টিক্স পলিসির অধীনে। এই পোর্টালের মাধ্যমে শিল্প সংগঠনগুলির কাজ চালাতে এবং কাজ করতে যে অসুবিধাগুলি হবে তা তারা সরাসরি জানাতে পারবে সরকারি সংস্থাকে। ছোটো করে বললে এই ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে যাতে আপনারা অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং কোনো বাধা ছাড়াই সরকারের কাছে পৌঁছাতে পারেন। এই ধরনের সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য একটি সার্বিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। বন্ধুগণ, ন্যাশনাল লজিস্টিক্স পলিসি পিএম গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যানকে সর্বোচ্চ সহায়তা করতে চলেছে। আমি খুশি যে বর্তমানে দেশের সকল রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এই পিএম গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যানে যোগ দিয়েছে এবং প্রায় সব দপ্তরই একযোগে কাজ করা শুরু করেছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্প সংক্রান্ত তথ্যের একটি বিশাল ভান্ডার তৈরি করা হয়েছে। আপনারা জানলে বিস্মিত হবেন যে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির থেকে পাওয়া তথ্য প্রায় ১৫০০টি স্তরে আপলোড করা হয়েছে পিএম গতিশক্তি পোর্টালে। এইসব প্রকল্প, বনভূমি এবং প্রতিরক্ষা ভূমি ইত্যাদি সংক্রান্ত তথ্য এখন একটিমাত্র জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে। এতে পরিকাঠামো প্রকল্পের পরিকল্পনার উন্নতি হয়েছে। ছাড়পত্র পাওয়া যাচ্ছে দ্রুত এবং পরে কোনো সমস্যা হলেও তার সমাধান করা হচ্ছে। এর আগে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে যে ফাঁক ছিল তা দ্রুত বোজানো হয়েছে পিএম গতিশক্তি পরিকল্পনার ফলেই। আমার মনে আছে যে অতীতে সঠিক পরিকল্পনা ছাড়াই পরিকাঠামো প্রকল্প ঘোষণা করা হত এবং তা দশকের পর দশক পড়ে থাকতো। এরজন্য দেশের লজিস্টিক্স ক্ষেত্র বিশাল ক্ষত��� স্বীকার করেছে। আমি যে লজিস্টিক্স পলিসি নিয়ে কথা বলছি তার একটা মানবিক মুখও আছে। যদি আমরা ঠিকভাবে এই ব্যবস্থা চালাতে পারি তাহলে কোনো ট্রাক ডাইভারকে রাতে বাইরে শুতে হবে না। তিনি তার কাজের পরে রাত্রে বাড়ি ফিরে ঘুমোতে পারবেন। এই সব ব্যবস্থায় সহজেই পরিকল্পনা করা যায়। আর এটা কি দারুন পরিষেবা হয়ে উঠবে। আমি যেটা বলতে চাই তা হল, এই নীতির যে সম্ভাবনা আছে তা দেশের গোটা চিন্তাভাবনাই পাল্টে দিতে পারে। বন্ধুগণ, গতিশক্তি এবং ন্যাশনাল লজিস্টিক্স পলিসি এখন দেশকে নিয়ে যাচ্ছে এক নতুন কর্মসংস্কৃতির দিকে। আমরা সম্প্রতি গতিশক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদন করেছি। তার অর্থ এর সঙ্গেই আমরা মানব সম্পদ উন্নয়নের কাজও করেছি। পলিসির আজ সূচনা হচ্ছে। গতিশক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে মেধা বেরিয়ে আসবে তাও একে অনেক সাহায্য করবে। বন্ধুগণ, এইসব প্রয়াসের মধ্যে এটা আমাদের বোঝা জরুরি যে বর্তমানে ভারতের প্রতি বিশ্বের মনোভাব বদলাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ব ভারতের মূল্যায়ন করছে অত্যন্ত ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে। যদিও সেই একই জিনিস দেশে হতে সময় লাগছে। এটা ভারতের বাইরে ঘটছে। ভারতের কাছ থেকে বিশ্বের অনেক প্রত্যাশা। এবং আপনাদের যে সমস্ত আত্মীয়-পরিজন বিদেশে থাকে তাঁরা এদেশে বেড়াতে এলে হয়তো আপনাদের বলে থাকবেন। বিশ্বের বড় বড় বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারত বর্তমানে “গণতান্ত্রিক মহাশক্তিমান” হয়ে উঠে আসছে। বিশেষজ্ঞ এবং গণতান্ত্রিক মহাশক্তিধররা ভারতের “আসাধারণ মেধা সম্পদ”-এর দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত। বিশেষজ্ঞরা ভারতে একাগ্রতা এবং অগ্রগতির প্রশংসা করছেন। আর এটা কোনো সমাপতন নয়। আন্তর্জাতিক সংকটের সময় ভারত এবং ভারতের অর্থনীতি যে দৃঢ়তা দেখিয়েছে তাতে বিশ্ব নতুন করে আস্থা পেয়েছে। গত কয়েক বছরে ভারত যে সংস্কার করেছে এবং যে নীতি রূপায়ণ করেছে তা প্রকৃতই অভূতপূর্ব। সেইজন্য ভারতের ওপর বিশ্বের আস্থা বেড়েছে এবং নিয়মিত বেড়ে চলেছে। আমাদের বিশ্বের সেই আস্থার পূর্ণ মর্যাদা দিতে হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব এবং এই সুযোগ ছাড়া আমাদের পক্ষে ভালো হবে না। আমি নিশ্চিত যে ন্যাশনাল লজিস্টিক্স পলিসি যার আজ সূচনা হল তা দেশের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন গতি আনতে সাহায্য করবে। বন্ধুগণ, আপনাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যিনি চান না যে আমাদের দেশ উন্নত দেশ হয়ে উঠুক। ভারতে এমন কোনো লোক নেই যে ভারত উন���নত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ নন। সমস্যাটা সেখানে যখন আমরা এটি অন্যদের জন্য ছেড়ে দিই। আমাদের পরিবর্তন করতে হবে এবং এটা আমাদের করতে হবে একসঙ্গে। উন্নত দেশ হওয়ার সংকল্প নিয়ে ভারতকে এখন আগ্রাসীভাবে উন্নত দেশগুলির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা যতো শক্তিশালী হবো আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ততো তীব্র হবে এবং আমাদের এটিকে স্বাগত জানানো উচিত, ইতস্তত করা উচিত নয়। আসুন আমরা প্রস্তুত, এটাই আমাদের মনোভাব হওয়া উচিত। সেইজন্য আমি মনে করি আমাদের প্রত্যেকটি পণ্য, প্রতিটি উদ্যোগ এবং আমাদের প্রতিটি প্রক্রিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হতে হবে। সে পরিষেবা ক্ষেত্রে হোক, কি উৎপাদন বা মোটর গাড়ি অথবা ইলেক্ট্রনিক্স। আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রেই বড় বড় লক্ষ্য রাখতে হবে এবং তা অর্জন করতে হবে। ভারতের তৈরি পণ্যের প্রতি বিশ্বের বর্তমান আকর্ষণকে শুধুমাত্র পিঠ চাপড়ানিতে সীমিত রাখলে চলবে না। বন্ধুগণ, আমাদের বিশ্ব বাজার দখল করার কথা ভাবতে হবে। এই বিশ্বের প্রত্যেকে ভারতের কৃষিপণ্য, মোবাইল ফোন, ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাত্রের দিকে নজর রাখছে। করোনার সময়ে ভারতে তৈরি টিকা এবং ওষুধ বিশ্বের বহু লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। আমি আজ সকালেই উজবেকিস্তান থেকে ফিরলাম। গত রাতে আমি উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলছিলাম। দেরি হলেও তিনি এখনও উৎসাহের সঙ্গে যোগার কথা বলছিলেন। তিনি বললেন আগে উজবেকিস্তানে যোগার প্রতি এক ধরনের ঘৃণা ছিল। কিন্তু তিনি জানালেন পরিস্থিতি অনেক বদলে গেছে এবং যোগা দেশের প্রতিটি কোনো কোনে এতই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে তাদের ভারত থেকে প্রশিক্ষক প্রয়োজন। আমার এ কথা বলার অর্থ এই যে ভারত নিয়ে বিশ্বের ভাবনা দ্রুত বদলাচ্ছে, বন্ধুরা। বিশ্ব বাজারে ভারতে তৈরি পণ্যের রমরমা করতে হলে দেশেও একই রকমভাবে শক্তিশালী সহায়ক ব্যবস্থা থাকা জরুরি। ন্যাশনাল লজিস্টিক্স পলিসি এই সহায়ক ব্যবস্থাকে আধুনিক করে তুলতে অনেক দূর যাবে। এবং বন্ধুগণ, আপনারা জানেন যখন দেশের রপ্তানি বৃদ্ধি পায়, দেশে লজিস্টিক সংক্রান্ত সমস্যাগুলি কমে তখন আমাদের ছোট শিল্পগুলি এবং সেখানে কর্মরত মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়। লজিস্টিক ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করলে তাতে সাধারণ মানুষের জীবন সহজ হবে শুধু তাই নয়, শ্রমিক কর্মচারীদের সম্মানও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। বন্ধুগণ, এবার ভারতের লজিস্টিক ক্ষেত্রের সমস্যাগুলি শেষ হবে, প্রত্যাশা বাড়বে এবং এই ক্ষেত্র দেশের সাফল্যকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। ন্যাশনাল লজিস্টিক পলিসির প্রভূত সম্ভাবনা আছে পরিকাঠামোর উন্নয়ন, বাণিজ্যের প্রসার এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য। আমাদের এইসব সম্ভাবনাগুলিকে একসঙ্গে বুঝতে হবে। এই সংকল্পের সঙ্গে আমি আরও একবার আপনাদের সকলকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আমি আশা করবো আপনারা চিতার গতিতে পণ্য পরিবহন করবেন। ধন্যবাদ।",নতুন দিল্লীৰ বিজ্ঞান ভৱনত ৰাষ্ট্ৰীয় লজিষ্টিক নীতিৰ শুভাৰম্ভণি অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AE/,"নয়াদিল্লি, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৩ এ বছরের পরীক্ষা পে চর্চার দিন ঘোষণা হয়েছে আজ। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সকলকে এই অনন্য আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটে বলেন; “পরীক্ষা পে চর্চা হল সবচেয়ে আকর্ষণীয় কর্মসূচিগুলির মধ্যে একটি। পরীক্ষার্থীদের উদ্বেগ মুক্ত উপায়ে পরীক্ষা দেওয়ার নানান পন্থা-পদ্ধতি এবং আমাদের #ExamWarriors-দের সহায়তা করার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা বিশেষ। আমি এ মাসের ২৭ তারিখ এই কর্মসূচির অপেক্ষায় রয়েছি। আপনাদের সকলকে এই বিশেষ আলাপ-আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাই। #",পৰীক্ষা পে চৰ্চা মত-বিনিময়ত সকলোকে অংশগ্ৰহণৰ আহ্বান প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2-7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A6%E0%A7%A8-%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার (দোসরা নভেম্বর) নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে এক অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলিকে সহায়তা ও সুবিধা প্রদানে বিশেষ কর্মসূচির সূচনা করবেন। দিল্লিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, একই সঙ্গে দেশের ১০০টি জায়গায়তেও এ ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানগুলিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ছাড়াও রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। দিল্লির মূল অনুষ্ঠানের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলিকেও সরাসরি যুক্ত করা হবে। মূল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলির স্বার্থবাহী একাধিক সুবিধা ও সহায়তা প্রদানের কথাও তিনি ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিগত চার বছরে কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলির জন্য সহায়তা ও সুবিধা প্রদানের বিশেষ এই কর্মসূচি ১০০ দিন ধরে চলবে। আশা করা হচ্ছে, এই উদ্যোগের ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রের বিভিন্ন প্রয়াসে আরও বেশি সমন্বয় গড়ে উঠবে। বিশেষ লক্ষ্যের ভিত্তিতে রূপায়িত হতে চলা এই কর্মসূচির অগ্রগতিতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা নিয়মিত নজরদারি চালাবেন। দিল্লিতে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অর্থ তথা কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী অরুণ জেটলি, কেন্দ্রীয় অতিক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ প্রতিমন্ত্রী শ্রী গিরিরাজ সিং ছাড়াও বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত থাকবেন।","০২ নৱেম্বৰত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে মুকলি কৰিব মজলীয়া, ক্ষুদ্ৰ আৰু সূক্ষ্ম উদ্যোগ খণ্ডৰ বাবে গুৰুত্বপূৰ্ণ সমৰ্থিত আৰু বাহ্যিক পদক্ষেপ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%80-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%80-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A6%AE%E0%A6%95-%E0%A6%B2%E0%A7%88-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9/,"নয়াদিল্লি, ০৯ নভেম্বর, ২০২২ কাশী তামিল সঙ্গমের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এটি ভারতের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে এক সময়োত্তীর্ণ বন্ধনের উদাহরণ। তিনি বলেন, ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ এই ভাবনাতেই আয়োজিত হবে এই অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠান তামিল ভাষা ও সংস্কৃতির সৌন্দর্য প্রকাশ করবে বলেও প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ এল মুরুগনের এক ট্যুইট শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ট্যুইটে বলেন, “কাশী তামিল সঙ্গম অনুষ্ঠান নিয়ে আমি বিশেষভাবে আগ্রহী। এই কর্মসূচি ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর ভাবনায় আয়োজিত হবে। পাশাপাশি, তামিল ভাষা ও সংস্কৃতির সৌন্দর্যও প্রকাশ করবে”।",কাশী-তামিল সংগমক লৈ উৎসাহিত প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%89/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A7%80/,"নয়াদিল্লি, ২৩ অক্টোবর, ২০২২ সীয়াভর রামচন্দ্র কি জয়! সীয়াভর রামচন্দ্র কি জয়! সীয়াভর রামচন্দ্র কি জয়! মঞ্চে উপস্থিত উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দীবেন প্যাটেল, উত্তরপ্রদেশের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, সব আওয়াধবাসী, দেশ এবং বিশ্বজুড়ে শ্রী রাম এবং শ্রী ভারতের সব পুণ্যার্থী, ভদ্রমহিলা এবং ভদ্রমহোদয়গণ! আজ অযোধ্যা আলোকমালা এবং মহান আত্মার স্বর্গীয় মহিমায় আর্বিভূত। আজ অযোধ্যা শহর ভারতের নব জাগ্রত সংস্কৃতির সুবর্ণ অধ্যায়ের প্রতিচ্ছবি। রামাভিষেকের পর আমি যখন এখানে আসছিলাম বিভিন্ন রকম মনোভাব, আবেগ এবং অনুভূতিতে আমি অভিভূত হয়ে পড়েছিলাম। আমি বিস্মিত হচ্ছিলাম ১৪ বছর বনবাসের পর ভগবান রাম যখন অযোধ্যায় ফিরছেন তখন অযোধ্যা কীভাবে সজ্জিত হয়েছিল? আমরা ত্রেতা যুগের অযোধ্যাকে দেখতে পাবো না। কিন্তু আজ ভগবান রামের আশীর্বাদ যা আমরা প্রত্যক্ষ করছি অমৃতকালে চিরন্তন অযোধ্যায় স্বর্গীয় মহিমাকে। বন্ধুগণ, আমরা সভ্যতা এবং সংস্কৃতির অনুসারী। উৎসবের উদযাপন যা আমাদের জীবনের এক স্বাভাবিক অঙ্গ হয়ে উঠেছে। সমাজে যখনই নতুন কিছু ঘটেছে, আমরা নতুন উৎসবের সৃষ্টি করেছি। সমাজে ‘সত্যের জয় এবং অসত্যের পরাজয়’ এই বার্তা সদা জাগ্রত রাখার ক্ষেত্রে ভারতের তুলনা মেলা ভার। হাজার হাজার বছর আগে রাবনের স্বৈরাচারের অবসান ঘটিয়েছিলেন ভগবান শ্রী রাম। কিন্তু আজ হাজার হাজার বছর পর প্রত্যেক মানুষের কাছে ওই ঘটনা থেকে এই আধ্যাত্মিক বার্তা নিরন্তর উজ্জ্বল আলোকমালায় প্রজ্জ্বলিত হয়ে রয়েছে। বন্ধুগণ, দীপাবলির প্রদীপ আমাদের কাছে কেবলমাত্র পণ্য নয়, এটি ভারতীয় আদর্শ, মূল্যবোধ এবং দর্শনের প্রতীক স্বরূপ। যতদূর দেখতে পাচ্ছি, এই উজ্জ্বল আলোকমালা এই আলোর প্রভাব রাতের আকাশের বুকে যা দীপ্যমান হয়ে রয়েছে তা যেন ভারতের মূল মন্ত্র ‘সত্যমেব জয়তে’-র ই এক গর্বিত ঘোষণা মাত্র। আমাদের উপনিষদের স্তোত্রের মধ্য দিয়ে যা ঘোষিত হয়েছে “सत्यमेव जयते नानृतं सत्येन पन्था विततो देवयानः”। এর অর্থ, সত্যের জয় অসত্যের পরাজয়। আমাদের সাধুদের ঘোষণা হল “रामो राजमणि: सदा विजयते” যার অর্থ, জয় সবসময় ভালোর যা ভগবান রামের সঙ্গে সমোচ্চারিত দস্যুর সঙ্গে নয়, যা রাবনের সঙ্গে যুক্ত। এই কারনে আমাদের সাধুরা মাটির প্রদীপে স্বর্গীয় মহিমা প্রত্যক্ষ করতেন दीपो ज्य��तिः परब्रहम दीपो ज्योतिः जनार्दन যার অর্থ, প্রদীপের আলো ব্রহ্মা স্বরূপ। আমি বিশ্বাস করি আধ্যাত্মিক এই আলো ভারতের অগ্রগতি এবং উত্থানের পথ দেখাবে। বন্ধুগণ, আজ এই মহিমাময় অনুষ্ঠানে আমি দেশবাসীকে লক্ষ্যাধিক আলোক প্রদীপের উজ্জ্বলতা নিয়ে আরো একটা কথা জানাতে চাই। রামচরিত মানসের গোস্বামী তুলসী দাসজি বলেছেন, “जगत प्रकास्य प्रकासक रामू” যার অর্থ, ভগবান রাম সমগ্র বিশ্বকে আলোকিত করে রেখেছেন। তিনি হলেন সমগ্র বিশ্বের প্রতিভূ স্বরূপ। আলো কী? তা হল দয়া এবং সহানুভূতির আলো। তা হল মানবতা এবং মর্যাদার আলো। তা হল সমতা এবং ভালোবাসার আলো। এই আলো সকলের জন্য। এই আলোর বার্তা হল সকলের সঙ্গে একত্রে পথ হাঁটা। বেশ কয়েক বছর আগে প্রদীপ নিয়ে লেখা একটি কবিতার কথা আমার মনে আসছে। এই কবিতার নাম ছিল দিয়া। আমি আপনাদের সঙ্গে আজ কবিতার কয়েকটি লাইন ভাগ করে নিতে চাই। আমি লিখেছিলাম દીવા જેવી આશ ને દીવા જેવો તાપ, દીવા જેવી આગ ને દીવા થકી હાશ. ઊગતા સૂરજને હર કોઈ પૂજે, એ તો આથમતી સાંજે’ય આપે સાથ. જાતે બળે ને બાળે અંધાર, માનવના મનમાં ઊગે રખોપાનો ભાવ। এর অর্থ হল এই প্রদীপ কেবল আশা যোগায় না, তা উত্তাপকেও ছড়িয়ে দেয়। এই প্রদীপ অগ্নিশিখায় তৈরি হয়, তা আরামও দেয়। উদিত সূর্যকে সকলে পুজো করে কিন্তু প্রদীপের আলো অন্ধকারে পথ দেখায়। প্রদীপ নিজে জ্বলে এবং অন্ধকারকে ঘোঁচায়। প্রদীপ ব্যক্তির মধ্যে উৎসর্গের মনোভাব তৈরি করে। আমরা কঠোর পরিশ্রম করি এবং (লক্ষ্য পূরণের জন্য) সব কিছু প্রদান করি। কিন্তু যখন তা সম্পাদিত হয় তখন সেই সাফল্যের আলো সমগ্র বিশ্বজুড়ে নিঃস্বার্থ ভাবে ছড়িয়ে দিই। সারা বিশ্বের প্রতি তা উৎসর্গীকৃত হয়। ভাই ও বোনেরা, আত্মপরতার ঊর্ধ্বে উঠে নিঃস্বার্থতার যাত্রাপথ যখন আমরা গ্রহণ করি তখন স্বাভাবিকভাবেই সমন্বয়ের সংকল্প এরসঙ্গে অঙ্গীভূত হয়ে পরে। আমাদের চিন্তা যখন পরিপূণ হয় আমরা বলি ‘इदम् न मम्’। এর অর্থ হল এই সাফল্য শুধু আমার নয়, তা মানবতার কল্যাণের জন্য। ‘দীপ সে দীপাবলি তক’ হল ভারতের দর্শন। এটাই হল ভারতের ভাবধারা এবং ভারতের চিরন্তন সংস্কৃতি। আমরা সকলেই জানি মধ্যযুগ এবং আধুনিক সময়ে ভারত অনেক অন্ধকার যুগের মুখোমুখি হয়েছে। বেশ কয়েকটি মহান সভ্যতা এই ঝড়ে ধ্বংস হয়ে গেলেও আমাদের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত থেকেছে এবং আমাদের আলো দিয়ে যাচ্ছে। এই সমস্ত ঝড় প্রশমিত হওয়ার পর আমাদের ��ুনরুত্থান হয়েছে। তার কারন আমরা কখনই প্রদীপের আলো নিভিয়ে দিই নি। আমরা কখনই আস্থা গড়ে তোলার পথে থেমে যায়নি। বেশিদিন আগে নয়, কঠিন করোনার সময়কালে প্রত্যেক ভারতীয় এই মনোভাবের ওপর ভর করেই প্রদীপ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছে এবং সারা পৃথিবী আজ প্রত্যক্ষ করছে করোনার বিরুদ্ধে ভারত শক্তির সঙ্গে লড়েছে। এর থেকে প্রমাণ হয় অন্ধকারের যুগের পর অতীতে ভারত শৌর্য্যের আলো ছড়িয়ে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা করে যাবে। এই আলো যখন আমাদের কর্মের পরিচায়ক হয় অন্ধকারের তখন নিশ্চিতভাবেই অবসান ঘটবে। আলো যখন আমাদের কাজের প্রত্যক্ষদর্শী হয় তখন আস্থার নতুন প্রভাত জাগবে এবং এই নবোদয় স্বাভাবিকভাবেই আরো শক্তিশালী হবে। এই বিশ্বাসের সঙ্গেই আরো একবার আপনাদের সকলকে শুভ দীপাবলি জানাচ্ছি। পূর্ণ ভক্তির সঙ্গে আমার সঙ্গে বলুন, সীয়াভর রামচন্দ্র কি জয়! সীয়াভর রামচন্দ্র কি জয়! সীয়াভর রামচন্দ্র কি জয়! প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে।",উত্তৰপ্ৰদেশৰ অযোধ্যাত দীপোৎসৱ উদযাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A7%9F%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%8F%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E2%80%8C%E0%A6%B8-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%85/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%80-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A7%B0%E0%A6%96%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A3/,"দেশের ছ’টি স্থানে এইম্‌স-এর জন্য একটি করে অধিকর্তার পদ সৃষ্টির বিষয়ে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি ও গোরক্ষপুর, পাঞ্জাবের ভাটিন্দা, অসমের গুয়াহাটি, হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুর ও ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে অবস্থিত এইম্‌স-এর জন্য এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একজন অধিকর্তার মূল বেতনক্রম ২,২৫,০০০ টাকা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে, অধিকর্তার মোট বেতন অন্যান্য সুবিধা সহ ২,৩৭,৫০০ টাকা অতিক্রম করবে না। এইম্‌স-এর মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক হিসেবে নিয়োজিত এই অধিকর্তা কাজ করবেন। প্রতিষ্ঠানের সকল আধিকারিক ও কর্মীর দায়িত্ব বন্টন এবং সার্বিক প্রশাসনের দায়িত্বে তিনি থাকবেন। /","ৰায়বেৰেলী, গোৰখপুৰ, ভাটিণ্ডা, গুৱাহাটী, বিলাসপুৰ আৰু দেওঘৰত স্থাপিত এইমছৰ প্ৰত্যকতে এটাকৈ সঞ্চালক পদ সৃষ্টি কৰি তেওঁলোকৰ বাবে প্ৰাৰম্ভিক দৰমহা ২,২৫,০০০(স্থায়ী) আৰু এনপিএসহত ২,৩৭,৫০০ টকা প্ৰদানত কেবিনেটৰ অনুমোদন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2/,"ভারতও বাংলাদেশের মধ্যে আজ ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ নামে একটি নতুন ট্রেন পরিষেবার একযোগেসূচনা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীশ্রীমতী শেখ হাসিনা এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এইনতুন ট্রেন পরিষেবাটি চালু হল কলকাতা ও খুলনার মধ্যে। এছাড়াও, দু’দেশের মধ্যে দুটিসংযোগ ও যোগাযোগ প্রকল্পেরও সূচনা হল ঐ একই অনুষ্ঠানে। প্রকল্প দুটি হল– ভৈরব ওতিতাস রেল সেতুএবং কলকাতার চিৎপুরে আন্তর্জাতিক রেল যাত্রী টার্মিনাস । নয়াদিল্লিথেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই নতুন ট্রেন পরিষেবার সূচনা হয়। কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী শ্রীমতী সুষমা স্বরাজও যোগ দেন এই অনুষ্ঠানে। ভারতও বাংলাদেশের মধ্যে এই রেল প্রকল্পগুলির সূচনা উপলক্ষে প্রদত্ত এক ভাষণেপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন : “এইপ্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সকলকেই বিশেষ করে, বাংলাদেশের অধিবাসী ভাই-বোনদের আমিনমস্কার জানাই। কিছুদিনআগেই দুটি দেশেউদযাপিত হয়েছে দুর্গাপূজা, দীপাবলী এবং কালী পূজা মহোৎসব । উৎসবেরএই মরশুমে দুই দেশের অধিবাসীদের আমি শুভেচ্ছা জানাই। একভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আপনাদের সকলের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আরও একবার সুযোগ পেয়েআমি খুবই আনন্দিত। আমিআপনাদের সকলেরই সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আমিপ্রথম থেকেই বলে এসেছি যে প্রতিবেশী দেশগুলির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রতিবেশী সুলভসম্পর্ক গড়ে তুলতেই আমি বিশেষভাবে আগ্রহী। যখনইইচ্ছা হবে আমরা একে অপরের সাথে আলোচনায় মিলিত হতে পারি, এমনকি একে অপরের দেশ সফরওকরতে পারি। এইসমস্ত কিছুই আমরা নিছক প্রোটোকলের বাঁধনে বেঁধে রাখতে চাই না। কিছুদিনআগে দক্ষিণ এশীয় উপগ্রহের সূচনা হয় এই ধরনেরই এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে । গতবছর আমরা সকলে মিলিতভাবে এইভাবেই সূচনা করেছিলাম পেট্রাপোল আইসিপি-র। আমিআরও খুশি এই কারণে যে আমাদের পারস্পরিক সংযোগ ও যোগাযোগকে আরও শক্তিশালী করে তোলারলক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির আজসূচনা আমরা একসঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সেরমাধ্যমেই সম্পন্ন করছি। সংযোগও যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমরা ���র্বাপেক্ষা বেশি গুরুত্ব দিয়েছি এক দেশের জনসাধারণেরসঙ্গে অন্য দেশের জনসাধারণের সংযোগ ও যোগাযোগের প্রসারের ওপর। আন্তর্জাতিকযাত্রী টার্মিনাসের যে উদ্বোধন আজ অনুষ্ঠিত হল তাতে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেসএবং আজ থেকে চালু হওয়া কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রীদের যথেষ্ট সুবিধাহবে। এরফলে, শুধুমাত্র শুল্ক এবং অভিবাসন সম্পর্কিত কাজেরই অনেক সুবিধা হবে তাই নয়,যাত্রার সময়ও কমে যাবেতিন ঘন্টার মতো । মৈত্রীএবং বন্ধন – দুটিই হল রেলের সুযোগ-সুবিধা প্রসারের দুটি ভিন্ন ভিন্ন নাম যা একইসঙ্গে আমাদের মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তাভাবনার প্রতিফলক বটে। যখনইআমি দু’দেশের মধ্যে সংযোগ ও যোগাযোগ সম্পর্কে কোন বক্তব্য পেশ করি, তখনই ১৯৬৫-রআগে দু’দেশের মধ্যে যে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু ছিল তার একটি ছবি আমার মানশ্চক্ষেভেসে ওঠে। আমারখুশির আরেকটি বিশেষ কারণ হল যে ঠিক ঐ লক্ষ্যেই আমরা একটু একটু করে ক্রমশ এগিয়েচলেছি। আজআমরা দুটি রেল সেতুরও উদ্বোধন করেছি। প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগেনির্মিত এই সেতু বাংলাদেশের রেল নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করে তুলতে যথেষ্টসাহায্য করবে। বাংলাদেশেরউন্নয়ন প্রচেষ্টার এক বিশ্বস্ত অংশীদার হয়ে উঠতে পারা ভারতের পক্ষে এক গর্বেরবিষয়। আমিআনন্দিত যে অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক হারে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো অর্থ সহায়তারযে প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছি, তার আওতায় নির্মীয়মান প্রকল্পগুলির কাজ বেশ ভালোভাবেইএগিয়ে চলেছে। উন্নয়নও যোগাযোগ পরস্পর সম্পৃক্ত দুটি বিষয়। আমাদের এই দুটি দেশের মধ্যে বহু প্রাচীন যেঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের জনসাধারণের মধ্যে যেসম্পর্ক গড়ে উঠেছে তাকে আরও জোরদার করে তোলার লক্ষ্যে আজ আমরা আরও বেশ কিছুটা পথএগিয়ে গেলাম। আমিদৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমরা যদিএইভাবেইপারস্পরিক সম্পর্কের প্রসার ঘটিয়ে যেতে পারিএবং দু’দেশের জনসাধারণের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়ে ওঠে, তাহলে উন্নয়ন ওসমৃদ্ধির এক নতুন শিখরে আমরা নিশ্চিতভাবেই আরোহণ করতে পারব। এইকাজে সহযোগিতার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাজি এবং মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়জির আন্তরিক শুভেচ্ছা ও আগ্রহের প্রতিফলন আজ আমরা লক্ষ্য করেছি। ধন্যবাদ।” /","প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদী, বাংলাদেশৰ প্ৰধানমন্ত্ৰী আৰু পশ্চিমবং���ৰ মুখ্যমন্ত্ৰীয়ে যৌথভাবে শুভাৰম্ভ কৰিলে ভাৰত-বাংলাদেশ সংযোগী প্ৰকল্পৰ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B8-%E0%A6%95%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%A8/,"শ্রদ্ধেয়া সুমিত্রা তাইজি (জ্যেঠিমা), আমার মন্ত্রী পরিষদের সদস্য শ্রীআনন্দ কুমার, ডেপুটি স্পিকার শ্রী থাম্বিদুরাইজি, দেশের নানাপ্রান্ত থেকে আগত সকলরাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ মহোদয়, সমস্ত রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্যএবং বিধায়করা, আমি সবার আগে এই কর্মসূচি আয়জনের জন্য সুমিত্রাজির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেচাইব। আমাদের সাধারণ জীবনে যত অভিলাষ থাকে, তার মধ্যে তীর্থভ্রমণ অন্যতম, আমরাসেখানে বাবা-মা’কে নিয়ে যেতে চাই। আর যখন বড় তীর্থ ক্ষেত্রে যাই, সেখানে গিয়েজীবনে বা পরিবারের জন্য কিছু না কিছু করারসংকল্পও নিই। প্রত্যেকেই তীর্থ ক্ষেত্রে গিয়ে নিজের মতো করে সংকল্প গ্রহণ করেন। আজ আপনারা নিছকই কোনও সাধারণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন না। কল্পনা করুন তো– আপনারা কোথায় বসে আছেন? এটা সেই সংসদ ভবন যেখানে আমি ২০১৪ সালের মে মাসেপ্রথমবার প্রবেশের সুযোগ পেয়েছি। তার আগে আমার সেন্ট্রাল হল দেখার সৌভাগ্য হয়নি।মুখ্যমন্ত্রীরা এখানে আসতে পারেন, মুখ্যমন্ত্রীদের এখানে আসতে কোনও বাধা নেই,কিন্তু আমার কখনও আসার সৌভাগ্য হয়নি। যেদিন দেশবাসী বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা সহকারেআমার দলকে জেতালো, তখন নেতা নির্বাচন উপলক্ষে প্রথমবার এই সেন্ট্রাল হল-এএসেছিলাম। এটা সেই সেন্ট্রাল হল, যেখানে সংবিধান সভার বিস্তারিত বৈঠক হয়েছিল, কয়েকবছর ধরে হয়েছিল। আপনারা যেখানে বসে আছেন, সেখানে কখনও হয়তো পণ্ডিত নেহরু বসেছেন,কখনও বাবাসাহেব আম্বেদকর বসেছেন, কখনও সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল বসেছেন, রাজাগোপালাচারী বসেছেন, ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ বসেছেন কিংবা হয়তো কমা মুন্সি বসেছেন। অর্থাৎ দেশের সেই মহাপুরুষেরা, যাঁদের নাম শুনলেই আমাদের অন্তরে একটি নতুনপ্রেরণা সঞ্চারিত হয় – তাঁরা কখনও এখানে বসতেন, সংবিধান সভায় আলোচনা করতেন, সেইস্থানে আজ আপনারা বসে আছেন। এই ভাবনা নিজে থেকেই আমাদের মনে একটি পবিত্রতার ভাবএনে দেয়। সংবিধান প্রণেতারা এবং বিশেষ করে বাবাসাহেব আম্বেদকর আমাদের সংবিধানকে একটিসামাজিক নথি রূপে বর্ণনা করেছেন। আর একথা সত্যি, বিশ্বে আমাদের সংবিধানেরবৈশিষ্ট্য শুধু তার ধারাগুলির জন্য নয়, অধিকারগুলির জন্য নয়, কর্মবিভাজনের কারণেনয়, কিন্তু শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরে যে কুসংস্কারগুলির করালগ্রাসে দেশআষ্টেপিষ্টে বাঁধা পড়েছিল, সেগুলি থেকে মুক্তি প্রদানের নানা প্রচেষ্টা থেকে,মন্থন থেকে যে অমৃত বেরিয়ে এসেছে, তা আমাদের সংবিধানে শব্দ রূপে স্থান পেয়েছে; তাহল সামাজিক ন্যায়ের পক্ষে শব্দাবলী। এখন আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে সামাজিক ন্যায়েরকথা আলোচনা করি, তা সমাজের অবস্থা পর্যন্তই সীমিত থাকে, প্রয়োজনও রয়েছে, কিন্তুকখনও এমনও মনে হয় যে সামাজিক ন্যায়ের আরেকটি দিকও রয়েছে। আমাকে কেউ বলুন, একটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে, কিন্তু পাশের বাড়িতেবিদ্যুৎ নেই – ঐ বাড়িটিতেও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করাটা কি আমাদের সামাজিক দায়িত্ব?একটি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে, কিন্তু পাশের গ্রামে বিদ্যুৎ নেই – এক্ষেত্রেওপাশের গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়াটা কি সামাজিক ন্যায়ের পরিধির মধ্যে পড়ে না? একটিজেলা বেশ সম্পন্ন এবং অনেক এগিয়ে গেছে, কিন্তু পাশের পিছিয়ে পড়া জেলাটিকে এর সমানউন্নত করার দায়িত্ব কি আমাদের ওপর বর্তায় না? আর সেজন্য সামাজিক ন্যায়ের সিদ্ধান্তআমাদের সবাইকে এই দায়িত্ব নির্বাহের প্রেরণা যোগায়। হতে পারে যে দেশ – যতটা সবার আকাঙ্খা ছিল – ততদূর এগোতে পারেনি কিন্তুআমাদের রাজ্যে পাঁচটি জেলা খুব উন্নত আর তিনটি যদি পিছিয়ে থাকে, তার মানে ঐ পাঁচটিজেলায় উন্নয়নের আলো পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের তো আছেই, বাকি তিনটিকেও চেষ্টাকরলে সেই মাত্রায় পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে। রাজ্যের মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে কয়েকটি জেলাঅগ্রগতি করার মানে হ’ল সেই রাজ্যে ততগুলি ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়নের সম্ভাবনারয়েছে। শুধু যে জেলাগুলি পিছিয়ে রয়েছে, সেগুলিকে চিহ্নিত করে আগে সেগুলিকে এগিয়েনিয়ে যেতে হবে! এদেশে আমাদের স্বভাব হ’ল স্কুলের ছাত্রদের মতো, ভূগোল দুর্বল হলে তারাভাবে, অঙ্কে এত জোর লাগাব যে ভূগোলে নাম্বার কম পেলেও অঙ্কের বাড়তি নম্বর দিয়েফার্স্ট ক্লাস সুনিশ্চিত করে নেবে! আমরা প্রত্যেকেই এভাবেই বড় হয়েছি! রাজ্যগুলিতেযখন কোনও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনও লক্ষ্য পূরণের কথা বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারেওযখন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্য পূরণে চাপ আসে, তখন যাঁরা দ্রুত কাজ করতে পারেন,যাঁরা সারা বছর চাপ নিয়ে কাজ করেন, তাঁদেরকেই আরও চাপ দেওয়া হয় – করে দাও ভাই!পরিণাম স্বরূপ, যাঁরা ভালো কাজ করেন, তারাই আরও ভালো কাজ করার দক্ষতা অর্জন করতেপারেন, পরিসংখ্যান অনুসারে ফল ভালো হতে থাকে। কিন্তু যাঁরা পিছিয়ে ছিলেন, তাঁদেরকেকাজের সুযোগ না দেওয়ায়, তাঁরা আরও পিছিয়ে পড়তে থাকেন। আর সেজন্য কৌশলগতভাবে আমাদেরনিজেদের উন্নয়নের মডেলের ক্ষেত্রে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খতার দিকে যাওয়া প্রয়োজন হয়েপড়েছে। আমরা রাজ্যগুলির পক্ষ থেকে দেখলে ভালো হয়েছে। এক প্রতিযোগিতামূলকসহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয়বাদের পরিবেশ গড়ে উঠেছে। আর আমি এই দৃশ্যকে সম্মানকরি। এই দৃশ্য যুক্তরাষ্ট্রীয়বাদের জলজ্যান্ত উদাহরণ – যেখানে সংসদ সদস্যরা রাজ্যবিধানসভার বিধায়কদের পাশে বসে তাঁদের নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করছেন,চিন্তাভাবনা করছেন। এই অবসরে যুক্তরাষ্ট্রীয়বাদ একটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। এই সহযোগিতামূলক যুক্তরাজ্যবাদের ফলিত প্রয়োগে এখন রাজ্যগুলির মধ্যে তুলনারপরিবেশ গড়ে উঠেছে আর কোনও রাজ্য পিছিয়ে থাকলে সমালোচনা হচ্ছে। তারাও তখন ভাবেন যে,না আমাদেরও এখন কিছু করতে হবে! এই আবহ সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু দেশ যা যা প্রত্যাশাকরে, সেসব প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে আমাদের সেই মাপকাঠির হিসাবে এবং সেই এককেরহিসাবে এগিয়ে যেতে হবে। পরিচ্ছন্নতা অভিযান থেকে একটা অভিজ্ঞতা আমরা ইতিমধ্যেই অর্জন করেছি। যখনথেকে পরিচ্ছন্নতার ক্রমপর্যায় নির্ধারণ শুরু হয়েছে – নগরগুলির প্রতিযোগিতা,মহানগরগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, এই প্রতিযোগিতায় কোনও নগর পিছিয়ে পড়লেসেই নগরের মানুষই আওয়াজ দিতে থাকেন যে, ভাই কী হ’ল, অমুক নগর তো এগিয়ে গেছে, আমরাকেন অপরিচ্ছন্ন রয়ে গেছি? এই ভাবনা থেকে সারা দেশে একটি আন্দোলন গড়ে উঠেছে, একটিপ্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ভেবে দেখছি, দেশ তো অনেক ক্ষেত্রেই ভালো উন্নতি করছে, তবুও দেশ কেন এগোচ্ছেনা? পরিস্থিতি কিভাবে বদলাবে? একবার মনে হয়, আমরা কেন সেই জেলাগুলিকে বেছে নেব না,যেগুলিতে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী উন্নয়ন মানের পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে? অনেকক্ষেত্রেই ২০১১-র পরিসংখ্যান রয়েছে, তারপর আর পরিগণনা হয়নি, কিন্তু যে পরিসংখ্যানলিপিবদ্ধ রয়েছে তার ভিত্তিতেই পরিকল্পনার কাজ করা যেতে পারে। ন্যূনতম ৪৮টিপ্যারামিটার স্থির করে দেখা যেতে পারে যে, কোন্‌ কোন্‌ জেলা পিছিয়ে আছে? এভ���বেদেখতে গিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা হয়, যে জেলাগুলি ৫-১০টি প্যারামিটারে পিছিয়ে, অধিকাংশক্ষেত্রেই সেগুলি অন্য প্যারামিটারেও পিছিয়ে আছে। আমরা দেখছি যে, রাজ্যের মধ্যেই ১০টি জেলা পরিশ্রম করে এগিয়ে গেছে, যে ৫টি জেলা পিছিয়ে আছে, তারাঅগ্রগণ্য ১০টির কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করে এগিয়ে যাওয়ার বদলে সেগুলিকে পেছনে টানারপ্রচেষ্টা চালায়। আমরা তাদেরকে এই নীতি থেকে বের করে আনার চেষ্টা চালাচ্ছি। প্রায়এক বছর ধরে এদের জন্য হোমওয়ার্কের কাজ চলেছে। ভিন্ন ভিন্ন স্তরে আলোচনা, মিটিং,চিহ্নিতকরণের পর দেখা গেল যে – সারা দেশে এমন জেলার সংখ্যা ১১৫টি। সেই জেলাগুলিরজেলাশাসকদের দু’দিনের জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদেরকে নিয়ে দু’দিনেরকর্মশালা হয়, তাঁদের সমস্যাগুলি, প্রতিবন্ধকতাগুলি বোঝার চেষ্টা করা হয়। এখন রাজনীতিতে আমাদের যেমন স্বভাব, সেখানে আপনি ও আমি আলাদা নই, সবাই এক।আমাদের স্বভাব হ’ল – প্রথমেই বাজেট বুঝতে চাই, টাকা কোথায়? কিন্তু যদি বোঝারচেষ্টা করি যে, বরাদ্দকৃত অর্থেই একটি জেলা এগিয়ে যেতে পারলে, সমপরিমাণ অর্থ ওপরিকাঠামো নিয়ে অন্যরা পিছিয়ে রইল কেন? অর্থাৎ অর্থ ও পরিকাঠামো এর মূল কারণ নয়,প্রশাসন এর জন্য দায়ী, নেতৃত্ব দায়ী, সমন্বয় দায়ী, কার্যকরী প্রয়োগ দায়ী, আরসেজন্য আমরা এই বিষয়গুলিকে কিভাবে বদলাব? এই বিষয় নিয়ে আমি সমস্ত জেলাশাসকদেরসঙ্গে আলোচনা করেছি, কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা তাঁদের সঙ্গেবসেছেন। একটি বিষয় আমার মাথায় আসে, আমি কারও সমালোচনা করার জন্য বলছি না, কিন্তু আজএমন মানুষেরা একই সভাঘরে বসেছেন, তাঁদের সামনে আমি মন খুলে কথা বললে খারাপ কিছুহবে না। সাধারণত, জেলাশাসকদের বয়স হয় ২৭-২৮-৩০ বছরের কাছাকাছি। নবীন আইএএসঅফিসারেরা এমন বয়সেই সাধারণত জেলাশাসক হন। কিন্তু এই ১১৫টি চিহ্নিত জেলারজেলাশাসকদের দেখে আমি অবাক হই। তাঁদের ৮০ শতাংশেরই বয়স ৪০ বছরের বেশি, কারও কারওবয়স তো এমনকি ৪৫-ও ছিল। এখন আমাকে বলুন, ৪০-৪৫ বছর বয়সী আধিকারিকরা বড় শহর থেকে দূরে কোনওপ্রান্তিক জেলায় থাকলে, তাঁদের মাথায় সবসময়েই বড় হয়ে ওঠা ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া,তাঁদের চাকরিবাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা থাকবে কিনা! দ্বিতীয়ত, এরা অধিকাংশইযেহেতু স্টেট ক্যাডারের প্রোমোটি অফিসার, তাঁদেরকে ইচ্ছে করে পিছিয়ে পড়াজেলাগুলিতে দেওয়া হয়, কাজ চালিয়ে নেওয়ার জন্য। সমস্যা সেখান থেকেই শু��ু হয়। আমরাসবাই মিলে যদি ঠিক করি যে, আগামী ৫ বছর ঐ ১১৫টি পিছিয়ে পড়া জেলায় নবীন জেলাশাসকদেরনিয়োগ করব, যাঁদের কাজ করার উৎসাহ ও উদ্দীপনা রয়েছে, যাঁরা প্রাণশক্তিতে ভরপুর;আপনারা দেখবেন যে, সবকিছু বদলাতে শুরু করবে। আমি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও কথা বলছি, অনুরোধ করছি যে, ঐ নবীনদের ওপর ভরসারেখে তাঁদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিন। নাহলে সেই চিরাচরিত মনোভাবই চলতে থাকবে,এমন জেলায় বদলির খবর শুনেই সহকর্মী আধিকারিকরা বলেন, অমুক জেলায় পোস্টিং হয়েছে?তোর মৃত্যু আসন্ন। কী করবি? কোনও রাজনৈতিক দাদাকে চিনিস? তোকে কেন ওখানে ফেলে দিল?এই মানসিকতার শিকার হয়ে পড়েন। একই পরিকাঠামো, মানবসম্পদ ও পুঁজি সম্বল করে একটি জেলায় টিকাকরণের কাজ খুবভালো হচ্ছে কিন্তু পাশের জেলায় হচ্ছে না কেন? কিসের অভাব? অভাবটা হ’ল কর্মোদ্দমের,যথাযথ পরিকল্পনার, জনগণের অংশগ্রহণের। অভাবটা হ’ল টিকাকরণ না হওয়া, টিকাকরণ নাহওয়ায় রোগের দরজা খুলে যায়, দরজা খুলে গেলে রোগগুলি ঢুকে পড়ে; আর সেগুলি একের পরএক ক্রমবর্ধমান হয়ে পড়ে। স্কুলছুটের সমস্যা? শিক্ষক আছে? – আছে! অট্টালিকা আছে? – আছে! বাজেট আছে? –আছে! তবুও কোথাও স্কুলছুটের সমস্যা কম আর কোথাও বেশি কেন? আসলে বিষয়টা পরিকাঠামো ওঅর্থের যোগানে সীমাবদ্ধ নেই। দ্বিতীয়ত, আপনারা হয়তো দেখেছেন যে, যেখানে আধিকারিকরা এবং স্থানীয় নেতৃত্বহাতে হাত মিলিয়ে ‘মিশন মোড’-এ নেতৃত্ব দিয়েছে, সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিতে পেরেছে;চোখের সামনেই কত বড় সাফল্য এসেছে! গণঅংশীদারিত্ব এবং একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে – আমাদের পঞ্চায়েত প্রধান থেকেপঞ্চায়েত সদস্যরা, পৌরসভার প্রধান থেকে পৌর প্রতিনিধি, জেলা পঞ্চায়েত, তহশীলপঞ্চায়েত, এমনি যে যেভাবে জনপ্রতিনিধিত্বের সুযোগ পেয়েছেন, বিধায়ক হন কিংবা সাংসদ,যাঁর এলাকার মধ্যে এমনসব পিছিয়ে পড়া প্রত্যাশাময় জেলাগুলি রয়েছে, আমরা সবাই যদি সবদিকথেকে মিলেমিশে কাজ করি, জনগণের অংশীদারিত্ব অর্জনে সমর্থ হই, তা হলে দেখবেন,অতিদ্রুত পরিবর্তন আসতে শুরু করবে। কখনও কখনও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানতে হয় যে পরিবর্তন আসে – কোনও একজনসুস্থসবল দৌড়ঝাঁপ করা মানুষ; যিনি ঠিকঠাক খাবার খান, পারিবারিক জীবন ঠিকঠাক,অন্যান্য সবকিছু ঠিক থাকা সত্ত্বেও ধীরে ধীরে তাঁর ওজন কম হতে থাকে। প্রথমে তিনিসবাইকে বলেন, নিজেও বিশ্বাস করেন যে, হয়তো ডায়েটিং করছেন বলে তাঁর ওজন কমছে, আগেরচেয়ে কিছুটা হাল্কা হয়েছেন! তারপর, একদিন শারীরিক দুর্বলতা শুরু হলে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসককে দেখানো হলেতিনি রক্ত পরীক্ষা করিয়ে তার রিপোর্ট দেখে বলেন – মধুমেহ হয়েছে, ডায়াবেটিস! এতদিনেগিয়ে স্পষ্ট হয় যে, কেন সুস্থসবল শরীর ক্রমে ভেঙ্গে পড়ছিল। এবার ডাক্তারের পরামর্শঅনুযায়ী ওষুধ খাওয়া শুরু করলেও ডায়াবেটিস থাকবেই, একেবারে সেরে যাবে না, কিন্তুওষুধে নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়বে, অন্যান্য সমস্যাও শুধরাতে শুরু করবে। আমি মনে করি যে, আমাদের ঐ ১১৫টি জেলারও একই অবস্থা। আমাদের খতিয়ে দেখতেহবে, কোন্‌ রোগে এগুলি এরকম দুর্বল হয়ে পড়েছে, সেই রোগগুলির চিকিৎসা করাতে হবে। তাহলেই দেখবেন কিভাবে পরিবর্তন আসতে শুরু করবে! এই ১১৫টি জেলার মধ্যে ৩০-৩৫টিতে অতিবাম সন্ত্রাসবাদের উপদ্রব থাকায় আমি কেন্দ্রীয়স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে বলছি, যাতে এগুলির উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়া হয়। কিন্তু বাকি৮০-৯০টি জেলায় এই ধরনের কোনও সমস্যা না থাকায় সেগুলির উন্নয়নযজ্ঞ আমরা আরও সহজে এগিয়েনিয়ে যেতে পারব! এখন এই জেলাগুলির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার পরিকল্পনা কেমন হওয়াউচিৎ? জেলার মধ্যে একটি তহশীলে হয়তো টিকাকরণের কাজ খুব ভালো হয়েছে, অন্য একটিতহশীলে হয়তো স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীদের আবার বিদ্যালয়ে ফেরানোর কাজে ইতিবাচক পরিবেশসৃষ্টি হওয়ায় সাফল্য এসেছে। কিন্তু অন্য যে ক্ষেত্রগুলিতে ভালো কাজ হয়নি, সেগুলিরক্ষেত্রেই বেশি জোর দিতে হবে। একবার জোর দিয়ে দেখুন, তারপর দেখবেন আর এত পরিশ্রম করতে হচ্ছে না! এই ১১৫টিজেলার উন্নয়নে কার দুর্বলতা কতটা, সে সম্পর্কে আপনাদের সামনে নিতি আয়োগের কর্মীরা উপস্থাপনাদেবেন। আমি দু’দিন আগেই সকল মন্ত্রীদের সঙ্গে বসে এক প্রেজেন্টেশান দেখেছি। আমিবিগত ২০ বছর ধরে অনেক সরকারি প্রেজেন্টেশন দেখছি, কিন্তু এটি এত সঠিক, এত স্পষ্টআর একজন সাধারণ মানুষও বুঝতে পারবেন যে এই সমস্যার এরকম সমাধান হতে পারে! নিতিআয়োগের এত সুন্দর প্রেজেন্টেশানটি আমাদের দেখিয়েছেন শ্রী অমিতাভ কান্ত। এই উপস্থাপনাআমাকে উৎসাহী করে তুলছে, আপনাদেরকেও এটি দেখানো হবে। এতে একটি বিষয় রয়েছে যে, আপনার এই জেলা, এই বিষয়ে আপনার রাজ্যের অন্যান্যজেলার গড় পরিস্থিতি থেকে এতটা পেছনে আর আপনার রাজ্যে যে জেলায় সবচাইতে ভালো কাজহয়েছে, তার থেকে আপনারা এতটা পিছিয়ে। এর চারটি মাপকাঠির নিরিখে একে বারবার দেখাহয়েছে। আপনাদেরও মনে হবে যে, আমার দেশের ২০০টি জেলা এগিয়ে যেতে পারলে আমার জেলাওএগিয়ে যেতে পারে। আমার দেশের সহস্রাধিক তহশীল এগিয়ে যেতে পারলে আমার তহশীলও এগিয়েযেতে পারে! আর একথা যদি মেনে চলি, এখানে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা বসে আছেন!একটা সময় ছিল, যখন দেশে কট্টর পন্থার রাজনীতি, দিন-রাত রাজনীতি, আন্দোলনেররাজনীতি, বয়ানের রাজনীতি, সংঘর্ষের রাজনীতি অনেক প্রভাবশালী ছিল। এখন সময় বদলেছে,আপনি শাসকদলের হন কিংবা বিরোধী দলের, মানুষের জন্য কাজ করছেন কি করছেন না, সাধারণমানুষ সেদিকে নিয়মিত খবর রাখেন। আপনি কতবার লড়াই করেছেন, কতবার প্রশাসনে নেতৃত্বদিয়েছেন, কতবার জেলে গিয়েছেন, এসব কিছু ২০ বছর আগে আপনার রাজনৈতিক জীবনেগুরুত্বপূর্ণ ছিল! কিন্তু আজ পরিস্থিতি বদলে গেছে। যাঁরা বারবার ভোটে জিতে আসেন,তাঁরা কেমন করে আসেন, এটা বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, তাঁদের জীবনে রাজনীতির বাইরে,শাসন-লড়াই থেকে আলাদা দু-একটা এমন জিনিস আছে, যা তাঁদেরকে চিহ্নিত করে। তিনি হয়তোনিয়মিত হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের দেখে আসেন বা অন্য বিশেষ কিছু করেন, যা দিয়েমানুষের সঙ্গে তাঁর নিবিড় আবেগের সম্পর্ক রয়েছে; সেই ছবি দিয়েই তাঁর বাকি রাজনীতিচলে। আমাদের কট্টর রাজনীতি থেকে দূরে সরে আসতে হবে। একথা আমি বলি না, সমাজ বলছে।সমাজে যে সচেতনতা এসেছে, তাই আমাদেরকে এই দিকে পরিচালিত করতে চাইছে। জনগণ জানতেচান যে, তাঁদের দুঃখ-শোকে কে বা কারা তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন! তাঁদের জীবনেপরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে কারা তাঁদের পাশে থাকেন! এসব বিষয় আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণহয়ে উঠেছে। আমরা নিজেদের এলাকায় কন্যাসন্তানদের শিক্ষা বিস্তারে ১০০ শতাংশ চেষ্টাচালাচ্ছি কিনা! আমরা নিজের চেষ্টায় একটি বিষয়ে পরিবর্তন আনতে পারলে, ব্যবস্থাও পরিবর্তিতহতে শুরু করবে। কেউ বলবেন যে, ইন্দ্রধনুষ যোজনায়, টিকাকরণের তারিখে আমি ময়দানে থাকব,স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে নেব, আমার এলাকার অন্য সমাজকর্মীদেরও মাঠে নামতে উদ্বুদ্ধকরব, একত্রিত করব। ইন্দ্রধনুষ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা নিজের নিজের এলাকায়টিকাকরণের কাজ সম্পূর্ণ করব। আগে আমাদের দেশে প্রতি বছর ৩০ শতাংশ, ৪০ শতাংশ, ৫০শতাংশ টিকাকরণ হ’ত। এমনটা নয় যে সরকার খরচ করত না! বাজেট বরাদ্দও হ’ত। গুলাম নবীজিযখন স্বাস্থ্য মন্ত্রক দেখতেন, তখনও এই বাবদ যথেষ্ট বাজেট বরাদ্দ হ’ত। কিন্তুগণঅংশীদারিত্বের অভাবে কাজ আটকে যেত। ইন্দ্রধনুষ যো���না অনুসারে একটি বিশেষ প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে, এখন টিকাকরণপ্রায় ৭০-৭৫ শতাংশে পৌঁছেছে। কিন্তু আমরা কি একে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছে দিতেপারব? একবার ৯০ শতাংশে পৌঁছে গেলে ১০০ শতাংশ পৌঁছতে আর বেশি সময় ও পরিশ্রম লাগবেনা! এই টিকাকরণে আমরা সাফল্য পেলে গর্ভবতী মহিলা আর শিশুদের পোলিো মুক্ত করা যাবে,অন্যান্য বিপজ্জনক সব রোগ থেকেও মুক্তি প্রদান সম্ভব হবে। ব্যবস্থা আছে, প্রকল্প আছে, বাজেট বরাদ্দও আছে। নতুন করে বাজেট বরাদ্দেরওপ্রয়োজন নেই। যেরকম অর্থের যোগান আছে, অন্যান্য যোগাড়যন্ত্র যেরকম আছে, প্রশিক্ষিতমানবসম্পদ যা আছে তাই দিয়ে ব্রত হিসাবে কাজ করলে উত্তম পরিণাম সাধন সম্ভব। এই একটিভূমিকার সঙ্গে এই ‘অভিলাষী’ জেলাগুলি, আমি ওদের ‘পশ্চাদপদ’ শব্দটি করতে মানা করছি,অন্যথা সেখান থেকেই পিছিয়ে পড়ার মানসিকতার সূত্রপাত ঘটে। আপনারা হয়তো জানেন যে, আগে আমাদের দেশের রেলে তিনটি ক্লাস ছিল। ফার্স্ট,সেকেন্ড এবং থার্ড ক্লাস। কিন্তু আজ থেকে দু-তিন দশক আগে সরকার থার্ড ক্লাস বাতিলকরে দেয়। কামরাগুলিতে কোনও পরিবর্তন আসেনি, কিন্তু মানসিকতায় অনেক পরিবর্তন এসেছে।যে যাত্রী তৃতীয় শ্রেণীর কামরায় বসতেন, তাঁদের প্রতি একটা ঘৃণ্যভাব কাজ করত, আচ্ছাতিনি থার্ড ক্লাসে যাচ্ছেন? এখন সেই পরিবর্তন এসে গেছে। কামরা একই, বসার জায়গাএকই! সেজন্য আমরা ‘পশ্চাদপদ’ শব্দটা ব্যবহার করলেই, কেউ ভাবতে পারে, আমি তো অমুকপশ্চাদপদ জেলার বিধায়ক। আচ্ছা-আচ্ছা তুমিও পশ্চাদপদ? সেখান থেকেই শুরু হয়ে যায়।আমরা দেশে পশ্চাদপদদের মধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে চাই না। আমরা অগ্রসরতারপ্রতিযোগিতা করাতে চাই। আর আমরা, আমাদের এই অঞ্চলগুলিকে, এই অঞ্চলগুলির উন্নয়ন এবংসামাজিক ন্যায়ের কাজকে এগিয়ে নিতে চাই। ঐ জেলার উন্নয়ন হলে সামাজিক ন্যায়েরঅধিকারও নিজে থেকেই প্রতিষ্ঠিত হবে। আমার এলাকার সমস্ত শিশু যদি শিক্ষার আলো পায়, তবেই ঐ এলাকায় সামাজিক ন্যায়এক পা এগিয়ে যাবে। সামাজিক ন্যায়ের যে আদর্শ এই সভাগৃহে আমাদের সামনে আমাদেরমহাপুরুষরা উপস্থাপিত করেছেন, তাকে একটি নতুন রূপে – যাতে দ্বন্দ্বের সম্ভাবনাঅনেক কম – যেখানে ‘তুমি পেয়েছ, আমি পাইনি’ ধরনের অভিযোগের অবকাশ থাকবে না! এমনভাবেমানুষের কাছে তুলে ধরতে পারলে অনেক সুফল পেতে পারি! সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এখানে উপস্থিত রয়েছেন। অভিলাষী অঞ্চলগুলিরবিধায়ক এবং সাংসদরা রয়েছেন। আপনারা মনস্থির করে নিন। আমি দেশের যে প্রান্তেই সফরেযাই, অভিলাষী জেলাগুলির আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলি। গত পরশু আমি ঝুনঝনু গিয়েছিলাম,সেখানে রাজস্থানের পাঁচটি আর পার্শ্ববর্তী হরিয়ানার একটি অভিলাষী জেলারআধিকারিকদের ডাকিয়ে এনেছি। তাঁদের সঙ্গে ৩০ মিনিট বসে তাঁদের কথা শুনেছি। তাঁদেরসমস্যার কথা শুনেছি। কেন করতে পারেননি ভাই? অমুক? ঠিক আছে, রাজনীতির নিজস্ব স্বভাবআছে – কিন্তু আপনারা চিন্তা করবেন না, আমি থাকব! কেউ সাহায্য করে না? আমি থাকবআপনাদের সঙ্গে। তাঁদের উৎসাহ দিয়েছি। সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলিকেও উৎসাহ দিয়েছি। গণঅংশীদারিত্ব বাড়ান। আমরা ঐ এলাকার সমস্ত এনজিও-গুলিকে একত্রিত করতে পারি,স্থানীয় যুবসম্প্রদায়ের নানা গতিবিধিকে উৎসাহ যুগিয়ে তাদেরকেও দলে টানতে পারি। এইপরিস্থিতি বদলাতে হবে। আমাদের পরিকাঠামো আছে, মানবসম্পদ আছে, বাজেট বরাদ্দ আছে –তা হলে সুফল আসবে না কেন? আমাদেরকে মাঝের ব্যবধানটা ভরাট করতে হবে এবং আমরা তাকরবোই। তা হলেই দেখবেন শাসন-ব্যবস্থা নিজে থেকে ছুটতে শুরু করবে। কারণ, পরিণামদেখতে পেলে তাদেরও সাহস বেড়ে যাবে। এই ১১৫টি জেলার মধ্যে এমন কয়েকটি জেলা রয়েছে,যেগুলির নাম শুনলেই আপনারা চমকে উঠবেন, আরে এই জেলাও পশ্চাদপদ? ঐ জেলায় এত বড়শিল্পোন্নয়ন হয়েছে, তবুও পশ্চাদপদ? আসলে শিল্পোন্নয়নের কারণে ঐ জেলার এত নাম হয়েছেযে, স্বাস্থ্যবান মানুষের ডায়াবেটিস হওয়ার মতো আমরা পশ্চাদপদতা টের পাইনি।পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অন্যান্য প্যারামিটারগুলি পরিমাপ করতেই ঐ জেলার আসল অসুখ ধরা পড়েছে।অনেকের এটাও মনে হতে পারে যে, আমাদের জেলাকেও এভাবে চিহ্নিত করে কাজ হওয়া উচিৎছিল। আসলে আমরা ২০১১-র পরিসংখ্যান-ভিত্তিক কাজ করছি। নতুন পরিসংখ্যানের জন্য কাজশুরু হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরবর্তী পরিসংখ্যানও পেয়েছি। অনেক রাজ্য বর্তমানপরিস্থিতি অনুযায়ী অভিলাষী জেলা পরিবর্তনও করেছে। এখন আসুন, আমরা সবাই মিলে এই কর্মযজ্ঞকে কোনও রকম রাজনৈতিক রঙে না রাঙিয়েএক বছর লাগাতার কাজ করি! আমি বেশি সময় চাইছি না! দেখবেন, এই এক বছর দলমতনির্বিশেষে সবাই মিলে হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করলে আমরা এই জেলাগুলির সকল পরিসংখ্যানবদলে দিতে পারব! এই জেলাগুলির উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে পারলে দেশের সামগ্রিকউন্নয়নের ছবি বদলে যসাবে। ‘ইয়োর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স��-এ আমরা এখন বিশ্বে১৩০-১৩১ স্থানে দাঁড়িয়ে। আজ বিশ্বে ভারতকে নিয়ে যেভাবে আশা-আকাঙ্খা বৃদ্ধি পেয়েছে, আমরা যদি‘হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স’ (মানব উন্নয়ন সূচক)-এর নিরিখে উন্নয়ন করি সমগ্রবিশ্বের নিরিখে আমাদের স্থান অনেক উন্নত হবে। এই ১১৫টি জেলায় উন্নয়ন হলে দেশেরউন্নয়ন নিজ থেকেই অনেকটা এগিয়ে যাবে। অতিরিক্ত কিছু করতে হবে না। এভাবে এগোতে পারলে আমাদের প্রকল্পগুলির কাজও ত্বরান্বিত হবে। মনরেগার মতোপ্রকল্পের উদ্দেশ্য হ’ল যেখানে রোজগার নেই, সেই অঞ্চলের গরিবদের রোজগারের ব্যবস্থাকরা। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, যে জেলাগুলিতে সবচেয়ে বেশি দারিদ্র্য, সেগুলিতেইমনরেগার কাজ সবচেয়ে কম হয়েছে। যেখানে সমৃদ্ধি আছে, সেখানে মনরেগার কাজও বেশিহয়েছে। কারণ কি? যে রাজ্যে দক্ষ প্রশাসন রয়েছে তাদের প্রাকৃতিক লাভ মনরেগাতেওপ্রতিফলিত হয়েছে আর রাজ্য সমৃদ্ধতর হয়েছে। যেখানে দারিদ্র্য বেশি, শ্রমের প্রয়োজনবেশি, মনরেগার অর্থও বেশি খরচ হয়েছে কিন্তু প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে সেই অর্থগরিবদের হাতে পৌঁছয়নি। বাস্তবে সমৃদ্ধ রাজ্যগুলিতে ন্যূনতম মনরেগার যাওয়া উচিৎ ছিল। দরিদ্ররাজ্যগুলিতে অধিক অর্থ বরাদ্দ করে সেই অর্থে পরিকাঠামো উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতেহ’ত। সুশাসন না থাকা একটি বড় সমস্যা, সুসমন্বয় না থাকা একটি বড় সমস্যা, লক্ষ্যস্থির না করে কাজ করা একটি বড় সমস্যা। এই তিনটি ক্ষেত্রে জোর দিলে অনেক বড় পরিণামলাভ সম্ভব হবে। আমি আরেকবার সুমিত্রাজিকে অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। একটি ইতিবাচক সমাগমেরমাধ্যমে, দু-দিনের আলাপ-আলোচনার মন্থনে, এই ১১৫টি জেলার ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যআপনি এই পবিত্র সভাকক্ষ বেছে নিয়েছেন। যেখানে সংবিধান সভা বসতো, যেখানে আমাদেরমহাপুরুষরা বসে চিন্তাভাবনা করতেন, রাষ্ট্রের জন্য স্বপ্ন দেখতেন; সেখানে বসে আজআপনারা যাঁরা দেশের ভবিষ্যতে নতুন মাত্রা যোগ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে চলেছেন –সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এখানে এসে এই পুণ্য কাজে রত হওয়ার জন্য আপনাদের সবাইকেহৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই।",ৰাষ্ট্ৰীয় জনপ্ৰতিনিধি সন্মিলনত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E2%80%8C%E0%A6%B8-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A7%80%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%9B-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B9%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ ব্রিক্‌স গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে আঞ্চলিক উড়ান অংশীদারিত্ব সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। ব্রিক্‌স দেশগুলির মধ্যে অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলাই এই সমঝোতার লক্ষ্য। সহযোগিতার চিহ্নিত ক্ষেত্রগুলির মধ্যে রয়েছে, আঞ্চলিক বিমান পরিবহণ পরিষেবা ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ। এর মধ্যে রয়েছে – আঞ্চলিক বিমান বন্দর গড়ে তোলা; বিমান বন্দর পরিকাঠামো পরিচালন এবং উড়ান পরিষেবার উন্নয়ন প্রভৃতি। এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট দেশগুলির বিমান পরিবহণের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার মধ্যে টেকনিক্যাল সহযোগিতা, পরিবেশগত সুসমতা রক্ষা, কর্মী প্রশিক্ষণ সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা। ব্রিক্‌স দেশগুলির মধ্যে এই সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হলে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের সম্ভাবনা কার্যকর হবে।",ব্ৰিকছ ৰাষ্ট্ৰসমূহৰ মাজত আঞ্চলিক অসামৰিক পৰিবহণৰ ক্ষেত্ৰত সহযোগিতাৰ সন্দৰ্ভত বুজাবুজি চুক্তি স্বাক্ষৰত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%93%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%96/,"মঞ্চে উপস্থিত ওড়িশার রাজ্যপাল অধ্যাপক গণেশীলালজি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমার বন্ধু নবীন পট্টনায়কজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সদস্য জুয়েল ওরাঁওজি, ধর্মেন্দ্র প্রধানজি, আমার সংসদের সাথী সতপথীজি, এই এলাকার বিধায়ক ব্রজকিশোর প্রধানজি এবং আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, এই অনুষ্ঠানের পর আমাকে একটা বিশাল জনসভায় বলতে হবে, সেজন্যে এখানে বিস্তারিত না বলে, অত্যন্ত কম শব্দে এই শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে আমার মনের আনন্দ ব্যক্ত করছি। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই প্রকল্প সমাপণের জন্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। এটি আমার জন্যে একপ্রকার পুনরুদ্ধারের সৌভাগ্য এনে দিয়েছে। অনেক দশক আগে যে স্বপ্ন বোনা হয়েছিল, কিন্তু কোনও না কোনও ত্রুটির ফলে সমস্ত স্বপ্ন ভেস্তে গিয়েছিল। এখানকার মানুষও আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন যে কোনোদিন আবা�� এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে পারে, এই অঞ্চলেই পুনরুজ্জীবিত হতে পারে! কিন্তু আমরা সংকল্প নিয়েছি যে নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে, নতুন গতিতে দেশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে হবে। সেজন্যে অনেক বৃহৎ প্রকল্প, অনেক বৃহৎ উদ্যোগ, তার সঙ্গে প্রাণশক্তি, গতি ও সংকল্প যুক্ত করতে হবে। পরিণামস্বরূপ, প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে আজ এখানে এই প্রকল্প পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হল। সমৃদ্ধ ভারতের জন্যে কয়লা বাষ্পীকরণের মাধ্যমে, এখানকার এই কালো হীরাকে একটি নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করে যে সার ও গ্যাস উৎপন্ন হবে তা থেকে এই অঞ্চল তথা দেশ একটি নতুন দিশা পাবে। বিদেশ থেকে আমাদের যত ইউরিয়া আনাতে হয় তা থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে, দেশের আর্থিক সাশ্রয় হবে। এই অঞ্চলের নবীন প্রজন্মের জন্যে এটি কর্মসংস্থানের বড় সুযোগ। এই প্রকল্পের সঙ্গে প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ যুক্ত হবেন, আর সেজন্যে এর চারপাশে অনেক নতুন ব্যবস্থা, নতুন সংস্থা গড়ে উঠবে, এখানকার মানুষ এগুলি দ্বারাও উপকৃত হবেন, কর্মসংস্থান হবে। উন্নয়নের দিশা কিভাবে পরিবর্তিত হতে পারে – স্পষ্ট নীতি ও দেশের জন্যে সমর্পিত প্রাণ হলে, উত্তম সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়! আমাদের দেশে নবরত্ন, মহারত্ন, রত্ন – এমন অনেক সরকার অধিকৃত সংস্থার সুনাম আমরা অনেক শুনেছি। কখনও ভাল খবর, কখনও খারাপ খবর আসতে থাকে। কিন্তু তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি নতুন শক্তিরূপে গড়ে তুলে কিভাবে প্রকল্পটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, এই একটি নতুন উদাহরণ দেশের সামনে প্রতিষ্ঠিত হবে যে, যখন দেশের এরকম রত্নদের সমাহারে, মহারত্নদের সমন্বয়ে কোনও প্রকল্পের দায়িত্ব নেবেন, তখন তাঁদের সকলের নৈপুণ্য, সকলের মণিমুক্তো প্রয়োগ করা হবে আর ওড়িশা তথা দেশের কৃষকদের প্রয়োজন মেটানোর কারণ হয়ে উঠবে। আমাকে বলা হয়েছে…. কারণ, আমি যখনই এই ধরণের প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে যাই, তখন জিজ্ঞেস করি যে, কবে থেকে উৎপাদন শুরু হবে সেটা বলুন! এখানেও তেমনি জিজ্ঞেস করেছি, আর কর্মকর্তারা আমাকে বলেছেন যে, ৩৬ মাসের মধ্যেই এখানে উৎপাদন শুরু করা যাবে! আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি যে ৩৬মাস পর আমি আবার আপনাদের মাঝে এসে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবো! এই আস্থা নিয়ে আরেকবার মুখ্যমন্ত্রী মহোদয়কে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",উৰিষ্যাৰ তালকেৰ সাৰ কাৰখানাৰ শ���লান্যাস মুকলি কৰি প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BF-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B9-%E0%A6%AB/,"দ্বৈত কর পরিহার এবং আর্থিক কারচুপি রোধে ভারত ও ইরানের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাবে আজ সম্মতি দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার এই বৈঠক। চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে ভারত ও ইরানের মধ্যে প্রযুক্তি, বিনিয়োগ এবং কর্মী বিনিময়ের বিষয়টি আরও প্রসার লাভ করবে। দ্বৈত কর ব্যবস্থা বন্ধ করার ক্ষেত্রেও এই চুক্তিটি বিশেষভাবে কার্যকর হবে। সাম্প্রতিকতম আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, চুক্তিবদ্ধ এই দুটি দেশের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্যের আদান-প্রদানও আরও জোরদার হয়ে উঠবে। ফলে, কর সংক্রান্ত বিষয়টি আরও স্বচ্ছ হয়ে ওঠার সুবাদে কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতাও খর্ব হবে। /",দ্বৈত কৰ পৰিহাৰ আৰু ৰাজহ ফাঁকি প্ৰতিৰোধৰ ক্ষেত্ৰত ভাৰত আৰু ইৰাণৰ মাজত প্ৰস্তাৱিত চুক্তি স্বাক্ষৰত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%A1%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%AF/,"নয়াদিল্লি, ০৩ অক্টোবর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিরক্ষা বাহিনীতে লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার ‘প্রচন্ড’র অন্তর্ভুক্তির জন্য সকল দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং – এর এক ট্যুইটকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ট্যুইট বার্তায় বলেছেন, “লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার ‘প্রচন্ড’র অন্তর্ভুক্তি ১৩০ কোটি দেশবাসীর যৌথবদ্ধ সিদ্ধান্তের একটি বিশেষ মুহূর্ত। এর মধ্য দিয়ে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের দেশ আরও শক্তিশালী ও আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে। প্রত্যেক ভারতবাসীকে অভিনন্দন জানাই”!",প্ৰধানমন্ত্ৰী মোডীয়ে কয় যে এলচিএইচ ‘প্ৰচণ্ড’ই প্ৰতিৰক্ষা বাহিনীত যোগদান কৰাটো এক বিশেষ ক্ষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B-16/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%B2/,"নয়াদিল্লি, ০৭ অগাস্ট, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বার্মিংহাম কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরুষদের ট্রিপল জাম্পে রৌপ্য পদক জয়ী আবুদল্লা আবুবাকের’কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “বার্মিংহাম কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ট্রিপল জাম্পে আব্দুল্লা আবুবাকেরের রৌপ্য পদক জয়ের খবর শুনে আমি আনন্দিত। কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার কারণে তাঁর এই পদক জয়। ভবিষ্যতে তাঁর সাফল্য কামনা করি। #Cheer4India""।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ট্ৰিপল জাম্প ইভেণ্টত ৰূপৰ পদক জয় কৰাৰ বাবে আব্দুল্লা আবুবেকাৰলৈ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%A4-%E0%A7%B0%E0%A6%BE/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) ২২তম বৈঠকের ফাঁকে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে রুশ ফেডারেশনের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছেন। দুই নেতা বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ সহ দ্বিপাক্ষিক মৈত্রীর দীর্ঘস্থায়ী গতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতি পুতিন এ মাসের গোড়ায় ভ্লাদিভোস্তকে ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তার প্রশংসা করেন। দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের পাশাপাশি আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা করেন। বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে উদ্ভুত সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা, শক্তি নিরাপত্তা এবং সারের প্রাপ্যতার মতো বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা হয়। ইউক্রেনের চলতি সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী পুনরায় দ্রুত হিংসা বন্ধের আহ্বান জানান এবং আলোচনা ও কূটনীতির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫তম বছরে এ বছর দুই নেতার এটাই প্রথম বৈঠক। তাঁরা পারস্পরিক যোগাযোগ রাখার বিষয়ে সম্মত হন।",উজবেকিস্তানৰ সমৰকন্দত ৰাছিয়ান ফেডাৰেশ্যনৰ ৰাষ্ট্ৰপতিৰে মিলিত প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%89/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE/,প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরে���্দ্র মোদী নবরাত্রি উৎসবের সূচনায় জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক বার্তায়তিনি বলেছেন : “নবরাত্রিরএই পার্বণ উপলক্ষে সমগ্র দেশবাসীকে আন্তরিক শুভ কামনা জানাই। সবার জন্য রইলনবরাত্রির শুভেচ্ছা। নবরাত্রিরপ্রথম দিনটিতে আমরা মা শৈইলপুত্রির কাছে প্রার্থনা জানাই। তাঁর প্রতি নিবেদিত একটিস্তুতি https://www.youtube.com/watch?v=NhLxnY1deYc&feature=youtube –এ পাওয়া যাবে বলেপ্রধানমন্ত্রী জানান।” /,নৱৰাত্ৰি উপলক্ষে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ দেশবাসীলৈ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%AD-%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A7%8E/,"সুলভ সৌরশক্তির জন্য দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রবাসী ভারতীয়দের ভূমিকা নিয়ে অনাবাসী ভারতীয়দের একটি প্রতিনিধিদল গত শুক্রবার নতুন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দেশে এবং বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন – বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, উদ্ভাবক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা ছিলেন। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা গত দু’দিন ধরে সৌর বিদ্যুৎ, অফ গ্রিড ও মাইক্রো গ্রিড সলিউশন, সৌর বিদ্যুৎ সংরক্ষণ, পরবর্তী প্রজন্মের সৌর বিদ্যুৎ প্রযুক্তি এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে অর্থ যোগানের অভিনব পন্থা-পদ্ধতি নিয়ে যে আলাপ-আলোচনা করেছেন, তার পরিণতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী ঐ প্রতিনিধিদলের আলাপ-আলোচনা থেকে উঠে আসা প্রস্তাবগুলিকে স্বাগত জানিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলিকে বিবেচনায় রাখার জন্য বিদেশ মনত্রক এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রককে নির্দেশ দেন।",প্ৰধানমন্ত্ৰীক সাক্ষাৎ “সৌৰশক্তি সুলভ কৰি তোলাৰ ক্ষেত্ৰত সক্ষমতা সৃষ্টিত ভাৰতীয় বংশোদ্ভৱৰ ভূমিকা” শীৰ্ষক প্ৰৱাসী ভাৰতীয় সমিতিৰ বিষয়ববীয়াৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%95-%E0%A6%8F%E0%A6%9B-%E0%A6%8F%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A7%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%A8%E0%A7%AB-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96/,"নয়া দিল্লি: ০১ জানুয়ারি: আজ একটা খুব সুন্দর মুহূর্ত, যখনআমরা দেশের জন্য নিজের জীবন সমর্পণকারী দেশের মহান সন্তানকে স্মরণ করছি| দেশেরজন্য নিরন্���র কাজ করে যাওয়া ও নিজেকে সমর্পিত করার ক্ষেত্রে এটা এমন এক উদ্যম, যাআমাদেরকে দিন-সময়-মুহূর্তের চিন্তার বাইরে একসঙ্গে নিয়ে আসে| আচার্যসত্যেন্দ্রনাথ বসু’র ১২৫তম জন্মোত্সবে আমি আপনাদের সবাইকে, বিশেষ করে বিজ্ঞানীবন্ধুদের অনেক অনেক শুভেচ্ছে জানাচ্ছি| বন্ধুগণ, প্রতি বছরের সূচনায় বিভিন্ন প্রখ্যাতবিজ্ঞানীদের সঙ্গে আমার আলোচনা করার সুযোগ হয়| আমি আনন্দিত যে, আমার কিছুচিন্তাভাবনা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করার এক সুবর্ণ সুযোগ এসেছে| আজআমরা আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তীর বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনাকরতে যাচ্ছি, যিনি ১৮৯৪ সালের এমনই দিনে (১ জানুয়ারি) জন্মগ্রহণ করেছিলেন| আমিতাঁর কর্মকৃতি ও সাফল্য সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি, যা তখনকার সময় ও সমাজের চেয়েঅনেক দূর এগিয়ে ছিল| বন্ধুগণ, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস তাঁর একগীতিকাব্যে বলেছিলেন— “বাংলারজল ও বাংলার মাটিতে এক চিরন্তন সত্য নিহিত রয়েছে”| এটাহচ্ছে সেই সত্য, যা বাংলার মানুষদের মনন ও চিন্তাকে সেই স্তরে নিয়ে যায়, যেখানেপৌঁছানো কঠিন| এটা সেই সত্য, যার জন্য বাংলা শতাব্দীর পর শতাব্দী অক্ষ হিসেবেদেশকে ধরে রেখেছে| স্বাধীনতাআন্দোলনের বিষয় হোক, সাহিত্য হোক, বিজ্ঞান হোক, খেলাধুলা হোক, সমস্ত ক্ষেত্রেইবাংলার জল ও বাংলার মাটির প্রভাব স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়ে থাকে| স্বামী রামকৃষ্ণপরমহংস, স্বামী বিবেকানন্দ, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুভাষচন্দ্র বসু,শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি, বঙ্কিমচন্দ্র, শরত্চন্দ্র, সত্যজিত রায়—আপনি যেকোনোক্ষেত্রেরই নাম করুন, বাংলার কোনো না কোনো নক্ষত্রকে সেখানে উজ্জ্বল হয়ে দেখতেপাবেন| ভারতেরজন্য এটা এক গর্বের বিষয় যে, এই ভূমি একের পর এক শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিককেও গোটাবিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে| আচার্য এস.এন. বসু ছাড়াও জে.সি. বসু, মেঘনাদ সাহা আরওকতো নাম, যারা দেশে আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তিকে সুদৃঢ় করেছেন| অনেককম সংস্থান এবং অনেক বেশি সংঘর্ষের মধ্যে তাঁরা তাঁদের চিন্তাধারা ও আবিষ্কারেরমধ্য দিয়ে মানুষের সেবা করেছেন| আজও আমরা তাঁদের সমর্পণ ও সৃজনশীলতা থেকে শিখেযাচ্ছি| বন্ধুগণ, আচার্য এস.এন. বসুর জীবন ও কর্মকৃতিথেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে| তিনি ছিলেন একজন স্ব-শিক্ষিত বিদ্বান| নানাধরনের প্রতিকূলতা সত্বেও তিনি সফল হয়েছিলেন| এইসব প্রতিবন্ধকতার মধ্যে ছিল প্রথাগতগবেষ��া-শিক্ষা ও বিশ্বের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে খুবই কম সংযোগ| অজ্ঞাতবিজ্ঞানের প্রতি তাঁর একনিষ্ঠতার জন্যই ১৯২৪ সালে তাঁর যুগান্তকারী কাজ সম্ভবহয়েছে| যাউদ্যোগ কোয়ান্টাম স্ট্যাটিস্টিকসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল এবং আধুনিক পরমাণু-তত্ত্বেরমূলনীতির সূচনা করেছিল| আইনস্টাইনের জীবনীকার অ্যাব্রাহাম পেস তাঁর কাজকেকোয়ান্টাম থিওরির শেষতম চারটি উল্লেখযোগ্য কাজের একটি বলে উল্লেখ করেছেন| বোসস্ট্যাটিস্টিক, বোস আইনস্টাইন ঘনত্ব, হিগস-বোসনের মতো বিজ্ঞানের বিভিন্ন পরিভাষা ওধারনায় সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নাম বিজ্ঞানের ইতিহাসে অমর হয়ে রয়েছে| সত্যেন্দ্রনাথবসুর কাজের মৌলিক গুরুত্বকে একটি বিষয় থেকে পরিমাপ করা যেতে পারে যে, তাঁর ধারণাকেপদার্থবিদ্যার বিভিন্ন ব্যবহারের ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় পরবর্তীকালে বেশকিছুগবেষককে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে| স্বদেশীভাষায় বিজ্ঞান-শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে অধ্যাপক বসু ছিলেন একজন অগ্রণী যোদ্ধা| তিনিবাংলায় বিজ্ঞানের সাময়িকপত্র ‘জ্ঞান ও বিজ্ঞান’-এর সূচনা করেন| আমাদেরছোটদের মধ্যে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে এবং বিজ্ঞানকে সহজবোধ্য করে তুলতে হলেবিজ্ঞানের সঙ্গে তাদের যোগাযোগকে আরও ভালোভাবে করতে হবে| ভাষা এক্ষেত্রে যেন কোনোবাধা হওয়ার পরিবর্তে সহায়ক ভুমিকা পালন করতে পারে| বন্ধুগণ, ভারতের বৈজ্ঞানিক গবেষণারবাস্তুতন্ত্র অনেক বেশি মজবুত| আমাদের দেশে প্রতিভার যেমন অভাব নেই, তেমনি পরিশ্রমবা উদ্দেশ্যেরও ঘাটতি নেই| গতকয়েক দশক ধরে ভারত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরও গতি নিয়ে এগিয়ে এসেছে| সেটাতথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রেই হোক, মহাকাশ গবেষণা হোক, মিসাইল প্রযুক্তি হোক, সবক্ষেত্রেই ভারত গোটা বিশ্বে নিজের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে পেরেছে| আমাদেরবৈজ্ঞানিকগণ, আমাদের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের এই সাফল্য গোটা দেশের জন্য এক গর্বেরবিষয়| ইসরো’ররকেটে করে যখন একবারেই একশটির বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ উত্ক্ষেপণ করা হয়, তখন গোটাবিশ্ব বিস্ফারিত চোখে দেখে| সেসময় আমরা ভারতীয়রা আমাদের মাথা উঁচু করে নিজেদেরবৈজ্ঞানিকদের এই কৃতিত্বের জন্য উত্ফুল্লিত হয়ে থাকি| বন্ধুগণ, আপনারা গবেষণাগারে যে পরিশ্রম করেন,নিজের জীবনপাত করেন, তা যদি শুধুমাত্র গবেষণাগারেই থেকে যায়, তাহলে তা দেশের সঙ্গেআপনার সঙ্গে অনেক বড় অন্যায় হবে| দ��শের বৈজ্ঞানিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য আপনাদেরপরিশ্রম তখনই সার্থক হবে, যখন আপনারা নিজেদের মৌলিক জ্ঞানকে আজকের সময়ের হিসেবেদেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন| সেজন্য আজ এটা খুব প্রয়োজন যে, আমাদেরউদ্ভাবনা, আমাদের গবেষণার চূড়ান্ত ফলাফল স্থির হোক| আপনার আবিষ্কারের ফলে কি কোনোগরিবের জীবন সহজ হচ্ছে, মধ্যবিত্ত কোনো ব্যক্তির সমস্যা কমছে কি? যখনআমাদের বৈজ্ঞানিক ব্যবহারের ফলে আমাদের সামাজিক-আর্থিক সমস্যার সমাধান নিয়ে আসবে,তখন আপনার চূড়ান্ত ফলাফল, আপনার লক্ষ্য স্থির করার ক্ষেত্রেও সহজ হবে| আমারবিশ্বাস যে, আমাদের দেশের বৈজ্ঞানিকগণ প্রথাগত ধারণার বাইরে নিজেদের ধারণার মধ্যদিয়ে দেশকে সৃজনশীল প্রযুক্তির সমাধানদিতে থাকবেন, যার সুবিধা দেশের সাধারণ মানুষ পাবেন, তাদের জীবন আরও অনেক সহজ হয়েউঠবে| আমাকেবলা হয়েছে যে, বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান সৌরশক্তি, পরিচ্ছন্ন বিদ্যুত, জলসংরক্ষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মত বিষয়গুলোর দিকে মনোযোগ দিয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মসূচি(আর. এন্ড ডি.) শুরু করেছেন| এ ধরনের কর্মসূচি ও এর ফলাফল যেন শুধুমাত্রগবেষণাগারেই থেকে না যায়, এটাও আমাদের সবার দায়িত্ব| বিশিষ্টবৈজ্ঞানিকগণ ও ছাত্রছাত্রীরা, আপনারা সবাই পড়েছেন এবং কোয়ান্টাম মেকানিকস সম্পর্কেঅভিজ্ঞও| আমি এনিয়ে পড়িনি| কিন্তু আমি এটা বুঝি যে, পদার্থবিদ্যার এমন বেশকিছুবিষয় রয়েছে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শিক্ষা দিতে পারে| একটি ক্লাসিক্যাল কণাসহজে ‘ডিপ ওয়েলের’ ভেতর থেকে সরতে না পারলেও কোয়ান্টাম কণা তা পারে| কোনোনা কোনো কারণে আমরা নিজেদেরকে বিচ্ছিন্নতার মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রেখেছি| আমরা খুবকমই অন্য প্রতিষ্ঠানের ও জাতীয় গবেষণাগারের সহকর্মী বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সহযোগিতাকরি, একসঙ্গে কাজ করি অথবা আমাদের অভিজ্ঞতাকে শেয়ার করি| আমাদেরসঠিক সম্ভাব্যতায় পৌঁছাতে এবং ভারতের বিজ্ঞানকে এর ন্যায্য গরিমায় নিয়ে যেতেআমাদেরকে বাইরে বেরিয়ে যাওয়া কোয়ান্টাম কণার মতোই হতে হবে| আর এটা বর্তমান সময়েআরও বেশি জরুরি| কেননা বিজ্ঞান এখন বহুমুখী হয়ে উঠেছে এবং এরজন্য সম্মিলিতপ্রচেষ্টার প্রয়োজন| আমিব্যবহারিক ও গবেষণা পরিকাঠামোর আরও বেশি আদান-প্রদানের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছি,যেগুলো অনেক বেশি ব্যয়বহুল ও সংক্ষিপ্ত জীবনকালের| আমাকেবলা হয়েছে যে, আমাদের বিজ্ঞান বিভাগ একটি বহুমুখী অভ���মুখ নিয়ে কাজ করছে| বৈজ্ঞানিকপরিকাঠামো আদান-প্রদানের জন্য একটি পোর্টাল তৈরি করা হচ্ছে, যা সংস্থান ও সম্পদেরস্বচ্ছ ও দক্ষ ট্যাগিং ও শেয়ারিং করবে| শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা ও উন্নয়ন (আর. এন্ড ডি.) প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শক্তিশালীসমন্বয়ের জন্য একটি পদ্ধতি নিয়ে আসা হচ্ছে| শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানএবং শিল্প থেকে শুরু করে স্টার্ট-আপ পর্যন্ত সমস্ত ক্ষেত্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহযোগীদের একসঙ্গে নিয়ে আসার জন্য শহর ভিত্তিক আর. এন্ড ডি. ক্লাস্টার তৈরি করাহচ্ছে| এইকৌশলের অধীনে সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতার ওপরই এইপ্রচেষ্টার সাফল্য নির্ভর করবে| এর জন্য আমাদের সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন|যাতে দেশের দূরতম প্রান্তের কোনো বিজ্ঞানী আই.আই.টি. দিল্লি অথবা দেরাদুনেরসি.এস.আই.আর. ল্যাবের সুবিধা যাতে পেতে পারেন, তা সুনিশ্চিত করাতে হবে| আমাদেরপ্রচেষ্টা ও কাজের সম্পূর্ণতা যেন সবসময় বিভিন্ন ক্ষেত্রের যোগফলের চেয়ে বেশি হতেপারে, তা সুনিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত| বন্ধুগণ, উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি ও রূপান্তরের জন্যবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একটা অসাধারণ চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে| আমি আপনাদেরকে,দেশের বৈজ্ঞানিকদেরকে আবার আহ্বান জনাবো, যাতে তাঁরা আমাদের আর্থ-সামাজিকপ্রতিকূলতার দিকে মনোযোগ দিয়ে নিজেদের উদ্ভাবনার লক্ষ্য স্থির করেন| আপনারাজানেন যে, দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ বিশেষ করে আদিবাসী সমাজের হাজার হাজার শিশু ‘সিকলসেল অ্যানিমিয়ায়’ আক্রান্ত| এনিয়ে দশকের পর দশক ধরে গবেষণা হচ্ছে| কিন্তু এই রোগেরএকটা সাশ্রয়ী সহজ সমাধান গোটা বিশ্বের কাছে দেবো বলে কি আমরা সংকল্প গ্রহণ করতেপারিনা? অপুষ্টিরপ্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কি আরও বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ ডালের নতুন নতুনপ্রজাতি তৈরি করা যায় না? আমাদের সবজি ও শস্যের গুণমানকে কি আরও বেশি উন্নত করাযায়? নদীগুলোকে পরিচ্ছন্ন করার জন্য, আগাছা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য কি নতুনপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করাকে আরও বেশি গতিশীল করা যেতে পারে? ম্যালেরিয়া,যক্ষ্মা, জাপানিজ এনকেফেলাইটিজের মতো অসুখ প্রতিরোধে নতুন ওষুধ, নতুন টিকা তৈরিকরা যেতে পারে? আমরা কি এ ধরনের ক্ষেত্র বাছাই করতে পারি, যেখানে আমাদের প্রথাগতজ্ঞান ও আধুনিক বিজ্ঞানকে সৃজনশীলভাবে মিশ্রণ করা যাবে? বন্ধুগণ, নানা কারণে আমরা প্রথমশিল্প-বিপ্লবের সুযোগ হারিয়েছি| আজ আমরা এ ধরনের সুযোগ হাতছাড়া করতে পারিনা| বর্তমানেযেসব বিষয় যেমন নকল বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডাটা অ্যানালিটিক্স, মেশিন লার্নিং,সাইবার-ফিজিক্যাল সিস্টেম, জেনোমিক্স, ইলেকট্রিক ভেহিকেলের মত নানা বিষয়গুলিতেআপনাদের মনোযোগ প্রয়োজন| একটি দেশ হিসেবে আমরা যেন সেসব উদীয়মান প্রযুক্তি ওউদ্ভাবনার সঙ্গে যেন তাল মিলিয়ে চলতে পারি, তা অনুগ্রহ করে সুনিশ্চিত করবেন| আমাদেরবিজ্ঞানীগণ এইসব প্রতিকূলতাকে কীভাবে মোকাবিলা করবেন, তার ওপর আমাদের স্মার্টম্যানুফ্যাকচারিং, স্মার্ট সিটি, ইন্ডাস্ট্রি ৪.০, ইন্টারনেট-ও-থিং ইত্যাদিরসাফল্য নির্ভর করবে| আমাদের বৈজ্ঞানিক বাস্তুতন্ত্রকে অবশ্যই উদ্ভাবক ও উদ্যোগীদেরসঙ্গে সংযুক্ত হতে হবে, যাতে তাদেরকে সহায়তা করা যায়, সুযোগ পৌঁছে দেওয়া যায় ওসক্ষম করা যায়| বন্ধুগণ, আমাদের দেশে জনসংখ্যার যে শক্তি,তাতে গোটা বিশ্বের ঈর্ষা হতে পারে| এই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে সরকার স্ট্যান্ড-আপইন্ডিয়া, স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া, স্কিল ডেভেলপমেন্ট মিশন, প্রধানমন্ত্রী মুদ্রাযোজনার মত কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে| এই পর্যায়ে আমরা দেশে কুড়িটি এ ধরনেরপ্রতিষ্ঠানের নির্মাণের প্রচেষ্টা করছি, যেগুলো বিশ্বের মধ্যে নিজের ক্ষমতা জাহিরকরতে পারে, যাদের পরিচয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ের হবে| ইনস্টিটিউটঅফ এমিনেন্স মিশনের মধ্যে যুক্ত হওয়ার জন্য সরকার উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সংযুক্তসরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে| আমরা নিয়মের মধ্যে বদল এনেছি,আইনের মধ্যে পরিবর্তন ঘটিয়েছি| বেসরকারি ক্ষেত্রের যে প্রতিষ্ঠান মনোনীত হবে,তাদেরকে এককালীন ১০০০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে| এস.এন.বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্স এবং এ ধরনের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিআমার আহ্বান হচ্ছে, তারা যেন তাদের প্রতিষ্ঠানকে শীর্ষ রেংকিং-এর প্রতিষ্ঠান করারজন্য কাজ করেন| আজ আমার আরও একটি আহ্বান হচ্ছে যে, এই প্রতিষ্ঠানে এমন ধরনেরবাস্তুতন্ত্র তৈরি করুন, যাতে ছাত্রছাত্রী ও তরুণ-তরুণীরা গবেষণার জন্যআগ্রহান্বিত হতে পারেন| যদিপ্রত্যেক বৈজ্ঞানিক শুধুমাত্র একটি শিশুকে বিজ্ঞান শিক্ষা, গবেষণার প্রতি তারআগ্রহ বৃদ্ধি করার জন্য সামান্য সময় দিতে পারেন, তাহলে দেশের লক্ষ লক্ষছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যত তৈরি হতে পারে| আচার্য এস.এন. বোসের ১২৫তম জন্মজয়ন্তীতে এটাইতাঁর প্রতি সবচেয়ে বড় শ্রদ্ধাঞ্জলি হবে| বন্ধুগণ, ২০১৭ সালে আমরা সবাই, সোয়াকোটিভারতীয় সম্মিলিতভাবে একটি সংকল্প গ্রহণ করেছি| এই সংকল্প হচ্ছে ‘নিউ ইন্ডিয়া’ বা‘নব ভারতের’| এই সংকল্প হচ্ছে ২০২২ সালের মধ্যে দেশকে অভ্যন্তরীণ মন্দগুলি থেকেমুক্ত করা| এই সংকল্প হচ্ছে সেই ভারত গঠনের, যে ভারতের স্বপ্ন আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামীগণ দেখেছিলেন| ২০১৮সালের এই বছর সেই সংকল্পের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ| এই বছরে আমাদেরকে সমস্ত শক্তিও উদ্যমকে সংকল্প সিদ্ধির জন্য কেন্দ্রীভূত করতে হবে| দেশেরসমস্ত ব্যক্তি, সব পরিবার, প্রত্যেক সংস্থা, প্রতিটি সংগঠন, সমস্ত বিভাগ, প্রত্যেকমন্ত্রককেই নিজের নিজের অবদান রাখতে হবে| যেভাবে কোনো স্টেশন থেকে যখন ট্রেন চলতেশুরু করলে পাঁচ-দশ মিনিট পরে নিজের সম্পূর্ণ গতিতে আসে, সেভাবেই ২০১৮ সালের এই বছরহচ্ছে নিজেদের সম্পূর্ণ গতি ব্যবহারের জন্য| দেশেরবিজ্ঞানীদেরও, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে যুক্ত ব্যক্তিদেরও নিজেদের উদ্ভাবনা ওগবেষণার সমস্ত লক্ষ্য নিউ ইন্ডিয়া নির্মাণের দিকেই কেন্দ্রীভূত করতে হবে| আপনারউদ্ভাবনা দেশের গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষকে মজবুত করবে, দেশকে শক্তিশালী করবে| আধারহোক, প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর হোক, মৃত্তিকা স্বাস্থ্যপত্র হোক, স্যাটেলাইট ওড্রোনের মাধ্যমে প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা হোক—এইসব ব্যবস্থা আপনাদেরই তৈরি করা| এধরনের আর কী কী করা যায়, কীভাবে কর্মসংস্থান-নির্ভর অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করাযায়—এসব নিয়ে বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সহায়তা করতে পারে| বিশেষ করে দেশেরগ্রামীণ এলাকায় সেখানকার মানুষের প্রয়োজনীয়তার নিরিখে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসা,নতুন প্রযুক্তিকে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের ভুমিকা অনেকগুরুত্বপূর্ণ| বন্ধুগণ, গৃহনির্মাণ, পানীয় জল, বিদ্যুত,রেলওয়ে, নদী, সড়ক, বিমানবন্দর, সেচ, যোগাযোগ, ডিজিট্যাল পরিকাঠামোর মত অনেকক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবনা আপানাদের অপেক্ষা করছে| সরকারআপনাদের সঙ্গে রয়েছে, সম্পদ আপনাদের সঙ্গে রয়েছে, সামর্থ্য আপনাদের কারো কম নয়,তাই সফলতাকেও আপনাদের কাছে আসতেই হবে| আপনারা সফল হলে দেশ সফল হবে| আপনাদের সংকল্পপূরণ হলে দেশের সংকল্প পূরণ হবে| বন্ধুগণ, পরবর্তী কর্ম পরিকল্পনা থাকলেইউদ্বোধন বা সূচনা এক উদ্দেশ্য সাধন করে| আমি জেনে খুশি হয়��ছি যে, এই উদ্বোধনের পরআকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ নানা কর্ম পরিকল্পনা রয়েছে| আমাকেবলা হয়েছে যে, ১০০টির বেশি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে আউটরিচ লেকচারের পরিকল্পনা করাহয়েছে| তাছাড়া রয়েছে বেশকিছু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন, বৈজ্ঞানিকভাবে ১২৫টিকঠিন সমস্যার সমাধান নিয়ে প্রতিযোগিতা ইত্যাদি| মেধাবীকোনো ধারণার প্রাসঙ্গিকতা সময়ের গণ্ডি অতিক্রম করে যায় এবং তারপরও তা আলোচনারবিষয়বস্তু হয়ে থাকে| বর্তমান সময়েও আচার্য বসুর কর্মকৃতি বৈজ্ঞানিকদের অনুপ্রেরণাজুগিয়ে যাচ্ছে| বৈজ্ঞানিকগবেষণার উদীয়মান ক্ষেত্রে আপনাদের উদ্দম সফল হোক বলে আমি কামনা করি| আমার দৃঢ় বিশ্বাসযে, আপনাদের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশের সামনে এক উন্নত ও উজ্জ্বল ভবিষ্যত খুলে যাবে| আমিআপনাদের সবাইকে এক পরিপূরক ও সৃজনশীল নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি| জয়হিন্দ!",অধ্যাপক এছ.এন. বসুৰ ১২৫ সংখ্যক জন্ম বৰ্ষপূৰ্তি সমাৰোহৰ আৰম্ভণি অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%98%E0%A7%8B%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লি, ০১ নভেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী আজ গুজরাটের পাঁচমহলের জম্বুঘোড়ায় ৮৬০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। অনুষ্ঠানের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুজরাটের আদিবাসী সম্প্রদায়ের জনগণের জন্য আজকের দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সকালে মানগড় সফরের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে তিনি গোবিন্দ গুরু এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মবলিদান দেওয়া হাজার হাজার আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এই এলাকার সঙ্গে দীর্ঘদিনের যোগাযোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমরা সকলে গর্বিত কারন, আমরা শহীদ জোরিয়া পরমেশ্বর, রূপসিং নায়েক, গালালিয়া নায়েক, রভজিদা নায়েক এবং বাবারিয়া গালমা নায়েক-এর মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলের জন্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দক্ষতা, উন্নয়নের মতো বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছি আজ। এর মধ্যে গোবিন্দ গুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় রয়েছে। এই প্রকল্পগ���লি এখানকার আদিবাসী শিশুদের বিশেষ উপকারে আসবে। জম্বুঘোড়াকে পবিত্র স্থান বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এখানকার আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বীর গাঁথার কথা স্মরণ করেন। ১৮৫৭ সালের সংগ্রামে নায়েকদা আন্দোলন যে গতি সঞ্চার করেছিল সে প্রসঙ্গও তুলে ধরেন শ্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে গাছে এই আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত রূপসিং নায়েক ও পরমেশ্বর জোরিয়া-কে ব্রিটিশরা ফাঁসি দিয়েছিল সেখানে শ্রদ্ধা জানানোর সৌভাগ্য হয়েছে তাঁর। প্রধানমন্ত্রী বহু বছর আগে গুজরাটে চালু হওয়া এক ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করেন যেখানে শহীদদের নামে বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হত। বর্তমানে সেই বিদ্যালয়গুলি সম্পূর্ণ নতুন রূপে সেজে উঠেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। গুজরাটে দু-দশক আগে তৎকালীন সরকার উন্নয়নের গতিকে যেভাবে রুদ্ধ করেছিল সে প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শিক্ষা, পুষ্টি এবং জল সরবরাহের মতো মূল সুবিধাগুলি থেকে বঞ্চিত ছিলেন আদিবাসী জনগণ। “পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সবকা প্রয়াসের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছি” বলে মন্তব্য করেন শ্রী মোদী। তিনি বলেন, “আমাদের আদিবাসী ভাই ও বোনেরা বর্তমানে পরিবর্তনের দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন এবং সরকারও তাদের সম্ভাব্য সব রকম সাহায্য করছে।” প্রধানমন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা মাধ্যমের প্রায় ১০ হাজার নতুন বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। আদিবাসী এলাকাগুলিতে একলব্য মডেলের বিদ্যালয়, মেয়েদের জন্য বিশেষ আবাসিক বিদ্যালয় এবং আশ্রমশালা গড়ে তোলা হয়েছে। বিদ্যালয়গুলিতে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হচ্ছে, মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে বাসে যাতায়াতের সুবিধাও দেওয়া হয়েছে। কন্যা শিক্ষা রথ-এর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের নিরলস চেষ্টায় বর্তমানে আদিবাসী এলাকার মেয়েরাও বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন। আদিবাসী এলাকায় গত দু-দশকে ১১টি বিজ্ঞান কলেজ, ১১টি বাণিজ্য বিভাগের কলেজ, ২৩টি কলা বিভাগের কলেজ এবং শত শত হস্টেল চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০-২৫ বছর আগে আদিবাসী অঞ্চলে বিদ্যালয়ের যে অপ্রতুলতা ছিল সেদিকে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, “বর্তমানে দুটি আদিবাসী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। গোধরার গোবিন্দগুরু বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্মদার বীরসা মুন্ডা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।” আমেদাবাদের দক্ষতা বিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয়টিও পাঁচমহল এলাকার তরুণ-তরুণীদের জন্য বিশেষ সহায়ক হবে বলে শ্রী মোদী উল্লেখ করেন। বন বন্ধু কল্যাণ যোজনা গত দশকে আদিবাসী জেলাগুলিতে সর্বাত্মক উন্নয়নের ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, গত ১৪-১৫ বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করা হয়েছে এই প্রকল্পে। আগামীদিনে গুজরাট সরকার আরো ১ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও তিনি জানান। এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের ওপর দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদিবাসী এলাকায় নলবাহিত জলের সুবিধা এবং ডেয়ারী ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। ফলে আয় বাড়ছে আদিবাসী যুবক-যুবতীদের। বৃত্তি শিক্ষা কেন্দ্র আইটিআই, কিষাণ বিকাশ কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে ১৮ লক্ষের বেশি আদিবাসী তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদিবাসী অঞ্চলে হাসপাতাল ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সমস্যাও ছিল। “বর্তমানে ডাবল ইঞ্জিন সরকার গ্রাম স্তরে শত শত ছোট হাসপাতাল গড়ে তুলেছে এবং আদিবাসী অঞ্চলে ১ হাজার ৪০০র বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে” বলে জানান তিনি। গোধরা মেডিকেল কলেজের নতুন ভবন বিশেষ কার্যকর হয়ে উঠবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। “সবকা প্রয়াসের ফলে আদিবাসী জেলাগুলির প্রতিটি গ্রামে সড়কের মানোন্নয়ন হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগও পাওয়া যাচ্ছে”- বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে আদিবাসী সমাজের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপি সরকার দেশে প্রথম আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রক গড়েছে এবং বন ধন-এর মতো বিশেষ প্রকল্প সফলভাবে রূপায়িত হয়েছে। ব্রিটিশ শাসনকাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সময়ের নিরিখে বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় বাঁশ বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে অনেকটাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভগবান বীরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী জন জাতীয় গৌরব দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডাবল ইঞ্জিন সরকারের অবিরাম চেষ্টায় দরিদ্র, পিছিয়ে পড়া ও আদিবাসী সমাজের মানুষের ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি রেশন প্রকল্প, বিনামূল্যে কোভিডের টিকা, দরিদ্রদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুবিধা, গর্ভবতী মহিলাদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা এবং প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার কথা তুলে ধরেন। ভারতীয় সংস্কৃতি ও আস্থা রক্ষায় আদিবাসী নেতারা যে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন সেই প্রসঙ্গে আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাভাগড় মন্দির সংস্কার করা হয়েছে। অম্বাজি মাতা ধাম এবং দেব মোগড়া মা মন্দিরেরও সংস্কারের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যটনের মান বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্মসংস্থানের মান বাড়ছে। পাঁচমহলের মতো স্থানগুলি এখন পর্যটনের দিক থেকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই অঞ্চলের উন্নয়ন আদিবাসীদের জন্য গর্বের বিষয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বক্তব্যের শেষে প্রধানমন্ত্রী ডাবল ইঞ্জিন সরকারের উন্নয়নী কাজের কথা উল্লেখ করে বলেন, উন্নয়নের সুবিধা প্রত্যেকের কাছে পৌঁছানো উচিত। তিনি বলেন, “কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে তৃণমূল স্তরে পরিবর্তন আনায় আমাদের লক্ষ্য। একসঙ্গে আমরা উন্নত গুজরাট এবং উন্নত ভারত গড়ে তুলবো”- এই বলে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, সাংসদ ও গুজরাট মন্ত্রিসভার সদস্যরা। প্রেক্ষাপট প্রধানমন্ত্রী পাঁচমহলের জম্বুঘোড়ায় ৮৬০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। তিনি গোধরার শ্রী গোবিন্দগুরু বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্মদার বীরসা মুন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেন। এছাড়াও গোধরা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ও গোধরা মেডিকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। দক্ষতা বিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় কৌশল্য-এর সম্প্রসারণের কাজে সূচনাও করেন। ৬৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টির সম্প্রসারণের কাজ সম্পন্ন করা হল।",গুজৰাটৰ জাম্বুঘোডাত প্ৰায় ৮৬০ কোটি টকাৰ প্ৰকল্পৰ আধাৰশিলা আৰু দেশবাসীৰ নামত উৎসৰ্গা কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%A1-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%B1/,"প্যালেস্তাইন, সংযুক্ত আরব আমীরশাহী এবং ওমান সফরের প্রাক্কালে প্রদত্ত এক বিবৃতিতেপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন : “৯-১২ ফেব্রুয়ারি আমি এক দ্বিপাক্ষিক সফরে প্যালেস্তাইন, সংযুক্ত আরবআমীরশাহী এবং ওমানে যাচ্ছি। ২০১৫ সাল থেকে শুরু করে এই নিয়ে পঞ্চমবার আমি উপসাগরীয় এবং পশ্চিম এশীয়অঞ্চল সফর করব। বৈদেশিক সহযোগিতা প্রস��রের ক্ষেত্রে এই অঞ্চলটি রয়েছে আমাদের একবিশেষ অগ্রাধিকারের তালিকায়। এই দেশগুলির সঙ্গে বিভিন্ন দিক থেকে আমাদের বেশঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। জর্ডনের মধ্য দিয়ে যাত্রা করে আমার এই সফর সূচি শুরু হবে ১০ ফেব্রুয়ারিপ্যালেস্তাইনে। এইভাবে আমাকে তাঁদের দেশের মধ্য দিয়ে যাত্রার সুযোগ করে দেওয়ারজন্য আমি কৃতজ্ঞ জর্ডনের মাননীয় রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লার কাছে। ০৯ ফেব্রুয়ারিআম্মানে তাঁর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎকার ঘটবে। ভারত থেকে এই প্রথম একজন প্রধানমন্ত্রী প্যালেস্তাইন সফরে যাচ্ছেন। সেখানেপ্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে আলোচনা বৈঠকে মিলিত হওয়ার জন্য আমি বিশেষভাবেউৎসুক। প্যালেস্তানীয় জনসাধারণ এবং সেখানকার উন্নয়নে আমাদের সমর্থন ও সহযোগিতারকথা আমি তাঁর কাছে পুনর্ব্যক্ত করব। আমি সংযুক্ত আরব আমীরশাহী সফর করব আগামী ১০ ও ১১ তারিখে। এই দেশটি হ’লআমাদের এক মূল্যবান কৌশলগত অংশীদার। অর্থনীতি, জ্বালানি, উচ্চ প্রযুক্তি ওনিরাপত্তা সহ সবকটি প্রধান প্রধান ক্ষেত্রেই আমরা তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতার মাত্রাকেআরও প্রসারিত করেছি। এই সমস্ত ক্ষেত্রে এবং আরও নানা বিষয়ে আমাদের অগ্রগতিরপ্রশ্নটি সংযুক্ত আরব আমীরশাহীর উপ-রাষ্ট্রপ্রধান তথা প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়েরশাসক মাননীয় শেখ মহম্মদ বিন রশিদ আল মক্তুম এবং আবুধাবির যুবরাজ মাননীয় শেখ মহম্মদবিন জায়েদ আল নাইয়ানের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকগুলিতে আলোচনা করব। সংযুক্ত আরব আমীরশাহী নেতৃত্বের আমন্ত্রণে আমি দুবাইয়ে আন্তঃসরকারি বিশ্ববৈঠকের ষষ্ঠ পর্যায়ে ভাষণদান করব। সেখানে ভারতের উপস্থিতি একটি সম্মানিত রাষ্ট্রহিসাবে। ঐ দিনই ভারতের বিশাল অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে দুবাইয়ে সংযুক্ত আরবআমীরশাহী এবং আরব সিইও-দের সঙ্গে আমি আলোচনা করব। একই সঙ্গে, পারস্পরিক বাণিজ্যিকসহযোগিতার আরও কিভাবে প্রসার ঘটানো যায়, সে সম্পর্কেও আমি তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময়করব। ওমান হ’ল আমাদের এক ঘনিষ্ঠ নৌ-প্রতিবেশী। এই দেশটির সঙ্গে আমাদের খুবই মধুরসম্পর্ক রয়েছে। তাই ওমানের মাননীয় সুলতান এবং অন্যান্য বিশিষ্ট নেতাদের সঙ্গেই আমিকথা বলব। ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করে তোলার বিষয়ে আমিআলাপ-আলোচনা করব ওমানের বিশিষ্ট বাণিজ্য কর্তাদের সঙ্গে। আমি আগেই বলেছি যে, ওমান হ’ল আমাদের এক নিবিড় সামুদ্রিক প্রতিবেশী, যা��েরসঙ্গে আমাদের রয়েছে খুবই সুন্দর এক সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ১১ থেকে ১২ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে সফরের সুযোগ পাওয়ায় আমি আনন্দিত। দু’দেশের জনসাধারণেরমধ্যে আদান-প্রদানের সম্পর্কটির মূল প্রোথিত রয়েছে বহু শতাব্দীর গভীরে। ১১ ফেব্রুয়ারির সন্ধ্যায় ওমানের মাননীয় সুলতানের সঙ্গে আমার বৈঠক হওয়ার কথারয়েছে। ঐ দেশের মন্ত্রী পরিষদের উপ-প্রধানমন্ত্রী মাননীয় সঈদ ফাহ বিন মাহমুদ আলসঈদ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিষয়ক উপ-প্রধানমন্ত্রী মাননীয় সঈদ আশাদবিন তারিক আল সঈদ-এর সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হব আমি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পর্যালোচনাএবং আমাদের ঐতিহ্যবাহী শক্তিশালী সম্পর্কের প্রসার – এই দুটি বিষয় রয়েছে আমাদেরআলোচ্যসূচির মধ্যে। ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখে ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারকরে তোলার বিষয়ে আমি আলোচনা করব ওমানের বিশিষ্ট বাণিজ্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে। ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমীরশাহী – দুটি দেশেই সেখানকার ভারতীয় বংশোদ্ভূতবিরাট জনসংখ্যার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ আমি লাভ করব। ৯০ লক্ষেরওবেশি ভারতীয় বর্তমানে কর্মসূত্রে উপসাগরীয় অঞ্চলে বসবাস করছেন। তাঁদের প্রায়এক-তৃতীয়াংশেরই বসবাস সংযুক্ত আরব আমীরশাহীতে। অন্যদিকে, ওমানে আবার অন্য দেশ থেকেআগত জনগোষ্ঠীর মধ্যেই ভারতীয়রাই বৃহত্তম। উপসাগরীয় দেশগুলির সঙ্গে ভারতের মৈত্রী সম্পর্কের সেতু-বন্ধন রচনা করেছেন এইপ্রবাসী ভারতীয়রাই। ঐ দেশগুলির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি প্রচেষ্টায় তাঁরা হলেন এক সক্রিয়অংশীদার। আমার এই সফর সূচির মধ্য দিয়ে পশ্চিম এশিয়া এবং উপসাগরীয় অঞ্চলগুলির সঙ্গেআমাদের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হয়ে উঠবে বলেই আমি বিশ্বাসকরি। …","পেলেষ্টাইন, ইউনাইটেড আৰৱ এমিৰেটছ আৰু ওমানলৈ ৰাওনা হোৱাৰ পূৰ্বে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ বিবৃতি" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A7%8C%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%B1%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A7%8D/,"মাননীয় রয়্যাল হাইনেস মহম্মদ বিন সলমান বিন আব্দুল-আজিজ অল সৌদ, সদেকি, মারহবা বিকুম ফিল হিন্দ। বন্ধুগণ, ভারতে প্রথমবার রয়্যাল হাইনেস মহম্মদ বিন সলমান বিন আব্দুল-আজিজ অল সৌদের রাজকীয় সফর উপলক্ষে তিনি ও তাঁর প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ভারত এবং সৌদি আরবের আর্থিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক কয়েক শতাব্দী প্রাচীন। আর এই সম্পর্ক সর্বদাই সৌহার্দ্য ও মৈত্রীপূর্ণ। আমাদের জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ এবং নিকট সম্পর্ক উভয় দেশের মধ্যে একটি সজীব সেতু গড়ে তুলেছে। মাননীয় সুলতানের ব্যক্তিগত রুচি এবং পথপ্রদর্শক ভূমিকা উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও প্রগাঢ়, মধুর এবং শক্তিশালী করেছে। আজ একবিংশ শতাব্দীতে সৌদি আরব ভারতের সবথেকে মূল্যবান কৌশলগত অংশীদারদের মধ্যে অন্যতম। আমাদের বৃহত্তর প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশ এবং ভারতের প্রাণশক্তির গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ২০১৬ সালে আমার সৌদি আরব সফরের সময় আমরা নিজেদের সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে বিশেষ করে, জ্বালানি এবং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে অনেক নতুন মাত্রা সংযোজন করতে পেরেছি। দু’মাস আগে আর্জেন্টিনায় আপনার সঙ্গে আমার সাক্ষাতের পরিণামস্বরূপ নিরাপত্তা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব নতুন মাত্রা লাভ করেছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আপনার পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের দ্বিবার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন এবং স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ কাউন্সিল গঠিত হয়েছে। এর ফলে, আমাদের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে। বন্ধুগণ, আজ আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমস্ত বিষয় নিয়ে আরও ব্যাপক এবং সার্থক আলোচনা হয়েছে। আমরা পারস্পরিক আর্থিক সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের অর্থনীতিতে সৌদি আরবের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকে সুবিধাজনক করে তুলতে আমরা একটি কাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহমত হয়েছি। আমি ভারতে পরিকাঠামো উন্নয়ন ক্ষেত্রে সৌদি আরবের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই। মাননীয়েষু, আপনার ‘ভিশন ২০৩০’ এবং আপনার নেতৃত্বে আর্থিক সংস্কার, ভারতের প্রধান কর্মসূচিগুলি যেমন, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’ ইত্যাদির পরিপূরক। আমাদের জ্বালানি সংক্রান্ত সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপান্তরণের সময় এসে গেছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ তৈল শোধনাগার এবং কৌশলগত পেট্রোলিয়াম রিজার্ভের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের অংশীদারিত্ব, আমাদের জ্বালানি সংক্রান্ত সম্পর্ককে ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্কের ঊর্ধ্বে নিয়ে গেছে। আমরা অচিরাচরিত জ্বালানি ক্ষেত্রে নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশা���ী করার ক্ষেত্রে সহমত হয়েছি। আমরা আন্তর্জাতিক সৌর জোটে সৌদি আরবকে স্বাগত জানাই। পরমাণু জ্বালানির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, বিশেষ করে, ‘ওয়াটার ডিস্যালিনেশন’ এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা নতুন মাত্রা প্রদান করবে। আমাদের কৌশলগত পারস্পরিক নিরাপত্তা সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী এবং এর ক্ষেত্রকে আরও বিস্তারিত করতে আমরা সহমত হয়েছি। গত বছর ভারত সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠিত ‘জনাদ্রিয়াহ্‌ সমারোহ’-এ গেস্ট-অফ-অনার ছিল। আজ আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাণিজ্য এবং পর্যটন বৃদ্ধির জন্য সৌদি আরবের নাগরিকদের ই-ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হজে অংশগ্রহণকারী ভারতীয়দের সংখ্যা বৃদ্ধির অনুমতির জন্য আমরা মাননীয় সুলতান এবং যুবরাজের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হল ২৭ লক্ষ ভারতীয় নাগরিকের সৌদি আরবে শান্তিপূর্ণ এবং কার্যকর উপস্থিতি। মাননীয় যুবরাজ, সৌদি আরবের উন্নয়নে ভারতীয়দের ইতিবাচক অবদানের প্রশংসা করেছেন। আপনারা সর্বদাই তাঁদের সুখ-স্বাচ্ছ্বন্দ্যের খেয়াল রেখেছেন। সেজন্য তাঁদের কৃতজ্ঞতা এবং প্রার্থনা আপনাদের সঙ্গে রয়েছে। বন্ধুগণ, গত সপ্তাহে পুলওয়ামায় বর্বর সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ হয়েছে। এহেন মানবতা বিরোধী শক্তিগুলির মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপ নিতে আমরা একমত হয়েছি। যে দেশগুলি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে, তাদের ওপর সমস্তরকম চাপ সৃষ্টি করার প্রয়োজন রয়েছে। সন্ত্রাসবাদের পরিকাঠামো ধ্বংস করা ও তাদের প্রতি সমর্থন সমাপ্ত করতে সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের সমর্থকদের শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি, উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে সহযোগিতা এবং সেজন্য একটি শক্তিশালী রণকৌশল গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে যাতে হিংসা এবং আতঙ্ক আমাদের যুবসম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত না করতে পারে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে সৌদি আরব এবং ভারত এক্ষেত্রে সহমত। বন্ধুগণ, পশ্চিম এশিয়া এবং উপসাগরীয় দেশগুলিতে শান্তি এবং স্থিরতা সুনিশ্চিত করার জন্য আজ আমরা আলোচনা করেছি। এক্ষেত্রে আমাদের যৌথ উদ্যোগকে আরও বেশি সুনিয়ন্ত্রিত করা এবং আমাদের অংশীদারিত্বকে আরও ত্বরান্বিত করতে আমরা সহমত হয়েছি। আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং সাইবার নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলিতেও দ্বিপাক��ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহমত হয়েছি। মাননীয় রয়্যাল হাইনেস, আপনার এই সফর আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের দ্রুত উন্নয়নকে একটি মাত্রা প্রদান করেছে। আমি আরেকবার আমাদের নিমন্ত্রণ স্বীকার করার জন্য মাননীয় যুবরাজকে ধন্যবাদ জানাই। আমি তাঁর এবং সঙ্গে আসা প্রতিনিধিদলের সুখকর ভারত সফর কামনা করি। অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",ছৌদি আৰৱৰ সম্ৰাটৰ ভাৰত ভ্ৰমণকালত প্ৰধানমন্ত্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদীৰ প্ৰেছ বিবৃতি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বর্হিমহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারত ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতাপত্রটি স্বাক্ষরের বিষয়টি অনুমোদন করেছে। গত ১০ই জানুয়ারি নতুন দিল্লীতে এই সমঝোতাপত্রটি স্বাক্ষরিত হয়। এই মউ স্বাক্ষরের ফলে পৃথিবীর দূর সংবেদন ক্ষেত্রে নতুন ধরনের গবেষনামূলক কাজকর্মের ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। এছাড়া, উপগ্রহ সংযোগ, উপগ্রহ দিক নির্ণয় এবং বর্হিমহাকাশের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক গবেষনার কাজে গতি আসবে। ফিনল্যান্ড সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার বাতাবরণ গড়ে তোলার ফলে মানব সমাজের উপকারে মহাকাশ প্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে যৌথ আদান-প্রদান অনেকাংশে বাড়বে। প্রসঙ্গত, এই মউ স্বাক্ষরের ফলে যেসব বিষয়গুলি সহযোগিতামূলক কাজকর্ম বাড়বে, তারমধ্যে রয়েছে- · পৃথিবীর দূর সংবেদী বৈজ্ঞানিক গবেষনা · উপগ্রহ সংযোগ এবং উপগ্রহ ভিত্তিক দিক নির্ণয় · মহাকাশ বিজ্ঞান এবং গ্রহের অন্বেষণ · মহাকাশের বিভিন্ন বস্তুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা · ভারতীয় উৎক্ষেপনযানের সাহায্যে ফিনল্যান্ডের মহাকাশযান উৎক্ষেপন · মহাকাশ সংক্রান্ত তথ্যের প্রক্রিয়াকরণ এবং ব্যবহার · ধাবাহারিকভাবে বর্হিমাকাশের ব্যবহার ইত্যাদি এই মউ-এর আওতায় অংশগ্রহণকারীরা বা রূপায়ণকারী সংস্হাগুলি প্রোজেক্ট টিম গড়ে তুলবেন প্রয়োজনে, যাতে বিশেষ কিছু সমবায় প্রকল্প পরিচালনা করা যায়। /",বহিৰ্মহাকাশৰ শান্তিপূর্ণ ব্যৱহাৰৰ ক্ষেত্রত ভাৰত আৰু ফিনলেণ্ডৰ মাজত সহযোগিতা সংক্রান্তীয় বুজাবুজি চুক্তিৰ স্বাক্ষৰৰ বাবে কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%B1-%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AC/,"নতুন দিল্লি, ১ জানুয়ারি, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একটি ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ""নববর্ষ ২০২২-এর শুভেচ্ছা! এই বছরটি প্রত্যেকের জীবনে অপার খুশি ও সুস্বাস্থ্য নিয়ে আসুক। আমরা অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির নতুন উচ্চতায় পৌঁছোতে থাকি এবং আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্ন পূরণে আরও কঠোর পরিশ্রম করি।"" /",নৱ বৰ্ষ উপলক্ষে ৰাষ্ট্ৰবাসীক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%9A%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A6%9A%E0%A6%A4-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%B8/,"নয়াদিল্লি, ১২ মে, ২০২২ নমস্কার! আজকের এই ‘উৎকর্ষ সমারোহ’ প্রকৃতপক্ষেই একটি উত্তম সমাবেশ, আর এই সমাবেশ প্রমাণ করছে যে, যখন সরকার সততার সঙ্গে একটি সঙ্কল্প নিয়ে সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দেয়, তখন কত সার্থক পরিণাম উঠে আসতে পারে। আমি ভারুচের জেলা প্রশাসনকে, গুজরাট রাজ্য সরকারকে সামাজিক নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত চারটি প্রকল্পের ১০০ শতাংশ ‘স্যাচুরেশন কভারেজ’-এর জন্য – আপনাদের সবাইকে যত শুভেচ্ছাই জানাই না কেন, তা কম পড়বে। আপনারা সবাই অনেক অনেক ধন্যবাদের অধিকারী। একটু আগেই আমি যখন এই প্রকল্পগুলির সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখন আমি দেখছিলাম যে তাঁদের মনে কত আনন্দ, কত আত্মবিশ্বাস। অনেক সমস্যার মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে যখন সরকারের দিক থেকে ছোট ছোট সাহায্যও পাওয়া যায়, তখন মানুষের মনে সাহস আরও বেড়ে যায়, আর সমস্যা নিজেই অসহায় হয়ে পড়ে, আর যাঁরা সেই সমস্যাগুলির মোকাবিলা করেন তাঁরা মজবুত হয়ে ওঠেন। এটা আমি আজ আপনাদের সকলের সঙ্গে কথা বলার সময় অনুভব করছিলাম। এই চারটি প্রকল্পে যে যে বোনেরা উপকৃত হয়েছেন, যে যে পরিবারগুলি উপকৃত হয়েছে, তাঁরা সবাই আমার জনজাতি সমাজের ভাই ও বোনেরা, আমার দলিত, পিছিয়ে পড়া সমাজের ভাই ও বোনেরা, আমার সংখ্যালঘু সমাজের ভাই ও বোনেরা। আমরা প্রায়ই দেখি যে সচেতনতার অভাবে, সঠিক তথ্যের অভাবে অনেক মানুষ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে যান। কখন��� কখনও তো প্রকল্পগুলি কাগজেই থেকে যায়, আবার কখনও কখনও কিছু অসৎ মানুষ প্রকৃত দাবীদারদের প্রকল্পগুলির সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেন। কিন্তু যখন ইচ্ছাশক্তি প্রবল হয়, দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট হয়, সততার সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা থাকে, আর যে বিষয়টা নিয়ে আমি সব সময় কাজ করার চেষ্টা করি, সেটা হল – ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর ভাবনা, যা থেকে নিশ্চিতভাবেই ইতিবাচক পরিণাম পাওয়া যায়। যে কোনও প্রকল্পকে ১০০ শতাংশ সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া একটা অনেক বড় লক্ষ্য। এ কাজ অত্যন্ত কঠিন কিন্তু, এটাই সঠিক পথ। আমি সমস্ত সুবিধাভোগীদের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে এই সাফল্যের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাতে চাই। বন্ধুগণ, আপনারা সবাই জানেন যে যেদিন আপনারা আমাকে গুজরাট থেকে দিল্লিতে সেবার জন্য পাঠিয়েছেন, দেশের সেবার জন্য পাঠিয়েছেন, আজ সেই শুভ দিনটির আট বছর পূরণ হতে চলেছে। আট বছরের এই সেবা, সুশাসন এবং গরীব কল্যাণের প্রতি সমর্পিত ছিল। আজ আমি যা কিছু করতে পারছি, সেগুলি সব আপনাদের কাছেই শিখেছি। আপনাদের মধ্যে থেকে বাঁচার মাধ্যমে উন্নয়ন কাকে বলে, দুঃখ, ব্যথা কাকে বলে, দারিদ্র্য কাকে বলে, সমস্যার পাহাড় কাকে বলে – এই সবকিছু অত্যন্ত কাছে থেকে অনুভব করেছি, আর সেই অভিজ্ঞতাই পুঁজি করে আজ গোটা দেশের জন্য, দেশের কোটি কোটি নাগরিকের জন্য একজন পরিবারের সদস্য রূপে কাজ করে চলেছি। আমাদের সরকার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে গরীবদের কল্যাণের স্বার্থে রচিত প্রকল্পগুলির মাধ্যমে এগুলির দাবীদার যত সুবিধাভোগী রয়েছেন, সেই দাবীদাররা কেউ যেন বাদ না যান, সমস্ত দাবীদার যেন উপকৃত হন, আর সবাই যেন সম্পূর্ণ রূপে উপকৃত হন! আর আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, যখন আমরা যে কোনও প্রকল্পে ‘হান্ড্রেড পার্সেন্ট’ বা ১০০ শতাংশ লক্ষ্য পূরণ করি, তখনই এটা ১০০ শতাংশ হয়। এটা একটি নিছক পরিসংখ্যান নয়, এটা শুধুই খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়ার মতো কোনও বিষয় নয়, এর মানে হল শাসন, প্রশাসন – যা অত্যন্ত সংবেদনশীল, আর আপনাদের সমস্ত সুখ ও দুঃখের সাথী, এটাই তার সবচাইতে বড় প্রমাণ। আজ দেশে আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের আট বছর পূর্ণ হচ্ছে। আর যখন আট বছর পূর্ণ হচ্ছে, তখন আমরা একটি নতুন সঙ্কল্প নিয়ে, নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার সঙ্গে একদিন একজন অনেক বড় নেতার দেখা হয়। অনেক বয়স্ক নেতা। তিনি এমনিতে আমাদের নিয়মিত বিরোধিতা ���রেন, রাজনৈতিক বিরোধিতাও করেন, কিন্তু আমি তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও সম্মান করি। একদিন কিছু বিষয় নিয়ে তিনি আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন আর বলেন, মোদীজি এটা কী করব? দুই দুইবার আপনাকে দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দিয়েছে, এখন কী করা যাবে? তাঁর মনে হচ্ছিল যে দুইবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে গিয়েছি মানে অনেক কিছু হয়ে গিয়েছি। তিনি জানতেন না যে মোদী পুরো ভিন্ন মাটি দিয়ে তৈরি। এই গুজরাটের মাটি তাঁকে তৈরি করেছে। আর সেজন্য যাই-ই হয়েছে, ভালোই হয়েছে। চলো, এখন আরাম করি। না, আমার স্বপ্ন হল ‘স্যাচুরেশন’! ১০০ শতাংশ লক্ষ্যের দিকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সরকারি মেশিনারিকে আমরা এই অভ্যাসে অভ্যস্ত করব। নাগরিকদের মনেও আমরা অটুট বিশ্বাসের জন্ম দেব। আপনাদের হয়তো মনে আছে, ২০১৪ সালে যখন আপনারা আমাকে দেশের সেবার সুযোগ দিয়েছিলেন, আমাকে দিল্লিতে পাঠিয়েছিলেন, তখন দেশের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা শৌচালয়ের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল, টিকাকরণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল, বিদ্যুৎ সংযোগের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সুবিধা কয়েকশ’ মাইল দূরে ছিল, অধিকাংশ গরীবরাই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। গত আট বছরে আমরা সকলের প্রচেষ্টায় অনেক প্রকল্পকে ১০০ শতাংশ ‘স্যাচুরেশন’-এর কাছাকাছি আনতে পেরেছি। এখন আট বর্ষ পূর্তির এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আরও একবার কোমর বেঁধে, ‘সবকা সাথ’ বা সকলকে সঙ্গে নিয়ে, ‘সবকা প্রয়াস’ বা সকলের প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে হবে আর প্রত্যেক দরিদ্র মানুষকে, প্রত্যেক দাবীদারকে তাঁদের অধিকার প্রদানের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যেতে হবে। আমি আগেই বলেছি, এই কাজ অনেক কঠিন হয়। রাজনৈতিক নেতারাও এগুলিতে হাত দিতে ভয় পান। কিন্তু আমি রাজনীতি করার নয়, আমি শুধু এবং শুধুই দেশবাসীর সেবা করার জন্য এসেছি। দেশ যখন সঙ্কল্প গ্রহণ করেছে ১০০ শতাংশ দাবীদারদের কাছে পৌঁছনোর আর যখন তা বাস্তবায়িত হয়, ১০০ শতাংশে পৌঁছয়, তখন সবার আগে যে মানসিক পরিবর্তন আসে, সেটাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই মানসিক অবস্থায় দেশের নাগরিকরা যাচকের অবস্থা থেকে সবার আগে বাইরে বেরিয়ে আসেন। দেশবাসীর মনে যে ভিক্ষার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার মনোভাব, সেটা থেকে মুক্তি পায়। তাঁদের মনে একটি আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হয় যে এটা আমার দেশ, এই সরকার আমার, এই সরকারের অর্থের ওপর আমার অধ���কার রয়েছে, আমার দেশের নাগরিকদের প্রত্যেকেরই এই অধিকার আছে। এই ভাব তাঁদের মনের ভেতরে জন্ম নেয় আর সেই মনোভাব তাঁদের ভেতরে কর্তব্যের বীজকেও বপন করে দেয়। বন্ধুগণ, যখন ‘স্যাচুরেশন’ আসে, তখন বৈষম্যের সমস্ত অভিযোগ শেষ হয়ে যায়, কারোর সুপারিশের প্রয়োজন পড়ে না। প্রত্যেকের মনে বিশ্বাস থাকে, অমুক হয়তো আগে পেয়েছে, কিন্তু পরে আমিও পাবই। হয়তো দু’মাস পরে পাব, হয়তো ছ’মাস পরে পাব, কিন্তু অবশ্যই পাব। সেজন্য কারোর সুপারিশের প্রয়োজন পড়বে না। যাঁরা দেবেন, তাঁরাও একথা বলতে পারবেন না যে, তুমি আমার নিজের, সেজন্য দিচ্ছি, আর অমুক আমার নিজের নয়, সেজন্য দিচ্ছি না। এই বৈষম্য আর সম্ভব হবে না। আজ দেশ সঙ্কল্প নিয়েছে যে, ১০০ শতাংশ দাবীদারদের কাছে সব প্রকল্প পৌঁছনোর। আজ যখন ১০০ শতাংশে আমরা পৌঁছেছি, তখন এই ক্ষেত্রে তুষ্টিকরণের রাজনীতি সমাপ্ত হয়ে যায়। সেজন্য তুষ্টিকরণের আর কোনও জায়গা বাকি থাকে না। ১০০ শতাংশ সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছনোর মানে হল সমাজের অন্তিম সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির কাছে পৌঁছনো, যাঁর কিছুই নেই, সর্বহারা, তাঁর জন্য সরকার থাকে, তাঁর জন্য সরকারের সঙ্কল্প থাকে, সরকার তাঁর বিশ্বস্ত সাথী হয়ে এগিয়ে চলে – এই মনোভাব দেশের দূরদুরান্তের অরণ্য প্রদেশে বসবাসকারী আমার জনজাতি ভাই ও বোনেদের অনুভব করাতে হবে, কিংবা বস্তিতে বসবাসকারী আমার গরীব মা ও বোনেরা হোন, বৃদ্ধাবস্থায় একাকী জীবন কাটানো কোনও ব্যক্তি হোন – প্রত্যেকের মনে এই বিশ্বাসের জন্ম দিতে হবে যে তাঁর অধিকারের জিনিসটি তাঁর দরজায় গিয়ে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বন্ধুগণ, ১০০ শতাংশ সুবিধাভোগীদের কভারেজ, অর্থাৎ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমানভাবে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’, ১০০ শতাংশ লাভ গরীব কল্যাণের প্রত্যেক প্রকল্প থেকে কেউ যেন বাদ না পড়েন, কেউ যেন পিছিয়ে না পড়েন। এটা অনেক বড় সঙ্কল্প। আজ আপনারা আজ যে রাখী পরিয়েছেন, সমস্ত বিধবা মায়েরা পরিয়েছেন, সমস্ত বোনেরা আমার জন্য এত বড় যে রাখী বানিয়েছেন, এটা নিছকই একটি সুতো নয়, এটার মাধ্যমে আপনারা আমাকে একটি শক্তি দিয়েছেন, সামর্থ্য দিয়েছেন, আর আমি যে স্বপ্নগুলি নিয়ে এগিয়ে চলেছি সেই স্বপ্নগুলি বাস্তবায়নের শক্তি দিয়েছেন। সেজন্য আজ আপনারা আমাকে যে রাখী দিয়েছেন, সেটিকে আমি অত্যন্ত অমূল্য উপহার বলে স্বীকার করেছি। এই রাখী আমাকে সর্বদাই দেশের গরীব মানুষদের সেবা করার জন্য ১০০ শতাংশ ‘স্যাচুরেশন’-এর দিকে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনগুলিকে ছোটানোর জন্য প্রেরণাও যোগাবে, সাহসও দেবে আর সঙ্গও দেবে। এটাকেই আমি বলি, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অউর সবকা প্রয়াস’। আজ রাখীও সমস্ত বিধবা মায়েদের প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে, আর আমি যখন গুজরাটে ছিলাম, বারবার বলতাম, কখনও কখনও আমার বক্তব্য খবরের কাগজে ছাপা হত, টিভিতে দেখানো ও শোনানো হত, আমার ওপর খবর, আমার নিরাপত্তা নিয়ে খবর ছাপা হত, দু-একবার তো আমার অসুস্থতার খবরও ছাপা হয়েছে। তখন আমি বলতাম যে ভাই, আমার কাছে কোটি কোটি মা ও বোনেদের দেওয়া রক্ষাকবচ রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই কোটি কোটি মা ও বোনেদের দেওয়া রক্ষাকবচ আমার কাছে থাকবে, যতদিন আমি এই রকম রক্ষাকবচ পেতে থাকবে, সেই রক্ষাকবচগুলিকে ভেদ কেউ আমার কোনও কিছু করতে পারবে না। আর আজ আমি এটা দেখছি, প্রত্যেক পদক্ষেপে, প্রত্যেক মুহূর্তে, আমার প্রিয় মা ও বোনেরা সর্বদাই তাঁদের আশীর্বাদ আমাকে দিয়ে যাচ্ছেন। এই মা ও বোনেদের কাছে যত ঋণ স্বীকার করি না কেন তা কম পড়ে যাবে। আর সেজন্য বন্ধুগণ, এই শিষ্টাচারের কারণেই আমি একবার লালকেল্লার প্রাকার থেকে একথা বলার সাহস করেছিলাম যে এটা অত্যন্ত কঠিন কাজ, আমি করছি, আমি জানি এটা কঠিন কাজ, কিভাবে করা কঠিন সেটাও আমি জানি। সমস্ত রাজ্যগুলিকে প্রেরণা যোগানো, সঙ্গে নেওয়া অনেক কঠিন কাজ আমি জানি। সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের এই কাজের জন্য দৌড় করানো অনেক কঠিন আমি জানি, কিন্তু এটা স্বাধীনতার অমৃতকাল। স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তি পালন উৎসব এখন চলছে। এই অমৃতকালে দেশের জনগণের জন্য মৌলিক সুবিধাগুলি প্রদানের প্রকল্পগুলিকে ‘স্যাচুরেশন’-এ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যের কথা আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকে ঘোষণা করেছিলাম। ১০০ শতাংশ সেবাভাব নিয়ে আমাদের এই অভিযান ‘সোশ্যাল জাস্টিস’ বা সামাজিক ন্যায়ের অনেক বড় মাধ্যম। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আমাদের গুজরাটের সক্রিয় এবং জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেল তাঁর নেতৃত্বে গুজরাট রাজ্য সরকার এই সঙ্কল্পকে সিদ্ধ করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। বন্ধুগণ, আমাদের সরকার সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষার জন্য , জনকল্যাণ এবং গরীবদের গরিমা রক্ষার জন্য এই সমস্ত কিছু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ‘স্যাচুরেশন’-এ পৌঁছনোর অভিযান চালাচ্ছে। যদি আমি একট�� শব্দে বলতে চাই তাহলে এটাই হল গরীবের আত্মগরিমা। গরীবের আত্মগরিমা রক্ষার জন্যই আমাদের সরকার। গরীবের আত্মগরিমা রক্ষার জন্য সঙ্কল্প আর গরীবের আত্মগরিমা রক্ষার জন্য শিষ্টাচার। এসবই তো আমাদের প্রেরণা যোগায়। আগে আমরা যখন ‘সোশ্যাল সিকিউরিটি’ বা সামাজিক সুরক্ষার কথা শুনতাম তখন প্রায়ই অন্যান্য ছোট ছোট দেশের উদাহরণ দিতাম। ভারতে সেগুলি বাস্তবায়নের যত প্রচেষ্টাই হোক না কেন, সেগুলির পরিধি এবং প্রভাব এতদিন অত্যন্ত সীমিত ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের পর থেকে দেশ তার পরিধিকে অনেক ব্যাপক করেছে, বিস্তারিত করেছে। দেশ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে গিয়েছে। এর পরিণাম আজ আমাদের সকলের সামনে রয়েছে। ৫০ কোটিরও বেশি দেশবাসীকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কোটি কোটি মানুষকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দুর্ঘটনা এবং জীবনবিমার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কোটি কোটি ভারতবাসীকে ৬০ বছর বয়সের পর একটি নিশ্চিত পেনশনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। নিজেদের পাকা বাড়ি, শৌচালয়, রান্নার গ্যাস সংযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ, বাড়িতে বাড়িতে নলের মাধ্যমে পানীয় জলের সংযোগ, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট – এ ধরনের পরিষেবাগুলির জন্য তো গরীবরা সরকারি দপ্তরগুলিতে ঘুরে ঘুরে জুতোর শুকতলা খসাতেন। কোনও সুবিধা পেতে অনেক সময় তাঁদের সারা জীবন অতিবাহিত হত। তাঁরা হেরে যেতেন। আমাদের সরকার এই সমস্ত পরিস্থিতিকে বদলে দিয়েছে, প্রকল্পগুলিতে সংস্কার এনেছে, নতুন নতুন লক্ষ্য স্থির করেছে, আর এখন আমরা নিরন্তর সেই লক্ষ্য পূরণের কাজ সাফল্যের সঙ্গে করে যাচ্ছি। এই পর্যায়ে কৃষকদের প্রথমবার সরাসরি সাহায্য করা হয়েছে। ছোট ছোট কৃষকদের তো আগে কেউ জিজ্ঞাসাই করত না ভাই, আর আমাদের দেশের ৯০ শতাংশ কৃষক তো ক্ষুদ্র কৃষকই। ৮০ শতাংশের বেশি, প্রায় ৯০ শতাংশ যাঁদের ২ একর জমিও নেই। সেই ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য আমরা একটি প্রকল্প রচনা করেছি। আমাদের মৎস্যজীবী ভাই ও বোনেদেরও ব্যাঙ্কের লোকেরা কখনও পাত্তা দিত না। আমরা ‘কিষাণ ক্রেডিট কার্ড’-এর মতো একটি পরিষেবা সবার আগে মৎস্যজীবীদের দিয়ে শুরু করেছি। শুধু তাই নয়, ঠেলাওয়ালা, ফুটপাত ও রেল লাইনের দু’পাশে পসরা সাজিয়ে বসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ‘পিএম স্বনিধি যোজনা’র মাধ্যমে ব্যাঙ্ক থেকে প্রথমবার সহায়তা সুনিশ্চিত হয়েছে। আর আমি তো চাইব, আর আমাদের ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি শ্রী সি আর পাটিলজি এটা সুনিশ্চিত করবেন, আমাদের কর্মকর্তাদের এই ব্যাপারটা দেখতে বলবেন, যাতে রাজ্যের সমস্ত নগরে এই ঠেলাওয়ালা, ফুটপাত ও রেল লাইনের দু’পাশে পসরা সাজিয়ে বসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ‘পিএম স্বনিধি যোজনা’র মাধ্যমে ঋণ পান, তাঁদের ব্যবসা যেন মহাজনী চড়া সুদের চক্কর থেকে মুক্ত হয়ে যায়। এই ঠেলাওয়ালা, ফুটপাত ও রেল লাইনের দু’পাশে পসরা সাজিয়ে বসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যতটা পরিশ্রম করেন, তা যেন তাঁর পরিবারের মানুষদের কাজে লাগে। সেজন্য আমরা এই যে অভিযান শুরু করেছি, আমি চাইব তা যেন ভরুচ থেকে শুরু করে অঙ্কলেশ্বর, ওয়ালিয়ার মতো আমাদের সমস্ত নগরে ব্যবসা করা এই ঠেলাওয়ালা, ফুটপাত ও রেল লাইনের দু’পাশে পসরা সাজিয়ে বসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের লাভবান করে। এমনিতে তো ভারুচে আমি আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ কথা বলতে পারছি। বেশিক্ষণ হয়নি আমি এখানে এসেছি, তবুও মনে ইচ্ছা জাগে কারণ ভারুচের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত পুরনো আর ভারুচ তো আমাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, গুজরাটের বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কয়েক হাজার বছর পুরনো কেন্দ্র ছিল। একটা সময় ছিল যখন সমস্ত বিশ্বে সংযোগ স্থাপনের জন্য ভারুচের নাম উল্লেখযোগ্য ছিল। আর আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, আমাদের কৃষক ভাই ও বোনেরা, আমাদের জনজাতি ভাই ও বোনেরা আর এখন তো বাণিজ্য উদ্যোগের রমরমা চলছে এই ভারুচে, আমাদের এই অঙ্কলেশ্বরে। বাণিজ্য এই ভারুচ ও অঙ্কলেশ্বরকে ট্যুইন সিটিতে পরিণত করে তুলেছে যা আগে কেউ কল্পনাও করতে পারত না। আর আমি যতদিন এখানে ছিলাম, সেসব পুরনো দিনের কথা সব মনে আছে। আজ আধুনিক উন্নয়নের কারণে ভারুচ জেলার অনেক নাম হয়েছে। এখানে অনেক উন্নয়নের কাজ হচ্ছে, আর স্বাভাবিকভাবেই ভারুচে যখন আসি, ভারুচের জনগণের কাছে আসি, তখন সব পুরনো মানুষদের কথা মনে পড়ে। অনেকের কথা মনে পড়ে। আমার অনেক পুরনো পুরনো বন্ধু, অনেক বয়স্ক বন্ধু রয়েছেন, এখনও মাঝেমধ্যেই তাঁদের সঙ্গে আমার কথাবার্তা হয়। অনেক অনেক বছর আগে যখন আমি সঙ্ঘের কাজ করতাম, তখন বাস থেকে নেমেই পায়ে হেঁটে মুক্তিনগর সোসাইটিতে যেতাম, আমাদের মূলচাঁদভাই চৌহানের বাড়িতে যেতাম, আমাদের বিপীন ভাই শাহ-এর বাড়িতে যেতাম, আমাদের শঙ্কর ভাই গান্ধীর বাড়িতে যেতাম। এখানে আমার এরকম অনেক বন্ধু আছে। সব পুরনো পুরনো বন্ধু। আর যখন আপনাদেরকে দেখি তখন আমার বাহাদুর সাথী শ্রী শিরিষ বাঙালির কথ�� মনে পড়ে, যিনি শুধুই সমাজের জন্য বেঁচেছেন, সমাজের জন্য কাজ করে জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমি জানি, লাল্লু ভাইয়ের গলি থেকে বেরিয়ে এলেই তখন আমাদের পাঁচবত্তি বিস্তার। এখন যে যুবক-যুবতীদের বয়স ২০-২৫ বছর, তাঁরা হয়তো জানেনই না যে এই পাঁচবত্তি আর লাল্লু ভাইয়ের গলির তখন কী অবস্থা ছিল। একদম সরু একটা পথ। স্কুটার চালিয়ে যেতে কষ্ট হত। এত গর্ত ছিল। কিন্তু আমি নিয়মিত যেতাম। আমার মনে আছে। আগে তো আর আমার কোনও সার্বজনিক সভা করা বা সেখানে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ হত না। অনেক বছর আগে এই ভারুচের মানুষই আমাদের শক্তিনগর সোসাইটিতে একদিন আমাকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য জোড়াজুড়ি করেন। তখন তো আমি আর রাজনীতিতে আসিনি। প্রায় ৪০ বছর আগের কথা। শক্তিনগর সোসাইটিতে একটা সভা হত, আর আমি অবাক হয়েছিলাম, সেই সোসাইটিতে তখন এত ভিড় হত যে দাঁড়িয়ে থাকার মতো জায়গা পাওয়া যেত না। এত মানুষ, এত মানুষ! অনেক মানুষ একসঙ্গে আমাকে আশীর্বাদ দিতে এসেছিলেন। আমার কোনও নাম ছিল না, কেউ চিনতেন না, জানতেন না, তবুও জোর করেই ওঁদের চাপে পড়েই বক্তৃতা দিতে হয়েছিল আর অনেক বড় সভা হয়েছিল। সেই সময়, তখন তো আমি রাজনীতিতে কিছুই ছিলাম না। নতুন নতুন দলের কাজ করতাম, প্রতিদিন অনেক কিছু নতুন শিখতাম। সেই সময় আমার ভাষণ শেষ হওয়ার পর অনেক সাংবাদিক বন্ধু আমার সঙ্গে দেখা করেন। আমি তাঁদেরকে বলি, আপনারা লিখে রাখুন, এই ভারুচে কখনও কংগ্রেস জিতবে না। সেই সময় দাঁড়িয়ে আমি একথা বলেছিলাম। আজ থেকে ৪০ বছর আগে। তখন সবাই হাসতে শুরু করেন, আমাকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করেন, আর আজ আমি বুক ফুলিয়ে বলতে পারি যে ভারুচের জনগণের এই ভালোবাসা এবং আশীর্বাদের ফলেই আমার সেই ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক প্রমাণিত হয়েছিল। এত ভালোবাসা! ভারুচ এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জনজাতি পরিবারগুলির পক্ষ থেকে আমি সেই স্পন্দন অনুভব করেছিলাম। আমি তখন অনেক গ্রামে গ্রামে ঘুরতাম। তখন অনেক জনজাতি পরিবারের মধ্যে থাকার সুযোগ পেয়েছিলাম, তাঁদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী থাকা, তাঁদের হয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আগে এখানে আমাদের একজন অগ্রজ কর্মী ছিলেন শ্রী চন্দু ভাই দেশমুখ। আমার তাঁর সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। তারপর থেকেই আমাদের মনসুখ ভাই সমস্ত কাজ সামলে নিয়েছেন। আমাদের অনেক দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধে নিয়েছেন আর এত বেশি বন্ধু, এত বেশি মানুষের সঙ্গে কাজ করেছেন, সেইসব দিনে যখন আপনাদের মধ্যে এস��ছি, যখন আপনাদের কাছে আসতাম, কত ভালো লাগত। এখন আপনাদের থেকে এত দূরে থাকি যে আপনাদের কথা মনে পড়লে স্মৃতিমেদুর হয়ে –পড়ি! সেই সময়ের কথা মনে পড়ে, যাঁরা সব্জি বিক্রি করতেন তাঁদের জন্য এখানকার রাস্তাঘাট এতটাই খারাপ ছিল যে তাঁরা ফিরি করতে এলে সব্জি পথে পড়ে যেত। এমনই অবস্থা ছিল। আমি যখন এই পথ দিয়ে যেতাম তখন দেখতাম যে অনেক গরীব মানুষের থলে উলটে গেছে। তখন আমি সব্জি কুড়িয়ে দিতাম, তাঁদের থলে সোজা করে দিতাম। সেরকম সময়েই আমি ভারুচে কাজ করেছি। আর আজ ভারুচ চারিদিকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। সড়কপথগুলি মসৃণ হয়েছে। জীবনযাত্রার মান অনেক শুধরেছে, অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অনেক উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা, তীব্র গতিতে আমাদের ভারুচ জেলা এগিয়ে চলেছে। আমি জানি, সমস্ত জনজাতি এলাকাগুলি – সেই ওমরগাঁও থেকে অম্বাজি – গোটা জনজাতি এলাকায় আমি ঘুরেছি। আমাদের গুজরাটে এই জনজাতি সম্প্রদায় থেকে মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছেন। কিন্তু এই এলাকাগুলিতে কোনও বিজ্ঞানের স্কুল ছিল না। আপনারাই বলুন, বিজ্ঞানের স্কুল ছিল? আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম এই জেলায় বিজ্ঞানের স্কুল চালু করার সৌভাগ্য হয়েছে। আর যেখানে বিজ্ঞানের স্কুল থাকবে না, সেখান থেকে ছেলে-মেয়েরা কিভাবে ইঞ্জিনিয়ার হবে, কিভাবে ডাক্তার হবে? একটু আগেই আমাদের ইয়াকুব ভাই আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন। তিনি মেয়েকে চিকিৎসক বানাতে চান। কিভাবে? কারণ, এখন ভারুচবাসীর জন্য ছেলে-মেয়েদের চিকিৎসক তৈরি করার সম্ভাবনা বেড়েছে। কারণ এখন এটা অভ্যাসে পরিণত হতে চলেছে। সেজন্য ইয়াকুব ভাইয়ের কন্যাও ঠিক করেছে যে সে ডাক্তার হবে। আজ প্রকৃত পরিবর্তন এসেছে, তাই না? একইভাবে ভারুচের শিল্প উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে আর এখন তো আমাদের ভারুচে রেলের অনেক মেইন লাইন রয়েছে, ফ্রন্ট করিডর রয়েছে, এমনকি বুলেট ট্রেন চালু হতে চলেছে। সড়কপথে এক্সপ্রেসওয়ে আছে। এমন কোনও যাতায়াতের মাধ্যম নেই যা ভারুচকে স্পর্শ করে না। সেজন্য ভারুচ আজ এক প্রকার নবীন প্রজন্মের স্বপ্নের জেলায় পরিণত হয়ে উঠছে। নব যুবক-যুবতীদের আকাঙ্ক্ষার শহরে পরিণত হয়ে উঠছে। এই আকাঙ্ক্ষা প্রতিদিন বিস্তার লাভ করছে। আর মা নর্মদার বুকে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি গড়ে তোলার পর থেকে তো আমাদের ভারুচ থেকে শুরু করে রাজপিপলার নাম গোটা ভারতে, গোটা বিশ্বের মানুষ জেনে গেছেন। আরে ভাই, স্ট্যাচু অফ ইউনিটি যেতে হলে কোথা দিয়ে যেতে হবে? ���বাব পাবেন – ভারুচ দিয়ে, রাজপিপলা হয়ে যেতে হবে! আর এখন একটি দ্বিতীয় আকর্ষণের কেন্দ্রও তৈরি হচ্ছে। আমার মনে পড়ে, ভারুচ নর্মদার তীরে হওয়া সত্ত্বেও এখানে পানীয় জলের কত সমস্যা ছিল। একবার কথাটা ভাবুন! মা নর্মদার তীরে থাকা একটি শহর যেখানে পানীয় জলের সমস্যা ছিল। এটা মেনে নেওয়া যায়? তাহলে এই সমস্যা সমাধানের উপায়? সেই উপায় আমরা খুঁজেছি। আমরা সমুদ্রের ওপর দিয়ে বড় ওয়েয়ার বানিয়েছি যাতে সমুদ্রের লবণাক্ত জল উজিয়ে না আসতে পারে আর নর্মদার মিষ্টি জলকে রক্ষা করা যায়, সংরক্ষণ করা যায়। আর নর্মদার সব জল এসে কেউড়িয়াতে জমা হয়। ফলে আর কখনও যেন পানীয় জলের সমস্যা না হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার কাজ চলছে। আর আমি ভূপেন্দ্র ভাইয়ের সুযোগ্য নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানাই। তিনি এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এটি সম্পূর্ণ হলে এই এলাকার মানুষের কত উপকার হবে তা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। সেজন্য বন্ধুগণ, আজ আপনাদের সঙ্গে দেখা করার যে সৌভাগ্য হয়েছে সেজন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত। অনেক পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়েছে সেজন্য আমি খুব খুশি। পুরনোদের মনে পড়া খুবই স্বাভাবিক। এখন আমাদের সরকারের উদ্যোগে সারা দেশের সমুদ্র তটবর্তী এলাকাগুলিতে ‘ব্লু ইকনমি’ বা নীল অর্থনীতি নিয়ে যে কাজ চলছে তাতেও ভারুচ জেলার অনেক কিছু করার সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্রের মধ্যে যত সম্পদ আছে, আমাদের ‘সাগর খেরু’ প্রকল্পের মাধ্যমে তা থেকে আমাদের উপকৃত হওয়ার জন্য এগিয়ে যেতে হবে। সকলের শিক্ষা থেকে শুরু করে সকলের উন্নত স্বাস্থ্য, এই এলাকায় শিপিং-এর ক্ষেত্রে উন্নয়ন, কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে উন্নয়ন – এরকম প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে ভারুচ জেলা খুব ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই, শুভকামনা জানাই। জয় জয় গর্বী গুজরাট, বন্দে মাতরম! /",গুজৰাটৰ ভাৰুচত ‘উৎকর্ষ সমাৰোহ’ অনুষ্ঠানত প্রধানমন্ত্রীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%A6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AD/,"‘ভারত-কানাডা : যৌথ বিষয়’ সম্পর্কিত দুটি স্মারক ডাকটিকিটের একটি সেট মিলিতভাবেপ্রকাশের জন্য সম্মতি জানিয়েছে ভারত ও কানাডা – এই দ���টি দেশ। ‘দিওয়ালি’ – এইবিষয়টির ওপর স্মারক ডাকটিকিটের এই সেটটি প্রকাশ করা হবে এ বছর ২১ সেপ্টেম্বরতারিখে। এই লক্ষ্যে ভারত ও কানাডার ডাক কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে একটি মউও স্বাক্ষরকরেছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিতকেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভারবৈঠকে আজ এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়। প্রসঙ্গতউল্লেখ্য, গণতন্ত্র, বহুত্ববাদ, সকলের মধ্যে সমতা এবং আইনের শাসনের প্রতি আনুগত্য –এই বিষয়গুলিতে এক মিলিত মূল্যবোধের ভিত্তিতে স্থায়ী ও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছেভারত ও কানাডার মধ্যে। দু’দেশের নাগরিকদের মধ্যে মৈত্রী সম্পর্ক এবং ভারতীয়বংশোদ্ভূতদের এক বিরাট অংশ কানাডায় বসবাস করার ফলে দু’দেশের সম্পর্কের বনিয়াদ ক্রমশঃদৃঢ় হয়ে উঠেছে। যৌথভাবেস্মারক ডাকটিকিট প্রকাশের ক্ষেত্রে বিষয়বস্তু হিসাবে ‘দিওয়ালি’ নির্বাচন করা হয়েছেদু’দেশের সাংস্কৃতিক বিষয়গুলিকে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়ার লক্ষ্যে। এছাড়া, কানাডায়ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের এক বিরাট অংশের উপস্থিতিও ‘দিওয়ালি’র মতো বিষয়টিকে বেছেনেওয়ার অন্যতম কারণ। /",ভাৰত আৰু কানাডাই যুটীয়াভাবে ডাক টিকট প্ৰকাশ কৰাৰ বিষয়ে অৱগত কৰিলে কেবিনেটক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%97%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3-%E0%A6%AA/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%B6%E0%A6%97%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ (২২শে সেপ্টেম্বর) ছত্তিশগড় সফর করেন। জঞ্জগির-চম্পার ঐতিহ্যবাহী তাঁত ও কৃষি সংক্রান্ত একটি প্রদর্শনী ঘুরে দেখলেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বিভিন্ন জাতীয় সড়ক প্রকল্প এবং পেন্দ্রা-অনুপ্পুর তৃতীয় রেললাইনটির শিলান্যাস করেন। শ্রী মোদী কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কল্যাণ প্রকল্পের কিছু বাছাই করা সুবিধাভোগীর হাতে শংসাপত্রও তুলে দেন। কৃষকদের একটি বড় সমাবেশেও প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেন। সেখানে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে স্মরণ করে বলেন, বাজপেয়ীজি তিনটি রাজ্যের সৃষ্টি করেছিলেন। সেগুলি হল – উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড়। এই রাজ্যগুলির উন্নয়নের যে স্বপ্ন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেখেছিলেন তাকে ভিত্তি করেই এই রাজ্যগুলির দ্রুত প্রগতি হচ্ছে বলে শ্রী মোদী উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলে��, কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়নে সমর্পিত এবং মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে চায়। সরকার ভোটব্যাঙ্কের তাগিদে প্রকল্প সৃষ্টি করছে না, এর একমাত্র লক্ষ্য হল নতুন এবং আধুনিক ছত্তিশগড় গড়ে তোলা। ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশে’র লক্ষ্যে দেশ এগিয়ে চলেছে বলে শ্রী মোদী সমাবেশে জানান। একইসঙ্গে মূল্য সংযোগের মাধ্যমে কৃষকরা যাতে উপকৃত হন সেই প্রচেষ্টাও সরকার অব্যাহত রেখেছে বলে শ্রী মোদী উল্লেখ করেন। তিনি এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্পদ যোজনার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত মধ্যস্থতার মাধ্যমে কৃষকদের কল্যাণ সুনিশ্চিত হয়েছে। পাশাপাশি, সয়েল হেল্‌থ কার্ড এবং ফসল বিমা যোজনার মতো প্রকল্প কৃষকদের বিশেষভাবে লাভবান করছে বলেও তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল যখন কিছু বাছাই করা মানুষ কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুযোগগুলি পেত। দুর্নীতি প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে একেবারে চূর্ণ করে দিয়েছিল বলে শ্রী মোদী মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সকলের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ২০২২ নাগাদ প্রত্যেকের মাথার ওপর ছাদ তৈরি করা সুনিশ্চিত করতে চায়। তিনি আরও বলেন, শৌচাগার নির্মাণের বিষয়টিকে সরকার একটি বিশেষ প্রকল্প হিসেবে হাতে নিয়েছিল। উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় গরিব মানুষজনকে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে এবং এখন সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে পেরেছে।",চত্তীশগড়ত প্ৰধানমন্ত্ৰীঃ জঞ্জগিৰ-চম্পাত কৃষক সন্মিলনত ভাষণ প্ৰদান; একাধিক গুৰুত্বপূৰ্ণ প্ৰকল্পৰ আধাৰশিলা স্থাপন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6-3/,"নয়াদিল্লি, ১৭ অক্টোবর ২০২২ উন্নততর এবং অত্যাধুনিক কৃষি প্রযুক্তির প্রয়োগে দেশের কৃষকদের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করে তোলার লক্ষ্যে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সেইসঙ্গে, ক্ষেত-খামার থেকে বাজার তথা বিপণনের দূরত্ব কমিয়ে আনতেও আমরা বদ্ধপরিকর। এই ব্যবস্থায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন দেশের ক্ষুদ্র কৃষকরা, কারণ ফল, শাকসবজি, মাছ এবং দুধের মতো পচনশীল পণ্যের উৎপাদন ও বিপণনের মাধ্যমে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা নির্বাহ হয়। আজ নয়াদিল্লিতে ভারতীয় কৃষি গবেষ���া সংস্থায় আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান সম্মেলন, ২০২২’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, কৃষিক্ষেত্রে নতুন নতুন পন্থাপদ্ধতির প্রয়োগে যেমন আমাদের সচেষ্ট হতে হবে, অন্যদিকে তেমনই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে খোলা মনেই আমাদের গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন স্টার্ট-আপ সংস্থা এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার সঙ্গে যুক্ত দেশের তরুণ সমাজকে ভারতীয় কৃষি ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ বলে উল্লেখ করেন তিনি। দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির দিশারী বলে তিনি তাঁদের অভিহিত করেন। শ্রী মোদী বলেন, ব্যয়সাশ্রয় থেকে পরিবহণ – সবকিছুরই সমাধানসূত্র রয়েছে তাঁদের কাছে। প্রাকৃতিক উপায়ে কৃষি উৎপাদন ও প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ভবিষ্যতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সমাধানে প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতি হয়ে উঠতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। দেশে এ সম্পর্কে সচেতনতারও যথেষ্ট প্রসার ঘটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতির লক্ষ্যে গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের কৃষকরা ক্রমশ উদ্যোগী হয়ে উঠছেন। গুজরাটে জেলা ও গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যায়ে এজন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা রচনার কাজও ছকে ফেলা হচ্ছে। আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার সঙ্কল্পকে বাস্তবায়িত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে কৃষিক্ষেত্রে সার ও ভোজ্যতেল আমদানির ক্ষেত্রে আমাদের প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। এছাড়া, চাহিদা ও যোগানের মধ্যেও যথেষ্ট ফারাক থেকে যায়। এই কারণে অশোধিত তেল ও গ্যাসের মতো পণ্যের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভরশীল না থেকে জৈব জ্বালানি ও ইথানলের মাধ্যমে সমাধানের পথ আমাদের খুঁজে দেখতে হবে। ভোজ্যতেল ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে ‘মিশন অয়েল পাম’ কর্মসূচির সুযোগ গ্রহণ করার জন্য কৃষকদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তৈলবীজের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোজ্যতেল আমদানির মাত্রাও যে ক্রমশ কমিয়ে আনা সম্ভব, একথাও উল্লেখ করেন তিনি। ‘পিএম কিষাণ’-এর মতো রূপান্তরমুখী একটি উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষুদ্র কৃষকরা কিভাবে উপকৃত হতে পারেন তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হল ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’। এই কর্মসূচিটির সূচনার পর থেকে ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি সরাসরি হস্তান্তরিত হয়েছে কৃষকদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে। দেশের ৮৫ শতাংশ কৃষকই হলেন ক্ষুদ্র কৃষিজীবী। এই কর্মসূচি তাঁদের কাছে এক বিরাট আশীর্বাদস্বরূপ। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞান এবং জয় অনুসন্ধান’-এর একত্র সমাবেশ ঘটেছে আজকের এই ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান সম্মেলন’-এ। বর্তমান কৃষি ব্যবস্থার এটিই হয়ে উঠেছে মূলমন্ত্র। প্রধানমন্ত্রীর মতে, কিষাণ সম্মেলন হল কৃষকদের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করে তোলা, তাঁদের দক্ষতা ও ক্ষমতার প্রসার ঘটানো এবং উন্নত কৃৎকৌশলে সড়গড় হয়ে ওঠার এক বিশেষ মঞ্চ। তিনি জানান, ৬০০-টিরও বেশি ‘প্রধানমন্ত্রী সমৃদ্ধি কেন্দ্র’-এর আজ সূচনা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি থেকে শুধু সারই বিক্রি করা হবে না, সেইসঙ্গে তা দেশের কৃষকদের সঙ্গে এক নিবিড় বন্ধন গড়ে তুলবে। ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’র নতুন আরও এক কিস্তির কথা ঘোষণা করে তিনি বলেন, কোনরকম মধ্যস্বত্ত্বভোগী ছাড়াই এই অর্থ সরাসরি হস্তান্তরিত হবে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। মোট ১৬ হাজার কোটি টাকার এই কিস্তির অর্থ দীপাবলীর আগেই পৌঁছে যাবে কৃষকদের কাছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে ‘প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জন উর্বরক পরিযোজনা’ নামে একটি কর্মসূচিও আজ চালু করা হয়েছে। এর লক্ষ্য হল, ‘এক জাতি, একটিই সার’ নীতির বাস্তবায়ন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সুলভ মূল্যে উন্নতমানের সার পৌঁছে দেওয়া হবে কৃষকদের কাছে। ১০০ শতাংশ নিমের ব্যবহারের মাধ্যমে ইউরিয়া সারকে কিভাবে কালোবাজারির হাত থেকে বাঁচানো গেছে, সে কথারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের ছয়টি বৃহত্তম ইউরিয়া উৎপাদন কারখানা দীর্ঘকাল বন্ধ থাকার পর তাঁর সরকারের আন্তরিক উদ্যোগেই আবার চালু করা সম্ভব হয়েছে। ন্যানো-ইউরিয়ার মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়ে অধিক শস্যের ফলন বাস্তবায়িত হয়েছে। ইউরিয়ার পরিবহণ ব্যয় যে ভবিষ্যতে অনেকটাই হ্রাস পেতে চলেছে, একথাও এদিন ঘোষণা করেন তিনি। তিনি বলেন, এখন থেকে ভারত ব্র্যান্ডের উন্নতমানের ইউরিয়ার যোগান দেওয়া হবে কৃষিকাজের জন্য। এর ফলে, ব্যয়সাশ্রয়ী উপায়ে সার ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে শস্যের ফলনও বৃদ্ধি পাবে আশানুরূপভাবে। আজ ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান সম্মেলন, ২০২২’-এর উদ্বোধনের সঙ্গ�� সঙ্গে দেশের ৬০০টি ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সমৃদ্ধি কেন্দ্র’ও আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেন তিনি। সূচনা করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জন উর্বরক পরিযোজনা’রও। ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’র দ্বাদশ কিস্তির ১৬ হাজার কোটি টাকা এদিন কৃষকদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি হস্তান্তরের ঘোষণাও করেন তিনি। এছাড়াও, ‘ইন্ডিয়ান এজ’ নামে সারের ওপর একটি ই-ম্যাগাজিনেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে নতুন দিল্লীৰ ভাৰতীয় কৃষি গৱেষণা প্ৰতিষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰী কিষাণ সন্মান সন্মিলন ২০২২ উদ্বোধন কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF-%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%86/,ভারত-তিব্বতসীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি)-এর প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সমগ্র বাহিনীকে শুভেচ্ছা ওঅভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি তাঁর অভিনন্দন বার্তায়বলেছেন : “প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ বাহিনীকে আমারঅভিনন্দন। সাহসিকতা এবং মানবতাবাদী কাজকর্মের মধ্য দিয়ে এই বাহিনী এক স্বতন্ত্রভূমিকা পালন করে চলেছে। হিমালয় পর্বত অঞ্চলে কাজ করার সুবাদে ঐ অঞ্চলের পরিবেশের সঙ্গে নিজেদেরমানিয়ে নিয়ে এক বিশেষ উচ্চতাতেও তাঁরা তাঁদের কর্তব্য পালন করে চলেছেন।”,প্ৰতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আইটিবিপিক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শুভেচ্ছা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%8F%E0%A6%AB%E0%A6%8F%E0%A6%B8-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A7-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%8F%E0%A6%AB%E0%A6%8F%E0%A6%9B-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A7-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%9B%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95/,"নয়াদিল্লি, ২৯ অগাস্ট, ২০২২ ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস (আইএফএস) – এর ২০২১ ব্যাচের প্রশিক্ষণাধীন আধিকারিকরা আজ ৭, লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। কোনও রকম আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই খোলামেলা আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী আইএফএস প্রশিক্ষণাধীন আধিকারিকদের এই পেশায় যোগদানের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন যে, তাঁরা এখন বিশ্ব মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবেন। চাকরিতে যোগদানের যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে তাঁদের সঙ্গে আলোচনাও করেন তিনি। ২০২৩ সাল বাজরার আন্তর্জাতিক বছর হওয়া নিয়ে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করে বলেন যে, কিভাবে তাঁরা বাজরাকে আরও বেশি জনপ্রিয় করে তুলতে পারেন, যাতে আমাদের কৃষকরা উপকৃত হন। বাজরা কতটা পরিবেশ-বান্ধব এবং এই শস্যের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা সম্পর্কেও তিনি আলোচনা করেন। তিনি এলআইএফই (পরিবেশের জন্য জীবনযাপন) প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, একজন মানুষের জীবনে ছোটখাটো পরিবর্তন পরিবেশে কিভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই বছরের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে পঞ্চ প্রাণ – এর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেছিলেন, তা নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেন এবং এই লক্ষ্য পূরণে আইএফএস আধিকারিকরা কি ভূমিকা পালন করতে পারেন, তার বিভিন্ন দিকগুলি প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন। আগামী ২৫ বছরের দিকে তাকিয়ে প্রশিক্ষণাধীন আধিকারিকরা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কি চিন্তাভাবনা করতে পারেন এবং এই সময়কালের মধ্যে তাঁরা নিজেদের কিভাবে গড়ে তুলতে পারেন এবং দেশের সার্বিক বিকাশের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকরি ভূমিকা নিতে পারে – সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আলোকপাত করেন।",আইএফএছ ২০২১ বেটছৰ প্ৰশিক্ষাৰ্থী বিষয়াসকলে প্ৰধানমন্ত্ৰীক সাক্ষাৎ কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%8F-%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF-%E0%A6%86/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%8D/,"সভার আগে আমি এখানে মুম্বাই-এর হাসপাতালে দূর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এ বিষয়ে আমার মুখ্যমন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। রাজ্যসরকার পীড়িত পরিবারকে যথাসম্ভব সাহায্য করছে। এই দূর্ঘটনায় যেসব পরিবার তাদের আপনজনদের হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমি পূর্ণ সমবেদনা প্রকাশ করছি। বন্ধুগণ, সাংবাদিক দ্বারা পরিচালিত সঠিক সাংবাদিকতার প্রতি দায়বদ্ধ রিপাবলিক টিভি একটি শক্তিশালী সংবাদমাধ্যম রূপে প্রতিষ্ঠিত। অত্যন্ত কম সময়ে আপনাদের এই চ্যানেল নিজস্ব পরিচয় গড়ে তুলেছে। আপনারা সবাই দেশের জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পরিবেশনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। আমি রিপাবলিক টিভির ব্যবস্হাপক ও পরিচালকবৃন্দ এবং এতে কর্মরত প্রত্যেক সাংবাদিককে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত সংবাদদাতা এবং স্ট্রিংগারদের শুভেচ্ছা জানাই। দেশের পরিস্হিতি এবং গতিপ্রকৃতিকে বিশ্লেষনের জন্য এ ধরণের সম্মেলনের আয়োজন করে আপনারা জনগণকে নতুন ভাবনার নতুন সমাধানের আলোকবর্তিকা প্রদর্শন করছেন। সেজন্য আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার আগে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন। তাদের কলমে তখনকার খবরের কাগজগুলিতে স্বাধীনতার বিউগল বাজাতেন। স্বাধীন ভারতে সুখি, সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে ইতিবাচক সংবাদেরও অনেক প্রয়োজন রয়েছে। যাতে দেশবাসীর মনে কিছু করার ইচ্ছা জাগে, তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। স্বাধীনতার আন্দোলনে প্রাণশক্তির মতোই সুশাসনের আন্দোলনের জন্যও সমানভাবে প্রাণশক্তি সঞ্চারিত হওয়া উচিত। ভারতকে বিশ্বের একটি শক্তিশালী দেশ রূপে গড়ে তুলতে অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের আন্তর্জাতিক উচ্চতায় পৌঁছতে হবে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, খেলাখুলা এই সমস্ত ক্ষেত্রে বিশ্বে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের সংবাদমাধ্যমকেও আন্তর্জাতিক মানের হয়ে উঠতে হবে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজস্ব পরিচয় গড়ে তুলতে হবে। এটাই সময়ের চাহিদা। আজ ভারতের সংবাদমাধ্যমকে এই চ্যালেঞ্জ স্বীকার করে নিতে হবে। বন্ধুগণ, সার্জিং ইন্ডিয়া এই দুটি শব্দ ১৩০ কোটি ভারতবাসীর ভাবনাকে তুলে ধরে। এটি সেই অনুভব, সেই স্পন্দন যা আজ সমগ্র বিশ্ব অনুভব করছে। ভারত, সমাজ জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের সঠিক স্হানের দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। ভারতের অর্থ ব্যবস্হা, এদেশের প্রতিভা, সামাজিক ব্যবস্হা, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ কিংবা সামরিক শক্তি- প্রত্যেক স্তরে ভারতের পরিচয় আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে। বন্ধুগণ, আজ আমি সংবাদমাধ্যমের মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছি, আপনারা প্রশ্ন করা পছন্দ করেন, সেইজন্য আমিও কিছু প্রশ্ন দিয়ে নিজের বক্তব্য শুরু করবো। বলা হয় ‘যেমন সঙ্গ, তেমনি রঙ্গ’। আপনাদের সঙ্গে কিছুক্ষণ থাকার সুযোগ পেয়ে আমার মনেও অনেক প্রশ্ন জেগে ওঠে। আপনাদের প্রশ্নের মধ্যে যেমন অনেককিছু লুকিয়ে থাকে, আমার প্রশ্নেও তেমনি আপনারা সার্জিং ইন্ডিয়া-র অনেক উত্তর নিজে থেকেই পেয়ে যাবেন। বন্ধুগণ, চার বছর আগে কি কেউ ভেবেছিলেন যে ভারত এতো দ্রুত ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির ক্লাবে সদস্য হওয়ার দিকে পা বাড়াবে? চার বছর আগে কি কেউ ভেবেছিলেন‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’-এর তালিকায় ভারত ১৪২তম স্হান থেকে এত দ্রুত ৭৭তম স্হানে চলে আসবে, আর এত দ্রুত এক্ষেত্রে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ৫০টি দেশের তালিকায় স্হান করে নেওয়ার দিকে দ্রুত গতিতে এগিয় যাবে?চার ব��র আগে কি কেউ ভেবেছিলেন ভারতে রেলের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় ভ্রমণকারী যাত্রীদের তুলনায় বেশি মানুষ বিমানযাত্রা করতে শুরু করবে?চার বছর আগে কি কেউ ভেবেছিলেন যে ভারতের রিক্সাচালক, সব্জি বিক্রেতা এবং চা বিক্রেতারাও ভিম অ্যাপ ব্যবহার করবেন, নিজেদের পকেটে রুপো ডেবিট কার্ড রেখে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করবেন? চার বছর আগে কি কেউ ভেবেছিলেন যে ভারতের বিমান পরিবহন ক্ষেত্রে এত দ্রুত এগিয়ে যাবে, যে কোম্পানীগুলিকে এক হাজার নতুন উড়োজাহাজ কেনার অর্ডার দিতে হবে? আপনারা শুনে অবাক হবেন যে স্বাধীনতার পর থেকে এখনও পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ভারতে ৪৫০টি উড়োজাহাজ যাত্রী পরিবহনে ব্যস্ত রয়েছে। কাজেই মাত্র এক বছরে এক হাজারটি নতুন বিমান কেনার অর্ডার এদেশে পরিবর্তনের সূচক নয় কি?চার বছর আগে কি কেউ ভেবেছিলেন যে ভারতে জাতীয় জলপথ বিষয়টি বাস্তবায়িত হবে? কলকাতা থেকে একটি পণ্যবোঝাই জাহাজ গঙ্গা নদীর পথ বেয়ে বেনারস পর্যন্ত পৌঁছে যাবে?চার বছর আগে কি কেউ ভেবেছিলেন যে ভারতে নির্মিত ইঞ্জিনহীন কোন রেলগাড়ি ঘন্টায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে ভারতীয় রেলপথে ছুটে বেড়াবে? চার বছর আগে কি কেউ ভেবেছিলেন যে ভারত একবারে শতাধিক উপগ্রহ উৎক্ষেপনের রেকর্ড গড়বে?শুধু তাই নয় রকেট তৈরির ক্ষেত্রে দেশ এতো এগিয়ে যাবে?চার বছর আগে কি কেউ ভেবেছিলেন যে স্টার্ট আপের ক্ষেত্র থেকে শুরু করে খেলাধুলা পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্য এতো বেশি বৃদ্ধি পাবে? বন্ধুগণ, চার বছর আগে কি কেউ ভেবেছিলেন যে একদিন হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারির এতো বড়ো ক্রীড়নক ক্রিশ্চিয়েন মিশেলকে ভারতে আনা যাবে?চার বছর আগে কেউ ভাবেনি যে ১৯৮৪-র শিখ নিধন যজ্ঞে অপরাধী কংগ্রেস নেতারা সাজা পেতে পারেন? জনগণ বিচার পাবেন? এই পরিবর্তন কিভাবে এসেছে?একই দেশ, একই জনগণ, শাসনতন্ত্রও আগের মতোই, দেশের সম্পদের উৎসগুলিও একই, তাহলে এই পরিবর্তন কিভাবে এসেছে? বন্ধুগণ, আমাদের দেশে একটি মনবৃত্তি গড়ে উঠেছে যে, যখনই কেউ সরকারের বিরুদ্ধে আরোপ লাগিয়ে আদালতে যায়, তখন মনে করা হয় যে সরকার ভুল আর অভিযোগকারী ঠিক। কিন্তু এই প্রথমবার আমরা দেখতে পেলাম সরকারের দিকে দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়ে বিরোধী দল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে গেছে, আর আদালত পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার করে তাদের জানিয়ে দিয়েছে যে, যা হয়েছে স্বচ্ছ ভাবে হয়েছে, সৎ ভাবে হয়েছে। আমাদের দেশে এমনটাও যে হতে ���ারে তা চার বছর আগে ভাবেনি। ভাই ও বোনেরা, আমি প্রায়ই দেখি, আপনারা সংবাদ প্রচারের সময় পূর্ববর্তী এবং বর্তমান দুটি জানালায় দুটি ভিন্ন পরিস্হিতিকে সুন্দরভাবে পরিবেশন করেন। আমার কাছেও তেমনি পূর্ববতী এবং বর্তমান চিত্রগুলি রয়েছে, যা সার্জিং ইন্ডিয়াকে আরও প্রভাবশালী করে তোলে। বন্ধুগণ, আজ দেশের সামনে ২০১৪ পূর্ববর্তী একটি চিত্র রয়েছে যেখানে পরিচ্ছন্নতার মাত্রা ছিল ৪০ শতাংশেরও কম। আর ২০১৮-র শেষে সেই মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ৯৭ শতাংশ অতিক্রম করেছে। ২০১৪-র আগে দেশের ৫০ শতাংশ জনগণের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না। আর ২০১৮-র শেষ পর্যন্ত দেশের প্রত্যেক পরিবার এখন ব্যাঙ্কিং ব্যবস্হার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ২০১৪-র আগে দেশে করদাতার সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৮০ লক্ষ। এবছর সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৭ কোটি হয়েছে। ২০১৪ সালের আগে দেশের মাত্র ৬৫ লক্ষ ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি কর প্রদানের জন্য নথিভুক্ত ছিলেন। কিন্তু বিগত দেড় বছরে ৫৫ লক্ষ নতুন ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি কর নথিভুক্তিকরণের জন্য এগিয়ে এসেছেন। ২০১৪ সালের আগে দেশে মোবাইল ফোন নির্মাণকারি কোম্পানীর সংখ্যা ছিল মাত্র দুই। আর আজ দেশে মোবাইল ফোন নির্মাণকারি কোম্পানীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১২০ থেকেও বেশি হয়েছে। ২ থেকে ১২০। বন্ধুগণ, এই পরিবর্তন ‘সার্জিং ইন্ডিয়া’র অনেক শক্তিশালী চিত্রকে সামনে তুলে ধরে। নীতি নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন এবং সংকল্প হিসেবে নেওয়া স্বচ্ছ নীতিকে সম্বল করে আমাদের সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। ফলস্বরূপ আজ ভারতে দ্বিগুন গতিতে মহাসড়কগুলি গড়ে উঠছে। দ্বিগুন গতিতে রেললাইন বসানো হচ্ছে, বৈদ্যুতিকীকরণ করা হচ্ছে, ১০০-র বেশি নতুন বিমানবন্দর এবং হেলিবন্দর নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ৩০-৪০ বছরে ধরে থেমে থাকা কিংবা ঝুলে থাকা অনেক প্রকল্প দ্রুত গতিতে সম্পূর্ণ করা হচ্ছে। আজ আপনি ভারতের যেকোন জায়গায় যান না কেন, একটি সাইনবোর্ড অবশ্যই দেখতে পাবেন ‘কাজ চলছে’। বন্ধুগণ, এই সাইনবোর্ড একটি প্রতীক, শুধুই সড়কপথ, ফ্লাইওভার, মেট্রো সম্প্রসারণ নয়, এখানে নতুন ভারত গড়ে তোলার কাজ চলছে। আজ আমি এমন একটি শহরে দাঁড়িয়ে আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখছি, যেটি কখনও থামেনা, ঢিমেতেতালে চলে না। আমি এখানে দাঁড়িয়ে আপনাদের একথা বলতে চাই যে আজ ভারতও এমন একটি দেশ যা কখনও থামবে না, ধীর গতিতেও চলবেও না- নতুন ভারত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব��্ধুগণ, এখানে মুম্বাই-এ ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ মুম্বাই ট্রান্স হার্বার লিঙ্ক নির্মাণ, মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্প, ডাবল লাইন সাব-আর্বান করিডরের কাজ, কয়েক হাজার কিলোমিটার মেট্রো করিডরের কাজ- এই সমস্ত কিছু ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আসার পর থেকে শুরু হয়েছে। আমাকে বলা হলেছে, আন্ধেরি-ভিরার-এর ব্যস্ত এলাকায় নতুন ট্রেন চালু করা হচ্ছে। ফলে রেললাইনের পরিবহন ক্ষমতা ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। বন্ধুগণ, দেশের এই প্রয়োজন আগেও ছিল। মুম্বাই-এ এই সকল পরিকাঠামো নির্মাণ ও পরিষেবার প্রয়োজন কয়েক দশক ধরেই অনুভূত হচ্ছিল। কিন্তু কাজ আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর শুরু হয়েছে। ভাবুন এমনকি কেন? এই প্রশ্নেরও জবাব আমি আপনাদের দিতে চাই। আর চেষ্টা করবো আপনাদের মতো করেই জবাব দেব। আমি যখনই সময় পাই, অর্ণব গোস্বামীর অনুষ্ঠান দেখি ও তার থেকে বেশি শুনি। কিভাবে তিনি অনেক পরস্পর বিরোধী অতিথি নিয়ে বসে প্রশ্নোত্তরের অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। টু উইন্ডো এবং মাল্টিপল উইন্ডোর সমাহারে এ এক চিত্তাকর্ষক অনুষ্ঠান। বন্ধুগণ, এমনিই একটি মাল্টিপল উইন্ডো প্রতি মাসে দিল্লীর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও আয়োজিত হয়। সেখানে আমাদের সরকারের চালু করা দেশের বিভিন্ন স্হানে কয়েক দশক ধরে থেমে থাকা প্রকল্পগুলির তদারকি আমি নিজে একই পদ্ধতিতে করে থাকি। বিগত চার বছর ধরে আমরা এমনিই যুগ যুগ ধরে ফাইল চাপা পরে থাকা জনকল্যাণকারী প্রকল্প খুঁজে বের করে নতুন করে বাস্তবায়নের কাজ চালু করেছে। এভাবে সমীক্ষার মাধ্যমে পুরনো প্রকল্পগুলির মধ্যে থেকে ইতিমধ্যে প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এ ধরনের এক একটি প্রকল্পের গুরুত্ব কতটা, সেগুলি খুঁজে বের করে চালু করতে কতটা পরিশ্রম হয়েছে, তা আমি আপনাদের মুম্বাইয়ের উদাহরণ দিয়ে বোঝাতে চাই। বন্ধুগণ, প্রায় তিন বছর আগে যখন এ ধরনের ‘প্রগতি’ বৈঠকে নবি মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রসঙ্গ উঠেছিল তখন আমি অবাক হয়ে যাই। এই বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য কমিটি গঠিত হয়েছিল ১৯৯৭ সালে নভেম্বর মাসে। তখন থেকে প্রায় ২০ বছর ধরে শুধু এখান থেকে ওখানে ফাইল চালাচালি হচ্ছিল। আমি বলবো, ফাইল উড়ছিলো। মাঝে কতো সরকার এলো-গেলো। ফাইলগুলি উড়তে থাকে, কিন্তু বিমান ওড়ার কোনো ব্যবস্হা আর হয় না। প্রগতি বৈঠকে এমনি মাল্টিপল উইন্ডোর মাধ্যমে একথা জেনে স���স্ত সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ও বিভাগগুলিকে একসঙ্গে মুখোমুখি এনে আমাদের সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দুর করেছে, আর এখন নবি মুম্বাই বিমানবন্দরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ভাবুন, শুধু একটিমাত্র প্রকল্পের কথা শোনালাম। এমনই সারা দেশে অসংখ্য প্রকল্পের কাজ প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছি। সার্জিং ইন্ডিয়া-এর পিছনে যে কর্মসংস্কৃতির পরিবর্তন এসেছে, এটা তার জলজ্যান্ত জীবন্ত উদাহরণ। বন্ধুগণ, কয়েক বছর আগে একটি মঞ্চে আমি দুই বন্ধুর গল্প শুনিয়েছিলাম। একবার এই দুই বন্ধু জঙ্গলে ঘুরতে গেছে। সেই ঘন জঙ্গলে অনেক হিংস্র পশু ছিল। এই দুই বন্ধুর কাছেও নিরাপত্তার স্বার্থে উৎকৃষ্ট মানের পিস্তল-বন্দুক ছিল। তারা এক জায়গায় গাড়ি থামিয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে, তখনই হঠাৎ একটি বাঘ চলে আসে। তাদের অস্ত্রশস্ত্র তো গাড়িতে ছিল। কিন্তু সেগুলি রেখেই তারা ঘুরতে বেরিয়েছে। এখন তারা কী করবে? পালিয়ে কোথায় যাবে? তখনই তাদের মধ্যে একজন পকেট থেকে রিভলবারের লাইসেন্স বের করে বাঘকে দেখায় যে আমার কাছে লাইসেন্স আছে। বন্ধুগণ, আমাদের দেশে এমনটাই হয়ে আসছে। যেকোন কিছুর জন্য আইন প্রণয়ন করা হতো, কিন্তু বাস্তবায়িত হতো না। আমাদের পূর্ববর্তী সরকারগুলির কাজ করার পদ্ধতি এমনই ছিল। যখন আমি গল্পটা বলেছিলাম, তখন আমি প্রধানমন্ত্রী ছিলাম না। আমি বলেছিলাম, আইন থেকে এগিয়ে যথাযথভাবে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর আমরা কিভাবে আইনের থেকে কাজকে অগ্রাধিকার দিয়েছি, তা আপনাদের বলছি। বন্ধুগণ, বিগত সরকার খাদ্য নিরাপত্তা আইন পাশ করেছিল। অনেক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে তার গুণকীর্তন চলতো। ২০১৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখি দেশের মাত্র ১১টি রাজ্যে এই আইন বাস্তবায়িত হয়েছে। ভাবুন, এতো ঢাক-ঢোল পেটানোর পর দেশের অর্ধেক জনসংখ্যাও এর দ্বারা উপকৃত হয়নি। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের সবকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই আইন বাস্তবায়িত করি। এভাবেই ২০১৩-১৪ সালে আলোচনা হতো পরিবার পিছু ১০টি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার দেওয়া হবে নাকি ১২টি ! এই সিলিন্ডার নিয়ে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে নির্বাচন বৈতরনী পার হওয়ার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু বাস্তবে ২০১৪ পর্যন্ত ভারতের মাত্র ৫৫ শতাংশ বাড়িতে রান্নার গ্যাসের সংযোগ ছিল। বন্ধুগণ, আমরা যেকো�� সমস্যার স্হায়ী সমাধানের কাজ করি। যে ব্যবস্হাগুলি দশকের পর দশক ধরে দেশের উন্নয়নকে থামিয়ে রেখেছিল, আমরা সেগুলির সমাধান কিংবা বাতিল করার কাজ এগিয়ে নিয়ে চলেছি। আমি আপনাদের ‘ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাঙ্করাপ্টসি কোড’ বা ‘আইবিসি’-র উদাহরণ দিতে চাই। বন্ধুগণ, আমাদের দেশে ঋণ নিয়ে একটি আজব পরম্পরা ছিল যে কোন গরিব বা নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ এক লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ নিলে তা ফেরত দেওয়া পর্যন্ত নিস্তার ছিলনা। কিন্তু দেশের কয়েক হাজার এমনি বড়ো বড়ো কোম্পানী ব্যাঙ্ক থেকে ৫-১০ লক্ষ নয় ৫-১০ কোটি নয়, ৫০০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতো। কিন্তু সে টাকা নানা কারণে সময়মতো ফেরত দিত না। কিন্তু সেই কোম্পানীগুলির মালিকদের কিছুই হতো না। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার পর ৭০ বছর ধরে দেশে এই ব্যবস্হায় চলছিল। কেন জানেন? এই কোম্পানীগুলি একটি বিশেষ ধরনের সুরক্ষা কবচের নিরাপত্তা পেত। ভাই ও বোনেরা আমি অনেক সমস্যার সম্মুখী হয়ে অনেক চাপের সামনে নতিস্বীকার না করে ২০১৬ সালে ‘ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাঙ্করাপ্টসি কোড’ প্রণয়ন করে ঐ ধনীর দুলালদের সুরক্ষা কবচকে ভেঙে দিয়েছি। আজ আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, কেউ আর কোম্পানী ভালভাবে চলছে না এই বাহানায় হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার চিন্তাও করতে পারবে না। এখন তারা নিজে নিজেই ঋণ পরিশোধ করবেন। ভাই ও বোনেরা, মাত্র দু বছরের মধ্যে এই ধরনের কোম্পানীগুলি নিজে থেকেই ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করেছে। এরমধ্যে অনেক টাকা ছিল ছোট ছোট সরবরাহকারী, ছোট ছোট শিল্পপতি এবং ক্ষুদ্র-অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রাপ্য টাকা। এই আইনের ফলে বড়ো কোম্পানীগুলির কাছ থেকে ইতিমধ্যেই আরো ১ ল৭ ৭৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ হয়েছে। তারমানে এই নতুন আইন প্রণয়নের ফলে বিগত দু বছরে প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করতে বাধ্য হয়েছেন অনেক কোটিপতি। এই প্রক্রিয়া আজও জারি রয়েছে। বন্ধুগণ, এভাবে যারা ব্যাঙ্ক লুন্ঠন করে পালিয়ে যেতেন, তাদের জন্যও কঠিন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন শুধু দেশে নয়, এহেন অপরাধীদের বিদেশে থাকা সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। এধরনের অপরাধীরা আর যাতে বিশ্বের কোনও প্রান্তে লুকানোর জায়গা না পায় তা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকার দায়বদ্ধ। বন্ধুগণ, ভারতে দুর্নীতিকে স্বাভাবিক বলে মেনে নেওয়া হতো। কিন্তু বিগত চার বছরে আমরা এই পরিস্হিতি পরিবর্তনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এখনও অনেকে দেশকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু আমি সত্যের শক্তিতে বিশ্বাস রাখি। সত্যনিষ্ট দেশবাসীদের প্রতি আমার সম্পূর্ণ আস্হা রয়েছে। ভাই ও বোনেরা, আজ ভারতের বিদেশনীতি, আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমরা কাউকে তুষ্ট রাখার চাপ নিয়ে চলি না। আমাদের সমস্ত নীতি, সমস্ত প্রকল্প সর্বজন হিতায়, সর্বজন সুখায়- রাষ্ট্রহিতের স্বার্থে ঠিক করা হয়। সেজন্য আজ ভারতীয় পাসপোর্টের শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে। আজ সমগ্র বিশ্ব ভারতের কন্ঠস্বরকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে শুনছে। বিশ্বের সমস্ত শক্তিশালী সংস্হায় এখন উচ্চপদে ভারতীয়রা আসীন হচ্ছেন। এমনকি‘ওপেক’এর মতো ভারতের প্রতিনিধিত্ব না থাকা সত্ত্বেও ভারতের কন্ঠস্বরকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বন্ধুগণ, বিশ্বময় ভারতের প্রতি ক্রমবর্ধমান আস্হা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উন্নতির ফলে ভারতকে প্রতারণাকারী, আমাদের ব্যবস্হাগুলিকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা ব্যক্তিদের এখন বিদেশের থেকেও বন্দি করে দেশে আনা সম্ভব হচ্ছে। বন্ধুগণ, রাজনৈতিক জীবনে যখন শুচিতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পায় আর জনগণের জন্য কাজ করার দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পায়, তখন নিজে থেকেই কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস বাড়ে। আমাদের দেশে কয়েক দশক ধরে জিএসটি চালু করার দাবি ছিল। আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলতে পারি যে আজ আমরা জিএসটিকে সফলভাবে চালু করে বাজারে অসাম্য দুর করতে পেরেছি, এবং ব্যবস্হার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থব্যবস্হায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সমাজের পরিশ্রমী মানুষেরা এখন ইন্সপেক্টররাজ থেকে মুক্ত একটি স্বচ্ছ, সরল ব্যবস্হায় ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছেন। গোটা দেশে এতো বড় কর সংস্কার বাস্তবায়িত করতে প্রত্যেক নাগরিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমাদের ব্যবসায়িদের এবং জনগণের উৎসাহের ফলেই ভারত এতোবড়ো পরিবর্তন আনতে সফল হয়েছে। উন্নত দেশগুলিতেও এতো সহজে ছোটখাটো কর সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব হয়না। জিএসটি বাস্তবায়নের আগে দেশে নিবন্ধীকৃত ব্যবসায়ী সংস্হার সংখ্যা ছিল মাত্র ৬৬ লক্ষ। এখন তা বৃদ্ধি পেয়ে ১ কোটি ২০ লক্ষ হয়েছে। গোড়ার দিকে জিএসটি ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে প্রচলিত ভেট এবং এক্সাইজ ব্যবস্হার আড়ালে এগিয়ে চলেছিল। কিন্তু সমস্ত সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগীদের সঙ্গে, অর্থনীতিবিদ ও কর আবেদনকারীদের সঙ্গে, আলাপ-আলোচ��ার মাধ্যমে, রাজ্যসরকারগুলির সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ধীরে ধীরে এতে যথাযথ পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়েছে। বন্ধুগণ, আজ জিএসটি ব্যবস্হা অনেকটাই প্রতিষ্ঠিত। আমরা এখনও প্রয়োজনীতা অনুসারে জনগণের প্রয়োজন অনুসারে এতে পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধ। ইতিমধ্যেই আমরা ৯৯ শতাংশ পণ্যকে ১৮ শতাংশ কিংবা তার থেকেও কম করের আওতায় আনার মতো পরিস্হিতিতে পৌঁছতে পেরেছি। অদূর ভবিষ্যতে এক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। তারপর যে এক শতাংশ বিলাসবহুল পণ্য বাকি থাকবে, সেগুলি ১৮ শতাংশের আওতার বাইরে থেকে যাবে। যেমন- কেউ যদি উড়োজাহাজ কেনেন, কিংবা দামি গাড়ি, মদ, সিগারেট ইত্যাদি। আমরা জিএসটিকে যথাসম্ভব সহজ এবং জনগণের জন্য সুবিধাজনক করে তুলতে চাই। সেজন্য আমরা লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বন্ধুগণ, আমার এবং আমার সরকারের চিন্তা ও লক্ষ্য অত্যন্ত স্পষ্ট। বিশ্বের সর্ববৃহৎ নবীন প্রজন্মের মানুষের দেশ ছোট স্বপ্ন দেখে বাঁচতে পারেনা। স্বপ্ন, আকাঙ্খা এবং লক্ষ্য সর্বদাই অত্যন্ত উচ্চমানের হওয়া উচিত। আমরা সততার সঙ্গে বড়ো লক্ষ্য সাধনের পথে এগিয়ে যাব এবং লক্ষ্য সাধন করেই ছাড়বো। লক্ষ্য ছোট হলে সাফল্যও ছোটই আসবে। বন্ধুগণ, বর্তমান সরকারি ব্যবস্হা বিগত ৭০ বছরের ক্রমবিবর্তনে গড়ে উঠেছে। বিগত চার-সাড়ে চার বছর ধরে আমরা সেই ব্যবস্হা নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু আজ কাজ করার গতি অনেকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের নিজস্ব বাড়ি থাকে, প্রত্যেক বাড়িতে যেন ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ, পরিশ্রুত পানীয় জল, পরিবেশবান্ধব জ্বালানী থাকে সেই লক্ষ্যে ভারত আজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, নবীন প্রজন্মের কর্মসংস্হান, বয়স্কদের ঔষধপত্র, কৃষকদের জন্য সেচের ব্যবস্হা, প্রত্যেক মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনা- এই লক্ষ্যগুলি সাধনের জন্য আমাদের প্রতিটি মুহূর্ত সমর্পিত। বন্ধুগণ, একটি নতুন বিশ্বাস নিয়ে, নতুন ভারত বিশ্ব মানচিত্রে নিজের ভূমিকা নির্ণয় করার ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে। নতুন গ্লোবাল অর্ডারে নিজেদের ভূমিকাকে পুনর্সজ্ঞায়িত করছে। আগামী দুদিনে দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন স্হান থেকে আগত অতিথি-সাংবাদিক ও বিশেষজ্ঞরা এসব বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করবেন। সেজন্য আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। নতুন প্রাণশক্তি সঞ্চারিত নতুন ভারতকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে আপনাদ��র এই প্রচেষ্টার জন্য উপস্হিত সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যে স্বপ্ন নিয়ে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন নবীন প্রজন্মের মানুষ রিপাবলিক টিভিকে প্রয়োগ করছে, যা এখন হিন্দি ভাষাতেও সমানভাবে প্রচারিত হচ্ছে, প্রসারিত হচ্ছে। দেশের অন্যান্য ভাষাতেও প্রচার ও প্রসারের কথা ভাবা হচ্ছে ; গোটা বিশ্বে সংবাদমাধ্যম হিসাবে নিজেদের উচ্চস্হানে আসীন করার স্বপ্ন নিয়ে আপনারা এগিয়ে যাবেন এই শুভেচ্ছা সহ অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",মুম্বাইত অনুষ্ঠিত ৰিপাব্লিক টিভি সন্মিলনত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আগবঢ়োৱা ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%AC-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%97/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি শ্রী গুরু গোবিন্দ সিং জির প্রকাশ পরব উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন : ""পবিত্র প্রকাশ পরব উপলক্ষে আমি শ্রী গুরু গোবিন্দ সিং জি কে প্রণাম জানাই এবং মানবতার সেবায় তার অবদানকে স্মরণ করি। তার অতুলনীয় সাহস আগামী দিনেও মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।""",প্ৰকাশ পূৰ্ব উপলক্ষে শ্ৰী গুৰু গোবিন্দ সিং জীক প্ৰণাম জনাইছে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%AD%E0%A6%87-%E0%A6%85%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%B0-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%97/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%AD-%E0%A6%85%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A7%B0-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE%E0%A6%A4-%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87/,"উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল, শ্রদ্ধেয়া বেবীরানী মৌর্য, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সহযোগীবৃন্দ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্রসিংহ রাওয়াত, উত্তরাখণ্ডের মন্ত্রীসভার সমস্ত সদস্যবৃন্দ, সিঙ্গাপুরের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এস ঈশ্বরণজি, জাপানের এবং চেক গণতন্ত্রের মাননীয় রাজদূত, দেশ-বিদেশ থেকে সমাগত সকল শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী বন্ধুগণ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, বাবা কেদারনাথের ছত্রছায়ায় চার ধামের পুণ্যার্জনে দেশ-বিদেশ থেকে সমাগত সমস্ত বন্ধুদের অনেক অনেক স্বাগত ও অভিনন্দন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আপনারা এখানে ভারতের অর্থনৈতিক আবহের পাশাপাশি আমাদের কয়েক হাজার বছর পুরনো সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও সমৃদ্ধিকে অনুভব করবেন, এর সঙ্গে পরিচিত হয়ে একটি নতুন চেত��ায় সমৃদ্ধ হয়ে এখান থেকে ফিরবেন। বন্ধুগণ, আমরা এমন সময়ে উত্তরাখণ্ডের মাটিতে একত্রিত হয়েছি যখন ভারতে দ্রুতগতিতে আর্থিক ও সামাজিক পরিবর্তন আসছে। দেশ অনেক বড় পরিবর্তন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা নতুন ভারত গড়ার পথে এগিয়ে চলেছি। বিশ্বের সকল বড় সমীক্ষাকারী সংস্থা বলছে যে ভারত আগামী দশকে বিশ্বে উন্নয়নের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে চলেছে। আজ ভারতের অর্থব্যবস্থা আগের থেকে অনেক বেশি স্থিতিশীল। রাজস্ব ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে, মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমাদের দেশে বিশ্বে সবচাইতে দ্রুতগতিতে মধ্যবিত্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৮০কোটি থেকেও বেশি জনসংখ্যার বয়স ৩৫ বছরের নিচে, সমাজে এই যুবশক্তির তুলনামূলক সংখ্যাধিক্য আকাঙ্ক্ষার সামর্থে ভরপুর। বন্ধুগণ, আজ ভারতে অভূতপূর্ব গতিতে এবং দক্ষতা সহকারে আর্থিক সংস্কার প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। বিগত দুই বছরেই এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার দশ হাজার থেকেও বেশি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপগুলির কারণেই বিশ্বে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস”-এ ভারত ৪২ ধাপ উন্নতি করেছে। এই আর্থিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় আমরা ১৪০০র–ও বেশি আইন বাতিল করেছি।তাছাড়া ভারতে কর ব্যবস্থায় অনেক সংস্কার করা হয়েছে।কর সংক্রান্ত বিবাদ সমাধানকে আরও স্বচ্ছ ও দ্রুত করার চেষ্টা চলছে। অসচ্ছলতা ও দেউলিয়া কোড প্রণয়নের ফলে আজ ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাও শক্তিশালী হয়েছে।জিএসটি প্রণয়নের মাধ্যমে ভারত স্বাধীনতার পর সবচাইতে বড় কর সংস্কার করেছে।জিএসটি দেশকে এক বাজারে পরিণত করেছে এবং কর ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনেছে। আমাদের পরিকাঠামো ক্ষেত্র রেকর্ড গতিতে এগিয়ে চলেছে।গতবছরই ভারতে প্রায় ১০,০০০ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ হয়েছে।অর্থাৎ দৈনিক প্রায় ২৭ কিমি গতিতে নির্মাণের কাজ চলছে।এই গতি পূর্ববর্তী সরকারের আমলের তুলনায় দ্বিগুণ। রেললাইন নির্মাণের কাজও দ্বিগুণ গতিতে এগিয়ে চলেছে।এছাড়া অনেক শহরে নতুন মেট্রো রেল, দ্রুতগতিসম্পন্ন রেল প্রকল্প, স্বতন্ত্র পণ্য পরিবহণ করিডর – ইত্যাদির কাজ চলছে।সরকার ৪০০টি নতুন রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রেও ভারত অভূতপূর্ব গতিতে এগিয়ে চলেছে।এই গতিকে আরও ত্বরান্বিত করতে দেশে প্রায় ১০০টি নতুন বিমানবন্দর ও হেলিপ্যাড নির্মাণের কাজ চলছে।উড়ান যোজনার মাধ্যমে দেশের টিয়ার-২, ���িয়ার-৩ শহরগুলিকে বিমানপথে সংযুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।ভারতে ১০০টিরও বেশি জাতীয় জলপথ নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। বন্ধুগণ, এছাড়াও আজ ভারতে সকলের জন্য বাড়ি, সকলের জন্য বিদ্যুৎ, সকলের জন্য পরিবেশবান্ধব জ্বালানি, সকলের জন্য স্বাস্থ্য, সকলের জন্য ব্যাঙ্ক পরিষেবার মতো ভিন্ন ভিন্ন অনেক প্রকল্প নির্দিষ্ট লক্ষ্যপূরণের পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।অর্থাৎ, আজ বলা যায় যে, সার্বিক দৃষ্টিতে পরিবর্তনের এই গতি আপনাদের জন্যে ভারতে বিনিয়োগের সর্বোত্তম আবহ গড়ে তুলেছে। সম্প্রতি শুরু হওয়া ‘আয়ুষ্মান যোজনা’ –র কর্মযজ্ঞ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনা গড়ে তুলেছে।এর ফলে দেশের টিয়ার-২, টিয়ার-৩ শহরগুলিতে নতুন নতুন হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, প্যারামেডিকেল মানবসম্পদ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে, প্যারামেডিকেল পরিকাঠামো শক্তিশালী হবে।আপনারা কল্পনা করতে পারেন যে, এই আয়ুষ্মান যোজনার মাধ্যমে দেশের ৫০ কোটি নাগরিককে বছরে ৫লক্ষ টাকা মূল্যের চিকিৎসার স্বাস্থ্যবিমার নিশ্চয়তা প্রদান করা হচ্ছে।অর্থাৎ, আমেরিকা, কানাডা আর মেক্সিকোর মিলিত জনসংখ্যার থেকে বেশি মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হবেন।এখন এই পরিষেবা প্রদানের জন্য কতগুলি হাসপাতালের প্রয়োজন হবে, কত ডাক্তার লাগবে,কত বড় বিনিয়োগের সম্ভাবনা, আর রোগীদের চিকিৎসাবাবদ খরচের টাকা এখন থেকেই প্রস্তুত, আর সেজন্যে বিনিয়োগকারীদের টাকা উঠে আসার নিশ্চয়তা রয়েছে।এটা ভারতে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পুঁজিনিবেশের একটি বড় সুযোগ, যা টিয়ার-২, টিয়ার-৩ শহরগুলিতে উন্নতমানের হাসপাতাল নির্মাণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছে। বন্ধুগণ, আজ ভারতে পরিকাঠামো নির্মাণে যত টাকা খরচ করা হচ্ছে, আগে কখনও তা হয়নি।সেজন্যে বিনিয়োগের অসীম সম্ভাবনার পাশাপাশি লক্ষ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।সম্ভাবনা, নীতি এবং সুষ্ঠু বাস্তবায়ন, এটাই উন্নয়নের সূত্র। নতুন ভারত বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য আর ‘গন্তব্য উত্তরাখণ্ড’ এই পর্যায়ের একটি উজ্জ্বল অংশবিশেষ।উত্তরাখণ্ড দেশের সেই রাজ্যগুলির অন্যতম, যেখানে নতুন ভারত আমাদের জনসংখ্যা বিষয়ক লভ্যাংশের প্রতিনিধিত্ব করে। আজকের উত্তরাখণ্ড নবীন প্রজন্মের আশা- আকাঙ্ক্ষায় ভরা, প্রাণশক্তিতে ভরপুর।এই অসীম সম্ভাবনাকে সুযোগে রূপান্তরিত করতে ত্রিবেন্দ্র রাওয়াতের নেতৃত্বাধীন সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। ‘গন্তব্য উত্তরাখণ্ড’ –র এই মঞ্চ এই প্রচেষ্টারই বহিঃপ্রকাশ।এখন এই মঞ্চ থেকে যেসব কথা বলা হয়েছে, যে বিশ্বাস ব্যক্ত করা হয়েছে ,যত দ্রুত সম্ভব সেগুলি বাস্তবায়নের প্রয়োজন রয়েছে, যাতে উত্তরাখণ্ডের নবীন প্রজন্মের সর্বাধিক কর্মসংস্থান হয়। বন্ধুগণ, শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ীজি উত্তরাখণ্ড গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন পরিস্থিতি খুবই কঠিন ছিল। রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য পাহাড়প্রমাণ সমস্যা ছিল। কিন্তু আজ উত্তরাখণ্ড উন্নয়নের পথে দ্রুতগতিতে ধাবমান। বিগত চার বছরে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে উৎসাহ প্রদানের জন্য, তাঁদের ক্ষমতায়ণের জন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষুদ্র শিল্পকে বেশি ঋণ, সমর্থন পুঁজি, সুদে ছাড়, ন্যূনতম কর এবং উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য এক কোটি টাকা অবধি ঋণ অত্যন্ত কম সময়ে মঞ্জুর করা হবে। উত্তরাখণ্ডে যে কোনও প্রকল্প স্থাপনে বিনিয়োগকারীদের যাতে সরকারি দপ্তরগুলিতে জুতোর শুকতলা ক্ষয় না করতে হয় তা সুনিশ্চিত করতে অনেক ব্যবস্থাকে অনলাইন করা হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক ছাড়পত্র প্রদানের জন্য ‘অনলাইন ফরেস্ট ক্লিয়ারেন্স’ নামক একটি পোর্টাল কাজ করছে, যাতে ছাড়পত্র প্রদান প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত হয়েছে। বিগত চার বছরে উত্তরাখণ্ডে যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধির অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মহাসড়ক, রেলপথ ও বিমানপথে যোগাযোগ উন্নত করার পাশাপাশি গ্রামগুলিতে পাকা সড়ক পৌঁছে দেওয়ার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। শুধু তাই নয়, চারধাম ‘অল ওয়েদার রোড’ আর ঋষিকেশ – কর্ণপ্রয়াগ রেল লাইনের কাজও দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। বন্ধুগণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা যত উন্নত হবে, পর্যটন তত উপকৃত হবে। এই রাজ্যের প্রাকৃতিক আকর্ষণ অতুলনীয়, তেমনি আস্থা ও সংস্কৃতির অনুপম মেলবন্ধন, নানা রোমাঞ্চকর ক্রীড়া ও অভিযান, নানা ধ্যানকেন্দ্রের সমাহারে উত্তরাখণ্ড একটি সম্পূর্ণ প্যাকেজ, একটি আদর্শ গন্তব্য। এখন তো উত্তরাখণ্ড সরকার স্বতন্ত্র পর্যটন নীতি প্রণয়ন করে পর্যটনকে একটি শিল্পের মর্যাদা প্রদান করেছে। ১৮ বছর পর প্রথমবারের মতো রাজ্যের ১৩টি জেলায় ১৩টি গন্তব্য চিহ্নিত করে উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে নিশ্চিতভাবেই, রাজ্যের যুবসম্প্রদায়ের অনেক ক���্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। বন্ধুগণ, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে রাজ্য সরকার এলাকা ভিত্তিক জৈব চাষে উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে রাজ্যকে দ্রুত সম্পূর্ণ জৈব রাজ্য গড়ে তোলার পথে এগিয়ে চলেছে। জৈব চাষের মাধ্যমে উৎপন্ন শস্য, ফল ও শাকসব্জির বাজার সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারও নানারকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। পাশাপাশি দেশে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ মঞ্জুর করা হয়েছে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রেও ভারত এখন বিশ্বের অন্যতম অগ্রণী দেশ হয়ে উঠেছে। ধান, গম, ফল, সব্জি ও দুধ উৎপাদনের মতো অনেক ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বে প্রথম তিনটি দেশের মধ্যে একটি স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের কৃষকদের এই পরিশ্রমের ফসল যাতে নষ্ট না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে আমরা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণকে এতো গুরুত্ব দিচ্ছি। এক্ষেত্রেও উত্তরাখণ্ডের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আমি আপনাদের সবাইকে কৃষি ও কৃষিভিত্তিক ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ করব। কৃষিজ পণ্যের মূল্য সংযোজন কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর আমি মনে করি যে আমরা যত বেশি কৃষি-ব্যবসায় বেসরকারি বিনিয়োগ করবো; খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, মূল্য সংযোজন, হিমঘর, গুদামীকরণ, পরিবহনের জন্য বিশেষ যানবাহন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ যত বৃদ্ধি পাবে, ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতি তত শক্তিশালী হবে এবং ভারতের আর্থিক সামর্থ্য নতুন মাত্রা লাভের সম্ভাবনায় উজ্জ্বল হবে। বন্ধুগণ, আজ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বে নেতৃত্ব প্রদানের সামর্থ্য অর্জন করতে চলেছে। আমরা ঠিক করেছি যে ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ বিকল্প উৎস থেকে উৎপাদন করবো। শুধু তাই নয়, ২০২২ সালে আমরা যখন ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি পালন করবো, তার আগেই দেশে ১৭৫ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির করে আমরা এগিয়ে চলেছি। এর মধ্যে একটা বড় অংশ আসবে সৌর শক্তি থেকে। আন্তর্জাতিক সৌর সঙ্ঘ স্থাপনের ভাবনাও এই চিন্তা প্রক্রিয়ারই বৃহত্তর রূপ। বিশ্বের জ্বালানীর প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে আমাদের একটাই মন্ত্র – এক বিশ্ব, এক সূর্য, এক গ্রিড। উত্তরাখণ্ডেও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার নিরন্তর কাজ করে চলেছে। জলবিদ্যুৎ তো এই রাজ্যের অন্যতম প্রধান শক্তি ছিলই, এখন সৌরশক্তি উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় উত্তরাখণ্ড উদ্বৃত্ত শক্তির রাজ্য হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে। উত্তরাখণ্ড ভারতকে শক্তি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার ক্ষমতা রাখে। বন্ধুগণ, বিগত চার বছরে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ একটি বড় ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে। আমি চাই, এই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ শুধু ভারতে নয়, সমগ্র পৃথিবীতে নাম করুক। বিশ্ববাসী আমাদের এই আমন্ত্রণ স্বীকার করেছে, ফলস্বরূপ তথ্য প্রযুক্তির পাশাপাশি ভারত এখন ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী নির্মাণের প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠছে। আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ মোবাইল ফোন নির্মাণ কারখানার পাশাপাশি ১২০টিরও বেশি কারখানা ভারতে উৎপাদনের কাজ করছে। বিশ্বের অনেক বড় ব্র্যান্ড এখন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র অংশ। তেমনই অটোমোবাইল ক্ষেত্রেও ভারত দ্রুতগতিতে উন্নতি করছে। আজকের অনুষ্ঠানে উত্তরাখণ্ডের অংশীদার হল জাপান। বন্ধুগণ আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, জাপানের কোম্পানি, জাপানের গাড়ি আজ ভারতের কারখানায় তৈরি হচ্ছে, আর এখান থেকে উৎপাদিত গাড়ি জাপান নিজের দেশেই আমদানি করছে। বন্ধুগণ, আজ এই অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের সবাইকে এই সমস্ত ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে, উত্তরাখণ্ড তথা নতুন ভারতের উন্নয়নযাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আগামী দু’দিনে যে মউ সাক্ষর হবে, তা অতি সত্ত্বরই বাস্তবায়িত হবে আর আমাদের রাজ্যগুলির সম্ভাবনাকে সর্বাধিক কাজে লাগাতে পারলে বিশ্বের কোনও শক্তি ভারতের উন্নয়নকে প্রতিহত করতে পারবে না! আর এটা অত্যন্ত আনন্দের কথা যে আজ রাজ্যগুলির মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। প্রত্যেক রাজ্য আজ অন্যের থেকে এগিয়ে যেতে চায়, নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে অন্যদের ছাপিয়ে যাওয়ার কথা ভাবে। আর কোনও রাজ্য যখন নিজস্ব ক্ষমতার ভিত্তিতে এগিয়ে যায়, তখন আমার মনে হয় সেই রাজ্য পিছিয়ে থাকতে পারে না। আমাদের অনেক রাজ্যের সামর্থ্য বিশ্বের অনেক দেশের থেকে বেশি। আমার মনে পড়ে ২০০১ সালের ৭ই অক্টোবর, যেদিন প্রথম গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলাম, আমার কোনই অভিজ্ঞতা ছিল না, সরকার কী হয়, সেটাই ভালভাবে জানতাম না! একদম নতুন। সাংবাদিকরা পৌঁছে গেছে, তাঁরা আমাকে ছেঁকে ধরেছে! তাঁরা অপেক্ষায় যে আমি কোনও ভুল করলে, তেমন কোনও জবাব দিলে ভাল মতো চেয়ারে বসার আগেই আমাকে কিস্তিমাৎ করার চেষ্টা চলছিল! কেউ জিজ্ঞেস করেন, আপনি কেমন গুজরাট গড়তে চান? আপনার আদর্শ কে? কাকে দেখে আপনি এরকম কল্পনা করছেন? সাধারণতঃ এরকম সব প্রশ্নের জবাবে কেউ বলবেন, আমেরিকার মতো, অন্য কেউ হয়তো বলবেন যে, ইংল্যান্ডের মতো বানাতে চাই! কিন্তু আমি তাদের ভিন্ন জবাব দিই। আমি তাদেরকে বলি যে, আমি গুজরাটকে দক্ষিণ কোরিয়ার মতো বানাতে চাই। তাঁরা কিছু বুঝতে না পারলে আমি বলি যে, আপনারা ক্যামেরা বন্ধ করুন, আমি ভালভাবে বুঝিয়ে বলবো! তারপর আমি ওদেরকে বলি যে, গুজরাট আর দক্ষিণ কোরিয়ার জনসংখ্যা প্রায় সমান, সেখানকার সমুদ্রতট আর আমাদের সমুদ্রতট প্রায় সমান; সে দেশের উন্নয়ন যাত্রার মানচিত্র আমি এত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করেছি যে আমার মনে হয় যে, সেই পথে চললেই আমরা এগোতে পারবো, আমরা থেমে পড়ব না! আমি মনে করি যে ভারতের প্রত্যেক রাজ্যের নিজস্ব সামর্থ্য রয়েছে। তাঁরা বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে পারে। ভারতের প্রত্যেক রাজ্য এই সামর্থ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে, আমাদের নবীন প্রজন্মের সেই শক্তি আছে, সামর্থ্য আছে। গত পরশু রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি এদেশে ছিলেন, আমরা একটি ভিন্ন ধরণের কর্মসূচিতে সামিল হয়েছি। রাশিয়ার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি মানসিকভাবে যুক্ত, আমি যখন রাশিয়া সফরে গিয়েছিলাম, তখন আমাকে দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমি তাকে বলি, ওই স্কুলের বাচ্চাদের একবার ভারতে নিয়ে আসুন! আমিও ভারতের কিছু বাচ্চাকে আপনাদের দেশে পাঠাতে চাই! তিনি আমার কথামতো এবার ভারতে আসার সময় ২০টি শিশুকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ভারতের ২০টি বাচ্চা পাঁচ-ছ’দিন একসঙ্গে কাজ করেছে। এই পাচ-ছ’দিনের মধ্যে রাশিয়ান মন ও ভারতীয় মনের শিশুরা মিলেমিশে এমন অসাধারণ সব জিনিস বানিয়েছে যে, রাশিয়ার রাস্ট্রপতি তা দেখে অবাক হয়ে যান। আমাদের শিশুদের মধ্যে কত সম্ভাবনা রয়েছে, তারা সুযোগ পেলে অনেক কিছু করে দেখাতে পারে! আজ উত্তরাখণ্ড সেই পথে এক পা বাড়িয়েছে। ১৮ বছর বয়সের অনেক গুরুত্ব। উত্তরাখণ্ড চির-পুরাতন, কিন্তু উত্তরাখণ্ড সরকারের বয়স ১৮ বছর। ১৮ বছরের প্রাণশক্তি, ১৮ বছরের স্বপ্ন, নিজের মতো করে নতুন কিছু করে দেখানোর ইচ্ছে বিচিত্র হয়। উত্তরাখণ্ডেরও তাই এই মূল্যবান সময়কে ভালভাবে ব্যবহার করতে হবে। আর্থিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বে স্পেশাল ইকনমিক জোন বা সেজ-এর ভূমিকার কথা আমরা কয়েক দশক ধরে শ��নছি। কিন্তু উত্তরাখণ্ডে একটি ভিন্ন সেজ আছে, আর আমাদের মুনি-ঋষিদের শতাব্দীর পর শতাব্দী তপস্যা, মা গঙ্গা ও দেবাদিদেব হিমালয়ের উপস্থিতির ফলে এই স্পেশাল ইকোনোমিক জোন একটি স্পিরিচুয়াল ইকো জোন হয়ে ওঠায় এর সামর্থ্য লক্ষগুণ বেশি। সেদিকে লক্ষ্য রেখে উত্তরাখণ্ডের নিজস্ব প্রকল্পসমূহের বিস্তার ও উন্নয়নের কাজ করতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াতের নেতৃত্বে এই ১৮ বছরের রাজ্যের সরকার এমন উন্নয়নের কাজ করবে, ১৮ বছরের প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা রাজ্যটি এমন নতুন উচ্চতা অতিক্রম করবে যে, ২০২৫ সালে আপনারা যখন রাজ্যের ২৫ বছর পূর্তি পালন করবেন, ততদিনে আপনাদের সমস্ত স্বপ্ন অবশ্যই সাকার হবে। এই মহা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি শুভ সূচনা হল। আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আপনারা পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ।","৭ অক্টোবৰ, ২০১৮ত ডেষ্টিনেচন উত্তৰাখণ্ডঃ বিনিয়োগকাৰীৰ সন্মিলনত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF/,"নয়াদিল্লি, ০৮ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রতি। একটি ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “মিঃ আবের প্রয়াণে জাপান ও বিশ্ব এক মহান দার্শনিককে হারালো এবং আমি হারালাম এক প্রিয় বন্ধুকে। আমার বন্ধু আবে সান – এর প্রতি শ্রদ্ধা….” “আমার সঙ্গে আবে সান-এর প্রথম দেখা হয় ২০০৭-এ। তখন থেকে আমাদের মধ্যে অনেকবার মনে রাখার মতো কথাবার্তা হয়েছে। আমি তার প্রত্যেকটি স্মরণ করে আনন্দ পাই। আবে সান ভারত-জাপান সম্পর্কে প্রাণ এনেছিলেন। তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে, নতুন ভারতের উন্নয়ন যাত্রায় গতি আসার সময় যেন পাশে থাকে জাপান”। “বিশ্ব নেতৃত্বের প্রসঙ্গে বলতে গেলে আবে সান সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে ছিলেন। কোয়াড, আসিয়ান নেতৃত্বাধীন ফোরাম, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় উদ্যোগ, এশিয়া-আফ্রিকা উন্নয়ন করিডর এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম পরিকাঠামোর জন্য সহযোগিতা – এই সবকিছুই তাঁর অবদানে উপকৃত হয়েছে”।","‘মাই ফ্ৰেইণ্ড, আবে ছান’ – শ্বিনজো আবেৰ প্ৰতি শ্ৰদ্ধাঞ্জলি শ্বেয়াৰ কৰিছে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC/,"হিন্দি দিবস উপলক্ষ্যে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন, ভাষা এমনই এক মাধ্যম যার মাধ্যমে যে কোনো সমাজের নিজেদের জ্ঞান, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে যায়। হিন্দী দিবস উপলক্ষ্যে হিন্দী ভাষার প্রচার-প্রসারের সঙ্গে জড়িত ভাষাবিদ এবং হিন্দী প্রেমিকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। /…",হিন্দী দিৱস উপলক্ষে দেশবাসীক প্ৰধানমন্ত্ৰী শুভেচ্ছা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%83%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে আমাদের ভিন্নভাবে সক্ষম ভাই ও বোনেদের দৃঢ়তা ও সাফল্য অর্জনের প্রশংসা করেছেন। বেশ কয়েকটি ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে আমি আমাদের দিব্যাঙ্গ ভাই ও বোনেদের দৃঢ়তা ও সাফল্য অর্জনের প্রশংসা করি। আমাদের সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য একাধিক সুযোগ তৈরি হয়েছে, যার ফলে তাঁরা বিকাশিত হতে পেরেছেন”। “আমাদের সরকার যে কোনও স্থানে সহজে যাতায়াতের বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়। বিভিন্ন ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি ও অত্যাধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার সময় এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভিন্নভাবে সক্ষমদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে যাঁরা তৃণমূল স্তরে কাজ করছেন, তাঁদের উদ্যোগকেও আমি স্বীকৃতি জানাই”।",প্রধানমন্ত্রীয়ে আন্তঃৰাষ্ট্ৰীয় দিব্যাংগজন দিৱসত দিব্যাংগ ভগ্নী আৰু ভাতৃসকলৰ ধৈৰ্য তথা প্ৰাপ্তিৰ প্ৰশংসা কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9A-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%96/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%A1%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A7%8D/,"আমি বলব – স্যর ছোটুরাম আপনারা সবাই দু’বার করে বলবেন – অমর রহে ���মর রহে। স্যর ছোটুরাম – অমর রহে, অমর রহে। স্যর ছোটুরাম – অমর রহে, অমর রহে। স্যর ছোটুরাম – অমর রহে, অমর রহে। স্যর ছোটুরাম – অমর রহে, অমর রহে। সীমান্তে প্রহরারত দেশের বীর সেনানী, দেশের কোটি কোটি মানুষের জন্য পরিশ্রম করে ফসল উৎপাদনকারী কৃষক, আর আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ক্ষেত্রে দেশকে সর্বাধিক মেডেল এনে দেওয়া খেলোয়াড়দের রাজ্য হরিয়ানার মাটিকে আমি প্রণাম জানাই। দেশের নাম ও সম্মান বৃদ্ধিতে সম্মুখ সারিতে থাকা হরিয়ানাবাসীদের কোনও তুলনা হয় না। মঞ্চে উপবিষ্ট হরিয়ানার মাননীয় রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্যজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য চৌধরী বীরেন্দ্র সিংজি, কৃষ্ণপাল গুর্জরজি, হরিয়ানার জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লালজি, জম্মু ও কাশ্মীরের মাননীয় রাজ্যপাল সৎপাল মালিকজি, হিমাচল প্রদেশের মাননীয় রাজ্যপাল এবং এই মাটির সন্তান আচার্য দেবব্রতজি, হরিয়ানা রাজ্যের মন্ত্রী আমার পুরনো বন্ধু ও ভাই ও পি ধনকড়জি, বিধায়ক সুভাষ বরালাজি এবং হরিয়ানার পাশাপাশি পাঞ্জাব ও রাজস্থান থেকে আগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা। আমি আপনাদের দীনবন্ধু ছোটুরামের মর্মর মূর্তি উৎসর্গ করে অত্যন্ত আনন্দিত। এর থেকে বড় খুশির দিন আমার জন্য আর কী হতে পারে! বন্ধুগণ, আমার সৌভাগ্য যে আজ সেই সাঁপলার মাটিতে দাঁড়িয়ে কৃষকদের অবিসংবেদী নেতা, কৃশকদের মসীহা, রহবরে আজম দীনবন্ধু চৌধরী ছোটুরামজি-র এত বড় ও শিল্প-সুষমামণ্ডিত মর্মর মূর্তির আবরণ উন্মোচন করতে পেরেছি। এখানে এই সভায় আসার আগে আমি চৌধরী ছোটুরামজি-র স্মৃতিতে নির্মিত সংগ্রহালয়টিও দেখে এসেছি। এখন এই সংগ্রহালয়ের পাশাপাশি এই সাঁপলার মাটিতে হরিয়ানার সর্ববৃহৎ সবচেয়ে উঁচু মূর্তি স্থাপনের ফলে এটি রোহতকের আরেকটি পরিচয় হয়ে উঠেছে। আর আমার সৌভাগ্য এই অক্টোবর মাসে কৃষকদের মসীহা স্য ছোটুরামের মূর্তি, হরিয়ানার বৃহত্তম মূর্তির আবরণ উন্মোচন করার সৌভাগ্য হয়েছে। আর আগামী ৩১শে অক্টোবর সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের জন্মদিবসে বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি উদ্বোধনের সৌভাগ্য হবে। এই দুই মহাপুরুষ-ই কৃষক ছিলেন। দেশের জন্য কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করে গেছেন। আরেকটি বিশেষ কথা হ’ল যে, এই বিশাল মূর্তির নির্মাতা একজন নবতিপর যুবক শিল্পী শ্রদ্ধেয় সুতার মহোদয়। এই বয়সে সদা তৎপর এই মহান শিল্পীই গুজরাটে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের মূর্তি তৈরি করেছেন, ���িশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি। আমি হরিয়ানা, রাজস্থান ও পাঞ্জাবের পাশাপাশি আমার গোটা দেশের সমস্ত সচেতন মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাই। ভাই ও বোনেরা, আমাদের দেশে নানা যুগে নানা কালে এমনসব মহাপুরুষেরা জন্মগ্রহণ করেছেন, যাঁরা নিজেদের সমগ্র জীবন শুধুই সমাজের সেবায় সমর্পিত করে দেশকে দিশা দেখানোর কাজ করে গেছেন। কোনও রকম দারিদ্র্য, অভাব, সমস্যা কিংবা প্রতিকূলতা তাঁদের গতি রোধ করতে পারেনি। তাঁরা সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সমাজকে শক্তিশালী করার জন্য নিজেকে সমর্পণ করেছেন। আমাদের প্রত্যেকের জন্য গর্বের বিষয় যে হরিয়ানার মাটিতেও এরকম এক মহাপুরুষ চৌধরী ছোটুরাম জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। চৌধরী ছোটুরামজি দেশের সেই সমাজ সংস্কারকদের অন্যতম, যিনি ভারত নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি কৃষক, মজুর, বঞ্চিত ও শোষিতদের হয়ে প্রতিবাদে মুখর হতেন। তিনি সমাজে বিভেদ সৃষ্টিকারী প্রত্যেক অপশক্তির বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছেন। কৃষি সংক্রান্ত নানা সমস্যা, কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবনে নানা বিপত্তিকে তিনি অনেক ঘনিষ্ঠভাবে দেখেছেন, হৃদয়ঙ্গম করেছেন এবং সেসব সমস্যার সমাধানের চেষ্টাও করে গেছেন। বন্ধুগণ, আজ স্যর ছোটুরামজির আত্মা যেখানেই থাকুন না কেন, আজ সোনিপতে একটি আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ রেল কোচ কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হতে দেখে খুশি হবেন। প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে এই কারখানা গড়ে তোলা হবে। এই রেল কোচ কারখানায় প্রতি বছর ২৫০টি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের কামরার মেরামত এবং আধুনিকীকরণ হবে। ফলে এক্ষেত্রে পরিষেবারত ট্রেনের কামরাগুলির মেরামত এবং আধুনিকীকরণের জন্য আর দূরবর্তী কোনও কারখানায় পাঠাতে হবে না। ভাই ও বোনেরা, এই কারখানা শুধু সোনিপত নয়, হরিয়ানার শিল্পোন্নয়ন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। কোচ মেরামতির জন্য যেসব সরঞ্জামের প্রয়োজন, সেগুলি উৎপাদন ও সরবরাহের জন্য অনেক ছোট ছোট কারখানা ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে, অনেক নতুন নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হবে, স্থানীয় যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান হবে। হরিয়ানার ছোট ছোট শিল্পপতিরা সিট কভার, পাখা, বিদ্যুতের নানা সরঞ্জাম, কোচের আধুনিকীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের সুযোগ পাবেন। আপনারা ভাবুন, এই কোচ কারখানাকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এই কারখানায় ইঞ্জিনিয়ার ও প্রযুক্তিবিদদের কাছ ��েকে কাজ শিখে স্থানীয় যুবক-যুবতীদের দক্ষতা উন্নয়ন হবে। আগামীদিনে এই দক্ষতা বিশেষজ্ঞতায় উন্নীত হলে তাঁরা দেশের অন্যান্য অঞ্চলে গিয়ে পরিষেবা প্রদান করতে পারবেন, দেশ লাভবান হবে। বন্ধুগণ, কয়েক বছর হরিয়ানায় কাজ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তখন এখানে দলের কাজ করার সময় প্রায় প্রতিদিনই কারও কাছে স্য ছোটুরাম সম্পর্কে, তাঁর মহানতার কথা শুনতাম। এই রোহতকের চৌধরী ছোটুরাম বলতেন যে, ‘কৃশকরা যেমন দারিদ্র্যের প্রতীক, তেমনই ইংরেজ সেনার অত্যাচারের বিরুদ্ধে পতাকা উত্তোলনকারী সৈনিকও বটে’। ছোটুরামজি এমনই উদ্দীপ্ত বক্তব্য রাখতেন। বন্ধুগণ, আজ হরিয়ানায় এমন কোনও গ্রাম নেই, যে গ্রামের কোনও না কোনও সদস্য সেনাবাহিনীতে কাজ করেন না। দেশের সেনাবাহিনীতে যোগদানের মাধ্যমে দেশ সেবার প্রতি জনমানসে সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দীনবন্ধু ছোটুরামজির ভূমিকা সর্বাগ্রগণ্য। তিনি এ রাজ্যের কৃষকদের সেনাবাহিনীতে যোগদানের প্রেরণা যুগিয়েছেন। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের সময় এখানকার অনেক সৈনিক বিশ্ব শান্তি স্থাপনের খাতিরে লড়াই করেছেন। বন্ধুগণ, বেঁচে থাকতে তাঁরা স্বাধীন ভারত দেখে যেতে পারেননি, কিন্তু ভারতের সমস্যা সমাধানে তাঁরা জনগণের আশা-আকাঙ্খা এবং স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি সর্বদাই ইংরেজদের ‘ভাগ করে শাসন করো’ নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তাঁর ব্যক্তিত্ব কতটা প্রখর ছিল, তা সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের একটি মন্তব্য থেকেই বোঝা যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘আজ চৌধরী ছোটুরামজি বেঁচে থাকলে বিভাজনের সময় এবং তার পরে বিভাজিত পাঞ্জাব নিয়ে আমাকে ভাবতে হ’ত না, ছোটুরামজি-ই সামলে নিতেন’! স্যর ছোটুরামের সামর্থ্য ও শক্তি নিয়ে সর্দার প্যাটেলের এই আস্থার জন্য প্রত্যেক হরিয়ানাবাসীর মনে তাঁর সম্পর্কে গর্ব হওয়া উচিৎ। পশ্চিম ও উত্তর ভারতের একটা বড় অংশে তার প্রভাব এত ব্যাপক ছিল যে, ইংরেজ প্রশাসকরা তাঁর কোনও কথা মানতে অস্বীকার করার আগে একশোবার ভাবতে বাধ্য হতেন। ছৌধরী ছোটুরামজি এবং সেই সুদখোর ব্যবসায়ীর গল্পটি আমি কমপক্ষে ১০০ বার বলেছি। আপনারা সকলেই হয়তো শুনেছেন। ঐ ব্যবসায়ী তাঁকে ধার না দিয়ে পাটোয়ারি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ব্যবসায়ী জানতেন না যে, যাঁকে তিনি পাটোয়ারি হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, তিনি একদিন অবিভক্ত পাঞ্জাবের হাজার হাজার পাটোয়ারির ভ���গ্য নির্ণয় করবেন। শুধু সামর্থ্যের জোরে সংগ্রাম করে চৌধরী সাহেব একদিন পাঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী হয়েছিলেন। ভাই ও বোনেরা, অর্থমন্ত্রী হিসাবে তিনি পাঞ্জাব তথা দেশের কৃষক ও কৃষি মজুরদের স্বার্থ রক্ষার খাতিরে যে রাজস্ব-ব্যবস্থা এবং ফসল বিপণনের জন্য এমন আইন প্রণয়ন করেছিলেন যে, তা আজ পর্যন্ত আমাদের ব্যবস্থার অঙ্গ। চৌধরী সাহেবই কৃষকদের ঋণ সংক্রান্ত আইন, সহায়ক মূল্য সংক্রান্ত আইন কিংবা কৃষি-বাজার সংক্রান্ত আইনগুলির ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। আমাদের এটাও ভোলা উচিৎ নয় যে, এসব কাজ তিনি পরাধীন ভারতেই করতে পেরেছিলেন। তাঁর সামনে নানা প্রতিবন্ধকতা ছিল, কিন্তু তিনি শুধু কৃষকদের স্বার্থ ভেবে চুপ থাকেননি, কাজে পরিণত করে ছেড়েছেন! তিনি ‘অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রি’ বা কৃষি-ভিত্তিক শিল্প সম্প্রসারণের পক্ষে ছিলেন। সেই সময়ে তিনি কুটির শিল্প, ক্ষুদ্র শিল্পকে শক্তিশালী করার দিকে জোর দিয়েছিলেন। তিনি দেশের শিল্পপতিদের প্রত্যেককে নিয়মিত কৃষি সংশ্লিষ্ট শিল্প স্থাপনে উৎসাহ যোগাতেন। বন্ধুগণ, ছোটুরামের এই দূরদৃষ্টি দেখে চক্রবর্তী রাজা গোপালাচার্যজি বলেছিলেন, চৌধরী ছোটুরামজি শুধুই উঁচু লক্ষ্যস্থির করতে জানেন না, সেই লক্ষ্যগুলি কিভাবে বাস্তবায়িত করা যায়, সেই পথও তিনি ভালোভাবেই জানতেন। ভাই ও বোনেরা, দেশে অনেকেই হয়তো জানেন না যে, এই ভাখরা বাঁধের পরিকল্পনার প্রাথমিক ভাবনা চৌধরীজিরই মস্তিষ্কপ্রসূত। তিনিই বিলাসপুরের রাজার সঙ্গে ভাখরা বাঁধের জন্য চুক্তিতে হস্তাক্ষর করেছিলেন। আমরা দেখেছি যে, এই দূরদর্শিতার সুফল আজও পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও রাজস্থানের মানুষ, এই তিন রাজ্যের কৃষকরা উপভোগ করছেন। বন্ধুগণ, যিনি দেশের জন্য এত কিছু করেছেন, এত ব্যাপক সংস্কার করেছেন, এরকম দূরদৃষ্টির আলোকে সবাইকে পথ দেখিয়েছেন, তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত জানা ও বোঝার অধিকার প্রত্যেক দেশবাসীর রয়েছে। কখনও আমি একথা ভেবে অবাক হয়েছি যে, এত মহান ব্যক্তিত্বকে একটি ক্ষেত্রের পরিধিতে কেন সীমিত রাখা হয়েছে? আমার মতে, এতে চৌধরী সাহেবের ব্যক্তিত্বে কোনও প্রভাব পড়েনি, কিন্তু অনেক প্রজন্ম তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণে বঞ্চিত থেকে গেছেন। ভাই ও বোনেরা, আমাদের সরকার দেশের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গকারী প্রত্যেক ব্যক্তির সম্মান বৃদ্ধির কাজ করছে। বিগত চার বছরে মহান ব্যক্তিত্বসমপন্ন মহাপুরুষদের সম্ম���ন প্রদর্শনের পাশাপাশি তাঁদের প্রদর্শিত পথকে বিস্তারিত করার চেষ্টা করছে। কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সুদখোর মহাজনদের খপ্পড় থেকে উদ্ধার করতে তাঁদের জন্য ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জন ধন যোজনার মাধ্যমে হরিয়ানা প্রায় সাড়ে ছেষট্টি লক্ষ ভাই-বোনদের ব্যাঙ্কের খাতা খোলা হয়েছে। সরকার সমাবায় ব্যঙ্কগুলি থেকে ঋণ প্রদানের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করা হয়েছে। সম্প্রতি ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস্‌ ব্যাঙ্কও চালু করা হয়েছে। ফলে, এখন আপনার গ্রামে বসেই ডাকপিওনের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সুনিশ্চিত হয়েছে। বন্ধুগণ, চৌধরী সাহেব যেরকম কৃষক ও কৃষি মজুরদের উত্থানের জন্য সম্পূর্ণতা নিয়ে ভেবেছেন, তেমনই আমাদের সরকারও বীজ সরবরাহ থেকে ফসলের বাজারীকরণ পর্যন্ত একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। কৃষকরা যাতে তাঁদের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য পান, নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে যাতে তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত থাকে, যথসময়ে আধুনিক বীজ পর্যাপ্ত পরিমাণ ইউরিয়া ও সেচের সুবিধা পান এবং মাটির স্বাস্থ্য সম্পর্কে জেনে সেই অনুযায়ী অনুকূল চাষের জন্য পা বাড়ান সেদিকে লক্ষ্য রেখে ইতিমধ্যেই দেশের প্রায় ৫০ লক্ষ কৃষক পরিবারকে ‘মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ড’ প্রদান করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ কৃষক ইতিমধ্যেই ‘কিষাণ বিমা’ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। যেসব জায়গায় বিগত ৩০-৪০ বছর ধরে জল পৌঁছয়নি, আজ সেসব অঞ্চলের ফসলের ক্ষেতে জল পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, অনেক ক্ষেত্রে আমরা সাফল্য পেয়েছি। সম্প্রতি লখবার বাঁধ নির্মাণের জন্য ৬টি রাজ্যের মধ্যে ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। এর ফলে, হরিয়ানাও অনেক লাভবান হবেন। বন্ধুগণ, আট-নয় দশক আগে চৌধরী সাহেব কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্য সুনিশ্চিত করতে ‘কৃষি উৎপাদন মান্ডি অধিনিয়ম’ প্রণয়ন করেছিলেন। আমাদের সরকারও ‘পি এম আশা’ অর্থাৎ ‘প্রধানমন্ত্রী অন্নদাতা আয় সংরক্ষণ অভিযান’ শুরু করেছে। এর মাধ্যমে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে কৃষকরা বাজারে ফসলের দামের ক্ষেত্রে সহায়ক মূল্য থেকে কম পেলে রাজ্য সরকার থেকে ক্ষতি পূরণ পাওয়া যাবেদ। শুধু তাই নয়, আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, কৃষকদের বিনিয়োগের ওপর ন্যূনতম ৫০ শতাংশ লাভ সুনিশ্চিত করা হবে, সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়েছে। বন্ধুগণ, সরকার ধান, গম, আখ সহ ২১টি গুরুত্বপূর্ণ ফসলের সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করেছে। ধানের সহায়ক মূল্যে প্রতি ক্যুইন্টালে ২০০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন এর দাম ১,৫৫০ টাকা ক্যুইন্টাল থেকে বাড়িয়ে ১,৭৫০ টাকা ক্যুইন্টাল করা হয়েছে। এরকম ভুট্টার ক্ষেত্রে ২৭৫ টাকা, সূর্যমুখীর ১,৩০০ টাকা আর বাজরার সহায়ক মূল্য প্রতি ক্যুইন্টালে ৫২৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, ভাবুন – কত বছর ধরে আমাদের কৃশকরা এই দাবি জানিয়ে আসছিলেন। আমরা সরকারের দায়িত্ব পেয়ে তাঁদেরএই দীর্ঘকালীন দাবি পূরণ করেছি। বন্ধুগণ, হরিয়ানার কৃষকদের আয় বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি, তাঁদের এই র্ধিত আয় যাতে রোগের চিকিৎসায় খরচ না হয়ে যায়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হয়েছে। আমি হরিয়ানাবাসীদের অভিনন্দন জানাই। আপনাদের রাজ্যেরই এক কন্যা ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প থেকে প্রথম উপকৃত হয়েছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, গত দু’সপ্তাহের মধ্যে দেশে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের মাধ্যমে চিকিৎসা চলছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, হরিয়ানা ইতিমধ্যেই নিজেকে উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ মুক্ত রাজ্য হিসাবে ঘোষণা করেছে। আমি রোহতক-কে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাব। কারণ, এখানকার মহর্ষি দয়ানন্দ বিশ্ববিদ্যালয় দেশে পরিচ্ছন্নতার র‍্যাঙ্কিং-এ শীর্শস্থান অর্জন করেছে। বন্ধুগণ, আজ চৌধরী সাহেবের আত্মা যেখানেই থাকুন না কেন, তিনি হরিয়ানায় ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ অভিযানের সাফল্য দেখে খুশি হবেন। তিনি শুধু পরিবর্তনের জন্য আওয়াজ তুলেই ক্ষান্ত হননি, সমাজের মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য নিজের বাড়ি থেকেই সূত্রপাত করেন। মেয়েদের নিয়ে সমাজের নানা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে তিনি নানা সামাজিক চাপের বিরুদ্ধে নিজের দুই কন্যার পাশে শক্তভাবে দাঁড়িয়েছিলেন। ভাই ও বোনেরা, আজ যখন হরিয়ানার ছোট ছোট গ্রামে জন্ম নেওয়া মেয়েরা নানা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে দেশের গৌরব বৃদ্ধি করছেন, হরিয়ানার ছেলেমেয়েরা ক্রীড়া ক্ষেত্রে ভারতকে বিশ্ব শক্তি করে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, তখন মনে হয় যে, আমরা চৌধরী সাহেবের স্বপ্ন সাকার করার লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছি। বন্ধুগণ, আজ হরিয়ানা দেশের উন্নয়নকে গতি প্রদান করছে। এই গতিকে নিরন্তর ত্বরান্বিত করার প্রক্রিয়া জারি রাখতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। এটাই আমাদের জন্য চৌধরী ছোটুরামের বার্তা। সামাজিক সাম্য ও জাতীয় ঐক্যের জন্য সমর্পিত রাষ্ট্রপুরুষকে আমরা তখনই সত্যিকরের শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে পারব, যখন আমরা সবাই মিলে তাঁর স্বপ্নের ভারত গড়ে তুলব, নতুন ভারত গড়ব। কিছুদিন পরই আপনারা হরিয়ানা দিবস পালন করবেন। সেজন্য আমি সমস্ত হরিয়ানাবাসীকে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাই। আর আপনারা সবাই বিপুল সংখ্যায় এখানে স্যর ছোটুরামজিকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করতে এসেছেন, সেজন্য আপনাদের সকলকে হৃদয় থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ। …",হাৰিয়ানাত ৰে’লৰ ডবা নিৰ্মাণ কাৰখানাৰ আধাৰশিলা স্থাপন অনুষ্ঠানত প্রধানমন্ত্রীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%AA-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%B6%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%AA-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%B6%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0/,"বোল মেরী মাঁ – জয় জয় ঊমিয়া বোল মেরী মাঁ – জয় জয় ঊমিয়া বোল মেরী মাঁ – জয় জয় ঊমিয়া আজ মহাশিবরাত্রি, হর হর মহাদেব বিপুল সংখ্যায় আগত মাঁ ঊমিয়ার সকল ভক্তবৃন্দ, আজ যখন আমরা ঊমিয়াধামে এসেছি, শক্তির উপাসনায় নিজেদের সমর্পণ করতে, আগে আগে তিনবার জয়কার দেব, তারপর নিজের কথা বলব। ভারতমাতার নামে তিনবার জয়কার দেব। পরাক্রমী ভারতের জন্য ভারতমাতার জয় বিজয়ী ভারতের জন্য ভারতমাতার জয় বীর জওয়ানদের জন্য ভারতমাতার জয় আমি সবার আগে এই মন্দিরের ট্রাস্টিদের কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাই। তাঁরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমাদের দেশে এক ধরণের মানুষ আছেন, যাঁরা সমস্ত ধার্মিক প্রবৃত্তিকে ভণ্ডামী বলে ভাবেন। তারা মনে করেন, এইসব ধার্মিক প্রবৃত্তি সকলের ভালো করবে না, কারও কারও ভালো হবে। তাদের অজ্ঞানতার জন্য আমার করুণা হয়। আমাদের দেশের হাজার হাজার বছরের ইতিহাস দেশের মুনি-ঋষি-আচার্য-ভগবন্ত-গুরুজন-শিক্ষক-বৈজ্ঞানিক ও কৃষকরা নিজ নিজ অবদানের মাধ্যমে গড়ে তুলেছে। এই সকল চালিকাশক্তির প্রাণভোমরা ছিল আমাদের আধ্যাত্মিক পরম্পরা। পরাধীনতার দীর্ঘ কালখন্ডেও ১,০০০ – ১,২০০ বছর ধরে ভারতের প্রত্যেক প্রান্তের শিক্ষিত মানুষেরা দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও পরম্পরাকে সঞ্জীবিত রাখতে লড়াই করেছেন, আত্মবলি দিয়েছেন। এ কেমন প্রেরণা, যা দেশের আধ্যাত্মিক চেতনা ও ঐতিহ্যের মাধ্যমে সমাজ জীবনকে সঞ্চালিত করে। আর একটি আধ্যাত্মিক ব্যবস্থা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সঞ্চারিত হয়। আমাদের এই আধ্যা���্মিক ব্যবস্থা ও পরম্পরাকেই আমাদের সামাজিক চেতনার মূল প্রাণশক্তি। আর তার মাধ্যমে সামাজিক জীবনে সময়ানুকূল পরিবর্তনও এসেছে। সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বিস্মৃত ও কালবাহ্য হয়ে যায়, শুধু কিছু আচার – ব্যবহার থেকে যায়। আধ্যাত্মিক ব্যবস্থাকে সঠিকভাবে বুঝতে হলে সেই আচার – আচরণের পর্দা সরিয়ে চেতনার আত্মাকে খুঁজতে হবে। তখনই এর শেকড়কে অনুভব করা যাবে। অনেকেই জানেন না যে, তিন বছর পর পর ছোট কুম্ভ হয় আর ১২ বছর পর পর বড় কুম্ভ কেন হয়? ভারতে সাংস্কৃতিক ঐক্যের গুরুত্ব অপরিসীম। এই সমাগম দেশের মানুষকে যতটা আধ্যাত্মিক প্রেরণা যোগায়, ততটাই সামাজিক সংস্কার আন্দোলনের অংশ হয়ে ওঠে। আগেকার দিনে আমাদের দেশে যেরকম গণতান্ত্রিক কাঠামো ছিল, তখনকার আধ্যাত্মিক নেতা, সমাজ সংস্কারক ও জ্ঞানী তপস্যীরা তিন বছর ধরে প্রব্রজ্যার মাধ্যমে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করতেন এবং সমাজ জীবনে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতেন, সেগুলির সমাধান তাঁরা কিভাবে করেছেন, সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে তাঁরা প্রত্যেক অর্ধ কুম্ভে ৪০ – ৪৫ দিন ধরে একসঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ভারতের কোথায় কোন্‌ প্রান্তে কী চলছে, সে বিষয়ে সবাইকে অবগত করা হ’ত। আর সেই আলোচনা থেকে যা কিছু ভালো, সেগুলির ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্তে উপনীত হতেন, সেই বার্তা নিয়ে সবাই ফিরে যেতেন। আর ১২ বছরে একবার এই পুরো সময়ের মধ্যে যে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেগুলির প্রয়োগ কোথায় কতটা সফল হয়েছে, আর কোথায় ব্যর্থ হয়েছে, তা নিয়ে পর্যালোচনা করতেন। সমাজে আর কী পরিবর্তনের প্রয়োজন, তা যথাযথ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হ’ত। সেখানে সামাজিক, ধার্মিক এবং রাজা-মহারাজাদের মতো রাজনৈতিক নেতারাও সামিল হতেন। তাঁরা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে সেসব সিদ্ধান্ত মেনে চলতেন। এবারে প্রয়াগরাজে যে অর্ধ কুম্ভ হয়েছে, সেখানে স্বচ্ছাগ্রহীদের তৎপরতা এবার সারা পৃথিবীর প্রশংসা কুড়িয়েছে। যে স্থানে বিগত ৫ – ৬ সপ্তাহ ধরে ২০ – ২২ কোটি মানুষ পুণ্য স্নান করেছেন, সেখানকার অস্থায়ী ব্যবস্থাY পরিচ্ছন্ন রাখার বড় দায়িত্ব তাঁরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। এই স্বচ্ছাগ্রহের প্রেরণা আধ্যাত্মিক চেতনা থেকেই উদ্ভূত। রাষ্ট্রপিতা মহাত্মা গান্ধী প্রায় ১০০ বছর আগে হরিদ্বারে কুম্ভমেলায় গিয়ে স্বচ্ছ কুম্ভ দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। গান্ধীজীর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী বর্ষে প্রয়াগরাজে স্���চ্ছ কুম্ভ সম্পন্ন করে আমরা তাঁর প্রতি শ্রেষ্ঠ শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেছি। স্বাধীনতার পর এতদিন আমাদের দেশে রাষ্ট্র পুনর্নিমাণে আধ্যাত্মিক শক্তির অনাদর, উপেক্ষা কিংবা আধ্যাত্মিক চেতনা সম্পর্কে শীতল সংবেদনশীলতার ফলে দেশের কোটি কোটি মানুষের শক্তি ও শ্রদ্ধাকে রাষ্ট্র নির্মাণে প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে শাসন ক্ষমতায় থাকা মানুষেরা পিছিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু সৌভাগ্যবশত, আজ সমাজের অভ্যন্তরীণ আধ্যাত্মিক বযবস্থা আরেকবার জেগে উঠছে। ভারতের যে কোনও প্রান্তে যান, এখন তা অনুভব করতে পারবেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেরণার পেছনে ভক্তিযুগের দর্শনের প্রভাব রয়েছে। এদেশে ভক্তিযুগে সাধু-সন্ন্যাসীরা অনেক সমাজ সংস্কার করেছেন। চৈতন্য মহাপ্রভূ থেকে শুরু করে রমণ মহর্ষী ভারতের নানা প্রান্তে সমাজের বিভিন্ন স্তরে আধ্যাত্মিক চেতনার সঞ্চর করতে পেরেছিলেন বলেই ১৮৫৭’র মহাবিদ্রোহের জন্ম নিয়েছিল। আরেকবার দেশে আধ্যাত্মিক চেতনা জেগে উঠেছে। একে আমি কোনও জাতির শক্তি হিসাবে দেখছি না। একে আমি রাষ্ট্র পুনর্নির্মাণের ভিত্তি স্থাপনের উদ্যোগ হিসাবে দেখছি। সেজন্য আমি মা ঊমিয়ার চরণ বন্দনা করতে এসেছি। এখন দেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এই সময়ে কোনও অসম্পূর্ণতা নিয়ে এগিয়ে চলা যাবে না। খুঁটিনাটি সমস্ত ত্রুটি দূর করে এগিয়ে যেতে হবে। সবকিছুকে বড় করে তুলতে হবে। এরকম মেজাজ না থাকলে আমরা সর্দার প্যাটেলের মূর্তিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তিতে পরিণত করতে পারতাম না! আমরা কেন একে বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তিতে পরিণত করেছি, তাতে অনেকের সমস্যা হচ্ছে। আমরা কেন বুলেট ট্রেন চালু করতে যাচ্ছি, তাতেও অনেকের সমস্যা রয়েছে! আপনারাই বলুন আমাদের এগুলি করা উচিৎ কি উচিৎ না! আমাদের বীর জওয়ানরা যে পরাক্রমের পরিচয় দিচ্ছেন, তাঁকে কি আমাদের ছোট করে দেখা উচিৎ? বড় করে দেখতে হবে। তাঁদের শৌর্যকে সম্মান জানাতে হবে। ভারতের মেজাজ ও সাধারণ মানুষের মন বদলেছে। সেজন্যই আজ দেশ যে কোনও সংকল্প গ্রহণ করতে পারে এবং তা বাস্তবায়িত করতে পারে। মা ঊমিয়ার চরণতলে এখানে যে আধ্যাত্মিক চেতনা আমাদের মধ্যে জেগে উঠেছে, যে আশীর্বাদ আমরা পেয়েছি, তার ভিত্তিতে সমাজকে পরিবর্তন করা আরও সহজ হবে। কেউ কি আগে ভাবতে পারতেন যে, গোটা বিশ্ব একদিন আমাদের পাশাপাশি নাকে হাত দিয়ে যোগাসনে বসবেন, আর নানা যোগ প্রক্রিয়া শেখার চেষ্���া করবেন। আজ বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যান, যোগাভ্যাসের উৎসব চলছে। এই যোগাসন মোদী শেখায়নি, এটি তো আমাদের ঋষি-মুনিদের ঐতিহ্য। মোদী শুধু হিম্মত দেখিয়ে বিশ্বকে সঠিক পথ দেখিয়েছে আর বিশ্ববাসী এর সুফল অর্জন করতে লেগে পড়েছেন। আজ যখন আমরা মা ঊমিয়ার চরণতলে বসে আছি, ছগনবাপার কথা মনে না করলে নিজেদেরই ছোট করব। আজকের এই সমস্ত কর্মকাণ্ডের পেছনে ছগনবাপার দূরদৃষ্টিকে স্বীকার করতেই হবে। তিনিই প্রথম কন্যাসন্তানদের শিক্ষার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ছগনবাপার শতাব্দী সমারোহে আমি বলেছিলাম যে এই মহাপুরুষ জানতেন যে, এই সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সহজ রাস্তা কোনটা। তিনি শিক্ষার পথ অবলম্বন করেছিলেন বলেই আজ এই পাটিদার সমাজ এত উন্নতি করেছে। কিন্তু এখন একজন ছগনবাপা দিয়ে চলবে না। এখন হাজার হাজার ছগনবাপার প্রয়োজন রয়েছে, যাঁরা সমাজকে নতুন সামর্থ্য ও নতুন চেতনা দিয়ে নতুন পথে চালিত করার ক্ষমতা রাখেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, মা ঊমিয়াধামে এ ধরণের ব্যবস্থা অবশ্যই গড়ে উঠবে। ভাই সি.কে.’র মতো নবীনদের টিম এখানে কাজ করছে। সি.কে. ভাইকে আমি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জানি। সর্বদা হাসিমুখ কিন্তু পবিত্র ভাব নিয়ে সর্বদা কাজ করে চলেছেন। সেজন্য আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই টিম যার আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলেন আর.পি.। এই টিম পুরনো টিমের আশীর্বাদ নিয়ে তাঁদের সমস্ত দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই নিজেদের দায়িত্ব সম্পাদন করবেন। আমাদের সকলের এগিয়ে যাওয়া উচিৎ। কিন্তু ভুল পথে এগোলে তাকে এগিয়ে যাওয়া বলে না। যতই মা ঊমিয়ার পুজো করুন না কেন, মায়ের গর্ভে থাকা কন্যা সন্তানকে মেরে ফেললে মা ঊমিয়া কি ক্ষমা করতে পারেন? কী, আপনারা চুপ কেন? দেখুন, আমি আপনাদের মধ্য থেকেই বড় হয়ে উঠেছি। সকলকে চিনি। তাই আপনাদের বলার অধিকার আমার আছে। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বলছি না, আগে আমি ওঝাদের দু’চোক্ষে দেখতে পারতাম না। তাঁদের আমি এত বকেছি, আর কেউ এত বকার সাহস দেখাননি। গুজরাটে পুত্র সন্তানের তুলনায় কন্যা সন্তানদের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার পেছনে রয়েছে এই ওঝা তহশিল। যেখানে মা ঊমিয়ার আশীর্বাদ রয়েছে, সেখানেই কন্যাভ্রূণ হত্যা মহাপাপ। মা ঊমিয়ার আশীর্বাদ নিয়ে আজ আমি আপনাদের কাছ থেকে কিছু চাইব? না কোনও অর্থ চাই না। দু’হাত তুলে বলুন, দেবেন কি? তা হলে সকলে দু’হাত উপড়ে তুলে মা ঊমিয়াক�� প্রণাম জানিয়ে বলুন, ‘আজ থেকে ভুল করেও কেউ কন্যাভ্রূণ হত্যার পাপ করবেন না। শিক্ষিত চিকিৎসকরাও অর্থ রোজগারের উদ্দেশ্যে ভুলপথে যাবেন না। সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে আপনারা সমাজকে বোঝান যে, পুত্র ও কন্যা উভয়েরই জন্মানোর প্রয়োজন রয়েছে, সবাই সমান’। আপনারা দেখছেন যে, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ক্ষেত্রে আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ পদক আনছেন মেয়েরা। মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল দেখুন, সবচেয়ে বেশি নম্বর পাচ্ছেন মেয়েরা। অনেকে ভাবেন যে, ছেলে হলে বৃদ্ধাবস্থা ভালো কাটবে। এই ভ্রম থেকে বেরিয়ে আসুন। আমি এরকম অনেক পরিবার দেখেছি যে, চার ছেলে চারটি বিশাল বাংলো বাড়িতে থাকে, আর বাবা-মা’কে বৃদ্ধাশ্রমে রাখেন। অনেক মেয়েকে দেখেছি বৃদ্ধ বাবা-মা’কে দেখার জন্য নিজে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি এখানকার মানুষের কাছে আজ মেয়েদের অধিকার চাইতে এসেছি। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আপনারা আমাকে ফেরাবেন না। মা ঊমিয়ার আশীর্বাদ নিয়ে আমি আরেকটি দুশ্চিন্তার কথা আপনাদের জানাতে চাই। আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না, দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের নবীন প্রজন্মের অনেকেই নেশার শিকার। এই ভুল পথ দেখে তাঁদের বাঁচান, না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সর্বনাশ হয়ে যাবে। আর এক্ষেত্রে আধ্যাত্মিক চেতনাই আপনাদের সহায়ক হতে পারে। ঊমিয়াধামকে সমাজ শিক্ষা, সামাজিক চেতনা ও সামাজিক বিপ্লবের কেন্দ্র করে গড়ে তুলুন। তা হলেই আপনারা নিজেদের সমাজকে অনেক আধুনিক সময়ের অনেক জটিলতা ও কুপ্রভাব থেকে বাঁচাতে পারবেন। আপনাদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনারা দুশ্চিন্তা করবেন না। ২০১৯-এর পরও আমিই কেন্দ্রীয় সরকারের নেতৃত্ব দেব। সেজন্য আপনাদের সহযোগিতার জন্য যা যা করার কেন্দ্রীয় সরকার তা করবে। এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ। আরেকবার বলুন – বোল মেরী মাঁ – জয় জয় ঊমিয়া বোল মেরী মাঁ – জয় জয় ঊমিয়া বোল মেরী মাঁ – জয় জয় ঊমিয়া ভারতমাতার জয়।",৪ মাৰ্চ ২০১৯ তাৰিখে যশপুৰত বিশ্ব উমিয়াধাম মন্দিৰ প্ৰাংগনৰ আধাৰশিলা স্থাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A6%A3-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী হাজিরায় আজ (১৯শে জানুয়ারি) এল অ্যান্ড টি আর্মার্ড সিস্টেম্‌স কমপ্লেক্সটিকে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন। কমপ্লেক্সটি পরিদর্শন করেন এবং এই প্রকল্পের মূলে থাকা উদ্ভাবনী চিন্তা-ভাবনা সম্বন্ধে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নবসারিতে নিরালি ক্যান্সার হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এটি ঐ অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে ক্যান্সার প্রতিরোধ ও আরোগ্যলাভের লক্ষ্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর তিনদিনের সফরসূচির মধ্যে গুজরাট সফর শেষ করে পরবর্তী গন্তব্যস্থল সিলভাসা ও মুম্বাই সফর করবেন। প্রধানমন্ত্রী গুজরাট সফরের প্রথম দিনে ভাইব্যান্ট গুজরাট সম্মেলনের শুরুতে ফ্ল্যাগশিপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। শ্রী মোদী আমেদাবাদে অত্যাধুনিক, সুপার-স্পেশালিটি সরকারি হাসপাতাল – সর্দার বল্লবভাই প্যাটেল ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ-এর শিলান্যাস করেন। অনুষ্ঠানের ভাষণে তিনি বলেন, সকলের জন্য সমান সুযোগের প্রতিশ্রুতি পালন করতে এবং ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর মাধ্যমে উন্নততর নতুন ভারত গড়ে উঠবে। সাবরমতীর তীরে প্রধানমন্ত্রীর হাতে আমেদাবাদ শপিং ফেস্টিভ্যাল, ২০১৯-এর উদ্বোধনও আরেকটি আকর্ষণীয় বিষয় ছিল। অনুষ্ঠানের ভাষণে তিনি বলেন, সরকার সর্বদাই দেশে বাণিজ্য-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার কাজ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর গুজরাট সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনদিনব্যাপী ভাইব্র্যান্ট গুজরাট শীর্ষ সম্মেলন, ২০১৯-এর সূচনা হয়। গান্ধীনগরের মহাত্মা মন্দির প্রদর্শনী ও কনভেনশন সেন্টারে সম্মেলনের নবম সংস্করণের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সমাগত জনগণের উদ্দেশে ভাষণে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে ব্যবসা করার সুযোগ একটি বড় সৌভাগ্য। ১৮ই জানুয়ারিতে সফররত উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপতি সভকত মিরজিয়োয়েভ, চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী মিঃ আন্দ্রেজ বাবিজ, মাল্টার প্রধানমন্ত্রী ডঃ যোশেফ মাসকাট ও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মিঃ লার্স লোক্কে রাসমুসেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দ্বিপাক্ষিক আলাপ-আলোচনা চর্চিত হয়। এরপর গুজরাটের গান্ধীনগরে ডান্ডি কুটিরে থ্রি-ডি লেজার শো প্রদর্শিত হয়। ভাইব্র্যান্ট গুজরাট শীর্ষ সম্মেলনে শিল্পপতিরা একাধিক বিনিয়োগ প্রকল্পের ঘোষণা করেন। /",গুজৰাট ভ্ৰমণ সামৰিলে প্ৰধা��মন্ত্রীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%93%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A4%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%93%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A4%E0%A6%BE/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ (২২শে সেপ্টেম্বর) ওড়িশায় সফর করেন। তালচেরে তালচের সার কারখানার পুনরুজ্জীবনের কাজের সূচনা উপলক্ষে তিনি একটি ফলকের আবরণ উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে সার কারখানাটিতে পুনরায় কাজ শুরু হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বহু আগেই যে স্বপ্ন পূরণ করা যেত সেটি আমরা আজ পূরণ করছি। তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য হল ভারতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া। সার কারখানার মতো প্রকল্পগুলি ভারতের বিকাশের কেন্দ্রবিন্দু বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন এই কারখানায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ঝাড়সুগুদায় প্রধানমন্ত্রী ঝাড়সুগুদা বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন এবং ঝাড়সুগুদা থেকে রায়পুরগামী প্রথম বিমানের যাত্রার সূচনা করেন। তিনি গর্জনবহাল কয়লাখনিটিও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। উৎসর্গ করেন ঝাড়সুগুদা-বারাপালি-সারদেগা রেল সংযোগও। দুলাঙ্গা কয়লাখনিতে কয়লা উৎপাদন এবং সেখান থেকে কয়লা পরিবহণ শুরু হওয়ায় সেই মুহূর্তটিকে স্মরণে রাখতেও একটি ফলকের আবরণ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঝাড়সুগুদা বিমানবন্দর এবং অন্যান্য প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পেরে তিনি খুশি। এর ফলে ওড়িশাবাসী বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। তিনি বলেন, ভারতের উড়ান ক্ষেত্রে দ্রুত রূপান্তর ঘটছে এবং ১২৫ কোটি ভারতবাসীর জন্য তা যথেষ্ট ইতিবাচক ব্যাপার। ঝাড়সুগুদা বিমানবন্দরটির যথাযথ অবস্থান ওড়িশার মানুষজনের চাহিদা পূরণ করবে বলে শ্রী মোদী মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সার্বিক উন্নয়নের মূলে রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সারা দেশে যোগাযগ ব্যবস্থা বাড়িয়ে তোলার জন্য সরকার বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।","ওড়িশাত প্রধানমন্ত্রী: তালচেৰ সাৰ কাৰখানাৰ পুনৰুজ্জীৱিতকৰণৰ কাম আৰম্ভ, ঝাৰছুগুড়া বিমানবন্দৰ উদ্বোধন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%93-%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%85/,"নয়াদিল্লি, ১৮ জুলাই, ২০২২ প��রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার ন্যাভাল ইনোভেশন অ্যান্ড ইন্ডিজিনাইজেশন অর্গানাইজেশন বা এনআইআইও-র সম্মেলন ‘স্বাবলম্বন’-এ ভাষণ দিয়েছেন। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার লক্ষ্য পূরণ করা একবিংশ শতাব্দীর ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নৌ-বাহিনীকে আত্মনির্ভর করে তোলার জন্য ‘স্বাবলম্বন’ সম্মেলন তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই সময়কালে ৭৫টি দেশীয় প্রযুক্তির উদ্ভাবন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনুপ্রেরণাদায়ক। তিনি আশা করেন, খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় লক্ষ্যপূরণ সম্ভব হবে। “দেশীয় প্রযুক্তির ব্যবহারের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য আমাদের নিরলস উদ্যোগ নিতে হবে। যখন ভারত তার স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে, তখন যাতে আমাদের নৌ-বাহিনী অপ্রতিরোধ্যভাবে নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে পারে সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।” ভারতীয় অর্থনীতিতে মহাসাগর ও সমুদ্র উপকূলের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতীয় নৌ-বাহিনীর গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে আর তাই নৌ-বাহিনীর আত্মনির্ভর হয়ে ওঠা অত্যন্ত জরুরি। দেশের সামুদ্রিক বাণিজ্যের গৌরবোজ্জ্বল প্রসঙ্গের উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেছেন, স্বাধীনতার আগেও ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র শক্তিশালী ছিল। স্বাধীনতার সময়ে দেশে ১৮টি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি ছিল, যেখানে আর্টিলারি গান-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম তৈরি হত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে ভারতের পরিচিতি ছিল। “ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে তৈরি আমাদের হাউইৎজার, মেশিন গান-এর গুণগত মান সবথেকে ভালো বলে বিবেচিত হত। আমরা অনেক কিছু রপ্তানি করতাম। কিন্তু তারপর কি এমন হল যে আমরা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ হয়ে উঠলাম?” বিশ্বযুদ্ধের সময় যেসব দেশ সঙ্কটকে কাজে লাগিয়েছে তারা লাভবান হয়েছে। যেমন করোনার সময়কালে ভারত প্রতিকূলতাকে সম্ভাবনায় পরিণত করেছে এবং অর্থনীতি, উৎপাদনশিল্প ও বিজ্ঞানে জোয়ার এসেছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন স্বাধীনতার পর প্রথমের দিকের দশকগুলিতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের মানোন্নয়নের জন্য কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র সরকারি ক্ষেত্রেই গবেষণা ও উন্নয়নের কাজ সীমাবদ্ধ ছিল। “উদ্ভাবন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সেটি দেশীয় ব্যবস্থাপনায় হওয়া প্রয়োজন। আমদানি করা পণ্য কখনই উদ্ভাবনের উৎস হয়ে উঠতে পারে না।” তিনি আমদানি করা পণ্যসামগ্রীর বিষয়ে আমাদের নতুনভাবে ভাবনাচিন্তার পরামর্শ দেন। শ্রী মোদী বলেছেন, দেশের অর্থনীতির জন্য স্বনির্ভর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা কৌশলগত দিক থেকেও সমান তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১৪ সালের পর থেকে আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য দেশ উদ্যোগী হয়েছে। আমাদের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য তাদের পুনর্গঠিত করা হয়েছে। আজ আইআইটি-গুলির মতো প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়নকে আমরা যুক্ত করেছি। “বিগত দশকগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা সকলের উদ্যোগে নতুন একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলছি। আজ বেসরকারি ক্ষেত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অণু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ সংস্থাগুলির জন্যও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের গবেষণা ও উন্নয়নকে উন্মুক্ত করা হয়েছে।” এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া থাকা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের প্রকল্পগুলি গতি পেয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত বিমান বহনকারী জাহাজের নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির অপেক্ষার নিরসন শীঘ্রই হতে চলেছে বলে শ্রী মোদী আশা প্রকাশ করেন। গত আট বছর ধরে সরকার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে। “দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নির্মাণ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনায় এই অর্থ যাতে যথাযথভাবে ব্যবহার করা যায় আমরা তা নিশ্চিত করেছি। আজ ভারতীয় সংস্থাগুলির থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য বাজেটে বরাদ্দ অর্থের বৃহৎ অংশ ব্যয় করা হচ্ছে।” ৩০০টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের একটি তালিকা প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলি তৈরি করেছে। এইসব সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে না। শ্রী মোদী এই উদ্যোগের জন্য সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের প্রশংসা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গত ৪-৫ বছর ধরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সরঞ্জাম আমদানির পরিমাণ প্রায় ২১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। আজ বিশ্বের বৃহত্তম প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিকারীর তকমা থেকে বেরিয়ে এসে আমরা বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভের জন্য এগিয়ে চলেছি। গত বছর ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানি করা হয়েছে। এই সরঞ্জামের ৭০ শতাংশ বেসরকারি সংস্থাগুলি উৎপাদন করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে হুমকির ব্যাপ্তি ক্রমশ বাড়ছে আর যুদ্ধ কৌশলও পরিবর্তিত হচ্ছে। আগে আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনাকে জল, স্থল ও আকাশের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রেখেছিলাম, কিন্তু আজ তা প্রসারিত হয়ে মহাকাশ, সাইবার নিরাপত্তা, অর্থনীতি এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জগুলি সম্পর্কে আগে থাকতে প্রস্তুতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হয়ে উঠলেই তা দেশের পক্ষে সহায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী নতুন বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, “ভারতের আত্মবিশ্বাস ও আমাদের স্বনির্ভর হয়ে ওঠার বিরুদ্ধে যেসব শক্তি সক্রিয় তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আরও শক্তিশালী করতে হবে। ভারত আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। কিন্তু ভুল তথ্য, বিকৃত তথ্য এবং ভ্রান্ত প্রচারের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। দেশে বা বিদেশে ভারতের স্বার্থের পরিপন্থী শক্তিকে নির্মূল করতে হবে। আজ জাতীয় প্রতিরক্ষা শুধুমাত্র দেশের সীমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, তার ব্যাপ্তি সীমানা ছাড়িয়ে গেছে।” তিনি আরও বলেছেন, “ ‘সম্পূর্ণ সরকারি উদ্যোগ’-এর মাধ্যমে আত্মনির্ভর ভারত হয়ে ওঠার মতো এই সময়কালে দেশের প্রতিরক্ষার জন্য ‘সম্পূর্ণ জাতির উদ্যোগ’-এর প্রয়োজন আর আমরা সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছি। ভারতের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য জাতীয় স্তরে সর্বাঙ্গীণ সচেতনতা আমাদের বড় শক্তি।” এনআইআইও সম্মেলন – ‘স্বাবলম্বন’ আত্মনির্ভর ভারতের একটি বড় স্তম্ভ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে স্বনির্ভর করে তোলা। এই লক্ষ্যপূরণে ‘স্বাবলম্বন’ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ‘স্প্রিন্ট চ্যালেঞ্জেস’-এর সূচনা করেছেন যার উদ্দেশ্য হল ভারতীয় নৌ-বাহিনীতে দেশীয় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে প্রতিরক্ষা উদ্ভাবন সংগঠনের সঙ্গে সহযোগিতায় এনআইআইও ভারতীয় নৌ-বাহিনীর জন্য কমপক্ষে ৭৫টি নতুন দেশীয় প্রযুক্তি / সামগ্রী উদ্ভাবনে উদ্যোগী হয়েছে। এই প্রকল্পের নাম ‘স্প্রিন্ট’ (সাপোর্টিং পোল-ভল্টিং ইন আর অ্যান্ড ডি থ্রু আইডিইএক্স, এনআইআইও অ্যান্ড টিডি এসি)। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশকে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য ভারতীয় শিল্প সংস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে যুক্ত করাই এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য। ১৮ এবং ১৯ জুলাই দু’দিনের এই সম্মেলনে শিল্প সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রতিরক্ষা বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্তাব্যক্তিরা এবং উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরা মিলিত হয়ে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের জন্য নানা পরামর্শ দেবেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে থাকা দেশগুলির কাছে পৌঁছনোর উদ্যোগ ‘সাগর’-এর বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হবে।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে এনআইঅ’ চেমিনাৰ ‘স্বাৱলম্বন’ত ভাষণ প্ৰদান কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A7%B1%E0%A6%A8/,"এনআইডি ফাউন্ডেশনের মুখ্য সংরক্ষক এবং চণ্ডীগড় ইউনিভার্সিটির আচার্য, আমার বন্ধু শ্রী সতনাম সিং সান্ধুজি, এনআইডি ফাউন্ডেশনের সকল সদস্যগণ আর সকল সম্মানিত বন্ধুগণ! আপনাদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে আমার পূর্ববর্তী পরিচয়ের সৌভাগ্য হয়েছে, দেখা-সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছে। বিভিন্ন গুরুদ্বারে যাওয়া, সেবা কর্মে সময় অতিবাহিত করা, লঙ্গরে খাদ্য পরিবেশন ও খাওয়া, অনেক শিখ পরিবারের বাড়িতে থাকা – এ সবকিছু আমার জীবনের একটি অনেক বড় স্বাভাবিক অঙ্গ। এখানে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেও নানা সময়ে শিখ সাধু-সন্ন্যাসীদের চরণধূলি পড়েছে আর এটা আমার অনেক বড় সৌভাগ্য। তাঁদের সঙ্গতের সৌভাগ্য আমি প্রায়ই পেয়ে থাকি। ভাই ও বোনেরা, যখন আমি কোনও বিদেশ যাত্রায় যাই, তখন সেখানেও যখন শিখ সমাজের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়, তখন আমার মন গর্বে ভরে ওঠে। ২০১৫ সালে আমার কানাডা যাত্রার কথা আপনাদের মধ্যে অনেকেরই হয়তো মনে আছে আর দলাইজিকে তো আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকে জানি। আমার সেই কানাডা সফর তার আগের চার দশকে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের উদ্দেশ্যে যাওয়া সফর ছিল। আর আমি সেবার শুধুই অটোয়া এবং টরেন্টোই যায়নি, আমার মনে আছে, আমি তখন বলেছিলাম যে আমি ভ্যাঙ্কুভার যাব আর আমি সেখানে যেতে চাই। আমি সেখানে গিয়েছিলাম। গুরুদ্বার খালসা দিওয়ানে আমার কপাল ঠেকানোর সৌভাগ্যও হয়েছে। সেখানকার সঙ্গত-এর সদস্যদের সঙ্গে খুব ভালো কথাবার্তা হয়েছে। একইরকমভাবে, ২০১৬ সালে যখন আমি ইরান গিয়েছিলাম, সেখানেও তেহরানে ভাই গঙ্গা সিং সভা গুরুদ্বার যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। আমার জীবনের আরও একটি অবিস্��রণীয় ক্ষণ ছিল ফ্রান্সে নবশ্যাপেল ইন্ডিয়ান মেমোরিয়াল ঘুরে দেখাও। এই মেমোরিয়াল বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ভারতীয় সৈনিকদের আত্মবলিদানের জন্য তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে তৈরি করা হয়েছে আর সেই শহীদদের মধ্যে একটি বড় সংখ্যায় আমাদের শিখ ভাই ও বোনেরা রয়েছেন। এই অভিজ্ঞতাকে আমি একটি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে চাই যে কিভাবে আমাদের শিখ সমাজ ভারত এবং অন্যান্য দেশের সম্পর্কের একটি শক্তিশালী পর্যায় হয়ে ওঠার কাজ করেছে। আমার সৌভাগ্য যে আজ আমি এই পর্যায়কে আরও শক্তিশালী করার সুযোগ পেয়েছি আর আমি সেজন্য যথাসম্ভব, যত ভাবে সম্ভব চেষ্টা করতে থাকি। বন্ধুগণ, আমাদের গুরুরা আমাদের সাহস এবং সেবার শিক্ষা দিয়ে গেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে আমাদের ভারতের মানুষ কোনরকম সম্পদ ছাড়াই গিয়েছেন আর নিজেদের শ্রমের মাধ্যমে চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করেছেন। এই প্রাণশক্তি আজ নতুন ভারতের আত্মায় পরিণত হয়েছে। নতুন ভারত নতুন মাত্রাকে স্পর্শ করছে। গোটা বিশ্বে নিজের ছাপ রেখে যাচ্ছে। করোনা মহামারীর এই কঠিন সময়টি হল এর সবচাইতে বড় উদাহরণ। এই বিশ্বব্যাপী মহামারীর শুরুর দিকে পুরনো ভাবধারার ধারক ও বাহক যাঁরা, তাঁরাই ভারতকে নিয়ে নানা রকম দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছিলেন। প্রত্যেকেই কিছু না কিছু বলছিলেন। কিন্তু, এখন মানুষ ভারতের উদাহরণ দিতে বিশ্বকে বলছে যে দেখুন, ভারত এভাবে প্রতিরোধ করেছে। আগে বলা হচ্ছিল যে ভারতের এত বড় জনসংখ্যা, ভারত কোথা থেকে এত মানুষের জন্য টিকা পাবে, কিভাবে এত মানুষের জীবন বাঁচাবে, কিন্তু আজ ভারত টিকার সবচাইতে বড় সুরক্ষাকবচ তৈরি করা দেশ হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে। আমাদের দেশে কোটি কোটি টিকার ডোজ ইতিমধ্যেই জনগণকে দেওয়া হয়েছে। আপনারাও শুনে গর্বিত হবেন যে এর মধ্যে ৯৯ শতাংশ টিকাকরণ আমাদের ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ টিকাগুলির মাধ্যমে হয়েছে। এই কঠিন সময়ে আমরা বিশ্বের সবচাইতে বড় স্টার্ট-আপ ইকো-সিস্টেমগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছি। আমাদের ইউনিকর্নগুলির সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের এই ক্রমবর্ধমান উচ্চতা, এই ক্রমবর্ধমান বন্ধুর সংখ্যা – এর ফলে আমাদের দেশের যে ডায়াসপোরা বা প্রবাসী ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতরাই সবচাইতে বেশি মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারছেন কারণ, যেখন দেশের সম্মান বাড়ে, তখন লক্ষ কোটি ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রবাসী ভারতীয়দেরও ততটাই সম্মান বৃদ্ধি পায়। তাঁদের প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টিকোণ বদলে যায়। এই সম্মানের পাশাপাশি তাঁদের সামনে অনেক নতুন নতুন সুযোগও খুলে যায়, নতুন নতুন অংশীদারিত্বের হাত তাঁদের দিকে অনেকেই বাড়িয়ে দেয়, আর এভাবে তাঁদের মনে সুরক্ষার ভাবনাও শক্তিশালী হয়। সেজন্যই আমি সর্বদাই প্রত্যেক ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রবাসী ভারতীয়দের ভারতের রাষ্ট্রদূত বলে মনে করি। সরকার যাঁদের অন্য দেশে প্রতিনিধিত্ব করতে পাঠায় তাঁরা হলেন রাজদূত কিন্তু আপনারা হলেন প্রকৃত রাষ্ট্রদূত। আপনারা সবাই ভারতের বাইরে ভারতমাতার জোড়ালো কন্ঠের আওয়াজ, ভারতমাতার প্রবল উপস্থিতির পরিচয়। ভারতের প্রগতি দেখে আপনাদেরও বুক চওড়া হয়, আপনাদের মাথা গর্বে উঁচু হয়। বিদেশে বসবাসকালে আপনারা নিজেদের দেশের কথাও ভাবতে থাকেন। সেজন্য বিদেশে বসবাস করেও ভারতের সফলতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিতে ভারতের ছবিকে আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রেও আপনাদের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। আমরা বিশ্বে যেখানেই থাকি না কেন ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’, ভারত সর্বাগ্রে, রাষ্ট্র প্রথম, দেশ সবার আগে – এটাই আমাদের প্রথম আস্থা হওয়া উচিৎ। বন্ধুগণ, আমাদের দশজন গুরুর প্রত্যেকেই রাষ্ট্রকে সবার ওপরে রেখে ভারতকে একটি সুতো মালা গেঁথেছেন। গুরু নানকদেবজি গোটা ভারতের রাষ্ট্রের চেতনাকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। গোটা রাষ্ট্রকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর পথ দেখিয়েছেন। আমাদের গুরুরা পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ – গোটা ভারতে সফর করেছেন। প্রত্যেকেই যেখানেই যান না কেন, তাঁদের স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে, তাঁদের প্রেরণা রয়েছে, তাঁদের জন্য মানুষের মনে ভক্তি, শ্রদ্ধা, আস্থা রয়েছে। পাঞ্জাবে গুরুদ্বার হরমন্দির সাহিব বা স্বর্ণ মন্দির থেকে শুরু করে উত্তরাখণ্ডে গুরুদ্বার শ্রী হমকুণ্ড সাহিব পর্যন্ত, মহারাষ্ট্রের গুরুদ্বার হুজুর সাহিব থেকে শুরু করে হিমাচলের গুরুদ্বার পোটা সাহিব পর্যন্ত, বিহারে তখত (সিংহাসন) শ্রী পাটনা সাহিব থেকে শুরু করে গুজরাটের কচ্ছ-এ গুরুদ্বার লাখপত সাহিব পর্যন্ত আমাদের গুরুরা মানুষকে প্রেরণা যুগিয়েছেন, তাঁদের চরণের ধূলি দিয়ে এই ভূমিকে পবিত্র করেছেন। সেজন্য শিখ পরম্পরা বাস্তবে ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এরই জীবন্ত পরম্পরা। ভাই ও বোনেরা, স্বাধীনতার যুদ্ধে আর স্বাধীনতার পরও শিখ সমাজের দেশের জন্য যে অবদান রয়েছে, সেজন্য গোটা ভারত ক��তজ্ঞতা অনভুব করে। মহারাজা রঞ্জিত সিং-এর অবদান থেকে শুরু করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই হোক অথবা জালিয়ানওয়ালা বাগ হোক – তাঁদেরকে ছাড়া ভারতের ইতিহাস সম্পূর্ণ হয় না, ভারতও সম্পূর্ণ হয় না। আজও সীমান্তে মোতায়েন শিখ সৈনিকদের শৌর্য থেকে শুরু করে দেশের অর্থ ব্যবস্থার জন্য শিখ সমাজের অংশীদারিত্ব এবং শিখ প্রবাসী ভারতীয়দের অবদান পর্যন্ত, শিখ সমাজ দেশের সাহস, দেশের সামর্থ্য এবং দেশের শ্রমের বর্তমান পর্যায়ে উঠে এসেছে। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পাশাপাশি আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে সেলিব্রেট করারও একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ কারণ স্বাধীনতার জন্য ভারতের সংঘর্ষ শুধুই একটি সীমিত কালখণ্ডের ঘটনা নয়, এর পেছনে হাজার হাজার বছরের চেতনা এবং আদর্শ যুক্ত হয়েছিল। এর পেছনে আধ্যাত্মিক মূল্য আর অসংখ্য তপস্যা, ত্যাগ যুক্ত হয়েছিল। সেজন্য আজ দেশ যখন একদিকে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করে তার পাশাপাশি লালকেল্লায় গুরু তেগ বাহাদুরজির ৪০০তম প্রকাশ পর্বও পালন করা হয়েছে। গুরু তেগ বাহাদুরজির ৪০০তম জন্মদিন উপলক্ষে আগে আমরা গুরু নানকদেবজির ৫৫০তম প্রকাশ পর্ব সম্পূর্ণ শ্রদ্ধার সঙ্গে দেশ ও বিদেশে পালন করতাম। দশম গুরু গোবিন্দ সিংহজির ৩৫০তম প্রকাশ পর্ব আয়োজনের সৌভাগ্য আমাদের হয়েছে। বন্ধুগণ, এর পাশাপাশি এই করোনার কঠিন সময়ে কর্তারপুর সাহিব করিডরেরও নির্মাণ হয়েছে। আজ লক্ষ লক্ষ ভক্তদের সেখানে মাথা ঠেকানোর সৌভাগ্য হচ্ছে। লঙ্গরকে করমুক্ত করা থেকে শুরু করে হরমিন্দর সাহিবকে এফসিআরএ-এর অনুমতি দেওয়া পর্যন্ত গুরুদ্বারগুলির চারপাশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা থেকে শুরু করে সেগুলিকে উন্নত পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত করা পর্যন্ত দেশ আজ প্রত্যেক সম্ভাব্য প্রচেষ্টা করছে, আর আমি সতনমজির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি যেভাবে ভিডিওটিকে সঙ্কলিত করে দেখিয়েছেন এ থেকে জানা যেতে পারে যে সম্পূর্ণ শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রত্যেক ক্ষেত্রে কোনও না কোনও ধরনের কাজ হয়েছে। আপনাদের থেকে বিভিন্ন সময়ে যে পরামর্শ পাওয়া যায়, আজও আপনারা আমাকে যথেষ্ট পরামর্শ দেন, এমনকি আজকের দিনেও আপনারা আমাকে অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। আমার চেষ্টা থাকে যে সেগুলির ভিত্তিতে যেন আমি দেশসেবার কাজে এগিয়ে যেতে পারি। বন্ধুগণ, আমাদের গুরুদের জীবন থেকে সবচাইতে বড় যে প্রেরণা আমরা পাই, ত�� হল আমাদের কর্তব্যের মনোভাব। স্বাধীনতার অমৃতকালে দেশও আজ কর্তব্যগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলছে। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অউর সবকা প্রয়াস’ – এই মন্ত্র আমাদের সকলের সামনে ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎকে সুনিশ্চিত করছে। এই কর্তব্য কেবল আমাদের বর্তমানের জন্য নয়, এই কর্তব্য আমাদের এবং আমাদের দেশের ভবিষ্যতের জন্যও। এই কর্তব্য আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্যও। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি, আজ দেশ ও বিশ্বের সামনে পরিবেশ একটি অনেক বড় সঙ্কটে পরিণত হয়েছে। এর সমাধান ভারতের সংস্কৃতি এবং শিষ্টাচারগুলির মধ্যে রয়েছে। শিখ সমাজ এর জলজ্যান্ত উদাহরণ। শিখ সমাজে আমরা যতটা ভাবনা ও চিন্তা নিজেদের গ্রামের জন্য করি, ততটাই আমরা পরিবেশ এবং এই পৃথিবী গ্রহের জন্যও করি। দূষণের বিরুদ্ধে নানা প্রচেষ্টা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াই কিংবা নিজেদের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধগুলির সুরক্ষা – এই সকল ক্ষেত্রে যত প্রচেষ্টা চলছে সেগুলির সঙ্গে আপনাদেরকে যুক্ত থাকতে দেখা যায়। এই সেবার শৃঙ্খলায় আপনাদের প্রতি আমার আরও একটি অনুরোধ রয়েছে। আপনারা জানেন যে, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে আমরা দেশের প্রত্যেক জেলায় ৭৫টি করে ‘অমৃত সরোবর’ খননের সঙ্কল্প নিয়েছি। আপনারাও প্রত্যেকেই নিজের নিজের গ্রামে ‘অমৃত সরোবর’ খননের অভিযান শুরু করতে পারেন। বন্ধুগণ, আমাদের গুরুরা আমাদেরকে আত্মসম্মান এবং মানব জীবনের গৌরবের যে শিক্ষা দিয়ে গেছেন তারও প্রভাব আমাদের প্রত্যেক শিখের জীবনে, প্রত্যেক শিষ্যের জীবনে দেখা যায়। স্বাধীনতার অমৃতকালে এটাই আজ এই দেশেরও সঙ্কল্প। আমাদের আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে হবে, দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর ব্যক্তির জীবনকে উন্নত করতে হবে – এই সকল প্রচেষ্টা আপনাদের সকলের সক্রিয় অংশীদারিত্ব থাকা এবং আপনাদের সকলের সক্রিয় অবদান অত্যন্ত অনিবার্য এবং প্রয়োজনীয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, গুরুদের আশীর্বাদে আমরা সফল হব আর দ্রুত একটি নতুন ভারতের লক্ষ্য পর্যন্ত পৌঁছব। এই সঙ্কল্প নিয়ে আপনাদের সবাইকে আমি অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আপনারা যে এখানে এসেছেন সেটা আমার জন্য সঙ্গত থেকে অনেক বেশি কিছু, আর সেজন্য আমার প্রতি আপনাদের কৃপা যেন বজায় থাকে আর আমি সবসময়েই বলি যে প্রধানমন্ত্রী নিবাস স্থান, এটা মোদীর বাড়ি নয়, এটা আপনাদের অধিকারের জায়গা, এটা আপনাদের বাড়ি। এই মনোভাব নিয়ে, এই আপনত্বের সঙ্গে সর্বদাই আমরা যেন মিলেমিশে ভারতমাতার জন্য, আমাদের দেশের গরীবদের, আমাদের দেশের প্রত্যেক সমাজের উত্থানের জন্য, আমরা নিজেদের কাজ করে যাব। গুরুদের আশীর্বাদ যেন আমাদের ওপর বজায় থাকে। এই একটি মনোভাব নিয়ে আরও একবার আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। ওয়াহে গুরুকা খালসা, ওয়াহে গুরুকা ফতহ! /",নতুন দিল্লীত নিজা বাসভৱনত এটা শিখ প্ৰতিনিধি দলক সম্বোধি দিয়া প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%95-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%95/,"নয়াদিল্লি, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ শিক্ষক দিবস উপলক্ষে জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী শিক্ষকদের সঙ্গে আজ এক আলাপচারিতায় মিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকের দায়িত্ব হল মানুষকে সঠিক পথ দেখানো। শিক্ষকরাই তাঁর ছাত্রছাত্রীদের মনে স্বপ্ন বুনতে সাহায্য করেন এবং সেই স্বপ্নকে কিভাবে সঙ্কল্পের মাধ্যমে মূর্ত করে তুলতে হয় তাও তাঁরা শিক্ষাদানের মাধ্যমে বাতলে দেন। মনে রাখতে হবে যে আগামী ২০৪৭ সালের ভারত নির্ভরশীল আজকের ছাত্রছাত্রীদের ওপর। তাই, সেই সমস্ত ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ গঠনের দায়িত্ব পালন করতে হবে শিক্ষকদেরই। শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রছাত্রীদের জীবন গড়ে তুলতে আপনারাই সাহায্য করে থাকেন এবং এইভাবে দেশ গঠনের স্বপ্নকেও আপনারা মূর্ত করে তুলতে পারেন। শ্রী মোদী বলেন, শিক্ষক যখন তাঁর ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্নের সঙ্গে একাত্ম বোধ করেন তখন শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও সম্ভ্রমও তাঁরা আদায় করে নিতে পারেন। ছাত্রছাত্রীদের জীবনের বিভিন্ন খাতে যে সমস্ত দ্বিধা ও সঙ্কট এসে উপস্থিত হয় তা দূর করার দায়িত্বও পালন করা উচিৎ শিক্ষকদেরই। শিক্ষাক্ষেত্রে, সমাজে এবং পারিবারিক পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীরা যাতে কোনো সঙ্কটের মুখোমুখি না হন তা আমাদের নিশ্চিত করে তোলা উচিৎ। ছাত্রছাত্রীদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার পেছনে শিক্ষকদের পাশাপাশি তার পরিবারের অন্যান্যদেরও সমান দায়িত্ব রয়েছে। তাই, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কোনরকম ভেদাভেদ না তাদের প্রতি করে সমান আচরণ করা উচিৎ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় শিক্ষানীতি যেভ��বে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশংসা লাভ করেছে তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে সঠিক দিশার পথে এ হল এক পদক্ষেপ মাত্র। জাতীয় শিক্ষানীতির বিষয়টি বারংবার অনুধাবন করে মহাত্মা গান্ধীর পথ অনুসরণ করা উচিৎ বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গান্ধীজি শ্রীভাগবত গীতা যতবারই পাঠ করতেন, প্রত্যেকবারই তিনি তার নতুন নতুন অর্থ খুঁজে পেতেন। তাই, জাতীয় শিক্ষানীতিকে এমনভাবে গ্রহণ করা উচিৎ যাতে এই মূল্যবান সরকারি দলিলটি ছাত্রছাত্রীদের জীবনের ভিত গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এই শিক্ষানীতি রচনার কাজে শিক্ষকরা যে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন, একথাও স্মরণ করিয়ে দেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই, জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে শিক্ষকদের এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে যে পাঁচটি ‘প্রাণ’ বা মন্ত্রের কথা উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে শিক্ষায়তনগুলিতে এই পাঁচটি ‘প্রাণ’ বা মন্ত্র সম্পর্কে নিয়মিতভাবে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে যাতে এই পাঁচটি মন্ত্রের শক্তি অনুভব ও উপলব্ধি করতে পারেন শিক্ষার্থীরা। এই পাঁচটি মন্ত্রের মাধ্যমে যে সঙ্কল্প গ্রহণের কথা বলা হয়েছে তা জাতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির পক্ষে বিশেষ সহায়ক বলে উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে। তাই, এই পাঁচটি ‘প্রাণ’ বা মন্ত্রের বার্তা কিশোর ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিৎ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪৭ সালের ভারত গঠনের স্বপ্ন নেই, এ ধরনের কোনো শিক্ষার্থীকে বোধহয় সারা দেশে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ‘ডান্ডি যাত্রা’ এবং ‘ভারত ছাড়ো আন্দোলন’-এর সময় যে প্রাণশক্তি জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছিল তা আবার নতুনভাবে উজ্জীবিত করার সময় এখন উপস্থিত। যুক্তরাজ্যকে ছাপিয়ে বিশ্বে ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে ওঠার সাফল্যের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫০ বছর ধরে যারা ভারতকে শাসন করে এসেছিল, তাদের ছাপিয়ে যাওয়ার মধ্যে এক ধরনের আনন্দ ও অভিব্যক্তি আমাদের সকলের মধ্যে কাজ করে। ভারতের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকার শক্তি ও মাহাত্ম্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই শক্তির পুনরুজ্জীবন ঘটানো উচিৎ বর্তমান ভারতে। ১৯৩০ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত সঙ্কল্পের যে অগ্নিশিখা প্রজ্জ্বলিত ছিল প্রত্যেক ভারতবাসীর হৃদয়ে, তা আবার নতুন করে প্রজ্জ্বলিত করার সময় এ��েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দেশকে আমি কিছুতেই পিছিয়ে থাকতে দিতে পারি না। হাজার হাজার বছরের দাসত্ব শৃঙ্খল থেকে যখন আমরা নিজেদের মুক্ত করতে পেরেছি, তখন আমাদের কোনভাবেই থেমে থাকলে চলবে না। আমদের মন্ত্রই হবে চরৈবেতি।” অনুষ্ঠানে ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা আমাদের সকলকেই বিভিন্ন সময়ে অনুপ্রাণিত করেছে।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে শিক্ষক দিৱসত ৰাষ্ট্ৰীয় বঁটা বিজয়ী শিক্ষকসকলৰ সৈতে বাৰ্তালাপ কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%81/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%81/,"এখানে উপস্থিত আমার প্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা তো গবেষণাগারে জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। আর আপনাদের মধ্যে পাইলট প্রকল্পের পরম্পরা রয়েছে। এই পাইলট প্রকল্পের সাফল্য পরিমাপযোগ্য। তারপর বাস্তবায়নের প্রশ্ন আসে। এখনই একটি পাইলট প্রোজেক্ট হ’ল। আর এর বাস্তবায়ন হ’ল, যখন সবাই উঠে দাঁড়িয়ে পুরস্কার বিজেতাদের হাততালি দিয়ে স্বাগত জানালেন। আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবসে আপনাদের সকলের মাঝে আসার সৌভাগ্য হয়েছে। আপনারা সবাই ভালোভাবেই জানেন যে, আজকের দিনটি মহান বৈজ্ঞানিক ডঃ সি ভি রমন দ্বারা ‘রমন এফেক্ট’ আবিষ্কারের স্মৃতি হিসাবে পালন করা হয়। এই আবিষ্কার দেশকে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রথম নোবেল পুরস্কার এনে দিয়েছিল। আমি ডঃ রমনকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে বিজ্ঞান দিবসে দেশের প্রত্যেক বৈজ্ঞানিক ও বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। প্রার্থনা করি, যেন আপনাদের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সকল প্রয়াস সফল হয়, আর তা দেশের মানুষের উপকারে লাগে। আজ যাঁরা শান্তি স্বরূপ ভাটনাগর পুরস্কার পেলেন, তাঁদের ও তাঁদের পরিবারবর্গকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের আবিষ্কারগুলির জন্য ভারতবাসী গর্বিত। তাঁদের পরিবারবর্গকে এজন্য বিশেষ শুভেচ্ছা জানানোর কারণ হ’ল – বৈজ্ঞানিকরা গবেষণাগারে জীবন কাটীয়ে দেন আর সেজন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেন, তপস্যা করেন পরিবারের মানুষেরা। আপনাদের প্রচেষ্টায় আপনাদের কাজের মাধ্যমে দেশ ও সমাজ উপকৃত হয়েছে, আর তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে মানুষের উপকারে লাগবে। ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ’, ‘জয় বিজ্ঞান’ এবং ‘জয় অনুসন্ধান’ – এর পথে নতুন ভারতের বিজয়পথ গড়ে উঠবে। সেজন্য এ ধরণের এবং জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের মতো আয়োজনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বছরের ‘থিম’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। আমি নিজেও বিজ্ঞানের সঙ্গে মানুষের প্রয়োজনকে মেলানোর পক্ষপাতি। আমাদের সরকারের যাবতীয় কর্মসূচি এবং প্রকল্পের মাধ্যমেও আমরা এই লক্ষ্যে কিছু না কিছু করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বন্ধুগণ, আমাদের ‘ডেমোক্রেসি, ডেমোগ্রাফি অ্যান্ড ডিমান্ড’ – এর ‘ডিভিডেন্ট’ হ’ল আজ ভারত বিশ্বে সর্বাধিক দ্রুতগতিতে অগ্রসরমান অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠেছে। আমাদের যুবসম্প্রদায়ের উচ্চাকাঙ্খা, সমস্ত ক্ষেত্রে সর্বশ্রেষ্ঠ হয়ে ওঠার তীব্র আকাঙ্খা আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। এই প্রেক্ষিতে আমাদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি বা উদ্ভাবনকে জনগণের সঙ্গে যুক্ত করে তাঁদের সমাজের আকাঙ্খাসমূহ ও প্রয়োজনের অনুরূপ করে তুলতে হবে। এ বছর জলন্ধরে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে আমি বলেছিলাম যে, ভারতের সত্যিকারের শক্তি এটাই যে, এদেশে বিজ্ঞানকে সমাজের প্রয়োজনের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আপনারা সবাই আমাদের প্রত্যেক বৈজ্ঞানিক পরমাণুশক্তি, মহাকাশ বিজ্ঞান এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গবেষণা নিজেদের দক্ষতাকে প্রতিনিয়ত উন্নত করে যাবেন। বন্ধুগণ, আমাদের দেশের মানুষের এখন শ্রেষ্ঠ থেকে কম কিছু পেয়ে খুশি হওয়া উচিৎ নয়। আমাদের মান এখন অনেক উপরে উঠে এসেছে। আমাদের সংস্থাগুলির ভাবনা যদি পুরনো হয়, তা হলে আমরা দেশবাসীর আকাঙ্খা বাস্তবায়িত করতে পারব না। বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলিকেও ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা বুঝে মৌলিক শক্তি অক্ষত রেখে ভবিষ্যতের সমাজ এবং অর্থনীতির উপযোগী করে নিজেদের গড়ে নিতে হবে। আমি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য বিজ্ঞান পরামর্শদাতাকে এ বিষয়ে সামগ্রিক প্রকল্প রচনা করে এগিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছি। আর এক্ষেত্রে আপনাদের সকলের অংশগ্রহণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বন্ধুগণ, ইচ্ছাশক্তি থাকলে সীমিত সম্পদ থেকেও অদ্ভূত পরিণাম যে পাওয়া যেতে পারে তার উদাহরণ হ’ল আমাদের মহাকাশ প্রকল্পের সাফল্য। আমাদের চন্দ্র অভিযান, মঙ্গল অভিযান কিংবা উপগ্রহ উৎক্ষেপণ ক্ষেত্রে আমাদের বিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ সাফল্য বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছে। আমাদের প্রথম প্রচেষ্টাতেই মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে মঙ্গলযানকে প্রেরণ করা একটি অভূতপূর্ব সাফল্য। এক্ষেত্রে ভারত প্রথম এশিয়ার দেশ। এই সাফল্য থেকে আমার দৃঢ় বিশ্বাস গড়ে উঠেছে যে, ২০২২ সালের মধ্যে আপনারা সাফল্যের সঙ্গে গগণ যান অভিযানের মাধ্যমে দেশের ছেলেমেয়েদের অন্তরিক্ষে নিয়ে যাবেন আর মহাকাশে ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা ওড়াবেন। বন্ধুগণ, আমাদের বৈজ্ঞানিকরা সর্বদাই মানবতার স্বার্থে অবদান রেখেছেন। দেশের সাধারণ মানুষের জীবনকে সহজ করে তোলার জন্য আপনাদের প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সুফলদায়ক। ওষুধ নির্মাণ ক্ষেত্রে আপনাদের সাফল্য ভারতকে আজ ষষ্ঠ বৃহত্তম বাজার ও তৃতীয় বৃহত্তম দ্রুতগতিতে সম্প্রসারমান বাজারে পরিণত করেছে। আজ ভারত ২০০টিরও বেশি দেশে ভারতীয় ওষুধ রপ্তানি করে। বন্ধুগণ, আমাদের ওষুধ উৎপাদন ক্ষেত্রে উন্নয়নের পেছনে সিএসআইআর গবেষণাগারের মতো প্রযুক্তিগত শক্তি রয়েছে। তাঁরা বিশ্বের অনেক দেশে উৎপাদিত দামি ওষুধকে দেশে সুলভমূল্যে উৎপাদন করছে। তাদের ওষুধ নির্মাণের জ্ঞান ও ভারতের অরণ্যে ঔষধি বৃক্ষের সম্পদ এই সংস্থার কাজের পরিধি ভবিষ্যতে আরও বিস্তার করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এখন আমাদের ওষুধ নির্মাণ ক্ষেত্র আর জৈব প্রযুক্তিকে আরও গতিশীল করার সময় এসে গেছে। আর সেজন্য জেনেরিকস্‌ ও বায়ো সিমিলার থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতার সঙ্গে উদ্ভাবনকে জুড়তে হবে। বন্ধুগণ, সিএসআইআর এর মাধ্যমে আরেকটি প্রশংনীয় প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, সেটি হ’ল অরোমা মিশন। এর মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তর-পূর্ব ভারত ও ছত্তিশগড়ের আদিবাসী এলাকায় আমাদের প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। আর আমাকে বলা হয়েছে যে, বিগত ১৮ মাসে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে ঔষধি বৃক্ষগুল্মের চাষ শুরু হয়েছে। সেজন্য আমি সিএসআইআর – এর সম্পূর্ণ টিমকে অভিনন্দন জানাই। ঔষধি বৃক্ষগুল্মের চাষ ছাড়াও জৈব জ্বালানির ক্ষেত্রেও সিএসআইআর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সিএসআইআর যে বিমানের জ্বালানি উৎপাদন করেছে, তার সফল মহড়াও সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৮-র ২৭ আগস্ট প্রথমবার দেরাদুণ থেকে দিল্লি পর্যন্ত এই জৈব-জ্বালানি চালিত বিমানযাত্রা সফল হওয়ায় ভারত সেই হাতেগোণা দেশগুলির অন্যতম হয়ে উঠেছে যে দেশে জৈব-জ্বালানি চালিত বিমানযাত্রা চালু হয়েছে। শুধু অসামরিক ক্ষেত্রে নয়, এবছর প্রজাতন্ত্র দিবসে জৈব-জ্বালানি চালিত ভারতীয় বিমান বাহিনীর যুদ��ধবিমানও আকাশে উড়েছে। বন্ধুগণ, এখন একটি নতুন ধরণের জ্বালানির প্রয়োজন হবে। আগামী দু’দশকে বিগ ডেটা, মেশিন লার্নিং, ব্লক চেন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো বেশ কিছু নতুন প্রযুক্তির যুগ আসছে। এই সকল প্রযুক্তি ডেটা-ভিত্তিক হবে। আর সেজন্য বলা হচ্ছে যে, বিশ্বে ‘ডেটা’ই নতুন ধরণের জ্বালানি হয়ে উঠতে চলেছে। এই নতুন প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে আমাদের সরকারও ন্যাশনাল মিশন অন ইন্টার ডিসিপ্লিনারি সাইবার ফিজিক্যাল সিস্টেম অভিযান শুরু করেছে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা এই অভিযানের জন্য খরচ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডিজিটাল, ম্যানুফ্যাকচারিং বিগ ডেটা অ্যানালাইসিস কোয়ান্টাম কম্যুনিকেশন এবং ইন্টারনেট অফ থিংস – এর গবেষণা ও উন্নয়নকে উৎসাহ প্রদান করা হবে। বন্ধুগণ, কেন্দ্রীয় সরকার একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টাস্কফোর্স-ও গড়ে তুলেছে, যাতে ভারত ইন্ডাস্ট্রি ফোর পয়েন্ট জিরোর জন্য প্রস্তুত হতে পারে। আমি দেশের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তি বিশারদদের প্রতি আবেদন জানাই, এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের গোড়ার দিকে বিশ্বকে পথপ্রদর্শনকারী নতুন প্রযুক্তিগুলির বিকাশ ঘটান, যাতে ভারত নির্মাণ ক্ষেত্র, জ্ঞান ও প্রযুক্তি-নির্ভর শিল্পে গ্লোবাল হাব হয়ে উঠতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের মাধ্যমে দেশে কৃষি থেকে শুরু করে পরিবহণ ও স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে শুরু করে আবহাওয়া বিজ্ঞান পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের পথ নির্ধারণ আর নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করা যায়। আজ যে প্রযুক্তিগুলির বিকশিত হচ্ছে, সেগুলিকে কোনও সীমায় বেঁধে রাখা সম্ভব নয়। এর জন্য নতুন ধরণের ভাবনার প্রয়োজন। ক্রস ডিসিপ্লিনারি গবেষণা এই ভাবনাকে আরও পোক্ত করতে পারে, যাতে এমন গবেষণার আবহ গড়ে তোলা যায়, যেখানে ইঞ্জিনিয়াররা সেল বায়োলোজিস্টদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ ক্রতে পারেন। রসায়নবিদ্যা কলা ও সংস্কৃতি থেকে প্রেরণা নিতে পারেন। পদার্থবিদরা সমাজবিদদের সঙ্গে মিলেমিশে উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারেন। ভিন্ন ভিন্ন শাখা ও ভাবনার সঙ্গমে নিশ্চিতভাবে গবেষণা ও উন্নয়ন-ভিত্তিক উদ্ভাবনের এক নতুন সংস্কৃতি গড়ে উঠতে পারে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই সংস্কৃতি আমাদের সরকারের উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রচেষ্টা দ্বারা শক্তিশালী হবে। গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবনকে উৎসাহ যোগাতে আমরা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বায়ত্ত্বশাসন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এই প্রক্রিয়ায় ২১টি বিশ্ববিদ্যালয় সহ ৬০টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে গ্রেডেড অটোনমি দেওয়া হয়েছে। এই ভাবনা থেকেই আইআইএম-গুলিকে স্বায়ত্ত্বশাসনের অধিকার দেওয়া হয়েছে। একইভাবে, ‘ইন্সটিটিউটস্‌ অফ এমিনেন্স’ গড়ে তোলারো কাজ শুরু হয়েছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকেও স্বায়ত্ত্বশাসন প্রদান করা হয়েছে, যাতে তারা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে স্থান করে নিতে পারে। আমাদের যুবসম্প্রদায়ের ভাবনাকে প্রেরণা যোগানো এবং বৈজ্ঞানিক মেজাজ গড়ে তোলা একটি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। কারণ, তারাই আমাদের ভবিষ্যৎ ভারতকে নেতৃত্ব দেবে। বন্ধুগণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রভাবে সমাজের প্রান্তিক মানুষ ও বঞ্চিতরা যখন সুফল পান, তখনই কোনও দেশ এগিয়ে যেতে পারে। সেজন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে দেশের সমস্যাগুলির সমাধানে কাজে লাগানোর জন্য সকল বৈজ্ঞানিক সংস্থাকে এই অভিযানের অংশ করে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্য আমাদের গবেষণাকে সমাধানমুখী করে তুলতে হবে। স্বাস্থ্য পরিষেবা, সুলভ গৃহ নির্মাণ, পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, বৈদ্যুতিক পরিবহণ ব্যবস্থা, সাইবার নিরাপত্তা ও মূল্য সংযোজনের ক্ষেত্রে কোনও রকম সমঝোতা করা যাবে না। বিজ্ঞান হবে মৌলিক আর প্রযুক্তি হবে স্থানীয়। এই অভিযানকে সাফল্যমণ্ডিত করতে ঢিমেতালে কাজ করার অভ্যাস ছাড়তে হবে। খন্ডিত চিন্তাকে সামগ্রিক চিন্তায় রূপান্তরিত করতে হবে। আমাদের স্থির লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে, তবেই আমরা সঠিক পথ দেখতে পাব। এই প্রতিযোগিতামূলক প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা পরিবেশে আমাদের বড় পদক্ষেপ নিতে হবে। সমাজের এই সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন পরামর্শদাতা পর্ষদ পূর্ণ উদ্যমে কাজ করে চলেছে। বন্ধুগণ, আপনাদের ক্ষমতা, দক্ষতা এবং সামর্থ্যে আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এই সামর্থ্য থেকেই নতুন ভারতের জন্য নতুন নতুন আবিষ্কার হবে। নতুন প্রযুক্তি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা ও বিজ্ঞানের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের জন্য দেশ এগিয়ে যাবে। তখনই আমাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের সৈনিক ও কৃষকরা উপকৃত হবেন। যে মহান ব্যক্তিরা এই বিজ্ঞান ক্ষেত্রে সাধনা করে গেছেন, তাঁদেরকে আরেকবার শ্রদ্ধা জানিয়ে আর যে ঋষিতুল্য বৈজ্ঞানিকরা আজ পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে আপনাদের সবাইকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবসে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",শান্তি স্বৰূপ ভাটনাগৰ বঁটা প্ৰদান অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%9D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%88-%E0%A6%9D%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঝাড়খন্ডের হাজারিবাগ ও রাঁচি সফর করবেন। সেখানে তিনি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জল সরবরাহ এবং পরিষ্কার – পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কিত একাধিক প্রকল্পের সূচনা করবেন। আশা করা হচ্ছে, এই প্রকল্পগুলির ফলে ঝাড়খন্ডের আদিবাসী মানুষজন ব্যাপক উপকৃত হবেন। হাজারিবাগ সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী তিনটি মেডিকেল কলেজের উদ্বোধন করবেন। এই মেডিকেল কলেজগুলি হ’ল – হাজারিবাগ, দুমকা ও পালামৌ-তে গড়ে উঠেছে। এছাড়াও, তিনি হাজারিবাগ, দুমকা, পালামৌ এবং জামশেদপুরে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট চারটি হাসপাতালের শিলান্যাস করবেন। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ জল সরবরাহের লক্ষ্যে রামগড় ও হাজারিবাগ জেলায় চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও, ঐ দুই জেলার গ্রামীণ এলাকার জন্য আরও ৬টি জল সরবরাহ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। হাজারিবাগের জন্য তিনি শহরাঞ্চলীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থার শিলান্যাস করবেন। এরপর, প্রধানমন্ত্রী সাহেবগঞ্জে বর্জ্য নিকাশি পরিচালন কেন্দ্রের সূচনা এবং নমামি গঙ্গে কর্মসূচির আওতায় মধুসূদন ঘাটের উদ্বোধন করবেন। রামগড়ে মহিলাদের উচ্চতর শিক্ষার জন্য যে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটি গড়ে তোলা হচ্ছে, শ্রী মোদী তারও উদ্বোধন করবেন। আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া ও বঞ্চিত শ্রেণীর মানুষের বাসস্থান এলাকাগুলির জন্য তিনি একাধিক জল সরবরাহ প্রকল্পেরও শিলান্যাস করবেন। হাজারিবাগের আচার্য বিনোবা ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আদিবাসী অধ্যয়ন কেন্দ্রেরও তিনি শিলান্যাস করবেন। ই-ন্যাম বা জাতীয় বৈদ্যুতিন কৃষি বাজার উদ্যোগের আওতায় কৃষকদেরকে মোবাইল ফোন কেনার জন্য প্রত্যক্ষ হস্তান্তর কর্মসূচির সূচনা উপলক্ষে নির্দিষ্ট কিছু সুফলভোগীর হাতে তিনি চেক তুলে দেবেন। সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীদের ম��্যে দৈহিক পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে প্যাকেটজাত গুড়ো দুধ প্রধানমন্ত্রী পড়ুয়াদের বিতরণ করবেন। রাঁচিতে শ্রী মোদী, প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা – আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির সুফলভোগীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন। …",কাইলৈ ঝাৰখণ্ড ভ্ৰমণ কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A3-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A3-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF/,"নতুন দিল্লি, ১৯ মে, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাদোদরার কারেলিবাগে আয়োজিত যুব শিবিরে ভাষণ দেন। কুন্দলধামের শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং কারেলিবাগের শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দিরের পক্ষ থেকে এই শিবিরের আয়োজন করা হয়। যুব শিবির উপলক্ষে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ধর্মগ্রন্থ এটা শিখিয়েছে যে, প্রতিটি প্রজন্মে নিরন্তর চরিত্র গঠন প্রত্যেক সমাজের ভিত্তি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আজ যে শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে, তা কেবল যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাল সংস্কার গড়ে তোলার প্রচেষ্টাই নয়, বরং সমাজ, পরিচিতি, গর্ব ও জাতির পুনর্জন্মের ক্ষেত্রে এক ধার্মিক ও বাস্তববাদী অভিযান। প্রধানমন্ত্রী সমবেত দৃঢ় সংকল্প গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে এক নতুন ভারত গঠনের প্রয়াসে উদ্যোগী হওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, নতুন এই ভারতের এক নতুন পরিচিতি গড়ে উঠবে, ভবিষ্যৎমুখী হবে এবং যার ঐতিহ্য হবে সুপ্রাচীন। এক ভারত যা নতুন চিন্তা-ভাবনা ও শতাব্দী প্রাচীন সংস্কারকে একত্রিত করে এগিয়ে চলবে এবং সমগ্র মানবজাতিকে সঠিক পথে চলার দিশা দেখাবে। তিনি আরও বলেন, যেখানেই চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে, ভারত আশা নিয়ে হাজির হয়েছে। যেখানেই সমস্যা হয়েছে, ভারত সমাধান সূত্র নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, করোনা সঙ্কটের সময় বিশ্বকে টিকা ও ওষুধের যোগান দেওয়া, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হওয়া সত্বেও আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার লক্ষ্যে এগোনো এবং বিশ্বে অশান্তি ও দ্বন্দ্বের মধ্যে শান্তির লক্ষ্যে এক সক্ষম রাষ্ট্র হিসেবে যথাযথ ভূমিকা পালন – প্রায় সব ক্ষেত্রেই ভারত আজ সমগ্র বিশ্বের কাছে আশার এক নতুন আলো নিয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সমগ্র মানব জাতিকে যোগের পথ দেখিয়েছি। আমরা সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে আয়ুর্বেদের সক্ষমতা তুলে ধরছি। ত���নি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে সরকারের কাজকর্ম সম্পাদনের পদ্ধতি এবং সামাজিক চিন্তা-ভাবনায় পরিবর্তন এসেছে। আজ ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ ব্যবস্থা হয়ে উঠেছে। এই ব্যবস্থা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ভারতের যুবারা। সফটওয়্যার থেকে মহাকাশ ক্ষেত্র, আমরা এক নতুন ভবিষ্যতের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত একটি দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছি বলে প্রধানমন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমাদের কাছে সংস্কারের অর্থই হল শিক্ষা, সেবা ও সংবেদনশীলতা। আমাদের কাছে সংস্কারের অর্থ হল নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও সামর্থ। এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আসুন আমরা নিজেদের উন্নতিসাধন করি, কিন্তু আমাদের উন্নতিও যেন অন্যদের কল্যাণের মাধ্যম হয়ে ওঠে। আমরা সাফল্যের নতুন শিখর স্পর্শ করতে পারি, কিন্তু আমাদের সাফল্য যেন সকলের সেবার মাধ্যম হয়ে উঠে। আর এটাই ভগবান স্বামীনারায়ণের শিক্ষার সারমর্ম এবং ভারতের সহজাত স্বরূপ বলে প্রধানমন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন। ভাদোদরার সঙ্গে তাঁর সুদীর্ঘ সম্পর্কের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনে এই জায়গার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ভাদোদরায় স্ট্যাচু অফ ইউনিটি সমগ্র বিশ্বের কাছে আকর্ষণের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। একই ভাবে পাভাগড় মন্দির সারা বিশ্বের মানুষের দৃষ্টি আকৃষ্ট করছে। ভাদোদরাকে 'সংস্কার নগরী' হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই শহরটি সারা বিশ্বে মেট্রোর কামরা নির্মাণের জন্য ক্রমশ পরিচিতি লাভ করছে। ভাদোদরা শহরের এটাই মূল শক্তি বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। শ্রী মোদী বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জনের সুযোগ আমাদের হয়নি, কিন্তু আমরা দেশের স্বার্থে কাজ করতে পারি। তিনি বলেন, আগামী বছর ১৫ আগস্টের মধ্যে আমরা নগদ লেনদেনের পরিবর্তে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থাকে কি গ্রহণ করতে পারিনা! আপনাদের এরকম একটি ছোট্ট পদক্ষেপই ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং বিক্রেতাদের জীবনে বড় পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। তিনি আরও বলেন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে এবং একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জনের পাশাপাশি আমরা অপুষ্টি দূর করতেও দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করতে পারি। নাগাল্যান্ডের এক মেয়ের কাশীঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার অভিযানের কথা উল্লেখ করেন প্রধান��ন্ত্রী। তিনি জানান, নাগাল্যান্ডের মেয়েটি একক প্রয়াসে কাশীঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার যে আন্তরিক প্রয়াস নিয়েছেন, তাকে বহু মানুষ যোগ দিয়েছেন। এ থেকেই দৃঢ় সংকল্পের যথার্থ প্রতিফলন ঘটে। এসম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী দেশের কল্যাণে বিদ্যুৎ সাশ্রয় বা প্রাকৃতিক কৃষিকাজ গ্রহণের মত ছোট ছোট পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন। /",শ্ৰী স্বামীনাৰায়ণ মন্দিৰে আয়োজন কৰা ‘যুৱ শিবিৰ’ সম্বোধন প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%85/,"বিপুল সংখ্যায় আগত মা-বোন, ভাই ও নবীন বন্ধুরা, এটা আমার সৌভাগ্য যে আজ বেনারসের উন্নয়ন সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রকল্পেরশিলান্যাস এবং কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু আমি আজ সবার আগেবেনারসবাসীদের অনেক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাতে চাই। আজ বেনারস আমাকে অবাক করেদিয়েছে। বেনারসের মানুষ যেভাবে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতিকে সমাদরে স্বাগত জানিয়েছেন,যেভাবে সম্মান জানিয়েছেন; ফ্রান্সের প্রত্যেক বাড়ির মানুষ নিশ্চয়ই এবার খোঁজ নেবেনযে, বেনারস কোথায়? আমরা যদি জোরে গাড়ি না চালাতাম, তা হলে এখনও হয়তো পথে দাঁড়িয়ে অসংখ্যমানুষের অভিবাদন স্বীকার করতে করতে এগোতে হ’ত, এত বেশি মানুষ এসেছেন। গঙ্গার সমস্তঘাট, প্রতিটি পথের প্রত্যেক ইঞ্চিতে মানুষের উপস্থিতি – আজ এক অদ্ভুত দৃশ্য!বেনারসের মানুষের ভালোবাসা, আশীর্বাদ, এই মাটিতে আপনারা যেভাবে ভারত ও ফ্রান্সেরমৈত্রীকে প্রেমবর্ষায় সিক্ত করেছেন – তার জন্য আমি বেনারসবাসীদের যত ধন্যবাদ জানাইনা কেন, তা কম হবে। আজ আমার বিন্ধ্যবাসিনীর চরণে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। গোটা বিশ্বে সৌরশক্তিরউৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি নিয়ে অভিযান শুরু করার ক্ষেত্রে ভারত অত্যন্ত বড় ভূমিকাপালন করছে। ভারত ও ফ্রান্স মিলিতভাবে সৌরশক্তি নিয়ে একটি অত্যন্ত বড় কাজ করছে।বিশ্বের অনেক দেশের অতিথিরা গতকাল দিল্লিতে এসেছিলেন, সবাই মিলে সূর্যদেবতারসামর্থ্য স্বীকার করে নিয়ে আগামী দিনে উন্নয়নের রাজপথকে সূর্য-শক্তির ভিত্তিতেপরিচালনার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সম্প্রতি মির্জাপুরে সৌরশক্তিথেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি প্রকল্প উদ্বোধনের সৌভাগ্য আমার হয়েছে! এটা এ���প্রকারভারতের জীবনে অনেক বড় পরিবর্তন-সাধনের অভিযান আর আমি একে এতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই,যাতে প্রত্যেক বাড়ির ছাদে সোলার প্যানেল লাগানো থাকে আর বাড়িতে রান্নার উনুনজ্বালাতে গ্যাসের উনুনের প্রয়োজনই না পড়ে – সোলার উনুনেই রান্না হয়ে যায় – তা হলেপ্রতিটি পরিবারের ক্ত অর্থ সাশ্রয় হবে, পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। নির্মল রান্নাএকটি বড় অভিযান। ভারতে ২৫ কোটি পরিবার রয়েছে, অনেক বড় বাজার আর নবীন প্রজন্মের কাছে অনুরোধরাখব, আইআইটিএন’কে অনুরোধ করব, আসুন, উদ্ভাবনের প্রতিযোগিতা শুরু করুন, এমন সবপ্রযুক্তি বিকশিত করুন যাতে আমাদের মা-বোনেদের আর রান্নাঘরে উনুন ধরাতে কারও ওপরনির্ভর না করতে হয়। সূর্যদেবতার আশীর্বাদে অনায়াসে রান্না সারতে পারেন, জ্বালানিরখরচও কম হয়। এর মাধ্যমে গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি উপকৃত হবেন। শুধু তাই নয়, আজ কাশী এবং পাটনার মাঝে একটি দ্রুতগতিসম্পন্ন রেল পরিষেবাউদ্বোধনের সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এর মাধ্যমে যাত্রীদের একটি দীর্ঘকালের দাবিবাস্তবায়িত হ’ল। এই ট্রেন সকাল ৬টায় কাশী থেকে ছাড়বে, ১০-সওয়া ১০টায় পাটনা পৌঁছেযাবে। পাটনা থেকে বিকেল ৫টায় ট্রেন ছাড়বে, রাত ৯টা-সাড়ে ৯টায় কাশী পৌঁছে যাবে। এইদ্রুৎগতিসম্পন্ন কাশী-পাটনা জনশতাব্দী এক্সপ্রেস চালু করার জন্য আমি রেলমন্ত্রীশ্রী মনোজ সিনহাকে ধন্যবাদ জানাই। তাঁর নেতৃত্বে রেল পরিষেবাকে কত বেশি গণমুখী করাযায়, তা মাথায় রেখে বহুমুখী কাজ চলছে। ফলস্বরূপ আজ কাশী আর পাটনাবাসীদের অনেকপুরনো ইচ্ছে আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমি যখনই কাশীতে আসি এই শহরকে আমার এক রকম দ্বিতীয় বাড়ি বলে মনে হয়।আধ্যাত্মিক বিশ্বে কাশীর পরিচয় যেমন হর হর মহাদেবের সঙ্গে যুক্ত, কাশীর শিল্পগতপরিচয় তেমনই ডিএলডব্ল্যু-র মাধ্যমে হয়। তাই কেন্দ্রীয় সরকার ডিএলডব্ল্যু-র অত্যধিকউন্নয়ন, বিস্তার ও আধুনিকীকরণের মাধ্যমে যথাসম্ভব মানুষের কর্মসংস্থান করতে চায়।সেজন্য অনেক নতুন নতুন প্রকল্প ডিএলডব্ল্যু-র মাধ্যমেও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়েযাচ্ছি, আগামী দিনে এখানকার স্থানীয় মানুষের জীবনে নতুন প্রাণশক্তি সঞ্চারের কাজকরবে এই প্রকল্পগুলি। এই কিছুদিন আগেই আমরা হোলি উৎসব পালন করেছি। আর আজ কেন্দ্রীয় সরকার এইঅঞ্চলে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের মাধ্যমে এই হোলির রঙে নতুনরঙ, নতুন সুরভি ভরে দিয়েছে, নতুন উদ্দীপন�� সঞ্চার করেছে। আজ এখানে আমার অসংখ্যদরিদ্র পরিবারকে সরকার প্রদত্ত নতুন বাড়ির চাবি তুলে দেওয়ার সুযোগ হয়েছে। আমিতাঁদের জিজ্ঞেস করছিলাম – আগে কোথায় থাকতেন? অনেকে জবাব দেন যে তাঁরা কাঁচা বাড়িতেথাকতেন, কেউ কেউ বলেন যে, তাঁরা বস্তির ঝুউঁপড়িতে থাকতেন, আবার কেউ বলেন যে,নির্দিষ্ট কোথাও থাকতেন না, বিছানা ভাঁজ করা থাকত, যখন যেখানে সু্যোগ পেতেন বিছিয়েঘুমিয়ে পড়তেন। আমি তাঁদের জিজ্ঞেস করছিলাম যে, নিজস্ব বাড়ি পেয়ে কেমন লাগছে?বাড়িতে গিয়ে দেখে এসেছেন? পছন্দ হয়েছে? কোনও ত্রুটি আছে? এখন কি ছেলেমেয়েদেরবিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেখাতে পাঠাবেন? তাঁরা জবাব দিচ্ছিলেন, অনেকে লজ্জা পাচ্ছিলেন। আমি অনুরোধ করি যে, থাকারজন্য ভালো বাড়ি পেয়েছেন, এখন ছেলেমেয়েদের পড়ানো উচিৎ! আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, যোগীজি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ‘মিশন মোড’-এ আবাস যোজনাকার্যকরী করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প পূর্বতন সরকারের সময়থেকেই চালু ছিল। আমি কাশীতে এসে বলেছিলাম যে, রাজ্য সরকার এতদিন গৃহহীন মানুষদেরনাম অব্দি পাঠানোর উদ্যোগ নেয়নি। কিন্তু যোগীজি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতেইগৃহহীন মানুষদের তালিকা তৈরি করে পাঠান। তালিকা পেতেই কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনীয়অর্থ পাঠাতে শুরু করে আর ৬ মাসের মধ্যে ৫ হাজারেরও বেশি গৃহ নির্মাণ করে গৃহহীনপরিবারগুলির মাথা গোঁজার ঠাঁই সুনিশ্চিত করে। আগামী দিনে এমনই ৮ লক্ষ পরিবারকেন্যূনতম আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন বাসস্থান গড়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখি আমি! আমারদৃঢ় বিশ্বাস, যোগীজির সুযোগ্য নেতৃত্বে আমার এই স্বপ্ন নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেইবাস্তবায়িত হবে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিকাঠামো নির্মাণ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রেলপথ, সড়কপথ ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকা অত্যন্ত জরুরি!আজ শিবপুরী এবং ফুলবেড়িয়ার মধ্যে চারলেনের সড়কপথ নির্মাণের সূচনা করা হচ্ছে। মাঝেদুটো রেলওয়ে ক্রসিং-এর ওপর দিয়ে দুটি উড়ালপুল নির্মিত হবে। বেনারস বিভাগে রেলস্টেশনগুলির আধুনিকীকরণের কাজও চলছে! আজ আমার ‘কাচরা মহোৎসব’ উদ্বোধনের সৌভাগ্য হয়েছে। যাঁরা মোদীকে পছন্দ করেননা, তাঁরা এ নিয়েও সমালোচনা করবেন যে, আর কিছু বাকি নেই, তাই মোদী এখন ‘কাচরামহোৎসব’ করছে! আমরা পরিচ্ছন্নতা অভিযানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বর্জ্য থেকে সম্পদসৃষ্টি করতে চাই। আব���্জনাকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে উপযোগী বস্তুসমূহ তৈরি করাসম্ভব। সেজন্য গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আজ যাঁরা এখানে এসেছেন, তাঁদেরকে অনুরোধকরব, এখানে যে ‘কাচরা মহোৎসব’-এর প্রদর্শনী শুরু হয়েছে – আপনারা অবশ্যই সেটা ঘুরেদেখবেন, যে জলের বোতল আমরা ফেলে দিই, যে পুরনো খবরের কাগজ ফেলে দিই – সেগুলি দিয়েছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কত সুন্দর সব জিনিস বানিয়েছে! বাড়িতে সেগুলি রাখলে অতিথিরাঅবাক হয়ে তাকিয়ে থাকবেন! প্রতিটি জিনিস কতভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে! আজ আমি এখানে ‘মিউজিক্যাল পার্টি’ দেখেছি, এক অদ্ভূত গাইয়ে-বাজিয়ের দল –যাঁরা পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির গান গেয়েছেন, কিন্তু তাঁদের বাদ্যসরঞ্জাম ছিল খালি টিনের ডাব্বা। অর্থাৎ তুচ্ছাতিতুচ্ছ বর্জ্য পদার্থকেও কতসুন্দরভাবে ব্যবহার করা যায়, ভালো কাজে লাগানো যায়, কিভাবে সম্ভব সেটা আমি আজ এই‘কচরা মহোৎসব’-এ দেখেছি। বেনারসে পরিচ্ছন্নতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সারা পৃথিবীর পর্যটকদেরবেনারসের প্রতি আকর্ষিত করতে হবে। বেনারসের সবকিছু আছে, অনেক শতাব্দীকাল ধরেই আছে।পূর্বজরা আমাদের জন্য যে নাম-খ্যাতি ও ঐশ্বর্য রেখে গেছেন, যে ঐতিহ্য রেখে গেছেন,তা দিয়েই পর্যতন শিল্প থেকে বেনারসের অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান ও বাণিজ্যসুনিশ্চিত হতে পারে, আমাদের শুধু একটাই কাজ করে যেতে হবে – তা হল নিজেদের বাসস্থানএই পবিত্র নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা! এই অভিযানকে সক্রিয় রাখার জন্য আজ থেকে ১৭-২০ বছর পরও যে পরিকাঠামো প্রয়োজনহবে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে সরকার নোংরা জল প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ জলউৎপাদনের জন্য প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ‘ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ স্থাপন করাহচ্ছে। এরফলে, আগামী দিনে বেনারসের মানুষ কতটা লাভবান হবেন – তা আপনারা কল্পনাকরতে পারেন! কাশী রাজপথ ও গলিগুলিতে বৈদ্যুতিক তার, টেলিফোন ও কেবল টিভির তাঁদের জালশহরের সৌন্দর্য নষ্ট করছে, এ থেকে শহরকে মুক্ত করার জন্য আমরা অভিযান শুরু করেছি।সারা দেশে মাটির নীচ দিয়ে তার বিছানোর এই মহাপ্রকল্পের সূচনা আমি বেনারস থেকেইশুরু করেছিলাম। সেই কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। তেমনই সম্প্রতি যোগীজি যে ‘বিনিয়োগকারী শিখর সম্মেলন’-এর আয়োজন করেছিলেন,সেখানে আমি ঘোষণা করেছিলাম একটি ডিফেন্স ম্যানুফ্যাকচারিং করিডর’-এর, এই ডিফেন্সম্যানুফ্যাকচারিং করিডর গড়তে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে আর প্রায় আড়াই লক্ষমানুষের কর্মসংস্থান হবে। এই কাজ শুরু হয়ে গেছে। একাজে যোগীজির নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশ সরকারও কেন্দ্রীয় সরকারকে সাহায্য করেছে। আমি যোগীজিকে এজন্য অভিনন্দন জানাতে চাই যে, তিনি কৃষকদের আয়বৃদ্ধির দিকেবিশেষ নজর দিচ্ছেন। আগে উত্তর প্রদেশে এমএসপি ঘোষিত হ’ত আর সমস্ত উৎপাদিত ধান কেনাহ’ত না। আমি খুশি যে, যোগীজির প্রচেষ্টায় উত্তর প্রদেশে আগের তুলনায় ধান কেনা চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন। আখের উৎপাদন এবং আখচাষীদের রোজগার বৃদ্ধি আমরা ৪০ শতাংশ বাড়াতে পেরেছি।এভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের নানা প্রকল্প দ্বারা রাজ্যবাসী লাভবান হচ্ছেন। তেমনই বেশকিছু প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আজ আমার হয়েছে। আমরা সবাই মিলে কাশ্মীর উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে হবে। রাজ্য সরকারএবং কেন্দ্রীয় সরকার বহুবিধ প্রকল্প অনুসারে কাশী তথা পূর্ব উত্তর প্রদেশে কাজকরছে। আগামীদিনে আমরা যে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ করে যাচ্ছি, ‘আয়ুষ্মান ভারত’তা বিমা কোম্পানিগুলির সঙ্গে মিলে দরিদ্রদের জন্য বিমার ব্যবস্থা করব। একজন গরিবমানুষ অসুস্থ হলে, গোটা পরিবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর্থিক স্থিতি খারাপ হয়ে পড়ে।পরিবারের সমস্ত স্বপ্ন ও পরিকল্পনা ছত্রখান হয়ে পড়ে। সেজন্য গরিব মানুষ অসুস্থহলেও হাসপাতালে যাওয়ার হিম্মত করেন না। এত খরচ কিভাবে সামলাবেন, তাঁর হয়তো বন্ধকদিয়ে টাকা নেওয়ার মতো কিছু নেই! আমি এই পরিস্থিতি মেনে নিতে পারিনি। সেজন্য আমরা এমন প্রকল্প গড়ে তুলেছি,যার মাধ্যমে দেশের ১০ কোটি দরিদ্র পরিবার অর্থাৎ প্রায় ৫০ কোটি নাগরিক লাভবানহবেন। সেই ১০ কোটি পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে কঠিন অসুখ হলে বছরে ৫ লক্ষ টাকাপর্যন্ত হাসপাতালের খরচ কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিমা সংস্থাদের। পরিণামস্বরূপ যে গরিবআগে হাসপাতালে যেতে ভয় পেতেন, তাঁরা এখন ছোটখাটো অসুখের ক্ষেত্রেও হাসপাতালে যেতে চাইবেন।কারণ, তাঁরা জানেন যে, এখন চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণ করবে মোদী সরকার! রুজিরুটিকমানোর জন্য সুস্থ থাকতে হবে! সেজন্য অসুস্থতাকে আর প্রশ্রয় দিলে চলবে না! যেবেসরকারি সংস্থাগুলি এতদিন ছোট ছোট শহরগুলিতে উন্নতমানের হাসপাতাল খুলতেন না,ভাবতেন যে – রোগী আসবে না, এলেও টাকা দিতে পারবে না! কিন্তু আজ টাকা প��ওয়ারব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে তাঁরা ছোট ছোট শহরগুলিতেও আধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েউপস্থিত হবেন। এভাবে দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবার শক্তিশালী সুরক্ষাজাল হয়ে উঠবে।তাঁরা সাধারণ মানুষকে আরোগ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে পরিষেবা প্রদানে প্রস্তুত থাকবে।স্বাস্থ্য পরিষেবায় নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। দেশের মানুষকে রোগমুক্তকরার ক্ষেত্রে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারব। আমাদের দেশে অপুষ্টি একটা বড় সমস্যা। আমরা ‘পোষণ মিশন’ চালু করেছি। এরমাধ্যমে দেশের দরিদ্র শিশুদের অপুষ্টির সমস্যা দূর করতে তাঁদের নিয়মিত ওজন, উচ্চতাও স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পুষ্টিবর্ধক ওষুধ ও আহারের ব্যবস্থা করাহয়েছে। মায়েদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হয়েছে। আগামী বছরগুলিতে এই প্রকল্প বাবদপ্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে। আমরা এই প্রকল্পের নাম দিয়েছি ‘প্রধানমন্ত্রীপোষণ মিশন যোজনা’ বা পিএমপিএম। আগামী দিনে এই পিএমপিএম দরিদ্র থেকে দরিদ্রতমপরিবার ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ১২-১৪-১৬ বছর বয়সী মেয়েদের পুষ্টি বৃদ্ধিকেঅগ্রাধিকার দিয়ে সমস্ত শিশুর পুষ্টি সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করবে। ১২-১৪-১৬বছর বয়সী মেয়েরা অপুষ্টির শিকার হলে, বয়সের অনুপাতে শরীরের বিকাশ হবে না! কয়েক বছরপর তাঁরা গর্ভবতী হলে, সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় তাঁদের মৃত্যু হতে পারে, সদ্যোজাতশিশুর মৃত্যু হতে পারে। কোনওমতে যদি সদ্যোজাত শিশুটি ও তার মা বেঁচেও যায়, সেইশিশুটি বিকলাঙ্গ বা এতই দুর্বল হয়ে পরে যে তার মা’কে সারাজীবন তার সেবাতেই জীবনকাটাতে হবে। এই সমস্ত দুর্ভাবনা থেকে মুক্তি প্রদানে রজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীপোষণ মিশন যোজনা চালু করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি। আমার প্রিয় কাশীবাসীগণ, উন্নয়নের এই সমস্ত প্রকল্পের মাধ্যমে কাশীর জনগণউপকৃত হবেন। গঙ্গার সঙ্গে যুক্ত আমাদের সমস্ত প্রকল্প তীব্রগতিতে এগিয়ে চলেছে,আগামী দিনে আপনারা সেগুলির মাধ্যমেও লাভবান হবেন। আমি আরেকবার এই বহুবিধ প্রকল্পের কাজ তীব্রগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যযোগীজির সরকারকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আজ আপনারা যে অদ্ভুত স্বাগত-সম্মানপ্রদর্শন করেছেন, তার জন্য আরেকবার কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাথা নত করে আপনাদের প্রণামজানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।","১২ মাৰ্চ, ২০১৮ত বাৰাণসীত অনুষ্ঠিত ৰাজহুৱা সভাত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ লিখিত ৰূপ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0-%E0%A6%89%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A7%B0%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লি, ১১ অক্টোবর, ২০২২ হর হর মহাদেব! জয় শ্রী মহাকাল মহারাজের জয়! মহাকাল মহাদেব, মহাকাল মহাপ্রভু। মহাকাল মহারুদ্র, মহাকাল নমস্তুতে।। উজ্জয়িনীর পবিত্র পুণ্যভূমিতে আয়োজিত এই অবিস্মরণীয় কর্মসূচি উপলক্ষে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমাগত মাননীয় সাধু-সন্ন্যাসীগণ, মধ্যপ্রদেশের মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী মঙ্গুভাই প্যাটেল, ছত্তিশগড়ের মাননীয় রাজ্যপাল ভগিনী অনুসূয়া উইকেজি, ঝাড়খন্ডের মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী রমেশ বৈন্সজী, মধ্যপ্রদেশের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ভাই শিবারজ সিং চৌহানজী, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী বন্ধুগণ, রাজ্য সরকারের মন্ত্রীগণ, বিধায়কগণ, উপস্থিত সাংসদগণ, ভগবান মহাকালের সমস্ত কৃপাধন্য ভক্তজনেরা, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, জয় মহাকাল! উজ্জয়িনীর এই প্রাণশক্তি, এই উৎসাহ অবন্তিকার এই আভা, এই অদ্ভুত সৌন্দর্য্য এই আনন্দের উৎস মহাকালের এই মহিমা এই মাহাত্ম। ‘মহাকাল লোক’ – এ লৌকিক কিছুই নেই। শঙ্করের সান্নিধ্যে কোনও কিছুই সাধারণ নয়, সবকিছুই অলৌকিক, অসাধারণ, অবিস্মরণীয় এবং অবিশ্বাস্য। আমি আজ অনুভব করছি যে, আমাদের তপস্যা ও ভক্তি যখন মহাকালকে প্রসন্ন করে, তখন তাঁর আশীর্বাদেই এমনসব অনিন্দ্য সুন্দর স্বরূপ গড়ে ওঠে। আর মহাকালের আশীর্বাদ যখন আমরা পাই, তখন কালের রেখা মিটে যায়, সময়ের সীমা সঙ্কুচিত হয়। আর অনন্তের অখন্ড অবসর প্রস্ফুটিত হয়। অন্ত থেকে অনন্ত যাত্রা শুরু হয়। মহাকাল লোক – এ এই অনিন্দ্যও সময়ের সীমার ঊর্ধ্বে উঠে অনেক প্রজন্মকে অলৌকিক দিব্যতা দর্শন করাবে, ভারতের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক চেতনাকে প্রাণশক্তিতে পরিপূর্ণ করে তুলবে। আমি এই অদ্ভুত মুহূর্তে রাজাধিরাজ মহাকালের চরণে শত শত প্রণাম জানাই। আমি আপনাদের সকলকে দেশ ও বিশ্বের সমস্ত মহাকাল ভক্তদের হৃদয় থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বিশেষ করে, আমি শ্রদ্ধেয় শিবরাজ সিং চৌহান এবং তাঁর সরকারকে হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানাই, যাঁরা ক্রমাগত এত সমর্পণভাব নিয়ে এই সেবাযজ্ঞে কাজ করে চলেছেন। পাশাপাশি, আমি মহাকাল মন্দির ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত সকলকে, সমস্ত সন্ন্যাসী ও বিদ্বানদেরও ধন্যবাদ জানাই – যাঁ���ের সহযোগিতা আজকের এই আয়োজনকে সফল করে তুলেছে। বন্ধুগণ, মহাকালের নগরী উজ্জয়িনী সম্পর্কে আমাদের শাস্ত্রে লেখা রয়েছে ‘প্রলয়ো ন বাধতে তত্র মহাকালপুরী’ অর্থাৎ ‘মহাকালের এই নগরী প্রলয়ের প্রহার থেকেও মুক্ত’। হাজার হাজার বছর আগে যখন ভারতের ভৌগোলিক পরিস্থিতি আজের থেকে ভিন্ন ছিল, তখন থেকে এটা মনে করা হয় যে, উজ্জয়িনীর অবস্থান ভারতের কেন্দ্রস্থলে। একদিক থেকে জ্যোতিষ গণনায় উজ্জয়িনী শুধু ভারতের কেন্দ্র নয়, এটি ভারতের আত্মারও কেন্দ্র। এটি সেই নগর, যা আমাদের পবিত্র ৭টি পুরীর অন্যতম। এটি সেই নগর, যেখানে ভগবান কৃষ্ণ স্বয়ং এসে শিক্ষালাভ করেছিলেন। এই উজ্জয়িনী মহারাজা বিক্রমাদিত্যের সেই প্রতাপ দেখেছে, যিনি ভারতের নতুন সুবর্ণ যুগ শুরু করেছিলেন। উজ্জয়িনীর ইতিহাসের প্রতিটি মুহূর্তে, প্রত্যেক পলে, প্রতিটি ধূলিকণা আধ্যাত্ম সম্পৃক্ত আর প্রতিটি প্রান্তে ঐশ্বরিক প্রাণশক্তি সঞ্চারিত। এখানে কালচক্রের ৮৪টি কল্পের প্রতিনিধিত্ব করে ৮৪টি শিবলিঙ্গ। এখানে রয়েছেন ৪ মহাবীর, ৬ বিনায়ক, ৮ ভৈরব, অষ্ট মাতৃকা, ৯ নবগ্রহ, ১০ বিষ্ণু, ১১ ইন্দ্র, ১২ আদিত্য, ২৪ দেবী আর ৮৮ তীর্থ। এইসবের কেন্দ্রে রাজাধিরাজ কালাধিরাজ, মহাকাল বিরাজমান। অর্থাৎ, একদিক থেকে আমাদের সম্পূর্ণ ব্রহ্মান্ডে প্রাণশক্তিকে আমাদের ঋষি-মুনিরা এই উজ্জয়িনীতে প্রতীক-স্বরূপ স্থাপন করেছেন। সেজন্য উজ্জয়িনী কয়েক হাজার বছর ধরে ভারতের সম্পন্নতা এবং সমৃদ্ধি জ্ঞান ও গরিমার, সভ্যতা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে। এই নগরী নির্মাণে বাস্তু কেমন ছিল, বৈভব কেমন ছিল, শিল্প কেমন ছিল, সৌন্দর্য্য কী রূপ ছিল, এর দর্শন আমরা পাই মহাকবি কালিদাসের বর্ণনায় ‘মেঘদূতম্‌’ কাব্য গ্রন্থে। বানভট্টের মতো কবিদের কাব্যে আজও আমরা এখানকার সংস্কৃতি ও পরম্পরার বর্ণনাকে উপভোগ করতে পারি। শুধু তাই নয়, মধ্যযুগের লেখকরাও তাঁদের গ্রন্থাবলিতে এখানকার স্থাপত্য এবং বাস্তুশিল্পের গুণগান করেছেন। ভাই ও বোনেরা, কোনও রাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক বৈভব এত বিশাল তখনই হয়ে ওঠে, যখন তার সাফল্যের জয় পতাকা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উড্ডীয়মান হয় আর সাফল্যের শিখর পর্যন্ত পৌঁছতে দেশকে তার সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ স্পর্শ করতে হয়, নিজের পরিচয় নিয়ে গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হয়। সেজন্য স্বাধীনতার অমৃতকালে আজকের নতুন ভারত দাসত্বের মানসিকতা থেকে মু���্তি আর নিজেদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করার জন্য ‘পঞ্চপ্রাণ’ – এর আহ্বান করেছে। সেজন্য আজ অযোধ্যাতে অনিন্দ্য সুন্দর রাম মন্দির নির্মাণ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। কাশীতে বিশ্বনাথ ধাম, ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী গৌরব বৃদ্ধি করছে। সোমনাথে উন্নয়নের কর্মধারা নতুন কীর্তি স্থাপন করছে। উত্তরাখন্ডে বাবা কেদারের আশীর্বাদে কেদারনাথ – বদ্রীনাথ তীর্থ ক্ষেত্রে উন্নয়নের নতুন অধ্যায় লেখা হচ্ছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথমবার চার ধাম প্রকল্পের অধীনে আমাদের চারটি ধামকে ‘অল ওয়েদার রোড’ – এর মাধ্যমে যুক্ত করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতার পর প্রথমবার করতারপুর সাহিব করিডর উন্মুক্ত হয়েছে, হেমকুন্ড সাহিবকে রোপওয়ের মাধ্যমে যুক্ত করা হচ্ছে। তেমনই ‘স্বদেশ দর্শন’ এবং ‘প্রসাদ’ যোজনার মাধ্যমে সারা দেশে আমাদের আধ্যাত্মিক চেতনার অনেক কেন্দ্রের গৌরবকে পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে। আর এভাবেই আজ এই অনিন্দ্য সুন্দর ‘মহাকাল লোক’ ও অতীতের গর্ব নিয়ে ভবিষ্যতকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হয়েছে। আজ যখন আমরা উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত, পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত আমাদের প্রাচীন মন্দিরগুলির দিকে তাকাই, তখন তাদের বিশালতা, তাদের বাস্তুশিল্প আমাদের আশ্চর্যচকিত করে তোলে। কোণারকের সূর্য মন্দির থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্রের ইলোরার কৈলাশ মন্দির – এই প্রাচীন মন্দিরমালা বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের বিস্মিত করে তোলে। কোণারকের সূর্য মন্দিরের মতোই গুজরাটের মোধেরাতেও সূর্য মন্দির রয়েছে। যেখানে সূর্যের প্রথম কিরণ সরাসরি গর্ভগৃহ পর্যন্ত প্রবেশ করে। একই রকমভাবে তামিলনাডুর তাঞ্জোরে রাজারাজ চোল নির্মিত বৃহদেশ্বর মন্দির কাঞ্চিপুরমের বরদরাজা পেরুমল মন্দির রামেশ্বরমে রামনাথস্বামী মন্দির, বেলুরের চন্নকেশওয়া মন্দির, মাদুরাইয়ের মীনক্ষী মন্দির, তেলেঙ্গায় রামপ্পা মন্দির, শ্রীনগরের শঙ্করাচার্য মন্দিরের মতো কত অসংখ্য অনুপম অতুলনীয় মন্দির রয়েছে, তা কক্লপনাতীত। এগুলি সব ‘ন ভুতো ন ভবিষ্যতি’ – এর জীবন্ত উদাহরণ। এখন যখন আমরা সেই মন্দিরগুলিকে দেখি, তখন ভাবতে বাধ্য হই যে, সেই সময়ে সেই যুগে কোন প্রযুক্তির মাধ্যমে এই অসাধারণ নির্মাণ কার্যগুলি সম্পন্ন হয়েছে। আমরা নিজেদের মনে এই প্রশ্নগুলির উত্তর না পেলেও এই মন্দিরগুলি আধ্যাত্মিক সাংস্কৃতিক বার্তা আমাদের ততটাই স্পষ্ট���ার সঙ্গে আজও জবাব দিতে থাকে। যখন প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমাদের জনগণ এই ঐতিহ্যকে দেখে, এর বার্তাগুলি শোনেন, তখন একটি সভ্যতা রূপে এটি আমাদের নিরন্তরতা এবং অমরতার মাধ্যম হয়ে ওঠে। মহাকাল লোক – এর এই পরম্পরা ততটাই কার্যকর রূপে কলা ও শিল্পের মাধ্যমে উৎকীর্ণ হয়েছে। এই সম্পূর্ণ মন্দির প্রাঙ্গণ শিব পুরাণের বর্ণনার ভিত্তিতে গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে এলে আপনারা মহাকাল দর্শনের পাশাপাশি, মহাকালের মহিমা ও মাহাত্ম্যকেও অনুভব করবেন। পঞ্চমুখী শিব, তাঁর ডমরু, সর্প, ত্রিশূল, অর্ধচন্দ্র এবং সপ্তঋষি তাঁদের মূর্তিকেও ততটাই সুন্দরভাবে গড়ে এখানে স্থাপন করা হয়েছে। এই বাস্তুর সঙ্গে জ্ঞানের এই সমাবেশ এই মহাকাল লোক’কে তার প্রাচীন গৌরবের সঙ্গে যুক্ত করেছে, তার সার্থকতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ভাই ও বোনেরা, আমাদের শাস্ত্রে বলা হয় ‘শিবম্‌ জ্ঞানম্‌’ অর্থাৎ ‘শিবই জ্ঞান’ বা ‘জ্ঞানই শিব’। শিবের দর্শনই ব্রহ্মাণ্ডের সর্বোচ্চ দর্শন। আর দর্শন মানেই শিবের দর্শন। আমি মনে করি, আমাদের জ্যোতির্লিঙ্গগুলির এই বিকাশ ভারতের আধ্যাত্মিক জ্যোতির বিকাশ, ভারতের জ্ঞান এবং দর্শনের বিকাশ। ভারতের এই সাংস্কৃতিক দর্শন আরেকবার শীর্ষে পৌঁছে বিশ্বকে আলোকবর্তিকা দেখাতে প্রস্তুত হচ্ছে। বন্ধুগণ, ভগবান মহাকালই একমাত্র এমন জ্যোতির্লিঙ্গ, যিনি দক্ষিণমুখী। এই শিবের এমন স্বরূপ হওয়ায় তাঁর ভস্ম-আরতী সারা বিশ্বে প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে। প্রত্যেক ভক্ত তাঁর জীবনে অন্তত একবার এই ভস্ম-আরতী দর্শন করতে চান। এই ভস্ম-আরতীর ধার্মিক মাহাত্ম্য এখানে উপস্থিত আপনাদের মতো সাধু-সন্ন্যাসীরা অনেক বেশি গভীরতার সঙ্গে বলতে পারবেন। কিন্তু আমি এই পরম্পরায় আমাদের ভারতের অমরত্ব এবং জীবন্তভাব দর্শন করি। আমি এতে ভারতের অপরাজেয় অস্তিত্বকে অনুভব করি। কারণ, যে শিব ‘সোয়ং ভূতি বিভূষণঃ’ অর্থাৎ, ভস্ম ধারণকারী, তিনিই ‘সর্বাধিপঃ সর্বদা’ও। অর্থাৎ, তিনি অনশ্বর ও অবিনাশীও। সেজন্য যেখানে মহাকাল রয়েছেন, সেই কালখন্ডের সীমা নেই। মহাকালের স্মরণে বিষের মধ্যেও স্পন্দন সৃষ্টি হয়। মহাকালের সান্নিধ্যে সমস্ত অবসানেও পুনরুজ্জীবন সম্ভব। অন্ত থেকেও অনন্তের যাত্রা শুরু হয়। এটিই আমাদের সভ্যতার সেই আধ্যাত্মিক আত্মবিশ্বাস, যার সামর্থে ভারত অনেক হাজার বছর ধরে অজর অমর হয়ে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমাদের আস্থার এই কেন্দ্রটি জা���্রত, ভারতের চেতনা জাগ্রত, ভারতের আত্মা জাগ্রত। অতীতে আমরা দেখেছি যে, অনেক প্রচেষ্টা হয়েছে, পরিস্থিতি বদলেছে, শাসন ক্ষমতা বদলেছে, ভারতের শোষণও হয়েছে, দেশ পরাধীনও হয়েছে। ইলতুতমিসের মতো আক্রমণকারীরা উজ্জয়িনীর প্রাণশক্তিকেও নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, আমাদের ঋষি-মুনিরা বলে গেছেন, ‘চন্দ্রশেখরম্‌ আশ্রয়ে মম্‌ কিম করিষ্যতি বৈ যমঃ’? অর্থাৎ, মহাকাল শিবের চরণে এলে মৃত্যুও আমাদের কিছুই করতে পারবে না। আর সেজন্য ভারত তার আস্থার এই প্রামাণ্য কেন্দ্রগুলি প্রাণশক্তি দিয়ে আবার পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। আবার উঠে দাঁড়িয়েছে। আমরা আরেকবার আমাদের অমরত্বের ধারণাকে তেমনভাবেই বিশ্বব্যাপী তুলে ধরেছি। ভারত আরেকবার মহাকালের আশীর্বাদে কালের কপালে কালাতীত অস্তিত্বের শিলালিপি লিখে দিয়েছে। আজ আরেকবার স্বাধীনতার এই অমৃতকালে অজর অমর অবন্তিকা ভারতের সাংস্কৃতিক অমরত্বের ঘোষণা করছে। হাজার হাজার বছর ধরে উজ্জয়িনী যেভাবে ভারতীয় কাল গণনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল, সেটি আজ আরেকবার ভারতের অনিন্দ্য সুন্দর হয়ে ওঠার একটি নতুন কালখন্ড ঘোষণা করছে। বন্ধুগণ, ভারতের জন্য ধর্মের অর্থ হ’ল – নিজেদের কর্তব্যগুলির সামগ্রিক সংকল্প। আমাদের সংকল্পগুলির উদ্দেশ্য হ’ল – বিশ্ব কল্যাণ এবং প্রত্যেক মানুষের সেবা। আমরা শিবের আরাধনাতেও বলি – ‘নমামি বিশ্বস্য হিতে রতম্‌ তম, নমামি রূপাণি বহুনি ধত্তে’ অর্থাৎ আমরা সেই বিশ্বপতি ভগবান শিবকে প্রণাম জানাই, যিনি অনেক রূপে গোটা বিশ্বের হিতে কাজ করে চলেছেন। এই ভবনা সর্বদা ভারতের সমস্ত তীর্থস্থল, মন্দির, মঠ এবং আস্থা কেন্দ্রগুলিতেও বিরাজমান। এখানে এই মহাকাল মন্দিরে গোটা দেশ ও বিশ্বের মানুষ আসেন। এখানে আয়োজিত হয় সিংহস্ত কুম্ভমেলা। সেই মেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন। অসংখ্য বৈচিত্র্যের মধ্যেও ঐক্যের মন্ত্র। এক সংকল্প নিয়ে একসঙ্গে যুক্ত হন। এরচেয়ে বড় উদাহরণ আর কি হতে পারে। আমরা জানি যে, কয়েক হাজার বছর ধরে আমাদের কুম্ভমেলার পরম্পরা শুরু হয়েছে। অত্যন্ত সামগ্রিক মন্থনের পর যে অমৃত বেরিয়ে আসে, তা থেকে সংকল্প নিয়ে ১২ বছর পর্যন্ত তাকে ক্রিয়ান্বিত করার পরম্পরা ছিল। আবার ১২ বছর পর যখন কুম্ভ হয়, তখন আরেকবার অমৃত মন্থন হয়। আরেকবার সংকল্প নেওয়া হয়। এরপর, ১২ বছরের জন্য সবাই বেরিয়ে পড়েন। বিগত সিংহস্ত কুম্ভে আমার এখানে আসার সৌভাগ্য হয়েছে। মহা���াল ডাকলে তাঁর এই সন্তান কিভাবে না এসে থাকবে! সেই সময় কুম্ভে যে কয়েক হাজার বছরের পুরনো পরম্পরা, সেই সম্পর্কে আমার মন ও মস্তিষ্কে যত মন্থন চলছিল, যত ভাবনা প্রবাহ চলছিল, মা শিপ্রার তটভূমিতে অনেক ভাবনা দিয়ে আমি বেষ্টিত ছিলাম। তখনই মনে হ’ল – কিছু শব্দ এসে গেছে। নাজানি কোথা থেকে এসেছে, কিভাবে এসেছে। কিন্তু, তা থেকে আমার মনে এমন একটা পবিত্র ভাব জেগে উঠেছিল, যা সংকল্পে পরিণত হয়েছিল। আজ সেই সংকল্পকে আমরা আমাদের সামনে সৃষ্টি রূপে দেখতে পাচ্ছি বন্ধুগণ। যাঁরা সেই সময় আমার মনের সেই ইচ্ছেকে চরিতার্থ করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে তা বাস্তবায়িত করে দেখিয়েছেন, সেই বন্ধুদের আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। তাঁদের সকলের মনে শিব ও শিবত্বের জন্য সমর্পণ, সবার মনে মা শিপ্রার জন্য শ্রদ্ধা, জীব এবং প্রকৃতির জন্য সংবেদনশীলতাই এত বড় জনসমাগমকে বাস্তবায়িত করেছে। বিশ্বহিতের জন্য কত না কাজ করার প্রেরণা আমরা এখান থেকে পেতে পারি! ভাই ও বোনেরা, আমাদের এই তীর্থগুলি শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরে দেশকে বার্তা ও সামর্থ দিয়েছে। কাশীর মতো আমাদের আস্থার কেন্দ্র, ধর্মের পাশাপাশি, জ্ঞান, দর্শন এবং শিল্পকলারও রাজধানী ছিল। আমাদের উজ্জয়িনী নগরী তেমনই ভূ-বিজ্ঞান, মহাকাশ বিদ্যার বড় বড় গবেষণার শীর্ষ কেন্দ্র ছিল। আজ যখন নতুন ভারত তার প্রাচীন মূল্যগুলি নিয়ে এগিয়ে চলেছে। তখন আস্থার পাশাপাশি, বিজ্ঞান ও গবেষণার পরম্পরাকেও পুনরুজ্জীবিত করে তুলছে। আজ আমরা মহাকাশ বিদ্যায় বিশ্বের বড় বড় শক্তির সমকক্ষ হয়ে উঠেছি। আজ ভারত অন্যান্য দেশের মহাকাশ যানকেও মহাকাশে উৎক্ষেপণ করছে। মিশন চন্দ্রযান ও মিশন গগনযানের মতো অভিযানের মাধ্যমে ভারত মহাকাশে সেই সাফল্যগুলি অর্জনের জন্য প্রস্তুত, যেগুলি আমাদের নতুন নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। আজ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ভারত সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে আত্মনির্ভরতার দিকে এগিয়ে চলেছে। তেমনই আজ আমাদের নবীন প্রজন্ম, দক্ষতা উন্নয়ন, ক্রীড়া, স্টার্টআপ এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন নতুন স্টার্টআপ নিয়ে, নতুন নতুন ইউনিকর্ন গঠন করে প্রত্যেক ক্ষেত্রে ভারতের প্রতিভার দামামা বাজাচ্ছে। ভাই ও বোনেরা, আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে, যেখানে উদ্ভাবন রয়েছে, সেখানে পুনর্নির্মাণও রয়েছে। আমরা দাসত্বের কালখন্ডে যা যা হারিয়েছি, আজ ভারত তা পুনরুদ্ধার করছে। পুনর্নির্মাণ করছে নিজেদের গৌরবের, ���ুনঃস্থাপন করছে নিজেদের বৈভবের। আর এর মাধ্যমে শুধু ভারতের জনগণ নয়, মহাকালের চরণে বসে থাকা বন্ধুগণ বিশ্বাস করুন, এর দ্বারা সমগ্র বিশ্ব তথা মানবতা লাভবান হবে। মহাকালের আশীর্বাদে ভারতের অনিন্দ্যতাকে গোটা বিশ্বের জন্য বিকশিত করতে নতুন নতুন সম্ভাবনার জন্ম নেবে। ভারতের দিব্যতা গোটা বিশ্বের জন্য শান্তির পথ প্রশস্ত করবে – এই বিশ্বাস নিয়ে আরেকবার ভগবান মহাকালের চরণে মাথানত করে প্রণাম জানাই। আমার সঙ্গে সম্পূর্ণ ভক্তিভাব নিয়ে বলে উঠুন – জয় মহাকাল! জয় জয় মহাকাল, জয় জয় মহাকাল, জয় জয় মহাকাল, জয় জয় মহাকাল, জয় জয় মহাকাল, জয় জয় মহাকাল, জয় জয় মহাকাল।",মধ্যপ্ৰদেশৰ উজ্জয়িনীত ৰাজহুৱা সভাত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনূবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%BE-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%AD-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A7%B0-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%82%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%B0-%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6/,"প্রধানমন্ত্রীফিফা অনুর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপেঅংশগ্রহণকারী সমস্ত দলের সদস্যদের শুভেচ্ছা ওস্বাগত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীবলেছেন – “ফিফা অনুর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী সমস্ত দলের সদস্যদেরশুভেচ্ছা এবং আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। আমি নিশ্চিত যে, ফিফা অনুর্ধ্ব-১৭বিশ্বকাপ ফুটবলপ্রেমীদের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।” /",১৭ বছৰ অনূৰ্ধ্বৰ ফিফা বিশ্বকাপত অংশগ্ৰহণকাৰী সকলো দলক আদৰণী আৰু শুভেচ্ছা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE/,"নয়াদিল্লি, ১৫ নভেম্বর ২০২২ নমস্কার! কঠিন বিশ্ব পরিস্থিতির মধ্যে জি-২০-তে সুচারু নেতৃত্ব প্রদানের জন্য আমি আন্তরিকভাবে রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো-কে অভিনন্দন জানাচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড অতিমারী, ইউক্রেনের উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং নানাবিধ সমস্যা বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে জড়িত। এই সমস্যাসমূহ সারা বিশ্বজুড়ে এক সঙ্কটের বাতাবরণ তৈরি করেছে। বিশ্বের সরবরাহ শৃঙ্খল দীর্ণদশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বিশ্বজুড়ে নিত্য প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যক পণ্যের সঙ্কট ঘনীভূত হয়েছে। প্রত্যেক দেশেরই দরিদ্র নাগরিকদের কাছে এই সঙ্কট আরও গুরুতর। এই দ্বৈত সঙ্কটের মোকাবিলা করার মতো তাঁদের আর্থিক সামর্থ্য নেই যার ফলে প্রাত্যহিক জীবনে তাঁদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠেছে। নিঃসংশয়ে আমাদের এটা স্বীকার করে নিতে হবে যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতো বহুমাত্রিক প্রতিষ্ঠান এই সমস্যার সমাধান করতে পারেনি এবং এই সমস্ত ক্ষেত্রেই আমরা প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে আসতে ব্যর্থ হয়েছি। ফলে, জি-২০-র কাছ থেকে বিশ্বের প্রত্যাশা এখন অনেক বেশি। আমাদের এই গোষ্ঠীর প্রাসঙ্গিকতা এখন আরও বেশি করে অনুধাবন করা যাচ্ছে। মাননীয়গণ, আমি বারংবার বলেছি যে ইউক্রেনে যুদ্ধ বিরতির পথে গিয়ে কূটনৈতিকভাবে সমাধানসূত্র খঁজতে হবে। গত শতাব্দী জুড়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পৃথিবীর বুকে এক বিপর্যয় ডেকে এনেছিল। তারপর নেতৃবৃন্দ শান্তির পথে ফিরতে গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এখন আমাদের সময়। কোভিড অতিমারী পরবর্তী সময়ে বিশ্বকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার দায় এখন আমাদের ওপর বর্তাচ্ছে। বিশ্বের শান্তি, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে অটল সঙ্ঘবদ্ধ সঙ্কল্প এখন সময়ের চাহিদা। আমি স্থির নিশ্চিত যে আগামী বছর বুদ্ধ এবং গান্ধীর পবিত্র ভূমিতে যখন জি-২০ শিখর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, আমরা ঐকমত্যের ভিত্তিতে সারা বিশ্বের কাছে শান্তির এক দৃঢ় বার্তা পৌঁছে দিতে পারব। মাননীয়গণ, অতিমারীর সময় ভারত ১৩০ কোটি দেশবাসীর খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছে। সেই সময়েই বিশ্বের অনেক দেশের প্রয়োজনের মুহূর্তে তাদের কাছে খাদ্যশস্য পৌঁছে দিতে পেরেছি আমরা। খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বর্তমানে সারের ঘাটতি এক বিরাট সঙ্কটের সৃষ্টি করেছে। আজকের দিনে সারের সঙ্কট আগামীদিনে খাদ্য সঙ্কট ডেকে নিয়ে আসবে। এক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে কোনো সমাধানের পথ খোলা নেই। সার এবং খাদ্যশস্যের স্থায়িত্ব সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরবরাহ শৃঙ্খল বজায় রাখার জন্য আমাদের সহমত গড়ে তুলতে হবে। ভারতে সুস্থায়ী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আমরা প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতি এবং বাজরার মতো পুষ্টিকর ও প্রথাগত খাদ্যশস্যকে পুনরায় জনপ্রিয় করছি। বাজরা বিশ্বের অপুষ্টি এবং ক্ষুধাকে দূর করতে পারে। আগামী বছর ‘আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষ’ আমরা উৎসাহের সঙ্গে উদযাপন করব। মাননীয়গণ, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি হওয়ার সুবাদে ভারতের শক্তি নিরাপত্তা বিশ্বের আর্থিক বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য শক্তিক্ষেত্রের বাজারের স��থায়িত্ব সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে শক্তি সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ কোনভাবেই আমরা মেনে নিতে পারি না। ২০৩০-এর মধ্যে অর্ধেক বিদ্যুৎ পুনর্নবীকরণযোগ্য ক্ষেত্র থেকে উৎপাদিত হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলিকে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি সহায়তা এবং সময়-ভিত্তিক ও সহজ শর্তে আর্থিক যোগান সুনিশ্চিত করতে হবে। মাননীয়গণ, ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বকালে এই সমস্ত বিষয়ে আমরা বিশ্বজুড়ে ঐকমত্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করব। ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে","বালিত অনুষ্ঠিত জি-২০ সন্মিলনত প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ, প্ৰথম অধিৱেশনঃ খাদ্য আৰু শক্তি সুৰক্ষা" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%AA%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%A1%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A7%AA-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF/,"ভারতমাতার জয় ভারতমাতার জয় ভারতমাতার জয় বিপুল সংখ্যায় আগত সমাজের বরিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ, আমার সৌভাগ্য যে এই পবিত্র অনুষ্ঠানে আপনাদের সবার মাঝে আসার আমন্ত্রণ পেয়েছি আর আপনাদের সবার আশীর্বাদ পেয়ে পুণ্যলাভ করেছি। আমাদের দেশের ধর্ম, ঐতিহ্য ও আমাদের সংস্কৃতিকে বুঝতে পারা এত সহজ নয়, কারণ আমাদের কোনও নির্দিষ্ট ধর্মগ্রন্থ নেই, নির্দিষ্ট ভগবান কিম্বা পুজো পদ্ধতি নেই, এত বৈচিত্র্যের কারণে অনেকেই বুঝতে পারেন না যে আমরা কারা! আর এটাই আমাদের বৈশিষ্ট্য। আমাদের ঈশ্বরও ভক্তদের মতোই। ভক্ত পালোয়ান হলে তাঁদের ভগবান হলেন হনুমান, ভক্ত শিক্ষানুরাগী হলে তাঁদের ভগবান সরস্বতী, ভক্ত ব্যবসায়ীকিংবা সওদাগর হলে তাঁদের ভগবানলক্ষ্মী, আর যারাসমাজের অন্নসংস্থানের জন্য হালচাষ করে ফসল ফলান, তাঁদের ভগবান হলেন অন্নপূর্ণা। যেমন ভক্ততেমন ঈশ্বর– আমাদের এই বৈশিষ্ট্য অনুসারেই আজ এখানে দেবী অন্নপূর্ণা মায়ের একটি তীর্থক্ষেত্র, প্রেরণাক্ষেত্রের উদ্বোধন হয়েছে। আমাদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল অতিথিপরায়ণতা। আপনারা যদি শুধু গুজরাটের কথাই ধরেন, সেই রাজ্যের যে কোনও দিকে গেলে আপনারা প্রত্যেক ২০-২৫-৩০ কিলোমিটার পর পর বসে বিশ্রাম নেওয়া ও খাওয়ার জায়গা পাবেন। কোনও মঠ বা মন্দির কিংবা কোনও সাধু-সন্ন্যাসী-বাবা কিংবাযোগীকে বসে থাকতে দেখবেন। বাড়িতে আসা অতিথি যেন অভুক্ত না থাকেন,রা���ে থাকলে আহার নিদ্রার ব্যবস্থা করা, যাঁরা নর্মদা পরিক্রমা করেছেন, তাঁরা জানেন যে, ‘নর্মদা হর বোলে’ বলতে বলতে গ্রামে গ্রামে পরিক্রমার সময় প্রত্যেক গ্রামের মানুষ কিরকম আদর আপ্যায়ণ করেন, কাউকে খালিপেটে থাকতে হয় না! –এটাই আমাদের দেশেরবৈশিষ্ট্য! এটাই আমাদের সাংস্কৃতিক পরম্পরা! আমাদের সমাজ পরোপকারী সমাজ এবং এর ফলে একটি সাংস্কৃতিক চেতনার শেকড়ে সেবাভাব অন্তর্নিহিত রয়েছে। আমাদের এখানে বলা হয় যে, ‘নর করণী করে তো নারায়ণ হো যায়!’ এই মূল ভাব আমাদের সেই ভাবধারার প্রতিবিম্ব আজ মা অন্নপূর্ণা ধামে নির্মাণের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার জন্যে ছাত্রাবাসের ব্যবস্থা, যাতে সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর পরিবারগুলির ছেলেমেয়েরা এখানে থেকে পড়াশুনা করে জীবনে উন্নতি করার সুযোগ পাবে। সেজন্যে আপনারা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে শিক্ষণের পরম্পরা যুক্ত করার কাজ করেছেন। নরহরি ভাইকে, তাঁর গোটা টিমকে, এবং সমস্ত দাতাদের অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আমাদের দেশে একটি রেওয়াজ গড়ে উঠেছে যে – সবকিছু সরকার করবে, আর না হলে সরকারের কাছ থেকে জবাব চাওয়া হবে। ভারতে এই পরম্পরা ছিল না, এরকম কোনও রেওয়াজই ছিল না! ধর্মশালা তৈরি করা হতো, গোশালা তৈরি করা হতো, জলসত্র তৈরি করা হতো, লাখা বানজারা অডালজের পরিখা খনন করিয়েছিলেন, এসব কাজ সরকার করতো না। ধর্মশালা, গোশালা, জলসত্র, পরিখাকিংবা পুস্তকালয় – এসব সমাজ তৈরি করতো। ধীরে ধীরে সকলের অজান্তেই সমাজের এই শক্তিগুলিকে চেপে দেওয়া হয়েছে আর রাজ্যের সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজের ভার সরকারের কাঁধে চাপানো হয়েছে। আমাদের প্রচেষ্টা ছিল এমন আবহ সৃষ্টি করার যেখানে সরকার সরকারের কাজ করবে আর সমাজের শক্তিও বৃদ্ধি পাবে, সমাজ বিকশিত হবে। সমাজ বিকশিত হলে দেশ বিকশিত হবে। সরকারকে শক্তি সংগ্রহ করতে হবে না! সেই মূল পরম্পরার মধ্য থেকে এ ধরণের সমস্ত প্রবৃত্তিকে আমরা উৎসাহ জোগাই। নিয়ম মেনে উৎসাহ দিই। আর তারই অংশস্বরূপ আগামী দিনে এ ধরণের সমস্ত ক্ষেত্রে সরকারি নিয়মকানুনের উর্দ্ধে উঠে সমাজের অভ্যন্তরীণ শক্তির পুনর্জাগরণে জোর দেওয়ার চেষ্টা করছি। আজ যখন এখানে মা অন্নপূর্ণা ধামের প্রাণপ্রতিষ্ঠার সুযোগ এসেছে তখন আমরা সমাজের জন্য কোনও নতুন কিছু ভাবতে পারি। সমস্ত মন্দিরেই প্রসাদ পাওয়া যায়, কিন্তু অন্নপূর্ণা ধামে আমরা এই ঐতিহ্যে সামান্য পরিবর্তন আনতে পার��! এখানকার সঞ্চালকদের অনুরোধ জানাই, আপনারা কি মন্দিরে আসা প্রত্যেক ভক্তের হাতে একটি করে গাছের চারা তুলে দিতে পারেন? তাঁরা বাড়ি ফিরে সেই আশীর্বাদী গাছের চারা নিজেদের উঠোনে পুঁতবেন। বছরের পর বছর, সারাজীবন ধরে তাঁরা অন্নপূর্ণার আশীর্বাদ পেতে থাকবেন, সেই গাছ তাঁরা কাটবেন না! এভাবে আমরা প্রসাদ ও পূণ্যার্জনের পাশাপাশি, মানবতার সেবার মাধ্যমে জীবনের উচ্চতায় পৌঁছতে পারি। আরেকটি কাজও আমরা করতে পারি। আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে ভাই লেওয়া প্যাটেল সমাজে যাদের বাড়িতে মেয়ে জন্ম হবে, তাঁরা অবশ্যই যেন মেয়ে অন্নপূর্ণা মাকে দেখাতে নিয়ে আসেন। মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে সেই কন্যাদের পাঁচটি করে গৃহ নির্মাণের উপযোগী কাঠ হবে এমন গাছের চারা দেবেন। আর সম্ভব হলেই সরকারের সঙ্গে কথা বলে আমাদের এই ট্রাস্ট কোথাও ১০০ – ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে সেখানেই এই পরিবারগুলিকে ঐ গাছের চারাগুলি রোপণ করার ব্যবস্থা করে দিন, যাতে ২০ বছর লালন-পালনের পর সেই গাছগুলি যখন বড় হবে তখন সেগুলির কাঠ বিক্রি করে যে অর্থ পাওয়া যাবে, তা দিয়ে ঐ কন্যার বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে মা-বাবা’কে বিয়ে বাবদ কোনও ঋণ না নিতে হয়, এভাবে সরকার জমি দিয়ে পরিবেশ সবুজায়ন করতে পারবে। আর দরিদ্র পরিবারগুলি পাশেও দাঁড়াতে পারবে। আজ হাজার হাজার কোটি টাকার গৃহ নির্মাণের উপযোগী কাঠ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এই নতুন ব্যবস্থা বিদেশ থেকে গৃহ নির্মাণের উপযোগী কাঠ আমদানির অর্থ সাশ্রয় করবে; এভাবে ধার্মিক ঐতিহ্যের সঙ্গে দেশের আর্থিক ব্যবস্থাকে আধুনিক পদ্ধতিতে যুক্ত করার আরও নানা উপায় আপনারা ভাবতে পারেন। যে কোনও কাজকে জাতিবাদের রঙে রাঙানো পাপ বলে আমি মনে করি। কিন্তু সমাজের পক্ষে ইতিবাচক হলে এই পদক্ষেপকে সকলেই সম্মান করবে। সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলকে যেমন কোনও জাতির রঙে রাঙানো যায় না, তিনি এদেশের সকলের মনেই একজন মহান নেতা। তাঁর স্মৃতিতে নির্মিত বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ আজ বিশ্বের বুকে ভারতবাসীর মাথা উঁচু করেছে। মারা মনে হয় না যে, অদূর ভবিষ্যতে কেউ এই রেকর্ড ম্লান করতে পারবে। আরেকটি কথা আমি বলব। আজ যে আমূল ডেয়ারি নিয়ে আমরা সবাই গর্ব করি, তার সূত্রপাত কে করেছেন? আমি আগেই বলেছি, ভালো কাজকে জাতিপাতের রঙে রাঙানো পাপ। কিন্তু বিষয়টি বোঝার জন্য বলতে হয় যে, আমূল ডেয়ারির সূত্রপাতও করেছিলেন লেওয়া ��্যাটেল সম্প্রদায়ের মানুষেরা। এই ডেয়ারি চালু সময়ে পর প্রাথমিক সদস্যরা যাঁরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই লেওয়া প্যাটেল সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন। কিন্তু তাঁরা কখনই এর কৃতিত্ব দাবি করেনি, সেজন্য লেওয়া প্যাটেল সম্প্রদায়ের সেই মানুষেরা শ্রদ্ধার্হ। কিন্তু আমি এই প্রসঙ্গটি কেন তুললাম? আমি বলতে চেয়েছি যে, মুষ্টিমেয় জনা ১৫ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষের ভাবনা থেকে যে আমূল সমবায় গড়ে উঠেছিল, তার দ্বারা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে পশুপালক থেকে শুরু করে প্রত্যেক সমাজের ও প্রত্যেক গ্রামের মানুষ গোটা গুজরাটে আবালবৃদ্ধবনিতা উপকৃত হচ্ছেন। আমরা যেহেতু মা অন্নপূর্ণার আশীর্বাদধন্য, আমরা কৃষকদের স্বার্থে আরেকটি দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারি। আমি চাই যে, এই ট্রাস্ট যেভাবে সর্দার সাহেবের প্রেরণায় আমূলের মতো বিশাল সমবায়কে সর্বজনপ্রিয় করে তুলেছেন, তেমনই অন্নপূর্ণা ধামের প্রেরণায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আমাদের কৃষকদের দ্বারা উৎপাদিত ফলনের মূল্য সংযোজন করতে পারি। শেরথা অঞ্চলে লঙ্কা বিখ্যাত। সেই লঙ্কাকে আমরা যদি লাল হতে দিই, তা হলে কৃষকের রোজগার বাড়তে পারে। আর সেই লাল লঙ্কা শুকিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে গুঁড়ো অত্যাধুনিক প্যাকিং – এর মাধ্যমে বাজারজাত করলে কয়েক গুণ মূল্য পাওয়া যেতে পারে। এভাবে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে বাজারজাত করার সম্পূর্ণ ব্যবস্থার সঙ্গে যদি গবেষণা যুক্ত হয়, তা হলে মা অন্নপূর্ণার সন্তানদের জন্য মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থা করতে পারি। আমি চাই যে, এখানে শিল্প জগতের যে বন্ধুরা বসে আছেন, তাঁরা আমার প্রস্তাব নিয়ে ভাবুন। আস্থা এবং অধ্যাত্মকে সামাজিক জীবনে অধিক উপযোগী করে তোলার চেষ্টা করুন। আমাকে বলা হয়েছে যে, পঞ্চতত্ত্বকে কেন্দ্রে রেখে এই মা অন্নপূর্ণা ধাম গড়ে তোলা হচ্ছে। আমাদের রামচরিত মানসে একটি দোহায় বলা হয়েছে – ছিতি জল পাবন গগণ সমীরা। পঞ্চ রহিত অতি অধম শরীরা।। অর্থাৎ আমাদের এই শরীর পঞ্চতত্ত্ব দিয়ে গড়া। এই পঞ্চতত্ত্বের মূল ভাবকে সমাবিষ্ট করে যখন এখানে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে, আমি দৃঢ় নিশ্চিত যে এটি আগামী দিনে সমাজের উপকারে লাগবেই। আমাদের নরহরি ভাইয়ের আত্মবিশ্বাস রয়েছে যে, ২০২০ সালের মধ্যেই এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হবে। আর তখন আমাকে দিয়েই এরকম দ্বিতীয় প্রকল্পটিরও শিলান্যাস করা হবে। আমি আপনার এই আত্মবিশ্বাসকে সোয়া গুণ বিশ্বাস করি। আমি তো এখানে নিছকই অতিথি হিসাবে আসিনি, এখানে এলে আমার ঘরে ফেরার আনন্দ হয়। এদেশের ‘কন মে সে মণ’ অর্থাৎ প্রত্যেক মৃত্তিকা কণা থেকে এক মন ফসল উৎপন্ন করার ক্ষমতাসম্পন্ন তেজস্বী, তপস্বী কৃষকদের মধ্যে আমি এসেছি। যেখানে ‘জয় জওয়ান – জয় কিষাণ’ শব্দবন্ধকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়। কৃষকের সামর্থ্য ও জওয়ানদের সামর্থ্য দেশকে খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি, সীমান্ত সুরক্ষাও সুনিশ্চিত করে। আমি আরেকবার আপনাদের সকলের মাঝে আসার সৌভাগ্য করে দেওয়ার জন্য আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। মা অন্নপূর্ণার চরণে আমাদের সবার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ প্রার্থনা করে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।","আদালাজত ৪ মাৰ্চ, ২০১৯ তাৰিখে শিক্ষণ ভৱন আৰু বিদ্যাৰ্থী ভৱনৰ আধাৰশিলা স্থাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%A7-%E0%A7%A6%E0%A7%AC-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%9C/,"মঞ্চে উপস্থিত বিশিষ্টজন এবং এই মনোরম মাঠে সমবেত বন্ধুরা, চতুর্থ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে বিশ্বের সকল প্রান্তের যোগ-প্রেমীদের উত্তরাখন্ডের এই পবিত্র দেবভূমি থেকে আমি আমার শুভেচ্ছা জানাই। গঙ্গামাতার সন্নিহিত এই স্থলভূমিতে যোগ দিবস উপলক্ষে এইভাবে আমাদের সকলের মিলিত হওয়া কম সৌভাগ্যের বিষয় নয়। এই স্থানটিতে চারটি পুণ্য তীর্থভূমি রয়েছে। আদি শঙ্করাচার্য এই স্থান পরিদর্শন করেছেন এবং স্বামী বিবেকানন্দও বেশ কয়েকবার এখানে এসেছিলেন। এছাড়াও, কয়েক দশক ধরে যোগচর্চা তথা যোগাভ্যাসের একটি মূল কেন্দ্র হ’ল উত্তরাখন্ড। উত্তরাখন্ডের এই পর্বতমালা যোগাভ্যাস ও আয়ুর্বেদচর্চায় আমাদের স্বতঃপ্রণোদিত করে। এমনকি, একজন সাধারণ মানুষও এই স্থান পরিদর্শনকালে এক বিরল অভিজ্ঞতা লাভ করে। এই পবিত্র ভূমির রয়েছে এক অবিশ্বাস্য ক্ষমতা, যা তার চৌম্বকশক্তির সাহায্যে আমাদের মধ্যে আলোড়ন ঘটায়। বন্ধুগণ, সকল ভারতীয়র পক্ষে খুবই গর্বের বিষয় হ’ল এই যে সূর্য পরিক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে সূর্যরশ্মি যেমন ভূ-পৃষ্ঠকে আলোকিত করে তোলে, তেমনভাবেই বিশ্বের অন্য প্রান্ত���র মানুষও তাঁদের যোগচর্চার মাধ্যমে সূর্যকে স্বাগত জানান। দেরাদুন থেকে ডাবলিন, সাংহাই থেকে শিকাগো, জাকার্তা থেকে জোহানেসবার্গ সর্বত্রই চলছে যোগাভ্যাস ও যোগচর্চা। হাজার হাজার উচ্চতার হিমালয় পর্বতশৃঙ্গই হোক কিংবা প্রখর সূর্যরশ্মির মরু অঞ্চল, সর্বত্রই যে কোনও পরিস্থিতিতেই যোগচর্চার অভ্যাস বর্তমানে ক্রমপ্রসারমান। বিচ্ছিন্নতাকামী শক্তি যখন সবকিছুকে ধ্বংস করে দিতে উদ্যত, তখন মানুষে মানুষে সমাজের মধ্যে এমনকি বিভিন্ন দেশের মধ্যেও বিভেদের মানসিকতা মাথা চাড়া দেয়। বিভেদ সমাজে যখন শিকড় গড়তে থাকে তখন সংহতির অভাব দেখা যায় পরিবার জীবনেও। একজন ব্যক্তি মানুষ ভেতরে ভেতরে অসহায়তার শিকার হয়ে পড়েন, ফলে উত্তেজনা ক্রমশ গ্রাস করতে থাকে তাঁকে। কিন্তু এই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে যোগাভ্যাস। তা আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে। দেহ, মন, আত্মা ও শক্তির মধ্যে যোগস্থাপন করে আমাদের এই আধুনিক ব্যস্ত জীবনে শান্তি নিয়ে আসে যোগাভ্যাস। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঐক্যের প্রসার ঘটিয়ে পারিবারিক শান্তি অক্ষুণ্ন রাখতে সাহায্য করে যোগচর্চা। পরিবারকে সমাজ সম্পর্কে সংবেদনশীল করে তোলার মাধ্যমে যোগ সম্প্রীতির প্রসার ঘটায় আমাদের সমাজ জীবনেও। বিভিন্ন ধরণের সমাজের সহাবস্থান হ’ল জাতীয় সংহতির এক বিশেষ যোগসূত্র। এইভাবেই যদি দেশকে গড়ে তোলা যায়, তা হলে বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতিরও প্রসার ঘটে। মানবতার বিকাশের মধ্য দিয়ে সৌভ্রাতৃত্ববোধ তাতে শক্তি যোগায়। এর অর্থ হ’ল ব্যক্তি-মানুষ, পরিবার, সমাজ, দেশ তথা সমগ্র বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করে যোগাভ্যাস। আর এইভাবেই তা মিলন ঘটায় সমগ্র মানবতার। রাষ্ট্রসংঘে যোগ দিবস পালনের প্রস্তাব যখন পেশ করা হয়, তখন তা রাষ্ট্রসংঘের ইতিহাসে এক রেকর্ড ঘটনা বলে চিহ্নিত হয়। এই ধরণের প্রস্তাব সেখানে পেশ করা হলে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই তাতে অনুমোদন জানায়। আবার রাষ্ট্রসংঘের ইতিহাসে এটাই হ’ল প্রথম প্রস্তাব, যা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অনুমোদনলাভ করে। বর্তমানে বিশ্বের প্রত্যেক নাগরিক এমনকি বিশ্বের প্রতিটি দেশ যোগকে আপন করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতীয়দের পক্ষে তা এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও বহন করে এনেছে, যার মূল অর্থই হ’ল এই যে এক মহান ঐতিহ্যের আমরা হলাম প্রকৃত উত্তরসূরী। এক বিশেষ উত্তরাধিকারকে আমরা সর্বতোভাবে সংরক্ষিত করে এসেছি। আমাদের এই উত্তরাধিকারের প্রশ্নে যদি আমরা গর্ব অনুভব করি এবং সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এমন অভ্যাসগুলি যদি আমরা ত্যাগ করি তা হলে অপ্রচলিত রীতিনীতিকে আমরা বর্জন করতে পারি। তবে, সময়ের সঙ্গে যা কিছু সঙ্গতিপূর্ণ এবং ভবিষ্যৎ গঠনে যা একান্ত প্রয়োজনীয় তাকে যদি আমরা গ্রহণ করি, তা হলে আমাদের এই ধরণের মহান উত্তরাধিকারের জন্য আমাদের গর্বিত হতেই হবে। এমনকি, বিশ্ববাসীও এই গর্বের অংশীদার হতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না। কিন্তু নিজেদের শক্তি ও ক্ষমতার ওপর যদি আমাদের কোনও রকম আস্থা না থাকে, তা হলে বাইরের কোনও মানুষই তাকে গ্রহণ করতে এগিয়ে আসবে না। কোনও পরিবারে একটি শিশুকে যদি নীতিভ্রষ্ট হতে মদত দেওয়া হয়, তা হলে সেই পরিবার কখনই আশা করতে পারে না যে তাঁদের সন্তান একদিন অন্যের কাছ থেকে সম্মান ও সমীহ অর্জন করবে। পিতামাতা, ভাইবোন এবং সমগ্র পরিবার যখন তাঁদের সন্তানকে সন্তানের মতোই প্রতিপালন করবে তখন পাড়া-প্রতিবেশীরাও তাকে আপন করে নিতে আগ্রহী হয়ে উঠবে। যোগাভ্যাসের শক্তিতে ভারত যে আজ বলীয়ান, সেকথা প্রামাণিত হয়েছে যোগের মাধ্যমে। তাই, সমগ্র বিশ্বও যোগের সঙ্গে তার বন্ধনকে নিবিড় করে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বর্তমান বিশ্বে যোগই হ’ল ঐক্য সৃষ্টিকারী ক্ষমতাগুলির অন্যতম। সম্পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের সঙ্গেই আমি আজ বলতে পারি যে, সমগ্র বিশ্বের মানুষকে যদি যোগচর্চার সূত্রে আমরা মিলিত করতে পারি, তা হলে অনেক অকল্পনীয় সত্যই প্রকাশিত হবে বিশ্ববাসীর কাছে। বিভিন্ন দেশের পার্ক ও উদ্যানে, উন্মুক্ত প্রান্তরে, পথপ্রান্তে, অফিস ও বাড়িতে, স্কুল-কলেজ ও হাসপাতালে এবং ঐতিহাসিক ভবনগুলিতে আপনাদের মতোই আর সকলেই যখন সমবেত হয়েছেন, তখন বিশ্বজনীন ভ্রাতৃত্ববোধ এবং বিশ্বমৈত্রীর প্রসার ঘটানোর মতো শক্তির আমরা সঞ্জীবন ঘটাই। বন্ধুগণ, যোগকে আজ আপন করে নিয়েছে সমগ্র বিশ্বই। এর কিছু কিছু খন্ডচিত্র সুপরিস্ফুট হয়ে ওঠে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনকালে। যোগ দিবস হ’ল প্রকৃতপক্ষে এক বৃহত্তম জনআন্দোলন, যার লক্ষ্যই হ’ল সুস্বাস্থ্য। বন্ধুগণ, টোকিও থেকে টরেন্টো, স্টকহোম থেকে সাওপাওলো সর্বত্রই কোটি কোটি মানুষের জীবনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে যোগাভ্যাস। যোগ হ’ল একাধারে সুপ্রাচীন অথচ আধুনিক একটি চর্চা-বিশেষ এবং প্রতিনিয়তই তা আরও বিকশিত হচ্ছে। এই কারণেই যোগচর্চা হ’ল একটি সুন্দর জীবনবোধ। যোগ হ’ল আমাদের অতীত ও বর্তমান উভয়ের ক্ষেত্রেই সর্বশ্রেষ্ঠ এক অভ্যাস, যা আমাদের ভবিষ্যতের জন্যও আশার আলো বহন করে আনে। যোগচর্চার মধ্যে ব্যক্তি-কেন্দ্রিক বা সামাজিক অনেক রকম সমস্যারই আমরা প্রকৃত সমাধান খুঁজে পাই। আমাদের বিশ্ব সংসার সতত জাগরূক। বিশ্বের কোনও না কোনও প্রান্তে সকল সময়েই ঘটে চলেছে নতুন কোনও ঘটনা। আমাদের জীবন যেহেতু দ্রুত গতিশীল, সেই কারণে তার মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘাতেরও অবকাশ থেকে যায়। শুধুমাত্র হৃদযন্ত্রের বিকলতায় প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে, তা জেনে আমি মর্মাহত। আবার প্রচুর সংখ্যক মানুষ শর্করা রোগের সঙ্গে নিয়ত যুদ্ধ করতে করতে পরাভাব শিকার করতে বাধ্য হন। এক শান্ত, সৃজনশীল কর্মজীবনের দ্যোতকই হ’ল যোগ। উত্তেজনা ও অশান্তিকে জয় করার শক্তি রয়েছে যোগের। তাই, যোগ আমাদের বিচ্ছিন্ন করে না, বরং ঐক্যবদ্ধ করে। বৈরিতা নয়, বরং মিলন ও সম্প্রীতি ঘটায় যোগ। মানুষের রোগব্যাধির উপশম ও নির্মূল ঘটাতে সাহায্য করে যোগাভ্যাস। আর এইভাবেই যোগচর্চা সুখ, শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্বের জগতকে সাদর আহ্বান জানায়। বহু মানুষ যোগচর্চার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন – এ কথার অর্থ হ’ল এই যে, সমগ্র বিশ্বের এখন প্রয়োজন রয়েছে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের, যাঁরা যোগ শিক্ষাদানের ক্ষমতা রাখেন। গত তিন বছরে যোগ শিক্ষাদানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বহু সংখ্যক মানুষ। এই লক্ষ্যে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলা হচ্ছে। এমনকি, প্রযুক্তিও মানুষকে যুক্ত হতে সাহায্য করে যোগাভ্যাসের সঙ্গে। এই কারণে, আগামী দিনে এর ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে চলার জন্য আমি আপনাদের সকলের কাছে আহ্বান জানাই। আজকের এই যোগ দিবস হ’ল যোগের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে নিবিড়তর করে তোলার এক সুযোগবিশেষ। এই দিনটি আমাদের পারিপার্শিকতায় যোগাভ্যাসের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। আজকের দিনটি পালনের বিশেষ তাৎপর্যই হ’ল তাই। বন্ধুগণ, রোগ-জরার পথ থেকে সুস্থতার পথে মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে যোগাভ্যাস। ঠিক এই কারণেই বিশ্বের সর্বত্র যোগের কদর দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। কভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয় এবং র‍্যাডবাউড বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত সমীক্ষায় প্রকাশ যে, যোগ শুধুমাত্র আমাদের দেহেরই রোগ মুক্তি ঘটায় না, সেই সঙ্গে আমাদের ডিএনএ-তে রোগ সৃষ্টিকারী যে প্র���িক্রিয়া ঘটে চলে, তাকেও বিপরীতমুখী করে তোলে। সুস্বাস্থ্য ছাড়াও বেশ কিছু রোগব্যাধি থেকে আমরা আমাদের রক্ষা করতে পারি যদি আমরা যোগের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম অভ্যাস করতে পারি। নিয়মিত যোগাভ্যাস যে কোনও পরিবারেরই চিকিৎসার খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। জাতি গঠন সহ প্রতিটি কাজে, প্রতিটি প্রক্রিয়ায় সামিল হওয়ার জন্য আমাদের সুস্থ থাকা একান্ত জরুরি। কারণ, তাতে যোগাভ্যাসের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। সুতরাং, যোগাভ্যাসের সঙ্গে যুক্ত সকল মানুষের কাছেই আমি আর্জি জানাই যে, এই চর্চাকে আপনারা নিয়মিত করে তুলুন। যাঁরা এখনও যোগাভ্যাসের সঙ্গে যুক্তহতে পারেননি, তাঁদেরও উচিৎ এই অভ্যাসের সঙ্গে রপ্ত হওয়ার চেষ্টা করা। বন্ধুগণ, যোগচর্চার ক্রমপ্রসার ভারত ও বিশ্বকে পরস্পরের আরও কাছে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছে। আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলে যোগচর্চার ক্ষেত্রে যে পরিবেশ ও পরিস্থিতির আজ সৃষ্টি হয়েছে কালক্রমে তা আরও জোরদার হয়ে উঠবে। মানব জীবনকে সুখী ও নীরোগ করে তুলতে যোগের ভূমিকা যে অনস্বীকার্য এই বোধকে আরও বেশি মাত্রায় জাগিয়ে তোলার দায়িত্ব হ’ল আমাদেরই। তাই আমি আহ্বান জানাই যে, আপনারা সকলে এগিয়ে আসুন। আমরা সকলে মিলে আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করে তুলি। দায়িত্বশীলতার এই বোধ যেন আমরা কখনই বিস্মৃত না হই। এই পবিত্র ভূমিতে দাঁড়িয়ে বিশ্বের সকল প্রান্তের যোগ উৎসাহীদের আমি শুভেচ্ছা জানাই। এই ধরণের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য আমি আন্তরিকভাবেই শ্রদ্ধাশীল উত্তরাখন্ড সরকারের প্রতি। আপনাদের সকলকেই জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।",২১.০৬.২০১৮ত দেৰাডুনত আয়োজিত চতুর্থ আন্তঃৰাষ্ট্ৰীয় যোগ দিৱসত প্রধানমন্ত্রীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,হোলি উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “হোলির মতো একটি পবিত্র অনুষ্ঠান উপলক্ষে সকল দেশবাসীকে জানাই আমার শুভকামনা। হোলি প্রত্যেকের কাছেই আনন্দময় হয়ে উঠুক – এই কামনা করি”।,হোলী উপলক্ষে দেশবাসীক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শুভেচ্ছা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A6%95-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%94%E0%A6%B7%E0%A6%A7%E0%A6%BF-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE/,"ভারত এবং সাও টোমে ও প্রিন্সিপের মধ্যে চিকিৎসায় ব্যবহৃত উদ্ভিদ ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে সমঝোতাপত্রে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকটি হয়। সমঝোতাপত্রটি গত মাসের ১৪ তারিখে স্বাক্ষরিত হয়। প্রসঙ্গত, জীব বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে ভারত একটি অন্যতম প্রাচুর্যপূর্ণ দেশ। এখানকার ১৭ হাজার থেকে ১৮ হাজার প্রজাতির ফুলের গাছের মধ্যে ৭ হাজারেরও বেশি গাছে চিকিৎসামূলক উপাদান রয়েছে যেটি অনুমোদন করেছে আর্য়ুবেদ, উনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্হা। প্রায় ১১৭৮টি প্রজাতির চিকিৎসামূলক উদ্ভিদ বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে ২৪২ প্রজাতির উদ্ভিদের ব্যবহার বছরে ১০০ মেট্রিক টনের ঊর্দ্ধে। সারা বিশ্বেই চিরাচরিত এবং বিকল্প স্বাস্হ্য পরিষেবা পুনরায় ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চেষ্টার ত্রুটি নেই। বিশ্বব্যাপী এক্ষেত্রে পুনরুত্থানই ঘটেছে বলা যায়, যার ফলে ভেষজ দ্রব্যের বাণিজ্যের পরিমাণ বর্তমানে মার্কিন ডলার মূল্যে ১২০ বিলিয়ন। ২০৫০-এর মধ্যে এটি ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। একইসঙ্গে বহু চিকিৎসামূলক গাছগাছড়া এখানে রয়েছে যেগুলি গ্রীষ্ম মন্ডলীয়। এই গাছ-গাছড়াগুলি দু দেশেই পাওয়া যায়। /…",ঔষধি উদ্ভিদৰ ক্ষেত্ৰত ভাৰত আৰু ছাও টোমি আৰু প্ৰিন্সিপেৰ মাজত সহযোগিতাৰ অৰ্থে স্বাক্ষৰিত বুজাবুজি চুক্তিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%AB%E0%A7%A6-%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A7%AB%E0%A7%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4/,"নতুন দিল্লি, ২১ জানুয়ারি, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন । এই রাজ্য প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান তিনি । শ্রী মোদী মানিক্য রাজবংশের সময়কাল থেকে রাজ্যের মর্যাদা রক্ষায় যারা অবদান রেখেছেন তাদের কথাও উল্লেখ করেন । রাজ্যের সাধারণ মানুষের ঐক্য ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা জানান তিনি । প্রধানমন��ত্রী ৩ বছরের সময়কালে উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন এবং তিনি জানান, ডবল ইঞ্জিনের সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে ত্রিপুরায় একাধিক সুযোগ-সুবিধা তৈরি হয়েছে । এক্ষেত্রে তিনি ত্রিপুরার একাধিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন । প্রধানমন্ত্রী জানান, পরিকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে এই রাজ্যটি দ্রুত বাণিজ্য করিডরের কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে । সড়ক, রেলপথ, আকাশপথ, অভ্যন্তরীণ জলপথের মাধ্যমে ত্রিপুরা আজ বিশ্বের অন্যান্য অংশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে । ডবল ইঞ্জিন সরকার ত্রিপুরার দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত দাবি পূরণ করে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে প্রবেশাধিকার পেয়েছে । ২০২০ সালে আখাউড়া সুসংহত চেকপোস্টের মাধ্যমে এই রাজ্যটিতে বাংলাদেশ থেকে প্রথম কার্গো এসে পৌঁছেছে । এদিন প্রধানমন্ত্রী মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক সম্প্রসারণের কথাও তুলে ধরেন । প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র পাকা বাড়ি এবং আবাসন নির্মাণে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে এরাজ্যে ভালো কাজ হয়েছে বলেও জানান । যে লাইটহাউস প্রকল্পগুলি ৬টি রাজ্যে শুরু করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল ত্রিপুরা । তিনি বলেন, গত ৩ বছরে এই কাজ যথেষ্ট এগিয়েছে । তিনি আরও জানান, প্রশাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থেকে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন- এই পদক্ষেপগুলি আগামী কয়েক দশকের জন্য এ রাজ্যকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে । সমস্ত গ্রামে সুবিধা পৌঁছে দেওয়া এবং ত্রিপুরাবাসীর জীবনকে আরও সহজ ও উন্নত করতে সবরকম প্রয়াস চালানো হচ্ছে । প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণ করবে ত্রিপুরা রাজ্যও তখন ৭৫ বছর পূরণ করবে । তিনি জানান, “ নতুন সংকল্প এবং নতুন সুযোগের জন্য এ এক অসাধারণ সময় ।”",ত্ৰিপুৰাৰ ৫০ সংখ্যক প্ৰতিষ্ঠা দিৱস উপলক্ষে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সম্বোধ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2-9/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%88-%E0%A7%A7%E0%A7%AB-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%95%E0%A7%87/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল (১৫ জানুয়ারি, ২০১৯) কেরালার কোল্লাম এবং তিরুবনন্তপুরম সফরে যাবেন। কোল্লামে প্রধানমন্ত্রী ৬৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর কোল্লাম বাইপাসের উদ্বোধন করবেন। দুই লেনের ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাইপাস নির্মাণে ৩৫২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে অষ���টমুদি হ্রদের ওপর ১৫৪০ মিটার দীর্ঘ তিনটি সেতু রয়েছে। নতুন এই বাইপাস চালু হওয়ার ফলে আলাপুঝা এবং তিরুবনন্তপুরমের মধ্যে যাতায়াতের সময় এবং কোল্লাম শহরে যানজটের সমস্যাও কমবে। তিরুবনন্তপুরমে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিখ্যাত পদ্মনাভস্বামী মন্দির পরিদর্শন করবেন। তিনি সেখানে পর্যটকদের সুবিধার্থে কিছু ব্যবস্থার সূচনা করে একটি ফলক উন্মোচন করতে পারেন। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় বারের জন্য কোল্লাম সফরে যাবেন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম এই শহরে এসে তিনি আর শঙ্করের মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ঐ শ","কাইলৈ (১৫ জানুৱাৰী, ২০১৯) কেৰালা ভ্ৰমণ কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9D%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9D%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6-%E0%A6%AA/,"মঞ্চে উপস্থিত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল মাননীয় শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু, রাজ্যের প্রাণশক্তিতে ভরপুর মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীযুক্ত রঘুবর দাস, আমার মন্ত্রী পরিষদের সহযোগী মাননীয় শ্রীযুক্ত সুদর্শন ভগৎ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ড থেকে আগত আমার সাংসদ বন্ধুগণ, ঝাড়খণ্ড রাজ্য মন্ত্রী গোষ্ঠীর মাননীয় সদস্য এবং বিধায়কগণ, আর বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা। আমার সামনে যাঁদের দেখতে পাচ্ছি আর যাঁরা ওদিকে দাঁড়িয়ে আছেন, রোদের মধ্যে, এখান থেকে তিনগুণ বেশি, যাঁদের দেখতে পাচ্ছি না, জানিনা আপনারা আমার কথা শুনতে পাচ্ছেন কিনা! এত বিপুল সংখ্যায় উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে আমাদের সবাইকে আশীর্বাদ জানাতে চলে এসেছেন; আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই, প্রণাম জানাই। ঝাড়খণ্ডের উন্নয়ন যাত্রার সাক্ষী আপনারা সবাই এই উন্নয়নের অংশীদার। আপনাদের সহযোগিতার ফলেই এই উন্নয়ন যাত্রা ত্বরান্বিত হয়েছে। ২০১৯-এর প্রথম সপ্তাহেই আপনাদের মাঝে এসেছি সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। এই মাটি অনেক বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্মভূমি। যাঁরা ইংরেজদের নাকানি-চোবানি খাইয়েছেন। নীলাম্বর, পীতাম্বরের মতো বীরেরা এই মাটির সন্তান ছিলেন। এই মাটির প্রত্যেক বীর সন্তান, প্রত্যেক বীরাঙ্গনাকে আমাদের সবার পক্ষ থেকে প্রণাম জানাই। আমি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দ্বারা উপকৃত সেই ২৫ হাজার পরিবারকে বিশেষ শুভেচ্ছা জানাই যাঁরা আজ নিজস্ব পাকা বাড়িতে প্রবেশ করবেন। নতুন বছরে নতুন বাড়ির জন্য দ্বিগুণ শুভেচ্ছা। পাকা বাড়িতে সঙ্কল্প যেমন পাকা হয়, স্বপ্নও তেমন মিষ্টি হয়। সেজন্য আজ পাকা বাড়ির মালিক হওয়া প্রত্যেককে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। বন্ধুগণ, আজ আমার কৃষকদের ক্ষমতায়নের অনুকূল কৃষি সংক্রান্ত ৩,৫০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে নির্মিত প্রকল্পের উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস করার সৌভাগ্য হয়েছে। আজ যে সেচ প্রকল্পগুলির কাজ শুরু হল, সেগুলি আমাদের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রচেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেচের জন্য খরচ কম হওয়া মানেই কৃষির জন্য বিনিয়োগ হ্রাস পাওয়া। প্রায় ১,২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে এখানে যে পাইপলাইন পাতা হবে, সেগুলি এখানকার ১৪,০০০ হেক্টর থেকেও অধিক জমিতে সেচের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করবে। পাশাপাশি, এই অঞ্চলের ৩ লক্ষেরও বেশি নাগরিকের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২৫ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ পাইপ মাটির নিচে পাতা হবে। বন্ধুগণ, কৃষকদের ক্ষমতায়নের স্বার্থে যেসব প্রকল্পের কাজ হওয়া উচিৎ ছিল সেগুলি সম্পর্কে পূর্ববর্তী সরকারগুলির দৃষ্টিভঙ্গি কেমন ছিল, এখানকার ‘কোয়েল’ প্রকল্প তার অন্যতম উদাহরণ, এই মণ্ডলবাঁধ প্রকল্প তার সাক্ষী। ৪৭ বছর ধরে এই প্রকল্প একটি ধ্বংসাবশেষের মতো অসম্পূর্ণ ছিল। ১৯৭২-এ এই প্রকল্প মঞ্জুর হওয়ায় ফাইল চালু হয়েছিল। তারপর কাজ শুরু হয়েও ঝুলে ছিল। বিগত ২৫ বছরে এই প্রকল্পের কাজ একদমই হয়নি। আপনারাই বলুন, কোন বাঁধ প্রকল্প সম্পূর্ণ হতে অর্ধ-শতাব্দীকাল লাগবে কেন? এটি একটি খরা প্রবণ অঞ্চলের কৃষকদের প্রতি ক্রিমিনাল নেগজিলেন্স কিনা? বন্ধুগণ, এই প্রকল্প কৃষকদের সঙ্গে, দেশের সৎ করদাতাদের সঙ্গে বেইমানিরও প্রমাণ। যে প্রকল্প সম্পূর্ণ হতে তখন মাত্র ৩০ কোটি টাকা লাগত, সেটিই এখন সম্পূর্ণ করতে লাগবে ২,৪০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এই প্রকল্প শেষ করতে দেশের করদাতাদের প্রায় ৮০ গুণ বেশি দাম দিতে হবে। আপনারা বলুন যে, যারা এরকম করেছেন, তারা সমাজের প্রতি, কৃষকদের প্রতি, আপনাদের প্রতি অপরাধ করেছেন কিনা? তারা বিহারের প্রতি, ঝাড়খণ্ডের প্রতি অপরাধ করেছেন কিনা? এমন অপরাধীদের সাজা হওয়া উচিৎ কিনা? এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে মোদীর লড়াই করা উচিৎ কিনা? এক চৌকিদারের দায়িত্ব পালন করা উচিৎ কিনা? স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দেশ এত বছর ধরে কিভাবে চলেছে, এই প্রকল্প তার নমুনা। বিহার, ঝাড়খণ্ডের কেমন অবিচার হয়েছে, এই প্রকল্প তার সাক্ষী। ভাই ও বোনেরা, একদিকে তারা রয়েছেন, যারা কৃষকদের ভোটব্যাঙ্ক ভাবেন। আর একদিকে আমরা, যারা কৃষকদের অন্নদাতা মনে করি। সততার সঙ্গে আপনাদের প্রতিটি সমস্যা দূর করার চেষ্টা করি। এত বছর ধরে ঝুলে থাকা কাজ আবার চালু করা সহজ নয়। আপনারা ভাবুন, যখন সংযুক্ত বিহার ছিল, ঝাড়খণ্ড গড়ে ওঠেনি, পাটনায় ক্ষমতাসীন রাজ্য সরকার চাইলে তাদের যদি কৃষকদের প্রতি সামান্য সংবেদনশীলতা থাকত, তারা যদি এখানকার মানুষের সমস্যা সম্পর্কে অবহিত থাকত, তাহলে এই কাজ এত বছর ঝুলে থাকত না। দ্বিতীয়ত, আজ ভারতে জল নিয়ে প্রতিবেশি রাজ্যগুলির মধ্যে বিবাদ চলছে। সুপ্রিম কোর্টে মামলা ঝুলছে। এদিকে নদীগুলির জল নিরন্তর প্রবাহিত হয়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে। কারোর কাজে লাগছে না। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে বিবাদ চলছেই। আজকের এই ঘটনা দেশকে বিশেষরূপে লক্ষ্য করতে হবে। আমি আমার বন্ধু, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী আমার সাথী রঘুবর দাসকে অভিনন্দন জানাই। তাঁদের নেতৃত্বে উভয় সরকার মিলে উভয় রাজ্যের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট এই প্রকল্প সম্পন্ন করার জন্য সংবেদনশীল পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি বিহার থেকে আগত আমাদের সাংসদদের এবং ঝাড়খণ্ডের সাংসদদের অভিনন্দন জানাই। উভয় রাজ্যের সাংসদরা মিলে যখনই আমার কাছে এসেছেন, নিজের রাজ্যের সমস্যা নিয়ে নয়, দেশের কৃষকরা যাতে লাভবান হন, তাঁরা সবাই মিলে সেই চেষ্টা করে গেছেন। এই প্রকল্প শুরুর সমস্ত জটিলতা কাটানোর আগে তাঁরা কেউ নিশ্চিন্তে বসেননি, ঘুমোননি। সেজন্যই আজ এই বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, বিহার ও ঝাড়খণ্ড রাজ্য সরকার মিলেমিশে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে একটি নতুন মাত্রা প্রদান করেছে। এটা আমার জন্য বিশেষ গর্বের, আনন্দের বিষয়। আশা করি অন্যান্য রাজ্যও আপনাদের শিক্ষা নেবে। সেজন্যই আমি বিশেষ করে, উভয় রাজ্যের সাংসদদের, উভয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁদের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। বন্ধুগণ, আজ কেউ কেউ দেশের কৃষকদের ঋণ মকুবের নামে বিভ্রান্ত করছে, কৃষকদের মিথ্যা কথা বলছে। আমি জানি যে তারা কখনও ‘উত্তর কোয়েল’ প্রকল্পের নামও শোনেনি। তারা এটাই জানে না যে কোয়েল কোন পাখির নাম, বাঁধের নাম, নাকি নদীর নাম? কেন্���্রে যখন তাদের সরকার ছিল, দেশের অসমাপ্ত সেচ প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ করার জন্য তাদের কোন মাথাব্যথা ছিল না। আপনারাই বলুন, ৫০ বছর ধরে ঝুলে থাকা এই প্রকল্প ঠিক সময়ে সম্পূর্ণ হলে এই এলাকার কৃষকদের কখনও ঋণের বোঝায় নুয়ে থাকতে হত না। কৃষকদের গলা পর্যন্ত ঋণে ডুবিয়ে দিয়ে তারা এখন রাজনীতি করতে নেমেছেন। ভাই ও বোনেরা, আমরা সরকার গঠন করার পর প্রথম কৃষকের খেতে জল পৌঁছনোকেই অগ্রাধিকার দিয়েছি। পুরনো অসম্পূর্ণ সেচ প্রকল্পগুলির দস্তাবেজ খুঁজে বের করার পর এমন সব কীর্তিকলাপ জানতে পেরেছি যা দেখে আমরা অবাক। আপনারাও শুনলে অবাক হবেন, শুধু ‘উত্তর কোয়েল’ প্রকল্পই নয়, অনেক এরকম সেচ প্রকল্পের কাজ হয়েছে যেখানে বাঁধ তৈরি হয়ে গেছে কিন্তু খাল কাটা হয়নি। আবার কোথাও খাল হয়েছে, বাঁধ হয়নি। যেখানে বাঁধ আর খাল দুটোই হয়েছে, সেখানে জোড়ার কাজ হয়নি। কারোর কোন মাথাব্যথা নেই। করদাতাদের অর্থ নষ্ট হয়েছে, কৃষকদের জমি গেছে, কৃষক মরে গেছে, আর প্রকল্প ধ্বংসাবশেষ হয়ে থেকে গেছে। দেশের কৃষকদের সঙ্গে, সেচ প্রকল্পগুলির সঙ্গে এমনই অসংখ্য অন্যায় হয়েছে। আমি এমনই সব প্রকল্পের তালিকা তৈরি করে বাজেটে অর্থ সংস্থান করে তারপর শুরু করেছি প্রধানমন্ত্রী সিচাঁই প্রকল্প। আজ এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের তেমনই ৯৯তম বড় প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হতে চলেছে যেগুলি ৩০-৪০ বছর ধরে থেমে ছিল, ঝুলে ছিল, ফাইল হারিয়ে গিয়েছিল। বন্ধুগণ, আপনারা জানেন, এখন এই প্রকল্প সম্পূর্ণ করতে আমাদের লাগবে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা। আমরাও যদি কৃষকদের নিয়ে রাজনীতি করতে চাইতাম, তাহলে এত বেশি অর্থ বিনিয়োগে অন্যদের ফেলে রেখে যাওয়া অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য এত পরিশ্রম করতাম না। সরাসরি ১ লক্ষ কোটি টাকা কৃষকদের ঋণ মকুব করে তাঁদের মধ্যে বিতরণ করে দিলেই তো ভোট পেয়ে যেতাম। কিন্তু আমরা কৃষকদের বিভ্রান্ত করার পথ বেছে নিইনি। পাপ করিনি। ঋণ মকুব করলে বড়জোর কৃষকদের এক প্রজন্ম উপকৃত হতেন। কিন্তু এই সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ প্রজন্ম থেকে পঁচিশ প্রজন্ম উপকৃত হবেন। তাঁদেরকে আর ঋণভারে নুয়ে থাকতে হবে না। দেশ সরকার দ্বারা নয়, দেশবাসীদের দ্বারা চলা উচিৎ। দেশ আমাদের দ্বারা নয়, আপনাদের শক্তির ভরসায় চলা উচিৎ। এই ভাবনা নিয়েই আমরা কাজ করে চলেছি। ভাই ও বোনেরা, সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলে আজ অনেক প্রকল্প সম্পূর্ণ হয়েছে এবং অধিকাংশ ক্��েত্রেই অনেক প্রকল্প সম্পূর্ণ হওয়ার পথে অন্তিম পর্যায়ে রয়েছে। কাজেই যারা কৃষকদের ভোটব্যাঙ্ক বলে ভাবেন, তাদের সঙ্গে আমাদের সরকারের কর্মসংস্কৃতির বিরাট পার্থক্য রয়েছে। এই পার্থক্য সংবাদমাধ্যমের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে যাঁরা আলোচনা করেন, তাঁরা অনেকেই বুঝতে পারেন না। এই পার্থক্য খবরের কাগজের শিরোনাম দেখে বোঝা যাবে না। আমরা কৃষকদের ক্ষমতায়নের জন্য একটি নতুন ভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলেছি। বীজ থেকে বাজার পর্যন্ত একটি নতুন ব্যবস্থা চালু করে কৃষকদের ক্ষমতায়ন করতে চাইছি। ভাই ও বোনেরা, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের সমস্ত সরকার নিজেদের ভাবনা এবং ক্ষমতা অনুসারে কাজ করেছে। কেউ নামকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, আর কেউ কাজকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। আজ এখানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে ২৫ হাজার মানুষ নতুন বাড়ি পেয়েছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমি আপনাদের একটি উদাহরণ দিতে চাই। বন্ধুগণ, সাড়ে চার বছর আগে যখন ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারকে আপনারা সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন, আমরা দেশের দরিদ্র, গৃহহীনদের একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, ২০২২ সালের মধ্যে দেশের গ্রাম কিংবা শহরে প্রত্যেক নাগরিকের মাথার ওপর পাকা ছাদের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব। সেই প্রচেষ্টা থেকেই আমরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শুরু করি। শহরের জন্য আলাদা এবং গ্রামের জন্য আলাদা। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, এরকম প্রকল্প তো আগেও ছিল, আপনারা নতুন কী করেছেন? এটা কি শুধুই নাম বদলের খেলা? এরকম খেলাও আমরা আগে দেখেছি। সেজন্যই এই প্রকল্পে সত্যিকারের পরিবর্তন কী হয়েছে, কিভাবে হয়েছে, এর প্রভাব কতটা সুদূরপ্রসারী হতে পারে তা আজ আমি ঝাড়খণ্ডের এই পবিত্র মাটিতে আপনাদের মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক গরিবকে বলতে চাই। ভাই ও বোনেরা, আমাদের দেশে গৃহহীনদের গৃহ প্রদানের প্রকল্প আগেও ছিল। কিন্তু সেই প্রকল্প একটি নির্দিষ্ট পরিবারের নামে চলত। গৃহহীনদের গৃহ প্রদানের চাইতেও সেখানে ঐ নির্দিষ্ট পরিবারের স্বার্থে ঢাক পেটানোটাই প্রধান ছিল। আমরা এসে এই পরিবর্তন এনেছি … আমরা নরেন্দ্র মোদী আবাস যোজনা কিংবা রঘুবর দাস আবাস যোজনা শুরু করিনি। নামের থেকেও কাজকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নামে কাজ শুরু করেছি। বন্ধুগণ, দেশে পূর্ববর্তী আবাস প্রকল্পগুলির মাধ্যমে বাড়ি কাদের দেওয়া হবে সেই চয়�� প্রক্রিয়ায় অনেক খেলা চলত। দালালি হত। আমি আপনাদের খোলাখুলি জিজ্ঞাসা করতে চাই, এখানে যে ২৫ হাজার মানুষ বাড়ি পাচ্ছেন, তাঁদের কাউকে কি ঘুষ দিতে হয়েছে? চিৎকার করে বলুন, আপনার শংসাপত্র ওপরে তুলে বলুন যে আমাকে দিতে হয়েছে! আমি দেশের সমস্ত নাগরিককে বলতে চাই, আমাদের ব্যবস্থায় দালালদের কোন স্থান নেই। সেজন্য গরিবদের ব্যাঙ্কের খাতায় সরাসরি টাকা জমা করাচ্ছি। কাদেরকে আগে বাড়ি দেওয়া হবে তা নির্ণয় করতে আমরা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগ করছি। ২০১১-র জনগণনার ভিত্তিতে যে বিপিএল তালিকা ছিল সেটি অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ ছিল। আমরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে প্রথমে সেই ত্রুটি দূর করেছি। গৃহ বন্টনে স্বচ্ছতা আনার জন্য আমরা যাদেরকে বাড়ি দিচ্ছি তাদের তালিকা আগে গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওয়ালে ঝোলানোর ব্যবস্থা করেছি, যাতে সমস্ত গ্রামবাসী জানতে পারেন যে ন্যায্য মানুষরাই আগে বাড়ি পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল নাম নথিভুক্তিকরণের পরই আগে উপকৃতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বরাদ্দ টাকা জমা করা হয়েছে যাতে তাঁরা সেখান থেকে সরাসরি ট্রান্সফার করতে কোন অসুবিধায় না পড়েন। ভাই ও বোনেরা, পূর্ববর্তী প্রকল্পগুলিতে ভিন্ন ভিন্ন স্তরে ভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকত। সেখান থেকে উপকৃতদের অর্থ বরাদ্দ করা হত। প্রায়ই কোথাও না কোথাও টাকা আটকে যেত। আমরা সেজন্য সরাসরি রাজ্যস্তরে একটিই অ্যাকাউন্ট চালু করি যেখান থেকে সরাসরি উপকৃতদের অ্যাকাউন্টে টাকা হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তী পদক্ষেপ হল নির্মাণ প্রক্রিয়ায় তদারকি। পূর্ববর্তী প্রকল্পের মাধ্যমে যাঁরা বাড়ি পেয়েছেন, তাঁরা দেখেছেন যে নির্মাণ প্রক্রিয়ায় কত ত্রুটি থাকত। অনেকে তো অসম্পূর্ণ বাড়ি পেয়েছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণকালীণ উৎকর্ষের ওপর নজর রাখার জন্য নতুন ব্যবস্থা গড়ে তুলি। তিনটি ভিন্ন স্তরে নির্মাণ প্রক্রিয়ার ফটো নেওয়া হয়। সেগুলির জিও-ট্র্যাকিং করা হয়। আর এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে যে চাইলে এই ফটো যে কেউ দেখতে পারেন। ভাই ও বোনেরা, আগে যে বাড়ি তৈরি হত, সেগুলি শুধুই চার দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। আমরা তার সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ, রান্নার গ্যাস সংযোগ, শৌচালয় এবং পানীয় জল – এই সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা করে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বাড়ি গৃহহীনদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এছা���া আরেকটি বড় কাজ করা হয়েছে, আগে যত বড় বাড়ি তৈরি করা হত, তার ক্ষেত্রফলও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যথাসম্ভব স্থানীয় সামগ্রী ব্যবহারের মাধ্যমে ন্যূনতম অর্থ বিনিয়োগে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই নতুন ডিজাইনের বাড়িগুলি গড়ে তোলা হচ্ছে। বন্ধুগণ, আজ আপনাদেরকে যেসব কথা বলছি, সেগুলি আপনারা নিজেদের অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝতে পারছেন। কিন্তু দেশের অনেকেই আছেন যাঁরা এগুলি সম্পর্কে জানেন না। আজ তাঁদেরকে জানানো এবং অনুভব করানোর সময় এসেছে। যারা আমার দিকে কাঁদা ছুড়ছে, তারা যখন সরকারে ছিল পাঁচ বছরে গরিবদের জন্য কি করেছেন? ম্যাডাম রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সরকার চালাতেন। তখন পাঁচ বছরে দেশের মাত্র ২৫ লক্ষ গৃহহীনরা গৃহ পেয়েছিলেন। আর এই মোদী আপনাদের সেবায় আত্মনিয়োজন করে তার থেকেও কম সময়ে ইতিমধ্যেই ১ কোটি ২৫ লক্ষ উন্নতমানের বাড়ি নির্মাণ করে ফেলতে পেরেছে। তার মানে আমরা পাঁচ বছরেরও কম সময়ে যতটা করেছি, ততটা করতে আপনাদের ২৫ বছর লাগত। শুধু তাই নয়, আমাদের কর্মসংস্কৃতিই এমন যে পূর্ববর্তী সরকার গৃহহীনদের জন্য একটি ঘর নির্মাণে ১৮ মাসের থেকেও বেশি সময় লাগাত। আমরা উন্নত নির্মাণ প্রক্রিয়া ব্যবহার করে ১২ মাসেরও কম সময়ে সেই ঘর বানাতে পারছি। ভাই ও বোনেরা, এতদিন আমাদের দেশে বাড়ি, গাড়ি, জমি, দোকান সব পুরুষদের নামে দেওয়া হত। তাদের মৃত্যু হলে সম্পত্তি ছেলের নামে হস্তান্তরির হত। আমরা ঠিক করেছি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে প্রত্যেক পরিবারের প্রধান মহিলার নামে বাড়ি নথিভুক্ত করব। এভাবেই আমাদের মা-বোনেদের ক্ষমতায়িত করতে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এই গৃহ নির্মাণের প্রক্রিয়ার ফলে মা-বোনেদের কেউ সহজেই বেঘর করতে পারবে না। এখনও যাঁরা দেশে গৃহহীন রয়েছেন, তাঁদের আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি দ্রুতগতিতে কাজ চলছে, আপনারাও আমাদের প্রতিশ্রুতি মতো ২০২২-এর আগেই নিজের মাথার ওপর পাকা ছাদ পাবেন। আমার সামনে এরকম অনেক ভাই-বোন বসে আছেন। তাঁরা কাউকে এক পয়সাও ঘুষ না দিয়ে উন্নত বাড়ির মালিক হয়েছেন। বন্ধুগণ, আমি নিজে সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃতদের সঙ্গে বার্তালাপ করতে থাকি। সেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঝাড়খণ্ডের উপকৃতরা আমাকে বলেছেন কিভাবে এই রাজ্যে পরিবর্তন এসেছে। ঝাড়খণ্ডের খুন্ডি এলাকার বোন নীরু, অঞ্জলি, গায়ত্রীরা আমাকে বলেছেন তাঁরা কিভাবে নিজেদের ঘর বানিয়েছেন। ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সরকার তাঁদের রানিমিস্ত্রি প্রশিক্ষণ দিয়ে আগে প্রতিবেশীদের গৃহ ও শৌচালয় গড়ে তারপর নিজেদের গৃহ ও শৌচালয় গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করেছে। ভাই ও বোনেরা, এমনই সকল উপকৃতদের ব্যাঙ্কের খাতায় কিভাবে চার কিস্তিতে সরাসরি ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা গেছে, শৌচালয়ের জন্য আলাদা টাকা গেছে। আগে সাকুল্যে ৭০ হাজার টাকা পাওয়া যেত। তা থেকে তাঁরা বাস্তবে গৃহ নির্মাণের জন্য কতটা হাতে পেতেন সেটা সেই উপকৃতরাই ভালোভাবে বলতে পারবেন। বন্ধুগণ, মাথার ওপর ছাদ পেলে গরিব মানুষের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে পৌঁছে যায়। শীত, গরম, বর্ষা নিয়ে চিন্তা না করে রোজগারের দিকে নজর দিলে তার জীবনযাত্রার মান এমনিই ওপরে উঠতে শুরু করে। পাশাপাশি, মহিলাদের নামে নথিভুক্তি হওয়ায় গরিবদের ক্ষমতায়নের সঙ্গেই মহিলাদের ক্ষমতায়নও হচ্ছে। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি, আত্মসম্মান এবং আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে এই প্রক্রিয়া দেশ থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণে শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠছে। স্বাধীনতার পর থেকে এতদিন যে প্রক্রিয়া চলে আসছিল, তা থেকে আরেকটি পরিবর্তন মধ্যবিত্তরা অনুভব করছেন। আমরা মধ্যবিত্তদের আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি সুদের হারও কম করেছি। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের মাথার ওপর যাতে ছাদ থাকে আমরা সততার সঙ্গে সেই প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহ নির্মাণ ঋণের ক্ষেত্রে সুদে ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ২০ বছর ধরে যদি তাঁরা সেই ঋণ শোধ করেন, তাহলে আগের তুলনায় তাঁদের ৬ লক্ষ টাকা কম দিতে হবে। ভাই ও বোনেরা, এই অঞ্চলের জনজাতি ও সাধারণ মানুষের দীর্ঘ লড়াইয়ের ফসল হল এই ঝাড়খণ্ড রাজ্য। এই রাজ্য আপনাদের সকলের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। শ্রদ্ধেয় অটলজির সরকার আপনাদের এই সম্মান দিয়েছে। এই রাজ্যের ভারসাম্যযুক্ত উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ও ঝাড়খণ্ড রাজ্য সরকার সততার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের পথ এবং লক্ষ্য হল ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। এই ভাবনারই পরিণাম হল এখান থেকে আমি প্রধানমন্ত্রী জয় যোজনা (পিএমজে) বা আয়ুষ্মান ভারতের উদ্বোধন করেছিলাম। গোড়ার দিকে একে লোকে ‘মোদী কেয়ার’ বলত। তিন মাস আগে চালু হওয়া এই প্রকল্প আজ দেশের লক্ষ লক্ষ গরিবের চিকিৎসায় উৎসর্গীকৃত। মাত্র ১০০ দিনের মধ্যে ৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ সারা দেশের হাজার হাজার হাসপাতালে চিকিৎসার মাধ্যম�� সুস্থ হয়েছেন অথবা তাঁদের চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে ঝাড়খণ্ডেরও প্রায় ২৮ হাজার মানুষ রয়েছেন। বন্ধুগণ, আজ আয়ুষ্মান যোজনা এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হচ্ছেন। অর্থাৎ, এই প্রকল্প প্রতিদিন দেশের ১০ হাজার মানুষের জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ভাই ও বোনেরা, আমাদের উন্নয়নের পঞ্চধারা, অর্থাৎ ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া, যুবসম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান, কৃষকদের সেচ, বয়স্কদের ওষুধ এবং সকলের সমস্যা শোনাকে নতুন ভারতের কর্মসংস্কৃতি করে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর। সমস্ত ঝাড়খণ্ডবাসীদের আশীর্বাদ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। নতুন ভারত, নতুন ঝাড়খণ্ড গড়ে তোলার পথে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমি আরেকবার বন্ধু নীতিশ কুমার এবং সাথী রঘুবর দাসকে অভিনন্দন জানাই। আমাদের সমস্ত সাংসদদের অভিনন্দন জানাই। এই প্রকল্পের জন্য আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আপনারা সকলে বিপুল সংখ্যায় এসে এত ধৈর্য নিয়ে বক্তব্য শুনছেন তাঁদের কাছ থেকে আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য আরেকবার মাথা ঝুঁকিয়ে প্রণাম জানাই। আমার সঙ্গে সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে বলেন… দু’হাত বন্ধ করে বলুন… ভারত মাতার জয়…. এভাবে নয়, ভারত মাতার জয়…. সাবাস ভারত মাতার জয়…. ভারত মাতার জয়…. অনেক অনেক ধন্যবাদ।",ঝাৰখণ্ডত বহুমুখী বিকাশ প্ৰকল্পৰ আধাৰশিলা স্থাপন সমাৰোহত দিয়া প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%85%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6/,"নীতি আয়োগ আয়োজিত ‘আর্থিক নীতি – আগামী দিনের যাত্রাপথ’ বিষয়টির ওপর এক আলোচনাও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বুধবার যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ৪০জনেরও বেশি অর্থনীতিবিদ ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে তিনি এদিন সংশ্লিষ্ট বিষয়েরওপর আলোচনায় মিলিত হন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে অংশগ্রহণকারী অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরাবৃহদায়তন অর্থনীতি, কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, উৎপাদনও রপ্তানি, নগরাঞ্চলের উন্নয়ন পরিকাঠামো এবং সংযোগ ও যোগাযোগ সম্পর্কে তাঁদেরচিন্তা-ভাবনার কথা ব্যক্ত করেন। অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞদের বিশেষ চিন্তাভাবনা প্রসূত প্রস্তাব ও পরামর্শেরজন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রী অরুণ জেটলি। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের চিন্তা-ভাবনা ও মতামতের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁদের উন্নতমানের প্রস্তাব ও পরামর্শেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয়মন্ত্রীরাও যোগ দেন। নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী রাজীব কুমার এবং কেন্দ্রীয়সরকার তথা নীতি আয়োগের পদস্থ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন আলোচনাকালে।",বিশেষজ্ঞ তথা অৰ্থনীতিবিদৰ লগত হোৱা নীতি আয়োগৰ “অৰ্থনৈতিক নীতি – আগুৱাই যোৱাৰ পথ” শীৰ্ষক বাৰ্তালাপত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ উপস্থিতি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%9C-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লি, ০১ ডিসেম্বর, ২০২২ জি২০-র পূর্বেকার ১৭টি প্রেসিডেন্সিতে অনেকগুলি উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া গেছে- এদের মধ্যে অন্যতম ম্যাক্রো অর্থনীতির স্থিরতা নিশ্চিতকরণ, আন্তর্জাতিক কর ব্যবস্থায় সমতা, দেশের ঋণের বোঝা হ্রাস। আমরা এই সাফল্য থেকে উপকৃত হব এবং এর ওপর ভিত্তি করে আরও এগোব। তবে ভারত এই গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকার পাওয়ার সময় আমি নিজেকে জিগ্যেস করি- এখনও কি জি২০ আরও এগোতে পারে? সমগ্র মানব সমাজের কল্যাণে আমরা কি আমাদের মৌলিক মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারি? আমার বিশ্বাস আমরা পারি। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী তৈরি হয় আমাদের পারিপার্শ্বিকতা থেকে। সর্বকালের ইতিহাসে দেখা যায় মানব সমাজ অভাবের মধ্যেই বাস করেছে। আমাদের লড়তে হয়েছে সীমিত সম্পদের জন্য, কারণ আমাদের বেঁচে থাকা নির্ভর করতো অপরকে বঞ্চিত করা থেকে। ধারনার, আদর্শের, পরিচিতির মধ্যে লড়াই এবং প্রতিযোগিতা- এটাই ছিল স্বাভাবিক। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা আজও সেই একই মনোভাবের ফাঁদে বন্দি। এটা আমরা দেখতে পাই যখন দেশে দেশে লড়াই হয় অঞ্চল অথবা সম্পদ নিয়ে। আমরা দেখতে পাই যখন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ করতে হয় সশস্ত্র পাহারার মধ্যে। আমরা দেখতে পাই যখন কোটি কোটি মানুষের যখন প্রয়োজন এমন সময়েও কিছু মানুষ টিকার মজুতদারি করে। কেউ তর্ক করতে পারেন যে সংঘর্ষ এবং লোভ মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। আমি মানি না। যদি মানুষ জন্মগতভাবেই স্বার্থপর হত তাহলে এই যে এত আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের দীর্ঘস্থায়ী আবেদন যা আমাদের বহুর মধ্য�� একের শিক্ষা দেয় তাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে? ভারতে এমনই এক জনপ্রিয় ঐতিহ্য যাতে সকল জীব, এমনকি জড় পদার্থকেও মনে করা হয় পাঁচটি মৌলিক বস্তু অগ্নি, পৃথ্বী, বায়ু, জল এবং ব্যোম দ্বারা নির্মিত। এই উপাদানগুলির মধ্যে ঐক্য- আমাদের নিজেদের মধ্যে বা একে অপরের মধ্যে- আমাদের শারীরিক, সামাজিক এবং পরিবেশের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন। ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সি এই একাত্ম হওয়ার বিশ্ববার্তাকে প্রসারে কাজ করবে। সেইজন্য আমাদের মূল মন্ত্র- ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’। এটা শুধুমাত্র একটি শ্লোগান নয়, এতে মানবিক পরিস্থিতির সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলিও ধরা হয়েছে যাকে আমরা সম্মিলিতভাবে গ্রহণ করতে অক্ষম হয়েছি। আজ আমাদের সারা বিশ্বের মানুষের মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর মতো যথেষ্ট উৎপাদন করার উপায় আছে। আজ আমাদের বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করার প্রয়োজন নেই- আমাদের যুগের প্রয়োজন নেই যুদ্ধের যুগ হয়ে ওঠার। নিশ্চিতভাবে তা হয়ে ওঠা উচিত নয়! আজ আমাদের প্রধান সমস্যাগুলি যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ এবং অতিমারী একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করে তার সমাধান করা সম্ভব নয়, বরং একসঙ্গে কাজ করেই তা করা সম্ভব। সৌভাগ্যের বিষয়, আজকে প্রযুক্তি আমাদের সার্বিক, মানবিক সমস্যা সমাধানের উপায়। বিশাল ভার্চুয়াল বিশ্ব যার আমরা অংশীদার, সেখানে দেখা যাচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির উচ্চতা। বিশ্বের জনসংখ্যার ৬ ভাগের ১ ভাগ মানুষ থাকে এদেশে- ভাষা, ধর্ম, আচার এবং বিশ্বাসের বৈচিত্র্য বাহুল্য নিয়ে ভারত যেন এক ছোটখাটো বিশ্ব। সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রাচীনতম ঐতিহ্য নিয়ে ভারত গণতন্ত্রের ডিএনএ ভিত্তির সহায়ক। গণতন্ত্রের জননী হিসেবে ভারতের জাতীয় সংহতি কোনো আদেশ-নির্দেশের ফলে নয়, বরং লক্ষ লক্ষ কণ্ঠস্বরকে মিলিয়ে একটি ঐক্যের সুর গড়ে উঠেছে। আজ ভারত দ্রুততম বৃদ্ধিশীল বৃহৎ অর্থনীতি। আমাদের নাগরিক কেন্দ্রিক প্রশাসনিক আদর্শ এমনকি সবচেয়ে প্রান্তবাসী নাগরিকেরও যত্ন নেয়, আমাদের দক্ষ যুব সমাজের সৃষ্টিশীল প্রতিভার লালন-পালন করে। আমরা চেষ্টা করেছি জাতীয় উন্নয়ন যেন উপর থেকে নীচ প্রশাসনিক রীতি না হয়ে নাগরিক কেন্দ্রিক ‘মানুষের আন্দোলন’ হয়ে ওঠে। আমরা প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দিয়েছি জনকল্যাণে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে যা উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং আন্তঃকার্যকরী। এর ফলে সামাজিক সুরক্ষ���, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং ইলেক্ট্রনিক্স পেমেন্ট-এর মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক অগ্রগতি ঘটেছে। এইসব কারনেই ভারতের অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক সংকটের সমাধানে কাজে লাগবে। আমাদের জি২০ প্রেসিডেন্সিকালে আমরা ভারতের অভিজ্ঞতা, শিক্ষা এবং মডেল প্রদান করবো অন্যদের বিশেষ করে বিকাশশীল বিশ্বকে। জি২০-তে আমাদের অগ্রাধিকার হবে শুধুমাত্র জি২০ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেই নয়, দক্ষিণ গোলার্ধের আমাদের সহ-সাথীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই যাদের কথা সাধারণত শোনা হয় না। আমাদের অগ্রাধিকার হবে আমাদের ‘এক পৃথিবী’র স্বাস্থ্য ফেরানোর ওপর নজর দেওয়া, আমাদের ‘এক পরিবার’-এর মধ্যে সম্প্রীতি তৈরি করা এবং আমাদের ‘এক ভবিষ্যৎ’-এর জন্য আশা জোগানো। আমাদের গ্রহের নিরাময়ে আমরা উৎসাহ দেব দীর্ঘস্থায়ী এবং পরিবেশ বান্ধব জীবনশৈলীর ওপর যার ভিত্তি হবে প্রকৃতির প্রতি ভারতের আস্থার ঐতিহ্য। মানব পরিবারে ঐক্য, সম্প্রীতি প্রসারে আমাদের চেষ্টা হবে খাদ্য, সার এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত বস্তুর আন্তর্জাতিক সরবরাহকে রাজনীতি মুক্ত করা যাতে ভূ-রাজনৈতিক কারনে মানবতার সংকট না গড়ে ওঠে। যেমন আমাদের নিজেদের পরিবারে যার প্রয়োজন বেশি তার দিকেই আমাদের প্রথম নজর দিতে হয়। আমাদের আগামী প্রজন্মের মধ্যে আশার বীজ প্রোথিত করতে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলির মধ্যে সততার সঙ্গে আলোচনায় আমরা উৎসাহ দেব- গণ-বিধ্বংসী অস্ত্রের ঝুঁকি কমাতে এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে। ভারতের জি২০ কর্মসূচি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, উচ্চাশাসম্পন্ন, কার্যকরী এবং সিদ্ধান্তমূলক। আসুন আমরা একযোগে ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সিকে নিরাময়, সম্প্রীতি এবং আশার প্রেসিডেন্সি করে গড়ে তুলি। আসুন আমরা একসঙ্গে মানবকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিকতার এক নতুন আদর্শ গড়ে তুলি।","আজিৰে পৰা ভাৰতে জি-২০ৰ সভাপতিত্ব আৰম্ভ কৰিছে -শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোডী, প্ৰধানমন্ত্ৰ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%87/,"নয়াদিল্লি, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ উত্তরপ্রদেশের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথজি, আমার মন্ত্রিসভার সহকর্মী শ্রী পুরুষোত্তম রুপালাজি, অন্যান্য মন্ত্রী ও সাংসদগণ, ইন্টারন্যাশনাল ডেয়ারি ফেডারেশনের সভাপতি শ্রী পি. ব্রাজালেজি, আইডিএফ-এর মহানির্দেশক শ্রীমতী ক্যারোলিন ইমন্ডজি, এখানে উপস্থিত অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ! আমি আনন্দিত যে আজ সারা বিশ্ব থেকে দুগ্ধ বিশেষজ্ঞ এবং উদ্ভাবকরা ভারতে জড়ো হয়েছেন। ভারতের প্রাণীসম্পদ, ভারতের নাগরিক এবং ভারত সরকারের পক্ষ থেকে, আমি বিশ্ব দুগ্ধ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। দুগ্ধ ক্ষেত্রের সম্ভাবনা শুধু গ্রামীণ অর্থনীতিকেই চাঙ্গা করে না, এটি সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জীবিকার একটি প্রধান উৎসও বটে। আমি নিশ্চিত, এই শীর্ষ সম্মেলন দুগ্ধ ক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রযুক্তি, দক্ষতা এবং ঐতিহ্যের পরিপ্রেক্ষিতে একে অপরের জ্ঞান বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক মতবিনিময় এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বন্ধুগণ, আজকের অনুষ্ঠানটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ভারত তার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পালন করছে। প্রসঙ্গত, ভারতের ৭৫ লক্ষেরও বেশি গো-পালকরাও প্রযুক্তির মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই ধরনের শিখর সম্মেলন থেকে প্রান্তিক কৃষক ভাই-বোনের উপকৃত হবেন। বিশ্ব দুগ্ধ সম্মেলন উপলক্ষে আমি আমার কৃষক বন্ধুদের স্বাগত ও অভিনন্দন জানাই। বন্ধুগণ, পশুসম্পদ এবং দুধের ব্যবসা হাজার হাজার বছর ধরে ভারতের সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আমাদের এই উত্তরাধিকারগত কিছু বৈশিষ্ট্য ভারতের দুগ্ধ ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করেছে। অন্যান্য দেশ থেকে এখানে আসা বিশেষজ্ঞদের সামনে আমি এই বৈশিষ্ট্যগুলো বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই। বন্ধুগণ, ভারতের ক্ষুদ্র কৃষকরা দুগ্ধ ক্ষেত্রের চালিকাশক্তি যা বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশগুলির তুলনায় স্বতন্ত্র। ভারতের দুগ্ধ ক্ষেত্রের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হল, ""গণ-উৎপাদন""-এর পরিবর্তে ""জনগণের দ্বারা উৎপাদন""। ভারতে দুগ্ধ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত অধিকাংশ কৃষকের একটি, দুটি বা তিনটি গবাদি পশু রয়েছে। এই ক্ষুদ্র কৃষকদের কঠোর পরিশ্রম এবং তাঁদের পশুপালনের কারণেই আজ ভারত সারা বিশ্বের বৃহত্তম দুধ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিগণিত। আজ এই ক্ষেত্রটি ভারতে ৮ কোটিরও বেশি পরিবারকে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। ভারতীয় দুগ্ধ ক্ষেত্রের এমন স্বতন্ত্রতা আপনি আর কোথাও খুঁজে পাবেন না। আজ আমি বিশ্ব দুগ্ধ সম্মেলনেও এটি উল্লেখ করছি কারণ, এটি বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলির কৃষকদের জন্য একটি দুর্দান্ত ব্যবসায়িক মডেল হয়ে উঠতে পারে। বন্ধুগণ, ভারতের দুগ্ধ ক্ষেত্রের আরও একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হল ভারতের দুগ্ধ সমবায় ব্যবস্থা। আজ ভারতে দুগ্ধ সমবায়ের এত বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে যা সারা বিশ্বের আর কোথাও পাওয়া যাবে না। এই দুগ্ধ সমবায়গুলি দেশের ২ লক্ষেরও বেশি গ্রামের প্রায় ২ কোটিরও বেশি কৃষকের কাছ থেকে দিনে দু’বার দুধ সংগ্রহ করে এবং ক্রেতাদের কাছে তা পৌঁছে দেয়। পুরো প্রক্রিয়াটির মধ্যে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী নেই এবং গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থের ৭০ শতাংশের বেশি সরাসরি কৃষকদের কাছে যায়। তাছাড়া গুজরাট রাজ্যের কথা যদি বলি, এই সমস্ত টাকা সরাসরি মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যায়। এই অনুপাতের তুলনা সারা বিশ্বে মেলা ভার। এখন ভারতে ডিজিটাল বিপ্লবের কারণে দুগ্ধ ক্ষেত্রের বেশিরভাগ লেনদেন খুব দ্রুতগতিতে হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি যে ভারতের দুগ্ধ সমবায়গুলির কাজকর্ম বিশ্লেষণ এবং সে সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করলে ও দুগ্ধ ক্ষেত্রে ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যবস্থাকে অনুসরণ করলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের কৃষকরা উপকৃত হতে পারেন। ভারতের ক্ষেত্রের আরও একটি বড় শক্তি এবং অনন্যতা হল আমাদের দেশীয় প্রজাতি। ভারতের গরু এবং মহিষের স্থানীয় জাতগুলি সবচেয়ে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও বেঁচে থাকতে সক্ষম। আমি আপনাকে গুজরাটের বান্নি মহিষের উদাহরণ দিতে চাই। বন্নি মহিষগুলি যেভাবে কচ্ছের মরুভূমির অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে থাকে তা দেখে অবাক লাগে। সেখানে দিনের আবহাওয়া খুব গরম এবং রৌদ্রের তাপও প্রবল। তাই রাতের কম তাপমাত্রায় বন্নি মহিষ চড়তে বের হয়। আমাদের বন্ধুরা, যাঁরা বিদেশ থেকে এসেছেন তাঁরাও জেনে অবাক হবেন যে চড়ানোর সময় এই প্রাণীদের সাথে কোন পশুপালক থাকে না। বন্নি মহিষগুলো একাই গ্রামের কাছাকাছি চারণভূমিতে যায়। মরুভূমিতে জল কম থাকায় বান্নি মহিষরা সেই সামান্য জলেই বাঁচতে পারে। বান্নি মহিষ রাতে ১০-১৫ কিলোমিটার পথ হেঁটেও সকালে নিজ থেকেই বাড়ি ফিরে আসে। কারোর বান্নি মহিষ হারিয়ে গেছে বা ভুল বাড়িতে গেছে, এমন কথা খুব কমই শোনা যায়। আমি আপনাদের শুধুমাত্র বান্নি মহিষের উদাহরণ দিয়েছি। তবে ভারতে অনেক প্রজাতির মহিষ যেমন মুরাহ, মেহসানা, জাফরাবাদি, নিলি রাভি, পান্ধরপুরি এখনও তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে জীবনযাপন করছে। একইভাবে, গির গরু, সাহিওয়াল, রাঠি, কাঙ্করেজ, থারপারকার, হরিয়ানা এবং আরও অনেক প্রজাতির গরু রয়েছে, যা ভারতের দুগ্ধ ক্ষেত্রকে এক কথায় অনন্য করে তুলেছে। ভারতীয় প্রজাতির এই প্রাণীরা জলবায়ুর খাপ খাইয়ে নিতে পারে। বন্ধুগণ, এ পর্যন্ত আমি ভারতের দুগ্ধ ক্ষেত্রের তিনটি অনন্য বৈশিষ্ট্যের কথা বলেছি। সেগুলি হল ক্ষুদ্র কৃষকদের শক্তি, সমবায়ের শক্তি এবং ভারতীয় প্রজাতির গবাদি পশুর শক্তি যা সম্মিলিতভাবে এক সম্পূর্ণ আলাদা শক্তি তৈরি করে। কিন্তু ভারতের দুগ্ধ ক্ষেত্রের একটি চতুর্থ বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, যা তেমন আলোচিত হয় না এবং স্বীকৃতিও পায় না। বিদেশ থেকে আসা আমাদের অতিথিরা সম্ভবত জেনে আশ্চর্য হবেন যে ভারতের দুগ্ধ ক্ষেত্রের ৭০ শতাংশ কর্মশক্তির প্রতিনিধিত্ব করে নারীশক্তি। মহিলারাই ভারতের দুগ্ধ ক্ষেত্রের আসল নেতা। ভারতে দুগ্ধ সমবায়ের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি সদস্য মহিলা৷ ভারতীয় দুগ্ধ ক্ষেত্রের চালিকাশক্তি হল ভারতের গ্রামাঞ্চলের মহিলারা, অর্থাৎ আমাদের মা ও বোনেরা। গম এবং চালের মোট উৎপাদন মূল্যের অতিরিক্ত সাড়ে আট লক্ষ কোটি ভারতীয় দুগ্ধ ক্ষেত্র থেকে আসে। আমি বিশ্ব দুগ্ধ শিখর সম্মেলনের সাথে যুক্ত সমস্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভারতের নারীশক্তির এই ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেওয়ার এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করব। বন্ধুগণ, ২০১৪ সাল থেকে আমাদের সরকার ভারতের দুগ্ধ ক্ষেত্রের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছে। আজ দুধ উৎপাদনের পাশাপাশি কৃষকদের আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এর ফলাফল পরিলক্ষিত হচ্ছে। ২০১৪ সালে ভারত ১৪ কোটি ৬০ লক্ষ টন দুধ উৎপাদন হত এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি টনে। অর্থাৎ প্রায় ৪৪ শতাংশ বেড়েছে! আজ বিশ্বের দুগ্ধ উৎপাদন যেখানে বার্ষিক ২ শতাংশ হারে বাড়ছে, ভারতে সেই বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের বেশি। ভারতে মাথাপিছু দুধের প্রাপ্যতা বিশ্বের গড় থেকে অনেক বেশি। গত ৩-৪ বছরে আমাদের সরকার ভারতের ক্ষুদ্র কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা সরাসরি হস্তান্তর করেছে। এর একটি বড় অংশ দুগ্ধ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত কৃষকরা পেয়েছেন। বন্ধুগণ, আজ আমাদের লক্ষ্য হল দেশে একটি সুষম দুগ্ধ ইকো-সিস্টেম গড়�� তোলা। এমন এক ইকো-সিস্টেম যেখানে আমাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র দুধ এবং সংশ্লিষ্ট পণ্যের গুণমান নয়, অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলারও। কৃষকদের অতিরিক্ত আয়, দরিদ্রদের ক্ষমতায়ন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, রাসায়নিকমুক্ত কৃষি, পরিচ্ছন্ন শক্তি এবং পশুর যত্ন – সবই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। অর্থাৎ, আমরা ভারতের গ্রামগুলির সবুজ এবং স্থায়ী উন্নয়নের জন্য দুগ্ধ ক্ষেত্র এবং পশুপালনকে একটি বড় মাধ্যম হিসেবে তুলে ধরছি। রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশন, গোবর্ধন যোজনা, দুগ্ধ ক্ষেত্রের ডিজিটাইজেশন এবং পশুদের জন্য সর্বজনীন টিকাকরণ – এগুলি এই লক্ষ্যের অঙ্গস্বরূপ। এছাড়াও, ভারতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধকরণের প্রচারাভিযান পশুদের জন্য পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পশু অধিকাররক্ষা কর্মী এবং পশুপ্রেমীরা যাঁরা পশুদের প্রতি দয়া এবং পশুপালনে বিশ্বাসী, তাঁরা তাদের কল্যাণের বিষয়ে চিন্তা করেন। প্রাণীদের ক্ষেত্রে বিশেষত গরু-মহিষদের ক্ষেত্রে প্লাস্টিক কতটা বিপজ্জনক তা আমরা সকলেই জানি। আমরা একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নির্মূল করতে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। বন্ধুগণ, ভারতে দুগ্ধ ক্ষেত্রকে বিজ্ঞানের সাথে যুক্ত করে আরও প্রসারিত করা হচ্ছে। ভারত গবাদি পশুর বৃহত্তম তথ্যভাণ্ডার তৈরি করছে। দুগ্ধ ক্ষেত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি প্রাণীকে যুক্ত করা হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা প্রাণীদের বায়োমেট্রিক শনাক্তকরণের উদ্যোগ নিচ্ছি। আমরা এর নাম দিয়েছি- 'পশু আধার'। পশু আধারের মাধ্যমে পশুদের ডিজিটাল শনাক্তকরণ করা হচ্ছে, যা তাদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখার পাশাপাশি দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সাহায্য করবে। বন্ধুগণ, আজ ভারত পশুপালনের ক্ষেত্রের ব্যবসার প্রসারের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা কৃষক উৎপাদক সংস্থা এবং মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমে দুগ্ধ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ক্ষুদ্র কৃষকদের একত্রিত করে একটি বড় বাজার শক্তি হিসেবে পরিচালিত করছি। আমরা আমাদের তরুণ প্রতিভাকে কৃষি ও দুগ্ধ ক্ষেত্রে স্টার্ট-আপ গড়ে তুলতে ব্যবহার করছি। আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে গত ৫-৬ বছরে ভারতে কৃষি এবং দুগ্ধ ক্ষেত্রে ১ হাজারেরও বেশি স্টার্ট-আপ তৈরি হয়েছে। বন্ধুগণ, এই ক্ষেত্রে ভারত কিভাবে কাজ করছে তার এক অনন্য উদাহরণ হল গোবর্ধন প্রকল্প। কিছুক্ষণ আগে, রূপলাজি অর্থনীতিতে গোবরের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব বর্ণনা করেছিলেন। পশুর গোবর থেকে জৈব-গ্যাস এবং জৈব-সিএনজি তৈরির জন্য আজ ভারতে ব্যাপক প্রচার চলছে। আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি যে দুগ্ধ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি তাদের বেশিরভাগ বিদ্যুতের চাহিদা গোবর থেকে পূরণ করতে পারে। এটি এমন একটি উপায় যা দিয়ে কৃষকরা বাড়তি আয় করতে পারবেন। এই প্রক্রিয়ায় যে জৈব সার তৈরি হয় তা কৃষকদের চাষের ক্ষেত্রেও সাশ্রয়ী হয়ে উঠবে। এতে চাষের খরচও কমবে এবং মাটিও নিরাপদ থাকবে। ভারতে আজ প্রাকৃতিক চাষের উপর অভূতপূর্ব জোর দেওয়া হচ্ছে যেখানে প্রাণীরা একটি প্রধান ভূমিকা পালন করছে। বন্ধুগণ, আমি প্রায়শই বলি যে এক ফসলি চাষই একমাত্র সমাধান নয়। পরিবর্তে বৈচিত্র্য অনেক বেশি প্রয়োজন। এটি পশুপালনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাই, ভারতে আজ দেশীয় প্রজাতির পাশাপাশি হাইব্রিড প্রজাতির ওপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির ঝুঁকিও কমবে। বন্ধুগণ, আরেকটি বড় সমস্যা হল পশুদের রোগ। যখন একটি গবাদি পশু অসুস্থ হয়, তা কৃষকের জীবনকে প্রভাবিত করে, প্রভাবিত করে তাঁর আয়কেও। এটি পশুর কার্যক্ষমতার পাশাপাশি তার দুধ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্যের গুণগত মানকেও তা প্রভাবিত করে। তাই ভারতেও আমরা পশুদের সার্বজনীন টিকা দেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছি। আমরা স্থির করেছি যে ২০২৫ সালের মধ্যে আমরা ১০০ শতাংশ প্রাণীকে পা এবং মুখের রোগ এবং ব্রুসেলোসিসের প্রতিরোধে টিকা প্রদান করব। আমরা এই দশকের শেষ নাগাদ এই রোগগুলি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি। বন্ধুগণ, আজ আপনাদের সাথে এই আলোচনা করার সময়, আমি দুগ্ধ ক্ষেত্রের সর্বশেষ চ্যালেঞ্জটির উল্লেখ করতে চাই। সাম্প্রতিক অতীতে, ভারতের অনেক রাজ্যে লাম্পি নামক রোগের কারণে গবাদি পশুদের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার, বিভিন্ন রাজ্য সরকার একত্রে এটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। আমাদের বিজ্ঞানীরা লাম্পি চর্মরোগের জন্য একটি দেশীয় টিকাওও তৈরি করেছেন। টিকার পাশাপাশি এই রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান এবং প্রাণীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। বন্ধুগণ, পশুর টিকা বা অন্যান্য প্রযুক্তি হোক না কেন, ভারত সব সময়েই সারা বিশ্বের দুগ্�� ক্ষেত্রে অগ্রবর্তী স্থান ধরে রাখতে এবং তার সমস্ত অংশীদার দেশের কাছ থেকে শিখতে প্রস্তুত। ভারতেও খাদ্য নিরাপত্তার মান সুনিশ্চিত করতে দ্রুত কাজ চলছে। আজ ভারত প্রাণীসম্পদ ক্ষেত্রে এমন এক ডিজিটাল সিস্টেমে তৈরি করছে যা এই ক্ষেত্রে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত কার্যকলাপগুলিকে ধরে রাখবে। এটি এই ক্ষেত্রের উন্নতিতে প্রয়োজনীয় ও সঠিক তথ্য সরবরাহ করবে। সারা বিশ্বজুড়ে এই ধরনের প্রযুক্তিগত যে কাজ চলেছে, এই শিখর সম্মেলন তার ওপর আলোকপাত করবে। এটি এমন উপায়গুলি সুপারিশ করবে যার মাধ্যমে আমরা এ সম্পর্কিত দক্ষতা বিনিময় করতে পারি। আমি দুগ্ধ শিল্পের বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে ভারতের দুগ্ধ ক্ষেত্রের ক্ষমতায়নের অভিযানে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানাই। আমি আন্তর্জাতিক দুগ্ধ ফেডারেশনকে তাদের চমৎকার কাজ এবং অবদানের জন্য প্রশংসা করি। আবারও যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তাঁদের সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন! দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশক পর আপনাদের সকলকে স্বাগত জানানো এবং বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার ভারত সুযোগ পেয়েছে। এই সম্মেলন থেকে যে অমৃত বের হবে তা এই 'অমৃতকাল'-এ দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে এবং দেশের গবাদি পশুর সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করতে ও দরিদ্রতম ব্যক্তিদের ক্ষমতায়নে সহায়তা করবে। এটা একটি মহান অবদান হবে! এই প্রত্যাশা এবং আশা নিয়ে, আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেক অনেক শুভ কামনা। ধন্যবাদ। মূল ভাষণ হিন্দিতে দেওয়া হয়েছে",আন্তৰ্জাতিক দুগ্ধ ফেডাৰেচন বিশ্ব দুগ্ধ সন্মিলন ২০২২ৰ উদ্বোধনত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A7%AF%E0%A7%A6%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A7%AF%E0%A7%A6-%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7-2/,"ফিকির সভাপতি শ্রী পঙ্কজ আর প্যাটেলজি, ভাবীসভাপতি শ্রী রমেশ সি শাহ্‌জি, সেক্রেটারি জেনারেল ডঃ সঞ্জয় বারুজি এবং এখানেউপস্থিত অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, আপনারা সকলে আজ নিজেদের সারা বছরের কাজের হিসাবনিয়ে বসেছেন। এবছর ফিকির ৯০ বছর পূর্ণ হয়েছে। যে কোনও সংস্থার জন্য এটি অত্যন্তগৌরবের বিষয়। আপানাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। বন্ধুগণ, ১৯২৭ সালে সাইমন কমিশন গঠন করা হলে তারবিরুদ্ধে ভারতীয় শিল্প জগতের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ একটি ঐতিহাস��ক ও অত্যন্ত প্রেরণাদায়কঘটনা। প্রত্যেকেই নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে এই প্রতিবাদজানিয়েছিলেন। তৎকালীন ভারতীয় সমাজের প্রতিটি অঙ্গের মতো রাষ্ট্রহিতে এগিয়ে এসেতৎকালীন শিল্প জগতের প্রতিনিধিরাও সাইমন কমিশন গঠনের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন।সেই ভারতীয় সমাজে প্রত্যেক বৃত্তির মানুষ যেমন রাষ্ট্রহিতে এগিয়ে এসেছেন, তেমনইভারতীয় শিল্পপতিরাও রাষ্ট্র নির্মাণে নিজেদের শক্তি প্রয়োগ করেছেন। ভাই ও বোনেরা, ৯০ বছর আগে যেমন সাধারণ মানুষনিজেদের দৈনন্দিন দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশের দায়িত্ব সম্পাদনের জন্যও এগিয়েএসেছিলেন, আজও তেমনই সাধারণ মানুষ আবার সক্রিয় হয়ে উঠছেন। দেশের জন্য তাঁদেরপ্রত্যাশার স্তর এখন সর্বোচ্চ। সেজন্য তাঁরা যত শীঘ্র সম্ভব সকল কুসংস্কার,দুর্নীতি ও কালো টাকার কবল থেকে মুক্তি পেতে চান। সেজন্য আজ প্রতিটি সংস্থা, সে কোনও রাজনৈতিক দলহোক কিংবা ফিকি’র মতো শিল্পপতিদের সংগঠন; তাঁদের জন্য আত্মমন্থনের সময় সমাগত, যাতেতাঁরা দেশের প্রয়োজনীয়তা, দেশের মানুষের প্রত্যাশা বুঝে নিজেদের ভবিষ্যৎকর্মপদ্ধতি রচনা করতে পারেন। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার পর বিগত সাত দশকে দেশে অনেককিছু হয়েছে। কিন্তু এটাও সত্য যে এই সময়কালে আমাদের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও বড়হয়ে উঠেছে। এই সাত দশক ধরে গড়ে ওঠা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সর্বদাই দেশের নানাপ্রান্তে গরিব মানুষকে লড়াই করতে হয়েছে। অনেক ছোট ছোট প্রয়োজনে তাঁদের সংঘর্ষ করতেহয়েছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে, রান্নার গ্যাস সংযোগ পেতে গরিব মানুষকে দশজায়গায় ঘুরতে হ’ত। নিজের পেনশন কিংবা ছাত্রবৃত্তি পেতে এখানে-ওখানে কমিশন দিতেহ’ত। বর্তমান সরকার ব্যবস্থার সঙ্গে সাধারণ মানুষেরলড়াই বন্ধ করার কাজ করছে। আমরা এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই, যাতে স্বচ্ছতাথাকবে এবং যা হবে সংবেদনশীল। এমন এক ব্যবস্থা, যা সাধারণ মানুষের প্রয়োজন বুঝতেপারবে। সেজন্য আমরা যখন জন ধন যোজনা শুরু করেছিলাম, তখনএত ভালো সাড়া পেয়েছি। আপনারা শুনলে অবাক হবেন, এই প্রকল্প শুরু করার আগে আমরালক্ষ্য স্থির করতে পারছিলাম না যে, ঠিক কত অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। কারণ, সরকারেরকাছে কোনও সঠিক তথ্য ছিল না। আমরা শুধু বুঝতে পারছিলাম যে, গরিবদের ব্যাঙ্কেরদরজা থেকে কখনও ধমকে আবার কখনও নানা নথির বাহানায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আজ আমরা অনুভবকরছি যে, সা���ান্য সুযোগ পেতেই ৩০ কোটিরও বেশি মানুষ যে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টখুলেছেন, তাতে গরিবদের কত বড় প্রয়োজন মিটেছে। একটি সমীক্ষা থেকে জানা গেছে যে, এইব্যাপক হারে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার ফলে বিশেষ করে, গ্রামাঞ্চলে দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে। এর মানে এই একটি মাত্র প্রকল্প থেকে গরিব মানুষের জীবনে কতবড় পরিবর্তন এসেছে। ভাই ও বোনেরা, আমাদের সরকার সাধারণ মানুষের সমস্যাও তাঁদের প্রয়োজনীয়তাগুলি মাথায় রেখে সমস্ত প্রকল্প গড়ে তুলেছে।, যাতে সাধারণমানুষের জীবনযাপন সহজ হয়, সেই ভাবনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। গরিব মহিলাদের উনুনের কালো ধোঁয়া থেকে মুক্তি দিতেউজ্জ্বলা যোজনা শুরু করেছি। আমরা ইতিমধ্যেই ৩ কোটিরও বেশি মহিলাকে বিনামূল্যেরান্নার গ্যাস সংযোগ দিয়েছি। এরফলে, সমীক্ষায় জানা গেছে যে, গ্রামীণ এলাকাগুলিতেজ্বালানি মূল্য বৃদ্ধিও হ্রাস পেয়েছে। অর্থাৎ, গরিবদের এখন জ্বালানি বাবদ অনেক কমটাকা খরচ করতে হয়। আমরা গরিব মানুষের প্রতিটি প্রয়োজন ও সমস্যাকে ধরেধরে সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। গ্রামের মেয়েদের দৈনন্দিন লজ্জার হাত থেকে রক্ষারপাশাপাশি তাঁদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রকল্পেরমাধ্যমে ৫ কোটিরও বেশি শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে। গরিব মানুষের মাথার ওপর ছাদ সুনিশ্চিত করতেতাঁদেরকে যাতে আর ভাড়া বাড়িতে থাকতে না হয়, নিজ মালিকানাধীন পাকা বাড়িতে থাকতেপারেন, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শুরু করা হয়েছে। বন্ধুগণ, বিজ্ঞান ভবনের এই ঝকমকে আলোকসজ্জা, এইসুন্দর সুদৃশ্য পরিবেশ; আপনারা প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে, দেশের গ্রামগুলিতে গেলে এরথেকে অনেক ভিন্ন ধরনের পরিবেশ দেখতে পাবেন। আমি আপনাদের মাঝে সেই দরিদ্র ভারতেরপ্রতিনিধিত্ব করছি। সীমিত রোজগার, পড়াশুনার সীমিত সুযোগ কিন্তু অসীম স্বপ্নেরদুনিয়া আমাকে এটা শিখিয়েছে যে, দেশের প্রয়োজন বুঝে, গরিবদের প্রয়োজন বুঝে কাজ করতেহবে, সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আর সেগুলিকেই বাস্তবায়িত করতে হবে । মুদ্রা যোজনা দেশের নবীন প্রজন্মের অনেক বড়প্রয়োজন সাধনে কাজে লেগেছে। যে কোনও যুবক-যুবতী নিজের ক্ষমতায় কিছু করতে চাইলেসবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠত যে, বিনিয়োগের টাকা কোথা থেকে আসবে? কোনও ব্যাঙ্ক গ্যারান্টিছাড়া ঋণ দেয় না। মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে সরকার তাঁদের হয়ে ব্যাঙ্ককে গ্যারান্টিদিয়েছে��� ফলে, বিগত তিন বছরে প্রায় ৯ কোটি ৭৫ লক্ষ ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে। ইতিমধ্যেইব্যাঙ্কগুলি কোনও রকম গ্যারান্টি ছাড়াই যুবক-যুবতীদের ৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ঋণপ্রদান করেছে। পরিণাম-স্বরূপ, বিগত তিন বছরে দেশ প্রায় ৩ কোটি নতুন স্ব-উদ্যোগী পেয়েছেন। এই স্ব-উদ্যোগীরাই মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে প্রথমবারব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে দেশের ক্ষুদ্র শিল্প ক্ষেত্রে পরিধি অনেক দূর বিস্তৃতকরেছেন, এমএসএমই ক্ষেত্রকে তাঁরাই মজবুত করেছেন। সরকার স্টার্ট আপ উদ্যোগকেও উৎসাহ প্রদান করছে।স্টার্ট আপ-এর সবচেয়ে বড় সমস্যা হ’ল ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ। এই প্রয়োজন মেটাতে সরকারসিডবি’র মাধ্যমে ‘ফান্ড অফ ফান্ড’ বানিয়েছে। এই পদক্ষেপ নেওয়ার পর সিডবি যেবিনিয়োগ করেছে, তা অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের সাহায্যে চার থেকে সারে চার গুণ বেশি উদ্দেশ্যসাধনেরপথ খুলে গেছে। এর মাধ্যমে স্টার্ট আপ বন্ধুরা যাঁদের কাছে নতুন নতুন উদ্ভাবনীশক্তি রয়েছে, তাঁরা বিনিয়োগ সহায়তা পাচ্ছেন। ভাই ও বোনেরা, স্টার্ট আপ-এর বাস্তু ব্যবস্থায় এই পরিবর্তবিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিগত তিন বছরে সরকারের গ্রহণ করা নীতিগতসিদ্ধান্তের ফলে এ ধরনের বিনিয়োগ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে আর আপনারা হয়ত লক্ষ্য করেছেনযে, সরকার নবীন প্রজন্মের প্রয়োজন মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্তগুলি নিচ্ছে এবংপ্রকল্পগুলি গড়ে তুলছে। বিগত সরকারের সময়ে ঠিক বিপরীত ঘটনা আপনারা লক্ষ্য করেছেন,তখন ব্যাঙ্কগুলিকে চাপ দিয়ে হাতে গোনা কয়েকজন বড় শিল্পপতিকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকাঋণদানে বাধ্য করা হয়েছিল। বন্ধুগণ, ফিকি নিজের সম্পর্কে বলে, ‘ইন্ডাস্ট্রিজভয়েস ফর পলিসি চেঞ্জ’। আপনারা শিল্প জগতের বক্তব্যকে সরকারের কাছে পৌঁছে দেন।আপনাদের সমীক্ষা ও সেমিনার চলতেই থাকে। আমি জানি না যে, বিগত সরকারের নীতির কারণেব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র যে ধরনের দুর্দশার সম্মুখীন হয়েছিল, তা নিয়ে ফিকি কোনও সমীক্ষাকরেছিল কি না? আজকাল ‘নিষ্ক্রিয় সম্পত্তি, এনপিএ-এনপিএ’ বলে যে হৈচৈ শোনা যাচ্ছে,তা আসলে বিগত সরকারের দায়িত্বে থাকা মহান অর্থনীতিবিদদের কাছ থেকে পাওয়াউত্তরাধিকার, যা বর্তমান সরকারকে বহন করতে হচ্ছে। আমার জানতে ইচ্ছে করে, ব্যাঙ্কগুলিকে চাপ দিয়ে যখনহাতে গোণা কয়েকজন বড় শিল্পপতিকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ঋণদানে বাধ্য করা হয়েছিল, তখনফিকির মতো সংস্থাগুলি কী করছিল? পূর্বতন সরকারে দায়িত���বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা জানতেন,ব্যাঙ্কগুলিও জানতো, গোটা শিল্প জগত জানতো, বাজারের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিও জানতোযে অন্যায় হচ্ছে। এটাই ইউপিএ সরকারের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। কমনওয়েলথ ক্রীড়াদুর্নীতি, টু-জি, কয়লা – এই সবকটি দুর্নীতির মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। এই শিল্পপতিদেরমাধ্যমে সাধারণ মানুষের রক্ত জল করা টাকা সবচেয়ে বেশি লুঠ করেছে ক্ষমতাসীননেতৃবৃন্দ। আপনাদের কোনও সমীক্ষায় একবারের জন্যও এই বিষয়ে ইশারা করতে পারেননি।যাঁরা মৌন থেকে সবকিছু দেখে গেছেন, তাঁদেরকে জাগ্রত করার প্রচেষ্টা কোনও সংস্থাকরতে পারলো না! বন্ধুগণ, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার এই দুর্দশা শুধরানোরজন্য ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে মজবুত করার জন্য বর্তমান সরকার নিয়মিত পদক্ষেপ গ্রহণকরছে। ব্যাঙ্কের স্বার্থ সুরক্ষিত হলে গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে, তবেই দেশেরস্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে। আমি মনে করি যে, ফিকির মতো সংস্থাগুলি সবচেয়ে বড়ভূমিকা হওয়া উচিৎ সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে শিল্প জগতের সঙ্গে যুক্ত সকলকে সচেতনকরা। যেমন বিগত কিছুদিন ধরে ফাইনান্সিয়াল রেজোলিউশন অ্যান্ড ডিপোসিট ইনস্যুরেন্সবিল বা এফআরডিআই নিয়ে নিয়মিত গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সরকার গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষিতকরার জন্য ব্যাঙ্কগুলিতে জমা রাখা তাঁদের পুঁজি সুরক্ষার জন্য যে ব্যবস্থা নিচ্ছে,তার বিপরীত গুজব ছড়ানো হচ্ছে। শিল্প জগৎ ও সাধারণ মানুষকে ভ্রম করার জন্য এ ধরনেরপ্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করতে ফিকির মতো সংস্থাগুলির সক্রিয় ভূমিকা চাই। আপনারা কিভাবেসরকারের বক্তব্য, শিল্প জগতের বক্তব্য এবং সাধারণ মানুষের বক্তব্যের সঙ্গেভারসাম্য রক্ষা করবেন, সেটাও আপনাদের ভাবতে হবে। একটি উদাহরণ দিয়ে আমি আপনাদেরবোঝাতে চাই, কেন এই ভারসাম্য প্রয়োজন! বন্ধুগণ, ভারতের শিল্প জগৎ দীর্ঘকাল ধরে অভিন্নপণ্য ও পরিষেবা কর-এর জন্য দাবি জানিয়ে আসছিল। এখন যখন সেই অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবাকর কার্যকরি হয়েছে, তাকে আরও প্রভাবশালী করে তুলতে আপনাদের সংস্থা কী ভূমিকা পালনকরছে? যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়াতে রয়েছেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই হয়তো লক্ষ্য করছেন যে,মানুষ রেস্তোরাঁ’র বিল পোস্ট করে জানাচ্ছেন যে, কর কমে গেছে কিন্তু রেস্তোরাঁগুলিমূল দাম বৃদ্ধি করে দেয় টাকার হিসাব সমান করে দিয়েছে। অর্থাৎ, অভিন্ন পণ্য ওপরিষেবা কর চালু হওয়ার ফলে ক্রেতাদের যে সাশ্রয় হওয়ার কথা ছি���, তা হয়নি। এহেনপরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সরকার নিজের মতো প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু ফিকি’র তরফথেকেও কি সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের এ ব্যাপারে সচেতন করার কোনও প্রচেষ্টা হয়েছে? ভাই ও বোনেরা, অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা কর-এর মতোব্যবস্থা রাতারাতি গড়ে তোলা সম্ভব নয়। আর আমরা তো বিগত ৭০ বছরের জগদ্দলকে হটানোরচেষ্টা করছি। আমরা চাই যে, দেশের অধিকাংশ ব্যবসায়ী এই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হন। যে ব্যবসায়ী মাসিক ১ থেকে ১০ লক্ষ টাকার ব্যবসাকরেন, এমন ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের আমরা দেশের মূল বাণিজ্য ব্যবস্থায় নিয়ে আসার চেষ্টাকরছি। নিছকই সরকারের আমদানি বৃদ্ধি কিংবা কর আদায়ের জন্য এটি করছি না। এর মূলউদ্দেশ্য হ’ল ব্যবসা ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি । স্বচ্ছতা যত বাড়বে , গরিবরা তত বেশি উপকৃত হবেন।দেশের মূল বাণিজ্য ব্যবস্থার অংশীদার হলে ব্যবসায়ীরাও সহজেই ব্যাঙ্কগুলি থেকে ঋণপাবেন, কাঁচামালের উৎকর্ষ বৃদ্ধি পাবে এবং পণ্য পরিবহণে খরচ সাশ্রয় হবে। অর্থাৎ,বিশ্ব বাণিজ্যে আমাদের ছোট ব্যবসায়ীরাও প্রতিযোগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারবেন।আমার আশা যে, ফিকি ইতিমধ্যেই এই ছোট ব্যবসায়ীদের সঠিক রাস্তা দেখানোর জন্য অবশ্যইকোনও প্রকল্প গড়ে তুলেছে। ভাই ও বোনেরা, আমাকে বলা হয়েছে যে ফিকি’র এমএসএমইভার্টিক্যাল ২০১৩ সালেই গড়ে উঠেছে। ৯০ বছর পুরনো সংস্থা আর এমএসএমই ভার্টিক্যাল গড়েউঠেছে মাত্র চার বছর আগে!!! আমি আর কোনও মন্তব্য করতে চাই না, কিন্তু অবশ্যই আশাকরবো যে আপনাদের এই ভার্টিক্যাল মুদ্রা যোজনা, স্টার্ট আপ যোজনা, স্ট্যান্ড আপযোজনা’র মতো প্রকল্পগুলির প্রসারে সাহায্য করবেন! এত অভিজ্ঞ একটি সংস্থা যখনআমাদের ছোট ছোট শিল্পগুলির হাত ধরবে, তখন তাঁরা আরও বেশি শক্তি নিয়ে কাজ করতেপারবে। সরকার ‘গভর্নমেন্ট ই-মার্কেট প্লেস বা জিইএম নামকযে ব্যবস্থা চালু করেছে, তার মাধ্যমেও দেশের ক্ষুদ্র শিল্পপতিদের নিজেদের যুক্তকরার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। জিইএম-এর মাধ্যমে এখন ছোট ছোট নির্মাণকারীওনিজেদের উৎপাদিত বস্তু সরকারকে বিক্রি করতে পারবে। আপনাদের কাছ থেকে আমার আরেকটি আশা যে, এমএসএমই-রযে টাকা বড় কোম্পানিগুলি ঋণ নিয়ে রেখেছে, তা যেন তারা নির্দিষ্ট সময়ে ফেরৎ দেয়,সেদিকে লক্ষ্য রেখে আপনারা কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। নিয়ম অবশ্যই আছে। কিন্তু এটাওসত্যি যে ছোট শিল্পপতিদের অর্থ অধিকাংশ ক্ষেত���রেই বড় কোম্পানিগুলির কাছে কুক্ষিগতথাকে। ৩-৪ মাস পর পর তারা টাকা পান। ব্যবসায়িক সম্পর্ক যাতে নষ্ট না হয়, সে কথামাথায় রেখে ছোট ব্যবসায়ীরা নিজেদের টাকা চাইতেও ইতস্তত বোধ করে। আমি চাই, তাদের এইসমস্যা দূরীকরণে আপনারা কোনও উপায় বের করুন। বন্ধুগণ, এরকম অনেক কারণ ছিল, যার ফলে বিগতশতাব্দীতে আমাদের দেশ সম্পূর্ণভাবে শিল্প বিপ্লবকে কাজে লাগাতে পারেনি। আজ এরকমঅনেক কারণ রইয়েছে, যার ফলে ভারত একটি নতুন বিপ্লব শুরু করতে পারে। বর্তমান সরকার দেশের প্রয়োজন বুঝে নতুন নতুন নীতিপ্রণয়ন করছে। কালবাহ্য আইনগুলি বাতিল করে নতুন আইন প্রণয়ন করছে। সম্প্রতি আমরা বাঁশ নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণসিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাঁশকে গাছ মনে করা হবে কি হবে না, তা নিয়ে আমাদের দেশে দুটিআলাদা আইন ছিল, আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে, অরণ্যের বাইরে যে বাঁশ জন্মায় এবং চাষকরা হয়, তাকে বৃক্ষ বলে মানা হবে না। এই সিদ্ধান্তের ফলে বাঁশ দিয়ে যাঁরা নানাকুটির শিল্প নির্মাণ করেন, দেশের সেরকম লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র শিল্পপতিরা লাভবান হবেন। বন্ধুগণ, আমাকে বলা হয়ে যে, ফিকির অধিকাংশ সদস্যই নানাউৎপাদন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলির প্রতিনিধিরা ইঞ্জিনিয়ারিং যন্ত্রপাতি,পরিকাঠামো এবং গৃহ নির্মাণ শিল্পে ব্যবহৃত নানা উপাদান যে কোম্পানি থেকে উৎপাদিতহয়, তাদের প্রতিনিধিরাই ফিকির এক-চতুর্থাংশ সদস্য। ভাই ও বোনেরা, তা হলে নির্মাণশিল্পে দুর্নীতির খবর আগের সরকারের কানে পৌঁছালো না। মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের মানুষশোষিত হচ্ছেন সারা জীবনের রোজগারের জমানো টাকা বিল্ডার কিংবা প্রোমোটারদের হাতেতুলে দেওয়ার পর তাঁরা সঠিক মানের বাড়ি পাচ্ছেন না, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও সঠিকপদক্ষেপ কেন নেওয়া হয়নি? কেন? ‘রেরা’র মতো আইন আগেও প্রণয়ন করা যেত, কিন্তু কেনহয়নি? বর্তমান সরকার মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের এই সমস্যাগুলি উপলব্ধি করে এই আইনপ্রণয়ন করেছে। ভাই ও বোনেরা, মার্চ মাসে বাজেট পেশ করলেপরিকল্পনা-মাফিক প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় পাওয়া যায় না। বর্ষার জন্য ৩-৪ মাস সময়নষ্ট হয়ে যায়। সেজন্য এ বছর এক মাস আগেই বাজেট পেশ করা হয়েছে। ফলস্বরূপ, এই বছরসরকারি বিভাগগুলি নির্দিষ্ট সময়ে টাকা পেয়েছে আর প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নে সারা বছরধরে কাজ করতে পেরেছে। বন্ধুগণ, বর্তমান সরকার নতুন ইউরিয়া নীতি গ্রহণকরেছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ও বস্ত্রশ��ল্পে নতুন নীতি গ্রহণ করেছে। বিমান পরিবহণএবং পরিবহণ ক্ষেত্রে সমন্বয় সংক্রান্ত স্বতন্ত্র নীতি গ্রহণ করেছে। নীতি প্রণয়নেরজন্য এই নীতিগুলি প্রণয়ন করা হয়নি। নতুন নীতির ফলে দেশে নতুন নতুন ইউরিয়া কারখানাচালু হয়েছে। ইউরিয়ার উৎপাদন ১৮ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০ লক্ষ টনে পৌঁছে গেছে।বস্ত্রশিল্প ক্ষেত্রে নতুন নীতি প্রায় ১ কোটি নতুন সুযোগ তৈরি করবে। বিমান পরিবহণক্ষেত্রে এবার হাওয়াই চপ্পল পরিহিত সাধারণ মানুষও বিমানে যাতায়াত করতে পারবেন।পরিবহণ ক্ষেত্রে সমন্বয় নীতির ফলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবংভিন্ন ভিন্ন পরিবহণ ব্যবস্থার ওপর থেকে চাপ হ্রাস পাবে। বিগত তিনবছরে ২১টি ক্ষেত্র সংশ্লিষ্ট ৮৭টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারসাধন করা হয়েছে। প্রতিরক্ষাক্ষেত্র, নির্মাণ ক্ষেত্র, অর্থ পরিষেবা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রেবড় পরিবর্তন এসেছে। আপনারা এর পরিণাম অর্থ ব্যবস্থার নানা পরিসংখ্যানে দেখতেপাচ্ছেন। সহজে ব্যবসার সুবিধার জন্য বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং-এভারত মাত্র তিন বছরে ১৪২তম স্থান থেকে ১০০তম স্থানে পৌঁছে গেছে। ভারতের রাজকোষেবিদেশি মুদ্রার মজুত ভাণ্ডার ৩০ হাজার কোটি ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ হাজার কোটিডলার অতিক্রম করেছে। বিশ্ব প্রতিযোগিতামূলক সূচকে ভারতের র‍্যাঙ্কিং ৩২ স্থানউন্নত হয়েছে। বিশ্ব উদ্ভাবন সূচকে ভারতের র‍্যাঙ্কিং ২১ স্থান উন্নত হয়েছে। পণ্যপরিবহণ দক্ষতা সূচকে ভারতের বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং-এ ১৯ স্থান অগ্রগতি হয়েছে। প্রত্যক্ষবিদেশি বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বিগত তিন বছরে প্রায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। ভাই ও বোনেরা, ফিকিতে নির্মাণ ক্ষেত্রের সঙ্গেযুক্ত সদস্য অনেক বেশি রয়েছেন। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, নির্মাণ ক্ষেত্রে এখনওপর্যন্ত মোট যত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে, তার ৭৫ শতাংশই বিগত তিন বছরেহয়েছে। এভাবে বিমান পরিবহণ ক্ষেত্র, খনি ক্ষেত্র,কম্প্যুটার সফট্‌ওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম – এই সকল ক্ষেত্রেইমোট বিনিয়োগের অর্ধেকেরও বেশি বিগত তিন বছরেই হয়েছে। অর্থ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে আরও কিছুপরিসংখ্যান আমি আপনাদের সামনে রাখতে চাই। আশা করি, দু-তিন দিন আগে পাওয়া এইপরিসংখ্যান আপনারাও জানেন। কিন্তু আমি এগুলির দিকে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেচাই। বন্ধুগণ, গত নভেম্বর মাসে অভ্যন্তর���ণ বাজারেযাত্রী পরিবহণকারী যান বিক্রির ক্ষেত্রে ১৪ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি হয়েছে। ব্যবসায়িকযানের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি ৫০ শতাংশেরও বেশি, যা দেশের অর্থনৈতিক গতিবিধির পরিচায়ক।তিন চাকা গাড়ির বিক্রিকে রোজগারের ক্ষেত্রে একটি সূচক বলে মানা হয়। নভেম্বর মাসেএই তিন চাকা গাড়ি বিক্রিতে প্রায় ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। দ্বিচক্র যানেরবিক্রি গ্রামে এবং শহরের মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের আয় বৃদ্ধির সূচক নির্দেশ করে,এক্ষেত্রেও গত নভেম্বরে ২৩ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। বন্ধুগণ, আপনারা জানেন যে, এত বড় স্তরে পরিবর্তনতখনই সম্ভব, যখন দেশের অর্থ ব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পায়। এইউন্নতি প্রমাণ করে যে, সরকার তৃণমূল স্তরে বড় প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক এবং আইনসংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এই উন্নতি প্রমাণ করে যে, সরকার সামাজিক সংস্কার ওঅর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকরছে। আমি যদি শুধুই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কথাউল্লেখ করি, সরকার ২০২২ সালের মধ্যে দেশের প্রত্যেক গরিব মানুষের মাথার ওপর নিজস্বছাদ তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সেজন্য গ্রামে ও শহরে লক্ষ লক্ষ গৃহনির্মাণ করা হচ্ছে। এই গৃহ নির্মাণের কাজ সেখানকার স্থানীয় মানুষরাই করছেন।স্থানীয় বাজার থেকেই জিনিসপত্র কেনা হচ্ছে। একইভাবে, সারা দেশে গ্যাস পাইপ লাইনসম্প্রসারণের কাজ হচ্ছে। এরফলে, অনেক শহরে নগর গ্যাস বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। যেশহরগুলিতে সিএনজি পৌঁছয়, সেখানকার কাজের বাজারে একটি নতুন দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়েউঠছে। ভাই ও বোনেরা, আমরা সবাই যদি দেশের প্রয়োজন বুঝেকাজ করি, তা হলেই সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করতে পারব। ফিকির সঙ্গে যুক্তসদস্য কোম্পানিগুলিরও এ বিষয়ে চিন্তা করতে হবে যে, তারা কিভাবে সেসব জিনিস উৎপাদনকরবে, যেগুলি ভারত বিদেশ থেকে আমদানি করতে বাধ্য হয়। এরকম অনেক ক্ষেত্র রয়েছে, যারকাঁচামাল আমাদের দেশ থেকে আমদানি করে অনেক দেশ আমাদেরকেই বেশি দামে তাদের উৎপাদিতপণ্য বিক্রি করে। আমাদের দেশকে এই পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে হবে। বন্ধুগণ, ২০২২ সালে আমাদের দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছরপূর্তি পালন করবে। তার আগেই আমরা সবাই ‘নতুন ভারত’ গঠনের সংকল্প নিয়েছি। ফিকির মতোসংস্থাগুলির কর্মপরিধি এত বৃদ্ধি পেয়েছে, দায়িত্ব এত বেড়েছে যে তাদেরকেও এগিয়ে এসে‘নতুন ভারত’-এর জন্য সংকল্প নিতে হবে। দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রয়োজন বুঝেফিকিকে কোন্‌ কোন্‌ ক্ষেত্রে নতুন সংকল্প গ্রহণ করবে, তা ঠিক করতে হবে। অনেকক্ষেত্রেই আপনাদের কাজ করার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন – খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ,স্টার্ট আপ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সৌরশক্তি ক্ষেত্র, স্বাস্থ্য পরিচর্যা। এই সকলক্ষেত্রে ফিকির অভিজ্ঞতা দেশকে সমৃদ্ধ করতে সহায়ক হবে। আপনাদের সংস্থাটি দেশেএমএসএমই ক্ষেত্রের জন্য থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসাবে কাজ করতে পারে।? ভাই ও বোনেরা, করতে চাইলে অনেক কিছুই করার আছে। শুধুআমাদের সংকল্প গ্রহণ করতে হবে আর সংকল্প সাধনে লেগে পড়তে হবে। আমাদের সংকল্প সিদ্ধহলে দেশও উন্নত হবে। শুধু এদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে যেমন – ক্রিকেট খেলায় অনেকব্যাটস্‌ম্যান ৯০ রানে পৌঁছে ১০০ রান করার প্রতীক্ষায় ধীরে খেলতে শুরু করেন, ফিকিযেন এরকমটা না করে। উঠুন, একটি ছক্কা মারুন। তারপর একটি চার মারুন – আর এভাবেই ১০০রান করুন!!! আমি আরেকবার ফিকি এবং তার সদস্যদের শুভেচ্ছাজানিয়ে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।",ফিক্কিৰ ৯০ তম বাৰ্ষিক সাধাৰণ সভাৰ আৰম্ভণি অনুষ্ঠানত দিয়া প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ সাৰাংশ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A6%9B%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C/,"মাননীয়প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কু বন্ধুগণ, সংবাদমাধ্যমেরপ্রতিনিধিবৃন্দ প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কুকে ভারতে স্বাগত জানানোর সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। এ বছর দু’দেশেরকূটনৈতিক সম্পর্কের ২৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। তাঁর এই সফর এই বিশেষ উপলক্ষটির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর আগে,প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কুকে ভারতে স্বাগত জানানোর আমরা সুযোগ পেয়েছিলাম ১৯৯৭ এবং২০০৭-এ। বর্তমান সফরকালে মাননীয় প্রেসিডেন্ট ভারতের রূপান্তর প্রক্রিয়া ও প্রচেষ্টারঅভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ পাবেন বলে আমরা মনে করি। আজ আমাদেরমধ্যে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে যে সমস্ত আলাপ-আলোচনা হয়েছে, তা আগামীদিনের পক্ষেবিশেষ বার্তাবহ। গত আড়াই দশকেরও বেশি সময়কাল ধরে আমাদের মধ্যে সম্পর্কের উষ্ণতাই এইআলাপ-আলোচনার বাতাবরণকে বিশিষ্টতা এনে দিয়েছে। শুধুমাত্র দ্বিপ���ক্ষিক বিষয়সম্পর্কেই নয়, আঞ্চলিক তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী সম্পর্কেও আমরা মতবিনিময় করেছি।দ্বিপাক্ষিকঅংশীদারিত্বের কাঠামোর বিষয়টিও পর্যালোচিত হয়েছে আমাদের মধ্যে। এই সম্পর্ককে আরওপ্রসারিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ ও চিন্তাভাবনার শরিক হয়েছি আমরা। সহযোগিতারসবক’টি ক্ষেত্রেইআমরাআলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। প্রেসিডেন্টলুকাশেঙ্কুর মধ্যে আমি এমন এক উৎসাহ এবং আগ্রহ লক্ষ্য করেছি যা দু’দেশেরজনসাধারণের কল্যাণে আমাদের পারস্পরিক অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা এনেদিতে পারে। এই লক্ষ্যকেসামনে রেখে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ করে তোলার জন্য একযোগেকাজ করে যাব আমরা। এই দুটি দেশ যাতে খুব স্বাভাবিকভাবেই পরস্পরের সম্পূরক হয়ে উঠতেপারে, আমরা নজর দেব সেই দিকেই। কেনা-বেচারমতো বাণিজ্যিক কাঠামোর মধ্যেই আমাদের দু’দেশের সংস্থাগুলির কাজ সীমাবদ্ধ থাকলেচলবে না, এক নিবিড়তর কর্মসহযোগিতার বাতাবরণ খুঁজে নিতে হবে তাদের। তেল ও গ্যাস,ওষুধ, ভারী যন্ত্রপাতি এবং সাজসরঞ্জামের মতো ক্ষেত্রগুলিতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগেরঅফুরন্ত সুযোগ রয়েছে। গত বছর ভারতীয় সংস্থাগুলি ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনের ক্ষেত্রেতিনটি যৌথ উদ্যোগের এক শুভ সূচনা করেছে যার ফল হয়েছে ইতিবাচক। টায়ার, কৃষিও শিল্পে ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি এবং খনির সাজসরঞ্জাম উৎপাদনের ক্ষেত্রেওঅংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। সমানভাবেই, নির্মাণ সংক্রান্তবৃহদাকারের যন্ত্রপাতি উৎপাদনের ক্ষেত্রেও ভারতের চাহিদা এখন ক্রমবর্ধমান।অন্যদিকে, বেলারুশের রয়েছে শিল্প শক্তি। ‘মেক ইনইন্ডিয়া’ কর্মসূচির আওতায় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের যৌথ বিকাশ এবং নির্মাণ ও উৎপাদনসম্পর্কিত কাজকর্মের বিষয়গুলিকেই আমরা উৎসাহ যুগিয়ে যাব। বেলারুশের সুনির্দিষ্টপ্রকল্পগুলিতে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তার যে প্রস্তাব ভারত দিয়েছে, তারযথাযথ ব্যবহারের লক্ষ্যেও আমাদের আলোচনা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। ইউরেশিয়অর্থনৈতিক ইউনিয়ন (ইইইউ) এবং আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহণ করিডরের মতোবহুপাক্ষিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার আওতায় ভারত ও বেলারুশ পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত।ইউরেশিয় অর্থনৈতিক ইউনিয়নের সঙ্গে এক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রূপায়ণের পথে এগিয়েগেছে ভারত। বন্ধুগণ, বলিষ্ঠতরস���যোগিতার আরেকটি উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র হল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। এই ক্ষেত্রটিতেবেলারুশ হল আমাদের দীর্ঘকালের অংশীদার। ধাতবপদার্থ, ন্যানো-প্রযুক্তি, জীব-বৈচিত্র্য, চিকিৎসা-বিজ্ঞান, রসায়ন এবংইঞ্জিনিয়ারিং-এর মতো ক্ষেত্রগুলিতে বাণিজ্য ও উদ্ভাবন প্রচেষ্টায় বিশেষভাবে জোরদেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়ায় যুব সমাজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্যও আমরা চেষ্টাচালিয়ে যাব। বেলারুশেরনিজস্ব প্রযুক্তির উপস্থাপনার লক্ষ্যে ভারতে একটি প্রযুক্তি উপস্থাপনা কেন্দ্র স্থাপনেরসম্ভাবনার বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখছি। বেলারুশেরসঙ্গে ভারতের সহযোগিতা প্রসারে উন্নয়ন প্রচেষ্টার মতো বিষয়টিও এক নতুন মাত্রা এনেদিতে পারে। ভারতের অর্থনৈতিক তথাপ্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রসার কর্মসূচিতে বেলারুশহল এক সক্রিয় সহযোগী। আন্তর্জাতিকমঞ্চগুলিতেও পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমাদের এই দুটি দেশ নিবিড় সহযোগিতাও সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গিকে অনুসরণ করে চলেছে। বহুপাক্ষিকমঞ্চগুলিতে পরস্পরকে সমর্থন জানানোর প্রতিশ্রুতিও পালন করবে ভারত ও বেলারুশ। বন্ধুগণ, আমাদেরদু’দেশের জনসাধারণের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের যে সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে, সেসম্পর্কেও প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কুর সঙ্গে আজ আমার আলোচনা হয়েছে। এই ঐতিহ্যের পথধরেই পারস্পরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানিয়ে এসেছেএই দুটি দেশ। ভারতীয় সংস্কৃতি,খাদ্য বৈচিত্র্য, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, নৃত্য, যোগাভ্যাস এবং আয়ুর্বেদ চর্চার প্রতিবেলারুশের বহু নাগরিকেরই যে বিশেষ আগ্রহ রয়েছে সেকথা জেনে আমি খুবই আনন্দ অনুভবকরছি। আমাদেরপারস্পরিক সম্পর্কের বনিয়াদকে আরও মজবুত করে তুলতে দু’দেশের জনসাধারণের মধ্যেপর্যটন বিনিময় এবং সফরসূচি আয়োজনের বিশেষ সম্ভাবনা রয়েছে বলে আমি মনে করি। পরিশেষে,আমাদের এক সম্মানিত অতিথি হিসেবে ভারতে উপস্থিত থাকার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাতেআগ্রহী প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কুকে। আজকের বৈঠকে যে সমস্ত বিষয়ে আমরা সহমত হয়েছি তারপথ ধরে এবং বৈঠকের ফলাফলকে অনুসরণ করে ভারত আগামীদিনগুলিতে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাবেবেলারুশের সঙ্গে। প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কুর ভারতে অবস্থান স্মরণীয় হয়ে উঠুক এইপ্রার্থনা জানাই। ধন্যবাদ। / …","বেলাৰুছৰ ৰাষ্ট্ৰপতিৰ ৰাজনৈতিক ভ্ৰমণৰ সময়ত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ প্ৰেছ-বিজ্ঞপ্তি (১২ ছেপ্তেম্বৰ, ২০১৭)" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF/,"ভারতের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে এক মহান শিক্ষাদর্শ বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে দেশের ১২৫ কোটি জনসাধারণ এই শিক্ষাদর্শে অনুপ্রাণিত। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূণ্য ভূমিতে উপস্থিত থেকে বিদগ্ধজনের সান্নিধ্যে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে আজ বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উৎসবে প্রদত্ত আচার্যের ভাষণে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্দেশে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শেষে যাঁরা ডিগ্রি লাভ করেছেন তাঁরা কিন্তু আক্ষরিক অর্থে এক মহান উত্তরাধিকারকে বহন করে নিয়ে যাওয়ার সম্মান লাভ করেছেন। শ্রী মোদী বলেন, বেদের শিক্ষাদর্শ অনুযায়ী সমগ্র বিশ্ব সংসারই হল একটিমাত্র আবাসভূমি। এই মূল্যবোধই প্রতিফলিত হয়েছে বিশ্বভারতীর নীতি ও শিক্ষাদর্শে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে শ্রী মোদী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ দুটি পৃথক রাষ্ট্র হলেও পারস্পরিক সহযোগিতা, সম্প্রীতি ও সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে তারা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বের সর্বত্রই এক পরম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। তিন বছর আগে তাজিকিস্তানে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের একটি মূর্তির আবরণ উন্মোচনের সৌভাগ্য তাঁর হয়েছিল বলে স্মৃতিচারণ করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আজও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি পাঠ্য বিষয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে এক বিশ্ব নাগরিক বলে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী বলেন, রবীন্দ্রনাথ চাইতেন ভারতীয়ত্ব অটুট রেখে, ছাত্রছাত্রীরা সারা বিশ্বের উন্নয়নের খবর জানুক। সন্নিহিত গ্রামগুলিতে শিক্ষার প্রসার ও দক্ষতা বিকাশের কাজে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২১ সালে বিশ্বভারতীর শতবর্ষ পূর্তিকালে এই ধরণের গ্রামের সংখ্যা ১০০-তে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি। একইসঙ্গে এই গ্রামগুলির সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ২০২২ সালের মধ্যে এক নতুন ভারত গড়ে তোলার কাজে বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানগুলির যে এক গুরুদায়িত্ব রয়েছে একথাও এদিন তাঁর ভাষণে স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রের বিকাশে কেন্দ্রীয় সরকার যে সব উদ্যোগ নিয়েছে, তারও একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে, প্রধানমন্ত্রী এই ভবনটিকে ভারত ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্কের এক বিশেষ প্রতীক রূপে বর্ণনা করেন। শ্রী মোদী বলেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং এই পূণ্য ভূমি, ভারত ও বাংলাদেশ – উভয়েরই স্বাধীনতা সংগ্রামের সাক্ষী। এই দুটি দেশের মিলিত ঐতিহ্যের একটি প্রতীক রূপে বিরাজ করবে এই স্থানটি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে সমানভাবে শ্রদ্ধার চোখে দেখে ভারত ও বাংলাদেশ। আবার, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস, স্বামী বিবেকানন্দ এবং মহাত্মা গান্ধীও সমানভাবে শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত ভারত ও বাংলাদেশে। এই প্রসঙ্গেরই সূত্র ধরে শ্রী মোদী বলেন, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ যতটা ভারতবর্ষের, ঠিক ততটাই বাংলাদেশেরও। রবীন্দ্রনাথের বিশ্ব মানবতার বাণী প্রতিফলিত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’ নীতির মধ্যেও। সন্ত্রাস ও নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণার যে সঙ্কল্প গ্রহণ করেছে ভারত ও বাংলাদেশ, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করে যাবে বাংলাদেশ ভবনের মাধ্যমে। গত বছর নয়াদিল্লিতে ভারতীয় সেনাদের যেভাবে সম্মানিত করা হয়েছিল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে, সেকথাও এদিন স্মরণ করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারত ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গত কয়েক বছর ধরে এক স্বর্ণ যুগের আবির্ভাব ঘটেছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। স্থল সীমান্তের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের নিষ্পত্তি এবং দু’দেশের মধ্যে অন্যান্য সংযোগ ও যোগাযোগ প্রকল্পগুলির কথাও প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন তিনি। ভারত ও বাংলাদেশ – দুটি দেশেরই লক্ষ্য অভিন্ন এবং সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য দুটি দেশ একইভাবে কাজ করে চলেছে বলে উল্লেখ করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। দুই প্রধানমন্ত্রীই আজ ভিজিটার্স বুকে স্বাক্ষর করেন। /","প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শান্তি নিকেতন ভ্ৰমণ, বিশ্ব ভাৰতী বিশ্ববিদ্যালয়ৰ সমাৱৰ্তন অনুষ্ঠানত অংশগ্ৰহণ, ব���ংলাদেশ ভৱন উদ্বোধন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%95-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A7%9D%E0%A7%8B/,"আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ ২৭শে মার্চ, কিছুক্ষণ আগেই ভারত একটি অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। ভারত আজ নিজের নাম মহাকাশে মহাশক্তি – স্পেস পাওয়ার রূপে প্রতিষ্ঠা করেছে। এতদিন পর্যন্ত বিশ্বের তিনটি দেশ – আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিন এই সাফল্য অর্জন করেছিল। এখন ভারত চতুর্থ দেশ হিসেবে এই সাফল্যের অধিকারী হল। প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য এর থেকে বড় গর্বের মুহূর্ত কিছু হতে পারে না। কিছুক্ষণ আগে আমাদের বৈজ্ঞানিকরা মহাকাশে পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে, ‘লিও’ – অর্থাৎ, লো আর্থ অরবিটে একটি সক্রিয় উপগ্রহকে ধ্বংস করেছে। ‘লিও’ – লো আর্থ অরবিট এই সক্রিয় উপগ্রহটি, যেটি একটি পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্য ছিল, সেটিকে অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইলের মাধ্যমে ধ্বংস করেছে। মাত্র ৩ মিনিটে, সাফল্যের সঙ্গে এই অভিযান সম্পন্ন হয়। ‘মিশন শক্তি’ – এটি অত্যন্ত কঠিন একটি অপারেশন ছিল। এতে অত্যন্ত উন্নত মানের প্রযুক্তিগত ক্ষমতার প্রয়োজন ছিল। বৈজ্ঞানিকরা সমস্ত নির্ধারিত লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যে সাফল্য পেয়েছে। আমরা, সমস্ত ভারতীয়দের জন্য এটি গর্বের বিষয়, উন্নতমানের অ্যান্টি-স্যাটেলাইট (এ-স্যাট) মিসাইলের মাধ্যমে ভারতের এই পরাক্রম প্রদর্শন সম্ভব হয়েছে। সবার আগে আমি এই ‘মিশন শক্তি’র সঙ্গে যুক্ত ডিআরডিও-র সমস্ত বৈজ্ঞানিক, অনুসন্ধানকারী ও সমস্ত সংশ্লিষ্ট কর্মীদের শুভেচ্ছা জানাই। তাঁদের এই অসাধারণ সাফল্য আজ আরেকবার দেশের সম্মান বৃদ্ধি করেছে। আমরা আমাদের বৈজ্ঞানিকদের জন্য গর্বিত। মহাকাশ আজ আমাদের জীবনশৈলীর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। আজ আমাদের যথেষ্ট সংখ্যক উপগ্রহ রয়েছে যেগুলি ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, যেমন কৃষি, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা, সম্প্রচার, আবহাওয়া, বিমান ও জাহাজের দিক নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ সহায়তা, শিক্ষা ইত্যাদি। জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে আজ আমরা উপগ্রহ দ্বারা উপকৃত হচ্ছি। একদিকে কৃষক, মৎস্যজীবী, ছাত্র ও নিরাপত্তা বাহিনীগুলি, আর অন্যদিকে রেল, বিমান, জাহাজ পরিচালন ইত্যাদি সকল ক্ষে���্রে উপগ্রহ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশ্বে মহাকাশ এবং উপগ্রহের গুরুত্ব ক্রমবর্ধমান। ভবিষ্যতে মহাকাশ বিজ্ঞান ছাড়া মানুষের জীবন অসম্পূর্ণ হয়ে পড়বে। এহেন পরিস্থিতিতে এই সমস্ত উপকরণের নিরাপত্তা সুদৃঢ় করাও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আজ অ্যান্টি-স্যাটেলাইট (এ-স্যাট) মিসাইল ভারতের নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে, ভারতের উন্নয়নের দৃষ্টিকোণ থেকে দেশকে একটি নতুন শক্তি যোগাবে। আমি আজ বিশ্ববাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে ভারত এই নতুন ক্ষমতা কারোর বিরুদ্ধে প্রয়োগ করবে না। এটি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা নতুন ভারতের একটি আত্মরক্ষামূলক উদ্যোগ। ভারত সর্বদাই মহাকাশে কোন যুদ্ধাস্ত্রের ব্যবহারের বিরুদ্ধে। আর, আজও সেই নীতিতে কোন পরিবর্তন আসেনি। আজকের এই পরীক্ষা কোনরকম আন্তর্জাতিক আইন কিংবা সন্ধি-চুক্তিকে উল্লঙ্ঘন করেনি। আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের ১৩০ কোটি নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত এবং কল্যাণসাধন করতে চাই। এক্ষেত্রে শান্তি ও সুরক্ষার আবহ গড়ে তোলার জন্য একটি মজবুত ভারত গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমাদের সামরিক উদ্দেশ্য যুদ্ধের আবহ গড়ে তোলা নয়, শান্তি বজায় রাখা। প্রিয় দেশবাসী, ভারত মহাকাশে যে কাজ করেছে তার মূল উদ্দেশ্য ভারতের নিরাপত্তা, ভারতের আর্থিক বিকাশ এবং ভারতের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন। আজকের এই মিশন এসব স্বপ্নকে সুরক্ষিত করতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা এই তিনটি স্তম্ভের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আজকের সফলতাকে আগামীদিনে একটি সুরক্ষিত রাষ্ট্র, সমৃদ্ধ রাষ্ট্র এবং শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা উচিৎ। ভবিষ্যতে যে কোন প্রতিস্পর্ধার বিরুদ্ধে নিজেদের প্রস্তুত রেখে এগিয়ে যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতের প্রতিস্পর্ধাগুলির মোকাবিলা করতে এবং দেশের জনগণের জীবনযাত্রার মানে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে আধুনিক প্রযুক্তিকে আপন করে নিতেই হবে। আমাদের লক্ষ্য হল, সমগ্র ভারতবাসীকে ভবিষ্যতের যে কোন সমস্যার মোকাবিলার জন্য আত্মবিশ্বাসে ভরপুর করে তোলা এবং সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা। আমাদের নাগরিকরা কর্মঠ ও দায়বদ্ধ, তাঁদের দেশ ভক্তি, সমর্পণ এবং যোগ্যতায় আমার পরিপূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমরা নিঃসন্দেহে একজোট হয়ে একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ এবং সুরক্ষিত ভারত নির্মাণ করতে পারব। আমি এমন ভারত���রই পরিকল্পনা করি যেটি নিজের সময় থেকে দু’কদম এগিয়ে ভাবতে পারবে এবং এগিয়ে চলার হিম্মত দেখাতে পারবে। আজকের এই মহান সাফল্যের জন্য সমগ্র দেশবাসীকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ধন্যবাদ।",দেশবাসীক উদ্দেশ্যি আগবঢ়োৱা প্ৰধানমন্ত্রীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE/,"ভারতেরপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে ৬ থেকে ৮ এপ্রিল, ২০১৮ পর্যন্ত ভারতসফর করছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী মিঃ কে পি শর্মা ওলি। ৭এপ্রিল দুই প্রধানমন্ত্রী মিলিতভাবে ভারত ও নেপাল – এই দুটি দেশের বহুধা প্রসারিতসম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে এক পর্যালোচনা বৈঠকে মিলিত হন। দু’দেশের সরকার ও জনসাধারণ পর্যায়েএবং বেসরকারি ক্ষেত্রগুলির ক্রমপ্রসারমান সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের সম্পর্ককেতাঁরা উভয়েই আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। সমতা এবং পারস্পরিক আস্থা, সম্মান ও কল্যাণেরভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একযোগে কাজ করে যাওয়ারলক্ষ্যে তাঁরা সঙ্কল্পবদ্ধ হন। ভারতও নেপালের এই নিবিড় মৈত্রী সম্পর্ক যে দু’দেশের সাধারণ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকযোগাযোগ তথা নাগরিকদের মধ্যে পারস্পরিক নিবিড় সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে,সেকথার উল্লেখ করে দুই প্রধানমন্ত্রীই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তুলতেনিয়মিতভাবে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সফর বিনিময় কর্মসূচির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপকরেন। প্রধানমন্ত্রীওলি বলেন যে তাঁর সরকার ভারতের সঙ্গে মৈত্রী সম্পর্ককে আরও জোরদার করে তোলারবিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নেপাল এমনভাবেএগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী যাতে ভারতের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি এবং সেইসঙ্গে অর্থনৈতিকরূপান্তর প্রচেষ্টা ও উন্নয়ন থেকে ঐ দেশ লাভবান হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শ্রীমোদী, মিঃ কে পি শর্মা ওলিকে আশ্বাস দিয়ে বলেন যে তাঁর দেশের চাহিদা ওঅগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই নেপালের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে জোরদার করে তুলতেভারত বরাবরই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শ্রীমোদী বলেন, ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ – এই দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তাভাবনা অনুসরণ করেভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলির ���ঙ্গে সম্পর্কে আরও উন্নত করে তুলতে আগ্রহী। এর মূলভিত্তি হবে সমৃদ্ধি প্রচেষ্টা তথা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব। নেপালেরপ্রধানমন্ত্রী জানান যে এক বিরাট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর তাঁর সরকার ‘সমৃদ্ধ নেপাল,সুখী নেপালী’ – এই মূলমন্ত্রকে সম্বল করে অর্থনৈতিক রূপান্তর প্রচেষ্টাকে বিশেষভাবেঅগ্রাধিকার দিয়েছে। আঞ্চলিক পর্যায়ে তথা যুক্তরাষ্ট্রীয় সংসদ গঠনের ক্ষেত্রে নেপালেরসাফল্যের জন্য ঐ দেশের সরকার ও জনগণকে অভিনন্দন জানান শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনিবলেন, নেপালে এই প্রথম প্রাদেশিক পর্যায়ের যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাতে ঐদেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার চিন্তাভাবনারই সদর্থক প্রতিফলন ঘটেছে। নেপালেরবীরগঞ্জে এক বিশেষ চেকপোস্ট ব্যবস্থার এদিন সূচনা করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। তাঁরাআশা প্রকাশ করে বলেন যে এটি যত দ্রুত সম্ভব চালু করার মাধ্যমে আন্তঃসীমান্তপর্যায়ে বাণিজ্য ও পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে তোলা যাবে। সেইসঙ্গে, দু’দেশেরজনগণের পরস্পরের দেশে যাতায়াতের পথও অনেক সুগম হয়ে উঠবে এবং এর সুবাদে দুটি দেশেরইমিলিতভাবে উন্নয়ন ও অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত হবে। ভারতেরমোতিহারিতে, মোতিহারি-আমলেখগঞ্জ আন্তঃসীমান্ত পেট্রোলিয়াম পরিবহণের জন্য পাইপলাইনস্থাপনের সূচনাপর্বের এদিন সাক্ষী ছিলেন দুই প্রধানমন্ত্রীই। শ্রীমোদী এবং মিঃ ওলি নেপালে দ্বিপাক্ষিক প্রকল্পগুলির দ্রুত রূপায়ণের ওপর বিশেষ জোরদেন। সেইসঙ্গে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক কর্মসূচির বিষয়গুলিকে আরও জোরদারকরে তোলার ওপরও তাঁরা গুরুত্ব আরোপ করেন। দুইপ্রধানমন্ত্রী সহমত প্রকাশ করে বলেন যে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর দু’দেশের বহুধাপ্রসারিত অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে আরও গতিশীল করে তুলবে। সাদরআমন্ত্রণ এবং উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদজানান নেপালের প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে, অদূর ভবিষ্যতে নেপাল সফরের জন্যও তিনিআমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। শ্রী মোদী সম্মতি প্রকাশ করে বলেন যে দু’দেশেরকূটনৈতিক পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই তাঁর এই সফরসূচি স্থির করা হবে। দুইপ্রধানমন্ত্রী এদিন মিলিতভাবে যে বিষয়গুলির ওপর পৃথক পৃথক বিবৃতিদান করেন, তারমধ্যে রয়েছে – ভারত-নেপাল : কৃষিক্ষেত্রে এক নতুন অংশীদারিত্ব; রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসার : ভারতের রক্সৌল-এরসঙ্গে নেপালের কাঠমাণ্ডুর যোগাযোগ এবং অন্তর্দেশীয় জলপথের মাধ্যমে ভারত ও নেপালেরমধ্যে নতুন সংযোগ ও যোগাযোগের প্রসার। /","নেপালৰ প্রধানমন্ত্রীৰ ভাৰত ভ্ৰমণকালত ভাৰত-নেপালৰ যুটীয়া বিবৃতি (৭ এপ্রিল, ২০১৮)" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%B0-10/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AE-%E0%A7%A6%E0%A7%AE-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4/,"আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। অগাস্টের এই মাসে, আপনাদের সবার চিঠি, বার্তা আর কার্ড, আমার দপ্তরকে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত করে দিয়েছে। আমি এমন কোনও চিঠিই প্রায় পাই নি, যার উপরে তেরঙ্গা ছিল না, অথবা তেরঙ্গা আর স্বাধীনতার সঙ্গে যুক্ত কথা ছিল না। বাচ্চারা, তরুণ সাথীরা তো অমৃত মহোৎসবে খুব সুন্দর-সুন্দর ছবি, আর নকশা বানিয়েও পাঠিয়েছে। স্বাধীনতার এই মাসে আমাদের গোটা দেশে, প্রত্যেক শহরে, প্রত্যেক গ্রামে, অমৃত মহোৎসবের অমৃতধারা বইছে। অমৃত মহোৎসব আর স্বাধীনতা দিবসের এই বিশেষ সময়ে দেশের সামগ্রিক শক্তির দর্শন করেছি আমরা। এক চেতনার অনুভব হয়েছে। এত বড় দেশ, এত বিবিধতা, কিন্তু যখন তেরঙ্গা উত্তোলনের প্রসঙ্গ এল, তখন প্রত্যেকে, একটাই ভাবনায় সামিল দেখা গেল। তেরঙ্গার গৌরবের প্রথম প্রহরী হয়ে, মানুষ, নিজেরা এগিয়ে এল। আমরা স্বচ্ছতা অভিযান আর টিকাকরণ অভিযানেও দেশের স্পিরিট দেখেছি। অমৃত মহোৎসবে আবার দেশভক্তির এমনই প্লাবন দেখতে পাচ্ছি আমরা। আমাদের সৈনিকরা উঁচু-উঁচু পাহাড়ের শিখরে, দেশের সীমানায়, আর সমুদ্রের মাঝখানে তেরঙ্গা উত্তোলন করেছে। মানুষজন তেরঙ্গা অভিযানের জন্য আলাদা-আলাদা উদ্ভাবনী আইডিয়াও বের করেছে। যেমন তরুণ সাথী, কৃশনীল অনিল জী। অনিল জী একজন পাজ্‌ল আর্টিস্ট আর উনি রেকর্ড সময়ে অত্যন্ত সুন্দর মোজাইক আর্ট তৈরি করেছেন। কর্ণাটকের কোলারে, মানুষজন ছ’শো তিরিশ ফিট লম্বা আর দু’শো পাঁচ ফিট চওড়া তেরঙ্গা হাতে ধরে অভূতপূর্ব দৃশ্য তৈরি করেছে। অসমে সরকারি কর্মীরা দিঘালীপুখুরী War Memorial-এ তেরঙ্গা উত্তোলনের জন্য নিজেদের হাতে কুড়ি ফিটের তেরঙ্গা বানিয়েছে। এইভাবে, ইন্দোরের মানুষ মানব-শৃঙ্খলের মাধ্যমে ভারতের নকশা বানিয়েছে। চণ্ডীগড়ে, তরুণরা, বিশাল মানব তেরঙ্গা নির্মাণ করে। এই দুটো প্রয়াসই গিনেস রেকর্ডে নথিবদ্ধ করা হয়েছে। এই সবকিছুর মাঝখ���নে, হিমাচল প্রদেশের গঙ্গোট পঞ্চায়েত থেকে এক বড় প্রেরণাদায়ী উদাহরণও দেখতে পাওয়া গেল। এখানে পঞ্চায়েতে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচীতে প্রবাসী শ্রমিকদের সন্তানদের প্রধান অতিথি হিসাবে সামিল করা হয়। বন্ধু, অমৃত মহোৎসবের এই রঙ, শুধু ভারতেই নয়, বরং, দুনিয়ার অন্যান্য দেশেও দেখতে পাওয়া গেল। বোটসোয়ানা-তে বসবাসকারী স্থানীয় সঙ্গীতশিল্পীরা ভারতের স্বাধীনতার পঁচাত্তর বর্ষপূর্তি উদযাপনের জন্য দেশভক্তির পঁচাত্তরটা গান গেয়েছেন। এর মধ্যে আরও বিশেষ ব্যাপার যেটা তা হল পঁচাত্তরটা গান হিন্দী, পাঞ্জাবি, গুজরাতী, বাংলা, অসমিয়া, তামিল, তেলুগু, কন্নড় আর সংস্কৃতের মত ভাষায় গাওয়া হয়েছে। এইভাবে, নামিবিয়াতে ভারত-নামিবিয়ার সাংস্কৃতিক-পারম্পরিক সম্বন্ধ নিয়ে বিশেষ স্ট্যাম্প প্রকাশিত হয়েছে। বন্ধু, আমি আর একটা আনন্দের কথা বলতে চাই। এই কিছু দিন আগে, আমার সুযোগ হয়েছিল ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগের অনুষ্ঠানে যাওয়ার। সেখানে ওঁরা দূরদর্শনের ‘স্বরাজ’ সিরিয়ালের স্ক্রীনিংয়ের ব্যবস্থা রেখেছিলেন। এর প্রিমিয়ারে আমার যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নেওয়া অজানা নায়ক-নায়িকাদের প্রচেষ্টার সঙ্গে দেশের তরুণ প্রজন্মকে পরিচিত করতে এটি একটি দারুণ উদ্যোগ। দূরদর্শনে, প্রতি রবিবার রাত ৯'টায় এটি সম্প্রচারিত হয়। এবং আমাকে জানানো হয়েছে যে, এটি ৭৫ সপ্তাহ ধরে চলবে। আমার আবেদন যে, আপনারা সময় করে নিজেরা দেখুন এবং বাড়ির বাচ্চাদেরও অবশ্যই দেখান এবং স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরাতো এটি রেকর্ডিং করে যখন সোমবার স্কুল খুলবে তখন বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজনও করতে পারে, যাতে আমাদের স্বাধীনতার জন্মের এই সকল মহানায়কদের প্রতি, আমাদের দেশে, নতুন করে সচেতনতা তৈরি হয়। আজাদীর অমৃত মহোৎসব পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সাল এর অগাস্ট মাস পর্যন্ত চলবে। দেশের জন্য, স্বাধীনতার সৈনিকদের জন্য, আমরা যে লেখালেখির আয়োজন করছিলাম তা আমাদের আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমার প্রিয় দেশবাসীরা, আমাদের পূর্বপুরুষদের জ্ঞান, আমাদের পূর্বপুরুষদের বহুধাবিস্তৃত দৃষ্টি এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের একাত্মচিন্তন , আজও কত গুরুত্বপূর্ণ তার গভীরে গেলে আমরা আশ্চর্য হয়ে যাই। হাজার হাজার বছরের পুরনো আমাদের ঋগ্বেদ। ঋকবেদে বলা হয়েছে:- ओमान-मापो मानुषी: अमृक्तम् धात तोकाय तनयाय शं यो: | यूयं हिष्ठा भिषजो मातृतमा विश्वस्य स्थातु: जगतो जनित्री: || ওমান-মাপো মানুষী: অমৃক্তমধাত তোকায় তনয়ায় শং য়ো: । য়ূয়ং হিষ্ঠা ভিষজো মাতৃতমা বিশ্বস্য স্থাতুঃ জগতো জনিত্রীঃ ।। অর্থাৎ, হে জল, আপনি মানবতার পরম মিত্র। আপনি জীবনদায়িনী, আপনার থেকেই অন্ন উৎপত্তি হয় এবং আপনার মাধ্যমেই আমাদের সন্তানদের মঙ্গল হয়। আপনি, আমাদের সুরক্ষা প্রদান করেন এবং আপনিই আমাদের অমঙ্গল থেকে দূরে রাখেন, আপনি হলেন সর্বোত্তম ঔষুধি, আপনিই এই ব্রহ্মাণ্ডের পালনকর্তা। ভাবুন, হাজার হাজার বছর আগেই আমাদের সংস্কৃতিতে, জল ও জল সংরক্ষণের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আজকের প্রেক্ষাপটে এই জ্ঞান সম্মন্ধে জানলে আমরা শিহরিত হই, কিন্তু দেশ যখন এই জ্ঞানকে তার শক্তি হিসেবে গ্রহণ করে, তখন তাদের শক্তি বহুগুণ বেড়ে যায়। আপনার নিশ্চই মনে আছে, 'মন কি বাত'-এ, আমি চার মাস আগে, অমৃত সরোবরের কথা বলেছিলাম। এরপর বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, স্থানীয় মানুষ একত্রিত হয়, এবং দেখতে দেখতেই অমৃত সরোবর নির্মাণ এক গণআন্দোলনে পরিণত হয়। যখন দেশের জন্য কিছু করার অনুভূতি জন্মায়, নিজের কর্তব্যের উপলব্ধিও হয়, আগামী প্রজন্মের জন্য ভাবনা মনে আসে, তখন শক্তিও যোগ হয়, সংকল্প মহৎ রূপ নেয়। আমি তেলেঙ্গানার ওয়ারঙ্গল থেকে একটি দুর্দান্ত প্রচেষ্টা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এখানে একটি নতুন গ্রাম পঞ্চায়েত গঠিত হয়েছে, যার নাম 'মঙ্গত্যা- বাল্যা- থান্ডা'। এই গ্রামটি বনাঞ্চলের কাছাকাছি। গ্রামের কাছে একটি জায়গা ছিল যেখানে বর্ষাকালে প্রচুর জল জমা হত। গ্রামবাসীদের উদ্যোগে, এখন এই জায়গাটি অমৃত সরোবর অভিযানের অধীনে উন্নত করা হচ্ছে। এবার বর্ষার সময় বৃষ্টিতে সরোবরটি জলে টইটুম্বুর হয়ে গেছে। আমি মধ্য প্রদেশের মন্ডলার মোচা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৈরি করা অমৃত সরোবরের কথা আপনাদের বলতে চাই। কানহা জাতীয় উদ্যানের নিকটবর্তী এই সরোবর এলাকার অনেকখানি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরে নবনির্মিত শহীদ ভগত সিং অমৃত সরোবরও মানুষের খুব পছন্দ হয়েছে। এখানের নিওয়ারি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৈরি এই সরোবর চার একর জমি জুড়ে বিস্তৃত। সরোবরের চারদিকের লাগানো গাছগাছালি জায়গাটিকে আরো মনোরম করে তুলেছে। সরোবরের কাছে ৩৫ ফুট উচুঁ তেরঙ্গা দেখতে দূর দূর থেকে লোকজন আসেন। অমৃত সরোবরের এই অভিযান কর্নাটক��ও জোর কদমে চলছে। এখানের বাগলকোট জেলার বিল্কেরুর গ্রামেও খুব সুন্দর অমৃত সরোবর তৈরি হয়েছে। আসলে এই সব অঞ্চলে পাহাড় থেকে আসা জলে থেকে কৃষক ও ফসলের খুব ক্ষতি হত, মানুষজনের খুব অসুবিধা হত। অমৃত সরোবর বানানোর জন্য গ্রামের লোকেরা এই পাহাড় নিঃসৃত জলকে channelize করে একদিকে নিয়ে আসে। এর ফলে, এই এলাকায় বন্যার সমস্যাও চলে গেছে। অমৃত সরোবর আমাদের উপস্থিত অনেক সমস্যার সমাধান ত করছেই, উপরন্তু আগামী প্রজন্মের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই অভিযানে আরও অনেক পুরনো জলাশয়েরও ভোলবদল করা হচ্ছে। পশুপাখির তেষ্টা নিবারণ থেকে চাষবাস, অমৃত সরোবর নানা ভাবে সকলের উপকারে আসছে। এই জলাশয়গুলির জন্য আশেপাশের অঞ্চলের ground water table বাড়ছে। পাশাপাশি সবুজায়ন হচ্ছে। অনেক জায়গায় এই সরোবরে লোকজন মাছচাষ করবারও প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমার আপনাদের সকলের কাছে, বিশেষ করে আমার যুববন্ধুদের কাছে অনুরোধ আপনারা সবাই এগিয়ে আসুন ও এই অমৃত সরোবর অভিযানে যোগদান করুন। জল সঞ্চয় ও জলসংরক্ষণের এই প্রচেষ্টাগুলিকে সাফল্যমন্ডিত করে তুলুন। আমার প্রিয় দেশবাসী, আসামের বঁগাইগাঁও একটি খুব মনোগ্রাহী প্রকল্প চালু আছে- নাম তার প্রজেক্ট সম্পূর্ণা। এই প্রজেক্টের উদ্দেশ্য হল অপুষ্টির বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং এই প্রক্রিয়াও খুব Unique। এই যোজনায় কোনো অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে সুস্থ সবল বাচ্চার মা অপুষ্টিতে ভোগা বাচ্চার মায়ের সঙ্গে প্রত্যেক সপ্তাহে দেখা করেন এবং পুষ্টির সম্পর্কে সমস্ত তথ্যাদি আলোচনা করেন। এইভাবে একজন মা অন্য মায়ের বন্ধু হয়ে তার সাহায্য করেন, তাকে শেখান। এই প্রজেক্টের সাহায্যে এই এলাকায়, মাত্র এক বছরে ৯০ শতাংশের বেশি বাচ্চারা অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। আপনারা কি ভাবতে পারেন অপুষ্টি দূর করতে গান বাজনা তথা ভজনের ব্যবহার হতে পারে! এমনটাই হয়েছে মধ্য প্রদেশের দতিয়া জেলার ""মেরা বচ্চা"" অভিযানে। এই অভিযানে ভজন কীর্তনের আয়োজন করা হয় এবং সেখানে ডাকা হয় পুষ্টি ও এই সম্বন্ধিত বিশেষজ্ঞদের। একটি 'মটকা' অনুষ্ঠানও হয়। মহিলারা অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে এক মুষ্টি শস্য নিয়ে আসেন এবং সেই শস্য দিয়েই শনিবারে 'বালভোজ' এর আয়োজন করা হয়। এতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের উপস্থিতি যেমন বাড়বে তেমনি অপুষ্টিও কমবে। অপুষ্টি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ঝাড়খণ্ডে একটি অনন্য অভিযান চলছে। ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে তৈরি হয়েছে ��াপ-সিঁড়ির মতো একটি খেলা। শিশুরা খেলার মাধ্যমে ভালো আর খারাপ অভ্যাস সম্পর্কে শেখে। বন্ধুরা, আমি আপনাদের অপুষ্টি সংক্রান্ত অনেক উদ্ভাবনী পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা বলছি কারণ আগামী মাসে আমাদের সকলকেও এই অভিযানে যোগ দিতে হবে। সেপ্টেম্বর মাসটি উৎসবের পাশাপাশি পুষ্টি সম্পর্কিত একটি বড় প্রচারাভিযানের জন্যও উত্সর্গীকৃত। আমরা প্রতি বছর ১লা থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর, পুষ্টির মাস হিসেবে উদযাপন করি। অপুষ্টির বিরুদ্ধে সারা দেশে অনেক Creative এবং Diverse effort করা হচ্ছে। প্রযুক্তির উন্নত ব্যবহার এবং জনগণের অংশগ্রহণ পুষ্টি অভিযানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। দেশের লক্ষাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল ডিভাইস সরবরাহ করা থেকে শুরু করে অঙ্গনওয়াড়ি পরিষেবাগুলির ঠিকমতো পৌঁছছে কিনা তা Monitor করার জন্য, পুষ্টি ট্র্যাকারও চালু করা হয়েছে। সমস্ত Aspirational Districts এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে বসবাসকারী 14 থেকে18 বছর বয়সী কন্যাদের এই পুষ্টি অভিযানের আওতায় আনা হয়েছে। অপুষ্টির সমস্যার সমাধান শুধু এই কয়েকটি পদক্ষেপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, আরও অনেক উদ্যোগেরও এই লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ জল জীবন মিশনের কথাই ধরুন, এই মিশনটি ভারতকে অপুষ্টি মুক্ত করার ক্ষেত্রেও বিশাল প্রভাব ফেলতে চলেছে। অপুষ্টির মোকাবিলা করতে সামাজিক সচেতনতামূলক প্রচেষ্টাগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমি আপনাদের সকলকে আগামী মাসে, অপুষ্টি দূর করার প্রচেষ্টায় অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই। আমার প্রিয় দেশবাসী চেন্নাই থেকে শ্রীদেবী বর্ধরাজন জি আমাকে একটি Reminder পাঠিয়েছেন। তিনি mygov-এ তাঁর কথাগুলি এইভাবে লিখেছেন- নতুন বছর আসতে এখন ৫ মাসেরও কম সময় বাকি এবং আমরা সবাই জানি যে আগামী বছরটি, International Year of Millets হিসেবে পালন করা হবে। তিনি আমাকে দেশের একটি মিলেট ম্যাপও পাঠিয়েছেন এবং জিজ্ঞাসা করেছেন যে আপনি ‘মন কি বাত’ এর আসন্ন পর্বে এটি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন কিনা। আমার দেশবাসীর মধ্যে এই ধরনের আবেগ দেখে আমি খুব আনন্দিত হই। আপনার মনে থাকবে যে জাতিসংঘ একটি প্রস্তাব পাস করেছিল এবং ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক শস্য বর্ষ হিসাবে ঘোষণা করেছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে ভারতের এই প্রস্তাবটি ৭০টিরও বেশি দেশ থেকে সমর্থন পেয়ে তবেই গৃহীত হয়েছে। আজ সারা বিশ্বে এই মোটা শস্যের চাহিদা ও কদর ব��ড়ছে। বন্ধুরা, যখন আমি মোটা শস্যের কথা বলি, তখন আমি আজকে আমার একটি প্রচেষ্টা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। বিগত কিছু সময়ে যখনই কোনও বিদেশী অতিথি ভারতে আসেন, বা কোনও রাষ্ট্রপ্রধান ভারতে আসেন, আমার চেষ্টা থাকে ভারতের মোটা শস্য থেকে তৈরি বিশেষ খাবার তাঁদের সামনে উপস্থাপন করি। আমার অভিজ্ঞতা বলে যে, এই গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এই খাবারগুলি খুবই পছন্দ করেন এবং আমাদের মোটা শস্য সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য জোগাড় করতেও তাঁরা তৎপর হন। মোটা শস্য প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের কৃষি, সংস্কৃতি ও সভ্যতার একটি অংশ। আমাদের বেদে মিলেটস অর্থাৎ শস্যদানার ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায়, আর এভাবেই পুরাণ- নুরু এবং তোল্কাপ্পিয়মেও এই বিষয়ে বলা হয়েছে। আপনি এই দেশের যে কোনো অঞ্চলেই যান, সেখানকার খাদ্যাভ্যাসে নানা ধরনের মিলেটস অবশ্যই দেখতে পাবেন। আমাদের সংস্কৃতির মতোই মিলেটসও বিভিন্ন ধরনের হয়। জোয়ার, বাজরা, রাগি, সাবু, কাওনদানা, বাদাম, কোদো, কুটকি, কুট্টু এইসবই নানা ধরনের মিলেটস। ভারত বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মিলেটস উৎপাদনকারী দেশ, তাই এই কার্যক্রমকে সফল করার দায়িত্ব আমাদের ভারতবাসীদের কাঁধেই থাকে। আমরা সকলে মিলে এ বিষয়ে একটা জনআন্দোলন গড়ে তুলতে পারি আর দেশের মানুষের মধ্যে মিলেটসের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে পারি। বন্ধুরা আপনারা তো ভালোভাবেই জানেন মিলটস কৃষক বন্ধুদের জন্যও লাভজনক, বিশেষ করে ছোট পরিসরের চাষীদের জন্য। আসলে অনেকটা কম সময়ে এর ফসল তৈরি হয়। আর এতে খুব বেশি জলের প্রয়োজনও হয় না। আমাদের ক্ষূদ্র চাষিদের জন্য মিলেটস বিশেষভাবে লাভজনক। মিলেটসের খোসা অত্যন্ত উন্নত মানের পশুখাদ্য। বর্তমানের যুবক-যুবতীরা হেলদি লিভিং আর ইটিং এই বিষয়ে ভীষণ ফোকাস্ড। এই দিক থেকে দেখলে মিলেটসে প্রচুর প্রোটিন, ফাইবার আর মিনারেলস রয়েছে। কেউ কেউ একে super foodও বলে। মিলেটসের একটা নয় একাধিক গুণ রয়েছে। ওবেসিটি কমানোর সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন এবং হার্টের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায় মিলেটস। এর সঙ্গে পেট এবং লিভারজনিত অসুখ থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। কিছুক্ষণ আগেই আমরা অপুষ্টি নিয়ে কথা বলছিলাম। অপুষ্টির সঙ্গে লড়ার জন্যও মিলেটস খুব উপকারী কারণ প্রোটিনের সঙ্গে সঙ্গে এতে রয়েছে এনার্জি। দেশে মিলেটসের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য অনেক কিছু করা হচ্ছে। এই ব��ষয়ে নানা গবেষণা ও inovation এর ব্যাপারেও ফোকাস করা হচ্ছে, nterpreneurদের সম্পর্কে আরও বেশি করে লিখুন এবং তাদের সাফল্যের গল্পও সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। আমার প্রিয় দেশবাসী, কিছুক্ষণ আগে, আমি হিমাচল প্রদেশ থেকে 'মন কি বাত'-এর শ্রোতা রমেশ বাবুর চিঠি পেয়েছি। রমেশ বাবু তাঁর চিঠিতে পাহাড়ের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করেছেন, উনি লিখেছেন যদিও পাহাড়ে জনবসতি বেশ দূরে দূরে, কিন্তু মানুষের মন একে অপরের খুব কাছাকাছি। প্রকৃতই আমরা পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষদের থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। পাহাড়ের জীবনধারা ও সংস্কৃতি থেকে আমরা প্রথম যে শিক্ষা পাই তা হলো, পরিস্থিতির চাপে না এসে আমরা সহজেই সেগুলোকে জয় করতে পারি এবং দ্বিতীয়ত, কীভাবে আমরা স্থানীয় সম্পদের ওপর আত্মনির্ভর হতে পারি। আমি প্রথম যে শিক্ষনীয় বিষয়ের কথা বলছি তার একটি সুন্দর চিত্র আজকাল স্পিতি অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে। স্পিতি একটি উপজাতীয় অঞ্চল। এখানে, বর্তমানে, মটর তোলার কাজ চলছে। পাহাড়ি ক্ষেতে এটি শ্রমসাধ্য এবং কঠিন কাজ। কিন্তু এখানে, গ্রামের মহিলারা একত্রিত হয়, একসঙ্গে একে অপরের ক্ষেত থেকে মটর তোলে। এই কাজের পাশাপাশি মহিলারা স্থানীয় গান 'ছপড়া মাঝি ছপড়া'ও গেয়ে থাকেন। অর্থাৎ এখানে পারস্পরিক সহযোগিতাও লোক-ঐতিহ্যের একটি অংশ। স্থানীয় সম্পদ ব্যবহারের সর্বোত্তম উদাহরণও পাওয়া যায় স্পিতিতে। স্পিতিতে, কৃষকরা যারা গরু পালন করেন । গরুর গোবর শুকিয়ে বস্তায় ভরে রাখেন। শীতকাল এলেই এসব বস্তা গরুর থাকার জায়গায়়, যাকে খুড় বলে, সেখানে পেতে দেওয়া হয়। তুষারপাতের সময়, এই বস্তাগুলি গরুকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে। শীত যাওয়ার পর এই গোবর জমিতে সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ পশুর বর্জ্য থেকে তাদের সুরক্ষা, এবং খামারের জন্য সারও পাওয়া যায়। চাষের খরচও কম, জমিতে ফলনও বেশি। এই কারণেই এই অঞ্চলটি, আজকাল, প্রাকৃতিক চাষের প্রেরণা হয়ে উঠছে। বন্ধুরা, এরকমই অনেক প্রশংসনীয় প্রচেষ্টা, আমাদের আরও একটি পাহাড়ী রাজ্য, উত্তরাখণ্ডেও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। উত্তরাখণ্ডে অনেক ধরনের ওষধি আর বনস্পতি পাওয়া যায়। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এদের মধ্যেই একটি ফল হলো বেডু। এটি হিমালয়ান ফিগ নামেও পরিচিত। এই ফলে, খনিজ আর ভিটামিন ভরপুর মাত্রায় পাওয়া যায়। মানুষ ফল হিসেবে তো এটি খায়ই, এরই সঙ্গে অনেক রোগ উপসম করতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। এই ফলের এইসব গুণের কথা মাথায় রেখে বেডুর জুস, এর জ্যাম, চাটনী, আচার, আর একে শুকিয়ে তৈরি করা ড্রাই ফ্রুটস বাজারে আনা হয়েছে। পিথরাগড় প্রশাসন এর চেষ্টা আর স্থানীয় মানুষের সহযোগিতার মাধ্যমে বেডুকে বাজারে আলাদা আলাদা রুপে নিয়ে আসা সম্ভবপর হয়েছে। বেডুকে পাহাড়ী অঞ্জীর নামে ব্র্যান্ডিং করে অনলাইন মার্কেটেও নিয়ে আসা হয়েছে। এতে কৃষক বন্ধুদের আয়ের নতুন পথ তো খুলেছেই, এর সঙ্গে এর ওষধিগুণ দূর দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ছে। আমার প্রিয় দেশবাসী, ‘মন কি বাত’এ আজ প্রথমে আমরা আজাদীর অমৃত মহোৎসব সম্বন্ধে কথা বলেছি। স্বাধীনতা দিবসের মহান পর্বের সঙ্গে সঙ্গে আগামী দিনে আরো অনেক পর্ব আসতে চলেছে। এখন কিছুদিন বাদেই ভগবান গণেশজীর আরাধনা পর্ব গণেশ চতুর্থী শুরু হতে চলেছে। গণেশ চতুর্থী অর্থাৎ গণপতি বাপ্পার আশীর্বাদ পর্ব। গণেশ চতুর্থীর আগে ওনাম পর্বও শুরু হবে। কেরালায় বিশেষ রুপে ওনাম শান্তি আর সমৃদ্ধির ভাবনার সঙ্গে পালন করা হয়। ৩০শে আগষ্ট হর্তালিকা তিজ ও আছে। ওড়িশায় ১লা সেপটেম্বর নুয়াখাই পর্ব ও পালন করা হবে। নুয়াখাই মানে নতুন খাবার, অর্থাৎ এটিও অন্যান্য পর্বের মতোই আমাদের কৃষি পরম্পরার সঙ্গে যুক্ত উৎসব। এরই মধ্যে জৈন সমাজের সম্বৎসরি পর্বও হবে। আমাদের এই সমস্ত পর্ব আমাদের সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি আর জীবনের প্রতীক। আমি আপনাদের সবাইকে এই উৎসব এবং বিশেষ পার্বণগুলির জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই পার্বণগুলির সঙ্গে সঙ্গে কাল ২৯শে আগষ্ট মেজর ধ্যানচাঁদ জীর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় ক্রীড়া দিবসও পালন করা হবে। আমাদের তরুণ খেলোয়াড়রা বিশ্ব মঞ্চে আমাদের পতাকার মর্যাদা বৃদ্ধি করতে থাকুক, এটাই আমাদের ধ্যানচাঁদজির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি হবে। দেশের জন্য আমরা সবাই মিলে এরকমই কাজ করতে থাকি, দেশের মান বাড়াতে থাকি, এই কামনার সঙ্গে আমি আজকের কথা সমাপ্ত করছি। আগামী মাসে, পুনরায় আপনাদের সঙ্গে ‘মন কি বাত’ হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ।",২৮.০৮.২০২২ তাৰিখে ‘মন কী বাত’ৰ ৯২তম খণ্ডত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%B0-%E0%A6%98%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%98%E0%A7%B0%E0%A7%87-%E0%A6%98%E0%A7%B0%E0%A7%87/,"নয়াদিল্লি, ১�� আগস্ট ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযানে দেশবাসীর উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে অংশগ্রহণের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে দেশের ঐক্য ও সংহতি প্রতিফলিত হয়েছে। শ্রী মোদী রাখী পূর্ণিমার দিন যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় তাঁদের হাতে ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা তুলে দেন। এ সংক্রান্ত ভিডিওটি তিনি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযানকে কেন্দ্র করে দেশবাসীর মধ্যে যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে তার মধ্য দিয়ে দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতার ভাবনা প্রতিফলিত হচ্ছে। অমৃতকালে এই ভাবনা ভারতবর্ষকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। #HarGharTiranga” ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকার সঙ্গে প্রত্যেক ভারতবাসী বিশেষ এক বন্ধনে আবদ্ধ। আজ আমার তরুণ বন্ধুদের হাতে এই পতাকা তুলে দিলাম। তাঁদের মুখ হাসিতে উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিল! /",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ঘৰে ঘৰে ত্ৰিৰঙ্গা অভিযানৰ প্ৰতি জনসাধাৰণৰ উৎসাহক প্ৰশংসা কৰে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA-%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2-%E0%A6%94%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%97%E0%A7%B1/,"নয়াদিল্লি: ৩০ আগস্ট: প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বুধবার ভারত ওইজরায়েলের মধ্যে “ভারত-ইজরায়েল শিল্প গবেষণা ও উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনাতহবিল (১৪এফ.)” নিয়ে মউ-এ অনুমোদন দিল| গত জুলাই মাসে (২০১৭) এই মউ স্বাক্ষরিত হয়েগেছে| এই তহবিলে ভারত ও ইজরায়েল পাঁচ বছরের জন্যপ্রতি বছর সমানভাবে চার মিলিয়ন মার্কিন ডলার জমা করবে| দুই দেশের চারজন করে সদস্যনিয়ে গঠিত যৌথ পর্ষদ এই উদ্ভাবনা তহবিল পরিচালনা করবে| এই মউ উদ্ভাবনামূলক বা প্রযুক্তি-চালিত বাউন্নত পণ্য, পরিষেবা বা পদ্ধতির ক্ষেত্রে যৌথ প্রকল্পে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমেবিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক শিল্প গবেষণা ও উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনাসহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে| এভাবে এই প্রকল্প জল, কৃষি, বিদ্যুত ও ডিজিট্যালপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেবে|সহযোগিতামূলক এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত ও ইজরায়েলের বিভিন্ন বেসরকারি শিল্প,উদ্যোগ, গবেষণা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটা সংঘ গড়তে প্রাতিষ্ঠানিকসহায়তা প্রদান করা হবে| যৌথ তহবিলের মাধ্যমে এই সহযোগিতা দুই দেশেরমধ্যে প্রযুক্তি-আর্থিক সহযোগিতাকে বৃদ্ধি করবে| এটা ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে যৌথপ্রকল্পকে উত্সাহিত করার জন্য পরিপূরক শক্তি বৃদ্ধি করবে, জাতীয় ও বৈশ্বিক বাজারেমূলধন তৈরির লক্ষ্যে| সহায়ক সরঞ্জামের এক ব্যাপক সম্ভার প্রদান করবে যা “ব্যবহারিকজ্ঞান” (নো-হাউ) কে “করে দেখানো” (শো-হাও)-এর জ্ঞানে রূপান্তরিত করবে| এটা ভারতেউদ্ভাবনা ও প্রযুক্তি-উদ্যোগকে শক্তিশালী করবে, লালন করবে এবং ভারতের স্টার্ট-আপকর্মসূচিতে প্রত্যক্ষ অবদান রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে|",“ভাৰত-ইজৰাইল ঔদ্যোগিক গৱেষণা আৰু উন্নয়ন তথা প্ৰযুক্তিগত উদ্ভাৱন পুঁজি” সন্দৰ্ভত স্বাক্ষৰিত বুজাবুজি চুক্তিত কেবিনেট অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%9B-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%B0-2/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বার্মিংহামে ২০২২ সালের কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক জয়ের জন্য ভারোত্তোলক জেরেমি লালরিননুঙ্গা-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমাদের যুবশক্তি আরেকটি ইতিহাস রচনা করলো! @raltejeremy –কে অভিনন্দন, তিনি প্রথমবার কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সোনা জিতেছেন এবং এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য কয়েকটি রেকর্ড গড়েছেন। তরুণ এই ক্রীড়াবিদের জন্য দেশ গর্বিত। ভবিষ্যতে তাঁর আরও সাফল্য কামনা করি”।","কমনৱেল্থ গেমছ, ২০২২ত স্বৰ্ণ পদক জয়ী ভাৰত্তোলক মীৰাবাই চানুক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ অভিনন্দন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%A3-%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D/,"প্রধানমন্ত্রীর শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে বুধবার(২৭ জুন)কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারত ও জামার্নির মধ্যে অ-সামরিক বিমান পরিবহন ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতাপত্র বা মৌ স্বাক্ষরের বিষয়টি অনুমতি মিলেছে। এই মউ স্বাক্ষরের ফলে ভারত ও জামার্নির মধ্যে বিমান পরিবহন ক্ষেত্রের নিরাপত্তা, দক্ষতা ও মানোন্নয়নে প্রসার ঘটবে। যৌথ আগ্রহ প্রকাশের অঙ্গ হ���সেবে এই মউ দুই দেশের মধ্যে অ-সামরিক বিমান পরিবহন সম্পর্কে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইল ফলক হয়ে উঠল। আশা করা হচ্ছে, এর ফলে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান বৃদ্ধি পাবে। অ-সামরিক বিমান পরিবহন ক্ষেত্রে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার প্রসার তথা বিনিময়ের জন্য যৌথ আগ্রহ প্রকাশের মাধ্যমে উভয় দেশই এই সম্পর্ককে আরও মজবুত ও উন্নত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এই যৌথ আগ্রহ প্রকাশের উদ্দেশ্য হল পারস্পরিক সহযোগিতার প্রসার সুবিধার্থে বিমান চলাচলে নিরাপত্তা ও এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট, হেলিপোর্ট ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আপৎকালিন চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান, নিয়মকানুন ও নীতি, কর্পোরেট ও বাণিজ্যিক বিমান চলাচল বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রভৃতি।",অসামৰিক বিমান পৰিবহণ খণ্ডত সহযোগিতাৰ লক্ষ্যৰে ভাৰত আৰু জাৰ্মানীৰ মাজত প্ৰস্তাৱিত বুজাবুজি চুক্তিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%89/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A6%BE/,"রাজধানীর প্রবাসী ভারতীয় কেন্দ্রে তরুণ সিইও’দের নিয়ে নীতি আয়োগ আয়োজিত একঅনুষ্ঠানে মঙ্গলবার ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। “পরিবর্তনেরদিশারী – জি-টু-বি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ভারতের রূপান্তর” বিষয়টির ওপর তিনিআলোচনা ও মতবিনিময় করেন তরুণ সিইও’দের সঙ্গে। তরুণ শিল্পোদ্যোগীদের নিয়ে আয়োজিত গতসপ্তাহের এক অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সিইও’দের ছটি দল এদিন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘কৃষকদের আয় ও উপার্জন দ্বিগুণ করেতোলা’, ‘বিশ্বমানের পরিকাঠামো’, ‘আগামী দিনের নগরী’, ‘আর্থিক ক্ষেত্রের সংস্কার’এবং ‘আগামী ২০২২ সালের মধ্যে এক নতুন ভারত গঠন’-এর মতো বিষয়গুলির ওপর তাদেরউপস্থাপনা পেশ করে। সিইও’দের উপস্থাপনার মধ্যে যে নতুন নতুন চিন্তাভাবনা এবং উদ্ভাবন প্রবণতালক্ষ্য করা গেছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের কল্যাণে যেভাবেতাঁরা মূল্যবান মতামত ও চিন্তাভাবনার জন্য সময় দিয়েছেন, সেজন্য তিনি ধন্যবাদওজানান তরুণ সিইও’দের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্গেযাঁরা বর্তমানে যুক্ত রয়েছেন, তাঁরা খুব মনোযোগ দিয়ে উপস্থাপনাগ���লি লক্ষ্য করেছেন।নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে এই উপস্থাপনাগুলিকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেই মনে করেনতিনি। শ্রী মোদী বলেন, সরকারি প্রশাসন ও পরিচালনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষেরঅংশগ্রহণ একান্ত জরুরি। সেই কারণে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার যে প্রচেষ্টা সিইও’রাচালিয়ে যাচ্ছেন, তাতে দেশের নাগরিক-সমাজ তথা সমগ্র জাতিই বিশেষভাবে উপকৃত হবে। স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের অন্যান্যকাজ থাকা সত্ত্বেও সকল ভারতীয়কে স্বাধীনতার যোদ্ধা করে তুলেছিলেন মহাত্মা গান্ধী।আর এইভাবেই স্বাধীনতা সংগ্রামকে জনসাধারণের এক আন্দোলন রূপে গড়ে তোলার কাজে তিনিবিশেষভাবে সাহায্য করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মতে, উন্নয়ন প্রচেষ্টাকেও জনসাধারণের এক আন্দোলনের রূপদেওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, এমন এক শক্তি ও আগ্রহ সকলের মধ্যে জাগিয়ে তোলা দরকার,যাতে আগামী ২০২২ সালের মধ্যে নতুন ভারত গঠনের লক্ষ্যে আমরা কোনও না কোনোভাবেনিজেদের অবদান সৃষ্টি করতে পারি। তরুণ সিইও’দের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাদেরসকলকে নিয়েই গড়ে উঠেছে আমাদের কর্মীদল। আর এইভাবে সকলকে সঙ্গে নিয়েই ভারত’কে আমরাঅনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। কৃষি ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজনের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন,কৃষকদের আয় ও উপার্জন দ্বিগুণ করে তোলার মতো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে বিভিন্নপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ওপরবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, পরিকাঠামোর ঘাটতি কৃষি ক্ষেত্রে প্রভূতক্ষতিসাধন করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তনের সূচনা করেছে। ইউরিয়ার যোগান ও উৎপাদন সহজও সুলভ করে তুলতে যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তারও উল্লেখ করেন তিনি।অতিরিক্ত উৎপাদনের জন্য বিশেষ পারিশ্রমিক, সার উৎপাদনে গ্যাসের মূল্য স্থির করেদেওয়া সহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও তিনি প্রসঙ্গত উল্লেখ করেন। এরফলে, দেশেবর্তমানে যে অতিরিক্ত ২০ লক্ষ টন ইউরিয়া উৎপাদিত হচ্ছে, সেকথারও উল্লেখ ছিল এদিনপ্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। তিনি বলেন, অকৃষি ক্ষেত্রে ইউরিয়া ব্যবহারের প্রবণতা বন্ধকরা সম্ভব হয়েছে ঐ সারটির উৎপাদনে নিম কোটিং যুক্ত করার ফলে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নগদ অর্থে ��েনদেনের পথ থেকে দেশকে সরিয়ে আনতে আগ্রহীকেন্দ্রীয় সরকার। এই বিষয়টির প্রসারে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য তিনিআহ্বান জানান তরুণ সিইও’দের। শ্রী মোদী বলেন, উৎসবের মরশুমে একটি উপহার সামগ্রী হিসাবে খাদির ব্যবহারকেজনপ্রিয় করে তোলা সম্ভব। এরফলে, দরিদ্র মানুষ বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। জীবনেরপ্রতিটি ক্ষেত্রে দরিদ্র সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলার মতো পরিবেশ সৃষ্টির ওপরবিশেষ গুরুত্ব দেন তিনি। সরকারি বাজার বা বিপণন ব্যবস্থার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে শ্রী মোদী বলেন যে,ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সরকারি বাজারে পণ্যসামগ্রীর যোগান দিয়ে নানাভাবে উপকৃত হচ্ছেন।এই বিপণন ব্যবস্থায় এ পর্যন্ত ১ হাজার কোটি টাকার মতো লেনদেন হয়েছে বলে তিনিউল্লেখ করেন। সরকারি বিপণন ব্যবস্থার মঞ্চ ব্যবহার করে লাভবান হয়েছেন ২৮ হাজারপণ্য সরবরাহকারী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জন্য প্রত্যেক ভারতবাসীরই গর্ববোধ করা উচিৎ।পর্যটন কেন্দ্রগুলির বিকাশে সকলকেই উৎসাহিত হতে হবে এবং উৎসাহিত করতে হবেঅন্যদেরও। ‘বর্জ্য থেকে সম্পদ’ উৎপাদনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সঙ্গে যে সমস্তশিল্পোদ্যোগী যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, স্বচ্ছ ভারতএবং দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাঁরা প্রভূত সাহায্য করে চলেছেন।প্রধানমন্ত্রীর মতে, শিল্পোদ্যোগ এবং বাণিজ্যিক প্রচেষ্টার লক্ষ্য হওয়া উচিৎ দেশেরসাধারণ মানুষের সমস্যা নিরসনে নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং পদস্থ সরকারিআধিকারিকরা। …",নিটী আয়োগে অনুষ্ঠিত কৰা “পৰিৱৰ্তনৰ চেম্পিয়ন” শীৰ্ষক অনুষ্ঠানত দেশৰ যুৱ মুখ্য কাৰ্যবাহী বিষয়াসকলক উদ্দেশ্যি প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2-66/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A6%85%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6/,"নতুন দিল্লি, ১৯ অক্টোবর, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল (২০ অক্টোবর) উত্তরপ্রদেশ সফরে যাবেন। সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী কুশীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন। এর পর বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি মহাপরিনির্বাণ মন্দিরে অভিধান দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। পরে বেলা ১.১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী কুশীনগরে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। কুশীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন কুশীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উদ্বোধন উপলক্ষে শ্রীলঙ্কার কলোম্ব থেকে একটি বিমান এই বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। এই সফরে শ্রীলঙ্কার শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষুক এবং ১২ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল বুদ্ধের পবিত্র স্মারক প্রদর্শনীর জন্য নিয়ে আসবে। প্রতিনিধি দলে শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ ধর্মের চারটি অনুগামী শাখা – আসগিরিয়া, অমরাপুরা, রামান্য, মালওয়াত –এর সদস্য এবং শ্রীলঙ্কা সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী নমল রাজাপক্ষের নেতৃত্বে ৫ জন মন্ত্রীও থাকবেন। কুশীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২৬০ কোটি টাকা। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক তীর্থযাত্রীদের ভগবান বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ স্থল পরিদর্শনে এই বিমানবন্দর বিশেষ সাহায্য করবে এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধ তীর্থস্থানের সঙ্গে এই পবিত্র স্থানটিকে যুক্ত করে তুলবে। বিহার এবং উত্তর প্রদেশের নিকটবর্তী জেলায় গড়ে ওঠা এই বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মহাপরিনির্বাণ মন্দিরে অভিধাম দিবস প্রধানমন্ত্রী মহাপরিনির্বাণ মন্দির পরিদর্শন করবেন। ভগবান বুদ্ধের শায়িত মূর্তিতে পূজার্চনা ও চীভর অর্পণ করবেন। পাশাপাশি একটি বোধি গাছের চারাও রোপণ করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী অভিধাম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এই দিনটি বৌদ্ধ ভিক্ষুকদের জন্য তিন মাস বর্ষার প্রস্থান – বর্ষা মাস বা বর্ষার সমাপ্তির প্রতীক হিসেবে উদযাপিত হয়। এই সময় তারা বিহার ও মঠের এক জায়গায় জড়ো হয়ে প্রার্থনা করেন। এই অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, দক্ষিণ কোরিয়া, নেপাল, ভূটান এবং কম্বোডিয়ার বিশিষ্ট সন্যাসীদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতেরাও উপস্থিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী অজন্তা দেওয়াল চিত্র, বৌদ্ধ সূত্র ক্যালিগ্রাফি এবং গুজরাটের ভাদনগর ও অন্যান্য স্থান থেকে খননকৃত বৌদ্ধ নিদর্শনগুলির প্রদর্শনীও পরিদর্শন করবেন। উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রী কুশীনগরের বারওয়া জঙ্গল অঞ্চলে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তিনি কুশী��গরের রাজকিয়া মেডিকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলা হবে। এখানে ৫০০ শয্যার ব্যবস্থা থাকবে। এমনকি ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস পাঠক্রমে ১০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তিও হতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী এদিন ১৮০ কোটি টাকা মূল্যের ১২টি উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। /",২০অক্টোবৰত উত্তৰ প্ৰদেশ ভ্ৰমণ কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আৰু কুশীনগৰ বিমান বন্দৰৰ শুভ উদ্বোধন ঘোষণা কৰি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%A8-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লি, ২১ অক্টোবর, ২০২২ · গর্ভগৃহে রুদ্রাভিষেক করেছেন · আদিগুরু শঙ্করাচার্যের সমাধি-স্থল দর্শন করেছেন · মন্দাকিনী আস্থাপথ ও সরস্বতী আস্থাপথের কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছেন · কেদারনাথ ধাম প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ কেদারনাথ দর্শন করেন এবং শ্রীকেদারনাথ মন্দিরে পুজো করেছেন। ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি পোশাকে সজ্জিত প্রধানমন্ত্রী গর্ভগৃহে রুদ্রাভিষেক করেছেন। তিনি নন্দীর মূর্তির সামনে প্রার্থনাও করেন। প্রধানমন্ত্রী আদিগুরু শঙ্করাচার্যের সমাধি-স্থল দর্শন করেছেন এবং মন্দাকিনী আস্থাপথ ও সরস্বতী আস্থাপথের কাজের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন। তিনি কেদারনাথ ধাম প্রকল্পে যুক্ত শ্রমজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেছেন। উত্তরাখন্ডের রাজ্যপাল অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল গুরমিত সিং এবং মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পুষ্কর সিং ধামি প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন। হিন্দুদের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান হ’ল কেদারনাথ। এই অঞ্চলে শিখদের পবিত্র তীর্থস্থান হেমকুন্ড সাহিব অবস্থিত। ধর্মীয় দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে যেসব প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে, তার মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং সহজে যাতায়াতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার প্রতিফলিত।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে উত্তৰাখণ্ডৰ শ্ৰী কেদাৰনাথ ধাম দৰ্শন কৰি পূজা-অৰ্চনা কৰে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%8F%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A6%8F%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A4-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE/,"নতুন দিল্লি, ১৬ এপ্রিল, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ১৮ – ২০ এপ্রিল গুজরাট সফর করবেন। ১৮ তারিখ তিনি সন্ধে ৬টা নাগাদ গান্ধীনগরে বিদ্যালয়গুলির কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার পরিদর্শনে যাবেন। পরদিন অর্থাৎ ১৯ তারিখ সকাল ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ তিনি বনসকাঁথার দিয়োদারে বনস ডেয়ারি সঙ্কুলে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ ও শিলান্যাস করবেন। সেদিনই তিনি বেলা ৩টে ৩০ মিনিট নাগাদ জামনগরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক পরম্পরাগত চিকিৎসা কেন্দ্রের শিলান্যাস করবেন। আগামী ২০ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী গান্ধীনগরে বিশ্ব আয়ুষ বিনিয়োগ ও শীর্ষ সম্মেলনের সূচনা করবেন। এরপর বেলা তিনটে ৩০ মিনিট নাগাদ শ্রী মোদী দাহোদে আদিজাতি মহাসম্মেলন উদ্বোধন তথা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করবেন। বিদ্যালয় কম্যান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টারে প্রধানমন্ত্রী :- প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৮ই এপ্রিল গান্ধীনগরে সন্ধে ৬টা নাগাদ বিদ্যালয়গুলির কম্যান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার পরিদর্শন করবেন। এই কেন্দ্রটি প্রতি বছর ৫০০ কোটির বেশি ডেটা সংগ্রহ করে। সংগৃহীত এই ডেটা বা তথ্য ডেটা অ্যানালিটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং পদ্ধতির মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে দেখা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সার্বিক শিক্ষা গ্রহণের গুণমান বাড়াতেই এই কেন্দ্রটি কাজ করে থাকে। এছাড়াও এই কেন্দ্রটি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে দৈনিক উপস্থিতিতে নজরদারি তথা ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা গ্রহণের মান নির্দিষ্ট সময় অন্তর মূল্যায়ন এবং এই সংক্রান্ত তথ্য একত্রিত করে থাকে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক এই কম্যান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টারটিকে সেরা আন্তর্জাতিক পন্থা-পদ্ধতি অনুসরণ করার স্বীকৃতি দিয়েছে। এমনকি, এই কেন্দ্রটির বিভিন্ন কাজকর্ম দেখার জন্য বিভিন্ন দেশকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। বনসকাঁথায় দিয়োদারে বনস ডেয়ারি সঙ্কুলে প্রধানমন্ত্রী :- প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৯ এপ্রিল সকাল ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ বনসকাঁথা জেলার দিয়োদারে একটি নতুন ডেয়ারি কমপ্লেক্স ও আলু প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এগুলি নির্মাণে খরচ হয়েছে ৬০০ কোটি টাকার বেশি। উল্ল��খ করা যেতে পারে, নবনির্মিত এই ডেয়ারি কমপ্লেক্সটি গ্রীণফিল্ড প্রকল্প। এই ডেয়ারি কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ৩০ লক্ষ লিটার দুধ প্রক্রিয়াকরণ, প্রায় ৮০ টন মাখন উৎপাদন, এক লক্ষ লিটার আইসক্রিম উৎপাদন, ২০ টন ঘন দুধ উৎপাদন এবং ছয় টন চকলেট উৎপাদন হবে। আলু প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটিতে বিভিন্ন ধরণের প্রক্রিয়াজাত খাদ্য সামগ্রী, যেমন – ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পটাটো চিপস, আলু টিক্কি, প্যাটিজ প্রভৃতি তৈরি হবে। এমনকি, অধিকাংশ প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য রপ্তানিও করা হবে। এই কেন্দ্রটি স্থানীয় কৃষকদের ক্ষমতায়ন এবং এই অঞ্চলে গ্রামীণ অর্থনীতি বিকাশে সাহায্য করবে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী বনস কমিউনিটি রেডিও স্টেশন জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। কৃষিকাজ ও গবাদি পশুপালন সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রচারের জন্য এই রেডিও স্টেশনটি গড়ে তোলা হয়েছে। ১ হাজার ৭০০টির বেশি গ্রামের ৫ লক্ষের বেশি কৃষক এই রেডিও স্টেশন থেকে উপকৃত হবেন বলে আশাকরা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী পালানপুরে বনস ডেয়ারি প্ল্যান্টে চিজ এবং হুই পাউডার উৎপাদনের জন্য সম্প্রসারিত কেন্দ্রটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এরপর তিনি গুজরাটের দামায় জৈব সার ও জৈব গ্যাস প্ল্যান্ট জাতির উদ্দেশ উৎসর্গ করবেন। প্রধানমন্ত্রী এরপর খিমানা, রতনপুরা – ভিলডি, রাধানপুর এবং থাওয়ারে ১০০ টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন চারটি গোবর গ্যাস প্ল্যান্টের শিলান্যাস করবেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরম্পরাগত আন্তর্জাতিক চিকিৎসা কেন্দ্র : প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৯ এপ্রিল বেলা তিনটে ৩০ মিনিটে জামনগরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরম্পরাগত আন্তর্জাতিক চিকিৎসা কেন্দ্রের শিলান্যাস করবেন। এই অনুষ্ঠানে মরিসাসের প্রধানমন্ত্রী মিঃ প্রবিন্দ কুমার জগন্নাথ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মহানির্দেশক টেড্রস গেব্রেইসাস উপস্থিত থাকবেন। এটি সারা বিশ্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এধরণের একমাত্র কেন্দ্র হয়ে উঠছে। এই কেন্দ্রটি সারা বিশ্বে রোগী কল্যাণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক হাব হয়ে উঠবে। বিশ্ব আয়ুষ বিনিয়োগ ও উদ্ভাবন শীর্ষ সম্মেলন : বিশ্ব আয়ুষ বিনিয়োগ ও উদ্ভাবন শীর্ষ সম্মেলন গান্ধীনগরে মহাত্মা মন্দিরে আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী আগামী ২০ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ এই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মরিসাসের প্��ধানমন্ত্রী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহানির্দেশক উপস্থিত থাকবেন। তিন দিনের এই সম্মেলনে প্রায় ৯০ জন বিশিষ্ট বক্তা এবং ১০০ জন প্রদর্শক পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ সভা, আটটি গোল টেবিল বৈঠক, ছয়টি কর্মশিবির এবং দুটি সেমিনারে অংশ নেবেন। এই সম্মেলন বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজে বের করার পাশাপাশি উদ্ভাবন, গবেষণা ও উন্নয়ন, স্টার্ট আপ ক্ষেত্রের অনুকূল পরিবেশ এবং রোগী কল্যাণের মত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলির অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা নেবে। শিল্পপতি, শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞদের একমঞ্চে নিয়ে এসে ভবিষ্যৎ সহযোগিতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। দাহোদে আদিজাতি মহাসম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : প্রধানমন্ত্রী আগামী ২০ এপ্রিল বেলা তিনটে ৩০ মিনিট নাগাদ দাহোদে আদি জাতি মহাসম্মেলনে যোগ দেবেন। এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি ২২ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। দুই লক্ষের বেশি মানুষ এই সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। নর্মদা নদী অববাহিকায় দাহোদ জেলার দক্ষিণাংশের জন্য যে আঞ্চলিক জল সরবরাহ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, সেটিরও তিনি সূচনা করবেন। এই প্রকল্প খাতে খরচ হয়েছে ৮৪০ কোটি টাকা। দাহোদ জেলায় প্রায় ২৮০টি গ্রামে এবং দেবগড় বাড়িয়া শহরে এই প্রকল্পটি থেকে জল সরবরাহ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী দাহোদ স্মার্টসিটিতে পাঁচটি প্রকল্পের সূচনা করবেন। এই প্রকল্প খাতে খরচ হয়েছে ৩৩৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে রয়েছে ইন্টিগ্রেডেট কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার ভবন, বন্যার জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা, পয়ঃপ্রণালী, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বর্ষার জল সংরক্ষণ ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে পঞ্চমহল ও দাহোদ জেলার ১০ হাজার আদিবাসীকে ১২০ কোটি টাকা সাহায্য দেওয়া হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী ৬৬ কিলোভোল্ট ক্ষমতাসম্পন্ন ঘোড়িয়া সাবস্টেশন, পঞ্চায়েত ভবন, অঙ্গনওয়াড়ি প্রভৃতি কেন্দ্রের সূচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রী দাহোদে রেলের উৎপাদন ইউনিটে নয় হাজার অশ্ব ক্ষমতা সম্পন্ন ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিন তৈরির শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্প খাতে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। উল্লেখ করা যেতে পারে, বাষ্পচালিত রেল ইঞ্জিনের সংস্কার ও মেরামতের জন্য ১৯২৬-�� রেলের দাহোদ ওয়ার্কশপ স্থাপিত হয়েছিল। এই ওয়ার্কশপটিকে বৈদ্যুতিন রেলইঞ্জিন নির্মাণের উপযোগী করে তোলা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোগত মানোন্নয়ন করা হয়েছে। এই কেন্দ্রটি চালু হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রায় ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সরকারের প্রায় ৫৫০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এরমধ্যে রয়েছে, ৩০০ কোটি টাকার জল সরবরাহ প্রকল্প, প্রায় ১৭৫ কোটি টাকার দাহোদ স্মার্টসিটি প্রকল্প, দুধিমতি নদীর সঙ্গে যুক্ত একাধিক প্রকল্প, ঘোড়িয়ায় জিইটিসিও-এর সাবস্টেশন প্রভৃতি। /",১৮-২০এপ্রিলত গুজৰাট ভ্ৰমণ কৰিব প্রধানমন্ত্রীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%9D%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%83%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F/,"ভারত এবং আন্তর্জাতিকসৌর সমঝোতা মঞ্চের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাবে আজ কর্মপরবর্তী অনুমোদনদিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিতমন্ত্রিসভার এই বৈঠকে এই চুক্তি স্বাক্ষরের দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি দেওয়া হলকেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রককে। সৌর সহযোগিতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে নেতৃত্বদানকারী দেশেরসঙ্গে মঞ্চের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের একটি বিশেষ চুক্তি হিসাবে এটিকে গণ্য করাহয়েছে। চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে এ বছরের ২৬ মার্চ তারিখে। এই চুক্তিস্বাক্ষরের ফলে ভারতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সৌর সমঝোতা মঞ্চের কাজকর্ম সম্পর্কিতযাবতীয় পন্থাপদ্ধতিকে বিশেষ প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সৌরসমঝোতা স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে সৌর প্রযুক্তির বিকাশ যেমন একদিকে ত্বরান্বিত হবে, অন্যদিকেতেমনই ভারত সহ মঞ্চের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রগুলির কাজের দায়িত্ব পালনও যথেষ্টতাৎপর্য লাভ করবে।",ভাৰত আৰু আন্তঃৰাষ্ট্ৰীয় সৌৰ মৈত্ৰীৰ মাজত মুখ্য কাৰ্যালয় (আয়োজক দেশ) চুক্তিৰ প্ৰস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%95/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় সেদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে বিশেষ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন এবং গত বছর নতুন দিল্লিতে সাধারনতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে ইন্দোনেশিয়া সহ ১০টি আশিয়ানভুক্ত রাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দের উপস্হিতির কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ১৯৫০ সালে, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি যে নতুন দিল্লিতে সাধারণতন্ত্র দিবসের শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি ছিলেন, তা কোনও সমাপতনের ঘটনা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় ভারতীয় বংশোদ্ভুত মানুষেরা এদেশে গর্বিত নাগরিক। কিন্তু তাঁরা তাঁদের ভারতীয় পরিচয়ের শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে আগ্রহী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত চার বছরে ভারতে এক অভূতপূর্ব রূপান্তর দেখা গেছে। এই প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ, ভারতীয় অর্থনীতির বিকাশ সহজে ব্যবসার সুযোগ এবং ভারতীয় অর্থনীতির প্রতিযোগিতামূলক পরিস্হিতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, উভয় দেশই তাদের গণতান্ত্রিক ও বহুত্ববাদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্বিত। তিনি বালি-যাত্রা’র এবং উদাহরণ দিয়ে বলেন, দু দেশের মধ্যে রান্নাবান্না ও খাদ্যাভ্যাস এবং ভাষার মধ্যে এক ধরনের মিল রয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ঐক্যের কথা তুলে ধরে। তিনি বলেন, আজ একটু আগে তিনি এবং প্রেসিডেন্ট উইডোডো যৌথভাবে একটি ঘড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেছেন। এই উৎসবের অন্যতম প্রধান সুর ছিল রামায়ন ও মহাভারতের ঘটনাগুলি। ভারতের উন্নয়নের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার উন্নয়ন বান্ধব ও দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্হা সৃষ্টি করার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসা করার সুবিধা’ থেকে ভারতে বর্তমানে ‘বসবাসের সুবিধা’র ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সমস্ত কর্মপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং সংবেদনশীল বলে তিনি মন্তব্য করেন। পরিকাঠামো উন্নয়নের বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বেশকিছু নাটকীয় ঘটনার কথা তিনি তুলে ধরেন। ভারতের গতিশীল স্টার্ট-আপ ব্যবস্হা এবং আন্তর্জাতিক সৌর জোটের কথাও প্রধানমন্ত্রী বলেন। শ্রী মোদী বলেন, দুর্গতদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারত এবং ইন্দোনেশিয়া উভয়য়েই এক সংবেদনশীল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলেন। তিনি বলেন, ভারত কোনদিন কোন ব্যক্তির পাসপোর্টের রঙ দেখতে চাইনা এবং যেসব ব্যক্তির সহায়তা প্রয়োজন তাদের সাহায্য দিয়ে থাকে। তিনি বলেন, ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ার নামের উচ্চারনেই যে কেবলমাত্র ছন্দ রয়��ছে তাই নয়, উভয় দেশ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিষয়েও এক অভিন্ন ছন্দের অংশিদার। প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের ভারত সফরে আসার এবং নিজের চোখে পরিবর্তন প্রতক্ষ্য করার আমন্ত্রণ জানান। /…",জাকাৰ্টাত ভাৰতীয় সমূদায়ক সম্বোধন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লি, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ জাপানের প্রধানমন্ত্রী শ্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আবের ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবাধ ও উন্মুক্ত বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গী রূপায়ণ এবং ভারত – জাপান সহযোগিতাকে সুদৃঢ় করার কথা স্মরণ করেন। উভয় নেতার মধ্যে ভারত – জাপান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও সুদৃঢ় করতে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। ভারত – জাপান বিশেষ কৌশলগত ও বিশ্ব সহযোগিতাকে আরও মজবুত করতে উভয় নেতাই পুনরায় সংকল্প ব্যক্ত করেন। এছাড়াও, এই অঞ্চলে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করার ব্যাপারেও তাঁরা অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।",প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ জাপানৰ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সৈতে বৈঠ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%95%E0%A6%BE/,"ভারতমাতার জয়! গুজরাটের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় শ্রী ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেলজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী মাননীয় শ্রী অমিত ভাই শাহজি, মাননীয় শ্রী মনসুখ ভাই মাণ্ডব্যজি, মাননীয় সাংসদ এবং ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার সভাপতি ও আমার সঙ্গী শ্রী সি আর পাটিলজি, গুজরাট রাজ্য সরকারের মন্ত্রী জগদীশ ভাই বিশ্বকর্মাজি, উপস্থিত অন্যান্য মাননীয় সাংসদগণ, মাননীয় বিধায়কগণ, গুজরাট সরকারের অন্যান্য মাননীয় মন্ত্রীগণ, ‘সহকারীতা’ বা সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সকল বরিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ, ইফকো প্রেমিসেস-���ও এই অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আরও একটি অনেক বড় সমান্তরাল কর্মসূচি চলছে। এখানে উপস্থিত ইফকো-র চেয়ারম্যান মাননীয় দিলীপ ভাই, ইফকো-তে কর্মরত আমার সকল বন্ধুগণ, সারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লক্ষ লক্ষ কৃষক আজ গুজরাটের গান্ধীনগরের মহাত্মা মন্দিরের সঙ্গে প্রযুক্তির মাধ্যমে যুক্ত হয়েছেন। আমি সেই সকল কৃষককেও নমস্কার জানাই। আজ এখানে আমরা ‘সহকার সে সমৃদ্ধি’ বা সমবায়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধির নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি। এই সমবায় গ্রামের স্বাবলম্বন বা আত্মনির্ভরতারও অনেক বড় মাধ্যম, আর এতে রয়েছে আত্মনির্ভর ভারতের প্রাণশক্তি। আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার জন্য আমাদের দেশের গ্রামগুলিকে আত্মনির্ভর করে তোলার অনেক বেশি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে আর সেজন্য তো আমাদের পূজনীয় বাপুজি আর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল সাহেব আমাদেরকে যে পথ দেখিয়ে গেছেন, তাঁদের সেই প্রদর্শিত পথ অনুসারে আজ আমরা ‘মডেল কো-অপারেটিভ ভিলেজ’ বা সমবায় গ্রামের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি। গুজরাটে কিভাবে এরকম ছয়টি গ্রাম চিহ্নিতও করা হয়েছে যেখানে সম্পূর্ণ রূপে সমবায় ব্যবস্থাগুলি চালু হয়ে যাবে। বন্ধুগণ, আজ আত্মনির্ভর ভারত কৃষির জন্য দেশের প্রথম ‘ন্যানো ইউরিয়া প্ল্যান্ট’ উদ্বোধন করেও আমি ভালো মনে বলছি যে এতে আমি একটি বিশেষ আনন্দ অনুভব করছি। সামান্য কল্পনা করুন, আজ যখন একজন কৃষক ইউরিয়া কিনতে যান, তখন তাঁর যে অভিজ্ঞতা হয় এতে আনন্দ পাওয়ারই কথা, না হলে সেই দৃশ্যের কথা একটু মনে করুন, আমি এ ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা করতে পারি কিন্তু তাতে কী আর হবে! আপনারা একটু তখনকার কথা ভাবুন। এক বস্তা ইউরিয়া যতটা ফলপ্রসূ ছিল, তাতে যতটা শক্তি ছিল, একই শক্তি এখন একটি বোতলে ভরে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ, এই ন্যানো ইউরিয়ার আধা লিটারের বোতল এতটাই কার্যকরী যা কৃষকদের এক বস্তা ইউরিয়ার প্রয়োজনকে সম্পূর্ণ করবে। পরিবহণের খরচ কত কমে যাবে, কমবে আনুষঙ্গিক আরও অনেক খরচ, আর কল্পনা করুন, ছোট কৃষকদের জন্য এটা কত বড় সম্বল। বন্ধুগণ, এই যে কলোল-এ আজ একটি আধুনিক প্ল্যান্ট চালু হল, তার ক্ষমতা এখন ১ লক্ষ ৫০ হাজার বোতলের উৎপাদনের সমান। কিন্তু, আগামী সময়ে এ ধরনের আরও আটটি প্ল্যান্ট চালু হতে চলেছে। এর ফলে, ইউরিয়ার জন্য বিদেশি নির্ভরতা হ্রাস পাবে ও দেশের অর্থ সাশ্রয় হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই উদ্ভাবন শুধুই ন্যানো ইউরিয়াতে সীমাবদ্ধ থাকবে না। আমার দৃঢ় ব��শ্বাস যে ভবিষ্যতে অন্য ন্যানো ফার্টিলাইজারও আমাদের কৃষকরা পেতে পারবেন। আমাদের বৈজ্ঞানিকরা সেগুলি নিয়ে আজ কাজ করে চলেছেন। বন্ধুগণ, সার উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই ন্যানো প্রযুক্তিতে আমরা যে আত্মনির্ভরতার দিকে পা বাড়িয়েছি তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, আমি চাইব যে এই বিষয়টি প্রত্যেক দেশবাসী বুঝুক। ভারত সারের ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ কনজিউমার। কিন্তু উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের তৃতীয় নম্বরে রয়েছে। তার ওপর ৭-৮ বছর আগে পর্যন্ত আমাদের দেশে অধিকাংশ আমদানি করা ইউরিয়া কৃষিখেতে যাওয়ার বদলে কালোবাজারি হয়ে ঘুরপথে রাসায়নিক কারখানাগুলিতে চলে যেত, আর কৃষকরা তাঁদের প্রয়োজন মেটাতে দিন-রাত লাইনে দাঁড়াতেন, লাঠি খেতেন। আমাদের দেশে যে বড় ইউরিয়া কারখানাগুলি ছিল সেগুলিও নতুন প্রযুক্তির অভাবে একে একে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, আর সেজন্য ২০১৪ সালে সরকারে আসার পর আমরা ইউরিয়াকে ১০০ শতাংশ নিম কোটিং করে দেওয়ার উদ্যোগ নিই আর তা বাস্তবায়িতও করি। এর ফলে কালোবাজারি বন্ধ হয়, আর দেশের কৃষকদের পর্যাপ্ত ইউরিয়া পাওয়া সুনিশ্চিত হয়। পাশাপাশি আমরা উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং তেলেঙ্গানায় যত বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা সার কারখানা ছিল সেই বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা সার কারখানাগুলিকে আবার চালু করার কাজ শুরু করেছি, আর তাতে উত্তরপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার কারখানাগুলি ইতিমধ্যেই আবার চালু হয়ে গেছে, উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে, আর বাকিগুলির ক্ষেত্রেও কারখানাগুলির পুনরুজ্জীবনের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। তারা এখন উৎপাদন শুরু করে দেবে। বন্ধুগণ, আমাদের দেশের সারের প্রয়োজন মেটাতে ভারত অনেক দশক ধরে প্রভূত মাত্রায় বিদেশ থেকে আমদানির ওপর নির্ভরশীল ছিল। আমরা ইম্পোর্ট করতাম, সার আমদানি করতাম। আমরা আমাদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য যতটা সার প্রয়োজন তার এক-চতুর্থাংশই আমদানি করতে বাধ্য হতাম। কিন্তু পটাশ এবং ফসফেটের ক্ষেত্রে তো আমাদেরকে প্রায় ১০০ শতাংশ বিদেশ থেকেই আনতে হত। বিগত দুই বছরে করোনা লকডাউনের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অনেক বেশি বেড়ে গেছে। তারপর সবে কমতে শুরু করেছিল, কিন্তু এর মধ্যেই যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে। এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের উপলব্ধতাকে সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে আর দামও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্ধুগণ, কৃষকদের প্রতি সংবেদনশ��ল আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত চিন্তাজনক, দাম ক্রমে বাড়ছে, সার জোগাড় করার জন্য বিশ্বের নানা দেশে খোঁজখবর করতে হচ্ছে। অনেক সমস্যা, অনেক প্রতিবন্ধকতা, কিন্তু আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই সমস্ত সমস্যা সরকার নিজের কাঁধে নিয়ে নিয়েছে। কৃষকদের ওপর এর কোনও আঁচড় পড়তে আমরা দিইনি, আর সেজন্য সব ধরনের সমস্যা থাকা সত্ত্বেও আমরা আমাদের দেশে সারের ক্ষেত্রে কোনও বড় সঙ্কট তৈরি হতে দিইনি। বন্ধুগণ, ভারত বিশ্বের নানা দেশ থেকে ইউরিয়া আমদানি করে। যে দরে ভারত আমদানি করে তাতে ইউরিয়ার ৫০ কেজির একটা ব্যাগের দাম পড়ে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। আপনারা ভালো করে শুনুন! এক ব্যাগ ৩ হাজার ৫০০ টাকা, মনে রাখবেন! কিন্তু দেশের গ্রামে গ্রামে কৃষকরা এই ইউরিয়ার ব্যাগ মাত্র ৩০০ টাকায় পান। অর্থাৎ সরকার বিদেশ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে ব্যাগ কিনে কৃষকদেরকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করছে। অর্থাৎ ইউরিয়ার প্রতিটি ব্যাগে আমাদের সরকার ৩ হাজার ২০০ টাকারও বেশি বোঝা বহন করছে। আমাদের পূর্ববর্তী সরকারের সময় এভাবেই ডিএপি-র ৫০ কেজির ব্যাগ ৫০০ টাকা প্রতি ব্যাগে ভর্তুকি দেওয়া হত। আন্তর্জাতিক বাজারে ডিএপি-র দাম আকাশছোঁয়া হওয়া সত্ত্বেও আমাদের সরকার নিয়মিত প্রচেষ্টা চালিয়েছে যাতে কৃষকদের ওপর এর বোঝা ন্যূনতম হয়। এখন আমাদের সরকার ৫০ কেজির প্রতিটি ডিএপি-র ব্যাগে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে ভর্তুকি দিচ্ছে। অর্থাৎ, ১২ মাসের মধ্যে প্রত্যেক ডিএপি-র ব্যাগে কেন্দ্রীয় সরকার পাঁচগুণ বোঝা নিজের ওপর নিয়েছে যাতে ভারতের কৃষকরা কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হন। সারের ক্ষেত্রে গত বছর সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ৭ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার ভর্তুকি দিয়েছে। আর এবছর কৃষকরা যে ভর্তুকি পাবেন তার পরিমাণ ২ লক্ষ কোটি টাকা ছাপিয়ে যেতে চলেছে। বন্ধুগণ, দেশের কৃষকদের হিতে যা প্রয়োজনীয়, যতটা প্রয়োজনীয়, সেটাই আমরা করি, ভবিষ্যতেও করব আর দেশের কৃষকদের শক্তি বাড়াতে থাকব। কিন্তু আমাদের এটাও ভাবা উচিৎ যে আমরা কি একবিংশ শতাব্দীতে আমাদের কৃষকদের শুধুই বিদেশি পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল করে রাখতে পারি? প্রত্যেক বছর এই লক্ষ কোটি টাকার ভর্তুকি কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে। আমরা কেন বিদেশ থেকে আমদানি করব? আমরা কি ভারতের কৃষকদের নিয়ে অন্যভাবে ভাবনা-চিন্তা করতে পারি না? দামি সার কিনে কৃষকদের ক্রমবর্ধমান ভর্তুকি কম করার কোনও স্থায়ী সমাধান কি আমরা খুঁজতে পারি না? আমাদের কি এই সমাধান খোঁজা উচিৎ নয়? বন্ধুগণ, এই প্রশ্নটি প্রত্যেক কেন্দ্রীয় সরকারের সামনে অতীতেও ছিল। এমনটা নয় যে এই সমস্ত প্রশ্ন শুধুই আমাদের সামনে এসেছে। কিন্তু আগে শুধুই তৎকালীন সমস্যার সমাধান খোঁজা হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন এই পরিস্থিতি আবার উদ্ভূত না হয় তা সুনিশ্চিত করতে অত্যন্ত সীমিত প্রচেষ্টা হয়েছে। বিগত আট বছরে আমরাও যেমন তাৎক্ষণিক উপায় খুঁজেছি, এর পাশাপাশি এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পথও খুঁজেছি। করোনা মহামারীর মতো কঠিন পরিস্থিতি যেন ভবিষ্যতে না হয় তা সুনিশ্চিত করতে যেমন হেলথ ইনফ্রাস্ট্রাকচার বা স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নের দিকে জোর দিয়েছি, তেমনই ভোজ্য তেলের সমস্যা কমানোর জন্য ‘মিশন অয়েল পাম’ চালু করেছি। অপরিশোধিত তেলের ক্ষেত্রেও বিদেশের ওপর নির্ভরতা কম করার জন্য আমরা বায়ো-ফুয়েল, গ্রিন হাইড্রোজেন এবং অন্যান্য উপায় নিয়ে আজ বৃহৎ স্তরে নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, অনেক ক্ষেত্রে কিছুটা সাফল্যও পেয়েছি। ন্যানো প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক বিনিয়োগও এই দৃষ্টিভঙ্গিরই পরিণাম। এভাবে প্রাকৃতিক চাষের দিকে কৃষকদের উৎসাহ যোগানোর জন্য যে অভিযান দেশে শুরু হয়েছে সেটাও স্থায়ী সমাধানের পথেই অনেকটা এগিয়ে যাওয়া আর আমি গুজরাটের কৃষকদের এ জন্য বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। গুজরাটের কৃষকরা অনেক প্রগতিশীল মানসিকতার মানুষ। এমনকি ক্ষুদ্র কৃষকদের মধ্যেও সাহস করে কোনও কিছু করার স্বভাব রয়েছে। আমি যেভাবে গুজরাট থেকে খবর পাচ্ছি, তার ভিত্তিতেই কথাগুলি বলছি। আমি জানতে পেরেছি যে গুজরাটের ক্ষুদ্র কৃষকরা এখন অধিকাংশই প্রাকৃতিক চাষকে আপন করে নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন। গুজরাটের লক্ষ লক্ষ কৃষক এখন প্রাকৃতিক কৃষির পথে এগিয়েছেন। আমি এই সমস্ত সাহসী কৃষকদের হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানাই, আর এই উদ্যোগের জন্য তাঁদের প্রণাম জানাই। বন্ধুগণ, এই আত্মনির্ভরতার মধ্যেই ভারতের অনেক সমস্যার সমাধান লুক্কায়িত রয়েছে, আর আত্মনির্ভরতার একটি উন্নত মডেল এই সমবায় আন্দোলনও। এটি আমরা গুজরাটে অনেক সাফল্যের সঙ্গে অনুভব করেছি আর আপনারা সবাই বন্ধুগণ, এই সাফল্যের সেনানী, এই সাফল্যের ধারক ও বাহক। গুজরাটে সমবায় ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত মহারথীরা আজ এখানে বসে আছেন। আমি মঞ্চে বসে থেকে প্রত্যে���ের চেহারার দিকে তাকিয়েছিলাম, প্রত্যেককে দেখছিলাম। আমার অনেক পুরনো বন্ধু যাঁরা আজ সমবায় ক্ষেত্রে গুজরাটের বিকাশ যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, এরকম সব মহান ব্যক্তিরা সকলেই আজ আমাদের সামনে বসে আছেন। তাঁদেরকে দেখলেই আমার মনে পুলক জাগে। যে তপস্যা নিয়ে তাঁরা এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন আর সমবায়ের স্পিরিটকে যেভাবে রাজ্যের বাইরে, দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দিচ্ছেন, তাকে প্রশংসা করতেই হয়। বন্ধুগণ, গুজরাট এজন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যবান কারণ পূজনীয় বাপুজি এবং সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল সাহেবের নেতৃত্ব আমরা এই রাজ্যে পেয়েছি। পূজনীয় বাপুজি সমবায় থেকে স্বাবলম্বন বা স্বনির্ভরতার যে পথ দেখিয়ে গেছেন তাকে সর্দার সাহেব তৃণমূল স্তরে প্রয়োগের কাজ করেছেন। আর যখন সমবায়ের প্রসঙ্গ আসে তখন যেমনটি একটু আগেই আমাদের প্রিয় অমিত ভাই তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন যে এক্ষেত্রে ভেঙ্কট ভাই মেহতার কথা স্মরণ করা অত্যন্ত স্বাভাবিক। আজও কেন্দ্রীয় সরকার একটি অনেক বড় ইনস্টিটিউট তাঁর নামে নামকরণ করেছে। কিন্তু তাঁকেও ধীরে ধীরে বিস্মরণের অন্তরালে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। এবার আমরা বাজেটে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করে এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করে তোলার কাজ শুরু করেছি। শুধু তাই নয়, আমাদের এখানে তো হাউজিং-এর জন্য সোসাইটি ও কো-অপারেটিভ সোসাইটিগুলির প্রয়োগ প্রথম আমরাই শুরু করেছি। এই যে আমাদের পালরেডি-তে প্রীতম নগর রয়েছে। এই প্রীতম নগরই আমাদের সফল প্রয়োগের উদাহরণ। দেশের প্রথম সমবায় আবাস যোজনার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ এই পালরেডি-র প্রীতম নগর। বন্ধুগণ, সমবায় ক্ষেত্রে ‘আমূল’ দেশ তথা বিশ্বে তার নিজস্ব পরিচয় তৈরি করে নিয়েছে। আমূল-এর মতো ব্র্যান্ড গোটা বিশ্বে গুজরাটের সমবায় আন্দোলনের শক্তিকে পরিচিত করিয়েছে। এভাবেই আমূল গুজরাটের পরিচিতি হয়ে উঠেছে, ভারতের পরিচিতি হয়ে উঠেছে। গুজরাটে ডেয়ারি, চিনি এবং ব্যাঙ্কিং এই সমবায় আন্দোলনের সাফল্যের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বিগত বছরগুলিতে তো ফল, সব্জি সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও সমবায়ের পরিধি বেড়েছে। ভাই ও বোনেরা, দেশের গ্রামীণ অর্থ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য সমবায়ের সফল প্রয়োগের একটি অনেক বড় মডেল আমাদের সামনে রয়েছে। ডেয়ারি ক্ষেত্রের সমবায় মডেলের উদাহরণ আমাদের সামনে রয়েছে। আজ ভারত বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুগ্ধ উৎপাদক দেশ যাতে গুজরাটের একটা অনেক বড় অংশীদার���ত্ব রয়েছে। বিগত বছরগুলিতে ডেয়ারি ক্ষেত্রটি দ্রুতগতিতে সম্প্রসারিতও হচ্ছে আর গ্রামীণ অর্থনীতিতে অনেক বেশি অবদানও রাখছে। আজ ভারত এক বছরে প্রায় ৮ লক্ষ কোটি টাকার দুগ্ধ উৎপাদন করছে। এই ৮ লক্ষ কোটি টাকার দুগ্ধ উৎপাদন এবং সংশ্লিষ্ট সম্পূর্ণ দুগ্ধ ব্যবস্থাপনায় আমাদের মা ও বোনেদের অবদান সবচাইতে বেশি। এর অন্যদিকে যদি তাকাই তাহলে দেখব যে আমাদের দেশের মোট দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার গম এবং ধানের মোট বাজারের থেকে অনেক বেশি। অর্থাৎ, গম ও ধানের মোট বাজার ৮ লক্ষ কোটি টাকারও কম। আপনারা দেখবেন, দুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের দেশ কত বড় শক্তি হয়ে উঠেছে। এভাবে আমরা পশুপালনের সমগ্র ক্ষেত্রটির দিকে যদি তাকাই তাহলে এটি ৯ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এই সাফল্য ভারতের ক্ষুদ্র কৃষক, ভূমিহীন ও শ্রমিকদের জন্য অনেক বড় সম্বল। বন্ধুগণ, বিগত দশকগুলিতে গুজরাটের গ্রামগুলিতে যে অধিক সমৃদ্ধি দেখা গেছে তার একটা বড় কারণ হল ডেয়ারি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত এই সমবায়গুলির সাফল্য আর আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে আমরা যদি কোনও জিনিস মনে করাই তাহলে কারোর কারোর মনে হয় যে আমরা বুঝি কারোর সমালোচনা করছি। আমরা কিন্তু কারোর সমালোচনা করছি না। কিন্তু কখনও কিছু বিষয় এজন্য মনে করাতে হয় এটা বোঝার জন্য যে আগে কী হত! আগে আমাদের দেশে, আমাদের গুজরাটের কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্রে ডেয়ারি স্থাপন করা বা ডেয়ারির নির্মাণেই নানা বাধা-বিপত্তি ছিল, আইনগত সমস্যাও ছিল। একভাবে বলা যায় যে ডেয়ারি স্থাপন করাকে অবৈধ বিবেচনা করা হত। যখন আমি এখানে মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম তখন আমি বললাম ভাই, এই আমূল যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, একই পদ্ধতিতে কচ্ছ-এর ডেয়ারিও বৃদ্ধি পেতে পারে, আমরেলির ডেয়ারিও বৃদ্ধি পেতে পারে, আমরা কেন তাদেরকে আটকাচ্ছি? আমরা সেজন্য উদ্যোগ নিই, আর আজ গুজরাটে চারিদিকে ডেয়ারি শিল্প অনেক শক্তি নিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে। গুজরাটেও দুগ্ধ-ভিত্তিক শিল্পের ব্যাপক প্রসার এজন্যই হয়েছে কারণ এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে বিধি-নিষেধ ন্যূনতম ছিল। সরকার দুগ্ধ শিল্পের অগ্রগতিতে যতটা সম্ভব নাক না গলিয়ে থাকার চেষ্টা করেছে আর সমবায় ক্ষেত্রটিকে পল্লবিত ও পুষ্পিত হওয়ার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে। সরকার এখানে নিছকই একটি ‘ফেসিলিটেটর’-এর ভূমিকা পালন করেছে। বাকি কাজ আপনাদের মতো আমাদের সমস্ত সমবায় ক্ষেত্রের জন্য সমর্পিত বন্ধুর�� করেছেন, এখনও করছেন, আর করছেন আমাদের কৃষক ভাই ও বোনেরা। দুগ্ধ উৎপাদক এবং দুগ্ধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বেসরকারি এবং সমবায় ক্ষেত্রটি পরস্পরের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত, আর তারা নিজেদের মতো করে একটি উন্নত সরবরাহ এবং মূল্য শৃঙ্খল তৈরি করে নিয়েছে। বন্ধুগণ, সবচাইতে বড় কথা হল, ডেয়ারি ক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি আমাদের ছোট কৃষকরা রয়েছেন, আর যেমনটি আমি আগে বলেছি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনাটি সামলান আমাদের মা ও বোনেরা। গুজরাটে প্রায় ৭০ লক্ষ বোনেরা আজ এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেছেন। ৭০ লক্ষ বোনেরা! এই ৭০ লক্ষ বোনেরা ৫০ লক্ষেরও বেশি পরিবারের সদস্যা হবেন। আজ গুজরাটে আমাদের মা ও বোনেরা ৫ হাজার ৫০০-রও বেশি দুগ্ধ সমবায় সমিতি পরিচালনা করেন। আমূল-এর মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড তৈরি করার ক্ষেত্রেও আমাদের গুজরাটের মা ও বোনেদের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। একভাবে বলতে গেলে, এই সমবায় আন্দোলন গুজরাটের মহিলা শিল্পোদ্যোগকে একটি নতুন মাত্রা দিয়েছে। আমরা সবাই লিজ্জত পাপড়ের নাম জানি। জনজাতি এলাকাগুলির মা ও বোনেরা সমবায় তৈরি করে এই লিজ্জত পাপড় তৈরি করার কাজ শুরু করেছিলেন। তাঁদের এই পণ্য আজ একটি বহুজাতিক ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। সারা পৃথিবীতে যেখানে যেখানে ভারতীয়রা রয়েছেন, সেখানে সেখানে এখন লিজ্জত পাপড়ও পৌঁছে গেছে। আর প্রথমবার এজন্য আমি গর্বের সঙ্গে বলছি যে এত বছরে লিজ্জত পাপড়ের ব্যবসা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এত বড় হয়েছে, কিন্তু কখনও কেউ এর কৃতিত্ব নেননি। যাঁর উদ্যোগে এই লিজ্জত পাপড় তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল তাঁকে আমরা গতবার পদ্মশ্রী পুরস্কার ভূষিত করেছি। তাঁর বয়স এখন ৯০-এর ওপরে হয়ে গেছে। তিনি গুজরাটি হলেও এখন মুম্বাইয়ে থাকেন, কিন্তু আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেই মাতাজি এসেছিলেন এবং আমাদেরকে অনেক আশীর্বাদ দিয়ে গেছেন। অর্থাৎ, আমাদের সমবায়ের প্রাণশক্তি এবং আমাদের মা ও বোনেদের এই দক্ষতা থেকেই যেমন আমূল একটি বহুজাতিক ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে, তেমনই লিজ্জত পাপড়ও একটি বহুজাতিক ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। আমাদের মা ও বোনেদের ব্যবস্থাপনা যদি দেখতে হয় তাহলে আমাদের এই সমবায় আন্দোলনের মধ্যেই আমরা স্পষ্টভাবে দেখতে পাব। বন্ধুগণ, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অউর সবকা প্রয়াস’ – এই মন্ত্র সম্বল করে আমরা এগিয়ে চলেছি। এই মন্ত্র নিজেই সমবায়ের আত্মার মতো। সমবায়ের সীমা��� মধ্যেই এই মন্ত্রটি রয়েছে। সেজন্য সমবায়ের প্রাণশক্তিকে স্বাধীনতার অমৃতকালের প্রাণশক্তির সঙ্গে যুক্ত করার জন্য আমরা ক্রমাগত কাজ করে চলেছি। এই উদ্দেশ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সমবায়ের জন্য একটি ভিন্ন মন্ত্রক গঠন করেছে আর চেষ্টা করছে যাতে দেশে সমবায়-ভিত্তিক আর্থিক মডেলকে উৎসাহিত করা যায়। এর জন্য একের পর এক নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আমাদের প্রচেষ্টা হল সমবায় সমিতিগুলিকে, প্রতিষ্ঠানগুলিকে আমরা বাজারে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলব, তাদেরকে অন্যান্য মার্কেট প্লেয়ার্সদের সঙ্গে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড-এ প্রতিযোগিতার শক্তি যোগাব। বিগত বছরগুলিতে আমরা এই সমবায় সমিতি-সংশ্লিষ্ট কর-এর ক্ষেত্রে অনেক ছাড় দিয়ে তাঁদেরকে স্বস্তি দিয়েছি। একটু আগেই অমিত ভাই এ বিষয়ে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করে বলেছেন, আমরা এর জন্য কত ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। তিনি সারচার্জের কথা বলেছেন। আগে অনেক অভিযোগ থাকত। এতেও সংস্কার এনে আমরা সমবায় সমিতিগুলিকে কৃষক উৎপাদক সঙ্ঘ (এফপিও)-এর সমমর্যাদা দিয়েছি। এর ফলে সমবায় সমিতিগুলির উন্নতির ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে। বন্ধুগণ, শুধু তাই নয়, সমবায় সমিতিগুলিকে, সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করারও একটি অনেক বড় প্রচেষ্টা চলছে। গুজরাটে এক্ষেত্রে অনেক প্রশংসনীয় কাজ শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, যখন আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম তখন সমবায় ক্ষেত্রটি সম্পর্কে অমিতভাই যেমনটি তাঁর বক্তব্যে বলছিলেন, অনেক আয়কর দিতে হত। আমি তখন কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে গিয়েছি, আর সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকারেও এই বিভাগ যাঁরা সমলাতেন তাঁরা নিজেরাও সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তারা গুজরাটের প্রস্তাব মানেনি। দেশের সমবায় ক্ষেত্রের সুবিধার স্বার্থে রাখা প্রস্তাবের কথা তারা মানেনি। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতায় এসে এই সমস্যার সমাধান করে দিয়েছি। বন্ধুগণ, আমাকে বলা হয়েছে যে জেলা সমবায় ব্যাঙ্কগুলি প্রায় ৮ লক্ষ কৃষককে ‘রুপে কিষাণ কার্ড’ জারি করেছে। অন্যান্য ব্যাঙ্কের মতোই এখানে আজ কৃষকরা অনলাইন ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পাচ্ছেন। একটু আগেই অমিত ভাই যে কথা বর্ণনা করেছেন যে যখন দেশের সমস্ত প্যাক্স বা ৬৩ হাজার ‘প্রাইমারি এগ্রিকালচারাল ক্রেডিট সোসাইটি’ বা প্রাথমিক কৃষি ঋণদান সমিতিগুলি কম্পিউটারচালিত হবে যা��ে, যখন তাদের কম্পিউটারাইজেশন সম্পূর্ণ হবে, তখন আমাদের সমবায় সমিতিগুলির চিত্রও সম্পূর্ণ রূপে বদলে যাবে। এতে আমাদের কৃষকরা অত্যন্ত লাভবান হবেন কারণ এই সমিতিগুলির অধিকাংশ সদস্যই তো কৃষক। আরও একটি খুশির কথা আমি আজকে এই অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর জানতে পেরেছি যে এখন সমবায় ক্ষেত্রগুলির সঙ্গে যুক্ত অনেক মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের যে গভর্নমেন্ট ই-মার্কেট প্লেস বা জিইএম পোর্টাল রয়েছে তাতেও নথিভুক্ত হয়েছেন। কোনকিছু কেনাকাটা করতে হলে তাঁরা জিইএম পোর্টালের মাধ্যমে করেন। এর ফলে লেনদেনে একটি স্বচ্ছতা এসেছে, গতি বেড়েছে আর দাম কমেছে। আগের থেকে কম খরচে বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের জিইএম পোর্টালকে সমবায় ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সকলে স্বীকার করে নিয়েছে। সেজন্য আমি সমবায় ক্ষেত্রের সকলকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই। বন্ধুগণ, সমবায়ের সবচাইতে বড় শক্তি ভরসা, সহযোগিতা। সকলের সামর্থ্য দিয়ে সংগঠনের সামর্থ্যকে বাড়ানো। এটাই স্বাধীনতার অমৃতকালে ভারতের সাফল্যের গ্যারান্টি। আমাদের এখানে যাকেই ছোট ভেবে কম মনে করা হয়েছে, তাঁদেরকেই এই অমৃতকালে বড় শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার কাজ আমরা করছি। ছোট কৃষকদের আজ সমস্ত রকমভাবে ক্ষমতায়িত করা হচ্ছে। একইরকমভাবে ছোট ছোট শিল্পোদ্যোগগুলিকে – অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলিকে ভারতের আত্মনির্ভর সরবরাহ শৃঙ্খলের শক্তিশালী অঙ্গ করে তোলা হচ্ছে। আমাদের যত ছোট দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা রয়েছেন তাঁদের জন্যও একটি ডিজিটাল প্রযুক্তির প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হচ্ছে। এটার নাম হল ‘ওপেন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কমার্স’ বা ওএনডিসি। এর মাধ্যমে ডিজিটাল পরিসরে সুস্থ প্রতিযোগিতাকে উৎসাহ যোগানো হবে। দেশের ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা এখানে সমান সুযোগ পাবেন। এটা ভারতের ই-কমার্স মার্কেটের সম্ভাবনাগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। এক্ষেত্রে গুজরাটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিশ্চিতভাবেই অনেক লাভবান হবেন। বন্ধুগণ, গুজরাট চিরকালই ব্যবসা-বাণিজ্যের পরম্পরার সঙ্গে যুক্ত রাজ্য ছিল। ভালো ব্যবসার চ্যালেঞ্জ এটাই যে তাকে কঠিন পরিস্থিতিতেও কিভাবে বাণিজ্যকে ভালোভাবে সামলানো যায় তা দেখতে হয়। সরকারের সামনেও একইরকম চ্যালেঞ্জ থাকে যে নানা সমস্যার মোকাবিলা করতে গিয়ে কিভাবে সমাধান বের করার জন্য নতুন নতুন পদ্ধতির উদ্ভ���বন করা যায় – তা দেখা এক্ষেত্রে যত ধরনের ব্যবস্থা করা যাবে, যত ধরনের সংস্কার আমরা বিগত বছরগুলিতে দেখছি, এইসবই নানা ধরনের বিপর্যয়কে সুযোগে রূপান্তরণের প্রচেষ্টা। আমরা এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আমাদের সমবায়ের প্রাণশক্তি আমাদের নিজস্ব সঙ্কল্পগুলিকে সিদ্ধ করতে সহায়ক হবে। আর এখন আরও একটি অসাধারণ বাক্য আমাদের ভূপেন্দ্র ভাই তাঁর ভাষণে বলেছেন যে স্বাধীনতার আগে দেশকে স্বাধীন করার একটা অস্ত্র ছিল অসহযোগিতা; অসহযোগ আন্দোলন। স্বাধীনতার পর সমৃদ্ধির একটি অস্ত্র হল সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে তোলা সমবায়। অসহযোগিতা থেকে সমবায়ের এই যাত্রা সমৃদ্ধিকে নানা উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার মতো ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর মন্ত্রকে চরিতার্থ করার যোগ্যতাসম্পন্ন আমাদের এই পথ। এই পথে আমরা যদি আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাই, সারা দেশের আপামর মানুষ যদি এই পবিত্র কাজে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন, গুজরাটের সমবায় আন্দোলনের বিস্তার ভারতের অন্যান্য ক্ষেত্রে যত বেশি হবে সেইসব এলাকার জনগণের উন্নয়নে তা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে। আমি গুজরাট সরকারের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে সমবায় ক্ষেত্রের এই সফল মহারথীদের সঙ্গে আজ আমার দেখা করার সুযোগ করে দিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে। কারণ, আমি যখন গুজরাটে ছিলাম তখন প্রায়ই তাঁরা আমার কাছে নানা রকম অভিযোগ নিয়ে আসতেন। কিন্তু আজ তাঁরা নিজেদের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসেন। সেজন্য বলতে পারি আজ এত কম সময়ে আমরা এখানে পৌঁছতে পেরেছি। আমরা নিজেদের সমিতিকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি, আমরা আমাদের সংস্থাকে এখানে পৌঁছে দিয়েছি। আগে আমাদের টার্নওভার এতটা ছিল আর এখন আমাদের টার্নওভার এতটা হয়েছে। অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে ছোট ছোট সমিতির সকলে একসঙ্গে আসেন, আর আমাকে বলেন যে, আমরা তো সাহেব সবকিছু কম্পিউটারের মাধ্যমে সঞ্চালনা করি। সাহেব, আমাদের এখানে সবকিছু এখন অনলাইনে হয়। এই যে পরিবর্তন গুজরাটের সমবায় ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি, তা নিজেই গর্ব করার মতো। আমি আজ আপনাদের এই তপস্যাকে প্রণাম জানাই, এই মহান পরম্পরাকে প্রণাম জানাই আর স্বাধীনতার পর এই এতগুলি বছর পেরিয়ে গেছে। আমরা যখন স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ পূর্তি পালন করছি তখন যার বীজ আগে বপন করা হয়েছিল, আর আজ তা বটবৃক্ষ হয়ে গুজরাটের সার্বজনিক জীবনে সৃষ্টিশীল প্রভূত্বে আর্থিক ব্যবস্থার এই ভিত্তি সমবায় প্রভূত্ব রূপে এগিয়ে চলেছে, তা নিজেই নিজের মধ্যে একটি অত্যন্ত প্রসন্নতার বিষয়, অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রণাম জানিয়ে অন্তর থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানিয়ে আমার বক্তব্যকে বিরাম দিচ্ছি। আমার সঙ্গে সকলে সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে বলুন – ভারতমাতা কী জয়! ভারতমাতা কী জয়! ভারতমাতা কী জয়! ধন্যবাদ! /",গুজৰাটৰ গান্ধীনগৰত ‘সহকাৰ ছে সমৃদ্ধি’ কাৰ্যসূচীত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ ইংৰাজী পাঠ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AD%E0%A7%B1%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের একটি নতুন অফিস কমপ্লেক্স বাণিজ্য ভবন-এর আজ শিল্যান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ভবনটির নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। শ্রী মোদী বিশেষ আস্হা প্রকাশ করে বলেন যে রাজধানীর বহু গুরুত্বপূর্ণ ভবন নির্মাণ প্রকল্প সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার এখন অবসান ঘটছে বলেই তিনি মনে করেন। প্রসঙ্গত ডঃ আম্বেদকর আন্তর্জাতিক কেন্দ্র, ডঃ আম্বেদকর জাতীয় স্মারক, প্রবাসী ভারতীয় কেন্দ্র এবং কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের নতুন কার্যালয় নির্মাণ প্রকল্পগুলির কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাজকর্ম বিলম্বিত করার যে প্রবণতা দেখা যেত তা কাটিয়ে ওঠার ফলে বিভিন্ন প্রকল্পের নির্মাণে এখন গতিসঞ্চার ঘটেছে। নতুন বাণিজ্য ভবনটি দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রের অলসতা ও টালবাহানা বন্ধ করতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তাঁর ধারণা। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে যুব সমাজের আশা-আকাঙ্খা পূরণে সম্মিলিত দায়িত্ব রয়েছে আমাদের সকলেরই। ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন, যে জমিটিতে বর্তমানে বাণিজ্য ভবন নির্মিত হচ্ছে সেটি আগে কেন্দ্রীয় সরবরাহ দপ্তরের আওতায় ছিল। বর্তমানে বৈদ্যুতিন বিপণন মঞ্চ গঠিত হওয়ার ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ৮৭০০ কোটি টাকার লেনদেন সম্ভব হয়েছে। এই মঞ্চটির সম্প্রসারণে উদ্যোগী হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য দপ্তরকে। তিনি বলেন, দেশের ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং অতিক্ষুদ্র শিল্পক্ষেত্রে বৈ���্যুতিন বিপণন মঞ্চের সুফলগুলি পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন। পণ্য ও পরিষেবা কর অর্থাৎ জিএসটি-র কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এক জনমুখী পরিবেশবান্ধব এবং বিনিয়োগ অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহদায়তন অর্থনীতি প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত বর্তমানে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অর্থনীতি ও প্রযুক্তির দিক থেকে শীর্ষস্হানীয় ৫টি দেশের মধ্যে ভারত নিজের স্হান করে নিয়েছে। বাণিজ্যিক কাজকর্মকে সহজতর করে তোলার মত বিষয়গুলি জীবনযাত্রাকে সহজতর করে তোলার সঙ্গে নানাভাবে সম্পর্কিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসারের ওপরেও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্যগুলিকেও এ বিষয়ে সক্রিয় সহযোগীর ভূমিকা পালন করতে হবে। আর্ন্তজাতিক রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতের অংশীদারিত্বের মাত্রা যাতে বর্তমানের ১.৬ শতাংশ থেকে অন্তত ৩.৪ শতাংশে উন্নীত করা যায়, তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রককে সংকল্পবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধি করে আমদানি প্রবণতা কমিয়ে আনতে হবে। এই প্রসঙ্গে বৈদ্যুতিন সাজ-সরঞ্জাম উৎপাদনের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার দেশের উৎপাদন ও নির্মাণ শিল্পকে উৎসাহিত করতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। /…",বাণিজ্য ভৱনৰ আধাৰশিলা স্থাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%95-3/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ উত্তর প্রদেশের গ্রেটার নয়ডায় ইন্ডিয়া এক্সপো সেন্টারের ভারতের ত্রয়োদশ ফ্ল্যাগশিপ হাইড্রো কার্বন সম্মেলন পেট্রোটেক ২০১৯ – এর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আর্থ-সামাজিক বিকাশের মূল চালিকাশক্তি হিসাবে শক্তি ক্ষেত্রের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, অর্থ ব্যবস্থার দ্রুত বিকাশে মূল্য স্থিতিশীলতা, ধারাবাহিক শক্তি সরবরাহ ও সুলভে শক্তির যোগানের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। এই সমস্ত বিষয়গুলি সমাজের দরিদ্র ও বঞ্চিত শ্রেণীর ম���নুষকে অর্থ-ব্যবস্থার সুফল পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। পশ্চিমী দেশগুলির তুলনায় পূবের দেশগুলিতে শক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খনিজ তেল বিপ্লবের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহৎ তৈল ও গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ হয়ে উঠেছিল। সুস্থায়ী উন্নয়নের উদ্দেশ্যগুলি দ্রুত অর্জনের ক্ষেত্রে স্বল্প মূল্যে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, প্রযুক্তি ও ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগের মধ্যে যথাযথ ভারসাম্য আনা প্রয়োজন বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শক্তি উৎপাদক ও গ্রাহক উভয়ের স্বার্থ বজায় রাখতে শক্তি সম্পদের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ বর্তমান সময়ের চাহিদা। তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রের জন্য এক স্বচ্ছ ও নমনীয় বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে আরও প্রয়াসী হতে হবে। এভাবেই মানবজাতির শক্তির চাহিদা সম্পূর্ণ মেটানো সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাগুলি মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে একজোট হওয়ার বার্তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শ্রী মোদী বলেন, প্যারিসে আয়োজিত কনফারেন্স অফ পার্টিস বা সিওপি – ২১ – এ যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে, তা অর্জন করা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় ভারত তার অঙ্গীকারগুলি পূরণের লক্ষ্যে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। শক্তি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গীর ক্ষেত্রে ডঃ সুলতান আল জাবের-কে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়ার সহায়তায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সমগ্র শিল্প পরিচালনা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসবে। দেশীয় শিল্প সংস্থাগুলি তাদের কর্মদক্ষতা ও নিরাপত্তা বাড়াতে এবং খরচ কমাতে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। পরিচ্ছন্ন, সুলভ, নিরবচ্ছিন্ন ও সমানুপাতিক হারে শক্তির পাবার অধিকার সকলেরই রয়েছে বলে উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, দেশ এখন শক্তি সরবরাহের এক নতুন যুগে প্রবেশ করতে চলেছে। বিশ্বে এখনও ১০০ কোটিরও বেশি মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। এমনকি, অসংখ্য মানুষ পরিচ্ছন্ন রান্নার জ্বালানি থেকে এখনও বঞ্চিত। সকলের কাছে শক্তি পৌঁছে দিতে ভারত অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছে। তিনি আরও বলেন, ভারত বর্তমানে বিশ্বের দ্রুততম বিকাশশীল অর্থনীতি। ২০৩০ সাল নাগাদ ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে। একই সময়ে বিদ্যুতের গ্রাহকের দিক থেকে ভারত তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হয়ে উঠবে। দেশে শক্তির চাহিদা ২০৪০ সাল নাগাদ দ্বিগুণেরও বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে, বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির কাছে ভারত এক লাভজনক বাজারে পরিণত হয়ে উঠতে চলেছে। ২০১৬-র ডিসেম্বরে আয়োজিত দ্বাদশ পেট্রোটেক সম্মেলনের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সম্মেলনে তিনি ভারতের ভবিষ্যৎ শক্তি ক্ষেত্র প্রসঙ্গে চারটি স্তম্ভের কথা উল্লেখ করেছিলেন। এগুলি ছিল – সকলকে বিদ্যুতের যোগান, শক্তি ক্ষেত্রে দক্ষতা, সুস্থায়ী শক্তি উৎপাদন এবং শক্তি নিরাপত্তা। সকলের কাছে শক্তি পৌঁছে দেওয়ার ন্যায়-বিচার এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে দেশে এই বিষয়টিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এই উদ্দেশ্য পূরণে কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক নীতি প্রণয়ন ও তার রূপায়ণ করছে। সরকারের এই উদ্যোগগুলির ফলাফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। দেশের সমস্ত গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে ন্যায়-বিচার তখনই পূর্ণ হবে, যখন সাধারণ মানুষ তাঁদের সমবেত ক্ষমতার ওপর আস্থা রাখবেন। দেশে ‘নীল শিখা বিপ্লব’ চলছে ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী জানান, রান্নার গ্যাসের সংযোগ পাঁচ বছর আগের ৫৫ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন ৯০ শতাংশে পৌঁছেছে। বিগত পাঁচ বছরে তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রে একাধিক সংস্কারমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম তৈল পরিশোধন ক্ষমতাসম্পন্ন দেশ হয়ে উঠেছে। দেশে তৈল পরিশোধনের ক্ষমতা ২০৩০ সাল নাগাদ আরও প্রায় ২০ কোটি মেট্রিক টন বাড়বে। ভারত গ্যাস-ভিত্তিক অর্থনীতি হয়ে ওঠার লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে চলেছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে ১৬ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গ্যাস পাইপ লাইন বসানো হয়েছে। এমনকি, আরও ১১ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ গ্যাস পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে। তিনি আরও জানান, দশম পর্যায়ে ৪০০টি জেলায় নগর-কেন্দ্রিক গ্যাস বন্টন নিলাম প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। এর ফলে, দেশের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের কাছে নগর-কেন্দ্রিক গ্যাস বন্টন ব্যবস্থার সুবিধা পৌঁছে যাবে। পেট্রোটেক সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত এ ধরণের সম্মেলনে সমগ্র শক্তি ক্ষেত্র যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে, তার সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার ব্যাপারে এক মঞ্চ হিসাবে কাজ করে। এছাড়াও, এ ধরণের মঞ্চ থেকে তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত নতুন নতুন নীতি ও প্রযুক্তির বিষয়ে আলোকপাত করা হয়, যা বাজার স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলে এবং ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও উৎসাহ যোগায়।","প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে মুকলি কৰিলে পেট্ৰ’টেক ২০১৯, ক’লে – আৰ্থসামাজিক বিকাশৰ মূল চালিকা শক্তিয়েই হৈছে শক্তি খণ্ড" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%A4-%E0%A6%89%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE/,"উমিয়া মাতার জয় হোক! জনপ্রিয়, বিনম্র ও দৃঢ়চেতা গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী পুরুষোত্তম রুপালা, রাজ্য সরকারের মন্ত্রীগণ, সংসদে আমার সহকর্মীবৃন্দ, বিধায়কগণ, পঞ্চায়েত ও পুরসভার নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, উমাধাম ঘাটিলার সভাপতি বলজীভাই ফলদু, অফিসের কর্মচারী, দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ এবং বিরাট সংখ্যায় উপস্থিত মা ও বোনেদের সকলকে আজ মা উমিয়া মন্দিরের ১৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ শ্রদ্ধা জানাই। পবিত্র এই মুহূর্তে আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন! মাতা উমিয়া ধাম মন্দিরের শিলান্যাসের সুযোগ আমার হয়েছিল। আমি গত বছর ডিসেম্বরে উমিয়া ধাম ক্যাম্পাসের শিলান্যাস করেছিলাম। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, প্রতিষ্ঠা দিবসের এই অনুষ্ঠানে আপনারা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আসলে, স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে পারলে আমি আরও বেশি খুশি হতাম। যাইহোক, এটা আমার কাছে অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, আমি দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আজ চৈত্র নবরাত্রির নবম তিথি। মা সিদ্ধিদাত্রী আপনাদের সকলের মনস্কামনা পূরণ করুন, আমি এই কামনাই করি। আমাদের গিরনার ধ্যান ও তপস্যার পূর্ণভূমি। গিরনার ধামে মা আম্বা বিরাজমান। ভবগান দত্তাত্রেয় এখানেই বিরাজমান, এজন্য আমি পবিত্র এই ভূমির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। মায়ের আশীর্বাদে আমরা সকলেই গুজরাটের জন্য সর্বদাই সজাগ থেকেছি। আমরা গুজরাটের সার্বিক ও উন্নয়নে সচেষ্ট থেকেছি এবং এই রাজ্যটির সার্বিক কল্যাণে বিভিন্নভাবে আবেদন রেখেছি। আমি সর্বদাই সমবেত শক্তির প্রভাব অনুভব করেছি। আজ অযোধ্যা সহ সারা দেশে ভগবান রামচন্দ্র জীর প্রগত্য মহোৎসব উদযাপিত হচ্ছে। আমাদের কাছে এই মহোৎসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের মধ্যে উপস্থিত হওয়া আমার কাছে নতুন কিছু নয়। আমি গত ৩৫ বছর ধরে মাতা উমিয়া দেবীর পায়ে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছি। ২০০৮-এ এই মন্দির উৎসর্গ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। পবিত্র এই মন্দির সর্বদাই পূজার্চনার কেন্দ্র হয়ে থেকেছে। এই মন্দির সামাজিক চেতনা, এমনকি পর্যটনের অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠেছে। আজ ওই মন্দির চত্ত্বরে ৬০টির বেশি কক্ষ, একাধিক বৈবাহিক অনুষ্ঠানের হল এবং একটি বড় রোস্তোরাঁ রয়েছে। মা উমিয়া দেবীর আশীর্বাদে পূণ্যার্থী ও সমাজের সমস্ত চাহিদা পূরণে আপনারা আন্তরিক প্রয়াসী হয়েছেন। এজন্য আমি মন্দির পরিচালন অছি পরিষদ, রক্ষণাবেক্ষণকারী এবং উমিয়া দেবীর ভক্তদের অভিনন্দন জানাই। মাত্র ১৪ বছরের অল্প সময়েই এই মন্দিরের ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত আবেগঘন ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই গ্রহ আমাদের মা। তাই, আমি যদি উমিয়া মাতার ভক্ত হই, তাহলে মাতৃস্বরূপা এই গ্রহকে আঘাত করার কোনো কারণ নেই। আমরা কোনো কারণ ছাড়াই কি বাড়িতে মায়ের হাতে ওষুধ তুলে দিই বা তাকে রক্ত দিই? আমরা জানি মা ঠিক যতটা চাইবেন, ঠিক ততটাই দিতে হবে। কিন্তু আমরা যদি এটা ধরে নি মাতৃস্বরূপা এই গ্রহ ঠিক কোনটা চাইছেন, তা যদি পুরণ করতে না পারি, তাহলে মা কি আমাদের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হবেন না? মায়ের সঙ্গে এই বিচ্ছিন্ন হওয়ার দরুণ আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। তাই মাতৃস্বরূপা এই গ্রহকে বাঁচাতে আমাদের ব্যাপক অভিযান গ্রহণ করতে হবে। আমরা অতীতে জলসঙ্কটের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। একসময় আমাদের প্রায় প্রতি বছরই খরার মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু এসব সত্ত্বেও আমরা জলসংরক্ষণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা বাঁধ বানিয়েছি, জল সংরক্ষণ করছি, ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প গড়ে তুলেছি এবং সাউনি কর্মসূচি রূপায়ণ করেছি। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের একথা বলতাম যে কিভাবে আমার রাজ্যে জলের যোগান সুনিশ্চিত করার জন্য প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে এবং এই কাজে অর্থের সদ্ব্যাবহার হয়েছে। সরকারে থাকালীন সময়ে আমাদের বেশিরভাগ সময়ই জলের যোগান নিশ্চিত করতে কেটে গেছে। এমনকি কয়েকটি রাজ্য আমাদের পরিকল্পনা দেখে আশ্চর্য হয়েছে, আসলে তারা এধরণের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনই ছিল না। আমরা ধীরে ধীরে এই সময় থেকে বেরিয়ে এসেছি। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় আমরা যে গণ অভিযান শুরু করেছিলাম তাতে আমরা সফল হয়েছি। প্রকৃত পক্ষে এই গণ অভিযানই ছিল সাধারণ মানুষের কল্যাণে। আজ এখানে সর্বত্রই জল সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে উঠেছে। কিন্তু আমি এখনও বিশ্বাস করি জল সংরক্ষণের ব্যাপারে আমাদের উদাসীন থাকা উচিত নয়। জল সংরক্ষণের কাজ বর্ষার মরশুম শুরু হওয়ার আগেই শেষ করে ফেলতে হবে। এজন্য পুকুরগুলি আরও গভীর করতে হবে এবং নর্দমাগুলিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আমরা এই কাজগুলি যদি করতে পারি, তাহলে জল ভূগর্ভে পুনরায় সঞ্চিত হওয়ার সুযোগ বাড়বে। এখন আমাদের ভাবতে হবে কিভাবে আমরা বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক পদার্থ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারি। এই কাজ দ্রুত করা সম্ভব না হলে একদিন আমাদের এই গ্রহ বলবে যথেষ্ট হয়েছে, আমি আর আপনাদের সেবা দিতে পারছি না। আপনি যতই ঘাম ঝরান না কেন বা যত মূল্যবান বীজই বপন করুণ না কেন, ভালো পরিণাম তখনই মিলবে যখন আমরা মাতৃস্বরূপা আমাদের এই গ্রহকে সুরক্ষিত রাখতে পারবো। আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে, আমরা গুজরাটে এমন একজন রাজ্যপালকে পেয়েছি, যিনি সম্পূর্ণভাবে প্রাকৃতিক কৃষিকাজের পক্ষে। আমাকে এটা জানানো হয়েছে যে, রাজ্যপাল গুজরাটের প্রতিটি ব্লকে গিয়েছেন এবং প্রাকৃতিক কৃষিকাজের ব্যাপারে কৃষকদের সচেতন করতে সভা করেছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, রুপালা জি যখন আমাকে বলছিলেন লক্ষ লক্ষ কৃষক প্রাকৃতিক কৃষিকাজের পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন এবং তারা এধরণের কৃষি পদ্ধতি আপন করে নিয়ে গর্বিত বোধ করছেন। এটা সত্যি যে প্রাকৃতিক কৃষিকাজ খরচ কমায়। এখন আমাদের মৃদুভাষী ও দৃঢ়চেতা মুখ্যমন্ত্রী যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা বাস্তবায়িত করা আমাদের কর্তব্য। গুজরাটের প্রতিটি গ্রামের কৃষকরা প্রাকৃতিক কৃষি কাজে এগিয়ে আসুক। কেশুভাই এবং আমি জল সংরক্ষণ সম্পর্কে যে কাজ করেছি একইভাবে ভূপেন্দ্রভাই জি মাতৃস্বরূপা এই গ্রহের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। মাতৃস্বরূপা এই গ্রহের সুরক্ষায় গুজরাটবাসীকে একজোট হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আমি এটা আগেও দেখেছি যে, আপনারা যখনই কোনো দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তথন তা থেকে পিছিয়ে আসেন নি। উনঝা জেলায় আমার বেটি বাঁচাও কর্মসূচির কথা মনে পড়ছে। আমি সেসময় খুবই উদ্বিগ্ন ছিলাম। মা উমিয়ার মন্দির শহ���ে শিশু কন্যাদের সংখ্যা ক্রমশ কমছিল। সেসময় আমি মা উমিয়ার চরণ ছুঁয়ে প্রণাম জানিয়েছিলাম এবং শিশু কন্যাদের রক্ষায় সাধারণ মানুষের অঙ্গীকার চেয়েছিলাম। আমি অত্যন্ত খুশি যে, মা উমিয়ার ভক্ত এবং সমগ্র গুজরাট শিশু কন্যাদের সুরক্ষায় দৃঢ় সংকল্প নিয়েছিল। এর ফলস্বরূপ ভ্রণ হত্যা এবং শিশু কন্যাদের সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে উঠেছিল। আজ আপনারা গুজরাটের মেয়েদের সাফল্য দেখতে পাচ্ছেন। মহেসনা থেকে আমাদের বিদ্যাঙ্গ কন্যা অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন এবং সেখানে গর্বের সঙ্গে ভারতের পতাকা তুলে ধরেছেন। এবার গুজরাট থেকে ৬ জন কন্যা অলিম্পিকে গিয়েছিল। তাই এরা কি আমাদের কাছে গর্বের নয়? আমি মনে করি মা উমিয়া দেবীর প্রতি প্রকৃত নিষ্ঠা আমাদের শক্তি জুগিয়েছে এবং সেই শক্তি সম্বল করেই আমরা এগিয়ে চলেছি। আমরা প্রাকৃতিক কৃষি কাজে যত বেশি গুরুত্ব দেবো আসলে আমরা ভূপেন্দ্রভাই জিকে ততটাই সাহায্য করবো। শুধু তাই নয়, আমাদের মাতৃস্বরূপা এই গ্রহ ততই বিকশিত হবে। পক্ষান্তরে গুজরাটেরও উন্মেষ ঘটবে। গুজরাটের অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু পূর্ণ বিকাশেরও সম্ভাবনা রয়েছে। আমার আরও একটি বিষয়ের কথা মাথায় রয়েছে এবং সেটি হলো অপুষ্টি। এটা একেবারেই ভালো নয় যে, গুজরাটের শিশুরা অপুষ্টিতে থাকুক। মা ছেলেকে বলে খেয়ে নিতে, কিন্তু সে খায় না। আসলে এটা দারিদ্র নয়, বরং খাওয়ার অভ্যেসের উপরেই দেহের পৌষ্টির মাত্রা নির্ভর করে। একজন মেয়ের যদি রক্তাল্পতা থাকে এবং তার যদি ২০-২২-২৪ বছরে বিয়ে হয়ে যায় তাহলে তার গর্ভস্থ শিশুটি বাড়বে কিভাবে। মায়ের শরীর যদি শক্ত-সমর্থ না হয়, তাহলে তার গর্ভস্থ শিশুটিরই কিহবে। তাই আমাদের প্রত্যেক শিশু এবং প্রত্যেক কন্যার স্বাস্থ্যের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। আমার বিশ্বাস, মা উমিয়া দেবীর প্রত্যেক ভক্ত গ্রামে গ্রামে গিয়ে এটা সুনিশ্চিত করবেন যে, যাতে সমাজের কোনো শিশুই যেন অপুষ্টির শিকার না হয়। যদি একটি শিশু সুস্থসবল হয় তাহলে তার পরিবারও স্বাস্থ্যবান হবে। একইভাবে একটি সমাজ যদি সুস্থসবল হয় তাহলে দেশও স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠবে। আজ আপনারা পটোৎসব উদযাপন করছেন এবং রক্তদান শিবির আয়োজন করেছেন। এবার আরও একটা কাজ করুন। মা উমিয়া ট্রাস্টের মাধ্যমে আপনারা গ্রামে গ্রামে সুস্থ সবল শিশু সম্পর্কে প্রতিযোগিতার আয়োজন করুন। ২-৪ বছর বয়সী শিশুদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করুন এবং বিজয়ীদে��� পুরস্কৃত করুন। তাহলে দেখবেন পুরো পরিস্থিতিটাই পাল্টে গেছে। আসলে এই উদ্যোগ ছোটো হলেও, আমরা তা থেকে অনেক ভালো কিছু করতে পারি। এখানে অনেক বৈবাহিক অনুষ্ঠান আয়োজনের হল বা কক্ষ তৈরি হয়েছে বলে আমি জেনেছি। সারা বছর ধরেই বৈবাহিক অনুষ্ঠান আয়োজন হয় না। তাহলে যে সময় কোনো বৈবাহিক অনুষ্ঠান থাকবে না, তখন এই হলগুলি কিভাবে ব্যবহৃত হবে। আমরা এই হলগুলি দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য কাজে লাগাতে পারি। সপ্তাহে এক ঘণ্টা বা দু ঘণ্টা করে এখানে তাদের শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে। একইভাবে এই কক্ষগুলিকে যোগচর্চার কেন্দ্র হিসেবেও কাজে লাগানো যেতে পারে। একজন ভক্ত সকালে মা উমিয়া দেবীর কাছে গিয়ে সেখান থেকে এসে এক বা দুই ঘণ্টা এখানে যোগাভ্যাস করতে পারেন। তাই আমার মনে হয়, এই হলগুলির পূর্ণ সদ্ব্যাবহার তখনই সম্ভব হবে যখন প্রকৃত অর্থেই সামাজিক চেতনা গড়ে উঠবে। অবশ্য আমাদের এই লক্ষ্যে প্রয়াস গ্রহণ অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছি। তাই এই সময় আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ২০৪৭-এ যখন স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করব তখন, আমাদের গ্রামগুলি, আমাদের সমাজ এবং আমাদের দেশকে কোথায় পৌঁছে দিতে পারি, তা নিয়ে আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে ও দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করতে হবে। অমৃত মহোৎসবের মাধ্যমে আমারা সমাজে এই চেতনা জাগ্রত করতে পারি। আমার এটা মনে হয়, স্বাধীনতা ৭৫ তম বার্ষিকী উদযান উপলক্ষে আমরা প্রতিটি জেলায় ৭৫টি অমৃত সরোবর তৈরি করতে পারি। পুরানো সরোবরগুলিকে আকারে আরও বড় করতে পারি, সেগুলি আরও গভীর করতে পারি। একটি জেলাতেই ৭৫টি সরোবর! কল্পনা করতে পারছেন, দেশ যখন ২৫ বছর পর স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করবে, তখন আগামী প্রজন্ম এসব দেশে আশ্চর্য হবে। তাই মা উমিয়া দেবীর আর্শিবাদে আমরা প্রতিটি জেলায় ৭৫টি সরোবর গড়ে তোলার অভিযান গ্রহণ করতে পরি। এটা প্রমাণ করে দিয়েছি যে আমরা হাজার হাজার বাঁধ গড়ে তুলতে পারি। আসলে এগুলি সবই সমাজকে প্রেরণা দেয়। প্রতি বছর ১৫ই আগস্ট প্রতিটি সরোবরের সামনে গ্রামের একজন বরিষ্ঠ ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকে দিয়ে পতাকা উত্তলোন করা যেতেই পারে। আজ ভগবান রামচন্দ্র জির জন্মবার্ষিকী। আমরা যখন ভগবান রামচন্দ্র জির কথা স্মরণ করি, তখন আমাদের শবরী, কেওয়াত, নিশাদ প্রভৃতির কথা মনে পড়ে। মা উমিয়া দেবীর ভক্তরাও সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণী মানুষের কল্���াণের কথা চিন্তা করবেন এবং তাদের কল্যাণে ব্রতী হবেন। রাম, ভগবান রাম ও পুরুষোত্তম হয়ে উঠেছিলেন কারণ তিনি সমাজের দরিদ্র মানুষের কল্যাণে ব্রতী হয়েছিলেন। মা উমিয়া দেবীর ভক্তরা নিজের কল্যাণ সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি এটাও গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন যে, কোনো ব্যক্তিই যেন অগ্রগতির সুফল পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন। আর কেবল তাহলেই আমাদের অগ্রগতি প্রকৃত অর্থেই সর্বব্যাপী হয়ে উঠবে। তাই কোনো ব্যক্তি যদি উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত হন তাহলে অগ্রগতির ধারা বজায় রাখা সম্ভব নয়। আর এজন্যই আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আমরা যদি অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে চাই তাহলে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষের কল্যাণও সুনিশ্চিত করতে হবে। ভগবান রামের প্রগত্য মহোৎসব এবং মা উমিয়া দেবীর পটোৎসব উপলক্ষে অগুণিত মানুষ আজ এখানে সমবেত হয়েছেন। আমরা কোভিড মহামারীর অতিকায় সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু বিপদ এখনও কাটেনি। এখনও কোথাও কোথাও আক্রান্তের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এসম্পর্কে অনেক বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। তাই আমাদের বিন্দুমাত্র উদাসীন হওয়ার সুযোগ নেই। সারা বিশ্ব প্রশংসা করছে যে ভারতে ১৮৫ কোটির বেশি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। আসলে এটা সম্ভব হয়েছে সামাজিক সহযোগিতার ফলেই। তাই টিকা নেওয়ার ব্যাপারে ব্যাপক সচেতনতা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জনে অভিযান গ্রহণ করেছি। কিন্তু কেন এই অভিযান স্বভাবসিদ্ধ হয়ে উঠবে না! আমরা গরুর পুজো করি। আমরা মাতা উমিয়া দেবীর ভক্ত। আমরা পশু-পাখিকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করি। তাই মা উমিয়া দেবীর ভক্ত হিসেবে এটা আমাদের কাছে কখনই গ্রহণযোগ্য নয়, যখন আমরা দেখি কোনো গরু প্লাস্টিক খাচ্ছে। এই বিষয়গুলিকে বিবেচনায় রেখে আমাদের পরবর্তী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আপনারা অনেক সমাজসেবামূলক কাজ গ্রহণ করেছেন জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ধর্মীয় উদ্দীপনার পাশাপাশি আপনারা রক্তদান শিবির আয়োজন করেছেন। এই কাজে আপনারা নবীন প্রজন্মকেও সামিল করেছেন, এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আপনাদের সকলকে আমার শুভেচ্ছা। আমি আপনাদের সঙ্গে একত্রিত হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। আপনাদের সকলকে অনেক শুভেচ্ছা! মাতা উমিয়া দেবীর চরণে আমার প্রণাম! ধন্যবাদ!",গুজৰাটৰ জুনাগড়ত উমিয়া মাতা মন্দিৰৰ চতুৰ্দশ প্ৰতিষ্ঠা দিৱস উদযাপ��� উপলক্ষে প্ৰধানমন্ত্ৰী মোডীৰ বাৰ্তাৰ অসমীয়া ৰূপান্তৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AA-%E0%A6%8F%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AA-%E0%A6%8F%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6/,"মঞ্চে উপস্থিত মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দী বেন প্যাটেল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শিবরাজ পাটিল মহোদয়, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের সঙ্গী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমার মহোদয়, শ্রী পুরুষোত্তম রুপালা মহোদয়, রাজ্য সরকারের মন্ত্রী গোপালজি, ওমপ্রকাশজি, সঞ্জয়জি, সংসদ সদস্য শ্রী ফগ্‌গন সিং কুলস্তেজি, শ্রীমতী সম্পত্তিয়া ভি.কে.জি এবং ভারতীয় জনতা পার্টির সদ্য নির্বাচিত অধ্যক্ষ এবং আমাদের জব্বলপুরের সাংসদ শ্রী রাকেশ সিংজি, মন্ডলা জেলা পঞ্চায়েতের অধ্যক্ষ শ্রীমতী সরস্বতী মরাওয়ী মহোদয়া আর আজ আমি অত্যন্ত গর্বের সহিত যাঁর সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করাতে চাই, আমাদের মাঝে বসে আছেন ত্রিপুরার সদ্য নির্বাচিত উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা। সম্প্রতি ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ইনি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখানকার সাধারণ মানুষ ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ত্রিপুরায় ভারতীয় জনতা পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করেছেন। ত্রিপুরায় অধিকাংশ জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন। আপনাদের এখানে যেমন গৌন্ড পরম্পরার ইতিহাস রয়েছে, তেমনই আদি জনজাতিদের রাজ্য শাসনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আমি আজ অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজ সেই ত্রিপুরার নবনির্বাচিত উপ-মুখ্যমন্ত্রী আমাদের মধ্যে রয়েছেন, তিনি সেই জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ, সেই রাজ পরিবারের বংশধর যাঁরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রতিস্পর্ধা দেখিয়েছিলেন; আজ এখানে এই মধ্যপ্রদেশের মাটিতে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে আমি গর্ববোধ করছি। ভাই ও বোনেরা, আমরা সবাই আজ মা নর্মদার কোলে একত্রিত হয়েছি। সবার আগে আমি প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ মা নর্মদা, এখান থেকে শুরু হয়ে গুজরাটের সমুদ্রতট পর্যন্ত প্রবাহিত। মা নর্মদা আমাদের কোটি কোটি মানুষের জীবনকে লালন-পালন করেন। আমাদের পশুপালন, কৃষি, আমাদের গ্রামীণ জীবন শতাব্দী পর শতাব্দীকাল ধরে মা নর্মদার স্পর্শে নতুন জীবন লাভ করেছে। আজ আমি সেই মা নর্মদাকে প্রণাম জানাই। আগেও এই অঞ্চলে অনেকবার আসার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। রানী দুর্গাবতীর পরাক্রমগাঁথা, ত্যাগ ও বলিদানে গাঁথা আমাদের সবাইকে প্রেরণা যোগাতে থাকে। আমাদের দেশের বৈশিষ্ট্য হ’ল রানী দুর্গাবতী কিংবা অবন্তী বাঈরা সমাজের জন্য লড়াই করেছেন, বিদেশি শাসকের সামনে মাথা নত করেননি। এই পরম্পরাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ আমরা এই মাটি থেকেই আদি জনজাতিদের স্বার্থে একটি সম্মানজনক কর্মসূচি শুরু করছি। পাশাপাশি, আজ পঞ্চায়েত দিবস। শ্রদ্ধেয় বাপুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ আজ আমাদের কাছে এসেছে। মহাত্মা গান্ধী বার বার বলেছেন যে, ভারতের পরিচয় ভারতের গ্রামে। সেজন্য গ্রাম স্বরাজের কল্পনা করেছিলেন। মহাত্মা গান্ধী গ্রামোদয় থেকে রাষ্ট্রদ্বয়ের পথ প্রশস্ত করার জন্য প্রেরণা যুগিয়েছেন। আর আজ পঞ্চায়েত রাজ দিবসে আমি প্রায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার পঞ্চায়েতকে এবং এই পঞ্চায়েতগুলিতে বসবাসকারী আমার কোটি কোটি দেশবাসীকে, এই পঞ্চায়েতগুলি থেকে নির্বাচিত ৩০ লক্ষেরও বেশি জনপ্রতিনিধিকে যাঁদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি আমাদের মা-বোনেরা রয়েছেন; যাঁরা আজ সাফল্যের সঙ্গে দেশের গ্রামীণ জীবনের নেতৃত্ব প্রদান করেছেন, তাঁদের সকলকে আজ পঞ্চায়েতি রাজ দিবস উপলক্ষে প্রণাম জানাই, অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আপনাদের নিজেদের গ্রামের উন্নয়নে, গ্রামবাসীদের ক্ষমতায়নের জন্য নিজেদের গ্রামকে সমস্যামুক্ত করার জন্য আপনারা যে কোনও সংকল্প গ্রহণ করলে তা বাস্তবায়নের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকারও আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। আপনাদের স্বপ্নগুলির সঙ্গে আমাদের স্বপ্নগুলি মিলেমিশে গেলেই ১২৫ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারব। এই ভাবনা নিয়ে আসুন আজ পঞ্চায়েত রাজ দিবসে নিজের গ্রামের জন্য কিছু করার সংকল্প গ্রহণ করি। আগে যখন এই মন্ডলায় আসতাম, তখন দেখেছি এখানকার মানুষ ঐ দুর্গটি নিয়ে গর্ব করে এখানকার রাজ পরিবারের ইতিহাস নিয়ে গর্ব করে বুক ফুলিয়ে বলেন, কয়েক শতাব্দী আগে গৌন্ড রাজারা কত বড় কাজ করেছিলেন, কত বড় ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন, যা ছিল অত্যন্ত গণমুখী! এখন দেশে গণতান্ত্রিক আবহে একটি নিশ্চিত অবধি পর্যন্ত গ্রামের মানুষ আমাদেরকে যে দায়িত্ব দিচ্ছেন, আমাদের ওপর যে ভরসা রাখছেন, তা যেন আমরা গ্রামের জন্য নিজেদের কর্মকালের মধ্যে পাঁচটি ভালো কাজ কিংবা দশ-পনেরোটি ভালো কাজ করে যাই, যাতে ২০-৩০ বছর পর যখন আপনারা বৃদ্ধ হবেন, তখন আপনার নাতি-নাতনিদের বলতে পারবেন যে, ২৫ বছর আগে আমি যখন পঞ্চায়েত প্রধান ছিলাম, তখন এই পুকুরটি খনন করিয়েছিলাম, স্কুলের মাঠে ঐ গাছটি লাগিয়েছিলাম, পানীয় জলের জন্য ঐ কুয়োটি কাটিয়েছিলাম~! আপনারা নিশ্চয়ই চাইবেন যে, নিজেদের কর্মকালের মধ্যে এমন কিছু কাজ করে যান, যাতে ভবিষ্যতে নাতি-নাতনিদের বুক ফুলিয়ে বলতে পারেন। আমি আপনাদের মনের সেই ইচ্ছাকে জোরদার করতে চাই। আপনাদের মজবুত সংকল্পে ধনী করে তুলতে চাই। গ্রামের জন্য কিছু করার ইচ্ছে আর যে ৫ বছর সময় আপনারা পান, সেই ৫ বছরের প্রতিই মুহূর্ত যদি জনগণের জন্য কাজ করার পণ নিয়ে কাজ করতে থাকেন, তাহলে বিশ্বের যে কোনও শক্তি, যে কোনও প্রতিস্পর্ধা, যে কোনও বিপত্তিকে জয় করে আপনারা গ্রামের জীবন বদলে দিতে পারবেন। কখনও গ্রামের উন্নয়নের প্রসঙ্গ উঠলে অনেকে বাজেট বরাদ্দের প্রসঙ্গ তোলেন। একটা সময় ছিল যখন বাজেটবরাদ্দ অপর্যাপ্ত থাকার ফলে কাজ করতে সমস্যা হত, কিন্তু আজ বাজেটের সমস্যা নেই, এখন সমস্যা হল – প্রাপ্ত অর্থের সদুপযোগ কেমন করে হবে! নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সঠিক মানুষদের জন্য কিভাবে যথাযথভাবে সৎ পথে টাকা খরচ করা হবে? সেই কাজে স্বচ্ছতা থাকবে, গ্রামের প্রত্যেকে জানতে পারবেন যে – এই কাজ এতটা, এত টাকা খরচ করে হয়েছে, গ্রামবাসীর কাছে এই হিসেব দিচ্ছি! এই স্বভাব গড়ে তুলতে পারলে কখনও অর্থের অভাব হবে না। আসলে অর্থের অভাব কখনই হয় না। আমাদের অগ্রাধিকারই কখনও কখনও সমস্যা তৈরি করে। মনে করুন, গ্রামে একটি স্কুল আছে। স্কুল বাড়িটি খুব সুন্দর, সেখানে শিক্ষিত মাস্টারমশাই আছেন, তিনি মাস গেলে ঠিক্টহাক বেতন পান, প্রতিদিন ঠিক সময়ে স্কুল হয়। কিন্তু তা সত্বেও আমার গ্রামের ৫-২৫টি বাচ্চা স্কুলে যায় না, লুকিয়ে থাকে, নিরক্ষর থেকে যায়। আপনারা কি মনে করেন যে, এই নিরক্ষরতার পেছনে বাজেট সমস্যা ছিল? মাস্টার মশাইয়ের কোনও খামতি ছিল? আমি মনে করি, ছিল না। আমাদের গ্রামবাসীদের বোঝাতে হবে যে, স্কুল আছে, মাস্টারমশাই আছেন, সরকার অনুদান দেয়, সরকার থেকে ছেলেমেয়েদের স্কুলের পোশাক দেওয়া হয়, মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা রয়েছে। আসুন, আমরা মিলেমিশে এমন কাজ করি, যাতে আমাদের গ্রামের একটি শিশুও আর স্কুলছুট না হয়। আমরা কি এরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারি? আমাদের বাবা-মা হয়তো লেখাপড়া জানেন না, তাঁদের হয়তো সেই সৌভাগ্যই হয়নি। সেই সময়ে সমস্ত সরকারি সুবিধা থাকা সত্ত��বেও তাঁরা লেখাপড়ার সুযোগ পাননি। কিন্তু এখন আপনারা পঞ্চায়েতে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকার আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চায়। তাঁরা ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করতে আগ্রহী, বিশেষ করে মেয়েদেরকে; সেই শিশুটি বড় হয়ে বলবে, আমি তো গরিব মায়ের সন্তান ছিলাম, মায়ের সঙ্গে কাজ করতে যেতাম কিন্তু অমুক যখন গ্রামপ্রধান হলেন, তিনি আমাকে ক্ষেত থেকে হাত ধরে এনে স্কুলে ঢুকিয়ে বলেন, বাবা এটা তোর ক্ষেতে কাজ করার বয়স নয়, পড়াশুনা করতে হবে। তারই কল্যাণে আজ আমি ডাক্তার হয়েছি, ইঞ্জিনিয়ার হয়েছি কিংবা আজ আমি আইএএস অফিসার হয়েছি, আমার পরিবারের জীবন বদলে গেছে। অর্থাৎ, একজন গ্রামপ্রধান একটি জীবন বদলে দিতে পারেন, অসংখ্য মানুষকে প্রেরণা যোগাতে পারেন, গোটা ভারতের জীবন পরিবর্তনে সঠিক পথ দেখাতে পারেন। সেজন্য আমার প্রিয় গ্রাম প্রতিনিধিগণ, এই পঞ্চায়েত রাজ দিবস আমাদের সংকল্প দিবস হয়ে উঠুক। আজ আরোগ্য ক্ষেত্রে সুদিন এসেছে। সঠিক সময়ে শিশুদের পোলিও-র প্রতিষেধক খাওয়াতে পারলে আমাদের গ্রামের বাচ্চারা আর দিব্যাঙ্গ হয়ে উঠবে না, পোলিও নির্মূল হবে। এই পোলিও-র প্রতিষেধক খাওয়াতে কি বাজেট বরাদ্দের প্রয়োজন হয়? ডাক্তার আসেন, সরকারি খরচে প্রতিষেধক আসে, যে তারিখে খাওয়ানো হবে, টিভি ও খবরের কাগজে তা আগে থেকে জানানো হয়। আমি কি নির্বাচিত নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের কাছে এই পোলিও প্রতিষেধক খাওয়ানোর ব্যাপারে সঠিক তদারকির অনুরোধ করতে পারি? আপনাদের মনে হতে পারে যে, এটা সরকারি বাবুদের কাজ, আমাদের নয়। আরে মশাই, আপনারা জনপ্রতিনিধি, জনগণের সেবক। আপনারা সরকারের সেবক নন। আমরা জনপ্রতিনিধিরা জনতার সুখ-সুবিধা সুনিশ্চিত করার জন্য নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আমাদের সমস্ত শক্তি ও সময় যদি সেই কাজে নিয়োজিত করি, তা হলে আমরা গ্রামের জীবন বদলে দিতে পারব। আমি আপনাদের সঙ্গে এই ছোট ছোট বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলছি, কারণ, ছোট ছোট বিষয়ে পরিবর্তন আনতে পারলেই দেখতে দেখতে গ্রাম পরিবর্তিত হয়ে যায়। আমাদের গ্রামের কৃষকরা জানেন যে, চাষের ক্ষেত তাঁদের অন্নদাতা সেই ক্ষেতের মাটির স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে ধরিত্রী মাতা আজ যতটা ফসল দেন, ততটা ফসল দেওয়া বন্ধ করে দেবেন। সেক্ষেত্রে আমরা তো খিদেতে মরবই, অন্যরাও মারা যাবেন। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দারিদ্র্যক্লিষ্ট হয়ে পড়বে। কখনও কি ভেবেছেন যে, আমরা অনেক সময়ে অন্যের দেখাদেখি কাজ করে ক্ষেতের বারোটা বাজাই। অমুকে যতটা ইউরিয়া মাটিতে মিশিয়েছেন, আমিও মিশিয়ে দিলাম। প্রতিবেশী লালওষুধ দিলে আমিও দিয়ে দিলাম। ক্ষেতের প্রকৃতি না জেনে এভাবে অন্ধের মতো কাজ করলে লাভের বদলে ক্ষতির সম্ভাবনাই বৃদ্ধি পায়। গ্রামের সবাই মিলে যদি সিদ্ধান্ত নিই যে, সারা গ্রামে ৫০টি ব্যাগ ইউরিয়া আসে, আমরা সবাই মাটিতে কম কম ইউরিয়া মিশিয়ে ৪০টি ব্যাগ দিয়েই কাজ চালিয়ে দেব। তা হলে ১০টি ব্যাগের পয়সা বাঁচবে কি বাঁচবে না? পয়সাও বাঁচবে, ধরিত্রীমাতাও খুশি হবেন। ধীরে ধীরে ফসলও ভালো হবে। আমি আপনাদেরকে জিজ্ঞেস করতে চাই যে, আমার জনজাতি ভাইদের কাছে জানতে চাই যে, আমরা কি এভাবে নিজেদের অর্থ ও মৃত্তিকার স্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারি? এখন তো সরকারও একটা খুব ভালো নিয়ম করে দিয়েছে। মন্ডলার অরণ্যের কোলে দাঁড়িয়ে আনন্দের সঙ্গে কথা বলছি, এখানে আপনারা বাঁশের চাষ করেন, একটা সময় ছিল, যখন আমদের দেশে বাঁশকে গাছ বলে মানা হ’ত। আমি জানি না, এত বছর কেন আমাদের আইনে বাঁশকে গাছ করে রাখা হয়েছিল? আমার জনজাতি ভাই ও বোনেরা যথেচ্ছ বাঁশ কেটে বিক্রি করতে পারতেন না। বন দপ্তরের আধিকারিকদের চোখে পড়লে জরিমানা দিতে হ’ত। আমরা সরকারে এসে সেই আইন বদলে দিয়েছি। এখন যা বৈজ্ঞানিক সত্য, সেটাই আইনে স্থান পেয়েছে। আইনগতভাবে বাঁশ এখন ঘাস হিসাবে বিবেচিত হবে। আপনারা যত খুশি চাষ করুন আর বাজারে বিক্রি করে লাভবান হন। আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, আমাদের দেশে এত বাঁশ উৎপন্ন হওয়া সত্ত্বেও প্রতি বছর ১২ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা বাঁশ আমদানি করতে হ’ত। ধূপকাঠি, দেশলাই কাঠি বানানোর জন্য, ঘুড়ির কাঠি, বাড়ি-ঘর নির্মাণের জন্য বাঁশ আমদানি করে এত হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে যেত। আজ আমি জনজাতি ভাইদের অনুরোধ জানাই যে, এখন আপনারা উৎকৃষ্ট প্রকৃতির বাঁশ নিজেদের ক্ষেতে ফলান। দু-তিন বছরের মধ্যেই আপনাদের রোজগার শুরু হবে। পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের অনুরোধ জানাই, আমাদের গ্রামের কৃষকদের আত্মনির্ভর করে তুলুন। আমাদের রাজ্যপাল দেবব্রতজি নিজের পদমর্যাদা ভুলে চাষীদের সঙ্গে সময় কাটান আর তাঁদের জিরো বাজেটে উন্নতমানের চাষবাস সেখান। একজন কৃষকের একটি গরু আর দুই একর জমি থাকলে কিভাবে বিনামূল্যে চাষবাস করা যায়, তা শিখিয়ে তিনি অনেক কৃষককে আত্মনির্ভর করে তুলেছেন। আমাদের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা এই পদ্ধতি শিখে নিজের ��্রামের কৃষকদের সঠিক পথ দেখাতে পারবেন কি? সম্প্রতি আমরা মধু উৎপাদন ও মৌ উৎপাদনের আন্দোলন শুরু করেছি। যে কোনও ছোট কৃষক তাঁর ক্ষেতের চারপাশে ৫০টি মৌমাছির বক্স বসিয়ে দিয়ে এক বছরে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার মধু বিক্রি করতে পারেন। যদি বিক্রি না হয়, তা হলে বাড়িতে রেখে খেলেও শরীরের জোর বাড়বে। আপনারা বলুন, তা হলে কৃষকের রোজগার বাড়বে কি বাড়বে না? অথচ, এর জন্য কোনও বাজেটেরও প্রয়োজন নেই, নিজে থেকেই হতে পারে। শুধু আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখন গ্রামে গ্রামে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে মনরেগার টাকা পাঠানো হয়। আমরা কি ঠিক করতে পারি যে, এপ্রিল, মে এবং জুন – এই তিন মাস গ্রামে জল বাঁচানোর জন্য কী কী করতে পারি; পুকুরের গভীরতা বাড়ানো কিংবা ছোট ছোট ‘চেক ড্যাম’ গড়ে তুলে কয়েক মাস পরেই যখন বর্ষা আসবে, তখন যেন প্রত্যেক বিন্দু জল আপনার গ্রামের মাটিতেই থেকে যায়, অনায়াসে বেরিয়ে যেতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করব। আপনারা বলুন, গ্রামের জল গ্রামে থেকে গেলে প্রত্যেক বৃষ্টিবিন্দুকে গ্রামের মাটিতে ধারণ করতে পারলে আমাদের মাটির নিচের জলস্তর বাড়বে, পাশাপাশি সংস্কার করা জলস্রোতগুলি গ্রামের মাটিকে অনেক বেশি উর্বর করে তুলবে কি তুলবে না? যদি বৃষ্টি তেমন না হয়, সেক্ষেত্রেও মাটির নিচের জলস্তর আমাদের চাষের কাজকে বৃথা হতে দেবে না! গ্রামবাসীদেরও না খেয়ে মরতে হবে না। এমন নয় যে প্রকল্প নেই, এমন নয় যে অর্থের অভাব রয়েছে, আমি গ্রাম প্রতিনিধিদের অনুরোধ করি যে, আপনারা ঠিক করুন – শিক্ষা, আরোগ্য, জলসঞ্চয়, কৃষিতে পরিবর্তন – কোন্‌ কোন্‌ ক্ষেত্রে আপনারা এরকম কোনও নতুন বাজেট বরাদ্দ ছাড়াই কাজ করে গ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। আরেকটি কথা আমি বলতে চাইব, আমরা একটি প্রকল্প চালু করেছিলাম জন ধন যোজনা। এই যোজনার মাধ্যমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা এবং আরেকটি প্রকল্প ছিল মাত্র ৯০ পয়সায় বিমা যোজনা। আমি একথা বিশ্বাস করি না যে, দেশের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তিও ৯০ পয়সা খরচ করতে পারবে না। কারও যদি বিড়ি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তা হলে সে দিনে ২ টাকার বিড়িই খেয়ে নেন। কাজেই ৯০ পয়সা জমা করা কোনও ব্যাপারই নয়। আপনারা দেখেছেন, আজ এই মঞ্চ থেকে আজ এই মঞ্চ থেকে একজন জনজাতি সম্প্রদায়ের মা-কে ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। তাঁর স্বামী ৯০ পয়সার বিমা করিয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যুতে পরিবারে বিপর্যয় এলে ভদ্রমহিলা এই ২ লক্ষ বিমার টাকা পেয়েছেন। বিপদের সময় এক দরিদ্র মা যদি হাতে ২ লক্ষ টাকা পান, এই টাকা তাঁর পরিবারটিকে রক্ষার ক্ষেত্রে কতটা কাজে লাগবে! আমাদের জনপ্রতিনিধিরা কি আমাকে এটা সুনিশ্চিত করতে পারেন যে আপনাদের গ্রামে কমপক্ষে ৯০ পয়সার বিমা করা হয়নি – এরকম কোনও পরিবার নেই! যদি থেকে থাকে তাহলে তাঁদেরকে যত শীঘ্র সম্ভব এর আওতায় নিয়ে আসুন! পারিবারিক বিপত্তির সময় ঐ পরিবার ২ লক্ষ টাকা হাতে পাবে। গ্রামের জন্য বোঝা হয়ে উঠবে না! আপনারা কি এটা করতে পারেন? ভাই ও বোনেরা, আমি তিনটি বিষয়ের প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই! এক – জন ধন, দুই – বন ধন, তিন – গোবর ধন। এই তিনটি বিষয় গ্রামের অর্থব্যবস্থায় একটি অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারে! জনধন যোজনার মাধ্যমে আমরা গ্রামের পরিবারগুলিকে, প্রত্যেক নাগরিককে অর্থব্যবস্থার মুখ্যধারায় নিয়ে আসতে পারি! বন ধন – আমাদের দেশে যে বনসম্পদ, প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, তার মূল্য বুঝতে হবে। গ্রামে যে নিম গাছ আছে, দরিদ্র মহিলারা সেই নিমের ফলই কুড়িয়ে একত্রিত করে, তা থেকে তেল বের করতে পারেন। সেই তেল ইউরিয়াতে নিম কোটিং-এর জন্য কিনে নেওয়া হবে। মহিলাদের রোজগার হবে, তার মানে যে নিমফল গাছ থেকে ঝরে পড়ে মাটিতে মিশে যায়, সেটাই আজ বন ধন-এ পরিণত হতে পারে। আমি অরণ্যবাসী সমস্ত জনজাতি বন্ধুদের বলতে চাই, সংশ্লিষ্ট সমস্ত সরকারকে বলতে চাই – এভাবে চেষ্টা করলে আমরা অনেক পরিবর্তন আনতে পারব। আজ এখানে মধ্যপ্রদেশ রাজ্য সরকার, জনজাতি সম্প্রদায়ের জন্য একটি অনেক বড় প্রকল্প শুরু করল। এই প্রকল্প বন ধন-এর গুরুত্ব উপলব্ধি করেই গড়ে উঠেছে। তৃতীয়ত, গোবর ধন – গ্রামের পশুদের গোবর বৈজ্ঞানিক উপায়ে ব্যবহার করা হয় না। সেই গোবর ও গ্রামের আবর্জনাকে যদি আমরা সম্পত্তি ভাবি, তা হলে সেগুলি থেকে গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব। সেই গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব আর সেই গোবর ও আবর্জনা থেকে জৈব সার উৎপাদনও সম্ভব। ইউরিয়া প্রয়োগ না করেই, সেই জৈব সার ক্ষেতে প্রয়োগ করলে ফলনও ভালো হয় আর তা আমাদের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে এবং মাটির স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। সেজন্য ভাই ও বোনেরা, আজ মা নর্মদা তীরবর্তী মন্ডলার মাটি থেকে, মাতা দুর্বাবতীর আশীর্বাদধন্য এই পুণ্যভূমি থেকে দেশের ২ লক্ষ ৪০ হাজার গ্রামের মানুষদের অনুরোধ জানাই। আসুন আমরা সংকল্প গ্রহণ করি ২০২২ সালে যখন দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি পালন করবে, আর তার আগ��� এ বছর ২ অক্টোবরে মহাত্মা গান্ধী জন্মসার্ধ শতবর্ষ পালন শুরু হবে। আসুন, এই উপলক্ষে আমরা সবাই মিলে দেশের প্রতিটি গ্রামকে মহাত্মা গান্ধীর স্বপ্নের গ্রামে পরিণত করি। একটু আগেই একটি প্রকল্প আমি উদ্বোধন করেছি, যার মাধ্যমে যথাযথভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপনার গ্রামে কত সরকারি টাকা আসছে, কোন্‌ কাজে আসছে, সেই কাজ কতটা হয়েছে, আদৌ হয়েছে কিনা, যেখানে হওয়ার কথা ছিল, সেখানে হয়েছে কিনা – এই সমস্ত খুঁটিনাটি আপনারা নিজেদের মোবাইল ফোনে দেখতে পাবেন। আপনারা বুঝতে পারবেন, গ্রামের কূপ খননের জন্য যে টাকা এসেছে, তা দিয়ে অন্য কোনও কাজ করা হচ্ছে কিনা, যদি মোবাইল ফোনে পাওয়া তথ্যের সাথে বাস্তবের কোনও মিল না থাকে, তা হলে জনগণ জনপ্রতিনিধিদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারবেন, প্রশাসনও নড়েচড়ে বসতে বাধ্য, কাজ করতে বাধ্য। আপনারাই বলুন, এই স্পষ্টতা সৎ পথে গ্রামের উন্নয়ন সুনিশ্চিত করবে কি করবে না, প্রত্যেক পয়সার হিসাব দিতে হবে কি হবে না? সেজন্য আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, সঠিক সময়ে সঠিক কাজ হচ্ছে কিনা সেদিকে যদি আপনারা লক্ষ্য রাখেন, তা হলে দেখবেন, আপনাদের পাঁচ বছরের কার্যকাল একটি সোনালী সময় বলে পরিগণিত হবে। গ্রামবাসী আপনাকে মনে রাখবে যে, অমুক যখন গ্রামপ্রধান ছিলেন, কিংবা তমুক যখন আমাদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন, তখন তিনি গ্রামের কায়াকল্প করে দিয়েছেন। আজ এখানে আমার একটি এলপিজি প্ল্যান্টেরও উদ্বোধন করার সৌভাগ্য হয়েছে। এখানে ১২০ কোটি বিনিয়োগে একটি গ্যাস সিলিন্ডার ভরার কারখানা গড়ে উঠবে। ফলে, পার্শ্ববর্তী পান্না, সৎনা, রিওয়া, সিঙ্গরৌলি, শেহডোল, উমরিয়া, ডিন্ডরি, অনুপুর, মন্ডলা, সিওয়ন, বালাঘাট, জব্বলপুর, কটনি, দমোহ জেলাগুলিতে গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার কাজ সরল হয়ে যাবে। এখানকার স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান হবে আর আপনারা একটি নতুন দুনিয়া আস্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন। ভাই ও বোনেরা, আরও অনেক বিষয়েই আলোচনা করতে পারতাম। কিন্তু আমি গ্রাম-কেন্দ্রীক জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞান – এই মন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। একটু আগেই শিবরাজজি বলছিলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার কন্যাদের সঙ্গে যাঁরা দুর্ব্যবহার করে সেই রাক্ষুষে মনবৃত্তি মানুষদের এখন ফাঁসিতে ঝোলানোর আইন প্রণয়ন করেছে। আর মুখ্যমন্ত্রী যখন এই প্রস্তাব রেখেছেন, তখন আমরা লক্ষ্য করেছি যে, গোটা মন্ডপে হাততালির শব্দ গুঞ্জরিত হয়েছে। সেই ���ালির শব্দ থামছিলই না। আজ দিল্লিতে আপনারা এমন সরকার এনেছেন, যাঁরা আপনাদের অন্তরের আওয়াজ শুনতে পায় আর সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়। আমি বলব যে, আমরা পরিবারেও যেন মেয়েদের সম্মান দিতে শিখি। প্রতিটি পরিবারে মেয়েদের গুরুত্ব বাড়ুক আর পাশাপাশি ছেলেদের দায়িত্ব শেখাতে শুরু করি। ছেলেদের দায়িত্ব শেখাতে পারলে মেয়েদের নিরাপদ রাখা কঠিন হবে না। আর যারা বেইমানি করবে, অন্যায় করবে, তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। কিন্তু আমাদের নিজের পরিবারের মেয়েদের সম্মান প্রদর্শনের দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে। একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তবেই আমরা সবাই মিলে দেশকে এই লজ্জাজনক পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে পারব। ভাই ও বোনেরা, সরকার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা ভেবেছে, আমাদের দেশের দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীনতা সংগ্রামের কৃতিত্ব দেশের কয়েকটি পরিবারকেই দেওয়া হয়। সত্যিকারের অবদান যাঁদের রয়েছে, তাঁদের নাম ইতিহাসের পাতায় তুলে দেওয়ার পর থেকে আমরা কোন্‌ কোন্‌ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি – তা আমি জানি না! ১৮৫৭ সাল থেকেই যদি দেখি, অবশ্য তার আগে ১০০ বছরের দাসত্বের ইতিহাসেও এমন কোনও বছর ছিল না যখন ভারতে কোনও না কোনও প্রান্তে ঐ অঞ্চলের আত্মসম্মান ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য আমাদের পূর্বজরা স্বাধীনতার স্পৃহা নিয়ে আত্মবলিদান দিয়েছেন। কিন্তু আমরা যদি ১৮৫৭ সাল থেকেই দেখি, খুব কম মানুষই জানেন আমাদের বিভিন্ন জনজাতির পূর্বজরা স্বাধীনতার জন্য দেশের প্রত্যেক প্রান্তে কত আত্মবলিদান করেছেন। ভারতের সম্মানের জন্য কত বড় বড় লড়াই লড়েছেন, দুর্গাবতী, অবন্তীবাই, বিরসা মুণ্ডাদের নাম আমরা জানি, তাঁদেরকে আমরা স্মরণ করি, কিন্তু এমন আরও অসংখ্য আছেন, যাদের নাম আমরা জানি না! আমার স্বপ্ন হল, ভারতের প্রত্যেক রাজ্যে, যেখানে যেখানে আমাদের বিভিন্ন জনজাতির পূর্বজরা স্বাধীনতার জন্য আত্মবলিদান করেছেন, সেই রাজ্যগুলিতে তাঁদের বীরগাঁথা প্রদর্শনকারী আধুনিক মিউজিয়াম গড়ে তোলা! ঐ রাজ্যগুলির ছাত্রছাত্রীদের আমরা সেই সংগ্রহশালা গুলিতে নিয়ে যাব, তাঁদের বলব, দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে তাঁরা কিভাবে গৌরবান্বিত করেছেন। ভাই ও বোনেরা, আসুন, আজ আমরা এই মন্ডলার মাটি থেকে মা দুর্গাবতীকে স্মরণ করে সংকল্প গ্রহণ করি। তবেই, পঞ্চায়েত রাজের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্বে আমাদের পঞ্চায়েতগুলির ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত হবে আমাদে��� গণতন্ত্রের শিকড় মজবুত হবে, আমাদের জনপ্রতিনিধিরা দেশের কল্যাণে আমাদের গ্রামের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করবেন – এই আশা রেখে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। শ্রী তোমারজি, শ্রীমতী রুপালাজি এবং তাঁদের বিভাগের সমস্ত আধিকারিকদের আমি অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ, তাঁরা সারা দেশে গ্রাম স্বরাজ অভিযান শুরু করেছেন। আগামী ৩০ এপ্রিল আয়ুষ্মান ভারতের লোকজাগরণ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে কৃষকদের জন্য কর্মশালা আয়োজিত হবে, গ্রামে গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বিষয় সেখানে উঠে আসবে। আপনারা সবাই অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে এতে অংশগ্রহণ করবেন। এই আশা রেখে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।","২৪ এপ্ৰিল, ২০১৮ত মধ্যপ্ৰদেশৰ মান্দলাত ৰাষ্ট্ৰীয় পঞ্চায়তী ৰাজ দিৱসত ৰাষ্ট্ৰীয় গ্ৰাম স্বৰাজ অভিযানৰ শুভাৰম্ভণি অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ লিখিত ৰূপ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%95-%E0%A6%93-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%95%E0%A6%A6%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BE-%E0%A7%A8-%E0%A7%A6%E0%A7%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95/,"গত বছরও আমার পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপচারিতার সুযোগ হয়েছিল। এবারও সুযোগ হল, আমি শিক্ষা বিভাগের কাছে কৃতজ্ঞ যে আপনাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। আজ আমি খুশি যে ভারতের প্রায় সমস্ত রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা এখানে এসেছেন। সেজন্য বলা যায় যে ‘মিনি ভারত’ আমার সামনে বসে, অথবা বলা যায় যে ‘ভাবী ভারত’ আমার সামনে বসে। আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে আসার আগে আজ সকালেই দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজ প্রয়াত হয়েছেন। তিনি একজন লড়াকু নেতা ছিলেন। জন্মভূমি এক জায়গায়, কর্মভূমি অন্যত্র, জনপ্রতিনিধিত্ব করেছেন অন্য জায়গা থেকে; সারা ভারতই তাঁর নখদর্পণে ছিল। জরুরি অবস্থার সময় দেশে গণতন্ত্র স্থাপনের স্বার্থে তিনি অনেক সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন, শয্যাশায়ী, সংজ্ঞাহীন, আর আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। আমি তাঁকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই। বন্ধুগণ, গতবারের ‘পরীক্ষা পে চর্চা’র অভিজ্ঞতা থেকে এবার কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের ছাত্রছাত্রীরাও এর সঙ্গে জুড়েছেন। এখানে সিনিয়ার ছাত্রছাত্রীরা আছেন, জুনিয়ার ছাত্রছাত্রীরাও আছেন। বিষয়টি অসম্পূর্ণ থাকত যদি এখানে অভিভাবকরা না থাকতেন, শিক্ষকরা না থাকতেন! এখনই যে নৃত্যটি পরিবেশিত হল, তার মাধ্যমে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে, এরপর আমার কোনও ভাষণের প্রয়োজন নেই। এই বার্তা যাঁরা এখানে উপস্থিত রয়েছেন এবং দেশের সর্বত্র যাঁরা এই অনুষ্ঠান দেখছেন তাঁদের প্রত্যেকের মনে নতুন বিশ্বাস ও আশা সঞ্চার করেছে। আমি সমস্ত নৃত্যশিল্পীদের, বিশেষ করে গোটা অনুষ্ঠানে দুই হাত এবং এক পা ছাড়াই রীনা নামে মেয়েটি এত অসাধারণ নেচেছেন যে এই উদ্দীপনা সকলের অন্তর স্পর্শ করেছে। একটু আগে আমরা একটা পুরনো ভিডিও দেখেছি, সেখানেও আমি বলেছি, এখানে আপনারা ভুলে যান যে আপনারা কোন সমারোহে বসে আছে। মনে করুন যে বাড়ির বৈঠকখানায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গেই আড্ডা মারছেন। এরকম সহজ পরিবেশ থাকলে আমরা সবাই এই আলাপচারিতা থেকে কিছু না কিছু শিখব। কাউকে উপদেশ দেওয়ার জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করিনি। আমি এখানে আপনাদের মাঝে নিজের মতো করে, আপনাদের একজন হয়ে কিছু মুহূর্ত ভালোভাবে কাটাতে চাই। আসুন, শুরু করি – কোথা থেকে শুরু করবেন? উপস্থাপক : মাননীয়, এবার ছাত্ররা আছেন, শিক্ষকরা আছেন, অভিভাবকরাও রয়েছেন। সবার আগে কলকাতা থেকে আগত শিক্ষিকা শ্রীমতী রুলি দত্ত আপনাদেরকে একটি প্রশ্ন করবেন। প্রশ্নকর্তা : নমস্কার স্যার, আমার নাম রুলি দত্ত, আমি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, কলকাতায় জীবন-বিজ্ঞান পড়াই। আমার প্রশ্ন হল, একজন শিক্ষক হিসেবে সেই অভিভাবকদের কী বলবো, যাঁরা মনে করেন যে পরীক্ষার ফলে তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে কিংবা বিনষ্ট হবে! উপস্থাপক : মাননীয়, একই ধরণের প্রশ্ন করবেন কেরলের বাসিন্দা রোহিত শ্রী, তিনি এখন দিল্লিতে থেকে ‘সিভিল সার্ভিসেস’ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রশ্নকর্তা : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়, আমাদের অভিভাবক এনব শিক্ষক-শিক্ষিকারা আমাদের নিয়ে একটু বেশিই প্রত্যাশা করেন, সেজন্য আমাদের ওপর অনেক চাপ থাকে। মহোদয়, আমার মনে হয় আপনারও অবস্থা অনেকটা আমাদের মতোই। দেশবাসী আপনার কাছ থেকে একটু বেশিই প্রত্যাশা করেন। আপনি কিভাবে এই চাপ নিয়ে কাজ করেন, আমরা কিভাবে এই চাপকে নেব? ধন্যবাদ। উপস্থাপক : মাননীয়, আপনাকে অনুরোধ, এঁদেরকে প্রেরণা যোগান! প্রধানমন্ত্রী : আপনি কেরলের বাসিন্দা, কিন্তু আমার থেকেও ভালো হিন্দি বলছেন। আপনাদের মধ্যে অনেকেই যখন দশম কিংবা দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন কিংবা পরীক্ষার্থী ছিলেন, দিনের মধ্যে দশবার হয়তো শুনতে হয়েছে যে, সারাদিন শুধু বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে গল্প করছিস, কম্পিউটার ছেড়ে পড়তে বস! এরকম হতো – তাই না? আসলে পরীক্ষার যে গুরুত্ব রয়েছে তা অস্বীকার করা যায় না। আর আমি একথাও বলতে পারি না যে – চিন্তার কারণ নেই, যা হওয়ার তা হবে! কিন্তু এই পরীক্ষা কি জীবনের পরীক্ষা নাকি এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার পরীক্ষা। ভাই, মাধ্যমিক পরীক্ষা হোক কিংবা উচ্চমাধ্যমিক – কোনটাই জীবনের পরীক্ষা নয়। শুধু এটুকু ভেবে নিতে পারলেই দেখবেন চাপ অনেক কমে যাবে। আর চাপ কমলেই পড়ায় মনোযোগ বাড়বে। যাঁরা বলেন যে ‘এখন না হলে কখনই নয়’ – তাঁরা ভুল বলেন। পরীক্ষার বাইরেও অনেক বড় বিশ্ব রয়েছে। বহুদিন আগে একটি কবিতা পড়েছিলাম, সেখানে একটি দারুণ পংক্তি ছিল – গোটা কবিতাটি আজ আমার মনে নেই – ‘কিছু খেলনা ভেঙে গেলে শৈশবের মৃত্যু হয় না …’ আমার মনে হয় এই কবিতায় একটি বড় বার্তা রয়েছে। দু’একটি পরীক্ষার ফল ঊনিশ-বিশ হলে জীবন থেমে যায় না। কিন্তু জীবনের প্রতি মুহূর্তের প্রতিস্পর্ধা অপরিহার্য। প্রতিস্পর্ধা থেকে আমরা নতুন প্রাণশক্তি অর্জন করতে পারি, আমাদের আন্তরিক শিক্ষাকে ফলিত প্রয়োগের সুযোগ পাই। আমরা যদি নিজেদের প্রতিস্পর্ধার দাড়িপাল্লায় ওজন না করি, তাহলে জীবন থেমে যাবে আর থেমে থাকা জীবন হতে পারে না। জীবনের মানে হল গতি, জীবনের মানে হল স্বপ্ন, জীবনের মানেই হল প্রাণপনে লক্ষ্যসাধনের প্রচেষ্টা। আর দ্বিতীয় বিষয়টি হল চাপ। কখনও কখনও ছাত্রছাত্রীদের মনের অবস্থা এমন হয়ে পড়ে যে, মা-বাবা যাই বলুক না কেন, পছন্দ হয় না। আমি যা করছি তা-ই ঠিক, এঁরা কিছুই বোঝেন না। প্রথমে আমি, বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের বলতে চাইবো, অভিভাবকদের কথায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাবেন না, মন দিয়ে শুনুন। তাঁদের মনে হওয়া উচিৎ যে আপনারা মনোযোগ দিয়ে শুনছেন। আপনাদের শুনতে ভালো লাগছে। ভালো না লাগলে পরে বলবেন, – না মা, তোমার কথা বুঝতে পারিনি, কী বলছিলে? শুধু এটুকু বলেই নিজের পড়ার কাজ ঐকান্তিকতার সঙ্গে করে যান। সন্ধ্যা হওয়ার আগেই দেখবেন যে, মা আপনাকে আদর করে বলছেন, সকালে তোকে একটু বেশিই বকেছি। মা-কে আপনার বোঝাতে হবে না। তিনি নিজেই নিজের ভুল বুঝে যাবেন। আপনার ব্যবহারই আপনার পরিচয়। ধৈর্য ধরুন। পরে যখন বাবা-মা ভালো মেজাজে থাকবে, তখন আপনিও নিজস্ব মত ব্যক্ত করুন – ‘আমি ভেবে দেখেছি, তুমি গত সোমবারে খুব ভালো কথা বল���ছ, আমি চেষ্টাও করেছি, কিন্তু সফল হইনি, বলো না কেমন করে করবো? ব্যস্‌, আপনার পরীক্ষা শেষ, তাঁদের পরীক্ষা শুরু। তার মানে এই নয় যে আমি আপনাদের অভিভাবকদের চুপ করানোর পদ্ধতি শেখাচ্ছি, কিন্তু অনেক সময় ধৈর্য ধরতে না পরলে অহেতুক সংঘাত সৃষ্টি হয়। পরে যখন বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে কথা হবে, তাঁরাই দেখবেন আপনার সবচাইতে বড় সহায়কের কাজ করবেন। আমার অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ, একটু ভেবে দেখুন, এমন তো নয় যে আপনি শৈশবে ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি, কেরানি হয়েছেন, সেই সাজা এখন সন্তানদের দিচ্ছেন! নিজেদের জীবনের অসম্পূর্ণতা সন্তানদের মাধ্যমে পূর্ণ করার চেষ্টা করবেন না। তাদের মধ্যে যে সম্ভাবনা ও সামর্থ্য রয়েছে, সেটা জানা ও চেনার চেষ্টা করুন। সেজন্য বাবা-মায়েদের কোনও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। বাড়ির শিশুটি যখন প্রথম হাঁটে শেখে, এক পা-দু’পা এগিয়ে আছাড় খায়, তখন কি মা তাকে বকে? নাকি হাততালি দেয়, এতে উৎসাহিত হয়ে শিশুটি আবার উঠে চলতে শুরু করে। এই হাততালি বাজিয়ে শিশুকে উৎসাহিত করার জন্য মা-কে বই পড়তে হয় না, কোন প্রশিক্ষণ নিতে হয় না! তিনি জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই জানেন যে বাচ্চাদের উৎসাহ দিতে হয়। দু’চার পা হাঁটতে শিখলে তিনি বাচ্চাটির প্রিয় কিছু হাতে নিয়ে একটু দূরে গিয়ে দাঁড়ান আর বলতে থাকেন, – এসো এসো! শিশু যত এগোবে, মা-ও একটু একটু পিছোবেন – এভাবেই প্রত্যেক মা-বাবা বাচ্চাকে হাঁটতে এবং দৌড়তে শেখান। কিন্তু একটু বড় হলেই অভিভাবকরা ভাবেন যে, এখন সে নিজে নিজেই তৈরি হয়ে যাবে, আমাদের আর কিছু করার প্রয়োজন নেই। ভুলটা সেখান থেকেই শুরু হয়ে যায়। মা-বাবার উচিৎ সারা জীবন ধরেই সন্তানদের দিকে লক্ষ্য রাখা, শাসন করা, উৎসাহিত করা। পড়তে দেখে বকলে চলবে না। সন্তানদের নিয়ে প্রত্যাশা তো থাকবেই। বাবা-মা প্রত্যাশা করেন বলেই আমাদের মনে বেশি কিছু করার ইচ্ছা জাগে। প্রত্যাশা না থাকলে একজন অসুস্থ রোগীও সুস্থ হবে না, মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করবে। যত ভালো ডাক্তারই চিকিৎসা করুন না কেন, যত ভালো হাসপাতালেই ভর্তি করানো হোক না কেন, সেই রোগী সুসশ্ত হতে পারে না। পারে কি? হতাশার গহ্বরে ডুবে থাকা সমাজ কিংবা ব্যক্তি কিংবা পরিবার কখনও কারোর ভালো করতে পারে না। ঊর্ধ্বগতির জন্য প্রয়োজন হল আশা ও প্রত্যাশা। আপনি যেহেতু আইএএস হতে চান, আপনার মনে এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। এটাই স্বাভাবিক যে সমাজে প্রত্যাশা জাগবে, ন���রাশা নয়। আমি খুশি যে, মানুষ বলছে, মোদীজি অনেক প্রত্যাশা জাগিয়ে দিয়েছেন। আমি চাই যে ১২৫ কোটি দেশবাসীর ১২৫ কোটি প্রত্যাশা হোক, তাঁরা সেই প্রত্যাশা তুলে ধরুন, দেশ তবেই এগোবে। প্রত্যাশার চাপে পিষ্ট না হয়ে তাকে পূরণ করার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করবে। উপস্থাপক : স্যার, জম্মু থেকে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন কৃষ্ণকুমার শর্মা, তিনি একজন অভিভাবক। তাঁর একটি সমস্যার কথা বলতে চান। প্রশ্নকর্তা : নমস্কার সাহেব, আমার নাম কৃষ্ণকুমার শর্মা। আমি জম্মুর রূপনগরের বাসিন্দা। আজকাল শুধু শিশুদের ওপর নয়, অভিভাবকদের ওপর প্রতিবেশী কিংবা বন্ধুবান্ধবদের চাপ থাকে, কার সন্তান কত শতাংশ নম্বর পেয়েছে। এই উদ্বেগ থেকে কিভাবে মুক্ত হওয়া যায়? ধন্যবাদ স্যার। উপস্থাপক : মাননীয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের ইম্ফলের অভিভাবক নীলা কুমারীরও এই ধরণের প্রশ্ন রয়েছে। প্রশ্নকর্তা : আমি ইম্ফল, মণিপুরের নীলা কুমারী। একজন অভিভাবক এবং কর্মরতা মহিলা হিসেবে জানতে চাই যে ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষার উদ্বেগ থেকে নিজেকে কিভাবে মুক্ত রাখবো? ধন্যবাদ স্যার। উপস্থাপক : মাননীয়, একইরকম প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছেন বেঙ্গালুরুর ছাত্রী লাবণ্য। প্রশ্নকর্তা :সুপ্রভাব, আমি লাবণ্য। আমি বেঙ্গালুরুর সেন্ট ম্যারিস পাবলিক স্কুলে পড়ি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমার প্রশ্ন হল, অভিভাবক, শিক্ষক এবং প্রিয়জনদের সৃষ্টি করা ভয়কে আমরা কিভাবে জয় করবো? প্রধানমন্ত্রী : অভিভাবকদের বলবো, আপনাদের স্বপ্ন থাকা উচিৎ, প্রত্যাশাও থাকা উচিৎ, কিন্তু চাপ সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি বিগড়ে যায়। আপনি কখনও সুস্বাদু খাবার বানিয়ে বাচ্চাদের খেতে দিলে ওরা এমনি খেয়ে নেবে। কিন্তু ওদের খাওয়ার সময় বারবার ‘খাও, খাও’ বলতে থাকলে দেখবেন তারা উঠে চলে যাবে। চাপ থেকে প্রতিক্রিয়া হয়। তবু মা-বাবা কেন এমন করেন? এর পেছনে একটি মনোবৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। অভিভাবকরা অনেক সময় বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান কিংবা পারিবারিক অনুষ্ঠানে ছেলে-মেয়েদের রিপোর্ট কাউকে নিজেদের ভিজিটিং কার্ডের মতো ব্যবহার করেন। এটাই সবচাইতে বড় সমস্যার শেকড়। বাচ্চারা অন্যদের বাচ্চার তুলনায় ভালো ফল না করলে তাঁরা লজ্জায় এমনকি কোনও ঘনিষ্ট আত্মীয় কিংবা বন্ধুর বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে চান না। সেজন্যই তাঁরা অজান্তেই ছেলে-মেয়েদের ওপর চাপ বাড়াতে থাকেন। ছোট বাচ্চারা যখন দুষ্টুমি করে অভিভাবকরা অতিথিদের কাছে সুন্দরভাবে এর বর্ণনা করেন, – ‘কাল ও দুধের বোতল ফেলে দিয়েছে!’ কিংবা ‘কাল গরম চা পায়ে ফেলেছে, ফোস্কা পড়েছে!’ তাঁরা তখন বাচ্চাদের মনোযোগ দিয়ে দেখেন বলেই এতসব বর্ননা করেন। কিন্তু সাত-আট বছর হওয়ার পর থেকেই তাঁদের মনে হয় যে, এত মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তখন থেকেই ধীরে ধীরে সমস্যা জন্ম নেয়। মনোযোগ দেওয়ার মানে আমি একথা বলছি না যে আপনাদের জীবনের অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণের জন্য বাচ্চাদের সেইদিকে পরিচালনা করতে হবে, তাদের গতিবিধির দিকে ভালোভাবে লক্ষ্য রাখলে তাদের নিজস্ব শক্তিকে আপনারা বুঝতে পারবেন। উৎসাহ যোগাতে পারবেন। এটুকু করলেই দেখবেন চাপের আবহ থেকে মুক্তি পাবেন। উপস্থাপক : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এখন যে অভিভাবক আপনাকে প্রশ্ন করবেন তিনি আসামের মানুষ। দিল্লিতে থাকেন। তাঁর সমস্যাও অনেকটা একইরকম। আসুন, মধুমিতা সেনগুপ্তর প্রশ্ন আমরা শুনি। প্রশ্নকর্তা : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, নমস্কার। আমার ছেলে নবন শ্রেণীতে পড়ে। আগে সে পড়ায় ভালো ছিল, শিক্ষকরা প্রশংসা করতেন। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর অনলাইন গেম্‌স-এর প্রতি মনোযোগ বেড়েছে, পড়াশোনা কম করছে। আমি ওকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। অনুগ্রহ করে পথ দেখান! এই পরিস্থিতিকে কিভাবে সামলাবো? ধন্যবাদ। উপস্থাপক : মাননীয়, অনুগ্রহ করে এ বিষয়ে কিছু বলুন। প্রধানমন্ত্রী : সেকি পাবজি খেলে, নাকি ফ্রন্টলাইন? এটা যেমন সমস্যা, তেমনই সমাধানও। আমরা যদি ভাবি যে শিশুদের প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখবো, তাহলে তাঁদের সারা জীবনের জন্য পেছনের দিকে ঠেলে দেবো। তবে সেই প্রযুক্তি তাঁরা কিভাবে ব্যবহার করছে, প্রযুক্তি তাদের রোবটে পরিণত করছে নাকি আধুনিক মানুষে উন্নীত করছে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মনে করুন, খাবার খাওয়ার সময় জিজ্ঞাসা করলেন যে নতুন প্রযুক্তি কী এসেছে, নতুন নতুন অ্যাপ কিভাবে এসেছে? এতে ছেলে-মেয়েদের মনে হবে যে তারা যা করবে, সেক্ষেত্রে অভিভাবকরা তাদের সাহায্য করবে। কাকে আটকাবেন? এখানেও তো প্রায় সকলের হাতেই মোবাইল। অনেকে হয়তো এই অনুষ্ঠানে নিজের উপস্থিতি সম্পর্কেও প্রিয়জনদের লাইভ দেখাচ্ছেন। ফলে, আমরা ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত ও আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছি। তাহলে জীবনে অনেক লোকসান হবে। প্রযুক্তিকে আমাদের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা উচিৎ। নিজেদের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা উচিৎ। সেজন্য শিক্ষকদেরও বারবার এসব বিষয়ে কথা বলতে হবে। ছেলে-মেয়েরা খেলার মাঠে যেতে পছন্দ না করলে আপনাদের সজাগ থাকতে হবে। মা-বাবার মনে হতে পারে যে বাচ্চারা যত বেশি পড়ার টেবিলে থাকে ততই ভালো। কিছু পরীক্ষার কয়েকদিন আগে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের কালঘাম ছুটে যায়। বাচ্চারা যদি নিয়মিত খেলার মাঠে যায়, তাহলে তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, এটা তাদের মাথায় রাখতে হবে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময় থেকে আমি প্রতি বছর নিয়ম করে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে আসছি। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করে দেখেছি যে তাদের মধ্যে, এমনকি গুজরাটের প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে-মেয়েদের মধ্যেও কেউ নেই যারা দিনে চারবার পরিশ্রম করে ঘর্মাক্ত হয়। এ কেমন জীবন! মাঠে নিয়মিত খেললে, আনন্দ করলে শরীর ও মনে অনেক প্রাণশক্তি উৎপন্ন হয়। আমি প্রযুক্তির শক্তিকে ব্যবহার করার পক্ষে। আজও আমরা দেশ ও বিশ্বের অসংখ্য ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই কথা বলতে পারছি। প্রতিটি জিনিসের দুটো দিক আছে – কাউকে এটি সঙ্কুচিত করে দেয় আবার কাউকে প্রসারিত। সেজন্য আপনি ওর সঙ্গে বসুন, ওকে কাজ দিন, বলুন যে, বাবা শুনেছি নাগাল্যান্ডে এমন একটি ধান উৎপন্ন হয় যা খেলে অনেক পুষ্টি হয়, সেটি রান্না করার পদ্ধতি খুঁজে বের করো তো! সে যখন আপনার জন্য এই রান্নার পদ্ধতি খুঁজে বের করবে, তখন সে বিষয়টি সম্পর্কে জানবে, তার জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি, আপনার সঙ্গে তার একটি নতুন সম্পর্ক তৈরি হবে। জানা ও শেখার সম্পর্ক, মানসিক বিস্তৃতির সম্পর্ক। অন্যদিন হয়তো আপনি তার কাছে ঝড়ের পূর্বাভাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলেন কিংবা মহাকাশে কি ঘটছে তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন করলেন! এভাবে আপনি তাকে ধীরে ধীরে প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহারের দিকে নিয়ে যেতে পারবেন! সে ক্রমে ‘প্লে স্টেশন’ থেকে খেলার মাঠের দিকে ফিরবে। উপস্থাপক : স্যার, ফরিদাবাদ থেকে এসেছে বংশ আগরওয়াল, তাঁর প্রশ্নটি একটু অন্যরকম। প্রশ্নকর্তা :নমস্কার স্যার। আমার নাম বংশ আগরওয়াল। আমি মানব রচনা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র। আমার প্রশ্ন হল, আমাদের কিভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিৎ? আমাদের কি এক্ষেত্রে সংরক্ষণশীল হওয়া উচিৎ নাকি সবসময়ই নিজের জন্য বড় লক্ষ্য ধার্য করা উচিৎ? এক্ষেত্রে আপনাদের অভিজ্ঞতা কেমন? ধন্যবাদ। উপস্থাপক : মাননীয়, এ বিষ��ে আমাদের কিছু বলুন! প্রধানমন্ত্রী : আমি আপনাদের একটি প্রশ্ন করব, এখানে উপস্থিত কতজন মানেন যে আমাদের লক্ষ্য ছোট হওয়া উচিৎ? একটু হাত ওপরে তুলুন! মাত্র দু’তিনজন! এবার যাঁরা মনে করেন যে আমাদের লক্ষ্য বড় হওয়া উচুত – তাঁরা হাত তুলুন! – প্রায় সকলেই! তার মানে গণতান্ত্রিক পথে উত্তরটা জানা হয়ে গেল। গুজরাটিতে একটি প্রবাদ আছে – ‘নিশান চুক মাফ, নহীঁ মাফ নিচু নিশান!’ অর্থাৎ, লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ক্ষমা করা যায়, কিন্তু ছোট লক্ষ্যকে ক্ষমা করা যায় না! তবে আমাদের এমন লক্ষ্য ধার্য করা উচিৎ যেখানে আমরা পৌঁছে যেতে পারব! অনেকেই বিএ পাশ করার পর সিএ করার লক্ষ্য নিয়ে জীবনের অনেকগুলি বছর নষ্ট করেন। আপনি কতটা করতে পারবেন, নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে আগে অবহিত হোন। মা-বাবা কিংবা শিক্ষকদের স্বপ্ন সফল করার তাগিদে নিজেদের জীবন নষ্ট করবেন না। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনে লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন না। নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী লক্ষ্য স্থির করুন। লক্ষ্য দু’ধরণের হয় – একটি হল নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে একবারেই সেটি জয় করা আর দ্বিতীয়টি হল অন্তিম লক্ষ্য প্রাপ্তির জন্য ছোট ছোট লক্ষ্য ধার্য করে এগিয়ে যাওয়া, পর্বতারোহীরা যেমন ছোট ছোট শৃঙ্গ অতিক্রম করে অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে এক সময় বড় বড় শৃঙ্গ অভিযানে যান। এক্ষেত্রে নিজেদের ভুল শুধরে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে, বড় শৃঙ্গে গিয়ে অভিযান অনেক সহজ হয়। এক্ষেত্রে লক্ষ্য স্থির করাই যথেষ্ট নয়, লক্ষ্য প্রাপ্তির জন্য পথে আপনি থাকলে, আমার বিশ্বাস যে কোনও লক্ষ্যই দুর্লঙ্ঘ্য নয়। এক্ষেত্রে লক্ষ্যই আপনার সামর্থ্য বৃদ্ধি করবে। উপস্থাপক : স্যার, তামিলনাড়ুর ছাত্র নরেন আপনাকে একটি প্রশ্ন করতে চান। প্রশ্নকর্তা : নমস্কার স্যার, আমি তামিলনাড়ুর নরেন্দ্রন। আপনি নিজেকে কিভাবে প্রেরণা যোগান? সময় ব্যবস্থাপনা কিভাবে করেন? ধন্যবাদ স্যার। উপস্থাপক : আমরা যখন পরীক্ষায় কিংবা ক্রীড়াক্ষেত্রে অসফল হই, কিংবা সমস্যার সম্মুখীন হই, তখন আপনার নেতৃত্বে দেশকে নিরন্তর নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা আমাদের প্রেরণা যোগায়। প্রতিদিন ১৭ ঘন্টা কাজ করার প্রাণশক্তি আপনি কিভাবে অর্জন করেন? কিভাবে নিজেকে প্রেরণা যোগান? আপনার লক্ষ্যপ্রাপ্তির জন্য যথাযথ সময় ব্যবস্থাপনা কিভাবে করেন, অনুগ্রহ করে সে সম্পর্কে বলুন! প্রধানমন্ত্রী : আপনারা হয়তো নিজেদের পরিবারে দেখেছেন, সবা�� ক্লান্ত হয়ে পড়লেও মা ক্লান্ত হন না। অথচ মায়েরও তো শরীর আছে, তিনিও কখনও অসুস্থ হতে পারেন। তাঁরও কখনও শুয়ে থাকতে ইচ্ছে হতে পারে! কিন্তু তিনি যতই অসুস্থ হন না কেন, বাচ্চারা স্কুলে যাওয়ার সময় হাসিমুখে দরজায় গিয়ে দাঁড়ান। তিনি এত প্রাণশক্তি কোথায় পান? দিনের মধ্যে প্রায় ৮ ঘন্টা তাঁর রান্নাঘরে কাটে। মাঝে টেলিফোন এলে ছুটে গিয়ে ধরেন, কলিং বেলের আওয়াজ শুনলে দ্রুত গিয়ে দরজা খোলেন, অতিথি এলে তাঁকে জল খাওয়ান, কাজের মহিলা না এলে তাঁর খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেন, প্রয়োজনে তাঁর কাজগুলিও মা-কে করতে হয়।তিনি কিভাবে এত কাজ করেন। তিনি বাড়ির সবাইকে ভালোবাসেন, তিনি ভাবেন যে, বাড়ির সবাই তো আমার নিজের, আমি না করলে কে করবে? এই ভাবনা থেকেই তিনি প্রাণশক্তি পান। আমার জন্য ১২৫ কোটি দেশবাসী আমার পরিবারের সদস্য। সেজন্য প্রতিদিন রাতে ঘুমোনোর আগে ভাবি – কতটা কী করতে পেরেছি, কতটা করতে পারিনি! পরদিন সকালে আবার নতুন আশা, নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ার চেষ্টা করি। যাঁরা বলেন যে, আমি ভীষণ ব্যস্ত – তাঁরা মিথ্যা কথা বলছেন, অথবা তাঁরা কিভাবে সময়কে ব্যবহার করতে হয় সেটা জানেন না। আপনি যদি নিজের বিগত এক সপ্তাহের কাজ নিয়ে হিসেব কষে খাতায় লেখেন তাহলেও বুঝবেন যে, কাজের ফাঁকে আপনারা কতটা সময় নষ্ট করেছেন! যে জন্য নষ্ট করেছেন সেগুলিকে ভবিষ্যতে আপনার কর্মপথ থেকে সরিয়ে দিন। সময় ব্যবস্থাপনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। সেজন্য আপনাকে এমবিএ কিংবা অক্সফোর্ডের বই পড়তে হবে না। আপনার বাড়িতে যে কাজের মহিলা আসেন, তাঁকে দেখুন। তিনি একসঙ্গে ১০-১২টি পরিবারের কাজ কিভাবে সারেন। সাতটায় কোনও বাড়িতে বাসন মাজেন, ন’টায় অন্য বাড়িতে, ১১টায় কারও বাড়িতে জামাকাপড় কাচেন, ১২টায় অন্য বাড়িতে রান্নায় ঢোকেন। তাঁর সাইকেল কিংবা স্কুটি রয়েছে, ট্র্যাফিকের সমস্ত হালহকিকৎ তিনি জানেন। এমন করে বিকেল চারটের মধ্যে ১০-১২টি পরিবারের কাজ সেরে তিনি বাড়ি যান। এই সময় ব্যবস্থাপনা তিনি কোনও স্কুল-কলেজ থেকে শেখেননি, জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে শেখেন। তাঁরা হেসে-খেলে অনেক কাজ করে যান, সময়ের চাপকে পরিশ্রম ও নিয়মানুবর্তিতা দিয়ে জয় করেন। কখনও ট্রেন ধরার জন্য ছোটেন না, কখনও লাঞ্চ বক্স কিংবা চশমা, কিংবা বই ভুলে যান না। কারণ, তিনি সময়ের মূল্যকে ভালোভাবেই বুঝেছেন। তাঁর কাছে সময় মানে হল টাকা। ঈশ্বর আমাকেও দিনে ২৪ ঘন্টা দিয়েছেন, আপনাকেও তাই দ��য়েছেন। ধনী-গরিব সবার জন্য একই ব্যবস্থা। যিনি একে সবচাইতে ভালো ব্যবহার করতে পারেন, তাঁর জীবন তত সহজ হয়। উপস্থাপক : স্যার, পাঠানকোট থেকে একজন ছাত্র আমাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন, তাঁর নাম অমিত চৌহান! প্রশ্নকর্তা : নমস্কার স্যার, অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে ও মজা করে পড়াশোনা কিভাবে কারা যায়? উপস্থাপক : মাননীয় বলুন, আমরা কিভাবে পড়াশোনাকে মজা ও আগ্রহের বিষয় করব, উত্তেজনার বিষয় নয়। মাননীয় কাঠমাণ্ডু থেকে সুরপ্রীত ডেঙ্গোলে পরীক্ষার চাপ নিয়ে প্রশ্ন করতে চান। তিনি এখন ছাত্র। প্রশ্নকর্তা :সুপ্রভাত স্যার, আপনি কি মনে করেন পরীক্ষা আমাদের ব্যক্তিত্ব গঠনে সহায়ক হয়? ধন্যবাদ স্যার! উপস্থাপক : আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই ‘পরীক্ষা’ শব্দটি নিয়ে বাঁচতে শুরু করি, এটি আমাদের ব্যক্তিত্বের অংশ হয়ে ওঠে। মাননীয়, আপনি কি মনে করেন যে পরীক্ষা ব্যক্তিত্বকে উজ্জ্বল করে তোলে, নাকি পরীক্ষা আমাদের পূর্ণ বিকাশে প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে? মাননীয়, অনুগ্রহ করে এই দুটি প্রশ্নের জবাব দিন। প্রধানমন্ত্রী :দেখুন ‘পরীক্ষা’ খারাপ কিছু নয়। আমরা একে কিভাবে দেখবো, তার ওপর নির্ভর করে ভালো হবে নাকি খারাপ হবে! আমরা যদি অলিম্পিকে খেলতে যেতে চাই তাহলে আগে গ্রামে কিংবা তহশিলে খেলতে হবে, জেলা ও রাজ্যস্তরে খেলতে হবে, জাতীয় স্তরে খেলতে হবে! সেজন্য পরীক্ষাকে জিবনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখতে হবে। সুযোগ হিসেবে না ভাবলে এর জন্য পরিশ্রম করে আনন্দ পাওয়া যাবে না। ঈশ্বর প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যেই কোনও না কোন অসাধারণত্ব দিয়ে পাঠান। কিন্তু সেই সামর্থ্য পরীক্ষা করার জন্য আপনার কাছে কোন মাপকাঠি নেই। পরীক্ষা আমাদের সেই সুযোগ দেয়। দ্বিতীয়তঃ, পরীক্ষার জন্য আমরা বাঁচি। নিজেদের জন্য বাঁচি। আসল উদ্দেশ্য হল, জ্ঞানার্জন। জ্ঞান বাড়লে নম্বর এমনি পাবেন। কিন্তু আমরা নম্বরের পেছনে ছুটি। এজন্য জীবন পিছিয়ে পড়ে। জ্ঞানার্জনের সঙ্গে জীবনকে যুক্ত করে এগিয়ে গেলে নম্বরের জন্য ভাবতে হবে না। আর, পরীক্ষাকে কখনও বোঝা বলে মনে হবে না। পরীক্ষাকে সবসময়ই উৎসব হিসেবে, সুযোগ হিসেবে, মজা হিসেবে খেলার মেজাজে গ্রহণ করা উচিৎ। উপস্থাপক :মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন ছাত্র মহম্মদ সেলিম আপনাকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে চান। প্রশ্নকর্তা :নমস্কার স্যার, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমি মনে করি, দ্বাদশ শ্রেণী পাশ করার পর ছাত্রদের মনে সবচাইতে বড় প্রশ্ন জাগে যে কিভাবে জীবিকা নির্বাচন করবেন! তেমনই, মাধ্যমিক পরীক্ষার পর প্রশ্ন জাগে যে কোন শাখা বেছে নেবে! অভিভাবকরা বাচ্চাদের রুচি না বুঝে তাদের বিজ্ঞান শাখা নিতে বাধ্য করেন। অনুগ্রহ করে এ বিষয়ে পথ প্রদর্শন করুন। ধন্যবাদ। উপস্থাপক : মাননীয়, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী সম্ভাবী শুক্লাও আপনার কাছ থেকে এরকম পথ প্রদর্শনের আবেদন রাখছেন। প্রশ্নকর্তা :নমস্কার স্যার, আমি বিএইচইউ-র অধীনে বসন্ত কলেজ রাজঘাটে বিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। স্যার, আমার প্রশ্ন হল আমাকে এখনই স্নাতকোত্তর প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। অনুগ্রহ করে আমাকে ভালো ভবিষ্যতে ভালো কর্মসংস্থানের জন্য পথ দেখান। ধন্যবাদ স্যার। উপস্থাপক : মাননীয়, অনুগ্রহ করে এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে প্রেরণা যোগান। প্রধানমন্ত্রী : আপনাদের চিন্তা অত্যন্ত স্বাভাবিক। জীবনের এই সময়ে সঠিক পথনির্দেশ না পেলে ছাত্রছাত্রীদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মা একরকম পরামর্শ দেন, বাবা আরেক রকম। প্রতিবেশী কিংবা বন্ধুরা তৃতীয় কিংবা চতুর্থ পথ বলে ধাঁধায় ফেলে দেন। ছাত্রদের দেখা উচিৎ, তাঁর কোন বিষয়টি বেশি ভালো লাগে। তাঁর স্বপ্ন কী? তবেই সে মা-বাবাকে বোঝাতে পারবে আমি অষ্টম শ্রেণীতে অমুক বিষয়ে এত নম্বর পেয়েছি, নবম শ্রেণীতে এই এই বিষয়ে সাফল্য এসেছে, তহসিলের প্রতিযোগিতায় আমি এই বিষয়ে সাফল্য পেয়েছি। কাজেই এই বিষয় নিয়ে পড়লেই আমার জীবনে বেশি সাফল্য আসার সম্ভাবনা। আমার মনে পড়ে, অনেক বছর আগে বরোদায় এম এস বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে যেতাম, ১৯৭৭-৭৯ সাল নাগাদ। তখন ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলার সময় দেখতাম তারা কোনমতে গ্র্যাজুয়েট হতে চাইছে। একজন অ-গুজরাটি ছাত্র আমাকে বলেছিল যে সে ভবিষ্যতে শাসক হতে চায়। আমি জিজ্ঞাসা করলাম রাজনীতিতে যেতে চাও? সে বলল না, আমি প্রশাসক হতে চাই। রাজনীতিবিদরা আসে আর যায়, কিন্তু প্রশাসকরা সারা জীবন শাসন ক্ষমতায় থাকে। তার চিন্তাভাবনা এতটাই স্পষ্ট ছিল যে পরবর্তীকালে আমি শুনেছি যে সে সত্যিই সত্যিই প্রশাসক হয়েছিল। এই উদাহরণ দেওয়ার অর্থ হল, আপনি কি হতে চান সেটা আপনার মনে স্পষ্ট থাকা উচিৎ, নিজের মনে বিশ্বাস থাকা উচিৎ। আর সেই লক্ষ্য প্রাপ্তির জন্য আপনার শরীর, মন, বুদ্ধি ও সাহস নিয়ে পরিশ্রম করে যেতে হবে। শুধু বিজ্ঞান কিং���া অঙ্ক পড়লেই সাফল্য আসবে, বাকি স্বপ্নের কোন গুরুত্ব নেই – আমাদের দেশের এই ভাবনাটিই ঠিক নয়। সাফল্যের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও অঙ্কের অবশ্যই গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু অন্য বিষয়গুলি নিয়েও সাফল্য পেলেও জীবনে উন্নতি করা যায়। আমার পরামর্শ হল আপনারা চাপের মুখে কিছু করার কথা ভাববেন না। নিজস্ব ক্ষমতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিন। সেজন্য যাদের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন, তাদের সাহায্য নিন। অভিভাবকদের সঙ্গে স্পষ্টভাবে কথা বলুন। আমার মনে হয় এটাই সঠিক পথনির্দেশ। ছাত্রী জেনিথ : গুড মর্নিং স্যার, আমি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় মস্কোর নবম শ্রেণীর ছাত্রী জেনিথ। গত বছর আপনি আমাদের অভিভাবকদের অনেক পরামর্শ দিয়েছিলেন। ফলে, আমার অভিভাবকদের ভাবনায় অনেক পরিবর্তন এসেছিল। আমার পরীক্ষার আগে চাপ কমে গিয়েছিল। হাসি মুখে তাঁরা যে প্রশ্রয় দিয়েছিলেন তা আমাকে প্রেরণা যুগিয়েছিল। সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রী : আপনি সমস্ত কৃতিত্ব আমাকে দিচ্ছেন, আসলে এই কৃতিত্বের দাবিদার হচ্ছেন আপনার পিতা-মাতা। তাঁরা নিজেদের অভ্যাস কিংবা অহং-কে জয় করে নতুনভাবে ভেবেছেন। অভিভাবকদের এই ইতিবাচক আচরণ সন্তানদের জীবনে অনেক বড় প্রেরণা হয়ে ওঠে। অনেক শিক্ষকদেরও আমরা দেখেছি যে তাঁরা কয়েকজন হাতেগোনা ছাত্রছাত্রীকেই বেশি পছন্দ করেন। কারণ, তাঁরা যখন প্রশ্ন করেন, তখন ঐ ছাত্রছাত্রীরাই জবাব দেওয়ার জন্য হাত তোলে। এই সক্রিয়তা তাদের প্রতি শিক্ষকদের স্নেহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে, শ্রেণীকক্ষের বাকি শিশুরা কিছুটা বঞ্চিত থেকে যায়। শিক্ষকদের এটা বোঝা উচিৎ। অভিভাবকরা বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে গিয়ে অন্যের সন্তানদের সাফল্যের সঙ্গে নিজের সন্তানদের তুলনা করেও ভুল করেন। পিতা-মাতা কিংবা শিক্ষকদের এই তুলনা করা উচিৎ নয়। এতে অন্যরা নিরাশায় আক্রান্ত হয়। আমাদের কাজ হল প্রত্যেককে উৎসাহিত করা। কোন বাচ্চা যদি দুর্বল হয়, তার সঙ্গে মেধাবী ছাত্রটির তুলনা করা উচিৎ নয়। দুর্বল ছাত্রটিকে বলতে হবে, তুমি গতবার ৫৫ শতাংশ পেয়েছ, আর এবার ৬০ শতাংশ পেয়েছ, খুব ভালো করেছ। তাহলেই দেখবেন পরের বার সে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের দিকে এগোবে। এই আবহ গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু তা না করে তার সমালোচনা করলে, তাকে বকলে, সে ৬০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে নেমে আসবে। আমরা যখন সরকারি কাজ করি, তখন ছোটখাটো সুযোগকেও সদ্ব্যবহার করার চেষ্টা করি। যারা ���ুর্বল তাদেরকে এভাবেই উৎসাহ যোগাই। অন্যদের সামনে তাদের প্রশংসা করি। আপনারা ভাববেন না যে সেই প্রশংসা মেকি! তার কাজের মধ্যে যে তিনি সামান্য উন্নতি করেছেন, সেই উন্নতিকে প্রশংসার মাধ্যমে আরও এগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। এভাবেই একটি দলগত উৎসাহ গড়ে ওঠে। ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির তুলনা না করে, দুর্বলদের তাদেরই পুরনো সাফল্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামিয়ে দিন। তারা যখন সেই সাফল্যকে অতিক্রম করে এগিয়ে যাবে, তখন দলগত উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে। হতাশার আবহ কেটে যাবে। তিনি যদি আগে লাগাতার তিন ঘন্টা নিরলস কাজ করতেন, এখন দেখবেন অবলীলায় লাগাতার সাড়ে তিন ঘন্টা বা আরও বেশি কাজ করছেন। এরকম পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলেই দেখবেন আপনাদের চাপের সম্মুখীন হতে হবে না। ছাত্র – জয়প্রীত সিং : নমস্কার স্যার, আমার নাম জয়প্রীত সিং শাহপুরী। আমি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় তেহরান এম্ব্যাসি স্কুলে পড়ি। ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে বলছি। শেখার সময় কেউ প্রশংসা করলে শিখতে ভালো লাগে। তাহলে আমাদের অভিভাবক এবং শিক্ষকরা কেন এই পদ্ধতি অবলম্বন করেন না? শ্রেণীকক্ষে দু’-তিনজন ছাড়া বাকিরা ভালো করলেও প্রশংসা পায় না। আপনার সঙ্গেও কি এরকম হয় স্যার? ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রী :এই বৈষম্য আমরা কেন অনুভব করি? কারণ হল আমরা অতি সংবেদনশীল। ভেতর থেকে আমরা দুর্বল। যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ আমাদের পিঠ না চাপড়ায়, ততক্ষণ নিজের কৃতকর্ম থেকে আনন্দ আহরণ করতে পারি না। যার মনে আত্মবিশ্বাস আছে, সে কোনরকম প্রশংসা কিংবা হাততালির জন্য অপেক্ষা করে না। যার আত্মবিশ্বাস আছে, সে মনযোগ দিয়ে নিজে কাজটি করে যাবে। একদিন না একদিন শিক্ষক প্রশংসা করতে বাধ্য হবেন। কোনরকম প্রতিস্পর্ধার প্রয়োজন নেই। কিন্তু মনের মধ্যে জয়ের জন্য তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে। এই আকাঙ্ক্ষার একটি আলাদা শক্তি আছে যা দিয়ে আপনি তিন মাসের মধ্যে শিক্ষকের মন জিতে নিতে পারেন। আরেকজন যে প্রশ্ন করল তার জবাবে আমি বলব, শিক্ষকরা সাধারণত সেই ছাত্রছাত্রীদের প্রতিই বেশি লক্ষ্য রাখেন, যখন তাঁদের মনে হয় যে সেই বাচ্চাদের প্রতি তাদের অভিভাবকরা অত্যন্ত সংবেদনশীল। অনেক বাবা-মা আছেন যাঁরা জানেন না যে সপ্তম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত কোন শিক্ষক কোন ক্লাসে পড়ান। বাচ্চার জন্মদিনে বন্ধুদের পাশাপাশি, অভিভাবকরা কখনও কি শিক্ষকদেরও তাঁদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেন? কিংবা বাচ্চা��� কাছে কোন শিক্ষকের জন্মদিন সম্পর্কে জেনে আপনারা কি স্কুলে গিয়ে তাঁদেরকে অভিবাদন জানিয়ে বলেছেন, আমাদের কাছে তো বাচ্চারা তিন-চার ঘন্টা থাকে, আর আপনাদের কাছে পাঁচ-ছ’ঘন্টা।এখন এর জীবন আপনার হাতে। আপনাকে আমাদের শুভেচ্ছা জানাই। একথা শুনে শিক্ষকের মনে কেমন ভাব হবে বলুন? তাঁর মনে হবে যে বাবা-মা আমাদের হাতে তাঁদের সন্তানটিকে সঁপে দিয়েছেন। এই ভাবনাই তাঁদের সেই শিশুটির প্রতি যত্নশীল হতে প্রেরণা যোগাবে। কিন্তু আমরা উল্টোটাই করি। এমনকি, বাচ্চারা ভুল কথা বললে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরটিআই কিংবা এফআইআর করার কথা ভাবি। এগুলি আপনার সন্তানের জীবনে অত্যন্ত ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। শিক্ষক, স্কুল কর্তৃপক্ষ, ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের মধ্যে একটি সুন্দর মেলবন্ধন হলে তবেই ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ ভালো হয়। তবেই শিক্ষকরা ছাত্রদের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখেন এবং নিজেদের নিংড়ে দেন। ছাত্রী – সারা : আমি দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। আমি দেখেছি, পরীক্ষায় যে সব প্রশ্ন আসে, তার সঙ্গে আমরা যে জন্য পড়াশোনা করি তার কোন মিল নেই। আমাদের শিক্ষকরা প্রায়ই বলেন যে আমাদের ভালো মানুষ হওয়া উচিৎ। আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে শিক্ষার বৃহত্তর লক্ষ্যের সংযোগ থাকা উচিৎ এবং শিক্ষক, ছাত্র, অভিভাবক ও পরীক্ষকদের তা নিয়ে সচেতন থাকা উচিৎ। মাননীয়, এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য জানতে চাইব। প্রধানমন্ত্রী : দেখুন, শিক্ষা রাতারাতি হয় না। আপনি যেসব দিক উল্লেখ করলেন, সেই সব কিছু মিলিয়েই শিক্ষা হয়। হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ তার উন্নয়ন যাত্রার পাশাপাশি, নতুন নতুন জিনিস শিখেছে। শিক্ষার নতুন নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। আমরা যদি শিক্ষাকে জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করে পরীক্ষার সঙ্গে জুড়ে দিই তখনই সমস্যা শুরু হয়। স্কুল থেকে যখন দল বেঁধে বাসে করে কোন পর্যটনস্থলে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে যাওয়া হয়, তখন শিক্ষকরা শিখিয়ে দেন কিভাবে সারিবদ্ধভাবে যেতে হবে, হাত পেছন দিকে রাখতে হবে, শান্তভাবে ঘুরে দেখতে হবে – এগুলিও শিক্ষা। এগুলি পাঠ্যক্রমে থাকে না। কিন্তু এগুলির মাধ্যমে ছেলে-মেয়েরা নিয়মানুবর্তিতা শেখে। এভাবেই শিক্ষকদের উচিৎ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার প্রতিটি দিককে তাদের জীবনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমি যখন ছোট ছিলাম, সরকারি প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম। আমাদের গ্রামটি ছিল গায়কোয়াড় রাজ্যের অন্তর্গত। গায়কোয়���ড় রাজাদের বৈশিষ্ট্য ছিল তাঁদের রাজত্বে প্রতিটি গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্রামের প্রতিটি ছেলে-মেয়ের শিক্ষা অনিবার্য ছিল। প্রত্যেক গ্রামে ডাকঘর, পুকুর এবং গ্রন্থাগার থাকা অনিবার্য ছিল। আমাদের গ্রামের স্কুলটিও তেমনই ছিল। আমাদের মাস্টারমশাই পাঁচজনকে একসঙ্গে দাঁড় করিয়ে কাউকে বলতেন পাঁচটি মুগ ডাল আনতে। কাউকে সাতটি, কাউকে ন’টি। আবার কাউকে বলতেন তিনটি ছোলা আনতে কিংবা পাঁচটি চাল আনতে। ছেলে-মেয়েরা সেগুলি মনে রেখে বাড়িতে যেত, আর পরদিন স্কুলে নিয়ে আসত। এভাবেই তারা প্রত্যেকটি শস্যকে চিনত। এবার শিক্ষক সবক’টি শস্যকে মিশিয়ে দিতেন। তারপর একজনকে ডেকে বলতেন, ওখান থেকে পাঁচটি ছোলা খুঁজে বের করো। এভাবে ধীরে ধীরে আমাদের মনে অঙ্ক ঢুকিয়ে দিতেন। এই অদ্ভূত শিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে তিনি আমাদের শিক্ষাকে জীবনের সঙ্গে জুড়ে দিতেন। শুধু বই পড়াই শিক্ষা নয়, গান, বাজনা, সংবেদনশীলতা, স্বপ্ন – সবকিছু মিলিয়েই শিক্ষা। কিন্তু আমরা, অভিভাবকরা, শিক্ষকরা শুধু র‍্যাঙ্কিং, র‍্যাঙ্কিং, র‍্যাঙ্কিং নিয়ে ভাবি। এখান থেকেই সমস্যা শুরু হয়। জীবনকে খুলে দিন। বিস্তৃত করুন। শিক্ষার সঙ্গে ভালোবাসাকে মেশান। তবেই দেখবেন জীবনে পরিবর্তন আসছে। পরিসরেও পরিবর্তন আসছে। ছাত্রী – মৌলি সিং : নমস্কার শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রী। আমি আগ্রা থেকে বলছি। আমার প্রশ্ন হল, অনেক ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি থেকে দূরে থেকে পড়াশোনা করে। অনেকে নতুন জায়গায় নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারে না। তারা অনেকেই বাড়ির প্রতি তীব্র আকর্ষণ অনুভব করেন কিংবা হতাশায় ভোগেন। এই পরিস্থিতি থেকে কিভাবে নিজেদের উদ্ধার করবেন? এক্ষেত্রে অভিভাবক এবং শিক্ষকরা কিভাবে সাহায্য করতে পারেন? ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রী : ভারতীয় সামাজিক ব্যবস্থা এত সরল যে সেখানে চাপ থেকে মুক্ত হওয়ার সহজ উপায় রয়েছে। আমাদের যৌথ পরিবারগুলিতে ছেলে-মেয়েরা তাদের মনের কথা মা-বাবাকে বলত না, বলত তাদের ঠাকুরদা-ঠাকুমাকে। ঠাকুরদা-ঠাকুমা তাঁদের জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে ছেলে-মেয়েদের দোষগুলিকে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে ঠিক করে দিতেন। গল্পের মাধ্যমে তাদের হতাশা দূর করে তাদেরকে ইতিবাচক করে তুলতেন। কিন্তু আজ সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনের ফলে চিত্রটা বদলে গেছে। পরিবর্তন খারাপ কিছু নয়। কিন্তু আজকের পরিস্থিতিতে আমরা বলি কম, লুকোই বেশি। ফলে, একটা অপরাধবোধ জন্ম নেয়। সেই বোধ থেক�� বেড়িয়ে আসার জন্য পরিসর চাই। ঠাকুরদা-ঠাকুমার অনুপস্থিতিতে বাবা-মায়েদেরই উচিৎ ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে যথাসম্ভব খোলাখুলি কথা বলা যাতে তারা তাদের সমস্যার কথা মা-বাবাকে খুলে বলতে পারে। হস্টেলের জীবনে তারা কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সেটি বাবা-মা জানতে পারলে সাহায্য করতে পারেন। না হলে হতাশা থেকে বাঁচতে পারবেন না। ছেলে-মেয়েরা দূরে থাকলে অভিভাবকদের উচিৎ সেই দূরবর্তী শহরের কোন পরিচিত পরিবারের সঙ্গে তাঁর সন্তানের পরিচয় করানো যাতে প্রয়োজনে তাঁদের সাহায্য নিতে পারেন বা সেই বাড়িতে গিয়ে তারা থাকতে পারে। বাড়ি থেকে দূরে থেকেও ছুটির দিনগুলি কোন পারিবারিক পরিবেশে কাটাতে পারে। দ্বিতীয়ত, প্রয়োজনে মানসিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দ্বিধা করবেন না। মনের রোগও একটি রোগ, সময়মতো তার চিকিৎসা না হলে সেই রোগ ডালপালা গজিয়ে মহীরূহ হয়ে উঠতে পারে। সেজন্য, গোড়ার দিকেই সমস্যাকে সমূলে উৎপাটন করা উচিৎ। যারা হস্টেলে থাকেন, তাদেরকে আমার একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলতে পারি। একটা বয়সে আমি যখন একা ছিলাম, তখন আমি কিভাবে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছি। মনে করুন, কোন ঘটনা আপনাকে কষ্ট দিল কিংবা মন অস্থির হয়ে উঠল, আক্রোশ সৃষ্টি হল, আপনি চুপচাপ হস্টেল থেকে বেরিয়ে কাছাকাছি কোন গাছের নিচে একা বসে থাকুন। সঙ্গে একটা নোটবই নিয়ে যান। যে ঘটনাটি আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে, সেটি সম্পর্কে লিখুন। কি হয়েছে, কিভাবে হয়েছে সব লিখে সেই পাতাটি ছিড়ে পকেটে ঢুকিয়ে নিন। কোথায় ফেলবেন না। তখনও যদি মন হালকা না হয়, আবার লিখুন। আবার ছিড়ুন এবং যতক্ষণ মন হালকা না হবে এটা করতে থাকুন। একটা সময় দেখবেন আপনার ভালো লাগতে শুরু করেছে। তখন উঠে গিয়ে ছেড়া টুকরোটি কোন ডাস্টবিনে ফেলে দিন। আপনার মনের কষ্ট কাউকে বললে জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্যই এই পদ্ধতি। এটি একটি ছোট্ট উপায়। কিন্তু এই পদ্ধতিই আপনাকে কিছুদিন সাহায্য করতে পারে। নিজেকে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে শক্তি যোগাতে পারে। হ্যাঁ, হস্টেলে যদি আপনার প্রিয় কোন অগ্রজ ছাত্র থাকে কিংবা কোন স্নেহশীল শিক্ষক মশাই থাকেন, তাহলে তাঁর কাছেও মনের কথা খুলে বলতে পারেন। মনে করুন মায়ের জন্য মন খারাপ লাগছে। অনেকদিন হল তাঁর কোন ফোন আসেনি।স্নেহশীল মানুষটি তখন আপনাকে বোঝাবেন যে হয়তো ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির সমস্যা রয়েছে, প্রযুক্তির সমস্যা রয়েছে। তিনি আপনাকে বুঝিয়ে হস্���েলে নিয়ে যাবেন বা একটা চকোলেট কিনে দেবেন, সান্তনা দেবেন যে জন্মদিনের ঠিক মায়ের ফোন আসবে। এভাবে আপনি চাপমুক্ত হতে পারেন। জীবনের উত্থান-পতনই মানুষকে অভিজ্ঞ করে তোলে। কিন্তু হতাশাকে হালকাভাবে নেওয়া উচিৎ নয়। এক্ষেত্রে বিশেষ করে, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের লক্ষ্য রাখা উচিৎ। কোন শিশুকে হতাশায় আক্রান্ত হতে দেখলে তার নিরাময়কে অগ্রাধিকার দিন। তার সঙ্গে মিশুন, কথা বলুন, তার সমস্যার সমাধান না করতে পারলে চিকিৎসকের কাছে অবশ্যই নিয়ে যান। ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায় যৌথ পরিবারের প্রেক্ষিত থাকার ফলে আমাদের ডিএনএ এমনই যে আমরা এই বিষয়গুলিকে সহজেই সমাধান করতে পারি। পরস্পরকে সাহায্য করতে পারি। আমার মনে হয় এটিই শেষ প্রশ্ন ছিল। আপনাদের সঙ্গে কথা বলে আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনারা খুব সুন্দর প্রশ্ন করেছেন। সবশেষে আমি অভিভাবকদের অনুরোধ করি, ছেলে-মেয়েদের আরও বেশি সময় দিন। মনে করুন আপনার যখন ১৪ বছর বয়স ছিল তখন আপনার মনে কি কি চিন্তাভাবনা আসত। এখন আপনার বয়স যদি ৫০ হয়ে থাকে, সেই দূরত্ব থেকে ওদের সঙ্গে মিশবেন না। তাদের সঙ্গে তাদের বয়সের মতো করে তাদের ভাষায় কথা বলুন। দেখবেন অনেক সমস্যার সমাধান পরিবারের মধ্যেই হয়ে যাবে। আমি আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। এবারের পরীক্ষা আপনাদের জীবনে উৎসব হয়ে আসুক, আপনাদের জীবনকে সফল করে তুলুক, সফলভাবে বাঁচার গুণ আহরণের মাধ্যমে জীবনকে শক্তিশালী করে তুলুন, পরীক্ষার খাতায় যে নম্বরই আসুক না কেন, তা আপনার জীবনের অন্তিম নম্বর নয়, এরপরেও জীবনে অনেক কিছু করার রয়েছে। আমাদের নিজেদের শিক্ষিত করতে হবে, প্রশিক্ষিতও করতে হবে। শিক্ষার যতটা গুরুত্ব রয়েছে, প্রশিক্ষণেরও ততটাই গুরুত্ব রয়েছে। এই ভারসাম্য বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",পৰীক্ষা পে চৰ্চা ২.০ৰ উপলক্ষে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%85/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF/,"নয়াদিল্লি, ২৫ অগাস্ট, ২০২২ নমস্কার! চন্ডীগড়ের প্রশাসক শ্রী বনওয়াড়ি লাল পুরোহিতজী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মীবৃন্দ, শ্রী ভূপেন্দ্র যাদবজী এবং শ্রী রামেশ্বর তেলিজী ও সব রাজ্যের শ্রম মন্ত্রী, শ্রম সচিব, অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি, ভদ্রমহোদয় ও ভদ্রমহোদয়াগণ! প্রথমেই আমি ভগবান তিরুপতি বালাজীর চরণে নত মস্তকে প্রণাম জানাই। যে পবিত্র স্থানে আজ আপনারা উপস্থিত আছেন, সেটি ভারতের শ্রম ও সম্ভাবনার এক অনন্য নিদর্শন প্রত্যক্ষ করেছে। আমি নিশ্চিত যে, এই সম্মেলন থেকে দেশের শ্রম বিভাগকে মজবুত করার যে পন্থা-পদ্ধতি উঠে আসবে, সেগুলি সমগ্র ব্যবস্থাকে মজবুত করবে। আমি আপনাদের সকলকে, বিশেষ করে শ্রম মন্ত্রককে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য অভিনন্দন জানাই। বন্ধুগণ, ভারত ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ পূর্ণ করেছে এবং স্বাধীনতার ‘অমৃত কাল’ – এ প্রবেশ করেছে। এই ‘অমৃত কাল’ – এ দেশের স্বপ্ন ও চাহিদা পূরণের মাধ্যমে উন্নত ভারত গড়ে তুলতে ভারতের শ্রম বাহিনীর বিশাল ভূমিকা থাকবে। এই চিন্তাভাবনার সঙ্গে দেশ অবিরাম সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের কোটি কোটি শ্রমিকদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনার মতো বিভিন্ন উদ্যোগ কর্মীদের সুরক্ষা দিচ্ছে। এ ধরনের প্রকল্পের ফলে দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের মধ্যে এই বিশ্বাস এসেছে যে, দেশ তাঁদের কঠোর পরিশ্রমকেও সমান মর্যাদা দেয়। আমাদের কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরে এ ধরনের কাজকে গুরুত্বের সঙ্গে সম্পূর্ণ করতে হবে। শ্রমিকরা যাতে এগুলির সর্বশ্রেষ্ঠ সুফল পান, সে বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করতে হবে। বন্ধুগণ, আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের অর্থনীতিতে এ ধরনের কাজের ফলাফল প্রত্যক্ষ করছি। এমনকি, করোনার সময়কালেও এর সুফল পেয়েছি আমরা। জরুরি ঋণ সহায়তা নিশ্চিত প্রকল্প লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র শিল্প ক্ষেত্রগুলিকে সাহায্য করেছে। একটি সমীক্ষা দেখা গেছে, এই প্রকল্প প্রায় দেড় কোটিরও বেশি মানুষের চাকরি বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে। ইপিএফও করোনার সময় তাদের কর্মীদেরও বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছে। অগ্রিম হিসাবে দেওয়া হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। বন্ধুরা, আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশ যেমন প্রয়োজনের সময় শ্রমিকদের সাহায্য করেছিল, একইভাবে শ্রমিকরাও আজ অতিমারী পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সর্বতোভাবে সাহায্য করছেন। বর্তমানে ভারত আরও একবার বিশ্বের দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলির অন্যতম হয়ে উঠেছে। বন্ধুগণ, সব শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা দিতে দেশে কিভাবে কাজ হচ্ছে, ���ার বিশেষ উদাহরণ হ’ল ‘ই-শ্রম পোর্টাল’। অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের জাতীয় স্তরে তথ্য নথিভুক্ত করতে গত বছর এই পোর্টালটি চালু করা হয়। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, মাত্র এক বছরে প্রায় ৪০০টি ক্ষেত্রের ২৮ কোটিরও বেশি শ্রমিক এই পোর্টালে নিজেদের নথিভুক্ত করেছেন। এই পোর্টালটি বিশেষ করে নির্মাণ কর্মী, ঘরোয়া শ্রমিক এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের উপকারে এসেছে। বর্তমানে তাঁরাও নানা সুবিধা পাচ্ছেন। ই-শ্রম পোর্টালটি ন্যাশনাল কেরিয়ার সার্ভিস, আসেম পোর্টাল এবং উদ্যম পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত। এর মাধ্যমে শ্রমিকদের কাজের সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকের এই সম্মেলনে উপস্থিত সকলকে আমি অনুরোধ জানাই যে, জাতীয় এই পোর্টালটির পাশাপাশি, রাজ্যস্তরেও এ ধরনের পোর্টাল চালু করার জন্য। এর ফলে, দেশের সব শ্রমিকরা নতুন নতুন কাজের সুযোগ পাবেন এবং রাজ্যগুলিও দেশের শ্রমিক বাহিনী থেকে উপকৃত হবে। বন্ধুগণ, আপনারা সকলেই জানেন যে, সেই ব্রিটিশ শাসন থেকেই আমাদের দেশে বেশ কিছু শ্রম আইন রয়েছে। গত ৮ বছরে আমরা দাসত্বের সঙ্গে জড়িত। বেশ কিছু আইন বিলুপ্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। দেশ এখন পরিবর্তনশীল। শ্রম আইনের সংস্কার ও সরলীকরণ করা হচ্ছে। ২৯টি শ্রম আইনকে ৪টি সরল শ্রম কোড – এ পরিবর্তন করা হয়েছে। এর ফলে, আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনেরা ন্যূনতম অর্থ, কাজের নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার মতো বিষয়গুলিতে সাহায্য পাবেন। আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী শ্রমিকের সংজ্ঞাও নতুন শ্রম আইনে পরিবর্তন করা হয়েছে। আমাদের পরিযায়ী শ্রমিক ভাই-বোনেরা ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ – এর মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। বন্ধুগণ, আমাদের আরও একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, বিশ্বে দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা যদি দ্রুত নিজেদের পরিবর্তন না করি, তা হলে আমরা পিছিয়ে পড়বো। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত পিছিয়ে ছিল। কিন্তু, বর্তমানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময় ভারতকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ও সেগুলিকে কার্যকর করতে হবে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাজের ধরণও পাল্টে যাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ব ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করছে এবং গোটা বিশ্বের পরিবেশ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের নতুন দিশা দেখতে পাচ্ছি আমরা। অনলাইন শপিং, অনলাইন স্বাস্থ্য পরিষেবা, অনলাইন ট্যাক্সি এবং খাবার সরবরাহ বর্তমানে নগর জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। নতুন এই কাজের জগতে পরিষেবা দিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ যুবক। বন্ধুগণ, দেশের শ্রম মন্ত্রকও ২০৪৭-এর অমৃত কালের জন্য তার দিশা-নির্দেশ স্থির করেছে। ভবিষ্যতে কাজের জায়গায় ক্রমশ পরিবর্তন আসছে। বাড়ি থেকে কাজের সুবিধা ও কাজের সময়তেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে। মহিলাদের বেশি করে কাজে নিযুক্ত করতে এটি বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠছে। এ বছর ১৫ অগাস্ট লালকেল্লার প্রাকার থেকে ভাষণে আমি দেশের মহিলা শক্তির সম্পূর্ণ অংশীদারিত্বের আহ্বান জানিয়েছি। নারী শক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমেই ভারত দ্রুত তার লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে। পাশাপাশি, আমাদেরও ভাবতে হবে যে, দেশের নতুন নতুন ক্ষেত্রগুলিতে আমরাও মহিলাদের জন্য কি করতে পারি? বন্ধুগণ, একুশ শতকের ভারতের সাফল্য নির্ভর করবে আমাদের পরিকল্পনার উপর। দক্ষ ও উন্নতমানের কর্মীদের মাধ্যমেই আমরা বিশ্বে কাজের বাজারের সুযোগ নিতে পারি। ভারত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করছে। আমাদের একে-অপরের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে এগিয়ে যেতে হবে। বন্ধুগণ, আজ আমি সব রাজ্যকে অনুরোধ জানাই একসঙ্গে এগিয়ে এসে কাজ করার জন্য। ইএসআইসি প্রকল্পেও মনোযোগ দিতে হবে। আপনারা অবগত আছেন যে, নির্মাণ কর্মীরাও আমাদের কর্মক্ষেত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাঁদের জন্য তৈরি করা সেস – এর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। আমাকে বলা হয়েছে যে, বিভিন্ন রাজ্যে এখনও পর্যন্ত এই সেস – এর ৩৮ হাজার কোটি টাকা ব্যবহার করা হয়নি। আমাদের শ্রমিকদের সহায়তাঁর জন্য আয়ুষ্মান ভারতের পাশাপাশি, ইএসআইসি প্রকল্পেও মনযোগ দিতে হবে। আমি নিশ্চিত যে, আমাদের সকলের এই চেষ্টা দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই ক্ষেত্রকে শক্তিশালীশালী করতে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। এই বিশ্বাসের সঙ্গেই আপনাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ। আমি নিশ্চিত যে, দু’দিনের এই সম্মেলন থেকে দেশের শ্রমিকদের জন্য অনেক কার্যকর ব্যবস্থাপনা উঠে আসবে। অনেক ধন্যবাদ!",সকলো ৰাজ্য আৰু কেন্দ্ৰীয় শাসিত প্ৰদেশৰ শ্ৰম মন্ত্ৰীসকলৰ ৰাষ্ট্ৰীয় শ্ৰম সন্মিলনত ভিডিঅ’ কনফাৰেঞ্চিঙৰ মাধ্যমত দিয়া প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%85%E0%A6%9F%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%80%E0%A6%B0-7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%9F%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%80%E0%A6%95-%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%93/,"নয়াদিল্লি, ১৬ আগস্ট, ২০২২ শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ তিথিতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ; “আজ সম্মানীয় অটল জি’র প্রয়াণ তিথিতে সদৈভ অটল-এ গিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি। ভারত সেবায় অটল জি’র প্রচেষ্টায় আমরা অনুপ্রাণিত। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় আমাদের জাতিকে গড়ে তোলার কাজে এবং ভারতের রূপান্তরে তিনি অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন।”",অটল বিহাৰী বাজপেয়ীক তেওঁৰ পুণ্য তিথিত শ্ৰদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B-23/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বার্মিংহাম কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মহিলাদের বক্সিং-এ ৪৮ কেজি বিভাগে স্বর্ণ পদক জয়ী নীতু ঘাঙ্ঘাস-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বক্সিং-এ কঠোর পরিশ্রম করে প্রাপ্য স্বর্ণ পদক জয়ের জন্য নীতু ঘাঙ্ঘাস-কে অভিনন্দন জানাই। তিনি অধ্যবসায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে ক্রীড়াচর্চা করেছেন। তাঁর সাফল্যে বক্সিং আরও জনপ্রিয় হবে। ভবিষ্যতে তাঁর আরও সাফল্য কামনা করি। #Cheer4India” /",‘চিডব্লিউজি ২০২২’ত মহিলাৰ ৪৮ কিলোগ্ৰাম শাখাৰ বক্সিং-ত সোণৰ পদক জয়ৰ বাবে নীতু ঘংঘছক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ অভিনন্দন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%AB%E0%A7%AC-%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A7%B0-%E0%A7%AB%E0%A7%AC%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95/,"আজ ১১ই আগস্ট। ১১০ বছর আগে দেশের স্বাধীনতার জন্য আজকেরই দিনে ক্ষুদিরাম বসু মাতৃভূমির জন্য নিজের সর্বস্ব উৎসর্গ করেছিলেন। আমি সেই বীর বিপ্লবীকে প্রণাম জানাচ্ছি। দেশের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছি। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার জন্য যাঁরা প্রান দিয়েছেন, নিজেদের সমস্ত কিছু বিলিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা অমর হয়ে গেছেন। অনুপ্রেরণার প্রতিমূর্তি হয়ে গেছেন|কিন্তু আমরা, স্বাধীনতার জন্য জীবন দানের সৌভাগ্য অর্জন না করলেও এই সৌভাগ্য তো আমাদের হয়েছে যে আমরা স্বাধীন ভারতের জন্য বেঁচে থাকতে পারছি। আমাদের এই জীবনযাপনের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতাকে এর নতুন নির্মিতির জন্য সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার অবকাশ গড়ে দিতে পারি। আজ আমি নিজের সামনে আপনাদের মধ্যে, আপনাদের মুখে যে উৎসাহ ও আত্মবিশ্বাসের ঝলক দেখতে পাচ্ছি, সেটা এরকম আশ্বস্ত হওয়ার মত যে, আমরা ঠিক পথেই এগিয়ে চলেছি। বন্ধুগণ, আইআইটি বম্বে স্বাধীন ভারতের সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল, যেগুলি প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশ গড়ায় নতুন দিশা দেখানোর জন্য ভাবা হয়েছিল। বিগত ষাট ধরে আপনারা নিজেদের সেই অভিযানেই নিয়োজিত রেখেছেন। ১০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হওয়া প্রতিষ্ঠান আজ১০ হাজার জন শিক্ষার্থীতে পৌঁছে গেছে। এর মধ্যে আপনারা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলির তালিকায় নিজেদের জায়গাও করে নিয়েছেন।এই প্রতিষ্ঠান নিজেদের হীরক জয়ন্তী উদযাপন করছে। ডায়মন্ড জুবিলি। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছেন, এর সমস্ত হীরেরা, যাঁরা আমার সামনে বসে আছেন, সফল শিক্ষা সম্পাদনের স্বীকৃতি পেতে চলেছেন, আর এখান থেকে স্বীকৃতি পেয়ে গোটা বিশ্বে ভারতের নাম উজ্জ্বল করছেন। আজ এই উপলক্ষে আমি সবার আগে ডিগ্রি-প্রাপক দেশ-বিদেশের শিক্ষার্থীদের, এবং তাঁদের পরিবারের লোকজনকে হৃদয় থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আজ এখানে ডঃ রমেশ ওয়াধওয়ানিজীকে ডক্টর অব সায়েন্স উপাধিও প্রদান করা হয়েছে। ডঃ ওয়াধওয়ানিকেও আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। রমেশজী প্রযুক্তিকে সাধারণ মানুষের জীবনের প্রয়োজনের সঙ্গে জুড়ে নেওয়ার জন্য সারাজীবন কাজ করে গেছেন। ওয়াধওয়ানি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি দেশের তরুণদের জন্য উপার্জনের অবকাশ তৈরী করা, দক্ষতা, উদ্ভাবন ও উদ্যোগ গড়ে তোলার পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটা আপনাদের সবার জন্যও গর্বের বিষয় যে, এখান থেকে শিক্ষা সম্পন্ন হওয়া ওয়াধওয়ানিজীর মত অনেকে আজ দেশের উন্নতিতে নিজেদের সক্রিয় অবদান রেখে চলেছেন। বিগত ছয় দশকের নিরলস প্রয়াসের ফলেই দেশের বাছাই করা স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘আইআইটি বম্বে’ নিজের জায়গা করে নিয়েছে। আর এই মাত্র আপনাদের জানানো হলো যে, আপনারা ১ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা পেতে চলেছেন, যা আগামী দিনে এই প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামোগত বিকাশের কাজে লাগবে। এজন্যই আমি আপনাদের এবং আপনাদের গোটা টিমকে অনেকঅনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দেশ আইআইটি সমূহ এবং আইআইটি-র স্নাতক��া যে সাফল্য পেয়েছেন, তার জন্য গর্বিত। আইআইটি-গুলির সাফল্যই দেশে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গড়ে ওঠার সুযোগ করে দিয়েছে। সেগুলি আইআইটি-গুলির অনুপ্রেরণাতেই গড়ে উঠেছে। এভাবেই ভারতও বিশ্বের বৃহত্তম কারিগরি জনশক্তির সেতু হয়ে উঠেছে। আইআইটি-গুলিই বিশ্বায়িত ব্র্যান্ড ভারত গড়ে তুলেছে। তারা বহু বছরে এটা সম্ভব করেছে।আইআইটি স্নাতকরা আমেরিকা গিয়ে সেখানকার উৎকর্ষ বাড়িয়েছেন : প্রথমে সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে এবং পরে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে, স্ব-উদ্যোগী হিসেবে, দায়িত্ব নির্বাহী হিসেবে আর শিক্ষাবিদ হিসেবেও বটে। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ইঁটের ওপরে ইঁট বসানোর বা বলা যায়, ক্লিক-ক্লিক মাউজ টিপে যাওয়ার ব্যবস্থাকেই সহজলভ্য করেছেন বৃহৎ সংখ্যার আইআইটি শিক্ষার্থীরা। আগে ভারতের তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রের ভারতীয়দের বিবেচনা করা হত কঠোর পরিশ্রমী ও বুদ্ধিমান হিসেবে, কিন্তু তা মূলত অন্য দেশগুলিতে, মূলত আমেরিকায়। তথ্য প্রযুক্তির বিকাশে ভারতই এখন লক্ষ্যস্থল হয়ে উঠেছেএবং আজ, ভারতের সেরা স্টার্ট-আপগুলোর বেশ কয়েকটিতে আইআইটি-র স্নাতকরা সামনের সারিতে আছেন। এই স্টার্ট-আপগুলিও আবার বেশ কিছু জাতীয় সমস্যা নিরসনের প্রশ্নে সামনের সারিতে আছে। তাঁদের জন্য বলছি, যাঁরা স্টার্ট-আপ আন্দোলনে কাজ করছেন বা একটার পর একটা কলেজ খোলার পরিকল্পনা করছেন, দয়া করে মনে রাখবেন, বিগত দিনের স্টার্ট-আপগুলিই আজকের দিনের বৃহত্তম উদ্যোগ হয়ে উঠেছে। সেগুলি হ’ল – আদর্শবাদের সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মেল-বন্ধন। এটাকেই ধরে রাখুন, ছেড়ে দেবেন না, তবেই আপনি সাফল্য পাবেন। আপনারা ভাগ্যবান যে মুম্বাইয়ের মত নগরীতে এরকম একটা ক্যাম্পাসে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। আপনাদের একদিকে জলাশয় অন্যদিকে পাহাড়ও আছে। সময়ে-সময়ে হয়ত আপনারা কুমির ও চিতাবাঘের সঙ্গে সময় কাটান এই ক্যাম্পাসে। এখন আগস্ট মাস, কিন্তু আমি নিশ্চিত যে, আপনারা আজ স্বপ্নিল মেজাজে আছেন। আমি এটাও ঠিক জানি, এখানে বিগত চার বছরে আপনারা অনবদ্য শিক্ষা-অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন। এমন অনেক কিছুই ফিরে দেখার এবং মনে ধরে রাখার জন্য আছে, কলেজের উৎসব,আন্তঃ-আবাসন খেলাধূলা,শিক্ষার্থী-শিক্ষক সমন্বয়।কিছু পড়াশুনোর কথাও কি আমি উল্লেখ করেছি? মানে, যা আপনারা দেশের সেরা শিক্ষার ব্যবস্থাপনায় থেকে করার সুযোগ পেয়ে��েন।এখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তো দেশের বৈচিত্র্যকেই তুলে ধরেছেন। বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিভিন্ন ভাষা, ভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে এখানে এসে আপনারা জ্ঞান ও শিক্ষার অঙ্গণে একাকার হয়ে গেছেন। বন্ধুগণ, আইআইটি বম্বে সেই প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অবস্থান করছে, যারা নতুন ভারতে নতুন প্রযুক্তি সংযোজনের কাজ করছে। আগামী দু’দশকে অগ্রগতি কতদূর এবং কিভাবে হবে, তা নতুন উদ্ভাবন ও নতুন প্রযুক্তিই ঠিক করবে। এতে আপনাদের এই প্রতিষ্ঠান, এই আইআইটি-র ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। তা সে ফাইভ-জি ব্রডব্যান্ড প্রযুক্তি হোক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত্বা হোক, ব্লক চেন টেকনোলজি হোক, বৃহৎ তথ্য বিশ্লেষণ হোক, অথবা মেশিন লার্নিং, এসব সেই প্রকৌশল যা, আগামী দিনে স্মার্ট উৎপাদন এবং স্মার্ট সিটি-র ভাবনা-চিন্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে সামনে আসতে চলেছে। আর খানিকক্ষণ বাদে যে নতুন ভবনটির দ্বারোদ্ঘাটন হবে, তা-ও সেই লক্ষ্যেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। শক্তি বিজ্ঞান ও কারিগরিবিভাগ এবং পরিবেশ বিজ্ঞান ও কারিগরি কেন্দ্র এই নতুন ভবনে সক্রিয় হয়ে উঠবে। এটা দেখা যাচ্ছে যে, শক্তি ও পরিবেশ আজ দেশ ও দুনিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যার ক্ষেত্র হিসেবে সামনে আসছে, এর মধ্যে আমি বিশ্বাস করি, আগামী দিনে এই দুই বিষয়ের গবেষণায় উন্নততর পরিসর গর্বে উঠবে। আমাকে বলা হয়েছে যে, এই ভবনটিতে একটি সৌর গবেষণাগারও গড়ে তোলা হচ্ছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৌর শক্তি সংক্রান্ত গবেষণায় সুবিধে হবে। সৌরশক্তি ছাড়াও আগামী দিনে জৈবজ্বালানিও পরিচ্ছন্ন শক্তির এক বিরাট বড় উৎস হয়ে উঠতে চলেছে। আমি গতকাল দিল্লিতে বিশ্ব জৈব জ্বালানি দিবস উপলক্ষে বলেছিলাম যে, এর সঙ্গে জুড়ে থাকা প্রযুক্তি নিয়ে ছোট থেকে বড় সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনো হোক,গবেষণা হোক। বন্ধুগণ, আইআইটিকে দেশ ও গোটা দুনিয়া ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি হিসেবে জানে। কিন্তু বর্তমানে, আমাদের জন্য এর পরিভাষা সামান্য বদলে গেছে। এটা আর এখন শুধু প্রযুক্তি বিষয়ে পড়ানোর এক ঠিকানাই নয়, বরং আইআইটি আজ ইন্ডিয়াজ ইনস্ট্রুমেন্ট অব ট্রান্সফরমেশন, ভারতের রূপান্তরণের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। আমরা যখন রূপান্তরণের কথা বলি, স্টার্ট-আপের যে নতুন বিপ্লবের দিকে দেশ পা বাড়িয়েছে,এরই এক বিরাট বড় উৎস আমাদের আইআইটি। আজ গোটা বিশ্ব আইআইটি-গুলিকে ইউনি���র্ন স্টার্ট-আপের পরিচর্যা ক্ষেত্র হিসেবে মেনে নিচ্ছে। অর্থাৎ তা এমন স্টার্ট-আপ, যা, ভারতে শুরু হচ্ছে এবং আগামী দিনে যা, বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যবান হয়ে ওঠার সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে। একে একদিক থেকে প্রকৌশলগত আয়না বলা যেতে পারে, যা দিয়ে দুনিয়ার ভবিষ্যৎ দেখা যায়। বন্ধুগণ, আজ গোটা দুনিয়ায় যত বিলিয়ন ডলারের স্টার্ট-আপ উদ্যোগ রয়েছে, এর মধ্যে বেশ কয়েকজন ডজন আছে, যেগুলো আইআইটি থেকে পাশ করা লোকজন গড়ে তুলেছেন। আজ আমার সামনে এরকমই অনেক ইউনিকর্ন প্রতিষ্ঠাতাদের দেখতে পাচ্ছি। বন্ধুগণ, ভারতকে বিকশিত অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্ভাবন ও স্ব-উদ্যোগই ভিত্তিপ্রস্তর হয়ে উঠতে চলেছে। এই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েই এক দীর্ঘমেয়াদী প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক বিকাশ সম্ভব হবে। এই কারণেই আমরা স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া ও অটল উদ্ভাবন মিশনের মত অভিযান শুরু করেছি, যার ফসল এখন পাওয়া যেতে শুরু করেছে। আজ স্টার্ট-আপের জগতে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সহায়ক পরিসরের ঠিকানা। দেশে ১০ হাজারের বেশি স্টার্ট-আপকে পরিচর্যা করা হচ্ছে এবং আর্থিক তহবিলেরও ব্যাপক ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বন্ধুগণ, আজ উদ্ভাবন সূচকের শীর্ষ তালিকায় আমরা ক্রমাগত অপরের দিকে উঠে আসছি। এর অর্থ এটাই যে, শিক্ষা থেকে পরিবেশ পর্যন্ত আমাদের যে সর্বাত্মক প্রয়াস, তার সুফল আজ দুনিয়ার সামনে চলে আসছে। দেশে বিজ্ঞানভিত্তিক মানসিকতা শক্তিশালী করা,গবেষণার পরিবেশ তৈরির জন্য উচ্চশিক্ষার পরিকাঠামো তৈরির জন্য বিশেষ মনযোগ দেওয়া হয়েছে। একবিংশ শতাব্দীর মূল গুঞ্জনধ্বনি হচ্ছে, উদ্ভাবন। কোনো সমাজের উদ্ভাবনী শক্তি না থাকলে একে থমকে যেতে হবে। ভারত যখন স্টার্ট-আপের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে, দেখা যাচ্ছে এখানে খুবই বেশি মাত্রায় উদ্ভাবনের জন্য আকুতি ছড়ানো আছে। আমাদের অবশ্যই একে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ভারতকে উদ্ভাবন ও স্বউদ্যোগের সবচেয়ে আকর্ষনীয় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু তা শুধু একা সরকারের প্রয়াসে হবে না। এটা সম্ভব করতে হবে আপনাদের মত নবীন শক্তির মাধ্যমে। সেরা ভাবনা-চিন্তাগুলি কিন্তু সরকারী ভবন বা ঝাঁ-চকচকে অফিসে আসে না। সেগুলি আপনাদের ক্যাম্পাসের মত জায়গায়, আপনাদের মত নবীনদের মাথাতেই আসে। আপনাদের এবং অন্য অনেক আপনাদেরই মত তরুনদের প্রতি আমার আবেদন,ভারতে উদ্ভাবন করুন, মানব সমাজ ও সভ্যতার জন্য উদ্ভাবন করুন। জ���বায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাব কমিয়ে উন্নততর কৃষি ফলন নিশ্চিত করা,পরিচ্ছন্ন শক্তি থেকে জল সংরক্ষণ, অপুষ্টি মোকাবিলা থেকে কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, চলুন আমরা নিশ্চিত করি যে, সেরা ভাবনা-চিন্তাগুলি আমাদের কাছে আসবে ভারতীয় গবেষনাগার ও ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। আমাদের দিক থেকে ভারতে গবেষনা ও উদ্ভাবনকে উদ্দীপ্ত করতে সম্ভাব্য সমস্ত প্রয়াসই আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। বিগত চার বছরে ৭টি নতুন আইআইটি, ৭টি নতুন আইআইএম, ২টি আইআইএসইআর এবং ১১টি ট্রিপলআইটিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।পরিকাঠামোর মানোন্নয়নের জন্য আরআইএসই মানে শিক্ষার পরিকাঠামো ও পদ্ধতি পুনরুজ্জীবনের কর্মকান্ড শুরু করা হয়েছে। এর আওতায় আগামী চার বছরে এক লক্ষ কোটি টাকা জোগাড় করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। নতুন প্রতিষ্ঠান, নতুন পরিকাঠামো জরুরি, কিন্তু তার চেয়েও জরুরি, সেখান থেকে তৈরী হওয়া সুদক্ষ শক্তি। সরকার এদিকটাতেও নজর দিচ্ছে। বন্ধুগণ, দেশে প্রতিবছর প্রায় ৭ লক্ষ ইঞ্জিনিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু কেউ কেউ শুধু ডিগ্রী নিয়েই বেরিয়ে আসেন,তাঁদের মধ্যে দক্ষতার বিকাশ তেমনটা হতে পারে না। আমি এখানে উপস্থিত শিক্ষকদের, বুদ্ধিজীবীদের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি, এই বিষয়ে ভাবুন, কিভাবে গুনগত উন্নতি নিশ্চিত করা যায়, সে ব্যাপারে প্রস্তাব নিয়ে আসুন। শুধু পরিমানই নয়, গুণমানও যেন উঁচু মাত্রার হয়,তা নিশ্চিত করা আপনাদের সবার আমাদের সবার সমবেত দায়িত্ব। এজন্য সরকার কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আপনারা হয়ত জানেন, সরকার প্রধানমন্ত্রী’র রিসার্চ ফেলো প্রকল্প চালু করেছে। এর আওতায় প্রতি বছর,সারা দেশের এক হাজার মেধাবী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীকে গবেষণার জন্য সহায়তা করা হচ্ছে। এছাড়াও এতে নির্বাচিত ছাত্রদের পিএইচডি-র জন্য,আইআইটি এবং আইআইএসসি-র মত প্রতিষ্ঠানেই ভর্তির ব্যবস্থা হয়ে থাকে। এই ফেলোশিপ আপনাকে দেশে থেকেই সমস্ত রকমের সুবিধের সুযোগ দিয়ে থাকে। আইআইটি বম্বে-র ছাত্র-ছাত্রীদেরও এর সুযোগ নেওয়া উচিৎ। বন্ধুগণ, এখানে যতজন বসে আছেন, তাঁদের কেউ শিক্ষক, অথবা ভবিষ্যতের নেতৃত্বকারী। আগামী দিনে দেশের জন্য বা কোনও প্রতিষ্ঠানের জন্য নীতি তৈরির কাজে যুক্ত হবেন। আপনারা যেমন প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্টার্ট-আপের জন্য নিজেদের তৈরী করছেন, এক্ষেত্রে কি করবেন, কেমন করে করব��ন,এজন্য আপনাদের একটা সুনিশ্চিত দৃষ্টিভঙ্গিও নিশ্চই থাকবে। পুরনো পন্থা-পদ্ধতি ছেড়ে দেওয়া সহজ নয়।সমাজ ও সরকারি ব্যবস্থাতেও নানা সমস্যা। ভাবুন, হাজার বছরের অভ্যেস, পদ্ধতি, পাল্টানো কত কঠিন। কিন্তু আপনার ভাবনা আত্মনিবেদিত, উদ্বুদ্ধ ও প্রত্যাশাপূর্ণ হলে আপনি সমস্ত বাধা পেরিয়ে সফল হতে পারেন। আজকে সরকার আপনাদের সবার আশা-আকাঙ্ক্ষা মাথায় রেখেই কাজ করছে। আপনাদের আমি অনুরোধ জানাব, অসাফল্যের দুর্ভাবনায় আটকে না থেকে প্রত্যাশার জায়গায় মনসংযোগ করুন, উঁচু লক্ষ্য, উঁচু ভাবনা আপনাকে অনুপ্রেরণা যোগাবে, কিন্তু অনিশ্চয়তার দুর্ভাবনায় ডুবে থাকলে আপনার প্রতিভাকে এক আবর্তের মধ্যেই ঘুরে ফিরতে হবে। বন্ধুগণ, শুধু আকাজ্ক্ষাই নয়, লক্ষ্যও স্থির রাখতে হয়। আপনাদের মধ্যে যাঁরা আজ বেরিয়ে যাচ্ছেন বা আগামীদিনে পাশ করে বেরোবেন, আপনারা সবাই কোনো না কোন প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হবেন। কোন প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি রচনা করবেন। আমি আশাবাদী আপনারা দেশের প্রয়োজন, দেশবাসীর চাহিদার কথা মাথায় রেখে কাজ করবেন। এমন অনেক সমস্যা আছে যেগুলো আপনারা নিজেরা খুঁজে বের করে সমাধান করবেন। বন্ধুগণ, ১২৫ কোটি দেশবাসীর জীবনকে সহজ করার জন্য সবার সমস্ত ভাবনা-পরামর্শের পাশে দাঁড়ানো, আপনাদের সঙ্গে চলার জন্য সরকার তৈরী আছে। এজন্য আমি যখনই শিক্ষার্থী বিজ্ঞানী সহ এরকম মানুষজনের সান্নিধ্যে আসি, কথা বলি, তাতে,নগর-ভিত্তিক ক্লাস্টারস্‌ অব সায়েন্স বিষয়ে অবশ্যই কথা বলি। উদ্দেশ্য একটাই সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষজন একে অপরের সমস্যা সম্পর্কে জানুন, প্রয়োজনের বিষয়ে অবহিত হন। এই আইআইটি বম্বে-র মত প্রতিষ্ঠানকেই দেখুন, আমাকে বলা হয়েছে, গ্রেটার মুম্বাইতে প্রায় ৮০০ কলেজ ও প্রতিষ্ঠানে প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ তরুণ-তরুনী এগুলিতে পড়াশুনো করছেন। আজ যখন আমরা সমাবর্তনের জন্য এখানে জড়ো হয়েছি, যে প্রতিষ্ঠানটি হীরক জয়ন্তী পালন করছে, এই উপলক্ষে আমি আপনাদের এক সংকল্পের সঙ্গে জুড়ে নিতে চাই, বলুন তো, আইআইটি বম্বে নগর ভিত্তিক উৎকর্ষ কেন্দ্রের মধ্যমনি হয়ে উঠতে পারবে কিনা? বন্ধুগণ, আপনারা খুব ভালই জানেন যে, সরকার আইন করে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম)-এর মত প্রতিষ্ঠানকে আরও স্বায়ত্ত্বশাসনের ক্ষমতা প্রদান করেছে। সরকার এই বিষয়েও জোর দিয়েছে, যাতে,আইআইএম থেকে পাশ করে বেরোনো শিক্ষার্থী-প্রাক্তনীরা এ���রনের প্রতিষ্ঠানগুলিতে আরও বেশি সক্রিয় অবদান রাখেন। আইআইএম-এর বোর্ড অব ডিরেক্টরস্‌-এও এঁদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আমি মনে করি, আইআইটির মত প্রতিষ্ঠানেও নিজেদের প্রাক্তনিদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে এধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহনের ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা করা যেতেই পারে। এতে প্রাক্তনিদেরও নিজেদের প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো কিছু করার সুযোগ আসবে। আমার সামনে বসা শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের প্রাক্তনী। আপনারাও বোধহয় একমত হবেন যে, প্রাক্তনীরা এমন শক্তির উৎস,যা নাকি প্রতিষ্ঠানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমি শুনেছি, শুধুমাত্র আইআইটি বম্বেরই ৫০ হাজারের বেশি প্রাক্তনী আছেন।তাঁদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার বিশাল সুবিধে আপনাদের পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। বন্ধুগণ, আজ যে ডিগ্রী আপনারা পেয়েছেন, তা আপনাদের আত্মনিবেদন, নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থাকারই প্রতীক। মনে রাখবেন, এটা শুধুমাত্র, অগ্রগতির একটা ধাপ মাত্র, বাইরে আপনাদের জন্য আসল চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে আছে। আজ আপনারা যা অর্জন করেছেন এবং আগামীতে যা করতে চলেছেন, এতে আপনার ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং ১২৫ কোটি ভারতবাসীর প্রত্যাশা জুড়ে আছে। আপনারা যা করতে চলেছেন, তাতে দেশের নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ যেমন গড়ে উঠবে একইসঙ্গে নতুন ভারতও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কোটি কোটি মানুষের আশা পূরণে আপনারা সফল হোন, এজন্য আরও একবার আপনাদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা, অনেক অনেক অভিনন্দন। আপনাদের সবার মাঝখানে কিছুটা সময় কাটানোর সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য বলে মনে করছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ! …",আইআইটি বোম্বেৰ ৫৬সংখ্যক বাৰ্ষিক সমাৱর্তন অনুষ্ঠানত প্রধানমন্ত্রীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%A8-%E0%A6%8F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সেনা কমান্ডারদের যৌথ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ (২৮শে সেপ্টেম্বর) রাজস্থানের যোধপুরে গিয়ে পৌঁছেছেন। যোধপুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এরপর তিনি কোনার্ক যুদ্ধ স্মারকে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সেখানে ভিজিটর্স বুকে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, মাতৃভূমির সুরক্ষায় উৎসর্গীকৃত ও অঙ্গীকারবদ্ধ সেনাবাহিনীর জন্য সমগ্র দেশ গর্বিত। প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী নির্ভীক সেনানী, যাঁরা দেশের জন্য আত্মবলিদান দিয়েছেন তাঁদের কথা স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, এই সেনানীরা প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার প্রতীক। কোনার্ক স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী ‘পরাক্রম পর্বে’র সূচনা করেন। এই উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রদর্শনীও তিনি ঘুরে দেখেন। /","পৰাক্ৰম পৰ্ব উদ্বোধন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ, কোনাৰ্ক ৱাৰ মেম’ৰিয়েলত শ্বহীদলৈ শ্ৰদ্ধাঞ্জলি" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A3-%E0%A6%8F%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%85%E0%A6%9E%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A3-%E0%A6%8F%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%85/,"প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ ভারত ও ও দক্ষিণএশিয়া সহযোগিতামূলক পরিবেশ কর্মসূচির মধ্যে দক্ষিণ এশীয় সামুদ্রিক অঞ্চলে তেল ওরাসায়নিক দূষনের মোকাবিলায় সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরে অনুমোদন দেওয়া হয়ছে। এর ফলে ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার সামুদ্রিক অঞ্চলেরদেশগুলি যেমন- বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সামুদ্রিক পরিবেশবজায় রাখার প্রশ্নে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা সহজ হবে। এই সমঝোতাপত্রের আওতায় ‘ আঞ্চলিক তৈল দূষণ প্রতিরোধ আপৎকালীন পরিকল্পনা ’ রূপায়ণে উপযুক্ত জাতীয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী আর ভারত সরকারের পক্ষে তারাই তেল ও রাসায়নিক পদার্থসমুদ্রে ছড়িয়ে পরার বিষয়ে ব্যবস্হা নেবে। এছাড়া ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর নৌবহনউদ্ধার সমন্বয় কেন্দ্রগুলি সামুদ্রিক নানা ঘটনায় আপৎকালীন কেন্দ্র হিসেবে কাজকরবে। দক্ষিণ এশিয় অঞ্চলের পরিবেশউন্নয়ন ও ব্যবস্হাপনার ক্ষেত্রে সমন্বয় গড়ে তোলার জন্য আফগানিস্হান, বাংলাদেশ,ভূটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্হান ও শ্রীলঙ্কা-য় ১৯৮২ সালে দক্ষিণ এশীয়গোষ্ঠী সাশেপ গড়ে তোলে। বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা-রআশেপাশে সামুদ্রিক অঞ্চলে তেল চুঁয়ে পড়ার একটি বড়সড় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাশেপও আর্ন্তজাতিক নৌবহন সংস্হা এই আপৎকালীন পরিকল্পনা গ্রহন করে। /…",দক্ষিণ এছিয়া সামুদ্রিক অঞ্চলত তেল আৰু ৰাসায়নিক প্ৰদূষণৰ মোকাবিলা কৰিবলৈ ভাৰত আৰু দক্ষিণ এছিয়�� সহযোগিতামূলক পৰিৱেশ কার্যসূচীৰ মাজত বুজাবুজি চুক্তি স্বাক্ষৰত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%95-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AE-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%95-%E0%A6%AD%E0%A7%80%E0%A6%AE-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%99%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A4/,"নয়াদিল্লী, ৩১ মে, ২০২২ অধ্যাপক ভিম সিং-এর প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। শ্রী মোদী বলেছেন, একেবারে তৃণমূল স্তরের নেতা হিসেবে অধ্যাপক ভিম সিং-জি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন, যিনি জম্মু ও কাশ্মীরের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। এক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “একেবারে তৃণমূল স্তরের নেতা হিসেবে অধ্যাপক ভিম সিং-জি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন, যিনি জম্মু ও কাশ্মীরের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিদ্বান ও বিচক্ষণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা আমি সর্বদাই স্মরণ করব। তাঁর প্রয়াণে অত্যন্ত ব্যাথিত। তাঁর পরিবার ও অনুগামীদের প্রতি সমবেদনা। ওম শান্তি।”",অধ্যাপক ভীম সিঙৰ মৃত্যুত শোক প্ৰকাশ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%AD%E0%A7%A8%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BE/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৭২তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লার প্রাকার থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর বর্তমান ভারতের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ছয় জন যুবা মহিলা নৌ-সেনা আধিকারিকের সফলভাবে সমুদ্রপথে বিশ্ব পরিক্রমা এবং অতি সাধারণ জায়গা থেকে উঠে আসা তরুণ ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের সাফল্যের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরেন। নীলগিরি পর্বতমালায় প্রস্ফুটিত ‘নীলাকুরুঞ্জি’ ফুলের কথা উল্লেখ করে তিনি এর বিশেষত্ব ব্যাখ্যা করে জানান, ঘটনাচক্রে প্রতি ১২ বছরে একবার এই ফুল ফোটে। সংসদের সদ্যসমাপ্ত অধিবেশনকে সামাজিক ন্যায়-বিচারের স্বার্থে উৎসর্গ করা হয়েছিল বলেও তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, ভারত এখন বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি নিরাপত্তা বাহিনীগুলির জওয়ান ও পুলিশ কর্মীদের সেলাম জানান। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডে শহীদদের কথা��� তিনি বিশেষভাবে স্মরণ করেন। ১৯১৯-এর বৈশাখী দিবসে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। দেশের বিভিন্ন অংশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য তিনি সমবেদনা প্রকাশ করেন। বিশিষ্ট কবি সুব্রামনিয়াম ভারতীকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সমগ্র বিশ্বকে সব ধরণের বাধা-বিপত্তি থেকে মুক্তির পথ দেখাবে। অগণিত স্বাধীনতা সংগ্রামী এই স্বপ্ন দেখেছিলেন। এমনকি, একটি জাতির এই স্বপ্ন পূরণে বাবাসাহেব আম্বেদকর এক সুসংবদ্ধ সংবিধান রচনা করেছিলেন, যেখানে গরিব মানুষের জন্য ন্যায়-বিচার এবং সার্বিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে সকলের সমান সুযোগ-সুবিধা থাকবে। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র গঠনে ভারতীয়রা একজোট হয়ে এগিয়ে আসছেন। শৌচাগার নির্মাণ, গ্রামীণ বৈদ্যুতিকীকরণ সহ রান্নার গ্যাসের সংযোগ, গৃহনির্মাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে উন্নয়নের গতির কথাও তিনি দৃষ্টান্ত-স্বরূপ উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের স্বার্থে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি, অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) এবং এক পদ – এক পেনশন চালু সহ এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা দীর্ঘদিন ধরে পড়ে ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার ফলেই এগুলি সম্ভব হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। আন্তর্জাতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলি ২০১৩-র তুলনায় কেন আজ ভারতকে পৃথক দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখছে, সে কথাও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নীতি পঙ্গুত্বে’র সময় পার করে ভারত ‘সংস্কার, কার্যসম্পাদন ও রূপান্তরের’ দিশায় অগ্রসর হয়েছে। ভারত এখন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বহুপাক্ষিক সংগঠনের সদস্য এবং আন্তর্জাতিক সৌর জোটকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল বর্তমানে ক্রীড়া ক্ষেত্রে সাফল্য, সংযোগ বিহীন শেষতম গ্রামটিতে বিদ্যুতায়ন এবং জৈব চাষাবাদের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে ওঠার জন্য সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে। মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ১৩ কোটি ঋণ সহায়তা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, এই ঋণ সহায়তার মধ্যে ৪ কোটি এমন সুফলভোগী মানুষ রয়েছেন, যাঁরা প্রথমবার ঋণ সহায়তা পেলেন। ভারত তার বিজ্ঞানীদের সাফল্যে গর্বিত বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, দেশীয় দক্ষতা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে ২০২২ নাগাদ মানব বাহিত মহাকাশ যান ‘গগণ-যান’ অন্তরিক্ষে প্রেরণের পরিকল্পনা চলছে। ভারতের এই প্র��েষ্টা সফল হলে বিশ্বের চতুর্থ দেশ হয়ে উঠবে বলেও তিনি জানান। ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের উপার্জন দ্বিগুণ করার কথা পুনরায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই লক্ষ্য পূরণ অত্যন্ত কঠিন বলে প্রতিপন্ন হলেও তা সম্পাদনের সর্বাতমক প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, উজ্জ্বলা যোজনা ও সৌভাগ্য যোজনার মতো উদ্যোগগুলি সাধারণ মানুষের মর্যাদা বাড়াচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর মতো মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এর প্রশংসা করেছে। পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মতিথি অর্থাৎ এ বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ‘প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য অভিযান’-এর সূচনার কথাও প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারতের গরিব মানুষজনের কাছে গুণগত মানের ও সুলভ স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ৫০ কোটি ভারতবাসী বিশেষভাবে লাভবান হবে বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। প্রায় ৬ কোটি নকল উপভোক্তাকে বাদ দিয়ে কিভাবে সুনির্দিষ্ট উপভোক্তাদের সুযোগ-সুবিধা প্রদান অর্জন করা সম্ভব হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সেকথাও বিশদে ব্যাখ্যা করেন। দেশের সার্বিক বিকাশে সৎ করদাতাদের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেবল এই সৎ করদাতাদের জন্যই অসংখ্য মানুষের অন্নের সংস্থান হয় এবং গরিব মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসে। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, দুর্নীতি ও কালো টাকাধারীদের কোনওভাবেই ক্ষমা করা হবে না। তিনি জানান, দিল্লির সড়কগুলি এখন দালালদের প্রভাব থেকে মুক্ত। গরিব মানুষের কল্যাণে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, এখন থেকে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীগুলিতেও অস্থায়ীভাবে কর্মরত মহিলা আধিকারিকদের পারদর্শিতা প্রমাণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানোন্নয়ন করে স্থায়ীকরণের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তিন তালাক প্রথা মুসলিম মহিলাদের প্রতি ঘোরৎর অন্যায় বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, তাঁরা যাতে ন্যায়-বিচার পান সেজন্য তিনি কাজ করে যাবেন। দেশে উগ্র-বামপন্থাবাদ হ্রাসের কথাও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ‘ইনসানিয়ত, জামহুরিয়ত এবং কাশ্মীরীয়ত’ পরিকল্পনার কথাও তিনি পুনরায় স্মরণ করেন। তিনি সকলের জন্য গৃহ, সকলের জ��্য বিদ্যুৎ, সকলের জন্য দূষণমুক্ত রান্নার জ্বালানি, সকলের জন্য জল, সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য বিধান, সকলের জন্য দক্ষতা, সকলের বিমা ব্যবস্থা ও সার্বিক যোগাযোগ গড়ে তোলার ওপর বিশেষ জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সার্বিক অগ্রগতি, অপুষ্টি দূরীকরণ ও ভারতবাসীর জীবনযাপনে মানোন্নয়ন দেখার জন্য তিনি অস্থির, ব্যাকুল ও উৎসুক হয়ের উঠবেন। ……",লালকিল্লাৰ আবেষ্টনীৰ পৰা ৭২সংখ্যক স্বাধীনতা দিৱস উপলক্ষে দেশবাসীক উদ্দেশ্যি প্ৰধানমন্ত্ৰী ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D-2/,"রায়বেরিলি’র এনটিপিসি প্রকল্পে দুর্ঘটনার কারণেযাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের নিকটাত্মীয়দের ২ লক্ষ টাকা করে এককালীন অর্থ সহায়তামঞ্জুর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ঐ দুর্ঘটনায় যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকেরজন্য এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা অনুমোদন করেছেন তিনি।",ৰায়বেৰেইলীৰ এনটিপিচি প্ৰকল্পৰ পীড়িতলৈ এককালীন সাহাৰ্য ঘোষণা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%B0-%E0%A6%98%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%B2-%E0%A6%89%E0%A7%8E/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%B9%E0%A7%B0-%E0%A6%98%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%B2-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%B8/,"নমস্কার, গোয়ার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী প্রমোদ সাওয়ান্তজী, কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতজী, গোয়া সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী, উপস্থিত অন্যান্য সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ। আজ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র দিবস। সারা দেশে ধুমধাম করে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পালিত হচ্ছে। সকল দেশবাসীকে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভক্তদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। জয় শ্রীকৃষ্ণ! আজকের এই কর্মসূচি গোয়াতে আয়োজিত হয়েছে। কিন্তু, আজ আমি সমগ্র দেশবাসীকে দেশের তিনটি বড় সাফল্য সম্পর্কে বলতে চাই। সারা দেশের জন্য আমার এই বার্তা। যখন আমার দেশবাসী ভারতের এই সাফল্য সম্পর্কে জানবেন, তখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, তাঁরা খুব গর্ব অনুভব করবেন আর বিশেষ করে আমার মা ও বোনেরা অত্যন্ত গর্বিত হবেন। অমৃতকালে ভারত যে বিশাল লক্ষ্যগুলি নিয়ে কাজ করছ���, সেগুলির সঙ্গে জড়িত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় আজ আমরা অতিক্রম করেছি। প্রথম পর্যায় – আজ দেশের ১০ কোটি গ্রামীণ পরিবার নল বাহিত পরিশ্রুত জল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এটি ‘হর ঘর জল’ শীর্ষক সরকারি অভিযানের একটি বড় সাফল্য। এটি ‘সবকা প্রয়াস’ – এর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণও। আমি এই সাফল্যের জন্য প্রত্যেক দেশবাসীকে, বিশেষ করে আমার মা ও বোনেদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বন্ধুগণ, দেশ, বিশেষ করে আমাদের গোয়া রাজ্য আজ একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে। আজ গোয়া দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে এই সাফল্য পেয়েছে, যেখানে প্রত্যেক বাড়িতে নল বাহিত পানীয় জল পৌঁছে গেছে। গোয়া রাজ্যের পাশাপাশি, আজ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা-নগর হাভেলী দমন ও দিউ-ও ১০০ শতাংশ বাড়িতে নলবাহিত জল পরিষেবার সুবিধা পৌঁছে দিতে পেরেছে। ‘হর ঘর জল’ শংসায়িত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে দেশের প্রত্যেক বড় উন্নয়ন অভিযানে গোয়া অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে। আমি গোয়ার জনগণকে প্রমোদজী ও তাঁর উজ্জীবিত টিমকে, গোয়া সরকারকে, ‘স্থানীয় স্বরাজ’ সংস্থাগুলির প্রত্যেক সদস্যকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনারা যেভাবে এই ‘হর ঘর জল’ মিশনকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, তা গোটা দেশকে প্রেরণা যোগাচ্ছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আগামী কয়েক মাসে দেশের আরও বেশ কিছু রাজ্য এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। বন্ধুগণ, দেশের তৃতীয় সাফল্যটি স্বচ্ছ ভারত অভিযান সম্পর্কিত। কয়েক বছর আগে সকল দেশবাসীর প্রচেষ্টায় আমাদের দেশ উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম মুক্ত ঘোষিত হয়েছিল। এর পর আমরা সংকল্প নিয়েছিলাম যে, আমাদের গ্রামগুলিকে ‘ওডিএফ প্লাস’ করে গড়ে তুলবো। অর্থাৎ প্রত্যেক গ্রামে কম্যুনিটি টয়লেট, প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, গ্রে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট, গোবরধন প্রকল্প ইত্যাদি পরিষেবা বিকশিত করা হবে। এইসব ক্ষেত্রেও দেশ গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এখন দেশের ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের ১ লক্ষেরও বেশি গ্রাম ইতিমধ্যেই ‘ওডিএফ প্লাস’ সুবিধাসম্পন্ন হয়ে উঠেছে। এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় অতিক্রম করার জন্য আমি দেশের সকল রাজ্যকে ও সংশ্লিষ্ট সকল গ্রামকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বন্ধুগণ, আজ বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলি বলছে, একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলির অন্যতম একটি সমস্যা হ’ল – জল সুরক্ষা। জলের অভাব, উন্নত ভারতের সংকল্পকে বাস্তবায়িত করতে অনেক বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। জল ছাড়া সাধারণ মানুষ, গরীব, মধ্যবিত্ত, কৃষক ও সার্বিকভাবে শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই বড় সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের সকলকে সেবার মনোভাব নিয়ে, কর্তব্যের মনোভাব নিয়ে ২৪ ঘন্টা কাজ করে যেতে হবে। আমাদের সরকার বিগত ৮ বছরে এই মনোভাব নিয়ে জল সুরক্ষার সপক্ষে বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে। এটা ঠিক যে, সরকার গঠনে ততটা পরিশ্রম করতে হয় না, কিন্তু দেশ গঠনে প্রকৃতই কঠিন পরিশ্রম করতে হয়। দেশ গঠন – দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ‘সবকা প্রয়াস’ – এর মাধ্যমেই সম্ভব হয়। আমাদের সকলকে দেশ গঠনের পথ বেছে নিতে হবে। সেজন্য আমরা ক্রমাগত দেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সমস্যাগুলি সমাধান করে চলেছি। যাদের দেশ নিয়ে কোনও মাথাব্যাথা নেই, দেশের বর্তমান কিংবা ভবিষ্যৎ নষ্ট হলে যাদের কিছু আসে-যায় না – এরকম মানুষরা জল নিয়ে যা খুশি বড় বড় কথা বলতে পারে। কিন্তু, কখনও জলের জন্য একটি বড় দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে কাজ করতে পারে না। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার অমৃতকালে এই জল সুরক্ষা যাতে ভারতের প্রগতির ক্ষেত্রে কোনও রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে পারে, সেজন্য বিগত ৮ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার জল সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশেষ জোর দিয়ে কাজ করে চলেছে। ‘ক্যাচ দ্য রেন’ প্রকল্প থেকে শুরু করে ‘অটল ভূজল যোজনা’, দেশের প্রত্যেক জেলায় ৭৫টি করে ‘অমৃত সরোবর’ নির্মাণ, নদীগুলিকে যুক্ত করা অথবা জল জীবন মিশন – এই সবকিছুরই লক্ষ্য হ’ল দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য জল সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা। কিছুদিন আগে একটি খবর এসেছে যে, এখন ভারতে রামসর কেন্দ্র অর্থাৎ জলাভূমির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫টি হয়ে গেছে। এগুলির মধ্যেও ৫০টি জলাশয় বিগত ৮ বছরে রামসর তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ, জল সুরক্ষার জন্য ভারত চতুর্মুখী উদ্যোগ নিচ্ছে আর চারদিক থেকে সাফল্যের খবর আসছে। বন্ধুগণ, জল ও পরিবেশের প্রতি এই দায়বদ্ধতা আমাদের জল জীবন মিশনকে ১০ কোটিরও বেশি নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সাফল্যের মধ্যেও প্রতীয়মান হয়। অমৃত কালে এর থেকে অসাধারণ সূত্রপাত আর কিছু হতে পারে না। বিগত তিন বছরে জল জীবন মিশনের মাধ্যমে ৭ কোটি গ্রামীণ পরিবারকে নল বাহিত পানীয় জল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এটা কোনও সামান্য সাফল্য নয়। স্বাধীনতার পর বিগত সাত দশকে মাত��র ৩ কোটি গ্রামীণ পরিবারকে নল বাহিত জল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। দেশের প্রায় ১৬ কোটি গ্রামীণ পরিবার এমন ছিল, যাঁদের পানীয় জলের জন্য দূরবর্তী কোনও উৎসের উপর নির্ভর করতে হ’ত। আমরা দেশের গ্রামগুলিতে এত বড় জনসংখ্যাকে এই মৌলিক প্রয়োজনের জন্য কষ্ট পেতে দেখে, তাঁদের জন্য কিছু না করে থাকতে পারিনি। সেজন্য আমি তিন বছর আগে লালকেল্লার প্রাকার থেকে ঘোষণা করেছিলাম যে, দেশের প্রত্যেক বাড়িতে নল বাহিত জল পৌঁছে দেওয়া হবে। নতুন সরকার গঠনের পর আমরা ‘জল শক্তি’ নামক একটি ভিন্ন মন্ত্রক গঠন করেছি। ‘হর ঘর জল’ অভিযান উপলক্ষে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। ১০০ বছরে সবচেয়ে বড় মহামারীর কারণে আমাদের সকল উন্নয়ন অভিযানে যে প্রতিবন্ধকতা এসেছে, তা সত্ত্বেও এই ‘হর ঘর জল’ অভিযানের গতি হ্রাস পায়নি। এই নিরন্তর প্রচেষ্টার পরিণাম হ’ল – বিগত সাত দশকে যতটা কাজ হয়েছিল, তার দ্বিগুণেরও বেশি কাজ আমার দেশের মানুষ বিগত তিন বছরে কর্বে দেখিয়েছে। এটা সেই মানব-কেন্দ্রিক উন্নয়নের উদাহরণ – যা নিয়ে আমি এ বছর লালকেল্লার প্রাকার থেকে বলেছি। যখন প্রত্যেক বাড়িতে জল পৌঁছে যায়, তখন সবচেয়ে বেশি লাভবান হন আমাদের মা ও বোনেরা। সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। অপুষ্টির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। জল সংক্রান্ত প্রতিটি সমস্যার সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী তো আমাদের মা ও বোনেরাই। সেজন্য এই মিশনের কেন্দ্রেও আমাদের মা, বোন ও কন্যারাই রয়েছেন। যে বাড়িগুলিতে নল বাহিত পরিশ্রুত পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছেছে, সেই বাড়িগুলিতে বসবাসকারী বোনেদের এখন অনেক সময় সাশ্রয় হচ্ছে। পরিবারের ছেলেমেয়েদের দূষিত জল থেকে যত ধরনের রোগ হ’ত – সেগুলিও হ্রাস পেয়েছে। বন্ধুগণ, জল জীবন মিশন একটি প্রকৃত গণতন্ত্রের উদাহরণ। পূজনীয় বাপু যে গ্রাম স্বরাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়নের পক্ষেও একটি উদাহরণ-স্বরূপ। আমার মনে পড়ে, যখন আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন কচ্ছ জেলায় মা ও বোনেদের জল সমস্যা সমাধানকল্পে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল। এই প্রয়োগ এতটাই সফল হয়েছিল যে, সেটি আন্তর্জাতিক স্তরে পুরস্কারও পেয়েছিল। আজ সেই প্রয়োগই আমাদের জল জীবন মিশনেরও অন্যতম প্রেরণা। জল জীবন মিশন অভিযান নিছকই একটি সরকারি প্রকল্প নয়, বরং এটি সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর মাধ্��মে, সেই গোষ্ঠীর জন্য সঞ্চালিত প্রকল্প। বন্ধুগণ, জল জীবন মিশনের সাফল্যের কারণ – এই অভিযানের ৪টি শক্তিশালী স্তম্ভ। প্রথমটি হ’ল – গণঅংশীদারিত্ব। দ্বিতীয়টি হ’ল – সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা, তৃতীয়টি হ’ল – রাজনৈতিক ইচ্ছা শক্তি এবং চতুর্থটি হ’ল – সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার। ভাই ও বোনেরা, জল জীবন মিশনে যেভাবে আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি, আমাদের গ্রামসভাগুলি, গ্রামের সাধারণ নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেছেন, যেভাবে তাঁদেরকেই অনেক দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল আর তাঁরা যেভাবে তা পালন করেছেন, সেটা অভূতপূর্ব সাফল্য এনে দিয়েছে। ‘হর ঘর জল’ বা নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য যত ধরনের কাজ রয়েছে, সেগুলি সংশ্লিষ্ট গ্রামের জনগণের সহযোগিতাতেই সম্পন্ন হয়েছে। গ্রামের মানুষরাই তাঁদের গ্রামে জল সুরক্ষার জন্য ভিলেজ অ্যাকশন প্ল্যান রচনা করেছেন। গ্রামবাসীর কাছ থেকে জলের মূল্য কতটা নেওয়া হবে, তাও গ্রামের মানুষই ঠিক করছেন। জলের গুণমান পরীক্ষা করার জন্য পরীক্ষাগারে নিয়ে যাওয়ার কাজের সঙ্গেও গ্রামের মানুষই জড়িত। ১০ লক্ষেরও বেশি মহিলাকে এই কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। গ্রামে গ্রামে ‘পানী সমিতি’ গঠন করা হয়েছে, সেগুলিতে মহিলাদের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ স্থান দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে এই অভিযানের কাজ যাতে দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হয়, সেদিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। জল জীবন মিশনের দ্বিতীয় স্তম্ভ হ’ল – সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা। রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি, সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও মন্ত্রকের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। এর ফলে, তৃণমূল স্তরে দ্রুত সাফল্য আসছে। বন্ধুগণ, জল জীবন মিশনের সাফল্যে তৃতীয় প্রধান স্তম্ভ হ’ল – রাজনৈতিক সদিচ্ছা। বিগত ৭০ বছরে যতটা সাফল্য পাওয়া গেছে, ৭ বছরেরও কম সময়ে তারচেয়ে কয়েকগুণ বেশি কাজ করতে হবে। কঠিন লক্ষ্য ঠিকই। কিন্তু, এটা এমন কঠিন লক্ষ্য নয়, যা ভারতের জনগণ দৃঢ়ভাবে সিদ্ধান্ত নিলে অর্জন করতে পারবেন না! কেন্দ্রীয় সরকার, বিভিন্ন রাজ্য সরকার, দেশের সমস্ত পঞ্চায়েত – সকলে এই অভিযানকে দ্রুতগতিতে সম্পূর্ণ করার জন্য আপ্রাণ পরিশ্রম করছেন। জল জীবন মিশন সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের উপর ততটাই জোর দিয়েছে। মনরেগার মতো প্রকল্পের মাধ্যমে যে কাজ হয়, তাও যাতে জল জীবন মিশনকে আরও দ্রুতগামী করে তোলে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। এই মিশনের মাধ্যমে যত কাজ হচ্ছে, সেগুলিতে একটি বৃহৎ সংখ্যক গ্রামীণ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও হচ্ছে। এই মিশনের সাফল্যের সঙ্গে আরেকটি লাভ হবে, যখন প্রতিটি বাড়িতে নল বাহিত জল পৌঁছতে শুরু করবে, স্যাচ্যুরেশনের পরিস্থিতি যখন আসবে, তখন কোনও রকম পক্ষপাতিত্ব, স্বজন-পোষণ ও বৈষম্যের সুযোগ থাকবে না। বন্ধুগণ, এই অভিযানের মাধ্যমে যে নতুন নতুন জলের উৎস গড়ে উঠছে, ট্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছে, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে, পাম্প হাউস তৈরি হচ্ছে – এইসব কিছুর জিও ট্যাগিং-ও হচ্ছে। যথেষ্ট পরিমাণ জলের যোগান ও উৎকর্ষের তদারকির জন্য আধুনিক প্রযুক্তি, যেমন – ইন্টারনেট অফ থিনগ সলিউশনস্‌ – এর ব্যবহারও শুরু হয়েছে। অর্থাৎ, জন শক্তি, নারী শক্তি এবং প্রযুক্তির শক্তি সম্মিলিতভাবে জল জীবন মিশনের শক্তি বাড়িয়ে তুলছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এক্ষেত্রে সমগ্র দেশবাসী যেভাবে পরিশ্রম করছেন, অতিদ্রুত আমরা দেশের প্রত্যেক বাড়িতে নল বাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য পূরণ করতে পারবো। আরেকবার গোয়াকে, গোয়া সরকারকে এবং গোয়ার নাগরিকদের এই শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে, আর এই বড় বড় সাফল্যগুলির জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক শুভ কামনা জানাই। আর দেশবাসীকেও আশ্বস্ত করতে চাই যে, তিন বছর আগে লালকেল্লার প্রাকার থেকে যে ঘোষণা করেছিলাম, যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, দেশের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে সঙ্গে নিয়ে সকল পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলির সাহায্যে আমরা সাফল্যের মুখ্য দেখতে শুরু করেছি। আমি আরেকবার কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে অনেক অনেক শুভ কামনা জানিয়ে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",গোৱাৰ পানাজীৰ হৰ ঘৰ জল উৎসৱত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভিডিঅ’ বাৰ্তাৰ অসমীয়া অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%9A-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%9A%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BE/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতার (ডি.এ.) এবংপেনশনারদের জন্য মহার্ঘ ত্রাণের (ডি.আর.) অতিরিক্ত কিস্তি বরাদ্দের অনুমোদনদিয়েছে| দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য ০১ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে কার্যকর হওয়া এই বরাদ্দবর্তমানের ৫% বেসিক পে/পেনশনের ওপর ২% বৃদ্ধি হিসেবে কার্যকর হবে| কেন্দ্রীয় সরকারের প্রায় ৪৮.৪১ লক্ষ কর্মচারী এবং ৬১.১৭ লক্ষপেনশনার এর ফলে উপকৃত হবেন| এর ফলে কোষাগারে যে সম্মিলিত প্রভাব পড়বে, তাতে দেখা যাচ্ছেডি.এ. এবং ডি.আর.-এর জন্য প্রতি বছর ৬০৭৭.৭২ কোটি টাকা বাড়তি লাগবে এবং অর্থবর্ষ২০১৮-১৯ এর জন্য (জানুয়ারি ২০১৮ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ এই ১৪ মাসের জন্য) এক্ষেত্রেব্যয় হবে ৭০৯০.৬৮ কোটি টাকা| সপ্তমবেতন কমিশনের প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে যে ফর্মুলা গৃহীত হয়েছে, সে অনুযায়ীই এইবৃদ্ধি|",কেন্দ্ৰীয় চৰকাৰৰ কৰ্মাচাৰীৰ মহাৰ্ঘ ভাট্টা ২ শতাংশ বৃদ্ধিৰ বাবে কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A6%AD%E0%A6%BF-%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%9B%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A6%AD%E0%A6%BF-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A7%AB%E0%A7%A9%E0%A7%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%B9/,"নয়াদিল্লী, ০১ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পিএসএলভি সি৫৩-র মাধ্যমে মহাকাশে দুটি ভারতীয় স্টার্টআপ সংস্থার পেলোড সফলভাবে উৎক্ষেপন করায় ইন-স্পেস এবং ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “মহাকাশে ভারতীয় স্টার্টআপ সংস্থার দুটি পেলোড উৎক্ষেপনের মাধ্যমে পিএসএলভি সি৫৩ মিশন একটি নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। তাদের এই সাফল্যের জন্য আমি @",পিএছএলভি চি৫৩ৰ দ্বাৰা মহাকাশত ভাৰতীয় ষ্টাৰ্ট-আপৰ দুটা পেলোড সফলতাৰে উৎক্ষেপণ কৰাৰ বাবে ইন-স্পেচ আৰু ইছৰোক অভিনন্দন জনাইছে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8B/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%83%E0%A6%97/,"প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিচারকদের জন্যপরিকাঠামো উন্নয়নের কেন্দ্রীয় সহায়তাপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলি, দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকীযোজনার সময়কালের পরেও অর্থাৎ, ১.৪.২০১৭ থেকে ৩১.৩.২০২০ পর্যন্ত রূপায়ণ অব্যাহতরাখার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। বিচার প্রদান ও আইনগত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় মিশনেরমাধ্যমে মিশন-এর ধাঁচে এই প্রকল্পটি রূপায়ণ করা হবে। এর জন্য ৩৩২০ কোটি টাকাআনুমানিক বরাদ্দ ধরা হয়েছে। মন্ত্রিসভা বিচারবিভাগের সঙ্গে অনল��ইন নজরদারিব্যবস্থা গড়ে তোলারও এক সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। এর ফলে, আদালতের হলঘর এবংনির্মীয়মান আবাসস্থল গড়ে তোলার কাজের অগ্রগতি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করার সুবিধা হবে।এছাড়া, ভবিষ্যতে সারা দেশ জুড়ে এই ধরনের প্রকল্প রূপায়ণ বিষয়েও তথ্য এর মাধ্যমেসংগ্রহ করা সম্ভব হবে। প্রকল্পের সুবিধা : এই প্রকল্প রূপায়ণের ফলে সারা দেশের বিভিন্নহাইকোর্টের বিচারপতি/জেলা এবং নিম্ন আদালতের বিচারকদের জন্য উপযুক্ত সংখ্যায়আদালতের হলঘর এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। জেলা ছাড়াও, মহকুমা, তালুক,তহশিল, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যাবে। এর ফলে,সারা দেশে বিচারকদের কাজকর্মের উন্নয়ন সম্ভব হবে এবং প্রত্যেক নাগরিকের জন্যসুবিচারের ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাবে। আর্থিক সহায়তা : রাজ্য সরকারগুলি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেরপ্রশাসনকে আদালতের হলঘর এবং নিম্ন আদালতগুলির বিচারকদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থাসংক্রান্ত পরিকাঠামো উন্নয়নের কেন্দ্রীয় সহায়তাপ্রাপ্ত কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় সরকারআর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। এই কর্মসূচিতে উত্তর-পূর্ব এবং হিমালয় সংলগ্ন রাজ্যগুলিবাদে অন্যান্য রাজ্যের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ৬০ : ৪০ অনুপাতে ব্যয় ভাগাভাগি করা হবে। উত্তর-পূর্বএবং হিমালয় সংলগ্ন রাজ্যগুলির জন্য এই অনুপাত হবে ৯০ : ১০ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্যকেন্দ্রীয় সরকার ১০০ শতাংশ ব্যয় বহন করবে। এই প্রকল্প রূপায়ণের ফলে সারা দেশেরজেলা এবং নিম্ন আদালতগুলিতে বিচারকদের জন্য ৩০০০ আদালত হল এবং ১,৮০০ বাসস্থাননির্মাণের কাজটি সম্পূর্ণ করা সম্ভব হবে। প্রকল্পের ওপর নজরদারি : বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে অনলাইনে প্রকল্পের ওপরনজরদারি, কাজের অগ্রগতি এবং দেখভাল সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য একটি ব্যবস্থাগড়ে তোলা হবে। নজরদারি সংক্রান্ত কমিটি বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পূর্তবিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে দ্রুত কর্মসম্পাদন এবং যথাযথভাবে নির্মাণের কাজ করারজন্য নিয়মিত বৈঠক করবে। এছাড়া, কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া অর্থ রাজ্য সরকারগুলি যাতেপূর্ত বিভাগকে অবিলম্বে প্রদান করে, সে বিষয়েও নজরদারি চালানো হবে। পটভূমিকা : ১৯৯৩-৯৪ বর্ষ থেকে বিচারকদের জন্য পরিকাঠামোগতসুবিধা গড়ে তোলার কেন্দ্রীয় সহায়তাপ্রাপ্ত এই প্রকল্পটি রূপায়ণ করা হচ্ছে। এর জন্যকেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকারগুলিকে আরও বেশি করে সহায়সম্পদ দিয়ে সাহায্য করবে।জেলা এবং নিম্ন আদালতগুলির বিচারবিভাগীয় আধিকারিক এবং বিচারকদের জন্য আদালত, হলঘরএবং বাসস্থানের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে পরিচালিত প্রকল্পের আওতায় রাজ্য সরকার এবংকেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসনকে কেন্দ্রীয় সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। /",ন্যায়পালিকাৰ বাবে আন্তঃগাঁথনিৰ ব্যাপক উন্নয়ন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%A4-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%A4/,"নয়াদিল্লি, ১৩ আগস্ট, ২০২১ নমস্কার! আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী শ্রী নীতিন গড়করিজি, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় রুপানিজি, অটো ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ, সমস্ত ও.ই.এম. অ্যাসোসিয়েশন, মেটাল এবং স্ক্র্যাপিং ইন্ডাস্ট্রির সমস্ত সদস্যগণ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ! ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের আগে আজকের এই কর্মসূচি, আত্মনির্ভর ভারতের বড় লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করার দিশায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আজ দেশ ন্যাশনাল অটোমোবাইল স্ক্র্যাপেজ পলিসি চালু করছে। এই নীতি নতুন ভারতের মোবিলিটির অটো সেক্টরকে নতুন পরিচয় প্রদানকারী। দেশে ভেহিকেল পপুলেশনের আধুনিকীকরণকে আনফিট ভেহিকেলগুলির একটি বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় সড়ক থেকে সরানোর ক্ষেত্রে এই নীতি খুব বড় ভূমিকা পালন করবে। দেশের প্রায় প্রত্যেক নাগরিক, প্রত্যেক শিল্পোদ্যোগ, প্রত্যেক ক্ষেত্রে এর ফলে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। বন্ধুগণ, আপনারা সবাই জানেন যে দেশের অর্থনীতির জন্য মোবিলিটি কত বড় ফ্যাক্টর। মোবিলিটিতে আধুনিকতা আসায় ট্র্যাভেল এবং ট্রান্সপোর্টেশনের বোঝা যেমন হ্রাস পেয়েছে, তেমনই অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও সহায়ক রূপে প্রমাণিত হয়েছে। একবিংশ শতাব্দীর ভারত নির্মল, যানজটহীন এবং কনভেনিয়েন্ট মোবিলিটির লক্ষ্য নিয়ে এগোবে; এটাই আজ সময়ের চাহিদা আর সেজন্য সরকার আজকের এই পদক্ষেপ নিয়েছে, আর এতে শিল্প জগতের, আপনাদের মতো সমস্ত মহারথীদের, সংশ্লিষ্ট সকলের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। বন্ধুগণ, নতুন স্ক্র্যাপিং নীতিতে বর্জ্য থেকে সম্পদ–এর অভিযান ‘সার্কুলার ইকনমি’র একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। এই নীতি দেশের শহরগুলি থেকে দূষণ কম করা আর পরি��েশ সুরক্ষার পাশাপাশি আমাদের দ্রুত উন্নয়নের দায়বদ্ধতাকেও তুলে ধরছে। রিইউজ, রিসাইকেল এবং রিকভারি–র সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে এই নীতি অটো সেক্টরে এবং মেটাল সেক্টরে দেশের আত্মনির্ভরতাকে নতুন প্রাণশক্তি যোগাবে। শুধু তাই নয়, এই নীতি দেশে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি নতুন বিনিয়োগ আনবে আর হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। বন্ধুগণ, আজ আমরা যে প্রোগ্রাম চালু করেছি এর সময়টাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা স্বাধীনতার ৭৫তম বছরে প্রবেশ করতে চলেছি। এখান থেকে দেশের জন্য আগামী ২৫ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ২৫ বছরে আমাদের কর্মসংস্কৃতি, আমাদের দৈনন্দিন জীবন, আমাদের ব্যবসা–বাণিজ্যে অনেক অনেক পরিবর্তন আসতে চলেছে, আসবেই। যেভাবে প্রযুক্তি বদলাচ্ছে, আমাদের জীবনশৈলী থেকে শুরু করে আমাদের অর্থনীতি – উভয় ক্ষেত্রেই অনেক পরিবর্তন আসবে। এই পরিবর্তনের মাঝে আমাদের পরিবেশ, আমাদের মাটি, আমাদের সম্পদ, আমাদের কাঁচামাল – এসব কিছুর রক্ষাও ততটাই প্রয়োজনীয়। প্রযুক্তি সঞ্চালনকারী রেয়ার আর্থ মেটালস যা এখনই দুর্লভ। কিন্তু যে মেটাল আজ পাওয়া যাচ্ছে তাও কবে দুর্লভ হয়ে পড়বে তা বলা মুশকিল। ভবিষ্যতে আমরা প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করতে পারি। কিন্তু পৃথিবী মায়ের কাছ থেকে যেসব সম্পদ পাওয়া যায় তা আমাদের হাতে নেই। সেজন্য আজ একদিকে যেমন ভারত গভীর সমুদ্র অভিযানের মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনাগুলির খোঁজ করছে, অন্যদিকে সার্কুলার ইকনমিকেও উৎসাহ যোগাচ্ছে। আমাদের উন্নয়নকে কিভাবে দীর্ঘস্থায়ী করা যায়, পরিবেশ–বান্ধব করা যায় সে চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিবেশ পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলি আমরা প্রতিদিনই অনুভব করছি। সেজন্য ভারতকে নিজের ভালোর জন্য, নিজের নাগরিকদের ভালোর জন্য বড় পদক্ষেপ নিতেই হবে। এই ভাবনা নিয়েই বিগত বছরগুলিতে শক্তি–উৎপাদন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব কাজ হয়েছে। সৌর এবং বায়ুশক্তি থেকে শুরু করে জৈব জ্বালানি উৎপাদন ক্ষেত্রে আজ ভারত বিশ্বের অগ্রণী দেশগুলির অন্যতম। বর্জ্য থেকে সম্পদ আহরণের একটি অনেক বড় অভিযান আমাদের দেশে চলছে। এই অভিযানকে পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে আর আত্মনির্ভরতার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। আজকাল তো আমরা সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রেও বর্জ্যকে বড় মাত্রায় ব্যবহার করছি। সরকারি ভবন নির্মাণ, গরীবদের জন্য গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রেও আমরা রিসাইক্লিং–কে উৎসাহ যোগাচ্ছি। বন্ধুগণ, এমনই অনেক প্রচেষ্টার মধ্যে আজ অটোমোবাইল ক্ষেত্রেরও নাম যুক্ত হল। এই নীতি থেকে সাধারণ পরিবারগুলির সব ধরনের বহুবিধ লাভ হবে। সবচাইতে আগে যে লাভ হবে তা হল পুরনো গাড়ি স্ক্র্যাপ করলে একটি শংসাপত্র পাওয়া যাবে। এই শংসাপত্র যাঁর কাছে থাকবে তাঁকে নতুন গাড়ি কিনলে রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোনও টাকা দিতে হবে না। পাশাপাশি তিনি রোড ট্যাক্সের ক্ষেত্রেও কিছু ছাড় পাবেন। দ্বিতীয় লাভ এটা হবে, পুরনো গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ, মেরামতির খরচ, জ্বালানির দক্ষতা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও অনেক সাশ্রয় হবে। তৃতীয় লাভ সরাসরি আমাদের জীবনের সঙ্গে যুক্ত। পুরনো গাড়িগুলিতে পুরনো প্রযুক্তি থাকার ফলে পথ দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। চতুর্থত, এর মাধ্যমে পরিবেশ দূষণের ফলে আমাদের স্বাস্থ্যে যে প্রভাব পড়ে তাও হ্রাস পাবে। আর সবচাইতে বড় কথা হল, এই নীতির মাধ্যমে শুধুই গাড়ির বয়স দেখে স্ক্র্যাপ করা হবে না। স্ক্র্যাপ করার আগে প্রতিটি গাড়ির বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অথরাইজড অটোমেটেড টেস্টিং সেন্টারে ফিটনেস টেস্ট হবে। সেখানে যদি গাড়িটিকে আনফিট পাওয়া যায় তবেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে স্ক্র্যাপ করা হবে। সেজন্য সারা দেশে যে রেজিস্ট্রার্ড ভেহিকেল স্ক্র্যাপিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে তা হবে প্রযুক্তিচালিত ও স্বচ্ছ লেনদেনের সুবিধা সম্পন্ন। বন্ধুগণ, ফর্ম্যাল স্ক্র্যাপিং থেকে কী লাভ হয় তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা গুজরাটের রয়েছে। একটু আগেই নীতিনজি সে কথা বর্ণনা করছিলেন। গুজরাটের অলং এলাকাটি শিপ রিসাইক্লিং হাব রূপে পরিচিত। এই অলং বিশ্বের শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের অংশীদারিত্ব দ্রুতগতিতে বাড়াচ্ছে। শিপ রিসাইক্লিং–এর এই পরিকাঠামো এখানে কর্মসংস্থানের হাজার হাজার সুযোগ গড়ে তুলেছে। এই গোটা এলাকায় স্ক্র্যাপিং এর উপযুক্ত পরিকাঠামোও রয়েছে আবার দক্ষ মানবসম্পদও রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে জাহাজের পর এবার গাড়ি স্ক্র্যাপিং–এর ক্ষেত্রেও এই এলাকা অনেক বড় হাব হয়ে উঠতে পারে। বন্ধুগণ, এই স্ক্র্যাপিং নীতি থেকে গোটা দেশে স্ক্র্যাপ সংক্রান্ত ক্ষেত্রটি নতুন প্রাণশক্তি পাবে। নতুন নিরাপত্তা পাবে। বিশেষ করে, স্ক্র্যাপিং–এর সঙ্গে জড়িত আমাদের যে শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা রয়েছেন তাঁদের জীবনে অনেক বড় পরিবর্তন আসবে। এর ফলে শ্রমিকরা নিরাপদ পরিবেশ পাবেন, সংগঠিত ক্ষেত্রের অন্যান্য কর্মচারীদের মতো সমস্ত সুযোগ–সুবিধাও পাবেন। শুধু তাই নয়, স্ক্র্যাপের কাজ করা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অথরাইজড স্ক্র্যাপিং সেন্টারগুলির জন্য কালেকশন এজেন্টের কাজও করতে পারবেন। বন্ধুগণ, এই প্রোগ্রাম থেকে অটো এবং মেটাল ইন্ডাস্ট্রির অনেক বেশি লাভ হবে। গত বছরই আমাদের প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকার স্ক্র্যাপ স্টিল আমদানি করতে হয়েছিল, কারণ ভারতে এখন পর্যন্ত যত স্ক্র্যাপিং হয় তা প্রোডাক্টিভ নয়। এথেকে এনার্জি রিকভারি অত্যন্ত নগণ্য। হাই স্ট্রেংথ স্টিল অ্যালয়ের সম্পূর্ণ মূল্য পাওয়া যায় না আর যে দামি ধাতু রয়েছে সেগুলির রিকভারিও হয় না। এখন যখন একটি বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি–নির্ভর স্ক্র্যাপিং চালু হবে তখন আমরা সেই বিরল আর্থ মেটালগুলিকে রিকভার করতে পারব। বন্ধুগণ, আত্মনির্ভর ভারতকে গতি প্রদান করতে, ভারতে ইন্ডাস্ট্রিকে সাসটেনেবল এবং প্রোডাক্টিভ করে তুলতে নিরন্তর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আমরা পূর্ণ রূপে চেষ্টা করছি যাতে অটো ম্যানুফ্যাকচারিং–এর সঙ্গে যুক্ত ভ্যালু চেন–এর জন্য যতটা সম্ভব ততটাই কম যেন আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু এতে শিল্পোদ্যোগগুলিকেও সামান্য অতিরিক্ত উদ্যোগ নিতে হবে। আগামী ২৫ বছরের জন্য আপনাদের কাছেও আত্মনির্ভর ভারতের একটা স্পষ্ট রোডম্যাপ থাকা প্রয়োজন। দেশ এখন নির্মল, যানজট মুক্ত এবং কনভেনিয়েন্ট মোবিলিটির দিকে এগিয়ে চলেছে। সেজন্য পুরনো দৃষ্টিকোণ আর পুরনো প্র্যাক্টিসগুলিও বদলাতে হবে। আজ ভারত নিরাপত্তা এবং উৎকর্ষের হিসেবে দেশের নাগরিকদের আন্তর্জাতিক মান প্রদানের ক্ষেত্রে দায়বদ্ধ। বিএস–৪ থেকে বিএস–৬–এর দিকে সরাসরি ট্র্যানজিশনের পেছনে এই ভাবনাই কাজ করছে। বন্ধুগণ, দেশে গ্রিন এবং ক্লিন মোবিলিটির জন্য সরকার গবেষণা থেকে শুরু করে পরিকাঠামো পর্যন্ত প্রত্যেক স্তরে ব্যাপক কাজ করছে। ইথানল থেকে শুরু করে হাইড্রোজেন ফুয়েল কিংবা ইলেক্ট্রিক মোবিলিটি, সরকারের এই অগ্রাধিকারগুলির সঙ্গে শিল্পোদ্যোগগুলির সক্রিয় অংশীদারিত্ব অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। গবেষণা ও উন্নয়ন থেকে শুরু করে পরিকাঠামো পর্যন্ত শিল্প জগতকে তাদের অংশীদারিত্ব বাড়াতে হবে। সেজন্য আপনারা যে রকম সাহায্য চান সরকার তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। এখান থেকে আমাদের নিজেদের অংশীদারিত্বের নতুন মাত্রায় পৌঁছতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই নতুন প্রোগ্রাম দেশবাসীকেও অটো সেক্টরে একটি নতুন প্রাণশক্তিতে পরিপূর্ণ করে তুলবে, নতুন গতি আনবে আর নতুন আস্থাও সঞ্চারিত হবে। আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ সুযোগকে আমার মনে হয় না শিল্প জগৎ হাতছাড়া হতে দেবে। আমি মনে করি না যে পুরনো গাড়িগুলিকে যাঁরা বহন করে চলেছেন, তাঁরা এই সুযোগকে হাতছাড়া করবেন। এটা নিজেই একটা বড় পরিবর্তনের সপক্ষে আস্থা উদ্রেগকারী ব্যবস্থা। আজ গুজরাটে এই কর্মসূচিকে উদ্বোধন করা হল। নতুন নীতি চালু করা হল, আর শুধু গুজরাটে কেন, আমাদের দেশেই সার্কুলার ইকনমি শব্দটি হয়তো এখন নতুন এসেছে! কিন্তু আমরা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, বাড়িতে জামা–কাপড় পুরনো হলে দিদা–ঠাকুমারা সেগুলি সেলাই করে কাঁথা বানিয়ে ফেলতেন। তারপর একদিন সেই কাঁথাও পুরনো হয়ে যেত। তখন সেগুলি ছিঁড়ে ঘর মোছা হিসেবে ব্যবহার করতেন। রিসাইক্লিং নতুন কী বলছে? সার্কুলার ইকনমিই বা নতুন কী বলছে? এই পুনর্ব্যবহার ভারতের জীবনে নতুন কিছু নয়। আমাদেরকে এখন শুধু বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এগিয়ে নিয়ে গেলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আবর্জনা থেকে সম্পদ উৎপাদনের এই অভিযানে প্রত্যেকেই শরিক হবেন আর আমরাও নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করার লক্ষ্যে সফল হব। আমি আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ। ugust, 2021…",গুজৰাটত ইনভেষ্টৰ ছামিটত দিয়া প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%86%E0%A6%87-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লি, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ নমস্কার! দেশের আইটিআই-গুলির ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলাপচারিতার এক সুযোগ আজ আমার সামনে উপস্থিত। দক্ষতা উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমাজ, শিক্ষা জগতের অন্যান্য বিশিষ্টজন এবং ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ! আমাদের দেশে একুশ শতকের উপযোগী এক নতুন ইতিহাস আজ রচিত হয়েছে। এই প্রথম আয়োজিত হয়েছে আইটিআই-গুলির ৯ লক্ষেরও বেশি ছাত্রছাত্রীদের ‘কৌশল দীক্ষান্ত সমারোহ’ । ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে ৪০ লক্ষেরও বেশি ছাত্রছাত্রী আজ এই অনুষ্ঠানে আমাদের সঙ্গে উপস্থিত। ‘কৌশল দীক্ষান্ত সমারোহ’-এর সাফল্য আমি কামনা করি। এটি এক শুভ উপলক্ষ বিশেষ। আজ আবার দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার জন্মবার্ষিকীও বটে। এ হল এক আশ্চর্যজনক সমাপতন যখন ‘কৌশল দীক্ষান্ত সমারোহ’-এর মধ্য দিয়ে আপনারা দক্ষতার সঙ্গে উদ্ভাবনের পথে প্রথম পদক্ষেপ রাখতে চলেছেন। আমি দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গেই বলতে পারি যে ভবিষ্যতের পথে আপনাদের যাত্রা সৃজনধর্মী হয়ে উঠতে চলেছে। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা জয়ন্তী উপলক্ষে আপনাদের এবং সকল দেশবাসীকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। বন্ধুগণ, বিশ্বকর্মা জয়ন্তী হল দক্ষতা বিকাশের উৎসব। একজন ভাস্কর নির্মিত মূর্তিকে আমরা কখনই ঈশ্বর বলতে পারি না যতক্ষণ না তার মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা ঘটে। গর্বের বিষয়, বিশ্বকর্মা জয়ন্তী উপলক্ষে আপনাদের দক্ষতাকে আজ সম্মান জানানোর পাশাপাশি স্বীকৃতিও দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বকর্মা জয়ন্তী হল প্রকৃত অর্থে উদ্যমী ও কঠোর পরিশ্রমী ব্যক্তিকে সম্মান জানানোর দিন। বিশ্বকর্মার মধ্য দিয়েই তাঁর আবির্ভাব ঘটে। এর অর্থ হল, আপনাদের দক্ষতার মধ্যেই নিহিত রয়েছে ঈশ্বরের অংশবিশেষ। তাই, আজকের এই অনুষ্ঠানটিকে আমি দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার উদ্দেশ্যে আবেগঘন শ্রদ্ধা নিবেদনের এক উপলক্ষে বলেই মনে করি। ‘কৌশলাঞ্জলি’ বা ‘কর্মাঞ্জলি’ – যে নামেই আমরা অভিহিত করি না কেন, বিশ্বকর্মার জন্মবার্ষিকীর দিনটিকে এত চমৎকারভাবে উদযাপনের সুযোগ বোধহয় খুব কমই পাওয়া যায়। বন্ধুগণ, গত আট বছরে ভগবান বিশ্বকর্মার অনুপ্রেরণায় দেশে বহু নতুন নতুন কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। ‘শ্রমেব জয়তে’ ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা এখন অব্যাহত। দক্ষতা বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপের মাধ্যমে দেশ এখন দক্ষতাকে আরও একবার সম্মান জানাতে শিখেছে। এই শতকটিকে ‘ভারতের শতক’ রূপে চিহ্নিত করতে ভারতের ছাত্রছাত্রীদের এখন থেকেই শিক্ষার্জনের পাশাপাশি সুদক্ষও হয়ে ওঠা প্রয়োজন। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে দেশের সরকার তরুণ ও যুবকদের দক্ষতা বিকাশের বিষয়টিকে এক বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে। এই লক্ষ্যে গড়ে তোলা হচ্ছে বহু নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান। ভারতে প্রথম আইটিআই স্থাপিত হয় ১৯৫০ সালে। পরবর্তী সাতটি দশকে আইটিআই-এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় মোট ১০ হাজার। কিন্তু আমাদের সরকারের বিগত মাত্র আট বছরে সারা দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৫ হাজারটি নতুন আইটিআই। এই সময়কালে দেশের বিভিন্ন আইটিআই প্রতিষ্ঠানগুলিতে নতুন আসন সংখ্যা যোগ করা হয়েছে ৪ লক্ষেরও বেশ��। এছাড়াও, জাতীয় দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, ভারতীয় দক্ষতা প্রতিষ্ঠান এবং হাজার হাজার দক্ষতা বিকাশ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। বিদ্যালয় পর্যায়ে দক্ষতা বিকাশের জন্য ৫ হাজারেরও বেশি দক্ষতা বিকাশ কেন্দ্র স্থাপিত হতে চলেছে আর কয়েক বছরের মধ্যেই। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে বিশেষ জোর দেওয়া হবে অভিজ্ঞতা-ভিত্তিক শিক্ষা ও পঠনপাঠনের ওপর। দেশের বিদ্যালয়গুলিতে দক্ষতা বিকাশের লক্ষ্যে বিশেষ শিক্ষাসূচিও চালু করা হচ্ছে। আইটিআই-গুলির ছাত্রছাত্রীদের জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহণ করতে চলেছে। এর ফলে উপকৃত হবে সকল ছাত্রছাত্রীই। দশম মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী আইটিআই-গুলিতে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরা পরবর্তীকালে খুব সহজেই জাতীয় মুক্ত বিদ্যালয় থেকে দ্বাদশ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার শংসাপত্রও লাভ করতে পারবেন। এর ফলে পরবর্তী পর্যায়ে পঠনপাঠন চালিয়ে যাওয়ার বিশেষ সুবিধা হবে সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের। আইটিআই-গুলি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা দেশের সেনাবাহিনীতে নিয়োগেরও বিশেষ সুযোগ লাভ করবেন। এই কারণে আইটিআই-গুলির স্নাতকদের জন্য সেনাবাহিনীতে যোগদানের সুযোগ এখন উন্মুক্ত। বন্ধুগণ, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলির (আইটিআই) একটি বড় ভূমিকা রয়েছে ভারতের সাফল্যকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে। মনে রাখতে হবে যে যুগ ও সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে কাজের ধরন-ধারণও। এই কারণে সরকার বিশেষভাবে নজর দিয়েছে যাতে আইটিআই-এ পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের সামনে প্রতিটি আধুনিক পাঠক্রমের সুযোগ উন্মুক্ত থাকে। বর্তমানে কোডিং, কৃত্রিম মেধা, রোবোটিক্স, থ্রি-ডি প্রিন্টিং, ড্রোন প্রযুক্তি, টেলি-মেডিসিন সহ বিভিন্ন কোর্স চালু করা হয়েছে দেশের আইটিআই-গুলিতে। পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি, সৌরশক্তি এবং বিদ্যুৎচালিত যানের ক্ষেত্রে ভারত বর্তমানে এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এই ধরনের পাঠক্রম দেশের বিভিন্ন আইটিআই প্রতিষ্ঠানগুলিতে চালু হওয়ার ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ আপনাদের সামনে আরও প্রসারিত হবে বলে আমার বিশ্বাস। বন্ধুগণ, দেশে প্রযুক্তির প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগও ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে। দেশ যখন প্রতিটি গ্রামকে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে যুক্ত করে লক্ষ লক্ষ সাধারণ পরিষেবা কেন্দ্র ���্থাপন করছে, তখন আইটিআই-গুলি থেকে পাশ করা গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের সামনে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও উন্মুক্ত হচ্ছে। মোবাইল ফোন সারানো থেকে শুরু করে নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি, ড্রোনের সাহায্যে সার অথবা কীটনাশক ছড়ানো এবং আরও নতুন নতুন কর্মসংস্থান বর্তমানে গ্রামীণ অর্থনীতির এক বিশেষ অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এই ক্ষেত্রগুলিতে আইটিআই-গুলির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এই সমস্ত সম্ভাবনার সুফল লাভ করতে পারে আইটিআই থেকে উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা। এই প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে সরকার বর্তমানে আইটিআই-গুলির মানোন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। বন্ধুগণ, দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি ‘সফট স্কিল’-এর সঙ্গে সড়গড় হয়ে উঠতে হবে আজকের তরুণ ও যুব সমাজকে। দেশের আইটিআই-গুলিতে এর ওপরও বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। কিভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিকল্পনা করা সম্ভব বা ব্যাঙ্ক থেকে কিভাবে ঋণের সুযোগ গ্রহণ করা যেতে পারে, আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করার পন্থাপদ্ধতিই বা কি, কিভাবে একটি নতুন কোম্পানি বা সংস্থাকে নথিভুক্ত করা হবে – এ সম্পর্কিত বিভিন্ন কোর্সও আইটিআই-গুলিতে চালু হয়েছে। সরকার গৃহীত এই বিশেষ পদক্ষেপের ফলশ্রুতিতে গুণগত মান ও বৈচিত্র্যের দিক থেকে ভারতে দক্ষতার বিষয়টি বর্তমানে এক অন্য মাত্রা লাভ করেছে। গত কয়েক বছরে আইটিআই থেকে উত্তীর্ণ আমাদের ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ব দক্ষতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে অনেক ভালো ভালো পুরস্কারও অর্জন করতে পেরেছেন। বন্ধুগণ, দক্ষতা বিকাশের আরও একটি বিশেষ দিকও রয়েছে যে সম্পর্কে আলোচনা এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। যখন কোনও তরুণ বা যুবক শিক্ষা ও দক্ষতা – দু’দিক থেকেই পারদর্শী হয়ে ওঠেন, তখন তাঁর আত্মবিশ্বাস স্বতঃস্ফূর্তভাবেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে যখন তাঁর ক্ষমতায়ন ঘটে, তখন তাঁর মনে প্রথমেই যে ভাবনাটি আসে তা হল – নিজের একটি উদ্যোগ কিভাবে শুরু করা যেতে পারে। স্বনির্ভর কর্মসংস্থানের এই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে ‘মুদ্রা যোজনা’, ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’ এবং ‘স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া’র মতো কয়েকটি বিশেষ কর্মসূচিও এখন চালু হয়েছে। এই কর্মসূচিগুলির আওতায় কোনরকম গ্যারান্টি ছাড়াই উদ্যোগ স্থাপনের জন্য ঋণ পাওয়া অনেক সহজ হয়ে উঠেছে। দেশ আজ আপনাদের হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আগামীদিনে কিন্তু আপনারাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। মনে রাখতে হবে যে আগামী ২৫ বছর আপনাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়কাল, ঠিক যেমনভাবে ২৫ বছরব্যাপী ‘অমৃতকাল’ গুরুত্বপূর্ণ আমাদের দেশের পক্ষে। আপনারা সকলেই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিটি এগিয়ে নিয়ে যেতে নেতৃত্ব দিতে পারেন। ভারতীয় শিল্পের আপনারাই হয়ে উঠতে পারেন মেরুদণ্ড। তাই, এক উন্নত ভারত তথা এক স্বনির্ভর ভারত গঠনের সঙ্কল্পকে সফল ও সার্থক করে তুলতে আপনাদের এক অনন্য ভূমিকা পালন করতে হবে। বন্ধুগণ, বিশ্বের বহু দেশেই তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার কাজে দক্ষ শ্রমশক্তির প্রয়োজন। সুতরাং, দেশের পাশাপাশি বিদেশেও আপনাদের জন্য অনেক ভালো ভালো কাজের সুযোগ রয়েছে। পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে বিশ্বের বহু দেশই এখন ভারতের ওপর আস্থা স্থাপন করেছে এবং তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। করোনা সঙ্কটকালেও ভারত প্রমাণ করেছে তার যুবশক্তি তথা দক্ষ শ্রমশক্তি বড় বড় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে কতটা শক্তিধর হয়ে উঠতে পারে। আজ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই খুঁজে পাওয়া যাবে ভারতের যুবক ও তরুণ-তরুণীদের। কারণ, অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধানের পথ বাতলে দিতে তাঁরা যথেষ্ট দক্ষ। স্বাস্থ্য পরিষেবা, হোটেল ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল সমাধান, বিপর্যয় মোকাবিলা – সবক’টি ক্ষেত্রেই ভারতীয় যুবশক্তি আজ যথেষ্ট দক্ষ ও পারদর্শী। বিদেশ সফরকালে বিশ্বের বহু বড় বড় নেতাই আমাকে জানিয়েছেন যে তাঁদের দেশে কোনও একটি ভবন কিংবা কোনও একটি বিশেষ প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছে শুধুমাত্র ভারতীয় যুব ও শ্রমশক্তির সাহায্যে। তাই, তাঁদের এই আস্থা ও বিশ্বাসের পূর্ণ সুযোগ আপনাদের গ্রহণ করতে হবে। বন্ধুগণ, আজ আমি আপনাদের কাছে আরও একটি বিষয়ে আবেদন জানাতে চাই। যে শিক্ষা আজ আপনারা লাভ করেছেন তা আপনাদের ভবিষ্যতের পাথেয় হয়ে থাকবে। কিন্তু, ভবিষ্যতের উপযোগী দক্ষতা সম্পর্কেও আপনাদের সজাগ ও ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। তাই, দক্ষতার প্রশ্নে আপনাদের মন্ত্রই হবে – ‘দক্ষতা অর্জন, আরও বেশি মাত্রায় দক্ষতা অর্জন এবং দক্ষতার মানোন্নয়ন।’ মনে রাখতে হবে যে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিস্থিতির অদলবদল হচ্ছে। সুতরাং, আপনাদের দক্ষতাকে বাড়িয়ে তুলতে এবং উদ্ভাবন প্রচেষ্টাকে যুগোপযোগী করে তুলতে আপনাদের তৎপর হতে হবে। কোন বিশেষ ক্ষেত্রে নতুন দক্ষতা অর্জন করতে পারলে আপনাদের পারদর্শিতা বৃদ্ধি পাবে বহুগুণে, সে বিষয়েও আপনাদের জ্ঞান আহরণ করতে হবে। তাই, নতুন নতুন দক্ষতা অর্জনের জন্য আপনারা প্রস্তুত থাকুন। আপনাদের শিক্ষা ও জ্ঞানকে সকলের মধ্যে ভাগ করে নিন। এইভাবে যদি আপনারা আরও এগিয়ে যেতে পারেন, তাহলে আমার বিশ্বাস যে ভবিষ্যতে এক নতুন ভারত গড়ে তুলতে আপনারাই আমাদের পথ প্রদর্শক হবেন। বন্ধুগণ, এই প্রসঙ্গে আরও একটি কথা আমি বলতে চাই। আপনারা কখনই নিজেদের ছোট করে দেখবেন না। মনে রাখবেন, আপনাদের দক্ষতা, আপনাদের সক্ষমতা, নিষ্ঠা ও সঙ্কল্পই হল ভবিষ্যৎ ভারত গঠনের বৃহত্তম সম্পদ। তাই, আপনাদের মতো তরুণ ও যুবকদের সঙ্গে এখানে এইভাবে মিলিত হওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি বিশেষ গর্ব অনুভব করছি। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আশীর্বাদধন্য হয়ে উঠুন আপনারা – এই কামনা জানাই। আপনাদের দক্ষতা নিরন্তরভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকুক, এই শুভেচ্ছাও রইল আমার পক্ষ থেকে। অনেক ধন্যবাদ! প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে",বিশ্বকৰ্মা জয়ন্তী উপলক্ষে আই টি আইৰ কৌশল দীক্ষান্ত সমাৰোহত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ লিখিত ৰূ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%A8/,"কেরলের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ঐ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলে ঐ রাজ্যের বিভিন্ন অংশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছেন তিনি। বন্যা প্রভাবিত সকলকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের আশ্বাসও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে কেরলের মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবেন।",কেৰালাৰ বানপৰিস্থিতিৰ সন্দৰ্ভত মুখ্যমন্ত্ৰীৰ সৈতে বাৰ্তালাপ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ; সাম্ভাব্য সকলো ধৰণৰ সহায়ৰ আশ্বাস +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AA-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A6%A4-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AA/,"ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাইনের আরও চারটি নতুন শাখা অমরাবতী, ভোপাল, জোরহাট ও কুরুক্ষেত্রতে খুলতে ২০১৪ সালের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাইন আইনে সংশোধনী আনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্মতি জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে আজ (১২ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থির হয়েছে চারটি নতুন ডিজাইন প্রতিষ্ঠানকে আমেদাবাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাইনের মতো জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। আইনে স্বল্প সংশোধনের মাধ্যমে এনআইডি বিজয়ওয়াড়ার নাম পরিবর্তন করে এনআইডি অমরাবতী রাখা ও প্রধান ডিজাইনার পদটিকে অধ্যাপক হিসেবে নামাঙ্কিত করার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চলে নতুন ডিজাইন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ফলে ডিজাইন ক্ষেত্রে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে উঠবে, যা প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। এর ফলে, হস্তশিল্প গ্রামীণ প্রযুক্তি, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ উদ্যোগের ক্ষেত্রগুলিতে স্থায়ী ডিজাইন সৃষ্টি করা ও ক্ষমতা প্রসার সম্ভাবনা বৃদ্ধি ও এই ক্ষেত্রের প্রাতিষ্ঠানিক বিকাশ সম্ভব হবে। /","সংসদত ৰাষ্ট্ৰীয় ডিজাইন প্ৰতিষ্ঠান (এনআইডি) আইন, ২০১৮ৰ সংশোধনী বিধেয়ক উত্থাপনত কেবিনেটৰ অনুমোদন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%A1%E0%A6%83-%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%A1%E0%A7%A6-%E0%A7%B0%E0%A6%9C%E0%A6%A4/,"নয়াদিল্লি, ০৮ মে, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিশিষ্ট সাহিত্যিক ডঃ রজত কুমার করের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ডঃ রজত কুমার কর সাংস্কৃতিক জগতে বিশিষ্ট এক ব্যক্তিত্ব। রথযাত্রা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যেভাবে তিনি লিখেছেন এবং পালা সংস্কৃতির পুনরুজ্জীবনের জন্য যে ভূমিকা পালন করেছেন, তার মধ্য দিয়ে তাঁর বহুমুখী প্রতিভা প্রতিফলিত হয়। তাঁর প্রয়াণে আমি শোকাহত। ডঃ করের পরিবার-পরিজন ও গুণমুগ্ধদের সমবেদনা জানাই। ওঁ শান্তি।",বিশিষ্ট সাহিত্যিক ড০ ৰজত কুমাৰ কৰৰ বিয়োগত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শো +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%88%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%AD%E0%A7%AB%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%88%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%B0%E0%A6%A3%E0%A7%B0-%E0%A7%AD%E0%A7%AB%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) নতুন দিল্লিতে দৈনিক জাগরণ সংবাদপত্রের ৭৫��ম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাগরণ মঞ্চে ভাষণ দেন। তাজ প্যালেস হোটেলে সমবেত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উদ্দেশে তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী অন্যান্যদের মধ্যে বিশেষ করে, রোজ সকালে যাঁরা সংবাদপত্র বন্টনের কাজ করেন সেই সমস্ত হকারদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই হকাররাই রোজ অসংখ্য পরিবারে সংবাদপত্র পৌঁছে দিতে সাহায্য করে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দৈনিক জাগরণ পত্রিকা সচেতনতা গড়ে তোলার পাশাপাশি, দেশের পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি আরও বলেন, তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, দেশে ও সমাজে পরিবর্তন নিয়ে আসার আন্দোলনগুলিকে এই পত্রিকা সক্রিয়ভাবে সাহায্য করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’; ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এর মত উদ্যোগগুলির কথা উল্লেখ করেন। ডিজিটাল বিপ্লবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গণমাধ্যমগুলি দেশকে আরও শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ন্যূনতম শাসন, সর্বাধিক প্রশাসন’ এবং ‘সকলকে সঙ্গে নিয়ে সকলের অগ্রগতি’র নীতি নতুন ভারত গঠনের ভিত্তি গড়ে তুলছে। বর্তমান যুবসমাজ অনুভব করছেন, তাঁরাও সার্বিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ার অংশীদার। তিনি প্রশ্ন করেন, স্বাধীনতার পর এতগুলি দশক পেরিয়েও কেন আমাদের দেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে? তিনি জানতে চান, কেন দেশের মানুষের সমস্যাগুলির সমাধান হতে পারে না? তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ এখন সেই সমস্ত জায়গাতেও পৌঁছে যাচ্ছে যা বিগত ৭০ বছরেও পৌঁছয়নি। এমনকি, যে রাজ্যগুলিতে রেল সংযোগ ছিল না, সেগুলিকেও রেল মানচিত্রে নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এক উল্লেখযোগ্য তুলনামূলক খতিয়ানের কথা তুলে ধরে বলেন, স্বাধীনতা থেকে ২০১৪ পর্যন্ত – এই ৬৭ বছর তাঁর কার্যকাল ২০১৪-১৮ পর্যন্ত সময়ের সমতুল্য। তিনি আরও বলেন, তাঁর এই চার বছরের কার্যকালে গ্রামীণ পরিবারগুলিতে শৌচালয়ের পরিধি ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯৫ শতাংশে পৌঁছেছে। গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ৫৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯০ শতাংশে পৌঁছেছে। পারিবারিক রান্নার গ্যাসের সংযোগ ৫৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯০ শতাংশ হয়েছে। ৯৫ শতাংশ গ্রামীণ পরিবারের কাছে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছেছে যা চার বছর আগে ছিল মাত্র ৭০ শতাংশ। চার বছর আগে কেবল ৫০ শতাংশ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল। এখন প্রায় প্রত্যেকে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। ২০১৪ অন���তক কেবল চার কোটি মানুষ কর দাখিল করতেন। বিগত চার বছরে আরও তিন কোটি মানুষ কর দাখিল ব্যবস্থায় এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন অন্য সবকিছু একই থাকছে, তাহলে এই পরিবর্তন কিভাবে এল? তিনি আরও বলেন, যখন দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষ মৌলিক সুযোগ-সুবিধা পান, তখন তাঁরা নিজেরাই দারিদ্র্য থেকে মুক্তির চেষ্টা করেন। বিগত চার বছরে এই পরিবর্তনই প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে এবং পরিসংখ্যান এটাই প্রমাণ করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকার আগ্রহী। প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর ভারতের পন্থা-পদ্ধতি উন্নয়নশীল দেশগুলির কাছে আদর্শস্বরূপ হয়ে উঠছে। প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষের সংবেদনশীলতার বোঝা-পড়ার দরুণ সহজে জীবনযাপনের মান বাড়ছে। তিনি জানান, জলপথ এবং বিমান ভ্রমণের ক্ষেত্রেও প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে। কম সময়ে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি, আয়কর ফেরতের ক্ষেত্রে কম সময়, পাসপোর্ট তৈরিতে কম সময় প্রভৃতির কথা তিনি উল্লেখ করেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনা, সৌভাগ্য যোজনা প্রভৃতির সুযোগ-সুবিধা যাঁদের প্রয়োজন তাঁদের কাছে সহজেই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ‘আয়ুষ্মান ভারত’ কর্মসূচির কথাও তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই ধরণের কর্মসূচির সুফলভোগীদের মধ্যে রয়েছে শ্রমিক শ্রেণী, কৃষক সমাজ প্রভৃতি। গরিব মানুষের ক্ষমতায়নের এ ধরণের উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ভারতের অগ্রগতিতে সমগ্র বিশ্বের দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর্থিক অভিযোগে যুক্ত ব্যক্তিরা যাতে কোথাও নিরাপদ আশ্রয় না পায়, তার জন্য ভারত আন্তর্জাতিক মহলের কাছে কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। /…",দৈনিক জাগৰণৰ ৭৫সংখ্যক প্ৰতিষ্ঠা দিৱস উপলক্ষে জাগৰণ ফ’ৰামত ভাষণ ৰাখে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1-%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AE-4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1-%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%B0-6/,"নমস্কার! আমি সবার আগে তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুরে আজ যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে আমার শোক প্রকাশ করছি। যে নাগরিকদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারকে আমি গভীর সমবেদনা জানাই। পীড়িত পরিবারগুলিকে যত দ্রুত সম্ভব আর্থিক সহায়তাও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বন্ধুগণ, বিগত দুই বছর ধরে করোনা নিয়ে এটা আমাদে�� ২৪তম বৈঠক। করোনা মহামারীর সময় যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলি মিলেমিশে কাজ করেছে, তা করোনার বিরুদ্ধে দেশের লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমি সমস্ত মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীদের, সকল রাজ্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের পাশাপাশি সকল করোনা ওয়ারিয়র্স বা যোদ্ধাদের প্রশংসা করছি। বন্ধুগণ, একটু আগেই কিছু রাজ্যে আবার করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য সচিব আমাদের সামনে বিস্তারিত প্রতিবেদন পেশ করেছেন। মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীজিও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের সামনে রেখেছেন। পাশাপাশি, আপনাদের মধ্যে কয়েকজন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীও বেশ কিছু জরুরি পয়েন্ট তুলে ধরে সবার সামনে তাঁদের বক্তব্য প্রস্তুত করেছেন। এই আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে করোনার সমস্যা এখনও সম্পূর্ণভাবে মেটেনি। ওমিক্রন এবং তার সাব-ভ্যারিয়েন্টগুলি কিভাবে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে, তা আমরা ইউরোপের দেশগুলিতে দেখতে পাচ্ছি। বিগত কয়েক মাসে ইউরোপের কিছু দেশে এই সাব-ভ্যারিয়েন্টগুলির কারণে অনেক সার্জ বা বৃদ্ধি এসেছে। আমরা ভারতবাসীরা অনেক দেশের তুলনায় এখনও নিজেদেরকে ভালো অবস্থায় রাখতে পেরেছি, আর পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখেছি। এত কিছু সত্ত্বেও বিগত দুই সপ্তাহ ধরে যেভাবে কিছু রাজ্যে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে, তা থেকে আমাদের সতর্ক থাকার প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে। আমাদের কাছে কয়েক মাস আগে যে ঢেউ এসেছিল সেই ঢেউ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। সমস্ত দেশবাসী ওমিক্রন ঢেউয়ের বিরুদ্ধে সাফল্যের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছে। কোনরকমভাবে ভয় না পেয়ে, ঘাবড়ে না গিয়ে দেশবাসী এর মোকাবিলাও করেছে। বন্ধুগণ, দুই বছরের মধ্যে দেশে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো থেকে শুরু করে অক্সিজেন সরবরাহ পর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সমস্ত সাজসরঞ্জামের সহজলভ্যতা নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে। তৃতীয় ঢেউয়ে কোনও রাজ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার খবর আসেনি। এক্ষেত্রে আমাদের কোভিড টিকাকরণ অভিযান থেকেও অনেক সাহায্য পেয়েছি। দেশের প্রত্যেক রাজ্যে, প্রত্যেক জেলায়, প্রত্যেক ক্ষেত্রে – তা সে যে কোনও ভৌগোলিক পরিস্থিতি হোক না কেন, প্রায় প্রত্যেক মানুষের কাছেই টিকা পৌঁছে গেছে। প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য এটা গর্বের কথা যে আজ ভারতের ৯৬ শতাংশ বয়স্ক মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। ১৫ বছরের বেশি বয়সী প্রায় ৮৫ শতাংশ নাগরিক দ্বিতীয় ডোজও পেয়েছেন। বন্ধুগণ, আপনারাও বোঝেন, আর বিশ্বের অধিকাংশ বিশেষজ্ঞদের মত এটাই যে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের জন্য টিকা সবচাইতে বড় রক্ষাকবচ। আমাদের দেশে দীর্ঘ সময়ের পর স্কুলগুলি খুলেছে, ক্লাস শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় কোথাও না কোথাও অভিভাবক ও অভিভাবিকাদের চিন্তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছু স্কুলে ছেলে-মেয়েদের সংক্রমিত হওয়ার ঘটনারও কিছু খবর আসছে। কিন্তু আনন্দের বিষয় হল, অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরাও এখন দ্রুত টিকার রক্ষাকবচে সুরক্ষিত হয়ে উঠবে। মার্চ মাসে আমরা ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের টিকাকরণ শুরু করে দিয়েছিলাম আর গতকালই ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য কোভ্যাক্সিন টিকা প্রদানের অনুমতি পাওয়া গেছে। সমস্ত এলিজেবল বা উপযুক্ত শিশুকে যত দ্রুত সম্ভব টিকা দেওয়াই আমাদের অগ্রাধিকার। এর জন্য আগের মতো স্কুলগুলিতে বিশেষ অভিযানও চালানোর প্রয়োজন হবে। শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং মা-বাবারা যেন এই বিষয়ে সচেতন থাকেন, আমাদের তা সুনিশ্চিত করতে হবে। টিকার সুরক্ষাকবচ অর্জনের খাতিরে দেশের সমস্ত বয়স্কদের জন্য এখন প্রিকশন ডোজও দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক-অভিভাবিকা এবং বাকি উপযুক্ত ব্যক্তিরাও এই প্রিকশন ডোজ নিতে পারেন। এক্ষেত্রেও আমাদের তাঁদেরকে সচেতন করে তুলতে হবে। বন্ধুগণ, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সময় আমরা প্রত্যেকদিন ৩ লক্ষেরও বেশি রোগীর দেখভাল করতে পেরেছি। আমাদের সমস্ত রাজ্যগুলিতে এই রোগীদেরকে সুশ্রুষা করা হয়েছে, আর বাকি সামাজিক ও আর্থিক কাজকর্মকেও গতি প্রদান করা হয়েছে। এই ভারসাম্য রক্ষার প্রক্রিয়া ভবিষ্যতেও আমাদের রণকৌশলের অংশ হয়ে ওঠা উচিৎ। এখন আমাদের বৈজ্ঞানিকরা এবং বিশেষজ্ঞরা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে লাগাতার পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছেন। অনেক পরামর্শ নিয়ে আমাদের ‘প্রিএম্পটিভ’ বা ‘প্রোঅ্যাক্টিভ’ এবং ‘কালেক্টিভ’ অ্যাপ্রোচ নিয়ে কাজ করতে হবে। সংক্রমণের শুরুতেই একে থামানো আগেও আমাদের অগ্রাধিকার ছিল, আর এখনও সেটাই থাকা উচিৎ। আপনারা সবাই যে কথা উল্লেখ করেছেন – আমাদের সেই ‘টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রিট’-এর রণকৌশলকেও ততটাই কার্যকর রূপে চালু রাখতে চাই। আজ করোনার যে স্থিতি তাতে এটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে আমাদের যে সিরিয়াস ইনফ্লুয়েঞ্জার কেসগুলিও রয়েছে তাদের ১০০ শতাংশ আরটিপিসিআর টেস্ট হোক। এতে যাঁরা পজিটিভ আসবেন, তাঁদের স্যাম্পেল জেনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য অবশ্যই পাঠানো হোক। এ থেকে আমরা ভ্যারিয়েন্টসকে সময়ে সময়ে চিনতে পারব। বন্ধুগণ, আমাদের সার্বজনিক স্থানগুলিতে ‘কোভিড অ্যাপ্রোপ্রিয়েট বিহেভিয়ার’কে যথাযথভাবে প্রোমোট করতে হবে। পাশাপাশি, জনসাধারণের মনে যাতে কোনও অহেতুক ভয় ও-ভীতি না ছড়ায় সেটাও সুনিশ্চিত করতে হবে। বন্ধুগণ, আজকের এই আলোচনায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে উন্নত করার জন্য যে যে কাজ চলছে, তা নিয়েও কথা হয়েছে। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে আপগ্রেডের কাজ যাতে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলতে থাকে তা সুনিশ্চিত করা উচিৎ। করোনার রোগীদের জন্য শয্যা, ভেন্টিলেটর্স এবং পিএসএ অক্সিজেন প্ল্যান্টের মতো সুবিধা সম্পর্কে আমরা অনেক ভালো পরিস্থিতিতে রয়েছি। কিন্তু এই সমস্ত সুবিধা যাতে কার্যকর থাকে – এটাই আমাদেরও সুনিশ্চিত করতে হবে, আর তাকে তদারকি করতে হবে। প্রত্যেকের দায়িত্ব ঠিকভাবে বুঝিয়ে ভাগ করে দিতে হবে যাতে কখনও প্রয়োজন পড়লে আমাদের সঙ্কট এসে ঘিরে ফেলতে না পারে। যাতে দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়। পাশাপাশি, যদি কোথাও কোনও গ্যাপ থাকে, তাহলে আমি অনুরোধ জানাতে চাই যে টপ লেভেলে তাকে ভেরিফাই করিয়ে নিন, সেই খামতি পূরণের চেষ্টা করুন। অনেকক’টি নতুন মেডিকেল কলেজ, জেলা হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। এই সমস্ত স্থানে আমাদের নিজেদের মেডিকেল ইনফ্রাস্ট্রাকচারকেও স্কেল-আপ করতে হবে আর ম্যানপাওয়ারকেও স্কেল-আপ করাতে হবে। আমাদের রেসপন্স টাইম যেন ন্যূনতম হয় । আমার দৃঢ় বিশ্বাস, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং বার্তালাপের মাধ্যমে আমরা লাগাতার ‘বেস্ট প্র্যাক্টিসেস’ ইভলভ করতে থাকব আর মজবুতভাবে করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই লড়তে থাকব এবং এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার পথগুলিও খুঁজতে থাকব। বন্ধুগণ, কো-অপারেটিভ ফেডারিলজম বা সমবায়মূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার যে ভাবনা আমাদের সংবিধানে ব্যক্ত করা হয়েছে তা নিয়ে যাত্রা শুরু করে ভারত করোনার বিরুদ্ধে অনেক মজবুতভাবে দীর্ঘ লড়াই লড়েছে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিগুলির কারণে, বাহ্যিক কারকগুলির কারণে দেশের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির ওপর যে প্রভাব পড়ে, কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলি মিলেমিশে তার মোকাবিলা করেছি, আর ভবিষ্যতেও করতেই হবে। কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলি মিলেমিশে তার মোকাবিলা এখনও করে চলেছে, ভবিষ্যতেও করতে থাকবে। কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির যৌথ প্রয়াসেই আজ দেশে বড় বড় স্তরে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতিসাধন করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বন্ধুরা, আজ এই আলাপ-আলোচনায় আমি আরও একটি পক্ষ মনে করাতে চাই। আজকের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে ভারতের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তগুলিতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে বোঝাপড়া আরও বাড়াতে হবে। তাদের মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা করা আগের থেকে অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। আপনারা সবাই এই বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত যে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিতে যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যেভাবে সরবরাহ শৃঙ্খল প্রভাবিত হয়েছে, আর এহেন প্রেক্ষিতে প্রতিদিন একের পর এক নতুন সমস্যা, মিলিত সমস্যার চাপ ক্রমবর্ধমান। এই সঙ্কট বিশ্বব্যাপী সঙ্কট, আর তা অনেক নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে। এহেন সঙ্কটের সময় কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে কো-অপারেটিভ ফেডারিলিজম-এর ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তোলা অনিবার্য হয়ে উঠেছে। এখন আমি একটি ছোট্ট উদাহরণ দিতে চাই। যখন পেট্রোল ও ডিজেলের দাম নিয়ে একটি বিষয় আমাদের সবার সামনে রয়েছে। দেশবাসীর ওপর পেট্রোল ও ডিজেলের ক্রমবর্ধমান দামের বোঝা কম করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এক্সাইজ ডিউটিও কম করেছে। বিগত নভেম্বর মাসে পেট্রোল ও ডিজেলের ওপর এক্সাইজ ডিউটি কমানো হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারগুলিকে অনুরোধ করেছিল যে তারাও যেন নিজেদের কর হ্রাস করে আর এই লাভ নাগরিকদের হস্তান্তরিত করে। এরপর কিছু রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকারের এই ভাবনার অনুরূপ তাদের রাজ্যে কর কম করে দেয়, কিন্তু কিছু রাজ্য তা করেনি। এর ফলে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম সেই রাজ্যগুলিতে এখনও অন্যান্যদের তুলনায় অনেক বেশি। এটা একভাবে এই রাজ্যগুলির জনগণের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। পাশাপাশি, প্রতিবেশী রাজ্যগুলিরও লোকসান হচ্ছে। যে রাজ্য কর মকুব করছে তাদের রাজস্ব কম সংগ্রহ হচ্ছে। যেমন, যদি কর্ণাটক কর মকুব না করত তাহলে এই ছয় মাসে ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি আরও রাজস্ব তারা পেত, গুজরাটও যদি কর মকুব না করত তাহলে এই ছয় মাসে তারাও অতিরিক্ত ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হিসেবে পেত। তবু কিছু রাজ্য তাদের নাগরিকদের যাতে ক���নও সমস্যায় না পড়তে হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্যের চাপানো ভ্যাটের কর হ্রাস করেছে, ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। তেমনই গুজরাট আর কর্ণাটকের প্রতিবেশী রাজ্যগুলি কর না কমানোর ফলে এই ছয় মাসে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা থেকে শুরু ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব অর্জন করেছে। যেমনটি আমরা জানি যে গত বছর নভেম্বর মাসে ভ্যাট কম করার কথা ছিল। আমি সমস্ত রাজ্যকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম, কিন্তু অনেক রাজ্য তা করেনি। আমি এখানে কারোর সমালোচনা করছি না, আমি শুধু আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনার রাজ্যের নাগরিকদের ভালোর জন্য প্রার্থনা করছি। এখন যেমন সেই সময়ে, ছয় মাস আগে কিছু রাজ্য আমার অনুরোধ শুনে কর মকুব করেছে আর কিছু রাজ্য তা মানেনি। এখন অনেক রাজ্য – যেমন মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরালা ও ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যগুলি কোনও না কোনও কারণে আমার অনুরোধ মানেনি আর তাদের রাজ্যের নাগরিকদের ওপর সেই বোঝা বজায় রেখেছে। আমি একথা বলতে চাই না যে এই সময়ে এই রাজ্যগুলি কতটা টাকা করবাবদ সংগ্রহ করেছে! কিন্তু এখন আপনাদের কাছে আমার প্রার্থনা যে, দেশের হিতে আপনারা গত নভেম্বরে যা করা উচিৎ ছিল, ছয় মাস দেরি হয়ে গেছে, এখনও আপনারা নিজেদের রাজ্যের নাগরিকদের ভ্যাট কমিয়ে এর লাভ সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দিন। আপনারা সবাই জানেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যে কর আসে তার ৪২ শতাংশ তো রাজ্যগুলির কাছেই চলে যায়। সমস্ত রাজ্যগুলির প্রতি আমার অনুরোধ যে বিশ্বব্যাপী সঙ্কটের এই সময়ে সমবায়মূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার ভাবনা নিয়ে এগিয়ে একটি টিম রূপে আমরা সবাই মিলে যেন কাজ করি। আমি অনেক বিষয়ে খুঁটিনাটি বলতে চাই না। যেমন ফার্টিলাইজার বা সার। আজ আমরা তো সারের ক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক দেশের ওপর নির্ভরশীল। আর এখন গোটা বিশ্বই একটি অদ্ভূত সঙ্কটের মুখোমুখি, ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। আমরা তো আর সেই বোঝা কৃষকদের মাথায় চাপাতে পারি না! তাই ক্রমাগত অনেকগুণ ভর্তুকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবারও বলছি, আমরা কৃষকদের ওপর এই বোঝা চাপাতে চাই না, তাই কেন্দ্রীয় সরকারকেই সেই বোঝা বহন করতে হচ্ছে। এখন যখন এত বড় সঙ্কটের মোকাবিলা করতে হচ্ছে, সেই প্রেক্ষিতে আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি, প্রার্থনা জানাচ্ছি যে আপনারা নিজেদের রাজ্য, নিজেদের প্রতিবেশী রাজ্য, সকল দেশবাসীর হিতে অন্ততঃ পেট্রল ডিজেলের দামে ভ্যাট হ্রাসের বিষয়টাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিন। আমি আরও একটি বিষয় নিয়ে বলতে চাই। তার আগে বলতে চাই, গত নভেম্বরে যা করতে হত তা আপনারা করেননি। সেজন্য বিগত ছয় মাসে কী হয়েছে? আজ চেন্নাইয়ে, তামিলনাড়ুতে পেট্রোল প্রায় ১১১ টাকার কাছে, জয়পুরে ১১৮ টাকারও বেশি, হায়দরাবাদে ১১৯ টাকারও বেশি, কলকাতায় ১১৫ টাকারও বেশি, মুম্বাইয়ে ১২০ টাকারও বেশি, আর যারা কর হ্রাস করেছে, মুম্বাইয়ের পার্শ্ববর্তী দমন ও দিউতে ১০২ টাকা দরে প্রতি লিটার পেট্রোল পাওয়া যাচ্ছে। মুম্বাইয়ে ১২০ টাকা আর পাশের রাজ্য দমন ও দিউতে ১০২ টাকা। একইভাবে, কলকাতায় ১১৫ টাকা, লক্ষ্ণৌতে ১০৫ টাকা, হায়দরাবাদে প্রায় ১২০ টাকার কাছাকাছি। জম্মুতে ১০৬ টাকা প্রতি লিটার পেট্রোল, জয়পুরে ১১৮ টাকা, গুয়াহাটিতে ১০৫ টাকা, গুরুগ্রামে ১০৫ টাকা, দেরাদুনে ১০৩ টাকা, দেখুন আমাদের ছোট রাজ্য উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুনে ১০৩ টাকা প্রতি লিটার। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি যে, আপনারা ছয় মাস ধরে কর না কমিয়ে যে রাজস্ব সংগ্রহ করেছেন তা আপনাদের রাজ্যের উন্নয়নের কাজে লাগবে, কিন্তু এখন গোটা দেশের সঙ্গে আপনারা সহযোগিতা করুন। আপনাদের প্রতি আজ আমার এটি বিশেষ প্রার্থনা। বন্ধুগণ, আরও একটি বিষয় যা নিয়ে আমি আপনাদের সঙ্গে আজ কথা বলতে চাই। দেশের সর্বত্র দ্রুতগতিতে গরম বাড়ছে, অনেক জায়গায় তাপপ্রবাহ চলছে। সময়ের অনেক আগে অনেক গরম পড়েছে, আর এরকম সময়ে আমরা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বাড়তে দেখছি। বিশেষ করে জঙ্গলে দাবানল, গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলিতে আগুন, হাসপাতালে আগুনের বেশ কিছু ঘটনা গত কয়েকদিনে হয়েছে। আমাদের সকলের মনে আছে সেই দিনগুলি কতো বেদনাদায়ক ছিল, যখন গত বছর বেশ কিছু হাসপাতালে আগুন লেগেছিল আর সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক পরিস্থিতি ছিল। অনেক কঠিন সময় ছিল সেটা। অনেক মানুষকে ওই দুর্ঘটনাগুলিতে তাঁদের জীবন হারাতে হয়েছে। সেজন্য আমার সকল রাজ্যের প্রতি অনুরোধ যে এখন থেকে যেন আমরা বিশেষ করে হাসপাতালগুলির সেফটি অডিট করাই, নিরাপত্তার ব্যবস্থা যেন সুনির্দিষ্ট করি, আর অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করি। এ ধরনের ঘটনাগুলি থেকে যাতে আমরা আমাদের হাসপাতালগুলি এবং রোগীদের বাঁচাতে পারি, এ ধরনের ঘটনা যেন হ্রাস পায়, আমাদের রেসপন্স টাইম যেন ন্যূনতম হয়, জিনিসপত্র ও জীবনহানি যেন না হয়, সেজন্য আমি আপনাদের অনু���োধ করব যে আপনারা আপনাদের টিমকে বিশেষভাবে এ কাজে লাগান আর খুব ভালোভাবে তদারকি করুন যাতে দেশের কোথাও কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে। আমাদের নিরীহ নাগরিকদের যেন জীবন হারাতে না হয়। মাননীয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই নিজেদের মূল্যবান সময় বের করে এসেছেন, সেজন্য আমি আরও একবার আপনাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, আর একথা জানাতে চাই যে,সর্বদাই আমি আপনাদের জন্য নিজেকে হাজির রাখি। যে কোনও সময়, যে কোনও প্রয়োজনীয় পরামর্শ যদি আপনারা এগিয়ে এসে আমাকে দেন, তাহলে আমার খুব ভালো লাগবে। আমি আরও একবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।",ক’ভিড-১৯ পৰিস্থিতি সন্দৰ্ভত মুখ্যমন্ত্ৰীসকলৰে হোৱা আলোচনাৰ অন্তত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা সামৰণী ভাষণৰ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A7%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নিজের কেন্দ্র বারাণসীতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে প্রায় ৯০ মিনিট ধরে কথাবার্তা বলেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে পৌঁছতেই নারুর গ্রামের একটি প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে তাঁকে স্বাগত জানায়। শ্রী মোদীও ছাত্রছাত্রীদের বিশ্বকর্মা জয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানান ও বলেন, নানারকম দক্ষতা অর্জন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ছাত্র হিসেবে প্রশ্ন করা খুবই জরুরি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি পড়ুয়াদের কখনো প্রশ্ন করতে ভয় না পাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রশ্ন করা শিক্ষাগ্রহণের একটি মূল বৈশিষ্ট বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। স্বেচ্ছাসবী সংস্হা ‘রুম টু রিড’-এর সহায়তাপ্রাপ্ত কমবয়সী ছেলেমেয়েদের সঙ্গে বিশ কিছুক্ষণ সময় কাটান প্রধানমন্ত্রী। ঐদিন এরপরে বারাণসীর ডিজেল লোকোমোটিভ ওয়ার্কস-এ প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের সঙ্গে কথা বলেন। কাশী বিদ্যাপীঠের পড়ুয়ারা এদের সাহায্য করে থাকে। প্রধানমন্ত্রী তাদের মন দিয়ে পড়াশুনা করার ও খেলাধূলায় আগ্রহ বাড়িয়ে তোলার পরামর্শ দেন। ১৭ তারিখ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী বারাণসীর রাস্তাঘাট পরিদর্শন করে শহরের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম ঘুরে দেখেন। কিছুক্ষণের জন্য কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে থেমে শ্রী মোদী প্রার্থনা করেন। প্রধানমন্��্রী আচমকা মন্দুয়াদি রেল স্টেশন পরিদর্শন করেন। /","বাৰাণসীত শিক্ষাৰ্থীৰে বাৰ্তালাপ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ, মূল্যায়ন কৰিলে উন্নয়নমূলক কামৰ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%85%E0%A6%9F%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%80%E0%A6%B0-6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%9F%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0/,"নতুনদিল্লি, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী , প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে তাঁর জন্মদিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “শ্রদ্ধেয় অটলজিকে তাঁর জন্মদিনে প্রণাম জানাই। তিনি যেভাবে দেশের সেবা করেছেন, তা আমাদের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস। ভারতকে শক্তিশালী ও উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর উদ্যোগে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প লক্ষ লক্ষ ভারতবাসীর জীবনে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছে।“ /",জয়ন্তী উপলক্ষে অটল বিহাৰী বাজপেয়ীক স্মৰণ প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%8F-%E0%A6%8F-%E0%A6%86%E0%A6%87-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%B2%E0%A6%96%E0%A6%A8%E0%A6%89-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%9A%E0%A7%8C%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A8%E0%A7%8C%E0%A7%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%8C%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%9A%E0%A7%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%86%E0%A6%A8/,নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বুধবার ভারতের বিমানবন্দরকর্তৃপক্ষের ( এ.এ.আই.) লখনউ-স্থিত চৌধুরি চরণ সিংআন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ১৮৯৯ বর্গ কিলোমিটার জমি লখনউ মেট্রো রেল নিগমকে(এল.এম.আর.সি.)স্থায়ীভাবে হস্তান্তরের বিষয়টির অনুমোদন দিল| এই জমি ‘ট্রান্সপোর্ট নগর মেট্রো স্টেশনে’ যাওয়া ওআসার ক্ষেত্রে পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য এল.এম.আর.সি.’র প্রয়োজন| এটা সাধারণমানুষের যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় এবং পরিবহনের ক্ষেত্রে তা এক বিশেষ সুযোগনিয়ে আসবে|,লক্ষনৌৰ চৌধুৰী চৰণ সিং আন্তঃৰাষ্ট্ৰীয় বিমান বন্দৰৰ ১৮৯৯ বৰ্গ কিলোমিটাৰ ভূমি ভাৰতীয় বিমান প্ৰাধিকৰণৰদ্বাৰা লক্ষনৌ মেট্ৰ’ ৰে’ল কৰ্পোৰেশ্যনলৈ স্থায়ীভাৱে হস্তান্তৰ কৰাৰ প্ৰস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%97%E0%A7%9C-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%B6%E0%A6%97%E0%A6%A1%E0%A6%BC-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,"প্রধানমন্ত্রী শ���রী নরেন্দ্র মোদী আজ (১৪ই জুন, ২০১৮) ছত্তিশগড় সফরে গিয়ে নয়া রায়পুর স্মার্ট সিটিতে একটি সুসংবদ্ধ কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন করেন।এই কেন্দ্রটির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী পরে ভিলাই ইস্পাত প্রকল্পের ৮ নম্বর ব্লাস্ট ফার্নেসটি ঘুরে দেখেন। এই প্রকল্পের খুঁটিনাটি সম্পর্কে তাঁকে বুঝিয়ে বলা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য প্রচুর সংখ্যক মানুষ আজ উপস্থিত ছিলেন ভিলাইয়ের রাস্তাগুলিতে। বিশাল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে আয়োজিত এক সমাবেশে আধুনিকভাবে গড়ে তোলা সম্প্রসারিত ভিলাই ইস্পাত প্রকল্পটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী। আইআইটি ভিলাইয়ের শিলান্যাসও করেন তিনি। এছাড়া, ভারতনেট-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনা উপলক্ষে একটি ফলকের আবরণও তিনি উন্মোচন করেন। জগদলপুর এবং রায়পুরের মধ্যে বিমান পরিষেবা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির আওতায় সুফল গ্রহীতাদের হাতে তিনি তুলে দেন ল্যাপটপ, চেক ও শংসাপত্র। জনসমাবেশে ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, যে কোন ধরণের হিংসারই উচিৎ জবাব হল উন্নয়ন। জাতি গঠনের কাজে ভিলাই ইস্পাত প্রকল্পের অবদান যে অনেকখানি, সেকথাও তিনি ব্যাখ্যা করেন জনসাধারণের কাছে। সম্প্রসারিত এবং অত্যাধুনিক এই প্রকল্পটিকে নতুন ভারত গঠনের একটি শক্তিশালী ভিত বলে বর্ণনা করেন তিনি। যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলির আজ সূচনা হল সেগুলিও আখেরে সাধারণের উপকারে আসবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী বলেন, ‘গ্রাম স্বরাজ অভিযান’-এর ফল গত দু’মাসে বেশ ইতিবাচক হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। দেশের উন্নয়নকামী ১১৫টি জেলায় এই অভিযানকে ব্যাপকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই জেলাগুলির মধ্যে ১২টি ছত্তিশগড় রাজ্যে অবস্থিত। জন ধন যোজনা, মুদ্রা যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনা, ফসল বিমা যোজনা এবং সৌভাগ্য-এর মতো বিভিন্ন কর্মসূচি এই রাজ্যে বিশেষ সুফল এনে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদিবাসী জনজাতির কথা চিন্তা করে এবং তাঁদের স্বার্থ রক্ষায় কঠোরভাবে রূপায়িত হচ্ছে অরণ্য অধিকার আইন। আদিবাসী মানুষের কল্যাণে তাঁর সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছে। দেশের বিভিন্ন অংশে স্থাপিত হচ্ছে ‘একলব্য বিদ্যালয়’।","চত্তীশগড় ভ্ৰমণ কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে, নয়া ৰায়পুৰত ��ণ্টিগ্ৰেটেড কমাণ্ড এণ্ড কণ্ট্ৰোল চেণ্টাৰ উদ্বোধন; আধূনিকৃত, সম্প্ৰসাৰিত ভিলাই তীখা প্ৰকল্প দেশবাসীৰ নামত উচৰ্গা" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%97/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BF/,"নয়াদিল্লি, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জি-২০ সচিবালয়ে নিয়োগের সুযোগ সম্পর্কে তথ্য সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। ভারতের সভাপতিত্বে এই গোষ্ঠীর আন্তর্জাতিক নীতিমালা তৈরিতে সদ্য নিযুক্তরা সাহায্য করবেন। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র শ্রী অরিন্দম বাগচীর এক ট্যুইট বার্তাকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ট্যুইট বার্তায় বলেছেন, “এটি দারুন এক কাজের সুযোগ…”",ভাৰতৰ অধ্যক্ষতা কালৰ ‘জি-২০’ সচিবালয়ৰ নিয়োগ সম্ভাৱনীয়তা সন্দৰ্ভত মন্তব্য ‘শ্বেয়াৰ’ কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%93-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AF%E0%A7%81/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%82%E0%A7%B0%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকেআজ টেলিযোগাযোগ দপ্তর এবং অন্যান্য মন্ত্রকের ‘ক’ শ্রেণীর আধিকারিকদের টেলিযোগাযোগও তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রের উপযুক্ত যোগ্যতা থাকলে টেলি কমিউনিকেশন কনসালট্যান্টস্‌ইন্ডিয়া লিমিটেড (টিসিআইএল)-এ ডেপুটেশনে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। ক) এর দ্বারা টিসিআইএল-কে ভারতীয় টেলিযোগাযোগ দপ্তর এবং অন্যান্য মন্ত্রকের‘ক’ শ্রেণীর আধিকারিকদের মধ্য থেকে ডেপুটেশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ঐশ্রেণীর আধিকারিকদের শূন্য পদগুলি ডেপুটেশনের মাধ্যমে পূরণ করার জন্য ১.১০.২০১৬থেকে এ পর্যন্ত এবং অতিরিক্ত হিসাবে অনুমোদনের তারিখ থেকে আরও তিন বছর মেয়াদেরজন্য (মন্ত্রিসভার এর আগের করা অনুমোদনটির মেয়াদ ছিল ৩০.০৯.২০১৬ পর্যন্ত) সুযোগদেওয়া হ’ল ডিপিই নির্দেশাবলী অনুযায়ী। এক্ষেত্রে পরিচালন পর্ষদের নিম্ন স্তরভুক্তপদগুলির সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত পূরণ করা যাবে অবিলম্বে অন্তর্ভুক্তির আইনে ছাড়সহ। খ) ভবিষ্যতে টিসিআইএল-এর পরিচালন পর্ষদের নিম্নস্তরভুক্ত পদগুলির ক্ষেত্রেছাড় দেওয়ার বিষয়টি যাতে ডিপিই-এর ওএম সংখ্যা ১৮ (৬)/২০০১-���িএম-জিএল-৭৭ অনুযায়ী করাযায়, যাতে এই রকম প্রস্তাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কাছে আর পেশ করার প্রয়োজন না হয়,সেই লক্ষ্যেও সংশ্লিষ্ট অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। ১৯৭৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে টিসিআইএল-কে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের একটি প্রধান রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ হিসাবে গড়ে তোলা হয়দেশে-বিদেশে উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন কাজকর্ম রূপায়ণের লক্ষ্যে। সম্পূর্ণ সরকারিমালিকানাধীন টিসিআইএল এ পর্যন্ত ৭০টিরও বেশি দেশে টেলিযোগযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিসম্পন্ন প্রকল্প রূপায়িত করেছে। ২০১৬-১৭’র শেষে এর স্বীকৃত মূলধন ছিল ৬০কোটি টাকা এবং আদায়িকৃত মূলধনের পরিমাণ ৫৯.২০ কোটি টাকা। ৪৮টি দেশে অত্যন্তমর্যাদাসম্পন্ন প্যান-আফ্রিকান ই-নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার কাজ করে চলেছে টিসিআইএল। এইপ্রকল্পের লক্ষ্য হ’ল – আফ্রিকি ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলির মধ্যে অপ্টিক্যাল ফাইবারও উপগ্রহ-ভিত্তিক যোগাযোগের মাধ্যমে টেলি-শিক্ষা, টেলি-চিকিৎসা ও ডব্ল্যুআইপিসংযোগ গড়ে তোলা। দেশেও টিসিআইএল সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে নানাধরনের প্রকল্প রূপায়ণ করেথাকে। এর মধ্যে রয়েছে – প্রতিরক্ষা ও নৌ-বাহিনীর জন্য নিজস্ব নেটওয়ার্ক গড়া,ওড়িশায় ৫০০টি এবং উত্তর প্রদেশে ১৫০০টি স্কুলে তথ্য প্রযুক্তি প্রকল্প রূপায়ণপ্রভৃতি। এই কাজে বিপুল সংখ্যায় উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন জনবলের প্রয়োজন হওয়ায়কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা টেলিযোগাযোগ দপ্তর ও অন্যান্য মন্ত্রক থেকে ‘ক’ শ্রেণীরআধিকারিকদের শূন্য পদগুলি ডেপুটেশনের ভিত্তিতে পূরণ করার জন্য টিসিআইএল-কে অনুমোদনদিয়ে থাকে। ……",দূৰসংযোগ আৰু তথ্য প্ৰযুক্তিৰ শিক্ষাগত যোগ্যতা থকা দূৰসংযোগ বিভাগৰ প্ৰথম পৰ্যায়ৰ বিষয়া আৰু অন্যান্য মন্ত্ৰালয়ৰ সমপৰ্যায়ৰ বিষয়াক টেলিকমিউনিকেশ্যন কনছালটেণ্ট ইণ্ডিয়া লিমিটেডত ডেপুটেচনত নিযুক্তি প্ৰদানৰ বাবে কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%AD%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%B0%E0%A7%B0/,"নভি মুম্বাইআন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রারম্ভিক পর্বের অনুষ্ঠানে আজ যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী। নভি মুম্বাইতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জওহরলাল নেহরু বন্দরকর্তৃপক্ষের চতুর্থ কন্টেনার টার্মিনালটি তিন�� উৎসর্গ করলেন জাতির উদ্দেশে। এইউপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিবাজি মহারাজ জয়ন্তীর ঠিক একদিনআগেই তিনি এসে উপস্থিত হয়েছেন মহারাষ্ট্রে। শ্রী মোদীতাঁর ভাষণে বলেন, বিশ্বায়ন হল বর্তমান কালের এমনই এক বাস্তবতা যার সঙ্গে তালমিলিয়ে চলতে গেলে আমাদের প্রয়োজন উচ্চ প্রযুক্তি ও গুণমানের পরিকাঠামো। ‘সাগরমালা’প্রকল্পটি হয়ে উঠতে চলেছে বন্দরগুলির উন্নয়ন সম্পর্কিত একটি প্রকল্পমাত্র নয়, বরং,বন্দরচালিত এক বিশেষ উন্নয়ন প্রক্রিয়া। জলপথগুলির উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার যেবিশেষভাবে সচেষ্ট রয়েছে, একথারও তিনি উল্লেখ করেন তাঁর এদিনের ভাষণে। প্রধানমন্ত্রীবলেন, নভি মুম্বাই বিমানবন্দর প্রকল্পটি বহুদিন ধরেই মুলতবিঅবস্থায় ছিল। প্রকল্পরূপায়ণের ক্ষেত্রে এ ধরনের বিলম্ব নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই, ‘প্রগতি’রমঞ্চকে ব্যবহার করে এমন এক অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে প্রকল্প রূপায়ণের কাজসম্পূর্ণ করার বিষয়টিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীরমতে, দেশের বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রটির প্রসার ঘটছে দূরন্ত গতিতে। সেইসঙ্গে, বিমানযাত্রীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছেক্রমান্বয়ে। এই কারণে বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রেউন্নতমানের পরিকাঠামো গড়ে তোলা একান্ত জরুরি। এই ক্ষেত্রটির সার্বিক রূপান্তরেরলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিমান পরিবহণ নীতি অনুসরণ করে চলেছে। শ্রী মোদীবলেন, বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রটিকে মজবুত করে তোলা সম্ভব হলে, আরও বেশি মাত্রায়অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধার প্রসার ঘটবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা যদি উন্নততর হয়ে ওঠে, তাহলেভারতে পর্যটক আগমনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে আশানুরূপভাবে। /…","নৱী মুম্বাই বিমানবন্দৰৰ আধাৰশিলা অনুষ্ঠানত উপস্থিত প্ৰধানমন্ত্ৰী, চতুৰ্থ জৱাহৰলাল নেহৰু পৰ্ট ট্ৰাষ্ট কন্টেইনাৰ টাৰ্মিনেল ৰাইজৰ বাবে মুকলি" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A7%B1%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,"নয়াদিল্লি, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী রূপে লিজ ট্রাস নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। লিজ ট্রাস-এর নতুন দায়িত্ব ও ভূমিকার জন্য তাঁর শুভেচ্ছা জ���নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এক ট্যুইট বার্তায় শ্রী মোদী বলেছেন : “যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী রূপে লিজ ট্রাস-কে মনোনীত করায় তাঁকে আমি অভিনন্দন জানাই। আপনার নেতৃত্বে ভারত-যুক্তরাজ্য সুসংবদ্ধ ও কৌশলগত সম্পর্ক যে আরও মজবুত হয়ে উঠবে এ বিষয়ে আমি আশাবাদী। আপনার নতুন দায়িত্ব ও ভূমিকার জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল।”",ব্ৰিটেইনৰ পৰৱৰ্তী প্ৰধানমন্ত্ৰী হিচাপে নিৰ্বাচিত হোৱাৰ বাবে লিজ ট্ৰাছক অভিনন্দন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A7%B0/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ (৬ মার্চ) কর্ণাটকের কালাবুর্গি এবং তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমে একাধিকগুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা করেছেন। কর্ণাটকের কালাবুর্গিতে প্রধানমন্ত্রী ফলকের আবরণ উন্মোচন করে বেঙ্গালুরুর ইএসআইসি হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। এছাড়াও তিনি হুবলিতে কেআইএমএস চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সুপার স্পেশালিটি ব্লক, বেঙ্গালুরুতে আয়কর অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল ভবন সহ বোতাম টিপে বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে আগত ছাত্রীদের জন্য একটি হস্টেলের উদ্বোধন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ফলকের আবরণ উন্মোচন করে রায়চুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের ডিপোটিকে কালাবুর্গিতে স্থানান্তরণ প্রক্রিয়ার সূচনা করেন। শ্রী মোদী, প্রধানমন্ত্রী জন-আরোগ্য যোজনা – আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির সুফলভোগীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন। তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমে প্রধানমন্ত্রী একাধিক জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের সূচনা করেন। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে – ভিকরাবান্দি থেকে থাঞ্জাভুর পর্যন্ত ৪৫সি জাতীয় মহাসড়কটিকে চারলেন বিশিষ্ট এবং ৪ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের কারাইপেট্টাই থেকে ওয়ালাজাপেট পর্যন্ত অংশটিকে ছ’লেন বিশিষ্ট করার কাজের শিলান্যাস। তিনি এন্নোরের বার্ষিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন ক্ষমতাসম্পন্ন তরল প্রাকৃতিক গ্যাস টার্মিনালটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। এই গ্যাস টার্মিনালটি তামিলনাড়ু ও প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা পূরণে সাহায্য করবে। এছাড়াও শ্রী মোদ��, বৈদ্যুতিকীকরণের পর এরোড-কারুর-তিরুচিরাপল্লী এবং সালেম-কারুর-দিন্দিগুল রেল লাইন জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী, ভিডিও সংযোগের মাধ্যমে চেন্নাইয়ে মহিলাদের জন্য ডঃ এমজিআর জানকি আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স কলেজে ডঃ এমজি রামচন্দ্রনের মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন। আজ যে সমস্ত উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা হয়েছে তার ফলে কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর মানুষ বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে কালাবুৰাগী আৰু কাঞ্চীপুৰমত মুকলি কৰিলে ভালেমান গুৰুত্বপূৰ্ণ উন্নয়নমূলক প্ৰকল্প +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A0%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%99/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লি, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পবিত্র বাঠুকাম্মা উপলক্ষে তেলেঙ্গানার নারীশক্তি সহ সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; “পবিত্র বাঠুকাম্মা উপলক্ষে তেলেঙ্গানার নারীশক্তি সহ সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। এই উৎসব প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নিবিড় করে তুলুক এবং ফুলের প্রতি আগ্রহ আরও বৃদ্ধি করুক।”","প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে বাথুকাম্মা উপলক্ষে দেশবাসীক, বিশেষকৈ তেলেংগানাৰ নাৰী শক্তিক শুভেচ্ছা জনাইছ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A6%B0%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%AD/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মহাকবি ভরতীয়ার, সুব্রহ্মণ্যম ভারতী-র জন্মজয়ন্তীতে তাঁর স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন; “আমি মহান সুব্রহ্মণ্যম ভারতী-কে তাঁর জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানাই। ‘মহাকবি ভরতীয়ার উল্লেখযোগ্য সাহসীকতা এবং তাঁর বিশেষ বুদ্ধিমত্তার জন্য সমাদৃত। ভারতের উন্নয়নে তাঁর বিশেষ লক্ষ্য ছিল বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা তাঁর আশা-আকাঙ্খা পূরণে কাজ করছি।”","প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে মহাকবি ভাৰতীয়াৰ, সুব্ৰমণিয়া ভাৰতীক তেওঁৰ জয়ন্তীত শ্ৰদ্ধাৰে সোঁৱৰিছ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%83-%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%89%E0%A6%A1%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B0-%E0%A6%AA/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A1%E0%A7%A6-%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83/,"নয়াদিল্লি, ০৭ জানুয়ারি, ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ডাঃ তেহেমটন উডওয়াডিয়া-র প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; “চিকিৎসা জগতে ডাঃ তেহেমটন উডওয়াডিয়া-র অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর উদ্ভাবনী মানসিকতা এবং চিকিৎসার সময় প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে রোগীকে সুস্থ করার উদ্যোগের জন্য তিনি সর্বজনশ্রদ্ধেয়। তাঁর প্রয়াণে আমি মর্মাহত। ডাঃ উডওয়াডিয়া-র পরিবার-পরিজন এবং গুণমুগ্ধদের সমবেদনা জানাই। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।”",ড০ তেহেমটন উদৱাদিয়াৰ মৃত্যুত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শোক প্ৰকা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%B8-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8-%E0%A6%8F-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81-3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%B0-%E0%A7%A9%E0%A7%A6%E0%A7%A6%E0%A7%A6-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%B2/,"“তরুণ তারকা অবিনাশ সাবলে-র নাম উল্লেখ করার মতো। পুরুষদের ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজ-এ তাঁর রৌপ্য পদক জয়ের ঘটনায় আমি আনন্দিত। সাম্প্রতিককালে তাঁর সঙ্গে আমার আলাপচারিতার সময় সেনাবাহিনীতে তাঁর যুক্ত হওয়া এবং বহু বাধা অতিক্রম করার ঘটনা সম্পর্কে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার কথা আমাকে বলেছিলেন। জীবনের যাত্রাপথে তাঁর অভিজ্ঞতা অন্যকে উৎসাহিত করার মতো।” – কমনওয়েলথ গেমস, ২০২২-এ পুরুষদের ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজ-এ রৌপ্য পদক জয়ী অভিনাশ সাবলে-কে এক ট্যুইট বার্তার মাধ্যমে এইভাবেই অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। /",পুৰুষৰ ৩০০০ মিটাৰ ষ্টিপলচেজ ইভেণ্টত ৰূপৰ পদক বিজয়ী অবিনাশ চাবলেক অভিনন্দন প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7/,"নয়াদিল্লি, ০২ নভেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী অরুণাচল বিধানসভার সদস্য জাম্বে তাশির প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন। এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন; ""জাম্বে তাশির অকাল প্র‍য়াণে আমি মর্মাহত। সমাজের জন্য কাজ করতে আগ্রহী এক উদীয়মান নেতা ছিলেন তিনি। অরুণাচল প্রদেশের উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন তিনি। দুঃখের এই প্রহরে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজন ও সমর্থকদের জন্য রইলো আমার সমবেদনা। ওম শান্তি পদ্মে হুম।@PemaKhandu",জাম্বে তাছিৰ বিয়োগত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শো +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%A3-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A3%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%87/,"নয়াদিল্লি, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ নমস্কার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আমার সমস্ত সহযোগী, সকল রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিগণ, বিভিন্ন সামাজিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত বন্ধুগণ, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের দূরদুরান্তের এলাকা থেকে যে বন্ধুরা এই ওয়েবিনারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন! ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, বাজেটের পর বাজেট ঘোষণাগুলিকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে আজ আপনাদের মতো সমস্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে এই বার্তালাপ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অউর সবকা প্রয়াস’ – ই আমাদের সরকারি নীতি আর কাজের এই মূলমন্ত্র । আজকের মূল ভাবনা – ‘লিভিং নো সিটিজেন বিহাইন্ড’। অর্থাৎ, কোনও নাগরিককে পেছনে থাকতে না দেওয়া । এই ভাবনাও আমাদের মূল মন্ত্র থেকেই উৎসারিত। স্বাধীনতার অমৃতকালের জন্য আমরা যে সঙ্কল্প নিয়েছি তা সকলের প্রচেষ্টাতেই বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব। সকলের প্রচেষ্টা তখনই সম্ভব যখন উন্নয়ন সকলের জন্য হবে। প্রত্যেক ব্যক্তি, প্রত্যেক শ্রেণী, প্রত্যেক ক্ষেত্র উন্নয়ন দ্বারা সম্পূর্ণভাবে উপকৃত হবে। সেজন্য বিগত বছরগুলিতে আমরা দেশের প্রত্যেক নাগরিক, প্রত্যেক ক্ষেত্রের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেশের গ্রাম এবং গরীবের জন্য পাকা বাড়ি, শৌচাগার, রান্নার গ্যাস, বিদ্যুৎ সরবরাহ, নলের মাধ্যমে জল, সড়ক – এরকম মৌলিক সুবিধাগুলির সঙ্গে যুক্ত করার প্রকল্পগুলির উদ্দেশ্য এটাই। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে দেশ অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। কিন্তু এখন সময় এসেছে এই প্রকল্পগুলির ‘স্যাচুরেশন’ হওয়া বা সম্পৃক্তায়নের। এগুলিকে ১০০ শতাংশ লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার। এর জন্য আমাদের নতুন রণনীতিও গ্রহণ করতে হবে। মনিটরিং বা তদারকির জন্য, অ্যাকাউন্টেবিলিটি বা দায়বদ্ধতার জন্য, প্রযুক্তির ভরপুর ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সম্পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। বন্ধুগণ, এই বাজেটে সরকার দ্বারা স্যাচুরেশনের এই বড় লক্ষ্য অর্জন করার জন্য একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে। বাজেটে ‘পিএম আবাস যোজনা’, ‘গ্রামীণ সড়ক যোজনা’, ‘জল জীবন মিশন’, উত্তর-পূর্ব ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, গ্রামগুলিতে ব্রডব্যান্ড যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন – এই ধরনের প্রত্যেক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্থান করা হয়েছে। এগুলি গ্রামীণ এলাকা, উত্তর-পূর্ব ভারতের সীমান্ত এলাকা আর দেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলাগুলিতে সমস্ত পরিষেবাকে স্যাচুরেশনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টারই অঙ্গ। বাজেটে যে ‘ভাইব্র্যান্ট ভিলেজ প্রোগ্রাম’ ঘোষণা করা হয়েছে তা আমাদের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘প্রাইম মিনিস্টার্স ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ফর নর্থ ইস্ট রিজিয়ন’ অর্থাৎ, ‘পিএম ডিভাইন’ প্রকল্প উত্তর-পূর্ব ভারতের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে ১০০ শতাংশ বাস্তবায়ন সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক হবে। বন্ধুগণ, গ্রামগুলির উন্নয়নের ক্ষেত্রে সেখানে বাড়ি এবং জমির যথাযথ ডিমার্কেশন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এক্ষেত্রে ‘স্বামীত্ব যোজনা’ অত্যন্ত সহায়ক প্রমাণিত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এর মাধ্যমে ৪০ লক্ষেরও বেশি ‘প্রপার্টি কার্ড’ জারি করা হয়েছে। ল্যান্ড রেকর্ডস-এর রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি ন্যাশনাল সিস্টেম আর একটি ‘ইউনিক ল্যান্ড আইডেন্টিফিকেশন পিন’ অনেক বড় পরিষেবা প্রদান করবে। রাজস্ব দপ্তরের ওপর সাধারণ গ্রামবাসীদের নির্ভরতা হ্রাস করা আমাদের সুনিশ্চিত করতে হবে। ল্যান্ড রেকর্ডস-এর ডিজিটাইজেশন এবং ডিমার্কেশনের সঙ্গে যুক্ত সমাধানগুলিকে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করা আজকের প্রয়োজন। আমি মনে করি, সমস্ত রাজ্য সরকার যদি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে কাজ করে , তাহলে গ্রামগুলির উন্নয়নে আরও বেশি গতি সঞ্চারিত হবে। এটা এমন একটা সংস্কার যা গ্রামগুলিতে পরিকাঠামো নির্মাণের প্রকল্পগুলি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গতি বাড়াবে আর গ্রামগুলিতে বাণিজ্যিক গতিবিধিকে আরও উৎসাহিত করবে। ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্পে ১০০ শতাংশ লক্ষ্য পূরণের জন্য আমাদের নতুন প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দিতে হবে, অগ্রাধিকার দিতে হবে যাতে দ্রুতগতিতে প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ হয় আর গুণবত্তার ক্ষেত্রেও কোনরকম কমপ্রোমাইজ না করতে হয়। বন্ধুগণ, এ বছরের বাজেটে ‘পিএম আবাস যোজনা’র জন্য ৪৮ হাজার কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। এ বছর ৮০ ল���্ষ বাড়ি বানানোর যে লক্ষ্য, নির্দিষ্ট সময়ে এই লক্ষ্যপূরণের জন্য দ্রুতগতিতে কাজ করতে হবে। আপনারা সবাই জানেন যে আজ দেশের ছয়টি শহরে ‘অ্যাফোর্ডেবল হাউজিং’-এর জন্য নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগ করে ছয়টি ‘লাইট হাউজ’ প্রোজেক্টের কাজ চলছে। এ ধরনের প্রযুক্তি গ্রামের বাড়িগুলিতে কিভাবে উপযোগী হবে, আমাদের ইকো-সেন্সিটিভ জোনেও যে সমস্ত বাড়ি বানানোর কাজ চলছে, সেখানেও আমরা এই নতুন প্রযুক্তিগুলি কিভাবে ব্যবহার করতে পারি তার সমাধান নিয়ে একটি সার্থক এবং সুগভীর চিন্তাভাবনা ও আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। গ্রামে গ্রামে পাহাড়ি এলাকাগুলিতে উত্তর-পূর্ব ভারতের সড়কপথগুলির রক্ষণাবেক্ষণ একটি অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। স্থানীয় ভৌগোলিক পরিস্থিতি অনুসারে দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকবে, এরকম উপাদান চিহ্নিত করে তারপরই এইসব সমস্যার সমাধান করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বন্ধুগণ, ‘জল জীবন মিশন’-এর মাধ্যমে প্রায় ৪ কোটি বাড়িতে নলের মাধ্যমে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্য আমরা রেখেছি। এই লক্ষ্য পূরণ করার জন্য আপনাদের পরিশ্রম আরও বাড়াতে হবে। প্রত্যেক রাজ্যের প্রতি আমার অনুরোধ, যে পাইপলাইন পাতা হচ্ছে, যে জল আসছে, তার গুণমান সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও আমাদের লক্ষ্য দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। গ্রামস্তরে জনগণের মনে যাতে একটি ‘সেন্স অফ অনারশিপ’ আসে, ‘ওয়াটার গভর্ন্যান্স’ যেন জোরদার হয়, এটাও এই প্রকল্পের একটি লক্ষ্য। এই সকল বিষয় মাথায় রেখে আমাদের ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের প্রত্যেক বাড়িতে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে দিতে হবে। বন্ধুগণ, গ্রামে গ্রামে ডিজিটাল সংযোগ এখন আর একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষা নয়, এটি আজ একটি প্রয়োজন। ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটির মাধ্যমে গ্রামগুলির শুধু সুবিধাই হবে না, প্রত্যেক গ্রামের দক্ষ যুবক-যুবতীর একটি বড় পুল তৈরি করার ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। গ্রামে গ্রামে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি গড়ে তুলতে পারলে সার্ভিস সেক্টর বা পরিষেবা ক্ষেত্র যতটা সম্প্রসারিত হবে, সেটা দেশের সামর্থ্য আরও বেশি বাড়িয়ে দেবে। অপটিক্যাল ফাইবার কানেক্টিভিটির মাধ্যমে যদি কোথাও সমস্যা আসে সেগুলিকে চিহ্নিত করা, এবং সেগুলির সমাধান আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। যে যে গ্রামে কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে, সেখানকার গুণবত্তা আর যথাযথ ব্যবহারের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধিও ততটাই প্রয়োজনীয়। ১০০ শতাংশ ডাকঘরকেও কোর ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে�� অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তও একটি বড় পদক্ষেপ। ‘জন ধন যোজনা’র মাধ্যমে ‘ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন’ বা আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের যে অভিযান আমরা শুরু করেছি, তাকেও স্যাচুরেশনে পৌঁছে দিতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত সহায়ক হবে। বন্ধুগণ, গ্রামীণ অর্থনীতির একটা বড় ভিত্তি হল আমাদের মাতৃশক্তি, আমাদের মহিলা শক্তি। আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের মাধ্যমে পরিবারগুলিতে মহিলাদের আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অধিক অংশীদারিত্ব সুনিশ্চিত করা হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমে মহিলাদের এই অংশীদারিত্ব আরও বিস্তারিত করার প্রয়োজন রয়েছে। এই গ্রামীণ ক্ষেত্রগুলিতে অধিকাংশ স্টার্ট-আপকে কিভাবে নিয়ে যাওয়া যাবে, এক্ষেত্রেও আপনাদের প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে। বন্ধুগণ, এই বাজেটে ঘোষিত সকল কর্মসূচিকে আমাদের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আমরা কিভাবে পূরণ করব তা সমস্ত মন্ত্রক, সংশ্লিষ্ট সকলের কনভার্জেন্স কিভাবে সুনিশ্চিত করতে পারবেন, তা নিয়ে এই ওয়েবিনারে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এভাবে চেষ্টা করলেই ‘লিভিং নো সিটিজেন বিহাইন্ড’-এর লক্ষ্য আমাদের দেশে পূরণ করা সম্ভব হবে। আমি আরও একটি অনুরোধ জানাচ্ছি। এ ধরনের শীর্ষ সম্মেলনে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে বেশি কিছু বলতেই চাই না, আমরা আপনাদের থেকে শুনতে চাই, আমরা আপনাদের অভিজ্ঞতাকে জানতে চাই, আমরা জানতে চাই আমাদের গ্রামগুলির ক্ষমতা কিভাবে বাড়বে। প্রথমত, প্রশাসনের দৃষ্টিকোণ থেকে, আপনারা ভাবুন, কখনও কী কোনও গ্রামস্তরে সরকারি এজেন্সিগুলি নিজের নিজের ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করে চলেছে? গ্রামস্তরে কখনও ২-৪ ঘন্টা একসঙ্গে বসে, সেই গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা কী করতে পারেন, তা নিয়ে কী আলোচনা করেছেন? আমি দীর্ঘকাল একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম। আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে গ্রামে কর্মরত সরকারি প্রতিনিধিদের এই অভ্যাস নেই। কিন্তু আমি চাই যে একদিন গ্রামে কৃষি বিভাগের ব্যক্তি যাবেন, দ্বিতীয় দিন সেচ বিভাগের প্রতিনিধি যাবেন, তৃতীয় দিন স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি যাবেন, চতুর্থ দিন শিক্ষা বিভাগের প্রতিনিধি যাবেন। কিন্তু এখন কে কবে যাবেন সেটা অন্য কেউ জানে না। আমরা কি এখন থেকে গ্রামের মানুষদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে সংশ্লিষ্ট সমস্ত এজেন্সিকে একসঙ্গে বসিয়ে গ্রামের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদ��র উপস্থিতিতে এটা ঠিক করতে পারি যে তাঁরা কে কবে আসবেন? আমাদের গ্রামের উন্নয়নের জন্য অর্থের সমস্যা ততটা নেই, যতটা সমস্যা রয়েছে এই ঢিমেতালে কাজ করার প্রক্রিয়াকে সমাপ্ত করার, এই কনভারজেন্স হওয়া এবং তা থেকে গ্রামবাসীদের উপকৃত করার। এখন আপনারা হয়তো ভাবছেন, ভাই, ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসির সঙ্গে গ্রামীণ বিকাশের কী সম্পর্ক? এখন আপনারা ভাবুন, ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি-তে একটি বিষয় রয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের স্থানীয় দক্ষতার সঙ্গে পরিচিত করানো। আপনারা ছাত্রছাত্রীদের স্থানীয় এলাকা থেকে দূরে নিয়ে যান। কখনও কী এটা ভেবেছেন, আমাদের যে ‘ভাইব্র্যান্ট ভিলেজ’ গড়ার কল্পনা রয়েছে, আমরা সেই দিকে লক্ষ্য দিতে যত স্কুল রয়েছে সেগুলিকে চিহ্নিত করি, কখনও সেখানকার অষ্টম শ্রেণীর শিশুদের, কখনও নবম শ্রেণীর ছেলে-মেয়েদের আবার কখনও দশম শ্রেণীর ছেলে-মেয়েদের দু’দিনের জন্য দেশের সীমান্তবর্তী কোনও গ্রামে বসবাসের সুযোগ করে দিই, তাহলে তাদের মনে সেই গ্রামটি অনেক প্রভাব বিস্তার করবে। তারা গ্রাম দেখবে, গ্রামের গাছপালা দেখবে, সেখানকার মানুষের জীবন দেখবে, সেগুলি নিয়ে লিখবে। অবলীলায় দেখবেন তাদের মধ্যে স্পন্দন আসা শুরু হয়েছে। কোনও তহশিলের কেন্দ্রে যে ছেলে-মেয়েরা থাকে, তারা যদি ৫০-১০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে প্রান্তিক সীমান্তবর্তী গ্রামটি দেখে, নিজেদের সীমান্তকে দেখে, তখন তাদের মনে কী স্পন্দন তৈরি হবে কল্পনা করুন। এখন তো এটা তাদের শিক্ষার পাঠক্রমের অন্তর্গত হয়েছে। আমরা কী সত্যিই সত্যিই এরকম কিছু ব্যবস্থা বিকশিত করতে পারি? এখন আমরা ঠিক করব যে তহশীল স্তরে কোন ধরনের প্রতিযোগিতা চালু করা যায়! ছেলে-মেয়েদের জন্য আমরা সেই প্রতিযোগিতাগুলি ওই গ্রামে গিয়ে করব। আপনারা দেখবেন স্পন্দিত হওয়া শুরু হয়ে যাবে। তেমনই আমরা কখনও ভাবতে পারি আমাদের গ্রামে এরকম কত মানুষ আছেন যাঁরা কোথাও না কোথাও সরকারি চাকরি করেন বা সরকারের হয়ে কাজ করেন। কত মানুষ আছেন যাঁরা আমাদের গ্রামে থাকেন, যাঁরা সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন, বা গ্রামের মানুষ তাঁরা অবসর নিয়ে কাছাকাছি কোনও শহরে থাকেন। যদি এরকম ব্যবস্থা চালু করা যায় যে কখনও সরকারের সঙ্গে যুক্ত কিংবা সরকারি পেনশনভোগী ব্যক্তিদের সকলকে বছরে একবার গ্রামের মধ্যে একত্রিত করা যায়, আর তাঁরা ভাবনাচিন্তা করেন যে এটা আমাদের গ্রাম, আমি তো চলে গিয়েছি, চাকরি করছি, শ��রে বসবাস করছি, কিন্তু আসুন সবাই একসঙ্গে বসি। আমাদের গ্রামের জন্য আমরা কী করতে পারি, আমরা সরকারি চাকরি করেছি, সরকারকে জানি, কাজেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে আমরা সাহায্য করতে পারব। চলুন সবাই মিলে কাজ করি। অর্থাৎ, আমরা এরকম নতুন রণনীতি তৈরি করতে পারি। মনে করুন আমাদের গ্রামের একটা জন্মদিন ঠিক করলাম। আমরা ভাবলাম যে অমুক দিনে গ্রামের জন্মদিন পালন করব। গ্রামের মানুষ ১০-১৫ দিন ধরে উৎসবের আয়োজন করে গ্রামের বিভিন্ন প্রয়োজন পূরণের জন্য এগিয়ে আসবেন। গ্রামের সঙ্গে এই সম্পর্ক সেই গ্রামগুলিকে সমৃদ্ধ করবে। যতটা বাজেটে থাকবে তার থেকেও বেশি এটা সকলের প্রচেষ্টায় বাস্তবায়িত হবে। আমরা নতুন রণনীতি নিয়ে এগিয়ে যাব। এখন যেমন আমাদের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র রয়েছে। আমরা কি ঠিক করতে পারি যে ভাই আমাদের গ্রামে ২০০ কৃষক রয়েছেন। চলো এবার ৫০ জন কৃষককে আমরা প্রাকৃতিক কৃষির দিকে নিয়ে যাব। কখনও আমরা এরকম ভাবতে পারি কি? আমাদের এখানে যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্রামীণ পরিবেশ থেকে ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা করতে আসে। কখনও কি গ্রামোন্নয়নের সম্পূর্ণ চিত্র আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে এই ছাত্রছাত্রীদের সামনে রেখেছি? তারা যখন লম্বা ছুটির সময় নিজেদের গ্রামে যাবে, তখন তারা গ্রামের মানুষের সঙ্গে বসবে, একটু লেখাপড়া জানা গ্রামবাসীদের সরকারি প্রকল্পগুলির সম্পর্কে জানাবে, নিজেরাও বুঝবে আর গ্রামের জন্য কাজ করবে। অর্থাৎ, আমরা কিছু নতুন রণনীতি ভাবতে পারি কি? আমাদের জানা থাকা উচিৎ যে ভারতের অধিকাংশ রাজ্যগুলিতে আউটপুট থেকে বেশি আউটকামের দিকে লক্ষ্য দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। অর্থাৎ, কতটা কাজ করছে তা নয়, সেই কাজ কতটা ফলদায়ক হচ্ছে সেটা ভাবতে হবে। আজ গ্রামে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা আসে। সেই টাকাকে সঠিক সময়ে যদি ব্যবহার করা যায় তাহলে আমাদের গ্রামগুলির পরিস্থিতি বদলাতে পারে। আমাদের গ্রামগুলির মধ্যে এক ধরনের ‘ভিলেজ সেক্রেটারিয়েট’ গড়ে তুলতে হবে। আজ যখন আমি ‘ভিলেজ সেক্রেটারিয়েট’-এর কথা বলছি তখন নিঃসন্দেহে একটি বিল্ডিং থাকতে হবে। সেজন্য সকলের জন্য বসার যে চেম্বার থাকতে হবে এমন নয়, আমি শুধু সেটার কথাই বলছি না। আজ আমরা গ্রামে যেখানে দশজন একসঙ্গে বসি, এরকমই কোনও ছোট জায়গায় আমরা সবাই মিলে বসব, আর শিক্ষার জন্য কিছু নতুন পরিকল্পনা করতে পারব। তেমনই আপনারা হয়তো লক��ষ্য করেছেন, ভারত সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলাগুলিতে ভারত সরকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এত অদ্ভূত সব অভিজ্ঞতা হচ্ছে যে জেলায় জেলায় এখন একটি প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। প্রত্যেক জেলার মনে হচ্ছে যে আমি উন্নয়নে রাজ্যের গড় মান বা অন্য জেলার থেকে পিছিয়ে থাকব না। অনেক জেলার মনে হচ্ছে যে আমরা জাতীয় গড় থেকে এগিয়ে যেতে চাই। আপনারা কি নিজেদের তহশিলের জন্য ৮ কিংবা ১০টি প্যারামিটার ঠিক করতে পারেন? সেই ৮ কিংবা ১০টি প্যারামিটারের প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক তিন মাসে প্রতিযোগিতার যে ফল পাবেন সেখান থেকে কোন গ্রামটি এগিয়ে যাচ্ছে, কোন গ্রাম পিছিয়ে পড়েছে, আজ আমরা কোথায় রয়েছি, আমরা এখন কী করছি, শ্রেষ্ঠ গ্রাম হলে রাজ্যস্তরে পুরস্কার দেওয়া হয়, শ্রেষ্ঠ গ্রাম হলে জাতীয় স্তরে পুরস্কার দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হল তহশিল স্তরে যদি ৫০ থেকে ১০০, ১৫০ কিংবা ২০০টি গ্রামের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয় আর তারা প্যারামিটার ঠিক করে যে এই ১০টি বিষয় নিয়ে প্রতিযোগিতা হবে, ২০২২-এ এই ১০টি বিষয় নিয়ে প্রতিযোগিতা হবে। আমরা সবাই দেখবো যে, এই ১০টি বিষয় নিয়ে কাজে কোন গ্রাম এগিয়ে যায়। আপনারা দেখুন পরিবর্তন শুরু হয়ে যাবে আর যখন এরকমভাবে প্রতিযোগিতায় জিতে ব্লক স্তরে প্রতিযোগিতায় যাবেন, তখন আরও পরিবর্তন হবে আর সেজন্য আমি বলব যে বাজেট কোনও ব্যাপার নয়। আজ আমাদের আউটকামটাই বড় কথা, আর তা থেকে তৃণমূল স্তরে পরিবর্তন আনার সমস্ত ধরনের চেষ্টা করা উচিৎ। আমরা কি গ্রামের মধ্যে একটা পরিবর্তনের মেজাজ তৈরি করতে পারি না? আমরা কি এটা ঠিক করতে পারি না যে আমাদের গ্রামে কোনও বালক যেন অপুষ্টিতে না ভোগে? আমি বলছি যে সরকারি বাজেটের পরোয়া না করে একবার নিজেদের মনে কথাটা বসিয়ে নিন। গ্রামের মানুষ গ্রামের কোনও শিশুকে অপুষ্টিতে ভুগতে দেবেন না। আজও আমাদের দেশে একটা সংস্কার রয়েছে। আমরা যদি এটা বলি যে আমাদের গ্রামে একজনও ছাত্র-ছাত্রীও স্কুলছুট হবে না, তাহলে দেখবেন সমস্ত গ্রামের মানুষ এই অভিযানে যুক্ত হবেন। আমরা তো এটা দেখেছি! অনেক গ্রামের নেতারা এরকম রয়েছেন, অনেক পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি রয়েছেন, অনেক পঞ্চায়েত প্রধান রয়েছেন যাঁরা কখনও গ্রামের স্কুলেই যাননি আর গেলে কবে গেছেন? তাঁরা পতাকা তুলতে গেছেন। তারপর আর কখনও যাননি। এই স্কুলগুলিতে নিয়মিত যাওয়ার অভ্যাস আমরা কিভাবে তৈরি করব? আমাদের ভাবতে হবে যে এটা আমার গ্র���ম। আমার গ্রামের এই ব্যবস্থা আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে। আমাদেরকে গ্রামের প্রত্যেক প্রান্তে যেতে হবে – এই নেতৃত্ব সরকার প্রত্যেক ইউনিটকে দিতে হবে। যদি আমরা নেতৃত্ব না দিই আর যদি শুধু মুখে মুখে বলি আর চেক কেটে দিই বা টাকা পাঠিয়ে দিই আর ভাবি কাজ হয়ে যাবে, তাহলে কিন্তু পরিবর্তন আসবে না। আমরা যখন স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি পালন করছি, তখন জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে কিছু কথা, তাঁর কিছু আকাঙ্ক্ষা কি আমরা বাস্তবায়িত করতে পারি? তিনি বলে গেছেন পরিচ্ছন্নতার কথা, তিনি বলেছেন ভারতের আত্মা গ্রামে বসবাস করে। মহাত্মা গান্ধীর এই বক্তব্যকে আমরা কি বাস্তবায়িত করে পারি না? বন্ধুগণ, রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার, স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলি মিলেমিশে, আমাদের সকল বিভাগের ঢিলেমি সমাপ্ত করে আমরা যদি নিজেদের লক্ষ্য নির্ধারণ করি, তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আমরা নির্দিষ্ট সময়ে পরিণাম পেতে পারি। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে আমাদের সকলকেই দেশের জন্য কিছু দিতে হবে, দেশের জন্য কিছু করতে হবে – এই মেজাজ নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। আজ গোটা দিন এই বিষয় নিয়ে অনেক আলাপ-আলোচনা হোক। এবারের বাজেটকে যথাযথ ব্যবহার করে কিভাবে গ্রামের জীবনে পরিবর্তন আনা যাবে, ‘অপটিমাম ইউটিলাইজেশন অফ ইচ অ্যান্ড এভরি পেনি’ অর্থাৎ, প্রতিটি পয়সার সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার, এটা আমরা কিভাবে করতে পারব! যদি আমরা করতে পারি, তাহলে আপনারা দেখবেন কোনও নাগরিক পিছিয়ে থাকবেন না, আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। আপনাদের সবাইকে আমার অনেক অনেক শুভকামনা! অনেক অনেক ধন্যবাদ! /",গ্ৰামোন্নয়ণৰ ক্ষেত্ৰত কেন্দ্ৰীয় বাজেটৰ ইতিবাচক প্ৰভাৱ সন্দৰ্ভত অনুষ্ঠিত ৱে’বিনাৰত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7/,"নতুন দিল্লি, ১৫ এপ্রিল, ২০২২ নমস্কার! হিমাচল দিবসে দেবভূমির সকল মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। একটি অত্যন্ত আনন্দের সুখসংযোগ হল, দেশের স্বাধীনতার ৭৫ তম বছরে, হিমাচল প্রদেশও তার ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করছে। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে, হিমাচল প্রদেশের উন্নয়নের অমৃত যাতে রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে নিরন্তরভাবে পৌঁছে ���ায়, সেজন্য আমাদের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। অটলজি একবার হিমাচলের জন্য লিখেছিলেন- তুষারাবৃত পর্বত, নদী, জলপ্রপাত, বন, কিন্নর কিন্নরীদের দেশ, ক্ষণে ক্ষণে ঈশ্বরের অস্তিত্বের অনুভব! সৌভাগ্যবশত, আমিও বার বার হিমাচলে প্রকৃতির অমূল্য উপহার এবং সেখানকার মানুষের অভাবনীয় সামর্থের সাক্ষী থেকেছি। পাথর কেটে যারা নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন সেইসব হিমাচলবাসীদের মধ্যে থাকার এবং তাদের ঘনিষ্টভাবে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। বন্ধুরা, ১৯৪৮ সালে হিমাচল প্রদেশ যখন স্থাপিত হয়েছিল, তখন সামনে পাহাড়ের মতো চ্যালেঞ্জ ছিল। একটি ছোট পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় এখানকার পরিস্থিতি ছিল প্রতিকূল, ভূপ্রকৃতি ছিল বন্ধুর। এখানে সম্ভাবনার চেয়ে আশঙ্কা বেশি ছিল। কিন্তু হিমাচল প্রদেশের পরিশ্রমী, সৎ ও কর্মঠ মানুষ এই চ্যালেঞ্জকে সুযোগে রূপান্তরিত করেছে। আজ এখানে উদ্যানপালন শিল্পের বিকাশ, উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ, সাক্ষরতার হার, গ্রাম থেকে গ্রামে রাস্তা, ঘরে ঘরে জল ও বিদ্যুতের সুবিধার মতো অনেক মাপকাঠি এই পার্বত্য রাজ্যের অগ্রগতির সূচক। গত ৭-৮ বছরে, কেন্দ্রীয় সরকারের হিমাচল প্রদেশের উন্নয়ন ও ক্রমবিকাশে ক্রমাগত কাজ করে চলেছে। আমার তরুণ সহকর্মী, হিমাচলের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম জির সহযোগিতায় গ্রামীণ রাস্তা সম্প্রসারণ, হাইওয়ের প্রশস্তকরণ, রেলওয়ে নেটওয়ার্কের বিস্তার সহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডাবল ইঞ্জিন সরকারের এই সব প্রয়াসের ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। সংযোগ ব্যবস্থা যত উন্নত হচ্ছে, হিমাচলের পর্যটন শিল্প তত নতুন নতুন এলাকায়, নতুন নতুন অঞ্চলে প্রসার লাভ করছে। প্রতিটি নতুন অঞ্চল পর্যটকদের জন্য প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও অ্যাডভেঞ্চারের নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসছে এবং স্থানীয়দের জন্য কর্মসংস্থান ও স্বনির্ভরতার অফুরন্ত সম্ভাবনা উন্মুক্ত করছে। এখানে স্বাস্থ্য পরিষেবার কতটা উন্নতি হয়েছে, তা করোনার টিকাকরণের দ্রুত গতি থেকেই স্পষ্ট। বন্ধুরা, হিমাচলের সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশের জন্য আমাদের আরও দ্রুত গতিতে কাজ করতে হবে। ২৫ বছর পর হিমাচলের স্থাপনার এবং দেশের স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্ণ হবে। আগামী ২৫ বছর আমাদের কাছে নতুন সংকল্প গ্রহণের অমৃতকাল। এই সময়ের মধ্যে, হিমাচলকে পর্যটন, উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, তথ্যপ্রযুক্তি, জৈব-প্রযুক্তি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রাকৃতিক চাষের মতো ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এই বছরের বাজেটে ঘোষিত ভাইব্রেন্ট ভিলেজ স্কিম এবং পর্বতমালা যোজনা থেকেও হিমাচল প্রদেশ অনেকটা উপকৃত হবে। এই প্রকল্পগুলি হিমাচল প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সংযোগ বাড়াবে, পর্যটনের প্রসার ঘটাবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করবে। আমাদের হিমাচলের সবুজকে প্রসারিত করতে হবে, বনকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। শৌচাগার নির্মাণের ক্ষেত্রে হিমাচল চমৎকার কাজ করেছে, এখন স্বচ্ছতা অভিযানের অন্যান্য বিষয় জোর দিতে হবে, এই অভিযানে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে সামিল করতে হবে। বন্ধুরা, কেন্দ্রের যেসব কল্যাণমূলক প্রকল্প রয়েছে, সেগুলি রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে জয়রামজীর সরকার এবং তার পুরো টিম কাজ করছে। বিশেষ করে সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় কাজ হচ্ছে হিমাচলে। সৎ নেতৃত্ব, শান্তিপ্রিয় পরিবেশ, দেব-দেবীর আশীর্বাদ এবং হিমাচলের কঠোর পরিশ্রমী মানুষ, এসবই তুলনাহীন। দ্রুত উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই রয়েছে হিমাচলের। একটি সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী ভারত গড়তে হিমাচল নিরন্তর তার অবদান রেখে চলুক, আমি এই প্রার্থনা করি! অনেক অনেক ধন্যবাদ! /",হিমাচল দিৱস উপলক্ষে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%B6%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE/,"মহাকাশে অনুসন্ধান এবং শান্তিপূর্ণ কাজে তা ব্যবহারের ব্যাপারে ভারত এবং সাও তোম ও প্রিন্সেপে-র মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিকাঠামো চুক্তির ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে অবগত করা হয়েছে। নতুন দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে জানানো হয়। চলতি বছরের ৭ই সেপ্টেম্বর দু’দেশের মধ্যে এই পরিকাঠামো চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এই পরিকাঠামো চুক্তির ফলে মহাকাশে নতুন নতুন গবেষণা এবং রিমোট সেন্সিং-এর ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন সম্ভাবনার ব্যাপারে কাজ করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে, উপগ্রহ যোগাযোগ, দিক নির্দেশ এবং মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে নতুন করে গবেষণা চালানোও যাবে। মহাকাশ প্রযুক্তি নিয়ে ভারত এবং সাও তোম ও প্রিন্সেপে যৌথভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ নেবে�� এর ফলে, দুটি দেশই এক্ষেত্রে উপকৃত হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, বিদেশ মন্ত্রক এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল সেক্রেটারিয়েট, এনএসসিএস, সাও তোম এবং প্রিন্সেপে-র সরকারের কাছে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে তাদের সহযোগিতার ব্যাপারে সে দেশের আগ্রহের বিষয়টি জানতে চেয়েছিল। সাও তোম-তে একটি উপগ্রহ কেন্দ্র বসানোরও প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত। এর প্রেক্ষিতে সাও তোম ও প্রিন্সেপে-র বিদেশ মন্ত্রক এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় এবং ইসরোর এক প্রতিনিধিদল ঐ দেশ সফর করে উপগ্রহ কেন্দ্র বসানোর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে। পরবর্তী পর্যায়ে, দু’দেশের মধ্যে মহাকাশ গবেষণার ব্যাপারে একটি সহযোগিতামূলক পরিকাঠামো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। /",শান্তিপূৰ্ণ উদ্দেশ্যৰ বাবে মহাকাশত গৱেষণা আৰ ব্যৱহাৰৰ ক্ষেত্ৰত সহযোগিতা বৃদ্ধিৰ লক্ষ্যৰে ভাৰত আৰু ছাও টমে আৰু প্ৰিন্সিপেৰ মাজত স্বাক্ষৰিত পৰিকাঠামো চুক্তি সম্পৰ্কে অৱগত কৰিলে কেবিনেটক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%80-%E0%A6%9A%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ইম্ফল সফর করেন। এক বিশাল জনসভায় তিনি মোরে-তে সুসংহত সীমান্ত চৌকির উদ্বোধন করেন। সাওমবুঙ্গ-এ তিনি দোলাইথাবি বাঁধ প্রকল্প, ভারতীয় খাদ্য নিগমের মজুতভাণ্ডার সহ জল সরবরাহ ও পর্যটন সংক্রান্ত একাধিক প্রকল্পের সূচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী, ৪০০ কিলোভোল্ট বিদ্যুৎবাহী শিলচর-ইম্ফল ডবল সার্কিট লাইনের উদ্বোধন করেন। ক্রীড়াক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত একাধিক প্রকল্পেরও তিনি শিলান্যাস করেন। জনসভায় ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিশেষ করে, মণিপুরের মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অবিভক্ত ভারতে মণিপুরের মইরাং-এ স্থাপিত প্রথম অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথাও তিনি স্মরণ করেন। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের কাছ থেকে আজাদ হিন্দ ফৌজ যে বিপুল সমর্থন পেয়েছিল, তার কথাও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘নতুন ভারতে’র অগ্রগতিতে মণিপুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আজকের অনুষ্ঠানে ১,৫০০ কোটি টাকার বেশি যে সমস্ত প্রকল্পের উদ্বোধন বা শিলান্যাস হয়েছে, সেগুলি এই রাজ্যের মানুষের জীবনযাপনের মানোন্নয়নে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে বলেও শ্রী মোদী অভিমত প্রকাশ করেন। বিগত সাড়ে চার বছরে তিনি প্রায় ৩০ বার উত্তর-পূর্ব সফর করেছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলের সামগ্রিক পরিবর্তন ঘটছে এবং কয়েক দশক ধরে যে সমস্ত প্রকল্পের কাজ থমকে ছিল সেগুলি সম্পূর্ণ করা হচ্ছে। মোরের সুসংহত চেক পোস্টটি সীমাশুল্ক সংক্রান্ত ছাড়পত্র প্রদান, বিদেশি মুদ্রা বিনিময়, অভিবাসন সংক্রান্ত কাজকর্ম সম্পাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আজ যে সব প্রকল্পের উদ্বোধন করা হচ্ছে, সেগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নের প্রতি অঙ্গীকারকেই প্রতিফলিত করে। তিনি জানান, ১৯৮৭ সালে দোলাইথাবি বাঁধ প্রকল্প রূপায়ণের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ২০১৪ সালের পর এই প্রকল্প রূপায়ণের কাজে গতি আসে এবং আজ এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হল। পর্যটন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত যে সমস্ত প্রকল্পের আজ উদ্বোধন করা হয় সেগুলির কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে শ্রী মোদী জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ আরও দ্রুতগতিতে শেষ করতে ‘প্রগতি’ ব্যবস্থায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পগুলির কাজকর্মের অগ্রগতিতে নজর রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রগতি’ বৈঠকের মাধ্যমে ১২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি থমকে থাকা বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। সাওমবুঙ্গ-এ ভারতীয় খাদ্য নিগমের (এফসিআই) মজুতভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজ ২০১৬-র ডিসেম্বরে শুরু হয়। ইতিমধ্যেই এই কাজ শেষ হয়েছে। প্রসঙ্গত তিনি জল সরবরাহ সংক্রান্ত একাধিক প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথাও উল্লেখ করেন। শ্রী মোদী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এবং মণিপুর সরকার উভয় পক্ষই ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’-এর উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছে। তিনি রাজ্য সরকারের ‘গো টু হিল্‌স, গো টু ভিলেজ’ কর্মসূচির প্রশংসা করেন। ‘পরিবহণের মাধ্যমে পরিবর্তন’ আনার যে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, তার ভিত্তিতে উত্তর-পূর্বে উন্নত সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। স্বচ্ছ ভারত ও অনাময় অভিযান সহ উন্নয়নকামী জেলাগুলির মধ্যে রাজ্যের চান্দেল জেলার অন্তর্ভুক্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে মণিপুরের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। মহিলা ক্ষমতায়ন ক্ষেত্রে মণিপুর সামনে থেকে নেতৃত��ব দিচ্ছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের উজ্জ্বল ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মেরি কম-এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। শ্রী মোদী বলেন, ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারতকে বিশ্ব আঙিনায় শক্তিধর দেশে পরিণত করতে উত্তর-পূর্বাঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলিতে ভারতের উজ্জ্বল সাফল্য প্রশিক্ষণ প্রদান এবং খেলোয়াড়দের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার বিষয়টিকেই প্রতিফলিত করে বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। /","মোৰেত সংহত তালাচী চকী উদ্বোধন, ইম্ফলত অন্যান্য উন্নয়নমূলক প্ৰকল্প উদ্বোধন কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%97%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%97%E0%A7%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,"উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রদ্ধেয় রাম নায়েক মহোদয়, রাজ্যের যশস্বী পরিশ্রমী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, সদা হাস্যময় উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য, কেন্দ্রীয় শিল্প বিকাশ প্রতিমন্ত্রী সতীশ মহানা, রাজ্যের মন্ত্রী ভাই দারাসিং, সংসদ সদস্য ও বিজেপি-র প্রদেশ অধ্যক্ষ মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে, সংসদ সদস্য আমার বোন নিলম সোনকর, স্থানীয় বিধায়ক অরুণ এবং বিপুল সংখ্যায় আগত আমার ভাই ও বোনেরা। মুনি-ঋষিদের সাধনা ক্ষেত্র ও সাহিত্য জগতের অনেক মণীষীর জন্মস্থান আজমগড়ের এই পুণ্যভূমিকে আমি প্রণাম জানাই। আজ উত্তর প্রদেশের উন্নয়নে এক নতুন অধ্যায় যুক্ত হওয়ার সূত্রপাত হ’ল। পূর্ব ভারতে পূর্ব উত্তর প্রদেশের একটি বড় অঞ্চলে উন্নয়নের নতুন গঙ্গা প্রবাহিত হবে। এই গঙ্গা পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস রূপে আপনারা পাবেন, যার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সৌভাগ্য আমার হ’ল। বন্ধুগণ, আমরা উত্তর প্রদেশের উন্নয়নকে এমন গতি প্রদান করতে চাই, যাতে সমস্ত পিছিয়ে পড়া অঞ্চল দ্রুত অন্যান্য অঞ্চলের সমকক্ষ হয়ে ওঠে। চার বছর আগে আপনারা ভারতীয় জনতা পার্টিকে বিপুল ভোটে জয়ী করে কেন্দ্রে সরকার গঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাকে কাশী থেকে নির্বাচিত করেছেন। আমাদের কাজ দেখে গত বছর আপনারা আরেকটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তা হল, রাজ্যেও ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার। যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে গত এক বছরে এই সরকার এমন কাজ করেছে, যা অভূতপূর্ব। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে দুর্নীতি দূরীকরণের মা���্যমে আদিত্যনাথ যোগী রাজ্যে এমন বাণিজ্য-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন যে, দেশ ও বিদেশের অনেক বিনিয়োগকারী গত এক বছরে এই রাজ্যে রেকর্ড পরিমাণ বিনিয়োগ করেছেন। কৃষক, যুবক-যুবতী, পীড়িত-শোষিত-বঞ্চিত সকলের উত্থানের জন্য সংকল্প গ্রহণ করে এই সরকার আপনাদের সঙ্গে নিয়ে এই সাফল্য অর্জন করেছে। গত ১০ বছরে উত্তর প্রদেশের যে নেতিবাচক পরিবেশ গড়ে উঠেছিল, তা এখন বদলে গেছে। এখন জনগণের টাকা জনগণের মঙ্গলের জন্যই খরচ হয়। এই পরিবর্তিত কর্মসংস্কৃতি উত্তর প্রদেশকে ভবিষ্যতে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। ভাই ও বোনেরা, পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে গোটা উত্তর প্রদেশ, বিশেষ করে পূর্ব উত্তর প্রদেশের আশা-আকাঙ্খা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। ২৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্ণৌ থেকে গাজিপুর ৩৪০ কিলোমিটার পথে যতগুলি শহর, আধা-শহর ও গ্রাম পড়ে – প্রতিটি অঞ্চলের চিত্র বদলে যাবে। দিল্লি থেকে গাজিপুরের দূরত্বও অনেক ঘন্টা কমে যাবে। ফলে, দীর্ঘ যানজটের হাত থেকে মানুষ রেহাই পাবেন, সময়ের পাশাপাশি জ্বালানি সাশ্রয়ও হবে, পরিবেশও দূষণমুক্ত হবে। আমি নিশ্চিত যে, এই বিশাল এলাকার কৃষক, পশুপালক, তাঁতি, কুমোরদের জীবনে এই এক্সপ্রেসওয়ে নতুন গতি প্রদান করবে। কৃষক ভাই-বোণদের উৎপাদিত শস্য, ফল, সব্জি, দুধ অনেক কম সময়ে দিল্লির বাজারগুলিতে পৌঁছে যাবে। এই পথ হয়ে উঠবে দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প মহাসড়ক। এই পথের দু’পাশে নতুন নতুন শিল্প বিকশিত হবে। ফলে অনেক নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রশিক্ষণ সংস্থা, শিল্প শিক্ষণ ব্যবস্থাপনা ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, উন্নত হবে এই অঞ্চলের পর্যটন। এই অঞ্চলে আমাদের যে গুরুত্বপূর্ণ পৌরাণিক স্থানগুলি রয়েছে, আমাদের ঋষি-মুনিদের ভজন-পূজনের ইতিহাস রয়েছে, ভগবান রামের কীর্তি জড়িত এই অঞ্চলগুলির পর্যটন আরও বিকশিত হলে স্থানীয় যুবক-যুবতীরা পারম্পরিক পেশার পাশাপাশি পর্যটন ক্ষেত্রেও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। বন্ধুগণ, আমাকে বলা হয়েছে যে, আগামীদিনে গোরখপুর ও বুন্দেলখন্ডকেও এরকম দুটি স্বতন্ত্র এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে যুক্ত করা হবে। এই সকল প্রচেষ্টা উত্তর প্রদেশের যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থাকে নতুন স্তরে পৌঁছে দেবে। একবিংশ শতাব্দীর উন্নয়নের বুনিয়াদী শর্ত হ’ল যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন। এই উন্নয়ন নতুন কর্মসংস্থান, নতুন ব্যবসা �� শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে দেশের নিম্নবর্গের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার কাজ ত্বরান্বিত করবে। ভাই ও বোনেরা, আমাদের কাজ করার ইচ্ছে থাকলে আর উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করলে গতি নিজে থেকেই বৃদ্ধি পায়। ফাইলগুলি লাল ফিতের ফাঁসে আটকে থাকে না। সেজন্য গত ৪ বছরে উত্তর প্রদেশে জাতীয় মহাসড়কের জাল দ্বিগুণ বিস্তৃত হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত যত কাজ হয়েছে বিজেপি সরকার গত চার বছরে সমপরিমাণ কাজ করে দেখিয়েছে। তারপর এই রাজ্যে যোগীজির নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর কাজের গতি আরও বেড়ে গেছে। উত্তর প্রদেশে সড়কপথের পাশাপাশি জলপথ ও আকাশপথের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। গঙ্গানদীতে বেনারস থেকে হলদিয়া পর্যন্ত জাহাজ পরিষেবা চালু হলে গোটা অঞ্চলে শিল্পোন্নয়ন নতুন মাত্রা পাবে। তাছাড়া, বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে আমার যে স্বপ্ন ছিল, হওয়াই চপ্পল পরিহিত মানুষ যাতে সহজে বিমানে চড়তে পারেন, সেই স্বপ্ন মাথায় রেখে সরকার উড়ান যোজনাকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। ছোট ছোট শহরগুলিতে বিমান পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। উত্তর প্রদেশে ১২টি নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ চলছে। পাশাপাশি, কুশীনগড় ও জেওয়োরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ চলছে। ভাই ও বোনেরা, মোদী ও যোগী আপনাদের পরিবার মানুষ আপনাদের স্বপ্ন আর আমাদের স্বপ্ন এক। গরিব পরিবারের সন্তান হিসাবে আমরা গরিব ও মধ্যবিত্তদের আশা-আকাঙ্খাকে গভীরভাবে বুঝতে পারি। সেজন্য উড়ান যোজনায় এক ঘন্টা সফরের জন্য কোনও যাত্রীকে যেন আড়াই হাজার টাকার বেশি ভাড়া না দিতে হয়, তা আমরা সুনিশ্চিত করেছি। ফলস্বরূপ, গত বছর সারা দেশে যত মানুষ রেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় যাতায়াত করেছেন, তারচেয়ে বেশি মানুষ বিমানে যাতায়াত করেছেন। বন্ধুগণ, পূর্ববর্তী সরকারগুলির নীতি এমনই ছিল যে, পূর্ব উত্তর প্রদেশ সহ গোটা পূর্ব ভারত দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় পিছিয়ে ছিল। অথচ আমি মনে করি যে, পূর্ব ভারতের প্রতিটি অঞ্চলের জনগণের সামর্থ্য রয়েছে যে, তাঁরা এই অঞ্চলের উন্নয়নকে কয়েকগুণ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। সেই সম্ভাবনাকে জাগিয়ে রেখে আমরা গোটা পূর্ব ভারতের চেহারা বদলে দিতে চাই। বন্ধুগণ, যতক্ষণ পূর্বদিকে উন্নয়নের সূর্য উঠবে না, ততক্ষণ নতুন ভারত উজ্জ্বল হয়ে উঠবে না। সেজন্য গত চার বছরে আমরা পূর্ব উত্তর প্রদেশ থেকে শুরু করে বিহার, ঝাড়খন্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, আসাম ও উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যের উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে ঐ অঞ্চলের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে গেছি। সড়ক, রেল ও বিমানবন্দরের অনেক নতুন নতুন প্রকল্প মঞ্জুর করা হয়েছে। নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ, এইম্‌স নির্মাণের প্রকল্প মঞ্জুর হয়েছে। বন্ধ হয়ে থাকা সার কারখানাগুলিকে নতুন করে চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। এভাবেই আমরা নতুন ভারতের উন্নয়নে ভারসাম্য আনতে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছি। সবাইকে সমান সুযোগ দিলে উন্নয়নে ভারসাম্য আসবেই। আমরা দেশে গ্রাম-কেন্দ্রিক উন্নয়নে জোর দিয়েছি। দেশের প্রতিটি বড় পঞ্চায়েতকে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে যুক্ত করার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক পঞ্চায়েতকে যুক্ত করা হয়েছে। তিন লক্ষেরও বেশি কমনসার্ভিস সেন্টার, গ্রাম ও গরিবের ক্ষমতায়নের কাজ, তাঁদের জীবনকে সহজতর করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। এছাড়া, দেড় লক্ষেরও বেশি ‘ওয়েলনেস সেন্টার’ গড়ে তুলে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি। বন্ধুগণ, বিগত চার বছরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং পূর্ববর্তী সরকারের চালু আবাস যোজনাগুলির অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে দেশে দরিদ্রদের জন্য ১ কোটিরও বেশি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম-সড়ক যোজনার মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক গ্রামকে সড়কপথে যুক্ত করার কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। মহাত্মা গান্ধী দেশ ও গ্রামে যে স্বরাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন, বাবাসাহেব আম্বেদকর, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়, ডঃ রাম মনোহর লোহিয়া-রা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন – আমরা এই সকল প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সমতা ও সাম্যের ধ্বজাধারী কয়েকটি রাজনৈতিক দল বাবাসাহেব আম্বেদকর ও রামমনোহর লোহিয়ার নামে শুধু রাজনীতি করে যাচ্ছে। আমি আজমগড়ের জনগণের কাছে জানতে চাই যে, আগের সরকারগুলি যেভাবে কাজ করেছে, তাতে কি আপনাদের কিছু ভালো হয়েছে? আজমগড় কি আরও উন্নয়নের দাবিদার ছিল না? সত্যি এটাই যে, এই দলগুলি সাধারণ মানুষের ভালো না করে শুধু নিজেদের আর পরিবারের সদস্যদের ভালো করেছে। দারিদ্র্য দূরীকরণের নামে ভোট চেয়ে, দলিত বা পিছিয়ে পড়া মানুষের নামে ভোট চেয়ে তাঁদেরই ভোটে নির্বাচিত হয়ে তাঁরা নিজেদের পারিবারিক সিন্দুক ভরা ছাড়া আর কোনও কাজ করেননি। অথচ এখন দেখুন, এতদিন যাঁরা পরস্পরের মুখদর্শন করতেন না, তাঁরা সবাই একত্রিত হয়েছেন। সকাল-সন্ধ্যা শুধুই আমার নাম জপ করেন – মোদী মোদী মোদী। এই সকল পরিবারবাদী দলগুলি আপনাদের উন্নয়নের প্রতিবন্ধক। তাঁরা আপনাদের ক্ষমতায়ন চান না। কারণ, আপনাদের ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত হলে তাঁদের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। ভাই ও বোনেরা, তিন তালাক মামলাও এই দলগুলির মুখোশ খুলে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যখন দেশের মহিলাদের জীবন সহজ করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, এই সমস্ত দল মিলে তার উল্টোটা করছে, বিশেষ করে মুসলিম মা-বোনেদের জীবন আরও সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। লক্ষ-কোটি মুসলমান বোনদের দাবি ছিল যে, তিন তালাক বন্ধ করা হোক। বিশ্বের মুসলমান রাষ্ট্রগুলি পর্যন্ত এই কুপ্রথাকে নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু আমাদের দেশে এরা রাজনীতি করছে। আমি খবরের কাগজে পড়েছি যে, কংগ্রেস পার্টির অধ্যক্ষ শ্রীযুক্ত নামদার বলেছেন যে, কংগ্রেস মুসলিমদের দল। গত দু’দিন ধরে সারা দেশে আলোচনা হচ্ছে। আমি আশ্চর্য হইনি। কারণ, শ্রদ্ধেয় মনমোহন সিং যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি নিজেই বলেছিলেন যে, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর মুসলমানদের অগ্রধিকার রয়েছে। আমি কংগ্রেস দলের মহামহিমের কাছে জিজ্ঞেস করতে চাই যে, কংগ্রেস মুসলামানদের দল হলে এটা কি শুধুই মুসলমান পুরুষদের নাকি মহিলারাও আছেন? মুসলমান মহিলাদের আত্মসম্মান ও তাঁদের অধিকারের স্বার্থে তাঁদের দল সংসদে আইন পাস করতে দিচ্ছেন না কেন? আমি এই পরিবারবাদী দলগুলির এই মোদী বিরোধী দলগুলিকে বলতে চাই যে, সংসদের পরবর্তী অধিবেশন শুরু হতে এখনও ৪-৫ দিন বাকি আছে। আপনারা পীড়িত মুসলমান মহিলাদের সঙ্গে দেখা করে, তালাকের কারণগুলি জেনে আসুন। আপনাদের হল্লার ফলে বীতশ্রদ্ধ ঐ মা-বোনেদের সঙ্গে দেখা করে তবেই সংসদে এসে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করুন। ভাই ও বোনেরা, কোনও রাজনৈতিক দল অষ্টাদশ শতাব্দীর নীতি নিয়ে যতই মোদী বিরোধী শ্লোগান দিক না কেন, তাঁরা দেশের কোনও কাজে লাগবে না। ভাই ও বোনেরা, বিজেপি সরকার সংসদে আইন প্রণয়ন করে মুসলমান বোনেদের অধিকার প্রদানের যে চেষ্টা চালাচ্ছে, তার বিরোধিতা করে তাঁরা তাঁদের জীবনকে অন্ধকারেই রেখে দিতে চান। কিন্তু আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে, আমরা তাঁদেরকে বুঝিয়ে সম্মতি আদায় করার চেষ্টা করব। ভাই ও বোনেরা, এমন নেতা ও তাঁদের দলগুলি থে���ে সাবধান থাকার প্রয়োজন রয়েছে। নিজের স্বার্থে ডুবে থাকা মানুষ কিছুতেই জনগণ ও দেশের ভালো চাইতে পারেন না। উল্টো দিকে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের জন্য দেশই আমাদের পরিবার, ১২৫ কোটি ভারতবাসী আমাদের পরিবারের সদস্য। জন ধন যোজনার মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের প্রায় ৫ কোটি গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ৮০ লক্ষেরও বেশি মহিলাকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার প্রদানের মাধ্যমে জ্বালানি কাঠের ধোঁয়া থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মাসে মাত্র ১ টাকা এবং দিনে ৯০ পয়সা কিস্তিতে এই রাজ্যের ১ কোটি ৬০ লক্ষেরও বেশি গরিব মানুষের জীবন সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার দেশের সকল গরিব পরিবারের যে কোনও সদস্য অসুস্থ হলে বছরে ৫ লক্ষ টাকা খরচের চিকিৎসা বিনামূল্যে প্রদান করার ব্যবস্থা গড়ে তুলছে। সম্প্রতি সরকার কৃষকদের প্রতিশ্রুতি পূরণের মাধ্যমে খরিফ চাষে ১৪টি ফসলে ন্যূনতম সমর্থন মূল্য অনেকটাই বৃদ্ধি করেছে। ধান, ভুট্টা, জোয়ার, বাজরা, অড়হর, মুগ, সূর্যমুখী, সয়াবীন, তিল ইত্যাদির সমর্থন মূল্য ২০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে, যাতে তাঁরা বিনিয়োগ মূল্যের দ্বিগুণ সমর্থন মূল্য পান। বন্ধুগণ, আমাদের সরকার নাগরিকদের প্রয়োজন বুঝে প্রকল্প তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তগুলি অনেক বছর আগে নেওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু পূর্ববর্তী সরকারগুলি লাল ফিতের ফাঁসেই জড়িয়ে থাকতো। ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার আপনাদের প্রতিটি প্রয়োজন সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে সংবেদনশীল। এখানকার বেনারসি শাড়ি শিল্প থেকে সরকার ভালোই কর পায়। কিন্তু এর সঙ্গে যুক্ত তাঁতী ভাই-বোনদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের প্রচেষ্টা কেউই করেনি। বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য আধুনিক মেশিন, স্বল্প সুদে ঋণ এবং নতুন বাজার গড়ে তোলার কাজ করেছে। গত বছরই বেনারসে ‘ট্রেড ফেসিলিটেশন সেন্টার’ চালু হয়েছে। এই কেন্দ্রটি তাঁতী ও সূচি শিল্পীদের জীবনে নতুন আশার কিরণ নিয়ে এসেছে। এর মাধ্যমে হস্তশিল্প নির্মিত কার্পেট উৎপাদনও লাভজনক হয়ে উঠেছে। আদিত্যনাথ যোগীর নেতৃত্বে রাজ্য সরকার হস্তশিল্পে নতুন নীতি প্রণয়ন করেছে। ‘এক জেলা – এক শিল্প’ প্রকল্পের মাধ্যমে উৎপাদনকে উৎসাহ যুগিয়ে এর প্রচার, প্রসার ও বাজারীকরণ প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। ভা��� ও বোনেরা, এখানকার কালো মাটির জিনিস খুব সুন্দর। আমি আদিত্যনাথ যোগী ও তাঁর টিমকে শুভেচ্ছা জানাই যে, তাঁরা এই কালো মাটির শিল্পকে উৎসাহ যোগাতে ‘মাটি কলা বোর্ড’ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরফলে, এই শিল্পকলা বেঁচে থাকবে, উৎকর্ষ বৃদ্ধি পাবে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বন্ধুগণ, জনকল্যাণ ও রাষ্ট্র কল্যাণকে সর্বোপরি রেখে কাজ করলে দরিদ্র মানুষের জীবনকে সরল ও সুগম করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করলেই এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। আগের মতোই শুধু কাগজে প্রকল্প আর ভাষণে শিলান্যাস মার্কা সরকার আমরা চালাতে চাইনি। এই পরিবর্তনের ফলেই উত্তর প্রদেশ তথা দেশের কর্মসংস্কৃতি এখন বদলে গেছে। পূর্ব উত্তর প্রদেশের ভাই-বোনদের সেবায় এই আধুনিক এক্সপ্রেসওয়ে গড়ে তোলার কাজ শুরু হওয়ায় আমি আরেকবার আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনারা এই প্রখর গ্রীষ্মে এতো বিপুল সংখ্যায় এখানে এসেছেন, এই জনপ্রবাহ আপনাদের ভালোবাসার প্রতীক। আপনাদের এই আশীর্বাদ গ্রহণ করে আমি হৃদয় থেকে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।",আজমগড়ত পূর্বাঞ্চল এক্সপ্ৰেছৱেৰ আধাৰশিলা স্থাপন অনুষ্ঠানত প্রধানমন্ত্রীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%9C/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লিতে ইসকন – এর গ্লোরি অফ ইন্ডিয়া কালচার সেন্টারে গীতা আরাধনা মহোৎসবে যোগদান করেন। শ্রী মোদী ইসকন ভক্তদের নির্মিত বিশালাকৃতি একটি ভগবত গীতার আবরণ উন্মোচন করেন। ৮০০ কিলোগ্রাম ওজনের এই গীতার পরিমাপ ২.৮ মিটার। এই উপলক্ষে এক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মহান গীতার আবরণ উন্মোচন করা প্রকৃতই সৌভাগ্যের বিষয়। তিনি বলেন, এই অনন্য পুস্তক বিশ্বের কাছে ভারতের জ্ঞানের প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে লোকমান্য তিলক রচিত ‘গীতা রহস্য’র কথা উল্লেখ করেন। লোকমান্য তিলক কারাবাসের সময়ে এই বইটি লিখেছিলেন। যেখানে তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিষ্কাম কর্ম প্রসঙ্গে সহজ ব্যাখ্যা করেছিলেন। শ্রী মোদী মহাত্মা গান্ধী রচিত ‘ভগবত গীতা অ্যাকর্ডিং টু গান্ধী’ বইটির কথা উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, এই বইয়ের একটি কপি প্রাক্তন মার্কিন রাষ��ট্রপতি মিঃ বারাক ওবামা-কে তিনি উপহার দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব জুড়ে এই মহাকাব্য প্রচারের জন্য শ্রীল ভক্তিবেদান্ত প্রভুপাদজীর ভূমিকার প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের জীবনে সঙ্কটের সময়ে ভগবত গীতা পথপ্রদর্শকের কাজ করে। এই প্রসঙ্গে গীতার একটি বাণীর কথাও তিনি উল্লেখ করেন, যেখানে বলা আছে – ‘যখন আমরা মানবতার শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করি, তখন পুণ্যশক্তি আমাদের সঙ্গে থাকে’। তিনি বলেন, গীতা জনগণ ও জাতির জন্য কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবতার নানা সমস্যার সমাধান ভারতীয় মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতির থেকে পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি যোগ এবং আয়ুর্বেদের কথাও উল্লেখ করেন।",নতুন দিল্লীৰ ইস্কনত আয়োজিত গীতা আৰাধনা মহোৎসৱত উপস্থিত প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%8F%E0%A6%9B%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%87/,"ভারত-মার্কিন বাণিজ্য পর্ষদের বোর্ড সদস্যরা আজ নতুন দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মুম্বাইতে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ‘ইন্ডিয়া আইডিয়া ফোরামে’র বৈঠকে গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তারা প্রধানন্ত্রীকে অবগত করেন। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ভারত-মার্কিন বাণিজ্যের পরিমান ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যেতে একটি পরিকল্পনা গ্রহণের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। কথাপ্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সরকারের গৃহীত সংস্কারমূলক বিভিন্ন কর্মসূচীর ব্যাপারে তাদের জানান। ভারতে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনার উল্লেখ করে, প্রধানমন্ত্রী মার্কিন বিনিয়োগকারীদের ভারতে বিনিয়োগের অনুরোধ জানান। বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথ দৃষ্টিভঙ্গীর প্রেক্ষিতে দু-দেশের মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়িয়ে তোলার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। /",ইউএছআইবিচিৰ পৰিষদ সদস্যই সাক্ষাৎ কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B7%E0%A7%8B%E0%A7%9C%E0%A6%B6-%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%A9-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF%E0%A6%A4-%E0%A6%B7%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0/,"মাননীয়া অধ্যক্ষ মহোদয়া, আমি সংসদের সমস্ত সদস্যের পক্ষ থেকে এবং নিজের পক্ষ থেকে এই ষোড়শ লোকসভার সম্পূর্ণ কার্যকালে অধ্যক্ষ রূ��ে হাসিমুখে যে ধৈর্য্য ও ভারসাম্য রক্ষা করে সংসদ সঞ্চালনা করেছেন, সেজন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আমি জানি যে, আপনার মননে দেবী অহল্যার জীবন ও শিক্ষার প্রভাব আদর্শ-স্বরূপ। সেজন্য আপনি কখনও আপনার ডান দিকের আবার কখনও বাম দিকের জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্যকে নিক্তিতে মেপে প্রয়োজনে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন। কিন্তু যে সিদ্ধান্তই নিয়েছেন, সেটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও সংবিধানের আদর্শ মেনে নিয়েছেন, যা লোকসভার গরিমা বৃদ্ধি করেছে বলে আমার বিশ্বাস। আপনি যে স্ত্রী সংগঠনের সূত্রপাত করেছেন, লোকসভায় নির্বাচিত নবীন সদস্যাদের জন্য যেভাবে প্রতিটি বক্তৃতার আগে বিষয় ও তথ্য প্রদান করে তাঁদের সমৃদ্ধ করে আপনি একজন অভিভাবক ও শিক্ষকের ভূমিকা পালন করেছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। অধ্যক্ষ মহোদয়া, ২০১৪ সালে আমিও একজন নবীন সাংসদ হিসাবে লোকসভায় পা রেখেছিলাম। এখানকার কিছুই জানতাম না। আমি জানতাম যে, আমার আগে ১৩ জন প্রধানমন্ত্রী এখানে বসে তাঁদের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু আমার সামনে যে প্লেট রাখা আছে, সেখানে শুধু তিন জন প্রধানমন্ত্রীরই নাম লেখা কেন? এরকম বড় জিজ্ঞাসা থেকে শুরু করে টেবিলের কোন বোতামটা কিভাবে কাজ করে, তেমন খুঁটিনাটি বিষয় আমাকে অবগত করিয়েছেন, আমার অগ্রজ সাংসদ সদস্যরা। অর্থাৎ, প্রায় প্রত্যেক বিষয়ে আমার জিজ্ঞাসা নিবারণ করা সহজ ছিল না। তখন প্রায় তিন দশক পর দেশে একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠিত হয়েছে, যা স্বাধীনতার পর প্রথম অ-কংগ্রেসী সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার। ফলে, ষোড়শ লোকসভার ১৭টি অধিবেশনের মধ্যে ৮টি অধিবেশনে ১০০ শতাংশেরও বেশি কাজ হয়েছে। ফলে, আজ আমরা ৮৫ শতাংশেরও বেশি সুফলদায়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এই লোকসভা থেকে বিদায় নিচ্ছি। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর একটি নিজস্ব দায়িত্ব থাকে। এখন তোমারজী সেই দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর আগে ভেঙ্কাইয়াজী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন। তিনি এখন দেশের মহামান্য উপ-রাষ্ট্রপতি হিসাবে দক্ষভাবে রাজ্যসভা সঞ্চালনা করছেন। আমাদের আরেকজন সদা হাস্যমুখ বন্ধু অনন্ত কুমারজীর অভাব আমরা সবসময় অনুভব করি। এরা সবাই ষোড়শ লোকসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আরেকটি কারণে এই ষোড়শ লোকসভা গর্ব করতে পারে, তা হল – স্বাধীনতার পর এই লোকসভাতেই সর্বাধিক মহিলা সাংসদ ছিলেন। এর মধ্যে ৪৪ জন মহিলা সাংসদ নবনির্বাচিত হয়ে এসেছিলেন, মন্ত্রিসভাতেও সর্বাধিক মহিলা মন্ত্রী হয়েছেন। আর প্রথমবার দেশের প্রতিরক্ষা ও বিদেশ দপ্তর সামলাচ্ছেন দু’জন মহিলা মন্ত্রী। এই সংসদের অধ্যক্ষ-ও মহিলা, আমাদের রেজিস্ট্রার জেনারেল, সেক্রেটারি জেনারেল – এনারা প্রত্যেকেই মহিলা। এদের সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আপনারা ভাববেন না যে, আমি এখন সরকারের সাফল্য বর্ণনা করতে উঠে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু যে কাজ এই লোকসভা গত পাঁচ বছরে করেছে, তার অংশীদার ও কৃতিত্বের দাবিদার সরকার পক্ষ এবং বিরোধী পক্ষের সমস্ত সাংসদরাই। আপনাদের সকলের সাহায্যেই আজ ভারত বিশ্বের ষষ্ঠ অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। আপনাদের নীতি প্রণয়নে দক্ষতার ফলেই ভারত অদূর ভবিষ্যতে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি হয়ে ওঠার লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এই সময়কালের মধ্যেই ভারত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে উচ্চস্থান প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। দেশের জনগণের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি এবং সঙ্কটের বিরুদ্ধে লড়াই করার সামর্থ্য বৃদ্ধিতে আপনাদের নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আজ বিশ্বের সমস্ত প্রতিষ্ঠিত রেটিং সংস্থা ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উচ্চাশা পোষণ করছে। জ্বালানি ক্ষেত্রে ও জ্বালানি সাশ্রয় ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্য বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এখন বিশ্বের পেট্রোলিয়াম উৎপাদনকারী দেশগুলির মহাজোটের যেমন ক্ষমতা, ভবিষ্যতে বিকল্প শক্তি উৎপাদনকারী দেশগুলির মহাজোটের ক্ষমতা তারচেয়ে বেশি হবে বলে আমার বিশ্বাস। ভারত বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে এবং পরিবেশ নিরাপত্তার সপক্ষে বিশ্বের সূর্যশক্তিতে ধনী দেশগুলির মহাজোট আন্তর্জাতিক সৌরসংঘ গঠন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং তার নেতৃত্ব প্রদান করছে। আমার মতে, এটাও ষোড়শ লোকসভার কার্যকালেরই ফসল। এই সময়কালেই মহাকাশ গবেষণায় ভারত বিশ্বে অগ্রণী দেশ হয়ে উঠেছে। একসঙ্গে শতাধিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণের সাফল্যে একটি সফল উৎক্ষেপক দেশ হিসাবে মহাকাশ গবেষণার গন্তব্য হয়ে উঠেছে। ফলে, মহাকাশ গবেষণা এখন অর্থনৈতিক গতিবিধির একটি কেন্দ্র হয়ে উঠছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং নির্মাণ শিল্পের ক্ষেত্রে ভারত আজ আত্মনির্ভর হয়ে উঠে দেশের উন্নয়নকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। সমগ্র বিশ্বে আজ ভারতের বক্তব্যকে মনোযোগ দিয়ে ��োনা হয়। আপনারা ভাববেন না যে, শুধু মোদী কিংবা সুষমাজীর দক্ষতার কারণে এই সাফল্য এসেছে। এর মূল কারণ হ’ল – সংখ্যাধিক্যের সরকার। বিশ্বের প্রত্যেক দেশই সংখ্যাধিক্যের সরকারকে বিশেষ নজরে দেখে। ২০১৪’র আগে তিন দশক ধরে আমাদের দেশে সংখ্যাধিক্যের সরকার ছিল না বলে, দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সেজন্য আমাদের সাফল্যের কৃতিত্ব মোদী কিংবা সুষমাজীর কৃতিত্ব নয়, এটি হ’ল ২০১৪ সালে ১২৫ কোটি ভারতবাসী যে সংখ্যাধিক্যের সরকার গঠনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তার কৃতিত্ব। তেমনই, এই ষোড়শ লোকসভার আমলেই আমরা অনেক দেশের সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পারস্পরিক সমস্যা মেটাতে পেরেছি। যেমন – বাংলাদেশের সঙ্গে ছিট মহল সমস্যার সমাধান। দেশ বিভাগের পর থেকেই এই সমস্যা ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ গঠনের সময়ে সহায়ক দেশ হয়েও এই সমস্যার সমাধান হয়নি। এত বছর পর ষোড়শ লোকসভা সর্বসম্মতিক্রমে এই সমস্যার সমাধান করে বিশ্ববাসীকে একটি ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। সেজন্য আমি এই লোকসভার সমস্ত সাংসদদের কৃতজ্ঞতা জানাই। একইভাবে, ষোড়শ লোকসভার সময়েই বিশ্বে ভারতে মানুষের অধিকার ও মানবিক মূল্যবোধের ছবি আরও উজ্জ্বল হয়েছে। যুগ যুগ ধরে ভারতবাসী উপনিষদে বর্ণিত ‘বসুধৈব কুটুম্বকম্‌’ মন্ত্রে বিশ্বাসী। নেপালে ভূমিকম্প, মালদ্বীপে পানীয় জলের সঙ্কট, ফিজি ও শ্রীলঙ্কায় প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় এবং বাংলাদেশে মায়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমস্যা নিরসনে ভারতের ভূমিকার পাশাপাশি, ইয়েমেনের রাজনৈতিক সঙ্কটে আটকে পড়া ভারতীয়- সহ কয়েক হাজার বিদেশিদের উদ্ধার করে নিরাপদে তাঁদের দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে সাফল্য ষোড়শ লোকসভার মুখ উজ্জ্বল করেছে। মানবতার ক্ষেত্রে এরকম উল্লেখযোগ্য ভূমিকার পাশাপাশি, ভারত যোগাসনকে বিশ্বে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভারতের আবেদনে সাড়া দিয়ে রাষ্ট্রসংঘ সর্বাধিক কম সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দেশের সমর্থন লাভ করে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস ঘোষণা করেছে। গত দু’বছর ধরে সারা পৃথিবীতে এটি পালন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘে বাবাসাহেব আম্বেদকর এবং মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তী পালন করা শুরু হয়েছে। বিশ্বের প্রায় সকল দেশে এ বছর বাবাসাহেব আম্বেদকরের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী এবং মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়েছে। ১৫০টি দেশের বিশিষ্ট গায়করা মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে তাঁর প্রিয় ভজন ‘বৈষ্ণব জন কো তেনে রে কহিয়ে’ গেয়ে তাঁকে সমবেত শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন। এভাবে, সারা বিশ্বে একটি ‘সফট পাওয়ার’কে কিভাবে সঞ্চারিত করা যায়, তার একটি উদাহরণ আমরা আজ অনুভব করতে পারছি। এবার প্রজাতন্ত্র দিবসেও আমাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে দেশের সমস্ত রাজ্য মহাত্মা গান্ধী বিষয়ক ট্যাবলো সাজিয়ে দিল্লির রাজপথে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিল। ষোড়শ লোকসভা কালেই আমরা এই সভাকক্ষে সংবিধান দিবস পালন করেছি, বাবাসাহেব আম্বেদকরের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে তাঁকে নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়েছে, এই লোকসভার সদস্যরাই রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে কী কী করণীয়, সে বিষয়ে আলোচনা করেছে – এই সমস্ত কিছুই মাননীয় অধ্যক্ষ আপনার সঞ্চালনায় সম্ভব হয়েছে। ষোড়শ লোকসভায় মোট ২১৯টি বিল পেশ করা হয়েছে, যার মধ্যে ২০৩টিই পাশ হয়েছে। এই লোকসভার সদস্যরা আগামী নির্বাচনী সভাগুলিতে এবং নির্বাচনের পরও কোনও কিছু লিখতে গিয়ে গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করবেন যে, তাঁরাই কালো টাকা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব কঠোর আইন প্রণয়ন করেছেন। পাশাপাশি, দেউলিয়া কোম্পানি সংক্রান্ত আইবিসি আইন, বেনামী সম্পত্তি সম্পর্কিত আইন, আর্থিক অপরাধী ও দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া তহবিল তছরূপকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করেছেন। এই সমস্ত আইন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের শক্তি বৃদ্ধি করেছে। সেজন্য আগামী প্রজন্ম এই ষোড়শ লোকসভাকে মনে রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। এই ষোড়শ লোকসভা-ই অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা কর প্রণয়ন করেছে। রাত ১২টায় সংসদের উভয় কক্ষে সংযুক্ত অধিবেশন ডেকে সরকার পক্ষ কোনও রকম কৃতিত্ব না নিয়ে দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অনুমতিক্রমে এই বিল পাশ করেছে। তেমনই এই ষোড়শ লোকসভাই আধার বিলকে আইনি শক্তি প্রদান করেছে। এই আধার বিশ্বে একটি অতুলনীয় বায়োমেট্রিক পরিচয়পত্র হিসাবে উচ্চ প্রশংসা কুড়িয়েছে। দেশ স্বাধীন হলেও আমাদের কোনও এক সীমাবদ্ধতার কারণে শত্রু-সম্পত্তি বিষয়ে কোনও সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এই ষোড়শ লোকসভা অত্যন্ত কঠোরতার সঙ্গে শত্রু-সম্পত্তি বিল পাশ করে ১৯৪৭ সালের দগদগে ঘায়ে মলম লাগানোর কাজ করেছে। ষোড়শ লোকসভা সামাজিক ন্যায়ের লক্ষ্যে উচ্চ বর্ণের গরিব মানুষদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। এক্ষেত্রে দেশের সংবিধানে সংরক্ষণ ���াওয়া অন্য কারও অধিকার হরণ না করে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সুনিশ্চিত করেছে। তেমনই, ওবিসি কমিশন গঠন কিংবা এসসিএসটি আইন সম্পর্কে সর্বোচ্চ আদালতে ভুল বোঝাবুঝি দূর করা, কর্মরত গর্ভবতী মায়েদের জন্য গর্ভধারণ ও প্রসব পরবর্তী সবেতন ছুটিকে ১২ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৬ সপ্তাহ করার ক্ষেত্রে সাফল্য এই ষোড়শ লোকসভার কৃতিত্ব বিশ্ববাসী মনে রাখবে। এই ষোড়শ লোকসভা ১ হাজার ৪০০ কালবাহ্য এবং পরস্পর বিরোধী আইন বাতিল করে দেশের বিচার প্রক্রিয়াকে সরল করার ক্ষেত্রে শুভ সূচনা করেছে। এক্ষেত্রে যে কাজ বাকি রয়েছে, তা করার জন্য অন্যতম বিরোধী নেতা শ্রদ্ধেয় মুলায়ম সিং ইতিমধ্যেই আশীর্বাদ জানিয়েছেন। আমি একে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য বলে মনে করি। স্বাধীনতার পর এত বছরে দেশ যেখানে পৌঁছনো উচিৎ ছিল, এদেশের সংসদ এখন পর্যন্ত দেশকে সেখানে পৌঁছে দিতে পারেনি। অথচ, সংসদ সদস্যরা নিজেদের বেতন বৃদ্ধির কাজটি ঠিক করে গেছেন। এই কলঙ্ক থেকে মুক্তির পথ ষোড়শ লোকসভা দেখিয়েছে। একটি সমালোচনা আমরা দীর্ঘকাল ধরে শুনে আসছি যে, সংসদের ক্যান্টিনে সংসদ সদস্যরা সস্তায় খাবার খান। কিন্তু বাইরে এই খাবারের মূল্য অনেক বেশি। দেশের বড় বড় নেতারাও এই কলঙ্ক থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারেননি। এই প্রথম দলমত নির্বিশেষে আলোচনার মাধ্যমে সংসদ সদস্যরা মিলেমিশে এই কলঙ্ক মোচনের পথ খুলে দিয়েছেন। এই প্রথম জিতেন্দ্রজীর নেতৃত্বে কমিটি এই বিষয়টি নিয়ে হিসেব-নিকেশ করে সংসদ ক্যান্টিনের খাবারের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করেছেন। কিন্ত আমার মতে, পুনর্বার সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার এলে এই বিষয়ে আমরা আরও যুক্তিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারব। ষোড়শ লোকসভায় অনেক তর্ক-বিতর্ক, আরোপ-প্রত্যারোপ হয়েছে। অনেকে বলেছেন, এমনটি হলে ভূমিকম্প এসে যাবে। কিন্তু গণতন্ত্রের শক্তি ও মর্যাদা এমনই যে, সেরকম কিছু হয়নি। আরোপ-প্রত্যারোপের সময়ে সরকার পক্ষ এবং বিরোধী পক্ষের কেউ কেউ এরকম শব্দ প্রয়োগ করেছেন, যা করাটা উচিৎ ছিল না। এই সভাকক্ষের নেতা হিসাবে আমি সেজন্য ‘মিক্ষামী দুখমঃ’ বলে ক্ষমতা চাইছি……. ক্ষমা প্রার্থনার জন্য জয় হিন্দ পরিবেশে ‘মিক্ষামী দুখমঃ’ একটি বড় বার্তাবাহী শব্দবন্ধ – আমি এই ভাবনাকেই ব্যক্ত করতে চাই। মল্লিকার্জুনজীর সঙ্গে আমার অনেক বিতর্ক হয়েছে। আজ তাঁর কন্ঠস্বর ঠিক থাকলে আমরা সবাই উপকৃত হতাম। কিন্তু কখনও আমি তাঁকে বিরোধিতা না করতে দেখে ���বাক হয়ে নিজের তথ্য বিস্তারিতভাবে পরীক্ষা করার প্রয়োজন বোধ করেছি। আবার, আমার ভাবনাকে সদা জাগ্রত রাখার ক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য দ্বারা উপকৃত হয়েছি। সেজন্য আমি খারগে সাহেবের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি যে নিষ্ঠার সঙ্গে সংসদে পূর্ণ সময় কাটাতেন, যেমন দীর্ঘকাল ধরে শ্রদ্ধেয় আডবাণীজী নিষ্ঠার সঙ্গে সংসদে পূর্ণ সময় কাটাতেন – তা আমাদের সকলের জন্য শিক্ষণীয় বিষয়। প্রায় ৫০ বছর ধরে জনপ্রিতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করাটা কম কথা নয়। তাঁরা যেভাবে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছেন, সেজন্য সম্মান জানিয়ে আমি তাঁদের অভিনন্দিত করতে চাই। প্রথমবার যখন এই সভাকক্ষে পা রেখেছিলাম, তখন জীবনের অনেক মানেই জানতাম না। এখানে এসে শিখেছি আলিঙ্গন করা আর গলায় ঝুলে পড়ার মধ্যে পার্থক্য কী? প্রথমবার বুঝতে পেরেছি যে, সভাসদদের চোখ কেন রেগে লাল হয়? চোখের দুষ্টু খেলাও প্রথমবার এই সভাকক্ষেই দেখেছি, যা নিয়ে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমও অনেক ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেছে। প্রত্যেক সাংসদের দায়িত্ব সংসদের গরিমা রক্ষা করা। আমি সেই গরিমা রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। এই সভাকক্ষে এসে আমি অনেক সাংসদ মহোদয়ের প্রতিভা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। একদিন যখন আমি ভাষণ দিচ্ছিলাম, তখন রাষ্ট্রপতি মহোদয় সম্পর্কে বলার পর এমন অট্টহাসি শুনতে পেয়েছি, যা সাধারণত বিনোদন জগতের উপযোগী। এই অট্টহাসি ইউটিউবে প্রচারিত হলে সাংসদ মহোদয়রা অনেক বড় বড় শিল্পীকেও মাত করে দিতেন। এই সভাকক্ষে এসে আমি অনেক নতুন নতুন পোশাক দেখতে পেরেছি। আমাদের টিডিপি সাংসদ নারামলি শিবপ্রসাদ অদ্ভূত সব পোশাক পরে আসতেন। অনেক ‘টেনশন’ তাঁর দিকে ‘অ্যাটেনশন’ দিয়ে গিয়ে মুক্ত হয়ে গিয়েছে। আমার মতো নতুন একজন সাংসদ আপনাদের সকলের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আপনাদের সকলের নেতৃত্ব ও পথপ্রদর্শন আমার প্রধানমন্ত্রীত্বের প্রথম দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করতে সহায়ক হয়েছে। সেজন্য আমি আপনাদের সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই শ্রদ্ধেয় মুলায়ম সিংজীকে, যাঁর স্নেহ আমার কাছে আশীর্বাদ-স্বরূপ। আমি তাঁকে হৃদয় থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। লোকসভার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কর্মচারীকে আমি অন্তর থেকে অভিনন্দন জানাই, যাঁরা সমস্ত সাংসদদের দেখাশোনা করেছেন। দলমত নির্বিশেষে সমস্ত সাংসদদের শুভেচ্ছা জানাই, যাঁরা একটি সুস্থ ও গণতান্ত্রিক পরম্পরা বজায় রেখে সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেছেন। আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার বক্তব্যকে সম্পূর্ণ করছি। আরেকবার নত মস্তক হয়ে এই সভাকক্ষের সমস্ত সাংসদদের হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। ধন্যবাদ।","১৩ ফেব্ৰুৱাৰী, ২০১৯ত ষষ্ঠদশ লোকসভাৰ অন্তিম অধিৱেশনত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%A1%E0%A6%83-%E0%A6%AC-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BF/,"নয়াদিল্লি, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মহাপরিনির্বাণ দিবসে ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর’কে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন এবং দেশ সেবায় তাঁর ভূমিকাকে স্মরণ করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “মহাপরিনির্বাণ দিবসে ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর’কে শ্রদ্ধা জানাই। দেশ সেবার জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর সংগ্রাম লক্ষ লক্ষ মানুষের মনে আশার সঞ্চার ঘটিয়েছিল। ভারতকে তিনি এমন এক সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন, যা কখনই ভুলবার নয়”।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে মহাপৰিনিৰ্বাণ দিৱসত ড০ বাবাচাহেব আম্বেদকাৰক শ্ৰদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A4/,"প্রধানমন্ত্রীএদিন এই অনুষ্ঠানে বলেন যে ‘পরিবেশ-বান্ধব গৃহ-৪’ রেটিং যুক্ত ভবনগুলিতে শক্তিরসাশ্রয় ছাড়াও পরিবেশ সংরক্ষণের কাজেও অনেক সুবিধা হবে। কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনেরকাজকর্মের মধ্যে সংহতি ও সমন্বয়সাধনের কাজ এই নতুন বাড়িটিতে উন্নততর হয়ে উঠবে বলেতিনি আশা প্রকাশ করেন। কেন্দ্রীয়তথ্য কমিশনের মোবাইল অ্যাপ-এর সূচনা প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন, এর সাহায্যেনাগরিকরা খুব সহজেই তাঁদের আবেদন জানাতে পারবেন। শুধু তাই নয়, কমিশনের দেওয়াবিভিন্ন তথ্যেরও তাঁরা হদিশ পাবেন এর মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রীবলেন, গণতান্ত্রিক এবং অংশীদারিত্বমূলক প্রশাসনিক কাঠামোর মূল শর্তই হল স্বচ্ছতা ওদায়বদ্ধতা। কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেথাকে। বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য প্রশাসন ও পরিচালনের ক্ষেত্রে এই ধরনেরপ্রতিষ্ঠানগুলি এক অনুঘটকের ���ায়িত্ব পালন করে বলে মনে করেন তিনি। শ্রী মোদীবলেন, দেশের গণতন্ত্রের সর্বাপেক্ষা বলিষ্ঠ স্তম্ভটি হল ক্ষমতায়নের সুযোগ লাভ করানাগরিক সমাজ। গত চার বছরে বিভিন্ন উদ্যোগ ও কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষেরকাছে তথ্যের যোগান দেওয়া ছাড়াও, তাঁদের ক্ষমতায়নের দায়িত্বও পালন করেছে কেন্দ্রীয়সরকার। প্রসঙ্গত, আধুনিক তথ্য যোগানের পাঁচটি মূল ভিত্তি বা স্তম্ভের কথা ব্যাখ্যাকরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীরমতে, প্রথম ভিত্তি বা স্তম্ভটি হল ‘সওয়াল’। এই প্রসঙ্গে নাগরিক-কেন্দ্রিক MyGov মঞ্চটির কথা উল্লেখ করেন তিনি। ‘সুঝাও’বা পরামর্শের মতো বিষয়টিকে দ্বিতীয় স্তম্ভ রূপে চিহ্নিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিপিজিআরএএমএসকিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার মঞ্চ থেকে পাওয়া বিভিন্ন প্রস্তাব ও পরামর্শ খতিয়ে দেখতেতাঁর সরকার বিশেষভাবে আগ্রহী। তৃতীয়স্তম্ভ হিসেবে সংযোগ বা ‘সংবাদ’-এর কথা উল্লেখ করেন শ্রী মোদী। তিনি বলেন, সরকার ওদেশের নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে এই স্তম্ভটি। ‘সক্রিয়তা’কে তিনি চিহ্নিতকরেন চতুর্থ ভিত্তি বা স্তম্ভ হিসেবে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, জিএসটি রূপায়ণের সময়বিভিন্ন অভিযোগ ও পরামর্শগুলিকে সক্রিয়ভাবে খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হয়। ‘সূচনা’অর্থাৎ, তথ্যকে তিনি বর্ণনা করেন পঞ্চম ভিত্তি বা স্তম্ভ হিসেবে। প্রধানমন্ত্রীবলেন, সরকারের কাজই হল তার কাজ ও কর্মসূচি সম্পর্কে নাগরিকদের অবহিত রাখা। সর্বশেষতথ্য সন্নিবেশিত অনলাইন ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে তথ্য পৌঁছে দেওয়ার এক নতুন ব্যবস্থাচালু করেছে তাঁর সরকার। ‘সৌভাগ্য’ এবং ‘উজালা’র মতো দুটি কর্মসূচি রূপায়ণেরঅগ্রগতি সম্পর্কে এইভাবে তথ্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। শ্রী মোদীবলেন, যে সমস্ত তথ্য সাধারণভাবে জানতে চাওয়া হয়, তা নিয়মিতভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ওমন্ত্রকগুলির ওয়েব পোর্টালে আপলোড করা হয়। নাগরিক পরিষেবার মানকে আরও উন্নত করেতুলতে ডিজিটাল প্রযুক্তির আশ্রয় গ্রহণ করা হচ্ছে। একইভাবে, বিভিন্ন প্রকল্পেরকাজকর্ম সম্পর্কে তাৎক্ষণিক তথ্য সংগ্রহের ব্যবস্থাও চালু হয়েছে। গত সপ্তাহে‘প্রগতি’র মঞ্চে একটি ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে কেদারনাথের পুনর্নিমাণ কর্মসূচিরঅগ্রগতি খতিয়ে দেখা হয় বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রগতি’র মঞ্চেঅনুষ্ঠিত বৈঠকগুলির সুবাদে ৯ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের বিভিন্ন ���্রকল্পরূপায়ণে যথেষ্ট গতি বৃদ্ধি হয়েছে। সরবরাহ ওনিষ্পত্তি সম্পর্কিত দপ্তরটি বন্ধ করে দেওয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন যেবর্তমানে সরকারি সংগ্রহ ব্যবস্থা চালু রয়েছে ই-মার্কেট বা জিইএম-এর মঞ্চটিতে। এরফলে, দুর্নীতি দমনের পাশাপাশি, সরকারি সংগ্রহ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতাও নিশ্চিত করাসম্ভব হয়েছে। সরকারের সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোন মানুষকে ব্যক্তিগতভাবেউপস্থিত থাকার জন্য এখন আর সময় নষ্ট করতে হয় না। পদ্ধতিগতব্যবস্থাগুলিতে স্বচ্ছতা প্রসারের ফলে সরকারি কাজকর্মে জনসাধারণ এখন আরও বেশি করেআস্থা রাখতে পারছেন বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদীবলেন, নাগরিকদের উচিৎ তাঁদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা। সঠিকভাবেকাজ করে যাওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে ব্যাখ্যা করতে পারে কেন্দ্রীয় তথ্যকমিশনও। বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের কথা মনে রেখে দায়িত্বশীলপ্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের অধিকার ও কর্তব্যের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলা উচিৎ বলে মনেকরেন তিনি। /",নতুন দিল্লীত কেন্দ্রীয় তথ্য আয়োগৰ নতুন ভৱন উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%83%E0%A7%B0-3/,"নয়াদিল্লী, ১২ মে, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আন্তর্জাতিক নার্স দিবসে আমাদের বসুন্ধরাকে সুস্থ রাখতে নার্সদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য তাঁদের প্রশংসা করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমাদের বসুন্ধরাকে সুস্থ রাখতে নার্সরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁদের আত্মোৎসর্গ ও সহানুভূতি অনুকরণীয়। আন্তর্জাতিক নার্স দিবস হল এমন একদিন, যা সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতেও এই পেশার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কর্মীদের ব্যতিক্রমী কাজের জন্য আমাদের কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করার দিন।”",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আন্তঃৰাষ্ট্ৰীয় ধাত্ৰী দিৱসত পৃথিৱীক সুস্থ ৰখাত গুৰুত্বপূৰ্ণ ভূমিকা পালন কৰা বাবে ধাত্ৰীসকলক অভিনন্দন জনা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%95%E0%A6%B2-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%93%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B6-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%93%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%89/,উৎকল দিবসে ওড়িশাবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “ওড়িশার মহান ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির জন্য দেশ গর্বিত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বাতন্ত্র্যও স্বকীয়তার মাধ্যমে জাতির অগ্রগতির পথে এই রাজ্যের অধিবাসীরা এক অবিস্মরণীয় অবদানরেখেছেন। জগন্নাথদেবের আশীর্বাদ সর্বদাই আমাদের ওপর বর্ষিত হোক এই প্রার্থনা জানাই।ভবিষ্যতের দিনগুলিতে ওড়িশাবাসীরা উন্নয়নের এক বিশেষ শীর্ষে আরোহণ করুন – এই শুভেচ্ছারইল”।,ওড়িশাৰ প্ৰতিষ্ঠা দিনত উৎকল দিৱস উপলক্ষে ওড়িশাবাসীক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শুভেচ্ছা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A7%A7%E0%A7%AD-%E0%A6%85%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%AD-%E0%A6%85%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B/,"৬০০টি প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সমৃদ্ধি কেন্দ্র-এরও সূচনা করবেন তিনি এই কর্মসূচির আওতায় দেশের খুচরো সার বিক্রয় কেন্দ্রগুলি পর্যায়ক্রমে ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সমৃদ্ধি কেন্দ্র’-এ রূপান্তরিত হবে। এই কেন্দ্রগুলি থেকে কৃষকদের বিভিন্ন প্রয়োজন মেটানোর ব্যবস্থা করা হবে ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’র দ্বাদশ কিস্তির ১৬ হাজার কোটি টাকা কৃষকদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে হস্তান্তরের কথাও এদিন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’র আওতায় এ পর্যন্ত কৃষকদের দেওয়া হয়েছে মোট ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ঐদিনের অনুষ্ঠানে ‘প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জন উর্বরক পরিযোজনা’রও সূচনা করবেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এর লক্ষ্য হল, ‘এক জাতি, অভিন্ন সার’ – এই নীতিকে সারা দেশে রূপায়িত করা কৃষি স্টার্ট-আপ কনক্লেভ ও প্রদর্শনীরও এদিন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। স্টার্ট-আপ সংস্থা কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের উদ্ভাবন প্রচেষ্টার খণ্ডচিত্র তুলে ধরবে এই কনক্লেভ ও প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ অক্টোবর নয়াদিল্লির ভারতীয় কৃষি গবেষণা সংস্থায়। ঐদিন বেলা ১১-৩০ মিনিটে এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ১৩,৫০০ জন কৃষক এবং ১,৫০০-টির মতো কৃষি স্টার্ট-আপ সংস্থার প্রতিনিধিরা। এছাড়াও ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের ১ কোটিরও বেশি কৃষক যোগ দেবেন এদিনের সম্মেলনে। গবেষক, নীতি রচয়িতা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীদারদের উপস্থিতিও এদিনের সম্মেলন সফল করে তুলতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ঐদিন কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রকের ৬০০টি ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সমৃদ্ধি কেন্দ্র’-এরও আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই কর্মসূচির আওতায় দেশের খুচরো সার বিক্রয় কেন্দ্রগুলি পর্যায়ক্রমে ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সমৃদ্ধি কেন্দ্র’-এ রূপান্তরিত হবে। এই কেন্দ্রগুলি থেকে কৃষকদের বিভিন্ন প্রয়োজন মেটানোর ব্যবস্থা করা হবে। এগুলি থেকে যোগান দেওয়া হবে সার, বীজ, সহায়ক কৃষি উপকরণ ইত্যাদি। এছাড়াও, মাটি, বীজ ও সার পরীক্ষারও ব্যবস্থা থাকবে সেখানে। এর বাইরে কৃষক ও কৃষিজীবীদের মধ্যে সচেতনতার প্রসার ঘটানো, বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি সম্পর্কে তাঁদের ওয়াকিবহাল করে তোলা এবং ব্লক ও জেলা পর্যায়ে কৃষি উপকরণের খুচরো বিক্রেতাদের ক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানোর কাজে সহায়তা করা হবে এই কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে। দেশের ৩ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি খুচরো সার বিক্রয় কেন্দ্রকে ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সমৃদ্ধি কেন্দ্র’-এ রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ঐদিনের অনুষ্ঠানে ‘প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জন উর্বরক পরিযোজনা’রও সূচনা করবেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এর লক্ষ্য হল, ‘এক জাতি, অভিন্ন সার’ – এই নীতিকে সারা দেশে রূপায়িত করা। এই কর্মসূচির আওতায় ‘ভারত ইউরিয়া ব্যাগ’ এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করবেন প্রধানমন্ত্রী। ‘ভারত’ ব্র্যান্ডের ইউরিয়া সার বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিপণনের ব্যবস্থা করা হবে এই কর্মসূচি রূপায়ণের মাধ্যমে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশের কৃষকদের সার্বিক কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারই এক বিশেষ প্রতিফলন ঘটবে এদিনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে। ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’র দ্বাদশ কিস্তির ১৬ হাজার কোটি টাকা কৃষকদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে হস্তান্তরের কথাও এদিন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই বিশেষ কর্মসূচির আওতায় যোগ্য কৃষক পরিবারগুলিকে বছরে ২ হাজার টাকা করে তিনটি সমান কিস্তিতে মোট ৬ হাজার টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে হস্তান্তরের মাধ্যমে। ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’র আওতায় এ পর্যন্ত কৃষকদের দেওয়া হয়েছে মোট ২ লক���ষ কোটি টাকারও বেশি। কৃষি স্টার্ট-আপ কনক্লেভ ও প্রদর্শনীরও এদিন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ৩০০টির মতো স্টার্ট-আপ সংস্থা কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের উদ্ভাবন প্রচেষ্টার খণ্ডচিত্র তুলে ধরবে এই কনক্লেভ ও প্রদর্শনীতে। বিভিন্ন পর্বের আলোচনায় স্টার্ট-আপ প্রতিনিধিরা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরবেন সকলের সামনে। এদিন প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ‘ইন্ডিয়ান এজ’ নামে সারের ওপর একটি ই-পত্রিকার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ।","প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ১৭ অক্টোবৰত প্ৰধানমন্ত্ৰী কিষাণ সন্মান সন্মিলন, ২০২২ ৰ উদ্বোধন কৰি" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%AB-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%AC-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%9A/,"নয়াদিল্লি, ২৭ জুলাই, ২০২২ কেন্দ্রীয় সংরক্ষিত পুলিশ বাহিনী (সিআরপিএফ)-এর নব প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বাহিনীর সকল সদস্য এবং তাঁদের পরিবার-পরিজনদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, অনবদমিত সাহসিকতা এবং বিশিষ্ট সেবার জন্য এই বাহিনী এক বিশেষ স্বাতন্ত্র্য লাভ করেছে। সুরক্ষা ও নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং মানবিক কাজকর্মের জন্য কেন্দ্রীয় সংরক্ষিত পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা সপ্রশংস উল্লেখের দাবি রাখে।",প্ৰতিষ্ঠা দিৱস উপলক্ষে চিআৰপিএফ জোৱানসকলক শুভেচ্ছা জনালে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%9C/,"আমি সবার আগে এই সুরম্য এবং অত্যাধুনিক পরিষেবাযুক্ত ভবনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। এই সংগঠন ১৫০ বছরের পুরনো। অর্থাৎ ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ইতিমধ্যেই নিজেই প্রত্নতত্ত্বের বিষয় হয়ে উঠেছে। ১৫০ বছরের অভিজ্ঞতা কিভাবে বিকশিত হয়েছে, নতুন কি অঙ্কুরিত হয়েছে – এর অনুসন্ধানের মাধ্যমে ইতিহাসে কী কী উপাদান সংযোজিত হয়েছে! যে কোনও সংস্থার পক্ষেই ১৫০ বছরের জীবন একটা অত্যন্ত বড় সময়। আমি জানি না যে, ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে তার ১৫০ বছরের সাফল্যের ইতিহাস রয়েছে কিনা! যদি থেকে থাকে, তা হলে খুব ভালো কথা। কিন্তু যদি না থাকে, তা হলে এই কাজটাও আপনাদের করতে হবে। অনেক মহান ব্যক্তি এই সংস্থার দায়িত্ব পালন করেছেন। কেমন কল্পনা থেকে এই সংস্থার জন্ম হয়েছিল, কিভাবে এটি বিস্তারলাভ করেছে, ধাপে ধাপে কি ধরণের প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে এই সংস্থা কাজ করেছে – এরকম অনেক বিষয় হবে, ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এরকম অনেক অবদান তৎকালীন সমাজকে কিভাবে প্রভাবিত করেছিল, কিভাবে বিশ্বের এই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত পণ্ডিতদের এই সংস্থা আকর্ষিত করেছে। আমি জানি যে, ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে অনেক অনুসন্ধান গোটা বিশ্বে পুরাতাত্ত্বিক অনুমান থেকে বাস্তব ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়ে উঠেছে। আমরা জানি যে, বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে মহাকাশ প্রযুক্তি এখন অনেক প্রক্রিয়াকেই সহজ করে দিয়েছে। অনেক পুরনো ধ্যান-ধারণাকে নস্যাৎ করে দিয়ে প্রযুক্তি ইতিহাসের পুনঃরচনা করছে। যেমন – অনেক ঐতিহাসিক-ই সরস্বতী নদীর অস্তিত্বকে স্বীকার করতেন না। কিন্তু মহাকাশ প্রযুক্তি প্রমাণ করে দিয়েছে যে, এই ধারণা কল্পনা-নির্ভর ছিল না। মহাকাশ প্রযুক্তি সরস্বতী নদী কোথা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল, তা দেখিয়ে দিয়েছে। আগে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিবাদ ছিল যে, আর্যরা বাইরে থেকে ভারতে এসেছিল কিনা! নতুন প্রযুক্তি এই বিষয়টিতেও আলোকপাত করছে। আমি মনে করি যে, পুরনো শিলালিপি বা কিছু পুরাতাত্ত্বিক বস্তু নিছকই পাথর নয়, এখানকার প্রত্যেক পাথর কথা বলে, ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়। প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান থেকে পাওয়া এই উপাদানগুলি মানুষের শৌর্য, পরাক্রম এবং স্বপ্নকে তুলে ধরতে সক্ষম। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষকরা খালি মাঠে কাজ শুরু করেন। বছরের পর বছর যেদিকে মানুষ ফিরেও তাকাননি, সেরকম স্থানে প্রত্নতাত্ত্বিকরা নিবিড় অন্বেষণে থাকেন। বৈজ্ঞানিকরা যেমন গবেষণাগারে ভবিষ্যতের কল্পনাকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে কাজ করে যান, প্রত্নতাত্ত্বিকরাও তেমনই মনুষ্যবিহীন পাহাড়, অরণ্য, গিরিপথ ও গিরিকন্দরে নিজেদের অস্তিত্ব ভুলে বছরের পর বছর এমনকি ১০-২০ বছরও কাটিয়ে দেন। বৈজ্ঞানিকদের আবিষ্কার যেমন হঠাৎ-ই বিশ্বকে চমকে দেয়, পুরাতাত্ত্বিকদের অন্বেষণলব্ধ গবেষণাপত্র তেমনই বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আমাদের চণ্ডীগড়ের উপকন্ঠে একটি ছোট টিলা ছিল, ফ্রান্সের কয়েকজন জীব বিজ্ঞানী ও প্রত্নতাত্ত্বিক সেখানে দীর্ঘকাল অন্বেষ��� করে বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো, লক্ষ লক্ষ বছর আগের প্রাণীর জীবাশ্ম খুঁজে পায়। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ভারত সফরে এসে আমাকে অনুরোধ করেন যে, তাঁদের দেশের বিজ্ঞানীরা ওখানে কেমন কাজ করছেন, তা তিনি গিয়ে দেখতে চান। আমি তাঁকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। প্রত্নতত্ত্ববিদরা আমাদের অনেক প্রচলিত ধারণা বদলে দিতে পারেন। ইতিহাসকে চ্যালেঞ্জ জানানোর সামর্থ্য তাঁরা পাথর থেকে খুঁজে পান। শুরু হয়তো অনেকে মেনে নেন না, আর আমাদের দেশে তো এরকম কোনও কিছু মেনে না নেওয়ার অভ্যাস রয়েছেই! কিন্তু তাঁরা যখন মেনে নিতে বাধ্য হন, ততদিনে এর মূল্য অনেকটাই কমে যায়। বিশ্বে যাঁদের কাছে কিছু থাকে না, তাঁরা যেটা আছে, সেটাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়। আমি একবার আমেরিকায় সরকারি আমন্ত্রণে দেশের প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসাবে গিয়েছিলাম, সফরসূচি ঠিক করার আগে আমাকে একটি ফর্ম ভর্তি করতে হয়েছিল, তাতে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, কোথায় কোথায় যেতে চাই, কী জানতে চাই, কী দেখতে চাই? আমি লিখেছিলাম যে, একটি ছোট গ্রামের হাসপাতাল এবং একটি বিদ্যালয় দেখতে চাই। আর লিখেছিলাম, আপনাদের দেশের সবচেয়ে পুরনো জিনিস, যা নিয়ে আপনারা গর্ব করেন, সেটি দেখতে চাই। হাসপাতাল ও বিদ্যালয় দেখার পর তাঁরা আমাকে সম্ভবত পেনসিলভেনিয়া স্টেটে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি বড় প্রস্তরখন্ড দেখিয়ে তাঁরা অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে বলেছিলেন, এটি ৪০০ বছরের। তাঁদের জন্য এটা অত্যন্ত পুরনো আর গর্বের বিষয়। কিন্তু আমাদের দেশে ২-৫ হাজার বছর পুরনো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে। এতটাই বেশি রয়েছে যে, এগুলি কোনও গুরুত্ব পায় না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ ধরণের মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসা উচিৎ ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই ধরণের দাসত্বসুলভ ভাবনাই ভারতকে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে ধরেছিল। যতদিন পর্যন্ত আমাদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব অনুভব না করব, ততদিন এর সাক্ষ্যগুলিকে সামলে রাখা ও সাজিয়ে রাখার মানসিকতা গড়ে উঠবে না। গর্ব থেকেই মানুষ কোনও কিছুকে সাজিয়ে মাথায় করে রাখে। আমার সৌভাগ্য, যে গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছি তার একটা ইতিহাস আছে। মানবসভ্যতা শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরে নিরন্তর বিকশিত হয়ে আসছে। প্রখ্যাত চিনা পর্যটক হিউ এন সাঙ-এর ভারত সফরের বর্ণনা অনুযায়ী আমার গ্রামে বৌদ্ধদের একটি বড় বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আমাদের গ্রামের স্কুলে একজন শিক্ষক ছিলেন, তিনি আমাদের বলতেন, তোমরা যেখানেই দেখবে কোনও পাথরে কোনও রকম খোদাইয়ের কাজ হয়েছে, সেই পাথরের টুকরোগুলিকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসবে। আমাদেরও অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল যে, কোনও পাথরে একটি বা দুটি অক্ষরও খোদাই করা দেখতাম, তা হলে সেই টুকরোটি এনে বিদ্যালয়ের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতাম। তখন আমরা বুঝতে পারিনি যে, এই শিক্ষক আমাদের মনে কেমন সুন্দর সংস্কার প্রোথিত করছেন, কিভাবে আমাদের সচেতন করে তুলছেন। পথের পাশে পড়ে থাকা যে কোনও পাথরের কতটা মূল্য হতে পারে! পরে এসব বুঝেছি। আমেদাবাদে ডঃ হরিভাই গোধানি নামে একজন হাতুড়ে ডাক্তার ছিলেন। কিন্তু একটি ভিন্ন কারণে আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমি শুনেছিলাম যে, তিনি একজন সখের প্রত্নতাত্ত্বিক। পাহাড়ে ও অরণ্যে প্রত্বতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনি ২০টি ফিয়েট গাড়ি নষ্ট করেছেন। তখন তাঁর কাছে গিয়ে শুনলাম যে, প্রত্যেক শনি ও রবিবারে তিনি জঙ্গলের মধ্যে একটি পাথুরে এলাকায় চলে যান। ঐ বন্ধুরপথে চলতে গিয়ে এক বছরের মধ্যেই তাঁর গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। একজন সাধারণ মানুষের কত বড় নেশা ভাবুন! আর তাঁর প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহও ছিল অসাধারণ। তিনি আমাকে কয়েকটি স্লাইড দেখিয়েছিলেন। আমার বয়স কম ছিল, কিন্তু অনুসন্ধিৎসা ছিল সীমাহীন। তিনি আমাকে একটি খোদাই করা পাথর দেখিয়েছিলেন, যেটাতে একজন গর্ভবতী মহিলার শারীরিক আকৃতি খোদাই করা ছিল। তিনি বলেছিলেন, ঐ পুরাকীর্তিটি কমপক্ষে ৮০০ বছরের পুরনো। এতে একজন গর্ভবতী মহিলাকে শল্য চিকিৎসার সুবিধার জন্য একদিক থেকে পেটের ভেতরের দৃশ্যও খোদাই করা ছিল। এমনকি চামড়ার ক’টি স্তর থাকে, তাও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খোদিত করা ছিল। গর্ভে শিশুটি কিভাবে শুয়ে থাকে, তাও সুন্দরভাবে খোদাই করা ছিল। আমাকে কেউ বলছিলেন যে, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান মাত্র কয়েকশো বছর পুরনো। তা হলে আমাদের খোদাই শিল্পীরা ৮০০ বছর পুরনো শিল্পকৃতীতে এত পুঙ্খানুপুঙ্খ খোদাই কি করে করেছিলেন। আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রের জ্ঞানের সঙ্গে ঐ খোদিত পুরাকীর্তির বিবরণ প্রায় হুবহু মিলে যায়। অর্থাৎ আমাদের ঐতিহ্য কত পুরনো, আমাদের বিজ্ঞান কত প্রাচীন, তার সাক্ষ্য বহন করে ঐ পুরাকীর্তি। যাঁরা এ বিষয়ে আগ্রহী, তাঁরা হয়তো এটা অনুভব করেন। সারা পৃথিবীতে পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি গণঅংশীদারিত্বের মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়। বিশ্বের যে কোনও সৌধ দেখতে যান, দেখবেন যে, অবসরপ্রাপ্ত কর্মচা���ীরা সেখানে স্বেচ্ছাসেবক হয়ে ইউনিফর্ম পরে গাইডের কাজ করছেন। আমাদের দেশের বয়স্ক নাগরিকদের ক্লাবগুলি এই ধরণের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে। আপনারা সেবাভাব নিয়ে এই ধরণের কাজ করলে তবেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিজেদের ঐতিহ্য সম্পর্কে এবং ঐতিহ্যের সংরক্ষণ সম্পর্কে সচেতন করতে পারবেন। সরকারি কর্মচারীরা তো তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন। একজন চৌকিদার যত তটস্থই হন না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত দর্শনার্থীদের মধ্যে একটিও গাছের দাল কিংবা পাতা না ছেঁড়ার মানসিকতা তৈরি না হয়, একা চৌকিদারের পক্ষে ততক্ষণ সুস্থভাবে কোনও বাগানের দেখভাল করা সম্ভব নয়। আর সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল পেরিয়ে গেলেও কোনও জিনিস নষ্ট হবে না। গণঅংশীদারিত্বের শক্তি এখানেই। সেজন্যে আমাদের সমাজ জীবনে এই স্বভাবগুলি রপ্ত করা এবং এ ধরণের পরিষেবা প্রদানের জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো – তা হলেই অনেক বড় কাজ হবে। আমাদের দেশের বেসরকারি ক্ষেত্রের আধিকারিকদেরও অনুরোধ জানাতে পারি যে, মাসে ১০-১৫ ঘন্টা স্বেচ্ছা সেবকের কাজ করুন। ধীরে ধীরে মূল্যবোধ সমাজ জীবনে ছড়িয়ে যাবে। এই রক্ষণাবেক্ষণের কাজে পর্যটন বিভাগ ও সংস্কৃতি বিভাগকেও যুক্ত করা যেতে পারে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির অন্যান্য বিভাগও যুক্ত হতে পারে। মনে করুন, দেশের ১০০টি শহর ঐতিহ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত মূল্যবান। সেগুলি পর্যটকদের আকর্ষণ স্থল। সেই শহরের শিশুদের পাঠ্যক্রমে ঐ শহরের ইতিহাস ও প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব সম্বন্ধে পড়ানো হোক। আগ্রার ছেলেমেয়েদের পাঠ্যক্রমে তাজমহল সম্বন্ধে বিস্তারিত বিবরণ থাকলে পরবর্তীকালে তারা পর্যটন সহায়ক নাগরিক হয়ে উঠবে। এছাড়া, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ঐ শহরগুলি নিয়ে পড়াশুনার জন্য অনলাইন সার্টিফিকেট কোর্স চালু করা যেতে পারে। যাঁরা এসব নিয়ে পড়াশুনা করবেন, তাঁরা ভবিষ্যতে উন্নতমানের পর্যটন গাইড হয়ে উঠবেন। আমি একবার টিভি চ্যানেলের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখন আমি প্রধানমন্ত্রী ছিলাম না। আমি তাঁদের অনুরোধ করেছিলাম যে, শিশু ও কিশোরদের জন্য সঙ্গীত, নৃত্য, অভিনয় ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক মেধা-অন্বেষণের ব্যবস্থা করতে। প্রতিযোগিতা চলাকালীন ঐ বিষয়গুলির শ্রেষ্ঠ বিশেষজ্ঞরা নির্বাচিত শিশু-কিশোরদের উন্নতমানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি করবে। একই রকমভাবে ট্যুরিস্ট গাই��ের পোশাক পরে কিভাবে বিভিন্ন পর্যটন স্থানের প্রতি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করা যায়, সে বিষয়েও শিশু-কিশোরদের আগে প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করার কথা বলেছিলাম। ঐতিহাসিক গুরুত্ব থাকলে যে কোনও অঞ্চলেরই পর্যটক আকর্ষণ বাড়ে, সেই ইতিহাস পর্যটকদের বলার মতো লোক চাই। আমি একবার কচ্ছের ঊষর ভূমিকে মরু পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম। সেজন্য প্রথমে শিশু-কিশোরদের গাইডের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কচ্ছের রান থেকে লবণ উৎপাদনের পদ্ধতি শেখানো শুরু করা হয়। আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, অষ্টম-নবম শ্রেণীর ছেলেমেয়েরা ঊষর ভূমির লবণের গুরুত্ব ও তার উৎপাদন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি এর ইতিহাস এবং ব্রিটিশের ভূমিকা এত সুন্দর বোঝাতে থাকে যে পর্যটকের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ঐ ছেলেমেয়েদের সবারই এখন পর্যটন নির্ভর কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রযুক্তি দ্রুত বদলাচ্ছে। মহাকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে হাজার মাইল উপর থেকে দিল্লির কোন গলিতে কোথায় কোন স্কুটার পার্ক করা হয়েছে, তার নম্বর প্লেটের ছবি নেওয়া যায়। আর আমাদের মনুমেন্টের বোর্ডে লেখা রয়েছে – ছবি তোলা নিষেধ। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী বদলাতে হবে। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, নির্মীয়মান সর্দার সরোবর বাঁধ দেখতে অনেককে আসতে দেখেছি। কিন্তু তাঁরা ছবি তোলা নিষেধ তোলায়, মনে কষ্ট নিয়ে ফিরে যেতেন। পর্যটকদের কাছে আমি সেকথা শুনে উল্টো আদেশ দিই। আমি বলি যে, আপনারা ছবি তুলে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে পারেন। শ্রেষ্ঠ ছবিটিকে পুরস্কৃত করা হবে। পরবর্তীকালে এই ছবি তোলার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে আমরা বাঁধ দেখতে আসা মানুষের জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করি, আর ঘোষণা করি যে, ঐ টিকিটের রেজিস্ট্রেশন নম্বর অনুযায়ী ৫ লক্ষতম যাত্রীকে সম্মানিত করা হবে। কিছুদিনের মধ্যেই সেই সম্মান তুলে দিতে গিয়ে অবাক হয়ে দেখি, কাশ্মীরের বারামুলা জেলার এক দম্পতি আমার থেকে পুরস্কার নিতে এসেছেন। সেখানেও আমরা স্কুলের ছেলেমেয়েদের গাইডের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করেছিলাম। বাঁধ নির্মাণ কবে থেকে শুরু হয়েছে, এর পক্ষে ও বিপক্ষে কী ধরণের আন্দোলন হয়েছে, কত টন সিমেন্ট, বালি, লোহা লেগেছে, কী পরিমাণ জল জমা হয়, কীভাবে ছাড়া হয়, বিশেষ করে ওই অঞ্চলের জনজাতি পরিবারের শিশু-কিশোররা এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন সাফল্যের সঙ্গে গাইডের ���াজ করছে। এভাবেই দেশের ১০০টি শহরে শিশু-কিশোরদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আমরা পর্যটন-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার পাশাপাশি এক বিরাট সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করতে পারি। আমাদের হাজার হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ইতিহাস নবীন প্রজন্মের নখদর্পণে থাকলে তাঁরা কখনই বিপথগামী হবে না। আমাদের পূর্বজরা যা ছেড়ে গেছেন, বিশ্ববাসীকে শুধু গর্বের সঙ্গে সেগুলি দেখাতে পারলেই দেশের নবীন প্রজন্মকে আর কিছু করতে হবে না। ভারতের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা এতটাই। আমরা এমন সন্তান নই যে, পূর্বজদের ঐতিহ্য ও পরাক্রমকে ভুলে যাব। এগুলি রক্ষা করাও তো আমাদের দায়িত্ব। সেই সংরক্ষণকে আমরা যাতে মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানে বদলে দিতে পারি, আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে পারি – ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের নতুন ভবনটির উদ্বোধনে এরকম নতুন ভাবনাই প্রজ্জ্বলিত হোক। আপনাদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",ভাৰতীয় প্ৰত্নতাত্ত্বিক জৰীপ বিভাগ নতুন ভৱন উদ্বোধন উপলক্ষে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AC-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AC-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A6%BE/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার ভারত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক ওদপ্তরে কর্মরত ৭০ জন অতিরিক্ত সচিব এবং যুগ্ম সচিবদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয়েবিভিন্ন বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেছেন। এই বৈঠকটি ছিল এই ধরনের প্রস্তাবিত পাঁচটিবৈঠকের মধ্যে প্রথম। এই আলোচনার সময় ডিজিটাল এবং স্মার্ট প্রশাসন, প্রশাসনিক কর্মপদ্ধতি ওউত্তরদায়িতা, স্বচ্ছতা, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা, দক্ষতা উন্নয়ন, স্বচ্ছ ভারত,গ্রাহকদের অধিকার, পরিবেশ সুরক্ষা এবং ২০২২ সালের মধ্যে নতুন ভারত গড়ে তোলারলক্ষ্য বিষয়ে তাঁদের কাজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের নাগরিকদের কল্যাণ ও সন্তুষ্টির জন্য উন্নয়ন ওসুপ্রশাসনের সংযুক্ত উদ্যোগ প্রয়োজন। তিনি বলেন, আধিকারিকদের জন্য সুপ্রশাসনকেঅগ্রাধিকার দেওয়া উচিৎ। সরকারের সবকটি শাখায় সবচেয়ে ভালো কাজের জন্য একযোগে এবংসমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার ওপর তিনি জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিদ্ধান্তনেওয়ার সময় আধিকারিকদের দরিদ্র ও সাধারণ নাগরিকদের কথা মাথায় রাখাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সদর্থক প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে।বিশ্বের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ভারতের সাফল্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে সমগ্রবিশ্ব মনে করে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের সাধারণনাগরিকদের মাধ্যে কর্মদক্ষতার এক শক্তিশালী স্রোত রয়েছে। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারথেকে উঠে আসা যুবকেরা সীমিত আর্থিক সামর্থ্যকে কাজে লাগিয়ে প্রতিযোগিতামূলকপরীক্ষা এবং খেলাধূলার ক্ষেত্রে দুর্দান্ত ভালো ফল করছে। প্রতিভার এই তাৎক্ষণিকস্ফুরণকে উৎসাহিত করতে কাজ করার জন্য তিনি আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। তিনি এইপ্রসঙ্গে পরিষেবার প্রথম তিনটি বছরে যে মানসিকতা ও শক্তি নিয়ে তাঁরা কাজ করেছেন,তার উল্লেখ করেন। জাতির উন্নতির জন্য আধিকারিকদের কাছে তাঁদের সর্বশক্তি নিয়োগ করে ভালো কাজকরার সুযোগ এসেছে বলে প্রধানমন্ত্রী বলেন। তিনি গয়ংগচ্ছ ভাব দূর করে সরকারেরবিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে সুদক্ষ অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ওপর জোর দেন। সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষেত্রে দ্রুততা এবং দক্ষতার কথাও তিনি বলেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারসদ্বিচ্ছার সঙ্গে গৃহীত সিদ্ধান্তকে সর্বদাই উৎসাহিত করবে। তিনি ভারতের ১০০টিসবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জেলার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেন।বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজের নিরিখে যাতে এই জেলাগুলি জাতীয় গড়ের পর্যায়ে উঠেআসতে পারে, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে বলে তিনি আধিকারিকদের প্রতি আহ্বান জানান।",অতিৰিক্ত সচিব আৰু যুটীয়া সবিচৰ সৈতে বাৰ্তালাপত মিলিত প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%8F-%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%86%E0%A6%87-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A7%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A4-%E0%A7%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%86%E0%A6%87-%E0%A6%B2%E0%A7%87/,"নয়াদিল্লি, ২ আগস্ট, ২০২২ জুলাই মাসে ইউপিআই লেনদেন ৬ বিলিয়ন অর্থাৎ ৬০০ কোটি টাকায় পৌঁছনোর অসাধারণ সাফল্য অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সাধুবাদ জানিয়েছেন। ২০১৬ থেকে এই অঙ্ক সর্বাধিক। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের এক ট্যুইটের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এ এক অসাধারণ সাফল্য। অর্থনীতিকে কলুষমুক্ত করতে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে ভারতের জনগণের যৌথ সংকল্পকেই এটি সূচিত করে। কোভিড-১৯ মহামারীতে ডিজিটাল ল���নদেন বিশেষ সহায়ক হয়েছিল।”",জুলাইত ৬ বিলিয়ন ইউপিআই লেনদেনৰ প্ৰশংসা কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%88%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%88%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%B0%E0%A6%A3%E0%A7%B0-%E0%A7%AD%E0%A7%AB%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%8D-2/,"এখানে উপস্থিত সমস্ত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিবর্গ, ভদ্র মহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ, সবার আগে আমি ‘দৈনিক জাগরণ’-এর সমস্ত পাঠক, কাগজ প্রকাশনের সঙ্গে যুক্ত সকলে, আর যাঁরা প্রতিদিন মানুষের বাড়িতে বাড়িতে খবরের কাগজ পৌঁছেদেন, বিশেষ করে সেই হকার বন্ধুদের এবং আপনাদের সম্পাদকীয় টিমকে এই হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বিগত ৭৫ বছর ধরে আপনারা প্রতিনিয়ত দেশের কোটি কোটি মানুষের কাছে তথ্য ও সংস্কৃতির বাহক হিসেবে যুক্ত থেকেছেন। দেশের পুনর্নির্মাণে এবং দেশবাসীকে সচেতন করতে দৈনিক জাগরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যে কাজ আপনারা ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে শুরু করেছিলেন, তা আজ নতুন ভারতের নতুন আশা, নতুন সংকল্প এবং নতুন সংস্কারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আমি ‘দৈনিক জাগরণ’ এর নিয়মিত পাঠক। যখন থেকে হিন্দি খবরের কাগজ পড়া শুরু করেছি, হয়তো তখন থেকেই পড়ছি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলতে পারি যে বিগত দশকগুলিতে দৈনিক জাগরণ দেশ ও সমাজে পরিবর্তন আনার প্রচেষ্টায় ইন্ধন যুগিয়েছে। বিগত চার বছর ধরে আপনাদের সবক’টি সংস্করণ এবং সংবাদমাধ্যমের অন্যান্য শাখা অত্যন্ত সুচারুভাবে রাষ্ট্র নির্মাণের মজবুত স্তম্ভরূপে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন। ‘বেটি বাঁচাও – বেটি পড়াও’ আন্দোলন থেকে শুরু করে ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’কে গণ-আন্দোলনে রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশের সংবাদমাধ্যমের একটি ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। দৈনিক জাগরণও এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। কিছুদিন আগেই আমার আপনাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। তখন আমি জানতে পেরেছিলাম, কিভাবে আপনারা সবাই পরিচ্ছন্নতাকে সংকল্প হিসেবে গ্রহণ করে কাজ করে চলেছেন! বন্ধুগণ, আগামী দিনে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আজ ডিজিটাল বিপ্লব সংবাদমাধ্যম তথা খবরের কাগজগুলিকে বিস্তার প্রদান করেছে, এই প্রেক্ষিতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস, নতুন সংবাদমাধ্যম অবশ্যই নতুন ভারতের ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। বন্ধুগণ, আমরা যখন নতুন ভারতের কথা বলি, তখন ‘ন্যূনতম সরকার অধিকতম প্রশাসন’ এবং ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’কে মূলমন্ত্র করে কথা বলি। আমরা এমন এক ব্যবস্থার কথা বলি, যেখানে প্রত্যেক প্রকল্প গড়ে উঠবে গণ-অংশীদারিত্বের মাধ্যমে। জনগণই এগুলির অগ্রগতির তদারকি করবে। এই ভাবনা নিয়েই আমরা বিগত চার বছর ধরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছি। কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক প্রকল্পই জনগণ নিজেদের দায়িত্ব ভেবে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। সরকার, সংস্কার এবং সমবায়ের ভাবনা দেশে শক্তিশালী হয়েছে। দেশের যুবসম্প্রদায় আজ নিজেদের উন্নয়নের অংশীদার বলে ভাবছেন। সরকারি প্রকল্পগুলিকে তাঁরা অনেক বেশি নিজের করে নিয়েছেন।তাঁদের কন্ঠস্বর সরকার শুনতে পাচ্ছে – এই বিশ্বাস থেকেই আজ সরকারি ব্যবস্থার প্রতি তাঁদের আস্থা নিবিড় হয়েছে। এই আস্থা সম্বল করেই সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছে, প্রতিটি কাজে পারদর্শিতা ও স্বচ্ছতা বাড়ছে। বন্ধুগণ, জাগরণ ফোরামে আপনারা অনেক বিষয়ে আলোচনা করছেন। অনেক প্রশ্ন উঠবে, অনেক জবাবও অন্বেষণ করা হবে। আমিও আজ আপনাদের এই মঞ্চ থেকে একটি তুলছি। এটি আমার প্রশ্ন কিন্তু তার সঙ্গে গোটা দেশের ভাবনা জড়িয়ে আছে। আপনারাও হয়তো ভাবেন, অবাক হয়ে পড়তে পড়তে ভাবেন যে, স্বাধীনতার এতদশক পরেও আমাদের দেশ পিছিয়ে আছে কেন? আমাদের কাছে বিশাল ঊর্বর জমি রয়েছে। আমাদের নবীন প্রজন্ম যেমন প্রতিভাবান, তেমনই পরিশ্রমী। আমাদের কখনোই প্রাকৃতিক সম্পদের কোনও অভাব ছিল না! এতকিছু থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশ কেন এগোতে পারেনি? অনেক ছোট ছোট দেশ, যাদের জনসংখ্যা কম, প্রাকৃতিক সম্পদও তেমন নেই; তেমন অনেক দেশও কম সময়ের মধ্যেই আমাদের থেকে এগিয়ে গিয়েছে। আমাদের দেশের মানুষ নিজেদের ক্ষমতায় চাঁদে চন্দ্রযান পাঠিয়েছে, অনেক কম ব্যয়ে মঙ্গল অভিযানের মতো মহাযজ্ঞ সম্পূর্ণ করেছে। কিন্তু এদেশের অসংখ্য গ্রামে এখনও সড়কপথ পৌঁছোয়নি কেন? বন্ধুগণ, ভারতীয়দের উদ্ভাবনে এখন বিশ্ব আলোকিত হচ্ছে। কিন্তু কোটি কোটি ভারতীয়ের বাড়িতে এত বছরেও বিদ্যুৎ আসেনি কেন? আমাদের দেশে ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে মানুষকে কেন বুনিয়াদি পরিষেবার জন্যে হাপিত্যেশ করে মরতে হয়? বড় বড় মানুষ, বিখ্যাত সব মানুষেরা সরকার পরিচালনার কাজ করেছেন, কিন্তু বহুদশক কেটে যাওয়ার পরেও দেশের মানুষের ছোট ছোট সমস্যার সমাধান হয়নি। বন্ধুগণ, লক্ষ্য নির্ণয়ের অভাব ছিলনা, ইচ্ছাশক্তির অভাব ছিল।টাকার অভাব ছিলনা, সংবেদনার অভাব ছিল। সামর্থ্যের অভাব ছিলনা, কর্মসংস্কৃতির ত্রুটি ছিল। কবীরদাসজি বলেছিলেন, আগামীকালের কাজ আজ করো, আজকের কাজ এখুনি! অনেক সহজেই কেউ কেউ সেই বিখ্যাত উক্তিকে হাস্যকর করে তোলেন। বন্ধুগণ, সম্প্রতি এলিফ্যান্টা পর্যন্ত সমুদ্রের জলের নিচে দিয়ে ‘কেব্‌লস’ বিছিয়ে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। আমি দেখেছি,আপনারাও হয়তো দেখেছেন! কল্পনা করুন, মুম্বাই থেকে সামান্য দূরেই বসবাসকারী এই দ্বীপের মানুষেরা ওই মহানগরীর আলোর রোশনাই রোজ দেখতেন, অথচ সূর্যডুবলেই নিজেরা অন্ধকারে থাকতে বাধ্য হতেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৭০ বছর পরেও তাঁদের এই অবস্থা ছিল। কিছুদিন আগে আমাকে একজন চিঠি লিখে মেঘালয়কে রেল মানচিত্রের অন্তর্ভুক্ত করানোর জন্যে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আপনারা কল্পনা করতে পারেন, আমরা শাসন ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত মেঘালয়, মিজোরাম এবং ত্রিপুরা ভারতের রেল মানচিত্রে ছিলনা! ভাবুন, কারা কিভাবে ওইরাজ্যগুলির বাসিন্দা জনগণের জীবনে প্রভাব ফেলেছেন! বন্ধুগণ, আগে দেশ কোন পথে কেমন গতিতে এগোচ্ছিলো আর আজ দেশ কোন দিশায়, কেমন গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের সংবাদ মাধ্যমের বন্ধুদের জন্যে গবেষণা এবং বিশ্লেষণের বিষয় হতে পারে! কখন করবেন তা আমি জানিনা। ভাবুন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৬৭ বছরে কেন মাত্র ৩৮ শতাংশ গ্রামীণ গৃহে শৌচালয় ছিল, আর মাত্র সাড়ে চার বছরে এই পরিসংখ্যান কিভাবে ৯৫ শতাংশে পৌঁছালো ? ভাবুন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৬৭ বছরে কেন মাত্র ৫৫ শতাংশ বস্তি, গ্রামও জনপদে সড়কপথ পৌঁছেছে, আর কিভাবে মাত্র চার বছরে ৯০ শতাংশেরও বেশি গ্রামে সড়কপথ নির্মিত হয়েছে ? স্বাধীনতার পর ৬৭ বছরে কেনমাত্র ৫৫ শতাংশ বাড়িতে রান্নার গ্যাস সংযোগ হয়েছে, আর কিভাবে মাত্র চার বছরে ৯০ শতাংশেরও বেশি বাড়িতে রান্নার গ্যাস সংযোগ সম্ভব হয়েছে? সবশেষে ভাবুন, ৬৭ বছরে কেন মাত্র ৭০ শতাংশ গ্রামীণ পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়েছে, আর কিভাবে মাত্র চার বছরে ৯৫ শতাংশেরও বেশি গ্রামীণ পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ সম্ভব হয়েছে ? বন্ধুগণ, এভাবে প্রশ্ন করতে থাকলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে যেতে পারে, ব্যবস্থা সমূহের অপূর্ণতা থেকে সম্পূর্ণ তার পথে আমাদের দেশের অগ্রগতি অভূতপূর্ব। বন্ধুগণ, ভাবুন…কেন স্বাধীনতার পর ৬৭ বছরে মাত্র ৫০ শতাংশ পরিবারেরই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউণ্ট ছিল, আর কিভাবে মাত্র চার বছরে দেশের প্রায় সমস্ত পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউণ্ট হল? দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৬৭ বছর পরও কেন দেশের মাত্র চার কোটি নাগরিক আয়কর রিটার্ন ভরতেন, আর মাত্র চার বছরে কিভাবে আরও তিন কোটি নাগরিক আয়কর রিটার্ন ভরে আয়কর নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন? ভাবুন… জিএসটি চালু হওয়ার আগে আমাদের দেশের অপ্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থার সঙ্গে মাত্র ৬৬ লক্ষ ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি যুক্ত ছিলেন, আর জিএসটি চালু হওয়ার পর কোথা থেকে এসে ৫৪ লক্ষ নতুন ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি নিজেদের নথিভুক্ত করালেন? বন্ধুগণ, পূর্ববর্তী সরকারগুলি এসব কেন করতে পারেনি, যা আমরা পেরেছি? একই ব্যবস্থা, একই আধিকারিক ও কর্মচারীবৃন্দ, ফাইল চালাচালির একই ব্যবস্থা, একই টেবিল-চেয়ার-কলম, তাহলে এই পরিবর্তন কিভাবে এসেছে? এটাই প্রমাণ যে এ দেশে পরিবর্তন আসাসম্ভব! আর আমি আপনাদের এটাও মনে করাতে চাই, যে পরিবর্তনই আসছে, গতি এসেছে; এসব কিছুই সম্ভব হতো না যদি আমরা তৃণমূলস্তরে গিয়ে সিদ্ধান্ত না নিতাম, সেগুলিকে অগ্রাধিকার না দিতাম! আপনারা কল্পনা করুন… কয়েক দশক আগেই যদি দেশের জনগণের মৌলিক সমস্যাগুলির সমাধান সম্ভব হতো তাহলে আমরা এত দিনে দেশকে কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে দিতে পারতাম! আমার জন্যে দেশের মানুষের স্বার্থে এভাবে কাজ করে যাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়। কিন্তু দেশের জনগণের জন্যে দুর্ভাগ্যের বিষয় যে তাঁদের এত বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে! বন্ধুগণ, যেদিন আমার দেশের দরিদ্র, শোষিত, বঞ্চিতদের সমস্ত মৌলিক পরিষেবা প্রদান সম্ভব হবে…তাঁরা শৌচালয়, বিদ্যুৎ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, রান্নার গ্যাস সংযোগ, শিক্ষা, আরোগ্যের মতো মৌলিক চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সেদিন তাঁরা নিজেরাই নিজেদের দারিদ্র্যকে পরাস্ত করতে পারবেন! বিগত চার বছর ধরে আপনারা এই পরিবর্তনগুলি হতে দেখছেন। পরিসংখ্যান এর সাক্ষী। আগে এসব কিছু না হওয়ার কারণ হল, মানুষের দারিদ্র্য দূর হয়ে গেলে তাঁরা ‘গরীবি হটাও’ শ্লোগান কেমন করে দেবেন? মানুষের সমস্ত মৌলিক সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে তাঁরা ভোট ব্যাংক রাজনীতি কিভাবে করবেন? ভাই ও বোনেরা, আজ আমরা দেশের ১০০ শতাংশ মানুষকে মৌলিক পরিষেবাসমূহ প্রদানের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়ে দেশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করে তুলেছি। আমরা কোটি কোটি ভারতবাসীর প্রত্যাশা, তাঁদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে�� জন্য আমরা তৎপর। আজ আমরা নতুন ভারতের সংকল্প থেকে সিদ্ধির যাত্রাপথে এগিয়ে চলেছি। এই যাত্রায় আমরা যেভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করছি তা বিশ্বে উন্নয়নশীল ও পিছিয়ে পড়া দেশগুলির জন্যে একটি মডেল হিসেবে পরিগণিত হবে। বন্ধুগণ, আজ ভারতে যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বার্তালাপ ও সম্প্রচার ব্যবস্থা, প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে পরিবহণ ব্যবস্থা, জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রকে প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে। প্রযুক্তি এবং মানবিক সংবেদনার শক্তিতে বলীয়ান হয়ে ‘ইজ অফ লিভিং’ সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। আমাদের ব্যবস্থাগুলি দ্রুত নতুন বিশ্বের প্রয়োজন অনুসারে সেজে উঠছে। সৌরশক্তি ও জৈব-জ্বালানি নির্ভর আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশে আজ একবিংশ শতাব্দীর প্রয়োজনীয়তা অনুসারে ‘পরবর্তী প্রজন্মের উপযোগী পরিকাঠামো’ গড়ে উঠছে। মহাসড়ক, রেলপথ, আকাশপথ ও জলপথ সংস্কারের চতুর্মুখী কাজ চলছে। সম্প্রতি আপনারা দেখেছেন যে বারাণসী আর কলকাতার মধ্যে জলপথ পরিষেবা চালু হয়েছে। এভাবে দেশে নির্মিত ইঞ্জিনহীন ড্রাইভার চালিত ট্রেন এবং তার মহড়াকে আপনারা ইতিমধ্যেই খবরের কাগজে শিরোনাম করেছেন। দেশে বিমান যাত্রাক্রমে এত জনপ্রিয় হচ্ছে যে রেলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় সফর করার চাইতে বেশি মানুষ এখন বিমান যাত্রা করছে। এটা সম্ভব হচ্ছে সরকার ছোট ছোট টু-টিয়ার, থ্রি-টিয়ার শহরগুলিকে ‘উড়ান যোজনা’র সঙ্গে যুক্ত করছে। নতুন নতুন বিমানবন্দর এবং বিমানপথ বিকশিত হচ্ছে। কিভাবে চারিদিকের ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসছে সেটা বোঝার অনেক প্রয়োজন রয়েছে। আগে এলপিজি সিলিন্ডার রিফিল করতে বেশ কিছুদিন লেগে যেত,এখন দু-একদিনের মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। আগে আয়কর ‘রিফান্ড’ পেতে কয়েকমাস লাগতো, এখন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আগে পাসপোর্ট হাতে পেতে কয়েক মাস লাগতো, এখন দুই সপ্তাহের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।পাণীয় জল কিংবা বিদ্যুতের সংযোগ এখন সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের অধিকাংশ পরিষেবা এখন অনলাইন অথবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই পাওয়া যাচ্ছে। এর পেছনে একটাই ভাবনা কাজ করে, যাতে সাধারণ মানুষকে কোন রকম ব্যবস্থার জটিলতার সম্মুখীন না হতে হয়, লম্বা লাইনে না দাঁড়াতে হয়, দুর্নীতি হ্রাস পায় আর মানুষ দৈনন্দিন সমস্যা থেকে মুক্তি পায়। বন্ধুগণ, আমাদের সরকার যেমন সমস্ত পরিষেবা মানুষের দরজায় দরজায় পৌঁছে দিতে সং���ল্পবদ্ধ, তেমনই যাদের সত্যিকারের প্রয়োজন তাঁরা যেন সরকারি প্রকল্পগুলি দ্বারা উপকৃত হন, সেই প্রচেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে।‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র মাধ্যমে প্রত্যেক গৃহহীনকে ঘর, ‘উজ্জ্বলা যোজনা’র মাধ্যমে গরিবদের বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সংযোগ, ‘সৌভাগ্য যোজনা’র মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ, প্রত্যেক বাড়িতে শৌচালয় – এমনই সমস্ত প্রকল্প সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদেরকে এসব সুবিধা গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করছে। দেশের ৫০ কোটিরও বেশি গরিব মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে ‘প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা’বা ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’ চালু করা হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি স্বনিয়ন্ত্রিত করা এবং মানবিক সংবেদনশীলতাকে কিভাবে জনগণের হিতে লাগানো সম্ভব, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল এই আয়ুষ্মান ভারত যোজনা। প্রকল্প শুরুর আগেই এর দ্বারা কারা উপকৃত হবেন তাদেরকে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে যুক্ত করে তাঁদেরকে ‘গোল্ডেন কার্ড’ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এই ‘গোল্ডেন কার্ড’ আর ‘আয়ুষ্মান মিত্র’, অর্থাৎ প্রযুক্তি ও মানবিক সংবেদনার অদ্ভূত সঙ্গমের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পাচ্ছেন। বন্ধুগণ, এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর এখনও ১০০ দিন পুরো হয়নি, কিন্তু ইতিমধ্যেই দেশের সাড়ে চার লক্ষ গরিব মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হয়েছেন, কিংবা এখনও তাঁদের ভাল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।গর্ভবতী মহিলাদের শল্য চিকিৎসা থেকে শুরু করে ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগের বিনামূল্যে চিকিৎসা আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে সম্ভব হচ্ছে। বন্ধুগণ, দরিদ্রদের ক্ষমতায়নের এই সকল প্রচেষ্টা আগামীদিনে আরও বিস্তৃত করা হবে। আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবস্থা থেকে দালালদের উৎখাত করতে চাই। উৎপাদক এবং উপভোক্তাদের যথা সম্ভব কাছাকাছি আনতে চাই। আমাদের স্পষ্টনীতি ও কড়াভাবে যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতি দূর করতে চাই। আমাদের এই প্রচেষ্টাগুলি বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়োচ্ছে। সেজন্য এখন ভারতকে ‘সম্ভাবনার দেশ’ বলা হচ্ছে। বন্ধুগণ, সম্প্রতি আর্জেন্টিনায় আয়োজিত জি-২০সম্মেলনে আমি বিশ্ব নেতাদের সামনে দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয়গ্রহণকারী আর্থিকত ছরূপকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের প্র���্তাব রেখেছি। তাদেরকে যেন নিরাপদ আশ্রয় না দেওয়া হয় সেই আর্জি জানিয়েছি। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, আগামীদিনে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমাদের এই উদ্যোগ সুফলদায়ক হবে। বন্ধুগণ, এই দৃঢ় বিশ্বাসের পেছনে আমার এই অনুভব কাজ করছে যে, এখন বিশ্ববাসী ভারতের কথা শুনছে ও বোঝার চেষ্টা করছে। বিশ্বের সমস্ত দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক মধুরতর হয়েছে। তিন-চার দিন আগেই আমরা এর একটা প্রমাণ পেয়েছি। আমাদের দেশবাসীর ক্রমবর্ধমান আত্মবিশ্বাসের কারণেই এসবকিছু সম্ভব হচ্ছে। বন্ধুগণ, আপনারা দেশে সংখ্যাধিক্যের সরকার গঠন করেছেন বলেই, শক্তিশালী সরকার গড়েছেন বলেই এই সরকার সাহস করে বড় বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারছে। নতুন ভারতের জন্য সরকারের মূল অগ্রাধিকার – সামর্থ্য, সম্পদ, সংস্কার, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। এই উন্নয়নের পঞ্চধারা ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনা, যুবসম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান, বয়স্কদের চিকিৎসা, কৃষকদের সেচের সুবিধা আর প্রত্যেকের সমস্যার কথা শোনার ব্যবস্থাকে কেন্দ্রে রেখে উন্নয়নের ধ্বজা এগিয়ে নিয়ে চলেছে। নতুন ভারতের নতুন স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়িত করতে ‘দৈনিক জাগরণ’-এর ভূমিকা সমগ্র সংবাদমাধ্যমের জগতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।ব্যবস্থাকে প্রশ্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব, এটা আপনাদের অধিকার। সংবাদমাধ্যমের পরামর্শ আর আপনাদের সমালোচনাকে আমি সবসময়ই স্বাগত জানাই। নিজেদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা বজায় রেখে নিরপেক্ষতার সঙ্গে ‘দৈনিক জাগরণসমূহ’ রাষ্ট্র নির্মাণের অতন্দ্রপ্রহরীরূপে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাবেন – এইআশা, এই বিশ্বাস নিয়ে আমি আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। আপনাদের সবাইকে সংবাদপত্রের ৭৫তমবর্ষ পূরণের জন্য এবং আপনাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করে শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",দৈনিক জাগৰণৰ ৭৫সংখ্যক প্ৰতিষ্ঠা দিৱস উপলক্ষে জাগৰণ ফ’ৰামত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আগবঢ়োৱা ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%AD-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A8-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%AD-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%9F%E0%A6%A4-%E0%A6%86/,"নয়াদিল্লি, ২৬ জুন, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৬ জুন মিউনিখে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি শ্রী আলবার্তো ফার্নান্ডেজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দুই নেতার ���ধ্যে এটি প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। ২০১৯ সালে ভারত ও আর্জেন্টিনার মধ্যে যে দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা হয়েছে, তাঁরা তা পর্যালোচনা করেন। আলোচনায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ওষুধ শিল্প সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, পারমাণবিক ওষুধ, বৈদ্যুতিক পরিবহণ ব্যবস্থা, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, পরম্পরাগত চিকিৎসা ব্যবস্থা, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়টি স্থান পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে উভয় নেতাই সহমত পোষণ করেছেন।",জি-৭ শীৰ্ষ সন্মিলনৰ সময়ত আৰ্জেণ্টিনাৰ ৰাষ্ট্ৰপতিৰ সৈতে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ বৈঠ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%9C%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8/,"ভারতের বৈপ্লবিক স্বাধীনতা সংগ্রামী শ্যামজি কৃষ্ণ ভার্মার জন্মবার্ষিকীতেতাঁর উদ্দেশে প্রণাম জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনিবলেছেন, “শ্রদ্ধেয় শ্যামজি কৃষ্ণ ভার্মার জন্মজয়ন্তীতে আমি তাঁকে প্রণাম জানাই।তাঁর সনিষ্ঠ দেশপ্রেম এবং ভারতের স্বাধীনতার লক্ষ্যে সংগ্রাম কখনোই বিস্মৃত হওয়ারনয়। আমি এখানে শেয়ার করলাম আমার অতীতের এক বক্তব্য, যেখানে শ্যামজি কৃষ্ণভার্মা এবং তাঁর মহত্ত্ব আমি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছি। পোর্টালটি হ’ল – https://www.youtube.com/watch?v=",শ্যামজী কৃষ্ণ বাৰ্মাৰ জন্মবাৰ্ষিকীত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শ্ৰদ্ধা জ্ঞাপন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF-4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A7%B1-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D/,"জাতীয় যুবদিবস উপলক্ষে আয়োজিত দুটি বিশেষ অনুষ্ঠানে আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্যরাখলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। গ্রেটারনয়ডার গৌতম বুদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় যুব উৎসব, ২০১৮-র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেপ্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের সূচনা করেন পিএসএলভি সি-৪০-র সফল উৎক্ষেপণেইসরো-রবিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জ্ঞাপ��ের মাধ্যমে। তিনি বলেন, মহাকাশ ক্ষেত্রে আমাদেরঅগ্রগতি দেশের নাগরিকদের নানাভাবে সহায়তা করবে। আমাদের উন্নয়নের যাত্রাপথে এটিএকটি বিশেষ স্মারক হয়ে থাকবে বলেও প্রসঙ্গত মন্তব্য করেন তিনি। ২০১৭-রডিসেম্বরে তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ঐঅনুষ্ঠানে তিনি এক নকল সংসদ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই ধরনের কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দেশের যুব সমাজের মধ্যে আলোচনা ও মতবিনিময়ের কাজকে উৎসাহ দেওয়া সম্ভব বলে মনেকরেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন যে আমাদের জন্ম স্বাধীনতা-উত্তরকালে। তাই, স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ ও সম্মান কোনটাই আমরা লাভ করতে পারিনি। তবে, দেশেরস্বাধীনতার জন্য যাঁরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন, তাঁদের স্বপ্নকে সফল করেতোলার সুযোগ রয়েছে আমাদের কাছে। তাই, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্নের ভারত গড়েতুলতে আমাদের সকলকেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। শ্রী মোদীবলেন, আমরা দেশের যুব সমাজকে কর্মদাতা রূপে গড়ে তুলতে আগ্রহী। কারণ, উদ্ভাবনেরকাজে যুক্ত রয়েছেন দেশের তরুণ ও যুবকরাই। অনেকেই হয়তো বলে থাকেন যে বর্তমান যুবসমাজের ধৈর্য্যের বড় অভাব। কিন্তু এই ধরনের মানসিকতা আবার অন্যদিক থেকে দেশের তরুণও যুবকদের মধ্যে উদ্ভাবনের আগ্রহ ও উৎসাহ জাগিয়ে তুলতে পারে। নির্দিষ্ট গণ্ডিরমধ্যে আবদ্ধ না থেকে নতুন কিছু উদ্ভাবন করার বিষয় সম্পর্কে তাঁদের কাছেচিন্তাভাবনার সুযোগ এনে দেয় এই ধরনের উক্তি ও মানসিকতা। খেলাধূলাকে জীবনের একটিঅঙ্গ হিসেবে গ্রহণ করার জন্য তরুণ ও যুবকদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানানপ্রধানমন্ত্রী। কর্ণাটকেরবেলাগাভিতে জাতীয় যুব দিবস এবং সর্ব ধর্ম সভা উপলক্ষে আয়োজিত এক কর্মসূচিতে ভিডিওকনফারেন্সের মাধ্যমে ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তোলার ওপরবিশেষ জোর দিতেন স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি বিশ্বাস করতেন যে ভারতের উন্নয়নের মধ্যেইনিহিত রয়েছে আমাদের সকলের কল্যাণ। শ্রীনরেন্দ্র মোদী বলেন, পাশ্চাত্য জগতে স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে অনেক অপপ্রচারহয়েছে।বলা হয়েছে যে তিনি ছিলেন এক ভ্রান্ত পথের পথিক। কিন্তু আমাদের বিস্মৃত হলেচলবে না যে সামাজিক কুফলগুলির বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছিলেন স্বামীজি। প্রধানমন্ত্রীবলেন, সমগ্র জাতি, বিশেষ করে যুব সমাজকে বিচ্ছিন্ন করতে কোন কোন শক্তি চেষ্টা করেচলেছে। কিন্তু আমাদের যুবশক্তি কখনই বিপথচালিত হবে না বলে তিনি মনে করেন। দেশেরতরুণ ও যুব সমাজই যে ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’কে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে একথাও তাঁরভাষণে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত হল সাধু-সন্তদের দেশ যাঁরাসমাজকে সেবা করে গেছেন এবং সমাজ সংস্কারেও ব্রতী থেকেছেন। শ্রী মোদীস্মরণ করিয়ে দেন যে ‘সেবা ভবঃ’ আমাদের সংস্কৃতিরই এক বিশেষ অঙ্গ। ভারতবর্ষে এমনঅনেক মানুষ ও সংস্থা রয়েছে যারা নিঃস্বার্থভাবেই সমাজের সেবা করে চলেছে।ভারতকেউন্মুক্ত স্থানে প্রাকৃতিক কাজকর্ম সেরে ফেলার অভ্যাস থেকে মুক্ত এক দেশ রূপে গড়ে তোলারআহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। /",ৰাষ্ট্ৰীয় যুৱ দিৱস উপলক্ষে দুখন ভিডিঅ’ কনফাৰেন্স সম্বোধন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%A8-3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%BE/,"নয়া দিল্লি: ১৬ নভেম্বর: প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়(শহুরে) মধ্যবিত্ত গোষ্ঠীর (এম.আই.জি.) জন্য ক্রেডিট লিংকড ভর্তুকি প্রকল্পের(সি.এল.এস.এস.) অধীনে সুদের ভর্তুকির যোগ্য ঘরের কার্পেট এলাকা বৃদ্ধিতে অনুমোদনদিল| প্রকল্পের সুযোগ, আওতা ও প্রসার আরও বৃদ্ধির জন্যমন্ত্রিসভা নিম্নলিখিত বিষয়ের অনুমোদন দিয়েছে: (১) সি.এল.এস.এস.-এর এম.আই.জি.-ওয়ান পর্যায়ের কার্পেটএলাকা বর্তমানের ৯০ বর্গমিটার থেকে বৃদ্ধি হয়ে ১২০ বর্গমিটার পর্যন্ত হচ্ছে এবংসি.এল.এস.এস.-এর এম.জি.আই.-টু পর্যায়ের কার্পেট এলাকা বর্তমানের ১১০ বর্গমিটারথেকে বেড়ে গিয়ে ১৫০ বর্গমিটার পর্যন্ত হচ্ছে; এবং (২) উপরের এই পরিবর্তন কার্যকর হচ্ছে ০১.০১.২০১৭ থেকেঅর্থাত যেদিন থেকে এম.আই.জি. ’র জন্য সি.এল.এস.এস. কার্যকর হয়েছে| এম.আই.জি. ’ রজন্য সি.এল.এস.এস. হচ্ছে শহুরে আবাসন ঘাটতি মেটানোর জন্য একটি সক্রিয় পদক্ষেপ|তাছাড়া মধ্যবিত্ত মানুষদের সুদ ভর্তুকি প্রকল্প গ্রহণে সক্ষম করে তুলতে এটি একটিঅগ্রগামী পদক্ষেপ| এম.আই.জি. ’ রজন্য সি.এল.এস.এস. ’ র দুটি আয়ের পর্যায় রয়েছে, যেমন ছয়লক্ষ এক টাকা থেকে বারো লক্ষ টাকা পর্যন্ত (এম.আই.জি.-ওয়ান) এবং বারো লক্ষ এক টাকাথেকে আঠারো লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়| সর্বোচ্চ ঋণ মেয়াদ ২০ বছর বা আসলমেয়াদের মধ্যে যা কম হবে তার ওপর ৯% করে এন.পি.ভি. করে সুদের ভর্তুকি হিসেব করাহবে| নয় লক্ষ অথবা ১২ লক্ষ টাকার বেশি গৃহ ঋণ হবে ভর্তুকিহীন হারে| এম.আই.জি. ’ রজন্য সি.এল.এস.এস. কার্যকর থাকবে ৩১.03.২০১৯ পর্যন্ত| প্রভাব",প্রধানমন্ত্রী আৱাস যোজনাত মধ্যবিত্ত শ্ৰেণীৰ বাবে ক্রেডিট লিংকযুক্ত ৰাজসাহাৰ্য আঁচনিৰ অধীনত সুদৰ ৰাজসাহাৰ্যযোগ্য ঘৰৰ কার্পেট এলেকা বৃদ্ধিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%9F-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%93-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%B0-%E0%A6%85%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%87-%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A7%B1/,"ভারতে অপুষ্টি হ্রাস ও প্রতিরোধ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সমস্যার মোকাবিলায়গৃহীত পদক্ষেপ ও তার অগ্রগতির বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার এক পর্যালোচনা বৈঠকেমিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে অন্যান্যদেরমধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, নীতি আয়োগ এবং অন্যান্য মন্ত্রকেরপদস্থ আধিকারিকরা। প্রধানমন্ত্রীর এই পর্যালোচনা বৈঠকে অপুষ্টি এবং অপুষ্টি সম্পর্কিত বিভিন্নবিষয় বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হয়। বিকাশশীল অন্যান্য দেশে পুষ্টি-বিধান সম্পর্কিত সফলউদ্যোগ ও পদক্ষেপের কথাও উঠে আসে এই বৈঠকে। অপুষ্টি, রক্তাল্পতা, কম ওজনের শিশুর জন্ম ইত্যাদির ঘটনা কমিয়ে আনতে যেসুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে, তা পূরণ করার জন্য জোরদার পদক্ষেপগ্রহণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৭৫বর্ষপূর্তি অর্থাৎ ২০২২ সালের মধ্যে কাঙ্খিত এবং ইতিবাচক ফলাফলের দিকে লক্ষ্য রেখেআমাদের জোরকদমে কাজ করে যাওয়া উচিৎ। দেশের যে জেলাগুলিকে অপুষ্টির হার তুলনামূলকভাবে বেশি, সেখানে পুষ্টিরসমস্যা মোকাবিলায় কর্মসূচি রূপায়ণের বিষয়গুলিকে ভালোভাবে খতিয়ে দেখারও প্রস্তাবদেওয়া হয় এদিনের বৈঠকে। স্বচ্ছ ভারত অভিযান, মিশন ইন্দ্রধনুষ, বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও এবংপ্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনার মতো কর্মসূচিগুলি যে পুষ্টিদান প্রকল্পগুলিরক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব ফেলেছে – একথার উল্লেখ করেন বরিষ্ঠ আধিকারিকরা। এই আলোচনারপরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরের এই ধরণের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে সমন্বয় ওসামঞ্জস্য বিধানের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী�� তাঁর মতে, এর ফলে প্রত্যক্ষ বাপরোক্ষভাবে পুষ্টি-বিধান কর্মসূচিটিকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। শ্রী মোদী বলেন, কাঙ্খিত ফল পেতে হলে পুষ্টির গুরুত্ব সম্পর্কে সামাজিকসচেতনতার প্রসার ঘটানো একান্ত জরুরি। সচেতনতা প্রসারের কাজে অব্যবহারিকচ্যানেলগুলিকে ব্যবহার করার ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দেন তিনি।",অপুষ্টি হ্ৰাসৰ অৰ্থে লোৱা পদক্ষেপৰ পৰ্যালোচনা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-52/,"নয়াদিল্লি, ৫ আগস্ট ২০২২ ফিলিপিন্স-এর রাষ্ট্রপতি মহামান্য মিঃ ফার্ডিন্যান্ড মার্কোস জুনিয়রের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আজ টেলিফোনে কথা হয়েছে। ফিলিপিন্স-এর সপ্তদশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মিঃ মার্কোস জুনিয়রকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। উভয় নেতা দুটি দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্র পর্যালোচনা করেন এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আর্থিক সহযোগিতামূলক সম্পর্কের দ্রুত প্রসাররিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। ভারতের ‘পুবে-র জন্য কাজ করো’ নীতি এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে ফিলিপিন্স-এর যে বড় ভূমিকা রয়েছে, সেকথা পুনরায় জোর দিয়ে বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রগুলিকে আরও প্রসারিত করার ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। ফিলিপিন্স-এর উন্নয়নে যাবতীয় প্রকল্প এবং কর্মসূচির ক্ষেত্রে ভারত সবরকম সহায়তা দেবে বলেও প্রধানমন্ত্রী ফিলিপিন্স-এর রাষ্ট্রপতি মিঃ ফার্ডিন্যান্ড মার্কোস জুনিয়রকে আশ্বস্ত করেছেন।",প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদী আৰু ফিলিপাইনছৰ মহামহিম ৰাষ্ট্ৰপতি ফাৰ্ডিনাণ্ড মাৰ্কোছ জুনিয়ৰৰ মাজত টেলিফোনৰে বাৰ্তালা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%93-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার (পয়লা অক্টোবর) ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি শ্রী জোকো উইডোডোর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন। ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি অঞ্চলে সম্প্রতি ভূমি���ম্প ও সুনামির ফলে বহু মানুষের জীবনহানির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নিজে ও ভারতবাসীর পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি উইডোডোকে সমবেদনা জানান। ইন্দোনেশিয়ায় এমন বড় মাপের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বিশাল ক্ষয়ক্ষতির মোকাবিলায় ইন্দোনেশিয়াবাসী যে সাহস দেখিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তার প্রশংসা করেন। ইন্দোনেশিয়ার আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রার্থনার প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতের উপকূলবর্তী প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশ ইন্দোনেশিয়াকে ভারত সবরকম সাহায্য দেবে। ইন্দোনেশিয়ার এই দুর্যোগে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ ও ভারতের ত্রাণ সাহায্যের আশ্বাসের জন্য রাষ্ট্রপতি উইডোডো প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানান। ভারতের ত্রাণ সাহায্য সংক্রান্ত বিস্তারিত বিষয়গুলি, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার কূটনৈতিক ও আধিকারিক পর্যায়ের বৈঠকে স্থির করার ব্যাপারে দুই নেতাই সম্মত হয়েছেন। /",ইণ্ডোনেছিয়াৰ ৰাষ্ট্ৰপতি মহামহিম জ’ক’ উইডোডোৰ সৈতে ফোনযোগে কথোপকথন প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%AE-%E0%A6%B8/,"নয়াদিল্লি, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ উপহার হিসেবে পাওয়া প্রধানমন্ত্রীর স্মারক সামগ্রী নিলামে সংগ্রহ করার জন্য যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে তাতে আনন্দ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সকল দেশবাসীকে বিশেষত, তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান জানিয়েছেন নিলামের এই উপহার সামগ্রীগুলি পরিদর্শন ও সংগ্রহের জন্য। তিনি বলেছেন, এই উপহার সামগ্রী সংগ্রহ করে তাঁরা তাঁদের পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দিতে পারেন। এক ট্যুইট বার্তায় এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন : “গত কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর স্মারক উপহারগুলি সংগ্রহের জন্য যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে তাতে আমি আনন্দিত। বেশ কয়েক বছর যাবৎ বই থেকে শুরু করে শিল্পসামগ্রী এবং কাপ, সেরামিক্স ও পেতলের তৈরি সামগ্রী সহ আমার উপহারের তালিকায় রয়েছে এক বিশাল সংগ্রহ। এ সমস্ত কিছুই এখন নিলামে বিক্রি করা হচ্ছে। (pmmementos.gov.in/#/) প্রধানমন্ত্রী স্মারক উপহারগুলি বিক্রি করে যে অর্থ সংগৃহীত হবে তা ‘নমামি গঙ্গে’ কর্মসূচি রূপায়ণে ব্যয় ক���া হবে। আমি আপনাদের সকলকে, বিশেষত তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান জানাব, নিলামের এই উপহার সামগ্রী পরিদর্শন ও সংগ্রহ করে তা তাঁদের বন্ধুবান্ধব ও পরিবার-পরিজনের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেওয়ার জন্য।”",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ‘পিএম স্মৃতি চিহ্ন নিলাম’ৰ বাবে লাভ কৰা উৎসাহজনক সঁহাৰিৰ প্ৰশংসা কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B9%E0%A7%83%E0%A6%A6%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5-%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A7%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A7%83%E0%A6%A6%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A8/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যায় লতা মঙ্গেশকর চওক উদ্বোধন করায় প্রয়াত শিল্পীর ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের ধন্যবাদ জানিয়ে করা ট্যুইটটি গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী লতা দিদিকে ভগবান শ্রীরামের একনিষ্ঠ ভক্ত বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, অযোধ্যার মতো পবিত্র শহরেই তাঁর নামে চওক থাকা যথাযথ। হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের ট্যুইটটিকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটে বলেন, “লতা দিদি ছিলেন ভগবান শ্রীরামের একনিষ্ঠ ভক্ত। অযোধ্যার মতো পবিত্র শহরে তাঁর নামে একটি চওক করা যথাযথ পদক্ষেপ”।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে হৃদয়নাথ মংগেশকাৰৰ পৰা পোৱা ধন্যবাদসূচক টুইট স্বীকাৰ কৰে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-117/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-43/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১১ই এপ্রিল ২০২২ তারিখে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জোসেফ আর. বাইডেনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন। দুই নেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে কথা হবে। দ্বিপাক্ষিক সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দুই দেশ একে অপরের সঙ্গে নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের যে সংযোগ বজায় রাখে, এই ভার্চুয়াল বৈঠক সেই প্রক্রিয়াকে আরও গতি দেবে। দুই শীর্ষ নেতার ভার্চুয়াল বৈঠকের পর চতুর্থ ভারত-মার্কিন ২+২ মন্ত্রী পর্যায়ের বার্তালাপ আয়োজিত হবে। ভারতের পক্ষে এই বার্তালাপের নেতৃত্ব দেবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশমন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে প্রত���নিধিত্ব করবেন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন এবং বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।",প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদী আৰু আমেৰিকা যুক্তৰাষ্ট্ৰৰ ৰাষ্ট্ৰপতি জোছেফ আৰ বাইডেনৰ মাজত ভাৰ্চুৱেল বাৰ্তালাপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%86/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%9B-%E0%A7%A8%E0%A7%A6/,"নয়াদিল্লি, ১৮ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০ জুলাই সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০২২-এর কমনওয়েলথ গেমস্‌-এ অংশগ্রহণকারী ভারতীয় দলের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। খেলোয়াড় ও কোচ – প্রত্যেকের সঙ্গেই শ্রী মোদী কথা বলবেন। বৃহৎ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আগে খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী সর্বদাই সচেষ্ট থাকেন। গত বছর তিনি ২০২০-র টোকিও অলিম্পিক্স এবং প্যারালিম্পিক গেমস্‌-এ অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। প্রতিযোগিতা চলাকালীন শ্রী মোদী খেলোয়াড়দের সাফল্যের বিষয়ে খোঁজখবর রাখেন। খেলোয়াড়দের সাফল্য ও একনিষ্ঠ উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি সরাসরি তাঁদের ফোন করেন এবং উৎসাহিত করেন। এছাড়াও, প্রতিযোগিতা শেষে খেলোয়াড়রা দেশে ফিরে আসার পরপ্রধানমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ২০২২-এর কমনওয়েলথ গেমস্‌ বার্মিংহামে ২৮ জুলাই থেকে ৮ অগাস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এই ক্রীড়ানুষ্ঠান ১৯ রকম খেলায় ভারত থেকে ২১৫ জন প্রতিযোগী ১৪১টি ইভেন্টে অংশ নেবেন।",২০ জুলাইত কমনৱেলথ গেমছ ২০২২ত অংশগ্ৰহণ কৰিবলৈ ভাৰতীয় দলৰ সৈতে আলোচনা কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%A8/,"নয়াদিল্লি, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ গুজরাটের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেলজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী ডা. জিতেন্দ্র সিং-জি, বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রীরা, স্টার্ট-আপস সংস্থার প্রতিনিধি, ছাত্রছাত্রী, অন্যান্য বিশিষ্টজন, ভদ্রমহোদয়া ও ভদ্রমহোদয়গণ! কেন্দ্র-রাজ্য বিজ্ঞান কনক্লেভের মতো এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাই, অভিনন্দন জানাই। আজকের নতুন ভারতে ‘সবকা প্রয়াস’-এর ভাবনায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বন্ধুগণ, একবিংশ শতাব্দীর ভারতে উন্নয়নের চালিকাশক্তি হল বিজ্ঞান। এর মাধ্যমে প্রত্যেক অঞ্চলে এবং প্রতিটি রাজ্যের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। ভারত যখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বদানের পর্যায়ে রয়েছে তখন এদেশের বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নীতি প্রণয়নকারীদের এবং যাঁরা শাসনকার্য ও প্রশাসনিক নানা বিষয়ে দেখভাল করছেন তাঁদের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। আমি আশা করি, আমেদাবাদের সায়েন্স সিটিতে অনুষ্ঠিত এই চিন্তন কর্মসূচিতে আপনারা নতুনভাবে অনুপ্রাণিত হবেন এবং বিজ্ঞানচর্চাকে আর উৎসাহিত করতে এগিয়ে আসবেন। বন্ধুগণ, আমাদের লিপিতে উল্লেখ আছে – “জ্ঞানম বিজ্ঞান সহিতম যৎ জ্ঞাত্বা মোক্ষসে অসুভাত” অর্থাৎ, যখন বিজ্ঞানের সঙ্গে জ্ঞানের মেলবন্ধন ঘটে, যখন আমরা জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্পর্কে পরিচিত হই, তখন স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বের সমস্ত সমস্যার সমাধানের দিকে আমরা অগ্রসর হই। সমাধান, রূপান্তর এবং উদ্ভাবনের ভিত্তিই হল বিজ্ঞান। এই ভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়ে আজ নতুন ভারত ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞান ও জয় অনুসন্ধান’ মন্ত্রের সাহায্যে এগিয়ে চলেছে। বন্ধুগণ, অতীতের একটি বিশেষ দিক আমি আপনাদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই। ইতিহাসের থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা ভবিষ্যতকে গড়তে সাহায্য করে এবং কেন্দ্র ও রাজ্যের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণে তা সহায়ক হয়। আমরা যদি বিগত শতাব্দীর শুরুর দিকের দশকগুলির কথা বিবেচনা করি তাহলে আমরা দেখব, সেই সময় বিপর্যয় এবং ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে বিশ্ব এগিয়ে চলেছে। অথচ ঐ একই সময়ে প্রাচ্য অথবা পাশ্চাত্য উভয় জায়গাতেই বিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন। পশ্চিমে আইনস্টাইন, ফার্মি, ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক, নীলস বোর এবং টেসলা-র মতো বিজ্ঞানীরা তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন। একই সময়ে সি ভি রমন, জগদীশ চন্দ্র বসু, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, মেঘনাদ সাহা, এস চন্দ্রশেখর-এর মতো অগণিত ভারতীয় বৈজ্ঞানিক তাঁদের নতুন নতুন আবিষ্কার নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এইসব বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যতের উন্নতির জন্য নতুন নতুন রাস্তা খুলে দিচ্ছেন। কিন্তু পশ্চিমের সঙ্গে পূর্বের একটা মূল তফাৎ হল, আমরা আমাদের বিজ্ঞানীদের কাজগুলির সমাদর করি���ি। ফলস্বরূপ, বিজ্ঞানের সম্পর্কে আমাদের সমাজে একটা উদাসীন মনোভাব গড়ে ওঠে। একটা বিষয় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে আমরা যখন শিল্পকলা চর্চায় নিজেদের নিয়োজিত রাখি, তখন আরও নতুন নতুন শিল্পীকে তৈরি করতে আমরা সমাজকে অনুপ্রাণিত করি। যখন আমরা খেলাধূলা নিয়ে মেতে উঠি তখন নতুন নতুন খেলোয়াড় গড়ে তুলতে আমরা উৎসাহ যোগাই। একইভাবে, যখন আমরা আমাদের বিজ্ঞানীদের সাফল্যগুলি উদযাপন করি, তখন স্বাভাবিকভাবে বিজ্ঞান আমাদের সমাজ-সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে ওঠে। তাই, আজ আমি সমস্ত রাজ্যের মানুষদের কাছে আবেদন রাখছি, আমাদের দেশের বিজ্ঞানীদের সাফল্যগুলিকে উদযাপন করুন। দেশের বিজ্ঞানীরা যাতে গবেষণার মাধ্যমে পাওয়া তাঁদের অন্বেষণগুলির সুফল আমাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে। ভারত করোনার জন্য টিকা উৎপাদন করেছে এবং ২০০ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়ে গেছে। অর্থাৎ, আমাদের বিজ্ঞানীদের বিপুল সম্ভাবনা অন্তর্নিহিত রয়েছে, যা কাজে লাগাতে হবে। আজ ভারতের বিজ্ঞানীরা প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে দারুণ কাজ করছেন। তাঁদের ছোট-বড় সাফল্যগুলিকে উদযাপনের মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানের প্রতি দেশের মানুষের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে হবে যা অমৃতকালে আমাদের সাহায্য করবে। বন্ধুগণ, আমি অত্যন্ত আনন্দিত, আমাদের সরকার বিজ্ঞান-ভিত্তিক উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে চলেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ২০১৪ সাল থেকে বিনিয়োগে যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই উদ্যোগের কারণে আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সূচকে আজ ভারতের স্থান ৪৬। ২০১৫ সালে ভারত ছিল ৮১তম স্থানে। আমরা খুব কম সময়ের মধ্যে এই সাফল্য অর্জন করেছি। কিন্তু তার জন্য আমরা বসে থাকব না। আমাদের লক্ষ্য অনেক উঁচুতে। আজ ভারতে রেকর্ড পরিমাণ পেটেন্ট দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবনমূলক কাজ হচ্ছে। আপনারা দেখবেন, বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত অনেক স্টার্ট-আপ সংস্থার প্রতিনিধি এই কনক্লেভে উপস্থিত রয়েছেন। দেশে স্টার্ট-আপ সংস্থা গড়ে তোলার যে উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে তার মাধ্যমে দেশে পরিবর্তন কত দ্রুত হচ্ছে তা প্রতিফলিত। বন্ধুগণ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন আজকের তরুণ প্রজন্মের কাছে ডিএনএ-এর সমান। তাঁরা যে কোনো প্রযুক্তিকে সহজেই গ্রহণ করেন। আমরা আমাদের সব ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে এই তরুণ প্রজন্মকে সাহায্য করে যাব। আজকের দিনে নতুন ভারতে তরু�� প্রজন্মের জন্য গবেষণা ও উন্নয়নের নতুন নতুন পথ খুলে যাচ্ছে। মহাকাশ গবেষণা, মহাসমুদ্রের গবেষণা, ন্যাশনাল সুপার কম্পিউটিং মিশন, সেমি-কন্ডাক্টর মিশন, ড্রোন প্রযুক্তি – প্রতিটি ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে অগ্রগতি নজরে আসছে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে যাতে ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের মাতৃভাষায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে। বন্ধুগণ, ভারতকে অমৃতকালে গবেষণা ও উদ্ভাবনের আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে পরিণত করতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমাদের গবেষণা-ভিত্তিক কাজগুলির জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে স্থানীয় স্তরে নিয়ে যেতে হবে। প্রত্যেক রাজ্যের স্থানীয় সমস্যার স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। যেমন ধরুন, গৃহ নির্মাণ কাজ। হিমালয় অঞ্চলে যে প্রযুক্তি নির্মাণ কাজের জন্য প্রয়োগ করা হবে তা হয়তো পশ্চিমঘাটের জন্য একইভাবে কার্যকর হবে না। মরুভূমিতে নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে আলাদা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আবার, সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলের নিজস্ব সমস্যা আছে। আর তাই আমরা ব্যয়সাশ্রয়ী আবাসন প্রকল্পের জন্য যে লাইটহাউজ প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করছি সেখানে আলাদা আলাদা ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। একইভাবে, আমরা যদি স্থানীয় স্তরে জলবায়ুর সমস্যার মোকাবিলা করতে চাষবাসের কথা বিবেচনা করি, তাহলে আমরা ভালো ফসল উৎপাদন করতে পারব। বৃত্তীয় অর্থনীতিতেও বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমাদের শহরগুলির বর্জ্য পদার্থ পুনর্ব্যবহারে বিজ্ঞান কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। এই ধরনের প্রত্যেকটি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য প্রত্যেক রাজ্যের বিজ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত একটি আধুনিক নীতি গ্রহণ করে তা বাস্তবায়িত করা প্রয়োজন। বন্ধুগণ, সরকারি কাজ পরিচালনার সময় আমাদের বিজ্ঞানীদের সহযোগিতা করতে হবে এবং আরও অনেক বেশি সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে। এর ফলে দেশে বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক এক পরিবেশ গড়ে উঠবে। উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করতে রাজ্য সরকারগুলিকে নতুন নতুন বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এইসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য যে পন্থাপদ্ধতি রয়েছে, সেগুলির সরলীকরণ করতে হবে। বিভিন্ন রাজ্যে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবনমূলক কাজকর্মের জন্য গবেষণাগারের সংখ্যা বাড়াত��� হবে। বর্তমান যুগ হল হাইপার স্পেশালাইজেশন-এর যুগ। প্রত্যেক রাজ্যে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সরকার কেন্দ্রীয় স্তর থেকে প্রত্যেক রাজ্যকে সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। এই কাজ সম্পাদনের জন্য জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলি সহায়তা করতে পারে। স্কুলে বিজ্ঞানের জন্য আধুনিক গবেষণাগার গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে ‘অটল টিঙ্কারিং ল্যাব’ স্কুলে গড়ে তোলা যেতে পারে। বন্ধুগণ, বিভিন্ন রাজ্যে জাতীয় স্তরের নানা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান ও গবেষণাগার রয়েছে। রাজ্যগুলির ঐসব প্রতিষ্ঠানের পুরো সুযোগ নেওয়া উচিৎ। বিভিন্ন রাজ্যের বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানগুলিকে এককভাবে কাজ করার প্রবণতা থেকে বের করে আনতে হবে। রাজ্যগুলির সম্ভাবনা ও সম্পদকে যাতে পুরো মাত্রায় বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠানগুলি কাজে লাগাতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সুফল যাতে তৃণমূল স্তরে পৌঁছয় তার জন্য আপনাদের রাজ্যে নানা কর্মসূচির আয়োজন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখবেন। অনেক রাজ্যেই বিজ্ঞান উৎসব পালিত হয়। কিন্তু দেখা যায়, বহু স্কুল সেই কর্মসূচিতে যুক্ত হয় না। এই ধরনের বিজ্ঞান উৎসবে কিভাবে আরও স্কুলকে যুক্ত করা যায়, আমাদের সেদিকটি বিবেচনা করতে হবে। আমি সমস্ত রাজ্যের মন্ত্রীদের কাছে অনুরোধ করব, আপনারা নিজ নিজ রাজ্যের বিজ্ঞান পাঠক্রমের বিষয়ে সজাগ থাকুন। অন্য রাজ্যের ভালো জিনিসটি আপনার রাজ্যে প্রয়োগ করুন। দেশজুড়ে বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করার জন্য প্রত্যেক রাজ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। বন্ধুগণ, অমৃতকালে দেশের গবেষণা ও উদ্ভাবনমূলক পরিবেশকে বিশ্বের নিরিখে শ্রেষ্ঠ করে তুলতে আমাদেরকে একযোগে কাজ করতে হবে। এই কনক্লেভ থেকে সময়োচিত, যথাযথ সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসবে বলে আমি আশাবাদী। এখানে অংশগ্রহণকারী সকলকে অভিনন্দন জানাই। আমি নিশ্চিত, বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে এই আয়োজন নতুন মাত্রা যোগ করবে। এই আয়োজনের কোনো সুযোগকে আমরা নষ্ট হতে দেব না। আমাদের কাছে মূল্যবান ২৫টি বছর রয়েছে। এই ২৫ বছরে ভারত বিশ্বের সামনে নতুন শক্তি ও সম্ভাবনা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবে। আর তাই বন্ধুরা, আপনাদের রাজ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে প্রকৃত অর্থে নব-কলেবরে প্রকাশ করুন। আমি নিশ্চিত, এই আলোচনাচক্র থেকে যে অমৃত বেরিয়ে আসবে তা আপনাদের নিজ নিজ রাজ্যে গবেষণ���র কাজে ব্যবহার করা যাবে, যার মাধ্যমে দেশের প্রগতি নিশ্চিত হবে। অনেক অভিনন্দন! আপনাদের অনেক ধন্যবাদ! প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছেন",কেন্দ্ৰ-ৰাজ্য বিজ্ঞান সন্মিলনৰ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ পাঠ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A7%9C%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%95/,"নয়াদিল্লি, ২৮ এপ্রিল, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ডিব্রুগড়ে একটি অনুষ্ঠানে আসামে ৭টি ক্যান্সার হাসপাতাল জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। এই হাসপাতালগুলি ডিব্রুগড়, কোকরাঝাড়, বরপেটা, দরং, তেজপুর, লখিমপুর ও জোড়হাটে নির্মিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দিনের শুরুতে ডিব্রুগড় হাসপাতালে নতুন ক্যান্সার হাসপাতাল জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। তিনি ধুবরি, নলবাড়ি, গোয়ালপাড়া, নগাঁও, শিবসাগর, তিনসুকিয়া এবং গোলাঘাটে ৭টি নতুন ক্যান্সার হাসপাতালের শিলান্যাস করেন। অনুষ্ঠানে আসামের রাজ্যপাল শ্রী জগদীশ মুখী, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, শ্রী রামেশ্বর তেলি, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ও রাজ্যসভার সাংসদ শ্রী রঞ্জন গগৈ এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি শ্রী রতন টাটা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষে তাঁর ভাষণের শুরুতেই এই অঞ্চলে উৎসবের পরিবেশের কথা উল্লেখ করেন এবং আসামের মহান সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, আজ যে ক্যান্সার হাসপাতালগুলি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ ও শিলান্যাস করা হল, সেগুলি উত্তর-পূর্ব ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি ঘটাবে। শ্রী মোদী বলেন, ক্যান্সার শুধুমাত্র আসামেরই নয়, সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি বড় সমস্যা। ‘আমাদের দরিদ্র, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির উপর এর সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়ে’। বছর কয়েক আগেও ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য রোগীকে বড় বড় শহরে যেতে হ’ত। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি এর ফলে আর্থিক সমস্যায় পড়তেন। আসামের এই দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শর্মা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী সোনোয়াল এবং টাটা ট্রাস্টের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেছেন। এবারের বাজেটে প্রাইম মিনিস্টার্স ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ফর নর্থ-ইস্ট (পিএম-ডিভাইন) প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্পে ক্যান্সার চিকিৎসার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং গুয়াহাটিতে ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মাণেরও প্রস্তাব রয়েছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘স্বাস্থ্য কে সপ্তঋষি’ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। সরকারের লক্ষ্য হ’ল – কেউ যাতে রোগাক্রান্ত না হন। ‘আর তাই, আমাদের সরকার রোগ-প্রতিরোধের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। যোগ, ফিট থাকার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে’। দ্বিতীয়ত, যদি কেউ অসুস্থ হন, তা হলে প্রাথমিক পর্যায়ে যাতে রোগ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়, তার জন্য দেশ জুড়ে নতুন নতুন পরীক্ষা কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। তৃতীয় যে বিষয়টির উপর জোর দেওয়া হয়েছে, সেটি হ’ল – বাড়ির কাছাকাছি মানুষ যাতে প্রথামিক চিকিৎসা পান, তা নিশ্চিত করা। এর জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির মানোন্নয়ন করা হচ্ছে। চতুর্থ উদ্যোগটি দরিদ্রদের জন্য। তাঁরা যাতে ভালো হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পান, সেই উদ্দেশ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে কেন্দ্র ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা দিচ্ছে। আমাদের পঞ্চম উদ্দেশ্য হ’ল – ভালো চিকিৎসার জন্য বড় বড় শহরগুলির উপর নির্ভরশীলতা কমানো। এর জন্য আমাদের সরকার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রচুর বিনিয়োগ করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০১৪ সালের আগে দেশে মাত্র ৭টি এইমস্‌ ছিল। এর মধ্যে দিল্লি ছাড়া অন্য কোথাও এমবিবিএস পাঠক্রম বা বহির্বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা ছিল না। সেই সময় কয়েকটি এইমসের কাজ সম্পূর্ণও হয়নি। আমরা এঈ বিষয়গুলির সমাধান করেছি এবং ১৬টি নতুন এইমস্‌ গড়ার কথা ঘোষণা করেছি। এর মধ্যে গুয়াহাটি এইমস্‌-ও রয়েছে”। ষষ্ঠ যে বিষয়টির কথা প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, সেটি হ’ল – ‘আমাদের সরকার চিকিৎসকের অপ্রতুলতার সমস্যাটির সমাধান করছে। গত সাত বছরে এমবিবিএস এবং স্নাতকোত্তর পাঠক্রমে ৭০ হাজার নতুন আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৫ লক্ষ আয়ুষ চিকিৎসককে আমাদের সরকার অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের মতো সমমর্যাদা দিয়েছে। সপ্তম যে বিষয়টি নিয়ে সরকার কাজ করছে, সেটি হ’ল – স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশনের ব্যবস্থা করা। সরকার চায়, চিকিৎসার জন্য দূরে যাওয়ার সমস্যা থেকে মানুষকে মুক��ত করতে এবং চিকিৎসা করাতে গিয়ে যাতে রোগীর পরিবার আর সমস্যায় না পড়েন – সেটি নিশ্চিত করতে। এর জন্য বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, “সমস্ত নাগরিকরা যাতে দেশের যে কোনও প্রান্তে সহজেই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলির সুবিধা পেতে পারেন, তার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি হ’ল ‘এক দেশ, এক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা’র ভাবনা। এই ভাবনায় দেশ ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মহামারীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার শক্তি পেয়েছে”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসা করাতে গিয়ে বিপুল খরচের জন্য মানুষ সমস্যায় পড়তেন। বিশেষ করে, মহিলারা যাতে তাঁদের পরিবার আর্থিক সমস্যায় না পড়ে, ঋণের বোঝায় জর্জরিত না হয়, তার জন্য চিকিৎসা করাতেন না। সরকার ক্যান্সারে ব্যবহৃত ওষুধগুলির মধ্যে অনেক ওষুধের দাম কমিয়ে প্রায় অর্ধেক করেছে। এর ফলে, রোগীরা প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পেরেছেন। জন ঔষধি কেন্দ্রগুলি থেকে এখন ৯০০টিরও বেশি ওষুধ ব্যয় সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে অনেক ক্যান্সার রোগী উপকৃত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ুষ্মান ভারত ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি থেকে যাতে প্রাথমিক স্তরে ক্যান্সার নির্ণয় করা যায়, তার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। আসাম সহ দেশের অন্যান্য অংশের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে ১৫ কোটিরও বেশি মানুষের ক্যান্সার নির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নের জন্য তিনি আসাম সরকারের প্রশংসা করেন। শ্রী মোদী বলেন, দেশের প্রত্যেক জেলায় একটি করে সরকারি হাসপাতাল গড়ে তোলার যে জাতীয় শপথ নেওয়া হয়েছিল, তা বাস্তবায়নে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সহযোগীরা কাজ করছেন। আসামে অক্সিজেন থেকে ভেন্টিলেটর – সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী সকলকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান। সরকার এখন শিশুদের টিকাকরণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে। এছাড়াও, প্রাপ্ত বয়স্কদের সতর্কতামূলক ডোজ দেওয়া হচ্ছে। চা বাগানের লক্ষ লক্ষ পরিবারগুলির উন্নতমানের জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র ও আসাম সরকার একযোগে কাজ করছে। বিনামূল্যে রেশন, হর ঘর জল যোজনার বাস্তবায়নের মাধ্যমে আসাম সরকার চা বাগানে বসবাসরত মানুষদের কাছে দ্রুত পৌঁছাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জন কল্যাণের পরিবর্তিত ধারণা সম্পর্কে জানান, আজ জন কল্যাণের ক্ষেত্র প্রসারিত। আগে শুধু এর মাধ্যমে কিছু ভর্তুকি দেওয়া হ’ত। পরিকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মতো প্রকল্পগুলির উপর গুরুত্ব দেওয়া হ’ত না। যখন যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা ছিল, সেই সময় সার্বিকভাবে সর্বজনীন পরিষেবা দেওয়াও সমস্যা ছিল। এখন দেশ বিগত শতাব্দীর ধারণা থেকে বেরিয়ে এসেছে। আসামে রেল, সড়ক ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রসারিত হওয়ায় দরিদ্র যুবক-যুবতী, মহিলা, শিশু, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ এবং উপজাতি গোষ্ঠীর জন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিসওয়াস ও সবকা প্রয়াস’ – এর ভাবনা নিয়ে আসাম সহ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। রাজ্য সরকার ও টাটা ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে আসাম ক্যান্সার কেয়ার ফাউন্ডেশন দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বড় ক্যান্সার চিকিৎসার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে। এখানে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম অর্থ ব্যয়ে চিকিৎসার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে। প্রথম পর্বে ১০টি হাসপাতালের মধ্যে ৭টির কাজ শেষ হয়েছে। আরও তিনটি হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্বে ৭টি নতুন ক্যান্সার হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে সাতখন কৰ্কট ৰোগ চিকিৎসালয় দেশবাসীলৈ উৎসৰ্গা কৰে আৰু সমগ্ৰ অসমত সাতখন নতুন কৰ্কট চিকিৎসালয়ৰ আধাৰশিলা স্থাপন কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%96%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%8F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%96%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A7%B0%E0%A6%95-%E0%A6%AB%E0%A6%9A%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%8F%E0%A6%AE%E0%A6%85%E0%A6%AA/,"রক ফসফেট ও এমওপি’র খনি ও খনন সংক্রান্ত কর্মপ্রচেষ্টা এবং জর্ডনে ফসফোরিকঅ্যাসিড, ডিএপি এবং এনপিকে সারের উৎপাদন সম্পর্কিত সহযোগিতা প্রসারে ভারত ওজর্ডনের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাবে আজ অনুমোদনদেওয়া হ’ল প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে। এই চুক্তির আওতায় জর্ডনের চাহিদা মেটাতে ঐ দেশে কাঁচা মাল এবং সার যোগানেরবিষয়টি নিরন্তর করে তোলা সম্ভব হবে।",খনি আৰু ৰক ফচফেট আৰু এমঅ’পি খননৰ প্ৰচেষ্টা আৰু জৰ্ডানত ফছফৰিক এচিড/ডিএপি/এনপিকে সাৰৰ উৎপাদন সম্পৰ্কীয় সুবিধা প্ৰসাৰৰ বাবে ভাৰত আৰু জৰ্ডানৰ মাজত প্ৰস্তাৱিত বুজাবুজি চুক্তি স্বাক্ষৰত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%B0-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D/,"২০১৮-র ২৯-৩০শে মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্র সফরের সময় সে দেশের রাষ্ট্রপতি মাননীয় মি. জোকো উইডোডো এবং মাননীয় শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দু দেশের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেন। ২০১৬-র ১২ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উই-এর ভারত সফরের সময় দু দেশের যৌথ বিবৃতি স্মরণীয়। এই বিবৃতিতে বলা হয়েছিল যে ভারত এবং ইন্দোনেশিয়া উভয়েই সমুদ্র সংলগ্ন প্রতিবেশী এবং দুটি রাষ্ট্রই সমুদ্রযাত্রা ও ব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত। দুই দেশের সম্পর্কের শিকড় সমুদ্রের মাধ্যমে সভ্যতা ভিত্তিক যোগাযোগের মধ্যে নিহিত রয়েছে। দুই দেশই সারা বিশ্বে এবং বিশেষ করে এই অঞ্চলের মহাসাগরীয় পরিবেশের ক্ষেত্রে অভিন্ন ধারণা পোষন করে। দুই দেশই শান্তি, স্হিতিশীলতা এবং উচ্চহারে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশাকে তুলে ধরতে ভারত মহাসাগরীয় এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের মধ্যে মহাসাগরীয় সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে আগ্রহী। ভারতের ৭৫০০ কিলোমিটার সমুদ্র উপকূল, ১৩৮০টিরও বেশি দ্বীপ এবং ২০ লক্ষ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চল সহ ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের দেশ এক কেন্দ্রীয় অবস্হানে রয়েছে বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়া যে বিশ্বের মধ্যে সর্বৃহৎ এবং দ্বীপপুঞ্জভিত্তিক রাষ্ট্র, যার উপকূলরেখা ১০৮০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৭৫০৪টি দ্বীপ রয়েছে এবং ৬৪০০০০০ বর্গকিলোমিটার নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ সামুদ্রিক এলাকা রয়েছে, সেটিও সর্বজনস্বীকৃত। এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্হান করছে। এই দুটি মহাসাগরের মোট সামুদ্রিক এলাকা বিশ্বের সামুদ্রিক শিল্প-বাণিজ্যের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই দেশ রাষ্ট্রসঙ্ঘের সনদ, ১৯৮২ সালে সামুদ্রিক আইন সংক্রান্ত রাষ্ট্রসঙ্ঘের কনভেনশন এবং ১৯৭৬ সালে দঃপূঃ এশিয়ার মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তি অনুসারে অধিকার ও দায়বদ্ধতার বিষয়গুলি মেনে চলে। এই দুই দেশ ভারত মহাসাগরীয় ও প্র���ান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি মুক্ত, অবাধ, স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ আইনভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্ত ব্যবস্হার দিকে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্বের প্রতি পুনরায় তাদের দায়বদ্ধতা ব্যক্ত করেছে। এছাড়া এই অঞ্চলের দেশগুলির সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগলিক অখন্ডতা, ১৯৮২ সালের সামুদ্রিক আইন সংক্রান্ত রাষ্ট্রসঙ্ঘ কনভেনশন, জাহাজ ও উড়ান চলাচলের স্বাধীনতা, সুষম বিকাশ এবং মুক্ত অবাধ ও পারস্পরিক সুবিধা সম্পন্ন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ব্যবস্হার প্রতি দুই দেশই আনুগত্য প্রদর্শন করে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সামুদ্রিক আইন এবং প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক আইনগুলিতে অন্তর্ভুক্ত সংস্হানগুলি মেনে চলার মাধ্যমে এই অঞ্চলের সামুদ্রিক জলদরিয়ায় সমুদ্রযাত্রার নিরাপত্তা বজায় রেখে শান্তি, স্হিতিশীলতার সুষম অর্থনৈতিক বিকাশ এবং উন্নয়ন সুনিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা দুই দেশই স্বীকার করে। দুই দেশই নিজেদের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের পর্যায়ে উন্নীত করাকে স্বাগত জানিয়ে দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনা, ত্রিপাক্ষিক আলোচনা, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বর্ধিত পরিধিসহ নতুন সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর এবং শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে মহাকাশ অভিযান পরিচালনা এবং মহাকাশের ব্যবহার বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টিকে উভয় দেশই স্বাগত জানিয়েছে। ভারত মহাসাগরের সংলগ্ন দেশগুলির সংগঠন ইন্ডিয়ান ওসেন রিম অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান হিসাবে ভারত এবং ইন্দোনেশিয়া যে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছে তার প্রশংসা করা হয়। জাকার্তা সম্মেলন এবং আই ও আর এ-র কুড়িতম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বের শীর্ষবৈঠকে গৃহীত কর্মপরিকল্পনায় ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আরও বেশি শান্তিপূর্ণ স্হিতিশীল এবং সমৃদ্ধ ব্যবস্হার জন্য যে বর্ধিত সহযোগীতর কথা বলা হয়েছে, দুই দেশই তাতে প্রশংনীয় ভূমিকা নিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সমুদ্র সংক্রান্ত আইনে যে খোলা এবং মুক্ত সমুদ্রের কথা বলা হয়েছে এবং যা আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী এবং এক একটি অঞ্চলের শান্তি, স্হিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন বলে উভয় দেশই মনে করে। উভয় দেশই ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মানুষ, অস্ত্রশস্ত্র, মাদক এবং অর্থপাচার বেআইনী এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে মাছ ধরা এবং সন্ত্রাসবাদীদের চলাচলের মতো সামুদ্রিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যে ইস্যুগুলি উঠে এসেছে তা মোকাবিলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে। আমাদের উভয় দেশেরই একটি সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলার ওপর নিজস্ব স্বার্থ জড়িয়ে আছে। সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত আন্তর্জাতিক আইনকানুন, সুপ্রশাসন, আইনের শাসন, উন্মুক্ততা, স্বচ্ছতা, সমতা এবং সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখন্ডতার প্রতি শ্রদ্ধার মাধ্যমে এবং যোগোযোগ বৃদ্ধি করে সমৃদ্ধির লক্ষ্যে এগোতে হবে বলে উভয় দেশই মনে করে। এছাড়া এরই প্রেক্ষিতে আসিয়ান ও ভারতের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি দ্রুত চূড়ান্ত করার প্রতি উভয় দেশই তাদের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। ভারতের ‘পূবে কাজ করো’ নীতি এবং এই অঞ্চলে সবার জন্য নিরাপত্তা ও বৃদ্ধি (সাগর), অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ার সামুদ্রিক নীতি এবং বিশ্বব্যাপী সমুদ্র নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় অবস্হানের দৃষ্টিভঙ্গি, দুই দেশের এই নীতিগুলির মধ্যে মিলগুলি খুঁজে বের করতে হবে এবং একইসঙ্গে আসিয়ানের ঐক্য ও প্রধান অবস্হানের প্রতি উভয় দেশই পুনরায় গুরুত্ব আরোপ করেছে। উভয় দেশই এই অঞ্চলের দেশগুলির সুষম অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নীল অর্থনীতির প্রধান ভূমিকাকে স্বীকার করে নিয়েছে। এই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উভয় দেশের নেতৃবৃন্দই ভারত মহাসাগরীয় এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিভিন্ন সুযোগকে কাজে লাগাতে এবং সার্বিক কৌশলগত অংশীদার হিসাবে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সামুদ্রিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে একমত হয় এবং নিম্নলিখিত বিষয়ে কাজ চালিয়ে যেতে রাজি হন। ক) বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি : আমাদের অর্থনীতির সুষম উন্নয়নের জন্য দু দেশের মধ্যে এবং এই অঞ্চলের মধ্যে পণ্য-পরিষেবা বিনিয়োগ ও প্রযুক্তির প্রবাহ বৃদ্ধিতে উৎসাহদান। ভারতের আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ও ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক, বস্তুগত, ডিজিটাল ও মানুষে মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য, পর্যটন বাড়ানোর উদ্যোগ, এছাড়া আন্দামান ও আচে সহ সুমাত্রা প্রদেশের বনিকসভাগুলির মধ্যে ব্যবসায়িক পর্যায়ে যোগাযোগে উৎসাহ প্রদানের বিষয়ে উভয় পক্ষ রাজি হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ভিত্তিতে মানব সম্���দ বিকাশের লক্ষে কাজ করে যাওয়া, সামুদ্রিক বাণিজ্য ও পরিবহনের নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখার পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সহযোগিতা জোরদার করা, মৎস শিল্পের উন্নয়ন, টেকনিক্যাল সহযোগিতার মাধ্যমে সামুদ্রিক প্রাণীসম্পদ পরিচালন ব্যবস্হা গড়ে তোলা এবং এই ক্ষেত্রগুলিতে বিশেষজ্ঞ বিনিময়, যন্ত্রপাতির যোগান ও আর্থিক সহযোগিতা বিষয়েও দুই দেশ কাজ চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছে। এছাড়া, সামুদ্রিক পরিবহনের জন্য পরিকাঠামো উন্নয়ন, সামুদ্রিক পরিবহন শিল্পকে উৎসাহদান, বিশেষ করে মৎস শিল্প ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উন্নতি লক্ষে সহযোগিতা বিষয়েও দুই দেশ একমত হয়েছে। খ) সামুদ্রিক সম্পদের সুষম বিকাশে উৎসাহদান বিজ্ঞান ভিত্তিক পরিচালন ব্যবস্হা উন্নয়ন এবং সামুদ্রিক প্রাণী সম্পদ সংরক্ষণ জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যার মোকাবিলা এবং পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা, বেআইনি, অনিয়ন্ত্রিত এবং না জানিয়ে মাছ ধরার মতো সমস্যা মোকাবিলা, প্রতিরোধ বাধাদান ও নির্মূল করা। এছাড়া মৎস শিল্প সংক্রান্ত অপরাধমূলক যেসব কাজকর্ম বর্তমানে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে ও সারা বিশ্বজুড়ে সামুদ্রিক পরিবেশের ক্ষতি করছে তা মোকাবিলা করা। অন্তর্ভুক্ত অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও কর্মসংস্হানের অন্যতম প্রধান উৎস হিসাবে নীল অর্থনীতিকে উৎসাহদান। দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ের সহযোগিতার মাধ্যমে সামুদ্রিক প্লাস্টিক দূষন মোকাবিলা। গ) প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সহযোগিতার প্রসার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে বিপর্যের ঝুঁকি পরিচালন ব্যবস্হা জোরদার করা। এছাড়া দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ত্রান পৌঁছে দেওয়া। ভূ-বদ্বীপীয় তথ্য বিনিময়, পদ্ধতি এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক বিপর্যয় সংক্রান্ত ঝুঁকি এবং সম্ভাব্য বিপদ বিষয়ে পূর্বাভাস প্রদান ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে আগাম সাবধানতা সূচক ব্যবস্থার উন্নয়ন। বিপর্যয় পরিচালন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলা, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কর্মরত এজেন্সিগুলির মধ্যে নিয়মিত যৌথ অভিযান এবং এই ধরণের সংস্থাগুলির কর্মীদের প্রশিক্ষণদানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়েও দু’দেশের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যে কোন ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং মানবিক সঙ্কটের ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সক্ষমতা বৃদ���ধিই এই সহযোগিতার লক্ষ্য। ঘ) পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে উৎসাহদান : আঞ্চলিক পর্যায়ে অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে মানুষে মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধি। গোষ্ঠীভিত্তিক পর্যটন এবং পরিবেশ পর্যটনের সুষম উন্নয়নকে উৎসাহদান। সবং দ্বীপ এবং পোর্ট ব্লেয়ারের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে আন্দামান সমুদ্র পর্যটন নামে একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাওয়া। এছাড়া, আন্দামানের হ্যাভলক দ্বীপে নৌ-পর্যটন, বিলাসবহুল জাহাজ, রোমাঞ্চকর সামুদ্রিক ক্রীড়া, ডাইভিং এবং আনন্দ পর্যটন বিষয়েও দুই দেশ একমত হয়েছে। বীরেউইয়েন-এর আল-মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, আচে’র লোকসেউমাউই-এর মালিকুসালেহ বিশ্ববিদ্যালয়, নতুন দিল্লীর জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়-এর মতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ গড়ে তোলা এবং পোর্ট ব্লেয়ারের উপযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগের মাধ্যমে আল-মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেন্টার অফ ইন্ডিয়া-ইন্দোনেশিয়া স্টাডিজ স্থাপন বিষয়েও দুই দেশ একমত হয়েছে। ঙ) সামুদ্রিক নিরাপত্তার উন্নয়ন : আসিয়ানের নেতৃত্বাধীন ব্যবস্থার অঙ্গ হিসাবে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বর্তমানে প্রচলিত নিরাপত্তা কাঠামো শক্তিশালী করা। একটি উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্ত এবং স্বচ্ছ সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য শান্তি, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধির ব্যবস্থা করা। ২০০২ সালে দুই দেশের নৌ-বাহিনীর মধ্যে যে দ্বিপাক্ষিক সমন্বিত টহলদারি চালু হয়েছিল, সেই ব্যবস্থা সহ নৌ-সেনাদের কাজের ক্ষেত্রে প্রচলিত সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করা এবং দু’দেশের মধ্যে নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক নৌ-মহড়া চালু করা। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিষয়ে তথ্য বিনিময় বাড়ানো। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সমুদ্র সংক্রান্ত আইন সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক আইনসমূহের নীতির ভিত্তিতে দু’দেশের মধ্যে সামুদ্রিক সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে উভয় দেশের পক্ষে গ্রহণযোগ্য সমাধানের জন্য দ্রুত আলোচনা চালাতে টেকনিক্যাল পর্যায়ের বৈঠক আয়োজন এবং প্রচলিত নৌ-সীমানা চুক্তিকে শক্তিশালী করা। দু’দেশের মধ্যে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত কৌশলগত ও টেকনিক্যাল সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য নতুন পথ খুঁজে বের করা এবং আরও ভালো���াবে সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা। জল-বিজ্ঞান এবং সামুদ্রিক মানচিত্রায়নের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় কাজ চালিয়ে যাওয়া। বিশেষজ্ঞ বিনিময়, যন্ত্রপাতির সংস্থান এবং আর্থিক সহায়তা সহ টেকনিক্যাল সহযোগিতার মাধ্যমে সামুদ্রিক ক্ষেত্রে অনুসন্ধান, উদ্ধার এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের মতো কাজে সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সহযোগিতা বাড়ানো। দু’দেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি। এর মধ্যে রয়েছে – বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো, দুই বাহিনীর মধ্যে হটলাইন যোগাযোগ স্থাপন, দুই বাহিনীর বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত একজনের সঙ্গে অন্যজনের যোগাযোগের ব্যবস্থা, নিয়মিত বৈঠক, সমন্বিত টহলদারি এবং যৌথ মহড়া। ইন্ডিয়ান রিম অ্যাসোসিয়েশন অর্গানাইজেশন-এর ব্যবস্থাগত গণ্ডীর মধ্যে ভারত মহাসাগরকে নিরাপদ করে তোলার জন্য সহযোগিতা জোরদার করা। চ) শিক্ষাগত, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা : বহির্মহাকাশ থেকে পৃথিবীর পরিবেশের ওপর নজরদারি ও দূরসংবেদী ব্যবস্থার ক্ষেত্রে, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংগঠন (ইসরো) এবং ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস (লাপান)-এর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি। দু’দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও গবেষকদের মধ্যে সামুদ্রিক প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং গবেষণার ব্যবস্থা গড়ে তোলা। /",ভাৰত মহাসাগৰ আৰু প্রশান্ত মহাসাগৰীয় অঞ্চলত ইণ্ডোনেছিয়া আৰু ভাৰতৰ সামুদ্রিক প্রতিৰক্ষা সহযোগিতাৰ ক্ষেত্রত দৃষ্টিভংগী অভিন্ন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B6%E0%A7%8C%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%B6%E0%A7%8C%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE/,"বিশ্বশৌচাগার দিবসে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নিম্নলিখিত বার্তা দিয়েছেন – “বিশ্বশৌচাগার দিবসে আমাদের দেশের পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা পুনরায়আমাদের দায়বদ্ধতার কথা মনে করি। ভারতেরবিভিন্ন প্রান্তে যে সব ব্যক্তি এবং সংগঠন আরও বেশি শৌচাগার নির্মাণে কাজ করেযাচ্ছেন, তাদের আমি অভিনন্দন জানাই। স্বচ্ছ ভারত অভিযানে তাদের অমূল্য অবদান গতিরসঞ্চার করেছে।”",বিশ্ব শৌচালয় দিৱসত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ বাৰ্তা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লি, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ কর্ণাটকের রাজ্যপাল শ্রী থাওয়ারচাঁদজি গেহলট, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বাসবরাজ বোম্মাইজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মীবৃন্দ, কর্ণাটকের সাংসদ ও বিধায়কগণ এবং এখানে বিরাট সংখ্যায় সমবেত আমার ভাই ও বোনেরা! ভারতের নৌ-শক্তির ইতিহাসে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। দেশের সেনা সুরক্ষা বা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা যাই হোক না কেন, ভারত আজ এক বিরাট সুযোগ-সুবিধার ঘটনাবহুল দিন প্রত্যক্ষ করছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের প্রথম বিমানবাহী পোত মাত্র কয়েক ঘন্টা আগেই কোচিতে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে। প্রত্যেক ভারতীয়ই এজন্য আজ গর্বিত। এইমাত্র ম্যাঙ্গালুরুতে ৩,৭০০ কোটি টাকার কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হল। ঐতিহাসিক ম্যাঙ্গালোর বন্দরের সম্প্রসারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কয়েকটি প্রকল্পের আজ যেমন উদ্বোধন হয়েছে, তেমনই শিলান্যাস হয়েছে এমন কিছু প্রকল্পের যা দেশের শোধনাগার ও মৎস্যজীবীদের আয় ও উপার্জন বৃদ্ধির পক্ষেও সহায়ক হবে। এই সমস্ত প্রকল্পের জন্য আমি সকল কর্ণাটকবাসীকে অভিনন্দন জানাই। এই প্রকল্পগুলি কর্ণাটকে শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করে তোলার সঙ্গে সঙ্গে এই রাজ্যে বাণিজ্যিক উদ্যোগ প্রচেষ্টাকেও সহজতর করে তুলবে। ‘একটি জেলা এবং একটি উৎপাদন’-এর আওতায় যে প্রকল্পগুলি উদ্ভাবিত হয়েছে, তার সাহায্যে কর্ণাটকের কৃষিজীবী ও মৎস্যজীবীদের উৎপাদন আরও সহজভাবে পৌঁছে যাবে আন্তর্জাতিক বাজারগুলিতে। এ বছর স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার প্রাকার থেকে ভাষণদানকালে আমি যে পাঁচটি ‘প্রাণ’ অর্থাৎ, সঙ্কল্পের কথা ঘোষণা করেছিলাম তার প্রথমটিই হল এক উন্নত ভারত গড়ে তোলা। এক উন্নত ভারত গঠন করতে গেলে দেশের নির্মাণ ও উৎপাদন শিল্পে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির সম্প্রসারণ একান্ত জরুরি। আবার, এক উন্নত ভারত গঠনের জন্য প্রয়োজন দেশের রপ্তানি বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে পণ্যের যোগান। সহজ ও ব্যয়সাশ্রয়ী পন্থাপদ্ধতি ব্যতীত এই লক্ষ্যে পৌঁছনো কখনই সম্ভব নয়। এই বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রেখে গত আট বছরে দেশের পরিকাঠামো ক্ষেত্রে নজিরবিহীন কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। বর্তমানে দেশের এমন কোনো অংশ নেই বললেই চলে, যেখানে বড় বড় পরিকাঠামো প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। ‘ভারতমালা’ প্রকল্পের আওতায় একদিকে যেমন সীমান্ত সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে সড়ক পরিকাঠামোকে আরও জোরদার করে তোলা হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনই উপকূল পরিকাঠামোকেও আরও শক্তিশালী করে তোলা হচ্ছে ‘সাগরমালা’ কর্মসূচির আওতায়। ভাই ও বোনেরা, বহু বছর ধরেই বন্দর-কেন্দ্রিক উন্নয়নকে বিকাশ প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রের রূপ দেওয়া হয়েছে। এই প্রচেষ্টার সুবাদে ভারতের বন্দরগুলির কাজকর্মের ক্ষমতা মাত্র আট বছরের মধ্যেই বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। অর্থাৎ, ২০১৪ পর্যন্ত বন্দরগুলির যে ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছিল তার সমান ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে গত আট বছরে। ম্যাঙ্গালোর বন্দরে নতুন প্রযুক্তির যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারিত হয়েছে তার সাহায্যে এই বন্দরের কাজকর্মে ক্ষমতা ও দক্ষতা, উভয়েই বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্যাস এবং তরল পণ্যের মজুত সম্পর্কিত যে চারটি প্রকল্পের আজ শিলান্যাস হল তা শুধু কর্ণাটকের ক্ষেত্রেই নয়, সারা দেশের পক্ষেই মঙ্গলদায়ক হবে। শুধু তাই নয়, এই ব্যবস্থায় ভোজ্যতেল, রান্নার গ্যাস এবং বিটুমিনের আমদানিও ক্রমশ হ্রাস পাবে। বন্ধুগণ, অমৃতকালে সবুজ বিকাশ প্রচেষ্টার সঙ্কল্প নিয়ে দেশ এখন এগিয়ে চলেছে। সবুজ বিকাশ এবং সবুজ কাজকর্ম নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধার দ্বার উন্মুক্ত করে দিতে চলেছে। এখানকার শোধনাগারে যে নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধাগুলি সম্প্রসারিত হয়েছে তা আমাদের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্রগুলির কথাই মনে করিয়ে দেয়। এতদিন পর্যন্ত এই শোধনাগারটি শুধুমাত্র নদীর জলের ওপরই নির্ভরশীল ছিল কিন্তু, জলকে লবণমুক্ত করার যে প্রকল্প চালু করা হচ্ছে তা নদীর জলের ওপর নির্ভরশীলতা বিশেষভাবে কমিয়ে আনবে। ভাই ও বোনেরা, গত আট বছরে দেশ যেভাবে পরিকাঠামো উন্নয়নকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে তা থেকে প্রভূত উপকৃত হয়েছে কর্ণাটক রাজ্যটি। ‘সাগরমালা’ কর্মসূচির আওতায় যে রাজ্যগুলি সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে তার অন্যতম হল কর্ণাটক। গত আট বছরে এই রাজ্যে ৭০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ সম্ভাবনার জাতীয় সড়ক প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। এর বাইরেও ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ সম্ভাবনার বেশ কিছু প্রকল্প রূপায়িত হতে যাচ্ছে। বেঙ্গালুরু-চেন্নাই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ ও সম্প্রসারণ, বেঙ্গালুরু-মাইসোর রোডকে ছয় লেনের রাস্তায় রূপান্তর প্রচেষ্টা, বেঙ্গালুরু থেকে পুণে পর্যন্ত গ্রিনফিল্ড করিডর নির্মাণ এবং বেঙ্গালুরু স্যাটেলাইট রিং রোড নির্মাণের কাজ বর্তমানে চলছে। ২০১৪ সালের আগের তুলনায় কর্ণাটকে রেল বাজেট খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে চারগুণেরও বেশি। গত আট বছরে রাজ্যের রেললাইনগুলিকে চওড়া করে তোলা হয়েছে চারগুণেরও বেশি দ্রুততার সঙ্গে। আবার, কর্ণাটকে রেল বৈদ্যুতিকরণের কাজের একটা বড় অংশ সম্পূর্ণ হয়েছে গত আট বছরে। বন্ধুগণ, বর্তমান ভারত আধুনিক পরিকাঠামো উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে কারণ এক উন্নত ভারত গড়ে তোলার পক্ষে তা একান্তই জরুরি। প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধার খোঁজ-খবর করতেই সাধারণ মানুষের এক সময় হয়রানির সীমা থাকত না। ফলে, উন্নয়নের গতিও তাতে ব্যাহত হত। পাকা বাড়ি, শৌচাগার, নির্মল জল, বিদ্যুৎ এবং ধোঁয়ামুক্ত রান্নাঘর আজকের দিনে ভালোভাবে বাঁচতে গেলে একান্ত প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে এই ধরনের সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণে বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেছে। গত আট বছরে দেশের দরিদ্র সাধারণ মানুষের জন্য বাসস্থান নির্মাণ করা হয়েছে ৩ কোটিরও বেশি। কর্ণাটক রাজ্যটিতেও দরিদ্র সাধারণের জন্য ৮ লক্ষ পাকা বাড়ি তৈরির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার মধ্যবিত্ত পরিবারকে কোটি কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে নিজস্ব বাড়ি তৈরির জন্য। পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে দেশের ৬ কোটিরও বেশি গৃহস্থ বাড়িতে। ‘জল জীবন মিশন’-এর আওতায় মাত্র ৩ বছরের মধ্যেই এই কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। কর্ণাটকে এই প্রথম পাইপলাইনের মাধ্যমে জলের সুযোগ পৌঁছে গেছে ৩০ লক্ষেরও বেশি গ্রামীণ পরিবারে। আমাদের প্রিয় ভাই-বোনেরাই এর সুফলভোগী। এজন্য আমি আনন্দিত। বন্ধুগণ, দরিদ্র মানুষের দুটি বড় প্রয়োজন হল সুলভ চিকিৎসার সুযোগ ও সামাজিক নিরাপত্তা। দুর্ভাগ্য ও দুর্ঘটনার কারণে দরিদ্র পরিবারের সকল সদস্যকেই, এমনকি তাঁদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হয়। এই দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্তি দিতে সূচনা হয়েছে ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’র। এর আওতায় দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ লাভ করছেন। এর ফলে দেশের দরিদ্র সাধারণ মানুষের ব্যয়সাশ্রয় ঘটেছে ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো। কর্ণাটকের ৩০ লক্ষেরও বেশি দরিদ্র মানুষ ‘আয়ষ্মান ভারত যোজন��’র আওতায় এই সমস্ত সুযোগ-সুবিধা লাভ করছেন। এজন্য তাঁদের সাশ্রয় হয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি। প্রিয় ভাই-বোনেরা, স্বাধীনতার পরেও বহু দশক ধরে দেশের পরিস্থিতি এমনই ছিল যে শুধুমাত্র বিত্ত ও সম্পদশালী নাগরিকরাই উন্নয়নের সুফল ভোগ করতেন। কিন্তু এই প্রথম অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছে উন্নয়নের সুফলগুলির আওতায়। আর্থিক দুরবস্থার কারণে যাঁরা সমাজে পিছিয়ে পড়েছিলেন, তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে আমাদের সরকার। ক্ষুদ্র কৃষক ও ব্যবসায়ী, মৎস্যজীবী ও ফুটপাতের হকার – সকলেই দেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টার সুবাদে উপকৃত হচ্ছেন এই প্রথম। তাঁরা মিলিত হচ্ছেন সমাজের মূলস্রোতের সঙ্গে। ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’র আওতায় দেশের ১১ কোটিরও বেশি কৃষিজীবী মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হস্তান্তরিত হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা। কর্ণাটকের ৫০ লক্ষেরও বেশি ক্ষুদ্র কৃষক এই কর্মসূচির আওতায় পেয়েছেন প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। দেশের ৩৫ লক্ষ ফুটপাতের বিক্রেতারাও সরকারি আর্থিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হননি। এই সুযোগ লাভ করেছেন কর্ণাটকের প্রায় ২ লক্ষ ফুটপাত ব্যবসায়ী। ‘মুদ্রা যোজনা’র আওতায় দেশের ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীদের ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে ২০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। কর্ণাটকের লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগী ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ সহায়তা পেয়েছেন প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার মতো। বন্ধুগণ, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলিতভাবে দেশের উপকূল এলাকায় বসবাসকারী ভাই-বোনেদের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ ও উন্নত করে তুলতে বিশেষ প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। বন্দরের নিকটবর্তী গ্রাম এবং সেখানকার মৎস্যজীবীদের জীবনযাত্রাকেও উন্নত করে তোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিছুক্ষণ আগেই আমাদের মৎস্যচাষী বন্ধুদের দেওয়া হয়েছে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপযোগী আধুনিক নৌকা তাঁদের দেওয়া হয়েছে। ‘প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা’ কিংবা কিষাণ ক্রেডিট কার্ড যাই হোক না কেন, এর মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের জীবনধারণের মান উন্নত করে তোলার কাজ শুরু হয়েছে এই প্রথম। আজ কুলাই-তে মৎস্য বন্দর প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের মৎস্যজীবী ভাই-বোনেরা এর দাবি জানিয়ে আসছিলেন বহু বছর ধরেই। প্রকল্পটি রূপায়িত হলে মৎস্যজীবীদের অনেক সমস্যারই সুরাহা হয়ে যাবে। শত শত মৎস্যজীবী পরিবার এই প্রকল্প���র আওতায় যেমন লাভবান হবেন, অন্যদিকে তেমনই অনেকেই আবার কর্মসংস্থানের সুযোগও লাভ করবেন। বন্ধুগণ, দেশের জনসাধারণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নে কেন্দ্র ও রাজ্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, কারণ আমরা মনে করি, তাঁদের আশা-আকাঙ্ক্ষা হল সরকারের কাছে শিরোধার্য এক আদেশবিশেষ। সাধারণ মানুষ বিশ্বমানের পরিকাঠামোর স্বপ্ন দেখতেন। তাই, দেশের প্রতিটি প্রান্তে আধুনিক পরিকাঠামো ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। মানুষ স্বপ্ন দেখতেন যে দেশের আরও বেশি সংখ্যক শহরে মেট্রো রেল সম্প্রসারিত হোক। সরকারি প্রচেষ্টার সুবাদে গত আট বছরে মেট্রো রেলের সংযোগ ব্যবস্থা পৌঁছে গেছে আরও অনেক বেশি সংখ্যক শহরে। সাধারণ মানুষের আরও একটি আশা ছিল যে সুলভ বিমান ভাড়ায় যাতায়াতের সুযোগ লাভের। ‘উড়ান’ প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ১ কোটিরও বেশি যাত্রী আকাশপথে ভ্রমণের সুযোগ লাভ করেছেন। দেশের অর্থনীতি দুর্নীতিমুক্ত হয়ে উঠুক – এই আশা পোষণ করেন দেশের নাগরিকরা। বর্তমানে ডিজিটাল ব্যবস্থায় লেনদেন এক ঐতিহাসিক মাত্রায় পৌঁছে গেছে। আমাদের ভীম ইউপিআই-এর মতো একটি উদ্ভাবন প্রচেষ্টা সারা বিশ্বেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বর্তমানে দেশের প্রতিটি প্রান্তে সস্তায় দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে আগ্রহী সাধারণ মানুষ। তাই, দেশের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে যুক্ত করা হচ্ছে ৬ লক্ষ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে। এক নতুন বিপ্লবের সূচনা ঘটতে চলেছে ফাইভ-জি পরিষেবার মাধ্যমে। আমি খুবই আনন্দিত যে কর্ণাটকের ডবল ইঞ্জিন সরকার সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে দ্রুততার সঙ্গে। বন্ধুগণ, ভারতের উপকূল রেখা বিস্তৃত ৭,৫০০ কিলোমিটার বরাবর। দেশের এই বিশেষ সম্ভাবনার পূর্ণ সদ্ব্যবহারই আমাদের এখন লক্ষ্য। কারাভালি উপকূল এবং পশ্চিমঘাট পর্যটনের জন্য বিখ্যাত। আমি জানতে পেরেছি যে নিউ ম্যাঙ্গালোর বন্দর থেকে পর্যটন মরশুমে ২৫ হাজার পর্যটক আসা-যাওয়া করেন। এর মধ্যে বহু সংখ্যক বিদেশি পর্যটকও রয়েছেন। সংক্ষেপে বলতে গেলে, দেশের সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলি এখন বিরাট ও বিশাল। মধ্যবিত্ত মানুষের ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে সমুদ্রপথে পর্যটনের সম্ভাবনাও ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে। পর্যটনের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে লাভবান হয় দেশের কুটীর ও গ্রামীণ শিল্পগুলি। সেইসঙ্গে উপকৃত হন শিল্পী, ফুটপাতের ব্যবসায়ী, অটোরিক্সাচালক, ট্যাক্সিচালক এবং সমাজের অন্যান্যরা। পর্যটনের প্রসারে নিউ ম্যাঙ্গালোর বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ ঘটাচ্ছে জেনে আমি খুশি। বন্ধুগণ, করোনা পরিস্থিতিকালে বিপর্যয়কে সুযোগে রূপান্তরের কথা আমি ঘোষণা করেছিলাম। আজ প্রকৃত অর্থেই দেশ তাই করে দেখিয়েছে। জিডিপি-র যে পরিসংখ্যান কয়েকদিন আগে আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে, তা থেকে এটা সুস্পষ্ট যে করোনা পরিস্থিতিকালে ভারত যে সমস্ত নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল তা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত বছর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নানা বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও ৬৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৫০ লক্ষ কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য সম্ভব হয়েছে আমাদের দেশ থেকে। প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে জয় করে পণ্যসামগ্রী রপ্তানি হয়েছে ৪১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ, ৩১ লক্ষ কোটি টাকার। বর্তমানে অগ্রগতির প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেশ এগিয়ে চলেছে জোরকদমে। এমনকি সেবা ও পরিষেবা ক্ষেত্রটিও কাজ করে চলেছে দ্রুততার সঙ্গে। নির্মাণ ও উৎপাদন শিল্পে পিএলআই কর্মসূচির প্রভাবও এখন সুস্পষ্ট। মোবাইল ফোন সহ বৈদ্যুতিন উৎপাদনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সমৃদ্ধি ঘটেছে বহুগুণে। বিদেশ থেকে খেলনা আমদানির পরিমাণ গত তিন বছরে যতটা হ্রাস পেয়েছে, এ দেশ থেকে তার রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিক ততটাই। দেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলির জন্য মূলত তা সম্ভব হয়েছে একথা বলা চলে কারণ, আমাদের দেশে রয়েছে ম্যাঙ্গালোরের মতো বেশ কিছু বড় বন্দর যার মাধ্যমে ভারতীয় পণ্যের রপ্তানি ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্ধুগণ, সরকারি প্রচেষ্টার সুবাদে উপকূলবর্তী এলাকায় গত কয়েক বছরে পণ্য চলাচল উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে কারণ, এই বন্দরগুলিতে রয়েছে পর্যাপ্ত সহায়সম্পদ ও উন্নততর সুযোগ-সুবিধা। ফলে, পণ্য চলাচল ব্যবস্থাও এখন অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। বর্তমানে সরকারের লক্ষ্যই হল বন্দরগুলির মাধ্যমে সংযোগ ও যোগাযোগের আরও প্রসার ঘটানো। এই কারণে ২৫০টিরও বেশি রেল ও সড়ক পরিকাঠামোকে বন্দরগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী সেতু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি জাতীয় মাস্টার প্ল্যান’-এর আওতায়। ভাই ও বোনেরা, বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধার কারণে দেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে এখন মেধাশক্তির কোনো অভাব নেই। ভারতের বহু শিল্পোদ্যোগীই উঠে এসেছেন এই অঞ্চলগুলি থেকে। কর্ণাটকেই রয়েছে ভারতের বহু সুন্দর সুন্দর দ্বীপ ও পার্বত্য অঞ্চল। এমনকি, দেশের বিখ্যাত মন্দির ও তীর্থস্থানগুলির অনেকগুলিই অবস্থিত এই রাজ্যটিতে। ‘স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব’ উদযাপনকালে আমি বিশেষভাবে স্মরণ করি রানি আব্বাক্কা এবং রানি চেন্নাভাইরাদেবীকে। যেভাবে তাঁরা ভারতের মাটি ও বাণিজ্যকে দাসত্ব শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য সংগ্রাম চালিয়েছিলেন, তার কোনো তুলনা খুঁজে পাওয়া ভার। তাই, এই বীর মহীয়সীরা ভারতের কাছে এক বিশেষ প্রেরণাস্বরূপ। তাঁরাই আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের অনুপ্রেরণার এক বিশেষ উৎস। কর্ণাটকবাসী এবং আমাদের তরুণ বন্ধুরা যেভাবে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযানকে সফল করে তুলেছেন তা এক সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারই বহন করে। এই ধরনের দেশসেবার শক্তি আমাকে সর্বদাই উজ্জীবিত করে। কর্ণাটকের কারাভালি অঞ্চলে যখনই আমি উপস্থিত হই, তখনই এক জাতীয় সঙ্কল্প আমাকে অনুপ্রাণিত করে। ম্যাঙ্গালুরুতে যে উদ্যম ও প্রাণশক্তি আমি লক্ষ্য করেছি তা যেন আমাদের উন্নয়নের পথকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। এই আশা নিয়ে এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলির সাফল্য কামনা করে আমি আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা ও অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আসুন, আমার সাথে আপনারা জোর গলায় বলে উঠুন – ভারতমাতা কি – জয়! ভারতমাতা কি – জয়! ভারতমাতা কি – জয়! অনেক অনেক ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ। মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে।",মাংগালোৰত উন্নয়নমূলক প্ৰকল্প আৰম্ভ কৰাৰ সময়ত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ লিখিত পা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%B0%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%88/,"নতুন দিল্লি, ৪ মে, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কোপেনহেগেনে দ্বিতীয় ভারত-নর্ডিক বৈঠকের পাশাপাশি নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী মিঃ জোনাস গহর স্টোর-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন । ২০২১ সালে অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্টোরের কার্যভার গ্রহণের পর এটিই ছিল দুই নেতার মধ্যে প্রথম বৈঠক । উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অধীনে বর্তমান কাজকর্ম নিয়ে পর্যালোচনা করেন এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনাও চালান । নরওয়ের দক্ষতা এবং ভারতের সম্ভাবনা স্বাভাবিকভাবেই একে অপরের পরিপূরক বলে প্রধান���ন্ত্রী উল্লেখ করেন । দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী সমুদ্র ভিত্তিক অর্থনীতি, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, গ্রীন হাইড্রোজেন, সৌর ও বায়ু প্রকল্প, গ্রীণ শিপিং, মৎস্য চাষ, জল ব্যবস্থাপনা, বৃষ্টির জল সংগ্রহ, মহাকাশ সহযোগিতা, দীর্ঘমেয়াদি পরিকাঠামো বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য ও সংস্কৃতির মতো একাধিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন । বৈঠকে আঞ্চলিক ও বিশ্বের উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয় । রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হিসেবে ভারত ও নরওয়ে পারস্পরিক স্বার্থে বিশ্বের নানান বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘকে সহযোগিতা করে চলেছে ।",নৰৱে’ৰ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সৈতে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ বৈঠ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0-13/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AA-%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%B0-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AD%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6/,"আমার প্রিয় দেশবাসী , আপনাদের সবাইকে নমস্কার ! আকাশবাণীর মাধ্যমে ‘ মন কি বাত ’ করতে করতে তিন বছর পূর্ণ হয়ে গেল। আজ এটি ৩৬ – তম পর্ব। ‘ মন কি বাত ’ হল একরকম ভারতের যে সদর্থক শক্তি আছে , দেশের কোণে কোণে যে ভাবনাচিন্তা পূর্ণ হয়ে রয়েছে , ইচ্ছা রয়েছে , প্রত্যাশা আছে , কোথাও কোথাও নালিশও আছে – জনগণের মনে যে যে ভাবনার উদয় হতে থাকে ,‘ মন কি বাত ’ সেই সব ভাবনার সঙ্গে আমার নিজেকে যুক্ত করার এক সুযোগ দিয়েছে , আর আমি কখনও এটা বলি না যে , এটা আমার ‘ মন কি বাত ’ । এই ‘ মন কি বাত ’ দেশবাসীর মনের সঙ্গে যুক্ত , তাদের আবেগের সঙ্গে যুক্ত , তাদের আশা – আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে। আর যখন ‘ মন কি বাত ’- এর কথা বলি , তখন দেশের প্রতিটি কোণে যেসমস্ত মানুষ তাঁদের কথা আমাকে পাঠান , আপনাদের তো হয়ত আমি খুব কম কথা বলতে পারি , কিন্তু আমার প্রচুর বিষয় মিলে যায়। ই – মেইল হোক , দূরভাষ হোক ,‘ মাই গভ ’ পোর্টাল হোক , নরেন্দ্র মোদী অ্যাপের মাধ্যমে হোক , এত কথা আমার কাছে পৌঁছে যায়। বেশীরভাগই আমাকে উৎসাহ দেয়। অনেক কিছু সরকারের সংশোধনের জন্য থাকে , কখনও ব্যক্তিগত নালিশও থাকে তো আবার কখনও সামগ্রিক সমস্যার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়। আর আমি তো মাসে একবার আপনাদের আধঘণ্টা সময় নিই , কিন্তু মানুষেরা তিরিশ দিন ‘ মন কি বাত ’- এর জন্য নিজের কথা পৌঁছতে থাকেন। আর তার ফলে যা হয়েছে তা হল , সরকারেরও সংবেদনশীলতা , সমাজের দূর – সুদূরে কত না শক্তি রয়েছে , তার প্রতি তাদের মনোযোগ দেওয়ার এক সহজ ভাবনা তৈরি হচ্ছে। আর এজন্য ‘ মন কি বাত ’- এর তিন বছরের এই যাত্রা দেশবাসীর – তাদের ভাবনাচিন্তার , তাদের অনুভূতির এক যাত্রা। আর হয়ত এত কম সময়ে দেশের সাধারণ মানুষের আবেগ জানা – বোঝার জন্য যে সুযোগ আমার হয়েছে তার জন্য আমি দেশবাসীর কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। ‘ মন কি বাত ’- এ আমি প্রায়ই আচার্য বিনোবা ভাবের সেই কথাটি মনে রাখি। আচার্য বিনোবা ভাবে প্রায়ই বলতেন , অ – সরকারি , কার্যকর। আমিও ‘ মন কি বাত ’- এ এই দেশের জনগণকে কেন্দ্রে রাখার চেষ্টা করেছি। রাজনীতির রঙ থেকে অনেক দূরে রেখেছি। তৎকালিন উত্তেজনা , আক্রোশ হতে থাকে তার মধ্যে না গিয়ে স্থির মন নিয়ে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার চেষ্টা করেছি। আমি অবশ্যই মানি , এখন তিন বছর পরে সমাজবিজ্ঞানী , বিশ্ববিদ্যালয় , গবেষক , গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা অবশ্যই এর বিশ্লেষণ করবেন। প্রতিটি জিনিসের প্লাস – মাইনাস তুলে ধরবেন , আর আমার বিশ্বাস যে , এই বিচার – বিশ্লেষণ ভবিষ্যতে ‘ মন কি বাত ’- এর জন্য অনেক উপযোগী হবে , তাতে এক নতুন চেতনা , নতুন উদ্যম মিলবে। আর আমি যখন একবার ‘ মন কি বাত ’- এ বলেছিলাম , আমাদের খাওয়ার সময়ে চিন্তা করা উচিত যে , যতটা প্রয়োজন , ততটাই নেব , আমরা তা নষ্ট করব না। কিন্তু তারপর আমি দেখেছি যে , দেশের প্রতিটি কোণ থেকে এত চিঠি এসেছে , অনেক সামাজিক সংগঠন , অনেক নব্যযুবক অনেক আগে থেকেই এই কাজ করছেন। খাওয়ার থালায় যা ফেলে যাওয়া হয়েছে , তা একসঙ্গে করে তার ঠিকঠাক ব্যবহার কীভাবে হবে , এই কাজে যুক্ত এত মানুষ আমার মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন , আমার অত্যন্ত ভালো লেগেছে , আনন্দ হয়েছে। একবার আমি ‘ মন কি বাত ’- এ মহারাষ্ট্রের এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রীযুক্ত চন্দ্রকান্ত কুলকার্ণির কথা বলেছিলাম , যিনি নিজের পেনশনে যে ষোল হাজার টাকা পেতেন , তার থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে তিনি ৫১টি পোস্ট – ডেটেড চেকের মাধ্যমে স্বচ্ছতার জন্য দান করেছিলেন। আর তারপর তো আমি দেখেছি যে স্বচ্ছতার জন্য এই ধরনের কাজ করতে কত মানুষ এগিয়ে এসেছেন। একবার আমি হরিয়ানাতে এক পঞ্চায়েত প্রধানের ‘ সেলফি উইথ ডটার ’ দেখি আর আমি ‘ মন কি বাত ’- এ তা সবার সামনে রাখি। দেখতে না দেখতে শুধু ভারত থেকেই নয় , সারা বিশ্ব জুড়ে ‘ সেলফি উইথ ডটার ’ এক বড় অভিযান শুরু হয়ে যায়। এটা শুধু সোস্যাল মিডিয়ারই একটি বিষয় নয় , প্রতিটি কন্যাকে এক নতুন আত্মবিশ্বাস , নতুন গর্ব করার মত ঘটনা হয়ে উঠেছে। প্রতি মা – বাবা�� মনে হতে থাকে যে নিজের কন্যার সঙ্গে সেলফি তুলি। প্রতিটি মেয়ের মনে হতে থাকে যে আমারও কোন মহিমা আছে , কোনো মহত্ত্ব আছে। কিছুদিন আগে ভারত সরকারের পর্যটন দপ্তরের সঙ্গে বসেছিলাম। আমি যখন পর্যটকদের বলি যে আপনারা Incredible India – তে যেখানে গেছেন সেখানকার ফোটো পাঠান। ভারতের প্রতি কোণ থেকে লাখখানেক ছবি একরকম পর্যটন ক্ষেত্রে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের এক মস্ত বড় সম্পদ হয়ে উঠেছে। ছোটো ছোটো ঘটনা কত বড় আন্দোলন তৈরি করে দেয় , তা ‘ মন কি বাত ’- এ আমি অনুভব করেছি। আজ ইচ্ছে করছে , কারণ যখন ভাবছি যে তিন বছর হয়ে গেছে , তো গত তিন বছরের কত ঘটনা আমার মনে ভিড় করে আসছে। দেশ সঠিক রাস্তায় যাওয়ার জন্য প্রতি মুহূর্তে এগিয়ে চলেছে। দেশের প্রতিটি নাগরিক অন্যের ভালোর জন্য , সমাজের ভালোর জন্য , দেশের উন্নতির জন্য কিছু না কিছু করতে চাইছেন। আমার তিন বছরের ‘ মন কি বাত ’- এর যাত্রায় , আমি এটা দেশবাসীর কাছ থেকে জেনেছি , বুঝেছি , শিখেছি। যে কোনো দেশের জন্যই এ এক মস্ত বড় সম্পদ , এক মস্ত বড় শক্তি। আমি অন্তর থেকে দেশবাসীকে প্রণাম জানাচ্ছি। আমি একবার ‘ মন কি বাত ’- এ খাদি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আর খাদি শুধু এক বস্ত্র নয় , এক ঐতিহ্য। আর আমি দেখেছি ইদানিং খাদির প্রতি প্রচুর আকর্ষণ বেড়ে গেছে আর আমি স্বাভাবিক ভাবেই বলেছি যে কাউকে শুধুই খাদি পড়তে হবে না। কিন্তু নানারকম fabric তো আছে , তা খাদি নয় কেন ? ঘরের চাদর হতে পারে , রুমাল হতে পারে , পর্দা হতে পারে। আর এটা মনে হচ্ছে যে যুবপ্রজন্মের মধ্যে খাদির প্রতি আকর্ষণ বেড়ে গেছে। খাদির বিক্রি বেড়ে গেছে আর তার জন্য গরীবদের রোজগারের সঙ্গে এক সরাসরি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ২ – রা অক্টোবর খাদিতে ছাড় দেওয়া হয় , অনেকটাই ছাড় পাওয়া যায়। আমি আরও একবার বলব যে , খাদির জন্য যে অভিযান চলছে , তাকে আমরা আরও এগিয়ে নিয়ে যাই , আরও বাড়াই। খাদি কিনে গরীবদের ঘরে দীপাবলির প্রদীপ জ্বালাব , এই ভাবনা নিয়ে আমরা কাজ করি। আমাদের দেশের দরিদ্রদের এই কাজের থেকে এক শক্তি মিলবে , আর আমাদের তা করা উচিত। আর এই খাদির প্রতি রুচি বাড়ার জন্য খাদি ক্ষেত্রের কর্মীদের , ভারত সরকারের খাদির সঙ্গে যুক্ত মানুষদের এক নতুন ভাবে ভাবনাচিন্তা করার উৎসাহ বেড়েছে। নতুন প্রযুক্তি কীভাবে আনবে , উৎপাদনক্ষমতা কীভাবে বাড়াবে , সৌরশক্তি ও হস্তচালিত তাঁত কীভাবে নিয়ে আসবে ? পুরনো যে ঐতিহ্য ছিল , যা প্রায় ২০ , ২৫ , ৩০ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়েছিল , ত���কে পুনর্জীবিত কীভাবে করা যায়। উত্তর প্রদেশে বারাণসীর সেবাপুরে – সেবাপুরীর এক খাদি আশ্রম ২৬ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়েছিল , কিন্তু আজ তা পুনর্জীবিত হয়েছে। অনেক রকম পদ্ধতি যুক্ত হয়েছে। অনেক লোকের রোজগারের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। কাশ্মীরের পম্পোরে বন্ধ হয়ে থাকা খাদি ও গ্রামোদ্যোগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আবার চালু হয়েছে আর কাশ্মীরের কাছে তো এই ক্ষেত্রে দেওয়ার অনেক কিছু আছে। এখন এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আবার শুরু হওয়ার জন্য নতুন প্রজন্ম আধুনিকভাবে নির্মাণ কাজ করতে , বয়ন করতে , নতুন জিনিস তৈরি করতে এক সাহায্য মিলছে আর আমার ভালো লাগছে যে বড় বড় করপোরেট হাউস দীপাবলির সময় যে উপহার দেয় , তারা ইদানিং খাদির জিনিস দিতে শুরু করেছে। লোকেরাও একজন আরেকজনকে উপহার হিসেবে খাদির জিনিস দিচ্ছে। সহজভাবে কোন জিনিস কীভাবে এগিয়ে চলে তা আমরা সবাই অনুভব করছি। আমার প্রিয় দেশবাসী , গতমাসে ‘ মন কি বাত ’- এ আমরা সবাই মিলে এক সংকল্প করেছিলাম এবং আমরা ঠিক করেছিলাম যে গান্ধী জয়ন্তীর আগের ১৫ দিন সারা দেশ জুড়ে স্বচ্ছতা উৎসব পালন করব। স্বচ্ছতার সঙ্গে জনমনকে যুক্ত করব । আমাদের শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রপতি এই কাজ শুরু করেছেন এবং দেশ তাতে যুক্ত হয়েছে। আবালবৃদ্ধ , পুরুষ – মহিলা , শহর – গ্রাম – প্রত্যেকেই আজ স্বচ্ছতা অভিযানের এক অংশ হয়ে উঠেছে। আমি যখন সংকল্প সাধনের কথা বলি , তখন আমাদের এই স্বচ্ছতা অভিযান সংকল্প সাধনের পথে কীভাবে এগিয়ে চলেছে তা আমরা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। সবাই এটাকে স্বীকার করে , সহায়তা করে এবং এর সাফল্যের জন্য কোনো না কোনো ভাবে সাহায্য করেন। আমি মাননীয় রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞ , কিন্তু একই সঙ্গে দেশের সব শ্রেণির মানুষ এই স্বচ্ছতা অভিযানকে নিজেদের কাজ বলে স্বীকার করেছেন। এর সঙ্গে সকলে নিজেকে যুক্ত করেছেন। খেলাধূলার জগতের মানুষ – ই হোন বা সিনেমা জগতের মানুষ , শিক্ষার জগতের মানুষ , স্কুল , কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয় , কৃষক , মজদুর , অফিসার , কেরানি , পুলিশ , সৈনিক সকলে এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছেন। জনসাধারণ ব্যবহার করেন এই রকম জায়গা নোংরা থাকলে আজকাল মানুষ বিরক্তি প্রকাশ করেন , ফলে যাঁরা এই সব জায়গা দেখাশোনার কাজ করেন তাঁরা একধরনের তাগিদ অনুভব করেন। আমি এটাকে একটা ভালো সংকেত বলে মনে করি। আমি খুশি যে ‘ স্বচ্ছতাই সেবা ’ অভিযানের প্রথম চার দিনে প্রায় ৭৫ লক্ষের বেশি মানুষ ৪০ হাজারের বেশি উদ্��োগ নিয়ে এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছেন। আমি লক্ষ করেছি কিছু মানুষতো লাগাতার কাজ করে চলেছেন। তাঁরা উপযুক্ত ফল না পাওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়া মনস্থির করেছেন। এই বার আরও একটা জিনিস দেখলাম – প্রথমতঃ একটা জিনিস হতে পারে আমরা কোনো একটা জায়গা পরিষ্কার করবো , দ্বিতীয়তঃ এটা হতে পারে যে আমরা সচেতন ভাবে কোনও জায়গা অপরিষ্কার করবো না কিন্তু পরিচ্ছন্নতাকে যদি অভ্যাস বানাতে হয় , তাহলে আমাদের বিচারধারার মধ্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন প্রয়োজন। এবার ‘ স্বচ্ছতাই সেবা ’ অভিযানে বেশ কিছু প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। আড়াই কোটিরও বেশি শিশু স্বচ্ছতা বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেছিল। হাজার হাজার শিশু পেইণ্টিং করেছে। স্বচ্ছতা বিষয়ে তাদের নিজের নিজের কল্পনা প্রকাশ করতে ছবি এঁকেছে। অনেকে কবিতা লিখেছেন , আমার ছোটো ছোটো বন্ধুরা , ছোটো ছোটো বালক – বালিকারা যে সব ছবি পাঠিয়েছে আমি আজকাল সেগুলিকে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিচ্ছি। তাদের গৌরবগাথা লিখছি। যখনই স্বচ্ছতার কথা হয় , তখন আমি কিন্তু প্রচার মাধ্যমের মানুষদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে কখনো ভুলি না। এই আন্দোলনকে তাঁরা পবিত্ররূপে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। নিজের নিজের মত তাঁরা এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং একটা সদর্থক পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করেছেন। এখনও পর্যন্ত তাঁরা নিজের মত করে স্বচ্ছতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমাদের দেশের ইলেক্ ‌ ট্রনিক মিডিয়া , প্রিণ্ট মিডিয়া দেশের কতবড়ো সেবার কাজ করতে পারে , সেটা আমরা ‘ স্বচ্ছতাই সেবা ’ আন্দোলনে দেখছি। সম্প্রতি কয়েকদিন আগে কেউ শ্রীনগরের ১৮ বছরের তরুণ বিলাল ডার – এর সম্পর্কে আমার মনোযোগ আকর্ষণ করে। আপনারা শুনে খুশি হবেন যে শ্রীনগর ম্যুনিসিপ্যাল কর্পোরেশান বিলাল ডারকে স্বচ্ছতার জন্য তাঁদের ব্র্যাণ্ড অ্যামবাসেডর বানিয়েছেন। যখনই ব্র্যাণ্ড অ্যাম্বাসেডর – এর কথা ওঠে , তখন আপনারা ভাবেন , উনি হয়ত সিনেমা আর্টিস্ট বা খেলাধুলার জগতের কোনও হিরো , কিন্তু সেটা সত্যি নয়। ১২ – ১৩ বছর বয়স থেকে অর্থাৎ গত ৫ – ৬ বছর যাবৎ বিলাল স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করে চলেছে। শ্রীনগরের পাশে এশিয়ার সব থেকে বড় যে লেক আছে , সেখানেও প্লাসটিক , পলিথিন , ব্যবহৃত বোতল , ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে। এর থেকে কিছু উপার্জনও করে নেয়। ওর খুব ছোটো বয়সে ওর বাবার ক্যান্সারে মৃত্যু হয়��� জীবিকা উপার্জনের সঙ্গে ও স্বচ্ছতাকে যুক্ত করে নিয়েছে। এক আনুমানিক হিসাব অনুসারে বিলাল প্রতি বছর ১২ হাজার কিলোগ্রামেরও বেশি আবর্জনা পরিষ্কার করেছে। স্বচ্ছতার প্রতি তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং ব্র্যাণ্ড অ্যাম্বাসেডর নির্বাচনে তাঁদের পদক্ষেপ – এর জন্য শ্রীনগর পৌর নিগমকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শ্রীনগর একটি পর্যটন কেন্দ্র এবং ভারতবর্ষের সব নাগরিকেরই শ্রীনগরে যাওয়ার ইচ্ছা থাকে , সেখানে পরিচ্ছন্নতার প্রতি এই রকম গুরুত্ব আরোপ করা সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ। আমি আনন্দিত যে পৌরনিগম বিলালকে কেবল মাত্র ব্র্যাণ্ড অ্যাম্বাসেডর – ই বানায়নি , তারা বিলালকে এবার গাড়ি দিয়েছে , ইউনিফর্ম দিয়েছে। বিলালও অন্য এলাকায় গিয়ে সেখানকার লোকজনদের স্বচ্ছতা বিষয়ে শিক্ষিত করে তুলছে , তাঁদের অনুপ্রাণিত করছে এবং প্রত্যাশিত ফল না পাওয়া পর্যন্ত হাল ছাড়ে না। বিলাল ডার বয়সে ছোট কিন্তু স্বচ্ছতার প্রতি যাঁদের আগ্রহ আছে , তাঁদের কাছে প্রেরণাদায়ক। আমি বিলাল ডারকে অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমার প্রিয় দেশবাসী , আমাদের এটা স্বীকার করতেই হবে যে ইতিহাসের গর্ভেই ভবিষ্যতের ইতিহাস জন্ম নেয়। আর আমরা যখন ইতিহাসের কথা বলবো , তখন মহাপুরুষদের কথা স্মরণে আসা স্বাভাবিক। অক্টোবর মাস আমাদের অনেক মহাপুরুষকে স্মরণ করার মাস। মহাত্মা গান্ধী থেকে সরদার প্যাটেল এই অক্টোবর মাসে অনেক মহাপুরুষ জন্ম নিয়েছেন , যাঁরা বিংশ শতাব্দী এবং একবিংশ শতাব্দীতে আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন , আমাদের চলার পথ দেখিয়েছেন আর দেশের জন্য যাঁরা নিজেরা অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। দোসরা অক্টোবর মহাত্মা গান্ধী এবং লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মদিন , ১১ – ই অক্টোবর জয়প্রকাশ নারায়ণ আর নানাজি দেশমুখের জন্মদিন। আবার ২৫ – শে সেপ্টেম্বর পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিন। এবছর তো আবার নানাজীর এবং দীনদয়ালজীর জন্মের শতবর্ষ। এই সকল মহাপুরুষদের একটা কেন্দ্রবিন্দু ছিল – সেটা কি ? তাঁদের সকলের জন্য একটা বিষয় স্বাভাবিক ছিল , সেটা হল দেশের জন্য বাঁচা , দেশের জন্য কিছু করা আর শুধুমাত্র উপদেশ দেওয়া নয় , জীবন যাপনে সেই উপদেশ পালন করা। গান্ধীজী , জয়প্রকাশজী , দীনদয়ালজীরা এমন মহাপুরুষ ছিলেন যাঁরা ক্ষমতার অলিন্দ থেকে অনেক দূরে থাকতেন কিন্তু প্রতিটি মুহূর্ত সাধারণ মানুষের সঙ্গে জীবন যাপন করতেন , সংগ্রাম করতেন , সর্বজনের হিতার্থে , সর্বজনের সুখার্থে কিছু না কিছু করতেন। নানাজি দেশমুখ রাজনীতি ছেড়ে গ্রাম উন্নয়নের কাজে মন দেন। আজকে আমরা যখন তাঁর শতবর্ষ পালন করছি , তখন তাঁর গ্রাম উন্নয়নের কাজকে শ্রদ্ধা জানানো খুবই স্বাভাবিক। ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শ্রীমান আব্দুল কালামজী যখন তরুণদের সঙ্গে কথা বলতেন , তখন তিনি প্রায়ই নানাজী দেশমুখের গ্রামীণ বিকাশের কথা আলোচনা করতেন। গভীর আন্তরিকতায় তিনি সেই কর্মসূচির উল্লেখ করতেন এবং তিনি নিজেও নানাজীর এই কাজ প্রত্যক্ষ করার জন্য গ্রামে গিয়েছিলেন। দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মতো মহাত্মা গান্ধীও সমাজের নিম্নবর্গের মানুষজনের কথা বলতেন। দীনদয়ালজী সমাজের নীচের স্তরের গরীব , পীড়িত , শোষিত , বঞ্চিত জনসাধারণের জীবনে পরিবর্তন আনার কথা বলতেন ; শিক্ষা এবং উপার্জনের মাধ্যমে কীভাবে সে বদল আনা যেতে পারে , সে বিষয়ে আলাপ আলোচনা করতেন। এইসব মহাপুরুষকে স্মরণ করলে তাঁদের কোনও উপকার করা হয় না , আমরা এঁদের স্মরণ করি , যাতে সামনে এগিয়ে চলার রাস্তা খুঁজে পাই , যাতে ভবিষ্যতের জন্য সঠিক দিগ্ ‌ নির্দেশ মেলে। এর পরের ‘ মন কি বাত ’- এ আমি অবশ্যই সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের বিষয়ে বলব। আপাতত ৩১ – শে অক্টোবর সারা দেশে Run for Unity ‘ এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত ’ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। দেশের প্রতিটি শহরে – নগরে খুব বড় করে ‘ Run for Unity ’ কার্যসূচি রূপায়িত হওয়া দরকার। এখন আবহাওয়াটি এমন যে দৌড়তে ভালোও লাগে – সর্দার সাহেবের মতো লৌহ – শক্তি পাওয়ার জন্য সেটা জরুরিও বটে। সর্দার সাহেব দেশকে এক করেছিলেন , আমাদেরও একতার জন্য দৌড়ে সামিল হয়ে একতার মন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে চলা প্রয়োজন। আমরা খুব সহজে বলে থাকি – বিবিধের মাঝে ঐক্যই ভারতের বিশেষত্ব। বিবিধতার জন্য আমরা গর্বিত , অথচ যে বৈচিত্র্যের জন্য আমরা গর্বিত , নিজেদের সেই বিবিধ বৈশিষ্ট্যকে অনুভব করার চেষ্টা কখনও করি কি ? আমি হিন্দুস্থানে আমার সমস্ত দেশবাসীকে বারবার বলতে চাই , বিশেষ করে আমার যুবপ্রজন্মকে বলতে চাই যে , আমরা এক জাগ্রত অবস্থার মধ্যে আছি। এই ভারতের বিচ্ছিন্নতাকে অনুভব করুন , তাকে স্পর্শ করুন , তার গৌরবকে উপলব্ধি করুন। আপনাদের অন্তরস্থিত ব্যক্তিত্বের বিকাশের জন্য আমাদের দেশের এই বৈচিত্র্য যেন বিরাট এক পাঠশালার ভূমিকা পালন করে। ছুটি পরলে বা দীপাবলির পরব এলে আমাদের দেশে কোথাও না কোথাও বেড়াতে বেরিয়ে পড়ার একটা প্রবণতা আছে। ট্যুরিস্ট হিসে���ে সবাই বেড়িয়ে পড়েন। কিন্তু মাঝে মাঝে চিন্তা হয় , নিজের দেশকে তো আমরা সেভাবে দেখি না , তার বিভিন্নতাকে জানতে বা বুঝতে চেষ্টা করিনা , কিন্তু বিদেশের চাকচিক্যের টানে আমরা ইদানিং পর্যটনের জন্য বিদেশকেই বেশি পছন্দ করতে শুরু করেছি। আপনারা বিদেশে যান , আমার কোন আপত্তি নেই , কিন্তু কখনও কখনও নিজের ঘরটাকেও তো দেখবেন ! উত্তর ভারতের মানুষ জানবেন না দক্ষিণ ভারতে কী আছে ? পশ্চিম ভারতের মানুষটি জানবেন না যে পূর্বভারতে কী আছে ? আমাদের এই দেশ কতরকম বৈচিত্র্যে ভরা। মহাত্মা গান্ধী , লোকমান্য তিলক , স্বামী বিবেকানন্দ , আমাদের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুল কালামজী – এঁরা প্রত্যেকেই যখন ভারত ভ্রমণ করেছেন , তখন তাঁদের মধ্যে দেশকে দেখার , বোঝার , দেশের জন্য বাঁচা – মরার এক নতুন প্রেরণা জেগে উঠেছিল। এইসব মহাপুরুষেরা এদেশকে ব্যাপকভাবে ঘুরে দেখেছেন। নিজেদের কাজের শুরুতে তাঁরা ভারতকে জানার এবং বোঝার চেষ্টা করেছেন। ভারতকে নিজের মধ্যে আত্মস্থ করে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আমরাও কি পারিনা আমাদের দেশের ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের , ভিন্ন ভিন্ন সমাজের বা গোষ্ঠীর নিয়মকানুন , পরম্পরা , তাদের পোশাক – পরিচ্ছদ , খাওয়াদাওয়াকে একজন শিক্ষার্থীর মতো করে শিখে নিতে , বুঝে নিতে , সে জীবনচর্যা আয়ত্ত করতে ? পর্যটনে value addition তখনই হবে যখন আমরা শুধু দর্শক হিসেবে নয় , একজন ছাত্রের মতো সেই সব জায়গার বৈশিষ্ট্যকে গ্রহণ করতে , বুঝতে এবং আত্মীকরণ করতে সচেষ্ট হব। আমার নিজের হিন্দুস্থানের পাঁচশোর বেশি জেলায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। সাড়ে চারশোর বেশি জেলায় রাত্রিবাস করারও অভিজ্ঞতা হয়েছে। আজ যখন আমি দেশের এই গুরত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাচ্ছি , তখন সেই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমার খুবই কাজে লাগে। তার জন্যেই বহু জিনিস বুঝতে আমার বিশেষ সুবিধা হয়। আপনাদের কাছেও আমার অনুরোধ , বিশাল এই ভারতে ‘ বিবিধের মধ্যে একতা ’ – এটাকে শুধু স্লোগান হিসেবে না দেখে , আমাদের অপার শক্তির এই ভাণ্ডারকে উপলব্ধি করুন। ‘ এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত ’- এর স্বপ্ন এরই মধ্যে নিহিত আছে। খাদ্য – পানীয়ই কত রকমের আছে ! সারা জীবন ধরে প্রত্যেক দিন যদি এক একরকমের নতুন খাবার খাওয়া যায় , তা – ও পুনরাবৃত্তি হবে না। এটাই আমাদের পর্যটনের এক বড় শক্তি। আমি চাইবো , এই ছুটিতে আপনারা শুধু একটু ঘরের বাইরে যাওয়ার জন্য , একটু পরিবর্তনের জন্য বেরিয়ে পড়লেন – এমন যেন না হয়। কিছু জা��তে হবে , বুঝতে হবে , আত্মস্থ করতে হবে – এরকম প্রতিজ্ঞা নিয়ে ঘুরতে যান। ভারতকে নিজের মধ্যে গ্রহণ করুন। কোটি কোটি দেশবাসীর বিভিন্নতাকে আপন করে নিন। এই উপলব্ধি আপনার জীবনকে সমৃদ্ধ করে তুলবে। আপনার চিন্তার ব্যাপ্তি বিশাল হয়ে যাবে। উপলব্ধির চেয়ে বড় শিক্ষক আর কী হতে পারে ! সাধারণভাবে অক্টোবর থেকে বড়জোর মার্চ পর্যন্ত সময়টি পর্যটনের জন্য প্রশস্ত। এই সময়েই সকলে বেড়াতে যান। আমার বিশ্বাস , এবার যদি আপনারা বেড়াতে যান , তবে আমার অভিযানকেই আপনারা আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আপনারা যেখানেই যান , নিজেদের অভিজ্ঞতা আর ছবি শেয়ার করুন , ‘ হ্যাশ ট্যাগ incredible India ’- তে অবশ্যই আপনাদের ছবি পাঠান। সেখানকার মানুষদের সঙ্গে পরিচয় হলে তাঁদেরও ছবি পাঠান। শুধু সেখানকার সৌধ বা স্থাপত্যের নয় , শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেরই নয় , সেখানকার জনজীবনের সম্পর্কেও দু – চার কথা লিখুন। আপনাদের বেড়ানো নিয়ে চমৎকার সব প্রবন্ধ লিখে ‘ মাইগভ ’- এ পাঠিয়ে দিন , ‘ নরেন্দ্রমোদী অ্যাপ ’- এ পাঠিয়ে দিন। আমি একটা ব্যাপার ভেবে দেখেছি , ভারতের পর্যটন শিল্পের উন্নতির জন্য আপনারা যদি নিজের নিজের রাজ্যের সাতটি সেরা ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন কী হতে পারে , প্রত্যেক ভারতবাসীকে নিজের রাজ্যের এই সাতটি জিনিসের বিষয়ে জানা দরকার। যদি সম্ভব হয় ওই সাতটি জায়গায় যেতে হবে। আপনি এই বিষয়ে কোন তথ্য দিতে পারবেন কি ? Narendramodiapp এ এগুলো রাখতে পারবেন কি ? ‘ হ্যাশ ট্যাগ Incredible India ’- তে রাখতে পারবেন কি ? আপনি দেখুন , একই রাজ্যের সবাই যদি এইসব তথ্য পাঠান , তাহলে আমি সরকারকে বলবো ওগুলোর scrutiny করুক , আর কোন সাতটি common বিষয় প্রত্যেক রাজ্য থেকে এসেছে , সেইগুলোকে নিয়ে প্রচার বিষয় বানাক । অর্থাৎ , এক প্রকার মানুষের অভিপ্রায় থেকে tourist destination – এর উন্নতি কিভাবে করা যায়। একই ভাবে আপনি সমগ্র দেশে যেসব দেখেছেন , এর মধ্যে যে সাতটি জিনিষ আপনার সবথেকে ভালো লেগেছে , আপনি চান কারোর না কারোর তো এটা দেখা দরকার , ওখানে যাওয়া দরকার , এর বিষয়ে জানা দরকার , তাহলে আপনার পছন্দের এইরকম সাতটি জায়গার নাম MyGov এ , NarendraModiApp এ অবশ্যই পাঠান। ভারত সরকার এটা নিয়ে কাজ করবে। এরকম ভালো দেখার জায়গা যেগুলো হবে , সেগুলো নিয়ে film তৈরি , ভিডিও তৈরি , প্রচার সাহিত্য তৈরি করা , বাহবা দেওয়া – আপনার দ্বারা নির্ণয় করা বিষয় সরকার মেনে নেবে। আসুন , আমার সঙ্গে যোগদান করুন। এই অক্টোবর মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময়ে প��্যটনের উন্নতিতে আপনিও এক বড়ো অনুঘটক হতে পারেন। আমি আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমার প্রিয় দেশবাসী , একজন মানুষ হওয়ার খাতিরে , অনেক কিছু জিনিষ আমার মনকেও স্পর্শ করে , আমার মন কে নাড়া দেয়। আমার মনে গভীর প্রভাব ফেলে। কারণ আমিও তো আপনাদের মতো মানুষ। কিছুদিন আগের ঘটনা , হয়ত আপনারও দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে – নারীশক্তি আর দেশপ্রেমের এক আশ্চর্য উদাহরণ দেশবাসী দেখলো। ভারতীয় সেনা লেফটেন্যান্ট স্বাতি এবং নিধি নামে দুই বীরাঙ্গনাকে পেয়েছে , ওঁরা অসাধারণ বীরাঙ্গনা। অসাধারণ এইজন্য যে , স্বাতি আর নিধির স্বামী মা – ভারতীর সেবা করতে করতে শহীদ হয়ে গিয়েছিলেন। আমরা চিন্তা করতে পারি এই কম বয়সে সংসার বিনষ্ট হলে মনের অবস্থা কিরকম হবে ? কিন্তু শহীদ কর্নেল সন্তোষ মহাদিকের স্ত্রী স্বাতি মহাদিক এই কঠিন পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন , আর ভারতীয় সেনাতে যোগদান করেছেন। ১১ মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করে প্রশিক্ষণ নিলেন এবং নিজের স্বামীর স্বপ্নকে সাকার করতে নিজের জীবন সমর্পণ করেছেন। একইরকম ভাবে , নিধি দুবে , ওঁর স্বামী মুকেশ দুবে সেনাতে নায়ক পদে কাজ করতেন এবং মাতৃভূমির জন্য যখন শহীদ হয়ে গেলেন , তাঁর পত্নী নিধি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন এবং তিনিও সেনাতে ভর্তি হয়ে গেলেন। প্রত্যেক দেশবাসীকে আমাদের এই নারীশক্তির উপর , আমাদের এই বীরাঙ্গানাদের প্রতি সম্মান দেখানো খুবই স্বাভাবিক । আমি এই দুই বোনকে মন থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। ওঁরা দেশের কোটি কোটি লোকের কাছে এক নতুন প্রেরণা , এক নতুন চেতনা জাগ্রত করেছেন। ওই দুই বোনকে অনেক অনেক অভিনন্দন। আমার প্রিয় দেশবাসী , নবরাত্রির উৎসব আর দীপাবলির মাঝখানের এই সময় আমাদের দেশের যুব প্রজন্মের জন্য এক অনেক বড়ো সুযোগও।","২৪ ছেপ্টেম্বৰ, ২০১৭ত আকাশবাণীত ৩৬সংখ্যক মন কী বাত উপলক্ষে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ ইংৰাজী সংস্কৰণৰ অসমীয়া অনুবাদ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0-27/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A9%E0%A7%A6-%E0%A7%A7%E0%A7%A8-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BE/,"আমার প্রিয় দেশবাসী! নমস্কার! ২০১৮ শেষ হতে চলেছে। আমরা ২০১৯-এ প্রবেশ করতে চলেছি। স্বাভাবিকভাবেই এই সন্ধিক্ষণে বিগত বছরের কথা এবং আসন্ন নববর্ষের সঙ্কল্পের কথা উভয়ই আলোচিত হচ্ছে। ব্যক্তিবিশেষ, সমাজ এবং রাষ্ট্��� — সবাইকে পিছন ফিরে তাকাতে হবে এবং সামনের দিকে যতদূর দৃষ্টি যায়, তাকানোর চেষ্টা করতে হবে, তবেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নতুন কিছু করার আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠবে। আমরা এমন কি কি উদ্যোগ নিতে পারি, যাতে নিজের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারি ও তার সাথে দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। আপনাদের সবাইকে ২০১৯-এর অনেক অনেক শুভেচ্ছা! আপনারা সবাই নিশ্চয়ই ভেবেছেন, ২০১৮-কে কিভাবে মনে রাখা যায়। ১৩০ কোটি জনতার বলে বলীয়ান ভারত ২০১৮-কে কীভাবে মনে রাখবে — এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই ভাবনা আমাদের গৌরবাণ্বিত করবে। ২০১৮-য় বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ স্বাস্থ্যবীমা পরিকল্পনা ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর সূচনা হয়। দেশের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। বিশ্বের বিশিষ্ট সংস্থাসমূহ স্বীকার করে নিয়েছে যে ভারত রেকর্ড গতিতে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করার পথে এগিয়ে চলেছে। দেশবাসীর অদম্য সংকল্পের জেরে ‘স্বচ্ছতা অভিযান’ ৯৫ শতাংশ লক্ষ্য পূরণের পথে এগিয়ে চলেছে। স্বাধীনতার পর লালকেল্লা থেকে আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫-তম বর্ষপূর্তিতে প্রথমবার রাষ্ট্রীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দেশকে একতার সূত্রে যিনি গেঁথেছিলেন, সেই পূজনীয় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের সম্মানে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মূর্তি ‘Statue of Unity’ তৈরি হয় এতে সারা বিশ্বে ভারতের নাম উজ্জ্বল হয়েছে। রাষ্ট্র সঙ্ঘের সর্বোচ্চ পরিবেশ পুরস্কার ‘Champions of the Earth’-এ ভারতকে ভূষিত করা হয়েছে। সৌর শক্তি ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধের ক্ষেত্রে ভারতের প্রয়াসকে সমগ্র বিশ্ব সাধুবাদ জানিয়েছে। ভারতে ‘আন্তর্জাতিক সৌর জোট’-এর প্রথম মহাসভা ‘International Solar Alliance’-এর আয়োজন করা হয়। সার্বিক প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ আমাদের দেশ ‘Ease of doing Business’ র‍্যাঙ্কিং-এ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। দেশের আত্মরক্ষার স্থিতি আরও মজবুত হয়ে উঠেছে। এবছর ‘Nuclear Triad’-এর পরিকল্পনাটি আমাদের দেশে সাফল্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ হয়েছে। আমরা এখন জল, স্থল ও আকাশ — এই তিনটি ক্ষেত্রেই পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন হয়ে উঠেছি। দেশের কন্যারা ‘নাবিকা’ সাগর পরিক্রমার মাধ্যমে পুরো বিশ্ব ভ্রমণ করে দেশকে গৌরবাণ্বিত করেছেন। বারাণসীতে ভারতের প্রথম জলপথের সূচনা হয়েছে। এতে জলপথ পরিবহণের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। দেশের সবচেয়ে লম্বা রেল-রোড বোগিবিল ব্রিজ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সিকিমে প্রথম এবং দেশের শত-তম এয়ারপো��্ট পাক-ইয়ঙ-এর শুভ সূচনা হয়েছে। অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং ব্লাইণ্ড ক্রিকেটের বিশ্বকাপে ভারত জয়ী হয়েছে। এবারের এশিয়ান গেমস-এও ভারত অনেক পদক জিতেছে। প্যারা-এশিয়ান গেমসেও ভারতের ফলাফল খুব ভালো হয়েছে। তবে যদি আমি প্রতিটি ভারতবাসীর সাফল্য এবং আমাদের সার্বিক প্রচেষ্টার কথা বলতে থাকি, তবে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান’টি এত লম্বা হয়ে যাবে যে ২০১৯ বোধহয় শুরুই হয়ে যাবে। এই সব কিছুই ১৩০ কোটি দেশবাসীর অদম্য প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে। আমার বিশ্বাস ২০১৯-এও ভারতের উন্নতি ও প্রগতির যাত্রার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে এবং আমাদের দেশ নতুন উচ্চতা লাভ করবে। আমার প্রিয় দেশবাসী, এই ডিসেম্বর মাসে আমরা কিছু অসাধারণ দেশবাসীকে হারিয়েছি। ১৯-শে ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে ডক্টর জয়া চন্দ্রনের জীবনাবসান হয়েছে। ডক্টর জয়া চন্দ্রন-কে মানুষ ভালোবেসে ‘মক্কল মারুথুবার’ বলে সম্বোধন করত। কেননা, তিনি জনতার অন্তরে বিরাজ করতেন। ডক্টর জয়া চন্দ্রন দরিদ্র মানুষকে খুব সস্তায় চিকিৎসা পরিসেবা দেওয়ার জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন। তিনি অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা করার জন্য সর্বদা তৎপর থাকতেন। ওঁর কাছে আগত অসুস্থ বয়ঃজ্যেষ্ঠ মানুষদের আসা-যাওয়ার ভাড়াও মিটিয়ে দিতেন। আমি ‘দ্য বেটার ইণ্ডিয়া ডট কম’ ওয়েবসাইটে তাঁর অনেক প্রেরণামূলক সামাজিক কাজ সম্পর্কে পড়েছি। একই ভাবে ২৫-শে ডিসেম্বর কর্ণাটকের সুলাগিট্টি নরসাম্মা-র মৃত্যুসংবাদ পেয়েছি। নরসাম্মা গর্ভবতী মা-বোনেদের প্রসবে সাহায্যকারী ধাইমা ছিলেন। তিনি কর্ণাটকে, বিশেষত প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে হাজারও মা-বোনেদের সেবা করেছেন। এই বছরের শুরুতে তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল। ডক্টর জয়া চন্দ্রন এবং সুলাগিট্টি নরসাম্মার মত বহু দৃষ্টান্তমূলক ব্যক্তিত্ব আছেন, যাঁরা সমাজের ভালোর জন্য নিজেদের জীবন নিয়োজিত করেছেন। যখন স্বাস্থ্য পরিসেবা নিয়ে আলোচনা করছি, তখন আমি উত্তর প্রদেশের বিজনোরে ডাক্তারদের সামাজিক প্রচেষ্টাগুলির উল্লেখ করতে চাই। কিছুদিন আগে আমার পার্টির কয়েকজন কর্মকর্তা আমাকে জানায় যে শহরের কিছু তরুণ চিকিৎসক শিবির করে বিনামূল্যে গরীবদের চিকিৎসা করছেন। ওখানকার Heart-Lungs Critical Centre-এর পক্ষ থেকে প্রতি মাসে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। একাধিক অসুখ-বিসুখের বিনামূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা করা হয়। এখন প্রতি মাসে শত শত গরীব মান��ষ এই শিবির থেকে উপকৃত হচ্ছেন। নিঃস্বার্থ ভাবে সেবায় নিযুক্ত এই চিকিৎসক-বন্ধুদের উৎসাহ সত্যি প্রশংসনীয়। আজ আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’ এক সফল অভিযানে পরিণত হয়েছে। আমাকে কিছু মানুষ জানিয়েছেন যে কয়েকদিন আগে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে একসঙ্গে তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ স্বচ্ছতা অভিযানের সঙ্গে যুক্ত হন। স্বচ্ছতার এই মহাযজ্ঞে নগরনিগম, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, জব্বলপুরের আম জনতা — সবাই মিলে উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। আমি ‘দ্য বেটার ইণ্ডিয়া ডট কম’-এর উল্লেখ করেছিলাম। এইখানেই আমি ডক্টর জয়া চন্দ্রনের বিষয়ে জানতে পারি। যখনই সময়-সুযোগ হয়, তখনই আমি ‘দ্য বেটার ইণ্ডিয়া ডট কম’ ওয়েবসাইটে গিয়ে এই ধরনের উদ্বুদ্ধকারী বিষয় সম্বন্ধে জানার চেষ্টা করি। আমি খুশি যে আজকাল এই ধরনের বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট আছে, যেগুলি প্রেরণাদায়ক মানুষদের জীবন কাহিনির সঙ্গে আমাদের পরিচয় করায়। যেমন ‘দ্য পসিটিভ ইণ্ডিয়া ডট কম’ সমাজে পজিটিভিটি ও সংবেদনশীলতার আবহ তৈরি করার চেষ্টা করছে। সেই রকমই ‘ইওর স্টোরি ডট কম’ তরুণ উদ্ভাবক ও উদ্যোগী মানুষদের সাফল্যের কাহিনি খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরে। ‘সংস্কৃতভারতী ডট ইন’-এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে সহজ সরলভাবে সংস্কৃত ভাষা শিখতে পারেন। আমরা একটা কাজ করতে পারি, এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলির কথা একে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে পারি। Positivity-কে সবাই মিলে viral করি। আমার বিশ্বাস, এর ফলে বহু মানুষ জানতে পারবে, সমাজে পরিবর্তন আনা এই নায়কদের সম্পর্কে। Negativity ছড়ানো খুব সহজ, কিন্তু আমাদের আশেপাশে, আমাদের সমাজে অনেক ভালো কাজও হচ্ছে এবং এসব সম্ভবপর হচ্ছে ১৩০ কোটি ভারতবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। সব সমাজেই খেলাধূলার একটা আলাদা গুরুত্ব থাকে। যখন কোনও খেলা হয়, তখন দর্শকদের মনেও উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনার সঞ্চার হয়। খেলোয়াড়দের নাম-পরিচয়-সম্মান সম্পর্কে আমরা অবগত হই, কিন্তু কখনও কখনও খেলাধূলার জগতে এমন অনেক কাহিনি আড়ালে থেকে যায়, যার গুরুত্ব অনেক বেশি। আমি কাশ্মীরের একটি মেয়ে – হনায়া নিসারের বিষয়ে বলতে চাই। সে কোরিয়াতে ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতেছে। দ্বাদশবর্ষীয়া হনায়া কাশ্মীরের অনন্তনাগে থাকে। সে অনেক পরিশ্রম করে ক্যারাটে শেখে। এই বিদ্যার খুঁটিনাটি সম্পর্কে অবগত হয়ে সে নিজেকে প্র���াণ করে দেখিয়েছে। আমি সকল দেশবাসীর পক্ষ থেকে তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি। হনায়ার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ। এই রকমই আরেক কন্যা, ষোড়শী রজনীকে নিয়ে মিডিয়াতে অনেক আলোচনা হচ্ছে। আপনারাও নিশ্চয়ই পড়েছেন। রজনী মেয়েদের জুনিয়র বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ-এ স্বর্ণ পদক জিতেছে। পদক জেতার ঠিক পরেই রজনী কাছের একটি স্টলে গিয়ে এক গ্লাস দুধ খায়। তারপর পদকটি একটি কাপড়ে জড়িয়ে নিজের ব্যাগে রেখে দেয়। আপনারা নিশ্চয়ই ভাবছেন, রজনী এমনটা কেন করল? কেন সে এক গ্লাস দুধ খেল? সে তার বাবা — জসমের সিং-এর সম্মানে এমনটা করে, যিনি পানিপথের এক দোকানে লস্যি বিক্রি করেন। রজনী জানিয়েছে, তাকে এই জায়গায় পৌঁছতে তার বাবাকে অনেক ত্যাগ ও কষ্ট স্বীকার করতে হয়েছে। জসমের সিং প্রত্যেক দিন ভোরে রজনী ও তার ভাই-বোনদের ওঠার আগেই কাজে বেরিয়ে যান। রজনী যখন বাবার কাছে বক্সিং শেখার ইচ্ছা জানায়, তার উৎসাহ বাড়ানোর, তার স্বপ্ন সফল করার জন্য তিনি সর্বতোভাবে চেষ্টা করেছেন। রজনী বক্সিং প্র্যাকটিস আরম্ভ করে পুরনো গ্লাভস দিয়েই, কারণ তখন তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও রজনী সাহস হারায়নি এবং বক্সিং শেখা চালিয়ে যায়। সে সার্বিয়াতেও একটি পদক জয় করে। আমি রজনীকে শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ জানানোর সঙ্গে সঙ্গে ওর বাবা-মা জসমের সিংজী ও ঊষারাণীকে অভিনন্দন জানাই রজনীর পাশে থাকার ও তাকে উৎসাহ দানের জন্য। এই মাসেই পুনের কুড়ি বছর বয়সী বেদাঙ্গী কুলকার্ণি সাইকেলে পৃথিবী পরিক্রমা করে সবথেকে দ্রুতগতি সম্পন্ন এশিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। ও ১৫৯ দিন ধরে প্রতি দিন প্রায় ৩০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়েছিল। আপনারা কল্পনা করে দেখুন, প্রত্যেকদিন ৩০০ কিলোমিটার সাইক্লিং! সাইকেল চালানোর প্রতি ওর এই অদম্য উৎসাহ সত্যিই প্রশংসনীয়। এই ধরনের উপলব্ধি, এই ধরনের প্রাপ্তির কথা কি আমাদের অনুপ্রাণিত করে না? বিশেষত আমার তরুণ বন্ধুরা যখন এই ধরনের ঘটনার কথা শোনেন, তখন সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও তাঁরা কিছু করে দেখাবার প্রেরণা লাভ করেন। যদি সংকল্প অটল হয়, সাহস হয় দুর্জয়, তখন বাধা নিজে নতমস্তক হয়। প্রতিকূলতা কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। এই ধরনের অন্যান্য উদাহরণের কথা যখন আমরা শুনি, তখন আমরাও জীবনের প্রত্যেক মুহূর্তে নতুন করে প্রেরণা লাভ করি। আমার প্রিয় দেশবাসী, জানুয়ারি মাসে উৎসাহ ও আনন���দ নিয়ে আসছে অনেকগুলি উৎসব। যেমন লোহড়ী, পোঙ্গল, মকর সংক্রান্তি, উত্তরায়ণ, মাঘ বিহু, মাঘী ইত্যাদি। এই সমস্ত উৎসবগুলিতে পুরো ভারতবর্ষ জুড়ে কোথাও দেখা যাবে পরম্পরাগত নৃত্যের রঙ, আবার কোথাও ফসল ফলানোর খুশিতে জ্বালানো হবে লোহড়ী, কোথাও আকাশে রঙ বেরঙের ঘুড়ি উড়বে, আবার কোথাও বসবে জমজমাট মেলা। কোথাও খেলাধূলার আয়োজন হবে, আবার কোথাও পালিত হবে একে অপরকে তিল-গুড় খাইয়ে মিষ্টিমুখ করানোর উৎসব। লোকজনেরা একে অপরকে বলবে — ‘তিল গুড় ঘ্যা আণি গোড় গোড় বোলা’, অর্থাৎ — ‘তিল-গুড় খাও আর মিষ্টি করে কথা বলো’। এই সমস্ত উৎসবের নাম আলাদা আলাদা হলেও উৎসব পালনের উদ্দেশ্য এক। এই উৎসবগুলি কোনো না কোনো ভাবে কৃষিকাজ এবং পল্লীজীবনের সঙ্গে যুক্ত। এই সময়েই সূর্যের উত্তরায়ণ হয় এবং সূর্য মকর রাশিতে প্রবেশ করে। এরপর থেকেই দিন আস্তে আস্তে বড় হতে শুরু করে আর শীতের ফসল কাটার দিন শুরু হয়। এই উপলক্ষে আমাদের অন্নদাতা কৃষক ভাই-বোনেদেরও জানাই অসংখ্য শুভেচ্ছা! ‘বিবিধের মধ্যে ঐক্য’ — ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ — এই ভাবনার সৌরভ উৎসবের মধ্যে নিহিত আছে। আমরা দেখতে পাই, এই উৎসবগুলি প্রকৃতির সঙ্গে কতটা নিবিড় ভাবে জড়িত। ভারতীয় সংস্কৃতিতে সমাজ ও প্রকৃতিকে আলাদা করে দেখা হয় না। এখানে ব্যক্তি ও সমষ্টি এক। প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের নিবিড়তার আরও একটি সুন্দর উদাহরণ হল — উৎসবভিত্তিক ক্যালেণ্ডার। এই ক্যালেণ্ডারগুলিতে সারা বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রহ-নক্ষত্রের বিবরণও থাকে। এই প্রথাগত ক্যালেণ্ডারগুলি থেকে বোঝা যায়, প্রাকৃতিক এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কিত ঘটনাগুলির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কত প্রাচীন। চন্দ্র ও সূর্যের গতির উপর আধারিত এই চন্দ্র-সূর্য ক্যালেণ্ডার অনুযায়ী পরব ও উৎসবগুলির তিথি নির্ধারণ করা হয়। এটা নির্ভর করে কে কোন ক্যালেণ্ডার অনুসরণ করেন তার উপর। অনেক জায়গায় গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানের ওপরই পরব, উৎসবের দিন নির্ধারিত হয়। গুড়ী-পড়ওয়া, চেটি-চণ্ড, উগাদি — এই সমস্ত উৎসব যেমন চন্দ্র ক্যালেণ্ডার অনুযায়ী পালিত হয়, সেই রকমই তামিল পুথাণ্ডু এবং বিষু, বৈশাখ, বৈশাখী, পয়লা বৈশাখ, বিহু ইত্যাদি পরব সূর্য ক্যালেণ্ডার অনুসারে পালন করা হয়। আমাদের অনেকগুলি পার্বণে নদী এবং জলকে রক্ষা করার বিশেষ উদ্দেশ্যটিও অন্তর্নিহিত থাকে। ছট পরবটি নদী এবং জলাশয়ে সূর্য উপাসনার সঙ্গে জড়িত। মকর সংক্রান্তিতেও লক্ষ-কোটি মানুষ পবিত্র নদীগুলিতে স্নান করেন। আমাদের পরব, উৎসবগুলি সামাজিক মূল্যেবোধেরও শিক্ষা দেয়। একদিকে যেমন এগুলির পৌরাণিক গুরুত্ব আছে, অপরদিকে এই প্রত্যেকটি পর্ব অত্যন্ত সহজভাবে জীবনে একে অপরের সঙ্গে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলার শিক্ষা ও প্রেরণা দেয়। আমি আপনারদের সবাইকে ২০১৯-এর অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই এবং কামনা করি, এই সমস্ত উৎসবগুলিকে আপনারা খুব উপভোগ করুন। এই উৎসব উপলক্ষ্যে তোলা ফোটোগুলি আপনারা সবার সঙ্গে শেয়ার করুন যাতে ভারতের বৈচিত্র্য আর ভারতীয় সংস্কৃতির সৌন্দর্য সবাই দেখতে পান। আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদের সংস্কৃতিতে এমন অনেক কিছু আছে, যা নিয়ে আমরা গর্ববোধ করতে পারি এবং সমস্ত পৃথিবীকে মাথা উঁচু করে তা দেখাতে পারি। সেইরকমই একটি হল কুম্ভ মেলা। আপনারা কুম্ভ নিয়ে অনেক কিছু শুনে থাকবেন। অনেক সিনেমাতেও এই মেলার ঐতিহ্য ও বিশালত্ব নিয়ে নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে এবং এগুলো সত্যি। কুম্ভের স্বরূপ বিরাট — যতটা ঐতিহ্যপূর্ণ, ততটাই মাহাত্ম্যপূর্ণ। দেশ এবং সারা পৃথিবী থেকে লোক আসে কুম্ভে অংশগ্রহণ করতে। আস্থা এবং শ্রদ্ধার জনজোয়ার উপচে পড়ে এই কুম্ভমেলায়।এক সাথে এক জায়গায় দেশ বিদেশের লক্ষ-কোটি মানুষ মিলিত হচ্ছেন। কুম্ভের পরম্পরা আমাদের মহান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দ্বারা পুষ্ট এবং পল্লবিত হয়েছে। বিশ্ব বিখ্যাত কুম্ভ মেলা এবার ১৫জানুয়ারি থেকে প্রয়াগরাজ-এ আয়োজিত হতে চলেছে। আপনারা সবাই হয়তো অত্যন্ত ঔৎসুক্যের সঙ্গে এর প্রতীক্ষা করছেন। সন্ত-মহাত্মারা কুম্ভ মেলার জন্য এখন থেকেই পৌঁছতে শুরু করেছেন। গত বছর ইউনেস্কো কুম্ভ মেলাকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি’ তালিকায় নথিভুক্ত করেছে। এই ঘটনা থেকেই এর আন্তর্জাতিক ব্যাপকতাসম্পর্কে ধারণা করা যায়। কিছুদিন আগে অনেক দেশের রাষ্ট্রদূত কুম্ভের প্রস্তুতি দেখেছেন। সেখানে একসঙ্গে অনেক দেশের জাতীয় পতাকাউত্তোলন করা হয়েছিল। প্রয়াগরাজ-এ আয়োজিত হতে চলা কুম্ভ মেলায় দেড়শটিরও বেশি দেশের মানুষের আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কুম্ভেরমাহাত্ম্যের মাধ্যমে ভারতের মহিমা সারা পৃথিবীতে নিজের রং বিচ্ছুরণ করবে। কুম্ভ মেলা নিজেকে আবিষ্কার করারও একটি বড় মাধ্যম, যেখানে আগত প্রতিটি ব্যক্তির আলাদা আলাদা অনুভূতি হয়। তাঁরা সামাজিক বস্তুকে আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে দেখেন এবং বোঝেন। বিশেষত যুব সমাজের জন্য এটি একটি খুব বড় ‘লার্নিং এক্সপেরিয়েন্স’ হতে পারে।আমি নিজে কিছুদিন আগে প্রয়াগরাজ-এ গিয়েছিলাম। আমি দেখলাম কুম্ভের জোরদার প্রস্তুতি চলছে। প্রয়াগরাজ-এর মানুষও কুম্ভ নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহী। ওখানকার মানুষদের জন্য আমি ইন্টিগ্রেটেড কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার চালু করেছি। এতে তীর্থযাত্রীদের যথেষ্ট সহায়তা হবে। এবার কুম্ভে পরিচ্ছন্নতার ওপরও যথেষ্ট জোর দেওয়া হচ্ছে। আয়োজনে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বচ্ছতাও থাকলে অনেক দূর পর্যন্ত ভালো বার্তা পৌঁছবে। এবারের কুম্ভে সব তীর্থযাত্রী সঙ্গমে পবিত্র স্নানের পর অক্ষয় বটের পুণ্যদর্শন করতে পারবেন। মানুষের আস্থার প্রতীক এই অক্ষয়বট হাজার বছর ধরে দুর্গে বন্ধ ছিল। ফলে তীর্থযাত্রীরা চাইলেও এটি দর্শন করতে পারতেন না। এখন অক্ষয় বটের দ্বার সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। আপনাদের কাছে আমার আবেদন, যখন আপনারা কুম্ভে যাবেন কুম্ভের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্যই শেয়ার করবেন যাতে আরো বেশি সংখ্যক মানুষ কুম্ভে যেতে অনুপ্রাণিত হন। আধ্যাত্মের এই কুম্ভ ভারতীয় দর্শনের মহাকুম্ভ হোক। আস্থার এই কুম্ভ দেশাত্মবোধ ও জাতীয় সংহতিরও মহাকুম্ভ হোক। তীর্থযাত্রীদের এই কুম্ভ বিদেশী ট্যুরিস্টদেরও মহাকুম্ভ হোক। সংস্কৃতির এই কুম্ভ সৃজনশীলতারও মহাকুম্ভ হোক। আমার প্রিয় দেশবাসী, ২৬-শে জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসের সমারোহ নিয়ে দেশবাসীর মনে খুব ঔৎসুক্য থাকে। সেই দিন আমরা সেই মহান ব্যক্তিদের স্মরণ করি যাঁরা আমাদের সংবিধান উপহার দিয়েছেন। এবছর আমরা পূজনীয় বাপুর সার্ধশত-তম জন্মজয়ন্তী পালন করছি। আমাদের জন্য সৌভাগ্যের কথা, দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি শ্রী সিরিল রামাফোসা এবারের সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি রূপে ভারতে আসছেন। পূজনীয় বাপু এবং দক্ষিণ আফ্রিকার একটি অটুট বন্ধন রয়েছে।দক্ষিণ আফ্রিকাই হচ্ছে সেই স্থান যেখানে মোহন মহাত্মায় পরিণত হয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকাতেই মহাত্মা গান্ধী প্রথম সত্যাগ্রহ শুরু করেছিলেন এবং বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। উনি‘ফিনিক্স’ এবং‘টলস্টয়’ফার্ম স্থাপন করেছিলেন,যেখান থেকে সারা বিশ্বে শান্তি আরন্যায়েরজন্য আওয়াজ উঠেছিল। ২০১৮-তে নেলসন ম্যান্ডেলার জন্ম শতবর্ষ পালন করা হচ্ছে। তিনি ‘মারিবা’ নামেও পরিচিত ছিলেন। আমরা সবাই জানি যে নেলসন ম্যাণ্ডেলা সারা বিশ্বে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক দৃষ্টান্ত ছিলেন। আর ম্যান্ডেলার প্রেরণার উৎস কে ছিলেন? তিনি অতগুলো বছর কারাগারে কাটানোর সহন শক্তি এবং প্রেরণা পূজনীয় বাপুর থেকেই তো পেয়ে ছিলেন! ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, “মহাত্মা আমাদের ইতিহাসের অভিন্ন অঙ্গ কারণ এখানেই উনি সত্যের পথে নিজেকে প্রথম প্রয়োগ করেছিলেন। এখানেই উনি ন্যায়ের প্রতি নিজের দৃঢ়তার সঠিক প্রদর্শন করেছিলেন। এখানেই উনি নিজের সত্যাগ্রহের দর্শন এবং লড়াইয়ের পদ্ধতির বিকাশ ঘটান।” উনি বাপুকে রোল মডেল মনে করতেন। বাপু এবং ম্যান্ডেলা,দুজনেই সারা বিশ্বের কাছে শুধু প্রেরণার উৎস ছিলেন না, তাদের আদর্শ আমাদের প্রেম আর করুণায় ভরা সমাজ গড়ে তোলার জন্য সর্বদা উৎসাহিত করে। আমার প্রিয় দেশবাসী, কিছু দিন আগে গুজরাটের নর্মদা নদীর ধারে কেওড়িয়া — যেখানে পৃথিবীর সর্বোচ্চ মূর্তি ‘Statue of Unity’ আছে, সেখানে পুলিশ মহানির্দেশক-দের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে সার্থক আলোচনা হয়। দেশ এবং দেশবাসীর সুরক্ষাকে আরও মজবুত করার জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন, সে বিষয়ে বিস্তৃত চর্চা হয়। এই সম্মেলনে আমি রাষ্ট্রীয় একতার জন্য সরদার প্যাটেল পুরস্কার শুরু করার ঘোষণা করেছি। এই পুরস্কার তাঁদেরই দেওয়া হবে যাঁরা রাষ্ট্রীয় একতার জন্য কোনো না কোনো ভাবে অবদান রেখেছেন। সরদার প্যাটেল দেশের একতার জন্য তাঁর জীবন সমর্পণ করেছিলেন। ভারতের অখণ্ডতাকে অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য তিনি সারা জীবন কাজ করেছেন। তাঁর মতে দেশের বিবিধতার মধ্যে দেশের ঐক্য নিহিত আছে। সরদার প্যাটেলের এই ভাবনার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্যই একতার এই পুরস্কারের মাধ্যমে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করতে চাই। আমার প্রিয় দেশবাসী, আগামী ১৩-ই জানুয়ারি গুরু গোবিন্দ সিং-এর জন্ম জয়ন্তী উৎসব। গুরু গোবিন্দ সিং পাটনাতে জন্ম গ্রহণ করেন। জীবনের অধিকাংশ সময় তাঁর কর্মভূমি ছিল উত্তর ভারত। মহারাষ্ট্রের নান্দেড়-এ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জন্মভূমি পাটনা, কর্মস্থল উত্তরভারত এবং জীবনের অন্তিম সময় নান্দেড়-এ। একভাবে বলতে গেলে পুরো ভারতবর্ষ তাঁর আশীর্বাদ পেয়েছে। তাঁর জীবনকালকে পর্যবেক্ষণ করলে সম্পূর্ণ ভারতের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া যায়। তাঁর পিতা গুরু তেগবাহাদুর শ���ীদ হওয়ার পর মাত্র ৯ বছর বয়সে তিনি গুরুর আসন গ্রহণ করেন। শিখ গুরুদের ঐতিহ্য থেকেই গুরু গোবিন্দ সিং অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রেরণা পেয়েছিলেন। তিনি ছিলেন সরল এবং শান্ত ব্যক্তিত্বের মানুষ, কিন্তু যখনই গরীব এবং দুর্বলের আওয়াজ রুদ্ধ করার প্রয়াস হয়েছে, তাদের প্রতি কোনও অন্যায় হয়েছে, তখনই গুরু গোবিন্দ সিংজী এই গরীব এবং দুর্বল মানুষদের জন্য দৃঢ়তার সঙ্গে সোচ্চার হয়েছেন। এই কারণেই বলা হয় — “সওয়া লাখ সে এক লড়ায়ুঁ চিড়িয়োঁ সোঁ ম্যায় বাজ তুড়ায়ুঁ তবে গোবিন্দসিংহ নাম কহায়ুঁ” তিনি বলতেন, দুর্বল মানুষদের সঙ্গে লড়াই করে শক্তির প্রদর্শন করা যায় না। গুরু গোবিন্দ সিং-এর মতে মানুষের দুঃখ দূর করাই সব থেকে বড়ো সেবা। বীরত্ব, শৌর্য, ত্যাগ এবং ধর্মপরায়ণতায় পূর্ণ ছিলেন এই মহামানব। অস্ত্র এবং শাস্ত্রে ছিল তাঁর অসামান্য জ্ঞান। তিনি একদিকে যেমন ছিলেন একজন তীরন্দাজ, অন্যদিকে গুরুমুখী, ব্রজভাষা, সংস্কৃত, ফারসী, হিন্দি, উর্দু প্রভৃতি বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শী। আমি আরও একবার শ্রী গুরু গোবিন্দ সিংজীকে প্রণাম জানাচ্ছি। আমার প্রিয় দেশবাসী, দেশে এমন কিছু ভালো ঘটনা ঘটে, যেগুলোর ব্যাপক চর্চা হয় না। এমনই একটি অভিনব প্রয়াস চালাচ্ছে…",৩০.১২.২০১৮ তাৰিখে ‘মন কী বাত’ৰ ৫১তম খণ্ডত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E2%80%8C-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AE%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A7%A8%E0%A7%A6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%9B-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%B1%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%AE%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8/,"নয়াদিল্লি, ২২ জুন, ২০২২ মহামহিম, ব্রিকস্‌ বাণিজ্য সম্প্রদায়ের নেতারা, নমস্কার, বিশ্ব বাণিজ্যের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে গড়ে উঠবে ব্রিকস্‌। এই বিশ্বাস নিয়েই এর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। বর্তমানে সারা বিশ্ব যখন কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে উন্নয়নের পথে এগোচ্ছে, তখন ব্রিকস্‌ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির ভূমিকা ফের গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বন্ধুগণ, অতিমারী পরিস্থিতিতে যে অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দিয়েছে, তার মোকাবিলায় আমরা ভারতে সংস্কার, সম্পাদন ও রূপান্তর – এর নীতি গ্রহণ করেছি। এই দিশায় ভারতের অর্থ ব্যবস্থার উন্নতি বর্তমানে চোখে পড়ার মতো। চলতি বছর আমরা ৭.৫ শতাংশ হারে উন্নয়নের আশা করছি, যা আমাদের দ্রুত উন্নয়নশীল মূল অর্থনীতির দিকেই পরিচালিত করছে। আজ আমি ��টি মূল বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। প্রথমত, ভারতের বর্তমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম মূল স্তম্ভ প্রযুক্তি-ভিত্তিক উন্নয়ন। আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রেই উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দিচ্ছি। গ্রিন হাইড্রোজেন, নীল অর্থনীতি, ক্লিন এনার্জি, ড্রোন, জিও স্পাশিয়াল ডেটার মতো ক্ষেত্রগুলিতে আমরা উদ্ভাবন-বান্ধব নীতি তৈরি করেছি। বর্তমানে উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জৈব শৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা, যার পরিচয় মেলে দেশের ক্রমবর্ধমান স্টার্টআপ-গুলির দ্বারা। ভারতে বর্তমানে ৭০ হাজারেরও বেশি স্টার্টআপে ১০০টিরও বেশি ইউনিকর্ন রয়েছে এবং এগুলির সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। দ্বিতীয়ত, অতিমারী পরিস্থিতি সত্ত্বেও ভারত সর্বদাই বাণিজ্য গড়ার পথ সুগম করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যর পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি মান্যতার বোঝা কম করতে হাজার হাজার নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনা ও নীতিতে আরও স্বচ্ছতা ও পারদর্শিতা আনতে আমরা অবিরাম কাজ করে চলেছি। তৃতীয়ত, ভারতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আর তার সম্প্রসারণের কাজও চলছে। এজন্য ভারত জাতীয় মাস্টার প্ল্যান হাতে নিয়েছে। আমাদের জাতীয় পরিকাঠামো পাইপলাইনের আওতায় ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। চতুর্থত, ভারতে বর্তমানে যে ধরনের ডিজিটাল পরিবর্তন আসছে, তা গোটা বিশ্বে এর আগে কখনই চোখে পড়েনি। ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতীয় ডিজিটাল অর্থনীতির মূল্য ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে। ডিজিটাল ক্ষেত্রে উন্নয়ন মহিলাদের কাজে অংশগ্রহণের বিষয়টিতে উৎসাহদান করছে। আমাদের তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ৪০ লক্ষ ৪০ হাজার কর্মীর মধ্যে আনুমানিক ৩৬ শতাংশই মহিলা। প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতিতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন আমাদের গ্রামাঞ্চলের মহিলারা। ব্রিকস্‌ মহিলা বাণিজ্য জোট ভারতে এই রূপান্তরমুখী পরিবর্তনের বিষয়ে একটি সমীক্ষা করে দেখতে পারেন। একইভাবে, উদ্ভাবন-ভিত্তিক অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের ক্ষেত্রে এক অর্থবহ আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। আমি পরামর্শ দিতে চাই যে, ব্রিকস্‌ বাণিজ্য মঞ্চ আমাদের সদস্য দেশের স্টার্টআপগুলির মধ্যে নিয়মিত আদান-প্রদানের জন্য একটি মঞ্চ গড়ে তুলতে পারে। আমি নিশ্চিত যে, ব্রিকস্‌ বাণিজ্য মঞ্চে আজকের আলোচনা বিশেষভাবে লাভজন��� হবে। আমি আপনাদের সকলকে শুভকামনা জানাই। অনেক ধন্যবাদ।",ব্ৰিকছ ব্যৱসায় মঞ্চ ২০২২ৰ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%96%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9C-%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8B%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%9B-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে, খনিজ তেল এবং গ্যাসের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য, উৎপাদনের উন্নত পদ্ধতি/অচিরাচরিত হাইড্রোকার্বন উৎপাদন পদ্ধতিকে উৎসাহিত করতে একটি নীতিকাঠামো গঠনের বিষয়টি অনুমোদিত হয়েছে। সেল গ্যাস ও তেল উৎপাদন ; টাইট গ্যাস ও তেল উৎপাদন ; গ্যাস হাইড্রেট এবং হেভি অয়েল থেকে তেল উৎপাদন, উন্নত উৎপাদন পদ্ধতি, অচিরাচরিত হাইড্রোকার্বন উৎস থেকে তেল ও গ্যাস সংগ্রহ এবং প্রযুক্তিগতভাবে জটিল পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক উৎস থেকে খনিজ তেল সংগ্রহের বিষয়টিকে এই নীতি কাঠামোর মধ্যে ধরা হয়েছে। শিক্ষা এবং গবেষণা সংস্হার সঙ্গে শিল্প সংস্হার মেলবন্ধনের মাধ্যমে খনিজ তেল ও গ্যাসের অনুসন্ধান ও উৎপাদনের কাজকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই কৌশলগত উদ্দেশে এই নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে। সমস্ত চুক্তিভিত্তিক ব্যবস্হা এবং মনোনীত তৈলক্ষেত্রে এই নীতি কার্যকর হবে। নতুন এই নীতির ফলে খনিজ তেল অনুসন্ধান ও উৎপাদন ক্ষেত্রে বিনিযোগ বৃদ্ধি পাবে, অর্থনৈতিক তৎপরতা বাড়বে এবং অতিরিক্ত কর্মসংস্হানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বর্তমানে প্রচলিত তৈলক্ষেত্রগুলিতে নতুন এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে এই নীতি সহায়ক ভূমিকা নেবে। নীতিটি রূপায়ণের জন্য কেন্দ্রীয় পেট্রল ও খনিজ তেল মন্ত্রক ;হাইড্রোকার্বন মহানির্দেশনালয়, শিল্পসংস্হা এবং শিক্ষা গবেষনা জগতের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। আগামী ১০ বছরের জন্য এই কমিটি কার্যকর থাকবে এবং নতুন এই নীতিতে প্রস্তাবিত আর্থিক সুযোগ-সুবিধাগুলি ১২০ মাসের জন্য পাওয়া যাবে। দেশের খনিজ তেল ক্ষেত্রে আগামী ২০ বছরে ১২০ মিলিয়ন মেট্রিক টন অতিরিক্ত খনিজ তেল উৎপাদন এবং ৫২ বিলিয়ন ঘনমিটার অতিরিক্ত গ্যাস উৎপাদনের লক্ষ্যেই এই নীতিকাঠামো প্রণয়ন করা হয়েছে।",তেল আৰু গেছ উত্তোলনত উন্নত পদ্ধতি ব্যৱহাৰত উৎসাহিত কৰিবলৈ নীতিগত পৰিকাঠামোত কেবিনেট��� অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%AD%E0%A7%A8-%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%B0-2/,"আমার প্রিয় দেশবাসী, স্বাধীনতার পবিত্র উৎসবে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আজ দেশ একটি আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ স্বপ্নকে সংকল্পের সঙ্গে পরিশ্রমের সাহায্যে দেশ এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আজকের সূর্যোদয় একটি নতুন চেতনা, নতুন আকাঙ্খা, নতুন উৎসাহ, নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে এসেছে। আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদের দেশে বারো বছরে একবার নীল কুরঞ্জি ফুল ফোটে। এবছর দক্ষিণের নীলিগিরি পাহাড়ে আমাদের এই নীল কুরঞ্জি ফুল, মনে করুন, তেরঙ্গা ঝাণ্ডার অশোক চক্রের মতো দেশের স্বাধীনতার স্বাধীনতার উৎসবের বাতাসে দোল খাচ্ছে। আমার প্রিয় দেশবাসী, স্বাধীনতার এই উৎসব আমরা তখন পালন করছি, যখন উত্তরাখণ্ড, হিমাচল, মণিপুর, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ — এইসব রাজ্যের মেয়েরা সাত সমুদ্র পার করেছেন। আর, সমুদ্রকে ত্রিবর্ণরঞ্জিত করে আমাদের মধ্যে ফিরে এসেছেন। আমার প্রিয় দেশবাসী, আমরা স্বাধীনতার উৎসব এমন সময় পালন করছি, যখন ইতিমধ্যেই অনেকবার এভারেস্ট বিজয় হয়ে গেছে, আমাদের অনেক বীরেরা, আমাদের অনেক মহিলারা এভারেস্টে তেরঙ্গা পতাকা উড়িয়েছেন। কিন্তু এবারের এই স্বাধীনতার উৎসব পালনের সময় একথা মনে রাখব যে, আমাদের দূর সুদূর জঙ্গলে বসবাসকারী ছোট ছোট আদিবাসী বাচ্চারা এভারেস্টে ভারতের ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করে ভারতের তেরঙ্গা পতাকার সম্মান আরও বৃদ্ধি করেছে। আমার প্রিয় দেশবাসী, এই সবে লোকসভা-রাজ্যসভার অধিবেশন সম্পন্ন হয়েছে। আর আপনারা হয়তো দেখেছেন, অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আরেকভাবে দেখলে, সংসদের এই অধিবেশন সম্পূর্ণ রূপে সামাজিক ন্যায়ের প্রতি উৎসর্গীকৃত ছিল। দলিত, পীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত ও মহিলাদের অধিকার রক্ষার জন্য আমাদের সাংসদরা সংবেদনশীলতা ও সচেতনতার সঙ্গে সামাজিক ন্যায়কে আরও অধিক শক্তিশালী করে তুলেছেন। ওবিসি কমিশনকে বছরের পর বছর ধরে সাংবিধানিক মর্যাদা প্রদানের দাবী উঠছিল। এবার সংসদ অনগ্রসর ও অতি-অনগ্রসরদের এই কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদা দিয়ে, এক সাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রদান করে, তাঁদের অধিকার রক্ষার চেষ্টা করেছে। আমরা আজ সেই সময় স্বাধীনতার উৎসব পালন করছি, যখ��� আমাদের দেশে এই খবরগুলি এক নতুন চেতনার সঞ্চার করেছে। প্রত্যেক ভারতীয়, তা তিনি বিশ্বের যে কোনও প্রান্তেই থাকুন না কেন, আজ এই নিয়ে গর্ব করছেন যে, ভারত বিশ্বে ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এমন এক ইতিবাচক আবহ, ইতিবাচক ঘটনা পরম্পরার মধ্যে, আজ আমরা স্বাধীনতার উৎসব পালন করছি। দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য পূজনীয় বাপুজীর নেতৃত্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, যৌবন জেলে কাটিয়েছেন, ওই বিপ্লবী মহাপুরুষরা ফাঁসিকাঠে প্রাণ দিতে, দেশের স্বাধীনতার জন্য ফাঁসির রজ্জুকে চুম্বন করেছেন। আমি আজ দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের হৃদয় থেকে প্রণাম জানাই, অন্তরের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। যে ত্রিবর্ণরঞ্জিত মর্যাদা অহংকার ও শৌর্য আমাদের বেঁচে থাকা, লড়াই করা ও আত্মবলিদানের প্ররণা জোগায়, সেই তেরঙ্গার মর্যাদার জন্য দেশের সেনাবাহিনীর জওয়ানরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন। আমাদের আধাসামরিক বাহিনীর সৈন্যরা জীবন উৎসর্গ করেন, আমাদের পুলিশের জওয়ানরা সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য দিনরাত দেশের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। আমি সকল সেনা জওয়ানদের, আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানদের, পুলিশের জওয়ানদের এই মহান সেবার জন্য, তাঁদের ত্যাগ ও তপস্যার জন্য, তাঁদের পরাক্রম ও শৌর্যের জন্য, আজ তেরঙ্গা পতাকার পাশে দাঁড়িয়ে, লালকেল্লার প্রাকার থেকে শত শত প্রণাম জানাই, আর তাঁদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আজকাল দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভাল বৃষ্টির খবর আসছে। কিন্তু পাশাপাশি বন্যার খবরও আসছে। অতিবৃষ্টি এবং বন্যার ফলে যে সব পরিবার তাঁদের স্বজনদের হারিয়েছেন, যাদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তাঁদের সবার পাশে দেশ পূর্ণ প্রাণশক্তি নিয়ে তাঁদের সাহায্যে দাঁড়িয়ে আছে। আর যাঁরা স্বজন হারিয়েছেন, তাঁদের দুঃখের আমি সহমর্মী। আমার প্রিয় দেশবাসী, পরবর্তী বৈশাখীতে আমাদের জালিয়ানওয়ালা বাগের সেই গণহত্যার শতবর্ষ পূর্ণ হচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষ দেশের স্বাধীনতার জন্য কিভাবে জীবন বাজি রেখেছিলেন আর অত্যাচারের মাত্রা কতটা বেড়ে গিয়েছিল। জালিয়ানওয়ালা বাগ আমাদের দেশের সেই বীরেদের ত্যাগ আর বলিদানের বার্তা দেয়। আমি সেই সব বীরেদের হৃদয় থেকে, সম্মানের সঙ্গে তাঁদের নমস্কার করছি। আমার প্রিয় দেশবাসী, স্বাধীনতা এমনিতে এসে যায়নি। পূজনীয় বাপুর নেতৃত্ব�� মহাপুরুষ, অনেক বীর পুরুষ, বিপ্লবীদের নেতৃত্বে অনেক যুবক সত্যাগ্রহ পালনকারী অনেক তরুণ তাঁদের যৌবন কারাগারেই কাটিয়রে দিয়েছেন। দেশকে স্বাধীন করেছেন, কিন্তু স্বাধীনতার এই সংগ্রামে নিজেদের স্বপ্নকে স্থান দেননি। ভারতের সুন্দর রূপই তাঁরা তাঁদের অন্তরে স্থান দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার বহু বছর আগে তামিলনাড়ুতে রাষ্ট্রকবি সুব্রহ্মণ্যম ভারতী নিজের স্বপ্নকে শব্দে সাজিয়েছিলেন। উনি লিখেছিলেন- (এলারুম অমরনিলিই এডুমনন India অলিগিরি কু অলিকুম India উলাগিরি কু অলিকুম) আর উনি লিখেছেন, এলারুম অমরনিলিই এডুমনন ইন্ডিয়া অলিগিরি কু অলিকুম ইন্ডিয়া কুলাগিরি কু অলিকুম অর্থাৎ, ভারত তাঁর স্বাধীনতার পর কি স্বপ্ন দেখেছিল? সুব্রহ্মণ্যম ভারতী বলেছেন, ভারত সারা পৃথিবীর সব দিকের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির জন্য পথ দেখাবে। আমার প্রিয় দেশবাসী, এই মহাপুরুষদের স্বপ্নকে পূর্ণ করার জন্য, স্বাধীনতার সেনানীদের ইচ্ছাকে পূরণ করার জন্য, দেশের কোটি কোটি জনতার আশা-আকাঙ্খাকে পূর্ণ করার জন্য স্বাধীনতার পর পূজনীয় বাবা সাহেব আম্বেদকরের নেতৃত্বে ভারত এক সমতার সংবিধান তৈরি করেছিলেন। এই সমতার সংবিধান এক নতুন ভারত নির্মাণের সংকল্প নিয়ে এসেছিল। আমাদের জন্য কিছু দায়দায়িত্ব নিয়ে এসেছিল। আমাদের জন্য সীমারেখা নির্ধারণ করে এসেছিল। আমাদের স্বপ্নগুলি পূরণ করার জন্য সমাজের প্রত্যেক বর্গকে সমস্ত স্তরকে, ভারতের প্রত্যেক সমানভাবে সুযোগ দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, আমাদের সংবধান এই জন্য পথনির্দেশ করে চলেছে। আমার প্রিয় ভাই-বোনেরা, আমাদের সংবিধান আমাদের বলে যে, ভারতের তেরঙ্গার থেকে আমরা প্রেরণা পাই – গরিব মানুষ যেন ন্যায় পান, প্রত্যেক নাগরিক যেন প্রগতির সুযোগ পায়, আমাদের নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চ-মধ্যবিত্ত – তাদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেন কোনও বাধা না আসে, সরকারের প্রতিবন্ধকতা না আসে। সমাজ ব্যবস্থা যেন তাঁদের স্বপ্নকে গ্রাস না করে। তাঁরা যেন সর্বাধিক সুযোগ পান। তাঁরা যতটা প্রস্ফূটিত হতে চান, বিকশিত হতে চান, আমরা এক পরিবেশ বানাই। আমাদের প্রবীণরাই হোন, আমাদের দিব্যাঙ্গরাই হোন, আমাদের মেয়েরা হোন, আমাদের দলিত, পীড়িত, আমাদের জঙ্গলে জীবন অতিবাহিত করা আদিবাসী ভাই-বোনই হোন, প্রত্যেকের আশা আর আকাঙ্খা অনুসারে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ যেন থাকে। এক আত্মনির্ভর ভারত হোক, এক সমর্থ ভারত হোক, বি���াশের নিরন্তর গতি বজায় রাখার, লাগাতার নতুন নতুন উচ্চতা পার করার ভারত হোক, পৃথিবীতে ভারতের নামে গর্ব হোক, আর এটুকুই নয়, আমি চাই বিশ্বে ভারতের নামে একটা চমক থাকুক। আমরা এমন একটা ভারত বানাতে চাই। আমার প্রিয় দেশবাসী, আমি আগেও Team India-র কল্পনা আপনাদের সামনে পেশ করেছি। যখন সোয়াশো কোটি দেশবাসীর অংশগ্রহণ হয়, প্রত্যেক মানুষ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন। সোয়াশো কোটি স্বপ্ন, সোয়াশো কোটির সংকল্প, সোয়াশো কোটির শৌর্য যখন নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে সঠিক দিশায় চলতে শুরু করে তখন কি না হতে পারে? আমার প্রিয় ভাই-বোনেরা, আমি আজ খুব নম্রতা ও বিনয়ের সঙ্গে, একথা অবশ্যই বলতে চাই যে, ২০১৪-তে এই দেশের সোয়া কোটি নাগরিক যে একটি সরকার নির্বাচিত করেছিল, তাঁরা শুধু সরকার নির্বাচিত করেই থামেনি। তাঁরা দেশ নির্মাণের জন্য জোটবদ্ধ আছে, জোটবদ্ধ ছিল এবং জোটবদ্ধ থাকবে। আমি বুঝতে পারি, এটাই তো আমাদের দেশের শক্তি। সোয়াশো কোটি দেশবাসী, ভারতের ছয় লাখের বেশি গ্রাম – আজ শ্রী অরবিন্দর জন্মজয়ন্তী। শ্রী অরবিন্দ খুব সঠিক কথা বলেছিলেন। রাষ্ট্র কি, আমাদের মাতৃভূমি কি, এটি কোনও জমির টুকরো নয়, শুধু একটি সম্বোধন নয়, এমনকি এটা কোনও নতুন কল্পনাও নয়। রাষ্ট্র এক বিশাল শক্তি, যা অসংখ্য ছোটো ছোট এককের সংগঠিত শক্তিকে মূর্ত রূপ দেয়। শ্রী অরবিন্দের এই কল্পনাই আজ দেশের প্রত্যেক নাগরিককে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে যুক্ত করছে। কিন্তু আমরা এগিয়ে চলেছি, এটা ততক্ষণ আমরা বুঝতে পারি না, যতক্ষণ না আমরা কোথা থেকে চলা শুরু করেছি, তাঁর দিকে আমরা নজর দেই। কোথা থেকে আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম, আমরা যদি সেদিকে না তাকাই, কততা চলেছি, তাঁর সম্ভবত আন্দাজ করতে পারবো না। আর তাই, ২০১৩-তে আমাদের দেশ যে গতিতে চলছিল, জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে ২০১৩-তে যে গতি ছিল, সেই ২০১৩-র গতি যদি আমরা ভিত্তি মনে করি, তাহলে গত চার বছরে যে কাজ হয়েছে, সেই কাজের যদি নিরীক্ষা করা যায়, তো আপনি আশ্চর্য হবেন যে দেশের গতি কতটা, গতি কি, প্রগতি কতটা এগিয়ে যাচ্ছে। শৌচালয়ের হিসাবই নিয়ে নিন। শৌচালয় বানানোয় ২০১৩-তে যে গতি ছিল, সেই গতিতে চললে কয়েক দশক পার হয়ে যেত, শৌচালয় ১০০ শতাংশ লক্ষ্যে পৌছতে। আমরা যদি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌছানোর কথাই বলি, যদি ২০১৩-র ভিত্তিতে ভাবি তো গ্রামে বিদ্যুৎ পৌছতে সম্ভবত এক-দুই দশক লেগে যেত। আমরা যদি ২০১৩-র গতি দেখি তো গরিবকে এলপিজি গ্যাস কানেকশন দিতে, গরিব মা কে ধোঁয়ামুক্ত উনুন দিতে, যদি ২০১৩-র গতিতে চলতাম তো সেই কাজ পুরো করতে বোধ হয় ১০০ বছরও কম হয়ে যেত—যদি ২০১৩-র গতিতে আমরা চলতাম। আমরা যদি ১৩-র গতিতে optical fibre network করতাম, optical fibre লাগানোর কাজ করতাম, তো বোধ হয় কয়েক প্রজন্ম লেগে যেত, সেই গতিতে optical fibre ভারতের গ্রামে পৌছানোর জন্য। এই তীব্রতা, এই গতি, এই গ্রগতি, এই লক্ষ্য – তাকে পেতে আমরা এগিয়ে যাব। ভাই-বোনেরা, দেশের প্রত্যাশা অনেক বেশি, দেশের প্রয়োজনও অনেক আর তাকে পুরো করা, সরকার হোক বা সমাজ হোক, রাজ্য সরকার হোক – সবাইকে মিলেমিশে প্রচেষ্টা করা নিরন্তর প্রয়োজন হয়। আর তারই ফলশ্রুতিতে আজ দেশে কিরকম পরিবর্তন এসেছে। দেশ একই আছে, ভূমিও একই আছে, হাওয়াও একই, আকাশও একই, সমুদ্রও একই, সরকারি দপ্তর একই, ফাইলগুলিও একই, নির্ণয় প্রক্রিয়ায় থাকা মানুষগুলিও একই আছে। কিন্তু চার বছরে দেশে পরিবর্তন অনুভব করা যাচ্ছে। দেশ এক নতুন চেতনা, নতুন আশা, নতুন শপথ, নতুন সাধ, নতুন সামর্থ্য, তাকে আগে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আর সেই কারণেই দেশ আজ দ্বিগুণ মহাসড়ক বানাচ্ছে। চার গুণ ঘর বানাছে গ্রামীণদের জন্য। দেশ আজ রেকর্ড আনাজ উৎপাদন করছে, আবার দেশ আজ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় মোবাইল ফোনের উৎপাদন করছে। দেশ আজ উল্লেখযোগ্য ট্রাক্টর কিনছে। গ্রামের কিষাণ ট্রাক্টর, উল্লেখযোগ্য ট্রাক্টর কিনছে, আর অন্যদিকে দেশে আজ স্বাধীনতার পর সবথেকে বেশি উড়োজাহাজ কেনার কাজ চলছে। দেশ আজ স্কুলগুলিতে শৌচালয় বানানোর কাজও চলছে, তো দেশে নতুন আইআইএম, নতুন এইম্‌স-এর স্থাপনাও হচ্ছে। দেশে আজ ছোট ছোট জায়গায় দক্ষতা বৃদ্ধি লক্ষে এগিয়ে নিয়ে নতুন নতুন কেন্দ্র খুলছে, আর আমাদের টিয়ার-২, টিয়ার-৩ শহরে স্টার্ট আপের এক বন্যাই এসে গেছে, বাহার এসে গিয়েছে। ভাই ও বোনেরা, আজ গ্রামের পর গ্রাম Digital India নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তো এক সংবেদনশীল সরকার Digital ভারত যাতে হয়, তাঁর জন্য কাজ করছে। অন্যদিকে আমাদের যে দিব্যাঙ্গ ভাইয়েরা আছেন, তাদের জন্য Common Sign, তাঁর Directory বানানোর কাজও ততটাই মন দিয়ে করছে আমাদের দেশ। আমাদের দেশের কিষাণ এই আধুনিকতা, বিজ্ঞান-মনস্কতার দিকে যাওয়ার জন্য Micro-irrigation, Drip-irrigation, sprinkle এর উপর কাজ করছে, তো অন্যদিকে ৯৯টি পুরনো বন্ধ হয়ে গিয়ে থাকা সেচের বড় বড় প্রজেক্টও চালাচ্ছে। আমাদের দেশের সেনারা কোনও জায়গায় প্রাকৃতিক বিপদ হলে পৌঁছে যান। সঙ্কটে পড়া মানুষকে রক্ষার জন্য আমাদের সেনারা করুণা, মায়া, মমতার সঙ্গে পৌঁছে যান। কিন্তু সেই সেনা যখন শপথ নিয়ে চলতে শুরু করে, তখন Surgical Strike করে শত্রুকে পরাস্ত করে চলে আসে। এই আমাদের দেশের বিকাশের Canvas কত বড়, একদিকে দেখুন, অন্যদিকে দেখুন। দেশ পুরো বিরাট canvas-এ আজ নতুন আশা আর নতুন উৎসাহর সঙ্গে আগে এগোচ্ছে। আমি গুজরাট থেকে এসেছি। গুজরাটে একটি প্রবাদ আছে, ‘নিশানচুক মাফ, লেকিন নেহি মাফ নিচু নিশান’। অর্থাৎ, Aim-টা বড় হওয়া চাই, স্বপ্নটা বড় হতে হবে। তার জন্য পরিশ্রম করতে হবে, জবাব দিতে হয়। কিন্তু যদি লক্ষ্যটা বড় না হয়, লক্ষ্য যদি দূরের দিকে না থাকে, তো সমাধানও হয় না। বিকাশের যাত্রাও আটকে যায়। আর তাই, আমার প্রিয় ভাই বোনেরা, আমাদের জন্য দরকার হল, আমরা লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শপথের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার দিশায় চেষ্টা করি। লক্ষ্য যখন অনির্দিষ্ট থাকে, তখন মানসিক শক্তি উচ্চতা পায় না, তখন সমাজ জীবনের জরুরি সিদ্ধান্তগুলিও বছরে পর বছর আটকে পড়ে থাকে।",লালকিল্লাৰ আবেষ্টনীৰ পৰা ৭২সংখ্যক স্বাধীনতা দিৱস উপলক্ষে দেশবাসীক উদ্দেশ্যি প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদীয়ে আগবঢ়োৱা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%97%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8-2/,"তথ্যপ্রযুক্তি-ভিত্তিকবহু উদ্দেশ্যসাধক ‘প্রগতি’র মঞ্চে সক্রিয় প্রশাসন এবং কর্মসূচির সময়োচিত রূপায়ণসম্পর্কে এক আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আজ নেতৃত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদী। এরআগে, ‘প্রগতি’র মঞ্চে অনুষ্ঠিত ২২টি বৈঠকে ৯.৩১ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগে ২০০টিকেন্দ্রীয় প্রকল্প ও কর্মসূচির পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৭টি ক্ষেত্রেনাগরিকদের ক্ষোভ ও অভিযোগ সম্পর্কিত সমস্যাগুলির নিষ্পত্তিতে গৃহীত ব্যবস্থাসম্পর্কেও তিনি খোঁজখবর নেন। আজ‘প্রগতি’র মঞ্চে ২৩তম বৈঠকে ক্রেতাসাধারণের অভিযোগ সম্পর্কিত বিষয়গুলির মোকাবিলায়গৃহীত ব্যবস্থাদির অগ্রগতির বিষয়টি খতিয়ে দেখেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ধরনেরঅভিযোগগুলির নিষ্পত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়গুলি সম্পর্কে আজ বৈঠকে তাঁকেবিশদভাবে অবহিত করা হয়। ক্রেতাসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ ও অভিযোগের মাত্রা বৃদ্ধিপাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মোকাবিলায় উপযুক্ত প্রশাসনিক পদক্ষ��পগ্রহণের ওপর আজ বিশেষ জোর দেন তিনি। রেল,সড়ক, বিদ্যুৎ, পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি সহ ৯টি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো প্রকল্পেররূপায়ণ ও অগ্রগতির বিষয়টিও আজ পর্যালোচনা করেন তিনি। উত্তরাখণ্ড, ওড়িশা,পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরল, নাগাল্যান্ড, অসম, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানাএবং অন্ধ্রপ্রদেশে রূপায়িত হচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের এইপ্রকল্পগুলি। ‘প্রধানমন্ত্রীখনিজ ক্ষেত্র কল্যাণ যোজনা’ রূপায়ণ সম্পর্কেও আজ খোঁজখবর নেন শ্রী মোদী।যেজেলাগুলি প্রকল্প রূপায়ণের দিক থেকে এখনও পিছিয়ে রয়েছে, সেখানে ঘাটতি পূরণ করতেএবংরূপায়ণ সম্পর্কিত কাজকর্মে গতি সঞ্চার করতে জেলা খনিজ ফাউন্ডেশনের (ডিএমএফ) তহবিলব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের স্বাধীনতা লাভের ৭৫তমবর্ষে, অর্থাৎ আগামী ২০২২ সালের মধ্যে ধার্য লক্ষ্যমাত্রা পূরণে দ্রুত গতিতে কাজকরে যাওয়া এখন একান্ত জরুরি।",প্ৰগতিৰ জৰিয়তে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ বাৰ্তালাপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B-14/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8-%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%9B-2/,"নয়াদিল্লি, ০৭ অগাস্ট, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মহিলাদের জ্যাভলিন থ্রো-এ ব্রোঞ্জ পদক জয়ী অন্নু রানীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “অন্নু রানী একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়। তিনি তাঁর ক্রীড়া নৈপুণ্য ও সর্বোচ্চ দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। জ্যাভলিনে তাঁর ব্রোঞ্জ পদক জয়ে আমি আনন্দিত। তাঁকে অভিনন্দন জানাই। আমি নিশ্চিত, আগামী দিনেও তিনি এই শ্রেষ্ঠত্বের ধারাটি বজায় রাখবেন। #Cheer4India""।",২০২২ বৰ্ষৰ কমনৱেল্থ গেমছত মহিলাৰ জেভেলিন থ্ৰ’ত ব্ৰঞ্জৰ পদক জয় কৰাৰ বাবে অন্নু ৰাণীক অভিনন্দন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE/,"মাননীয় রাষ্ট্রপতি মুন, এখানে উপস্থিত সম্মানিত প্রতিনিধিবৃন্দ, সংবাদ মাধ্যমের বন্ধুগণ। রাষ্ট্রপতি মুন-এর প্রথমবার সরকারিভাবে ভারত সফর উপলক্ষে তাঁকে স্বাগত জানানো আমার জন্য অত্যন্�� আনন্দের বিষয়। প্রায় এক বছর আগে হেমবার্গে আয়োজিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি মুন-এর সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল। তখনই আমি তাঁকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানাই। আজ গোটা বিশ্ব কোরিয়া উপদ্বীপের সমস্ত ঘটনাক্রমের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করছে। এরকম সময়ে নিজের ব্যস্ত কর্মসূচির মধ্য থেকে সময় বের করে তিনি ভারত সফরে এসেছেন। সেজন্য আমি তাঁকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাই। বন্ধুগণ, আমরা অনেকেই জানি না যে, ভারত ও কোরিয়ার মধ্যে এক প্রকার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। কয়েক শতাব্দী আগে অযোধ্যার এক রাজকুমারী সূরীরত্নার সঙ্গে কোরিয়ার রাজার বিয়ে হয়েছিল। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, আজও কোরিয়ার লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের সেই দম্পতির বংশধর বলে মনে করেন। বর্তমানেও ভারত ও কোরিয়ার মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। কোরিয়ার যুদ্ধের সময়ে ভারতে প্যারাস্যুট ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের অনুপম সেবার কথা আজও কোরিয়ার মানুষের মুখে মুখে ফেরে। বন্ধুগণ, কোরিয়া সাধারণতন্ত্রে আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়ন বিশ্বে এক অতুলনীয় উদাহরণ স্থাপন করেছে। কোরিয়ার মানুষ দেখিয়ে দিয়েছেন যে, দূরদৃষ্টি ও দেশের প্রতি ভালোবাসা যখন স্থির লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলে, তখন অসম্ভব মনে হওয়া উন্নয়নও সম্ভব হতে পারে। কোরিয়ার এই উন্নয়ন ভারতের জন্য প্রেরণার উৎস। এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে কোরিয়ার কোম্পানিগুলি শুধু ভারতে বৃহৎ বিনিয়োগ করেই থেমে থাকেনি, আমাদের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অভিযানে অংশগ্রহণ করে ভারতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করেছে। নিজেদের উৎকর্ষের প্রতি দায়বদ্ধতা বজায় রেখে কোরিয়ার কোম্পানিগুলি উৎপাদিত পণ্য ভারতের বাড়িতে বাড়িতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বন্ধুগণ, আমাদের আজকের আলোচনায় আমরা শুধুই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলিনি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও খোলা মনে কথা বলেছি। আমি মনে করি যে, নীতিগত স্তরে ভারতের ‘পূবের জন্য কাজ কর নীতি’ আর কোরিয়া সাধারণতন্ত্রের ‘নতুন দক্ষিণমুখী কৌশল’-এর মধ্যে স্বাভাবিক মিল রয়েছে। আমি রাষ্ট্রপতি মুনের এই ভাবনাকে আন্তরিক স্বাগত জানাই যে ভারত ও কোরিয়া সাধারণতন্ত্রের পারস্পরিক সম্পর্ক তাদের নতুন দক্ষিণমুখী কৌশলের একটি প্রধান ভিত্তিস্তম্ভ। আমাদের আলোচনার ফলস্বরূপ একটি দৃষ্টিভঙ্গীমূলক বিবৃতি জারি করা হচ্ছে। আমাদের অগ্রাধিকার হ’ল, পারস্পরিক বিশেষ প্র���ৌশলগত অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করা। এই সম্পর্কের একটি স্তম্ভ হ’ল আমাদের আর্থিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক। আজ কিছুক্ষণ পরই আমরা উভয় দেশের বড় কোম্পানিগুলির সিইও-দের সঙ্গে আলোচনায় বসব। আশা করি, আমাদের পারস্পরিক বাণিজ্যিক লেনদেন এবং বিনিয়োগ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে তাঁদের কার্যকরি উপদেশ পাব। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমরা নিজেদের ‘কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট’-কে উন্নত করার লক্ষ্যে আজ ‘আর্লি হারভেস্ট প্যাকেজ’ রূপে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ ও বিশ্বময় দ্রুত প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের দিকে তাকিয়ে আমরা যৌথভাবে ‘উদ্ভাবন সহযোগিতা কেন্দ্র’ স্থাপন করা এবং ‘ফিউচার স্ট্র্যাটেজি গ্রুপ’ গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বন্ধুগণ, কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তি প্রক্রিয়াকে গতিপ্রদান, সঠিক পথে চালিত করা এবং এর প্রগতির সম্পূর্ণ কৃতিত্ব রাষ্ট্রপতি মুন-এর। আমি মনে করি, আজ যে ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে উঠেছে, তার পেছনে রাষ্ট্রপতি মুনের অসীম অবদান রয়েছে। সেজন্য আমি রাষ্ট্রপতি মুন-কে অভিনন্দন জানাই। আমাদের আজকের আলোচনার সময় আমি তাঁকে বলেছি যে, উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ এশিয়ার ‘প্রলিফের‍্যাশন লিঙ্কস’ ভারতের জন্যেও চিন্তার বিষয়। আর সেজন্যে এই শান্তি প্রক্রিয়ার সাফল্যে ভারতও একটি সংশ্লিষ্ট পক্ষ। এই অঞ্চলে উত্তেজনা কম করার ক্ষেত্রে যে রকম সহযোগিতা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব, তা আমরা অবশ্যই করবো। সচিব স্তরে ২+২ আলোচনা আর মন্ত্রীস্তরে ‘জয়েন্ট কমিশন’ এর পরবর্তী সাক্ষাতে এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। বন্ধুগণ, আমি আরেকবার রাষ্ট্রপতি মুন, তাঁর শ্রদ্ধেয়া স্ত্রী এবং তাঁদের সঙ্গে আসা প্রতিনিধিদলের বিশিষ্ট সদস্যদের ভারতে আন্তরিক স্বাগত জানাই। আগামীদিনে তাঁর সকল শান্তিপ্রচেষ্টা যেন সফল হয় এই কামনা করে আমার নিজের পক্ষ থেকে এবং একশো পচিশ কোটি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। দাসী-মান্নায়ো। (আবার দেখা হবে) গোম্প-সুমনিদা। (ধন্যবাদ) আমরা আবার মিলিত হবো। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",দক্ষিণ কোৰিয়াৰ ভাৰত ভ্ৰমণ কালত যুটীয়া সংবাদমেলত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ প্ৰেছ বিবৃতি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A4-%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%B8-2/,"নতুনদিল্লি, ১৩ই মার্চ, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গতকাল গুজরাটের জেলা পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে আলোচনার সময় গ্রামোন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য জল শক্তির মত বিষয়গুলি বিশেষ গুরুত্ব পায়। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “গতকাল গুজরাটের জেলা পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে দারুণ বৈঠক হয়েছে। আলোচনার সময় গ্রামোন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য জল শক্তির মত বিষয়গুলি নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি”। /",গুজৰাটৰ জিলা পঞ্চায়তৰ সদস্যসকলৰে মিলিত প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%97/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A6%AC/,"নয়াদিল্লি, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লির কস্তুরবা মার্গ ও আফ্রিকা এভিনিউ-এ প্রতিরক্ষা বিভাগের অফিস কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন। তিনি আফ্রিকা এভিনিউ-এ প্রতিরক্ষা বিভাগের অফিস কমপ্লেক্স ঘুরে দেখেন এবং সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী, বিমানবাহিনী ও অসামরিক আধিকারিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলেন, আজ যে কমপ্লেক্সের উদ্বোধন হ’ল তার মধ্য দিয়ে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে নতুন ভারতের প্রয়োজনীয়তা ও উচ্চাকাঙ্খার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হ’ল। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত এই কাজ অনেক আগেই হওয়া উচিৎ ছিল। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় যেসব খুপরিতে ঘোড়া রাখা থাকতো বা ব্যারাকের চাহিদা মেটানো হ’ত, সেখান থেকেই দীর্ঘদিন ধরে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কাজ করা হয়েছে। “নতুন প্রতিরক্ষা অফিস কমপ্লেক্সটি আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। এখান থেকে আরও ভালোভাবে কাজ করা যাবে”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবি মার্গ ও আফ্রিকা এভিনিউ-এ তৈরি অত্যাধুনিক অফিসগুলি দেশের কাজ দক্ষভাবে পরিচালন করতে সাহায্য করবে। রাজধানীতে আধুনিক প্রতিরক্ষা কনক্লেভ নির্মাণ একটি বড় পদক্ষেপ। আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক হিসাবে এই কমপ্লেক্সে ভারতীয় শিল্পীরা যে শিল্প কর্মের নিদর্শন ফুটিয়ে তুলেছেন, তিনি তার প্রশংসা করেন। “এই কমপ্লেক্স আমাদের ���ংস্কৃতির বৈচিত্র্যের আধুনিক রূপ ফুটিয়ে তুলেছে। একই সঙ্গে, এটি দিল্লির ঐতিহ্য ও পরিবেশ সংরক্ষণে সাহায্য করবে”। শ্রী মোদী বলেন, যখন আমরা রাজধানী সম্পর্কে কথা বলি, তখন তার ভাবনা নিছক একটি শহরের মধ্যে আবদ্ধ থাকে না। যে কোনও দেশের রাজধানী সেই দেশের ভাবনা, সংকল্প, ক্ষমতা ও সংস্কৃতির প্রতীক। ভারত হ’ল গণতন্ত্রের জননী। তাই, ভারতের রাজধানী এমন হওয়া উচিৎ, যেখানে জনসাধারণ কেন্দ্রে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী আধুনিক পরিকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, সহজ জীবনযাত্রা ও সহজে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। “সেন্ট্রাল ভিস্তায় যে নির্মাণ কাজ চলেছে, তা এই ভাবনাকে অনুসরণ করছে”। রাজধানীর চাহিদা অনুযায়ী নতুন নির্মাণ কাজের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের নির্মাণ কাজ, যেমন – জনপ্রতিনিধিদের বাসভবন, বাবাসাহেব আম্বেদকরের স্মৃতি স্মারকগুলির রক্ষণা-বেক্ষনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাই, আজ রাজধানীতে আমাদের শহীদদের স্মৃতিগুলি রক্ষা করলে রাজধানী শহরের ঐতিহ্য বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিরক্ষা দপ্তরের অফিস কমপ্লেক্সের কাজ ১৪ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে। করোনা সময়কালে বহু শ্রমিক এখানে কাজ পেয়েছেন। শ্রী মোদী বলেন ভাবনাচিন্তার এই ধারার সরকারের কাজ করার পদ্ধতি থেকে এসেছে। “যখন নীতি ও উদ্দেশ্য স্বচ্ছ থাকে, ইচ্ছাশক্তি দৃঢ় হয় এবং উদ্দেশ্যগুলি সৎ হয়, তখন সবকিছু সম্ভব হয়”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিরক্ষা বিভাগের এই অফিসগুলি কর্মসংস্কৃতির পরিবর্তনের প্রতীক এবং সরকার কোন কোন ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিচ্ছে – তাও বোঝা যায়। বর্তমানে জমির সর্বোচ্চ ও যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আরও ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ১৩ একর জমির ওপর এই অফিস কমপ্লেক্সটি গড়ে উঠেছে। আগে এ ধরনের কাজে পাঁচ গুণ জমি ব্যবহার করা হ’ত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজাদি কা অমৃত কাল’ অর্থাৎ আগামী ২৫ বছরে সরকারি ব্যবস্থার উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতাকে বৃদ্ধি করতে এ ধরনের উদ্যোগ সাহায্য করবে। একটি অভিন্ন কেন্দ্রীয় সচিবালয়, কনফারেন্স হল – এর ব্যবস্থাপনা এবং সহজেই মেট্রোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ফলে রাজধানী নাগরিক-বান্ধব হয়ে উঠেছে বলে শ্রী মোদী মন্তব্য করেন।",প্রধানমন্ত্রীয়ে কস্তুৰবা গান্ধী মার্গ আৰু আফ্রিকা ��ভিনিউত প্রতিৰক্ষা দপ্তৰৰ অফিচ কমপ্লেক্সৰ উদ্বোধন কৰিছ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%AC-%E0%A6%9C%E0%A6%BF-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%97%E0%A7%81-2/,"নয়াদিল্লি, ২৮ আগস্ট, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গুরু গ্রন্থ সাহিব জির পবিত্র প্রকাশ পরব উপলক্ষে দেশবাসীকে বিশেষ করে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন : “আজ শ্রী গ্রন্থ সাহিব জির পবিত্র প্রকাশ পরব উপলক্ষে সকলকে বিশেষ করে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে আমার শুভেচ্ছা। গুরু গ্রন্থ সাহিব জির শিক্ষা আমাদের সমাজকে আরও ন্যায়পরায়ণ ও সহানুভুতিশীল করে তোলে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে শক্তি দেয়।”",প্রধানমন্ত্রীয়ে শ্ৰী গুৰু গ্ৰন্থ সাহিব জীৰ প্ৰকাশ পৰ্বৰ পৱিত্ৰ উপলক্ষে অভিনন্দন জনা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8-%E0%A6%8F%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A6%B8-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%9C-%E0%A6%8F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A6%86%E0%A6%87-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%87/,"সোমবারফিলিপিন্স-এর লস ব্যানোজ-এ আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা সংস্থা (আইআরআরআই)পরিদর্শনে যানপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ধান সম্পর্কে গবেষণা এবং বৈজ্ঞানিকচিন্তাভাবনার প্রসারের মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য হ্রাস করার ক্ষেত্রে একটিঅগ্রণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে চলেছে আইআরআরআই। সংস্থার লক্ষ্য হল, ধানেরউৎপাদক এবং তার ক্রেতাসাধারণের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত করা। সেইসঙ্গে, ভবিষ্যৎপ্রজন্মের জন্য ধানের ফলনের উপযোগী পরিবেশকে সুরক্ষাদানও এই সংস্থাটির এক বিশেষলক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বন্যার মতোপরিস্থিতি সত্ত্বেও বিভিন্ন জাতের ধান উৎপাদন অক্ষুণ্ণ এবং অব্যাহত রাখার পন্থা-পদ্ধতিসম্পর্কে আয়োজিত এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীও এই প্রতিষ্ঠানটিতে ঘুরে দেখেনপ্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন জাতের ধানের নমুনা তুলে ধরা হয়েছে এই প্রদর্শনীতে। কোন কোনজাতের ধানের উৎপাদন খরা পরিস্থিতি সত্ত্বেও অক্ষত থাকতে পারে। আবার, লবনাক্ত জলেওবেড়ে উঠতে পারে বেশ কিছু জাতের ধান গাছ। এ সমস্ত কিছুর ছবিই স্থান পেয়েছে এই চিত্রপ্রদর্শনীটিতে। এছাড়া, মহিলা পরিচালিত কৃষি সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গেআইআরআরআই-এর কর্মপ্রচেষ্ট��র কথাও তুলে ধরা হয় এই বিশেষ প্রদর্শনীতে। পরিবেশসহিষ্ণুজাতের ধান উৎপাদনের জন্য এক নতুন ধানক্ষেতে মাটি খননেরপ্রতীকি একঅনুষ্ঠানেঅংশগ্রহণ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ‘শ্রী নরেন্দ্র মোদী ধানক্ষেত গবেষণাকেন্দ্র’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে একটি ফলকের আবরণও উন্মোচন করেন তিনি।আইআরআরআই জিনব্যাঙ্কে দুটি ভিন্ন ভিন্ন জাতের ভারতীয় ধানের বীজ উপহার দেন তিনি। আইআরআরআইপরিদর্শনকালে এই প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত কয়েকজন ভারতীয় বিজ্ঞানীর সঙ্গেও আলোচনা ওমতবিনিময়ের মাধ্যমে মিলিত হন তিনি। ম্যানিলারমহাবীর ফিলিপিন ফাউন্ডেশনও এদিন পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত ও ফিলিপিন্স-এরমধ্যে এটি হল দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাওয়া মানবতাবাদী এক সমবায় প্রতিষ্ঠান। এরপ্রতিষ্ঠাতা ম্যানিলার ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মেয়র ডঃ রামন বগতসিং। মহাবীর বিকলাঙ্গসহায়তা সমিতির সঙ্গে সহযোগিতাক্রমে যাঁদের অঙ্গচ্ছেদ ঘটেছে, তাঁদের কাছে জয়পুর ফুট পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ফাউন্ডেশনএক দৃষ্টান্তমূলক কাজ করে চলেছে। জয়পুর ফুট ব্যবহার করে যাঁরা উপকৃত হয়েছেন,তাঁদের সঙ্গেও এদিন এক আলাপচারিতায় মিলিত হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।","আইআৰআৰআই, মহাবীৰ ফিলিপাইনছ ফাউণ্ডেছন পৰিদৰ্শন কৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%AC/,"যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অনুষ্ঠিত ‘ভারত কি বাত সব কে সাথ’ অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় মিলিত হন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি তাঁদের বিভিন্ন প্রশ্ন মনযোগ দিয়ে শোনেন এবং তার উত্তরও দেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে কিছু কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হল। রেল স্টেশনে যে মানুষটিকে দেখা গিয়েছিল তিনি ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর লন্ডনের রাজপ্রাসাদে যিনি আজ উপস্হিত রয়েছেন তিনি ১২৫ কোটি ভারতবাসীর সেবক। রেল স্টেশনের সেই জীবন থেকে আমি অনেক কিছুই শিক্ষালাভ করেছি। তা ছিল আমার এক ব্যক্তিগত সংগ্রামের অধ্যায়। আপনারা যখন রাজপ্রাসাদের কথা বলবেন তখন কিন্তু আমার সম্পর্কে কিছু বলবেন না, বলবেন ১২৫ কোটি ভারতবাসী সম্পর্কে। মানুষের উচ্চাশা বা উচ্চাকাঙ্খা কিন্তু কোন দিক দিয়েই মন্দ কিছু নয়। কোনও ব্যক্তির যদি একটি সাইকেল থাকে তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই তাঁর একটি স্কুটার কেনার বাসনা হতে পারে। আবারযদি কোনও ব্যক্তির একটি স্কুটার থাকে তাহলে তার একটি মোটরগাড়ি কেনার ইচ্ছা হতেই পারে। কারণ উচ্চাশা বা আশা-আকাঙ্খা মানুষের একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। একটি দেশ হিসাবে ভারতও এইভাবে উত্তরোত্তর উচ্চাকাঙ্খী হয়ে উঠছে। রেল স্টেশন আমার জীবনে সোনালী পৃষ্ঠা যা আমাকে বাঁচতে এবং লড়াই করে বাঁচতে শিখিয়েছে। যে মূহুর্তে আমাদের মনে আত্মসন্তুষ্টি জন্ম নেয়, জীবন আর সামনে এগোয় না। যুগে যুগে বাঁচার লড়াই জীবনের প্রত্যেক পর্যায়ে কিছু না কিছু নতুন প্রাপ্তির উৎসাহ যোগায়। ইতিহাসের বইতে স্হান পাওয়ার জন্য কিন্তু আমি জন্মগ্রহণ করি নি। তাই আমি আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ জানাই যে আমাদের দেশকে আপনারা মনে রাখুন, মোদীকে নয়। কারণ আমি আর সকলের মতোই ভারতের এক সাধারণ নাগরিক মাত্র। আমরা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি বলেই মানুষের মনে আমাদের প্রতি প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। অধৈর্য্য আমার জন্য প্রাণশক্তি। আর আপনারা যখন ‘সর্বজন হিতায়, সর্বজন সুখায়’ সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যান তখন নিরাশার প্রশ্নই ওঠে না। স্বাধীনতার আন্দোলনকালে মহাত্মা গান্ধী এমন কিছু করেছিলেন যা ছিল সবদিক থেকেই স্বতন্ত্র। স্বাধীনতা সংগ্রামকে তিনি একটি জন-আন্দোলেনর রূপ দিয়েছিলেন। প্রত্যেক ব্যক্তিকে তিনি এ কথাই বলেছিলেন যে এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকাকালীন আপনারা যে যতটুকুই করবেন সেই অবদানে উত্তরণ ঘটবে ভারতীয় স্বাধীনতার। আজকের দিনে যা সবথেকে বেশি প্রয়োজন তা হল উন্নয়নকে একটি জন-আন্দোলনে রূপান্তরিত করা। সকলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে যে গণতন্ত্রের উদ্ভব ঘটে তা সু-প্রশাসনকেই সম্ভব করে তোলে। আগের সরকার ও আমাদের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে কারণ যখন স্পষ্ট নীতি, স্বচ্ছ চিন্তাভাবনা এবং সৎ-উদ্দেশ্য থাকে তখন একই ব্যবস্হাকে সঙ্গে নিয়েও আপনারা ইপ্সিত পরিণাম পেতে পারেন। ভারতের ইতিহাসের দিকে একবার ফিরে তাকান। অন্য দেশের ভূখন্ড নিজের বলে ভারত কখনই দাবি করে না। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দিয়েছিল আমাদের সৈন্যরা। তা ছিল এক বড় ধরণের জীবনোৎসর্গের সময়। রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে আমাদের ভূমিকার কথাই এর বড় প্রমাণ। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। কিন্তু যারা সন্ত্রাস সৃষ্টি ক���তে চায় তাদের আমরা কোনভাবেই বরদাস্ত করব না। প্রয়োজনে আমাদের প্রত্যুত্তর এতটাই কঠোর হবে যা তারা বেশ ভালোভেবেই বুঝতে পারবে। সন্ত্রাসকে কখনই মদত দেওয়ার বিষয়টিতে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। সন্ত্রাস যারা ছড়িয়ে দিতে চায় তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই যে, ভারত কিন্তু এখন অনেকটাই বদলে গেছে। তাই তাদের ঐ সমস্ত কৌশল এখন আর কোনভাবেই কাজে লাগবে না। দারিদ্র কি তা উপলব্ধি করার জন্য আমার এখন আর কোনও বই পড়ার প্রয়োজন হয় না। কারণ আমি জন্মগ্রহণ করেছি এক দরিদ্র পরিবারে। তাই দারিদ্র কি এবং সমাজের অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষ হওয়ার জ্বালা কতখানি তা আমি বেশ ভালোভাবেই জানি। এই কারণেই দরিদ্র, প্রান্তিক এবং পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য আমি কাজ করে যেতে আগ্রহী। দেশের ১৮ হাজার গ্রামে কোনও বিদ্যুৎ ছিল না, শৌচাগারের সুযোগ-সুবিধা ছিল না দেশের অসংখ্য মহিলার জীবনে! এই কঠোর বাস্তবের কথা চিন্তা করে বিনিদ্র রাত কাটিয়েছি আমি। তাই দেশের দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনার সংকল্প আমি গ্রহণ করেছি। আমি আর পাঁচজন সাধারণ নাগরিকের মতোই। একজন সাধারণ স্বাভাবিক মানুষের যেমন ভুলভ্রান্তি, ত্রুটি বিচ্যুতি থাকে আমার মধ্যেও তা রয়েছে। গণতন্ত্র কোনও চুক্তিপত্র নয়। এটি অংশীদারিত্বের কাজ। সাধারণ মানুষের অনেক শক্তি থাকে আর তাদের ওপর যতো বেশি আস্হা রাখবেন পরিণামও তত ভালো আসবে। আমার মূলধন হলো- কঠোর পরিশ্রম, প্রমাণ সাপেক্ষ কাজ আর ১২৫ কোটি মানুষের ভালোবাসা। আমি ভারতবাসীর মনে আস্হা সৃষ্টি করেছি যে আমি ভুল করতে পারি, কিন্তু বাজে উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও কাজ করবো না। আমাদের সমস্যা হয়তো রয়েছে লক্ষ লক্ষ। কিন্তু তা সমাধান করার জন্য রয়েছেন দেশের কোটি কোটি মানুষ। ভগবান বাসবেশ্বর গণতন্ত্রের স্বার্থে সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন। আর সমাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার স্বার্থে অভুতপূর্ব কাজ করেছেন। লন্ডনে অন্যান্য কাজের মধ্যে আর একটি কাজ আমি করেছি, তা হল ভগবান বাসবেশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। গণতন্ত্র, সামাজিক চেতনা এবং নারী ক্ষমতায়ণের জন্য স্বার্থে ভগবান বাসবেশ্বর সকলের জন্য প্রেরণার উৎস। আমরা এমন একটি বাস্তুতন্ত্র গড়ে তুলতে চাই, যা সবার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করবে। আজ আমরা কৃষক কল্যাণের জন্য কাজ করছি, তা সে ২০২২ সালের মধ্যে কৃষি থেকে আয় দ্বিগুন বৃদ্ধি করা হোক, কিংবা নিম কোটিং-এর মাধ্য���ে ইউরিয়ার যোগান সুনিশ্চিত করা হোক- আমরা একটি নিশ্চিত লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। যে কোনও মাপকাঠি অনুসারে আমরা দেশের জন্য ভালো কাজ করার ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি রাখিনি। আজ আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে বসবাস করছি। আর নিজেদের প্রযুক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে পারি না। ভারতের ১২৫ কোটি মানুষকে আমি আমার একান্তই স্বজন বলে মনে করি। ভারত চোখ নামিয়ে নয়, চোখ রাঙিয়ে নয়, সকলের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলায় বিশ্বাস করে। এর আগে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইজরায়েল সফর করেননি। কিন্তু আমি যেমন ইজরায়েল সফরে যাব তেমনি আবার প্যালেস্টাইনেও সফর করব। একদিকে আমি যেমন ভারতের জ্বালানী চাহিদার প্রয়োজনে সৌদি আরবের সঙ্গে সহযোগিতার প্রসার ঘটাবো, অন্যদিকে তেমনই সহযোগিতা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব ইরানের সঙ্গেও। ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লিখে যাওয়া আমার লক্ষ্য নয়, আমার দেশের ১২৫ কোটি মানুষের মতোই আমি একজন সাধারণ মানুষ। গঠনমূলক সমালোচনা ছাড়া কোনও গণতন্ত্রই সফল হতে পারে না। আমি চাই যে আমাদের সরকার প্রয়োজনে সমালোচিত হোক, কারণ আমি মনে করি যে সমালোচনাই গণতন্ত্রকে আরও বলিষ্ঠ করে তোলে। সমালোচনা হলেও তাতে আমার কোনও আপত্তি বা সমস্যা নেই। তবে সমালোচনার জন্য অবশ্যই সবকিছু খুঁটিয়ে দেখে আসল তথ্য বের করা প্রয়োজন। কিন্তু দুঃখের বিষয় তা কিন্তু বর্তমানে ঘটছে না। বরং যা ঘটছে তা হল শুধু অভিযোগ। ইতিহাসের বই-এ স্হান পাওয়ার জন্য আমি জন্মগ্রহণ করিনি। তাই আমি আপনাদের সকলের কাছে আবেদন জানাবো যে আমাদের দেশকে আপনারা মনে রাখুন, মোদীকে নয়। আমি আপনাদের আর সকলের মতই ভারতের একজন সাধারণ নাগরিক মাত্র। /…",লণ্ডনত অনুষ্ঠিত ভাৰত কী বাত সবকে সাথ অনুষ্ঠানত সমগ্ৰ বিশ্বৰ অংশগ্ৰহণকাৰীসকলৰ সৈতে হোৱা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ মত বিনিময়ৰ কিয়দংশ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A7%9D-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%B1%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"নতুনদিল্লি, ১৩ই জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পবিত্র আষাঢ় পূর্ণিমা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি ভগবান বুদ্ধের মহান শিক্ষাদানকেও স্মরণ করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “পবিত্র আষাঢ় পূর্ণিমা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাই। আমরা ভগবান ব���দ্ধের মহান শিক্ষাদানকে স্মরণ করি এবং ন্যায় ও অন্যের দু;খে সহানুভূতিশীল সমাজ গঠনের জন্য তাঁর উপদেশ কার্যকর করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ”।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে পৱিত্ৰ আহাৰ পূৰ্ণিমা উপলক্ষে ভগৱান বুদ্ধৰ মহৎ শিক্ষাৰ কথা স্মৰণ কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%B8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশাদারি নিরাপত্তা এবং স্বাস্হ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতায় ভারত ও জার্মানীর মধ্যে চুক্তিতে অনুমোদন পেল। এই চুক্তি ২০১৮ সালের ১৩ই নভেম্বর স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তি ফলে পেশাদারি নিরাপত্তা এবং স্বাস্হ্য ক্ষেত্রে আধুনিক প্রশিক্ষণের বিভিন্ন কলাকৌশল ও প্রযুক্তির বিকাশ ঘটানো সম্ভব হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল সোস্যাল সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন (আএসএসএ) মাধ্যমে জার্মান সোস্যাল অ্যাক্সিডেন্ট ইনসিউরেন্স (ডিজিইউভি) নির্মাণ এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে কিভাবে ওএসএইচ চ্যালেঞ্জেস মোকাবিলা করবে, তা তুলে ধরা হয়েছে এই চুক্তিতে। একইসঙ্গে কর্মক্ষেত্রে কিভাবে স্বাস্হ্য ও সুরক্ষার উন্নতি এবং পেশাদারি আঘাত এবং রোগ থেকে রক্ষা পাবেন শ্রমিকরা এই চুক্তিতে তাও বলা হয়েছে। এই সহযোগিতার ফলে ডিরেক্টরেট জেনারেল ফ্যাক্টরি অ্যাডভাইস সার্ভিস এবং লেবার ইন্সটিটিউট (ডিজিএফএএসএলআই) দক্ষতা বৃদ্ধি সম্ভব হবে। একইসঙ্গে ওএসএইচ ক্ষেত্রে সমস্যা মোকাবিলা, ল্যাবেটরিস আধুনিকীকরণ এবং গবেষণা ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটিয়ে ভারতীয়দের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। /",বৃত্তিমূলক নিৰাপত্তা আৰু স্বাস্থ্যজনিত ক্ষেত্ৰত সহযোগিতাৰ লক্ষ্যৰে ভাৰত আৰু জাৰ্মানীৰ মাজত স্বাক্ষৰিত বুজাবুজি চুক্তিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%A7%E0%A7%AC-%E0%A6%93-%E0%A7%A7%E0%A7%AD-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%AC-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A7%A7/,"কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে এই সম্মেলন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ তিনটি বিষয়ের উপর বিস্তারিতভাবে আলোচনা হবে: এনইপি-র বাস্তবায়ন, শহরাঞ্চলের প্রশাসন এবং কৃষি কাজে বৈচিত্র্য আনা ও কৃষি পণ্যে আত্মনির্ভরতা অর্জন ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব : ২০৪৭ সালের জন্য পরিকল্পনা’ – বিষয়ের উপর বিশেষ অধিবেশন সহজে ব্যবসা-বাণিজ্য করা, বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া ও প্রান্তিক মানুষ যাতে সুবিধাগুলি পান, তা নিশ্চিত করা, পিএম গতি শক্তির মধ্য দিয়ে দেশের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং ক্ষমতা বৃদ্ধি – এই চারটি অতিরিক্ত বিষয় নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা হবে উচ্চাকাঙ্খী জেলাগুলির জন্য কর্মসূচি নিয়ে অধিবেশন সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি নিয়ে নীতি আয়োগের পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে আলোচনার পর বাস্তবায়নের জন্য চূড়ান্ত পরিকল্পনা করা হবে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় এইচপিসিএ স্টেডিয়ামে আগামী ১৬ ও ১৭ জুন মুখ্যসচিবদের প্রথম জাতীয় সম্মেলনে পৌরোহিত্য করবেন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মুখ্যসচিবদের জাতীয় সম্মেলন ১৫-১৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় সরকার, সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিরা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। ২০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি তিন দিন ধরে রাজ্যগুলির অংশীদারিত্বে দেশের দ্রুত ও স্থিতিশীল আর্থিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবেন। টিম ইন্ডিয়ার ধারনায় সকলে মিলে একযোগে কাজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। দেশের স্থিতিশীল উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা, সহজ জীবনযাত্রা ও কৃষি ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা অর্জনের জন্য সম্মেলনে আলোচনা করা হবে। এছাড়াও, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পর্যালোচনা ও বাস্তবায়ন এবং মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সম্মেলনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। গত ছ’মাস ধরে ১০০-রও বেশি আলোচনার পর সম্মেলনের আলোচ্যসূচী নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্মেলনে তিনটি বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোচনা হবে। এগুলি হ’ল – এনইপি-র বাস্তবায়ন, শহরাঞ্চলের প্রশাসন এবং কৃষি কাজে বৈচিত্র্য আনা ও কৃষি পণ্যে আত্মনির্ভরতা অর্জন। জাতীয় শিক্ষা নীতির মাধ্যমে বিদ্যালয় শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষার উন্নতিসাধন নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা করা হবে। এছাড়াও, বিভিন্ন রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সবচেয়ে ভালো উদ্যোগগ���লি নিয়ে মতবিনিময়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সম্মেলনে উচ্চাকাঙ্খী জেলাগুলির কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এখানে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলি কতটা লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে এবং তথ্য-ভিত্তিক প্রশাসন ও তৃণমূল স্তরের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সাফল্যের বিষয়ে নির্দিষ্ট জেলাগুলির তরুণ জেলাশাসকদের প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করা হবে। এছাড়াও, আরও চারটি অতিরিক্ত বিষয় নিয়েও সম্মেলনে আলোচনা হবে। এগুলি হ’ল – ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব: ২০৪৭ সালের জন্য পরিকল্পনা’ বিষয়ের উপর বিশেষ একটি অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও, সহজে ব্যবসা-বাণিজ্য করা, বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া ও প্রান্তিক মানুষ যাতে সুবিধাগুলি পান, তা নিশ্চিত করা, পিএম গতি শক্তির মধ্য দিয়ে দেশের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং ক্ষমতা বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলি নিয়ে মতবিনিময় করা হবে। এছাড়াও, আইজিওটি – মিশন কর্মযোগী বাস্তবায়ন নিয়েও অংশগ্রহণকারীরা আলোচনা করবেন। সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি নিয়ে নীতি আয়োগের পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে আলোচনার পর তা বাস্তবায়নের জন্য চূড়ান্ত পরিকল্পনা করা হবে। পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসকরা উপস্থিত থাকবেন। এর ফলে, সর্বোচ্চ স্তরে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে চূড়ান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে ১৬ আৰু ১৭ জুনত ধৰ্মশালাত মুখ্য সচিবৰ প্ৰথমখন ৰাষ্ট্ৰীয় সন্মিলনৰ অধ্যক্ষতা কৰি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E2%80%8C-%E0%A6%8F-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%85%E0%A6%9F%E0%A6%B2-%E0%A6%AC/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A6%9B%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D/,প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী (সোমবার ১১ জুন) অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস্‌)-এ চিকিৎসাধীন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী-কে দেখে আসেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোদী কথাবর্তা বলেন। চিকিৎসকদের কাছে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী এইমস্‌-এ প্রায় ৫০ মিনিট ছিলেন। …,এইমছত প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্ৰী অটল বিহাৰী বাজপেয়ীৰ স্বাস্থ্যৰ বুজ ল’লে প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80-%E0%A6%93-%E0%A6%8F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%8F%E0%A6%95/,"নয়াদিল্লি, ৩১ অক্টোবর, ২০২২ “সর্দার প্যাটেল জয়ন্তী এবং একতা দিবস বর্ষপঞ্জির শুধু দিনমাত্র নয়, তা হ’ল ভারতের সাংস্কৃতিক শক্তির এক বিশেষ উদযাপন। ভারতে ঐক্য গড়ে উঠেছে বাধ্যবাধকতার মধ্য দিয়ে নয়, বরং তা ছিল আমাদের দেশের এক অনুপম বৈশিষ্ট্য। আমাদের অনন্য সাধারণতার এক দৃষ্টান্তই হ’ল ঐক্যের মানসিকতা”। আজ স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’তে সর্দার প্যাটেলের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনকালে এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন রাষ্ট্রীয় একতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানেও যোগ দেন তিনি। বর্তমান বছরটিতে একতা দিবস উদযাপনের তাৎপর্যকে তুলে ধরে শ্রী মোদী বলেন, এই বছরটিতেই দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর আমরা উদযাপন করছি। সেই সঙ্গে, নতুন নতুন সংকল্পের মধ্য দিয়ে সুবিস্তৃত হচ্ছে আমাদের অগ্রগতির যাত্রাপথ। পরিবার, সমাজ তথা সমগ্র জাতির যাত্রাপথে ঐক্য হ’ল এক বিশেষ শক্তি। সারা দেশে একতা দিবস উদযাপনের একটি অঙ্গ হিসাবে যে ৭৫ হাজার একতা দৌড়ের আয়োজন করা হয়েছে, তার মধ্যে ঐক্যের এই বাণীটি ফুটে উঠেছে। সর্দার প্যাটেলের স্থির সংকল্পের শক্তি ও প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ সমগ্র জাতি। সারা দেশে ঐক্য গড়ে তোলার সংকল্প গ্রহণের মাধ্যমে ‘পঞ্চপ্রাণ’ – এর বাস্তবায়নে দেশবাসী আজ অনুপ্রাণিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্দার সাহেব যে গুরুদায়িত্ব আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন, আজ এই একতা দিবসে তারই আমি পুনরাবৃত্তি করতে আগ্রহী। দায়িত্ব গ্রহণের মানসিকতা নিয়ে এবং ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস’ – এর মধ্য দিয়ে ভারত তার উন্নয়নের পথে দ্রুত এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, দেশের পরিকাঠামো ক্ষেত্রের ঘাটতি যত পূরণ করা সম্ভব হবে, ততই শক্তিশালী হয়ে উঠবে দেশের ঐক্য ও ঐক্যের মানসিকতা। ভারত এখন এই মানসিকতা নিয়েই কাজ করে চলেছে যে, প্রতিটি প্রকল্পের সুফল সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে হবে প্রকৃত সুফল গ্রহীতাদের কাছে। প্রসঙ্গত, সকলের জন্য বাসস্থান, সকলের জন্য ডিজিটাল সংযোগ, সকলের জন্য বিশুদ্ধ রান্নার জ্বালানী এবং সকলের জন্য বিদ্যুতের মতো কর্মসূচিগুলিকে দৃষ্টান্ত হিসাবে তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের নাগরিকদের কাছে ১০০ শতাংশ সুফল পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে এক সম্মিলিত লক্ষ্য, মিলিত উন্নয়ন প্রচেষ্টা এবং সম্মিলিত উদ্যমকে বাস্তবায়িত করে তোলা সম্ভব। সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে দেশের সংবিধানও যে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে – একথাও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্দার প্যাটেলের স্বপ্নই ছিল প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য সমান সুযোগ এবং অভিন্নতার মানসিকতা গড়ে তোলা। তাঁর সেই স্বপ্ন আজ সফল হওয়ার পথে। বিগত আট দশকের স্মৃতিচারণ প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন, বহু দশক ধরে দেশের যে ক্ষেত্রগুলি অবহেলিত ছিল, তা আবার অগ্রাধিকারের তালিকায় উঠে এসেছে। আদিবাসী মানুষের গর্বকে উদযাপন করতে আদিবাসী গৌরব দিবস পালনের ঐতিহ্যকে চালু করা হয়েছে। আদিবাসী সংগ্রহশালাও স্থাপিত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের একটি মডেল নগরী হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে একতা নগরকে। এই উন্নয়ন প্রচেষ্টা শুধু এদেশেই নয়, বিশ্বের কাছেও এক অনন্য নজির হয়ে থাকবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ঐক্যের মানসিকতা যেমন গড়ে উঠেছে, তেমনই সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠছে একটি শহরও। সর্দার প্যাটেলের স্ট্যাচু অফ ইউনিটির মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হচ্ছে ভারতের সাধারণ মানুষের ঐক্যের সেই শক্তি। স্বাধীনোত্তরকালে দেশে ঐক্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সর্দার সাহেবের অনন্য অবদানের কথাও তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, দেশের যে রাজন্য পরিবারগুলি বহু শতাব্দী ধরে ক্ষমতা ভোগ করে এসেছে, তারাও সর্দার প্যাটেলের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদের অধিকার বিসর্জন দিয়ে ঐক্যের নতুন স্রোতে সামিল হয়েছিল। স্বাধীনতার বহু বছর পরেও তাদের এই অবদান উপেক্ষিত থেকে গেছে। কিন্তু, এখন রাজন্য পরিবারগুলির সেই উৎসর্গকে স্মরণীয় করে তুলতে একতা নগরে স্থাপন করা হবে এক বিশেষ সংগ্রহশালা। দেশের ঐক্যের স্বার্থে উৎসর্গের যে ঐতিহ্য আমাদের দেশে বহমান রয়েছে, এই সংগ্রহশালায় তাই মূর্ত হয়ে উঠবে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মগুলির কাছে।",কেৱাড়িয়াত ৰাষ্ট্ৰীয় একতা দিৱস উদযাপনত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ অংশগ্ৰহ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%93%E0%A6%B2-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%B2-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%81%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%B9%E0%A6%A3-%E0%A6%85%E0%A6%A8/,"সিওল শান্তি পুরস্কার সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে��� সভাপতি শ্রী কুয়োন ই-হিয়ক জাতীয় বিধানসভার অধ্যক্ষ্য শ্রী মুন হি-সাং সংস্কৃতি মন্ত্রী শ্রী ডো জং-হোয়ান রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রাক্তন মহাসচিব শ্রী বান কি-মুন সিওল শান্তি পুরস্কার সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য সদস্যগণ, বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ, ভদ্রমহোদয় ও ভদ্রমহোদয়াগণ বন্ধুগণ, নমস্কার! আনয়োঙ্গ হা-সেয়ো য়োরা-বুন্ন সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। সিওল শান্তি পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। আমার বিশ্বাস এই পুরস্কারটি আমার ব্যক্তিগত নয়, বরং ভারতের জনসাধারণের প্রাপ্য। এই পুরস্কারটি ভারত পাচ্ছে সেই সাফল্যর জন্য যা গত ৫ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ১৩০ কোটি ভারতীয়র শক্তি ও দক্ষতার ক্ষমতার জোরে অর্জিত হয়েছে। আর তাই, তাদের পক্ষ থেকে আমি বিনীতভাবে এই পুরস্কারটি গ্রহণ করছি এবং আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই পুরস্কার সেই ভাবনারই স্বীকৃতি যা বসুদেব কুটুম্বকম, যার মানে সমগ্র বিশ্ব একটি পরিবার এই বার্তাটি বহন করে। এই পুরস্কার সেই সংস্কৃতিকে প্রদান করা হয়েছে যা যুদ্ধক্ষেত্রেও শান্তির বার্তা বহন করে, যেমন মহাভারতে ভগবান কৃষ্ণ যুদ্ধের সময়েও ভগবৎ গীতার শিক্ষা দিয়েছেন। এই পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে সেই ভূমিকে যেখানে আমাদের শেখানো হয়- দ্যৌঃ শান্তিরন্তরিক্ষং শান্তি, পৃথ্বী শান্তিরাপঃ শান্তিরোষধয়ঃ শান্তিঃ। বনস্পতয়ঃ শান্তির্বিশ্বে দেবাঃ শান্তিব্রহ্ম শান্তি, সর্বেঁ শান্তিঃ, শান্তিরেব শান্তি, সা মা শান্তিরেধি।। ওঁম শান্তিঃ, শান্তিঃ, শান্তিঃ ।। যার মানে : আকাশের মহাকাশের সর্বস্ব যেন শান্তি বিরাজ করে, আমাদের গ্রহের, প্রকৃতির সর্বস্হানে যেন চিরশান্তি বিরাজ করে। এবং, এই পুরস্কারটি সেই ব্যক্তিদের দেওয়া হয় যাঁরা সবসময় সমাজের কল্যাণের বিষয়টিকে নিজস্ব আশা-আকাঙ্খার থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। আমি আরও সম্মানিত বোধ করছি এই কারণে যে এই পুরস্কার এই বছর আমাকে প্রদান করা হচ্ছে যখন আমরা মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী পালন করছি। আমি ২০০ হাজার ডলার বা ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা অর্থের এই পুরস্কার নমামি গঙ্গে তহবিলে দান করতে চাই। এটি আমাদের এমন একটি নদীকে পরিস্কার করার প্রয়াস, যেটিকে ভারতের প্রতিটি মানুষ পবিত্র হিসেবে দেখে, তাছাড়া এটি ভারতের লক্ষ লক্ষ নর-নারীর অর্থনৈতিক জীবনরেখাও বটে। বন্ধুগণ, সিওল শান্তি পুরস্কার ১৯৮৮তে সিওলে আয়োজিত ২৪তম গ্রীষ্মকালীন অল��ম্পিকের সাফল্য ও উদ্দীপনার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ভারত সেই ক্রীড়াকে খুব ভালোভাবে মনে রেখেছে। কারণ সেটি সমাপ্ত হয় মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে। সেই ক্রীড়ার আয়োজন কোরিয়ার সংস্কৃতির সেরা দিকগুলি তথা কোরিয়ার উষ্ম আতিথিয়তা, এবং কোরিয়ার অর্থনীতির সাফল্যকে তুলে ধরেছিল। এবং, ভোলা যাবে না, সেই বছরের অলিম্পিক সারা বিশ্বের ক্রীড়া ক্ষেত্রে একটি নতুন ক্রীড়াশক্তির বিকাশকে তুলে ধরেছিল। তাছাড়া সেই বছরের গেমস বিশ্ব ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশকও ছিল। ১৯৮৮ সালের অলিম্পিক্স এমন একটি সময় অনুষ্ঠিত হয়, যখন সারা পৃথিবীতে বহু পরিবর্তন হচ্ছিল। ইরান-ইরাক যুদ্ধ সবে শেষ হয়েছে। আফগানিস্হানের পরিস্হিতি সংক্রান্ত জেনেভা চুক্তি সেবছরই গোড়ার দিকে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ঠান্ডা যুদ্ধ তখন শেষের দিকে ছিল, এবং অনেক আশা ছিল যে একটি নতুন স্বর্ণ যুগের ভোরের সূচনা হবে এবং তা হয়েও ছিল। ১৯৮৮ সালের তুলনায় আজ বহু বিষয়েই সারা বিশ্ব অনেক ভালো আছে। সারা বিশ্বের দারিদ্র্য সমান তালে হ্রাস পাচ্ছে। স্বাস্হ্য পরিষেবা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তবুও, বহু বড় সমস্যা সারা বিশ্বে রয়ে গেছে। তার মধ্যে কিছু পুরনো, কিছু নতুন। সিওল অলিম্পিকের কয়েক মাস আগে, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রথম সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। আজকে, এই বিষয়টিকে মানবজাতির সর্ববৃহৎ ভীতি প্রদর্শন হিসেবে স্বীকার করা হয়েছে। সিওল অলিম্পিকের কয়েক সপ্তাহ আগে, আল-কায়দা নামে একটি সংগঠন স্হাপন করা হয়। আজকে, মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিশ্বজনীন রূপ ধারণ করেছে এবং বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছে এবং সারা পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ এখনও যথেষ্ট পরিমানে এবং সঠিক মানের খাদ্য, গৃহ, স্বাস্হ্য পরিষেবা, স্বাস্হ্যবিধি, বিদ্যুৎ এবং সর্বোপরি সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপন করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্পষ্টত, এখনও বহু কিছু করার প্রয়োজন রয়েছে। এই যে কষ্টগুলির সম্মুখীন আমরা হই, তার সমাধানসূত্র রয়েছে পরিশ্রমে। এবং ভারত তার কাজ করে চলেছে। আমরা ভারতের জনসাধারণ- অর্থাৎমানবজাতির এক-ষষ্ঠাংশ জনসংখ্যার ভালো থাকার মানোন্নয়ন ঘটাতে কাজ করছি। ভারত আজকে সারা পৃথিবীর মধ্যে একটি দ্রুত উন্নয়নশীল বৃহৎ অর্থনীতি হয়েছে, যার অর্থনৈতিক ভিতগুলি দৃঢ় রয়েছে। আমাদের চালু করা বড় মাপের অর্থনৈতিক পরিবর্তনগুলির জন্য এটি সম্ভব হয়েছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্কিল ইন্ডিয়া’, ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’, ‘ক্লিন ইন্ডিয়া’-র মতো ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগগুলি লক্ষ্যণীয় আর্থ-সামাজিক বিকাশসাধনে অবদান রেখেছে। আমরা আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকণ, ঋণ পাওয়ার সুযোগ, ডিজিটাল লেনদেন, শেষ মাইল পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্হা, এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলিকে সহায়তার ওপর আমরা গুরুত্ব আরোপ করেছি, যাতে সারা দেশের বিকাশ ছড়িয়ে পড়ে এবং ভারতের জনসাধারণকে সমৃদ্ধ করে তুলতে পারে। স্বচ্ছ ভারত অভিযান ভারতকে পরিচ্ছন্ন করছে ; ২০১৪ সালে ৩৮ শতাংশের মতো মানুষকে নিয়ে একটি স্বাস্হ্যবিধি কর্মসূচি থেকে শুরু করে সংখ্যাটি এখন ৯৮ শতাংশ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ! উজ্জ্বলা যোজনা পরিশ্রুত রান্নার জ্বালানী ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রামীণ মহিলাদের জীবনকে উন্নত করেছে ; আয়ুষ্মান ভারত ৫০ কোটি দরিদ্র্য ও নিপীড়িত মানুষকে স্বাস্হ্য পরিষেবা ও বিমার সুযোগ দিচ্ছে ; এবং, নানা উদ্যোগের মাধ্যমে, আমরা সার্বিক বিকাশ ঘটিয়ে চলেছে এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্হায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যগুলি পূরণের দিকে ভারত এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সব প্রয়াসে, আমাদের চালনা করে মহাত্মা গান্ধীর শিক্ষা যাতে বলা হয়েছে আমাদের দেখা দরিদ্র্যতম এবং দুর্বলতম মানুষের মুখটি স্মরণ করতে এবং নিজেকে প্রশ্ন করতে যে, যে পদক্ষেপটি গ্রহণের পরিকল্পনা করছি সেটা সেই ব্যক্তিকে সাহায্য করবে কি না। বন্ধুগণ, ভারতের উন্নয়নের কাহিনী কেবল ভারতের মানুষের জন্যই নয় বরং সারা পৃথিবীর জন্যই ইতিবাচক ব্যাপারে আমরা বাস করছি যে পৃথিবীতে সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্হা দিন দিন উন্নত হচ্ছে। তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে, আমাদের বিকাশ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিতভাবে বিশ্বের বিকাশ ও উন্নতিতে অবদান রাখবে। আমরা একটি শান্তি ও স্হায়িত্বপূর্ণ এবং অর্থনৈতিকভাবে সংযুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারত, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একজন দায়িত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ যুদ্ধের সামনের সারিতে রয়েছে। কম মাত্রায় কার্বন নিঃসরণের ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও, ভারত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিশ্বজনীন যুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। দেশের মধ্যে এই কর্মসূচি পালন করতে কার্বন নিঃসরণ কমানো, বনাঞ্চলের প্রসার এবং পরম্পরাগত কার্বন নিঃসরণ করে যে জ্বালানীগ���লি সেগুলির পরিবর্তে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির যোগান সামগ্রী ব্যবহারের জন্য একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনার সূচনা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে, আমরা একইরকম ভাবনাচিন্তা করে যে দেশগুলি তাদের সঙ্গে অংশিদারিত্ব করে আন্তর্জাতিক সৌর মৈত্রীর সূচনা করেছি, যার লক্ষ্য পরিশ্রুত ও অবাধ সৌরশক্তিকে জীবাশ্ম জ্বালানীর বিকল্প হিসেবে কাজে লাগানো। আমরা রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা কার্যকলাপের জন্য সর্বাধিক সেনা পাঠানো দেশগুলির মধ্যে পড়ি। এবং, কোরিয়া উপদ্বীপ অঞ্চলে শান্তি বজায়ের কাজে অবদান রাখতে পেরে আমরা গর্বিত। সাহায্যের প্রয়োজন থাকা দেশগুলিকে আমরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি এবং মানবিক কাজ ও দুর্যোগে ত্রাণকার্যে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। সংঘর্ষপ্রবণ এলাকাগুলিতে আমরা অভিযান চালিয়েছি এবং শুধু ভারতীয়দেরকেই নয় বহু অন্যান্য দেশের নাগরিকদেরকেও উদ্ধার করেছি। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলির উন্নয়নের কাজে একটি সক্রিয় ও বোঝদার অংশীদার হিসেবে কাজ করেছি, যেখানে আমরা দেশগুলির কাঠামোগত ও সামাজিক পরিকাঠামোর উন্নতিসাধনের মূল নীতি গ্রহণ করেছি। এই প্রয়াসগুলির মাধ্যমে, আমরা চাই নিশ্চিত করতে যাতে বিশ্বায়ন ও সংযুক্ত পৃথিবীর সুযোগ-সুবিধাগুলি সকলে সমানভাবে উপভোগ করতে পারে। গত কয়েক বছরে আমার সরকার বিভিন্ন মহাদেশে নতুন ভাবে আদান-প্রদান ও নতুন নতুন অংশীদারিত্ব স্হাপন করেছে। পূর্ব এশিয়ার ক্ষেত্রে, আমাদের পূবের জন্য কাজ কর নীতির আওতায় কোরিয়া সাধারণতন্ত্র সহ এই অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে আমাদের আদান-প্রদানকে নতুন সংজ্ঞা দিয়েছি। রাষ্ট্রপতি মুন-এর নতুন দক্ষিণী নীতিতে আমাদের এই ভাবনাচিন্তার প্রতিধ্বনি শুনতে পেয়ে আমি আনন্দবোধ করছি। বন্ধুগণ, ভারত বহুযুগ ধরে শান্তিময় স্হান। ভারতের মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে শান্তি ও সঙ্গতিপূর্ণ সহাবস্হানের রীতি অভ্যাস করে চলেছে। শয়ে শয়ে ভাষা ও উপভাষা বহু রাজ্য ও ধর্ম নিয়ে ভারত বিশ্বের মধ্যে একটি সবচেয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ হিসেবে গর্ববোধ করে। আমরা গর্বিত যে আমাদের দেশে প্রত্যেক ধর্ম, বিশ্বাস ও সম্প্রদায়ের মানুষজন সমৃদ্ধ হতে পারে। আমরা গর্বিত যে আমাদের সমাজ কেবল সহনশীলতাভিত্তিক নয়, বিভিন্নতা ও বৈচিত্র্য উদযাপন করে। বন্ধুগণ, কোরিয়ার মতো, ভারতও সীমান্ত পারের শত্রুতার কষ্ট ভোগ করেছে। শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের প্��তি আমাদের প্রয়াস বহুবার সীমান্তপারের সন্ত্রাসের দ্বারা বিঘ্নিত হয়েছে। যদিও ভারত ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সীমান্ত পারের সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে, প্রত্যেকটি দেশ আজ এই গুরুতর বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে যাতে কোনও সীমান্তকেই মানা হচ্ছে না। এখন সকলে যারা মানবতায় বিশ্বাস করেন, তাদের একত্রিতভাবে হাত মিলিয়ে সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কগুলিকে এবং তাদের অর্থযোগান, সরবরাহের চ্যানেলগুলি সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলতে ও সন্ত্রাসবাদী মতবাদ ও প্রচার রোধ করার সময় এসেছে। কেবল এটি করেই আমরা ঘৃণাকে ঐক্যে ও ধ্বংসকে উন্নয়নে পরিণত এবং হিংসা ও প্রতিশোধের ছবিকে শান্তির পোস্টকার্ডে রূপান্তরিত করতে পারি। বন্ধুগণ, গত বছরে কোরিয়া উপদ্বীপ অঞ্চলে যে শান্তির প্রতি প্রগতি হয়েছে, তা খুবই আনন্দদায়ক। পারস্পরিক অবিশ্বাস এবং ডিপিআরকে ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সন্ধিগ্ধতার ইতিহাস কাটিয়ে উঠতে এবং তাদেরকে আলোচনার টেবিলে একসঙ্গে বসাতে রাষ্ট্রপতি মুন যে ভূমিকা পালন করেছেন, তারজন্য তিনি প্রশংসার অধিকারী। এটি কোনও ক্ষুদ্র সাফল্য নয়। আমি আবারও উল্লেখ করছি দুটি কোরিয়ার মধ্যে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ডিপিআরকে-র মধ্যে চলতি আলোচনার প্রক্রিয়াকে আমার সরকার জোরালো সমর্থন করে। কোরিয়ার বিখ্যাত প্রবাদে যেমন বলে : শিচাগি ভানিদা, “ভালো ভাবে শুরু করাই অর্ধেক যুদ্ধ” আমি সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখি যে কোরিয়ার মানুষজনের বিরামহীন প্রচেষ্টার ফলে, কোরিয়া উপদ্বীপ অঞ্চলে শীঘ্রই শান্তি বিরাজ করবে। বন্ধুগণ, ১৯৮৮ অলিম্পিকের থিম গানটি থেকে একটি অংশ উল্লেখ করে আমি শেষ করতে চাই, কারণ তা আমাদের সবার আরও ভালো আগামীদিনের আশা-আকাঙ্খাকে যথাযথভাবে তুলে ধরে : হাতে হাত, আমরা সারাটা ভূমি জুড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি, আমরা এই পৃথিবীকে আরও ভালো বাসযোগ্য স্হান করতে পারি। গামসা হামনিদা ! ধন্যবাদ। অসংখ্য ধন্যবাদ।",ছিউল শান্তি বঁটা গ্ৰহণ অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87-3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%95-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B9%E0%A6%95-%E0%A6%97%E0%A7%8D/,"বিমস্টেক গ্রিডের মাধ্যমে পরস্পর সংযোগ সম্ভব করে তুলতে একটি মউস্বাক্ষরের প্রস্তাবে সম্মতি দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বুধবার, প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ��র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রকের পেশ করা ঐ প্রস্তাবটি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। খুব শীঘ্রইনেপালে তৃতীয় বিমস্টেক জ্বালানি-শক্তি মন্ত্রীদের যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে,সেখানেই বিমস্টেকের সদস্য রাষ্ট্রগুলির পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত মউটিতে স্বাক্ষরদানকরা হবে। বিমস্টেক অঞ্চলে সর্বোচ্চ মাত্রায় বিদ্যুৎ সংবহন ব্যবস্থাকে উন্নত করেতুলতেই এই মউ স্বাক্ষরের প্রস্তাব। এর আওতায় সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের কল্যাণে একটিপ্রশস্ত কাঠামো গড়ে তোলা হবে যার মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিমস্টেকরাষ্ট্রগুলি জ্বালানির সর্বোচ্চ ব্যবহার ও উৎপাদনের কাজে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর ১৬ অক্টোবর তারিখে গোয়ায় অনুষ্ঠিত বিমস্টেকনেতৃবৃন্দের বৈঠকে বিমস্টেক গ্রিডের মাধ্যমে পরস্পর সংযুক্তির লক্ষ্যে এই মউস্বাক্ষরের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। পরে, এ বছর ১১ ও ১২ জানুয়ারি তারিখে বিমস্টেকেরজ্বালানি সম্পর্কিত শীর্ষ আধিকারিকদের যে চতুর্থ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে আলোচনাও মতবিনিময়ক্রমে মউ স্বাক্ষরের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।",বিমষ্টেক ৰাষ্ট্রসমূহক গ্রিডৰ জৰিয়তে আন্তঃসংযোগ স্থাপনৰ লক্ষ্যৰে বুজাবুজি চুক্তি আৰু আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিৰ প্ৰস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A7%9D%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%9C/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%95%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ১ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পবিত্র আষাঢ়ী বীজ উপলক্ষে বিশ্বের নানা প্রান্তে থাকা কচ্ছী সম্প্রদায় সহ সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “পবিত্র আষাঢ়ী বীজ উপলক্ষে বিশ্বের নানা প্রান্তে থাকা কচ্ছী সম্প্রদায় সহ সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। আগামী বছর প্রত্যেকের জীবনে শান্তি ও সুখ নিয়ে আসুক এবং সকলের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হোক।”",কচ্ছী সমাজকে প্ৰমুখ্য কৰি আটাইকে আষাঢ়ী বীজৰ শুভেচ্ছা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%AE-%E0%A6%A4%E0%A6%AB%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%AE-%E0%A6%85%E0%A6%A8/,"ভারতীয় সংবিধানের পঞ্চম তফশিলের আওতায় রাজস্থানের তফশিলি অঞ্চল সম্পর্কে এক সরকারি ঘোষণা জারি করা হবে। আজ এই মর্মে এক সিদ্ধান্ত গৃহীত হল প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮১-র সাংবিধানিক আদেশ নং ১১৪-র সংশোধনের সাথে সাথে একটি নতুন সাংবিধানিক আদেশও জারি করা হবে। এর মাধ্যমে, রাজস্থানের তফশিলি উপজাতিভুক্ত জনসাধারণ যাতে সংবিধানের পঞ্চম তফশিলের আওতায় প্রয়োজনীয় সুরক্ষা লাভ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা হবে। রাজস্থানের তফশিলি অঞ্চল সম্প্রসারণ সম্পর্কিত ঘোষণার জন্য ইতিমধ্যেই অনুরোধ জানিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজস্থানের বাঁশওয়াড়া, দুঙ্গারপুর, প্রতাপগড় এবং উদয়পুর, রাজসামান্দ, চিতোরগড়, পালি এবং সিরোহী জেলার কোন কোন অংশে যে সমস্ত উপজাতিভুক্ত মানুষ বসবাস করেন, তাঁরা ভারতীয় সংবিধানের পঞ্চম তফশিলের আওতায় সুরক্ষা সংক্রান্ত এই সুযোগ-সুবিধা লাভ করবেন। বাঁশওয়াড়া, দুঙ্গারপুর এবং প্রতাপগড় – এই তিনটি জেলা পুরোপুরিভাবে রাজস্থানের তফশিলি এলাকাগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। এছাড়াও, উদয়পুর, রাজসামান্দ, চিতোরগড়, পালি এবং সিরোহী জেলার ন’টি সম্পূর্ণ তহসিল, একটি ব্লক এবং ৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতকেও নিয়ে আসা হবে এই তালিকার আওতায়।",ভাৰতীয় সংবিধানৰ পঞ্চম অনুসূচীৰ অধীনত ৰাজস্থানৰ একাংশ এলেকা অনুসূচিত শ্ৰেণীৰ লোকৰ অধ্যূষিত স্থান হিচাপে ঘোষণা কৰিবলৈ কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%A4/,"নয়াদিল্লী, ০২ জুন, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্য প্রতিষ্ঠা দিবসে তেলেঙ্গানাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবসে তেলেঙ্গানার ভাই ও বোনেদের শুভেচ্ছা। তেলেঙ্গানার মানুষ কঠোর পরিশ্রম এবং দেশের অগ্রগতিতে অতুলনীয় নিষ্ঠার সমার্থক। এ রাজ্যের সংস্কৃতি সারা বিশ্বে সুবিদিত। আমি তেলেঙ্গানাবাসীর সার্বিক কল্যাণ কামনা করি।”",প্ৰতিষ্ঠা দিৱস উপলক্ষে তেলেংগানাৰ জনসাধাৰণক শুভেচ্ছা প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A6%8F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A4%E0%A7%B0%E0%A6%B2-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A6%8F/,"বিশ্বে এক নমনীয় এলএনজি বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভারত ও জাপানেরমধ্যে এক মউ স্বাক্ষরের বিষয়ে সম্মতি জানাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠক। এই মউ স্বাক্ষরের ফলে জ্বালানি ক্ষেত্রে ভারত ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিকসম্পর্কের বিশেষ প্রসার ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতে গ্যাসের যোগানে বৈচিত্র্যনিয়ে আসার ক্ষেত্রেও এই মউটি বিশেষভাবে সাহায্য করবে বলে মন্ত্রিসভার ধারণা ওবিশ্বাস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্বে জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অন্যতম দুটি প্রধানদেশই হ’ল ভারত ও জাপান। অন্যদিকে এলএনজি’র ক্ষেত্রে জাপান হ’ল বিশ্বের বৃহত্তমআমদানিকারক একটি দেশ। এক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান চতুর্থ স্থানে। ভারত ও জাপান – এইদুটি দেশের মধ্যে জ্বালানি সম্পর্কিত সহযোগিতার প্রসার ঘটে ২০১৬ সালে দ্বিপাক্ষিকএক চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে। বর্তমানে এলএনজি ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রসারসম্পর্কিত মউ স্বাক্ষরের ফলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক এক নতুন মাত্রায় উন্নীত হবেবলে আশা করা হচ্ছে।","তৰল, শিথিল আৰু বৈশ্বিক এলএনজি বজাৰ প্ৰতিষ্ঠাৰ লক্ষ্যৰে ভাৰত আৰু জাপানৰ মাজত প্ৰস্তাৱিত সহযোগিতামুলক চুক্তি স্বাক্ষৰত কেবিনেট অনুমোদন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%8F-%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লি, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মধ্যপ্রদেশের শেওপুরের কারাহাল-এ আয়োজিত স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার অধীন চারটি তুলনামূলক দুর্বল আদিবাসী গোষ্ঠীর জন্য দক্ষতাবর্ধক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী ব্যাঙ্ক ঋণের সম্মতিপত্র এসএইচজি সদস্যদের হাতে তুলে দেন এবং জল জীবন মিশনের অধীন সামগ্রী বিতরণ করেন। এসএইচজি-র সদস্য প্রায় ১ লক্ষেরও বেশি মহিলা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ৪৩ লক্ষের বেশি মহিলা এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সময় হলে আজ তাঁর জন্মদিনে তিনি তাঁর মায়ের কাছ থেকে আশীর্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করবেন। আজকে তিনি যদিও তাঁর মায়ের কাছে যেতে পারেননি, তিনি বলেন যে তাঁর মা জেনে খুশি হবেন যে তিনি ১ লক্ষ আদিবাসী মায়ের আশীর্বাদ পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের কন্যা এবং মায়েরা আমার রক্ষাকবচ।’ তিনি বলেন, বিশ্বকর্মা জয়ন্তীতে সয়ম্ভর গোষ্ঠীর এই বিরাট সম্মেলন বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে তিনি সকলকে শুভেচ্ছা জানান। ৭৫ বছর পরে ভারতে আবার চিতা বাঘ ফিরে আসায় প্রধানমন্ত্রী আনন্দ ও গর্ব প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, “এখান আসার আগে কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতা বাঘ ছেড়ে আসার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।” তাঁর অনুরোধে চিতাদের সম্মানে দাঁড়িয়ে হাততালি নেন। চিতাদের তিনি সম্মানীয় অতিথি বলে বর্ণনা করেন। সম্মেলনে উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “চিতাদেরকে আপনাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হল। কারন আপনাদের ওপরে বিশ্বাস রয়েছে। আমি বিশ্বাস রাখি যে আপনারা যাবতীয় প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েও চিতাদের কোনো ক্ষতি হতে দেবেন না। এই কারনবশতই আজ ৮টি চিতার দায়িত্বভার আমি আপনাদের ওপরে অর্পণ করে গেলাম।” আজ স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ১০টি চারাগাছ পোঁতার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে পরিবেশ রক্ষার এই উদ্যোগ নতুন করে শক্তি প্রদান করবে। ভারতে মহিলা প্রতিনিধিত্বের উত্তরোত্তর বৃ্দ্ধির ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত শতাব্দীর ভারত আর এই শতাব্দীর নতুন ভারতের মধ্যে মহিলা শক্তি পার্থক্য নিরুপণের কারণ হয়ে উঠবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আজকে নতুন ভারতে পঞ্চায়েত ভবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত মহিলা শক্তির পতাকা উড়ছে।” তিনি উল্লেখ করেন যে, সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন পঞ্চায়েত শাখায় ১৭ হাজার মহিলা নির্বাচিত হয়েছেন। একে বড় পরিবর্তনের চিহ্ন বলে উল্লেখ করেন তিনি। স্বাধীনতা সংগ্রামে এবং জাতির সুরক্ষার ক্ষেত্রে মহিলাদের অবদানের কথা প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। সাম্প্রতিক হর ঘর তিরঙ্গা যাত্রায় স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী এবং মহিলাদের ভূমিকার সপ্রশংস উল্লেখ করেন তিনি। সেই সঙ্গে করোনার সময়কালে তাঁদের উদ্যোগেরও তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী’ ‘জাতি সহায়তা’ গোষ্ঠীতে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে যে কোন ক্ষেত্রেরই উন্নতি মহিলা প্রতিনিধিত্বের বৃদ্ধির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসাবে তিনি স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সাফল্যের উল্লেখ করেন যা মহিলা নেতৃত্বাধীন উদ্যোগ। একইরকমভাবে গত তিন বছরে ভারতে ৭ কোটি পরিবার পাইপ বাহিত পরিশ্রুত জলের সংযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশে রয়েছেন ৪০ লক্ষ পরিবার। এই সাফল্যের জন্য ভারতের মহিলাদের পূর্ণ কৃতিত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী আলোকপাত করেন যে গত ৮ বছরে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী সশক্তিকরণের জন্য সরকার বহুবিধ উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৮ কোটিরও বেশি ভগিনী এই অভিযানের সঙ্গে জড়িত। আমাদের লক্ষ্য হল প্রত্যেকটি গ্রামীণ পরিবার থেকে অন্তত একজন ভগিনী এই অভিযানে যোগ দিন।” এক জেলা এক পণ্য উদ্যোগের ওপরে আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক জেলার আঞ্চলিক পণ্যের বড় বাজার দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে মহিলা উদ্যোগপতিদের নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে সরকার নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন যে তাদের পণ্যের জন্য যে বাজার তৈরি করা হয়েছে সেখানে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর পণ্য বিক্রির মূল্য ৫০০ কোটি টাকা। পিএম জনধন যোজনা এবং পিএম কৌশল যোজনার সুফল মহিলাদের কাছে পৌঁছচ্ছে। জেম পোর্টালে এসএইচজি পণ্যের জায়গা থাকার কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে ভারত প্রভূত প্রয়াস চালিয়েছে যাতে রাষ্ট্রসংঘ ২০২৩ সালকে মোটা খাদ্যশস্যের একটি বছর হিসাবে ঘোষণা করে এবং আন্তর্জাতিকভাবে তার উদযাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে সেপ্টেম্বর মাসটিকে দেশে পুষ্টি মাস হিসাবে উদযাপন করা হয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী জানান যে সফররত বিদেশী অভ্যাগতদের জন্য খাদ্য তালিকায় মোটা দানার খাদ্য শস্যের অন্তত একটা পদ যাতে রাখা থাকে সেই ব্যাপারটি তিনি নিশ্চিত করবেন। ২০১৪ সাল থেকে সরকার যে সব উদ্যোগ নিয়ে আসছে তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহিলাদের মর্যাদা বৃদ্ধিতে দেশ নিরলস কাজ করে চলেছে। মহিলারা তাঁদের প্রাত্যহিক জীবনে যে সমস্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন তার সমাধানেরও চেষ্টা করা হচ্ছে। শৌচাগারের অনুপস্থিতিতে এবং রান্নাঘরে কাঠের জ্বালানীর ধোঁয়া থেকে মহিলাদের যে কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হতে হতো তার উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে ১১ কোটিরও বেশি শৌচালয় নির্মাণ, ৯ কোটিরও বেশি পরিবারকে গ্যাসের সংযোগ দেওয়া এবং ভারতের প্রত্যন্ত এলাকায় কয়েক কোটি পরিবারে পাইপলাইন বাহিত জল সংযোগ পৌঁছে দেওয়ায় তাদের জীবনযাত্রা যে অনেক সহজ হয়েছে সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। মাত্রু বন্দনা যোজনায় সন্তান সম্ভবা মায়েদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। মধ্যপ্রদেশে এই প্রকল্পের অধীন মায়েরা ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা পেয়েছেন। পরিবারে আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মহিলারা ক্রমে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন বলে তিনি জানান। জন ধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে মহিলাদের ক্ষমতায়ণের বিরাট মাধ্যমে হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, করোনার সময়কালে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিরাপদে এবং সরাসরি সরকারের পক্ষ থেক টাকা পৌঁছানো জন ধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সাফল্য ও শক্তি বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি জানান, “আজ পিএম আবাস যোজনায় গৃহ প্রাপকদের তালিকায় মহিলাদের নাম নথিভুক্ত করা থাকে। দেশে ২ কোটিরও বেশি মহিলার নামে বাড়ি দিতে আমাদের সরকার সমর্থ হয়েছে। মুদ্রা প্রকল্পে এ পর্যন্ত ১৯ লক্ষ কোটি টাকা দেশ জুড়ে ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে। এই টাকার ৭০ শতাংশই পেয়েছেন মহিলা উদ্যোগপতিরা। আমি খুশি যে সরকারের এই প্রচেষ্টার কারনে আজকের পরিবারগুলিতে উত্তরোত্তর অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মহিলারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহিলাদের অর্থনৈতিক সশক্তিকরণ সমাজের ক্ষেত্রেও তাদের অনুরূপ সশক্তি প্রদান করে।” ভারতের কন্যারা সৈনিক স্কুলে এখন নাম নথিভুক্ত করছেন বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন পুলিশ, কম্যান্ডো হওয়া থেকে শুরু করে তাঁরা এখন সেনাবাহিনীতে পর্যন্ত যোগ দিচ্ছেন। তাদের জন্য সম্ভাবনার নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মুক্ত করতে বন্ধ দরজাগুলিকে খুলে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সরকারকে কৃতিত্ব দেন। গত ৮ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে সে ব্যাপারে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রী গর্বের সঙ্গে বলেন, পুলিশ বাহিনীতে মহিলাদের সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ ছাপিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩৫ হাজারেরও বেশি আমাদের কন্যা দেশের শত্রুর মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে “গত ৮ বছর আগে যা ছিল তার থেকে এই সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের শক্তিতে আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে। সবকা প্রয়াসের মধ্য দিয়ে উন্নত সমাজ এবং শক্তিশালী জাতি গঠনে আমরা নিশ্চিত সফল হবো।” মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী মাঙ্গুভাই প্যাটেল, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, ডঃ বীরেন্দ্র কুমার, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে শ্রী ফগ্গন সিং কুলস্তে এবং শ্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। প্রেক্ষাপট দীনদয়াল অন্তদ্বয় যোজনা জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশনের অধীন মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর হাজারো মহিলা সদস্য এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে পিএম কৌশল বিকাশ যোজনার অধীন চারটি বিশেষত দুর্বল আদিবাসী গোষ্ঠীর দক্ষতা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। এইসব আদিবাসী দরিদ্র পরিবারগুলির জীবনধারন এবং তাদের উপার্জন ও উন্নত জীবনযাত্রায় দীনদয়াল অন্ত্যদ্বয় যোজনা এবং জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন সাহায্য করে। মহিলা এসএইচজি সদস্যদের স্বশক্তিকরণের লক্ষ্যে তাদের গার্হস্থ্য হিংসা এবং লিঙ্গগত বৈষম্য থেকে মুক্ত করে শিক্ষাদান পুষ্টিকর খাবার, স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা প্রভৃতির ক্ষেত্রে কাজ করে আসছে।",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে মধ্যপ্ৰদেশৰ কাৰাহালত মহিলাৰ আত্মসহায়ক গোটৰ সন্মিলনত ভাষণ দিয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF/,ভারতেরপ্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এ এস আনন্দ-এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায় তিনি বলেছেন : “ভারতেরপ্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এ এস আনন্দ-এর প্রয়াণে আমি ব্যথিত। এই শোকের মুহূর্তেতাঁর পরিবার-পরিজনদের মতো আমিও সমান উদ্বিগ্ন। তাঁর আত্মা চির শান্তি লাভ করুক।” /,ভাৰতৰ প্ৰাক্তন মুখ্য ন্যায়াধীশ এএছ আনন্দৰ বিয়োগত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শোক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নবরাত্রির পঞ্চম দিনে মা স্কন্দমাতার কাছে ভক্তদের জন্য আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছেন। তিনি মা স্কন্দমাতার একটি স্তোত্রপাঠ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “নমামি স্কন্দমাতরম্ স্কন্ধধারিণীম। (কাঁধে ধারণ করা মা স্কন্দকে প্রণাম জানাই) সমগ্রতত্ত্বসাগরম্পারপারগহরাম।। (সমস্ত সত্যের সমুদ্র সীমাহীন ও গভীর) মা স্কন্দমাতা সকলের জীবনকে আনন্দময় করে তুলুন। দেশবাসীর পক্ষ থেকে তাঁকে আরাধনা করি”।",নৱৰাত্ৰিত মা স্কন্দমাতাৰ আশীৰ্বাদ বিচাৰিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B-24/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%9B-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8%E0%A6%A4-%E0%A7%AB%E0%A7%A7-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B2/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বার্মিংহাম কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরুষদের বক্সিং-এ ৫১ কেজি বিভাগে স্বর্ণ পদক জয়ী অমিত পাঙ্ঘালকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমাদের পদক তালিকায় আরও একটি মর্যাদাপূর্ণ সংযোজনের জন্য অমিত পাঙ্ঘালকে ধন্যবাদ। তিনি আমাদের অন্যতম জনপ্রিয় ও দক্ষ বক্সার, যিনি অপূর্ব ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করে থাকেন। স্বর্ণ পদক জয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানাই। ভবিষ্যতে তাঁর আরও সাফল্য কামনা করি। #Cheer4India” /",কমনৱেলথ গেমছ ২০২২ত ৫১ কিলোগ্ৰাম পুৰুষৰ বক্সিংত স্বৰ্ণ পদক জয় কৰাৰ বাবে অমিত পাংঘালক অভিনন্দন প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA-%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A7%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA-%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%95/,"নয়াদিল্লি, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নবরাত্রিতে মা দুর্গার চতুর্থ রূপ মা কুষ্মান্ডার কাছে ভক্তদের জন্য আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছেন। শ্রী মোদী দেবীর একটি স্তোত্র পাঠও সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “নবরাত্রিতে আজ মা দুর্গার চতুর্থ র���পের চরণে সহস্র প্রণাম জানাই! মা কুষ্মান্ডার আশীর্বাদ আমাদের সকলের জীবনে সমৃদ্ধি নিয়ে আসুক, সকলের জীবন আনন্দে পরিপূর্ণ হোক – এই প্রার্থনাই করি….”",মা দুৰ্গাৰ চতুৰ্থ ৰূপ মা কুষ্মাণ্ডাক প্ৰণাম প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A7%9F%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%AB%E0%A6%87-%E0%A6%86%E0%A6%97/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A7%9F%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%AB-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%B7%E0%A7%8D/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন দিল্লীর লালকেল্লার ময়দানের ১৫ই আগস্ট পার্কে দশেরা উৎসবে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী, লব-কুশ রামলীলা কমিটি আয়োজিত রামলীলা প্রত্যক্ষ করেন। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীকস্বরূপ রাবন, কুম্ভকর্ণ এবং মেঘনাদের কুশপুত্তলিকা দাহ অনুষ্ঠানও তিনি দেখেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দ ও অন্যান্য বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি যোগ দেন। /…",লালকিল্লা ময়দানৰ ১৫ আগষ্ট উদ্যানত দশেৰা উদযাপন অনুষ্ঠানত অংশ ল’লে প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A7%A7%E0%A7%A7%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B2-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A7%A7%E0%A7%A7-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%B9%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B2-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%95%E0%A7%8D/,"জিস্যাট – ১১’র সফলভাবে উৎক্ষেপণ করার জন্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো’কে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে এ এক অন্যতম মাইল ফলক। দূরবর্তী এলাকাগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে এটি কোটি কোটি ভারতবাসীর জীবনধারার পরিবর্তন এনে দেবে। সবচেয়ে ভারী, সবচেয়ে বড় ও উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত ভারতের যোগাযোগ উপগ্রহ জিস্যাট – ১১’র সফল উৎক্ষেপণের জন্য ইসরো’কে অভিনন্দন। আপামর ভারতবাসী দেশের বিজ্ঞানীদের এই কৃতিত্বে গর্বিত। বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন উদ্ভাবন সাফল্যের মানদন্ড বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাঁদের উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ প্রত্যেক ভারতবাসীকে উদ্বুদ্ধ করে”।",জিছেট-১১ উপগ্ৰহৰ সফল উৎক্ষেপণৰ বাবে ইছৰোক অভিনন্দন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%9F/,"ভারত ও ব্রুনেই দারএসসালাম মধ্যে উপগ্রহ ও মহাকাশ উৎক্ষেপণ যানের জন্য টেলিমিটারি ট্যাকিং এবং টেলিকমান্ড স্টেশন চালু করার পাশাপাশি মহাকাশ গবেষণা, বিজ্ঞান ও তার প্রয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে সহযোগিতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্রটি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়। উল্লেখ করা যেতে পারে, নতুন দিল্লিতে গত ১৯ জুলাই এই মউ স্বাক্ষরিত হয়। এই মউ স্বাক্ষরের ফলে ভারতের মহাকাশ উৎক্ষেপণ যান এবং উপগ্রহ প্রেরণ অভিযানগুলিকে সার্থক করে তুলতে উৎক্ষেপণ কেন্দ্রগুলির সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও তার উন্নয়ন অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে, মহাকাশ প্রযুক্তির প্রয়োগের ক্ষেত্রে সেদেশের আধিকারিক ও পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণদানের মাধ্যমে মহাকাশ সংক্রান্ত কাজকর্মে ভারত তার বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারবে। এই মউ স্বাক্ষরের ফলে সামগ্রিকভাবে দেশের সমগ্র অঞ্চল ও সব শ্রেণীর মানুষ উপকৃত হবেন। এমনকি, উৎক্ষেপণ কেন্দ্রগুলির পরিচালনায় নতুন গবেষণার সম্ভাবনা তথা মহাকাশ প্রযুক্তির প্রয়োগে প্রশিক্ষণদানের ক্ষেত্রে এই সমঝোতাপত্রটি সহায়ক হবে। …","টেলিমেট্ৰি ট্ৰেকিং আৰু টেলিকমাণ্ড ষ্টেচনৰ বাবে উপগ্ৰহ আৰু উৎক্ষেপণ যানৰ লগতে মহাকাশ গৱেষণা, বিজ্ঞান আৰু ইয়াৰ প্ৰয়োগৰ ক্ষেত্ৰত সহযোগিতাৰ বাবে ভাৰত আৰু ব্ৰুনেই ডাৰুছেলামৰ মাজত সহযোগিতা বৃদ্ধিৰ লক্ষ্যৰে স্বাক্ষৰিত বুজাবুজি চুক্তিত কেবিনেটৰ অনুমোদন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E2%80%8C-%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A6%95/,"এখানে আসার আগে কেউ আমাকে বলেছিলেন, লেহ্‌-তে ভীষণ ঠান্ডা। শূণ্য থেকে অনেক নিচে তাপমাত্রা। এত ঠান্ডায় আপনারা সকলে এখানে এসেছেন দেখে আমি সত্যিই অবাক হয়েছি। আপনাদের সবাইকে প্রণাম জানাই। বিমানবন্দরে অনেক বয়স্কা মায়েরা আমাকে আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য এসেছিলেন। শূণ্য ডিগ্রি থেকে এত কম তাপমাত্রায় তাঁরা খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়েছিলেন। আমিও গাড়ি থেকে নেমে তাঁদেরকে প্রণাম করার জন্য এগিয়ে যাই। মায়েদের এই আশীর্বাদ, এই ভালোবাসা, এত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আমাকে নতুন প্রাণশক্তি যোগায়। আ���নাদের এই আপনত্ব, এই স্নেহ দেখে আমার প্রথমে যতটা ঠান্ডা লাগছিল, এখন আর তা লাগছে না। মঞ্চে উপস্থিত জম্মু ও কাশ্মীরের মাননীয় রাজ্যপাল শ্রীযুক্ত সৎপাল মালিক, আমার মন্ত্রিসভার সদস্য, জম্মু-কাশ্মীরের সন্তান ডঃ জিতেন্দ্র সিং, জম্মু-কাশ্মীর বিধান পরিষদের অধ্যক্ষ শ্রীযুক্ত হাজি আনায়ত আলি, লাদাখ স্বশাসিত পার্বত্য বিকাশ পরিষদ, লেহ্‌-এর অধ্যক্ষ শ্রীযুক্ত জে টি নামগিয়াল, লাদাখ স্বশাসিত পার্বত্য বিকাশ পরিষদ, কার্গিলের অধ্যক্ষ শ্রীযুক্ত ফিরোজ আহমেদ, রাজ্য বিধান পরিষদের সদস্য শ্রীযুক্ত শেরিং দোরজে এবং এখানে উপস্থিত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা। লাদাখ বীর ভূমি। ১৯৪৭ হোক কিংবা ১৯৬২ কিংবা কার্গিল যুদ্ধে এখানকার বীর সৈনিকরা দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। লাদাখের এত সুন্দর পর্বতশ্রেণী থেকে অনেকগুলি নদী জন্ম নিয়েছে। এই ভূমি মানবসভ্যতার জন্য ঈশ্বরের উপহারস্বরূপ। ৯-১০ মাস পর আরেকবার আপনাদের মধ্যে আসার সৌভাগ্য হল। আপনারা যে সমস্যাসঙ্কুল পরিস্থিতির মোকাবিলা করে দিনযাপন করেন তা আমার জন্য প্রেরণাস্বরূপ। আমি আপনাদের জন্য যত বেশি সম্ভব কাজ করতে চাই। আপনারা আমাকে যেভাবে ভালোবাসেন তা সুদ সমেত আপনাদের উন্নয়নের মাধ্যমে ফিরিয়ে দিতে চাই। আমি জানি, বিরূপ প্রকৃতি আপনাদের জন্য অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। বিদ্যুৎ থাকে না, পানীয় জলের সমস্যা হয়। নানা অসুখ-বিসুখের সম্মুখীন হতে হয়। গবাদি পশুর জন্য খাদ্য সংগ্রহ করা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। অনেক দূর-দুরান্ত থেকে নিজেদের ও গবাদি পশুর খাদ্য সংগ্রহ করতে হয়। যখন আমি আমার দলের সংগঠনের কাজ করতাম, তখন দীর্ঘদিন আপনাদের মধ্যে থেকে এই সমস্যাগুলির সম্মুখীন হওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে। বন্ধুগণ, এই সমস্যাগুলি দূর করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়বদ্ধ। এজন্য আমি নিজে বারবার লেহ্‌, লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীরে আসতে থাকি। গতবার বিদ্যুৎ উৎপাদন সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস করার জন্য এসেছিলাম। আজও আপনাদের জীবনকে সহজ করে তোলার জন্য প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাসের সৌভাগ্য হয়েছে। দ্রাস জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে লেহ্‌ এবং কার্গিলের অনেক গ্রামে পর্যাপ্ত এবং সুলভে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে। তার আগে, শ্রীনগর-উল্লেস্তিন-দ্রাস-কার্গিল ট্রান্সমিশন রেক শিলান্যাসের সৌভাগ্য হয়েছিল। আজ সেটি উদ্বোধনের সৌভাগ্য হয়েছে। ২,০০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে নির্মিত এই প্রকল্প এখন লেহ্‌-লাদাখের বিদ্যুৎ সমস্যা লাঘব করবে। বন্ধুগণ, এটাই আমাদের সরকারের কাজ করার পদ্ধতি। অহেতুক কাজ বিলম্বিত করার অথবা বিভ্রান্ত করার পুরনো সংস্কৃতি এখন দেশবাসী তামাদি করে দিয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে আমরা এই ঝুলিয়ে রাখার সংস্কৃতিকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেব। আমাদের আমলে যেসব প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য পূর্ণ শক্তি নিয়োগ করা হয়। ভাই ও বোনেরা, আজ যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করা হয়েছে, সেগুলি বিদ্যুৎ সংযোগের পাশাপাশি, লেহ্‌-লাদাখকে দেশের অন্যান্য অংশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পর্যটন শিল্প উন্নত হবে। এখানকার নবীন প্রজন্মের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। এখানকার ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগও বাড়বে। এখানকার প্রকৃতি এত সুন্দর, এই অঞ্চলে যদি উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়, আমার বিশ্বাস ভারতের নানা প্রান্ত থেকে ছেলে-মেয়েরা এসে এখানে পড়াশোনা করতে চাইবে। আমি এ ধরণের স্বপ্ন দেখি। আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় মহান কুশক বকুলা রিম্পোশে সারা জীবন ধরে একটি স্বপ্ন সার্থক করার জন্য কাজ গেছেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল লেহ্‌-লাদাখকে শ্রেষ্ঠ ভারতের সঙ্গে যুক্ত করা এবং দেশের একতা ও অখণ্ডতার ভাবনাকে শক্তিশালী করে তোলা। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য, লেহ্‌-লাদাখকে রেল ও আকাশপথে যুক্ত করার জন্য বেশ কিছু বড় বড় প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। এই প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ হলে লাদাখ প্রথমবার দেশের রেল মানচিত্রে যুক্ত হবে। আর কুশক বকুলা রিম্পোশে বিমানবন্দরে নতুন এবং আধুনিক টার্মিনাল ভবন এখানকার বিমান যাত্রী ও পর্যটকদের উন্নত পরিষেবা প্রদানে সক্ষম হবে। এভাবে বিলাসপুর থেকে মানালি হয়ে লেহ্‌ পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপনের প্রাথমিক সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এই রেল লাইন তৈরি হয়ে গেলে দিল্লি থেকে লেহ্‌-এর দূরত্ব অনেক হ্রাস পাবে। শীতকালে তো এখানকার সমস্ত সড়ক পথ অবশিষ্ট ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন রেল লাইন এই সমস্যা অনেকটাই দূর করতে পারবে। বন্ধুগণ, যে কোন অঞ্চলের যোগাযোগ ���্যবস্থা উন্নত হলে সেখানকার মানুষের জীবন যখন সহজ হয়, কর্মসংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি পায়। সবচাইতে বেশি লাভবান হয় পর্যটন শিল্প। লেহ্‌-লাদাখ এমনিতেই প্রাকৃতিকভাবে অনুপম নিসর্গ, আধ্যাত্ম, কলা ও সংস্কৃতি এবং দুঃসাহসিক ক্রীড়ার জন্য বিখ্যাত। এখানকার পর্যটন বিকাশের জন্য সরকার অনেক নতুন নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। আজ এখানে পাঁচটি নতুন ট্রেকিং রুট খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই রুটগুলিতে সংরক্ষিত এলাকার অনুমতির বৈধতা সাতদিন থেকে বাড়িয়ে ১৫ দিন করে দিয়েছে যাতে পর্যটকরা যথেষ্ট সময় নিয়ে এখানকার পরিবেশ ও প্রকৃতিকে উপভোগ করতে পারেন। ফলে, পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত যুবক-যুবতীদের রোজগার বৃদ্ধি পাবে। বন্ধুগণ, আমাকে বলা হয়েছে যে এবার ৩ লক্ষেরও বেশি পর্যটক লেহ্‌-তে এসেছেন এবং প্রায় ১ লক্ষ পর্যটক কার্গিল ঘুরতে গেছেন। তার মানে, কাশ্মীরে গত এক বছরে যত পর্যটক এসেছেন, তার অর্ধেকই এই অঞ্চলে এসেছেন। সেদিন দূরে নেই যখন লেহ্‌-লাদাখ পর্যটনে নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। ভাই ও বোনেরা, আমাদের সরকার উন্নয়নের পঞ্চধারা অর্থাৎ, ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা, যুবকদের কর্মসংস্থান, বয়স্কদের ঔষধ, কৃষকদের সেচ এবং প্রত্যেক মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। লেহ্‌-লাদাখ ও কার্গিল এই সকল পরিষেবা মজবুত করার চেষ্টা চলছে। লাদাখের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ নবীন শিক্ষার্থী। আপনারা দীর্ঘদিন ধরে এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন। আজ আপনাদের এই দাবি পূরণ করা হল। সেজন্য আমি আপনাদের সবাইকে, বিশেষ করে আমার নবীন বন্ধুদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আজ এখানে যে ক্লাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করা হল, এতে নুব্রা, লেহ্‌, জাসকর এবং কার্গিলে চালু ডিগ্রি কলেজগুলির পরিকাঠামো ও সম্পদ ব্যবহার করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু হবে। ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্য এর প্রশাসনিক দপ্তর থাকবে লেহ্‌ এবং কার্গিলে। বন্ধুগণ, লেহ্‌-লাদাখ দেশের এমন অঞ্চলে রয়েছে যেখানে বিভিন্ন জনজাতির মানুষ বসবাস করেন। দু’দিন আগে পেশ করা কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটে তপশিলি জাতি ও উপজাতির উন্নয়নে জোর দিয়ে ৩০ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এবার দলিতদের উন্নয়নের জন্য বাজেটে ৩৫ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তপশিলি জনজাতির উন্নয়নের জন্য এবারের বাজেটে ১১,০০০ কোটি টাকারও বে���ি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এখন শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য পরিষেবা উন্নত হবে। ভাই ও বোনেরা, কেন্দ্রীয় সরকার দেশের প্রত্যেক নাগরিককে উন্নয়নের মূলধারার সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করছে। যাঁদের জীবনে কোন কারণে উন্নয়নের প্রভাব পড়েনি, এই বাজেটে সেরকম যাযাবর সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁদের জীবনযাত্রার প্রকৃতি এমনই যে এক এক ঋতুতে তাঁরা এক এক জায়গায় চলে যান। ফলে, সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পগুলির সুফল তাঁদের কাছে পৌঁছয় না। তাঁদের কথা ভেবে সরকার, তাঁদের উন্নয়নের জন্য একটি ওয়েলফেয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও যাঁরা সরকারি প্রকল্পগুলির সুফল থেকে বঞ্চিত ছিলেন, সেই পশুপালক, সাপুড়ে, বাঞ্জারা, কামার, গরুর গাড়িতে ঘুরে বেড়ানো মানুষদের উন্নয়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। বন্ধুগণ, তাছাড়া দেশের কৃষকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য এ বছর বাজেটে কৃষকদের জন্য অনেক বড় প্রকল্প আনা হয়েছে – ‘পিএম-কিষাণ সম্মান নিধি’। এর মাধ্যমে ৫ একর বা তার থেকে কম পরিমাণ জমির অধিকারী কৃষক পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি ৬ হাজার টাকা জমা করবে। প্রত্যেক বছর করবে। বছরে তিন কিস্তিতে ২ হাজার টাকা করে জমা করা হবে যাতে তাঁরা কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিশ্চিন্তভাবে করতে পারেন। লেহ্‌-লাদাখের কৃষক পরিবারগুলিও এর মাধ্যমে অনেক উপকৃত হবেন। এই অঞ্চলের আলু, মটর, ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষিরা লাভবান হবেন। আমি যখন এখানে দিল্লি থেকে এসে সংগঠনের কাজ করতাম, তখন এখানকার সংগঠনের কর্মকর্তারা আমাকে দিল্লি থেকে ফুলকপি ও বাঁধাকপি নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করতেন। কিন্তু তাঁরাও এখানে সব্জি উৎপাদন করতেন। সেই সব্জির স্বাদ ছিল অতুলনীয়। আপনাদের পরিশ্রমে এখন এই এলাকাতেও ফুলকপি ও বাঁধাকপির ভালো চাষ হয়। সরকারের নতুন প্রকল্প এই কৃষকদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক হবে। দিল্লিতে যাঁরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় বসে থাকেন, তাঁরা জানেন না যে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে কিংবা প্রত্যন্ত মরু অঞ্চলের কৃষকদের জীবনে এই ৬,০০০ টাকা সাহায্য কত সহায়ক হবে। এই নতুন প্রকল্পের জন্য আমি আপনাদের সবাইকে এবং সারা দেশের গরিব কৃষকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। বন্ধুগণ, লেহ্‌-লাদাখ-কার্���িল ভারত মায়ের মুকুট, আমাদের গর্ব। বিগত সাড়ে চার বছরে আমরা এই অঞ্চলের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে লাদাখ স্বশাসিত পার্বত্য উন্নয়ন পর্ষদ আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই পর্ষদের ব্যয় সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন অনেক বেশি অধিকার প্রদান করা হয়েছে। এখন এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ অর্থ ব্যয়ের সিদ্ধান্ত স্বশাসিত পর্ষদই নিতে পারে। স্বশাসিত পর্ষদের অধিকারের পরিধি আরও বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্তের ফলে এই অঞ্চলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান আগের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীলতার সঙ্গে সমাধান করা যায়। এখন আপনাদের প্রতিটি প্রয়োজনের জন্য বারবার শ্রীনগর কিংবা জম্মুতে গিয়ে দরবার করতে হয় না। অধিকাংশ সমস্যা লেহ্‌-লাদাখেই সমাধান করা যায়। আমরা বিগত সাড়ে চার ধরে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর মন্ত্র নিয়ে দেশের উন্নয়নে দ্রুতগতিতে দিন-রাত কাজ করে চলেছি। আমি এখানকার জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, লেহ্‌, লাদাখ, কার্গিলের উন্নয়নে আমরা যে কোন পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবো না। একটু আগেই আমাদের এক বন্ধু কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের দীর্ঘ তালিকা পড়েছেন। আমি তাই বিস্তারিত বলতে চাই না। কিন্তু আমি এখানকার সমস্ত সমস্যা সম্পর্কে অবহিত। আমি এমন এক প্রধানমন্ত্রী যে ভারতের সমস্ত অঞ্চল ঘুরেছি। সেজন্য আমি সব জায়গা সম্পর্কে ধারণা রাখি। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের থেকে বিস্তারিত খবর নিই ঠিকই, কিন্তু তার থেকেও বেশি অনুভব করতে পারি। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি যে কেন্দ্রীয় সরকার আপনাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান করে। আজকের এই উদ্বোধন এবং শিলান্যাস অনুষ্ঠান সেই প্রক্রিয়ারই একটি অংশ মাত্র। আরেকবার আপনাদের জীবনকে সহজ করে তোলার লক্ষ্যে চালু করা সকল প্রকল্পের জন্য আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। এই প্রবল শীতে আপনারা দূর-দুরান্ত থেকে আমাকে আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য বিপুল সংখ্যায় এসেছেন। সেজন্য আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। পূর্ণ শক্তি দিয়ে আমার সঙ্গে বলুন – ভারতমাতার জয় ভারতমাতার জয় ভারতমাতার জয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",লেহত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্ৰকল্পৰ আধাৰশিলা স্থাপন আৰু উচৰ্গা অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%A6-%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%AA%E0%A7%80%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%B6%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%A6-%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%AA%E0%A7%80%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%B6%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লি, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রীমদ পঞ্চখণ্ড পীঠাধীশ্বর আচার্য ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন – “সমাজ ও দেশসেবায় সমর্পিত ছিলেন শ্রীমদ পঞ্চখণ্ড পীঠাধীশ্বর আচার্য ধর্মেন্দ্র। তাঁর প্রয়াণে আমি অত্যন্ত ব্যথিত। তাঁর প্রয়াণে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হল। ঈশ্বর তাঁকে নিজের চরণে স্থান দিন। ওম শান্তি!”",শ্ৰীমদ পঞ্চখণ্ড পীঠাধীশ্বৰ আচাৰ্য্য ধৰ্মেন্দ্ৰৰ বিয়োগত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শো +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%81-%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%81-%E0%A6%9A%E0%A7%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A0%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4/,"নয়াদিল্লি, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভারতীয় জনতা পার্টির ওড়িশা শাখার নেতা শ্রী বিষ্ণু চরণ শেঠির মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেছেন : “শ্রী বিষ্ণু চরণ শেঠিজির এক বিশেষ অবদান রয়েছে ওড়িশার অগ্রগতিতে। একজন পরিশ্রমী বিধায়ক রূপে সামাজিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যেও তিনি কাজ করে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তাঁর পরিবার-পরিজন এবং অনুগামীদের আমি শোক ও সমবেদনা জানাই। ওঁ শান্তি!”",শ্ৰী বিষ্ণু চৰণ ছেঠীৰ মৃত্যুত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শোক প্ৰকা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%B8-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8-%E0%A6%8F-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8-%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ৭ আগস্ট ২০২২ কমনওয়েলথ গেমস, ২০২২-এ মহিলাদের ৫০ কেজি বক্সিং-এ স্বর্ণ পদক জয়ী নিখাত জারিনকে অভিনন্দিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেছেন : “নিখাত জারিন ভারতের গর্ব। বিশ্বমানের এই অ্যাথলিট তাঁর দক্ষতার জন্য প্রশংসা লাভ করেছেন। কমনওয়েলথ গেমসে সোনার পদক লাভের জন্য আমি তাঁকে অভিনন্দন জানাই। বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে তিনি তাঁর পারদর্শিতা ও ধারাবাহিকতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর পরবর্তী প্রচেষ্টার জন্য শুভকামনা জানাই। #Cheer4India”","চিডব্লিউজি, ২০২২ ত মহিলাৰ ৫০ কিগ্ৰা বক্সিঙত সোণৰ পদক অৰ্জন কৰা নিখাত জাৰিনক অভিনন্দন প্ৰধানমন্ত্ৰী" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%98%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A7%B1%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A7%8D/,"নয়াদিল্লী, ২৩ অক্টোবর, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ লোককল্যাণ মার্গে দেশীয় টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির কর্ণধারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। প্রধানমন্ত্রী টিকা প্রস্তুতকারকদের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন এইসব সংস্থার জন্যই আজ দেশ ১০০ কোটি টিকার ডোজ দেওয়ার মাইলফলক অতিক্রম করেছে। তিনি বলেন ভারতের সাফল্য গাঁথায় তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মহামারীর সময় এদের কঠোর পরিশ্রম এবং প্রত্যয়ের তিনি প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বিগত দেড় বছর ধরে সুঅভ্যাসগুলি জেনে সেগুলি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রয়োগের প্রয়োজনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এই সুযোগে আমাদের বিভিন্ন অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটিয়ে সেগুলিকে আন্তর্জাতিক মানের করে তুলতে হবে। তিনি বলেন, আজ সারা বিশ্ব টিকাকরণ অভিযানের সাফল্যের জন্য ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। টিকা প্রস্তুতকারকদের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সবসময় একযোগে কাজ করতে হবে। দেশীয় টিকা প্রস্তুতকারকরা প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা এবং প্রগতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, টিকা উদ্ভাবনের সময় তাঁর সহযোগিতা তাঁরা সবসময় পেয়েছেন। এর আগে সরকার এবং শিল্প সংস্থাগুলির মধ্যে এ ধরণের সহযোগিতা কখনো দেখা যায়নি। পুরো পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার, প্রক্রিয়ার সরলীকরণ, যথাযথ সময়ে অনুমোদন এবং সরকারের সহযোগিতামূলক মনোভাবের তাঁরা প্রশংসা করেছেন। দেশ যদি পুরনো পন্থায় চলতো তাহলে টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট দেরি হত এবং আজ আমরা যে পর্যায়ে পৌঁছেছি সেখানে পৌঁছাতে পারতাম না। শ্রী আদর পুনাওয়ালা সরকারের নিয়মাবলীর সংস্কারের প্রশংসা করেছেন। মহামারীর সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব দানের প্রশংসা করেছেন শ্রী সাইরাস পুনাওয়ালা। প্রধানমন্ত্রী কোভ্যাকসিন টিকা নেওয়ায় এবং এই টিকা উদ্ভাবনে সহযোগিতা করার জন্য ডাঃ কৃষ্ণ এল্লা তাঁকে ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদে ডিএনএ ভিত্তিক টিকার প্রসঙ্গ উত্থাপন করায় শ্রী পঙ্কজ প্যাটেল প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। দেশ ��িকাকরণ অভিযানে যে মাইলফলক স্পর্শ করেছে তার জন্য শ্রীমতি মহিমা দাতলা প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতার প্রশংসা করেন। টিকা উদ্ভাবনের পিছনে সমন্বয়ের গুরুত্বের কথা ডাঃ সঞ্জয় সিং জানান। পুরো প্রক্রিয়ায় যেভাবে সরকার এবং শিল্প সংস্থাগুলির মধ্যে সহযোগিতা বজায় ছিল তার জন্য শ্রী সতীশ রেড্ডি প্রশংসা করেন। মহামারীর এই সময়ে সরকার যেভাবে প্রচার চালিয়েছে ডাঃ রাজেশ জৈন সেই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। আলোচনায় সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার শ্রী সাইরাস পুনাওয়ালা ও শ্রী আদর পুনাওয়ালা, ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ডাঃ কৃষ্ণ এল্লা ও শ্রীমতি সুচিত্রা এল্লা, জাইডাস ক্যাডিলার শ্রী পঙ্কজ প্যাটেল ও ডাঃ শেরভিল প্যাটেল, বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেডের শ্রীমতী মহিমা দাতলা ও শ্রী নরেন্দর মান্তেলা, জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের ডাঃ সঞ্জয় সিং ও শ্রী সতীশ রমনলাল মেহতা, ডাঃ রেড্ডির ল্যাবের শ্রী সতীশ রেড্ডি এবং শ্রী দীপক সাপ্রা, পানাকা বায়োটেক লিমিটেডের ডাঃ রাজেশ জৈন ও শ্রী হর্ষিত জৈন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও সার ও রসায়ন প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।",ঘৰুৱা ভেকছিন প্ৰস্তুতকৰ্তাসকলৰ সৈতে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ মত-বিনিম +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A7%B1%E0%A6%BE-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লি, ১৫ অক্টোবর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিমান বাহিনীর সদস্য পত্নীদের কল্যাণ সংগঠনের পক্ষ থেকে পশমের টুপি বানানোর অভিযানের প্রশংসা করেছেন। এই সংগঠনের সদস্যরা সঙ্গিনী হিসেবে পরিচিত। এঁরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৈরি টুপি সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষদের মধ্যে বন্টনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সঙ্গিনীরা মোট ৪১৫৪১টি টুপি তৈরি করেছেন। ভারতীয় বিমান বাহিনীর এক ট্যুইট বার্তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; “প্রশংসনীয় উদ্যোগ।”",উলৰ টুপী বনোৱা অভিযানৰ বাবে বায়ু সেনা পত্নী কল্যাণ সংস্থাক প্ৰশংসা প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D-3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A4-%E0%A6%AA/,"নয়া���িল্লি, ২২ জুন, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে জীবনহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পের খবর শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। বহু মূল্যবান জীবনহানির ঘটনায় আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। এই কঠিন সময়ে ভারত, আফগানিস্তানের জনগণের পাশে রয়েছে এবং সম্ভাব্য সবরকম ত্রাণ সহায়তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দিয়ে সাহায্য করতে প্রস্তুত”।",আফগানিস্তানত ভূমিকম্পত প্ৰাণ হেৰুৱাসকলৰ প্ৰতি শোক প্ৰকাশ প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6/,"নয়াদিল্লী, ১৮ মে, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আফগানিস্তানের কাবুলে কারতে পারওয়ান গুরুদ্বোয়ারায় কাপুরুষোচিত জঙ্গী হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি যেসব ভক্ত সেখানে ছিলেন তাঁদের দ্রুত আরোগ্য ও কল্যাণ কামনা করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “কাবুলে কারতে পারওয়ান গুরুদ্বোয়ারায় কাপুরুষচিত জঙ্গী হানায় আমি স্তম্ভিত। এই বর্বরোচিত হামলার নিন্দা করি এবং ভক্তদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ কামনা করছি।”",কাবুলৰ কৰ্তে পৰৱান গুৰুদ্বাৰাত সন্ত্ৰাবাদীয়ে কাপুৰুষৰ দৰে চলোৱা আক্ৰমণক গৰিহণা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A7%A7-%E0%A7%A8-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7-%E0%A7%A8-%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8/,"নয়াদিল্লি, ৩০ আগস্ট ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১ ও ২ সেপ্টেম্বর কর্ণাটক ও কেরালা সফর করবেন। পয়লা সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী কোচিন বিমানবন্দরের কাছে কালাড়ি গ্রামে আদি শঙ্করাচার্য-এর পূণ্য জন্মভূমি শ্রী আদি শঙ্করা জন্মভূমি ক্ষেত্রম দর্শন করবেন। দোসরা সেপ্টেম্বর সকাল ৯-৩০ মিনিটে শ্রী মোদী কোচিতে কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড-এ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তকে নৌ-বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করবেন। এরপর বেলা ১-৩০ মিনিটে তিনি ম্যাঙ্গালুরু-তে প্রায় ৩,৮০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ শিল্প প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। কোচিতে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী দেশের আত্মনির্ভরতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। কৌশলগত ক্ষেত্রকে তিনি অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। তাঁর এই উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য একটি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শ্রী মোদী দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’কে নৌ-বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করবেন। ভারতীয় নৌ-বাহিনীর ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো এই রণতরীর নকশা তৈরি করেছে। এটি বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রকের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড নির্মাণ করেছে। ভারতের সমুদ্রযাত্রার ইতিহাসে দেশে তৈরি বৃহত্তম এই জাহাজে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা থাকছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত বিমানবাহী এই রণতরীটির নামকরণ ভারতের প্রথম বিমানবাহী রণতরীর নাম অনুসারে করা হয়েছে। ১৯৭১-এর যুদ্ধে ‘বিক্রান্ত’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ভারতের বৃহৎ শিল্প সংস্থা এবং ১০০টির বেশি অণু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলি বিক্রান্ত-এর নির্মাণে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। নৌ-বাহিনীতে ‘বিক্রান্ত’-এর অন্তর্ভুক্তির ফলে ভারতের দুটি বিমানবাহী রণতরী আগামীদিনে সমুদ্রপথে টহল দেওয়ার কাজ করবে। এর ফলে দেশের সামুদ্রিক নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নৌ-বাহিনীর নতুন পতাকা প্রকাশ করবেন। এই পতাকায় ভারতের ঐতিহ্যশালী সামুদ্রিক কর্মতৎপরতার প্রতিফলন থাকবে এবং ঔপনিবেশিক অতীত থেকে দেশ বেরিয়ে আসবে। ম্যাঙ্গালুরুতে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ম্যাঙ্গালুরুতে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ শিল্প প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। শ্রী মোদী ১৪ নম্বর বার্থের স্বয়ংক্রিয়ভাবে পণ্য পরিবহণের জন্য ২৮০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। নিউ ম্যাঙ্গালোর পোর্ট অথরিটি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এই টার্মিনালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পণ্য পরিবহণের ফলে বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে, জাহাজগুলির পণ্য ওঠা-নামার কাজে ৩৫ শতাংশ কম সময় লাগবে এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হবে। এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে। এর ফলে, বন্দরে প্রতি বছর অতিরিক্ত ৪.২ মিলিয়ন টন পণ্য ওঠা-নামা করবে। ২০২৫ সালের মধ্যে পণ্য ওঠা-নামার ক্ষমতা বৃদ্ধ��� পেয়ে হবে বার্ষিক ৬ মিলিয়ন টন। প্রধানমন্ত্রী বন্দরের ৫টি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এগুলি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। সুসংহত এলপিজি এবং বিপুল পরিমাণ পিওএল ওঠা-নামার জন্য অত্যাধুনিক ক্রায়োজেনিক এলপিজি স্টোরেজ ট্যাঙ্ক টার্মিনাল গড়ে তোলা হবে। এর ফলে, দক্ষতার সঙ্গে ৪৫ হাজার টন বৃহদাকারের গ্যাস বহনকারী কন্টেনার পরিবহণ সম্ভব হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার সুফল সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে সহজেই পৌঁছবে এবং ম্যাঙ্গালোর বন্দর দেশের বৃহত্তম এলপিজি আমদানীকারক বন্দর হয়ে উঠবে। শ্রী মোদী ভোজ্য তেল শোধনাগার এবং মজুত রাখার ট্যাঙ্ক নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এর ফলে, বিটুমিন এবং ভোজ্য তেল মজুত রাখার পরিকাঠামো গড়ে উঠবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ভোজ্য তেল ও বিটুমিন ওঠা-নামার কাজে কম সময় লাগবে। প্রধানমন্ত্রী কুলাইতে মৎস্য বন্দর উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এর ফলে, নিরাপদে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে পারবেন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ভালো দাম পাবেন। এই উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজটি সাগরমালা প্রকল্পের আওতায় সম্পন্ন হবে। প্রকল্প রূপায়ণের পর সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মৎস্যজীবীরা আর্থ-সামাজিকভাবে উপকৃত হবেন। প্রধানমন্ত্রী সাগরমালা প্রকল্পের আওতায় ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোক্যামিকেলস্‌ লিমিটেডের দুটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে বিএস-সিক্স মানোন্নয়ন প্রকল্পটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের ফলে শোধনাগার থেকে পরিবেশ-বান্ধব বিএস-সিক্স মানের জ্বালানী উৎপাদিত হবে, যার মধ্যে ১০ পিপিএম-এরও কম সালফার থাকবে। দ্বিতীয় প্রকল্পটি হ’ল – সমুদ্রের জলকে লবণমুক্ত করার একটি প্ল্যান্ট। ৬৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্ল্যান্ট অন্য জায়গা থেকে মিষ্টি জল সরবরাহের উপর নির্ভরশীলতা কমাবে। এর ফলে, সারা বছর ধরে হাইড্রোকার্বন এবং পেট্রোকেমিকেলস্‌ – এর নিয়মিত সরবরাহ নিশ্চিত হবে। প্ল্যান্টটি থেকে প্রতিদিন ৩০ কোটি লিটার সমুদ্রের জলকে লবণমুক্ত করার ফলে শোধনাগারের জলের চাহিদা মিটবে। …",১-২ ছেপ্টেম্বৰত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে কেৰালা আৰু কৰ্ণাটক ভ্ৰমণ কৰি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%A8/,নয়াদিল্লির তিলক মার্গে আগামীকাল অর্থাৎ ১২ জুলাই ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ (এএসআই)-এর একটি নতুন সদর দপ্তর ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। সদর দপ্তরের এই নতুন ভবনটিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী আলো এবং বৃষ্টির জল পুনর্ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার ব্যবস্থা সহ নানা অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। প্রায় দেড় লক্ষ বই ও সাময়িক পত্র-পত্রিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা সহ একটি কেন্দ্রীয় পুরাতাত্ত্বিক গ্রন্থাগারও থাকবে এই নতুন ভবনে।,প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে উদ্বোধন কৰিব নতুন দিল্লীত ভাৰতীয় প্ৰত্নতাত্ত্বিক জৰীপ বিভাগৰ মুখ্য কাৰ্যালয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E2%80%8C-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A7%81-%E0%A7%A9%E0%A7%A6%E0%A6%8F%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE%E0%A6%9F%E0%A7%8B/,সু-৩০ এমকেআই যুদ্ধ বিমান থেকে ব্রহ্মোস্‌ ক্ষেপণাস্ত্রের (এএলসিএম) সফলউৎক্ষেপণে আনন্দ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সফলউৎক্ষেপণের সঙ্গে যুক্ত সকলকেই তিনি অভিনন্দিত করেছেন। “সু-৩০ এমকেআই থেকে এএলসিএম-এর প্রথম সফল উৎক্ষেপণে আমি আনন্দিত। এইউল্লেখযোগ্য সফল্যের সঙ্গে যুক্ত সকলকেই আমি অভিনন্দন জানাই”। – এক বার্তায় বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।,ছু-৩০এমকেআইৰ পৰা প্ৰথমটো ব্ৰাহ্মোছ এএলচিএমৰ সফল পৰীক্ষণত আনন্দিত প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%9C-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%8C%E0%A6%B0%E0%A6%AC-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%B0-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%97%E0%A7%8C%E0%A7%B0%E0%A7%B1-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ১ নভেম্বর ২০২২ ‘মানগড় ধাম-এর গৌরব গাথা’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ এক সর্বজনীন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের শহীদ এবং আদিবাসী নায়কদের অকীর্তিত আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রী গোবিন্দ গুরুর মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ‘ধুনী দর্শন’ করেন। সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীর হৃদয় আদিবাসীদের আত্মোৎত্যাগ, বীরত্ব, তপস্যার এক সামগ্রিক প্রতীক হল মানগড়ের পবিত্র ভূমি যা সব সময়েই আমাদের কাছে অনুপ্রেরণাদায়ক। মানগড় হল রাজস্থ���ন, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাটের মানুষের এক সম্মিলিত ঐতিহ্য। গত ৩০ অক্টোবর গোবিন্দ গুরুর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি মানগড়ের সেবাকর্মে যুক্ত হয়েছিলেন। তিনি বলেন যে গোবিন্দ গুরু তাঁর জীবনের শেষ বছরগুলি এখানে কাটিয়েছিলেন এবং তাঁর জ্ঞান ও শক্তির পরশ আজও এর মাটি থেকে পাওয়া যায়। শ্রী মোদী স্মরণ করেন যে এই সম্পূর্ণ এলাকাটি যা কিনা আগে বিস্তীর্ণ নিষ্ফলা জমি ছিল, তা তিনি ‘বন মহোৎসব’ উপলক্ষে সকলকে বৃক্ষ রোপণের আহ্বান জানানোর পর সবুজ-শ্যামলীমায় রূপান্তরিত হয়েছে। নিঃস্বার্থে এই অভিযানে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আদিবাসী সম্প্রদায়কে অভিনন্দন জানান। শ্রী মোদী বলেন যে উন্নয়ন কেবলমাত্র স্থানীয় মানুষের জীবনধারণের মানোন্নয়নেই পরিললক্ষিত হয়নি, গোবিন্দ গুরুর শিক্ষাকেও তা ছড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, গোবিন্দ গুরুর মতো মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ভারতের আদর্শ এবং ঐতিহ্যের প্রতিভূ। গোবিন্দ গুরু তাঁর পরিবার হারিয়েছেন, কিন্তু তাঁর হৃদয় হারাননি এবং প্রত্যেক আদিবাসী মানুষকে তিনি তাঁর পরিবার করেছেন। গোবিন্দ গুরু আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার অর্জনের লড়াইয়ে কেবলমাত্র ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তাই নয়, তিনি তাঁর নিজের সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতির বিরুদ্ধেও অভিযান চালিয়েছেন তার কারণ তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক, একজন আধ্যাত্মিক নেতা, একজন সাধক এবং একজন নায়ক। তাঁর বৌদ্ধিক এবং দার্শনিক দিক তাঁর সাহসিকতা ও সামাজিক কাজকর্মের মতোই সপ্রতিভ ছিল বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। মানগড়ে ১৯১৩-র ১৭ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে ব্রিটিশ শাসনের ভয়ঙ্কর ক্রূরতার এ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, যখন নিরীহ আদিবাসীরা তাঁদের নিজ ভূমিতে নিজেদের স্বাধীনতা চাইছিলেন, তখন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকরা মানগড়ের পাহাড়কে ঘিরে ফেলে প্রকাশ্য দিবালোকে দেড় হাজারেরও বেশি নিরীহ পুরুষ, মহিলা, বয়স্ক এবং শিশুদের ওপর হত্যাকাণ্ড চালায়। তিনি বলেন যে দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির কারণে স্বাধীনতা সংগ্রামের এরকম একটি উল্লেখযোগ্য ও মর্মভেদী ঘটনা ইতিহাসের বইয়ে উপযুক্ত পায়নি। শ্রী মোদী বলেন, “আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে কয়েক দশকের সেই ভ্রান��তি ভারত আজ সংশোধন এবং পূরণ করছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায় ছাড়া ভারতের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের ইতিহাস কখনই সম্পূর্ণ হবে না। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের গল্পের প্রতিটি পাতা আদিবাসীদের বীরত্বের বিজয়গাথায় পূর্ণ। ১৭৮০-র সেই সময়কালে তিলকা মানঝির নেতৃত্বে সাঁওতাল আন্দোলন হয়েছিল। বুধু ভগতের নেতৃত্বে ১৮৩০-৩২-এ দেশ প্রত্যক্ষ করেছিল লারকা আন্দোলন। ১৮৬৫-তে সিধু-কানহুর আন্দোলন সমগ্র জাতিকে উজ্জীবিত করেছিল। ভগবান বিরসা মুন্ডা তাঁর বীরত্ব এবং দেশাত্মবোধে সকলকে অনুপ্রাণিত করেন। শ্রী মোদী বলেন, “বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত শতবর্ষব্যাপী দাসত্বের এমন কোনো সময়কাল আপনি খুঁজে পাবেন না যেখানে স্বাধীনতার লড়াইয়ের আলোকশিখা আদিবাসী সম্প্রদায় প্রজ্জ্বলিত করেনি।” তিনি উল্লেখ করেন, অন্ধ্রপ্রদেশের আল্লুরি সীতারামা রাজু ছাড়াও তার আগে রাজস্থানে মহারানা প্রতাপের সাথে একযোগে দাঁড়িয়েছিল আদিবাসী সমাজ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আদিবাসী সম্প্রদায়ের এই আত্মোৎত্যাগের প্রতি আমরা ঋণী। এই সমাজ ভারতের প্রকৃতি, পরিবেশ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে ভারতীয় চরিত্রকে সংরক্ষিত রেখেছে।” ১৫ নভেম্বর ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জনজাতীয় গৌরব দিবস উদযাপন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। “স্বাধীনতা সংগ্রামে আদিবাসীদের ইতিহাস সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে শিক্ষিত করে তোলার একটা প্রচেষ্টাই হল এই জনজাতীয় গৌরব দিবস” – বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। আদিবাসী সম্প্রদায়ের ইতিহাসকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে দেশজুড়ে বিশেষ সংগ্রহশালা আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্দেশে নিবেদিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই গৌরব গাথা আমাদের চিন্তা প্রক্রিয়ার অঙ্গ হয়ে উঠবে এবং যুব সম্প্রদায়কে তা অনুপ্রেরণা যোগাবে। দেশে আদিবাসী সম্প্রদায়ের ভূমিকাকে ছড়িয়ে দিতে আরও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত – রাজস্থান, গুজরাট থেকে শুরু করে উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও ওড়িশার বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের কল্যাণে সুস্পষ্ট নীতি নিয়ে দেশ কাজ করছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায়কে পরিশ্রুত পানীয় জল, বিদ্যুৎ সংযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ ‘বনবন্ধু কল্যাণ যোজনা’র মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আজ দেশে বনাঞ্চল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং স���্পদের সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে, আদিবাসী এলাকাকে ডিজিটাল ভারতের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। প্রথাগত কর্মকুশলতার পাশাপাশি আদিবাসী যুব সম্প্রদায়কে আধুনিক শিক্ষার আলোকে আলোকিত করার সুযোগ পৌঁছে দিতে ‘একলব্য আবাসিক বিদ্যালয়’-এর উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। গোবিন্দ গুরুজির নামে তৈরি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বৃহৎ প্রশাসনিক ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করতে জাম্বুঘোড়ায় যাবেন বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে গত সন্ধ্যায় তিনি আমেদাবাদ-উদয়পুর ব্রডগেজ লাইনে একটি ট্রেনের যাত্রার সূচনা করেছেন তিনি। রাজস্থানের মানুষের জন্য ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথের গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রেলপথ গুজরাটের বিভিন্ন আদিবাসী এলাকার সঙ্গে রাজস্থানের আদিবাসী এলাকাকে যুক্ত করবে এবং ঐ এলাকার শিল্প বিকাশ ও কর্মসংস্থানের পথকে গতিশীল করে তুলবে। মানগড় ধামের সামগ্রিক বিকাশ নিয়ে আলোচনার ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তিনি চান এই মানগড় ধামকে আরও বড় আকারে তোলা হোক। রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের সরকারকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী যাতে করে গোবিন্দ গুরুজির এই স্মরণীয় দ্রষ্টব্য স্থান বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নিতে পারে। “আমার স্থির বিশ্বাস, মানগড় ধামের উন্নয়ন আগামী প্রজন্মের কাছে এই এলাকাটিকে এক উৎসাহের ক্ষেত্র করে তুলবে” – বলে আশা প্রকাশ করে শ্রী মোদী তাঁর ভাষণ শেষ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী অশোক গেহলট, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান, সেই রাজ্যের রাজ্যপাল শ্রী মঙ্গুভাই প্যাটেল, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী অর্জুন রাম মেঘাওয়াল, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শ্রী ফগগন সিং কুলস্তে, সাংসদ ও বিধায়কগণ।",‘মংগৰ ধাম কী গৌৰৱ গাথা’ৰ ৰাজহুৱা অনুষ্ঠানত অংশগ্ৰহণ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-3/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A7%A8%E0%A7%AA/,"নয়াদিল্লি, ০৪ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন, উপ-রাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিস এবং মার্কিন জনসাধারণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে @",আমেৰিকা যুক্তৰাষ্ট্ৰৰ ২৪৬ সংখ্যক স্বাধীনতা দিৱসত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শুভেচ্ছা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%80-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AE%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ১৭ আগস্ট ২০২২ স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা এবং রপ্তানির দিক থেকে দেশের যে জেলাগুলি উত্তরোত্তর আকাঙ্ক্ষা পূরণের দিক থেকে সফল হয়ে উঠছে সেগুলি সম্পর্কে বিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেছেন : “দেশের বিভিন্ন জেলা স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা এবং রপ্তানির দিক থেকে আকাঙ্ক্ষা পূরণের ক্ষেত্রে সাফল্য দেখাচ্ছে। তা খুব আনন্দের বিষয়। এই কর্মসূচি রূপায়ণের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন যে এক রূপান্তর প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে চলেছে তা খুশির বিষয়।” https://t.co/",আকাংক্ষী জিলা কাৰ্যক্ৰমৰ সাফল্যৰ পিচত আনন্দ প্ৰাকাশিলে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%8F%E0%A6%AB-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%8F%E0%A6%9B%E0%A6%8F%E0%A6%AB%E0%A7%B0-%E0%A7%AB%E0%A7%A6%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4-2/,"দেশের সম্পদ ও সম্মান রক্ষা, নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত সিআইএসএফ – এর বন্ধুরা, এখানে উপস্থিত সমস্ত বীর পরিবারগুলির সদস্য, ভদ্র মহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ, সুবর্ণ জয়ন্তীর এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছনোর জন্য আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। একটি সংগঠন হিসাবে আপনারা যে ৫০ বছর সম্পূর্ণ করেছেন, সেটি একটি প্রশংসনীয় ব্যাপার। এই দীর্ঘ ৫০ বছরে যে মহানুভবরা এই সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন, মানবসম্পদের সঠিক সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানকে যাঁরা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন – তাঁদের সবাইকে প্রণাম জানাই। দেশের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষিত নিরাপত্তা বাহিনীকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আপনাদের প্রত্যেককেই অভিনন্দন জানাই। ভাই ও বোনেরা, প্রতিবেশী শত্রুরা আমাদের সঙ্গে সম্মুখসমরে অবতীর্ণ হওয়ার ক���ষমতা না থাকার ফলে অন্য ধরণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় আপনাদের এই অভিজ্ঞতা আরও গুরুত্বপূর্ণ। সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় নিয়ে তাঁরা আমাদের নানাভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাই, দেশের সম্পদ রক্ষা করার জন্য আপনাদের সদা সতর্ক থাকতে হয় এবং বিভিন্ন কঠিন সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়। একটু আগে যখন এখানে প্যারেড চলছিল, তখন আমরা সেই প্রাণশক্তি ও সংকল্প অনুভব করছিলাম, যা বৈভবশালী ভারত নির্মাণের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই অসাধারণ প্রদর্শনের জন্য আমি প্যারেড কমান্ডার এবং প্যারেডে যোগদানকারী সকল জওয়ান ও আধিকারিকদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আজ এখানে অনেক সাথীদের উৎকৃষ্ট দেশ সেবার জন্য মেডেল দেওয়া হ’ল। সেজন্য তাঁদের আমি অভিনন্দন জানাই। এছাড়া, যাঁরা সাধারণতন্ত্র দিবসে ঘোষিত পুলিশ পদক এবং জীবন রক্ষক পদক পেয়েছেন, তাঁদেরকেও আমি অভিনন্দন জানাই। বন্ধুগণ, সিআইএসএফ – এর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত মানুষ দেশের সম্পদ নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। নতুন ভারতের নতুন ও আধুনিক ব্যবস্থাকে নিরাপদ রাখার জন্য দেশের আশা ও আকাঙ্খাকে বাস্তবায়িত করতে আপনারা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। আমরা জানি যে, অনেক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। তার সাজসজ্জা, কর্মপদ্ধতি ও গঠন প্রণালী আমরা ব্রিটিশ শাসকদের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। সময়ানুকূল বেশ কিছু পরিবর্তনও এসেছে। কিন্তু খুব কম সংস্থাই রয়েছে, যেগুলি স্বাধীনতার পর দেশের প্রয়োজনের কথা ভেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এরকম ব্যতিক্রম সংস্থার মধ্যে সিআইএসএফ অন্যতম, যা স্বাধীন ভারতের সৃষ্টি। স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য জন্ম নেওয়া সংগঠনগুলির মধ্যে সিআইএসএফ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাহিনী। এর জন্ম, লালন-পালন, এর বিকাশ ও বিস্তারের ক্ষেত্রে এর সুযোগ্য নেতৃত্বের ‘প্রোগ্রেসিভ আনফোল্ডমেন্ট’ অত্যন্ত কার্যকরি ভূমিকা পালন করেছে। আর এই সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ এই বাহিনীর জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমরা যাঁরা শাসন ক্ষমতায় রয়েছি, ক্যাবিনেটে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রতিটি বিষয়কে মঞ্জুর করি – আপনাদের দায়িত্বের ক্ষেত্রে এরচেয়ে অনেক বেশি নিয়মানুবর্তিতা ও সতর্কতা পালন করতে হয়। বিগত ৫০ বছরে দেশের অসংখ্য মানুষের প্রয়োজনকে মাথায় রেখে এ ধরণের সংস্থার কর্মপদ্ধতি বিকশিত ও বিস্তারিত হয় বলেই এ ধরণের সংগঠন দেশবাসীর হৃদয়ে একটি বিশ্বাসের সম্বল হয়ে ওঠে। সেজন্য আমি আপনাদের যতই ধন্যবাদ জানাই, তা কম হবে। রাজেশ রঞ্জনজী বলছিলেন যে, আমাদের জন্য আশ্চর্যের ও আনন্দের বিষয় হ’ল – স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আমাদের অনুষ্ঠানে এসেছেন। কিন্তু আমি বলি, এখানে না এলে আমি অনেক কিছুই পেতাম না। ৫০ বছরের তপস্যা কম নয়। বছরে ৩৬৫ দিন চোখ খোলা রেখে মস্তিষ্ককে তটস্থ রেখে, হাত-পা ও শরীরকে প্রতিদিন লাগাতার ৮ – ৯ ঘন্টা প্রস্তুত রেখে শত শত দুর্ঘটনা ও ভয়ানক বিপর্যয় থেকে দেশকে আপনারা বাঁচাতে থাকেন। দু – একটি এমন ঘটনা ঘটে যেতে পারে, যা সারা বছরের তপস্যায় জল ঢেলে দেওয়ার মতো। সেজন্য আপনারা আরও সতর্ক থাকেন। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আমিও সর্বদা নিরাপত্তা বলয়ে বেষ্টিত থাকি। বিশেষ ব্যক্তি বা সংস্থাকে এরকম নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে রাখাও সহজ কথা নয়। আমাকে ক্ষমা করবেন, কোনও ব্যক্তিকে নিরাপত্তা বলয়ে বেষ্টিত রাখা এতটা কঠিন নয়, যতটা কঠিন একটি প্রতিষ্ঠানকে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে বেষ্টিত রাখা, যেখানে ৮ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করে, প্রতিটি চেহারা নতুন প্রত্যেকের আচার-ব্যবহার আলাদা, তাঁদের থেকে একটি প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা দেওয়া যে কোনও বড় ভিআইপি-কে নিরাপত্তা দেওয়ার থেকে লক্ষ গুণ কঠিন কাজ। যা আপনারা করেন এবং দেশের প্রতিটি উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে রাখেন। আপনারা শুধুই কোনও প্রতিষ্ঠানের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন না। আপনারা শুধুই ভারতের উন্নয়ন যাত্রাকে নিরাপদ রাখেন না, আপনারা ভারতের উন্নয়ন যাত্রাকে একটি বিশ্বাসের অনুভবে মাত্রান্বিত করে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হ’ল আপনারা অনেকেই আমাদের মতো অনেক রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে তাঁরা নিজেদের শাহেনশাহ্‌ হিসাবে, বড় ভিআইপি বলে মনে করেন। বিমানবন্দরে আপনারা যদি তাঁদের কোনও জিজ্ঞাসাবাদ করেন, তা হলে তাঁদের পারদ চড়ে যায়, রেগে যান, অপমানিত বোধ করেন, ‘দেখে নেব’ বলে শাসান। আপনারা হাত জোড় করে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, সাহেব এটা আমার ডিউটি। কিন্তু তাঁরা কোনও মতেই বুঝবেন না – এটাই আমাদের দেশের ভিআইপি সংস্কৃতি। আমি আপনাদের একটি অভিজ্ঞতার কথা শোনাই। আমি যখন দলের কাজ করার জন্য সারা দেশ ঘুরে বেড়াতাম। তখন একজন অগ্রজ নেতাও আমার সঙ্গে ছিলেন। আমাদের দেশে এমন কিছু বিমানবন্দর রয়েছে, যেখানে নিরাপত্তার অভাবে ডবল চেকিং হয়। যেমন – শ্রীনগর, আগে গুয়াহাটিতেও এমন হ’ত – এখন কী হয় তা আমি জানি না। তো আমার সঙ্গে যে বড় নেতা ছিলেন, তাঁকে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা রক্ষী থামিয়ে চেক করতে শুরু করেন। তখন নেতা রেগে যান। ভেতরে সিটে গিয়ে যখন তিনি বসেন, তখন আমার সঙ্গে পর্যন্ত তিনি কথা বলছিলেন না। পরবর্তী ক্ষেত্রে আমি তাঁকে বললাম যে, আপনি আগে যাবেন না, আপনি আমার পেছন পেছন আসুন, আমি আগে চেকিং করাবো। আমি রক্ষীর সামনে গিয়ে হাত তুলে বললাম, নিন ভাই আরতি সেরে নিন! রক্ষী বললেন, সাহেব আমি আপনাকে চিনি। আমি বলি, তাতে কী হয়েছে, আপনি আপনার কর্তব্য পালন করুন। না হলে আমি যাব না। আপনারা মেটাল ডিটেক্টরকে যেভাবে ঘুরিয়ে চেক করেন – তাকে আমি আরতি বলি। তারপর আমি নেতাকে বলি, আসুন, এটা ভাববেন না যে, আপনার চেকিং হচ্ছে বরং ভাবুন আপনার আরতি হচ্ছে। এজন্য গর্ববোধ করুন। আমি জানি যে, এই ভিআইপি সংস্কৃতি কখনও কখনও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সঙ্কট হয়ে ওঠে। কিন্তু আমি নিজে গোড়া থেকে নিয়মানুবর্তী পালন করি বলে, আমাকে নিয়ে কারও সমস্যা হয় না। এখন আপনাদের বাহিনীতে দেড় লক্ষ রক্ষী রয়েছেন। এই সংখ্যা বৃদ্ধি করে ১৫ লক্ষ করে দিলেও যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের নাগরিকরা নিয়মানুবর্তী না হবেন, আপনাদের কাজ করতে সমস্যা হবে। সেজন্য এই সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে আমরা কিভাবে নাগরিকদের আরও প্রশিক্ষিত করতে পারি, এত বড় নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করতে পারি, বোঝাতে পারি – তার প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্য আপনাদের অসাধারণ প্যারেড দেখতে দেখতে আমার মনে একটি ভাবনার উদয় হয়েছিল, যা আজ আপনাদের কাছ বলব বলে ভেবেছি। আমার মনে হয়েছে যে, কোনও বিমানবন্দরে এবং মেট্রো স্টেশনে আমরা ডিজিটাল মিউজিয়াম গড়ে তুলব, সেই মিউজিয়ামের পর্দায় লাগাতার প্রদর্শিত হবে কিভাবে সিআইএসএফ – এর জন্ম হয়েছে, এর বিকাশ ও বিস্তার কিভাবে হয়েছে। কী ধরণের পরিষেবা প্রদান করা হয়, জনগণের কাছ থেকে এই রক্ষীরা কী ধরণের সহযোগিতা চান, বিমানবন্দর কিংবা মেট্রো স্টেশনে যাতায়াতকারী যাত্রীরা এগুলি দেখলে তাঁদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। তাঁরা অনুভব করবেন যে, ২৪ ঘন্টা কর্মরত মানুষদের সম্মান জানানো উচিৎ এবং তাঁদের জন্য গর্ব করা উচিৎ। এই সচেতনতা অত্যন্ত প্রয়োজন, তবেই আমরা নাগরিকদের নিয়মানুবর্তী হতে প্রশিক্ষণের পথে নিয়ে যেতে পারব। এক্ষেত্রে আমি আপনাদের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি। সিআইএসএফ – এ অন্যান্য কেন্দ্��ীয় সুরক্ষা বাহিনীর তুলনায় মহিলাদের সংখ্যা অনেক বেশি। এর মাধ্যমে দেশের শক্তি নিশ্চিতভাবেই নতুন করে তুলে ধরা হচ্ছে। আমি সিআইএসএফ – এ কর্মরত মহিলাদের তাঁদের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানাই, তাঁদের বাবা-মা’কে অভিনন্দন জানাই, বিশেষ করে, তাঁদের মা’কে যিনি কন্যাকে নিরাপত্তা রক্ষীর ইউনিফর্ম পরিধান করে দেশের উন্নয়নযাত্রাকে নিরাপদ করার দায়িত্ব নিতে প্রেরণা যুগিয়েছেন। এই কন্যাদের লক্ষ লক্ষ অভিনন্দন। বন্ধুগণ, নিরাপত্তা এবং সেবা ভাব নিয়ে আপনারা যেভাবে কাজ করছেন – তা দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন ভারতের জন্য যে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, বন্দর গড়ে উঠছে, বিমানবন্দর গড়ে উঠছে, মেট্রো বিস্তার লাভ করছে, যত বড় বড় শিল্পোদ্যোগ ও ব্যবসা চালু হচ্ছে – সেগুলির নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনাদের ওপর রয়েছে। দেড় লক্ষেরও বেশি কর্মীর শক্তিতে সমৃদ্ধ এই বাহিনী ভারতে পা রাখা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের নিরাপদ অনুভব করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বন্ধুগণ, বিমানবন্দর এবং মেট্রোগুলিতে আজ আপনাদের কারণেই নিরাপদ, আপনাদের সমর্পণ, সতর্কতা এবং আপনাদের ওপর জনগণের বিশ্বাসই এই নিরাপত্তার ভিত্তি। এখন তো দেশে দ্রুতগতিতে বিমানবন্দর এবং মেট্রো পরিষেবা বিস্তার লাভ করছে। উভয় ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বে এ ধরণের পরিষেবার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছি। বন্ধুগণ, আমার অনেকবার মেট্রোতে যাতায়াত করার সৌভাগ্য হয়েছে। আমি দেখেছি, আপনারা কতটয়া পরিশ্রম করেন, কিভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা প্রত্যেক যাত্রীর দিকে নজর রাখেন, তাঁদের জিনিসপত্রের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখেন, আপনাদের পরিশ্রমের ফলেই সাধারণ মানুষের মেট্রো রেল ও বিমান যাত্রা সুখময় হয়। কিন্তু অনেকেই ভাবেন, আপনাদের কাজ শুধু এতটুকুই! শুধু তল্লাশী নেওয়া বন্ধুগণ, দেশবাসীর এটা জানা প্রয়োজন যে, সিআইএসএফ – এর প্রত্যেক নিরাপত্তা কর্মী শুধু তল্লাশীর কাজই করেন না, মানবিক সংবেদনশীলতার সঙ্গে নিরাপত্তার প্রতিটি পর্যায় সুচারু রূপে পালন করেন। বন্ধুগণ, বিপর্যয় মোকাবিলায় আপনাদের তৎপরতা সর্বদাই প্রশংসনীয়। গত বছর কেরলে ভয়ানক বন্যায় আপনাদের মধ্যে অনেকেই দিন-রাত এক করে মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার কাজ করেছেন, শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও আপনারা বিপর্যয় মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। নেপালে প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পের পর আপনাদের অবদান আন্তর্জাতিক স্তরে উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই ভয়ানক বিপর্যয়ের ফলে যেসব পরিবার তাঁদের পরিজনদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন, তাঁদেরকে আবার পরিবারে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনারা সম্পূর্ণ সংবেদনশীলতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। একইভাবে, মেয়েদের নিরাপত্তা রক্ষায় আপনাদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। বন্ধুগণ, আজকের এই সমারোহে আমরা যখন একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি, আমাদের সেই সহযোগীদের স্মরণ করতে হবে, যাঁরা দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আত্মবলিদান দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন। সন্ত্রাস ও হিংসাকে উৎসাহ যোগানো, অপশক্তিগুলির হাত থেকে দেশ ও আমাদের অমূল্য ঐতিহ্যকে, আমাদের সম্পদ রক্ষার জন্য যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছেন, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ কিংবা অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীর সৈনিকরা, আপনাদের এই আত্মবলিদানের ফলেই আজ আমরা নতুন ভারতের স্বপ্ন দেখতে পারছি। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ ছাড়াও পুলিশের ৩৫ হাজারেরও বেশি কর্মী আত্মোৎসর্গ করেছেন। আমি সেই শহীদদের শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু এই সুরক্ষা বাহিনীগুলির সঙ্গে যুক্ত মানুষদের আমি মন থেকে বলতে চাই, আবেগ নিয়ে বলতে চাই যে, এই খাকি ইউনিফর্ম পরা মানুষদের এদেশে যতটা সম্মান পাওয়া উচিৎ ছিল, তা তাঁরা পাননি। এদেশের সাধারণ মানুষও তাঁদেরকে সেই মর্যাদা দেননি। সেজন্য স্বাধীনতার পর প্রথমবার লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আমি ৩৫ হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মীদের আত্মবলিদানকে শহীদের মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছিলাম। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষের মনে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই আমি এমনটি করেছিলাম, যাতে প্রত্যেক কন্সটেবলের সঙ্গেও তাঁদের বযবহারে পরিবর্তন আসে। আমরা যত বেশি আমাদের নিরাপত্তা কর্মীদের সম্মান করতে শিখব, দেশ তত বেশি নিরাপদ থাকবে – একথা মাথায় রেখেই আমরা দিল্লিতে জাতীয় পুলিশ স্মারক গড়ে তুলেছি। আমি চাই, দেশের প্রতিটি স্কুলের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে তাঁদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই পুলিশ স্মারক দেখানোর জন্য নিয়ে আসুন। তারা এই স্মারক দেখে অনুভব করুক যে, কাঁরা আমাদের নিরাপদ রাখতে তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাঁদের বীরগাথা, তাঁদের শৌর্য পরবর্তী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করুক। শহীদদের পরিবারের পাশে যেন দেশের সাধারণ মানুষ এসে দ��ঁড়ান, সহানুভূতিশীল হন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এখানে খোলা জীপে দাঁড়িয়ে যখন এসেছিলাম, তখন তিন প্রজন্মের পুলিশ কর্মীদের দর্শন লাভের সৌভাগ্য হয়েছে। এখানেও আপনাদের পরিবারের তিন প্রজন্মকে দেখে আমি মুগ্ধ। বয়ঃবৃদ্ধ, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীরা ও সেবারত উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা আপনাদের মতো নবীন প্রজন্মের মানুষদের সঠিক পথ প্রদর্শন করবেন। পাশাপাশি, এখানে আপনাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের সৌভাগ্য হ’ল। দেশের প্রতি আপনাদের সেবায়, তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য। আমি তাঁদেরকেও প্রণাম জানাই। তাঁরাই কর্মরত মানুষদের তটস্থ থাকতে শক্তি যোগান। বন্ধুগণ, তীব্র গরমে, প্রবল ঠান্ডায়, ভীষণ বৃষ্টিতে আপনারা নিজেদের কর্মে অটল থাকেন। দেশবাসীর জন্য হোলি, দেওয়ালী ও সমস্ত উৎসব অনুষ্ঠান থাকে। কিন্তু আপনাদের তখন দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। আমাদের নিরাপত্তা কর্মীদের পরিবারের সদস্যরাও এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত থাকেন। তাঁদেরও স্বপ্ন ও আকাঙ্খা রয়েছে। তাঁরাও সাধারণ মানুষের মতো আশঙ্কায় ভোগেন। কিন্তু দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁরা সমস্ত সমস্যাকে হাসিমুখে মোকাবিলা করেন আর জয়লাভ করেন। যখন কোনও অসহায় শিশু ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকায় মোড়া নিজের পিতাকে স্যালুট জানাচ্ছে – এরকম ছবি দেখি, যখন কোনও বীরাঙ্গনা তাঁর জীবনসঙ্গীকে হারানোর দুঃখে হাহাকার করে ওঠেন, তখন আমরা নিজেদের অশ্রু পান করে ……..!",চিআইএছএফৰ ৫০সংখ্যক প্ৰতিষ্ঠা দিৱস উদযাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%9A%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8/,"নয়াদিল্লি, ২১ এপ্রিল, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উপজাতি সুবিধাভোগীদের সঙ্গে আলাপচারিতার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে বলেছেন, “বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উপজাতি সুবিধাভোগীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নিয়ে আমি খুবই আনন্দিত। গত কয়েক বছরে তাঁদের জীবনযাত্রা আরও সহজ করে তোলা হয়েছে। ভিডিওটি দেখুন …”",বিভিন্ন চৰকাৰী আঁচনিৰ জনজাতীয় হিতাধিকাৰীসকলৰ সৈতে বাৰ্তালাপৰ এটা ভিডিঅ’ শ্বেয়াৰ প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B7-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%AC-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%A6-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%97%E0%A6%A0%E0%A6%A8%E0%A6%A4/,"উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের এক্স-অফিসিও চেয়ারম্যান পদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী্কে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে আজ (১৩ জুন, ২০১৮) এই মর্মে কেন্দ্রীয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিকাশ মন্ত্রকের একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদ হল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আটটি রাজ্যের রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিকাশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) অন্তর্ভুক্তির একটি প্রস্তাবও গৃহীত হয় মন্ত্রিসভার আজকের বৈঠকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়িত হয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের উদ্যোগে। মন্ত্রিসভার আজকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিকাশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীরা মিলিতভাবে একটি মঞ্চ গঠনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আন্তঃরাজ্য বিষয়গুলি সম্পর্কে আলাপ-আলোচনাক্রমে ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এছাড়াও, বিভিন্ন আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ থেকে নেওয়া উদ্যোগগুলি সম্পর্কেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদ চিন্তাভাবনা করতে পারবে। এই ধরণের বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে – মাদক পাচার, অস্ত্রশস্ত্রের চোরাচালান, সীমানা বিতর্ক ইত্যাদি। নতুনভাবে গড়ে তোলার ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠান হিসাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদ আরও কার্যকরভাবে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব পালন করবে। বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি রূপায়ণ সম্পর্কে সময়ে সময়ে পর্যালোচনার মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি, রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে সমন্বয়সাধনের কাজও করে যাবে পরিষদ।",উত্তৰ-পূব পৰিষদ পুনৰ গঠনত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%AA-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC/,"নয়াদিল্লি, ০৪ অক্টোবর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী অরুণাচল প্রদেশের জং – এ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সুন্দরভাবে রক্ষণা-বেক্ষণ করায় তার প্রশংসা করেছেন। অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পেমা খান্ডুর ট্যুইটের জবাবে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ট্যুইটে বলেন, “দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। এই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রশংসার যোগ্য”।",সুন্দৰ ৰক্ষণাবেক্ষণৰ বাবে অৰুণাচলৰ ‘জং চৰকাৰী মাধ্যমিক বিদ্যালয়’লৈ অভিনন্দন জনাইছে প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-2/,"মাননীয় রাষ্ট্রপতি মহোদয়, এখানে উপস্থিত সমস্ত সম্মানীত ব্যক্তিবর্গ এবং আজ যাঁদের সম্মান জানানো হয়েছে, সেই সমাজের প্রতি সমর্পিতপ্রাণ ব্যক্তিবর্গ। আমি সবার আগে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি, কারণ, অন্য একটি কাজে ব্যস্ত থাকায় এখানে আসতে দেরী হয়েছে। আজ বিশ্ব যখন পূজনীয় বাপুর সার্ধশত জন্মবর্ষ পালন করছে, সেই বছরে ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’ পাবার গুরুত্বই আলাদা। যেসব ব্যক্তি ও সংগঠন এই পুরস্কার পাচ্ছেন, যেমন – কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ কেন্দ্র, একল বিদ্যালয়ের মতো সংগঠনগুলি সমাজের প্রান্তিক মানুষদের সন্তানদের শিক্ষা প্রসারে ও জীবনযাপনের মানোন্নয়নে সমর্পণ ভাব নিয়ে কাজ করে চলেছে – তাঁদেরকে আমার অনেক অনেক অভিনন্দন। গান্ধীজীকে একবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তাঁকে স্বাধীনতা ও পরিচ্ছন্নতার মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হলে তিনি কোনটিকে বেছে নেবেন? তিনি বলেছিলেন যে, ‘আমি পরিচ্ছন্নতাকেই বেছে নেব’। স্বাধীন ভারতে পূজনীয় বাপুর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের সকলের। দেশের যে কোনও প্রান্তে আজ যাঁরাই পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে বা শৌচালয় নির্মাণে নিজেদের উৎসর্গ করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই আমার কাছে সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব। দেশের শিশুদের মধ্যাহ্ন ভোজনের প্রকল্প সমস্ত রাজ্যেই চালু রয়েছে। কিন্তু অক্ষয়পাত্র সংগঠন এই সেবাকর্মকে একটি সংগঠিত অভিযানে পরিণত করেছে। কয়েকদিন আগেই বৃন্দাবনে গিয়ে আমার অক্ষয়পাত্র সংস্থার ৩০০ কোটিতম থালি পরিবেশনের সৌভাগ্য হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারও দেশে অপুষ্টি নিবারণে একটি বড় অভিযান চালিয়েছে। কারণ, আমরা মনে করি, ভারতের শিশুরা সুস্থ থাকলেই দেশ ও দেশের ভবিষ্যৎ সুস্থ থাকবে। এই অভিযানে সারা দেশে উল্লেখযোগ্য গণঅংশীদারিত্ব রয়েছে। আর জনগণ যখন স্বেচ্ছায় কোনও অভিযানে অংশগ্রহণ করেন, তখন তার শক্তি অবলীলায় বেড়ে যায়। দেশের স্বাধীনতায় মহাত্মা গান্ধীর সাফল্য এসেছে সারা দেশে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী অসংখ্য মানুষের ত্যাগ ও তিতিক্ষার ফলে। যত বছর দেশ পরাধীন ছিল, তত বছর ধরেই দেশের কোনও না কোনও প্রান্ত থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা উঠে এসেছেন। কিন্তু গান্ধীজী এই আন্দোলনকে গণআন্দোলনে পরিণত করতে পেরেছিলেন বলেই সাফল্য পেয়েছিলেন। তিনি বলতেন, আমরা সমাজের যে কোনও কাজই যদি নিষ্ঠার সঙ্গে করি, তা হলেই আমরা স্বাধীনতার জন্য কাজ করব। এই মনোভাব দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে গণঅংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করেছে। গান্ধীজীর প্রদর্শিত সেই পথ ধরেই আমরা তাঁর সার্ধশত জন্মবর্ষে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছি। ২০২২ সালে দেশ যখন স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি উৎসব পালন করবে, তার আগেই আমরা গান্ধীজীর স্বপ্নের ভারত গড়ে তুলতে চাই। পূজনীয় বাপু একজন বিশ্ব মানব ছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদানের চরম ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি সপ্তাহে একদিন জন্ডিস ও কুষ্ঠ রোগীদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। কুষ্ঠ রোগীদের প্রতি সমাজের মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য তাঁর অনুগামী সস্কাওয়াজী প্রায় চার দশক ধরে কাজ করে চলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে কুষ্ঠ নিয়ে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর মতো ব্যক্তিত্বকে সম্মানীত করার মাধ্যমে পূজনীয় বাপুকে সত্যিকরের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের এই প্রচেষ্টাকে আমি অভিনন্দন জানাই। বিশ্বব্যাপী মহাত্মা গান্ধীর সার্ধ জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে সারা পৃথিবীর ১৫০টি দেশের ১৫০জন বিখ্যাত শিল্পী গান্ধীজির প্রিয় ভজন “বৈষ্ণব জন তো তেনে কহিয়ো” সুন্দরভাবে গেয়েছেন। যে কেউ চাইলে ইউ টিউবে তাঁদের গাওয়া গানগুলি শুনতে পাবেন। এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে সারা পৃথিবীতে ভারতের সম্মান বাড়ছে। বিশ্ববাসী আজ অনুধাবন করছেন যে, গান্ধীজির আদর্শ মানবকল্যাণে কতটা উপকারী! সেজন্যে ভারতের প্রতিটি শিশু, প্রত্যেক নাগরিক গর্ব করতে পারেন। আপনাদের সবাইকে আরেকবার শুভেচ্ছা জানিয়ে, পূজনীয় বাপুর চরণে প্রণাম জানিয়ে, বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",নতুন দিল্লীৰ ৰাষ্ট্ৰপতি ভৱনত ‘গান্ধী শান্তি বঁটা’ প্ৰদান অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%93%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%AD%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%93%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A3%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8/,"নয়াদিল্লি, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ওনাম উপলক্ষে সকলকে বিশেষ করে কেরলের মানুষ এবং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা মালয়ালি সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একটি ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; “সকলকে বিশেষ করে কেরলের মানুষ এবং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা মালয়ালি সম্প্রদায়কে ওনামের শুভেচ্ছা। এই উৎসব প্রকৃতি মাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং আমাদের কঠোর পরিশ্রমী কৃষকদের গুরুত্বকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। ওনাম আমাদের সমাজে আরও ঐক্যের বার্তা বয়ে আনুক।”",ওনামত জনসাধাৰণক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ অভিনন্দ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5-%E0%A6%93-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A6%AA%E0%A6%A4-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%B9%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF/,"নতুনদিল্লি, ২৫শে মার্চ, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যোগী আদিত্যনাথ ও তাঁর মন্ত্রীপরিষদের সদস্যদের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিগত ৫ বছরে বেশ কিছু সাফল্যর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আশা করেন মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্যে উন্নয়নের নতুন অধ্যায় রচিত হবে। প্রধানমন্ত্রী এক ট্যুইটবার্তায় বলেছেন, “@myogiadityanathজি ও তাঁর মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ায় অভিনন্দন জানাই। বিগত ৫ বছরে রাজ্যের উন্নয়নের উদ্যোগে কোন ছেদ পড়েনি। আমার বিশ্বাস , আপনার নেতৃত্বে রাজ্যের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে আর উন্নয়নের নতুন অধ্যায় রচিত হবে।“",শপত গ্ৰহণ কৰা যোগী আদিত্যনাথ আৰু তেওঁৰ মন্ত্ৰীমণ্ডললৈ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ অভিনন্দ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%95-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%B0-%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A7%B0/,"1. আমরা ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা ব্রিক্‌স দেশ গোষ্ঠীর প্রধানরা ৩০ নভেম্বর, ২০১৮-য় এক ঘরোয়া বৈঠকে মিলিত হই। আর্জেন্টিনার বুয়েন্‌স এয়ার্স-এ জি-২০ শিখর সম্মেলনের ফাঁকে এই বৈঠক হয়। ২০১৮-র জি-২০ শিখর সম্মেলন আয়োজন করার জন্য এবং আমাদেরকে আতিথেয়তা প্রদান করার জন্য আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতিকে আমরা অভিনন্দন জানাই। 2. আমরা আন্তর্জাতিক রাজনীতি, নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ইস্যুতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পন্থাপদ্ধতি নিয়ে মতবিনিময় করি। বিশ্ব শান্তি ও সুস্থিতির লক্ষ্যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের দিশা-নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করার জন্য আমরা পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তি, সুস্থিতি বজায় রাখার জন্য আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহমত হয়েছি। 3. আমরা জঙ্গি আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাই। কয়েকটি ব্রিক্‌স গোষ্ঠীভুক্ত দেশ-সহ সমগ্র বিশ্বে সব অর্থে সন্ত্রাসবাদের সমালোচনা করি আমরা। সন্ত্রাসবাদ নির্মূলীকরণে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্থির করা দিশা-নির্দেশ অনুযায়ী ও আইনি পন্থাপদ্ধতি অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক স্তরে সন্ত্রাস সমস্যা মোকাবিলায় যৌথ প্রয়াস চালানোর অঙ্গীকার নিয়েছি আমরা। সন্ত্রাস মোকাবিলার ক্ষেত্রে আমরা সব দেশগুলিকে একটি সুসংহত পরিকল্পনা গ্রহণ করার আবেদন জানাই। 4. আমরা বিশ্ব বাণিজ্য প্রক্রিয়ার আওতায় স্বচ্ছ লেনদেন, মুক্ত বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যবসায়িক আদান-প্রদানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। 5. আমরা ডব্লিউটিও-র সামঞ্জস্যহীন পদক্ষেপগুলির বিরোধ করে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাতে যে প্রতিশ্রুতিগুলি গ্রহণ করা হয়েছে জি-২০ দেশগুলির পক্ষ থেকে সেগুলিকে অবলম্বন করব। 6. বর্তমান ও ভবিষ্যতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডব্লিউটিও-র সঙ্গে আমরা একযোগে কাজ করে যাব। এই লক্ষ্যে ডব্লিউটিও গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির স্বার্থসমূহ প্রতিফলিত হতে হবে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলির স্বার্থসমূহেও নজর দিতে হবে। 7. আমরা ডব্লিউটিও-র যথাযথ কাজকর্মের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। এটি সঠিকভাবে কাজ করলে সদস্য দেশগুলি ভবিষ্যতে এর ওপর আস্থা বজায় রাখতে পারবে। 8. ডব্লিউটিও গোষ্ঠীভুক্ত অন্য দেশগুলির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে ও সহযোগিতা বাড়াতে আমরা সম্মত হয়েছি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং বিশ্ব অর্থনীতির মজবুতীকরণের লক্ষ্যে আমরা একযোগে কাজ করে যাব। 9. আমরা জি-২০-র শিখর সম্মেলনে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতির মূল ভাবনা সুস্থিত উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বচ্ছ চিন্তাভাবনা গঠন এবং এই লক্ষ্যে কাজের জন্য পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টি স্বাগত জানাই। খাদ্য নিরাপত্তা এবং সুস্থায়ী ভবিষ্যতের জন্য আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি যে লক্ষ্য স্থির করেছেন তাকেও স্বাগত জানাই। 10. আমরা পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং বিশ্বে সম্পদের যথাযথ মূল্যায়ন, বিপর্যয় মোকাবিলা এবং নতুন উন্নয়ন ব্যাঙ্ক সহ যৌথ উদ্যোগগুলি কার্যকর করার বিষয়ে জোর দিয়েছি। 11. আমরা আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তার দাবি জানাই। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক তহবিল বা আইএমএফ-এর অন্তর্ভুক্ত সব সম্পদের যথাযথ ব্যবহার প্রয়োজন। আইএমএফ-এর পঞ্চদশ সাধারণ পর্যালোচনায় যে বিষয়গুলি উঠে এসেছে তা যথাযথভাবে পালনে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। বিশ্ব অর্থনীতির উন্নয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলির ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ২০১৯-এর বার্ষিক বৈঠকের আগে অর্থনীতির উন্নয়নের ওপর আরও জোর দিতে হবে। 12. ধারাবাহিক উন্নয়ন, ২০৩০-এর সম্মেলনের মূল ভাবনা। এটি কার্যকর করার জন্য যথাযথভাবে কাজ করতে হবে। সর্বসম্মতভাবে মুক্ত বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। আমরা উন্নত দেশগুলিকে তাদের সরকারি উন্নয়নমূলক সহায়তা সম্পর্কে যে দায়বদ্ধতা রয়েছে তাকে সম্মান জানানোর আহ্বান জানাই এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিকে অতিরিক্ত উন্নয়নমূলক সহায়সম্পদ যোগানোর অনুরোধ রাখছি। 13. বিশ্ব অর্থনীতির সম্প্রসারণ হচ্ছে। যদিও বর্তমানে এর ভারসাম্যে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। আমরা সবরকম সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কোন বড় ধরণের অর্থনৈতিক বিপর্যয় যেন না হয় এবং বর্তমানে যে সমস্যা রয়েছে তা দ্রুত সমাধান করা যায়, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে চলেছি। আমরা অর্থনীতিবিদদের নীতি নির্ধারণের জন্য আহ্বান জানাই। 14. জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আমরা প্যারিস চুক্তি কার্যকর করার বিষয়ে সম্পূর্ণ সহমত জানাই। আমরা উন্নত দেশগুলিকে তাদের অর্থনৈতিক, কারিগরি ও নির্মাণ ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানাই। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি গ্রহণের জন্য উন্নত দেশগুলি সর্বত সহায়তা করবে এটাই আমাদের কামনা। সবুজ জলবায়ু তহবিল সফলভাবে রূপায়ণের জন্য আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। 15. ২০১৮ সালের ২৫ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত জোহানেসবার্গে সফলভাবে দশম ব্রিক্‌স শিখর সম্মেলন আয়োজনের জন্য আমরা দক্ষিণ আফ্রিকাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাই। আমাদের জনগণের উন্নয়নে আমরা কৌশলগত অংশীদারিত্ব বজায় রাখতে সম্মত হয়েছি। অর্থনীতি, শান্তি, নিরাপত্তা, মানুষে-মানুষে সংযোগ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানোন্নয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্বে ব্রিক্‌স যে সাফল্য অর্জন করেছে আমরা তাতেও সন্তোষ প্রকাশ করি। নতুন শিল্প বিপ্লব, ব্রিক্‌স টিকা গবেষণা উন্নয়ন কেন্দ্র, ব্রিক্‌স শক্তি গবেষণা সহযোগিতা ক্ষেত্র-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্রিক্‌স-এর কার্যকর ভূমিকার প্রশংসা করি আমরা। জোহানেসবার্গ শিখর সম্মেলন ও এর আগের অন্যান্য সম্মেলনগুলিতে যে বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে সেগুলির যথাযথ রূপদানের বিষয়ে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। 16. ২০১৯ সালে ব্রাজিলের আয়োজনে একাদশ ব্রিক্‌স শিখর সম্মেলনের দিকে আমরা এখন তাকিয়ে রয়েছি। সফলভাবে ঐ সম্মেলন সম্পূর্ণ করার জন্য আমরা ব্রাজিলকে আমাদের পূর্ণ সমর্থন জানাই।",জি-২০ সন্মিলনৰ লগত সংগতি ৰাখি ব্ৰিকছ নেতৃবৰ্গৰ অনানুষ্ঠানিক বৈঠকৰ বিবৃতি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%A6%E0%A7%AC%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%A6%E0%A7%AC%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8B%E0%A6%B9/,"মঞ্চে উপস্থিত পাঞ্জাবের মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী ভি পি সিং, আমার মন্ত্রিসভার সদস্য, আমার সহযোগী ডঃ হর্ষ বর্ধন, অন্যান্য গণ্যমান্য অতিথিবৃন্দ, এখানে উপস্থিত ছাত্রছাত্রী এবং প্রতিনিধিগণ। আপনাদের সকলকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের ১০৬তম অধিবেশনের উদ্বোধন করে, প্রখ্যাতসব বৈজ্ঞানিক, বিদ্বান ব্যক্তিবর্গ এবং ছাত্রছাত্রীদের সান্নিধ্য পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি আপনাদের মাঝে সঠিক সময়ে পৌঁছনোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু কুয়াশার জন্য দেরি হয়ে গেল। বন্ধুগণ, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে সমৃদ্ধির এই ভূমিতে এ বছর ইন্ডিয়ান সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন যথাযথ বিষয় নির্বাচন করেছে – ‘ভাবী ভারত : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ভারতের মহানতা আমাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানে অবশ্যই নিহিত, কিন্তু এই মহানতার আসল উদ্দেশ্য আমাদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনকে সমাজের কাজে লাগানো। বন্ধুগণ, ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ���নীষী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, সি ভি রমন, মেঘনাদ সাহা এবং সত্যেন্দ্রনাথ বসুর মতো বিজ্ঞানীরা এর সদস্য ছিলেন। ন্যূনতম সম্পদ সম্বল করে অধিকতম লড়াইয়ের যুগে তাঁরা নিজেদের ভাবনা ও আবিষ্কারের মাধ্যমে মানুষের সেবা করেছেন। আজও আমরা তাঁদের প্রত্যয় এবং সৃষ্টিশীলতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছি। ১৯১৭ সালে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলকাতায় দেশের প্রথম বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র বোস ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া গড়ে তোলেন। তাঁর উদ্বোধনী ভাষণেই আমরা বিজ্ঞানের উপযোগিতার একটি সংহত ভাবনার প্রতিফলন দেখতে পাই। তিনি বলেছিলেন, “এই প্রতিষ্ঠানটিতে আজ জাতির উদ্দেশে একটি নিছক গবেষণাগার রূপে উৎসর্গ করতে চাই না, আমি এটিকে একটি বিজ্ঞান মন্দির রূপে তুলে ধরতে চাই।” শত শত বৈজ্ঞানিকের নিরন্তর গবেষণা ও গভীর মৌলিক অন্তর্দৃষ্টির যোগফল হল ভারতীয় প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং রাষ্ট্র নির্মাণ। আমাদের আধুনিক বিজ্ঞান মন্দিরগুলির মাধ্যমেই আমরা ভারতের বর্তমানকে সমৃদ্ধ ও নিরাপদ রাখার পাশাপাশি ভবিষ্যতকেও সুরক্ষিত রাখতে পারবো। বন্ধুগণ, আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীজি আমাদের একটি স্লোগান প্রদান করেছেন, ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ’। আজ থেকে কুড়ি বছর আগে পোখরানে পারমানবিক পরীক্ষার সাফল্যের পর তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে, আমাদের মহান প্রধানমন্ত্রী অটলজি রাষ্ট্র গঠনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্ব অনুধাবন করে সেই স্লোগানে যোগ করেন, ‘জয় বিজ্ঞান’। তিনি বলেন, ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞান’। আমি মনে করি এখন সময় এসেছে আরেক পা এগোনোর। সেজন্য আমি সেই স্লোগানে যোগ করতে চাই ‘জয় অনুসন্ধান’! কাজেই এখন স্লোগানটি হবে, ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞান, জয় অনুসন্ধান’। আসলে বিজ্ঞানের লক্ষ্যসাধন দুটি উদ্দেশ্য পূরণের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। প্রথমটি হল গভীর কিংবা অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন জ্ঞানের উন্মেষ। দ্বিতীয়টি হল, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সেই জ্ঞানের ব্যবহার। এই দুটি উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আমাদের উদ্ভাবন এবং স্টার্ট-আপকে গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের সরকার নবীন বৈজ্ঞানিকদের উদ্ভাবন প্রবণতাকে সাহায্য করতে ‘অটল ইনোভেশন মিশন’ শুরু করেছে। বিগত চার বছরে পূর্ববর্তী চল্লিশ বছরের তুলনায় অনেক বেশি প্রযুক্তি-ভিত্তিক ‘বিজনেস ইনকিউবেটর’ স্থাপন করা হয়েছে। এখন শিল্পমহল দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সময়ানুগ নির্দে���নার মাধ্যমে তাদের অর্থানুকূল্যে এবং স্টার্ট-আপগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে হবে। আমাদের বৈজ্ঞানিকদের দেশের সাধারণ মানুষের সুলভে স্বাস্থ্য পরিষেবা, গৃহনির্মাণ, নির্মল বায়ু, জল এবং শক্তি উৎপাদন, কৃষি উৎপাদন এবং পরিবেশ-বান্ধব খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে নতুন নতুন উদ্ভাবনের কথা ভাবতে হবে। বিজ্ঞান যেখানে বিশ্বজনীন, প্রযুক্তি হওয়া উচিৎ স্থানীয় পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুসারে, স্থানীয় উপাদান-নির্ভর এবং স্থানীয় সমস্যা সমাধানকারী। বন্ধুগণ, আজ আমাদের সামনে যে সামাজিক, আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলি রয়েছে, সেগুলি সমাধানের জন্য ‘ন্যাশনাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিজ অ্যান্ড সায়েন্টিফিক অর্গানাইজেশন’কে সুলভ, সুগম এবং সস্তা সমাধান তৈরি করতে হবে। আমি আপনাদের কিছু উদাহরণ দিচ্ছি। আমাদের দেশে এমন কৃষকদের সংখ্যাই বেশি যাঁদের মালিকানাধীন জমির পরিমাণ ২ হেক্টরেরও কম। তাঁদের চাই এমন প্রযুক্তি যাতে কম শ্রমে অধিক ফলন হয়। আমরা কৃষি বিজ্ঞানে অনেক উন্নতি করেছি। আমাদের দেশে ফলনও বেড়েছে, গুণমানও সুনিশ্চিত হয়েছে, কিন্তুন ‘নতুন ভারত’-এর প্রয়োজন মেটাতে অনেক কিছু করার প্রয়োজন রয়েছে, নতুন করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারণের প্রয়োজন হয়। ‘বিগ ডেটা অ্যানালিসিস’, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লক চেন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা সংক্রান্ত অনেক প্রযুক্তির সুলভ মূল্যে ব্যবহার কিভাবে চাষের কাজে লাগবে তার ওপর আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ। এখন সময়ের চাহিদা হল, এই সমস্ত আবিষ্কারের সঙ্গে সেন্সর প্রযুক্তি, ড্রোন, স্যাটেলাইট ইমেজিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি প্যাকেজ বানিয়ে কিভাবে আমাদের কৃষকদের সাহায্য করা যায় তা দেখা। এই সাহায্যের ফলে কৃষকরা নিজেদের ফসল, আনাজপাতি, সেচ, সার, পরিবহণ এবং কীটনাশক সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিসমূহের সাহায্যে নিতে পারবে। বন্ধুগণ, যেভাবে আমরা ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’-এর ক্ষেত্রে লাগাতার এগিয়ে যাচ্ছি, তেমনই, আমাদের ১২৫ কোটি ভারতীয়দের ‘ইজ অফ লিভিং’ নিয়েও দ্রুত কাজ করতে হবে। এর গতিপথ কেমন হবে তা স্পষ্ট করার জন্য আমাদের কিছু প্রশ্ন নিয়ে তর্ক-বিতর্ক, আলাপ-আলোচনার, মন্থনের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা কম বৃষ্টিপাতসম্পন্ন অঞ্চলগুলিতে উন্নত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খরা ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করতে পারি? আমরা কি বর্ষা, ঘূর্নিঝড় এবং অন্যান্য প্রাকৃত��ক বিপর্যয়ের ভবিষ্যদ্বাণী প্রক্রিয়ায় সংস্কার করে আরও কার্যকরী করতে পারি? তাহলে তো কৃষি উপকৃত হবেই, অনেক মানুষের জীবনও বাঁচানো যাবে। আমরা কি দেশে দশকের পর দশক ধরে অপুষ্টি সমস্যার শিকার অসংখ্য শিশুর জীবনকে উন্নত করতে কোনও প্রযুক্তিগত সমাধান খুঁজে বের করতে পারি? আমরা কি দেশকে চিকনগুনিয়া এবং এনসেফেলাইটিস থেকে মুক্ত করার পথ খুঁজে যেন করতে পারি? বর্জ্য থেকে শক্তিতে রূপান্তরণের মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতার জন্য সস্তা এবং উপার্জনকারী কোন অধিক কার্যকরী পদ্ধতি খুঁজে বের করতে পারি? আমরা কি পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে ‘রি-সাইক্লিং’ এবং ‘কনজারভেশন’ সংক্রান্ত নতুন প্রযুক্তি গড়ে তুলতে পারি? আমরা কি এমন কোনও প্রক্রিয়া আবিষ্কার করতে পারি যাতে আমাদের দেশের সংবেদনশীল সংস্থাগুলিকে দুর্ভেদ্য সাইবার নিরাপত্তা প্রদান করা যায়? আমরা কি সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরও সস্তা এবং সুলভ করে তুলতে পারি যাতে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর ব্যক্তিও সহজে একে আপন করে নিতে পারেন? আমাদের বিজ্ঞানকে সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে জুড়তেই হবে। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে ভারতের অগ্রগতিকে স্তব্ধ করার অধিকার কারোর নেই। আমাদেরকে মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে নেতৃত্ব দিতে হবে। আমাদের সময়োপযোগী সমাধান খুঁজে বের করতে হবে এবং তা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই। বন্ধুগণ, ভারতে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ২০১৪ সাল খুব ভালো ছিল। আমাদের এ বছরের সাফল্যের মধ্যে রয়েছে বিমানের উপযোগী জৈব জ্বালানি উৎপাদন, দৃষ্টিহীনদের জন্য ‘দিব্যনয়ন’ নামক একটি যন্ত্র আবিষ্কার, সার্ভিক্যাল ক্যান্সার, যক্ষ্মা এবং ডেঙ্গি নির্ণয়ের জন্য সস্তা উপকরণ, সিকিম ও দার্জিলিং এলাকায় ‘রিয়েল টাইম’ ধ্বস সংক্রান্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা চালু করা ইত্যাদি। আমাদের আরও অনেক কিছু করার আছে। আমাদের গবেষণা এবং বিভিন্ন শিল্প উপাদানের উন্নয়ন সাফল্যকে সস্তায় জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে শক্তিশালী বাণিজ্যিক উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। রূপান্তরণ সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির উদ্ভাবন, উৎপাদন এবং যথাযথ ব্যবস্থাপনাই ভারতের ভবিষ্যতকে সমৃদ্ধতর করে তুলতে পারে। সম্প্রতি সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী বিজ্ঞান সংক্রান্ত প্রকাশনার সংখ্যার বিচারে ভারত এখন বিশ্বের অগ্রগণ্য পাঁচটি দেশের অন্যতম। এটা কম সাফল্য নয়, সমস্ত সংশ্লিষ্ট সব বৈজ্ঞানিক ও বিজ্ঞান বিষয়ে লেখকদের আমাদের আন্তরিক প্রশংসা জানাই। উন্নত ভারত, আধুনিক ভারত, বৈজ্ঞানিক ভারত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই সাফল্য শক্তিশালী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে। বন্ধুগণ, উন্নত ভারত গড়ে তুলতে আজ ভারতের বিজ্ঞানকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী হতে হবে। শুধু প্রতিস্পর্ধা দেখালে চলবে না, আমাদের শ্রেষ্ঠ হতে হবে। নিছকই গবেষণার স্বার্থে গবেষণা নয়, আমাদের উদ্ভাবন যে সেই স্তরে পৌঁছয় যে সমস্ত বিশ্ব আমাদের অনুসরণ করে। এই সাফল্য অর্জনের জন্য আমাদের গবেষণার বিস্তৃত বাস্তু ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। আবহাওয়া পরিবর্তনের মোকাবিলা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, পপুলেশন ডায়নামিক্স, বায়ো-টেকনলজি এবং ডিজিটাল মার্কেট প্লেসকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তবেই আমরা দেশের নবীন প্রজন্মের মেধাশক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারবো। আগামীদিনে জ্ঞান-বিশ্বে নেতৃত্ব প্রদানকারীদের সারিতে দাঁড়ানোর জন্য দেশের গবেষণা ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যথাসম্ভব প্রচেষ্টা চালাতে হবে। ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি গবেষণাকে উৎসাহ যোগাতে হবে। বন্ধুগণ, যে কোন দেশের মেধার সৃষ্টিশীলতা এবং পরিচয় তার ইতিহাস, কলা, ভাষা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতেই গড়ে ওঠে। সমস্ত সংস্কারের বন্ধন মুক্ত হয়ে গবেষণা করতে হবে। এখন কলা ও সংস্কৃতি, সমাজ বিজ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ফিউশনের মাধ্যমে গবেষণা চালাতে হবে। এটাই আমাদের দেশের পরিচয়কে শক্তিশালী এবং গৌরবময় করে তুলতে পারে। বন্ধুগণ, আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে যে আমাদের দেশের প্রাচীন জ্ঞান ছিল গবেষণা নির্ভর। ভারতীয় বিদ্বানরা বিজ্ঞান থেকে গণিত, কলা থেকে সাহিত্য, ভাষা বিজ্ঞান থেকে অর্থশাস্ত্র এবং চিকিৎসাশাস্ত্র থেকে দর্শন পর্যন্ত সমস্ত বিশ্বকে ঋদ্ধ করে, জ্ঞানকে প্রজ্জ্বলিত করেছে। আবার সময় এসেছে বিশ্বে ভারতের সেই স্থান ফিরে পাওয়ার। এটা তখনই সম্ভব যখন আমরা বিশ্বের তিনটি বৃহত্তম অর্থ ব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠে গবেষণা এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বকে পথ দেখাতে পারবো। বন্ধুগণ, আমাদের জাতীয় গবেষণাগারগুলি, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি, আইআইটি, আইআইএম, টিআইএফআর এবং আইএসইআরগুলি দেশের গবেষণা ও উন্নয়নের মেরুদণ্ডস্বরূপ। যদিও দেশের ৯৫ শতাংশেরও বেশি ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনা করে যেখানে গবেষণার ক্ষেত্রটি সীমাবদ্ধ। আমি ���েজন্য ‘প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন পর্ষদ’কে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এবং সমস্ত রাজ্যের সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অনুকূল অ্যাকশান প্ল্যান নির্ণয় করার পরামর্শ দিয়েছি। বন্ধুগণ, ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের তিরুপতি অধিবেশনে আমি সাইবার ফিজিক্যাল সিস্টেমের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। আমাদের ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’কে অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী করে তোলার সম্ভাবনা এর রয়েছে। আমরা রোবোটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডেটা অ্যানালিসিস ইত্যাদি ক্ষেত্রে গবেষণা, প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে এই সমস্যাকে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগে রূপান্তরিত করতে পারি। সরকার ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি সাইবার ফিজিক্যাল সিস্টেমের জাতীয় স্তরে গবেষণার জন্য ৩,৬০০ কোটি টাকারও অধিক অর্থ বিনিয়োগ মঞ্জুর করেছে। এই মিশনে রয়েছে গবেষণা ও উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, মানবসম্পদ, দক্ষতা, উদ্ভাবন, স্টার্ট-আপ ইকো সিস্টেম এবং নিবিড় শিল্প ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরিচালিকা শক্তি হল তথ্য। বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে কর্মরত আমাদের বৈজ্ঞানিকেরা কার্যকরী তথ্য নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে তথ্য সৃষ্টি থেকে তথ্য প্রবাহ, তা থেকে তথ্য নিরাপত্তা, তা থেকে তথ্য শেয়ার করা এবং তা থেকে তথ্য ব্যবহার করার সঠিক উপায়গুলি নিয়মিত অভ্যাস করেন। বন্ধুগণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আমাদের সামর্থ্য, আমাদের দক্ষতা সম্পর্কে জানা যাচ্ছে আমাদের সাম্প্রতিক মহাকাশ অভিযানগুলির সাফল্যের মাধ্যমে। সম্প্রতি আমরা কারটোস্যাট-২ সিরিজের উপগ্রহ সহ নেভিগেশন, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সাইবার স্পেকট্রাল ইমেজিং সংশ্লিষ্ট আরও ৩০টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছি। ২০০০-২২-এর মধ্যে তিনজন ভারতীয়কে মহাকাশে পাঠানোর প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। ‘ইসরো’ এর জন্য একটি বিশেষ প্রযুক্তি ‘ক্রিউ এস্কেপ সিস্টেম’-এর নমুনা প্রদর্শনও করেছে। আমি আমাদের বৈজ্ঞানিকদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আমার বৈজ্ঞানিক ও মহাকাশচারী বন্ধুরা আমাদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত করবেন। বন্ধুগণ, এরকম অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ ম��নুষের জীবনে পরিবর্তন আনা সম্ভব। আমরা কি প্রযুক্তির শক্তি দিয়ে কনটিনিউয়াস অপারেটিং রেফারেন্স স্টেশন্‌স নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারি না যাতে আমরা হাই রেজোলিউশন জিও স্পেশাল ডিজিটাল ডেটা পেতে পারি? তাহলে আমাদের নাবিকরা, বৈজ্ঞানিকরা, পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও বিশেষজ্ঞরা বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন। এটি উন্নয়ন প্রকল্পগুলির পরিকল্পনা, তদারকি, ব্যবস্থাপনা এবং সেগুলির বাস্তবায়নকে আরও কার্যকরী করে তুলতে পারে। বন্ধুগণ, এর আগে যখন ইম্ফলে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের অধিবেশন হয়েছিল, তখন আমি আপনাদের কাছে একটি আবেদন রেখেছিলাম যে বৈজ্ঞানিকদের ‘সিক্‌ল সেল অ্যানিমিয়া’ সমস্যা থেকে নিরাময়ের পথ, সস্তা, সুলভ এবং কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের অনেক জনজাতি ভাই-বোন আজ এই রোগে জেরবার। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে সিএসআইআর-এর ডিবিটি ইতিমধ্যেই এই লক্ষ্যে অভিযান শুরু করেছে। উভয় সংস্থার বৈজ্ঞানিকরা এখন এই রোগকে প্রতিহত এবং নিরাময় করার পাশাপাশি ‘জিন থেরাপি’র মাধ্যমে হিমোগ্লোবিনের খামতি সংশোধন করতে শুরু করেছেন। বন্ধুগণ, ভারতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের জন্য একটি নতুন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রোড ম্যাপের প্রয়োজন রয়েছে। এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা সম্প্রতি ‘মুখ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন পরামর্শদাতা পর্ষদ’ গঠন করেছি। এই পর্ষদ যথাযথ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি হস্তক্ষেপ নিয়ে নীতি নির্ধারণের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সহযোগিতায় বহুপক্ষীয় নীতি প্রণয়নকে বাস্তবায়িত করবে। সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রকে গুরুত্ব দিয়ে গুণগত মান উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় হাত লাগিয়েছে। আমরা উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রকে অধিক স্বাধীনতা দিয়েছি। ইউজিসি ‘গ্রেডেড অটোনমি রেগুলেশন্‌স’ প্রণয়ন করে উন্নত দক্ষতাসম্পন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য কার্যকরী এবং আর্থিক স্বায়ত্তশাসন অনুমোদন করেছে। আমরা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সক্ষম এমন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চালু করেছি। এই প্রচেষ্টার ফলে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে, বিনিয়োগ আসবে এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির উৎকর্ষ বৃদ্ধি পাবে। আমরা ‘প্রাইম মিনিস্টার রিসার্চ ফেলো’ চালু করেছি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দ���শের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানগুলির শ্রেষ্ঠ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের আইআইটি এবং আইআইএমসি-তে পিএইচডি-র জন্য সরাসরি নথিভুক্তির আমন্ত্রণ জানানো হবে। এই প্রকল্প উন্নতমানের গবেষণা এবং প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষকের অভাব দূর করবে। বন্ধুগণ, আমি আমাদের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধেয় ডঃ এ পি জে আব্দুল কালামের একটি উক্তি তুলে ধরতে চাই। বৈচিত্র্যময় কল্পনা এবং নিয়মিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিশ্বের শক্তিগুলিকে একটি অনুপ্রাণিত মনের জন্য কাজ করানো যেতে পারে। আমরা কিভাবে ভারতীয় যুবসম্প্রদায়ের মনে আগুনের ফুলকি জ্বালাতে পারি, যাঁরা গবেষণার ভিত্তি গঠন করেন এবং ভারতীয় বিজ্ঞানের নবজাগরণের সামিল হবেন তা দেখতে হবে। ভারত এখন নতুন প্রজন্মের সৃষ্টিশীল, টগবগে এবং প্রত্যয়ী মনের মানুষে পূর্ণ হয়ে উঠেছে। সরকার তাঁদের বিজ্ঞানের জয়যাত্রার মাধ্যমে নতুন ভারত গড়ে তোলার পরিবেশ তৈরি করে দিতে দায়বদ্ধ। আমরা বর্তমান ও ভবিষ্যতের সমস্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হতে প্রস্তুত। এই ভারতে ভাবনা, জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও কর্মের সমাহার। এই ভারত শক্তিশালী, প্রত্যয়ী, সমৃদ্ধ এবং প্রাণশক্তিতে ভরপুর। এই ভারত সংবেদনশীল। আমি আপনাদের সবাইকে সৃষ্টিশীল ও সমৃদ্ধ নতুন বছর ২০১৯-এর শুভেচ্ছা জানাই। ধন্যবাদ। আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। /",১০৬সংখ্যক বিজ্ঞান সমাৰোহৰ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্রীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E2%80%8C-%E0%A6%8F-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%95-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%80/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%B1%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A5-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%9B%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%95-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%80-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0/,"কমনওয়েলথ গেমস্‌-এ পদক জয়ী ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের অভিনন্দিত করেছেনপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি তাঁর অভিনন্দন বার্তায় বলেছেন : “স্বর্ণপদক জয়ী রাগালা ভেঙ্কট রাহুলের জন্য আমরা গর্বিত। আমাদেরভারোত্তোলকদের এই অনবদ্য সাফল্য ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আরও বেশিসংখ্যক তরুণদের উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস। মহিলাদের ৬৯ কিলোগ্রাম ভারোত্তোলন বিভাগে স্বর্ণপদক জয়ী পুনম যাদবকে ভারতেরঅভিনন্দন। ভারোত্তোলনের ক্ষেত্রে তাঁর নিষ্ঠা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়”। সফল ভারতীয় শ্যুটারদের অভিনন্দন জানিয়ে শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “২০১৮-রকমনওয়েলথ গেমস্‌-এ আমাদের শ্যুটাররা এক ��িশেষ স্বাতন্ত্র্যের স্বাক্ষর রেখেছেন।মনু ভাকর তাঁর চমৎকার ফর্ম এখনও বজায় রেখেছেন এবং সেই সঙ্গে মহিলাদের ১০ এম এয়ারপিস্তল বিভাগে একটি স্বর্ণপদকও জিতে নিয়েছেন। তাঁকেও আমার অভিনন্দন জানাই। মহিলাদের ১০ এম এয়ার পিস্তল বিভাগে রৌপ্য পদক জয়ী হীনা সিধুর জন্য আমরাখুবই আনন্দিত। আমি তাঁকে অভিনন্দন জানাই, শুভেচ্ছা জানাই তাঁর ভবিষ্যৎ প্রচেষ্টারজন্য। পুরুষদের ১০ এম এয়ার রাইফেল বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেছেন আমাদেরসম্ভাবনাময় শ্যুটার রবি কুমার। তাঁর এই সাফল্যে গর্বিত প্রত্যেক ভারতীয়। ক্রীড়াক্ষেত্রে এক অনবদ্য অবদান রেখেছেন এই তরুণ শ্যুটার।",কমনৱেলথ গেমছত পদক জয়ী ভাৰতীয় খেলুৱৈসকলক অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%8F%E0%A6%B2-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%9B%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A7%A7-%E0%A7%AC%E0%A7%AA-%E0%A6%B2/,"নয়াদিল্লি, ২৭ জুলাই, ২০২২ আর্থিক দিক থেকে বিএসএনএল-কে চাঙ্গা করে তুলতে সংস্থার ১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকার পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ আজ অনুমোদিত হল প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এই প্যাকেজের আওতায় রয়েছে – বিএসএনএল পরিষেবার মানোন্নয়নে নতুন মূলধন যোগান, স্পেকট্রাম বন্টন, ব্যালেন্স শিটকে সঙ্কটমুক্ত করা এবং ভারত ব্রডব্যান্ড নিগম লিমিটেড (বিবিএনএল)-কে বিএসএনএল-এর সঙ্গে সংযুক্তির মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ফাইবার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। উল্লেখ্য, দূরসঞ্চার ক্ষেত্রে বিএসএনএল-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কারণ, দেশের গ্রামাঞ্চলে দূরসঞ্চার পরিষেবার প্রসার, দেশীয় প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং বিপর্যয় মোকাবিলায় বিএসএনএল-এর গুরুত্ব অপরিহার্য। অনুমোদিত এই প্যাকেজের সাহায্যে একদিকে যেমন বিএসএনএল-এর বর্তমান পরিষেবার গুণগত মানের উন্নয়ন ঘটবে, অন্যদিকে তেমনই ৪জি পরিষেবা প্রসারের মাধ্যমে সংস্থার আর্থিক সম্ভাবনা বিশেষভাবে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। আশা করা হচ্ছে, এই পুনরুজ্জীবন প্যাকেজের ফলে বিএসএনএল আবার ঘুরে দাঁড়াবে এবং ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষ নাগাদ একটি লাভজনক সংস্থায় পরিণত হবে।",কেবিনেটে বিএছএনএলৰ ১.৬৪ লাখ কোটি টকাৰ পুনৰুজ্জীৱন পেকেজত অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A7%B1%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87/,"নয়াদিল্লী, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ গোয়া মুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। গোয়ায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে শ্রী মোদী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও ‘অপারেশন বিজয়’এ অংশগ্রহণকারী প্রাক্তন সেনাকর্মীদের সম্বর্ধিত করেন। তিনি নবরুপে সজ্জিত আগুয়াড়া দূর্গ কারাগার সংগ্রহশালা, গোয়া মেডিকেল কলেজের সুপার স্পেশালিটি ব্লক, দক্ষিণ গোয়ায় নতুন জেলা হাসপাতাল, মোপা বিমান বন্দরে বিমান চলাচল সংক্রান্ত দক্ষতা বিকাশ কেন্দ্র, মারগাঁও-এর ডাবোলিম-নভেলিম গ্যাস ইনসুলেটেড সাব স্টেশন সহ একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। তিনি ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ লিগাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ অফ দ্য বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ট্রাস্টের শিলান্যাস করেছেন। এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোয়ার মাটি, বাতাস ও সমুদ্র প্রকৃতির এক সুন্দর উপহার। আজ মুক্তি দিবসের আনন্দে গোয়ার জনসাধারণের মধ্যে এই উৎসাহ বহুগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। আজাদ ময়দানে শহীদ স্মারকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার সৌভাগ্য তাঁর হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি মিরামারে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেন। অপারেশন বিজয়ের নায়কদের এবং প্রাক্তন সেনাকর্মীদের দেশের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। শ্রী মোদী প্রাণবন্ত গোয়ার ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, আজ এখানে অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে, গোয়ার মানুষ নানা নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের বেশিরভাগ অংশে মুঘলরা যখন শাসন করছিল সেই সময়ই গোয়া পর্তুগীজদের উপনিবেশে পরিণত হয়। তিনি বলেন, বহু শতক ধরে পরাধীন থাকলেও গোয়া তার ভারতীয় সত্ত্বা যেমন ভুলে যায়নি, ভারতের বাকি অংশও একইভাবে গোয়াকেও ভুলে যায়নি। এই সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও শক্তিশালী হয়েছে। গোয়ার জনসাধারণ স্বাধীনতা ও স্বরাজের জন্য আন্দোলনকে থামিয়ে রাখেননি, তাঁরা ভারতের ইতিহাসে সবথেকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রদীপটি জ্বালিয়ে রাখেন। এর কারণ ভারত শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক সত্ত্বার আধারে বিক���িত হয়নি, ভারত মানবজাতির কল্যাণে সচেষ্ট। ভারতের মূল ভাবনা হল ব্যক্তিসত্ত্বার ঊর্দ্ধে জাতি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত,, যেখানে একটিমাত্রই ভাবনা রয়েছে- দেশ প্রথম, যেখানে একটি সিদ্ধান্তই রয়েছে- এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশজুড়ে মানুষের মনে একটি আক্ষেপ ছিল যে দেশেরই একটি অংশ এখনও স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি এবং বেশ কিছু মানুষ পরাধীন রয়ে গেছেন। তিনি বলেন, যদি সর্দার প্যাটেল আরও কয়েক বছর বেঁচে থাকতেন তাহলে গোয়াকে তার মুক্তির জন্য এতদিন অপেক্ষা করতে হতো না। প্রধানমন্ত্রী সেই আন্দোলনের নায়কদের উদ্দেশ্যে প্রণাম জানান। গোয়া মুক্তি বিমোচন সমিতির ৩১ জন সত্যাগ্রহী সত্যগ্রহ আন্দোলনে তাঁদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সকলকে সেই আত্মবলিদানের কথা এবং পাঞ্চাবের বীর কর্নাইল সিং বেনিপালের মতো নায়কদের কথা স্মরণ করতে পরামর্শ দেন। ‘গোয়ার ইতিহাসে স্বাধীনতা আন্দোলন শুধুমাত্র ভারতের সিদ্ধান্ত গ্রহণের একটি নিদর্শনই নয় বরং ভারতের ঐক্য ও সংহতির একটি জ্বলন্ত উদাহরণ।’ প্রধানমন্ত্রী দিন কয়েক আগে তাঁর ইতালী ও ভ্যাটিকান সিটি সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, সেইসময় পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছিল। ভারতের প্রতি পোপের দূর্বার আকর্ষণ তিনি অনুভব করেছেন। শ্রী মোদী পোপকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান। সেই আমন্ত্রণ পেয়ে পোপের প্রতিক্রিয়া উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পোপ ফ্রান্সিস তাঁকে বলেছেন, ‘এটি আপনার দেওয়া সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার’। পোপের ভারতের বৈচিত্র্য ও প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের প্রতি ভালোবাসা প্রধানমন্ত্রী উপলব্ধি করেছেন। তিনি জর্জিয়া সরকারকে সেন্ট কুইন কেটেভানের পবিত্র স্মারক দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। গোয়ার প্রশাসনিক কাজের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, রাজ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এতদিন বিশেষ নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হতো। কিন্তু এখন সরকার গোয়ার আর একটি পরিচিতিকে তুলে ধরেছে। রাজ্যের প্রশাসনিক কাজ প্রতিটি ক্ষেত্রে যথেষ্ট সমদৃত হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় যখন কোনো প্রকল্পের কাজ শুরু হয় বা কাজ এগিয়ে চলে সেইসময় গোয়ায় সে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যায়। খোলা স্থানে শৌচকর্ম মুক্ত রাজ্যের স্বীকৃতি পাওয়া, টিকাকরণ, হর ঘর জল, জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র প্রদান এবং সহজ জীবনযাত্রার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প এখানে যথাযথ বাস্তবায়নের কথা প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি স্বয়ংসম্পূর্ণ গোয়া অভিযানের প্রশংসা করে বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার সহকারীরা প্রশাসনিক কাজে সাফল্য অর্জন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে পর্যটন শিল্পের প্রসারে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানান। সম্প্রতি সে রাজ্যে ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় শ্রী মোদী সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত মনোহর পাররিকরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘যখন আমি গোয়ার এই সাফল্যগুলি দেখতে পাই তথন তার নতুন পরিচিতি আরও দৃঢ় হয়। সেইসময় আমার বন্ধু মনোহর পাররিকরজির কথা মনে পরে। তিনি গোয়ার উন্নয়নকে নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। গোয়ার সম্ভাবনাকে প্রসারিত করেন। একজন কিভাবে তার শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত রাজ্যের প্রতি নিজেকে উৎসর্গ করে দিতে পারেন, তাঁর জীবনযাত্রায় আমরা সেটি দেখতে পাই।’ তাঁর বক্তব্যের শেষে শ্রী মোদী বলেন, গোয়াবাসীর সততা, মেধা ও অধ্যাবসায়ের প্রতিফলন দেশ মনোহর পাররিকরের মধ্যে দেখেছে।",গোৱা মুক্তি দিৱস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানত অংশগ্ৰহণ প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%8B-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A7%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%8B-%E0%A6%B8%E0%A6%B9/,"ভারত ও মরক্কোর মধ্যেরেলসহযোগিতা প্রসার সম্পর্কিত একটি চুক্তিতে আজ অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে গত বছর১৪ ডিসেম্বর ভারত সরকার এবং মরক্কোর জাতীয় রেল দপ্তরের মধ্যে সম্পাদিত এইচুক্তিটিতে কর্মপরবর্তী অনুমোদনদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এই সহযোগিতা চুক্তির আওতায় যে সমস্ত বিষয়ে দুটি দেশের মধ্যেপ্রযুক্তিগত সহযোগিতা বিনিময় হবে তার মধ্যে রয়েছে – প্রশিক্ষণ, কর্মীদের দক্ষতাবিকাশ, বিশেষজ্ঞ বিনিময়, কর্মী ও আধিকারিক পর্যায়ে পারস্পরিক অভিজ্ঞতার আদানপ্রদানএবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য প্রযুক্তিগত সহায়তা। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক কারিগরি সহায়তা প্রসারেরলক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের সরকার এবং জাতীয় রেলপথগুলির সঙ্গে বেশ কয়েকটিমউ সম্পাদন করেছে। এগুলির আওতায় যে সমস্ত ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রসার ও বিনিময় প্রচেষ্টাবাস্তবায়িত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে উচ্চগতির রেল করিডর, বর্তমান রুটগুলিতে ট্রেনচলাচলের ক্ষেত্রে গতি বৃদ্ধি, বিশ্বমানের রেল স্টেশন নির্মাণ ও উন্নয়ন, রেলপরিকাঠামোর আধুনিকীকরণ ইত্যাদি। রেল প্রযুক্তি, রেলের কাজকর্ম, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাবিনিময়, প্রযুক্তিগত সফর বিনিময় এবং প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজনের মতোপারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে এই সহযোগিতার প্রসার ঘটানো হয়। /",ৰে’ল খণ্ডত ভাৰত-মৰক্কো সহযোগিতা চুক্তিৰ প্ৰতি কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A1%E0%A6%83-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AC-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A7%B1-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE/,ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর-এর মহাপরিনির্বাণ দিবসেতাঁর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বার্তায়তিনি বলেন : “ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর-এর মহাপরিনির্বাণ দিবসেতাঁকে আমি প্রণাম জানাই। মুম্বাই-এর চৈতন্যভূমিতে প্রার্থনাকালে আমি নিজেকেবিশেষভাবে আশীর্বাদধন্য উপলব্ধি করেছিলাম। আমার সেই সফরকালের কিছু ছবি আমি এইওয়েবসাইটটিতে আপনাদের জন্য তুলে ধরলাম – https://twitter.com/narendramodi/status/938234707099217920/photo/1 ” .,বাবাচাহেৱ আম্বেদকাৰৰ মহানিৰ্বাণ দিৱসত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শ্ৰদ্ধাঞ্জলি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%86%E0%A6%87-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AC-%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%95/,"আমার মন্ত্রিমণ্ডলের সহযোগী কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সপ্রতিমন্ত্রী শ্রী পিপি চৌধুরী মহোদয়, ইন্সটিটিউট অফ কোম্পানি সেক্রেটারিস অফইন্ডিয়া’র অধ্যক্ষ, নবীন অধ্যক্ষ শ্যাম আগরওয়াল মহোদয়, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল মাননীয় ব্যক্তিবর্গ আরপ্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের নানা স্থানে আপনাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসে যাঁরা এইঅনুষ্ঠান দেখছেন, আমার বক্তব্য শুনছেন, আজ আইসিএসআই ৫০ বছরে পদার্পণ করল। এই উপলক্ষে এইপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বিগত ৪৯ বছরের যাত্রাপথে যাঁদের অবদান রয়েছে,তাঁদের সকলকে অভিনন্দন জানাই। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজ এক বিশেষ গুণবানবিদ্বানদের মাঝে এসেছি, যাঁরা সুনিশ্চিত করেন যে দেশের প্���ত্যেক কোম্পানি যেন দেশেরআইন মেনে কাজ করে। তাঁদের হিসাবের খাতা যেন স্বচ্ছ থাকে। আপনারা যেভাবে নিজেদেরদায়িত্ব পালন করেন, তা দিয়েই এটা নির্ধারিত হয় যে দেশের কর্পোরেট সংস্কৃতি কেমনহবে! আপনাদের প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হ’ল – ‘সত্যম বদ্‌,ধর্মং চর্‌’ অর্থাৎ ‘সত্য বলুন আর নিয়ম-কানুন পালন করুন’। আপনাদের দেওয়া ঠিক কিংবাভুল পরামর্শ দেশে কর্পোরেট প্রশাসনকে প্রভাবিত করে। বন্ধুগণ, কখনও কখনও এরকম হয় যে, এক রকম শিক্ষাদেওয়া হয় কিন্তু যাঁরা গ্রহণ করেন, তাঁদের আচরণ ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেমন – যুধিষ্ঠিরযে শিক্ষা পেয়েছিলেন, দুর্যোধনও ঐ একই শিক্ষা পেয়েছিলেন। কিন্তু ভবিষ্যৎ জীবনেউভয়ের ক্রিয়াকলাপ ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। মহাভারতে দুর্যোধন বলেছেন, আপনি বলছেন, সত্যম বদ্‌, ধর্মং চর্‌’ কিন্তু ‘জানামি ধর্মং ন চ মেঁ প্রবৃত্তিঃ। জানামি ধর্মং ন চ মেঁ নিবৃত্তিঃ।। অর্থাৎ – এরকম নয় যে আমি ধর্ম, অধর্ম সম্পর্কেজানি না কিন্তু ধর্মের পথে চলার প্রবৃত্তি আমি গড়ে তুলতে পারিনি। অধর্মের পথে আমিনিবৃত্ত হতে পারিনি’। তেমনই আপনাদের প্রতিষ্ঠানও ‘সত্যম বদ্‌, ধর্মং চর্‌’-এরশিক্ষা দিয়ে ছাত্রদের ভবিষ্যতে সঠিক লক্ষ্যে চলার পথ দেখান। দেশে সততা এবংস্বচ্ছতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের প্রতিষ্ঠানের অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বন্ধুগণ, আচার্য চাণক্য বলেছিলেন, ‘একেন শুষ্ক বৃক্ষেণ দহ্যমাননে বহিমনা। দহ্যতে নদ্বনং সর্বং কুপুত্রেণ কুলং যথা।। অর্থাৎ, একটি শুষ্ক কাঠে যদি আগুন লাগে, তা হলেগোটা অরণ্য জ্বলে যায়, তেমনই পরিবারের একজন সদস্যও যদি ভুল কাজ করেন, তা হলে গোটাপরিবারের মান-মর্যাদা, ইজ্জত ও প্রতিষ্ঠা ধুলোয় মিলিয়ে যায়। বন্ধুগণ, একথা কোনও সংস্থার জন্য যেমন প্রযোজ্য,তেমনই দেশের জন্যও ১০০ শতাংশ প্রযোজ্য। আমাদের দেশেও হাতে গোনা কিছু মানুষ আছেন,যারা দেশের মান-সম্মান এবং আমাদের সৎ সামাজিক মর্যাদাকে দুর্বল করে দেওয়ার কাজকরেন। এদেরকে আমাদের ব্যবস্থা এবং প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বর্তমানসরকার প্রথম দিন থেকেই স্বচ্ছতা অভিযান শুরু করেছে। আর এই স্বচ্ছতা অভিযান সূচনাপ্রক্রিয়ায় সরকার গঠনের পরপরই আমরা স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম’কে একাজের দায়িত্বদিই। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কয়েক বছর আগে থেকেই এই পরামর্শ দিয়েছিল। আমরা সরকারগঠনের পর মন্ত্রিসভার প���রথম বৈঠকে এই কাজ করেছি। বিদেশে জমা কালো টাকা উদ্ধারের জন্য কঠোর ব্ল্যাকমানি অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। বেশ কিছু নতুন দেশের সঙ্গে কর চুক্তির মাধ্যমেপুরনো কর চুক্তিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে বসে নতুন পদ্ধতি খুঁজে বের করাহয়েছে। ‘ইনসলভেন্সি’ এবং ‘ব্যাঙ্করাপ্টসি কোড’ প্রণয়ন করা হয়েছে। ২৮ বছর ধরেস্থগিত বেনামী সম্পত্তি আইন চালু করা হয়েছে। অনেক বছর ধরে ঝুলে থাকা জিএসটি, আমিযাকে ‘গুড অ্যান্ড সিম্পল ট্যাক্স’ বলি, সর্বসম্মতিক্রমে তা চালু করা হয়েছে। তারপরএই সরকার বিমুদ্রাকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস দেখিয়েছে। ভাই ও বোনেরা, এই সরকার দেশে প্রাতিষ্ঠানিক সততাকেশক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের কঠিন পরিশ্রমের ফলে আজ দেশেঅর্থ ব্যবস্থায় নগদ লেনদেন কমেছে। বিমুদ্রাকরণের পর ক্যাশ টু জিডিপি রেশিও ৯শতাংশে পৌঁছে গেছে। ভবিষ্যতে ০৯ নভেম্বর দিনটিকে ঐতিহাসিকদুর্নীতিমুক্তি অভিযানের সূচনা দিবস হিসাবে পালন করা হবে। গত বছর ০৮ নভেম্বর এইক্যাশ টু জিডিপি রেশিও ১২ শতাংশ ছিল, যা আজ ৯ শতাংশে পৌঁছেছে। দেশের অর্থব্যবস্থায় নতুন সততার যুগ শুরু না হলে কি এটা সম্ভব হ’ত? আর আপনাদের থেকে বেশিকারা জানেন যে, দেশে কিভাবে কালো টাকার লেনদেন হ’ত! এখন তা করতে গেলে যে কাউকেই ৫০বার ভাবতে হবে। আমার থেকে অনেক ভালো করে এটা আপনারা জানেন। বন্ধুগণ, মহাভারতে একটী চরিত্র ছিল – শল্য। তাঁরনাম কি আপনারা শুনেছেন? তিনি এমনিতে মহাবীর কর্ণের সারথী ছিলেন। অর্জুনের সারথীযেমন ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ, তেমনই কর্ণের সারথী ছিলেন শল্য। কিন্তু কৃষ্ণ যেমনঅর্জুন’কে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। শল্যের চরিত্র ছিল তার বিপরীত। তিনিকর্ণকে বলতেন, অমুকের তুলনায় আপনার রথের ঘোড়া দুর্বল, তমুকের সঙ্গে যুদ্ধ করে কোনওলাভ নেই, ইত্যাদি। আমার মতে, এই শল্য কোনও ব্যক্তি নয়, একটি প্রতীক। আজকের যুগেওএমন মানুষেরা আছেন, যাঁরা প্রতিনিয়ত আপনাকে নিরুৎসাহিত করবেন, আরে কেন করবেন,কিচ্ছু হবে না! এই যেমন সম্প্রতি ডোকলাম সমস্যা হ’ল। এ ধরনেরমানুষেরা এক্ষেত্রেও হতাশার কথা বললেন। সরকার কিছুই করতে পারবে না, ইত্যাদি। অনেকমানুষ আছেন, যাঁরা হতাশা না ছড়ালে রাতে ঘুমাতে পারেন না। বছরের প্রথম তিন মাসেআর্থিক বৃদ্ধি কম হওয়ায় তাঁরা সমালোচনার ইন্ধন পেয়ে গেছেন। এই মানুষদের চিহ্নিতকরতে হবে। যে কো��ও পরিসংখ্যান তাঁদের অনুকূল হলে তাঁরা সেই প্রতিষ্ঠানকেভালোবাসেন, সেই প্রক্রিয়াকেও পছন্দ করেন। কিন্তু যখনই এই পরিসংখ্যান তাঁদেরকল্পনার প্রতিকূল হয়, তখন তাঁরা বলতে শুরু করেন যে, এই প্রতিষ্ঠান ভালো নয়, এইপ্রক্রিয়া ঠিক নয়, এই নেতৃত্ব অপদার্থ – এরকমই সব অভিযোগ তোলেন। যে কোনও সিদ্ধান্তনেওয়ার আগে আমাদের চারপাশে থাকা এই মানুষদের আগে চিনে নিতে হবে। এই শল্যবৃত্তিকেআমরা যতক্ষণ চিহ্নিত করতে না পারব, আমরা যে সত্যের পথ খুঁজছি ‘সত্যম বদ্‌’, তা সফলহবে না। বন্ধুগণ, আপনাদের মনে হচ্ছে, এই প্রথমবার দেশেজিডিপি’র বৃদ্ধি কোনও তিন মাসে ৫.৭ শতাংশে পৌঁছেছে। এটা কি দেশে প্রথমবার হ’ল?বিগত সরকারের শেষ ছয় বছরে আটবার এরকম পরিস্থিতি এসেছে, যখন তিন মাসের বৃদ্ধি ০.২শতাংশ, ১.৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। এই পতন অর্থ ব্যবস্থার জন্য কতটা মারাত্মক, তাবোঝার জন্য সেই কালখন্ডের কথা ভাবতে হবে। কারণ, সেই বছরগুলিতে ভারত ভয়ানকমুদ্রাস্ফীতি, হায়ার কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিটস্‌ এবং হায়ার ফিসকাল ডেফিসিটস্‌-এরসম্মুখীন হয়েছিল। বন্ধুগণ, ২০১৪ সালের আগের দু’বছর অর্থাৎ ২০১২-১৩এবং ২০১৩-১৪’র দিকে যদি তাকান, তা হলে গড় বৃদ্ধি ছিল ৬ শতাংশের কাছাকাছি। এখন কেউবলতে পারেন যে, আপনারা এই দু’বছরই কেন ধরলেন। কারণ, শল্যবৃত্তি এমনই ছিদ্রান্বেষী। এই দু’বছরকে আমি এজন্য নিয়েছি কারণ, বর্তমানসরকারের জিডিপি ডেটা নির্ণয়ের যে পদ্ধতি, বিগত সরকারের শেষ দু’বছরে একই পদ্ধতিঅনুসরণ করা হয়েছিল। সেজন্য প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর তুলনা করা সরল ওস্বাভাবিক। যখন সেন্ট্রাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিস বর্তমান সরকারের কার্যকালেজিডিপি’তে ৭.৪ শতাংশ বৃদ্ধির তথ্য প্রকাশ করেছিল, তখন এই মানুষরাই তাকে খারিজ করেদিয়েছিল। তাঁরা বলছিলেন, বাস্তবে তা এরকম মনে হচ্ছে না। কিন্তু সেই শল্যরাই তখন যেপ্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়াকে পছন্দ করেননি, ৫.৬ শতাংশ হতে তাঁরা সেই প্রতিষ্ঠান ওপদ্ধতির জয়জয়কার শুরু করে দিলেন। বন্ধুগণ, বিগত দুই কোয়ার্টারে ঐ প্রতিষ্ঠানই একইপদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করে বৃদ্ধির হার ৬.১ শতাংশ এবং ৫.৭ শতাংশ ঘোষণা করলে তাঁদের মনেধরে, খুব ভালো লাগে। বন্ধুগণ, আমি অর্থনীতিবিদ নই, কখনও অর্থনীতিবিদহওয়ার দাবিও করিনি। কিন্তু আজ যখন অর্থনীতি নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে, আমি আপনাদেরফ্ল্যাশ ব্যাকে নিয়ে যেতে চাই। একটা সময়ে আন্তর��জাতিক অর্থব্যবস্থার প্রেক্ষিতেভারতকে একটি নতুন গ্রুপের সদস্য করা হয়েছিল। আপনারা হয়তো ভাবছেন, আমি জি-৭, জি-৮,জি-২০ এরকম কোনও গ্রুপের কথা বলছি। না, মশাই। সেই গ্রুপের নাম ছিল – ফ্রেজাইল-৫। এটি এমনই একটি বিপজ্জনক গ্রুপ ছিল, যে গ্রুপেরঅন্তর্গত দেশগুলি নিজস্ব অর্থ ব্যবস্থায় সঙ্কট তো ছিলই, কিন্তু তাদের এই সঙ্কট এতমারাত্মক ছিল যে, বিশ্ববাসীর মনে হয়েছিল – বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারে এইদেশগুলির অর্থ ব্যবস্থা বাধা সৃষ্টি করছে! সেজন্য এই দেশগুলিকে ফ্রেজাইল-৫ গ্রুপেসামিল করা হয়েছিল। আমার মতো অর্থনীতিতে অজ্ঞ ব্যক্তিও আজ পর্যন্তবুঝে উঠতে পারেনি যে, সেই সময় দেশে এত বড় বড় অর্থনীতিবিদ থাকা সত্ত্বেও এমনটা কেনহয়েছিল। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, আমাদের দেশে সেই সময় জিডিপি বৃদ্ধির থেকে বেশি মুদ্রাস্ফীতিনিয়ে আলোচনা হ’ত, ফিসকাল ডেফিসিট এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিটের বৃদ্ধি নিয়েবেশি আলোচনা হ’ত। টাকার তুলনায় ডলার দাম বৃদ্ধি হলে খবরের কাগজেশিরোনাম লেখা হ’ত, এমনকি সুদের হারে বৃদ্ধি হলেও তা নিয়ে আলোচনা হ’ত। দেশেরউন্নয়নকে বিপরীত লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার সকল পরিসংখ্যান নিয়ে আলোচনা করতে তাঁরা পছন্দকরতেন। এখন যখন সেই পরিসংখ্যানে উন্নতি হয়েছে, দেশেরউন্নয়ন সঠিক লক্ষ্যে এগোচ্ছে, তখন সেই মানুষেরা চোখে ঠুলি পরেছেন। সেজন্য তাঁরাদেওয়ালে স্পষ্টভাবে লেখা জিনিসগুলিও পড়তে পারছেন না। আমি সেই পরিসংখ্যানগুলিআপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাইছি। আমি সেই স্লাইডগুলি আপনাদের দেখাচ্ছি – দেশে মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশ থেকে কমে এ বছর ২.৫শতাংশে পৌঁছেছে। কোথায় ১০ আর কোথায় ২.৫! চলতি খাতে ঘাটতি ৪ শতাংশ থেকে কমে ১শতাংশের কাছাকাছি চলে এসেছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন তো? এই পরিসংখ্যান যখন শুধরাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারনিজের রাজকোষ ঘাটতি বিগত সরকারের ৪.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩.৫ শতাংশে নিয়ে আসতেপেরেছে। আজ ভারতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা রেকর্ড পরিমাণবিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছেন। ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার ৩০ হাজার কোটি ডলার থেকেবৃদ্ধি পেয়ে ৪০ হাজার কোটি ডলার পার করে গেছে। ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি। অর্থ ব্যবস্থায় এই উন্নতি, এই আস্থা, এই সাফল্যহয়ত তাঁদের দৃষ্টিতে মূল্যহীন। সেজন্য আজ দেশকে ভাবতে হবে যে, সেই বিশিষ্ট জনেরাদেশের ভালোর কথা ভাবছেন, নাকি অন্য কারোর ভালোর কথা ভাবছেন? বন্ধুগণ, একথা সত্যি যে, গত তিন বছর ধরে ৭.৫ শতাংশগড় বৃদ্ধির পর এ বছর এপ্রিল-জুন এই তিন মাসে জিডিপি’র বিকাশ হ্রাস পেয়েছে। আমরাএকথা অস্বীকার করছি না। কিন্তু একথাও ততটাই সত্যি যে, এই সরকার এই ধারাকেবিপরীতমুখী করার জন্য দৃঢ় সংকল্প নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ক্ষমতাবান এবংসিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। সংশ্লিষ্ট অনেক ব্যক্তি এক্ষেত্রে সহমত যে, দেশেরঅর্থ ব্যবস্থার বুনিয়াদ শক্ত। আমরা যেহেতু সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি, বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর এই প্রক্রিয়া লাগাতার চলছে, সেজন্যই এইপরিসংখ্যান আমাদের সামনে এসেছে। কিন্তু আমরা দেশে আর্থিক স্থৈর্য রক্ষায় দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ। বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং আর্থিক উন্নয়নে গতি বৃদ্ধির জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সবপদক্ষেপ নেব। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, সরকার যেসবপদক্ষেপ নিচ্ছে, তা আগামী বছরগুলিতে দেশের উন্নয়নে জোয়ার আনবে। আজও রিজার্ভব্যাঙ্ক আগামী তিন মাসের জন্য যে সম্ভাবনার পরিসংখ্যান দিয়েছে, সেই পরিসংখ্যানঅনুযায়ী পরবর্তী তিন মাসে আর্থিক বৃদ্ধি ৭.৭ শতাংশে পৌঁছে যাবে। এটা রিজার্ভব্যাঙ্কের আজকের অনুমান। বর্তমানে এই কাঠামোগত সংস্কারের কারণে কোন্‌ কোন্‌সেক্টরে অবিলম্বে সাহায্যের প্রয়োজন, সে সম্পর্কে সরকার সজাগ, তা যে এমএসএমই হোকবা রপ্তানি ক্ষেত্র কিংবা আমাদের নন্‌-ফর্মাল ইকনোমির অংশ। আর আজ এই মঞ্চে দাঁড়িয়েআমি একটি কথা বলতে চাই, যা আপনাদের মাধ্যমে দ্রুত পৌঁছবে যে, পরিবর্তনশীল এই অর্থব্যবস্থায় এখন থেকে সততা পুরস্কৃত হবে। সততাকে অত্যন্ত অন্তরঙ্গভাবে রক্ষা করাহবে। আমি একথা জানি যে, অনেকেই এখন মূলস্রোতে ফিরেআসছেন। অনেক ব্যবসায়ীদের মনে ভয় রয়েছে যে, এই নতুন লেনদেন দেখে আগেকার কথা চিন্তাকরে সরকার পুরনো রেকর্ড খুলে দেখবে না তো? আমি আরেকবার আশ্বস্ত করতে চাই যে, এরকমকরতে দেওয়া হবে না। কারণ, আগে সরকার, সরকারের নিয়ম, মানুষের আচরণ এরকম ছিল যে,তাঁরা হয়তো এরকম পথ অবলম্বন করতে বাধ্য হয়েছিলেন। সেজন্য যাঁরা মূলস্রোতে ফিরেআসতে চান, তাঁদেরকে আমরা সুযোগ দিতে চাই। তাঁদেরকে সুযোগ না দেওয়াকেও আমি পাপ বলেমনে করি। আর সেজন্য আমাদের সরকারের ইচ্ছে হ’ল – যত মানুষ সততার সঙ্গে মূলস্রোতেফিরে আসতে চাইবেন, তাঁদেরকে স্বাগত জানাব। আপনারা পুরনো ভুল ত্যাগ করে আসুন,চিন্তা করবেন না, পরবর্তী যাত্রায় আমরা আপনাদের সঙ্গে রয়েছি। একইভাবে আজ আমি জিএসটি সম্পর্কে বলতে চাই। তিন মাসহয়েছে। তিন মাস পর আজ কি হচ্ছে আর কি হচ্ছে না, সব আমরা দেখছি। প্রতিটি বিষয়েরপুঙ্খানুপুঙ্খ ফিডব্যাক নেওয়া হয়েছে। আর জিএসটি কাউন্সিলের মিটিং-এর জন্য আমিতাঁদেরকে বলেছি যে, তিন বছর হয়ে গেছে এখন ভালোভাবে তার পুনর্মূল্যায়ন করুন। আরযেখানে যেখানে সমস্যা রয়েছে, ব্যবসায়ীরা কি কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন,প্রযুক্তির প্রতিবন্ধকতা কী, ফর্ম ভরতে কী সমস্যা হচ্ছে – এগুলি নিয়েপুনর্মূল্যায়ন করুন আর সকল রাজনৈতিক দল, কেন্দ্রীয় সরকার ও সকল রাজ্য সরকারেক্ষমতাসীন ও বিরোধী পক্ষের সমস্ত রাজনৈতিক দল সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিন কী কীপরিবর্তন আনতে হবে। আর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেসব পরিবর্তন আনুন। আমিদেশের ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমরা ‘লকির কে ফকির’ নই। আমরা কখনই দাবিকরি না যে, আমরা সব জানি। কিন্তু আমরা সঠিক লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।যেখানেই বাধা পাই, বিগত তিন মাসের অভিজ্ঞতায় যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা আমরা অনুভবকরেছি, সেগুলিকে মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় যেসব পরিবর্তন আনতে হবে, সংস্কার করতে হবে –তার জন্য সরকার প্রস্তুত। বন্ধুগণ, বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাকরতে গিয়ে আমি কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। এই তথ্যগুলির মানে কি দাঁড়ায়,তা নির্ণয় করার দায়িত্বও আমি আপনাদেরকে দিচ্ছি, আমার দেশবাসীকে দিচ্ছি। বন্ধুগণ, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যেদিন আপনি নিজেরপ্রথম গাড়ি কিনেছিলেন, আমার মনে হয় না, আপনারা কেউ বাধ্য হয়ে কিনেছিলেন। কিন্তুগাড়ি কেনার আগে আপনারা প্রথমে রান্নাঘরের খরচ, ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার খরচ আর বাড়িরবয়স্কদের ওষুধের খরচও হিসাব করে দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটাই আমাদের সমাজেরমূল ভাবনা। তা সত্ত্বেও দেশে বিগত জুন মাসের পর যাত্রী গাড়ির বিক্রি প্রায় ১২শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তা হলে আপনারা একে কী বলবেন ভাই? বন্ধুগণ, এই বৃদ্ধি সংকেত দিচ্ছে যে, মানুষ গাড়িকিনছেন, ফোন কিনছেন, বিমান যাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব সংকেত শহুরে এলাকার চাহিদা বৃদ্ধিকেসূচিত করে। এখন যদি গ্রামীণ চাহিদার সঙ্গে যুক্ত হন, সূচকগুলির দিকে তাকান, তা হলেদেখবেন, বিগত কয়েক মাসে ট্র্যাক্টরের বিক্রিতে ৩৪ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি হয়েছে। এফএমসিজি’র ক্ষেত্রেও চাহিদা বৃদ্ধির ঝোঁক এইসেপ্টেম্বরে দেখা গেছে। ��ন্ধুগণ, এমনটি তখনই হয়, যখন দেশের মানুষের মনে আস্থাবৃদ্ধি পায়, যখন দেশের মানুষ ভাবেন, দেশের অর্থ ব্যবস্থা শক্তিশালী। সম্প্রতিপ্রকাশিত পিএমআই-এর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডেক্স এক্সপেনশন মোড দেখাচ্ছে যে, ভবিষ্যৎআউটপুট ইন্ডেক্স ৬০-র মাত্রা পার করে গেছে। সম্প্রতি প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ীকয়লা, বিদ্যুৎ, ইস্পাত এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদনে খুব ভালো বৃদ্ধি হয়েছে। বন্ধুগণ, ব্যাঙ্কগুলিতে ব্যক্তিগত ঋণদান বৃদ্ধিপেয়েছে। হাউসিং ফিন্যান্স কোম্পানি এবং নন্‌-ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্স কোম্পানিগুলিপ্রদত্ত ঋণের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, ক্যাপিটাল মার্কেটে এখন মিউচ্যুয়ালফান্ড এবং বিমা ক্ষেত্রে অধিক বিনিয়োগ হচ্ছে। কোম্পানিগুলি আইপিও-গুলির মাধ্যমে এ বছর প্রথম ছয়মাসেই ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থের সংস্থান করেছে। গত বছর সারা বছরে এই অঙ্ক২৯ হাজার কোটিতে পৌঁছেছিল। নন্‌-ফিনান্সিয়াল এনটিটি-গুলির মধ্যে কর্পোরেট বন্ড এবংপ্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে মাত্র চার মাসেই ৪৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করাহয়েছে। এই সমস্ত পরিসংখ্যান দেশে ফাইনান্সিং-এর ব্রডবেস-কে সূচিত করে। অর্থাৎ ভারতে এখন ফাইনান্সিং শুধু মাত্র ব্যাঙ্ক ঋণ পর্যন্তসীমিত থাকেনি। বর্তমান সরকার সময় এবং ব্যবস্থা উভয়ের মাধ্যমে যথাযথ প্রয়োগেলাগাতার জোর দিয়ে যাচ্ছে। বিগত সরকারের শেষ তিন বছরের কাজের গতি আর বর্তমানসরকারের তিন বছরের কাজের গতিতে যে পার্থক্য রয়েছে, তা আপনারা স্পষ্টভাবে দেখতেপাবেন। সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে বিগত সরকারের শেষ তিন বছরে৮০ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মিত হয়েছিল। বর্তমান সরকার বিগত তিন বছরে ১লক্ষ ২০ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করেছে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশেরও বেশিগ্রামীণ সড়ক নির্মিত হয়েছে। বিগত সরকার শেষ তিন বছরে ১৫ হাজার কিলোমিটার জাতীয় সড়কনির্মাণ করেছে। বর্তমান সরকার তিন বছরে ৩৪ হাজার কিলোমিটার থেকেও বেশি জাতীয় সড়কনির্মাণ করেছে। যদি এক্ষেত্রে বিনিয়োগের কথা ওঠে, তা হলে বিগত সরকার শেষ তিন বছরেজমি অধিগ্রহণ ও সড়ক নির্মাণ বাবদ ৯৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে, বর্তমান সরকার তিনবছরে ১ লক্ষ ৮৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছে। অর্থাৎ ইতিমধ্যেই সরকারদ্বিগুণেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে। আপনারা সকলেই জানেন যে, কতটা প্রশাসনিক এবং আর্থিকউদ্যোগ ন���তে হয়। এই পরিসংখ্যান দেখায় যে, কিভাবে সরকার নীতির অচলাবস্থা থেকে উঠেএসে নীতি-নির্ধারক এবং নীতি রূপায়ণকারীর ভূমিকা পালন করে দেখিয়েছে। এভাবে রেলের জন্য আগের সরকার শেষ তিন বছরে প্রায়১১০০ কিলোমিটার নতুন বিকল্প রেলপথ বসিয়েছে, কিন্তু বর্তমান সরকার বিগত তিন বছরেনতুন পরিবর্ত রেলপথ বসিয়েছে ২৬০০ কিলোমিটার। অর্থাৎ, আমরা দ্বিগুণ গতিতে সমান্তরালরেলপথ বসাতে সক্ষম হয়েছি। বন্ধুগণ, আগের সরকার শেষ তিন বছরে প্রায় ১ লক্ষ ৪৯হাজার কোটি টাকা মূলধনী ব্যয় করেছে, কিন্তু বর্তমান সরকার বিগত তিন বছরে মূলধনীব্যয় করেছে প্রায় ২ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ, এখানেও ৭৫ শতাংশের বেশি। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে সৌর শক্তি,বায়ুশক্তি উৎপাদনে বিগত সরকার শেষ তিন বছরে প্রায় ১২ হাজার মেগাওয়াটপুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। বর্তমান সরকার বিগত তিন বছরে২২ হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের নতুন ক্ষমতা গ্রিডপাওয়ারের সঙ্গে যুক্ত করতে পেরেছে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও সরকারের সাফল্য প্রায়দ্বিগুণ। বিগত সরকার শেষ তিন বছরে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে ৪ হাজার কোটিটাকা বিনিয়োগ করেছে। বর্তমান সরকার গত তিন বছরে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রেপরিকাঠামো উন্নয়নে ১০ হাজার ৬০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছে। বিগত সরকারের তুলনায় জাহাজ শিল্পে উন্নয়নেরক্ষেত্রে কার্গো হ্যান্ডলিং-এর বৃদ্ধির হার ঋণাত্মক মাত্রা থেকে টেনে তুলে বর্তমানসরকার তিন বছরে ১১ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি করেছে। বন্ধুগণ, দেশের রেল, সড়ক ও বিদ্যুতের মতোপ্রাকৃতিক পরিকাঠামোর পাশাপাশি সরকার সামাজিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করার ক্ষেত্রেওগুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা সুলভ গৃহ নির্মাণ ক্ষেত্রে এমন সব নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি,অর্থনৈতিক সংস্কার এনেছি, যা এক্ষেত্রে অভূতপূর্ব। বন্ধুগণ, বিগত সরকার তার প্রথম তিন বছরে মাত্র ১৫হাজার কোটি টাকার প্রকল্প মঞ্জুর করেছিল। বর্তমান সরকার তার প্রথম তিন বছরে ১ লক্ষ৫৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প মঞ্জুর করেছে। আর এই প্রকল্পগুলি আমাদের গরিব এবংমধ্যবিত্তদের মাথার ওপর ছাদ সুনিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পূরণে সাহায্য করেছে। বন্ধুগণ, দেশে শুরু হওয়া চতুর্থ দফার উন্নয়নযজ্ঞেঅধিক বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেজন্য ভারত সরকার অধিক বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগেরপথ প্রশস্ত করার ক্ষেত্রে জোর দিয়েছে। আমার মনে হয় আপনাদের অনেকেরই হয়তো মনে আছে, যখনদেশে বিমা ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল, তখন খবরের কাগজে শিরোনামহ’ত যে, এমনটি হলে অনেক বড় অর্থনৈতিক সংস্কার হবে। কিন্তু বিগত সরকার এই সংস্কারেরকাজ করে যায়নি। আমাদের জন্য রেখে গেছে। আমরা সেই সংস্কারে হাত দিয়েছি। আগে যে মানসিকতাথেকে সংস্কারের কথা ভাবা হচ্ছিল, আমরা তাকেও উন্নত করেছি। কিন্তু যে শল্যবৃত্তিরসমস্যার কথা বলছিলাম, আমাদের দেশের শল্যরা এই সংস্কার চোখে দেখতে পাননি। তাঁদেরপছন্দের সরকার এই সংস্কার করলে তাঁরা কিন্তু চুপ থাকতেন না, প্রশংসায় ছয়লাপ করেদিতেন। কিন্তু আপনাদের আমি বলছি, বিগত তিন বছরে ২১টি ক্ষেত্রে আমরা এরকম ৮৭টিছোট-বড় সংস্কারের কাজ সাফল্যের সঙ্গে করেছি। নির্মাণ ক্ষেত্র, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র,আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্র, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্র ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রেবিনিয়োগের নিয়মে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। দেশে আর্থিক উদারীকরণের পর থেকে এখন পর্যন্ত ভারতেযে পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছ, তার সঙ্গে বিগত তিন বছরের তুলনা করলে বুঝতে পারবেনযে, আমাদের সরকার যে সংস্কার শুরু করেছে তার কেমন সুফল পাওয়া যাচ্ছে। আমি আপনাদেরএই পরিসংখ্যানগুলি বলছি কারণ আপনারা এই পরিসংখ্যান ক্ষেত্রেরই মানুষ, এইপরিসংখ্যানেই আপনারা ডুবে থাকেন। কিন্তু আমার দেওয়া তথ্য শুনলে আপনার চমকে যাবেন।১৯৯২ সাল থেকে দেশে আর্থিক উদারীকরণ শুরু হয়েছে। সেই তখন থেকে ২০১৭ পর্যন্তনির্মাণ ক্ষেত্রে যে পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে, তার ৭৫ শতাংশ শুধু গত তিন বছরেহয়েছে। বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে মোট বিদেশি বিনিয়োগের ৬৯ শতাংশ বিগত তিন বছরে হয়েছে,তেমনই খনি ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ, কম্প্যুটার সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ক্ষেত্রে ৫৩শতাংশ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ৫২ শতাংশ, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে৪৯ শতাংশ এবং বস্ত্র ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ বিনিয়োগ বিগত তিন বছরে হয়েছে। আরেকটি তথ্য দিলে চমকে যাবেন। ১৯৮০ থেকে আমাদেরদেশে অটোমোবাইল শিল্পের ক্ষেত্রে উদারীকরণে আলোচনা চলছে। আর ১৯৯২ সালের আগেইঅটোমোবাইল ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ শুরু হয়েছে। কিন্তু আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে,এক্ষেত্রেও মোট বিদেশি বিনিয়োগের ৪৪ শতাংশ বিগত তিন বছরে হয়েছে। ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির এই হারপ্রমাণ করে যে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতে বর্তমান অর্থ ব্যবস্থাকে কতটা ভরসা করেন।আমরা সেই ভরসার পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। আমাদের ইতিবাচক নীতির কারণে এই আস্থার পরিবেশগড়ে উঠেছে। আমাদের নীতি এবং রীতি এবং তারচেয়ে বেশি আমাদের নিয়ম-কানুন এই আস্থারপরিবেশ গড়ে তোলার অনুকূল। ফলস্বরূপ যে প্রভূত পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে,তা দেশে উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করতে এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণভূমিকা পালন করছে। এত বেশি করে সড়ক নির্মাণ ও রেল সম্প্রসারণ ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধিযে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রকে প্রশস্ত করবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখনওশল্যবৃত্তি চালু আছে। বন্ধুগণ, সরকার আপনাদের পরিশ্রম করে রোজগার করাপ্রতিটি পয়সার মূল্য বোঝে। আর আমি দেশবাসীকে আশ্তস্ত করতে চাই যে, বর্তমান সরকারনীতি ও প্রকল্পগুলিকে এমনভাবেই নির্ধারণ করছে, যাতে গরিব ও মধ্যবিত্তের জীবন সহজহয়। তাঁদের কষ্টোপার্জিত অর্থ সাশ্রয় হয়। বন্ধুগণ, বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক প্রচেষ্টারফলে এখন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের অর্থ কিভাবে সাশ্রয় হচ্ছে, তার একটিউদাহরণ আমি দেব – বিগত সরকারের সময় একটি এলইডি বাল্বের দাম ছিল ৩৫০ টাকা। বর্তমানসরকার ‘উজালা যোজনা’ অভিযান শুরু করার পর এখন তার দাম কমে হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।আপনারা বলুন তো মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তের খরচ কমল কি না? এই বাল্বের দাম তখন ৩৫০টাকা কেন ছিল, এটা গবেষণার বিষয়! বন্ধুগণ, ইতিমধ্যেই দেশে ২৬ কোটিরও বেশি এলইডি বাল্‌ববিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি বাল্বে গড়ে আড়াইশো টাকা সাশ্রয়ের হিসাব করলে সারা দেশেমধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এটা কম কথানয়। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক বাড়িতে এই এলইডি বাল্‌বলাগানোর ফলে বিদ্যুতের খরচও কমে গেছে। ফলে, এক বছরে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তপরিবারের আনুমানিক ১৪ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। আগে আমি বলেছিলাম, বাল্‌বকেনার ক্ষেত্রে ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় হয়েছে। তারমানে, সবমিলিয়ে ২০হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। দেশের গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারে এই পরিমাণ টাকাসাশ্রয় পরিবারগুলিকে কতটা শক্তি যুগিয়েছে! সরকার চেষ্টা চালিয়ে দেশের স্থানীয় প্রশাসনগুলিকেউদ্বুদ্ধ করে এলইডি বাল্ব লাগিয়ে রাস্তার আলোতেও বিদ্যুতের সাশ্��য় করেছে। ফলে,দেশের অনেক শহরের পৌরসভা, নগরপালিকা এবং মহানগর পালিকাগুলির আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে।আমরা যদি কেবল টায়ার-২ শহরগুলিকে দেখি, তা হলে তাদের প্রত্যেকের বছরে প্রায় ১০থেকে ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। এই উদ্বৃত্ত টাকা তারা নগরবাসীর পরিষেবা উন্নয়নেকাজে লাগাতে পারছে। আমাদের দেশে কখনও মধ্যবিত্তদের গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রেসুদের হার কমানোর কথা ভাবা হয়নি। এই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকার মধ্যবিত্তদের নিজস্বগৃহ নির্মাণে সুদের হার হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এভাবে মধ্যবিত্তের আর্থিকবোঝা কমাতে নিম্ন মধ্যবিত্তকে উন্নতির সুযোগ করে দিতে আর দরিদ্রদের ক্ষমতায়নেরজন্য সরকার লাগাতার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। নীতি প্রণয়ন এবং নির্দিষ্টসময়ের মধ্যে সেগুলির বাস্তবায়ন – এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা প্রতিটি কাজ এগিয়ে নিয়েযাচ্ছি। আমি রাজনীতির স্বভাব খুব ভালোভাবে জানি। নির্বাচনএলে মিষ্টি বিতরণ না করে আমরা দেশকে শক্তিশালী করার নানা পথ খুঁজে বের করছি। শুধুক্ষমতায় থাকা আর ভোট পাওয়া নিয়ে চিন্তা করি না। জানি আমরা যে পথ বেছে নিয়েছি, তাঅত্যন্ত কঠিন। আমরা জনগণের ক্ষমতায়নের পথ বেছে নিয়েছি, আর সে পথেই এগিয়ে চলেছি। আর সেজন্যই আমাদের সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়।মিষ্টি বিতরণ করলে জয়জয়কার করার লোকের অভাব থাকে না। কিন্তু যাঁরা সেসব না করে কাজকরতে চান, তাঁদের নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়। দালালদের অনেক কষ্ট হয়। আমরা যখন শুরুতেপ্রত্যক্ষ নগদ হস্তান্তরের মাধ্যমে টাকা পাঠাতাম, তখন অনেক ভুতুড়ে প্রাপকের লাভহ’ত। এখন সেই ভুতের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তা হলে তারা মোদীকে কেন পছন্দ করবে মশাই? আরসেজন্য সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নেই আমরা জোর দিচ্ছি। আমি দেশের মানুষকে বিনীতভাবেএকটি কথা বলতে চাই যে, আজকের লাভের জন্য আমি দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করতে পারিনা। বন্ধুগণ, বর্তমান সরকার প্রাইভেট সেক্টর ও পাবলিকসেক্টরের পাশাপাশি পার্সোনাল সেক্টরকেও প্রাধান্য দিচ্ছে। আগে আমাদের দেশে শুধুপ্রাইভেট ও পাবলিক সেক্টর নিয়ে কথা হ’ত। কিন্তু এর বাইরে যে একটা বিশাল পার্সোনালসেক্টর রয়েছে, তা নিয়ে কারও মাথাব্যথা ছিল না। পার্সোনাল সেক্টর সাধারণ মানুষেরআশা-আকাঙ্খা সম্বন্ধে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর সেজন্য বর্তমান সরকার নবীন প্রজন্মেরসেই মানুষদের দিকে যথাসম্ভব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, যাঁরা নিজের চেষ্টায়কিছু করতে দেখাতে চান। ইতিমধ্যেই মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে কোনও রকমগ্যারান্টি ছাড়া ৯ কোটিরও বেশি নবীন প্রজন্মের মানুষদের ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটিটাকারও বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে। এই ৯ কোটির মধ্যে ২ কোটি ৬৩ লক্ষ যুবক প্রথমবারমুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেয়েছেন। বর্তমান সরকার দক্ষ ভারত মিশন, স্ট্যান্ড আপইন্ডিয়া, স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া’র মতো প্রকল্পগুলির মাধ্যমে স্বরোজগারকে উৎসাহ প্রদানকরছে। যথাসম্ভব বেশি মানুষকে প্রথাবদ্ধ ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করতেকোম্পানিগুলিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বন্ধুগণ, ফর্মাল ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের কিছুসূচককে যদি তুলে ধরি, মার্চ ২০১৪ সালে মোট ৩ কোটি ২৬ লক্ষ কর্মচারী সক্রিয়ভাবেপ্রতি মাসে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংস্থায় টাকা জমা করতেন। গত তিন বছরে এই সংখ্যাবৃদ্ধি পেয়ে ৪ কোটি ৮০ লক্ষে পৌঁছে গেছে। যাঁরা শল্যবৃত্তি করেন, তাঁরা এটাও ভুলেযান যে, কর্মসংস্থান না হলে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া কোনও মতেই সম্ভব ছিল না। বন্ধুগণ, আমরা গরিব, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তেরজীবনে উৎকর্ষগত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে সকল প্রকল্পের খসড়া রচনা করেছি, সেগুলিরবাস্তবায়নে আমরা সুফল পাচ্ছি। জন ধন যোজনার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ৩০ কোটিরও বেশিগরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে ৩ কোটিরওবেশি মহিলাকে নিঃশুল্ক রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১৫ কোটি দরিদ্রমানুষকে সরকার বিমা প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছে। আর সম্প্রতি দেশের প্রত্যেকগরিবকে নিঃশুল্ক বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের উদ্দেশ্যে ‘সৌভাগ্য যোজনা’ চালু করাহয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রতিটি প্রকল্প গরিব মানুষেরক্ষমতায়নে সুফলদায়ক। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক হ’ল দুর্নীতি এবং কালো টাকা।দুর্নীতি ও কালো টাকা নিরোধে আপনাদের প্রতিষ্ঠান এবং দেশের কোম্পানি সেক্রেটারিদেরগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বিমুদ্রাকরণের পর যে ৩ লক্ষ সন্দেহভাজন কোম্পানিসম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি, যাদের মাধ্যমে কালো টাকা লেনদেনের আশঙ্কা রয়েছে,ইতিমধ্যেই সেগুলির মধ্যে ২ লক্ষ ১০ হাজার কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে।আমাদের দেশে একটি কোম্পানি বন্ধ করলে অনেক মানুষ কালো পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করতেবের হন। কিন্তু দেখুন ২ লক্ষ ১০ হাজার কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন বাতিল হ’ল কিন্তুএকজনও মোদীর কুশপুত্তলিকা দাহ করল না। তার মানে কত মিথ্যার বেসাতি চালু ছিল, তাআপনারা কল্পনা করতে পারেন! আশা করি, এই ভুয়ো কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে সাফাইঅভিযানের পর চালু কোম্পানিগুলির ডাইরেক্টরদের মধ্যেও সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।ফলস্বরূপ, সেই কোম্পানিগুলির পরিচালন ব্যবস্থাতেও স্বচ্ছতা আসবে। আর এক্ষেত্রেআপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। বন্ধুগণ, দেশের ইতিহাসে এই কালখন্ড অনেক বড়পরিবর্তনের কালখন্ড। দেশ এখন সততা এবং স্বচ্ছ প্রশাসনের গুরুত্ব বুঝতে পাচ্ছে।কর্পোরেট গর্ভন্যান্স ফ্রেমওয়ার্ক নির্ধারণের সময় আইসিএসআই সুপারিশগুলিও অনেকইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। এখন সময়ের চাহিদা হ’ল আপনারা একটি নতুন ব্যবসাসংস্কৃতি গড়ে তুলতেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন। জিএসটি চালু হওয়ার পর নতুনভাবে ১৯ লক্ষ নাগরিকঅপ্রত্যক্ষ কর-এর আওতায় এসেছেন। ছোট ব্যবসায়ী হন কিংবা বড়, সকলেই যেন জিএসটিঅনুযায়ী সৎ ব্যবস্থার অংশীদার হন, সেজন্য ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে প্রেরণা যোগানোরকাজ আপনাদেরকেই করতে হবে। আপনাদের প্রতিষ্ঠান থেকে লক্ষ লক্ষ ছাত্র পাশ করেবেরিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা সকলেই কোম্পানি সেক্রেটারি হননি। অনেকেই মাঝখানে ঝুলেআছেন। তাঁদের জন্য কাজ খুঁজতে হবে না! আমি তাঁদের জন্য কাজ নিয়ে এসেছি। আপনাদেরপ্রতিষ্ঠানটি এই দায়িত্ব হাতে নিতে পারবে? সেই কাজটি হ’ল – দেশে ন্যূনতম ১ লক্ষযুবক-যুবতীকে জিএসটি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া, যাতে এক সপ্তাহ বা ১০ দিনেরপ্রশিক্ষণের পর তাঁরা নিজেদের এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাহায্য করতে পারেন।তাঁদেরকে জিএসটি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ করতে পারেন, রিটার্ন ফাইল করারক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারেন। তাঁদের জন্য একটা নতুন রোজগারের ক্ষেত্র খুলে যাবে।আর অতি সহজেই নিজের এলাকায় বসে তাঁরা রোজগার করতে পারবেন। যদি সুসংবদ্ধভাবে আমরাএই কাজ করি, তা হলে দেখবেন ঐ ১ লক্ষ যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের পর আরও অনেককেপ্রশিক্ষণ দিতে হতে পারে। বন্ধুগণ, আগামী ২০২২ সালে দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছরপূর্তি পালন করবে। আর আমার স্বপ্ন যে মহাপুরুষেরা এই দেশকে স্বাধীন করার জন্যনিজের যৌবন কারান্তরালে কাটিয়েছেন, জেলেই মৃত্যুবরণ করেছেন, সারা জীবন লড়াইকরেছেন, ফাঁসিকাঠে প্রাণ দিয়েছেন, তাঁরা যেমন ভারতের স্বপ্ন দেখেছেন, আমরা ২০২২সালের মধ্যে সেরকম ভারত গড়ে তুলব। আমার স্বপ্ন প্রত্যেক ভারতীয়র মনে সঞ্চারিত করতেচাই। ১৯৪২ সালে ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের সময় দেশবাসীর মনে স্বাধীনতার স্পৃহা যেপ্রবল জোয়ার এনেছিল, সেটাই পরবর্তী পাঁচ বছরে ব্রিটিশকে ভারত ছাড়তে বাধ্য করে।আমরাও তেমনই নতুন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে পাঁচ বছর কাজ করলে ২০২২ সালে নিশ্চিতভাবেইসাফল্য পাব। আপনাদের প্রতিষ্ঠান কি শপথ নিতে পারে, আমি চাই নাযে আজই আপনারা ‘হ্যাঁ’ করে দিন; কিন্তু আপনারা ভাবুন, আপনারা কি ২০২২ সালের জন্যকিছু সংকল্প গ্রহণ করতে পারেন? আপনারা কি ২০২২ এর মধ্যে দেশে একটি উচ্চমাত্রায় করমান্যতাকারী সমাজ গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন? আপনারা কি সুনিশ্চিত করতে পারবেন যে, ২০২২ সালেরমধ্যে দেশে একটিও ভুয়ো কোম্পানি থাকবে না? আপনারা কি সুনিশ্চিত করতে পারবেন যে,২০২২ সালের মধ্যে দেশের প্রত্যেক কোম্পানি সততার সঙ্গে যথাযথ কর প্রদান করবে?হাততালির শব্দ কমে গেছে, আমি জানি, এটা কঠিন কাজ! আপনারা কি দেশ ও সমাজের প্রতিনিজেদের কর্তব্যের পরিধি বাড়িয়ে ২০২২ সালের মধ্যে দেশে একটি সৎ ব্যবসা-সংস্কৃতিস্থাপন করতে পারবেন? আপনারা ৪৯ বছরের যাত্রা সম্পূর্ণ করে আজ সুবর্ণজয়ন্তীবর্ষে পদার্পণ করেছেন। আশা করি, আইসিএসআই আমার অনুরোধ রক্ষা করে এইলক্ষ্যপ্রাপ্তির জন্য আলাদাভাবে কিছু সিদ্ধান্ত নেবে এবং তা নিজেদেরকর্মসংস্কৃতিতেও সামিল করবে। আমি আপনাদের এই সুবর্ণ জয়ন্তীবর্ষের জন্য অনেকঅনেক শুভেচ্ছা জানাই। আর দেশবাসীকেও নিশ্চিত করতে চাই যে, বেশ কিছুদিন ধরে আর্থিকবিষয়ে আমাদের যে সমালোচনা হচ্ছে, সেগুলিকে আমরা খারাপভাবে নিই নি। একটি সংবেদনশীলসরকার হিসাবে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতম সমালোচনাকেও হৃদয় দিয়ে গ্রহণ করি। আরযথাস্থানে সংবেদনশীল পদ্ধতিতে সেই সমালোচনাগুলি নিয়েও আলাপ-আলোচনা এবং চিন্তাভাবনাকরে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে আজ গোটা বিশ্ব ভারতের অর্থ ব্যবস্থার কাছে যে প্রত্যাশাপোষণ করছে, ১২৫ কোটি ভারতবাসী যে রকম প্রত্যাশা করছেন, সেই ছন্দে, সেই গতিতে, সেই ব্যপ্তিনিয়ে পরিচালনা করব। আমাদের সমালোচকদেরও আমি বিনয়ের সঙ্গে নিশ্চিত করতে চাই।আপনাদের সমালোচনার সব কথাই যে ভুল, তা নয়। কিন্তু দেশে হতাশার পরিবেশ সৃষ্টি করাথেকে দূরে থাকুন। যেসব পরিসংখ্যান আজ আমি পেশ করলাম, এগুলি দেশেরঅর্থ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে ওঠার প্রমাণ, সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং দেশকেসঠিক লক্ষ্য ও অভূতপূর্ব গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রমাণ। দেশে এবং বিশ্বেরসর্বত্র ভারতের প্রতি যে আস্থা বৃদ্ধি হয়েছে, তা দেখে আমাদের কর্মশক্তিও বৃদ্ধিপেয়েছে। এই কর্মশক্তিকে ছোট করে না দেখে আমরা নতুন ভারত গড়ে তোলার জন্য নতুনউৎসাহ, নতুন বিশ্বাস, নতুন উদ্দীপনা এবং নতুন সংস্কৃতি নিয়ে এগিয়ে চলেছি। আজআপনাদের সুবর্ণ জয়ন্তীবর্ষের সূচনালগ্নে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে আপনাদেরমাধ্যমে দেশবাসীকে এই বার্তা দিতে চেয়েছি। আশা করি, আমার এই প্রয়াস সার্থক হবে। এই বিশ্বাস নিয়ে আরেকবার অনেক অনেক শুভেচ্ছাজানাই। ধন্যবাদ।",ভাৰতীয় কোম্পানী সচিব ছেক্ৰেটাৰী প্ৰতিষ্ঠানৰ সোণালী জয়ন্তী বৰ্ষৰ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে দিয়া ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%A4%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0/,"ভারতীয় সমিতি নথিভুক্তি আইন, ১৮৬০-এর আওতায়একটি নথিভুক্ত প্রতিষ্ঠানহিসেবে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) গঠনের অনুমতি দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকেআজ উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রবেশিকা পরীক্ষা পরিচালনার জন্য এই এজেন্সিগঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একটি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই এজেন্সিটি কাজকরে যাবে বলে আজ সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভার গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিরনেতৃত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ বিকাশ মন্ত্রণালয় নিযুক্ত একজন বিশিষ্টশিক্ষাবিদ। প্রতিষ্ঠানের সিইও-র দায়িত্ব পালন করবেন কেন্দ্রীয় সরকার নিযুক্ত একজনমহানির্দেশক। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পদাধিকারিদের নিয়ে গঠিত হবে এনটিএ-র পরিচালনপর্ষদ। আবার, মহানির্দেশককে তাঁর কাজকর্মে সাহায্য করবেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবংবিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত কয়েকটি গোষ্ঠী। বর্তমানে, সিবিএসই-র পক্ষ থেকে যে সমস্ত প্রবেশিকা বা ভর্তির পরীক্ষাপরিচালনা করা হয়, সূচনায় সেই দায়িত্ব বর্তাবে এনটিএ-র ওপর। পর্যায়ক্রমে এনটিএপুরোপুরি চালু হয়ে গেলে অন্যান্য পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বও পালন করবে এইস্বশাসিত প্রতিষ্ঠানটি। পল্লী অঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য জেলা কিংবা মহকুমাপর্যায়ে পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সম্ভাব্য সকলরকম চেষ্টা চালানো হবে। এনটিএ-র প্রথম বছরের কাজকর্ম শুরু করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেএককালীন ২৫ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে সংস্থাটিকে আর্থিকদিক থেকে স্বনির্ভর করে তোলা হবে। এনটিএ গঠিত হলে উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রবেশিকা পরীক্ষারক্ষেত্রে উপকৃত হবেন ৪০ লক্ষের মতো ছাত্রছাত্রী। /",উচ্চ শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠানৰ প্ৰৱেশ পৰীক্ষা পৰিচালনাৰ বাবে নেশ্যনেল টেষ্টিং এজেন্সী গঠনত কেন্দ্ৰীয় কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%A7-%E0%A6%85%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%B0-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AD-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A7%9F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A7%E0%A7%A7-%E0%A6%85%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A7%B0-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AD-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%A4/,"আজ লোকনায়ক জয়প্রকাশের জন্ম জয়ন্তী উদযাপিত হচ্ছে আর আজকের দিনেই লোকনায়কজয়প্রকাশের ঘনিষ্ঠ সাথী শ্রদ্ধেয় নানাজি দেশমুখ-এর জন্মশতবর্ষ পালন করা হচ্ছে। এইদুই মহাপুরুষ নিজেদের জীবদ্দশায় এমন সংকল্প গ্রহণ করেছিলেন, যাতে তাঁরা নিজেদেরকেওউৎসর্গ করেছিলেন আর সাফল্য প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে দেশবাসীর কল্যাণে মাতৃভূমির জন্যসারা জীবন উৎসর্গীকৃত ছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনে লোকনায়ক জয়প্রকাশের নেতৃত্ব নবীনপ্রজন্মের প্রেরণাস্বরূপ ছিল। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠলে ইংরেজসরকার মহাত্মা গান্ধী, সর্দার প্যাটেল সহ দেশের সকল বড় নেতাদের গ্রেপ্তার করে জেলেভরে দেয়। তখন জয়প্রকাশ নারায়ণ এবং রামমনোহর লোহিয়ার মতো যুবনেতারা এগিয়ে এসে সেইআন্দোলনে নেতৃত্ব সামলান। সেই সময় তাঁরা সারা দেশে যুবসম্প্রদায়ের হৃদয়ে প্রেরণাসঞ্চার করতে পেরেছিলেন। আর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন অনেক বড় বড় নেতা ক্ষমতার বলয়েনিজেদের স্থান প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন, তখন এই জয়প্রকাশ নারায়ণনিজেকে ক্ষমতার রাজনীতি থেকে দূরে রেখেছিলেন। স্বাধীনতার পর জয়প্রকাশ নারায়ণ ওতাঁর স্ত্রী শ্রদ্ধেয়া প্রভাদেবী গ্রামোত্থান এবং জনকল্যাণের পথ বেছে নিয়েছিলেন। নানাজি দেশমুখ’কে দেশবাসী বেশি চিনতেন না। অথচ, দেশের জন্য তিনি নিজের জীবনউৎসর্গ করেছিলেন। দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণার আগে জয়প্র���াশ নারায়ণ যখন শাসন ব্যবস্থারউঁচুস্তরে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি দেখে বিতশ্রদ্ধ হয়ে ছাত্র আন্দোলন শুরু করেছিলেন।গুজরাটের যুব-আন্দোলনের সাফল্য থেকে প্রেরণা নিয়ে তিনি যখন আরেকবার জাতীয় রাজনীতিরময়দানে প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছিলেন, তৎকালীন কেন্দ্রের সরকার কেঁপে উঠেছিল।জয়প্রকাশজি’কে আটকানোর জন্য কী কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে ষড়যন্ত্র রচিত হয়। সেইসময় পাটনায় একটি শোভাযাত্রায় জয়প্রকাশজির ওপর হামলা হয়। সেই সময় তাঁর পাশেদাঁড়িয়েছিলেন নানাজি দেশমুখ। নানাজি নিজের হাত বাড়িয়ে সেই মৃত্যুরূপী আঘাতকেপ্রতিহত করেছিলেন। ফলে, তাঁর হাত ভেঙে গিয়েছিল। কিন্তু জয়প্রকাশজি’র প্রাণ বাঁচানোএমন একটি ঘটনা ছিল, যা নানাজি দেশমুখ’কে বিখ্যাত করে দেয়। নানাজি দেশমুখ সারা জীবনদেশের জন্য বেঁচেছিলেন। তিনি দীনদয়াল রিসার্চ ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে দেশের জন্য বেশকিছু আদর্শ দম্পতিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তাঁর এই দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করারআহ্বানে সাড়া দিয়ে শতাধিক নবীন দম্পতি এগিয়ে আসেন এবং তাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েপরবর্তীকালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রাম বিকাশের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যখন মুরারজিভাই প্রধানমন্ত্রী হন, জনতা পার্টির শাসনকালে নানাজি দেশমুখ’কে জাতীয় মন্ত্রিসভারসদস্য হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু জয়প্রকাশ নারায়ণের আদর্শেঅনুপ্রাণিত নানাজি-ও নম্রভাবে মন্ত্রিপরিষদে যোগদানের আহ্বানকে অস্বীকার করেনিজেকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে নেন। জীবনের প্রায় সাড়ে তিন দশক তিনি চিত্রকূট এবংগোন্ডা’কে কেন্দ্র করে গ্রামীণ বিকাশের কাজ করে ৬০ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, নানাজি’র জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারএই মহাপুরুষদের স্বপ্নের ভিত্তিতে, মহাত্মা গান্ধীর প্রদর্শিত পথে, গ্রামীণবিকাশের লক্ষ্যে, দেশের গ্রামগুলিকে আত্মনির্ভর করতে, দারিদ্র্য ও রোগমুক্ত করতেএগিয়ে এসেছে। জাতপাতের বিষ আজও যেভাবে আমাদের গ্রামগুলিকে বিষিয়ে দেয়, গ্রামেরস্বপ্নগুলিকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয়, সেই জাতপাতের ভাবনা থেকে ওপরে উঠে গ্রামগুলিকেসমৃদ্ধ গ্রাম করে তুলতে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলে মিলে গ্রাম-কল্যাণের শপথ নিয়েকাজ করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার এরকমই গণঅংশীদারিত্বের মাধ্যমে গ্রাম বিকাশেরপদক্ষেপ নিচ্ছে। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ৩০০-রও বেশিগ্রামসেবক, যাঁরা গতকাল সারা দিন ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীতে বসে আধুনিক প্রেক্ষিতেগ্রামের উন্নয়ন কিভাবে হবে, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছেন, নিজেদের অভিজ্ঞতাআদান-প্রাদন করেছেন। এভাবে গ্রামীণ অর্থনীতি এবং কৃষির নানা বিষয় নিয়েআলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের মন্থন থেকে যে অমৃত নিষ্কাষিত হয়েছে, তা একটু আগেইভিডিও’র মাধ্যমে প্রস্তুত করার প্রচেষ্টা হয়েছে। আমি এই সকল মাননীয় ব্যক্তিদের আশ্বস্তকরতে চাই যে, আপনাদের আলাপ-আলোচনা থেকে যে সিদ্ধান্তগুলি উঠে এসেছে, ভারত সরকারসেগুলিকে ঐকান্তিকভাবে গ্রহণ করবে। আর যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শ আপনারাদিয়েছেন, সেগুলি বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করবে। অনেক বছর পর এত বড় মাত্রায় ভারতেরগ্রামীণ জীবনের নানা বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা ও আলোচনা হয়েছে। আপনারা দেশের প্রত্যেকঅঞ্চল থেকে এসেছেন। নানা অঞ্চলের প্রকৃতি ও সমস্যা আলাদা। প্রত্যেক অঞ্চলেরপ্রয়োজনীয়তা এবং সেগুলি সমাধানের উপাদানও বিভিন্ন। ভিন্ন রুচি, প্রবৃত্তি এবংপ্রকৃতি অনুসারে গ্রামোন্নয়নকে শেকড়ের সঙ্গে যুক্ত করতে পারলে, তার ফল হবে অনেকচিরস্থায়ী ও সুদূরপ্রসারী। বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া অজানা বা বিদেশি উপাদানঅধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রামীণ জীবনে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং গ্রামের মানুষঅচেনা উপাদান সহজেই স্বীকার করার সাহস পান না। সেজন্য আমাদের প্রচেষ্টা হ’ল –প্রতিটি গ্রামের যে নিজস্ব শক্তি ও সামর্থ্য রয়েছে, গ্রামের উন্নয়নকে তার সঙ্গেযুক্ত করার জন্য নতুন নতুন মডেল গড়ে তুলতে হবে। গ্রামের মানুষ যেসব উপাদানকে চেনেনও জানেন, সেগুলিকে মূল্য সংযোজন করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এবং আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকেসুলভ প্রযুক্তির ব্যবহারে সহযোগী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। তবেই আমরা প্রতিটিগ্রামের উন্নয়নে সেই গ্রামের মানুষদের সক্রিয় সহযোগিতা পাব। গ্রামের মানুষ যখনতাঁদের উন্নয়নের কাজ নিজেদের কাঁধে তুলে নেন এবং গ্রামের পরিবেশ ও প্রকৃতির অনুকূলকাজ হয়, সেই উন্নয়নই দীর্ঘস্থায়ী হয়। সেজন্য আপনাদের আলাপ-আলোচনার মন্থন নিষ্কাষিতঅমৃত আগামীদিনে দেশের গ্রামীণ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আরেকটি জিনিসআমাদের মনে রাখতে হবে, উন্নয়নের প্রকল্পগুলির পরিকল্পনা যেমনই হোক না কেন, তাকেনির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাস্তবায়ি��� করতে হবে। আমাদের প্রকল্পগুলি দ্বারা যাঁরালাভবান হবেন, তাঁরা যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ১০০ ভাগ লাভবান হন, সেই মেজাজ নিয়েকাজ করতে হবে। যে মাটিতে কাজ শুরু হয়েছে, তা যেন কোনওভাবে বিঘ্নিত না হয়, সেটাদেখতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ফল হবে আউটপুট-ভিত্তিক নয়, আউটকাম-ভিত্তিক। শুধুআমরা এত টাকা বাজেট বরাদ্দ করেছি আর এত টাকা খরচ করেছি – এসব বললে চলবে না। বাজেটেযে লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে, সেটা বাস্তবায়িত হয়েছে কি না, সার্বিক প্রচেষ্টারমাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ করলে বিগত ৭০ বছরে গ্রামীণ বিকাশের যে গতিছিল, তারচেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে আমরা এগিয়ে যেতে পারব বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। বিগত ৭০বছর ধরে আমাদের গ্রামের মানুষ যে স্বপ্ন দেখেছেন, আগামী ২০২২ সালে দেশ যখনস্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি পালন করবে, সেই সময়সীমার মধ্যে গ্রামের মানুষের সেইস্বপ্নগুলিকে আমরা বাস্তবায়িত করতে চাই। আজ গ্রামের মানুষও শহরের মানুষদের সমমানেরজীবনযাপন করতে চায়। যেসব সুবিধা শহরে রয়েছে, সেইসব পরিষেবা গ্রামেও থাকা উচিৎ।শহরগুলি যেমন বিদ্যুতের আলোতে উজ্জ্বল, গ্রামগুলিকেও সেরকম উজ্জ্বল করে তুলতে হবে।শহরের ছেলেমেয়েরা স্কুলের ল্যাবরেটরিতে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আধুনিক কম্প্যুটারেরমাধ্যমে প্রযুক্তির শিক্ষা নিতে পারে, গ্রামের স্কুলের ছেলেমেয়েরাও যেন সেই সুবিধাপেতে পারে। আজ অনেক ক্ষেত্রেই গ্রামগুলিতে শিক্ষকরা থাকতে রাজি হন না। ডাক্তাররা রাতেথাকেন না কিন্তু শহরে যেসব সুবিধা রয়েছে, সেসব সুবিধা যদি আমরা গ্রামে নিয়ে আসতেপারি, নলের মাধ্যমে পানীয় জল, অপ্টিকাল ফাইবার নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট ব্যবস্থা, ২৪ঘন্টা বিদ্যুৎ, ঘরে ঘরে রান্নার গ্যাস – এইসব প্রাথমিক পরিষেবাগুলি গ্রামে থাকলেগ্রামের জীবনমান বাড়বে। তখন শিক্ষকরা গ্রামে থাকবেন, ডাক্তারবাবুরাও রাতে চলেযাবেন না। গ্রামের উন্নয়ন করতে আসা সরকারি বাবুদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাবে। আরসেজন্য মহাত্মা গান্ধী যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, দীনদয়াল উপাধ্যায় যেরকম ভেবেছিলেন,জয়প্রকাশ নারায়ণ এবং তাঁর সাথী নানাজি দেশমুখ যে ভাবনা নিয়ে আদর্শ গ্রাম গড়ে তুলতেচেয়েছিলেন, সেরকম গ্রাম গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। আমাদের দেশে যথাযথ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি বলে সরকার প্রান্তিক মানুষদের কোনওপরিষেবাই দিতে পারে না – এই মতবাদ আমি ��িশ্বাস করি না। সরকারে দায়িত্ব নেওয়ার পরআমি বুঝতে পেরেছি যে, সরকার চাইলে প্রত্যেক প্রান্তিক মানুষের কাছে তাঁর অধিকারপ্রদান করার মতো ব্যবস্থার অভাব দেশে নেই। যে জিনিসটার অভাব রয়েছে, সেটা হ’লসুশাসনের অভাব। দেশের যে রাজ্যগুলিতে সুশাসন রয়েছে, সরকারি ব্যবস্থা নির্ধারিতসময়ে যে কোনও কাজের লক্ষ্যসাধন করতে অভ্যস্থ, সেই রাজ্যগুলিতে পরিবর্তন পরিলক্ষিতহচ্ছে। আপনারা দেখবেন মনরেগা; মনরেগার মূল বৈশিষ্ট্য হ’ল – এই প্রকল্প গ্রামীণমানুষকে রোজগার দেওয়ার জন্য গড়ে উঠেছে। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলছে, যে রাজ্যগুলিতেদারিদ্র্য বেশি, সেই রাজ্যগুলিতেই মনরেগার কাজ কম হচ্ছে। আর যে রাজ্যগুলিতেঅপেক্ষাকৃত দারিদ্র্য কম কিন্তু সুশাসন রয়েছে, সেই রাজ্যগুলিতে মনরেগার কাজও বেশিহচ্ছে। সেই রাজ্যগুলি বেশি প্রকল্প গড়ে তুলে অধিক মানুষকে যুক্ত করে অধিক রোজগারপ্রদানে সক্ষম হচ্ছে। আর সেজন্য গ্রামীণ বিকাশের লক্ষ্যে আমরা সুশাসনের ওপর বেশিজোর দিচ্ছি। আজ আপনাদের সামনেই ‘দিশা’ নামক যে ডিজিটাল ড্যাশবোর্ড আপনাদের সামনেপ্রদর্শিত হয়েছে, সেটি সুশাসনের লক্ষ্যে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।এরফলে, আজ আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে প্রতিটি জিনিসকে তদারকি করতে পারছি, নির্দিষ্টসময়সীমার মধ্যে পুনর্বিচার করতে পারছি, এর মধ্যে কোনও ত্রুটি থাকলে সেগুলিকেশুধরানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে, নীতিগত সমস্যা থাকলে নীতিতে পরিবর্তন আনাহচ্ছে, ব্যক্তির কর্মপদ্ধতিতে সমস্যা থাকলে ব্যক্তিকে শুধরানো ও সতর্ক করা যাচ্ছে,এই ব্যবস্থায় ক্রমে দেশের প্রতিটি গ্রামকে যুক্ত করে নেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত,কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য হ’ল – রাজ্য সরকারের সকল প্রকল্পগুলিকে আমাদের সংসদসদস্য এবং জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে একসূত্রে গ্রথিত করা। অগ্রাধিকার ঠিক করে কাজকরলে ইপ্সিত পরিণাম অবশ্যই পাওয়া যায়। আর সেজন্যেই এই ‘দিশা’র মাধ্যমে কেন্দ্রীয়সরকার জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয়ভাবে যুক্ত করছে। সংসদ সদস্যরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গেবসে ‘দিশা’র মাধ্যমে সকল উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখছেন। স্থানীয় প্রয়োজনঅনুসারে অগ্রাধিকার স্থির করেন। কেন্দ্র থেকে কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয় না। আরসেজন্যেই উন্নয়নের কাজে গতি আনার ক্ষেত্রে আমরা সফল হয়েছি। গণতন্ত্রের সাফল্য শুধুকতজন ভোটবাক্সে ভোট দিলেন, তা দিয়ে নির্ণ�� করা যায় না। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের দেশেগণতন্ত্রকে দীর্ঘকাল পাঁচ বছরে একবার গিয়ে ভোটবাক্সে কিংবা বিগত বছরগুলিতে বোতামটিপে ভোটদানে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। তারপর পাঁচ বছরে ধরে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করেপার্লামেন্ট পর্যন্ত যাঁরা ক্ষমতায় এসেছেন, তাঁরাই আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন।আমার মতে, গণতন্ত্রকে এই সীমার মধ্যে সঙ্কুচিত রাখা উচিৎ নয়। ভোটদান গণতন্ত্রেরএকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন ঠিকই, যার মাধ্যমে আপনারা নিজেদের পছন্দের সরকার বেছেনেবেন। কিন্তু গণতন্ত্রের সাফল্য তখনই আসে, যখন গণঅংশীদারিত্বের মাধ্যমে পরিচালিতহয়। গ্রাম ও শহরের উন্নয়নে গণঅংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর সেজন্যজনগণের সঙ্গে সরকারের নিয়মিত বার্তালাপ অনিবার্য। উপর থেকে নীচ পর্যন্ত সঠিকপরামর্শ ও নির্দেশাবলী আর নীচ থেকে উপর পর্যন্ত সঠিক তথ্য পৌঁছতে হবে। এই উভয়মুখীবার্তালাপ যথাযথভাবে পালিত হলে প্রকল্প, নীতি ও বাজেট বরাদ্দ সঠিক লক্ষ্যে সঠিকপথে সৎভাবে খরচ হবে। যথাযথ কাজ হবে। সেজন্য আজ একটি মোবাইল অ্যাপ-এর মাধ্যমে‘গ্রামীণ সংবাদ’-এর মাধ্যমে প্রত্যেক গ্রামবাসীর মোবাইল ফোনে সরকারি প্রকল্প ওনির্দেশাবলী পৌঁছে দেওয়া আর জনগণের সকল সমস্যা ও উন্নয়নজনিত তথ্য সরকারের কাছেপৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে উপর থেকে নীচ পর্যন্ত, প্রান্তিক গ্রামেরশেষ মানুষটি পর্যন্ত সরকারের বক্তব্য পৌঁছে দেওয়ার এই পদ্ধতি সরকারের স্থানীয়অফিস, আধিকারিক এবং কর্মীদেরও চাপে রাখবে। তাঁরা ঠিকভাবে কাজ না করলে গ্রামবাসীগিয়ে বলবেন, বাবু আমাদের মোবাইল ফোনে দেখছি সরকারি প্রকল্পটি এরকম, আমরা এই এইসুবিধা পেতে পারি, তাহলে আপনারা অন্যরকম বলছেন কেন? অন্যরকম করছেন কেন? তখন চাপে পড়ে তাঁরা সঠিক কাজ নির্দিষ্ট সময়েরমধ্যে সম্পূর্ণ করতে বাধ্য হবেন। সেজন্যেই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আধুনিকপ্রযুক্তি ব্যবহার করে, জনগণের সঙ্গে সরকারের সরাসরি বার্তালাপের একটি ব্যবস্থাগড়ে তুলে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে এইঅ্যাপ-এর উদ্বোধন হচ্ছে। সেরকমই এখানে কৃষি বিভাগের একটি ফোনেমিক্স সেন্টারের একটিগুরুত্বপূর্ণ প্ল্যান্টের উদ্বোধন হচ্ছে। আমাদের দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির কেন্দ্রেরয়েছে কৃষি ও পশুপালন। কিন্তু পাশাপাশি গ্রামীণ জীবনে এক শ্রেণীর মানু�� নানালোকশিল্পের মাধ্যমেও উপার্জন করেন। আর সেজন্য কৃষক, পশুপালক, চড়কাধারী এবং হস্তশিল্পীদেরসকলকে যুক্ত করে আমাদের অর্থ ব্যবস্থার স্তম্ভগুলিকে মজবুত করার লক্ষ্যে আমরা কাজকরছি। ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব পালনের আগেই আমরা কৃষকদের আয়দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। একদিকে কৃষকের বিনিয়োগের খরচ হ্রাস করতে হবে,আর অন্যদিকে তাঁদের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। এই উভয় ক্ষেত্রেই আমাদের আধুনিকপ্রযুক্তির সাহায্য নিতে হবে। পশুপালনে এমন পরিবর্তন আনতে হবে, যাতে পশুর সংখ্যাকম থাকলেও দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ, পশু প্রতি দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিরউদ্দেশ্যে আমরা যতটা সাফল্য পাব, গ্রামীণ অর্থনীতিও তত শক্তিশালী হবে। আজ সারাপৃথিবীতেই রাসায়নিক মোমের বদলে মৌ-পালনের মাধ্যমে প্রাপ্ত মোমের চাহিদা বৃদ্ধিপাচ্ছে। আমরা যদি গ্রামে গ্রামে বৈজ্ঞানিক উপায়ে মৌ-পালনে উৎসাহ দিই, তা হলেআমাদের কৃষকরা পশুপালন ও মৌ-পালনের মাধ্যমে তাঁদের আয় দ্বিগুণ করতে পারবেন।পাশাপাশি ভারত মৌ-পালনের মাধ্যমে উৎপন্ন প্রাকৃতিক মোম রপ্তানি করে করে বিদেশিমুদ্রা অর্জন করতে পারবে। তেমনই আমাদের মৎস্যপালন থেকে মৎস্য ব্যবসা, হাঁস-মুরগীপালন, পশুপালন, শাক-সব্জি-ফল চাষ, মূল্যবান কাঠের বৃক্ষরোপণ ও লালন-পালন বৃদ্ধিকরতে হবে। দেশে আজ প্রভূত পরিমাণে মূল্যবান কাঠ আমদানি করতে হয়। আমাদের কৃষকরাতাঁদের কৃষি ক্ষেত্রের চারপাশে মূল্যবান কাঠের বৃক্ষের চাষ করলে ৫-১০ বছর পর ফলপেতে শুরু করবেন। মূল্যবান কাঠ আপনাদের পরিবারকে অনেক সঙ্কট থেকে রক্ষা করবে।এইভাবে সংহত এবং সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রামীণ বিকাশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারলক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমরা যে কোনও কাজ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সম্পূর্ণ করারচেষ্টা করি। অপরিচ্ছন্নতা আমাদের গ্রামীণ জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছিল।মানুষ ভাবতেন যে, এটাই আমাদের ভাগ্য। আমরা এসে দেশের মা-বোনদের সম্মান রক্ষার কথামাথায় রেখে খোলা মাঠে প্রাকৃতিক কর্মমুক্ত গ্রাম গড়ে তোলার অভিযান শুরু করেছি। আমিঅত্যন্ত আনন্দিত যে, সারা দেশে শৌচাগার নির্মাণের অভিযান নির্দিষ্ট সময়সীমারমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। ধীরে ধীরে গ্রামের মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিপাচ্ছে। উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যে নবনির্মিত শৌচালয়গুলির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইজ���জতঘর’। সত্যিই তো, শৌচালয় মা-বোনেদের সম্মান পুনরুদ্ধারে কত বড় উপহার। তাঁদেরকে এখনআর খোলা মাঠে যেতে হয় না। সকালবেলা বেগ পেলে সন্ধ্যে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।যতক্ষণ পর্যন্ত সারা দেশের সাধারণ মানুষ মা-বোনদের এই কষ্ট বুঝতে পারবেন না, ততদিনএই আন্দোলন সর্বাত্মক সাফল্য পাবে না। কিন্তু আমি খুশি যে, ইতিমধ্যেই দেশের আড়াই লক্ষেরও বেশি গ্রাম উন্মুক্তস্থানে মলমূত্র ত্যাগ মুক্ত হয়েছে। আমি সেই গ্রামের মানুষদের হৃদয় থেকে অভিনন্দনজানাই। তাঁরা নিজেদের মা-বোনের সম্মানের কথা ভেবে বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমি সেইগ্রামগুলিকে পুণ্য গ্রাম বলে ভাবি এবং সেই গ্রামবাসীদের আমি প্রণাম জানাই। পরিচ্ছন্নতা আজ গ্রামের স্বভাবে পরিণত হচ্ছে। গ্রামগুলিও দায়িত্ব নিয়ে কাজকরছে। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও আমাদের দেশের ১৮ হাজার গ্রামের মানুষ বিদ্যুতের অভাবেঅষ্টাদশ শতাব্দীর মতো জীবন যাপন করতেন। বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় গরিবপরিবারে, বিশেষ করে, মহিলা ও শিশুদের যে ধরনের সমস্যা হয়, তা উপলব্ধি করে সরকার এধরনের ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার সংকল্প নিয়েছিল যে, গ্রামগুলিতেস্বাধীনতার এত বছর পরও বিদ্যুতের খুঁটি পৌঁছয়নি। আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকে ১হাজার দিনের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আজ ঐ ১৮ হাজারগ্রামের মধ্যে কেবলমাত্র ৩ হাজার গ্রাম এরকম বাকি রয়েছে, যেগুলিতে আজও বিদ্যুৎপৌঁছয়নি। আমার বিশ্বাস যে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই গ্রামগুলিতেও বিদ্যুৎ পৌঁছেযাবে। ভাই ও বোনেরা, নতুন ভারত-এ দেশের প্রত্যেক গ্রামে শুধু বিদ্যুৎ পৌঁছবে না,প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে। প্রধানমন্ত্রী সহজ বিজলী হর ঘর যোজনা অর্থাৎএই সৌভাগ্যের সূত্রপাত সরকারের ইচ্ছাশক্তি আর দেশে শক্তি বিপ্লবের পথে এগিয়েযাওয়ার প্রতীক। ভারতের গ্রামীণ জীবনে পরিবর্তন আনতে গ্রামীণ উৎপাদনকে শহরে বাজারতৈরি করে দিতে হবে, গ্রামীণ হস্তশিল্পকে শহরে ফ্যাশন স্টেটমেন্ট রূপে পল্লবিত করতেহবে। সাধারণ মানুষের হাতে তৈরি জিনিস যদি শহরের মানুষের বৈঠকখানাগুলির শ্রীবৃদ্ধিকরে, তাহলে গ্রামীন অর্থনীতি সশক্ত হবে। আপনারা যদি গ্রামের কুমোরের তৈরি দীপাবলিরপ্রদীপ কেনেন তাহলে কুমোরের বাড়িতেও অনায়াসে দীপাবলির প্রদীপ জ্বলবে। আর এটাআমাদের জন্যে কোনও কঠিন কাজ নয়। আমরা শহরবাসীরা ���দি নিজেদের জীবনের প্রয়োজনগুলিগ্রামীন অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ মাথায় রেখে মেটাই তাহলে আমাদের জীবনেও নতুনত্ব আসবে।সেজন্যে প্রতিটি শহরকে সন্নিহিত গ্রামগুলির বাজার হয়ে উঠতে হবে। তাহলেই দেখবেনআমাদের দেশের গ্রামগুলিতে আর গরিব থাকবে না। তাহলেই পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় যেঅন্ত্যোদয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমরা সেই স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে পারবো। আজ নানাজী দেশমুখের জন্মশতাব্দী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটিডাকটিকিট-এরও উদ্বোধন হল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই ডাকটিকিট মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছুলেনানাজীর প্রতি দেশে আগ্রহ বাড়বে। কেমন মানুষেরা শুধু দেশের জন্যে বেঁচে থাকারউদ্দেশ্য নিয়ে আজীবন কাজ করে গেছেন! গ্রামের জীবনে পরিবর্তন আনা, নিজে ঝাঁপিয়ে পড়েউন্নয়নের কাজে হাত লাগানো; এরপর থেকে দেশের প্রত্যেক রাষ্ট্রপতি নানাজির এই পদ্ধতিঅনুসরণ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছেন। তাঁরাপ্রত্যেকেই নানাজির পদ্ধতির প্রশংসক ছিলেন। নানাজির প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে তাঁরানিজেরা সেসব গ্রামে পৌঁছ গিয়ে প্রকল্পের অগ্রগতি দেখে এসেছেন। আজ নানাজিরজন্মশতবার্ষিকী পালন উৎসবের দিন ভারতের নানাপ্রান্তের গ্রাম থেকে অনেক মানুষএসেছেন, তাঁদেরকে আমি আশ্বস্ত করছি যে আজ কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েঅধিকাংশ রাজ্য সরকার এবং জেলা প্রশাসনও গ্রামীণ জীবনে পরিবর্তন আনার সংকল্প নিয়েকাজ করে চলেছেন। এই গতিতে কাজ হলে আমি স্থির নিশ্চিত যে, ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫বছর পূর্তি উৎসবের আগেই আমরা নতুন ভারত গড়ে তুলতে পারব। শুধু প্রতিটি গ্রামেরপ্রত্যেক গ্রামবাসীকে সংকল্প নিতে হবে যে, ২০২২ সালের মধ্যে আমি ব্যক্তিগতভাবেগ্রামের জন্য এই কাজটা করব। এই সংকল্প নিয়ে এগিয়ে গেলেই আমাদের গ্রামোদয়ের স্বপ্নবাস্তবায়িত হতে বাধ্য। আমি আরেকবার আপনাদের অনুরোধ করব যে, এখানে যে প্রদর্শনীটি চলছে, সেটিভালোভাবে ঘুরে দেখুন। আমি একটু আগেই দেখলাম যে, এই প্রদর্শনীতে যাঁরা এসেছেন,তাঁদের অনেক বক্তব্য আছে। তাঁদের সাফল্য থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারব, তাঁদেরঅভিজ্ঞতা আমাদের ঋদ্ধ করবে। এই প্রদর্শনী দেখে আমার মনে এই ভেবে খুব আনন্দ হয়েছেযে, আমাদের গ্রামে গ্রামে কেমন সব প্রয়োগ হচ্ছে, কত নতুন নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের গ্রামগুলিতেও কিভাবে স্থান করে নিয়েছে। এই প্রদর্শনী ঘুরেদেখে আপনারা ভাবুন যে, এর মধ্যে কোন্‌ কোন্‌ জিনিস আপনাদের গ্রামেও চালু করতেপারেন, সেগুলি লিখে নিয়ে যান, কোথাও আটকালে কার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন, তাঁদের নাম ওফোন নম্বর লিখে নিয়ে যান। এখানে প্রদর্শিত কোন্‌ জিনিসটি আপনাদের গ্রামের পরিবেশ ওপ্রকৃতি অনুকূল, সেটা বুঝতে পারলেই আপনারা সেগুলি নিজের গ্রামে প্রয়োগ করতেপারবেন। কোনও জিনিস চোখে দেখলেই তার শক্তি সম্পর্কে আমরা ভালোভাবে অবহিত হই। আরসেজন্য আমি অনুরোধ করব যে, আপনারা সবাই এই প্রদর্শনী দেখতে ২-৪ ঘন্টা সময় ব্যয়করুন, প্রত্যেকটি জিনিসকে খতিয়ে দেখুন। আর আপনার প্রয়োজনের জিনিসটি নিজের গ্রামেনিয়ে যান। আমি আরেকবার নানাজি’কে প্রণাম জানাই, বাবু জয়প্রকাশ নারায়ণকে প্রণামজানাই আর দেশের সকল প্রান্তের গ্রাম থেকে আসা আমার সচেতন নগরিক ভাই-বোনদের প্রণামজানাই। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।","১১ অক্টোবৰ, ২০১৭ তাৰিখে নতুন দিল্লীৰ আই এ আৰ আইত অনুষ্ঠিত নানাজী দেশমুখৰ জন্ম শতবাৰ্ষিকী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে দিয়া ভাষণ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%89%E0%A6%A6-3/,"নয়াদিল্লি, ২৯ জুন, ২০২২ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর এবং সিঙ্গাপুরের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের মধ্যে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রসার সম্পর্কিত স্বাক্ষরিত একটি মউ সম্পর্কে অবহিত করা হয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে। মউটি স্বাক্ষরিত হয় এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে। স্বাক্ষরিত মউ-এর আওতায় প্রযুক্তি উদ্ভাবন, কর্মী প্রশিক্ষণ এবং ইন্টারনেট প্রোটোকলের ক্ষেত্রে দুটি দেশ পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে যাবে। এজন্য গড়ে তোলা হবে একটি অনুকূল কর্মপদ্ধতি তথা পরিবেশ। উল্লেখ্য, এই সহযোগিতা কর্মসূচির আওতায় প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন নতুন জ্ঞান ও উদ্ভাবনের সুবাদে সরকারের আত্মনির্ভর কর্মসূচিটির বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে ভারত ও সিঙ্গাপুরের অভিন্ন স্বার্থের দিকে নজর রেখে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। দু’দেশের কৃষি, খাদ্য-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উৎপাদন ও ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশ-বান্ধব অর্থনীতি, জল ও জ্বালানি শক্তি, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ, ডেটা সায়েন্স, নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন, স্বাস্থ্য ও জৈব প্রযুক্তি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়ন ও প্রসারের ফলে বিশেষভাবে উৎসাহিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার আজকের বৈঠকটি।","বিজ্ঞান, প্ৰযুক্তি আৰু উদ্ভাৱনৰ ক্ষেত্ৰত সহযোগিতাৰ লক্ষ্যৰে ভাৰতৰ বিজ্ঞান আৰু প্ৰযুক্তি বিভাগ আৰু ছিংগাপুৰৰ বাণিজ্য আৰু উদ্যোগ মন্ত্ৰালয়ৰ মাজত স্বাক্ষৰিত বুজাবুজি চুক্তি (এমঅ’ইউ)ত কেবিনেটৰ অনুমোদ" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97-2/,"নয়াদিল্লি, ১৯ জুলাই, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী স্বাধীনতা সংগ্রামী মঙ্গল পাণ্ডেকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন – “মহান মঙ্গল পাণ্ডে সাহস ও অধ্যাবসায়ের প্রতীক। আমাদের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে তিনি সকলের মধ্যে দেশপ্রেমকে জাগ্রত করেছিলেন এবং অগণিত মানুষ তাঁর দ্বারা অনুপ্রাণিত হন। তাঁর জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করি। এ বছরের শুরুতে মীরাটে তাঁর মূর্তিতে আমি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলাম।”",স্বাধীনতা সংগ্রামী মঙ্গল পাণ্ডেৰ জন্মবার্ষিকীত প্রধানমন্ত্রীয়ে তেওঁক স্মৰণ কৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A6%AD%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A7%AB%E0%A7%AA-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B2-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%95%E0%A7%8D/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%9B%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A6%AD%E0%A6%BF-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A7%AB%E0%A7%AA-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ২৬ নভেম্বর, ২০২২ পিএসএলভি সি৫৪-র সফল উৎক্ষেপণে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এবং এনএসআইএল-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এই উৎক্ষেপণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকেই অভিনন্দিত করেছেন তিনি। একগুচ্ছ ট্যুইট বার্তার মাধ্যমে শ্রী মোদী তাঁর অভিনন্দন বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থাগুলির কাছে। ঐ ট্যুইট বার্তাগুলিতে তিনি বলেছেন : “পিএসএলভি সি৫৪ মিশনের সফল উৎক্ষেপণে অভিনন্দন ইসরো ও এনএসআইএল-ক���। ইওএস-০৬ উপগ্রহটি আমাদের নৌ-সম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারের পথ আরও সুগম করে দিল।” “@PixxelSpace এবং @DhruvaSpace – এই ভারতীয় সংস্থাগুলির তিনটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে এক নতুন যুগের সূচনা হল। মহাকাশ প্রযুক্তির কাজে ভারতের মেধাশক্তির পূর্ণ সম্ভাবনা বিকশিত হবে এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে। এই উৎক্ষেপণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি ও সংস্থাকে আমি অভিনন্দন জানাই।” /",‘পিএছএলভি চি৫৪’ অভিযানৰ সফল উত্ক্ষেপনৰ বাবে ‘ইছৰো’ আৰু ‘এনএছআইএল’-লৈ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ অভিনন্দ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%95%E0%A7%B0-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81/,"দ্বৈত কর পরিহার এবং আয় ও উপার্জনের ওপর কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা বন্ধকরার লক্ষ্যে ভারতের সঙ্গে চিনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের (এইচকেএসএআর) একচুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাবে আজ সম্মতি দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে মত প্রকাশ করে বলা হয়েছেযে এই চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে ভারত এবংহংকং-এর বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের মধ্যেপ্রযুক্তি, বিনিয়োগ এবং কর্মী বিনিময়ের কাজ বিশেষভাবে উৎসাহিত হবে। শুধু তাই নয়,চুক্তির আওতায় দ্বৈত কর পরিহারের পাশাপাশি, দুই পক্ষের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদানেরকাজও আরও সহজ হয়ে উঠবে। এর ফলে, একদিকে যেমন কর সংক্রান্ত বিষয়ে স্বচ্ছতার প্রসারঘটবে, অন্যদিকে তেমনই আয় ও উপার্জনের ওপর কর এড়িয়ে যাওয়া বা তা ফাঁকি দেওয়ারপ্রবণতাও কার্যকরভাবে রোধ করা যাবে। /…",দ্বৈত কৰ পৰিহাৰ আৰু কৰ ফাঁকিৰ প্রৱণতা ৰোধৰ লক্ষ্যৰে ভাৰত আৰু চীনৰ হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলৰ মাজত চুক্তি স্বাক্ষৰৰ প্রস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%8F%E0%A6%87%E0%A6%9A%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF-2/,"মঞ্চে উপস্থিত আমার মন্ত্রী পরিষদের মাননীয় সদস্য রাজনাথ সিংজি, মনোজ সিনহাজি, এনএইচআরসি-র চেয়ারপার্সন বিচারপতি এস এল দত্তুজি, কমিশনের সদস্যগণ এবং উপস্থিত সম্মানিত ভদ্রমহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ। আজ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ২৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছনোর জন্য আপনাদের সবাইকে, দেশের প্রত্যেক নাগরিককে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আপনাদের মাঝে এসে আমার খুব ভাল লাগছে। বন্ধুগণ, বিগত আড়াই দশকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন দেশের গরিব, পীড়িত, বঞ্চিত, শোষিত সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠে রাস্ট্রনির্মাণকে দিশা দেখিয়েছে। ন্যায় এবং নীতির পথে আপনারা যে ভূমিকা পালন করেছেন, তাঁর জন্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলি বরাবরই ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ‘এ’ স্ট্যাটাস দিয়েছে। এটি ভারতের জন্যে গর্বের বিষয়। বন্ধুগণ, মানবাধিকার রক্ষা আমাদের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংগ। আমাদের পরম্পরায় চিরকালই ব্যক্তির জীবনে সমতা ও সাম্যের গরিমাকে সম্মান ও স্বীকৃতি দিয়ে এসেছে। আজকের অনুষ্ঠানের শুভসূচনা যে শ্লোক দিয়ে হয়েছে, পরে রাজনাথজিও বিস্তারিত বলেছেন, ‘সর্বে ভবন্তু সুখেন’ –র ভাবনা আমাদের ঐতিহ্যের অঙ্গ। পরাধীনতার দীর্ঘ কালখণ্ডে যে আন্দোলন হয়েছে এটা তারও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার পর এই আদর্শগুলির সংরক্ষণে একটি শক্তিশালী প্রক্রিয়া বিকশিত করেছিল। আমাদের দেশে ত্রিস্তরীয় শাসন ব্যবস্থা, একটি স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা, সক্রিয় সংবাদ মাধ্যম এবং সজাগ বুদ্ধিজীবী সমাজ রয়েছে। অধিকারসমূহ সুনিশ্চিত করার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো অনেক সংস্থা, কমিশন এবং ট্রাইব্যুনালও রয়েছে। আমাদের ব্যবস্থা এই সমস্ত সংস্থার কাছে কৃতজ্ঞ, যাঁরা দরিদ্র, মহিলা, শিশু, পীড়িত, বঞ্চিত, আদিবাসী ও সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য দায়বদ্ধ। আমাদের পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন স্থানীয় প্রশাসন মানবাধিকার রক্ষার এক একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই সংস্থাগুলি সাধারণ মানুষের আত্মসম্মান রক্ষা, উন্নয়নের সুফল পৌঁছনো এবং জনকল্যাণকারী প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই সংস্থাগুলি মহিলা ও সমস্ত প্রকার বঞ্চিতদের ক্ষমতায়ণ এবং অংশীদারীত্বের ক্ষেত্রেও অনেক বড় অবদান রাখছে। বন্ধুগণ, মানবাধিকারের প্রতি এই আস্থা দেশকে বিগত শতাব্দীর সত্তরের দশকে অনেক বড় সংকট থেকে উদ্ধার করেছে। জরুরী অবস্থা-র সেই কালো দিনগুলিতে জীবনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, বাকি অধিকারগুলির কথা তো বলেই লাভ নেই। সেই সময় সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠানো হাজারো লক্ষ ���ানুষকে কারাগারে বন্দী করা হয়েছিল। ভারতের জনগণ নিজেদের চেষ্টায় এই সংস্থাগুলির সাহায্যে মানবাধিকার পুনরুদ্ধারে সফল হয়েছে। সেজন্য আমি এই সকল সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এই পবিত্র লগ্নে সাদরে প্রণাম জানাই। বন্ধুগণ, শুধু মানবাধিকারের শ্লোগান দিলেই হবে না, আমাদের সংস্কার ও জননীতির ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। আমি মনে করি, বিগত সাড়ে চার বছরে সরকার দেশের গরিব, বঞ্চিত ও শোষিত সমাজের মানুষদের ব্যক্তি-গরিমার বিকাশে, তাঁদের জীবনমানের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ মন্ত্রকে দেশ সেবার মাধ্যম বলে মনে করে। আর এই মন্ত্রই মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বন্ধুগণ, আপনারা সবাই ভালোভাবেই জানেন যে, মেয়েদের জীবনের অধিকার সুরক্ষা নিয়ে এদেশে কত প্রশ্ন উঠতো। কন্যাসন্তানকে অবাঞ্চিত মনে করে ভ্রূণ হত্যার বিকৃত মানসিকতা সমাজের এক শ্রেণীর সংকীর্ণমনা মানুষের মনে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। আজ আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে, ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ অভিযানের মাধ্যমে হরিয়ানা ও রাজস্থান-সহ অনেক রাজ্যে কন্যাসন্তানের আনুপাতিক জন্মহার বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক নিরাপরাধ মানুষ জীবনের অধিকার পেয়েছেন। জীবনের অর্থ শুধু প্রশ্বাস গ্রহণই নয়, সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি আনন্দের সঙ্গে বলছি যে, ‘দিব্যাঙ্গ’ – এই শব্দটি এখন এক শ্রেণীর ভারতবাসীর জন্য সম্মানের সূচক হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, তাঁদের জীবনকে সুগম করে তুলতে ‘সুগম্য ভারত’ অভিযানের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি ভবন, বিমানবন্দর, রেল স্টেশনগুলিতে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। দরিদ্র মানুষদের যাতে খোলা আকাশের নীচে কিংবা বস্তিতে নোংরা জীবনযাপন না করতে হয়। সামান্য ঋতু পরিবর্তন যাতে তাঁদের জীবনে অভিশাপ না বহন করে আনতে পারে, তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক গৃহহীনের মাথার ওপর ছাদ সুনিশ্চিত করার জন্য অভিযান চলছে। আমার স্বপ্ন ২০২২ সালে যখন ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব পালন করবে, তার আগেই প্রত্যেক ভারতবাসীর নিজস্ব বাড়ি থাকবে। বন্ধুগণ, গৃহহীনদের গৃহের পাশাপাশি, উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে। এটি নিছকই একটি উন্নয়ন প্রকল্প নয়। এর সম্পর্ক ���য়েছে সাম্য এবং গরিমার সঙ্গে। ইতিমধ্যেই দেশের সাড়ে পাঁচ কোটিরও বেশি গরিব মা-বোনের জন্য নির্মল ধোঁয়ামুক্ত রান্নাঘর সুনিশ্চিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও আমাদের হাজার হাজার গ্রামে কোটি কোটি পরিবার অন্ধকারে বসবাস করতেন। কারণ, তাঁরা গরিব, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এত অল্প সময়ের মধ্যে আমরা সেই ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি, যাঁরা স্বাধীনতার এত বছর পর অষ্টাদশ শতাব্দীর মতো বিদ্যুৎহীন জীবনযাপন করতেন। সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে ১০-১১ মাসের মধ্যেই দেড় কোটিরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছে। বন্ধুগণ, অন্ধকার দূর করার পাশাপাশি, দেশের মা ও বোনেদের গরিমা রক্ষায় খোলা মাঠে প্রাকৃতিক কর্মসম্পাদন একটি বড় অন্তরায় ছিল। বিগত চার বছরে সারা দেশের গ্রাম ও শহরে ৯ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি শৌচাগার নির্মিত হয়েছে। ফলে, গরিব মা-বোনেদের পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি, সম্মানের জীবনযাপনের অধিকারও সুনিশ্চিত হয়েছে। আর উত্তর প্রদেশ সরকার তো এই শৌচালয়কে ‘ইজ্জত ঘর’ নাম দিয়েছে। সম্প্রতি গরিব মানুষের জীবনে স্বাস্থ্যের অধিকার সুনিশ্চিত করতে আমরা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করেছি। একটু আগেই মাননীয় রাজনাথজি এ বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন। এটি কত বড় অধিকার তার প্রমাণ আপনারা রোজ পাচ্ছেন। দেশের নানা প্রান্ত থেকে সংবাদ মাধ্যমে যেসব খবর প্রকাশিত হচ্ছে, সেগুলি অত্যন্ত আনন্দদায়ক। ব্যক্তিগত সম্পদের অভাবে যাঁরা এতদিন ভালো হাসপাতালে পরিষেবা পেতে পারতেন না, আজ তাঁরা উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার অধিকার পেয়েছেন। উদ্বোধনের মাত্র দুই-আড়াই সপ্তাহের মধ্যেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ হাজারেরও বেশি ভাই ও বোনেদের চিকিৎসা চলছে। বন্ধুগণ, স্বাস্থ্যের পাশাপাশি, স্বাধীনতার অনেক দশক পরও কোটি কোটি দেশবাসী আর্থিক স্বাধীনতার পরিধি থেকে বঞ্চিত ছিল। সেই পরিধিটা কী? হাতে গোনা কিছু মানুষই শুধু ব্যাঙ্ক পরিষেবা পেতেন, ঋণ নিতে পারতেন। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষ নিজেদের স্বল্প সঞ্চয় রান্নাঘরের কৌটায় লুকিয়ে রাখতে বাধ্য হতেন। আমরা এই পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করেই জন ধন অভিযান চালু করেছিলাম। আর তারপর দেখতে দেখতে প্রায় ৩৫ কোটি সাধারণ মানুষ ব্যাঙ্কের খাতা খুলেছেন, তাঁদের আর্থিক স্বাধীনতার অধিকার সুনিশ্চিত হয়েছে। শুধু তাই ���য়, মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের স্বরোজগারের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে কোনও রকম গ্যারান্টি ছাড়াই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের আর সুদখোর মহাজনদের ওপর নির্ভর করতে হয় না। ভাই ও বোনেরা, আমাদের সরকার আইনের শাসন এবং সরকারি নীতি ও সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নিরন্তর মানবাধিকার সুনিশ্চিত ও শক্তিশালী করেছে। সম্প্রতি মুসলমান মহিলাদের তিন তালাকের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি দিতে যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, তা এই প্রক্রিয়ারই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আশা করি, মুসলমান মহিলাদের অধিকার সংশ্লিষ্ট এই গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা অদূর ভবিষ্যতেই সংসদে স্বীকৃতি পাবে। গর্ভবতী মহিলাদের সবেতন ছুটি ১২ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৬ সপ্তাহ করার সিদ্ধান্ত এই ভাবনারই অঙ্গ। এটি এক প্রকার দেশে প্রত্যেক নবজাত শিশুর অধিকার রক্ষার অঙ্গ। প্রতিটি শিশু যাতে তাঁর মাকে কমপক্ষে ছ’মাস কাছে পায়, তা সুনিশ্চিত করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশেও এখনও এরকম সুবিধা চালু হয়নি। আমাদের মহিলাদের ‘নাইট শিফট’-এ কাজ করার ক্ষেত্রে আইনি প্রতিবন্ধকতা দূর করতে এবং ওই সময়ে তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। দিব্যাঙ্গদের অধিকার বৃদ্ধিকারী ‘রাইটস্‌ অফ পার্সন উইথ ডিজেবিলিটি অ্যাক্ট’ প্রণয়নের মাধ্যমে তাঁদের জন্য চাকরি ক্ষেত্রে সংরক্ষণ বৃদ্ধি কিংবা ‘ট্র্যান্সজেন্ডার পার্সনস্‌ প্রোটেকশন অফ রাইটস্‌ বিল’ প্রণয়নের মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তনকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মানবাধিকার রক্ষার প্রতি দায়বদ্ধতা আমাদের মানসিকতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এইচআইভি পীড়িতদের সঙ্গে কোনও রকম বৈষম্য না করে তাঁদের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্যও আমরা আইন প্রণয়ন করেছি। বন্ধুগণ, ন্যায়প্রাপ্তির অধিকারকে আরও শক্তিশালী করতে সরকার ‘ই-কোটস্‌’ – এর সংখ্যা বৃদ্ধি করছে, ‘ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিড’-এর ক্ষমতায়ন করছে। ইতিমধ্যেই এই ‘ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিড’-এর সঙ্গে দেশের ১৭ হাজারেরও বেশি আদালতকে যুক্ত করা হয়েছে। মামলা সংক্রান্ত তথ্যাদি বিচারকদের সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত তথ্যাদি অনলাইন হওয়ায় দেশে বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হচ্ছে। আর দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা মামলার সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। দেশের দূরদূরান্তে বসবাসকারী নাগরিকদের ‘টেলি-ল’স্কিম’-এর মাধ্যমে আইনি পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে��� ভাই ও বোনেরা, নাগরিক অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্রে সরকার আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াও নিরন্তর এগিয়ে চলেছে। ইউআইডিএআই অ্যাক্ট প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার আধার-কে আইনসম্মতভাবে শক্তিশালী করার পাশাপাশি, এর উপযোগিতা বাড়িয়ে দেশের দরিদ্রতম মানুষদের কাছে সরকারি প্রকল্পগুলির সম্পূর্ণ সুফল পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। আধার দেশের সর্ববৃহৎ প্রযুক্তি ক্ষমতায়ন কর্মসূচি হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি সর্বোচ্চ বিচারালয় সরকারের এই ভূমিকার প্রশংসা করেছে। তেমনই গণ-সরবরাহ ব্যবস্থাকে প্রযুক্তি দ্বারা স্বচ্ছ করে তুলে সরকার গরিবদের সুলভে খাদ্যশস্য প্রাপ্তি সুনিশ্চিত করেছে। অন্যথা, আগে কী হ’ত, কিভাবে হ’ত – এগুলি সব আমরা সবাই ভালোভাবেই জানি। এভাবে যাতে নিজেদের অধিকার অনুসারে সবকিছু পেতে অসুবিধায় না পড়েন, তা সুনিশ্চিত করতে অনেক প্রক্রিয়ায় সংস্কার আনা হয়েছে, অনেক নিয়ম হয়েছে। ‘সেল্‌ফ অ্যাটেস্টেশন’কে উৎসাহ যোগানো কিংবা ভারতীয় বদলানো। সশস্ত্র সেনায় ‘শর্ট সার্ভিস কমিশন’-এর মাধ্যমে নিযুক্ত মহিলা আধিকারিকদের সমকক্ষ পুরুষ আধিকারিকদের মতোই স্থায়ী কমিশন প্রদানের সিদ্ধান্ত সরকারের এই দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতিফলন। নিয়মে এরকম অনেক ছোট ছোট পরিবর্তন অনেক বড় স্তরে প্রভাব ফেলেছে। যেমন বাঁশের পরিভাষা পরিবর্তনের ফলে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী আদিবাসী ভাই-বোনেরা এখন বাঁশ কাটা এবং পরিবহণের অধিকার পেয়েছে। এতে তাঁদের আয় অনেক বেড়েছে। বন্ধুগণ, সবার জন্য রোজগার, সকলের জন্য পড়াশুনা, সকলের জন্য ওষুধ এবং সকলের সমান বিচারের লক্ষ্য নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে। ফলে, কোটি কোটি ভারতীয় তীব্র দারিদ্র্য থেকে নিষ্কৃতি পাচ্ছেন। দেশ দ্রুতগতিতে অনেক বড় মধ্যবিত্ত ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে। এই সাফল্যের পেছনে সরকারের প্রচেষ্টা তো আছেই, কিন্তু তার চাইতে বেশি আছে গণ-অংশীদারিত্ব। দেশের কোটি কোটি মানুষ নিজেদের কর্তব্য বুঝেছেন। নিজেদের ব্যবহারে পরিবর্তন আনতে নিজেদের প্রেরণা যুগিয়েছেন। ভাই ও বোনেরা, আমাদের সিদ্ধান্ত, আমাদের কর্মসূচি তখনই স্থায়ীভাবে সফল হতে পাড়ে, যখন অনেক মানুষ স্বেচ্ছায় এর সঙ্গে যুক্ত হন। আমি নিজেদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলতে পারি যে, গণ-অংশীদারিত্ব থেকে বড় সাফল্যের মন্ত্র কিছুই হতে পারে না। আমাকে বলা হয়েছে যে, রজত জয়ন্তী সমারোহ উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশন সারা দেশে গণসচেতনতা বৃদ্ধির অনেক অভিযান চালিয়েছে। এতে প্রযুক্তির সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে। কিছুক্ষণ আগে এই উপলক্ষে একটি ডাকটিকিট উদ্বোধন করা হ’ল। রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশনের ওয়েবসাইটের নতুন সংস্করণ-ও প্রকাশিত হ’ল। এর ফলে, নিশ্চিতভাবেই যাঁদের সাহায্যের প্রয়োজন, তাঁরা উপকৃত হবেন। আমার পরামর্শ হ’ল – সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশন ব্যাপক প্রচা ও প্রসার করুক। মানবাধিকারের প্রতি সচেতনতা তো অবশ্যই চাই। পাশাপাশি, নাগরিকদের তাঁদের কর্তব্য, তাঁদের দায়িত্ব সম্পর্কে স্মরণ করানোও ততটাই জরুরি। যিনি নিজের দায়িত্ব বোঝেন, তিনি অন্যদের অধিকারকে সম্মান করতে জানেন। আমি জানি, আপনাদের কাছে অনেক অনেক অভিযোগ আসে। এর মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ থাকে। আপনারা প্রতিটি অভিযোগ যাচাই করে, সেগুলির বিচার করেন। কিন্তু এটা কি সম্ভব যে ক্ষেত্র কিংবা গোষ্ঠী সংশ্লিষ্ট অভিযোগ আসে, তাঁদের সম্পর্কে কি একটি ডেটাবেস তৈরি করে বিস্তারিত অধ্যয়ন করা সম্ভব? আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এমন অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবেন, যেগুলির ব্যাপক সমাধান সম্ভব। সুদূরপ্রসারী উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে আজ সরকারের যত প্রচেষ্টা, সেখানে রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার সর্বদাই আপনাদের পরামর্শকে স্বাগত জানিয়েছে। দেশের মানুষের জীবনকে উন্নত করতে, তাঁদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে সরকার প্রতি মুহূর্তে দায়বদ্ধ। আরেকবার রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশনের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক অভিনন্দনন ও অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। দেশে সৃষ্টিশীল পরিবর্তনের জন্য আমরা সকলে মিলেমিশে কাজ করে এগিয়ে যেতে থাকব। এই কামনা নিয়ে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।",এনএইচআৰচিৰ প্ৰতিষ্ঠা দিৱসৰ ৰূপালী জয়ন্তী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9B-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A7%B0%E0%A6%BF/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বায়োমেডিকেল রিসার্চ কেরিয়ার কর্মসূচির মেয়াদ ২০১৯-২০ থেকে ২০২৩-২৪ পর্যন���ত আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর প্রস্তাবে সম্মতি মিলেছে। এই কর্মসূচি ওয়েলকাম ট্রাস্ট বা ডিবিটি ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স রূপায়ণ করে থাকে। কর্মসূচির রূপায়ণের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর ফলে ওয়েলকাম ট্রাস্ট সংস্থার সঙ্গে জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের বোঝাপড়া আরও সম্প্রসারিত হল। বায়োমেডিকেল রিসার্চ কেরিয়ার কর্মসূচিটি রূপায়ণে খরচ ধরা হয়েছে ১,০৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জৈব প্রযুক্তি দপ্তর খরচ করবে ৭২৮ কোটি টাকা এবং বাকি টাকা যোগাবে ওয়েলকাম ট্রাস্ট। বিগত ১০ বছরে এই কর্মসূচি রূপায়ণ খাতে জৈব প্রযুক্তি দপ্তর এবং ওয়েলকাম ট্রাস্টের সমান অংশীদারিত্ব ছিল। বিশ্বমানের মেধাকে কাজে লাগানোর যে উদ্দেশ্য ছিল, এই কর্মসূচির মাধ্যমে তা পূরণ হয়েছে। কর্মসূচির সফল রূপায়ণের ফলে বিজ্ঞান ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে এবং সামাজিক চাহিদাগুলি পূরণেও বিজ্ঞানলব্ধ জ্ঞানকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হয়েছে। এমনকি, এই কর্মসূচিটি বিদেশে কর্মরত ভারতীয় বিজ্ঞানীদের দেশে ফিরে এসে কাজ করতে উৎসাহ যুগিয়েছে, সেইসঙ্গে দেশে বায়োমেডিকেল সংক্রান্ত গবেষণার ক্ষেত্রে ভারতে বিশ্বমানের পরিকাঠামো ও পরীক্ষাগারের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কর্মসূচিটির সম্প্রসারিত মেয়াদকালে একইভাবে বিশ্বমানের মেধাকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি, ভারতে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সমস্যাগুলি দূর করার লক্ষ্যে এবং চিকিৎসা গবেষণা পরিকাঠামো আরও সুদৃঢ় করার ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কর্মসূচিটি রূপায়ণের ফলে গবেষণামূলক কাজকর্মের ক্ষেত্রে ভারতের অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে।",বায়োমেডিকেল ৰিছাৰ্ছ কেৰিয়াৰ প্ৰ’গ্ৰামৰ ম্যাদ আৰু পাঁচ বছৰ বৃদ্ধিৰ প্ৰস্তাৱলৈ কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%87-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%95/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A7%B1%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF/,"ভারী শিল্প এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীশ্রী আনন্দ কীর্তি মহোদয়, প্রতিমন্ত্রী শ্রী বাবুল সুপ্রিয় মহোদয়, আমার সহযোগীশ্রী পি কে মিশ্র মহোদয়, শ্রী পি কে সিনহা মহোদয়, সারা দেশের কেন্দ্রীয় সরকারেরঅধীনস্থ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির শীর্ষ আধিকারিকবৃন্দ, এখানে উপস্থিত অন্যান্যশ্রদ্ধেয় ভদ্র মহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ! আমাদের অনন���ত গীতেজি গান গান না আর বাবুলজি গান গান। আমাদের রাষ্ট্রায়ত্তসংস্থাগুলির ছোট পৃথিবীতে একটি নতুন সূচনা হ’ল আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। আমিআপনাদের সকলকে এই সিপিএসই কনক্লেভ ২০১৮-তে স্বাগত জানাই। আপনাদের সকলকে অনেক অনেকশুভেচ্ছা জানাই। গত এক-দেড় ঘন্টা ধরে এখানে যে ‘প্রেজেন্টেশন’ দেওয়া হয়েছে, তাতে আপনাদেরপরিশ্রম, উৎসাহ এবং চিন্তাভাবনার স্পষ্টতা অনুভূত হয়েছে। কর্পোরেট গভর্ন্যান্সথেকে শুরু করে উদ্ভাবন, প্রযুক্তি আর নতুন ভারত নিয়ে আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গী ও মতামতজানার সুযোগ পেয়েছি। পূর্ববর্তী কোনও প্রধানমন্ত্রীর এই সৌভাগ্য হয়েছিল কিনা জানিনা, কিন্তু আমার হয়েছে। এই প্রেজেন্টেশন যে টিম তৈরি করেছে, সেই টিমের পাশাপাশি যাঁরা আলোচনায়অংশগ্রহণ করেছেন, সবাইকে আমি শুভেচ্ছা জানাই। অনেক চিন্তাভাবনা এবং ‘রেফারেন্স’যোগাড় করতে হয়েছে আর এভাবেই হয়তো দৈনন্দিন কাজের চৌহদ্দী থেকে কিছুক্ষণের জন্যবেরিয়ে এসে ভাবনাচিন্তা করার সুযোগ পেয়েছেন। আমাকে বলা হয়েছে যে, বিগত মাসগুলিতে আপনারা সকলে একটি দীর্ঘ আলাপ-আলোচনারমন্থন প্রক্রিয়া চালু রেখেছিলেন। আপনাদের নিজস্ব ক্ষেত্রগুলি কেমন রূপান্তরণপ্রক্রিয়ার পরিবর্তিত হবে – সে সম্পর্কে ভাবনাচিন্তা করেছেন। আর আপনারা শুনে খুশিহবেন যে, আপনাদের এই মন্থন প্রক্রিয়ার গতিপ্রকৃতি এবং অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিতথাকার জন্য মাঝে মধ্যেই আপনাদের নেতৃস্থানীয় আধিকারিকদের ডেকে ডেকে আমিও তাঁদেরসঙ্গে বারবার বসেছি। যাতে আপনাদের অগ্রগতির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখতে পারি – সেপ্রচেষ্টা জারি রেখেছি। সেই সময় আপনারা দৈনন্দিন জীবনে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হন সে সম্পর্কেআমাকে অবহিত করা হয়েছে। সরকার সেই সমস্যাগুলি দূরীকরণের জন্য লাগাতার প্রচেষ্টাজারি রেখেছে। বিগত চার বছরে সরকারও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে পরিচালনা ও কাজেরস্বাধীনতা দিয়েছে, যাতে উন্নততর পারদর্শিতা দেখাতে পারে। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার পর থেকে সার্বজনিক ক্ষেত্রের সংস্থা রাষ্ট্র নির্মাণে দেশেরঅর্থ-ব্যবস্থায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। যখন দেশে অর্থের প্রয়োজন ছিল, প্রযুক্তির দরকার ছিল, ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রেবিনিয়োগের প্রয়োজন ছিল, অথচ এসব কিছু পাওয়া সহজ ছিল না, সেই সময় রাষ্ট্রায়ত্তসংস্থাগুলি দেশের প্রয়োজন মেটাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা নিয়ে কাজ করেছে��� একের পর একনিজের ব্র্যান্ড গড়ে তুলেছিল। শক্তি উৎপাদন, শক্তি উৎপাদনকারী যন্ত্রপাতির নক্‌শাকরণ,ইস্পাত উৎপাদন, তেল, খনিজ পদার্থ, কয়লা অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিতকরে তোলেন। তাঁরা সেই সময়ে তৎকালীন ভারতীয় অর্থ-ব্যবস্থাকে গতিশীল করেন যখনপ্রাইভেট সেক্টরের ভূমিকা এতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। আজও আপনাদের সংস্থাগুলিভারতীয় অর্থ-ব্যবস্থাকে শুধু শক্তিশালী করছে না, শিল্প সংক্রান্ত গতিবিধিতেঅনুঘটকের কাজও করছে। বন্ধুগণ, আমরা যখন প্রাইভেট সেক্টরে সিইও-র কথা বলি, তাঁদের দক্ষতার মাপকাঠিহ’ল শেয়ার হোল্ডাররা কতটা লভ্যাংশ পেয়েছেন! লাভ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির জন্যওঅত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার পাশাপাশি তাঁদের জীবনে সমাজ জীবনে কল্যাণকারীভূমিকা পালনের এবং নানা সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব থাকে। আমরা যখন সামাজিক লাভের কথা বলি, তখন আপনাদের মতো আধিকারিকদের অবদান এবংরাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির কর্মচারীদের ত্যাগের কথা কেমন করে ভুলতে পারি!দূরদূরান্তের দুর্গম অঞ্চলগুলিতে যেখানে নাগরিক সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে আর অনেকসময়েই কঠিন পরিস্থিতিতে কাজ করতে হয়, অনেক সমস্যার মুখোমুখী হতে হয়, তবু আপনারাঅটল বিশ্বাসে দেশের স্বার্থে সকল কষ্ট সয়ে দৃঢ় প্রত্যয় নিজের নিজেদের কর্ম সম্পাদনকরেন। আপনাদের সাহস সম্বল করেই সরকার আজ বড় বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারছে। দেশেরপ্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যেক গরিব মা-বোনেদেররান্নাঘর পর্যন্ত রান্নার গ্যাস সংযোগ, আপনাদের সংস্থানগুলির সঙ্গে যুক্ত লক্ষলক্ষ কর্মচারীদের কঠিন পরিশ্রম ছাড়া এসব সম্ভব হ’ত না। আমরা এই ফিল্মটিতেও দেখেছি,আপনাদের প্রেজেন্টেশনগুলিও দেখেছি, কত বড় কর্মপরিধি এবং সময়সীমার মধ্যে এসব কাজসম্পন্ন হয়েছে। বন্ধুগণ, শুধু ইতিহাস গৌরবময় এবং সমৃদ্ধ হলেই চলবে না। বর্তমানেরসমস্যাগুলি সমাধানের জন্য কর্মপদ্ধতিতে পরিবর্তনেরও প্রয়োজন হয়। আর আমি স্বীকারকরি যে অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে আশীর্বাদ গ্রহণে আদর্শবাদ আর আদর্শই যথেষ্ট নয়।বাস্তবধর্মীতা এবং কার্যকারিতারও প্রয়োজন রয়েছে। ক্ষেত্র যা-ই হোক না কেন, একবিংশশতাব্দীর অর্থ ব্যবস্থায় প্রত্যেকের চলার পথে মূলমন্ত্র হওয়া উচিৎ কর্মোদ্যোগ এবংউদ্ভাবন। সরকারি কিংবা বেসরকারি সাফল্যের চাবিকাঠি ভিন্ন হয় না। যখন আমি সাফল্যেরকথা বলি, তখন তিনটি ‘আই’-এর ভাবনা সামনে আসে। ‘ইনসেন্টিভস্‌’, ‘ইমাজিনেশন’ এবং‘ইন্সটিটিউশনাল বিল্ডিং’। ইনসেন্টিভস্‌-এর ক্ষেত্রে আমাদের অর্থনীতিবিদরা বলেন যে,মানুষের স্বভাব পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে বড় উপায়। শুধু ব্যবসার ক্ষেত্রেইনয়, জীবনের ক্ষেত্রেও আমরা প্রায়শই দেখি যে যখনই কোনও ব্যক্তিকে দিয়ে তাঁর ক্ষমতাঅনুসারে কাজ করাতে হয়, তাঁকে আমাদের নিরন্তর উৎসাহ যুগিয়ে যেতে হয়। তেমনই আপনাদেরওকর্মক্ষেত্রে থেমে পড়া আর নিষ্ক্রিয়তা থেকে মুক্ত থাকতে নানা ‘ইউনিক ইন্সেন্টিভমডেল’ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। অবশ্য সব ক্ষেত্রে এই ইনসেন্টিভ অর্থনৈতিকই হতে হবেতার কোনও মানে নেই। দক্ষ কর্মচারীদের ফটো বুলেটিং বোর্ডে টাঙানো কিংবাচেয়ারম্যানের পিঠ চাপড়ানিও শত শত কর্মচারীদের কাজে উৎসাহ যোগাতে পারে। আমার মনে আছে যে, বরোদার একটি ওষুধ নির্মাণ সংস্থায় গিয়েছিলাম। সেখানে কোনওনতুন ওষুধ জনসমক্ষে আনার আগে এর নামকরণের দায়িত্ব দেওয়া হ’ত কর্মচারীদের। তাঁদেরমধ্যে প্রতিযোগিতা হ’ত। বিজ্ঞানী নয়, এমন সাধারণ কর্মচারীরাও এই প্রতিযোগিতায়অংশগ্রহণ করে ওষুধটির গুণাবলী বিচার করে নামকরণ করতেন। বড় অনুষ্ঠান করে যাঁর দেওয়ানাম গৃহীত হ’ত, তাঁকে বা যাঁরা যাঁরা মিলে এই নাম দিয়েছেন সবাইকে পুরস্কৃত করাহ’ত। পরিবারের মধ্যেও আমরা এরকম ছোটদের উৎসাহিত করে অনেক সুফল পেতে পারি। এতেঅংশীদারিত্ব বাড়ে, ঐক্য বৃদ্ধি হয়। দ্বিতীয় বিষয়টি আমি বলেছিলাম ‘ইমাজিনেশন’। এই কল্পনা নিয়ে কথা বলার মানে আজআর সেদিনের মতো নেই, যখন অধিকাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গড়ে উঠেছিল। আজ এগুলিরস্বরূপ ভিন্ন। আজ পরিস্থিতি এমন যে অনেক সফল প্রাইভেট কোম্পানি দু’দশকেরও বেশিটেকে না। এটাই সত্য। এর অনেক কারণ হতে পারে কিন্তু সবচেয়ে বড় কারণ হ’ল নিকটভবিষ্যতেই যে পরিবর্তন এসে যাচ্ছে, বিশেষ করে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যে পরিবর্তনআসছে তার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারা। এখানেই নেতৃত্বের কল্পনা শক্তি গুরুত্বপূর্ণহয়ে ওঠে। আমি বেশ কয়েক বছর আমেদাবাদে ছিলাম। একটা সময় ছিল, যখন সেখানকার বড় বড়কারখানার চিমনিগুলি ঐ শহরের অহঙ্কার রূপে পরিগণিত হ’ত। কিন্তু নতুন প্রযুক্তি এসেসেই কারখানাগুলি তামাদি হয়ে গেছে। আজ একটিও চিমনি থেকে ধোঁয়া বের হয় না কেন?কল্পনার অভাব ছিল। আমাদের অধিকাংশেরই প্রবাহিত জলে স্নান করার অভ��যাস রয়েছে। চালুজিনিসই আমরা চালাতে পারি। যাঁদের দূরদৃষ্টি নেই, সময়ানুকূলে যাঁরা পরিবর্তন আনতেপারেন না, সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, তাঁরা সেখানেই থেমে যান আর ধীরে ধীরে নিঃশেষহয়ে যান। আর আজকের বিশ্বে কর্মকাণ্ড বা উৎপাদনের বিস্তার বা বৈচিত্র্যসাধন ও ভাঙনেরগুরুত্ব বেড়ে গেছে। তৃতীয়ত, ইন্সটিটিউশন বিল্ডিং। এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলাই সম্ভবত নেতৃত্বেরসবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। আমি রাজনৈতিক নেতৃত্বের কথা বলছি না। আমরা যাঁরাএখানে বসে আছি প্রত্যেকেই নিজের নিজের কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিই। কিন্তু আমরাযেক্ষেত্রে কাজ করি, সেই ক্ষেত্রের অন্তর্বর্তী নেতৃত্বেরও প্রয়োজন হয়। সেইব্যবস্থার কেন্দ্রে থাকে একটি টিম। না হলে, ব্যক্তি-কেন্দ্রিক এবং ব্যক্তি আধারিতব্যবস্থা চলতে পারে না। বন্ধুগণ, এতদিন আমরা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে নবরত্ন রূপে শ্রেণি বিভাগকরতাম। কিন্তু এখন সময় এসে গেছে, আমরা এখন এর চেয়ে এগিয়ে ভাবি। আমরা কি এখন ‘নতুনভারত রত্ন’ ঘোষণা করার ব্যাপারে ভাবতে পারি! যেগুলি নতুন ভারত নির্মাণেগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনারা কি প্রযুক্তি এবং প্রক্রিয়া পরিবর্তনেরমাধ্যমে নতুন ভারত রত্ন হিসাবে নিজেদের সংস্থাকে গড়ে তুলতে প্রস্তুত? আমি মনে করি যে, নতুন ভারত নির্মাণে আপনাদের অংশগ্রহণ ৫টি ‘পি’ ফর্মুলা ধরেচললে অগ্রগতি হতে পারে। এই ৫টি হ’ল – পারফরম্যান্স, প্রসেস, পার্সোনা,প্রকিওরমেন্ট এবং প্রিপেয়ার। বন্ধুগণ, আপনাদের সবাইকে নিজের প্রতিষ্ঠানকে অপারেশনাল এবং ফিনান্সিয়ালপারফরমেন্সে সাধারণ মানদন্ডের ওপরে নিয়ে যেতে হবে। নিজের নিজের ক্ষেত্রে বিশ্বেসবচেয়ে ভালো যা, তার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখতে হবে। আজ সারা পৃথিবীতে আলোচনা চলছে যে, ভারত কয়েক বছরের মধ্যেই ৫ ট্রিলিয়ন ডলারঅর্থনীতিতে পরিবর্তিত হবে। এই পরিবর্তনের জন্য জিডিপি’তে যে প্রবৃদ্ধির প্রয়োজন,তা হাসিল করতে ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকারয়েছে। বন্ধুগণ, আমাকে বলা হয়েছে যে, গত ২০১৭-১৮ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিরপক্ষ থেকে জিডিপি’তে মোট মূল্যসংযোজন ছিল প্রায় ৫ শতাংশ। সময়ের চাহিদা হ’ল এইমূল্য সংযোজনকে দ্বিগুণ করতে হবে। আপনাদের সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় এই রাষ্ট্রায়ত্তসংস্থাগুলি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ করের পর দেশে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে তৃতীয় হাতহয়ে উঠুক। আমাদের দেশে বলা হয় যে, ‘উদ্যোগসম্পন্ন সমুপৈতি লক্ষ্মী’ অর্থাৎ‘শিল্পসম্পন্ন মানুষের কাছেই লক্ষ্মী আসেন। রাষ্ট্রের স্বার্থেই শিল্প এবং আমাদের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি সম্পন্ন হয়েউঠতে হবে। আর রাষ্ট্রকেও সম্পন্ন করে তুলতে হবে। আজ আমরা যদি কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে একটি এন্টিটিরূপে দেখি, তা হলে রিটার্ন অন ইক্যুইটি প্রায় ১১ শতাংশ হয়। বেসরকারি ক্ষেত্রেরতুলনায় এবং ভালো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হিসাবে এটি কম। আমার হিসাবেও অনেক কম। আরসেজন্য আমি চাইব যে, সিপিএসই ম্যানেজমেন্ট এদিকে নজর দিক এবং একটি নির্দিষ্টরণনীতি নিয়ে একে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিক। দ্বিতীয় ‘পি’ অর্থাৎ প্রক্রিয়া এমন হওয়া উচিৎ, যাতে স্বচ্ছতা এবংজবাবদিহিতা বৃদ্ধি পায়। আর আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নত পদ্ধতিতে সরবরাহ করতে পারে। আমাদের নিজেদেরকেই প্রশ্ন করতে হবে যে, নতুন ভারতে ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্তসংস্থাগুলি কিভাবে আগামী ৫-১০ বছরের মধ্যে বিশ্বের সর্বোত্তম হিসাবে নিজেদেরপ্রতিস্থাপিত করতে পারে। জিডিপি বৃদ্ধির স্বার্থে তাঁরা কিভাবে নিজেদেরপুনঃসংজ্ঞায়িত করবে, প্রক্রিয়া ও নীতিসমূহে কি সংস্কার করলে কর সংগ্রহ বৃদ্ধিরপাশাপাশি কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পেতে পারে। আমার মতে, এই সকল বিষয়ে ভাবারপ্রয়োজনীয়তা রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলির আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে প্রতিযোগী হয়েওঠা। আজ ইউরোপের অনেক দেশে দেখবেন যে, রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলি শক্তি উৎপাদনে, পারমাণবিকসৌরশক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করছে। তাঁদের ওয়ার্কিং মডেল থেকেই আমরাঅনেক কিছু শিখতে পারি। বন্ধুগণ, যেভাবে আন্তর্জাতিক ব্যবসা ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে, সেদিকেতাকিয়ে সময়ের চাহিদা হ’ল সিদ্ধান্ত গ্রহণের দ্রুততার পাশাপাশি নমনীয়তার অবলম্বন। বিগতকিছু সময় ধরে বিশ্বে এমন কিছু উদাহরণ সামনে উঠে এসেছে, যেখানে কোনও রকম ঝুঁকি নানেওয়ার ভাবনার কারণে সরকারি সংস্থাগুলি লোকসানে চলছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হ’লপ্রতিটি স্তরে সিদ্ধান্ত গ্রহণকে সংহত করতে হবে। সেজন্য তৃতীয় ‘পি’ অর্থাৎপার্সোনা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। উন্নততর সিদ্ধান্ত গ্রহণ তখনই কার্যকরি হবে, যখন আমাদের কাছে প্রতিভাবানমানবসম্পদ থাকবে। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে আমরা সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতেপারি আর নিজেদের মেধার যোগান অক্ষুণ্ন রাখবে। নমনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ভালো প্রতিভা এবং প্রযুক্তি – এই তিনটি বিষয়ে কোনওসংস্থার সঙ্গে যুক্ত হলে তার উন্নতি কেউ আটকাতে পারে না। আর আমাকে বলা হয়ে যে,প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উদ্ভাবনকে উৎসাহ যোগাতে আপনারা একটু আগেই প্রেজেন্টেশনে যাবলেছেন, ‘টেক আপ ইন্ডিয়া মিশন’কে অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। আমিএই উদ্যোগের প্রশংসা করি আর সাফল্য কামনা করি। আরেকটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা হ’ল ‘প্রকিওরমেন্ট’ বা কাঁচামাল ওঅন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনা; আপনাদের সংস্থায় এই প্রকিওরমেন্ট নীতিতেপরিবর্তন আনতে পারলে দেশের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রগুলি আরওসমৃদ্ধশালী হয়ে উঠতে পারে। আমি আপনাদের সামনে একটি তথ্য রাখতে চাই। ২০১৬ সালেদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রকিওরমেন্টকরেছিল। এর মধ্য থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার উপাদানই কেবলমাত্র ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্রও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রগুলি থেকে কেনা হয়েছিল। আপনারা সবাই মিলে এমন একটি পদ্ধতি কি গড়ে তুলতে পারেন না, যাতে দেশেরঅতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পদ্যোগগুলি থেকে যত বেশি সম্ভব কাঁচামাল ওঅন্যান্য সামগ্রী কেনা যায়। বিশেষ করে, দেশের পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলিতে যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, আপনাদের বদান্যতাতেই সেগুলিকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে। আপনারা হয়তো জানেন আর আপনাদের একটি প্রেজেন্টেশনে উল্লেখও রয়েছে যে, ভারতসরকার গভর্নমেন্ট ই-মার্কেট বা জিইএম নামে একটি পোর্টাল গড়ে তুলেছে। এই পোর্টালঅতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলিকে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে। অত্যন্তকম সময়ে এই অনলাইন মঞ্চে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আপনারাওযদি এই মঞ্চটিকে যথাসম্ভব ব্যবহার করেন, তা হলে ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আসবে আরঅতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগুলিও উপকৃত হবে। এর ফলে, দেশের প্রান্তিকঅঞ্চলগুলিতে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ওমাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলির ক্ষমতায়ন আপনাদের অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। সম্ভবত আজকেআপনারা নিজেদের গৃহীত সংকল্পে এর উল্লেখও করেছেন। আপনারা নিজেদের অভিজ্ঞতাকে এইছোট শিল্প ক্ষেত্রগুলিত�� যত বেশি পৌঁছে দেবেন, ততটাই দেশকে আত্মনির্ভর করে তুলতেএবং তীব্রগতিতে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবেন। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ যে, এই অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারিশিল্পোদ্যোগগুলির বকেয়া টাকা যত দ্রুত সম্ভব দিয়ে দেবেন। দেরীতে টাকা দিলে এদেরকাজের সমস্যা হবে। দেশের নির্মাণ ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির মাধ্যমেশক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। গ্রামে গৃহ নির্মাণ, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, সৌরশক্তি,বস্ত্র শিল্প, ওষুধ এবং পর্যটনের মতো অনেক ক্ষেত্রের কায়াকল্পে আপনাদের সক্রিয়অবদান রাখতে পারেন। আমি আরও অনুরোধ করব যে, আপনাদের সাধারণ সভাগুলির আয়োজন কোনও পর্যটনক্ষেত্রে করুন। কোনও বিখ্যাত পর্যটন ক্ষেত্র নয়, ছোট ছোট পর্যটন ক্ষেত্র। নিজেদেরসাধারণসভায় বসে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে, এরপর থেকে আপনারা ছুটিতে বিখ্যাত পর্যটনক্ষেত্রগুলি থেকে অন্যান্য অজানা অঞ্চলগুলিকে অগ্রাধিকার দেবেন। এভাবে যদি আপনারাবছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ২৫টি স্থানে সভা করেন, তা হলে প্রায় ৩০০টি কোম্পানির আধিকারিকরাঐ অঞ্চলগুলিতে গেলে সেখানকার পর্যটন পরিকাঠামোও উন্নত হবে। আপনাদেরও মন ভালো হয়েযাবে। আগ্রা, মুম্বাই, ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাইয়ের ফাইভ স্টার হোটেলে গিয়ে সাধারণসভানা করে প্রকৃতির কোলে যান। এরকম অতিরিক্ত কিছু করতে পারলে তবেই দেশের লক্ষ্য আরআপনাদের লক্ষ্য একসঙ্গে চলবে। তবেই আপনারা নতুন ভারত নির্মাণে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকেরাষ্ট্র নির্মাণে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এদেশে পর্যটন ক্ষেত্রের মতো সম্ভাবনাময়ক্ষেত্র আর একটাও নেই। সবচেয়ে কম পুঁজিনিবেশে সর্বাধিক কর্মসংস্থানের সম্ভাবনারয়েছে। বিশ্বের কাছে যা নেই, তা দেখানো ও তুলে ধরার সামর্থ্য এই দেশে রয়েছে।কিন্তু আমরা কখনও সেভাবে তা তুলে ধরিনি। এখন কিভাবে তুলে ধরতে পারি, তা ভাবতে হবে। বন্ধুগণ, ভবিষ্যতের জন্য আমাদের প্রস্তুতি আমাদের পঞ্চম ‘পি’র দিকে নিয়েযায় – প্রিপেয়ার! ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে প্রযুক্তিগত বিনির্মাণেরক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোয়ান্টাম কম্প্যুটিং, বৈদ্যুতিক যানবাহন এবংরোবোটিক্সকে মাথায় রেখে নিজেদের তৈরি করতে হবে। একটি অনুমান অনুসারে ২০২০ সালের মধ্যে ‘গ্লোবাল ইন্টারনেট অফ থিংস’ বাজারেভারতের অংশীদারিত্ব প্রায় ২০ শতাংশ থাকবে। এটি প্রায় ২০ লক্ষ কোটি টাকার বাজা��।এটাও অনুমান করা হয়েছে যে, শিল্প উৎপাদনের ক্ষেত্রে ‘ইন্টারনেট অফ থিংস’-এরঅংশীদারিত্ব হবে প্রায় ৬০ শতাংশ। ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি কি এই সম্ভাবনারকথা মাথায় রেখে নিজেদের রণনীতি গড়ে তুলছে? আপনারা কি তথ্য বিশ্লেষণ করছেন? বন্ধুগণ, আপনাদের এই প্রচেষ্টাসমূহের মধ্যে ডিজিটাইজেশন, অ্যানালাইটিক্স,ই-মোবিলিটি এবং ব্লক চেনের মতো নতুন নতুন প্রযুক্তি আপনাদের সহায়ক হয়ে উঠবে। এইপ্রযুক্তিসমূহ নতুন ব্যবসা ক্ষেত্রে আপনাদের জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে। আজকের তারিখে অর্থ বাজারে যে নতুন উদ্ভাবন দেখা যাচ্ছে, বিনিয়োগের জন্য যেবৃহৎ ক্যাপিটাল পুল আজ বর্তমান তাকেও কাজে লাগানো উচিৎ। বন্ধুগণ, যখন আপনারা দেশের প্রয়োজন এবং অগ্রাধিকারের সঙ্গে তাল মিলিয়েএগিয়ে যাবেন, তখন ভালো পরিণাম সুনিশ্চিত। আর আমি নিশ্চিত যে, আমাদের দেশেরাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি নতুন ভারত নির্মাণে পরিবর্তনের অনুঘটক হয়ে ওঠার সম্পূর্ণক্ষমতা রয়েছে। আজ এখানে আপনাদের সামনে ৫টি প্রশ্নের মাধ্যমে আমি ৫টি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে যেতেচাই। আপনারা এখানে যা যা বলেছেন, তার বাইরে না গিয়ে সেগুলি থেকেই নিজের মতো করে এইপ্রশ্নগুলি রাখব। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আপনারা এগুলি করতে পারবেন। এই ৫টি চ্যালেঞ্জনতুন ভারত নির্মাণে আপনাদের অংশগ্রহণকে পুনঃসংজ্ঞায়িত করবে। আমি খুব বেশিপুঙ্খানুপুঙ্খ না বলে এই প্রশ্নগুলির মাধ্যমে আপনাদের সামনে একটি চিত্র তুলে ধরতেচাই। আমার প্রথম প্রশ্ন : ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছরপূর্তি হবে। ২০২২ সালের মধ্যে ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি কি নিজেদেরকর্মক্ষেত্রকে জিও স্ট্র্যাটেজিক রূপকে যথাসম্ভব বাড়াতে পারবে? যদি পারে, তা হলেকিভাবে বাড়াবে? আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন, ২০২২ সালের মধ্যে ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিদেশের মোট আমদানী খরচ হ্রাস করার ক্ষেত্রে কিভাবে সাহায্য করবে? আপনাদের মনে হতেপারে, এটা কার কাজ? আমি আপনাদের উদাহরণ দিতে চাই। আমি হরিয়ানার কৃষকদের কাছেতাঁদের ক্ষেতে গিয়েছিলাম।২৫-৩০ বছর আগের কথা বলছি। তখন ৩০-৩৫ বছর বয়সী এক কৃষকআমাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আসুন, আসুন, নতুন কিছু করেছি, দেখে যান! খুব উৎসাহ! তিনিঠিক করেছিলেন যে দিল্লির পাঁচটি স্টার হোটেলে যে যে সব্জি আমদানি করা হয় – ছোটভুট্টা, ছোট টোম্যাটো ইত্যাদির চাষ শুরু করে দিল্লিতে এই সব্জিগুলির আমদানি বন্ধকরি��ে দেবেন! আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, ঐ সমস্ত সব্জি দিল্লির সমস্ত বড় হোটেলে সস্তাদরে সরবরাহ করে তিনি পাঁচবছরের মধ্যেই ঐ সব্জিগুলির আমদানি বন্ধ করাতে পেরেছিলেন।একজন কৃষকের ছেলে একার চেষ্টায় যদি এরকম কাজ করতে পারেন, তাহলে আমাদের দেশের গর্বএতগুলি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা চেষ্টা করলে পারবে না? ভারতকে অনেক ক্ষেত্রেআত্মনির্ভর করে তোলার কৃতিত্ব আপনাদের। আজদেশ যতটাই উন্নত হয়েছে সেই অবস্থায় পৌঁছতে আপনাদের অবদান অনস্বীকার্য। এখন সময়এসেছে বিশ্ব অর্থনীতিতে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করার। আপনারানিজেদের প্রেজেন্টেশনেও একথা উল্লেখ করেছেন কিন্তু আমি একে জোর দিয়ে বলতে চাই,আমরা কি করলে, কোন পরিবর্ত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা এমন যন্ত্রপাতি তৈরি করতেপারব, যেগুলি বিদেশ থেকে আমদানিকৃত যন্ত্রপাতি থেকে কম খরচে বেশি উৎপাদনে সক্ষম। আমার তৃতীয় প্রশ্ন হ’ল – ২০২২ সালের মধ্যে ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকিভাবে নিজেদের মধ্যে উদ্ভাবন ও গবেষণার ঐক্যসাধন করবে। আজ আমরা নিজের নিজের মতোকরে কাজ করে যাচ্ছি। এরফলে, আমাদের মানবসম্পদের সর্বাধিক উপযোগিতা থেকে আমরাবঞ্চিত হচ্ছি। কোনও একটি কোম্পানিতে যে কাজ এগিয়ে গেছে, যোগাযোগ বা যথাযথ সমন্বয়েরঅভাবে দ্বিতীয় কোম্পানিতে সেই কাজ আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রেসর্বাধিক ঐক্যসাধন সম্ভব হলে আপনারা কল্পনা করতে পারেন, দেশে প্রযুক্তি ও উৎপাদনকত বড় উল্লম্ফন সম্ভব। আমার চতুর্থ প্রশ্ন – নতুন ভারতের স্বপ্ন অনুসারে দেশের অগ্রাধিকার বিচারকরে আমরা ২০২২ সালের মধ্যে দেশকে যে সমস্যাগুলি থেকে মুক্ত করতে চাই, সেগুলি কিআমাদের সিএসআর ফান্ডের যথাযথ উপযোগিতার মাধ্যমে করতে পারব? এর রোড ম্যাপ কি হবে? আমরাএই কাজগুলি সম্মিলিতভাবে কিভাবে করতে পারি? যেমন আপনারা দুটো প্রয়োগের কথা উল্লেখকরেছেন, শৌচাগারের ক্ষেত্রে আপনাদের অবদান দেশকে নতুন পথ দেখিয়েছে এবং দেশেউল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। এভাবেই এক একেকটি জিনিসকে ধরে তাকে নিয়ে কিভাবে এগিয়েযাওয়া যেতে পারে? আমার পঞ্চম প্রশ্ন – ২০২২ সাল পর্যন্ত ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিদেশকে উন্নয়নের কোন নতুন মডেল দেবে, যা আমাদের গতানুগতিক ব্যবস্থাকে পরিচালনা করারপাশাপাশি নতুন কিছু নিয়ে আসবে? আমি এই প্রশ্নগুলির মাধ্যমে আপনাদেরকে যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দ��লাম, কারণসিদ্ধান্ত আপনাদের নিতে হবে, নীতি রচনাও আপনারাই করবেন, রণনীতিও আপনারাই গড়েতুলবেন আর সেই রণনীতিকে আপনাদেরই বাস্তবায়িত করতে হবে। রাষ্ট্রনির্মাণের বড়লক্ষ্যকে সামনে রেখে আপনারা নিজের নিজের সংস্থার বোর্ড মিটিং-এ এই প্রশ্নগুলি নিয়েআলাপ-আলোচনা করুন। তবেই নতুন পথ বেরিয়ে আসবে। বন্ধুগণ, নতুন বিশ্ব পরিস্থিতিতে ভারতের ‘জিও স্ট্র্যাটেজিক রিচ’ বৃদ্ধিরক্ষেত্রে আপনাদের অংশগ্রহণও বাড়াতে হবে। আজ এমন সুযোগ গড়ে উঠেছে যে, আপনারাওবিভিন্ন দেশে যেতে পারছেন, তাঁদের সঙ্গে পরিচিত হতে পারছেন, আগে এরকম সুযোগ হয়তোখুবই কম এসেছিল। এই সুযোগকে আপনারা হেলায় হারাবেন না। নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে ভালোভাবেপরিচিত হন আর ভাবুন কিভাবে আপনাদের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির প্রভাব অন্যান্য দেশেবৃদ্ধি করতে পারেন। বিশ্বের ৫০০টি বড় কোম্পানির এক-চতুর্থাংশ কোনও না কোনও দেশের রাষ্ট্রায়ত্তসংস্থা। এই কোম্পানিগুলি নিজের নিজের দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও বড় মাধ্যম, সেজন্যআপনাদের সংস্থার বিস্তার কিভাবে বৃদ্ধি করবেন, তা নিয়েও নিরন্তর ভাবনাচিন্তা করেযেতে হবে। যেমন বর্তমান সময়ে সরকারের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে – এইসুযোগে আপনারা অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির কাজত্বরান্বিত করুন। আজ ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি ব্রাজিল থেকে শুরু করে মোজাম্বিক,রাশিয়া থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত নিজের জয়ধ্বজা উড়িয়েছে। কিন্তু এখনসময়ের চাহিদা হ’ল এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংহতকৌশল নির্মাণ করে এগিয়ে যাওয়া। কৌশল গঠনের সময়ে আপনাদের নিজের নিজের কোম্পানির‘রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট’ যত বেশি করা যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তবেই তাদেশের জিও স্ট্র্যাটেজিক রিচ-কে বাড়িয়ে দেবে। আমাদের সরকার বিভিন্ন দেশের বড় বড়শহরে অসংখ্য মউ স্বাক্ষর করেছে। অনেক সিস্টার সিটিতে কাজ হচ্ছে। আমাদেররাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি কি সেই নগরীগুলির শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে পদ্ধতিগত এবংপরিকল্পিতভাবে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কে প্রোমোট করতে পারে না? আসলে কি হয়, একটি দেশের সঙ্গে অন্য দেশের বন্ধুত্ব হয়, সেই বন্ধুত্বকে অধিককার্যকরি করে তুলতে উভয় দেশের বিভিন্ন সংস্থা, উভয় দেশের সিস্টার নগরীগুলির মধ্যেপ্রযুক্তির লেনদেন এবং বিভি���্ন ক্ষেত্রে বন্ধুত্বের বিষয়টি তাদের ওপরই ছেড়ে দেওয়াহয়। উভয় দেশের মধ্যে মউ স্বাক্ষরকে নেহাতই কূটনৈতিক প্রকৌশল কিংবা সৌজন্যেরপর্যায়ে ছেড়ে না দিয়ে নানারকম আদান-প্রদানের মাধ্যমে উভয়েই উপকৃত হতে পারেন। তেমনই,আমাদের সামনে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হ’ল আমদানির খরচ কমানো। এরকম অনেক কিছু আমরাআমদানি করি যেগুলি আমাদের দেশে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারলে আমদানি খরচ কমে যাবে।কিছু ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার আমদানি খরচ হ্রাস করার ক্ষেত্রে সফল হয়েছে। কিন্তুএখনও অনেক কাজ বাকি। আপনারা এই সুযোগ গ্রহণ করুন, এটা কোনও বড় চ্যালেঞ্জ নয়, শুধুলেগে থাকতে হবে দেখবেন পরিবর্তন আসবেই। আপনাদের পক্ষ থেকে একটা সময়সীমা ধার্য করে এমনভাবে কাজ করুন যাতে আগামী দু-তিন বছরে কোন কোন পণ্যের আমদানি ১০%,১৫%,২০%যতটা আপনাদের ঠিক মনে হয়, ততটা হ্রাস করাতে পারবেন! আমরা যদি এমন পণ্যগুলিকে বেছে নিই, যেগুলির আমদানিতে বাধ্যতা রয়েছে, আরসেগুলির উতকর্ষ বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করতে পারি, উৎকৃষ্ট পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিরমাধ্যমে এর মূল্য হ্রাস করতে পারি, তাহলে আমদানি ব্যয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাসপাবে। বন্ধুগণ, আমি আপনাদের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের উদাহরণ দিতে চাই। বিগত ৬০-৭০বছরে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকারক দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। আমাদেরপূর্বরতী সরকারগুলির কি নীতি ছিল, তা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। তখন তো এটাও কেউভাবতে পারতেন না, ভারতের কোনও সরকার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও প্রত্যক্ষ বিদেশিবিনিয়োগের পথ খুলে দিতে পারে। আমি স্বীকার করি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের যে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিরয়েছে, তাঁরা এই সুযোগ হাত ছাড়া করেননি। তাঁরা যতটা প্রযুক্তি হস্তান্তরে জোর দিয়েযৌথ উৎপাদনের পথে যাবে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ততই শক্তিশালী হবে। আর দেশের প্রতিরক্ষাক্ষেত্রও তত বেশি আত্মনির্ভর হবে। আজ ভারত ‘তেজস’-এর মতো যুদ্ধ বিমান উৎপাদন করছে, বিশ্ব মানের ডুবো জাহাজনির্মাণ করছে, যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণ করছে। আমরা প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম ও সমর্থ-ও।এবার অভ্যন্তরীণ প্রয়োজন মেটানোর পর আমাদের বিদেশি বাজারের ওপরও লক্ষ্য রাখতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হ’ল উদ্ভাবন ও গবেষণার ঐক্যসাধন। আমাদের কাউন্সিলঅফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেলরিসার্চ এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সি��� অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের মতো বৈজ্ঞানিকসংস্থানগুলিতে দেশের সর্বোৎকৃষ্ট গবেষণা এবং উন্নয়নের পরিকাঠামো রয়েছে। কেন্দ্রীয়রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির কাছেও তেমনই নিজ নিজ ক্ষেত্রে গবেষণার আধুনিক পরিকাঠামোরয়েছে। আপনারা নিজেদের প্রয়োজন অনুসারে অনেক প্রযুক্তি এবং গবেষণালব্ধ পণ্যওউৎপাদন করছেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, বিভিন্ন কোম্পানিরগবেষণাগারে যে আবিষ্কার হচ্ছে, তা সেখানেই সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিবদলে আপনারা কিভাবে ২০২২ সালের মধ্যে গবেষণা ও আবিষ্কারের একটি সংহত পরিকাঠামো গড়েতুলতে পারেন, সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করাও আজ সময়ের চাহিদা। কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির সঙ্গে যখন সরকারি বিভাগগুলির তথ্যআদান-প্রদান বৃদ্ধি পাবে, নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের তথ ্য পরস্পরকে জানানো হবে, তখন গবেষণার খরচ হ্রাস পাবে, ব্যবস্থাগুলিও আরওদক্ষ হয়ে উঠবে। এই আদান-প্রদান শুধু পরিকাঠামোই নয়, পরস্পরের দক্ষতা ব্যবহার এবংউন্নত যন্ত্রপাতির ব ্যবহার ও প্রযুক্তির আদান-প্রদানেও উন্নীত হতে পারে। বন্ধুগণ, বিগতকয়েক বছরে সরকারি ক্ষেত্রের ব্যালেন্সশিট অনেক উজ্জ্বল। গত বছর কেন্দ্রীয়রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির নীট লাভ ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। এর ২ শতাংশ অর্থাৎ প্রায়২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি বাবদ খরচ করা যেতে পারে। এই টাকা দেশেরঅগ্রাধিকারের কথা মাথায় রেখে কিভাবে খরচ করা যেতে পারে, সে ব্যাপারে ভাবা যেতেপারে। ২০১৪-১৫ সালে আপনারা বিদ্যালয়গুলিতে শৌচালয় নির্মাণের জন্য যে টাকা সিএসআরফান্ড থেকে দান করেছিলেন, তার পরিণাম আজ সকলের সামনে, আপনাদের প্রেজেন্টেশনে তুলেধরেছেন। আমার পরামর্শ হ’ল – ২০১৪ সালে যেভাবে আপনারা স্কুলে শৌচালয় নির্মাণকে বেছেনিয়েছিলেন, তেমনই প্রতি বছর একটি করে থিম ভেবে নিয়ে সিএসআর-এর একটা বড় অংশ শুধুসেক্ষেত্রে উন্নয়নের কাজে বিনিয়োগ করা হোক। আপনারা হয়তোজানেন যে, নিতি আয়োগ দেশের ১১৫টি জেলাকে পিছিয়ে পড়া বলে চিহ্নিত করেছে। আমি সেইজেলাগুলিকে উন্নয়ন অভিলাষী জেলা হিসাবে আখ্যা দিয়েছি। আপনারাকি এই জেলাগুলির উন্নয়নকে আপনাদের এ বছরের থিম হিসাবে বেছে নিতে পারেন? আপনাদের সংস্থা কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি পালনে দরিদ্রযুবসম্প্রদায়ের দক্ষতা উন্নয়নের কাজও হাতে নিতে পা��েন। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ এবংআইটিআইগুলিকে আপনাদের সংস্থার সঙ্গে যুক্ত করে দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় অভিযানশুরু করতে পারেন। তাছাড়া, ন্যাশনাল অ্যাপ্রেন্টিসশিপ স্কিমকে আপনারা যত সমর্থন করবেন, দেশেরনবীন প্রজন্ম ততই লাভবান হবেন। আমি চাই যে, আপনারা ফিরে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারেরপ্রকল্পগুলি নিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিজের মতো করে টিম গড়ে তুলুন এবং সেগুলিবাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে কিছু পদক্ষেপ নিন। আমি নিশ্চিত যে, আপনাদের এই উদ্যোগেসাড়া দিয়ে নবীন প্রজন্মের মানুষেরা দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে আপনাদের কাছে কাজ শিখতেআসবেন। ভবিষ্যতে এরা আপনাদের ট্যালেন্ট পুল হইয়ে উঠবে। এজন্য আপনাদের অনেক বেশি ইনকিউবেটার এবং টিঙ্কারিং ল্যাব গড়ে তুলতে হবে।যাতে আমরা কম বয়সী ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার কাছে পৌঁছতে পারি এবংসেগুলিকে কাজে লাগাতে পারি। নবীন প্রজন্মের শক্তিকে কাজে লাগানোর প্রয়োজন রয়েছে,অনেক সময়ে তাঁরা এমন সমাধান দিতে পারেন, যা প্রচলিত ব্যবস্থা দিতে পারে না। বন্ধুগণ, আপনাদের অভিজ্ঞ এবং সমৃদ্ধ সংস্থাগুলি দেশের উন্নয়নের নতুন মডেলগড়ে তুলতে পারে। দেশের দূরদূরান্তের এলাকাগুলিতে আপনাদের সংস্থার অবদান এমনপ্রাণশক্তি সঞ্চার করতে পারে, যা চারপাশের অনেকটা এলাকাকে আলোকিত করতে পারবে। আপনারা সবাই চাইলে আগামী দেড় বছরে দেশ কয়েকশো নতুন মডেল স্মার্টসিটি পেতেপারে। কাগজ বিহীন কর্মসংস্কৃতি, নগদ বিহীন লেনদেন আর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতোঅনেক বিষয়ে আপনাদের মতো সংস্থাগুলি রোল মডেলের মতো কাজ করতে পারে। আমার অনুরোধ আপনারা সমস্ত রকম গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষতাকেঅগ্রাধিকার দিয়ে কর্পোরেট গভর্ন্যান্সে জোর দিয়ে নিজস্ব সামর্থ্যের সঠিক ব্যবহারকরলে দেশ ও সমাজ উপকৃত হবে। বন্ধুগণ, নিজের সামর্থ্যকে বিশ্বাস করা ছাড়া কেউ এগিয়ে যেতে পারেন না। কোনওসংস্থা বা দেশের পক্ষেও তা সম্ভব নয়। ভারতে উপদান ও সামর্থ্যের অভাব নেই। আমাদেরইচ্ছে শক্তি ও নিজেদের ওপর ভরসা আছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে দেশকে অবশ্যইনতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারব। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আপনারা যে উদ্যোগগুলি নিয়েছেন, সেগুলি ভবিষ্যতেও চালুরাখবেন আর এবারে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যে নতুন নতুন ভাবনার জন্ম নেবে, সেগুলিকেশুধুই বাস্তবায়িত করবেন না, তার যথাযথ তদারকির ব্যবস্থাও থাকবে। তব���ই প্রাণশক্তি,অভিজ্ঞতা, উদ্যোগ ও উৎসাহের সঙ্গমে অভূতপূর্ব ফল পাওয়া যাবে। আমার কাছে পিএসইউমানে প্রগতি-সেবা-শক্তি। তার কেন্দ্রে রয়েছে ‘এস’। এর মানে সেবা। নতুন ভারতেরস্বপ্ন নিয়ে নতুন প্রাণশক্তি এবং সেবাভাব নিয়ে আপনাদের কাজ দেশের উন্নয়নকেত্বরান্বিত করবে বলে আমার বিশ্বাস। আপনাদের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নীতি ও সিদ্ধান্ত সফল হোক, নতুন ভারতের সংকল্পকেসিদ্ধ করার পথে আপনাদের যথাসম্ভব অবদান থাকুক – এই ইচ্ছা প্রকাশ করে নিজের কথাসম্পূর্ণ করার আগে আমি অনুরোধ করব যে আমরা সবাই ১০০ দিন পর আরেকবার এক সঙ্গে বসতেপারি কি? ১০০ দিন পর আজকে যা বলা হয়েছে, যা শুনেছি আর যা দেখিয়েছেন – সেগুলিবাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কে করবে, কিভাবে করবে এবং কবে সম্পূর্ণ হবে – তারসময়নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কিভাবে আপনারা এগোচ্ছেন, সে সম্পর্কে ১০০ দিন পরআমাকে যদি অবগত করেন, তা হলে খুব খুশি হব। আমি আপনাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতেচাই। আপনাদের মধ্যে যদি একটু বেশি সময় কাটাই, তা হলে যা কিছু শিখব তা আমি সরকারপরিচালনার ক্ষেত্রেও কাজে লাগাব। আশা করি আজ থেকে ১০০ দিন পর আজ যা যা বলা হ’ল তাররোড ম্যাপ নিয়ে দায়িত্ব অর্পণ করে এই সুন্দর আবহকে, এই অসংখ্য মানুষের উৎসাহকেকাজে লাগিয়ে আমরা নিশ্চিত পরিণামের দিকে এগিয়ে যাব। আপনারা কর্পোরেট দুনিয়ায়রয়েছেন। আপনাদের আমি নতুন করে কিছু শেখাতে চাই না। আপনাদের মধ্যে অনেকেই অনেক টাকাফি দিয়ে ম্যানেজমেন্ট পড়ে এসেছেন। আমি অবশ্য এ সম্পর্কে কিছু জানি না। এতপুঙ্খানুপুঙ্খ জানার আমার প্রয়োজনও নেই। কিন্তু আজকের আলাপ-আলোচনা থেকে আপনারাকতটা লাভবান হলেন এবং তা থেকে দেশের কতটা লাভ হবে, তা নিয়ে আমার উৎসাহ রয়েছে।আজকের প্রেজেন্টেশন বিষয়-নির্দিষ্ট ছিল। তার সঙ্গে আমি চাই রোড ম্যাপ, লক্ষ্য এবংসেই লক্ষ্য যেন পরিমাপযোগ্য হয়। তা হলেই দেখবেন পরিবর্তন ত্বরান্বিত হবে। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",বিজ্ঞান ভৱনত আয়োজিত চিপিএছই সন্মিলন ২০১৮ত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-113/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AD-%E0%A7%A6%E0%A7%A9-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A8-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BE/,"আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। গত সপ্তাহে আমরা এমন এক সাফল্য অর্জন করলাম যা আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছে। আপনারা হয়ত শুনেছেন যে ভারত গত সপ্তাহে চারশো বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৩০ লক্ষ কোটি টাকার রপ্তানীর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। প্রাথমিক ভাবে শুনে মনে হয় যে আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত একটা ব্যাপার, কিন্তু এটা আর্থিক ব্যবস্থার থেকেও বেশি, ভারতের সামর্থ্য, ভারতের সম্ভাবনার সঙ্গে যুক্ত বিষয়। এক সময় ভারত থেকে রপ্তানীর পরিমাণ কখনও একশো বিলিয়ন, কখনও দেড়শো বিলিয়ন, কখনও দু’শো বিলিয়ন হত, আর আজ, ভারত চারশো বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। এর একটা অর্থ হল যে ভারতে তৈরি জিনিসের চাহিদা বাড়ছে বিশ্বজুড়ে, দ্বিতীয় অর্থ হল যে ভারতের সরবরাহ শৃঙ্খল দিনে-দিনে শক্তিশালী হয়ে উঠছে আর এর একটা গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও রয়েছে। দেশ, বড় পদক্ষেপ তখনই নেয় যখন স্বপ্নের থেকেও বড় হয়ে ওঠে সঙ্কল্প। যখন রাতদিন নিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্কল্পের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়, তখন সেই সঙ্কল্প বাস্তবায়িতও হয়, আর আপনারা দেখুন, কোনও ব্যক্তির জীবনেও তো এমনটাই হয়। যখন কারও সঙ্কল্প, তাঁর চেষ্টা , তাঁর স্বপ্নের থেকেও বড় হয়ে যায় তখন সফলতা নিজে পায়ে হেঁটে তাঁর কাছে আসে। বন্ধুগণ, দেশের নানা কোণ থেকে নতুন-নতুন পণ্য এখন বিদেশে যাচ্ছে। অসমের হাইলাকান্দির চামড়ার তৈরি পণ্য হোক বা উসমানাবাদের তাঁতের পণ্য, বীজাপুরের ফল-সব্জি হোক বা চন্দৌলির ব্ল্যাক রাইস, সবকিছুর রপ্তানী বাড়ছে। এখন লাদাখের বিশ্বখ্যাত অ্যাপ্রিকট আপনি দুবাইতেও পাবেন আর সৌদি আরবে তামিলনাড়ুর থেকে পাঠানো কলা পাওয়া যাবে। এখন সবথেকে বড় কথা হল যে নতুন-নতুন পণ্য, নতুন-নতুন দেশে পাঠানো হচ্ছে। যেমন হিমাচল, উত্তরাখণ্ডে উৎপন্ন বাজরা জাতীয় মোটা দানার শস্যের প্রথম কিস্তি ডেনমার্কে রপ্তানী করা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা আর চিত্তুর জেলার বঙ্গনপল্লী আর সুবর্ণরেখা আম দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানী করা হয়েছে। ত্রিপুরা থেকে তাজা কাঁঠাল আকাশপথে লণ্ডনে রপ্তানী করা হয়েছে, আরও কী, প্রথম বার নাগাল্যাণ্ডের রাজালঙ্কা লণ্ডনে পাঠানো হয়েছে। এইভাবেই ভালিয়া গমের প্রথম কিস্তি গুজরাত থেকে কেনিয়া আর শ্রীলঙ্কায় রপ্তানী করা হয়েছে। অর্থাৎ, এখন আপনি অন্য দেশে গেলে, আগের থেকে অনেক বেশি মেড ইন ইণ্ডিয়া পণ্য আপনার চোখে পড়বে। বন্ধুগণ, এই তালিকা অনেক লম্বা আর যত লম্বা এই তালিকা, ততটাই বড়ো মেক ইন ইণ্ডিয়ার শক্তি, ততটাই বিরাট ভারতের সামর্থ্য, আর সামর্থ্য��র ভিত্তি – আমাদের কৃষক, আমাদের কারিগর, আমাদের তন্তুবায় শিল্পী, আমাদের ইঞ্জিনীয়ার, আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, আমাদের অতি ক্ষুদ্র , ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পোদ্যোগ, বিভিন্ন পেশার অনেক মানুষ, এঁরা সব এর সত্যিকারের শক্তি। এঁদের পরিশ্রমেই চারশো বিলিয়ন ডলারের রপ্তানীর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে আর আমি খুশী যে ভারতের মানুষের এই সামর্থ্য বিশ্বের কোণায়-কোণায়, নতুন বাজারে পৌঁছচ্ছে। যখন এক-একজন ভারতবাসী লোকালের জন্য ভোকাল হন তখন লোকালের গ্লোবাল হতে দেরি হয় না। আসুন, আমরা স্থানীয় পণ্যকে আন্তর্জাতিক বাজারে নিয়ে যাই আর আমাদের উৎপাদিত বস্তুর খ্যাতি আরও বাড়াই। বন্ধুরা, ‘মন কি বাত’-এর শ্রোতাদের এটা জেনে ভালো লাগবে যে দেশীয় পর্যায়েও আমাদের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সাফল্য আমাদের গর্বিত করে। আজ আমাদের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা সরকারি স্তরে ক্রয়-এর জন্য গভর্নমেন্ট ই-মার্কেট প্লেস অর্থাৎ জিইএম- এর বড় অংশীদার। প্রযুক্তির মাধ্যমে খুব স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। গত এক বছরে জিইএম পোর্টাল-এর মাধ্যমে সরকার, এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি কেনাকাটা করেছে। দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, ছোটো দোকানদার তাদের পণ্য সরাসরি সরকারের কাছে বিক্রি করেছে। একটা সময় ছিল যখন শুধুমাত্র বড় কোম্পানিগুলিই সরকারের কাছে পণ্য বিক্রি করতে সক্ষম হতো। কিন্তু এখন দেশ বদলাচ্ছে, পুরনো ব্যবস্থাও বদলাচ্ছে। এখন ছোটোর চেয়ে ছোট দোকানদাররাও তাদের পণ্য জিইএম পোর্টালের মাধ্যমে সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারে। এটাই নতুন ভারত। সে শুধু বড় স্বপ্নই দেখে না, সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর সাহসও দেখায়, যেখানে আগে কেউ আসেনি। এই সাহসের জোরেই আমরা ভারতীয়রা আত্ম নির্ভর ভারতের স্বপ্ন পূরণ করব। আমার প্রিয় দেশবাসী, সাম্প্রতিক পদ্ম পুরস্কার অনুষ্ঠানে আপনারা নিশ্চয়ই বাবা শিবানন্দজিকে দেখেছেন। ১২৬ বছর বয়সী প্রবীনের উচ্ছ্বাস দেখে আমার মতো সবাই নিশ্চয়ই অবাক হয়েছেন, আর আমি দেখলাম, কিভাবে এক নিমেষে তিনি নন্দী মুদ্রায় প্রণাম করতে লাগলেন। আমিও বাবা শিবানন্দজিকে নত হয়ে বারবার প্রণাম করলাম। ১২৬ বছর বয়সী বাবা শিবানন্দের বয়স এবং ফিটনেস, দুটোই, আজ দেশে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকের মন্তব্য দেখলাম, যে বাবা শিবানন্দ তাঁর বয়সের চেয়ে চার গুণ কম বয়সীদের চেয়েও ফিট। সত্যিই, বাবা শিবানন্দের জীবন আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করে। আমি তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করছি। ওঁর মধ্যে যোগব্যায়ামের প্রতি একটা আলাদা আবেগ আছে এবং তিনি খুব স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করেন। জীবেম শরদহ্ শতম্। আমাদের সংস্কৃতিতে সকলকে সুস্থ জীবনসহ শতায়ু হওয়ার শুভকামনা প্রদান করা হয়। আমরা ৭ই এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করব। আজ সমগ্র বিশ্বে স্বাস্থ্য নিয়ে ভারতীয় চিন্তাধারা, সেটা যোগ হোক অথবা আয়ুর্বেদ, সব কিছুর প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে। আপনারা দেখেছেন যে গত সপ্তাহে কাতারে একটি যোগ অনুশীলনের কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছিল। এতে ১১৪টি দেশের নাগরিকরা অংশগ্রহণ করে নতুন ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তৈরি করেছেন। এভাবেই আয়ুস শিল্পের বিপণন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ৬বছর আগে আয়ুর্বেদের সঙ্গে যুক্ত ওষুধের বাজার ২২,০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি ছিল। এখন আয়ুষ উৎপাদন শিল্প প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার কোটির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে সম্ভাবনা অনবরত বেড়েই চলেছে। স্টার্ট আপসের দুনিয়াতেও আয়ুষ আগ্রহের বিষয় হয়ে উঠেছে। বন্ধুরা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের অন্য স্টার্ট আপসের সম্বন্ধে তো আমি আগেও অনেকবার কথা বলেছি, কিন্তু এইবার আয়ুস স্টার্ট আপস নিয়ে আপনাদের সঙ্গে বিশেষভাবে কথা বলব। একটা স্টার্ট আপ রয়েছে যার নাম কপিভা। এই নামের মধ্যেই এর অর্থ লুকিয়ে রয়েছে – ক এর অর্থ কফ, পি এর অর্থ পিত্ত, এবং বা এর অর্থ বাত। এই স্টার্টআপ আমাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য গড়ে উঠেছে। আরেকটি স্টার্টআপ নিরোগ-স্ট্রীট রয়েছে, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা ব্যবস্থার এক আশ্চর্য ধারণা। এখানে প্রযুক্তি ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা সারা পৃথিবীর আয়ুর্বেদ ডাক্তারদের সরাসরি সাধারন মানুষদের সঙ্গে যুক্ত করে। ৫০ হাজারেরও বেশি চিকিৎসক এর সঙ্গে যুক্ত। এমনই আত্রেয় ইনোভেশন একটি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের প্রযুক্তি সংক্রান্ত স্টার্ট আপ যা সর্বাঙ্গীণ সুস্থতার জন্য কাজ করছে। ইক্সোরিয়েল কেবলমাত্র অশ্বগন্ধা প্রয়োগ নিয়েই সচেতনতা বৃদ্ধি করেনি বরং উন্নত গুণমানের পণ্যসামগ্রীর বিষয়েও বড় মাত্রা যোগ করেছে। কিওরভেদাও শেকড়-বাকড় এর আধুনিক প্রয়োগ এবং এ বিষয়ের ঐতিহ্য ও জ্ঞানের সমন্বয়ে সর্বাঙ্গীণ জীবনযাত্রা নিয়ে ডায়েটরি সাপ্লিমেন্টসের তৈরি করেছে। বন্ধুরা, আমি মাত্র কয়েকটা নাম বললাম, এই লিস্ট আসলে অনেক লম্বা। এটি ভারতের তরুণ উদ্যম এবং ভারতে তৈরি নতুন সম্ভাবনার প্রতীক। আমার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নতুন শিল্পোদ্যোগ বা স্টার্ট-আপ্সের বিশেষতঃ আয়ুষ স্টার্ট-আপ্সের কাছে একটা অনুরোধ রয়েছে। আপনারা অনলাইনে যে কোনও পোর্টাল তৈরি করুন, যা কিছু বিষয়বস্তু রচনা করুন করুন, তা রাষ্ট্রসঙ্ঘের মান্যতা প্রাপ্ত সবকটি ভাষায় তৈরি করার চেষ্টা করুন। বিশ্বে এমন বহু দেশ রয়েছে যেখানে ইংরাজি না বিশেষ বলা হয়, না কেউ বিশেষ বোঝে। সেই সব দেশের কথা মাথায় রেখে আপনারা তথ্যের প্রচার-প্রসার করুন। আমার বিশ্বাস, ভারতের আয়ুষ স্টার্ট-আপ্সের উন্নত গুণমানের পণ্য খুব শীঘ্রই বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। বন্ধুরা, স্বাস্থ্যের সঙ্গে স্বচ্ছতার সোজাসুজি সম্পর্ক রয়েছে। “মন কি বাত”-এ আমরা সবসময় স্বচ্ছতায় আগ্রহীদের বিভিন্ন প্রচেষ্টা সম্পর্কে বলি। এমনি একজন স্বচ্ছতাগ্রহী হলেন চন্দ্রকিশোর পাতিলজি। উনি মহারাষ্ট্রের নাসিকে থাকেন। চন্দ্রকিশোরজি স্বচ্ছতা সম্পর্কে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। তিনি গোদাবরী নদীর তীরে দাঁড়িয়ে জনসাধারণকে নদীতে আবর্জনা না ফেলতে উদ্বুদ্ধ করেন। যদি কাউকে আবর্জনা ফেলতে দেখেন, তৎক্ষণাৎ তাকে বারণ করেন। এই কাজে চন্দ্রকিশোরজি নিজের অনেক সময় ব্যয় করেন। বিকেল অব্দি তাঁর কাছে স্তুপাকৃত আবর্জনার জমা হয়ে যায়, যা সবাই নদীর জলে ফেলার জন্য এনেছিল। চন্দ্রকিশোরজির এই প্রচেষ্টা, সচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং অনুপ্রেরণাও যোগায়। এই রকম আরো একজন স্বচ্ছতাগ্রহী – উড়িষ্যার পুরীর রাহুল মহারাণা। রাহুল প্রতি রবিবার সকাল-সকাল পুরীতে তীর্থ ক্ষেত্র ঘুরে ঘুরে প্লাস্টিকের আবর্জনা পরিষ্কার করেন। উনি এখনো পর্যন্ত কয়েকশো কিলো প্লাস্টিকের আবর্জনা ও জঞ্জাল পরিষ্কার করেছেন। পুরীর রাহুল হোক বা নাসিকের চন্দ্রকিশোর, এঁরা সবাই আমাদের অনেক কিছু শেখান। নাগরিক হওয়ার দরুন আমরা আমাদের কর্তব্য পালন করি, তা সে স্বচ্ছতা হোক, পুষ্টি হোক, বা টিকাকরণ, এই সকল প্রয়াস আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আমার প্রিয় দেশবাসী, এবারে বলবো কেরালার মুপত্তাম শ্রী নারায়ণনজী কথা। তিনি এক প্রকল্প শুরু করেছেন যার নাম – ‘পটস ফর ওয়াটার অফ লাইফ’. আপনি যখন এই প্রকল্প সম্পর্কে জানবেন তখন ভাববেন কি অসাধারণ এই কাজ। বন্ধুরা, গ্রীষ্মকালে পশুপাখিরা যাতে পানীয় জলের অভাবে কষ্ট না পায় সেজন্য মূপট্টম শ্রী নারায়ণনজী মাটির পাত্র বিলি করার কাজ করে চলেছেন। গরমে তিনি পশুপাখিদের এই কষ্ট দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠতেন। তখন তিনি ভাবলেন, কেমন হয় যদি নিজেই মাটির পাত্র বিলি করা শুরু করেন… তাহলে অন্তত অন্যদের জন্য শুধু সেই পাত্র গুলোয় কেবল জল ভরার কাজটিই পড়ে থাকে! আপনারা শুনলে অবাক হয়ে যাবেন, নারায়ণনজী যত মাটির পাত্র বন্টন করেছেন, তার সংখ্যা এক লক্ষের গন্ডী পার করতে চলেছে। তার এই অভিযানে, এক লক্ষ-তম পাত্রটি তিনি গান্ধীজী স্থাপিত সবরমতী আশ্রমে প্রদান করবেন। ঠিক এই সময়, যখন গ্রীষ্মের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে, তখন নারায়ণনজী’র এই কাজ আমাদের সকলকে নিশ্চয়ই অনুপ্রাণিত করবে, এবং আমরাও এই গ্রীষ্মে পশুপাখি বন্ধুদের জন্য জলের ব্যবস্থা করব! বন্ধুরা, আমি মন-কী-বাত অনুষ্ঠানের শ্রোতাদেরও অনুরোধ করবো, আমরা যেন সেই প্রতিজ্ঞা অবশ্যই পালন করি। পানীয় জলের প্রতিটি বিন্দু সংরক্ষণের জন্য আমরা যা কিছু করতে পারি তা যেন অবশ্যই করি। তাছাড়া, জলের পুনর্ব্যবহারের বিষয়েও আমাদের সমান গুরুত্ব দিতে হবে। গৃহস্থালির ব্যবহার করা জল ধোয়ার কাজে এবং বাগানে জল দেবার কাজে পুনরায় ব্যবহার করা উচিত। সামান্য চেষ্টা করলেই আপনি আপনার বাড়িতেই এমন ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন। রহীম দাসজী বহু যুগ আগে হয়তো সেই উদ্দেশ্যেই বলে গিয়েছিলেন – “রহিমান পানি রাখিয়ে, বিন পানি সব শূন” অর্থাৎ এই বলে রহিম জী জলের মাহাত্য বোঝাতে চেয়েছিলেন। কারণ জল ছাড়া সবকিছুই বৃথা। জল সংরক্ষণের এই কাজে আমি ছোট্ট বন্ধুদের কাছে অনেক বেশি প্রত্যাশা করি। স্বচ্ছতাকে যেভাবে আমাদের ছোট্ট ছোট্ট বন্ধুরা জন-আন্দোলনে পরিণত করেছে, ঠিক সেভাবেই ওয়াটার ওয়ারিয়র হয়ে তারা জল সংরক্ষণেও সহায়তা করতে পারে। বন্ধুরা, চিরকালই আমাদের দেশে পানীয় জলের সংরক্ষণ ও জলের উৎস গুলির সুরক্ষা করা আমাদের সামাজিক উদ্যোগের একটা অংশ। আমি আনন্দিত যে আমাদের দেশে অনেকেই জল সংরক্ষণকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে গ্রহণ করেছেন করে। যেমন চেন্নাইয়ের এক বন্ধু অরুণ কৃষ্ণমূর্তি জী। অরুন জী, তার এলাকায় পুকুর ও দীঘিগুলি পরিষ্কার রাখার কাজ করে চলেছেন। উনি দেড়শোর-ও বেশী দিঘি ও পুকুর পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব নিয়েছিলেন, এবং তা সাফল্যের সঙ্গে পূর্ণও করেছেন। ঠিক সেরকমই মহারাষ্ট্রের এক বন্ধু রোহন কালে। রোহন পেশাগতভাবে একজন এইচআর প্রোফেশনাল। তিনি মহারাষ্ট্রের শত শত স্টেপওয়েলস অর্থাৎ সিঁড়ি যুক্ত পুরনো জলুকুপগুলির সংরক্ষণের প্রচার চালাচ্ছেন। এগুলোর মধ্যে অনেক কুয়োই বহু প্রাচীন, এবং আমাদের পরম্পরার একটা অংশ। সিকান্দ্রাবাদের বংশী লাল পেট কুঁয়ো এরকমই একটি step well। বহু বছর উপেক্ষিত থাকার ফলে এই স্টেপ ওয়েল মাটি আর আবর্জনায় ভরে গেছিল। কিন্তু এখন এই স্টেপ ওয়েল-কে পুনরুজ্জীবিত করার অভিযান জন অংশীদারির মাধ্যমে শুরু হয়েছে। বন্ধুরা, আমি তো সেই রাজ্য থেকে এসেছি, যেখানে সবসময়ই জলের ঘাটতি থাকে। গুজরাতে এই স্টেপ ওয়েল-কে ভাভ বলা হয়। গুজরাতের মতো রাজ্যে ভাভের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কুঁয়ো বা বাউড়ি সংরক্ষণে ‘জল মন্দির যোজনা’ একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। পুরো গুজরাটে অনেক বাউড়িকে পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে। এর ফলে এই এলাকায় জলস্তর বৃদ্ধিতেও সাহায্য হয়েছে। এরকমই অভিযান আপনারা স্থানীয় স্তরেও চালাতে পারেন। চেক ড্যাম বানানো হোক বা বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই সমষ্টিগত প্রচেষ্টারও প্রয়োজন আছে। যেরকম স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে আমাদের দেশের প্রত্যেক জেলায় অন্তত ৭৫টি অমৃত সরোবর বানানো যেতে পারে। কিছু পুরানো সরোবরকে সংস্কার করা যেতে পারে আর কিছু নতুন সরোবরও বানানো যেতে পারে। আমার বিশ্বাস আপনারা এই লক্ষ্যে কিছু না কিছু উদ্যোগ নিশ্চয়ই নেবেন। আমার প্রিয় দেশবাসী ‘মন কি বাত’-এর একটা সৌন্দর্য এটাও যে এখানে আমি আপনাদের বার্তা বিভিন্ন ভাষায় ও বিভিন্ন উপভাষায় পাই। অনেকে মাইগভে অডিও মেসেজও পাঠান। ভারতের সংস্কৃতি, আমাদের ভাষা, আমাদের উপভাষা, আমাদের থাকা-খাওয়ার অভ্যাস, এইসব বিবিধতা আমাদের অনেক বড় শক্তি। পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত ভারতের এই বিবিধতা ভারতকে এক করে রেখেছে, ‘এক ভারত-শ্রেষ্ঠ ভারত’ বানিয়েছে। আর এতেও আমাদের ঐতিহাসিক স্থান আর পৌরাণিক কাহিনী উভয়েরই ভূমিকা আছে। আপনি ভাবছেন এই কথাগুলো আমি এখন আপনাদের কেন বলছি। এর কারণ হলো মাধবপুর মেলা। মাধবপুর মেলা কোথায় বসে, কেন বসে, কিভাবে এটি ভারতের বিবিধতার সঙ্গে জড়িত এটা জানতে শ্রোতাদের খুব আকর্ষণীয় লাগবে। বন্ধুরা, মাধবপুর মেলা গুজরাটের পোরবন্দরে সমুদ্রতটে অবস্থ���ত মাধবপুর গ্রামে হয়। কিন্তু এই মেলার সঙ্গে ভারতের পূর্বভাগেরও সম্পর্ক রয়েছে। আপনারা ভাবছেন এও কী করে সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তরও পুরাণের এক আখ্যানে পাওয়া যায় কথিত আছে হাজার-হাজার বছর আগে, ভগবান শ্রী কৃষ্ণের বিবাহ উত্তরপূর্বের রাজকুমারী রুক্মিণীর সঙ্গে হয়েছিল। এই বিবাহ পোরবন্দরের মাধবপুর গ্রামে সম্পন্ন হয়েছিল আর সেই বিবাহের প্রতীক হিসেবে আজও ওই জায়গায় মাধবপুর মেলা অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব আর পশ্চিমের এই গভীর সম্পর্ক আমাদের ঐতিহ্য। সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে এবং মানুষের প্রয়াসে এখন মাধবপুরের মেলায় নতুন-নতুন জিনিস যুক্ত হচ্ছে। আমাদের এখানে কন্যা পক্ষকে ঘরাতি বলে এবং আজকাল এই মেলার সময় উত্তরপূর্ব থেকে বহু ঘরাতি আসছেন। এক সপ্তাহ ধরে চলা এই মেলায় এখন উত্তরপূর্ব অঞ্চলের সব রাজ্য থেকে শিল্পী আসেন, হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত বহু শিল্পী আসেন এবং এই মেলাকে আরও উজ্জ্বল করে তোলেন। এক সপ্তাহ ধরে চলা এই মাধবপুর মেলায় পশ্চিম ও পূর্বের সংস্কৃতির অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটে এবং এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের এক অপরুপ নিদর্শন হয়ে ওঠে এই মেলা। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি এই মেলার সম্বন্ধে পড়ুন ও জানুন। আমার প্রিয় দেশবাসী, দেশে চলা আজাদী কী অমৃত মহোৎসব জনসাধারণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সুন্দর নিদর্শন হয়ে উঠছে। কিছুদিন আগে ২৩শে মার্চ শহীদ দিবসের দিন দেশের ভিন্ন-ভিন্ন অংশে বহু অনুষ্ঠান হয়। আমাদের দেশ স্বাধীনতার নায়ক-নায়িকাদের শ্রদ্ধাপূর্বক স্মরণ করে ওই দিন। ওই দিনই কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের বিপ্লবী ভারত গ্যালারি জনসাধারণের জন্য উৎসর্গ করার সুযোগ হয় আমার। ভারতের বীর বিপ্লবীদের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণের জন্য সৃষ্ট এটি একটি বিশেষ গ্যালারি। সময় পেলে অবশ্যই এই গ্যালারিটি দেখতে যাবেন আপনারা। বন্ধুরা এপ্রিল মাসে আমরা দু’জন বিখ্যাত মানুষের জন্মবার্ষিকী পালন করব। এঁরা দুজনেই ভারতীয় সমাজের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিলেন। এই দু’জন মহতি হলেন মহাত্মা ফুলে এবং বাবাসাহেব আম্বেদকর। মহাত্মা ফুলের জন্ম জয়ন্তী ১১ই এপ্রিল এবং বাবাসাহেবের জন্মজয়ন্তী আমরা ১৪ই এপ্রিল পালন করব। এই দুই মহাপুরুষ ভেদাভেদ এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিশাল সংগ্রাম করেন। মহাত্মা ফুলে ওই সময়ে মেয়েদের জন্য স্কুল খোলেন, কন্যা শিশু হত্যার বিরুদ্ধাচরণ করেন। তিনি জলসঙ্কট থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্যও বড় অভিযা�� চালান। বন্ধুগণ, মহাত্মা ফুলের বিষয়ে আলোচনার সময় সাবিত্রী বাই ফুলের উল্লেখ করাও জরুরী। সাবিত্রী বাই ফুলে বিভিন্ন সামাজিক সংস্থার নির্মাণে বড়ো ভূমিকা পালন করেছিলেন। একজন শিক্ষিকা এবং একজন সমাজ সংস্কারক হিসেবে উনি সমাজে চেতনা সৃষ্টি করেছিলেন এবং সাহসও জুগিয়েছিলেন। দুজনে মিলে সত্যশোধক সমাজের প্রতিষ্ঠা করেন। মানুষের ক্ষমতায়নের চেষ্টা করেন। আমরা বাবা সাহেব আম্বেদকরের কাজেও মহাত্মা ফুলের প্রভাব পরিষ্কার দেখতে পাই। উনি বলতেন কোনো সমাজের বিকাশের মূল্যায়ন সেই সমাজের মহিলাদের অবস্থা দেখে বোঝা যায়। মহাত্মা ফুলে, সাবিত্রী বাই ফুলে, বাবা সাহেব আম্বেদকরের জীবন থেকে প্রেরণা নিয়ে আমি প্রত্যেক মা-বাবা, অভিভাবকদের অনুরোধ করছি যে তাঁরা যেন মেয়েদের অবশ্যই শিক্ষিত করেন। মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করানোর সংখ্যা আরও বাড়ানোর জন্য কিছুদিন আগেই কন্যা শিক্ষা প্রবেশ উৎসব শুরু করা হয়েছে, যে মেয়ের পড়াশোনা কোনো কারণে মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেছে, তাদের দ্বিতীয়বার স্কুলে ভর্তি করানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বন্ধুরা, এটা আমাদের সকলের জন্য সৌভাগ্যের কথা যে বাবা সাহেবের সঙ্গে জুড়ে থাকা পাঁচটি তীর্থস্থানের জন্য কাজ করার সুযোগ পাওয়া গেছে। ওঁর জন্মস্থান মহু হোক, মুম্বাইতে চৈত্যভূমি হোক, লন্ডনে ওঁর বাড়ী হোক, নাগপুরে দীক্ষাভূমি হোক বা দিল্লিতে মহাপরিনির্বান স্থল, আমার সব স্থানগুলিতে, সব তীর্থস্থানগুলিতে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। আমি মন কি বাতের শ্রোতাদের কাছে অনুরোধ করবো যে তাঁরা যেন মহাত্মা ফুলে, সাবিত্রী বাই ফুলে, বাবা সাহেব আম্বেদকরের সঙ্গে জুড়ে থাকা সবকটি জায়গা দর্শন করেন। আপনার সেখানে অনেক কিছু শেখার বিষয় পাবেন। আমার প্রিয় দেশবাসী, মন কি বাত অনুষ্ঠানে এইবারেও অনেক বিষয়ে কথা বললাম। আগামী মাসে অনেক উৎসব আসছে। কিছুদিন বাদেই নবরাত্রি আসছে। নবরাত্রিতে আমরা ব্রত-উপবাস, শক্তির আরাধনা করি, শক্তির পূজা করি, অর্থাৎ আমাদের সংস্কার আমাদের আনন্দ করতে শেখায় আবার নিয়ন্ত্রণ করতেও শেখায়। দৃঢ়তা এবং তপস্যা আমাদের কাছে উৎসবই, সেইজন্য নবরাত্রি আমাদের সবার কাছে খুবই বিশেষ পার্বণ। নবরাত্রির প্রথম দিনই গুড়িপাড়োয়া উৎসব আছে। এপ্রিল মাসেই ইস্টারও আছে আবার রমজানের পবিত্র দিনও শুরু হচ্ছে। আমরা সকলকে সঙ্গে নিয়ে নিজেদের উৎসব পালন করবো, ভারতের বৈচিত্রকে আরও শক্তিশালী করবো। সবার এটাই কামনা। এইবারে মন কি বাতে এইটুকুই। আগামী মাসে আপনাদের সঙ্গে নতুন বিষয়ে কথা বলবো। অনেক অনেক ধন্যবাদ",২৭.০৩.২০২২ তাৰিখে ‘মন কী বাত’ৰ ৮৭তম খণ্ডত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে প্ৰদান কৰা ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%B6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4-%E0%A6%B6/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা বুধবার ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে ‘শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অধ্যয়ন মেয়াদের পারস্পরিকস্বীকৃতি’র সুযোগ তৈরি করতে চুক্তি স্বাক্ষরের অনুমোদন দিল| দু’দেশের অনুমোদিত,মঞ্জুরিকৃত এবং/অথবা স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদেরক্ষেত্রে তা কার্যকর হবে| ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতির আসন্ন ভারত সফরের সময় এই চুক্তিস্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে| ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যেকার শিক্ষাগতসম্পর্ককে এই চুক্তি আরও গভীরতর করবে বলা আশা করা যাচ্ছে| এই চুক্তি দুই দেশেরইছাত্রছাত্রীদের যাওয়া আসাকে সুগম করার জন্য সুবিধা তৈরি করবে এবং এর জন্যছাত্রছাত্রীদের উত্সাহিত করবে| তাছাড়া উদ্ভাবনামূলক সহযোগিতা ও গবেষণামূলককর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভারতের শিক্ষার গুণমানের উন্নয়ন ঘটাবে বলে আশা করা যাচ্ছে| A.D",ভাৰত আৰু ফ্ৰান্সৰ মাজত ‘শৈক্ষিক অৰ্হতাৰ পাৰস্পৰিক স্বীকৃতি’ৰ বাবে বুজাবুজিৰ চুক্তি স্বাক্ষৰৰ প্ৰস্তাৱত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%B9/,"নয়াদিল্লি, ০২ জুন, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নমো অ্যাপের বিকাশ যাত্রা বিভাগে যেসব মহান ব্যক্তিত্ব দেশ গঠন করেছিলেন, ভারত কিভাবে তাঁদের স্মরণ করছে, সে সম্পর্কিত কয়েকটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরে একটি নিবন্ধ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। এক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানাতে এ বছর আমরা আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছি। নমো অ্যাপের বিকাশ যাত্রা সেকশনে থাকা নিবন্ধে মহান সেই সমস্ত ব্যক্তিত্ব, যাঁরা দেশ গঠন করেছেন, তাঁদের ভার�� কিভাবে স্মরণ করছে, সে সম্পর্কিত কয়েকটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছে। #8YearsOfPreservingCulture"" প্রধানমন্ত্রী ভারতের গৌরবময় সংস্কৃতির সংরক্ষণে সরকারি কাজকর্মের কথা তুলে ধরে MyGov tweet thread সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। এক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্যের জন্য আমরা গর্ববোধ করি এবং অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে, আমরা এই সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও তা উদযাপনের সুযোগ পেয়েছি। #8YearsOfPreservingCulture""",আমাৰ ৰাষ্ট্ৰ নিৰ্মাতা মহান ব্যক্তিসকলক ভাৰতে স্মৰণৰ পন্থা সম্পৰ্কে এটি লেখা শ্বেয়াৰ প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%95%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%98/,"আজ আপনারা এত বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত হয়ে আমাদের আশীর্বাদ দিচ্ছেন, সেজন্যআমি হৃদয় থেকে আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। সম্প্রতি বন্যার ফলে দেশের কিছু অংশে অন্যরকমবিপর্যয় নেমে এসেছে। অনেক মানুষের প্রাণ গেছে। কৃষকদেরও অনেক লোকসান হয়েছে।রাজস্থানের অনেক অঞ্চলও বিপর্যয়গ্রস্ত। রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটিপ্রতিবেদন পাঠিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও একটি উচ্চ স্তরীয় সমিতিরসদস্যরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে সরেজমিন সফর করে গেছেন। আমি রাজস্থানের বন্যায়ক্ষতিগ্রস্ত ভাই-বোন এবং কৃষকদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, এই সঙ্কটের সময় কেন্দ্রীয়সরকার সম্পূর্ণভাবেই আপনাদের পাশে থাকবে। আর এই সঙ্কটমুক্তির পর যাতে এক নতুনআস্থা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে পারি, সেজন্য সবাই মিলেমিশে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করেযাব। আজ একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই রাজস্থানে ১৫ হাজার কোটি টাকারও অধিক বিনিয়োগেবিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন কিংবা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কাজ হ’ল।রাজস্থানের ইতিহাসে এটি একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। নির্বাচনের আগে নানা প্রতিশ্রুতিদিয়ে খবরের কাগজে বড় বড় অক্ষরে শিরোনাম হওয়া; তোমরাও ভালো, আমরাও ভালো, মালা দাওতোমার গলায় পরাই, মালা দিই আমার গলায় পরাও। এ সমস্ত রাজনীতির খেলা দেশ বছরের পরবছর ধরে দেখে আসছে। আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, এই পুরনো রোগকে কি করেসারানো যায়। গোটা ব্যবস্থা এতটাই দুর্নীতিগ্রস্ত যে, কোনও সহজ-সরল মানুষ এগুলোদেখেই ভয়ে ছেড়ে পালাতেন। কিন্তু আমি অন্য ধাতুতে গড়া। সমস্যা বেছে ��িয়ে যে কোনওস্পর্ধার প্রতিস্পর্ধা গড়ে তোলার অভ্যাস আমার রয়েছে। যে কোনও প্রতিস্পর্ধাকে আমিস্বীকার করে নিই এবং পথ খুঁজে কাঙ্খিত গন্তব্যে দেশকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আপ্রাণলড়ে যেতে আমি পিছ-পা হই না। একটু আগেই নীতিনজি বলছিলেন, চম্বলের ঐ সেতুটির কথা।২০০৬ থেকে ২০১৭, ১১ বছরে ঐ সেতুর জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়েছিল বার্ষিক ৩০০ কোটি টাকাকরে। একটি সরকারের সঙ্গে অন্য সরকারের পার্থক্য কোথায়? কোন্‌ সরকারকে আমরা কাজেরসরকার বলব? এটা বোঝার জন্য এই ঘটনাই যথেষ্ট। একটা ছোট সেতু ৩০০ কোটি টাকা খরচে একথেকে দেড় বছরের মধ্যে তৈরি হয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু ১১ বছরে এর খরচ দাঁড়িয়েছে ৫হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আমার সাংবাদিক বন্ধুরা হিসাব করে দেখতে পারেন। ২০১৪ সালেআমরা সরকারে আসার পর উঠেপড়ে লেগে এই কাজ শেষ করেছি। আর তিন বছরের মধ্যে আজ উদ্বোধনহচ্ছে। আমরা সেই সংস্কৃতি গ্রহণ করার চেষ্টা করছি যে আমি কোনও কাজ শুরু করলে সেটা আমাকেই সম্পূর্ণ করতে হবে।কোনও প্রকল্প বিলম্বিত হলে হয়তো দু-একটা নির্বাচনে রাজনৈতিক লাভ পাওয়া যায়।শিলান্যাস করে একবার ফুল-মালা পরা অবস্থায় ছবি খবরের কাগজে প্রকাশিত হলে একটানির্বাচনে জিতে গেলাম। কিন্তু তারপর সেই প্রকল্প থেমে গেলে হাজার কোটি টাকারবিনিয়োগ বৃদ্ধি পেতে থাকে। কাজ না হওয়ার ফলে যে লোকসান হয় – সেটা আলাদা, আর কাজথেমে গেলে যে লোকসান হয় – সেটা আলাদা। এই থেমে থাকা প্রকল্পগুলির কারণেই দেশেরঅর্থ ব্যবস্থা একটি গর্তে পড়ে আছে। এই গর্তে পড়ে থাকা অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধারকরতে গিয়ে আমাদের ঐ থেমে থাকা প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করতে হচ্ছে। অনেক প্রকল্পআবার মামলার কারণে আটকে থাকে। সাহস এবং সততার সঙ্গে সেসব মামলাকে আদালতের বাইরেআলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সহজে সমাধান করা যায়, আমরা তাই করেছি। আগামীদিনে আরও ৯ হাজারকোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে রাজস্থানে আরও কিছু উন্নয়নের কাজ হবে। অধিকাংশই সড়কপ্রকল্প। কোথাও পথকে প্রশস্ত করতে হবে আবার কোথাও নতুন সড়ক নির্মাণ আবার কোথাওআধুনিকীকরণ। এক সঙ্গে ৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে কাজ শুরু হবে। আমরা যদিএই কাজ এখন ৫০০ কোটি টাকা কিছুদিন পর আরও ৫০০ কোটি টাকা আরও কিছুদিন পর আরও ৫০০কোটি টাকা – এইভাবে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে রাজনৈতিক লাভ ওঠাতেচাইতাম, তা হলে উন্নয়নের কাজ অনেক বেশি বিলম্বিত হ’ত। ঐ পথ আমরা পছন্দ করি না।আমরা কাজ করব, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করব। আর সেজন্য একটি সুদূরপ্রসারী প্রকল্পগড়ে তুলে ৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে এই নতুন প্রকল্পগুলির ভিত্তিপ্রস্তরস্থাপন হচ্ছে। আমরা যখন এতটা দায়িত্ব নিয়ে কোনও প্রকল্পে হাত দিই, তখন তাকে সমাপ্তকরার সংকল্পও গ্রহণ করি। আর আমি রাজস্থানের জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমরারাজস্থানের চেহারা বদলে দিয়ে ছাড়ব। দেশের উন্নয়নে পরিকাঠামো বিকাশ সর্বাধিকগুরুত্বপূর্ণ। পরিকাঠামো উন্নয়নে বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। কিন্তু এর প্রভাব হয়সুদূরপ্রসারী। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এক্ষেত্রে ধৈর্য্যচ্যুতির সম্ভাবনা থাকে।সেজন্য আমরা স্বাধীনতার পর থেকে দেখছি যে, রাজনৈতিক দল ও নেতারা কোনও সুদূরপ্রসারীপ্রকল্প থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু এটাই সত্যি যে, দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে হলেআমাদের সার্বিক পরিকাঠামোকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে হবে। রেল থেকে শুরু করে সড়কপরিষেবা, জলপথ, সমুদ্রতটবর্তী সড়ক ব্যবস্থা, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, অপটিক্যাল ফাইবারনেটওয়ার্ক ইত্যাদি সব ধরনের আধুনিক পরিকাঠামোর জন্য বিলম্ব করলে তা ভারতের পক্ষেমঙ্গলজনক হবে না। আর একবার যদি এই আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়, তা হলে এই দিগন্তবিস্তৃত কালো সড়ক দু-পাশের জনগণের জীবন আলোময় করে তুলতে পারে। এই ৯ হাজার কোটিটাকা বিনিয়োগে যে নতুন সড়ক ব্যবস্থা গড়ে উঠবে, তা রাজস্থানের কৃষকদের কত উপকারেলাগবে। আপনাদের উৎপাদিত ফসল, ফল, ফুল, সব্জি সহজেই নিকটবর্তী বাজারে নিয়ে যেতেপারবেন। শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন দেশে ‘সোনালী চতুষ্কোণ’ প্রকল্পএনেছিলেন, তার সফল বাস্তবায়নের পর আমরা সবাই কত আনন্দ পেয়েছিলাম। দেশে এর আগে এরকমকোনও সড়ক ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। গাড়ির গতি বেড়ে গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, আমার স্পষ্টমনে আছে যে, রাজস্থানের এই অঞ্চল সন্নিহিত গুজরাটের সাবরকাঁঠা কিংবা আমেদাবাদজেলার কিছু কৃষক তাঁদের উৎপাদিত ফল, ফুল, সব্জি আর দুধ একদিনের মধ্যেই দিল্লিরবাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে শুরু করলেন। ফলে, গ্রামের কৃষকদের আয়ে আমূল পরিবর্তনআসে। কিন্তু আগে এই ফুল, ফল, সব্জি কিংবা দুধ দিল্লি পৌঁছতে দু’দিন লেগে যেত। ফলে,এগুলোর ২০-৩০ শতাংশ পথেই নষ্ট হয়ে যেত। একবার ভালো সড়ক পেলে আমাদের কৃষকরা যেমনলাভবান হন, তেমনই দেশের অর্থ ব্যবস্থার গতিবৃদ্ধি হয়। তা ছাড়া, গ্রামে�� গরিবগর্ভবতী মা’কে ওষুধ নিতে ২৫-৩০ কিলোমিটার দূরে সরকার হাসপাতালে যেতে হয়, প্রসবেরআগে ভালো পথ পেলে সঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছতে পারলে অনেক মা ও শিশুর জীবন বেঁচেযায়। রাজস্থানে সড়কপথ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অন্য যে কোনও অঞ্চলে ভালো সড়কপথজনগণের জীবনে যতটা লাভজনক হয়, রাজস্থানে তার পাঁচ গুণ বেশি লাভজনক হয়। কারণ,রাজস্থানে একটি জনপদ থেকে আরেকটি জনপদের দূরত্ব অনেক বেশি – বিশেষ করে, মরুঅঞ্চলে। রাজস্থানের জনজীবনে পর্যটনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা পৃথিবীথেকে এখানে পর্যটক আসেন। পুষ্কর মেলা দেখতে যান, জয়সলমীরের মরুভূমিতে গিয়ে একটিনতুন জীবনযাত্রাকে অনুভব করেন। অনেকে আবার সরোবরনগরী উদয়পুরে গিয়ে সময় কাটাতেভালোবাসেন। দেশীয় পর্যটকরা আবার শ্রীনাথের একলিঙ্গ দর্শনে যান। রাজস্থানে এরকমঅসংখ্য স্থান রয়েছে, রাজ্যের প্রত্যেক প্রান্তে পর্যটকদের আকর্ষণ করার অন্তর্লীনশক্তি রয়েছে। এই চৌম্বকীয় শক্তি দেশ-বিদেশে পর্যটকদের এই সুন্দর রাজ্যে টেনে নিয়েআসে। আর যখন পর্যটকরা আসেন, তখন তাঁরা নিজেদের পকেট খালি করে এখানকার মানুষের পকেটভরতে আসেন। পর্যটন এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে ন্যূনতম বিনিয়োগ করে অধিকতম রোজগার করাযায়। প্রত্যেকেই রোজগার করেন। ফুল, ফল, প্রসাদ, পুজোর সরঞ্জাম বিক্রেতা থেকে শুরুকরে রিক্‌শা, অটো রিক্‌শা, টাঙ্গা ও ট্যাক্সি চালক, গেস্ট হাউসের মালিক ওকর্মচারী, হস্তশিল্প নির্মাতা ও বিক্রেতা, চা বিক্রেতা অব্দি। এই শক্তি যে রাজ্যেররয়েছে, সেখানে ট্রাফিক জ্যাম, ভাঙ্গা রাস্তা, অপ্রতুল নর্দমা ব্যবস্থা, পেট্রোলপাম্প ও পার্কিং-এর অপ্রতুলতার ফলে অনেক পর্যটকই তাড়াতাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ভাবেন।সেজন্য আজ এই ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে যে সকল প্রকল্পের উদ্বোধন হচ্ছে আর যেপ্রকল্পগুলির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হ’ল সেগুলি বাস্তবায়িত হলে রাজস্থানের ভাগ্যখুলে যাবে। আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি যে, কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে পরিকাঠামো নির্মাণকেঅগ্রাধিকার দিয়েছে, তা অদূর ভবিষ্যতেইদেশকে বিশ্বের আধুনিক দেশগুলির সমকক্ষ করে তুলবে। অপ্টিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কদেশের প্রত্যেক গ্রামে পৌঁছে গেলে প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলেমেয়েরাও বিশ্বমানেরশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। উদয়পুর কিংবা আজমের শহরের ভালো ভালো স্কুলের ছেলেমেয়েরা যেশিক্ষা পায়, একই মানের শিক্ষা সুদূর বাঁসওয়াড়ার অরণ্যে বসবাসকারী আমার আদিবাসীভাই-বোনদের সন্তানরাও পাবে। এই ডিজিটাল নেটওয়ার্ক, অপ্টিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কএবং ‘লং ডিসটেন্স এডুকেশন’-এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের আধুনিকতমশিক্ষা, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা প্রদানের একটি বড় অভিযান আমরা শুরু করেছি। সেজন্যইদেশে লক্ষ লক্ষ কিলোমিটার দীর্ঘ অপ্টিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক বিছানো হচ্ছে। এজন্যকোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু যেখান দিয়ে যায় কেউ দেখতে পান না। লোক দেখানোকাজ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। সব কাজ থেকে আমরা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাই না।কিন্তু যখন এই যোগাযোগ সম্পূর্ণ হবে, তখন ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা থেকে শুরু করেঅসুস্থ রোগীদের টেলি-মেডিসিন ব্যবস্থার মাধ্যমে সুলভে ওষুধপ্রাপ্তি ও উপাচারেরনতুন পথ খুলে যাবে। গ্রামে বসেই মানুষ শহরের পরিষেবা পেতে পারবেন। কল্পনা করতেপারেন, তখন ভারতের গ্রামগুলিতে কত বড় পরিবর্তন আসবে? আমরা সেজন্যই পরিকাঠামোউন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। একটু আগেই শ্রদ্ধেয় মুখ্যমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা সম্পর্কে বলছিলেন। লক্ষলক্ষ গরিব মায়ের কাছে আজ রান্নার গ্যাস ও উনুন পৌঁছে গেছে। একজন মা যখন কাঠেরউনুনে ধোঁয়ায় চোখ লাল করে রান্না করেন, তখন একদিনে তাঁর শরীরে ৪০০টি সিগারেটেরসমান ধোঁয়া প্রবেশ করে। ঐ ঘরে যে বাচ্চারা খেলা করে, তারাও একই দূষণের শিকার হয়। ঐমা, বোন আর বাচ্চাদের স্বাস্থ্য নিয়ে কেউ ভেবেছেন? একটা সময় ছিল, যখন গ্যাসসিলিন্ডার সংযোগ পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হ’ত, নেতাদের দরজায় দরজায় ঘুরতে হ’ত। আরবর্তমান সরকার গরিবদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্যাসের উনুন ও সিলিন্ডার পৌঁছে দিয়ে আসছে। আগে প্রতিদিন গড়ে যতটা সড়কপথ কিংবা রেলপথ তৈরি হ’ত, আজ তা দ্বিগুণ হচ্ছে।সেচের জল পৌঁছনো কিংবা অপ্টিক্যাল ফাইবার বিছানোর কাজের গতিও আমরা ক্রমে বাড়িয়েচলেছি। এভাবে প্রত্যেক কাজের ‘স্কেল’, ‘স্কোপ’ এবং ‘স্কিল’ বাড়িয়েছি। প্রতিটিক্ষেত্রে দেশকে আধুনিক করে তুলতে আমরা সফল হচ্ছি। সম্প্রতি জিএসটি বাস্তবায়িত করেছি। শুরুতে অনেকে ভেবেছিলেন যে, এটা তোঅসম্ভব ব্যাপার। ১২৫ কোটি মানুষের দেশে। রাতারাতি একটি এতদিনের ব্যবস্থা বদলেযাবে, আর ১২৫ কোটি মানুষ নতুন ব্যবস্থা রপ্ত করে নেবেন, তা ভেবে বিশ্ববাসী আশ্চর্যান্বিতহয়েছেন! এটাই ভারতের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ও শক্তি�� পরিচয় – বন্ধুগণ। আজ আমরাগর্ব করে বলতে পারি যে, দেশের প্রত্যন্ত গ্রামে বসে ছোট ছোট ব্যবসায়ীরাওপ্রযুক্তির মাধ্যমে নিজেকে আধুনিকতম ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করেছেন। আমি চাইব,বিশেষ করে রাজস্থানের আধিকারিকদের অনুরোধ করবো যে, একটি ১৫ দিনের অভিযান শুরুকরুন। গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রত্যেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে বসুন। যাদের বার্ষিকআয় ২০ লক্ষ টাকার কম, এমনকি যাদের ১০ লক্ষ টাকার কম – তাদের সঙ্গেও বসুন, যাতেজিএসটি-র লাভ সেই গরীব ব্যবসায়ীকেও লাভবান করে! তাঁরা যদি এর সঙ্গে যুক্ত না হন,তাহলে গাড়ি কোথাও আটকে যাবে, তৃণমূলস্তর পর্যন্ত লাভ পৌঁছুবে না। সেজন্যেই এইসংযুক্তিকরণের কাজ আপনাদের একটি অভিযানের মাধ্যমেই সফল করে তুলতে হবে। আপনারাদেখুন, আপনারা কল্পনাও করেন নি যে রাজস্থানের আয়ে এত পরিবর্তন আসবে আর সরকার রাজস্থানেরদরিদ্রদের কল্যাণে এত নতুন প্রকল্প হাতেনেবে! জিএসটি-র ফলে শুধু পরিবহন ক্ষেত্রে, যে বিভাগের দায়িত্বে আমাদের নীতিনজি র‍য়েছেন,এত পরিবর্তন এসেছে যে ট্রাকচালক কোনও সমুদ্রবন্দরে পণ্য পৌঁছুতে তিনদিন সময় হাতে নিয়েবের হতেন, পথের দূরত্ব, ট্রাকের গতি হিসেব করলে তিনদিন লাগার কথা, পথে নানারকমচুঙ্গি, চুঙ্গি নাকায় কতটা সময় দাঁড়াতে হবে তা জানতেন না; তিনদিনের জায়গায় পাঁচদিনলেগে যেত। এই দুই দিনের পার্থক্য; প্রতি সপ্তাহে যদি প্রত্যেক ট্রাককে দু’দিনদাঁড়িয়ে থাকতে হতো তাহলে দেশের অর্থ ব্যবস্থার ২৫ শতাংশ লোকসান হতো। এই জিএসটিচালু করার পর সারা দেশে সমস্ত চুঙ্গি নাকা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ট্রাকচালকদেরজন্য লাল পাস, নীল পাস-এর ঝামেলা আর রইল না। পাঁচদিনের জায়গায় তিনদিনে পৌঁছনোর ফলে পণ্য পরিবহণের খরচ অনেকটাই কমেছে।পরিবহণ ব্যবসায় আয় বৃদ্ধি হয়েছে। আমি নীতিনজিকে অনুরোধ জানাই যে, পরিস্থিতিঅনুযায়ী পরিবহণ আইনেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। যেমন – ট্রাক এবং ট্রলির ক্ষেত্রেআলাদা আইন হওয়া উচিৎ। ট্রাক্টরের ক্ষেত্রে যেমন হয়। মনে করুন, ট্রাকের সঙ্গে ট্রলিলাগিয়ে ট্রাক ও ট্রলিতে পণ্য নিয়ে যাচ্ছেন, জয়পুরে গিয়ে ট্রলি আলাদা করে অন্যট্রলিতে ভরা অন্য পণ্য ট্রাক এগিয়ে গেল। এমন ব্যবস্থা হওয়া উচিৎ যে, প্রত্যেকড্রাইভার যেন রাতে বাড়ি পৌঁছতে পারেন, পরিবারের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে যেন সময় কাটাতেপারেন। পরিবহণ ব্যবস্থায় আমাদের এমন পরিবর্তন আনতে হবে। আর সেই পরিবর্ত���, পরিবহণপদ্ধতির থেকেও দ্রুত আনা সম্ভব। একটি ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী প্রকল্পের মাধ্যমেউন্নয়নের নতুন উচ্চতা অতিক্রম করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। আমি আরেকবার স্বাগত সম্মানের জন্য, আপনাদের ভালোবাসার জন্য, আপনাদেরআশীর্বাদের জন্য আপনাদেরকে হৃদয় থেকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।",ৰাজস্থানত একাধিক মুখ্য ঘাইপথ প্ৰকল্পৰ শুভাৰম্ভ আৰু আধাৰশিলা স্থাপন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আগবঢ়োৱা ভাষণৰ লিখিত ৰূপ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E2%80%8C-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%9B%E0%A7%B0-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0/,"ক্রমিক সংখ্যা মউ/চুক্তি ভারতের পক্ষে স্বাক্ষরকারী সেশেলস্‌-এর পক্ষে স্বাক্ষরকারী ১ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষা ও বৃত্তি প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে ক্ষুদ্র উন্নয়ন প্রকল্পগুলির রূপায়ণে ভারতীয় অনুদান সহায়তা সম্পর্কিত (ভারত সরকার এবং সেশেলস্‌-এর মধ্যে) স্বাক্ষরিত মউ। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শ্রী এম জে আকবর আবাসন, পরিকাঠামো ও স্থল পরিবহণ বিষয়ক মন্ত্রী মিসেস পামেলা শার্লেট ২ ভারতের পানাজি পুর নিগম এবং সেশেলস্‌-এর ভিক্টোরিয়া শহরের মধ্যে মৈত্রী ও সহযোগিতা প্রসার সম্পর্কিত দ্বৈত চুক্তি। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শ্রী এম জে আকবর আবাসন, পরিকাঠামো ও স্থল পরিবহণ বিষয়ক মন্ত্রী মিসেস পামেলা শার্লেট ৩ ভারতের বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের ইন্ডিয়ান কম্প্যুটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (সিইআরটি – ইন) এবং সেশেলস্‌-এর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দপ্তরের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা সম্পর্কিত মউ। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শ্রী এম জে আকবর আবাসন, পরিকাঠামো ও স্থল পরিবহণ বিষয়ক মন্ত্রী মিসেস পামেলা শার্লেট ৪ ভারত ও সেশেলস্‌ সরকারের মধ্যে (২০১৮-২০২২ সালের জন্য) সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি বিষয়ক চুক্তি। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শ্রী এম জে আকবর আবাসন, পরিকাঠামো ও স্থল পরিবহণ বিষয়ক মন্ত্রী মিসেস পামেলা শার্লেট ৫ ভারতীয় নৌ-বাহিনী এবং সেশেলস্‌-এর জাতীয় তথ্য বিনিময় ও সমন্বয় কেন্দ্রের মধ্যে হোয়াইট শিপিং সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়ের লক্ষ্যে প্রযুক্তিগত চুক্তি। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শ্রী এম জে আকবর কৃষি ও মৎস্যচাষ বিষয়ক মন্ত্রী মিঃ চার্লস্‌ ব্যাস্টিয়েন�� ৬ ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিদেশ সেবা প্রতিষ্ঠান এবং সেশেলস্‌-এর বিদেশ দপ্তরের মধ্যে স্বাক্ষরিত মউ। বিদেশ সেবা প্রতিষ্ঠানের ডিন শ্রী জে এস মুকুল বিদেশ সংক্রান্ত দপ্তরের সচিব ব্যারি ফার",ছেইছেলছৰ ৰাষ্ট্ৰপতিৰ ভাৰতৰ ৰাজ্যিক ভ্ৰমণৰ সময়ত ভাৰত আৰু ছেইছেলছৰ মাজত সম্পন্ন হোৱা বুজাবুজিৰ চুক্তিৰ তালিকা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%9B%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F/,"প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী ফিলিপিন্স-এর ম্যানিলায় সোমবার এক বক্তব্য পেশ করেন সেখানেবসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের সামনে। শ্রী মোদীতাঁর ভাষণে বলেন, আসিয়ান অঞ্চলটি ভারতের পক্ষে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এইঅঞ্চলটির সঙ্গে ভারতের সুপ্রাচীন মিলিত ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে আবেগ ও অনুভূতিরমাধ্যমে সুদৃঢ় বন্ধনের কথাও তুলে ধরেন তিনি। বিশেষ করে, গৌতম বুদ্ধ এবং রামায়ণেরপ্রসঙ্গ তিনি তুলে আনেন তাঁর বক্তব্যের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ঐতিহ্যকে লালনকরার ক্ষেত্রে সেখানকার ভারতীয় সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকারয়েছে। শ্রী মোদীবলেন, ভারত কখনই অন্য কোন দেশের ক্ষতি করতে চায় না। প্রথম এবং দ্বিতীয়বিশ্বযুদ্ধের সময় দূরদূরান্তের দেশগুলিতে প্রায় ১.৫ লক্ষ ভারতীয় সেনা তাঁদের জীবনবিসর্জন দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীবলেন, অতীতের মতো বর্তমান ভারত আজও সমান উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত। একুশের শতককে ‘এশিয়ারশতক’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে একথা যেমন সত্য, তেমনই এই শতকটিকে ‘ভারতের শতক’ করেতোলার লক্ষ্যে আমরা নিশ্চিতভাবেই সম্ভাব্য সকলরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। দরিদ্রসাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নে ‘জন ধন যোজনা’ এবং ‘উজ্জ্বলা’ যোজনার মতো যে সমস্তউদ্যোগ ও কর্মসূচি তাঁর সরকার গ্রহণ করেছে, তার উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন,ভর্তুকি সহায়তাদানের ক্ষেত্রে আধার যুক্ত করার ফলে সুফলই পাওয়া গেছে।",ফিলিপাইনছত ভাৰতীয় সমূদায়ক সম্বোধন প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%93-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A7%8E-2/,"মার্কিন বিদেশ সচিব মিঃ রেক্স ড��্ল্যু টিলারসন বুধবার এখানে সাক্ষাৎ করেনপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। বিদেশ সচিব পদে মিঃ টিলারসন-এর এটাই ছিলপ্রথম ভারত সফর। এ বছর জুন মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প-এর সঙ্গে তাঁর ইতিবাচক এবংসুদূরপ্রসারী আলোচনার পরবর্তী পর্যায়ে দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং কৌশলগতঅংশীদারিত্ব যে এক নতুন মাত্রায় উন্নীত হতে চলেছে, একথা বিশেষ প্রশংসার সুরেব্যক্ত করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়, গতি এবং পরিধি আরও বাড়িয়ে তুলতে মার্কিন বিদেশসচিব টিলারসন এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী সংকল্পবদ্ধ হন। তাঁরা বিশেষ জোর দিয়েবলেন যে, ভারত-মার্কিন সম্পর্ক শক্তিশালী হয়ে উঠলে তা শুধুমাত্র দুটি দেশেরউপকারেই আসবে না, একই সঙ্গে তা আঞ্চলিক তথা আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধিপ্রচেষ্টার ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট মিঃ ট্রাম্পের নতুন দক্ষিণ এশিয়া নীতির প্রসঙ্গটিউল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন যে – সন্ত্রাস দমন, সন্ত্রাসবাদীদের পরিকাঠামো ধ্বংসকরে ফেলা এবং তাদের নিরাপদ আশ্রয় ও ঘাঁটিগুলিকে নষ্ট করে ফেলার মাধ্যমে দু’দেশেরসাধারণ লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য পূরণ সম্ভব। একই সঙ্গে, আফগানিস্তানে শান্তি ওস্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুটি দেশই যেপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ একথারও উল্লেখ করেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন বিদেশ সচিব এই অঞ্চলে তাঁর সাম্প্রতিক সফরসম্পর্কে মতামত বিনিময় করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। সন্ত্রাসবাদের যে কোনওবহিঃপ্রকাশকে প্রতিহত করতে সফল দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রসারের বিষয়টি নিয়েও তাঁরামতবিনিময় করেন। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে জোরদার করে তোলার সপক্ষেও আলোচনাকরেন তাঁরা। এর আগে এদিন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী শ্রীমতী সুষমা স্বরাজ এবং জাতীয়নিরাপত্তা উপদেষ্টা শ্রী অজিত দোভালের সঙ্গেও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন মিঃটিলারসন।",প্ৰধানমন্ত্ৰীক সাক্ষাৎ মাৰ্কিন ৰাষ্ট্ৰীয় সচিব ৰেক্স ডব্লিউ. টিলাৰছনৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A7%A8%E0%A7%AA-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AC-%E0%A6%93-%E0%A6%B9/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AA-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AA%E0%A6%BE/,"নয়াদিল্লি, ২২ আগস্ট ২০২২ আগামী ২৪ আগস্ট পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ঐদিন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত দুটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে। বেলা ১১টা নাগাদ হরিয়ানার ফরিদাবাদে অমৃত হাসপাতালের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি মোহালিতে গিয়ে সাহেবজাদা অজিত সিং নগর জেলার মাল্লানপুরে হোমি ভাবা ক্যান্সার হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন দুপুর ২-১৫ মিনিট নাগাদ। ফরিদাবাদে অমৃত হাসপাতাল চালু হলে জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে আধুনিক চিকিৎসা পরিকাঠামোর সুযোগ আরও সুলভ হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। মাতা অমৃতানন্দময়ী মঠ পরিচালিত এই হাসপাতালটি ২,৬০০টি শয্যাবিশিষ্ট। প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই হাসপাতালটিতে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সম্পর্কিত অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। এর ফলে উপকৃত হবেন ফরিদাবাদ সহ জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। পাঞ্জাব ও সংশ্লিষ্ট রাজ্য তথা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির অধিবাসীদের কাছে বিশ্বমানের এক ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্রের সুযোগ পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী মোহালির সাহেবজাদা অজিত সিং নগরের মাল্লানপুরে হোমি ভাবা ক্যান্সার হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রটি উৎসর্গ করবেন জাতির উদ্দেশে। ৬৬০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের এই প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে ছিল টাটা মেমোরিয়াল সেন্টার। যে কোনো ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসার সমস্ত রকম অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালটিতে। সার্জারি, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি এবং বোন ম্যার ট্রান্সপ্ল্যান্টের যাবতীয় আধুনিক প্রযুক্তিগত ব্যবস্থায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে এই চিকিৎসা কেন্দ্রটিকে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে ক্যান্সার চিকিৎসার এক বিশেষ গন্তব্য রূপে চিহ্নিত হবে এই হাসপাতালটি। আবার এরই একটি অন্যতম ক্ষুদ্র শাখা-কেন্দ্র রূপে কাজ করবে সাংগ্রুর-এর ১০০ শয্যার একটি হাসপাতাল।",২৪ আগষ্টত হাৰিয়াণা আৰু পাঞ্জাৱ ভ্ৰমণ কৰিব প্ৰধানমন্ত্ৰীয় +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE-6/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%A7%E0%A7%B0%E0%A6%A3%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%83%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7/,"প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেশের সমস্ত আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিষেবা কেন্দ্রগুলির নিয়ন্ত্রণে একটি অভিন্ন কর্তৃপক্ষ গঠনের লক্ষ্যে একটি বিলে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিষেবা কর্তৃপক্ষ বিল, ২০১৯ পেশ করা হবে। এই ধরণের আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিষেবা কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে লন্ডন ও সিঙ্গাপুরের মতো আন্তর্জাতিক পরিষেবা কেন্দ্রগুলির তুলনায় সমমানের বাণিজ্যিক এবং আর্থিক পরিষেবা দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে এই ধরণের আইএফএসসি-গুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সেবি এবং আইআরডিএআই-এর মতো একাধিক কর্তৃপক্ষ রয়েছে। এই ধরণের কেন্দ্রের পরিষেবার ধরণ পরিবর্তনশীল নিয়মকানুন এবং দ্রুত পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে একটি অভিন্ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গড়ে তোলার প্রয়োজন দেখা দেয়। এছাড়া, এর ফলে সহজে ব্যবসার সুযোগও বৃদ্ধি পাবে। এরই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় অর্থ দপ্তর একটি অভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিষেবাকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ বিলের খসড়া তৈরি করেছে। এই খসড়াটি মন্ত্রিসভা আনুমোদন করেছে।","ভাৰতৰ সকলো ধৰণৰ আন্তঃৰাষ্ট্ৰীয় আর্থিক সেৱা কেন্দ্ৰ(আইএফএছচি)সমূহ নিয়ন্ত্ৰণৰ বাবে এটি সমন্বিত প্ৰাধিকৰণ স্থাপনৰ লক্ষ্যৰে আন্তঃৰাষ্ট্ৰীয় বিত্তীয় সেৱা প্ৰাধিকৰণ বিধেয়ক, ২০১৯ উত্থাপনত অনুমোদন" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B9%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B8/,"উন্নয়নেরচাহিদা রয়েছে দেশের এ ধরনের জেলাগুলির কালেক্টর এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদেরসঙ্গে আজ নিতি আয়োগ আয়োজিত এক সম্মেলনে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র মোদী। সম্মেলনের আয়োজন করা হয় রাজধানীর ডঃ আম্বেদকর আন্তর্জাতিককেন্দ্রে। আগামী ২০২২ সালের মধ্যে ভারতের রূপান্তর সম্পর্কিত প্রধানমন্ত্রীরচিন্তাভাবনার সূত্র ধরেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।উল্লেখ্য, সুনির্দিষ্টউন্নয়নের মাপকাঠির নিরিখে এখনও পিছিয়ে রয়েছে, এ ধরনের ১১৫-টি জেলার দ্রুত রূপান্তরসম্ভাবনাকে বাস্তাবায়িত করতে একটি বড় ধরনের নীতিগত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয়সরকার। আজকেরসম্মেলনে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ছ’টি দল পুষ্টি, শিক্ষা, প্রাথমিক পরিকাঠামো,কৃষি, জলসম্পদ, উগ্রপন্থা দমন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং দক্ষতা বিকাশের মতোবিষয়গুলির ও���র তাঁদের উপস্থাপনা পেশ করে। সম্মেলনেরসমাবেশে ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডঃ আম্বেদকর আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে এইধরনের সরকারি অনুষ্ঠান এই প্রথম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সুতরাং, এর একটি বিশেষ গুরুত্ব ওতাৎপর্যও রয়েছে। শ্রী মোদীবলেন, দেশের কয়েকটি অঞ্চলের আপেক্ষিক অনগ্রসরতা ঐ অঞ্চলগুলির অধিবাসীদের প্রতি একধরনের অবিচার। এই পরিস্থিতির পরিবর্তনে ডঃ আম্বেদকরের চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গিঅনুসরণ করে ১১৫-টি অনগ্রসর জেলার বিকাশ সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার পদক্ষেপ গ্রহণকরা হয়েছে। বঞ্চিত এবং অবহেলিতদের জন্যই সারা জীবন কাজ করে গেছেন ডঃ আম্বেদকর। প্রধানমন্ত্রীতাঁর ভাষণে জন ধন যোজনা, শৌচাগার নির্মাণ, গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণইত্যাদি প্রসঙ্গেরউল্লেখ করে বলেন যে আমরা যদি দৃঢ় সঙ্কল্পবদ্ধ হই, তাহলে আমাদের দেশে কোন কিছুইঅসম্ভব নয়। মাটি পরীক্ষার মতো সম্পূর্ণ একটি নতুন উদ্যোগের ক্ষেত্রে যে সাফল্যঅর্জিত হয়েছে, দৃষ্টান্তস্বরূপ তারও উল্লেখ করেন তিনি। শ্রী মোদীবিশেষ জোর দিয়ে বলেন যে ভারতে বর্তমানে সুযোগ ও সম্ভাবনার কোন অভাব নেই। এইপ্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন বাণিজ্যিক কাজকর্মকে সহজতর করে তোলার কর্মসূচিটিরও। এইসাফল্যকে সরকারি আধিকারিক এবং ‘টিম ইন্ডিয়া’র বিশেষ কৃতিত্ব বলে বর্ণনা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীবলেন, সমস্ত কিছুর সমাধান শুধুমাত্র ওপর মহল থেকেই আশা করা ঠিক নয়। এই কারণে দেশেরসাধারণ মানুষদের অবদানও কোন অংশে কম নয়। তাঁর এই বক্তব্যের সমর্থনে আজকেরউপস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট সকলের চিন্তাভাবনার স্বচ্ছতা এবং সঙ্কল্প ও অঙ্গীকারে অবিচলথাকার বিষয়টিরও সপ্রশংস উল্লেখ করেন তিনি। শ্রী মোদীবলেন, আঞ্চলিক ক্ষেত্রে ভারসাম্যহীনতাকে অনির্দিষ্টকাল ধরে চলতে দেওয়া যায় না। সুতরাং,অনগ্রসর জেলাগুলির উন্নয়ন একান্ত জরুরি। এই অঞ্চলগুলি সম্পর্কে নেতিবাচকচিন্তাভাবনা দূর করার জন্য যে যে সরকারি কর্মসূচিতে সাফল্য অর্জিত হয়েছে, তাঅনুধাবন ও উপলব্ধি করা বিশেষভাবে প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর মতে, নেতিবাচকমানসিকতাকে আশাবাদে রূপান্তরিত করাই হবে কর্মপ্রচেষ্টার প্রথম ধাপ। প্রধানমন্ত্রীবলেন, উন্নয়নের লক্ষ্যেজন-আন্দোলনের মূলে রয়েছে মানসিক মিলন বা সমন্বয়। এই কারণেজনসাধারণকে কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিৎ বলে ম���েকরেন তিনি। প্রসঙ্গত, ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এর দৃষ্টান্ত তুলে ধরে এইভাবেই অনগ্রসরজেলাগুলি সম্পর্কে মানসিকতা পরিবর্তনের আহ্বান জানান তিনি। উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাপূরণে ইতিবাচক মানসিকতা এবং আশাবাদের গুরুত্ব অনস্বীকার্য বলে মনে করেনপ্রধানমন্ত্রী। অনগ্রসরজেলাগুলির অধিবাসীদের আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলির স্বীকৃতিদানের মাধ্যমে সঠিক পথে এবংসঠিকভাবে উন্নয়ন কর্মসূচি ছকে ফেলা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী।তিনি বলেন, সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার মেলবন্ধন ঘটানোরমাধ্যমেই উন্নয়ন কর্মসূচিতে জন-অংশীদারিত্বের প্রসার ঘটানো সম্ভব। ১১৫-টি জেলার উন্নয়নপরিকল্পনার লক্ষ্যে উদ্যোগী হওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। প্রধানমন্ত্রীবলেন, জীবনে সাফল্য অর্জনের উপায় হল চ্যালেঞ্জগুলিকে গ্রহণ করা। কালেক্টরদের সুযোগরয়েছে এইভাবে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার। তিন মাসের মধ্যেইযাতে উন্নয়ন প্রচেষ্টার সুফলগুলি লক্ষ্য করা যায় সেজন্য সমষ্টিগত প্রচেষ্টা ওউদ্যোগের ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকী ১৪এপ্রিলের আগেই উন্নয়নের যাতে নজরে আসে, তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন তিনি। এপ্রিলমাসের মধ্যে ভালো কাজ হয়েছে, এই ধরনের একটি জেলা তিনি ব্যক্তিগতভাবে ঘুরে দেখারওইচ্ছা প্রকাশ করেন। পরিশেষেপ্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন ভারত’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই ১১৫-টি অনগ্রসর জেলার বিকাশইআমাদের পথ দেখাতে পারে। /",পিছপৰা জিলাসমূহৰ আয়ুক্তসকলৰ লগত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সাক্ষাৎ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0-17/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4/,"আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার ! আজ ‘মন কি বাত’-এর শুরুতেইএক ফোন কলের উল্লেখ করব — (ফোন) প্রিয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়, আমি কোমল ত্রিপাঠীমীরাট থেকে বলছি। ২৮ তারিখ ‘ন্যাশনাল সায়েন্স ডে’। ভারতের প্রগতি আর তার উন্নয়নপুরোপুরি বিজ্ঞানের সঙ্গে জড়িত। আমরা এক্ষেত্রে যত গবেষণা আর উদ্ভাবনকরব ততই আমরা এগিয়ে যাব আর উন্নতি করব। আপনি কি আমাদের তরুণদের উৎসাহিত করতে এমনকিছু কথা বলতে পারেন, যাতে তারা বৈজ্ঞানিক উপায়ে নিজেদের ভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে যায়,আর আমাদের দেশকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে? ধন্যবাদ! আপনার ফোন কলের জন্য অনেকঅনেক ধন্যবাদ। বিজ্ঞান নিয়ে অনেক প্রশ্ন আমার তরুণ সাথীরা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছে,কিছু কিছু লিখেও পাঠাচ্ছে। আমরা দেখেছি যে সমুদ্রের রঙ নীল দেখায়, কিন্তু আমরানিজেদের রোজকার অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে জলের কোনও রঙ হয় না। আমরা কি কখনও ভেবেছি যেনদী হোক, সমুদ্র হোক, জল রঙিন হয়ে যায় কেন? এই প্রশ্নই ১৯২০-র দশকে এক যুবকের মনে এসেছিল। এই প্রশ্নই আধুনিক ভারতে এক মহান বৈজ্ঞানিকেরজন্ম দিয়েছিল। যখন আমরা বিজ্ঞানের কথা বলি, তখন সবার আগে ভারতরত্ন স্যার সি. ভি.রমনের নাম সামনে আসে। ‘লাইট স্ক্যাটারিং’ বা বিকিরণের বিক্ষেপের উপর উৎকৃষ্ট কাজকরার জন্য তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। ওঁর এই আবিষ্কার ‘রমন এফেক্ট’ নামেবিখ্যাত। আমরা প্রতি বছর ২৮শে ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় বিজ্ঞান দিবস’ হিসাবে পালন করি,কারণ বলা হয়, এই দিনে উনি ‘লাইট স্ক্যাটারিং’-এর আবিষ্কার করেছিলেন। যার জন্যতাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। এই দেশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অনেক মহানবৈজ্ঞানিকের জন্ম দিয়েছে। যেখানে এক দিকে মহান গণিতজ্ঞ বৌধায়ন, ভাস্কর,ব্রহ্মগুপ্ত আর আর্যভট্টের পরম্পরা রয়েছে সেখানে অন্যদিকে চিকিৎসার ক্ষেত্রে চরকআর সুশ্রুত আমাদের গৌরব। স্যার জগদীশ চন্দ্র বোস আর হরগোবিন্দ খুরানা থেকে শুরুকরে সত্যেন্দ্র নাথ বোসের মত বিজ্ঞানীরা ভারতের গৌরব। সত্যেন্দ্র নাথ বোসের নামেতো বিখ্যাত কণা, বোসনের নামকরণও করা হয়েছে। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের এক অনুষ্ঠানেঅংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলাম আমি — ‘ওয়াধওয়ানি ইনস্টিটিউট ফর আর্টিফিশিয়্যালইন্টেলিজেন্স’ উদ্বোধনের অনুষ্ঠান। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যে অত্যাশ্চর্য কাজ হচ্ছেতা জানা বেশ আকর্ষণীয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে রোবোট, বট আরনির্ধারিত কাজ করার উপযোগী মেশিন বানানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা পাওয়া যায়। আজকাল সেল্‌ফলার্নিং-এর মাধ্যমে বিভিন্ন মেশিন নিজের ইন্টেলিজেন্সকে আরও স্মার্ট করে তুলছে। এইটেকনোলজি গরীব, বঞ্চিত এবং অসহায় মানুষদের জীবনকে উন্নততর করার কাজে আসতে পারে।আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের এই অনুষ্ঠানে আমি বিজ্ঞানীদের কাছে জানতে চাইলাম যেদিব্যাঙ্গ ভাই আর বোনেদের জীবন সুগম করতে কোন্‌ ধরনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সেরসাহায্য পাওয়া যেতে পা��ে? আমরা কি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে প্রাকৃতিকবিপর্যয় সম্পর্কে আরও ভালো পূর্বাভাস পেতে পারি? কৃষকের ফসল ফলানোর ব্যাপারে কোনোসাহায্য করতে পারি? আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি স্বাস্থ্য পরিষেবার নাগালপাওয়াকে সহজ করতে পারে? অসুখবিসুখের আধুনিক চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে? কিছুদিন আগে ইজরায়েলেরপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গুজরাতের আমেদাবাদে ‘আই ক্রিয়েট’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে যাওয়ারসুযোগ হয়েছিল আমার। সেখানে এক নব্য যুবক বলল যে সে এমন এক ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেণ্টবানিয়েছে যেখানে, যে কেউ যদি কথা বলতে না পারে তবে সেই ইনস্ট্রুমেণ্টের মাধ্যমেনিজের কথা লিখে দিলে সেটা ভয়েসে পরিবর্তিত হয়ে যায় আর আপনি এমনভাবে কথাবার্তাচালাতে পারেন, যেমনটা আপনি একজন কথা বলতে সক্ষম ব্যক্তির সঙ্গে করেন। আমার মনে হয়আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রয়োগ আমরা এমনই নানা বিষয়ে করতে পারি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভ্যালুনিউট্রাল। এর মধ্যে আপনা-আপনি মূল্য যুক্ত হয়ে নেই। যে কোনও মেশিন সেই কাজই করবেযা আমরা চাইব। কিন্তু এটা আমাদের উপর নির্ভর করে যে আমরা মেশিন থেকে কেমন কাজ চাই।এখানে মানবিক লক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। শুধুমাত্র মানুষের কল্যাণের জন্যবিজ্ঞানের ব্যবহার, মানব জীবনের সর্বোচ্চ শিখর ছোঁয়ার জন্য এর প্রয়োগ করতে হবে। লাইট বালবের আবিষ্কর্তা টমাসআলভা এডিসন নিজের কাজে অনেকবার অসফল হন। এক বার এ ব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করা হলেউত্তরে তিনি বলেন – “আমি লাইট বালব না তৈরির দশ হাজার উপায় অনুসন্ধান করেছি”,অর্থাৎ এডিসন নিজের অসফলতাকেও নিজের শক্তি বানিয়ে নেন। ঘটনাক্রমে এ এক সৌভাগ্যেরব্যাপার যে আজ আমি মহর্ষি অরবিন্দের কর্মভূমি ‘অরোভিল’-এ রয়েছি। এক বিপ্লবী হিসাবেতিনি ব্রিটিশ প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করেন, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন, তাদের শাসনকেপ্রশ্নের মুখে দাঁড় করান। এইভাবে তিনি এক মহান ঋষির মত জীবনের প্রতিটি ব্যাপারেপ্রশ্ন তোলেন, উত্তর খুঁজে বের করেন আর মানবতাকে পথ দেখান। সত্যকে জানতে বার বারপ্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার আগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের পেছনে আসল প্রেরণাতো এটাই। ততক্ষণ শান্তিতে বসা যাবে না যতক্ষণ — কেন, কী আর কীভাবে-জাতীয় প্রশ্নেরউত্তর না পাওয়া যায়। ‘ন্যাশনাল সায়েন্স ডে’ উপলক্ষে আমাদের বৈজ্ঞানিকরা এবং বিজ্ঞানেরসঙ্গে জুড়ে থাকা সব ম��নুষকে অভিনন্দন জানাচ্ছি আমি। আমাদের তরুণ প্রজন্ম, সত্যআর জ্ঞানের অনুসন্ধানের জন্য অনুপ্রাণিত হোক, বিজ্ঞানের সাহায্যে সমাজের সেবা করারজন্য অনুপ্রাণিত হোক, এর জন্য আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা! বন্ধুরা, সঙ্কটের সময়‘সেফটি’, ‘ Disaster ’ এই সব ব্যাপারে অনেকবারঅনেক বার্তা পাই আমি। মানুষজন আমাকে কিছু-না-কিছু লিখে পাঠান। পুনে থেকে শ্রীমানরবীন্দ্র সিংহ ‘নরেন্দ্রমোদী মোবাইল অ্যাপ’-এ অকুপেশন্যাল সেফটি নিয়ে নিজের মন্তব্য পাঠিয়েছেন।উনি লিখেছেন যে আমাদের দেশে কলকারখানা আর নির্মাণ কাজের জায়গায় সেফটিস্ট্যান্ডার্ড তেমন ভালো নয়। আগামী চৌঠা মার্চ ভারতের ‘ন্যাশনাল সেফটি ডে’, তাইপ্রধানমন্ত্রী নিজের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে সেফটি নিয়ে কথা বলুন, যাতে মানুষেরমধ্যে ‘সেফটি’ নিয়ে চেতনা বাড়ে। যখন আমরা PublicSafety – র বিষয়ে কথা বলি , তখন দুটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয় — প্রথমটি pro-activeness এবং দ্বিতীয়টি preparedness । সুরক্ষা দুই প্রকারের হয়। এক — যা কোনও আকস্মিক দুর্যোগের সময় প্রয়োজন হয় , SafetyDuring Disaster এবং দুই — যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আবশ্যক — Safety in EverydayLife । যদি আমরা দৈনিক জীবনে সুরক্ষা বিষয়ে সচেতন না হই , যদি সুরক্ষাকে আয়ত্ত করতে না পারি , তবে কোনও বড় বিপদ বা দুর্বিপাকের সময় সুরক্ষাব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা আরও মুশকিল। রাস্তাঘাটে যাতায়াতের সময় বহু নোটিশ বোর্ড আমাদের চোখে পড়ে , যাতে লেখা থাকে — · সতর্কতা সরলো — দুর্ঘটনা ঘটলো। । · এক ভুলেই হয় লোকসান হারায় খুশি , হারায় প্রাণ। । · দুনিয়া ছাড়ার তাড়া ছাড়ো সুরক্ষার সাথে সম্পর্ক গড়ো। । · সুরক্ষা নিয়ে ছেলেখেলা ঠিক নয় জীবনের মূল্য বোঝা হবে দায়। । এই সতর্কবার্তাগুলিকে আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গুরুত্ব দিই না। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে বাদ দিলে দেখা যাবে অধিকাংশ দুর্ঘটনাই কিন্তু আমাদের ভুল – ত্রুটির পরিণাম। যদি আমরা সতর্ক থাকি , আবশ্যক নিয়মাবলী মেনে চলি , তাহলে আমরা নিজেদের জীবন তো বাঁচাতে পারবই , পাশাপাশি বড় কোনও দুর্ঘটনার থেকে সমাজকেও রক্ষা করতে পারব। কখনও কখনও লক্ষ্য করেছি , কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা নিয়ে নানান নির্দেশিকা দেওয়া রয়েছে , কিন্তু সেই নিয়ম একেবারেই পালন করা হয় না। আমার অনুরোধ , যে সমস্ত মহানগরপালিকা , নগরপালিকাগুলির কাছে ফায়ার ব্রিগেড আছে , তারা সপ্তাহে একবার না হলেও মাসে অন্তত একবার বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে ছাত্র – ছাত্রীদের সামনে মক ড্রিল করুক। এতে দুটি উপকার হবে — দমকলের সতর্ক থাকার অভ্যাস হবে এবং নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরাও অনেক কিছু শিখতে পারবে। এই পুরো প্রক্রিয়াতে বাড়তি কোনও খরচের ব্যাপার নেই , বরং একপ্রকার শিক্ষাপদ্ধতির প্রচলন হতে পারে এবং এই প্রথা প্রবর্তনের বিষয়ে আমি সব সময়ে সচেষ্ট । দুর্যোগ বা Disaster – এর প্রসঙ্গে বলা প্রয়োজন যে , ভারতবর্ষ ভৌগোলিক এবং পরিবেশগত দিক থেকে বৈচিত্র্যপূর্ণ। এই দেশ বহু আপদ – বিপদের সম্মুখীন হয়েছে — তা প্রাকৃতিক দুর্যোগই হোক বা মনুষ্য – সৃষ্ট। যেমন , রাসায়নিক ও কল – কারখানার দুর্ঘটনা। আজ NationalDisaster Management Authority অর্থাৎ","প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ মন কী বাতৰ অসমীয়া অনুবাদ (খণ্ড-৪১, ২৫ ফেব্ৰুৱাৰী ২০১৮)" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AA-%E0%A6%AA/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%B0-%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A6%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%A8/,"নয়াদিল্লি, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বলেছেন যে, আহমেদাবাদে আয়োজিত পুষ্প প্রদর্শনী ফুল ও প্রকৃতির ভালোবাসা রয়েছে, এমন অনেককেই আকৃষ্ট করেছে। আহমেদাবাদ পুর নিগমের এক ট্যুইটের জবাবে প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে বলেন, “আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে। বেশ কিছু বছর ধরে আহমেদাবাদে চলতে থাকা এই পুষ্প প্রদর্শনী ফুল ও প্রকৃতিপ্রেমী অনেক মানুষের দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছে”।",আহমেদাবাদৰ ফুলৰ প্ৰদৰ্শনীক প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ প্ৰশংস +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A7%8D/,"প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদী মিশরে উপাসনাস্থলে জঙ্গিহানার তীব্র নিন্দা করেছেন। এইআক্রমণকে বর্বরোচিত বলে আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিরীহ প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোকব্যক্ত করে সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইতে মিশরের প্রতি ভারতের অবিচলসমর্থনের কথা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীবলেছেন, “মিশরে উপাসনাস্থলে বর্বরোচিত জঙ্গিহানার তীব্র নিন্দা করি। নিরীহপ্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক জ্ঞাপন করি। সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইতে ভারতমিশরের প্রতি অবিচল সমর্থনের কথা জানায় এবং ভারত সেদেশের মানুষ ও মিশর সরকারেরসঙ্গেই রয়েছে”। …",ইজিপ্তৰ সন্ত্ৰাসবাদী আক্ৰমণক কঠোৰ ভাষাৰে গৰিহণা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A8-7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,"নয়াদিল্লি, ১৬ নভেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বালিতে জি-২০ শিখর সম্মেলনের ফাঁকে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেইং লুঙ – এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গত বছর রোমে জি-২০ শিখর সম্মেলনের অবসরে প্রধানমন্ত্রী লি-র সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা স্মরণ করেন শ্রী মোদী। দুই প্রধানমন্ত্রী ভারত ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে মজবুত কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিষয়ে কথা বলেন এবং নিয়মিত দুই দেশের মধ্যে উচ্চ মন্ত্রী পর্যায়ে আলাপচারিতা চলতে থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেপ্টেম্বর মাসে নতুন দিল্লিতে ভারত – সিঙ্গাপুর মন্ত্রী পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গও উঠে আসে তাঁদের আলাপচারিতায়। উভয় নেতা দু’দেশের মধ্যে ফিনটেক, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, দক্ষতা উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, ফার্মাসিউটিকাল সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরও মজবুত করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী সবুজ অর্থনীতি, পরিকাঠামো, ডিজিটাইলাইজেশন সহ নানা ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি ভারতের গতিশক্তি প্রকল্প জাতীয় পরিকাঠামো পাইপলাইনের মতো সুবিধাগুলি গ্রহণ করতেও সিঙ্গাপুরকে আহ্বান জানান। দুই প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে মতবিনিময় করেন। ভারতের ‘পুবে কাজ করো’ নীতিতে সিঙ্গাপুরের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভারত – আসিয়ান বহুমুখী সহযোগিতা আরও মজবুত করতে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন ভারত ও সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী। আগামী দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী লি-কে শুভেচ্ছা জানান শ্রী মোদী। আগামী বছর জি-২০ শিখর সম্মেলনের সময় তাঁকে ভারত সফরের আমন্ত্রণও জানান প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী।",বালিত জি-২০ সন্মিলনত সমান্তৰালভাৱে ছিংগাপুৰৰ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সৈতে প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ বৈঠক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%B0%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B9%E0%A7%B0/,"দেশের বন্দ���প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে এবং বন্দর প্রকল্পের সার্বিককাজকর্মে বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে বিশেষ সুযোগ-সুবিধাদান সম্পর্কিত একটি মডেল চুক্তিতেঅনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আজএখানে মন্ত্রিসভার এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মডেল চুক্তিটিরবৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে – বাণিজ্যিকভাবে চালু হওয়ার দিন থেকে দু’বছর পূর্ণ হলেএই প্রকল্পগুলিতে অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের ইক্যুইটির ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বিলগ্নিকরণেরমাধ্যমে প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। মহাসড়ক প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রেও এই ধরনের মডেলচুক্তি চালু রয়েছে। ‘মোট বা অনুমিত প্রকল্প ব্যয়’-এর পরিবর্তে গুরুত্ব দেওয়া হবেপ্রকৃত বা ‘সঠিক প্রকল্প ব্যয়’-এর ওপর। ‘আইনগত পরিবর্তন’-এর নতুন সংজ্ঞানির্ধারণেরও সংস্থান রাখা হয়েছে এই মডেল চুক্তির মধ্যে। কনসেশন-বাবদসুযোগ-সুবিধাদানের ফলে যে ঘাটতি থেকে যাবে, তা পূরণ করার জন্য নতুন নতুন কর, শুল্কইত্যাদি ধার্য করারও সংস্থান রাখা হয়েছে এই মডেল চুক্তিতে।",গুৰুত্বপূৰ্ণ বন্দৰসমূহৰ ক্ষেত্ৰত পি পি পি প্ৰকল্পসমূহৰ পুনৰ পৰ্যালোচনা কৰাৰ ক্ষেত্ৰত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AC-%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%B1%E0%A6%95-%E0%A6%B2%E0%A7%88-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8/,"আমি সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে সংসদে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করার অনুরোধ জানাই। আজ সমগ্র দেশ কয়েকজন সাংসদের নেতিবাচক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ দেখেছে। ভারত দেখেছে কিছু মানুষ কিভাবে উন্নয়নের ব্যাপক বিরোধিতা করছেন। আপনারা যদি এই বিতর্কের জন্য প্রস্তুত নন, তাহলে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এলেন কেন? কেন আপনারা এই প্রস্তাব নিয়ে বিলম্ব ঘটাচ্ছেন? এদের বলার মধ্যে কেবল রয়েছে – মোদীর অপসারণ। আমরা বিরোধী সদস্যদের মধ্যে যা দেখেছি তা হল পুরোদস্তুর ঔদ্ধত্য। আমি এই সদস্যদের বলতে চাই, সাধারণ মানুষ আমাদের নির্বাচন করেছেন। তাই আমরা এখানে এসেছি। ক্ষমতায় আসার জন্য তার এত অস্থিরতা কিসের? সকালে যখন অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হয়নি, এমনকি বিতর্ক পর্বেরও অবসান হয়নি, তখন একজন সদস্য আমার দিকে দৌড়ে আসতে আসতে বলতে থাকেন – উঠো, উঠো, উঠো … একজন মোদীকে হঠাতে যারা সকলকে একজোট করার চে��্টা করছেন, তাদের দেখুন। স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আমরা এখানে আসিনি। আমরা এখানে রয়েছি, কারণ ১২৫ কোটি ভারতবাসীর আশীর্বাদ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ – এই মন্ত্র নিয়ে আমরা জাতির সেবা করেছি। এই সমস্ত গ্রামগুলির বেশিরভাগই পূর্ব ও উত্তর-পুর্ব ভারতের। ৭০ বছর ধরে অন্ধকারে থাকা ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে আমাদের সরকার গর্বিত। রেকর্ড গতিতে দেশ জুড়ে শৌচালয় নির্মিত হয়েছে। উজ্জ্বলা যোজনার দরুণ মহিলারা ধোঁয়া-মুক্ত জীবনযাপন করছেন। গরিব মানুষের জন্য আমাদের সরকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছে। আগে, গরিব মানুষের কাছে ব্যাঙ্কের দরজা বন্ধ ছিল। এটাই সেই সরকার, যারা গরিব মানুষের স্বার্থে উচ্চ গুণমানবিশিষ্ট স্বাস্থ্য পরিষেবা ‘আয়ুষ্মান ভারত’ কর্মসূচি নিয়ে আসতে চলেছে। নিমের আবরণ যুক্ত ইউরিয়া উৎপাদনের সরকারের সিদ্ধান্ত ভারতের কৃষকরা উপকৃত হয়েছেন। স্টার্ট-আপ বা নতুন শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে অনুকূল বাতাবরণ গড়ে তোলার ব্যাপারে ভারত স্বতন্ত্র ছাপ রাখছে। যুব সম্প্রদায়ের অনেকের স্বপ্ন পূরণে মুদ্রা যোজনা সাহায্য করছে। ভারতীয় অর্থনীতি মজবুত হচ্ছে এবং বিশ্ব অর্থনীতিকেও ভারত শক্তিশালী করে তুলছে। কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে। আমি জানি এর জন্য আমার অনেক শত্রু হয়েছে। কিন্তু, এতে আমার কিছু যায় আসে না। নির্বাচন কমিশন, বিচারব্যবস্থা, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এমনকি, আন্তর্জাতিক এজেন্সিগুলির প্রতিও কংগ্রেসের কোনও বিশ্বাস নেই। তাদের কোন কিছুতেই আস্থা নেই। আমরা এখন কোথায় এসে দাঁড়িয়েছি? এসব কিছু নিয়ে ছেলেখেলা ঠিক নয়। একজন নেতা ডোকলাম নিয়ে বলেছেন। আবার, সেই নেতাই আমাদের বাহিনীর পরিবর্তে চিনের রাষ্ট্রদূতকে বিশ্বাস করেছিলেন। রাফায়েল নিয়ে সংসদে একজনের কাণ্ডজ্ঞানহীন অভিযোগের দরুণ, দুই রাষ্ট্রকে বিবৃতি প্রকাশ করতে হয়েছে। কংগ্রেসের কাছে আমার আবেদন, দয়া করে জাতীয় নিরাপত্তার মতো বিষয়ে রাজনীতিকে টানবেন না। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীগুলির প্রতি এই অপমান আমি বরদাস্ত করব না। আপনারা যেভাবে চান সেভাবেই আমার প্রতি ঘৃণা দেখাতে পারেন। কিন্তু, দেশের জওয়ানদের প্রতি অপমান ও অমর্যাদা প্রদর্শন বন্ধ করুন। আপনারা সার্জিকাল স্ট্রাইক-কে জুমলা স্ট্রাইক বলে বর্ণনা করেছিলেন। ১৯৯৯-এর একটি ঘটনা আমাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হল। রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে তিনি (মহিলা) বলেছিলেন, আমাদের পক্ষে ২৭২ জন রয়েছেন এবং আরও অনেকে যোগ দিচ্ছেন। তিনি সে সময় অটলজির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন। কিন্তু, নিজের সরকার গঠন করতে পারেননি। আমি একটি বিবৃতি পড়েছি – ‘কে বলেছে আমাদের সংখ্যাধিক্য নই’। কংগ্রেস চরণ সিং-জির ব্যাপারে কি করেছে? চন্দ্রশেখরজির ব্যাপারে তারা কি করেছে? দেবেগৌড়াজির ব্যাপারে তারা কি করেছে? এমনকি, আই. কে. গুজরালজির ব্যাপারেও কি করেছে তারা? অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনায় কংগ্রেস দু’বার যুক্ত ছিল। চোখের কারসাজি আজ সমগ্র রাষ্ট্র দেখেছে। সকলের কাছেই এটা খুব স্পষ্ট। কংগ্রেস অন্ধ্রপ্রদেশকে বিভক্ত করেছে, যা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার সার্বিক উন্নয়নে এনডিএ সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। ওয়াই এস আর সি পি-এর সঙ্গে আপনার গোপন আঁতাতের জন্যই কেবল আপনি এটা করছেন। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীকে আমি একথা বলেছি। আমি অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষকে বলতে চাই, আমরা তাদের জন্য কাজ চালিয়ে যাব। অন্ধ্রপ্রদেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই আমরা করব। এনপিএ সমস্যা সম্পর্কে আমি আপনাকে কিছু বলতে চাই। ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার অনেক আগেই কংগ্রেস ফোন ব্যাঙ্কিং উদ্ভাবন করেছিল। এটাই এনপিএ সমস্যার মূল কারণ। মুসলিম মহিলাদের সুবিচার প্রদানের জন্য সরকার তাদের পাশে রয়েছে। যে কোন হিংসার ঘটনা জাতির কাছে লজ্জাজনক। হিংসার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দিতে আমি রাজ্য সরকারগুলিকে আরও একবার অনুরোধ জানাই। যে রেকর্ড গতিতে সড়ক নির্মাণ হচ্ছে, গ্রামগুলির সঙ্গে সংযোগ গড়ে উঠছে, ইন্টারনেট ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হচ্ছে, রেলের উন্নয়ন হচ্ছে, তা সমস্ত ভারত দেখতে পাচ্ছে।",অনাস্থা প্ৰস্তাৱক লৈ সংসদত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আগবঢ়োৱা ভাষণৰ মুখ্য দিশসমূহ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%8F-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%8E-%E0%A6%95%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%8D/,"নতুনদিল্লি, ১৭ ই মে, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সদ্যসমাপ্ত ডেফ্লিম্পিক্সে এ যাবৎ কালের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রদর্শনের জন্য ভারতীয় দলের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আগামী ২১শে মে দলের সদস্যদের তাঁর বাসভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধান���ন্ত্রী বলেছেন, “ডেফ্লিম্পিক্সেএ যাবৎ কালের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রদর্শনের জন্য ভারতীয় দলের সদস্যদের অভিনন্দন জানাই! আমাদের সহ নাগরিকদের জন্য দলের প্রত্যেক সদস্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। আগামী ২১শে মে সকালে দলের সদস্যদের আমার বাসভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।“",ডিফিলিম্পিকত সৰ্বশ্ৰেষ্ঠ প্ৰদৰ্শনৰ বাবে ভাৰতীয় দলক অভিনন্দন প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A6%AE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%93-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8/,"মঞ্চে উপস্থিত উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী রামনাইক মহোদয়, রাজ্যেরমুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মহোদয়, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের সাথী শ্রীমতীস্মৃতি ইরানী মহোদয়া, শ্রী অজয় টামটা মহোদয়, রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য এই অঞ্চলের সাংসদ এবং কয়েক বছর ধরে মন্ত্রিপরিষদে আমার সুযোগ্য সাথীআর এখন ভারতীয় জনতা পার্টির উত্তর প্রদেশ শাখার দায়িত্বে থাকা ডঃ মহেন্দ্রনাথপান্ডে, রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনীজি যিনি দরিদ্র কল্যাণে, তাঁদেরকেস্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে বেশ বুদ্ধি খাটিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অর্থনৈতিকঅন্তর্ভুক্তিকরণের কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন। তেমনই উৎকর্ষ ব্যাঙ্কের ম্যানেজিংডিরেক্টর গোবিন্দ সিং মহোদয় আর বিপুল সংখ্যায় আগত আমার বারাণসীর প্রিয় ভাই ওবোনেরা, আজ একই অনুষ্ঠানে একই মঞ্চ থেকে এক হাজার কোটি টাকারও অধিক বিনিয়োগে গড়েওঠা কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস হতে যাচ্ছে। আমি উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। কারণ, তাঁরা বারাণসী এলাকার উন্নয়নের মাধ্যমেআমার যে পূর্ব ভারতের উন্নয়নের স্বপ্ন তা সফল করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাপালন করেছেন। আর সেজন্য রাজ্য সরকারকেও অভিনন্দন জানাতে হয়। আজ বস্ত্র মন্ত্রণালয়প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে যে প্রকল্প উদ্বোধন করছে আমার মনে হয় না বিগত কয়েকদশকে বারাণসীর মাটিতে এরকম বড় কোনও প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে! আর আমরা যেসবপ্রকল্পের শিলান্যাস করি, সেগুলোর উদ্বোধনও আমরা করি। অন্যথা রাজনীতির হিসেবেশিলান্যাস হতে থাকে, প্রকল্প ঝুলে থাকে, সম্পূর্ণ হয় না! এখানে দুটি সেতু উদ্বোধনকরা হয়েছে, দীর্ঘকাল ধরে ঝুলে থাকা দুটি প্রক���্প, কিন্তু যোগীজি মুখ্যমন্ত্রীরদায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করিয়েছেন, ফলে আজ উদ্বোধন হয়ে গেল, ওপারের বাসিন্দাদেরউন্নয়নের নতুন দরজা খুলে গেল, জীবন সহজ হ’ল। আমার মনে হয়, আজ তাঁতি ও সূঁচশিল্পী ভাই ও বোনেদের জীবনে একটি সোনালী সুযোগ।আপনাদের হাতে রয়েছে পূর্বজদের থেকে পাওয়া কুশলতা। বিশ্ববাসীকে অবাক করে দেওয়াশিল্প সৃষ্টির সামর্থ্য আপনাদের রয়েছে। কিন্তু অরণ্যের গভীরে ময়ূর নাচলে সেই নাচকে দেখে? এরকম চলতে থাকলে আমার কাশী এলাকার তন্তুবায় ও হস্তশিল্পী ভাইদের কখনওবিশ্ব বাজারে নিজেদের সামর্থ্য তুলে ধরার সুযোগ হবে না। তা হলে তাঁদের আর্থিকগতিবিধি থেমে যাবে। আমি যখন আপনাদের দ্বারা সাংসদ নির্বাচিত হয়ে নতুন নতুন এখানে এসেছিলাম, তন্তুবায়দেরসঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁরা আমায় বলেছিলেন যে, আপনাদের ছেলেমেয়েরা এই শিল্পের সঙ্গেযুক্ত হতে চায় না। আমাদের পরিবারের সদস্যরা এখন এর বাইরে বেরোতে চায়, লেখাপড়া শিখেবাইরে কোথাও যেতে চায়। আর তখনই আমার মনে হয় যে, এত বড় সামর্থ্যবান আর্থিক গতিবিধিরহাতিয়ার যদি এই পরিবারগুলির হাত ছাড়া হয়, তা হলে ইতিহাস আমাদের কখনও ক্ষমা করবেনা। কারণ আপনাদের হাতে এমন আমানত আছে, যা দিয়ে আপনারা বিশ্বকে চমকে দিতে পারেন। যতদিন যাচ্ছে, ভারতের নানা বৈশিষ্ট্যের প্রতি বিশ্ববাসীর আকর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরসেজন্য ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত এই ইমারত নিছকই কোনও অট্টালিকা নয়। এইভারতের সামর্থ্যের পরিচায়ক আমাদের কাশী অঞ্চলের তন্তুবায় ও হস্তশিল্পীরা ভবিষ্যতেরনতুন দ্বার উন্মোচনের শক্তি রাখেন। আমি এখানকার অটোচালক আর ট্যাক্সিচালকদের অনুরোধকরব যে, আপনারা পর্যটকদের নিয়ে বিভিন্ন পর্যটন স্থল দেখানোর ফাঁকে এইহস্তশিল্পীদের কাছেও নিয়ে আসবেন। আগ্রহ দেখিয়ে নিয়ে আসুন, একই স্থানে তাঁদের সামনেকাশী অঞ্চলের তাঁত ও হস্তশিল্পীদের সামর্থ্য তাঁদের সামনে তুলে ধরুন। আমি নিশ্চিতযে, কাছে দেখে এই অনুপম শিল্পকৃতিগুলি দেখলে তাঁরা অবশ্যই সেগুলি কিনে নিয়ে যাবেন।বিদেশি পর্যটকরা এলে তো এখান থেকে সরতেই চাইবেন না! এখানে যে সংগ্রহশালা গড়েউঠেছে, এটি কাশীর পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। যাঁরা কাশীতে তীর্থ করতে আসেন,তাঁরাও এসব সামগ্রী দেখবেন, কাশীর সামর্থ্যকে জানবেন আর আমার বিশ্বাস, এই অঞ্চলক্রমে নতুন আর্থিক গতিবিধির কেন্দ্র হয়ে উঠবে। আমি আজ সকল তাঁতি ও হ���্তশিল্পী ভাই ও বোনেদের এই সংগ্রহশালা উপহার দিয়েহৃদয় থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। তাঁদের প্রগতির জন্য শুভেচ্ছা জানাই। ভাই ওবোনেরা, সকল সমস্যার সমাধান উন্নয়নেই নিহিত। আগে এমন সব সরকার ক্ষমতায় ছিল, যারাউন্নয়নকে ঘৃণা করার আবহ গড়ে তুলেছিল। তাঁদের জন্য সরকারি কোষাগার নির্বাচনে জেতারঅনুকূল জনমোহিনী প্রকল্পে খরচ করে রিক্ত হয়ে যেত। আমরা চাই এমনভাবে উন্নয়নবাস্তবায়িত হোক, যাতে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনার সুযোগ গড়েওঠে। দরিদ্রদের ক্ষমতায়ন হোক। আমাদের গরিবদের আর্থিক সামর্থ্য বৃদ্ধি পেলে অর্থব্যবস্থা শক্ত হবে। আর কাজ করার সুযোগ পেলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, ভারতের কোনও গরিব,গরিব হয়ে থেকে যেতে চান না। আপনি যে কোনও দরিদ্র মানুষকে জিজ্ঞেস করুন যে, তাঁদেরসন্তানদের জন্য কেমন জীবন চান? তাঁরা বলবেন, বাপ-দাদার কাছ থেকে যা পেয়েছি, ভাগ্যেযে দারিদ্র্য ছিল, সেই জীবন কাটাচ্ছি, আমরা চাই না যে আগামী প্রজন্ম এরকম জীবনকাটাতে বাধ্য হোক। তাঁরা এমন জীবন কাটাতে চান যাতে তাঁদের সন্তানদের পারস্পরিকভাবেদারিদ্র্য নিয়ে বাঁচতে না হয়। তাঁরা যেন পরিশ্রম করে, নতুন কাজ শিখে নিজের পায়েদাঁড়িয়ে সম্মানের জীবন বাঁচতে পারে তেমনভাবেই তাদেরকে গড়ে তুলতে চান। নিজেরভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রত্যেক গরিবের মনে যে স্বপ্ন রয়েছে আমাদের সরকারেরওতাদেরকে নিয়ে একই স্বপ্ন রয়েছে। আর সেজন্য আমাদের প্রতিটি প্রকল্প সমাজের প্রত্যেকশ্রেণীর ক্ষমতায়নের কথা ভেবে, তাঁদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিজের পায়ে দাঁড় করানোরমতো সামর্থ্য গড়ে তোলার কথা ভেবে গড়ে তুলেছি। এই অঞ্চলে বিশেষ করে, উৎকর্ষব্যাঙ্কের মাধ্যমে এই কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে। আমি তাদেরকে শুভেচ্ছা জানাই। যেসমর্পণভাব নিয়ে আমাদের গোবিন্দজি এবং তাঁর টিম এই কাজ করে যাচ্ছেন। ভাই ও বোনেরা, কাশীতে আজ একটি ‘ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স’-এরও উদ্বোধন হয়েছে।আর উদ্বোধন হয়েছে একটি ‘শববাহন নৌকা’। আমি যখন এগুলির প্রস্তাব রেখেছিলাম, তখনঅনেকে অবাক হয়েছিলেন। আমি বলি, কাশীতে ট্রাফিক সমস্যা আর শ্মশান যাত্রীদের সমস্যালাঘবে যথাসম্ভব জলপথের ব্যবহার বৃদ্ধি করা উচিৎ। আমাদের জলপথেরও একটি শক্তি রয়েছে।তাকে আর্থিক উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করা, আমাদের জলপথকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষেরজন্য উন্নত পরিষেবা, পর্যটকদের আনাগোনাকে আরও বাড়ানো! এসব লক্ষ্য নিয়ে আমরা বেশকিছু প্রচেষ্টা শুরু করেছি। আজকের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সেই প্রক্রিয়ারই অংশবিশেষ। আমার বারাণসীর প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনারা জানেন আমি যখন বারাণসী থেকেনির্বাচনী লড়াইয়ে প্রার্থী হয়েছিলাম, পাশাপাশি আমি বরোদা থেকেও ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম।বরোদাবাসী আমাকে বিপুল ভোটে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু যখন দুটোর মধ্যে একটি সিট ছাড়ারকথা উঠল, আমি ভাবলাম, বরোদাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেখানে আমার অনেক সাথীরয়েছেন। তাঁরা বরোদার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে কখনই পিছ পা হবেন না। কিন্তু কাশীরজন্য যদি সময় দিই তা হলে মনে মনে বেশি আনন্দ পাব! সেজন্য আমি নিজের নির্বাচনক্ষেত্র হিসাবে বারাণসীকেই বেছে নিলাম। আজ আমি খুশি যে, বরোদার সঙ্গে বারাণসীকেযুক্ত করার উদ্দেশ্যে আজ একটি নতুন ট্রেন মহামনা এক্সপ্রেসও চালু করা হ’ল। এই মঞ্চথেকে আজ বরোদা থেকে বারাণসীর জন্য এই ট্রেনটি যাত্রা শুরু করল। বরোদা থেকেসৌরাষ্ট্র হয়ে ট্রেনটি বারাণসী পৌঁছবে। গুজরাট ও আমেদাবাদ থেকে বস্ত্র শিল্প রওয়ানাহয়ে একদিন বারাণসী এসেছিল। বারাণসী একটি বিদ্যানগরী। সংস্কৃতির পীঠস্থান। বরোদাওএকটি সংস্কৃতি নগরী এবং বিদ্যাচর্চা কেন্দ্র। এই দুই শহরের মধ্যে ট্রেন চলবে ভায়াসুরাট। সুরাটও একটি বস্ত্রশিল্পের পীঠস্থান। এই ট্রেন তাই এই তিনটি বস্ত্রশিল্পেসমৃদ্ধ শহরের মধ্যে আর্থিক গতিবিধিকে আরও গতিশীল করবে। আমি ভারতের রেল মন্ত্রককেএজন্য ধন্যবাদ জানাই। আজ পীযূষজি বরোদা থেকে মহামনা এক্সপ্রেসের শুভারম্ভ করেছেনআর এই সময় এই মাটির সন্তান আমাদের রেলমন্ত্রী শ্রী মনোজ সিনহা সুরাট থেকে ঐট্রেনটিকে বিদায় জানাচ্ছেন। এই মহামনা এক্সপ্রেসের পথচলা আজ এমনি অদ্ভুতসুন্দরভাবে পালিত হ’ল। ভাই ও বোনেরা, আমি আপনাদের দীর্ঘ সময় নিতে চাই না। আজ দেশদ্রুতগতিতে উন্নতি করছে। গরিব এবং মধ্যবিত্তের স্বার্থকে কেন্দ্র করে এইউন্নয়নযজ্ঞ শুরু হয়েছে। অনেক সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর পরিণাম গোটা বিশ্বদেখছে। ভারত দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ভারত বদলে যাচ্ছে! আমরা পূর্ব উত্তর প্রদেশেওপরিবর্তন আনতে চাই। আমরা পূর্ব ভারত’কে বদলাতে চাই। দেশের অর্থ ব্যবস্থায় পশ্চিমভারতের রাজ্যগুলির সমকক্ষ করে তুলতে চাই পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিকেও। আমরা সেইলক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। আজ এখান থেকে যে হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে গড়ে ওঠাপ্রকল্পসমূহের উদ্বোধন হ’ল, আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই অঞ্চলের আর্থিক জীবনেপরিবর্তনের ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের সামাজিক জীবনে পরিবর্তন আনতে, পরিকাঠামো উন্নয়নেএই প্রকল্পগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমি আরেকবার উত্তর প্রদেশেরমুখ্যমন্ত্রী যোগীজিকে অভিনন্দন জানাই। তাঁর নেতৃত্বে এই রাজ্যে অনেক কাজ দ্রুতগতিতেএগোচ্ছে। মাত্র ছ’মাসের শাসনকালে যোগীজি দারুণ কাজ করে দেখিয়েছেন । আমি তাঁকে হৃদয় থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জা নাই। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।",বাৰানসীত কেইবাটাও উন্নয়নমূলক প্ৰকল্প মুকলি কৰি প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে দিয়া ভাষণ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%B9-%E0%A6%B8%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%8F%E0%A6%8F%E0%A6%B8-%E0%A6%86/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D/,"কেন্দ্রেরসহ-সচিব পদে দায়িত্বভার পালনের প্রায় শেষ পর্বে ২০১৫ ব্যাচের আইএএসআধিকারিকরা আজএক উপস্থাপনা পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে। সরকারিপ্রশাসন ও পরিচালন সম্পর্কিত আটটি নির্বাচিত উপস্থাপনা আজ তাঁরা তুলে ধরেনপ্রধানমন্ত্রীর কাছে। উপস্থাপনার বিষয়গুলি ছিল, দুর্ঘটনা কবলিত মানুষের কাছে দ্রুতত্রাণ ও উদ্ধার সহায়তা পৌঁছে দেওয়া, কার্বন ফুটপ্রিন্ট সংগ্রহ, আর্থিকঅন্তর্ভুক্তি, গ্রামবাসীদের আয় ও উপার্জন বৃদ্ধি, তথ্য ও পরিসংখ্যান পদ্ধতিরসাহায্যে গ্রাম ভারতের সমৃদ্ধি, ঐতিহ্য পর্যটন, রেল নিরাপত্তা এবং কেন্দ্রীয়সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। অনুষ্ঠানেপ্রদত্ত এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী বলেন যে সর্ব বরিষ্ঠ এবং সর্ব কনিষ্ঠআধিকারিকরা যেভাবে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময়ে মিলিত হয়ে থাকেন, তা সরকারিকাজকর্ম পরিচালনার ক্ষেত্রে একান্ত জরুরি। তরুণ আধিকারিকদের এই আলোচনা ও মতবিনিময়থেকে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণেরও পরামর্শ দেন তিনি। পণ্য ও পরিষেবা করের রূপায়ণ এবং‘ভিম’ অ্যাপ-এর ব্যবহার সহ ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করার জন্য তরুণআধিকারিকদের উদ্যোগী হতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। নিজেদেরদপ্তরে সরকারি বৈদ্যুতিন বিপণন ব্যবস্থা চালু করারও তিনি আর্জি জানান আধিকারিকদেরকাছে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই ব্যবস্থায় দালাল রাজের অবসান ঘটবে এবং এর সুবাদেসরকারি ব্যয়সাশ্রয়ও সুনিশ্চিত করা যাবে। উন্��ুক্তস্থানে প্রাকৃতিক কাজকর্ম সেরে ফেলার অভ্যাস থেকে দেশকে মুক্ত করতে নির্দিষ্টলক্ষ্যমাত্রার কথাও আধিকারিকদের স্মরণ করিয়ে দেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রসঙ্গতউল্লেখ করেন, গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণের বিষয়টিও। এই দুটি কর্মসূচির ক্ষেত্রে ১০০শতাংশ সাফল্য অর্জনের জন্য তিনি উদ্বুদ্ধ করেন সরকারি আধিকারিকদের। আগামী ২০২২সালের মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্নের ভারতকে মূর্ত করে তুলতে কঠোর পরিশ্রমকরে যাওয়ারও তিনি পরামর্শ দেন আইএএস আধিকারিকদের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধিকারিকদেরঅনেকেই উঠে এসেছেন খুবই সাধারণ পরিবার থেকে। তাই তাঁদের সকলেরই উচিৎ আলাপ-আলোচনারমাধ্যমে তরুণ ছাত্রছাত্রীদের দেশ গঠনের কাজে উদ্বুদ্ধ করা কারণ, সংযোগ ও যোগাযোগেরমাধ্যমেই সহমর্মিতার বিষয়টি প্রসার লাভ করে। প্রধানমন্ত্রীবলেন, আধিকারিকদের বর্তমান লক্ষ্যই হল দেশ তথা দেশের নাগরিকদের সার্বিক কল্যাণ।তাই, দলবদ্ধভাবে দেশের যে কোন প্রান্তেই কাজে এগিয়ে যেতে আধিকারিকদের উৎসাহিত করেনতিনি। /",সহকাৰী সচিবৰ বিদায় অনুষ্ঠানঃ প্ৰধানমন্ত্ৰীক সন্মুখত উপস্থাপন আগবঢ়ালে ২০১৫ বৰ্ষত উত্তীৰ্ণ আইএএছ বিষয়াই +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A6%93%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%B0%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A7%B0%E0%A7%81%E0%A7%B0-%E0%A6%9C/,"নয়াদিল্লি, ১৪ নভেম্বর ২০২২ ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন : “জন্মবার্ষিকীতে আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুজির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। দেশ গঠনে তাঁর অবদানকে আমরা স্মরণ করি।”",পণ্ডিত জৱাহৰলাল নেহৰুৰ জন্মবার্ষিকীত প্রধানমন্ত্রীৰ শ্রদ্ধা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0/,"নয়াদিল্লি, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ‘কলম নো কার্নিভাল’ শীর্ষক এই জমাকালো বইমেলা ও এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আপনাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমেদাবাদে নবভারত সাহিত্য মন্দির যে বই মেলার পরম্পরা শুরু করেছে, তা সময়ের সঙ্গে পা���্লা দিয়ে প্রতি বছর আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে। এর মাধ্যমে গুজরাটের সাহিত্য ও জ্ঞানের জগৎ যেমন প্রসারিত হচ্ছে, তেমনই নতুন লিখতে আসা এবং নবীন সাহিত্যিকরাও একটি প্ল্যাটফর্ম পাচ্ছেন। বন্ধুগণ, এই সমৃদ্ধ ঐতিহ্য স্থাপনের জন্য আমি নবভারত সাহিত্য মন্দির এবং এর সমস্ত সদস্যদের অভিনন্দন জানাই। বিশেষ করে, মহেন্দ্রভাই এবং রৌণকভাই-কেও আমার শুভেচ্ছা জানাই, যাঁদের প্রচেষ্টায় আয়োজিত এই বই মেলার মাধ্যমে গুজরাটের আপামর জনগণ উপকৃত হচ্ছেন। বন্ধুগণ, ‘কলম নো কার্নিভাল’ হ’ল গুজরাটি ভাষার পাশাপাশি, হিন্দি ও ইংরাজী ভাষায় প্রকাশিত গ্রন্থ সম্ভারের একটি বড় সম্মেলন। ‘ভাঞ্চে গুজরাট’, ‘ভাঞ্চে ওয়াধাভে গুজরাট’ অর্থাৎ ‘গুজরাট পড়ো, গুজরাট পড়ে সমৃদ্ধ হচ্ছে’। এই আয়োজনের উদ্দেশ্যটিও খুবই প্রাসঙ্গিক। আমি যখন গুজরাটে আপনাদের সকলের মধ্য থেকে কাজ করছিলাম, গুজরাট তখন থেকেই ‘ভাঞ্চে গুজরাট’ অভিযান শুরু করেছিল। আজ ‘কলাম নো কার্নিভাল’ শীর্ষক এই অভিযান গুজরাটের সেই সংকল্পকে আরও ব্যাপকভাবে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। বন্ধুগণ, বইপুস্তক এবং গ্রন্থ উভয়ই আমাদের বিদ্যা উপাসনার মূল উৎস। গুজরাটের নানা প্রান্তে পুস্তকালয়ের অনেক পুরনো পরম্পরা রয়েছে। আমাদের ভদোদরার মহারাজা সয়াজীরাওজী তাঁর নিজের রাজ্যের সমস্ত এলাকার প্রধান প্রধান স্থানে পুস্তকালয় গড়ে তুলেছিলেন। সেরকমই গ্রামে আমার জন্ম হয়েছে। আমার গ্রাম ওয়াডনগরেো তেমনি একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার রয়েছে। সেখানে গোন্ডলের মহারাজা ভগবত সিংজী ‘ভগবত গোমন্ডল’ নামক বিশাল শব্দ কোশ উপহার দিয়েছিলেন। আমি তো কখনও কখনও ভাবি,… … যখন কেউ আমাকে বলেন যে,… … ভাই যখন আমি গুজরাটে ছিলাম, তখন প্রায় সকল পরিবারে শিশুদের নামকরণ নিয়ে খুব আলোচনা হ’ত। আর সকলে গ্রন্থাগারে গিয়ে বই খুঁজে শিশুদের নামকরণ করতেন। একবার আমার সামনে কেউ একজন একটি বিষয়নির্ভর নামকরণে সাহায্য চেয়েছিলেন। আমি তাঁকে বলি, আপনি ‘ভগবত গোমন্ডল’ দেখে নিন। সেখানে আপনি এত গুজরাটি শব্দ পাবেন যে, তা থেকে আপনার শিশুর নামকরণের জন্য অনেক অনুকূল তথ্য পাবেন। প্রকৃতই আমাদের কাছে এত তথ্য, এত অর্থ আর এত সমৃদ্ধ পরম্পরা রয়েছে যে, সেগুলি নিয়ে নিয়মিত চর্চা করা উচিৎ। ঠিক তেমনই আমাদের বীররসের কবি নর্মদ তাঁর ‘নর্ম কোষ’ সম্পাদনা করেছিলেন। এই পরম্পরা চলতে থাকে আমাদের কেকা শাস্ত্রীজী পর্যন্ত। কেকা শাস্ত্রীজী ১০০ বছরেরও বেশি সময় আমাদের মধ্যে ছিলেন। তিনি এক্ষেত্রে অনেক অবদান রেখে গেছেন। বইপত্র, বিভিন্ন গ্রন্থ, কবি-সাহিত্যিক এবং সাহিত্যের অন্যান্য শাখায় গুজরাটের ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। আমি চাই যে, এ ধরনের বই মেলা আয়োজনের মাধ্যমে এরকম সমৃদ্ধ সাহিত্য গুজরাটের প্রত্যেক প্রান্তে প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাক। প্রত্যেক যুবক-যুবতীদের হাতে পৌঁছক, যাতে তাঁরা এই সমৃদ্ধ ইতিহাস সম্বন্ধে জানতে পারেন এবং তা থেকে নিজেদের জীবনে নতুন প্রেরণা সংগ্রহ করতে পারে। বন্ধুগণ, এ বছর এই বই মেলা এমন একটা সময়ে আয়োজিত হয়েছে, যখন দেশ তার স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছে। অমৃত মহোৎসবের একটি এমন ব্যতিক্রমী মাত্রা রয়েছে, এর মাধ্যমে আমরা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার চেষ্টা করছি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাতে আমরা কিভাবে সেই ইতিহাসকে তুলে দেব। স্বাধীনতা সংগ্রামের যত বিস্মৃত অধ্যায় রয়েছে, সেগুলির গৌরবও আমরা যেন দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারি – এই দায়বদ্ধতা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আর আপনাদের প্রচেষ্টাতেই এই লক্ষ্যপূরণ সম্ভব হবে। ‘কলাম নো কার্নিভাল’ – এর মতো বই মেলার আয়োজন সারা দেশে এই ব্যতিক্রমী অভিযানকে গতি প্রদান করতে পারে। বই মেলায় স্বাধীনতা সংগ্রাম সংক্রান্ত বইগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া যেতে পারে। এই বিষয়ের উপর যে লেখকরা বই লিখেছেন, তাঁদের একটি শক্তিশালী মঞ্চ দেওয়া যেতে পারে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই আয়োজন এই লক্ষ্যে একটি ইতিবাচক মাধ্যম হিসাবে নিজেকে প্রমাণিত করবে। বন্ধুগণ, আমাদের শাস্ত্রে বলা হয়, ‘শাস্ত্র সুচিন্তিত পুনি পুনি দেখিঅ’ অর্থাৎ, নানা শাস্ত্র, বিভিন্ন গ্রন্থ এবং অসংখ্য পুস্তক বারবার অধ্যয়ন করা উচিৎ। তবেই, তা কার্যকরি এবং উপযোগী হয়ে ওঠে। এই কথাটি এজন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ কারণ, আজ ইন্টারনেটের যুগে এই ভাবনা সবার মন-মস্তিষ্কে ছেয়ে যাচ্ছে যে, প্রয়োজন হলে ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে নেব! প্রযুক্তি নিঃসন্দেহে আমাদের তথ্য যোগানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, কিন্তু নিশ্চিতভাবেই তা বইয়ের বিকল্প হতে পারে না, বিভিন্ন বিষয়ের বই না পড়ে শুধুই ইন্টারনেট থেকে সব তথ্য বিস্তারিতভাবে পাওয়া সম্ভব নয়। যখন জ্ঞান আমাদের মস্তিষ্কে থাকে, তখন মস্তিষ্ক সেই জ্ঞানকে গভীরভাবে ‘প্রসেস’ করে। এর ফলে, আমাদের মস্তিষ্কে সেই ��ংক্রান্ত নতুন নতুন মাত্রা জেগে ওঠে। এখন আমি আপনাদের একটি ছোট্ট কাজ দেব। আমরা সবাই নরসী মেহতা রচিত ‘বৈষ্ণব জন তো তৈ নে রে কহিএ’ গানটি কতবার শুনেছি, কতবার গেয়েছি। একটা কাজ করুন, এই গানটিকে একটি কাগজে লিখে আপনার সামনে নিয়ে বসুন আর ভাবুন যে, এই গানে বর্তমান প্রেক্ষিতে কী কী রয়েছে। কোন কথাগুলি আজকের সময়ের অনুকূল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, ‘বৈষ্ণব জন তো তৈ নে রে কহিএ’ গানটি আপনারা সকলে হাজার বার শুনেছেন, সেটিকেই যখন নিজের হাতে লিখে সামনে নিয়ে বসে ভাবতে শুরু করবেন, বর্তমানের প্রেক্ষিতে শব্দগুলিকে বোঝার চেষ্টা করবেন, তখন দেখবেন যে, এ থেকে আপনি প্রত্যেকবার নতুন নতুন কয়েকশো অর্থ খুঁজে বের করবেন। আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যে এতটাই শক্তি রয়েছে যে, সেজন্য আমাদের কাছে বই থাকলে, আমাদের সঙ্গে বা আমাদের সামনে থাকলে, তা নতুন নতুন উদ্ভাবনের জন্য, নতুন নতুন অনুসন্ধানের জন্য ভাবনাচিন্তা করতে, তর্ক-বিতর্ককে অনেক গভীরে নিয়ে যেতে এই বই আমাদের অনেক শক্তি যোগায়। সেজন্য পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বইয়ের গুরুত্ব সমভাবে রয়েছে, বই পড়ার অভ্যাস বজায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, তা সে বই ‘ফিজিকাল ফর্মে হোক’ কিংবা ‘ডিজিটাল ফর্মে’। আমি মনে করি, এ ধরনের আয়োজন আমাদের যুবক-যুবতীদের মনে বইয়ের প্রতি প্রয়োজনীয় এক আকর্ষণ সৃষ্টি করে। বইয়ের গুরুত্ব বোঝাতেও বইমেলা বড় ভূমিকা পালন করে। বন্ধুগণ, আমি একথাও বলব যে, যখন আজ গুজরাটের জনগণের সঙ্গে মুখোমুখি বসে কথা বলছি, তখন আরও জোর দিয়ে বলতে চাইছি যে, আমরা যখন কোনও নতুন বাড়ি তৈরি করি, তখন আর্কিটেক্টের সঙ্গে অনেক বিষয়েই আলাপ-আলোচনা করি। কোথায় ডাইনিং রুম তৈরি হবে, কোথায় ড্রয়িং রুম, কোথায় ঠাকুর ঘর, জামা-কাপড় রাখার জায়গা কিভাবে কোথায় হবে – সেগুলি নিয়ে আমরা কথা বলি। আমার অনুরোধ, আপনারা সকলে যখন নতুন বাড়ি তৈরি করবেন, তখন আপনার আর্কিটেক্টকে এই অনুরোধও করুন যে, এমন একটা সুন্দর জায়গা তৈরি করুন, যেখানে আমার বইগুলি সংরক্ষিত থাকে। আমি সেই বই – এর ভান্ডার ব্যবহার করবো, আমার ছেলেমেয়েকেও ব্যবহার করতে অভ্যাস করাবো। আমার বাড়িতে একটি কোণা যেন এমন থাকে, যেখানে বই দিয়ে বিশেষভাবে সাজানো থাকবে। কিন্তু আমরা এমনটি করি না। আপনারা হয়তো জানেন, আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন একটি অনুরোধ সবসময়েই করতাম, যে কোনও অনুষ্ঠানে গেলে আমি মঞ্চে ওঠার আগেই বলতাম, ���ে ভাই আমাকে ফুলের তোড়া নয়, বই দেবেন। কারণ, ১০০-১৫০ টাকা দামের যে ফুলের তোড়া আপনারা কিনে নিয়ে আসবেন, তার আয়ু খুব কম হয়। সেজন্য আমি অনুরোধ করতাম যে, আমাকে বই দিন। আমি জানি, আমার এই আগ্রহ দেখে অনেকেই আমাকে অনুসরণ করেন এবং এর ফলে বই বিক্রি বাড়ে। প্রকাশক ও লেখকরা যেন আর্থিকভাবে সচ্ছল হন, সেদিকটাও আমাদের দেখতে হবে। আমরা অনেক সময় প্রয়োজন হলেও বই কিনি না। আসলে বই কেনা একটি সমাজ সেবা। কারণ, এরকম উদ্যোগ নিলে এই পুস্তক শিল্পের সঙ্গে জড়িত ও সাহিত্যের প্রতি সমর্পিত ব্যক্তিদের জীবনযাপনে আমাদের সহযোগিতা স্বাভাবিকভাবেই অনিবার্য হয়ে ওঠে। আপনারা সবাই বই কেনার অভ্যাস তৈরি করুন। বই সংরক্ষণ, বাড়িতে বই সাজিয়ে রাখার অভ্যাস তৈরি করুন। আমি গুজরাটের অনেক মানুষকে দেখেছি, যাঁরা বাড়ি বাড়ি বই বিক্রি করে বেড়ান, তাঁরা বাড়ির মানুষদের হাতে বই তুলে দিয়ে অনুরোধ করেন যে, বইটি পড়বেন এবং পড়ার পর কেনার যোগ্য বলে মনে হলে কিনবেন, আর না হলে আমাকে ফেরৎ দিয়ে দেবেন! এরকম অনেককেই আমরা দেখেছি। আমার মনে আছে, আমাদের ভাবনগরে একজন সজ্জন ব্যক্তি বইয়ের পার্বন চালাতেন। এরকম কাজ অনেকেই করেন। কিন্তু আমাদের সমাজে এমন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে আমরা পরিবারে বই পড়ার অভ্যাস চালু করতে পারি। কথিত আছে যে, সরস্বতী লুপ্ত ও গুপ্ত থাকেন। বিজ্ঞান থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাহিত্যের অনুষ্ঠানে আমি ভিন্ন ভিন্ন তর্কে অংশগ্রহণ করেছি। আর এই তর্ক হ’ল – সাহিত্যের দুনিয়ার তর্ক। আমাদের সরস্বতী জ্ঞানের দেবী। সরস্বতী লুপ্ত ও গুপ্ত থাকেন – এর মানে হ’ল, সরস্বতী আমাদের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ-কে লুপ্ত অবস্থায় থেকে জুড়তে থাকেন। এই সরস্বতী অসংখ্য বইয়ের মাধ্যমে ইতিহাসকে বর্তমানের সঙ্গে এবং বর্তমানকে আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ করেন। সেজন্য বই মেলার গুরুত্বকে বুঝতে হবে। আমাদের সকলের উচিৎ সপরিবারে বই মেলায় আসা, বিশেষ করে বাড়ির ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের সামনে এই মজার দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। শিশুরা হাত দিয়ে ছুঁয়ে বই দেখবে, পড়বে, কোনটা ভালো, কোনটা বেশি মজার – তা বোঝার চেষ্টা করবে। বড়রাও বই নেড়েচেড়ে দেখে তবেই কিনবেন। আপনাদের কাছে আমার প্রত্যাশা, আমার গুজরাটের সমস্ত ভাই-বোনদের কাছে প্রত্যাশা যে, আপনারা অনেক পড়ুন, অনেক ভাবনাচিন্তা করুন। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যত বেশি ভাবতে শিখবে, ততবেশি তাঁরা সম��জকে অনেক কিছু দিতে পারবে। আর গুজরাটের যত উৎকৃষ্ট সাহিত্যিক রয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, গুজরাটের সমস্ত শব্দসাধক, সরস্বতীর সমস্ত একনিষ্ঠ পূজারীদের সক্রিয় অংশীদারিত্বে এ ধরনের মেলা আমাদের সকলের শ্রদ্ধাঞ্জলি হয়ে উঠুক। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। আরেকবার ভাবনাচিন্তা ও বিচারকে এবং লেখকদের সাদর প্রণাম জানিয়ে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। এই ভাবনা নিয়ে আপনাদের সকলকে আরেকবার অনেক অনেক শুভ কামনা। ধন্যবাদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দি ও গুজরাটি ভাষায় ছিল",আহমেদাবাদৰ ‘কালাম ন’ কাৰ্নিভেল’ গ্ৰন্থমেলাৰ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সম্বোধনৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A7%A7/,"নয়াদিল্লি, ১৬ এপ্রিল, ২০২২ নমস্কার! মহামণ্ডলেশ্বর কঙ্কেশ্বর দেবীজি আর রামকথা আয়োজনের সঙ্গে জড়িত সকল মহানুভব ব্যক্তিবর্গ, গুজরাটের এই ধর্মস্থানে উপস্থিত সকল সাধু, সন্ন্যাসী, মহন্ত, মহামণ্ডলেশ্বর এইচ সি নন্দা ট্রাস্টের মাননীয় সদস্যগণ, অন্যান্য বিদ্বান এবং শ্রদ্ধালু ভক্তগণ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ! হনুমান জয়ন্তীর পবিত্র অনুষ্ঠান উপলক্ষে আপনাদের সবাইকে, সমস্ত দেশবাসীকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। এই পবিত্র অনুষ্ঠান উপলক্ষে আজ মোরবি-তে হনুমানজির এই বিশাল ও অনিন্দ্যসুন্দর মূর্তির আবরণ উন্মোচন হয়েছে। এটি দেশের এবং সারা পৃথিবীর হনুমান ভক্ত ও রাম ভক্তদের জন্য অত্যন্ত সুখদায়ক ঘটনা। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা! বন্ধুগণ, ‘রামচরিত মানস’-এ বলা হয়েছে – “দিনু হরি কৃপা মিলহিঁ নহীঁ সন্তা!” অর্থাৎ, ঈশ্বরের কৃপা ছাড়া সাধুদের দর্শন দুর্লভ হয়। আমার অত্যন্ত সৌভাগ্য যে বিগত কয়েক দিনের মধ্যেই আমি মা অম্বাজি, উমিয়া মাতা ধাম, মা অন্নপূর্ণা ধামের আশীর্বাদ গ্রহণের সুযোগ পেয়েছি। আজকে এখন আমার মোরবি-তে হনুমানজির এই অনিন্দ্যসুন্দর মূর্তির আবরণ উন্মোচন অনুষ্ঠানে যুক্ত হওয়ার, সাধু-সন্ন্যাসীদের সমাগমে অংশগ্রহণ করার সৌভাগ্য হল। ভাই ও বোনেরা, আমাকে বলা হয়েছে যে হনুমানজির এ ধরনের ১০৮ ফুট উঁচু মূর্তি ক্রমে দেশের চারটি ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তে স্থাপন করা হচ্ছে। সিমলাতে এমনই আরও একটি অনিন্দ্যসুন্দর প্রতিমা আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে দেখছি। আজ এটি এ ধরনের দ্বিতীয় মূর্তি মোরবি-তে প্রতিষ্ঠিত হল। আরও দুটি এ ধরনের হনুমানজির মূর্তি দক্ষিণ ভারতের রামেশ্বরম এবং পশ্চিমবঙ্গে স্থাপন করার কাজ চলছে। এরকম আমাকে বলা হয়েছে। বন্ধুগণ, এটি নিছকই হনুমানজির মূর্তি স্থাপনের সঙ্কল্প নয়, এই অভিযান, এই নির্মাণ আমাদের ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ সঙ্কল্পের অংশ। হনুমানজি তাঁর ভক্তি দিয়ে, তাঁর সেবাভাব দিয়ে, সবাইকে সবসময় নিজের সঙ্গে যুক্ত রাখেন। প্রত্যেকেই হনুমানজির কাছ থেকে প্রেরণা গ্রহণ করতে পারেন। হনুমানজি সেই শক্তি এবং সম্বল, যিনি সমস্ত বনবাসী প্রজাতিকে এবং বন-বন্ধুদের অস্মিতা, মান এবং সম্মানের অধিকার প্রদান করেছেন। সেজন্য আমাদের ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর অভিযানেও হনুমানজি একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র। ভাই ও বোনেরা, এভাবেই রামকথার আয়োজনও দেশের ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তে ক্রমাগত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভাষা কিংবা কথ্যভাষা – যে ভাষাতেই হোক না কেন, যে কোনওভাবেই হোক না কেন, এই রামকথার সঙ্গে সকলের ভাবনা যুক্ত হওয়া কম কথা নয়। এই অনুষ্ঠান প্রভু ভক্তির সঙ্গে মানুষকে একাকার করে দিচ্ছে। এটাই তো ভারতীয় আস্থার, আমাদের আধ্যাত্মের, আমাদের সংস্কৃতির, আমাদের পরম্পরার আসল শক্তি। এই মনোভাব দাসত্বের কঠিন কালখণ্ডেও দেশের ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তকে, ভিন্ন ভিন্ন জাতি-ধর্মের মানুষকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত রেখেছে। এই মনোভাব স্বাধীনতার রাষ্ট্রীয় সঙ্কল্পের জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করেছে। এই মনোভাব হাজার হাজার বছর ধরে পরিবর্তিত পরিস্থিতি সত্ত্বেও ভারতের এই দর্শনকে অটল রাখার মাধ্যমে আমাদের সভ্যতা, আমাদের সংস্কৃতি রক্ষার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে আসছে। ভাই ও বোনেরা, আমাদের আস্থা, আমাদের সংস্কৃতির ধারা সদ্ভাবের, সমভাবের, সমাবেশের, ঐক্যবদ্ধতার। সেজন্য যখন অন্যায় ও কু-র ওপর সু বা ভালোকে স্থাপন করার প্রয়োজন হয়, তখন প্রভু রাম নিজে সক্ষম হয়েও, নিজেই সবকিছু করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও, তিনি এই ধর্মযুদ্ধে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, ‘সবকা সাথ’ নীতি পালন করে, সবাইকে যুক্ত করার, সমাজের প্রত্যেক অংশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার, ছোট, বড় সমস্ত জীবকেও সঙ্গে নেওয়ার, তাঁদের সাহায্য নেওয়ার, তাঁদেরকে ধর্মযুদ্ধে অংশগ্রহণ করানোর মাধ্যমে এই পূণ্য কাজ সম্পন্ন করেছেন, আর এটাই তো ‘সবকা সাথ, সবকা প্রয়াস’। এই ‘সবকা সাথ, সবকা প্রয়াস’-এর উত্তম প্রমাণ প্রভু রামের এই জীবনলীলাও; যেখানে হনুমানজি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সূত্র ধারণ করেছেন। ‘সবকা প্রয়াস’-এর এই ভাবনা দিয়েই স্বাধীনতার অমৃতকালকে আমাদের উজ্জ্বল করতে হবে, রাষ্ট্রীয় সঙ্কল্পগুলিকে সিদ্ধিতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আজ যখন মোরবি-তে, কেশবানন্দ বাপুজির তপভূমিতে আপনাদের সকলের দর্শন পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে, তখন আমরা সৌরাষ্ট্রে দিনে প্রায় ২৫ বার শুনে থাকি যে, আমাদের এই সৌরাষ্ট্রের মাটি সন্ন্যাসীদের মাটি, সূরাদের মাটি, দাতাদের মাটি, সন্ত, সূরা এবং দাতাদের এই মাটি আমাদের কাঠিয়াবারকে গুজরাটের আরও এক ধরনের নিজস্ব ভারতের পরিচয় তুলে ধরে। আমার জন্য ‘খোখরা হনুমান ধাম’ নিজের বাড়ির মতোই একটি আপন জায়গা। এর সঙ্গে আমার সম্পর্ক বরাবরই নিজের মর্ম আর কর্মের। একটা প্রেরণার সম্পর্ক। অনেক বছর আগে যখনই আমি মোরবি-তে আসতাম, তখনও এখানে এখনকার মতই নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলত, আর সন্ধ্যার সময় যখন মনে ভক্তিভাব জাগত, তখন এই হনুমান ধামে চলে আসতাম। হনুমান ধামের পূজনীয় বাপুজির কাছে বসে পাঁচ থেকে পনেরো মিনিট সময় কাটাতাম, তাঁর হাত থেকে কিছু প্রসাদ নিয়ে যেতাম, আর যখন মৎসু বাঁধের দুর্ঘটনা হল, তখন তো এই হনুমান ধাম অনেক গতিবিধির কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল আর সেজন্য আমার এই হনুমান ধাম ও বাপুজির সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই একটা ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই দিনগুলিতে আমি যখন দেখতাম, চারপাশের লোকালয় থেকে মানুষ সেবাভাব নিয়ে এগিয়ে আসছেন, তখন থেকেই আমার মনে এই স্থানটি একটি আপনত্বে ভরিয়ে দেওয়া কেন্দ্র হয়ে ওঠে, যেখান থেকে মোরবি-র প্রতিটি বাড়িতে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ হয়। একজন সামান্য স্বয়ংসেবক রূপে আমি দীর্ঘকাল আপনাদের সঙ্গে যুক্ত থেকে সেই দুঃখের দিনগুলিতে আপনাদের হয়ে কাজ করেছি। এখানে যত ধর্মীয় ও দান-ধ্যানের কর্মকাণ্ড চলত এতে বারবার সামিল হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। সেই সময় পূজনীয় বাপুজির সঙ্গে অনেক কথা হত। সেসব কথায় থাকত মোরবি-কে অনিন্দ্যসুন্দর করে গড়ে তোলার স্বপ্ন। ঈশ্বরের ইচ্ছা ছিল আর তাঁর নিজের কাছে এটিকে অনিন্দ্যসুন্দর করে দিয়ে যাওয়ার একটা চ্যালেঞ্জ ছিল, একথা বাপুজি প্রায়ই বলতেন। তিনি আরও বলতেন যে, এখন আমাদের থামলে চলবে না, সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। বাপুজি কম কথার মানুষ ছিলেন, কিন্তু অত্যন্ত সরল ভাষায় আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে মর্মস্পর্শী কথা বলতেন। এটাই ছিল পূজনীয় বাপুজির প্রধান বৈশিষ্ট্য। তারপরও অনেকবার তাঁর দর্শনের সৌভাগ্য হয়েছে, আর যখন ভুজ তথা কচ্ছ-এ ভূমিকম্প এল, আমি একথা বলতে পারি, তখন মোরবি-র সেই দুর্ঘটনা থেকে আমি যে শিক্ষা পেয়েছিলাম, সেই শিক্ষা অত্যন্ত কাজে লেগেছিল। এমন পরিস্থিতিতে কিভাবে কাজ করতে হবে তার যে অভিজ্ঞতা আমি মোরবি-র দুর্ঘটনা থেকে অর্জন করেছিলাম, সেই অভিজ্ঞতা ভূমিকম্পের সময় দ্রুত ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপযোগী হয়েছে। সেজন্য আমি এই পবিত্র মাটির কাছে বিশেষভাবে ঋণী কারণ, যখনই বড় সেবা করার সুযোগ পাই, তখন মোরবি-র জনগণ আজও সেই সেবাভাব নিয়ে কাজ করার প্রেরণা যোগান, আর ভূমিকম্পের পর কচ্ছ-এর যে অবস্থা হয়েছিল তা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আজ কচ্ছ-কে আমরা যে জায়গায় দাঁড় করিয়েছি, ওই বিপর্যয়ের সময়ে গুজরাটিদের যে ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি দেখেছি, অনুভব করেছি; আমার জীবনে মোরবি-র মানুষই প্রথম সেই শক্তি সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন। আজ আপনারা দেখুন, চিনেমাটির নানা বাসন ও অন্যান্য পণ্য, টাইলস-এর নানা পণ্য, ঘড়ি তৈরি কাজ – এই সকল ক্ষেত্রে মোরবি এমন একটি শিল্প উৎপাদনের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে যা আগে কেউ কল্পনাও করেনি। আগে মৎসু বাঁধের চারপাশে ইঁটভাটা ছাড়া আর কিছুই দেখা যেত না। বড় বড় চিমনি আর অসংখ্য ইঁটভাটা। আজ সেগুলিকেই আমরা মোরবি-র খ্যাতি ও সম্মান বৃদ্ধিতে কাজে লাগিয়েছি। আমি তো আগেও বলতাম যে একদিকে মোরবি আর অন্যদিকে রাজকোট আর তৃতীয় দিকে জামনগর। জামনগরের পিতল শিল্প, রাজকোটের ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, আর মোরবির ঘড়ি শিল্প, সেরামিক শিল্প – এই তিন ধরনের শিল্পোদ্যোগের ত্রিকোণের দিকে, ত্রিভূজের দিকে যখন তাকাই, তখন মনে হয় যে আমাদের রাজ্যে একটি নতুন ‘মিনি জাপান’ সাকার হয়ে উঠছে। একথা আজ আমি বলছি কারণ আমি দেখতে পাচ্ছি সৌরাষ্ট্রের মধ্যে এখন এ ধরনের শিল্প ত্রিভূজ ক্রমে সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে আর এখন তো এর পেছনে কচ্ছ-এরও অংশীদারিত্ব ক্রমবর্ধমান। এর ব্যবহার আমরা যত বেশি করব, আর যেভাবে মোরবি-তে পরিকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে তা মুখ্য রূপে সকলের প্রচেষ্টায়। এর সঙ্গে ‘সবকা সাথ’ যুক্ত হয়েছে। এই অর্থে মোরবি, জামনগর, রাজকোট আর এদিকে কচ্ছ – একভাবে কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা একটি সামর্থ্যবান ছোট ছোট শিল্পোদ্যোগের সক্���িয় কেন্দ্র হয়ে উঠেছে, বিকশিত হয়েছে। আমাদের চোখের সামনেই দেখতে দেখতে মোরবি ক্রমে একটি বড় শহরের রূপ নিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই মোরবি দেশে একটি নিজস্ব পরিচয় গড়ে তুলেছে আর আজ বিশ্বের অনেক দেশে মোরবি-তে উৎপাদিত পণ্য পৌঁছে যাচ্ছে। এর ফলে মোরবি-র একটি স্বতন্ত্র ছাপ তৈরি হয়েছে আর এই ছাপ এই মাটিতে যত সাধু, সন্ন্যাসী, সন্ত, মহন্ত, মহাত্মারা ছিলেন এবং আজও আছেন, তাঁদের আশীর্বাদে, তাঁদের সাধারণ অনাড়ম্বর জীবনযাপনের, তাঁদের তপস্যার মাধ্যমে আমাদেরকে যে লক্ষ্য নির্ধারণের প্রেরণা দিয়ে গেছেন, এগুলি তারই পরিণাম। আপনারা গুজরাটের যেদিকেই তাকান, সেখানে শ্রদ্ধা এবং আস্থার অনেক অসংখ্য পীঠ দেখতে পাবেন। সারা রাজ্যে দাতাদের কোনও অভাব নেই। কোনও না কোনও শুভ কাজ নিয়ে যদি এগিয়ে যান তাহলে আপনার কাজে অর্থ যোগাতে দাতাদের লম্বা লাইন দেখা যাবে। এরাজ্যে কে কার আগে দান করবেন তার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। এভাবেই আজ কাঠিয়াওয়ার এক প্রকার যাত্রা ধামের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। আজ একথা বলতে পারি যে, আজ গুজরাটের কোনও এমন জেলা বাকি নেই যেখানে মাসে একবার হলেও হাজার হাজার মানুষ বাইরে থেকে আসেন না! যদি আমরা হিসেব করি, এই যাত্রাকে আমরা তীর্থ ভ্রমণও বলতে পারি, আবার পর্যটনও বলতে পারি। এই দুটো মিলিয়ে আমি বলি ‘তীর্থাটন’। এই ‘তীর্থাটন’ কাঠিয়াওয়ারকে একটি নতুন শক্তি যুগিয়েছে। আমাদের সমুদ্র তটগুলিও এখন মানুষের ভিড়ে গুঞ্জরিত। গতকাল আমি উত্তর-পূর্ব ভারতের ভাই ও বোনেদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। সেখানে উত্তর-পূর্ব ভারতের সিকিম, ত্রিপুরা, মণিপুরের অনেকের সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে। তাঁরা অনেকেই বলেছেন যে কিছুদিন আগেই তাঁরা গুজরাট ঘুরতে এসেছিলেন আর অনেকে তো মেয়ে বিয়ের সাজসজ্জা সহকারে এসেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ এবং রুকমনির বিবাহে রুকমনির পক্ষ থেকে সাজ-সরঞ্জাম নিয়ে এসে তাঁরা এখানকার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। এ ধরনের ঘটনা আমাদের শক্তি যোগায়, আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। যে মাটিতে ভগবান কৃষ্ণের বিয়ে হয়েছিল, সেই মাধবপুরের মেলাতে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষেরা এসে ভিড় করেছিলেন। পূর্ব এবং পশ্চিমের এই অদ্ভূত মিলন দেশের ঐক্য ও সংহতির একটি নতুন উদাহরণ স্থাপন করেছে। ওখান থেকে যে মানুষেরা এসেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়ে আসা, হস্তশিল্পের পণ্য এখানে খুব বিক্রি হয়েছে। ফলে, পরবর্তীকালেও উ��্তর-পূর্ব ভারত থেকে মাধবপুর মেলায় বহু সংখ্যক মানুষের আগমনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন আমার মনে হয়, মাধবপুরের এই মেলা গুজরাটে যতটা প্রসিদ্ধ তার থেকে বেশি পূর্ব ভারতে প্রসিদ্ধ হয়ে উঠবে। এভাবেই কোনও অঞ্চলের আর্থিক গতিবিধি বৃদ্ধি পায়। আপনারা এখানে কচ্ছ-এর রান-এ যে রানোৎসবের আয়োজন করেছেন, সেখানে যেতে হলে প্রত্যেককেই মোরবি হয়ে যেতে হবে। অর্থাৎ, মোরবি রানোৎসবে আসা-যাওয়া করা পর্যটকদের পদস্পর্শে ধন্য হবে, উপকৃত হবে। এর প্রমাণ এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি। ইতিমধ্যেই মোরবি-র হাইওয়ের দু’পাশে অনেক নতুন নতুন হোটেল তৈরি হয়েছে। কারণ, কচ্ছ-এ যত বড় জমায়েত হয়েছে, যত বেশি মানুষ এসেছেন, তাঁদের আসায় মোরবি-ও লাভবান হয়েছে, আর যখন এলাকার উন্নয়ন হয়, যখন এই ধরনের মৌলিক উন্নয়ন হয়, তখন দীর্ঘ সময় ধরে সেখানকার মানুষের সুখের কারণ হয়ে ওঠে। দীর্ঘ সময় ধরে প্রশাসন ও ব্যবস্থার একটা অংশ হয়ে ওঠে, আর এখন আমরা গিরনারে রোপওয়ে তৈরি করেছি। আজ এরকম অনেকেই আছেন, যাঁদের বয়স হয়ে গেছে, বৃদ্ধ হয়ে গেছেন, অনেককাল আগে গিরনার যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন, কিন্তু অনেকটা চড়াই অতিক্রম করে যেতে হবে বলে যেতে পারেননি। তাঁরা এখন এই রোপওয়ের মাধ্যমে যেতে পারবেন। আমাকে অনেকেই বলেছেন যে এখন ৮০-৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে আসেন। এভাবে গিরনার তাঁদের পদস্পর্শে, তাঁদের আশীর্বাদে ধন্য হয়। এর পাশাপাশি যে শ্রদ্ধার উৎস রয়েছে, সেটা তো আছেই। কিন্তু, বেশি সংখ্যক মানুষ সেখানে গেলে স্থানীয় মানুষের রোজগার বাড়ে, আর ভারতের এত বড় শক্তি রয়েছে যে, আমরা কোনও ঋণ না নিয়ে ভারতের পর্যটনকে উন্নত করে তোলার ক্ষমতা রাখি। পর্যটনকে সঠিক অর্থে প্রচারিত, সম্প্রসারিত করতে পারি। সেজন্য প্রথম শর্ত হল আমাদের তীর্থক্ষেত্রগুলিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হতে হবে। প্রতিটি তীর্থক্ষেত্রের স্থানীয় মানুষেরা যেন পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে আধুনিক শিক্ষাপ্রাপ্ত হন। আগে আমরা জানতাম, মন্দিরে প্রসাদ পেতে অনেক সমস্যা হয়। কিন্তু এখন তো দেখছি মন্দিরের প্রসাদও প্যাকেটে পাওয়া যায়। এসব দেখে যখন আমি বললাম যে, প্যাকেটে প্লাস্টিকের ব্যবহার করা চলবে না, তখন সমস্ত মন্দির প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। আজ গুজরাটের অধিকাংশ মন্দিরে প্লাস্টিকের প্যাকেটে প্রসাদ দেওয়া হয় না। এর অর্থ হল যে, আমাদের মন্দির এবং সাধু-সন্ন্যাসীরা, সন্ত-মহন্তরা যেভাবে সমাজ বদলায়, যেভাবে মানুষের ধ্যান-ধারণা বদলায়, সেই সংযোগের হিসেবে কিভাবে জনগণকে সেবা করতে হবে সেকথা মাথায় রেখেই ক্রমাগত কাজ করে যান। তাঁরাও সময়ের চাহিদা অনুসারে পরিবর্তন আনতে থাকেন। তাঁদের এই পদক্ষেপ থেকে আমাদের সকলেরই শেখা উচিৎ। এই শিক্ষা আমাদের জীবনে প্রয়োগ করা উচিৎ। তবেই আমরা আন্তরিকভাবে সবচাইতে বেশি লাভবান হব। এখন আমাদের দেশে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের সময়। অনেক মহাপুরুষ এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য আত্মবলিদান দিয়েছেন। কিন্তু তার আগেও আমাদের একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, ১৮৫৭ সালের আগে এই সাধু, সন্ন্যাসী, সন্ত, মহন্তরাই স্বাধীনতার জন্য সমগ্র ভারতে একটি প্রেক্ষিত তৈরি করেছিলেন, একটি আধ্যাত্মিক চেতনার বাতাবরণ তৈরি করেছিলেন। এ দেশের সাধু-সন্ন্যাসী, সন্ত-মহন্ত, ঋষি-মুনি, ভক্ত ও আচার্যরা যে ভক্তিযুগ শুরু করেছিলেন, সেই ভক্তিযুগ ভারতের আত্মগরিমার চেতনাকে প্রজ্জ্বলিত করেছে। সেই চেতনাই স্বাধীনতার আন্দোলনে একটি নতুন শক্তি যুগিয়েছে। সেজন্য আমাদের দেশের সাধু-সন্ন্যাসীদের শক্তি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মধ্যে যে একটা সামর্থ্য ছিল, যাঁরা আমাদের সর্বদাই – ‘সর্বজন হিতায়, সর্বজন সুখায়, সর্বজন কল্যাণ’ কল্পে সমাজ জীবনে কিছু না কিছু কাজ করে গেছেন, আর সেজন্যই আজ হনুমানজিকে স্মরণ করার অর্থ হল সেবাভাব ও সমর্পণভাবকে মর্যাদা দেওয়া। হনুমানজি তো আমাদের এটাই শিখিয়েছেন। হনুমানজির ভক্তি সেবা পূর্তিরই একটি রূপ। হনুমানজির ভক্তি সমর্পণেরই একটি রূপ। হনুমানজি শুধুই চমৎকার কিছু করে দেখানো বা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষকে আকর্ষিত করার কাজ করেননি, হনুমানজি সাধারণ মানুষের দুঃখ মেটানো, সাধারণ মানুষের মনে সাহস জাগানো, তাঁদের মনে পরাক্রম জাগানোর মাধ্যমে নিজের সেবাধর্মকে উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। আজও যখন আমরা স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে অমৃত মহোৎসব পালন করছি, তখন আমাদের মনে সেবাভাব যতটা প্রবল হবে, পরোপকারের স্পৃহা যতটা জাগবে, ততটাই আমরা সমাজ জীবনকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করার মতো সমন্বয়ধর্মী করে তুলতে পারব। এই দেশ তত বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আর আজ ভারত যেরকম আছে, সেরকম থাকলে একদমই চলবে না। সেজন্য আমরা জেগে থাকি কিংবা ঘুমিয়ে থাকি, শয়নে, জাগরণে এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা করার ছাড়া উপায় নেই। আজ বিশ্বের পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে সারা পৃথি���ী এখন বলতে শুরু করেছে, “আমাদের আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে হবে।” এখন যখন আমরা সাধু-সন্ন্যাসীদের মধ্যে বসেছি, তখন আমাদের উচিৎ মানুষের কাছে এই আবেদন পৌঁছে দেওয়া। প্রত্যেকেই যেন আজ ‘লোকালের জন্য ভোকাল’ হোন, প্রত্যেকেই যেন স্থানীয় পণ্যের জন্য আওয়াজ ওঠান। আমি ঠিক বলছি তো? আমাদের এখন ‘লোকাল ফর ভোকাল’-এর জন্য কথা বলা উচিৎ কি উচিৎ নয়? যেসব পণ্য আমাদের দেশে তৈরি হয়, আমাদের দেশের মানুষ তৈরি করেন, আমাদের দেশের মানুষের পরিশ্রম দিয়ে তৈরি পণ্যই আমাদের ব্যবহার করা উচিৎ। আমরা যদি এরকম আবহ সারা দেশে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে কল্পনা করুন ,কত কত মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বাইরে থেকে আনা জিনিস, বিদেশ থেকে আমদানী করা দামী জিনিস ব্যবহার করতে কারও কারও হয়তো বেশি ভালো লাগে, কিন্তু লক্ষ্য করে দেখবেন, সেগুলির সঙ্গে আমাদের দেশীয় পণ্যের তুলনায় বড়জোর ১৯-২০ পার্থক্য। কিন্তু যে জিনিস ভারতের মানুষ তৈরি করেছেন, ভারতের টাকায় তৈরি হয়েছে, যে পণ্যে ভারতের শ্রমিকদের, শিল্পী কিংবা কর্মীদের ঘামের গন্ধ আছে, ভারতের মাটির সুরভী আছে, সেই পণ্যের গৌরব এবং তা ব্যবহারের আনন্দই ভিন্ন হয়। আমাদের সাধু-সন্ন্যাসী এবং সন্ত-মহন্তরা যেখানেই যান, তাঁরা কিন্তু ভারতে তৈরি হওয়া পণ্য কিনতেই বেশি আগ্রহী থাকেন। তাহলেও ভারতে কর্মসংস্থানের জন্য আমাদের এই পদক্ষেপ নিতে হবে। সবাই দেখবেন, যত বেশি ভারতীয় পণ্য কেনা যায়! আমরা যখন হনুমানজির প্রশংসা করি, আর বলি, হনুমানজি এটা করেছেন, ওটা করেছেন, কিন্তু হনুমানজি কী বলেছেন সেটাকে আমাদের জীবনের প্রেরণা করে তুলতে হবে। হনুমানজি প্রায়ই বলতেন – “সো সব তব প্রতাপ রঘুরাঈ, নাথ ন কছু মোরী প্রভূতাই!” অর্থাৎ, আমাদের সমস্ত কাজ, আমাদের সমস্ত সাফল্যের শ্রেয় তিনি সর্বদাই প্রভূ রামকে দিয়েছেন। তিনি কখনই বলেননি যে এসব কিছু আমার কারণে হয়েছে। তিনি সব সময় বলে গেছেন যা কিছু হয়েছে তা প্রভূ রামের কারণে হয়েছে। আজও ভারত যেখানে পৌঁছেছে, ভবিষ্যতে যেখানে পৌঁছনোর সঙ্কল্প নিয়ে এগোতে চায়, তার একটাই রাস্তা – আমরা সবাই ভারতের নাগরিক … আর এটাই আমাদের আসল শক্তি। আমার জন্য তো আমার দেশের ১৩০ কোটি মানুষই রামের স্বরূপ। জনগণকেই আমি রাম বলে মনে করি। তাঁদের সঙ্কল্প নিয়েই দেশ এগিয়ে চলেছে। তাঁদের আশীর্বাদেই দেশ এগিয়ে চলেছে। এই মনোভাব নিয়েই আমরা কাজ করে চলেছি। এই মনোভাব নিয়েই আমি আরও একবার এই শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। হনুমানজির শ্রীচরণে প্রণাম জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ! বিশেষ দ্রষ্টব্য : ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির এই ভাষণটি গুজরাটি ও হিন্দি ভাষায় প্রদত্ত। সেজন্য অনেক জায়গাতেই মূল বক্তব্য অনুসরণ করে ভাবানুবাদ করা হয়েছে। /",মৰবি গুজৰাটত হনুমানজীৰ ১০৮ ফুট ওখ মূৰ্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবা +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-19/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-10/,"নতুন দিল্লি, ৩১ অক্টোবর, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়াণ বার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন। এক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন : “মৃত্যু বার্ষিকীতে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীজী-কে শ্রদ্ধার্ঘ্য।” /",প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী ইন্দিৰা গান্ধীৰ মৃত্যু বাৰ্ষিকীত শ্ৰদ্ধাঞ্জলি অৰ্পন প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%88-%E0%A6%AE%E0%A7%81/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল (১৯শে জানুয়ারি) ভারতের চলচ্চিত্রের জাতীয় সংগ্রহালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন। জাতীয় সংগ্রহালয় পরিদর্শন করে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। ভারতের চলচ্চিত্রের সমৃদ্ধ ইতিহাস তুলে ধরতে এবং চলচ্চিত্রের ক্রমবিকাশের মধ্য দিয়ে ভারতের সমাজ-সংস্কৃতির ইতিহাসকে প্রতিষ্ঠা করতে ভারতীয় চলচ্চিত্রের জাতীয় সংগ্রহালয় স্থাপন করা হয়েছে। ভিস্যুয়াল ও গ্রাফিক্স, চলচ্চিত্রের ক্লিপিংস, শিল্পসামগ্রী, প্রচার সামগ্রী প্রভৃতির মাধ্যমে গল্প বলার কায়দায় ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক শতকেরও বেশি যাত্রাকাল দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হবে। দক্ষিণ মুম্বাইয়ে ফিল্মস ডিভিশন কমপ্লেক্সে অবস্থিত সংগ্রহালয় দুটি বিল্ডিং – ঐতিহাসিক গুলসান মহল ও নিউ মিউজিয়াম বিল্ডিং জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নিউ মিউজিয়াম বিল্ডিং-এ চারটি তল রয়েছে: গান্ধী ও চলচ্চিত্র – প্রথম তল, শিশুদের জন্য চলচ্��িত্র স্টুডিও – দ্বিতীয় তল, প্রযুক্তি, সৃজনশীলতা ও ভারতীয় চলচ্চিত্র – তৃতীয় তল এবং সারা ভারত জুড়ে চলচ্চিত্র – চতুর্থ তল। নিউ মিউজিয়াম বিল্ডিং-এ দুটি অডিটরিয়ামও রয়েছে, যাতে অত্যাধুনিক ডিজিটাল সিনেমা প্রোজেক্টর এবং ৭.১ সারাউন্ড সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা রয়েছে। /",প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে কাইলৈ মুম্বাইত উদ্বোধন কৰিব ৰাষ্ট্ৰীয় ভাৰতীয় চলচ্চিত্ৰ সংগ্ৰহালয়ৰ নতুন গৃহ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A4-%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%9A%E0%A7%B0%E0%A6%95/,"দহিসারেরআরআরস্টেশনে অবস্থিত ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ৪০ একর জমি মুম্বাই নগরাঞ্চলউন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এমএমআরডিএ)-এর অনুকূলে হস্তান্তরের একটি প্রস্তাবে আজ সম্মতিদেওয়া হল প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এই জমি মুম্বাইয়ের গোরাই-তে একটি মেট্রো শেড গড়ে তোলার কাজেব্যবহার করা হবে। জমি হস্তান্তরের ফলে মুম্বাইয়ের মেট্রো রেল প্রকল্প সম্পূর্ণকরার কাজও অপেক্ষাকৃত সহজ হয়ে যাবে। জমিহস্তান্তরের প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্মতিদানের ফলে দক্ষ এবং অদক্ষকর্মীদের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদেরও। শুধু তাই নয়,মেট্রো রেল প্রকল্পের নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত নির্মাণ তথা উৎপাদন শিল্পগুলিতেওএর ফলে অতিরিক্ত কাজের সুযোগ সম্প্রসারিত হবে। মেট্রো কারশেডটি চালু হয়ে গেলেপ্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সেখানেও সৃষ্টি হবে নতুননতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ। /",মুম্বাই গোৰাইত ৰাজ্য চৰকাৰৰ ৪০ একৰ ভূমিৰ সৈতে ডাহিছাৰ বিমানবন্দৰৰ সমান পৰিমাণৰ ভূমি মুম্বাই মেট্ৰো ৰে’লৰ আন্তঃগাঁথনি নিৰ্মাণৰ অৰ্থে হ্স্তান্তৰত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%A5%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AA-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%80-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A1/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%A5%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9B-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AA-%E0%A6%9C%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%95%E0%A7%B0%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0/,"নতুন দিল্লি, ১৫ মে, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী থমাস কাপ জয়ী ভারতীয় ব্যাডমিন্টন দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ""ভারতীয় ব্যাডমিন্টন দল ইতিহাস তৈরি করেছে। থমাস কাপ জয়ের জন্য সমগ্র দেশ গ���্বিত। কৃতিত্বের অধিকারী এই দলকে অভিনন্দন এবং তাঁদের ভবিষ্যৎ প্রচেষ্টায় শুভকামনা জানাই। এই সফল্য থেকে উঠতি প্রতিভাবান খেলোয়াড়রাও উদ্বুদ্ধ হবেন।"" /",থমাছ কাপ জয় কৰাৰ বাবে ভাৰতীয় বেডমিণ্টন দলক অভিনন্দন প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%93-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D/,"নয়া দিল্লি: ০২অক্টোবর: প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার মহাত্মা গান্ধী ও লাল বাহাদুরশাস্ত্রীকে তাঁদের জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করলেন| প্রধানমন্ত্রীবলেন, “গান্ধী জয়ন্তী পর বাপু কো শত্ শত্ নমন! গান্ধী জয়ন্তীতে প্রিয়বাপুকে আমি প্রণতি জানাই| তাঁর মহান আদর্শগুলি বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকেঅনুপ্রাণিত করে| জওয়ানো এবংকিসানো কে প্রেরণা এবং দেশ কো কুশল নেতৃত্ব প্রদান করনেওয়ালে শাস্ত্রীজি কো নমন! লাল বাহাদুরশাস্ত্রীজিকে তাঁর জন্মজয়ন্তীতে স্মরণ করছি|”",জন্মজয়ন্তীত মহাত্মা গান্ধী আৰু লালবাহাদুৰ শাস্ত্ৰীলৈ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শ্ৰদ্ধাঞ্জলি +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF-7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%B0/,"বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় শেখ হাসিনা মহোদয়া, ভারত এবং বাংলাদেশের মন্ত্রীগণ, আর এই সরাসরি সম্প্রচারের সঙ্গে যুক্ত ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুগণ, নমস্কার। কয়েকদিনের মধ্যেই এটি আমাদের দ্বিতীয় ভিডিও কনফারেন্স। আমাদের এই সহজ সম্পর্কের পেছনে কোনও প্রযুক্তি নয়, এর পেছনে রয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবাধ গতি ও নিরন্তর প্রগতি। ভৌগোলিকভাবে আমরা প্রতিবেশি দেশ। কিন্তু মানসিকভাবে আমরা একই পরিবারের সদস্য। পরস্পরের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়ানো, পরস্পরের উন্নয়নে সাহায্যের হাত বাড়ানো – এসব আমাদের পারিবারিক মূল্যবোধেরই পরিচয়। বিগত কয়েক বছরে আমাদের সহযোগিতা বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছে যে প্রতিবেশীরা চাইলে একে অপরের জন্যে কী না করতে পারে! চার দশক পুরনো সীমান্ত বিবাদের সুষ্ঠু সমাধান থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে পরস্পরের পাশে দাঁড়ানো, আমরা সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছি। এই উন্নতির কৃ��িত্ব আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বকে দিতে চাই। আর সেজন্যে আমি আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। বন্ধুগণ, আজ যে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের কাজ শুরু হয়েছে, তা উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার মহাকাব্যে এক নতুন অধ্যায় জুড়বে! যে কোনও দেশের উন্নয়নে জ্বালানী একটা বড় ভূমিকা পালন করে। সেজন্যে আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই পাইপলাইন বাংলাদেশের দ্রুত উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষাপূরণে সহায়ক হয়ে উঠবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তরভাগে এই পাইপলাইন সুলভে জ্বালানী তেল পৌঁছে দেবে। এই পাইপলাইন বাংলাদেশের আর্থিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কে আরও প্রাণশক্তি সঞ্চার করবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, ভারতের অর্থানুকূল্যে তৈরি হলেও এই পাইপলাইন সংযোগের পর বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে সমর্পণ করা হবে। একইভাবে আজ আমরা যে রেল প্রকল্পের কাজ শুরু করেছি, তা ঢাকার যানজট হ্রাস করার পাশাপাশি বাংলাদেশের পরিবহণ শুল্কের আমদানিও বাড়াবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই রেল প্রকল্প বাংলাদেশের আন্তর্দেশীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি নাগরিক যাতায়াত ব্যবস্থাকেও উন্নত করবে। শ্রদ্ধাভাজনেষু, আপনি চান যে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে আবার ১৯৬৫ পূর্ববর্তী কালের মতো অবাধ যাতায়াত শুরু হোক। এই আকাঙ্খা আমাকে প্রেরণা জোগায়। আমি আনন্দিত যে, ঢাকা- টোঙ্গী – জয়দেবপুর এর মতো প্রকল্প আমাদের পারস্পরিক যাতায়াত ব্যবস্থাকে একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মাত্র ১০ দিনের মধ্যে আমরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প উদ্বোধন করতে পেরেছি। এই গতি, এই বাস্তবায়ন আপনার প্রজ্ঞা এবং দক্ষ নেতৃত্ব ছাড়া সম্ভব হ’ত না! আমি বিশ্বাস করি যে আগামী দিনে ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্যে আমরা এই ভাবনা নিয়েই কাজ করে যাব। শ্রদ্ধাভাজনেষু, আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করার আগে আপনাকে আগামী ২৪শে সেপ্টেম্বর তারিখে আপনার জন্মদিনের জন্যে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাতে চাই। সমস্ত ভারতবাসীর পক্ষ থেকে আপনার দীর্ঘ আয়ু, সুস্থ সবল শরীর ও সবরকম সাফল্য কামনা করি, আর আশা করি, বাংলাদেশের উন্নয়ণ এবং ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর আপনি এমনভাবেই পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে যাবেন। ধন্যবাদ। ……","প্ৰধানমন্ত্ৰী, বাংলাদেশৰ প্ৰধানমন্ত্ৰী শ্বেইখ হা���িনাৰ যুটীয়াভাৱে দুটা প্ৰকল্পৰ ভূমি পূজন অনুষ্ঠানৰ ই-ফলক মুকলি" +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%A8-4/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%BE/,"আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা , নমস্কার, আমি বরাবরই চেষ্টা করি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সাধারণ মানুষের জীবনে কেমন পরিবর্তন এনেছে সেই বিষয়ে তাদের মধ্যে গিয়ে সরাসরি তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে। ঠিক কিম্বা ভুল, ভাল কিম্বা খারাপ, এর ফলে সমস্যা আরও বেড়েছে নাকি কমেছে; এই সমস্ত বিষয়ে আপনাদের কাছ থেকে জানতে পারা আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি আধিকারিকরা যে রিপোর্ট প্রস্তুত করেন, তার একটা আলাদা গুরুত্ব আছে। কিন্তু আমি সরাসরি সুবিধাভোগীদের সঙ্গে দেখা করে, কথা বলে অনেক নতুন জিনিস জানতে পারি। যেমন উজ্জ্বলা যোজনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলে একটি অপ্রত্যাশিত তথ্য জেনেছিলাম। উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সংযোগপ্রাপ্ত মহিলারা আমাকে জানান যে, এর ফলে আমাদের অনেক জল সাশ্রয় হয়েছে। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করি, জল আবার কিভাবে বাঁচল? তাঁরা বলেন, কাঠের উনুনে যখন রান্না করতাম, সমস্ত বাসন কালো হয়ে যেত। দিনে তিন চারবার বাসন ধুতে অনেক জল লাগতো। এখন গ্যাসের উনুনে রান্না করি তাই এত ঘন ঘন বাসন মাজতে হয় না, তাই জল বাঁচে! এভাবে সরাসরি কথা বলে অনেক নতুন নতুন জিনিস জানি। সেই ক্রমে আজ আমি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা গৃহ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত আর যারা কিছুদিন পর নিশ্চিতভাবেই নিজের বাড়ি পেতে চলেছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। আপনারা জানেন যে প্রত্যেক ব্যক্তির মনে সবসময়ই একটা ইচ্ছা থাকে যে, তাঁর একটা নিজস্ব বাড়ি থাকুক। দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর মানুষের মনেও নিজস্ব বাড়ির স্বপ্ন থাকে। যত ছোটই হোক না কেন, নিজের বাড়ি থাকার যে সুখানুভূতি তা যে বাড়ি পেয়েছে সে-ই জানে, অন্য কেউ জানে না! আমি আপনাদের টিভির মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি, প্রযুক্তির মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি, আপনাদের চেহারায় যে খুশি দেখতে পাচ্ছি, সন্তুষ্টির ভাব দেখতে পাচ্ছি, যেন বেঁচে থাকার জন্য নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে! নিজের চোখে আপনাদের চেহারায় এই উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখতে পেয়ে আমারউৎসাহকয়েকগুণ বেড়ে যায়। তখ��� আমার মনে আরও কাজ করার ইচ্ছে জাগে। আপনাদের মুখে হাসি আমাকে আনন্দ দেয়। কোনও আবাস যোজনার অর্থ শুধুই মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাই করে দেওয়া নয়। বাড়ি মানে শুধু চারপাশের দেওয়ালের ওপর একটা ছাদ নয়। বাড়ি মানে সেই স্থান… যেখানে জীবন ধারণ করা যায়, সমস্ত সুবিধা থাকে, পরিবারের সবাই আনন্দে থাকেন! প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মূলেও একই ভাবনা রয়েছে। সবার মনেই নিজস্ব বাড়ির স্বপ্ন থাকে। দরিদ্র থেকে দরিদ্র মানুষও চান যে তাঁর নিজস্ব পাকাবাড়ি হোক! কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার এত বছর পরও গরিবের ইচ্ছা অপূর্ণ রয়েছে। বর্তমান সরকার সংকল্প নিয়েছে যে ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগেই যতটা প্রয়োজন দৌড়ঝাপ করে, ভারতের গ্রাম ও শহরের প্রতিটি বস্তি ও ফুটপাথে বসবাসকারী, প্রতিটি পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীআবাসযোজনারমাধ্যমেগৃহনির্মাণ করবে! যেমন তেমন বাড়ি নয়, সেই বাড়িতে সৌভাগ্য যোজনার বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে, জলের কল থাকবে, সেই নলে পানীয় জল আসবে, বাড়িতে স্বতন্ত্র শৌচালয় থাকবে, যাতে বাড়ির সবার মনে হয় যে, জীবন এখন বেঁচে থাকার যোগ্য হয়ে উঠেছে, এখন পরিশ্রম করে এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করতে হবে! দরিদ্র থেকে দরিদ্র মানুষ শুধু বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা পাবেন না, মান-স্মমান এবং পারিবারিক গরিমা বৃদ্ধির সুযোগও পাবেন। সকলের জন্য নিজস্ব বাড়ি – এটা আমাদের স্বপ্ন এবং এর বাস্তবায়ন আমাদের সংকল্প। কোটি কোটি মানুষের এই দেশে এই সংকল্প বাস্তবায়ন সহজ কাজ নয়। অনেক বড় সমস্যা, সমাধান অনেক কঠিন। স্বাধীনতার পর থেকে এতবছরের অভিজ্ঞতা বলে যে এটা অসম্ভব কাজ। তা সত্ত্বেও গরিব মানুষের জীবন, গৃহহীণদের কথা ভেবে, আপনাদের প্রতি ভালবাসা থেকে এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকারি ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সবাই কাজ করা শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু শুধু ইচ্ছাশক্তি দিয়ে সবকিছু করা যায় না। তাঁর জন্য পরিকল্পনা চাই, গতি চাই, জনগণের বিশ্বাস ও সমর্থন চাই। জনগণের জন্য কাজ করার সমর্পণ ভাব চাই। এই সমস্যা সমাধানের জন্য পূর্ববর্তী সরকারগুলির প্রচেষ্টা কেমন ছিল, কিভাবে কাজ শুরু হতো, কেমন কাজ হতো – এই সবকিছু আপনারা জানেন। আমার মনে হয় আজ এই প্রক্রিয়ায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগে কখনও মন্দিরের নামে, সম্প্রদায়ের নামে, বস্তির নামে সরকারি আবাসন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে, কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির বাহানায় এই প্রয়াস অপর্যাপ্ত থেকে গেছে। তারপর এই প্রকল্প বড় নেতার নামে, একটি পরিবারের সদস্যদের নামে চালু হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের জন্য গৃহনির্মাণ থেকে বেশি রাজনৈতিক লাভের কথা মাথায় রেখে এগিয়ে যাওয়া ছিল। তাই সারাদেশে দালালদের একটি বড় বাহিনী গড়ে উঠেছিল, আর ঠিকেদারদের ছিল পোয়াবারো! আমরা একটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এই সমস্যা সমাধানের কথা ভেবেছি। বিচ্ছিন্নভাবে না ভেবে মিশনমোডে কাজ করার সংকল্প নিয়েছি। আমরা ঠিক করেছি যে ২০২২ সালের মধ্যে গ্রামাঞ্চলে তিন কোটি আর শহরাঞ্চলে এক কোটি গৃহ নির্মাণ করব! লক্ষ্য যখন এত বড়, লক্ষ্যপূরণের বাজেটও বড় হবে। একটা সময় ছিল, যখন বরাদ্দ করা বাজেট অনুসারে লক্ষ্য নির্ধারিত হ’ত। কিন্তু এখন আমরা আগে দেশের অগ্রাধিকার বিবেচনা করে লক্ষ্য স্থির করি। তারপর, সেই অনুযায়ী বাজেট বরাদ্দ করি। পরিণামস্বরূপ, শহরাঞ্চলেও কাজ হচ্ছে। ইউপিএ সরকার শেষ ১০ বছরে যত গৃহনির্মাণের আবেদন মঞ্জুর করেছে, বিগত চার বছরে তারচেয়ে প্রায় চারগুণ বেশি আমরা মঞ্জুর করেছি। ইউপিএ সরকার শেষ ১০ বছরে সাড়ে তেরো লক্ষ আবেদন মঞ্জুর করেছিল। আমরা চার বছরে প্রায় ৪৭ লক্ষ মঞ্জুর করেছি। এগুলির মধ্যে ৭ লক্ষ গৃহ নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে। সুলভে গৃহনির্মাণের ক্ষেত্রে বিশ্বমানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য গ্লোবাল হাউসিং টেকনোলজি চ্যালেঞ্জ কর্মসূচির সূত্রপাত করেছি। একইভাবে, গ্রামাঞ্চলে বিগত সরকারের শেষ চার বছরে প্রায় সাড়ে পঁচিশ লক্ষ গৃহ নির্মিত হয়েছে। আর আমাদের সরকার বিগত চার বছরে ১ কোটিরও বেশি গৃহ নির্মাণ করেছে। অর্থাৎ ৩২৫ শতাংশেরও বেশি কাজ। আগে প্রত্যেকটি বাড়ি বানানোর জন্য নির্ধারিত সময় ছিল ১৮ মাস। আমরা গুরুত্ব বুঝে, গতি বাড়িয়ে ১৮ মাসের কাজ ১২ মাসে সম্পন্ন করার সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। শুধু ইঁট আর পাথর দ্রুতগতিতে ফেললে তাড়াতাড়ি বাড়ি তৈরি হয় না। প্রতিটি স্তরে পরিকল্পনামাফিক পদ্ধতিতে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হয়। শুধু পরিমাণ নয়, আকারের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে গ্রামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গৃহনির্মাণের ন্যূনতম ক্ষেত্রফল ছিল ২০ বর্গমিটার; আমরা দায়িত্ব নিয়ে সেই ন্যূনতম ক্ষেত্রফল বাড়িয়ে ২৫ বর্গ মিটার করেছি। আপনারা হয়তো ভাবছেন, এই ৫ বর্গ মিটার বাড়িয়ে কী হবে? এই বৃদ্ধির ফলে সব থেকে বড় লাভ হয়েছে যে এবার বাড়ির সঙ্গে এক��ি ৫ বর্গ মিটার ক্ষেত্রফলের রান্নাঘর যুক্ত হয়েছে। আগে গ্রামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি বানানোর জন্যে ৭০-৭৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হতো। এখন সেই রাশি বাড়িয়ে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছি। এই টাকা এবং মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইনের সুবিধাভোগীদের ৯০-৯৫ দিনের পারিশ্রমিক সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে জমা হয়। তাছাড়া এখন আলাদা করে শৌচালয় নির্মাণের জন্য ১২ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। আগে দালালদের কিম্বা নেতাদের অট্টালিকা অনায়াসে তৈরি হলেও গরিবের গৃহনির্মাণ হতো না। গরিবের টাকায় কেউ যাতে সিঁদ না কাটতে পারে, অন্য কেউ যেন তাঁদের লুটতে না পারে, তার পাকা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আজ ডিবিটি বা ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্র্যান্সফার এর মাধ্যমে দালাল অপসারণ সম্ভব হয়েছে। আর সুবিধাভোগীদের ভর্তুকি এবং অনুদানের টাকা সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হচ্ছে। প্রথমে জন ধন অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছি, এখন টাকা পাঠানো শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কর্মসূচির প্রগতি তদারকির সুবিধার্থে এই নির্মীয়মান বাড়িগুলির জিও-ট্র্যাকিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, যাতে কাজ ও লেনদেনের স্বচ্ছ প্রক্রিয়া বজায় থাকে। এই কাজগুলিকে ‘দিশা পোর্টাল’-এর সঙ্গেও যুক্ত করা হয়েছে, যা দেখে আপনিও তদারকি করতে পারবেন। আমিও অফিসে বসে তদারকি করি, কতটা কাজ হয়েছে আর কোথায় কোথায় হয়েছে। ইউপিএ-র আমলে পুরনো রাজনীতিবিদদের হাতে তৈরি বিপিএল তালিকার সাহায্যে সুবিধাভোগীদের বেছে নেওয়া হ’ত কিন্তু আমরা সামাজিক-অর্থনৈতিক-জাতি জনগণনার মাধ্যমে নির্বাচন করা শুরু করেছি। ফলে, অধিকাংশ মানুষের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় প্রত্যেক ক্ষেত্র, প্রত্যেক বর্গের মানুষ লাভবান হচ্ছেন। বাড়ি শুধু প্রয়োজন নয়, সম্মান ও স্বাভিমানের সঙ্গে যুক্ত। একবার বাড়ি তৈরি হয়ে গেলে বাড়ির প্রত্যেক সদস্যের ভাবনাও বদলায়। এগিয়ে যাওয়ার সাহস তৈরি হয়। আমরা প্রত্যেক পরিবারের এই প্রয়োজন মিটিয়ে তাঁদের সম্মান বাড়াতে চাই। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সমাজের দুর্বল অংশ এবং মহিলা, আদিবাসী, দলিত, পিছিয়ে পড়া মানুষ, তপশিলি জাতি/উপজাতি, অন্যান্য পিছিয়ে পড়া মানুষ, সংখ্যালঘু আর আমাদের দিব্যাঙ্গ ভাই-বোনেদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এভাবে পরিকল্পনামাফিক ব্যাপক প্রচেষ্টার ফলে আরও দ্রুতগতিতে গৃহন���র্মাণ হচ্ছে। আমাদের পা মাটিতে রয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষের সমস্যা, তাঁদের পীড়াকে খুব ভালোভাবে জানি ও বুঝি। আর সেজন্যই আমরা মানুষের প্রয়োজন বুঝে কাজ করি। আগে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ স্বতন্ত্রভাবে হ’ত। বিভিন্ন মন্ত্রক, বিভাগ ও প্রকল্পগুলির মধ্যে কোনও সমন্বয় থাকত না। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বিভিন্ন সরকারি যোজনাকে একসঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। নির্মাণ ও কর্মসংস্থানের জন্য একে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইনের সঙ্গে, শৌচালয়, বিদ্যুৎ, পানীয়জল ও এলপিজি গ্যাসের সুবিধার জন্য যথাক্রমে স্বচ্ছ ভারত মিশন, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রাম জ্যোতি যোজনা, সৌভাগ্য যোজনা, গ্রামীণ পানীয় জল কর্মসূচি এবং উজ্জ্বলা যোজনার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ এই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নেহাতই গৃহনির্মাণেই সীমিত নয়, একে আমরা সার্বিক ক্ষমতায়নের মাধ্যম করে তুলেছি। শহরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গৃহ-প্রাপকদের ৭০ শতাংশ হলেন মহিলা। আজ আগের তুলনায় অনেক বেশি গৃহনির্মিত হওয়ায় এ থেকে কর্মসংস্থানও অনেক বেশি হচ্ছে। স্থানীয় স্তরে ইঁট, বালি ও সিমেন্টের মতো নির্মাণ সামগ্রীর বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় শ্রমিক ও কারিগরদের কর্মসংস্থান হচ্ছে। এই গৃহ নির্মাণের উৎকর্ষ বজায় রাখতে সরকার সারা দেশে ১ লক্ষ রাজমিস্ত্রির গুণবত্তা প্রশিক্ষণ চালু করেছে। আপনারা শুনলে খুশি হবেন যে, রাজমিস্ত্রিদের পাশাপাশি, রানীমিস্ত্রিদেরও প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। এটিও মহিলা ক্ষমতায়নের বড় উদাহরণ। শহরাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে অধিকাংশ মানুষকে সুবিধাভোগী করে তুলতে সরকার চারটি মডেল নিয়ে কাজ করছে। আর শহরাঞ্চলে গৃহনির্মাণের খরচও বৃদ্ধি করে গৃহ প্রতি দেড় লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে। লিঙ্ক সাবসিডি স্কিমের বা সংযোগ ভর্তুকি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রদত্ত ঋণের সুদে ৩-৬ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্প এলাকার উন্নয়নের জন্য সরকার গৃহ প্রতি ১ লক্ষ টাকা অনুদান দিচ্ছে। অথবা সরকারি ক্ষেত্রের সঙ্গে অংশীদারিত্বে নির্মিত সুলভ গৃহনির্মাণের ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের গৃহ প্রতি দেড় লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে। গরিব ও মধ্যবিত্ত গৃহ ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষার্থে আমরা রেরা বা রিয়াল এস্টেট রেগুলেশন অ্যাক্ট চালু করেছি। এই আইন এতট��ই স্বচ্ছ যে ক্রেতাদের অধিকার সুরক্ষিত থাকা নিশ্চিত, নির্মাতারা এখন তাঁদের ঠকাতে ভয় পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যাঁরা শুরুতেই গৃহ পেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, এই প্রকল্প তাঁদের আশা-আকাঙ্খাকে কতটা বাস্তবায়িত করেছে। বাসস্থান সুনিশ্চিত হওয়ায় পরিবারের সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ভালো থাকছে। একটি প্রবাদ আপনারাও শুনেছেন আমিও শুনেছি – ‘সারা জীবন কেটে যায় নিজের মতো ঘর বানাতে’। বর্তমান সরকার এই প্রবাদকে বদলে দিতে চায়। সময় এসেছে এখন দেশের প্রতিটি নাগরিক মনের সুখে বলবেন, ‘জীবন কাটছে নিজের বাড়ির ছাদের নীচে’। আমি মানি যে, এত বড় ব্যবস্থায় এখনও অনেকে আছেন, যাঁদের পুরনো অভ্যাস বদলায়নি। সেজন্য আপনাদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে সুবিধা পেতে কেউ যদি আপনার কাছে ঘুষ বা অবাঞ্ছিত কিছু চায়, সে যেই হন না কেন, তার বিরুদ্ধে নির্দ্বিধায় আপনার জেলাশাসক কিংবা আপনার অঞ্চলের মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন। আমি আগেও বলেছি যে, ভারতের স্বপ্ন ও আকাঙ্খা এই সামান্য ইচ্ছে পূরণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ হবে না। আমরা একটি শক্তিশালী পরিকাঠামো গড়ে তুলছি। কিন্তু আমাদের সকলের সামনে কাজ করার জন্য রয়েছে অসীম আকাশ। সকলের জন্য বাড়ি, বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাসের সংযোগ, ব্যাঙ্ক ও বিমার সুবিধা এনে দিতে পারলে তবেই এই নতুন ভারতের সম্পূর্ণ চিত্র গড়ে উঠবে। আধুনিক পরিষেবাযুক্ত গ্রাম ও সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আমরা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছি। আর সেজন্য আজ এত বিশাল সংখ্যক ভাই ও বোনেদের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে ও প্রযুক্তির মাধ্যমে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি …… একটি ছোট্ট ভিডিও আপনাদের দেখাতে চাই। তারপর আমি আপনাদের কথা শুনতে চাই।",প্ৰধানমন্ত্ৰী আৱাস যোজনাৰ হিতাধিকাৰীসকলক উদ্দেশ্যি প্ৰদান কৰা প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণৰ অসমীয়া অনুবাদ (০৫.০৬.২০১৮) +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%95-%E0%A6%85%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A8/,"নয়াদিল্লি, ২৭ জুলাই, ২০২২ অসমীয়া লেখক শ্রী অতুলানন্দ গোস্বামীজির প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, “বিশিষ্ট লেখক শ্রী অতুলানন্দ গোস্বামীজির মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। তাঁর রচনা বিশেষ সমাদর লাভ করেছিল। বিষয় বৈচিত্র্য এবং সংবেদনশীলতার কারণে তাঁর রচনা ছিল উচ্চ প্রশংসিত। অসমীয়া সাহিত্যকে ইংরেজিতে জনপ্রিয় করে তুলতে তিনি ছিলেন বিশেষভাবে সচেষ্ট। তাঁর পরিবার-পরিজন এবং অনুরাগীদের আমি সমবেদনা জানাই। ওঁ শান্তি!”",অসমৰ বিশিষ্ট লেখক অতুলানন্দ গোস্বামীৰ দেহাৱসানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শোক +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A3%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%AA/,"নয়াদিল্লি, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৫শে সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় মন কি বাত-এর যে পর্ব প্রচারিত হবে, সেই অনুষ্ঠানের বিষয়ে জনসাধারণের কাছ থেকে পরামর্শ আহ্বান করেছেন। MyGov অথবা নমো অ্যাপ-এ এই পরামর্শ দেওয়া যাবে। এছাড়াও, 1800-11-7800 নম্বরে ফোন করেও মন কি বাত সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। আগ্রহী ব্যক্তিরা 1922-তে মিসড কল দিলে তাঁর ফোনে এসএমএস মারফৎ একটি লিঙ্ক পাঠানো হবে। সেখানে তিনি তাঁর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবেন। MyGov-এ পরামর্শ পাঠানোর আমন্ত্রণটি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন – “ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা ধরনের পরামর্শে MannKiBaat ঋদ্ধ হয়, যার ফলে আমাদের সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়। আগের মতোই এই মাসের পর্বেও আপনাদের কাছ থেকে আমি পরামর্শের অপেক্ষায় রইলাম। এই অনুষ্ঠানটি ২৫ তারিখ সম্প্রচারিত হবে।” https://www.mygov.in/group-issue/inviting-ideas-mann-ki-baat-prime-minister-narendra-modi-25th-september-2022/?target=inapp&type=group_issue&nid=334031",মন কি বাতৰ বাবে ধাৰণা আৰু পৰামৰ্শ আমন্ত্ৰণ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-9/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95/,"শ্রীলঙ্কারবিদেশ মন্ত্রী মিঃ তিলক মারাপানা শনিবার এখানে সাক্ষাৎ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীশ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। তিনদিনের এক দ্বিপাক্ষিক সফরে তিনি ভারতে এসেছেন। শ্রীলঙ্কারনতুন বিদেশ মন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করার জন্য মিঃ তিলক মারাপানাকে অভিনন্দনজানান শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘আন্তর্জাতিক ভেসক দিবস’উপলক্ষে এ বছরের মে মাসে তাঁরসফল শ্রীলঙ্কা ��ফরেরও প্রসঙ্গত স্মৃতিচারণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীবলেন, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে ভারত। দুটিদেশের মধ্যেই রয়েছে এক গভীর এবং প্রসারিত সম্পর্কের বাতাবরণ । শ্রীলঙ্কারপ্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি যে কাজ করে যেতে আগ্রহী, এই বার্তাওতিনি পৌঁছে দেন মিঃ মারাপানার সঙ্গে আলোচনাকালে। তিনি বলেন যে দ্বিপাক্ষিকসম্পর্ককেআরও শক্তিশালী করে তুলতে তিনি বিশেষভাবে আগ্রহী। /",শ্ৰী লঙ্কাৰ বৈদেশিক পৰিক্ৰমা মন্ত্ৰী শ্ৰী তিলক মাৰাপনাৰ লগত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ সাক্ষাৎ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%A4%E0%A6%B0/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%B0-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A7%B1%E0%A6%BE%E0%A7%B0-%E0%A6%86%E0%A7%B0%E0%A7%81-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A6%82/,"মোবাইল টাওয়ার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পরিকাঠামোনির্মাণের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জমি কেন্দ্রীয় যোগাযোগ দপ্তরের সংস্থাগুলিরঅনুকূলে হস্তান্তরের লক্ষ্যে নীতিগত এক সংশোধন প্রস্তাবে আজ অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা। মোবাইল টাওয়ার সংস্থাপনের জন্য কেন্দ্রীয় যোগাযোগ দপ্তরের নীতি-নির্দেশিকাঅনুসরণের ক্ষেত্রে অর্জিত অভিজ্ঞতার নিরিখেই এই যোগাযোগ পরিকাঠামোর বিষয়টিকেচিহ্নিত করা হয়েছে। নীতি সংশোধনের প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে যে,প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জমি লিজ-এর ভিত্তিতে যোগাযোগ পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজেব্যবহার করা যাবে। এই ব্যবস্থায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ক্যান্টনমেন্ট এবং মিলিটারিস্টেশনগুলিতে সংযোগ ও যোগাযোগের মান ও পরিষেবা আরও উন্নত হয়ে উঠবে বলে আশা করাহচ্ছে।",যোগাযোগৰ টাৱাৰ আৰু আনুষংগিক আন্তঃগাঁথনি নিৰ্মাণৰ অৰ্থে প্ৰতিৰক্ষা বিভাগৰ ভূমি কমিউনিকেচন অপাৰেটৰক দিবলৈ সংশোধিত নীতিত কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%A8%E0%A7%AD-%E0%A7%A6%E0%A7%AE-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AD%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0/,"আমারপ্রিয় দেশবাসী, সাদর নমস্কার! একদিকে যখন দেশ উৎসবে মেতে রয়েছে, তখন হিন্দুস্থানের কোনোপ্রান্ত থেকে হিংসার খবর আসলে দুশ্চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক। আমাদের দেশ বুদ্ধ এবংগান্ধীর দেশ। দেশের ঐক্যের জন্য মন-প্রাণ সমর্পণকারী সর্দার প্যাটেলজীর দেশ। প্রাচীনকাল থে��ে আমাদের পূর্বসূরীরাযে সর্বজনীন মূল্যবোধকে, অহিংসাকে, সম্প্রীতিকে লালন করে এসেছে, তা আমাদের জীবনেরসঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। ‘অহিংসা পরম ধর্ম’ – এটা আমরা শৈশব থেকে শুনে আসছি, বলে আসছি।আমি লালকেল্লা থেকেও বলেছিলাম, বিশ্বাসের নামে হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। তাসাম্প্রদায়িক বিশ্বাস হতে পারে, রাজনৈতিক চিন্তাধারার প্রতি বিশ্বাস হতে পারে বাকোনো ব্যক্তি কি কোনো পরম্পরার প্রতি বিশ্বাস হতে পারে – কোনো ক্ষেত্রেই হিংসাবরদাস্ত করা হবে না। বিশ্বাসের নামে আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারোরই নেই। ডা.বাবাসাহেব আম্বেদকর আমাদের যে সংবিধান দিয়ে গেছেন, প্রত্যেক ব্যক্তির সুবিচারপাওয়ার অধিকার সেখানে সুনিশ্চিৎ করা আছে। আমি দেশবাসীকে আশ্বাস দিতে চাইছি, আইনহাতে তুলে নেওয়া লোকেদের বিরুদ্ধে, হিংসার পথে যাওয়া যে কাউকেই – ব্যক্তি বাসম্প্রদায় যেই হোক – কাউকেই সরকার বা দেশ বরদাস্ত করবে না। প্রত্যেককেই আইনের কাছেনতজানু হতেই হবে, আইন তার বিচার করবে ও অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে। আমার প্রিয়দেশবাসী, আমাদের দেশ বৈচিত্র্যে ছেয়ে আছে এবং এই বৈচিত্র্য শুধু খাওয়া-দাওয়া,পোষাক-পরিচ্ছদ, আচার-ব্যবহারের মধ্যেই শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ নয়। জীবনের প্রতিটিআচরণের মধ্যেই এই বৈচিত্র্য নজরে আসে। এমনকি আমাদের উৎসবগুলিও বৈচিত্র্যে ভরপুর।আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হাজার বছর পুরনো হওয়ায় সাংস্কৃতিক পরম্পরা, সামাজিকরীতি-নীতি, ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাব যে, ৩৬৫ দিনের প্রায়প্রতিটি দিনই আমাদের জীবন উৎসবময়। এছাড়াও, আমাদের প্রতিটি উৎসবই প্রকৃতিনির্ভর।আমাদের অনেক উৎসব সরাসরি কৃষক ও মৎস্যচাষী ভাই-বোনদের সঙ্গে যুক্ত। আজ আমি উৎসবের কথা বলছি, তাই প্রথমেই আমি আপনাদের ‘মিচ্ছামিদুক্কড়ম’ বলতে চাই। গতকাল জৈন সমাজের ‘সম্বৎসরি’ উৎসব পালিত হয়েছে। জৈন সমাজেভাদ্র মাসে ‘পর্যুষণ পরব’ পালন করা হয়। এই ‘পর্যুষণ পরব’-এর শেষ দিনে হয় সম্বৎসরিউৎসব, যা সত্যিই এক আশ্চর্য পরম্পরা। সম্বৎসরি উৎসব ক্ষমা, অহিংসা আর মৈত্রীরপ্রতিক। আর একে ‘ক্ষমা-বাণী’ উৎসবও বলা হয় এবং এই দিনে একে অপরকে ‘মিচ্ছামিদুক্কড়ম’ বলে শুভেচ্ছা জানানোর ঐতিহ্য আছে। তাছাড়া আমাদেরশাস্ত্রে আছে ‘ক্ষমা বীরস্য ভূষণম’ অর্থাৎ ক্ষমা বীরের ভূষণ। যাঁরা ক্ষমা করতেপারেন, তাঁরা প্রকৃত বীর। এই চর্চা আমরা বহুদিন ধরে শুনে আ���ছি এবং মহাত্মা গান্ধীপ্রায়ই বলতেন – ক্ষমা করা একমাত্র শক্তিশালী ও বলবান ব্যক্তিরই বৈশিষ্ট্য। শেক্সপীয়রতাঁর নাটক ‘দ্য মার্চেন্ট অফ ভেনিস’-এ ক্ষমার মহত্বকে বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেছেন –“ Mercy is twice blest, It blessath him that gives and himthat takes ”। অর্থাৎ, যিনি ক্ষমা করছেন এবংযাঁকে ক্ষমা করা হচ্ছে – উভয়েই ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভ করেন। আমার প্রিয়দেশবাসী, এখন ভারতবর্ষের সর্বত্রই প্রবল উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে গণেশ চতুর্থীপালন করা হচ্ছে। আর যখন গণেশ চতুর্থীর কথা উঠল তখন সর্বজনীন গণেশোৎসবের প্রসঙ্গস্বাভাবিকভাবে চলে আসে। বালগঙ্গাধর লোকমান্য তিলক ১২৫ বছর আগে এই প্রথা চালুকরেছিলেন। আর ১২৫ ধরে স্বাধীনতার বহু আগে থেকেই তা স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক হয়েদাঁড়িয়েছিল। তাছাড়া স্বাধীনতালাভের পর এই উৎসব সমাজ-শিক্ষা, সামাজিক চেতনা বিকাশেরএক প্রতীক হিসাবে মর্যাদা পেয়েছে। গণেশ চতুর্থীর এই মহা পরব ১০ দিন ধরে চলে। আর এইমহোৎসবকে ঐক্য, সাম্য আর পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে আমরা জানি। এই উপলক্ষে প্রত্যেকদেশবাসীকে জানাই গণেশোৎসবের অনেক অনেক শুভকামনা। এখন কেরালায়‘ওনাম’ উৎসব পালিত হচ্ছে। ভারতের বহুবর্ণের উৎসবের মধ্যে ‘ওনাম’ কেরালার এক প্রধানউৎসব। এই উৎসব নিজের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক মহত্বের জন্য বিশিষ্ট। ওনাম উৎসবকেরালার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এই উৎসব সমাজেপ্রেম-ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যের বার্তা বয়ে আনে। পাশাপাশি প্রতিটি নাগরিকের মনে নতুনআশা, নতুন উদ্দীপনা ও নতুন বিশ্বাস জাগিয়ে তোলে। আর এখন তো এই উৎসবও পর্যটনেরআকর্ষণের এক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া আমি তো দেশবাসীকে বলবই যে, গুজরাটের যেমন নবরাত্রি উৎসব বা পশ্চিমবাংলারদুর্গোৎসব – সেভাবেই আজ পর্যটনের মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে – এই ওনাম। আমাদের দেশেরঅন্যান্য উৎসবগুলিতেও বিদেশিদের আকর্ষণ করার প্রচুর সুযোগ রয়ে গেছে। এই ভাবনায় –আমরা আগামী দিনে কি কি পদক্ষেপ নিতে পারি – আমাদের ভাবতে হবে বৈকি! উৎসবের এইআনন্দমেলায় ক’দিন পরেই ‘ঈদ-উল-জুহা’ পালিত হবে। সমস্ত দেশবাসীকে জানাই‘ঈদ-উল-জুহা’র অনেক অনেক অভিনন্দন আর শুভকামনা! এই উৎসব আমাদের কাছে এক ভরসা ওবিশ্বাসের প্রতীক তো বটেই, আমাদের ‘ NewIndia ’-য় উৎসবকে স্বচ্ছতার প্রতীকরূপেও আমাদেরপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের পারিবারিক জীবনে তো উৎসব আর স্বচ্ছতা অঙ্গাঙ্গীভাবেযুক্ত। উৎসবের প্রস্তুতিই শুরু হয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মধ্য দিয়ে। একথা নতুন নয়,কিন্তু স্বচ্ছতাকে সামাজিক স্বভাবে পরিণত করা খুব জরুরী। সর্বজনীনরূপে স্বচ্ছতাশুধুমাত্র আমাদের ঘরেই নয়, প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি শহরে, আমাদের রাজ্যে, আমাদেরদেশে – এই স্বচ্ছতা ও উৎসবকে এক সুতোয় বাঁধতে হবে – যে বন্ধন হবে অটুট। আমার প্রিয়দেশবাসী, আধুনিক হয়ে ওঠার পরিভাষা ক্রমশ বদলাচ্ছে। আজকাল এই নতুন dimension , নতুন parameter হয়েছে। আপনি কতটাসংস্কৃতিবান, কতটা আধুনিক, আপনার চিন্তা-চেতনা কতটা আধুনিক তা প্রমাণ করার জন্যআজকের এই নতুন মাপকাঠি হল – আপনার পরিবেশের প্রতি আপনার সচেতনতা। আপনার নিজের দিনযাপনে eco-friendly , environmentfriendly -র প্রয়োগ আছে কিনা – না কি তারবিপরীত, এটা জানা খুব জরুরী। যদি বিপরীত অবস্থানে থাকেন আপনি – সমাজ আপনাকে খারাপচোখে দেখবে। আর এর পরিণামস্বরূপ আমরা দেখতে পাই যে এই গনেশোৎসবেও আজ পরিবেশ-বান্ধবগণপতি। আমাদের আজ মানতেই হবে যে এ এক বড় আন্দোলন হয়ে উঠেছে। YouTube -এ আপনারা দেখতেপাবেন, আজকাল বাচ্চারা বাড়িতে মাটি দিয়ে গণেশের মূর্তি তৈরি করছে। কেউ কেউ গণেশকেভেষজ রঙ দিয়ে রঙ করছেন, কেউ আবার কাগজ কেটে আঠা দিয়ে তাতে লাগাচ্ছে। একটু একটু করেএর প্রয়োগ প্রতিটি পরিবারেই ক্রমশ বাড়ছে। ‘পরিবেশ সচেতনতা’র এই বিশাল কর্মকাণ্ড এইগনেশোৎসবেই দেখার সুযোগ হল, যা আগে কখনোই সম্ভব হয় নি। আমাদের Media House এই eco-friendly গণেশ মূর্তি তৈরিরবিষয়ে সচেতন করে তুলছে, উৎসাহিত করছে এবং guide –ও করছে। দেখুন, কত বড় পরিবর্তন এসে গেছে – আর এই পরিবর্তন সত্যিই সুখের। আরযেটা আমি বলছিলাম যে আমাদের দেশ কোটি কোটি মেধাবী মানুষে পূর্ণ। খুব ভালো লাগে,যখন নতুন নতুন আবিষ্কারের কথা জানতে পারি। আমাকে কেউ একজন এমন এক ভদ্রলোকের কথাবলছিলেন, যিনি নিজে একজন ইঞ্জিনীয়র। তিনি বিশেষ ধরনের মাটি সংগ্রহ করে তাঁরসংমিশ্রণ ঘটিয়ে গণেশের এমন মূর্তি বানানোর প্রশিক্ষণ মানুষকে দিয়েছেন, যা ছোটো একবালতির জলেই বিসর্জিত করা যায় এবং বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গে জলের মধ্যে মিশে যায়।এরপরেও তিনি থেমে থাকেন নি, সেই বালতিতে তিনি একটি তুলসী চারাও রোপণ করে দেন। তিনবছর আগেআমরা যে স্বচ্ছতা অভিযান শুরু করেছিলাম, আগামী দোসরা অক্টোবর তার তৃতীয়বর্ষপূর্তি। ইতিমধ্যে তার ইতিবাচক দিকগুলো আমাদের নজরে এসেছে। শৌচালয়ের বিস্তার ৩৯শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৭ শতাংশ হয়ে���ে এবং ২ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি গ্রাম উন্মুক্তস্থানে শৌচের দুরবস্থা থেকে নিজেদের মুক্ত ঘোষণা করেছেন। বিগত কিছুদিনধরে গুজরাতের ভয়ংকর বন্যার কথা আমরা শুনছি। অসংখ্য প্রাণহানির খবর তো আছেই, তারওপর বন্যার জল কমার সঙ্গে সঙ্গে জায়গায় জায়গায় নোংরা আবর্জনা ছড়িয়ে থাকার খবরওআসছে। এই রকম একটা সময়ে গুজরাতের বনাসকাঁঠা জেলার ধানেরায়‘জমীয়েত-উলেমা-এ-হিন্দ’-এর কর্মকর্তারা বন্যা প্রভাবিত ২২টি মন্দির ও ৩টি মসজিদের সাফ-সাফাই ও পরিচ্ছন্নতার সম্পূর্ণ কাজ নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছেন। নিজেরা ঘামঝরিয়েছেন এবং সবাই কাজে হাত লাগিয়েছেন। স্বচ্ছতারউদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করার এমন এক অনুপম উদাহরণ ‘জমীয়েত-উলেমা-এ-হিন্দ’-এরকর্মকর্তারা প্রস্তুত করেছেন যা সবাইকে প্রেরণা দেবে। সমর্পিতভাবে স্বচ্ছতার জন্যকরার এই প্রচেষ্টা যদি আমাদের স্বভাবের একটি স্থায়ী অঙ্গ হয়ে যায় তবে আমাদের দেশকোথা থেকে কোথায় পৌঁছে যেতে পারে। আমার প্রিয়দেশবাসী, আমি আপনাদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানাচ্ছি যে, আসুন, আবার একবার, দোসরাঅক্টোবর ‘গান্ধী জয়ন্তী’র ১৫-২০ দিন আগে থাকতে ‘স্বচ্ছতাই সেবা’-র প্রচার শুরুকরি। যেরকম আগে বলা হত, ‘জল সেবাই প্রভু সেবা’ এবং ‘স্বচ্ছতাই সেবা’ – ঠিক সেইরকম।পুরো দেশে স্বচ্ছতার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করি। যেরকম সুযোগ পাওয়া যাবে এবং যখনইসুযোগ মিলবে আমরা যেন সুযোগ খুঁজি ও তার সদ্ব্যবহার করি। কিন্তু অংশ নিতে হবেসবাইকে। একে মনে করুন দীপাবলী, নবরাত্রি বা দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। শ্রমদান করুন।ছুটির দিন বা রবিবারগুলোতে একত্রিত হয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করুন। আশেপাশের বস্তিএলাকাগুলিতে যান, কাছেপিঠের গ্রামে যান, একে এক আন্দোলনের রূপ দিন। আমি সমস্তএন-জি-ও, স্কুল, কলেজ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক নেতৃবর্গ, সরকারী আমলা,কালেক্টর এবং পঞ্চায়েত প্রধানদের কাছে আবেদন রাখছি, দোসরা অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীরজন্মজয়ন্তীর পনেরো দিন আগেই এমন এক আবহ তৈরি করি, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি করি যাতেগান্ধীজীর স্বপ্নের ভারত বাস্তবায়িত হয়। পানীয় জল ওস্বচ্ছতা মন্ত্রক, mygov.in -এ একটি বিভাগ তৈরি করেছে যেখানে শৌচালয় তৈরির পর আপনিআপনার নিজের নাম ও সেই পরিবারের নাম তালিকাভুক্ত করতে পারেন, যাঁদের আপনি এই কাজেসাহায্য করেছেন। আমার সোস্যাল মিডিয়ার বন্ধুরা ভার্চুয়্যাল দুনিয়ায় এমন কিছুসৃজনশীল প্রচা�� চালাতে পারেন যা বাস্তবে প্রেরণাদায়ক হতে পারে। পানীয় জল ওস্বচ্ছতা মন্ত্রক দ্বারা ‘স্বচ্ছ সংকল্প থেকে স্বচ্ছ সিদ্ধি’ অভিযানের অন্তর্গতপ্রবন্ধ, স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র এবং ছবি আঁকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতেপারে। আপনারা বিভিন্ন ভাষায় প্রবন্ধ লিখতে পারেন এবং এই প্রতিযোগিতার কোনওনির্দিষ্ট বয়সসীমা নেই। আপনারা নিজের মোবাইলে স্বচ্ছতা সংক্রান্ত দুই-তিন মিনিটেরচলচ্চিত্র বানিয়ে পাঠাতে পারেন, যা যে কোনও ভাষায় হতে পারে, এমনকী নির্বাকও হতেপারে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে জেলাস্তরে তিনজন এবং রাজ্যস্তরেতিনজনকে সেরা নির্বাচিত করা হবে ও পুরস্কৃত করা হবে। আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি,স্বচ্ছতা অভিযানে আপনারা এভাবেও অংশ নিতে পারেন। আমি আরও একবারবলতে চাই, আসুন, এই বছর দোসরা অক্টোবর গান্ধীজয়ন্তীর দিনটিকে আমরা ‘স্বচ্ছ দোসরাঅক্টোবর’ হিসেবে পালন করার সংকল্প নিই এবং এর জন্য ১৫-ই সেপ্টেম্বর থেকেই‘স্বচ্ছতাই সেবা’ – এই মন্ত্রকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিই। স্বচ্ছতার জন্য কোন না কোনপদক্ষেপ অবশ্যই নিন। নিজে পরিশ্রম করুন, অংশগ্রহণ করুন, তাহলে দেখবেন গান্ধীজয়ন্তীর দিনটি অর্থাৎ দোসরা অক্টোবর কেমন সাফল্যমণ্ডিত হয়ে উঠবে। এই পনের দিনেরসাফাই অভিযানের পর, ‘স্বচ্ছতাই সেবা’ এই মন্ত্র পালনের পর, দোসরা অক্টোবর যখন আমরাগান্ধীজয়ন্তী পালন করব এবং পূজনীয় বাপুকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাব, তখন আমাদের মন একনির্মল আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে। আমার প্রিয় দেশবাসী, আমি আপনাদেরকাছে বিশেষভাবে ঋণ স্বীকার করতে চাই ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, কারণ আপনারাদীর্ঘদিন ধরে ‘মন কি বাত’-এর সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। শুধু তাই নয়, দেশের প্রতি কোণথেকে অসংখ্য মানুষ এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে চলেছেন। শ্রোতার সংখ্যা কয়েককোটি এবং লক্ষাধিক মানুষ কখনও চিঠি মাধ্যমে, কখনও message পাঠিয়ে বা ফোনে যোগাযোগ করেন,বার্তা পাঠান যা আমার কাছে এক পরম প্রাপ্তি ও দুর্লভ সম্পদ। দেশের জনগণের ভাবনা ওমনের কথা জানার এটা আমার কাছে একটা বড় সুযোগ। আপনারা যতটা ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানেরঅপেক্ষা করেন, তার চেয়ে বেশি অপেক্ষায় আমি থাকি আপনাদের খবরাখবরের। আমি অধীরআগ্রহে অপেক্ষা করি কারণ, আপনাদের থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পারি। আমি আমার কাজ ওভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলি পরখ করার সুযোগ পাই। আপনাদের ছোট�� ছোটো মতামত অনেকপরিকল্পনাকে নতুন ভাবে ভাবতে সাহায্য করে এবং এইজন্যে আপনাদের কাছে আন্তরিককৃতজ্ঞতা ও ঋণস্বীকার করতে চাই। আমি চেষ্টা করি আপনাদের মতামত যতবেশি সম্ভব নিজেই দেখার, শোনার, পড়ার ও জানার। আমি এমনই এক ফোন কলের কথা এখন বলতেচাই যা শুনে আপনাদের মনে হবে যে এরকম ভুল তো আপনারাও কখনো না কখনো নিশ্চয়ই করেছেন।কিছু কিছু কাজে আমরা এতটাই অভ্যস্ত হয়ে উঠি যে আমাদের মনেই হয় না কাজটা অনুচিত। “প্রধানমন্ত্রীজী,আমি পুণা থেকে অপর্ণা বলছি। আমি আমার এক বান্ধবীর কথা আপনাকে জানাতে চাই। সে সবসময়লোকেদের সাহায্য করার চেষ্টা করে কিন্তু ওর একটা বদভ্যাস আছে যা দেখে আমি খুবআশ্চর্য হই। আমি একবার কেনাকাটা করতে ওর সঙ্গে মলে গিয়েছিলাম। দেখলাম ও একটাদু-হাজার টাকার শাড়ি কিনল, পিৎজার জন্য ৪৫০ টাকা অনায়াসে খরচ করল। অথচ ‘মল’-এযাওয়ার জন্য অটোওয়ালার সঙ্গে পাঁচ টাকার জন্য অনেকক্ষণ দরদাম করল। ফেরার পথে সবজিকেনার সময়ও ও একই কাজ করল ও দরদাম করে চার-পাঁচটাকা বাঁচাল। আমার খুব খারাপলেগেছিল। আমরা বড় বড় দোকানে বিনা বাক্যব্যয়ে অনেক টাকা খরচ করি, কিন্তু আমাদেরশ্রমজীবী ভাই-বোনদের সঙ্গে সামান্য কয়টা টাকার জন্য বাগ্‌বিতণ্ডা করি, তাদেরঅবিশ্বাস করি! আপনি ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে অবশ্যই আলোচনা করবেন।” আমার বিশ্বাস,এই ফোনের বিষয়বস্তু শোনার পর আপনারা কেবল সজাগই হননি, এমন ভুল না করার সিদ্ধান্তনিয়ে ফেলেছেন। আপনার কিমনে হয় না কি আমাদের ঘরের আশেপাশে যখন কেউ জিনিস বিক্রি করতে আসে, ফেরি করতে আসে,কোনো ছোট দোকানদার, সব্জী বিক্রেতার সঙ্গে আমাদের কাজ পড়ে, কখনও অটো-রিকশার সঙ্গেদরকার পড়ে – যখনই কোনো মেহনতী মানুষের সঙ্গে কাজ পড়ে আমাদের, তখনই আমরা দরাদরিকরি, দর কষতে লেগে যাই তার সঙ্গে – না এত নয়, দু’ টাকা কম করো, পাঁচ টাকা কম করো।আর আমাদের মত লোকই যখন কোনো বড় রেস্টুরেণ্টে খাবার খেতে যাই তখন বিলে কী লেখা আছেতা দেখিও না, সঙ্গে সঙ্গে টাকা বের করে দিয়ে দিই। শুধু তাই নয়, শোরুমে শাড়ি কিনতেগেলে কোনো দরাদরি করি না, কিন্তু কোনো গরীবের সঙ্গে কাজ পড়লে দরাদরি না করে ছাড়িনা। এতে গরীবের মনে কী হয় তা কখনও ভেবে দেখেছেন আপনি? তার জন্য বিষয়টা দু’টাকা-পাঁচটাকার নয়। তার হৃদয়ে ব্যথা লাগে যে সে গরীব বলে আপনি তার সততাকে সন্দেহ করলেন। দু’টাকা, পাঁচ টাকায় আপনার জীবনে কোনো ফারাক পড়বে না কিন্তু আপনার এই সামান্য আচরণতার মনে কতটা গভীর আঘাত দেয় তা কখনও ভেবে দেখেছেন? ম্যাডাম, আমি আপনার কাছেকৃতজ্ঞ, আপনি এমন হৃদয়স্পর্শী ফোন করে এক বার্তা দিলেন আমাকে। আমার বিশ্বাস যেআমার দেশবাসীর মধ্যে গরীবের সঙ্গে এই আচরণের অভ্যাস থাকলে নিশ্চিতভাবে তাঁরা তাত্যাগ করবেন। আমার প্রিয় তরুণবন্ধুরা, ২৯শে অগাস্ট তারিখটা পুরো দেশ ‘জাতীয় ক্রীড়া দিবস’ হিসাবে উদযাপন করে। এইদিনটি মহান হকি খেলোয়াড় এবং হকির জাদুকর মেজর ধ্যানচাঁদজীর জন্মদিন। হকিতে ওঁরঅবদান অতুলনীয়। আমি এই ব্যাপারটাকে এই কারণে স্মরণ করছি কারণ আমি চাই যে আমাদেরদেশের নতুন প্রজন্ম খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত হোক। খেলাধুলো আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়েউঠুক। যদি আমরা বিশ্বের ‘তরুণ রাষ্ট্র’ হই তবে খেলার মাঠেও এই তারুণ্য নজরে পড়াউচিত। খেলাধুলো মানে ফিজিক্যাল ফিটনেস, মেন্টাল অ্যালার্টনেস, পার্সোনালিটিএনহ্যান্সমেন্ট। এর থেকে বেশি আর কি চাই? একদিক থেকে খেলাধুলো হৃদয়ের মেলবন্ধনঘটানোর এক দারুণ দাওয়াই। আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম খেলার জগতে এগিয়ে আসুক আর আজকম্প্যুটারের যুগে আমি এ ব্যাপারেও সচেতন করতে চাইব যে প্লেয়িং ফিল্ড,প্লে-স্টেশনের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কম্প্যুটারে ফিফা খেলুন কিন্তু বাইরেময়দানেও তো কখনও ফুটবলের সঙ্গে কসরৎ করে দেখান। কম্প্যুটারে হয়ত ক্রিকেট খেলেন,কিন্তু খোলা ময়দানে আকাশের নীচে ক্রিকেট খেলার আনন্দই আলাদা। একটা সময় ছিল যখনপরিবারের ছোটরা বাইরে গেলে মা সবার আগে জিজ্ঞাসা করতেন যে তুমি কখন ফিরবে? আজঅবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে বাচ্চারা ঘরে ফিরেই এক কোণে হয় কার্টুন ফিল্ম দেখতে শুরুকরে আর নয়ত মোবাইল গেমে মশগুল হয়ে যায় আর তখন মা-কে চীৎকার করে বলতে হয় – তুই কখনবাইরে যাবি! সময় পালটে যায়, সে এক যুগ ছিল যখন মা ছেলেকে বলত কি তুই কখন আসবি আরআজ এমন অবস্থা হয়েছে যে মা-কে বলতে হয়, বাবা, তুই কখন বাইরে যাবি? তরুণ বন্ধুরা,ক্রীড়া মন্ত্রক খেলাধুলোয় প্রতিভার খোঁজ করতে আর তার বিকাশের লক্ষ্যে একটা ‘স্পোর্টসট্যালেন্ট সার্চ’ পোর্টাল বানিয়েছে যেখানে গোটা দেশ থেকে যে কোনো বাচ্চা, যেখেলাধুলোর ক্ষেত্রে কিছু কৃতিত্ব অর্জন করেছে, তার মধ্যে ট্যালেন্ট আছে – সে এইপোর্টালে নিজের বায়োডাটা বা ভিডিও আপলোড করতে পারে। সিলেক্টেড এমার্জিংপ্লেয়ার্সদের ক্রীড়া মন্ত্রক ট্রেনিং দেবে আর মন্ত্রক আগামীকাল-ই এটাকে লঞ্চ করতেচ���েছে। আমাদের তরুণদের জন্য খুশির খবর যে ৬ থেকে ২৮শে অক্টোবর ভারতে ফিফা আণ্ডারসেভেনটিন ওয়ার্ল্ড কাপ আয়োজিত হতে চলেছে। দুনিয়ার চব্বিশটি টিম ভারতকে নিজেদের ঘরবানাতে চলেছে। আসুন, বিশ্ব থেকে আসা আমাদের তরুণ অতিথিদের খেলার উৎসবের সঙ্গেইস্বাগত জানাই, খেলা এনজয় করি, দেশে এক উপযুক্ত পরিবেশ বানাই। যখন আজ আমি খেলার কথাবলছি তখন মনে পড়ে যাচ্ছে গত সপ্তাহের এক মর্মস্পর্শী ঘটনা। দেশবাসীদের সঙ্গে শেয়ারকরতে চাই সেটা। খুব কম বয়সের কিছু মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হয় আমার আর তাদেরমধ্যে কয়েকজনের তো হিমালয়ের কোলে জন্ম হয়েছে। সমুদ্রের সঙ্গে যাঁদের কোনোদিনইসংযোগ ছিল না। আমাদের দেশের এমন ছয় কন্যা যাঁরা নেভিতে কাজ করে – তাঁদের আবেগ,তাঁদের উৎসাহ আমাদের সবাইকে প্রেরণা দেবে। এই ছয় কন্যা, একটা ছোট নৌকো নিয়ে – ‘আই-এন-এসতারিণী’, সেটা নিয়ে সমুদ্র পার করতে বেরোবে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নাবিকাসাগর পরিক্রমা’, আর ওঁরা গোটা বিশ্বের ভ্রমণ সেরে অনেক মাসের পর – বেশ কয়েক মাস পরেভারতে পৌঁছবে। কখনও একটানা চল্লিশ দিন জলেই থাকবে। কখনও একসঙ্গে তিরিশ দিন জলেকাটাবে। সমুদ্রের ঢেউয়ের মাঝে আমাদের এই সাহসী ছয় কন্যা, আর এটা বিশ্বের এমন প্রথমঘটনা। কোন্‌ ভারতবাসী আছেন যিনি গর্বিত হবেন না আমাদের এই কন্যাদের নিয়ে! আমি এইমেয়েদের অনুভবকে সেলাম জানাই, আর আমি ওঁদের বলেছি যে গোটা দেশের সঙ্গে নিজেদেরভাবনা ভাগ করে নিতে। আমিও ‘নরেন্দ্রমোদী অ্যাপ’-এ ওঁদের ভাবনার জন্য একটা আলাদাব্যবস্থা করব যাতে আপনারা সেগুলো পড়তে পারেন। কারণ, এটা এক দিক থেকে সাহসেরআখ্যান, নিজেদের ভাবনার কথা হবে সেটা, আর আমার আনন্দ হবে এই মেয়েদের কথা আপনাদেরকাছে পৌঁছে দিতে। এই কন্যাদের প্রতি আমার অনেক-অনেক শুভেচ্ছা, ঢের-ঢের আশীর্বাদ। আমার প্রিয়দেশবাসী, ৫ই সেপ্টেম্বর আমরা সবাই ‘শিক্ষক দিবস’ পালন করি। আমাদের দেশের ভূতপূর্বরাষ্ট্রপতি ডক্টর রাধাকৃষ্ণণ-জীর জন্মদিন। উনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন কিন্তু গোটা জীবনধরে নিজেকে একজন শিক্ষক হিসাবেই তৈরি করেছিলেন। উনি সবসময় শিক্ষক হিসাবে বাঁচতেইপছন্দ করতেন। তিনি শিক্ষার প্রতি সমর্পিত প্রাণ ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন বিদ্বান,রাজনীতিক, ভারতের রাষ্ট্রপতি, কিন্তু সর্বোপরি একজন শিক্ষক। তাঁকে আমার প্রণাম জানাই। মহান বৈজ্ঞানিক অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, ‘ … it is the supreme art of the teacher to awaken joy increative expression and knowledge ’। একজন শিক্ষকেরমহত্ত্বম গুণ তাঁর ছাত্রদের মধ্যে সৃজনের মানসিকতা জাগানো এবং জ্ঞানার্জনের আনন্দদান। আমরা এবার সবাই মিলে ‘শিক্ষক দিবস’ পালন করবো। কি, আমরা সবাই মিলে এই সংকল্পনিতে পারবো? এক mission mode –এ একটা অভিযান শুরু করতে পারি? ‘ Teach to Transform, Educate to Empower, Learn to Lead ’ এই শপথ নিয়ে, এই অঙ্গীকারে আমরা এগোতে পারি। প্রত্যেকেইপাঁচ বছরের জন্য একটা সংকল্প নিন, সেই সংকল্প সিদ্ধ করতে পাঁচ বছরের পরিকল্পনাবানান, পাঁচ বছর ধরে পরিশ্রম করুন এবং জীবনে সাফল্যের স্বাদ পেতে পারেন – এমন একভাবনা আমাদের স্কুল, আমাদের কলেজ, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিতে পারে। আমাদের দেশেযখন transformation -এর কথা আসবে, ঠিকযেভাবে পরিবারের মায়ের কথা মনে আসে একইরকম ভাবে সমাজে শিক্ষকের ভূমিকার কথা মনেপড়বে। Transformation -এ শিক্ষকদের বিশালভূমিকা থাকে। প্রত্যেক শিক্ষকের জীবনে কোনো না কোনো ছাত্রের transformation কারিগর হওয়ার ঘটনারয়েছে। আমরা সার্বিকভাবে প্রয়াস করি। দেশের Transformation –এ তা অনেক বড় ভূমিকা নেবে। আসুন, ‘Teachto Transform’ -এই মন্ত্র নিয়ে আমরা এগিয়ে চলি। “প্রণামপ্রধানমন্ত্রীজী! আমার নাম ডাক্তার অনন্যা অগুস্থি। আমি মুম্বইয়ের বাসিন্দা এবংহাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটির India ResearchCentre -এর সঙ্গে যুক্ত। গবেষক হিসেবে আর্থিক সংযোজনায়আমার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। অর্থাৎ, Financialinclusion -এর মত social scheme –গুলোর বিষয়ে আমিআগ্রহী। আমার প্রশ্ন, ২০১৪ সালে যে ‘জন ধন যোজনা’ চালু করা হয়েছিল, পরিসংখ্যান কিবলছে, তার তিনবছর পরে ভারতবর্ষ আর্থিক দিক থেকে বেশি সুরক্ষিত হয়েছে? এই অধিক সশক্তিকরণেরউপকার আমাদের মহিলারা, কৃষকরা, শ্রমিকরা পেয়েছেন কি? গ্রাম থেকে সর্বত্র তারপ্রভাব পড়েছে? ধন্যবাদ! আমার প্রিয়দেশবাসী, ‘প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা ’, Financial inclusion শুধু ভারতনয়, বিশ্বের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। ২০১৪ সালের ২৮শেআগষ্ট একটা স্বপ্ন নিয়ে এই যোজনা শুরু হয়েছিল। কাল, ২৮শে আগষ্ট ‘প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা’র তিন বছর পূর্ণ হবে। ৩০ কোটি ভারতবাসী এই যোজনায় অংশগ্রহণ করে তাঁদেরপ্রথম ব্যাঙ্ক অ্যাকাউণ্ট খুলেছেন। বিশ্বের বহু দেশের জনসংখ্যার থেকেও বেশি এইনতুন অ্যাকাউণ্টধারী নাগরিকের সংখ্যা। আজ আমার এক বড় সাফল্য মনে হয় যে, সমাজেরপিছিয়ে পড়া শ্রেণির গরীব ভাইয়েরা দেশের অর্থনীতির মূলস্রোতে অংশগ্রহণ করতে পারছেন,এঁদের অভ্যাস বদলাত�� শুরু করেছেন, নিজেদের অর্থের সুরক্ষা করতে শিখেছেন, ব্যাঙ্কেযাতায়াত করা শুরু করেছেন, সঞ্চয়ী মনোভাব হয়েছে। ঘরে বা পকেটে টাকা থাকলে বাজেখরচের দিকে মন যায়। এখন সংযম করতে শিখে তাঁরা ভাবছেন সঞ্চিত অর্থ ভবিষ্যতে তাঁদেরসন্তানের কাছে আসবে। আগামী দিনে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজেও সে টাকা লাগতে পারে। শুধুতাই নয়, যখন দরিদ্র মানুষের কাছে Rupay Card থাকছে, তাঁর মনেহচ্ছে ধনী লোকেদের পকেটে যেমন Credit Card থাকে, আমার কাছে RupayCard রয়েছে। এভাবে তাঁদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে।‘প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা’য় আমাদের দেশের গরীব মানুষেরা প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকাজমা করেছেন। আবার ‘প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা’য় যাঁরা অ্যাকাউণ্ট খুলেছেন,ইন্সিওরেন্সের সুবিধাও পেয়েছেন। ‘প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বীমা যোজনা’,‘প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা’ যথাক্রমে মাত্র একটাকা ও তিন টাকা প্রিমিয়ামদিয়ে আজ ঐ গরীব মানুষের জীবনে নতুন আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। কোনও পরিবারে এই গরীবমানুষ যখন সংকটে পড়েছে – পরিবারের প্রধানের মৃত্যু হয়েছে, ঐ একটা প্রিমিয়ামের সুফলদু’লাখ টাকা পেয়ে যাচ্ছেন। ‘প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা’, ‘স্টার্ট আপ যোজনা’,‘স্ট্যাণ্ড আপ যোজনা’ – দলিত হোক কি আদিবাসী, মহিলা, সদ্য কলেজপাশ তরুণ-তরুণীরানিজের পায়ে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পাওয়া কোটি কোটি যুবক-যুবতী বিনাগ্যারাণ্টিতে ‘প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা’য় অর্থ পেয়ে যাচ্ছেন এবং শুধু নিজেস্বাবলম্বী হচ্ছেন তা নয়, অনেকেই আরও দু-একজনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছেন।কিছুদিন আগে ব্যাঙ্কের কর্মকর্তারা আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ‘জনধন যোজনা’, ‘ Rupay Card ’, ‘প্রধানমন্ত্রীমুদ্রা যোজনা’, ইন্সিওরেন্সের জন্য সাধারণ মানুষের কতটা উপকার হয়েছে তার অনেকউৎসাহব্যঞ্জক ফলাফল আমাকে জানিয়েছেন। আজ এই নিয়ে বিস্তারিত বলার সময় নেই, তবেব্যাঙ্কের কর্মকর্তাদের আমি বলব, এসব তথ্য mygov.in –এ আপলোড করে দিতে। সাধারণ মানুষ পড়তে পারবে, কোন যোজনা কতমানুষের জীবনে কতটা transformation ঘটিয়েছে, তার পরিসংখ্যান পেয়ে অনুপ্রাণিত হবেন। কীভাবেনতুন উদ্যম এসেছে, আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে উঠেছে তার একটি উদাহরণ আমাদের সামনেআসবে। আপনাদের কাছে এইসব তথ্য পৌঁছনোর ব্যবস্থা হবে এবং তেমন উৎসাহব্যঞ্জক ঘটনামিডিয়াও প্রচার করতে পারে। তারাও সফল ব্যক্তিত্বদের সাক্ষাৎকার নিয়�� নতুনপ্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। আমার প্রিয়দেশবাসী, আপনাদের জানাই, ‘মিচ্ছামী দুক্কড়ম’! অনেক অনেক ধন্যবাদ!",২৭.০৮.২০১৭ত আকাশবাণীত প্ৰধানমন্ত্ৰীয়ে আগবঢ়োৱা ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানৰ ভাষণৰ ইংৰাজী সংস্কৰণৰ অসমীয়া অনুবাদ +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A7%AD%E0%A7%AB%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95-2/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A7%AD%E0%A7%AB-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8/,"নতুনদিল্লি, ১৫ই আগস্ট, ২০২১ ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে বিশ্বের নেতৃবৃন্দ যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান। ভূটানের প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট বার্তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; “স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য লোঞ্ছেন @",৭৫ সংখ্যক স্বাধীনতা দিৱস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জ্ঞাপনৰ বাবে বিশ্ব নেতাসকলক ধন্যবাদ প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%B6%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%B8%E0%A6%B6%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF/,"নয়াদিল্লি, ৭ ডিসেম্বর ২০২২ সশস্ত্র বাহিনীর পতাকা দিবস উপলক্ষে বীর সেনানীদের অভিবাদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। বাহিনীর শৌর্য, সাহসিকতা ও আত্মোৎসর্গের মানসিকতার বিশেষ প্রশংসাও করেছেন তিনি। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন – “আজ সশস্ত্র বাহিনীর পতাকা দিবস। এই উপলক্ষে আমাদের সেনাবাহিনীর শৌর্য ও ত্যাগ স্বীকারকে আমি সম্মান জানাই। জাতির সুরক্ষায় বহু দশক ধরেই তাঁরা এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এক শক্তিশালী ভারত গঠনের লক্ষ্যে তাঁদের বিশেষ অবদানও রয়েছে। আমি সকলকেই সশস্ত্র বাহিনীর পতাকা দিবসের তহবিলে দান করার আহ্বান জানাচ্ছি।”",সশস্ত্ৰ বাহিনীৰ পতাকা দিৱসত সশস্ত্ৰ বাহিনীক অভিবাদন প্ৰধানমন্ত্ৰী +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%AA%E0%A7%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%8D/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারত ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে ২৬শে মার্চ স্বাক্ষরিত সমঝোতা��ত্র বা মউটিতে কর্মপরবর্তী অনুমোদন মিলেছে। এই মউ স্বাক্ষরের ফলে পর্যটন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা সহজ হবে। উল্লেখ করা যেতে পারে, রাষ্ট্রপতির ক্রোয়েশিয়া সফরকালে গতকাল (২৬শে মার্চ) পর্যটন সহযোগিতা সংক্রান্ত এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।",পৰ্যটনক্ষেত্ৰত ভাৰত – ক্ৰোৱেছিয়াৰ মাজত সম্পন্ন বুজাবুজি চুক্তিলৈ কেবিনেটৰ অনুমোদন +https://www.pmindia.gov.in/bn/news_updates/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%9D%E0%A6%BE/,https://www.pmindia.gov.in/asm/news_updates/%E0%A6%9D%E0%A6%BE%E0%A7%B0%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A7%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%B1%E0%A6%B8-2/,"প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ঝাড়খন্ডবাসীকে তাঁদের রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ঝাড়খন্ডবাসীকে তাঁদের রাজ্য স্থাপনা দিবসে শুভেচ্ছা জানাই। ভগবান বীরসা মুন্ডার আশীর্বাদে আগামী বছরগুলিতে এই রাজ্য বিকাশ ও গৌরবের নতুন উচ্চতা লাভ করুক”।",ঝাৰখণ্ডৰ প্ৰতিষ্ঠা দিৱস উপলক্ষে ৰাজ্যবাসীলৈ প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ শুভেচ্ছা